১২-০৬-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- এখন আর এক মুঠো চানা অর্থাৎ বিনাশী বস্তুর পিছনে নিজের সময় নষ্ট কোরো না, এখন বাবার সহযোগী হয়ে বাবার সুনাম বৃদ্ধি করো" ( বিশেষতঃ কুমারীদের জন্য)
প্রশ্ন:-
এই জ্ঞান মার্গে তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ, তার প্রমাণ কি ?
উত্তর:-
যে বাচ্চাদের শান্তিধাম ও সুখধাম সর্বদা স্মরণে থাকে। স্মরণের সময় বুদ্ধি কখনও এদিক ওদিক যায় না, বুদ্ধিতে ব্যর্থ চিন্তন চলে না, বুদ্ধি একাগ্র থাকে, তারা ঘুমের ঘোরে থাকে না, খুশীর পারদ সর্বদা তুঙ্গে থাকে তাদের জন্যে প্রমাণিত হয় যে তারা এগিয়ে চলেছে ।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এই সময়ে এইখানে বসে আছে। এমন মনে হবে যেন শিবালয়ে বসে আছ। শিববাবাও স্মরণে আছেন। স্বর্গও স্মরণে আছে। স্মরণের দ্বারা-ই সুখ প্রাপ্ত হয়। এই কথাও যদি স্মরণে থাকে , আমরা শিবালয়ে বসে আছি তাতেও খুশি অনুভব হবে। শিবালয় যেতে তো হবে সবাইকে শেষ সময়ে। শান্তিধাম গিয়ে কেউ বসবে না। বাস্তবে শান্তিধাম কেও শিবালয় বলা হবে, সুখধাম কেও শিবালয় বলা হবে। দুয়েরই স্থাপনা করেন। বাচ্চারা তোমাদের দুই ধাম-কেই স্মরণ করতে হবে। এক শিবালয় হল শান্তির জন্য, অন্যটি হল সুখের জন্যে। এইটি হল দুঃখ ধাম। এখন তোমরা সঙ্গমে বসে আছ। শান্তিধাম ও সুখধাম ছাড়া অন্য কিছুই স্মরণ করা উচিত নয়। যেখানেই বসে থাকো, ব্যবসা ইত্যাদিতে বসে থাকো তবুও বুদ্ধিতে দুটি শিবালয় যেন স্মরণে থাকে। দুঃখ ধামের কথা ভুলে যেতে হবে। বাচ্চারা জানে এই বেশ্যালয়, দুঃখধাম এবারে শেষ হয়ে যাবে।
বাচ্চারা এখানে তোমাদের ঘুমের ঘোরে বসা উচিত নয়। অনেকের বুদ্ধি এদিকে-ওদিকে ঘুরতে থাকে। মায়ার বিঘ্ন আসতে থাকে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের ক্ষণে ক্ষণে বলেন - মন্মনাভব। বিভিন্নভাবে যুক্তি বলে দেন। এখানে বসে আছো, বুদ্ধিতে স্মরণ করো যে আমরা প্ৰথমে শান্তিধাম, শিবালয় যাব তারপরে সুখধামে আসব। এমন ভাবে স্মরণ করলে পাপ বিনষ্ট হবে। তোমরা যত স্মরণ কর ততই এগিয়ে যাও। এখানে অন্য কিছু চিন্তন নিয়ে বসা উচিত নয়। এইভাবে তোমরা অন্যদের ক্ষতি কর। লাভ করার পরিবর্তে আরও ক্ষতি কর। আগে যখন বসতে তখন সামনে একজনকে চেক করার জন্যে বসানো হত - কে ঘুমের ঘোরে বসে আছে, কার চোখ বন্ধ আছে, তাই সজাগ হয়ে থাকত। বাবাও দেখতেন এদের বুদ্ধিযোগ কোথাও বাইরে ঘুরছে নাকি ঘুমের ঘোরে বসে আছে ? এমন অনেকে আসে যারা কিছু বোঝে না। ব্রাহ্মণীরা নিয়ে আসে। শিববাবার সামনে ভালো ভালো বাচ্চাদের থাকা উচিত, যারা গাফিলতি করবে না, কারণ শিববাবা কোনও অর্ডিনারী বা সাধারণ টিচার