১৫-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- স্মরণে থেকে খাবার তৈরি করো তাহলে যে খাবে তার হৃদয় শুদ্ধ হয়ে যাবে, তোমরা ব্রাহ্মণ তোমাদের খাবার খুব শুদ্ধ হওয়া উচিত"
প্রশ্ন:-
সত্যযুগে তোমাদের দ্বারে কখনও কালের আগমন হয় না - কেন ?
উত্তর:-
কারণ সঙ্গমে তোমরা বাচ্চারা বাবার দ্বারা জীবিত অবস্থায় মরতে শিখেছ। যারা এখন জীবিত থেকে মরতে জানে তাদের দোর গোড়ায় কখনো কালের আগমন হয় না। তোমরা এখানে এসেছ মরার কায়দা শিখতে। সত্যযুগ হল অমর লোক, সেখানে কাল কাউকে গ্রাস করে না। রাবণ রাজ্য হল মৃত্যুলোক, তাই এখানে সবার অকালে মৃত্যু হতেই থাকে ।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা প্রদর্শনী দেখে আসে তো বুদ্ধিতে সেইসব স্মরণ থাকা উচিত। আমরা কেমন শূদ্র ছিলাম, এখন ব্রাহ্মণ হয়েছি তারপরে দেবতা সূর্যবংশী - চন্দ্রবংশী হব। এই সঙ্গমযুগী মডেল প্রদর্শনীতে রাখতে হবে। কলিযুগ এবং সত্যযুগের মধ্যিখানে এখন এই হল সঙ্গমযুগ। অতএব সঙ্গমযুগী মডেল মধ্যিখানে থাকবে, তাতে ১৫-২০ জন শ্বেত পোশাকধারী দের তপস্যারত বসানো উচিত। যেমন সূর্যবংশী দেখানো হয় তো চন্দ্রবংশী-ও দেখাতে হবে। এমন তৈরি করতে হবে যাতে মানুষ বুঝতে পারে এই তপস্যা করেই এমন দেবতা স্বরূপে পরিণত হওয়া যায়। যেমন তোমাদের প্রথম দিকের চিত্র রয়েছে। সাধারণ তপস্যারত এবং ভবিষ্যতের রাজ্য পদের। তেমনভাবে এটিও তৈরি করতে হবে। তাহলেই তোমরা বোঝাতে পারবে তপস্যারত ব্রাহ্মণরাই দেবতায় পরিণত হয়। অ্যাকুরেট দেখাতেও হবে। আমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা রাজযোগ শিখে এমন স্বরূপে পরিণত হই। সুতরাং সঙ্গমযুগও অবশ্যই দেখাতে হবে। তোমরা বাচ্চারা প্রদর্শনী দেখে এলে সারাদিন ওই নলেজ বুদ্ধিতে থাকা উচিত, তবেই জ্ঞানের সাগরের বাচ্চারা তোমরা মাস্টার জ্ঞানের সাগর রূপে পরিচিত হবে। যদি বুদ্ধিতে জ্ঞান ই না থাকে তাহলে জ্ঞানের সাগর বলা হবে কিভাবে। সারাদিন বুদ্ধি যেন এতেই যদি লেগে থাকে তাহলে বন্ধন মুক্ত হবে। আমরা এখন হলাম ব্রাহ্মণ, তারপরে দেবতায় পরিণত হই। যদি ভালোভাবে পুরুষার্থ করবে না তাহলে ক্ষত্রিয় বংশে জন্ম হবে। বৈকুণ্ঠ দেখতে পাবে না। মুখ্য হলই তো বৈকুণ্ঠ। ওয়ান্ডার অফ ওয়ার্ল্ড সত্যযুগ কে বলা হয়, তাই পুরুষার্থ করতে হবে। তোমাদের দুই চিত্রই থাকা উচিত। ওই রঙিন পোশাক বা গহনায় সজ্জিত, এবং এই তপস্যারত। তখন তারা বুঝবে সূক্ষ্মবতনে বিরাজিত আছে। ড্রেস তো পরিবর্তন হতে পারে। ফিচার্স তো পরিবর্তন হতে পারবে না। ওই হল অপবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ, এই হল পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ, যাতে তারা বুঝতে পারে যে এরা স্থাপনা করছে। এরাই আবার দেবতা রূপে পরিণত