২২-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- জ্ঞানের বুলবুল পাখি হয়ে নিজ সম তৈরি করার সেবা করো, পরীক্ষা করে দেখো যে কতজনকে নিজ সম তৈরি করেছি, স্মরণের চার্ট কি রকম আছে ?"

প্রশ্ন:-

ভগবান নিজের সন্তানদের কোন্ কথা দেন যা মানুষ দিতে পারে না ?

উত্তর:-

ভগবান প্রমিস করেন (কথা দেন) - বাচ্চারা, আমি তোমাদের নিজ গৃহে অবশ্যই ফিরিয়ে নিয়ে যাব। তোমরা শ্রীমৎ অনুযায়ী চলে পবিত্র হবে, তাহলে মুক্তি ও জীবনমুক্তিতে যাবে। যদিও মুক্তিতে অর্থাৎ পরমধামে সবাইকে যেতেই হবে। কেউ যেতে চাক বা না চাক, জোর করেই তার হিসাব নিকেশ মিটিয়ে নিয়ে যাব। বাবা বলেন যখন আমি আসি তখন তোমাদের সকলের বাণপ্রস্থ অবস্থা হয়, আমি সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাই।

ওম্ শান্তি ।

বাচ্চাদের এখন এই ঈশ্বরীয় পাঠে মনোযোগ দেওয়া উচিত। যেই রূপ বলা হয় - সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ .... এই সব গুণ ধারণ করতে হবে। যাঁচাই করতে হবে, আমার মধ্যে এই গুণগুলি আছে তো ? কারণ যেমন তোমরা ভবিষ্যতে হবে, বাচ্চাদের সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে। এইসব নির্ভর করছে পড়াশোনা করা এবং করানোর উপরে । নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করতে হবে আমরা কতজনকে পড়াই ? সম্পূর্ণ দেবতা এখনও কেউ হয়নি। চন্দ্র যখন সম্পূর্ণ হয় তখন কত আলো ছড়ায়। এখানেও দেখা হয় - নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে আছে কী ? এই কথা তো বাচ্চারাও বুঝতে পারে। টিচারও বুঝতে পারে। এক একটি বাচ্চার দিকে দৃষ্টি যায় যে তারা কি করছে ? আমার জন্য কি সার্ভিস করছে ? সব ফুলেদেরকে দেখা হয় । ফুল তো সবাই, তাইনা। এ হল বাগান, তাইনা। প্রত্যেকে নিজের অবস্থা ভালো ভাবে জানে। নিজের খুশীর কথা জানে। অতীন্দ্রিয় সুখময় জীবন প্রত্যেকেরই নিজস্ব অনুভব হয়। এক তো বাবাকে খুব খুব স্মরণ করতে হবে। স্মরণ করলেই পরে রিটার্ন হয়। *তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্যে বাচ্চারা, তোমাদের খুব সহজ উপায় বলে দিচ্ছি - স্মরণের যাত্রা*। প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আমাদের স্মরণের চার্ট ঠিক আছে ? কাউকে নিজ সম পরিণত করেছি কি ? কারণ তোমরা হলে জ্ঞানের বুলবুল পাখি, তাইনা। কেউ টিয়া, কেউ অন্য কিছু! তোমাদের পায়রা নয়, টিয়াপাখি হতে হবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করা খুব সহজ। কতক্ষণ বাবার স্মরণ থাকে ? কতক্ষণ অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি হয় ? মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে, তাইনা। মানুষ তো শুধুই মানুষ। পুরুষ ও স্ত্রী যেটাই বলো, দেখতে তো মানুষই। তোমরা যদিও দৈবী গুণ ধারণ করে দেবতা হও। তোমরা ছাড়া আর কেউ দেবতায় পরিণত হয় না। এখানে আসে দৈবী কুলের