১৬-০৫-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের সর্ব প্রথম সুনিশ্চিত হতে হবে যে আমাদের পড়াচ্ছেন যিনি, তিনি হলেন স্বয়ং শান্তির সাগর, সুখের সাগর আমাদের বাবা। কোনো মানুষ কাউকে সুখ-শান্তি দিতে পারে না"

প্রশ্ন:-

সব থেকে উঁচু লক্ষ্য কোনটা ? সেই উঁচু লক্ষ্যে পৌঁছানোর পুরুষার্থ কি ?

উত্তর:-

এক বাবার স্মরণ অবিচল হয়ে যাবে, বুদ্ধি আর কোন দিকে যাবে না, এটা হলো উঁচু লক্ষ্য। এর জন্য আত্ম-অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। যখন তোমরা আত্ম-অভিমানী হয়ে যাবে তো সব ভাবনা সমাপ্ত হয়ে যাবে। বুদ্ধির অস্থিরতা বন্ধ হয়ে যাবে। দেহের প্রতি একেবারেই দৃষ্টি যাবে না, এই হলো লক্ষ্য, এর জন্য আত্ম-অভিমানী ভব।

ওম্ শান্তি।

আত্মা রূপী বাচ্চাদের প্রতি আত্মাদের পিতা বসে বোঝাচ্ছেন - ওনাকে (ব্রহ্মাবাবাকে) আত্মাদের পিতা বলা যাবে না। আজকের দিনকে সদ্গুরুবার বলা হয়, গুরুবার বলা ভুল হবে। সদ্গুরুবার। গুরু তো অনেক আছে, সদ্গুরু একজনই । অনেকে আছে যারা নিজেকে গুরুও বলে, সদ্গুরুও বলে। এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা মনে করো, গুরু আর সদ্গুরুতে তো পার্থক্য আছে। সত্ অর্থাৎ ট্রু (সত্য)। সত্য একমাত্র নিরাকার পিতাকে বলা হয়, মানুষকে নয়। সত্যিকারের জ্ঞান তো এক-ই বার জ্ঞান সাগর বাবা এসে দেন। মানুষ মানুষকে সত্যিকারের জ্ঞান দিতে পারে না। এক নিরাকার পিতাই সত্য। এনার নাম তো ব্রহ্মা, ইনি কাউকে জ্ঞান দিতে পারেন না। ব্রহ্মার মধ্যে কোনো জ্ঞানই ছিল না। এখনো বলবো এনার মধ্যে সমস্ত জ্ঞান তো নেই। সম্পূর্ণ জ্ঞান তো জ্ঞান সাগর পরমপিতা পরমাত্মার মধ্যে আছে। এখন এরকম কোনো মানুষ নেই যে নিজেকে সদ্গুরু বলতে পারে। সদ্গুরু অর্থাৎ সম্পূর্ণ সত্য। তোমরা যখন সত্য হয়ে যাবে তখন আবার এই শরীর থাকবে না। মানুষ কে কখনো সদ্গুরু বলা যায় না। মানুষের মধ্যে তো এক পাই (সামান্যতম) শক্তিও নেই। ইনি নিজেই বলেন আমিও হলাম তোমাদের মতো মানুষ, এর মধ্যে শক্তির কথা উঠতে পারে না। এতো বাবা পড়ান, না কি ব্রহ্মা। এই ব্রহ্মাও ওঁনার (শিববাবার) থেকে পড়ে আবার পড়ান। এই তোমরা, যারা নিজেদের ব্রহ্মাকুমার-কুমারী বলো তারাও পরমপিতা পরমাত্মা সতগুরুর থেকে পাঠ নাও। তোমাদের শক্তি ওঁনার কাছ থেকে প্রাপ্ত হয়। শক্তি মানে এরকম নয়, যে কাউকে ঘুষি মারলে পড়ে যায়। না, এ হলো আত্মিক শক্তি যা আত্মাদের পিতার দ্বারা প্রাপ্ত হয়। স্মরণের শক্তি দ্বারা তোমাদের শান্তি প্রাপ্তি আর পাঠনের দ্বারা তোমাদের সুখ প্রাপ্তি হয়। যেরকম অন্যান্য টিচাররা তোমাদের পড়ায়, সেরকম বাবাও পড়ান। ইনিও (ব্রহ্মাবাবা) পড়েন, স্টুডেন্ট হন। দেহধারী যারাই আছে তারা সকলেই হলো স্টুডেন্ট। বাবার তো দেহ নেই-ই। তিনি হলেন নিরাকার, উনিই এসে পড়ান। যেরকম অন্যান্য স্টুডেন্ট পড়ে সেরকম তুমিও পড়ো। এতে পরিশ্রমের ব্যাপার নেই। পড়াশুনা চলাকালীন ব্রহ্মচর্যে থাকে। ব্রহ্মচর্যে থেকে যখন পাঠ সম্পূর্ণ করে তারপর তখন বিকারের দ্বারা পতন ঘটে। মানুষ তো দেখতে মানুষেরই মতো। বলে এই অমুকে হলো মানুষ, এ হলো এল.