২১-০৭-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ০২-০১-৮৫ মধুবন
সর্বোত্তম স্নেহ, সম্বন্ধ আর সেবা
আজ বাপদাদা সব বাচ্চার সস্নেহ উপহার দেখছেন l প্রত্যেক বাচ্চার স্নেহসম্পন্ন স্মরণের উপহার বিভিন্ন ধরনের ছিল l এক বাপদাদা অনেক বাচ্চার থেকে বিপুল সংখ্যক উপহার পেয়েছেন l এইরকম উপহার আর এত উপহার বিশ্বে কেউ পেতে পারে না l এগুলোই ছিল হৃদয়ের উপঢৌকন দিলারামের জন্য l সকল মানব আত্মা স্থূল উপহার দেয়, কিন্তু সঙ্গমযুগে বিচিত্র বাবা আর বিচিত্র উপহার l তাইতো বাপদাদা সবার স্নেহ-উপহার দেখে উৎফুল্ল হয়েছেন l এমন কোনো বাচ্চা ছিল না যার উপহার বাবার কাছে পৌঁছায়নি l সেইসব অবশ্যই বিভিন্ন মূল্যের ছিল l কারও ছিল বহু মূল্যের, কারও কম l সর্ব সম্বন্ধে যতটা অটুট স্নেহ ছিল, উপহার ছিল ততটাই ভ্যাল্যুয়েবল l নম্বরানুক্রমিক স্নেহ এবং সম্বন্ধের আধারে প্রতিটা উপহার ছিল হৃদয়ের l উভয় বাবাই নম্বরানুক্রমিক মূল্যবান উপহারের মালা বানাচ্ছিলেন এবং মালা দেখে চেক করছিলেন, বিশেষ কোন বিষয়ের জন্য মূল্যের তারতম্য ! তাহলে, তারা কি দেখলেন ? সকলের স্নেহ আছে, সকলের সম্বন্ধ আছে, সবাই সেবা করে, কিন্তু স্নেহের ক্ষেত্রে আদি থেকে এখন পর্যন্ত সঙ্কল্প দ্বারা বা স্বপ্নেও অন্য কোন ব্যক্তি বা বৈভবের দিকে বুদ্ধি আকৃষ্ট হয়নি l এক বাবার একরস অটুট স্নেহে সদা সমাহিত হয়ে আছ l সদা স্নেহের অনুভবের সাগরে এমনভাবে ডুবে আছ যে সেই সংসার ব্যতীত - অসীম স্নেহের আকাশ এবং অসীম অনুভবের সাগর ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা বস্তুও দেখতে তোমরা অপারগ l এই আকাশ এবং সাগর ব্যতীত অন্য আকর্ষণ হতে দিও না l এইভাবেই অটুট স্নেহের উপহারগুলো নম্বরানুক্রমে ভ্যাল্যুয়েবল ছিল l যাই হোক, যত বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, ততো বছরের স্নেহের ভ্যাল্যু অটোমেটিক জমা হতে থাকে এবং ততটা ভ্যাল্যুর উপহার বাপদাদার সামনে প্রত্যক্ষ হয়েছে l তিনটে বিষয়ের বিশেষত্ব বাপদাদা সবার মধ্যে দেখেছেন -
১) অটুট স্নেহ - স্নেহ তোমাদের হৃদয়ের নাকি সময় অনুযায়ী আবশ্যকতার কারণে, নাকি নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ? এটা তো স্নেহ নয় ! ২) তোমাদের স্নেহ সদা তোমাদের স্বরূপে ইমার্জ হয়ে আছে নাকি সময় অনুযায়ী বাকি সময়ে মার্জ হয়ে থাকে ? ৩) স্নেহ কি শুধুই মন খুশি করার জন্য নাকি হৃদয়ের গভীর স্নেহ ? বাবা স্নেহ বিষয়ে এই সবই চেক করেছেন l
২) সম্বন্ধে - প্রথমতঃ, সর্ব সম্বন্ধ আছে নাকি কোন কোন বিশেষ সম্বন্ধ আছে ? একটাও সম্বন্ধের অনুভূতি যদি কম হয় তবে তোমরা সম্পন্ন হয়ে ওঠায় কিছু অভাব রয়েছে এবং সময় সময়তে অনুপস্থিত সেই সম্বন্ধ তোমাদের নিজের দিকে আকর্ষণ করে l যেমন, বাবা শিক্ষক সদগুরু এই বিশেষ সম্বন্ধ তো তোমরা জুড়ে নিয়েছ, কিন্তু ছোট নাতিপুতির সম্বন্ধে তাঁকে জুড়তে না পারলে তবে সেই সম্বন্ধও এর নিজের দিকে তোমাকে আকর্ষণ করবে l সুতরাং সম্বন্ধ অনুযায়ী সর্ব সম্বন্ধ আছে তোমাদের ?
