২৭-০৫-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার থেকে কারেন্ট (শক্তি ) নিতে হলে সেবাতে লেগে থাকো, যে বাচ্চারা সবকিছু ত্যাগ করে সেবাতে লেগে থাকে, তারাই প্রিয় হয়, বাবার হৃদয়ে স্থান পায়"
প্রশ্ন:-
বাচ্চাদের স্থায়ী খুশী কেন থাকে না, এর মুখ্য কারণ কি ?
উত্তর:-
স্মরণের সময় বুদ্ধি বিভ্রান্ত হয়, স্থির বুদ্ধি না থাকার কারণে খুশী থাকতে পারে না l মায়ার ঝড় দীপককে নাজেহাল করে দেয় l যতক্ষণ কর্ম, অকর্ম না হয়, ততক্ষণ স্থায়ী খুশী থাকতে পারে না, তাই বাচ্চাদের এই পরিশ্রম করতে হবে l
ওম্ শান্তি l
ওম্ শান্তি যখন বলে তখন খুব উল্লাসের সঙ্গে বলে যে, আমি আত্মা শান্ত স্বরূপ l এর অর্থ কতই সহজ l বাবাও বলবেন ওম্ শান্তি l দাদাও বলবেন ওম্ শান্তি l উঁনি বলেন যে, আমি পরমাত্মা, ইনি বলেন আমি আত্মা l তোমরা সকলেই হলে নক্ষত্র l সমস্ত নক্ষত্রের বাবা তো চাই, তাই না l এমন গানও আছে যে, সূর্য, চাঁদ আর ভাগ্যশালী নক্ষত্র l তোমরা বাচ্চারা হলে খুবই ভাগ্যশালী নক্ষত্র l এদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে l রাতে যেমন চাঁদের কিরণে কোনো নক্ষত্রের দ্যুতি হালকা হয়, কোনোটার আবার তীব্র l কেউ কেউ চাঁদের কাছে থাকে l নক্ষত্র তো l তোমরাও হলে জ্ঞান নক্ষত্র l ভ্রুকুটির মধ্যে ঝলমলে আশ্চর্য এক তারা l বাবা বলেন যে এই নক্ষত্র (আত্মা ) খুবই আশ্চর্যজনক l এক তো এত ছোটো বিন্দু, যার খবর কেউই জানে না l আত্মাই এই শরীরের দ্বারা অভিনয় করে l এ বড় আশ্চর্যের l তো বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে l কেউ কেমন, কেউ আবার কেমন l বাবা সেই নক্ষত্রদের বসে স্মরণ করেন যারা খুব ঝলমল করে l যারা খুব ভালো সেবা করে তারা কারেন্ট (শক্তি ) পেয়ে যায় l তোমাদের ব্যাটারি ভরপুর হচ্ছে l তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তোমরা সার্চ লাইট পাও l বাবা বলেন,যে আমার কারণে সবকিছু ত্যাগ করে সেবায় লেগে থাকে, সে আমার খুবই প্রিয় l সে আমার হৃদয়ে অধিষ্ঠিত হয় l বাবা তো হৃদয় হরণ করেন, তাই না l দিলওয়ালা মন্দিরও তো আছে, তাই না l এখন এ কি দিলওয়ালা মন্দির নাকি যিনি হৃদয় হরণ করেন তাঁর মন্দির ! কার হৃদয় হরণ করেন ? তোমরা তো দেখেছো তাই না l প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো বসে আছেন l অবশ্যই তাঁর মধ্যে শিববাবা প্রবেশ করেন আর তোমরাও দেখো যে - উপরে স্বর্গের স্থাপনাও আছে, নীচে বাচ্চারা তপস্যায় বসে আছে l এ তো ছোটো মডেল রূপে বানানো আছে l যারা খুব ভালো সার্ভিস করে তারা খুবই সাহায্যকারী l মহারথী, ঘোড়সওয়ার, পদাতিক এরা তো আছে, তাই না l এই মন্দির খুবই সঠিক স্মরণে বানানো হয়েছে l তোমরা বলবে, এ হলো আমাদেরই স্মরণ l তোমরা এখন আলোর সন্ধান পেয়েছো আর কোথাও জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন নেই l ভক্তিমার্গে তো মানুষকে যা শোনানো হয় তাই সত্য সত্য বলে দেয় l বাস্তবে এ হলো মিথ্যা, একেই সত্য মনে করে l এখন বাবা, যিনি সত্য, তিনি বসেই তোমাদের সত্যকথা