31.08.2019 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা এই সঙ্গমে তোমাদের যা মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেসব স্মরণ করো তো সদা খুশীতে থাকবে

প্রশ্নঃ -
সর্বদা হাল্কা অনুভব করার যুক্তি কি ? কোন্ উপায়ে খুশীতে থাকতে পারবে ?

উত্তরঃ -
সর্বদা হাল্কা থাকার জন্য এই জন্মে যা কিছু পাপ কর্ম হয়েছে, সেসব অবিনাশী সার্জেনের সামনে রাখো। বাকি জন্ম-জন্মান্তরের পাপ যা মাথায় আছে তার জন্যে স্মরণের যাত্রায় থাকো। স্মরণের দ্বারা-ই পাপ বিনষ্ট হবে, তাহলে খুশী থাকবে। বাবার স্মরণে আত্মা সতোপ্রধান হয়ে যাবে ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি আত্মারূপী (রূহানী) বাচ্চাদের আত্মাদের (রূহানী) বাবা বোঝাচ্ছেন - তোমাদের মনে পড়েছে যে আমরা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম, আমরা রাজত্ব করতাম, আমরা যথাযথভাবে বিশ্বের মালিক ছিলাম। সেই সময় দ্বিতীয় কোনও ধর্ম ছিল না। আমরাই সত্যযুগ থেকে জন্ম নিয়ে ৮৪-র চক্র পূর্ণ করেছি। সম্পূর্ণ বৃক্ষের স্মৃতি গুলো মনে এসেছে। আমরা দেবতা ছিলাম তারপরে রাবণের রাজ্যে এসে দেবী-দেবতা রূপে পরিচয় দেওয়ার যোগ্যতা থাকল না, তাই ধর্মটি অন্য ভেবে নেওয়া হয়েছে। আর কারো ধর্ম তো বদলায় না। যেমন ক্রাইস্টের খ্রিস্টান ধর্ম, বুদ্ধের বৌদ্ধ ধর্ম একই রকম চলে আসছে। সবার বুদ্ধিতে জ্ঞান আছে অমুক সময়ে বুদ্ধ দ্বারা বৌদ্ধ ধর্মের স্থাপনা হয়েছে। হিন্দুদের নিজের ধর্মের জ্ঞান নেই যে, হিন্দু ধর্ম কবে থেকে শুরু হয়েছে, কে স্থাপন করেছে ? লক্ষ বছর বলে দেয়। সম্পূর্ণ সৃষ্টির জ্ঞান বাচ্চারা শুধু তোমাদেরই আছে, একেই বলা হয় জ্ঞান-বিজ্ঞান। তারা বিজ্ঞান ভবন নাম যদিও রেখেছে কিন্তু বাবা তার অর্থ বোঝান - জ্ঞান ও যোগ, রচয়িতা ও রচনার আদি, মধ্য, অন্তের জ্ঞান, তোমরা এখনই বুঝেছ যে আমরাও জানতাম না, ঈশ্বরে অবিশ্বাসী ছিলাম। সত্যযুগে এই জ্ঞান তো থাকবে না। এখন তোমাদের টিচার পড়িয়েছেন। পড়াশোনা করে তোমাদের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত হয়। কারণ তোমাদের থাকার জন্য নতুন সৃষ্টি চাই। এই পুরানো সৃষ্টিতে পবিত্র দেবী-দেবতারা চরণ রাখতে পারেন না। বাবা এসে তোমাদের জন্য পুরানো দুনিয়ার বিনাশ করে নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন। আমাদের জন্য বিনাশ হতে হবে। কল্প-কল্পান্তর আমরা এই পার্ট প্লে করেছি। বাবা জিজ্ঞাসা করেন এর আগে কবে দেখা হয়েছিল ? তখন বলে - বাবা, প্রতি কল্পে তো দেখা হয়েছে, আপনার কাছে রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করতে। কল্প পূর্বেও অসীম জগতের সুখের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছিল। এই সব কথা স্মরণে এসেছে, এখন সেইসবই স্মরণে থাকা উচিত, যাকে বাবা স্বদর্শন চক্র বলে। আমরা প্রথমে সতোপ্রধান ছিলাম। এই কথাও তোমাদের স্মরণে এসেছে যে প্রত্যেকটি আত্মার নিজস্ব পার্ট আছে। আমরা আত্মারা ছোট, অবিনাশী, তাতে পার্টও অবিনাশী যা চলতেই থাকবে। এই সব পূর্ব নির্ধারিত পুনরায় নির্দিষ্ট হয়ে চলেছে.... এতে নতুন কথা কোনও অ্যাড বা কাট অর্থাৎ যোগ বা বিয়োগ হতে পারে না। কেউ মোক্ষ লাভ করতে পারে না। কেউ মুক্তি পেতে চায়, মুক্তি আলাদা, মোক্ষ আলাদা। এই কথাও স্মরণে রাখতে হবে। স্মরণে থাকলে অন্যদেরও স্মরণ করাতে পারবে। তোমাদের তো এই কাজ। বাবা যা মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেসব অন্যদেরও স্মরণ করাও তাহলেই উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে। উঁচু পদের অধিকারী হওয়ার জন্য খুব পরিশ্রম করতে হবে। মুখ্য পরিশ্রম হল যোগের। এ হল স্মরণের যাত্রা, যা বাবা ছাড়া কেউ শেখাতে পারে না। এখন তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পড়া করছ। তোমরা জানো আমরা আবার নতুন দুনিয়ায় যাব। তার নাম হল অমরলোক। এটা হল মৃত্যু লোক। এখানে তো বসে বসে হঠাৎ মৃত্যু হয়। সেখানে মৃত্যুর নাম-গন্ধ নেই, কারণ আত্মাকে তো বাস্তবে কাল গ্রাস করে না। কোনো মিষ্টি নাকি। ড্রামা অনুসারে আত্মা যখন সময় হয় তখন আত্মা চলে যায়। যখন যার যাওয়ার সময় হয়, সে চলে যায়। কাল ধরতে পারে না। আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে। কাল বলে কিছু নেই। এইসব তো বসে বসে কাহিনী লিখে দিয়েছে। ওটা হল অমরলোক, যেখানে নিরোগী কায়া (শরীর স্বাস্থ্য রোগমুক্ত থাকে) । সত্যযুগে ভারতবাসীদের আয়ু বেশি ছিল, তারা যোগী ছিল। যোগী ও ভোগী এই দুইয়ের মধ্যে তফাৎ এখনই বোঝা যায়। তোমাদের আয়ু বেশি হচ্ছে। তোমরা যত যোগ যুক্ত থাকবে, ততই পাপ বিনষ্ট হবে এবং উঁচু পদ মর্যাদাও প্রাপ্ত করবে, আয়ুও বেশি থাকবে। যথা রাজা রানী আয়ু পূর্ণ করে শরীর ত্যাগ করবে, প্রজারাও তেমন করবে। কিন্তু পদ মর্যাদায় তফাৎ থাকবে।

