০৩-০৫-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - স্মরণের আধার হলো প্রেম, অফুরন্ত প্রেম না থাকলে স্মরণ অবিচল (একরস) থাকে না, আর স্মরণ অবিচল না হলে প্রেমও প্রাপ্ত করা যায় না"
প্রশ্ন:-
আত্মার সব থেকে প্রিয় জিনিস কোনটি ? তার চিহ্ন কি ?
উত্তর:-
আত্মার কাছে এই শরীর হলো সব থেকে প্রিয় জিনিস। শরীরের প্রতি এতো ভালোবাসা যে সে শরীর ছাড়তে চায় না। বাঁচার জন্য অনেক উপায় তৈরী করে। বাবা বলেন বাচ্চারা, এটা তো তমোপ্রধান ছিঃ-ছিঃ শরীর। তোমাদের এখন নতুন শরীর নিতে হবে, সেইজন্য এই পুরানো শরীরের প্রতি মমতা ত্যাগ করো। আমি শরীর এই ভাব যেন না থাকে, এটাই হল লক্ষ্য ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা আত্মারূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, এখন বাচ্চারা এটা তো জানে যে দৈবী রাজ্যের উদ্ঘাটন হয়ে গেছে। এখন প্রস্তুতি চলছে সেখানে যাওয়ার। যেখানে কোনো শাখা খোলা হয়, তো প্রচেষ্টা থাকে কোনো প্রখ্যাত লোক দ্বারা ওপেনিং করানোর, আর তাকে দেখে নীচু তলার অফিসার্স ইত্যাদি সবাই আসবে। মনে করো, গভর্নর আসলে আবার বড় বড় মিনিস্টার্স ইত্যাদি আসবে। যদি কালেক্টরকে তোমরা বলো তবে প্রখ্যাত যারা আসবে না, সেই জন্য প্রচেষ্টা করা হয় কোনো প্রখ্যাত কেউ আসুক। কোনো না কোনো বাহানায় ভিতরে এলে তোমরা ওদের রাস্তা বলো। অসীম জগতের পিতার থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার কি ভাবে প্রাপ্ত করা যায়। তোমরা ব্রাহ্মণরা ছাড়া এই কথা আর দ্বিতীয় কেউ নেই জানার মতো। সোজাসুজি এরকম বোলো না যে-ভগবান এসেছেন। এরকমও অনেকে বলে - ভগবান এসে গেছেন। কিন্তু না, ঐরকম নিজেকে ভগবান বলার মতো তো অনেকেই এসেছে। তাই এটা বোঝাতে হবে যে পূর্ব-কল্পের মতনই অসীম জগতের পিতা এসে অসীম জগতের উত্তরাধিকার দিচ্ছেন, ড্রামার প্ল্যান অনুসারে। এই সমস্ত লাইন লিখতে হবে। মানুষ সেই লেখাটা পড়লে আসতে চেষ্টা করবে, যাদের ভাগ্যে থাকবে। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের জানা আছে তো যে আমরা অসীম জগতের পিতার থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার নিচ্ছি। এখানে তো নিশ্চয় (সুদৃঢ় বিশ্বাস) বুদ্ধি সম্পন্ন বাচ্চারাই আসে। নিশ্চয় বুদ্ধি সম্পন্ন যারা, আবার তারাই কোনো সময় সংশয় বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে পড়ে। মায়া পিছু নেয়। চলতে চলতে পরাজিত হয়। এরকম তো হয় না যে সর্বদা এক তরফা জিততেই থাকবে, পরাজয় হবেই না। জয় আর পরাজয় দুটিই চলে। যুদ্ধও তিন প্রকার হয়, ফার্স্টক্লাস, সেকেন্ড ক্লাস আর থার্ডক্লাস। কখনো কখনো যারা যুদ্ধ করে না তারাও দেখার জন্য চলে আসে। সেটাও মেনে নেওয়া (এলাও) হয়। যদি কিছু রঙ লেগে যায়-আর এই সেনাতে এসে যায়- কারণ দুনিয়ার জানা নেই যে তোমরা হলে মহারথী যোদ্ধা। কিন্তু তোমাদের হাতে হাতিয়ার ইত্যাদি কিছুই নেই। তোমাদের হাতে হাতিয়ার ইত্যাদি শোভনীয়ও নয়। কিন্তু বাবা তো বোঝান- জ্ঞান তলোয়ার, জ্ঞান কাটারী। আর একথা তারা স্থূল রূপে মনে করে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের জ্ঞানের অস্ত্র-শস্ত্র দেন, এতে হিংসার কোনো ব্যাপারই নেই। কিন্তু এটা বোঝে না। দেবীদের স্থূল হাতিয়ার ইত্যাদি দিয়ে দিয়েছে। তাদেরও হিংসক করে দিয়েছে। এটা হলো একদম অবোধ ব্যাপার। বাবা ভালো ভাবেই জানেন যে কারা ফুলে পরিণত হবে, সেটা তো বাবা নিজেই বলেন ফুলের সামনে থাকা চাই। হঠাৎ করে (সারটেনলি) এই ফুলে পরিণত হয়,বাবা নাম করেন না। নইলে তো আর সবাই বলবে আমরা কি তবে কাঁটা হবো! বাবা প্রশ্ন করেন নর থেকে নারায়ণ কারা হবে তো সকলে হাত তোলে। এ তো নিজেরাই বোঝে যে বেশী সার্ভিস করে সে বাবাকেও বেশী স্মরণ করে। বাবার প্রতি প্রেম থাকলে স্মরণও তাঁরই হবে। অবিচলিত (একরস) ভাবে তো কেউই স্মরণ করতে পারে না। স্মরণ করতে পারে না তাই ভালোবাসা নেই। ভালোবাসার জিনিসকে তো খুবই স্মরণ করা হয়। বাচ্চারা ভালোবাসার মতো হলে বাবা-মা কোলে তুলে নেয়। ছোট বাচ্চারাও হলো ফুল। বাচ্চারা, যেমন তোমাদের হৃদয় চায় শিববাবার কাছে যেতে, সেরকম ছোট বাচ্চারাও চেষ্টা করে। শীঘ্র ভাবে বাচ্চাকে কোলে বসায়, ভালোবাসে।
এই অসীম জগতের পিতা তো খুবই প্রেমময়। সকলের শুভ মনো-কামনা পূরণ করেন। মানুষের কি চাই? এক তো চাই সুরক্ষিত সুস্বাস্থ্য, কখনো যেন রোগ না হয়। সবচেয়ে ভালো এই সুস্বাস্থ্য। সুস্বাস্থ্য সম্পন্ন অথচ পয়সা নেই, তবে সুস্বাস্থ্য কোন কাজে এলো। আবার ধন চাই, যাতে সুখ পাওয়া যায়। বাবা বলেন অবশ্যই তোমাদের হেল্থ আর ওয়েল্থ দুটিরই প্রাপ্তি হবে। এটা কোনো নতুন কথা না। এতো অনেকই পুরানো কথা। তোমরা যখনই মিলিত হবে, এরকমই বলবে। তবে এটা বলবে না যে লক্ষ বছর হয়েছে অথবা লক্ষ কোটি বছর হলো। না,তোমরা তো জানো এই দুনিয়া নতুন কবে হলো,পুরানো কবে হল ? আমরা এই আত্মারা নতুন দুনিয়ায় যাই আবার পুরানো দুনিয়াতে আসি। তোমাদের নামই রাখা হয়েছে অলরাউন্ডার। বাবা বুঝিয়েছেন তোমরা হলে অলরাউন্ডারস্। ভূমিকা পালন করতে করতে এখন অনেক জন্মের শেষে পৌঁছেছো। সর্বপ্রথমেই তোমরা ভূমিকা পালন করতে আসো। সেটি হলো সুইট সাইলেন্স হোম। মানুষ শান্তির জন্য কতো হয়রান হয়। এটা বুঝতে পারে না যে আমরা শান্তিধামে ছিলাম, আবার সেখান থেকে এসেছ-ই ভূমিকা পালন করতে। আমাদের এই দুনিয়ার ভূমিকা শেষ হলে, আবার আমরা যেখান থেকে এসেছি অবশ্যই সেখানে ফিরে যাবো। সকলেই শান্তিধাম থেকে আসে। সবার