০৬-০৬-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিরন্তর যেন স্মরণে থাকে যিনি আমাদের পিতা, তিনিই শিক্ষক এবং সদ্গুরু, এই স্মরণই হলো মনমনাভব"
প্রশ্ন:-
মায়ার ধুলো যখন চোখে এসে পড়ে, তখন সর্বপ্রথম ভুল কোনটি হয় ?
উত্তর:-
মায়া সর্বপ্রথম এই ভুলটাই করায় যে ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনই ছেড়ে দেয়। ভগবান পড়াচ্ছেন এটাই ভুলে যায়। বাবার সন্তানরাই বাবার পঠন-পাঠন ছেড়ে চলে যায়, এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয় । নয়তো এমনই নলেজ যে অন্তর্মনে অনুভব করতে করতে খুশিতে নাচতে থাকে, কিন্তু মায়ার প্রভাব তো কিছু কম নয়, মায়া ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন থেকেই ছাড়িয়ে নিয়ে যায় । পড়া ছেড়ে দেওয়া অর্থাত্ অ্যাবসেন্ট হয়ে যাওয়া ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের (রূহানী) বাবা আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝান, বোঝাতে হয় তাকেই যে কম বোঝে। কেউ-কেউ খুব বিচক্ষণ হয় । বাচ্চারা জানে এই বাবা কত ওয়ান্ডারফুল । যদিও তোমরা এখানে বসে আছ কিন্তু অন্তর্মন জানে, ইনি যেমন আমাদের অসীম জগতের পিতা, তেমনি অসীম জগতের টিচার, যিনি অসীম জগতের শিক্ষা প্রদান করে থাকেন । সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বুঝিয়ে বলেন । স্টুডেন্টসদের বুদ্ধিতে এটা তো থাকা উচিত, তাইনা । তিনি সাথে করে অবশ্যই নিয়ে যাবেন । বাবা জানেন, এই পুরানো ছিঃ-ছিঃ দুনিয়া থেকে বাচ্চাদের নিয়ে যেতে হবে । কোথায় ? নিজ নিকেতনে । যেমন কন্যার বিবাহ হয়ে যাওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা এসে কন্যাকে নিজেদের গৃহে নিয়ে যায় । এখন তোমরা এখানে বসে আছ, বাবা বুঝিয়ে বলেন বাচ্চাদের অন্তরে তো নিশ্চয়ই আসে যে ইনি যেমন আমাদের অসীম জগতের পিতা, তেমনি অসীম জগতের শিক্ষাও প্রদান করেন । বাবার যেমন বিশালতা তেমনই তাঁর পঠন-পাঠনেরও ব্যাপ্তি অনন্ত যা তিনি বাচ্চাদের প্রদান করেন।
রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে । বাচ্চারা জানে বাবা এই ছিঃ-ছিঃ দুনিয়া থেকে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন । এটাও অন্তর্মনে স্মরণ করলে মনমনাভব স্মরণ করা হবে । চলতে -ফিরতে, উঠতে-বসতে বুদ্ধিতে যেন এটাই স্মরণ হয় । আশ্চর্যজনক জিনিসকে স্মরণ করা উচিত, তাইনা ! তোমরা জান ভালোভাবে পঠন-পাঠন করলে, স্মরণ করলে আমরা বিশ্বের মালিক হতে পারব । এটা তো অবশ্যই বুদ্ধিতে থাকা উচিত । সর্বপ্রথম বাবাকে স্মরণ করতে হবে, টীচার তো তারপর আসে। বাচ্চারা জানে অসীম জগতের রূহানী পিতা তিনি। সহজেই স্মরণ করার জন্য বাবা যুক্তি বলে দেন- "মামেকম্ (একমাত্র) স্মরণ কর" , স্মরণের দ্বারা অর্ধকল্পের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে, পবিত্র হওয়ার জন্য তোমরা জন্ম-জন্মান্তর ধরে ভক্তি, জপ, তপ ইত্যাদি অনেক কিছু করেছ । মানুষ মন্দিরে যায়, ভক্তি করে, মনে করে আমরা পরম্পরা অনুসারে করে আসছি । ওদের জিজ্ঞাসা কর শাস্ত্র কবে থেকে শুনছ ? বলবে পরম্পরা থেকে ( শুরু থেকে) । মানুষের কিছুই জানা নেই । সত্যযুগে শাস্ত্র তো হয়-ই না । তোমরা বাচ্চাদের তো অবাক হওয়া উচিত, বাবা ছাড়া এই বিষয় দ্বিতীয় কেউ ব্যাখ্যা করতে পারবে না । ইনি একাধারে পিতা, টীচার এবং সদ্গুরু । ইনি-ই আমাদের পিতা, এঁনার কোনও মাতা-পিতা নেই। কেউ বলতে পারবে না যে শিববাবা কারও সন্তান । এই বিষয়টি যেন প্রতিটি মুহূর্ত বুদ্ধিতে থাকে -- এটাই মনমনাভব । টিচার শিক্ষা প্রদান করছেন কিন্তু স্বয়ং কখনও পড়েন নি । ওঁনাকে কেউ-ই পড়ান না। তিনি নলেজফুল, মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ তিনি, জ্ঞানের সাগর । চৈতন্য হওয়ার কারণে সবকিছু শুনিয়ে থাকেন । তিনি বলেন--বাচ্চারা, আমি যার মধ্যে প্রবেশ করি তার মাধ্যমে তোমাদের আদি থেকে শুরু করে এই সময় পর্যন্ত সমস্ত রহস্য বুঝিয়ে থাকি। অন্তিমের বিষয়ে শেষে গিয়ে বলব । ঐ সময় তোমরাও বুঝতে পারবে - এখন অন্তিম সময় আসছে । কর্মাতীত অবস্থাতেও নম্বরানুসারে পৌছবে । তোমরা তার নমুনাও দেখতে পাবে । পুরানো সৃষ্টির বিনাশ তো হবেই। এই দৃশ্য অনেকবার দেখেছ আবারও দেখবে। ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনও তেমনই পড়বে যেমনটা কল্প পৃর্বে পড়েছিলে । রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করেছিলে তারপর হারিয়ে ফেলেছ, আবারও নিতে চলেছ। বাবা এসে আবার পড়াচ্ছেন, কত সহজ । তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ আমরা সত্যিই বিশ্বের মালিক ছিলাম । আবারও বাবা এসে আমাদের সেই জ্ঞান প্রদান করছেন । বাবা আমাদের এই এই মত দেন - অন্তর্মনে এইসবই চলা উচিত ।
তিনি আমাদের পিতা, টীচারও । টিচারকে কি কখনও ভুলে যাওয়া যায়? টীচার দ্বারাই তো শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় । কিছু কিছু বাচ্চাকে মায়া ভীষণ ভুল করিয়ে দেয় । ঠিক যেন চোখে ধুলো ঢেলে দেয়, যাতে করে পড়া-ই ছেড়ে দেয়। ভগবান পড়াচ্ছেন, এমন পড়াকেও ছেড়ে চলে যায় । পড়া-ই হলো মুখ্য । কে পড়া ছেড়ে দিচ্ছে ? বাবার সন্তান । বাচ্চাদের অন্তরে কত খুশি হওয়া উচিত, বাবা প্রতিটি বিষয়ে নলেজ দিয়ে থাকেন, যা কল্পে-কল্পে দিয়ে এসেছেন । বাবা বলেন অল্প হলেও এই ভাবেই আমাকে স্মরণ কর । কল্প-কল্প ধরে তোমরাই বুঝে এসেছ আর ধারণ করেছ । ওঁনার কোনও পিতা-মাতা নেই, উনিই অসীম জগতের পিতা, আশ্চর্যজনক তাইনা । আমার পিতা কে বল ? শিববাবা কার সন্তান? এই পঠন-পাঠনও কত আশ্চর্যজনক যা এই সময় ছাড়া আর কখনও পড়তে পারবে না, আর শুধুমাত্র তোমরা ব্রাহ্মণরাই অধ্যয়ন কর । তোমরা এটাও জান যে বাবাকে স্মরণ করতে করতে আমরা পবিত্র হয়ে যাব, নয়তো সাজা খেতে হবে । গর্ভ জেলে অনেক সাজা পেতে হয় ।
