13.12.2019 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- প্রকৃত সত্য উপার্জন করার পুরুষার্থ সর্বপ্রথমে নিজে করো, তারপরে নিজের আত্মীয় স্বজনদেরও করাও, চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম"

প্রশ্নঃ -
সুখ বা শান্তি প্রাপ্ত করার বিধি কি ?

উত্তরঃ -
পবিত্রতা। যেখানে পবিত্রতা আছে সেখানে সুখ-শান্তি আছে। বাবা পবিত্র দুনিয়া সত্যযুগের স্থাপনা করেন। সেখানে বিকার থাকে না। যারা দেবতাদের পূজারী, তারা কখনও এমন প্রশ্ন করতে পারে না যে, বিকার ব্যতীত দুনিয়া চলবে কিভাবে ? এখন তোমাদের শান্তির দুনিয়ায় যেতে হবে, তাই এই পতিত দুনিয়াকে ভুলতে হবে। শান্তিধাম ও সুখধামকে স্মরণ করতে হবে ।

ওম্ শান্তি ।
ওম্ শান্তির অর্থ তো বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে। শিববাবাও ওম্ শান্তি বলতে পারেন তো শালিগ্রাম বাচ্চারাও বলতে পারে। আত্মা বলে ওম্ শান্তি। সান অফ সাইলেন্স ফাদার। শান্তির জন্য জঙ্গলে গিয়ে উপায় সন্ধান করতে হয় না। আত্মা তো হলোই সাইলেন্স। এরপরে আর কি উপায় করবে ? এই কথা বাবা বসে বোঝান। সেই পিতাকেই বলা হয়, সেখানে নিয়ে চলো যেখানে সুখ শান্তি প্রাপ্ত হবে। শান্তি বা সুখ সব মানুষই চেয়ে থাকে। *কিন্তু সুখ ও শান্তির পূর্বে চাই পবিত্রতা*। পবিত্রকে পাবন, অপবিত্র কে পতিত বলা হয়। পতিত দুনিয়ার মানুষ ডাকতে থাকে যে এসে আমাদের পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে চলো। তিনি হলেন পতিত দুনিয়া থেকে উদ্ধার করে পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পথ প্রদর্শক। সত্যযুগে পবিত্রতা থাকে, কলিযুগে থাকে অপবিত্রতা। ওটা হল ভাইসলেস (পাপ রহিত/নিষ্পাপ) দুনিয়া আর এটা হল ভিশাস (পাপ পূর্ণ) দুনিয়া। এই কথা তো বাচ্চারা জানে দুনিয়া বৃদ্ধি হতেই থাকে। সত্যযুগ হল ভাইসলেস দুনিয়া তো অবশ্যই মানুষ কম থাকবে। সেই কম সংখ্যায় কারা থাকবে ? যথাযথভাবে সত্যযুগে দেবী-দেবতাদের রাজত্বই থাকে, যাকে সুখের দুনিয়া অথবা সুখধাম বলা হয়। এই হল দুঃখ ধাম। দুঃখধাম কে সুখধামে পরিণত করেন একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা। সুখের উত্তরাধিকার বা বর্সা অবশ্যই বাবা-ই দেবেন। এখন সেই পিতা নিজে বলছেন দুঃখধাম কে ভুলে যাও, শান্তিধাম এবং সুখধামকে স্মরণ করো, একেই "মন্মনাভব" বলা হয়। বাবা এসে বাচ্চাদেরকে সুখধামের সাক্ষাৎকার করান। দুঃখধামের বিনাশ করিয়ে শান্তিধাম নিয়ে যান। এই চক্রটি বুঝতে হবে। ৮৪ জন্ম নিতে হয়। যারা প্রথমে সুখধামে আসে, তাদের হয় ৮৪ জন্ম । শুধুমাত্র এই কথাটুকু স্মরণ করলেও বাচ্চারা সুখধামের মালিক হতে পারবে।

