১৭-০৭-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা নিজেদের সময় নষ্ট করবে না, মনে মনে জ্ঞানের মন্থন করতে থাকো, তাহলে নিদ্রাজিত হয়ে যাবে, ক্লান্তি আসবে না"

প্রশ্ন:-

তোমরা বাচ্চারা বাবার কাছে সমর্পণ করেছ কেন ? সমর্পিত হওয়ার অর্থ কি ?

উত্তর:-

সমর্পিত হওয়া অর্থাৎ বাবার স্মরণে সমায়িত হওয়া। যখন স্মরণে সমায়িত হও তখন আত্মা রূপী ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়। আত্মা রূপী ব্যাটারি নিরাকার পিতার সঙ্গে যুক্ত হলেই ব্যাটারি চার্জড হয়, বিকর্ম বিনাশ হয়। পুণ্য জমা হয় ।

ওম্ শান্তি ।

আত্মাদের পিতা (রূহানী বাবা) বসে আত্মা রূপী বাচ্চাদের (রূহানী বাচ্চাদের) বোঝাচ্ছেন, এখন এখানে তোমরা শরীর সহ অর্থাৎ দেহধারী হয়ে বসে আছো। জানো যে এই শরীর হল মৃত্যু লোকে অন্তিম শরীর। তারপরে কি হবে ? তারপরে বাবার সঙ্গে শান্তিধামে একত্রিত হবে। এই শরীরটি থাকবে না তারপরে স্বর্গে আসবে তাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে, সবাই তো একসাথে আসবে না। এই রূপ রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। যেমন বাবা হলেন শান্তির সাগর, সুখের সাগর, বাচ্চাদেরও এমন শান্তির, সুখের সাগর বানাচ্ছেন এর পরে শান্তিধামে গিয়ে বিরাজমান হতে হবে। অতএব বাবাকে, নিজ নিকেতন পরমধামকে এবং সুখধামকে স্মরণ করতে হবে। এখানে তোমরা যত এই অবস্থায় স্থির হয়ে বস, তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ ভস্ম হয়, একেই বলা হয় যোগাগ্নি। সন্ন্যাসীরা সর্ব শক্তিমানের সঙ্গে যোগ যুক্ত হয় না। সন্ন্যাসীরা বাস স্থান অর্থাৎ ব্রহ্মের সঙ্গে যোগ যুক্ত হয়। তারা হলেন তত্ব যোগী, ব্রহ্ম বা তত্বের সঙ্গে যোগ যুক্তকারী। এখানে জীবাত্মাদের খেলা হয়, সেখানে সুইট হোমে শুধুমাত্র আত্মারা বাস করে। সেই সুইট হোমে অর্থাৎ পরমধামে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ দুনিয়া পুরুষার্থ করে। সন্ন্যাসীরাও বলেন আমরা যেন ব্রহ্মে বিলীন হই। এমন বলে না আমরা গিয়ে ব্রহ্মে বাস করি। এই কথা তো তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছ। ভক্তি মার্গে কত পরস্পর বিরোধী কথা শুনতে থাকে । এখানে তো বাবা এসে মাত্র শুধু দুটি শব্দ বোঝান। যেমন মন্ত্র জপ হয় । কেউ গুরুকে স্মরণ করে, কেউ অন্য কাউকে স্মরণ করে, স্টুডেন্ট টিচারকে স্মরণ করে। এখন বাচ্চারা তোমাদের শুধুমাত্র শিবিপিতা ও পরমধাম স্মরণে আছে। বাবার কাছে তোমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত কর শান্তিধাম ও সুখধামের। সেটাই স্মরণে থাকে। মুখে কিছু বলতে হবে না। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে শান্তিধামের পরে হল সুখধাম। আমরা প্রথমে মুক্তিতে তারপরে জীবনমুক্তিতে যাব। মুক্তি-জীবনমুক্তি দাতা হলেন একমাত্র বাবা। বাবা বাচ্চাদের বার বার বোঝান - সময় নষ্ট করা উচিত নয়। জন্ম-জমান্তরের পাপের বোঝা মাথায় আছে। এই জন্মের পাপ কর্মের কথা তো স্মৃতিতে আছে। সত্যযুগে এইরূপ কিছু হয় না। এখানে বাচ্চারা জানে জন্ম-জন্মান্তরের পাপের বোঝা আছে। এক নম্বরে হল কাম বিকারের বিকর্ম, যে বিকর্ম জন্ম-জন্মান্তর করে এসেছ এবং বাবার অনেক নিন্দাও করেছ । বাবা যিনি সকলকে সদগতি দেন, তাঁরও অনেক নিন্দা করেছ। এইসব কথা বুদ্ধিতে রাখতে হবে। এখন যত পারো বাবাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ করতে হবে। বাস্তবে বাঃ সদগুরু বলা হয়, গুরু নয়। বাঃ গুরু -এই কথার কোনও অর্থ নেই। বাঃ সদগুরু ! মুক্তি-জীবনমুক্তি তিনি ই প্রদান করেন, তাই না। ঐ গুরু তো সংখ্যায় অনেক আছে। ইনি হলেন একমাত্র সদগুরু। তোমরা গুরু তো অনেক করেছ। প্রতি জন্মে ২-৪ টে করে গুরু করা হয়। গুরু করেও অন্য অন্য স্থানে যায়। হয়তো আশা থাকে এর চেয়ে ভালো পথ প্রাপ্ত হবে, ট্রায়াল করতেই থাকে বিভিন্ন গুরুর কাছে। কিন্তু প্রাপ্তি কিছুই হয় না। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো এখানে তো থাকবার নয়। সবাইকে যেতে হবে শান্তিধাম। বাবা তোমাদের নিমন্ত্রণ পেয়ে এসেছেন। তোমাদের স্মরণ করান, তোমরা আমাকে বলেছিলে , আসুন আমাদের পতিত থেকে পবিত্র করুন। পবিত্র শান্তিধামও, সুখধামও। আহ্বান করে আমাদের ঘরে (পরমধাম) নিয়ে চলুন। ঘর তো সবার স্মরণে আছে। আত্মা ফট করে বলবে আমাদের নিবাস স্থান হল পরমধাম। পরমপিতা পরমাত্মাও থাকেন পরমধামে। আমরাও থাকি পরমধামে ।



