২৯-০১-১৯ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের এখন শান্তি এবং সুখের স্তম্ভে (টাওয়ার) যেতে হবে, তাই নিজের স্বভাব এবং চরিত্রকে সংশোধন করো এবং পুরানোকে পরিবর্তন করো"
প্রশ্ন:-
বুদ্ধি রিফ্রেশ রাখার যুক্তি কি ?
উত্তর:-
বাবা যা শোনান তার মন্থন করো, বিচার সাগর মন্থন করলে বুদ্ধি সবসময় রিফ্রেশ হয়ে যায় l যে সর্বদা রিফ্রেশ থাকে, সে অন্যেরও সেবা করতে পারে l তার ব্যাটারি সবসময় চার্জড হতে থাকে, কেননা বিচার সাগর মন্থন করলে সর্বশক্তিমান বাবার সঙ্গে কানেকশন জুড়ে যায় l
গীত:-
নয়নহীনকে পথ দেখাও...
ওম্ শান্তি l
এই গানও মানুষেরই গাওয়া l মানুষ কিন্তু এর অর্থ কিছুই জানে না l তারা যেমন অন্য সব প্রার্থনা করে, তেমনি এও এক প্রার্থনা মনে করে l পরমাত্মাকে তারা জানে না l পরমাত্মাকে যদি তারা জানতে পারে তাহলে সবকিছুই জেনে যায় l তারা কেবল পরমাত্মা বলে দেয় কিন্তু তাঁর জীবনের কিছুই জানে না l তাহলে তো নেত্রহীনই হলো, তাই না l তোমরা এখন জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পেয়েছো তাই তোমাদের ত্রিনেত্রী বলা হয় l দুনিয়ার মানুষ যদিও ত্রিনেত্রী, ত্রিকালদর্শী, ত্রিমূর্তি এমন শব্দ বলে থাকে, কিন্তু তারা অর্থ কিছুই জানে না l তারা যেমন বলে, সাইন্স আর সাইলেন্সের নিজেদের মধ্যে কি সম্বন্ধ আছে ! তারা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে কিন্তু উত্তর নিজেরাই জানে না l তারা বলে এই পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন হোক, কিন্তু তা কবে হয়েছিলো ? কে এই শান্তি স্থাপন করেছিলেন ? কিছুই তারা জানে না l তারা কেবলই জিজ্ঞেস করে, তাহলে সব জানে এমন কেউ তো চাই, যিনি জানাবেন l বাচ্চারা, তোমাদের বাবা বুঝিয়েছেন যে, এইসব খেলাই বানানো আছে l টাওয়ার অফ পিস, সুখের টাওয়ার, সবেরই টাওয়ার হয়, শান্তির টাওয়ার হল মূলবতন, যেখানে আমরা আত্মারা থাকি তাকে বলা হবে টাওয়ার অফ সাইলেন্স l এরপর সত্যযুগে থাকবে টাওয়ার অফ সুখ, টাওয়ার অফ শান্তি এবং সম্পদ l মুখে এমন কেউই বলবে না যে, আমাদের আত্মাদের ঘর মুক্তিধাম l এইসব কথা বাবাই বুঝিয়ে বলেন, টিচার হলে এমনই হওয়া উচিত l তিনি হলেন টাওয়ার অফ নলেজ l তিনি তোমাদেরও শান্তি আর সুখের টাওয়ারে নিয়ে যান l এ হলো টাওয়ার অফ দুঃখধাম l সমস্ত বিষয়েই এখন মানুষ দেউলিয়া l পবিত্রতা, সুখ, শান্তির অবিনাশী উত্তরাধিকার তোমরা এই সাময়ই পাও l বাহ রে এই সঙ্গম যুগ, একে কল্যাণকারী যুগ বলা হয় l কলিযুগের পরে আবার সত্যযুগ আসে l সে হলো সুখের টাওয়ার l আর পরমধাম হল শান্তির টাওয়ার l এ হল দুঃখের টাওয়ার l এখানে অথৈ দুঃখ l সমস্ত দুঃখ এসে এখানে একত্রিত হয়েছে l মানুষ বলে না, দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়লো, যখন ভূমিকম্প ইত্যাদি হয়, তখন মানুষ কতো ত্রাহি ত্রাহি করতে থাকে l
