১৭-০৩-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ১৫-০৩-৮৪ মধুবন


হোলি উৎসব পবিত্র হওয়ার এবং অন্যদের পবিত্র বানানোর উৎসব

হোলিয়েস্ট বাবা হোলিহংসদের সাথে হোলি ডে উদযাপন করতে এসেছেন l *সঙ্গমযুগকে হোলি ডে বলা হয় l* সঙ্গমযুগ নিজেই হোলি ডে l সুতরাং, হোলিয়েস্ট বাবা হোলি বাচ্চাদের সাথে হোলি ডে পালন করতে এসেছেন l দুনিয়া এক-দু'দিনের হোলি উদযাপন করে, কিন্তু তোমরা সব হোলিহংস পুরো সঙ্গমযুগ ধরে হোলি উদযাপন কর l তারা রঙ লাগায়, আর তোমরা বাবার শক্তি আর গুণের রঙে সদাকালের জন্য বাবা সমান অর্থাৎ হোলি হয়ে যাও l সীমিত পরিধি থেকে অসীম পরিসরে গিয়ে তোমরা সবসময়ের জন্য হোলি হও অর্থাৎ পবিত্র হয়ে যাও l হোলির এই উৎসব হোলি অর্থাৎ পবিত্র বানানোর এবং পবিত্র হওয়ার উৎসব পালনের প্রবল আগ্রহ স্মরণ করিয়ে দেয় l স্মারক বিধির যেগুলো উদযাপিত হয়, সেই সকল আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে পবিত্র হওয়ার সার সমাহিত l হোলি হওয়ার জন্য বা হোলি উদযাপন করার জন্য সর্বাগ্রে অপবিত্রতা, যা কিছু অশুভ সব পুড়িয়ে দিতে হবে, অগ্নিতে ভস্ম করতে হবে l যতক্ষণ না অপবিত্রতা সম্পূর্ণভাবে সমাপ্ত হচ্ছে তোমরা পবিত্রতার রঙে রঙিন হতে পারবে না, পবিত্রতার দৃষ্টি দ্বারা পরস্পরের রঙে রঙিন হওয়ার উৎসব পালন করতে পারবে না l আমরা এক পরিবারের, আমরা সবাই এক, সমতার এই মনোভাব অর্থাৎ ভ্রাতৃত্বের মনোভাব স্মরণ এবং বিভিন্নতার ভাব বিস্মরণের স্মারক এই উৎসব l জাগতিক রূপেও তো তারা ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলেই সমতার এই মনোভাবে উদযাপন করে l বাস্তবে, ভ্রাতৃভাব স্বরূপের স্মৃতি অবিনাশী রঙের অনুভব করায় l যখন তোমরা সমরূপে স্থিত হও, তখনই অবিনাশী খুশির ঝলক অনুভব হয় এবং সদাসর্বদা উৎসাহ থাকে সকল আত্মাকে এই অবিনাশী রঙে রাঙানোর l তারা পিচকারী দিয়ে রঙ ছিটায় l তোমাদের পিচকারী কিরকম ? তোমাদের দিব্য বুদ্ধিরূপী পিচকারীতে অবিনাশী রঙ ভরা আছে, তাই না ? তোমরা সঙ্গের রঙ অর্থাৎ সঙ্গের জ্ঞান-গুণ-শক্তি দিয়ে অনুভব কর, সেই অনুভবের বিভিন্ন রঙে তোমাদের পিচকারী ভরে আছে, নয় কি ? বুদ্ধিপূর্ণ তোমাদের পিচকারী দিয়ে তোমরা দৃষ্টি দ্বারা, বৃত্তি