শোনান, যাতে তোমরা এই বিশ্বের মালিক হও l বাবা তো তোমাদের কিছুই পরিশ্রম করান না l বৃক্ষের সম্পূর্ণ রহস্য এখন তোমাদের বুদ্ধিতে বসে গেছে l তোমাদের বোঝানো তো খুবই সহজ কিন্তু এতো সময় কেন লাগে ? জ্ঞান বা অবিনাশী উত্তরাধিকার দিতে সময় লাগে না l পবিত্র হতেই সময় লাগে l মুখ্য হলো স্মরণের যাত্রা l এখানে তোমরা যখন আসো, তোমাদের মন বেশী থাকে স্মরণের যাত্রায় l ঘরে গেলে এতটা নেশা থাকে না l এখানে সকলেই নম্বরের ক্রমানুসারে আছে l তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ এখানে বসে থাকলে বুদ্ধিতে এই নেশা থাকে যে - আমরা বাচ্চা আর ইনি হলেন বাবা l অসীম জগতের (বেহদের) বাবা আর আমরা বাচ্চারা বসে আছি l বাচ্চারা, তোমরা জানো যে বাবা এই শরীরে এসেছেন l তিনি দিব্য দৃষ্টি দিচ্ছেন, সার্ভিস করছেন l তাই সেই একেরই স্মরণ করা উচিত l আর কোনদিকেই বুদ্ধি যাওয়া উচিত নয় l সন্দেশীরা (যারা সূক্ষ্মলোকে ফরিস্তা রূপে গিয়ে বাবার সন্দেশ নিয়ে আসেন) সম্পূর্ণ রিপোর্ট দিতে পারেন - কার বুদ্ধি বাইরে বিভ্রান্ত হয়, কে কি করছে, কার ঝিমুনি আসে, সবই বলতে পারেন l
যে নক্ষত্ররা খুবই সেবাপরায়ণ, বাবা ক্রমাগত তাদেরই দেখতে থাকেন l তাদের প্রতি বাবার প্রেম থাকে তাই না কারণ তারা এই স্থাপনায় সাহায্য করে l হুবহু আগের কল্পের মতো এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, অনেকবারই তা হয়েছে l এই ড্রামার চক্র তো চলতেই থাকে l এতে চিন্তা করার কোনো কথাই থাকে না l বাবার সাথে তো আছো, তাই না l তাহলে সঙ্গের রং তো লাগেই l চিন্তা কম হয়ে যায় l এই নাটক তো বানানোই আছে l বাবা তাঁর সন্তানদের জন্য স্বর্গের রাজধানী নিয়ে এসেছেন l তিনি কেবল বলেন, মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করো l এখন সুইট হোমে যেতে হবে, যারজন্যে তোমরা ভক্তিমার্গে মাথা ঠুকতে কিন্তু একজনও যেতে পারতে না l এখন তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে থাকো আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে থাকো l অল্ফ (আল্লাহ )আর বে (বাদশাহী )l তোমরা বাবাকে স্মরণ করো আর ৮৪ জন্মের চক্রকে স্মরণ করো l আত্মা ৮৪ জন্মের চক্রের জ্ঞান পেয়েছে l রচয়িতা আর রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তকে কেউই জানে না l তোমরাও তা জানো কিন্তু পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে l ভোরে উঠে তোমরা বুদ্ধিতে এই কথাই স্মরণে রাখো যে - আমরা ৮৪ র চক্র সম্পূর্ণ করেছি, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই এখন বাবাকে স্মরণ করতে হবে তাহলেই তোমরা চক্রবর্তী রাজা হতে পারবে l এ তো সহজ, তাই না কিন্তু মায়া তোমাদের তা ভুলিয়ে দেয় l মায়ার তুফান আছে না, তা দীপকে নাজেহাল করে দেয় l মায়া খুবই দুস্তর, তার এতোটাই শক্তি যে বাচ্চাদের সব ভুলিয়ে দেয় l সেই খুশী স্থায়ী থাকে না l তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে বসো আর বসে বসে তোমাদের বুদ্ধি অন্যদিকে চলে যায় l এ সবই