০৪-০৮-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ০৯-০১-৮৫ মধুবন


শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাদের আধ্যাত্ম পার্সোনালিটি

আজ ভাগ্যবিধাতা বাবা তাঁর নিজের শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদের দেখছেন। প্রত্যেক বাচ্চার ভাগ্যের রেখা কতো শ্রেষ্ঠ আর অবিনাশী ! তোমরা সব বাচ্চাই তো ভাগ্যবান, কারণ তোমরা ভাগ্যবিধাতার হয়েছ, সেইজন্য তো ভাগ্য তোমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার l জন্মসিদ্ধ অধিকার-রূপে তোমাদের সকলেরই নিজে থেকেই অধিকার প্রাপ্ত হয় l অধিকার সবার আছে, কিন্তু জীবনে সেই অধিকার নিজে অনুভব করতে এবং অন্যকে অনুভব করানোর মধ্যে প্রভেদ আছে l এই ভাগ্যের অধিকারের যোগ্য হওয়া এবং সেই খুশি আর নেশায় থাকা, এবং অন্যদেরও ভাগ্যবিধাতা দ্বারা ভাগ্যবান বানানো - এটা হলো এই অধিকার থাকার নেশা বজায় রাখা l যেমন পার্থিব সম্পত্তি আছে এমন কারও আচার-আচরণ এবং চেহারাতে অল্পকালের সম্পত্তির নেশা দৃষ্টিগোচর হয়, ঠিক একইভাবে ভাগ্যবিধাতার থেকে প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের অবিনাশী সম্পত্তির নেশা তোমাদের চেহারায় এবং কার্যকলাপে স্বতঃই প্রতীয়মান হয় l শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের সম্পত্তির প্রাপ্তির স্বরূপ অলৌকিক এবং আধ্যাত্মিক l শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের ঝলক আর ঈশ্বরীয় নেশা বিশ্বে সকল আত্মার থেকে শ্রেষ্ঠ, স্বতন্ত্র এবং প্রিয় l শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা সদা পরিপূর্ণ, আধ্যাত্ম নেশায় থাকার অনুভব হবে l দূর থেকে শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের সূর্যের কিরণ ঝলমলে অনুভব হবে l ভাগ্যবানের ভাগ্যের প্রপার্টির পার্সোনালিটি দূর থেকেই অনুভব হবে l শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মার দৃষ্টি দ্বারা সদা সবার আধ্যাত্মিক রয়্যালটি অনুভব হবে l বিশ্বে যতই বড় বড় রয়্যালটি বা পার্সোনালিটির ব্যক্তিত্ব থাকুক না কেন, কিন্তু শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মার সামনে বিনাশী পার্সোনালিটির ব্যক্তি নিজেও অনুভব করে যে, এই আধ্যাত্মিক পার্সোনালিটি অতি শ্রেষ্ঠ এবং অনুপম l এমন অনুভব করে যে এই শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মারা সকলের থেকে স্বতন্ত্র, অলৌকিক দুনিয়ার। তারা সম্পূর্ণ অনন্য, যাদের বলা হয় আল্লা বা ভগবানের লোক l যখন কোনও নতুন জিনিস উদ্ভাবিত হয়, লোকে তখন ভালোবাসার সাথে তা' দেখতে থাকে l ঠিক একইভাবে, শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাদের দেখে তারা অতিশয় উৎফুল্ল হয়ে ওঠে l শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাদের শ্রেষ্ঠ বৃত্তি দ্বারা বায়ুমন্ডল এমন হয় যে অন্যেরাও অনুভব করে যে কিছু প্রাপ্ত হচ্ছে অর্থাৎ তারা প্রাপ্তির বাতাবরণ বা বায়ুমন্ডল অনুভব করে l কিছু প্রাপ্তি হওয়ার, কিছু লাভ হওয়ার অনুভূতিতে তারা আত্মহারা হয়ে যায় l শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাকে দেখে এমন অনুভব করে যেন তৃষ্ণার্তের সামনে কুয়া হেঁটে এসেছে l অপ্রাপ্ত আত্মা প্রাপ্তির আশা অনুভব করে l চারিদিকের নিরাশার অন্ধকারের মাঝে শুভ আশার প্রজ্জ্বলিত দীপ অনুভূত হয় l হতাশাগ্রস্ত আত্মা হৃদয়ে খুশির অনুভব করে l নিজেদের এইরকম শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান মনে কর তোমরা ? তোমাদের এই অধ্যাত্ম বিশেষত্ব জানো তোমরা ? এই বিশেষত্ব স্বীক E¥ E¥ «@/«ˆE¥@E¥@@E¥76; করো ? নাকি শুধু সেইসব সম্বন্ধে ভাবো আর শোনো ? ঘুরতে-ফিরতে এই সাধারণ রূপে লুকিয়ে থাকা অমূল্য শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাকে কখনো নিজেও ভুলে যাও না তো, নিজেকে সাধারণ আত্মা তো মনে কর না ? শরীর পুরানো, সাধারণ কিন্তু আত্মা মহান আর বিশেষ l সারা বিশ্বের ঠিকুজি-কোষ্ঠী দেখ, তোমাদের মতন শ্রেষ্ঠ ভাগ্যরেখা কারও হতে পারে না l যত ধনসম্পন্ন আত্মাই হোক, শাস্ত্র থেকে আত্ম-জ্ঞানের ভাণ্ডারে সম্পন্ন আত্মা হোক, বিজ্ঞানের নলেজের শক্তিতে সম্পন্ন আত্মা হোক, কিন্তু তোমাদের সকলের ভাগ্য-সম্পন্নতার সামনে সেইসবে কি প্রদর্শন করবে ! তারা নিজেরাও অনুভব করতে শুরু করেছে যে বাহ্যিকভাবে তারা পূর্ণ কিন্তু অভ্যন্তরে শূন্যতা। আর তোমাদের অভ্যন্তর পরিপূর্ণ, বাহ্যিকরূপ সাধারণ, সেইজন্য নিজেদের শ্রেষ্ঠ ভাগ্য সদা স্মৃতিতে রেখে সমর্থ হওয়ার আধ্যাত্মিক নেশায় থাক l বাহ্যিকরূপে যতই সাধারণ প্রতীয়মান হও, কিন্তু সেই সাধারণত্বে মহত্ত্ব দৃশ্যগোচর হতে দাও l সুতরাং, নিজেকে চেক কর, প্রতিটা কর্মে সাধারণত্বে মহত্ত্ব অনুভূত হয় ? এইভাবে যখন নিজেরা নিজেদের অনুভব করবে, তখন অন্যদেরও এই অনুভব করাবে l অন্য লোকে যেমন কার্য করে সেরকমই তোমরাও জাগতিক কার্য কর, নাকি আল্লার অলৌকিক লোক হয়ে কার্য কর ? ঘুরতে-ফিরতে যখন সবার সঙ্গে সম্পর্কে আসছ তখন এটা তাদের অবশ্যই অনুভব হতে দাও যাতে তারা বুঝতে পারে যে তোমাদের দৃষ্টিতে, চেহারায় অনন্য ভাব আছে l এমনকি, তারা দেখেও যদি বুঝতে অপারগ হয়, তাহলে তাদের মধ্যে এই কোশ্চেন যেন অবশ্যই ওঠে, এটা কি ? এরা কারা ? এই কোশ্চেন রূপী তীর তাদেরকে অবশ্যই বাবার কাছে নিয়ে আসবে l বুঝেছ তোমরা ? এমনই শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা তোমরা l বাপদাদা কখনো কখনো বাচ্চাদের ভোলাভালা ভাব দেখে মৃদু হাসি হাসেন l তোমরা ভগবানের হয়েছ, কিন্তু তোমরা এতটাই বেখেয়ালে হয়ে যাও যে নিজের ভাগ্যই ভুলে যাও l যে কোনো কিছু যা অন্য কেউ ভোলে না, তা' সরল-মতি বাচ্চারা ভুলে যায়, নিজেই কখনো নিজেকে ভুলে যায় ? বাবাকে কেউ ভুলে যায় ! কতো আলাভোলা হয়ে গেছ তোমরা ! ৬৩ জন্ম ধরে তোমরা উল্টো পাঠের পড়া এত পাকাপোক্তভাবে করেছ যে, যখন ভগবান তোমাদের বলেন, ভুলে যাও, তবুও তোমরা তা' ভুলতে পার না। অথচ শ্রেষ্ঠ বিষয়গুলো ভুলে যাও ! তাহলে কতো সাদাসিধেভাব তোমাদের ! বাবা বলেন, ড্রামাতে এই সকল আলাভোলাদের সাথেই ''আমার পার্ট l" দীর্ঘ সময় তোমরা সাদাসিধা হয়ে থেকেছ, এখন বাবা সমান মাস্টার নলেজফুল, মাস্টার পাওয়ারফুল হও l বুঝেছ তোমরা ? আচ্ছা !



