০৮-০৫-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা বাবার কাছ থেকে ভক্তির ফল নিতে এসেছ, যারা অত্যাধিক ভক্তি করেছিল তারাই জ্ঞানে সবচেয়ে আগে যাবে"
প্রশ্ন:-
কলিযুগী রাজত্বে কোন দুটি জিনিসের প্রয়োজন হয় যা সত্যযুগী রাজত্বে হয় না ?
উত্তর:-
কলিযুগী রাজত্বে -- ১) পরামর্শদাতা (উজীর) আর ২) গুরুর আবশ্যকতা থাকে। সত্যযুগে এই দুটিই থাকে না। ওখানে কারোর রায়(পরামর্শ) নেওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ সত্যযুগী রাজত্ব সঙ্গমেই বাবার শ্রীমতের দ্বারা স্থাপিত হয়। এমন শ্রীমত পাওয়া যায় যা ২১ প্রজন্ম পর্যন্ত চলে আর সকলেই সদ্গতিতে থাকে তাই গুরুর-ও প্রয়োজন পড়ে না*।
ওম শান্তি*।
ওম শান্তির অর্থ কি? স্বধর্মেই বসো বা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বসো তবে শান্ত হয়ে বসতে হবে। একে বলা হয় স্বধর্মে স্থিত(বসা) হওয়া। ভগবানুবাচ -- স্বধর্মে স্থিত হও। তোমাদের পিতা বসে তোমাদের পড়াচ্ছেন। অসীম জগতের পিতা অসীম জগতের(বেহদ) পড়াশোনা করাচ্ছেন কারণ বাবা অসীম জগতের (অতীন্দ্রিয়) সুখ দেবেন। পড়াশোনা করলে সুখ পাওয়া যায়, তাই না। বাবা এখন বলছেন যে, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বসো। অসীম জগতের পিতা এসেছেন তোমাদের হীরে-তুল্য বানাতে। হীরে-তুল্য তো দেবী-দেবতারাই হয়। তারা কখন এমন হন? এতো উচ্চ পুরুষোত্তম কিভাবে হয়েছেন? বাবা ছাড়া আর কেউই একথা বলতে পারে না। তোমরা তো ব্রাহ্মণ, প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান তোমাদের-কেই আবার দেবতা হতে হবে। ব্রাহ্মণদের হয় শিখা(টিকি)। তোমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছ। তোমরা হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মার (জ্ঞান দ্বারা) মুখ বংশজাত, গর্ভজাত নও। কলিযুগী সকলেই হলো গর্ভজাত। সাধু, সন্ত, ঋষি, মুনি ইত্যাদিরা সকলেই দ্বাপর থেকে গর্ভজাত হয়েছে। আর এখন শুধু তোমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাই মুখবংশীয় হয়েছ। এ হলো তোমাদের সর্বোত্তম কুল। দেবতাদের থেকেও উত্তম কারণ তোমাদেরকে যিনি পড়ান, মনুষ্য থেকে দেবতায় পরিনত করেন, সেই পিতা এসেছেন। বাচ্চাদের বসে বোঝাচ্ছেন কারণ ভক্তিমার্গীয়রা এখানে আসেই না, আসে জ্ঞানমার্গীয়রা। তোমরা আসো অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে ভক্তির ফল নিতে। ভক্তির ফল এখন কে নেবে? যারা সবচেয়ে বেশী ভক্তি করেছে, তারাই প্রস্তর থেকে পারশবুদ্ধিসম্পন্ন(দিব্যবুদ্ধি) হয়। তারাই এসে জ্ঞান নেবে কারণ ভক্তির ফল ভগবানকেই এসে দিতে হয়। এ হলো সঠিকভাবে বোঝার মতো বিষয়। এখন তোমরা কলিযুগী থেকে সত্যযুগী, বিকারী থেকে নির্বিকারী হও অথবা