০২-০৮-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- যোগ দ্বারা তত্ব গুলিকে পবিত্র করার সেবা করো যখন তত্ব পবিত্র হবে তখন এই সৃষ্টিতে দেবতাদের আগমন হবে"

প্রশ্ন:-

তোমাদের নতুন রাজধানীতে কোনো রকম অশান্তি হবে না - কেন ?

উত্তর:-

১. কারণ সেই রাজত্ব তোমরা বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার রূপে প্রাপ্ত কর, ২. বরদাতা পিতা বাচ্চাদের এখনই বরদান অর্থাৎ উত্তরাধিকার (বর্সা) প্রদান করেন, ফলে সেখানে অশান্তি হতে পারে না। তোমরা বাবার আপন হয়ে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে নাও ।

ওম শান্তি !

বাচ্চারা তো জানে, আমরা আত্মারা যাঁর সন্তান, তাঁকে সত্য সাহেবও (সাচ্চা সাহেব) বলা হয়। তাই আজকাল বাচ্চারা, তোমাদের সাহেবজাদাও (সাহেব পুত্র) বলা হয়। "সত্য", এই বিষয়েও প্রবাদ-প্রবচন আছে - সত্য বা খাঁটি খাবার খাও, সত্য পরিধান করো। যদিও এই কথা গুলো মানুষের তৈরি কিন্তু বাবা বসে এর অর্থ বোঝান। বাচ্চারা জানে যে, সর্বোচ্চ হলেন পিতা, যাঁর অনেক মহিমা, তাঁকে রচয়িতাও বলা হয়। সর্ব প্রথমে হয় বাচ্চাদের রচনা। বাবার সন্তান কিনা। সব আত্মারাই বাবার সঙ্গে বাস করে। সেই স্থানকে বলা হয় বাবার বাড়ি, সুইট হোম। এইটি কোনও হোম নয়। বাচ্চারা জানে উনি হলেন আমাদের মিষ্টি বাবা। সুইট হোম হল শান্তি ধাম। তারপর সত্যযুগও হল সুইট হোম, কারণ সেখানেও প্রতিটি ঘরে শান্তি থাকে। এখানে ঘরে লৌকিক মা-বাবার কাছেও অশান্তি আছে, তো দুনিয়াতেও অশান্তি আছে। সেখানে তো প্রত্যেকটি ঘরে শান্তি থাকে, তো দুনিয়াতেও শান্তি থাকে। সত্যযুগকে নতুন ছোট দুনিয়া বলা হবে। এই পুরানো দুনিয়া কত বিশাল। সত্যযুগে সুখ-শান্তি আছে। কোনো ঝামেলা ঝঞ্ঝাটের কথা নেই। কারণ অসীম জগতের পিতার কাছে শান্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে। গুরু অথবা সন্ন্যাসীরা আশীর্বাদ দেন - পুত্রবান ভব, আয়ুষ্মান ভব। তারা কোনও নতুন আশীর্বাদ দেন না। বাবার কাছে তো অটোমেটিক্যালি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। এখন বাবা বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের মনে করাচ্ছেন। যে পারলৌকিক পিতাকে ভক্তিমার্গে সকলেই স্মরণ করে , যখন দুঃখের দুনিয়া থাকে। এইটি হল-ই পতিত পুরানো দুনিয়া। নতুন দুনিয়ায় সুখ থাকে, অশান্তির কোনও কথা নেই। এখন বাচ্চারা তোমাদের পবিত্র গুণবান হতে হবে। তা নাহলে অনেক দন্ড ভোগ করতে হবে। বাবার সঙ্গে ধর্মরাজও আছেন, হিসেব নিকেশ মিটিয়ে দেন যিনি। ট্রাইবুনাল বসে, তাইনা। পাপের দন্ড তো ভোগ করতেই হবে। যারা ভালো ভাবে পরিশ্রম করে, তারা কম দন্ড ভোগ করবে। পাপের দন্ড প্রাপ্ত হয়, যাকে কর্মভোগ বলা হয়। এ হল রাবণের রাজ্য , আপন রাজ্য নয়, এতে অসীম দুঃখ আছে। রাম রাজ্যে অসীম সুখ থাকে। তোমরা অনেককেই বোঝাও তারমধ্যে কেউ তাড়াতাড়ি বোঝে কেউ দেরিতে। কম বুঝলে বুঝবে সে দেরিতে ভক্তি আরম্ভ করেছে। যারা শুরু থেকে ভক্তি করেছে , তারা জ্ঞানও তাড়াতাড়ি বুঝবে কারণ ফার্স্ট নম্বরে যেতে হবে।



