১৪-০১-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমাদের সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে তাই কখনও কাউকে দুঃখ দেবে না, কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা কোনোরকম বিকর্ম যেন না হয়, সদা বাবার আদেশ অনুসারে চলতে থাকো"
প্রশ্ন:-
পাথর থেকে পরশমণি হওয়ার যুক্তি কি ? কোন রোগটি এই ক্ষেত্রে বিঘ্ন রূপে আসে ?
উত্তর:-
পাথর থেকে পরশমণি হওয়ার জন্যে সম্পূর্ণ নারায়ণী(নর থেকে নারায়ণ হওয়া) নেশা চাই। দেহ-অভিমান যেন না থাকে। এই দেহ-অভিমান - ই হল কঠিনতম অসুখ। যতক্ষণ দেহী-অভিমানী নয় ততক্ষণ পরশমণি হতে পারবে না। যারা পরশমণি হবে তারাই বাবার সহযোগী হবে। ২. সার্ভিসও তোমাদের বুদ্ধিকে সোনায় পরিণত করবে। এর জন্যে পড়াশোনায় পুরো মনোযোগ দিতে হবে ।
ওম্ শান্তি ।
রূহানী বাচ্চাদের প্রতি রূহানী পিতা সাবধানী নির্দেশ দেন যে বাচ্চারা নিজেদের সঙ্গমযুগী ভাবো। সত্যযুগী তো ভাববে না। তোমরা ব্রাহ্মণরাই নিজেদের সঙ্গমযুগী ভাববে। অন্যরা তো সবাই নিজেদের কলিযুগী ভাববে। অনেক তফাৎ আছে - সত্যযুগ ও কলিযুগ, স্বর্গবাসী বা নরকবাসী। তোমরা হলে না স্বর্গবাসী, না নরকবাসী। তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গমবাসী। এই সঙ্গম যুগকে তোমরা ব্রাহ্মণরাই জানো আর অন্য কেউ জানে না। তোমরা যদিও জানো তবুও ভুলে যাও। এবার মানুষদের কিভাবে বোঝানো যায়। তারা তো রাবণের বন্ধনে আবদ্ধ আছে। রামরাজ্য তো নয়। রাবণ দহন করতেই থাকে, এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে এই হল রাবণ রাজ্য। রাম রাজ্য কি এবং রাবণ রাজ্য কি, এইসব তোমরা এখন বুঝেছ - নম্বর অনুযায়ী। বাবা আসেন সঙ্গম যুগে তবেই বর্তমানে এই সাক্ষাৎ ঘটে - সত্যযুগ এবং কলিযুগের। কলিযুগ বাসীদের নরকবাসী, সত্যযুগ বাসীদের স্বর্গবাসী বলা হয়। স্বর্গবাসীদের পবিত্র, নরকবাসীদের পতিত বলা হয়। তোমাদের তো কথাই অনুপম। সুতরাং তোমরা এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগকে জানো। তোমরা জানো আমরা হলাম ব্রাহ্মণ। বর্ণের চিত্রটিও খুব ভালো। এই চিত্রের আধারে তোমরা বোঝাতে পারো। বিপ্রতীপ(কনট্রাস্ট ) বলা উচিত, যাতে মানুষ নিজেদের নরকবাসী পতিত কাঙাল ভাবে। লেখা উচিত এখন হল পুরানো কলিযুগী দুনিয়া। সত্যযুগ স্বর্গ হল নতুন দুনিয়া। তোমরা নরকবাসী নাকি স্বর্গবাসী ? তোমরা দেবতা না অসুর ? এমন তো কেউ বলবে না যে আমরা হলাম স্বর্গবাসী। অনেকে এমন ভাবে আমরা তো স্বর্গে বসে আছি। আরে এইটি তো হল নরক তাইনা। সত্যযুগ কোথায়। এই হল রাবণ রাজ্য, তবেই তো