০৩-০৭-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই শরীরটি না দেখে আত্মাকে দেখো, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আত্মার সঙ্গে কথা বলো, এই রূপ স্থিতিতে স্থির হতে হবে, এইটিই হল সবচেয়ে উঁচু লক্ষ্য"
প্রশ্ন:-
তোমরা আত্মারূপী বাচ্চারা বাবার সঙ্গে উপরে (পরমধাম ঘরে) কবে যাবে ?
উত্তর:-
যখন একটুও অপবিত্রতা থাকবে না। বাবা যেমন পবিত্র তোমরাও যখন পবিত্র হবে তখন উপরে যেতে পারবে। এখন তোমরা বাচ্চারা বাবার সামনে রয়েছ। জ্ঞান সাগরের কাছে জ্ঞান শুনে শুনে যখন পূর্ণ হয়ে যাবে, বাবাকে নলেজ (জ্ঞান) শূন্য করে দেবে তখন তিনিও শান্ত হয়ে যাবেন এবং তোমরা বাচ্চারাও শান্তিধামে চলে যাবে। সেখানে জ্ঞান বর্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। সব কিছু দান করার পরে পুনরায় তাঁর পার্ট হয়ে যায় সাইলেন্সের।
ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবানুবাচ। যখন শিব ভগবানুবাচ বলা হয় তখন বুঝে নেওয়া উচিত - একমাত্র শিব হলেন ভগবান বা পরমপিতা। তাঁকেই তোমরা আত্মারূপী বাচ্চারা স্মরণ কর। পরিচয় প্রাপ্ত করেছ রচয়িতা পিতার কাছে। সে তো অবশ্যই সবাই নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে স্মরণ করবে। সবাই একরস ভাবে স্মরণ করবে না। এই কথাটি খুবই সূক্ষ্ম। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে অন্যদেরও আত্মা ভেবে চলা, এই অবস্থায় স্থির হতে সময় লাগে। ঐ মানুষ গুলো তো কিছু জানে না। না জানার দরুন সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। যেরকম তোমরা বাচ্চারা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় কর, বাবাকে স্মরণ কর, তেমন করে অন্য কেউ স্মরণ করতে পারে না হয়তো। কোনও আত্মার বাবার সঙ্গে যোগ নেই। এইসব কথা গুলি খুবই সূক্ষ্ম, মিহি। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বলাও হয় আমরা আত্মা রূপে ভাই-ভাই, তাই আত্মাকেই দেখা উচিত। শরীর দেখা উচিত নয়। এ হল সবচেয়ে উঁচু লক্ষ্য। অনেকে এমনও আছে যারা বাবাকে কখনও স্মরণ করে না। আত্মায় ময়লা জমেছে। মুখ্য কথা আত্মাকে নিয়েই। আত্মা-ই এখন তমোপ্রধান হয়েছে, পূর্বে যা সতোপ্রধান ছিল - এই জ্ঞান আত্মায় নিহিত আছে। জ্ঞানের সাগর হলেন পরমাত্মা। তোমরা নিজেদের জ্ঞানের সাগর বলবে না। তোমরা জানো আমাদের বাবার কাছে সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত করার আছে। তিনি নিজের কাছে রেখে কি করবেন। অবিনাশী জ্ঞান রত্নের ধন তো বাচ্চাদেরকেই দিতে হবে। বাচ্চারা নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে। যারা বুদ্ধিতে বেশি জ্ঞান ধারণ করবে তারা ভালো সার্ভিসও করতে পারবে। বাবাকে জ্ঞানের সাগর বলা হয়। তিনিও আত্মা, তোমরাও আত্মা। তোমরা আত্মারা সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন কর। যেমন তিনি হলেন এভার পিওর (সদা পবিত্র), তোমরাও সদা পবিত্র হবে। তারপরে যখন অপবিত্রতা একটুও থাকবে না তখন উপরে চলে