২৯-০৭-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - গভীর নির্বাণ (গভীর নিঃশব্দে) যাওয়ার সময় এখন, এই অবস্থায় থাকার অভ্যাস করো"

প্রশ্ন:-

সবচেয়ে উঁচু লক্ষ্য কোনটি, সেটা কি ভাবে প্রাপ্ত করা যাবে ?

উত্তর:-

সম্পূর্ণ সিবিলাইজ্ড (শিষ্টাচার সম্পন্ন) হওয়া, এটিই হলো উঁচু লক্ষ্য। কর্মেন্দ্রীয়তে একটুও যেন চঞ্চলতা না আসে বা অপকর্মে লিপ্ত না হয়, তবেই সম্পূর্ণ সিবিলাইজ্ড হবে। যখন এরকম অবস্থা হবে, তখন বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত হতে পারে। কথায় বলে - চড়লেই চাখবে বৈকুন্ঠ রস (কিন্তু পড়লেই চুড়চুড়) অর্থাৎ রাজার রাজা হবে, নয়তো প্রজা। এখন নিরীক্ষণ করো আমার বৃত্তি কেমন ? কোনো ভুল হচ্ছে না তো ?

ওম্ শান্তি।

আত্ম-অভিমানী হয়ে বসতে হবে। বাবা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন যে, নিজেকে আত্মা মনে করো। এখন বাবা অলরাউন্ডার দাদীকে (সর্ব কার্যে পারদর্শী গুলজার দাদীর লৌকিক মাতাকে) জিজ্ঞাসা করছেন সত্যযুগে আত্ম-অভিমানী হয়, না দেহ-অভিমানী ? সেখানে তো অটোমেটিক্যালি আত্ম-অভিমানী থাকে, ক্ষণে-ক্ষণে স্মরণ করার দরকার হয় না। হ্যাঁ, সেখানে এটা মনে করে যে এখন এই শরীর বৃদ্ধ হয়েছে, এখন এটাকে ছেড়ে দ্বিতীয় নূতন শরীর নিতে হবে। যে রকম সর্পের উদাহরণ রয়েছে, সেইরকম আত্মাও পুরানো শরীর ছেড়ে নতুন গ্রহণ করে। ভগবান উদাহরণ দিয়ে বোঝাচ্ছেন। তোমাদের সব মানুষকে জ্ঞানের ভোঁ-ভোঁ করে তাদেরকেও নিজেদের মতো জ্ঞানবান বানাতে হবে। যার দ্বারা দেবদূতের দেশের (পরিস্থানী) নির্বিকারী দেবতায় পরিণত হবে। উঁচুর থেকেও উঁচু পঠন-পাঠন হলো মানুষ থেকে দেবতা হওয়া। গাওয়াও হয় - মানুষ থেকে দেবতা বানাতে বেশি সময় লাগে না... কে বানিয়েছে ? দেবতারা করেনি। ভগবানই মানুষকে দেবতা রূপে গড়ে তোলে । মানুষ এ'কথা জানে না। সব জায়গায় তোমাদের জিজ্ঞাসা করে - আপনাদের এইম-অবজেক্ট (লক্ষ্য) কি ? তবে কেন এইম-অবজেক্ট কি সেটা লিখে ছোট প্রচারপত্র (পর্চা) ছাপাও না। যে-ই জিজ্ঞাসা করুক না কেন, তাকে পর্চা দিয়ে দাও, যাতে বুঝতে পেরে যায়। বাবা খুব ভালো ভাবে বুঝিয়েছেন- এই সময় এটা হলো কলিযুগী পতিত দুনিয়া, যেখানে বিশাল অপরমপার দুঃখ আছে। এখন আমরা মানুষকে সত্যযুগী পবিত্র মহান সুখধামে নিয়ে যাওয়ার সার্ভিস করছি বা রাস্তা বলে দিচ্ছি। এরকম নয় যে আমরা অদ্বৈত নলেজ বা জ্ঞান দিই। তারা শাস্ত্রের নলেজকে অদ্বৈতবাদ বা অদ্বৈত নলেজ বলে মনে করে। বাস্তবে সেটা কোনো অদ্বৈত নলেজই না। অদ্বৈত নলেজ লেখাটাও হলো রঙ্ বা ভুল। মানুষকে ক্লীয়ার করে বলতে হবে, এরকম লেখা ছাপানো হয়েছে যাতে তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে যে এদের উদ্দেশ্য কি ? কলিযুগী পতিত ভ্রষ্টাচারী মানুষদের আমরা অপার দুঃখ থেকে বের করে সত্যযুগী পবিত্র শ্রেষ্ঠাচারী অপার সুখের দুনিয়াতে নিয়ে যাই। বাবা বাচ্চাদের নিবন্ধ লিখতে দেন। ঐরকম ক্লীয়ার করে লিখতে হবে। সব জায়গায় তোমাদের এরকম লেখা রেখে দাও, তাড়াতাড়ি সেটা বের করে দিতে হবে, তখন বুঝবে আমরা তো দুঃখ ধামে আছি। নোংরায় পড়ে আছি। কোনো মানুষ কি আর বুঝতে পারে যে আমরা হলাম কলিযুগী পতিত দুঃখ ধামের মানুষ ! এটা আমাদের অপার সুখে নিয়ে যায়। তাই একরকম সুন্দর প্রচারপত্র (পর্চা) তৈরী করতে হবে। যেরকম বাবাও ছাপিয়ে ছিলেন - তুমি কী সত্যযুগী আত্মা, না কলিযুগী ? কিন্তু মানুষ কি আর বুঝতে পারে! রত্নকেও পাথর মনে করে ছুঁড়ে ফেলে। এ হলো জ্ঞান রত্ন। তারা মনে করে শাস্ত্রের মধ্যে রত্ন আছে। তোমরা ক্লীয়ার করে বুঝিয়ে এরকম বলো যে এখানে তো অপার দুঃখ আছে। দুঃখেরও লিস্ট আছে, কম করেও ১০২ তো অবশ্যই আছে। এই দুঃখধামে অপার দুঃখ আছে, এ সব লেখো, সমস্ত লিস্ট বের করো। অপরদিকে আবার অপার সুখ, সেখানে দুঃখের নাম থাকে না। আমরা সেই রাজ্য বা সুখধাম স্থাপন করছি, যাতে মানুষের মুখ তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এটা কেউ কি আর বোঝে যে, এই সময় হল দুঃখধাম, একে তো তারা স্বর্গ মনে করে বসে আছে। বড়-বড় প্রাসাদোপম বাড়ি, নূতন নূতন মন্দির ইত্যাদি তৈরী করতে থাকে, এটা কি আর জানে যে এ সব বিনাশ হয়ে যাবে ? পয়সা তো অনেক পাওয়া যায় উৎকোচ হিসেবে। বাবা বুঝিয়েছেন এই সবই হলো মায়ার আস্পর্ধা আর সাইন্সের দম্ভ। মোটর, এয়ারোপ্লেন ইত্যাদি এই সব হলো মায়ার শো। এরও কায়দা আছে, যখন বাবা স্বর্গের স্থাপনা করেন তো মায়াও তার জাঁকজমক দেখায়, একে বলা হয় মায়ার জৌলুস।



এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা সমগ্র বিশ্বে শান্তি স্থাপন করছো। যদি কোথাও মায়ার প্রবেশ ঘটে তো বাচ্চাদের অন্তর্মনে দংশন হতে থাকে। যখন কেউ কারোর নাম-রূপে আবদ্ধ হয়ে পড়ে তো বাবা বোঝান, এটা হলো ক্রিমিনাল আই। কলিযুগে হলো ক্রিমিনালাইজেশন। সত্যযুগে হলো সিভিলাইজেশন (সিভিল + আই) এই দেবতাদের সামনে সকলে মাথা ঠোকে, তুমি নির্বিকারী আমি বিকারী- সেই জন্য বাবা বলেন, প্রত্যেকে নিজের অবস্থাটা দেখো। বড়-বড় ভালো মহারথী নিজেকে দেখে আমার বুদ্ধি কারোর নাম-রূপে যাচ্ছে না তো ? অমুকে খুব ভালো, এটা করে- নিজের ভিতরে কি কিছু মনে হয় ? বাবা এটা তো জানেন, এই সময় সম্পূর্ণ সিভিলাইজ্ড কেউ নেই। একটুও যাতে চঞ্চলতা না আসে, খুব পরিশ্রম। বিরলই কেউ এরকম হয়। চোখ কিছু না কিছু ধোঁকা অবশ্যই দেয়। ড্রামা কাউকেই তাড়াতাড়ি সিভিলাইজ্ড করে না। প্রচন্ড পুরুষার্থ করে নিজেকে নিরীক্ষণ করতে হবে- আমাদের চোখ কোথাও ধোঁকা দিচ্ছে না তো? বিশ্বের মালিক হওয়া হলো অনেক উঁচু লক্ষ্য। চড়লেই চাখবে বৈকুন্ঠ রস ---অর্থাৎ রাজার রাজা হবে, নীচে নামলে পদ প্রজাতে চলে যাবে। আজকাল তো বলবে বিকারী দুনিয়া। যদিও অনেক বড় লোক হয়, এই যে রাণী আছে তার মধ্যেও ভয় থাকে যে কেউ কোথাও আমাকে উড়িয়ে দেবে না তো। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে অশান্তি আছে। কোনো-কোনো বাচ্চাও কতো অশান্তি ছড়ায়। তোমরা শান্তি স্থাপন করছো, তাই প্রথমে নিজে শান্তিতে থাকো, তবে দ্বিতীয় কারোর মধ্যে সেই বল ভরবে। সেখানে (সত্যযুগে) তো বড় শান্তির রাজ্য চলে। চোখ সিভিল হয়ে যায়। তাই বাবা বলেন নিজেকে নিরীক্ষণ করো- আজ আমার আত্মার বৃত্তি কেমন ছিলো ? এতে অনেক পরিশ্রম হয়। নিজেকে সামলে রাখতে হয়। অসীম জগতের পিতাকেও কখনো সত্যি বলে না। পদে-পদে ভুল হতেই থাকে। সামান্যতমও সেই ক্রিমিনাল দৃষ্টিতে দেখেছো, ভুল হয়েছে, তো তাড়াতাড়ি নোট করো। ১০-২০ টা ভুল তো রোজ করে থাকবে, যতক্ষণ অভুল হবে। কিন্তু সত্যি কি আর কেউ বলে। দেহ-অভিমানী হয়ে কিছু না কিছু পাপ অবশ্যই হবে। সেটা ভিতরে দংশন করতে থাকবে। *কেউ তো বোঝেই না ভুল কাকে বলে। জানোয়ার বোঝে কি আর ! তোমরাও এই জ্ঞান- প্রাপ্তির আগে বানর-বুদ্ধির ছিলে। এখন কেউ ৫০ পারসেন্ট, কেউ ১০ পারসেন্ট কেউ পরিবর্তিত হয়েছে অন্যান্য পারসেন্টেজে*। এই চোখ তো খুব ধোঁকা দেওয়ার মতো। সবথেকে তীক্ষ্ম হলো চোখ। বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমরা অশরীরী এসেছিলে। শরীর ছিলো না। এখন তোমাদের কি জানা আছে যে, দ্বিতীয় কোন্ শরীরটা নেবে, কোন্ সম্বন্ধে যাবে ? জানতে পারা যায় না। *গর্ভে একদম নিঃশব্দই থাকে। আত্মা একদমই নির্বাণ হয়ে যায়। যখন শরীর বড় হয় তখন জানা যায়। তোমাদের এরকম হয়ে যেতে হবে। ব্যাস্, এই পুরানো শরীর ছেড়ে আমাকে যেতে হবে, আবার যখন শরীর নেব তো স্বর্গে নিজের ভূমিকা পালন করব। এখন নির্বাণ হওয়ার সময়। যদিও আত্মা সংস্কার নিয়ে যায়, যখন শরীর বড় হয় তখন সংস্কার ইমার্জ হয়। এখন তোমাদের ঘরে যেতে হবে এই জন্য পুরানো দুনিয়ার, এই শরীরের ভাব উড়িয়ে দিতে হবে। কিছুই যেন স্মরণে না থাকে। খুব শুদ্ধতা রাখতে হবে। ভিতরে যা হবে সেটাই বাইরে বের হবে। শিববাবার ভিতরেও জ্ঞান আছে, আমারও (ব্রহ্মা বাবার) পার্ট আছে। আমার জন্যই বলে জ্ঞানের সাগর....