৩১-০১-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- দেহী-অভিমানী হও, তবেই ব্যর্থ সঙ্কল্প(বিকল্প) সমাপ্ত হয়ে যাবে, কোনো বিষয়েই ভয় লাগবে না, তোমরা চিন্তা(ফিকর) থেকে মুক্ত(ফারিং) হয়ে যাবে"

প্রশ্ন:-

নতুন বৃক্ষের বৃদ্ধি কিভাবে হয় এবং কেন ?

উত্তর:-

নতুন বৃক্ষের বৃদ্ধি অত্যন্ত ধীরে-ধীরে আর উকুনের মতো হয়, যেমন ড্রামা উকুনের মতো চলছে, ঠিক তেমনই ড্রামা অনুসারে এই বৃক্ষও ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, কারণ এতে মায়ার সাথেও অনেক যুদ্ধ করতে হয়। তাই বাচ্চাদের দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য পরিশ্রম করতে হয়। দেহী-অভিমানী হলে অত্যন্ত খুশী থাকে। সেবাও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। বাবা আর অবিনাশী উত্তরাধিকার স্মরণে থাকলেই তরী পার হয়ে যাবে।

ওম্ শান্তি |

অসীমের (রুহানী) পিতা বসে আত্মা রূপী (রুহানী) বাচ্চাদের বোঝান। অসীমের বাবাও অকাল মূর্তি। অসীমের বাবা বলা হয় পরমপিতা পরমাত্মাকে। বাচ্চারা, তোমরা হলে অকাল মূর্তি, তোমরা শিখ-ধর্মাবলম্বীদেরও ভালভাবে বোঝাতে পারো। যদিও যেকোনো ধর্মের মানুষকেই বোঝাতে পার। এও বাবা বলেছেন যে, এই সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পায়। যেমন ড্রামা উকুনের মতো চলে তেমনই বৃক্ষও(ঝাড়) উকুনের মতো বৃদ্ধি পায়। সম্পূর্ণ কল্পই লাগে বৃদ্ধি পেতে। এখন এ হলো তোমাদের বৃক্ষ। বাচ্চারা, তোমাদেরও আয়ু কল্পের আয়ুর সমান হয়ে যায়। ৫ হাজার বর্ষ ধরে তোমরা পরিক্রমা কর, এই চক্র উকুনের মতো চলে। সর্বপ্রথমে তো আত্মাকে বুঝতে হবে। এটিই কঠিন(ডিফিকাল্ট) বিষয়। বাবা জানেন যে ড্রামা অনুসারে বৃক্ষ ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পায়, কারণ মায়ার সাথে মোকাবিলা(যুদ্ধ) হয়, এই সময় তার(মায়া রাবণ) রাজত্ব তারপরে তো আর রাবণ থাকেই না। বাচ্চারা, প্রথমে দেহী-অভিমানী হতে হবে। দেহী-অভিমানী বাচ্চারাই সার্ভিস ভাল মতন করতে পারবে আর অত্যন্ত খুশীতে থাকবে। বুদ্ধিতে অযথা ব্যর্থ(বিকল্প) কথা আসবে না। যদিও তোমরাই মায়ার উপর বিজয় লাভ কর তখন তোমাদের কেউ নাড়াতে পারে না। অঙ্গদের দৃষ্টান্ত তো রয়েছে, তাই না। তাই তোমাদের নাম মহাবীর রাখা হয়েছে। *এখন তো একজনও মহাবীর নেই। মহাবীর সর্বশেষে হবে, সেও নম্বরের ক্রমানুসারে । যারা ভাল সার্ভিস করে তাদেরকেই মহাবীরের সারিতে(লাইন) রাখব। এখন বীরে-রা রয়েছে, মহাবীর শেষে হবে*। এতটুকুও সংশয় আসা উচিৎ নয়। কারো কারো তো অতি অহংকার চলে আসে। কাউকে পরোয়া করে না। এখানে তো অতি নম্রতার সাথে কাউকে বোঝাতে হয় । অমৃতসরে শিখদের কাছে গিয়ে তোমরা সার্ভিস করতে পারো। সমাচার তো সকলকে একই দিতে হবে। বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের আত্মায় যে মরচে পড়েছে তা কেটে(নষ্ট) যাবে। ওরা তো বলে, জপো সাহেবকে...... সাহেবের মহিমাও রয়েছে। এক ওঁকার সত্যনাম, অকালমূর্তি। এখন কথা হলো অকালমূর্তি কে? তারা বলে সত্গুরু অকাল। আত্মাও তো অকালমূর্তি, তাই না। তাকে কখনো কাল গ্রাস করতে পারে না। আত্মা তো পার্ট পেয়েছে, তাই তাকে তা করতেই হবে। তাকে(আত্মা) কাল কিভাবে গ্রাস করবে। শরীরকে গ্রাস করতে পারে। আত্মা তো অকালমূর্তি। তোমরা শিখ-ধর্মাবলম্বীদের কাছে গিয়েও ভাষণ করতে পার। যেমন গীতা-জ্ঞানীরাও ভাষণ করে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে ভক্তিমার্গের সামগ্রী তো প্রচুর। কিন্তু জ্ঞান এতটুকুও নেই। একমাত্র বাবাই হলেন জ্ঞানের সাগর। মনুষ্যকে তো জ্ঞানবান বলা যাবে না। দেবতারাও মানুষ, তাই না। কিন্তু দিব্যগুণ থাকার কারণে দেবতা বলা হয়। তারাও বাবার নিকট থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার পেয়েছিলেন। তোমরাও এই রাজযোগের দ্বারা বিশ্বের মালিক হচ্ছো। সতগুরু-কে অকাল বলে, তাই না। একমাত্র বাবাই হলেন সত্য। তিনিই পতিত-পাবন। দুইজন পিতার পরিচয় দিতে হবে। ভাষণ দেওয়ার জন্য তোমরা যদি দু-মিনিটও পাও, সেও অনেক। এক মিনিট এক সেকেন্ড পাওয়া যায়, তাও অনেক। কল্প-পূর্বে যাদের তীর লেগেছিল তাদের এখনো লাগবে, এ কোনো বড় কথা নয়। শুধু সকলকে সমাচার দিতে হবে। বাবা বোঝান -- এই যেমন গুরুনানক এসেছেন কিন্তু তিনি কোন ম্যাসেজ দেন না যে তোমাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে, তার জন্য পবিত্র হও। উপর থেকে যারা আসে, তারা তো পবিত্র আত্মা। তাদের ধর্ম বৃদ্ধিলাভ করে, আসতেই থাকে। বাস্তবে সদ্গতিদাতা কোন মনুষ্য হতে পারে না। একমাত্র বাবাই সদ্গতিদাতা। মনুষ্য তো মনুষ্যই হয় তাও আবার বোঝান হয় যে এরা অমুক- অমুক ধর্মের মানুষ। বাবা বোঝান --- তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় কর, পবিত্র হও, গুরুনানক বলেছেন, তিনি মলমূত্র যুক্ত কাপড় ধুয়ে পরিস্কার করেন (মূত পলীতি কাপড়ে ধোয়ে) ..... একথাও পরবর্তী কালে যারা শাস্ত্র বানিয়েছে তারাই লিখেছে। প্রথমে তো অনেক কম ছিল। তাদের বসে কি শোনাব। বাবা এই জ্ঞানও তোমাদের এখনই দেন আর শাস্ত্র তো পরে তৈরী হয়। সত্যযুগে তো শাস্ত্র থাকে না। প্রথমে বোঝাতে হবে যে, বাবাকে স্মরণ কর তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। বিনাশ তো হতেই হবে। জিজ্ঞাসা করা উচিৎ যে সর্বব্যাপী কাকে বল, যার মহিমা গায়ন কর এক ওঁকার..... তিনি হলেন পিতা, তাই না। তাঁর বাচ্চারা অর্থাৎ আমরাও অকালমূর্তি। আমাদের আসন(তখ্ত) হলো এখানে। আমরা এক আসন পরিত্যাগ করে অন্য আসনে গিয়ে বসি। এভাবে ৮৪টি আসনে(ভ্রুকুটি)গিয়ে বসি। এখন এ হলো পুরোনো দুনিয়া, কত হট্টগোল(হাঙ্গামা) হয়। নতুন দুনিয়ায় এইসবের কোন কথাই থাকে না। সেখানে তো একটিই ধর্ম। বাবা তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী(রাজত্ব) দিয়ে দিয়েছেন। তোমাদেরকে কেউ আক্রমণ করতে পারে না। দ্বাপর থেকে ধর্ম-স্থাপকেরা আসে নিজ-নিজ ধর্ম স্থাপন করতে। যখন তাদের ধর্ম বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়, ক্ষমতায় আসে তখনই লড়াইয়ের কথা আসে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা প্রথমে সংখ্যায় অনেক কম হবে। তোমাদের ধর্ম তো এখানেই স্থাপিত হয়। ওরা তো আসেই দ্বাপরে। সেইসময়ই ওদের ধর্ম স্থাপন হয়। এরপর তারা একে-অপরের পিছনে পর-পর আসতেই থাকবে। এ হলো অত্যন্ত বোঝার মত বিষয়। কেউ-কেউ তো ড্রামা অনুসারে কিছুই ধারণ করতে পারে না। বাবা বোঝান, অবশ্যই তার পদ কম হবে। এ কোন অভিশাপ নয়। মালা তো মহাবীরেদের তৈরী হয়। ড্রামা অনুসারে সকলেই তো একইরকমের পুরুষার্থ করতে পারে না। পূর্বেও নিশ্চই করে নি। তাই তারা বলে, তাহলে আমাদের দোষ কোথায়। বাবাও বলেন, তোমাদের কোনো দোষ নেই। ভাগ্যে যদি না থাকে তবে বাবা আর কিবা করতে পারেন। তিনি বোঝেন যে কে-কে কোন্-কোন্ পদের যোগ্য। শিখদেরও বোঝাতে হবে যে যদি সাহেবের(ভগবান) জপ করো তবেই সুখ-শান্তি পাবে। তারা সুখ তখনই পায় যখন তাদের ধর্মের স্থাপনা হয়। এখন তো সকলেই নীচে এসে গেছে। তোমরা মানো যে সদ্গুরু অকাল......তাহলে গুরু আবার কাকে বল? সদ্গতিদাতা গুরু তো একজনই। ভক্তি শেখানোর গুরু তো অনেক চাই। আর জ্ঞান শেখানোর জন্য একমাত্র বাবাই রয়েছেন। তাই মাতারা, তোমরা শিখ ধর্মের লোকেদের বোঝাও যে এই কঙ্গন(শিখেদের বালা), যা তোমরা পড়ে থাকো, সেটাও হল পবিত্রতার চিহ্ন । তোমাদের কথা তারা মান্য করবে কারণ তোমরা অর্থাৎ মাতারাই স্বর্গের দ্বার খুলবে। মাতারা, তোমরা এখন জ্ঞান কলস পেয়েছো, যার দ্বারা সকলের-ই সদ্গতি হয়ে যায়।



