১১-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা হলেন দাতা, বাচ্চারা, তোমাদের বাবার কাছ থেকে কিছুই চাওয়ার প্রয়োজন নেই, কথায় আছে, চাওয়ার চেয়ে মরণ ভালো"

প্রশ্ন:-

কিসের স্মৃতি যদি সর্বদা থাকে তবে কোনো বিষয়েই চিন্তা বা চিন্তন থাকবে না ?

উত্তর:-

যা অতীত(পাস্ট) হয়ে গেছে -- ভাল বা মন্দ, তা ড্রামায় নির্ধারিত(ফিক্সড) ছিল। পুরো চক্র সম্পূর্ণ হয়ে গেলে তা পুনরায় রিপীট হবে। যে যেমন পুরুষার্থ করে সে তেমনই পদ পায়। এই কথা স্মৃতিতে থাকলে তবেই কোন বিষয়ে চিন্তা বা চিন্তন থাকবে না। বাবার ডায়রেক্শন হলো, বৎস অতীতকে স্মরণ কোরো না। উল্টোপাল্টা কোনো কথা শুনোও না, কাউকে শুনিয়োও না। যে কথা অতীত হয়ে গেছে, না তার চিন্তন(বিচার) কর, আর না তা রিপীট কর* ।

ওম্ শান্তি*।

আত্মাদের পিতা বসে তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের বোঝান। আত্মাদের পিতাকে দাতা বলা হয়। তিনি নিজে থেকেই সবকিছু বাচ্চাদেরকে দিয়ে দেন। তিনি আসেনই বিশ্বের মালিক বানাতে। কিভাবে হবে, এই সবকিছুই বাচ্চাদের বোঝান, ডায়রেক্শন দিতে থাকেন। তিনি তো দাতা, তাই না। তাই তিনি নিজে থেকেই সবকিছু দিয়ে থাকেন। ভিক্ষা অপেক্ষা মৃত্যু ভাল। কোনও জিনিসই চাইতে হয় না। বাচ্চারা অনেকেই শক্তি, আশীর্ব্বাদ, কৃপা ভিক্ষা করে থাকে। ভক্তিমার্গে তো ভিক্ষা করতে-করতে, মাথা চাপড়ে-চাপড়ে সিড়ি সম্পূর্ণ নীচে নেমে এসেছ। এখন আর চাওয়ার দরকার নেই।বাবা বলেন, (শ্রীমত) ডায়রেক্শন অনুসারে চল। এক তো তিনি বলেন যে, অতীত নিয়ে চিন্তা কর না। ড্রামায় যা কিছু হয়েছে তা এখন অতীত হয়ে গেছে। ওগুলো আর চিন্তন কর না। রিপীট কর না। বাবা তো শুধু দুটি অক্ষরই বলেন, মামেকম্ স্মরণ কর। বাবা ডায়রেক্শন অথবা শ্রীমত দেন। সেইমতো চলা বাচ্চাদের কাজ। এ হলো সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ডায়রেক্শন। কেউ-কেউ কতও প্রশ্ন-উত্তর ইত্যাদি করবে, কিন্তু বাবা তো দুটি অক্ষরই(শব্দ) বোঝাবেন। আমি পতিত-পাবন। তোমরা আমাকে স্মরণ করতে থাকো তবেই তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে। ব্যস, স্মরণের জন্য কোন ডায়রেক্শন দেওয়া হয় কী ! বাবাকে স্মরণ করতে হবে, কোনো ক্রন্দন বা চিৎকার-চেঁচামেচি করতে হবে না। মনে-মনে শুধু অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করতে হবে। দ্বিতীয় ডায়রেক্শন কী দেন? ৮৪- চক্রকে স্মরণ কর কারণ তোমাদেরকে দেবতা হতে হবে, দেবতাদের মহিমা তো তোমরা আধাকল্প-ব্যাপী করেছ।