এখন বাবা বোঝাচ্ছেন তোমাদের উপরে বৃহস্পতির দশা রয়েছে। এই হল অসীম জগতের কথা। অসীমের দশা সবার উপরে রয়েছে। চক্র সদা আবর্তন করে। আমরাই সুখ থেকে দুঃখে , দুঃখ থেকে সুখে আসি। শান্তিধাম, সুখধাম তারপরে এই দুঃখধাম। এই কথাও এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ, মানুষের বুদ্ধিতে তো এইসব কথা নেই। এখন বাবা জীবিত অবস্থায় মৃত স্বরূপ থাকার পদ্ধতি শেখাচ্ছেন। বহ্নিপতঙ্গ অগ্নি শিখায় জীবন সমর্পণ করে। কেউ প্রেমিক রূপে জ্বলে পুড়ে সমর্পণ করে, কেউ পরিক্রমা করে চলে যায়। এও তো ব্যাটারি, তাই না ! সবার বুদ্ধি যোগ একের সঙ্গে যুক্ত। নিরাকার পিতার সঙ্গে যেন ব্যাটারি যুক্ত আছে। এই আত্মা অর্থাৎ ব্রহ্মা বাবার আত্মার অনেক কাছে আছেন ফলে খুব সহজ হয়। বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের আত্মা রূপী ব্যাটারি চার্জড হয়। বাচ্চারা, তোমাদের কাছে একটু কঠিন হলেও, এনার (ব্রহ্মা বাবার) জন্য খুব সহজ। তবুও ব্রহ্মা বাবাকে পুরুষার্থ তো করতে হয়, যত খানি বাচ্চারা তোমাদের করতে হয়। ইনি যত কাছে আছেন, ততই দায়িত্বও বেশি আছে। গায়নও আছে যার মাথায় মামলা .... (যার ওপরে দায়িত্ব ভার) এনার অর্থাৎ ব্রহ্মা বাবার মাথায় অনেক দায়িত্ব রয়েছে, তাইনা ! শিববাবা তো হলেন সম্পূর্ণ, ব্রহ্মা বাবাকে সম্পূর্ণ হতে হবে, এনাকে সকলের রক্ষনাবেক্ষণ করতে হয়। যদিও দুই পিতাই একত্রে আছেন, তবুও চিন্তন তো চলে, তাইনা। কন্যাদের উপরে কত অত্যাচার হয় তো দুঃখ হয়। কর্মাতীত অবস্থা তো শেষের দিকে হবে, ততক্ষণ চিন্তন চলে। কন্যাদের চিঠি না এলেও চিন্তা হয় - অসুখ করেনি তো ? সার্ভিসের খবর এলে বাবা অবশ্যই তাদের স্মরণ করবেন। বাবা এই দেহ (ব্রহ্মা দেহ) দ্বারা সার্ভিস করেন। কখনও কম মুরলি চলে, যদি ২-৪ দিন মুরলি নাও আসে , তবুও তোমাদের কাছে পয়েন্ট তো আছে। তোমাদেরও নিজস্ব ডাইরী দেখা উচিত। ব্যাজ নিয়েও তোমরা বোঝাতে পারো। যখন আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিল তখন অন্য কোনও ধর্ম ছিল না। বৃক্ষটিও (চিত্র) অবশ্যই সঙ্গে থাকা উচিত। ভ্যারাইটি ধর্মের রহস্য বোঝাতে হয়। সর্ব প্রথম এক অদ্বৈত ধর্ম ছিল। বিশ্বে শান্তি, সুখ, পবিত্রতা ছিল। বাবার