২৫-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওঁম্ শান্তি! "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - অন্য সব সম্পর্ক ছেড়ে একের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করো, ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখলে শরীরিক ভাব আসবে না, দৃষ্টি কু হবে না, বাণীতেও শক্তি আসবে"

প্রশ্ন:-

বাবা বাচ্চাদের কাছে ঋণী - নাকি বাচ্চারা বাবার কাছে ঋণী ?

উত্তর:-

যেহেতু তোমরা বাবার সবকিছুর অধিকারী বাচ্চা, তাই বাবা তোমাদের কাছে ঋণী । বাচ্চারা, তোমরা যা দান করো, তোমাদেরকে তার শতগুণ দিতে হয় বাবাকে। ঈশ্বরকে তোমরা যা দাও, পরবর্তী জন্মে তারই ফসল পাও। মাত্র এক মুঠো চালের পরিবর্তে বিশ্বের মালিক হও। অতএব কত উদার চিত্তের হওয়া উচিত ! তবে এমন মনোভাব যেন ঘুণাক্ষরেও না আসে যে, আমি বাবাকে দিচ্ছি।

ওঁম্ শান্তি !

মিউজিয়াম ও প্রদর্শনীগুলিতে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হবে তোমাদের- বর্তমান সময়কালটা মঙ্গলকারী পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। যেহেতু একমাত্র তোমরাই তা জানো, তাই সবাইকে তোমরাই নানাভাবে বোঝাবে এই মঙ্গলকারী পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগের বিষয়ে। মিউজিয়াম খুব উপযুক্ত স্থান এই সেবার জন্য। যদিও অনেক বাচ্চাই যায় সেখানে কিন্তু খুব ভাল সার্ভিসেবল বাচ্চার সংখ্যা খুবই কম। আর সেন্টারগুলি হল সার্ভিস-স্টেশন। দিল্লিতে লেখা আছে - স্পিরিচুয়াল মিউজিয়াম (আধ্যাত্মিক সংগ্রহালয়) । এরও কোনো সঠিক উত্তর বের হয় না। বহু মানুষ জিজ্ঞাসা করে, তোমরা ভারতের কী সেবা করছ ? ভগবানুবাচ আছে না - এ হল ফরেস্ট (কাঁটার জঙ্গল)। তোমরা এই সময় সঙ্গমে রয়েছ, না ফরেস্টে, না গার্ডেনে রয়েছ (সত্যযুগে) । এখন তোমরা গার্ডেনে যাওয়ার পুরুষার্থ করছো । তোমরা এই রাবণের রাজত্বকে রাম রাজত্ব বানাচ্ছ। লোকে তোমাদেরকে প্রশ্ন করে - এত খরচ কোথা থেকে আসে ? বলো আমরা বি. কে-রাই সব করি। তারা সার্বভৌমত্বকে (সভেরেন্টি) মানে না, তাই রাজাদের রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে দিয়েছে। এই সময় সেই সব রাজারাও তমোপ্রধান হয়ে গেছে, তাই আর শোভা পায় না। সবই অবিনাশী ড্রামা অনুসারে হয়েছে, তাদের কোনো দোষ নেই। ড্রামাতে যা কিছু রয়েছে, সেই অনুসারেই আমরা আমাদের ভূমিকা পালন করি। কল্প কল্প ধরে শিব বাবার দ্বারা স্থাপনার এই পার্ট চলে। যা কিছু খরচ - খরচা, তা তোমরা বাচ্চারাই করে থাকো, নিজের জন্যই। শ্রীমৎ অনুসারে নিজেরা খরচ করে থাকো, নিজেদের সত্যযুগী রাজধানী নির্মাণ করছ, এ বিষয়ে অন্যদের কিছু জানাই নেই। তোমাদের নাম অজ্ঞাত যোদ্ধা (আননোন ওয়ারিয়র্স) নামে খ্যাত। বাস্তবে সেই সেনাতে আননোন ওয়ারিয়র্স বলে কিছু হয় না। কারণ সিপাহীদের নাম রেজিস্টার্ড থাকে। এমন হতে পারে না যে, কারো নাম রেজিস্টার করা নেই। বাস্তবে অজ্ঞাত যোদ্ধা হলে তোমরা। তোমাদের নাম কোথাও রেজিস্টার করা নেই। তোমাদের হাতে কোনো যুদ্ধাস্ত্র নেই। এই যুদ্ধে কোনো শারীরিক হিংসার কোনো ব্যাপার নেই। যোগ বলের দ্বারা তোমরা বিশ্বের উপরে বিজয় লাভ করো। ঈশ্বর হলেন সর্বশক্তিমান ! স্মরণের দ্বারাই তোমরা শক্তি পেয়ে থাকো। সতোপ্রধান হওয়ার জন্য তোমরা বাবার সাথে যোগযুক্ত হচ্ছ। *তোমরা সতোপ্রধান হয়ে গেলে রাজ্যও তো সতোপ্রধান হওয়া চাই । সেটাই তোমরা শ্রীমতের দ্বারা স্থাপন করছ* । গুপ্ত (অজ্ঞাত, ইনকগনিটো) তাদেরই বলা হবে, যারা রয়েছে, অথচ তাদের দেখতে পাওয়া যাবে না। তোমরা শিব বাবাকেও এই চর্মচক্ষু দিয়ে দেখতে পাবে না। তোমরাও হলে গুপ্ত, তাই শক্তিও তোমরা গুপ্ত ভাবেই নিচ্ছ। তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছি আর পবিত্রতারই মধ্যেই শক্তি রয়েছে। সত্যযুগে তোমরা সবাই পবিত্র থাকবে। তাদেরই (যারা সত্যযুগে থাকবে) ৮৪ জন্মের কাহিনী বাবা বলছেন। তোমরা বাবার থেকে শক্তি নিয়ে, পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়াতে রাজ্য ভাগ্য লাভ করবে। বাহু বলের দ্বারা কেউই সমগ্র বিশ্বকে জয় করতে পারে না। এ হল যোগ বলের বিষয়। তারা যুদ্ধ করে, কিন্তু রাজ্য তোমাদের হাতেই আসবে। বাবা সর্বশক্তিমান, তাই তাঁর থেকে শক্তি পাওয়ারই তো কথা। তোমরা বাবাকে এবং রচনার আদি - মধ্য - অন্ত-কেও জানো ।



