২১-০১-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবার মতন আধ্যাত্মিক (রূহানী) টিচার হও। বাবার কাছে যা কিছু পড়েছ সেসব অন্যদের পড়াও, যদি ধারণা আছে তো কাউকে বুঝিয়ে দেখাও"

প্রশ্ন:-

কোন্ বিষয়ে বাবার অটল বিশ্বাস (নিশ্চয়) আছে ? বাচ্চাদেরও সেই কথায় অটল হতে হবে ?

উত্তর:-

ড্রামাতে বাবার অটল বিশ্বাস আছে। বাবা বলেন যা অতীত (পাস্ট) হয়ে গেছে তা হল ড্রামা। কল্প পূর্বে যা করেছিলে তাই করবে। ড্রামা তোমায় উপরে নীচে করতে দেবে না। কিন্তু বাচ্চাদের অবস্থা এমন হয়নি তাই মুখ থেকে বের হয় - এমনটা হলে অমন করতাম, জানা থাকলে এই কাজ করতাম না ..... বাবা বলেন অতীতকে স্মরণ কোরো না, ভবিষ্যতের জন্যে পুরুষার্থ করো যেন এমন ভুল আর না হয় ।

ওম্ শান্তি ।

আত্মাদের (রূহানী) বাবা বসে আত্মা রূপী (রূহানী) বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। বাবা নিজে বলেন আমি যখন আসি কেউ জানতে পারে না, কারণ আমি গুপ্ত রূপে আসি। গর্ভে যখন আত্মা প্রবেশ করে, তখন কেউ জানতে পারে না। তিথি তারিখ বের করা যায় না। গর্ভ থেকে বেরোনোর তিথি তারিখ থাকে। অতএব বাবার প্রবেশের তিথি তারিখ জানা যায় না, কখন প্রবেশ করেন, কখন রথে আরূঢ় হন - কিছু জানা যায় না। তিনি যখন কাউকে দেখতেন তখন সে নেশায় মত্ত হয়ে যেত। বুঝতে পারত কিছু প্রবেশ করেছে বা কোনো শক্তি এসেছে। শক্তি কোথা থেকে এসেছে ? আমি বিশেষ কোনো জপ তপ তো করিনি। একেই বলা হয় গুপ্ত। তিথি তারিখ কিছু নেই। সূক্ষ্ম লোকের (বতনের) স্থাপনা কখন হয়, সেও বলা যায় না। মুখ্য কথা হল মন্মনাভব। বাবা বলেন "হে আত্মারা তোমরা আমাকে, নিজের পিতাকে আহ্বান কর যে এসে পতিতদের পবিত্র করুন, পবিত্র দুনিয়া রচনা করুন" । বাবা বোঝান ড্রামা প্ল্যান অনুযায়ী যখন আমার আসার সময় হয় তখন চেঞ্জ অবশ্যই হয়। সত্যযুগ থেকে শুরু করে যা কিছু পাস্ট হয়েছে সেসব আবার রিপিট করা হবে। সত্যযুগ ত্রেতা নিশ্চয়ই রিপিট হবে। সেকেন্ড সেকেন্ড পার হয়ে যায়। সম্বত বা বর্ষ পার হতে থাকে । বলা হয় সত্যযুগ পাস্ট হয়েছে। দেখতে পাইনি তো ! বাবা বুঝিয়েছেন তোমরা পার করেছ। তোমরা-ই সবার প্রথমে আমার থেকে দূরে গেছ। সুতরাং এই কথাটিতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে - আমরা কিভাবে ৮৪ জন্ম নিয়েছি যে পুনরায় হুবহু নিতে হবে অর্থাৎ দুঃখ এবং সুখের পার্ট প্লে করতে হবে। সত্যযুগে থাকে সুখ, বাড়ি যখন পুরানো হয় তখন কোথাও ছাদ দিয়ে জল পড়তে থাকে, কোথাও আরও কিছু হয়। তখন এই চিন্তা হয় মেরামত করতে হবে। যখন অনেক পুরানো হয়ে যায় তখন ধরে নেওয়া হয় বাড়িটা আর থাকার জন্যে উপযুক্ত নয়। নতুন দুনিয়ার জন্যে এমন বলা হবে না। এখন তোমরা নতুন দুনিয়ায় চলার যোগ্য হও। প্রতিটি বস্তু প্ৰথমে নতুন পরে পুরানো হয়।