বাবা বলেন - বাচ্চারা, শান্তিধামকে স্মরণ করো এবং পরে বর্সা অর্থাৎ সুখধামকে স্মরণ করো। সর্বপ্রথম তোমরা শান্তিধামে যাও, তাই নিজেদেরকে শান্তিধাম, ব্রহ্মাণ্ডের মালিক নিশ্চয় করো। চলতে-ফিরতে নিজেদের সেখানকার বাসিন্দা নিশ্চয় (দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস) করলে এই দুনিয়ার কথা ভুলে যাবে। সত্যযুগ হল সুখধাম কিন্তু সবাই তো সত্যযুগে আসতে পারবে না। এইসব কথা সে-ই বুঝবে যে দেবতার পূজারী হবে। এই হল প্রকৃত উপার্জন, যা সত্য পিতা শেখান। বাকি সবই হল মিথ্যা উপার্জন। অবিনাশী জ্ঞান রত্নের উপার্জনকেই প্রকৃত সত্য উপার্জন বলা হয়। বাকি বিনাশী ধন- সম্পদ সবই হল মিথ্যা উপার্জন। দ্বাপর থেকে মিথ্যা উপার্জন করে এসেছ। এই অবিনাশী প্রকৃত সত্য উপার্জনের প্রালব্ধ সত্যযুগ থেকে শুরু হয়ে ত্রেতায় পূর্ণ হয় অর্থাৎ অর্ধকল্প ভোগ কর। তারপরে শুরু হয় মিথ্যা উপার্জন, যার দ্বারা অল্পকাল ক্ষণ ভঙ্গুর সুখের প্রাপ্তি হয়। এই অবিনাশী জ্ঞান রত্ন, জ্ঞান সাগর-ই প্রদান করেন। সত্য উপার্জন সত্য পিতা-ই করান। ভারত সত্যখন্ড ছিল, ভারত-ই এখন মিথ্যাখন্ড হয়েছে। অন্য খন্ড গুলিকে সত্যখন্ড, মিথ্যাখন্ড বলা হয় না। সত্যখন্ড নির্মাণ করেন তিনি বাদশাহ, তিনি সত্য। সত্য হলেন একমাত্র গড ফাদার, বাকিরা হলেন মিথ্যা ফাদার। সত্যযুগেও সত্য ফাদার থাকেন কারণ সেখানে মিথ্যা পাপ কিছুই হয় না। এ হল পাপ আত্মাদের দুনিয়া, ওই হল পুণ্য আত্মাদের দুনিয়া। অতএব এখন এই সত্য উপার্জন করার জন্য কত পুরুষার্থ করা উচিত। যারা কল্প পূর্বে উপার্জন করেছিল, তারা-ই করবে। প্রথমে নিজে সত্য উপার্জন করে তারপরে পিতৃকুল এবং শ্বশুর কুলেও এই সত্য উপার্জন করাতে হবে। চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম।

সর্বব্যাপীর জ্ঞান নিয়ে ভক্তি করা অসম্ভব। যখন সবাই ভগবানের রূপে তখন ভক্তি কার করবে ? তো এই পাঁক থেকে উদ্ধার করার পরিশ্রম করতে হয়। সন্ন্যাসীরা চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম করবে কীভাবে ? প্রথমে তো তারা রূর্বাশ্রমের কথা বলতেই চায় না। বলো, কেন বলো না ? জানা তো উচিত, তাইনা। বললে কি হবে, অমুক ঘরের ছিল, পরে সন্ন্যাস ধারণ করেছ ! আর বাচ্চারা, তোমাদের জিজ্ঞাসা করলে, তোমরা তো চট করেই বলতে পারো। সন্ন্যাসীদের অনেক ফলোয়ার্স থাকে। তারা যদি বসে বলে যে ভগবান এক, তবে তো সবাই তাদের জিজ্ঞাসা করবে, কে তোমাকে এই জ্ঞান দিয়েছে ? যদি বলে বি.কে -রা দিয়েছে, তাহলে তো তাদের পুরো ব্যবসা শেষ হয়ে যাবে। এইভাবে কে নিজের সম্মান খোয়াবে ? তখন কেউ ভোজন দান করবে না। তাই সন্ন্যাসীদের বলার অসুবিধা আছে। সবচেয়ে প্রথমে তো নিজের আত্মীয়-স্বজন ইত্যাদিকে জ্ঞান দিয়ে সত্য উপার্জন করতে হবে যাতে তারাও ২১ জন্মের সুখ প্রাপ্ত করে। কথা তো খুব সহজ। কিন্তু ড্রামায় এত শাস্ত্র মন্দির ইত্যাদি থাকাটাও পূর্ব নির্দিষ্ট আছে।

