১৮-০২-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- 'স্বদর্শন চক্রধারী ভব' - তোমাদের লাইট হাউস হতে হবে, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, এতে গাফিলতি কোরো না"
প্রশ্ন:
তোমরা হলে সবচেয়ে ওয়ান্ডারফুল স্টুডেন্ট - কিভাবে ?
উত্তর:-
তোমরা থাকো গৃহস্থে, শরীর নির্বহনের জন্যে ৮ ঘন্টা কর্মও কর তার সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য ৮ ঘন্টা বাবার সম বানানোর সেবাও কর, সবকিছু করে শিববাবা এবং পরমধাম ঘরকে স্মরণ কর - এই হল তোমাদের ওয়ান্ডারফুল স্টুডেন্ট লাইফ। নলেজ খুব সহজ, তোমরা কেবল পবিত্র হওয়ার জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছ ।
ওম্ শান্তি ।
বাবা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। মূল বতনকে (পরমধাম) স্মরণ করার ক্ষেত্রে তোমাদেরও নিশ্চয়ই নম্বরক্রম রয়েছে । বাচ্চাদের এই কথাও অবশ্যই স্মরণে আসে হয়তো যে আমরা প্ৰথমে শান্তি ধামের নিবাসী ছিলাম তারপরে সুখধামে আসি, বাচ্চারা এই কথা নিশ্চয়ই মনে মনে বুঝতে পারে । মূল বতন থেকে এই সৃষ্টি চক্র পরিক্রমা করছে কিভাবে - সেসবও বুদ্ধিতে আছে। এই সময় আমরা ব্রাহ্মণ তারপরে দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হব। এই চক্র বুদ্ধিতে চলা উচিত, তাই না ! বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এই সম্পূর্ণ নলেজ আছে। বাবা বুঝিয়েছেন, আগে এইসব জানতে না। এখন তোমরা-ই জান। দিন দিন তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হবে। অনেককে শেখাতে-ই থাকো। নিশ্চয়ই তোমরা প্ৰথমে স্বদর্শন চক্রধারী হবে। এখানে তোমরা বসে আছ, বুদ্ধি দিয়ে জান উনি আমাদের পিতা। উনি আমাদের শেখান, উনি-ই সুপ্রীম টিচার। উনি আমাদের বুঝিয়েছেন - আমরা ৮৪-র চক্র কিভাবে পরিক্রম করি। নিশ্চয়ই বুদ্ধিতে স্মরণ আসে, তাই না ! বুদ্ধিতে সর্বক্ষণ এটাই স্মরণ রাখতে হবে। পাঠ্য বিষয় খুব বড় (লেসন) নয়। এক সেকেন্ডের লেসন (পাঠ) । বুদ্ধিতে থাকে যে আমরা কোথাকার নিবাসী, পরে এখানে কিভাবে আসি পার্ট প্লে করতে। এই হল ৮৪-র চক্র । সত্যযুগে এত জন্ম, ত্রেতায় এত জন্ম - এই চক্র তো স্মরণ করবে, তাই না ! নিজের পজিশন, যে পার্ট প্লে করেছিলাম, সেসবও নিশ্চয়ই বুদ্ধিতে স্মরণে থাকবে। বলবে আমরা এইরূপ ডবল মুকুটধারী ছিলাম পরে সিঙ্গল মুকুটধারী হয়েছি। তারপরে সম্পূর্ণ রাজত্ব হারিয়ে তমোপ্রধান হয়েছি। এই চক্র তো ঘোরানো উচিত তাই তো নাম দেওয়া হয়েছে স্বদর্শন চক্রধারী। আত্মার জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। আত্মার দর্শন হয়েছে। আত্মা জেনেছে আমরা এমন ভাবে পরিক্রমা করেছি। এখন আবার ফিরে যেতে হবে নিজ নিকেতনে (পরম ধামে)। বাবা বলেছেন আমাকে স্মরণ করলে তোমরা ঘরে পৌঁছে যাবে। এমনও নয় তোমরা এই সময়েই সেই অবস্থায় বসে যাবে। না, বাইরের অনেক কিছু বুদ্ধিতে এসে যায়। এক একজনের এক