০৯-০৪-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমাদের সতোপ্রধান হতে হবে, তাই বাবাকে ভালোবেসে স্মরণ করো, পারসনাথ শিববাবা তোমাদের স্পর্শপুরীর (বা পারসপুরী) মালিক করতে এসেছেন"
প্রশ্ন:-
তোমরা বাচ্চারা কোন্ একটি কথার ধারণার দ্বারা মহিমা যোগ্য হয়ে যাবে ?
উত্তর:-
খুব খুব নির্মাণ-চিত্ত (নম্রচিত্ত) হও। কোনও বিষয়ের অহংকার থাকা উচিত নয়। খুব মিষ্টি হতে হবে। অহংকার এলেই শত্রু বেড়ে যায়। উঁচু অথবা নীচ, পবিত্রতার আধারে হয়। যখন পবিত্র তখন সম্মান আছে, অপবিত্র হলে মাথা নোয়াতে হয় ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা (শিববাবা) বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। বাবাও বুঝতে পারেন আমি এই বাচ্চাদের বোঝাই। এই কথাও বাচ্চাদের বোঝানো হয় যে ভক্তিমার্গে ভিন্ন ভিন্ন নামের অনেক অনেক চিত্র তৈরি করা হয়েছে। যেমন নেপালে পারসনাথের পূজা করা হয়। তাঁর বিশাল মন্দির আছে। কিন্তু কিছুই নেই। ৪- টি দরজা আছে, ৪-টি মূর্তি আছে। চতুর্থ মূর্তিটি কৃষ্ণের রাখা হয়েছে। এখন কিছু পরিবর্তন হলেও হতে পারে। এবার পারসনাথ তো নিশ্চয়ই শিববাবাকে বলা হবে। মানুষকে স্পর্শ বুদ্ধি তো তিনিই করেন। অতএব সর্ব প্ৰথমে তাদের এই কথা বোঝাতে হবে - উঁচু থেকে উঁচু হলেন ভগবান, পরে হল সম্পূর্ণ দুনিয়া। সূক্ষ্মবতনের সৃষ্টি তো নেই। পরে থাকেন লক্ষ্মী-নারায়ণ বা বিষ্ণু। বাস্তবে বিষ্ণুর মন্দির হল ভুল। বিষ্ণু চতুর্ভূজ, চার ভূজাধারী কোনও মানুষ তো হয় না। বাবা বোঝান এই লক্ষ্মী-নারায়ণকেই একত্রে বিষ্ণু রূপে দেখানো হয়েছে। লক্ষ্মী-নারায়ণ তো দুইজনেই আলাদা । সূক্ষ্মবতনে বিষ্ণুকে ৪- টি ভূজা দেওয়া হয় অর্থাৎ দুইজনকে একত্রে চতুর্ভূজ করা হয়েছে, যদিও এমন কেউ হয় না। মন্দিরে যে চতুর্ভূজ দেখানো হয় - সেইটি হল সূক্ষ্ম বতনের। চতুর্ভূজকে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম ইত্যাদি প্রদান করা হয়। এমন কিছুই হয় না। বাচ্চারা, চক্রও তোমাদের কাছে থাকে। নেপালে বিষ্ণুর বিশাল চিত্র ক্ষীর সাগরে দেখানো হয়। পূজার দিনে একটু দুধ ঢালা হয়। বাবা এক একটি কথা ভালো করে বোঝান । এমন ভাবে বিষ্ণুর অর্থ কেউ বোঝাতে পারে না। কেউ জানেই না। এইসব তো স্বয়ং ভগবান বোঝাচ্ছেন। ভগবান বলা হয় শিববাবাকে। তিনি তো একজন কিন্তু ভক্তিমার্গে অনেক নাম রেখে দিয়েছে। তোমরা এখন অনেক নাম উল্লেখ করবে না। ভক্তিমার্গে অনেক ধাক্কা খায় সবাই। তোমরাও খেয়েছ। এখন যদি তোমরা মন্দির ইত্যাদি দেখবে তো সেই বিষয়ে বোঝাবে যে উঁচু থেকে উঁচু হলেন ভগবান, সুপ্রিম সোল, নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা। আত্মা শরীর দ্বারা বলে - ও পরমপিতা । তাঁর মহিমাও করা হয় জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। ভক্তিমার্গে একজনের অনেক চিত্র আছে। জ্ঞান মার্গে তো জ্ঞান সাগর হলেন একজন ই। তিনি হলেন পতিত-পাবন, সর্বের সদগতি দাতা। তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ চক্রটি আছে। সর্বোচ্চ হলেন পরমাত্মা, তাঁর জন্যেই গায়ন আছে স্মরণ করে সুখ প্রাপ্ত করো অর্থাৎ একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো অথবা স্মরণ করতে থাকো, তাহলে কলহ ক্লেশ মিটবে দেহের, তারপরে জীবনমুক্তি পদমর্যাদা প্রাপ্ত কর। এ হল জীবনমুক্তি, তাইনা। বাবার কাছে এই সুখের বর্সা প্রাপ্ত হয়। কেউ একজন তো পাবে না। রাজধানী থাকবে নিশ্চয়ই তাইনা। অর্থাৎ বাবা রাজধানী স্থাপন করছেন। সত্যযুগে রাজা, রানী, প্রজা সব থাকে। তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করছ, ফলে বড় কুলে জন্ম নেবে। অনেক সুখ প্রাপ্ত হয়। যখন ঐ স্থাপনা হয়ে যায় তখন ছিঃ ছিঃ আত্মারা সাজা ভোগ করে ফিরে যায়। নিজের নিজের সেকশনে গিয়ে স্থির হবে। এত সব আত্মারা আসবে তারপরে বৃদ্ধি হতে থাকবে। এই কথা বুদ্ধিতে থাকা উচিত যে উপর থেকে কিভাবে আসা হয়। এমন তো নয় দুটি পাতার পরিবর্তে ১০ টি পাতা একসাথে আসা উচিত। না, নিয়ম অনুযায়ী পাতার উৎপত্তি হয়। এ হল বিশাল বৃক্ষ । দেখানো হয় এক দিনে লক্ষ জনের বৃদ্ধি হয়ে যায়। প্ৰথমে বোঝাতে হবে - সর্বোচ্চ হলেন ভগবান, পতিত-পাবন, দুঃখ হর্তা -সুখ কর্তাও হলেন তিনি। যে পার্টধারী দুঃখে থাকে, তাদের সবাইকে এসে সুখ প্রদান করেন। দুঃখ দেয় রাবণ। মানুষ এই কথা জানে না যে বাবা এসেছেন আমরা গিয়ে একটু বুঝে আসি। অনেকে বুঝতে বুঝতে বিচলিত হয়ে যায় (অর্থাৎ বাইরে বেরিয়ে যায়)। যেমন স্নান করতে গিয়ে পা পিছলে গেলে জলের তলায় ডুবে যায়। বাবা হলেন অনুভাবী, তাইনা। এ হল বিষয় সাগর। বাবা তোমাদের ক্ষীর সাগরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মায়া রূপী কুমীর ভালো ভালো মহারথী দেরকেও গ্রাস করে নেয় । জীবিত থেকে বাবার কোলে স্থান অর্জন করেও রাবণের কোলে চলে যায় অর্থাৎ মরে যায়। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে সর্বোচ্চ বাবা আবার রচনা করেন। সূক্ষ্ম বতনের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি তো নেই। তোমরা যদিও সুক্ষ্মবতনে যাও, সাক্ষাৎকার কর। এইসব ভক্তিমার্গের চিত্র। এখনও পর্যন্ত ভক্তিমার্গ চলে আসছে। ভক্তিমার্গ পূর্ণ হলে এইসব চিত্র আর থাকবে না। স্বর্গে এইসব কথা ভুলে যাবে । এখন বুদ্ধিতে আছে যে চতুর্ভুজ রূপে লক্ষ্মী-নারায়ণ দুই রূপে আছেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজো করা অর্থাৎ চতুর্ভুজের পূজো করা। লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দির অথবা চতুর্ভুজের মন্দির, একই কথা। এই দুইয়ের জ্ঞান অন্য কারও নেই। তোমরা জানো এই হল লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব । বিষ্ণুর রাজ্য তো বলা যাবে না। তিনি রক্ষণাবেক্ষণও করেন। সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক তাই বিশ্বের রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
শিব ভগবানুবাচ - আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো তো এই যোগ অগ্নি দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হবে। ডিটেলে বোঝাতে হয়। বলো, এও হল গীতা। শুধু গীতায় কৃষ্ণের নাম লিখে দেওয়া হয়েছে। সেটা তো ভুল, সবার গ্লানি করা হয়েছে, তাই ভারত তমোপ্রধান হয়েছে। এখন হল কলিযুগী দুনিয়ার অন্তিম সময়, এই সময়কে বলা হয় তমোপ্রধান আয়রন এজ। যারা সতোপ্রধান ছিল, তারা-ই ৮৪ জন্ম নিয়েছে। জনম-মরণে তো অবশ্যই আসতে হবে। যখন পুরো ৮৪ জন্ম নেওয়া হয় তখন বাবাকে আসতে হয় - প্রথম নম্বরে। কোনও একজনের কথা নয়। এনার তো সম্পূর্ণ রাজধানী ছিল তাই না ! আবার হবে নিশ্চয়ই। বাবা সবার জন্য বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, বাবাকে স্মরণ করো তাহলে যোগ অগ্নি দ্বারা পাপ বিনষ্ট হবে। কাম চিতায় বসে সবাই শ্যাম বর্ণ হয়েছে। এবারে শ্যাম বর্ণ থেকে গৌর বর্ণে পরিণত হবে কিভাবে ? সেসব ও বাবা-ই শেখান। কৃষ্ণের আত্মা নিশ্চয়ই ভিন্ন ভিন্ন নাম রূপ নিয়ে আসে হয়তো। যাঁরা লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন, তাঁদেরই ৮৪ জন্মের পরে পুনরায় সেই রূপ ধারণ করতে হবে। সুতরাং তাঁরই অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে এসে বাবা প্রবেশ করেন। তারপরে তিনি সেই সতোপ্রধান বিশ্বের মালিক হন। তোমাদের মধ্যে পারসনাথের পূজো করা হয়, শিবেরও পূজো করা হয়। তাঁদেরকে নিশ্চয়ই শিব এমন পারসনাথ বানিয়েছেন। টিচার তো চাই তাই না ! তিনি হলেন জ্ঞান সাগর। এখন সতোপ্রধান পারস নাথ হতে হলে বাবাকে খুব ভালোবাসে স্মরণ করো। তিনিই সবার দুঃখ হরণ করেন। বাবা তো হলেন সুখদাতা। এই হল কাঁটার জঙ্গল। বাবা এসেছেন ফুলের বাগান তৈরি করতে। বাবা নিজের পরিচয় দেন। আমি এই সাধারণ বৃদ্ধ দেহে প্রবেশ করি, যিনি নিজের জন্মের কথা জানতেন না। ভগবানুবাচ - আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই। সুতরাং এই হল ঈশ্বরীয় ইউনিভার্সিটি। মুখ্য উদ্দেশ্য হল রাজা-রানী হওয়ার তারজন্য প্রজাও তৈরি হবে। মানুষ যোগ-যোগ অনেক করে। নিবৃত্তি মার্গের মানুষরা তো অনেক হঠ যোগ করে। তারা রাজযোগ শেখাতে পারে না। বাবার যোগটি -ও হল এক প্রকারের যোগ। শুধু বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমি পিতা আমাকে স্মরণ করো। ৮৪ জন্ম পূর্ণ হয়েছে, এবারে ঘরে (পরমধাম) ফিরে যেতে হবে। এখন পবিত্র হতে হবে। এক পিতাকে স্মরণ করো, বাকি সবকিছু ত্যাগ করো। ভক্তিমার্গে তোমরা গায়ন করেছ যে আপনি এলে আমরা এক আপনার সঙ্গে যুক্ত হব। অর্থাৎ নিশ্চয়ই তাঁর কাছে বর্সা প্রাপ্ত হয়েছিল তাইনা। অর্ধকল্প হল স্বর্গ, তারপরে নরক। রাবণ রাজ্য আরম্ভ হয়। এমন ভাবে বোঝাতে হবে। নিজেকে দেহ ভেবো না। আত্মা হল অবিনাশী। আত্মাতেই সম্পূর্ণ পার্ট নিহিত আছে, যা কিছু তোমরা প্লে কর। এবারে শিববাবাকে স্মরণ করো তাহলে ভবসাগর পার হয়ে যাবে। সন্ন্যাসীরা পবিত্র থাকার দরুন তাদের অনেক সম্মান করা হয়। সবাই মাথা নোয়ায়। পবিত্রতার কথায় উচ্চ বা নীচ নির্ধারণ হয়। দেবতারা হলেন সর্বদা উচ্চ। সন্ন্যাসীরা এক জন্ম পবিত্র থাকেন, পরের জন্ম তো বিকার দ্বারাই হয়। দেবতারা থাকেন সত্যযুগে। এখন তোমরা পাঠ পড়ছ এবং পড়াচ্ছ। কেউ আবার পড়ে কিন্তু অন্যকে বোঝাতে পারে না কারণ ধারণা নেই। বাবা বলবেন তোমাদের ভাগ্যে নেই তো বাবা কি করবেন। বাবা বসে যদি সবাইকে আশীর্বাদ করেন তাহলে তো সবাই স্কলারশিপ পেয়ে যাবে। তারা