দ্বিতীয়তঃ, বাবার সঙ্গে সর্ব সম্বন্ধ শতকরা একশ' ভাগ আছে নাকি কোন সম্বন্ধ শতকরা ১০০ ভাগ, কোন সম্বন্ধ ৫০ ভাগ, নাকি নম্বর অনুক্রমে ? সম্বন্ধ ফুল (পূর্ণ)পার্সেন্টেজে আছে নাকি আংশিক অলৌকিক আর আংশিক লৌকিক ?
তৃতীয়তঃ, সর্ব সম্বন্ধের অনুভূতির অতীন্দ্রিয় (রূহানী) রস সদা অনুভব করেছ নাকি যখন আবশ্যকতা হয় শুধু তখনই অনুভব কর ? সদা সর্ব সম্বন্ধের রস আহরণকারী নাকি শুধুই কখনো কখনো ?
৩) সেবাতে - সেবায় বিশেষভাবে বাবা কি চেক করেছেন ? প্রথমতঃ, যা স্থূল চেকিং - মন, বাণী, কর্ম বা তন-মন-ধন সব ধরণের সেবার খাতায় তোমাদের জমা হয়েছে কিনা ! দ্বিতীয়তঃ, তন-মন-ধন, মন-বাণী-কর্ম এই ছয় বিষয়ে তোমাদের পক্ষে যতটা করা সম্ভব ততটা করেছ নাকি যতটা করতে পার, ততটা না করে যথাশক্তি স্থিতি অনুযায়ী করেছ ? আজ স্থিতি খুব ভালো, সুতরাং আজ সেবার পার্সেন্টেজও ভালো, পরের দিন কারণে অকারণে স্থিতি দুর্বল তো সেবার পার্সেন্টেজও দুর্বল l যতটা হওয়া উচিত ছিল এটা ততটা হয়নি l এই কারণের জন্য তোমাদের যোগ্যতা অনুসারে তোমরা নম্বরানুক্রমিক হয়ে যাও l
তৃতীয়তঃ, তোমরা বাবার থেকে জ্ঞানের ভান্ডার, শক্তির ভান্ডার, গুণের ভান্ডার, খুশির ভান্ডার, শ্রেষ্ঠ সময়ের ভান্ডার, শুদ্ধ সঙ্কল্পের ভান্ডার পেয়েছ, সেই সব ভান্ডার দ্বারা তোমরা সেবা করেছ নাকি কিছু ভান্ডার দ্বারাই সেবা করেছ ? সব ভান্ডারের মধ্যে থেকে যদি একটা ভান্ডারেরও সেবা কম কর অথবা উদারচিত্তে ভান্ডার কার্যে ব্যবহার না কর অর্থাৎ যদি কৃপণবৎ করে অল্পবিস্তর ব্যবহার কর তবে রেজাল্টে সেটারও তারতম্য ঘটবে l
চতুর্থতঃ, অন্তর থেকে করেছ নাকি ডিউটি হিসেবে করেছ ? সেবায় তোমরা চিরপ্রবাহিণী গঙ্গা নাকি কখনো বইছ আর কখনো থেমে যাচ্ছ ?
মুড হলে সেবা করলে, আর মুড নেই তো সেবাও নেই ! এইরকম স্থির জলাশয় নও তো !
