২৮-০২-১৯ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --- তোমরা এখন রাজহংস(হোলীহংস) হওয়ার পুরুষার্থ করছ, এই লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো তোমাদের রাজহংস অর্থাৎ সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে"
প্রশ্ন:-
এই জ্ঞানমার্গে তীব্রগতিতে এগিয়ে যাওয়ার সহজ উপায়(বিধি) কি?
উত্তর:-
এই জ্ঞানে যদি তীব্রগতিতে এগিয়ে যেতে হয় তবে আর সব চিন্তা ছিন্ন হয়ে কেবল বাবার স্মরণে মন জুড়ে যায়, যাতে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যায় এবং অশুদ্ধতা সম্পূর্ণরূপে নিষ্কাশিত হয়ে যায়। স্মরণের যাত্রাই হল উচ্চপদ লাভের আধার, এর দ্বারাই তোমরা কড়ি থেকে হীরে-তুল্য হতে পার। তোমাদের কড়ি থেকে হীরা, পতিত থেকে পবিত্র বানানোই হল বাবার কর্তব্য। এই কর্তব্য পালন ব্যতীত বাবাও যে থাকতে পারেন না*।
ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন যে, এই দুনিয়ায় কেউ রাজহংস-সদৃশ রয়েছে তো কেউ বক সদৃশও রয়েছে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হল রাজহংস, তোমাদের এঁদের মতো হতে হবে। তোমরা বলবে যে, আমাদের দৈব-সম্প্রদায় তৈরী হচ্ছে, আমি তোমাদের রাজহংসে পরিণত করি, এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ তৈরী হওনি, হতে হবে। হংস মুক্তো বেছে নেয় আর বক নোংরা খায়। এখন আমরা রাজহংসে পরিণত হচ্ছি তাই দেবতাদের ফুল বলা হয় আর ওদের বলা হয় কাঁটা। হংস ছিলে তারপরে আবার নিম্নে অবতরণ করতে করতে বকে পরিণত হয়েছ। অর্ধ-কল্প রাজহংস, অর্ধ-কল্প বক। হংস হওয়ার পথেও মায়ার অনেক বিঘ্ন আসে। কিছু না কিছু কারণে পতন হয়। মুখ্যতঃ দেহ-অভিমানের কারণেই পতন হয়। বাচ্চারা, এই সঙ্গমেই তোমাদের পরিবর্তিত হতে হবে। যখন তোমরা সম্পূর্ণ রাজহংসে পরিণত হও তখন শুধু হংসই হংস( সকলেই হংস) হও। রাজহংস অর্থাৎ দেবী-দেবতা, তাঁরা থাকেন নতুন দুনিয়ায়। পুরানো দুনিয়ায় একজনও হংস হতে পারে না। যদিও সন্ন্যাসীরা রয়েছে কিন্তু তারা হল পার্থিব জগতের(হদের) সন্ন্যাসী। তোমরা হলে অসীমের (বেহদের) সন্ন্যাসী। বাবা বেহদের সন্ন্যাস শিখিয়েছেন। এই দেবতাদের মতো সর্বগুণসম্পন্ন আর কোনো ধর্মাবলম্বীরা হতেই পারে না। এখন বাবাও এসেছেন -- আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে। তোমরাই নতুন দুনিয়ায় সর্বপ্রথমে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে আসো, আর কেউ কি নতুন দুনিয়ায় আসতে পারে ? না, পারে না। এখন এই দেবতাদের ধর্মই প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। এই কথাও তোমরা এখনই শুনছ আর বুঝতে পারছ। আর কেউ-ই বুঝতে পারে না। ওসব হল মনুষ্য মত, বিকারের দ্বারা জন্মলাভ করেছে, তাই না। সত্যযুগে বিকারের কোনো কথাই নেই। দেবতারা