17-11-2019 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 09-03-85 মধুবন


"বাবা আর সেবার প্রতি ভালোবাসা - এটাই হল ব্রাহ্মণ জীবনের জীবনদান"


আজ বাপদাদা সকল বাচ্চাদের পুরুষার্থের প্রতি গভীর ভালোবাসাকে দেখছিলেন । প্রতিটি বাচ্চা নিজের নিজের উৎসাহ-উদ্দীপনায় অগ্রসর হয়ে চলেছে। সকলের মধ্যে সাহসিকতা যেমন আছে, তেমনি উৎসাহ-উদ্দীপনাও সকলের মধ্যে রয়েছে। সকলের মনে একটিই শ্রেষ্ঠ সংকল্পও রয়েছে যে, আমাকে বাপদাদার সমীপ রত্ন, হৃদ্ সিংহাসনাসীন দিলারামের অতি প্রিয় হতেই হবে। লক্ষ্যও সকলের সম্পন্ন হওয়ার । সকল বাচ্চাদের অন্তরের ধ্বনিও একটিই - বাবার প্রতি স্নেহের রিটার্নে আমাদের সমান এবং সম্পন্ন হতে হবে এবং সেই লক্ষ্য অনুসারেই এগিয়ে যেতে সফলও হচ্ছে। যাকেই জিজ্ঞাসা করো, তুমি কী চাও, সকলেই একটিই উৎসাহ সূচক কথা বলবে - সম্পূর্ণ এবং সম্পন্ন হতেই হবে। বাপদাদা বাচ্চাদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে, শ্রেষ্ঠ লক্ষ্যকে দেখে, আনন্দিত হন। সকল বাচ্চাদেরকে সকলের এই এক উৎসাহ-উদ্দীপনার ও এই একমত হওয়ার অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন যে, বাচ্চারা কীভাবে এক বাবা, এক মত, একটিই লক্ষ্য আর একটিই রাজ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে বা উড়ছে। এক বাবা এবং এত এত যোগ্য বাচ্চা, প্রত্যেকে একে অপরের চেয়ে বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সমগ্র কল্পে না এমন বাবা হবে, না এমন বাচ্চা হবে যে, উৎসাহ-উদ্দীপনায় কেউই কম হবে না। যারা বিশেষ বিশেষত্ব সম্পন্ন হবে । একই লগনে মগ্ন থাকবে। এমনটি আর কখনোই হওয়া সম্ভব নয়। সেইজন্য বাপদাদারও এমন বাচ্চাদের জন্য গর্ব অনুভব হয় আর বাচ্চাদের বাবার জন্য। যেখানেই তাকাও একটিই বিশেষ ধ্বনি সকলের অন্তর থেকে ধ্বনিত হবে - "বাবা আর সেবা"। বাবার প্রতি যে পরিমাণ ভালোবাসা, সেবার প্রতিও ততটাই। এই দুইয়ের প্রতি ভালবাসাই প্রত্যেক ব্রাহ্মণ জীবনের জীবনদান । এতেই সর্বদা বিজি থাকার আধারই তোমাদের মায়াজীৎ বানিয়ে তুলছে।