এখন বাচ্চারা তোমাদের এই কথা মনে পড়েছে আর কেউ তো এ কথা বুঝতে পারেনি। গীতা, রামায়ণ ইত্যাদি শোনাতে থাকে, তাতেই ব্যস্ত থাকে। তুমি আমি তো এই সব কাজেই ব্যস্ত ছিলাম। এখন বাবা কত বুদ্ধিমান বানাচ্ছেন । বাবা বলেন - *"বাচ্চারা এখন এই পুরানো দুনিয়া শেষ হবে, এখন নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে। এমন নয় সবাই যাবে। সবাই মুক্তিধামে বসে থাকবে এমনও নিয়ম নেই, প্রলয় হয়ে যাবে। তোমরা জানো এ হল পুরানো দুনিয়া আর নতুন দুনিয়ার হল অত কল্যাণকারী সঙ্গমযুগ। এখন চেঞ্জ হবে তারপরে শান্তিধামে যাবে। সেখানে সুখ অনুভূতিরও কোনো ব্যাপার নেই। বলা হয়ে থাকে - যজ্ঞে যে বিঘ্ন আসে সেসব তো আসবেই। কল্প বাদেও আসতে থাকবে। তোমরা এখন পাকা মজবুত হয়ে গেছ। এই স্থাপনা বিনাশ কোনো ছোটখাট কাজ নয়। বিঘ্ন কোন্ বিষয়ে আসে ? বাবা বলেন কাম হল মহা শত্রু এই নিয়েই অত্যাচার হয়। দ্রৌপদীর কথা আছে না ! ব্রহ্মচর্য নিয়েই সমস্ত খিটখিট। সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান নিশ্চয়ই হতে হবে । সিঁড়ি নামতে হবে, পুরানো দুনিয়া হবে নিশ্চয়ই। এইসব কথা তোমরাই বুঝতে পারো এবং স্মরণও কর এবং ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ে পড়াতেও হবে, টিচার হতে হবে। নলেজ অবশ্যই বুদ্ধিতে আছে, তবেই পড়াশোনা করে টিচার হয়। তারপরে টিচারের কাছে পড়ে যারা বুদ্ধিমান হয় গভর্নমেন্ট তাদের উত্তীর্ণ করে। তোমরাও হলে টিচার। বাবা তোমাদের টিচার বানিয়েছেন। একজন টিচার কি করতে পারে। তোমরা সবাই হলে আধ্যাত্মিক (রূহানী) টিচার। তো বুদ্ধিতে নলেজ থাকা উচিত। এই জ্ঞান তো একেবারে সঠিক - মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার।