(বাচ্চার কান্নার আওয়াজ হল) এখন এই ডায়রেক্শন সমস্ত সেন্টারের নিমিত্তদের দেওয়া হচ্ছে যে কেউ-ই যেন ছোট বাচ্চাদের নিয়ে না আসে। তাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করতে হবে। বাবার থেকে যারা আশীর্ব্বাদ নেবে তারা নিজেরাই সেই ব্যবস্থা করবে। এ হলো আত্মাদের পিতার বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে ছোট বাচ্চাদের আসার প্রয়োজন নেই। ব্রাহ্মণীর কাজ হলো, যখন সার্ভিসেবেল, আর উপযুক্ত হবে তখন তাদের রিফ্রেশ করার জন্য নিয়ে আসা। তা সে বিশিষ্ট ব্যক্তিই হোক বা সাধারণ, এ হলো বিশ্ববিদ্যালয়। বাচ্চাদের এখানে যারা নিয়ে আসে তারা কি জানে না যে এ হলো ইউনিভার্সিটি। মুখ্য কথা হলো -- এটি একটি বিশ্ব-বিদ্যালয়। এখানে যারা পঠন-পাঠন করে তাদের অনেক ভালো আর সমঝদার হওয়া উচিৎ। যারা এখনও কাঁচা তারা এখানে অসুবিধার সৃষ্টি করবে কারণ তারা বাবার স্মরণে থাকবে না তাই বুদ্ধি এদিকে-ওদিকে ঘুরে বেড়াবে। ক্ষতি করে দেবে। স্মরণের যাত্রায় থাকতে পারবে না। যারা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আসবে তাতে বাচ্চাদের-ই ক্ষতি(অসুবিধা) হবে। অনেকে তো জানেই না যে এ হলো গড ফাদারলী ইউনিভার্সিটি, এখানেই মনুষ্য থেকে দেবতা হতে হয়। বাবা বলেন, গৃহস্থ ব্যবহারে অবশ্যই বাচ্চাদের সঙ্গে থাকো, এখানে তো শুধু এক সপ্তাহ বা ৩-৪ দিনই যথেষ্ট। জ্ঞান তো অতি সহজ। বাবাকে চিনতে হবে। অসীম জগতের পিতাকে জানলে অবিনাশী উত্তরাধিকার (বর্সা) পাবে। কিসের উত্তরাধিকার ? অসীম জগতের রাজ্য-ভাগ্য(বাদশাহী)। এরকম মনে কোরো না যে, প্রদর্শনী বা মিউজিয়ামে কোন সেবা হয় না। অসংখ্য, অগণিত প্রজা তৈরী হয়। ব্রাহ্মণ কুল, সূর্যবংশী আর চন্দ্রবংশী -- এই তিন-ই(ধর্ম) এখানেই স্থাপিত হচ্ছে। তাই এ হলো অনেক বড় বিশ্ববিদ্যালয়। অসীম জগতের পিতা এখানে পড়ান। তাই মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ ভরপুর হয়ে যাওয়া উচিৎ। কিন্তু বাবা আসেন সাধারণ শরীরে। আর পড়ানও সাধারণ রীতি অনুযায়ী, তাই মানুষের তা পছন্দ হয় না। (তারা বলে) গড ফাদারলী ইউনিভার্সিটি আর এইরকম! বাবা বলেন, আমি তো দীনদয়াল(গরীব নিয়াজ)। দরিদ্রদের-কেই পড়াই। বিত্তবানদের পড়বার হিম্মত নেই। তাদের বুদ্ধিতে তো গাড়ি বাড়ি ইত্যাদিই থাকে। দরিদ্ররাই ধনবান হয়, আর ধনবান দরিদ্র -- এটাই রীতি । দান কি কখনও ধনবানদের দেওয়া হয় ? এও অবিনাশী জ্ঞান-রত্নের দান। ধনবান দান নিতে পারবে না। বুদ্ধিতে সঠিকভাবে বসবে না। তারা নিজেদের উপার্জিত পার্থিব জগতের ধন-দৌলতের মধ্যেই ডুবে(আবদ্ধ) থাকবে। তাদের কাছে তো এটাই স্বর্গ। তারা বলে যে, আমাদের অন্যরকম স্বর্গের প্রয়োজন নেই। কোন গণ্যমান্য ব্যক্তি মারা গেলে বলে স্বর্গবাসী হয়েছে। নিজেরাই বলে যে, উনি স্বর্গে গেছেন। তাহলে তো এখন এ হলো নরক, তাই না। কিন্তু এতটাই প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন যে বুঝতে পারে না --- নরক কি ? এ হলো তোমাদের কত বড় ইউনিভার্সিটি। বাবা বলেন, যাদের বুদ্ধির তালা বন্ধ হয়ে গেছে, তাদেরকেই এসে পড়াই। বাবা যখন আসে তখন(বুদ্ধির) তালা খোলে। বাবা নিজেই ডায়রেক্শন দেন -- তোমাদের বুদ্ধির তালা কিভাবে খুলবে? বাবার কাছ থেকে কিছুই ভিক্ষা কর না, এতে দৃঢ় বিশ্বাস চাই। বাবাই মোস্ট বিলাভেড(প্রিয়তম), যাঁকে ভক্তিতে স্মরণ করতে। যাকে স্মরণ করা হয় সে তো অবশ্যই কখনো আসবে, তাই না। স্মরণ করাই হয় পুনরাবৃত্তির জন্য। বাবা এসে শুধু তোমাদেরই বোঝান। বাচ্চাদের আবার বাইরের লোকেদের বোঝাতে হবে যে বাবা কিভাবে এসেছেন। (বাবা) কি করেন ? বাচ্চারা, তোমরা সকলেই পতিত, আমিই এসে পবিত্র বানাই। আত্মারা অর্থাৎ তোমরা যারা পতিত হয়ে গেছো, এখন শুধু আমাকে অর্থাৎ পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ কর, পরমাত্মাকে অর্থাৎ আমাকে স্মরণ কর। এতে কিছুই চাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভক্তিমার্গে আধাকল্প তোমরা শুধু চেয়েই গেছো, পাও নি কিছুই। এখন ভিক্ষা করা বন্ধ কর। আমি নিজে থেকেই তোমাদের দিয়ে থাকি। বাবা-র (বাচ্চা) হলে অবিনাশী উত্তরাধিকার তো পেয়েই যাবে। যারা সাবালক(বড়) বাচ্চা, তারা শীঘ্রই বাবাকে চিনে নিতে পারে। বাবার উত্তরাধিকার-ই হলো স্বর্গের বাদশাহী(রাজত্ব) -- ২১ জন্মের। এ তো তোমরা জানো -- যখন নরকবাসী হয় তখন ঈশ্বরের নামে কিছু দান-পুণ্য করলে অল্পকালের জন্য সুখ পাওয়া যায়। মানুষ তো চ্যারিটিও করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরাই চ্যারিটি করে। তাই যারা ব্যবসায়ী তারা বলবে যে আমরা বাবার সঙ্গে ব্যবসা করতে এসেছি। বাচ্চারা বাবার সঙ্গে ব্যবসাই তো করে, তাই না। (লৌকিক) বাবার সম্পত্তি নিয়ে তার থেকেই আবার শ্রাদ্ধ ইত্যাদি খাওয়ায়, দান-পুণ্য করে। ধর্মশালা, মন্দির ইত্যাদি তৈরী করে তাতে বাবার নাম লিখে দেয় কারণ যার কাছ থেকে ধন-সম্পদ প্রাপ্ত হয় তারজন্য তো অবশ্যই কিছু করা উচিৎ। এও হলো একধরণের ব্যবসা। ওইসব হলো লৌকিক বিষয়। এখন বাবা বলেন, অতীতকে চিন্তনে এনো না। উল্টোপাল্টা কোন কথা শুনো না। কেউ যদি উল্টোপাল্টা কোন প্রশ্ন করে তখন বলো -- এই কথায় যাওয়ার দরকার নেই। তোমরা প্রথমে বাবাকে স্মরণ কর, ভারতের প্রাচীন রাজযোগ বিখ্যাত। যত স্মরণে থাকবে, দৈবী-গুণ ধারণ করবে, ততই উচ্চপদ লাভ করবে। এ হলো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে লক্ষ্যও(এইম অবজেক্ট) পরিস্কার। পুরুষার্থ করে এমন হতে হবে। দৈবী-গুণ ধারণ করতে হবে। কাউকে কোনো ভাবেই দুঃখ দেবে না। দুঃখহরণকারী, সুখপ্রদানকারী পিতার সন্তান তোমরা, তাই না। সে তো সার্ভিসেই বোঝা যাবে। অনেক নতুন-নতুনও আসে যারা ২৫-৩০ বছর ধরে(জ্ঞানে) চলছে তাদের থেকে ১০-১২ দিনের বাচ্চারা তীক্ষ্ণ হয়ে যায়। বাচ্চারা, তোমাদের তো সকলকে নিজেদের সমান বানাতে হবে। ব্রাহ্মণ না হলে দেবতা হবে কিভাবে। গ্রেট গ্রেট গ্রান্ড ফাদার তো ব্রহ্মা, তাই না। যারা এখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছে তাদেরকেই স্মরণ করা হয়, তারা পুনরায় অবশ্যই আসবে। যেসমস্ত উৎসব ইত্যাদি স্মরণ করা হয়, তা সব একসময় এখানে হতো, আর তা পুনরায় হবে। এইসময়েই সব উৎসব পালিত হচ্ছে --- রাখী(রক্ষা)বন্ধন ইত্যাদি.... এসবের রহস্য বাবা এখন বোঝাতে থাকেন। তোমরা হলে বাবার বাচ্চা তাই তোমাদেরকে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। পতিত-পাবন পিতাকে আহ্বান করে তখন বাবাও পথ বলে দেন। প্রতি কল্পে যে যেমন উত্তরাধিকার নিয়েছে, নির্দিষ্টভাবে (অ্যাকুরেট) তেমনই চলতে থাকে। তোমরাও সাক্ষী হয়ে দেখো। বাপদাদাও সাক্ষী হয়ে দেখে -- এরা কতটা উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারে? এদের চরিত্র(ক্যারেক্টর্স) কেমন ? টীচার তো সবই জানে, তাই না -- কতজনকে নিজের মত তৈরী করে, কতটা সময় স্মরণের যাত্রায় থাকে? প্রথমে তো বুদ্ধিতেই একথা স্মরণে রাখা উচিৎ যে এ হলো গড ফাদারলী ইউনিভার্সিটি। এই ইউনিভার্সিটি হলই জ্ঞানের জন্য। ওটা হলো পার্থিব জগতের(হদের) বিশ্ববিদ্যালয়, আর এ হলো অসীম জগতের। একমাত্র বাবাই দুর্গতি থেকে সদ্গতি, হেল(নরক) থেকে হেভেন(স্বর্গ) তৈরী করেন। বাবার দৃষ্টি কিন্তু সর্ব আত্মাদের দিকেই যায়। সকলেরই কল্যাণ করতে হবে। (সকলকে) ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শুধু তোমাদেরই নয় বরং সমগ্র দুনিয়ার আত্মাদের-কেই (তিনি) স্মরণ করে থাকেন। আর তারমধ্যে পড়ান শুধু বাচ্চাদের। এও বোঝ, যে যেমন নম্বরের ক্রমানুসারে আসে সে যাবেও পুনরায় সেইভাবেই। সব আত্মারা নম্বরের ক্রমানুসারে আসে। তোমরাও নম্বরের ক্রমানুসারে কিভাবে যাবে -- সেইসব বোঝান হয়। কল্প-পূর্বে যা হয়ে গেছে তাই-ই রিপীট হবে। আবার এও তোমাদের বোঝান হয় -- তোমরা আবার কিভাবে নতুন দুনিয়ায় আসবে। নম্বরের ক্রমানুসারে যারা নতুন দুনিয়ায় আসে, তাদেরকেই বোঝান হয়।



