১৯-০২-১৯ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই ঈশ্বরীয় পঠনপাঠন হল 'দি বেস্ট', একেই সোর্স অফ ইনকাম বলা হয়, এই পড়াতে যদি পাস করতে হয় তাহলে টিচারের মত-এ চলতে থাকো"

প্রশ্ন:-

বাবা এই ড্রামার রহস্য জেনেও তাঁর বাচ্চাদের দিয়ে কোন্ ধরনের পুরুষার্থ করান* ?

উত্তর:-

বাবা জানেন যে নম্বর অনুসারে সব বাচ্চারা সতোপ্রধান হবে কিন্তু তিনি বাচ্চাদের দিয়ে এই পুরুষার্থ করান যে, বাচ্চারা এমন পুরুষার্থ করো যাতে সাজা ভোগ করতে না হয় l সাজার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যতটা সম্ভব ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করো l চলতে - ফিরতে, উঠতে - বসতে যদি স্মরণে থাক তাহলে অনেক খুশীতে থাকবে l আত্মা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে* l

ওম্ শান্তি l

বাচ্চারা এখন জানে যে, শিববাবা আমাদের জ্ঞান আর যোগ শেখান l আমাদের যোগ কেমন, এ তো বাচ্চারাই জানে l আমরা যারা পবিত্র ছিলাম, তারাই এখন অপবিত্র হয়েছি কেননা ৮৪ জন্মের হিসেব তো চাই l এ হল ৮৪ জন্মের চক্র l এ কথাও তারাই জানবে যারা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করবে l বাচ্চারা, তোমরা এ কথা বাবার কাছ থেকে জেনেছ l কোটির মধ্যে কয়েকজনই এ কথা মানবে l বাবা কত পরিষ্কার করে এই শিক্ষা দেন l বাচ্চারা, তোমরাও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে এই কথা মানবে l সবাই একরস ভাবে তো মানবে না l টিচারের পড়াকে সবাই একরস ভাবে মানবে না বা পড়বে না l নম্বর অনুসারে কেউ কুড়ি পায়, কেউ আবার অনেক মার্কস্ পায় l কেউ আবার ফেলও করে যায় l ফেল কেন করে ? কেননা তারা টিচারের মতে চলে না l ওখানে অনেক মত থাকে l এখানে একই মত পাওয়া যায় l এ হল আশ্চর্যজনক মত l বাচ্চারা জানে যে, বরাবর আমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছি l বাবা বলেন -- আমি যাঁর মধ্যে প্রবেশ করি...একথা কে বলছেন ? শিববাবা বলছেন l তিনি বলছেন, আমি যাঁর মধ্যে প্রবেশ করি, যাঁকে ভাগীরথ বলা হয়, ইনিও তাঁর নিজের জন্মকে জানতেন না l বাচ্চারা, তোমরাও জানতে না l আমি তোমাদের এখন বোঝাই l তোমরা এতো জন্ম সতোপ্রধান ছিলে তারপর সতো, রজো, তমোতে এসে নীচে নেমে এসেছো l এখন তোমরা এখানে পড়ার জন্য এসেছ l এই ঈশ্বরীয় পঠনপাঠন হল উপার্জন, সোর্স অফ ইনকাম l এই পড়া হল "দি বেস্ট l" ওই পড়াতে বলবে আই.সি.এস দি বেস্ট l তোমরা ১৬ কলা সম্পূর্ণ দেবতা ছিলে, এখন তোমাদের কোনো গুণ নেই l এই গায়নও আছে যে, নির্গুণ হেরে যাওয়ার মধ্যে কোনো গুণ নেই l সবাই এমন কথা বলতে থাকে l তারা মনে করে ভগবান সর্বত্র আছে l দেবতাদের মধ্যেও ভগবান আছে, এই কারণে দেবতাদের সামনে বসে বলতে থাকে, আমি নির্গুণ, আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই.... কেবল তুমিই দয়া করতে পার l এমনও গাওয়া হয় যে, বাবা ব্লিসফুল, দয়ালু, আমাদের উপর দয়া করেন l মানুষ বলে - হে ঈশ্বর, কৃপা করো l তারা বাবাকে ডাকে, এখন সেই বাবা তোমাদের সামনে এসেছেন l এমন বাবাকে যে জানে তার কতো খুশী হওয়া উচিত l বেহদের বাবা, যিনি প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর আমাদের আবার সম্পূর্ণ বিশ্বের রাজত্ব দেন, তাই কতো অগাধ খুশী হওয়া উচিত l



