১০-০৮-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা সম্পূর্ণ কল্পে অলরাউন্ড পার্ট প্লে করেছ, এখন পার্ট শেষ হয়েছে, ঘরে (পরমধাম) ফিরতে হবে

প্রশ্ন:-

তোমরা বাচ্চারা নিজের ভাগ্যের মহিমা বর্ণনা কোন্ শব্দের দ্বারা করো ?

উত্তর:-

আমরা হলাম ব্রাহ্মণ শিখা। আমাদের নিরাকার ভগবান বসে পড়ান। দুনিয়ায় মানুষ, মানুষকে পড়ায় কিন্তু আমাদের স্বয়ং ভগবান পড়াচ্ছেন, সুতরাং আমরা কতখানি ভাগ্যবান ।

ওম্ শান্তি।

আত্মারূপী (রূহানী) বাচ্চাদের আত্মাদের পিতা (রূহানী পিতা) জিজ্ঞাসা করেন - মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, নিজের ঘর শান্তিধাম স্মরণে আছে ? ভুলে যাওনি তো ? এখন ৮৪-র চক্র পূর্ণ হয়েছে, কিভাবে পুরো হয়েছে সে কথাও তোমরা বুঝেছ। সত্যযুগ থেকে কলিযুগের শেষ পর্যন্ত এমন করে আর কেউ জিজ্ঞাসা করে না। মিষ্টি মিষ্টি প্রিয় বাচ্চাদের বাবা জিজ্ঞাসা করেন, এবারে ঘরে ফিরবে তো তাইনা ? ঘরে অর্থাৎ পরমধামে ফিরে গিয়ে সুখধামে আসতে হবে। এটা তো সুখধাম নয়। এ হল পুরানো দুনিয়া, দুঃখধাম। ওই হল শান্তিধাম, সুখধাম। এখন এই দুঃখ থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে যেতে হবে মুক্তিধাম। মুক্তিধাম বা শান্তিধাম যেন সামনে হাজির রয়েছে। ওই হল আত্মাদের নিবাস। তারপরে তোমরা নতুন বিশ্বে আসবে, যেখানে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি হবে। এই কথা তো বুঝেছ তাইনা - এই গানও কর। বাবাকেও আহ্বান করা হয় - হে পতিত-পাবন, এই পতিত দুনিয়া থেকে আমাদের নিয়ে চলো, এইখানে অনেক দুঃখ আছে। আমাদের সুখের স্থানে নিয়ে চলো। স্মরণে আসে। স্বর্গের কথা সবাই স্মরণ করে। শরীর ত্যাগ করলেই বলা হয়, স্বর্গে গমন করেছে। লেফ্ট ফর হেভেনলি অবোড। কে লেফ্ট করল ? আত্মা। শরীর তো যায় না। আত্মা-ই যায়। এখন তোমরা বাচ্চারা-ই শান্তিধাম, সুখধামকে জানো, অন্য কেউ জানে না। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে নলেজ আছে - শান্তিধাম কি এবং সুখধাম কি । তোমরা সুখধামে ছিলে, এখন আবার দুঃখধামে এসেছ। সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, দিন, বছর পার হয়েছে। এখন ৫ হাজার বছরে শেষ হতে কেবল কিছুদিনই বাকি আছে। বাবা বাচ্চাদের স্মরণ করাতেই থাকেন। খুব সহজ কথা, এতে কনফিউস হওয়ার দরকার নেই। আত্মা ৮৪ জন্ম নেয় কিভাবে, এই কথাও কেউ জানে না। লক্ষ বছরের কথা তো কারো পক্ষে মনে রাখা কঠিন। এইটি হল-ই পাঁচ হাজার বছরের কথা। ব্যবসায়ীরা স্বস্তিকের চিহ্ন এঁকে রাখে হিসেবের খাতায়, তাকে গনেশ বলা হয়। গণেশের ছবিতে হাতির শুঁড় দেখানো হয় । মানুষ টাকা খরচ করে চিত্র ইত্যাদি বানায়, একেই বলা হয় সময় নষ্ট। তোমাদের কত শক্তি ছিল। সেসব দিন দিন কমেছে। যেমন গাড়িতে পেট্রোল কমতে থাকে। এখন তো তোমরা দুর্বল হয়েছ। পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারত কেমন ছিল, অপার সুখ ছিল। অফুরন্ত ধন ভান্ডার ছিল। এই রাজ্য তাঁরা পেয়েছিলেন কিভাবে ? রাজযোগের শিক্ষা নিয়েছিলেন। এতে যুদ্ধ ইত্যাদির কোনও ব্যাপার নেই। একেই বলা হয় জ্ঞানের অস্ত্র-শস্ত্র। আর কোনও স্থূল কথা নেই। এ হল জ্ঞানের অস্ত্র শস্ত্র । এ হল জ্ঞান - বিজ্ঞান, স্মরণ ও জ্ঞানের কত শক্তিশালী অস্ত্র শস্ত্র । সম্পূর্ণ বিশ্বে তোমরা রাজত্ব কর। দেবতাদের বলা হয় অহিংসক।



