২৫-১০-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা এসেছেন বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের নরক রূপী পাঁক থেকে মুক্ত করতে, তোমরা বাচ্চারাও এইজন্যই বাবাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছো"

প্রশ্ন:-

তোমরা বাচ্চারা হলে খুব দক্ষ কারিগর - কীভাবে? তোমাদের কারিগরীটি কি ?

উত্তর:-

আমরা বাচ্চারা এমন কারিগরী করি, যার ফলে সম্পূর্ণ দুনিয়া নতুন হয়ে যায়। তার জন্য আমরা কোনো ইঁট পাথর হাতে তুলি না, বরং স্মরণের যাত্রা দ্বারা নতুন দুনিয়া বানাই। আমরা খুশী যে আমরা নতুন দুনিয়া তৈরির কারিগরীতে দক্ষ। আমরা-ই আবার এমন স্বর্গের মালিক হব ।

ওম্ শান্তি।

মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চাদের আত্মিক পিতা বোঝান, তোমরা যখন নিজের নিজের গ্রাম থেকে বের হও, তখন তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথাটি থাকে যে, আমরা যাই শিববাবার পাঠশালায়। এমন নয় যে, কোনও সাধু-সন্ন্যাসী ইত্যাদির দর্শন করতে বা শাস্ত্র পাঠ ইত্যাদি শুনতে এসেছি। তোমরা জানো, আমরা যাই শিববাবার কাছে। দুনিয়ার মানুষ তো ভাবে, শিব উপরে থাকেন। তারা যখন স্মরণ করে, তখন চোখ বন্ধ করে বসে। তারা চোখ বন্ধ করে ধ্যান করতে বসে। তাদের মাথায় তো শিবলিঙ্গের দৃশ্য রযেছে। শিবের মন্দিরে গিয়েও তাই শিবকে স্মরণ করার সময় উপরে দেখে বা শিবের মন্দিরকে স্মরণ করে । অনেকে চোখ বন্ধ করে বসে। তারা ভাবে দৃষ্টি এদিক ওদিক গেলে সাধনা ভঙ্গ হবে। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো, আমরা যদিও শিববাবাকে স্মরণ করতাম। কেউ কৃষ্ণকে স্মরণ করে, কেউ রামকে স্মরণ করে, কেউ নিজের গুরুকে স্মরণ করে, গুরুর ফটো দিয়ে ছোট লকেট বানিয়ে পড়ে। গীতা -র ছোট লকেট বানিয়ে পড়ে। ভক্তি মার্গে তো সবই এইরকম। ঘরে বসেও স্মরণ করে। স্মরণে থেকে যাত্রা করতেও যায়। চিত্র বা মূর্তি তো ঘরে রেখে পূজা করতে পারে, কিন্তু এও হল ভক্তির নিয়ম। জন্ম জন্মান্তর যাত্রা করেছে। চার ধামের যাত্রা করে। চার ধাম কেন বলা হয় ? পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ ... চার দিকের ভ্রমণ করে। ভক্তি মার্গ যখন শুরু হয়, তখন একের আরাধনা করা হয়, তাকে বলা হয় অব্যভিচারী ভক্তি। তোমরা সতোপ্রধান ছিলে, এখন তো এই সময় হল তমোপ্রধান। ভক্তিও ব্যভিচারী, অনেকেকে স্মরণ করে থাকে। তমোপ্রধান ৫ তত্ত্বের দ্বারা নির্মিত শরীরের পূজা করে। অর্থাৎ তমোপ্রধান ভূতের পূজা করে, কিন্তু এইসব কথা কেউ বোঝে না। যদিও এইখানে বসে আছে, কিন্তু বুদ্ধিযোগ বাইরে বিচরণ করে। এখানে তো বাচ্চারা তোমাদের চোখ বন্ধ করে শিববাবাকে স্মরণ করার নয়। তোমরা জানো বাবা হলেন দূর দেশের নিবাসী। তিনি এসে বাচ্চাদের শ্রীমৎ প্রদান করেন। শ্রীমৎ অনুযায়ী চললে ই শ্রেষ্ঠ দেবতায় পরিণত হবে। দেবতাদের সম্পূর্ণ রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। তোমরা এখানে বসে নিজেদের দেবী-দেবতাদের রাজ্য স্থাপন করছ। প্রথমে তোমরা কি জানতে কীভাবে স্বর্গ স্থাপন হয়। এখন জানো বাবা আমাদের পিতাও, শিক্ষক রূপে পড়ান এবং সঙ্গে নিয়েও যাবেন, সদগতি করবেন। গুরু রা কারো সদগতি করে না। এখানে তোমাদের বোঝানো হয় - একমাত্র পিতা, শিক্ষক, সদ্গুরু হলেন ইনি। বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, সদগুরু পুরানো দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়ায় নিয়ে যাবেন। এইসব কথা বৃদ্ধা মাতা রা বুঝতে পারে না। তাদের জন্য মুখ্য কথা হল নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে শিববাবা কে স্মরণ করতে হবে। আমরা হলাম শিববাবার সন্তান, বাবা আমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার দেবেন। বৃদ্ধা মাতাদের এমন সরল ভাষায় বসে বোঝানো উচিত। এই অধিকার তো প্রত্যেকটি আত্মার আছে বাবার কাছে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা। মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পুরানো দুনিয়া-ই অবশ্যই নতুন হবে। নতুন হয় পুরানো। বাড়ি তৈরি হতে কত কম মাস লাগে তারপর পুরানো হতে ১০০ বছর লেগে যায়।