তোমরা জানো আমরা আত্মারা সুইট হোম থেকে এখানে এসেছি। সাইলেন্স, মুভি, টকি আছে তাই না। বাচ্চারা ধ্যানে গেলে (ট্রান্সে গেলে) এসে শোনায় যে সেখানে মুভি চলে। সেসবের জ্ঞান মার্গের সঙ্গে কোনও কানেকশন নেই। মুখ্য কথা হল নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো, আর কোনও কথা নেই। বাবা নিরাকার, বাচ্চারাও অর্থাৎ আত্মাও এই শরীরে নিরাকার রয়েছে, আর কোন কথাও ওঠে না। আত্মার ভালোবাসা তো একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গেই আছে। শরীর তো সবই পতিত। অতএব পতিত শরীরের সঙ্গে ভালোবাসা হতে পারে না। আত্মা যদিও পবিত্র হয়ে যায় কিন্তু শরীর তো পতিত। পতিত দুনিয়ায় শরীর পবিত্র হয়ই না। আত্মাকে তো এইখানে পবিত্র হতে হবে, তবে এই পুরানো শরীরের বিনাশ হবে। আত্মা তো হল অবিনাশী। আত্মার কাজ হল অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করে পবিত্র হওয়া। আত্মা পবিত্র হলে শরীরও পবিত্র চাই। সেই শরীর প্রাপ্ত হবে নতুন দুনিয়ায়। আত্মাকে পবিত্র হতে গেলে, আত্মাকে একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে যোগ যুক্ত হতে হবে। এই পতিত শরীরকে স্পর্শও করবে না। আত্মাদের সঙ্গে বাবা এই কথা বলেন। বুঝবার বিষয়, তাইনা। সত্যযুগ থেকে কলিযুগ পর্যন্ত শরীরের সঙ্গে জড়িত আছো । যদিও স্বর্গে আত্মা ও শরীর দুই ই পবিত্র, সেখানে বিকার গ্রস্ত হয় না, যার দ্বারা শরীর বা আত্মা বিকারী হবে। বল্লভ্যাচার্যরাও আছেন, স্পর্শ করতে দেন না। তোমরা জানো তাদের আত্মা নির্বিকারী পবিত্র নয়। বল্লভ্যাচার্য মঠপন্থী যারা, তারা নিজেদেরকে উচ্চ কুলের মানুষ ভাবে, দেহ স্পর্শ পর্যন্ত করতে দেয় না। এই কথা বোঝে না যে আমরা বিকারী, অপবিত্র, শরীর তো ভ্রষ্টাচার দ্বারা জন্ম হয়েছে। এইসব কথা বাবা এসে বোঝান। আত্মা পবিত্র হলে শরীরও পরিবর্তন করতে হয়। পবিত্র শরীর তো তখন হবে যখন পাঁচটি তত্ব পবিত্র হবে। সত্যযুগে তত্ব গুলিও পবিত্র থাকে, তাই শরীরও পবিত্র হয়। দেবতাদের পতিত শরীরে, পতিত ধরায় আগমন হয় না। দেবতাদের আত্মা ও শরীর দুই ই পবিত্র থাকে। তাই সত্যযুগে তাঁদের পদার্পণ হয়। এ হল পতিত দুনিয়া। আত্মা নিজের পারলৌকিক পিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করে। এক হল দৈহিক পিতা, আরেক হল অশরীরী পিতা। অশরীরী পিতাকে স্মরণ করে, কারণ তাঁর কাছে এমন সুখের নিশ্চিত উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে যে, স্মরণ না করে থাকা যায় না। যদিও এই সময় তমোপ্রধান হয়ে গেছে, তবুও সেই পিতাকে অবশ্যই স্মরণ করে। কিন্তু তারপর যখন উল্টো কথা শোনে যে, ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী, তখন বিভ্রান্ত হয়ে যায়। তারপরে এই কথাতেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে যে, মানুষ, মানুষ-ই হয় (মানুষ পবিত্র হয়ে দেবতা হয়, সে ধারণা কারোরই নেই)। এই সব ভুল গুলি বাবা এসে বুঝিয়ে দেন। বাবা একটি মাত্র মন্মনাভবের মন্ত্র দেন, তার অর্থও বুঝতে হবে । নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। শুধু এই একটি বিষয়ে ঝোঁক থাকলে তোমরা