১৭-০৬-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হও যে, আমি আত্মা, আত্মা মনে করে প্রতিটা কাজ শুরু করো তাহলে বাবা স্মরণে আসবে, তখন পাপ হবে না"
প্রশ্ন:-
কর্মাতীত স্থিতিকে প্রাপ্ত করার জন্য কোন্ পরিশ্রম প্রত্যেককেই করতে হবে ? কর্মাতীত স্থিতির নৈকট্যের নিদর্শন কি ?
উত্তর:-
কর্মাতীত হওয়ার জন্য স্মরণের শক্তির দ্বারা নিজের কর্মেন্দ্রিয়কে বশে করার পরিশ্রম করো । এই অভ্যাস করো যে, আমি নিরাকার আত্মা, নিরাকার বাবার সন্তান । সব কর্মেন্দ্রিয় নিরাকারী হয়ে যাবে - এই হলো জবরদস্ত পরিশ্রম । কর্মাতীত অবস্থার যত নিকটে আসতে থাকবে, ততই অঙ্গ - অঙ্গ শীতল, সুগন্ধিত হতে থাকবে । তার থেকে বিকারী দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে । অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব হতে থাকবে ।
ওম শান্তি ।
শিব ভগবান উবাচঃ । এ তো বাচ্চারা বলবে না যে কার প্রতি । বাচ্চারা তো জানেই - শিববাবা হলেন জ্ঞানের সাগর । তিনি মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ । তাহলে অবশ্যই তিনি আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন । বাচ্চারা জানে যে, শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন । "বাবা" শব্দ থেকে বুঝতে পারে যে, পরমাত্মাকেই বাবা বলা হয় । সমস্ত মনুষ্য মাত্রই শিববাবাকেই বাবা বলে । বাবা পরমধামে থাকেন । সবার প্রথমে এই কথা পাকা করতে হবে । নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে আর এই কথা পাক্কা নিশ্চিত করতে হবে । বাবা যা শোনান, তা আত্মাই ধারণ করে । যে জ্ঞান পরমাত্মার মধ্যে আছে, তা আত্মার মধ্যেও আসা চাই । যা আবার মুখ দিয়ে বর্ণনা করতে হয় । যা কিছু ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ানো হয়, তা আত্মাই পড়ে । আত্মা যদি নির্গত হয়ে যায়, তাহলে এই পড়া ইত্যাদি কিছুই মনে থাকে না । আত্মা সংস্কার নিয়ে যায়, তারপর অন্য শরীরে অবস্থান করে । তাই প্রথমে নিজেকে নিশ্চিতভাবে আত্মা মনে করতে হবে । এখন দেহ - ভাব ত্যাগ করতে হবে । আত্মা শোনে, আত্মাই ধারণ করে । আত্মা যদি শরীরে না থাকে তাহলে শরীর নড়তেও পারে না । বাচ্চারা, এখন তোমাদের একথা পাক্কা নিশ্চিত করতে হবে যে - পরমাত্মা, আমরা আত্মাদের জ্ঞান দান করছেন । আমরা আত্মারা এই শরীরের দ্বারা শুনি আর পরমাত্মা এই শরীরের দ্বারা শোনাচ্ছেন - এ কথাই প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায় । দেহ স্মরণে এসে যায় । এও তোমরা জানো যে, ভালো বা খারাপ সংস্কার আত্মার মধ্যেই থাকে । মদ্যপান করা, খারাপ কথা বলা -- এও আত্মাই করে শরীরের দ্বারা । আত্মাই এই শরীরের দ্বারা ভূমিকা পালন করে করে । সবার প্রথমে আত্ম - অভিমানী অবশ্যই হতে হবে । বাবা আত্মাদেরই