১৪-০৮-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা যত বাবাকে স্মরণ করবে, ততই আত্মাতে লাইট আসবে, জ্ঞানবান আত্মা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে"
প্রশ্ন:-
মায়া কোন্ বাচ্চাদের সামান্যতমও বিরক্ত করতে পারে না ?"
উত্তর:-
যারা সুপরিপক্ক যোগী হয়, যারা যোগবলের দ্বারা নিজের সব কর্মেন্দ্রীয়কে শীতল করেছে, যারা যোগে থাকারই পরিশ্রম করে, মায়া তাদের সামান্যতমও বিরক্ত করতে পারে না। যখন তোমরা বলিষ্ঠ যোগী (পরিপক্ক) হয়ে যাবে তখন সুযোগ্য হবে। সুযোগ্য হওয়ার জন্য সর্বাগ্রে পিওরিটির (পবিত্রতা) দরকার।
ওম্ শান্তি।
মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদেরকে বাবা বসে বোঝাচ্ছেন। অজ্ঞানতার বশে তোমাদের আত্মা ডাল বা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। হীরেতে যে ঔজ্জ্বল্য থাকে, পাথরের তা থাকে না। সেইজন্য বলা হয় পাথরের মতো ডাল বা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। আবার জাগ্রত হলে বলা হয় এ হলো যেন পরশমণি। এখন অজ্ঞানতার কারণে আত্মার জ্যোতি নিষ্প্রভ (ডিম) হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ কালো হয় না, নিষ্প্রভ হয়ে যায় । বলা হয়ে থাকে কালো হয়ে গেছে । সবার আত্মা একরকম হয়। শরীরের গড়ন অনেক প্রকারের হয়। আত্মা তো একই হয়। এখন তোমরা বোঝো আমি হলাম আত্মা, বাবার বাচ্চা। এই সমগ্র জ্ঞান ছিলো, সেটা আবার ধীরে- ধীরে চলে গেছে। যেতে যেতে শেষে কিছু না থাকলে বলা হবে অজ্ঞান। তোমরাও অজ্ঞানী ছিলে। এখন জ্ঞানের সাগরের থেকে জ্ঞানী হচ্ছো, আত্মা তো হলো খুব সূক্ষ্ম। এই চোখের দ্বারা দেখাও যায় না। বাবা এসে বোঝাচ্ছেন, বাচ্চাদের নলেজফুল করে তুলছেন, তবেই তোমরা জাগরিত হও। সেখানে ঘরে- ঘরে আলো আছে। এখন ঘরে-ঘরে হলো অন্ধকার অর্থাৎ আত্মা ডিম (নিষ্প্রভ) হয়ে গেছে। এখন বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করলে লাইট এসে যাবে আবার তোমরা জ্ঞানবান হয়ে যাবে। বাবা কারোর গ্লানি করেন না। তিনি তো ড্রামার রহস্য বোঝান। বাচ্চাদের বলেছেন এরা সব মতিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। কে বলে? বাবা। বাচ্চারা, শ্রীমতের আধারে তোমাদের কতো সুন্দর বুদ্ধি হয়েছিল। এখন তোমরা ফিল করছো। তোমাদের জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। *জ্ঞানকে পড়াশোনা বলা হয়। বাবার এই ঈশ্বরীয় পাঠের দ্বারা আমাদের জ্যোতি জাগরিত হয়ে উঠেছে, একেই সত্যিকারের দীপাবলী বলা যায়। ছোটবেলায় মাটির প্রদীপে তেল ঢেলে দীপ প্রজ্জ্বলিত করতাম। প্রথা অনুসারে সেটাই চলে আসছে । এতে কোনো দীপাবলী হয় না। এই আত্মা যা ভিতরে আছে তা নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। বাবা এসে এর জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত করেন*। বাচ্চাদের কাছে এসে নলেজ দেন, পঠন-পাঠন করান। স্কুলে যেমন টিচার পড়ায়। সেটা হলো স্থূল জাগতিক নলেজ, এটা হলো অসীম জগতের নলেজ। কোনো সাধু-সন্তও কি পড়ায়! রচয়িতা আর রচনার আদি, মধ্য আর অন্তের নলেজ কখন শোনো ? কখনো কি কেউ এসে পড়িয়েছে? শুধুমাত্র এক বাবা পড়ান, তাই ওঁনার কাছে পড়াশুনা করা উচিত। বাবা অনায়াসেই আসেন। আমি আসছি বলে কি আর ঢ্যাঁড়া পেটান ! অনায়াসেই এসে প্রবেশ করেন। তিনি আওয়াজই তো করতে পারেন না যতক্ষণ না তাঁর অরগ্যান্স প্রাপ্তি হয়। আত্মাও অরগ্যান্স ব্যাতীত আওয়াজ করতে পারে না, যখন শরীরে আসে তখন আওয়াজ করে। তোমরা লোককে বোঝালে কেউ মানবে না। বাচ্চাদের যখন এই নলেজ দেওয়া হয় তখন বুঝতে পারে। এই নলেজ এক বাবা ব্যাতীত আর কেউ দিতে পারে না। বিনাশের সাক্ষাৎকারও কি চায় আর ! এটাও বাবা এসেই করান। ড্রামা অনুসারে পুরানো দুনিয়া এখন বিনষ্ট হবে। নূতন দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে। যাদের বাবার থেকে নলেজ নেওয়ার আছে তারা আসতে থাকে। কতো জনকে জ্ঞান দিয়ে থাকবে? অগণিত, একেকটা গ্রাম থেকে কত শত আসছে। আত্মা আর পরমাত্মার মেলা এই একবারই ঘটে। সঙ্গমযুগেই আসে। বাবা এসে নূতন দুনিয়া স্থাপন করেন। যাদের জ্যোতি জাগরিত করেন, তারা গিয়ে আবার অন্যদের জ্যোতি জাগরণ করে। তোমাদের সবাইকে এখন গৃহে ফিরে যেতে হবে। এর জন্য বুদ্ধি দ্বারা কাজ করতে হবে। ভক্তি মার্গে তো হলো অন্ধকার। জ্ঞান দেওয়ার জন্য তো এক বাবাকেই চাই। তিনি আসেনই সঙ্গমে। পুরানো দুনিয়ায় জ্ঞান মেলে না। মানুষের মনের মধ্যে আছে এখনো চল্লিশ হাজার বছর পড়ে আছে। সম্পূর্ণ ভাবে ঘোর অন্ধকারের মধ্যে আছে। মনে করে চল্লিশ হাজার বছর পরে ভগবান আসবেন। অবশ্যই এসে জ্ঞান প্রদান করে সদ্গতি করবেন। ঘোর অজ্ঞানতা বলবে না কী ! একে অজ্ঞান অন্ধকার বলা হয়। অজ্ঞানীদের জ্ঞান চাই। ভক্তিকে জ্ঞান বলা যায় না। আত্মাতে জ্ঞান নেই, ডাল বুদ্ধি হওয়ার জন্য মনে করে ভক্তিই হলো জ্ঞান। একদিকে মনে করে জ্ঞান সূর্য আসার ফলে আলোকিত হবে, কিন্তু কিছু বোঝে না। কীর্তন করে - জ্ঞান সূর্য প্রকাশিত হলো...কিসের জন্য বলে জ্ঞান সূর্য? কখন আসে, এটা কেউ জানে না। পন্ডিতরা বলবে, কলিযুগ সম্পূর্ণ হলে তখন আলোকিত হবে।
এসব কথা বাবা এসে বোঝান। বাচ্চারা নম্বর অনুযায়ী বোঝে। টিচার বাচ্চাদের পড়ায়, এক ভাবে তো বাচ্চারা পড়ে না। পড়াতে একরকম মার্কস তো কখনো হয় না। তোমরা জানো যে, অসীম জগতের পিতা এসেছেন। এখন পুরানো দুনিয়ার বিনাশও সামনে উপস্থিত । এখনই বাবার থেকে জ্ঞান নিতে হবে আর যোগও শিখতে হবে। স্মরণের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। বাবা বলেন, এই সঙ্গমেই এসে এই শরীরকে লোন নিই অর্থাৎ প্রকৃতির আধার নিই। আর গীতাতেও এই শব্দ আছে, আর কোনো শাস্ত্রের নাম করেন না বাবা। এক গীতাই আছে। এটা হলোই রাজযোগের পড়াশুনা। নাম রেখে দিয়েছে গীতা। এতে প্রথমদিকে লেখা