০২-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন তোমাদের সবদিক থেকে সকল সূত্র ছিন্ন হওয়া উচিত, কেননা ঘরে ফিরে যেতে হবে, এমন কোনো বিকর্ম যেন না হয়, যাতে ব্রাহ্মণ কুলের নাম বদনাম হয়ে যায়"
প্রশ্ন:-
বাবা কোন্ বাচ্চাদের দেখে খুশী হন ? কোন্ বাচ্চারা বাবার নয়নে সমায়িত হয়ে আছে ?
উত্তর:-
যে বাচ্চারা অনেককেই সুখদায়ী বানিয়ে তোলে, যারা সেবাপরায়ণ, তাদের দেখে বাবাও খুশী হন l যে বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকে যে, এক বাবার কথাই শুনবো, বাবার সাথেই কথা বলবো --- এমন বাচ্চারা বাবার নয়নে সমায়িত হয়ে থাকে l বাবা বলেন - যে বাচ্চারা আমার সেবাকাজ করে়, তারা আমার অতি প্রিয় l এমন বাচ্চাদের আমি স্মরণ করি l
ওম্ শান্তি l
মিষ্টি - মিষ্টি রুহানী বাচ্চারা জানে যে, আমরা বাবার সামনে বসে আছি, সেই বাবা আমাদের টিচারের রূপেও পড়ান l সেই বাবা পতিত - পাবন আবার সদগতি দাতাও l তিনি আমাদের সাথে করেও নিয়ে যান আবার সহজ রাস্তাও বলে দেন l তিনি আমাদের পতিত থেকে পবিত্র করার জন্য কোনো পরিশ্রম করান না l যেখানেই যাও না কেন, ঘুরতে - ফিরতে, বিদেশে গিয়েও কেবলমাত্র নিজেকে আত্মা মনে করো l যেভাবেই হোক তোমরা সেটা বুঝতে পারো, তবুও বাবা বলেন, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, দেহ - ভাব ত্যাগ করে আত্ম - অভিমানী হও l আমরা আত্মা, এই শরীর ধারণ করি অভিনয় করার জন্য l এক শরীরে অভিনয় করে আবার অন্য শরীর ধারণ করি l কারোর অভিনয় ১০০ বছরের, কারোর ৮০ বছরের, কারোর আবার ২ বছরের, আবার কারোর ৬ মাসের l কেউ কেউ আবার জন্মেই মারা যায় l কেউ আবার জন্ম নেওয়ার পূর্বেই গর্ভেই মারা যায় l এখন এখানকার পুনর্জন্ম আর সত্যযুগের পুনর্জন্মের মধ্যে রাতদিনের তফাত l এখানে গর্ভে জন্ম নেয় তো একে গর্ভজেল বলা হয় l সত্যযুগে গর্ভজেল হয় না l ওখানে বিকর্ম হয় না কারণ ওখানে রাবণ রাজ্য নেই l বাবা সব কথা বুঝিয়ে বলেন l বেহদের বাবা বসে এই শরীরের দ্বারা বুঝিয়ে বলেন l এই শরীরের আত্মাও শোনে l জ্ঞানের সাগর বাবাই শোনান, যাঁর নিজের কোনো শরীর নেই l তাঁকে সর্বদা শিবই বলা হয় l তিনি যেমন পুনর্জন্ম রহিত, তেমনই নাম - রূপ রহিত l তাঁকে বলা হয় সদাশিব l সর্বদার জন্য তিনি শিবই, তাঁর শরীরের কোনো নাম হয় না l এনার মধ্যেও যখন প্রবেশ করেন, তখনও এনার শরীরের নামও তাঁকে দেওয়া হয় না l এ হলো তোমাদের বেহদের সন্ন্যাস, ওরা হয় হদের সন্ন্যাসী l তাঁদের নামও প্রচলিত l বাবা তোমাদেরও কতো ভালো ভালো নাম রেখেছেন l ড্রামা অনুসারে যাকে নাম দেওয়া হয়েছে সেও আবার চলে গেছে l বাবা মনে করেন, যদি তাঁর হয়, তাহলে অবশ্যই থাকবে, বাবাকে কখনোই তালাক দেবে না, কিন্তু তবুও যদি দিয়ে দেয় তাহলে নাম রেখে আর কি লাভ হবে l সন্ন্যাসীরাও যদি ঘরে ফিরে