যাবে। বাবা স্মরণের যাত্রা করার যুক্তি শেখান। এই কথা তো জানো সারা দিন বাবার স্মরণ থাকে না। এখানে বাবা বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের সম্মুখে বসে বোঝান, অন্য বাচ্চারা তো সম্মুখে শোনে না। মুরলি পাঠ করে। এখানে তোমরা সম্মুখে আছো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো এবং জ্ঞানও ধারণ করো। আমাদের বাবার মতন সম্পূর্ণ জ্ঞান সাগর হতে হবে। পুরো জ্ঞান বুদ্ধিতে ধারণ করে নিলে তো বাবাকে জ্ঞান শূন্য করে দেবে, তিনি তখন শান্ত হয়ে যাবেন। এমন নয় তাঁর অন্তরে জ্ঞান টিপ টিপ করবে। সব কিছু দান করে দিলে তখন তাঁর পার্ট হয়ে যাবে সাইলেন্সের। যেমন তোমরা সাইলেন্সে থাকলে তোমাদের জ্ঞান বাইরে বেরিয়ে আসে না। এই কথাও বাবা বুঝিয়েছেন আত্মা সংস্কার নিয়ে যায়। যদি কোনও সন্ন্যাসীর আত্মা হবে তো বাল্যকাল থেকেই তার শাস্ত্র মুখস্থ হয়ে যাবে। তখন তার খুব সুনাম হবে। এখন তোমরা এসেছ নতুন দুনিয়ায় যাওয়ার জন্যে। সেখানে তো জ্ঞানের সংস্কার নিয়ে যেতে পারবে না। এই সংস্কার সব মার্জ হয়ে যায়। বাকি আত্মাদের নিজের নিজের সিটে বসতে হবে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। তারপরে তোমাদের শরীরের আধারে নামকরণ হয়। শিববাবা তো হলেন নিরাকার। তিনি বলেন আমি এই দেহের অর্গান লোন হিসেবে নিয়েছি। তিনি তো শুধু জ্ঞান শোনাতে আসেন। তিনি জ্ঞান শোনেন না, কারণ তিনি তো নিজেই হলেন জ্ঞানের সাগর, তাইনা। শুধু মুখ দিয়ে তিনি মুখ্য কাজটি করেন। আসেন শুধুমাত্র পথ বলে দিতে। তিনি শুনে কি করবেন। তিনি সর্বদা শোনান যে এমন এমন করো। সম্পূর্ণ কল্পবৃক্ষের রহস্য বলে দেন। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে নতুন দুনিয়া তো খুব ছোট হবে। এই পুরানো দুনিয়া তো কত বড়। পুরো দুনিয়ায় কত লাইট জ্বলে। লাইট দিয়ে কত কি হয়। সেখানে তো দুনিয়াও ছোট হবে, লাইটও কম থাকবে। যেন একটি ছোট গ্রাম। এখন তো কত বড় বড় গ্রাম আছে। সেখানে এতখানি থাকবে না। কয়েকটি মুখ্য মুখ্য রাস্তা থাকবে। ৫- টি তত্ত্বও সেখানে সতোপ্রধান হবে। কখনও চঞ্চল হবে না। সুখধাম বলা হয়। তার নামই হল হেভেন বা স্বর্গ। ভবিষ্যতে তোমরা যত কাছে যেতে থাকবে তত বৃদ্ধি হতে থাকবে। বাবাও সাক্ষাৎকার করাতে থাকেন। তখন সেই সময় যুদ্ধে সৈন্য বাহিনী বা প্লেন ইত্যাদির প্রয়োজন থাকবে না। তারা তো বলে আমরা এখানে বসে সবাইকে শেষ করতে পারি। তখন এই প্লেন ইত্যাদি কিছুই কাজে লাগবে না। তখন এই চাঁদে বা অন্য গ্রহ ইত্যাদিতে প্লট দেখতেও যাবে না। এইসবই হল বিজ্ঞানের অহংকার । কত শো করছে তারা। *জ্ঞানে কত সাইলেন্স আছে একেই ঈশ্বরীয় দান বলা হয়। বিজ্ঞানে শুধু হাঙ্গামা হয়। তারা শান্তি কি তা জানে না*।