কাছেই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় কারণ বাবা হলেন শান্তির সাগর, সুখের সাগর তাই না। এইসব কথা তোমরা আগে জানতে না। এখন বাবার বুদ্ধিতে যেমন এইসব আছে, তোমরাও তেমনই রূপে পরিণত হচ্ছ। সুখের, শান্তির সাগর তোমরাও হও। নিজের কর্মের চার্ট দেখতে হবে - কোন্ কথায় ঘাটতি আছে ? আমি হলাম যথাযথভাবে প্রেমের সাগর, কোনও এমন আচার আচরণ নেই তো যার ফলে কেউ অসন্তুষ্ট হয় ? নিজের উপরে নজর রাখতে হবে। এমন ভাববে না যে বাবা আশীর্বাদ করলে তোমরা এমন হয়ে যাবে। না। বাবা বলেন আমি ড্রামা অনুসারে নিজের সময় মতন এসেছি। আমার এই প্রোগ্রাম কল্প-কল্পের। এই জ্ঞান অন্য কেউ প্রদান করতে পারে না। সত্য পিতা, সত্য টিচার, সত্য গুরু একজনই । এই কথাটিতেও পাক্কা নিশ্চয় থাকলে তোমাদের বিজয় নিশ্চিত। এত গুলি যে ধর্ম আছে সবের বিনাশ হবেই। যখন সত্যযুগী সূর্যবংশী কুল ছিল, তখন অন্য কোনও কুল ছিল না, তবুও এমনই হবে। সারা দিন এমন এমন কথা নিজের সঙ্গে বলতে থাকো। জ্ঞানের পয়েন্ট বুদ্ধিতে চলা উচিত, সদা খুশী থাকা উচিত। বাবার মধ্যে জ্ঞান আছে, সেসব তোমরা এখন প্রাপ্ত করছ। সেই জ্ঞান ধারণ করতে হবে, এতে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। তোমরা রাতেও সময় পাও। দেখা যায় আত্মা দেহের অর্গান দিয়ে কাজ করে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বাবা তোমাদের ভক্তি মার্গের সমস্ত ক্লান্তি দূর করে অক্লান্ত করে দেন। যেমন রাতে আত্মা ক্লান্ত হয়ে শরীর থেকে পৃথক হয়ে যায়, যাকে নিদ্রা বলা হয়। নিদ্রারত কে হয় ? আত্মার সাথে কর্মেন্দ্রিয়গুলিও ঘুমিয়ে পড়ে। অতএব রাতে শোয়ার সময় বাবাকে স্মরণ করে এমন এমন চিন্তন করতে করতে ঘুমানো উচিত। এমনও হতে পারে শেষ কালে তোমরা নিদ্রাজিত হয়ে যাও। তখন সদা স্মরণেই থাকবে, অনেক খুশীর অনুভব হবে। ৮৪-র চক্র ঘোরাতে থাকবে। ক্লান্তি বশতঃ হাই উঠবে না বা তন্দ্রা আসবে না। হে নিদ্রা জিৎ বাচ্চারা, উপার্জনের সময় কখনো ঘুমিয়ে থাকবে না। যখন জ্ঞানে মত্ত হয়ে যাবে তখন তোমাদের এমন অবস্থা হবে। এখানে তোমরা কিছু ক্ষণের জন্য বসো তো কখনো ক্লান্তি বা তন্দ্রা আসা উচিত নয়। অন্যান্য দিকে অ্যাটেনশন গেলে ক্লান্তি অনুভব হবে।