পড়ান । আত্মাই এরপর এই জ্ঞান সঙ্গে করে নিয়ে যাবে । পরমাত্মা যেমন ওখানে জ্ঞানী অবস্থায় থাকেন, তেমনই তোমরা আত্মারাও আবার এই জ্ঞান সঙ্গে করে নিয়ে যাবে । বাচ্চারা, আমি তোমাদের এই জ্ঞানের সঙ্গেই নিয়ে যাই । তারপর আত্মারা, তোমাদের আবার অভিনয়ে আসতে হবে, তোমাদের পার্ট হলো নতুন দুনিয়ায় প্রালব্ধ ভোগ করা । জ্ঞান সব ভুলে যায় । এ সমস্তই খুব ভালোভাবে ধারণ করতে হবে । প্রথম - প্রথম এ কথা খুব ভালোভাবে পাকা করতে হবে যে, আমি আত্মা, অনেকেই আছে যারা এই কথা ভুলে যায় । নিজেকে খুবই পরিশ্রম করতে হবে । বিশ্বের মালিক হতে হলে পরিশ্রম ছাড়া হবেই না । প্রতি মুহূর্তে এই পয়েন্টসই ভুলে যায় কেননা, এ হলো নতুন জ্ঞান । যখন নিজেকে আত্মা ভুলে গিয়ে দেহ - ভাবে আসে, তখন কিছু না কিছু পাপ হয়েই যায় । দেহী - অভিমানী হলে কখনোই পাপ হবে না । তখন পাপ মুক্ত হবে । এরপর অর্ধেক কল্প কোনো পাপ হবে না । তাই এ কথা নিশ্চিত রাখতে হবে যে, দেহ নয়, আমি আত্মাই পড়ি । পূর্বে এই দেহের মানুষের মত পাওয়া যেতো এখন বাবা শ্রীমত দিচ্ছেন । এ হলো নতুন দুনিয়ার সম্পূর্ণ নতুন জ্ঞান । তোমরা সকলেই নতুন হয়ে যাবে, এতে দ্বিধার কোনো কথা নেই । অনেকবার তোমরা পুরানো থেকে নতুন আর নতুন থেকে পুরানো হয়ে এসেছো, তাই খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করতে হবে ।
আমরা আত্মারা কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা এই কাজ করি । অফিস ইত্যাদিতেও নিজেকে আত্মা মনে করে কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা যদি কাজ করো তাহলে শিক্ষক বাবাকে অবশ্যই স্মরণে আসবে । আত্মাই বাবাকে স্মরণ করে । যদিও তোমরা আগেও বলতে যে, আমরা ভগবানকে স্মরণ করি কিন্তু নিজেদের সাকার মনে করে নিরাকারকে স্মরণ করতে । নিজেকে নিরাকার মনে করে কখনোই নিরাকারকে স্মরণ করতে না । এখন তোমাদের নিজেদের নিরাকার আত্মা মনে করে নিরাকার বাবাকে স্মরণ করতে হবে । এ খুবই বিচার সাগর মন্থন করার মতো কথা । যদিও কেউ কেউ লেখে যে - আমি দুই ঘন্টা স্মরণে থাকি । কেউ আবার বলে - আমি সর্বদা শিববাবাকে স্মরণ করি কিনতু সর্বদা কেউই স্মরণ করতে পারে না । যদি স্মরণ করে তাহলে প্রথম থেকেই কর্মাতীত অবস্থায় এসে যাবে । এই কর্মাতীত অবস্থা তো খুবই পরিশ্রমের ফলে হয় । এতে সব বিকারী কর্মেন্দ্রিয় বশ হয়ে যায় । সত্যযুগে সব কর্মেন্দ্রিয় নির্বিকারী হয়ে যায় । অঙ্গ - অঙ্গ সুগন্ধিত হয়ে যায় । এখন হলো বাসি ছি - ছি অঙ্গ । সত্যযুগের মহিমা তো খুবই সুন্দর । তাকে বলা হয় হেভেন, নতুন দুনিয়া, বৈকুণ্ঠ । সেখানকার চিত্র, তাজ ইত্যাদি এখানে কেউই বানাতে পারবে না । যদিও তোমরা তা দেখেও আসো কিন্তু এখানে তা কেউই বানাতে পারবে না । সেখানে তো প্রাকৃতিক শোভা থাকে, তাই বাচ্চারা, তোমাদের