১৯-০৩-১৯ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"*মিষ্টি বাচ্চারা - এ হল কল্যাণকারী পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ, এই সময় পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে নতুন দুনিয়া হয়, এই যুগকে তোমরা ভুলে যেও না"*
প্রশ্ন:-
বাবা ছোটো - বড় সকল বাচ্চাকেই নিজের তুল্য করার জন্য একটি ভালোবাসার শিক্ষা দেন, তা কি ?
উত্তর:-
মিষ্টি বাচ্চারা - এখন কোনো ভুল কোরো না। এখানে তোমরা এসেছ নর থেকে নারায়ণ হতে, অতএব দৈবী গুণ ধারণ করো। কাউকেই দুঃখ দিও না। ভুল করে, তাই দুঃখও দেয়। বাবা কখনও বাচ্চাদের দুঃখ দেন না। তিনি তোমাদের ডাইরেকশন দেন - বাচ্চারা, একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো । যোগী হও, তবেই বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । তোমরা খুব মিষ্টি স্বভাবের হয়ে যাবে ।
ওম শান্তি l
যে বাচ্চারা নিজেকে আত্মা মনে করে পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে যোগ লাগায়, তাদেরই প্রকৃত যোগী বলা হয়, কেননা বাবা তো প্রকৃতই l তাই তোমাদের বুদ্ধিযোগও সেই সত্যের সঙ্গে l তিনি যা কিছুই শোনান সবই সত্য l যোগী আর ভোগী, এই দুই প্রকারের মানুষ আছে l ভোগীও অনেক প্রকারেই হয় l যোগীও অনেক প্রকারের হয় l তোমাদের যোগ তো একই প্রকারের l ওদের সন্ন্যাস আলাদা আর তোমাদের সন্ন্যাস আলাদা l তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগের যোগী l আর কেউই এই যোগের বিষয়ে জানে না যে, তারা পবিত্র যোগী নাকি পতিত ভোগী l এও বাচ্চারা জানে না l বাবা তো সবাইকেই বাচ্চা বাচ্চা বলতে থাকে, কেননা বাবা জানেন আমি হলাম বেহদের আত্মাদের পিতা l আর তোমরা এই কথা বুঝতে পার যে, আমরা আত্মারা সব নিজেদের মধ্যে ভাই - ভাই l তিনি আমাদের বাবা l তোমরা বাবার সাথে যোগযুক্ত হয়ে পবিত্র হও l ওরা হল ভোগী আর তোমরা হলে যোগী l বাবা তাঁর নিজের পরিচয় তোমাদের দেন l এও তোমরা জানো যে, এ হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ l এ তোমরা ছাড়া আর কেউই জানে না l এর নাম হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ, তাই পুরুষোত্তম শব্দটিকে কখনোই ভুলে যেও না l এ হল পুরুষোত্তম হওয়ার যুগ l পুরুষোত্তম বলা হয় উচ্চ আর পবিত্র মানুষকে l লক্ষ্মী - নারায়ণ ছিলেন এমন উচ্চ আর পবিত্র l তোমরা এখন সময় সম্বন্ধেও জেনেছ l পাঁচ হাজার বছর পরে এই দুনিয়া পুরানো হয় l তখন একে নতুন বানানোর জন্য বাবা আসেন l আমরা এখন হলাম সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ কুলের l উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন ব্রহ্মা, ব্রহ্মাকে কিন্তু শরীরধারী দেখানো হয় l শিববাবা তো হলেন অশরীরী l বাচ্চারা বুঝে গেছে যে, অশরীরী আর শরীরধারীর মিলন হয় l তোমরা তাঁকে বাবা বলো l এ তো এক আশ্চর্যের পার্ট, তাই না ? এনার(ব্রহ্মার) মহিমাও আছে আবার মন্দিরও তৈরী হয় l কেউ কোনো ভাবে, কেউ আবার অন্য কোনো ভাবে রথের শৃঙ্গার