তোমরা জানো যে, আমরাই হলাম স্বদর্শন চক্রধারী। এই স্মৃতি সকলের থাকে না। তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদের স্মৃতিতে থাকা চাই, কেননা তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদেরই এই নলেজ প্রাপ্ত হয়। বাইরের কেউ এ সব বুঝতে পারবে না সেইজন্য তাদেরকে এই সভায় বসানো হয় না। পতিত-পাবন বাবাকে সবাই আহ্বান করে, কিন্তু নিজেকে পতিত কেউই মনে করে না, এমনিই গাইতে থাকে পতিত-পাবন সীতারাম। তোমরা সবাই হলে ব্রাইডস (কনে), বাবা হলেন ব্রাইডগ্রুম (বর)। তিনি আসেনই সকলের সদ্গতি করতে। তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদের (জ্ঞান, গুণের শৃঙ্গার) সুসজ্জিত করেন। তোমরা ডবল ইঞ্জিন পেয়েছ। রোলস রয়েস কারে খুব ভালো ইঞ্জিন থাকে। বাবাও হলেন এমন। বলে থাকে - পতিত-পাবন এসো, আমাদের পবিত্র বানিয়ে নিয়ে চলো। তোমরা সবাই শান্ত হয়ে বসে আছ। কাঁসর-ঘন্টা-ঝাঁঝরও বাজাও না। তাই কোনো ঝুট ঝামেলাও নেই। চলতে-ফিরতে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো আর কেউ সামনে এলে তাকে মার্গ প্রদর্শন করো। বাবা বলেন--আমার বা লক্ষ্মী-নারায়ণের, রাধা-কৃষ্ণ ইত্যাদিদের ভক্ত যারা রয়েছে, তাদের এই দান দিতে হবে। কিছুই ব্যর্থ হতে দিও না। পাত্রকেই তো দান দেওয়া হয়। পতিত মানব পতিত মানবকেই দান দিতে থাকে। বাবা হলেন সর্বশক্তিমান, তাঁর থেকেই শক্তি নিয়ে তোমরা উত্তম হয়ে যাও । রাবণ যখন আসে, সেই কালটাও হল সঙ্গম, ত্রেতা আর দ্বাপরে সঙ্গম। এই সঙ্গম হল কলিযুগ আর সত্যযুগের। জ্ঞান কত কাল আর ভক্তি কত কাল চলে, এ সমস্ত বিষয় তোমাদের নিজেদের বুঝে, অন্যদের বোঝাতে হবে। মূল বিষয় হল অবিনাশী জগতের বাবাকে স্মরণ করো । যখন অবিনাশী জগতের বাবা আসেন, তখন বিনাশও হয়। *মহাভারতের যুদ্ধ কখন সংঘটিত হয়েছিল ? ভগবান যখন রাজযোগ শিখিয়েছিলেন। তাতে তো বোঝাই যায় যে নতুন দুনিয়ার আদি, পুরাতন দুনিয়ার অন্ত, অর্থাৎ বিনাশ* । দুনিয়া এখন ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন, এখন তাদের জাগাতে হবে। আধা কল্প ধরে মানুষ ঘুমিয়ে রয়েছে। বাবা এখন বোঝান, নিজেকে আত্মা মনে করে ভাই-ভাই এর দৃষ্টিতে দেখো। তাহলে তুমি যখন কাউকে জ্ঞান দেবে, তখন তোমার বাণীতে জোর আসবে। আত্মা-ই পবিত্র আর পতিত হয়। আত্মা পবিত্র হলে পবিত্র শরীরই লাভ করবে। পবিত্র সকলকেই হতে হবে, কেউ যোগবলের, কেউ শাস্তি প্রাপ্ত হয়ে। পরিশ্রম হল স্মরণের যাত্রার । বাবা তার প্র্যাকটিসও করাতে থাকেন। যেখানেই যাবে বাবাকে স্মরণে রেখে যাও। পাদরীরা যেমন শান্ত মনে যীশুখ্রীষ্টের স্মরণে যাত্রা করে আর যীশুকে স্মরণ করতে থাকে। বাবা বলেন, একমাত্র বাবাকে ছাড়া আর কাউকে স্মরণ করবে না। অবিনাশী বাবার কাছ থেকে আমরা মুক্তি আর জীবনমুক্তির অধিকারী হই। সেকেন্ডে জীবনমুক্তি লাভ হয়। সত্যযুগে সবাই জীবনমুক্তিতে ছিলে, কলিযুগে সবাই জীবনবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। এটা কারোই জানা নেই, এসব কথা বাবা-ই বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেন। বাচ্চারা তারপর বাবার কথাকেই প্রত্যক্ষ করায় । সব দিকে পরিক্রমণ করতে থাকে। তোমাদের কাজই হল প্রতিটি মানবের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যে, এটা হল পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। অসীম জগতের বাবা, অসীমের উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন। বাবা বলেন, "মামেকম্ স্মরণ করো" তবে বিকর্ম বিনাশ হবে। পাপ কেটে যাবে। এ হল সত্যিকারের গীতা, যা একমাত্র বাবা-ই শিখিয়ে থাকেন। মনুষ্য মতে চলে তো অধঃপতিতই হয়েছ, ভগবানের মতের দ্বারা তোমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার নিচ্ছ। মূল কথা হল - উঠতে - বসতে, চলতে - ফিরতে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো আর বাবার পরিচয় দিতে থাকো। ব্যাজ তো তোমাদের কাছেই রয়েছে। ফ্রি-তে দিতেও কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু অবশ্যই পাত্র বুঝে।



