০৩-০৪-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার কাছে তোমরা রিফ্রেশ হওয়ার জন্য আসো, এখানে তোমরা দুনিয়ার ভাইব্রেশনের থেকে দূরে সত্যিকারের সৎ-সঙ্গ প্রাপ্ত করো*”
প্রশ্ন:-
বাবা বাচ্চাদের উন্নতির জন্য সর্বদা কোন্ নির্দেশ দেন?
উত্তর:-
মিষ্টি বাচ্চারা, কখনোই নিজেদের মধ্যে সাংসারিক পরনিন্দা-পরচর্চা কোরো না। যদি কেউ শোনায়, তাহলে শুনেও শুনো না। ভালো সন্তানেরা নিজের সেবার ডিউটি সম্পূর্ণ করার পর বাবার স্মরণের আনন্দে ডুবে থাকে। কিন্তু কিছু-কিছু বাচ্চা অনাবশ্যক ব্যর্থ আলোচনা খুব খুশি হয়ে শোনে এবং অন্যকে শোনায়। এর ফলে অনেক সময়ের অপচয় হয় এবং তারপর উন্নতিও হয় না।
ওম্ শান্তি।
ডবল ওম্ শান্তি বললেও সঠিক হত। বাচ্চাদেরকে তো এর অর্থ বুঝিয়ে দিয়েছি। আমি শান্ত স্বরূপ আত্মা। যেহেতু আমার ধর্মই হল শান্ত, তাই জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরলে শান্তি পাওয়া সম্ভব নয়। বাবা বলছেন, আমিও শান্ত স্বরূপ। এটা তো খুবই সহজ ব্যাপার, কিন্তু মায়ার সাথে লড়াই হওয়ার জন্য একটু কঠিন মনে হয়। সব বাচ্চারাই জানে যে অসীম জগতের পিতা ছাড়া আর কেউই এই জ্ঞান দিতে পারবে না। কেবল বাবা-ই হলেন জ্ঞানের সাগর। কোনো দেহধারীকে কখনো জ্ঞানের সাগর বলা যাবে না। যিনি রচয়িতা, তিনিই রচনার আদি-মধ্য-অন্তিমের জ্ঞান দেন। সেটাই তোমরা বাচ্চারা প্রাপ্ত করছ। কিছু ভালো ভালো অনন্য বাচ্চাও ভুলে যায়, কারন বাবার স্মৃতি হল পারদের মতো। স্কুলে তো অবশ্যই বিভিন্ন ক্রম থাকবে। স্কুলে সবসময়ই নম্বর দেওয়া হয়। সত্যযুগে এইরকম নম্বর দেওয়া হবে না। এটা হল স্কুল (বিদ্যালয়)। এই স্কুল-কে বুঝতে পারার জন্য বিশাল বুদ্ধি চাই। অর্ধেক কল্প ধরে ভক্তি চলতে থাকে। ভক্তির পরে জ্ঞানের সাগর জ্ঞান দেওয়ার জন্য আসেন। *ভক্তিমার্গের পথিকরা কখনো জ্ঞান দিতে পারবে না। কারণ তারা সবাই দেহধারী।* এইরকম কখনো বলা যাবে না যে, শিববাবাও ভক্তি করেন। তিনি আবার কার ভক্তি করবেন! কেবল বাবা-ই হলেন একমাত্র, যাঁর কোনো শরীর নেই। তিনি কারোর ভক্তি করেন না। এছাড়া যত দেহধারী রয়েছে, তারা সকলেই ভক্তি করে। কারণ তারা হল রচনা। কেবল বাবা-ই হলেন রচয়িতা। এছাড়া এই চক্ষু দ্বারা যা কিছু দেখা যায়, এই ছবি ইত্যাদি সবকিছুই হল রচনা। এই কথাটাই প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায়।
বাবা বোঝাচ্ছেন, এই অসীম জগতের উত্তরাধিকার তোমরা বাবাকে ছাড়া প্রাপ্ত করতে পারবে না। তোমরাই বৈকুন্ঠের বাদশাহী প্রাপ্ত করো। ৫ হাজার বছর আগে ভারতে এদের রাজত্ব ছিল। ২৫০০ বছর ধরে সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশীদের রাজধানী ছিল। তোমরা বাচ্চারাই জানো যে এটা তো কালকের কথা। এইসব কথা তো বাবা ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারবে না। বাবা-ই হলেন পতিত-পাবন। কাউকে বোঝাতে গেলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বাবা নিজেই বলেন যে কোটির মধ্যে কেউ বুঝবে। এই চক্রটাও বোঝানো হয়েছে। এই জ্ঞান সমগ্র দুনিয়ার জন্য। সিঁড়ির