১৬-০৩-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে, অপরকেও আত্মা ভাই মনে করে একে অপরের প্রতি আত্মিক (রূহানী) প্রেম রাখো, সতোপ্রধান হতে হলে কারো ভুল ধরবে না"

প্রশ্ন:-

কিসের আধারে বাবার কাছে লক্ষ কোটি গুণের (পদ্ম গুণ) অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পার ?

উত্তর:-

বাবার কাছে লক্ষ কোটি গুণের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্যে স্মরণের যাত্রায় থাকো। একমাত্র বাবা ব্যতীত অন্য সব কথা ভুলে যাও। অমুক এমন করে .... ইত্যাদি ইত্যাদি কথায় সময় নষ্ট করবে না। লক্ষ্য খুবই উচ্চ, তাই সদা সতোপ্রধান হওয়ার লক্ষ্য রাখবে। বাবার ভালোবাসায় মগ্ন থাকো, নিজের সূক্ষ্ম চেকিং করতে থাকো, তবেই সম্পূর্ণ অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারবে ।*

ওম্ শান্তি ।

এখন তোমরা বাচ্চারা যারা বসে আছো তারা এই কথাটি জানো যে অসীম জগতের পিতা পুনরায় সতোপ্রধান বানাচ্ছেন, মূল যুক্তিটি বলে দিচ্ছেন যে নিজেকে আত্মা ভাই-ভাই নিশ্চয় করো। এই মুখ্য শিক্ষা প্রদান করছেন যে তোমাদের নিজেদের মধ্যে গভীর আত্মিক (রূহানী) প্রেম থাকা উচিত। প্ৰথমে তোমাদের ছিল, এখন নেই। মূলবতনে অর্থাৎ পরমধামে প্রেমের কোনও ব্যাপার নেই। তাই অসীম জগতের পিতা (বেহদের বাবা) এসে শিক্ষা দিচ্ছেন বাচ্চারা, আজকাল করতে করতে সময় তো পেরিয়ে যাচ্ছে। দিন, মাস, বছর পার হয়ে যাচ্ছে। বাবা বলছেন তোমরা এইরূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলে, কে তোমাদের এমন স্বরূপ প্রদান করেছেন ? বাবা করেছেন। এই কথাও বাবা-ই বলে দেন যে তোমরা কিভাবে নীচে নেমেছ ? উপর থেকে নীচে নামতে-নামতে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। ঐ দিন গেল, মাস গেল, বছর গেল, সময় গেল। তোমরা জানো যে প্রথম প্রথম আমরা সতোপ্রধান ছিলাম। আমাদের পরস্পরের সঙ্গে অনেক ভালোবাসা ছিল। বাবা তোমাদের অর্থাৎ সব ভাইদের শিক্ষা দিয়েছেন, তোমরা ভাই-ভাই , তোমাদের পরস্পরের সঙ্গে গভীর ভালোবাসা থাকা উচিত। আমি তোমাদের পিতা। আমি কতখানি ভালোবেসে তোমাদের প্রতিপালন করি। তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান করি। তোমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হল-ই সতোপ্রধান হওয়া। তোমরা বুঝতে পেরেছ যতখানি সতোপ্রধান অবস্থা হবে, ততই খুশীর অনুভূতি হবে। আমরা সতোপ্রধান ছিলাম। আমরা ভাই-ভাই পরস্পরের সঙ্গে খুব স্নেহ ভালোবাসা সহকারে বাস করতাম। এখন বাবার দ্বারা আমরা জেনেছি, আমরা দেবতারা নিজেদের মধ্যে খুব প্রেমপূর্ণ ব্যবহার করতাম। এই দেবতাদের এবং স্বর্গের মহিমা অনেক। তোমরাও স্বর্গের নিবাসী