১০-৭-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার থেকে হোলসেল (পাইকারী) ব্যাবসা করতে শেখো। হোলসেল ব্যাবসা হলো মন্মনাভব। অল্ফ-কে বা যিনি এক, সেই পরমপিতাকে স্মরণ করা আর করানো, বাকি সব হলো রিটেল (খুচরো) ব্যাবসা ।"
প্রশ্ন:-
বাবা তাঁর নিজ গৃহে কোন্ বাচ্চাদের ওয়েলকাম করবেন ?
উত্তর:-
যে বাচ্চারা ভালো ভাবে বাবার মত অনুযায়ী চলে, আর কাউকে স্মরণ করে না, দেহ সহ দেহের সকল সম্বন্ধ থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে একের স্মরণে থাকে, সেই রকম বাচ্চাদের বাবা নিজ-গৃহে রিসিভ (গ্রহণ) করবেন।
ওম্ শান্তি।
বাচ্চাদের নিজের পিতার আর শান্তিধাম, সুখধামের স্মরণে বসতে হবে। আত্মাদের বাবাকেই স্মরণ করতে হবে, এই দুঃখধামকে ভুলে যেতে হবে। এ হলো বাবা আর বাচ্চাদের মধুর সম্বন্ধ। এতো মধুর সম্বন্ধ আর কোনো বাবার হয়ই না। সম্বন্ধ এক হয় বাবার সাথে আবার টিচার আর গুরুর সাথেও হয়। এখন এক্ষেত্রে এই তিন-ই হলো এক। এটাও বুদ্ধিতে স্মরণে থাকুক, খুশীর কথা তো না! একমাত্র বাবাকে পাওয়া গেছে, যিনি খুব সহজ রাস্তা বলে দেন। বাবাকে, শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করো, এই দুঃখধামকে ভুলে যাও। ঘোরো-ফেরো কিন্তু বুদ্ধিতে এটাই স্মরণে যেন থাকে। এখানে কোনো পার্থিব ব্যাবসা ইত্যাদি নেই। তোমরা ঘরে বসে আছো। বাবা শুধুমাত্র তিনটি শব্দ স্মরণ করার কথা বলেন। বাস্তবে হলো একটি শব্দ - বাবাকে স্মরণ করো। বাবাকে স্মরণ করলে সুখধাম আর শান্তিধাম এই দুইয়ের উত্তরাধিকার স্মরণে এসে যায়। দেওয়ার জন্য তো এক বাবা-ই আছেন। স্মরণ করলে খুশীর পারদ উপরে উঠবে। বাচ্চারা, তোমাদের খুশী তো হলো নামকরা। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে - বাবা আমাদের আবার পরমধাম গৃহে ওয়েলকাম করবেন, রিসিভ করবেন, কিন্তু তাদেরই, যারা সঠিক ভাবে বাবার মত অনুসরণ করে চলবে আর অন্য কাউকেই স্মরণ করবে না। দেহ সহ দেহের সকল সম্বন্ধ থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে মামেকম্ (একমাত্র আমাকে) স্মরণ করতে হবে। ভক্তি মার্গে তো তোমরা অনেক সেবা করেছো, কিন্তু ফিরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজেই পাওনি। বাবা এখন কতো সহজ রাস্তা বলে দেন, শুধুমাত্র এটা স্মরণে রাখ - বাবা, বাবাও হন, শিক্ষকও হন। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের যে জ্ঞান শোনান, যা আর কেউ বুঝতে পারে না। বাবা বলেন এখন পরমধাম গৃহে ফিরে যেতে হবে। আবার তোমরা সর্বপ্রথমে সত্যযুগে আসবে। এই ঘৃণ্য দুনিয়া থেকে এখন যেতে হবে। যদিও তোমরা এখানে বসে আছ কিন্তু এখান থেকে প্রায় চলেই গেছো। বাবাও খুশী হন, তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা বাবাকে অনেক আগে থেকেই ইনভাইট (আমন্ত্রণ) করেছ। এখন আবার বাবাকে রিসিভ (গ্রহণ) করেছো। বাবা বলেন, আমি তোমাদের খুব সুন্দর ফুল (গুল-গুল) তৈরী করে তবে