নন। বাবা বসে শেখান। এখানে খুব সাবধান হয়ে বসা উচিত। বাবা ১৫ মিনিট শান্তিতে বসান। তোমরা তো এক ঘন্টা দু' ঘন্টা বসো। সবাই তো মহারথী নয়। যারা কাঁচা, তাদের সাবধান করতে হবে। সাবধান করলে সজাগ হয়ে যাবে। যারা স্মরণে থাকে না, ব্যর্থ চিন্তন করে, তারা বরং বিঘ্ন সৃষ্টি করে। কারণ বুদ্ধি এদিকে ওদিকে ঘোরে। মহারথী, অশ্বারোহী, পদাতিক সবাই বসে আছে।
বাবা আজ বিচার সাগর মন্থন করে এসেছেন - মিউজিয়ামে অথবা প্রদর্শনীতে তোমরা বাচ্চারা যারা শিবালয়, বেশ্যালয় এবং পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ তিনটি বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দাও, এই বিষয়টি খুব ভালো বোঝানোর জন্য। তোমাদের এই বিষয়টি বিশাল ভাবে তৈরি করা উচিত। এরজন্য সবচেয়ে ভালো বড় হলঘর হওয়া উচিত, যাতে কথা গুলো মানুষের বুদ্ধিতে ঢোকে। বাচ্চাদের বিচার করা উচিত যে এই বিষয়ে আমরা কিভাবে আরও ইম্প্রুভমেন্ট আনব। পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ খুব ভালো তৈরি করা উচিত। যার দ্বারা মানুষ খুব ক্লিয়ার বুঝতে পারবে। তপস্যায় তোমরা ৫-৬ জনকে বসাও, কিন্তু নয়, ১০-১৫ জনকে তপস্যায় বসানো উচিত। বিশাল চিত্র তৈরি করে ক্লিয়ার শব্দে লেখা উচিত। তোমরা এত বোঝাও তবুও তারা কি আর বোঝে। তোমরা পরিশ্রম কর বোঝানোর জন্যে, তারা পাথর বুদ্ধি কিনা। তাই যত ভালো করে বোঝাতে পারো, বোঝানো উচিত। যারা সার্ভিসে থাকে তাদের সার্ভিস বৃদ্ধির চিন্তন করা উচিত। প্রজেক্টর, প্রদর্শনীতে এতখানি মজা নেই, যত খানি মিউজিয়ামে আছে। প্রজেক্টর দিয়ে তো কিছুই বুঝতে পারে না। সবচেয়ে ভালো হল মিউজিয়াম, সে যতই ছোট হোক। একটি রুমে এই শিবালয়, বেশ্যালয় এবং পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগের সীন থাকবে। বোঝানোর জন্যে বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন আছে।
বেহদের পিতা অর্থাৎ অসীম জগতের পিতা, টিচার এসেছেন তিনি কি অপেক্ষা করবেন নাকি যে বাচ্চারা এম.এ , বি.এ পাস হয়ে যাক। বাবা কি আর বসে থাকবেন। একটু সময় পরে চলে যাবেন। এত কম সময় আছে তবুও মানুষ জাগে না। ভালো ভালো কন্যারা বলবে এই ৪০০-৫০০ টাকার জন্য কে নিজের সময় নষ্ট করবে। তাহলে শিবালয়ে আমরা কি পদের অধিকারী হব! বাবা দেখেন কুমারী কন্যারা তো ফ্রী আছে। যতই বেশি মাইনে হোক, সে তো হল এক মুঠো চানার সমান, সবই শেষ হয়ে যাবে। কিছুই থাকবে না। বাবা এসেছেন মুঠো ভরা চানা থেকে মুক্ত করতে কিন্তু কেউ ছাড়তে চায় না। ঐখানে আছে মুঠো ভর্তি চানা, এইখানে আছে বিশ্বের বাদশাহী। সেসব পাই পয়সার চানা তার জন্যে কত পরিশ্রম করে । কুমারী কন্যারা তো ফ্রী আছে। ওই পড়াশোনা