18.12.2019
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
মায়া খুবই শক্তিশালী (জবরদস্ত), এর থেকে সাবধান থেকো, কখনোই এমন ভাবনা যেন না আসে
যে, আমরা ব্রহ্মাকে মানি না, আমাদের তো সরাসরি শিববাবার সঙ্গে সম্পর্ক"
প্রশ্নঃ -
কোন্
বাচ্চাদের উপর শীঘ্রই সকলের ভালোবাসা আসে ?
উত্তরঃ -
যারা প্রথমে
প্রত্যেকটি কথা প্রত্যক্ষভাবে নিজের উপর প্রয়োগ করে, তারপর অন্যদের বলে - তাদের উপর
সকলের প্রেম শীঘ্রই এসে যায় । জ্ঞানকে নিজে ধারণ করে তারপর অনেকের সেবা করতে হবে,
তখনই সকলের ভালোবাসা পাবে । নিজে যদি না করে অথচ অন্যদের করতে বলে, তখন তাকে কে
মানবে ? সে তো যেন পণ্ডিতের মতো হয়ে যায় ।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চাদের বাবা
জিজ্ঞাসা করেন, আত্মাদের পরমাত্মা জিজ্ঞাসা করেন -- তোমরা এ কথা তো জানো যে, আমরা
পরমপিতা পরমাত্মার সামনে বসে আছি । বাবার নিজের কোনো রথ বা শরীর নেই, এ কথার নিশ্চয়
তো আছে, তাই না ? এনার ভ্রুকুটির মধ্যে বাবার নিবাস স্থান । বাবা নিজে বলেছেন - আমি
এনার ভ্রুকুটির মধ্যস্থলে বিরাজ করি । আমি এনার শরীর ধার হিসাবে নিই । আত্মার
অবস্থান ভ্রুকুটির মধ্যস্থলে, তাই বাবাও এখানে এসেই বসেন । ব্রহ্মাও আছেন, আর
শিববাবাও আছেন । এই ব্রহ্মা যদি না থাকতেন, তাহলে শিববাবাও থাকতেন না । কেউ যদি বলে,
আমি তো শিববাবাকেই স্মরণ করি, ব্রহ্মাকে নয়, কিন্তু শিববাবা তাহলে বলবেন কিভাবে ?
শিববাবাকে তো তোমরা সর্বদা উপরে স্মরণ করে এসেছো । বাচ্চারা, এখন তোমরা জেনেছো যে,
আমরা বাবার কাছে এখানে বসে আছি । এমন তো মনে করবে না যে, শিববাবা উপরে আছেন ।
ভক্তিমার্গে যেমন বলা হয়, শিববাবা উপরে আছেন, তাঁর প্রতিমার এখানে পুজো হয় । এই
কথা খুবই বোঝার । তোমরা জানো যে, বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনি পূর্ণ জ্ঞানী, তাহলে
তিনি কোথা থেকে এই জ্ঞান শোনান ? তিনি ব্রহ্মার শরীরের মাধ্যমে শোনান । কেউ কেউ বলে,
আমরা ব্রহ্মাকে মানি না, কিন্তু শিববাবা বলেন, আমি এর মুখের দ্বারাই তোমাদের বলি
যে, তোমরা আমাকে স্মরণ করো । এ তো বোঝার মতো কথা, তাই না । ব্রহ্মা তো নিজেই বলেন
-- শিববাবাকে স্মরণ করো । ইনি কোথায় বলেন যে, আমাকে স্মরণ করো ? এনার দ্বারাই
শিববাবা বলেন যে, আমাকে স্মরণ করো । এই মন্ত্র আমি এনার মুখের দ্বারাই দিই । ব্রহ্মা
না হলে এই মন্ত্র আমি কিভাবে দিতাম ? ব্রহ্মা না হলে তোমরা শিববাবার সঙ্গে কিভাবে
মিলিত হতে ? কিভাবে আমার কাছে এসে বসতে ? মায়া এমন এমন চিন্তা ঢুকিয়ে দেয় যে খুব
