২২-০১-১৯ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- এখন তোমাদের এই শরীরকে ভুলে অনাসক্ত, কর্মাতীত হয়ে ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই কোনো বিকর্ম নয়, সুকর্ম করো"
প্রশ্ন:-
নিজের অবস্থাকে পরীক্ষা করার জন্য কোন্ তিনজনের মহিমাকে সর্বদা স্মরণে রাখবে ?
উত্তর:-
১ ) নিরাকারের মহিমা ২ ) দেবতাদের মহিমা ৩ ) নিজের মহিমা l এখন তোমরা পরীক্ষা করো যে, নিরাকার বাবার সমান পূজ্য হয়েছো কি, তাঁর সব গুণ ধারণ করেছো কি ! আমাদের আচার আচরণ কি দেবতাদের মতো রাজকীয় ! দেবতাদের যে খাওয়া - দাওয়া, তাদের যে গুণ, তা কি আমাদের আছে ? আত্মাদের যে গুণ, সেইসব গুণকে জেনে তার স্বরূপ হয়েছো কি ?
ওম্ শান্তি l
বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে, আত্মার নিবাস স্থান টাওয়ার অফ সাইলেন্সে অর্থাৎ শান্তির শিখরে l হিমালয় পাহাড়ের যেমন শিখর থাকে l সেটা তো অনেক উঁচু হয় l তোমরাও উঁচুর থেকেও উঁচুতে থাকো l ওরা পাহাড়ে ওঠার প্র্যাকটিস করে, রেসও করে l পাহাড়ে ওঠাতেও কেউ কেউ হুঁশিয়ার হয় l সবাই উঠতে পারে না l বাচ্চারা, তোমাদের এতে রেস ইত্যাদি করার কোনো প্রয়োজন নেই l আত্মা, যারা পতিত, তাদের পবিত্র হয়ে ওপরে যেতে হবে l একে বলা হয় টাওয়ার অফ সাইলেন্স l আর সে হলো টাওয়ার অফ সাইন্স l অনেক বড় বড় বোম্ব হয় l তারও টাওয়ার হয় l তারা সেখানে ভয়ানক জিনিস রাখে l বিষ দিয়ে বোম্ব তৈরী করে l বাবা বলেন যে, বাচ্চারা তোমাদের ঘরের দিকে উড়তে হবে l ওরা তো ঘরে বসে এই বোম্ব নিক্ষেপ করে, যা সবকিছু শেষ করে দেয় l তোমাদের তো এখান থেকে উপরে টাওয়ার অফ সাইলেন্সে যেতে হবে l ওখান থেকেই তোমরা এসেছো, আবার ওখানেই ফিরে যাবে যখন তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে l সতোপ্রধান থেকে তোমরা তমোপ্রধান অবস্থায় এসেছো, এরপর আবার তোমাদের সতোপ্রধান হতে হবে l যারা সতোপ্রধান হওয়ার পুরুষার্থ করে, তারাই আবার অন্যদেরও রাস্তা বলে দেয় l বাচ্চারা, তোমাদের এখন সুকর্ম করতে হবে l তোমরা কোনো বিকর্মই করবে না l বাবা কর্মের গতিও বুঝিয়ে বলেছেন l রাবণ রাজ্যে তোমাদের দুর্গতি হয়েছে l বাবা এখন সুকর্ম শেখাচ্ছেন l পাঁচ বিকার হলো অনেক বড় শত্রু l মোহও হলো বিকর্ম l কোনো বিকারই কম নয় l মোহ থকলেও তোমরা দেহ - অভিমানে আটকে যাও, তাই বাবা কন্যাদের সব বুঝিয়ে বলেন l কন্যা পবিত্রদেরই বলা হয়, মায়েদেরও পবিত্র হতে হবে l তোমরা সকলেই হলে ব্রহ্মাকুমার আর কুমারী l সে যদি বৃদ্ধাও হয়, তবুও তো ব্রহ্মারই সন্তান l