হলো গুপ্ত কথা l যতোই চেষ্টা করো না কেন, স্মরণ করতেই পারবে না l আবার কারোর বুদ্ধি নানাভাবে বিভ্রান্ত হয়ে তারপর স্থির হয়ে যায়, কারোর আবার চট্ করে স্থির হয়ে যায়, আবার কাউকে যতই বলো না কেন বুদ্ধিতে বসেই না l একেই মায়ার যুদ্ধ বলা হয় l কর্ম, অকর্ম করার জন্য কতো পরিশ্রম করতে হয় l ওখানে তো রাবণ রাজ্যই নেই তাই কর্ম - বিকর্মও হয় না l ওখানে মায়া থাকেই না যে বিকর্ম করাবে l এ হলো রাবণ আর রামের খেলা l অর্ধেক কল্প হলো রাম রাজ্য আর অর্ধেক কল্প রাবণ রাজ্য l দিন আর রাত l সঙ্গম যুগে কেবল ব্রাহ্মণরাই থাকে l এখন তোমরা ব্রাহ্মণরা বুঝতে পারছো যে, রাত সম্পূর্ণ হয়ে দিন শুরু হবে l ওই শূদ্র বর্ণেররা বুঝতেই পারে না l
মানুষ তো উচ্চস্বরে ভক্তি ইত্যাদির গান গায় । তোমাদের তো আওয়াজের ঊর্ধে যেতে হবে । তোমরা তো তোমাদের বাবার স্মরনেই মস্তিতে থাকো । আত্মা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়েছে । আত্মা বুঝতে পারে যে এখন বাবাকে স্মরণ কোর্টে হবে । ভক্তিমার্গে তো মানুষ শিববাবা - শিববাবা করে এসেছে । শিবের মন্দিরে শিবকে তারা অবশ্যই বাবা বলে । জ্ঞান তো তাদের কিছুই নেই । এখন তোমরা সেই জ্ঞান পেয়েছো । তিনি হলেন শিববাবা, তাঁর এই চিত্র, ওরা ত লিঙ্গকেই মনে করে । তোমরা তো এখন জ্ঞান পেয়েছো । ওরা তো লিঙ্গের উপর গিয়ে ঘটি করে জল ঢালে । এখন বাবা তো হলেন নিরাকার । নিরাকারের উপর ঘটি করে জল দেবে তো তিনি কি বলবেন ! সাকার হলে তবুও তো স্বীকার করবেন । নিরাকারের উপর দুধ ইত্যাদি দিলে তিনি কি বলবেন । বাবা বলেন, দুধ ইত্যাদি যা তোমরা দাও তা তো তোমরাই পান করো, ভোগ ইত্যাদিও তোমরাই গ্রহণ করো । এখানে তো আমি সামনে বসে আছি, তাই না । আগে পরোক্ষভাবে করতেন আর এখন তা প্রত্যক্ষ, নীচে এসে নিজের ভূমিকা পালন করছেন । সার্চলাইট দিচ্ছেন । বাচ্চারা মনে করে, মধুবনে বাবার কাছে অবশ্যই আসা উচিত । ওখানে আমাদের ব্যটারি খুব ভালোভাবে চার্জ হয় । ঘরে তো পার্থিব নানা কারণে অশান্তিই অশান্তি লেগে আছে । এই সময় সমস্ত বিশ্বে অশান্তি । তোমরা জানো যে, এখন আমরা যোগবলের দ্বারা শান্তি স্থাপন করছি । বাকি এই পড়াতেই রাজত্ব পাওয়া যায় । পূর্ব কল্পেও তোমরা এই কথা শুনেছিলে, এখনো তোমরা তাই শুনছো । যা কিছুই অভিনীত হচ্ছে তা আবারও হবে । বাবা বলেন কতো বাচ্চা আশ্চর্যভাবে ভাগন্তি (চলে গেছে ) হয়ে গেছে । আমি মাশুককে কতো স্মরণ করতে । এখন আমি এসেছি তবুও ছেড়ে চলে যায় । মায়া কেমন থাপ্পড় দিয়ে দেয় । বাবা তো অনুভবী, তাই না । বাবার তো নিজের সম্পূর্ণ হিস্ট্রি মনে আছে । মাথায় টুপি, খালি পায়ে দৌড়াতেন, মুসলমানরাও খুবই ভালোবাসতো । তারা খুবই আদর - যত্ন করতো যেন শিক্ষকের সন্তান এসেছে বা গুরুর সন্তান এসেছে । তারা বাজরার রুটি খাওয়াতো । এখানেও বাবা পনেরো দিনের প্রোগ্রাম করেছিলেন রুটি আর ছাঁচ খাওয়ার । আর কিছুই তৈরী হতো না । অসুখ - বিসুখেও সকলের জন্য এই তৈরী হতো । কারোর কিন্তু কিছুই হয় নি । অসুস্থ বাচ্চারাও সুস্থ হয়ে যেত । তিনি দেখতেন, আসক্তি দূর হয়েছে কিনা যে এটা ছাঁচ না বা এটাই চাই । এই চাহিদাকে জমাদার বলা হয় । বাবা তো এখানে বলেন, চাওয়ার থেকে মৃত্যু ভালো । বাবাই জানতেন যে - বাচ্চাদের কি দিতে হবে । যা কিছু দিতে হবে তা তিনি নিজেই দিতেন । এই সমস্ত নাটক বানানো আছে ।
