২৮-০৩-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবার কর্তব্য হলো, কাঁটার জঙ্গলকে বিনাশ করে ফুলের বাগান তৈরী করা, এতেই নম্বরওয়ান(ফার্স্টক্লাস) ফ্যামিলি প্ল্যানিং হয়ে যায়"

প্রশ্ন:-

ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর ফার্স্টক্লাস শাস্ত্র কোনটি এবং কিভাবে ?

উত্তর:-

গীতা হলো ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর ফার্স্টক্লাস শাস্ত্র। কারণ গীতার দ্বারাই বাবা অনেক ধর্মের বিনাশ করে এক ধর্মের স্থাপনা করেছেন। গীতা-তেই ভগবানের মহাবাক্য রয়েছে, কাম মহাশত্রু। যখন কাম-রূপী শত্রুর উপর বিজয়লাভ কর তখন স্বাভাবিকভাবেই ফ্যামিলি প্ল্যানিং হয়ে যায়। এই কার্য হলো একমাত্র বাবার। এ কোনো মানুষের কার্য নয়।

ওম্ শান্তি ।

শিব ভগবানুবাচ। বাবা বসে তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের বোঝান যে, এই দুনিয়াকে তো অবশ্যআসুরী দুনিয়া বলা হবে। আর নতুন দুনিয়াকে দৈবী দুনিয়া বলা হবে। দৈবী দুনিয়ায় অল্পসংখ্যক মানুষ থাকে। এখন এই গুপ্ত কথাও কাউকে বোঝান উচিৎ। যারা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মন্ত্রী হন, তাদেরকেও বোঝান উচিৎ। বলো, গীতার কথা অনুযায়ী ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর কর্তব্য তো একমাত্র বাবার। গীতাকে তো সবাই মানে। গীতা হলোই ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর শাস্ত্র। গীতার দ্বারাই বাবা নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন। তাঁর এই ভুমিকা(পার্ট) স্বাভাবিকভাবেই ড্রামায় ফিক্সড হয়ে রয়েছে। বাবাই এসে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন অথবা পবিত্র জাতীয়তা (ন্যাশানালিটি) স্থাপনা করেন। নিজেকে দেবী-দেবতা ধর্মেরই বলবে। গীতায় ভগবান পরিস্কার ভাবে বলেছেন যে, আমি আসিই এক ধর্মের স্থাপনা করতে, আর বাকি সব ধর্মের বিনাশ করতে। আর এতেই ফ্যামিলি প্ল্যানিং অত্যন্ত ভালভাবে হয়ে যাবে। সমগ্র সৃষ্টিতে জয়-জয়কার হবে আর এক আদি সনাতন ধর্মের স্থাপনা হয়ে যাবে। মানুষের সংখ্যা অত্যধিক হওয়ার কারণে অনেক নোংরা(অপবিত্র) হয়ে গেছে। ওখানকার পশু, পাখী ইত্যাদি সবই ফার্স্টক্লাস হবে, যা দেখলেই হৃদয় খুশীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, ভয়ের কোনো কারণ নেই। বাবা বসে বোঝান যে, তোমরা আমাকে ডেকেছই এইজন্য যে এসে ফ্যামিলি প্ল্যানিং কর অর্থাৎ অপবিত্র পরিবারকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও, আর পবিত্র পরিবারের স্থাপনা কর। তোমরা সবাই বলতে -- বাবা এসো আর এসে অপবিত্র দুনিয়ার বিনাশ করে নতুন দুনিয়া তৈরী কর। এ হলো বাবার-ই প্ল্যানিং। দেখলেই হৃদয় খুশীতে ভরে যায়। লক্ষ্মী-নারায়ণকে দেখলেই তোমাদের হৃদয় খুশীতে ভরে ওঠে, তাই না। ওখানে তো যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজা, সবই ফার্স্টক্লাস। এই পরিবার পরিকল্পনার যুক্তি তো ড্রামায় ফিক্সড হয়ে রয়েছে। বাচ্চারা তোমাদের বোঝাতে হবে -- পারলৌকিক পিতা তো ফার্স্টক্লাস সত্যযুগের প্ল্যানিং করেন, কাঁটার জঙ্গলকেই ধ্বংস করে দেয়। সমগ্র কাঁটার জঙ্গল-সদৃশ দুনিয়াতেই(ভম্ভোর) আগুন লেগে যায়। এই কার্য তো একমাত্র বাবার-ই। তোমরা কিছুই করতে পার না। যতই পরিশ্রম কর, সফল কেউ-ই হতে পারবে না। বাবা বলেন -- যে কাম-বিকারকে তোমরা নিজেদের মিত্র বলে মনে কর আসলে তা হলো সর্বাপেক্ষা বড় শত্রু। অনেকেই আছে যারা এর মিত্র হয়ে যায়। বাবা অর্ডিন্যান্স বের করেন -- তোমরা এর উপর বিজয়লাভ কর। তোমরা বোঝাও যে -- বাবা বলেন, কাম হলো মহাশত্রু। বেচারা-রা তো জানেই না যে ফ্যামিলি প্ল্যানিং কিভাবে হচ্ছে। ড্রামা অনুসারে এ তো প্রতি কল্পে বাবা-ই করে থাকেন। এর পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে। সত্যযুগে অনেক কমসংখ্যক মানুষ হয়, এতে চিন্তার কোন কারণ নেই। প্র্যাকটিক্যালি বাবা এখন এই কার্য সম্পাদন করছেন। তারা তো মাথা চাপড়াতে থাকে। শিক্ষামন্ত্রী-কেও বোঝাও। এখনকার মানুষের চরিত্র অত্যন্ত খারাপ। দেবতাদের চরিত্র কত ভাল ছিল। তোমরা বেপরোয়াভাবে কথা বল। বলো, এ কোনো মন্ত্রীর কর্ম নয়। এ তো একমাত্র উচ্চ থেকে উচ্চতম বাবার কর্ম। এই দেবতাদের রাজত্বে তো এক ধর্ম, এক রাজ্য, এক ভাষা ছিল। কত অল্পসংখ্যক মনুষ্য ছিল। কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক বাচ্চাই এইরকম যুক্তিযুক্তভাবে বলতে পারে। কারণ তাদের সেই আধ্যাত্মিক অথরিটি থাকে না। তাদেরকে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র দেখানো উচিৎ। এই ফ্যামিলি প্ল্যানিং বাবা-ই করেছিলেন। এখন পুনরায় করছেন। এঁনাদের (লক্ষ্মী-নারায়ণ) রাজ্য স্থাপন করা হচ্ছে।



বাবা বলেন -- এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র সর্বদা সম্মুখে রাখো আর অনেক আলো ইত্যাদি দিয়ে সাজাও। প্রভাতফেরীতেও যেন এই ট্রান্স লাইটের চিত্র থাকে। যা একদম পরিষ্কারভাবে সকলেই দেখতে পারে। তোমরা বলো যে, আমরা এইরকম ফ্যামিলি প্ল্যানিং করছি। যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজা। পবিত্র রাজত্বের(ডিটি ডিনায়েস্টি) স্থাপনা হচ্ছে। আর বাকি সব বিনাশ প্রাপ্ত হবে। তোমরা তো বলেও থাকো যে, হে পতিত-পাবন এসো, আমাদের পবিত্র কর। তা তো একমাত্র বাবাই করতে পারেন। একমাত্র দেবী-দেবতা ধর্মই পবিত্র হয়। বাকি সব শেষ হয়ে যায়। তোমরা বলো যে, সব প্ল্যানিং শিববাবার হাতেই রয়েছে। সত্যযুগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। ওখানে থাকেই দেবতা-বংশীয়রা, শূদ্ররা সেখানে থাকে না। এ হলো অতি সুন্দর পরিকল্পনা। আর বাকি সব ধর্মের বিনাশ হয়ে যাবে। বাবার এই পরিকল্পনাকে এসে তোমরা বোঝো। তোমাদের এই কথা শুনে অনেকেই তোমাদের কাছে নিজেকে সমর্পণ করবে। এই মন্ত্রী ইত্যাদিরা কিভাবে নির্বিকারী পরিবারের পরিকল্পনা করতে পারে। বাবা অর্থাৎ যিনি উচ্চ থেকে উচ্চতম ভগবান, তিনিই আসেন এই প্ল্যানিং করতে। বাকি আর যে সব অনেক ধর্ম রয়েছে, সেগুলিকে বিনাশ করে দেন। এই বিষয়টি রয়েছেই অসীম জগতের পিতার হাতে। পুরানো জিনিসকে নতুন করে দেন। নতুন দুনিয়ার স্থাপন করে পুরানোকে বিনাশ করে দেন। এও ড্রামায় ফিক্সড হয়ে রয়েছে। তোমাদের বোঝানো উচিৎ যে -- বোনেরা এবং ভাইয়েরা, বাবা তোমাদের বলছেন যে, এই সৃষ্টি-চক্রের আদি-মধ্য-অন্তকে তোমরা জানো না। সত্যযুগের প্রারম্ভে না এতো মানুষ থাকে, আর না ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর কথা বাবা বলেন। প্রথমে তোমরা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে এসে বোঝো। বাবা-ই সদ্গতিদাতা। সদ্গতি অর্থাৎ সত্যযুগের মানুষ। প্রথম-প্রথম এই দেবী-দেবতারা অতি অল্পসংখ্যক ছিল। সেই ধর্ম ছিল ফার্স্টক্লাস। ফুলেদের জন্য বাবা ফার্স্টক্লাস প্ল্যানিং তৈরী করেন। কাম হলো মহাশত্রু। আজকাল তো এরজন্য প্রাণও দিয়ে দেয়। কারোর যদি কারোর সাথে প্রেম থাকে, মা-বাবা যদি বিয়ে না দেয়, ব্যস্ তাহলে ঘরেই শোরগোল(ঝামেলা) শুরু করে দেয়। এ হলো অপবিত্র দুনিয়া। সকলেই একে-অপরকে কাঁটা ফোটাতে থাকে। সত্যযুগে তো পুষ্পবর্ষণ হয়। তাই এমন-এমন বিচার সাগর মন্থন কর। বাবা ইশারা দিতে থাকেন । তোমরা এদের রিফাইন কর। চিত্রও ভিন্ন-ভিন্ন প্রকারের তৈরী করা হয়। ড্রামা অনুসারে যা কিছুই হয় তা সবই সঠিক। কাউকে বোঝানোও অনেক সহজ। সকলের ধ্যানকে বাবার দিকে আকর্ষণ করতে হবে। এই কার্যও একমাত্র বাবার-ই। এখন এই কার্য তো বাবা উপরে বসে করবেন না। তিনি বলেনও যে, যখন-যখন ধর্মের অতি গ্লানি হয়, যখন রাজ্য আসুরীয় হয়ে যায় তখন-তখনই আমি এসে এই সবকিছুর বিনাশ করে দৈবী-রাজ্যের স্থাপনা করি। মানুষ তো অজ্ঞানতার নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। এই সবকিছুই বিনাশ প্রাপ্ত হবে। যারা নির্বিকারী হয় তাদেরই পরিবার এসে এখানে রাজত্ব করে। গায়নও রয়েছে -- ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, কিসের? এই পরিবারের। এই পরিকল্পনাই এখন হচ্ছে। ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা পবিত্র হয় তাহলে তাদের জন্য অবশ্যই পবিত্র দুনিয়া চাই। এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ অতি ক্ষুদ্র। এই অতি অল্পসময়ের মধ্যে কত ভাল প্ল্যানিং করে দেন। বাবা সকলের হিসেব-নিকেশ চুক্ত করিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যান, এতো সব নোংরা(অপবিত্রতা) তো সেখানে নিয়ে যাবেন না। ছি-ছি অর্থাৎ অপবিত্র আত্মারা যেতে পারে না, তাই বাবা এসে ফুলে পরিনত করে নিয়ে যান। এমন-এমন কথার উপর বিচার সাগর মন্থন কর। তোমরা অনুভব (রিয়েলাইজেশন) করতে থাকো। বাবা বলেন, আমি এক ধর্মের স্থাপনা করার জন্য তোমাদের রিহার্সাল করাই। এই পরিবার পরিকল্পনা কে করেন? বাবা বলেন যে, আমি কল্প-পূর্বের মতন নিজের কার্য করছি। আহ্বানও করে, অপবিত্র(পতিত) ফ্যামিলিকে পরিবর্তিত করে পবিত্র ফ্যামিলি স্থাপন কর। এইসময় সকলেই পতিত। বিবাহের জন্য লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ করে। তারা কত অনুষ্ঠান করে এবং আরোই পবিত্র থাকার বদলে অপবিত্র হয়ে যায়।