বাবা বুঝিয়ে বলেন, মিষ্টি - মিষ্টি বচ্চারা, এখন কুমার - কুমারীদের স্টেজ থেকেও উপরে ওঠো l যেমন শরীরে এলে তারপর বের হয়ে যেতে হবে, পরিশ্রম তো করতেই হবে l যদি উঁচু পদ পেতে চাও তাহলে আর কারোর স্মৃতি যেন না আসে l আমাদের কাছে কি আর আছে l খালি হাতেই তো এসেছি, কিছুই তো নেই l নিজের এই শরীরও নেই l এখন এই শরীরকে ভুলতে হবে l অনাসক্ত, কর্মাতীত হয়ে যেতে হবে l তোমরা ট্রাস্টি হও l বাবা বলেন যে, তোমরা ঘোরো, বেড়াও কিন্তু অপ্রয়োজনীয় খরচ করো না l মানুষ অনেক দানও করে l খবরের কাগজে পড়ে যে, অমুকে অনেক দানী l হসপিটাল, ধর্মশালা ইত্যাদি বানিয়েছে l যে অনেক দান করে, সে গভর্নমেন্ট থেকে টাইটেলও পায় l প্রথমে টাইটেল হয় - "হিজ হোলিনেস, হার হোলিনেস l" হোলি পবিত্রকে বলা হয় l দেবতারা যেমন পবিত্র ছিলেন, ঠিক তেমন হতে হবে l তারপর তোমরা অর্ধেক কল্প পবিত্র থাকবে l অনেকেই বলবে, এ কেমন করে হতে পারে l ওখানেও তো সন্তানের জন্ম হয় l তো চট্ করে বলো যে, ওখানে রাবণ নেই l রাবণের দ্বারাই এই বিকারের দুনিয়া হয় l রাম বাবা এসেই আবার পবিত্র করেন l ওখানে কেউই পতিত হয় না l কেউ কেউ বলে, পবিত্রতার কথা বলাও উচিত নয় l এই শরীর কিভাবে চলবে l মানুষ এও জানে না যে, একসময় পবিত্র দুনিয়া ছিল l এখন এই দুনিয়া অপবিত্র l এই খেলা হলো বেশ্যালয় আর শিবালয়ের, পতিত দুনিয়া আর পবিত্র দুনিয়ার l প্রথমে থাকে সুখ, তারপর দুঃখ l এই কাহিনী হলো, কিভাবে রাজত্ব পাওয়ার আর হারানোর l এ কথা খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে l আমরা হেরে গিয়েছিলাম আবার আমাদের জিত পেতে হবে l আমাদের বাহাদুর হওয়া উচিত l নিজের অবস্থাকে তৈরী করার প্রয়োজন l বাড়িঘরে থেকে, সবকিছুর দেখাশোনা করেও অবশ্যই পবিত্র হতে হবে l কোনো অপবিত্র কাজই করবে না l অনেকের মধ্যেই খুব বেশী পরিমাণে মোহ থাকে l নিজের প্রতি নজর দেওয়া উচিত যে, আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি, তুমি ছাড়া অন্য কাউকেই ভালোবাসব না, তাহলে অন্যদের কেন ভালোবাসো l যে প্রিয়র থেকেও প্রিয় , তাঁকে স্মরণে আসা উচিত l তখনই অন্য সমস্ত দেহের সম্বন্ধ ভুলে যাবে l সবাইকে দেখে এই কথা মনে করো যে, আমরা এখন স্বর্গে যাচ্ছি l এ সবই হলো কলিযুগী বন্ধন l আমরা দৈবী সম্বন্ধে যাচ্ছি l আর কোনো মানুষের বুদ্ধিতে এমন জ্ঞান নেই l তোমরা যদি বাবার স্মরণে খুব ভালোভাবে থাকো তাহলে তোমাদের খুশীর পারদ চড়তে থাকবে l যতটা সম্ভব বন্ধন কম করতে থাকো l নিজেকে হালকা করে দাও l বন্ধন বৃদ্ধি করার প্রয়োজন নেই l এই রাজ্য লাভ করতে খরচের প্রয়োজন নেই l তোমরা খরচা ছাড়াই বিশ্বের রাজত্ব নাও l ওদের বারুদ, সৈন্য এর উপর কতো খরচ হয় l তোমাদের কিছুই খরচা নেই l তোমরা যা কিছুই বাবাকে দাও, তা দাও না বরঞ্চ তোমরা বাবার থেকে নাও l বাবা তো হলেন গুপ্ত l তিনি শ্রীমত দেন যে, মিউজিয়াম খোলো, হসপিটাল, ইউনিভার্সিটি খোলো, যার থেকে তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারো l যোগের দ্বারা তোমরা সর্বদার জন্য নিরোগী হয়ে যাও l ২১ জন্মের জন্য তোমাদের হেলথ, ওয়েলথ আর তার সঙ্গে হ্যাপিনেস তো আছেই l এক সেকেন্ডে কিভাবে মুক্তি আর জীবনমুক্তি পাবে, সেকথা এখানে এসে বোঝো l দ্বারেই তোমরা বোঝাতে পারো l দ্বারে যেমন ভিক্ষা চাইতে আসে l তোমরাও তেমনই ভিক্ষা দাও, যাতে মানুষ একদম ধনী হয়ে যায় l যে কেউই হোক না কেন, তোমরা জিজ্ঞেস করো, তোমরা কি ভিক্ষা চাও ? আমরা তোমাদের এমন ভিক্ষা দেবো যে, জন্ম - জন্মান্তরে তোমরা ভিক্ষা চাওয়ার হাত থেকে উদ্ধার হয়ে যাবে l বেহদের বাবা আর সৃষ্টিচক্রকে জানলে তোমরা এমন হতে পারো l