যারা সদা শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান, সবাইকে নিজের শ্রেষ্ঠ ভাগ্য দ্বারা ভাগ্যবান হওয়ার শক্তি দেয়, সাধারণত্বের মধ্যে মহত্ত্ব অনুভব করায়, সরলবুদ্ধি থেকে ভাগ্যবান বানায়, সদা ভাগ্যের অধিকারের নেশায় আর খুশিতে থাকে, বিশ্বে ভাগ্য-নক্ষত্র হয়ে ঝলমল করে, এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মাদের ভাগ্যবিধাতা বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l



*মধুবন নিবাসী ভাই-বোনেদের সাথে-* মধুবন নিবাসী অর্থাৎ সদা নিজের মাধুর্যে অর্থাৎ নিজের মধুর ও কোমল ভাব দ্বারা সবাইকে মধুর (মনোহর) করে তোলে এবং সদা তাদের অসীম জগতের বৈরাগ্য (বেহদ-বৈরাগ্য) বৃত্তি দ্বারা অন্যদের বেহদ-বৈরাগ্যে উৎসাহিত করে l এটাই মধুবন নিবাসীদের বিশেষত্ব l তাদের মধুরতাও *অতি* এবং অসীম জগতের বৈরাগ্য বৃত্তিও *অতি l* যারা এই ব্যালেন্স রাখে, তারা সদাই নিজে থেকে সহজভাবে সামনে অগ্রচালিত হওয়ার অনুভব করে l মধুবনের এই দুই বিশেষত্বের প্রভাব বিশ্বের  E¥ E¥ «@/«ˆE¥@E¥@@E¥509;ঞানী আত্মা হলেও, মধুবন তো লাইটহাউস্ মাইটহাউস্, যেখান থেকে লাইটহাউসের আলোকরশ্মি কেউ চাইলেও বা না চাইলেও সকলের ওপরেই পড়ে l এখানে যতখানি ভাইব্রেশন হয়, সেই অনুসারেই লোকে যখন ফিরে যাবে, তারা বুঝবে যে, তোমরা অনন্য, স্বতন্ত্র l সেটা তাদের সমস্যার কারণে হোক বা পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির (সার্কমস্ট্যান্সের) কারণে অথবা অপ্রাপ্তির কারণে, কিন্তু অল্পকালের বৈরাগ্য বৃত্তির প্রভাব অবশ্যই পড়ে l যখন তোমরা এখানে শক্তিশালী হও তো ওখানেও কোনো না কোনো এইরকমই বিশেষ শক্তিশালী ব্যাপার হয় l এখানের তরঙ্গ ব্রাহ্মণের সাথে সাথে দুনিয়ার লোকের ওপরে তরঙ্গায়িত হয় l যারা বিশেষ নিমিত্ত, তারা যদি কিছুক্ষণের জন্য প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনায় থাকে আর তারপরে সাধারণ হয়ে যায়, তখন ওখানেও অন্যেরা উত্সাহ-উদ্দীপনায় আসবে আর তারপরে সাধারণ হয়ে যাবে l সুতরাং মধুবন এক বিশেষ স্টেজ l যেমন, জাগতিক স্টেজে যারা ভাষণ দেয় অথবা যারা স্টেজ সেক্রেটারি তারা তো অবশ্যই স্টেজের দিকে অ্যাটেনশন রাখবে, তাই না ! নাকি ভাববে এটা যে ভাষণ দেবে শুধু তার ওপরেই বর্তায় ! হয়তো বা কেউ একটা ছোট গান গাইতে যাচ্ছে বা কেউ হয়তো শুধুই ফুলের তোড়া দেবে, তবুও যে সময় স্টেজে আসবে, তারা তাদের সেই বিশেষত্ব এবং অ্যাটেনশনের সাথেই আসবে l সুতরাং, মধুবনে তোমাদের যে ডিউটিই থাকুক, নিজেদের তোমরা ছোটই মনে কর বা বড়, মধুবনের বিশেষ স্টেজে থাক l মধুবন অর্থাৎ মহান স্টেজ l সুতরাং যারা মহান স্টেজে পার্ট প্লে করে (নিজেদের মহান ভূমিকা পালন করে), তারা তো মহানই হবে, তাই না ! সবাই তোমাদের শ্রেষ্ঠ (উঁচু) নজরে দেখে, কারণ মধুবনের মহিমা অর্থাৎ মধুবন নিবাসীদের মহিমা l