ওখানে বিচারসভা বসবে এবং তোমাদের সবকিছু সাক্ষাত্কার হবে । সাক্ষাত্কার ছাড়া কাউকেই সাজা দেওয়া যাবে না, নইলে তোমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে এই ভেবে যে কেন আমি সাজা পাচ্ছি ! বাবা জানেন যে এ অমুক পাপ করেছিল ভুল করেছিল । সব সাক্ষাত্কার করান যা তোমরা করেছ । ঐ সময় এমনটাই অনুভব হবে যেন কত সব জন্মের সাজা ভোগ করতে হচ্ছে । এ যেন সমস্ত জন্মের জন্য সম্মান চলে যাওয়া । তাই বাবা বলেন মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের ভালো করে পুরুষার্থ করতে হবে । ১৬ কলা সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য স্মরণে থাকার পরিশ্রম করতে হবে । চেক করতে হবে আমি কাউকে দুঃখ দিচ্ছি না তো ? আমরা সুখদাতা পিতার সন্তান, তাইনা ? খুব সুন্দর ফুল হয়ে উঠতে হবে । এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনই তোমাদের সাথে যাবে । অধ্যয়ন দ্বারাই মানুষ ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয় । বাবা প্রদত্ত এই নলেজ স্বতন্ত্র আর সত্য, এ হলো পান্ডব গভর্নমেন্ট, গুপ্ত রূপে। তোমার ছাড়া দ্বিতীয় কেউ বুঝবে না । এই পঠন-পাঠন বড়োই চমকপ্রদ । আত্মাই শোনে। বাবা বারংবার বোঝান- পড়া কখনোই ছেড়ে দিও না । মায়া এসে ছাড়িয়ে দেয়। বাবা বলেন এমনটা কোরোনা, পড়া ছেড়ো না । বাবার কাছে তো রিপোর্ট আসে না ! রেজিস্টার দেখে সব জানা যায় যে কতদিন অ্যাবসেন্ট ছিল । পড়া ছেড়ে দিলে বাবাকেও ভুলে যায়। বাস্তবে তো এটা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ইনি ওয়ান্ডারফুল বাবা । যদিও তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এটা একটা খেলা। যখন কেউ কোনো খেলা সম্পর্কে বলে সেটা সহজেই মনে রাখা যায়, ভুলে যায় না । এইভাবে কেউ তার অভিজ্ঞতা শুনিয়েছিলেন, খুব অল্প বয়স থেকেই উদাস হয়ে ভাবতেন । এই দুনিয়াতে এত দুঃখ, এখন আমার কাছে দশ হাজার টাকা থাকলে পঞ্চাশ টাকা সুদ পেতে পারি এবং এটাই আমাকে মুক্ত রাখবে। ঘর এবং ব্যবসা দেখাশোনা করা খুব কঠিন । আচ্ছা, তারপর একটা চলচ্চিত্র দেখল সৌভাগ্য সুন্দরী •••••• তারপরেই সব বৈরাগ্য উদাসীনতা দূর হয়ে গেল । এবার খেয়াল হলো বিবাহ করব, এটা করব, ওটা করব। মায়া একটাই থাপ্পড় মারল যে সবকিছুই হারিয়ে গেল। সেইজন্যই বাবা এখন বলেন-- বাচ্চারা, এই দুনিয়া নরক আর এর মধ্যে এই যে চলচ্চিত্র গুলো রয়েছে তার মধ্যেও নরক । এসব দেখেই সবার বৃত্তি খারাপ হয়ে যায় । যখন মানুষ সংবাদপত্র দেখে, ওখানে সুন্দরী মেয়েদের ছবি দেখে বৃত্তি ঐ দিকে ধাওয়া করে । এ খুব সুন্দর দেখতে এটাই বুদ্ধিতে আসে তাইনা! বাস্তবে এই ভাবনাও আসা উচিত নয় । বাবা বলেন- এই দুনিয়া তো শেষ হয়ে যাবে, সেইজন্য তোমরা সবকিছু ভুলে মামেকম্ স্মরণ কর, এমন সব চিত্র কেন দেখো ? এইসব জিনিস বৃত্তিকে নীচে নিয়ে আসে। এসব যা কিছুই দেখছ সবই তো কবরে চলে যাবে । যা কিছু এই চোখ দিয়ে দেখছ সে সব স্মরণ কোরো না, এসবের প্রতি আকর্ষণ ত্যাগ করো । এই শরীর তো পুরানো ছিঃ-ছিঃ হয়ে গেছে । যদিও আত্মা শুদ্ধ হচ্ছে কিন্তু শরীর তো ছিঃ-ছিঃ তাইনা । এর প্রতি কি ধ্যান দেবে । এক বাবাকেই দেখতে হবে।