এক রকম কথা মনে পড়ে । এখানে তো বাবা বলেন অন্য সব কথাকে গুটিয়ে নিয়ে কেবল এক-এর স্মরণে থাকো। শ্রীমৎ যা প্রাপ্ত হয় সেই অনুযায়ী চলতে হবে। স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে তোমাদের শেষ পর্যন্ত পুরুষার্থ করতে হবে। প্ৰথমে তো কিছু জানতে না, এখন বাবা বলে দিচ্ছেন। বাবাকে স্মরণ করলে সব-কিছু প্রাপ্ত হয়। রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের সম্পূর্ণ জ্ঞান বুদ্ধিতে এসে যায়। এই যে জ্ঞানের পাঠ প্রাপ্ত হয়েছে, এই জ্ঞান তো ঘরে বসেও স্মরণ করতে পার। এ হল বুদ্ধি দ্বারা বোঝার বিষয় । তোমরা হলে ওয়ান্ডারফুল স্টুডেন্ট। বাবা বুঝিয়েছেন - ৮ ঘন্টা আরাম কর, ৮ ঘন্টা শরীর নির্বাহের জন্যে কাজও কর । সেসব কাজকর্ম তো করতেই হবে। তার সঙ্গে বাবা এই যে কাজটি দিয়েছেন - নিজ সম বানানোর, এই কাজটিও শরীর নির্বাহ-ই হল, তাই না ! ঐ কাজটি হল অল্পকালের জন্যে আর এই কাজটি হল ২১ জন্ম শরীর নির্বাহের জন্য। তোমরা যে পার্ট প্লে করছ, তাতে এই পার্টের গুরুত্ব অনেক। যে যত পরিশ্রম করে, পরবর্তী কালে ভক্তিমার্গে তার ততই পূজো হয়। এইসব ধারণা বাচ্চারা তোমাদেরই করতে হবে।
তোমরা বাচ্চারা হলে ভূমিকা পালনকারী । বাবা তো শুধু জ্ঞান প্রদান করার পার্ট প্লে করেন। বাকি শরীর নির্বাহের জন্য পুরুষার্থ তোমরা করবে। বাবা তো করবেন না, তাই না। বাবা তো আসেন বাচ্চাদের এই কথা বোঝানোর জন্যে যে এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কিভাবে রিপিট হয়, চক্র কিভাবে পরিক্রমা করে। এই কথা বোঝাতেই আসেন। যুক্তি দিয়ে বোঝাতে থাকেন। বাবা বোঝান - বাচ্চারা, গাফিলতি কোরো না। স্বদর্শন চক্রধারী বা লাইট হাউস হতে হবে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করতে হবে। এই কথা তো জান শরীর ছাড়া আত্মা পার্ট প্লে করতে পারে না। মানুষ তো কিছুই জানে না। যদিও তোমাদের কাছে এসে এই জ্ঞান ভালো ভালো বলে কিন্তু স্বদর্শন চক্রধারী হতে পারবে না, এর জন্যে খুব প্র্যাক্টিস করতে হয়। তখন যেখানেই যাবে জ্ঞানের সাগর হয়ে যাবে। যেমন স্টুডেন্ট পড়া করে টিচার হয় তারপরে কলেজে গিয়ে পড়ায় পেশায় বা চাকরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তোমাদের পেশা হল টিচার হওয়া। সবাইকে স্বদর্শন চক্রধারী বানাও। বাচ্চারা চিত্র তৈরি করেছে - ডবল মুকুটধারী রাজা, পরে সিঙ্গল মুকুটধারী রাজা কিভাবে হয়, সেসব তো ঠিক আছে, কিন্তু কবে আরম্ভ হয়, কতদিন পর্যন্ত ডবল মুকুটধারী রাজারা অবস্থান করেছেন ? কবে থেকে সিঙ্গল মুকুটধারী হয়েছেন ? সেই রাজত্ব কিভাবে ও কখন হারিয়েছে ? সেই ডেট লেখা উচিত। এ হল অসীমের (বেহদের) বিশাল ড্রামা। এই কথাটি নিশ্চিত (সার্টেন) আমরা পুনরায় দেবতায় পরিণত হই। এখন আমরা ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণরা-ই হল সঙ্গম যুগের। এই কথা যতক্ষন তোমরা না বলবে ততক্ষণ কেউ জানবে