রাবণকে পোড়ানো হয়। তাদের কাছেও অনেক উত্তর থাকে। সর্বব্যাপী নিয়েও কত তর্কবিতর্ক (ডিবেট) করে। তোমরা বাচ্চারা একদম সরাসরি জিজ্ঞাসা কর - এখন নতুন দুনিয়া নাকি পুরানো দুনিয়া। এমন পরিস্কার ভাবে উভয়ের পার্থক্য (ক্লিয়ার কনট্রাস্ট) বলা উচিত, এর জন্যে খুব বুদ্ধি চাই। এমন যুক্তি দিয়ে লেখা উচিত যাতে মানুষ নিজেকে জিজ্ঞাসা করে যে আমি কি নরকবাসী, না স্বর্গবাসী ? এটা কি পুরানো দুনিয়া, না নতুন দুনিয়া ? এটা রামরাজ্য না রাবণ রাজ্য ? আমরা পুরানো কলিযুগী দুনিয়ার নিবাসী না নতুন দুনিয়ার নিবাসী ? হিন্দিতে লিখে তারপরে ইংরেজিতে, গুজরাটিতে ট্রান্সলেট কোরো। তো মানুষ নিজেকে জিজ্ঞাসা করবে আমরা কোথাকার নিবাসী। কেউ শরীর ত্যাগ করলে বলা হয় স্বর্গে গেছে কিন্তু স্বর্গ এখন আছে কোথায় ? এখন তো হল কলিযুগ। অবশ্যই পুনর্জন্মও এখানেই নেবে তাই না ! স্বর্গ তো সত্যযুগকে বলা হয়, সেখানে এখন যাবে কিভাবে। এইসব বিচার সাগর মন্থন করার কথা। এমন পরিস্কার ভাবে উভয়ের পার্থক্য যেন থাকে, তাতে লিখে দাও ভগবানুবাচ - প্রত্যেকে নিজেকে প্রশ্ন করো যে আমি সত্যযুগী রামরাজ্য নিবাসী, না কলিযুগী রাবণ রাজ্যের নিবাসী ? তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে সঙ্গম যুগী, তোমাদের তো কেউ জানেনা। তোমরা হলে সবচেয়ে নির্লিপ্ত এবং বাবার ঘনিষ্ঠ । তোমরা সত্যযুগ কলিযুগ সম্পর্কে যথার্থ ভাবে জানো। তোমরা প্রশ্ন করতে পারো যে তোমরা বিকারী ভ্রষ্টাচারী নাকি নির্বিকারী শ্রেষ্ঠাচারী ? এই নিয়ে তোমাদের বই তৈরি হতে পারে। নতুন কথা বের করতে হয় তাইনা, যাতে মানুষ ভাবে যে ঈশ্বর সর্বব্যাপী নন। তোমাদের এই লেখা দেখে তারা নিজেরাই মনে মনে প্রশ্ন করবে। এই সময় কে আয়রন এজ তো সবাই বলবে। সত্যযুগী দেবতা দের রাজত্ব তো একে কেউ বলতে পারবেনা। এইটি নরক না স্বর্গ। এমন ফার্স্ট ক্লাস লেখো যাতে মানুষ নিজে থেকেই বুঝতে পারে যে আমরা হলাম যথাযথভাবে নরকবাসী পতিত। আমাদের মধ্যে দৈব গুণ তো একেবারেই নেই। কলিযুগে কেউ সত্যযুগী হতে পারেনা। এমন বিচার সাগর মন্থন করে লেখা উচিত। যে অর্জন করবে সেই অর্জুন ..... গীতায় অর্জুনের নাম দেওয়া হয়েছে।
বাবা বলেন এই যে গীতা আছে সেটা হল আটায় যতটুকু লবণ । নুন ও চিনির মধ্যে কত তফাৎ .... একটি মিষ্টি দ্বিতীয়টি নোনতা। কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লিখে গীতাকে লবনাক্ত করা হয়েছে। মানুষ পাঁকে ফেঁসে গেছে। তাদের জ্ঞানের রহস্য জানা নেই, জ্ঞান ভগবান তোমাদেরই বলছেন অন্যরা কেউ জানেনা। নলেজ তো খুবই সহজ। কিন্তু ভগবান পড়ান সেই কথা