২৬-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ০৩-১২-৮৪ মধুবন
সকল সমর্থ শিক্ষকের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার ধারক হও
আজ সর্বশক্তিমান বাবা চতুর্দিকে তাঁর নিজের শক্তি সেনাকে দেখেছেন l তিনি দেখতে চাইছেন, কারা কারা সর্বশক্তির অস্ত্রধারী মহাবীর বিজয়ী বিশেষ আত্মা l তিনি দেখেছেন কেউ কেউ সবসময় না হলেও কিন্তু প্রয়োজনের সময়, সময় অনুসারে অস্ত্রধারী হয় l কেউ কেউ প্রয়োজনের সময় অস্ত্রধারী হওয়ার চেষ্টা করে l এই কারণে তারা কখনো কখনো আক্রমণ করতে পারে, আর কখনো কখনো হার স্বীকার করে নেয় l কখনো আক্রমণ, কখনো পরাজয়ের চক্রে চলতে থাকে l সেনার অধিকারী তিন ধরণের বাচ্চা দেখেছেন বাবা l যাই হোক, বিজয়ী শ্রেষ্ঠ আত্মারা সদা প্রথম থেকেই এভার রেডি থাকে l যারা সময় অনুযায়ী অস্ত্রধারী হয়, সময় তাদের টিচার হয়ে যায় l যারা সময়রূপী শিক্ষকের আধারে চলে, তারা সর্বশক্তিমান শিক্ষকের শিক্ষায় এভাররেডি না হওয়ার কারণে সঙ্কটময় সময়ে কখনো কখনো ভুলপথে চালিত হয় l ভুলপথে গিয়ে তারপরে তারা আবার তাদের স্মৃতিতে ফিরে আসে l অতএব, সর্বশক্তিমান শিক্ষকের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাধারী হও l সময়রূপী শিক্ষকের শিক্ষাধারী হয়ো না l
কিছু কিছু বাচ্চা বাপদাদার সঙ্গে মনখোলা ও অন্তরঙ্গ আলাপচারিতা করে, কিছু বাচ্চা নিজেদের মধ্যে মনখোলা ও অন্তরঙ্গ আলাপচারিতা করে, সাধারণভাবে তারা এটাই বলে, সময় এলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে l সময় হলে দেখিয়ে দেব বা সময় হলে করব l যাই হোক, তোমরা সব বিশ্ব পরিবর্তক বাচ্চাদের সম্পন্ন শ্রেষ্ঠ সময় আহ্বান করার কাজ অর্পিত হয়েছে l স্বর্ণালী সকাল নিয়ে আসার নিমিত্ত তোমরা l তোমরা সময়রূপী রচনার মাস্টার রচয়িতা, সময় অর্থাৎ যুগ পরিবর্তক l তোমরা ডবল-কাল বিজয়ী l *এক কাল হলো সময়, দ্বিতীয় কাল - তোমরা মৃত্যুর দ্বারা প্রভাবিত হও না l তোমরা বিজয়ী l তোমরাই অমর ভব'র বরদান লাভ করেছ l* সেই কারণে তোমরা সময় অনুসারে কর না, বরং তোমরা বাবার নির্দেশ অনুসরণকারী l সময় তো অজ্ঞানী আত্মাদেরও শিক্ষক ! তোমাদের শিক্ষক সমর্থ বাবা l সব প্রস্তুতিই সময়ের পূর্বে হয়ে যায়, প্রয়োজনের সময় নয় l তোমরা সর্বশক্তির অস্ত্রধারী এভার-রেডি সেনার অন্তর্ভুক্ত l সুতরাং, সদা নিজেকে চেক কর, সর্বশক্তির অস্ত্র তোমরা ধারণ করেছ ? কোনও শক্তি অর্থাৎ কোন অস্ত্রের যদি অভাব থাকে মায়া তবে সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই আঘাত করবে, সেইজন্য এতে অসাবধান হয়োনা যে সবকিছু ঠিক আছে, শুধু তো একটা বিষয়ে যা একটু দুর্বলতা আছে, যতই হোক, একটা দুর্বলতাই মায়াকে আক্রমণের রাস্তা করে দেয় l যেমন বাবা প্রতিজ্ঞা করেন, যখন বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ করে, তিনি সবসময় সঙ্গে থাকেন, মায়াও চ্যালেঞ্জ করে, যেখানেই দুর্বলতা আমি সেখানেই উপস্থিত l এইজন্য দুর্বলতার সামান্যতম অংশ থাকাও মায়ার বংশকে আহ্বান করা l সর্বশক্তিমানের বাচ্চাদের সবকিছুতে সম্পন্ন হতে হবে l বাবা বাচ্চাদের যে উত্তরাধিকারের অধিকার দেন, অথবা শিক্ষকরূপে ঈশ্বরীয় পাঠের প্রালব্ধ বা ডিগ্রি দেন, সেই সম্পর্কে কিভাবে বর্ণনা কর ? সর্বগুণসম্পন্ন বলো নাকি গুণসম্পন্ন বলো ? তোমরা বলো, সম্পূৰ্ণ নির্বিকারী, ১৬ কলা সম্পূর্ণ, ১৪ কলা বলো না l শতকরা একশ' ভাগ সম্পূৰ্ণ সুখ-শান্তির উত্তরাধিকার বলো l সুতরাং তোমাদের সেইরকমই হতে হবে, তাই না ? নাকি ভাবছ, এক আধটা দুর্বলতা ছাড়পত্র পেয়ে যাবে অর্থাৎ অনুমতি দেওয়া হবে l হিসেবনিকেশ গহীন l তিনি ভোলানাথ বটে, কিন্তু তিনি কর্ম-গতির জ্ঞাতা l তিনি এক কণাকে অনেক বেশি করে দেন এবং প্রতিটা কণার হিসেবও করেন l যদি এক আধটা দুর্বলতা থেকে যায় তবে প্রাপ্তিতেও অর্ধেক জন্ম বা এক জন্ম পিছনে আসতে হবে l শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে একসাথে আসতে পারবে না অথবা বিশ্বের প্রথম রাজাধিরাজ এবং রাজরাজেশ্বরী, লক্ষ্মী-নারায়ণের রয়্যাল ফ্যামিলিতে বা কাছের সম্বন্ধে হবে না l ঠিক যেমন সম্বত শুরু হবে ১-১-১, একইভাবে নতুন সম্বন্ধ, নতুন প্রকৃতি, নম্বর ওয়ান নতুন আত্মারা- নতুন অর্থাৎ ওপর থেকে নিচে আসা আত্মারা, নতুন রাজত্ব, এই নতুনত্বের সময়ের সুখ, নম্বর ওয়ান সতঃপ্রধান প্রকৃতির সুখ নম্বর ওয়ান আত্মারাই প্রাপ্ত করতে পারবে l নম্বর ওয়ান অর্থাৎ যারা মায়াকে উইন করে l তারপরে হিসেব সঠিক হবে l তোমরা বাবার কাছে বরদান বা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার প্রতিজ্ঞা এটাই করেছিলে যে তোমরা তাঁর সাথে থাকবে, তাঁর সাথে ফিরে যাবে আর তারপরে ব্রহ্মাবাবার সাথে রাজ্যে ফিরে আসবে l এই প্রতিজ্ঞা করনি যে তাঁর পিছনে পিছনে যাবে l তোমাদের সমান হতেই হবে, তাঁর সাথে থাকতে হবে l সম্পন্নতা এবং সমতা সদা-সঙ্গের প্রালব্ধের অধিকারী বানায় l অতএব, সম্পন্ন এবং সমান হওয়ার সময়টা যদি বেখেয়ালে নষ্ট করে ফেল তবে অন্তিম মুহূর্তে বোধোদয় হলে তখন কি প্রাপ্তি হবে !