ছিলে। তারপর আজ কাল করতে করতে নীচে নেমে এসেছ। এক তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত ৫ হাজার বছর থেকে আর কিছু বছর বাকি আছে। শুরু থেকে তোমরা কিভাবে পার্ট প্লে করেছ, সেসব বুদ্ধিতে আছে। এখন দেহ-অভিমান হওয়ার দরুন একে অপরের প্রতি সেই ভালোবাসা নেই। একে অপরের খামতি দেখতে থাকো। অমুক এমন .... যখন দেহী-অভিমানী ছিলে তখন এমন করে কারো ভুল-ভ্রান্তি দেখতে না। পরস্পরের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ধারণ করতে হবে। এখানে তো একে অপরকে সেই দৃষ্টি দিয়ে দেখে বলেই ঝগড়া ঝাঁটি হয়। তাহলে এইসব বন্ধ হবে কিভাবে ? এই কথাও বাবা বোঝান যে বাচ্চারা, তোমরাই সতোপ্রধান পূজনীয় দেবী-দেবতা ছিলে। পরে ধীরে ধীরে নীচে নেমে তোমরা তমোপ্রধান হয়েছ। তোমরা খুব মিষ্টি ছিলে। এখন আবার সেইরূপ মিষ্টি হও। তোমরা সুখদায়ী ছিলে, এখন দুঃখদায়ী হয়েছ। রাবণের রাজ্যে একে অপরকে দুঃখ দিতে কাম কাটারী চালাও। যখন সতোপ্রধান ছিলে তখন কাম কাটারী চালাতে না। এই ৫ বিকার হল তোমাদের বড় শত্রু। এটা হলই বিকারী দুনিয়া। এই কথাও তোমরা জানো - রাম রাজ্য কাকে বলা হয় এবং রাবণ রাজ্য কাকে বলা হয়। আজ কাল করতে করতে সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর পূর্ণ হল। এখন কলিযুগও সমাপ্ত হবে। তোমরাই সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়েছ। তোমাদের আত্মিক (রূহানী) খুশীর অনুভূতি নেই। তোমাদের আয়ুও ছোট হয়ে গেছে। এখন আমি এসেছি, নিশ্চয়ই তোমাদের সতোপ্রধান করব। তোমরাই আহ্বান করেছ পতিত পাবন এসো । বাবা বোঝাচ্ছেন, ৫ হাজার বছর পরে যখন সঙ্গমযুগ আসে তখন আমি আসি। এখন তোমরা নিজেদের আত্মা ভেবে বাবাকে স্মরণ করো। যত স্মরণ করবে ততই ভুল-ভ্রান্তি দূর হবে। তোমরা যখন সতোপ্রধান ছিলে তো তোমাদের কোনও ভুল ছিল না। তোমরা নিজেদের দেবী দেবতা বলে সম্বোধন করতে। এখন সেসব ভুল ভ্রান্তি দূর হবে কিভাবে ? আত্মারই অশান্তি অনুভব হয়। এখন নিজেদের পরীক্ষা করো যে আমরা অশান্ত কেন হয়েছি ? যখন আমরা ভাই-ভাই ছিলাম তখন তো আমাদের অনেক ভালোবাসা ছিল। এখন সেই পিতা পুনরায় এসেছেন। বলছেন নিজেকে আত্মা ভাই-ভাই নিশ্চয় করো। একে অপরের প্রতি প্রেম রাখো। দেহ-অভিমানে এসে তোমরা একে অপরের ভুল দেখতে থাকো। বাবা বলেন তোমরা নিজের পুরুষার্থ করো উঁচু পদের অধিকারী হওয়ার জন্যে। তোমরা জানো আমাদের বাবা এমন অবিনাশী উত্তরাধিকার দিয়েছিলেন যা আমাদের ভরপুর করেছে। এখন বাবা পুনরায় এসেছেন তো তাঁর শ্রীমৎ অনুসারে চলে আমরা আবার সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। আমরা-ই দেবতা ছিলাম আবার ৮৪ জন্ম নিয়েছি।



