২৬-০৩-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার লাইট আর শক্তির কারেন্ট (সকাশ) নেওয়ার জন্য সুগন্ধী ফুল হও, ভোরবেলা উঠে স্মরণে বসে, প্রেমপূর্বক বাবার সাথে মিষ্টি - মিষ্টি কথা বলো"
প্রশ্ন:-
সমস্ত বাচ্চারা বাবাকে নম্বরের ক্রমানুসারে স্মরণ করে কিন্তু বাবা কোন্ বাচ্চাদের স্মরণ করেন ?
উত্তর:-
যে বাচ্চারা খুব মিষ্টি, যারা সেবা ছাড়া আর কিছুই বোঝে না l যারা অতি প্রেমের সাথে বাবাকে স্মরণ করে, আনন্দে প্রেমের অশ্রুধারা বয়, এমন বাচ্চাদের বাবাও স্মরণ করে l বাবার দৃষ্টি ফুলের দিকেই যায়, তিনি বলবেন, অমুক আত্মা খুবই ভালো, এই আত্মা যেখানেই সেবা দেখে সেখানেই দৌড়ায়, অনেকেরই কল্যাণ করে l তাই বাবা তাদের স্মরণ করে l
ওম্ শান্তি l
বাবা বসে সমস্ত আত্মাদের বোঝান l শরীরও স্মরণে আসে, আত্মাও স্মরণে আসে l শরীর ছাড়া আত্মাকে স্মরণ করা যায় না l বুঝতে পারা যায় যে, এই আত্মা ভালো, এ বাহ্যমুখী, এ এই দুনিয়াতেই ঘুরতে চায় l এ ওই দুনিয়াকে ভুলে আছে l প্রথমে ওদের নাম - রূপ সামনে আসে l অমুকের আত্মাকে স্মরণ করা হয় যে অমুক আত্মা ভালো সার্ভিস করে, এর বুদ্ধিযোগ বাবার সঙ্গে, এরমধ্যে এই - এই গুণ আছে l প্রথমে শরীরকে স্মরণ করলে তারপরে আত্মা স্মৃতিতে আসে l প্রথমে তো শরীরই স্মরণে আসবে কারণ শরীর হলো বড় জিনিস l তারপর আত্মা যা সূক্ষ্ম, অনেক ছোটো, তা স্মরণে আসবে l এই বড় শরীরের কোনো মহিমা করা হয় না l মহিমা আত্মারই করা হয় l বলা হয়, এর আত্মা খুব ভালো সার্ভিস করে, অমুকের আত্মা এর থেকে ভালো l প্রথমে তো শরীর স্মরণে আসে l বাবাকে তো অনেক আত্মাকে স্মরণ করতে হয় l তাঁর শরীরের নাম স্মরণে আসে না একমাত্র রূপ সামনে আসে l অমুকের আত্মা বললে অবশ্যই শরীরের কথা স্মরণে আসে l তোমরা যেমন বুঝতে পারো, এই দাদার শরীরে শিববাবা আসেন l তোমরা জানো যে, এনার শরীরে বাবা আছেন l শরীর তো অবশ্যই স্মরণে আসবে l জিজ্ঞাসা করে যে, আমরা কিভাবে স্মরণ করবো ? শিববাবাকে ব্রহ্মার তনে স্মরণ করবো নাকি পরমধামে স্মরণ করবো ? অনেকেরই এই প্রশ্ন আসে l বাবা বলেন যে, স্মরণ তো আত্মাকেই করতে হবে কিন্তু শরীরও অবশ্যই স্মরণে আসে l প্রথমে শরীর তারপর আত্মা l বাবা এনার শরীরে বসে আছেন, তাহলে অবশ্যই এই শরীরও স্মরণে আসবে l অমুক শরীরের আত্মার এই গুণ আছে l বাবাও দেখতে থাকেন - কে আমাকে স্মরণ করে, কার মধ্যে অনেক গুণ আছে, কোন্ কোন্ ফুলে সুগন্ধ আছে ? ফুলকে সবাই ভালোবাসে l ফুলের তোড়া তৈরী করা হয় l এরমধ্যে রাজা, রানী, প্রজা ভিন্ন - ভিন্ন ফুল - পাতা ইত্যাদি সব বানানো হয় l বাবার নজর তো ফুলের দিকেই যাবে