২৬-০২-১৯ প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই শরীরে জীবন্মৃত হওয়ার অভ্যাস করো - 'আমিও আত্মা, তুমিও আত্মা' -- এই অভ্যাসেই মমতা দূর হয়ে যাবে"

প্রশ্ন:-

সবথেকে উঁচু লক্ষ্য কি ? সেই লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করার নিদর্শন কি হবে ?

উত্তর:-

সমস্ত দেহধারীদের প্রতি মমতা দূর হয়ে যাবে, সদা ভাই - ভাইয়ের স্মৃতি থাকবে - এটাই হল উচ্চ লক্ষ্য l এই লক্ষ্যে তারাই পৌঁছাতে পারবে, যারা নিরন্তর দেহী - অভিমানী হওয়ার অভ্যাস করে l দেহী - অভিমানী না হলে কোথাও না কোথাও আটকে যাবে, নয় নিজের শরীরে না হলে কোনো না কোনো মিত্র - সম্বন্ধীর শরীরে l তাদের কারোর কথা ভালো লাগবে বা কারোর শরীর সুন্দর মনে হবে l উচ্চ লক্ষ্যে যারা পৌঁছাবে, তারা দেহের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে না l তাদের দেহ - ভাবের বোধ ভঙ্গ হবে* l

ওম্ শান্তি l

আত্মাদের (রুহানী) বাবা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের বলছেন - দেখো বাচ্চারা, আমি তোমাদের আমার তুল্য বানাতে এসেছি l এখন বাবা তাঁর নিজের তুল্য বানাতে কিভাবে আসবেন ? তিনি হলেন নিরাকার, তিনি বলেন, আমি নিরাকার। বাচ্চারা, আমি তোমাদের নিজের সমান অর্থাৎ নিরাকারী বানাতে, কিভাবে জীবন্মৃত হতে হয় তা শেখাতে এসেছি l বাবা তো নিজেকেও আত্মা মনে করেন, তাই না l তাঁর এই দেহ - ভাব নেই l শরীরে থেকেও তাঁর শরীরের বোধ নেই l এই শরীর তো তাঁর নয়, তাই না l বাচ্চারা তোমরাও এই দেহ - ভাব দূর করো l তোমাদের, অর্থাৎ আত্মাদের আমার সাথেই যেতে হবে l এই শরীর আমি যেমন লোন নিয়েছি, তেমনি আত্মারাও লোন নেয় অভিনয় করার জন্য l তোমরা জন্ম - জন্মান্তর ধরে শরীর ধারণ করে এসেছ l এখন আমি যেমন বেঁচে থেকেও এই শরীরে আছি কিন্তু পৃথক অর্থাৎ মৃত্যু তুল্য l দেহ ত্যাগ করাকে মৃত্যু বলা হয় l তোমাদেরও এমনই জীবন্মৃত হতে হবে l আমিও আত্মা, তোমরাও আত্মা l তোমাদেরও আমার সঙ্গে যেতে হবে, নাকি এখানে বসে থাকবে ? এই শরীরে তোমাদের জন্ম - জন্মান্তরের মোহ আছে l আমি যেমন অশরীরী, তোমরাও তেমনি বেঁচে থেকেও নিজেদের অশরীরী মনে করো l আমাদের এখন বাবার সাথে চলে যেতে হবে l বাবার যেমন এই শরীর পুরানো, তোমাদের আত্মাদেরও এই শরীর পুরানো l এই পুরানো জুতো রূপী শরীরকে ত্যাগ করতে হবে l আমার যেমন এই শরীরের প্রতি কোনো মমত্ব নেই, তোমরাও এই পুরানো দেহ রূপী জুতো থেকে মমতা দূর কর l তোমাদের এই মমতা রাখার অভ্যাস হয়ে গেছে l আমার এই অভ্যাস নেই l আমি জীবন্মৃত অবস্থায় আছি l তোমাদেরও এমন জীবন্মৃত হতে হবে l আমার সঙ্গে যেতে হলে এখন এই অভ্যাস করো l কত পরিমাণে দেহ - ভাব থাকে, তা আর বোলো না l শরীর রোগী হওয়া সত্ত্বেও আত্মা তাকে ছাড়তে চায় না, তোমাদের এর থেকে মমতা দূর করতে হবে l আমাদের তো অবশ্যই বাবার সঙ্গে চলে যেতে হবে l নিজেকে শরীর থেকে পৃথক মনে করতে হবে l একেই জীবন্মৃত বলা হয় l নিজের ঘরের কথাই মনে থাকবে l তোমরা জন্ম - জন্মান্তর ধরে এই শরীরে থেকে এসেছ, তাই তোমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয় l বেঁচে থেকেও মরে যেতে হয় l আমি তো সাময়িক ভাবে এনার মধ্যে আসি l তাই নিজেকে মৃত মনে করলে অর্থাৎ নিজেকে আত্মা মনে করে চললে কোনো দেহধারীর প্রতিই আর মমতা থাকবে না l বেশীরভাগ সময় কারোর না কারোর প্রতি মোহ হয়ে যায় l ব্যাস্, তাকে না দেখে থাকতে পারে না l এই দেহধারীর স্মরণ একদম উড়িয়ে দেওয়া উচিত, কেননা লক্ষ্য খুবই বড় l খেয়েদেয়েও যেন এই শরীরে নেই l তোমাদের এমন অবস্থাই পাকা করতে হবে, তাহলেই আট রত্নের মালায় আসতে পারবে l পরিশ্রম ছাড়া উঁচু পদ পাওয়া সম্ভবই নয় l জীবন্মৃত হয়েই তোমরা বুঝতে পারবে যে, আমি তো ওখানেরই অধিবাসী l বাবা যেমন এনার মধ্যে সাময়িক বসে আছে, তেমনই এখন আমাদেরও ঘরে ফিরে যেতে হবে l বাবার যেমন মমতা নেই, তেমনই আমাদেরও এতে কোনো মমতা রাখা চলবে না l বাচ্চারা, তোমাদের বোঝানোর জন্য বাবাকে তো এই শরীরে এসে বসতে হয় l



