০৩-০৬-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন তোমাদের সম্পূর্ণ হতে হবে, কারণ পরমধাম ঘরে ফিরে যেতে হবে আর আবার পবিত্র দুনিয়াতে আসতে হবে"
প্রশ্ন:-
সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার যুক্তি কী ?
উত্তর:-
সম্পূর্ণ পবিত্র হতে গেলে সম্পূর্ণ বেগার (নিঃস্ব) হও, দেহ- সম্পর্কিত সব সম্বন্ধকে ভুলে যাও আর আমাকে স্মরণ করো, তবে পবিত্র হবে। এখন তোমরা এই দু-চোখে যা কিছু দেখছো সব বিনাশ হয়ে যাবে, সেইজন্য ধন, সম্পত্তি, বৈভব ইত্যাদি সব ভুলে গিয়ে বেগর (নিঃস্ব) হও। এই রকম বেগর-ই প্রিন্স হয়।
ওম্ শান্তি।
মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চাদের প্রতি আত্মাদের পিতা বোঝাচ্ছেন। বাচ্চারা এটা তো ভালো মতো বুঝতে পারছো যে, শুরুতে আত্মারা সকলেই পবিত্র থাকে। আমরাই পবিত্র ছিলাম, পতিত আর পবিত্র এই আত্মার জন্যই বলা হয়ে থাকে। আত্মা পবিত্র হলে সুখ থাকে। বুদ্ধিতে আসে যে আমরা পবিত্র হলে তবে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবো। এর জন্যই পুরুষার্থ করে। ৫ হাজার বছর পূর্বে পবিত্র দুনিয়া ছিলো। ওখানে অর্ধ-কল্প তোমরা পবিত্র ছিলে, বাকী রইলো অর্ধ-কল্প। এই কথা আর কেউ বুঝতে পারে না। তোমরা জানো যে পতিত আর পবিত্র, সুখ আর দুঃখ, দিন আর রাত- হলো অর্ধেক-অর্ধেক। যারা সুবিবেচক, যারা কিনা প্রচুর ভক্তি করেছে, তারাই ভালো ভাবে বুঝবে। বাবা বলেন- মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা পবিত্র ছিলে। নতুন দুনিয়াতে শুধু মাত্র তোমরাই ছিলে। বাকী যে এতো সব আছে তারা শান্তি ধামে ছিলো। সর্বপ্রথম আমরা পবিত্র ছিলাম আর খুব কম ছিলো আবার নম্বর অনুযায়ী মনুষ্য সৃষ্টির বৃদ্ধি হতে থাকে। এখন তোমাদের এই মিষ্টি বাচ্চাদের কে বোঝাচ্ছেন ? বাবা। আত্মাদের পরমাত্মা বাবা বোঝাচ্ছেন। একে বলা হয় সঙ্গম। একেই কুম্ভ বলা যায়। মানুষ এই সঙ্গম যুগকে ভুলে গেছে। বাবা বুঝিয়েছেন চার যুগ হলেও পঞ্চম হলো এই ছোট লীপ সঙ্গম যুগ। এর আয়ু হলো ছোটো। বাবা বলেন আমি এর বাণপ্রস্থ অবস্থায় প্রবেশ করি, অনেক জন্মের অন্তিম জন্মেরও অন্তে। বাচ্চার তো এই খাতির আছে। বাবা এর মধ্যে প্রবেশ করেছে, একেও বায়োগ্রাফি শুনিয়েছে। বাবা বলেন আমি আত্মাদের সাথেই কথা বলি। আত্মা আর শরীর দুজনের পার্ট একত্রিত ভাবে। একে বলে জীব আত্মা। পবিত্র জীব আত্মা, অপবিত্র জীব আত্মা। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকে যে সঙ্গম যুগে খুব কম দেবী-দেবতা থাকে। আবার নিজের জন্যও বলে আমি জীবাত্মা যে সত্যযুগে পবিত্র ছিলাম সেই আবার ৮৪ জন্ম পরে পতিত হয়েছি। পতিত থেকে পবিত্র, পবিত্র থেকে পতিত-এই চক্র ঘুরতেই থাকে। স্মরণও সেই পতিত-পাবন বাবাকে করে। তো প্রতি ৫ হাজার বছর পরে বাবা একই বার আসেন, এসে স্বর্গের স্থাপনা করেন। ভগবান হলেন এক, অবশ্যই উনি পুরোনো দুনিয়াকে নতুন করে তৈরী করবেন। আবার নতুনকে পুরানো কে করবে ? রাবণ, কারণ রাবণই দেহ-অভিমানী করে তোলে। শত্রুকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, মিত্রকে জ্বালানো হয় না। সকলেরই মিত্র হলো এক "বাবা", যিনি সকলের সদ্গতি করেন বা মুক্তি প্রদান করেন। ওঁনাকেই সবাই স্মরণ করে, কারণ উনি হলেনই সকলের সুখ দাতা। তাহলে অবশ্যই দুঃখ দেওয়ার মতো কেউ আছে। সেটা হলো পাঁচ বিকার রূপী রাবণ। অর্ধ-কল্প রামরাজ্য, অর্ধ-কল্প রাবণ রাজ্য। স্বস্তিকা দেখা যায় না! এর অর্থও বাবা বোঝান। এতে পুরো চার ভাগ থাকে। একটুও কম বেশী নয়। এই ড্রামা একদম অ্যাক্যুরেট (সঠিক)। কেউ মনে করে আমি এই ড্রামা থেকে বেরিয়ে যাব, খুব দুঃখী - এর থেকে তো গিয়ে জ্যোতিতে জ্যোতি মিলিত হয়ে বা ব্রহ্মে লীন হয়ে যাবে। কিন্তু কেউই যেতে পারে না। কি-কি মনে করে। ভক্তি মার্গে বিভিন্ন প্রচেষ্টা করে। সন্ন্যাসী শরীর ছাড়লে তো এরকম কখনো বলা হবে না যে স্বর্গে বা বৈকুন্ঠে পদার্পণ করল। প্রবৃত্তি মার্গের যারা, বলবে অমুকে স্বর্গে পদার্পণ করল। আত্মাদের তো স্বর্গ স্মরণে আছে না! তোমাদের তো সবচেয়ে বেশী স্মরণে আছে। তোমাদের হিস্ট্রি- জিওগ্রাফি দুই-ই জানা আছে, আর কারোর জানা নেই। তোমাদেরও জানা ছিলো না। বাবা বসে বাচ্চাদেরকে সকল রহস্য বোঝাচ্ছেন।
এটা হলো মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ। বৃক্ষের অবশ্যই বীজ থাকা চাই। বাবা-ই বোঝাচ্ছেন, পবিত্র দুনিয়া কি ভাবে পতিত হয়ে যায়, আবার আমি পবিত্র করে তুলি। পবিত্র দুনিয়াকে বলা হয় স্বর্গ। স্বর্গ পাস্ট হয়ে গেছে অবশ্যই আবার রিপিট হতে হবে সেই জন্য বলা হয় ওয়াল্ডের হিস্ট্রি রিপিট হয় অর্থাৎ ওয়ার্ল্ডই পুরানো থেকে নতুন, নতুন থেকে পুরানো হয়।রিপিট মানেই হলো ড্রামা। 'ড্রামা' শব্দটি সঠিক, শোভনীয়। চক্র হুবহু একই রকম ঘুরতেই থাকে, নাটককে হুবহু বলা যায় না। কারোর অসুখ হলে তো ছুটি নিয়ে নেয়। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে- আমরা পূজ্য দেবতা ছিলাম আবার পূজারী হই। বাবা এসে পতিত থেকে পবিত্র করে তোলার যুক্তি বলেন যা কি-না ৫ হাজার বছর আগে তৈরী করেছিলো। শুধুমাত্র বলেন বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করো। বাবা সর্ব-প্রথম তোমাদের আত্ম-অভিমানী করেন। সর্ব প্রথম এই পাঠ দেন- বাচ্চারা, নিজেকে আত্মা মনে কর, বাবাকে স্মরণ করো। তোমাদের এতো করে মনে করাই, তোমরা আবারও