ভালো ভালো মহারথীদেরও এমন খেয়াল এসে যায় আর তারা মুখ ঘুরিয়ে নেয় । তারা বলে, আমরা
ব্রহ্মাকে মানি না, তাহলে তাদের কি গতি হবে ? মায়া এতো বড় জবরদস্ত যে, একদম মুখই
ঘুরিয়ে দেয় । তোমাদের মুখ এখন শিববাবা সামনের দিকে করেছেন । তোমরা তাঁর সামনে বসে
আছো । এরপরও যে এমন মনে করে - ব্রহ্মা তো কিছুই নয়, তাহলে তার কি গতি হবে ? সে
দুর্গতি প্রাপ্ত হয় । মানুষ তো ডাকতে থাকে - ও গড ফাদার ! গড ফাদার কি শোনেন ? তারা
বলে - ও উদ্ধারকর্তা, এসো । ওখান থেকেই কি তিনি উদ্ধার করবেন ? বাবা প্রতি কল্পের
সঙ্গম যুগেই আসেন । তিনি যাঁর মধ্যে আসেন, তাঁকেই ভুলে গেলে কি বলা হবে ? মায়ার
মধ্যে এতটাই শক্তি যে এক নম্বরকেও পাই পয়সার নয়, এমন বানিয়ে দেয় । কোনো কোনো
সেন্টারে এমনও আছে, তাই তো বাবা বলেন, বাচ্চারা, সাবধান থাকো । যদিও তারা পণ্ডিতের
মতো বাবার শোনানো জ্ঞান অন্যদের শোনাতে থাকে । বাবা যেমন পণ্ডিতের উদাহরণ দিয়ে
কাহিনী শোনান -- এই সময় তোমরা বাবার স্মরণে বিষয় সাগরকে পার করে ক্ষীর সাগরে তো
যাও, তাই না । ভক্তিমার্গে অনেক গল্পকথা বানিয়ে দিয়েছে । পণ্ডিতরা অন্যদের বলতো,
রাম নাম করলে পার হয়ে যাবে কিন্তু নিজেরা এই নাম জপ করে না । নিজেরা বিকারে যেতে
থাকে আর অন্যদের বলে, তোমরা নির্বিকারী হও । এদের কি ফল হবে ? এখানেও কোথাও কোথাও
যিনি শোনান, তার থেকে যে শোনে সে তীব্রগতিতে এগিয়ে যায় । যে অনেকের সেবা করে, সে
সকলের প্রিয় হয় । পণ্ডিত যদি মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে কে ভালোবাসবে ?
তখন ভালোবাসা তার প্রতি চলে যাবে যে প্রত্যক্ষভাবে স্মরণ করে । খুব ভালো ভালো
মহারথীদেরও মায়া গিলে ফেলে ।
বাবা বুঝিয়েছেন যে -- এখনো তো কর্মাতীত অবস্থা তৈরী হয়নি, যতক্ষণ লড়াইয়ের প্রস্তুতি
না হয় । একদিকে লড়াইয়ের প্রস্তুতি হবে অন্যদিকে কর্মাতীত অবস্থাও প্রাপ্ত হবে । এ
সম্পূর্ণ যোগাযোগ, লড়াই সম্পূর্ণ হবে আর পরিবর্তনও হয়ে যাবে । প্রথমে রুদ্র মালা
তৈরী হয় । এই কথা আর কেউই জানে না । তোমরা জানো যে, এই দুনিয়াকে পরিবর্তন হতে হবে
। ওরা মনে করে, এই দুনিয়ার এখনো ৪০ হাজার বছর বাকি আছে । তোমরা বুঝতে পারো যে,
বিনাশ তো সামনে উপস্থিত । তোমরা হলে কম সংখ্যক আর ওরা হলো বেশী সংখ্যক । তাই
তোমাদের কথা কে শুনবে ? তোমাদের যখন বৃদ্ধি হয়ে যাবে, তখন তোমাদের যোগবলে অনেকে
আকৃষ্ট হয়ে আসবে, তোমাদের মধ্যে থেকে যতো জং দূর হয়ে যাবে, ততই তোমরা শক্তিতে
ভরপুর হবে । এমন নয় যে বাবা জানি - জানানহার (সর্বজ্ঞ )। তা নয়, তিনি সকলের অবস্থা