আছে ভগবানুবাচ। এখন ভগবান কাকে বলা যায় ? ভগবান তো হলেন নিরাকার, ওঁনার নিজের তো শরীরই নেই। সেটা হলো নিরাকারী দুনিয়া, যেখানে আত্মারা থাকে। সূক্ষ্মবতনকে দুনিয়া বলা যায় না। এটা হলো স্থূল সাকার দুনিয়া, ওটা হলো আত্মাদের দুনিয়া। সমস্ত খেলা এখানে চলতে থাকে। নিরাকারী দুনিয়াতে আত্মারা কতো ছোটো-ছোটো। আবার পার্ট করতে আসে। বাচ্চারা, এই খেয়াল তোমাদের বুদ্ধিতেই বসানো হয়। একেই জ্ঞান বলা হয়। বেদ-শাস্ত্রকে বলা হয় ভক্তি, জ্ঞান নয়। তোমাদের সাধু সন্ন্যাসীদের সাথে এতো যোগাযোগ হয়নি, বাবার (ব্রহ্মা) তো অনেক সঙ্গ করা আছে। অনেক গুরু করেছিলেন। সন্ন্যাসীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি সন্ন্যাস নিয়েছেন কেন ? বাড়ী-ঘর কেন ত্যাগ করেছেন ? বলে বিকারের জন্য বুদ্ধি ভ্রষ্ট হয়ে যায়, সেই জন্য ঘর-বাড়ী ছেড়েছি। আচ্ছা, জঙ্গলে গিয়ে যে থাকো, সেখানে ঘর-বাড়ীর কথা মনে পড়ে ? বলে হ্যাঁ। বাবা তো দেখেছিলেন এক সন্ন্যাসী আবার বাড়ীতে ফিরেও গিয়েছিল। এটাও শাস্ত্রে আছে। মানুষ বাণপ্রস্থ অবস্থায় তখন যায় যখন বয়স বেড়ে যায়, ছোটো বয়সে তো বাণপ্রস্থ নিতে পারে না। কুম্ভ মেলাতে অনেক ছোট ছোট উলঙ্গ লোক আসে। ওষুধ খাওয়ায়, যাতে কর্মেন্দ্রীয় ঠান্ডা হয়ে যায়। তোমাদের তো হল, যোগবলের দ্বারা কর্মেন্দ্রীয়কে বশে রাখা। যোগবলের দ্বারা ক্রমশঃ বশ হয়ে শেষ পর্যন্ত ঠান্ডা হয়েই যায়। কেউ বলে বাবা মায়া খুবই বিরক্ত করে। ওখানে তো এরকম ব্যাপার হয় না। কর্মেন্দ্রীয় বশ তখনই হবে যখন তোমরা যোগে পাক্কা বা দৃঢ় হবে। কর্মেন্দ্রীয় শান্ত হয়ে যাবে। এতে অনেক পরিশ্রম আছে। সেখানে এরকম ঘৃণ্য কাজ হয় না। বাবা এসেছেন এরকম ভাবে স্বর্গ ধামে নিয়ে যেতে। তোমাদের সুযোগ্য করে তুলছেন। মায়া তোমাদের না- লায়েক বা অযোগ্য করে তোলে অর্থাৎ স্বর্গ বা জীবনমুক্তি ধামে চলার যোগ্য । বাবা বসে সুযোগ্য করেন। এর জন্য পিওরিটি হলো ফার্স্ট। গানও করে- বাবা, আমরা পতিত হয়ে পড়েছি, এসে আমাদেরকে পবান করো। পাবন মানে পবিত্র, গায়নও আছে অমৃত ছেড়ে বিষ কিসের জন্য খাবে। তার নাম বিষও, যে আদি মধ্য অন্ত দুঃখ দেয়। এটাও ড্রামাতে পূর্ব নির্ধারিত। বাবা কতো বার এসেছেন, তোমাদের কাছে এসে কতো বার মিলিত হয়েছেন। তোমাদের কনিষ্ঠ থেকে উত্তমপুরুষ করছেন।আত্মা পবিত্র হলে আয়ুও বড় হয়ে যায়। হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেস ( স্বাস্থ্য, সম্পদ, খুশী) সব প্রাপ্ত হয়ে যায়। এটাও তোমরা বোর্ডের উপর লিখতে পারো। হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেস ফর ২১ জেনারেশন (প্রজন্ম) ইন ওয়ান সেকেন্ড। বাবার থেকে এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় একুশ জন্মের জন্য। কোনো বাচ্চা বোর্ড লাগাতেও ভয় পায়। বোর্ড তো সবার ঘরে থাকেই। তোমরা যে হলে সার্জেনের বাচ্চা। তোমাদের হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেস (স্বাস্থ্য, সম্পদ, হ্যাপিনেস) সব কিছুর প্রাপ্তি হয়। তবে তোমরা অন্যদেরও দাও। দিতে পারবে তো বোর্ডের উপর লিখে দাও না কেন ! তাহলে মানুষ এসে বুঝবে ভারতে আজ থেকে পাঁচ হাজার পূর্বে হেল্থ-ওয়েল্থ ছিলো, পবিত্রতাও ছিলো। অসীম জগতের পিতার উত্তরাধিকার এক সেকেন্ডে। তোমাদের কাছে অনেকে আসবে। তোমরা বসে বোঝাও এই ভারতই ছিল সোনার চড়ুই পাখী, এদের রাজ্য ছিলো। এসব আবার কোথায় গেল ? এরাই প্রথমে ৮৪ জন্ম নেবে। ইনি হলেন নম্বর ওয়ান, ইনিই আবার লাস্টে আসবেন। বাবা বলেন, এখন তোমাদের ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে। আবার শুরু হবে। অসীম জগতের পিতা এসেই এই পদ প্রাপ্ত করান। শুধু বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করলে পবিত্র হয়ে যাবে। ৮৪ জন্মকে জেনে বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে। তার জন্য পড়াশুনার তো দরকার আছে। তোমাদের বলা হয় স্বদর্শন চক্রধারী। নূতন কেউ তো বুঝতে পারবে না। তোমরা জানো যে *স্ব* আত্মাকে বলা হয়। আমি আত্মা যে পবিত্র ছিলাম, শুরুর থেকে ৮৪ জন্মের চক্র আবর্তিত করেছি। সেও বাবা বোঝান, তোমরা প্রথম দিকে শিবের ভক্তি শুরু করেছিলে। তোমরা তো অব্যাভিচারী ভক্ত ছিলে। বাবা ব্যাতীত কিছু বোঝোতে পারবে না। বাবা বলেন, মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা সর্বপ্রথম এই জন্ম নিয়েছিলে। কেউ বিত্তশালী হলে বলবে, আগের জন্মে সে ওরকম কর্ম করেছিলো। কেউ রোগী হলে বলবে পুরানো কর্মের হিসাবপত্র আছে। আচ্ছা, এই লক্ষ্মী-নারায়ণ কি কর্ম করেছিল ? এটা বাবা বসে বোঝান। এনার ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হলে আবার ফার্স্ট নম্বরে আসতে হবে। ভগবান সঙ্গমযুগে এসেই রাজযোগ শেখান। এখন তোমরা মনে করছো যে বাবা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন। আবারও তোমরা ভুলে যাবে। কর্ম, অকর্ম, বিকর্মের গুহ্য গতিও বাবা বুঝিয়েছেন, রাবণ রাজ্যে তোমাদের কর্ম বিকর্ম হয়ে যায়। সেখানে (সত্যযুগে) কর্ম অকর্ম হয়। সেখানে রাবণ রাজ্যই নেই। বিকার হয় না। সেখানে হলোই যোগবল। যখন যোগবলের দ্বারা আমরা বিশ্বের মালিক হবো তো অবশ্যই পবিত্র দুনিয়াও চাই। পুরানো দুনিয়াকে অপবিত্র, নূতন দুনিয়াকে পবিত্র দুনিয়া বলা হয়। ওটা হলো ভাইসলেস ওয়ার্ল্ড, এটা হলো ভিসিয়াস ওয়ার্ল্ড বা দুঃশ্চরিত্র দুনিয়া। বাবা এসেই বেশ্যালয়কে শিবালয়ে পরিণত করেন। সত্যযুগ হলো শিবালয়। শিববাবা এসে তোমাদের সত্যযুগের জন্য সুযোগ্য করে তুলেছেন । লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরে গিয়ে তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো - তোমাদের জানা আছে এনারা এই পদ কি ভাবে প্রাপ্ত করেছেন ? বিশ্বের মালিক কি ভাবে হয়েছেন ? বাবা বলেন তোমরা জানো না, আমি