২২-০৩-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - অবিনাশী জ্ঞান-রত্ন তোমাদেরকে অধিপতি (রাজা)করে তোলে, এ হল অসীম জগতের স্কুল, তোমাদের পড়তে আর পড়াতে হবে, জ্ঞান-রত্ন দিয়ে ঝুলি ভরতে হবে"

প্রশ্ন:-

কোন্ বাচ্চারা সকলের কাছেই প্রিয় ? উচ্চ পদের জন্য কোন্ পুরুষার্থ আবশ্যক ?

উত্তর:-

যে বাচ্চারা নিজেদের ঝুলি ভরে নিয়ে অনেককে প্রদান করে, তারা সকলের প্রিয় হয়। উচ্চ পদের জন্য অনেকের আশীর্বাদ চাই। এতে ধনের ব্যাপার নেই, কিন্তু জ্ঞান ধনের দ্বারা অনেকের কল্যাণ করতে থাকো। হাসিখুশী আর যোগী বাচ্চারাই বাবার নাম মহিমান্বিত করে।

ওম্ শান্তি।

আত্মাদের পিতা বসে আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। বাচ্চারা জানে যে, আমাদের এখন ফিরে যেতে হবে, পূর্বে এ বিষয়ে কিছু মাত্রও জানা ছিল না। বাবা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, ড্রামা অনুসারে এই বোঝানোটাও এখন দেখা যাচ্ছে সঠিক। আর কেউ বোঝাতে পারবে না। এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে। অপবিত্র কেউ ফিরে যেতে পারে না। এই জ্ঞানও এই সময়েই পাওয়া যায় আর এক বাবা-ই দেন। প্রথমে তো এটা স্মরণ করতে হবে যে আমাদের ফিরে যেতে হবে। বাবাকে ডাকে, কিছুই বোধগম্য ছিল না। হঠাৎ যখন সময় এল, বাবা এলেন। তিনি এসে এখন নতুন নতুন কথা বোঝাতে থাকেন। বাচ্চারা জানে, এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে, সেইজন্য এখন পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে। তা না হলে শাস্তি পেতে হবে আর পদ-ভ্রষ্টও হয়ে যাবে। এর এতটাই পার্থক্য- এখানে যেমন রাজা আর কাঙাল, সেরকম ওখানেও রাজা আর কাঙাল হবে। সমস্ত কিছু নির্ভর করে পুরুষার্থের উপর। এখন বাবা বলেন তোমরা নিজেরাই পতিত ছিলে তাই তো ডাকতে।এটাও তোমাদের এখন বোঝাচ্ছি। অজ্ঞান কালে এটা বুদ্ধিতে থাকে না। বাবা বলেন আত্মারা যারা তমোপ্রধান হয়ে গেছে তাদের আবার সতোপ্রধান হতে হবে। এখন সতোপ্রধান কি করে হবে- এটাও সিঁড়ির দ্বারা বোঝানো হয়েছে। এর সাথে দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে। এ হল অসীম জগতের স্কুল। স্কুলে রেজিস্টার রাখে গুড, বেটার, বেস্টের। যারা সেবার উপযুক্ত (সার্ভিসেবেল) বাচ্চা, তারা খুব মধুর। তাদের রেজিস্টার ভালো হয়। যদি রেজিস্টার ভালো না হয় তো সে উচ্ছ্বসিত থাকে না। সব কিছু নির্ভর করে পড়াশুনা, যোগ আর দৈবী গুণের উপর। বাচ্চারা জানে অসীম জগতের পিতা আমাদের পড়াচ্ছেন। প্রথমে আমরা শূদ্র বর্ণের ছিলাম, এখন হলাম ব্রাহ্মণ বর্ণের। প্রজাপিতা ব্রহ্মার বাচ্চা আমরা হলাম ব্রাহ্মণ, এটা অনেকেই ভুলে যায়। যখন তোমরা বাবাকে স্মরণ করো তো ব্রহ্মাকেও স্মরণ করতে হয়। আমরা ব্রাহ্মণ কূলের- এটারও নেশা চড়ে। ভুলে গেলে তো এই নেশা চড়ে না যে আমরা হলাম ব্রাহ্মণ কূলের আবার দেবতা কূলের হব। ব্রাহ্মণ কূল কে বানিয়েছে ? ব্রহ্মার দ্বারা আমি তোমাদের ব্রাহ্মণ কূলে নিয়ে আসি। এটা ব্রাহ্মণদের ডিনায়েস্টি নয়, ছোট একটি কূল এটি । নিজেকে এখন ব্রাহ্মণ মনে করলে তবে অবশ্যই দেবতা হবে। নিজের আজীবিকাতে ডুবে থাকলে সব কিছু ভুলে যায়। নিজে যে ব্রাহ্মণ, সেটাও ভুলে যায়। কাজকর্ম থেকে নিবৃত্ত হওয়া মাত্রই আবার পুরুষার্থে তৎপর হতে হবে। কারোর আবার উপার্জনের উপর বেশী মনোনিবেশ করতে হয়। কাজ সম্পূর্ণ হলে আবার নিজের কথা। স্মরণে বসে যাও। তোমাদের কাছে যে ব্যাজ আছে তা খুব সুন্দর, এতে লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রও আছে, ত্রিমূর্তিও আছে। বাবা আমাদের এরকম গড়ে তোলেন? ব্যাস্, এটাই হল মন্মনাভব। কারোর অভ্যাস হয়ে যায়, কারোর হয় না। ভক্তি এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এখন অসীম জগতের পিতা তোমাদের অসীম উত্তরাধিকার দিচ্ছেন, তাই খুশী হতে থাকে। কারোর শুভ সময় আসতেই থাকে, কারোর খুব কম আসে। খুব সহজ ব্যাপার।



গীতার আদি আর অন্তের শব্দ হল মন্মনাভব। এটা হল সেই গীতা এপিসোড। শুধুমাত্র কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। ভক্তি মার্গে যা কিছু দৃষ্টান্ত ইত্যাদি আছে সে সব হল এই সময়ের। ভক্তি মার্গে কেউ এরকম বলবে না যে দেহ ভানও ছাড়ো, নিজেকে আত্মা মনে করো। এখানে তোমাদের এই শিক্ষা বাবা এসেই দিয়ে থাকেন। এটা সুনিশ্চিত, দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা আমাদের দ্বারাই হচ্ছে। রাজধানীও স্থাপন হচ্ছে, এতে যুদ্ধ ইত্যাদিরও ব্যাপার নেই। বাবা এখন তোমাদের পবিত্রতা শেখাচ্ছেন, সেটাও অর্ধ-কল্প স্থায়ী হবে। সেখানে রাবণ রাজ্যই নেই। বিকারের উপর এখন তোমরা বিজয় প্রাপ্ত করছো। এটা তোমরা জানো- আমরা পূর্ব-কল্পে হুবহু যেমন রাজধানী স্থাপন করছিলাম, এখন আবার করছি। আমাদের জন্য এই পুরোনো দুনিয়া শেষ হতে চলেছে। ড্রামার চক্র ঘুরতেই থাকে। ওখানে সোনা আর সোনা। যা ছিল সেটা আবার হবে, এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। মায়া তার যাদুকরী খেলা দেখায়। ধ্যানে সোনার ইট দেখেছে। তোমরাও বৈকুন্ঠে সোনার মহল দেখো। ওখানকার জিনিস তোমরা এখানে আনতে পারো না। এ হল সাক্ষাৎকার। ভক্তি করার সময় তোমরা এই কথা জানতে না। এখন বাবা বলেন- আমি এসেছি তোমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। তোমাদের ছাড়া অধীর হয়ে পড়ি। যখন সময় আসে আমার অধীর বোধ হয়, ব্যাস্-আমাকে যেতে হবে, বাচ্চারা খুব দুঃখী, তারা ডাকছে। করুণা হয় তাদের জন্য-ব্যাস্, তাই মনে করি যাব। ড্রামাতে যখন সময় হয় তখন খেয়াল হয়- আমাকে যেতে হবে। নাটক দেখানো হয় বিষ্ণুর অবতরণ। কিন্তু বিষ্ণুর অবতরণ তো হয়ই না। দিনে দিনে যেন মানুষের বুদ্ধি নাশ হয়ে যাচ্ছে। তাদের কিছুই বোধগম্য হয় না। আত্মা পতিত হয়ে পড়ে আছে। এখন বাবা বলেন- বাচ্চারা, পবিত্র হলে তো রাম রাজ্য হবে। বাচ্চারা জানে না *রাম* কে। যখন বাচ্চারা শিবের পূজা করে তাঁকে *রাম* বলে না। শিববাবা বলাটাই শোভনীয় হয়। ভক্তিতে কোনো রস নেই। তোমাদের এখন রস আছে। বাবা নিজে বলেন- মিষ্টি বাচ্চারা, আমি তোমাদের নিয়ে যেতে এসেছি। আবার তোমাদের আত্মা ওখান থেকে নিজের থেকেই সুখধামে চলে যাবে। ওখানে আমি তোমাদের সাথী হব না। নিজেদের অবস্থা অনুযায়ী তোমাদের আত্মা গিয়ে দ্বিতীয় শরীরে, গর্ভে প্রবেশ করে। দেখানো হয় সাগরে অশ্বত্থ পাতার উপর শ্রীকৃষ্ণ ভেসে আসছে। সাগরের তো ব্যাপারই নেই। কৃষ্ণ গর্ভের মধ্যে খুব আরামেই থাকে। বাবা বলেন-আমি গর্ভে প্রবেশ করি না। আমি তো কারোর মধ্যে প্রবেশ করি। আমি শিশু হই না। আমার পরিবর্তে কৃষ্ণকে শিশু মনে করে মনের বিনোদন করে। মনে করে কৃষ্ণ জ্ঞান দিয়েছেন, সেইজন্য তাকে অনেক ভালোবাসতে হবে। আমি সবাইকে সাথে নিয়ে যাই। আবার তোমাদের প্রত্যাবর্তন করিয়ে দিই। তবে আমার ভূমিকা সম্পূর্ণ হয়। অর্ধ-কল্প আমার কোনো ভূমিকা নেই। আবার ভক্তি মার্গে আমার ভূমিকা শুরু হয়। এই ড্রামাও দৈব-নির্ধারিত হয়েই আছে।