তোমরা বুঝেছ বিশ্বে শান্তি তো নতুন দুনিয়ায় ছিল, ওটি হল সুখধাম। এখন তো দুঃখ অশান্তি আছে। এই কথাও বোঝাতে হবে তোমরা শান্তি চাও, কখনও অশান্তি হবেই না, সে তো আছে শান্তিধাম ও সুখধামে । স্বর্গ তো সবাই চায়। ভারতবাসী-ই বৈকুণ্ঠ বা স্বর্গ-কে স্মরণ করে। অন্য ধর্মের মানুষ স্বর্গ-কে স্মরণ করে না। তারা শুধু শান্তিকে স্মরণ করবে। সুখকে তো স্মরণ করতে পারবে না। নিয়মেই নেই। সুখকে তো তোমরাই স্মরণ কর, তাই তো আহ্বান কর - আমাদের দুঃখ থেকে উদ্ধার করুন। আত্মারা হল আসলে শান্তিধামের বাসিন্দা। এই কথাও কেউ জানে না। বাবা বোঝান তোমরা অবুঝ ছিলে। অবোধ বা অবুঝ কবে হয়েছ ? ১৬ কলা থেকে ১২-১৪ কলায় যবে থেকে পরিণত হও, অর্থাৎ অবুঝ হয়ে যাও। এখন কোনও কলা নেই। মানুষ কনফারেন্স করতে থাকে। নারীদের দুঃখ কেন হয় ? আরে, সম্পূর্ণ দুনিয়াটাই তো দুঃখে আছে। অসীম দুঃখ আছে। এবারে বিশ্বে শান্তি হবে কিভাবে ? এখন তো অসংখ্য ধর্ম আছে। সম্পূর্ণ বিশ্বে শান্তি তো এখন হতে পারবে না। সুখ-কে তো জানেই না। তোমরা কন্যারা বসে বোঝাবে এই দুনিয়ায় অনেক প্রকারের দুঃখ আছে, অশান্তি আছে ! আমরা আত্মারা যেখান থেকে এসেছি, সেটি হল শান্তিধাম এবং যেখানে এই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, সেটি হল সুখধাম। আদি সনাতন হিন্দু ধর্ম বলা হবে না। আদি অর্থাৎ প্রাচীন। সেইটি তো ছিল সত্যযুগে। সেই সময় সবাই ছিল পবিত্র। সেটি হল নির্বিকারী দুনিয়া, বিকারের নামও থাকে না। তফাৎ আছে, তাইনা। সর্ব প্ৰথমে নির্বিকারী অবস্থা চাই তাইনা, সেইজন্যে বাবা বলেন মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, কাম বিকারকে জয় করো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এখন আত্মা হল অপবিত্র, আত্মায় খাদ পড়েছে তাই গহনাও (শরীর) এমন তৈরি হয়েছে। আত্মা পবিত্র হলে গয়নাও পবিত্র হবে, স্বর্গকে ভাইসলেস ওয়ার্ল্ড অর্থাৎ নির্বিকারী দুনিয়া বলা হয়। বট বৃক্ষের দৃষ্টান্ত (শিবপুরের) তোমরা দিতে পারো। সম্পূর্ণ বৃক্ষটি দাঁড়িয়ে আছে, ফাউন্ডেশন অর্থাৎ শেকড় নেই। এই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম নেই অন্য সব ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে। সবাই হল অপবিত্র, এদের মানুষ বলা হয়। তাঁরা হলেন দেবতা। আমি মানুষদের দেবতায় পরিণত করতে এসেছি। ৮৪-টি জন্ম মানুষেরই হয়। সিঁড়ির চিত্র দেখাতে হবে যে তমোপ্রধান হলে হিন্দু বলা হয়। দেবতা বলতে পারে না। কারণ পতিত হয়েছে। ড্রামাতে এই রহস্যটি রয়েছে, তাইনা। না হলে হিন্দু কোনও ধর্ম নয়। আদি সনাতন আমরা-ই দেবী-দেবতা ছিলাম। ভারত পবিত্র ছিল, এখন অপবিত্র হয়েছে। তাই নিজেদের হিন্দু বলে দিয়েছে। হিন্দু ধর্ম তো কেউ স্থাপন করেনি। এই কথাটি বাচ্চাদের ভালো ভাবে ধারণ করে বোঝাতে হবে। আজকাল তো এত সময় দেওয়া হয় না। কম পক্ষে আধ ঘন্টা সময় দিলে তো পয়েন্ট শোনানো যায়। পয়েন্ট তো অনেক আছে। তার মধ্যেও প্রধান প্রধান পয়েন্ট শোনানো হয়। পড়াশোনায় যেমন ভাবে পড়তে পড়তে এগিয়ে যেতে থাকে তখন হালকা পয়েন্ট অল্ফ-বে ইত্যাদি স্মরণে থাকে না। সেসব বিস্মৃত হয়ে যায়। তোমাদেরও বলা হয় এখন তোমাদের জ্ঞান বদল হয়েছে। আরে, পড়াশোনাতে যত উপরে যাবে প্রথম পাঠ তো ভুলেই যাবে তাইনা। বাবাও আমাদের