তো ভক্তিমার্গে আশীর্বাদ করে। সন্ন্যাসীরাও এমন করেন। তাদের গিয়ে বলবে আশীর্বাদ করুন যাতে সন্তান হয় । আচ্ছা, তোমার সন্তান হবে। কন্যা সন্তান হলে বলবে ভবিতব্য। পুত্র সন্তান জন্ম নিলে বাঃ বাঃ করে চরণে গিয়ে উপস্থিত হবে। আচ্ছা, আর যদি মারা যায় তো কান্নাকাটি করে গুরুকে গালাগালি করবে। গুরু বলবেন এইসব তো ভবিতব্য ছিল। তাহলে বলবে, আগে বলেননি কেন। কেউ মরে আবার বেঁচে ফিরে এলেও ভবিতব্য-ই বলা হবে। সেসবও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। আত্মা কোথায় লুকিয়ে থাকে। ডাক্তার রাও বলে এই মানুষটি মরে পড়ে আছে, আবার বেঁচে ওঠে। চিতায় শুয়েও অনেকে বেঁচে ওঠে। কেউ একজন কাউকে বিশ্বাস করলে অনেকে তার পিছনে পড়ে যায়।
বাচ্চারা, তোমাদের অনেক নির্মাণচিত্ত (নম্র) হয়ে চলতে হবে। অহংকার যেন একটুও না থাকে। আজকাল যদি কাউকে একটুও অহংকার দেখাবে তাহলেই শত্রুতা বেড়ে যাবে। খুব মিষ্টি হয়ে চলতে হবে। নেপালেও এই আওয়াজ ধ্বনিত হবে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের মহিমা মন্ডিত হওয়ার সময় নয়। তাহলে তো তাদের আখাড়া সব উড়ে যাবে। বড় বড় মানুষ জেগে উঠে সভায় বসে শোনালে তাদের পিছনে অসংখ্য মানুষ এসে যাবে। কোনও এম.পি বসে যদি তোমাদের মহিমা করে যে ভারতের রাজ যোগ এই ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা ব্যতীত কেউ শেখাতে পারবে না, এমন এখনও কেউ নেই। বাচ্চাদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিযুক্ত ও চমৎকারী হতে হবে। অমুক কিভাবে ভাষণ করে, তা শেখা উচিত। সার্ভিস করার যুক্তি বাবা শেখান। বাবা যে মুরলী চালাচ্ছেন, অ্যাকুরেট তেমন মুরলী কল্প-কল্প চালিয়েছেন হয়তো । ড্রামায় নির্দিষ্ট আছে। প্রশ্ন উঠতে পারে না - এমন কেন ? ড্রামা অনুসারে যা বোঝাবার প্রয়োজন ছিল সেসব বুঝিয়েছেন। বোঝাতেই থাকেন। অন্য লোকেরা অসংখ্য প্রশ্ন করবে। তাদের বলো, প্ৰথমে মন্মনাভব হয়ে যাও। বাবাকে জানলে তোমরা সবকিছু জেনে যাবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. সার্ভিসের যুক্তি শিখে খুব তীক্ষ্ণ বুদ্ধিধারী এবং বিস্ময় সৃষ্টিকারী (চমৎকারী, Miraculous) হতে হবে। ধারণা করে তারপরে অন্যদের ধারণ করাতে হবে। পড়াশোনা দ্বারা নিজের ভাগ্য নিজেই তৈরি করতে হবে।
২. কোনও বিষয়েেই এতটুকুও অহংকার দেখাবে না, খুব মিষ্টি ও নির্মাণচিত্ত হতে হবে। মায়া রূপী কুমীরের থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
বরদান:-
যথাযথ সময় অনুযায়ী প্রতিটি কাজে সফল হওয়া তুমি জ্ঞানী এবং যোগী আত্মা ভব
জ্ঞানের অর্থ হল বোধশক্তি। বোধ যুক্ত তাদের বলা হয় যারা সময় অনুযায়ী কাজ করে সফল হয়। বোধ যুক্ত বা বুদ্ধিমানের লক্ষণ হল সে কখনও ধোঁকা খায় না এবং যোগীর লক্ষণ হল ক্লীন ও ক্লিয়ার বুদ্ধি। যার বুদ্ধি ক্লীন ও ক্লিয়ার হয় সে কখনও বলবে না জানি না এমন কিভাবে হল ! এই কথা জ্ঞানী ও যোগী আত্মারা বলতে পারে না, তারা জ্ঞান ও যোগকে প্রতিটি কর্মে প্রতিফলিত করে।
স্লোগান:-
অচল-অটল তারা-ই থাকতে পারে যারা নিজের অনাদি সংস্কার এবং স্বভাবকে স্মৃতিতে রাখে ।