২৮-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- বিশ্বের সব আত্মারা এখন অজ্ঞান এবং দুঃখী, তোমরা তাদের উপরে উপকার করো, বাবার পরিচয় দিয়ে তাদের খুশীতে নিয়ে এসো, তাদের চোখ খোলো"
প্রশ্ন:-
যে কোনও সেন্টারের বৃদ্ধির আধার কি ?
উত্তর:-
নিঃস্বার্থভাবে সত্য প্রকৃত হৃদয় দিয়ে সেবা। তোমাদের যেন সার্ভিসের সদা আগ্রহ থাকে তাহলে ভান্ডার (হুন্ডি) ভরতে থাকবে। যেখানে সার্ভিস হতে পারে সেখানে ব্যবস্থা করা উচিত। কারো কাছে চাইবে না। চাইবার চেয়ে মরা ভালো। নিজে থেকেই সবকিছু আসবে। তোমরা অন্যদের মতন চাঁদা আদায় করতে পারবে না। চাইলে সেন্টারের জোর থাকবে না তাই কোনও কিছু না চেয়ে সেন্টারে এগিয়ে নিয়ে যাও ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক বাচ্চারা (রূহানী বাচ্চারা) এখানে বসে আছে, বুদ্ধিতে এই জ্ঞান আছে, কিভাবে শুরুতে আমরা উপর থেকে আসি। যেমন বিষ্ণু অবতরণের একটি খেলা দেখানো হয়। বিমানে বসে নীচে আসেন। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ অবতার ইত্যাদি যা কিছু দেখানো হয়েছে সেসব হল ভুল । এখন তোমরা বুঝেছ - আমরা আত্মারা আসলে কোথাকার নিবাসী, কিভাবে উপর থেকে এখানে আসি, কিভাবে ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করে পতিত হই ? এখন আবার বাবা পবিত্র করেন। এই কথা তো নিশ্চয়ই স্টুডেন্টদের অর্থাৎ তোমাদের বুদ্ধিতে হওয়া উচিত, ৮৪-র চক্র আমরা কিভাবে পরিক্রমা করি ? এই কথা স্মরণে থাকা উচিত। বাবা-ই বোঝান - তোমরা কিভাবে ৮৪ জন্ম নাও। কল্পের আয়ুর অবধি লম্বা-চওড়া করতে দেওয়াতে এত সহজ কথাও মানুষ বোঝে না, তাই অন্ধ বিশ্বাস (ব্লাইন্ড ফেথ) বলা হয়। যে অন্য ধর্ম গুলি আছে সেসব কিভাবে স্থাপন হয় সবই তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। তোমরা জানো পুনর্জন্ম নিতে নিতে, পার্ট প্লে করতে করতে এখন শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছি। বলাও হয় ৫ হাজার বছর পূর্বে প্যারাডাইজ (স্বর্গ) ছিল। কিন্তু স্বর্গ কি, সে কথা জানে না। অবশ্যই আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। কিন্তু এই কথা একেবারেই জানে না। তোমরা এখন বুঝেছ আগে আমরাও কিছু জানতাম না। অন্য ধর্মের মানুষ এমন নয় যে নিজের ধর্ম স্থাপককে জানে না। তোমরা এখন জ্ঞানবান, নলেজফুল হয়েছ। বাকি সম্পূর্ণ দুনিয়া জ্ঞানহীন অবস্থায় আছে। আমরা কত বোধযুক্ত হয়ে ছিলাম, তারপরে এখন অবুঝ, অজ্ঞানী হয়েছি। মানুষ হয়ে অথবা অ্যাক্টর্স হয়ে আমরা কিছু জানি না। নলেজের প্রভাব দেখো কেমন ! এই কথা তোমরাই জানো। তাই বাচ্চাদের কতখানি খুশীতে গদগদ হওয়া