পবিত্র ছিল। সেখানে সবকিছুই যোগবলের দ্বারা হয়। এখানকার পতিত মনুষ্যরা কি করে জানবে যে সেখানে সন্তান কিভাবে জন্মলাভ করে? সেখানকার নামই হল পবিত্র দুনিয়া(ভাইসলেস ওয়ার্ল্ড)। বিকারের কোনো কথাই নেই। তারা বলবে যে পশু ইত্যাদিরা কিভাবে জন্ম নেয়। তাদের বলো, ওখানে আছে শুধুই যোগবল, বিকারের কোনো কথাই নেই। ১০০ শতাংশ পবিত্র দুনিয়া। আমরা তো শুভ কথা বলি। তোমরা অশুভ কথা কেন বল? এর নামই হল বেশ্যালয় আর ওখানকার নামই হল শিবালয়। সেই শিবালয়ের স্থাপনা শিববাবাই করছেন। শিববাবা হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম স্তম্ভ (টাওয়ার)। আর শিবালয়ও এমনই লম্বা বানান। শিববাবা তোমাদের-কেও সুখ-স্তম্ভে পরিণত করেন, আবার সুখের টাওয়ারে(স্তম্ভ) নিয়ে যান, তাই বাবার প্রতি আমাদের অত্যন্ত ভালবাসা থাকে। ভক্তিমার্গেও শিববাবার সাথে অত্যন্ত ভালবাসা থাকে। অত্যন্ত ভালবেসেই শিববাবার মন্দিরে যায় কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না। বাচ্চারা, এখন তোমরা সর্বগুণসম্পন্ন হচ্ছ, এখনও হওনি। তোমাদের পরীক্ষা তখনই হবে যখন তোমাদের রাজধানী সম্পূর্ণ স্থাপন হয়ে যাবে। তখন আর সবকিছুই সমাপ্ত হয়ে যাবে, আর পুনরায় নম্বরের ক্রমানুসারে অল্প- অল্প করে আসতে থাকবে। তোমাদের রাজত্ব তো সর্বপ্রথমেই শুরু হয়। আর অন্য কোনো ধর্মের রাজত্ব প্রথমে শুরু হয় না। তখন শুধু তোমাদেরই রাজত্ব। বাচ্চারা, একমাত্র তোমরাই এই বিষয়টি জানো। বাচ্চারা বেনারসে সেবায় গেছে, তাদের বোঝানোর নেশা রয়েছে। কিন্তু লোকেরা এতটা বুঝতে পারে না। কথিতও আছে - কোটিতে কেউ। হংস কোনো বিরল ব্যক্তিই হয়। যদি না হয়, তবে অনেক শাস্তিভোগ করতে হয়। কেউ কেউ তো ৯৫ শতাংশ শাস্তিভোগ করে, শুধু ৫ শতাংশই চেঞ্জ হতে পারে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন নম্বর তো হয়, তাই না। এখন কেউ-ই নিজেকে রাজহংস বলতে পারে না। পুরুষার্থ করছে। যখন জ্ঞান সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন লড়াই-ও লাগবে। জ্ঞান সম্পূর্ণরূপে ধারণ করতে হবে। সেই লড়াই-ই ফাইনাল হবে। এখনও তো কেউ ১০০ শতাংশ তৈরী হয়নি। এখন তো ঘরে-ঘরে সমাচার পাঠাতে হবে। অনেক বড় অভ্যুত্থান (রিভলিউশন) হবে। যাদের বড়-বড় সংস্থা রয়েছে, সেইসবই নড়বড়ে হয়ে যাবে। ভক্তিমার্গের আসনও নড়বড় করবে। এখন তো ভক্তির রাজ্য, তাই না। এর উপরেই তোমরা বিজয় লাভ কর। এখন হল প্রজার উপর প্রজার রাজ্য, পুনরায় বদল হবে। এই রাজ্য লক্ষ্মী-নারায়ণের হবে। তোমরা সাক্ষাৎকার করতে থাকবে। শুরুতে তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার করানো হয়েছে। কিভাবে রাজধানী পরিচালিত হয়। কিন্তু যাঁরা সাক্ষাৎকার করেছিলেন তাঁরা আজ আর নেই। এও ড্রামা। ড্রামায় যার যা পার্ট রয়েছে তা চলতেই থাকবে। এতে