বাবা বাচ্চাদের প্রতি অনুযোগ করেন যে, তোমরা তোমাদের লৌকিক বাবাকে স্মরণ করো আর আমি তোমাদের পারলৌকিক বাবা, আমাকে তোমরা ভুলে যাও ! লজ্জা আসে না তোমাদের ! তোমরাই তো পবিত্র প্রবৃত্তি (গৃহস্থে) মার্গে গৃহস্থ ব্যবহারে ছিলে, আবারও তেমনই হতে হবে তোমাদের। *তোমরা হলে ভগবানের সওদাগর*।নিজের অন্দরে ঝাঁক দিয়ে দেখো, বুদ্ধি কোথাও এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে না তো ? বাবাকে কতটা সময় স্মরণ করেছি ? বাবা বলেন, আর সকল সঙ্গ ছিন্ন করে এক-এর সঙ্গ-এ জোড়ো। ভুল করবে না। বাবা এও বুঝিয়েছেন - ভাই-ভাই এর দৃষ্টিতে দেখো, তবে দেহের দিকে দৃষ্টি যাবে না। দৃষ্টি বিগড়াবে না। লক্ষ্য তো সামনে রয়েছেই। এই জ্ঞান এখনই তোমাদের প্রাপ্ত হয় । ভাই-ভাই তো সবাই বলে থাকে, মানুষ বলে থাকে ব্রাদারহুড। সেটা তো ঠিক আছে। পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান আমরা সবাই । তাহলে এখানে কেন বসে আছো ? বাবা স্বর্গ স্থাপন করেন, এই রকম ভাবে বুঝিয়ে নিজের উন্নতি লাভ করতে থাকো। বাবার অনেক সার্ভিসেবল কন্যার প্রয়োজন। তারা পর পর সেন্টার খুলে যেতে থাকে। বাচ্চাদের বিশেষ আগ্রহ থাকে তাতে, তারা ভাবে এতে অনেকের কল্যাণ হবে। কিন্তু টিচার এর দায়িত্ব সামলানোর জন্য ভালো ভালো মহারথী প্রয়োজন। নম্বর অনুসারে টিচার রয়েছে। বাবা বলেন, যেখানে লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দির, শিবের মন্দির রয়েছে, অথবা গঙ্গার পাড়ে, যেখানে বহু লোকের সমাগম হয়, সেখানে গিয়ে সেবা করা উচিত। লোকেদের বোঝাও- ভগবান বলেন, কাম হল মহাশত্রু। তোমরা শ্রীমৎ অনুসারে সার্ভিস করতে থাকো। এ হল তোমাদের ঈশ্বরীয় পরিবার, এখানে ৭ দিনের যোগ ভাট্টিতে এসে পরিবারের সাথে থাকে। বাচ্চারা, তোমাদের খুব আনন্দ হওয়া উচিত। অসীম জগতের বাবা, যার থেকে তোমরা লক্ষকোটিগুণ (পদ্মাপদম) ভাগ্যবান হয়ে যাও । জগতের লোক জানে না যে, ভগবানও যে পড়াতে পারে। এখানে তোমরা পড়ো, তাই তোমাদের কত আনন্দ হওয়া উচিত। তোমরা উচ্চ থেকে উচ্চে যাওয়ার জন্য এই পাঠ পড়ছ। কতখানি উদার চিত্ত হওয়া উচিত ! বাবাকে তোমরা ঋণী বানিয়ে দাও । ঈশ্বরার্থে যা কিছুই দাও, পরের জন্মে তার রিটার্ন নিয়ে থাকো যে। বাবাকে তোমরা সব কিছু দিলে, বাবাকেও তো সব কিছু দিতে হবে। আমি বাবাকে দিয়েছি, এ'কথা কখনোই মনে আসা উচিত নয়। সব সময়ই ভাববে আমি তো নিচ্ছি। সেখানে তোমরা পদমপতি হবে। তোমরা প্র্যাকটিক্যালে পদমাপদম ভাগ্যশালী হয়ে যাও। অনেক উদার মনের বাচ্চাও রয়েছে। আবার কেউ কেউ কৃপণও আছে। বোঝেই না যে, পদ্মাপদমপতি আমরাই হই, আমরা খুব সুখী হয়ে থাকি সেখানে। *যখন পরমাত্মা বাবা অনুপস্থিত থাকেন, তখন ইনডাইরেক্ট অল্প সময়ের জন্য ফল প্রদান করেন। কিন্তু যখন হাজির হয়ে যান, তখন ২১ জন্মের জন্য দেন*। এমন কথিত আছে যে, শিববাবার ভান্ডারা ভরপুর। দেখো, কতো কতো বাচ্চা, কেউই তারা জানে না যে কে কী দেয়। বাবা জানেন, আর বাবার গুঁড়ের থলি (ব্রহ্মা বাবা) জানে, যার মধ্যে বাবা থাকেন - তিনি একেবারে সাধারণ। এই কারণে বাচ্চারা এখান থেকে বেরিয়ে যখন বাইরে যায়, তখন সেই নেশা উধাও হয়ে যায়। জ্ঞান আর যোগ না থাকলে খিট-খিট চলতেই থাকবে। ভালো ভালো বাচ্চাদেরও মায়া হারিয়ে দেয়। ভগবান এসে অ্যাডপ্ট (দত্তক নেন) করেন, কতখানি সৌভাগ্যের কথা ! কতখানি আনন্দে থাকার কথা ! কিন্তু মায়া আনন্দকে গুম্ করে দেয়। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ ও সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মূল সার :-