পুরুষোত্তম হও। তোমরা এসেছ এরকম লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো হতে। এঁরা হলেন ভগবান-ভগবতী(দেব-দেবী) তাহলে অবশ্যই এঁনাদের ভগবান-ই পড়াবেন। ভগবানুবাচ, কিন্তু ভগবান কাকে বলা হয়, ভগবান তো একজনই। ভগবান কখনো হাজার-হাজার, কোটি-কোটি হয় না। আবার মাটি-পাথরেও থাকে না। বাবাকে না জানার কারণে ভারত কত কাঙ্গাল হয়ে গেছে। বাচ্চারা এখন জানে যে, ভারতে এঁনাদের (লক্ষ্মী-নারায়ণ) রাজধানী ছিল। এঁনাদের সন্তানাদি যারাই ছিল, তারা রাজধানীর মালিক ছিল। তোমরা এখানে এসেছই রাজধানীর মালিক হতে। এঁরা তো এখন নেই, তাই না। ভারতে এঁদের রাজ্য ছিল। বাচ্চাদের বোঝান হয়, যখন এই দেবী-দেবতাদের রাজধানী ছিল, সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয়রা ছিল তখন অন্য কোন ধর্ম ছিল না। এইসময় আবার অন্য সব ধর্মই রয়েছে। শুধু এই ধর্মই নেই। এই যে ভিত রয়েছে, যাকে কান্ড বলা হয়। এইসময় মনুষ্য সৃষ্টি-রূপী বৃক্ষের কান্ড সম্পূর্ণরূপে জ্বলে গেছে। আর বাকি সবই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখন এইসবেরও আয়ু পুর্ণ হচ্ছে। এ হলো মনুষ্য সৃষ্টি-রূপী ভ্যারাইটি বৃক্ষ (ঝাড়)। বিভিন্ন নাম, রূপ, দেশ, কাল, অনেকরকমের, তাই না। কত বড় বৃক্ষ। বাবা বোঝান, প্রতি কল্পে এই বৃক্ষ খোকলা(জড়জড়ীভুত) তমোপ্রধাণ হয়ে যায়, তখনই আমি আসি। তোমরা আমাকে ডাকো --- বাবা এসো, আমাদের অর্থাৎ অপবিত্রদের এসে পবিত্র কর। হে পতিত-পাবন বললে তো নিরাকার পিতাই স্মরণে আসে। সাকারী (ব্রহ্মা) তো কখনো স্মরণে আসবে না। পতিত-পাবন, সদ্গতিদাতা তো একজনই। যখন সত্যযুগ ছিল তখন তোমরা সদ্গতিতে ছিলে। এখন তোমরা পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে বসে রয়েছ। বাকি আর সবাই কলিযুগে রয়েছে। তোমরা রয়েছ পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে। উত্তম থেকে উত্তম পুরুষ বা উচ্চ থেকেও উচ্চ-রূপে গায়ন(স্মরণ) হয় একমাত্র ভগবানের। উচ্চ তোমার নাম, উচ্চ তোমার ধাম (নিবাসস্থল)। উচ্চ থেকেও উচ্চ যিনি, তিনি পরমধামে থাকেন, তাই না। এ অতি সহজেই বোঝা যায়। সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ এরপর আবার সঙ্গমযুগ। একে(সঙ্গমযুগ) কেউ জানেনা। ড্রামায় এই ভক্তিমার্গও তৈরী হয়েই রয়েছে। এমন কথা বলতে পারো না যে, বাবা এই ভক্তিমার্গ আবার কেন বানিয়েছ ! এ তো অনাদি। আমি বসে তোমাদের ড্রামার এই রহস্যকেই বোঝাই। আমি যদি বানাই তাহলে আবার বলবে, কবে বানিয়েছো! বাবা বলেন, এ হলোই অনাদি। শুরু কবে হয়েছিল, এই প্রশ্ন আসতেই পারে না। যদি বলি অমুক সময়ে শুরু হয়েছিল, তখন আবার বলবে যে, কবে শেষ হবে! কিন্তু না, এ তো (অনাদি) চক্র চলতেই থাকে। তোমরা চিত্রও তো বানাও