মতন হতে। সেখানেও তোমরা দৈবী কুলের সমান থাকো। *সেখানে তোমাদের কোনও রাগ দ্বেষ যুক্ত কোনো শব্দই উচ্চারিত হবে না। এমন দৈবী পরিবারের সদস্য হওয়ার জন্যে খুব পুরুষার্থ করতে হবে*। পড়তেও হবে নিয়ম অনুযায়ী, কখনও মিস করা উচিত নয়। যতই অসুস্থ থাকো তবুও বুদ্ধিতে যেন শিববাবার স্মরণ থাকে। এর জন্যে মুখে কথা বলার প্রয়োজন নেই। আত্মা জানে, আমরা হলাম শিববাবার সন্তান। বাবা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছেন। এই প্র্যাক্টিস খুব ভালো থাকা উচিত। যেখানে থাকো কিন্তু বাবার স্মরণে থাকো। বাবা এসেছেন শান্তিধাম-সুখধামে নিয়ে যেতে। কতখানি সহজ। অনেকে আছে যারা বেশি ধারণ করতে পারে না। আচ্ছা, শুধু স্মরণ করো। এখানে সব বাচ্চারা বসে আছে, তাতেও নম্বর অনুযায়ী আছে। হ্যাঁ, এমন হতে হবেই। শিববাবাকে অবশ্যই স্মরণ করে। অন্য সব সঙ্গ ত্যাগ করে একের সঙ্গে যুক্ত তো অনেকেই থাকে। অন্য কারো স্মরণ থাকে না । কিন্তু এখানে শেষ পর্যন্ত পুরুষার্থ করতে হয়। পরিশ্রম করতে হয়। মনে মনে একমাত্র শিববাবার স্মরণ যেন থাকে। যেখানেই বেড়াতে যাও অন্তরে শিববাবার স্মরণ যেন থাকে। মুখে কথা বলার দরকার নেই। খুব সহজ এই পড়াশোনা। পড়া পড়িয়ে তোমাদের নিজের মতন তৈরি করেন। এমন অবস্থায় বাচ্চারা তোমাদের পৌঁছাতে হবে। *যেমন সতো প্রধান অবস্থায় এসেছিলে, তেমন অবস্থায় ফিরে যেতে হবে*। এই কথাটি বোঝানো কত সহজ । সংসারের কাজকর্ম করতে করতে, চলতে ফিরতে নিজেকে ফুলে পরিণত করতে হবে। পরখ করে দেখতে হবে আমার মধ্যে কোনও ভুল নেই তো ? হীরার দৃষ্টান্ত খুব ভালো দেওয়া হয়েছে, নিজের পরখ করার জন্যে। তোমরা নিজেরাই হলে ম্যাগনিফাইং গ্লাস। অতএব নিজের পরখ করতে হবে আমার মধ্যে দেহ-অভিমান অল্প মাত্রায় হলেও নেই তো ? যদিও এইসময় সবাই হলে পুরুষার্থী, কিন্তু এইম অবজেক্ট তো সামনে আছে তাইনা। তোমাদের সবাইকে সংবাদ দিতে হবে। বাবা বলেছেন, খবরের কাগজে ছাপানোর জন্য খরচ করতে হলেও এই সংবাদ যেন সবার কাছে পৌঁছে যায়। বলো, এক বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে এবং পবিত্র হয়ে যাবে। এখন কেউ পবিত্র নয়। বাবা বুঝিয়েছেন পবিত্র আত্মারা হয় নতুন দুনিয়ায়। এই পুরানো দুনিয়াটি হল অপবিত্র। এখানে একজনও পবিত্র নয়। আত্মা যখন পবিত্র হয় তখন পুরানো দেহ ত্যাগ করে দেয়। ত্যাগ করতেই হবে। স্মরণ করতে করতে তোমাদের আত্মা একদম পবিত্র হয়ে যাবে। শান্তিধাম থেকে আমরা সম্পূর্ণ পবিত্র আত্মা এসে গর্ভ মহলে বিরাজিত হই। তারপরে এতখানি পার্ট প্লে করি। এবারে চক্র পূর্ণ করে তোমরা আত্মারা আবার ফিরে যাবে পরমধাম। সেখান থেকে আবার আসবে সুখধামে। সেখানে হয় গর্ভ মহল। তবুও পুরুষার্থ করতে হবে উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করার জন্যে, এই হল পড়াশোনা। এখন নরক বেশ্যালয় বিনাশ হয়ে শিবালয় স্থাপন হচ্ছে। এখন তো সবাইকে ফিরে যেতে হবে।



