27.12.2019
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমরা আছো এখন পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে, এখানে থাকাকালীন তোমাদের নতুন দুনিয়াকে স্মরণ
করতে হবে এবং আত্মাকে পবিত্র করতে হবে"
প্রশ্নঃ -
বাবা তোমাদের
এমন কি বোধশক্তি দিয়েছেন যার দ্বারা বুদ্ধির তালা খুলে গেছে ?
উত্তরঃ -
বাবা এই
অসীমের অনাদি ড্রামার এমন বোধ দিয়েছেন, যার দ্বারা বুদ্ধিতে যে গোদরেজের তালা ছিল
তা খুলে গেছে। পাথরবুদ্ধি থেকে পরশ বুদ্ধিতে পরিণত হয়েছে। বাবা বুঝিয়েছেন এই
ড্রামার প্রতিটি অভিনেতার নিজস্ব অনাদি পার্ট আছে, যে কল্প পূর্বে যতটুকু পড়া পড়েছে,
এখনও ততটুকুই পড়বে। পুরুষার্থ করে নিজের উত্তরাধিকার নেবে ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী
বাচ্চাদের আত্মাদের পিতা বসে শেখাচ্ছেন। যবে পিতা হয়েছেন তবে থেকেই তিনি হলেন টিচার,
এবং সদগুরু রূপে শিক্ষা দিচ্ছেন। এই কথা তো বাচ্চারা বোঝে যে তিনি হলেন পিতা, টিচার
ও সদগুরু, তিনি ছোট শিশু নন। উঁচুর থেকেও উঁচু, সব থেকে মহান তিনি। বাবা জানেন, এরা
সবাই আমার আত্মিক সন্তান। ড্রামা প্ল্যান অনুযায়ী তাঁকে আহ্বান করেছে এসে আমাদের
পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে চলো। কিন্তু কিছু বোঝে না। এখন তোমরা বুঝেছ, পবিত্র দুনিয়া
সত্যযুগকে, পতিত দুনিয়া কলিযুগকে বলা হয়। তারা বলে এসে আমাদের রাবণের জেল থেকে
মুক্ত করে দুঃখের হাত থেকে রক্ষা করে নিজের শান্তিধাম-সুখধামে নিয়ে চলো। দুটি নামই
ভালো। মুক্তি-জীবনমুক্তি বা শান্তিধাম-সুখধাম। বাচ্চারা, তোমাদের ছাড়া আর কারো
বুদ্ধিতে এই জ্ঞান নেই যে শান্তিধাম কোথায়, সুখধাম কোথায় ? মানুষ একেবারেই অবুঝ।
তোমাদের মুখ্য লক্ষ্যই হল সুবুদ্ধি সম্পন্ন হওয়া। কম বুদ্ধির মানুষের মুখ্য লক্ষ্যই
থাকে লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো এমন বুদ্ধিমান হতে হবে। সবাইকে শেখাতে হবে - এই হল মুখ্য
লক্ষ্য, মানুষ থেকে দেবতা হওয়া। এটা হল-ই মনুষ্য সৃষ্টি, ওটা হল দেবতাদের সৃষ্টি।
সত্যযুগে আছে দেবতাদের সৃষ্টি, অতএব মনুষ্য সৃষ্টি অবশ্যই কলিযুগে হবে। এখন মানুষ
থেকে দেবতা হতে হবে। তার জন্য নিশ্চয়ই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগও হবে। ওরা হল দেবতা, আর
এখানে হল মানুষ। দেবতা বুদ্ধিমান হয়। বাবা-ই এমন বুদ্ধিমান বানান। বাবা যিনি হলেন
বিশ্বের মালিক, যদিও তিনি মালিক হন না, তবুও গায়ন তো হয়, তাইনা। অসীম জগতের পিতা,
অসীম সুখ প্রদান করেন। অসীম সুখ থাকে নতুন দুনিয়ায় এবং অসীম দুঃখ থাকে পুরানো
দুনিয়ায়। দেবতাদের চিত্রও তোমাদের সামনে আছে। তাঁদের মহিমা গায়নও হয়। আজকাল তো ৫
ভূতেরও পূজা হয়।
