১২-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন সারা দুনিয়ার হাহাকার সমাপন করে, জয়জয়কার করতে-পুরোনো দুনিয়াতে আছে হাহাকার, নতুন দুনিয়াতে আছে জয়জয়কার"
প্রশ্ন:-
কোন্ ঈশ্বরীয় নিয়মে একমাত্র গরীবই বাবার সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেয়, বিত্তবান নিতে পারে না ?
উত্তর:-
ঈশ্বরীয় নিয়ম হলো- সম্পূর্ণ নিঃস্ব (বেগর) হও, যা কিছুই থাকুক না কেন তাকে ভুলে যাও। আর গরীব বাচ্চারা সহজেই ভুলে যায় কিন্তু যারা বিত্তশালী, মনে করে নিজেরা স্বর্গে আছে- তারা বুদ্ধি থেকে কিছু ভুলতে পারে না। সেই জন্য যাদের ধন-দৌলত, মিত্র, পরিজন স্মরণে থাকে তারা সত্যিকারের যোগী হতেই পারে না। স্বর্গে ওদের উচ্চ পদ প্রাপ্তি হয় না।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি নিশ্চয়বুদ্ধি (অটল বিশ্বাস) সম্পন্ন বাচ্চারা তো ভালো করে জানে, তারা দৃঢ়তার সাথে সুনিশ্চিত যে বাবা এসেছেন সমস্ত দুনিয়ার ঝগড়া মেটাতে। যে জ্ঞানী ও বিচক্ষণ বাচ্চা, তিনি জানেন এই দেহে বাবা এসেছেন, যার নামও হলো শিববাবা। কেন এসেছেন? হাহাকারকে সমাপ্ত করে জয়জয়কার করাতে। মৃত্যুলোকে কতো ঝগড়া ইত্যাদি আছে। সবাইকেই হিসাব-নিকাশ (কর্মের) মিটিয়ে যেতে হবে। অমরলোকে ঝগড়ার কোনো ব্যাপার নেই। এখানে কতো বিপর্যয় (হাহাকার) হয়েই চলেছে। কতো কোর্ট, জজ ইত্যাদি আছে। মারামারি লেগেই আছে। বিদেশেও দেখো হাহাকার আছে। সারা দুনিয়াতে অনেক বিবাদ। একে বলা হয় পুরোনো তমোপ্রধান দুনিয়া। আবর্জনা আর আবর্জনা। জঙ্গল আর জঙ্গল। অসীম জগতের পিতা এই সব কিছু সমাপ্ত করার জন্য এসেছেন। এখন বাচ্চাদের অনেক জ্ঞানী আর বিচক্ষণ হতে হবে। যদি বাচ্চাদের মধ্যেও লড়াই ঝগড়া হতে থাকে তবে বাবার সাহায্যকারী কি ভাবে হবে। বাবার তো অনেক ভালো সাহায্যকারী বাচ্চা চাই- জ্ঞানী, বিচক্ষণ, যাদের মধ্যে কোনো বিবাদ থাকবে না। এটাও বাচ্চারা বোঝে যে এটা হলো পুরোনো দুনিয়া। এখানে অনেক ধর্ম আছে। বিশেষ তমোপ্রধান ওয়ার্ল্ড। সমস্ত দুনিয়া হলো পতিত। পতিত পুরোনো দুনিয়াতে ঝগড়া আর ঝগড়া। এই সব কিছু সমাপ্ত করতে, জয়জয়কার করতে বাবা আসেন। প্রত্যেকে জানে এই পুরোনো দুনিয়াতে কতো দুঃখ আর অশান্তি আছে, সেই জন্য সবাই চায় বিশ্বে শান্তি আসুক। এখন কোনো মানুষ সারা বিশ্বে শান্তি কি ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। অসীম জগতের পিতাকে নুড়ি-পাথর, ভাঙা কলসীর টুকরোতে টেনে এনেছে। এটাও এক খেলা। তাই বাবা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, এখন