বাপদাদার কাছে সব বাচ্চাদের সেবার উৎসাহ-উদ্দীপনা পূর্ণ অনেক অনেক প্ল্যান এসে পৌঁছায়। সকল প্ল্যানই হল উত্তম থেকে উত্তম। ড্রামা অনুসারে যে বিধির দ্বারা বৃদ্ধি প্রাপ্ত করে চলেছো, আদি থেকে এখন পর্যন্ত, তাকে ভালোই বলবো। এখন সেবার বা ব্রাহ্মণদের বিজয়ী রত্ন হওয়ার কিম্বা সফলতার বহু বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখন তোমরা গোল্ডেন জুবিলি পর্যন্ত পৌঁছে গেছো। গোল্ডেন জুবিলি কেনো পালন করছো ? দুনিয়াতে যে হিসেবে পালন করে, সেই হিসেবে পালন করছো ? নাকি সময় অনুসারে বিশ্বকে তীব্রগতিতে ঈশ্বরীয় বার্তা দেওয়ার উদ্দীপনা থেকে পালন করছো ? চতুর্দিকে শক্তিশালী আওয়াজের সাথে নিদ্রিত আত্মাদেরকে জাগ্রত করবার সাধন প্রস্তুত করছো ! যেখানেই কান পাতবে, যেদিকেই তাকাবে, চারিদিকে এই আওয়াজই ধ্বনিত হবে বা দৃশ্যমান হবে যে, সময়ের দিক থেকে গোল্ডেন এজ হল সুবর্ণ কাল, সুবর্ণ যুগ আসারই সুবর্ণ বার্তা দ্বারা সেই শুভ সংবাদই প্রাপ্ত হচ্ছে । এই গোল্ডেন জুবিলি দ্বারা গোল্ডেন এজ আসবার বিশেষ সূচনা বা বার্তা প্রদান করবার জন্য তোমরা প্রস্তুতি নিচ্ছো। চতুর্দিকে এমন ঢেউ যেন ছড়িয়ে যায় যে, এখন স্বর্ণ যুগ এলো বলে। চারিদিকে এমন দৃশ্য যেন দৃশ্যমান হয়, যেমন প্রভাত কালে অন্ধকার অপসৃত হয়ে যখন সূর্যোদয় হয়, সেই অনুরূপ সূর্যোদয় হওয়া আর আলোকিত হয়ে ওঠার শুভ সংবাদ চতুর্দিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। অন্ধকারকে ভুলে তারা আলোকপ্রভায় এসে উপস্থিত হচ্ছে। বিশ্বের আত্মারা দুঃখ অশান্তির খবর শুনে শুনে, বিনাশের ভয়ে ভয়ভীত হয়ে, হতোদ্যম হয়ে পড়েছে, নিরাশ হতাশ হয়ে গেছে, এমন বিশ্বের আত্মাদেরকে এই গোল্ডেন জুবিলি দ্বারা শুভ আশার সূর্যোদয় হওয়ার অনুভব করাও। বিনাশের যেমন ঢেউ আছে, তেমনই সত্যযুগী সৃষ্টির স্থাপনার শুভ বার্তার ঢেউ চারিদিকে ছড়িয়ে দাও । সকলের অন্তরে এই আশার তারকারাজি ঝলমল করাও। কী হবে, কী হবে-র পরিবর্তে তারা যেন এটাই বোঝে যে, এখন এটা হবে। এমন ঢেউ ছড়িয়ে দাও। গোল্ডেন জুবিলি হল গোল্ডেন এজ আসার শুভ বার্তার সাধন। বাচ্চারা, তোমাদের যেমন দুঃখধাম দেখতে দেখতেও সর্বদা স্বতঃতই সুখধাম স্মরণে থাকে এবং সুখধামের স্মৃতি দুঃখধামকে ভুলিয়ে দেয় আর সুখধামে যাওয়ার প্রস্তুতিতে নিমগ্ন হয়ে থাকো। যেতে হবে এবং সুখধামে আসতে হবে। যেতে হবে আর আসতে হবে - এই স্মৃতি তোমাদের সমর্থও বানাচ্ছে, তার সাথে সাথে সানন্দে সেবার নিমিত্তও করে তুলছে। এখন লোক দুঃখের খবর অনেক শুনেছে। এখন এই আনন্দ সংবাদের দ্বারা দুঃখধাম থেকে সুখধামে যাওয়ার জন্য সানন্দে রাজী হয়, সেই ভাবে তৈরী করো। তাদের মধ্যেও যেন এই তরঙ্গ ছড়িয়ে যায় যে, আমরাও যাব। হতাশাগ্রস্ত মানুষর মনে আশার সঞ্চার করো। হতোদ্যম আত্মাদেরকে আনন্দ সংবাদ শোনাও। এমন প্ল্যান বানাও যা বড় বড় সংবাদপত্রে বা সংবাদকে আরো ভালো ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো যে যে মাধ্যম রয়েছে, সেসবে একটিই আনন্দ সংবাদ বা বার্তা চারিদিকে এবং সকলের কাছে যেন পৌঁছায়। যে যেখান থেকেই আসুক, তারা এই একটি কথাই যেন সকলে জানতে পারে। এমন এমন ভাবে চারিদিকে এই একটিই বার্তাই ধ্বনিত হোক। তাতে নতুনত্বও আনতে হবে। নিজেদের নলেজফুল স্বরূপকে প্রত্যক্ষ করাতে হবে। এখন মানুষ ভাবে যে, এরা হল শান্ত স্বরূপ আত্মা। এরা শান্তির সহজ রাস্তা দেখাতে চায়। এই স্বরূপ প্রত্যক্ষ হয়েছেও এবং আরও হচ্ছেও। কিন্তু নলেজফুল বাবার নলেজ তো এটাই - এখন এই ধ্বনিই যেন ধ্বনিত হয়। এখন যেমন বলে, শান্তির স্থান যদি কোথাও থাকে তবে এটাই, তেমনি সকলের মুখ থেকে এই কথাটাই যেন ধ্বনিত হয় - সত্য জ্ঞান যদি কোথাও থাকে, তবে এটাই। যেমন শান্তি আর স্নেহের শক্তিকে অনুভব করে, তেমনই সত্যতাও প্রমাণিত হলে, বাকি আর কী থাকলো, সে সবও যে সত্য তাও প্রমাণিত হয়ে যাবে। বলবার আর প্রয়োজন হবে না। এবার এই সত্যতার শক্তি কীভাবে প্রত্যক্ষ করাবে, কোন্ এমন বিধি গ্রহণ করবে যাতে মুখে কিছু বলতে না হয়। বরং তারা নিজেরাই বলে - এতে তো এটাই প্রমাণিত হয় যে, এটাই হল প্রকৃত সত্য জ্ঞান, পরমাত্মার জ্ঞান। শক্তিশালী জ্ঞান যদি কিছু থাকে, তবে এটাই। এর জন্য কোন্ বিধি গ্রহণ করবে, সে বিষয়ে পরে কখনো বলবো। তোমরাও এই বিষয়ে ভেবো। এর পরের বার তা বলবো। স্নেহ আর শান্তির ধরনী (স্থান) তৈরী হয়ে গেছে, তাই তো ? এখন জ্ঞানের বীজ পড়ার অপেক্ষা, তবেই তো জ্ঞানের বীজের ফল স্বর্গের অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী হবে।