স্মরণের দ্বারাই পবিত্র হতে হবে । এই স্মরণের যাত্রা অনেক করতে হবে । এতেই অনেক পরিশ্রম । এই স্মরণ করতে করতে যখন কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে, তখন সমস্ত কর্মেন্দ্রিয় শীতল হয়ে যাবে । অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ সুগন্ধিত হয়ে যাবে, কোনো দুর্গন্ধ থাকবে না । এখন তো সমস্ত কর্মেন্দ্রিয়তেই দুর্গন্ধ । এই শরীর কোনো কাজের নয় । তোমাদের আত্মা এখন পবিত্র হচ্ছে । শরীর তো পবিত্র হতে পারবে না । শরীর তখনই পবিত্র হবে, যখন তোমরা নতুন শরীর পাবে । অঙ্গ - অঙ্গ সুগন্ধিত - এমন মহিমা দেবতাদের । বাচ্চারা, তোমাদের খুবই খুশী হওয়া উচিত । বাবা এসেছেন, তাই তোমাদের খুশীর পারদ চড়তে থাকা উচিত ।
বাবা বলেন যে, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । গীতার শব্দ কতো পরিষ্কার । বাবা এও বলেছেন - আমার যারা ভক্ত, যারা গীতা পাঠক হবে, তারা অবশ্যই কৃষ্ণের পূজারী হবে । তাইতো বাবা বলেন, দেবতাদের পূজারীদেরও তোমরা শোনাও । মানুষ শিবের পূজা করে, তারপর বলে দেয়, ঈশ্বর সর্বব্যাপী । গ্লানি করেও তারা রোজ মন্দিরে যায় । শিবের মন্দিরে অনেক - অনেক মানুষ যায় । তারা অনেক উঁচু সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে যায় কারণ শিবের মন্দির উপরে বানানো হয় । শিববাবাও এসে সিঁড়ি বানান, তাই না । তাঁর নামও উঁচু আর তাঁর ধামও উঁচু । মানুষ কতো উপরে যায় । বদ্রীনাথ, অমরনাথ, ওখানেও শিবের মন্দির আছে । যিনি উপরে নিয়ে যান, তো তাঁর মন্দিরও অনেক উপরেই বানানো হয় । এখানে গুরু শিখরের মন্দিরও অনেক উপরে পাহাড়ের উপর বানানো হয়েছে । উচ্চ বাবা তোমাদের বসে পড়ান । এই দুনিয়াতে আর কেউই জানে না যে, শিববাবা এসে পড়ান । ওরা তো সর্বব্যাপী বলে দেয় । এখন তোমাদের সামনে এইম অবজেক্টও আছে । বাবা ছাড়া আর কেই বা বলবেন - এ তোমাদের এইম অবজেক্ট । বাচ্চারা, এ কথা বাবাই তোমাদের বলেন । তোমরা সত্য নারায়ণের কথাই শোনো । অতীতে যা ঘটে গেছে, ওরা তো সেই কথাই বলে যে, আগে কি কি ঘটেছিলো । যাকে কাহিনী বলা হয় । এই উঁচুর থেকে উঁচু বাবা বড় - বড় কাহিনী শোনান । এই কাহিনী তোমাদের অনেক উঁচুতে তুলে দেবে । এইকথা সর্বদা তোমাদের মনে রাখা উচিত আর অনেককে শোনানো উচিত । এই কাহিনী শোনানোর জন্যই তোমরা প্রদর্শনী বা মিউজিয়াম তৈরী করো । পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই ভারতই ছিলো যেখানে দেবতারা রাজত্ব করতো । এই হলো প্রকৃত কাহিনী, যা অন্য কেউই বলতে পারে না । এই হলো আসল কাহিনী যা বৃক্ষপতি বাবা বসে বোঝান, যার দ্বারা তোমরা দেবতা হও । এখানে পবিত্রতাই হলো মুখ্য । পবিত্র না হলে ধারণা হবে না । বাঘিনীর দুধের জন্য সোনার বাসনই প্রয়োজন, তখনই ধারণা হতে পারবে । এই