১১-০৮-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ১৪-০১-৮৫ মধুবন


শুভচিন্তক হওয়ার আধার স্ব-চিন্তন এবং শুভ চিন্তন

আজ বাপদাদা চতুর্দিকের বিশেষ বাচ্চাদের দেখছেন l কোন্ বিশেষ বাচ্চারা সদা স্ব-চিন্তন, শুভ চিন্তনে থাকার কারণে সকলের শুভ চিন্তক হয়ে ওঠে ? যারা সদা শুভ চিন্তনে থাকে তারা নিজে থেকেই শুভ চিন্তক হয়ে যায় l অন্যদের জন্য *শুভ চিন্তক হওয়ার আধার শুভ অর্থাৎ শুদ্ধ এবং সাকারাত্মক চিন্তন l* প্রথম পদক্ষেপ হলো স্ব-চিন্তন l স্ব-চিন্তন অর্থাৎ 'আমি কে' এই ধাঁধার বিষয়ে বাপদাদা যা তোমাদের বলেছিলেন, সদা তার স্মৃতিস্বরূপ হওয়া l যেমন বাবা আর দাদা যেমন, যেরকম, সেইভাবে তাঁদেরকে জানতে পারাই যথার্থ জানা এবং তাঁদের উভয়কে জানাই হলো প্রকৃতভাবে জানা l ঠিক একইভাবে, স্ব-কে 'আমি যেমন, যেরকম' সেটা জানা অর্থাৎ 'আমার যে আদি অনাদি শ্রেষ্ঠ স্বরূপ', সেই রূপে নিজেকে নিজের জানা এবং সেই স্ব-চিন্তনে থাকাকেই বলা হয়ে থাকে স্বচিন্তন l 'আমি দুর্বল, আমি পুরুষার্থী, কিন্তু সফলতা স্বরূপ নই, আমি মায়াজিৎ নই' - এই সমস্ত ভাবনা স্বচিন্তন নয়, কারণ সঙ্গমযুগী পুরুষোত্তম ব্রাহ্মণ আত্মা অর্থাৎ শক্তিশালী আত্মা l সেই দুর্বলতা, পুরুষার্থে ঘাটতি অথবা আগ্রহশূন্য পুরুষার্থ দেহ-অভিমান থেকে রচিত হয় l স্ব অর্থাৎ আত্ম-অভিমানী, যখন তোমরা এই স্থিতিতে থাক, সেই দুর্বলতার বিষয়গুলো উত্থিত হতে পারে না l অতএব, দেহ-অভিমানের রচনার চিন্তন করাও স্বচিন্তন নয় l স্বচিন্তন অর্থাৎ 'যেমন বাবা তেমন আমি শ্রেষ্ঠ আত্মা' l এইরকম যারা স্বচিন্তন করে তারা শুভ চিন্তন করতে পারে l *শুভ চিন্তন অর্থাৎ জ্ঞানরত্নের মনন করা l এর অর্থ রচয়িতা এবং রচনার গভীর প্রীতিকর রহস্যের মধ্যে আপন মনে প্রমোদ-বিহার করা l এক, শুধু রিপিট করা, আর দুই, জ্ঞান সাগরের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত হওয়া অর্থাৎ জ্ঞান ভান্ডারের মালিক হওয়ার নেশায় থেকে সদা জ্ঞান-রত্নরাজির সাথে খেলতে থাকা l জ্ঞানের একেকটা অমূল্য বোল অনুভূত হওয়া অর্থাৎ নিজে অমূল্য রত্নে সদা মহীয়ান হয়ে ওঠা l যারা এমন জ্ঞানে রমণ করে, শুধুমাত্র তারাই শুভ চিন্তন করে l যাদের এইরকম শুদ্ধ এবং সাকারাত্মক চিন্তন থাকে, তারা নিজে থেকেই