ছবিটাও খুব ভাল। কিন্তু তাও কিছু ব্যক্তি নিজের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে। বাবা বুঝিয়েছেন যে যারা বিয়েবাড়ির জন্য হল ভাড়া দেয়, তাদেরকেও এই জ্ঞান বোঝাও এবং দৃষ্টি দাও। ভবিষ্যতে সকলেই এই জ্ঞান পছন্দ করবে। বাচ্চারা, তোমাদেরকে এই জ্ঞান বোঝাতে হবে। বাবা তো কারোর কাছে যাবেন না। ভগবানুবাচ - যে নিজে পূজারী, তাকে কখনোই পূজনীয় বলা যাবে না। কলিযুগে একজনও পবিত্র হতে পারে না। তাই যিনি সর্বোত্তম পূজনীয়, তিনিই এই পূজ্য দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপন করেন। অর্ধেক কল্প পূজনীয় থাকার পরে অর্ধেক কল্পের জন্য পূজারী হয়ে যায়। এই বাবাও অনেক গুরু করেছিলেন। এখন বুঝেছেন যে ঐগুলো তো ভক্তিমার্গ ছিল। এখন সদগুরুকে পাওয়া গেছে, তিনিই পূজনীয় বানান। কেবল একজনকে নয়, সবাইকে বানান। সকল আত্মাই পূজ্য সতোপ্রধান হয়ে যায়। এখন তমোপ্রধান পূজারী হয়ে গেছে। এই পয়েন্টটা ভালো করে বুঝতে হবে। বাবা বলেন, কলিযুগে একজনও পবিত্র-পূজনীয় থাকতেই পারে না। সকলেই বিকারের দ্বারা জন্ম নেয়। এটা হল রাবণের রাজত্ব। এই লক্ষ্মী-নারায়ণও পুনর্জন্ম নেয়, কিন্তু ওরা হল পূজনীয়। কারণ ওখানে কোনো রাবণ থাকবে না। রাম রাজ্যের কথা তো প্রায়শই বলা হয়, কিন্তু রাম রাজ্য কখন হয় আর রাবণ রাজ্য কখন হয়, সে বিষয়ে কিছুই জানে না। এখন দেখ, কত রকমের সভা হয়ে গেছে। অমুক সভা, অমুক সভা। কোথাও কিছু প্রাপ্তি হলে, এক জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। তোমরা এখন পরশ-বুদ্ধি সম্পন্ন হচ্ছ। তার মধ্যে আবার কেউ ২০ শতাংশ হয়েছে, কেউবা হয়তো ৫০ শতাংশ। বাবা বুঝিয়েছেন যে এইভাবে রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। অবশিষ্ট সকল আত্মারা এখন ওপর থেকে আসছে। সার্কাসে কেউ খুব ভালো অভিনয় করে, কেউবা আবার একটু আধটু অভিনয় করতে পারে। এটা তো অসীম জগতের কথা। বাচ্চাদেরকে কত ভালোভাবে বোঝানো হয়। তোমরা বাচ্চারা এখানে রিফ্রেশ হওয়ার জন্য আসো, নিশ্চয়ই হওয়া খেতে আসো না। কেউ যদি কোনো পাথর-বুদ্ধি সম্পন্ন কাউকে নিয়ে আসে, তাহলে সে দুনিয়ার ভাইব্রেশনেই থাকে। তোমরা বাচ্চারা এখন বাবার শ্রীমৎ অনুসারে মায়ার ওপরে বিজয়ী হচ্ছ। প্রতি মুহূর্তে মায়া তোমাদের বুদ্ধিকে বিভিন্ন দিকে হটিয়ে দেয়। এখানে তো বাবা আকর্ষণ করেন। বাবা কখনোই কোনো ভুল কথা বলবেন না। বাবা তো সত্য, তাই না ? এখানে তোমরা সত্যের সঙ্গে বসে আছ। বাকি সকলেই অসত্য সঙ্গে রয়েছে। ঐগুলোকে সৎসঙ্গ বললে খুব ভুল বলা হয়। তোমরা জানো যে কেবল বাবা-ই হলেন সত্য। মানুষ হয়তো সৎ পরমাত্মার পূজা করে, কিন্তু ওরা নিজেরাই জানে না যে কার পূজা করছে। এটাকে অন্ধশ্রদ্ধা বলা হয়। আগা খানের অনেক ফলোয়ার্স রয়েছে। সে যখন কোথাও যায়, তখন অনেক উপহার সামগ্রী পায়। এমনকি হীরে দিয়েও ওজন করা হয়। সাধারণত কাউকে এইভাবে হীরে দিয়ে ওজন করা সম্ভব নয়। সত্যযুগে হীরে-মানিক তো তোমাদের কাছে বাড়ি বানানোর পাথরের মতো হবে। এই দুনিয়ায় এমন কেউ নেই যে দানসামগ্রী রূপে হীরে