এখন যত তোমরা বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ কর ততো লাইট আসতে থাকে। লোকেদের সাক্ষাৎকার হতে থাকবে, কারণ আত্মা পবিত্র হবে স্মরণের দ্বারা। তখন কারো সাক্ষাৎকারও হতে পারে। বাবা সহযোগ দাতা, বসে আছেন, বাবা হলেন সর্বদাই বাচ্চাদের সহযোগী। পড়াশোনায় আত্মারা নম্বর অনুসারে আছে। প্রত্যেকে নিজের বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারে আমার ধারণা কতখানি হয়েছে। যদি ধারণা আছে তো কাউকে বুঝিয়ে দেখাও। এই হল ধন, ধন দান না করলে কেউ মানবেনা যে এর কাছে ধন আছে। ধন দান করলে তো মহাদানী বলা হবে। মহারথী, মহাবীর কথা তো একই। সবাই একরকম তো হতে পারবেনা। তোমাদের কাছে অনেকে আসে। এক একজনের সঙ্গে বসে মাথা ঘামাতে হয় কি ? তারা খবরের কাগজ থেকে অনেক কথা শুনে আশ্চর্য হয়। তারপরে যখন তোমাদের কাছে এসে শোনে তখন বলে আমরা পরমত অর্থাৎ অন্যদের মতানুযায়ী কি করেছি, এখানে তো সবকিছু ভালো। এক-একজনকে ঠিক করতে পরিশ্রম লাগে। এখানেও প্রচুর পরিশ্রম লাগে। তবুও কেউ মহারথী, কেউ অশ্বারোহী, কেউ পেয়াদা। এ হল ড্রামাতে পার্ট। এই কথা তো বুঝতে পারো যে শেষে বিজয় তোমাদের হবে, কল্প পূর্বে যা ছিলে তাই হবে। পুরুষার্থ তো বাচ্চাদের করতেই হবে। বাবা পরামর্শ দেন বোঝানোর চেষ্টা করো। প্ৰথমে তো শিববাবার মন্দিরে গিয়ে সার্ভিস করো। তোমরা প্রশ্ন করতে পারো - ইনি কে ? এঁনার মাথায় জল দেওয়া হয় কেন ? তোমরা ভালো ভাবে জানো। গল্প আছে, একজন রাধুনী গেল উঁনুন জ্বালাবার জন্য চারকোল আনতে আর সেখানে গিয়ে মালিক হয়ে বসল। এই দৃষ্টান্ত তোমাদেরই। তোমরা যাও মানুষকে জাগ্রত করতে আর তোমাদেরকেই নিমন্ত্রণ দিয়ে ডাকা হয়, তো এমন নিমন্ত্রণ এলে খুশী হওয়া উচিত। কাশী ইত্যাদি স্থানে বড় বড় টাইটেল দেওয়া হয়। ভক্তিতে এমন অনেক মন্দির আছে, এও তো একটা ব্যবসা। কোনো ভালো মহিলা দেখল তো তাকে গীতার শ্লোক আউরিয়ে ভালো ইনকাম করে নিল । এর মধ্যে কিছুই নেই। রিদ্ধি সিদ্ধি অনেক শেখে। এমন স্থান গুলিতে তোমাদের যাওয়া উচিত । কিন্তু বাচ্চারা, তোমাদের কখনও শাস্ত্র নিয়ে তর্ক করা উচিত নয়। তোমাদের তো গিয়ে বাবার পরিচয় দিতে হবে। মুক্তি জীবনমুক্তি দাতা হলেন একমাত্র তিনি, তাঁরই মহিমা বর্ণন করতে হবে। তিনি বলেন নিজেকে আত্মা ভেবে আমাকে স্মরণ করো। বাকি মন্মনাভবের অর্থ এই নয় যে গঙ্গায় গিয়ে স্নান করো। *মামেকম্ শব্দের অর্থ হল, "এক আমাকেই স্মরণ করো - আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমি তোমাদের সব পাপ থেকে মুক্ত করব"*। যখন থেকে রাবণ এসেছে তখন থেকে পাপ শুরু হয়েছে। তো উঁচু পদ প্রাপ্ত করার অনেক পুরুষার্থ করতে হবে। পজিশন পাওয়ার জন্যে মানুষ রাত দিন কত মাথা ঘামায়, এও হল পড়াশোনা, এতে কোনো বই হাতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ৮৪-র চক্র তো বুদ্ধিতে এসে গেছে। এ কোনো বড় ব্যাপার নয়। এক-এক জন্মের ডিটেল থোড়াই বলা হবে। ৮৪ জন্ম পুরো হয়েছে, এখন আত্মাদের অর্থাৎ আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। আত্মা যে পতিত হয়েছে তাদের পবিত্র নিশ্চয়ই হতে হবে। সবাইকে এই কথাই বলো মামেকম্ স্মরণ করো। বাচ্চারা বলে বাবা যোগে থাকতে পারিনা। আরে তোমাদের সম্মুখে বলছি - আমাকে স্মরণ করো। তাহলে যোগ শব্দটি তোমরা কেন বলো ! যোগ বলো তাই তোমরা ভুলেও যাও। বাবাকে স্মরণ কে না করতে পারে। লৌকিক মাতা পিতাকে কিভাবে স্মরণ কর, ইনিও তো মাতা পিতা । ইনিও পড়েন। সরস্বতীও পড়েন। পড়াচ্ছেন একমাত্র বাবা। তোমরা যত ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ো, ততই অন্যদের বোঝাও। বাবা বলেন শাস্ত্র পড়ে, জপ তপ করে আমাকে পাবে না, তাহলে লাভ কি । সিঁড়ি তো নামতেই থাকো।



