০৬-০৮-১৯ প্রাতঃমুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞানের ধারণা করতে থাকো, তাহলে অন্তিমে তোমরা বাবার তুল্য হয়ে যাবে, বাবার সম্পূর্ণ শক্তি তোমরা হজম করতে পারবে"

প্রশ্ন:-

কোন্ দুটি শব্দের স্মৃতিতে তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হতে পারো ?

উত্তর:-

উত্থান আর পতন, সতোপ্রধান আর তমোপ্রধান, শিবালয় আর বেশ্যালয় । এই দুটি দুটি কথা স্মৃতিতে থাকলে তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে যাবে । বাচ্চারা, তোমরা এখন জ্ঞানকে যথার্থ রীতিতে জানো । ভক্তিতে কোনো জ্ঞান নেই কেবল মন খুশী করার কথা বলতে থাকে । ভক্তিমার্গ হলোই খুশী করার মার্গ* ।

ওম্ শান্তি ।

মিষ্টি - মিষ্টি রুহানী বাচ্চাদের বাবা বসে বোঝাচ্ছেন । এখন বাচ্চারা, বাবা তোমাদের জন্য বলছেন, তোমরা কতো উচ্চ ছিলে । এ হলো উত্থান আর পতনের খেলা । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন আছে যে, আমরা কতো উত্তম আর পবিত্র ছিলাম । এখন কতো নিচু হয়ে গেছো । তোমরাই দেবী দেবতাদের সামনে গিয়ে বলো - তুমি উঁচু আর আমি নীচ । প্রথম - আগে এই কথা জানা ছিলো না যে, আমরাই উঁচুর থেকে উঁচু হই আবার নিচে নেমে যাই । বাবা এখন তোমাদের বলেন - মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা কতো উচ্চ আর পবিত্র ছিলে, এখন কতো অপবিত্র হয়ে গেছো । পবিত্রকে উঁচু বলা হয়, তাকে বলা হয় নির্বিকারী দুনিয়া । ওখানে তোমাদের রাজ্য ছিলো যা এখন তোমরা আবার স্থাপন করছো । বাবা কেবল ইঙ্গিত দেন যে, তোমরা অনেক উচ্চ শিবালয় সত্যযুগের নিবাসী ছিলে, এরপর জন্ম নিতে নিতে অর্ধেক পরে তোমরা বিকারে পড়তে শুরু করো এবং পতিত - বিকারী হয়ে যাও । অর্ধেক কল্প তোমরা বিকারী ছিলে আবার তোমাদের নির্বিকারী, সতোপ্রধান হতে হবে । এই দুটি শব্দ মনে রাখতে হবে । এ হলো এখন তমোপ্রধান দুনিয়া । সতোপ্রধান দুনিয়ার নিদর্শন এই লক্ষ্মী - নারায়ণ, এ হলো পাঁচ হাজার বছরের কথা । সতোপ্রধান ভারতে এদের রাজ্য ছিলো । ভারত অনেক উত্তম ছিলো এখন কনিষ্ঠ হয়ে গেছে । নির্বিকারী থেকে বিকারী হতে তোমাদের ৮৪ জন্ম লাগে । যদিও সেখানে অল্প - অল্প করে কলা কম হতে থাকে । তবুও সেখানে তো সম্পূর্ণ নির্বিকারী বলা হবে, তাই না । একদম সম্পূর্ণ নির্বিকারী শ্রীকৃষ্ণকে বলা হবে । তিনি গৌরবর্ণ (সতোপ্রধান ) ছিলেন, এখন শ্যামবর্ণ (তমোপ্রধান ) হয়ে গেছেন । তোমরা এখন এখানে বসে আছো, কিন্তু তোমাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত যে, আমরা শিবালয়, এই বিশ্বের মালিক ছিলাম । দ্বিতীয় অন্য কোনো ধর্ম ছিলো না, কেবল আমাদেরই রাজ্য