ভুলে যায়। টিচারকেই ভুলে যায়। তা নাহলে স্টুডেন্ট কখনো টিচারকে ভুলে যায়না। ক্ষণে ক্ষণে বলে বাবা আমরা আপনাকে ভুলে যাই। বাবা বলেন মায়া কম নয়। তোমরা দেহ-অভিমানী হয়ে যাও। অনেক বিকর্ম কর। এমন একটা দিন নেই যে বিকর্ম করো না। একটাই মুখ্য বিকর্ম করো যা হল বাবার আদেশ ভুলে যাও। বাবা আদেশ করেন মন্মনাভব, নিজেকে আত্মা ভাবো। এই আদেশ না মানলে বিকর্ম হবে নিশ্চয়ই। অনেক পাপ কর্ম হয়ে যায়। বাবার আদেশ যেমন খুব সহজ তেমন খুব কঠিন। যতই মাথা খাটাও তবুও ভুলেই যাবে কারণ অর্ধকল্প দেহ-অভিমান অবস্থা হয় কিনা। ৫ মিনিটও যথার্থ ভাবে স্মরণে বসতে পারে না। যদি সারা দিন স্মরণে থাকে তাহলে তো কর্মাতীত অবস্থা হয়ে যাবে। বাবা বোঝান এতেই পরিশ্রম আছে। তোমরা ঐ দৈহিক পড়াশোনা তো ভালো ভাবে কর । হিস্ট্রি- জিওগ্রাফি পড়ার কত প্র্যাক্টিস আছে। কিন্তু স্মরণের যাত্রা করার একেবারেই অভ্যাস নেই। নিজেকে আত্মা ভেবে বাবাকে স্মরণ করা - এই হল নতুন কথা। বিবেক বলে এমন পিতাকে তো ভালো ভাবে স্মরণ করা উচিত। একটু সময় বের করা হয় ভাত রুটি খাওয়ার জন্যে, তাও বাবার স্মরণে। যত স্মরণে থাকবে তত পবিত্র হবে। এমন অনেক বাচ্চা আছে, যাদের কাছে এত টাকা পয়সা আছে যে সুদ প্রাপ্ত হবে। বাবাকে স্মরণ করে রুটি খেতে থাকো, ব্যস। কিন্তু মায়া স্মরণ করতে দেয় না। কল্প পূর্বে যে যতখানি পুরুষার্থ করেছে ততই করবে। সময় লাগে। কেউ শীঘ্র দৌড়ে পৌঁছে যাবে এমন তো হতে পারেনা। এখানে তো দুই জন পিতা আছেন। বেহদের পিতার নিজস্ব শরীর নেই। তিনি এনার মধ্যে প্রবেশ করে কথা বলেন। সুতরাং বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলা উচিত। বাবা বাচ্চাদের এই শ্রীমৎ দেন যে দেহ সহ সব ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা ভাবো। তোমরা পবিত্র এসেছিলে। ৮৪ জন্ম নিতে নিতে তোমাদের আত্মা পতিত হয়েছে। এখন পবিত্র হওয়ার জন্যে শ্রীমৎ অনুসারে চলো, তখন বাবা গ্যারান্টি করেন তোমাদের পাপ কেটে যাবে, তোমাদের আত্মা কাঞ্চন সম হয়ে যাবে, তারপরে স্বর্গে দেহও কাঞ্চন সম প্রাপ্ত হবে। যারা এই কুলের হবে তারা তোমাদের কথা শুনে চিন্তায় পড়ে যাবে, বলবে তোমাদের কথা তো ঠিক। পবিত্র হতে হলে কাউকে দুঃখ দেবে না। মন, বচন, কর্মে পবিত্র হতে হবে। মনে ঝড় উঠবে। তোমরা বেহদের বাদশাহী প্রাপ্ত কর কিনা, তোমরা সত্যি কথা বল বা না বল কিন্তু বাবা নিজে বলেন - মায়ার অনেক বিকল্প আসবে, কিন্তু কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা কোনও বিকর্ম করবে না। কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা কোনো পাপ করবেনা।