ব্যর্থ চিন্তন, পরচিন্তন থেকে বিরত থাকে l* যে আত্মা-সকল স্বচিন্তন, শুভ চিন্তন বজায় রাখে তারা প্রতি সেকেন্ড নিজের শুভ চিন্তনে এতই বিজি থাকে যে অন্য কোনো চিন্তন করার জন্য একটা সেকেন্ড বা শ্বাস নেওয়ার ফুরসৎ থাকে না l এই কারণে এমন আত্মারা সহজেই পরচিন্তন এবং ব্যর্থ চিন্তন থেকে সেফ থাকে l না তাদের বুদ্ধিতে সেই জায়গা থাকে আর না থাকে সময় l তাদের সময় শুভ চিন্তনে যুক্ত হয়ে আছে, বুদ্ধি সদা জ্ঞানরত্নে অর্থাৎ শুভ সঙ্কল্পে সম্পন্ন অর্থাৎ পরিপূর্ণ l অন্য কোনও সঙ্কল্প আসার মার্জিনই নেই, একেই বলা হয় শুভ চিন্তনকারী, জ্ঞানের প্রতিটা বোলের রহস্যের গভীরে গমন করে, শুধুই এর ধুনের আনন্দে থাকে না l সুর শোনা অর্থাৎ বোলের মর্মার্থ উদঘাটন করা l স্থূল বাদ্যযন্ত্রের সুর শুনতে যেমন খুব ভালো লাগে, তাই না ? ঠিক একইভাবে জ্ঞান মুরলির ধুন খুবই ভালো লাগে, কিন্তু ধুনের সাথে সাথে যারা গুহ্য রহস্য বোঝে, তারা জ্ঞান ভান্ডারের রত্নের মালিক হয়ে মর্মার্থ মনন করতে মগ্ন থাকে l যারা জ্ঞানে মগ্ন, তাদের সামনে কোনরকম বিঘ্ন আসতে পারে না l একইভাবে, শুভ চিন্তনকারী নিজে থেকেই সকলের জন্য শুভ চিন্তক হয়ে যায় l প্রথমে স্বচিন্তন, তারপরে শুদ্ধ এবং সাকারাত্মক চিন্তন, এমন আত্মারা শুভ চিন্তক হয়ে যায়, কারণ যে নিজে দিনরাত শুভ চিন্তনে থাকে, সে অন্যের প্রতি কখনও না অশুভ ভাবে, আর না অশুভ দেখে ! তাদের নিজের সংস্কার বা স্বভাব শুদ্ধ হওয়ার কারণে স্বভাবতঃই তাদের বৃত্তি, দৃষ্টি সবকিছুতে শুভ দেখার আর ভাবনার অভ্যাস নিজে থেকেই গড়ে ওঠে, সেইজন্য সকলের প্রতি তাদের সবসময় শুভ ভাবনা থাকে l এতদসত্ত্বেও, অন্য আত্মাদের মধ্যে দুর্বল সংস্কার দেখলেও সেই আত্মার প্রতি 'এ তো এইরকমই' এমন কোনো অশুভ বা ব্যর্থ ভাবনা তাদের থাকে না l বরং এইরকম দুর্বল আত্মাদের প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনার পাখা দিয়ে শক্তিশালী বানিয়ে তাদের উঁচুতে উড়তে সমর্থ বানায় l তারা সদা সেই আত্মার প্রতি শুভ কামনা, শুভ ভাবনা দ্বারা সহযোগী হয় l অন্যের জন্য শুভ চিন্তক হওয়া অর্থাৎ তারা নিরাশকে আশাবাদী করে তোলে l তাদের শুদ্ধ এবং সাকারাত্মক ভাবনার ভান্ডার দিয়ে সেই দুর্বল আত্মাদের পরিপূর্ণ ক'রে তাদের সামনে