সুতরাং, আজ বাবা সকলের সর্বশক্তির অস্ত্রাদি চেকিং করছিলেন l বাবা রেজাল্ট শুনিয়েছেন, তিনি তিন ধরণের বাচ্চা দেখেছেন l তোমরা ভাবছ যে, আরও বেশি করে যখন উন্নতি করবে তখন অসাবধানতার এই সামান্য ক্ষতি ছাড় পেয়েই যাবে, এইটুকু সাহায্য তো বাবা করবেনই, কিন্তু এই ক্ষতি অনিয়ন্ত্রিত সময়ে তোমাদের যেন ভুল ধারণার সৃষ্টি না করে ! আর বাচ্চারা ক্ষতির কারণে যেন অনুযোগ না করে যে, এত কিছু তো ভাবিনি, সেইজন্য অনিয়মবদ্ধ সময় সমুখে সমাসন্ন l নানারকম অস্থিরতা বেড়েই চলবে l সময় যে সমাসন্ন, এই লক্ষণ তারই পূর্বাভাস ! ড্রামাতে এই ইঙ্গিত হলো তীব্রগতিতে তোমাদের সম্পন্ন হওয়ার l বুঝেছ !
আজকাল মধুবনে তিন স্থানের নদীসমূহের মেলা হয় l ত্রিবেণী নদীর মেলা, ত্রিবেণী সঙ্গম, তাই না ! তিন দিক থেকে আগত, গভীর অনুরাগে উপনীত বাচ্চাদের দেখে, বিশেষভাবে বাচ্চাদের স্নেহে বাপদাদা উৎফুল্ল হন l তোমরা মুখনিঃসৃত শব্দের ভাষা জান না, কিন্তু স্নেহের ভাষা জান l কর্ণাটক থেকে আগত বাচ্চারা স্নেহের ভাষা জানে l
আর পাঞ্জাবের তোমরা কি জান ? যারা পাঞ্জাবের, তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আহ্বান করার ব্যাপারে দক্ষ l সুতরাং, দৈবীভূমি রাজস্থানের সুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হাহাকারের জায়গায় জয়জয়কার করবে l যারা গুজরাটের তারা কি করে ? গুজরাট থেকে আগতরা সদা দোলায় দোলে l সঙ্গমযুগে নিজের কাছাকাছি স্থানে স্থূলভাবে হওয়ার ভাগ্যের দোলাতেও তোমরা দোল খাও l তোমরা সবচাইতে কাছের, এই খুশিতে দোল l সুতরাং, গুজরাট মানেই যারা বিভিন্নরকম দোলায় দোলে l এদের ভ্যারাইটি গ্রুপও আছে l সকলেই ভ্যারাইটি পছন্দ করে l একটা ফুলের তোড়ায় বিভিন্ন রঙ, রূপ আর সুগন্ধি ফুলের ভ্যারাইটি দেখতে তোমরা ভালবাস l আচ্ছা !
সবদিক থেকে আগত সকল শক্তিশালী, যারা সদা অ্যালার্ট থাকে, যারা সদা সর্বশক্তির অস্ত্রধারী, যারা সম্পূৰ্ণ সম্পন্ন হয়ে সকল আত্মাকে শক্তির সহযোগ দেয়, শ্রেষ্ঠ কাল, শ্রেষ্ঠ যুগ নিয়ে আসে, যারা নম্বর ওয়ান যুগ পরিবর্তক হয়ে সম্পন্ন রাজ্য-ভাগ্যের নম্বর ওয়ান অধিকারী হয় - এমন সব শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l
*পাঞ্জাব পার্টির সাথে :-* সদা প্রতি পদে স্মরণের শক্তি দ্বারা লক্ষ কোটির উপার্জন করতে করতে অগ্রসর হচ্ছ, তাই না ! প্ৰতি পদক্ষেপে লক্ষ-কোটি জমা হচ্ছে কিনা, সেটা প্রতিনিয়ত চেক করছ ? স্মরণের পদক্ষেপে প্রাচুর্য ভরা, স্মরণ ব্যতীত পদক্ষেপ প্রাচুর্য আনে না, তা'তে কোনো উপার্জন নেই l সুতরাং প্রতি পদে উপার্জন জমা করা উপার্জনশীল বাচ্চা তোমরা, তাই না ! যারা অর্জন করে তাদের বলা হয় উপার্জনশীল বাচ্চা l একরকম বাচ্চা হয়, তারা ভোজনপান করে উড়িয়ে দেয় ; আরেকরকম হলো, তারা উপার্জন জমা করে l তোমরা কোন ধরণের বাচ্চা ? ওখানে বাচ্চারা রোজগার করে নিজের জন্যেও আবার তাদের বাবার জন্যেও l এখানে তো বাবা কিছুই চান না l তোমরা তোমাদের জন্যই উপার্জন কর l প্রতি পদে সদা উপার্জন করে জমা করছ কিনা, চেক কর, কেননা সময় লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে l সুতরাং, তোমার অর্জিত ধন যত জমা হবে, ততই সহজভাবে শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধের অনুভব করতে থাকবে l ভবিষ্যতে তোমাদের তো প্রাপ্তি থাকবেই l সুতরাং, এই উপার্জনের প্রাপ্তি এখন সঙ্গমেও হবে, আর ভবিষ্যতেও হবে l তাহলে, সবাই তোমরা উপার্জন কর নাকি উপার্জন করলে আর খাওয়া হয়ে গেল !