এখন তোমরা বাচ্চারা জানো, এই পুরানো দুনিয়া এখন শেষ হবে। এই লড়াই যা এখন লাগে তা আবার ৫ হাজার বছর পরে লাগবে। এই সব কথা বৃদ্ধা মাতারা বুঝতে পারে না। এই কাজ হল ব্রাহ্মণীদের তাদেরকে বোঝানো। তাদের জন্য তো একটি কথাই যথেষ্ট - নিজেকে আত্মা ভেবে বাবাকে স্মরণ করো। তোমরা আত্মারা হলে পরম ধাম নিবাসী। এখানে এসে শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে কর। আত্মা এইখানে দুঃখ ও সুখের পার্ট প্লে করে। মুখ্য কথা বাবা বলেন সেইটি হল - আমাকে স্মরণ করো এবং সুখধাম কে স্মরণ করো। বাবাকে স্মরণ করলে পাপ নষ্ট হবে তারপরে স্বর্গে আসবে। এখন যে যতখানি স্মরণ করবে তত পাপ ভস্ম হবে। বৃদ্ধাদের অভ্যাস আছে সৎসঙ্গে গিয়ে প্রবচন শোনার। তাদের ক্ষণে ক্ষণে বাবার স্মরণ করাতে হবে। স্কুলে তো পড়াশোনা করা হয়, প্রবচন শোনানো হয় না। ভক্তিমার্গে তো তোমরা অনেক কাহিনী শুনেছ তার দ্বারা কিছুই লাভ হয় নি। ছিঃ ছিঃ দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়ায় তো যেতে পারে না। মানুষ তো রচয়িতা পিতাকে এবং রচনা কে জানে না। নেতি নেতি বলে দেয়। তোমরাও পূর্বে জানতে না। এখন তোমরা ভক্তিমার্গকে ভালো রীতি জেনেছ। ঘরেও অনেকের কাছে মূর্তি ইত্যাদি থাকে, জিনিস তো সেই, কোনও স্বামীরা স্ত্রীকে বলে দেয় - তোমরা ঘরে বসে মূর্তি রেখে পূজা করো। বাইরে ধাক্কা খেতে কেন যাও, কিন্তু তাদের মনের ভাবনা থাকে। এখন তোমরা বুঝেছ তীর্থ যাত্রা করা মানে ভক্তিমার্গের ধাক্কা খাওয়া। অনেক বার তোমরা ৮৪-র চক্র পরিক্রমা করেছ। সত্যযুগ ত্রেতায় কোনও যাত্রা করা হয় না। সেখানে কোনও মন্দির ইত্যাদি হয় না। এই যাত্রা ইত্যাদি সব ভক্তি মার্গে হয়। জ্ঞান মার্গে এইসব কিছু হয় না। তাকেই বলা হয় ভক্তি। জ্ঞান দাতা তো একজন-ই দ্বিতীয় কেউ নেই। জ্ঞানের দ্বারাই সদগতি হয়। সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা। শিববাবাকে কেউ শ্রী শ্রী বলে না, তাঁর কোনও টাইটেল দরকার নেই। এইরূপ তো স্তুতি করা হয়, তাঁকে বলা হয় 'শিববাবা'। তোমরা বলো - শিববাবা, আমরা পতিত হয়েছি, এসে আমাদের পবিত্র বানাও। ভক্তিমার্গের পাঁকে গলা পর্যন্ত ডুবে আছি। তখন চিৎকার করে, বিষয় বাসনার পাঁকে একদম আটকে থাকে। সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে নামতে আটকা পড়ে যায়। কেউ জানেনা, তখন বলে বাবা আমাদের মুক্ত করো। বাবাকেও ড্রামা অনুযায়ী আসতে হয়। বাবা বলেন আমি তো আবদ্ধ , তোমাদের সবাইকে পাঁক থেকে মুক্তি প্রদান করতে। একে বলাই হয় কুম্ভী পাঁক নরক। ঘোরতম নরকও বলা হয়। এই কথা বাবা বসে বোঝান, তারা কি আর জানে।



