২৭-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- ঘর পরিবারে থেকেও পারলৌকিক বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে হবে, সুতরাং নিজের সবকিছু এক্সচেঞ্জ (বদল) করে নাও, এ হল অনেক বড় বিজনেস (সওদা, ব্যাপার)"

প্রশ্ন:-

ড্রামার জ্ঞান কোন্ বিষয়ে বাচ্চারা, তোমাদের অনেক সাহায্য করে থাকে ?

উত্তর:-

যখন শরীর রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে তখন ড্রামার জ্ঞান অনেক সহযোগ প্রদান করে থাকে। কেননা তোমরা জান যে এই ড্রামা হুবহু রিপিট হচ্ছে । এখানে কান্নাকাটি দুঃখ করার কোনো প্রশ্নই নেই । কর্মের হিসেব-নিকেশ মেটাতে হবে । ২১ জন্মের সুখের উপহারের সাথে তুলনা করলে এই দুঃখ কিছুই নয় । এই জ্ঞান সম্পূর্ণ না থাকার কারণে ছটফট করে থাকে।

ওম্ শান্তি ।

ভগবানুবাচ । ভগবান তাঁকেই বলা হয় যাঁর নিজের কোনও শরীর নেই । এমনটাও নয় যে ভগবানের নাম, রূপ, দেশ, কাল(সময়) কিছুই নেই । তা নয়, ভগবানের শরীর নেই । এছাড়া কিন্তু সমস্ত আত্মাদের নিজ-নিজ শরীর আছে । এখন বাবা বলছেন মিষ্টি মিষ্টি রূহানী বাচ্চারা, নিজেকে আত্মা মনে করে বসো । প্রকৃত অর্থে আত্মাই শোনে, রোল প্লে করে, শরীর দ্বারা কর্ম করে । আত্মাই সংস্কার নিয়ে যায় । ভালো মন্দ কর্মের ফলও আত্মাই ভোগ করে, শরীরের সাথে । শরীর ছাড়া তো ভোগ হতে পারে না । তাই বাবা বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে বসো । বাবা আমাদের শোনান । আমরা আত্মারা এই শরীর রূপী কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা শুনি । ভগবানুবাচ : "মনমনাভব" (তোমার মন আমাতে নিয়োজিত করো) । দেহ সহ দেহের সব ধর্মকে ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো । একথা একজন বাবাই বলেন, যিনি গীতার ভগবান । ভগবান অর্থাত্ যিনি জন্ম-মৃত্যুর ঊর্ধে । ( জন্ম-মৃত্যু নেই)। বাবা বোঝান ‐ আমার অলৌকিক জন্ম। আর কেউ এমন জন্ম গ্রহণ করে না। যেমন আমি এনার মধ্যে (ব্রহ্মা বাবা ) প্রবেশ করি । এসব ভালোভাবে স্মরণ করা উচিত । এমন নয়, সবকিছু ভগবান করেন, পূজ্য-পূজারি, কাঠ পাথরের ভিতরেও পরমাত্মা বাস করেন । ২৪ অবতার, কচ্ছ-মৎস অবতার, এমনকি পরশুরামকেও অবতার রূপে দেখানো হয়েছে । এখন তোমরা বুঝেছ ভগবান পরশুরাম রূপে অবতার হয়ে কুঠার নিয়ে হিংসার আশ্রয় নেবেন ! সম্পূর্ণ ভুল । যেমন পরমাত্মাকে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে, তেমনই কল্পের আয়ু লক্ষ বছর লিখেছে, একেই বলে ঘোর অন্ধকার অর্থাত্ কোনও জ্ঞান নেই । জ্ঞান দ্বারাই আলোর প্রবেশ ঘটে । এখন অজ্ঞানতার ঘোর অন্ধকার চলছে । তোমরা বাচ্চারা এখন আলোয় প্রবেশ করেছ । তোমরা সবাইকে ভালোভাবে জেনেছ। যারা জানেনা তারাই পূজো ইত্যাদি করে থাকে । তোমরা সবাইকে জেনে গেছ সেইজন্য তোমাদের পূজো করার প্রয়োজন নেই । তোমরা এখন পূজারী থেকে মুক্ত হয়েছ । পূজ্য দেবী-দেবতা হওয়ার জন্য তোমরা এখন পুরুষার্থ করছ। তোমরাই পূজ্য দেবী-দেবতা ছিলে তারপর পূজারী মনুষ্য হয়েছ। মানুষের মধ্যেই আছে আসুরি গুণ আর তাই নিয়ে গীতও আছে -- মানুষকে দেবতা করে তোলে । মানুষকে দেবতা করে তুলতে বেশি সময় লাগে না । এক সেকেন্ডেই দেবতা করে তোলেন । বাচ্চারা বাবাকে চেনার সাথে সাথেই শিববাবা বলতে শুরু করে। *বাবা* বললেই অন্তরে এটাই জেগে ওঠে যে, আমরা বিশ্বের, স্বর্গের মালিক হতে যাচ্ছি। ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা । এখন তোমরা দ্রুততার সাথে বাবার হয়ে উঠেছ । বাবা বলেন ঘর পরিবারে থেকেই এখন তোমরা পারলৌকিক বাবার কাছ থেকে এই অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ কর । লৌকিক উত্তরাধিকার তো তোমরা নিয়েই আসছ, এখন লৌকিক বর্সাকে পারলৌকিক উত্তরাধিকারের সাথে এক্সচেঞ্জ করে নাও । কত সুন্দর সওদা । লৌকিক উত্তরাধিকার দিয়ে কি হবে ? এ হল অনন্ত অধিকার, যা গরিবরা চট করে গ্রহণ করে নেয়। বাবা গরিবদের-ই দত্তক নিয়ে থাকেন । বাবা হলেন দীনবন্ধু, তাই না ! গীতও আছে আমি দীনবন্ধু । ভারত সবচেয়ে গরিব । আমিও আসি এই ভারতে । এখানে এসে বিত্তবান করে তুলি । ভারতের মহিমা প্রসিদ্ধ । এ হলো সবচেয়ে বড় তীর্থ । কিন্তু কল্পের আয়ু দীর্ঘ করে দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ ভুলে গেছে । ভাবে ভারত খুব বিত্তশালী ছিল, এখন গরিব হয়ে গেছে । আগে সবজি-আনাজ সব এখান থেকে বিদেশ যেত । এখন বুঝেছে ভারত গরিব হয়ে গেছে, তাই সাহায্য করে থাকে । এমনও তো হয় - যখন কোনও বিখ্যাত মানুষ অসফল হয়, তখন সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে তাকে সাহায্য করা হয় । এই ভারত সবচেয়ে প্রাচীন । ভারতই স্বর্গ ছিল । সর্বপ্রথম আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল । শুধুমাত্র সময় দীর্ঘ করে দেওয়ার জন্য মুষড়ে পড়ে । ভারতকেও কতভাবে সাহায্য করা হয় । বাবাকেও ভারতেই আসতে হয়।



তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা এখন বাবার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি । লৌকিক বাবার কাছ থেকে পাওয়া উত্তরাধিকার পারলৌকিক বাবার সাথে এক্সচেঞ্জ করছি । যেমন ব্রহ্মা বাবা করেছিলেন । দেখেছিলেন, পারলৌকিক বাবার কাছ থেকে রাজমুকুট-রাজসিংহাসন প্রাপ্ত হয় - কোথায় সেই বাদশাহী আর কোথায় এই সামান্য গদি । বলাও হয়ে থাকে ফলো ফাদার । এখানে না খেয়ে মরবার কোনো প্রশ্নই নেই। বাবা বলেন ট্রাস্টি হয়ে সবকিছুর প্রতি যত্নশীল হও। বাবা এসে সহজ পথ বলে দেন । বাচ্চারা অনেক কষ্টের দিন দেখেছে, তবেই তো বাবাকে আহ্বান করে - হে পরমপিতা পরমাত্মা, দয়া কর । সুখের সময় কেউ বাবাকে স্মরণ করেনা, দুঃখের সময় সবাই বাবার নাম জপতে থাকে । এখন বাবা বলে দিচ্ছেন কিভাবে স্মরণ করা উচিত । তোমাদের তো স্মরণ করাও আসেনা । আমি এসেই তোমাদের বলে দিই। বাচ্চারা নিজেকে আত্মা মনে করে, পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের পাপ বিনষ্ট হয়ে যাবে । প্রতিটি স্মরণ দ্বারা সুখ অনুভব কর, শরীরের কষ্ট, যন্ত্রণা সব শেষ হয়ে যাবে । শরীর সংক্রান্ত যা কিছু কষ্ট সব মিটে যাবে । তোমাদের আত্মা আর শরীর দুই-ই পবিত্র হয়ে যাবে । তোমরা এমনই কাঞ্চনকায় ছিলে।তারপর পুনর্জন্ম নিতে নিতে আত্মায় মরচে পড়ে যায় । শরীর ও পুরানো প্রাপ্ত হয় । যেমন সোনার মধ্যে খাদ দেওয়া হয় । খাঁটি সোনার অলঙ্কার খাঁটি হয়ে থাকে । ওতে ঔজ্জ্বল্যও থাকে । খাদযুক্ত অলঙ্কার কালো হয়ে যায় । বাবা বলেন তোমাদের মধ্যেও খাদ পড়েছে, তাকে বের করে আনতে হবে । কিভাবে বেরোবে ? বাবার সাথে যোগযুক্ত হও । যিনি শিক্ষা প্রদান করেন তাঁর সাথে যোগযুক্ত হতে হয় তাইনা ! ইনি তো একাধারে বাবা, গুরু, টিচার সবকিছু । ওঁনাকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে আর উনি তো তোমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন ।