বাপদাদা সব কিছু দেখেন এবং শুনতে থাকেন বাচ্চারা বাপদাদার সাথে কেমন আন্তরিক বার্তালাপ করে। ভালোবেসে বসে এবং ভাবেও। বিচার সাগর মন্থনও ভালোই করে। শক্তিশালী মাখনও তার থেকে বের করে। এখন বাচ্চারা গোল্ডেন জুবিলির মন্থন করছে, তার থেকে শক্তিশালী মাখনও নির্গত হচ্ছে। সকলের হৃদয়ে ভালোই তরঙ্গ খেলা করছে আর এই আন্তরিক উৎসাহের তরঙ্গ বায়ুমন্ডলও তৈরী করে। বায়ুমন্ডল তৈরী হতে হতে আত্মাদের মধ্যে সমীপে আসার আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এখনই যেতে হবে, দেখতে হবে - এই তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। আগে ছিল - কী জানি এই সংস্থা কেমন ! এখন হল - হ্যাঁ ভালো এটা, যাওয়া উচিত, গিয়ে দেখা উচিত। তারপর সবশেষে বলবে এটা এমন। এখন তোমাদের আন্তরিক উৎসাহ-উদ্দীপনা তাদের মনেও উদ্দীপনার সঞ্চার করছে। এখন তোমাদের হৃদয় নৃত্য করে আর তাদের পা-ও চলার জন্য অগ্রসর হতে থাকে। তোমাদের এমন উৎসাহ-উদ্দীপনার পরিবেশ অনেকের চরণকে নৃত্য করাতে শুরু করে দিয়েছে। আচ্ছা -

সদা নিজেকে গোল্ডেন দুনিয়ার অধিকারী অনুভবকারী, সদা নিজের গোল্ডেন এজেড স্থিতি তৈরীতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে থাকা, সদা দয়াশীল হয়ে সকল আত্মাদেরকে গোল্ডেন এজ এর পথ প্রদর্শনের আনন্দে মগ্ন থাকা, সদা বাবার প্রতিটি গোন্ডেন ভার্সানকে (ঈশ্বরীয় মহাবাক্য) জীবনে ধারণ করে, এমন সদা বাপদাদার হৃদ্ সিংহাসনাসীন, সদা স্নেহে সমাহিত বিজয়ী রত্নদেরকে বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।