এল.বি, এ হলো অমুক অফিসার। পড়াশুনার উপর টাইটেল প্রাপ্তি হয়ে যায়। দেখতে তো সেই হলো। ঐ শরীরের পড়াশুনা কিরকম তা তোমরা জানো। সাধু-সন্ত ইত্যাদি যারা শাস্ত্র পড়ে আর পড়ায়, তাদের বড়াই করার কিছু নেই, ওতে কারোর শান্তি তো প্রাপ্ত হয় না। এরা নিজেরাও শান্তির জন্য ঠোক্কর খেতে থাকে। জঙ্গলে যদি শান্তি থাকতো তবে আবার ফিরে আসতো কেনো ! মুক্তি তো কেউ পায় না। যারাই ভালো ভালো নামীগ্রামী রামকৃষ্ণ পরমহংস ইত্যাদি ছিলেন, তারাও সবাই পুনর্জন্ম নিতে নিতে নীচেই এসেছে। মুক্তি-জীবনমুক্তি কেউই পায় না। তমোপ্রধান হতেই হয়। দেখতে তো কিছু মনে হয় না। কাউকে জিজ্ঞাসা করো-তুমি গুরুর কাছে কি পাও ? বলবে শান্তি পাওয়া যায়। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায় না। শান্তির অর্থই জানে না। বাচ্চারা, তোমরা এখন বুঝতে পারো, বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, আর কোনো সাধু, সন্ত, গুরু ইত্যাদি শান্তির সাগর হতে পারে না। মানুষ কাউকে সত্যিকারের শান্তি দিতে পারে না। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের সর্ব প্রথম সুনিশ্চিত হতে হবে-শান্তির সাগর এক বাবা-ই, যিনি আমাদের পড়ান। সৃষ্টির চক্র কি ভাবে ঘোরে, সেটাও বাবা-ই বুঝিয়েছেন। মানুষ মানুষকে কখনো সুখ-শান্তি দিতে পারে না। ইনি (ব্রহ্মা) হলেন রথ। তোমাদের মতোনই স্টুডেন্ট। ইনিও গৃহস্থ জীবনে ছিলেন। বাবাকে শুধুমাত্র নিজের রথ লোন হিসাবে দিয়েছেন, তাও বাণপ্রস্থ অবস্থায়। তোমাদের বোঝানোর জন্য হলেন এক বাবা, সেই বাবা বলেন সকলকে নির্বিকারী হতে হবে। যারা নিজে নির্বিকারী হতে পারে না তারা অনেক ধরনের কথা বলে, গালিও দেয়। মনে করে আমাদের জন্ম-জন্মান্তরের ভোজন যা বাবার উত্তরাধিকার পাওয়া গেছে, সেটা ত্যাগ করায়। এখন ত্যাগ তো করান সেই অসীম জগতের পিতা। এনাকেও(ব্রহ্মা) উনিই (শিববাবা) ছাড়িয়েছেন। বাচ্চাদেরও বাঁচানোর চেষ্টা করেন, যারা বেরোতে পারে তাদের বের করেন। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে আমাদের পড়ানোর জন্য যিনি আছেন তিনি কোনো মানুষ নন। সর্ব শক্তিমান এক নিরাকার বাবাকেই বলা যায়, আর কাউকে বলা যায় না। উনিই তোমাদের নলেজ দিচ্ছেন। বাবা-ই তোমাদের বোঝান। এই বিকার হলো তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু, একে ত্যাগ করো। আবার যে ত্যাগ করতে পারে না সে কতো ঝগড়া করে। মাতারাও কেউ কেউ এমন আছে যারা বিকারের জন্য ঝঞ্ঝাট করে।