করে l বাবা এও বলেছেন যে - এনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মেরও অন্তিম সময়ে আমি প্রবেশ করি l তিনি কত পরিষ্কার করে বোঝান l সর্ব প্রথমে "ভগবান উবাচঃ" বলতে হয় l তারপর আমি অনেক জন্মের অন্তিমে বাচ্চাদের সমস্ত রহস্য বোঝাই, আর কেউই তা বুঝতে পারে না l বাচ্চারা, তোমরাও কখনো কখনো ভুলে যাও l "পুরুষোত্তম" শব্দ লিখলে বুঝবে, এই পুরুষোত্তম যুগই হল কল্যাণকারী যুগ l যুগ যদি স্মরণে থাকে তাহলে বুঝবে যে, এখন আমরা নতুন দুনিয়ার জন্য পরিবর্তিত হচ্ছি l নতুন দুনিয়াতে দেবতারাই থাকেন l তোমরা যুগ সম্বন্ধেও জানতে পেরেছ l বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা, তোমরা সঙ্গমযুগকে কখনোই ভুলে যেও না l এ কথা ভুললে সম্পূর্ণ জ্ঞানই ভুলে যায় l বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমরা এখন পরিবর্তিত হচ্ছি l এখন পুরানো দুনিয়ারও পরিবর্তন হয়ে নতুন হবে l বাবা এসে দুনিয়ারও পরিবর্তন করেন আবার বাচ্চাদেরও পরিবর্তন করেন l তিনি বাচ্চা - বাচ্চা বলে তো সবাইকেই বলেন l সম্পূর্ণ দুনিয়ার সকল আত্মাই তাঁর সন্তান l এই ড্রামাতে সকলেরই পার্ট আছে l এই চক্রকেও যুক্তি সহকারে সকলের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে l প্রত্যেকেই তাঁর নিজের - নিজের ধর্ম স্থাপন করেন l এই দেবী - দেবতা ধর্ম বাবা ছাড়া আর কেউই স্থাপন করতে পারে না l এই ধর্ম ব্রহ্মা স্থাপন করেন নি l নতুন দুনিয়াতে হল দেবী - দেবতা ধর্ম l পুরানো দুনিয়াতে সব মানুষই মানুষ l নতুন দুনিয়াতে সব দেবী - দেবতারা থাকে l দেবতারা হল পবিত্র l ওখানে রাবণ রাজ্য নেই l বাচ্চারা, বাবা তোমাদের রাবণের উপর জয়লাভ করান l রাবণের উপর জয়লাভ করলেই রামরাজ্য শুরু হয়ে যায় l নতুন দুনিয়াকে রামরাজ্য আর পুরানো দুনিয়াকে রাবণ রাজ্য বলা হয় l কিভাবে এই রামরাজ্য স্থাপন হয় -- বাচ্চারা, এ তো তোমরা ছাড়া কেউই জানে না l রচয়িতা বাবা বসে বাচ্চারা তোমাদের রচনার রহস্য বোঝান l বাবা হলেন রচয়িতা, বীজরূপ l বীজকে বলা হয় বৃক্ষপতি l এখন সে তো হল জড় পদার্থ, তাকে তো এভাবে বোঝা যাবে না l তোমরা জানো যে, বীজ থেকেই সম্পূর্ণ সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ (ঝাড়) নির্গত হয় l সারা বিশ্বের সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ কত বড় l সেগুলো হল জড় আর এ হল চৈতন্য l বাবা হলেন সত্ - চিত্ - আনন্দ স্বরূপ, মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, তাঁর থেকে কত বড় বৃক্ষ নির্গত হয় l মডেল তো ছোটো বানানো হয় l মনুষ্য সৃষ্টির বৃক্ষ হল সবথেকে বড় l উঁচুর থেকে উঁচু বাবা হলেন পূর্ণ জ্ঞানী l ওই ঝাড়ের জ্ঞান তো অনেকেরই আছে কিন্তু এই জ্ঞান তো এক বাবাই দেন l বাবা এখন তোমাদের হদের বুদ্ধির পরিবর্তন করে বেহদের বুদ্ধি দিয়েছেন l তোমরা এই বেহদের বৃক্ষকে জেনে গেছ l এই বৃক্ষ কত বড় বিদেহী দুনিয়া পেয়েছে l বাবা বাচ্চাদের অসীম জগতে (বেহদে) নিয়ে যান l এখন সম্পূর্ণ দুনিয়াই পতিত