24.10.2019
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -‐
বাবা এসেছেন তোমরা বাচ্চাদের দুঃখ ধাম থেকে সন্ন্যাস করাতে, এ হলো অনন্ত জগতের
সন্ন্যাস"
প্রশ্নঃ -
লৌকিক
সন্ন্যাসীদের সন্ন্যাস আর তোমাদের সন্ন্যাসের মধ্যে প্রধান পার্থক্য কোথায় ?
উত্তরঃ -
জাগতিক সন্ন্যাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে চলে যায়, কিন্তু তোমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে
যাও না । ঘরে থেকেই সম্পূর্ণ দুনিয়াকে কাঁটার জঙ্গল বলে মনে কর । তোমরা বুদ্ধি
দ্বারা সম্পূর্ণ দুনিয়া থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ করে থাক।
ওম্ শান্তি ।
রূহানী বাবা
বসে রূহানী বাচ্চাদের প্রতিদিন বোঝান, কেননা অর্ধকল্প ধরে অবুঝ হয়ে গেছ, তাইনা !
সুতরাং প্রতিদিন বোঝাতে হয় । প্রথমে তো মানুষের শান্তি চাই । আত্মারা প্রকৃতপক্ষে
সবাই শান্তিধাম নিবাসী । বাবা হলেন চির শান্তির সাগর । এখন তোমরা শান্তির অবিনাশী
উত্তরাধিকারী প্রাপ্ত করছ । বলাও হয়ে থাকে, শান্তি দেবায় ..... অর্থাত্ আমাদের এই
সৃষ্টি থেকে নিজেদের ঘর শান্তিধামে নিয়ে চলো অথবা শান্তির উত্তরাধিকারী বানাও ।
দেবতাদের সামনে অথবা শিববাবার সামনে গিয়ে শান্তি দাও বলে প্রার্থনা করে কেননা
শিববাবা হলেন শান্তির সাগর । এখন তোমরা শিববাবার কাছ থেকে অবিনাশী শান্তির
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছ । বাবাকে স্মরণ করতে করতে তোমাদের অবশ্যই শান্তিধামে যেতে
হবে । স্মরণ না করলেও যেতে হবে । স্মরণ এইজন্যই করে থাক কেননা যে পাপের বোঝ মাথায়
সঞ্চিত হয়ে আছে, তা যেন ভস্মীভূত হয়ে যায় । শান্তি আর সুখ একমাত্র বাবা দ্বারাই
প্রাপ্ত হয়ে থাকে, কেননা তিনি হলেন সুখ আর শান্তির সাগর । ঐ দুটোই হলো প্রধান ।
শান্তিকে মুক্তি বলা হয় তারপর জীবনমুক্তি আর জীবনবন্ধও । এখন তোমরা জীবনবন্ধ থেকে
জীবনমুক্ত হতে যাচ্ছ । সত্যযুগে কোনওরকম বন্ধন থাকে না । গাওয়াও হয়ে থাকে সহজ
জীবনমুক্তি বা গতি-সদ্গতি । এই দুটোর অর্থ এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ । গতি বলা হয়
শান্তিধামকে, সদ্গতি বলা হয় সুখধামকে । সুখধাম, শান্তিধাম আর এটা হলো দুঃখধাম ।
তোমরা এখানে বসে আছো, বাবা বলেন — বাচ্চারা, তোমাদের ঘর শান্তিধামকে স্মরণ কর ।
আত্মারা নিজেদের ঘরকে ভুলে গেছে বাবা এসেই স্মরণ করিয়ে দেন । বুঝিয়ে বলেন, হে
আত্মিক বাচ্চারা, যতক্ষণ আমাকে স্মরণ না করবে তোমরা ঘরে যেতে পারবে না । স্মরণ
দ্বারাই তোমাদের পাপ ভস্মীভূত হবে । আত্মা পবিত্র হয়ে তারপর নিজ গৃহে ফিরে যাবে।
তোমরা বাচ্চারা জান এ হলো অপবিত্র দুনিয়া । একজন ও পবিত্র মানুষ নেই । পবিত্র
দুনিয়াকে সত্য যুগ আর অপবিত্র দুনিয়াকে কলিযুগ বলা হয় । রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য ।
রাবণ রাজ্যেই অপবিত্র দুনিয়া স্থাপন হয়ে থাকে । এটাই ড্রামার খেলা তাইনা । এসবই
অসীম জগতের পিতা বুঝিয়ে বলেন, উনিই সত্য । পিতার বলা সত্য কথা তোমরা সঙ্গমেই শুনে
থাকো, তারপর সত্য যুগে যাও । দ্বাপর থেকে পুনরায় রাবণ রাজ্য শুরু হয় । রাবণ অর্থাত্
অসুর, অসুর কখনও সত্য বলতে পারে না সেইজন্য একে বলে মিথ্যে মায়া, মিথ্যে কায়া (শরীর)।
আত্মা মিথ্যে শরীর ও মিথ্যে ( অপবিত্র)।আত্মার মধ্যেই তো সংস্কার ভরা থাকে তাই না !