ছিলো তারপর দুই কলা কম হয়ে গিয়েছিলো । অল্প - অল্প করে কলা কম হতে হতে ত্রেতাতে দুই কলা কম হয়ে গিয়েছিলো । পরের দিকে বিকারী হয়ে যায় তারপর নামতে - নামতে ছিঃ - ছিঃ হয়ে যায় । একে বলা হয় বিকারী দুনিয়া । বিষয় বৈতরণী নদীতে ধাক্কা খেতে থাকে । ওখানে সবাই ক্ষীর সাগরে থাকে । তোমরা এই পৃথিবীবীর সম্পূর্ণ হিস্ট্রি ð~¶ð~¶pöP:·X¶¶@¶2472;িজেদের ৮৪ জন্মের কাহিনীকে বুঝতে পেরে গেছো । আমরা নির্বিকারী ছিলাম, এঁদের রাজত্বে ছিলাম, সেই রাজ্য পবিত্র ছিলো, তাকে বলা হবে সম্পূর্ণ স্বর্গ । ত্রেতাকে বলা হবে সেমি স্বর্গ । এ কথা তো তোমাদের বুদ্ধিতে আছে, তাই না । বাবা এসেই তোমাদের এই সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তের রহস্য বুঝিয়ে বলেন । মধ্যের সময় রাবণ আসে, তারপর এই অপবিত্র দুনিয়ার বিনাশ হয়ে যাবে । তারপর আদিতে যাওয়ার জন্য পবিত্র হতে হবে । নিজেকে আত্মা মনে করে একমাত্র আমাকে (মামেকম্ ) স্মরণ করো । নিজেকে দেহ মনে কোরো না । তোমরা ভক্তি মার্গে প্রতিজ্ঞা করেছিলে - বাবা, তুমি এলে আমি তোমারই হবো । আত্মা বাবার সঙ্গে কথা বলে । কৃষ্ণ তো বাবা ছিলই না । আত্মাদের বাবা নিরাকার শিববাবা একজনই । এই লৌকিক বাবার থেকে জাগতিক উত্তরাধিকার আর অসীম জগতের বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার ভারত পেয়ে থাকে, তাই সত্যযুগকে শিবালয় বলা হয় । শিববাবা এসে দেবী - দেবতা ধর্মের স্থাপন করেছিলেন । একথা সর্বদা মনে রাখা উচিত । এ তো খুশীর কথা, তাই না । এখন আমরা আবার শিবালয়ে যাচ্ছি । কেউ মারা গেলে বলা হয়, স্বর্গে গেছেন, কিন্তু এইভাবে কেউই যায় না । এ সবই ভক্তিমার্গের গালগল্প -- মন খুশী করে দেবার জন্য । প্রকৃত স্বর্গে তো তোমরা এখন যাচ্ছো । ওখানে কোনো রোগভোগ থাকে না । ওখানে তোমরা সর্বদা খুশীতে থাকো । তাই বাবা কতো সহজভাবে তোমাদের মতো ছোটো ছোটো বাচ্চাদের বসে বোঝান, যদিও বাইরে যেখানে খুশী থেকেও তোমরা পদপ্রাপ্তি করতে পারো, এখানে পবিত্রতাই মূখ্য । খাওয়া - দাওয়া যেন শুদ্ধ থাকে । দেবতাদের সামনে কখনো সিগারেট, বিড়ি ইত্যাদির ভোগ দাও কি ? গুরু গ্রন্থ সাহেবের সামনে কখনো ডিম বা বিড়ি ইত্যাদির ভোগ দিয়েছো কি ? গ্রন্থ সাহেবকে মনে করা হয় - এ যেন গুরু গোবিন্দের শরীর । গ্রন্থকে এতটা মান দেওয়া হয় । এ যেন গুরুর দেহ । শিখরা এমনই মনে করে, কিন্তু গুরু নানক গ্রন্থ লেখেনই নি । নানক তো অবতার নিয়েছিলেন । শিখদের বৃদ্ধি হয়েছিলো, পরে তারা গ্রন্থ লিখেছিলো । একের পর এক, অনেকেই শিখ ধর্মে আসতে শুরু করেছিলো । প্রথমে তো গ্রন্থ খুব ছোটো ছিলো এবং হাতে লেখা ছিলো । গীতার