জানেন । বাবা কি বাচ্চাদের অবস্থা জানবেন না ? সবকিছুই তিনি জানেন । এখন তো তোমাদের
কর্মাতীত অবস্থা হতে পারবে না । বারে বারে ভুল হওয়া সম্ভব, মহারথীদেরও হয়ে থাকে ।
কথাবার্তা, আচার-আচরণ ইত্যাদি সবই প্রসিদ্ধ হয়ে যায় । এখন তো তোমাদের দৈবী চলন তৈরী
করতে হবে । দেবতারা তো সর্বগুণ সম্পন্ন, তাই না । তোমাদের এখন এমনই হতে হবে কিন্তু
মায়া কাউকেই ছাড়ে না । একেবারে লজ্জাবতী লতা বানিয়ে দেয় । পাঁচ সিঁড়ি আছে তো, তাই
না । দেহভাব আসার কারণে উপর থেকে একদম ফেলে দেয় । পড়লেই মরলে । আজকাল নিজেদের
মারার জন্য কতো রকমের উপায় করে । কুড়ি তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে একদম শেষ হয়ে যায় ।
এমনও হয় না যে, হাসপতালে পড়ে রইলো দুঃখ ভোগ করার জন্য । কেউ আবার নিজেদের আগুন
লাগিয়ে দেয়, কেউ যদি বাঁচিয়েও নেয়, তাহলেও কতো দুঃখ ভোগ করে । জ্বলে মারা গেলে
আত্মা মুক্ত হবে, তাই আত্মঘাত করে । তারা মনে করে আত্মঘাতী হলে দুঃখ থেকে মুক্ত হবে
। ইচ্ছা হলেই ব্যস্ । কেউ কেউ তো হাসপাতালেও কতো দুঃখ ভোগ করে । ডাক্তাররা মনে করে,
এর তো কষ্ট দূর হবে না, এর থেকে ভালো যে, ওষুধ দিয়ে দিই, শেষ হয়ে যাক, কিন্তু তারা
এও জানে যে, এই ওষুধ দিয়ে মৃত্যু হলো মহাপাপ । আত্মা নিজেই বলে, এই কষ্ট ভোগ করার
থেকে ভালো হয় যে, শরীর ত্যাগ করি । এখন এই শরীর থেকে কে মুক্ত করাবে ? এ হলো অপার
দুঃখের দুনিয়া । আর ওখানে হলো অপার সুখ ।
বাচ্চারা, তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা এখন ফিরে যাই, আমরা দুঃখধাম থেকে সুখধামে যাই,
তাই তাকে স্মরণ করতে হবে । বাবাও সঙ্গমযুগেই আসেন যখন দুনিয়াকে পরিবর্তন হতে হয় ।
বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমি আসি তোমাদের সর্ব দুঃখ থেকে মুক্ত করে পবিত্র নতুন
দুনিয়াতে নিয়ে যেতে । পবিত্র দুনিয়াতে খুব অল্পই থাকে । এখানে তো অনেকেই আছে, তারা
পতিত হয়ে গেছে, তাই ডাকে, হে পতিত পাবন -- এ কথা বোঝেই না যে আমরা মহাকালকে ডাকি
যে, আমাদের এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়া থেকে ঘরে নিয়ে চলো । বাবা অবশ্যই আসবেন, সকলের মৃত্যু
হবে আর তখনই তো শান্তি আসবে, তাই না । মানুষ শান্তি - শান্তি করতে থাকে । শান্তি তো
শান্তিধামে থাকবে কিন্তু এই দুনিয়াতে শান্তি কিভাবে হবে ? এখানে যে অনেক মানুষ ।
সত্যযুগে তো সুখ - শান্তি ছিলো । এখন তো এই কলিযুগে অনেক ধর্ম । এই এতো ধর্মের যখন
অবসান হবে, যখন এক ধর্ম স্থাপন হবে, তখন তো সুখ - শান্তি হবে । হাহাকারের পরে আবার