যেমন বাবা, তেমন বাচ্চারা l বাবা যেমন সম্পন্ন, সম্পূৰ্ণ তেমনই বাচ্চারাও সদা সম্পন্ন থাকে l সবাই তোমরা বাহাদুর, তাই না ? ভীত নও তো ? তোমরা ভয় পাও না, তাই নয় কি ? সামান্যতমও ভয় কি তোমাদের সঙ্কল্পে আসে, নাকি না ? এটা নাথিং নিউ, তাই না ! কতবার এটা হয়েছে, অনেকবার রিপিট হয়েছে l এখন আবারও হচ্ছে, এইজন্য ঘাবড়ে যাওয়ার কোন ব্যাপার নেই l শক্তিরাও তো শঙ্কামুক্ত ! শক্তিরা সদা বিজয়ী, সদা ভয়শূন্য l যখন বাবার সুরক্ষিত ছত্রছায়ায় থাক তখন তো নির্ভয়েই থাকবে ! যখন নিজেকে একলা মনে কর, তখনই ভয় হয় l সুরক্ষিত ছত্রছায়ায় ভয় হয় না l সদা নির্ভয় l *শক্তির বিজয়* সদা গাওয়া হয়েছে l সকলেই বিজয়ী সিংহী তোমরা, তাই না ! শিবশক্তির, পান্ডবের জয় যদি না হবে তো কার হবে ! পাণ্ডব আর শক্তিসকল প্রতি কল্পের বিজয়ী l বাচ্চাদের জন্য বাবার স্নেহ আছে, তাই না ! বাবার স্নেহী বাচ্চাদের এবং বাবার স্মরণে থাকা বাচ্চাদের কিছু হতেই পারে না l স্মরণে যদি দুর্বলতা থাকে, তবে বাইরের আঁচড় লাগতে পারে l স্মরণের সুরক্ষিত ছত্রছায়ায় থাকলে কোনো কিছু হতেই পারে না l বাপদাদা কোনো না কোনো উপায়ে তোমাদের রক্ষা করেন l যখন ভক্ত আত্মাদেরও তিনি সহায় তখন বাচ্চাদের জন্য তিনি সদাসর্বদা সহায় হন l
২. সাহস আর উল্লাসের পাখায় তোমরা সদা উড়ন্ত, নয় কি ! উৎসাহ-উদ্দীপনার পাখা তোমাদেরও সদা ওড়ায় এবং অন্যদেরও ওড়ার মার্গ দর্শাতে সমর্থ বানায় l এই দুই পাখাই যেন সদা সাথে থাকে l একটা পাখাও যদি আলগা হয় তবে উঁচুতে উড়তে পারবে না, সেইজন্য উভয়ই আবশ্যক l সাহসও, উত্সাহ-উদ্দীপনাও l নির্ভীকতা এমন জিনিস যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, নির্ভীকতা কঠিনকে সহজ বানায় l নিচে থেকে ওপরে উড়তে তোমাদের সমর্থ বানায় l সুতরাং তোমরা এমনই অনুভাবী আত্মা, যারা এইভাবে সদা ওড়ে, তাই না ! নিচে এসে কি প্রাপ্তি হয়েছে তা' তো তোমরা দেখেই নিয়েছ l ক্রমাগত নিচে নেমেছ, কিন্তু এখন উড়তি কলার সময় l হাই জাম্পেরও সময় নেই l সেকেন্ডে সঙ্কল্প কর আর পাখা মেলে ওড়ো l বাবার থেকে এইরকম শক্তি তোমরা নিরন্তর লাভ করতে থাকবে l
