01-09-2019 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 21-01-85 মধুবন


ঈশ্বরীয় জন্মদিনের গোল্ডেন গিফ্ট - 'দিব্য বুদ্ধি'


আজ বিশ্ব রচয়িতা বাবা জগতের নয়নমণি, জগৎ জ্যোতি বাচ্চাদের দেখছেন l তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা জগতের আলো অর্থাৎ জগতের জন্য তোমরা জ্ঞানদীপ্তক দীপ l যদি স্থূল আলো নেই তো জগৎ নেই, কারণ আলো অর্থাৎ আলোকচ্ছ্বটা l আলো নেই তো অন্ধকারের কারণে জগৎ নেই l একইভাবে, তোমরা সব নয়নমণি নেই তো দুনিয়া উদ্ভাসিত নয় l তোমরা বিদ্যমান আছ অর্থাৎ রোশনির কারণ উপস্থিত, সুতরাং জগৎ বিদ্যমান l তাইতো বাপদাদা জগতের এইরকম সব নূর (আলোক) বাচ্চাকে দেখছেন l এমন বাচ্চারা সদা মহিমান্বিত এবং পূজিত l এমন বাচ্চারাই বিশ্বের রাজ্য ভাগ্যের অধিকারী হয় l তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারা জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে বাপদাদা তোমাদের দিব্য জন্মদিনে তোমাদের প্রত্যেককে দু'টো বিশেষ দিব্য উপহার দেন l দুনিয়ায় মানব আত্মারা মানব আত্মাদের গিফ্ট দেয়, সেখানে স্বয়ং বাবা এই সঙ্গমযুগে ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের দিব্য উপহার দেন l কি দেন ? এক, দিব্য বুদ্ধি আর দুই, দিব্য নেত্র অর্থাৎ আধ্যাত্মিক আলো l এই দু'টো গিফ্ট প্রত্যেক ব্রাহ্মণ বাচ্চার জন্ম দিনের গিফ্ট l সদাসর্বদা এই দুই গিফ্ট সাথে রেখে তোমরা সদা সফলতা স্বরূপ থাক l দিব্য বুদ্ধিই তোমাদের, অর্থাৎ প্রত্যেক বাচ্চাকে দিব্য জ্ঞান, দিব্য স্মরণ, দিব্য ধারণা স্বরূপ বানায় l দিব্য বুদ্ধিই ধারণা থাকার বিশেষ গিফ্ট l সদা দিব্য বুদ্ধি থাকা অর্থাৎ ধারণার প্রতিমূর্তি হওয়া l তোমাদের দিব্য বুদ্ধিতে অর্থাৎ সতঃপ্রধান গোল্ডেন বুদ্ধিতে যদি সামান্য রজঃ তমঃ-র প্রভাব পড়ে তবে ধারণা স্বরূপ হওয়ার পরিবর্তে, তোমরা মায়ার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে যাও, সেইজন্য সব সহজ ব্যাপারও তোমরা কঠিন অনুভব কর l গিফ্ট রূপে সহজে প্রাপ্ত দিব্য বুদ্ধি দুর্বল হওয়ার কারণে তোমাদের কঠিন পরিশ্রম অনুভব হয় l যখনই কোনকিছু তোমাদের মুশকিল বা কঠিন পরিশ্রম অনুভূত হয় তখন অবশ্যই দিব্য বুদ্ধি মায়ার কোনও রূপে প্রভাবিত হয়, সেইজন্যই তোমরা এমন অনুভব কর l কেউ দিব্য বুদ্ধির দ্বারা সেকেন্ডে বাপদাদার শ্রীমৎ ধারণ ক'রে, সদা সমর্থ, সদা অনড়, সদা মাস্টার সর্বশক্তিমান স্থিতিতে থাকার অনুভব করে l শ্রীমৎ অর্থাৎ যে মত শ্রেষ্ঠ তৈরি করে l তারা কখনও কঠিন অনুভব করতে পারে না l শ্রীমৎ এমন গতিপথ যা তোমাদের সদা সহজে ওড়ায় l কিন্তু ধারণ করার দিব্য বুদ্ধি অবশ্যই প্রয়োজন l সুতরাং, চেক কর, নিজের জন্ম-উপহার সদা সাথে আছে ? মায়া কখনো দিব্য বুদ্ধির গিফ্ট ছিনিয়ে নেয় না তো ? কখনো মায়ার প্রভাবে সরলবুদ্ধি হয়ে যাও না তো, যাতে পরমাত্ম গিফ্টই খুইয়ে ফেল ! মায়াও ঈশ্বরীয় গিফ্টকে আপন করে নেওয়ার চাতুরী জানে l সুতরাং সে চতুর হয়ে যায় আর তোমাদের সাদাসিধে বানিয়ে দেয়, সেইজন্য ভোলানাথ বাবার ভোলা বাচ্চা যদিও বা হও কিন্তু মায়ার ভোলা হ'য়োনা l মায়ার ভোলা হওয়া অর্থাৎ আত্মবিভ্রম হওয়া l ঈশ্বরীয় দিব্য বুদ্ধির গিফ্ট সদা সুরক্ষিত ছত্রছায়া, সেখানে মায়া নিজের ছায়া প্রতিসৃষ্ট করে l ছত্র উড়ে যায়, শুধু ছায়া থেকে যায় l সেইজন্য সদা চেক কর, বাবার গিফ্ট সদা তোমার সাথে আছে কিনা l দিব্য বুদ্ধির লক্ষণ, গিফ্ট লিফ্টের মতো কার্য করে যাতে শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পরূপী সুইচ অন করার সাথে সাথে সেই স্থিতিতে এক সেকেন্ডে স্থিত হও l যদি তোমাদের দিব্য বুদ্ধির সামনে মায়ার ছায়া থাকে তবে এই গিফ্টের লিফ্ট কার্য করবে না l স্থূল লিফ্ট যখন খারাপ হয়ে যায় তখন কি অবস্থা হয় ? না ওপরে না নিচে, মাঝখানেই আটকে পড়ে l স্ব-মর্যাদার পরিবর্তে তোমরা পরাহত হও l যতই সুইচ অন কর সেটা কোন ব্যাপার নয়, কিন্তু তোমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রাপ্তি করতে পারবে না l তোমরা এই গিফ্টের লিফ্ট নষ্ট করে দাও, সেইজন্য পরিশ্রম রূপী সিঁড়ি চড়তে হয় l তখন কি বলো তোমরা ? তোমাদের আত্মপ্রত্যয়রূপী (হিম্মত) পদযুগল চলতে পারছে না l সুতরাং সহজকে কঠিন কে বানাল আর কিভাবেই বা বানাল ? নিজেরা নিজেদের অমনোযোগী বানিয়েছ l তোমরা মায়ার ছায়ায় চলে যাও, সেইজন্য যে সহজ বিষয় সেকেন্ড ভর সময় নেয়, সেটাই তোমাদের শ্রমসাধ্য আর সময়সাপেক্ষ অনুভূত হয় l দিব্য বুদ্ধির গিফ্ট অলৌকিক বিমান l যে দিব্য বিমান দ্বারা সেকেন্ডের সুইচ অন ক'রে যেখানে চাও সেখানে পৌঁছাতে পার l সুইচ হলো তোমাদের সঙ্কল্প l সায়েন্টিস্টরা এক লোকে (দুনিয়ায়) সফর করতে পারে, তোমরা ত্রিলোক পরিক্রমা করতে পার l সেকেন্ডে বিশ্ব কল্যাণকারী স্বরূপ হয়ে সারা বিশ্বকে লাইট আর মাইট দিতে পার l শুধু দিব্য বুদ্ধির বিমান দ্বারা তোমরা শ্রেষ্ঠ স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও l তারা যেমন বিমান দ্বারা হিমালয়ের ওপরে, নদীতে ভস্ম ছিটিয়ে দিয়েছিল, কিসের জন্য ? চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়ারই তো জন্য, তাই না ! তারা তো ভস্ম ছিটিয়ে দিয়েছে, তোমরা দিব্য বুদ্ধি রূপী বিমান দ্বারা সবচেয়ে উঁচু চূড়ার স্থিতিতে স্থিত হয়ে বিশ্বের সকল আত্মার প্রতি লাইট আর মাইটের শুভ ভাবনা এবং শ্রেষ্ঠ কামনার সহযোগের তরঙ্গ খেলাও l তোমাদের বিমান তো শক্তিশালী, তাই না ? কিভাবে ইউজ করতে হয়, শুধু জানতে হবে তোমাদের l

