০৫-০৮-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- আমি বিদেহী (নিরাকার) পিতা, তোমরা দেহধারী, তোমাদের বিদেহী স্বরূপে পরিণত করার জন্যে পড়াই, এ হল নতুন কথা যা বাচ্চারা-ই বোঝে"
প্রশ্ন:-
বাবাকে একই কথা বার-বার বোঝানোর দরকার পড়ে কেন ?
উত্তর:-
কারণ বাচ্চারা ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যায়। অনেক বাচ্চারা বলে - বাবা তো একই কথা বার বার বোঝান। বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমায় সেই একই কথা নিশ্চয়ই বলতে হয়, কারণ তোমরা ভুলে যাও। মায়ার ঝড় তোমাদের বিভ্রান্ত করে, যদি আমি তোমাদের রোজ সতর্ক না করি তাহলে তোমরা মায়ার ঝড়ে ভেঙে পড়বে। এখনও তোমরা সতোপ্রধান কোথায় হয়েছ? যখন হয়ে যাবে তখন বলা বন্ধ করে দেব ।
ওম্ শান্তি ।
একে বিচিত্র আধ্যাত্মিক (রূহানী) পড়াশোনা বলা হয়। নতুন দুনিয়া সত্যযুগে দেহধারীরাই একে অপরকে পড়ায়। নলেজ তো সবাই পড়ায়। এখানেও পড়ানো হয়। তারা সবাই দেহধারী, একে-অপরকে পড়ায়, এমন কখনও হবে না যে, বিদেহী পিতা (নিরাকার) পড়ান। শাস্ত্রেও কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লিখে দিয়েছে। সেটি হয়ে গেল দৈহিক। এই নতুন কথা শুনে কনফিউজড হয়ে যায়। তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে বুঝতে পারে যে, আত্মিক পিতা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পড়ান। এ হল নতুন কথা। শুধুমাত্র এই সঙ্গমে বাবা নিজে এসে বলেন, এনার (ব্রহ্মাবাবার) দ্বারা আমি তোমাদের পড়াই। জ্ঞানের সাগর, শান্তির সাগর, সব আত্মাদের পিতাও হলেন তিনি। এই কথাটি বুঝতে হবে, তাইনা। দেখতে কিছুই পাওয়া যায় না। আত্মা-ই হল মুখ্য এবং অবিনাশী। শরীর তো বিনাশী। এখন সেই অবিনাশী আত্মা বসে পড়াচ্ছেন। যদিও তোমরা সামনে দেখছ সাকারে এই শরীরটি বিরাজিত কিন্তু এই কথা তোমরা জানো, এই জ্ঞান দেহধারী প্রদান করে না। জ্ঞান প্রদান করেন বিদেহী নিরাকার পিতা। কিভাবে দেন ? সে কথাও তোমরা বোঝো। মানুষ তো খুব সহজে বুঝতে পারে না । তোমাদের কত মাথা ঘামাতে হয় এই কথাটি নিশ্চয় করাতে। তারা তো বলে দেয় নিরাকারের কোনও নাম, রূপ, দেশ, কাল হয় না। তিনি পিতা, তিনি নিজে বসে পড়ান। বলেন, আমি সব আত্মাদের পিতা, যাঁকে তোমরা চোখে দেখতে পাও না। বুদ্ধি দ্বারা বুঝতে পারো তিনি হলেন বিদেহী অর্থাৎ নিরাকার। জ্ঞান, আনন্দ, প্রেমের সাগর হলেন তিনি। তিনি কিভাবে পড়াবেন। বাবা নিজেই বোঝান - আমি কিভাবে আসি, কার আধার নিয়ে থাকি ? আমি কোনও গর্ভ থেকে জন্ম গ্রহণ করি না। আমি কখনও মানুষ বা দেবতা হই না। দেবতারাও শরীর ধারণ করেন। আমি তো সর্বদা অশরীরী থাকি। ড্রামাতে আমার এই পার্ট আছে, যে আমি কখনো পুনর্জন্মে আসি না। সুতরাং এ হল বোঝার মতো বিষয়, তাইনা। দেখতে পাওয়া যায় না। তারা তো ভাবে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ। ভক্তি মার্গে বসে কেমন রথের চিত্র বানিয়েছে। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা কনফিউসড হও না তো ? যদি কিছু বুঝতে না পারো, তো বাবার কাছে এসে বোঝো। যদিও না জিজ্ঞাসাàlÔ àlÔ °ôÑ "Ò HmÔ mÔ @ mÔ #2497; বোঝাতেই থাকেন। তোমাদেরও জিজ্ঞাসা করার দরকার নেই। আমি এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগেই অবতরিত হই। আমার জন্মও হল ওয়ান্ডারফুল। বাচ্চারা, তোমাদেরও বিস্ময় অনুভব হয় যে, তিনি কত বিরাট পরীক্ষা পাস করিয়ে দেন। সবচেয়ে বড় বিশ্বের মালিক করার জন্যে পাঠ পড়ান। ওয়ান্ডারফুল কথা, তাইনা। হে আত্মারা, প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আমি তোমাদের সার্ভিস করতে আসি। তিনি আত্মাদের পড়ান তাইনা। কল্প-কল্প, কল্পের সঙ্গম যুগে তোমাদের সেবায় আসি। অর্ধকল্প তোমরা আহ্বান করেছ - হে বাবা, হে পতিত-পাবন এসো। কৃষ্ণকে কেউ পতিত-পাবন বলে না। পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মাকেই বলা হয়। অতএব বাবাকেও আসতে হবে পতিতদের পবিত্র করতে। তাই বলা হয় - অকাল মূর্ত, সত্য বাবা, অকাল-মূর্ত-সত্য টিচার, অকালমূর্ত - সদগুরু। শিখদেরও খুব ভালো ভালো স্লোগান আছে। কিন্তু তারা এই কথা জানে না যে অকাল মূর্ত কখন আসেন । এই রূপ গায়নও আছে - মানুষ থেকে দেবতা করতে বেশি সময় লাগে না...। তিনি কবে এসে মানুষকে দেবতা করেন ? তিনি হলেন সকলের সদগতি দাতা, এই কথা তো পাক্কা নিশ্চয় থাকা উচিত। তিনি এসে কি বলেন ? শুধু বলেন "মন্মনাভব" । তার অর্থও বোঝান, অন্য কেউ অর্থ বোঝান না। তোমাদের সদগুরু অকাল মূর্ত বসে বোঝাচ্ছেন ব্রহ্মার শরীর দ্বারা যে, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। অতএব এই কথা বোঝা উচিত। বিশ্বের মালিক করতে বাবাকে আসতে হয় - বাচ্চারা তোমাদের সেবায়। তিনি বোঝান - হে আত্মা রূপী (রূহানী) বাচ্চারা, তোমরা সতোপ্রধান ছিলে, তারপরে তমোপ্রধান হয়েছ। এই সৃষ্টি চক্রটি পরিক্রমা করে, তাইনা। পবিত্র দুনিয়া এই দেবতাদের ছিল। তাঁরা কোথায় ? এই কথা কারো জানা নেই। সবাই কনফিউজড । বাবা এসে তোমাদের বুদ্ধিমান করেন। বাচ্চারা, আমি একবার-ই আসি, পবিত্র দুনিয়ায় আমি কেনই বা আসব ! সেখানে তো কাল আসতে পারবে না। বাবা তো হলেন কালের কাল মহাকাল। সত্যযুগে আসার দরকার নেই। সেখানে কালও আসেনা তো মহাকালও