এখন বাচ্চাদের জ্ঞান বুঝতে পারা আর বোঝানো তো সহজ। দ্বিতীয় কাউকে শোনালে সে খুশী হবে আর উঁচু পদও প্রাপ্ত করবে। এখানে বসে শুনতে তো ভালো লাগে। বাইরে গেলেই ভুলে যায়। যে রকম জেল বার্ড হয়। কোনো না কোনো অপকর্ম করে জেলে যেতে থাকে। তোমাদেরও ঐরকম অবস্থা হয়। গর্ভে থাকাকালীন প্রতিজ্ঞা করো, তারপর ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্রই যেমনকার তেমনই রয়ে যাও। এই সব কথা বানিয়েছে, যাতে মানুষ পাপ-কর্ম না করে। আত্মা তার সংস্কার সাথে নিয়ে যায়। সেইজন্য কেউ ছেলেবেলাতেই পন্ডিত হয়ে ওঠে। লোকেরা মনে করে আত্মা নির্লেপ। কিন্তু আত্মা নির্লেপ নয়। ভালো বা খারাপ সংস্কার আত্মাই নিয়ে যায়, তবে তো কর্মের ভোগ হয়। এখন তোমরা পবিত্র সংস্কার নিয়ে যাচ্ছ। তোমরা পড়াশুনা করে আবার পদ প্রাপ্ত করো। বাবা তো সমস্ত আত্মাদের ঝাঁক-কে ফিরিয়ে নিয়ে যান। বাকী কিছু থেকে যায়। তারা পরিশেষে আসতে থাকে। থাকবে তারাই যাদের একেবারে শেষে আসতে হবে । মালা তৈরী হয়, তাই না! নম্বর অনুযায়ী তৈরী হতেই থাকে। বাকী যারা পরে তৈরী হবে তারা স্বর্গেও পরে আসবে। বাবা কতো ভালো ভাবে বোঝান, কারও ধারণা হয় কারও হয় না। অবস্থা ঐরকম তো পদও ঐরকমই পাওয়া যায়। বাচ্চারা, তোমাদের করুণাময়, কল্যাণকারী হতে হবে। ড্রামাই সেরকম তৈরী হয়ে আছে। কাউকে দোষ দিতে পার না। পূর্ব কল্পে যতটা পড়াশুনা করেছিলে অতটাই এখন হবে। বেশী হবে না, যতই পুরুষার্থ করো না কেন, কোনো পার্থক্য হবে না। পার্থক্য তখনই হবে যখন এই জ্ঞান কাউকে শোনাবে। এটা হবে নম্বর অনুযায়ী। কোথায় রাজা, কোথায় কাঙাল ! এই অবিনাশী জ্ঞান রত্ন রাজায় পরিণত করে। যদি পুরুষার্থ না করো তো কাঙাল হয়ে যাবে। এ হলো অসীম জগতের স্কুল। এতে ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড আছে। ভক্তিতে পড়াশুনার ব্যাপার নেই। সেখানে আছে পার হয়ে যাওয়ার ব্যাপার। দেখানোর ব্যাপারটা খুব আছে। কাঁসর ঘন্টা বাজায়, স্তুতি করে, এখানে তো শান্ত ভাবে থাকতে হয়। ভজন ইত্যাদি কিছুই নেই। তোমরা অর্ধ-কল্প ভক্তি করেছ। ভক্তিতে কতো দেখানোর (শো) মতো আছে। সবার নিজের নিজের ভূমিকা আছে। কারোর পতন হয়, কারোর উত্থান হয়, কারোর ভাগ্য বেশ ভালো, কারোর কম। পরিচালনা তো বাবা একরস (একই ভাবে) করান। পড়াশুনা একরস তো টিচারও একরস। বাকী সবাই হল মাস্টার্স। কোনো বিখ্যাত মানুষ যদি বলে- সময় নেই, তাহলে বলো আপনার বাড়িতে গিয়ে তবে পড়াব ? কারণ তার নিজের অহংকার থাকে। এভাবে একজনকে হাত করলে আরেক জনের উপর সেই প্রভাব পড়ে। যদি সে কাউকে বলেও এই জ্ঞান সুন্দর, তো বলবে এরও ব্রহ্মাকুমারীর সঙ্গ লেগেছে, সেই জন্য শুধু মাত্র ভালো বলে দেয়। বাচ্চাদের মধ্যে যোগের শক্তি (পাওয়ার) ভালো রকমের হওয়া দরকার। *জ্ঞান তলোয়ারে যোগের ধার চাই।* হাসিখুশী আর যোগী হলে নাম উজ্জ্বল হবে। সেটা তো নম্বর অনুযায়ী হবে। রাজধানী হবে। বাবা বলেন ধারণা তো খুব সহজ। বাবাকে যত স্মরণ করবে তত তাঁর প্রতি ভালোবাসা থাকবে। আকর্ষণ থাকবে। সূঁচ যদি পরিচ্ছন্ন থাকে তবে চুম্বক তার নিজের দিকে আকর্ষণ করে। জং থাকলে আকর্ষণ করে না। এটাও সেইরকম। তোমরা যদি পরিষ্কার হয়ে যাও তো প্রথম নম্বরে চলে যাও। বাবার স্মরণে জং বের হয়ে যায়।



