১৬-৭-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - দুঃখ মোচনকারী, সুখদাতা হলেন একমাত্র বাবা, তিনিই তোমাদের সকল দুঃখ দূর করে দেন, কোনো মানুষ কারোর দুঃখ দূর করতে পারে না"
প্রশ্ন:-
বিশ্বের অশান্তির কারণ কি ? কীভাবে শান্তি স্থাপন হবে ?
উত্তর:-
বিশ্বের অশান্তির কারণ হলো অসংখ্য ধর্ম। কলিযুগের অন্তে যখন বিভিন্নতা এসেছে, তখন থেকেই অশান্তি আছে। বাবা এসে এক সত্য ধর্মের স্থাপনা করেন। সেখানে শান্তি স্বতঃস্ফূর্ত। তোমরা বুঝতে পারো যে, এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে শান্তি ছিল। পবিত্র ধর্ম, পবিত্র কর্ম ছিলো। কল্যাণকারী পিতা আবারও সেই নূতন দুনিয়া তৈরী করছেন। সেখানে অশান্তির নাম নেই।
ওম্ শান্তি।
আত্মাদের পিতা আত্মারূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, আত্মাদের পিতাকেই জ্ঞানের সাগর বলা যায়। এটা তো বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে। বম্বেতেও অনেক সোস্যাল ওয়ার্কার আছে, তাদের মিটিং হতেই থাকে। বম্বেতে যেখানে বিশেষ জায়গায় মিটিং করে তার নাম ভারতীয় বিদ্যা ভবন। এখন দুই প্রকারের বিদ্যা হয়ে থাকে। এক হলো পার্থিব বিদ্যা, যা স্কুল-কলেজে দেওয়া হয়। এখন সেটাকে বিদ্যা ভবন বলা হয়। অবশ্যই সেখানে দ্বিতীয় কোনো কিছু আছে ! এখন বিদ্যা কাকে বলা হয়, মানুষ তো সেটা জানে না। এটা তো আধ্যাত্মিক (রুহানী) বিদ্যা ভবন হওয়া চাই। জ্ঞানকে বিদ্যা বলা হয়। পরমপিতা পরমাত্মাই হলেন জ্ঞানের সাগর। কৃষ্ণকে জ্ঞানের সাগর বলা হবে না। শিববাবার মহিমা আলাদা, কৃষ্ণের মহিমা আলাদা। এই কারণেই ভারতবাসী বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। কৃষ্ণকে গীতার ভগবান মনে করে বসে আছে বলে বিদ্যা ভবন ইত্যাদি খুলতে থাকে। কিছুই বোধগম্য হয় না। বিদ্যা হলো গীতার জ্ঞান। সেই জ্ঞান তো থাকেই এক বাবার মধ্যে। যাকে জ্ঞানের সাগর বলা হয়, যাকে মনুষ্য মাত্র জানে না। বাস্তবে তো ভারতবাসীদের ধর্ম শাস্ত্র আছেই একটি - সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি ভগবত গীতা। *এখন ভগবান কাকে বলা যায় ? এই সময় ভারতবাসী সেটাও বোঝে না, না হলে কৃষ্ণকে ভগবান বলে দেয়, নয় রামকে, নয় নিজেকেই পরমাত্মা বলে দেয়। এখন তো সময়ও তমোপ্রধান, রাবণ রাজ্য যে, তাই না !
তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা যখন কাউকে বোঝাও তখন বলো শিব ভগবানুবাচ। প্রথমে তো এটা বোঝো যে জ্ঞান সাগর হলেন একই পরমপিতা পরমাত্মা, যার নাম হলো শিব। শিবরাত্রি পালনও করে, কিন্তু কারোরই বোধগম্য হয় না। অবশ্যই শিব এসেছেন, তাই তো শিবরাত্রি পালন করা হয়। শিব কে - এটাও জানে না। বাবা বলেন ভগবান তো সকলেরই এক। সকল আত্মারা হলো ভাই-ভাই। এক পরমপিতা পরমাত্মাই হলেন আত্মাদের পিতা, ওঁনাকেই জ্ঞানের সাগর বলা হবে। দেবতাদের মধ্যে এই জ্ঞান নেই। কোন্ ধরনের জ্ঞান ? রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান কোনো মানুষের মধ্যে নেই। তারা বলে প্রাচীন ঋষি-মুনিও এটা জানত না, তারা প্রাচীনের অর্থও জানত না। সত্যযুগ-ত্রেতা হলো প্রাচীন। সত্যযুগ হলো নতুন দুনিয়া। সেখানে তো ঋষি-মুনি ছিলোই না। এই ঋষি-মুনি ইত্যাদি সবাই পরবর্তী কালে এসেছে। তাদেরও এই জ্ঞান অবগত ছিল না। তারা এটাও নয়, ওটাও নয় (নেতি নেতি)বলে দিত। তারাই জানত না যখন, তাহলে ভারতবাসী, যারা এখন তমোগুণী হয়ে গেছে, তারা কি ভাবে জানবে ?
