১৯-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - শরীর নির্বাহ করার জন্য কর্মরত থেকে অসীম জগতের উন্নতি করো, যত ভালো ভাবে অসীম জগতের পাঠ পড়বে, ততই উন্নতি হবে"

প্রশ্ন:-

বাচ্চারা, তোমরা যে অসীম জগতের পাঠ্য পড়ছ, এর মধ্যে সবথেকে উচ্চ ডিফিকাল্ট সাবজেক্ট কোনটি ?

উত্তর:-

এই পাঠ্যতে সব থেকে উঁচু সাবজেক্ট হলো ভাই-ভাই এর দৃষ্টি পরিপক্ক করা। বাবা জ্ঞানের যে তৃতীয় নেত্র দিয়েছেন সেই নেত্র দ্বারা আত্মাকে ভাই-ভাই এর রূপে দেখ। চোখ যেন সামান্যতমও ধোঁকা না দেয়। কোনো দেহধারীর নাম বা রূপের প্রতি বুদ্ধি যেন না যায়। বুদ্ধিতে যেন একটুও বিকারী, খারাপ সংকল্প না চলে। এটাই হলো পরিশ্রম। এই সাবজেক্টে যারা পাশ করবে তারা বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে।

ওম্ শান্তি।

অসীম জগতের পিতা বসে অসীম জগতের বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। প্রতিটি কথা প্রথমতঃ এই জগতের হয়, আর দ্বিতীয়তঃ মহাজাগতিকেরও হয়। এতটা সময় তোমরা এই জগতে ছিলে, এখন আছো অসীম জগতে। তোমাদের পঠন-পাঠনও হলো অসীম জগতের। অসীম জগতের বাদশাহীর জন্য পড়াশুনা, এর চেয়ে বড়ো পড়াশুনা আর হয় না। কে পড়ান? অসীম জগতের পিতা- ভগবান। শরীর নির্বাহের জন্য সব কিছু করতে হয়। তবুও নিজের উন্নতির জন্যও কিছু করতে হয়। অনেক লোক চাকরী করেও নিজের উন্নতির জন্য পড়াশুনা করে থাকে। সেখানে হলো জাগতিক উন্নতি, এখানে অসীম জগতের পিতার নিকট অসীম জাগতিক উন্নতি। বাবা বলেন জাগতিক আর মহাজাগতিক দুইরকমই উন্নতি করো। বুদ্ধির দ্বারা বোঝো, আমাদের অসীম জগতের প্রকৃত উপার্জন এখন করতে হবে। এখানে তো সব কিছু মাটিতে মিশে যাবে। যতটা তোমরা অসীম জগতের উপার্জনে শক্তিশালী হতে থাকবে ততই জাগতিক উপার্জনের ব্যাপারে ভুলে যেতে থাকবে। সকলে বুঝে যাবে এখন বিনাশ হতে চলেছে। বিনাশ নিকটতম হলে ভগবানকেও খুঁজবে। যদি বিনাশ হবে তো অবশ্যই স্থাপনা করারও কেউ থাকবে। দুনিয়া তো কিছুই জানে না। তোমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাও নম্বরঅনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে পঠন-পাঠন করছো। হোস্টেলে সেই স্টুডেন্ট থাকে যারা পড়াশুনা করে। কিন্তু এই হোস্টেল তো আলাদা। এই হোস্টেলে তো কেউ এমনিই থাকে, যারা শুরু থেকে ছিল, রয়ে গেছে। এমনিই এসে গেছে। ভ্যারাইটি এসে গেছে। এরকম নয় যে, যারা এসেছে সকলেই ভালো। ছোট ছোট বাচ্চাদেরও তুমিই নিয়ে এসেছো। তুমিই এই বাচ্চাদেরও সামলাতে। তাদের মধ্যে আবার কতো চলে গেছে। বাগীচাতে ফুলও দেখো, পক্ষীও দেখো, কেমন দুলে দুলে ওঠে, কূজন করে(টিকলু টিকলু) করে। এই মনুষ্য সৃষ্টিও এরকম সময় তেমনই। আমাদের মধ্যে কোনো সভ্যতা ছিলো না। সভ্যতা যাদের ছিলো তাদেরই মহিমা খ্যাত ছিল। বলা হতো