বৃজইন্দ্রা দাদী জীর সাথে অব্যক্ত বাপদাদার মিটিং - যিনি চালানোর, তিনিই চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি সেকেণ্ড করনকরাবনহার নিমিত্ত বানিয়ে করিয়ে যাচ্ছেন। করাবনহারের হাতে রয়েছে চাবি। সেই চাবিতেই চলছে। তোমরা অটোমেটিক্যালি চাবি পেয়ে যাও আর চলতে ফিরতে কেমন অনাসক্ত আর বাবার প্রিয় অনুভূত হয় তোমাদের । যদি কর্মের হিসাবও হয়ত তখন চুকাচ্ছো, কিন্তু কর্মের হিসাবকেও সাক্ষী হয়েই পরিস্কার করছো। তা দেখতে দেখতে আমোদে থাকার কারণে তখন কিছুই মনে হয় না। তার কারণ হল, যারা শুরু থেকে স্থাপনার কার্যে নিমিত্ত হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত তারা আছে, ততদিন পর্যন্ত তারা বসে আছে কিম্বা চলাফেরা করছে, স্টেজে উপস্থিত রয়েছে বা ঘরে বসে রয়েছে, মহাবীর বাচ্চারা সর্বদা নিজের শ্রেষ্ঠ স্টেজে থাকার কারণে সেবার স্টেজেই রয়েছে। ডবল স্টেজে রয়েছে । এক তো নিজের শ্রেষ্ঠ স্টেজে রয়েছে, দ্বিতীয়তঃ সেবার স্টেজে রয়েছে। তো সারাদিন কোথায় থাকো ? বাড়িতে নাকি স্টেজে ? বিছানায় বসে আছো, কিম্বা কোচ-এ সে আছো, যেখানেই বসে থাকো, যেন স্টেজে রয়েছো। ডবল স্টেজ, এমনই অনুভব হয় তো ? নিজের হিসাবকেও সাক্ষী হয়ে দেখো। এই শরীর দ্বারা পূর্বে যা কিছু করেছো, সে সব কীভাবে ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছে, তা সাক্ষী হয়ে দেখো। তখন একে আর কর্মভোগ বলা যাবে না। ভোগ অর্থাৎ দুঃখের অনুভব । তাই ভোগ করা শব্দটি ব্যবহার করব না, কেননা দুঃখ কষ্টের অনুভব হয় না। তোমাদের জন্য কর্মভোগ নয়, এই কর্মযোগের শক্তি সেবার সাধন হয়ে যায় । এ কর্ম ভোগ নয়, বরং সেবার প্ল্যান হয়ে যায় । কষ্টভোগও সেবার প্ল্যানে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এমনই, তাই তো ? সেইজন্য সদা বাবার সাথে আমোদে থাকা। জন্ম থেকেই এই আশাটিই ছিল - বাবার সাথে থাকা। এই আশা ভক্তির রূপে পূরণ হয়েছে, সাকার রূপেও পূর্ণ হয়েছে আর এখন অব্যক্ত রূপেও পূর্ণ হচ্ছে। তো এই জন্মের আশা বরদানের রূপে প্রাপ্ত হয়েছে। আচ্ছা ! সাকার বাবার সাথে থাকার যতখানি অনুভব এনার হয়েছে, আর কারোরই ততটা হয়নি। সাথে থাকার বিশেষ পার্ট পেয়েছেন, এ কী কম কথা ! তুমিও বলো - "বাহা রে আমি" !