দাঁড়িয়ে পরো। বাবার সহায়তাকারী হও। বাবার থেকে নিজের রাজ্য- ভাগ্য নিতে হবে। কিছুই কম নেই, অগাধ সুখ। বাবা বলেন- মিষ্টি বাচ্চারা, ড্রামা অনুযায়ী বাবা তোমাদের লক্ষ কোটি গুণের ভাগ্যশালী করে তুলতে এসেছেন। ভারতে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করতেন। ভারত স্বর্গ ছিল। স্বর্গকেই বলা হয় ওয়ান্ডার অফ ওয়ার্ল্ড। ত্রেতাকেও বলা হবে না। ঐরকম স্বর্গে আসার জন্য বাচ্চাদের পুরুষার্থ করা উচিত। সর্বপ্রথমেই আসা চাই। বাচ্চারা চায়ও যে আমরা স্বর্গে আসবো, লক্ষ্মী বা নারায়ণ হবো। এখন এই পুরোনো দুনিয়াতে অনেক হাহাকার হবে।রক্তের অনেক নদী বইবে, রক্তের নদীর পরে ঘি এর নদী বইবে। ওকে বলা হবে ক্ষীরসাগর। এখানেও বড় পুষ্করিণী বানানো হয়,আর কোনো পার্বণে ঐ পুষ্করিণীতে এসে দুধ ঢালা হয়। ওতে আবার স্নান করে। শিব লিঙ্গের উপরেও দুধ ঢালে। সত্যযুগেরও একটা মহিমা আছে যে সেখানে ঘি, দুধের নদী আছে। ঐরকম কোনো ব্যাপার নেই, প্রতি পাঁচ হাজার বছর পরে তোমরা বিশ্বের মালিক হও। এই সময় তোমরা হলে গোলাম আবার তোমরা বাদশাহ হবে। সমস্ত প্রকৃতি তোমার গোলাম হয়ে যায়। ওখানে কখনো অসময়ে বৃষ্টি পড়ে না, নদী সমূহ উত্তাল হয়ে পড়ে না। কোনো উপদ্রব হয় না। এখানে দেখো কতো উপদ্রব। *ওখানে বিকারী বৈষ্ণব নয়, যথাযথ বৈষ্ণব থাকে। এখানে কেউ ভেজিটেরিয়ান হলে তাকেই বৈষ্ণব বলে। কিন্তু তা বলা যায় না, বিকারের জন্য এক জন অপর জনকে অনেক দুঃখ দেয়*। বাবা কতো ভালো ভাবে বোঝান। এটারও মহিমা আছে গ্রাম্য ছোকরা...কৃষ্ণ তো গ্রামের হতে পারে না। উনি তো বৈকুন্ঠের মালিক। তাও আবার চুরাশি জন্ম নেয়।
এটাও তোমরা এখন জানো যে আমরা ভক্তিতে কতো ধাক্কা খেয়েছি, পয়সা বরবাদ করেছি। বাবা জিজ্ঞাসা করেন -তোমাদের এতো পয়সা দিয়েছি, রাজ্য ভাগ্য দিয়েছি, সব কোথায় গেল? তোমাদের বিশ্বের মালিক করলাম আর তোমরা কি করলে ? বাবা তো ড্রামাকে জানেন। নতুন দুনিয়া থেকে পুরোনো দুনিয়া, পুরোনো দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়া তৈরী হয়। এটা হলো চক্র, যা কিছু পাস্ট হয়ে গেছে সেটা আবার রিপিট হবে। বাবা বলেন এখন অল্প সময় আছে, পুরুষার্থ করে ভবিষ্যতের জন্য জমা করো। পুরোনো দুনিয়ার সবকিছুই মাটিতে মিশে যাবে। বিত্তশালী এই জ্ঞানকে ধারণ করবে না। বাবা হলেন গরীবের অধিশ্বর। গরীব ওখানে বিত্তশালীতে পরিণত হয়। বিত্তশালী ওখানে গরীবে পরিণত হয়। এখন লক্ষ কোটি গুণের মালিক অনেকেই আছে। তারা আসবে কিন্তু গরীব