বাড়ী হলো সেই ব্রহ্মলোক, ব্রহ্মাণ্ড, যেখানে সকল আত্মারা থাকে। রুদ্রকেও এতো বড় ডিমের মতো বানায়। ওদের এটা জানা নেই যে আত্মা একদম ছোটো। বলে স্টারের সমান, তবুও পূজো বড় আকারেরই হয়। তোমরা জানো যে এতো ছোটো বিন্দুর তো পূজা হতে পারে না। তবে পূজা কাকে করবে, তাই বড় বানিয়ে আবার পূজা করে, দুধ ঢালে। বাস্তবে তো সেই শিব হলেন অভোক্তা। তবে তাকে কেন দুধ দেওয়া হয় ? দুধ পান করলে তো আবার ভক্ষণকারী (ভোক্তা) হয়ে গেল। এটাও এক বিস্ময় (ওয়ান্ডার)। সকলে বলে তিনি আমাদের উত্তরাধিকারী, আমরা ওনার উত্তরাধিকারী কারণ আমরা ওনার কাছে নিজেকে সমর্পণ করি। বাবা যেমন বাচ্চাদের প্রতি সমর্পিত, সমস্ত প্রপার্টি তাদের দিয়ে নিজে স্বয়ং বাণপ্রস্থে চলে যান, এখানেও তোমরা মনে করো বাবার কাছে যতো আমরা জমা করবো সেটা সুরক্ষিত (সেফ) হয়ে যাবে। মহিমাও আছে কারোর ধন ধূলোয় লুটায়, কারোর ধন রাজা নেয় ...। বাচ্চারা, তোমরা জানো কিছুই থাকে না (সবই নশ্বর)। সব ভস্মীভূত হয়ে যাবে। এরকমও নয়, মনে করো এরোপ্লেন দুর্ঘটনায়, বিনাশ হলে চারদিকে জিনিস পাওয়া যায়। কিন্তু চোর ইত্যাদি নিজেও শেষ হয়ে যাবে। ঐ সময় চুরি ইত্যাদিও বন্ধ হয়ে যাবে। নইলে তো এয়ারোপ্লেন দুর্ঘটনা ঘটলে তো প্রথমেই সব জিনিস চোরের হাতে আসে। তখন আবার জঙ্গলেই জিনিস লুকিয়ে ফেলে। সেকেন্ডে কাজ সারে। নানান ভাবে চুরির করে-কেউ রয়্যাল্টিতে(রাজকীয় ভাবে), কেউ আনরয়্যাল্টিতে (অতি সাধারণ ভাবে)। তোমরা জানো এই সব বিনাশ হয়ে যাবে আর তোমরা সমগ্র বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। তোমাদের কোথাও কিছু খুঁজতে হবে না। তোমরা তো অনেক উঁচু ঘরে জন্ম নাও। পয়সার দরকারই নেই। রাজাদের কখনো পয়সা নেওয়ার খেয়ালই হয় না। দেবতাদের তো একদমই থাকে না। বাবা তোমাদের এতো সব কিছু দিয়ে দেন যে কখনো চুরি-চামারি, ঈর্ষা ইত্যাদির ব্যাপারই নেই। তোমরা একদম ফুল হয়ে ওঠো। কাঁটা আর ফুল তাই না।এখানে সব কাঁটা আর কাঁটা। যারা বিকার ছাড়া থাকতে পারে না তাদের অবশ্যই কাঁটাই বলতে হবে। রাজা থেকে শুরু করে সবাই হলো কাঁটা। তাই তো বাবা বলেন আমি তোমাদের এই লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো গড়ে তুলছি অর্থাৎ রাজাদেরও রাজা করে তুলছি। এই কাঁটা, ফুলের সামনে গিয়ে মাথা ঝোঁকায়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ তো হলো বিচক্ষণ না। বাবা এটাও বুঝিয়েছেন যে সত্যযুগের যারা তাদের মহারাজা আর ত্রেতা যুগের যারা তাদের মহারাজা বলা হয়। বড় মানুষ কে বলা হবে মহারাজা, ছোটো যারা আসবে তাদের রাজা বলা হবে। মহারাজার দরবার প্রথমে হবে। অনেক রকম তো থাকে। আসনও নম্বর অনুযায়ী প্রাপ্ত হবে। মনে করো যারা না আসার তারা যদি কেউ এসে যায় তাহলেও প্রথমে আসন দেওয়া হয় তাদের। মর্যাদা রাখতে হয়।