এখন তোমরা হলে সঙ্গম যুগের। এটাও কেউ জানে না যে এটা হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। বাবা কতো ভালো ভাবে বোঝান। অনেকেই আছে যারা একেবারে সুনিশ্চিত। কেউ কিছুটা সুনিশ্চিত, কেউ একশ' ভাগ, কেউবা দশ ভাগ সুনিশ্চিত। এখন ভগবান শ্রীমত দেন- "বাচ্চারা, আমাকে স্মরণ করো" । এ হলো বাবার বড় আদেশ। সুনিশ্চিত হলে তবে না সেই আদেশ অনুযায়ী চলবে। বাবা বলেন - আমার মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা নিজেদের আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। এনাকে (ব্রহ্মা) স্মরণ করতে হবে না। আমি বক্তব্য করি না, বাবা আমার দ্বারা তোমাদের কাছে বক্তব্য রাখেন। যেরকম তোমরা এই বাচ্চারা পড়ো তেমনি ইনিও পড়েন। সকলেই স্টুডেন্ট। পড়ানোর টিচার একজনই। ওখানে সব মানুষ পড়ায়। এখানে তোমাদের ঈশ্বর পড়ান। তোমরা অর্থাৎ আত্মারা পড়ো। তোমাদের আত্মা আবার পড়ায়ও। এর জন্য খুব আত্ম-অভিমানী হতে হবে। ব্যারিস্টার-ইঞ্জিনিয়ার আত্মাই হয়। আত্মার এখন দেহ-অভিমান এসে গেছে। আত্ম-অভিমানীর বদলে দেহ-অভিমানী হয়ে পড়েছে। যখন আত্ম-অভিমানী হবে তখন বিকারী বলা যাবে না। তাদের কখনো বিকারী মনোভাবও আসতে পারে না। দেহ-অভিমান থেকেই বিকারী মনোভাব আসে। আবার বিকারের দৃষ্টি দ্বারাই দেখে। দেবতাদের কখনই বিকারী দৃষ্টি হতে পারে না। জ্ঞানের দ্বারা আবার দৃষ্টির পরিবর্তন হয়। সত্যযুগে তো আর এমন ভালোবাসা, নাচ করবে না। সেখানে ভালোবাসা করবে কিন্তু তাতে বিকারের দুর্গন্ধ থাকবে না। জন্ম-জন্মান্তর বিকারে থাকায় সেই নেশা থেকে মুক্ত হতে খুবই সমস্যা হয়। বাবা নির্বিকারী করে তুললে তো কোনো কন্যা একদম মজবুত হয়ে যায়। ব্যাস্ আমাকে তো নির্বিকারী হতে হবে। আমি একলা ছিলাম, একলা যেতে হবে। কেউ ওদের সামান্য টাচ্ (স্পর্শ) করলে মোটেই ভালো লাগে না। বলে এ আমাকে স্পর্শ করবে কেনো, এর মধ্যে বিকারী দুর্গন্ধ আছে। বিকারী আমাকে যেন টাচ্ও না করে। এই লক্ষ্যে তোমাদের পৌঁছাতে হবে। দেহের দিকে দৃষ্টি যেন একদমই না থাকে। সেই কর্মাতীত অবস্থা এখন তৈরী করতে হবে।এখনো পর্যন্ত এরকম কেউ নেই যে শুধুমাত্র আত্মাকেই দেখে। এটাই লক্ষ্য থাকে। বাবা সর্বদা বলতে থাকেন-বাচ্চারা, নিজেদের আত্মা মনে করো। এই শরীর হলো পুচ্ছ, যার দ্বারা তোমরা ভূমিকা পালন করো।