হবে। তারা নিজেদের মনে করে স্বর্গে আছে, আর সেটা বুদ্ধি থেকে যেতে চায় না। এখানে তো বাবা বলেন সব কিছু ভুলে যাও। একেবারে নিঃস্ব ভিখারী হয়ে যাও। আজকাল তো কিলোগ্রাম, কিলোমিটার ইত্যাদি কি-কি বেরিয়েছে। যে রাজা সিংহাসনে বসে সে নিজের ভাষায় সব কিছু করে। বিলেতের নকল করে। নিজের তো বুদ্ধি নেই, তারা তো তমোপ্রধান। আমেরিকা ইত্যাদিতে বিনাশের সামগ্রী তে কতো ধন বিনিয়োগ করে। এয়ারোপ্লেন থেকে বোম্ ইত্যাদি ফেলে, আগুন লাগায়। বাচ্চারা জানে, বাবা আসেনই বিনাশ আর স্থাপনা করতে। তোমাদের মধ্যেও বোঝানোর মতো সব নম্বর অনুযায়ী। সবাই এক রকমের সুনিশ্চিত বুদ্ধি সম্পন্ন নয়। বাবা যেমন করেছেন, বাবাকে ফলো করা উচিত। পুরানো দুনিয়াতে এই পাই পয়সা কি করবে। আজকাল কাগজের নোট বেরোচ্ছে। ওখানে তো মোহর থাকবে। সোনার মহল হবে তো মোহরের আর কি মূল্য। যেন সব কিছুই বিনা মূল্যের, ধরনী তো সতোপ্রধান থাকবে।এখন তো পুরোনো হয়ে গেছে। সেটা হলো সতোপ্রধান নতুন দুনিয়া। একদম নতুন জমি হবে। তোমরা সূক্ষ্মবতনে গেলে সুবীরস ইত্যাদি পান করো। কিন্তু ওখানে বৃক্ষ ইত্যাদি তো থাকেই না। মূলবতনেও থাকে না। যখন তোমরা বৈকুন্ঠে যাও তখন সেখানে তোমাদের সব কিছু প্রাপ্ত হয়। বুদ্ধি দিয়ে কাজ করো, সূক্ষ্মবতনে বৃক্ষ থাকে না। বৃক্ষ তো ধরনীর উপর হয়, আকাশে তো নয়। যদিও নাম হলো ব্রহ্ম মহাতত্ত্ব কিন্তু তা হল মহাজাগতিক (পোলার)। আকাশে যেমন স্টার রয়েছে, সেইরকম তোমরা, এই আত্মারা খুব ছোট ছোট বোধগম্য হও। স্টার দেখতে খুব বড়। এরকম নয় যে ব্রহ্ম তত্ত্বে কোন বড় বড় আত্মারা থাকবে। এটা বুদ্ধি দ্বারা বুঝতে হবে। বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। আত্মারাও উপরে আছে বলে মনে হয়, ছোট বিন্দু এই আত্মা। এই সব ব্যাপার তোমাদের ধারণ করতে হবে, তবে কাউকে ধারণ করাতে পারবে। অবশ্যই টিচার নিজে জানলে তবে তো অপরকে পড়ায়। নইলে আর টিচার কিসের। কিন্তু এখানে টিচারও হলো নম্বর অনুযায়ী। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা বৈকুন্ঠকেও বুঝতে পারো। এরকম নয় যে তোমরা বৈকুন্ঠ দেখনি। অনেক বাচ্চারা সাক্ষাৎকার করেছে। ওখানে স্বয়ম্বর কিভাবে হয়, কি ভাষা- সব কিছু দেখেছে। পরবর্তী কালেও তোমরা সাক্ষাৎকার করবে, কিন্তু সেই করবে যে যোগযুক্ত হবে। আর যাদের নিজেদের মিত্র-পরিজন, ধন দৌলত স্মরণে আসতে থাকবে তারা আর কি দেখবে। সত্যিকারের যোগীই শেষ পর্যন্ত থাকবে, যাদের দেখে বাবা খুশী হবেন। বাগিচা ফুলেরই হয়। অনেকে তো ১০-১৫ বছর থেকেও