ব্রহ্মা,বিষ্ণু,শঙ্করের। এঁরা হলেন দেবতা। ত্রিমূর্তি দেখানো হয়, এরমধ্যে সর্বোচ্চ শিবকে দেখানো হয় না। ওঁনাকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, সে তো এখন হচ্ছে। তোমরা নিজেদের রাজধানী স্থাপন করছ। রাজধানীতে তো সর্বপ্রকারের পদ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট রয়েছে, প্রাইম মিনিস্টার রয়েছে, চীফ মিনিস্টার রয়েছে। এরা সব হলো পরামর্শদাতা। সত্যযুগে পরামর্শদাতার কোন দরকার নেই। এখন তোমরা যে রায় বা শ্রীমত পাও, তা অবিনাশী হয়ে যায়। দেখ, এখন কত পরামর্শদাতা রয়েছে। সংখ্যায় অনেক। টাকা-পয়সা খরচ করে মিনিস্টার ইত্যাদি হয় --- পরামর্শ দেওয়ার জন্য। স্বয়ং সরকারও বলে যে, এরা সবাই অসাধু (কোরাপ্টেড), অনেক (পয়সা) খায়। এ তো হলোই কলিযুগ। ওখানে তো এমন হয় না। পরামর্শদাতা ইত্যাদির দরকারই নেই। এই মত(শ্রীমত) ২১ প্রজন্ম চলতে থাকে। তোমাদের সদ্গতি হয়ে যায়। ওখানে তো গুরুর-ও প্রয়োজন নেই। সত্যযুগে না গুরু থাকে, না পরামর্শদাতা থাকে। এখন তোমরা শ্রীমত পাও অবিনাশী ২১ প্রজন্মের জন্য, ২১ জন্মের বৃদ্ধাবস্থার জন্য। বৃদ্ধ হয়ে আবার শরীর ত্যাগ করে গিয়ে বাচ্চা হবে। যেমন সর্প এক খোলস পরিত্যাগ করে আবার দ্বিতীয় খোলস ধারণ করে তেমন। পশুদের উদাহরণ দেওয়া হয়। মানুষের মধ্যে তো এখন এতটুকুও বুদ্ধি নেই কারণ তারা প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে গেছে।
বাবা বোঝান যে, মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা হলে ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী। গ্রন্থসাহেবও সকলে পড়ে, শোনে যে, ভগবান নোংরা অপবিত্র কাপড় ধোয়(মুত পলিতি কাপড় ধোয়ে, আত্মাকে পবিত্র করে)...... ভগবানকে ডাকে যে, (তুমি) এসে আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের অসূচী কাপড় ধোও। আমাদের সকল আত্মাদের পিতা, (তুমি) এসে আমাদের কাপড় পরিস্কার কর। শরীরকে তো ধুতে হবে না, আত্মাকে ধুতে হবে। কারণ আত্মাই অপবিত্র হয়ে গেছে, তাই অপবিত্র আত্মাদের এসে পবিত্র বানাও। তাই বাবা বাচ্চাদের বোঝান যে, মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, আমাকে এখানে আসতেই হয়। আমিই জ্ঞানের সাগর, পবিত্রতার সাগর। তোমরা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার নাও। লৌকিক পিতার কাছ থেকে পার্থিব উত্তরাধিকারের সম্পদ পাও। পার্থিব সম্পদে অনেক দুঃখ রয়েছে, তাই তো বাবাকে স্মরণ করে। অগাধ (অথৈ) দুঃখ। বাবা বলেন যে, এই ৫ বিকার-রূপী রাবণই হলো তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। এ আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দেয়। হে মিষ্টি বাচ্চারা, যদি এই জন্মে