পতিত-পাবন সর্বশক্তিমান তোমরা আমাকেই বল। কল্পে-কল্পে এসে বাবা এভাবেই বুঝিয়ে বলেন । মিষ্টি মিষ্টি হারিয়ে পাওয়া বাচ্চারা, ৫ হাজার বছর পরে তোমাদের পেয়েছি । সেইজন্য তোমাদের হারানিধি (সিকিলধে) বলা হয় । এখন এই দেহের অহঙ্কার ত্যাগ করে আত্ম-অভিমানী হও। বাবা আত্মার জ্ঞানও প্রদান করেছেন, যা বাবা ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না । এমন কোনও মানুষ নেই যার মধ্যে আত্মার জ্ঞান আছে । সন্ন্যাসী, সন্ত, গুরু, গোঁসাই কেউ-ই জানেনা । সবার শক্তি কমে গেছে । সমস্ত সৃষ্টি রূপী কল্পবৃক্ষ এখন জরাজীর্ণ অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে। এখন আবার নতুন করে স্থাপনা হতে চলেছে । বাবা এসেই ভিন্ন-ভিন্ন প্রকারের বৃক্ষের রহস্যকে বুঝিয়ে বলেন । তিনি বলেন প্রথমে তোমরা রাম রাজ্যে (শিবালয়ে, স্বর্গে) ছিলে, তারপর যখন বাম মার্গে এলে তখন থেকেই রাবণ রাজ্য শুরু হয় । তারপর অন্যান্য ধর্ম আসে। শুরু হয় ভক্তি মার্গ । আগে তোমরা জানতে না। কারও কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পার - তোমরা রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য অন্তকে জান ? কেউ বলতে পারবে না । বাবা ভক্তদের বলেন এখন তোমরা বিচার করে দেখো। বোর্ডে লিখে দাও - অ্যাক্টর হয়েও ড্রামার ডাইরেক্টর, ক্রিয়েটর, প্রিন্সিপাল অ্যাক্টরকে (প্রধান চরিত্রাভিনেতা) জানেনা, সুতরাং এমন অ্যাক্টরকে কি বলবে ? আমরা আত্মারা এখানে ভিন্ন- ভিন্ন শরীর ধারণ করে রোল প্লে করতে আসি নিশ্চয়ই এটা নাটক, তাই না !