l তিনি বলবেন, অমুকের আত্মা খুবই ভালো l অনেক বড় সার্ভিস করে l আত্ম - অভিমানী থেকে বাবাকে স্মরণ করতে থাকে l যেখানে সেবা দেখবে, সেখানেই ছুটবে l এর পরও যখন ভোরে উঠে স্মরণে বসবে, তখন কাকে স্মরণ করবে ? শিববাবা কি পরমধামে স্মরণে আসবে নাকি মধুবনে স্মরণে আসবে ? বাবা তো স্মরণে আসবে, তাই না l এনার মধ্যে শিববাবা আছেন, কেননা বাবা তো এখন নীচে এসে গেছেন l তিনি মুরলী শোনাতে নীচে এসেছেন l তাঁর তো এখন নিজের ঘরে কোনো কাজ নেই l সেখানে গিয়ে তিনি কি করবেন ? তিনি এই শরীরেই প্রবেশ করেন l তাই প্রথমে অবশ্যই শরীর স্মরণে আসবে, তারপর আত্মা l অমুকের শরীরে যে আত্মা আছে, তা অনন্য এবং সুন্দর l সে সেবা ছাড়া আর কিছুই বোঝে না l সে খুবই মিষ্টি l বাবা বসেও থাকেন আবার সবাইকে দেখতেও থাকেন l অমুক বাচ্চা খুবই সুন্দর, খুবই স্মরণ করে l বন্ধনে আবদ্ধ বাচ্চাদের বিকারের জন্য কতো মার খেতে হয় l তারা কতো ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করে l যখন অনেক স্মরণ করে তখন খুশীতে চোখে প্রেমের অশ্রুও এসে যায় l কখনো কখনো সেই চোখের জল বেয়ে পড়ে l বাবার আর কি কাজ আছে ! তিনি সবাইকে স্মরণ করেন l তাঁর অনেক বাচ্চাদের কথা স্মরণে আসে l অমুকের আত্মায় শক্তি নেই l বাবাকে স্মরণ করে না l কাউকেই সুখের দান করে না l এ নিজেরই কল্যাণ করে না l বাবা তো এই এমন দেখতেই থাকবেন l এই স্মরণ করার অর্থ লাইট আর শক্তির কারেন্ট প্রদান করা (সকাশ দান) করা l আত্মার কানেকশন তো পরমাত্মার সঙ্গেই থাকে, তাই না l এমন একদিন আসবে যখন এই বাচ্চাও খুবই যোগে থাকবে l এও কাউকে স্মরণ করলে চট্ করে সাক্ষাৎকার হবে l আত্মা তো হল ছোটো বিন্দু l সাক্ষাৎকার করলেও কেউ বুঝতে পারে না, তবুও শরীর স্মরণে এসে যায় l আত্মা ছোটো তবুও যে স্মরণ করে, তার আত্মা পবিত্র হতে থাকে l একটা বাগানে অনেক ধরনের ফুল থাকে l বাবাও দেখেন যে, এ খুব সুন্দর সুগন্ধী ফুল, আবার এ এতটা নয় l তাহলে এর পদও কম হবে l যে বাবার সাহায্যকারী হয়, সেই উঁচু পদ পায় l সেও, যে সবসময় বাবাকে স্মরণ করে l সেই ব্রাহ্মণ থেকে ট্রান্সফার হয়ে দেবতা হয় l এই বর্ণনা এই সঙ্গমযুগেই করা যেতে পারে যে, এ দৈবী ফুল নাকি আসুরী ফুল ? সকলেই তো ফুল কিন্তু বিভিন্নতা অনেক l বাবাও স্মরণ করতে থাকেন l টিচার তো স্টুডেন্টকে স্মরণ করবেন, তাই না l মনে তো করবেন যে, এ কম পড়ে l ইনি বাবাও আবার টিচারও l বাবা তো আছেনই l শিক্ষকতাই বেশী চলে l টিচারকে তো রোজ পড়াতে হবে l এই পড়ার শক্তিতেই ওরা পদ পায় l ভোরবেলা তোমরা সকল ভাইয়েরা বাবার স্মরণে বসো, এই সাবজেক্টই হলো স্মরণের l