আদি রত্ন সর্বদা "সন্ শো'জ ফাদার" করবার নিমিত্ত হয়েছে । প্রতিটি কর্ম দ্বারা বাবার চরিত্রকে প্রত্যক্ষ করানোর দিব্য দর্পণ এঁরা। দর্পণ কতখানি প্রয়োজনীয় ! নিজের দর্শন বা অন্যকে দর্শন করানোর জন্য ! সুতরাং তোমরা সবাই হলে দর্পণ, বাবার সাক্ষাৎকার করানোর জন্য। যারা বিশেষ আত্মা, যাদের নিমিত্ত করা হয়েছে, তাদেরকে দেখে সকলের কী স্মরণে আসে ? বাপদাদা স্মরণে এসে যায়। বাবা কী করতেন, কীভাবে চলতেন ইত্যাদি ইত্যাদি সব স্মরণে এসে যায়, তাই না ! সুতরাং তোমরা হলে বাবাকে প্রত্যক্ষ করানোর দর্পণ । বাপদাদা এমন বিশেষ বাচ্চাদেরকে সদা নিজের থেকেও এগিয়ে রাখেন। শিরোতাজ বানিয়ে দেন তাদের। বাবার শিরোতাজের উজ্জ্বল মণি তোমরা । আচ্ছা -

জগদীশ ভাই এর প্রতি : - বাবার থেকে বরদানের রূপে যে বিশেষত্ব প্রাপ্ত হয়েছে, সে সকল বিশেষত্ব গুলিকে কার্যে রূপায়িত করে সদা বৃদ্ধি প্রাপ্ত করছো, বেশ ভালো। সঞ্চয় কী করেছিল ? সকলকে দৃষ্টি প্রদান করেছিল, তাই না ! এই নলেজের দৃষ্টি দিচ্ছো তুমি। এটাই হলো দিব্য দৃষ্টি। নলেজই তো দিব্য, তাই না ! নলেজের দৃষ্টি হলো সবচেয়ে শক্তিশালী, এটা বরদানও। নইলে এত বড় বিশ্ব বিদ্যালয়ের নলেজ কী, সেটা কীকরে প্রতীয়মান হবে ! খুব কম জনই তো শোনে তাই না ! লিটারেচর দ্বারা তাদের কাছে তখন স্পষ্ট হয়ে যায় । এও তো যেন এক প্রকারের বরদান তোমার জন্য, তাই না ? এও হল একজন বিশেষ আত্মার বিশেষত্ব। যে কোনো সংস্থার যে যে বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তা প্রতিভাত হয় এই সব নানান মাধ্যমের দ্বারাই। যেমন ভাষণ, সম্মেলন, তেমনই হল লিটারেচার, চিত্র, এসবও সংস্থা বা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিশিষ্টতাকে প্রসিদ্ধ করবার এক একটি মাধ্যম। এও হল এক প্রকারের তীর। তীর যেমন পাখিকে বিদ্ধ করে নিয়ে আসে, তেমনই এও এক প্রকারের তীর, যা আত্মাদেরকে সমীপে নিয়ে আসে । এই পার্ট ড্রামা অনুসারেই প্রাপ্ত হয়েছে। মানুষ তো অনেক অনেক প্রশ্ন তোলে, যে সব প্রশ্ন ওঠে, সে সব প্রশ্নের উত্তর স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো না কোনো মাধ্যম থাকা অত্যন্ত জরুরী। সামনাসামনি যেমন শোনানো হয়, তেমনই লিটারেচারও ভালো মাধ্যম। এটারও প্রয়োজন আছে। প্রথম থেকেই দেখো ব্রহ্মা বাবা কতখানি আগ্রহের সাথে এই মাধ্যমকে তৈরী করেছিলেন। দিনরাত বসে বসে তিনি লিখতেন, তাই না ! কার্ড বানিয়ে বানিয়ে তোমাদেরকে দিতেন। তোমরা সেগুলোতে রত্ন খচিত করতে। তো এও করে দেখিয়েছেন, তাই না ! সুতরাং এই মাধ্যমটিও বেশ ভালো। কনফারেন্সের পরে ফলো আপের জন্য তোমরা যে চার্টার ইত্যাদি বের করতে, সে সবও জরুরী । ফলো আপ করবার জন্য কোনো না কোনো মাধ্যম তো অবশ্যই চাই। প্রথমেরটা হল এইরূপ, দ্বিতীয়টি এই, তৃতীয়টির এই। এর ফলে তারাও বুঝতে পারে যে, এই বিশ্ব বিদ্যালয় বা ইউনিভার্সিটি যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে চলে (সিস্টেমেটিক্যালি) । অতএব এটা ভালো মাধ্যম। এত পরিশ্রম করছো, তাতে আরও বেশি উৎসাহ এসে যায়। সকলের সহযোগিতায়, সকলের উৎসাহ-উদ্দীপনায় গ্রহণ করা সংকল্পের সফলতা তো হয়েই রয়েছে । কেবল রিপিট করতে হবে। এখন তো গোল্ডেন জুবিলির বিষয়ে নানান চিন্তা ভাবনা করছো, প্রথমে অনেক বড় মনে হয়, তারপর সব সহজ হয়ে যায়। সফলতাও তাই সহজই। সফলতা সকলের ললাটে লেখাই রয়েছে।