এইভাবে বাবা এই তিন বিষয় অনুযায়ী ভ্যাল্যু চেক করেছেন l সুতরাং এইভাবে বিধিপূর্বক তোমরা প্রত্যেকে নিজেকে নিজে চেক কর l আর এই নতুন বছরে এই দৃঢ় সঙ্কল্প কর, অল্পবিস্তর যা ফাঁক আছে তা' সদাসর্বদার জন্য পূরণ করে সম্পন্ন হয়ে নাম্বার ওয়ান মূল্যবান উপহার বাবার সামনে উপস্থাপিত করবে l কিভাবে চেক করতে হয় তারপরে চেঞ্জ করতে হয়, তোমরা তা' জানো, তাই না ? রেজাল্ট অনুযায়ী এখন কোন না কোন বিষয়ে তোমাদের মেজরিটি যোগ্যতা অনুসারে কাজ করছে l সম্পন্ন শক্তির প্রতিমূর্তি হওনি, সেইজন্য এখন অতীতকে অতীত হতে দাও আর বর্তমান আর ভবিষ্যৎকে সম্পন্ন এবং শক্তিশালী বানাও l
তোমাদের কাছেও যখন উপহার জমা হয় তোমরাও চেক কর কোনটা কোনটা ভ্যাল্যুয়েবল l বাপদাদাও বাচ্চাদের সেই একই খেলা খেলছিলেন l উপহার তো প্রচুর ছিল l প্রত্যেকে তোমরা নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভরা সবচেয়ে ভালো সঙ্কল্প, শক্তিশালী সঙ্কল্প করেছ বাবার সামনে l এখন শুধু যথাশক্তি অনুযায়ী হওয়ার পরিবর্তে সদা শক্তিশালী হওয়া - এটা পরিবর্তন করতে হবে l বুঝেছ তোমরা ? আচ্ছা !
যারা সদা স্নেহী - হৃদয় থেকে স্নেহী, সর্ব সম্বন্ধে স্নেহী, আধ্যাত্মিক রসের অনুভাবী আত্মা, সর্ব ভান্ডারের দ্বারা যারা শক্তিশালী, সদা সেবাধারী, সকল বিষয়ে নিজেদের যোগ্যতাকে সদা শক্তিশালী হওয়াতে পরিবর্তন করে, সেই বিশেষ স্নেহী এবং নিকটস্থ সম্বন্ধযুক্ত আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ- স্নেহ এবং নমস্কার l
*দাদী জানকী জী'র সাথে -* মধুবনের অলঙ্করণ মধুবনে পৌঁছে গেছে l সুস্বাগত ! তুমি বাপদাদা আর মধুবনের শোভা, বিশেষ অলঙ্করণ দিয়ে কি হয় ? ঝলমল করে, তাই না ! তাইতো বাপদাদা আর মধুবন বিশেষ শোভা দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন l বিশেষ সেবায় তুমি বাবার স্নেহ আর সম্বন্ধ প্রত্যক্ষ করেছ এবং এই বিশেষ সেবা সকলের হৃদয় কাছাকাছি নিয়ে আসবে l রেজাল্ট তো সবসময়ই ভালো l তবুও সময়- সময়ের নিজস্ব বিশেষত্বের রেজাল্ট হয় তো তুমি নিজের স্নেহময়ী চেহারা ও নয়ন দ্বারা বাবার স্নেহ প্রত্যক্ষীভূত হওয়ার এই বিশেষ সেবা করেছ l তাদের জ্ঞানের শ্রোতা বানানো কোন বড় ব্যাপার নয়, কিন্তু স্নেহী বানানো, এটা বিশেষ সেবা l যা তুমি সদা করতে থাকবে l তুমি কত প্রজাপতি দেখেছ, বহ্নিশিখায় নিজেদের সমর্পণ করার ইচ্ছা রাখে এমন কত পতঙ্গ দেখেছ ! এখন