কান তো হলো বাসনের মতো । এ সোনার বাসন হওয়া চাই । এখন এ হলো পাথরের । সোনার হতে পারলেই ধারণা হতে পারবে । খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে আর ধারণ করতে হবে । এই কাহিনী তো খুবই সহজ, যা গীতায় লেখা আছে । ওরা তো কাহিনী শুনিয়ে রোজগার করে । যারা শ্রোতা, তাদের থেকে ওদের রোজগার হয় । এখানেও তোমাদের রোজগার আছে । দুই রোজগারই চলতে থাকে । দুইই ব্যবসা । তিনি পড়ান । তিনি বলেন "মনমনাভব", "পবিত্র হও"। এমন আর কেউই বলে না, না তারা মনমনাভব থাকে । কোনো মানুষই এখানে পবিত্র থাকতে পারে না কারণ ভ্রষ্টাচারের দ্বারা জন্ম । কলিযুগের অন্তিম সময় পর্যন্ত রাবণ রাজ্য চলবে, এই সময়ই পবিত্র হতে হবে । পবিত্র তো দেবতাদের বলা হয়, না কি মনুষ্যকে । সন্ন্যাসীরাও মানুষ, তাদের হলো নিবৃত্তি মার্গের ধর্ম । বাবা বলেন যে, আমাকে যদি তোমরা স্মরণ করো, তাহলে পবিত্র হয়ে যাবে । ভারতে প্রবৃত্তি মার্গের রাজ্যই চলে এসেছে । নিবৃত্তি মার্গের লোকেদের সঙ্গে তোমাদের কোনো সম্পর্ক নেই । এখানে তো স্ত্রী - পুরুষ উভয়কেই পবিত্র হতে হবে । গাড়ির দুটি চাকাই যদি চলে তাহলে ঠিক, নাহলে ঝগড়া লেগে যায় । এই পবিত্রতা নিয়েই ঝগড়া চলতে থাকে । আর কোনো সৎসঙ্গে পবিত্রতা নিয়ে ঝগড়া হয়, এমন কখনো শোনা যায় নি । এই একবারই যখন বাবা আসেন, তখন ঝগড়া লাগে । সাধু - সন্ত আদি কখনো কি বলেন যে, অবলাদের উপর অত্যাচার হবে ! এখানে বাচ্চারা ডাকতে থাকে যে, বাবা আমাদের বাঁচাও । বাবাও জিজ্ঞেস করেন, তোমরা বিবস্ত্র হও না তো ? কেননা কাম তো মহাশত্রু । একদম নীচে নেমে যায় । এই কাম বিকারই সবাইকে কানাকড়িও নয় এমন মূল্যহীন করে দিয়েছে । বাবা বলেন যে, ৬৩ জন্ম তোমরা বেশ্যালয়ে থাকো, এখন তোমাদের পবিত্র হয়ে শিবালয়ে যেতে হবে । এই এক জন্ম তোমরা পবিত্র হও । শিববাবাকে স্মরণ করলে তোমরা শিবালয় স্বর্গে যেতে পারবে । তাও কাম বিকার কতো জোরদার । এ কতো সমস্যায় ফেলে, এর আকর্ষণ কতো বেশী । এই আকর্ষণকে দূর করতে হবে । কেননা ঘরে ফিরে যেতে হলে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । টিচার বসে থাকবে কি ? এই ঈশ্বরীয় পঠন - পাঠন তো অল্প সময়ের জন্য চলবে । বাবা বলে দেন, এই হলো আমাদের রথ । রথের আয়ু বলবেন । বাবা বলেন যে, আমি তো সর্বদা অমর, আমার নামই হলো অমরনাথ । আমি পুনর্জন্ম নিই না, তাই আমাকে অমরনাথ বলা হয় । আমি তোমাদের অর্ধেক কল্পের জন্য অমর বানিয়ে দিই । এরপর তোমরা পুনর্জন্ম নাও । তাই বাচ্চারা, এখন তোমাদের উপরে যেতে হবে । মুখ এইদিকে আর পা ওইদিকে করতে হবে । তাহলে আবার ওইদিকে মুখ কেন ঘোরাও । তখন বলে, বাবা ভুল হয়ে গেছে, মুক্ত এইদিকে হয়ে গেছে । তখন বিপরীত হয়ে যায় ।