প্রাপ্ত করে। মানুষের কাছে পয়সা অনেক আছে, তাই দান করে। কিন্তু পাপ আত্মাকে দান করার কারনে দাতার ওপরেও বোঝা চড়ে যায়। ওজামিলের মতো পাপী হয়ে যায়। এইসব কথা স্বয়ং ভগবান বসে থেকে বোঝাচ্ছেন, কোনো মানুষ নয়। তাই বাবা বলেছিলেন যে তোমাদের যত ছবি রয়েছে, সবগুলোর ওপরে যেন সর্বদা ‘ভগবানুবাচ’ কথাটা লেখা থাকে। সর্বদা লেখো - ‘ত্রিমূর্তি শিব ভগবানুবাচ’। কেবল ভগবান লিখলেও মানুষের মনে সংশয় আসবে। ভগবান হলেন নিরাকার। তাই ত্রিমূর্তি কথাটা অবশ্যই লিখতে হবে। এতে কেবল শিববাবার নাম নয়, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর তিনজনের নাম-ই জড়িত আছে। বলা হয় - ‘ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ’। তাকে আবার গুরুও বলা হয়। শিব আর শংকরকে এক বলে দেয়। কিন্তু শংকর কিভাবে জ্ঞান শোনাবে। অমরকথার কাহিনীও রয়েছে। তোমরা সবাই পার্বতী। বাবা তোমাদের মতো সকল বাচ্চাদেরকে অর্থাৎ আত্মাদেরকে জ্ঞান দেন। ভক্তির ফল তো ভগবান-ই দেন। কেবল শিববাবা-ই রয়েছেন। ঈশ্বর, ভগবান ইত্যাদিও বলা উচিৎ নয়। শিববাবা কথাটা তো খুবই মিষ্টি। বাবা তো নিজেই বলেন - ‘মিষ্টি বাচ্চারা’। সুতরাং তিনি তো আমাদের বাবা, তাই না?
বাবা বুঝিয়েছেন যে আত্মার মধ্যেই সংস্কার জমা হয়। আত্মা কখনোই নির্লিপ্ত নয়। যদি সেটাই হত, তাহলে পতিত হয় কিভাবে? নিশ্চয়ই প্রলেপ পড়ে। সেইজন্যই তো পতিত হয়ে যায়, ভ্রষ্টাচারী বলা হয়। দেবতারা হল শ্রেষ্ঠাচারী। তাদের গুনগান করে, তাদেরকে সর্বগুন সম্পন্ন বলে। কিন্তু নিজেকে অধম-পাপী মনে করে। তাই নিজেকে দেবতা বলতে পারে না। বাবা এখন মানুষ থেকে দেবতা বানাচ্ছেন। গুরু নানকের গ্রন্থেও তাঁর মহিমা রয়েছে। শিখরা বলে - ‘সৎ শ্রী অকাল’। যিনি অকাল মূর্তি, তিনিই সত্যিকারের সদগুরু। তাই কেবল তাঁকেই মানা উচিত। মুখে বলে এক, কিন্তু করে আরেক। অর্থ কিছুই বোঝে না। বাবা, অর্থাৎ যিনি সদগুরু এবং অকালমূর্তি, তিনি স্বয়ং এখন বসে থেকে বোঝাচ্ছেন। তোমাদের মধ্যেও বিভিন্ন ক্রম রয়েছে। সামনে বসে থেকেও কিছুই বোঝে না। কেউ আবার এখান থেকে বাইরে বেরোলেই সব ভুলে যায়। বাবা নিষেধ করছেন - বাচ্চারা, কখনো সাংসারিক পরনিন্দা-পরচর্চার কথা শুনো না। কেউ কেউ খুব খুশি হয়ে এইরকম কথাবার্তা শোনে আর শোনায়। বাবার মহাবাক্য ভুলে যায়। যে প্রকৃত ভালো সন্তান, সে নিজের সেবার ডিউটি সম্পূর্ণ করার পর আনন্দে ডুবে থাকে। *বাবা বুঝিয়েছেন যে কৃষ্ণ আর খ্রিষ্টানের মধ্যে খুব ভালো সম্বন্ধ রয়েছে। কৃষ্ণের রাজত্ব হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণ নাম তো পরবর্তী কালে দেওয়া হয়। বৈকুন্ঠের কথা বললে তো সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণের কথাই স্মরণে আসবে। লক্ষ্মী-নারায়নের কথাও মনে আসে না। কারণ কৃষ্ণ হল ছোট বাচ্চা। বাচ্চারা কিভাবে জন্ম নেবে, সেটাও তোমরা বাচ্চারা সাক্ষাৎকার করেছ। নার্সরা সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে উঠিয়ে নিয়ে লালন-পালন শুরু করে দেয়। বাল্য অবস্থা, যুবা এবং বৃদ্ধাবস্থা - পৃথক পৃথক ভূমিকা থাকে। যেটা হয়ে গেছে সেটাই ড্রামাতে রয়েছে। এই বিষয়ে কোনো সংকল্প চালানো উচিৎ নয়। এই ড্রামাটা তো বানানোই আছে। আমরাও ড্রামার প্ল্যান অনুসারেই অভিনয় করছি। বাবা যেভাবে প্রবেশ করেন, সেভাবে মায়াও প্রবেশ করে। কেউ বাবার শ্রীমৎ অনুসরণ করে, কেউ আবার রাবণের মত অনুসরণ করে। রাবণ আসলে কেমন বস্তু ? কখনো কি দেখেছ ? কেবল ছবিতেই তো দেখা যায়। শিববাবার তো এইরকম রূপ আছে। কিন্তু রাবণের রূপ কেমন ? পাঁচ বিকার রূপী ভূত প্রবেশ করলেই রাবণ বলা হয়। এটা হল ভূত আর অসুরদের দুনিয়া। তোমরা জানো যে আমরা আত্মারা এখন নিজেদেরকে শোধরাচ্ছি। এখানে তো শরীরটাও আসুরিক। শোধরাতে শোধরাতে আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে। তখন এই খোলসটাকে ত্যাগ করে দেবে। তারপর তোমরা সতোপ্রধান খোলস (শরীর) পেয়ে যাবে। কাঞ্চন-কায়া প্রাপ্ত হবে। কিন্তু সেটা তখনই হবে, যখন আত্মাও কাঞ্চনসম হবে। সোনা যদি নিখাদ হয়, তাহলে গয়নাও নিখাদ হবে। সোনাতে অনেক সময়ে খাদ মেশানো হয়। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আদি-মধ্য-অন্তিমের জ্ঞান ঘুরছে। দুনিয়ার মানুষ তো কিছুই জানে না। ঋষি-মুনি সকলেই ‘নেতি-নেতি’ বলে চলে গেছেন। ওরা তো বলে - লক্ষ্মী-নারায়ণকে জিজ্ঞাসা করলে ওরাও ‘নেতি-নেতি’ করবে। কিন্তু এদেরকে তো জিজ্ঞাসা করাই সম্ভব নয়। কে জিজ্ঞাসা করবে? গুরুদেরকেই জিগ্গেস করা হয়। তোমরাও ওদেরকে এই প্রশ্নটা করতে পার। কাউকে বোঝানোর জন্য তোমরা কতই না পরিশ্রম করো। গলা খারাপ হয়ে যায়। বাবা তো বাচ্চাদেরকেই শোনাবেন - যারা বুঝতে পেরেছে। বাকিদের সাথে তো তিনি অযথা কোনো কথা বলবেন না। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা এবং সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. সেবার ডিউটি সম্পূর্ণ করার পরে নিজের মস্তিতে(অলৌকিক আনন্দে) থাকতে হবে। ব্যর্থ কথাবার্তা শোনা অথবা শোনানো উচিত নয়। কেবল বাবার মহাবাক্য-ই স্মৃতিতে রাখতে হবে। সেইগুলো ভুলে গেলে চলবে না।
২. সর্বদা খুশিতে থাকার জন্য রচনা এবং রচয়িতার জ্ঞান যেন সর্বদা বুদ্ধিতে ঘুরতে থাকে, অর্থাৎ ওই বিষয়েই মনন-চিন্তন করতে হবে। কোনো বিষয়েই যাতে সংকল্প না চলে - এর জন্য ড্রামাকে ভালোভাবে বুঝে অভিনয় করতে হবে।
বরদান:-
দাতার দান-কে স্মৃতিতে রেখে সকল আকর্ষণ থেকে মুক্ত, আকর্ষণের প্রতিমূর্তি ভব
কিছু কিছু বাচ্চা বলে - অমুকের প্রতি আমার কোনো মোহ নেই, কিন্তু এর মধ্যে এই গুণটা খুব ভাল আছে, অথবা এর মধ্যে সেবা করার অনেক বিশেষত্ব রয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি কিংবা বৈভবের দিকে বারবার সংকল্প যাওয়াকেও আকর্ষণ বলা হবে । যে কোনো বিশেষত্ব, গুণ কিংবা সেবাকে দেখার সময়ে দাতা-কে ভুলে যেও না। ‘এটা তো দাতা-র দান’ - এই স্মৃতিটাই আকর্ষণ থেকে মুক্ত, আকর্ষণের প্রতিমূর্তি বানিয়ে দেবে। কারো দ্বারাই প্রভাবিত হবে না।
স্লোগান:-
এমন আধ্যাত্মিক সমাজ সেবক হও, যাতে দিকভ্রান্ত আত্মাদেরকে ঠিকানা দিতে পারো, ভগবানের সাথে মিলন করিয়ে দিতে পারো।