ধাতু যুগ ৪ টি - স্বর্ণ-রৌপ্য-তাম্র-লৌহ ....সমস্ত খাদ তোমরা যোগবল দ্বারা বের করে
দিয়ে হয়ে ওঠো খাঁটি সোনা।তোমরা যখন সত্য যুগে থাক তখন তোমরা খাঁটি সোনা । তারপর যখন
সিলভার (রৌপ্য)যুগে আসো, তখন তোমাদের মধ্যে কিছু খাদ পড়ে। তখন তোমাদের বলা হয়
চন্দ্রবংশী । তারপর তাম্র এবং লৌহ যুগে তোমাদের মধ্যে তামা এবং লোহা মিশ্রিত খাদ পড়ে,
অর্থাত্ দ্বাপর-কলিযুগে । তোমাদের মধ্যে রৌপ্য, তাম্র এবং লৌহর যে খাদ পড়ে তা তোমরা
যোগবল দ্বারা বের করে দিয়ে থাক। প্রথমে তোমরা আত্মারা সব শান্তিধামে থাক তারপর
সর্বপ্রথম নেমে আস সত্য যুগে, তখন তাকে বলা হয় গোল্ডেন এজ । তোমরা তখন খাঁটি সোনা ।
যোগবল দ্বারা সম্পূর্ণ খাদ বের করে দিলে খাঁটি সোনা-ই থেকে যায় । শান্তিধামকে
গোল্ডেন এজ বলা হয় না । গোল্ডেন এজ, সিলভার এজ, কপার এজ এখানে বলা হয়। শান্তিধামে
তো অপার শান্তি বিরাজ করে । যখন আত্মা শরীর ধারণ করে তখন বলা হয় এই আত্মা গোল্ডেন
এজের, তারপর সৃষ্টিও গোল্ডেন এজ হয়ে যায় । সতোপ্রধান ৫ তত্ত্ব দ্বারা এই শরীর তৈরি
হয় । আত্মা সতোপ্রধান হলে শরীরও সতোপ্রধান হয় । তারপর একদম শেষে গিয়ে আয়রন এজ শরীর
প্রাপ্ত হয় কেননা আত্মার মধ্যে খাদ ( মরচে) পড়ে যায় । সুতরাং গোল্ডেন এজ, সিলভার এজ,
এই সৃষ্টিকেই বলা হয়ে থাকে ।
এখন তবে বাচ্চাদের কি করা উচিত ? সর্বপ্রথম শান্তিধামে যেতে হবে সেইজন্য বাবাকে
স্মরণ করতে হবে তবেই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে পারবে । এতে সময় ততটাই লাগে, যতটা
সময় বাবা এখানে থাকেন । উনি গোল্ডেন এজ-এ কোনও ভূমিকা পালন করেন না। সুতরাং আত্মা
যখন ওখানে শরীর ধারণ করে তখন বলা হয় স্বর্ণ যুগের জীবাত্মা, এমনটা বলা হয় না যে
স্বর্ণ যুগের আত্মা। তা নয়, স্বর্ণ যুগের জীবাত্মা তারপর রৌপ্য যুগের জীবাত্মা হয়।
তোমরা এখানে বসে আছ, তোমাদের যেমন শান্তি ও আছে তেমনি সুখ ও প্রাপ্তি হয় । সুতরাং
কি করা উচিত ? দুঃখ ধাম থেকে সন্ন্যাস নেওয়া । একে বলে অসীম জগতের সন্ন্যাস । ঐ
সন্ন্যাসীদের হলো সীমিত সন্ন্যাস, ঘর পরিবার ছেড়ে জঙ্গলে চলে যায় । ওদের এটা জানা
নেই যে সম্পূর্ণ সৃষ্টিই এখন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে । এটা কাঁটার জঙ্গল, কাঁটার দুনিয়া।
সত্য যুগ হলো ফুলের দুনিয়া । ওরা যদিও সন্ন্যাস নিয়ে থাকে কিন্তু তবুও তো সে কাঁটার
দুনিয়াতে, শহর থেকে অনেক দূরে জঙ্গলে গিয়ে বাস করে । ওদের হলো নিবৃত্তি মার্গ,
তোমাদের প্রবৃত্তি মার্গ । তোমরা পবিত্র জুটি ছিলে, এখন অপবিত্র হয়ে গেছ । তাকে
গৃহস্থ-আশ্রমও বলা হয় । সন্ন্যাসীরা আসে অনেক পরে । ইসলাম, বৌদ্ধও পরে আসে।
ক্রিশ্চানদের কিছু আগে আসে । সুতরাং কল্পবৃক্ষের এই ঝাড়কে স্মরণ করতে হবে, চক্র ও
স্মরণ করতে হবে । বাবা কল্পে-কল্পে এসে কল্পবৃক্ষের নলেজ প্রদান করেন কেননা তিনি