হবে। যে পরিশ্রম করবে সেই পাবে। ব্রাহ্মণ তো অনেকেই হবে। এইসময় তোমাদের সংখ্যা কম। দিন-প্রতিদিন বৃদ্ধি হতে থাকবে। সম্পূর্ণ সৃষ্টি চক্র কিভাবে পরিক্রম করে, বুদ্ধিতে আছে - আমরা তপস্যা করে পুনরায় দেবতা হব। একেই বলা হয় স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে বসা কারণ বুদ্ধিতে তো সম্পূর্ণ নলেজ আছে। আমরা কি ছিলাম, এখন আবার কি হতে চলেছি। স্টুডেন্টরা টিচারকে তো নিশ্চয়ই স্মরণ করবে। তোমাদেরও বাবাকে স্মরণ করতে হবে। স্মরণের যাত্রা দ্বারা-ই পাপ ভস্ম হয়। আত্মা পবিত্র হয়ে যায় তখন শরীরও পবিত্র প্রাপ্ত হয় । যারা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয় তারা-ই আবার দেবতায় পরিণত হয়। এর মডেল টি যত বিশাল হবে, ততই ভালো কারণ তাতে লিখতেও হবে - সঙ্গমযুগী পুরুষোত্তম রূপে পরিবর্তনকারী ব্রাহ্মণ। এখন তোমাদের বাবা বসে পড়াচ্ছেন। উপরে শিববাবারও চিত্র আছে, যিনি তোমাদের পড়ান। তোমরা দেবতায় পরিণত হও। এই ব্রহ্মা তোমাদের সঙ্গে আছেন। তিনিও হলেন শ্বেত পোশাকধারী স্টুডেন্ট। মানুষ তো রামরাজ্যকে বিশ্বাস করে না, গায়নও আছে রাম রাজা, রাম প্রজা। সত্যযুগে তো আছেই ধর্মের রাজ্য। ত্রেতায় যদিও ক্ষত্রিয়দের গ্লানি করা হয়েছে। সূর্যবংশীদের গ্লানি করা হয়নি। অতএব এই কথাও লিখতে হবে। রাম রাজা, রাম প্রজা... ধর্মের উপকার রয়েছে। ত্রেতা হল সেমী স্বর্গ, কারণ ১৪ কলা আছে তাইনা। সেখানে এমন গ্লানির কথা হয় না। তাদের ক্লিয়ার করে বলো আমরা কি হতে চলেছি। আমরা নিজেদের জন্যে স্বরাজ্য স্থাপন করছি। বিশ্বে শান্তির একটি স্বরাজ্য যা সবাই চায়, সেই রাজ্য আমরা স্থাপন করছি।
বাবা প্রদর্শনী ইত্যাদি দেখেন তখন চিন্তন করেন। তোমরা বাচ্চারা বাড়ি গিয়ে এইসব কথা ভুলে যাবে। কিন্তু এইসব বুদ্ধিতে স্মরণ থাকা উচিত। এমন নয়, প্রদর্শনী থেকে বেরিয়ে গিয়েই খেলা শেষ । ভালো ভালো যে পুরুষার্থী বাচ্চারা আছে, তাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত। বাবার বুদ্ধিতে তো থাকে তাইনা। বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকলে বাবার স্মরণও থাকবে। উন্নতি হতে থাকবে। যদি সতোপ্রধান না হও তাহলে তো সত্যযুগে যাবে না তাই নিজেকে স্মরণের যাত্রায় পাকা মজবুত রাখতে হবে। তোমরা হলে রাজযোগী। তোমাদের অজস্র জটা আছে। মাতাগণ, মহিমা সবই তোমাদের। জটা ইত্যাদিও ন্যাচারাল। রাজযোগী এবং যোগিনী এই প্রকৃত তপস্যা রূপ দেখানো হয়। এইসব হল বোধগম্য করবার বিষয় । বাবা বলেন দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। বাকি সব দেহের সম্বন্ধ ইত্যাদি ভুলে যাও। এক পিতাকে স্মরণ করো। তিনি তোমাদের সম্পদশালী করেন। জীবিত থেকে মরে যাও। বাবা এসে জীবিত অবস্থায় মরতে শেখান। বাবা