পবিত্র হতে পারবে। দেবতারা হলেন পবিত্র, এখন বাবা এসে এমন পবিত্র স্বরূপে পরিণত করেন। সামনে মুখ্য উদ্দেশ্যটিকে রাখা হয়। যারা মূর্তি তৈরি করতে পারে, তারা মানুষের চেহারা দেখে তৎক্ষণাৎ তার মূর্তি তৈরি করে দেয়। এমন যেন সেই মানুষটি জীবিত সামনে বসে আছে। কিন্তু সেটি তো হল জড় মূর্তি। এখানে বাবা তোমাদের বলেন - তোমাদের এমন চৈতন্য লক্ষ্মী - নারায়ণ হতে হবে। কীভাবে ? তোমরা এই পড়াশোনা ও পবিত্রতার আধারে মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হবে। এই স্কুলটি হল-ই মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হওয়ার। তারা যে মূর্তি ইত্যাদি তৈরি করে, তাকে আর্ট বলা হয়। হুবহু এক চেহারা তৈরি করে, এতে হুবহু স্বরূপের কোনো ব্যাপার নেই। এই গুলি তো হল জড় চিত্র, সেখানে তো তোমরা ন্যাচারাল চৈতন্য হবে, তাইনা। ৫-টি তত্বের চৈতন্য শরীর হবে। এইসব জড় চিত্র তো মানুষের তৈরি করা। হুবহু সমান তো হতে পারে না কারণ দেবতাদের ফটো তোলা যায় না। ধ্যানে যদিও সাক্ষাৎকার করে, কিন্তু ফটো বের করা যায় না। বলা হয় আমরা দর্শন করেছি। না নিজে চিত্র তৈরি করতে পারে আর না অন্যকে দিয়ে করাতে পারে। নিজেরা এমন স্বরূপ তখনই পাবে যখন বাবার থেকে জ্ঞান অর্জন করে পূর্ণ হবে, তখন হুবহু কল্প পূর্বের স্বরূপে পরিণত হবে। এ হল এক অদ্ভুত প্রাকৃতিক ওয়ান্ডারফুল ড্রামা। বাবা বসে এই প্রাকৃতিক বিষয় গুলি বোঝান। মানুষের তো এইসব কথা স্মরণেও থাকে না। দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে মাথা ঠেকায়। ভাবে, এনারা রাজত্ব করে গেছেন। কিন্তু কবে ? তা জানে না। পুনরায় কবে আসবেন বা কি করবেন, সেসব জানা নেই। তোমরা জানো সূর্য বংশী, চন্দ্র বংশী যারা রাজত্ব করে গেছেন, তারা হুবহু সমান স্বরূপে পুনরায় পরিণত হবেন এই জ্ঞানের দ্বারা। অবাক করার মতো কথা তাই না ! অতএব বাবা এখন বোঝাচ্ছেন - এমন পুরুষার্থ করলে তোমরা সেই দেবতা স্বরূপে পরিণত হবে। অ্যাক্টিভিটি সব ঐরকম -ই থাকবে যা সত্যযুগ-ত্রেতায় চলে। কত ওয়ান্ডারফুল এই জ্ঞান। এই জ্ঞান বুদ্ধিতে বসবে তখনই, যখন অন্তর পরিষ্কার থাকবে। সবার বুদ্ধিতে এই জ্ঞান টিকবে না। পরিশ্রম চাই। পরিশ্রম না করলে ফল কি পাওয়া যায়। বাবা তো পুরুষার্থ করাতেই থাকেন। যদিও ড্রামা অনুসারে হয় কিন্তু পুরুষার্থ তো করতে হয়। এমন তো নয় এসে বসে যাবে - ড্রামায় থাকলে পুরুষার্থ চলবে। এমন উদ্ভট বা বন্য চিন্তন যুক্ত মানুষও অনেক থাকে যারা ভাবে - আমাদের ভাগ্যে থাকলে পুরুষার্থ চলবে। আরে, পুরুষার্থ তো তোমাদের করতে হবে। পুরুষার্থ ও প্রালব্ধ রয়েছে । *মানুষ জিজ্ঞাসা করে পুরুষার্থ বড় নাকি প্রালব্ধ বড় ? এবারে বড় তো হল প্রালব্ধ। কিন্তু পুরুষার্থকে বড় করে রাখা হয়, যার দ্বারা প্রালব্ধ নির্মাণ হয়। প্রত্যেকটি মানুষ মাত্রের পুরুষার্থ দ্বারা সবকিছু প্রাপ্ত হয়*। কেউ এমনও পাথর বুদ্ধি আছে যারা উল্টো বুঝে নেয়। তখন বুঝে নেওয়া হয় যে তাদের ভাগ্যে নেই। তখন ভেঙে পড়ে। এখানে আত্মারূপী বাচ্চাদের কত পুরুষার্থ করানো হয়। রাত-দিন বোঝানো হয়। নিজেদের ক্যারেক্টার অবশ্যই শোধরাতে হবে।