৩. নিজেদের সদা মাস্টার জ্ঞানসূর্য মনে কর ? জ্ঞানসূর্যের কার্য হলো, সকলের থেকে অজ্ঞান-অন্ধকারের বিনাশ করা l সূর্য স্ব-প্রকাশে রাতকে দিনে পরিবর্তন করে, সুতরাং একইভাবে তোমরা মাস্টার জ্ঞানসূর্য বিশ্ব থেকে অন্ধকার সরিয়ে, লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো আত্মাদের রাস্তা দেখিয়ে রাতকে দিনে পরিবর্তিত কর, তাই না ! তোমাদের এই কার্য সদা স্মরণে থাকে ? তোমাদের লৌকিক অক্যুপেশন যেমন চেষ্টা করেও ভুলতে পার না, সেটা তো তোমাদের এক জন্মের বিনাশী কার্য, বিনাশী অক্যুপেশন, সেক্ষেত্রে তোমাদের এই অক্যুপেশন মাস্টার জ্ঞানসূর্য হওয়ার, সদাকালের জন্য l সুতরাং সদা এটাকে নিজেদের অবিনাশী অক্যুপেশন বা ডিউটি মনে করে অন্ধকার দূর করে আলো নিয়ে আসতে হবে l এতে তোমাদের নিজেদেরও অন্ধকার সমাপ্ত হয়ে আলোর প্রকাশ ঘটবে, কারণ যারা আলো দেয় তারা নিজেরা প্রকাশময় তো হয়েই যায় l অতএব, এই কার্য সদা স্মরণে রাখ আর রোজ নিজেকে নিজে চেক কর, *আমি মাস্টার জ্ঞানসূর্য প্রকাশময় !* যেমন অগ্নি নিবারণকারী নিজে অগ্নিতে প্রভাবিত হয় না, একইভাবে যারা সদা অন্ধকার দূর করে, তারা নিজেরা অন্ধকারে যায় না l সুতরাং, *আমি মাস্টার জ্ঞানসূর্য* এই নেশা আর খুশি সদা থাকতে দাও l
*কুমারদের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎকারঃ-*
১) কুমার জীবন শ্রেষ্ঠ জীবন, কুমার জীবনে বাবার হয়ে গেছ,নিজেদের এই শ্রেষ্ঠ ভাগ্য দেখে সদা প্রফুল্ল থাক আর অন্যদেরও উৎফুল্ল থাকার বিধি শুনাতে থাক l সর্বাপেক্ষা নির্বন্ধন কুমার এবং কুমারীরা l কুমার যেমন ইচ্ছে নিজের ভাগ্য বানাতে পারে l সবাই তোমরা সাহসী, তাই না ! দুর্বল কুমার নও তো ! যে যতই তার নিজের দিকে তোমাদের আকৃষ্ট করুক, মহাবীর আত্মারা কখনো বাবা ব্যতীত অন্য কোথাও আকৃষ্ট হতে পারে না l তোমরা এমনই তেজস্বী ও পরাক্রমশালী ! অনেক রূপে মায়া নিজের করে নিতে সচেষ্ট হবে, কিন্তু তোমরা *নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ী l* ভয়ভীত নও l এটা ভালো l *বাহ্ ! আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য ! সদা এই স্মৃতি বজায় রাখ l আমার মতো কেউ হতে পারে না - সদা এই নেশা রাখ l যেখানে ঈশ্বরীয় নেশা থাকবে সেখানে তোমরা মায়ার ঊর্ধ্বে থাকবে l* সেবায় সদা বিজি থাক, তাই না ! এটাও আবশ্যক l সেবায় যত বিজি থাকবে ততই সহজযোগী হবে l যেমনই হোক, স্মরণের সাথে সেবা হলে নিরাপত্তা (সেফটি ) থাকবে l
স্মরণ না হলে সেই সেফটিও নেই l