দ্বারা, মুখনিঃসৃত বাণী দ্বারা সঙ্গের এই রঙে যে কোনও আত্মাকে রাঙাতে পার অর্থাৎ তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পার যাতে তারা সদাকালের জন্য হোলি হয়ে যায় l তারা হোলি উদযাপন করে আর তোমরা হোলি বানাও l তোমরা সব দিনই হোলি ডে পালন কর l তারা পালন করার জন্য স্বল্প সময়ের খুশির মুড বানায়, সেক্ষেত্রে তোমরা সবাই সদা হোলি হয়ে সদাসর্বদা পালন করার জন্য হোলি আর হ্যাপি মুডে থাক l তোমাদের মুড তৈরি করতে হয় না, বরাবর এটা থাকে l তোমাদের মুড যদি সদা হোলি হয়, তখন অন্য কোনরকম মুড কখনো আসতে পারে না l হোলি মুড থাকা অর্থাৎ যে নিরন্তর হালকা, সদা নিশ্চিন্ত, সদা সকল খাজানায় সম্পন্ন, অসীম জগতের (বেহদের) স্বরাজ্য অধিকারী l এই যে তোমাদের মুডের অবস্থান্তর ঘটে, কখনো খুশির, কখনো অধিক চিন্তার, কখনো হালকা, কখনো ভারী - এইসব মুড পরিবর্তন ক'রে সদা হ্যাপি আর হোলি মুডের হয়ে যাও l এইরকম অবিনাশী উৎসব তোমরা বাবার সাথে পালন কর l প্রথমে তোমরা নিশ্চিহ্ন কর তারপরে পালন, তার পরে মিলন উদযাপন, যার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে তারা অগ্নি কুন্ড জ্বালায়, রঙ লাগায়, তারপরে একসাথে খুশির মিলন উদযাপন করে l তোমরা সকলে বাবার সঙ্গের রঙে, জ্ঞানের রঙে, খুশির রঙে, তোমরা কত রকমারি রঙে হোলি খেল l যখন তোমরা এর প্রতিটা রঙে রঙিন হয়ে ওঠ, তখন তোমরা বাবা সমান হয়ে যাও l আর যখন সব 'সমান' একসাথে মিলিত হয়, তখন তারা কিভাবে মিলিত হয়? স্থূলভাবে তারা কোলাকুলি করে, অলিঙ্গনাবদ্ধ হয়, কিন্তু তোমরা কিভাবে মিলিত হবে ? যখন তোমরা 'সমান' হও, তাঁর স্নেহে নিমজ্জিত হয়ে যাও, সেই নিমজ্জিত হওয়ার অনুভবই মিলিত হওয়া l এই সমস্ত প্রথা কবে শুরু হয়েছিল ? যখন তোমাদের উদযাপন অবিনাশী হয়, তখন তারা শুধু বিনাশী স্মৃতিচিহ্ন রূপ বানিয়ে তারই উদযাপনে খুশি হয় l একবার ভাবো, অবিনাশী উৎসাহে থাকার কত অনুভাবী হয়েছ তোমরা যে তারা এই জন্য শুধু তোমাদের স্মৃতিচিহ্ন দিবসকেই উদযাপন করে, আর তা' থেকেই তারা খুশি অনুভব করে l অন্তিমেও তোমাদের উৎসাহ আর খুশির স্মারক অগণিত আত্মাদের খুশির অনুভব করাতে থাকে l সুতরাং, তোমরা এইরকম উৎসাহে ভরা, উল্লসিত জীবন তৈরি করেছ, তাই না !