ব্রাহ্মণ হয়ে কাম-কে জয় করতে পারো তবে জগৎ-জীত হয়ে যাবে। তোমরা পবিত্রতাকে ধারণ করই দেবতা হওয়ার জন্য। তোমরা এসেছ আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করতে। এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। এখানেই পুরুষার্থ করে পবিত্র হতে হবে। কল্প-পূর্বে যারা পবিত্র হয়েছিল, সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় কুলের ছিল, অবশ্যই তারা আবার হবে। সময় তো লাগবে, তাই না। বাবা অতি সহজ যুক্তি বলেন। এখন (তোমরা) বাবার বাচ্চা হয়েছ। তোমরা এখানে কার কাছে এসেছ? তিনি হলেন নিরাকার। তিনি এই শরীরকে(ব্রহ্মা) ধার (লোন) হিসাবে নিয়েছেন। তিনি স্বয়ং বলেন, এ হলো এঁনার(ব্রহ্মা) অনেক জন্মের অন্তিমেরও অন্তিম জন্ম। তাই এ হলো সর্বাপেক্ষা অধিক পুরাতন শরীর। আমি তো আসিই পুরানো রাবণের আসুরী দুনিয়ায় আর তাঁর শরীরেই আসি যে আবার তাঁর নিজের জন্মকেই জানে না। এ হলো অনেক জন্মেরও অন্তিম জন্ম। যখন এঁনার বাণপ্রস্থ অবস্থা হয়, তখনই আমি প্রবেশ করি। গুরুও সর্বদা বাণপ্রস্থ অবস্থাতেই করা হয়। লোকে বলে, তাই না যে, ৬০ বছর বয়স হলে লাঠি লাগে ("হলে ৬০, লাগে লাঠ" (লাঠি)। ঘরে থাকলে তো বাচ্চাদের লাঠি লাগে তাই পালাও ঘর থেকে। (লৌকিক) বাচ্চারা এমন হয় যে বাবাকে লাঠি দিয়ে মারতেও দেরী করে না। তারা বলে যে, কোথায় মরবে তাহলে আমরা ধনসম্পত্তি পাব। বাণপ্রস্থীদের তো অনেক সত্সঙ্গ হয়। তোমরা জানো যে --- সকলের সদ্গতিদাতা হলো এক, তিনি সঙ্গমযুগেই আসেন। সত্যযুগে তোমরা যখন সদ্গতি প্রাপ্ত কর তখন বাকিরা সব শান্তিধামে থাকে। একেই বলা হয়, সকলের সদ্গতি। বাবা ছাড়া আর কেউই সদ্গতিদাতা হতে পারে না। না কাউকে শ্রী বলতে পারো, না শ্রী-শ্রী। শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ হয় দেবতারা। শ্রী লক্ষ্মী, শ্রী নারায়ণ তাঁদেরকে বলা হয়। এঁদের তৈরী করেছে কে? শ্রী-শ্রী শিববাবাই বলা উচিৎ। বাবা তাই (আমাদের) ভুলগুলোকে দেখিয়ে বলেন, তোমরা এতো গুরু করেছিলে, আবারও এমনই হবে। তোমরা সেই গুরু ইত্যাদি পুনরায় করবে। সেই চক্রই পুনরায় রিপীট হবে। যখন তোমরা স্বর্গে থাকো তখন তা হলো সুখধাম। পবিত্রতা, সুখ, শান্তি সব সেখানেই। ওখানে ঝগড়া ইত্যাদি হয় না। বাকি আর সকলে শান্তিধামে চলে যায়। যদিও সত্যযুগকে লক্ষ-লক্ষ বছর বলে দেয়। বাবা বলেন, লক্ষ-লক্ষ বছরের তো কোন কথাই নেই। এ তো মাত্র ৫ হাজার বছরের কথা। কথিত আছে যে, মানুষের ৮৪ জন্ম। দিনে-দিনে সিড়ি নীচে নামতে-নামতে তমোপ্রধান হতে থাকে। তাই বাবা বোঝান --- ড্রামা এইভাবেই তৈরী হয়েছে। অভিনেতা(অ্যাক্টর) হয়ে যদি ড্রামার ক্রিয়েটার, ডায়রেক্টর, মুখ্য অ্যাক্টরকে না জানে তাহলে তাকে কি বলবে! বাবা বলেন, এই অসীম