১৫-০১-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা যেমন মধুরতার (সুইট্) পাহাড়, সেইরকম বাচ্চারা, তোমাদেরও মিষ্টি (সুইট্) বাবা আর তাঁর উত্তরাধীকারকে স্মরণ করে সবথেকে মিষ্টি (মোস্ট সুইট্) হতে হবে"
প্রশ্ন:-
এখন তোমরা কোন্ পদ্ধতিতে নিজেদের সুরক্ষিত করে নিজেদের সব কিছুকেও সুরক্ষিত করে নেবে?
উত্তর:-
তোমরা বলো বাবা দেহের সাথে যা কিছু খড়কুটোর মত সামান্যতমও আছে আমাদের নিজেদের তার সবকিছু তোমাকে দিয়ে দেব আর তোমার থেকে আবার ভবিষ্যতে অর্থাৎ সত্যযুগে নেব। এতে তোমরা সুরক্ষিত হয়ে গেলে। সব কিছু বাবার সিন্দুকে সুরক্ষিত করে দাও। এ হল শিববাবার সেফ্টি ব্যাঙ্ক। তোমরা বাবার নিরাপত্তায় থেকে অমর হয়ে ওঠো। তোমরা মৃত্যুর উপর বিজয় প্রাপ্ত করো। শিববাবার হলে তো সুরক্ষিত হয়ে গেলে। আর কেবল উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে।
ওম্ শান্তি।
বাবা বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করছেন মিষ্টি বাচ্চারা তোমরা নিজেদের ভবিষ্যতের পুরুষোত্তম মুখ দেখেছো? পুরুষোত্তম পোশাক দেখেছো? বুঝতে পারা চাই যে আমরা ভবিষ্যতে নতুন সত্যযুগী দুনিয়াতে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের বংশাবলীতে যাব অর্থাৎ সুখধামে যাব অথবা পুরুষোত্তম হবো। স্টুডেন্ট যখন পড়াশুনা করে তখন তার বুদ্ধিতে থাকে আমি অমুক হব। তোমরাও জানো যে তোমরা বিষ্ণুর রাজবংশী হবে কেননা বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ। এখন তোমাদের বুদ্ধি অলৌকিক,আর কারো বুদ্ধিতে এই কথা ঘুরতে থাকবে না এখানে তোমরা জানো যে আমরা সত্য বাবা, শিববাবার সাথে বসে আছি। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। উনি হলেন সর্বাধিক মধুর(মোস্ট সুইটেস্ট)। এই মধুরতম (সুইটেস্ট) বাবাকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করতে হবে, কেননা বাবা বলেন বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করলে তো তোমরা এমন পুরুষোত্তম হবে আর জ্ঞান রত্ন ধারণ করলে তোমরা ভবিষ্যতে ২১ জন্মের জন্য পদমা পদমপতি হবে। বাবা এমনই বরদান দেন। বর প্রাপ্ত হবে মিষ্টি মিষ্টি সজনীদের বা মিষ্টি মিষ্টি সুযোগ্য বাচ্চাদের।
মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের দেখে বাবা খুশী হন। বাচ্চারা জানে এই নাটকে সবাই নিজেদের পার্ট বা ভূমিকা পালন করছে। অনন্তের বাবাও এই অনন্তের ড্রামাতে তোমাদের সম্মুখে উপস্থিতির ভূমিকা পালন করছেন। সুইট্ বাবার সুইট্ বাচ্চাদের সুইটেস্ট বাবা চোখের সম্মুখ নজরের সামনে থাকেন । আত্মাই তার এই শরীরের অঙ্গ (অরগ্যান্স) দ্বারা একে অপরকে দেখে। তোমরা তো হলে মিষ্টি বাচ্চা (সুইট্ চিল্ড্রেন)। বাবা জানেন যে আমি বাচ্চাদের খুবই মধুর বানাতে আসি। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ তো মোস্ট সুইট্ তাই না ! যেমন এদের রাজধানী সুইট্, তেমনি এদের প্রজাও হল সুইট্। যখন মন্দিরে যাও তখন এই দেব-দেবীর মূর্তি কত মধুর(সুইট্) দেখতে পাও। কোথাও মন্দির হলে তো আমাদের মধুর(সুইট্) দেবী-দেবতাদের দর্শন হবে।দর্শনার্থীরা ভাবে তারা এখানে সুইট্ স্বর্গের মালিক ছিল। শিবের মন্দিরেও কত শত মানুষ যায়, কারণ তারা খুবই মধুর থেকেও মধুর (সুইটেস্ট থেকেও সুইটেস্ট)। সেই শিববাবার অনেক মহিমা করা হয়। বাচ্চারা, তোমাদেরও অত্যন্ত মধুর (মোস্ট সুইট্) হতে হবে। মধুর থেকেও মধুর বাবা তোমাদের বাচ্চাদের সামনে বসে আছেন। তিনি হলেন গুপ্ত । এঁনার মতো মিষ্টি আর কেউই হতে পারে না। বাবা যেন মধুর পাহাড়। মিষ্টি বাবা এসেই তিক্ত দুনিয়াকে বদলে মধুর করেন। বাচ্চারা জানে মধুরতম বাবা আমাদের সর্বাপেক্ষা মধুরতম করে তোলেন । একদম বাবার সমান গড়ে তোলেন। যে যেমন সেরকমই তো গড়বেন। তাই ঐরকম মধুরতম হওয়ার জন্য মিষ্টি বাবা আর মধুময় উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে।
বাবা বাচ্চাদেরকে বারংবার বলেন মিষ্টি বাচ্চারা নিজেকে অশরীরী মনে করে আমাকে স্মরণ করলে আমি প্রতিজ্ঞা করছি স্মরণের দ্বারাই তোমাদের সব দুঃখ-যন্ত্রণার সমাপ্তি হবে। তোমরা এভার হেল্দি, এভার ওয়েল্দি হবে। তোমরা সর্বাধিক মধুর হয়ে যাবে। আত্মা সুইট্ হলে শরীরও সুইট্ হয়ে উঠবে । বাচ্চাদের এই নেশা থাকতে হবে, আমরা সর্বাপেক্ষা অতি প্রিয় (মোস্ট বিলভ্ড) বাবার বাচ্চা, আমাদের বাবার শ্রীমতে চলতে হবে। ভীষণ মিষ্টি-মিষ্টি বাবা আমাদের ভীষণ সুইট্ করে তোলেন। অতি প্রিয় (মোস্ট বিলাভড) বাবা বলেন তোমাদের মুখ থেকে সর্বদা রত্ন নির্গত হওয়া চাই। কোনো তিক্ত বা পাথরের মতো কঠিন কথা বলা উচিত না।যত সুইট্ হবে ততই বাবার নাম সুখ্যাত করবে। তোমরা বাচ্চারা বাবাকে অনুসরণ(ফলো) করলে তোমাদেরকেও আর সবাই অনুসরণ করবে।
বাবা তো তোমাদের টিচারও হন। তাই টিচার অবশ্যই বাচ্চাদের শিক্ষা দেবেন যে বাচ্চারা রোজ নিজেদের স্মরণের চার্ট রাখো, যেমন করে ব্যবসায়ীরা রাত্রে হিসেবের খাতা মেলায়। তোমরা যেন ব্যবসায়ী, বাবার সাথে কত বড় ব্যবসা করছ। যত বেশী বাবাকে স্মরণ করবে বাবার থেকে ততই অফুরন্ত সুখ প্রাপ্ত করবে, সতোপ্রধান হবে। রোজ নিজের ভিতরে ভিতরে নিরীক্ষণ করো। নারদকে যেমন বলা হয়েছিল আয়নায় নিজের মুখ দেখো যে তুমি লক্ষ্মীকে বিবাহ যোগ্য কি না। তোমাদেরও দেখতে হবে যে আমরা লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো সুযোগ্য হয়েছি কি না। আমাদের মধ্যে কি কি দুর্বলতা আছে, কারণ তোমাদের নিখুঁত(পারফেক্ট) হতে হবে। বাবা আসেনই তোমাদের নিখুঁত বানানোর জন্য। তাই সততার সাথে নিজেদের নিরীক্ষণ করতে হবে - আমাদের মধ্যে কি কি দুর্বলতা আছে, যার মাধ্যমে তুমি বুঝতে পারবে কোন কারণে তুমি উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। বাবা সর্বক্ষণ এই ভূত (বিকার) তাড়ানোর যুক্তি বলে চলেছেন। বাবা বসে সমস্ত আত্মাদের দেখছেন, কারোর কোনো