মহিমার সুখ্যাতি করে, অর্থ কিছুই জানে না। এখন তোমরা অর্থ সমেত জানো। তবে আত্মার বুদ্ধি ওয়ার্থ নট এ পেনী (মূল্যহীন) হয়ে যায়। এখন বাবা কতো বুদ্ধিমান করে তোলেন। মানুষের কাছে তো কোটি, লক্ষ কোটি আছে। এটা যে মায়ার জৌলুস। সায়েন্সের যা নিজের কাজের জিনিস, সেটা সেখানেও থাকবে। সেসব যারা তৈরী করবে তারা সেখানেও যাবে। রাজা তো হবে না। এরা শেষে তোমাদের কাছে আসবে আবার অন্যদেরও শেখাবে। এক বাবার থেকে তোমরা কতো শেখো। এক বাবা-ই দুনিয়াকে কি থেকে কি তৈরী করে দেন । ইনভেনশন সর্বদা একটার পর একটা বের হতে থাকে, তারপর তা কার্যকারী হয়। বম্বস্ তৈরী করার জন্যও প্রথমে একটাই ছিলো। সে মনে করল এতে দুনিয়া বিনাশ হয়ে যাবে। তারপর আরো তৈরী করল। সেখানেও তো সায়েন্সের দরকার যে। টাইম পড়ে আছে, শিখে নিয়ে হুঁশিয়ার হয়ে যাবে। বাবার পরিচয় পাওয়া গেছে, এরপর স্বর্গে এসে চাকর হবে। সেখানে সব সুখের ব্যাপার হয়। যা সুখধামে ছিলো সেটা আবার হবে। সেখানে কোনো রোগ বা দুঃখের ব্যাপার নেই। এখানে তো অপরম্ অপার দুঃখ। সেখানে হলো অপরম্ অপার সুখ। এখন আমরা এটা স্থাপন করছি। দুঃখমোচনকারী, সুখদাতা এক বাবা-ই হন। প্রথমে তো নিজেরও এরকম অবস্থা চাই, শুধু মাত্র পন্ডিতির দরকার নেই। এরকম এক পন্ডিতের গল্প আছে, সে বলেছিলো রাম নাম করে পার হয়ে যাবে-- এটা এই সময়ের কথা। তোমরা বাবাকে স্মরণ করে বিষয় সাগর থেকে ক্ষীরসাগরে চলে যাও। বাচ্চারা, এক্ষেত্রে তোমাদের অবস্থা খুব ভালো হওয়ার দরকার। যোগবল না থাকলে, ক্রিমিনাল আইজ হলে তার তীর লাগতে পারে না। চোখ সিভিল চাই। বাবার স্মরণে থেকে কাউকে জ্ঞান দিলে তবে তীর লেগে যাবে। জ্ঞান-তলোয়ারে যোগের ধার চাই। নলেজ থেকে সম্পদের উপার্জন হয়। শক্তি হলো স্মরণের। অনেক বাচ্চা তো একদম স্মরণ করেই না, জানেই না। বাবা বলেন মানুষকে বোঝাতে হবে এটা হলো দুঃখধাম, সত্যযুগ হলো সুখধাম। কলিযুগে সুখের নাম নেই। যদি থাকেও তবে সেটা কাক-বিষ্ঠা তুল্য। সত্যযুগে তো অপার সুখ আছে। মানুষ অর্থ বোঝে না। মুক্তির জন্যই মাথা ঠোকে। জীবনমুক্তির কথা তো কেউ জানেই না। তবে কি করে জ্ঞান দিতে পারা যাবে। সেটা আসেই রজোপ্রধান সময়ে, আবার তবে রাজযোগ কি ভাবে শেখাবে। এখানে তো সুখ হলো কাক-বিষ্ঠা সমান। রাজযোগের দ্বারা কি হয়েছিলো- এটাও জানে না। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা জানো এটাও সব ড্রামা চলছে। সংবাদ পত্রেও তোমাদের নিন্দা লেখে, এটা তো হওয়ারই। অবলাদের উপর কিরকম সব সমস্যা আসে। দুনিয়াতে অনেক দুঃখ। এখন কি আর কোনো সুখ আছে। যদি অনেক বড় বিত্তশালী হয়, অন্ধ হলে দুঃখ তো হবে। দুঃখের লিস্টে সব লেখো। কলিযুগের শেষে এই সব কথা হলো রাবণ রাজ্যের। সত্যযুগে দুঃখের একটা কথাও থাকে না। সত্যযুগ তো হয়ে গেছে না। এখন হলো সঙ্গমযুগ। বাবাও সঙ্গমেই আসেন। এখন তোমরা জানো পাঁচ হাজার বছরে আমরা কি কি জন্ম নিয়ে থাকি। কীভাবে সুখ থেকে দুঃখে আসি। যার সমস্ত জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে, ধারণা আছে, সে বুঝতে পারবে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের ঝুলি ভরে দেন। কথাও আছে - ধন দিলে ধন ব্যর্থ হয়ে যায় না। ধন দান করে না, হয়তো তার কাছে ধন নেই-ই। আবার প্রাপ্ত করবেও না। হিসাব আছে যে! দেবেই না তো পাবে কোথা থেকে। বৃদ্ধি হবে কোথা থেকে। এসব হলো অবিনাশী জ্ঞান রত্ন। সব ব্যাপার তো নম্বর অনুযায়ী হয়। এটাও হলো তোমাদের রুহানী (আত্মাদের) সেনা। কোনো আত্মা গিয়ে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে, কোনো আত্মা প্রজা পদ প্রাপ্ত করবে। যেরকম পূর্ব কল্পে প্রাপ্ত করেছিল। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে বাপদাদা আর মাতা-পিতার হৃদয়ের মণিদের গভীর আন্তরিকতার সাথে স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্ণিং। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার:-