আসে তখন পুরানো নামই চলতে থাকে l ঘরে তো ফিরেই আসে, তাই না l এমনও নয় যে, সন্ন্যাসী হলে তাঁদের মিত্র - সম্বন্ধী ইত্যাদি স্মরণে আসে না l কারোর তো তাঁদের মিত্র -সম্বন্ধীদের কথা খুবই স্মরণে আসে l তারা মোহতে ফেঁসে মরে l সুতোর বাঁধন আটকেই থাকে l কারোর আবার চট্ করেই কানেকশন ছিন্ন হয় l এই সূত্র ছিন্ন তো করতে হবেই l বাবা বুঝিয়েছেন যে, এখন তো ঘরে ফিরে যেতে হবে l বাবা নিজে বসেই বলেন, ভোরবেলাও তো বাবা বলছিলেন, তাই না l দেখে দেখে মনে সুখের অনুভব হয় -- কেন ? বাচ্চারা বাবার নয়নে সমায়িত হয়ে আছে l আত্মারা তো নয়নেরই আলো l বাবাও তো বাচ্চাদের দেখে খুশী হন, তাই না l কেউ কেউ তো খুব ভালো বাচ্চা হয় যারা সেন্টারের দেখাশোনা করে, কেউ আবার ব্রাহ্মণ হয়েও বিকারে চলে যায়, তারা অবাধ্য সন্তান হয় l তাই এই বাবাও সেবাপরায়ণ বাচ্চাদের দেখে খুশী হন l অসীম জগতের বাবা বলেন, ওদের তো কুল কলঙ্কিত বলা হবে l ওরা ব্রাহ্মণ কুলের নাম বদনাম করে l বাবা বাচ্চাদের বোঝাতে থাকেন - কারোর নাম - রূপেই আটকে যেও না, তাহলে তাদেরও সেমি কুল কলঙ্কিত বলা হবে l সেমির থেকে আবার ফাইনালও হয়ে যায় l তারা নিজেরাই লেখে যে - বাবা আমরা নেমে গেছি, আমরা মুখ কালো করে দিয়েছি l মায়া আমাদের ধোঁকা দিয়ে দিয়েছে l মায়ার ঝড় অনেক আসে l বাবা বলেন যে, কাম কাটারি চালালে এও একে অপরকে দুঃখ দেওয়া হয়, তাই প্রতিজ্ঞা করান, তারা রক্ত দিয়েও বড় পত্র লেখে l আজ তারা আর নেই l বাবা বলেন, অহো মায়া ! তুমি জবরদস্ত l এমন বাচ্চারা, যারা রক্ত দিয়েও লিখে দিত, তুমি তাদেরও খেয়ে ফেলো l বাবা যেমন শক্তিশালী (সমর্থ), মায়াও তেমনই শক্তিশালী (সমর্থ) l তোমরা অর্ধেক কল্প বাবার শক্তির অবিনাশী উত্তরাধিকার পাও, অর্ধেক কল্প মায়া সেই শক্তিকে খুইয়ে দেয় l এ হলো ভারতের কথা l দেবী - দেবতা ধর্মের মানুষরাই বিত্তবান থেকে দেউলিয়া হয়ে যায় l এখন তোমরা লক্ষ্মী - নারায়ণের মন্দিরে যাবে l তোমরা তো আশ্চর্য হয়ে যাবে l আমরা তো এই কুলের (ঘরানার) ছিলাম, এখন আমরা আবার পড়ছি l এনার আত্মাও বাবার কাছ থেকে পড়ছে l পূর্বে তো তোমরা যেখানে - সেখানে মাথা ঠুকতে l এখন তোমাদের জ্ঞান হয়েছে, তোমরা প্রত্যেকেরই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মের কাহিনী জানো l প্রত্যেকেই তার নিজের নিজের ভূমিকা পালন করে l
বাবা বলেন - বাচ্চারা, সর্বদা খুশীতে থাকো l এখানকার এই খুশীর সংস্কার তোমরা সাথে করে নিয়ে যাবে l তোমরা জানো যে, আমরা কি হই ? বেহদের বাবা আমাদের এই অবিনাশী উত্তরাধিকার দিচ্ছেন আর কেউই তা দিতে পারে না l একজন মানুষও নেই যে জানে যে, এই লক্ষ্মী - নারায়ণ কোথায় গেলেন ? তারা মনে করে, ওনারা যেখান থেকে এসেছিলেন, সেখানেই চলে গেছেন l বাবা এখন বলছেন, তোমরা বুদ্ধি দিয়ে বিচার