এটাই ড্রামার সঙ্গমযুগী ওয়ান্ডারফুল পার্ট যেটা তোমরা অবিনাশী উৎসব উদযাপন করাকালীন নিজেদের স্মারক উৎসব দেখ l একদিকে, তোমরা শ্রেষ্ঠ চৈতন্য আত্মা, আরেকদিকে তোমরা তোমাদের নিজের চিত্র দেখছ l একদিকে স্মরণস্বরূপ হয়েছ, অন্যদিকে নিজেদের সব শ্রেষ্ঠ কর্মের স্মারকচিহ্ন দেখছ l তোমরা মহিমা যোগ্য হয়েছ আবার কল্প পূর্বের মহিমাও শুনছ l এটা ওয়ান্ডার, নয় কি ! আর স্মৃতি দ্বারা দেখ যে তোমাদের সেই গায়ন কেমন ! কার্যতঃ, সকল আত্মাই ভিন্ন ভিন্ন নামে রূপে তাদের শ্রেষ্ঠ কর্মের স্মারকচিহ্নের ছবি দেখে, কিন্তু জানে না l গান্ধীজীও বিভিন্ন নাম রূপে নিজের ফিল্ম অবশ্যই হয়তো দেখছেন, কিন্তু চিনতে পারছেন না l স্বীকৃতির সাথে তোমরা নিজেদের ছবি দেখতে সমর্থ, তোমরা জানো যে সেটা তোমাদের ছবি l তোমাদের উৎসাহে ভরা দিনগুলোর স্মারকচিহ্ন, উৎসব রূপে পালিত হচ্ছে l এর মধ্যেই সারা জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত, তাই না ? মন্দিরে মন্দিরে ডবল বিদেশিদের ছবি আছে ? দিলওয়াড়া মন্দিরে নিজেদের ছবি দেখেছ তোমরা নাকি সেখানে শুধু ভারতের বাচ্চাদের ছবি আছে ? সবাই নিজের ছবি দেখেছ ? নিজেদের ছবি বলে চিনতে পেরেছ ? যেমন, মাত্র এক অর্জুনেরই উদাহরণ আছে, অবশ্য ছবি, মূর্তি, স্মরণিক স্তম্ভ কতিপয় মাত্রেরই আছে l কিন্তু আছে সবারই l এইরকম ভেবনা যে এতো খুব কম ছবি, সেগুলো কিভাবে তোমাদের হতে পারে? এইসব তো স্যাম্পল দেখানো হয়েছে, সেগুলো সবই তোমাদের স্মরণিক l যারা স্মরণে থাকে তাদের স্মারকচিহ্ন অবশ্যই তৈরি হয় l বুঝেছ ! সুতরাং তোমাদের বড় পিচকারী ভরা আছে তো নাকি ছোট ছোট পিচকারী যা একবার ব্যবহারেই সমাপ্ত হয়ে যায়, আর বারবার তোমাদের ভরতে হয় ? এইভাবে তোমাদের পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই l *সকলকে অবিনাশী রঙে রাঙিয়ে দাও l হোলি বানানোর হোলি উদযাপন কর l তোমাদের হোলি তো হয়ে গেছে, নাকি এখনও তা' পালন করতে যাচ্ছ ? হোলি হয়ে গেছে অর্থাৎ তোমরা হোলি হয়ে গেছ l রঙ লেগে আছে তোমাদের, নয় কি ! এই রঙ ধুয়ে ফেলতে হবে না l* খুশির সাথে তারা স্থূল রঙ লাগালেও তাদের থেকে নিজেদের রক্ষাও করতে চায় l যতই হোক, তোমাদের এই রঙ তো এমনই যে প্রত্যেকে বলবে, আরও লাগাও l এতে কেউ ভীত হবে না, অন্য রঙে তো তারা ভয় পায়; হয়তো চোখে যেতে পারে l কিন্তু এখানে তারা বলবে, আমায় যত বেশি রঙ দাও, ততই ভালো l তাহলে এমনভাবে হোলি উদযাপন করেছ তো ! তোমরা হোলি হয়ে গেছ, এবং এই হোলি পবিত্র হওয়ার আর অন্যদের পবিত্র বানানোর স্মারকচিহ্ন l