বাচ্চারা, তোমরা বাবাকে জেনে যাওয়ার ফলে, নিজের ধর্মকে এবং সর্ব ধর্মের সম্পূর্ণ(সৃষ্টি-রূপী) বৃক্ষকে জেনে যাও। এরমধ্যে কিছু চাওয়ার প্রয়োজন নেই, আশীর্বাদেরও প্রয়োজন নেই। তারা তো লেখে যে, বাবা দয়া কর, কৃপা কর। বাবা তো কিছুই করবে না। বাবা তো এসেছেনই পথ বলে দিতে। ড্রামায় আমার ভুমিকাই হলো সকলকে পবিত্র করা। তেমন ভুমিকাই পালন করি যেমন প্রতিকল্পে করে এসেছি। যা অতীত হয়ে গেছে, ভাল বা মন্দ, তা ড্রামায় নির্ধারিত ছিল। কোন বিষয়ে চিন্তা কর না। আমরা সদা এগিয়ে যেতেই থাকি। এ হলো অসীম জগতের নাটক, তাই না। পুরো চক্র সম্পূর্ণ হয়ে পুনরায় রিপীট হবে। যে যেমন পুরুষার্থ করে, তেমনই পদ পায়। চাওয়ার কোন দরকার নেই। ভক্তিমার্গে তোমরা অনেক ভিক্ষা করেছো। সব পয়সা নিঃশেষ করে ফেলেছ। এসবই ড্রামায় নির্ধারিত। ওরা শুধু বোঝায়। আধাকল্প ভক্তি করতে, শাস্ত্র পড়তে কত ব্যয় হয়ে যায়। এখন তো তোমাদের কিছুই খরচ করার দরকার নেই। বাবা তো দাতা, তাই না। দাতার তো কিছুই দরকার নেই। তিনি তো এসেছেনই দেওয়ার জন্য। এমন মনে কর না যে, আমরা শিববাবাকে দিচ্ছি। আরে, শিববাবার থেকে তো অনেক অনেক পাওয়া যায়। তোমরা এখানে নিতে এসেছ, তাই না। শিক্ষকের কাছে স্টুডেন্ট নেওয়ারও জন্য আসে। লৌকিক পিতা, শিক্ষক, গুরুর থেকে যা পেয়েছ তাতে তোমাদের ক্ষতিই হয়েছে। এখন বাচ্চাদের শ্রীমতে চলতে হবে তবেই উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে। শিববাবা হলেন ডবল শ্রী-শ্রী, তোমরা হও সিঙ্গেল শ্রী। শ্রী লক্ষ্মী, শ্রী নারায়ণ বলা হয়। শ্রী লক্ষ্মী, শ্রী নারায়ণ হলো দুইজন। বিষ্ণুকে শ্রী-শ্রী বলা হবে কারণ দুজনেই একত্রিত (কম্বাইন্ড)। তথাপি এঁদের দুজনকে তৈরী করেন কে ? তিনি একজনই, শ্রী-শ্রী। এছাড়া আর কেউ শ্রী-শ্রী হয় না। আজকাল তো শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণ, শ্রী সীতা-রামও নাম রেখে দেয়। তাই বাচ্চাদেরকে এসব ধারণ করে খুশীতে থাকতে হবে।