তোমাদের এই ব্যাজও কামাল করতে পারে l এক সেকেণ্ডে বেহদের বর্সা তোমরা এর দ্বারা যে কাউকেই দিতে পারো l তোমাদের সর্ভিস করার প্রয়োজন l বাবা তোমাদের এক সেকেণ্ডে বিশ্বের মালিক বানান l এরপর সবকিছুই পুরুষার্থের উপর নির্ভর করে l ছোটো - বড় সবাইকেই বলা হয় যে, তোমরা বাবাকে স্মরণ করো l ট্রেনেও তোমরা ব্যাজের উপর সার্ভিস করতে পারো l ব্যাজ তোমরা সবসময় লাগিয়ে রাখো, এর উপর তোমরা বোঝাতে পারো যে, তোমাদের দুইজন বাবা l দুইজনের থেকেই তোমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার পাও l ব্রহ্মার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না l তিনি হলেন মাধ্যম l এনার মাধ্যমেই বাবা তোমাদের শেখান আর অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন l মানুষকে দেখে বোঝানো উচিত l যাত্রাতেও তো অনেকেই যায় l ওইসব হলো শরীরের যাত্রা l আর এ হলো আত্মিক (রুহানী) l এর দ্বারা তোমরা বিশ্বের মালিক হও l শরীরের যাত্রায় তো মানুষ ধাক্কা খেতে থাকে l তোমাদের সঙ্গে যেন সিঁড়ির চিত্রও থাকে l সর্ভিস করতে থাকলে তোমাদের ভোজন ইত্যাদিরও কোনো প্রয়োজন থাকবে না l বলা হয়, খুশীর মতো খাবার নেই l ধন না থাকলে তাদের প্রতি মুহূর্তে খিদে পায় l ধনবান রাজাদের যেমন পেট ভরা থাকে l তোমাদের চলন খুবই রাজকীয় হওয়া উচিত l কথাবার্তাও ফার্স্টক্লাস হওয়া উচিত l তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা এখন কি হতে চলেছি l ওখানে খাওয়া - দাওয়া ইত্যাদি খুবই রাজকীয়ভাবে হয় l অসময়ে কেউই খায় না l অনেক রাজকীয়তা আর শান্তির সঙ্গে খায় l তোমাদের এই সমস্ত গুণই শেখা উচিত l নিরাকারের মহিমা, দেবতাদের মহিমা আর নিজের মহিমা, এই তিনকে পর্যবেক্ষণ করো l এখন তোমরা বাবার সমান গুণী তৈরী হচ্ছ এরপর দেবতাদের সমান গুণবান হবে l তাই সেই গুণ এখনই ধারণ করা উচিত l এখন তোমরা দৈবী গুণ ধারণ করছো l এ কথাটি খ্যাত আছে যে - শান্তির সাগর ---প্রেমের সাগর, বাবা যেমন পূজ্য, তেমনি তোমরাও পূজ্য l বাবা তোমাদের নমস্কার করেন l তোমাদের তো ডবল পূজা হয় l এই সব কথা বাবাই বুঝিয়ে বলেন l তোমাদের মহিমাও বোঝানো হয় যে, পুরুষার্থ করো, এমন হও l মন থেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে, আমরা এমন হয়েছি কি ? আমরা যেমন অশরীরী এসেছি তেমনই অশরীরী হয়েই যেতে হবে l শাস্ত্রেও আছে যে, লাঠি ছাড়ো l এতে কিন্তু লাঠির কথা নেই l এখানে তো শরীর ত্যাগ করার কথা l বাকি সবকিছুই হলো ভক্তিমার্গের কথা l এখানে কেবল বাবাকেই স্মরণ করতে হবে l বাবা ছাড়া দ্বিতীয় আর কেউই নয় l