এখন বাবা তোমাদের বোঝান, তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে। তোমাদের মধ্যেও নম্বর
অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী জানে - আমাদের একটি পা আছে স্বর্গে, অন্যটি আছে নরকে।
যদিও বাস করি এইখানে কিন্তু বুদ্ধি থাকে নতুন দুনিয়ায় এবং যিনি নতুন দুনিয়ায় নিয়ে
যান তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। বাবার স্মরণ দ্বারাই তোমরা পবিত্র হও। এই কথা শিববাবা
বসে বোঝান। শিব জয়ন্তী তো অবশ্যই পালন করে কিন্তু শিববাবা কবে এসেছিলেন, এসে কি
করেছিলেন, সে কথা জানা নেই। শিবরাত্রি পালন করে এবং কৃষ্ণ জয়ন্তী পালন করে, যে কথা
গুলি কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে বলা হয় সেসব শিববাবার জন্য তো বলা হবে না। তাই তাঁর রাত্রি
পালনকে শিবরাত্রি বলা হয়। অর্থ কিছুই বোঝে না। বাচ্চারা, তোমাদের তো অর্থ বোঝানো
হয়েছে। অসীম দুঃখ আছে কলিযুগের শেষ সময়ে, তারপরে অসীম সুখ থাকে সত্যযুগে। এই জ্ঞান
তোমরা বাচ্চারা এই সময়েই প্রাপ্ত কর। তোমরা আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। যারা কল্প পূর্বে
পড়েছে তারা-ই এখন পড়বে, যে যেরকম পুরুষার্থ করেছে সেই পুরুষার্থই করবে এবং এমন পদ
মর্যাদাও প্রাপ্ত করবে। তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ চক্র আছে। তোমরাই উঁচু থেকে উঁচু
পদ প্রাপ্ত করো, তারপরে তোমরা নেমেও আসো। বাবা বুঝিয়েছেন এই যে মনুষ্য আত্মারা আছে,
সবাই মামলায় গাঁথা হয়ে আছে, তাইনা, সব নম্বর অনুসারে আসে। প্রতিটি অভিনেতার নিজস্ব
পার্ট আছে - কাকে কখন কি পার্ট প্লে করতে হবে। এই হল অনাদি পূর্ব রচিত ড্রামা যার
বিষয়ে বাবা বসে বোঝান। এবারে বাবা তোমাদের যা বোঝান, সেসব নিজের ভাইদের বোঝাতে হবে।
তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে প্রতিটি ৫ হাজার বছর পরে বাবা এসে আমাদের বোঝান, আমরা
তারপরে আত্মা ভাইদের বোঝাই। আত্মার সম্পর্কে আমরা ভাই-ভাই হই। বাবা বলেন এই সময়
তোমরা নিজেকে অশরীরী আত্মা নিশ্চয় করো। আত্মাকেই নিজের পিতাকে স্মরণ করতে হবে -
পবিত্র হওয়ার জন্য। আত্মা পবিত্র হয় তখন শরীরও পবিত্র প্রাপ্ত হয়। আত্মা অপবিত্র হয়,
তখন অলঙ্কার অর্থাৎ দেহটিও হয় অপবিত্র। নম্বর অনুযায়ী তো আছেই। ফিচার্স, কার্য কলাপ
একে অপরের সঙ্গে মিল খায় না। নম্বর অনুযায়ী সবাই নিজস্ব পার্ট প্লে করে, তফাৎ হতে
পারে না। নাটকে সেই সীন-ই দেখবে যা কাল দেখেছিলে। সেই সবই রিপিট হবে তাইনা। এই হল
আবার অসীমের এবং গত কালের ড্রামা। গতকাল তোমাদের বুঝিয়েছিলাম। তোমরা রাজত্ব নিয়েছিলে
তারপরে রাজত্ব হারিয়েছিলে। আজ আবার রাজত্ব প্রাপ্তির জন্য বুঝে নিচ্ছ। আজ ভারত হল
পুরানো নরক, আগামী কাল নতুন স্বর্গ হবে। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে - এখন আমরা নতুন
