২৩-০৩-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা - এটা হল সম্পূর্ণ শান্তির জ্ঞান, এই জ্ঞানে কোনো কিছু বলতে হবে না, কেবল শান্তির সাগর বাবাকে স্মরণ করতে থাকো”
প্রশ্ন:-
উন্নতির আসল বুনিয়াদ কি ? কখন বাবার দেওয়া শিক্ষাগুলো ধারণ করতে পারবে ?
উত্তর:-
উন্নতির আসল বুনিয়াদ হল প্রেম। কেবল বাবার সাথেই সত্যিকারের ভালোবাসা থাকা উচিত। নিকটে থাকা সত্ত্বেও যদি উন্নতি না হয়, তাহলে নিশ্চয়ই ভালোবাসার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। ভালোবাসা থাকলে তো অবশ্যই স্মরণ করবে। স্মরণ করলেই সকল শিক্ষা ধারণ করতে পারবে। উন্নতির জন্য নিজের সত্যিকারের চার্ট (দিনলিপি) লেখো। বাবার কাছে কোনো কথা লুকিও না। আত্ম-অভিমানী হওয়ার দ্বারা নিজেকে শোধরাতে থাকো।
ওম্ শান্তি।
বাচ্চারা, তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বসো এবং বাবাকে স্মরণ করো। বাবা প্রশ্ন করছেন - যখন তোমরা সভাতে বক্তৃতা দাও, তখন কি প্রতি মুহূর্তে এইটা জিজ্ঞাসা করো যে, ‘আপনি নিজেকে আত্মা মনে করেন, নাকি দেহ মনে করেন?’ এখানে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বসো। আত্মাই তো পুনর্জন্ম নেয়। নিজেকে আত্মা অনুভব করে পরমপিতা পরমাত্মা-কে স্মরণ করো। বাবাকে স্মরণ করলেই তোমাদের বিকর্ম বিনষ্ট হবে, একেই যোগ অগ্নি বলা হয়। নিরাকার বাবা তাঁর নিরাকারী বাচ্চাদেরকে বলছেন - আমাকে স্মরণ করলেই তোমাদের পাপ নাশ হবে এবং তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। তখন তোমরা মুক্তি এবং জীবনমুক্তি লাভ করবে। সবাইকেই মুক্তির পরে অবশ্যই জীবনমুক্তিতে আসতে হবে। তাই প্রতি মুহূর্তে বলতে হবে যে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বসো। ভাইয়েরা এবং বোনেরা, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বসো এবং বাবাকে স্মরণ করো। বাবা-ই এই নির্দেশ দিয়েছেন। এটা হল স্মরণের যাত্রা। বাবা বলেন, আমার সাথে বুদ্ধি যুক্ত করলে তোমার জন্ম-জন্মান্তরের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে। তোমরা যদি প্রতি মুহূর্তে এইসব কথা বোঝাও, স্মরণ করাও, তাহলেই তারা বুঝতে পারবে যে আত্মা হল অবিনাশী এবং এই দেহ হল বিনাশী। অবিনাশী আত্মা-ই বিনাশী দেহ ধারণ করে তার ভূমিকা পালন করে এবং তারপর সেই শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে। শান্তি হলো আত্মার স্ব-ধর্ম। কিন্তু সে তার নিজের স্ব-ধর্মটাই জানে না। বাবা এখন বলছেন, আমাকে স্মরণ করলেই বিকর্ম বিনাশ হবে। এটাই হল আসল কথা। বাচ্চারা, আগে তোমাদেরকে এই ব্যাপারেই পরিশ্রম করতে হবে। অসীম জগতের পিতা আত্মাদেরকে বলছেন - এক্ষেত্রে কোনো শাস্ত্র পাঠ করার প্রয়োজন নেই। তোমরা যখন গীতা থেকে কোনো উদাহরণ দাও, তখন মানুষ বলে যে আপনারা গীতার কথা বলেন, কিন্তু বেদের কথা বলেন না কেন ? বাবা বলেছেন - তখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো যে বেদ কোন ধর্মের শাস্ত্র ?