এক নম্বর ক্যারেক্টার হল পবিত্র হওয়া। দেবতারা তো হলেন পবিত্র। তারপরে যখন পতন হয়, ক্যারেক্টার খারাপ হয় তখন একেবারে পতিত হয়ে যায়। এখন তোমরা জানো আমাদের তো এক নম্বর ক্যারেক্টার ছিল। তারপরে পতন হয়েছে। সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে পবিত্রতার উপরে। এতেই খুব কষ্ট হয়। মানুষের দৃষ্টি খুব ধোকা দেয়। কারণ এ হল রাবণের রাজ্য। সেখানে (স্বর্গে) তো দৃষ্টি ধোকা দেয় না। জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়, তাই রিলিজন ইজ মাইট বলা হয়। সর্বশক্তিমান পিতা এসে এই দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করেন। যদিও সব কিছু আত্মা-ই করে, কিন্তু মানুষ রূপে করবে। উনি হলেন পিতা - জ্ঞানের সাগর। দেবতাদের তুলনায় এঁনার (বাবার) মহিমা একেবারেই আলাদা। তাহলে এমন বাবাকে কেনই বা স্মরণ করবে না । তাঁকেই নলেজফুল, বীজ রূপ বলা হয়। তাঁকে সত্য, চিৎ (চৈতন্য), আনন্দ কেন বলা হয় ? যে বৃক্ষের বীজ তিনি, সেই বৃক্ষের বিষয়ে তাঁরও জানা আছে, তাইনা। যেটা আমরা জগতে দেখি, তা হল জড় বীজ। তার মধ্যে আত্মা জড় হয়, মানুষের হয় চৈতন্য আত্মা। চৈতন্য আত্মাকে জ্ঞানের সাগরও বলা হয়। বৃক্ষ ছোট থেকে বড় হয়। অর্থাৎ নিশ্চয়ই আত্মা আছে কিন্তু কথা বলতে পারে না। পরমাত্মার মহিমা অনেক, জ্ঞানের সাগর তিনি । এই মহিমা বর্ণনা আত্মার নয়, পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মার উদ্দেশ্যে গাওয়া হয়। তারপর ওঁনাকে ঈশ্বর ইত্যাদি বলা হয়। আসল নাম হল পরমপিতা পরমাত্মা। পরম অর্থাৎ সুপ্রীম। বিশাল মহিমা বর্ণনাও করা হয়। এখন দিনদিন মহিমাও কম করে থাকে, কারণ প্রথমে বুদ্ধি ছিল সতো, তারপরে রজো, তমোপ্রধান হয়ে যায়। এই সব কথা বাবা এসে বোঝান। আমি প্রতি ৫ হাজার বছর পরে এসে পুরানো দুনিয়াকে নতুন দুনিয়ায় পরিণত করি। কথিতও আছে সত্যযুগ আদি সময়টি হল সত্য স্বরূপ, যা ঘটে সেখানে সবই সত্য... (শিখ ধর্ম গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত কিছু কয়েকটি লাইন) তারা কয়েকটি লাইন লিখেছিলেন খুব ভালো, কারণ তারা তখন অত অপবিত্র ছিলেন না। আদি কালের পরবর্তীকালে যারা আসতে থাকে তারা এত পতিত হয় না। ভারতবাসীই অনেক সতো প্রধান ছিল, তারা-ই আবার অনেক জন্মের শেষে তমোপ্রধান হয়েছে, অন্য ধর্ম স্থাপকদের জন্যে এমন বলা হবে না। তারা না এত সতোপ্রধান হয়, না এত তমোপ্রধান হতে হয়। না তো খুব সুখের দেখেছে, না খুব দুঃখ দেখবে । সবচেয়ে বেশি তমোপ্রধান বুদ্ধি কার ? যারা সর্ব প্রথম দেবতা ছিল, তারা-ই সব ধর্ম থেকে বেশি নীচে নেমেছে। যদিও ভারতের মহিমা বর্ণনা করে কারণ অনেক পুরানো বলে। বিচার করলে দেখা যাবে এই সময় ভারত সবচেয়ে পতিত অবস্থায় আছে। উত্থান ও পতন ভারতেরই হয় অর্থাৎ দেবী-দেবতাদের হয়। এইভাবে বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে হবে। আমরা অনেক সুখ দেখেছি যখন সতোপ্রধান ছিলাম, তারপরে অনেক দুঃখও দেখি, কারণ তমোপ্রধান হই। মুখ্য হল-ই ৪ টি - দেবতা ধর্ম(Deityism), ইসলাম ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম(Buddhism) এবং খ্রীষ্টান ধর্ম(Christianity) । বাদবাকি এদের থেকেই বৃদ্ধি হয়েছে। এই ভারতবাসীরা জানে না তারা কোন্ ধর্মের। ধর্মকে না জানার দরুন ধর্ম ত্যাগ করেছে। বাস্তবে সবচেয়ে মুখ্য ধর্ম হল এই ধর্ম, কিন্তু নিজের ধর্মকে ভুলে গেছে। যারা বুদ্ধিমান, বোধ যুক্ত তারা বোঝে, এদের নিজের ধর্মে ঈমান বা বিশ্বাস নেই। তা নাহলে ভারত কি ছিল, এখন কি হয়েছে ! বাবা বসে বোঝান - বাচ্চারা, তোমরা কি ছিলে ! সম্পূর্ণ হিস্ট্রি বসে বোঝান। তোমরা দেবতা ছিলে, অর্ধকল্প রাজত্ব করেছ, তারপর অর্ধকল্প বাদে রাবণ রাজ্যে এসে তোমরা ধর্ম ভ্রষ্ট, কর্ম ভ্রষ্ট হয়েছ। এখন আবার তোমরা দৈব সম্প্রদায়ের হতে চলেছ। ভগবানুবাচ, বাবা এসে কল্প-কল্প বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের বুঝিয়ে ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়ের বানান । আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার:-

