২৫-০৬-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা সাহেবজাদা (ঈশ্বরের সন্তান) থেকে শাহজাদা (প্রিন্স) হতে চলেছো, তোমাদের কোনো জিনিসের অভীপ্সা থাকা উচিত নয়, তোমরা কারোর থেকেই কোনোকিছু চাইবে না"

প্রশ্ন:-

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য কোন্ আধারের প্রয়োজন নেই ?

উত্তর:-

কোনো কোনো বাচ্চা মনে করে যে, বৈভবের আধারে শরীর সুস্থ থাকবে কিন্তু বাবা বলেন, বাচ্চারা, এখানে তোমাদের বৈভবের আকাঙ্খা রাখা উচিত নয় । বৈভবে কখনোই শরীর ঠিক হবে না । শরীর ঠিক রাখার জন্য তো স্মরণের যাত্রার প্রয়োজন । বলা হয়ে থাকে, খুশীর মতো পুষ্টিকর খাবার নেই । তোমরা খুশীতে থাকো, নেশায় থাকো । এই যজ্ঞে দধীচি ঋষির মতো অস্থি সমর্পণ করো, তাহলেই শরীর সুস্থ হয়ে যাবে ।

ওম্ শান্তি ।

বাবাকে বলা হয় সর্বময় কর্তা (করণকরাবনহার )। তোমরা হলে সাহেবজাদা । এই সৃষ্টিতে তোমাদের পজিশন উঁচুর থেকেও উঁচু । বাচ্চারা, তোমাদের এই নেশা থাকা উচিত যে, আমরা সাহেবজাদা, সাহেবের (ঈশ্বরের) মতে এখন আবার নিজের রাজ্য - ভাগ্য স্থাপন করছি । এ কথাও কারোর বুদ্ধিতে স্মরণ থাকে না । বাবা সমস্ত সেন্টারের বাচ্চাদের জন্যই এ কথা বলেন । সেন্টার অনেক আছে, বাচ্চারাও অনেকই আসে । প্রত্যেকেরই বুদ্ধিতে সর্বদা এই কথা স্মরণে থাকে যে আমরা বাবার শ্রীমতে আবার এই বিশ্বে সুখ - শান্তির রাজ্য স্থাপন করছি । সুখ এবং শান্তি এই দুই শব্দই স্মরণ করতে হবে । বাচ্চারা, তোমরা কতো জ্ঞান পাও, তোমাদের বুদ্ধি কতো বিশাল হওয়ার প্রয়োজন, এতে বামন (ক্ষুদ্র) বুদ্ধি চলতেই পারে না । নিজেকে সাহেবজাদা মনে করো, তাহলে পাপ ভস্ম হয়ে যাবে । অনেকেই আছে যাদের সারাদিন বাবার কথা মনেই থাকে না । বাবা বলেন যে, তোমরা এতো বোকা বুদ্ধির (dull) হয়ে যাও কেন ? সেন্টারে এমন এমন বাচ্চারা আসে, যারা বুঝতেই পারে না যে, আমরা শ্রীমতে চলে এই বিশ্বে নিজের দৈবী রাজ্য স্থাপন করছি । অন্তরে সেই নেশা বা ঝলক থাকার প্রয়োজন । মুরলী শোনার সময় রোমাঞ্চিত হওয়া উচিত । এখানে তো বাবা দেখেন, কোনো বাচ্চাদের রোমাঞ্চ মৃতপ্রায় থাকে, অনেক বাচ্চাই আছে, যাদের বুদ্ধিতে এই কথা স্মরণই থাকে না যে, আমরা শ্রীমতে চলে, বাবার স্মরণে বিকর্ম বিনাশ করে নিজের রাজধানী স্থাপন করছি । বাবা প্রত্যহ বোঝান, বাচ্চারা, তোমরা হলে যোদ্ধা, তোমরা রাবণকে জয় করো । বাবা তোমাদের মন্দিরের উপযুক্ত করেন, কিন্তু এতটা নেশা বা খুশী বাচ্চাদের থাকেই না, কোনো জিনিস না পেলেই তারা ক্রুদ্ধ হয়ে যাবে । বাচ্চাদের অবস্থা দেখে বাবা তো আশ্চর্য হয়ে যান । বাচ্চারা মায়ার শৃঙ্খলে আটকে যায় । তোমাদের মান, তোমাদের কাজ, তোমাদের খুশী তো অদ্ভুত হওয়া চাই । যারা মিত্র - সম্বন্ধীদের ভুলতে পারবে না, তারা কখনোই বাবাকে স্মরণ করতে পারবে না । তাহলে তারা কি পদ পাবে । আশ্চর্য লাগে ।



