26.08.2019 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন তোমাদের সমস্ত আশা পূর্ণ হচ্ছে, পেট ভরে যাচ্ছে, বাবা এসেছেন তোমাদের তৃপ্ত আত্মা করতে"

প্রশ্নঃ -
তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা এখন ভক্তি তো করো না, কিন্তু অবশ্যই ভক্ত হও- কীভাবে ?

উত্তরঃ -
যতক্ষণ পর্যন্ত দেহ-অভিমান আছে ততক্ষণ হলে ভক্ত। তোমরা জ্ঞানী হওয়ার জন্য পড়াশুনা করছো। যখন পরীক্ষায় পাশ করবে, কর্মাতীত হয়ে যাবে তখন সম্পূর্ণ জ্ঞানী বলা হবে। এরপর পড়াশুনা করার দরকার হবে না।

ওম্ শান্তি ।
ভক্ত আর ভগবান দুটো জিনিস হলো যে না! বাচ্চারা আর বাবা। ভক্ত তো অনেক অনেক আছে। ভগবান হলেন এক। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের খুব সহজ ব্যাপার বলে মনে হয়, আত্মারা শরীর দ্বারা ভক্তি করে, কেন? ভগবান বাবার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য। তোমরা এই ভক্তরা এখন ড্রামা কি, তা বুঝে গেছো। যখন সম্পূর্ণ জ্ঞানীতে পরিণত হবে তো এখানে থাকবে না। স্কুলে পড়ার পরে, পরীক্ষায় পাশ করে গেলে অন্য দরজায় চলে যাবে। এখন ভগবান তোমাদের পড়াচ্ছেন। জ্ঞানীদের তো পড়াশুনা করার দরকার থাকে না। ভক্তদের ভগবান পড়িয়ে থাকেন। তোমরা জানো আমরা এই আত্মারা ভক্তি করতাম। এখন ভক্তি থেকে বেরিয়ে জ্ঞানে কি ভাবে যাবে- এটা বাবা শেখাচ্ছেন। এখন ভক্তি করো না কিন্তু দেহ-অভিমানে তো এসে যাও না! তোমরা এটাও বোঝো, ওই ভক্তরা তো ভগবানকেও জানে না। নিজেরাই বলে আমি জানি না। যে নম্বর ওয়ান ভক্ত, বাবা তাকেও জিজ্ঞাসা করেন তুমি যে ভগবানের ভক্ত ছিলে, তাকে জানতে? বাস্তবে ভগবানও একই হওয়া চাই। এখানে তো অনেক ভগবান হয়ে গেছে। নিজেদের ভগবান বলতে থাকে। একে বলা হয় অজ্ঞান। ভক্তিতে আছে ঘোর অন্ধকার। সেটা হলই ভক্তি মার্গ। ভক্তরা গায় জ্ঞান অঞ্জন সদ্গুরু দিয়েছেন, অজ্ঞান অন্ধকারের বিনাশ। গুরু যারা, তারা জ্ঞান-অঞ্জন দিতে পারে না। গুরু তো অনেক আছে। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা জানো যে ভক্তিতে কি কি করত, কাকে স্মরণ করত, কাকে পূজো করত ? সেই ভক্তির অন্ধকার তোমাদের এখন ছেড়ে গেছে, কারণ বাবাকে জেনে নিয়েছো। বাবা পরিচয় দিয়েছেন- মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা হলে আত্মা। তোমরা এই শরীর দ্বারা তোমরা তোমাদের ভূমিকা পালন করেছ । তোমাদের হলো অসীম জগতের জ্ঞান। অসীম জগতের ভূমিকা পালন করে চলেছ । তোমরা স্থূল জগত থেকে এখন অসীম জগতে চলে গেছ। এই দুনিয়াও কতো এগিয়ে গিয়ে অসীম- অপার হয়ে গেছে। অবশ্যই আবার স্থূল জগতে আসবে। স্থূল জগত থেকে অসীম জগতে, অসীম জগত থেকে এই স্থূল জগতে আসে কীভাবে- বাচ্চারা, তোমাদের এখন বোধগম্য হয়েছে। আত্মা ছোট স্টারের মতো, এ তো বোঝে, তবুও আবার এতো বড় লিঙ্গ তৈরী করে। তারাই বা কি করবে, কারণ ছোট বিন্দুকে তো পূজা করতে পারবে না। বলা হয় ভ্রূকুটির মাঝখানে উজ্জ্বল এক নক্ষত্র। এখন সেই নক্ষত্রের ভক্তি কীভাবে করবে? ভগবানকে তো কারোর জানা নেই। আত্মার জানা আছে। আত্মা ভ্রূকুটির মাঝে থাকে। ব্যাস্। এটা বুদ্ধিতে আসে না যে আত্মাই শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করে । প্রথম দিকে তোমরাই পূজা করতে। বড়-বড় লিঙ্গ তৈরী করো। যত দিন যাচ্ছে রাবণেরও বড় চিত্র তৈরী করে, ছোটো রাবণ তো তৈরী করতে পারে না। মানুষ তো প্রথমে ছোটো হয়, তারপর বড় হয়। রাবণকে কখনো ছোটো দেখানো হয় না, সে তো ছোটো- বড় হয় না। সে তো কোনো স্থূল জিনিস নয়। রাবণ ৫ বিকারকে বলা হয়ে থাকে। ৫ বিকারের বৃদ্ধি হতে থাকে, কারণ তমোপ্রধান হতে থাকে। প্রথমে দেহ-অভিমান এত ছিলো না, বৃদ্ধি পেতেই থেকেছে । এক কে পূজা করে আবার দ্বিতীয়কে পূজা করে। এরকম করে বৃদ্ধি হতে থাকে। আত্মা তমোপ্রধান হয়ে গেছে। দুনিয়াতে আর কোনো মানুষ হবে না যার এটা বুদ্ধিতে থাকবে যে সতোপ্রধান কখন হয় ? আবার তমোপ্রধান কখন হয়ে যায় ? এই ব্যাপারে মানুষ একদমই অজ্ঞ। নলেজ কিছু ডিফিকাল্ট না। বাবা এসে একদমই সহজ নলেজ শোনান, পড়ান। তবুও সমস্ত পড়ার সারমর্ম হয়ে যায়- আমি আত্মা হলাম বাবার বাচ্চা, বাবাকে স্মরণ করতে হবে।