প্রতিদিন নতুন নতুন কথা শোনান। প্ৰথমে পড়াশোনা হালকা ছিল, এখন বাবা গুহ্য গুহ্য কথা শোনাতে থাকেন । তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, তাইনা। জ্ঞান শোনাতে শোনাতে পরে দুটি শব্দ বলে দেন, অল্ফকে বুঝলেই যথেষ্ট। অল্ফ-কে (পিতাকে) জানলে বে অর্থাৎ বাদশাহীর (রাজত্বের) কথা তো জেনেই নেবে। এতটুকু বোঝালেও ঠিক আছে। যারা বেশি জ্ঞান ধারণ করতে পারবে না তারা উঁচু পদের অধিকারীও হতে পারবে না। পাস উইথ অনার হতে পারবে না। কর্মাতীত অবস্থাও প্রাপ্ত করতে পারবে না, এতেই খুব পরিশ্রম চাই। স্মরণেও পরিশ্রম আছে। জ্ঞান ধারণ করারও পরিশ্রম আছে। দুটো তেই দক্ষ হয়ে যাবে তাও তো সম্ভব নয়। রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। সবাই নর থেকে নারায়ণ কিভাবে হবে। এই গীতা পাঠশালার মুখ্য উদ্দেশ্য হলই এই নর থেকে নারায়ণ হওয়া। সৎসঙ্গে যেটা শোনানো হয়, সেটাও গীতা জ্ঞান। সে জ্ঞানও কে প্রদান করছেন, এই কথা তোমরা ছাড়া কেউ জানেই না। এখন হল কবর খানা (কবরস্থান) পরে পরিস্তান হবে।
এখন তোমাদের জ্ঞান চিতায় বসে পূজারী থেকে পূজ্য অবশ্যই হতে হবে। বিজ্ঞানীরা কত দক্ষ হয়ে উঠছে । আবিষ্কার (ইনভেনসন) করতেই থাকছে। ভারতবাসী প্রতিটি কথায় এমন বুদ্ধি যুক্ত শিক্ষা সব এখান থেকেই নিয়ে আসে। তারা শেষ সময়ে এসে এত জ্ঞান অর্জন করবে না। কিন্তু স্বর্গে এসে এই ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদির কাজ করবে। রাজা-রানী তো হতে পারবে না, রাজা-রানীর সামনে সার্ভিস করবে। এমন এমন আবিষ্কার করতে থাকবে। রাজা-রানী হয় সুখের জন্য। সেখানে তো সর্ব সুখ প্রাপ্ত হয়। সুতরাং বাচ্চাদের পুরুষার্থ পুরোপুরি করা উচিত। সম্পূর্ণ পাস হয়ে কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করতে হবে। শীঘ্র ফিরে যাওয়ার চিন্তা করা উচিত নয়। এখন তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান। বাবা পড়াচ্ছেন। এই মিশন হল মানুষকে চেঞ্জ করার। যেমন বৌদ্ধ বা খ্রীষ্টানদের মিশন হয়, তাই না। কৃষ্ণ এবং খ্রীষ্টানদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে । তাদের মধ্যে আদান-প্রদানের অনেক কানেকশন আছে, যা অনেক কিছুতে সাহায্য করে। তাদের ভাষা ইত্যাদি ত্যাগ করা এও তো এক প্রকার অপমান হল। তারা তো আসেই শেষের দিকে। না খুব সুখ ভোগ করে, না দুঃখ। সম্পূর্ণ আবিষ্কার ইত্যাদি তারা-ই করে। এখানে যদিও তারা চেষ্টা করে কিন্তু অ্যাকুরেট তৈরি করতে পারবে না। বিদেশের জিনিস অনেক সময়ই ভালো হয়ে থাকে। তারা সততার সাথে তৈরি করে। এখানে সততার অভাব (ডিস-অনেস্টি) রয়েছে । অসৎ ভাবে কাজ করে, অসীম দুঃখ আছে। সকলের দুঃখ দূর করতে পারেন একমাত্র বাবা, তিনি ছাড়া অন্য কোনো মানুষের সামর্থ্য নেই। যতই কনফারেন্স (সম্মেলন) ইত্যাদি করা হোক যে, বিশ্বে শান্তি হোক, কিন্তু ধাক্কা খেতেই থাকে। শুধু মাতা-দের দুঃখের কথা নয়, এখানে তো অনেক প্রকারের দুঃখ আছে। সম্পূর্ণ দুনিয়ায় ঝগড়াঝাঁটি, লড়াই ইত্যাদির কথা