শান্তিধামে রিসিভ করব। তোমরা আবার নম্বর অনুযায়ী চলে যাবে। কতো সহজ। এরকম বাবাকে ভুলে যেতে নেই। ব্যাপার তো খুবই মধুর আর সহজ-সরল। একটাই কথা - অল্ফ কে(এক পরমাত্মার) স্মরণ করো। যদি ডিটেলে বোঝায়ও পরে আবার বলে অল্ফ-কে স্মরণ করো, দ্বিতীয় কাউকে নয়। তোমরা হলে জন্ম-জন্মান্তরের প্রিয়তমা একই প্রীতমের। তোমরা গেয়ে এসেছো- বাবা আপনি এলে আমরা আপনারই হয়ে যাব। এখন তিনি এসেছেন, তাই একেরই হওয়া চাই। নিশ্চয় (সুনিশ্চিত) বুদ্ধি বিজয়ন্তী। বিজয় প্রাপ্ত করবে রাবণের উপর। তারপর আসবে রামরাজ্যে। কল্প কল্প তোমরা রাবণের উপর বিজয় প্রাপ্ত করেছো। ব্রাহ্মণ হয়েছো আর বিজয় প্রাপ্ত করেছো রাবণের উপর। রামরাজ্যের উপর তোমাদের অধিকার আছে। বাবার সাথে পরিচিত হয়েছো আর রামরাজ্যের উপর অধিকার প্রাপ্ত করেছো। তবুও পুরুষার্থ করতে হবে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার। বিজয় মালাতে আসা চাই। বিজয় মালা হলো অনেক লম্বা। রাজা হলে তো সব কিছু পাওয়া যাবে। দাস-দাসীরা সবাই নম্বর অনুযায়ী হয়। সবাই এক রকম হয় না। কেউ অনেক কাছের থাকে, যা রাজা-রাণী খায়, যা কিছু হেঁশেলে হয় সেই সব কিছু দাস দাসীদের মেলে, যাকে ছত্রিশ প্রকারের ভোজন বলা হয়। লক্ষ গুণের অধিকারী রাজাদেরই বলা হয়, প্রজাকে লক্ষগুণ অধিকারী বলা হয় না। যদিও ওখানে সম্পদের উদ্বিগ্নতা থাকে না। কিন্তু এই সম্পদের চিহ্ন দেবতাদের হয়। যতো স্মরণ করবে ততোই সূর্যবংশীতে স্থান পাবে। নূতন দুনিয়াতে আসতে হবে না! মহারাজা-মহারাণী হতে হবে। বাবা নলেজ দেন নর থেকে নারায়ণ হওয়ার, যাকে রাজযোগ বলা হয়। তবে ভক্তি মার্গের শাস্ত্রও তোমরাই সবচেয়ে বেশী পড়েছো। সবচেয়ে বেশী ভক্তি তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা করেছো। এখন বাবার কাছে এসে মিলিত হয়েছো। বাবা তো রাস্তা খুবই সহজ দেখান আর সরল কথা বলেন যে বাবাকে স্মরণ করো। বাবা বাচ্চা বলে বোঝান। বাবা নিজেকে বাচ্চাদের কাছে সমর্পণ করেন। তোমরা তাঁর উত্তরাধিকারী, তাই তো তিনি তোমাদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন। তোমরাও বলেছিলে বাবা আপনি এলে আমরা নিজেকে সমর্পন করব। তন-মন-ধন সহ নিজেকে সমর্পণ করব। তোমরা একবার সমর্পিত হলে বাবা একুশ বার (বাচ্চাদের ২১ জন্ম) নিজেকে সমর্পন করবেন। বাবা বাচ্চাদের স্মরণ করিয়েও দেন। বুঝতে পারেন, সব বাচ্চারা নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে নিজের নিজের ভাগ্য গড়ে এসেছে। বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা, বিশ্বের বাদশাহী হলো আমার সার্বভৌম-ক্ষমতার। এখন তোমরা যতো পুরুষার্থ করার করে নাও। যতো পুরুষার্থ করবে ততোই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। নম্বর ওয়ান যে, সে-ই লাস্ট নম্বর হবে। নম্বর ওয়ানে আবার অবশ্যই আসবে। সব কিছু নির্ভর করে পুরুষার্থের উপর। বাবা বাচ্চাদের পরমধাম গৃহে নিয়ে যেতে এসেছেন। এখন নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে পাপ খন্ডন হতে থাকবে। ওটা হলো কাম অগ্নি, এটা হলো যোগ অগ্নি। কামনার অগ্নিতে জ্বলতে জ্বলতে তোমরা কুৎসিত হয়ে গেছো। একদম ছাই হয়ে পড়ে আছো। এখন আমি এসে তোমাদের জাগৃত করি। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার যুক্তি বলে দিই, একদম সিম্পল (সরল)। আমি হলাম আত্মা। এতকাল দেহ-অভিমানে থাকার কারণে তোমরা উল্টো ভাবে ঝুলছো। এখন দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো। পরমধাম গৃহে যেতে হবে, বাবা নিয়ে যেতে এসেছেন। তোমরা নিমন্ত্রণ দিলে আর বাবা এলেন। পতিতকে পবিত্র করে পান্ডা হয়ে সব আত্মাদের নিয়ে যাবেন। আত্মাকেই যাত্রার মাধ্যমে যেতে হবে।
তোমরা হলে পান্ডব সম্প্রদায়। পান্ডবদের রাজ্য ছিলো না। এখানে তো এখন রাজ্যপাটও শেষ হয়ে গেছে। এখন ভারতের কতো খারাপ অবস্থা হয়ে গেছে। তোমরা ছিলে পূজ্য, বিশ্বের মালিক- এখন পূজারী হয়েছো। তাই বিশ্বের মালিক কেউই নেই। বিশ্বের মালিক শুধুমাত্র দেবী- দেবতাই হন। এখানে লোকে বলে বিশ্বে যেন শান্তি আসে। তোমরা জিজ্ঞাসা করো, বিশ্বে শান্তি বলতে কি বোঝো ? বিশ্বে শান্তি কখন ছিলো ? ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি রিপিট (আবর্তিত) হতেই থাকে। চক্র ঘুরতেই থাকে। বলো বিশ্বে শান্তি কখন হয়েছিল ? তোমরা কোন্ ধরনের শান্তি চাও ? কেউ বলতে পারবে না। বাবা বোঝান, বিশ্বে শান্তি তো ছিল স্বর্গে, যাকে প্যারাডাইস বলা হয়। খ্রীষ্টানরা বলে ক্রাইস্টের প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্বে প্যারাডাইস ছিলো। তাদের না দৈব বুদ্ধি হয়, না আবার পাথর বুদ্ধি হয়। ভারতবাসীই দৈব বুদ্ধি সম্পন্ন আর পাথর বা জড় বুদ্ধি সম্পন্ন হয়। নিউ ওয়ার্ল্ডকে হেভেন বলা হয়, পুরানোকে তো হেভেন বলা বলা হবে না। বাচ্চাদেরকে বাবা হেল আর হেভেনের রহস্য বুঝিয়েছেন। এটা হলো রিটেল। হোলসেলে তো শুধুমাত্র একটা শব্দ বলা হয়- মামেকম্ (দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ ছেড়ে একমাত্র আমাকে) স্মরণ করো। বাবার থেকেই স্বর্গীয় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। এটাও পুরানো কথা, পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারতে স্বর্গ ছিলো। বাবা বাচ্চাদের সত্যিকারের কাহিনী বলেন। সত্যনারায়ণের কথা, তিজরীর বা ত্রিনেত্রের কথা, অমর কথা প্রচলিত। তোমাদেরও ত্রিনেত্র জ্ঞানের প্রাপ্তি হয়। তাকে তিজরীর কথা বলা হয়। সেখানে তো ভক্তির পুস্তক তৈরী করে দিয়েছে। এখন তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের সমস্ত ব্যাপারই বোধগম্য হয়। রিটেল আর হোলসেল হলো তো না! এতো জ্ঞান শোনায় যে সাগরকে কালি করলেও অন্ত পাওয়া যায় না- এটা হলো রিটেল। হোলসেল শুধুমাত্র বলে মন্মনাভব। শব্দ হলোই একটা, এর অর্থও তোমরাই বোঝো আর কেউ বলতে পারে না। বাবা সংস্কৃতে কোনো জ্ঞান দেননি। সে তো যেমন রাজা থাকে সে তার নিজের ভাষা বলবে। নিজেদের ভাষা তো হিন্দিই হবে। তবে সংস্কৃত কেন শেখা উচিত। কতো পয়সা খরচ করে।