নয়ন দ্বারা সকল পতঙ্গকে বহ্নির দিকে আসতে ইশারা করার সময় l তারা ইশারা পাবে আর অনুসরণ করতে থাকবে l তারা সেখানে উড়তে উড়তে পৌঁছে যাবে l সুতরাং এই বিশেষ সেবা আবশ্যকও বটে আর এই সেবা তুমি করেছও l এটা রেজাল্ট, তাই না ? এটা ভালো প্রতি পদে অনেক আত্মার সেবা মিশে আছে, তুমি কত পদক্ষেপ নিয়েছ ? তুমি যত কদম উঠিয়েছ তত' আত্মারই সেবা হয়েছে অর্থাৎ তত' আত্মারই উন্নতিবিধান করেছ l তোমার সফর ভালো ছিল l তাদেরও উৎসাহ-উদ্দীপনার সীজন এখন l যা হয় তা' সর্বাপেক্ষা ভালো l বাবার সুনিপুণ বাচ্চাদের প্রতিটা কর্মের রেখা থেকে অনেক আত্মার কর্ম-রেখা বদল হয় l সুতরাং তোমাদের প্রতিটা কর্মরেখা দ্বারা অনেক আত্মার ভবিষ্যৎ-রেখা সৃষ্টি করেছ l অনুসরণ করা অর্থাৎ তাদের ভাগ্যরেখা টানা l সুতরাং, তোমরা যেখানেই যাও নিজেদের কর্মের কলম দিয়ে অনেকের জন্য ভাগ্যের রেখা টানতে থাক l সুতরাং কদম অর্থাৎ সুনিপুণ বাচ্চাদের কর্মই ভাগ্যরেখা টানার সেবার নিমিত্ত হয় l অতএব, এখন বাকী লাস্ট জবাব, "ইনিই তিনি, ইনিই তিনি" ! যাঁকে খুঁজে বেড়িয়েছি ইঁনি সেই তিনি l এখন তারা বিস্মিত - ইঁনিই সেই নাকি উঁনি ! যাই হোক, শুধু একই আওয়াজ বের হতে দাও, ইঁনিই সেই l সেই সময় এখন নিকটবর্তী l তাদের ভাগ্যরেখা বাড়তে বাড়তে তাদের বুদ্ধি এই যে সামান্য তালাবন্ধ হয়ে আছে তা' খুলে যাবে l চাবি লাগানো হয়েছে, তাদের তালা সামান্য খুলেও গেছে, কিন্তু তারা এখনও কিছুটা আটকে আছে, সেই দিনও আসবে l
*টিচারদের সাথে বাপদাদা-* টিচার্স অর্থাৎ সদা সম্পন্ন l সুতরাং তোমরা সম্পন্নতার অনুভূতি কর, তাই না ! নিজে সর্ব ভান্ডারে সম্পন্ন হলে তবে অন্যদের সেবা করতে পারবে l নিজের মধ্যে সম্পন্নতা না থাকলে অন্যকে কি দেবে ! *সেবাধারীর অর্থই হলো, সর্ব খাজানায় সম্পন্ন l* তোমাদের সদা সম্পন্ন হওয়ার নেশা আর খুশি থাকে l কোন একটা ভান্ডারেরও অভাব নেই l শক্তি আছে, গুণ নেই l গুণ আছে, শক্তি নেই - এমন নয়, সকল ভাণ্ডারে তোমরা সম্পন্ন l যখন যে শক্তি প্রয়োজন, সেই শক্তিকে আহ্বান কর, আর শক্তিস্বরূপ হয়ে যাওয়া - একেই বলা হয় সম্পন্নতা l তোমরা কি এইরকম ? যারা স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স বজায় রাখে - এমন নয়, কখনো স্মরণ বেশি, কখনো সেবা বেশি - যখন এই দু'টোতেই সমান হও, ব্যালেন্স বজায় থাকে, তখনই তোমরা সম্পন্নতার ব্লেসিংসের অধিকারী হও l তোমরা কি এইরকম সেবাধারী ? কি লক্ষ্য রেখেছ তোমরা ? সর্ব খাজানায় সম্পন্ন, একটা গুণও কম হলে সম্পন্নতা হয় না l একটাও শক্তির অভাব হলে তখনও সম্পন্ন বলা হবে না l সদা সম্পন্ন এবং সবকিছুতে সম্পন্ন হওয়া উচিত l এইরূপ সকলকে বলা হয় যোগ্য সেবাধারী l বুঝেছ ? প্রতি পদে সম্পন্ন হও l এইরকম অনুভাবী আত্মা অনুভবের অথরিটি l সদা বাবার সাহচর্যের অনুভব কর l
*কুমারীদের সাথে বাপদাদা-* তোমরা সদা লাকি কুমারী, তাই না ! সদা নিজের ভাগ্যনক্ষত্রকে ললাটভাগে ঝলমলে অনুভব কর ? মস্তক মধ্যে ভাগ্য নক্ষত্র ঝলমল করছে নাকি ঝলমলে হতে চলেছে ? বাবার হওয়া অর্থাৎ নক্ষত্র প্রভামন্ডিত হওয়া l তবে এমন হয়েছ তোমরা নাকি এখনও সওদা করার জন্য ভাবছ ? তোমরা ভাবনাতেই আছ নাকি অভ্যাসে পরিণত করছ ? কেউ যদি তোমাদের সওদা বাতিল করার চেষ্টা করে, তা' কি বাতিল হয়ে যায় ? বাবার সাথে সওদা করে আবার যদি অন্য সওদা কর তবে কি হবে ? সেক্ষেত্রে তোমার ভাগ্যকে দেখতে হবে l কেউ লাখপতির হয়ে গরীবের হয় না l কোনো গরীব বিত্তবানের হতে পারে, বিত্তবান গরীব হবে না l বাবার হওয়ার পরে তোমাদের সঙ্কল্পও অন্য কোনো কিছুতে আকৃষ্ট হতে পারে না - এইরকম দৃঢ়চেতা হয়েছ ? তোমরা যতটাই সঙ্গে থাকবে, রঙ ততটাই পাকা হবে l যদি সঙ্গই দুর্বল হয়, তবে রঙও কাঁচাই হবে l অতএব, পঠন-পাঠন এবং সেবা উভয় সঙ্গই প্রয়োজন, তখনই তোমরা সদাসর্বদা পাকা এবং অনড় থাকবে, চঞ্চলতা আসবে না l তোমাদের পাকা রঙ হলে কতো হ্যান্ডসের সাথে কতো সেন্টার খুলতে পারে, কারণ কুমারীরা হয়ই নির্বন্ধন l অন্যদের বন্ধনও তোমরা শেষ করবে, তাই না ? তোমরা সদা বাবার সাথে পাকা সওদা কর l যখন তোমাদের সাহস থাকে তোমরা বাবার সহায়তা লাভ কর, যদি সাহসের অভাব হয়, সহায়তাও কম প্রাপ্ত কর l আচ্ছা - ওম্ শান্তি l
বরদান:-
পরমাত্ম স্নেহাদর প্রাপ্ত করে এখনের তথা ভবিষ্যতের রাজ-দুলাল ভব
সঙ্গমযুগে তোমরা ভাগ্যবান বাচ্চারাই দিলারামের স্নেহের পাত্র l পরমাত্ম এই স্নেহাদর কোটির মধ্যে কিছু আত্মাদেরই প্রাপ্ত হয় l এই দিব্য স্নেহ-মমতায় তোমরা রাজ-আদৃত দুলাল হও l রাজ-দুলাল অর্থাৎ এখনও রাজা ভবিষ্যতেরও রাজা l ভবিষ্যতেরও আগে এখন স্বরাজ্য অধিকারী হয়ে গেছ l যেমন ভবিষ্যৎ রাজ্যের মহিমা এক রাজ্য, এক ধর্ম, ঠিক তেমনই এখন সর্ব কর্মেন্দ্রিয়ের ওপরে আত্মার একচ্ছত্র রাজত্ব l
স্লোগান:-
যারা নিজের চেহারার মাধ্যমে বাবার চরিত্র প্রদর্শন করে তারাই পরমাত্ম স্নেহী হয় l