(অনেকে বলে আর্য ধর্মের) আর্য কাদেরকে বলা হয় ? আসলে হিন্দু বলে কোনো ধর্মই নেই। দেবী-দেবতা ধর্মকেই আদি সনাতন ধর্ম বলা হয়। তাহলে আর্য ধর্ম কোনটা ? আর্য নিশ্চয়ই আর্য সমাজের ধর্ম হবে। কিন্তু আর্য বলে তো কোনো ধর্মই নেই। আর্য ধর্ম কে স্থাপন করেছিল? বাস্তবে তো গীতার কথাও তোমাদের বলা উচিত নয়। *মুখ্য বিষয় হল - নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে।* এখন সকলেই তমোপ্রধান। আগে তো বাবার পরিচয় দিতে হবে, বাবার গুনগান করতে হবে। *কিন্তু এইসব তুমি তখনই করতে পারবে, যখন তুমি নিজে বাবাকে স্মরণ করবে। এই ব্যাপারেই বাচ্চাদের দুর্বলতা রয়েছে।*
বাবা সবসময় স্মরণের চার্ট রাখতে বলেন। নিজের অন্তরকে প্রশ্ন করো - আমি কতক্ষণ স্মরণ করি ? বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে আন্তরিক খুশি থাকা উচিত। যদি তোমাদের অন্তরে খুশি থাকে, তাহলে অন্যকে বোঝালে সেটার প্রভাব পড়বে। আগে এই মুখ্য কথাটাই বলতে হবে যে - ভাই এবং বোনেরা, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করুন। অন্য কোনো সৎসঙ্গে এইরকম বলবে না। বাস্তবে তো ঐগুলো কোনো সৎসঙ্গ নয়। সত্যের সঙ্গ তো একটাই হয়। বাকি সব হল কুসঙ্গ। এইসব একেবারে নুতন কথা। বেদের দ্বারা তো কোনো নুতন ধর্ম স্থাপন হয়নি। তাহলে আমরা বেদের কথা কেন মানব ? এইসব জ্ঞান কারোর মধ্যেই নেই। মানুষ নিজেই ‘নেতি-নেতি’ বলে থাকে। অর্থাৎ আমি জানিনা। তাহলে তো সে নাস্তিক, তাই না ? বাবা এখন বলছেন - আস্তিক হও, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এইসব কথার কিছু কিছু গীতাতে রয়েছে। বেদে নেই। অনেক রকমের বেদ এবং উপনিষদ রয়েছে। কিন্তু সেগুলো কোন ধর্মের শাস্ত্র ? দুনিয়ার মানুষ তো নিজের মতামত শোনায়। তোমাদেরকে কারোর কথা শুনতে হবে না। বাবা কত সহজ ভাবে বোঝাচ্ছেন - নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করলে পবিত্র হয়ে যাবে। তাই বিশ্বের ইতিহাস-ভূগোলকে জানতে হবে। তোমাদের এই ত্রিমূর্তি এবং গোলার ছবি হল মুখ্য। এই দুটোর মধ্যেই পুরো জ্ঞান রয়েছে। আগে কেবল দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। বাবা বলেছেন - ত্রিমূর্তি এবং গোলার বড় বড় ছবি বানিয়ে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেখানে অনেক মানুষের যাতায়াত রয়েছে, সেখানে লাগিয়ে দাও। সেগুলো যেন টিনের পাতের ওপরে থাকে। সিঁড়ির চিত্রে অন্য ধর্মের উল্লেখ নেই। এই দুটো ছবিই হলো মুখ্য। এই ছবিগুলোর ওপরেই বোঝাতে হবে। আগে বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। এই কথাটা ঠিকঠাক ভাবে না বোঝালে তোমাদের কোনো কথাই কেউ বুঝতে পারবে না। যদি বাবাকেই বুঝতে পারেনি, তাহলে তাকে অন্য ছবিতে নিয়ে গিয়ে বোঝাতে গেলে কোনো লাভ হবে না। বাবাকে না বুঝলে তো কিছুই বুঝতে পারবে না। বাবার পরিচয় ছাড়া আর কোনো বিষয়ে বলবে না। বাবার কাছ থেকেই অসীম উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। বাবা খেয়াল করে দেখছিলেন যে বাচ্চারা এত সহজ বিষয়টাও কেন বুঝতে পারে না। শিববাবা হলেন তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পিতা। তাঁর কাছ থেকেই উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। তোমরা সবাই পরস্পরের ভাই-ভাই। এটা ভুলে গেলেই তমোপ্রধান হয়ে যাও। বাবাকে স্মরণ করলে পুনরায় সতোপ্রধান হয়ে যাবে। মুখ্য বিষয় হল রচয়িতা এবং রচনাকে জানা। কেউই এটা জানে না। ঋষি-মুনিরাও জানে না। তাই আগে বাবার পরিচয় দিয়ে সবাইকে আস্তিক বানাতে হবে। বাবা বলেন - আমাকে জানলেই তুমি সবকিছু জেনে যাবে। আমাকে না জানলে তুমি কিছুই বুঝতে পারবে না। বেকার তোমরা নিজের সময় নষ্ট করো। ড্রামা অনুসারে যেসব ছবি তৈরি হয়েছে, সেগুলো সব যথার্থ হয়েছে। কিন্তু তোমরা এত পরিশ্রম করার পরেও কারোর বুদ্ধিতে এইসব ধারণ হয় না। বাচ্চারা বলে - বাবা, আমাদের বোঝানোর ক্ষেত্রে কি কোনো ভুল হয় ? বাবা সঙ্গে সঙ্গে বলে দেন - হ্যাঁ, ভুল হয়। যদি অলফ্-কেই বাবাকেই বুঝতে না পারে, তাহলে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দাও । বলো - যতক্ষণ বাবাকে না চিনছ, ততক্ষণ তোমার বুদ্ধিতে কিছুই ধারণ হবে না। তোমরাও যখন দেহী-অভিমানী অবস্থায় থাকো না, তখন আসুরিক দৃষ্টি থাকে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করলেই সিভিল হওয়া সম্ভব। দেহী-অভিমানী হলে এই চোখ তোমাদেরকে আর ধোঁকা দেবে না। দেহী-অভিমানী না হলেই মায়া ধোঁকা দিতে থাকবে। তাই আগে আত্ম-অভিমানী হতে হবে। বাবা বলছেন - নিজের চার্ট দেখালেই বোঝা যাবে। যদি এখনো অসত্য, পাপ, ক্রোধ ইত্যাদি থেকে থাকে, তাহলে তো নিজের-ই সর্বনাশ করছ। *বাবা তো চার্ট দেখেই বুঝে যান যে এই বাচ্চা সত্যিকথা লিখেছে, নাকি অর্থই বুঝতে পারেনি।* বাবা সকল বাচ্চাকেই চার্ট লিখতে বলেন। যে বাচ্চা যোগযুক্ত থাকে না, সে এত সেবাও করতে পারবে না। তার বাণী ধারালো হয় না। বাবা হয়তো বলেন যে কোটির মধ্যে কেউ বুঝবে, কিন্তু তুমি যদি নিজেই যোগযুক্ত না থাকো তাহলে অন্যকে কিভাবে বলবে ?