সুতরাং এইরকম বৈসাদৃশ্য (কনট্রাস্ট) দেখিয়ে কথা গুলো লেখা উচিত। কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নেন এবং শিব পুনর্জন্ম নেন না। কৃষ্ণ হলেন সর্বগুণ সম্পন্ন দেবতা, ইনি তো হলেন পিতা। তোমরা দেখেছ পাণ্ডবদের কত বিশাল ছবি বানিয়েছে। তার অর্থ হল যে তারা বিশাল বুদ্ধির অধিকারী ছিলেন। বুদ্ধি বিশাল ছিল, তারা শরীর বিশাল বানিয়েছে। তোমাদের মতন বিশাল বুদ্ধি অন্য কারো হতে পারেনা। তোমাদের হল ঈশ্বরীয় বুদ্ধি। ভক্তি মার্গে কত বিশাল চিত্র তৈরি করে টাকা নষ্ট করে। কত বেদ, শাস্ত্র, উপনিষদ তৈরি করে কত খরচ করেছে। বাবা বলেন তোমরা কত টাকা পয়সা হারিয়েছ। বেহদের বাবা মন্তব্য করলেন। তোমরা ফীল কর বাবা অনেক টাকা পয়সা দিয়েছেন। রাজ যোগের শিক্ষা দিয়ে রাজার রাজা করেছেন। তারা দৈহিক পড়াশোনা করে ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয়, তারপরে তার থেকে উপার্জন হয় তাই বলা হয় নলেজ হল সোর্স অফ ইনকাম। এই ঈশ্বরীয় পড়াশোনাও হল সোর্স অফ ইনকাম, যার দ্বারা বেহদের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। ভাগবত, রামায়ণ ইত্যাদিতে কোনো নলেজ নেই। মুখ্য উদ্দেশ্য (এইম অবজেক্ট) কিছুই নেই। বাচ্চারা, বাবা যিনি হলেন নলেজফুল তিনি বসে তোমাদের পড়াচ্ছেন। এই হল একেবারে নতুন পড়া। তাও কে পড়ান ? ভগবান। নতুন দুনিয়ার মালিক করার জন্যে পড়ান। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ এই পড়া করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করেছেন। কোথায় রাজা পদ, আর কোথায় প্রজা । কারো ভাগ্য খুলে গেলে তার ভবসাগর পার। স্টুডেন্ট বুঝতে পারে যে আমরা পড়া করি তারপরে কাউকে পড়াতে পারব কি না । পড়ায় পুরো মনোযোগ দেওয়া উচিত। পাথরবুদ্ধি হওয়ার জন্যে কিছুই বোঝেনা। তোমাদের হতে হবে সোনার বুদ্ধি। সেও তাদের হবে যারা সার্ভিস করবে। ব্যাজ নিয়েও কাউকে বোঝাতে পারো। বেহদের বাবার কাছে বেহদের বর্সা নাও। ভারত স্বর্গ ছিল তাইনা। এই হল গতকালের কথা। কোথায় ৫ হাজার বছরের কথা, কোথায় লক্ষ বছরের কথা বলা হয়েছে। কতখানি তফাৎ। তোমরা বোঝাও তবুও বোঝে না, একেবারেই পাথরবুদ্ধি হয়েছে। *এই ব্যাজ হল তোমাদের জন্যে যেন একটি গীতা, এতেই সম্পূর্ণ পড়া নিহিত আছে*। মানুষের তো ভক্তি মার্গের গীতার কথাই স্মরণে থাকে। এখন তোমরা যে বাবার কাছে গীতা শুনছ তার দ্বারা তোমরা ২১ জন্মের জন্যে সদগতি প্রাপ্ত কর। শুরুতে তোমরাও গীতা পাঠ করেছ। পূজা ইত্যাদিও তোমরাই আরম্ভ করেছ। এখন পুরুষার্থ করে গরিবদের