কথিত আছে- বলিহারি গুরু তোমার- সেইজন্য বলে- গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু- সেই বিবাহের অনুষ্ঠান করানোর গুরু হল মানুষ। তোমরা বিবাহ শিবের সাথে করেছ, না কি ব্রহ্মার সাথে। দালালের চিত্রের প্রয়োজন নেই। বিবাহের পাকা কথা হয়ে গেছে তাহলে একে অপরকে স্মরণ করতে থাকলে এরও দালালী পাওয়া যায়। সম্বন্ধ জুড়ে দেওয়ার পারিশ্মিকও তো পাওয়া যায়, তাই না! অন্যদিকে, আমি যখন এনার মধ্যে প্রবেশ করি, লোন নিই, তখন তিনিও তো চেষ্টা করেন । তাই বাচ্চাদেরও বোঝানো হয় যে যত তোমরা অনেকের কল্যাণ করবে তার প্রতিদানও অবশ্যই পাবে । এ হল জ্ঞানের কথা। অপরকে জ্ঞান দিতে থাকলে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়ে যায়। পয়সার দরকার নেই। মাম্মার কাছে যদিও ধন ছিলো না, কিন্তু অনেকের কল্যাণ করেছিলেন। ড্রামাতে প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। কোনো বিত্তশালী ব্যক্তি ধন দেয়, মিউজিয়াম বানায়- এতে অনেকের আশীর্বাদ পেয়ে যায়। ভালো বিত্তশালীর পদ পেয়ে যায়। বিত্তশালী যারা তাদের কাছে অনেক দাস-দাসী থাকে। প্রজাদের মধ্যে বিত্তশালীদের কাছে অনেক ধন থাকে আবার ওদের থেকে লোন নেয়। বিত্তশালী হওয়াও ভালো। সেও গরীবই বিত্তশালী হয়। বাকী বিত্তশালীদের সেই সাহস কোথায় ! এই ব্রহ্মা নিমেষে সব কিছু দিয়ে দিয়েছেন । বলেন যার হাত যেমন... শিববাবাই তো দিয়েছেন এ হাত- বাবা প্রবেশ করলেন তো সব কিছু ছাড়িয়ে দিলেন। করাচিতে তুমি কি ভাবে ছিলে। বড় বড় অট্টালিকা, মোটরগাড়ি, বাস ইত্যাদি সব কিছু ছিল। এখন বাবা বলেন- আত্ম-অভিমানী হও। কতটা নেশা চড়ে যাওয়া চাই - ভগবান আমাদের পড়াচ্ছেন ! বাবা তোমাদের অফুরন্ত ধন-সম্পদ দিচ্ছেন। তোমরা ধারণা করতে পারো না। নেওয়ার দম নেই। শ্রীমতে চলো না। বাবা বলেন বাচ্চারা নিজেদের ঝুলি ভরে নাও। লোকেরা শংকরের সামনে গিয়ে বলে- ঝুলি ভরে দাও। বাবা এখানে অনেকের ঝুলি ভরে দেন। বাইরে গেলে ঝুলি খালি হয়ে যায়। বাবা বলেন তোমাদের আমি অগাধ সম্পদ দিই। জ্ঞান- রত্নের দ্বারা ঝুলি ভরে-ভরে দিই। তবুও নম্বর অনুযায়ী হয় - যারা যেমন নিজের ঝুলি ভরতে পারে। তারা আবার দানও করে, সকলের কাছে প্রিয়ও হয় । না থাকলে দেবে কি ?