জয়জয়াকার হবে । পরের দিকে দেখবে মৃত্যুর বাজার কতো গরম । কিভাবে মানুষের মৃত্যু হয়
। বোম্বের দ্বারাও আগুন লেগে যাবে । পরের দিকে যখন এইসব দেখতে পাবে তখন অনেকেই বলবে,
বরাবর এমন বিনাশ তো হবেই ।
বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এই সৃষ্টিচক্র কিভাবে ঘুরতে থাকে ? বাবা এক ধর্মের স্থাপনা
করান, তিনি রাজযোগও শেখান । বাকি অন্য সমস্ত ধর্ম শেষ হয়ে যাবে । গীতাতে কিছুই
দেখানো হয় নি । তাহলে গীতা পড়ার ফল কি ? দেখানো হয়েছে, প্রলয় হয় । দেখানো হয়,
সম্পূর্ণ দুনিয়া জলমগ্ন হয়ে গেছে কিন্তু সম্পূর্ণ দুনিয়া জলমগ্ন হয় না । ভারত তো
অবিনাশী পবিত্র খণ্ড । তারমধ্যেও আবু সবথেকে পবিত্র তীর্থস্থান, যেখানে বাবা এসে
সকলের সদগতি করান । দিলওয়ারা মন্দির এর করো সুন্দর স্মরণ । এ কতো অর্থ সহিত, কিন্তু
যে বানিয়েছিলো সে কিছুই জানতো না । তবুও খুবই বুঝদার ছিলো, তাই না । দ্বাপরে নিশ্চই
খুবই বুঝদার মানুষ থাকবে । কলিযুগে তো সকলেই তমোপ্রধান । তোমরা যেখানে বসে আছো, এই
মন্দির হলো সবার থেকে উচ্চ । তোমরা জানো যে, আমরা হলাম চৈতন্য, এ হলো আমাদের জড়
দেহের স্মরণ । বাকি আরো কিছু সময় এই মন্দির ইত্যাদি আরো তৈরী হতে থাকবে । তারপর তো
তা আবার ভেঙ্গে যাওয়ার সময়ও আসবে । সমস্ত মন্দির ইত্যাদি সব ভেঙ্গে যাবে । হোলসেল
মৃত্যু হবে । মহাভারী মহাভারতের লড়াইয়ের নাম আছে, যাতে সব শেষ হয়ে যায় । তোমরা এও
বুঝতে পারো যে, বাবা এই সঙ্গম যুগেই আসেন । বাবার তো রথের প্রয়োজন, তাই না । আত্মা
যখন শরীরে প্রবেশ করে তখনই শরীরে প্রাণ বা গতি আসে । আত্মা শরীর থেকে নির্গত হয়ে
গেলে শরীর জড় হয়ে যায় । বাবা তাই বোঝান যে, তোমরা এখন ঘরে ফিরে যাও । তোমাদের
লক্ষ্মী - নারায়ণের মতো হতে হবে । তাহলে এমন গুণও তো চাই, তাই না । বাচ্চারা, তোমরা
এই খেলাকেও জানো । এই খেলা কতো আশ্চর্যের বানানো হয়েছে । এই খেলার রহস্য বাবা বসেই
বুঝিয়ে বলেন । বাবা তো পূর্ণ জ্ঞানী এবং বীজ রূপ, তাই না । বাবা এসেই সম্পূর্ণ
বৃক্ষের জ্ঞান দেন -- এতে কি কি হয় , তোমরা এখানে কতো সময় অভিনয় করছো ? অর্ধেক
কল্প হলো দৈবী রাজ্য আর অর্ধেক কল্প আসুরী রাজ্য । যারা ভালো ভালো বাচ্চা, তাদের
বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে । বাবা তাঁর নিজের সমান টিচার তৈরী করেন । এই টিচারও
আবার নম্বরের ক্রমানুসারে হয় । কেউ কেউ তো টিচার হয়েও আবার বিগড়ে যায় । অনেককেই
শিখিয়ে নিজে শেষ হয়ে যায় । ছোটো ছোটো বাচ্চাদের মধ্যেও নানা ধরণের সংস্কার থাকে ।
