১১-০৯-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- অসীম জগতের স্কলারশিপ নিতে হলে অভ্যাস করো - এক পিতার স্মরণ ছাড়া অন্য কেউ যেন স্মরণে না আসে"

প্রশ্ন:-

বাবার আপন হওয়ার পরেও যদি খুশী অনুভব না হয় তো তার কারণ কি ?

উত্তর:-

১. বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকে না। ২. বাবাকে যথার্থ ভাবে স্মরণ করে না। স্মরণ না করার জন্য মায়া ধোঁকা দেয়, তাই খুশী থাকে না। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে যেন এই নেশা থাকে - বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক করেন, তাই সর্বদা আনন্দ ও খুশী থাকে। বাবার যে উত্তরাধিকার আছে - পবিত্রতা, সুখ ও শান্তি, এতে পরিপূর্ণ হও তাহলে খুশী থাকবে ।

ওম্ শান্তি।

ওম্ শান্তির অর্থ তো বাচ্চাদের স্পষ্ট জানা আছে - আমি আত্মা, এই হল আমার শরীর। এই কথা ভালো ভাবে স্মরণ করো। ভগবান অর্থাৎ আত্মাদের পিতা, তিনি আমাদের পড়ান। এমন কথা কখনও শুনেছ ? তারা তো ভাবে কৃষ্ণ পড়ান, কিন্তু তাঁর তো নাম-রূপ আছে, তাইনা। এইখানে যিনি পড়ান তিনি হলেন নিরাকার পিতা । আত্মা শোনে এবং পরমাত্মা বলেন। এ হল নতুন কথা, তাইনা। বিনাশ তো হওয়ারই আছে, তাই না। এক হল বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি, দ্বিতীয় হল বিনাশ কালে প্রীত বুদ্ধি। আগে তো তোমরাও বলতে ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী, পাথরে নুড়িতে ভগবান আছেন। এইসব কথা ভালো মতন বুঝতে হবে। এই কথা তো বোঝানো হয়েছে আত্মা হল অবিনাশী, শরীর হল বিনাশী। আত্মা কখনও কম-বেশি হয় না। সে হল সূক্ষ্ম আত্মা, সেই সূক্ষ্ম আত্মা-ই ৮৪ জন্ম নিয়ে সম্পূর্ণ পার্ট প্লে করে। আত্মা শরীরকে চালায়। উঁচু থেকে উঁচু বাবা পড়ান, তাই পদ মর্যাদাও অবশ্যই উঁচুই হবে, তাইনা। আত্মা-ই পড়াশোনা করে উচ্চ পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করে। আত্মাকে চোখে দেখা যায় না। খুব চেষ্টা করা হয় যাতে আত্মা কিভাবে আসে তা দেখার, বা কোথা থেকে বেরিয়ে যায় ? কিন্তু জানা যায় না। যতই চেষ্টা করা হয়েছে তবুও কেউ বুঝতে পারেনি। এই কথা তো তোমরা বুঝেছ আত্মা-ই এই শরীরে বাস করে। আত্মা ও জীব দুই-ই হল আলাদা। আত্মা ছোট-বড় হয় না। জীব ছোট থেকে বড় হয়। আত্মা-ই পতিত থেকে পবিত্র হয়। আত্মা-ই বাবাকে আহ্বান করে - হে পতিত আত্মাদের পবিত্রকারী বাবা - এসো। এই কথাও বোঝানো হয়েছে - সব আত্মারা হল ব্রাইড (সীতা) এবং উনি হলেন রাম। ব্রাইডগ্রুম হলেন একজন। তারা আবার সবাইকে ব্রাইডগ্রুম বলে দেয়। এবারে ব্রাইড গ্রুম সকলের মধ্যে প্রবেশ করবে, এমন তো হতে পারে না। বুদ্ধিতে এই উল্টো জ্ঞান থাকার দরুন নীচে নেমে এসেছে কারণ গ্লানি বা নিন্দে করেছে, পাপ করেছে, সম্মান হনন করেছে। বাবার অতিরিক্ত গ্লানি করেছে। সন্তান কখনও পিতার গ্লানি করবে নাকি ! কিন্তু আজকাল বাচ্চারা খারাপ হয় বাবাকেও কটু কথা বলে। ইনি তো হলেন অসীম জগতের পিতা। আত্মারা-ই অসীম জগতের পিতার নিন্দে করে - বাবা আপনি হলেন কচ্ছ-মচ্ছ অবতার। কৃষ্ণেরও নিন্দা করেছে - রানীদের হরণ করেছে, এই করেছে সেই করেছে, মাখন চুরি করেছে। এবারে মাখন ইত্যাদি চুরি করার কি দরকার আছে। কতখানি তমোপ্রধান বুদ্ধি হয়েছে। বাবা বলেন আমি তোমাদের পবিত্র হওয়ার সহজ যুক্তি বলি। বাবা হলেন পতিত-পাবন সর্ব শক্তিমান অথরিটি। যেমন সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদি যারা আছেন, তাদের শাস্ত্রের অথরিটি বলা হয়। শঙ্করাচার্যকেও বেদ শাস্ত্র ইত্যাদির অথরিটি বলা হবে, তার কত না আড়ম্বর রয়েছে। শিবাচার্যের কোনোরকম আড়ম্বর নেই, তাঁর সঙ্গে কোনো পল্টন বা অনুগামীর ভিড় নেই। ইনি তো বসে সকল বেদ-শাস্ত্রের সার তত্ব বলে দেন। যদি শিববাবা আড়ম্বর করবেন তাহলে তো সর্বপ্রথমে এনার (ব্রহ্মাবাবার) আড়ম্বর করা উচিত। কিন্তু না। বাবা বলেন আমি তো বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের সার্ভেন্ট। বাবা এনার (ব্রহ্মা বাবার) মধ্যে প্রবেশ করে বোঝান যে বাচ্চারা, তোমরা পতিত হয়েছ। তোমরা পবিত্র হয়ে ৮৪ জন্মের পরে পতিত হয়েছ। এদের-ই হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি আবার রিপিট হবে। এনারাই ৮৪ জন্ম ভোগ করছে। তারপরে এদেরই সতোপ্রধান হওয়ার যুক্তি বলি। বাবা-ই হলেন সর্বশক্তিমান। ব্রহ্মা দ্বারা বেদ-শাস্ত্রের সার তত্ব বোঝান। চিত্রে ব্রহ্মাকে শাস্ত্র সহ দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে শাস্ত্র ইত্যাদির ব্যাপার নেই। না বাবার কাছে শাস্ত্র আছে, না ব্রহ্মার কাছে আছে, না তোমাদের কাছে শাস্ত্র আছে। এইসব তো তোমাদের নিত্য নতুন কথা শোনান তিনি । এই কথা তো জানো যে সবই হল ভক্তি মার্গের শাস্ত্র। আমি কোনও শাস্ত্র থোড়াই শোনাই। আমি তো তোমাদের মুখ দিয়ে শোনাই। তোমাদের রাজ যোগ শেখাই, যার নাম ভক্তি মার্গে গীতা রাখা হয়েছে। আমার কাছে বা তোমাদের কাছে কোনও গীতা ইত্যাদি আছে কি ? এ তো হল পড়াশুনা । পড়াশুনায় অধ্যায়, শ্লোক ইত্যাদি হয় নাকি। বাচ্চারা, আমি তোমাদের পড়াই, হুবহু কল্প-কল্প এমন ভাবে পড়াব। কতখানি সহজ কথা বলি - নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এই শরীর তো মাটিতে মিশে যাবে। আত্মা হল অবিনাশী, শরীর তো ক্ষণে ক্ষণে শেষ হতে থাকে। আত্মা এক দেহ ত্যাগ করে অন্য দেহ ধারণ করে।