বাচ্চারা, তোমাদের তো খুবই নেশা থাকা উচিত । নিজেদের যদি সাহেবজাদা মনে করো তাহলে কোনোকিছু চাওয়ার পরোয়া থাকবে না তোমাদের । বাবা তো আমাদের এতো অগাধ সম্পদ দেন যে ২১ জন্ম পর্যন্ত কোনোকিছু চাহিদাই থাকে না, নেশা এতটাই থাকা উচিত কিন্তু সম্পূর্ণ ক্ষুদ্র এবং জড় বুদ্ধির । বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধি তো সাত ফুট লম্বা হওয়া উচিত । মানুষের উচ্চতা খুব বেশী ছয় বা সাত ফুট হয় । বাবা বাচ্চাদের কতো উল্লাসে রাখেন - তোমরা হলে সাহেবজাদা, দুনিয়ার মানুষ তো কিছুই বুঝতে পারে না । তাদের তোমরা এই কথা বোঝাও যে, তোমরা কেবল এটুকু বোঝার চেষ্টা করো যে, আমরা বাবার সামনে বসে আছি, বাবাকে স্মরণ করলে আমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা, মায়া তোমাদের অনেক বড় শত্রু, অন্যদের এতো বড় শত্রু নয় যতটা তোমাদের । মানুষ তো জানেই না, তাদের বুদ্ধি তুচ্ছ । বাচ্চারা, বাবা প্রত্যেকদিনই তোমাদের বলেন, তোমরা হলে সাহেবজাদা, বাবাকে স্মরণ করো আর অন্যদেরও নিজের তুল্য বানাতে থাকো । তোমরা সকলকে এও বোঝাতে পারো যে, ভগবানই তো প্রকৃত সাহেব । তাই আমরা, তাঁর সন্তানরা হলাম সাহেবজাদা, বাচ্চারা, তোমাদের চলতে - ফিরতে এইকথা বুদ্ধিতে স্মরণ রাখতে হবে । এই সেবায় দধীচি ঋষির মতো অস্থি সমর্পণ করতে হবে । এমন মনে করো না যে, এখানে অস্থি দিলে তো অথৈ সুখ বৈভব চাই । এই জিনিসে শরীর কখনোই ভালো হয় না । শরীরের জন্য চাই স্মরণের যাত্রা । সেই খুশী থাকা চাই । আরে, আমরা তো কল্প - কল্প মায়ার কাছে হেরে এসেছি, এখন সেই মায়াকে জয় করছি । বাবা এসেই আমাদের এই জয় প্রাপ্ত করান । এখন ভারতে কতো দুঃখ, রাবণ দেয় অথৈ দুঃখ । ওরা মনে করে এরোপ্লেন আছে, মোটর গাড়ি আছে, বড় বড় বাড়ি আছে, ব্যস, এটাই হলো স্বর্গে । এ তো বুঝতেই পারে না যে, এই দুনিয়াই শেষ হয়ে যাবে । মানুষ লাখ - লাখ, কোটি কোটি টাকা খরচ করে, বাঁধ তৈরী করে, লড়াইয়ের জিনিসও কতো তৈরী করে রেখেছে । এ সবই একে অপরকে শেষ করার জন্য, সকলেই তো নির্ধন, তাই না । ওরা কতো লড়াই - ঝগড়া করে, সে কথা আর বোলো না । কতো আবর্জনা রয়ে গিয়েছে । একে বলা হয় নরক । স্বর্গের তো অনেক মহিমা । বরোদার মহারাণীকে জিজ্ঞেস করো, মহারাজা কোথায় গেলো ? তখন বলবে স্বর্গবাসী হয়েছে । স্বর্গ কাকে বলা হয় - এ কথা কেউই জানে না, কতো ঘোর অন্ধকারে আছে । তোমরাও ঘোর অন্ধকারে ছিলে । বাবা এখন বলছেন, তোমাদের আমি ঈশ্বরীয় বুদ্ধি প্রদান করি । তোমরা নিজেদের ঈশ্বরীয় সন্তান, সাহেবজাদা মনে করো । তোমাদের সাহেব পড়ান সাহেবজাদা হওয়ার জন্য । বাবা বলেন, কথিত আছে -- স্বর্গের স্বর্গীয় সুন্দর শব্দ ভেড়া কি করে জানবে ? এখন তোমরা বুঝতে পারো - মানুষও সব ভেড়া, ছাগলের মতো, তারা কিছুই জানে না, কি কি বসে উপমা দিতে থাকে । তোমাদের বুদ্ধিতে আদি - মধ্য এবং অন্তের রহস্য রয়েছে । তোমরা খুব ভালোভাবে স্মরণ করো যে, তোমরা এই বিশ্বে সুখ - শান্তি স্থাপন করছ । যারা সাহায্যকারী হবে তারাই উঁচু পদ পাবে । এও তোমরা দেখো যে, কারা সাহায্যকারী হয় । প্রত্যেকেই তাদের মনকে জিজ্ঞেস করো যে, আমরা কি করছি ? আমরা ভেড়া - ছাগল নই তো ? মানুষের মধ্যে অহংকার দেখো কতো, গুড় - গুড় করতে থাকে । তোমাদের তো বাবার স্মরণ থাকা উচিত । এই সেবাতে অস্থি উৎসর্গ করতে, কাউকেই অখুশি করো না, না নিজে অখুশি হয়ো । অহংকারও আসা উচিত নয় তোমাদের । আমরা এই করি, আমরা এতটা হুঁশিয়ার, এই খেয়াল আসাও দেহ -অভিমান । তার চলনই এমন হয়ে যাবে যে লজ্জা লাগবে । না হলে তোমাদের মতো সুখী আর কেউই হতে পারে না । এ কথা বুদ্ধিতে স্মরণে থাকলে তোমরা ঝলমল করবে । সেন্টারে কেউ তো মহারথী আছে, কেউ আবার ঘোরসওয়ার, আবার পেয়াদাও আছে । এতে বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন । কতো ধরনের ব্রহ্মাণী আছে, কেউ তো খুবই সাহায্যকারী, এই সেবাতে কতো খুশী থাকে । তোমাদের তো নেশা থাকা উচিত । সেবা ছাড়া তোমরা কি পদ পাবে । মা - বাবার তো বাচ্চাদের জন্য সম্মান থাকে কিন্তু তারা নিজের সম্মান না রাখলে বাবা কি করবেন ?