এখন বাবা তোমাদের বলেন - স্বদর্শন চক্রধারী বাচ্চারা, এইসব অলঙ্কার হল তোমাদের। গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের মতন তোমরা থাকো। তোমরা ব্যতীত আর কেউ থাকতে পারে না। এই কথাও তোমাদের স্মরণে আছে যে, এই জন্মে আমরা কত পাপ করেছি। তাই বাবা বলেন, সেসব অবিনাশী সার্জেনের সামনে রেখে দিলে হাল্কা হয়ে যাবে। বাকি জন্ম-জন্মান্তরের পাপ যা মাথায় আছে, তার জন্যে যোগে থাকতে হবে। যোগের দ্বারা-ই পাপ বিনষ্ট হবে এবং খুশীর অনুভূতি থাকবে। বাবার স্মরণে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। যখন জানা আছে আমরা স্মরণের দ্বারা এমন হব তখন কে বা স্মরণ করবে না। কিন্তু এ হল যুদ্ধের ময়দান, এইখানে পরিশ্রম করতে হয় এত উঁচু পদ পাওয়ার জন্যে। এই কথাও বাচ্চাদের স্মরণে এসেছে যে অসীম জগতের পিতার কাছে আমরা উঁচু থেকে উঁচু উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি, কল্প-কল্প প্রাপ্ত করেছি। তোমাদের কাছে অনেকে আসবে, এসে মহামন্ত্র নেবে মন্মনাভবের। মন্মনাভবের অর্থ হল নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। এই হল মহান মন্ত্র, মহান আত্মা হওয়ার জন্য। সে কোনও মহাত্মা নয়। মহাত্মা তো বাস্তবে শ্রীকৃষ্ণ-কে বলা হয় কারণ তিনি হলেন পবিত্র। দেবতারা সদা পবিত্র থাকেন। দেবতাদের হল প্রবৃত্তি মার্গ, সন্ন্যাসীদের হল নিবৃত্তি মার্গ। নারীরা তো ভিড়ে ধাক্কা খেতে পারে না। এইসব হল এই কলিযুগের অবগুণ । স্ত্রীদেরও সন্ন্যাসী বানিয়ে নিয়ে যায়। তবুও তাদেরই পবিত্রতার শক্তিতে ভারত দাঁড়িয়ে আছে। যেমন পুরানো বাড়ি রঙ করা হলে যেন নতুন হয়ে যায়। এই সন্ন্যাসীরাও পবিত্রতার শক্তি রঙের পোচ দিয়ে কিছুটা বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু বাবা বলেন সেই ধর্মটি আলাদা, তবুও তারা পবিত্র ।