তোমাদের এখন ফিরে যেতে হবে তাই কোনো দেহধারীর প্রতি যেন মমত্ব না থাকে l অমুকে খুব ভালো, খুবই মিষ্টি -- আত্মার বুদ্ধি তো এইভাবেই চলে যায়, তাই না l বাবা বলেন যে, শরীরকে নয়, আত্মাকে দেখতে হবে l শরীরকে দেখলে তোমরা আটকে যাবে l এই লক্ষ্য হলো খুবই বড় l তোমাদেরও জন্ম - জন্মান্তরের পুরানো মমত্ব আছে l বাবার কোনো মমত্ব নেই, তাই তো তিনি তোমাদের শেখাতে এসেছেন l বাবা নিজেই বলেন, আমি তো এই শরীরে আটকে নেই, তোমরা আটকে রয়েছো l আমি তোমাদের মুক্ত করতে এসেছি l তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন তোমরা শরীরের ভাব ত্যাগ করো l দেহী - অভিমানী হয়ে না থাকার কারণে তোমরা কোথাও না কোথাও আটকে যেতে থাকবে l কারোর কথা ভালো লাগবে, কারোর আবার শরীরকে ভালো লাগবে, তাই ঘরেও তাদের কথাই মনে আসবে l শরীরের প্রতি প্রেম থাকলে তোমরা হেরে যাবে l এমনভাবে অনেকেই খুব খারাপ হয়ে যায় l বাবা বলেন যে,স্ত্রী - পুরুষের সম্বন্ধ ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করো l এও আত্মা আর আমিও l আত্মা মনে করতে করতে দেহ - ভাব অবলুপ্ত হবে l বাবার স্মরণেই বিকর্মের বিনাশ হবে l এই বিষয়ে তোমরা খুব ভালোভাবে বিচার সাগর মন্থন করতে পারো l বিচার সাগর মন্থন না করলে তোমরা উচ্ছসিত হতে পারবে না l এ কথা পাকা হওয়া উচিত যে, আমাদের বাবার কাছে অবশ্যই যেতে হবে l মূল বিষয় হলো স্মরণের ৮৪ এর চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে, আবার শুরু হতে হবে l এই শরীর থেকে মমত্ব দূর না করলে তোমরা আটকে পড়বে, হয় নিজের শরীরে, আর নয় কোনো মিত্র - সম্বন্ধীর শরীরে l তোমরা অন্য কারোর সঙ্গে মনকে যুক্ত করবে না l নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে l আমি আত্মাও নিরাকার, বাবাও নিরাকার, ভক্তিমার্গে অর্ধেক কল্প তোমরা বাবাকে স্মরণ করে এসেছ l "হে প্রভু" বললে শিবলিঙ্গের স্মৃতিই সামনে আসে l কোনো দেহধারীকে "হে প্রভু" বলা যাবে না l সকলেই শিব মন্দিরে যায়, তাঁকেই পরমাত্মা মনে করে পুজো করে l উঁচুর থেকে উঁচু ভগবান একজনই l উঁচুর থেকে উঁচু অর্থাত্ পরমধাম নিবাসী l ভক্তিতেও প্রথমে একজনেরই অব্যাভিচারী ভক্তি ছিলো l তারপর ব্যাভিচারী হয়ে যায় l তাই বাবা বারবার বাচ্চাদের বোঝান যে, উঁচু পদ পেতে হলে তোমরা এই অভ্যাস করো l দেহ বোধ ত্যাগ করো l সন্ন্যাসীরাও বিকার ত্যাগ করে, তাই না l আগে তো তাঁরা সতোপ্রধান ছিলো, এখন ওরাও তমোপ্রধান হয়ে গেছে l সতোপ্রধান আত্মারা অপবিত্র আত্মাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে কারণ আত্মা পবিত্র l যদিও তারা পুনর্জন্ম নেয় তবুও পবিত্র হওয়ার কারণে আকর্ষণ করে l তাদের কতো অনুসরণকারী তৈরী হয় l পবিত্রতার যতো শক্তি থাকে, ততোই অনুসরণকারী তৈরী হয় l এই বাবা হলেন চির পবিত্র এবং গুপ্ত l ইনি তো ডবল, সম্পূর্ণ শক্তি তাঁর l ব্রহ্মার নয় l শুরুতেও তিনিই তোমাদের জন্য চেষ্টা করেছেন,এই ব্রহ্মা নন কারণ তিনি তো চির পবিত্র l তোমরা কেউই এনার (ব্রহ্মার ) পিছনে দৌড়াবে না l ইনি বলেন, আমি তো সবথেকে বেশী, সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম প্রবৃত্তি মার্গে ছিলাম l ইনি তো তোমাদের আকর্ষণ করতে পারবেন না l বাবা বলেন, আমি তোমাদের আকর্ষণ করেছি l যদিও সন্ন্যাসীরা পবিত্র থাকে তবুও আমার মতো পবিত্র তো কেউই হবে না l তাঁরা তো সব ভক্তিমার্গের শাস্ত্র ইত্যাদি শোনান l আমি এসে তোমাদের সমস্ত বেদ শাস্ত্রের সার শোনাই l চিত্রতেও দেখানো হয়েছে, বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মা বের হয়েছেন, আর ব্রহ্মার হাতে শাস্ত্র দেখানো হয় l এখন বিষ্ণু তো ব্রহ্মার দ্বারা শাস্ত্রের সার শোনান না l ওরা তো বিষ্ণুকেও ভগবান মনে করে নেয় l বাবা বোঝান, আমি এই ব্রহ্মার দ্বারা শোনাই l আমি কখনোই বিষ্ণুর দ্বারা শাস্ত্রের সার শোনাই না l কোথায় ব্রহ্মা আর কোথায় বিষ্ণু l ব্রহ্মাই বিষ্ণু হন এরপর ৮৪ জন্মের পরে আবার সঙ্গম হবে l এ তো নতুন কথা, তাই না l বোঝানোর জন্য এ কতো আশ্চর্যের কথা l