বাচ্চারা, তোমাদের সংক্ষেপে সবাইকে বাবার সংবাদ দিতে হবে । তোমরা বলো - বাবা বলেন, "মনমনাভব" ॥ গীতাতে অল্পকিছু যা শব্দ আছে, তা আটায় যতটুকু নুন । এই মনুষ্য দুনিয়া অনেক বড়, এ কথা বুদ্ধিতে আসা চাই । কতো বড় দুনিয়া, কতো মানুষ, এ সব কিছুই আর থাকবে না । কোনো খন্ডের নাম - নিশানা থাকবে না । আমরা স্বর্গের মালিক হচ্ছি, এই খুশী দিনরাত থাকা চাই । জ্ঞান তো খুবই সহজ, কিন্তু বোঝানোর জন্য মজাদার কাউকে চাই । যুক্তি অনেক প্রকারের আছে । বাবা বলেন যে, আমি তোমাদের কূটনীতিক তৈরী করি । ওরা তো রাষ্ট্রদূতকে কূটনীতিক বলে । তাই বাচ্চাদের বুদ্ধিতে স্মরণ রাখা দরকার । আহা ! বেহদের বাবা আমাদের নির্দেশ দেন, তোমরা তা ধারণ করে অন্যদেরও বাবার পরিচয় দাও । তোমরা ছাড়া বাকি সম্পূর্ণ দুনিয়াই নাস্তিক । তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে । কেউ কেউ তো নাস্তিকও, তাই না । তারা বাবাকে স্মরণই করে না । নিজেরাই বলে, আমরা স্মরণ করতে ভুলে যাই, তাহলে তো নাস্তিকই হলো তাই না । এমন বাবা, যিনি সাহেবজাদা বানান, তাঁকেই স্মরণে আসে না । এ কথা বুঝতেও বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন । বাবা বলেন, আমি প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর আসি । তোমাদের দিয়েই আমি কাজ করাই । তোমরা যোদ্ধারা কতো সুন্দর । 'বন্দে মাতরম্' গাওয়া হয় । তোমরাই পূজ্য ছিলে আবার পূজারী হয়েছো । এখন আবার শ্রীমতে চলে পূজ্য হচ্ছো । তাই বাচ্চারা, তোমাদের খুব শান্তির সঙ্গে এই সেবা করতে হবে । তোমাদের অশান্ত হওয়া উচিত নয় । যার শিরা - উপশিরাতে বিকারের ভূত ভর্তি হয়ে আছে, সে কি পদ পাবে ? লোভও অনেক বড় ভূত । বাবা সব দেখেন, প্রত্যেকের চলন কেমন । বাবা কতো নেশা উৎপন্ন করান, কেউ যদি সার্ভিস না করে, কেবল খেয়েদেয়ে ঘুরে বেড়ায়, তাহলে তাকে ২১ জন্ম সার্ভিস করতে হবে । দাস - দাসীও তো তৈরী হবে, তাই না । পরের দিকে সকলেরই সাক্ষাৎকার হবে । যারা সেবা করবে, তারাই তো হৃদয়ে স্থান পাবে । তোমাদের সেবাই হলো এই যে - কাউকে অমরলোকের বাসী বানানো । বাবা সাহস তো অনেকই দেন, তোমরা ধারণ করো, কিন্তু যারা দেহ - অভিমানী তারা ধারণ করতেই পারে না । তোমরা জানো যে, বাবাকে স্মরণ করে আমরা বেশ্যালয় থেকে শিবালয়ে যাচ্ছি, তো এমন হয়েই দেখাতে হবে ।