স্বয়ং বীজরূপ, তিনিই সত্য, চৈতন্য সেইজন্যই কল্পে-কল্পে এসে কল্পবৃক্ষের সম্পূর্ণ
রহস্য ব্যাখ্যা করেন । তোমরাও আত্মা কিন্তু তোমাদের জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর,
শান্তির সাগর বলা হয় না । এই মহিমা শুধুমাত্র বাবার যিনি তোমাদের এমন তৈরি করছেন ।
বাবার এই মহিমা সব সময়ের জন্য । তিনি চির পবিত্র এবং নিরাকার । সীমিত সময়ের জন্য
তিনি আসেন পবিত্র করে তুলতে । তিনি সর্বব্যাপী এতো হতেই পারে না । তোমরা জান বাবা
পরমধাম নিবাসী । ভক্তি মার্গে সবসময় তাঁকে স্মরণ করে । সত্যযুগে তো তাঁকে স্মরণ
করার প্রয়োজন-ই পড়ে না । রাবণ রাজ্য থেকেই তোমাদের আহ্বান করা শুরু হয়, তিনিই এসে
সুখ শান্তি প্রদান করেন । তবে নিশ্চয়ই অশান্তির মধ্যেই ওঁনার কথা স্মরণে আসে । বাবা
বলেন প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আমি আসি। অর্ধকল্প সুখ আর অর্ধকল্প হলো দুঃখ ।
অর্ধকল্পের পরেই রাবণ রাজ্য শুরু হয় । এর মধ্যে প্রধান হলো দেহ-অভিমান । এর পরেই
অন্যান্য বিকার শুরু হয় । এখন বাবা বুঝিয়ে বলেন নিজেকে আত্মা মনে কর, দেহী-অভিমানী
হও । আত্মার স্বীকৃতির প্রয়োজন। মানুষ তো শুধু বলে থাকে, আত্মা ভ্রুকুটির মাঝখানে
জ্বলজ্বল করে। এখন তোমরা বুঝেছ আত্মা হলো অবিনাশী । এই অবিনাশী আত্মার আসন হলো এই
শরীর । আত্মা বসেও ভ্রুকুটিতে । অবিনাশী আত্মার এটাই আসন, সবারই চৈতন্য অবিনাশী আসন
।
ওটা অবিনাশী আসন নয়, যা অমৃতসরে কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে । বাবা বুঝিয়েছেন প্রতিটি
মানুষেরই নিজ নিজ অবিনাশী আসন রয়েছে, আত্মা এখানে এসে বিরাজ করে । সত্য যুগ হোক বা
কলিযুগ-ই হোক আত্মার আসন হলো এই মানব শরীর। সুতরাং অসংখ্য অবিনাশী আসন রয়েছে ।
মানুষ মাত্রই অবিনাশী আত্মার আসন আছে । আত্মা এক আসন ছেড়ে শীঘ্রই অন্য আসন গ্রহণ করে
। প্রথমে ছোট আসন থাকে তারপর বড়ো হয়।এই শরীর রূপী আসন ছোট বড়ো হয়, ঐ কাঠের আসন যাকে
শিখরা অকাল তখ্ত বলে, তা কিন্তু ছোট বড়ো হয় না । এটা কেউ-ই জানে না যে মানুষ
মাত্রেরই অকাল তখত এই ভ্রুকুটি। আত্মা অবিনাশী, তার কখনোই বিনাশ হয়না । আত্মা
ভিন্ন-ভিন্ন আসন প্রাপ্ত করে থাকে । সত্যযুগে তোমরা ফার্স্টক্লাস আসন পেয়ে থাক, তাকে
বলে গোল্ডেন এজ তখত (আসন)। তারপর ঐ আত্মাই আবার সিলভার, কপার, আয়রন এজেও আসন
প্রাপ্ত করে থাকে । তারপর আবার গোল্ডেন এজ-এ আসন পেতে হলে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে
সেইজন্যই বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করলে তোমাদের খাদ বেড়িয়ে যাবে, তারপর তোমরা এরকম
দৈবী সিংহাসন প্রাপ্ত করবে । এখন ব্রাহ্মণ কুলের আসন, পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগের আসন,