তোমাদের কাছে যে কেউই আসবে, তাকে বলো - বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করলে শান্তিধাম-সুখধামের উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হবে। এটা বুঝতে চাইলে বসে বোঝো। তবে আমার কাছে আর কোনো কথা নেই। বাবা অল্ফ-ই বোঝান। অল্ফ (এক বাবার) থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। বাবাকে স্মরণ করলে পাপ বিনষ্ট হয়ে আবার পবিত্র হয়ে শান্তিধামে ফিরে যাবে। বলাও হয় শান্তি দেবা। বাবা-ই হলেন শান্তির সাগর, সেইজন্য ওনাকেই স্মরণ করা হয়। বাবা যে স্বর্গ স্থাপনা করেন সে তো এখানেই। সূক্ষ্মবতনে কিছুই নেই। এ তো সাক্ষাৎকারের ব্যাপার। ঐরকম ফরিস্তা হতে হবে। এখানেই হতে হবে। ফরিস্তা হয়ে আবার পরমধাম গৃহে ফিরে যাবে। রাজধানীর উত্তরাধিকার বাবার থেকে প্রাপ্ত হয়। শান্তি আর সুখ এই দুই উত্তরাধিকারই প্রাপ্ত হয়। বাবা ব্যাতীত আর কাউকেই সাগর বলা যায় না। বাবা যে হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনিই সকলের সদ্গতি করতে পারেন । বাবা জিজ্ঞাসা করেন, আমি হলাম তোমাদের বাবা, টিচার, গুরু, তোমাদের সদ্গতি লাভ করাই। তোমাদের আবার দুর্গতি কে করে ? রাবণ। এটা হলো দুর্গতি আর সদ্গতির খেলা। কেউ বিভ্রান্ত হলে জিজ্ঞাসা করতে পারে। ভক্তি মার্গে অনেক প্রশ্ন ওঠে, জ্ঞান মার্গে প্রশ্নের ব্যাপার নেই। শাস্ত্রে তো শিববাবা থেকে শুরু করে দেবতাদেরও কতো গ্লানি করা হয়েছে, কাউকেই ছাড়েনি। এটাও পূর্বনির্ধারিত ড্রামা, আবারও করবে। বাবা বলেন এই দেবী-দেবতা ধর্ম খুবই সুখদায়ক। আর এই দুঃখ থাকবে না। বাবা তোমাদের কতো বিচক্ষণ করে তোলেন। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলো বিচক্ষণ, তবেই তো বিশ্বের মালিক হন। অবিবেচক তো বিশ্বের মালিক হতে পারে না। তোমরা তো প্রথমে কাঁটা ছিলে, এখন ফুলে পরিণত হচ্ছো, সেইজন্য বাবাও (ক্লাসে) গোলাপ ফুল নিয়ে আসেন। এই রকম ফুল হতে হবে। নিজে এসে ফুলের বাগান তৈরী করেন। আবার রাবণ আসে কাঁটার জঙ্গল তৈরী করতে। কতো ক্লীয়ার। এই সব মনন-চিন্তন করতে হবে। এক-কে স্মরণ করলেই সব কিছু এসে যায়। বাবার থেকে স্বর্গীয় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। এ হল খুবই মহান সম্পদ। শান্তির উত্তরাধিকারও প্রাপ্ত হয়, কারণ শান্তির সাগর তিনিই। লৌকিক পিতার এরকম মহিমা কখনো করা হবে না। শ্রীকৃষ্ণ হলেন সবচেয়ে প্রিয়। সর্বপ্রথমে ওনারই জন্ম হয়, সেইজন্য কৃষ্ণকেই সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে । বাবা বাচ্চাদেরই গৃহের সমস্ত সংবাদ দেন। বাবাও হলেন পাক্কা ব্যাবসায়ী, বিরলই কেউ এমন ব্যাবসা করে। মাত্র অল্প সংখ্যক হোলসেল ব্যাবসায়ী হয়। তোমরা তো হলে হোলসেল ব্যবসায়ী। বাবাকে