বাপদাদার রিফাইন্ড, শ্রেষ্ঠ মতের সাধন তোমাদের প্রয়োজন l আজকাল যেমন শুধু রিফাইন্ডের বদলে তোমাদের ডবল রিফাইন্ড জ্বালানি থাকে, তাই না ! সুতরাং বাপদাদার এটা ডবল রিফাইন্ড সাধন l সামান্য পরিমাণও যদি মনোমত, পরমতের আবর্জনা থাকে তবে কি হবে ? উঁচুতে উঠবে নাকি নিচে নামবে ? সুতরাং এটা চেক কর, তোমাদের বুদ্ধিরূপী বিমানে ডবল রিফাইন্ড সাধন সবসময় আছে কিনা ! এর মধ্যে কোন ময়লা ঢুকে যায় না তো ! যায় কি ? তা' নাহলে বিমান সদাই সুখদায়ী l সত্যযুগে যেমন কখনও কোনও অ্যাক্সিডেন্ট হতে পারে না, কারণ তোমাদের শ্রেষ্ঠ কর্মের শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ থাকে l এমন কোনও কর্ম হয় না যা কর্মভোগ হিসেবে তোমাদের দুঃখ ভুগতে হবে l ঠিক একইভাবে, এইরকম সঙ্গমযুগী গডলি গিফ্ট দিব্য বুদ্ধি সদা সবরকম দুঃখ আর ছল-কপট থেকে মুক্ত l যাদের দিব্য বুদ্ধি থাকে তারা কখনো প্রতারিত হতে পারে না, দুঃখের অনুভূতি করতে পারে না l তারা সদা সেফ, প্রতিকূলতা থেকে মুক্ত থাকে l অতএব, এই গডলি গিফ্টের মহত্ত্বকে জেনে এই গিফ্ট সদা তোমাদের সাথে রাখ l এই গিফ্টের মহত্ত্ব বুঝেছ তোমরা ? সবাই তোমরা এই গডলি গিফ্ট পেয়েছ নাকি তোমরা কেউ কেউ বাকি থেকে গেছ ? সবাই তো পেয়েই গেছ, তাই না ? কিভাবে এটা সামলে রাখবে তা' শুধু তোমার জানা বা না জানার ওপরে নির্ভর করে l অমৃতবেলায় সদা চেক কর - সামান্যতম যদি ঘাটতি থাকে তবে অমৃতবেলায় ঠিক করে নিলে সারাদিন শক্তিশালী থাকবে l যদি নিজে ঠিক করতে না পার তবে অন্য কাউকে দিয়ে ঠিক করাও l যাই হোক, অমৃতবেলাতেই ঠিক করে নাও l আচ্ছা - বাবা অন্য কোন সময় দিব্য দৃষ্টি সম্বন্ধে তোমাদের বলবেন l দিব্য দৃষ্টি বলো বা দিব্য নেত্র অথবা আধ্যাত্মিক নুর, ব্যাপার একই l এই সময় তো দিব্য বুদ্ধির এই গিফ্ট সবার কাছে আছে, তাই না ! তোমরা সোনার পাত্র (আধার), তাই নয় কি ? এটা দিব্য বুদ্ধি l সবাই তোমরা দিব্য বুদ্ধিরূপী সম্পূৰ্ণ সোনার পাত্র নিয়ে মধুবনে এসেছ, তাই না ? প্রকৃত সোনার সাথে সিলভার বা কপার তো মিক্সড নেই ? সতঃপ্রধান অর্থাৎ সম্পূৰ্ণ সোনা, একেই দিব্য বুদ্ধি বলা হয় l আচ্ছা -