১. নিজেকে ঠিক রাখতে গেলে পদে-পদে নিরীক্ষণ করতে হবে যে--অ ) আজ আমি আত্মার বৃত্তি কেমন ছিলো ? আ ) চোখ সিভিল ছিলো ? ই ) দেহ-অভিমান বশতঃ কোনো পাপ হয়েছে কী ?

২. বুদ্ধিতে জ্ঞান ধন ধারণ করে পুনরায় তা দান করতে হবে। স্মরণের ধার দ্বারা জ্ঞান তলোয়ারকে পূর্ণ করতে হবে।

বরদান:-

সঙ্গমযুগের মহত্বকে জেনে সব সময় বিশেষ অ্যাটেনশন রাখার মতো হিরো পার্টধারী ভব

প্রতিটি কাজ করার সময় সর্বদা এই বরদান যেন স্মৃতিতে থাকে যে, আমি হলাম হিরো পার্টধারী, তাই আমার প্রতিটি কর্ম বিশেষ হবে। প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি সময়, প্রতিটি সংকল্প শ্রেষ্ঠ হবে। এরকম বলতে পারবে না যে, এতো মাত্র ৫ মিনিট সাধারণ হয়েছি। সঙ্গমের পাঁচটি মিনিটও খুবই মহত্বপূর্ণ। পাঁচ মিনিট পাঁচ বছরের থেকেও বেশী, এইজন্য সব সময় যথেষ্ট অ্যাটেনশন যেন থাকে । সর্বকালের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করতে গেলে অ্যাটেনশনও সর্বকালের হতে হবে ।

স্লোগান:-

যার মধ্যে দৃঢ়তার শক্তি রয়েছে, তার জন্য সকল কার্যই সম্ভব ।