পতিত দুনিয়ার মানুষ বলে পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে চলো। সত্যযুগ পার হয়ে গেছে ৫ হাজার বছর হয়েছে। তারা তো কলিযুগের আয়ু লক্ষ বছর বলে দিয়েছে তাহলে পরে মানুষ বুঝবে কীভাবে যে সুখধাম কোথায় ? কবে হবে ? তারা তো বলে, মহাপ্রলয় হয়, তারপরে সত্যযুগ হয়। সর্বপ্রথমে শ্রীকৃষ্ণ শিশু রূপে পায়ের আঙ্গুল মুখে নিয়ে অশ্বত্থ গাছের পাতায় আসেন। তারা কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে গেছে! এখন বাবা বলেন ব্রহ্মা দ্বারা আমি সব বেদ-শাস্ত্রের সার তত্ত্ব বলি তাই বিষ্ণুর নাভি-কমল থেকে ব্রহ্মা দেখানো হয়েছে এবং তারপরে হাতে শাস্ত্র দিয়ে দিয়েছে। এবারে ব্রহ্মা তো নিশ্চয়ই এখানে থাকবেন। সূক্ষ্মবতনে তো শাস্ত্র থাকবে না, তাইনা। ব্রহ্মা এখানেই থাকা উচিত। বিষ্ণু, লক্ষ্মী -নারায়ণের রূপও তো এখানেই হয়। যিনি ব্রহ্মা, তিনিই বিষ্ণু হন, তারপরে বিষ্ণু আবার পরে ব্রহ্মা হন। এবারে ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণুর উদয় হয় নাকি বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মার - এইসব বুঝবার বিষয় । কিন্তু এই কথাগুলো বুঝবে সে যে ভালো ভাবে পঠন-পাঠন করবে। বাবা বলেন, যতক্ষণ না তোমাদের দেহ ত্যাগ হচ্ছে ততক্ষণ বুঝতেই থাকবে। তোমরা একেবারে ১০০% বোধহীন, কাঙাল হয়ে গেছো। তোমরা-ই বুদ্ধিমান দেবী-দেবতা ছিলে, এখন পুনরায় দেবী-দেবতায় পরিণত হচ্ছ। মানুষ তো তা বানাতে পারে না। তোমরা সেই দেবতা ছিলে, তারপরে ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে একদম কলাহীন হয়ে পড়েছ। তোমরা সুখধামে খুব সুখে শান্তিতে ছিলে, এখন অশান্তিতে আছো। তোমরা ৮৪ জন্মের হিসেব বলে দিতে পারো। ইসলাম, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, মঠ, পথ, পন্থ সব কত জন্ম নেবে ? এই হিসেব করা তো সহজ। স্বর্গের মালিক তো ভারতবাসী-ই হবে। বৃক্ষের চারা রোপণ হচ্ছে, তাইনা। এ হল বোঝানোর বিষয় । নিজে বুঝলে তো প্রথমে নিজের মাতা-পিতা, ভাই-বোনদের জ্ঞান দিতে হবে। গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের মতন থাকতে হবে। তারপরে চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম। পিতৃকুল, শ্বশুর কুলে নলেজ দিতে হবে। ব্যবসা ইত্যাদিতে সবচেয়ে প্রথমে নিজের ভাইদের ভাগ-ই নিযুক্ত করা হয়। এখানেও ঠিক সেইরকম । গায়নও আছে সেই কন্যাই শ্রেষ্ঠ, যে পিতৃকুল ও শ্বশুর কুলের উদ্ধার করে। অপবিত্র রা উদ্ধার করতে পারে না। তবে কোন্ কন্যা ? এই ব্রহ্মার কন্যা, ব্রহ্মাকুমারী আছে না। এখানে (মাউন্ট আবুতে) কুমারী ও অধর কুমারীদের মন্দির আছে, তাই না। এখানে তোমাদের স্মৃতিচিহ্ন তৈরি হয়ে আছে। আমরা আবার এসেছি ভারতকে স্বর্গে পরিণত করতে। এই দিলওয়াড়া মন্দির সঠিকভাবে তৈরি হয়েছে, উপরে স্বর্গ দেখানো হয়েছে। কিন্তু স্বর্গ তো আছে এখানেই। রাজযোগের তপস্যাও এখানেই হয়। যাদের মন্দির, তাদের তো এই কথা জানা উচিত, তাই না ! এখানে ভিতরে জগৎপিতা জগদম্বা, আদি দেব, আদি দেবী বসে আছেন। আচ্ছা, আদি দেব কার সন্তান ? শিববাবার । কুমারী কন্যা, অধর কুমারী সবাই রাজযোগে বসে আছে। বাবা বলেন "মন্মনাভব", তাহলে তোমরা বৈকুণ্ঠের মালিক হবে। মুক্তি, জীবনমুক্তিধামকে স্মরণ করো। এটাই হল তোমাদের সন্ন্যাস। জৈন ধর্মের মানুষের সন্ন্যাস