দুর্বলতা দেখলে তাকে কারেন্ট প্রদান করেন যাতে তার বিঘ্ন সরে যায়। যত বাবার সহযোগী হয়ে বাবার মহিমা করতে থাকবে ততই এই ভূত(বিকার) পালাতে থাকবে আর তোমরা খুব খুশীতে থাকবে, সেইজন্য নিজেদের সম্পূর্ণ নিরীক্ষণ করতে হবে- সারাদিনে মনসা, বাচা, কর্মে কাউকে দুঃখ দিইনি তো ? *সাক্ষী হয়ে নিজের আচার আচরণ দেখতে হবে, অন্যান্যদের আচার আচরণও দেখতে পারো কিন্তু প্রথমে নিজেকে দেখতে হবে। শুধু অন্যকে দেখলে নিজেরটা ভুলে যাবে*। প্রত্যেককে নিজের সার্ভিস করতে হবে। আর কারোর সার্ভিস করা মানে নিজের সার্ভিস করা। তোমরা শিববাবার সার্ভিস করো না। শিববাবা তো সার্ভিস করতে এসেছেন।
তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারা খুবই মূল্যবান (ভ্যালুয়েবেল), যেন শিববাবার ব্যাঙ্কে সুরক্ষিত ভাবে (সেফ্টিতে) বসে আছ। তোমরা বাবার নিরাপত্তায় থেকে অমর হয়ে ওঠো । তোমরা মৃত্যুর উপর বিজয় প্রাপ্ত করো। শিববাবার হয়ে গেলে তো সুরক্ষিত হয়ে গেলে। তা সত্ত্বেও উঁচু পদ প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। দুনিয়াতে মানুষের কাছে যতই ধন দৌলত থাক না কেন সে সবই শেষ হয়ে যাবে, কিছুই থাকবে না। তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদের কাছে তো এখন কিছুই নেই, এই দেহও নেই। এই দেহও বাবাকে দিয়ে দাও। যার কাছে কিছুই নেই তার কাছে যেন সবকিছুই আছে। তোমরা অনন্তের বাবার সাথে লেন-দেন করছই ভবিষ্যতের নতুন দুনিয়ার জন্য। তোমরা বলো বাবা দেহ সম্বন্ধীয় তুচ্ছ যা কিছু আছে সবই তোমাকে দিয়ে দিচ্ছি আর তোমার থেকে আবার ভবিষ্যতে অর্থাৎ সত্যযুগে সব কিছুই নেব। তোমরা এভাবে সুরক্ষিত (সেফ) হয়ে গেলে। সবকিছু বাবার সিন্দুকে সুরক্ষিত হয়ে গেল। বাচ্চারা, তোমাদের ভিতরে কত খুশী থাকা চাই, আর অল্প সময় বাকী আছে, আবার আমরা নিজেদের রাজধানীতে থাকব। তোমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলো, বাহ্ আমরা তো অনন্তের বাবার থেকে অনন্ত সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। এভার হেল্দি ওয়েল্দি হচ্ছি। আমাদের সব মনোস্কামনা পূর্ণ হচ্ছে।
বাবা বোঝান, মিষ্টি বাচ্চারা এখন দেহী-অভিমানী হও। যোগের শক্তিতে তোমরা কাউকে সামান্য বোঝালে শীঘ্রই তার তীর বিঁধবে। কারো তীর লাগলে একদম মূর্ছিত হয়ে যায়। প্রথমে মূর্ছিত হয় তারপর বাবার হয়। বাবাকে ভালবেসে স্মরণ করলে বাবাও কাছে টেনে নেন। কেউ কেউ তো স্মরণ করেই না। বাবার দয়া হয়, তবুও বলেন বাচ্চারা উন্নতি করো, প্রথম নম্বরে এসো। যত উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে ততই বাবার কাছে আসবে আর ততই অপার সুখ প্রাপ্ত হবে। পতিত-পাবন তো হলেন এক বাবা-ই, সেইজন্য এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। শুধু মাত্র এক বাবাকেই নয়, তার সাথে আবার সুইট্ হোমকেও স্মরণ করতে হবে। শুধু সুইট্ হোমকেই নয়, ধন- সম্পদও তো চাই, সেইজন্য