এই সময় সায়েন্সের দম্ভ খুব বেশী । মনে করে এই সায়েন্স দ্বারাই ভারত স্বর্গে পরিণত হয়েছে। একে মায়ার আত্মম্ভরিতা বলা হয়। পম্পৈ নগরীর পতন (Fall of Pompeii) একটি নাটকও আছে। বলেও থাকে যে এই সময় হলো ভারতের পতনের। সত্যযুগে ছিল উত্থান, এখন হলো পতন। এখানে কি আর কোন স্বর্গ আছে ! এতো মায়ার জৌলুস, একে শেষ হতেই হবে। মানুষ মনে করে- বিমান আছে, বড় বড় মহল, বিদ্যুত আছে- এটাই হলো স্বর্গ। কেউ মারা গেলেও বলে স্বর্গবাসী হয়েছে। এ ব্যাপারটা বোঝে না যে স্বর্গে গেল তো অবশ্যই স্বর্গ অন্য কোথাও আছে। এটা তো হলো রাবণের জৌলুস (পম্প) । অসীম জগতের পিতা স্বর্গের স্থাপনা করছেন। এই সময় যেন দড়ি টানাটানির যুদ্ধ চলে, মায়া আর ঈশ্বরের, আসুরী দুনিয়া আর ঈশ্বরীয় দুনিয়ার। এটাও ভারতবাসীকে বোঝাতে হয়। দুঃখ তো সামনে অনেক আসছে। অপার দুঃখ আসবে। স্বর্গ তো হয়ই সত্যযুগে। কলিযুগে হতে পারে না। এটাও কারো জানা নেই যে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ কাকে বলা হয়। এটাও বাবা বোঝান, জ্ঞান হলো দিন, ভক্তি হলো রাত। অন্ধকারে ধাক্কা খেতে থাকে। ভগবানের সাথে মিলনের জন্য কতো বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে। ব্রহ্মার দিন আর রাত মানেই ব্রাহ্মণদের দিন আর রাত। তোমরা হলে ব্রহ্মার সত্যিকারের মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ। তারা তো হলো কলিযুগী কুখ বা শারীরিক বংশাবলী ব্রাহ্মণ। তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ। এই কথা আর কেউ জানে না। এই কথা যখন বুঝবে তখন বুদ্ধিতে আসবে যে আমরা এটা কি করছি। ভারত সতোপ্রধান ছিল, যাকে স্বর্গই বলা হতো। তবে এটা অবশ্যই নরক, তাই তো নরক থেকে স্বর্গে যায়। সেখানে শান্তিও আছে, সুখও আছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য যে। তোমরা বোঝাতে পারো- মানুষের বৃদ্ধি কীভাবে কম হতে পারে ? অশান্তি কীভাবে কম হতে পারে? অশান্তি থাকেই পুরানো দুনিয়া কলিযুগে। নূতন দুনিয়াতেই শান্তি থাকে। স্বর্গতে তো শান্তি হয়। সেটাকেই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম বলা হয়। হিন্দু ধর্ম তো এখনকার, একে আদি সনাতন ধর্ম বলা যাবে না। এটা তো হিন্দুস্থান নামের উপর হিন্দু বলে দেয়। আদি সনাতন দেবী- দেবতা ধর্ম ছিল। সেখানে কমপ্লিট বা সম্পূর্ণ পবিত্রতা ; সুখ, শান্তি, হেল্থ, ওয়েল্থ ইত্যাদি সব ছিল। এখন আহ্বান করে আমরা পতিত হয়েছি, হে পতিত-পাবন এসো। এখন প্রশ্ন হলো পতিত পাবন কে ? কৃষ্ণকে তো বলা হবে না। পতিত-পাবন হলেন পরমাত্মাই, যিনি জ্ঞানের সাগর। উনি এসেই পড়ান। জ্ঞানকে পঠন-পাঠন বলা হয়। সবকিছু নির্ভর করে গীতার উপর। এখন তোমরা প্রদর্শনী, মিউজিয়াম ইত্যাদি করো, কিন্তু এখনো পর্যন্ত বি. কে র অর্থ বোঝো না। মনে করে এটা কোনো নূতন ধর্ম। শোনে, কিছু বোঝে না। বাবা বলেছেন একদমই তমোপ্রধান পাথর বুদ্ধি। এই সময় সায়েন্সের দম্ভও বেশী হয়েছে, সাইন্সের দ্বারাই নিজের বিনাশ করে নিলে তো পাথর বুদ্ধি বলা হবে। স্পর্শ বুদ্ধি কি বলা হবে ! বম্বস্ ইত্যাদি তৈরী করে নিজের বিনাশের জন্য। এরকম নয় যে শঙ্কর কোনো বিনাশ করে। না, এরা নিজেদের বিনাশের জন্য সব তৈরী করেছে। কিন্তু তমোপ্রধান পাথর বুদ্ধি বোঝে না। যা কিছু তৈরী করে এই পুরানো সৃষ্টির বিনাশের জন্য। বিনাশ হলে তবে আবার নূতন দুনিয়ার জয়জয়কার হবে। তারা তো মনে করে নারীদের দুঃখ কীভাবে দূর করবে ? কিন্তু মানুষ তো আর কারোর দুঃখ দূর করতে পারে না। দুঃখ ভঞ্জনকারী, সুখদাতা তো হলেন এক - বাবা। দেবতাদেরও বলা হবে না। কৃষ্ণও তো হলেন দেবতা। ভগবান বলা যাবে না। এটাও বোঝে না। যারা বোঝে, তারা ব্রাহ্মণ হয়ে অন্যান্যদেরও বোঝাতে থাকে। যারা রাজ্য পদের বা আদি সনাতন দেবী- দেবতা ধর্মের হবে তারা প্রকট হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বর্গের মালিক কীভাবে হলো, কোন্ কর্ম করেছিল যে বিশ্বের মালিক হলো ? এই সময় কলিযুগের শেষে অসংখ্য ধর্ম আছে বলে অশান্তি আছে। নূতন দুনিয়াতে তো আর এরকম হবে না। এখন এটা হলো সঙ্গমযুগ, যখন কিনা বাবা এসে রাজযোগ শেখাচ্ছেন। বাবা-ই কর্ম-অকর্ম-বিকর্মের নলেজ শোনান। আত্মা শরীর নিয়ে কর্ম করতে আসে। সত্যযুগে যে কর্ম করে সেটা অকর্ম হয়ে যায়, সেখানে বিকর্ম হয় না। দুঃখ থাকেই না। কর্ম, অকর্ম, বিকর্মের গতি অন্তিমকালে বাবা এসেই শোনান। আমি এনার বহু জন্মের অন্তেরও অন্তে আসি। এই রথে প্রবেশ করি। এই রথ হলো অকাল মূর্তি বা কালের উপর বিজয় প্রাপ্ত করা আত্মার। শুধু মাত্র এক অমৃতসরে নয়, সব মানুষেরই অকালতখ্ত অর্থাৎ শাশ্বত সিংহাসন আছে। আত্মা হলো অকাল মূর্তি অর্থাৎ কালের উপর বিজয়ী। এই শরীরই কথা বলে, হাটে, চলে। অকাল বা অবিনশ্বর আত্মার এটা হলো চৈতন্য আসন। সকলেই তো (অর্থাৎ সব আত্মারা) অকাল মূর্তি, শরীরকে মৃত্যু গ্রাস করে। আত্মা হলো অমর। তারা তখ্ত বা সিংহাসন বিনাশ করে দেয়। সত্যযুগে তখ্ত বা সিংহাসন খুবই কম হয়। এই সময় কোটি কোটি আত্মাদের তখ্ত বা (মস্তক) সিংহাসন আছে। আত্মাকে অকাল বা অমর বলা হয়। আত্মাই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়। আমি তো হলাম এভার সতোপ্রধান পবিত্র। যদিও বলা হয় প্রাচীন ভারতের যোগ, কিন্তু তারাও মনে করে কৃষ্ণ শিখিয়েছিল। গীতাকেই খন্ডন করে দিয়েছে। জীবন কাহিনীতে নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে। বাবার পরিবর্তে বাচ্চার নাম দিয়ে দিয়েছে। শিবরাত্রি পালন করে, কিন্তু তিনি কীভাবে আসেন, এটা জানে না। শিব হলেনই পরমাত্মা। ওঁনার মহিমা একদম আলাদা, আত্মাদের মহিমা হলো আলাদা। বাচ্চাদের এটা জানা আছে রাধা-কৃষ্ণই হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ। লক্ষ্মী-নারায়ণের দুই রূপকেই বিষ্ণু বলা হয়। পার্থক্য তো নেই। তবে চতুর্ভূজ সমৃদ্ধ, অষ্টভূজ সমৃদ্ধ কোনো মানুষ হয় না। দেবতাদের কতো ভূজ বা হাত দিয়ে দিয়েছে। এ সব কথা বুঝতে সময় লাগে।