l সম্পূর্ণ সৃষ্টিই হিংসক l একে অপরকে হিংসা করে l বাচ্চারা, এখন তোমরা জ্ঞান পেয়েছ l সত্যযুগের এক দেবতা ধর্মই অহিংসক হয় l সত্যযুগে সবাই পবিত্র, সুখ, শান্তিতে থাকে l তোমাদের সমস্ত কামনাই ২১ জন্মের জন্য পূর্ণ হয়ে যায় l সত্যযুগে কোনো কামনা থাকে না l আনাজ ইত্যাদি সবকিছুই অগাধ পরিমাণে পাওয়া যায় l আগে এই বম্বে ছিল না l দেবতারা সাগরের তীরের জমিতে থাকতেন না l যেখানে মিষ্টি জলের নদী থাকত সেখানে দেবতারা থাকতেন l সেখানে অল্প মানুষ ছিল, এক একজনের অনেক পরিমাণ জমি ছিল l সত্যযুগ ছিলই নির্বিকারী দুনিয়া l তোমরা যোগবলের দ্বারা এই বিশ্বের রাজত্ব নাও l তাকেই রাম রাজ্য বলা হয় l প্রথমদিকে নতুন গাছ খুব ছোটো হয় l প্রথমে কাণ্ডের দিকে এক ধর্ম ছিল l তারপর ফাউন্ডেশন থেকে তিনটি টিউব বের হয় l দেবী - দেবতা ধর্মের ফাউন্ডেশন হল একটি l কান্ড থেকে ছোটো ছোটো ডালপালা বের হয় l এখন তো এই বৃক্ষের কোনো কান্ডই নেই আর কোনো এমন বৃক্ষ হয়ও না l এর সঠিক উদাহরণ একমাত্র বট গাছ l বট গাছ সম্পূর্ণ দাঁড়িয়ে থাকে কিন্তু তার কান্ড দেখা যায় না l শুকিয়েও যায় না l সম্পূর্ণ বৃক্ষ সবুজ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে l বাকি এখন দেবী দেবতা ধর্মের ফাউন্ডেশন এখন নেই l কান্ড তো এখানেই আছে l রাম রাজ্য অথবা দেবী দেবতা ধর্মও এই কান্ডের মধ্যেই এসে যায় l বাবা বলেন যে, আমি তিনটি ধর্ম স্থাপন করি l এই সকল কথা তোমরা সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণরাই বুঝতে পারো l *তোমাদের ব্রাহ্মণদের কুল হল ছোটো l ছোটো ছোটো মত, পথ বের হয় তাই না l অরবিন্দ আশ্রম আছে, কত শীঘ্র তা বৃদ্ধি পায়, কেননা এখানে বিকারের জন্য কোনো নিষেধ নেই l বাবা এখানে বলেন, কাম হল মহাশত্রু l একে জয় করতে হবে l এমন আর কেউই বলবে না l না হলে তাদের জায়গায়ও হাঙ্গামা হয়ে যাবে l এখানে তো পতিত মানুষই আছে তাই তারা পবিত্র হওয়ার কথাই শোনে না* l তারা বলে, বিকার ছাড়া কিভাবে সন্তানের জন্ম হবে l সেই বেচারাদেরও কোনো দোষ নেই l গীতা পাঠ করে যারা, তারাও বলেন, ভগবান উবাচঃ - কাম মহাশত্রু l একে জয় করতে পারলে জগৎজিত হয়ে যায়, কিন্তু কেউই বুঝতে পারে না l তারা যখন এমন শব্দ শোনান তখন ওদের বোঝা উচিত l এর সম্বন্ধে বাবা বলেন - হনুমান যেমন দরজায় জুতোর ওপর বসতো, তেমনি বাবাও বলেন, গিয়ে একধারে বসে শুনে এসো l তারপর যখন এই শব্দ বলবে, তখন জিজ্ঞেস করো - এর রহস্য কি ? জগৎজিত তো এই দেবতারাই ছিল l দেবতা হতে গেলে তো এই বিকারকে ত্যাগ করতে হবে l এও তোমরা বলতে পার l তোমরাই জানো যে, এখন রাম রাজ্যের স্থাপনা হচ্ছে l তোমরাই হলে মহাবীর l এতে ভয় পাওয়ার কোনো কথাই নেই l খুব সুন্দর ভাবে জিজ্ঞেস করা উচিত - স্বামী জী, আপনি বলেছেন যে, এই বিকারকে জয় করলে বিশ্বের মালিক হতে পারবে, কিন্তু আপনি তো এ কথা বলেননি যে, কিভাবে পবিত্র হব ? এখন তোমরা বাচ্চারা পবিত্রতায় থাকা মহাবীর l মহাবীররাই বিজয় মালায় গ্রথিত হতে পারে l মানুষের কান তো ভুল কথা শুনেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে l তোমরা এখন ভুল কথা শুনতে পছন্দ করো না l সঠিক কথাই তোমাদের কানে পছন্দ হয় l কোনো খারাপ কথা শুনো না -- মানুষকে তো অবশ্যই সজাগ করতে হবে l ভগবান বলেন যে, তোমরা পবিত্র হও l সত্যযুগে সব পবিত্র দেবতা ছিল l এখন সবাই অপবিত্র l এমনভাবেই বোঝানো উচিত l তোমরা বলো, আমাদের এখানে এমন সত্সঙ্গ হয়, তাতে এ কথা বোঝানো হয় যে, কাম হল মহাশত্রু l এখন পবিত্র যদি হতে চাও, তো এই যুক্তিতে হও, নিজেকে আত্মা মনে করো আর ভাই - ভাইয়ের দৃষ্টি পাকা করো l
বাচ্চারা, তোমরা জানো যে প্রথম দিকে ভারত ছিল অনেক ভরপুর খণ্ড, এখন তা খালি হওয়ার কারণে হিন্দুস্থান নাম রেখে দিয়েছে l প্রথমে ভারত ধন - দৌলত, পবিত্রতা, সুখ - শান্তি সবকিছুতে ভরপুর ছিল l এখন তা দুঃখে ভরপুর l তাই তো ডাকে - হে দুঃখহর্তা, সুখ কর্তা... l তোমরা কত খুশীর সাথে বাবার কাছে পড়ো l এমন কে আছে যে অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীম সুখের অবিনাশী উত্তরাধিকার নেবে না ? সর্ব প্রথম অল্ফ (আল্লাহ ) বোঝাতে হবে l অল্ফকে (আল্লাহ ) না জানলে কোনো রহস্য বুদ্ধিতে আসবেই না l তাই অসীম জগতের বাবা, যিনি অসীম অবিনাশী উত্তরাধিকার দেন, এ কথা যখন নিশ্চিত বিশ্বাস হবে, তখনই এগোতে পারবে l বাচ্চাদের বাবার কাছে কোনো প্রশ্ন করার দরকার নেই l বাবা হলেন পতিত - পাবন, তোমরা তাঁকেই স্মরণ করো l তোমরা তাঁর স্মরণেই পবিত্র হবে l আমাকে এইজন্যই ডাকা হয়েছে l জীবনমুক্তি হলই এক সেকেণ্ডের l তবুও স্মরণের যাত্রা সময় নিয়ে নেয় l মুখ্য এই স্মরণের যাত্রায়ই বিঘ্ন আসে l অর্ধেক কল্প তোমরা দেহ - অভিমানী ছিলে l এখন এক জন্ম দেহী -অভিমানী হওয়াতেই পরিশ্রম l এই ব্রহ্মা বাবার জন্য এ খুবই সহজ l তোমরা তো ডাকোই বাপদাদা l ইনি এও বুঝতে পারেন যে, শিব বাবার সওয়ারী আমার মাথার উপর l আমরা তাঁর অনেক মহিমা করি, তাঁকে অনেক ভালোবাসি -- বাবা, তুমি কত মিষ্টি, আমাদের কল্প - কল্প কত শেখাও l এরপর অর্ধেক কল্প তোমাকে স্মরণও করব না l এখন তো আমরা খুব স্মরণ করি l আগে আমাদের মধ্যে কোনো জ্ঞানই ছিল না l আমরা তো জানতামই না, যাদের পূজা আমরা করতাম, আমরা তাদের মতোই হয়ে যাব l এখন তো আশ্চর্য মনে হয় l তোমরা যোগী হতে পারলে এমন দেবী - দেবতা হয়ে যাবে l সবাই আমার সন্তান l এই বাবা খুব ভালোবেসে বাচ্চাদের সামলান, এনার প্রতি পালন করেন l ইনিও আমাদের সমান নর থেকে নারায়ণ হয়ে যাবেন l এখানে তোমরা এইজন্যই এসেছ l তোমাদের কত বোঝাই - বাচ্চারা, বাবাকে স্মরণ করো, দৈবীগুণ ধারণ করো, শুদ্ধ খাওয়াদাওয়া করো l তা না করলে মনে করব, সম্ভবত এখনো সময় বাকি আছে l কিছু না কিছু ভুল তো হতেই থাকে l ছোটো - বড় বাচ্চাদের আমি ভালোবেসে বলি - বাচ্চারা ভুল কোরো না, কাউকে দুঃখ দিও না l ভুল করলেই দুঃখ দিয়ে দেবে l বাবা কখনোই দুঃখ দেন না l তিনি তো নির্দেশ দেন যে - আমাকে স্মরণ করো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে l তোমরা অনেক মিষ্টি হয়ে