গীতা হলো মা আর বাবা হলেন শিব। সৃষ্টির সবকিছুই তাঁর রচনা । গীতা নতুন জগতৎ স্থাপনা করে । এটাও সবার অজানা যে, নতুন দুনিয়া কিভাবে সৃষ্টি করে থাকেন । নতুন দুনিয়াতে সর্বপ্রথম তোমরাই যাবে। এখন হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগী দুনিয়া । এটা যেমন পুরানো দুনিয়া নয়, তেমনি নতুন দুনিয়াও নয় । এ হলো সঙ্গম, ব্রাহ্মণদের শিখা (চটি,সর্বোচ্চ স্থান ) । বিরাট রূপে না শিববাবাকে দেখানো হয়, না ব্রাহ্মণ চটিকে দেখানো হয় । তোমরা তো চটিও দেখিয়েছ একদম উপরেই, সেখানে তোমরা ব্রাহ্মণরা বসে আছ। দেবতাদের পরে আসে ক্ষত্রিয় । দ্বাপর থেকে শুরু হয় পেটের জন্য পূজারী, তারপর তারাই শূদ্রে পরিণত হয় । এ হলো ডিগবাজি খাওয়া । এই ডিগবাজিকেই তোমরা শুধুমাত্র স্মরণ কর । এটাই তোমাদের জন্য ৮৪ জন্মের যাত্রা । সেকেন্ডেই সব স্মরণে এসে যায় । আমরা এভাবেই চক্রাকারে ঘুরছি। এটাই সঠিক চিত্র । ওটা (ভক্তি মার্গের) ভুল । বাবা ছাড়া সঠিক চিত্র আর কেউ তৈরি করতে পারেনা। এই চিত্র দ্বারাই বাবা বুঝিয়ে বলেন । তোমরা এইভাবেই ডিগবাজি খেয়ে চলেছ। সেকেন্ডে তোমাদের যাত্রা শুরু হয়, এতে কষ্টের কোনও ব্যপার নেই । আত্মা রূপী বাচ্চারা বুঝেছে বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন । এই সতসঙ্গ হলো যিনি সত্য সেই বাবার সাথে । ওটা (লৌকিক) হল মিথ্যে সঙ্গ। সত্য খন্ড বাবাই এসে স্থাপনা করেন । মানুষের কোনও শক্তি নেই স্থাপনা করার । ভগবানই করতে পারেন। ভগবানকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয় । সাধু-সন্ন্যাসীরা জানেনা যে, এ হলো পরমাত্মার মহিমা । ঐ শান্তির সাগর এসে তোমাদের শান্তি প্রদান করছেন । *অমৃতবেলায় তোমরা ড্রিল কর । শরীর থেকে আলাদা হয়ে বাবার স্মরণে থাক। এখানে তোমরা এসেছ জীবিত হয়ে ও মৃতপ্রায় থাকতে। বাবার প্রতি পূর্ণ সমর্পিত হয়ে ওঠ তোমরা । এই পুরানো দুনিয়ার এটা পুরানো শরীর, এর প্রতি যেন ঘৃণা জন্মে গেছে, একেই ত্যাগ করে চলে যাব, কিছুই যেন স্মরণে না আসে। সবকিছু তোমরা ভুলে গেছ*। তোমরা বলেও থাক ভগবানই সবকিছু দিয়েছেন সুতরাং এখন ওঁনাকে সবকিছু দিয়ে দাও । ভগবান তোমাদের বলেন তোমরা ট্রাস্টি হও। ভগবান ট্রাস্টি হবেন না। তোমরা ট্রাস্টি হয়ে ওঠো, তখন আর পাপ করবে না । আগে পাপ আত্মাদের সাথে লেনদেন হয়ে এসেছে । এখন সঙ্গম যুগে তোমাদের পাপাত্মাদের সাথে কোনও লেনদেন নেই । পাপাত্মাদের দান করলে পাপ মাথায় চড়ে যাবে। বলো ঈশ্বরার্থে, আর দান করছ পাপাত্মাদের । বাবা তো কিছুই নেন না । বাবা বলেন সেন্টার খোলো এতে অনেকের কল্যাণ হবে।