করো, ভক্তিমার্গেও তোমরা বেদ শাস্ত্র পড়তে, এখন আমি তোমাদের জ্ঞান শোনাচ্ছি l তোমরা বিচার করো - ভক্তি সঠিক নাকি আমরা সঠিক ? বাবা, অর্থাত্ রাম হলেন সঠিক, রাবণ হলো বেঠিক l প্রতি কথায়ই অসত্য বলে l এ কেবল জ্ঞানের কথার জন্যই বলা হয় l তোমরা এখন বুঝতে পারো যে, প্রথমে আমরা সবই অসত্য বলতাম l দান - পুণ্য ইত্যাদি করেও সিঁড়িতে নেমে এসেছি l তোমরা আত্মাদেরই দাও l যে পাপাত্মা, সেই পাপাত্মাকে দিলে পুণ্য আত্মা কিভাবে হবে ? ওখানে আত্মাদের এই দেওয়া - নেওয়া হয় না l এখানে তো লাখ টাকারও ধার নিতে থাকে l এই রাবণ রাজ্যে প্রতি পদে মানুষের দুঃখ l এখন তোমরা সঙ্গম যুগে আছো l তোমাদের তো এখন প্রতি পদে পদ্ম l দেবতারা পদ্মপতি কিভাবে হয়েছে ? এ কথা কেউই জানে না l স্বর্গ তো অবশ্যই ছিল l তার নিদর্শনও আছে l বাকি ওরা তো জানেই না যে, তারা পূর্বজন্মে কি এমন কর্ম করেছে যে রাজ্যভাগ্যের অধিকারী হয়েছে l সেটা তো হল নতুন সৃষ্টি l ওখানে অপ্রয়োজনীয় চিন্তা হয় না l ওই দুনিয়াকে সুখধাম বলা হয় l এ হলো পাঁচ হাজার বছরের কথা l তোমরা এই পড়া পড়ো সুখের জন্য, পবিত্র হওয়ার জন্য l বাবা অনেক যুক্তি বলেন l তিনি কত ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন, শান্তিধাম হলো আত্মাদের থাকার জায়গা, তাকে সুইট হোম বা মিষ্টি ঘর বলা হয় l বিদেশ থেকে ফিরলে যেমন মনে করবে, এখন আমরা আমাদের সুইট হোমে ফিরে যাচ্ছি l তোমাদের সুইট হোম হলো শান্তিধাম l বাবাও তো শান্তির সাগর, যাঁর পার্ট পরের দিকে হবে l তিনি কতো সময় শান্তিতে থাকেন l বাবার খুবই অল্প সময়ের পার্ট l এই ড্রামাতে তোমাদের হলো হিরো - হিরোইনের পার্ট l তোমরা এই বিশ্বের মালিক হও l এই নেশা কখনো আর কারোরই হওয়া সম্ভব নয় l আর কারোর ভাগ্যে এই স্বর্গের সুখই নেই l এ তো তোমরা, বাচ্চারাই পাও l যেই বাচ্চাদের বাবা দেখেন, তারা বলে, বাবা, তোমার কথাই বলবো, তোমার সাথেই কথা বলবো l বাবাও বলেন , বাচ্চারা, আমি তোমাদের দেখেও খুবই খুশী হই l আমি পাঁচ হাজার বছর পরে এসেছি, আমি বাচ্চাদের দুঃখধাম থেকে সুখধামে নিয়ে যাই কেননা কাম চিতায় বসে সকলেই জ্বলে ভস্ম হয়ে গেছে l এখন তাদের কবর থেকে বের করতে হবে l আত্মারা তো সবাই এখানে হাজির l তাদের পবিত্র হতে হবে l
বাবা বলেন - বাচ্চারা, বুদ্ধির দ্বারা এক সদ্গুরুকে স্মরণ করো আর সবাইকেই ভুলে যাও l একজনের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে হবে l তোমরা বলেছিলে, আপনি এলে, আপনি ছাড়া আর কেউই নয় l একমাত্র আপনার মতেই চলবো l আমরা শ্রেষ্ঠ হবো l এমন মহিমাও আছে যে, উঁচুর থেকে উঁচু হলেন ভগবান l তাঁর মতও উঁচুর থেকেও উঁচু l বাবা নিজেই বলেন, এই জ্ঞান যা আমি তোমাদের দিই, তা প্রায় লোপ হয়ে যাবে l ভক্তিমার্গের শাস্ত্র তো পরম্পরা ধরে চলে আসছে l এমনও