বাবা বলেন আমি তো একবার-ই আসি। শিবরাত্রিও পালন করা হয়। *বাস্তবে হওয়া উচিত শিব জয়ন্তী। কিন্তু জয়ন্তী বললে মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া হয় যায়, তাই শিব রাত্রি বলা হয়*। দ্বাপর-কলিযুগের রাত্রিতে আমাকে খুঁজে বেড়ায়। বলে দেয় সর্বব্যাপী। তবে তো তোমাদের মধ্যেও আছে ! তাহলে ধাক্কা কেন খাও ! একদম দেবতা সম্প্রদায় থেকে অসুরী সম্প্রদায়ের হয়েছে। দেবতারা কখনও মদ্য পান করে কি ? সেই আত্মারা-ই পতিত হয়ে মদ ইত্যাদি পান করে। বাবা বলেন, এখন এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হবে। পুরানো দুনিয়ায় আছে অনেক ধর্ম, নতুন দুনিয়ায় থাকে একটি ধর্ম। এক থেকে অনেক ধর্ম হয়েছে পুনরায় এক ধর্ম নিশ্চয় হতে হবে। মানুষ তো বলে দেয় কলিযুগে এখন ৪০ হাজার বছর বাকি আছে, একেই বলা হয় ঘোর অন্ধকার। জ্ঞান সূর্য প্রকট হয়েছেন ফলে অজ্ঞান অন্ধকার বিনাশ হবেই । মানুষ কত জ্ঞানহীন। বাবা জ্ঞান সূর্য, জ্ঞান সাগর আসেন তো তোমাদের ভক্তি মার্গের অজ্ঞানতা মিটে যায়। তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে-করতে পবিত্র হয়ে যাও, খাদ বেরিয়ে যায়। এ হল যোগ অগ্নি। কাম অগ্নি কালো করে দেয়। যোগ অগ্নি অর্থাৎ শিববাবার স্মরণ সুন্দর বানিয়ে দেয় । কৃষ্ণের নামও রাখা হয় - শ্যাম-সুন্দর। কিন্তু অর্থ কি আর বোঝে। বাবা এসে অর্থ বুঝিয়ে দেন। সর্ব প্রথমে সত্যযুগে কত সুন্দর স্বরূপ থাকে। আত্মা পবিত্র সুন্দর হয় তো শরীরও পবিত্র সুন্দর ধারণ করে। সেখানে ধন সম্পদ সবকিছুই নতুন থাকে। নতুন পৃথিবী আবার পুরানো হয়। এখন এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হবে। খুব আয়োজন করা হচ্ছে। ভারতবাসী এত বোঝে না, যতটা বোঝে যে, আমরা নিজেদের কুলের বিনাশ করছি। কেউ প্রেরিত করছে। বিজ্ঞানের দ্বারা আমরা নিজেদের বিনাশ টেনে আনছি। এই কথাও বুঝেছে যে ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে প্যারাডাইজ বা স্বর্গ ছিল। এই গড-গডেজ অর্থাৎ দেব-দেবীর রাজ্য ছিল। ভারত-ই প্রাচীন ছিল। এই রাজ যোগের দ্বারা লক্ষ্মী-নারায়ণ এমন স্বরূপে পরিণত হয়েছিলেন। সেই রাজ যোগ আবার বাবা-ই শেখাতে পারেন। সন্ন্যাসীরা শেখাতে পারে না। আজকাল কত ঠগবাজি চলছে। বাইরে গিয়ে বলে - আমরা ভারতের প্রাচীন যোগের শিক্ষা দিয়ে থাকি। আর তারপরে বলে ডিম খাও, মদ্য পান ইত্যাদি করো, যা ইচ্ছে তাই করো। এবারে তারা রাজ যোগের শিক্ষা দেবে কিভাবে। মানুষকে দেবতায় পরিণত করবে কিভাবে। বাবা বোঝান আত্মা কতখানি উচ্চ স্বরূপধারী হয়, পরে পুনর্জন্ম নিতে নিতে সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়ে যায়। এখন তোমরা আবার স্বর্গের স্থাপনা করছ। সেখানে দ্বিতীয় কোনও ধর্ম থাকেই না। এখন বাবা বলেন নরকের বিনাশ তো অবশ্যই হবে। এখানে যারা এসেছে তারা আবার স্বর্গেও নিশ্চয়ই আসবে। শিববাবার কথা একটু শুনে নিলেও স্বর্গে অবশ্যই আসবে । তারপরে যত পড়া করবে, বাবাকে যত স্মরণ করবে ততই উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। এখন বিনাশ কাল তো হল সবার জন্যই । বিনাশ কালে প্রীত বুদ্ধি যারা আছে, বাবা ব্যতীত কাউকে স্মরণ করে না, তারা-ই উঁচু পদের অধিকারী হয়। একেই বলা হয় অসীম জগতের স্কলারশিপ, এতেই তো রেস করা উচিত। এ হল ঈশ্বরীয় লটারি। এক হল স্মরণ, দ্বিতীয়তঃ দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে এবং রাজা-রানী হতে গেলে প্রজা তো বানাতেই হবে। কেউ অনেক প্রজা বানায়, কেউ কম। প্রজা তৈরি হয় সার্ভিস দ্বারা। মিউজিয়াম, প্রদর্শনী ইত্যাদিতে অসংখ্য প্রজা তৈরি হয়। এই সময় তোমরা পড়ছ তারপরে সূর্যবংশী- চন্দ্রবংশী কুলে চলে যাবে। এ হল তোমরা ব্রাহ্মণ, ব্রাহ্মণদের কুল। বাবা ব্রাহ্মণ কুল অ্যাডপ্ট করে তাদের পড়ান। বাবা বলেন আমি একটি কুল এবং দুইটি বংশ নির্মাণ করি। সূর্যবংশী মহারাজা-মহারানী, চন্দ্রবংশী রাজা-রানী। এদেরকে বলা হয় ডবল মুকুটধারী। পরে যখন বিকারগ্রস্ত রাজারা থাকে তাদের লাইটের মুকুট থাকে না। সেই ডবল মুকুটধারীদের মন্দির বানিয়ে তাঁদের পূজা করে। পবিত্রের সামনে গিয়ে মাথা নত করে। সত্যযুগে এইসব কথা থাকে না। ওটা হল পবিত্র দুনিয়া, সেখানে পতিত কেউ হয় না। তাকে বলা হয় সুখধাম, ভাইসলেস ওয়ার্ল্ড। এই দুনিয়াকে বলা হয় ভিসস ওয়ার্ল্ড, অপবিত্র দুনিয়া। একজনও পবিত্র নয়। সন্ন্যাসীরা ঘর সংসার ত্যাগ করে চলে যায়, রাজা গোপীচন্দ্রের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় কিনা। তোমরা জানো কোনও মানুষ একে-অপরকে গতি-সদগতি দিতে পারে না। সকলের সদগতি দাতা এক আমিই। আমি এসে সবাইকে পবিত্র করি। এক তো পবিত্র হয়ে শান্তিধাম যাবে এবং দ্বিতীয় পবিত্র হয়ে সুখধাম আসবে। এটা হল অপবিত্র দুঃখধাম। সত্যযুগে অসুখ বিসুখ ইত্যাদি কিছুই হয় না। তোমরা সেই সুখধামের মালিক ছিলে, তারপরে রাবণ রাজ্যে দুঃখধামের মালিক হয়েছ। বাবা বলেন কল্প-কল্প তোমরা আমার শ্রীমৎ অনুসারে স্বর্গ স্থাপন কর। নতুন দুনিয়ায় রাজ্য প্রাপ্ত কর। তারপরে পতিত নরকবাসী হও। দেবতারা-ই পরে বিকার গ্রস্ত হয়। বাম মার্গে যায়।



মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদেরকে বাবা এসে পরিচয় দিয়েছেন যে আমি একবার-ই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে আসি। আমি যুগে-যুগে তো আসিই না। কল্পের সঙ্গম যুগে আসি, যুগে-যুগে নয়। কল্পের সঙ্গমে কেন আসি ? কারণ নরককে স্বর্গে পরিণত করি। প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আসি। অনেক বাচ্চারা লেখে - বাবা, আমাদের খুশীর অনুভূতি স্থির থাকে না, উল্লাস অনুভব হয় না। আরে, বাবা তোমাদের বিশ্বের মালিক করেন, এমন পিতাকে স্মরণ করে তোমাদের খুশীর অনুভূতি হয় না ! তোমরা সম্পূর্ণ রূপে স্মরণ করো না। তাই খুশীও স্থির থাকে না। স্বামীকে স্মরণ করে খুশী অনুভব হয়, যে পতিতে পরিণত করে এবং বাবা, যিনি ডবল মুকুটধারী বানান, তাঁকে স্মরণ করে খুশী অনুভব হয় না। বাবার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও বলো যে খুশী থাকে না ! বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান নেই । স্মরণ করো না, তাই মায়া ধোঁকা দেয়। বাচ্চাদের কত ভালো ভাবে বোঝানো হয়। কল্প-কল্প বোঝানো হয়। আত্মারা যারা পাথর বুদ্ধি হয়েছে, তাদের পারস বুদ্ধি অর্থাৎ দৈবী বুদ্ধিতে পরিণত করেন। নলেজফুল বাবা নিজে এসে নলেজ প্রদান করেন। তিনি হলেন সর্ব বিষয়ে সম্পূর্ণ। পবিত্রতায় ফুল বা সম্পূর্ণ, প্রেম ভালোবাসায় ফুল। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর, প্রেমের সাগর তাই না। এমন পিতার কাছে তোমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত কর। এমন হতেই তোমরা আসো। বাকি ওইসব সৎসঙ্গ ইত্যাদি সবই হল ভক্তি মার্গের। তাতে মুখ্য উদ্দেশ্য কিছুই নেই। একেই তো গীতা পাঠশালা বলা হয়, বেদ পাঠশালা নয়। গীতার দ্বারা নর থেকে নারায়ণ হও। নিশ্চয়ই বাবা বানাবেন, তাইনা। মানুষ মানুষকে দেবতা করতে পারে না। বাবা বার-বার বাচ্চাদেরকে বোঝান - বাচ্চারা, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। তোমরা কেউ দেহ নও। আত্মা বলে আমি এক দেহ ত্যাগ করে অন্য দেহ ধারণ করি। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। বাচ্চাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. যেমন শিববাবার কোনো আড়ম্বর নেই, সার্ভেন্ট হয়ে বাচ্চাদেরকে পড়াতে এসেছেন, এমন, বাবার সম অথরিটি হওয়া সত্ত্বেও নিরহংকারী হয়ে থাকতে হবে। পবিত্র হয়ে পবিত্র করার সেবা করতে হবে।