তোমাদের কেউ শত্রু নেই। তবুও তোমাদের বোঝানো হয় যে পাপ ও পুণ্য কিভাবে জমা হয়। রাবণ রাজ্য হওয়ার পরেই তোমরা পাপ করা শুরু করেছ। এমনও বাচ্চারা আছে যাদের নতুন দুনিয়া, পুরানো দুনিয়া কি তারা বিষয়টি বোঝাতে পারে না। এখন বাবা বলছেন বেহদের পিতাকে স্মরণ করো, তিনি হলেন পতিত-পাবন। বাকি তোমাদের কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। ভক্তি মার্গে পা দুটি সদা ঘরের বাইরে থাকত। স্বামী স্ত্রীকে বলে কৃষ্ণের ছবি তো ঘরেও আছে তাহলে বাইরে কেন যাও ? কি তফাৎ আছে ? স্বামী হল পরমেশ্বর, তবু তার কথাও শোনে না। ভক্তি মার্গে অনেক দূরে দূরে উঁচু মন্দির নির্মাণ করে, যাতে মানুষের মনে ভাব আসে। তোমরা বোঝাও মন্দিরে কত ধাক্কা খায়। এই হল এক নিয়ম। শিব কাশীতে তীর্থ করতে যায় কিন্তু প্রাপ্তি কিছুই হয় না। এখন তোমরা তো বাবার শ্রীমৎ প্রাপ্ত কর। তোমাদের কোথাও যেতে হবে না। স্বামীর স্বামী পরমেশ্বর বাস্তবে হলেন একমাত্র তিনি-ই। যাঁকে তোমার স্বামী, কাকা, মামা সকলেই স্মরণ করে তিনি হলেন পতি পরমেশ্বর অথবা পিতা পরমেশ্বর। তিনি তোমাদের বলেন "মামেকম্ (একমাত্র আমাকেই) স্মরণ করো তো তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে" । তোমাদের জ্যোতি এখন জাগ্রত হচ্ছে তো তোমাদের দ্বারা মানুষ আলো দেখতে পায়। তাই বাচ্চাদের নামও খ্যাত হওয়া উচিত। বাবা বাচ্চাদের নাম বিখ্যাত করেন তাই না ! সুদেশ বাচ্চি সুন্দর বোঝায়, তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী । পুরুষার্থ খুব ভালো করেছে তাই পুরানোদের থেকেও এগিয়ে গেছে। এতেও বেশী পুরুষার্থ করে এগিয়ে যাবে। সমস্ত কিছু নির্ভর করছে পুরুষার্থের উপরে। হতাশ হওয়া উচিত নয়। পরে আসলেও সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করতে পারে। দিন দিন অনেকে এমন আসতে থাকবে। ড্রামাতে তোমাদের বিজয়ের পার্ট তো আছেই। বিঘ্নও আসবেই। অন্য সৎসঙ্গে এমন বিঘ্ন আসে না। এখানে বিকার নিয়েই হাঙ্গামা হয়। কথিত আছে অমৃত ছেড়ে বিষ কেন খাও। জ্ঞানের দ্বারা এক দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়ে যায়। সত্যযুগে রাবণ রাজ্য হতে পারে না। কত পরিষ্কার করে বোঝানো হয়েছে। রাম রাজ্যের পাশেই রাবণ রাজ্য দেখানো হয়েছে। তোমরা টাইমও দেখাও। এই হল সঙ্গম। দুনিয়া বদলাচ্ছে। স্থাপন, পালন এবং বিনাশ করান একমাত্র বাবা। এ হল খুব সহজ, কিন্তু ধারণা পুরো হয় না এবং সব কথা স্মরণে থাকে বাকি জ্ঞান ও যোগ ভুলে যায়। তোমরা হলে উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবানের সন্তান। দিন দিন তোমরা সলভেন্ট(সমৃদ্ধ) হতে থাকো। ধন প্রাপ্ত হয়, তাই না ! খরচও হতে থাকে। বাবা বলেন খাজানা ভরতে থাকবে। কল্প পূর্বের মতন তোমরা খরচ করবে। ড্রামা কম বেশী করতে দেবে না। ড্রামার উপরে বাবার অটল নিশ্চয় আছে। যা পাস্ট হয়েছে সব ড্রামা। এমন বলা উচিত নয় এমন হত, এমন করতাম না। এখন সেই অবস্থা আসে নি। কিছু কিছু মুখ থেকে বেরিয়ে যায়, পরে ফীল হয়। বাবা বলেন অতীতকে স্মরণ কোরো না, ভবিষ্যতের জন্যে পুরুষার্থ কর যে এমন ভুল যেন পুনরায় না হয় তাই বাবা বলেন চার্ট লেখো, এতে অনেক কল্যাণ আছে। বাবা একজনকে দেখে সম্পূর্ণ জীবন কাহিনী লিখছিলেন, ভেবেছেন বাচ্চারা শিখবে। এখানে তো শ্রীমৎ অনুসারে চললেই কল্যাণ। এখানে মিথ্যা চলতে পারে না। নারদের দৃষ্টান্ত আছে। চার্ট দ্বারা অনেক লাভ হয়। বাবা আদেশ করেন তো বাচ্চাদের সেই আদেশ অনুযায়ী চলা উচিত। আচ্ছা !