বলা হয় যে, রাবণও চলে আসে l তোমরা জিজ্ঞেস করো, রাবণকে তোমরা কবে থেকে জ্বালাও, কেন জ্বালাও ? কেউ কিছুই জানে না l অর্থ না জানার কারণে কতো আনন্দ করে পালন করে l অনেক অতিথিকে তারা ডাকে l যেন তারা রাবণ জ্বালানোর উৎসব পালন করে l তোমরা বুঝতেই পারো না, কবে থেকে রাবণকে বানিয়ে আসছে l দিনে দিনে আরো বড় বানাচ্ছে, তারা বলে, এ পরম্পরা ধরে চলে আসছে কিন্তু এমন তো হতেই পারে না l অবশেষে রাবণকে কতদিন পর্যন্ত জ্বালাতে থাকবে ? তোমরা তো জানো যে, বাকি অল্প সময় আছে, এরপর তো এর রাজ্য আর থাকবে না l বাবা বলেন যে, এই রাবণ হলো সবথেকে বড় শত্রু, এর উপর বিজয় লাভ করতে হবে l মানুষের বুদ্ধিতে অনেক কথা আসে l তোমরা জানো যে, এই ড্রামাতে সেকেণ্ড বাই সেকেণ্ড যা চলে এসেছে, তা সবই লিপিবদ্ধ আছে l তোমরা তিথি - তারিখ সম্পূর্ণ হিসেব বের করতে পারো - কত ঘণ্টা, কত বছর, কত মাস আমাদের এই পার্ট চলে l এই সম্পূর্ণ জ্ঞান বুদ্ধিতে থাকা উচিত l বাবা আমাদের এইকথা বুঝিয়ে বলেন l বাবা বলেন, আমিই হলাম পতিত - পাবন l তোমরা আমাকে ডাকো যে, তুমি এসে আমাদের পবিত্র বানাও l পবিত্র দুনিয়া হলো শান্তিধাম আর সুখধাম l এখন তো এখানে সবাই পতিত l তোমরা সবসময় বাবা - বাবা বলতে থাকো l একথা ভুলে যেও না তাহলে সর্বদা শিববাবা স্মরণে আসবে l ইনি আমাদের বাবা l প্রথমে ইনি হলেন অসীম জগতের বাবা l বাবা বললে অবিনাশী উত্তরাধিকার খুশীর অনুভব হয় l কেবল ভগবান বা ঈশ্বর বললে এমন চিন্তা আসবে না l তোমরা সবাইকে বলো - বেহদের বাবা আমাদের ব্রহ্মার দ্বারা বোঝান l ইনি হলেন ওনার রথ l তিনি ওনার দ্বারা বলেন - বাচ্চারা আমি তোমাদের এমন বানাই l এই ব্যাজে সম্পূর্ণ জ্ঞান ভরা আছে l পরের দিকে তোমাদের এই স্মরণে থাকবে - শান্তিধাম আর সুখধাম l দুঃখধামকে তো তোমরা ভুলতে থাকো l এও সবাই জানে তবুও নম্বরের ক্রমানুসারে সবাই নিজের নিজের সময়ে আসবে l ইসলামী, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ইত্যাদি কতো অনেক আছে l অনেক ভাষা আছে l প্রথমে ছিলো এক ধর্ম এরপর কতো বের হয়ে গেছে l কতো লড়াই ইত্যাদি লেগেই আছে l সকলেই লড়াই করছে কারণ সকলেই এখন অনাথ হয়ে গেছে l বাবা এখন বলছেন, আমি তোমাদের যে রাজ্যের অধিকার দিই তা কখনোই কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না l বাবা স্বর্গের অবিনাশী বর্সা দেন যা কেউই ছিনিয়ে নিতে পারে না l এতে তোমাদের অখণ্ড, অটল, অটুট থাকতে হবে l মায়ার ঝড় তো অবশ্যই আসবে l যারা প্রথমদিকে থাকবে তারা তো সবই অনুভব করবে l এই অসুখ - বিসুখ সবই চিরকালের জন্য শেষ করতে হবে, তাই কর্মের হিসেব - নিকেশ, রোগ ইত্যাদি বেশী আসলে ভয় পেয়ো না l এ সবই পরের দিকের, এরপর তা আর হবে না l এখন সবই উথালপাথাল হবে l বৃদ্ধকেও মায়া যুবা করে দেবে l মানুষ যখন বাণপ্রস্থে