তো পাই পয়সার। ওইসব ছেড়ে এই পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলে বুদ্ধিও বিশাল হবে। ছোট ছোট কন্যারা বসে গুরুজনদের জ্ঞান প্রদান করবে, বাবা এসেছেন - শিবালয় স্থাপন করতে। এই কথা তো জানো যে এখানকার সবকিছু মাটিতে মিশে যাবে। এই চানাও ভাগ্যে থাকবে না। কারো মুঠোয় পাঁচটি চানা অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ টাকা থাকবে, সেসব শেষ হয়ে যাবে। এখন সময় খুব কম আছে। দিন-প্রতিদিন অবস্থা খারাপ হতে থাকবে। অকস্মাৎ বিপদ এসে পড়বে। মৃত্যুও হবে হঠাৎ করে, মুঠোয় চানা থাকা সত্বেও প্রাণ বেরিয়ে যায়। অতএব মানুষকে এমন বানর স্বরূপ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। শুধুমাত্র মিউজিয়াম দেখে খুশী হবে না, বরং কামাল করে দেখাতে হবে। মানুষকে সঠিক করতে হবে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী দিচ্ছেন। বাকি তো চানা অর্থাৎ বিনাশী সম্পদ কারো ভাগ্যে থাকবে না। সব শেষ হয়ে যাবে, তার চেয়ে বরং বাবার কাছে বাদশাহী প্রাপ্ত করা ভালো। কোনও কষ্ট নেই। শুধু বাবাকে স্মরণ করতে হবে এবং স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে হবে। চানা ভরা মুঠো খালি করে হীরে-জহরাত দিয়ে মুঠো ভর্তি করে ফিরে যেতে হবে।
বাবা বোঝান - মিষ্টি বাচ্চারা, এই মুঠো ভর্তি চানার জন্যে তোমরা নিজেদের সময় কেন নষ্ট করছ ? হ্যাঁ, কেউ যদি বয়স্ক মানুষ থাকে বা অনেক সন্তান থাকলে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয় । কুমারী কন্যাদের জন্যে তো খুব সহজ, যে আসুক তাকেই বোঝাও যে বাবা আমাদের এই বাদশাহী দিচ্ছেন। অতএব বাদশাহী নেওয়া উচিত তাইনা। এখন তোমাদের মুঠো হীরে দিয়ে ভরছে। বাকি অন্য সব কিছু তো বিনাশ হয়ে যাবে। বাবা বোঝান তোমরা ৬৩ জন্ম পাপ কর্ম করেছ। দ্বিতীয় পাপ হল পিতা ও দেবতাদের গ্লানি করা। বিকারীও হয়েছ এবং কটু কথাও বলেছ। বাবার কত অপমান করেছ। বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান - বাচ্চারা, সময় নষ্ট করা উচিত নয়। এমন নয়, বাবা আমরা স্মরণ করতে পারব না। বলো, বাবা আমরা নিজেদের আত্মা রূপে স্মরণ করতে পারি না। নিজেকে ভুলে যাই। দেহ-অভিমানে আসা অর্থাৎ নিজেকে ভুলে যাওয়া। নিজেকে আত্মা রূপে স্মরণ করতে না পারলে বাবাকে স্মরণ করবে কিভাবে। এই লক্ষ্য খুব উঁচুতে। খুব সহজও বটে। তবে হ্যাঁ , মায়ার বিরোধিতা চলতেই থাকে।