বাবা বলেন যে -- বাচ্চারা, তোমাদের জীবন্মৃত হতে হবে l তোমরা তো শরীরে বেঁচে থাকো l তোমরা মনে করো, আমরা তো আত্মা, আমরা বাবার সাথে চলে যাবো l এই শরীর ইত্যাদি কিছুই নিয়ে যেতে পারবো না l বাবা এখন এসেছেন, কিছু তো নতুন দুনিয়ায় ট্রান্সফার করে দেবেন l মানুষ দান - পুণ্য ইত্যাদি করে অন্য জন্মে কিছু পাবার জন্য l তোমরাও নতুন দুনিয়ায় পাবে l তারাই করবে যারা আগের কল্পে করেছিলো l কম চেষ্টায় কিছুই হবে না l তোমরা সাক্ষী হয়ে দেখতে থাকবে l কিছু বলারও দরকার নেই তাও বাবা বুঝিয়ে বলেন তোমরা যা কিছুই করবে তারও অহংকার আসা উচিত নয় l আমরা আত্মারা এই শরীর ত্যাগ করে যাবো l সেখানে নতুন দুনিয়াতে গিয়ে নতুন শরীর ধারণ করবো l এমন বলা হয় যে ----রাম গেলো, রাবণ গেলো ----রাবণের পরিবার কতো বড় l তোমরা তো অল্প কয়েক মুষ্ঠি l এ সমস্তই রাবণের সম্প্রদায় l তোমাদের রাম সম্প্রদায় কতো অল্প - মাত্র নয় লাখ l তোমরা তো ধরিত্রীর নক্ষত্র l মা - বাবা আর তোমরা বাচ্চারা l বাবা তাই বারবার বাচ্চাদের বোঝান যে, জীবন্মৃত হওয়ার প্রচেষ্টা করো l যদি কাউকে দেখে বুদ্ধিতে মনে হয় যে - এ তো খুবই ভালো, খুবই মিষ্টি করে বোঝায়, এও মায়ারই আঘাত, মায়া লোভ দেখায় l তাদের ভাগ্যে নেই তাই মায়া সামনে এসে দাঁড়ায় l যতোই বোঝাও রাগ হয়ে যায় l এও বোঝে না যে, এই দেহ অভিমানই এই কাজ করাচ্ছে l আবার বেশী বোঝালে ভেঙ্গে পড়বে তাই ভালোবেসে বোঝাতে হয় l কারোর প্রতি মন লেগে গেলে, পাগল হয়ে যায় l মায়া একদম অবুঝ করে দেয় তাই বাবা বলেন, কখনোই কারোর নাম রূপে আটকে যেও না l আমি আত্মা, আর এক বাবা যিনি বিদেহী, তাঁর প্রতিই প্রেম রাখতে হবে l এই হলো পরিশ্রম l কোনো দেহের প্রতিই যেন মমতা না থাকে l এমন নয় যে ঘরে বসেও এমন কথা স্মরণে আসবে - খুব মিষ্টি, খুব ভালো বোঝায় l আরে, মিষ্টি তো জ্ঞান l আত্মা হলো মিষ্টি l আত্মাই কথা বলে l কখনোই কোনো শরীরের প্রতি প্রেমিক হবে না l