যাবে l এমনই মিষ্টি হতে হবে, দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে l তোমরা পবিত্র হও l এখানে অপবিত্রদের আসার কোনো হুকুম নেই l কখনো কখনো আসতে দেওয়া হয় l তাও এখন l যখন অনেক বৃদ্ধি হয়ে যাবে, তখন বলে দেওয়া হবে - এ হল পবিত্রতার টাওয়ার, টাওয়ার অফ সাইলেন্স l ইনি তো উঁচুর থেকেও উঁচু l নিজেকে আত্মা মনে করে বাবার স্মরণে থাকা -- এই হল সর্বোচ্চ শক্তি l ওখানে অনেক সাইলেন্স থাকে l অর্ধেক কল্প কোনো ঝগড়া ইত্যাদি হয় না l এখানে কত ঝগড়া ইত্যাদি হয়, শান্তি থাকতেই পারে না l শান্তির ধাম হল মূল বতন l এরপর যখন শরীর ধারণ করে বিশ্বে ভূমিকা পালন করতে আসে তখন সেখানেও শান্তি থাকে l আত্মার স্বধর্মই হল শান্তি l অশান্তি করায় রাবণ l তোমরা শান্তির শিক্ষা পেতে থাকো l কেউ যদি রেগে থাকে তাহলে সকলকেই অশান্ত করে দেয় l এই যোগবলে তোমাদের মধ্যে থেকে সম্পূর্ণ আবর্জনা দূর হয়ে যায় l পড়াতে আবর্জনা দূর হয় না l এই স্মরণেই সব আবর্জনা ভস্ম হয়ে যায় l জং দূর হয়ে যায় l বাবা বলেন যে, কাল তোমাদের যে শিক্ষা দিয়েছিলাম, তোমরা কি ভুলে গেছ ? এ হল পাঁচ হাজার বছরের কথা l ওরা লাখ বছরের কথা বলে দেয় l
এখন তোমরা কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা জানতে পেরেছ l বাবা এসেই তোমাদের বলেন, সত্য কি আর মিথ্যা কি ? জ্ঞান কি আর ভক্তি কি ? ভ্রষ্টাচার আর শ্রেষ্ঠাচার কাকে বলা হয় ?বিকারের থেকে ভ্রষ্টাচারীর জন্ম হয় l ওখানে বিকার থাকে না l তোমরা নিজেরাই বলো -- দেবতারা সম্পূর্ণ নির্বিকারী l সেখানে রাবণ রাজ্য নেই l এ তো সহজ বোঝার মতো বিষয় l তাহলে কি করা উচিত ? এক তো বাবাকে স্মরণ করা উচিত, দ্বিতীয় অবশ্যই পবিত্র হতে হবে l আচ্ছা l
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. পবিত্র হতে হলে মহাবীর হতে হবে, স্মরণের যাত্রায় অন্তরের আবর্জনা দূর করতে হবে l নিজের শান্ত স্বধর্মে স্থিত হতে হবে, অশান্তি ছড়াবে না l
২. বাবা যে সঠিক কথা বলেন, তাই শুনতে হবে l কোনো খারাপ কথা শুনবে না (হিয়ার নো ইভিল...)... খারাপ কথা শুনো না l সবাইকে সতর্ক করো l পুরুষোত্তম যুগে পুরুষোত্তম হও আর বানাও l
বরদান:-
বিস্মৃতির দুনিয়া থেকে মুক্ত হয়ে স্মৃতি স্বরূপ থেকে হীরে তুল্য ভূমিকা পালনকারী বিশেষ আত্মা ভব
এই সঙ্গম যুগ হল স্মৃতির যুগ আর কলিযুগ হল বিস্মৃতির যুগ l তোমরা সবাই বিস্মৃতির দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসেছ l যে স্মৃতি স্বরূপ থাকে সেই হীরে পার্টধারী বিশেষ আত্মা l এই সময় তোমরা হলে ডবল হীরে, এক হীরের সমান মূল্যবান হয়েছ আর দ্বিতীয় হল হীরে তুল্য পার্ট l তাই মনের এই গীত যেন সর্বদা বাজতে থাকে যে, বাহ্ আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য l দেহের অক্যুপেশন যেমন স্মরণে থাকে তেমনি এই অবিনাশী অক্যুপেশন "আমি শ্রেষ্ঠ আত্মা" স্মরণে যদি থাকে তাহলেই বলা হবে বিশেষ আত্মা l
স্লোগান:-
সাহসের প্রথম কদম এগিয়ে দাও তাহলে বাবার সম্পূর্ণ সাহায্য পাবে* l