বাবা বোঝান যে, এখানেও যারা ঠিক রীতিতে জ্ঞান ধারণ না করে, চালচলনের পরিবর্তন না করে,
তারা অনেককেই দুঃখ দেওয়ার নিমিত্ত হয়ে যায় । শাস্ত্রে এও দেখানো হয়েছে - আসরে
অসুর লুকিয়ে বসে থাকে তারপর বাইরে গিয়ে বিশ্বাসঘাতক হয়ে কতো উৎপাত করে । এ তো হতেই
থাকে । উঁচুর থেকেও উঁচু বাবা যিনি স্বর্গের স্থাপনা করেন, তাতে কতো বিঘ্ন এসে পড়ে
।
বাবা বোঝান যে, তোমরা বাচ্চারা হলে সুখ - শান্তির টাওয়ার । তোমরা খুবই রাজকীয় ।
তোমাদের থেকে রাজকীয় এইসময় কেউই হয না । অসীম জগতের বাবার সন্তান হলে কতো মিষ্টিভাবে
চলা উচিত । তোমরা কাউকে দুঃখ দেবে না । না হলে তা অন্তিম সময়ে স্মরণে আসবে । তখন
সাজা ভোগ করতে হবে । বাবা বলেন, এখন তো তোমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে । বাচ্চাদের
সূক্ষ্ম লোকে ব্রহ্মার সাক্ষাৎকার হয়, তাই তোমরাও এমন সূক্ষ্মবতনবাসী হও । নির্বাক
ছায়াছবির অভ্যাস করতে হবে । অনেক কম বলতে হবে আর মিষ্টি বলতে হবে । এমন পুরুষার্থ
করতে করতে তোমরা শান্তির টাওয়ার হয়ে যাবে । বাবা তোমাদের শেখান । এরপর তোমাদের
অন্যকে শেখাতে হবে । *ভক্তিমার্গ হলো বাণীর মার্গ । এখন তোমাদের সাইলেন্স হতে হবে*
। আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ -
সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
খুবই রাজকীয়ভাবে মিষ্টি হয়ে চলতে হবে । শান্তি আর সুখের টাওয়ার হওয়ার জন্য খুবই কম
আর মিষ্টি করে কথা বলতে হবে । 'মুভী'-র (নির্বাক) অভ্যাস করতে হবে । 'টকী'-তে আসবে
না ।
২ ) নিজের আচরণ দৈবী বানাতে হবে । লজ্জাবতী লতা হবে না । লড়াইয়ের পুর্বে কর্মাতীত
অবস্থা পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে । নির্বিকারী হয়ে অন্যকে নির্বিকারী বানানোর সেবা করতে
হবে ।
বরদান:-
কর্ম আর সম্বন্ধ এই দুইয়েই স্বার্থ ভাব থেকে মুক্ত থাকা বাবা সম কর্মাতীত ভব
বাচ্চারা, তোমাদের
সেবা হলো সবাইকে মুক্ত করা । তাই অন্যকে মুক্ত করতে গিয়ে নিজেকে বন্ধনে আবদ্ধ কোরো
না । এই অসীম জগতের 'আমার' ভাবের থেকে যখন মুক্ত হবে, তখনই অব্যক্ত স্থিতির অনুভব
করতে পারবে । যে বাচ্চারা, লৌকিক আর অলৌকিক এই দুইয়েই কর্ম এবং সম্বন্ধে স্বার্থ
ভাব মুক্ত, তারাই বাবা সম কর্মাতীত স্থিতির অনুভব করতে পারে । তাই নিজেকে
পর্যবেক্ষণ করো, কথাটা কর্মের বন্ধন থেকে পৃথক হয়েছো ? ব্যর্থ স্বভাব - সংস্কারের
বশীভূত হওয়ার থেকে মুক্ত হয়েছো কি ? কখনো কোনো পূর্ব স্বভাব - সংস্কার বশীভূত করে
না তো ?
স্লোগান:-
সমান এবং সম্পূর্ণ হতে হলে স্নেহের সাগরে লীন হয়ে যাও ।