২৫-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই জন্মের পাপ থেকে হাল্কা হওয়ার জন্যে বাবাকে সত্য কথা বলো এবং পূর্ব জন্মের বিকর্ম গুলি যোগ অগ্নি দ্বারা সমাপ্ত করো"

প্রশ্ন:-

পরমাত্ম সেবাধারী (খোদাই খিদমতগার) হওয়ার জন্য কোন্ চিন্তা থাকা উচিত ?

উত্তর:-

আমাদের স্মরণের যাত্রায় থেকে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। পবিত্র হওয়ার চিন্তা থাকা উচিত। এই হল মুখ্য বিষয়। যে বাচ্চারা পবিত্র হয় তারা-ই বাবার সেবাধারী হতে পারে। বাবা একা কি করতে পারেন তাই বাচ্চাদের কে শ্রীমৎ অনুযায়ী নিজস্ব যোগ বলের দ্বারা বিশ্ব কে পবিত্র করে পবিত্র রাজধানী তৈরি করতে হবে। প্ৰথমে নিজেকে পবিত্র করতে হবে ।

ওম্ শান্তি ।

এই কথা তো বাচ্চারা নিশ্চয়ই বোঝে আমরা বাবার কাছে যাই রিফ্রেশ হতে। সেন্টারে যখন যাওয়া হয় তখন এমন ভাবা যায় না। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে বাবা মধুবনে আছেন। বাবার মুরলী চলে কেবল বাচ্চাদের জন্যে। বাচ্চারা বুঝবে আমরা মধুবনে মুরলী শুনতে যাই। মুরলী শব্দ-টি কৃষ্ণের জন্যে ধরে নেওয়া হয়েছে। মুরলী শব্দের অন্য কোনও অর্থ নেই। বাচ্চারা তোমরা এখন ভালো ভাবে বুঝেছ তাই না। বাবা বুঝিয়েছেন এবং তোমরা অনুভব কর, আমরা যথার্থ ভাবে অবুঝ হয়ে পড়েছিলাম। তোমরা সত্যযুগে কত বুদ্ধিমান, বিশ্বের মালিক ছিলে। কোনও মূর্খ বিশ্বের মালিক হয় না। লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক ছিলেন, কত বুদ্ধিমান ছিলেন তাইতো ভক্তিমার্গে পূজন যোগ্য হয়েছেন। জড় চিত্র কথা বলতে পারে না। শিববাবার পূজো করা হয় তিনি কি কিছু বলেন ! শিববাবা একবার-ই এসে বলেন। যারা পূজা করছে তাদের জানা নেই ইনি হলেন জ্ঞান প্রদানকারী পিতা। কৃষ্ণের জন্যে ভাবে কৃষ্ণ মুরলী বাজায়। যাদের পূজা করে তাঁদের অক্যুপেশান একেবারেই জানে না। সুতরাং এই পূজা ইত্যাদি সবই নিষ্ফল হয়, যতক্ষণ না বাবা আসেন। বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে অনেকে বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদি কিছুই পাঠ করেনি। এখন তোমাদের একমাত্র সত্য বাবা পড়াচ্ছেন। তোমরা বুঝেছ যথাযথভাবে সত্য পড়ান যিনি তিনি হলেন একমাত্র বাবা। বাবাকেই বলা হয় সত্য। নর থেকে নারায়ণ হওয়ার সত্য কাহিনী শোনানো হয়। অর্থ তো ঠিকই আছে। সত্য পিতা আসেন, এখন নর থেকে নারায়ণ হতে হলে অবশ্যই সত্যযুগের স্থাপনা করবেন তাইনা। পুরানো দুনিয়া কলিযুগ কি আর হতে পারে। কাহিনী শোনার সময় কারো বুদ্ধিতে থাকে না যে আমরা নর থেকে নারায়ণ হব। এখন তোমাদের নর থেকে নারায়ণ হওয়ার রাজ যোগ শেখানো হয়। এই কথাটিও কোনো নতুন কথা নয়। বাবা