১৮-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা হলেন সর্ব সম্বন্ধের ভালোবাসার স্যাকারিন, একমাত্র মিষ্টি প্রিয়তমকে স্মরণ করো তাহলে অন্য সব দিক থেকে বুদ্ধি সরে যাবে"

প্রশ্ন:-

কর্মাতীত হওয়ার সহজ পুরুষার্থ বা যুক্তি কোন্-টি ?

উত্তর:-

ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টি পাকা করার পুরুষার্থ করো। বুদ্ধি দ্বারা একমাত্র বাবা ব্যতীত অন্য সবকিছু যেন বিস্মৃত হয়। কোনও দেহধারীর সম্বন্ধ যেন স্মরণে না আসে তবেই কর্মাতীত হবে। নিজেকে আত্মা ভাই-ভাই নিশ্চয় করা - এই হল পুরুষার্থের লক্ষ্য। ভাই-ভাই ভাবলে দেহের দৃষ্টি, বিকারী চিন্তন শেষ হয়ে যাবে ।

ওম্ শান্তি ।

ডবল ওম্ শান্তি। ডবল কিভাবে, এই কথা তো বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। বাবাও বাচ্চাদেরই বসে বোঝান। প্ৰথমে বাবার উপরে নিশ্চয় থাকা উচিত কারণ ইনি হলেন পিতা, টিচার এবং গুরুও। যদিও লৌকিক পদ্ধতিতে আলাদা হয়। যৌবনকালে টিচার থাকে। গুরু করা হয় ৬০ বছর আয়ুর পরে। ইনি তো যখন আসেন একসাথে তিনটি সার্ভিস করেন। তিনি বলেন ছোট বড় সবাই পড়তে পারে। বাচ্চাদের বুদ্ধি খুব ফ্রেশ থাকে। এই কথা তো বাচ্চারা বুঝেছে, ছোট-বড় সব জীবের আত্মা নিশ্চয়ই আছে। আত্মা জীবে প্রবেশ করে। আত্মা ও জীব তফাৎ তো আছে তাইনা। এখানে বাচ্চারা তোমাদের আত্মা ও পরমাত্মার জ্ঞান প্রদান করা হয়। আত্মা তো হল অবিনাশী, বাকি শরীরের জন্ম হয় এখানে ভ্রষ্টাচার দ্বারা। সেখানে ভ্রষ্টাচারের কথা নেই। গায়নও আছে সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া। শ্রেষ্ঠাচারী ও ভ্রষ্টাচারী দুইটি পৃথক শব্দ আছে তাইনা। এইসব কথা একমাত্র বাবা-ই বোঝান। বাচ্চাদের শুধুমাত্র এই নিশ্চয় টি পাকা হয়ে যাক যে আমরা আত্মা আমাদের পিতা আমাদের পড়ান। বাবা আসেন-ই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে। অতএব এর দ্বারা প্রমাণিত হয় আমাদের কনিষ্ঠ থেকে পুরুষোত্তম করেন। এই দুনিয়াটাই হল কনিষ্ঠ, তমোপ্রধান, একেই ঘোর নরক বলা হয়। এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে, তাই নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। বাবা এসেছেন ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। আমরা হলাম ভাই-ভাই - এটা দৃঢ়তা সাথে পাকা করে নাও। এই দেহ তো থাকবে না। তখন বিকারের দৃষ্টি শেষ হয়ে যাবে। এটি হল উঁচু মানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যটিতে খুব কম-জনই পৌঁছাতে পারে, পরিশ্রম আছে। শেষে যেন কোনও কিছু স্মরণে না আসে, একেই বলা হয় কর্মাতীত অবস্থা। এই দেহটিও হল বিনাশী, এর প্রতিও যেন আসক্তি নষ্ট হয়ে যায়। পুরানো সম্বন্ধ গুলিতে আসক্তি রেখো না। এখন তো নতুন সম্বন্ধে যেতে হবে। পুরানো অসুরী সম্বন্ধ স্ত্রী-পুরুষের কতখানি ছিঃ ছিঃ সম্বন্ধ। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এখন ফিরে যেতে হবে। আত্মা -আত্মা ভাবলে দেহের ভান থাকবে না। স্ত্রী-পুরুষের টান নষ্ট হবে। লেখাও আছে অন্ত কালে যে স্ত্রী স্মরণ করে, পরমাত্ম চিন্তনে যে মারা যায়.... তাই বলা হয় অন্ত কালে গঙ্গা জল মুখে থাকুক, কৃষ্ণের স্মরণ থাকুক। ভক্তিমার্গে তো কৃষ্ণের স্মরণ থাকে। কৃষ্ণ ভগবানুবাচ বলে দেয় তারা। এখানে তো বাবা বলেন দেহকেও স্মরণ করবে না। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে অন্য সব দিক থেকে মন বুদ্ধি সরিয়ে নাও। সর্ব সম্বন্ধের ভালোবাসা একের মধ্যে এটি যেন স্যাকারিন সম হয়ে যায়। সবার জন্য মিষ্টি এবং সকলের প্রিয়তমও হলেন উনি। প্রিয়তম হলেন একজন-ই। কিন্তু ভক্তিমার্গে অনেক নাম রেখে দিয়েছে। ভক্তির বিস্তার অনেক। যজ্ঞ, তপ, দান, তীর্থ, ব্রত পালন, শাস্ত্র পঠন এইসবই হল ভক্তির সামগ্রী। জ্ঞানের সামগ্রী তো কিছুই নেই। এই কথাও তোমরা নোট কর বোঝানোর জন্যে। বাকি তোমাদের এই কাগজ পত্র কিছুই থাকবে না। বাবা বোঝান - বাচ্চারা, তোমরা শান্তিধাম থেকে এসেছিলে, শান্ত স্বরূপ-ই ছিলে। শান্তির সাগরের কাছে তোমরা শান্তির, পবিত্রতার অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত কর। এখন তোমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার নিচ্ছ তাইনা। জ্ঞানও নিচ্ছ। স্ট্যাটাস সামনে আছে। এই জ্ঞান বাবা ব্যতীত অন্য কেউ প্রদান করতে পারে না। এ হল আধ্যাত্মিক (রূহানী) জ্ঞান। আত্মিক পিতা একবার-ই আসেন, আত্মিক বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান দেওয়ার জন্যে। তাঁকে বলাও হয় পতিত-পাবন।



