18.01.2019
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা
পারফেক্ট হতে হলে ন্যায়পরায়ণ এবং সত্যতার সঙ্গে দেখো যে আমার মধ্যে কি কি খামতি আছে,
বাবার সঙ্গে পরামর্শ করে নিজের খামতি গুলি দূর করো"
ওম্ শান্তি ।
আত্মারা এখন
তোমাদের একমাত্র বাবার সঙ্গে ভালোবাসা রয়েছে। যে আত্মার উদ্দেশ্যে বলা হয় যে তাকে
আগুনে পোড়াতে পারে না, জল ডোবাতে পারে না। এমন আত্মার এখন যোগ লেগেছে বাবার সঙ্গে।
তাঁকে বহ্নি শিখাও বলা হয় যাঁর কাছে গিয়ে বহ্নি পতঙ্গ পুড়ে মরে। কেউ তাঁর চারিদিকে
পরিক্রমা করে নাচ করে, কেউ তো পুড়ে বলিদান দেয়। এই বহ্নি শিখায় বলিদান তো সম্পূর্ণ
সৃষ্টিকে দিতে হবে । সেই পিতা স্বরূপ বহ্নি শিখার সাথে তোমরা বাচ্চারাও হলে সহযোগী।
যেখানে সেন্টার আছে সেখানে সবাই এসে বাচ্চারা তোমাদের দ্বারা বহ্নি শিখায় স্বহা হয়
। বাবা বলেন যে আমার কাছে স্বহা হয়, আমি তার জন্য ২১ বার বলিদান । এখন বাচ্চারা তো
সে কথা জেনে গেছে যে বৃক্ষ (ঝাড়) ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হয়। দীপমালায় দেখা যায় ছোট ছোট
পতঙ্গ কিভাবে বলিদান করে। তোমরা বাচ্চারা যত যোগ করবে, শক্তি ধারণ করবে তোমরাও
ততখানি আলোক শিখার মতন হয়ে যাবে। এখন তো সবারই জ্যোতি ম্লান হয়েছে। কারো আর শক্তি
নেই। আত্মারা সবাই অসত্য হয়েছে। আজকাল নকল সোনাও এমন দেখা যায় যেন রিয়্যাল সোনা
কিন্তু তার কোনো ভ্যালু নেই। ঠিক তেমনই আত্মারাও মিথ্যা হয়েছে। প্রকৃত সোনায় খাদ
মেশানো হয়। সুতরাং আত্মায় খাদ পড়েছে এই জন্যে ভারত ও সম্পূর্ণ দুনিয়া খুব দুঃখে আছে।
এখন তোমাদের যোগ অগ্নি দ্বারা খাদ ভস্ম করে পবিত্র হতে হবে।
প্রতিটি বাচ্চা নিজেকে প্রশ্ন করো বাবার কাছে আমরা কি সব কিছু পেয়েছি ? আমার মধ্যে
কোনো কিছুর খামতি আছে কি ? নিজের মধ্যে দেখা উচিত। যেমন নারদকে প্রশ্ন করা হয়েছিল
যে লক্ষ্মীকে বরণ করার উপযুক্ত ভাবো কি নিজেকে ? বাবাও প্রশ্ন করেন লক্ষ্মীকে বরণ
করার উপযুক্ত হয়েছ ? কি কি খামতি আছে, যা দূর করতে অনেক পুরুষার্থ করতে হবে। অনেকে
একটুও পুরুষার্থ করে না। অনেকে খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করে। নতুন বাচ্চাদের বোঝানো
হয় বলো তোমাদের মধ্যে কোনো খামতি তো নেই ! কারণ এখন তোমাদের পারফেক্ট হতে হবে, বাবা
আসেন পারফেক্ট করতে। অতএব নিজের মধ্যে চেক করো যে আমরা কি এই লক্ষ্মী নারায়ণের মতন
পারফেক্ট হয়েছি ? এইটাই হল তোমাদের এইম অবজেক্ট। যদি কোনো খামতি আছে তো বাবাকে বলা
উচিত। এই এই খামতি আমাদের দূর হচ্ছে না, বাবা আমাদের এর কোনো উপায় বলে দিন। রোগ
সার্জেন দ্বারা-ই দূর হতে পারে। তো সত্যতার সঙ্গে দেখো আমার মধ্যে কি খামতি আছে !