কেউবা বলে এতে শক্তি আছে। কিন্তু শক্তির কোনো ব্যাপার নেই। এ হলো পড়াশুনা। যেমন আর সকলে পড়ে, ইনিও পড়ে। পিওরিটির জন্য কতো মাথা ঠুকতে হয়। কতো পরিশ্রম হয়, সেইজন্য বাবা বলেন একজন-দ্বিতীয় জনকে আত্মা দেখো। সত্যযুগেও তোমরা আত্ম-অভিমানী থাকো। সেখানে তো রাবণ রাজ্য নেই-ই, বিকারের কথাই নেই। এখানে রাবণ রাজ্যে সবাই হলো বিকারী, সেইজন্য বাবা এসে নির্বিকারী করে তোলেন। না হলে শাস্তি পেতে হবে। আত্মা পবিত্র না হয়ে উপরে যেতে পারে না। হিসাব-নিকাশ মিটিয়ে দিতে হয়। তবুও পদ কম হয়ে যায়। এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। বাচ্চারা জানে যে স্বর্গে এক আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। সর্ব প্রথম তো অবশ্যই এক রাজা-রাণী থাকবে তারপর আবার ডিনায়েস্টি হবে। প্রজা অনেক তৈরী করা হয়। ওদের মধ্যে অবস্থার পার্থক্য হবে, যারা সম্পূর্ণ ভাবে সুনিশ্চিত নয় তারা সম্পূর্ণ পড়তেও পারে না। পবিত্র হতেই পারে না। অর্ধ-কল্পের পতিত, এক জন্মে ২১ জন্মের জন্য পবিত্র হবে- সে কি আর মাসির বাড়ী ! কামনার ব্যাপারটাই হলো মুখ্য। ক্রোধ ইত্যাদির এতো নয়। বুদ্ধি আর কোথাও গেলে অবশ্যই বাবাকে স্মরণ করে না। বাবার স্মরণ অবিচল হয়ে গেলে আর কোনো দিকে বুদ্ধি যায় না। লক্ষ্য অনেক উঁচু। পবিত্রতার কথা শুনে যেন আগুনে জ্বলে মরে। বলে এই কথা তো কেউ কখনো বলেনি। কোনো শাস্ত্রে নেই। খুব মুশকিলের মনে করে। সে তো হলোই নিবৃত্তি মার্গের আলাদা ধর্ম। ওদের তো পুনর্জন্ম নিয়ে আবারও সন্ন্যাস ধর্মেই যেতে হবে, সেই সংস্কারই নিয়ে যায়। তোমাদের তো বাড়ী-ঘর ছাড়তে হয় না। বোঝানো হয় যদিওবা গৃহে থাকো তবে তাদেরকেও বোঝাও-এখন হলো সঙ্গম যুগ। পবিত্রতা ব্যাতীত সত্যযুগে দেবতা হতে পারবে না। সামান্যতম জ্ঞান শুনলেও সে প্রজা হতে থাকে। প্রজা তো অনেক হয়। সত্যযুগে উপদেষ্টা (উজির) থাকে না কারণ বাবা সম্পূর্ণ জ্ঞানী তৈরী করে দেন। উপদেষ্টা ইত্যাদি দরকার অজ্ঞানী লোকের। এই সময় দেখো একজন অপর জনকে কীভাবে মারে, শত্রুতার স্বভাব কতো কড়া। তোমরা মনে করো আমরা এই পুরানো শরীর ছেড়ে গিয়ে দ্বিতীয় শরীর নিই। কোনো বড় কথা কি হলো ! তারা দুঃখের সাথে মরে। তোমরদের সুখের সাথে বাবার স্মরণে যাওয়া। আমি অর্থাৎ এই বাবাকে যত স্মরণ করবে আর সব কিছু ভুলে যাবে। কিছুই স্মরণে থাকবে না। কিন্তু এই অবস্থা তখনই হবে যখন দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে। দৃঢ় বিশ্বাস না হলে স্মরণও স্থির হয় না। নামেই শুধুমাত্র বলা হয়। বিশ্বাসে দৃঢ়তা না থাকলে স্মরণ করবে কি ভাবে ! সবার বিশ্বাস তো একই রকম দৃঢ় নয় । সুনিশ্চিত বিশ্বাস হওয়ার থেকে মায়া সরিয়ে দেয়। যেমনকার তেমন হয়ে যায়। সর্বপ্রথম তো বাবার প্রতি সুনিশ্চিত বিশ্বাস হওয়া চাই। সংশয় থাকে এই বাবার অস্তিত্ব নিয়ে। অসীম জগতের পিতাই জ্ঞান প্রদান করেন । ইনি তো বলেন আমি সৃষ্টির রচয়িতা আর রচনাকে জানতাম না। আমাকে তো কেউ শুনিয়েছে। আমি ১২জন গুরু করেছিলাম, তাদের সবাইকে ছাড়তে হয়েছে। গুরু তো জ্ঞান দেননি। সদ্গুরু হঠাৎ এসে প্রবেশ করেছেন। বুঝেছি, জানা ছিল না কি হবে। গীতাতেও আছে যে, অর্জুনকেও সাক্ষাৎকার করিয়েছিল। অর্জুনের কথাই নেই, এটা তো হলো রথ, ইনিও প্রথমে গীতা পড়তেন। বাবা এসে প্রবেশ করেছিলেন, সাক্ষাৎকার করিয়েছিলেন যে এই জ্ঞান দেওয়ার জন্য বাবা-ই আছেন, তখন ওই গীতকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। আমাদের সেটাই তো বলবেন। গীতা হলো আমার বাবা। সেই বাবা-যাকে তুমিই মাতা, তুমিই পিতা বলা হয়। তিনি রচনা করেন, অ্যাডপ্ট করান। এই ব্রহ্মাও তোমাদের মতো। বাবা বলেন এনারও যখন বাণপ্রস্থ অবস্থা হয় তখন আমি প্রবেশ করি। কুমারীরা তো হলোই পবিত্র। ওদের জন্য তো এটা সহজ। বিবাহের পর কতো সম্বন্ধ বেড়ে যায়, সেইজন্য দেহী-অভিমানী হতে পরিশ্রম করতে হয়। বাস্তবে আত্মা হলো শরীর থেকে আলাদা। কিন্তু অর্ধ-কল্প দেহ-অভিমানী থেকেছে। বাবা এসে তোমাদের অন্তিম জন্মে দেহী-অভিমানী করে তোলেন বা আত্ম চেতনায় জাগৃত করেন, তাই তো কঠিন ব্যাপার মনে হয়। পুরুষার্থ করতে করতে কতো অল্পই মাত্র পাশ করে। অষ্টরত্ন উদ্ভাসিত হয়। আত্ম-অভিমানী হতে অনেক পরিশ্রম। আচ্ছা!