বাবা তো চিঠিতে লেখেন - প্রিয় রুহানী সাহেবজাদারা, এখন তোমরা শ্রীমতে চলো, মহারথী হলে শাহাজাদা অবশ্যই হতে পারবে । তোমাদের এইম অবজেক্ট হলো এটাই । একই সত্য বাবা তোমাদের সমস্ত কথা ভালোভাবে বোঝাচ্ছেন । তোমরা সেবা করে অন্যের কল্যাণও করতে থাকো । যোগবল না থাকলে ইচ্ছা উৎপন্ন হয় -- এটা চাই - ওটা চাই । সেই খুশীই থাকে না -- বলা হয়, খুশীর মতো পুষ্টিকর খাবার নেই । সাহেবজাদাদের তো অনেক খুশীতে থাকা চাই । এমন না হওয়ার অর্থ অনেক প্রকারের কথাই আসে মনে । আরে, বাবা তো বিশ্বের বাদশাহী দিচ্ছেন, বাকি আর কি চাই ? প্রত্যেকেই তাদের মনকে জিজ্ঞেস করো, আমরা আমাদের মিষ্টি বাবার কি সেবা করি ? বাবা বলেন, তোমরা সবাইকে খবর দিতে থাকো যে - সাহেব এসেছেন । বাস্তবে তোমরা তো সব ভাই - ভাই । যদিও বলে আমরা সব ভাই - ভাইদের সাহায্য করা উচিত । এই খেযালেই ভাই বলে দেয় । এখানে তো বাবা বলেন - তোমরা এক বাবার বাচ্চারা সকলেই ভাই - ভাই । বাবা হলেন স্বর্গের স্থাপনাকারী । তিনি বাচ্চাদের দ্বারা স্বর্গের স্থাপনা করেন । তিনি তো সেবার অনেক যুক্তি বুঝিয়ে বলেন । সেসব মিত্র - সম্বন্ধীদেরও বোঝাতে হবে । দেখো, বাচ্চারা যে বিলেতে থাকে, তারাও সেবা করছে । দিন - প্রতিদিন মানুষ নানা বিপর্যয় দেখে বুঝতে পারবে - মৃত্যুর পূর্বে অবিনাশী উত্তরাধিকার তো নিয়ে নিই । বাচ্চারা তাদের মিত্র - সম্বন্ধীদেরও উপরে তুলছে । তারা পবিত্রও থাকে । বাকি নিরন্তর ভাই ভাইয়ের অবস্থা থাকে - এ মুশকিল । বাবা তো বাচ্চাদের কতো সুন্দর সাহেবজাদার টাইটেল দিয়েছেন । নিজেকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত । সার্ভিস না করলে আমরা কি হবো ? যদি কেউ জমাও করে, তা আবার ভোগ করে শোধ হয়ে যায়, তার খাতায় তখন অনেক বাড়তে থাকে । যারা সেবা করছে তাদের এই খেয়ালও যেন না আসে যে আমরা এতো দিয়েছি, এর দ্বারা সবার পালন হয়, তাই সেবা যারা করে তাদের খাতিরও করা হয়, বোঝানো উচিত যে, তারাও খাওয়ায় । ঈশ্বরীয় (রুহানী) বাচ্চারা, তোমাদের খাওয়ায় । তোমরা তাদের সেবা করো, এ হলো অনেক বড় হিসাব । মন, বচন এবং কর্মে তাঁর সেবা যদিও না করো তাহলে সেই খুশী কি করে আসবে । শিববাবাকে স্মরণ করে ভোজন প্রস্তুত করলে তা গ্রহণে তাঁর শক্তি পাওয়া যায় । মন থেকে জিজ্ঞেস করো তোমরা, আমরা সবাইকে খুশী করেছি কি ? মহারথী বাচ্চারা কতো সেবা করে । বাবা অয়েল ক্লথের উপর চিত্র বানান, এই চিত্র কখনোই নষ্ট হয় না । বাবার যে বাচ্চারা আছে তারা নিজেরাই টাকা পাঠিয়ে দেবে । বাবা অর্থ কোথা থেকে আনবে ? এইসব সেন্টার কিভাবে চলে ? বাচ্চারাই তো চালায় তাই না ? শিববাবা বলেন, আমার কাছে তো একটা টাকাও নেই । পরের দিকে তোমাদের তারা নিজেরাই এসে বলবে, আমাদের বাড়ি তোমরা কাজে লাগাও । তোমরা বলবে, এখন অনেক দেরী হয়ে গেছে । বাবা হলেনই গরীবের ভগবান । তিনি গরীবদের কাছে কোথা থেকে এসেছেন । কেউ কেউ তো কোটিপতি, পদ্মপতিও আছে । তাদের জন্য এই সময়ই স্বর্গ । এ হলো মায়ার জৌলুস যার আবেশে এসে মানুষ নামতেই থাকছে । বাবাও বলেন যে, তোমরা প্রথমে সাহেবজাদা হয়েছো, এরপর তোমরা শাহাজাদা হচ্ছো । তোমরা তখনই শাহাজাদা হতে পারবে যখন যখন অনেকের সেবা করবে । তোমাদের খুশীর পারদ কতটা উর্ধ্বগামী হওয়া উচিত ।