ভারত খন্ডেই এত দেবী-দেবতার মন্দির ভক্তি ইত্যাদি আছে। এও একরকমের খেলা, যার বৃত্তান্ত তোমরা দাও। ভক্তিমার্গের জন্য এই সবও চাই, তাইনা। এক শিবের-ই কত নাম রেখে দিয়েছে। নাম দিয়ে মন্দির তৈরি হতে থেকেছে। অসংখ্য মন্দির আছে। কতখানি খরচ হয়েছে। প্রাপ্তি যদিও অর্ধকল্পের সুখ। ব্যস্, অনেক টাকা খরচ হয়, মূর্তি ইত্যাদি ভেঙে যায়। সেখানে তো মন্দির ইত্যাদির দরকার নেই। এই কথাও এখন স্মরণে এসেছে যে অর্ধকল্প ভক্তি চলে, অর্ধকল্প আবার ভক্তির নাম নেই। বাবা কত মনে করিয়ে দেন - এই ভ্যারাইটি বৃক্ষের কথা। শুধু কলিযুগের আয়ু ৪০ হাজার বছর যদি হয় তাহলে তো খ্রীষ্ট ধর্মের আয়ুও বেড়ে যাবে। বাবা বোঝান, খ্রিস্টান ধর্মের এইটুকুই লিমিট। এই কথা জানা আছে, ক্রাইস্টের এত সময় হয়েছে, অমুকের এত সময় হয়েছে ধর্ম স্থাপন করে, কিন্তু আবার চলে যাবে কবে ? সে কথা জানা নেই। কল্পের আয়ু লম্বা করে দিয়েছে। এখন তোমরা জানো বিনাশের প্রস্তুতি চলছে। তাদের হল সায়েন্স, তোমাদের হল সাইলেন্স। তোমরা যত সাইলেন্সে যাবে ততই তারা বিনাশের জন্য ভালো ভালো জিনিস তৈরি করতে থাকবে। দিন দিন মিহি বা সূক্ষ্ম জিনিস তৈরি করে চলেছে। তোমাদের অন্তরে খুশী থাকে - বাবা তো আমাদের জন্য নতুন দুনিয়া তৈরি করতে এসেছেন। সুতরাং আমরা কি আর পুরানো দুনিয়ায় থাকব। সবই বাবার কামাল। স্বর্গ স্থাপনের কার্য বাবা আপনার চমৎকার। এখন তোমাদের সবকিছু মনে পড়েছে। তারা তো রচয়িতা ও রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানে না। তোমরা জানো। তোমরা জ্ঞানের আলোয় বাস করছ। মানুষ তো ঘন অন্ধকারে রয়েছে। তফাৎ আছে, তাই না। জ্ঞান অঞ্জন সদ্গুরু দেন, ফলে অজ্ঞান অন্ধকারের হয় বিনাশ হয় । ভক্তি মার্গের মানুষ জ্ঞানের কথা জানে না। এখন তোমরা ভক্তির কথাও জানো জ্ঞানের কথাও জানো। সম্পূর্ণ স্মরণে আছে - ভক্তি কখন শুরু হয়েছে, তারপরে কবে পূর্ণ হয়। বাবা কখন জ্ঞান দেন, কবে পুরো হবে, সব স্মরণে আছে। নম্বর অনুযায়ী তো আছেই। কারো বেশি কারো কম স্মরণে আছে। যাদের স্মরণে বেশি থাকে, তারা উঁচু পদের অধিকারী হবে। স্মরণে থাকলে অন্যদেরও বোঝাবে। ওয়ান্ডারফুল স্মৃতি, তাইনা। আগে তোমাদের বুদ্ধিতে কি ছিল। ভক্তি, জপ, তপ, তীর্থযাত্রা, মাথা নোয়ানো, সারা জীবনটাই শেষ হয়েছে। ভক্তির স্মৃতি ও জ্ঞানে অনেক তফাৎ আছে। তোমরা এখন ভক্তির কথা জানো কারণ শুরু থেকে ভক্তি করেছ। জানো যে আমরা সর্ব প্রথমে শিবের ভক্তি করেছি, তারপরে দেবতাদের। অন্য কারো এই কথা স্মরণে নেই, রচনার আদি-মধ্য-অন্ত, ভক্তি ইত্যাদি তোমাদের স্মরণে আছে। অর্ধকল্প ভক্তি করতে করতে পতন হয়েছে।