এগিয়ে যেতে সমর্থ বানায় l তারা এইরকম ভাববে না - 'এর তো জ্ঞানই নেই, এ জ্ঞানের উপযুক্ত নয়, এ তো জ্ঞানমার্গে চলতেই পারবে না l' শুভ চিন্তক বাপদাদার থেকে নেওয়া শক্তি দ্বারা সহায়তার পা প্রদান করে খঞ্জকেও হাঁটানোর নিমিত্ত হয়ে যাবে l শুভচিন্তক আত্মা নিজের শুভচিন্তক স্থিতি দ্বারা ভগ্নোৎসাহ আত্মাদের দিলখুশ টোলি (মিঠাই ) দিয়ে তাদের সুস্থ করে তুলবে l তোমরা দিলখুশ মিঠাই খাও, তাই না ? তাহলে তো তোমরা জান অন্যকে কিভাবে খাওয়াতে হবে, তাই নয় কি ? শুভচিন্তক আত্মা কারও দুর্বলতা জেনেও সেই আত্মার দুর্বলতা ভুলিয়ে নিজের বিশেষত্বের শক্তির দক্ষতা দিয়ে তাদেরও সমর্থ বানাবে l তারা কাউকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখবে না l ভ্রষ্ট আত্মাকে সদাসর্বদা উঁচুতে ওড়ানোর দৃষ্টি থাকবে তাদের l তারা শুধু নিজে শুভ চিন্তনে থাকার বা শক্তিশালী আত্মা হওয়ার ফার্স্ট স্টেজে থাকবে না l সেটাও অন্যের জন্য শুভ চিন্তক হওয়া নয় l অন্যের জন্য শুভ ভাবনা থাকা অর্থাৎ নিজের ভান্ডারকে মন্সা দ্বারা, বচন দ্বারা নিজের আধ্যাত্ম সম্বন্ধ সম্পর্ক দ্বারা অন্য আত্মাদের প্রতি সেবাতে প্রয়োগ করা l শুভ চিন্তক আত্মারা নম্বর ওয়ান সেবাধারী, প্রকৃত সেবাধারী, এমন শুভ চিন্তক হয়েছ তোমরা ? তোমাদের বৃত্তি যেন শুদ্ধ হয়, তোমাদের দৃষ্টি যেন সদা নিষ্কলুষ হয় ; তখন শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণের সৃষ্টিও বিশুদ্ধাকারে দেখা দেবে l এমনিতেও লোকে সাধারণভাবে বলেই থাকে, *শুভ কথা বলো l* ব্রাহ্মণ আত্মাদের তো জন্মই শুভজনক l শুভক্ষণে অর্থাৎ কল্যাণকর সময়ে তোমরা জন্ম নিয়েছ l ব্রাহ্মণের জন্ম-মুহূর্ত অর্থাৎ সময় শুভ, তাই না ! ভাগ্যের দশাও শুভ l তোমাদের সম্বন্ধও শুভ l সঙ্কল্প, কর্মও শুভ, সেইজন্য ব্রাহ্মণ আত্মাদের শুধু সাকার রূপেই নয়, স্বপ্নেও অশুভ কোনকিছুর লেশমাত্র নেই - এইরকম শুভচিন্তক আত্মা তোমরা, তাই না ! স্মৃতিদিবসের জন্য তোমরা বিশেষভাবে এসেছ, স্মৃতিদিবস অর্থাৎ সমর্থ দিবস l সুতরাং বিশেষ সমর্থ আত্মা তোমরা, তাই না ! বাপদাদাও বলেন, সমর্থ দিবস পালন করতে তোমরা সদা সমর্থ আত্মারা সুস্বাগত l সমর্থ বাপদাদা সমর্থ বাচ্চাদের সদা স্বাগত জানান, বুঝেছ তোমরা ? আচ্ছা !