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্নেহ স্মরণ এবং সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের নমস্কার জানাচ্ছেন ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. কাউকে কখনোই অখুশি কোরো না আর নিজেরাও অখুশি হয়ো । নিজেদের বুদ্ধিমত্তা অথবা সেবার অহংকার দেখাবে না । বাবা যেমন বাচ্চাদের সম্মান দেন, তেমনই নিজের সম্মান নিজেকেই রাখতে হবে ।

২. যোগবলের দ্বারা নিজের সব ইচ্ছাকে সমাপ্ত করতে হবে । সদা এই খুশী বা নেশাতে থাকতে হবে যে, আমরা সাহেবজাদা থেকে শাহাজাদা তৈরী হচ্ছি । সদা শান্তিতে থেকে সেবা করতে হবে । শিরা - উপশিরাতে যে বিকারের ভূত জমা হয়ে আছে, তাকে বের করতে হবে ।

বরদান:-

সীমিত রয়্যাল (রাজকীয়) ইচ্ছা থেকে মুক্ত থেকে সেবা দান দিয়ে নিঃস্বার্থ সেবাধারী ভব

ব্রহ্মা বাবা যেমন কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত, পৃথক থাকার প্রমাণ দিয়েছিলেন, কেবল সেবা আর স্নেহ ছাড়া আর কোনো বন্ধন ছিলো না । সেবাতেও সীমিত যে রয়্যাল ইচ্ছা হয় তাও হিসেব - নিকেশের বন্ধনে আবদ্ধ করে, প্রকৃত সেবাধারী এই হিসেব - নিকেশের বন্ধন থেকে মুক্ত থাকে । যেমন দেহের বন্ধন, দেহের সম্বন্ধের বন্ধন, তেমন সেবাতে স্বার্থ - এও বন্ধনের কারণ । এই বন্ধন থেকে বা রয়্যাল হিসেব - নিকেশ থেকে মুক্ত নিঃস্বার্থ সেবাধারী হও ।

স্লোগান:-

প্রতিজ্ঞাকে ফাইলে রেখো না, ফাইনাল করে দেখাও ।