বাবা বুঝিয়েছেন যে, এখন অল্প সময় বাকি আছে l স্মরণের যাত্রাতে বাচ্চাদের সময় লাগে l অনেকেই আছে যারা সম্পূর্ণ বোঝে না l বিন্দু বোঝালে, কি বোঝে l আরে, আত্মা যেমন, পরমাত্মাও ঠিক তেমনই l আত্মাকে তো তোমরা জানো, আত্মা হল ভাগ্যবান(লাকি) নক্ষত্র l আত্মা সম্পূর্ণ সূক্ষ্ম l আত্মা এই চোখ দিয়ে দেখা যায় না l এইসব কথা বাবা বুঝিয়ে বলেন l এইসব কথায় বিচার সাগর মন্থন করলেও বুদ্ধি রিফ্রেশ হয়ে যায় l যেখানেই যাও মনে করবে টাওয়ার অফ শান্তি, টাওয়ার অফ সুখ, টাওয়ার অফ পবিত্রতা আছেই ওই নতুন পৃথিবীতে l তোমাদের পুরানো স্বভাব, চরিত্রের পরিবর্তন করে বাবা তোমাদের নতুন দুনিয়ার মালিক করেন l মানুষ যদিও গুনগান করে, বেদ শাস্ত্র ইত্যদি পড়ে তবুও কিছুই বুঝতে পারে না l সিঁড়িতে তো নীচে নেমেই এসেছে l যদিও নিজেকে শাস্ত্রের অথরিটি মনে করে, তবুও তাদের নামতেই হবে l সকলের আত্মাই প্রথমে সতোপ্রধান থাকে, তারপর ধীরে ধীরে ব্যাটারি শেষ হয়ে যায়, এইসময় সকলের ব্যাটারি শেষ l এখন আবার ব্যাটারি চার্জ করতে হবে l বাবা বলেন "মনমনাভব l" নিজেকে আত্মা মনে করো l বাবা হলেন সর্বশক্তিমান, তাঁকে স্মরণ করলে তোমাদের পাপ কেটে যাবে আর ব্যাটারিও পূর্ণ হয়ে যাবে l তোমরা এখন অনুভব করছো যে আমাদের ব্যাটারি পূরণ হচ্ছে l কারোর কারোর এই পূরণও হয় না l শুধরানোর পরিবর্তে আরো খারাপ হয়ে যায় l বাবার কাছে প্রতিজ্ঞাও করে যে, বাবা আমরা কখনো বিকারে যাবো না , আপনার থেকে ২১ জন্মের অবিনাশী উত্তরাধিকার তো অবশ্যই নেব, তবুও তারা নেমে যায় l বাবা বলেন যে, কাম বিকার জয় করলে তোমরা জগতজিত হয়ে যাবে l তবুও যদি বিকারে যাও তাহলে সমস্ত জ্ঞানই নষ্ট হয়ে যাবে l এই কাম হলো মহাশত্রু l একজন অন্যজনকে দেখলে কামের আগুন জ্বলে ওঠে l বাবা বলেন যে তোমরা কাম চিতায় বসে কালো হয়ে গেছো, এখন তোমাদের সুন্দর (গোরা) হতে হবে l বাচ্চারা, এই বাবা-ই তোমাদের বুঝিয়ে বলেন l এই পড়াতেই তোমাদের বুদ্ধির বিকাশ হয় l বাবা সৃষ্টি রূপী কল্পবৃক্ষেরও (ঝাড়ের) বর্ণনা করেন l এ হল কল্প বৃক্ষ l মনুষ্য সৃষ্টির নানা গাছ l একে উল্টো বৃক্ষ বলা হয় l কতো বিভিন্ন ধরনের ধর্ম l এতো কোটি আত্মা এই অবিনাশী পার্ট পেয়েছে l একজনের অপরজনের মতো পার্ট হয় না l এখন তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পেয়েছ l তোমরা বিচার করো যে, এখানে কতো আত্মা l মাছেদের যেমন