তোমরা জানো যে, এই শ্রীমতে তোমরা শ্রেষ্ঠর থেকেও শ্রেষ্ঠ তৈরী হচ্ছ l তোমরা যদি শ্রীমতে চলো তাহলেই শ্রেষ্ঠ হতে পারবে l অর্ধেক কল্প রাবণের মত চলে l বাবা কতো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন l তোমরাই ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছিলে, তোমরাই সতোপ্রধান ছিলে, এখন তোমাদের আবার সতোপ্রধান হতে হবে l এ হলো রাবণ রাজ্য l যখন এই রাবণের উপর জয় পাবে তখনই রামরাজ্য স্থাপন হবে l বাবা বলেন যে, তোমরা আমার গ্লানি করো l বাবার নামের কীর্তন করার পরিবর্তে গ্লানি করে l বাবা বলেন যে, তোমরা আমার কতো অপকার করেছো l এও ড্রামাতে বানানো আছে l এখন তোমাদের বোঝানো হয় যে, এইসব বিষয় থেকে মুক্ত হও l এককে স্মরণ করো l এমন বলাও হয়ে থাকে, সৎসঙ্গ ২১ জন্মের জন্য উদ্ধার করে l তাহলে কে ডুবিয়ে দিল ? তোমাদের সাগরে কে ডুবিয়েছে ? বাচ্চাদেরই তো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হবে, তাই না l তোমরা জান যে, আমারই নাম বাগানেই মালী, কান্ডারী l অর্থ না বোঝার কারণে মানুষ বেহদের বাবার অনেক গ্লানি করেছে l তাও বেহদের বাবা তাদের বেহদের সুখ দান করেন l অপকারকারীরও তিনি উপকার করেন l ওরা বুঝতে পারে না যে আমরা অপকার করছি l ওরা খুব খুশী হয়ে বলে যে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী l এখন এমন তো হতেই পারে না l প্রত্যেকেই নিজের নিজের পার্ট পেয়েছে l এও তোমরা জানো যে, প্রত্যেকেই নিজের নিজের পার্ট পেয়েছে l এও তোমরা জানো যে, যখন দেবী - দেবতার রাজ্য ছিলো তখন আর কোনো রাজ্য ছিল না l ভারত তখন সতোপ্রধান ছিল l এখন ভারত হলো তমোপ্রধান l বাবা আসেন এই দুনিয়াকে সতোপ্রধান করতে l এও বাচ্চারা তোমরাই জান l সম্পূর্ণ দুনিয়া যদি জানতে পারে তাহলে কিভাবে সবাই এখানে পড়ার জন্য আসবে l তাই বাচ্চারা, তোমাদের অগাধ খুশী হওয়া উচিত l খুশীর মতো খাবার নেই l সত্যযুগে তোমরা খুব খুশী থাকো l দেবতাদের খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি খুব সূক্ষ্ম হয় l তাঁরা খুব খুশী থাকে l এখন তোমরা খুশী পেয়েছো l তোমরা জানো যে, আমরা সতোপ্রধান ছিলাম l বাবা এখন আবার আমাদের এমন ফার্স্টক্লাস যুক্তি বলে দিচ্ছেন l গীতাতেও প্রথম শব্দটি রয়েছে - "মনমনাভব" l এ তো গীতা এপিসোড, তাই না l গীতাতে কৃষ্ণের নাম দিয়ে সম্পূর্ণ দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে l সেটা হল ভক্তিমার্গ l বাবাও এই জ্ঞান বুঝিয়ে বলেন এতে বিরক্ত কিছু নেই l কেবল তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে l এ হলো তমোপ্রধান দুনিয়া l কলিযুগে দেখো মানুষের অবস্থা কেমন হয়ে গেছে l এখানে অনেক মানুষ হয়ে গেছে l সত্যযুগে এক ধর্ম, এক ভাষা আর একটিই বাচ্চা হয় l সেখানে একটিই রাজ্য চলে l এই ড্রামা বানানো আছে l তাহলে এক হলো সৃষ্টিচক্রের জ্ঞান আর দ্বিতীয় হলো যোগ l জ্ঞানের ধুরিয়া আর হোলি l মুখ্য বিষয় বাবা বলেন যে - এইসময় সকলেরই তমোপ্রধান জরাজীর্ণ অবস্থা, বিনাশ সামনে উপস্থিত l বাবা এখন বলছেন, তোমরা আমাকে ডেকেছ তোমাদের পবিত্র বানানোর জন্য l তোমরা পতিত হয়ে গেছ l আমাকেই পতিত - পাবন বলা হয় l তোমরা এখন আমার সাথে যোগ লাগাও ,আমাকে স্মরণ করো l আমি তোমাদের সবকিছুই সঠিক বলে দেবো l বাকি জন্ম - জন্মান্তর তোমরা ভুল হয়ে এসেছো l তাই সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়ে গেছ l