ভুলে যাও ! ভুলতেই থাকবে, ড্রামার অন্তিম পর্যন্ত। অন্তিমে যখন বিনাশের সময় হবে তখন পড়াশুনা সম্পূর্ণ হবে, তারপর তোমরা শরীর ছেড়ে দেবে। যে রকম সাপ খোলস ত্যাগ করে। তাই তো বাবাও বোঝান তোমরা যখন বসো অথবা চলা-ফেরার মধ্যে থাকো, দেহী-অভিমানী হয়ে থাকো। আগে তোমাদের দেহ-অভিমান ছিল। এখন বাবা বলেন আত্ম-অভিমানী হও। দেহ-অভিমানে থাকলে তোমাদের ৫ বিকার আক্রান্ত করবে। আত্ম-অভিমানী হয়ে থাকলে কোনো বিকারে আক্রান্ত হবে না। দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে খুবই প্রেম-পূর্বক স্মরণ করতে হবে। আত্মাদের পরমাত্মা পিতার প্রেমের প্রাপ্তি হয় এই সঙ্গম যুগে। একে কল্যাণকারী সঙ্গম বলা হয়, যেখানে বাবা আর বাচ্চারা এসে মিলিত হয়। তোমরা অর্থাৎ আত্মারাও শরীরে আছো। বাবাও শরীরে এসে তোমাদের আত্মা নিশ্চিত করান। বাবা একবারই আসেন, যখন সবাইকে গৃহে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বোঝানও- আমি তোমাদের কিভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। তোমরা বলেও থাকো-আমরা সকলেই পতিত, আপনি হলেন পবিত্র। আপনি এসে আমাদের পবিত্র করুন। বাচ্চারা, তোমাদের জানা নেই যে বাবা কি ভাবে পবিত্র করবেন। যতক্ষণ না তৈরী করবেন (পবিত্র), কে জানে কি হবে। তোমরা এটাও বোঝো আত্মা হলো ছোটো তারা। বাবাও ছোটো তারা। কিন্তু তিনি জ্ঞানের সাগর। তোমাদেরকেও নিজের সমান তৈরী করেন। বাচ্চারা, তোমাদের যে এই জ্ঞান আছে, তোমরা আবার সবাইকে বোঝাও। আবার সত্যযুগে যখন তোমরা থাকবে তো এই জ্ঞান কি আর শোনাবে ? না। জ্ঞান সাগর পিতা তো একজনই আছেন, যিনি তোমাদের এখনো পড়াচ্ছেন। জীবন কাহিনী তো সবারই চাই। সেটা বাবা শোনাতেই থাকেন। কিন্তু তোমরা সময়ে-সময়ে ভুলে যাও, তোমাদের যুদ্ধ মায়ার সাথে। তোমরা ফিল (অনুভব) করো বাবাকে আমরা স্মরণ করি, আবার ভুলে যাই। বাবা বলেন মায়াই তোমাদের শত্রু, যে তোমাদের ভুলিয়ে দেয় অর্থাৎ বাবার থেকে বিমুখ করে দেয়। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা একই বার বাবার সম্মুখীন হও। বাবা এক বারই উত্তরাধিকার দেন। তারপর বাবার সম্মুখে আসার দরকারই নেই। পাপ আত্মা থেকে পুণ্য আত্মা, স্বর্গের মালিক করেছেন। ব্যাস্। তবে আর এসে কি করবেন ? তোমরা ডেকেছো আর আমি পুরো মাত্রায় সঠিক সময়ে এসেছি। প্রতি ৫ হাজার বছর পরে নিজের সময়ে আসি। এটা কারোরই জানা নেই। শিবরাত্রি কেন পালন করি, উনি কি বা করেছেন? কারোরই জানা নেই, সেইজন্য শিবরাত্রিতে হলি ডে ইত্যাদি কিছু দেয় না। আর সব কিছুর হলি-ডে আছে কিন্তু শিববাবা আসেন, এতো বড় ভূমিকা পালন করে, ওঁনার বিষয়ে কারও জানা নেই । অর্থই জানে না। ভারতে কতো অজ্ঞানতা রয়েছে ।