উচিত। যখন ধারণা হবে তখনই সেই খুশী অনুভব হবে। তোমরা জানো আমরা শুরুতে কিভাবে আসি তারপরে কিভাবে শূদ্র কুল থেকে ব্রাহ্মণ কুলে ট্রান্সফার হই। এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে পরিক্রমা করে, সে কথা তোমরা ছাড়া দুনিয়ায় আর কেউ জানে না। মনের মধ্যে এই জ্ঞান ডান্স হওয়া উচিত। বাবা আমাদের কত ওয়ান্ডারফুল নলেজ দেন, যে নলেজ দ্বারা আমরা বর্সা প্রাপ্ত করি। লেখাও আছে এই রাজ যোগের দ্বারা আমি তোমাদের রাজার রাজা করি। কিন্তু এ বিষয়ে কোনোই বোধ ছিল না। এখন বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণে পরিণত হই। এই মন্ত্র বুদ্ধিতে আছে। আমরা সেই ব্রাহ্মণ, যারা পুনরায় দেবতা হব পরে আমরাই নীচে আসি। কতবার পুনর্জন্ম নিয়ে চক্র পরিক্রমা করি। এই নলেজ বুদ্ধিতে থাকলে খুশীর অনুভূতিও থাকা উচিত। অন্যরা এই নলেজ কিভাবে প্রাপ্ত করবে ? অনেক চিন্তন চলে। কিভাবে সবাইকে বাবার পরিচয় দেওয়া যায় ? তোমরা ব্রাহ্মণরা কত উপকার কর। বাবাও তো উপকার করেন তাইনা। যারা একেবারে অজ্ঞানে ছিল, তাদের সদা সুখী করেন। চোখ খোলেন। খুশী তো হয় তাইনা। যাদের সার্ভিস করার শখ থাকে তাদের মনে এইরূপ ভাবনা আসা উচিত, অনেক খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত। আমরা আত্মারা কোথাকার নিবাসী, কিভাবে পার্ট করতে আসি ? কত উঁচুতে স্থান প্রাপ্ত হয় তারপরে কিভাবে নীচে নেমে আসি তখন রাবণ রাজ্য কবে আরম্ভ হয় ? এইসব বুদ্ধিতে এখন এসেছে।
ভক্তি ও জ্ঞানে রাত-দিনের পার্থক্য আছে। শুরু থেকে কে ভক্তি করে এসেছে ? তোমরা বলবে প্ৰথমে আমরা আসি অতএব আমরা অনেক সুখ ভোগ করি তারপরে আমরা ভক্তি করা শুরু করি। পূজ্য এবং পূজারী-তে কতখানি রাত-দিনের মতন পার্থক্য আছে। তোমাদের কাছে এখন অনেক জ্ঞান আছে। খুশীর অনুভব হওয়া উচিত তাইনা। কিভাবে আমরা ৮৪-র চক্র পূর্ণ করি। কোথায় ৮৪ জন্ম, কোথায় ৮৪ লক্ষ ! এত ছোট কথাও কারো খেয়ালে আসে না। লক্ষ বছরের তুলনায় এই এটি হল এক দুই দিনের সমান। ভালো বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এই চক্র পরিক্রম করে, একেই বলা হয় স্বদর্শন চক্রধারী। সত্যযুগে এই নলেজ থাকে না। স্বর্গের কত মহিমা গায়ন হয়। সেখানে শুধু ভারত -ই ছিল। যা ছিল তাই আবার হতেই হবে। বাইরে থেকে দেখলে তো কিছুই চোখে পড়ে না। সাক্ষাৎকার হয়। তোমরা জানো এই পুরানো দুনিয়া এবারে শেষ হওয়ার আছে তারপরে নম্বর অনুসারে আমরা নতুন দুনিয়ায় আসব। আত্মারা কিভাবে আসে পার্ট প্লে করতে, সেসব তো তোমরা বুঝেই গেছ। আত্মারা তেমন করে উপর থেকে নীচে নামে না, যেমন নাটকে দেখানো হয়। আত্মাকে তো কেউ চোখ দিয়ে দেখতে পারে না। আত্মা কিভাবে আসে, ছোট শরীরে কিভাবে প্রবেশ করে, বড়ই ওয়ান্ডারফুল এই খেলা। এই পঠন পাঠন হল ঈশ্বরীয়। এতে দিন-রাত চিন্তন চলা উচিত। আমরা তথ্যটি একবার বুঝে, যেন সবটুকু চোখে দেখে তারপরে বর্ণনা করি। আগে জাদুকর অনেক জিনিস বের করে দেখাত। বাবাকেও জাদুকর, সওদাকর, রত্নাকর বলা হয় তাইনা । আত্মাতেই সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে। আত্মা-ই হল জ্ঞানের সাগর। যদিও বলা হয় পরমাত্মা হলেন জ্ঞানের সাগর, কিন্তু তিনি কে, কিভাবে তিনি জাদুকর হন, সেসব কেউ জানে না। আগে তোমরাও বুঝতে না। এখন বাবা এসে দেবতায় পরিণত করেন। মনের মধ্যে কতখানি খুশীর অনুভব হওয়া উচিত। একমাত্র বাবা-ই হলেন নলেজফুল, আমাদের পড়ানও উনি। এই কথা শুধু তোমরা বাচ্চারা-ই জানো। এইসব দিন-রাত স্মরণে থাকা উচিত। এই অসীম জগতের নাটকের নলেজ শুধুমাত্র এক বাবা-ই বলে দেন, আর কেউ বলে দিতে পারে না। বাবা কি আর দেখেছেন, কিন্তু তাঁর মধ্যে সম্পূর্ণ নলেজ আছে। বাবা বলেন আমি সত্যযুগ -ত্রেতায় তো আসি না কিন্ত নলেজ পুরোটাই বলি। আশ্চর্য অনুভব হয় তাইনা। যে কখনও পার্ট-ই করেনি, সে কিভাবে বলে দেয় ! বাবা বলেন আমি কিছুই দেখি না। না আমি সত্যযুগ-ত্রেতায় আসি কিন্তু আমার মধ্যে কত নলেজ আছে যে আমি একবার এসেই তোমাদের নলেজ প্রদান করি। তোমরা পার্ট করেছ, তোমরা জানো না আর যে পার্ট করেনি সে এসে সব বলে দেয় - ওয়ান্ডার তাইনা। আমরা যে পার্টধারী, আমরা কিছুই জানি না আর বাবার সম্পূর্ণ নলেজ আছে। বাবা বলেন আমি কি সত্যযুগ ত্রেতায় আসি যে নিজের অনুভব তোমাদের শোনাব। ড্রামা অনুযায়ী না দেখে, অনুভব না করে সম্পূর্ণ নলেজ প্রদান করি। কতখানি ওয়ান্ডার - আমি পার্ট প্লে করতে আসি না তবুও তোমাদের পুরো পার্ট বোঝাই, এইজন্যই আমায় নলেজফুল বলা হয়।
অতএব বাবা বলেন এবারে মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা নিজের উন্নতি করতে হলে নিজেকে আত্মা সুনিশ্চিত করো। এ হল খেলা। তোমরা তবুও এমন খেলা-ই খেলবে। দেবী-দেবতা হবে। তারপরে অন্ত সময়ে চক্র লাগিয়ে মানুষ হবে। ওয়ান্ডার অনুভব হওয়া উচিত তাইনা। বাবার মধ্যে এই নলেজ এল কিভাবে ? তাঁর তো কোনও গুরু নেই। ড্রামা অনুযায়ী তাঁর এমন পার্ট প্লে করাটাই নির্দিষ্ট আছে। একেই প্রকৃতি বলা হবে তাইনা। প্রত্যেকটি কথা হল ওয়ান্ডারফুল। সুতরাং বাবা বসে নতুন কথা বোঝান। বিরাট রূপের চিত্র কত ভালো। যারা লক্ষ্মী-নারায়ণ অথবা বিষ্ণুর চিত্র বানায়, তারা-ই দেখায় - আমরা কিভাবে ৮৪ জন্মে আসি। আমরা সে-ই দেবতা, পরে ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, তারপরে