দুনিয়ায় যাচ্ছি। শ্রীমৎ অনুসারে শ্রেষ্ঠ হচ্ছি। শ্রেষ্ঠ রা নিশ্চয়ই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিতে
থাকবে। এই লক্ষ্মী নারায়ণ হলেন শ্রেষ্ঠ তাই শ্রেষ্ঠ স্বর্গে থাকেন। যারা ভ্রষ্ট হয়
তারা নরকে থাকে। এই রহস্য তোমরা এখন বুঝেছ। এই অসীমের ড্রামা যখন কেউ ভালো রীতি
বুঝবে, তখন বুদ্ধিতে বসবে। শিবরাত্রিও পালন করে কিন্তু কিছু বোঝে না। অতএব বাচ্চারা
তোমাদের এখন রিফ্রেশ করতে হয়। তোমরা আবার অন্যদের রিফ্রেশ কর। এখন তোমাদের জ্ঞান
প্রাপ্তি হচ্ছে তারপরে সদগতি প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন আমি স্বর্গে আসিনা, আমার পার্ট
হল পতিত দুনিয়াকে বদল করে পবিত্র দুনিয়া করা। সেখানে তো তোমাদের কাছে কুবেরের খাজানা
থাকে। এখানে তো কাঙাল আছো, তাই বাবাকে আহ্বান করো - এসে অসীমের উত্তরাধিকার দাও।
কল্প-কল্প অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, তারপরে আবার কাঙালও হয়ে যায়। চিত্র দ্বারা
বোঝাও তখন বুঝবে। প্রথম নম্বরে লক্ষ্মী-নারায়ণ, তারপরে ৮৪ জন্ম নিয়ে মানুষ হয়েছ। এই
জ্ঞান এখন তোমরা বাচ্চারা পেয়েছ। তোমরা জানো, আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, যাকে বৈকুণ্ঠ, প্যারাডাইজ, দৈব দুনিয়াও বলা হয়। এখন তো বলা হবে
না। এখন তো হল ডেভিল ওয়ার্ল্ড অর্থাৎ অসুরী দুনিয়া। অসুরী দুনিয়ার অন্ত, দৈব
দুনিয়ার আদিকালের এই হল সঙ্গম। এই কথা এখন তোমরা বোঝো, অন্য কারো মুখে শুনবে না।
বাবা স্বয়ং এসে ব্রহ্মার মুখ ধারণ করেন। কার মুখ নেবেন, সে কথা বোঝে না। বাবা কোন্
বাহনে বসে যাত্রা করবেন ? যেমন তোমাদের অর্থাৎ আত্মার যাত্রা এই শরীর রূপী বাহনের
উপরে বসে হয়, তাইনা। শিববাবার নিজস্ব বাহন তো নেই, অথচ তাঁর মুখের প্রয়োজন তো আছে।
নাহলে রাজযোগ শেখাবেন কীভাবে ? প্রেরণা দ্বারা তো শিখবে না কেউ। অতএব এই সব কথা মনে
লিখে রাখতে হবে। পরমাত্মার বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ নলেজ আছে তাইনা। তোমাদের বুদ্ধিতেও এই
জ্ঞান থাকা উচিত। এই নলেজ বুদ্ধি দ্বারা ধারণ করতে হবে। বলাও হয় তোমাদের বুদ্ধি ঠিক
আছে তো ? বুদ্ধি আত্মায় থাকে। আত্মা বুদ্ধি দ্বারা বুঝতে পারে। তোমাদের বুদ্ধিকে
পাথরবুদ্ধি কে বানিয়েছে ? এখন বুঝেছ রাবণ আমাদের বুদ্ধি কিরূপ বানিয়ে দিয়েছে! গতকাল
তোমরা ড্রামার কথা জানতে না, বুদ্ধিতে গোদরেজের তালা লাগানো ছিল। 'গড' শব্দটি আসে,
তাইনা। বাবা যা বুদ্ধি দেন সে বুদ্ধি বদল হয়ে পাথরবুদ্ধি হয়ে যায়। তারপরে বাবা এসে
তালা খোলেন। সত্যযুগে হয় পরশবুদ্ধি। বাবা এসে সকলের কল্যাণ করেন। নম্বর অনুযায়ী
সকলের বুদ্ধি খোলে। তারপরে একে অপরের পিছনে আসতে থাকে। উপরে তো কেউ থাকতে পারে না।