বাবা তোমাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন না যারা বাবার কথাও বুঝতে পারো আবার বাচ্চাদের কথাও বুঝতে পারোতারা হাত তোলো! তখন সবাই হাত তুলেছিলে । হাত তো চট করে তুলে ফেলো । বাবা যেমন জিজ্ঞেস করেন - লক্ষ্মী - নারায়ণ কে হবে ? তখন চট করে হাত তুলবে, এই পারলৌকিক বাচ্চাও অবশ্যই যুক্ত হবে তাতে, কেননা এ বাবা - মায়ের অনেক সেবা করে । বাবা - মা একুশ জন্মের জন্য অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করেন । বাবা যখন বাণপ্রস্থে যায় তখন বাচ্চাদের দায়িত্ব হলো তাদের দেখাশোনা করার । তারা তখন সন্ন্যাসীর মতো হয়ে যান । এনার যেমন লৌকিক বাবা ছিলেন, বাণপ্রস্থ অবস্থা এলে তিনি বলেছিলেন, আমি বেনারসে গিয়ে সৎসঙ্গ করবো, আমাকে ওখানে নিয়ে চলো । (এই ইতিহাস শুনিও) তোমরা হলে ব্রাহ্মণ প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার - কুমারী । প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন গ্রেট - গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার । মনুষ্য সৃষ্টির সবথেকে প্রথম পত্র । এনাকে জ্ঞানের সাগর বলা হয় না । ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শংকরও জ্ঞানের সাগর নন । শিববাবা হলেন বেহদের বাবা, তাই তো তাঁর থেকে আশীর্বাদী বর্সা পাওয়া উচিত, তাই না । সেই নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা কখন, কিভাবে এলেন, আমরা তাঁর জয়ন্তী পালন করি । এ তো কেউই জানে না । ইনি তো গর্ভে আসেন না । তিনি আমাদের বোঝান যে, আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করি, এনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মের বাণপ্রস্থ অবস্থায় । মানুষ যখন সন্ন্যাস গ্রহণ করে তখন তার বাণপ্রস্থ অবস্থা বলা হয় । তাই বাবা এখন তোমাদের বলেন - বাচ্চারা, তোমরা সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছো, এ হলো তোমাদের অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম । হিসাব তো তোমরা জানো, তাই না । আমি তো এনার মধ্যে প্রবেশ করি । আমি কোথায় এসে বসি, যেখানে এনার আত্মা থাকে, তার পাশে এসে বসি । গুরুরা যেমন তাদের শিষ্যদের নিজের পাশে বা কোলে বসায় । এনার স্থানও এখানে, আমার স্থানও এখানেই । আমি বলি, হে আত্মারা, তোমরা আমাকে ('মামেকম') স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপী বিনাশ হয়ে যাবে । তোমাদের তো মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে । এ হলো রাজযোগ । নতুন দুনিয়ার জন্য অবশ্যই রাজযোগের প্রয়োজন । বাবা বলেন যে, আমি এসেছি আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের ফাউন্ডেশন লাগাতে । গুরুরা তো অনেকই আছে কিন্তু সদ্গুরু একজনই । তিনিই সত্য । বাকি তো সবই মিথ্যা ।