তোমরা বাবাকে ভুলে দেহ - ভাবে চলে আসো, ফলে বিপরীত হয়ে যাও । বাবা তোমাদের সবকিছুই বলে দেন । বাবার কাছে কিছুই চাইবে না যে - শক্তি দাও ইত্যাদি ইত্যাদি । বাবা তো তোমাদের পথ বলে দেন যে, যোগবলের দ্বারা তোমাদের এমন হতে হবে । তোমরা যোগবলের দ্বারা এতটাই বিত্তবান হয়ে যাও যে, তোমাদের ২১ জন্ম কখনোই কারোর থেকে চাওয়ার প্রয়োজন হয় না । তোমরা বাবার থেকে এতটাই গ্রহণ করো । তোমরা বুঝতে পারো যে, বাবা তো অথৈ কামাই করান, তিনি বলেন, তোমরা যা চাও, তাই নিয়ে নাও । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ হলো সর্বোচ্চ । তাই যা চাও তোমরা, তাই পেতে পারো । সম্পূর্ণ পাঠ না করলে কিন্তু প্রজাতে চলে আসবে । প্রজাও অবশ্যই হতে হবে । ভবিষ্যতে তোমাদের মিউজিয়াম অনেক হয়ে যাবে, তোমরা অনেক হল পাবে, কলেজ পাবে, যেখানে তোমরা সার্ভিস করবে । এই যে বিয়ের জন্য হল বানানো হয়, এও তোমরা অবশ্যই পাবে । তোমরা বোঝাবে - শিব ভগবান উবাচঃ, আমি তোমাদের এমন পবিত্র বানাই -- এই কথা শুনে ট্রাস্টি হল দিয়ে দেবে । তোমরা বলো, ভগবান উবাচঃ -- কাম হলো মহাশত্রু, যাতে তোমরা দুঃখ পেয়ে এসেছো । এখন তোমাদের পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ায় যেতে হবে । তোমরা হল পেতেই থাকবে, তখন বলবে - অনেক দেরী হয়ে গেলো । বাবা বলেন, আমি কি এমনিতে কিছু নেবো, এর পরিবর্তে আমাকেও তোমাদের ভরপুর করে দিতে হবে । বাচ্চাদের এক একটা পয়সায় পুকুর তৈরী হয় । বাকি তো সকলেরই মাটিতে মিশে যাবে । বাবা হলেন সবথেকে বড় বন্দকের কারবারী । তিনি সোনার ব্যবসায়ী, ধোপা আবার কারিগরও । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্নেহ - স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে নমস্কার জানাচ্ছেন ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. বাবা যে সত্যিকারের কাহিনী শোনান, তা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতে এবং ধারণ করতে হবে, বাবার থেকে কিছুই চাইবে না । ২১ জন্মের জন্য নিজের উপার্জন জমা করতে হবে ।
২. এখন ফিরে যেতে হবে তাই যোগবলের দ্বারা শরীরের আকর্ষণ সমাপ্ত করতে হবে । কর্মেন্দ্রিয়কে শীতল করতে হবে । এই দেহের ভাব ত্যাগ করার পুরুষার্থ করতে হবে ।
বরদান:-
স্বমানের আসনে স্থিত হয়ে সমস্ত পরিস্থিতিকে পার করে সদা বিজয়ী ভব
সদা নিজের স্বমানের আসনে স্থিত থাকো যে, আমি বিজয়ী রত্ন, মাস্টার সর্বশক্তিমান - তাহলে আসন যেমন হবে, লক্ষণ তেমনই আসবে । যে কোনো পরিস্থিতি সামনে এলেই এক সেকেণ্ডে নিজের এই আসনে স্থিত হয়ে যাও । যারা আসনে স্থিত থাকে তাদের নির্দেশই পালন করা হয় । এই আসনে থাকলে বিজয়ী হয়ে যাবে । সঙ্গম যুগ হলোই বিজয়ী হওয়ার যুগ, এই যুগের জন্য বরদান আছে, তাই বরদানী হয়ে বিজয়ী হও ।
স্লোগান:-
সর্ব আসক্তিতে বিজয়ী ব্যক্তিই হলো শিবশক্তি পাণ্ডব সেনা* ।