যায়, তখন সঙ্গে কোনো মহিলা যায় না l সন্ন্যাসীরাও জঙ্গলে চলে যায় l সেখানেও কোনো মহিলা থাকে না l তারা কারোর দিকেই তাকায় না l ভিক্ষা নেয় আর চলে যায় l আগে তো স্ত্রীর দিকেও তাকাতো না l তারা মনে করতো তাহলে বুদ্ধি সেই দিকে আকর্ষণ হবে l ভাই - বোনের সম্পর্কেও বুদ্ধি আকর্ষণ করে তাই বাবা বলেন ভাই - ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখো l শরীরের নামের আকর্ষণও যেন না থাকে l এ অনেক উঁচু লক্ষ্য l একদম উপরে শিখায় যেতে হবে l এই রাজধানী এখন স্থাপন হচ্ছে l এতে অনেক পরিশ্রম l তোমরা বলো, আমরা তো লক্ষ্মী - নারায়ণ হবো l বাবা বলেন, আচ্ছা, ঠিক আছে হও l আমার শ্রীমতে চলো l মায়ার ঝড় তো আসবেই, কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে কোনো খারাপ কাজ করো না l দেউলিয়া তো এমনিতেই হয় l এমনও নয় যে, জ্ঞানে এলো তো তারপর দেউলিয়া হয়ে গেলো l এ তো চলেই আসছে l বাবা বলেন, আমি আসিই তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র করতে l কখনো কেউ খুব ভালো সেবা করে, অন্যদেরও বোঝায় তারপর দেউলিয়া হয়ে নিজেই চলে যায় ----মায়া খুবই জবরদস্ত l ভালো ভালো বাচ্চারাও নেমে যায় l বাবা বসে বোঝান, আমার সেবা করে এমন বাচ্চাই আমার প্রিয় l তারা অনেককেই সুখদায়ী করে, আমি এমন বাচ্চাদেরই স্মরণ করি l আচ্ছা l
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্নেহ -- সুমন এবং সুপ্রভাত l আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার l
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. কারোর নাম রূপে মোহিত হয়ে কুল কলঙ্কিত হবে না l মায়ার প্রভাবে এসে একে অপরকে দুঃখ দেবে না l বাবার থেকে শক্তির (সমর্থীর) অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে l
২. সদা খুশীতে থাকার সংস্কার এখান থেকেই ভরপুর করতে হবে l এখন পাপ আত্মাদের সঙ্গে কোনো প্রকারের দেওয়া - নেওয়ার সম্পর্ক স্থাপন করবে না l অসুখ -বিসুখ দেখেও ভয় পেয়ো না, সব হিসেব - নিকেশ এখনই শোধ করতে হবে l
বরদান:-
পরিস্থিতিকে শিক্ষক মনে করে তার থেকে পাঠ নিয়ে অনুভবের প্রতিমূর্তি ভব
কোনো পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যাওয়ার পরিবর্তে অল্প সময়ের জন্য তাকে শিক্ষক মনে করো l পরিস্থিতি তোমাদের বিশেষ দুটি শক্তির অনুভবী করে, এক সহনশক্তি আর দ্বিতীয় মোকাবিলা করবার শক্তি l এই দুটি শিক্ষা যদি গ্রহণ করতে পারো, তাহলে অনুভবী হয়ে যাবে l তোমরা যখন বলো, আমি তো ট্রাস্টি, আমার তো কিছুই নেই, তাহলে কেন পরিস্থিতি দেখে ঘাবড়ে যাও ! ট্রাস্টির অর্থ সবকিছুই বাবার অধীন করে দিয়েছ তাই যা হবে তা ভালোই হবে, এই স্মৃতিতে সদা নিশ্চিন্ত, সমর্থ স্বরূপ থাকো l
স্লোগান:-
যার স্বভাব মিষ্টি সে ভুল করেও কাউকেই দুঃখ দেয় না l