বলেন আমি কল্প-কল্প এসে বোঝাই। যুগে-যুগে কিভাবে আসব ! ব্রহ্মার চিত্র দেখিয়ে তোমরা বোঝাতে পারো, এই হল রথ। ইনি হলেন, যার এটা হল অনেক জন্মের শেষের জন্ম, পতিত। এখন উনিও পবিত্র হচ্ছেন। আমরাও হই। যোগবল ছাড়া কেউ পবিত্র হতে পারে না। বিকর্ম বিনাশ হয় না। জলে স্নান করে কেউ পবিত্র হতে পারে না। এই হল যোগ অগ্নি। আগুন নেভাতে জল আছে। আগুন হল জ্বালাবার জন্যে। সুতরাং জল তো আর আগুন নয় যার দ্বারা বিকর্ম ভস্ম হবে। সবচেয়ে বেশি গুরুর কাছে দীক্ষিত হয়েছেন ইনি (ব্রহ্মাবাবা) শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠও অনেক করেছেন। এই জন্মে পন্ডিত ছিলেন কিন্তু কোনও লাভ তো হয় নি। পুণ্য আত্মা তো হন নি। পাপ কর্ম করেছেন। বাবা বোঝাচ্ছেন যারা নিজেদের সন্তান নিশ্চয় করে তারা এই জন্মে কৃত সকল পাপ কর্মের কথা বাবাকে বলে দেওয়া উচিত, যখন বাবা সামনেই আছেন, তাহলে হালকা হয়ে যাবে। এই জন্মে হালকা হয়ে যাবে। তারপরে পুরুষার্থ করতে হবে, জন্ম-জন্মান্তরের পাপ কর্মের বোঝা যা মাথায় আছে সেসব নামাতে হবে। বাবা যোগের কথা বোঝাচ্ছেন। যোগের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। এই কথা তোমরা এখন শুনছ। সত্যযুগে এই কথা কেউ শোনাতে পারে না। এই সম্পূর্ণ ড্রামাটি তৈরি আছে। সেকেন্ড সেকেন্ড এই পুরো ড্রামাটি পরিক্রম হতে থাকে। এক সেকেন্ড মেলে না অন্যের সাথে। সেকেন্ড সেকেন্ড আয়ুও কম হতে থাকে। এখন তোমরা আয়ু কম হওয়ার প্রক্রিয়ায় ব্রেক লাগিয়ে দাও এবং যোগের দ্বারা আয়ু বৃদ্ধি কর। বাচ্চারা তোমাদের এখন নিজের আয়ু বাড়াতে হবে যোগবলের দ্বারা। যোগের জন্যে বাবা অনেক জোর দেন, কিন্তু কেউ বুঝতে পারে না। বলে বাবা আমরা ভুলে যাই। তখন বাবা বলেন যোগের অর্থ কিছু কঠিন না, এই হল স্মরণের যাত্রা। বাবাকে স্মরণ করতে করতে পাপ বিনষ্ট হবে, অন্তিম সময়ে যেমন মতি তেমন গতি হয়ে যাবে। এই বিষয়ে একটি দৃষ্টান্ত ও দেওয়া হয় - কেউ কাউকে বলে দিল তুমি হলে মোষ আর তাতেই সে ভাবতে লাগল আমি তো মোষ। তাকে বলা হল, এই দরজা দিয়ে বাইরে যাও। তখন সে বলল আমি তো মোষ, বেরবো কিভাবে! যেন সত্যিকারের মোষ হয়ে গেল। এই দৃষ্টান্তটি বসে তৈরি করা হয়েছে, এমন কেউ হয় না। এটা কোনো যথার্থ দৃষ্টান্ত নয়। সর্বদা সত্যের উপর দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। এই সময় বাবা যা কিছু তোমাদের বোঝান ভক্তিমার্গে সেসবের আবার উৎসব পালন হয়। কত রকমের মেলার আয়োজন হয়। এইসময় যা কিছু হয় সবকিছুর উৎসব পালন হয়। তোমরা এখানে খুব স্বচ্ছ হও। মেলায় কত ময়লা হয়, শরীরে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। ভাবে এইভাবে পাপ বিনষ্ট