তারপর আমি আত্মা দেবতাদের আসন প্রাপ্ত করব । এই কথা দুনিয়ার মানুষ জানে না।
দেহ-অভিমানে আসার কারণে একে অপরকে দুঃখ দিতে থাকে, এইজন্য একে দুঃখধাম বলা হয় । এখন
বাবা বাচ্চাদের বোঝান শান্তিধামকে স্মরণ কর, যা তোমাদের প্রকৃত নিবাস স্থান ।
সুখধামকে স্মরণ কর, একে ভুলে যাও, এর প্রতি বৈরাগ্য আসুক । এমনটা নয় যে
সন্ন্যাসীদের মতো ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে । বাবা বোঝান সেটা একদিক দিয়ে যেমন ভালো,
অন্যদিকে খারাপ । তোমাদের সন্ন্যাস ভালো । ওদের হঠযোগের ভালো দিকও আছে, মন্দও আছে--
কেননা দেবতারা যখন বাম মার্গে চলে যায়, তখন ভারতের বিশৃঙ্খল অবস্থা আটকাতে
পবিত্রতার প্রয়োজন হয়, সুতরাং হঠযোগীরা এতে সাহায্য করে থাকে । ভারতই অবিনাশী খন্ড
। বাবাকেও এখানেই আসতে হয় । সুতরাং যেখানে অসীম জগতের পিতা আসেন সেটাই সর্বশ্রেষ্ঠ
তীর্থে পরিণত হয় তাইনা । সবার সদ্গতি বাবাই এসে করিয়ে থাকেন, সেইজন্য ভারতই শ্রেষ্ঠ
থেকে শ্রেষ্ঠতম দেশ ।
প্রধান বিষয় বাবাই বুঝিয়ে বলেন - বাচ্চারা, স্মরণের যাত্রায় থাকো, গীতাতেও মনমনাভব
শব্দটি আছে, কিন্তু বাবা কোনও সংস্কৃত শব্দ বলেন না । বাবা "মন্মনাভব" - র অর্থ বলে
দেন । বাবা বলেন, দেহের সব ধর্মকে ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় কর। আত্মা অবিনাশী,
সে কখনও ছোট বড় হয় না । অনাদি অবিনাশী পার্ট এর মধ্যেই ভরা আছে । এভাবেই ড্রামা তৈরি
হয়েছে । অন্তিমে যে আত্মারা আসবে, তাদের সামান্য ভূমিকা থাকে এই ড্রামায় । বাকি সময়
তারা শান্তিধামে থাকে । স্বর্গে তো আসতে পারবে না । শেষে আসা আত্মারা অল্প কিছু সুখ,
কিছু দুঃখ ভোগ করে থাকে । যেমন দীপাবলির রাতে কত মশা বেড়িয়ে পড়ে, সকালে উঠে দেখ সব
মশা মরে পড়ে আছে, সুতরাং শেষে আসা মানুষের মূল্যইবা কতটুকু থাকবে । ঠিক যেন পশুর
দৃষ্টান্ত । তাই বাবা বুঝিয়ে বলেন এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে ঘোরে । সৃষ্টি রূপী
মানুষের ঝাড় ছোট থেকে বড়, বড় থেকে ছোট কিভাবে হয়। সত্যযুগে কত অল্প সংখ্যক মানুষ,
কলিযুগে ঝাড় বৃদ্ধি পেয়ে কত বিশালাকার ধারণ করে । প্রধান বিষয় বাবা ইশারায়
বুঝিয়েছেন ‐‐ গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে "মামেকম্ স্মরণ করো* । ৮ ঘন্টা স্মরণে থাকার
অভ্যাস করো । স্মরণ করতে করতে শেষে পবিত্র হয়ে বাবার কাছে চলে গেলে স্কলারশিপও
প্রাপ্ত হবে । যদি পাপ থেকে যায়, তবে আবার জন্ম গ্রহণ করতে হবে । সাজা খেতে হবে,
উপরন্তু পদও কম হয়ে যাবে। হিসেব-নিকেশ সবাইকেই মিটিয়ে ফেলতে হবে । যেমন মানুষ-ই হোক
না কেন, এখনও জন্ম নিতে হচ্ছে । এই সময় দেখো ভারতবাসীদের মধ্যে ক্রিশ্চানদের সংখ্যা
বৃদ্ধি পেয়েছে । ওরা বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন । ভারতবাসীরাও ১০০ শতাংশ বিচক্ষণ ছিল,