বাচ্চারা, তোমাদের এখন এই ঈশ্বরীয় কার্য(ধান্দা) করা উচিৎ। সকলকে বোঝানো উচিৎ। সকলেই আসুরী( অজ্ঞানতার) নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে,তাদের জাগরিত করা উচিৎ। নিজে সুন্দর(গৌরবর্ণ) হয়ে অন্যদেরও এমন বানাও । তবেই বাবার ভালোবাসা পাবে। সেবাই যদি না কর তবে আর কি পাবে? যদি কেউ বাদশাহ হয় তবে তো সে অবশ্যই কিছু ভাল কর্ম করেছে। এ তো যে কেউ বুঝতে পারে। এরা রাজা-রানী, আমরা দাস-দাসী তাহলে তো অবশ্যই পূর্ব জন্মে এমনই কিছু কর্ম করেছি। খারাপ কর্ম করলে জন্মও খারাপ হয়। কর্মের গতি চলতেই থাকে। এখন বাবা তোমাদের ভাল কর্ম করা শেখাচ্ছেন। ওখানেও এমন অবশ্যই বুঝতে পারবে যে, পূর্বজন্মের কর্ম অনুসারেই এমন হয়েছি। কিন্তু কি কর্ম করেছি তা জানবে না। কর্মের গায়নও (স্মরণ) হবে। যে যত ভাল কর্ম করে সে তত উচ্চপদ লাভ করে। উচ্চ(শ্রেষ্ঠ) কর্মের দ্বারাই উচ্চ(মহান) হয়ে যায়। ভাল কর্ম না করলে ঝাড়ু দেয়, অন্যের বোঝা ওঠায়। একে তো কর্মফলই বলা হবে, তাই না। কর্মের থিওরি চলতেই থাকে। শ্রীমত অনুসারেই সুকর্ম হয়। কোথায় বাদশাহ, আর কোথায় দাস-দাসী। বাবা বলেন, এখন ফলো ফাদার। আমার শ্রীমত অনুসারে যদি চলো তবে উচ্চপদ লাভ করবে। বাবা সাক্ষাৎকারও করান। এই মাম্মা, বাবা (ব্রহ্মা), আর বাচ্চারা এতো মহান(উচ্চ) হয়ে যায়, এও তো কর্মের জন্যই, তাই না। অনেক বাচ্চারা আবার কর্মকে বুঝতে পারে না। পরে সকলেরই সাক্ষাৎকার হবে। সঠিকভাবে পড়লে, লিখলে তবেই রাজা(নবাব) হবে, আর ক্রন্দন বা দুঃখ করলে খারাপ হবে। এ তো ওই(লৌকিক) পড়াশোনাতেও হয়। ভগবানুবাচ, এইসময় সমগ্র দুনিয়া কাম-চিতায় জ্বলে-পুড়ে মরে যাচ্ছে। তারা বলে যে, স্ত্রী-দের(নারী) দেখলে তাদের স্থিতি খারাপ হয়ে যায়। ওখানে(স্বর্গে) তো স্থিতি এভাবে খারাপ হবে না। বাবা বলেন, নাম-রূপ দেখোই না। তোমরা ভাই-ভাইকে দেখো। লক্ষ্য(গন্তব্য) অনেক উঁচু। বিশ্বের মালিক হতে হবে। একথা কখনো কারোর বুদ্ধিতে আসে না যে -- এই লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক কিভাবে হয়েছে ? বাবা বলেন, আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক বানিয়ে দিই। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ সর্বগুণসম্পন্ন ছিল। আজকাল যাদের তোমরা নতুন রক্ত(নিউ জেনারেশন) বলো তারা কিরকম করতে থাকে! গান্ধীজী কি এই শিখিয়েছে? রাম-রাজ্য বানানোর যুক্তি চাই। এ তো একমাত্র বাবার কাজ। বাবা তো এভার পিওর(পবিত্র)। তোমরাও ২১ জন্ম পবিত্র থাকো আবার ৬৩ জন্মের জন্য অপবিত্র হয়ে যাও। বোঝানোর নেশাতেও মত্ত হওয়া উচিৎ। বাবা বাচ্চাদের বোঝান -- বাচ্চারা, পবিত্র হও। *আচ্ছা*!