জন্য যেমন মনে করা হয় - এ হলো কৃষ্ণের রূপ । যেমন মানা হয়, নানকের গ্রন্থ, তেমনই কৃষ্ণের জন্য গীতার মহিমা করা হয় । কৃষ্ণ ভগবান উবাচঃই বলতে থাকে । একে বলা হয় অজ্ঞানতা । জ্ঞান তো একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মার মধ্যেই আছে । গীতার দ্বারাই সদগতি হয় । সেই জ্ঞান তো বাবার কাছেই আছে । জ্ঞানের দ্বারা দিন আর ভক্তির দ্বারা রাত হয় । বাবা এখন বলছেন, আত্মাকে পবিত্র হতে হবে, এরজন্য পরিশ্রম করতে হবে । মায়ার ঝড় এতো জবরদস্ত ভাবে আসে যে, জ্ঞান একদম উড়ে যায় । কাউকে বলতেও পারে না । প্রথমে কাম বিকারই খুব উৎপাত করে । এতেও অনেক সময় লাগে । এ তো হলো এক সেকেণ্ডে জীবনমুক্তির কথা । বাচ্চার জন্ম হলো আর মালিক হয়ে গেলো । তোমরা চিনতে পেরেছো যে, শিববাবা এসেছে, আর তার অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়ে গেছ । গীতাও শিববাবাই বলেছেন, তিনিই বলেছেন - "মামেকম্" (একমাত্র আমাকেই ) স্মরণ করো । আমি এই সাধারণ শরীরে আসি । কৃষ্ণ তো সাধারণ নন । তিনি যখন জন্ম নেন, তখন যেন বিদ্যুৎতের চমক লাগে । অনেক প্রভাব পড়ে, তাই তো শ্রীকৃষ্ণের এখন পর্যন্ত এমন মহিমা । বাকি শাস্ত্র ইত্যাদি সবই ভক্তিমার্গের । ইংরাজীতে একে ফিলোসফি বলে দেয়, কিন্তু আধ্যাত্মিক জ্ঞান তো একমাত্র আধ্যাত্মিক পিতাই দিতে পারেন । তিনি ð~¶ð~¶pöP:·X¶¶@¶;াদের আধ্যাত্মিক পিতা । আমি জ্ঞানের সাগর । বাচ্চারা, তোমরাও বাবার কাছ থেকে শিখছো । তোমরা জ্ঞানও ধারণ করছো । পরের দিকে তোমরাও বাবার মতো হয়ে যাবে । সম্পূর্ণই এই ধারণার উপর নির্ভর করে । তারপর বাবার স্মরণে সেই শক্তি এসে যাবে । এই স্মরণকে শক্তির ধার বা তীক্ষ্ণতা বলা হয় । তবে তলোয়ারের মধ্যেও তো অনেক তফাৎ হয় । কোনো তলোয়ার যেমন ১০০ টাকার হয় আবার কোনোটা তিন - চার হাজার টাকারও হয় । বাবা তো অনুভাবী, তাই না । তলোয়ারের অনেক মান । গুরু গোবিন্দ সিংয়ের তলোয়ারের কতো মান । তাই বাচ্চারা, তোমাদের যোগের শক্তির প্রয়োজন । তাই জ্ঞান তলোয়ারে তীক্ষ্ণতার প্রয়োজন । এই তীক্ষ্ণতা এলেই শীঘ্র বুঝতে পারবে । নাটকের নিয়ম অনুসারে তোমরা পরিশ্রম করতেই থাকো । তোমরা যতো বাবাকে স্মরণ করবে, ততই তোমাদের পাপ কাটতে থাকবে । পতিত - পাবন বাবাই যুক্তি বলে দিচ্ছেন । এরপর পরের কল্পেও তিনি এমনভাবে এসেই তোমাদের জ্ঞান দেবেন । এনাকেও এইভাবে সব ত্যাগ করিয়ে নিজের রথ বানাবেন । বাচ্চারা, তোমাদের কতো আকর্ষণ থাকে, সবাই কেমন ছুটে আসে । বাবার মধ্যে আকর্ষণ তো আছে । এখন তোমাদেরও এমন সম্পূর্ণ হতে হবে । তবে তা নম্বর অনুসারেই হবে । এই রাজধানী এখন স্থাপন হচ্ছে ।