সন্ন্যাসীরা বলে যে সুখ হল কাক বিষ্ঠাসম। ওরা তো সুখের নামই নেয় না। তোমরা জানো যে অনেক রকমের ভক্তি রয়েছে। ওইসব ক্ষেত্রে অনেক আওয়াজ করা হয়। কিন্তু তোমাদের এই জ্ঞান অতি শান্তির। সবাইকে বলো - বাবা-ই হলেন শান্তির সাগর। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেন - "মন্মনা ভব" । এই শব্দটাও জপ করতে হবে না। হিন্দুস্তানের ভাষা হলো হিন্দি। তাহলে সংস্কৃত ভাষা কেন বলা হয় ? এখন বাকি সকল ভাষাকে ত্যাগ করো। আগে তোমরা ভাষণ করে বলো যে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। অনেকেই আছে যারা নিজেকে আত্মা বলে বোঝে না, স্মরণ করতে পারে না। নিজের অকল্যাণ নিজেই বুঝতে পারে না। কেবল বাবাকে স্মরণ করলেই কল্যাণ সম্ভব। অন্য কোনো সৎসঙ্গে এইরকম বলে না নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। সন্তান কি কখনো বাবাকে এক জায়গায় বসে স্মরণ করে ? উঠতে বসতে সর্বদাই বাবার স্মরণ থাকে। আত্ম-অভিমানী হওয়ার প্র্যাকটিস করতে হবে। *তোমরা অনেক কথা বলো। এত কথা বলা উচিত নয়।* আসল কথা হল স্মরণের যাত্রা। যোগ অগ্নির দ্বারা-ই তোমরা পবিত্র হবে। এখন তো সবাই দুঃখী। পবিত্র হলেই সুখ পাওয়া যায়। তুমি যদি আত্ম-অভিমানী হয়ে কাউকে বোঝাও, তাহলে সে তিরবিদ্ধ হবে। যদি কেউ নিজে বিকারী হয়, আর অন্যকে নির্বিকারী হতে বলে, তাহলে তার তির লাগবে না। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা নিজেরা স্মরণের যাত্রাতে থাকোনা বলেই যাকে বোঝাও সে তিরবিদ্ধ হয় না।
বাবা এখন বলছেন, যেটা হওয়ার সেটা হয়ে গেছে। আগে নিজেকে শোধরাও। নিজের অন্তরকে প্রশ্ন করো - আমি কতক্ষণ নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করি ? বাবা তো আমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানান। আমরা যেহেতু শিববাবার সন্তান, তাই আমাদের অবশ্যই বিশ্বের মালিক হতে হবে। তিনিই হলেন একমাত্র প্রেমিক, যিনি তোমাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়েছেন। তাই তাঁর সঙ্গে অনেক ভালোবাসা থাকা উচিত। ভালোবাসা মানে স্মরণ। বিয়ের পর স্বামীর সাথে স্ত্রীর অনেক ভালোবাসা তৈরি হয়। তোমাদেরও বাগদান হয়ে গেছে, বিবাহ হয়নি। ওটা তো বিষ্ণুপুরীতে গেলে হবে। আগে শিববাবার কাছে যাবে, তারপর শ্বশুরবাড়ি যাবে। বাগদানের জন্য কি কম খুশি হয় ? বাগদান সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে স্মরণও অবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সত্যযুগেও বাগদানের প্রথা থাকবে। কিন্তু ওখানে কখনো বাগদান ভঙ্গ হয় না। অকালে মৃত্যুও হয় না। এখানে এইসব হয়। বাচ্চারা, তোমাদেরকেও ঘর-গৃহস্থে থেকে পবিত্র হতে হবে। হয়তো অনেক নিকটেই থাকো, কিন্তু তাতেও উন্নতি হয় না। যে অনেক ভালোবাসা সহকারে বাবার কাছে আসে, তার