তোমরা দেখো তোমরা বাবাকে কীভাবে আমন্ত্রণ জানায় । নিমন্ত্রণ ইত্যাদি তো বিবাহ ইত্যাদিতে দেওয়া হয়। তোমরা বলো - হে পতিত-পাবন বাবা, এই পতিত দুনিয়া, রাবণের দুনিয়ায় এসো। আমরা গলা পর্যন্ত এতে আটকে আছি। এক বাবা ব্যতীত অন্য কেউ মুক্ত করতে পারে না। বলেও থাকে - দূর-দেশ নিবাসী শিববাবা, এ হল রাবণের দেশ। সকলের আত্মা তমোপ্রধান হয়েছে, তাই আহ্বান করা হয় যে, এসে পবিত্র করো। পতিত-পাবন সীতারাম, এইরূপ উচ্চ স্বরে গান করে। এমন নয় তারা পবিত্র থাকে। এই দুনিয়াই হল পতিত, রাবণের রাজ্য, যাতে তোমরা ফেঁসে আছো। তখন এই নিমন্ত্রণ দেওয়া হয় - বাবা এসে আমাদের কুম্ভী পাঁক নরক থেকে মুক্ত করো। তাই বাবা এসেছেন। তোমাদের কতখানি বিশস্ত সার্ভেন্ট তিনি। ড্রামায় অপার দুঃখ তোমরা বাচ্চারা দেখেছ। সময় পার হতে থাকে। এক সেকেন্ড অন্যের সাথে মেলে না। এখন বাবা তোমাদের লক্ষ্মী-নারায়ণ সম তৈরি করেন, তখন তোমরা অর্ধকল্প রাজ্য করবে - স্মরণ করো। এখন খুব কম সময় আছে। মৃত্যু আরম্ভ হলে তো সব মানুষ পাগল হয়ে যাবে। (বিভ্রান্ত হয়ে যাবে) এইটুকু সময়ে কি হয়ে যাবে। কেউ তো খবর শুনেই হার্টফেল করবে। এমন মরবে যে বলার নয়। দেখো অনেক বৃদ্ধা মাতারা এসেছেন। তারা কিছুই বোঝে না। যেমন তীর্থে যায়, একে অপরকে দেখে তৈরি হয়ে যায়, আমরাও যাব।