মধুবন নিবাসীদের প্রতিটা বোল একেকটা মুক্তা l বোল নয় বরং মুক্তায় পরিশোভিত l এ যেন মুক্তা- বরিষণ ; তোমরা বলছ না, বরং মুক্তা বর্ষিত হচ্ছে l একেই বলা হয় মধুরিমা অর্থাৎ অতিশয় মিষ্টতা l এমন বোল বলো যাতে যারা শুনবে, তারা ভাববে, আমরাও এমন বোল বলি l তোমাদের থেকে শুনে সকলে যেন শিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রেরণা পায় এবং তোমাদের ফলো করে l যে বোল বের হবে তা' এমন হোক, যে কেউ টেপ করে রিপিটেডলি সেটা শোনে l কোনো কথা ভালো লাগে বলেই তো লোকে টেপ করে, তাই না - বারংবার শুনতে থাকে l সুতরাং এইরকম মাধুর্য পূর্ণ বোল হতে হবে l এইভাবে মধুর বোলের ভাইব্রেশন নিজে থেকেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে l এই বায়ুমন্ডল স্বতঃই সেই ভাইব্রেশন টেনে নেয় l সুতরাং তোমাদের প্রতিটা বোল মহান হতে হবে l প্রতিটা মন্সা সঙ্কল্প প্রত্যেক আত্মার প্রতি মধুর হতে দাও, মহান হতে দাও l আর দ্বিতীয়তঃ, *মধুবনে সব ভান্ডার যতখানি পরিপূর্ণ, তদনুরূপ বেহদ-বৈরাগী হতে হবে l অগাধ প্রাপ্তিও যতটা, ঠিক ততটাই বৈরাগ্য বৃত্তি, আর তখনই বলা যাবে অসীম জগতের বৈরাগ্য বৃত্তি l* যদি প্রাপ্তিই না হয়, তবে বৈরাগ্য বৃত্তি কিভাবে থাকবে ! প্রাপ্তিও থাকবে আর প্রাপ্তির মধ্যে বৈরাগ্য বৃত্তিও থাকবে, তাকেই বলা হয় অসীম জগতের বৈরাগী l সুতরাং তোমরা প্রত্যেকে যে যতটা কর, বর্তমান সময়েও তোমরা তার ফললাভ কর আর ভবিষ্যতেও তোমাদের সেই ফল লাভ অবশ্যই হয় l বর্তমানে সকলের হৃদয়ের প্রকৃত স্নেহ বা আশীর্বাদ তোমাদের প্রাপ্ত হয় আর এই প্রাপ্তি স্বর্গের রাজ্যভাগ্যের থেকেও বেশি l এখন বুঝতে পারছ যে সবার স্নেহ আর আশীর্বাদ মনকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যায় l তাইতো সবার হৃদয়ের আশীর্বাদ থেকে তোমাদের খুশির যে অনুভূতি তা' বিচিত্র, অনুপম l এমন অনুভব করবে যেন কেউ তার করতলে করে সহজে উড়িয়ে নিয় E¥ E¥ «@/«ˆE¥@E¥@@E¥72;েহ আর সকলের আশীর্বাদ তোমাদের এই অনুভব করাবে l আচ্ছা !