বাচ্চারা, তোমরা জ্ঞান পেয়েছ, তোমরা জানো যে, মানুষ কতটা গুরুর শৃঙ্খলে আবদ্ধ l গুরু অনেক প্রকারের আছে l এখন তোমাদের না গুরুর প্রয়োজন আর না অন্যকিছু পড়ার l বাবা একটাই মন্ত্র দিয়েছেন --- "একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো" ("মামেকম্ স্মরণ করো") l এই অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো আর দৈবীগুণ ধারণ করো l গৃহস্থ জীবনে থেকে তোমাদের পবিত্র থাকতে হবে l তোমরা এখানে আসো রিফ্রেশ হওয়ার জন্য l এখানে তোমরা বুঝতে পারবে যে, আমরা বাবার সম্মুখে বসে আছি l ওখানে মনে করবে যে, বাবা মধুবনে বসে আছে l আমাদের আত্মা যেমন আসনে আসীন আছে, বাবার আত্মাও এই আসনে আসীন আছে l বাবা কোনো গীতা শাস্ত্র ইত্যাদি হাতে নেন না l এমনও নয় যে তিনি(ব্রহ্মাবাবা) কোনো কিছু কন্ঠস্থ করে শোনাচ্ছেন l সন্ন্যাসীরা তো অমন কণ্ঠস্থ করে l ইনি(শিব বাবা) তো হলেন জ্ঞানের সাগর l ইনি ব্রহ্মার দ্বারা সমস্ত রহস্য বুঝিয়ে বলেন l শিববাবা কখনো কি কোনো স্কুলে বা সৎসঙ্গে গিয়েছেন ? বাবা তো সবকিছুই জানেন l কেউ কেউ বলে, সাইন্স নাকি সবকিছু জানে ? বাবা বলেন যে, সাইন্স দিয়ে আমরা কি করবো l মানুষ আমাকে ডাকে যে, তুমি এসে পতিতদের পবিত্র বানাও, এতে সাইন্স কেন শিখবো l *মানুষ বলবে, শিববাবা কি অমুক শাস্ত্র পড়েছেন ? আরে, তাঁকে তো বলা হয় জ্ঞানের সাগর l ও সব তো হলো ভক্তিমার্গের শাস্ত্র* l বিষ্ণুর হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম দিয়ে দিয়েছে l মানুষ এর অর্থ কিছুই বোঝে না l বাস্তবে এই অলংকার ব্রহ্মা আর ব্রাহ্মণদের দেওয়া উচিত l সূক্ষ্ম লোকে(বতনে) তো এই শরীর থাকে না l ব্রহ্মার সাক্ষাত্কারও ঘরে বসে অনেকেরই হয় l কৃষ্ণেরও সাক্ষাত্কার হয় l এর অর্থ হলো, এই ব্রহ্মার কাছে যাও তাহলে কৃষ্ণের সমান হতে পারবে বা কৃষ্ণের বংশে আসতে পারবে l সেটা তো কেবল প্রিন্সের সাক্ষাত্কার হয় l তোমরা যদি খুব ভালো করে পড়, তাহলে এমন হতে পারবে l এই হলো এইম অবজেক্ট l উদাহরণ তো একজনকেই বানানো হবে, তাই না l একে মডেল বলা হয় l তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন সত্যনারায়ণের কথা শোনাতে, নর থেকে নারায়ণ বানাতে l প্রথমে তো অবশ্যই প্রিন্স হবে l শাস্ত্রে দেখানো হয়েছিলো যে, কৃষ্ণ মাখন খেয়েছিলো, বাস্তবে এ হলো বিশ্বের বাদশাহীর গোলক (গ্লোব) l বাকি চাঁদ ইত্যাদি কিভাবে মুখে দেখাবে l বলা হয় যে, দুই বিড়াল নিজেদের মধ্যে লড়াই করছিল, কিন্তু মাঝখান থেকে সৃষ্টির যে মালিক তার মুখে মাখন দেখিয়ে দিয়েছে l এখন তোমরা নিজেদের দেখো যে, আমরা এমন হয়েছি কি হইনি l এই পড়া হলো রাজপদের জন্য l প্রজা পাঠশালা বলবেই না l এ হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার পাঠশালা l ঈশ্বরীয় ইউনিভার্সিটি l ভগবান এখানে পড়ান l বাবা বলেছেন যে, লেখো ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাকেটে লেখো ইউনিভার্সিটি, কিন্তু এই কথা লিখতে তোমরা ভুলে যাও l তোমরা যতই তাদের ব্রহ্মাকুমারীস এর পুস্তক ইত্যাদি দাও না কেন, তারা কিছুই বুঝবে না l সামনে বসে বোঝাতে হয় l অসীমের (বেহদের) বাবার থেকে অসীমের (বেহদের) অবিনাশী