তোমরা মিষ্টি বাচ্চারা কতখানি অটল ছিলে। মতের কোনও অমিল ছিল না। কারো নিন্দে ইত্যাদি করতে না। এখন অনেক ছোট ছোট খামতি আছে, সেসব দূর করতে হবে। আমরা সবাই হলাম ভাই-ভাই । এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। শুধু এই চিন্তাই যেন থাকে যে আমরা যেন সতোপ্রধান হই। অমুক এমন, সে এইরকম করেছে ইত্যাদি সব কথা ভুলে যেতে হবে। বাবা বলেন এইসব ছাড়ো, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এখন সতোপ্রধান হওয়ার পুরুষার্থ করো। দেহ-অভিমানে এলেই অবগুণ দেখা যায়। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। ভাই-ভাই দেখলে গুণ-ই দেখতে পাবে। সবাইকে গুণবান করার চেষ্টা করো। কেউ উল্টো কাজ যা করে করুক। ধরে নেওয়া হয় এরা রজো ও তমোপ্রধান, তাই এদের চলন এরকমই হবে। বাবার সবচেয়ে বেশি গুণ আছে। তাই বাবার থেকেই গুণ গ্রহণ করো, অন্য সব কথা ত্যাগ করো। অবগুণ ত্যাগ করে গুণ ধারণ করো। বাবা কতখানি গুণবান করেন। বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমাদের আমার মতন গুণবান হতে হবে। বাবা হলেন সুখদায়ী। আমাদেরও সুখদায়ী হতে হবে। শুধু এই চিন্তা থাকবে যে আমাদের সতোপ্রধান হতে হবে। অন্য কারো কথা না শুনবে, আর না গ্লানি করবে। সবার মধ্যে কিছু কিছু খামতি আছে। খামতি এমন আছে যে কেউ বুঝতে পারবে না। অন্যরা বোঝে যে খামতি আছে। তারা নিজেদের খুব ভালো ভাবে। কিন্তু কোথাও কোথাও মুখ দিয়ে উল্টো কথা বেরিয়ে যায়। সতোপ্রধান অবস্থায় এইসব কিছু থাকে না। এখানে খামতি আছে, কিন্তু বুঝতে না পারার জন্যে নিজেই নিজের প্রশংসা করে। বাবা বলেন একমাত্র আমিই হলাম মিঞা মিঠ্ঠু, যিনি তোমাদের সবাইকে মিঠু বা মিষ্টি বানাতে আসেন। সব অবগুণ ইত্যাদি ত্যাগ করো। নিজের নাড়িও দেখো, আমরা মিষ্টি রূহানী বাবাকে কতখানি ভালোবেসে স্মরণ করি। নিজেকে কতখানি বুঝতে পারি এবং অন্যকে বোঝাতে পারি। দেহ-অভিমানে এসে গেলে কোনও লাভ নেই। এই মুখ্য কথাটি বোঝাতে হবে যে এই দুনিয়া হল তমোপ্রধান। যখন সতোপ্রধান ছিলে তখন দেবতাদের রাজত্ব ছিল। এখন ৮৪ জন্ম ভোগ করে তমোপ্রধান হয়েছি, এখন আবার সতোপ্রধান হতে হবে। ভারতবাসীরা-ই তমোপ্রধান হয়েছে এবং সতোপ্রধানও তারা-ই হবে। আর কাউকে সতোপ্রধান বলা যাবে না। সত্যযুগে কোনও ধর্ম থাকে না। বাবা বলেন তোমরা অনেক বার তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়েছ, এখন আবার হও। শ্রীমৎ অনুযায়ী আমাকে স্মরণ করো। কেবল এই চিন্তাই থাকা চাই। মাথায় অনেক পাপের বোঝা, বাবা এখন তোমাদের সজাগ করেছেন। মানুষ দেবতাদের সামনে গিয়ে বলে - আমরা বিকারী, কারণ দেবতাদের চরিত্রে পবিত্রতার আকর্ষণ আছে তাই তাঁদের সামনে গিয়ে বলে আর ঘরে ফিরে এসে ভুলে যায়। দেবতাদের সামনে নিজের প্রতি ঘৃণা ভাব জাগে । ঘরে ফিরে কোনও ঘৃণা থাকে না। এমন কোনও ভাবনা হয় না যে দেবতাদের এমন তৈরি করেন কে ? এখন বাবা বলেন - দেবতা হতে হলে এই ঈশ্বরীয় পঠনপাঠন অবশ্যই করো। শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে। সর্বপ্রথমে বাবা বলেন নিজেকে সতোপ্রধান করতে হবে তাই মামেকম্ স্মরণ করো আর কোনো রূপ পরনিন্দা পরচর্চা করবে না। নিজের চিন্তা করো যে আমাকে এমন হতে হবে। বাবা বলেন তোমরাই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের ছিলে, তারপরে সব কোথায় গেল ! তাদেরই ৮৪ জন্মের কাহিনী লেখা আছে। এবারে আমাদের এমন হতে হবে। দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। একে অপরকে ভাই-ভাই নিশ্চয় করে, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে। বুদ্ধিতে থাকা উচিত নিন্দা স্তুতি তো করেই আসছি। বাস্তবে স্তুতি করা তো নয়, এই হল নিন্দে করা। যাঁর একদিকে স্তুতি করে, তাঁরই অন্য দিকে নিন্দেও করে। কারণ তারা জানেই না, এক দিকে বাবার মহিমা করে, অন্য দিকে সর্বব্যাপী বলে দেয়। পাথরে কাঁকড়ে পরমাত্মার অবস্থান বলে দেওয়াতেই মানুষ বিমুখ হয়েছে। বিনাশ কালে বিপরীত বিমুখ বুদ্ধিদের বিনাশ হয়, বিনাশ কালে প্রীত বুদ্ধিদের বিজয় হয়।