বাবা বুঝিয়ে বলেন যা কিছুই হচ্ছে হুবহু ড্রামানুসারে রিপিট হচ্ছে । এরমধ্যে কান্নাকাটি, দুঃখ প্রকাশ করার কোনও প্রশ্নই নেই । কর্মের হিসেব-নিকেশ মিটছে এটা তো ভালোই হচ্ছে । বৈদ্যরা (আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক) বলে সব রোগ উথলে বাইরে বেরিয়ে আসবে । বাবাও বলে থাকেন বাকি থাকা হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফেলতে হবে । হয় যোগ দ্বারা, নতুবা সাজা খেয়ে মেটাতে হবে । সাজা তো (শাস্তি) খুব কড়া । রোগভোগ ইত্যাদি দ্বারা মিটে গেলে সেটাও অনেক ভালো । ঐ দুঃখ ২১ জন্মের সুখের উপহারের কাছে কিছুই নয়, কেননা সেখানে অনন্ত সুখ। জ্ঞান সম্পূর্ণ না থাকার কারণে অসুখ-বিসুখে ছটফট করতে থাকে । রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে যখন, তখন ভগবানকে স্মরণ করে । সেটাও ভালো । একজনকেই স্মরণ করতে হবে । বাবাও এক'থা বোঝান। ওরা ওদের গুরুকে স্মরণ করে, গুরু তো অনেকেই আছে। এক সদ্গুরুকে তোমরাই জান । তিনি হলেন সর্বশক্তির অধিকারী । বাবা বলেন আমি এইসব বেদ, গ্রন্থ ইত্যাদি জানি। *এসবই হলো ভক্তি মার্গের সামগ্রী, এর দ্বারা আমাকে পাওয়া যায় না । বাবা আসেন এই পাপ আত্মাদের দুনিয়ায়। এখানে পুণ্য আত্মা কোথা থেকে আসবে । যে সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেছে তার শরীরেই আসি। সর্বপ্রথম সেই শোনে*। বাবা বলেন এখানে তোমাদের স্মরণের যাত্রা ভালো হয়। যদিও তুফান আসবে কিন্তু বাবা বোঝাতে থাকেন যে নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ কর । কল্প পূর্বেও তোমরা এভাবেই জ্ঞান শুনেছিলে । প্রতিদিনই শুনছ । রাজধানী স্থাপন হতে চলেছে । পুরানো দুনিয়ারও বিনাশ ঘটবে । আচ্ছা!



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ -সুমন, স্মরণ আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. অমৃতবেলায় উঠে শরীর থেকে অলিপ্ত হওয়ার ড্রিল করতে হবে । পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীর কিছুই যেন স্মরণে না আসে, সবকিছু ভুলে যেতে হবে ।

২. সঙ্গম যুগে পাপ আত্মাদের সাথে লেনদেন করা উচিত নয় । কর্মের হিসেব-নিকেশ আনন্দের সাথে মেটাতে হবে । কান্নাকাটি বা দুঃখ করা উচিত নয় । সবকিছুই বাবার কাছে সমর্পণ করে ট্রাস্টি হয়ে সামলাতে হবে ।

বরদান:-

যে কোনো বিষয় কল্যাণের ভাবনা নিয়ে দেখতে আর শুনতে সমর্থ স্বরূপ পরদর্শন মুক্ত ভব

সংগঠন যত বড় হবে, অনেক বড় বড় কথাও হবে । কিন্তু নিজের সেফ্টি তখনই থাকবে যখন দেখেও দেখবে না, শুনেও শুনবে না। নিজের স্ব-চিন্তায় থাকবে । স্ব-চিন্তনে সমর্থ আত্মা পরদর্শন থেকে মুক্ত হয়ে যায় । যদি কোনো কারণে শুনতেই হয় নিজেকেই তার দায়িত্ববান মনে করে, প্রথমেই নিজের ব্রেককে পাওয়ারফুল করে তোলো। দেখেছ-শুনেছ, যতটুকু করা সম্ভব কল্যাণ করো, তারপর ফুলস্টপ বসাও।

স্লোগান:-

নিজের সন্তুষ্টি, আনন্দময় জীবন দ্বারা প্রতিটি পদক্ষেপে সেবা করতে সমর্থরাই প্রকৃত সেবাধারী ।