০৬-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে এমন ট্রাস্টি হও যাতে কোনও জিনিসের প্রতি যেন আসক্তি না থাকে, আমাদের কিছুই নেই, এমন বেগার বা ভিক্ষুক হয়ে যাও"
প্রশ্ন:-
বাচ্চারা, তোমাদের পুরুষার্থের লক্ষ্য-টি কি ?
উত্তর:-
আমি মরলে দুনিয়াও মৃত - এটাই হল তোমাদের লক্ষ্য। শরীরের প্রতি যেন মোহ না থাকে। এমন বেগার বা ভিক্ষুক হও যে কোনও কিছু যেন স্মরণে না আসে। আত্মা যেন অশরীরী হয়ে যায়। ব্যস, আমাদের ফিরে যেতে হবে। এমন পুরুষার্থ যারা করে তারা-ই বেগার টু প্রিন্স অর্থাৎ ভিক্ষুক থেকে রাজপুত্র হয়। তোমরা বাচ্চারা-ই দরিদ্র থেকে ধনী, ধনী থেকে দরিদ্রে পরিণত হও। যখন তোমরা ধনী হও তখন কেউ দরিদ্র থাকে না।
ওম্ শান্তি ।
বাবা বাচ্চাদের প্রশ্ন করেন যে আত্মা শুনছে নাকি শরীর শুনছে ? (আত্মা) আত্মা শুনবে নিশ্চয়ই শরীর দ্বারা। বাচ্চারা লেখেও এমন অমুকের আত্মা বাপদাদাকে স্মরণ করে। অমুকের আত্মা আজ অমুক স্থানে গেছে। এইরকম এক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, আমরা আত্মা কারণ বাচ্চাদের আত্ম-অভিমানী হতে হবে। যেখানেই দেখো, তোমরা জানো আত্মা ও শরীর আছে আর এঁনার মধ্যে দুটি আত্মা আছে। একটিকে আত্মা অন্যটিকে পরমাত্মা বলা হয়। পরমাত্মা নিজেই বলেন আমি এই শরীরে, যার মধ্যে ব্রহ্মার আত্মাও প্রবিষ্ট থাকে, আমি প্রবেশ করি। শরীর ছাড়া তো আত্মা থাকতে পারে না। এবারে বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করলে বাবাকে স্মরণ করবে এবং পবিত্র শান্তিধাম ফিরে যাবে আর তারপরে যত দৈবী গুণ ধারণ করবে ও করাবে, স্ব দর্শন চক্রধারী হয়ে অন্যদের তৈরি করবে তত উঁচু পদমর্যাদা প্রাপ্ত করবে। এই কথা কেউ না বুঝতে পারলে জিজ্ঞাসা কর। এই কথা তো নিশ্চিত যে আমি হলাম আত্মা, বাবা আত্মা রূপী বাচ্চাদের বলেন যারা ব্রাহ্মণ হয়েছে। অন্যদের বলবেন না। বাচ্চারাই তাঁর কাছে প্রিয়। বাবার কাছে প্রত্যেকটি বাচ্চা-ই হল প্রিয়। অন্যদের যদিও ভালোবাসবে কিন্তু বুদ্ধিতে কথাটা থাকেই - যে আমাদের বাচ্চা নয়। আমি বাচ্চাদের সঙ্গেই কথা বলি কারণ বাচ্চাদেরই পড়াতে হবে। বাকি অন্যদের পড়ানো তোমাদের কাজ। কেউ তো চট করে বুঝে যায় , কেউ একটুখানি বুঝে ফিরে যায়। তারপরে যখন দেখবে এখানে তো অনেক বৃদ্ধি হচ্ছে তখন আসবে, দেখি গিয়ে তাহলে। তোমরা এই কথা বোঝাবে যে বাবা সকল আত্মাদের বা বাচ্চাদের বলেন আমাকে স্মরণ করো। সব আত্মাদের বাবা-ই পবিত্র করেন। তিনি বলেন আমাকে ছাড়া আর কাউকে স্মরণ কোরো না। একমাত্র আমাকেই অব্যভিচারী স্মরণ করো তো তোমাদের আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে। পতিত-পাবন হলাম একমাত্র আমি। আমার স্মরণ দ্বারা -ই আত্মা পবিত্র হবে তাই বলেন - বাচ্চারা, মামেকম্ স্মরণ করো। বাবা-ই পতিত রাজ্যকে পবিত্র রাজ্যে পরিণত করেন, উদ্ধার করেন। কোথায় নিয়ে যান ? শান্তিধাম তারপরে সুখধাম।