বাচ্চারা, এখন তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার শিক্ষা প্রাপ্ত করছ। তোমরা জানো আমরা প্রতি ৫ হাজার বছরের পরে অসীমের পিতার কাছে এই অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। এই হল আত্মার কথা। এতে স্থূল যুদ্ধের কোনও কথা নেই। আত্মা পতিত হয়েছে তাই সে পবিত্র হওয়ার জন্য বাবার আহ্বান করে। এখন বাবা বলেন - মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, এখন তো ঘরে ফিরতে হবে। এই হল জীব আত্মাদের দুনিয়া। ওই হল আত্মাদের দুনিয়া। পরমধামকে জীব আত্মাদের দুনিয়া বলা হবে না। এই কথাটি ক্ষণে ক্ষণে স্মরণে থাকা উচিত - আমরা হলাম দূর দেশের নিবাসী। আমরা আত্মা, আমাদের নিবাস হল ব্রহ্মান্ড। এই কথা যেন বুদ্ধিতে থাকে, এই আকাশ তত্বের ওপারে, যেখানে সূর্য-চাঁদও থাকে না। আমরা ওখানকার বাসী এখানে পার্ট প্লে করতে এসেছি। ৮৪-র পার্ট প্লে করি। সবাই তো ৮৪ জন্ম গ্রহণ করতে পারে না। আস্তে আস্তে উপর থেকে নীচে নেমে আসে। আমরা হলাম অলরাউন্ডার। সর্ব কর্ম সম্পন্নকারী কে অলরাউন্ডার বলা হয়। তোমরাও হলে অলরাউন্ডার। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত তোমাদের পার্ট আছে। এখন হল এই চক্রের সমাপ্তি, তবুও আত্মারা উপর থেকে নীচে আসতেই থাকে। অনেক বাচ্চা আছে যারা উপর থেকে নীচে আসতে থাকে ফলে বৃদ্ধি হতেই থাকে।