আসেনা। তিনি এসে সব আত্মাদের ফিরিয়ে নিয়ে যান। খুশী মনে ফিরে যাও তো, তাইনা ! হ্যাঁ বাবা, আমরা খুশী মনে ফিরে যাওয়ার জন্যে তৈরি। তাই তো আপনাকে আহ্বান করা হয়েছে এই পতিত দুনিয়া থেকে পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে চলো ভায়া শান্তিধাম। এই সব কথা ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যেও না। কিন্তু মায়া শত্রু দাঁড়িয়ে আছে, ক্ষণে ক্ষণে ভুলিয়ে দেয়। আমি মাস্টার সর্ব শক্তিমান, তো মায়াও হল শক্তিমান। মায়াও অর্ধকল্প তোমাদের উপরে রাজত্ব করে, ভুলিয়ে দেয় তাই রোজ-রোজ বাবাকে বোঝাতে হয়, রোজ সজাগ না করলে মায়া খুব ক্ষতি করে দেবে। খেলা হল পবিত্র ও অপবিত্রতার। এখন বাবা বলেন, নিজের আচার আচরণ সঠিক করতে হলে পবিত্র হও। কাম বিকার নিয়ে কত ঝগড়া হয়।
বাবা বলেন এখন তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত করেছ তো আত্মাকেই দেখো। এই দৈহিক নেত্র দ্বারা দেখো না। আমরা সব আত্মারা হলাম ভাই-ভাই। বিকার গ্রস্ত হব কিভাবে। আমরা অশরীরী এসেছিলাম, আবার অশরীরী হয়ে ফিরে যেতে হবে। আত্মা সতো প্রধান এসেছিল, সতো প্রধান হয়ে ফিরে যেতে হবে সুইট হোম। মুখ্য হল-ই পবিত্রতার কথা। মানুষ বলে রোজ একই কথা বোঝান, এই কথা তো ঠিকই আছে। কিন্তু যা কিছু বোঝানো হয়, সেই মতন চলতেও তো হবে, তাইনা। সেই মতো চলার জন্যই বোঝানো হয়। কিন্তু কেউ কি আর চলে ! তাই রোজ রোজ বোঝাতে হয়। এমন কি আর বলে - বাবা আপনি রোজ যে কথা বোঝান সেসব আমরা ভালো ভাবে বুঝে নিয়েছি, এবারে আমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাব। আপনি মুক্ত। এমন কি কেউ বলেছে ? তাই বাবাকে রোজ বোঝাতে øàlÔ àlÔ °ôÑ "Ò HmÔ mÔ @ mÔ িন্তু ফলো করে না তাইনা। বাবাকে স্মরণ করে না। তারা বলে - বাবা, ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যাই। বাবাকে ক্ষণে ক্ষণে বলতে হয় স্মরণ করার কথা। তোমরাও একে অপরকে এই কথাই বোঝাও - নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে পরমাত্মাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপ বিনষ্ট হবে, আর কোনও উপায় নেই। শুরু এবং শেষে এই কথাই বলেন। স্মরণের দ্বারা-ই সতোপ্রধান হবে। নিজেই লেখেন - বাবা, মায়ার ঝড় ভুলিয়ে দেয়। তাহলে বাবা কি সতর্ক করা ছেড়ে দেবেন ? বাবা জানেন নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। যতক্ষণ সতোপ্রধান হবে না ফিরে যেতে পারবে না। যুদ্ধের কানেকশনও আছে, তাইনা। যুদ্ধ লাগবে তখনই, যখন তোমরা নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে সতোপ্রধান হবে। জ্ঞান তো হল