আমরা কি কারও মহিমা করব ? না করব না। বাবাও বলেন, তোমরা আমার মহিমা কিভাবে করবে? আমার কর্তব্যই হল পতিত থেকে পবিত্র বানানো। টিচারের কর্তব্য পড়ানো। নিজের কর্তব্য যারা পালন করছে তাদের কি মহিমা করবে? বাবা বলেন, আমিও ড্রামার অধীনেেই রয়েছি, এতে আবার শক্তি কিসের। এ হল আমার কর্তব্য। প্রতি কল্পের সঙ্গমে এসে পতিত থেকে পাবন হওয়ার রাস্তা বলে দিই। আর আমিও পবিত্র করার কর্তব্য ব্যতীত থাকতে পারি না। আমার পার্ট সঠিকভাবে নির্ধারিত (অ্যাকিউরেট)। এক সেকেন্ডও দেরী বা পূর্বে আসতে পারি না। একদম সঠিক সময়ে সেবার পার্ট করি। সেকেন্ড বাই সেকেন্ড যা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, ড্রামা আমাকে দিয়ে তা করিয়ে নেয়। আমিও পরবশ, এতে মহিমার কোনো কথা নেই। আমি প্রতিকল্পে আসি, আমাকে আহ্বান করা হয় যে, হে পতিত-পাবনকারী, এসো। দুনিয়াতে কত কত পতিত । এক একটি অবগুণ ছাড়তে কত পরিশ্রম করতে হয়। অনেক সময় কাল পবিত্র থেকেও চলতে-চলতে মায়ার থাপ্পড় খেয়ে মুখ কালো করে ফেলে।
এ হলই তমোপ্রধাণ দুনিয়া। শত্রু-রূপী মায়া অনেক বাধার সৃষ্টি করে। সন্ন্যাসীও তো বিকার থেকেই জন্ম নেয়। কোনো জ্যোতি মহাজ্যোতিতে বিলীন হয়ে যেতে পারে না, কেউ-ই ফিরে যেতে পারে না। আত্মা তো অবিনাশী, আর তার পার্টও অবিনাশী, তাহলে জ্যোতি মহাজ্যোতিতে কিভাবে বিলীন হয়ে যেতে পারে। যত বেশী মানুষ তত বেশী কথা। এ সবই হল মনুষ্য মত। ঈশ্বরীয় মত হল একটিই(অদ্বিতীয়)। দেবতা মত তো এখানে হতে পারে না। দেবতা হয় সত্যযুগে। এ হল অত্যন্ত বোঝার মত বিষয়। মানুষ তো কিছুই জানে না, তবেই তো ঈশ্বরকে ডেকে বলে যে, কৃপা কর। বাবা বলেন, আমি তোমাদেরকে এমন যোগ্য বানাই, যার ফলে তোমরা পূজন যোগ্য হয়ে যাও। এখন কি তোমরা পূজ্য হয়েছ ? না, হও নি। এখন যোগ্য হচ্ছ। তোমরা জানো যে আমরা এমন হব, পুনরায় ভক্তিমার্গে আমাদেরই মহিমা হবে, আমাদেরই মন্দির তৈরী হবে। তোমরা জানো যে, চন্ডিকা দেবীরও মেলা হয়। চন্ডী, যে বাবার শ্রীমতে চলে না। তথাপি বিশ্বকে পবিত্র বানানোর জন্য কিছু না কিছু তো সাহায্য করে, তাই না ! তাদের সেনাও রয়েছে, তাই না। তোমরা সাজা ভোগ করেও আবার বিশ্বের মালিক হও, তাই না। এখানে যদি কোনো ভীলও( নিম্নবর্গের লোক) থাকে, সেও বলবে যে আমি ভারতের মালিক। আজকাল দেখো একদিকে গায়, ভারত আমাদের সর্বাপেক্ষা উচ্চ দেশ আর অন্যদিকে আবার বলে, ভারতের দেখো কি হাল হয়েছে ! রক্তের নদী বইতে থাকে। রেকর্ডের এক পিঠে মহিমা তো আর এক পিঠে নিন্দা ! কিছুই বোঝে না। এখন বাবা তোমাদের সঠিক রীতিতে বোঝাচ্ছেন। মানুষ কি জানে যে, এদের ভগবান পড়ায় ? না, জানে না। তারা বলবে যে, ও আচ্ছা ! এরা ভগবানকে টিচার বানিয়ে রেখেছে ! আরে, ভগবানুবাচ রয়েছে না যে, আমি তোমাদের রাজার রাজা বানাই। শুধু গীতায় মানুষের নাম দিয়ে গীতাকে খন্ডন করে দিয়েছে। কৃষ্ণ ভগবানুবাচ, এ তো মনুষ্য মত গেল, তাই না। কৃষ্ণ কিভাবে এখানে আসবে? তিনি তো সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন। ওঁনার কিসের চিন্তা রয়েছে যে উনি এই পতিত দুনিয়ায় আসবেন।