বাচ্চারা, তোমাদের এই কথাও খেয়াল রাখতে হবে আমাদের অন্যকেও নিজ সম তৈরি করতে হবে। প্রজা তো চাই, তাইনা। নাহলে রাজা হবে কিভাবে। ধন দান করলে ধন ফুরাবে না ..... অন্যদের বোঝালে, দান করতে থাকলে কখনও ফুরাবে না। এই না হলে জমাও হবে না। মানুষ তো অনেক কৃপণ হয়। ধন নিয়ে কত লড়াই ঝগড়া হয়। এখানে বাবা বলেন তোমাদের আমি এই অবিনাশী ধন প্রদান করি তো তোমরা সেসব অন্যদের দান করতে থাকো। এই কাজে কৃপণ হবে না। দান করো না অর্থাৎ ধন নেই। এই উপার্জন এমন, এতে লড়াই ইত্যাদির ব্যাপার নেই, একেই বলা হয় গুপ্ত। তোমরা হলে ইনকগনিটো ওয়ারিয়ার্স। পাঁচ বিকারের সঙ্গে তোমরা যুদ্ধ কর। তোমাদের আননোন ওয়ারিয়ার্সও বলা হয়। পদাতিক সৈন্য বাহিনী সংখ্যায় অনেক থাকে। এখানেও সেইরকম আছে, প্রজা অনেক, বাকি ক্যাপ্টেন, মেজর ইত্যাদি সব আছে। তোমরা হলে সৈন্য, তাতেও নম্বর অনুযায়ী আছে। বাবা বুঝবেন কে কমান্ডর, কে মেজর। মহারথী, অশ্বারোহী আছে, তাইনা। এই কথা তো বাবা জানেন তিন রকমের সেবাধারী আছে যারা বোঝাতে পারে। তোমরা ব্যাবসা করছ অবিনাশী জ্ঞান রত্নের। যেমন তারাও ব্যাবসা শেখায়, গুরু চলে গেলে তার পিছনে মঠ আশ্রম ইত্যাদি শিষ্যরা চালায়, তাইনা। সে সব হল স্থূল, এ হল সূক্ষ্ম। অনেক প্রকারের ধর্ম আছে। প্রত্যেকের নিজস্ব মত আছে। তোমরাও গিয়ে তাদের কথা শুনতে পারো - তারা কি শেখাচ্ছে, কি-কি শোনাচ্ছে। বাবা তো তোমাদের ৮৪-র চক্রের কাহিনী বোঝান। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদেরই বাবা এসে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করেন, এও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। এখন কলিযুগের অন্ত পর্যন্ত এই আত্মারা আসতে থাকে, বৃদ্ধি হতেই থাকে। যতক্ষণ বাবা এখানে আছেন, সংখ্যা বৃদ্ধি হতেই থাকে, তারপরে এত সব আত্মারা কোথায় থাকবে, কি খাবে ? সব হিসেব রাখতে হয়, তাইনা। সেখানে তো এত মানুষ থাকে না। খাওয়ার জন্য মানুষ কম থাকে, সবার নিজস্ব কৃষি কার্য থাকে। আনাজ রেখে কি করবে। সেখানে বৃষ্টির জন্য যজ্ঞ ইত্যাদি করতে হয় না, যেমন এখানে করা হয়। এখন বাবা-ই যজ্ঞ রচনা করেন। সম্পূর্ণ পুরানো সৃষ্টি যজ্ঞে স্বাহা হবে। এ হল অসীমের যজ্ঞ। তারা পার্থিব জগতের যজ্ঞ রচনা করে বৃষ্টির জন্য। বৃষ্টি হলেই খুশী, যজ্ঞ সফল। নাহলে আনাজ ফলবে না, দুর্ভিক্ষ হবে। যদিও যজ্ঞ ইত্যাদি করার পরেও বৃষ্টি না হলে তারা কি আর করতে পারে। বিপদ তো আসবেই। অতি বৃষ্টি, ভূমিকম্প এইসব তো হবেই। ড্রামার চক্রকে তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছ। এই চক্রটি বিশাল হওয়া উচিত। বড় বড় স্থানে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে রাখলে বড় বড় মানুষরা পড়বে। বুঝবে যথাযথভাবে বর্তমান সময় হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। কলিযুগে মানুষের সংখ্যা অনেক। সত্যযুগে মানুষ কম থাকে। অর্থাৎ এত মানুষ সব নিশ্চয়ই শেষ হবে। শিব জয়ন্তী পালন করা মানেই হল স্বর্গ জয়ন্তী পালন, লক্ষ্মী-নারায়ণ জয়ন্তী পালন করা। কথাটি তো খুব সহজ। শিব জয়ন্তী পালন করা হয়। উনি হলেন অসীম জগতের পিতা, তিনিই স্বর্গের স্থাপনা করেছিলেন। যেন গতকালের কথা, তোমরা স্বর্গবাসী ছিলে। এই কথাটি তো খুব সহজ। বাচ্চাদের খুব ভালো করে বুঝে অন্যদের বোঝাতে হবে। খুশীতেও থাকতে হবে। এখন আমরা সদাকালের জন্য রোগ ইত্যাদি থেকে মুক্ত হয়ে ১০০ শতাংশ সুস্থ (হেলদি), সমৃদ্ধ (ওয়েলদি) হই। সময় খুব কম রয়েছে । যদিও দুঃখ, মৃত্যু অনেক হবে কিন্তু তোমরা সেই সময় খুব খুশী অনুভব করবে। তোমরা জানো মৃত্যু তো হবেই। কল্প-কল্পের এই খেলা । চিন্তার কিছু নেই। যারা পুরুষার্থে খুব পরিপক্ক, তারা কখনো হায়-হায় করবে না। মানুষ অপারেশন ইত্যাদি দেখে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এখন তো বিশাল রূপে মৃত্যু হবে। তোমরা বাচ্চারা বোঝো এই সব তো হবেই। গায়নও আছে... শিকারের মৃত্যুতে শিকারীর উল্লাস (মিরুয়া মউত মলুকা শিকার)..... এই পুরানো দুনিয়ায় অনেক দুঃখ ভোগ করেছ, এখন নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. বাবার কাছে অবিনাশী জ্ঞান ধন প্রাপ্ত করে অন্যদের দান করতে হবে। জ্ঞান দান করার সময়ে কৃপণ হবে না। জ্ঞানের পয়েন্টস্ যেন বুদ্ধিতে চলতেই থাকে। রাজা হওয়ার জন্য প্রজা অবশ্যই বানাতে হবে।