বাবা বাচ্চাদের বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের আত্মা এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে l কে বানালো এমন ? পাঁচ বিকার l মানুষ তো এতো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে যে মাথাই খারাপ করে দেয় l শাস্ত্রার্থ যদি করে তাহলে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে থাকে l একে অপরকে লাঠির আঘাতও করে l এখানে তো বাবা তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র বানান, এতে শাস্ত্র কি করবে ? পবিত্র তো হতেই হবে, তাই না l কলিযুগের পরে অবশ্যই সত্যযুগ আসতে হবে l সতোপ্রধানও অবশ্যই হতে হবে l বাবা বলেন যে, তোমরা নিজেদের আত্মা মনে করো l তোমাদের আত্মা যদি তমোপ্রধান হয় তাহলে শরীরও তোমরা তমোপ্রধান পাবে l সোনা যতো ক্যারেটের হবে গয়নাও তেমনই হবে l খাদ তো দেওয়া হয়, তাই না l তোমাদের এখন ২৪ ক্যারেট সোনা হতে হবে l দেহী - অভিমানী ভব l দেহ - অভিমানে আসার কারণে তোমরা ছি - ছি হয়ে গেছো l কোনো খুশী নেই l অসুস্থতা, রোগ ইত্যাদি সবকিছুই আছে l এখন আমিই তো পতিত পাবন l আমাকে তোমরা ডেকেছো l আমি কোনো সাধু সন্ত আদি নই l কেউ আসে আর বলে - গুরুজীর দর্শন করবো l বলো, গুরুজী তো নেই আর দর্শন করাতেও কোনো লাভ নেই l বাবা তো সমস্ত কথাই সহজে বুঝিয়ে বলেন l যতো স্মরণ করবে, ততই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে থাকবে l এরপর দেবতা হয়ে যাবে l তোমরা এখানে আবারও সতোপ্রধান দেবতা হতে এসেছো l বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের জং দূর হয়ে যাবে l তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে l পুরুষার্থেই তো হবে, তাই না l তোমরা উঠতে - বসতে, চলতে - ফিরতে বাবাকে স্মরণ করো l স্নান করতে করতে কি তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে পারো না ? নিজেকে আত্মা মনে করে যদি বাবাকে স্মরণ করো তাহলে জং দূর হয়ে যাবে আর তোমাদের খুশীর পারদ চড়তে থাকবে l আমি তোমাদের কতো সম্পদ দান করি l তোমরা এখানে এসেছো বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য l ওখানে তোমরা সোনার মহল তৈরী করবে l তোমাদের কতো হীরে - জহরত থাকবে l ভক্তিতে যে মন্দির বানানো হয় সেখানে কতো হীরে জহরত থাকে l অনেক রাজারাই মন্দির নির্মাণ করেন l এতো হীরে, সোনা কোথা থেকে আসে ? এখন তো তা আর নেই l এই ড্রামাও তোমরাই জানো যে, কিভাবে চক্র ঘুরতে থাকে l যারা সবথেকে বেশী ভক্তি করেছে, একমাত্র তাদের বুদ্ধিতেই এই কথা ঢুকবে l নম্বরের ক্রমানুসারেই তারা বুঝতে পারবে l এখানে বুঝতে পারা যায়, কারা খুব সেবা করে, খুব খুশীতে থাকে, যোগে থাকে l এই অবস্থা শেষের দিকে হবে l যোগই অত্যন্ত জরুরী l তোমাদের সতোপ্রধান হতে হবে l বাবা যখন এসেছেন তখন তাঁর থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে l তোমরা এও বল যে, বাবা তো আমার সাথেই আছেন l আমি শুনছি l তোমাদের যখন শোনান, আমিও শুনতে থাকি l কাউকে তো শোনাবেন, তাই না l জ্ঞান অমৃতের কলস তোমরা মায়েরা পাও l মায়েরা সবাইকে তা ভাগ করে দেন l তারা অনেক সেবাও করেন l তোমরা সকলেই হলে সীতা l রাম হলেন একজন l তোমরা সবাই বধূ (ব্রাইডস), আমি হলাম পাত্র (ব্রাইডগ্রুম l আমি তোমাদের শৃঙ্গার করিয়ে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দিই l গায়নও আছে যে উঁনি আমাদের বাবারও বাবা, পতিরও পতি l একদিকে মানুষ মহিমা করে অন্যদিকে গ্লানি করে দেয় l শিববাবার মহিমা আলাদা আবার কৃষ্ণের মহিমা আলাদা l সকলের জায়গা আলাদা - আলাদা l এখানে সবাইকে মিলিয়ে এক করে দিয়েছে l এ হলো অন্ধকারের রাজ্য, এখন তোমরা অবশ্য বাবার হয়েছ l তোমরা হলে শিববাবার পৌত্র - পৌত্রী l তোমাদের সকলেরই অধিকার আছে, এই বাবার কাছে তো সম্পত্তি নেই l সম্পত্তি পাওয়া যায় হদের আর বেহদের বাবার থেকে l তৃতীয় আর কেউই নেই যার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায় l ইনি বলেন, আমিও এনার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার গ্রহণ করি l পারলৌকিক পরমপিতা পরমাত্মাকে সকলেই স্মরণ করে l সত্যযুগে কেউই স্মরণ করব না l সত্যযুগে থাকে একজন বাবা আর রাবণ রাজ্যে থাকে দুইজন বাবা l সঙ্গম যুগে থাকে তিনজন বাবা - লৌকিক, পারলৌকিক আর তৃতীয় হল এই আশ্চর্যের অলৌকিক বাবা l এনার দ্বারাই বাবা আমাদের আশীর্বাদী বর্সা দেন l ইনিও ওঁনার থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার পান l ব্রহ্মাকে এডমও বলা হয় l গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার l শিবকে তো বাবাই বলা হবে l মনুষ্য ঝাড় ব্রহ্মার থেকে শুরু হয়, তাই তাঁকে গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার বলা হয় l এই জ্ঞান তো খুবই সহজ l তোমরা ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছো l তোমাদের বোঝানোর জন্য চিত্রও আছে l এখন এতে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করার দরকারই নেই l ঋষি - মুনিদের জিজ্ঞেস করলে তারাও কিছুই না, কিছুই না বলে দেয় l এখন বাবা এসে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন l তাই এমন বাবাকে কতো ভালোবেসে স্মরণ করা উচিত l



