১২-০৮-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি বাপদাদা মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা এখানে পঠন-পাঠন করতে এসেছ, তোমাদের চোখ বন্ধ করার প্রয়োজন নেই, পড়াশোনা চোখ খুলেই করতে হয়"
প্রশ্ন:-
বাচ্চারা, ভক্তিমার্গে এমন কোন্ অভ্যাস ভক্তদের মধ্যে থাকে, যা এখন তোমাদের মধ্যে থাকা উচিৎ নয় ?
উত্তর:-
ভক্তিতে যেকোনো দেবতার মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে কিছু না কিছু চাইতে থাকে। তাদের মধ্যে ভিক্ষা করার অভ্যাসই হয়ে যায়। লক্ষ্মীর সামনে দাঁড়িয়ে ধন ভিক্ষা করবে, কিন্তু প্রাপ্তি কিছুই নেই। বাচ্চারা, এখন তোমাদের এই অভ্যাস নেই, আমরা তো বাবার অবিনাশী উত্তরাধীকারের অধিকারী। তোমরা সত্যিকারের বিচিত্র(নিরাকার) পিতাকে দেখতে থাকো, সেটাই তোমাদের সত্যিকারের উপার্জন।
ওম্ শান্তি।
আত্মাদের পিতা বসে আত্মাদের বোঝান -- এ হলো পাঠশালা, এখানে কোনো চিত্র অর্থাৎ দেহধারীকে দেখবে না। এখানে কাউকে দেখলেও বুদ্ধি যেন ওইদিকেই থাকে, যার কোনো চিত্র নেই। স্কুলে বাচ্চাদের অ্যাটেনশন সর্বদা টিচারের দিকেই থাকে। কারণ তিনি পড়ান, তাই তার কথা অবশ্যই শুনতে হবে, আর তারপর রেসপন্সও করতে হবে। যখন টিচার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে তখন স্টুডেন্ট ঈশারা করবে, তাই না -- আমি উত্তর বলছি। এখানে এ হল বিচিত্র স্কুল, কারণ এখানকার পঠন-পাঠনও বিচিত্র(অদ্ভুত)। যিনি পড়ান তাঁর কোনো চিত্র নেই। তাই চোখ খুলেই পড়তে বসা উচিত, তাই না। স্কুলে টিচারের সামনে কি কেউ চোখ বন্ধ করে বসে ? ভক্তিমার্গে চোখ বন্ধ করে মালা-জপ ইত্যাদি করে... সন্ন্যাসীরাও চোখ বন্ধ করে বসে। তারা নারীদের দিকে দৃষ্টিপাতও করে না যাতে মন সেইদিকে(কুপথে) চলে না যায়। কিন্তু আজকাল দুনিয়াও তমোপ্রধান। বাচ্চারা, বাবা তোমাদেরই বোঝান -- এখানে তোমরা যদিও শরীরকে দেখ কিন্তু বুদ্ধি সেই বিচিত্রের স্মরণেই থাকে। এমন কোনো সাধু-সন্ত নেই যারা শরীরকে দেখলেও স্মরণ সেই বিচিত্র-কেই করে। তোমরা জানো যে, এই রথে(ব্রহ্মা) এসে সেই (বিচিত্র) বাবা আমাদের পড়ান। তিনি বলেন, আত্মাই সবকিছু করে, শরীর কিছু করে না। আত্মা শোনে। আধ্যাত্মিক জ্ঞান বা লৌকিক জ্ঞান আত্মাই শোনে এবং শোনায়। লৌকিক টিচারও আত্মাই হয়। শরীরের দ্বারা লৌকিক পড়া পড়ে, সেও আত্মাই পড়ে। আত্মাই ভাল বা খারাপ সংস্কার ধারণ করে। শরীর তো ভস্ম হয়ে যায়। একথা কোন মানুষ জানে না। তাদের তো দেহ-অভিমান থাকে - আমি অমুক, আমি প্রাইম মিনিস্টার। কখনো এভাবে বলবে না যে, আমি আত্মা, এই প্রাইম মিনিস্টারের শরীর ধারণ করেছি। এও শুধু তোমরাই বুঝতে পেরেছ। সবকিছু আত্মাই করে। আত্মা অবিনাশী, এখানে শরীর ধারণ করেছ স্ব-ভুমিকা পালন করার