এখন তো দুঃখের পাহাড় নেমে আসবে। বাচ্চারা, তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে, সেই পাহাড় নামার আগে আমরা স্মরণের যাত্রা দ্বারা বিকর্ম বিনাশ করি। সবাইকে তোমরা এই কথাই বোঝাও, তোমাদের কাছে হাজার মানুষ আসে। তোমরা পরিশ্রম কর ভাই-বোনদের পথ বলে দিতে। জ্ঞান ও ভক্তির স্মৃতি আছে। অর্থাৎ তোমরা সম্পূর্ণ ড্রামা টি নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে জেনেছ। যে যতখানি ভালোভাবে জানে সে-ই বোঝাতে পারে। বোঝাতে তো বাচ্চাদেরই হবে। বলাও হয় সান শোজ ফাদার। বাবা বাচ্চাদের বোঝাবেন, বাচ্চারা তারপরে অন্য ভাইদের বোঝাবে। আত্মাদের বোঝানো হয়, তাইনা। ভক্তির তুলনায় এই জ্ঞান একেবারেই আলাদা। গায়নও আছে তাই না - এক ভগবান এসে সব ভক্তদের ফল প্রদান করেন। সবাই এক পিতার সন্তান। বাবা বলেন আমি সব বাচ্চাদের শান্তিধাম, সুখধাম নিয়ে যাই। কল্প-কল্পের এই জ্ঞানও তোমাদের এখনই আছে, সেখানে থাকবে না। তোমরা পতিত হও তো বাবা তোমাদের কে পবিত্র করার জন্যে কতখানি পরিশ্রম করেন। ভক্তিতে গীতও রয়েছে - আমি নিজেকে তব চরণে নিবেদন করিলাম...। কার কাছে (তারা জানে না কারা কাছে) ? বাবার কাছে। তারপরে বাবা দৃষ্টান্ত দেন - ব্রহ্মা বাবা সমর্পণ করলেন কিভাবে। এই স্যাম্পলকে (ব্রহ্মাবাবাকে) ফলো করো। ইনিই লক্ষ্মী-নারায়ণ হবেন । যদি এত উঁচু পদের অধিকারী হতে চাও তো এইরকম ভাবে সমর্পণ করতে হবে। ধনী মানুষ কখনোই সমর্পণ করতে পারবে না। এখানে তো সর্বস্ব স্বাহা করতে হয়। ধনীজনের অবশ্যই স্মৃতি আসবে। গায়নও আছে তাইনা - অন্তিম কালে যে নারীকে স্মরণ করে (পরের জন্মে সে দেহপসারিনী হয়ে জন্মায়) .... এত সব ধন সম্পদ কি করবে। কেউ নেবে না। কারণ সবকিছুই তো শেষ হয়ে যাবে। আমিও নিয়ে কি করব। শরীর সহ সবকিছু তো শেষ হবে। তুমি মরলে, তোমার কাছে এই দুনিয়া ও মৃত। এই ধন ইত্যাদি কিছুই থাকবে না। যদিও গরুড় পুরাণে ভয়ানক সব গল্পকথা লিখে দিয়েছে, ভয় দেখানোর জন্যে।