এক সেকেন্ডের। অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছ, এখন তাঁর কাছে অসীমের সুখ তখন প্রাপ্ত হবে যখন পবিত্র হবে। পুরুষার্থ ভালো ভাবে করতে হবে। অনেকে তো কিছুই বোঝে না। বাবাকে স্মরণ করার বুদ্ধিটুকু নেই। এই পড়াশোনা কখনও পড়েনি। সম্পূর্ণ চক্রে নিরাকার বাবার কাছে কেউ পড়াশোনা করেনি। সুতরাং এ হল নতুন কথা, তাইনা। বাবা বলেন, আমি তো প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আসি - তোমাদের সতোপ্রধান করতে। যতক্ষণ সতোপ্রধান না হবে ততক্ষণ এই পদের অধিকারী হতে পারবে না। যেমন অন্য পড়াশোনায় ফেল হয় তেমনই এতেও ফেল হয়। শিববাবাকে স্মরণ করলে কি হবে, তাও বোঝে না। পিতা হলেন তিনি, তো অবশ্যই পিতার কাছে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। বাবা একবার-ই বোঝান, যার দ্বারা তোমরা দেবতায় পরিণত হও। তোমরা দেবতা হবে তারপরে নম্বর অনুসারে সবাই আসবে পার্ট করতে। এত সব কথা বৃদ্ধাদের বুদ্ধিতে থাকে না। তাই বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। শুধুমাত্র, শিববাবা-ই হলেন সকল আত্মাদের পিতা। শরীরের পিতা তো সবার নিজস্ব আছে। শিববাবা তো হলেন নিরাকার, তাঁকে স্মরণ করতে করতে পবিত্র হয়ে শরীর ত্যাগ করে পুনরায় বাবার কাছে ফিরে যেতে হবে। বাবা অনেক বোঝান, কিন্তু সবাই একরস বা একরকম বুঝতে পারে না। মায়া ভুলিয়ে দেয়। একেই যুদ্ধ বলা হয়। বাবা কত ভালো ভাবে বসে বোঝান। কত কথা স্মরণ করিয়ে দেন। মুখ্য যা যা ভুল হয়েছে সেসবের লিস্ট বানাও। যেমন তার মধ্যে একটি হল বাবাকে সর্বব্যাপী বলা। ভগবানুবাচ - আমি সর্বব্যাপী নই। সর্বব্যাপী হল ৫টি বিকার, এ হল সবচেয়ে বড় ভুল। গীতার ভগবান কৃষ্ণ নয়, পরমপিতা পরমাত্মা শিব। এই ভুলগুলি ঠিক করে নিলে দেবতায় পরিণত হবে। কিন্তু এমন করে কোনও বাচ্চা লেখেনি যে, এমন করে আমরা বুঝিয়েছি যে এই ভুল গুলির জন্যেই ভারত পবিত্র থেকে পতিত হয়েছে। সেসবও বলতে হবে। ভগবান সর্বব্যাপী কিভাবে হবেন। ভগবান তো হলেন এক, তিনি হলেন সুপ্রিম পিতা, সুপ্রিম টিচার, সুপ্রিম সদগুরু। কোনও দেহধারীকে সুপ্রিম ফাদার, টিচার, সদগুরু বলা যাবে না। কৃষ্ণ হলেন সম্পূর্ণ সৃষ্টিতে সর্বোচ্চ। যখন সৃষ্টি সতোপ্রধান হয়, তখন তিনি আসেন তারপর সতো স্থিতিতে রাম, তারপরে নম্বর অনুসারে নিজ সময়ে আসবেন। শাস্ত্রে দেখানো হয়, সকলের বিকার গ্রহণ করে গলাটি কালো হয়ে গেছে। কিন্তু এখন বোঝাতে - বোঝাতে গলা শুকিয়ে যায়। কথাটি কত ছোট, কিন্তু মায়া খুবই সাংঘাতিক। প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত - আমরা এমন গুণবান সতোপ্রধান হয়েছি ?