এখন তোমরা জানো, ভক্তিমার্গে তীর্থ যাত্রার অর্থ হল নীচে নেমে আসা, তমো প্রধান হওয়া। সবচেয়ে বড় যাত্রা হল তোমাদের। তোমরা পতিত দুনিয়া থেকে পবিত্র দুনিয়ায় যাও। অতএব এই কন্যাদের শিববাবার স্মরণ করাতে থাকো। শিববাবার নাম স্মরণে আছে ? একটু শুনলেও স্বর্গে এসে যাবে। এই ফল তো অবশ্যই প্রাপ্ত হবে। বাকি পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয় পড়াশোনা দ্বারা। তাতে খুব তফাৎ হয়ে যায়। উঁচু থেকে উঁচু আবার নীচু থেকে নীচু , রাত-দিনের তফাৎ হয়ে যায়। কোথায় প্রধানমন্ত্রী, কোথায় চাকর বাকর। রাজধানীতে নম্বর অনুসারে হয়। স্বর্গেও রাজধানী হবে। কিন্তু সেখানে পাপ আত্মারা বিকার যুক্ত আত্মা থাকবে না। ওই হল নির্বিকারী দুনিয়া। তোমরা বলবে আমরা এইরূপ লক্ষ্মী নারায়ণ অবশ্যই হব। তোমাদের হাত তুলতে দেখে বৃদ্ধা ইত্যাদি সবাই হাত তুলবে। কিছুই বোঝে না। তবু বাবার কাছে যখন এসেছে স্বর্গে গমন তো হবেই কিন্তু সবাই এমন স্বরূপধারী হবে না। প্রজাও থাকবে। বাবা বলেন আমি হলাম দীননাথ (গরিব নিবাজ), তাই বাবা গরিব দের দেখে খুশী হন। যতই বড় ধনী হোক পদ্ম পতি হোক, তাদের চেয়েও এই উঁচু পদ প্রাপ্ত হবে - ২১ জন্মের জন্য। সেই কথাও ভালো। বৃদ্ধারা যখন আসেন বাবা খুশী হন তবুও কৃষ্ণ পুরীতে তো যাবে তাইনা। এই হল রাবণ পুরী, যারা ভালো রীতি পড়বে তো কৃষ্ণকে কোলে নেবে। প্রজারা ভিতরে আসতে পারবে না। তারা মাঝে মাঝে দর্শন করতে পারবে। যেমন পোপ দর্শন দেন জানালা দিয়ে, লক্ষ লক্ষ এসে একত্র হয় দর্শন করতে। কিন্তু আমরা তাঁর দর্শন কি করে করব। সদা পবিত্র তো হলেন একমাত্র বাবা, যিনি এসে তোমাদের পবিত্র করেন। সম্পূর্ণ বিশ্বকে সতো প্রধান করেন। সেখানে এমন ভূত থাকবে না। ৫-টি তত্বও সতো প্রধান হয়ে যায়, তোমাদের দাসী হয়ে যায়। সেখানে কখনও এমন গরম পড়বে না যে ক্ষতি হয়ে যাবে। ৫-টি তত্বও নিয়ম অনুসারে চলে। অকালে মৃত্যু হয় না। এখন তোমরা স্বর্গে যাচ্ছ তো নরকের দিকে বুদ্ধিযোগ থাকা উচিত নয়। যেমন নতুন বাড়ি তৈরি হলে পুরানো বাড়ির দিকে বুদ্ধি থাকে না। বুদ্ধি নতুনের দিকে চলে যায়, এই হল আবার অসীমের কথা। নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে, পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। তোমরা হলে নতুন দুনিয়া স্বর্গের নির্মাণকর্তা। তোমরা হলে খুব ভালো কারীগর। নিজের জন্য স্বর্গের নির্মাণ করছ । কত দক্ষ কারীগর তোমরা, স্মরণের যাত্রা দ্বারা নতুন দুনিয়া স্বর্গের নির্মাণ কর। একটুও স্মরণ করলে স্বর্গে এসে যাবে। তোমরা গুপ্ত বেশে নিজের স্বর্গ তৈরি করছ। তোমরা জানো যে আমরা এই শরীর ছেড়ে তারপরে গিয়ে স্বর্গে বাস করব অতএব এমন বাবাকে ভোলা উচিত নয়। এখন তোমরা স্বর্গে যাওয়ার জন্য পড়ছ। এখন রাজধানী স্থাপনের জন্য পুরুষার্থ করছ। এই রাবণের রাজধানী শেষ হবে। অতএব মনে মনে কত খানি খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত । আমরা এই স্বর্গ তো অনেক বার বানিয়েছি, রাজত্ব নিয়ে হারিয়েছি। এই কথাও স্মরণ করলে ভালো। আমরা স্বর্গের মালিক ছিলাম, বাবা আমাদের এমন তৈরি করেছিলেন। বাবাকে স্মরণ করলে পাপ ভস্ম হবে। কত সহজ উপায় তোমরা স্বর্গের স্থাপনা করছ। পুরানো দুনিয়ার বিনাশের উদ্দেশ্যে কত রকমের জিনিস বেরোয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মিসাইল ইত্যাদি দ্বারা সম্পূর্ণ পুরানো দুনিয়া শেষ হবে। এখন বাবা এসেছেন তোমাদের শ্রেষ্ঠ মত প্রদান করতে, শ্রেষ্ঠ স্বর্গের স্থাপনা করার জন্য। অনেক বার তোমরা এই স্থাপনা করেছ তো বুদ্ধিতে স্মরণে রাখতে হবে। অনেক বার রাজ্য প্রাপ্ত করে হারিয়েছি। এই কথা যেন বুদ্ধিতে চলতে থাকে এবং একে অপরকে শোনাতে থাকো। দুনিয়ার কথায় সময় নষ্ট করা উচিত নয়। বাবাকে স্মরণ করো, স্ব দর্শন চক্রধারী হও। এখানে বাচ্চাদের ভালো রীতি শুনে মনন করতে হবে, স্মরণ করতে হবে বাবা যা শুনিয়েছেন। শিববাবা ও অবিনাশী উত্তরাধিকার অবশ্যই স্মরণে থাকা উচিত। বাবা হাতে করে স্বর্গ এনেছেন, পবিত্র ও হতে হবে। পবিত্র না হলে দন্ড ভোগ করতে হবে। পদ মর্যাদাও কম হয়ে যাবে। স্বর্গে উঁচু পদের অধিকারী হতে ধারণা ভালো রীতি করো। বাবা সহজ পথ বলে দেন। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. বাবা যা কিছু শোনান, সেইসব শুনে মনন করতে হবে। দুনিয়ার কথায় নিজের সময় নষ্ট করবে না।