প্রক্রিয়া খুব কঠিন। মাথার চুল একটা একটা করে চুল টেনে ছিঁড়ে তোলার (যা কিনা ভীষণই বেদনাদায়ক) কঠোর নিয়ম আছে। এখানে তো হলই সহজ রাজযোগ। এটা হল প্রবৃত্তি মার্গ। এও ড্রামায় নির্দিষ্ট আছে। কোনও জৈন মুনি বসে নিজের নতুন ধর্ম স্থাপন করেন কিন্তু তাকে তো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম তো বলা হবে না, তাইনা। সেটা তো এখন প্রায় লুপ্ত আছে (আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম) । কেউ জৈন ধর্ম প্রচার করেছে আর সেই ধর্ম চলেছে। এও ড্রামায় আছে। আদি দেবকে পিতা এবং জগৎ অম্বাকে মাতা বলা হবে। এই কথা তো সবাই জানে যে আদি দেব হলেন ব্রহ্মা। আদম - বিবি, অ্যাডম - ইভও বলা হয়। খ্রিস্টানরা জানে না যে অ্যাডম - ইভ এখন তপস্যা করছেন। মনুষ্য সৃষ্টির বংশলতিকার এরাই হলেন হেড। এই রহস্য বাবা বসে বোঝান। শিবের এত মন্দির আছে বা লক্ষ্মী নারায়ণের মন্দির আছে, তো তাঁদের জীবনকাহিনী জানা উচিত, তাইনা! এই কথাও জ্ঞান সাগর বাবা বসে বোঝান। পরমপিতা পরমাত্মাকেই নলেজফুল জ্ঞানের সাগর, আনন্দের সাগর বলা হয়। পরমাত্মার মহিমা কোনও সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদি জানে না। তারা তো বলে পরমাত্মা হলেন সর্বব্যাপী, তাহলে মহিমা করা হবে কার ? পরমাত্মাকে না জানার দরুন নিজেদেরকে শিবোহম্ বলে দেয়। তা নাহলে পরমাত্মার মহিমা কত বিশাল। তিনি তো হলেন মনুষ্য সৃষ্টির বীজ রূপ। মুসলমান রাও বলে খোদা আমাদের জন্ম দিয়েছেন, সুতরাং আমরা হলাম তাঁরই রচনা। এক রচনা আরেক রচনা কে বর্সা প্রদান করতে পারে না। ক্রিয়েশন, ক্রিয়েটরের কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে, এই কথা কেউ বুঝতে পারে না। তিনি হলেন বীজরূপ, সত্য, চৈতন্য, সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান তাঁর আছে। বীজ ব্যতীত আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান কোনও মানুষ মাত্রের হতে পারে না। বীজ চৈতন্য তো নলেজও অবশ্যই তাঁর মধ্যে হবে। তিনি-ই এসে তোমাদের সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান প্রদান করেন। এইরূপ বোর্ডও লাগিয়ে দেওয়া উচিত যে, এই চক্রকে জানলে তোমরা সত্যযুগের চক্রবর্তী রাজা বা স্বর্গের রাজা হবে। কতখানি সহজ এই কথা। বাবা বলেন, যত দিন বাঁচবে, ততদিন আমাকে স্মরণ করতে হবে। আমি নিজে তোমাদের এই বশীভূত করার মন্ত্র প্রদান করি। এখন তোমাদের স্মরণ করতে হবে বাবাকে। স্মরণের দ্বারা-ই বিকর্ম বিনাশ হবে। এই স্ব দর্শন চক্র ঘুরলেই মায়ার মাথা কাটা যাবে। আমি তোমাদের আত্মাকে পবিত্র করে ফিরিয়ে নিয়ে যাব তারপরে তোমরা সতোপ্রধান শরীর ধারণ করবে। সেখানে বিকার থাকে না। তারা বলে বিকার না থাকলে সৃষ্টি চলবে কিভাবে ? তাদের বলো, তোমরা বোধহয় দেবতাদের পূজারী নও। লক্ষ্মী-নারায়ণের মহিমা বর্ণনা করা হয় সম্পূর্ণ নির্বিকারী। জগদম্বা, জগৎপিতা হলেন নির্বিকারী, রাজযোগের তপস্যা করে পতিত থেকে পবিত্র, স্বর্গের মালিক হয়েছেন। তপস্যা করা-ই হয় পুণ্য আত্মায় পরিণত হওয়ার জন্য। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই পুরানো দুনিয়াকে বুদ্ধি দ্বারা ভুলে যেতে চলতে-ফিরতে নিজেকে শান্তিধামের বাসিন্দা ভাবতে হবে। শান্তিধাম ও সুখধামকে স্মরণ করে প্রকৃত সত্য উপার্জন করতে হবে এবং অন্যদেরও করাতে হবে।