তোমরাও বুঝতে পারো আমরা এই শরীর ত্যাগ করে নতুন দুনিয়ায় গিয়ে প্রিন্স - প্রিন্সেস হব। কেউ ভাববে আমরা প্রজায় চলে যাব, তার জন্যে বুদ্ধির লাইন একেবারে ক্লিয়ার থাকা উচিত। একমাত্র বাবার স্মরণ যেন থাকে, অন্য কিছুই যেন স্মরণে না আসে। একেই বলা হয় পবিত্র বেগার। শরীরও যেন স্মরণে না থাকে। এইটি তো হল পুরানো ছিঃ ছিঃ শরীর তাইনা। এখানে জীবিত অবস্থায় মরতে হবে, এই কথা যেন বুদ্ধিতে থাকে। এখন আমাদের ঘরে অর্থাৎ পরমধাম ফিরে যেতে হবে। নিজের ঘর পরমধামকে আমরা ভুলে গেছি। এখন বাবা আবার মনে করাচ্ছেন। এখন এই নাটক পুরো হচ্ছে। বাবা বোঝাচ্ছেন তোমরা সবাই আছো বাণপ্রস্থে। সম্পূর্ণ বিশ্বে সকল মানুষ মাত্রের হল এই সময় বাণপ্রস্থ অবস্থা। আমি এসেছি, সব আত্মাদের বাণীর ঊর্ধ্বে নিয়ে যাই। বাবা বলেন এখন তোমরা ছোট-বড় সবারই হল বাণপ্রস্থ অবস্থা। বাণপ্রস্থ কাকে বলা হয়, এই কথাও তোমরা জানতে না। এমনি এমনি গিয়ে গুরুর কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেছ। তোমরা লৌকিক গুরুর দ্বারা অর্ধকল্প পুরুষার্থ করেছ, কিন্তু জ্ঞান একটুও নেই। বাবা নিজে বলছেন ছোট বড় তোমাদের সবার হল এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা। মুক্তি তো সবার প্রাপ্ত হবেই। ছোট বড় সবাই শেষ হয়ে যাবে। বাবা এসেছেন সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। এতে তো বাচ্চাদের খুব খুশী হওয়া উচিত। এখানে দুঃখ অনুভব হয়, তাই নিজের ঘর সুইট হোমকে স্মরণ কর। ঘরে ফিরতে চায় কিন্তু বুদ্ধি নেই। তারা বলে আমরা আত্মা আমাদের এখন শান্তি চাই। বাবা বলেন কত সময়ের জন্যে চাই ? এখানে তো সবাইকে নিজের নিজের পার্ট প্লে করতে হবে। এখানে কেউ শান্ত হয়ে বসতে পারে কি। অর্ধকল্প গুরু সন্ন্যাসীরা তোমাদের দিয়ে অনেক পরিশ্রম করিয়েছে, পরিশ্রম করে, পথ ভ্রষ্ট হয়ে আরও অশান্ত হয়েছ। এখন যিনি শান্তিধামের মালিক, তিনি এসে সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। পড়াও করাতে থাকেন। ভক্তিও করা হয় নির্বাণ ধামে যাওয়ার জন্যে, মুক্তির জন্যে। এই কথাটি কারো মনে আসবে না যে আমরা সুখধামে যাই। সবাই বাণপ্রস্থে যাওয়ার জন্যে পুরুষার্থ করে। তোমরা তো পুরুষার্থ কর সুখধামে যাওয়ার জন্যে। জানো প্ৰথমে বাণীর ঊর্ধ্বে থাকার অবস্থা অবশ্যই চাই। ভগবানও প্রমিস করেন, কথা দেন বাচ্চাদের- বাচ্চারা, আমি তোমাদের নিশ্চয়ই নিজের ঘরে নিয়ে যাব, যার জন্যে তোমরা অর্ধকল্প ভক্তি করেছ। এখন শ্রীমৎ অনুসারে চললে মুক্তি - জীবনমুক্তিতে যাবে। যদিও শান্তিধামে তো সবাইকে যেতেই হবে। কেউ যেতে চাক বা না চাক, ড্রামা অনুযায়ী সবাইকে অবশ্যই ফিরে যেতে হবে। পছন্দ করো, বা না করো, আমি এসেছি সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। জোর করে হিসেব নিকেশ মিটিয়ে নিয়ে যাব। তোমরা সত্যযুগে যাও, বাকিরা সবাই বাণী থেকে দূরে শান্তিধামে থাকে। কাউকে ছাড়া হবে না। না গেলে সাজা দিয়ে মারধর করে নিয়ে যাব। ড্রামাতে এমনই পার্ট আছে তাই নিজের উপার্জন করে ফিরলে পদমর্যাদাও ভালো পাবে। শেষে যারা আসবে তারা কি আর সুখ পাবে। বাবা বলেন নিশ্চয়ই ফিরে যেতে হবে। সকলের শরীরই দাহ হতে থাকবে আর আমি সব আত্মাদের নিয়ে যাব। আত্মাদের-ই আমার সঙ্গে ফিরে যেতে হবে। আমার মতানুযায়ী সর্বগুণ সম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ হবে তখন ভালো পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হবে। তোমরা ডেকেছিলে তাইনা ? এসে আমাদের সবাইকে মৃত্যু দিন। এবার মৃত্যু এল বলে। কেউ বাচঁতে পারবে না। ছিঃ ছিঃ শরীর কারো থাকবে না। ডেকেছ তোমরা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। অতএব বাবা বলেন - বাচ্চারা, এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়া থেকে তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাব। তোমাদের স্মরণিকা সামনে রয়েছে। দিলবাড়া মন্দির আছে না - দিল অর্থাৎ হৃদয় হরণ করেন যিনি তাঁর মন্দির, আদি দেব বসে আছেন। শিববাবাও আছেন, বাপদাদা দু'জনেই আছেন, এনার শরীরে বাবা বিরাজিত আছেন। তোমরা সেখানে গিয়ে আদি দেবের দর্শন কর। তোমাদের আত্মা জানে যিনি বসে আছেন তিনি হলেন বাপদাদা ।