জন্য। তাই আত্মা যদি না থাকে তাহলে শরীর কিছুই করতে পারবে না। আত্মা যখন শরীর পরিত্যাগ করে, তখন শরীর একটি লাশ হয়ে যায়। আত্মাকে এই চোখ দিয়ে দেখতে পাওয়া যায় না। এ তো সূক্ষ্ম, তাই না। তাই বাবা বলেন, বুদ্ধির দ্বারা বাবাকে স্মরণ কর। তোমাদের বুদ্ধিতেও আছে যে, আমাদের শিববাবা পড়ান এঁনার(ব্রহ্মা) মাধ্যমে। এও অতি সূক্ষ্ম বুঝবার মতন বিষয়। কেউ সঠিকভাবে বোঝে, কেউ আবার এতটুকুও বোঝে না, এখানে বোঝার মতো অনেক কিছুই আছে। অল্ফ অর্থাৎ ভগবান, বাবা। শুধু ভগবান বা ঈশ্বর বললে সেই বাবার সম্বন্ধ স্থাপিত হয় না। এইসময় সকলেই প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন, কারণ রচয়িতা বাবা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানে না। এই দুনিয়ার হিস্ট্রি-জিওগ্রাফী রিপীট(পুনরাবৃত) হতে থাকে। এখন সঙ্গমযুগ, একথা কেউ জানে না। তোমরাই জানো, পূর্বে আমরাও জানতাম না। এখন বাবা এখানে তোমাদের জ্ঞানের দ্বারা সুসজ্জিত(শৃঙ্গার) করেন, পুনরায় এখান থেকে বাইরে যখন যায় তখন মায়া-রূপী ধূলায় লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান-শৃঙ্গার নষ্ট করে দেয়। বাবা তো শৃঙ্গার করেন, কিন্তু নিজের পুরুষার্থও তো করা উচিত । অনেক বাচ্চারা মুখে এমন (কথা) বলে, যেন জংলী, মনে হয় যেন শৃঙ্গার করা হয়ইনি, সব ভুলে যায়। লাস্ট নম্বরে অর্থাৎ পিছনে যে স্টুডেন্ট বসে থাকে, পড়াশোনায় তার বেশী মন থাকে না। হ্যাঁ, কারখানা ইত্যাদিতে কাজ করে ধনবান তো হয়ে যায়। কিন্তু তারা কিছুই অধ্যয়ন করেনি। আর এ তো অতি উচ্চ পড়া। পঠন-পাঠন ব্যতীত ভবিষ্য-পদ লাভ করতে পারে না। এখানে তোমাদের কারখানা ইত্যাদিতে বসে কোনো কার্য করতে হবে না, যার দ্বারা ধনবান হবে। এই সবকিছুই তো বিনাশপ্রাপ্ত হবে। সঙ্গে যাবে শুধু অবিনাশী উপার্জন। তোমরা জানো যে, মানুষের যখন মৃত্যু হয় তখন সে শূণ্য হস্তে চলে যায়। সঙ্গে করে কিছুই নিয়ে যায় না। কিন্তু তোমরা হাত ভরে নিয়ে যাবে, একেই বলা হয় সত্যিকারের উপার্জন। তোমাদের এই সত্যিকারের উপার্জন হয় ২১ জন্মের জন্য। অসীম জগতের পিতাই তোমাদের সত্যিকারের উপার্জন করান।
বাচ্চারা, এই(ব্রহ্মা) চিত্রকে দেখ, কিন্তু স্মরণ কর বিচিত্র বাবাকে। কারণ তোমরাও আত্মা, তাই আত্মা তার নিজ পিতাকেই দেখে। ওঁনার কাছেই পড়ে। আত্মা আর পরমাত্মাকে তোমরা দেখ না, কিন্তু বুদ্ধির দ্বারা জেনে যাও। আমরা অর্থাৎ আত্মারা হলাম অবিনাশী। এই শরীর বিনাশী। বাচ্চারা, এই বাবা যদিও সম্মুখে তোমাদের দেখে কিন্তু বুদ্ধিতে রয়েছে যে, আমি আত্মাদের বোঝাই। বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদেরকে যা শেখান তা সর্বৈব সত্য, এরমধ্যে এক রতিও মিথ্যা নেই। তোমরা সত্যখন্ডের মালিক হয়ে