বাবা তোমাদের 'আমরাই সেই' (শো হম) এর অর্থ বুঝিয়েছেন। তারা তো বলে দেয় আমরা আত্মা আমরাই পরমাত্মা। তারা তো ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের সময়কাল ইত্যাদি কথা জানে না। তোমাদের বাবা বুঝিয়েছেন এই শরীরে তোমরা হলে এখন ব্রাহ্মণ। প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা শিববাবা তোমাদের অ্যাডপ্ট করেছেন, পড়াচ্ছেন, সেই কথা তো স্মরণে থাকা উচিত তাই না। বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। তিনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু ভগবান। সব আত্মারাই এই ড্রামার সূত্রে বাঁধা। এখন তোমরা জানো আমরা শুরুতে দেবতা ছিলাম, তারপরে আমরাই ক্ষত্রিয় ধর্মে আসি অর্থাৎ সূর্যবংশী থেকে চন্দ্রবংশী হই, এত গুলি জন্ম হয়েছে - সেসব জানা উচিত। এই জ্ঞান প্রথমে তোমাদের একেবারেই ছিল না। এখন বাবা বুঝিয়েছেন, এ হল বর্ণের উত্তরণ অবনমন খেলা (বাজোলী, ডিগবাজি) )। এখন আবার শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছ, ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হবে। বিরাট রূপ দেখানো হয় না ! তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে - কিভাবে আমারা নীচে নেমে ব্রাহ্মণ কুলে এসেছি তারপরে দৈবী কুলে যাই। *এখন তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে শিখা। শিখা সবচেয়ে উঁচুতে থাকে। তোমাদের মতন উঁচু কুলের কে হবে । ভগবান বাবা এসে তোমাদের পড়াচ্ছেন। তোমরা কতখানি ভাগ্যশালী। নিজের ভাগ্যের কিছু মহিমা বর্ণনা তো করো। বাইরে তো সব মানুষ, মানুষদের পড়ায়। ইনি তো হলেন নিরাকার পিতা। ইনি কল্প-কল্প একবার-ই এসে নলেজ দেন। পড়াশোনা তো প্রত্যেকেই করে। বারিস্টারের নলেজ পড়ে ব্যারিস্টার হয়। তারা সবাই মানুষ, মানুষদের পড়ায়। এখন এই হল ভগবানুবাচ। মানুষ কে তো কখনও ভগবান বলা হয় না। তিনি তো হলেন নিরাকার। এখানে এসে তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের পড়ান*। এই পড়াশোনা না সূক্ষ্মবতনে হয়, না মূলবতনে হয় । পড়াশোনা হয় শুধুমাত্র এইখানে। এতে কনফিউস হওয়ার কোনও কথা নেই। স্কুলে কখনও কোনো স্টুডেন্ট বলে কি আমরা কনফিউস। আমাদের নিশ্চয়তা নেই। বরং পড়াশোনা করে নিজের স্টেটাস দেখে নেয়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ সত্যযুগের আদি-তে বিশ্বের মালিক হয়েছেন কিভাবে ? নিশ্চয়ই বাবার দ্বারা। বাবা তো সত্য বলবেন। ভগবান কি কখনও ভুল বলবেন । খুব কঠিন পরীক্ষা। এই সময় হল প্রজার উপরে প্রজাদের রাজত্ব। রাজা-রানী নেই। সত্যযুগে ছিল, এখন কলিযুগের শেষে নেই। একেই বলা হয় পঞ্চায়েতি রাজ। গীতায় লিখে দেওয়া হয়েছে - কৌরব ও পাণ্ডব। আত্মিক বা রূহানী পান্ডা তো হলে তোমরা। সবাইকে রূহানী নিবাসের ঠিকানা বলে দাও। ঐ নিবাস হল তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের রূহানী নিবাস। রূহ বা আত্মা জন্ম নিয়ে পার্ট প্লে করে। এইসব কথা তোমরা ছাড়া আর কেউ জানে না। ঋষি মুনি ইত্যাদি কেউ রচয়িতার পরিচয় জানে না, রচনার আদি-মধ্য-অন্তের কথাও জানে না। লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। কিন্তু সেসবের কোনও পুরো হিসেব নেই। অর্ধেকও হতে পারে না, পুরো অর্ধেক সুখধাম তারপরে পুরো অর্ধেক দুঃখধাম। এই হল পতিত দুনিয়া অপবিত্র এবং ঐ দুনিয়াটি হল পবিত্র।