বাচ্চারা, তোমরা এখন নিজেদের মহাবীর বল। তোমরা বলতে পারো যে আমরা গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও স্বর্গের স্থাপনা করছি। রাত-দিনের পার্থক্য। এই জটাও পবিত্রতার চিহ্ন। অকালমূর্ত, পতিত-পাবন বাবার সম্পূর্ণ মহিমা করা উচিৎ। সাধু-সন্ন্যাসীরা 'পরমাত্মা নমঃ' বলে, আবার সর্বব্যাপীও বলে। এটা ভুল। তোমরা বাবাকে অত্যন্ত মহিমান্বিত কর। বাবার মহিমার দ্বারা তোমাদের তরী পার হয়ে যায়। যেমন কথিত আছে যে, ' রাম-রাম' বললেই পার হয়ে যাবে। বাবাও বলেন, বাবাকে স্মরণ করলে বিষয় সাগর অতিক্রম করে যাবে। তোমাদের সকলকেই মুক্তিতে যেতে হবে। তোমরা অমৃতসরে গিয়ে ভাষণ কর যে তোমরা আহ্বান(ডাকো) কর যে, সদ্গুরু অকালমূর্ত..... কিন্তু তিনি বলেন যে এখন দেহ-সহিত দেহের সর্ব ধর্মকে পরিত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় কর। বাবাকে স্মরণ করলে পাপ ভস্ম হয়ে যাবে। অন্তিম সময়ে যেমন মতি হবে তেমনই গতি(অন্ত মতি সো গতি) হবে। শিববাবা হলেন অকালমূর্ত, নিরাকার। তোমরা আত্মারাও নিরাকার। বাবা বলেন, আমার তো শরীর নেই। আমি ধার(লোন) নিই। আমি আসিই পতিত-দুনিয়ায় --- রাবণের উপর বিজয় লাভ করতে। তাই ডায়রেক্শনও তো এখানেই দেব কারণ পতিত হয়ই পুরোনো দুনিয়ায়। নতুন দুনিয়ায় তো শুধু এক দেবী-দেবতা ধর্মই ছিল, সেইসময় আর সব শান্তিধামে থাকে। পুনরায় নম্বরের ক্রমানুসারে সতো, রজো, তমো-তে আসে। যারা অতি সুখ লাভ করে, তারাই আবার অত্যন্ত দুঃখভোগও করে।