আজকাল স্পীরিচুয়্যাল কনফারেন্সও অনেক হয়ে থাকে। কিন্তু স্পীরিচুয়্যালের অর্থ বোঝে না। আত্মিক জ্ঞান তো এক বাবা ব্যতীত আর কেউই দিতে পারে না। বাবা হলেন সব আত্মাদের পিতা। তাঁকেই স্পীরিচুয়্যাল বলা হয়। (অজ্ঞানী) ওরা বলে দর্শন হলো স্পীরিচুয়্যাল( অধ্যাত্ম)। এ তো তোমরা বোঝ যে --- এ হলো জঙ্গল, সকলেই একে-অপরকে দুঃখ দিয়ে থাকে। তোমরা জানো, অহিংসা পরম দেবী-দেবতা ধর্মকে স্মরণ করা হয়। ওখানে কোন মারামারি হয় না। রাগও হলো হিংসা, একে সেমী-হিংসাই বল বা আর যা কিছু বল। এখানে তো সম্পূর্ণ অহিংস হতে হবে। মন্সা, বাচা(বাণী), কর্ম কোনো কিছুতেই খারাপ কথা আসা উচিৎ নয়। কেউ যদি পুলিশ ইত্যাদিতে কাজ করে সেখানেও যুক্তি-যুক্তভাবে কার্যসম্পন্ন করতে হবে। যতখানি সম্ভব স্নেহ-পূর্বক কার্যসম্পন্ন করা উচিৎ। বাবার তো নিজস্ব অনুভব রয়েছে, স্নেহের দ্বারা নিজ কার্য সম্পন্ন করে নেন, এতেও অনেক যুক্তি চাই। কাউকে অতি প্রেম-পূর্বক বোঝাতে হবে যে ---- কিভাবে (পাপ)একটির জন্য শতগুণ দন্ডভোগ করতে হয়। *আচ্ছা*!