মুখ্য কথা হল পবিত্র হওয়ার। ৮৪ -র চক্র বোঝানোও সহজ। চিত্র দেখলেই নিশ্চয় হয় তাই বাবা সর্বদা বলেন মিউজিয়াম খোলো - আড়ম্বর করে। কারণ মানুষদের সেই আড়ম্বর আকৃষ্ট করবে। অনেকে আসবে, তোমরা এই কথাই শোনাবে যে আমরা বাবার শ্রীমৎ অনুসারে এইরূপ তৈরি হচ্ছি। বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো এবং দৈবী গুণ ধারণ করো। ব্যাজ তো অবশ্যই সঙ্গে থাকা উচিত। তোমরা জানো আমরা বেগার টু প্রিন্স হব অর্থাৎ ভিক্ষুক থেকে রাজপুত্র হব। প্ৰথমে তো কৃষ্ণে পরিণত হবে তাইনা। যতক্ষণ না কৃষ্ণ হচ্ছ ততক্ষণ নারায়ণ হতে পারবে না। শিশু থেকে বয়স্ক হলে নারায়ণ নামটি প্রাপ্ত করবে। সুতরাং এতে দুইটি চিত্র আছে। তোমরা এই রূপ ধারণ কর। এখন তোমরা সবাই বেগার হয়ে আছ। এই ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারীরা ও হল বেগার্স, এদের কাছে কিছুই নেই। বেগার অর্থাৎ যার কাছে কিছু নেই। কাউকে বেগার বলা হবে না। এই বাবা হলেন সবচেয়ে বড় বেগার। এইখানে সম্পূর্ণ বেগার হতে হয়। ঘর গৃহস্থে থেকে আসক্তি মেটাতে হয়। তোমরা ড্রামা অনুযায়ী আসক্তি মিটিয়েছ। যারা নিশ্চয়বুদ্ধি তারা জানে, আমাদের সর্বস্ব বাবাকে অর্পণ করা হয়েছে। বলাও হয় তাইনা - হে ভগবান, তোমার দেওয়া সবকিছুই হল তোমার, আমাদের নয়। ঐ হল ভক্তিমার্গ। সেই সময় তো বাবা দূরে ছিলেন। এখন বাবা কাছে রয়েছেন। তাঁর সামনে তাঁর আপন হতে হয়।
তোমরা বলো বাবা, বাবার শরীর দেখবে না। বুদ্ধি যায় উপরের দিকে। যদিও এই হল লোনে নেওয়া শরীর কিন্তু তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা শিববাবার সঙ্গে কথা বলি। এইটি তো ভাড়ায় নেওয়া রথ। শিববাবার নয়। এইটি তো নিশ্চিত যে ধনী ব্যক্তির কাছে ভাড়াও বেশি প্রাপ্ত হবে। বাড়ির মালিক দেখবে - রাজা যদি বাড়ি নিতে চায় তবে ভাড়াটি এক হাজারের বদলে হবে চার হাজার, কারণ রাজা কত ধনী সে তো বাড়িওয়ালা জানবে। রাজা কখনও বলবে না ভাড়াটা বেশি । না, তারা ধনের চিন্তা করে না। তারা নিজেরা কারো সঙ্গে কথা বলে না। প্রাইভেট সেক্রেটারি কথা বলে। আজকাল তো ঘুষ ছাড়া কথা হয় না। বাবার অনেক অনুভব আছে। তারা খুব রয়্যাল । কোনও জিনিস পছন্দ হল তো ব্যস, সেক্রেটারিকে বলবে নির্ণয় করে নিয়ে এসো। সব মালপত্র খুলে রাখা হবে। মহারাজা-মহারানী দু'জনে আসবে, যে জিনিসটি পছন্দ হবে চোখের ইঙ্গিত করবে। সেক্রেটারি কথা বলে, কেনাবেচা-র মধ্যিখানে নিজের ভাগটিও নিয়ে নেবে। কোনো কোনো রাজার অর্থ ধন সঙ্গেই থাকে, সেক্রেটারিকে বলবে এদের পয়সা দিয়ে দাও। বাবা তো সবার কানেকশনে