শূদ্র। এই কথা স্মরণ করতে কি কোনো কষ্ট আছে ? বাবা হলেন নলেজফুল। কারো কাছে না পড়েছেন, না শাস্ত্র ইত্যাদি পড়েছেন। কিছু না পড়ে, কোনও গুরুর কাছে দীক্ষিত না হয়ে এতখানি নলেজ বসে শোনানো - এমন তো কখনও কেউ দেখেনি। বাবা কত মিষ্টি । ভক্তিমার্গে অনেকে অনেককে মিষ্টি ভাববে আলাদা ভাবে। যে যাকে পাচ্ছে তার পূজো করতে শুরু করে দিচ্ছে। বাবা বসে সব রহস্য বোঝান। আত্মা-ই হল আনন্দ স্বরূপ, তারপরে আত্মা-ই দুঃখ রূপে পরিণত হয়ে ছিঃ ছিঃ হয়ে যায়। ভক্তিমার্গে তোমরা তো কিছুই জানতে না। আমার কত মহিমা বর্ণনা করে কিন্তু কিছুই জানে না। এইটিও কতখানি ওয়ান্ডারফুল খেলা। এই সম্পূর্ণ খেলা বাবা বুঝিয়েছেন। এত গুলি চিত্র সিঁড়ি ইত্যাদির কখনও দেখে নি । এখন দেখছে, শুনছে, বলছেও এই জ্ঞান হল যথার্থ। কিন্তু কাম মহাশত্রু, এই বিকারের উপরে জয় লাভ করতে হবে, এই কথা শুনেই ঢিলে হয়ে যায়। তোমরা কত বোঝাও, তারা বোঝে না। কত পরিশ্রম লাগে। এই কথাও জানো কল্প পূর্বে যারা বুঝেছিল তারা-ই বুঝবে। যারা দৈব পরিবারে জন্ম গ্রহণ করবে কেবল তাদেরই ধারণা হবে। তোমরা জানো আমরা শ্রীমৎ অনুযায়ী রাজধানী স্থাপন করছি। বাবার ডাইরেকশন হল অন্যদেরও নিজের মতন তৈরি করো। বাবা সব জ্ঞান শোনাচ্ছেন। তোমরাও শোনাচ্ছ। তো নিশ্চয়ই বাবার এই রথও (ব্রহ্মাবাবা) জ্ঞান শোনাতে পারবে। কিন্তু নিজেকে গুপ্ত করে রাখেন। তোমরা শিববাবাকেই স্মরণ কর। এনার (ব্রহ্মাবাবার) তো উপমা বা মহিমাও বর্ণন করা চলবে না।
বাবা কিভাবে বসে তোমাদের বোঝাচ্ছেন - এই কথা বাচ্চারা তোমরা ছাড়া কারো জানা নেই। মানুষ এই কথাও জানে না যে রাবণ কি জিনিস। প্রতি বছর রাবণ কে দহন করে। কাঠামো বা এফিজি তো শত্রুর বানানো হয় তাইনা। তোমরাও এখন জেনেছ যে রাবণ হল ভারতের শত্রু যে ভারত কে এত দুঃখী, কাঙাল করেছে। সবাই ৫ বিকার রূপী রাবণের হাতের মুঠোয় বন্দী আছে। বাচ্চাদের মনে এই ভাবনা আসা উচিত - কিভাবে অন্যদেরও রাবণের হাত থেকে মুক্ত করা যায়। সার্ভিস করার জন্যে ব্যবস্থা করতে হবে। সত্য হৃদয়, নিঃস্বার্থ ভাবে সেবা করতে হবে। বাবা বলেন এই ভাবেই বাচ্চাদের হুন্ডি ভরপুর করি অর্থাৎ ভাগ্য খাতায় জমা বৃদ্ধি করি। ড্রামায় নির্দিষ্ট আছে। সার্ভিসের খুব অবসর আছে তখন সেবা করার জন্যে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকে না। বাবা বলে দিয়েছেন সার্ভিস করতে থাকো। কারো কাছে কিছু চাইবে না। চাইবার চেয়ে মরা ভালো। আপনা আপনি তোমাদের কাছে আসবে। চাইলে সেন্টারে শক্তি থাকবে না। কারো কাছে কিছু না চেয়ে সেন্টার জমাও, আপনা থেকে সবকিছু আসবে। তাতেই শক্তি থাকবে। যেমন বাইরে চাঁদা আদায় করে, তেমন তোমরা করবে না।