এরপর মুরলী চলতে থাকে, সে সাবজেক্ট হলো পড়ানোর l মুখ্য হলো যোগ আর পড়া l একে জ্ঞান আর বিজ্ঞানও বলা হয় l এ হলো জ্ঞান - বিজ্ঞান ভবন, যেখানে বাবা এসে শেখান l এই জ্ঞানে সম্পূর্ণ সৃষ্টির নলেজ পাওয়া যায় l বিজ্ঞানের অর্থ, তোমরা যোগে থাকো যাতে তোমরা পবিত্র হয়ে যাও l তোমরা এই অর্থ জানো l বাবা বাচ্চাদের দেখতে থাকেন l দেহী - অভিমানী হতে পারলেই এই ভূত দূর হবে l এমনও নয় যে সকলের ভূত চট্ করে দূর হয়ে যাবে l তোমাদের হিসেব - নিকেশ শোধ হলে চলন অনুসারের পদ পাবে l ক্লাস পরিবর্তন হয়ে যায় l এই দুনিয়ার ট্রান্সফার নীচের দিকে হচ্ছে আর তোমাদের হচ্ছে উপরের দিকে l এ কতো তফাত l ওদের কলিযুগী সিঁড়ি নীচে নামতে থাকে আর তোমরা পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগী, সিঁড়িতে উপরে উঠতে থাকো l দুনিয়া তো একই, কেবল এ হলো বুদ্ধির কাজ l তোমরা বলো যে, আমরা হলাম সঙ্গমযুগী l আমাদের পুরুষোত্তম বানানোর জন্য বাবাকে আসতে হয় l তোমাদের জন্য এ হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ l বাকি সবাই ঘোর অন্ধকারে আছে l ভক্তিকে তারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে কারণ জ্ঞানের কিছুই তারা জানে না l তোমরা এখন জ্ঞান পেয়েছো, তাই তোমরা বুঝতে পারছ l জ্ঞানের একটুতেই আমরা অর্ধেক কল্পের জন্য উপরে উঠে যাই l এরপর সেখানে জ্ঞানের কোনো কথাই থাকবে না l এই সমস্ত কথা মহারথী বাচ্চারাই শুনে ধারণ করতে থাকবে আর শোনাতে থাকবে l বাকি তো এখান থেকে বের হয়ে গেলেই সব ভুলে যায় l কর্ম, অকর্ম এবং বিকর্মের রহস্যও ভগবানই বুঝিয়ে বলেন l এ হলো কল্পের সঙ্গম যুগ l যখন পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে নতুন দুনিয়া স্থাপন হয় l বিনাশ এখন সামনে উপস্থিত l তোমরা এখন সঙ্গম যুগে দাঁড়িয়ে আছো আর অন্য মানুষদের জন্য এখন কলিযুগ চলছে l মানুষ কতো ঘোর অন্ধকারে আছে l মানুষ নামতেই থাকে l কেউ তো এই নামানোর নিমিত্তও হবে l সে হলো রাবণ l
এই সভায় বাস্তবে কোনো পতিতই বসতে পারে না l পতিত মানুষ বায়ুমন্ডলকে খারাপ করে দেবে l কেউ যদি লুকিয়ে এসে বসেও তাহলে সে ধাক্কাও খায় l একদম পড়ে যাবে l ঈশ্বরীয় সভায় যদি কোনো দৈত্য এসে বসে তাহলে চট্ করে বোঝা যায় l পাথরবুদ্ধি তো আছেই, বাকিরাও পাথরবুদ্ধির হয়ে যাবে l শতগুণ দণ্ড ভোগ করতে হবে l নিজের ক্ষতি করে ফেলবে l ওরা বলে যে, আমরা দেখবো, এরা কি জানতে পারবে ? আমাদের কি প্রয়োজন, যেমন করবে তেমন পাবে l আমাদের জানার দরকার নেই l বাবার সাথে সর্বদা স্বচ্ছ থাকা উচিত l কথিত আছে, সত্য থাকলে আনন্দে