বাবা হলেন কত উঁচু থেকে উঁচু , কিন্তু খুব সাধারণ থাকেন। কোনও বড় লোক বা অফিসার ইত্যাদিদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের কত সম্মান করা হয়ে থাকে । পতিত দুনিয়ায় পতিত মানুষ পতিতদের দর্শন করে। পবিত্র হল গুপ্ত । বাইরে কিছুই দেখা যায় না। বাবাকে বলা হয় নলেজফুল, ব্লিসফুল। সব কথায় সম্পূর্ণ (ফুল) তাই তাঁকে জ্ঞানের সাগর বলা হয়। প্রত্যেকটি মানুষের পজিশনের মহিমা হল আলাদা। মন্ত্রীকে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলা হয়। ইনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু ভগবান। সবচেয়ে উঁচু পজিশন হল নিরাকার বাবার, আমরা যাঁর সন্তান। সেখানে আমরা সবাই বাবার সঙ্গে পরমধামে বাস করি। ওই হল নিবাস বা ঘর। এখানে সবার নিজের নিজের পার্ট রয়েছে। কেউ এক জন্মের পার্ট প্লে করেও ফিরে যায়। বাবা বোঝান এই হল মনুষ্য সৃষ্টির ভ্যারাইটি বৃক্ষ। একে অপরের সঙ্গে মিল নেই। আত্মা তো সবাই এক রকম। তবে একে অপরের সঙ্গে শরীরের মিল নেই। নাটকেও দেখানো হয়, যে এক রকমের দুটি চেহারা হলে কতখানি কনফিউশন হয়, দু'জনের মধ্যে আমার স্বামী কে ? আর এ তো হল অসীমের (বেহদের) খেলা। একে অপরের সঙ্গে কোনও মিল নেই। প্রত্যেকের ফিচার্স আলাদা। আয়ু যদিও একরকমের হয় কিন্তু ফিচার্স একরকম হয় না। প্রত্যেক জন্মে ফিচার্স বদলে যায়। কত বিশাল এই অসীমের (বেহদের) নাটক। অতএব ড্রামার সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা উচিত তাইনা। সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। প্রত্যেকের ড্রামাতে যা পার্ট আছে , সেই পার্ট প্লে করবে। ড্রামায় কোনো পার্ট পরিবর্তন বা রিপ্লেসমেন্ট হয় না। বেহদের ড্রামা কিনা। জন্ম গ্রহণ করতেই থাকে। সবার ফিচার্স আলাদা । কত রকমের ভ্যারাইটি ফিচার্স। এই সম্পূর্ণ জ্ঞান বুদ্ধি দ্বারা বোধগম্য করতে হয়। কোনও বই ইত্যাদি নেই। গীতার ভগবান হাতে গীতা নিয়ে আসেন নাকি ? তিনি তো হলেন জ্ঞানের সাগর, বই নিয়ে থোড়াই আসবেন। বই পত্র ইত্যাদি ভক্তি মার্গে তৈরি হয়। সুতরাং এই সব ড্রামায় নির্দিষ্ট আছে। এক সেকেন্ড মিলবে না অন্য সেকেন্ডের সঙ্গে। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের তো সব বোঝানো হয়েছে। চক্র পূর্ণ হয়ে আবার নতুন করে শুরু হবে। এখন তোমরা পড়ছ। বাবাকেও তোমরা জেনেছ। রচনার কথাও জেনেছ। মূল বতন থেকে এখানে আসো পার্ট প্লে করতে। কত বিশাল এই স্টেজ, এর কোনও মাপ হতে পারে না । কেউ পৌঁছাতে পারে না। সাগর ও আকাশের কোনও শেষ নেই, তাই অনন্ত বলা হয়েছে। আগে এত চেষ্টা ছিল না , এখন চেষ্টা করে। সাইন্স তো এখন কার, তারপরে আবার কবে শুরু হবে ? যখন তাদের পার্ট হবে। অতএব এত সব কথা কি শাস্ত্রে আছে। যিনি শোনাচ্ছেন তাঁর নাম না দিয়ে যিনি শুনছেন, তার নাম লিখে দিয়েছে। এই আত্মাটি কালো, ওই আত্মাটি ফর্সা বা সুন্দর । অসুন্দর (কালো) আত্মাটি এনার দ্বারা শুনে সুন্দর হয়েছে। নলেজ দ্বারা কত উঁচু পদের প্রাপ্তি হয়।



এই হল গীতা পাঠশালা। ভগবান রাজযোগ শেখান অমরপুরীর জন্য, তাই একে অমরকথাও বলা হয়। নিশ্চয়ই সঙ্গমযুগে শুনিয়ে ছিলেন। যারা কল্প পূর্বে পড়েছে তারাই আবার এসে পড়বে এবং নম্বর অনুসারে পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে। তোমরা এখানে কতবার এসেছ ? অসংখ্য বার। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে এই নাটক টি কবে শুরু হয়েছে ? তোমরা বলবে এই নাটক তো অনাদি ভাবে চলে আসছে। গণনা করার কথাই নেই, জিজ্ঞাসা করার সঙ্কল্পও আসে না।