মানুষকে তো ভগবান বলা হয় না। জ্ঞান হল বীজ। বীজরুপ বাবা বসে তোমাদের জ্ঞান দিচ্ছেন। বীজ হল নলেজফুল তাইনা। ওই পার্থিব বীজ বর্ণনা তো করতে পারবে না। তোমরা বর্ণনা কর। সব কথা বুঝতে পারো। এই অসীমের বৃক্ষ বা ঝাড়ের কথা কেউ বোঝে না। তোমরা অনন্য বাচ্চারা জানো নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী। বাবা বোঝান - মায়াও হল খুব প্রবল। কিছু সহ্য করতেও হয়। কত কঠিন বিকার আছে। ভালো সার্ভিসেবল বাচ্চাদেরও চলতে চলতে মায়ার এমন চড় লাগে, তারা বলে আমরা পতিত হলাম। সিঁড়িতে উপরে উঠতে গিয়ে নীচে পড়ে যায়। তখন সমস্ত অর্জিত ধন অর্থাৎ সুকর্মের জমা ধন নষ্ট হয়ে যায়। দন্ড তো প্রাপ্ত হওয়াই উচিত। বাবার কাছে শপথ ক'রে, রক্ত দিয়ে লিখেও তারা হারিয়ে গেছে। বাবা পাকা করার জন্যে দেখেন, এত যুক্তি করা সত্ত্বেও দুনিয়ায় ফিরে যায়। কত সহজ করে বোঝান, পার্টধারীকে নিজের পার্টের কথা স্মরণ করা উচিত। নিজের পার্ট কি কেউ ভুলতে পারে। বাবা তো রোজ বিভিন্নভাবে বোঝাতে থাকেন। তোমরাও অনেককে বোঝাও তবুও বলে আমরা বাবার সামনে যাব। এই হল বাবার তো ওয়ান্ডার । রোজ মুরলী চালান। তিনি হলেন নিরাকার। নাম, রূপ, দেশ, কাল তো নেই। তাহলে মুরলী শোনাবেন কিভাবে। ওয়ান্ডার অনুভব করে, তারপরে পাকা হয়ে আসে। ইচ্ছে হয় এমন বাবা বর্সা দিতে আসেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করি। এই পরিচয়ে এসে দেখা করলে বাবার কাছে জ্ঞান রত্ন ধারণ করতে পারবে। ভালোভাবে শ্রীমতের অনুপালন করতে পারবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. জ্ঞানকে জীবনে ধারণ করে খুশীতে গদগদ হয়ে থাকতে হবে। ওয়ান্ডারফুল জ্ঞান এবং জ্ঞান দাতাকে স্মরণ করে জ্ঞান ডান্স করতে হবে।
২. নিজের পার্টের স্মরণে থাকতে হবে, অন্যদের পার্টকে দেখবে না। মায়া খুব প্রবল, তাই সাবধান থাকতে হবে। নিজের উন্নতিতে ব্যস্ত থাকো। সার্ভিস করার শখ রাখো।
বরদান:-
সদা স্মরণের ছত্রছায়ার নীচে, মর্যাদার সীমারেখার ভিতরে থেকে মায়াজিত বিজয়ী ভব
বাবার স্মরণ হল ছত্রছায়া, ছত্রছায়ায় থাকা অর্থাৎ মায়াজিত বিজয়ী হওয়া। সদা স্মরণের ছত্র ছায়ার নীচে এবং মর্যাদার সীমারেখার ভিতরে থাকো তাহলে কারো সাহস নেই ভিতরে আসার। মর্যাদার সীমারেখার বাইরে বেরিয়ে যাও তো মায়াও আপন করে নিতে খুব দক্ষ, নিপুণ। কিন্তু আমরা অনেক বার বিজয়ী হয়েছি, বিজয় মালা হল আমাদের-ই স্মরণিকা এই স্মৃতির আধারে সদা শক্তিশালী (সমর্থ) থাকো তো মায়ার কাছে কখনও হার খাবে না।
স্লোগান:-
সর্ব খাজানা নিজের মধ্যে সমায়িত করে নাও তাহলে সম্পন্নতার অনুভব হতে থাকবে ।