এখানে, ভারতে, তারা অনেক কাহিনী বানিয়েছে, কারণ তারা কাহিনী শোনায় আগ্রহী l সেইজন্য সব উৎসবের কাহিনী বানিয়েছিল l তোমাদের জীবন কাহিনী থেকে বিভিন্নরকম ছোট ছোট কাহিনী বানিয়েছে l কোনো কাহিনী রাখী সম্বন্ধে, কোনো কাহিনী হোলির কোনো কাহিনী তোমাদের জন্মের সম্বন্ধে তৈরি করেছে l আবার কিছু কাহিনী তৈরি হয়েছে তোমাদের রাজ্য দিবসের, কিন্তু এই সব কাহিনী তোমাদেরই জীবন কাহিনী l দ্বাপরে ব্যবহারিক সম্বন্ধে এত সময় দেওয়ার প্রয়োজন হতো না, লোকে ফ্রি ছিল l তোমাদের গণনা অনুযায়ী জনসংখ্যাও অনেক কম ছিল l সম্পত্তি রজঃপ্রধান ছিল, তোমাদের স্থিতিও রজঃপ্রধান ছিল, সেই কারণে বিজি থাকার জন্য তারা এই লোকগাথা, ধর্মীয় কাহিনী, কীর্তন রচনার এইসব বিধিতে অভ্যস্ত ছিল l কিছু মাধ্যমের প্রয়োজন তো ছিলই, তাই না ! তোমরা তো ফ্রি হলে সেবা করো অথবা স্মরণে বসো l তারা ফ্রি সময়ে কি করবে ! প্রার্থণা করবে বা কাহিনী, কীর্তন শোনাবে l তাদের বুদ্ধি ফ্রি থাকার কারণে তারা অনেক সুন্দর সুন্দর আশ্চর্যজনক সব কাহিনী বানিয়েছে l অন্ততপক্ষে এটা অনেক ভালো যে অপবিত্রতার দিকে বেশি যাওয়া থেকে তারা বেঁচে গেছে l আজকালকার মাধ্যম গুলি তো এমন যে পাঁচ বছরের শিশুকেও বিকারী বানিয়ে দেয়।সেই সময়ে তবুও কিছু আচরণ বিধি ছিল, কিন্তু এই সবই তোমাদের স্মারকচিহ্ন l তোমাদের এই খুশি আর নেশা আছে তো যে তারা তোমাদের স্মরণিক উদযাপন করছে ! তোমাদের গীত গাইছে ! কত ভালোবাসার সাথে তারা গীত গায় ! তোমরা এতটাই ভালোবাসার প্রতিরূপ হয়েছ, তবেই তো তারা ভালোবাসার সাথে গীত গায় ! বুঝেছ- হোলির স্মরণিক কি ! সদা খুশিতে থাক, হালকা থাক - এটাই পালিত হবে l আচ্ছা - কখনও তোমাদের মুড অফ হতে দিও না l সবসময় হোলি মুড, লাইট মুড, হ্যাপি মুড বজায় রাখ l সবাই তোমরা বোধবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে উঠছ l মধুবনে তোমাদের আসার প্রথম দিনের ফটো আর এখন, যখন কিনা তোমরা ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত সেই ফটো, দু'টোই তুলে রাখা উচিৎ l তোমরা শুধু সঙ্কেত থেকে বুঝতে পার, তদ্ব্যতীত তোমরা বাপদাদার বা বাপদাদার ঘরের অলঙ্করণ l তোমাদের আসায় দেখ মধুবনের ঔজ্জ্বল্য কত অসামান্য সুন্দর হয়ে উঠেছে ! যেখানেই দেখ ফরিস্তা-সকল আসছে যাচ্ছে ! অলোক-সুন্দর! তাই না! বাপদাদা জানেন, তোমরা অলঙ্কৃত l আচ্ছা !