স্বর্গ- ধামকেও স্মরণ করতে হবে। অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। বাচ্চাদের যতটা সম্ভব অন্তর্মুখী হয়ে থাকতে হবে। অতিরিক্ত বলো না, শান্ত হয়ে থাক। বাবা বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দেন মিষ্টি বাচ্চারা অশান্তির বিস্তার কোরো না। নিজের ঘর গৃহস্থে থেকেও অনেক শান্তিতে থাক। অন্তর্মুখী হয়ে থাক। অতি মধুর ভাবে কথা বলো। কাউকে দুঃখ দিও না। ক্রোধ কোরো না। ক্রোধের ভূত থাকলে স্মরণে থাকতে পারবে না। বাবা কত মধুর, তাই বাচ্চাদেরও বোঝান, বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করো না। বহির্মুখী হয়ো না, অন্তর্মুখী হও।
বাবা হলেন কত রমনীয় পবিত্র (লাভলী পিওর)। বাচ্চারা, তোমাদেরও নিজের সমান পবিত্র করে তোলেন। তোমরা যত বাবাকে স্মরণ করবে ততই অপরিসীম রমনীয় হবে। দেবতারা কত রমনীয়, যে এখনো তাদের জড় চিত্রকে পূজা করা হয়। তাই বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের আবার এরকম রমনীয়(লাভলী) হতে হবে। কোনো দেহধারী, কোনো বস্তু যেন পিছনে স্মরণে না আসে। এতো ভালবেসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, ব্যাস্ যেন বসে - বসে প্রেমের অশ্রু বইতে থাকবে। বাবা, ও মিষ্টি বাবা, তোমার কাছ থেকে তো আমার সব কিছুই প্রাপ্ত করা হয়ে গেছে। বাবা তুমি আমাদের কত রমনীয়(লাভলী) করে তুলছো। আত্মা লাভলী হয়ে ওঠে, তাই না! যেমন বাবা হলেন অতি রমনীয় পবিত্র, তেমন পবিত্র হতে হবে। অনেক ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা তুমি ছাড়া আমাদের সামনে দ্বিতীয় কেউ আসবে না। বাবার মতো সুন্দর কেউই নয়। প্রত্যেকেই সেই এক প্রীতমের প্রিয়তমা হয়ে ওঠে। তাই সেই প্রিয়তমকে খুবই স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেছেন লৌকিক প্রেমিক-প্রেমিকারা কেউই একসঙ্গে থাকতে পারে না, পরস্পরকে একবার দেখল, ব্যস্ । তাই বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা, একমাত্র আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করলে তোমাদের জীবন তরী পার হয়ে যাবে। যেরকম মিষ্টি বাবার দ্বারা আমরা হীরে তুল্য হয়ে উঠি ঐরকম বাবার সাথে আমাদের কতখানি ভালোবাসা ! খুবই ভালোবাসার সাথে বাবাকে স্মরণ করে ভিতরে রোমাঞ্চ অনুভূত হওয়া উচিত। যাই ত্রুটি (ডিফেক্ট) থাকুক, সেটা সরিয়ে খাঁটি হীরা (পিওর ডায়মন্ড) হতে হবে। যদি সামান্যতমও খাঁটি কম হয় তবে মূল্য (ভ্যালু) কমে যাবে। নিজেকে খুবই মূল্যবান হীরে তৈরী করতে হবে। বাবার স্মরণে থাকার জন্য যেন মন ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠে । ভুলে গেলে চলবে না বরং আরো বেশী স্মরণে ব্যতিব্যস্ত থাকতে হবে। "বাবা-বাবা" বলে একদম স্থির শান্ত শীতল হয়ে যেতে হবে। বাবার থেকে কত বিশাল পরিমাণে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়।