তোমরা সত্যযুগ আদি থেকে কলিযুগ অন্ত পর্যন্ত সৃষ্টিচক্রকে বুঝতে পেরেছো । এখন হলো সঙ্গম যুগ । বাবাকে অবশ্যই পবিত্র বানাতে আসতে হয় । পবিত্র অর্থাৎ সতোপ্রধান । এরপর খাদ জমা হতে থাকে । এখন এই খাদ কিভাবে বের হবে ? আত্মা যতো স্বচ্ছ হয়, গয়নাও আসল হয় অর্থাৎ শরীর গৌরবর্ণ হয় । আত্মা যখন অস্বচ্ছ হয়ে যায় তখন শরীরও পতিত হয়ে যায় । জ্ঞানের পূর্বে তো ইনিও নমন - বন্দন করতেন । লক্ষ্মী - নারায়ণের বড় অয়েলপেণ্টের চিত্র (দোকানে) গদিতে লাগানো থাকতো । তিনি এঁদেরই খুব শ্রদ্ধার বা ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতেন আর কাউকেই নয় । বাইরে অন্য দিকে খেয়াল গেলে নিজেকে চড় মারতেন । মন কেন পালিয়ে যায়, কেন দর্শন হয় না ? তিনি তো ভক্তিতেই ছিলেন । তারপর যখন বিষ্ণুর দর্শন হয়েছিলো তখন কি তিনি বিষ্ণু হয়ে গিয়েছিলেন ? পুরুষার্থ তো অবশ্যই করতে হয়, এইম অবজেক্ট তো সামনে উপস্থিত । ইনি চৈতন্যে ছিলেন, যার জড় চিত্র বানানো হয়ছে । বাবা এসেছেন তোমাদের পবিত্র করতে, তিনি নর থেকে নারায়ণ বানান । তোমরাও তাঁদের রাজধানীতেই ছিলে । এখন আবারও এমন হওয়ার পুরুষার্থ যদি করো, তাহলে খুব ভালোভাবে অনুসরণ করা উচিত । ব্রহ্মাকে দেবতা বলা হয় না । বিষ্ণু দেবতা - এই কথা ঠিক । মানুষ তো কিছুই জানে না । তারা বলে -- গুরু ব্রহ্মা - গুরু বিষ্ণু... । এখন বিষ্ণু কার গুরু হবেন ? মানুষ সবাইকে গুরু বলতে থাকে । তারা শিব পরমাত্মা নমঃ বলে, তাঁকেই গুরু এবং পরমাত্মা বলে । সবার উপরে তো বাবাই হলেন, তাই না । তাঁর থেকেই আমরা অন্যদের শেখানোর জন্য নিজেরা শিখছি । সদগুরু তোমাদের যা বোঝান, তা তোমরা অন্যদের বোঝাও । গুরুকে এমন বলা হয় না, যে ইনিই বাবা আবার ইনিই টিচার । এই সমস্ত জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত । আমরা শিবালয়ে ছিলাম এখন আমরা বেশ্যালয়ে আছি । আবার আমাদের শিবালয়ে যেতে হবে । যদিও মানুষ বলে থাকে - ব্রহ্মে লীন হয়ে গেছে, জ্যোতি, জ্যোতিতে মিলিয়ে গেছে কিন্তু আত্মা তো অবিনাশী । প্রত্যেকের মধ্যেই নিজের নিজের পার্ট ভরা রয়েছে । এখানে সকলেই অভিনেতা, তাদের সকলকেই নিজের ভূমিকা পালন করতেই হবে । এ কখনোই শেষ হবে না । এই সম্পূর্ণ দুনিয়ার যতো আত্মা আছে, তাদের সকলকেই অভিনð~¶ð~¶pöP:·X¶¶@¶2476;ে নতুন স্যুটিং হয়, কিন্তু এ হলো অনাদি শ্যুটিং, যা হয়ে রয়েছে । এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হতে থাকে । এ হলো এক আশ্চর্য তারা যা ভ্রুকুটির মধ্যে ঝলমল করতে থাকে । এ কখনোই মুছে যায় না । এই জ্ঞান তোমাদের পূর্বে ছিলো না । এ হলো পৃথিবীর আশ্চর্য জ্ঞান । হেভেন বা স্বর্গ নাম শুনে মন খুশী হয়ে যায় । এখন তো সত্যযুগ আর নেই । এখন হলো কলিযুগ । তাই পুনর্জন্মও এই কলিযুগেই নেবে । যেতে তো সকলকেই হবে কিন্তু পতিত আত্মারা সেখানে যেতে পারবে না । বাচ্চারা, এখন তোমরা যোগবলের দ্বারা পবিত্র হও । এই পবিত্র দুনিয়া গড ফাদারই স্থাপন করেন । এরপর রাবণ একে নরক বানিয়ে দেয় । এ তো প্রত্যক্ষ, তাই না । মানুষ রাবণকে জ্বালায় । মানুষ তো বলে