বলেন আমি হলাম কালের কাল, তোমাদের এমন মরতে শেখাই যে কখনও তোমাদের দোর গোড়ায় কাল প্রবেশ করতে পারে না। সেখানে তো রাবণ রাজ্য নেই। সত্যযুগে কখনও কাল গ্রাস করে না, তাকে অমরপুরী বলা হয়। বাবা তোমাদের অমর পুরীর মালিক করেন। এই হল মৃত্যুলোক। ওই হল অমর পুরী। এই হল রাজযোগ। তোমরা লিখে দাও প্রাচীন ভারতের রাজযোগ পুনরায় শেখানো হয়। যে প্রদর্শনী ইত্যাদি দেখা যায় তাতে ভাবনা চিন্তা করা উচিত আরও বিশেষ কিছু কি এমন করা যায় যাতে মানুষ সঠিকভাবে বুঝতে পারে। এতে প্রাক্টিক্যাল খুব ভালোভাবে বোঝানো যায়। যথা রাজা রানী তথা প্রজা এতেই এসে যায়। বাবা কতখানি ক্লিয়ার করে বোঝান, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। মূল রূপে এতেই জোর দেওয়া উচিত। বিশ্বে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি কিভাবে স্থাপন হচ্ছে, এসে বুঝে নাও। তোমরা নিজেদের জন্যেই কর। যত পরিশ্রম কর তত পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়। তাও নম্বর অনুযায়ী। এও দেখাও নম্বর অনুযায়ী কিভাবে তৈরি হয়। প্রজাও দেখাও, তো ধনী প্রজা, সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড প্রজাও দেখাও। এমন সঠিকভাবে বানাও যাতে ভালোভাবে বোঝাতে পারো। পরিশ্রম তো করতে হবে। সময় কম আছে। জ্ঞান হল তোমাদের জন্যে। তোমরা প্রদর্শনীতে এমনভাবে বোঝাও যাতে মানুষ বুঝতে পারে আমাদের একমাত্র শিব পিতাকেই স্মরণ করতে হবে তবেই আমরা এমন হতে পারব। তা নাহলে আমরা ভক্তিমার্গে এসে যাব।
তোমরা হলে মহারথী বাচ্চা, তোমাদের বুদ্ধি চলতে থাকে। পুরুষরাও অনেকে ভালো আছে। এক নম্বরে হল জগদীশ, যে ম্যাগাজিন তৈরি করে। বৃজমোহনের লেখার ভালো শখ আছে। তৃতীয় কেউ বেরিয়ে আসবে হয়তো। প্রত্যেকটি কথা তোমরা ক্লিয়ার করতে থাকবে দিন-প্রতিদিন। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, পরমআত্মায় তো জ্ঞান ভরা আছে তাইনা। যেমন গীত শোনো তোমরা। সম্পূর্ণটা রেকর্ডে ভরা আছে। এও একই কথা। বাবার কাছে যা কিছু আছে সেসব প্রাপ্ত হতে থাকবে - ড্রামা অনুযায়ী। এই কথা বাচ্চাদের বুদ্ধিতে চলা উচিত। তোমরা যা কাজ-ই করো, হাত দিয়ে ভোজন রন্ধন কর, বুদ্ধি যেন শিববাবার কাছে থাকে। ব্রহ্মা ভোজনও পবিত্র চাই। ব্রহ্মা ভোজন-ই হল ব্রাহ্মণদের ভোজন। *ব্রাহ্মণরা যত যোগ যুক্ত হয়ে ভোজন রন্ধন করে, ততই সেই ভোজন শক্তি সম্পন্ন হয়। গায়নও আছে দেবতারাও ব্রহ্মা ভোজনের মহিমা বর্ণনা করেন, যার দ্বারা হৃদয় শুদ্ধ হয় তো ব্রাহ্মণরাও এমন হওয়া উচিত*। এখন নেই। এখন যদি এমন হয়ে যায় তাহলে তো তোমাদের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি হয়ে যাবে। কিন্তু ড্রামা অনুযায়ী ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি হওয়ার আছে। এমন ব্রাহ্মণও হবে যারা বলবে আমরা বাবার স্মরণে ভোজন রন্ধন করি। বাবা চ্যালেঞ্জ করেন তাইনা। এমন ব্রাহ্মণ হবে যে যোগযুক্ত হয়ে ভোজন রন্ধন করবে। ভোজন পবিত্র হওয়া উচিত। ভোজনের উপরে সবকিছু নির্ভর করছে। বাচ্চারা বাইরে পায়না তাই এখানে আসে। বাচ্চারা তো ভোজন গ্রহণ করেও রিফ্রেশ হয়। যোগ যুক্ত যারা তারা জ্ঞানীও হয় তাই তাদের সার্ভিস করতে পাঠানো হয়। অনেক ব্রাহ্মণ হলে এখানেও এমন ব্রাহ্মণদের রাখা হবে। ভোজন রন্ধনের সেবায় মহারথী হওয়া উচিত , যাতে যোগযুক্ত খাবার তৈরি হয়। দেবতারাও ভাবে আমরা ব্রহ্মা ভোজন খেয়েই দেবতা হয়েছি। তাই রুচি সহকারে তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তোমাদের সঙ্গে কিভাবে মিলন হয়, এও তো ড্রামার যুক্তি যুক্ত আছে। সূক্ষ্মবতনে ইনি এবং উনি দুইজনেই মিলিত হন। এইটিও ওয়ান্ডারফুল সাক্ষাৎকার। ওয়ান্ডারফুল নলেজ তাইনা। তাই সাক্ষাৎকারও ওয়ান্ডারফুল - অর্থ পূর্ণ। ভক্তিমার্গে সাক্ষাৎকারের জন্যে খুব পরিশ্রম করতে হয়। নবধা ভক্তি (কঠিন ভক্তি) করে শুধুমাত্র দর্শনের জন্যে। তারা ভাবে দর্শন হলেই আমাদের মুক্তি হবে। তারা কি জানে যে এই পড়াশোনা করে দেবতারা এমন পদমর্যাদা প্রাপ্ত করেছে। তাঁরা সূর্যবংশী - চন্দ্রবংশী হয়েছে এই পড়াশোনার দ্বারা। এত যে চিত্র ইত্যাদি তৈরি করেছে, সেসব যদিও কিছুই হয় না, এইসবই হল ভক্তিমার্গের বিস্তার। বড় বিশাল এই কারবার। এখন জ্ঞান ও ভক্তির রহস্য তোমরা বুঝেছ। এইসব বাবা-ই বসে বোঝান, তিনি হলেন স্পিরিচুয়াল ফাদার (আত্মার পিতা)। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর। কল্প-কল্প পুরানো দুনিয়াকে নতুন দুনিয়ায় পরিণত করা, রাজ যোগের শিক্ষা প্রদান করা, সবই বাবার কর্তব্য। কিন্তু গীতায় শুধু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বাবা বোঝান এও কল্প-কল্পের খেলা। আমরা ঘর থেকে অর্থাৎ পরমধাম থেকে এখানে আসি পার্ট প্লে করতে। ঝাড় বা বৃক্ষ বিষয়টি নিয়েও বুদ্ধি চলায়মান হওয়া উচিত -কাকে কিভাবে বোঝানো যায়। তারা জিজ্ঞাসা করে আমরা কি স্বর্গে আসব না । বলো, তোমাদের ধর্ম স্থাপক তো স্বর্গে আসেন না। উনি যদি আসেন তবে তোমরাও আসবে। প্রত্যেকটি ধর্মের নিজস্ব সময়ে পার্ট আছে। এই ভ্যারাইটি ধর্মের নাটক নির্দিষ্ট আছে। তৈরি করা খেলা । এতে কিছুই বলার প্রয়োজন থাকে না। মুখ্য ধর্ম দেখানো হয়েছে। এই কথা তো বাচ্চারা জানে। এই চিত্র ইত্যাদি কিছুই নতুন নয়। কল্প-কল্প এই একই রকম ভাবে চলবে। অনেক রকমের বিঘ্ন উৎপন্ন হয়। মারপিট ইত্যাদির বিঘ্নও পড়ে তাইনা। বাচ্চাদের কত যুক্তি দিয়ে বোঝানো হয়। বলো, ভগবানুবাচ আছে তাইনা - কাম হল মহাশত্রু। এখন তো এই কলিযুগী দুনিয়া বিনাশ হবে। দেবতা ধর্ম