আছে। পাই পয়সার কথায় মারামারি করে। সেখানে তো দুঃখের কথা নেই। এইসবও হিসেব করা উচিত। *লড়াই যখন তখন আরম্ভ হয়ে যেতে পারে। ভারতে যবে থেকে রাবণের আগমন হয় তখন প্ৰথমে ঘরে ঘরে লড়াই শুরু হয়। একে অপরের থেকে আলাদা হতে থাকে, নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে মরে তারপরে বাইরের মানুষ আসে। প্ৰথমে ব্রিটিশ সরকার ছিল না, পরে তারা এসে টাকা কড়ির লোভ দিয়ে নিজেরা রাজত্ব করে গেছে*। কত তফাৎ হয়ে যায় - রাত-দিনের। নতুন কেউ তো কিছু বুঝবে না। নতুন নলেজ কিনা, যা পরে প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। বাবা নলেজ দেন, যা লুপ্ত হয়ে যায়। এই একটি মাত্র পড়াশোনা, একটি বার, একমাত্র পিতার কাছে প্রাপ্ত হয়। ভবিষ্যতে তোমাদের সবার সাক্ষাৎকার হতে থাকবে যে তোমরা এমন হবে। কিন্তু তখন কি বা করণীয় থাকবে। আর উন্নতি করতে পারবে না। রেজাল্ট বেরিয়ে গেল তখন ট্রান্সফার হওয়ার সময় এসে যাবে। তখন কাঁদবে, চিৎকার করবে। আমরা নতুন দুনিয়ায় প্রবেশ করব। তোমরা পরিশ্রম কর, চারিদিকে যেন খবর পৌঁছায়। তখন নিজের থেকে সেন্টারে ছুটে আসবে। কিন্তু যত দেরি হবে ততই টু লেট হতে থাকবে। তখন আর কিছু জমা করতে পারবে না। টাকা পয়সার প্রয়োজন থাকবে না। বোঝানোর জন্যে তোমাদের এই ব্যাজ-ই হবে যথেষ্ট। এই ব্রহ্মা হলেন সেই বিষ্ণু, বিষ্ণু হলেন সেই ব্রহ্মা। এই ব্যাজটি হল এমন যে সব শাস্ত্রের সার তত্ত্ব এতেই নিহিত আছে। বাবা ব্যাজের খুব গুণ গান করেন। একটি সময় আসবে যখন সবাই তোমাদের এই ব্যাজটি চোখে তুলে রাখবে। মন্মনাভব, এতে আছে - আমাকে স্মরণ করো তাহলে এমন স্বরূপধারী হবে। ইনিই (ব্রহ্মা বাবা) ৮৪ টি জন্ম নেন। একমাত্র বাবা-ই পুনর্জন্ম নেন না। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. স্মরণে থাকার পরিশ্রম এবং জ্ঞানের ধারণা করে কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ করতে হবে। জ্ঞান সাগরের সম্পূর্ণ নলেজ নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে।
২. আত্মায় যে খাদ পড়েছে সেসব দূর করে সম্পূর্ণ ভাইসলেস হতে হবে। একটুও অপবিত্রতা যেন না থাকে। আমরা আত্মারা হলাম ভাই-ভাই...এই অভ্যাস করতে হবে।
বরদান:-
পিওরিটি-র (পবিত্রতার) রয়্যালটি দ্বারা শ্রেষ্ঠ জীবনের আভা প্রদীপ্তকারী বিশেষত্ব সম্পন্ন ভব
ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্ব হল পবিত্রতার (পিওরিটির) রয়্যালটি। যেমন রয়্যাল ফ্যামিলির চেহারা ও আচার-আচরণ দ্বারা বোঝা যায় এরা কোনও রয়্যাল বংশের, ঠিক তেমনই ব্রাহ্মণ জীবনের পরখ পিওরিটির দীপ্তি দিয়েই হয়। পিওরিটির দীপ্তি আচার-আচরণে ও চেহারায় তখন দেখা যাবে যখন সঙ্কল্পেও অপবিত্রতার নাম গন্ধ থাকবে না। পবিত্রতা শুধু ব্রহ্মচর্য ব্রত নয়, বরং কোনও প্রকারের বিকার অর্থাৎ অশুদ্ধির প্রভাব না থাকা - তবেই বলা হবে বিশেষত্ব সম্পন্ন ব্রাহ্মণ আত্মা।
স্লোগান:-
যে স্ব-এর দর্শন করে সে-ই সদা প্রসন্ন চিত্ত, সর্ব প্রাপ্তির অধিকারী হয়ে থাকে ।