যারা সদা স্বচিন্তনের নেশায় থাকে, শুভ চিন্তনের ভাণ্ডারে সম্পন্ন থাকে, যারা শুভ চিন্তক হয়ে প্রথমে নিজেরা উড়ে সব আত্মাদের উড়তে সমর্থ বানায়, সদা বাবা সমান দাতা বরদাতা হয়ে সবাইকে শক্তিশালী বানায়, এইরকম সমর্থ সমান বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন এবং নমস্কার l



*পার্টির সাথে তথা মাতাদের গ্রুপের সাথে*



১) মাতারা, সদা নিজেদের ভাগ্য দেখে প্রসন্ন থাক, তাই না ? চরণদাসী থেকে মস্তক-মুকুট হয়েছ তোমরা, সদা এই খুশি থাকে তোমাদের ? কখনও খুশির ভান্ডার চুরি হয়ে যায় না তো ? মায়া চুরি করতে দক্ষ l যদি তোমরা কার্যনিপুণ হও এবং সদা সজাগ থাক তবে মায়া কিছু করতে পারে না, বরং বাস্তবে সে দাসী হয়ে যাবে, শত্রু থেকে সেবাধারী হয়ে যাবে l তাহলে তোমরা কি এমন মায়াজিৎ ? বাবা স্মরণে আছেন অর্থাৎ তোমরা সদা বাবার সঙ্গে থাক l আধ্যাত্মিক রঙে রঙিন হয়েছ l যদি বাবার সঙ্গ না থাকে তবে অধ্যাত্ম রঙও নেই, সুতরাং, সবাই বাবার সঙ্গ-রঙে রঞ্জিত হওয়া নষ্টমোহ তোমরা ? নাকি অল্প অল্প মোহ আছে ? হয়তো, তোমাদের বাচ্চাদের প্রতি মোহ নেই, কিন্তু নাতি-পুতিদের প্রতি আছে ! বাচ্চাদের জন্য সেবা শেষ হয়েছে, আর এখন অন্যদের সেবা শুরু ! এটা কম হয় না l একের পর এক লাইন তৈরি হতে থাকে l সুতরাং তোমরা কি এই বন্ধন থেকে মুক্ত ? মাতাদের কতো শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি হয়েছে ! যাদের হাত রিক্ত হয়ে গিয়েছিল, তারা এখন সর্ব খাজানায় ধনী l তোমরা সবকিছু খুইয়ে ফেলেছিলে, এখন আবার বাবা দ্বারা সর্ব ভান্ডার প্রাপ্ত করে নিয়েছ, সুতরাং মাতারা কি থেকে কি হয়েছ ! যারা চার দেওয়ালের মধ্যে থেকেছে, তারাই বিশ্বের মালিক হয়ে গেছে ! এই নেশা তো তোমাদের থাকে, তাই না ? - বাবা আমাদের তাঁর নিজের বানিয়েছেন, আর সেটা কতো সৌভাগ্য ! বাবা এসে যখন তোমাদেরকে তাঁর নিজের বানান, সেখানে তো আর কোথাও কখনো এমন ভাগ্য হতে পারে না l সুতরাং নিজেদের ভাগ্য দেখে সদা উৎফুল্ল থাক তোমরা, তাই না ? মায়া যেন কখনো এই খাজানা চুরি না করে l



২) সবাই তোমরা পুণ্য আত্মা হয়েছ ? সবচেয়ে বড় পুণ্য অন্যকে শক্তি দেওয়া l সুতরাং সদা সর্ব আত্মার প্রতি পুণ্য আত্মা হও অর্থাৎ তোমাদের প্রাপ্ত ঐশ্বর্য ভান্ডারের মহাদানী হও l তোমরা যতই তা' দান করবে, ততই লক্ষ-কোটি গুণে বেড়ে যাবে l সুতরাং এই দেওয়াই নেওয়া হয়ে যায় l এইরকম উৎসাহ থাকে তোমাদের ? এই উৎসাহ-উদ্দীপনার প্র্যাকটিক্যাল স্বরূপ, সেবাতে সদা এগিয়ে চলা l সেবার জন্য তুমি যতই তোমার তন, মন, ধন প্রয়োগ করতে থাক, ততই বর্তমানেও মহাদানী পুণ্য আত্মা হও, আর সদাকালের জন্য ভবিষ্যতেরও জমা হতে থাকে l ড্রামাতে এও তোমাদের ভাগ্য যে নিজেদের সবকিছু জমা করার চান্স লাভ কর l সুতরাং এইরকম গোল্ডেন চান্স প্রাপ্তকারী তোমরা, তাই না ? তোমরা যদি কোনকিছু সম্বন্ধে ভেবে তারপরে কর, তবে সিলভার চান্স, আর দিলদরিয়া হয়ে করলে গোল্ডেন চান্স l সুতরাং তোমরা সবাই নাম্বার ওয়ান চ্যান্সেলর হও l



*ডবল বিদেশি বাচ্চাদের সাথে-* বাপদাদা প্রতিদিন স্নেহী বাচ্চাদের স্নেহের রিটার্ণ দেন l বাচ্চাদের সাথে বাবার এত স্নেহ, বাচ্চারা শুধু সঙ্কল্প করেছে, এমনকি মুখ পর্যন্ত আসেনি, বাবা তা'র রিটার্ণ আগে থেকেই করে দিয়েছেন l সঙ্গমযুগে সারা কল্পের স্মরণ-স্নেহ দিয়ে দেন l এত স্মরণ-স্নেহ দেন যে জন্মের পর জন্ম স্মরণ-স্নেহে ঝুলি ভরে থাকে l বাপদাদা স্নেহী আত্মাদের সদা সহযোগ দিয়ে অগ্রচালিত করতে থাকেন l বাবা যে স্নেহ দিয়েছেন, সেই স্নেহের স্বরূপ হয়ে যেকোন কাউকে স্নেহী বানালে, তবে সে বাবার হয়ে যাবে l স্নেহই সবাইকে আকর্ষণ করে l সব বাচ্চার স্নেহ বাবার কাছে অনবরত পৌঁছাতে থাকে l