না। এই হল তোমাদের অলৌকিক জন্ম। লৌকিক ও পারলৌকিকের কাছে বর্সা প্রাপ্ত হয়। অলৌকিকের কাছে বর্সা প্রাপ্ত হয় না। এনার (ব্রহ্মা বাবার) দ্বারা শিববাবা তোমাদের বর্সা প্রদান করেন। গায়নও হয় - হে প্রভু। এমন কখনও বলা হবে না - হে প্রজাপিতা ব্রহ্মা । লৌকিক এবং পার লৌকিক পিতাকে স্মরণ করা হয়। এই কথা কেউ জানে না , তোমরা জানো। পারলৌকিক পিতার অবিনাশী উত্তরাধিকার, লৌকিক পিতার বিনাশী উত্তরাধিকার । যদি কোনো রাজার সন্তান ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি প্রাপ্ত করে এবং বেহদের পিতা শিববাবা প্রদত্ত সম্পদ সামনে রেখে তুলনা করে, তাহলে সে বলবে অসীমের উত্তরাধিকার তো হল অবিনাশী এবং লৌকিক পিতার উত্তরাধিকার তো সব নষ্ট হয়ে যাবে। আজকালকার কোটিপতি-রা মায়ার প্রভাবে প্রভাবিত , তারা আসবে না। বাবা হলেন গরীব-নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ। ভারত হল গরীব, ভারতে অনেক গরীব মানুষ আছে। এখন তোমরা অনেকের কল্যাণ করার পুরুষার্থ করছ। বিশেষ করে রুগী মানুষের বৈরাগ্য অনুভব হয়। তারা ভাবে বেঁচে থেকে কি লাভ। এমন পথ খুঁজে পাই যাতে মুক্তিধামে চলে যাই। দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করে। সত্যযুগে কেউ প্রার্থনা করে না কারণ সেখানে কোনও দুঃখ নেই। এইসব কথা এখন তোমরা বুঝেছ। বাবার সন্তানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যারা সূর্যবংশী -চন্দ্রবংশী দেবতায় পরিণত হবে তারা এসে জ্ঞান নেবে, নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। এই জ্ঞান বাবা ব্যতীত কেউ প্রদান করতে পারেন না। এখন তোমরা বেহদের বাবা অর্থাৎ শিববাবাকে ত্যাগ করে কোথাও যাবে না, বাবার সঙ্গে যাদের ভালোবাসা আছে তারা বুঝতে পারবে নলেজ তো খুব সহজ, শুধু পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থে মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। কোনো কথায় গাফিলতি করলে সেই গাফিলতি দ্বারা পরাজয় হবে। এর জন্যে বক্সিং-এর দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। বক্সিং খেলায় একে অপরকে হারানো হয়। বাচ্চারা জানে মায়া আমাদের হারিয়ে দেয়।
বাবা বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, দৃঢ়তার সাথে নিজেকে আত্মা মনে কর। বাবা নিজে বোঝেন এতে পরিশ্রম আছে। বাবা যুক্তি খুব সহজ বলে দেন। আমরা আত্মা, এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর ধারণ করি, পার্ট প্লে করি, আমরা বেহদের বাবার সন্তান - এই পরিচয় টি ভালো ভাবে পাকা করতে হবে। বাবা অনুভব করেন - মায়া এদের বুদ্ধি যোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। নম্বর অনুসারে তো আছেই, এই হিসাবের আধারে রাজধানী স্থাপন হয়। সবার একরস অর্থাৎ একরকম হয়ে গেলে রাজত্ব স্থাপন হবে না। রাজা, রানী, প্রজা, ব্যবসায়ী সবাই থাকবে। এই কথা তোমরা ছাড়া আর কেউ জানে