১. ভগবান আমাদের অ্যাডপ্ট করেছেন, তিনিই টিচার হয়ে আমাদের পড়াচ্ছেন, নিজের পদমাপদম (লক্ষকোটিগুণ) ভাগ্যকে স্মরণ করে আনন্দে থাকতে হবে।

২. আমরা আত্মারা হলাম ভাই-ভাই, এই দৃষ্টিকে পাকা করতে হবে। দেহকে দেখবে না। ভগবানের সাথে সওদা করার পরে, পুনরায় বুদ্ধিকে এদিক ওদিক চালিত হতে দেবে না।

বরদান:-

নিজের সূক্ষ্ম দুর্বলতা গুলিকে চিন্তনের দ্বারা চিহ্নিত করে পরিবর্তন করতে সক্ষম স্বয়ংচিন্তক (সুচিন্তক) ভব

কেবলমাত্র জ্ঞানের পয়েন্ট গুলিকে রিপিট করা, শোনা বা শোনানোই স্বয়ংচিন্তন নয়, বরং স্বয়ংচিন্তন অর্থাৎ নিজের সূক্ষ্ম দুর্বলতা গুলিকে, নিজের ছোট ছোট ভুল গুলির বিষয়ে চিন্তন করে চিহ্নিত করে সেগুলোকে দূর করা, পরিবর্তন করা - একেই বলা হবে স্বয়ংচিন্তক হওয়া । জ্ঞানের মনন তো সব বাচ্চারাই খুব ভালো ভাবেই করে, কিন্তু জ্ঞানকে নিজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ধারণা স্বরূপ হওয়া, নিজেকে পরিবর্তন করা, এরই মার্কস ফাইনাল রেজাল্টে পাওয়া যাবে।

স্লোগান:-

শ্রীমৎ প্রদান করে যিনি করাচ্ছেন (করনকরাবনহার), প্রতিটি মুহূর্তে সেই বাবা যদি স্মরণে থাকে, তবে আমিত্ব ভাবের অভিমান আসতে পারবে না।