এসেছেন। জানেন তাদের অ্যাক্ট কিরকম চলে । যেমন রাজাদের কাছে মুন্সী থাকে (হিসাব পত্র দেখাশোনা করার) তেমন এখানেও শিববাবার মুন্সী আছে। ইনি হলেন ট্রাস্টি। ব্রহ্মাবাবার এইসবে কোনও মোহ নেই, নিজের টাকা পয়সার প্রতি কোনও মোহ রাখেননি, সবকিছু শিববাবাকে অর্পণ করেছেন তাহলে শিববাবার ধনের প্রতি মোহ থাকবে কিভাবে। ইনি হলেন ট্রাস্টি। যার কাছে ধন থাকে, আজকাল সরকার তাদের কত চেকিং করে। বিদেশ থেকে এলে বিশেষ চেকিং করা হয়।
এখন তোমরা জানো কিভাবে বেগার হতে হবে। কিছু যেন স্মরণে না আসে। আত্মা যেন অশরীরী হয়ে যায়। নিজের শরীরকেও যেন আপন না ভাবে। আমাদের বলে যেন কিছুই না থাকে। বাবা বোঝান, নিজেকে আত্মা ভাবা সুনিশ্চিত (নিশ্চয়) করো, এখন তোমাদের ফিরে যেতে হবে। তোমরা জানো বেগার কিভাবে হতে হয়। শরীরের প্রতি যেন মমত্ব না থাকে। আমি মরলে দুনিয়াও আমার কাছে মৃত। এটাই হল লক্ষ্য। তোমরা বুঝতে পারো বাবা ঠিক কথাই বলছেন। এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে। শিববাবা কে তোমরা যা কিছু দাও, তার রিটার্নে পরের জন্মে ফল প্রাপ্ত কর তাই বলা হয় এইসব ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান করা হল। পূর্ব জন্মে এমন ভালো কর্ম করা হয়েছে, যার ফল বর্তমানে প্রাপ্ত হচ্ছে। শিববাবা কারোর কিছু রাখেন না। বড় বড় রাজা, জমিদারদেরকে অনেক কিছু উপহার দেওয়া হয়। তারপরে কেউ নেয়, কেউ নেয় না। সেখানে তো তোমরা কিছুই দান-পুণ্য করো না, কারণ সেখানে সবার কাছে অনেক ধন থাকে। কাকে দান করবে। কেউ গরিব নয় সেখানে। তোমরাই দরিদ্র থেকে ধনী এবং ধনী থেকে দরিদ্র হও। বলা হয় কিনা সুস্থ করো। কৃপা করো। ইত্যাদি ইত্যাদি। আগে শুরুতে শিববাবার কাছেও চাইত। তারপরে ব্যভিচারী হয়ে সবার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বলে আমাদের ঝুলি ভরে দাও। কতখানি পাথর বুদ্ধি হয়েছে। বলাও হয় পাথর বুদ্ধি থেকে স্পর্শ বুদ্ধি করেন। অতএব বাচ্চারা তোমাদের অনেক খুশীতে থাকা উচিত। গায়নও আছে অতীন্দ্রিয় সুখের কথা জিজ্ঞাসা করতে হলে গোপী বল্লভের গোপ-গোপীকাদের জিজ্ঞাসা করো। কারোর লাভ হলে অনেক খুশী হয়। তাই বাচ্চারা তোমাদের অনেক খুশি হওয়া উচিত। তোমাদের এক শতাংশ খুশী ছিল যা ধীরে ধীরে কম হয়েছে। এখন তো আর কিছুই নেই। প্ৰথমে ছিল বেহদের বাদশাহী। তারপরে হয় হদের রাজত্ব, অল্পকালের জন্যে। এখন বিড়লার কাছে অগাধ সম্পত্তি আছে। মন্দির বানায়, তাতে কিছু প্রাপ্তি হয় না। গরিবদের থোড়াই কিছু দান করে। মন্দির তৈরি করেছে, যেখানে মানুষ মাথা নোয়াতে আসবে। হ্যাঁ, যদি গরিবদের দান করা হয় তবে তার রিটার্নে ফল প্রাপ্ত হতে পারে। ধর্মশালা তৈরি করলে অনেক মানুষ বিশ্রাম করে ফলে পর জন্মে