স্থাপন হচ্ছে তাই বাবা বলেন - বাচ্চারা তোমরা পবিত্র হও। কাম বিকারকে পরাজিত করো। এই বিষয়েই ঝগড়া হয়। তোমরা বড় বড় মানুষদের বোঝাও। গভর্নরের নাম শুনে সবাই আসবে তাই যুক্তি রচনা করা হয়। হতে পারে তার মধ্যে কেউ ভালো রকম বুঝবে। বড় বড় মানুষের নাম শুনে অনেকে আসবে। এই প্রসঙ্গে অন্য কোনও বড় মানুষ চলে আসতে পারেন। যদিও কাজটি খুব মুশকিল। বাবা কতবার লেখেন - বাচ্চারা, যাকে দিয়ে উদ্ঘাটন করাবে প্ৰথমে তাকে অবশ্যই বোঝাও এইভাবে মানুষ থেকে দেবতা হতে পারো। বিশ্বে শান্তি হতে পারে। স্বর্গে-ই বিশ্বে শান্তি ও সুখ ছিল। এমন ভাবে ভাষণ দাও এবং তার সঙ্গে খবরের কাগজেও ছাপা হলে তোমাদের কাছে অনেক মানুষ আসতে থাকবে যে তোমরা ঘুমানোর সময় টুকু পাবে না। ঘুম ত্যাগ করতে হবে। সার্ভিস দ্বারা, যোগের দ্বারা শক্তিও প্রাপ্ত হয় কারণ এই হল তোমাদের উপার্জন। যার উপার্জন হয় তার কখনও ঘুম পায় না। সে কখনও ঘুমিয়ে পড়ে না। উপার্জন করে এমন পেট ভরে যায় যে তার আর ঘুম আসে না। একরকম নিয়মিত হয়ে যায়। *তোমরাও বিশাল উপার্জন কর । যাদের দেউলিয়া হওয়ার থাকে তারা ঘুমায়। যারা ভালো রকম বোঝে, স্মরণে থাকে তাদের ঘুম পাবে না। যদি মিত্র আত্মীয় স্বজন স্মরণে আসে তো ঘুম পাবে। এই সবই প্রমাণ চিহ্ন*। স্বর্গে তোমাদের ঘুম পাবে না। বাবার কাছে অবি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে ওঠা বসা শোওয়া সবই নিয়ম অনুযায়ী হয়। অ্যাকুরেট, আত্মা লিভার হয়ে যায়। এখন সিলিন্ডার হয়েছে, তাকে লিভার বানাতে হবে। (সিলিন্ডার, লিভার ইত্যাদি হল ঘড়ির নাম) এমন কেউ তৈরি করতে পারে, কেউ পারেনা। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. বন্ধনমুক্ত হতে বা নিজের উন্নতি করার জন্যে বুদ্ধি সদা জ্ঞানে ভরপুর রাখতে হবে। মাস্টার জ্ঞানের সাগর হয়ে, স্বদর্শন চক্রধারী স্বরূপে স্মরণে বসতে হবে।
২. নিদ্রা জিত হয়ে স্মরণের শক্তি ও সেবার শক্তি জমা করতে হবে। উপার্জন জমা করার সময় কখনও আলস্য অনুভব করবে না। ঘুমের ঘোরে থাকবে না।
বরদান:-
সকলের প্রতি নিজের দৃষ্টি ও ভাবনা ভালোবাসা পূর্ণ রেখে সকলের প্রিয় ফরিস্তা ভব
স্বপ্নেও যদি কারো কাছে ফরিস্তা আসে তো কতখানি খুশীর অনুভূতি হয়। ফরিস্তা অর্থাৎ সকলের প্রিয়। সীমিত নয়, অসীম জগতের প্রিয়। যে ভালোবাসে তার প্রিয় নয় বরং সকলের প্রিয়। আত্মা যে যেরকম হোক না কেন তোমাদের দৃষ্টি, তোমাদের ভাবনা যেন ভালোবাসা পূর্ণ হয় - একেই বলা হয় সকলের প্রিয়। কেউ যদি অপমান করে, কেউ যদি ঘৃণা করে তবুও তার প্রতি ভালোবাসা ও কল্যাণের ভাবনা যেন অনুভব হয় কারণ সেইসময় সে পরের বশে বশীভূত আছে।
স্লোগান:-
যে সর্ব প্রাপ্তিতে সম্পন্ন হয় সে-ই সদা প্রফুল্ল, সদা সুখী ও সৌভাগ্যবান হয় ।