২. বিনাশ কালের সময় ঈশ্বরীয় লটারি প্রাপ্ত করার জন্য প্রীত বুদ্ধি হয়ে স্মরণে থাকার বা দৈবী গুণ ধারণ করার রেস করতে হবে।

বরদান:-

ঈশ্বরীয় সেবা দ্বারা ভ্যারাইটি মেওয়া বা প্রাপ্তকারী অধিকারী আত্মা ভব

বলা হয় "করো সেবা তো পাবে মেওয়া অর্থাৎ হবে প্রাপ্তি" । ঈশ্বরীয় জ্ঞান দান করা-ই হল ঈশ্বরীয় সেবা । যে এই সেবা করে, তারা অতীন্দ্রিয় সুখের, শক্তির, খুশীর ভ্যারাইটি মেওয়া প্রাপ্ত করে। তোমরা ব্রাহ্মণরা-ই হলে এর অধিকারী। কারণ তোমাদের কাজ-ই হল ঈশ্বরীয় পড়াশুনা করা এবং করানো। যার দ্বারা ঈশ্বরের আপন হওয়া যায়। সুতরাং, এমন ঈশ্বরীয় সেবা করে ঈশ্বরীয় ফলের অধিকারী হয়েছ - এই নেশাতেই থাকো।

স্লোগান:-

বাবার সঙ্গে থেকে কর্ম করো, তাহলে ডবল লাইট থাকবে।