থাকে, এ অনাদি যুগ ধরে চলে আসছে, কিন্তু কবে থেকে এ শুরু হলো, এও কেউ জানে না । অর্ধেক অর্ধেক তো বলতে পারে না। কেননা তারা লাখ বছর বলে দেয় । কলিযুগ তো আবার ওরা চল্লিশ হাজার বছরের বলে দেয় । তাহলে মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে আছে, তাই না । এই অজ্ঞান নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়া খুব মুশকিল, সহজে জাগেই না । এখন হলো সঙ্গম যুগ, যখন বাবা এসে পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন । তোমরা পবিত্র হলে পবিত্র দুনিয়া স্থাপন হয়েই যাবে । এই পতিত দুনিয়াও শেষ হয়ে যাবে । এখন এই দুনিয়া কতো বিশাল । সত্যযুগে এই দুনিয়া অনেক ছোটো হয়ে যাবে । এখন এই মায়াকে জয় করে অবশ্যই তোমাদের পবিত্র হতে হবে । বাবা বলেন যে, মায়া অনেক দুস্তর । এই পবিত্র হওয়াতেই মায়া অনেক বিঘ্ন এনে উপস্থিত করে । পবিত্র হওয়ার সাহস রাখলে মায়া এসে কি হাল বানিয়ে দেয় । একদম ঘুসি মেরে ফেলে দেয় । যা অর্জন করেছো তাও শেষ করে দেয় । এরপর অনেক পরিশ্রম করতে হয় । কেউ তো মায়ার ঘুসিতে পড়ে গেলে তারপর আর মুখ দেখাতে পারে না। তখন এতো উঁচু পদও পেতে পারে না । পুরুষার্থ সম্পূর্ণ হওয়া উচিত । ফেল হওয়া উচিত নয়। তাই কেউ কেউ আবার গন্ধর্ব বিবাহও করে দেখায় । সন্ন্যাসীরা বলে, বিয়ে করেও পবিত্র থাকা, এ অসম্ভব । বাবা বলেন, এও সম্ভব কেননা এতে প্রাপ্তি অনেক । অন্তিম এই এক জন্ম তোমরা পবিত্র থাকবে তাহলে তোমরা স্বর্গের বাদশাহী পাবে । এতবার প্রাপ্তির জন্য তোমরা কি এক জন্ম পবিত্র থাকতে পারবে না ? ওরা বলে, বাবা আমরা অবশ্যই থাকবো । শিখরাও পবিত্রতার কঙ্কন ধারণ করে । এখানে হাতে কোনো সূতো ইত্যাদি পড়ার কোনো দরকার নেই । এ তো হলো বুদ্ধিতে ধারণের বিষয় । বাবা বলন, আমাকে (মামেকম্ ) স্মরণ করো । বাচ্চারা অনেককেই এই কথা শোনায়, কিন্তু বড় (অর্থবান ) মানুষদের বুদ্ধিতে বসেই না । বাবা বলেন, প্রথমে ওদের খুব ভালোভাবে বোঝাও -- এই সবই হলো প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান । শিববাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে । বাবা এখন বলছেন - তোমরা আমাকে স্মরণ করো, এমন তো কেউই বলতে পারে না । প্রথমে তো তাদের বুদ্ধিতে বসাতে হবে যে, ভারত নির্বিকারী ছিলো, এখন সেই ভারত হলো বিকারী দুনিয়া, আবার কিভাবে নির্বিকারী হবে ? ভগবান উবাচঃ মামেকম্ ( আমাকে ) স্মরণ করো । ব্যস, এতটুকু বললেই, অহো সৌভাগ্য ! কিন্তু এতটুকুও বলতে পারবে না । সব ভুলে যাবে । বাবা বুঝিয়েছেন যে - উদঘাটন তো বাবাই করে দিয়েছেন । বাকি তোমরা নিমিত্ত রূপে করছো । সার্ভিস স্টেশনের উদঘাটনের জন্য এখন ফাউন্ডেশন করে দেওয়া হয়েছে । এ তো গীতারই কথা, গীতাতেই আছে - হে বাচ্চারা, তোমরা যদি কামকে জয় করো, তাহলে ২১ জন্মের জন্য জগৎজিত হতে পারবে । নিজেও যদি না হতে পারো, তো অন্যদের বোঝাও । এমনও অনেক আছে যারা অন্যদের তুলে ধরে নিজেরাই পড়ে যায় । এই কাম হলো মহাশত্রু, একদম গর্তে ফেলে দেয় । যে বাচ্চারা কামকে জয় করতে পারে, তারাই জগৎজিত হয় । আচ্ছা ।