তোমাদেরই সকলকে বাবার সমাচার দিতে হবে যে বাবাকে স্মরণ কর তাহলেই নিজ নিকেতনে পৌঁছে যাবে। সকলের সদ্গতি তখনই হয় যখন কল্পবৃক্ষের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়, তখন সকলেই চলে আসে। এইভাবে তোমরাও কাউকে অত্যন্ত প্রেমের এবং ধৈর্যের সাথে বোঝাও। তোমাদের কোনো চিত্র দেখানোর প্রয়োজনে নেই। বাস্তবে চিত্র হলো নতুনদের জন্য। তোমরা যে কোনো ধর্মাবলম্বীদের বোঝাতে পার। কিন্তু বাচ্চাদের এতো যোগ না থাকার কারণে তীর সঠিক লাগে না। তারা বলে, বাবা আমরা পরাজিত হয়েছি। মায়া মুখ একদম কালো করে দেয়, তাই তারা জানতেও পারে না যে আমরাই দেবতা ছিলাম। এইসময় অসুর হয়ে গেছি।



এখন বাবা বলেন, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ কর। বাবার ম্যাসেজ সকলকে দিতে থাকো। বাইসস্কোপের স্লাইডসের উপরেও লেখো যে ত্রিমূর্তি পরমপিতা পরমাত্মা শিব বলেন, 'মামেকম্' স্মরণ কর তবেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমরা মুক্তি-জীবনমুক্তি পেয়ে যাবে। সমাচার তো সকলকে দিতেই হবে, তাই না। স্লাইডসও তৈরী করা উচিৎ। তারমধ্যে 'মন্মনাভব'-- এই বশীকরণ মন্ত্র লিখে সকলকে দাও। এই পড়ায় দীর্ঘ সময় লাগে না। ভবিষ্যতে সব বুঝতে পারবে। চিন্তার কোন কারণ নেই। চিন্তামুক্ত তো হতেই হবে। দেখো মানুষ -- মৃত্যুকে কত ভয় পায়। এখানে ভয়ের তো কোন ব্যাপারই নেই। তোমরা তো বল যে এখন যেন মৃত্যু না আসে। এখনও আমরা পরীক্ষা কোথায় সম্পূর্ণ করতে পেরেছি। এখনো তো আমরা যাত্রা সম্পূর্ণ করিনি, তাই আমাদের কি শরীর ত্যাগ করা উচিৎ। এইধরণের মিষ্টি মিষ্টি বার্তালাপ বাবার সঙ্গে করা উচিৎ। এতে অভ্যাস অত্যন্ত ভালো হয়ে যাবে। এখানে চিত্রের সন্মুখে এসে বসো। তোমরা জানো যে, আমরা বাবার কাছ থেকে বিশ্বের রাজত্ব পাই। তাই এমন পিতাকে নিরন্তর স্মরণ করা উচিৎ, তাই না ! স্মরণ না করলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ব্রহ্মা বাবার তো স্মরণে এসে গেছে যে আমিই এই (নারায়ণ) হতে চলেছি। তাই অত্যন্ত খুশীতে থাকেন যে আমি এই (নারায়ণ) হবো। দেখলেই নেশায় বিভোর হয়ে যায়। তোমাদেরও তেমনই হতে হবে। বাবা আমরা তোমাকে স্মরণ করে অবশ্যই এমন হব । আর কোনো কাজ না থাকলে এখানে এসে চিত্রের সম্মুখে বসে পড়। বাবার থেকে আমরা এই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। এটাই একদম পাকা করে নাও। এই যুক্তিও কম নয়। কিন্তু ভাগ্যে নেই তাই স্মরণ করে না। বাবা বলেন, এখানে যখন আসো তখন এটি অভ্যাস কর। তাহলে যদি কিছু গ্রহের দশা থাকেও তা কেটে যাবে। সিঁড়ির চিত্রের দ্বারা এই সবকিছু বিচার কর। কিন্তু ভাগ্যে যদি না থাকে তবে শ্রীমত অনুসারে চলতে পারে না। বাবা পথ দেখান আর মায়া সেই পথ কেটে দেয়। বাবা অনেক যুক্তি বলেন। বাবা আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে থাক। বলা হয় যে, অতীন্দ্রিয় সুখ কি তা গোপ-গোপীদেরকে জিজ্ঞাসা কর, যাদের দৃঢ বিশ্বাস (নিশ্চয়) রয়েছে আমরা বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার অবশ্যই নেব। বাবা স্বর্গের স্থাপনা করে আমাদের ওখানকার মালিক করে দেন। চিত্রও এমনই বানানো রয়েছে। তোমরা যুক্তি দিয়ে প্রতিপন্ন করে তাদের বুঝিয়ে দাও যে ব্রহ্মা, বিষ্ণুর মধ্যে সম্পর্ক কি। আর কেউ-ই এ সব জানে না, ব্রহ্মার চিত্র দেখে মুষড়ে পড়ে। স্থাপনা করতে তো অবশ্যই সময় লাগে, কর্মাতীত অবস্থা হতেও সময় লাগে। প্রতি মুহুর্তে ভুল হয়ে যায়। এই অভ্যাস করতে হবে। প্রগাঢ়(নৌধা) ভক্তি যারা করে তারাও চিত্রের সামনে বসে -- তারাও সাক্ষাৎকারের আশা রাখে । তোমরা তো এইরকম(দেবী-দেবতা) হও, তাই তোমাদের স্মরণ করা উচিৎ। ব্যাজও তোমাদের কাছে আছে। বাবা নিজের ভক্তিমার্গের উদাহরণ দেন যে, নারায়ণের মূর্তির প্রতি আমার অত্যন্ত প্রেম ছিল। সেসব হলো ভক্তিমার্গ। এখন বাবা বলেন, একমাত্র আমাকে (মামেকম্) স্মরণ কর আর কিছুই করতে হবে না। বাবা বলেন, আমি তো আজ্ঞাকারী সেবক (ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট)। তোমরা আমার কাছে কেন মাথা নত কর। আচ্ছা !