তোমরা জানো যে, এক হলো রুদ্র মালা, দ্বিতীয় হলো বিষ্ণুর বৈজয়ন্তী মালা । এরজন্য তোমরা পুরুষার্থ করো, বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা মালার দানা হতে পারবে । যেই মালা নিয়ে তোমরা ভক্তিমার্গে স্মরণ করো অথচ কিছুই জানো না যে এই মালা কার, উপরে ফুল কে, এরপর মেরু কি আর দানাই বা কারা ? মানুষ মালায় স্মরণ করে অথচ কিছুই বুঝতে পারে না । এমনিই রাম - রাম বলে মালা জপ করতে থাকে । তারা রাম - রাম বলতে থাকে আর মনে করে সব রামই রাম । সর্বব্যাপী কথার অন্ধকার এখান থেকেই নির্গত । মানুষ মালার অর্থই জানে না । কেউ বলে ১০০ মালা জপ করো ----এতো মালা জপ করো । বাবা তো অনুভবী, তাই না । তিনি ১২ জন গুরু করেছিলেন, তাঁর কাছে ১২ জনের অনুভব আছে । এমন অনেকেই আছেন যাদের নিজের গুরু থাকা সত্বেও অন্যের কাছে যায় যাতে কিছু অনুভব পাওয়া যায় । মালা ইত্যাদি জপ করতে থাকে । এ হলো সম্পূর্ণ অন্ধশ্রদ্ধা । মালা সম্পূর্ণ করে ফুলকে নমস্কার করে । শিববাবা তো ফুল, তাই না । তোমরা অনন্য বাচ্চারাই মালার দানা হও । এরপর তোমাদের স্মরণই চলতে থাকে । ওরা কিছুই জানে না । ওরা তো কেউ রামকে, কেউ কৃষ্ণকে স্মরণ করে, অর্থ কিছুই বোঝে না । শ্রীকৃষ্ণ স্মরণম বলে দেয় । এখন তিনি তো ছিলেন সত্যযুগের প্রিন্স । তাঁর স্মরণ কিভাবে নেবে । স্মরণ তো বাবার নেওয়া হয় । তোমরাই পূজ্য আবার পূজারী হও । তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত হয়েছো তাই শিববাবাকে বলো, হে ফুল আমাদেরও তোমার সমান বানাও । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্নেহ - সুমন, স্মরণ , ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের নমস্কার জানাচ্ছেন ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. কোনো প্রকারের চাহিদা রাখবে না । আসক্তির অবসান করতে হবে । বাবা যা খাওয়াবেন তাই খেতে হবে -- তোমাদের প্রতি বাবার নির্দেশ হলো, চাওয়ার থেকে মৃত্যু ভালো ।
২. বাবার সার্চলাইট নেওয়ার জন্য এক বাবার প্রতি সত্যিকারের প্রেম রাখতে হবে । বুদ্ধিতে এই নেশা যেন থাকে যে, আমরা বাচ্চা, উনি বাবা । তাঁর সার্চলাইটেই আমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে ।
বরদান:-
শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ ফলের দ্বারা সদা খুশীতে থেকে এভার হেলদি ভব
সঙ্গম যুগে এখনই করলে আর এখনই শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তির অনুভূতি হলো - এ হলো প্রত্যক্ষ ফল । সবথেকে শ্রেষ্ঠ ফল হলো নৈকট্যের অনুভব হওয়া । আজকাল সাকার দুনিয়ায় বলে, ফল খাও তাহলে সুস্থ থাকতে পারবে । সুস্থ থাকার সাধন ফলকে বলা হয়, আর বাচ্চারা তোমরা প্রতি সেকেণ্ডে প্রত্যক্ষ ফল খেতেই থাকো তাই তোমরা এভার হেলদিই । তোমাদের যদি কেউ জিজ্ঞেস করে যে, তোমাদের খবর কি, তাহলে বলো আমাদের চলন ফরিস্তার আর আমরা খুশীতে থাকি ।
স্লোগান:-
সকলের শুভেচ্ছার সম্পদে সম্পন্ন হও তাহলে পুরুষার্থতে পরিশ্রম করতে হবে না ।