তোমরা বাচ্চারা এখন নিজের দৈবী রাজধানী স্থাপনা করছ, পুরুষার্থ তো সবাই করে। যে বেশী পুরুষার্থ করে সে বেশী পুরস্কৃত হয়। এটাই হল নিয়ম । স্থাপনার কাজ চলছে। একে দৈবী রাজধানীই বলো বা বাগানই বলো, বাগানেও নম্বর অনুযায়ী ফুল হয়। কোনো বাগানে তো খুব ভালো (ফার্স্ট ক্লাস) ফল হয়, কোনটায় অল্প ফল হয়। এটাও তেমনই। কল্প পূর্বে যেমন মধুর হয়েছ, সুগন্ধিতও হয়েছ, তা নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। বিভিন্ন প্রকারের (ভ্যারাইটি) ফুল আছে। বাচ্চারা সুনিশ্চিত যে অনন্তের বাবার দ্বারা আমরা স্বর্গের মালিক হচ্ছি। স্বর্গের মালিক হলে অনেক খুশী থাকে। তাই বাবা বসে বাচ্চাদের দেখেন। মালিকের নজর তো ঘরের দিকেই থাকে। তিনি দেখতে থাকেন তোমাদের কি-কি গুণ আছে, কি-কি অবগুণ আছে। বাচ্চারাও জানে, সেইজন্য বাবা বলেন, নিজের দুর্বলতা নিজেই লেখো। সম্পূর্ণতা তো কেউ প্রাপ্ত করেনি, হ্যাঁ- করবে। কল্প-কল্প করেছে। বাবা বোঝান- মুখ্য দুর্বলতা হল দেহ- অভিমান। দেহ-অভিমান খুবই পীড়া-দায়ক।স্থিতিকে এগোতে দেয় না। এই দেহকেও ভুলে যেতে হবে। এই পুরানো শরীর ছেড়ে যেতে হবে। দৈবীগুণও এখানেই ধারণ করে যেতে হবে। ফিরে যেতে হবে বলে কোনো দোষ-ত্রুটি থাকা চলবে না। তোমরা তো হীরে হবে। কি-কি দোষ-ত্রুটি (ফ্লো)আছে সেটা তো জানো। স্থূল হীরেতেও দোষ-ত্রুটি(ফ্লো) থাকে, কিন্তু জড় পদার্থ বলে ওর ত্রুটি সরানো যাবে না, ওটা কেটে ফেলতে হবে। তোমরা তো হলে চৈতন্য হীরে। তাই যে দোষ- ত্রুটিই থাকুক তা একেবারে বের করে শেষ পর্যন্ত ত্রুটি মুক্ত (ফ্লো-লেস্) হতে হবে। যদি দোষ-ত্রুটি না সরাও তবে মূল্য (ভ্যালু) কমে যাবে। তোমরা চৈতন্য হওয়ার কারণে দোষ-ত্রুটি নির্মূল করে দিতে পারো। আচ্ছা।
ধারণার জন্য মুখ্য সার-:
১. যতটা সম্ভব অন্তর্মুখী হয়ে, শান্ত থাকতে হবে, বেশী কথা বোলো না। অশান্তি ছড়িও না। অত্যন্ত মধুর ভাবে মধুর বোল বলতে হবে, কাউকে দুঃখ দিও না, ক্রোধ কোরো না। বর্হিমুখী হয়ে বুদ্ধির স্খলন ঘটিও না।
২. নিখুঁত(পারফেক্ট) হওয়ার জন্য সততার সাথে নিজের নিরীক্ষণ করতে হবে যে আমার মধ্যে কি কি দুর্বলতা আছে? সাক্ষী হয়ে নিজের আচার আচরণকে দেখতে হবে। ভূতেদের(বিকার) তাড়ানোর যুক্তি তৈরী করতে হবে।
বরদান:-
অনুভূতির শক্তির দ্বারা মধুর অনুভব করতে সক্ষম সদা শক্তিশালী আত্মা ভব
এই অনুভূতির শক্তি খুব মধুর অনুভব করায় - কখনো নিজেকে বাবার চোখের মণি আত্মা অর্থাৎ চোখের তারায় সমায়িত হয়ে যাওয়া শ্রেষ্ঠ বিন্দু অনুভব করো, কখনো মস্তিষ্কের উপর ঝলমলে মস্তক মণি, কখনো নিজেকে ব্রহ্মা বাবার সহযোগী রাইট হ্যান্ড, ব্রহ্মার বাহু অনুভব করো, কখনো অব্যক্ত ফরিস্তা স্বরূপ অনুভব করো...এই অনুভূতির শক্তিকে বাড়লে তবে শক্তিশালী হয়ে যাবে। আর তখন ছোট দাগও স্পষ্ট দেখা যাবে আর সেটা পরিবর্তন করে নেবে।
স্লোগান:-
সকলের হৃদয়ের শুভকামনা নিতে থাকলে নিজের পুরুষার্থ সহজ হয়ে যাবে।