পতিত সেখানে থাকতে পারে না। বাবা পবিত্র করে পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে সব
পবিত্র আত্মারা থাকে। ওই হল নিরাকারী সৃষ্টি।
বাচ্চারা তোমরা এখন জেনেছ তাই নিজের ঘর পরমধাম খুব কাছে দেখতে পাও। তোমাদের ঘরের
প্রতি অনেক ভালোবাসা আছে। তোমাদের মতন ভালোবাসা কারো নেই। তোমাদের মধ্যেও নম্বর
অনুযায়ী আছে, যাদের বাবার সঙ্গে ভালোবাসা আছে, তাদের ঘরের প্রতিও বিশেষ ভালোবাসা আছে।
মুরব্বী বাচ্চা অর্থাৎ খুব কাছের সন্তান হয় তাই না। তোমরা বুঝেছ এখানে যারা ভালো
ভাবে পুরুষার্থ করে সুবুদ্ধি সম্পন্ন যোগ্য বাচ্চা যারা হবে, তারা-ই উঁচু পদের
অধিকারী হবে। ছোট বা বড় শরীরের উপরে নির্ভর নয়। জ্ঞান ও যোগে যারা মত্ত, তারা-ই হল
বড়। অনেক ছোট ছোট বাচ্চারাও জ্ঞান-যোগে তীক্ষ্ণ হয়, তারা বড়দের পড়ায়। যদিও নিয়ম হল
বড়রা ছোটদের পড়ায় । আজকাল তো মিডগেডও দেখা যায় (বামন) । যদিও সব আত্মারাই হল মিডগেট।
আত্মা তো বিন্দু স্বরূপ, তার কিই বা ওজন হবে। সে তো স্টার বা নক্ষত্র। মানুষ
নক্ষত্র নাম শুনে আকাশের দিকে তাকাবে। তোমরা নক্ষত্র নাম শুনে নিজেকে দেখো। তোমরা
হলে এই পৃথিবীর নক্ষত্র। ওই নক্ষত্র গুলি হল আকাশের, জড় বস্তু, তোমরা হলে চৈতন্য।
তাতে তো ফের-বদল কিছুই হওয়া সম্ভব নয়, তোমরা তো ৮৪ জন্ম নাও, বিশাল পার্ট প্লে করো।
পার্ট প্লে করতে করতে উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়, ব্যাটারি ডিস চার্জ হয়। তারপরে বাবা এসে
ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বোঝান। কারণ তোমাদের আত্মা নিস্তেজ হয়ে আছে। যা শক্তি ভরা ছিল
সেসব শেষ হয়ে গেছে। এখন আবার বাবার সাহায্যে শক্তিতে ভরপুর হও। তোমরা নিজের ব্যাটারি
চার্জ করছ। এতে মায়াও অনেক বাধা সৃষ্টি করে ব্যাটারি চার্জ করতে দেয় না। তোমরা হলে
চৈতন্য ব্যাটারি। জানো যে বাবার সঙ্গে যোগ যুক্ত হলে আমরা সতোপ্রধান হব। এখন
তমোপ্রধান হয়েছি। ওই জাগতিক দুনিয়ার পড়াশোনা এবং এই অসীম জগতের পড়াশোনার মধ্যে অনেক
তফাৎ আছে। কীভাবে নম্বর অনুসারে সব আত্মারা উপরে যায় তারপরে নিজ সময়ে পার্ট প্লে
করতে আসতে হবে। সবারই নিজস্ব অবিনাশী পার্ট আছে। তোমরা এই ৮৪-র পার্ট কত বার প্লে
করেছ ! তোমাদের ব্যাটারি কতবার চার্জ ও ডিস চার্জ হয়েছে ! যখন জানো যে আমাদের
ব্যাটারি ডিস চার্জ হয়েছে তাহলে চার্জ করতে দেরি কেন করো? কিন্তু মায়া ব্যাটারি
চার্জ করতে দেয় না। ব্যাটারি চার্জ করার কথা মায়া তোমাদের ভুলিয়ে দেয়। ক্ষণে ক্ষণে
ব্যাটারি ডিস চার্জ করিয়ে দেয়। চেষ্টা করো বাবাকে স্মরণ করার কিন্তু করতে পারো না।
তোমাদের মধ্যেও যারা ব্যাটারি চার্জ করে সতো প্রধান অবস্থার কাছাকাছি এসে যায়,
তাদের দিয়েও কখনও কখনও মায়া গাফিলতি করিয়ে ব্যাটারি ডিসচার্জ করে দেয়। এইরকম শেষ