তোমাদের ৮৪ -র চক্র ভালো ভাবে বুঝতে আর বোঝাতে হবে। বাকী পরিশ্রম হল যোগের। এখন তোমরা যুদ্ধের ময়দানে আছো। মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করার জন্য লড়াই করো। পাশ না করলে চন্দ্রবংশীতে চলে যাবে। এটা বোঝার ব্যাপার। বাচ্চাদের খুব খুশী হওয়া চাই- বাবা, আপনি কত ধন-সম্পদ দিচ্ছেন। উঠতে-বসতে সারাদিন এটা বুদ্ধিতে থাকলে তবে ধারণা হতে পারে। মুখ্য হল যোগ। যোগের দ্বারাই তোমরা বিশ্বকে পবিত্র করো। জ্ঞান (নলেজ) অনুযায়ী তোমরা রাজত্ব করো। এই পয়সা ইত্যাদি তো ধূলিসাৎ হয়ে যায়। বাকী এই অবিনাশী উপার্জন তো সব সাথে যাবে। যে সেন্সেবেল হবে সে বলবে বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেব। ভাগ্যে না থাকলে পাই-পয়সার পদ পাবে। আচ্ছা!



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহপূর্ণ স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l পরমাত্মা বাবা তাঁর আত্মারূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার l

ধারণার জন্য মুখ্য সার:-

১. নিজের পড়াশুনা আর দৈবী গুণের রেজিস্টার রাখতে হবে। খুবই মধুর হতে হবে। আমরা হলাম ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ - এই নেশাতে থাকতে হবে।

২. সকলের ভালোবাসা বা আশীর্বাদ প্রাপ্ত করার জন্য জ্ঞান-রত্ন দ্বারা নিজের ঝুলি ভরে নিয়ে দান করতে হবে। অনেকের কল্যাণের নিমিত্ত হতে হবে।

বরদান:-

বাবার প্রেমে নিজের প্রধান দুর্বলতাকে বলিদান দিতে পারা জ্ঞানী আত্মা ভব

বাপদাদা দেখছেন বেশীর ভাগ বাচ্চারই এখনো পর্যন্ত পাঁচ বিকারেরই ব্যর্থ সংকল্প চলে। জ্ঞানী আত্মাদেরও কখনো কখনো নিজের গুণ বা বিশেষত্বের অভিমান এসে যায়, প্রত্যেকে নিজেদের আসল দুর্বলতা বা মূল সংস্কারকে জানেও, সেই দূর্বলতাকে বাবার ভালোবাসায় বলিদান করে দাও- এটাই হবে ভালোবাসার প্রমাণ। স্নেহী বা জ্ঞানী আত্মারা বাবার ভালোবাসায় ব্যর্থ সংকল্পকেও ত্যাগ করে দেয়।

স্লোগান:-

স্বমানের সিটে স্থির থেকে সকলকে সম্মান প্রদানকারী মাননীয় আত্মা হও।