মানুষ যদিও গীতা ইত্যাদি পড়ে কিন্তু তার অর্থ বোঝে না। ভারতের মুখ্য শাস্ত্র হল গীতা। প্রত্যেকটি ধর্মের নিজস্ব একটি শাস্ত্র আছে। যারা ধর্ম স্থাপন করে তাদের সদগুরু বলা যাবে না। এই কথাটি বিশাল ভুল। সদগুরু তো কেবল একজনই আছে, বাকি গুরু তো সবাইকেই বলা যেতে পারে। কেউ কার্পেন্টারি কাজ শিখিয়েছে, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ শিখিয়েছে তাদেরও গুরু বলা হবে। যিনি শিক্ষা দেন তিনিই হলেন গুরু, সদগুরু যদিও একজন। এখন তোমরা সদগুরু পেয়েছ তিনি হলেন সত্য পিতা তার সঙ্গে সত্য টিচারও হলেন তিনি তাই বাচ্চাদের বেশী গাফিলতি করা উচিত নয়। এখানে ভালো ভাবে রিফ্রেশ হয়ে যায় তারপরে ঘরে ফিরে এখানকার সব কথা ভুলে যায়। গর্ভ রূপী জেলে অনেক দন্ড ভোগ করে। সেখানে অর্থাৎ স্বর্গে হয় গর্ভ মহল। এমন কোনও বিকর্ম হয় না যে দন্ড ভোগ করতে হবে। এখানে তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারছ আমরা বাবার সামনে ঈশ্বরীয় পড়া করছি। বাইরে নিজের বাড়িতে এমন তো বলবে না। ওখানে বুঝবে ভাই পড়াচ্ছে। এখানে তো বাচ্চারা ডাইরেক্ট বাবার কাছে এসেছে । বাবা বাচ্চাদের ভালো ভাবে বোঝান। বাবার বোঝানোর কায়দা এবং বাচ্চাদের বোঝানোর কায়দা আলাদা হয়ে যায়। বাবা বসে বাচ্চাদের সাবধান করেন। বাচ্চা বাচ্চা সম্বোধন করে বোঝান। তোমরা শিবালয় এবং বেশ্যালয়ের অর্থ বুঝেছ, এই হল বেহদের কথা। এই কথাটি ক্লিয়ার করে দেখাও যাতে মানুষের একটু আনন্দ হয়। ওখানে হাসি মজা করে বোঝাও, একটু সিরিয়াস হয়ে বোঝাও তাহলে ভালোভাবে বুঝবে। নিজের উপরে দয়া করো, তোমরা কি এই বেশ্যালয়ে থাকবে ! বাবার চিন্তন চলে - যে কিভাবে বোঝানো যায়। বাচ্চারা অনেক পরিশ্রম করে তবুও ডিব্বি মে ঠিকরি অর্থাৎ কোনও কাজ হয় নি। হ্যাঁ হ্যাঁ বলে যায়, গ্রামে বোঝানো উচিত। কিন্তু নিজে বোঝে না। ধনী ব্যক্তি তো বুঝবেও না। একেবারেই মনোযোগ দেবে না। তারা সব শেষে আসবে। তখন তো খুব দেরি হয়ে যাবে। তাদের ধন সম্পদ কাজে লাগবে না, যোগেও বসতে পারবে না। যদিও , একটু শুনলেও প্রজা পদ প্রাপ্ত করবে। গরিব মানুষ উঁচু পদের অধিকারী হবে। কন্যারা তোমাদের কাছে কি আছে । কন্যাদের গরিব বলা হয় কারণ বাবার বর্সা অর্থাৎ অবিনাশী অধিকার তো বাচ্চারা ই প্রাপ্ত করে। কিন্তু হ্যাঁ, যদি কন্যা দান করা হয়, তখন বিকার গ্রস্ত হয়। তারা বলবে বিবাহ কর তাহলে অর্থ দান করা হবে। পবিত্র থাকলে এক টাকাও দেবে না। মনোবৃত্তি দেখো কেমন। তোমরা কাউকে ভয় পাবে না। খোলাখুলি ভাবে বোঝাও। স্ফূর্ত হওয়া উচিত। তোমরা তো প্রকৃত সত্য কথা বলছ। এই হল সঙ্গম যুগ। উল্টো দিকে হল এক মুঠো চানা অর্থাৎ বিনাশী সম্পদ, এই দিকে আছে মুঠো ভর্তি হীরে অর্থাৎ অবিনাশী প্রাপ্তি। এখন তোমরা বানর স্বরূপ থেকে মন্দির স্বরূপে পরিণত হচ্ছ। পুরুষার্থ করে হীরে তুল্য জন্ম গ্রহণ করা উচিত তাইনা। মুখশ্রী বীর বাহাদুর সিংহী সম হওয়া উচিত। কারোর চেহারা এমন যেন নিরীহ ছাগল। একটু আওয়াজ হলেই ভয় পেয়ে যাবে। অতএব বাবা সব বাচ্চাদের সাবধান করে দিচ্ছেন। কন্যাদের তো কোনও জালে আটকা পড়া উচিৎ নয়। যত বন্ধনে জড়িয়ে পড়বে ততই বিকারের জন্যে প্রতারিত হবে। ভালোভাবে জ্ঞান ধারণ করলে বিশ্বের মহারানী হবে। বাবা বলেন আমি তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী দিতে এসেছি। কিন্তু তা অনেকের ভাগ্যে নেই । বাবা হলেন গরিব নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ । কন্যারা হল গরিব। মা-বাবা বিয়ে দিতে না পারলে দান করে। তাই তাদের নেশায় থাকা উচিত। যাতে আমরা ভালো রীতি পড়া করে উঁচু পদের অধিকার প্রাপ্ত করি। যারা ভালো স্টুডেন্ট হয় , তারা পড়াশোনায় মনোযোগ দেয় - আমরা পাস উইথ অনার হই। তার জন্যে তাদের স্কলারশিপ প্রাপ্ত হয়। যত পুরুষার্থ করবে ততই উঁচু পদের অধিকারী হবে, তাও ২১ জন্মের জন্যে। এখানে আছে অল্পকালের সুখ। আজ পদ মর্যাদা আছে, কাল মৃত্যু হলেই সব শেষ। যোগী এবং ভোগী তে তফাৎ আছে তাইনা। তাই বাবা বলেন গরিবদের দিকে বেশি অ্যাটেন্সান দাও। ধনী মানুষ জ্ঞান ধারণ করেবেনা। শুধু বলবে খুব ভালো। এই সংগঠন খুব ভালো, অনেকের কল্যাণ হবে। নিজের কোনও কল্যাণ করবে না। খুব ভালো বলে বাইরে যাবে, আর শেষ। মায়া লাঠি নিয়ে বসে আছে, ইচ্ছে টাই শেষ করে দেবে। এক চড়ে বুদ্ধি নষ্ট করে দেয়। বাবা বোঝান - ভারতের কি অবস্থা হয়েছে । বাচ্চারা ড্রামা তো খুব ভালো ভাবে বুঝেছে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. এক মুঠো চানা অর্থাৎ বিনাশী বস্তুর প্রতি মোহ ত্যাগ করে বাবার কাছে বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্তির জন্যে সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। কোনও কথায় ভয় পাবে না, নির্ভয়ে সর্ব বন্ধন থেকে মুক্ত হতে হবে। নিজের সময় প্রকৃত অর্থে উপার্জন করে সফল করতে হবে।
২. এই দুঃখ ধাম ভুলে শিবালয় অর্থাৎ শান্তিধাম, সুখধাম স্মরণ করতে হবে। মায়ার বিঘ্ন গুলি জেনে সাবধানে থাকতে হবে।
বরদান:-
সন্তুষ্টতার তিনটি সার্টিফিকেট নিয়ে নিজের যোগী জীবনের প্রভাব ফেলে সহজযোগী ভব
সন্তুষ্টতা যোগী জীবনের বিশেষ লক্ষ্য, যে সর্বদা সন্তুষ্ট থাকে এবং সর্বকে সন্তুষ্ট করে তার যোগী জীবনের প্রভাব স্বতঃই অন্যদের উপরে পড়ে। যেমন বিজ্ঞানের আবিষ্কারের প্রভাব বায়ুমন্ডলে পড়ে, তেমন সহজ যোগী জীবনেরও প্রভাব পড়ে। যোগী জীবনের তিনটি সার্টিফিকেট হল এক - নিজের প্রতি সন্তুষ্ট, দ্বিতীয় - বাবার সন্তুষ্টি এবং তৃতীয় - লৌকিক ও অলৌকিক পরিবার সন্তুষ্ট।
স্লোগান:-
স্ব রাজ্যের তিলক , বিশ্ব কল্যাণের মুকুট এবং স্থিতির আসনে বিরাজিত আত্মা-ই হল রাজ যোগী ।