২) কুমার সদা নির্বিঘ্ন, তাই না ? মায়া আকর্ষণ করে না তো ? মায়া কুমারদের নিজের বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে l কুমারদের মায়া খুব পছন্দ করে l সে মনে করে কুমারদের তার হওয়া উচিৎ l যতই হোক, তোমরা হলে মহা পরাক্রমী, নয় কি ? মায়ার দাস নও, বরং তোমরা মায়াকে চ্যালেঞ্জ কর l অর্ধকল্প তোমরা মায়ার দাস ছিলে, কি পেয়েছ ? সবকিছু খুইয়েছ ! এই কারণে তোমরা এখন ঈশ্বরের হয়েছ l ঈশ্বরের হওয়া অর্থাৎ স্বর্গাধিকার লাভ করা l সুতরাং, সব কুমারই বিজয়ী কুমার l সতর্ক থেক, যেন দুর্বল হয়োনা l কুমারদের জন্য মায়ার এক্সট্রা লাভ্ (ভালোবাসা) আছে আর সেই কারণে সে সবরকম উপায়ে তোমাদের তার করে নিতে চায় l কিন্তু তোমরা সকলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছ ; এখন তোমরা বাবার হয়েছ, সব চিন্তা থেকে মুক্ত l *"সদা নির্বিঘ্ন ভব, উড়তি কলা ভব l"*
৩) কুমার - সদা সমর্থ l যেখানে শক্তি আছে, সেখানেই প্রাপ্তি l তোমরা সদাসর্বদা প্রাপ্তিস্বরূপ l নলেজফুল হওয়ার কারণে, তোমরা মায়ার বিভিন্ন রূপ জান l অতএব, নিজের ভাগ্যেকে নিরন্তর বর্ধিত করতে থাক l সদা একটা বিষয়ই নিশ্চিত কর - *কুমার জীবন অর্থাৎ মুক্ত জীবন l যারা জীবনমুক্ত তাদের সঙ্গমযুগের প্রাপ্তি থাকবে l সদা অগ্রগতি হও আর অন্যকেও অগ্রচালিত কর l কুমারদের সদা খুশিতে নাচা উচিৎ, বাহ্ কুমার জীবন ! বাহ্ ভাগ্য ! বাহ্ ড্রামা ! বাহ্ বাবা ! - এই গীত গেয়ে চলো l খুশিতে থাক, তবে কোনও দুর্বলতা আসতে পারবে না l সেবা এবং স্মরণ, উভয় শক্তিতে পরিপূর্ণ হতে থাক l কুমার জীবন হালকা জীবন অর্থাৎ বোঝামুক্ত জীবন l এই জীবনে নিজের ভাগ্য তৈরি করাই সবচাইতে বড় ভাগ্য l কত বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া থেকে তোমরা রক্ষা পেয়েছ l সদা নিজেকে এইরকম ডবল লাইট মনে করে উড়তি কলায় উড়তে থাক, তাহলেই সামনের দিকে নম্বর নিয়ে নিতে পারবে l আচ্ছা- ওম্ শান্তি l
বরদান:-
ক্ৰোধী আত্মাকে করুণার শীতল জল দ্বারা গুণ দান করে বরদানী আত্মা ভব
তোমার সামনে ক্রোধাগ্নিতে জ্বলছে এমন কোন আত্মা এলে, তোমাকে কটূক্তি করলে, নিন্দা করলে, এমন আত্মাকে শুভ ভাবনা, শুভ কামনা দ্বারা, বৃত্তি দ্বারা, স্থিতি দ্বারা গুণ দান বা সহনশীলতার শক্তি বরদান দাও l ক্ৰোধী আত্মা পরবশ হয়, এইরকম পরবশ আত্মাকে করুণার শীতল জল দিয়ে শান্ত কর- এটা তোমরা বরদানী সব আত্মার কর্তব্য l চৈতন্য রূপে যখন তোমরা এমন সংস্কারে ভরে ওঠ, তো তোমাদের জড় চিত্র দ্বারা ভক্তরা বরদান লাভ করে l
স্লোগান:-
স্মরণে থেকে সর্বশক্তির ধনভান্ডারের অনুভবকারীই শক্তিসম্পন্ন হয় l