যাও। এ হলো মিথ্যাখন্ড। মিথ্যাখন্ড হলো কলিযুগ, সত্যখন্ড হলো সত্যযুগ -- রাত-দিনের পার্থক্য। সত্যযুগে দুঃখের কোন কথাই নেই। নামই হলো সুখধাম। ওই সুখধামের মালিক তো অসীম জগতের পিতাই বানাবেন । ওঁনার কোনো চিত্র (শরীর) নেই, আর সকলেরই চিত্র রয়েছে। তাতে কি ওঁনার আত্মার নামের কোনো পরিবর্তন হয়েছে ? ওঁনারই নাম হলো শিব। আর সব আত্মাকে আত্মাই বলা হয়। বাকি নাম শরীরের হয়। শিবলিঙ্গ নিরাকারেরই প্রতীক। জ্ঞানের সাগর, শান্তির সাগর...... এ হলো শিবের মহিমা। তিনি হলেন পিতা। তাহলে পিতার কাছ থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকারের আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত হবে। এক রচনা উত্তরাধিকারের আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত করতে পারে না আরেক রচনার কাছ থেকে। রচয়িতা তাঁর নিজের সন্তানদের উত্তরাধিকারের অর্পণ করবেন । নিজের সন্তান থাকতে কি ভাই-এর সন্তানকে উত্তরাধিকার দেবে! এখানেও অসীম জগতের পিতা তাঁর অসীম জগতের সন্তানদের উত্তরাধিকারের আশীর্ব্বাদ দেন, এ হলো পড়াশোনা, তাই না। যেমন (যলৌকিক পড়াশোনার দ্বারা মানুষ ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয়। যিনি পড়ান তার সঙ্গে আর পড়াশোনার সঙ্গে যোগাযোগ থাকে। এখানে তো যিনি পড়ান তিনি বিচিত্র। তোমরা আত্মারাও বিচিত্র। বাবা বলেন, আমি আত্মাদের পড়াই। তোমরাও জানো, বাবা আমাদের পড়ান। বাবা একবার-ই এসে পড়ান। আত্মাই তো পড়ে, তাই না। দুঃখ-সুখ আত্মাই ভোগ করে, কিন্তু শরীরের দ্বারা। আত্মা বেরিয়ে গেলে তখন শরীরকে যতই মারো, যেন মনে হয় মাটিকে মারছে। তাই বাবা বারংবার বোঝান, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ কর। বাবা একথা জানেন যে, নম্বরের ক্রমানুসারেই সকলে ধারণ করে। কেউ তো এমন যেন একদম বুদ্ধু, কিছুই বোঝে না। জ্ঞান তো অতি সহজ। অন্ধ, বিকলাঙ্গ, পঙ্গুও এ(জ্ঞান) বুঝতে পারে কারণ এ তো আত্মাকে বোঝান হয়, তাই না। আত্মা বিকলাঙ্গ বা পঙ্গু হয় না। শরীর এমন হয়। বাবা বসে কত ভালভাবে বোঝান, কিন্তু ভক্তিমার্গের চোখ বন্ধ করে বসার অভ্যাস রয়েই গেছে, তাই এখানেও চোখ বন্ধ করে বসে। যেন নেশাচ্ছন্ন। বাবা বলেন, চোখ বন্ধ কোরো না। সম্মুখে চিত্র দেখলেও বুদ্ধির দ্বারা বাবাকে স্মরণ কর, তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। কত সহজ, যদিও বলে বাবা আমরা স্মরণ করতে পারি না। আরে, লৌকিক পিতা যার কাছ থেকে পার্থিব জগতের (হদের) উত্তরাধিকার পাও, তাকে তো মৃত্যু পর্যন্ত স্মরণ করো, আর ইনি তো সকল আত্মাদের অসীম জগতের পিতা, ওঁনাকে স্মরণ করতে পারো না। যাঁকে আহ্বানও কর -- ও গড ফাদার ! গাইড মি(পথ দেখাও)। বাস্তবে একথা বলাও ভুল। বাবা তো একজনের