নির্গুণ আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই। যদিও বা অনেক বড় মাপের কেউ আসতো, ফিল করতো যে আমি রচয়িতা বাবা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি না। তবে সেটা কি কোনো কাজের। তোমরাও কোনো কাজের ছিলে না। এখন তোমরা মনে করো বাবার চমৎকারী। বাবা বিশ্বের মালিক করেন। যে রাজ্যপাট আমাদের থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না। কেউ সামান্যতমও বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে না। আমাদের কি থেকে কি তৈরী করেন। তাইতো এমন বাবার শ্রীমতে অবশ্যই চলা উচিত। যদিও দুনিয়াতে কতো গ্লানি, বিপর্যয় ইত্যাদি হতে থাকে। এটা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও হয়েছিল। শাস্ত্রেও আছে। বাচ্চাদের বলা হয়েছে, এই যে ভক্তি মার্গের শাস্ত্র আছে, সেটা আবার ভক্তি মার্গে পড়বে। এই সময় তোমরা জ্ঞানের দ্বারা সুখধামে যাও। এর জন্য সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করা দরকার। এখন যত পুরুষার্থ করবে, সেটাই কল্প-কল্প হবে। নিজের মনের ভিতর পরিমাপ করতে হবে- আমি কতোটা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারি। এটাতো প্রতিটি স্টুডেন্ট বুঝতে পারে যে আমরা যতো ভালো করে পড়ব তত উচ্চ পদ প্রাপ্ত করব। ইনি আমার থেকে হুঁশিয়ার,আমিও হুঁশিয়ার হব। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এরকম হয়- আমি এর থেকে উপরে উঠব তাই হুঁশিয়ার হব। সুখের জন্য ক্ষণিকের পরিশ্রম করতে হয়। বাবা বলেন-মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, আমি তোমাদের কতো বড় বাবা। সাকারী পিতাও আছেন তো নিরাকারী পিতাও আছেন। দুই জন যে একত্রিত। দুজনে মিলে বলেন- মিষ্টি বাচ্চারা, এখন তোমরা অসীম জগতের পাঠ কে বুঝে গেছ। আর কেউ তো জানেই না। প্রথম কথা তো আমাদের পড়ানোর জন্য কে আছেন ? ভগবান কি পড়ান? রাজযোগ। তোমরা হলে রাজঋষি। অন্যান্যরা হলো হঠযোগী। ওরাও হলো ঋষি, কিন্তু জাগতিক। তারা বলে আমরা ঘরবাড়ী ছেড়েছি। এটা কি কোনো ভালো কাজ করেছে ? তোমরা ঘরবাড়ী তখন ছাড়তে যখন বিকারের জন্য উত্ত্যক্ত করতো। ওদের কি উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে ? তোমরা প্রহৃত হয়েছ তাই তোমরা সরে পড়েছ। একেক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করো, কুমারীরা, স্ত্রীরা কতো প্রহৃত হয়েছে, তাই তো চলে এসেছে। শুরুতে কতো এসেছে। এখানের প্রাপ্তি ছিলো জ্ঞান অমৃত, তাই চিঠি নিয়ে আসে আমি জ্ঞান অমৃত পান করবো বলে ওম্ রাধের কাছে যাচ্ছি। এই বিকার নিয়ে ঝগড়া, বিবাদ প্রথম থেকে চলে আসছে।বন্ধ তখন হবে যখন আসুরী দুনিয়ার বিনাশ হবে। আবার অর্ধ-কল্পের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।