বাবা বলেন মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, লক্ষ্য অনেক উঁচুতে । বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য দ্বিতীয় কেউ তো চেষ্টাও করতে পারবে না । কারও বুদ্ধিতেই আসবে না । মায়ার প্রভাব কোনও অংশে কম নয় । বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের বুদ্ধিতে কত কি চলে, তোমাদের হলো সাইলেন্স । প্রত্যেকেই চায়-মুক্তি পেতে । তোমাদের লক্ষ্য হলো জীবনমুক্তি । এটাও বাবা বুঝিয়েছেন, গুরু ইত্যাদি কেউ এমন নলেজ দিতে পারে না । তোমাদের ঘর পরিবারে থেকেই পবিত্র হতে হবে, রাজত্ব নিতে হবে। ভক্তি মার্গে অনেক সময় নষ্ট করেছ । এখন বুঝতে পারছ আমরা কত ভুল করেছি। ভুল করতে করতে অবুঝ আর সম্পূর্ণ রূপে পাথর বুদ্ধি হয়ে গেছ । অন্তর্মনে তোমরা অনুভব করতে পার এই নলেজ কত ওয়ান্ডারফুল যা আমাদের কি থেকে কি করে তুলছে, ( কড়িহীন থেকে হীরেতুল্য)। পাথর বুদ্ধি থেকে স্পর্শ বুদ্ধি করে তুলছে । সুতরাং খুশির মাত্রাও বৃদ্ধি পাওয়া উচিত। আমাদের অনন্ত জগতের পিতা তিনি । ওঁনার কোনও পিতা নেই । উনিই টিচার, ওঁনার কোনো টিচার নেই । মানুষ জিজ্ঞাসা করবে কোথা থেকে শিখেছেন ! অবাক হয়ে যাবে তাইনা ! অনেকেই মনে করবে ইনি কোনও গুরুর কাছ থেকেই শিখেছেন । সুতরাং গুরুর তো আরও শিষ্য হবে তাইনা ! শুধু একজন শিষ্যই ছিল কি ? গুরুর শিষ্য তো অনেক হয়। দেখো আগা খাঁর কত শিষ্য । গুরুর প্রতি তাদের অন্তরে এতো শ্রদ্ধা থাকে যে, তাদের হীরের বিপরীতে ওজন করে । তোমরা এমন সদ্গুরুকে কিসের বিপরীতে ওজন করবে । ইনি তো অনন্ত জগতের সদ্গুরু । ওঁনার ওজন কত ! এমন কোনো হীরা নেই যার বিপরীতে ওজন করা যাবে ।
এমন সব বিষয় তোমরা বাচ্চাদের বিচার করতে হবে । এ অতি সূক্ষ্ম বিষয় । যদিও এখানে বলতেই থাকে হে ঈশ্বর ! কিন্তু এরা তো জানেই না যে উনিই বাবা, টিচার এবং গুরু। এখানে তো সাধারণ নিয়মানুযায়ী বসে থাকে । সেই কারণেই তিনি গদির উপর এইজন্যই বসেন যাতে সবার মুখ দেখতে পান । বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসা তো থাকে, তাইনা । বাচ্চাদের সহযোগ ছাড়া এই স্থাপনা তো হবেই না । অতি সহযোগকারী বাচ্চাদের প্রতি নিশ্চয়ই ভালোবাসা বেশি থাকবে। বেশি উপার্জনকারী বাচ্চারা নিশ্চয়ই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে, তার প্রতি ভালোবাসাও অতীব থাকে । বাবা বাচ্চাদের দেখে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন । আত্মা খুব খুশি হয় । বাবা বলেন প্রতিটি কল্পে বাচ্চাদের দেখে উৎফুল্ল হয়ে উঠি । প্রতিটি কল্পে এই বাচ্চারাই সাহায্যকারী হয়ে ওঠে । কল্প-কল্প ধরে এই ভালোবাসা জোরালো হয় । যেখানেই বসে থাক না কেন, বুদ্ধিতে যেন বাবার স্মরণ চলে ।