সকালে বসে বাচ্চাদের ড্রিল করান। বাস্তবে ইহাকে ড্রিল বলা হবে না। বাবা শুধু বলেন - বাচ্চারা, নিজেকে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো। কতখানি সহজ তাইনা। তোমরা হলে আত্মা তাইনা। কোথা থেকে এসেছ ? পরমধাম থেকে ? এমন কথা আর অন্য কেউ জিজ্ঞাসা করবে না। পারলৌকিক বাবা-ই বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন - বাচ্চারা, পরমধাম থেকে এসেছ তাইনা, এই শরীরে পার্ট প্লে করতে। পার্ট করতে করতে এবারে নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে। আত্মা পতিত হয়েছে তাই শরীরও পতিত হয়েছে। সোনায় খাদ পড়ে তখন তাকে আগুনে গলানো হয়। সন্ন্যাসীরা এমন করে কখনোই অর্থ বলে দেবেন না। তারা তো ঈশ্বরকে জানেন না। বাবার সঙ্গে যোগ যুক্ত হও, এই কথা স্বীকার করে না। বাবা যা শিক্ষা দেন সেই শিক্ষা আর কেউ দিতে পারে না। এতে প্রাক্টিক্যালে পরিশ্রম করতে হয়। বাবা তো কত সহজ করে বোঝান। কথিতও আছে ইনি হলেন পতিত-পাবন, সর্বশক্তিমান, তাঁকেই শ্রী-শ্রী বলা হয়। এবং শ্রী বলা হয় দেবতাদের। তাঁদেরকেই বলাটা শোভা পায়। তাঁদের আত্মা এবং শরীর দুই-ই হল পবিত্র। আত্মাকে তো কেউ নির্লিপ্ত বলতে পারে না। আত্মা-ই ৮৪ জন্ম নেয়। কিন্তু মানুষ না জানার দরুন আনরাইটিআস হয়ে গেছে। একমাত্র বাবা-ই এসে রাইটিয়াস করেন। রাবণ আনরাইটিয়াস করে। চিত্র তো তোমাদের কাছে আছে। যদিও এমন দশটি মাথা যুক্ত রাবণ কেউ ছিল না। সত্যযুগে রাবণ তো হয় না, এই কথা তো ক্লিয়ার। কিন্তু যারা শুনবে তারা বলবে এখানকার চারা গাছ (স্যাপলিং) । কেউ একটু শুনবে, কেউ বেশি শুনবে। ভক্তিমার্গের বিস্তার দেখো কতখানি। অনেক রকমের ভক্ত আছে। আর প্রথম থেকেই সবাই শুনেছে যে - হরণ করেছে। কৃষ্ণের জন্যেও এমন বলা হয় কিনা - হরণ করেছে। তাহলে এমন কৃষ্ণকে সবাই ভালোবাসে কেন ? পূজা করে কেন ? তাই বাবা বসে বোঝান, কৃষ্ণ হলেন ফার্স্ট প্রিন্স, স্বর্গের প্রথম রাজকুমার । সে তো খুব বুদ্ধিমান হবে। সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক সে কি কম বুদ্ধিমান হবে ! সেখানে কোনও মন্ত্রী ইত্যাদি থাকে না। পরামর্শ করার প্রয়োজন হয় না। পরামর্শ নিয়েই তো সম্পূর্ণ হয়েছে, আর বিশেষ কি পরামর্শ নেবে ! তোমাদের অর্ধকল্প কারোর পরামর্শের প্রয়োজন হয় না। স্বর্গ এবং নরকের নাম তো শুনেছ। এটা তো স্বর্গ হতে পারে না। তারা হল পাথর বুদ্ধি যারা ভাবে এখানে ধন আছে, মহল আছে, এই হল স্বর্গ। কিন্তু তোমরা জানো স্বর্গ তো হল নতুন দুনিয়া। স্বর্গে তো সবাই সদগতিতে থাকে। স্বর্গ-নরক একত্রে তো হতে পারে না। স্বর্গ কাকে বলে, তার আয়ু কত - এইসব বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন। দুনিয়া তো একটাই। নতুন দুনিয়াকে সত্যযুগ, পুরানো দুনিয়াকে কলিযুগ বলা হয়। এখন ভক্তিমার্গ শেষ হবে। ভক্তির পরে চাই জ্ঞান। সব জীব আত্মারা পার্ট প্লে করতে করতে পতিত হয়েছে। এই কথাও বাবা বুঝিয়েছেন। তোমরা বেশি সুখ প্রাপ্ত কর। চার ভাগের তিন ভাগ সুখ, বাকি ১ ভাগ দুঃখ। এতেও যখন তমোপ্রধান হয়ে যায় তখন বেশি দুঃখ হয়। অর্ধেক অর্ধেক হলে মজা হবে কিভাবে। মজা তখন হবে যখন স্বর্গে দুঃখের নাম গন্ধ থাকে না, তাইতো স্বর্গকে সবাই স্মরণ করে। নতুন দুনিয়া ও পুরানো দুনিয়ার এ হল অসীমের খেলা, যার কথা কেউ জানতে পারে না। বাবা ভারতবাসীদেরই বোঝান, বাকিরা সবাই যারা আছে, তারা অর্ধকল্পে আসে। অর্ধকল্প তোমরা হও সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী। তোমরা পবিত্র থাকো তাই তোমাদের আয়ু অনেক হয় এবং দুনিয়াও থাকে তখন নতুন। সেখানে সবকিছুই হয় নতুন, আনাজ, জল, পৃথিবী ইত্যাদি সবই নতুন। যত কাছে আসবে খুশীর অনুভব হবে। মানুষ বিদেশ থেকে নিজের দেশে আসে তখন খুশী হয় তাইনা। কেউ বিদেশে মারা গেলে তাদের বিমানে করে দেশে আনা হয়। সবচেয়ে ফার্স্টক্লাস পবিত্র ধরণী হল ভারত। ভারতের মহিমা তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কেউ জানে না। ওয়ান্ডার অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড আছে না - তার নামই হল স্বর্গ। তারা যে ওয়ান্ডার্স দেখায় সবই হল নরকের। কোথায় নরকের ওয়ান্ডার্স, কোথায় স্বর্গের - রাত দিনের তফাৎ আছে ! নরকের ওয়ান্ডার্সও অনেকে দেখতে যায়। কত অসংখ্য মন্দির আছে। স্বর্গে তো মন্দির থাকে না। ন্যাচারাল বিউটি অর্থাৎ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থাকে। মানুষের সংখ্যা খুব কম থাকে। সুগন্ধি ইত্যাদির প্রয়োজন থাকে না। প্রত্যেকের নিজস্ব ফার্স্টক্লাস বাগান থাকে, যেখানে ফার্স্টক্লাস ফুল হয়। সেখানকার হাওয়া-বাতাস ও হবে ফার্স্টক্লাস। গরম ইত্যাদি অনুভব হবে না। সদা অনুকূল জলবায়ু থাকবে। ধুপকাঠি ইত্যাদির প্রয়োজন হবে না। স্বর্গের নাম শুনলেই মুখে জল এসে যায়। তোমরা বলবে এমন স্বর্গে যেন শীঘ্র যেতে পারি, কারণ তোমরা স্বর্গকে জানো কিন্তু পরক্ষণেই মন বলে - এখন তো আমরা অসীম জগতের বাবার সঙ্গে আছি, বাবা আমাদের পড়ান, এমন চান্স ফিরে পাওয়া যাবে না। এখানে মানুষ, মানুষকে পড়ায়, সেখানে দেবতারা, দেবতাদের পড়াবে। এখানে তো বাবা পড়ান। রাত-দিনের তফাৎ আছে ! কত খুশী অনুভব হওয়া উচিত।