জগতের ড্রামাকে কোন মানুষই জানে না। একথা বাবা-ই এসে বোঝান। (তারা) বলেও যে, শরীর ধারণ করে নিজ ভুমিকা পালন করে, তাহলে তো তা নাটকই হলো, তাই না। নাটকের মুখ্য অভিনেতা কে? কেউ বলতে পারবে না। বাচ্চারা, এখন শুধুমাত্র তোমরাই জানো যে, এই অসীম জগতের ড্রামা কিভাবে উকুনের মতন চলছে। টিক-টিক করে অবিরত চলতেই থাকে। মুখ্য হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম পিতা, যিনি এসে বোঝানও আর সকলের সদ্গতিও করেন। সত্যযুগে আর অন্য কেউ থাকবে না। অতি অল্পসংখ্যক (মনুষ্য) থাকবে। ওই স্বল্পসংখ্যক যারা থাকবে তারাই সর্বাপেক্ষা অধিক ভক্তি করেছিল। তোমাদের কাছে প্রদর্শনী বা মিউজিয়ামে তারাই আসবে যারা অনেক ভক্তি করেছে। একমাত্র শিবের ভক্তি করা -- তাকেই বলে অব্যভিচারী ভক্তি। আবার অনেকের ভক্তি করতে-করতে ব্যভিচারী হয়ে পড়ে। এখন ভক্তি হলো সম্পূর্ণ তমোপ্রধান । প্রথমে সতোপ্রধান ভক্তি ছিল। পুনরায় সিঁড়ি নীচে নামতে-নামতে তমোপ্রধান হয়ে গেছে। এমন অবস্থা যখন হয় তখনই বাবা আসেন সবাইকে সতোপ্রধান বানাতে। এই অসীম জগতের ড্রামাকে তোমরা এখনই জেনেছ। *আচ্ছা*!
*মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ ও সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার*।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অসীম জগতের অবিনাশী উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। পবিত্রতার উত্তরাধিকার এখনই নাও অর্থাৎ কামের উপর বিজয়লাভ কর তখন জগৎ-জীতও হতে পারবে।
২. অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে পড়াশোনা করে নিজেকে কড়ি থেকে হীরে-তুল্য বানাতে হবে। অসীম জগতের (অতীন্দ্রিয়) সুখ নিতে হবে। এই নেশা যেন থাকে যে -- মনুষ্য থেকে দেবতায় যিনি পরিণত করেন, সেই বাবা এখন আমাদের সম্মুখে রয়েছেন, এখন এ হলো আমাদের সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ কুল।
বরদান:-
অটল নিশ্চয় দ্বারা সহজ বিজয়প্রাপ্তির অনুভবকারী সদা উৎফুল্ল, নিশ্চিন্ত ভব
দৃঢ় বিশ্বাসের (নিশ্চয়ের) চিহ্ন(নিশানী) হলো সহজ বিজয়। কিন্তু দৃঢ় বিশ্বাস সর্ব বিষয়েই চাই। শুধুমাত্র বাবার উপর নিশ্চয় নয়, নিজের প্রতি, ব্রাহ্মণ পরিবারের প্রতি আর ড্রামার প্রত্যেকটি দৃশ্যের প্রতি সম্পূর্ণ দৃঢ় বিশ্বাস, সামান্য কোনো কথায় যেন এই দৃঢ় বিশ্বাস টলে না যায়। সদা যেন এ'কথা স্মৃতিতে থাকে যে, বিজয়ের ভবিতব্য কখনো টালমাটাল হতে পারে না, এমন নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন বাচ্চারা, কি হয়েছে, কি হয়েছে....সদা এইসব প্রশ্নের উর্ধ্বে সদা নিশ্চিন্ত, সদা উৎফুল্ল থাকে।
স্লোগান:-
সময়কে নষ্ট করার পরিবর্তে তৎক্ষণাৎ নির্ণয় করে সমাধান কর*।