এখন তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা অসীম জগতের পিতার থেকে প্রালব্ধ নিচ্ছ। অসীম জগতের পিতা সকলকে অসীম জগতের প্রালব্ধ দেন। জাগতিক পিতা জাগতিক প্রালব্ধ দেন। সেটাও শুধুমাত্র বাচ্চাদেরই (পুত্রদের) উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হয়।এখানে বাবা বলেন - তোমরা পুত্র সন্তান হও বা কন্যা সন্তান, দুইয়েরই সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার আছে। লৌকিক পিতার কাছে বিভেদ থাকে, শুধুমাত্র পুত্র সন্তানকে উত্তরাধিকারী করে। স্ত্রীকে হাফ পার্টনার বলে। কিন্তু তাকেও সম্পত্তির ভাগ দেয় না। পুত্র সন্তানই সামলে নেয়। পিতার পুত্র সন্তানের উপর মোহ থাকে। এই পিতা পুত্র বা কন্যা যে কোনো বাচ্চাকেই আত্মা রূপে উত্তরাধিকার প্রদান করেন। এক্ষেত্রে পুত্র বা কন্যার ভেদ জানাই যায় না। তোমরা সুখের কতো উত্তরাধিকার অসীম জগতের পিতার থেকে নাও।তবুও পড়াশুনা সম্পূর্ণ করে না। পড়াশোনা না ছেড়ে দেয়। কন্যারা লেখে- বাবা অমুকে ব্লাড দিয়ে লিখে দিয়েছে। এখন আর আসে না। ব্লাড দিয়েও লেখে-বাবা, তুমি ভালোবাসো বা আঘাত করো, আমি কখনো তোমাকে ছাড়ব না। তথাপি তারা প্রতিপালিত হয়ে আবার চলেও যায়। বাবা বুঝিয়েছেন- এই সব হলো ড্রামা। কেউ আশ্চর্যজনক ভাবে চলে যায়। এখানে বসলে সুনিশ্চিত থাকে, এরকম অসীম জগতের পিতাকে আমরা ছাড়ব কি ভাবে। এটা তো পড়াশুনাও। গ্যারান্টিও দেন আমি সাথে নিয়ে যাব। সত্যযুগ ইত্যাদিতে এত সমস্ত মানুষ ছিলো না। এখন সঙ্গমে সব মানুষেরা আছে, সত্যযুগে খুব কম থাকবে। এত সব ধর্মের লোক কেউই থাকবে না। এসবের সমস্ত প্রস্তুতি চলছে। এই শরীর ছেড়ে শান্তিধামে চলে যাবে। হিসাবপত্র মিটিয়ে দিয়ে, ভূমিকা পালন করার জন্য যেখান থেকে এসেছিল, সেখানে চলে যাবে। ওটা তো হলো ঘন্টা দুয়েকের নাটক, এ হলো অসীম জগতের নাটক। তোমরা জানো যে আমরা ঐ ঘরের বাসিন্দা আর এক বাবার সন্তান। থাকার জায়গা হলো নির্বাণধাম, যা বাণীর ওপারে। সেখানে শব্দ হয় না। মানুষ মনে করে ব্রহ্মতে লীন হয়ে যায়। বাবা বলেন আত্মা হলো অবিনাশী, এর কোনো বিনাশ হতে পারে না। কতো জীব আত্মারা আছে। অবিনাশী আত্মা জীব (শরীর) দ্বারা ভূমিকা পালন করে। সব আত্মারা ড্রামার অ্যাক্টার্স। থাকার জায়গা ব্রহ্মান্ড- সেটা হলো গৃহ। আত্মা ডিম্বাকৃতি দেখায়। ওখানে ঐ ব্রহ্মান্ডে অনেক থাকার জায়গা আছে। প্রতিটি কথাকে ভালো ভাবে বুঝতে হবে। না বুঝলে আরো এগিয়ে গেলে নিজেই বুঝে যাবে, যদি শুনতে থাকো তবেই। ছেড়ে দিলে আবার কিছুই বুঝতে পারবে না। বাচ্চারা, তোমরা জানো এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হয়। বাবা বলেন কাল তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে, এখন আবার তোমরা বিশ্বের মালিক হতে এসেছো। গান আছে না যে, বাবা আমাদের ঐরকম মালিক করেন যেটা কেউ আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে না। আকাশ, জমি ইত্যাদির উপর আমাদের অধিকার থাকে। এই দুনিয়াতে দেখো কি-কি আছে। সকলেই সাথী হয় নিজ স্বার্থে। ওখানে তো ঐরকম হয় না। যেমন লৌকিক পিতা বাচ্চাকে (পুত্রকে) বলে- এই ধন, সম্পত্তি সব কিছু তোমাকে দিয়ে যাচ্ছি, এসব ভালো ভাবে সামলিও। অসীম জগতের পিতাও বলেন তোমাদের ধন সম্পদ সব কিছু দিয়ে দিচ্ছি। তোমরা আমাকে ডেকেছো,বলেছো পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে চলো তো অবশ্যই পবিত্র করে তুলে বিশ্বের মালিক করবো। বাবা কতো যুক্তি দ্বারা বোঝান। এর নামই হলো সহজ জ্ঞান আর যোগ। সেকেন্ডের ব্যাপার। সেকেন্ডে মুক্তি, জীবন-মুক্তি। তোমাদের এখন কতো দূরদর্শী হয়ে গেছে। *এই চিন্তনই চলতে থাকে যে আমরা অসীম জগতের পিতার দ্বারা পঠন-পাঠন করছি। আমরা নিজেদের জন্য রাজ্য স্থাপন করছি, তো সেখানে আমরা কেন উচ্চ পদ প্রাপ্ত করব না! কম কেন পাব। রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। সেখানেও কতো প্রকার লোক থাকবে। অনেক দাস-দাসী থাকবে। তারাও অনেক সুখে থাকবে। একসাথে মহলে থাকবে। বাচ্চা ইত্যাদি সামলাবে। কতো সুখী হবে। শুধু নামেই দাস-দাসী। যা রাজা-রাণী খায়, সেটাই দাস-দাসীও খায়। প্রজারা পায় না, দাস-দাসীদেরও অনেক সম্মান, কিন্তু তার মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী*। বাচ্চারা, তোমরা সমস্ত বিশ্বের মালিক হচ্ছো। দাস-দাসীরা তো এখানেও রাজাদের কাছে থাকে। রাজকন্যার যখন সভা অনুষ্ঠিত হয়, নিজেদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয় তখন তারা মুকুট পরিহিতা, ফুলে সজ্জিত থাকে। তবুও এর মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী ভীষণ শোভনীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওখানে রাণীরা বসে না। তারা পর্দার আড়ালে থাকে। এই সব কথা বাবা বোঝান। ওনাকে তোমরা প্রাণদাতাও বলো, জীবন দান যিনি দেন। *বারংবার শরীর ছাড়ার থেকে যিনি বাঁচান। ওখানে মরণের চিন্তা হয় না*। এখানে কতো চিন্তা থাকে। সামান্যতমও কিছু হলে ডাক্তারকে ডাকে, যেন মরে না যাই। সেখানে ভয়ের ব্যাপার নেই। তোমরা মৃত্যুর উপর বিজয় প্রাপ্ত করো, তাই কতো নেশা থাকা চাই। যিনি পড়ান তাঁকে স্মরণ করলেও সেটাও স্মরণের যাত্রা হলো। পিতা-টিচার-সদ্গুরু কে স্মরণ করলে সেটাও ঠিক আছে, যতো শ্রীমতে চলবে, মানসে-বাচায়-কর্মতে পবিত্র হবে। বুদ্ধিতে বিকারী সংকল্পও যেন না আসে। সেটা তখন হবে যখন ভাই-ভাই মনে করবো। বোন-ভাই মনে করলেও অপবিত্রতা এসে যায়। সর্বাধিক ধোঁকা দেয় এই চোখ, তাই বাবা তৃতীয় নেত্র দিয়েছেন, আর তার দ্বারা নিজেকে আত্মা মনে করে ভাই-ভাই এর রূপে সকলকে দেখো। একে বলা হয় জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র। বোন-ভাইও ফেল হয়, তাই দ্বিতীয় যুক্তি বেরিয়ে যায়- নিজেকে ভাই-ভাই মনে করো। খুব পরিশ্রমের। সাবজেক্ট আছে যে। কোনোটা খুব কঠিন সাবজেক্ট হয়। এটা পড়াশুনা, এতেও উচ্চ সাবজেক্ট আছে-তোমরা কারোরই নাম রূপে আটকে পড়তে পারো না। অনেক বড় পরীক্ষা। বিশ্বের মালিক হতে হবে। মুখ্য কথা বাবা বলেন,ভাই-ভাই মনে করো।তাই বাচ্চাদের এতো পুরুষার্থ করা চাই। কিন্তু চলতে চলতে কতো জন বিশ্বাসঘাতক (ট্রেটর) হয়ে পড়ে। এখানেও ঐরকম হয়। ভালো ভালো বাচ্চাদেরও মায়া নিজের করে নেয়। তখন বাবা বলেন আমাকে পৃথকও করে দেয়, ডিভোর্সও দেয়। পৃথকীকরণ বাচ্চা আর বাবার হয়, আর ডিভোর্স স্ত্রী আর স্বামীর হয়। বাবা বলেন আমার দুটোই মেলে। ভালো ভালো কন্যারাও ডিভোর্স দিয়ে গিয়ে রাবণের হয়ে যায়। ওয়ান্ডারফুল খেলা তো। মায়া কি না করে দেয়। বাবা বলেন মায়া খুব কড়া। কথায় আছে হাতীকে বড় কুমারীরে খেয়েছে। অনেক গাফিলতি করে বসে। বাবার সাথে বেয়াদপি করলে মায়া কাঁচা খেয়ে নেয়। মায়া এমনই যে কাউকে কাউকে একদম ধরে নেয়। আচ্ছা !