এক খেলনা হয়, তারের উপর থেকে নীচে নামতে থাকে, এও তেমনই l আমরাও এই নাটকের সূত্রে বাঁধা l এমনই নামতে নামতে এই কল্প এসে সম্পূর্ণ হয়েছে, এরপর আবার উপরে যাবে l এই জ্ঞানও বাচ্চারা এখনই পায় l উপর থেকে আত্মারা আসে তারপর নম্বর অনুসারে যুক্ত হয়ে যায় l এই খেলায় তোমরা হলে পার্টধারী l মুখ্য তো ক্রিয়েটর, ডায়রেক্টর এবং অ্যাক্টর l মুখ্য তো হলেন শিববাবা l এরপর কোন্ অ্যাক্টর ? ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শঙ্কর l ভক্তিমার্গের মানুষ অনেক চিত্র বানিয়েছে কিন্তু অর্থ কিছুই জানে না l তারা লাখ বছর বলে দেয় l বাবা এখন এসে সম্পূর্ণ জ্ঞান দেন l এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, সত্যযুগে এই জ্ঞান আমাদের থাকবে না l এখানে যেমন কারবার চলে, ওখানে তেমনি পবিত্রতা, সুখ, শান্তির রাজধানী চলবে l বাবাও কতো আশ্চর্য, এত ছোটো বিন্দু l তোমাদের আত্মার মতো এনার(ব্রহ্মা বাবা) আত্মাও বাবার থেকে সম্পূর্ণ জ্ঞান নিচ্ছে l বাবা কখনোই বড় হবেন না l তিনিও বিন্দু l তোমাদের আত্মা, যা বিন্দু, তাতে এখন সম্পূর্ণ জ্ঞান ধারণ হচ্ছে l এই জ্ঞান আবার পরের কল্পে বাবা দেবেন l রেকর্ড যেমন ভরা থাকে, তা আবার রিপিট হয় তেমনই আত্মার মধ্যেও সম্পূর্ণ পার্ট ভরা আছে l খুব আশ্চর্যের কোনো ঘটনা ঘটলে তাকে প্রকৃতির অদ্ভুত ঘটনা বলা হয় l এই অনাদি ড্রামার পার্ট থেকে কেউই মুক্ত হতে পারে না l সকলকেই এই অভিনয় করতে হবে l এ খুবই আশ্চর্যের কথা, যে খুব ভালোভাবে বুঝে ধারণ করতে পারে তার খুশীর পারদ ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে l তোমরা কতো স্কলারশিপ পাও l তাই তোমাদের খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করা উচিত l অন্যদেরও নিজের মতো বানাতে হবে l তোমরা সকলেই টিচার l টিচার তোমাদের পড়িয়ে নিজের তুল্য টিচার বানান l এমন নয় যে তোমাদের গুরু হতে হবে l তা নয় l তোমরা টিচার হও কারণ তোমরা রাজযোগ শেখাও এরপর তোমরা চলেও যাবে l এও তোমরা জানো l ওরা তো জানেও না তাই সদ্গতিও দিতে পারে না l সকলের সদ্গতি দাতা তো এক বাবাই, তাই না l তিনিই উদ্ধারকর্তা এবং গাইড l তোমরা যখন ওখান থেকে আসো, তখন বাবা কিন্তু গাইড হন না l বাবা এখনই তোমাদের গাইড হন l তোমরা যখন ঘর থেকে আসো, তখন সেই ঘরকেই ভুলে যাও l এখন তোমরাও হলে গাইড, পান্ডা l তোমরা সকলকেই পথ বলে দাও l অশরীরী ভব l তোমাদের নামও হলো পাণ্ডব সেনা l তোমরা তো শরীরধারী, তাই না l যখন একা থাকবে, তখন সেনা বলবে না l শরীরের সঙ্গে সঙ্গে তোমরা যখন মায়ার উপর জয়লাভ করো তখন তোমাদের সেনা বলা হয় l ওরা লড়াইয়ের কথা