এখন ড্রামা অনুসারে বাচ্চারা, তোমরা উপরে উঠছো l কল্পে কল্পে নম্বরের ক্রমানুসারে কেউ সতোপ্রধান, সতো, রজো, তমো হয় l এমনই পদ ওখানে পাওয়া যায়, তাই বাবা বলেন -- বাচ্চারা, খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করো তাহলে সাজা ভোগ করবে না l তিনি অবশ্যই পুরুষার্থ করান l যদিও তিনি জানেন, তারাই হতে পারবে যারা কল্প পূর্বে হয়েছিল, তবুও অবশ্যই তিনি পুরুষার্থ করান l যারা বাবার কাছাকাছি থাকেন তারা পূজাও খুব ভালোভাবে করে থাকেন l প্রথমদিকে তোমরা আমারই পূজা করো l তারপর অন্য দেবতাদের পূজা করো l এখন তোমাদের দেবতা হতে হবে l তোমরা যোগবলের দ্বারা তোমাদের রাজ্য স্থাপন করছ l যোগবলের দ্বারাই তোমরা বিশ্বের বাদশাহী নাও l বাহুবলে কেউই বিশ্বের বাদশাহী নিতে পারে না l ওরা ভাই - ভাইকে নিজেদের মধ্যে লড়াই - ঝগড়া করিয়ে দেয় l কতো বারুদ তৈরী করে l ধারে একে অপরকে দিতে থাকে l বারুদ হলো বিনাশের জন্য কিন্তু এ কথা কারোর বুদ্ধিতেই আসে না, কেননা তারা মনে করে এই কল্প লাখ বছরের l মানুষ ঘোর অন্ধকারে আছে l বিনাশ হয়ে যাবে আর সকলে কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় নিদ্রিত থাকবে l কেউই জাগবে না l তোমরা এখন জাগ্রত হয়েছো l বাবা হলেনই জাগ্রত জ্যোতি, নলেজফুল l বাচ্চারা, তোমাদের তিনি নিজের সমান বানান l ও হলো ভক্তি আর এ হলো জ্ঞান l এই জ্ঞানে তোমরা সুখী হও l তোমাদের মনে হওয়া উচিত, আমরা আবার সতোপ্রধান হচ্ছি l বাবাকে স্মরণ করতে হবে l একেই বলা হয় বেহদের সন্ন্যাস l এই পুরানো দুনিয়া তো বিনাশ হয়ে যাবে l এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও অনেক সাহায্য করে l সেই সময় তোমরা সম্পূর্ণ খাবারও পাবে না l আমরা আমাদের খুশীর খাবারেই খুশী থাকবো l তোমরা জানো যে, এইসবই শেষ হয়ে যাবে l এতে মন খারাপের কোনো কথাই নেই l বাচ্চারা, আমি তোমাদের সতোপ্রধান বানাতেই আসি l এ তো কল্পে কল্পে আমারই কাজ l আচ্ছা l