এই নতুন বছরে তোমরা সবাই উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভরা সঙ্কল্প করেছ, তাই না ! তার মধ্যে দৃঢ়তা আছে, তাই নয় কি ? তোমাদের সঙ্কল্প রোজ রিভাইস করতে থাক, ঠিক যেমন কোনো জিনিস পাকাপোক্ত করতে গেলে তা' তোমাদের অভ্যন্তরে খুব দৃঢ় হয় l সুতরাং তোমরা যে সঙ্কল্প করেছ সেটা ছেড়ে দিও না l রোজ সেই সঙ্কল্পকে রিভাইস করে মজবুত বানাও, তবেই এই দৃঢ়তা সদা কার্যকরী হবে l কখনো কখনো তোমরা চিন্তা কর, কি সঙ্কল্প তোমরা করেছিলে, অথবা চলতে চলতে ভুলেও যাও কি সঙ্কল্প ছিল তোমাদের এবং তখনই দুর্বলতা আসে l রোজ রিভাইস কর আর বাবার সামনে সেটা রিপিট কর, তবেই সেটা পাকা হতে থাকবে এবং সফলতাও সহজে লাভ হবে l বাবা জানেন, সবাই কতো স্নেহের সাথে মধুবনের প্রত্যেক আত্মাকে দেখে l মধুবন নিবাসী আত্মাদের বিশেষত্বের গুরুত্ব কম নয় l যদি কেউ ছোট বিশেষ কার্যও করে, তবে সেই কার্য একটা স্থানে হলেও অন্য সবাই অনুপ্রেরিত হয়, সুতরাং সেই বিশেষত্বের সুবিধার সমস্ত ভাগ সেই আত্মাদের লাভ হয় l অতএব, যারা মধুবনের, তারা কোনও শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প করলে, প্ল্যান বানালে বা কর্ম করলে, তা' সকলের মধ্যে শেখার উৎসাহ জাগিয়ে তোলে l সুতরাং সবার উৎসাহ বর্ধনকারী আত্মাদের কতো সুবিধা লাভ হবে ! তোমাদের সকলেরই এই মহত্ত্ব l এক কোণায় কর আর ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায় l আচ্ছা !