তোমরা জানো আমাদের মালা তৈরী হয়। এটাও তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদেরই বুদ্ধিতে আছে আর কারোর বুদ্ধিতে নেই। রুদ্র মালা তুলে নিয়ে ঘোরাতে থাকে। তোমরাও তো ঘোরাতে। অনেক মন্ত্র জপতে। বাবা বলেন এটাও হলো ভক্তি। এখানে তো একের স্মরণেই থাকা আর বাবা বিশেষ ভাবে বলেন- মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা, ভক্তি মার্গে দেহ-অভিমানের কারণে তোমরা সবাই কে স্মরণ করতে, এখন একমাত্র আমাকেই (মামেকম্ ) স্মরণ করো। এক বাবাকে পেয়েছো তাই উঠতে বসতে বাবাকে স্মরণ করলে অনেক খুশী হবে। বাবাকে স্মরণ করলে সমগ্র বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। যতো টাইম কম হতে থাকবে ততোই যথা শীঘ্র সম্ভব স্মরণ করতে থাকবে। দিনে-দিনে ক্রমশঃ চলন অগ্রসর হতে থাকবে। আত্মা কখনো ক্লান্ত হয় না। শরীরের দ্বারা কেউ পাহাড় পর্বতে চড়লে তো ক্লান্ত হয়ে যাবে। বাবাকে স্মরণ করতে গেলে তোমাদের কোনো ক্লান্তি আসবে না। খুশিতে থাকবে। বাবাকে স্মরণ করে সামনে এগোতে থাকবে। অর্ধ-কল্প বাচ্চারা পরিশ্রম করেছে- শান্তিধামে যাওয়ার জন্য। এইম অবজেক্টের কিছুই জানা নেই। বাচ্চারা, তোমাদের তো পরিচয় আছে। ভক্তি মার্গে যার জন্য এতো সব কিছু করেছিলে তিনিই বলছেন এখন আমাকে স্মরণ করো। তোমরা খেয়াল করো বাবা ঠিক বলছেন না কি? তারা তো মনে করে জলের দ্বারাই পবিত্র হয়ে যাবে। জল তো এখানেও আছে। এই গঙ্গার জল হলো কি? না, এটা তো একত্রিত করা বৃষ্টির জল, ঝর্ণার থেকে আসতেই থাকে, তাকে গঙ্গার জল বলে না। কখনো বন্ধ হয় না- এটাই প্রকৃতি। বৃষ্টি থেমে যায় কিন্তু জল আসতেই থাকে। বৈষ্ণবরা প্রায়শই কুয়োর জল পান করে। এক পক্ষ মনে করে এটা হলো পবিত্র, দ্বিতীয় পক্ষ আবার পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য গঙ্গায় স্নান করতে যায়। একে তো অজ্ঞানতাই বলবে। বৃষ্টির জল তো ভালোই হয়। এটাকেও ড্রামার বিস্ময় বলা হয়। প্রকৃতির বিস্ময় ঈশ্বর প্রদত্ত। বীজ কতো ছোটো, তার থেকে কতো বড় বের বৃক্ষ বের হয়। এটাও জানো ধরণী অনুর্বর হয়ে গেলে কোনো শক্তি থাকে না, স্বাদ থাকে না। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের এখানেই সব অনুভব করান- স্বর্গ কেমন হবে। এখন তো নেই। ড্রামাতে এটাও নির্ধারিত। বাচ্চাদের সাক্ষাৎকার হয়। সেখানকার ফল ইত্যাদি কতো ভালো মিষ্টি হয়- তোমরা ধ্যানে দেখে এসে শোনাও। আবার এখন যারা সাক্ষাৎকার করে তারা সেখানে যখন যাবে তখন এই চোখের দ্বারা দেখবে, মুখের দ্বারা খাবে। যারাই সাক্ষাৎকার করে তারা সবাই চোখের দ্বারা দেখবে, তারপর সব