যতখানি সম্ভব চেষ্টা করা উচিত বাবাকে স্মরণ করার। আগেও স্মরণ করা হত কিন্তু সেইটি ছিল ব্যাভিচারী স্মরণ। অনেককে স্মরণ করা হত। এখন বাবা বলেন অব্যভিচারী স্মরণে থাকো। শুধু মামেকম্ স্মরণ করো। ভক্তিমার্গে তাঁদের অনেক চিত্র আছে, যাঁদেরকে তোমরা স্মরণ করেছ। এখন আবার সতোপ্রধান হতে হবে। সেখানে ভক্তিমার্গ নেই যে স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেন এই চিন্তা করো যে আমরা সতোপ্রধান কিভাবে হব ? জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে যে এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে পরিক্রমা করে, সেটা তো সহজ। আচ্ছা, কেউ বলে যদিও বা বোঝাতে না পারে, তবু বুদ্ধিতে নিশ্চয়ই থাকে যে আমরা সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান কিভাবে হই, এখন আবার সতোপ্রধান নিশ্চয়ই হতে হবে। যদি কেউ বলতে না পারে তাহলে বলা হবে তার ভাগ্য। ভবিতব্য। বাবা খুব সহজ উপায় বলে দেন - ব্যাজ নিয়ে বোঝানো সহজ, ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা। এঁনার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। বাবা নিশ্চয়ই স্বর্গের স্থাপনা করেন। তাও অবশ্যই এখানে করবেন । শিব জয়ন্তী অর্থাৎ স্বর্গের জয়ন্তী। স্বর্গে আছেন দেবী-দেবতা, সেই রূপে পরিণত কিভাবে হবে ? সেই পরিবর্তন এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগের পড়াশোনা দ্বারা সম্ভব হবে। বাচ্চারা, তোমাদের এখন বুঝেছ, এইসব অন্যদেরও বোঝাতে হবে। তোমাদের হল সহজ জ্ঞান এবং সহজ যোগ, সহজ উত্তরাধিকার । কিন্তু এখানে কেউ পাই-পয়সার সম্পত্তি প্রাপ্ত করে, তো কেউ প্রাপ্ত করে লক্ষ কোটি গুণ (পদ্মগুণ) বর্সা। সমস্ত কিছু পড়াশোনার উপরে নির্ভর করে। স্মরণের যাত্রা দ্বারা অন্য সব কথা ভুলে যাও। অমুক এমন .... ইত্যাদিতে সময় নষ্ট কোরো না। লক্ষ্য অনেক উচ্চ । সতোপ্রধান হওয়াতে মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। পড়াশোনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয় না। বাবা বলেন নিজেকে দেখো যে আমাদের মধ্যে ভালোবাসা কত মাত্রায় আছে ? এমন ভালোবাসা যার দ্বারা বাবার সঙ্গে যুক্ত থাকবে। যিনি শেখাচ্ছেন তিনি হলেন বাবা। ব্রহ্মাবাবার আত্মা শেখান না, ইনিও শেখেন। বাবা আপনি আমাদের কতখানি বুদ্ধিমান করেন। উঁচু থেকে উঁচু তো হলেন আপনি তারপরে মনুষ্য সৃষ্টিতে আপনি আমাদের কত উঁচু মানের স্বরূপ প্রদান করেন। অন্তরে এইরূপ বাবার মহিমা করা উচিত। বাবা আপনি কত কামাল করেন। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা পুনরায় নিজের রাজ্য নাও, মামেকম্ স্মরণ করো, খুশী সহকারে। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে - আমরা বাবাকে কত স্মরণ করি ? বলা হয় খুশীর মতন খোরাক নেই। অর্থাৎ বাবাকে পাওয়ার খুশী। কিন্তু এত খুশী বাচ্চাদের মনে থাকে না। যদিও বিবেক বলে অনেক খুশীতে থাকা উচিত। এই পড়াশোনা দ্বারা আমরা এইরূপ রাজা হব। অসীম জগতের পিতার সন্তান আমরা। সুপ্রিম বাবা আমাদের পড়ান। বাবা হলেন করুণাময়, কিভাবে বসে বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের নতুন নতুন কথা শোনান ! এখন তোমাদের বুদ্ধিতে অনেক নতুন কথা আছে যা অন্য কারো বুদ্ধিতে নেই। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. দেহী অভিমানী অবস্থা ধারণ করে সুখদায়ী হতে হবে। কারো কোনো ভুল ধরবে না। নিজেদের মধ্যে খুব ভালোবাসার সঙ্গে থাকতে হবে, মতভেদে যাবে না ।