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ, ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. নিরহঙ্কারিতার গুণ ধারণ করতে হবে। এতটুকুও যেন অহংকার না আসে। এমন মহাবীর হতে হবে যেন মায়া নাড়াতে না পারে।

২. সকলকে 'মন্মনাভব'-র বশীকরণ মন্ত্র শোনাতে হবে। অত্যন্ত প্রেম এবং ধৈর্য সহকারে সকলকে জ্ঞানের কথা শোনাতে হবে। বাবার বার্তাও সকল ধর্মাবলম্বীদের দিতে হবে।

বরদান:-

প্রতিটি শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পকে কর্মে রূপায়িত করতে সক্ষম মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব

মাস্টার সর্বশক্তিমান অর্থাৎ যার সঙ্কল্প আর কর্ম সমান। যদি সঙ্কল্প অতি শ্রেষ্ঠ হয় আর কর্ম সঙ্কল্প অনুসারে শ্রেষ্ঠ না হয় তবে তাকে মাস্টার সর্বশক্তিমান বলা যাবে না। তাই পরীক্ষা(চেক্) কর যে, যে সমস্ত শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প কর তা কি কর্মে আনতে পার, কি পার না। মাস্টার সর্বশক্তিমানের চিহ্ন হল এই যে -- যে শক্তি যে সময়ে প্রয়োজন, সেই শক্তি সেই সময়েই যেন কার্যে আসে। স্থূল আর সূক্ষ্ম -- সব শক্তিগুলিই যেন এতটাই নিয়ন্ত্রণে (কন্ট্রোলে) থাকে যে, যখন যে সময়ে যে শক্তির আবশ্যক তাকে সেসময় সেই কার্যেই প্রয়োগ করতে পারে ।

স্লোগান:-

জ্ঞানী বাচ্চাদের মধ্যে যদি ক্রোধ থাকে তবে তাতে বাবার নামের গ্লানি হয় |