২ ) রাজযোগের তপস্যা করে নিজেকে পুণ্য আত্মায় পরিণত করতে হবে। মায়ার গলা কাটতে স্বদর্শন চক্র যেন সদা চলায়মান থাকে।

বরদান:-
শান্তির শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিটি কাজে সহজে সফলতা প্রাপ্তকারী প্রয়োগী আত্মা ভব

ব্যাখ্যা : এখন বর্তমান সময়ের পরিবর্তন প্রমাণ অনুযায়ী শান্তির শক্তির সাধন প্রয়োগ করে প্রয়োগী আত্মা হও। যেমন বাণী দ্বারা আত্মাদের অন্তরে স্নেহের সহযোগের ভাবনা উৎপন্ন করো তেমনই শুভ ভাবনা, স্নেহের ভাবনার স্থিতিতে স্থির থেকে তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভাবনা উৎপন্ন করো। যেমন প্রদীপ, আরেকটি প্রদীপ জ্বালায়, তেমনভাবে তোমাদের শক্তিশালী শুভ ভাবনা অন্যদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাবনা উৎপন্ন করবে। এই শক্তি দ্বারা স্থূল কাজেও খুব সহজেই সফলতা প্রাপ্ত করতে পারবে, শুধুমাত্র প্রয়োগ করে দেখো।
 

স্লোগান:-
সর্বজনের প্রিয় হতে প্রস্ফুটিত রূহানী গোলাপ হও, নিস্তেজ হয়ো না ।