বাবা বলেন আমি হলাম দীনদয়াল। আমি আসিও তখনই যখন ভারত গরীব হয়ে যায়। রাহুর গ্রহণ বসে যায়। বৃহস্পতির দশা ছিল, এখন রাহুর গ্রহণ ভারতে তো বটেই সারা ওয়ার্ল্ডে আছে, সেই জন্য বাবা আবার ভারতে আসেন, এসে নূতন দুনিয়া স্থাপন করেন, যাকে স্বর্গ বলা হয়। ভগবানুবাচ - আমি তোমাদের রাজারও রাজা, ডবল মুকুটধারী স্বর্গের অধিপতি করে তুলি। পাঁচ হাজার বছর হলো যখন কি না আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। এখন সেটা নেই। তমোপ্রধান হয়ে গেছে। বাবা নিজেই নিজের অর্থাৎ রচয়িতা আর রচনার পরিচয় দেন। তোমাদের কাছে প্রদর্শনী, মিউজিয়ামে এতো আসে, বোঝে কি আর কিছু! বিরলই কেউ বুঝতে পেরে কোর্স করে। রচয়িতা আর রচনাকে জানে। রচয়িতা হলেন অসীম জগতের পিতা। ওঁনার থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হয়। এই নলেজ বাবা-ই দেন। আবার রাজ্য-পাট প্রাপ্ত হলে সেখানে নলেজের দরকার নেই। সদ্গতি বলা হয় নূতন দুনিয়া স্বর্গকে, পুরানো দুনিয়া নরককে দুর্গতি বলা হয়। বাবা তো খুবই ভালো ভাবে বোঝান। বাচ্চাদেরও এরকম ভাবে বোঝাতে হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র দেখাতে হবে। এই বিশ্বে শান্তি স্থাপন হচ্ছে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ফাউন্ডেশন নেই, যেটা বাবা স্থাপন করছেন। দেবতাদের পবিত্র ধর্ম, পবিত্র কর্ম ছিল। এখন এটা হলোই ভিসেস ওয়ার্ল্ড(পাপী দুনিয়া)। নূতন দুনিয়াকে বলা হয় ভাইসলেস ওয়ার্ল্ড, শিবালয়। এখন তোমরা বোঝালে বেচারাদের কিছু কল্যাণ হয়। বাবাকেই কল্যাণকারী বলা হয়। তিনি আসেনই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে। কল্যাণকারী যুগে কল্যাণকারী বাবা এসে সকলের কল্যাণ করেন। পুরানো দুনিয়াকে পরিবর্তন করে নূতন দুনিয়া স্থাপন করে দেন। জ্ঞানের দ্বারা সদ্গতি হয়। এর উপর রোজ টাইম নিয়ে বোঝাতে পারো। বলো, রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে আমিই জানি। এটা গীতার এপিসোড চলছে, যাতে ভগবান এসে রাজযোগ শিখিয়েছেন। ডবল মুকুটধারী তৈরী করেছেন। এই লক্ষ্মী-নারায়ণও রাজযোগ দ্বারা এরকম হয়েছে। এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে বাবার কাছে রাজযোগ শেখে। বাবা প্রতিটি কথা কতো সহজ করে বোঝান। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. রাজযোগের পঠন-পাঠন হলো সোর্স অফ ইনকাম, কারণ তা দিয়েই আমরা রাজারও রাজা হই। এটা হল আধ্যাত্মিক পড়াশুনা, রোজ পড়তে হবে আর পড়াতে হবে।
২. সর্বদা নেশা থাকবে যে আমরা ব্রাহ্মণ, সত্যিকারের মুখ বংশাবলী। আমরা কলিযুগী রাত থেকে বেরিয়ে দিনে এসেছি, এটা হলো কল্যাণকারী পুরুষোত্তম যুগ, এতে নিজের আর সকলের কল্যাণ করতে হবে।
বরদান:-
ধরনী, নাড়ী আর সময়কে দেখে সত্য জ্ঞানকে প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম নলেজ ফুল ভব
বাবার এই নূতন জ্ঞান হলো সত্য জ্ঞান, এই নূতন জ্ঞান দ্বারাই নূতন দুনিয়া স্থাপন হয়, এই অথারিটি আর নেশা স্বরূপে ইমার্জ হয় কিন্তু এর অর্থ এটা নয় যে আসা মাত্রই কাউকে নূতন জ্ঞানের নূতন কথা শুনিয়ে বিভ্রান্ত করে তুলবে। ধরনী, নাড়ী আর সময় সব দেখে জ্ঞান দিতে হবে- এটা হলো নলেজফুলের লক্ষণ। আত্মার ইচ্ছা দেখো, নাড়ী দেখো, ধরনী তৈরী করো, কিন্তু ভিতরে সত্যতার নির্ভয় শক্তি অবশ্যই থাকবে, তবেই তোমরা সত্য জ্ঞানকে প্রত্যক্ষ করাতে পারবে।
স্লোগান:-
'আমার' বলা মানেই ছোটো বিষয়কে বড় করা আর 'তোমার' বলা মানে পাহাড়ের সমান বিষয়কে তুলোতে পরিণত করে দেওয়া ।