গাইড নন। তিনি তো অসীম জগতের গাইড। একজনকে কি লিবারেট(মুক্ত) করবেন ? না, তা করবেন না। বাবা বলেন, আমি এসে সকলের সদ্গতি করি। আমি আসিই সকলকে শান্তিধামে ফেরত পাঠিয়ে দিতে। এখন চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি তো অসীম জগতের পিতা, তাই না। ওরা তো পার্থিব জগতে এসে আমি-আমি করতে থাকে। হে পরমাত্মা, আমাকে সুখ দাও, দুঃখ দূর কর। আমরা পাপী, নীচ, তুমি দয়া কর। বাবা বলেন, আমি অসীম জগতের পুরানো সৃষ্টিকে নতুন বানাতে এসেছি। নতুন সৃষ্টিতে দেবতারা থাকে, আমি ৫ হাজার বছর পরে আসি। যখন তোমরা সম্পূর্ণ পতিত হয়ে যাও। এ হলো আসুরী সম্প্রদায়। সদ্গুরু হলেন একজনই, যিনি সত্য বলেন। তিনি বাবাও, টিচারও, সদ্গুরুও।বাবা বলেন -- এই মাতা-রাই স্বর্গের দ্বার খুলবে। লেখাও আছে -- গেট ওয়ে টু হেভেন (স্বর্গের দ্বার)। কিন্তু একথা মানুষ বুঝতে পারে কি ? না, পারে না। তারা নরকে পড়ে রয়েছে, তাই না, তবেই তো ডাকে। এখন বাবা তোমাদের স্বর্গে যাওয়ার পথ বলে দিচ্ছেন। বাবা বলেন, আমি আসিই পতিতদের পবিত্র বানাতে আর ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। এখন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ কর, তবেই তোমাদের পাপমোচন হবে। সকলকে একই কথা শোনাও যে - বাবা বলেন, মায়াজীত, জগৎজীত হও। আমি তোমাদের সকলকে জগতের মালিক হওয়ার রাস্তা বলে দিই, পুনরায় দীপাবলীতে (দীপমালা) লক্ষ্মীর পূজা করে, তাঁর থেকে ধন ভিক্ষা করে। এমন বলে না যে, স্বাস্থ্য ভাল কর, আয়ু দীর্ঘ কর। তোমরা তো বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকারের নাও। আয়ু কত দীর্ঘ হয়ে যায়। এখন হেল্থ (স্বাস্থ্য), ওয়েল্থ(সম্পদ), হ্যাপীনেস(সুখ) সবই দিয়ে দেন। ওরা তো লক্ষ্মীর থেকে শুধু ধন ভিক্ষা করে, তা পাওয়া যায় কি, না পাওয়া যায় না। এ এক অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। দেবতাদের সম্মুখে যাবে ভিক্ষা করতে। এখানে তো তোমাদের বাবার থেকে কিছুই চাইতে হয় না। বাবা তোমাদের বলেন, মামেকম্ (একমাত্র আমাকে) স্মরণ করলে মালিক হয়ে যাবে আর সৃষ্টি-চক্রকে জানলে চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাবে। দৈবী-গুণ ধারণ করতে হবে, এতে মুখে কিছু বলার দরকার হয় না। বাবার থেকে যখন স্বর্গের আশীর্বাদ পাওয়া যায়, তখন তোমরা এঁদের পুজো এখন করবে কি ! তোমরা জানো, আমরাই স্বয়ং এমন হবো, তাহলে এই ৫ তত্ত্বের পূজা কেন করব। এখন তোমরা মন্দির ইত্যাদিতে আর যাবে না। বাবা বলেন, এইসব হল ভক্তিমার্গের সামগ্রী। জ্ঞানে তো একটাই কথা -- "মামেকম্ স্মরণ করো" । ব্যস্, স্মরণের দ্বারাই তোমাদের পাপমোচন হবে, তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। তোমরাই