১. নিজের হৃদয়ের স্বচ্ছতার দ্বারা বাবার ওয়ান্ডার ফুল জ্ঞান জীবনে ধারণ করতে হবে, পুরুষার্থ দ্বারা উঁচু প্রালব্ধ তৈরি করতে হবে। ড্রামার অজুহাত দিয়ে থেমে থাকবে না।

২. রাবণ রাজ্যে ক্রিমিনাল দৃষ্টির ধোকা থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্যে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দ্বারা দেখার অভ্যাস করতে হবে। পবিত্রতা হল এক নম্বর ক্যারেক্টার, সেই গুণই ধারণ করতে হবে।

বরদান:-

সত্যতার ফাউন্ডেশন দ্বারা আচার-আচরণ ও চেহারা দ্বারা দিব্য অনুভূতি করাতে সক্ষম সত্যবাদী ভব

দুনিয়ায় অনেক আত্মারা নিজেকে সত্যবাদী বলে বা নিশ্চয় করে কিন্তু সম্পূর্ণ সত্যতা নির্ভর করে পবিত্রতার আধারে । পবিত্রতা না থাকলে সত্যতা থাকা সম্ভব নয়। সত্যতার ফাউন্ডেশন হল পবিত্রতা এবং সত্যতার প্র্যাকটিকাল প্রমাণ চেহারায় ও আচার-আচরণে দিব্যতা থাকবে। পবিত্রতার আধারে সত্যতার স্বরূপ স্বতঃতই সহজে হয়। যখন আত্মা ও শরীর দুইই পবিত্র হবে, তখন বলা হবে সম্পূর্ণ সত্যবাদী অর্থাৎ দিব্যতা সম্পন্ন দেবতা।

স্লোগান:-

অসীম জগতের (বেহদের) সেবায় ব্যস্ত থাকলে অসীমের বৈরাগ্য স্বতঃতই আসবে ।