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. স্বয়ং ভগবান আমাদের উপর দয়া করেছেন, তিনি আমাদের পড়াচ্ছেন, এই নেশায় থাকতে হবে l পড়া হল সোর্স অফ ইনকাম তাই মিস্ করবে না l

২. অগাধ খুশীর অনুভব করতে হবে এবং করাতে হবে l চলতে - ফিরতে দেহী - অভিমানী হয়ে বাবার স্মরণে থেকে আত্মাকে অবশ্যই সতোপ্রধান করতে হবে l

বরদান:-

নিজের শ্রেষ্ঠ বৃত্তির দ্বারা বিশ্বের পরিবেশ পরিবর্তন করে আধারমূর্ত ভব

তোমরা বাচ্চারা কেবল নিজের জীবনের জন্যই আধার নয়, কিন্তু বিশ্বের সমস্ত আত্মাদের আধারমূর্তি l তোমাদের শ্রেষ্ঠ বৃত্তির দ্বারা এই বিশ্বের পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে l তোমাদের পবিত্র দৃষ্টির দ্বারা এই বিশ্বের আত্মা এবং প্রকৃতি দুইই পবিত্র হচ্ছে l দৃষ্টির দ্বারাই সৃষ্টির পরিবর্তন হচ্ছে l তোমাদের শ্রেষ্ঠ কর্মের দ্বারাই শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া তৈরী হচ্ছে l এখন তোমরা যখন এতো বড় দায়িত্বের মুকুটধারী হচ্ছ তখন তোমরা ভবিষ্যতে মুকুট এবং সিংহাসনের অধিকারী হবে l

স্লোগান:-

সর্বশক্তিমান বাবাকে যদি নিজের সাথী বানিয়ে নাও তাহলে কোনো বিঘ্নই তোমাদের আটকাতে পারবে না* l