বাচ্চাদের কতো শুনিয়েছি, কতো শোনাবো। মুখ্য ব্যাপার হলো পরমাত্মা (অল্ফ)। মুসলমানরাও বলে-সকালে উঠে অল্ফ-কে স্মরণ করো। এই সময় শুয়ে থাকার নয়। এই উপায়েই বিকর্ম বিনাশ হয়, আর কোনো উপায় নেই। বাবা তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের সাথে কতো বিশ্বস্ত। কখনো তোমাদের ছাড়বে না। এসেছেনই শুধরে দিয়ে সাথে নিয়ে যেতে। স্মরণের যাত্রার দ্বারাই তোমরা তমোপ্রধান হবে। ওই দিকে জমা হতে থাকবে। বাবা বলেন নিজের খসড়া রাখো- কতোটা স্মরণ করছো, কতোটা সার্ভিস করছো। ব্যবসায়ীরা লোকসান দেখলে সাবধান হয়ে যায়। লোকসান যেন না হয়। তবে কল্প কল্পান্তর লোকসান হবে। আচ্ছা!



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার-

১. মানসিকতায় - বাচা-য় -কর্মে পবিত্র হতে হবে,বুদ্ধিতে বিকারী সংকল্পও যেন না আসে, এর জন্য আত্মা হলাম ভাই-ভাই এই অভ্যাস করতে হবে। কারোর নাম রূপে আটকে যেও না।

২. বাবা যেমন বিশ্বস্ত, বাচ্চাদের শুধরে দিয়ে সাথে নিয়ে যান, সেই রকম বিশ্বস্ত হতে হবে। কখনো পৃথক হয়ো না বা ডিভোর্স দিও না।

বরদান:-

সকল বরদানকে সময়ে কাজে লাগিয়ে ফলীভূত করায় সক্ষম ফল স্বরূপ ভব

বাপদাদা দ্বারা একেক সময় যা কিছু বরদান প্রাপ্ত হয়, তাকে সময়ে কাজে লাগাও। শুধু মাত্র বরদান শুনে খুশী হয়ো না যে আজ খুব ভালো বরদান মিলেছে। বরদানকে কাজে লাগালে তবে বরদান স্থায়ী হয়। বরদান তো অবিনাশী বাবার, কিন্তু তাকে ফলীভূত করতে হবে। এর জন্য বরদানকে বারংবার স্মৃতির জল সিঞ্চন করো, বরদানের স্বরূপে স্থিত হওয়ার রৌদ্র দাও তবে বরদানের ফল স্বরূপ হয়ে যাবে।

স্লোগান:-

যাদের দৃষ্টিতে বাবা থাকেন, তাদের মায়ার দৃষ্টি লাগতে পারে না।