অনেক উন্নতি হয়। যদি স্মরণ-ই না করে, তাহলে ভালোবাসাও থাকে না। তখন তাঁর দেওয়া শিক্ষাগুলোও ধারণ করা সম্ভব হয় না। ভগবানুবাচ - তোমরা সবাইকে এই বার্তা শোনাও যে কামবিকার হল মহাশত্রু যেটা আদি-মধ্য-অন্ত কেবল দুঃখ দিয়ে এসেছে। তোমরা তো পবিত্র সত্যযুগের মালিক ছিলে। এখন তোমরাই অধঃপতিত এবং অপবিত্র হয়ে গেছ। এবার এই অন্তিম জন্মে পুনরায় পবিত্র হও। কামচিতাতে বসার এই দাসত্ব এবার ঘোঁচাও। বাচ্চারা, তোমরা যখন যোগযুক্ত অবস্থায় কাউকে বোঝাবে, তখনই কারোর বুদ্ধিতে ধারণ হবে। জ্ঞানরূপী এই তলোয়ারে যোগের ধার থাকতে হবে। আসল কথা একটাই। বাচ্চারা বলে - বাবা, আমরা অনেক পরিশ্রম করলে কেউ কেউ কিছুটা বুঝতে পারে। বাবা বলেন, যোগযুক্ত হয়ে বোঝাও। স্মরণের যাত্রাতে থাকার চেষ্টা করো। রাবণের কাছে পরাজিত হয়ে বিকারী হয়েছ। এখন নির্বিকারী হও। বাবার স্মরণের দ্বারা-ই তোমাদের সকল মনস্কামনা পূরণ হয়ে যাবে। বাবা স্বর্গের মালিক বানান। বাবা তো অনেক ডাইরেকশন দেন, কিন্তু বাচ্চারা ঠিকঠাক গ্রহণ করে না, অন্যান্য কথাবার্তায় ব্যস্ত হয়ে যায়। মুখ্য বিষয় হলো- সবাইকে বাবার বার্তা দাও। কিন্তু নিজেই যদি স্মরণ না করো, তাহলে অন্যকে কিভাবে বলবে ? এখানে কোনো প্রতারণা চলতে পারে না। যদি অন্যকে বিকারে যেতে বারণ করে, আর নিজেই সেইরকম কাজ করে, তাহলে তো বিবেক দংশন হবেই। এখানে এইরকম প্রতারকও আছে। তাই বাবা বলেন, মূল কথা হল ‘বাবা’। বাবাকে জানলেই তোমরা সবকিছু জেনে যাবে। বাবাকে না জানলে তোমরা কিছুই বুঝতে পারবে না। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা এবং সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্যসার:-
১. ভিতরে ভিতরে (আন্তরিক ভাবে) বাবার স্মরণের খুশিতে থেকে অন্যকেও বাবার পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে কেবল বাবার মহিমা শোনাতে হবে।
২. আত্ম-অভিমানী হওয়ার অনেক অভ্যাস করতে হবে। খুব বেশি কথা বলা উচিত নয়। যেটা হয়ে গেছে সেটাকে মনে না রেখে আগে নিজেকে শোধরাতে হবে। স্মরণের যাত্রার যথাযথ চার্ট রাখতে হবে।
বরদান:-
নিজের সংকল্পগুলোকে শুদ্ধ, জ্ঞান স্বরূপ এবং শক্তি স্বরূপ বানিয়ে সম্পূর্ণ পবিত্র হও
বাবার সমান হওয়ার জন্য পবিত্রতার ভিত্তিকে মজবুত করো। ফাউন্ডেশন রূপে ব্রহ্মচর্যের ব্রত ধারণ করা তো সাধারণ ব্যাপার। কেবল এতেই খুশি হয়ে যেও না। দৃষ্টি-বৃত্তির পবিত্রতাকে আরো বেশি করে আন্ডারলাইন করো। তার সাথে নিজের সংকল্পগুলোকেও শুদ্ধ, জ্ঞান স্বরূপ এবং শক্তি স্বরূপ বানাও। সংকল্পের মধ্যে এখনো অনেক দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতাটাকেও সমাপ্ত করলেই সম্পূর্ণ পবিত্র আত্মা বলা যাবে।
স্লোগান:-
দৃষ্টির মধ্যে সকলের প্রতি দয়া এবং শুভ ভাবনা থাকলে অভিমান অথবা অপমানের অংশও আসতে পারবে না।