চলে যায়। ওদের বলা হবে আকন্দ ফুল। অনেক ভালো ভালো বাচ্চারা যারা মাম্মা বাবার জন্যও ডাইরেকশন নিয়ে আসতো, ড্রিল করাতো, তারা আজ নেই। এই বাচ্চারাও জানে আর বাবাও জানেন মায়া খুবই প্রভাবশালী। এ হলো মায়ার সাথে গুপ্ত লড়াই। গুপ্ত ঝড়। বাবা বলেন মায়া তোমাদের অনেক হয়রান করবে। এটা হার-জীতের পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা। তোমাদের লড়াই কোনো হাতিয়ার দ্বারা নয়। এ তো ভারতের নামী-গ্রামী প্রাচীন যোগ, যে যোগবলের দ্বারা তোমরা এরকম হয়েছ। বাহুবলের দ্বারা কেউ বিশ্বের বাদশাহী নিতে পারে না। খেলাও হলো ওয়ান্ডারফুল। গল্প আছে দুই বিড়াল মাখনের জন্য লড়াই করে,আর তৃতীয় কেউ তা খেয়ে নেয়। বলা হয় সেকেন্ডে বিশ্বের বাদশাহী। বাচ্চারা সাক্ষাৎকার করে। গল্প আছে কৃষ্ণের মুখে মাখন আছে। বাস্তবে কৃষ্ণের মুখে নতুন দুনিয়া দেখা যায়। যোগবল দ্বারা তোমরা বিশ্বের বাদশাহী রূপী মাখন নিয়ে থাকো। রাজত্বের জন্য কতো লড়াই হয় আর লড়াই এর জন্য কতো শেষ হয়ে যায়। এই পুরানো দুনিয়ার হিসাব-পত্র মিটে যাবে। এই পুরানো দুনিয়ার কোনো জিনিসই থাকার নয়। বাবার শ্রীমত হল-বাচ্চারা হিয়ার নো ইভিল, সী নো ইভিল (খারাপ কিছু শুনো না, খারাপ কিছু দেখো না)...ওরা বাঁদরদের একটি চিত্র তৈরী করেছে। আজকাল তো মানুষেরও তৈরী করে। পূর্বে চীনের দিক থেকে হাতির দাঁতের জিনিস আসতো।চুড়িও কাঁচের পড়তো। এখানে তো গয়না ইত্যাদি পড়ার জন্য নাক-কান ইত্যাদি ছেদন করে, সত্যযুগে নাক কান ছেদন করার দরকার নেই। এখানে তো মায়া এমন যে সবার নাক কান কেটে নেয়। তোমরা, বাচ্চারা এখন স্বচ্ছ হচ্ছো। ওখানে ন্যাচারাল বিউটি থাকে। কোনো জিনিস (প্রসাধনী) লাগানোর দরকার নেই। এখানে তো শরীরই তমোপ্রধান তত্ত্ব দ্বারা নির্মিত, সেই জন্য রোগ ইত্যাদি হয়ে থাকে। ওখানে এসব ব্যাপার নেই। এখন তোমরা এই আত্মারা খুব খুশীতে থাকো যে আমাদের অসীম জগতের পিতা পড়াশুনা করিয়ে নর থেকে নারায়ণ অথবা অমরপুরীর মালিক করে তোলেন, সেই জন্য কথিত আছে অতীন্দ্রিয় সুখ কি জানতে হলে গোপ-গোপীদের থেকে জানতে চাও। ভক্তরা এই কথা জানে না। তোমাদের মধ্যেও অনেক খুশী থাকে আর আর এই কথা স্মরণ করতে থাকে- এরকম বাচ্চা খুবই কম। অবলাদের উপর কতো অত্যাচার হয়। যা কিছু দ্রৌপদীর জন্য কথিত আছে প্র্যাকটিক্যালে সে সব ঘটে চলেছে। *দ্রৌপদী কেন আকুতি জানিয়েছিল ? সেটা মানুষ জানে না। বাবা বুঝিয়েছেন - তোমরা সবাই হলে দ্রৌপদী। এরকম নয় যে ফিমেল সর্বদা ফিমেলই হবে। দুই বার ফিমেল হতে