*মরিশাস থেকে আগত পার্টির সাথে-* সকলেই তোমরা লাকি নক্ষত্র, তাই না ? কতো ভাগ্যপ্রাপ্ত করেছ তোমরা ! এর থেকে বড় ভাগ্য আর কারও হতে পারে না, কারণ ভাগ্যবিধাতা বাবাই তোমাদের হয়ে গেছেন l তোমরা তাঁর বাচ্চা হয়ে গেছ l যখন ভাগ্যবিধাতা আপন হয়ে গেছেন তখন এর থেকে বড় ভাগ্য আর কি হবে ! তাহলে, তোমরা এইরকম শ্রেষ্ঠ, ভাগ্যবান ঝলমলে নক্ষত্র l আর অন্যদেরও ভাগ্যবান বানাও তোমরা, কারণ তোমরা যখন কিছু ভালো জিনিস খুঁজে পেয়েছ, সেটা অন্যদের দেওয়া ছাড়া তোমরা থাকতে পার না l যেমন স্মরণ ব্যতীত তোমরা থাকতে পার না, ঠিক সেইরকমই সেবা ছাড়াও তোমরা থাকতে পার না l প্রত্যেক বাচ্চা অনেকের আলো প্রজ্জ্বলন করে দীপমালা রচনা করবে l দীপমালা রাজতিলকের নিদর্শন l সুতরাং যারা দীপমালা তৈরি করে তারা রাজতিলক লাভ করে l সেবা করা অর্থাৎ রাজ্য তিলকধারী হওয়া l সেবার জন্য যাদের উৎসাহ -উদ্দীপনা থাকে, তারাও অন্যদের উৎসাহ-উদ্দীপনার পাখা দিতে পারে l



*প্রশ্নঃ- কোন্ মুখ্য ধারণার আধারে সহজে সিদ্ধিপ্রাপ্ত করতে পার ?*



*উত্তরঃ-* নিজেকে নম্রচিত্ত, নির্মাণ (নিরহংকারী) এবং সব পরিস্থিতি থেকে গুণ ধারণ করলে, তোমরা সহজে সিদ্ধি প্রাপ্ত করতে পারবে l যারা নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে চেষ্টা করে, তারা একরোখা হয়, সেইজন্য তারা কখনও প্রসিদ্ধ হতে পারে না l যারা জেদী তারা কখনো সিদ্ধি লাভ করতে পারে না l প্রসিদ্ধ হওয়ার পরিবর্তে তারা দূরে হয়ে যায় l



*প্রশ্নঃ- বিশ্বের অথবা ঈশ্বরীয় পরিবারের প্রশংসার দাবীদার তোমরা কবে হবে ?*



*উত্তরঃ-* যখন নিজের প্রতি বা অন্যদের প্রতি সব প্রশ্নের অবসান হবে l নিজেকে যেমন অন্যের থেকে ছোট মনে করো না, নিজেকে অথরিটি হিসেবে প্রতীত হয়, ঠিক একইভাবে, উপলব্ধি হতে এবং উপলব্ধি করতে, এই উভয়তেই দাবিদার হলে তবেই বিশ্বের এবং ঈশ্বরীয় পরিবারের প্রশংসার দাবিদার হবে l কোনকিছুর যাচক হ'য়ো না, বরং দাতা হও l আচ্ছা l ওম্ শান্তি l

বরদান:-

শ্রীমৎ অনুসারে সেবায় সন্তুষ্টতার বিশেষত্ব অনুভব করে সফলতার প্রতিমূর্তি ভব

যেকোন সেবা করো, যদি কোনও জিজ্ঞাসু আসে বা নাই আসে, নিজের প্রতি সন্তুষ্টি বজায় রাখ l নিশ্চয় রাখ, যদি আমি সন্তুষ্ট থাকি তবে মেসেজ অবশ্যই কাজ করবে l অতএব, এতে উদাস হ'য়োনা l যদি স্টুডেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি না পায়, তবে কোনও ব্যাপার না, অন্ততপক্ষে, তোমার হিসেব-নিকেশের খাতায় তো জমা হয়ে যাবে আর তারা বার্তা (সন্দেশ) পাবে l যদি তুমি নিজে সন্তুষ্ট হও, খরচ সফল হ'লো l তুমি শ্রীমৎ অনুসারে কার্য করেছ, সুতরাং শ্রীমতের অজ্ঞানুসারী হওয়াও সফলতার প্রতিমূর্তি হওয়া l

স্লোগান:-

দুর্বল আত্মাদের শক্তি দিলে তাদের আশিস লাভ করবে l