আজকাল তো ভক্তিমার্গ অনেক l আনন্দময়ী মাকেও মা - মা বলে স্মরণ করতে থাকে l আচ্ছা, বাবা কোথায় ? অবিনাশী উত্তরাধিকার বাবার থেকে পাবে না মায়ের থেকে ? কেবল মা - মা বললেই সামান্যতম পাপও কাটবে না l বাবা বলেন, মামেকম্ (আমাকে ) স্মরণ করো l নাম - রূপে আটকে যেও না, তাহলে আরো পাপ হয়ে যাবে, কেননা তোমরা তখন বাবার অবাধ্য সন্তান হয়ে যাও । অনেক বাচ্চারাই ভুলে গেছে l বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা, আমি তোমাদের নিতে এসেছি , তাই অবশ্যই তোমাদের নিয়ে যাবো, তাই তোমরা আমাকে স্মরণ করো l এক আমাকে স্মরণ করলেই তোমাদের পাপ কাটবে l ভক্তিমার্গে তোমরা অনেককে স্মরণ করে এসেছো কিন্তু বাবা ছাড়া কিভাবে কাজ হবে l বাবা কখনোই বলেন না যে, মাকে স্মরণ করো l বাবা তো বলেন, আমাকে স্মরণ করো l আমিই হলাম পতিত - পাবন l তোমরা বাবার নির্দেশে চলো l তোমরাও বাবার নির্দেশে অন্যদের বোঝাতে থাকো l তোমরা কখনোই পতিত - পাবন নয় l স্মরণ তোমাদের একজনকেই করতে হবে l আমাদের তো এক বাবা, দ্বিতীয় আর কেউ নেই l বাবা, আমরা তোমার কাছেই বলিহারি যাবো l বলিহারি তো শিববাবার কাছেই যেতে হবে, আর সকলকেই ভুলে যেতে হবে l ভক্তিমার্গে তো অনেককেই স্মরণ করে l এখানে তো এক শিববাবা, দ্বিতীয় আর কেউই নয় l তবুও যদি কেউ নিজের মত চালাতে থাকে, তাহলে কি গতি - সদ্গতি হবে ! মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত হয় -- বিন্দুকে কিভাবে স্মরণ করবো ? আরে, তোমাদের নিজের আত্মার কথা স্মরণে নেই কি, যে আমি হলাম আত্মা l সেও তো বিন্দু রূপ l তাই তোমাদের বাবাও বিন্দু l বাবার থেকে আশীর্বাদী বর্সা পাওয়া যায় l মা তো দেহধারী হয়ে যায় l তোমরা বিদেহীর থেকেই আশীর্বাদী বর্সা পাও তাই আর সব বিষয় ছেড়ে একের সঙ্গে বুদ্ধিযোগ লাগাতে হবে l আচ্ছা !