বাবা বলেন এই শাস্ত্র ইত্যাদি হল ভক্তি মার্গের। অর্ধকল্প ভক্তি মার্গ চলে। যখন রাবণের রাজ্য থাকে। কাউকে জিজ্ঞাসা করো রাবণ দহন কবে আরম্ভ হয়েছে ? বলবে প্রচলিত পরম্পরা। আরে পরম্পরা ধরে তো রাবণ থাকেই না। না জানার দরুন বলে দেয় প্রচলিত পরম্পরা । বাচ্চারা, তোমাদের এখন স্মরণে আছে -রাবণ রাজ্য কবে থেকে শুরু হয়। রচয়িতা, রচনার রহস্যও তোমরা বুঝেছ। এখন বাবা বলেন - বাচ্চারা, মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে পাপ বিনষ্ট হবে। একে অপরকে সতর্ক করতে থাকো। যখন এক সঙ্গে ঘোরা-ফেরা কর, তখন নিজেদের মধ্যে এই কথাই বলো । তোমাদের পুরো দল এইরূপ স্মরণের অবস্থায় পরিক্রমা করলে তোমাদের শান্তির প্রভাব পড়বে। পাদ্রিরা ক্রাইস্টের স্মরণে সাইলেন্সে থাকে। কোনোদিকে তাকায় না। তোমরা তো এখানে স্মরণে থাকতে পারো, কোনো ঝামেলা নেই। এখানকার পরিবেশ তো খুব ভালো। বাইরে বায়ুমন্ডল খুবই নোংরা, তাই সন্ন্যাসীদের আশ্রম খুব দূরে থাকে। তোমাদের হল অসীমের সন্ন্যাস। পুরানো দুনিয়া এই শেষ হল বলে। এ হল কবরস্থান পরে পরিস্তান হবে। সেখানে হীরে-জহরতের মহল হবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ পরিস্তানের মালিক ছিলেন, তাইনা। এখন নেই। বাবা বলেন, আমি কল্প-কল্প, কল্পের সঙ্গমযুগে আসি। এই সম্পূর্ণ চক্র রিপিট হতেই থাকে। এই সময় তোমাদের সব কথা স্মরণে আছে, যখন বাবা মনে করিয়ে দিয়েছেন। আগে বুদ্ধিতে কিছুই ছিলনা। এই স্মৃতির নেশায় যখন থাকবে তখন সেই খুশীর অনুভূতিতে অন্যদের বোঝাতেও পারবে। স্মৃতিতে থেকে তোমাদের ঘর সংসার দেখতে হবে। আচ্ছা !

সদা স্মৃতির নেশায় মগ্ন মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে ভালোভাবে বুঝে, স্মরণে রেখে অন্যদেরও স্মরণ করাতে হবে। জ্ঞান অঞ্জন দিয়ে অজ্ঞান অন্ধকার দূর করতে হবে।

২ ) ব্রহ্মা বাবার মতন সমর্পিত হওয়ার পথটি পুরোপুরি ফলো করতে হবে। শরীর সহ সবকিছু শেষ হয়ে যাবে, তাই তার আগেই জীবিত অবস্থায় মৃত হতে হবে। যাতে শেষ কালে অন্য কিছুই স্মরণে না আসে।

বরদান:-
অন্যদের সাথে নিজের সম্পর্কের দ্বারা তাদের (অনেক আত্মার) চিন্তা দূর করে সকলের প্রিয় ভব

ব্যাখা: বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে স্বার্থের মনোভাব থাকার দরুন এবং বৈভব এর কারণে অল্পকালের প্রাপ্তি হওয়ার দরুন, আত্মারা খুবই চিন্তাগ্রস্ত । কিন্তু তোমরা শুভ চিন্তক আত্মাদের সাথে স্বল্প সময়ের সম্পর্কও সেই আত্মাদের চিন্তা দূর করবার আধার হয়ে যায়। আজ বিশ্বকে তোমাদের মতন শুভ চিন্তক আত্মাদের প্রয়োজন। সেইজন্য তোমরা হলে বিশ্বের কাছে অতি প্রিয় আত্মা।

স্লোগান:-
তোমরা হীরে তুল্য আত্মা, তোমাদের প্রতিটি কথা যেন রত্নের সমান মূল্যবান হয় ।