বাচ্চারা, বাবাকে তো তোমরাই জানো কিন্তু তোমাদের মধ্যেও কোনো কোনো বিরল ব্যক্তিই যথার্থ রীতিতে বাবাকে জানে। বাচ্চারা,তোমাদের মুখ থেকে সদা রত্ন নির্গত হওয়া উচিত, পাথর নয়। নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে আমরা কি এরকম তৈরী হয়েছি ? যদিও চায় যে, আমরা যেন অশুদ্ধতা(নোংরা) থেকে শীঘ্রই বেরিয়ে আসতে পারি কিন্তু শীঘ্রই তা হতে পারে না। সময় লাগে, তোমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যারা বোঝায় তারাও নম্বরের ক্রমানুসারেই হয়। যুক্তিযুক্তভাবে বোঝাতে ধীরে ধীরে পারবে, তখন তোমাদের তীর নিশানায় লাগবে। তোমরা জানো যে, এখন তোমাদের পঠন-পাঠন চলছে। পড়ান যিনি, তিনি তো অদ্বিতীয়। সকলেই তাঁর কাছে পড়ে। ভবিষ্যতে তোমরা এমন লড়াই দেখবে যে সেকথা আর এখন জিজ্ঞাসা কোরো না। লড়াই-য়ে তো অনেক মারা যাবে। তখন এতো আত্মারা কোথায় যাবে। আবার কি একসাথেই জন্ম নেবে? বৃক্ষ(সৃষ্টি ঝাড়) বড় হতেই থাকে, অনেক শাখা-প্রশাখা, পাতা হয়ে যায়। রোজ কত জন্ম নেয় আবার মরেও কত। ফিরে তো কেউ-ই যেতে পারে না। মানুষের বৃদ্ধি হতেই থাকে। এই বিস্তারিত কথায় যাওয়ার পূর্বে বাবাকে স্মরণ কর যাতে বিকর্ম বিনাশ হয় আর অশুদ্ধতা নির্গত হয়ে যায়। তারপর অন্যকথা। তোমরা এসব চিন্তা করতে যেও না। প্রথমে নিজের পুরুষার্থ কর, যেন এরকম হতে পারো। মুখ্য হল স্মরণের যাত্রা আর সকলকে সমাচার দিতে হবে। দূত (পয়গম্বর) হলেন একমাত্র তিনিই। ধর্মস্থাপকদেরও দূত বা ধর্মগুরু (প্রিসেপ্টার্স) বলতে পার না। সদ্গতি দাতা হলেন এক সত্গুরুই। এছাড়া ভক্তিমার্গেও তো মানুষ নিজেদেরকে কিছুটা সংশোধন করে। কোনো না কোনো দান করে। তীর্থস্থানে গিয়েও কিছু না কিছু দান করে আসে। তোমরা তো একথা জানো যে এই অন্তিম জন্মে বাবা আমাদের হীরে-তুল্য বানাচ্ছেন। একেই অমূল্য জীবন বলে। কিন্তু পুরুষার্থ তো এতটা করতে হবে। তোমরা বলবে যে আমাদের কোনো দোষ নেই। আরে, আমি এসেছি সুন্দর ফুল(গুল-গুল) বানাতে, তাহলে তোমরা কেন তা হও না ? পবিত্র বানানোই হল আমার কর্তব্য। তাহলে তোমরা কেন পুরুষার্থ কর না ? যিনি পুরুষার্থ করান সেই বাবাকে তো পেয়েছ। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে কে এমন বানিয়েছে? দুনিয়া কি জানে, না জানে না। বাবা আসেনই সঙ্গমে। এখন তোমাদের কথা কেউ বুঝতে পারে না। ভবিষ্যতে যখন সবাই তোমাদের কাছে আসবে তখন গুরুদের ভক্তরা কমে যাবে। বাবা বলেন, এই বেদ শাস্ত্রের সার কথা আমি শোনাই। অনেক অনেক গুরু রয়েছে, সবই ভক্তিমার্গের। সত্যযুগে সকলেই পবিত্র ছিল পরে পতিত হয়ে গেছে। এখন পুনরায় বাবা এসে তোমাদের অসীমের সন্ন্যাস করান, কারণ এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। তাই বাবা বলেন -- এই কবরখানা থেকে বুদ্ধিযোগ বের করে এনে আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ কর, তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। এখন হল বিনাশের সময়। সকলের হিসেব-নিকেশ ক্লিয়ার হয়ে যাবে। সমগ্র দুনিয়ায় যত আত্মা রয়েছে, সব আত্মাতেই সম্পূর্ণ পার্ট ভরা রয়েছে। আত্মা শরীর ধারণ করে অভিনয়(পার্ট) করে। তাই আত্মাও অবিনাশী আর পার্টও অবিনাশী। এতে কোনো পার্থক্য হতে পারে না। হুবহু রিপীট হতেই থাকে। এ হল বেহদের অনেক বড় ড্রামা। আর এ নম্বরের ক্রমানুসারেই হয়। কেউ সূক্ষ্ম সার্ভিস করে তো কেউ স্থূল সার্ভিস করে। কেউ কেউ বলে, বাবা আমরা আপনার ড্রাইভার হব, তাহলে ওখানেও বিমানের মালিক হয়ে যাব। আজকের ধণী ব্যক্তিরা মনে করে যে এখন এই আমাদের কাছে স্বর্গ। বড়-বড় বাড়ি রয়েছে, বিমান রয়েছে। বাবা বলেন, এইসব হল নকল( আর্টিফিসিয়াল), একে মায়ার আড়ম্বর বলা হয়। কি কি শিখতে থাকে। জাহাজ ইত্যাদি তৈরী করে। এখন এই জাহাজ ইত্যাদি ওখানে কি কোনো কাজে লাগবে ? না, লাগবে না। বোমা তৈরী করে, এসব কি ওখানে কোনো কাজে আসবে, না আসবে না। সুখ প্রদানকারী জিনিসপত্র কার্যে আসবে। বিনাশের কার্যে সাইন্স অনেক সাহায্য করে। আবার সেই সায়েন্সই তোমাদের নতুন দুনিয়া স্থাপনে সাহায্য করবে। বড় আশ্চর্যজনকভাবে এই ড্রামা তৈরী হয়েছে। *আচ্ছা*!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন, স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. এই বিনাশের সময় পুরানো দুনিয়া থেকে অসীমের (বেহদের) সন্ন্যাস নিতে হবে। এই কবরখানা থেকে বুদ্ধি সরিয়ে নিতে হবে। (বাবার) স্মরণে থেকে সব পুরানো হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে নিতে হবে।
২. মুখ দিয়ে যেন সদা জ্ঞান-রত্ন নির্গত হয়, প্রস্তর নয়। সম্পূর্ণরূপে রাজহংস হতে হবে। কাঁটাকে ফুল বানানোর সেবা করতে হবে।
বরদান:-
সদা কেয়ারফুল থেকে মায়ার রয়্যাল-রূপের ছায়া থেকে সুরক্ষিত থাকা মায়াপ্রুফ ভব
বর্তমান সময়ে মায়া সত্যিকারের(রিয়্যাল) বোধশক্তিকে, অনুভব শক্তিকে সরিয়ে দিয়ে ভুলকেই সঠিক অনুভব করায়। যেমন কেউ যদি জাদুমন্ত্র করে তবে পরের বশ হয়ে যায়। তেমনই রয়্যাল রূপের মায়া রিয়্যালকে(সত্যিকে) বুঝতে দেয় না, তাই বাপদাদা অ্যাটেনশনকে ডবল আন্ডারলাইন করাচ্ছেন। এমন সাবধানে থাক, যাতে মায়ার ছায়া(কবল) থেকে সেফ, মায়াপ্রুফ হয়ে যাও। বিশেষভাবে মন-বুদ্ধিকে বাবার ছত্রছায়ার নিকটে নিয়ে যাও।
স্লোগান:-
যিনি সহজযোগী, তাকে দেখে অন্যরাও সহজেই যোগযুক্ত হয়ে যায়*।