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মূখ্য সার :-

১. এই অন্তিম জন্মে সর্ব প্রাপ্তিকে সামনে রেখে পবিত্র হয়ে দেখাতে হবে । মায়ার বিঘ্নের কাছে হেরে যাবে না ।

২. এইম অবজেক্টকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে । ব্রহ্মা বাবা যেমন পুরুষার্থ করে নর থেকে নারায়ণ হয়েছিলেন এমনই তাঁকে অনুসরণ করে সিংহাসনের উপযুক্ত হতে হবে । আত্মাকে সতোপ্রধান বানাতে পরিশ্রম করতে হবে ।

বরদান:-

শুভ চিন্তনের দ্বারা নেগেটিভকে পজেটিভে পরিবর্তন করে শুভ চিন্তক ভব

সদা সমর্থ থাকার জন্য দুটি শব্দ স্মরণে রেখো -- শুভ চিন্তন আর শুভ চিন্তক । শুভ চিন্তনের দ্বারা নেগেটিভকে পজেটিভে পরিবর্তন করতে পারো । শুভ চিন্তন আর শুভ চিন্তক - এই দুইয়ের নিজেদের মধ্যে সম্বন্ধ আছে । যদি শুভ চিন্তন না থাকে, তাহলে শুভ চিন্তাকও হতে পারবে না । বর্তমান সময় এই দুটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দাও, কেননা এমন অনেক সমস্যা আছে, এমন মানুষও আছে যারা বাণীর দ্বারা বোঝে না। তাই শুভ চিন্তক হয়ে ভাইব্রেশন দাও, তাহলে তারা পরিবর্তন হয়ে যাবে ।

স্লোগান:-

জ্ঞান রত্ন, গুণ আর শক্তি নিয়ে খেলো, কাদা বা মাটি নিয়ে নয় ।