তারাই এখন বিচারবুদ্ধিহীন হয়ে গেছে । কেননা ১০০ শতাংশ সুখ ভোগ করার পরে একশ' শতাংশ
দুঃখও এখানেই ভোগ করে । ওরাতো আসে ( ক্রিশ্চান) অনেক পরে।
বাবা বুঝিয়েছেন, ক্রিশ্চানদের রাজধানীর সাথে কৃষ্ণের রাজধানীর কি যোগ আছে ।
ক্রিশ্চানরা রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছিল তারপর ওদের কাছ থেকেই রাজ্য পাওয়া গেছে । এই সময়
ক্রিশ্চানরা খুব শক্তিশালী, ওরা ভারত থেকেই সাহায্য পেয়ে থাকে । ভারত এখন অনাহারে
তাই রিটার্ন সার্ভিস চলছে । তারা এখান থেকেই অগাধ সম্পদ, হীরে-জহরত, সোনা ইত্যাদি
নিয়ে গিয়ে বিশাল সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছিল সুতরাং এখন আবার ধন-সম্পদ পৌছে দিচ্ছে ।
ওদের তো আর কিছুই পাওয়ার নেই । তোমরা বাচ্চাদের তো কেউ চেনেই না, যদি চিনত তবে এসে
পরামর্শ করত । তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়, যারা ঈশ্বরের মতানুসারে চল । তোমরাই
আবার ঈশ্বরীয় সম্প্রদায় থেকে দৈবী সম্প্রদায়ভুক্ত হবে । তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য,
শূদ্র সম্প্রদায়ভুক্ত হবে । আমরা এখন ব্রাহ্মণ তারপর দেবতা, আমরাই দেবতা থেকে
ক্ষত্রিয়...... হম সো এর অর্থ দেখ কত সুন্দর । এটাই হলো বাজুলির খেলা একে বোঝা খুব
সহজ, কিন্তু মায়া ভুল করিয়ে দেয় তারপর দৈবীগুণ থেকে আসুরি গুণে নিয়ে যায় । অপবিত্র
হওয়া এতো আসুরি গুণ, তাইনা । আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন এবং
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
স্কলারশিপ প্রাপ্ত করার জন্য গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা বাবাকে স্মরণ
করার অভ্যাস করতে হবে । স্মরণের অভ্যাস দ্বারাই পাপ ভস্ম হবে আর গোল্ডেন এজের আসন
প্রাপ্ত হবে।
২ ) এই দুঃখ ধাম থেকে অনন্ত জগতের বৈরাগ্য নিয়ে নিজের প্রকৃত নিবাস স্থান শান্তিধাম
আর সুখধামকে স্মরণ করতে হবে । দেহ অভিমানে এসে কাউকে দুঃখ দেওয়া উচিত নয় ।
বরদান:-
আধ্যাত্মিক প্রেমিকের আকর্ষণে আকৃষ্ট হয়ে কঠোর পরিশ্রম থেকে মুক্ত হতে সমর্থ
আধ্যাত্মিক প্রেমিকা হও
প্রেমিক নিজের হারিয়ে
যাওয়া প্রেমিকাকে দেখে খুশি হয়ে ওঠে । তোমরা আধ্যাত্মিক (রূহানী) আকর্ষণে আকৃষ্ট হয়ে
নিজের প্রকৃত প্রেমিককে জেনে গেছো, তাঁকে পেয়ে যথার্থ ঠিকানায় পৌছে গেছো । যখন
প্রেমিকা আত্মারা এমনই ভালোবাসার গভীরে প্রবেশ করে, তখন অনেক রকম পরিশ্রম থেকে
মুক্ত হয়ে যায়। কেননা এখানে জ্ঞান সাগরের স্নেহের তরঙ্গ, শক্তির তরঙ্গ -- সব সময়ের
জন্য রিফ্রেশ করে তোলে। এরকমই মনোরঞ্জনের বিশেষ স্থান, মিলনের স্থান তোমরা
প্রেমিকাদের জন্য প্রেমিক তৈরি করে রেখেছেন ।
স্লোগান:-
অন্তর্মুখী হওয়ার পাশাপাশি একনামী (এক বাবা ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নয়) আর ইকোনমি হও।