২. নিজের কর্মের চার্ট (পোতামেল) দেখতে হবে - ১. আমি কি বাবার মতন প্রেমের সাগর হয়েছি ? ২. কাউকে কখনও অসন্তুষ্ট করি না তো ? ৩. নিজের আচার আচরণের দিকে পুরো নজর রেখেছি তো?

বরদান:-

সব সময় নিজের দৃষ্টি, বৃত্তি, কৃতি দ্বারা সেবা সম্পন্নকারী পরিপক্ক সেবাধারী ভব

সেবাধারী অর্থাৎ সব সময় শ্রেষ্ঠ দৃষ্টি দ্বারা, বৃত্তি দ্বারা, কৃতি দ্বারা সেবা সম্পন্নকারী, সে যাকে শ্রেষ্ঠ দৃষ্টি দ্বারা দেখে সেই দৃষ্টিও সেবা করে। বৃত্তি দ্বারা বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হয়। যে কোনও কাজ স্মরণে থেকে সম্পন্ন করলে বায়ুমন্ডল শুদ্ধ হয়। ব্রাহ্মণ জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস হল সেবা, যেমন শ্বাস বন্ধ হলে মূর্ছা যায় তেমন ব্রাহ্মণ আত্মা সেবায় বিজি না থাকলে মূর্ছা যায়। তাই যত স্নেহী, তত সহযোগী, ততই সেবাধারী হও।

স্লোগান:-

সেবাকে খেলা ভাবো, তাহলে ক্লান্ত হবে না, সদা লাইট (হালকা) থাকবে ।