এটাও প্রসিদ্ধ আছে- কোটির মধ্যে কেউ, কতো সামান্য বের হয়। কোটির মধ্যে কেউ কেউই যথার্থ ভাবে জানে। কাকে ? বাবাকে। বলে, বাবা কখনো ওরকম কি হতে পারে ? নিজের বাবাকে তো সকলেই জানে। বাবাকে কেন ভুলে গেছ ? এর নামই হলো ভুল- ভুলাইয়ার খেলা। এক হয় স্থূল জগতের পিতা, দ্বিতীয় হলো অসীম জগতের পিতা। দু'জন বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। স্থূল-জগতের পিতার থেকে সামান্য উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। যত দিন যাচ্ছে একদম সামান্য হতে থাকছে। যেন কিছুই নেই। যতক্ষণ পর্যন্ত অসীম জগতের পিতা না আসেন, তো পেটই যেন ভরে না। পেট একেবারেই খালি হয়ে যায়। বাবা এসে পেট ভরান। প্রত্যেক ব্যাপারে পেট এতো ভরিয়ে দেন যে বাচ্চারা, তোমাদের আর কোনো জিনিসের দরকারই নেই। সব আশা পূর্ণ করে দেন। তৃপ্ত আত্মা হয়ে যায়। যেমন ব্রাহ্মণদের খাওয়ালে আত্মা তৃপ্ত হয়ে যায়। আর এ হলো অসীম জগতের তৃপ্তি। কতো পার্থক্য দেখো। আত্মার স্থূল জগতের তৃপ্তি আর অসীম জগতের তৃপ্তির মধ্যে পার্থক্য কত দেখো। বাবাকে জানলেই তৃপ্তি হয়ে যায়। কারণ বাবা স্বর্গের মালিক করেন। তোমরা জানো যে আমরা হলাম অসীম জগতের পিতার সন্তান, বাবাকে তো সকলে স্মরণ করে যে, তাই না! যদিও কেউ কেউ বলে- এটা তো হলো নেচার, আমরা ব্রহ্মতে লীন হয়ে যাব। বাবা বলেছেন ব্রহ্মতে কেউই লীন হয় না। এটা তো হলো অনাদি ড্রামা যা আবর্তিত হতেই থাকে, এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো দরকার নেই। ৪ টি যুগের চক্র আবর্তিত হতে থাকে। হুবহু রিপিট( পুনরাবৃত্তি) হতে থাকে। বাবা একই, দুনিয়াও একই। ওই লোকেরা কতো মাথা খাটায়। মনে করে মুনেও (চাঁদে) দুনিয়া আছে, নক্ষত্রতেও দুনিয়া আছে। কতো অনুসন্ধান করে। মুনেও ফ্ল্যাট নেওয়ার কথা ভাবে- এটা কীভাবে হতে পারে। কাকে পয়সা দেবে ? একেই বলা হয় সায়েন্সের দম্ভ। এছাড়া তো কিছু নেই। ট্রায়াল করতে থাকে। এটা হল মায়ার আড়ম্বর ! স্বর্গের থেকেও বেশী শো' করে দেখায়। স্বর্গকে তো ভুলেই গেছে। স্বর্গে তো অগাধ ধন ছিল। এক মন্দির থেকেই দেখো কতো ধন নিয়ে গেছে। ভারতেই এতো ধন ছিলো, অনেক সম্পদে ভরপুর ছিলো। মহম্মদ গজনী এসে লুঠ করে নিয়ে গেছে। অর্ধ- কল্প তো তোমরা সমর্থ থাকো, চুরি ইত্যাদির কোন নাম থাকে না। রাবণ রাজ্যই থাকে না। রাবণ রাজ্য শুরু হলো আর চুরি- চামাড়ি, ঝগড়া ইত্যাদি শুরু হয়ে গেল। রাবণের নাম নেয়। এছাড়া রাবণ কেউ নয়। বিকারের প্রবেশ হলো। রাবণের জন্য মানুষ কি- কি করে। কতো মান্যতা। তোমরাই দশহরা পালন করতে, দেখতে যেতে রাবণকে কীভাবে জ্বালানো হয়। তারপর সোনা লুঠ করতে যায়। কি জিনিস হলো, ওয়ান্ডার (বিস্ময়) জাগে। কি হয়ে পড়েছিল। কত পূজা ইত্যাদি করতে। বড় বা বিশেষ কোনো দিন হলে কি কি করতে। ভক্তি মার্গ যেন পুতুল খেলা। সেও কতো সময় চলে, তোমরা জানো। শুরুতে এতো করা হত না। তারপর বৃদ্ধি পেতে পেতে এখন দেখো কি হাল হয়ে গেছে। এতো খরচা করে চিত্র বা মন্দির ইত্যাদি কেন তৈরী করে ? এটা হলো ওয়েস্ট অফ মানী (পয়সার অপচয়)। মন্দির ইত্যাদি তৈরী করতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে। বাবা বসে কতো ভালোবাসার সাথে বোঝান। আমি তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের অগাধ ধন দিয়েছি, সে সমস্ত কোথায় হারিয়েছো ? রাবণ রাজ্যে তোমরা কি থেকে কি হয়ে গেছ। এরকম নয় যে ঈশ্বরের অভিলাষে রাজী থেকে গেছ। এটা কোনো ঈশ্বরের অভিলাষ নয়, এটা তো মায়ার অভিলাষ। এখন তোমাদের ঈশ্বরের রাজ্য- ভাগ্য প্রাপ্ত হয়। সেখানে তো দুঃখের কোনো ব্যাপার নেই। ঈশ্বরের অভিলাষ আর অসুরের অভিলাষে কতো পার্থক্য। এটা তোমাদের এখন বোধগম্য হয়। তাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। জ্ঞান ইঞ্জেক্শন কাদের লাগে, এটা তো বুঝতে পারো। অমুকের জ্ঞানের ইঞ্জেক্শন ভালো লাগে, অমুকের কম লেগেছে, এর একদম লাগেইনি। এটা তো বাবা-ই জানেন যে। সার্ভিসের উপর সব নির্ভর করছে। সার্ভিস থেকেই বাবা বলবেন এর ইঞ্জেক্শন লাগেই নি, একদম সার্ভিস করতেই জানে না। এরকমও আছে কারোর বেশী ইঞ্জেক্শন লেগেছে, কারোর একদম নয়।

বলা হয়ে থাকে- জ্ঞান অঞ্জন সদ্গুরু দিয়েছেন, অজ্ঞান অন্ধকার বিনাশ। জ্ঞানের, সুখের সাগর হলেন পরমপিতা পরমাত্মা। আবার তাকে নুড়ি পাথরে- ভাঙা কলসীর টুকরোতে রেখে দেয়। বাচ্চাদের কতো সুনিশ্চিত হওয়া চাই। অসীম জগতের পিতা আমাদের অসীম জগতের সুখ দেন। গায়ও অসীম জগতের পিতা আপনি যখন আসবেন তো আমি আপনারই হবো। আপনার মতেই চলব। ভক্তিতে তো বাবাকে জানেই না, এই পার্ট এখনই চলে। এখনই বাবা পড়ান। তোমরা জানো যে এই পড়াশুনার পার্ট আবার ৫ হাজার বছর পরে ঘটবে। বাবা আবার ৫ হাজার বছর পরে আসবেন। আত্মারা হল সকলে ভাই-ভাই আবার শরীর ধারণ করে ভূমিকা পালন করে। মনুষ্য সৃষ্টিরও বৃদ্ধি হতে থাকে। আত্মাদেরও তো স্টক আছে যে (পরমধামে)। যত মানুষের স্টক সম্পূর্ণ হবে ততোই সেখানে আত্মাদের স্টক হবে। অ্যাক্টর্স একটাও কম বা বেশী হবে না। এ সব হল অসীম জগতের অ্যাক্টর্স। এদের অনাদি পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। এটা বিস্ময়কর। বাচ্চারা, তোমরা এখন কতো বুঝদার হয়েছো। এই পঠন-পাঠন কতো উচ্চ পর্যায়ের। তোমাদের পড়ানোর জন্য হলেন স্বয়ং জ্ঞানের সাগর বাবা, এছাড়া সব হলো ভক্তির সাগর। যেরকম ভক্তির মান্যতা আছে, সেরকম জ্ঞানেরও মান্যতা আছে। ভক্তিতে কতো মানুষ দান-পুণ্য করে ঈশ্বরের নামে, কারণ বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি কতো বড়-বড় তৈরী হয়।