২. বাবার স্মরণে চোখ বন্ধ করে বসবে না। শ্রী কৃষ্ণের রাজধানীতে আসার জন্য ভালো করে পড়াশোনা করতে হবে।

বরদান:-

"মন্মনাভব" - এর অলৌকিক বিধি দ্বারা মনোরঞ্জন অনুভবকারী বাবা সম ভব

সঙ্গমযুগে স্মরণিক উৎসব পালন করা অর্থাৎ বাবার মতন হওয়া। এই হল সঙ্গমযুগের উৎসব পালন। উৎসবে আনন্দ করো কিন্তু বাবার সঙ্গে মিলন উৎসব পালন করে আনন্দ করো। শুধুমাত্র মনোরঞ্জন নয় বরং "মন্মনাভব" হয়ে মনোরঞ্জন করো। অলৌকিক বিধি দ্বারা অলৌকিক মনোরঞ্জন অবিনাশী হয়ে যায়। সঙ্গমযুগের দীপমালার বিধি - পুরানো খাতা শেষ করা, প্রতিটি সঙ্কল্প, প্রতিটি ক্ষণ যেন নতুন অর্থাৎ অলৌকিক হয় । পুরানো সঙ্কল্প, সংস্কার - স্বভাব, আচার-আচরণ - এসব হল রাবণের ঋণ। সেসব একটি দৃঢ় সঙ্কল্প দ্বারা সমাপ্ত করো।

স্লোগান:-

পরিস্থিতিকে দেখার পরিবর্তে নিজেকে ও বাবাকে দেখো ।