ভক্তি মার্গের বন্ধন থেকে মুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক কে বোঝাতে থাকো। তাদের মধ্যে একজন দুজন জ্ঞানে আসবে। যদি ৫-৬ জন একসাথে আসে তবে চেষ্টা করে আলাদা ফর্ম ভরিয়ে আলাদা বোঝানো উচিত। তা নাহলে তাদের মধ্যে একজন এমন থাকবে যে অন্যদের খারাপ করে দেবে। ফর্ম তো নিশ্চয়ই আলাদা ভরাও। একে অপরের না দেখলে বুঝতে পারবে। এইসব যুক্তির প্রয়োজন তাহলে তোমরা সফল হতে থাকবে।
বাবাও হলেন ব্যবসায়ী, যারা তীক্ষ্ণ বুদ্ধি হবে ভালো ব্যবসা করবে। বাবা কতখানি লাভ করান। একসাথে দল নিয়ে আসলে বলো ফর্ম আলাদা ভরতে হবে। যদি সবাই ধার্মিক মনের হয় তবে একসাথে বসিয়ে প্রশ্ন করা উচিত। গীতা পড়েছ ? দেবতাদের বিশ্বাস কর ? বাবা বলেছেন ভক্তদেরই বলতে হবে। আমার ভক্ত এবং দেবতার ভক্তরা শীঘ্র বুঝবে। পাথরকে পরশমণি করা কোনো মাসির বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ নয়। দেহ-অভিমান হল কঠিনতম, খুবই খারাপ রোগ। যতক্ষণ দেহ-অভিমান না মিটছে ততক্ষণ পরিবর্তন হওয়া খুব কঠিন । এর জন্যে তো সম্পূর্ণ নারায়ণী নেশা চাই। আমরা অশরীরী এসেছি, অশরীরী হয়ে ফিরতে হবে। এখানে কি আছে। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। এতেই পরিশ্রম আছে, এই হল উঁচু লক্ষ্য। চলন দ্বারা জানা যায় এইজন ভালো সহযোগী হবে কল্প পূর্বের মতন।। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ, ভালবাসা ও সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. মন, বচন, কর্মে পবিত্র থাকতে হবে। কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা কোনোরকম বিকর্ম যেন না হয় - তার খেয়াল রাখতে হবে। আত্মাকে কাঞ্চন বানাতে অবশ্যই স্মরণে থাকতে হবে।
২. দেহ-অভিমানের কঠিন রোগ থেকে মুক্ত হতে নারায়ণী নেশায় থাকতে হবে। অভ্যাস করো আমরা অশরীরী এসেছিলাম, এখন অশরীরী হয়ে ফিরে যেতে হবে।
বরদান:-
চতুরসুজান বাবার সঙ্গে চালাকি করার পরিবর্তে অনুভূতির শক্তি দ্বারা সর্ব পাপ থেকে মুক্ত ভব
অনেক বাচ্চারা চতুরসুজান বাবার সঙ্গেও চালাকি করে নিজের কাজ উদ্ধার করার জন্যে নিজের নাম ভালো করার জন্যে সেই সময় অনুভব করে নেয় কিন্তু সেই অনুভূতিতে শক্তি থাকে না তাই পরিবর্তন হয় না। অনেকে আছে যারা বুঝতে পারে এটা ঠিক নয় কিন্তু নাম খারাপ হওয়ার চিন্তা করে নিজের বিবেককে খুন করে, সেও তো পাপের খাতায় জমা হয়, তাই চালাকি ছেড়ে প্রকৃত হৃদয়ের অনুভূতি দ্বারা নিজেকে পরিবর্তন করে পাপ মুক্ত হও।
স্লোগান:-
জীবনে থেকে বিভিন্ন রকমের বন্ধন থেকে মুক্ত থাকাই হল জীবনমুক্ত স্থিতি ।