যার ফলে এই কথা বোঝা যায় যে আমরা অমুক পদের অধিকারী হতে পারব না। বাবা তো বলবেন হ্যাঁ
তোমরা এদের মতন হতে পারো। খামতি বললে বাবা পরামর্শ দেবেন। খামতি তো অনেকের আছে। কারো
মধ্যে ক্রোধ আছে বা লোভ আছে অথবা ব্যর্থ চিন্তন আছে, যার ফলে তাদের জ্ঞানের ধারণা
হতে পারেনা। তারা আবার কাউকে ধারণ করাতেও পারেনা। বাবা রোজ রোজ বোঝান, বাস্তবে এত
বোঝানোর প্রয়োজন নেই, এইসব তো ধারণ করার কথা, মন্ত্র তো খুব ভালো, যার অর্থ বাবা
বোঝাতে থাকেন। এত দিন ধরে বোঝাচ্ছেন কথা তো একটি আছে, বেহদের বাবার কাছে আমাদের এমন
হতে হবে। ৫ বিকারকে পরাজিত করার কথা হল এখনকার কথা। যে ভূত দুঃখ দেয় তাদের দূর করার
যুক্তি বাবা বলবেন, কিন্তু প্ৰথমে বর্ণনা করা হয় যে এই ভূত আমাদের এইরকম করে
ডিস্টার্ব করে। তোমরা জানো তোমাদের কোনো আসল ভূত নেই, এই বিকার-ই হল
জন্ম-জন্মান্তরের ভূত, যারা দুঃখ দিয়েছে। তো বাবার কাছে শেষে স্বীকার করা উচিত -
আমার মধ্যে এই-এই ভূত আছে, তাদের কিভাবে দূর করা যায় ! কাম রূপী ভূতের জন্যে তো রোজ
বোঝানো হয়। দৃষ্টি বিশ্বাসঘাতকতা করে তাই আত্মাকে দেখার প্র্যাক্টিস ভালো ভাবে করা
উচিত। আমি আত্মা, সেও আত্মা। যদিও শরীরে আছে কিন্তু রোগ মুক্ত হওয়ার জন্যে বোঝানো
হয়। তোমরা আত্মারা ভাই-ভাই হলে কিনা। অতএব এই শরীরটিকে দেখবে না। আমরা আত্মারা সবাই
ঘরে ফিরে যাব। বাবা এসেছেন ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, বাকি এটা দেখতে হবে আমরা সর্ব গুণ
সম্পন্ন হয়েছি কিনা। কোন্ গুণটির অভাব রয়েছে ? আত্মাকে দেখে বলা হয় এই আত্মায় এই
খামতি আছে। তখন বসে কারেন্ট দেবে যাতে অমুকের এই রোগ দূর হয়। কোনো কিছু লুকানো উচিত
নয়, অবগুণ জানাতে থাকলে বাবা বোঝাতে পারবেন। বাবার সঙ্গে কথা বলা উচিত, বাবা আপনি
এইরকম ! বাবা আপনি কত মিষ্টি মধুর। তাহলে বাবার স্মরণে, বাবার মহিমা করলে এইসব ভূত
পালাবে এবং তোমাদের খুশীও থাকবে। বিভিন্ন রকমের ভূত আছে । বাবা সম্মুখে বসে আছেন তো
সব কিছু বলো। বাবা আমি বুঝি এই অবস্থায় আমাদের ক্ষতি হবে। আমি অনুভব করি। বাবার দয়া
হয়। মায়ার ভূত দূর করতে পারেন একমাত্র ভগবান পিতা। সেসব ভূত দূর করতে কত জনের দ্বারে
যেতে হয়েছে। এইখানে তো একটাই আছে। যদিও বাচ্চাদেরও শেখানো হয় ৫ বিকার রূপী ভূত দূর
করার যুক্তি সবাইকে বলো। তোমরা বাচ্চারা জানো যে এই ঝাড় খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি হয়।
মায়া তো চারদিক থেকে এমন ঘিরে নেয় যে একদম হারিয়ে যায়। বাবার হাত ছেড়ে দেয়। তোমাদের
প্রত্যেকের কানেকশন হল বাবার সঙ্গে। বাচ্চারা তো সবাই হল নম্বর অনুযায়ী।
মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের বাবা বার বার বোঝান - বাচ্চারা নিজেকে আত্মা ভাবো, এই শরীর
আমার নয়, এই শরীর শেষ হয়ে যাবে। আমাদের বাবার কাছে ফিরে যেতে হবে। এইরূপ জ্ঞানের
নেশায় থাকলে তোমাদের মধ্যে আকর্ষণ বেড়ে যাবে। এই কথা তো জানো যে এই পুরানো দেহ
ত্যাগ করতে হবে, এখানে থাকবে না। এই শরীরের প্রতি ভালোবাসা যেন মিটে যায়। এই শরীরে
কেবল সার্ভিস করার জন্যে বাস করা, এর প্রতি ভালোবাসা নেই। শুধু ঘরে ফেরার অপেক্ষায়।
এই সঙ্গমের সময়ও পুরুষার্থ করার জন্যে জরুরী। এখনই তো বুঝতে পারো আমরা ৮৪-র চক্র
লাগাই, বাবা বলেন স্মরণের যাত্রায় থাকো, যত স্মরণের যাত্রা করবে তত প্রকৃতি তোমাদের
দাসী হবে। সন্ন্যাসীরা কখনও কারো কাছে কিছু চায় না। তারা হল যোগী, তাই না ! ওদের
বিশ্বাস থাকে আমাদের ব্রহ্মে বিলীন হতে হবে। ওদের ধর্মই এমন, তারা তাতে দৃঢ় থাকে,
শুধু ঘরে ফিরতে হবে, এই শরীর ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু তাঁদের পথ তো হল ভুল , যেতে
পারে না। কঠিন পরিশ্রম করে। ভক্তি মার্গে দেবতাদের সঙ্গে মিলনের উদ্দেশ্যে অনেকে
জীবঘাত অর্থাৎ নিজেকে শেষ করে নেয়। আত্মঘাত তো বলা যাবে না, তা তো হয় না। বলা যায়
জীবঘাত হয়। তো তোমরা বাচ্চারা সার্ভিস করার শখ রাখো। সার্ভিস করলে বাবার স্মরণ থাকবে,
সার্ভিস তো সব জায়গায় আছে, তোমরা যেথা ইচ্ছা সেথায় গিয়ে বোঝাও কেউ কিছু করবে না।
যখন তোমরা যোগে থাকো তখন তোমরা হলে অমর । কখনও অন্য কিছু স্মরণে আসবে না, কিন্তু
সেই অবস্থা যদি মজবুত হয়। প্ৰথমে তো নিজের মধ্যে দেখতে হবে আমার কোনো খামতি নেই তো
! খামতি না থাকলে সার্ভিসও ভালো করতে পারবে। ফাদার শো'জ সান, সান শো'জ ফাদার। বাবা
তোমাদের উপযুক্ত করছেন এবং বাচ্চারা তোমাদের আবার নতুনদের বাবার পরিচয় দিতে হবে।
বাচ্চাদের কে বাবা এক্সপার্ট করে দিয়েছেন। বাবা জানেন অনেক ভালো বাচ্চারা আছে যারা
সার্ভিস করে আসে। চিত্রের আধারে সকলকে বোঝানো সহজ, চিত্র ছাড়া বোঝানো কঠিন। রাত-দিন
এই সঙ্কল্প যেন চলে যে আমরা এদের জীবন তৈরি করব কিভাবে, যার ফলে আমাদের জীবনেও
উন্নতি হবে। খুশী থাকে, প্রত্যেকের উৎসাহ থাকে আমরা নিজের গ্রামবাসীদের উদ্ধার করি।
নিজের সম-জিন্স দের(মাথা-রা মাতাদের, বয়স্করা বয়স্কদের) সেবা করি। বাবাও বলেন
চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম। এক জায়গায় বসা উচিত নয়, ভ্রমণ করা উচিত। সন্ন্যাসীরা
কাউকে আসনে বসিয়ে নিজেরা ভ্রমণ করে । এইরকম করেই বৃদ্ধি হয়েছে। এমন অনেক নতুন ভাই
বোন এভাবেই প্রত্যক্ষ হয় - যাদের একটু মহিমা হয়, তখন তাদের শক্তি এসে যায়। পুরানো