*এই বছরের জন্য নতুন প্ল্যান -* এই বছর এমন কোনো গ্রুপ বানাও যে গ্রুপের বিশেষত্ব প্র্যাকটিক্যালি দেখে অন্যদেরও প্রেরণা জাগে এবং সর্বত্র ভাইব্রেশন ছড়িয়ে পড়ে l গভর্নমেন্টও যেমন বলে, একটা গ্রাম নির্বাচন করে তাদেরকে এমন স্যাম্পল বানিয়ে দেখাও যার মাধ্যমে তারা বুঝতে পারে যে, তোমরা প্র্যাকটিক্যালি কিছু করছ, আর এটাই তাদের ওপরে প্রভাব বিস্তার করবে l এইরকমই কোনো গ্রুপ হতে হবে যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয় l যদি কেউ দেখতে চায় গুণ কি, শক্তি কি, জ্ঞান কি, স্মরণ কি তবে তাদের প্র্যাকটিক্যাল স্বরূপ দেখতে দাও l এইভাবে যদি ছোট ছোট গ্রুপ এমন প্র্যাকটিক্যাল উদাহরণ হয়ে যায়, তবে সেই শ্রেষ্ঠ ভাইব্রেশন বায়ুমন্ডলে নিজে থেকেই ছড়িয়ে পড়বে l আজকাল সকলেই প্র্যাকটিক্যাল স্বরূপ দেখতে চায় ; তারা শুনতে চায় না l প্র্যাকটিক্যালের প্রভাব খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে স্পর্শ করে l সুতরাং এইরকম কোনো তীব্র উৎসাহ-উদ্দীপনার প্র্যাকটিক্যাল রূপ হতে দাও, এমন গ্রুপ হতে দাও যাতে অন্যেরা তাদের থেকে সহজে প্রেরণা লাভ করতে সমর্থ হয় এবং চারিদিকে এই প্রেরণা পৌঁছে যায় l তারপরে এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন এইভাবে ছড়িয়ে যেতে থাকবে, সেইজন্য এইরকম কোনো বিশেষত্ব তৈরি কর l যেমন, সবাই ভাবে বিশেষ নিমিত্ত আত্মারা প্রুফ এবং তাদের থেকে তারা প্রেরণা লাভ করে l এইরকম আরও প্রুফ তৈরি কর l যাদের দেখে সবাই যেন বলতে পারে, হ্যাঁ, প্র্যাকটিক্যালি জ্ঞানের স্বরূপ অনুভব হচ্ছে l এই শুভ শ্রেষ্ঠ কর্ম, শ্রেষ্ঠ শুদ্ধ সঙ্কল্পের বৃত্তি দ্বারা বায়ুমন্ডল পরিপূর্ণ কর l এইরকমই কিছু করে দেখাও l আজকাল, মন্সা সেবার দ্বারা যতটা প্রভাব পড়ে, ততটা বাণী দ্বারা সেবার প্রভাব পড়ে না l যখন তোমরা একটা শব্দ বলো আর একশ' শব্দের ভাইব্রেশন ছড়িয়ে দাও, তখনই সেই প্রভাব পড়ে l শব্দ সবই কমন হয়ে গেছে, তাই না ! কিন্তু শব্দের সাথে যে শক্তিশালী ভাইব্রেশন তা' আর কোথাও হয় না, এটা এখানেই হয় l এই বিশেষত্ব দেখাও l আর কনফারেন্স করবে, ইয়ুথ প্রোগ্রাম করবে, এইসব তো হতেই থাকবে আর হতেও হবে l এই দুইয়ের সাথে প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ে, কিন্তু এখন আত্মিক শক্তির আবশ্যকতা আছে l এটা হলো তোমাদের বৃত্তি দ্বারা ভাইব্রেশন ছড়ানো l সেটা শক্তিশালী l আচ্ছা !

বরদান:-

সহনশক্তির ধারণপূর্বক সত্যতাকে নিজের করে সদা বিজয়ী ভব

দুনিয়ার লোকে বলে, আজকাল সৎ লোকজনের চলাই কঠিন হয়ে গেছে, মিথ্যা বলতেই হবে l অনেক ব্রাহ্মণ আত্মাও মনে করে মাঝে মাঝে তাদেরও চতুরতার সঙ্গে চলতে হয় l যেমনই হোক, তোমরা ব্রহ্মাবাবাকে দেখেছ, সত্যতা এবং পবিত্রতার জন্য কতো অপজিশন (বিরুদ্ধাচার ) মোকাবিলা করতে হয়েছিল, কিন্তু তবুও ঘাবড়ে যাননি l সত্যতার জন্য সহনশক্তি আবশ্যক l তোমাদের সহন করতে হবে, নতমস্তক হতে হবে, পরাজয় স্বীকার করতে হবে, কিন্তু সেইসব পরাজয় নয়, সদাসর্বদার বিজয় l

স্লোগান:-

প্রসন্ন হওয়া এবং অন্যকে প্রসন্ন করাই হলো আশীর্বাদ দেওয়া এবং আশীর্বাদ নেওয়া l