বাবা বোঝান, যতক্ষণ বিনাশ হবে না ততক্ষণ তোমরা কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে না। যতই মাথা ঘামাও। সারা সময় শিববাবাকে বসে স্মরণ করো আর কোনও কথা বোলো না। শুধু এই যে বাবা আমি যুদ্ধের আগে কর্মাতীত অবস্থাটি প্রাপ্ত করে দেখাব, এমন যদি কেউ থাকে - এমন ড্রামায় হতে পারে না। প্রথম নম্বরে তো একজন-ই যাবে। ইনিও বলেন আমাকে কত মাথা ঘামাতে হয়। মায়া তো আরও শক্তিশালী হয়ে আসে। বাবা নিজে বলেন আমার পাশের সিটে শিববাবা বসে আছেন, তবুও আমি স্মরণ করতে পারি না, ভুলে যাই। বুঝতে পারি শিববাবা আমার সঙ্গে আছেন। তারপরে আমাকেও তো স্মরণ করতে হয়, যেমন তোমরা করো। এমন নয়, আমি তো সঙ্গে আছি, এই কথায় খুশী হব। না, আমাকেও বলেন - নিরন্তর স্মরণ করো। সঙ্গী আমার তুমি তো শক্তিশালী, তোমার সামনে মায়ার ঝড় আরও বেশি আসবে। তা নাহলে বাচ্চাদের বোঝাবে কি ভাবে। এইসব ঝড় তোমার কাছে তো আসবেই। আমি শিববাবার এত কাছে বসেও কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করতে না পারলে অন্য আর কে করবে। এই লক্ষ্যটি খুব উঁচুতে। ড্রামা অনুযায়ী সবাই পুরুষার্থ করে। যদি কেউ এমন চেষ্টা করে দেখায় - বাবা, আমরা আপনার আগে কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করে দেখাব। এমন হতে পারে না। এই ড্রামা তো হল পূর্ব নির্দিষ্ট।
তোমাদের অনেক পুরুষার্থ করতে হবে। মুখ্য কথা হল ক্যারেক্টার নিয়ে। দেবতাদের ক্যারেক্টার এবং পতিত মানুষের ক্যারেক্টারে অনেক তফাৎ আছে। শিববাবা তোমাদের বিকারী থেকে নির্বিকারী করেন। অতএব এখন পুরুষার্থ করে বাবাকে স্মরণ করতে হয়। ভুলে যেও না। যদিও অবলা নারীরা পরের বশে অর্থাৎ রাবণের বশে বশীভূত আছে তারা কি আর করবে। তোমরা হলে রাম ঈশ্বরের বশে বশীভূত। তারা হল রাবণের বশে বশীভূত। সুতরাং যুদ্ধ চলতেই থাকে। যদিও রাম ও রাবণের যুদ্ধ হয় না। বাবা বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে বোঝান - মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, নিজেকে সঠিক করো। রোজ রাতে কর্মের চার্ট দেখো, সারা দিন কোনোরকম অসুরী ব্যবহার করেছি কি ? বাগানে ফুল তো নম্বর অনুসারেই হয়। দুটি একই রকম হতে পারে না। সব আত্মারা নিজের নিজের পার্ট পেয়েছে। প্রত্যেক আত্মা রূপী অভিনেতা পার্ট প্লে করতে থাকে। বাবাও এসে স্থাপনার কার্য সম্পন্ন করেই থাকেন। প্রতি ৫ হাজার বছর পরে এসে বিশ্বের মালিক করেন। তিনি হলেন অসীমের পিতা তো অবশ্যই নতুন দুনিয়ার উত্তরাধিকার দেবেন। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দ্বারা আত্মাকেই দেখতে হবে। দৈহিক চোখ দিয়ে দেখবেই না। অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
২. বাবার স্মরণ দ্বারা নিজের দৈব ক্যারেক্টার বানাতে হবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, আমরা কত খানি গুণবান হয়েছি ? আমরা সারা দিনে অসুরী আচরণ করেছি কি ?
বরদান:-
অস্থিরতায় মানসিক ভাবে দুর্বল না হয়ে বিশাল হৃদয়ের অধিকারী সাহসী ভব
কখনও কোনো শারীরিক অসুস্থতায় বা মনের অশান্তিতে বা আর্থিক অথবা পারিবারিক অশান্তিতে, সেবার অস্থিরতায় - কখনও মানসিক ভাবে দুর্বল হবে না। বিশাল হৃদয়ের অধিকারী হও। যখন হিসেব-নিকেশ এসেই পড়েছে, ব্যথা যন্ত্রণা এসেই পড়েছে, তখন সেসব ভেবে ভেবে মনকে আর দুর্বল কোরো না, বরং সাহসী হও, এমন ভেবো না হায় কি করি ... সাহস হারিও না। সাহসী হলে বাবার সহযোগ স্বতঃই প্রাপ্ত হবে।
স্লোগান:-
কারো অবগুণ দেখার চোখটি বন্ধ করে মনকে অন্তর্মুখী করো।