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ, ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. জ্ঞান ধারণ করে অন্যদের বোঝাতে হবে। জ্ঞান ধন দান করে মহাদানী হতে হবে। কারোর সঙ্গে শাস্ত্র নিয়ে তর্ক না করে বাবার প্রকৃত সত্য পরিচয় দিতে হবে।

২. তোমাদের অতীতের কথা নিয়ে চিন্তন করতে হবে না। এমন পুরুষার্থ করতে হবে যাতে পুনরায় যেন আর ভুল না হয়। নিজের সত্য প্রকৃত চার্ট রাখতে হবে।

বরদান:-

সত্যতার অথরিটি ধারণ করে সর্বজনকে আকৃষ্ট করে এমন নির্ভয় এবং বিজয়ী ভব

তোমরা বাচ্চারা হলে সত্যতার শক্তিশালী শ্রেষ্ঠ আত্মা। সত্য জ্ঞান, সত্য পিতা, সত্য প্রাপ্তি, সত্য স্মৃতি, সত্য গুণ, সত্য শক্তি সবই প্রাপ্ত আছে। এমন বিরাট অথরিটির নেশা থাকলে এই সত্যতার অথরিটি প্রত্যেকটি আত্মাকে আকৃষ্ট করবে। মিথ্যাখণ্ডেও এমন সত্যতার শক্তি ধারী বিজয়ী হয়। সত্যতার প্রাপ্তি হল খুশী ও নির্ভয় ভাব। সত্যবাদী নির্ভয় হবে। তাদের কখনও ভয় লাগবে না।

স্লোগান:-

বায়ুমন্ডলকে পবিত্র করার উপাদান হল - পজিটিভ সঙ্কল্প এবং শক্তিশালী বৃত্তি ।