না। আমরা নিজেদের রাজধানী স্থাপনা করছি। এই সব কথা তোমাদের মধ্যে যারা অনন্য তাদেরই স্মরণে থাকে। এই কথা কখনও ভুলে যাওয়া উচিত নয়। বাচ্চারা জানে আমরা ভুলে যাই। তা নাহলে অনেক খুশি অনুভব হওয়া উচিত - আমরা বিশ্বের মালিক হই। পুরুষার্থ দ্বারা-ই হতে পারবে, শুধু বললে হবে না। বাবা তো কাছে এলেই জিজ্ঞাসা করেন -বাচ্চারা সাবধান, স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে বসেছ ? বাবাও হলেন স্বদর্শন চক্রধারী কিনা যিনি এনার (ব্রহ্মাবাবার) মধ্যে প্রবেশ করেন। মানুষ তো ভাবে বিষ্ণু হলেন স্বদর্শন চক্রধারী। তারা এই কথা জানে না যে ইনি হলেন লক্ষ্মী- নারায়ণ। এনাকে জ্ঞান কে প্রদান করেছেন ? যে জ্ঞানের দ্বারা উনি এই লক্ষ্মী-নারায়ণ পদ পেয়েছেন। দেখানো হয় স্বদর্শন চক্র দিয়ে নাশ করে ছিলেন। এইরূপ চিত্র তৈরি করে যারা তাদের এই কর্ম তোমাদের হাস্যকর লাগে। *বিষ্ণু হলেন কম্বাইন্ড গৃহস্থ আশ্রমের নিদর্শন*। তাদের তৈরী ওই চিত্রটি দেখতে সুন্দর কিন্তু এই চিত্রটি রাইট চিত্র নয়। প্ৰথমে তোমরাও জানতে না। চার ভূজাধারী এখানে আসবে কোথা থেকে। এইসব কথাগুলি তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুসারে জানে। বাবা বলেন সমস্ত কিছু নির্ভর করছে তোমাদের পুরুষার্থের উপরে। বাবার স্মরণ দ্বারা পাপ বিনষ্ট হয়। সবচেয়ে বেশি নম্বরওয়ান এই পুরুষার্থটি করা উচিত। সময় তো বাবা দিয়েছেন। গৃহস্থেও থাকতে হবে। তা নাহলে তোমাদের সন্তানাদিদের রক্ষণাবেক্ষণ কে করবে ! সেসব কিছু করতে করতে প্র্যাক্টিস করতে হবে। বাকি কোনও কথা নেই। কৃষ্ণের জন্যে দেখানো হয় অকাসুর, বকাসুর ইত্যাদিকে স্বদর্শন চক্র দিয়ে মেরেছিলেন। এখন এইসব তোমরা বুঝতে পারো, চক্র ইত্যাদির কোনো ব্যাপার নেই। কতখানি তফাৎ। এই কথা একমাত্র বাবা বোঝান। মানুষ, মানুষকে বোঝাতে পারে না। মানুষ, মানুষের সদগতি করতে পারে না। রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য কেউ বোঝাতে পারবে না। স্বদর্শন চক্রের অর্থ কি, সে কথাও এখন বাবা-ই বুঝিয়েছেন। শাস্ত্রে তো এমন কাহিনী আছে যে কোনও কথা বলার নয়। কৃষ্ণকেও হিংসক দেখানো হয়েছে। এর জন্যে একান্তে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। রাত্রে যে বাচ্চারা পাহারা দেয় তারাও অনেক ভালো সময় পায়, তারা খুব ভালোবাসে স্মরণ করতে পারে। বাবাকে স্মরণ করতে করতে স্বদর্শন চক্র ঘোরাও। স্মরণ করতে থাকলে খুশীতে চোখের ঘুম উড়ে যাবে। যার ধন প্রাপ্তি হয় সে অনেক খুশীতে থাকে। কখনও হোঁচট খাবে না। তোমরা জানো আমরা এভার হেলদী, ওয়েলদি হই। তাই এই কাজেই ভালো ভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই কথা বাবাও জানেন যে ড্রামা অনুসারে যা কিছু ঘটছে সেসব সঠিক। তবুও পুরুষার্থ করাতেই থাকেন। এখন বাবা শিক্ষা প্রদান করছেন, এমন অনেকে আছে যাদের না জ্ঞান আছে, না যোগ আছে। কোনও বুদ্ধিমান, বিদ্বান ইত্যাদি