নৃত্য করবে l সত্য থাকলে নিজের রাজধানীতেও নৃত্য করবে l বাবাই হলেন সত্য l তাই বাচ্চাদেরও সত্য থাকা উচিত l বাবা জিজ্ঞেস করেন - শিববাবা কোথায় ? বলেন - এর মধ্যে আছে l দূরদেশে থাকেন যিনি, তিনি পরমধাম ছেড়ে এই পরদেশে এসেছেন l তাঁর তো এখন অনেক সেবা করতে হবে l বাবা বলেন যে, আমাকে রাতদিন এখানে সার্ভিস করতে হয় l সন্দেশিদের, ভক্তদের সাক্ষাৎকার করাতে হয় l এখানেই তো তিনি আছেন l ওখানে তো কোনো সেবাই নেই l এই সেবা ছাড়া বাবা সুখী হন না l এই সম্পূর্ণ দুনিয়ার সার্ভিস করতে হবে l সবাই ডাকতে থাকে যে, বাবা এসো l তিনি বলেন, আমি এই রথের মধ্যে আসি l ওরা ঘোড়ার গাড়ি বানিয়ে দিয়েছে l এখন এই ঘোড়ার গাড়িতে কৃষ্ণ কিভাবে বসবেন ! এমনও নয় যে ঘোড়ার গাড়িতে বসার কোনো শখ হয় l
দেহ - অভিমানী আর দেহী - অভিমানী হওয়ার কথা এই সঙ্গম যুগেই হয় আর একমাত্র বাবা ছাড়া এই কথা আর কেউই বুঝিয়ে বলতে পারেন না l তোমরাও এখনই জেনেছো l আগে তোমরাও জানতে না l কোনো গুরু কি এমন শিখিয়েছেন ? তোমরা গুরু তো অনেক করেছো l কেউই তোমাদের এমন কথা শেখান নি l অনেক মানুষই গুরু করে l তারা মনে করে, কারোর থেকে যদি শান্তির পথ পাওয়া যায় l বাবা বলেন যে, শান্তির সাগর হলেন একমাত্র বাবা, তিনিই সাথে করে নিয়ে যান l সুখধাম আর শান্তিধামের খবর কেউই জানে না l কলিযুগে এখন শূদ্র বর্ণ l পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে হয় ব্রাহ্মণ বর্ণ l এই বর্ণের কথাও তোমরা ছাড়া আর কেউই জানতে পারে না l এখানে তো সবাই শোনে, বাইরে বের হলেই সবকিছুই ভুলে যায় l ধারণাও হয় না l বাবা বলেন যে, তোমরা যেখানেই যাও, ব্যাজ পড়ে যাও l এতে লজ্জার কোনো কথা নেই l এ তো বাবা অনেক কল্যাণের জন্যই বানিয়েছেন l যে কাউকেই তোমরা এই কথা বুঝিয়ে বলো l কেউ যদি সেন্সেবেল হয় তো বলবে, এতে তোমাদের অনেক খরচ হয়েছে l তোমরা বলো - খরচ তো হতেই হবে l গরীবদের জন্য এটা ফ্রি l ওরা যদি ধারণা করতে পারে তাহলে উঁচু পদ পেতে পারবে l গরীবদের কাছে অর্থ নেই তাহলে তারা কি করবে l কারোর কাছে অর্থ আছে কিন্তু তারা কৃপণ l ইনি প্রত্যক্ষভাবে করে দেখিয়েছেন l সবকিছুই ইনি মায়েদের অধিকারে দিয়ে দিয়েছিলেন l তোমরা বসে সবকিছুর দেখভাল করো কারণ এখন তো তোমরা জ্ঞান পেয়েছো যে পরের দিকে কিছুই স্মরণে আসবে না l অন্তকালে যে স্ত্রীকে স্মরণ করে -- l বড় বাড়ি ইত্যাদি থাকলে অবশ্যই স্মরণে আসবে, কিন্তু অল্প জ্ঞান শুনলেও প্রজাতে অবশ্যই আসবে l বাবা তো হলেনই গরীবের ভগবান l কারোর - কারোর কাছে অর্থ থাকলেও তারা কৃপণ হয় l এমনও বুঝতে পারে না যে, প্রথম উত্তরাধিকারী তো শিববাবা l ভগবান উত্তরাধিকারী, এ তো ভক্তিমার্গেও আছে l ঈশ্বর আমাদের অর্থ দেন l তিনি কি কাঙ্গাল যে তাঁকে আমরা দিই ?