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ ও সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. আমরা হলাম দুঃখহরণকারী, সুখপ্রদানকারী পিতার সন্তান, তাই কাউকে দুঃখ দেবে না। লক্ষ্যকে (এইম অবজেক্ট) সম্মুখে রেখে দৈবী-গুণ ধারণ করতে হবে। নিজের সমান তৈরী করার সেবা করতে হবে।

২. ড্রামার প্রতিটি অংশকে জেনে নিয়ে কোন অতীতের বিষয়ে যেন চিন্তন না করা হয়। মন্সা, বাচা (বাণী), কর্ম দ্বারা যেন কোন খারাপ কার্য না হয় -- এই বিষয়ে সচেতন হয়ে ডবল অহিংসক হতে হবে।

বরদান:-

চারটি বিষয়েই বাবার মনের মতো (দিলপসন্দ) মার্কস প্রাপ্তকারী হৃদয়সিংহাসনের অধিকারী ভব

যে বাচ্চারা চারটি বিষয়েই ভাল নম্বর প্রাপ্ত করে, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভাল নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয় তাদেরকেই পাশ- উইথ- অনার বলা হয়। মাঝে-মাঝে নম্বর কম হলো আবার মেক-আপ(ঠিক করা) করে নিলাম এমন নয়, বরং সব বিষয়েই যে বাবার মনের মতন হয়, সে-ই হৃদয়সিংহাসনের অধিকারী হয়। এর সাথে ব্রাহ্মণ পরিবারের সকলের প্রিয়, সকলের সহযোগী, সকলের সম্মান প্রাপ্তকারীই হৃদয়সিংহাসন তথা রাজ্য-সিংহাসনের অধিকারী হয়।

স্লোগান:-

দয়িতা (দিলরুবা) সে-ই, যার হৃদয়ে সর্বদা এই অনন্ত সংগীত বাজে যে আমি বাবার, বাবা আমার ।