জানি। তোমরা বাবার বাচ্চারাই বলতে পারো যে, আমরা আপনাদের বলতে পারি- এনারা এই পদ কি ভাবে প্রাপ্ত করেছেন। এরাই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়ে তারপর পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে আসলে বাবা রাজযোগ শিখিয়েছেন আর রাজত্ব দিয়েছেন। এর আগে নম্বর ওয়ান পতিত ছিলো, আবার নম্বর ওয়ান পবিত্র হয়েছে। সম্পূর্ণ রাজধানী বা রাজত্ব ছিল । তোমাদের চিত্রতে সব ক্লীয়ার আছে- এদের রাজযোগ কে শিখিয়েছেন। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ হলেনই পরমাত্মা। দেবতারা তো শেখাতে পারেন না, ভগবানই শেখান, যাকে নলেজফুল বলা হয়ে থাকে। বাবা, টিচার, সদ্গুরুও বলা যায়।
এই সব কথা তারাই বুঝতে পারে যারা শুরু থেকে শিবের ভক্তি করেছে । মন্দির বানিয়েছে যে, তাকে জিজ্ঞাসা করো- আপনি এই মন্দির তৈরী করেছেন, এরা এই পদ কীভাবে প্রাপ্ত করেছে ? কবে এদের রাজ্য ছিলো ? সেটা আবার কোথায় গেল ? এখন এটা কোথায় আছে ? তোমরা ৮৪ জন্মের কাহিনী বলো, তো খুব খুশী হবে। তোমাদের পকেটে একটা চিত্র রেখে দেবে। তোমরা যে কাউকেই বোঝাতে পারো। শুরু থেকে যারা শিবের ভক্তি করেছিল, তারা শুনবে, খুশী হতে থাকবে। তোমরা বুঝে যাবে ইনি আমাদের কুলের। প্রতিদিন বাবা খুব সহজ যুক্তি সমূহ বলে দেন। তোমাদের এখন বোধগম্য হয়েছে যে পরমপিতা পরমাত্মাই সকলের সদ্গতি দাতা। ২১ জন্মের জন্য সত্যযুগী বাদশাহী প্রাপ্ত হয়ে যায়। ২১জন্মের উত্তরাধিকার এই পঠন-পাঠনের দ্বারাই প্রাপ্ত হয়। টপিকও (বিষয়) অনেক আছে, বেশ্যালয় আর শিবালয় কাকে বলা হয় - এই টপিকের উপর তোমরা পরমপিতা পরমাত্মার জীবন কাহিনী বলতে পার। লক্ষ্মী-নারায়ণের ৮৪ জন্মের কাহিনী-এটাও একটা টপিক। বিশ্বে শান্তি কীভাবে ছিলো, আবার কীভাবে অশান্তি শুরু হলো, এখন আবার কীভাবে শান্তি স্থাপন হতে চলেছে- এটাও টপিক। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. এখন উত্তম পুরুষ হওয়ার জন্য স্মরণের শক্তির দ্বারা আত্মাকে পবিত্র করতে হবে। কর্মেন্দ্রীয়ের দ্বারা কোনো বিকর্মই করতে নেই।
২. জ্ঞানবান হয়ে আত্মাদের জাগরিত করার সেবা করতে হবে। আত্মারূপী জ্যোতিতে জ্ঞান-যোগের ঘৃত ঢালতে হবে। শ্রীমতের আধারে বুদ্ধিকে স্বচ্ছ করতে হবে।
বরদান:-
মালিক ভাবের স্মৃতি দ্বারা "মন্মনাভব"র স্থিতি তৈরী করতে সক্ষম মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব
সর্বদা এই স্মৃতি ইমার্জ রূপে যেন থাকে যে, আমি হলাম আত্মা "করাবনহার", মালিক, বিশেষ আত্মা, মাস্টার সর্বশক্তিমান- এই মালিক ভাবের স্মৃতিতে মন-বুদ্ধি আর সংস্কার নিজের কন্ট্রোলে থাকবে। আমি হলাম আলাদা এবং মালিক। এই স্মৃতির দ্বারা "মন্মনাভব" র স্থিতি সহজ হয়ে যাবে। এই পৃথকীকরণের অভ্যাস কর্মাতীত করে দেবে।
স্লোগান:-
গ্লানি বা ডিস্টারবেন্সকে সহন করা আর অন্তর্লীন করা অর্থাৎ নিজের রাজধানী নিশ্চিত করা।