পার্টিদের সাথে : - সর্বদা ডবল লাইট তো ? কোনো বিষয়েই নিজেকে কখনোই ভারি করবে না। সর্বদা ডবল লাইট থাকলে, সঙ্গমযুগের সুখের দিন অলৌকিক আমোদ-এর মধ্য দিয়েই সফল হয়ে যাবে। কিন্তু এর পরিবর্তে যদি এতটুকুও বোঝা ধারণ করে নাও, তবে কী হবে ! হতাশা গ্রাস করবে, নাকি আমোদ ? ভারি ভাব থাকলে হতাশা আসবে, হাল্কা ভাব থাকলে তো আমোদ ! সঙ্গমযুগের এক একটি দিন কতখানি অমূল্য (ভ্যালুয়েবল)! কতখানি মহান ! কতখানি উপার্জন করবার সময় ! এমন উপার্জন করবার সময়কে সফল করতে থাকো। রহস্য যুক্ত আর যোগযুক্ত আত্মারা সদা উড়তি কলার অনুভব করে। তাই খুব স্মরণে থাকো। পঠন-পাঠনে, সেবাতে এগিয়ে যাও। থেমে যেও না। ঈশ্বরীয় পাঠ আর সেই পাঠ প্রদানকারী, যেন সর্বদা সাথে থাকে। রহস্য যুক্ত এবং যোগযুক্ত আত্মারা সবসময়ই এগিয়ে থাকে। বাবার যা কিছু ইশারা প্রাপ্ত হয়, তার দ্বারা সংঘটিত ভাবে অগ্রসর হও। নিমিত্ত হওয়া যে যে বিশেষ আত্মারা রয়েছেন, তাঁদের বিশেষত্ব গুলিকে, ধারণা গুলিকে ক্যাচ্ করে, সেগুলোকে অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে থাকো। যত বেশী বাবার সমীপ, ততটাই পরিবারের সমীপ । যদি পরিবারের সমীপ নয়, তবে মালাতেও আসতে পারবে না। আচ্ছা !

বরদান:-
এই অন্তিম জন্মে প্রাপ্ত হওয়া সকল পাওয়ারকে ব্যবহারকারী উইল পাওয়ার সম্পন্ন ভব

এই সুইট ড্রামা খুব সুন্দর ভাবে পূর্ব থেকেই বানানো, একে কখনোই বদলানো যায় না। কিন্তু ড্রামাতে এই শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ জন্মে তোমরা অনেক পাওয়ার পেয়েছো। বাবা তোমাদেরকে সেসব উইল করে দিয়েছেন। সেইজন্য তোমাদের উইল পাওয়ারও এসেছে। এই পাওয়ারকে ইউজ করো - যখন চাও এই শরীরের বন্ধন থেকে পৃথক কর্মাতীত স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও। আমি পৃথক, আমি মালিক, বাবার দ্বারা নিমিত্ত আত্মা আমি - এই স্মৃতিতে মন বুদ্ধিকে একাগ্র করে নাও, তবেই বলা যাবে উইল পাওয়ার সম্পন্ন ।

স্লোগান:-
অন্তর থেকে সেবা করো, আশীর্বাদের দরজা খুলে যাবে।
 


সূচনাঃ-
আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, সবাই সংগঠিতভাবে সন্ধ্যা
৬.৩০ থেকে ৭.৩০ পর্যন্ত অন্তর্রাষ্ট্রীয় যোগে সম্মিলিত হবেন, কম্বাইন্ড স্বরূপের স্মৃতিতে থেকে নিজের সূক্ষ্ম বৃত্তি দ্বারা শক্তিশালী বায়ুমন্ডল বানানোর সেবা করবেন l