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা এবং সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. নিজের অবস্থাকে সদা একরস, অচল বানানোর জন্য কারও নাম-রূপকে যেন দেখা না হয়। ভাই-ভাইকে দেখো। দৃষ্টি পবিত্র করো। বোঝানোর অথরিটি ধারণ কর।

২. বাবার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য বাবার সমান কর্ম করতে হবে, যারা আসুরী ( অজ্ঞানতা) নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে, তাদের জাগরিত করতে হবে। সুন্দর(গৌরবর্ণ) হয়ে অপরকেও তেমন বানাতে হবে।

বরদান:-

'বালক তথা মালিক'- এই স্মৃতি দ্বারা সর্ব ভান্ডারকে নিজের করে নেওয়া স্বরাজ্য অধিকারী ভব

বাচ্চারা, এইসময় তোমরা শুধু বালক নও বরং তোমরা বালক তথা মালিক, এক হলো স্বরাজ্যের অধিকারী অর্থাৎ মালিক আর দ্বিতীয় হলো বাবার অবিনাশী সম্পদের মালিক(বিশ্বরাজ্য অধিকারী)। যখন স্বরাজ্য অধিকারী, তখন নিজের কর্মেন্দ্রিয় গুলি তোমার আজ্ঞাবহ( অর্ডার প্রমাণ) হয়। কিন্তু অনেকসময় মালিক মনোভাবাপন্নতার স্মৃতিকে ভুলিয়ে, মন সবকিছু বশ করে নেয় তাই তখন বাবার মন্ত্র হলো 'মন্মনাভব'। মন্মনাভব থাকলে কোনো ব্যর্থ কথার প্রভাব পড়বে না আর নিজেকে সর্ব ভান্ডারে সমৃদ্ধ বলে অনুভূত হবে।

স্লোগান:-

পরমাত্ম প্রেমের দোলনায় উড়তি কলার আনন্দকে অনুভব করাই হলো সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ভাগ্য*।