৮৪ জন্মও তোমরা নিয়েছ। তোমরা-ই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফিকে জানো যে আমরা তো অনেক বার এই রাজ্য নিয়েছি তারপরে রাবণ রাজ্যে এসেছি। এখন বাবা বলেন, তোমরা এক জন্ম পবিত্র হও তাহলে ২১ জন্ম তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে। কেন হবে না ! কিন্তু মায়া হল এমন, ভাই-বোনেরও ডাল গলে না, কাঁচা থেকে যায় (অর্থাৎ পুরুষার্থ পাকা হয় না কাঁচা থেকে যায়)। ডাল তো গলবে তখন, যখন নিজেদেরকে দৃঢ়তার সাথে আত্মা মনে করে ভাই-ভাই ভাববে। দেহ ভাব মিটে যাবে। এটাতেই হল পরিশ্রম। যদিও খুবই সহজ। কাউকে যদি বলা হয় যে খুব কঠিন তাহলে তো তার মন খারাপ হয়ে যাবে, সেইজন্য এর নাম-ই হল সহজ স্মরণ। জ্ঞানও খুব সহজ। ৮৪-র চক্র-কে জানতে হবে, সর্বপ্রথম বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবার স্মরণ দ্বারা-ই আত্মার মরচে নষ্ট হবে এবং আত্মা পবিত্র দুনিয়ার অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। প্ৰথমে বাবাকে স্মরণ করো। ভারতের প্রাচীন যোগ-ই বলা হয়, যার দ্বারা ভারত বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করে। প্রাচীন কত বছর হয়েছে ? তখন লক্ষ বছর বলে দেয়। তোমরা জানো ৫ হাজার বছরের কথা, সেই রাজ যোগ পুনরায় বাবা এসে শেখাচ্ছেন, এতে কনফিউশনের ব্যাপার নেই। জিজ্ঞাসা করা হয় আত্মারা তোমাদের নিবাস স্থান কোথায় ? তো বলবে আমাদের নিবাস স্থান হল ভ্রুকুটিতে। তাহলে তো আত্মকেই দেখতে হয়। এই জ্ঞান তোমরা এখন প্রাপ্ত কর তারপরে সেখানে জ্ঞানের প্রয়োজন থাকবে না। মুক্তি-জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হল, খালাস। মুক্তি প্রাপ্তকারী নিজের নির্দিষ্ট সময়ে জীবনমুক্তি তে এসে সুখ প্রাপ্ত করবে। সবাই জীবনমুক্তিতে আসে ভায়া মুক্তি হয়ে। এখান থেকে যাবে শান্তিধাম, অন্য কোনও দুনিয়া নেই। ড্রামা অনুযায়ী সবাইকে ফিরে যেতেই হবে। বিনাশের আয়োজন হচ্ছে। এত খরচ করে বোমা ইত্যাদি তৈরি করা হয় সেসব রাখার জন্যে নয়। বারুদ হল বিনাশের জন্যে। সত্যযুগ-ত্রেতায় এইসব জিনিস থাকে না। এখন ৮৪ জন্ম পুরো হয়েছে, আমরা এই শরীর ত্যাগ করে ঘরে অর্থাৎ পরমধাম যাব। দীপাবলীতে সবাই নতুন নতুন ভালো ভালো পোশাক পরে তাইনা। তোমরা আত্মারাও নতুন রূপ ধারণ কর। এই হল অসীম জগতের কথা। আত্মা পবিত্র হলে শরীরও ফার্স্টক্লাস প্রাপ্ত হয়। এই সময় আর্টিফিশিয়াল বা কৃত্রিম ফ্যাশন করে, পাউডার ইত্যাদি লাগিয়ে সুন্দর হয়। সেখানে তো ন্যাচারাল বিউটি থাকে। আত্মা সদা কালের জন্যে সুন্দর (এভার বিউটিফুল) হয়ে যায়। এইসব কথা তো তোমরা বুঝেছ। স্কুলে সবাই একরকম হয় না। তোমরাও পুরুষার্থ কর - আমরা এমন লক্ষী নারায়ণ হই।