এইসময় তোমরা যে পার্ট প্লে করছ তারই প্রমাণ চিহ্ন রূপে স্মরণিকা তৈরি আছে। মহারথী, সহিস, পেয়াদাও আছে। সে সব হল জড় রূপে, এই হল চৈতন্য । উপরে বৈকুণ্ঠও আছে। তোমরা মডেল দেখে এসো, দিলওয়াড়া মন্দিরটি কেমন, তোমরা তো জানো, কল্প-কল্প এই মন্দির নির্মাণ হয় এমনই, যা তোমরা গিয়ে দেখবে। কেউ তো খুব কনফিউজড হয়। এই সব পাহাড় ইত্যাদি ভেঙে গেছে সেসব আবার তৈরি হবে ! কিভাবে ? এই সব চিন্তন করা উচিত নয়। এখন তো স্বর্গও নেই, তাহলে সেসব কিভাবে আসবে ! পুরুষার্থ দ্বারা সবকিছু তৈরি হয়, তাইনা। তোমরা এখন তৈরি হচ্ছ স্বর্গে যাওয়ার জন্য। কেউ হতাশ হয়ে পড়াশোনা-ই ছেড়ে দেয়। বাবা বলেন এতে কনফিউজড হওয়ার কিছু নেই। সেখানে আমরা সবকিছু নিজের তৈরি করব। সেই দুনিয়া তো হবে সতোপ্রধান। সেখানকার ফল, ফুল ইত্যাদি সব কিছু তোমরা দেখে আসো, সুবীরস পান কর। সূক্ষ্ম বতন, মূল বতনে এইসব কিছু নেই। সবই আছে বৈকুণ্ঠে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্ৰাফি রিপিট হয়। এই নিশ্চয়টি পাকা থাকা উচিত। তবুও যদি কারো ভাগ্যে না থাকে তাহলে বলবে এইসব কিভাবে হতে পারে ! হীরে জহরত যা এখন দেখতে পাওয়া যায় না সেসব আসবে কিভাবে ! পূজনীয় হবে কিভাবে ? বাবা বলেন এটাই তো খেলা, তাইনা ! এই খেলাটাই তো তৈরি আছে - পূজ্য ও পূজারীর খেলা। আমরাই ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় .... এই সৃষ্টি চক্র জানলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হও। তোমরা বুঝতে পারো, তাইতো বল - বাবা কল্প পূর্বেও আপনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাদের স্মরণিকা সম মন্দিরটি সামনে রয়েছে। এর পরেই স্বর্গের স্থাপনা হবে। তোমাদের এই চিত্র গুলি খুব ভালো, মানুষ কত রুচি সহকারে এসে দেখে। সম্পূর্ণ দুনিয়ায় কেউ কোথাও দেখেনি। আর না কেউ এমন চিত্র বানিয়ে জ্ঞান দিতে পারবে। নকল করতেও পারবে না। এই চিত্র গুলি তো হল খাজানা, যার দ্বারা তোমরা পদ্মাপদম গুণ ভাগ্যশালী হও। তোমরা বুঝতে পারো আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে পদ্ম গুণ ভাগ্য আছে। পড়াশোনার পদক্ষেপ। যত যোগ যুক্ত হবে, যত পড়াশোনা করবে ততই পদ্ম গুণ ভাগ্য। অপর দিকে মায়া ও ফুলফোর্সে আসবে। তোমরা এই সময়েই শ্যাম-সুন্দর হও। সত্যযুগে তোমরা সুন্দর ছিলে, গোল্ডেন এজেড, কলিযুগে হয়েছ শ্যাম বর্ণ, আয়রন এজেড। প্রত্যেকটি জিনিস এমনই হয়। এখানে তো মাটিও শুকনো। সেখানে তো মাটিও হবে ফার্স্টক্লাস। প্রত্যেকটি জিনিস হবে সতোপ্রধান। এমন রাজধানীর তোমরা মালিক হতে চলেছ। অনেক বার হয়েছ। তবুও এমন রাজধানীর মালিক হওয়ার পুরো পুরুষার্থ করা উচিত। পুরুষার্থ ছাড়া প্রালব্ধ পাবে কিভাবে। কষ্টের তো কোনো কথা নেই।