তারা মনে করে ঈশ্বরের নামে আমরা যদি গরীবদের দান করি, তাহলে ঈশ্বর তার পরিবর্তে আমাদের দেবেন l পরের জন্মে তা পাওয়াও তো যায় l এমন বলাও হয় যে, দান দিলে গ্রহণ কাটবে l এই বাবা তো সবকিছুই দিয়ে দিয়েছিলেন, শরীর, মিত্র - সম্বন্ধী আদি সবকিছুই বাবাকে সমর্পণ করে দিয়েছিলেন l তিনি বলেছিলেন, এ সবকিছুই আপনার l এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়াই গ্রহণে আক্রান্ত l তা কিভাবে এক সেকেণ্ডে দূর হবে, কালো থেকে গোরা কিভাবে হবে, এ এখন কেবল তোমরাই জানো, এরপর অন্যদেরও তোমরা বুঝিয়ে বলো l যারা বলে - আমরা নিজেরা বুঝতে পারি কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারি না, তারা কোনো কাজের নয় l বাবা বলেন - দান করলে তোমরা গ্রহণ মুক্ত হবে l আমি তোমাদের অবিনাশী রত্নের দান দিই, সে সব তোমরা অন্যদের দিতে থাকো তাহলে ভারতের উপর বা সম্পূর্ণ দুনিয়ার উপর রাহুর যে গ্রহণ লেগে আছে, তা দূর হয়ে যাবে আর বৃহস্পতির দশা শুরু হয়ে যাবে l সবথেকে ভালো হলো বৃহস্পতির দশা l এখন তোমরা জানো যে, প্রধানত ভারত তারপর সম্পূর্ণ দুনিয়ার উপর এখন রাহুর গ্রহণ লেগে আছে l তা কিভাবে দূর হবে ? ইনি তো বাবা l বাবা তোমাদের থেকে পুরানো নিয়ে তোমাদের নতুন দিয়ে দেন l একেই বলা হয় বৃহস্পতির দশা l মুক্তিধামে যারা যাবে, তাদের জন্য বৃহস্পতির দশা বলা হবে না l আচ্ছা l
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা এবং সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. সদা খুশীতে নৃত্য করার জন্য সত্য বাবার সঙ্গে সত্যতা বজায় রাখতে হবে l কোনো কিছুই লুকাবে না l
২. বাবা যে অবিনাশী রত্নের দান করেন, তা সবাইকে ভাগ করে দিতে হবে l এর সঙ্গে সঙ্গে শিববাবাকে নিজের উত্তরাধিকারী বানিয়ে সবকিছুই সফল করতে হবে l এতে কখনোই কৃপণ হবে না l
বরদান:-
গম্ভীরতার গুণের দ্বারা ফুল মার্কস্ জমা করে গম্ভীরতার দেবী বা দেবতা ভব
বর্তমান সময় গম্ভীরতার গুণের খুবই প্রয়োজন, কেননা বলার অভ্যাস অনেক হয়ে গেছে, যা মুখে আসে তাই বলে দাও l কেউ যদি ভালো কাজ করে আর তা বলে দেয়, তাহলে তা অর্ধেক শেষ হয়ে যায় l এতে অর্ধেক জমা হয় আর যে গম্ভীর হয় তার সম্পূর্ণ জমা হয় তাই তোমরা গাম্ভীর্যের দেবী - দেবতা হও আর নিজের ফুল মার্কস্ জমা করো l বর্ণনা করলে নম্বর কম হয়ে যায় l
স্লোগান:-
বিন্দু রূপে স্থিত হতে পারলে সমস্যাকে এক সেকেণ্ডে বিন্দু লাগাতে পারবে* l