তাহলে আর কথা বলতে পারবে না। সার্ভিসেবল বাচ্চারা জানে আমাদের কাছে কে কে এমন আছে যারা ভালো বোঝাতে পারে ? তারপরে বাবাও দেখেন যদি বুদ্ধিমান শিক্ষিত ভালো মানুষ এসেছে এবং যে বোঝাতে বসেছে সে বোধহীন তখন নিজে প্রবেশ করে তাকে সেবায় উপরে উঠিয়ে দেন। অতএব যারা প্রকৃত সত্য বাচ্চারা থাকে তারা বলে আমাদের এত জ্ঞান ছিল না বাবা বসে যত খানি এদের বোঝালেন। কারো আবার নিজের অহংকার অনুভব হয়। ড্রামায় তাঁর আগমন , এইরূপ সহযোগিতা সবই ড্রামাতে পার্ট নির্দিষ্ট আছে। ড্রামা খুবই বিচিত্র। এইসব বোঝার জন্যে বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন আছে।
এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা সেই রাজধানী স্থাপন করছি যেখানে সবাই ছিল গৌর বর্ণ। সেখানে কেউ শ্যাম বর্ণের হয় না। তোমরা এই গৌর বর্ণ ও শ্যাম বর্ণের চিত্র বানিয়ে লেখো। ৬৩ জন্ম কাম চিতায় বসে এমন শ্যাম বর্ণ হয়েছে। আত্মা-ই হয়েছে। লক্ষ্মী নারায়ণেরও কালো চিত্র বানিয়েছে। এই কথা বোঝেনা আত্মা কালো হয়। তারা তো সত্যযুগের মালিক, রঙ ফর্সা ছিল, তারপরে কাম চিতায় বসে কালো হয়। আত্মা পুনর্জন্ম নিয়ে তমোপ্রধান হয়। তখন আত্মা ও শরীর দুই ই কালো হয়ে যায়। তো হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করতে পারো লক্ষ্মী নারায়ণের চিত্র কোথাও কালো, কোথাও সাদা কেন দেখানো হয়েছে , এর কারণ কি ? জ্ঞান তো নেই। কৃষ্ণকে ফর্সা কৃষ্ণকে কালো কেন দেখিয়েছে ? এইসব এখন তোমরা জানো। তোমরা এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়েছ।
আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. খুশীতে ভরপুর থাকার জন্য একান্তে বসে জ্ঞান ধন যা পেয়েছ সেসবের স্মরণ করতে হবে। পবিত্র বা সদা নিরোগী (সুস্থ) থাকার জন্যে স্মরণে থাকার পরিশ্রম করতে হবে।
২. বাবার মতন মাস্টার জ্ঞান সাগর হয়ে সবাইকে স্বদর্শন চক্রধারী করতে হবে। লাইট হাউস হতে হবে। ভবিষ্যতে ২১ জন্মের শরীর নির্বহনের জন্যে রূহানী টিচার নিশ্চয়ই হতে হবে।
বরদান:-
অবিনাশী উৎসাহ-উদ্দীপনার দ্বারা তুফানকে তোফা (উপহারে) বানিয়ে নিয়ে শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ আত্মা ভব
উৎসাহ-উদ্দীপনা হল ব্রাহ্মণদের উড়ন্ত কলার ডানা। এই ডানার সাহায্যে সদা উড়তে থাকো। তোমরা ব্রাহ্মণ, এই উৎসাহ-উদ্দীপনা হল তোমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। নিরস জীবন নয়। সদা উৎসাহ-উদ্দীপনার রস বিদ্যমান। উৎসাহ-উদ্দীপনা মুশকিল আসান করে দেয়, তাদের মন কখনো খারাপ হয় না। উৎসাহ তুফান-কে তোফা বানিয়ে দেয়, উৎসাহ যে কোনো পরীক্ষা বা সমস্যাতে মনোরঞ্জন অনুভব করায়। এমন অবিনাশী উৎসাহ উদ্দীপনায় থাকা ব্রাহ্মণ হল শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ।
স্লোগান:-
শান্তির সুগন্ধিত ধূপ জ্বালিয়ে রাখো তাহলে অশান্তির দুর্গন্ধ সমাপ্ত হয়ে যাবে ।