এখন তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের ভক্তি আর জ্ঞানের পার্থক্য জ্ঞাত হয়েছে। কতো বিশাল বুদ্ধি দরকার। কখনো কোনো কিছুতে তোমাদের চোখ যাবে না। তোমরা বলবে - আমরা কি এই কিং-কুইন ইত্যাদিকে দেখব ! ওদের দেখার কি আছে। তোমাদের মনে এ সব নিয়ে কোনো প্রত্যাশা থাকে না। এই সব তো নিঃশেষ হওয়ার। যার কাছে যা আছে সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। পেট তো সেই দুটো রুটি চায়, কিন্তু এর জন্য কতো পাপ করে। এই সময় দুনিয়াতে আছে পাপ আর পাপ। পেট অনেক পাপ করায়। একে অপরের উপর মিথ্যে কলঙ্ক লাগায়। পয়সাও প্রচুর উপার্জন করে। কতো পয়সা গোপন করে রাখে। গবর্ণমেণ্ট কি করতে পারে। কিন্তু কেউ যতই গোপন করুক, গোপন থাকে না। এখন তো ন্যাচারাল ক্যালামেটিজও (প্রাকৃতিক বিপর্যয়) আসে। যদিও অল্প সময় আর আছে। বাবা বলেন, শরীর নির্বাহের জন্য যা কিছু করো তার জন্য বাবা নিষেধ করেন না। বাচ্চাদের খুশীর পারদ ঊর্ধ্ব মুখী থাকা চাই। বাবা আর উত্তরাধিকার স্মরণ থাকে। বাবা তো সমগ্র বিশ্বের মালিক তোমাদের করে দেন। ধরিত্রী, আকাশ সব নিজের হয়ে যাবে। কোনো সীমা থাকে না। বাচ্চারা জানে আমরা মালিক ছিলাম। ভারত অবিনাশী ভূমি বলা হয়েছে, তাই তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের প্রচুর খুশী হওয়া উচিত। এই স্থূল জাগতিক পড়াশুনাতেও খুশী আছে যে না। এটা তো অসীম জগতের পড়াশুনা। অসীম জগতের পিতা পড়ান। এরকম পিতাকে স্মরণ করা উচিত। বাচ্চারা তো বুঝতে পারবে- ওই জড়বাদী ধান্ধা ইত্যাদি কি, কিছুই না। আমরা বাবার থেকে কি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি ? কতো রাত-দিনের পার্থক্য। আমরা তো জড় বস্তু নিয়ে কারবার ইত্যাদি করেও সত্যযুগে গিয়ে মুকুটধারী হবো। বাবা এসেছেন পড়াতে, তো বাচ্চাদের খুশী হওয়া উচিত। সে-সব কাজ-কর্মও করতে থাকো। এটা তো বুঝতে পারো, এটা হলো পুরানো দুনিয়া, এর বিনাশের জন্য সব প্রস্তুতি চলছে। এমন-এমন কাজ করে যে ভয় লাগে- কোথাও না বড় লড়াই লেগে যায়। এই সব ড্রামা অনুযায়ী হওয়ারই। এরকম নয় যে ঈশ্বর করান। ড্রামাতে পূর্ব নির্ধারিত। আজ নয়তো কাল বিনাশ অবশ্যই হবেই। এখন তোমরা পড়াশুনা করছো। তোমাদের জন্য অবশ্যই নূতন দুনিয়া চাই। এই সব কথা মনে করে খুশী হওয়া উচিত। বাবা এই রথও নিয়ে নিয়েছেন, এনার(ব্রহ্মা বাবার) তো কিছুই নেই। সব কিছু ছেড়ে দিয়েছেন। অসীম জগতের বাদশাহী প্রাপ্ত হবে তো এসব কি করবে। বাবার গানও তৈরী হয়েছে- অল্ফের আল্লাহ্ প্রাপ্তি হয়েছে তো গদাই কি করবে। কম বেশী দিয়ে একদম নিঃশেষ করে দিয়েছেন। শরীরও (শিব) বাবাকে দিয়ে দিয়েছেন। আহো! আমি তো বিশ্বের মালিক হতে চলেছি, অনেকবার মালিক হয়েছি। কতো সহজ। যদি তোমরা নিজের ঘরেও থাকো, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )এমনই তৃপ্ত আর বিশাল বুদ্ধি সম্পন্ন হতে হবে যে কোনো কিছুতেই যেন দৃষ্টি-পাত না হয়। মনে যেন কোনো প্রত্যাশাই না থাকে, কারণ এই সব কিছুর বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।

২ ) শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম করেও খুশীর পারদ সর্বদা ঊর্ধ্বে থাকবে। বাবা আর উত্তরাধিকার স্মরণে থাকবে। বুদ্ধি এই স্থূল জগৎ থেকে বের করে সর্বদা অসীম জগতে থাকবে।

বরদান:-
বাবা আর সেবাতে মগ্ন থেকে নির্বিঘ্ন, নিরন্তর সেবাধারী ভব

যেখানে সেবার উৎসাহ আছে সেখানে অনেক কথার সহজ সমাধান হয়ে যায়। এক বাবা আর সেবাতে মগ্ন থাকলে নির্বিঘ্ন, নিরন্তর সেবাধারী, সহজ মায়াজিৎ হয়ে যাবে। সময় প্রতি সময় সেবার রূপরেখা পরিবর্তিত হচ্ছে আর পরিবর্তিত হবে। এখন তোমাদেরকে বেশী বলতে হবে না কিন্তু তারা নিজেরা বলবে যে, এটা হলো শ্রেষ্ঠ কার্য, সেইজন্য আমাকেও সহযোগী করো। এটা সময়ের সাথে নৈকট্যের চিহ্ন। তাই খুব উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সেবা করে এগিয়ে চলো।

স্লোগান:-
সম্পন্নতার স্থিতিতে স্থিত হও, প্রকৃতির বিপর্যয়ের সময় মেঘের মতো নিজেকে অনুভব হবে ।