সর্বগুণসম্পন্ন ছিলে, পুনরায় এমন হতে হবে। এও বোঝে না। প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন-দের জন্য বাবাকে কত মাথা চাপড়াতে হয়। এ তো নিশ্চই হওয়া উচিত, একথা কোনো সাধু-সন্ত ইত্যাদিরা বলতে পারে না, একমাত্র বাবা ছাড়া। ইনি (ব্রহ্মা বাবা) কি ঈশ্বর, না তা নন। ইনি তো অনেক জন্মের অন্তিম লগ্নে এসে উপনীত হয়েছেন। আমি ওঁনার মধ্যেই প্রবেশ করি, যিনি সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছেন। গ্রাম্য-বালক ছিল পুনরায় শ্যাম থেকে সুন্দর হন। ইনি(ব্রহ্মা) তো সম্পূর্ণরূপে গ্রাম্য-বালকই ছিলেন। যখন একটু সাধারণ হয়ে গেছেন, তখনই বাবা প্রবেশ করেন। কারণ এত বড় ভাট্টী তৈরী করতে হয়েছিল। এদের খাওয়াবে কে ? তাই অবশ্যই কোনো সাধারণও তো চাই, তাই না। এসব বোঝার মতো বিষয়। স্বয়ং বাবা বলেন, আমি এঁনার অনেক জন্মের অন্তিম লগ্নে প্রবেশ করি, যিনি কিনা সর্বাপেক্ষা অধিক পতিত হয়ে গেছেন, পুনরায় পবিত্রও তিনি হবেন। ৮৪ জন্ম ইনি নিয়েছেন, তত্বতম (তোমরাও তাই) । একজন তো নয়, অনেক রয়েছে, তাই না। সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় যারা হবে, তারাই আসবে পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারে। বাকিরা থাকতে পারবে না। দেরী করে যারা আসবে, তারা জ্ঞানও কম শুনবে। পুনরায় দেরীতেই আসবে। *আচ্ছা*!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. বাবা যেভাবে জ্ঞান শৃঙ্গার করেন, তা স্থায়ী-রূপে বজায় রাখার পুরুষার্থ করতে হবে। মায়া-রূপী ধূলায় জ্ঞান শৃঙ্গার যেন নষ্ট না হয়ে যায়। ভালভাবে পড়ে অবিনাশী উপার্জন করতে হবে।
২. এই চিত্র অর্থাৎ দেহধারীকে সম্মুখে দেখেও বুদ্ধির দ্বারা বিচিত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে। চোখ বন্ধ করে বসার অভ্যাস করা উচিত নয়। অসীম জগতের পিতার কাছে কিছুই চাওয়া উচিত নয়।
বরদান:-
সাক্ষী হয়ে কর্মেন্দ্রিয় গুলির দ্বারা কর্ম সম্পন্নকারী কর্তা মনোভাব থেকে মুক্ত, অশরীরী ভব
যখনই চাও শরীরে প্রবেশ কর আর যখনই চাও অশরীরী হয়ে যাও। কোনো কর্ম করতে হলে তখন কর্মেন্দ্রিয় গুলির আধার নাও কিন্তু আমি আত্মা এগুলির আধার নিয়েছি, একথা ভুলো না, অর্থাৎ (কর্ম) করি নয়, কর্ম করাই। যেমন অন্যদের দিয়ে কর্ম করাও অর্থাৎ ওইসময় নিজেকে পৃথক মনে কর, তেমনই সাক্ষী হয়ে কর্মেন্দ্রিয় গুলির দ্বারা কর্ম করাও। তাহলেই (আমি) কর্তা এই অভিমান থেকে মুক্ত, অশরীরী হয়ে যাবে। কর্ম করার মাঝে-মাঝে এক-দুই মিনিটের জন্য অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করো, তবেই অন্তিম সময়ে এর থেকে অনেক সহায়তা পাওয়া যাবে।
স্লোগান:-
বিশ্বের রাজা হতে চাইলে বিশ্বের প্রতি সকাশ প্রদানকারী হও।