পাতাও উজ্জ্বল হয়ে যায়। কারো ভিতরে কোনো এমন আত্মা প্রবেশ হয় ফলে তার উন্নতি হয়ে
যায়। বাবা বসে শিক্ষা প্রদান করেন যে - বাচ্চারা তোমাদের সদা নিজের উন্নতি করা উচিত।
প্রিয় বাচ্চারা, ভবিষ্যতে তোমাদের যোগবলের শক্তি এসে যাবে - তখন তোমরা কাউকে একটু
বোঝালেও তারা শীঘ্র বুঝে যাবে। এও একরকম জ্ঞান বাণ কিনা। বাণ লাগলে আহত করে দেয়।
প্ৰথমে আহত হয় তারপরে বাবার আপন হয়। তো একান্তে বসে যুক্তি বের করা উচিত। এমন নয়
রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠবে, না । সকালে তাড়াতাড়ি উঠে বাবাকে ভালোবেসে স্মরণ করা উচিত।
রাতেও স্মরণে থেকে ঘুমানো উচিত। বাবাকে স্মরণ না করলে বাবা ভালোবাসবেন কিভাবে।
আকর্ষণও থাকবে না। যদিও বাবা জানেন ড্রামায় সবরকমের নম্বর অনুসারে পদ প্রাপ্তি
হওয়ার আছে তবুও চুপ করে বসবে না। পুরুষার্থ তো করাবে তাই না ! নাহলে খুব আফসোস হবে।
বাবা আমাদের কত বোঝাতেন ! এই ভেবে খুব আফসোস হবে অহেতুক এমন কাজ করেছি ! মায়ার
বশীভূত হয়েছি ! বাবার দয়া হয়। না শোধরালে তাদের কিরকম গতি হবে, কাঁদবে, চেঁচাবে,
সাজা ভোগ করবে সেইজন্যে বাবা বাচ্চাদের বার-বার শিক্ষা দেন যে বাচ্চারা - তোমাদের
পারফেক্ট অবশ্যই হতে হবে। বার বার নিজের চেকিং করতে হবে। আচ্ছা !
অতি মিষ্টি, অতি প্রিয় সর্ব হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার প্রকৃত
হৃদয় ও প্রাণ ভরা স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের
জানাচ্ছেন নমস্কার।
অব্যক্ত মহাবাক্য (রিভাইস)
যেমন সাইন্স রিফাইন
হচ্ছে তেমনই নিজের মধ্যে সাইলেন্সের শক্তি বা নিজস্ব স্থিতি রিফাইন হচ্ছে কি ? যে
জিনিস রিফাইন হয় তাতে কি কি বিশেষত্ব থাকে ? রিফাইন জিনিস কম পরিমাণ হলেও কোয়ালিটিতে
পাওয়ারফুল হয়। যে জিনিস রিফাইন হবে না তার পরিমাণ বেশি, কোয়ালিটি কম হবে। অতএব
এখানেও যেরকম রিফাইন হতে থাকবে তো কম সময়, কম সঙ্কল্প, কম এনার্জি দ্বারা যে
কর্তব্য হবে সেইটি শত গুণ হবে এবং হাল্কা ভাবও থাকবে। হাল্কা ভাবের প্রমাণ চিহ্ন হবে
- সে কখনও নীচে নামবে না, না চাইতেও স্বতঃই উপরে স্থিত থাকবে। এ হল পরিশোধিত বা অতি
সূক্ষ্ম বৈশিষ্ট্য (রিফাইন কোয়ালিফিকেশন) । তো নিজের মধ্যে এই দুটি বিশেষত্ব অনুভূত
হচ্ছে কি ? ভারী ভাবের কারণে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। হাল্কা হলে পরিশ্রম কম হয়ে যায়।
সুতরাং এভাবেই ন্যাচারাল পরিবর্তন হতে থাকে। এই দুটি বিশেষত্ব সদা যেন অ্যাটেনশনে
থাকে। এই বিশেষত্বকে সামনে রেখে নিজের রিফাইননেস চেক করতে পারো। রিফাইন জিনিস বেশি