পারে, তার বেশী না। মাতারা আকুতি জানায়- বাবা রক্ষা করো, বিকারের জন্য দুঃশাসন আমাদের হয়রান করছে, একে বলা হয় বেশ্যালয়। স্বর্গকে বলা হয় শিবালয়। বেশ্যালয় হলো রাবণের স্থাপনা আর হলো শিববাবার স্থাপনা*। আর তোমাদের নলেজও দেন। বাবাকে নলেজফুলও বলা হয়। নলেজফুল মানে এরকম নয় যে সবার হৃদয়কে জানতে পারবে। এতে কী লাভ হবে ! বাবা বলেন এই সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ আমি ছাড়া কেউ দিতে পারে না। আমিই বসে তোমাদের পড়াই। একমাত্র বাবা-ই হলেন জ্ঞান সাগর। সত্যযুগে হলো ভক্তির প্রালব্ধ। সত্যযুগ-ত্রেতাতে ভক্তি বলে কিছু থাকে না। পড়াশুনার দ্বারাই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইত্যাদিদেরকে দেখো কতো উপদেষ্টা মন্ডলী রয়েছে । এডভাইস দেওয়ার জন্য উপদেষ্টা রাখে। সত্যযুগে উপদেশক রাখার কোনো দরকার পড়ে না। এখন বাবা তোমাদের বুদ্ধিমান করে তুলছেন। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ দেখো কতো বুদ্ধিমান ছিল। অসীম জগতের বাদশাহী বাবার থেকে পাওয়া যায়। বাবার-ই শিব জয়ন্তী পালন করা হয়। শিববাবা অবশ্যই ভারতে এসে বিশ্বের মালিক করে দিয়ে গেছেন। লক্ষ বছরের ব্যাপার নয়। এই তো কালকের কথা। আচ্ছা! বেশী আর কি বোঝাবো। বাবা বলেন "মন্মনাভব" । বাস্তবে এই পড়াশুনা হল কেবল মাত্র ইশারা। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. বাবার সম্পূর্ণ সহযোগী হওয়ার জন্য জ্ঞানী, বিচক্ষণ হতে হবে। মনের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব যেন না থাকে।
২. স্থাপনা আর বিনাশের কর্তব্যকে দেখে সম্পূর্ণ সুনিশ্চিত হয়ে বাবাকে ফলো করতে হবে। পুরানো দুনিয়ার পাই-পয়সার থেকে বুদ্ধিকে মুক্ত করে সম্পূর্ণ নিঃস্ব হতে হবে। মিত্র-পরিজন, ধন-দৌলত ইত্যাদি সব কিছু ভুলে যেতে হবে।
বরদান:-
বাবার আজ্ঞা মনে করে ভালোবাসার সাথে প্রতিটি বিষয়কে সহনকারী সহনশীল ভব
কোনো বাচ্চা বলে আমি হলাম সঠিক (রাইট),তবুও আমাকেই সহ্য করতে হয়, মরতে হয়। কিন্তু এই সহ্য করা বা মরণই ধারণার সাবজেক্টে নম্বর আনে, সেই জন্য সহন করতে গেলে ঘাবড়িও না। কোনো বাচ্চা সহন করে কিন্তু বাধ্য হয়ে সহ্য করা আর ভালোবেসে সহন করা- এর মধ্যে পার্থক্য আছে। পরিস্থিতির কারণে সহ্য কোরো না, কিন্তু বাবার আজ্ঞা হলো সহনশীল হও। তাই আজ্ঞা মনে করে ভালোবাসার সাথে সহন করো অর্থাৎ নিজেকে পরিবর্তন করে নেওয়া এতেই মার্কস্ আছে।
স্লোগান:-
যে সর্বদা খুশীর পুষ্টিকর ভোজন খায়, সে স্বাস্থ্যবান থাকে।