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. দেহ ভাবকে সমাপ্ত করার জন্য চলতে - ফিরতে অভ্যাস করতে হবে -- যেন এই শরীর থেকে আমি মৃত, পৃথক l আমি যেন এই শরীরে নেই l শরীর ছাড়া আত্মাকে দেখো l

২. কখনোই কোনো শরীরের প্রেমিক হবে না l এক বিদেহী বাবার প্রতিই ভালোবাসা রাখতে হবে l একের সঙ্গেই বুদ্ধিযোগ রাখতে হবে l

বরদান:-

ব্রাহ্মণ জীবনের সর্ব সম্পদকে সফল করে সদা প্রাপ্তি সম্পন্ন হয়ে সন্তুষ্টমণি ভব |

ব্রাহ্মণ জীবনের সবথেকে বড় সম্পদ হল সন্তুষ্ট থাকা l যেখানে সর্ব প্রাপ্তি, সেখানেই সন্তুষ্টতা, আর যেখানে সন্তুষ্টতা, সেখানেই সবকিছু l যে সন্তুষ্টতার রত্ন, সে সবকিছুরই প্রাপ্তি স্বরূপ, তাদের গীত হল -- যা পাওয়ার ছিল তা পেয়ে গেছি --- এমন সবকিছুর প্রাপ্তি সম্পন্ন হওয়ার বিধি - প্রাপ্ত সমস্ত সম্পদকে ব্যবহার করা, কেননা যত সফল করবে, ততোই এই সম্পদের বৃদ্ধি হবে l

স্লোগান:-

হোলিহংস তাকেই বলা হয় যে অপগুণ রূপী কাঁকড় নয়, সর্বদা গুণ রূপী মুক্তো চয়ন করে* l