পর্যন্ত হতেই থাকবে। তারপরে যখন যুদ্ধ সমাপ্ত হবে তখন সব শেষ হয়ে যায় তখন যার
ব্যাটারি যতটুকু চার্জ হয়ে থাকে সেই অনুযায়ী পদ প্রাপ্ত হবে। সব আত্মারা বাবার
সন্তান, বাবা স্বয়ং এসে সকলের ব্যাটারি চার্জ করেন। এই খেলা কেমন ওয়ান্ডারফুল বানানো
হয়েছে। বাবার সঙ্গে যোগ যুক্ত হওয়ার ক্রিয়ায় ক্ষণে ক্ষণে বিমুখ হওয়াতে কত ক্ষতি
হয়েছে। যাতে বিমুখ না হয় তার জন্য পুরুষার্থ করানো হয়। পুরুষার্থ করতে করতে যখন
সমাপ্তি হয় তখন নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী তোমাদের পার্ট পূর্ণ হয়। যেমন কল্প
কল্প হয়। আত্মাদের মালা তৈরি হতে থাকে।
তোমরা বাচ্চারা জানো রুদ্রাক্ষের মালা হয়, বিষ্ণুর মালাও হয়। প্রথম নম্বরে তো তাঁর
মালা রাখা হবে, তাইনা। বাবা দৈবী দুনিয়া রচনা করেন, তাইনা। যেমন রুদ্র মালা হয়,
তেমনই রুন্ড মালাও হয়। ব্রাহ্মণদের মালা এখন তৈরি হতে পারে না, অদল-বদল হতে থাকবে।
ফাইনাল তখন হবে যখন রুদ্র মালা তৈরি হবে। এ হল ব্রাহ্মণদের মালা, কিন্তু এইসময় তা
তৈরি হবে না। বাস্তবে প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হল সবাই। শিববাবার সন্তানদেরও মালা
হয়, বিষ্ণুর মালাও বলা হবে। তোমরা ব্রাহ্মণ হও তো ব্রহ্মা ও শিবেরও মালা চাই। এই
সম্পূর্ণ জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে নম্বর অনুযায়ী আছে। সবাই তো শোনে কিন্তু কারো কান
দিয়ে তখনই বেরিয়ে যায়, শোনেই না। কেউ তো পড়েই না, তারা জানে না - ভগবান পড়াতে
এসেছেন। পড়া করে না, এই পড়া তো কত খুশী সহকারে পড়া উচিত । আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
স্মরণের যাত্রা দ্বারা আত্মা রূপী ব্যাটারিকে চার্জ করে সতোপ্রধান স্টেজ পর্যন্ত
পৌঁছাতে হবে। এমন কোনোরকম গাফিলতি করবে না যাতে ব্যাটারি ডিসচার্জড হয়ে যায়।
২ ) সুবুদ্ধি সম্পন্ন যোগ্য বাচ্চা হতে বাবার প্রতি এবং তা সাথে সাথে ঘরের প্রতিও
ভালোবাসা রাখতে হবে। জ্ঞান ও যোগে মত্ত হতে হবে। বাবা যা বোঝান সেসব ভাইদের বোঝাতে
হবে।
বরদান:-
সেবায় থেকে সম্পূর্ণতার নৈকট্য অনুভবকারী ব্রহ্মা বাবা সম একজাম্পল ভব
ব্যাখা: যেমন ব্রহ্মা
বাবা সেবায় থেকে, সংবাদ শুনতে শুনতেও একান্ত বাসী হয়ে যেতেন, এক ঘন্টার খবর শুনে ৫
মিনিটে তার সার অর্থ বুঝে বাচ্চাদের খুশী করে, নিজের অন্তর্মুখী, একান্তবাসী
স্থিতির অনুভব করিয়ে দিতেন। তেমনই ফলো ফাদার করো। ব্রহ্মা বাবা কখনই বলেননি আমি খুব
ব্যস্ত আছি। বরং বাচ্চাদের সম্মুখে একজাম্পল ছিলেন। ঠিক তেমনই এখন সময়ানুসারে এই
অভ্যাসের প্রয়োজন আছে। মনের নিষ্ঠা থাকলে সময় বেরিয়ে আসবেই এবং অনেকের জন্য
একজাম্পল হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
প্রতিটি কর্মে, কর্ম এবং যোগের অনুভব হওয়াই হল কর্ম যোগ।