২. অন্য সব কথা ছেড়ে একমাত্র বাবার থেকে গুণ গ্রহণ করতে হবে। সতোপ্রধান হওয়ার চিন্তা করতে হবে। না কারো কথা শুনবে, না কারো গ্লানি করবে। নিজেকে কখনও অতি চালাক মনে করবে না।

বরদান:-

লাইটের আধারে জ্ঞান-যোগের শক্তির প্রয়োগকারী প্রয়োগশালী আত্মা ভব

যেমন প্রকৃতির লাইট বিজ্ঞানের অনেক রকমের প্রয়োগ প্রাক্টিক্যাল করে দেখায়, তেমনই তোমরা অবিনাশী পরমাত্মার লাইট এবং তারই সঙ্গে প্রাক্টিক্যাল স্থিতির লাইট দ্বারা জ্ঞান-যোগের শক্তির প্রয়োগ করো। যদি স্থিতি আর স্বরূপ ডবল লাইট থাকে তবে প্রয়োগের সফলতা খুব সহজেই হয়। যখন প্রত্যেকে নিজের উপরে প্রয়োগ করা আরম্ভ করবে তখন প্রয়োগশালী আত্মাদের শক্তিশালী সংগঠন তৈরী হয়ে যাবে।

স্লোগান:-

বিঘ্নের অংশ এবং বংশ সমাপ্তকারী আত্মাই হল বিঘ্ন-বিনাশক ।