উত্তরাধিকারী পাওয়া যায় l জন্ম - জন্মান্তর তোমরা জাগতিক সীমিত (হদের বর্সা) উত্তরাধিকার নিয়ে এসেছ l তোমরা ব্যাজের উপরেও বোঝাতে পার l কেউ কেউ তোমাদেরকে নিয়ে হাসাহাসিও করতে পারে। তোমরা দু'জন বাবার কথা সেই সময় বলতে পারবে l এমন অনেকেই আছে যারা নিজের বাচ্চাদের বোঝায় l বাচ্চারাও বাবাকে বোঝাতে পারে l স্ত্রী তার পতিকে নিয়ে আসে l কোথাও কোথাও আবার ঝগড়াও করে l এখন তোমরা জানো যে, তোমরা সব আত্মারা হলে সন্তান l তোমরাই অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী l লৌকিক জগতে মেয়েরা বিয়ে করে অন্য বাড়িতে যায়, একে কন্যাদান বলা হয় l অন্যকে তো দিয়ে দেয়, তাই না l এখন তো ওই কাজ তোমরা করবে না l ওখানে স্বর্গেও কন্যারা অন্য গৃহে যায়, কিম্তু তারা পবিত্র থাকে l এ হল পতিত দুনিয়া আর ওই সত্যযুগ হল শিবালয়, পবিত্র দুনিয়া l বাচ্চারা, তোমাদের উপর এখন বৃহস্পতির দশা l তোমরা স্বর্গে তো অবশ্যই যাবে, এ তো সম্পূর্ণ পাকা l বাকি পুরুষার্থ করে উঁচু পদ পেতে হবে l নিজের মনকে জিজ্ঞেস করো, আমরা অমুকের মতো সার্ভিস করি তো ? এমন নয় যে ব্রাহ্মণী (টিচার ) চাই। নিজেই টিচার হও l আচ্ছা !
বাচ্চাদের পুরুষার্থ করতে হবে l বাকি বাবা কারোর থেকে অর্থ নিয়ে কি করবেন l তোমরা মিউজিয়াম ইত্যাদি খোলো l বাড়িঘর ইত্যাদি তো এখানেই শেষ হয়ে যাবে l বাবা তো ব্যবসায়ী, তাই না ! তিনি হলেন শেয়ারের দালাল l তিনি দুঃখের শৃঙ্খল মুক্ত করে সুখ প্রদান করেন l এখন বাবা বলছেন, অনেক সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, অল্পই বাকি আছে --তোমরা দেখতে থাকবে, অনেক বিপর্যয় হবে l আচ্ছা l
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ, ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. ট্রাস্টি আর অনাসক্ত হয়ে থাক l কোনো ব্যর্থ খরচ কোরো না l নিজেদের দেবতার মতো পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ করতে থাকো l
২. একমাত্র সেই প্রিয়র থেকেও প্রিয় জিনিসকে (বাবাকে) স্মরণ করো l যতটা সম্ভব কলিযুগী বন্ধনকে হালকা করতে থাকো l বন্ধন বাড়িও না l তোমরা সত্যযুগী দৈবী সম্বন্ধে যাচ্ছ, এই খুশীতেই থাকো l
বরদান:-
নলেজফুল হয়ে সর্ব ব্যর্থ প্রশ্নকে যজ্ঞতে স্বাহা করে নির্বিঘ্ন ভব
যখন কোনো বিঘ্ন আসে, তখন কি বা কেন -- এমন অনেক প্রশ্নে চলে যাও তোমরা, প্রশ্নচিত্ত হওয়া অর্থাৎ চিন্তিত হওয়া l নলেজফুল হয়ে যজ্ঞতে সর্ব ব্যর্থ প্রশ্নকে স্বাহা করে দাও, তাহলে তোমাদেরও সময় বেঁচে যাবে আর অন্যদেরও সময় বাঁচবে l এতে সহজেই নির্বিঘ্ন হয়ে যাবে l দৃঢ় বিশ্বাস (নিশ্চয়) আর বিজয় হল জন্মসিদ্ধ অধিকার -- এই গর্বে থাকো তাহলে কখনোই বিচলিত হবে না l
স্লোগান:-
সর্বদা উৎসাহে থাকা আর অন্যদেরও উৎসাহ দেওয়া - এটাই হল তোমাদের অক্যুপেশন (কাজ) l