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার-:

১. জ্ঞানের দ্বারা নিজের দৃষ্টির পরিবর্তন করতে হবে। আত্ম-অভিমানী হয়ে বিকারী চিন্তা ভাবনাকে সমাপ্ত করতে হবে। কোনো রকম বিকারের দুর্গন্ধ যেন না থাকে, দেহের প্রতি যেন একদমই দৃষ্টি না যায়।

২. অসীম জগতের পিতাই আমাদের পড়ান - এরকম সুদৃঢ় বিশ্বাস থাকলে তবে স্মরণ দৃঢ় হবে। খেয়াল রাখতে হবে, মায়া যেন দৃঢ় বিশ্বাসকে সামান্যতমও নাড়াতে না পারে ।

বরদান:-

পবিত্রতার ফাউন্ডেশন দ্বারা সদা শ্রেষ্ঠ কর্ম সম্পাদনকারী পূজ্য আত্মা ভব

পবিত্রতা পূজ্য করে তোলে। পূজ্য সেই হয় যে সর্বদা শ্রেষ্ঠ কর্ম করৈ।কিন্তু পবিত্রতা শুধুমাত্র ব্রহ্মচর্য নয়, মনসা সংকল্পেও কারোর প্রতি নেগেটিভ সংকল্প যেন উৎপন্ন না হয়, কথাও যেন অযথার্থ না হয়, সম্বন্ধ-সম্পর্কেও যেন না ফাটল আসে, সবার সাথে একরকম ভালো সম্বন্ধ যাতে থাকে । মনসা-বাচা-কর্মে, কিছুতেই যেন পবিত্রতা খন্ডিত না হয় - তখন বলা হবে পূজ্য আত্মা। আমি হলাম পরম পূজ্য আত্মা - এই স্মৃতির দ্বারা পবিত্রতার ফাউন্ডেশন দৃঢ় করো।

স্লোগান:-

সর্বদা এই অলৌকিক নেশাতে থাকো "বাহ্ রে আমি" তবে মনের সাথে সাথে তনও ন্যাচারাল খুশীর ড্যান্স করতে থাকবে।