নির্ভর করে পুরুষার্থের উপর। যদি পুরুষার্থ না করবে তো কি পদ পাবে? তোমাদের পুরুষার্থ চলছে। তোমরা ঐরকম হবে। এই বিনাশের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য হবে। এটাও এখন বোঝা যায়। পবিত্র হতেই টাইম লাগে। স্মরণের যাত্রাই হলো মুখ্য, দেখা যায়-বোন-ভাই মনে করলেও ঠিক হয় না, এখন আবার বলা হয় ভাই-ভাই মনে করো। বোন-ভাই মনে করলেও দৃষ্টি বদলায় না। ভাই-ভাই দেখলে পরে শরীরই থাকে না। আমরা সবাই হলাম আত্মা, শরীর নই। যা কিছু এখানে দেখা যাচ্ছে সে তো বিনাশ হয়ে যাবে। এই শরীর ছেড়ে তোমাদের অশরীরী হয়ে যেতে হবে। তোমরা এখানে এসেছোই এটা শিখতে যে আমরা এই শরীর ছেড়ে কি ভাবে যাব। লক্ষ তো আছে। শরীর তো আত্মার খুব প্রিয়। শরীর যেন না যায় তার জন্য আত্মা কতো ব্যবস্থাপনা করে। কখন না আমাদের এই শরীর ছেড়ে যায়। আত্মার এই শরীরের প্রতি খুবই প্রীতি। বাবা বলেন এটা তো হলো পুরোনো শরীর। তোমরাও হলে তমোপ্রধান, তোমাদের আত্মা হলো ঘৃণ্য, তাই দুঃখী-অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাবা বলেন-এখন শরীরের প্রতি যেন প্রেম না থাকে। এটা তো হলো পুরোনো শরীর। এখন তোমাদের নতুন ক্রয় করতে হবে। কোনো দোকান রাখা হয় নি যেখান থেকে ক্রয় করা হবে।বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করলে পবিত্র হয়ে যাবে। তখন আবার শরীরও পবিত্র প্রাপ্ত হবে তোমাদের। পাঁচ তত্ত্বও পবিত্র হয়ে যাবে। বাবা সব কথা বুঝিয়ে আবার বলেন মন্মনা ভব।আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. আমরা হলাম শিববাবার উত্তরাধিকারী, আর উনি হলেন আমাদের উত্তরাধিকারী, এই নিশ্চিন্ততার সাথে বাবার কাছে সম্পূর্ণ রূপে সমর্পিত হতে হবে। যতো বাবার কাছে জমা করবে ততোই সুরক্ষিত (সেফ) হয়ে যাবে। বলা হয়ে থাকে- কারোর ধন মাটিতে লুটায়...।
২. কাঁটা থেকে ফুল এখনই হতে হবে। অবিচল (একরস) স্মরণ আর সার্ভিস দ্বারা বাবার ভালোবাসার অধিকারী হতে হবে। দিনে দিনে স্মরণের দ্বারা চলন অগ্রসর হতেই থাকবে।
বরদান:-
এই কল্যাণকারী যুগের সকলের কল্যাণকারী প্রকৃতিজীত মায়াজীত ভব
সঙ্গম যুগকে কল্যাণকারী যুগ বলা হয়, এই যুগে সর্বদা এই স্বভাবের স্মরণে থাকে যে আমি হলাম কল্যাণকারী আত্মা, আমার কর্তব্য হলো প্রথমে নিজের কল্যাণ করা তারপর সকলের কল্যাণ করা। মনুষ্য আত্মারা তো বলে আমরা প্রকৃতিরও কল্যাণ করি সেই জন্য প্রকৃতিজীত, মায়াজীত বলা হয়। যখন আত্মা পুরুষ প্রকৃতিজীত হয়ে যায়, তখন আত্মাও সুখদায়ক হয়ে যায়। প্রকৃতি বা মায়ার বিপর্যয়ে প্রভাব পড়ে না। তার উপর অকল্যাণকর বায়ুমন্ডলের প্রভাব পড়তে পারে না।
স্লোগান:-
এক জন দ্বিতীয় জনের মতামতকে সম্মান দিলে মাননীয় আত্মা হয়ে যাবে।