লিখে দিয়েছে l এ হলো অসীমের (বেহদের) কথা l ওরা সম্মেলন ইত্যাদি করে, সংস্কৃত ইত্যাদির কলেজ খোলে l কত খরচ করে l খরচ করতে করতে যেন খালি হয়ে গেছে l সোনা, রূপা, হীরে সব শেষ হয়ে গেছে l তোমাদের জন্য আবার সব নতুন করে হবে l তাই বাচ্চারা, চলতে ফিরতে তোমাদের খুব খুশীতে থাকার প্রয়োজন l বাবাকে আর তাঁর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে l তোমাদের পার্টও চলতে থাকবে l কখনোই বন্ধ হবে না l বাবা বোঝান যে, তোমরা নিজের জন্মকে জানো না l ৮৪ জন্মের হিসেবও বাবা তাদেরই বলেন যারা প্রথমের দিকে আসে l বাচ্চারা, তোমরা অগাধ সুখ পাও l টাওয়ার অফ হেল্থ, ওয়েলথ এবং হ্যাপিনেস, তাই কত নেশা থাকা উচিত l বাবা আমাদের বেহদের অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন l যতো তোমরা কাছে আসতে থাকবে, ততই সমস্যা আসবে l সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ তো বৃদ্ধি হতেই থাকবে l গাছ যদি দুর্বল হয়, তাহলে ঝড় এলেই সহজেই পড়ে যায় l এ তো হতেই হবে l
তোমাদের এইম অবজেক্টের চিত্র সামনে দাঁড়িয়ে l তোমরা আর কোনো চিত্র রাখতে পারো না l ভক্তিমার্গে মানুষ অনেক চিত্র রাখে l জ্ঞানমার্গে হলো একজন l সেই জ্ঞানও তোমাদের বুদ্ধিতে aআছে l বাকি বিন্দুর চিত্র কি বের করা হবে l আত্মা তো তারা তাই না l এও বোঝার কথা l আত্মাকে এই দুই চোখে দেখতে পাবে না l অনেকেই বলে যে বাবা আমার যেন সাক্ষাৎকার হয়, বৈকুন্ঠ যেন দেখতে পাই কিন্তু এই দেখলেই মালিক হওয়া কখনো সম্ভব হয় না l মানুষ বলে থাকে, অমুকে স্বর্গে গেছেন কিন্তু স্বর্গ কোথায়, তা কেউই জানে l যে আত্মারা স্বর্গে গেছে তারাই বলতে পারবে l আত্মার তো সব স্মরণে থাকে, তাই না l এখন তোমাদের উঁচুর থেকেও উঁচু বাবা পড়াচ্ছেন, যাতে তোমরা উঁচুর থেকেও উঁচু পদ পাচ্ছ l পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তোমরা অবশ্যই নর থেকে নারায়ণ হবে l
যারা শান্তি চাইছে, তোমাদের কাজ হলো তাদের বোঝানো l কেউ কেউ আবার বোঝেও যে এরা ঠিক বলছে l সেই সময়ও একদিন আসবে, যেমন লেখা ছিলো কুমারীরা ভীষ্ম পিতামহকে জ্ঞানের বাণ মেরেছিল l বাকি এমন নয় যে, অর্জুন বাণ মেরে গঙ্গা বের করেছিলেন l মানুষ এমন এমন গল্প শুনে বলে দেয় যে এখান থেকে গঙ্গা নির্গত হয়েছিলো l তারা গোমুখও বানিয়েছিলেন l বাচ্চারা, এখন তোমরা দেখতে পাচ্ছো যে তোমাদের স্মরণও রয়েছে l সে হলো জড় দিলওয়ালা মন্দির আর এ হল চৈতন্য l ওখানে ওপরে বৈকুন্ঠ দেখানো হয়েছে l নীচে তপস্যারত মানুষ আর উপরে রাজত্বের চিত্র, তাই সবাই মনে করে স্বর্গ উপরে l যারা বোম্ব্স বানিয়েছে তারাও মনে করে, এ আমাদের বিনাশের জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে l তারা বলে, এমন করলে অবশ্যই বিনাশ হবে l এমন লেখাও আছে যে, মহাভারী লড়াইতে এমন হয়েছিলো, সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো l সত্যযুগে হলোই এক ধর্ম, তাহলে নিশ্চই অন্য সব ধর্ম শেষ হয়ে যাবে l বাচ্চারা এ কথাও জানে যে, ড্রামার নিয়ম অনুসারে ভক্তি করতে করতে মানুষ নীচে নেমেই আসে l বাস্তবে এখানে কোনো আশীর্বাদ ইত্যাদির কথা নেই l ড্রামাতে যা বানানো আছে, তাই হয় l এমন অদ্ভুত কোনো ঘটনা ঘটে গেলে মানুষ বলে দেয়, যা ঈশ্বরের ইচ্ছা l তোমরা এমন কথা বলবে না l তোমরা তো বল, এ হলো ড্রামার ভবিতব্য l তোমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা বলবে না l ঈশ্বরেরও এই ড্রামাতে পার্ট আছে l সৃষ্টিচক্র কিভাবে ঘোরে একথা বাবাই বুঝিয়ে বলতে পারেন l বাবাই তো পূর্ণ জ্ঞানী l মানুষ মনে করে যে, তিনি সকলের মনের কথা জানতে পারেন কিন্তু আমরা যা করি তার দণ্ড তো অবশ্যই আমাদেরই ভোগ করতে হবে l বাবা কখনোই বসে দণ্ড দেবেন না l এ অটোমেটিক বানানো এক ড্রামা, যা চলেই আসছে l এর আদি - মধ্য এবং অন্তের রহস্য বাবাই বুঝিয়ে বলেন l তোমরা আবার অন্যদেরও বুঝিয়ে বলো l বাবা এখন বলছেন, বাচ্চারা, তোমাদের অবস্থা যেন এমন হয় যে, শেষ সময়ে কিছুই মনে না আসে l নিজেদের আত্মা মনে কর, একেই বলা হয় কর্মাতীত অবস্থা l আচ্ছা l
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ, ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য খুব ভালো করে পুরুষার্থ করো l টিচার হয়ে অন্যদেরও রাজযোগ শেখাও l গাইড হয়ে সবাইকে ঘরের রাস্তা দেখানোর সেবা করো l
২. সর্বশক্তিমান বাবার স্মরণে নিজের ব্যাটারি চার্জ করতে হবে l বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করার পরে কখনোই কামের কাছে পরাজিত হবে না l
বরদান:-
হুজুরকে সদা সাথে রেখে কম্বাইন্ড স্বরূপের অনুভব করে বিশেষ পার্টধারী ভব
বাচ্চারা যখন মন থেকে বলে, বাবা তো দিলারাম, তিনি হাজির হয়ে যান, তাই বলা হয়, হুজুর হাজির আর আর বিশেষ আত্মারা তো কম্বাইন্ড থাকেই l মানুষ বলে, যেদিকে দেখি সেদিকে তুমিই তুমি আর বাচ্চারা বলে আমরা যা-ই করি, যেখানেই যাই, বাবা সাথেই থাকে l বলা হয় করণকরাবনহার(নিজে করেন এবং অন্যদেরও করতে প্রেরণা দেন), তাই করণহার আর করাবনহার(যে করে) কম্বাইন্ড হয়ে গেল l এই স্মৃতিতে থেকে যে ভূমিকা পালন করে, সে বিশেষ অভিনেতা (পার্টধারী) হয়ে যায় l
স্লোগান:-
নিজেকে এই পুরানো দুনিয়ায় গেস্ট মনে করে থাকলে পুরানো সংস্কার আর সঙ্কল্পকে গেট আউট করতে পারবে l