বাচ্চারা, তোমরা জানো যে শিববাবা উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ, তাই অবশ্যই মানুষকে উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ করে তুলবেন। বাবা বলেন, আমি এদের জ্ঞান প্রদান করেছি, যোগ শিখিয়েছি আবার এরা নর থেকে নারায়ণ হয়েছে। তারাই এই নলেজ শুনেছে। এই জ্ঞান তোমাদেরই জন্য, আর কারও জন্য শোভনীয় নয়। তোমাদের আবার হতে হবে, আর কেউ হয় না। এটা হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার কথা। যারা আর ধর্ম স্থাপন করেছে, সকলেই পুনর্জন্ম নিতে নিতে তমোপ্রধান হয়েছে আবার তাদের সবাইকে সতোপ্রধান হতে হবে। সেই পদ অনুযায়ী আবার রিপিট করতে হবে। উচ্চ পার্টধারী (উচ্চ পদস্থ) হওয়ার জন্য তোমরা কতো পুরুষার্থ করছো। কে পুরুষার্থ করাচ্ছেন ? বাবা। তোমরা উচ্চমানের হয়ে যাও আবার কখনও স্মরণও করো না। স্বর্গে কি আর স্মরণ করবে ! উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ হলেন বাবা, আবার তৈরীও করেন উচ্চমানের। *নারায়ণের আগে তো হলো শ্রীকৃষ্ণ। তাহলে তোমরা এরকম কেন বলো নর থেকে নারায়ণ হলো ? কেন বলো না যে নর থেকে শ্রীকৃষ্ণ হবে ? প্রথমে কি আর নারায়ণ হবে! প্রথমে তো শ্রীকৃষ্ণ হবে, তাই না! বাচ্চা তো ফুল (বড়) হবে, তারপর তো আবার যুগল হয়ে যায়*। মহিমা ব্রহ্মচারীর হয়। ছোট বাচ্চাদের সতোপ্রধান বলা হয়, বাচ্চারা- তোমাদের খেয়াল আসা চাই- আমরা অবশ্যই সর্ব প্রথম প্রিন্স হবো। বলাও হয়ে থাকে - বেগার টু প্রিন্স। বেগার কাকে বলা হয়? আত্মাকেই শরীরের সাথে বেগার বা বিত্তশালী বলা হয়। এই সময় তোমরা জানো সকলেই বেগার্স হয়ে যায়। সব শেষ হয়ে যায়। তোমাদের এই সময়ই বেগার্স হতে হবে, শরীরসহ। পাই-পয়সা যা কিছু আছে শেষ হয়ে যাবে। আত্মাকে বেগর হতে হবে, সব কিছু ত্যাগ করতে হবে। তারপর প্রিন্স হতে হবে। তোমরা জানো যে আমরা ধন দৌলত ইত্যাদি সব ছেড়ে বেগর হয়ে বাড়ী (পরমধাম) যাব। আবার নতুন দুনিয়াতে প্রিন্স হয়ে আসব। যা কিছুই আছে, সব কিছু ত্যাগ করতে হবে। এই পুরোনো জিনিস কোনো কাজের নয়। আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে আবার এখানে আসবে নিজের ভূমিকা পালন করতে । পূর্ব-কল্পের মতো। তোমরা যতো বেশী ধারনা করবে ততোই উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে। যদি এই সময় কারোর কাছে ৫ কোটি থাকে, সব শেষ হয়ে যাবে। আমারা আবার নিজেদের নতুন দুনিয়াতে যাই। এখানে তোমরা এসেছো নতুন দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য। আর কোনো সৎসঙ্গ নেই যাতে কেউ মনে করবে যে আমরা নতুন দুনিয়ার জন্য পড়ছি। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে যে বাবা আমাদের প্রথমে বেগার তৈরী করে আবার প্রিন্স তৈরী করেন। দেহ-সম্পর্কিত সব সম্বন্ধ ছাড়লে তো বেগার হয়ে দাঁড়ায়, তাই না! কিছুই নেই। এখন ভারতে কিছুই নেই। ভারত এখন হলো বেগার (নিঃস্ব), ইনসলভেন্ট। আবার সলভেন্ট হবে। কে হয়? আত্মা শরীর দ্বারা হয়। এখন রাজা-রাণীও নেই। তারাও হলো ইনসলভেন্ট, রাজা রাণীর মুকুটও নেই। না সেই মুকুট (পবিত্রতার) আছে, না রত্ন-জড়িত মুকুট আছে। অন্ধকার নগরী, সর্বব্যাপী বলে দেয়। ধরে নেয় সব কিছুতে ভগবান আছে। সকলেই এক সমান, কুকুর-বিড়াল সব কিছুর মধ্যে আছে, একে বলা হয় অন্ধকার নগরী...তোমাদের ব্রাহ্মণদের রাত্রি ছিল। এখন মনে করো জ্ঞান দিন আসছে। সত্যযুগে সব আলো জেগে থাকে । এখন দিয়া (আলো) একদম স্তিমিত হয়ে গেছে। ভারতেই দিয়া জাগিয়ে রাখার নিয়ম আছে। আর কেউ কি দিয়া জ্বালিয়ে রাখে! তোমাদের জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত হয়ে আছে। সতোপ্রধান বিশ্বের মালিক ছিলে, সেই শক্তি কমতে কমতে এখন আর কিছুই শক্তি নেই। আবার বাবা এসেছেন তোমাদের শক্তি দিতে। ব্যাটারি ভর্তি আছে। আত্মার পরমাত্মা বাবার স্মরণ থাকায় ব্যাটারি ভর্তি আছে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. এখন নাটক সম্পূর্ণ হতে চলেছে, আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই জন্য আত্মাদের বাবার স্মরণের দ্বারা সতোপ্রধান, পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। বাবার সমান জ্ঞানের সাগর, শান্তির সাগর এখনই হতে হবে।
২. এই দেহে থেকেও সম্পূর্ণ বেগার হওয়ার জন্য বুদ্ধিতে থাকবে যে- এই চোখ দিয়ে যা কিছুই দেখি, এই সব শেষ হয়ে যাবে। আমাদের বেগার থেকে প্রিন্স হতে হবে। আমাদের পড়া হলোই নতুন দুনিয়ার জন্য।
বরদান:-
এক বাবার লভে লাভলীন হয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম সকল আকর্ষণ মুক্ত ভব
বাপদাদা বাচ্চাদের নিজের স্নেহ আর সহযোগের কোলে বসিয়ে লক্ষ্য পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছেন। এই মার্গ বা পথ পরিশ্রমের নয়, কিন্তু যখন হাইওয়ের পরিবর্তে গলিতে চলে যায় বা লক্ষ্যের নিশানা থেকে দূরে সরে যায় তবে ফিরে আসার জন্য পরিশ্রম করতে হয়। পরিশ্রম থেকে বাঁচার উপায় একটাই, ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকো। এক বাবার লভে (ভালোবাসায়) লীন হয়ে সমস্ত কর্ম করো, তবে আর কিছু চোখে পড়বে না। সকল আকর্ষণ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
নিজের সুখ-সম্পন্ন ভাগ্যের অনুভব মুখমণ্ডল আর আচার আচরণের দ্বারা করাও।