এই হল তোমাদের ঈশ্বরীয় কুল, তারপরে হয় সূর্যবংশী-চন্দ্রবংশী রাজবংশ। তোমরা ব্রাহ্মণ তোমাদের রাজত্ব নেই। তোমরা এখন সঙ্গমে আছো। কলিযুগে এখন রাজত্ব নেই। যদিও কোন এক রাজত্ব আছে হয়তো, শূন্য তো কখনও হয় না। এখন তোমরা এমন হওয়ার জন্যে পুরুষার্থ করছ। দেখবে আমরা আত্মারা হলাম ভাই-ভাই এবং উনি হলেন পিতা। বাবা বলেন একে অপরকে ভাই-ভাই দেখো। জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র তো পেয়েছ। তোমরা আত্মারা কোথায় বাস করো ? আত্মা ভাই জিজ্ঞাসা করে, আত্মা কোথায় থাকে ? তো বলা হয় - এইখানে, ভ্রুকুটিতে। এই কথা তো খুব সাধারন। একমাত্র বাবা ব্যতীত অন্য কিছু যেন স্মরণে না আসে। শেষের দিকে শরীরও যেন বাবার স্মরণে ত্যাগ করতে পারা যায় - এমন প্র্যাক্টিস পাকা করতে হবে। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. সত্যযুগে ফার্স্টক্লাস সুন্দর শরীর প্রাপ্ত করার জন্যে এখন আত্মাকে পবিত্র করতে হবে, মরচে দূর করতে হবে। কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) ফ্যাশন করবে না।