হবে। ব্রহ্মাবাবার নিজে এইসব কিছুরই অনুভব রয়েছে। নাসিকে জল খুব নোংরা হয়। সেখানে গিয়ে মাটির প্রলেপ লাগায়। ভাবে পাপ বিনাশ হয়ে যাবে। তারপরে সেই মাটি পরিষ্কার করার জন্যে জল আনা হয়। কোনও মহারাজা বিদেশে গেলে সঙ্গে গঙ্গা জলের ঘটি নিয়ে যেতেন তারপরে স্টিমার ইত্যাদিতে সেই জলই পান করতেন তারা। আগে তো মোটর গাড়ি, বিমান ইত্যাদি ছিল না। ১০০-১৫০ বছরে কত কি তৈরি হয়েছে ! সত্যযুগের আদি কালে এই বিজ্ঞান কাজে লাগে। সেখানে মহল ইত্যাদি তৈরি করতে সময় লাগে না। এখন তোমাদের বুদ্ধি স্পর্শ বুদ্ধি হয় তাই সব কাজ সহজে করে নেয়। যেমন এখানে মাটির ইঁট, সেখানে সোনার ইঁট থাকে। এই বিষয়ে মায়া ভানুমতির খেলাও দেখানো হয়েছে। এইসব তো তারা বসে নাটক তৈরি করেছে, দেখানোর জন্যে। আক্ষরিক অর্থেই স্বর্গে সোনার ইঁট থাকে। তাকেই বলে গোল্ডেন এজ। বর্তমান সময়কে বলে আয়রন এজ। স্বর্গকে তো সবাই স্মরণ করে। চিত্র ইত্যাদিও সব আছে। বলাও হয় আদি সনাতন ধর্ম, তারপরে হিন্দু ধর্ম বলে দিয়েছেদেবতার পরিবর্তে হিন্দু বলে দিয়েছে কারণ বিকার গ্রস্ত হয়েছে তাই দেবতা বলবে কিভাবে। তোমরা যেখানে যাও তো এই কথাই বোঝাও কারণ তোমরা হলে ম্যাসেঞ্জার, পয়গম্বর, বার্তা বাহক। বাবার পরিচয় সকলকে দিতে হবে। কেউ চট করে বুঝবে তোমরা ঠিক বলছ। সঠিকভাবে দুই পিতা আছেন। কেউ বলে দেবে পরমাত্মা তো হলেন সর্বব্যাপী। তোমরা বুঝতে পারো এক পিতার কাছে পার্থিব বর্সা প্রাপ্ত হয়। পারলৌকিক পিতার কাছে অসীমের বর্সা প্রাপ্ত হয় ২১ জন্মের জন্যে। এই জ্ঞান এখনই আছে। সেখানে এই জ্ঞান থাকে না। সঙ্গমেই বর্সা প্রাপ্ত হয় ফলে ২১ জন্ম তোমরা রাজত্ব কর। তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হও। এই কথা তোমরা এখন জানতে পেরেছ। যারা পাকা নিশ্চয়বুদ্ধি হয় তাদের কোনও সংশয় উৎপন্ন হওয়ার কথা নয়। অসীমের বাবার কাছে অসীমের বর্সা প্রাপ্ত হয়। শিববাবা এসে নিশ্চয়ই কিছু বর্সা তো দেবেন তাই বাবা বলেন এই ব্যাজ খুব ভালো। ব্যাজ নিশ্চয় রাখবে। ঘরে-ঘরে মেসেজ দিতে হবে তারপরে কেউ বিশ্বাস করুক বা না করুক। বিনাশ এলে ভাববে ভগবান এসেছেন। তখন যাদের তোমরা মেসেজ দিয়েছ, তারা স্মরণ করবে যে শ্বেত বস্ত্রধারী ফরিশ্তা কারা ছিল ? সূক্ষ্ম বতনেও তোমরা ফরিস্তা দেখো, তাই না ! তোমরা জানো মাম্মা-বাবা যোগ বলের দ্বারা এমন ফরিস্তা হন, তাই আমরাও হব। এইসব কথা বাবা এনার (ব্রহ্মাবাবা) মধ্যে প্রবেশ করে তোমাদের বোঝান। ডাইরেক্ট নলেজ দেন। বাবার মধ্যে যা নলেজ আছে বাচ্চারা সেসব তোমাদের মধ্যেও আছে। যখন উপরে যাও তখন নলেজের পার্টও পুরো হয়ে যায়। তারপরে যা পার্ট প্রাপ্ত হয় তা হয় সুখের পার্ট এবং এই নলেজ বিস্মৃত হয়।