অল্পকালের সুখ প্রাপ্ত হয়। কোনো হাসপাতাল বানালেও অল্পকালের সুখ প্রাপ্তি হয় এক জন্মের জন্যে। অতএব বেহদের অর্থাৎ অসীমের বাবা বাচ্চাদের বসে বোঝাচ্ছেন, এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগের মহিমা অনেক। তোমাদেরও অনেক মহিমা কারণ তোমরা পুরুষোত্তম হও। তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের-ই ভগবান এসে পড়ান। তিনি-ই হলেন জ্ঞানের সাগর। এই সম্পূর্ণ মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের বীজরুপ হলেন তিনি। সম্পূর্ণ ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝান। তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে উনি তোমাদের কি পড়ান ! বলো, তোমরা কি ভুলে গেছ - গীতায় ভগবানুবাচ আছে না, আমি তোমাদের রাজার রাজা করি। এই কথার অর্থ তোমরা এখন বুঝতে পেরেছ। পতিত রাজারা পবিত্র রাজাদের পূজো করে তাই বাবা বলেন আমি তোমাদের রাজার রাজা করি। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বর্গের মালিক ছিলেন তাইনা। স্বর্গের দেবতাদের দ্বাপর-কলিযুগে সবাই পূজো অর্চনা করে। এইসব কথা তোমরা এখন বুঝেছ। ভক্তরা কি কিছু বুঝতে পারে নাকি। তারা তো শুধু শাস্ত্রের কাহিনী পড়ে ও শোনে। বাবা বলেন - তোমরা যে গীতা অর্ধকল্প ধরে পড়ছ শুনছ, তা দিয়ে কি প্রাপ্তি হয়েছে ? পেট তো ভরেনি। এখন তোমাদের পেট ভরছে (জ্ঞান রূপী ভোজন দ্বারা আত্মা ভরছে) । তোমরা জানো এই পার্ট একবারই প্লে হয়। স্বয়ং ভগবান বলেন আমি এই দেহে প্রবেশ করি। বাবা ব্রহ্মার মুখ দিয়ে বলেন অর্থাৎ নিশ্চয়ই প্রবেশ করেছেন। উপরে বসে ডাইরেকশন দেবেন নাকি ! বলেন আমি সম্মুখে আসি। এখন তোমরা শুনছ। এই ব্রহ্মাও কিছুই জানতেন না। এখন জানেন। যদিও গঙ্গা নদী পবিত্র করে না, এইসব হল জ্ঞানের কথা। তোমরা জানো বাবা সম্মুখে বসে আছেন, তোমাদের বুদ্ধি এখন উপরে যাবে না, এই হল শিববাবার রথ, এনাকে (ব্রহ্মাকে) বাবা বুট-ও বলেন, ডিব্বি বা ছোট বাক্সও বলেন। এই বাক্সে তিনি হীরা সম আছেন। কতখানি ফার্স্টক্লাস জিনিস তাইনা। এনাকে তো সোনার বাক্সে রাখা উচিত। গোল্ডেন এজেড বাক্স তৈরি করেন। বাবা বলেন কিনা - ধোপার ঘর থেকে চলে গেল ছু । ছু- মন্ত্রও বলা হয়। যে মন্ত্রের দ্বারা সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়, তাই তাঁকে জাদুকরও বলা হয়। সেকেন্ডে নিশ্চয় হয় - আমরা এমন হব। এইসব কথা তোমরা এখন প্রাক্টিক্যালে শুনছ। প্ৰথমে যখন সত্য নারায়ণের কাহিনী শুনতে তখন কি কিছু বুঝেছিলে ? সেই কাহিনী শোনার সময় বিদেশ, স্টিমার ইত্যাদি স্মরণে থাকত। সত্য নারায়ণের কাহিনী শুনে তারপরে যাত্রায় প্রস্থান করা হত। তারা তো আবার ফিরেও আসত। বাবা তো বলেন তোমাদের আবার এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়ায় ফিরে আসতে হবে না। ভারত হল অমর লোক, স্বর্গ ছিল দেবী-দেবতাদের রাজ্য। এই লক্ষ্মী - নারায়ণ হলেন বিশ্বের মালিক কিনা। তাঁদের রাজত্বে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি ছিল। দুনিয়াও তাই চায় -বিশ্বে শান্তি হোক, সবাই মিলে মিশে একাকার হয়ে যাক। এবারে এতগুলি ধর্ম সব মিলে একাকার হবে কিভাবে ! প্রত্যেকের ধর্ম আলাদা, ফিচার্স আলাদা সবাই এক হবে কিভাবে ! ঐ হল শান্তিধাম , সুখধাম। সেখানে এক ধর্ম, এক রাজ্য হয়। দ্বিতীয় কোনও ধর্ম থাকে না যে বিরোধ হবে। তাকেই বলা হয় বিশ্বের শান্তি। বাচ্চারা, এখন বাবা তোমাদের পড়াচ্ছেন। এই কথাও জানো যে সব বাচ্চারা এক রকম পড়া করেনা। নম্বর অনুযায়ী তো হয়। এও তো রাজধানী স্থাপনা হচ্ছে। বাচ্চাদের কত বুদ্ধিমান করা হয়।
এই হল ঈশ্বরীয় ইউনিভার্সিটি। ভক্তরা বুঝতে পারে না। অনেক বার শুনেছে - ভগবানুবাচ কারণ গীতা-ই হল ভারতবাসীদের ধর্মশাস্ত্র। গীতার অপরম-অপার মহিমা আছে। গীতা হল সর্ব শাস্ত্রময়ী শিরোমণি ভাগবত। শিরোমণি অর্থাৎ শ্রেষ্ঠের চেয়ে শ্রেষ্ঠ পতিত-পাবন সদগতি দাতা হলেন একমাত্র ভগবান, তিনি হলেন সকল আত্মার পিতা। ভারতবাসী অর্থ বোঝেনি। না বুঝে শুধু বলে দিয়েছে ভাই-ভাই। এখন তোমাদের বাবা বুঝিয়েছেন আমরা হলাম ভাই-ভাই। আমরা শান্তি ধামের নিবাসী। এখানে পার্ট প্লে করতে করতে আমরা বাবাকে ভুলে যাই, ফলে শান্তিধামও ভুলে যাই। শিববাবা যিনি স্বয়ং এসে ভারতকে সম্পূর্ণ বিশ্বের রাজত্ব দেন , তাঁকেই সবাই ভুলে যায়। এইসব রহস্য বাবা নিজেই বুঝিয়ে দেন। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করার জন্যে এই স্মৃতি যেন থাকে এ হল পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ যখন ভগবান আমাদের পড়ান, যার দ্বারা আমরা রাজার রাজা হব। বর্তমান সময়েই আমাদের ড্রামার আদি, মধ্য, অন্তের জ্ঞান আছে।
২. এখন ঘরে ফিরতে হবে তাই এই শরীরের প্রতি সম্পূর্ণ বেগার হতে হবে। শরীর ভুলে নিজেকে অশরীরী আত্মা ভাবতে হবে।
বরদান:-
বাবার মতন করুণাময় হয়ে সবাইকে ক্ষমা করে স্নেহদান করতে পারা মাস্টার দাতা ভব
যেমন বাবাকে দয়ালু, মার্সি ফুল বা করুণাময় বলা হয়, তেমনই তোমরা বাচ্চারাও হলে মাস্টার করুণাময়। যারা করুণাময় তারাই কল্যাণ করতে পারে, যারা অকল্যাণ ক'রে তাদেরও ক্ষমা করতে পারে। তারা মাস্টার স্নেহের সাগর হয়, তাদের কাছে স্নেহ ছাড়া আর কিছু থাকে না। বর্তমান সময়ে সম্পত্তির চেয়ে বেশি স্নেহের প্রয়োজন আছে তাই মাস্টার দাতা হয়ে সবাইকে স্নেহ দান করতে থাকো। কেউ যেন খালি হাতে ফিরে না যায়।
স্লোগান:-
তীব্র পুরুষার্থী হওয়ার ইচ্ছে থাকলে যেখানে চাইবে সেখানে পথ পেয়ে যাবে ।