২. সদা পবিত্র (এভার পবিত্র) হওয়ার জন্যে প্র্যাক্টিস করতে হবে যে একমাত্র বাবা ব্যতীত অন্য কিছুই যেন স্মরণে না আসে। এই দেহটির কথাও যেন মনে না আসে। ভাই-ভাইয়ের দৃষ্টি ন্যাচারাল ভাবে যেন পাকা থাকে।

বরদান:-

দৃঢ় সঙ্কল্প রূপী ব্রত দ্বারা বৃত্তি পরিবর্তনকারী মহান আত্মা ভব

মহান হওয়ার মুখ্য আধার হল " পবিত্রতা "। এই পবিত্রতার ব্রত-কে প্রতিজ্ঞা রূপে ধারণ করা অর্থাৎ মহান আত্মা হওয়া। কোনও দৃঢ় সঙ্কল্প রূপী ব্রত বৃত্তি পরিবর্তন করে। পবিত্রতার ব্রত নেওয়া অর্থাৎ নিজের বৃত্তিকে শ্রেষ্ঠ করা। ব্রত করা অর্থাৎ স্থূল ভাবে গ্রহণ না করা, মনে মনে পাকা সঙ্কল্প করা। সুতরাং পবিত্র হওয়ার ব্রত নেওয়া এবং আমরা আত্মারা হলাম ভাই-ভাই - এই রকম ভাবে ব্রাদারহুড রূপী বৃত্তি রচনা করা হল। এই বৃত্তি দ্বারা ব্রাহ্মণ মহান আত্মা হয়েছে।

স্লোগান:-

ব্যর্থ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে মুখে দৃঢ় সংকল্পের বোতাম লাগাও ।