বিভ্রান্ত হয় না। স্পিড ধরে নেয়। যদি রিফাইন হবে না, আবর্জনা মিশ্রিত থাকবে তো
স্পীডে আসবে না। নির্বিঘ্ন হয়ে চলতে পারবে না। একদিকে যত যত রিফাইন হচ্ছ, অন্য দিকে
ততই ছোট ছোট বিষয় বা ভুল বা সংস্কার যা আছে সেসবের ফাইনও বাড়ছে। একদিকে এই দৃশ্য,
অন্য দিকে রিফাইন হওয়ার দৃশ্য, দু'য়েরই ফোর্স আছে। যদি রিফাইন নও তো ফাইন ভাবো। দুই
দৃশ্য একত্রে দেখা যাচ্ছে। ঐ দৃশ্যও অতি-তে যাচ্ছে এবং এই দৃশ্যও অতি প্রত্যক্ষ রূপে
দেখা যাচ্ছে। গুপ্ত এখন বিখ্যাত হচ্ছে। তো যখন দুটি কথা প্রত্যক্ষ হবে, সেই অনুযায়ী
তো নম্বর পড়বে।
হাত দিয়ে মালা জপতে হবে না। আচরণ দ্বারাই স্বয়ং নিজের নম্বর নিয়ে নেয়। এখন নম্বর
নির্দিষ্ট (ফিক্স) হওয়ার সময় আসছে তাই দুটি বিষয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং দুটিকে দেখে
সাক্ষী রূপে প্রফুল্ল থাকতে হবে। খেলাও সেটা ভালো লাগে যাতে কোনো কথার অতি হয়। সেই
এক্সট্রিম সীন অতি আকৃষ্ট করে। এখনো সেইরকম অতিরিক্ত টানাপোড়েনের সীন চলছে। দেখতেও
মজা লাগে তাই না ? বা দয়া অনুভব হয় ? একদিকে দেখে আনন্দ হয়, অন্য দিকে দয়া অনুভব হয়।
দুটি খেলাই চলছে। বতন থেকে এই খেলা খুব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। যে যত উঁচু হবে সে ততই
স্পষ্ট দেখতে পাবে। যে নীচে স্টেজে পার্টধারী আছে তারা কিছু দেখতে পাবে, কিছুই না।
কিন্তু উপর থেকে সাক্ষী হয়ে দেখলে সব স্পষ্ট দেখা যায়। তো আজ বতনে বর্তমান খেলার
সীন দেখছিলেন। আচ্ছা !
বরদান:-
উপর
থেকে অবতরিত অবতার রূপে সেবা কার্য সম্পন্নকারী সাক্ষাৎকারের প্রতিমূর্তি ভব
যেরকম বাবা সেবার
জন্যে সূক্ষ্ম লোক থেকে নীচে আসেন, সেই রকম আমরাও সেবা অর্থে সূক্ষ্ম লোক থেকে এসেছি,
এমন অনুভব করে সেবা করো তাহলে সদা নির্লিপ্ত ও বাবার মতন সমগ্র বিশ্বের প্রিয়জন হয়ে
যাবে। উপর থেকে নীচে আসা অর্থাৎ অবতার স্বরূপে অবতরিত হয়ে সেবা করা। সবাই চায় যে
অবতার আসবেন এবং আমাদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন। সুতরাং প্রকৃত অবতার হলে তোমরা, যারা
সবাইকে মুক্তিধামে সঙ্গে নিয়ে যাবে। যখন অবতার রূপে সেবা করবে তখন সাক্ষাৎকারের
প্রতিমূর্তি হবে এবং অনেকের ইচ্ছা পূর্ণ হবে।
স্লোগান:-
তোমাদের কেউ ভালো দিক
বা খারাপ তোমরা সকলকে স্নেহ দাও, সহযোগ দাও, দয়া করো।
ব্রহ্মা বাবা সম
হওয়ার পুরুষার্থ
সদা পরমাত্ম
স্নেহে লাভলীন থাকো তো স্নেহ স্বরূপ, মাস্টার স্নেহের সাগর হয়ে যাবে। ভালোবাসতে হবে
না, ভালোবাসার স্বরূপ হয়ে যাবে। সারা দিন স্বতঃই স্নেহ ভালোবাসার ঢেউ উঠবে। জ্ঞান
সূর্যের কিরণ বা প্রকাশ যত বাড়বে ততই স্নেহের ঢেউ উঠবে।