শাস্ত্রে সবই হল ভক্তি মার্গের কাহিনী, যা পাঠ করা হয়। এখানে তো অনেক ভাষা আছে, সত্যযুগে বহু ভাষা ইত্যাদি হয় না। এক ধর্ম, এক ভাষা, এক রাজ্যের তোমরা স্থাপনা করছ। তারা তো শান্তি স্থাপনের পরামর্শদাতা দের পুরস্কার দেয়। *শিববাবা তোমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার পরামর্শ দেন। তাঁকে তোমরা কি প্রাইজ দেবে ?* তিনি তো তোমাদেরকেই প্রাইজ দেন, কিছু নেন না। এইসব কথা বুঝতে হবে। গতকালের কথা যেন, যখন তাঁদের রাজত্ব ছিল। এখন তো থাকার জায়গা নেই। সেখানে তো দুই তিন তলা তৈরি করার প্রয়োজন নেই। কাঠ ইত্যাদির প্রয়োজন নেই। সেখানে তো ঘর বাড়ি সোনা রুপা দিয়ে তৈরি হয়। সায়েন্সের শক্তিতে চট করে বাড়ি তৈরি হয়। এখানে তো সাইন্স যেমন সুখের তেমনই দুঃখের। এর দ্বারা পুরো দুনিয়া ধ্বংস হবে, একেই বলে ফল অফ পম্পিয়া (পম্পিয়া নগরীর পতন) । মায়ার কতই না জাঁকজমক (পম্প) । ধনীদের জন্য এই দুনিয়াটাই হল স্বর্গ, তাই তারা তোমাদের কথা শোনে না। আগে তোমরাও জানতে না। এখানে বাবা এসে ডাইরেক্ট তোমাদের পড়াচ্ছেন। বাইরে তো যদিও বাচ্চারাই পড়ায়। মিত্র আত্মীয় স্বজন সবার কথাই স্মরণে আসে। এখানে তো বাবা বসে বোঝান। *দিন দিন তোমরা স্মরণের যাত্রায় পাকা হতে থাকবে। তখন তোমাদের আর কিছুই স্মরণে আসবে না। শুধু ঘর (পরম ধাম) এবং রাজধানীর (সুখ ধাম) কথাই স্মরণে আসবে। তখন এই চাকরি ইত্যাদির কথা মনে থাকবে না। এমন ভাবে মরবে যেন বসে বসে হার্ট ফেল হবে। দুঃখের কথাই নেই। হাসপাতাল ইত্যাদি তো কিছুই থাকবে না। বাবাকে জেনে গেলেই স্বর্গের অধিকারী হয়ে যায়*। তোমাদের তো অধিকার আছে, সবার নেই। কারণ স্বর্গে তো সবাই আসবে না, তাইনা। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. আত্মাদের রূহানী পান্ডা রূপে সবাইকে রূহানী নিবাসের ঠিকানা বলে দিতে হবে। জ্ঞান এবং যোগের অস্ত্র-শস্ত্র দ্বারা সম্পূর্ণ বিশ্বে রাজত্ব করতে হবে। ডবল অহিংসক হতে হবে।

২. ৮৪ জন্মের অলরাউন্ডার ভূমিকা পালনকারী আত্মাদের বর্তমানেও অলরাউন্ডার হতে হবে। সব রকমের কাজ করতে হবে। অসীমের (বেহদের) ভ্যারাইটি ড্রামায় প্রত্যেক অভিনেতার পার্ট দেখে খুশী থাকতে হবে।

বরদান:-

সূক্ষ্ম বিচার শক্তির (পরখ করার শক্তি) দ্বারা বাবাকে চিনতে পারা বিশেষ আত্মা ভব

বাপদাদা প্রত্যেকটি বাচ্চার বিশেষত্ব দেখেন, সে সম্পূর্ণ হোক বা না হোক, সে পুরুষার্থী কিন্তু এমন এক জনও বাচ্চা নেই যার কোনো বিশেষত্ব নেই। সবচেয়ে প্রথম বিশেষত্ব হল কোটির মধ্যে একজনের লিস্টে নাম আছে। বাবাকে চিনে জেনে আমার বাবা বলা এবং অধিকারী হওয়া এও তো বুদ্ধির বিশেষত্ব, পরখ করার শক্তি আছে। এই শ্রেষ্ঠ শক্তি টি বিশেষ আত্মায় পরিণত করেছে।

স্লোগান:-

শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের রেখা অংকন করার কলম হল শ্রেষ্ঠ কর্ম, তাই যতখানি প্রয়োজন ভাগ্য নির্মাণ করো ।