মুরলী ছাপা হয়, ভবিষ্যতে সংখ্যায় লক্ষ কোটি মুরলী ছাপা হবে। বাচ্চারা বলবে যা কিছু ধন আছে সব যজ্ঞে অর্পণ করি, রেখে কি হবে ? ভবিষ্যতে দেখবে আরও কি কি হবে। বিনাশের প্রস্তুতিও দেখবে। রিহার্সাল হতে থাকবে। তারপরে শান্তি হয়ে যাবে। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে। খুবই সহজ এই জ্ঞান। শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. এই শরীরটিতে ভুলে সম্পূর্ণ পবিত্র বেগার হতে হবে। লাইন ক্লিয়ার রাখতে হবে। বুদ্ধিতে যেন থাকে - এখন নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে, আমরা নিজের সুইট হোমে ফিরে যাই ।

২. পড়াশোনার প্রতিটি পদক্ষেপে পদ্ম ( এক কদমে শত) আছে, তাই রোজ মন দিয়ে ভালো ভাবে পড়তে হবে। দেবতা কুলের মতো একজন হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে আমার অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি কতটুকু হয় ? সদা খুশী থাকে ?

বরদান:-

নিজের টাইটেলের স্মৃতির সঙ্গে শক্তিশালী (সমর্থ) স্থিতি নির্মাণকারী স্বমানধারী ভব

সঙ্গম যুগে স্বয়ং বাবা তাঁর বাচ্চাদেরকে শ্রেষ্ঠ টাইটেল প্রদান করেন, অতএব সেই আধ্যাত্মিক নেশায় থাকো। যেমন টাইটেল স্মরণে আসবে তেমন সমর্থ স্থিতি যেন তৈরি হয় । যেমন তোমাদের টাইটেল হল স্বদর্শন চক্রধারী, তো স্মরণে আসা মাত্রই পরদর্শন সমাপ্ত হয়ে যাবে, স্বদর্শনের সামনে মায়ার শিরোচ্ছেদ হবে । আমি মহাবীর, যদি এই টাইটেল স্মরণে আসে, তাহলে স্থিতি অচল অটল হয়ে যাবে। সুতরাং টাইটেলের স্মৃতি দ্বারা শক্তিশালী (সমর্থ) স্থিতি বানাও, তখন বলা হবে শ্রেষ্ঠ স্বমানধারী।

স্লোগান:-

পথ ভ্রষ্ট হওয়া আত্মাদের মনস্কামনা পূরণ করার জন্য নিজের পরখ করার শক্তিকে বাড়াও ।