অতএব তোমরা বাচ্চারা যেখানেই যাও মেসেঞ্জারের চিহ্ন হিসেবে ব্যাজ সঙ্গে অবশ্যই থাকা চাই। তাতে কেউ যতই হাসুক। এই নিয়ে কি আর হাসবে। তোমরা তো যথার্থ কথা শোনাও। ইনি হলেন অসীমের পিতা। তাঁর নাম হল শিববাবা, তিনি হলেন কল্যাণকারী। এসে স্বর্গের স্থাপনা করেন। এ হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। এই সম্পূর্ণ জ্ঞান বাচ্চারা তোমরাই পেয়েছ। তাহলে ভুলে যাও কেন। কথা তো খুবই সহজ। চলতে ফিরতে বাবাকে এবং বর্সাকে স্মরণ করতে হবে। শান্তিধাম এবং সুখধাম। তোমরা বাচ্চারা এখানে এসে মুরলী শুনে যাও তারপরে সবাইকে শোনাতে হবে। এমন নয় একজন ব্রাহ্মণী কেবল মুরলী ক্লাস করাবে। ব্রাহ্মণী দের নিজ সম তৈরি করা উচিত, তখন অনেকের কল্যাণ করতে পারবে। যদি একজন ব্রাহ্মণী কোথাও চলে যায় তবে অন্যজন সেন্টার চালাতে পারবেনা কেন ! ধারণা করে নি নাকি ? স্টুডেন্টদের পড়বার এবং পড়াবার শখ থাকা উচিত। মুরলী তো খুব সহজ, সকলেই ধারণ করে ক্লাস করাতে পারে। এখানে তো বাবা বসে আছেন। বাবা বাচ্চাদের বলেন কোনও কথায় সংশয় থাকা উচিত নয়। একমাত্র বাবা আছেন যিনি সব জানেন। একটি মাত্র মুখ্য উদ্দেশ্য আছে, এতে কোনও প্রশ্ন ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করার দরকার থাকে না। সকালেও বসে বাচ্চাদের স্মরণের যাত্রায় সাহায্য করি। অসীম জগতের সমস্ত বাচ্চারা স্মরণে থাকে। বাচ্চারা, তোমাদের সবাইকে এই স্মরণের সাহায্যে বিশ্বকে পবিত্র করতে হবে, এই কাজেই তোমরা একটি আঙ্গুল সম সহযোগ দিয়েছ। পবিত্র তো সম্পূর্ণ দুনিয়াকে করতে হবে তাইনা। সুতরাং বাবা সব বাচ্চাদের উপর দৃষ্টি রাখেন । সবাই যেন শান্তিধাম চলে যায়। সকলকে আকৃষ্ট করেন। বাবা তো অসীমের জগতে বসবেন। আমি এসেছি সম্পূর্ণ দুনিয়াকে পবিত্র করতে। সম্পূর্ণ দুনিয়াকে কারেন্ট দিচ্ছি যাতে পবিত্র হয়। যাদের যোগবল পুরোপুরি থাকবে তারা বুঝবে বাবা এখন বসিয়ে স্মরণের যাত্রা করা শেখাচ্ছেন, যার দ্বারা বিশ্বে শান্তি স্থাপন হয়। বাচ্চারাও স্মরণে থেকে সাহায্য প্রাপ্ত করে। সহযোগী বাচ্চাও চাই তাইনা। খোদাই খিদমতগার, পরমাত্ম সেবাধারী, নিশ্চয়বুদ্ধি আত্মাই স্মরণ করবে। তোমাদের প্রথম সাবজেক্ট হল পবিত্র হওয়ার। অর্থাৎ তোমরা বাচ্চারা নিমিত্ত হও বাবার সঙ্গে। বাবাকে আহবান করা হয় - হে পতিত-পাবন আসুন। এবারে তিনি একা কি করবেন। সেবাধারী চাই তাইনা। তোমরা জানো আমরা বিশ্ব কে পবিত্র করে সম্পূর্ণ বিশ্বে রাজ্য করব। বুদ্ধিতে যখন এমন নিশ্চয় হবে তখন নেশা বাড়বে। তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা শ্রীমৎ অনুসারে, নিজের যোগবল দ্বারা নিজের জন্য রাজধানী স্থাপন করছি। এই নেশা থাকা উচিত। এই হল রূহানী কথা। বাচ্চারা বুঝতে পারে প্রতিটি কল্প বাবা এই রূহানী বলের দ্বারা আমাদের বিশ্বের মালিক করেন। এই কথাও বোঝো যে শিববাবা এসে স্বর্গের স্থাপনা করেন। এখন মাথায় এই স্মরণের যাত্রা করার চিন্তা-ই আছে। পুরুষার্থ করতে হবে। ব্যবসা ইত্যাদি করার সময়েও যেন স্মরণের যাত্রা চলতে থাকে। সদা সুস্থ করার জন্যে বাবা বিশাল উপার্জনের ব্যবস্থা করেন। এই সময় সব কিছু ভুলে যেতে হয়। আমরা আত্মারা ফিরে যাচ্ছি, আত্ম-অভিমানী হওয়ার প্র্যাক্টিস করানো হয়। খাওয়াতে-পরাতে, চলতে-ফিরতে বাবাকে কি স্মরণ করতে পারবে না, কাপড় সেলাই করার সময়ও বুদ্ধি যোগ যেন বাবার স্মরণে থাকে। খুব সহজ। এই কথা তো বুঝেছ যে ৮৪-র চক্র পূর্ণ হয়েছে। এখন বাবা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের রাজ যোগ শেখাতে এসেছেন। এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি রিপিট হতে থাকে। কল্প পূর্বেও এমন হয়েছিল, যা এখন আবার রিপিট হচ্ছে। এই রিপিটেশনের রহস্যও বাবা-ই বোঝান। প্রত্যেকের ড্রামাতে পার্ট আছে, সেসব প্লে হতে থাকবে। বাচ্চাদের পরামর্শ দেওয়া হয় যে বাবাকে স্মরণ করো তাহলে সতোপ্রধান হবে।তখন এই শরীর থেকে মুক্তি পাবে। তোমাদের বুদ্ধিতে এখন এই কথাই আছে যে আমরা আত্মারা সতো প্রধান হই কারণ ঘরে অর্থাৎ পরমধাম ফিরতে হবে। সত্যযুগে এমন বলা হবে না। সেখানে তো বলবে এক পুরানো দেহ ত্যাগ করে অন্য ধারণ করতে হবে। সেখানে তো দুঃখের কোনও কথা নেই। এখানে এই হল দুঃখধাম। পুরানো শরীর রয়েছে এইসব ত্যাগ করে এখন নিজের ঘরে ফিরে যাই। বাবাকে নিরন্তর স্মরণ করতে হবে। তিনি নিরাকার পিতা, তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর। তিনি এসে সকলের সদগতি করেন। বাবা বলেন সাধু সন্ন্যাসীদেরও উদ্ধার করি। তোমরা এখন এক পিতার সঙ্গে যোগ যুক্ত হও। আত্মারা তোমাদের সবার বাবার বর্সা প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে দেহী-অভিমানী হও এবং বাবাকে নিরন্তর স্মরণ করো তাহলে পাপ বিনষ্ট হতে থাকবে। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১.মুরলী শুনে তারপরে সবাইকে শোনাতে হবে। নিজে পড়ার সাথে সাথে অন্যদেরকে পড়াতেও হবে। কল্যাণকারী হতে হবে। ব্যাজ হল ম্যাসেঞ্জর বা ঈশ্বরীয় সংবাদ বাহকের প্রমাণ চিহ্ন, ব্যাজ সদা লাগিয়ে রাখবে।

২. বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার জন্যে স্মরণের যাত্রায় থাকতে হবে। যেমন বাবার দৃষ্টি অসীমে থাকে, সম্পূর্ণ দুনিয়াকে পবিত্র করার কারেন্ট দেন, তেমন ভাবে ফলো ফাদার করে সহযোগী হতে হবে।

বরদান:-

প্রতিটি আত্মার সম্বন্ধ সম্পর্কে এসে সবাইকে দান দিতে সক্ষম মহাদানী, বরদানী ভব

সারা দিনে যারা সম্বন্ধ-সম্পর্কে আসবে তাদের সকলকে শক্তির, জ্ঞানের, গুণের দান করো। তোমাদের কাছে জ্ঞানেরও খাজানা আছে, তো শক্তির এবং গুণেরও খাজানা আছে। অতএব কোনো একটি দিনও যেন দান না করে, অর্থাৎ কেউ যেন খালি হাতে ফিরে না যায়, তখন বলা হবে মহাদানী। ২ - দান শব্দের আধ্যাত্মিক (রূহানী) অর্থ হল সহযোগ দেওয়া। তাই নিজের শ্রেষ্ঠ স্থিতির বায়ুমন্ডল দ্বারা এবং নিজের বৃত্তির ভাইব্রেশন দ্বারা প্রতিটি আত্মাকে সহযোগ দাও তখন বলা হবে বরদানী।

স্লোগান:-

যে বাপদাদার এবং পরিবারের কাছের হয় তার চেহারায় সন্তুষ্টতা, আত্মিকতা আর প্রসন্নতার মধুর হাসি থাকে ।