উনি অসীম জগতের পিতা, ওঁনার কোনও পিতা নেই, ওঁনার কোনও টিচার নেই । তিনিই স্বয়ম্ভু যাঁকে সবাই স্মরণ করে । সত্য যুগে তো কেউ স্মরণ করবে না । ২১ জন্মের জন্য তরী পাড় হয়ে যাবে, সুতরাং তোমাদের কতখানি খুশি হওয়া উচিত । সারাদিন শুধু বাবার সার্ভিস করব । এমন বাবার পরিচয় দাও । বাবার কাছ থেকে এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, বাবা আমাদের রাজযোগ শেখান তারপর সবাইকে সাথে করে নিয়ে যান । সম্পূর্ণ চক্র বুদ্ধিতে আছে, এমন চক্র আর কেউ তৈরি করতে পারবে না । এর অর্থ তো কারও জানা নেই । তোমরা এখান বুঝেছ- বাবা আমাদের অসীম জগতের পিতা, অনন্ত রাজ্য দিয়ে থাকেন তারপর সঙ্গে করে নিয়ে যান । এভাবে তোমরা বোঝালে তারপর আর কেউ সর্বব্যাপী বলতে পারবে না । তিনি পিতা ,টিচার তবে সর্বব্যাপী কিভাবে হতে পারেন । অনন্ত জগতের পিতা তিনি নলেজফুল । সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে তিনি জানেন । বাবা বাচ্চাদের বোঝান ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনকে ভুলে যেও না । এ অতি উচ্চ পঠন-পাঠন । বাবা পরমপিতা, পরম টিচার, এবং পরম গুরু। ঐ সব গুরুদেরও (লৌকিক) তিনি নিয়ে যাবেন । এমন এমন সব চমকপ্রদ বিষয় শোনানো উচিত । তাদের বলো অনন্ত এই খেলা, প্রত্যেক অ্যাক্টর নিজ-নিজ পার্ট পেয়েছে । অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে আমরাই অসীম বাদশাহী গ্রহণ করি, আমরাই মালিক, বৈকুন্ঠ হয়ে চলে গেছে, আবারও অবশ্যই হবে কৃষ্ণ নতুন দুনিয়ার মালিক ছিল, এখন পুরানো দুনিয়া তারপর নিশ্চয়ই নতুন দুনিয়ার মালিক হবে, চিত্রতেও পরিষ্কার দেখানো হয়েছে । তোমরা জান -এখন আমাদের পা নরকের দিকে, মুখ স্বর্গের দিকে । এটাই যেন স্মরণে থাকে । এভাবে স্মরণ করতে-করতে অন্ত মতি তেমনই গতি (সো গতি) প্রাপ্ত হবে । কত ভালো-ভালো বিষয় আছে সেগুলি বারংবার স্মরণ করা উচিত । আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ স্মরণ আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. এই চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছো, তার প্রতি আকর্ষণ সরিয়ে নিতে হবে । এক বাবাকেই দেখতে হবে । বৃত্তিকে শুদ্ধ করতে এই ছিঃ-ছিঃ শরীরের প্রতি যেন বিন্দুমাত্র নজর না যায় ।
২. বাবা যে অনুপম আর সত্য নলেজ শুনিয়ে থাকেন, তা ভালো করে পড়তে আর পড়াতে হবে । পড়া কখনোই মিস করা উচিত নয় ।
বরদান:-
নিজের মস্তকে সবসময় বাবার আশীর্বাদের হাত অনুভবকারী মাস্টার বিঘ্ন বিনাশক ভব
গনেশকে বিঘ্ন বিনাশক বলা হয়ে থাকে । বিঘ্ন বিনাশক সে-ই হতে পারে যার মধ্যে সর্বশক্তি আছে । সর্বশক্তিকে সময় অনুসারে কার্যে ব্যবহার করতে পারলে বিঘ্ন স্থায়ী হবে না । যে কোনো রূপেই মায়া আসুক, তোমরা নলেজফুল হও। নলেজফুল আত্মা কখনোই মায়ার কাছে পরাজিত হয় না । মাথায় যখন বাপদাদার আশীর্বাদের হাত আছে, সুতরাং বিজয় তিলক অঙ্কিত আছে । পরমাত্মার হাত আর পরমাত্মার সঙ্গ বিঘ্ন বিনাশক বানিয়ে দেয় ।
স্লোগান:-
নিজের মধ্যে গুণ ধারণ করে অন্যদের গুণদান করতে সমর্থরাই গুণমূর্ত হয়ে ওঠে*।