স্মরণ করতেই থাকো। কেউ রিটেলে ক্রয় করে আবার ভুলে যায়। বাবা বলেন নিরন্তর- অবিছিন্ন স্মরণ করতে থাকো। স্বর্গীয় উত্তরাধিকারের প্রাপ্তি হয়ে গেলে তখন আর স্মরণ করার দরকার হয় না। লৌকিক সম্বন্ধে পিতা বৃদ্ধ হয়ে গেলে তো কোনো-কোনো বাচ্চা শেষ পর্যন্ত সহায়ক হয়। কেউ আবার তাড়াতাড়ি সব ধন সম্পত্তি উড়িয়ে নিঃশেষ করে দেয়। বাবা হলেন সব ব্যাপারের অনুভাবী। তাই তো বাবাও এনাকে নিজের রথ করেছেন। দারিদ্র্যতার, বিত্তশালীনতার- সব কিছুর অনুভাবী। ড্রামা অনুসারে হলো এই একই রথ। এটার কখনো পরিবর্তন করা যায় না। ড্রামা পূর্ব-প্রস্তুত, এতে কখনো চেঞ্জ হতে পারে না। সব কথা হোলসেল আর রিটেলে বুঝিয়ে শেষে আবার বলে দেয় মন্মনা ভব, মধ্যাজী ভব। মন্মনাভব-তে সব কিছু এসে যায়। এ হল অনেক দামী ধনভান্ডার, এতে ঝুলি ভরে যায়। অবিনাশী জ্ঞান রত্ন এক এক লক্ষ টাকার। তোমরা লক্ষ কোটি গুণ ভাগ্যশালী হতে চলেছ। বাবা তো খুশী আর অখুশী- দুটোর থেকেই পৃথক। সাক্ষী হয়ে ড্রামা দেখছেন। তোমরা ভূমিকা পালন করছো। আমি ভূমিকা পালন করেও সাক্ষী থাকি। জনম-মরণে আসি না। আর তো কেউ এর থেকে রেহাই পেতে পারে না, মোক্ষ লাভ হতে পারে না। এটা হলো পূর্ব নির্ধারিত অনাদি ড্রামা। এটাও ওয়ান্ডার ফুল। ছোট্ট আত্মার মধ্যে সমগ্র পার্ট (যত ভূমিকা পালন করে, সব ভরা থাকে) । এই অবিনাশী ড্রামা কখনো বিনাশ হয় না। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার গভীর আন্তরিক ভালবাসার সাথে, সার্ভিসেবেল বাচ্চাদের নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে স্মরণ- ভালবাসা আর গুডমর্ণিং। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের জানায় নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. যেরকম বাবা বাচ্চাদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন, সেরকম তন-মন-ধন সহ একবার বাবার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পিত হয়ে একুশ জন্মের স্বর্গীয় উত্তরাধিকার নিতে হবে।
২. বাবা যে অবিনাশী অমূল্য ধন-ভান্ডার দেন সেখান থেকে নিজের ঝুলি সর্বদা ভরপুর রাখতে হবে। সর্বদা এরকম খুশী আর নেশাতে থাকতে হবে যে আমরা হলাম লক্ষ কোটি গুণ (পদমগুণ) ভাগ্যবান ।
বরদান:-
দৃঢ় নিশ্চয়ের আধারে সদা বিজয়ী হওয়া ব্রহ্মা বাবার স্নেহভাজন ভব
যে নিশ্চয় (দৃঢ় বিশ্বাস) রাখে, নিশ্চয়ের বিজয় কখনোই টলতে পারে না। পাঁচ তত্ত্বই হোক বা আত্মারা যতই বিরোধিতা করুক না কেন, তারা বিরোধিতা করবে আর তোমরা অটল নিশ্চয়ের আধারে সমায়িত (মানিয়ে নেওয়া) করবার শক্তি দ্বারা সেই বিরোধিতাকে সমায়িত করে নেবে। দৃঢ় বিশ্বাসকে কখনো উপড়ে ফেলতে পারবে না। এমন অটল থাকা বিজয়ী বাচ্চারাই হল বাবার স্নেহধন্য । স্নেহী বাচ্চারাই ব্রহ্মা বাবার দুই বাহুতে সমায়িত হয়ে থাকে ।
স্লোগান:-
সমগ্র ধন-ভান্ডারের চাবি প্রাপ্ত করতে হলে পরমাত্ম প্রেমের অনুভাবী হও