যারা জ্ঞানের রঙে রঙিন, সদাসর্বদা বাবার সঙ্গ-রঙে থাকে, বাবার সমান সম্পন্ন হয়ে অন্যদেরও অবিনাশী রঙে রঙিন করে তোলে, সদা হোলি ডে পালন করে, এমন হোলি হংস আত্মাদের বাপদাদা নিরন্তর হ্যাপি আর হোলি থাকার জন্য অভিনন্দন জানান l সদা নিজেকে সম্পন্ন বানানোর, উৎসাহ-উদ্দীপনায় থাকার অভিনন্দন l সেইসঙ্গে যারা একনিষ্ঠায় মগ্ন, সদা মিলন উদযাপন করে, চতুর্দিকের সেই বাচ্চাদের স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালোবাসা আর নমস্কার !



*পার্সোনাল সাক্ষাৎকার*



১) সদা নিজেকে বাবার উত্তরাধিকারের অধিকারী অনুভব কর ? অধিকার থাকা অর্থাৎ শক্তিশালী আত্মা, এইরকম মনে করে কর্ম করো l কোনরকম দুর্বলতা থেকে যায়নি তো ! যেমন বাবা তেমন আমি, বাবা সর্বশক্তিমান, সুতরাং বাবার বাচ্চাও মাস্টার সর্বশক্তিমান, সদা এই স্মৃতিতে নিজেকে সহজে নিরন্তর অগ্রচালিত করো l এই খুশি সদা থাকে, কারণ তোমাদের এখনকার খুশি সারা কল্পে থাকে না l এখন তোমাদের প্রাপ্তি বাবার থেকে, পরে আত্মাদের থেকে আত্মাদের প্রাপ্তি l বাবার থেকে যা প্রাপ্তি হয় তা' আত্মাদের থেকে হতে পারে না l আত্মা নিজে সর্বজ্ঞ নয়, সেইজন্য তার থেকে যা প্রাপ্তি হয় সেটা অল্পকালের প্রাপ্তি আর বাবার থেকে সদাকালের অবিনাশী প্রাপ্তি হয় l এখন বাবার থেকে তোমরা অবিনাশী খুশি লাভ করেছ l সদা খুশিতে তোমরা নৃত্যরত, তাই না ! সদা খুশির দোলায় দুলতে থাকো l নিচে আসার সাথে সাথে তোমরা কালিমালিপ্ত হও, কারণ নিচে মাটি আছে l সদা দোলায় যদি থাকো তো তোমরা স্বচ্ছ, তাছাড়া, স্বচ্ছ না হলে বাবার সাথে মিলন উদযাপন করতে পারবে না l বাবা যেমন স্বচ্ছ তেমনই যাবার সাথে মিলনের বিধি স্বচ্ছ হতে হবে l সুতরাং, যারা দোলায় থাকে তারা সদা স্বচ্ছ l তোমাদের যখন দোলা থাকেই তোমরা নিচে আসো কেন ? দোলাতেই ভোজনপান, হাঁটাচলা, সবকিছু করো, এতবড় দোলা রয়েছে ! নিচে আসার দিন শেষ হয়েছে, এখন দোল খাওয়ার দিন l সুতরাং, তোমরা সুখের দোলায়, খুশির, প্রেমের, জ্ঞানের, আনন্দের দোলায় বাবার সাথে দুলতে থাকা শ্রেষ্ঠ আত্মা, এটা সবসময় মনে রাখ l যখনই কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তখন এই বরদান স্মরণ ক'রো এবং এই বরদানের আধারে তোমরা আবারও 'সঙ্গের' এবং দোল খাওয়ার অনুভব করবে l এই বরদান সদা সেফটির উপায় (সাধন) l বরদান স্মরণে থাকা অর্থাৎ বরদাতা স্মরণে থাকা l বরদান থাকলে কোনো পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না l সর্বপ্রাপ্তি সহজেই হয়ে যায় l



২) সকলে তোমরা এক বল, এক ভরসায় চলা শ্রেষ্ঠ আত্মা, তাই না ! এক বল, এক ভরসায় চলা নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চারা জানে যে এই মুরলিই সেই মুরলি যাতে তোমরা মধুবন থেকে শ্রীমৎ পাও এবং এটাই একমাত্র শ্রীমৎ, মধুবন ব্যতীত অন্য কোথাও বাবার সাথে তোমরা মিলিত হতে পারো না l এক বাবার পাঠে যেন সদা নিশ্চয় থাকে l পঠন-পাঠনের যে পাঠ মধুবন থেকে যায় সেটাই তোমাদের পাঠ্য, অন্য কোনও পাঠ নেই l ভোগ অর্পণের সময় যদি কখনও সন্দেশীর পার্ট চলে, তবে তা' একেবারেই রং (wrong), এটাও মায়া, এটাকে এক বল, এক ভরসা বলা যাবে না l মধুবন থেকে যে মুরলি আসে তা'তে মনোযোগ দাও, নয়তো অন্য রাস্তায় তোমরা চলে যাবে l মধুবনে বাবার মুরলি পরিচালিত হয়, মধুবনে বাবা আসেন, সেইজন্য সব বাচ্চাকে সতর্ক থাকতে হবে, তা' না হলে মায়া কৌশলে ভুলপথে চালিত করবে l(১১-০৪-৮২)

বরদান:-

দৃঢ়তার শক্তি দ্বারা সাফল্য প্রাপ্ত করে ত্রিকালদর্শী আসনধারী হও

দৃঢ়তার শক্তি দ্বারা অমনোযোগিতার যে কোনো শক্তিকে পরিবর্তন করে দেয় l বাপদাদার বরদান - যেখানে দৃঢ়তা আছে সেখানে সফলতা থাকবেই l শুধু সময়ানুসারে সঠিক বিধিতে সিদ্ধিস্বরূপ হও l কোনও কর্ম করার আগে তার আদি, মধ্য, অন্তকে জেনে-বুঝে কার্য করো আর করাও অর্থাৎ ত্রিকালদর্শী আসনধারী হলে তবে অমনোযোগী ভাব সমাপ্ত হয়ে যাবে l সঙ্কল্পরূপী বীজ শক্তিশালী দৃঢ়তা সম্পন্ন হলে, তবে তোমাদের বাণীতে, কর্মতে সহজভাবে সাফল্য হবেই l

স্লোগান:-

সদা সন্তুষ্ট থেকে সকলকে যারা সন্তুষ্ট করে, তারাই সন্তুষ্টমণি l