তোমরা যেখান থেকেই এসেছ, সব দিক থেকে তোমরা সব জ্ঞান-নদী এসে সাগরে মিশেছ l এটাই নদীসমূহ আর সাগরের সঙ্গম l তোমরা মহান মেলা উদযাপন করতে এসেছ, তাই না ! মিলন মেলা উদযাপন করতে এসেছ l বাপদাদাও সকল জ্ঞান-নদীকে দেখে উৎফুল্ল হন, কিভাবে তোমরা উদ্যম-উৎসাহের সঙ্গে, কতো দূর দূর থেকে এই মিলন মেলায় পৌঁছেছ ! আচ্ছা !

যারা সদা দিব্য বুদ্ধির গোল্ডেন গিফ্টকে কার্যে পর্যবসিত করে, সদা বাবা সমান চতুর সুজান অর্থাৎ দক্ষ এবং সুমহান হয়ে মায়ার চাতুরী সম্বন্ধে অবহিত আছে, সদা বাবার সুরক্ষিত ছত্রছায়ায় থেকে মায়ার ছায়া থেকে দূরে থাকে, সদা জ্ঞান সাগরের সাথে মধুর মিলন মেলা উদযাপন করে, যারা কঠিন যেকোন কিছু সহজ বানিয়ে বিশ্ব কল্যাণকারী হয়, শ্রেষ্ঠ স্থিতিতে স্থিত শ্রেষ্ঠ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ এবং নমস্কার l

*পার্সোনাল সাক্ষাৎকার*

১) তোমাদের দৃষ্টি বদল করে সৃষ্টি বদল হয়ে গেছে, তাই না ! দৃষ্টি শ্রেষ্ঠ হয়েছে তো সৃষ্টিও শ্রেষ্ঠ হয়ে গেছে ! এখন বাবা তোমাদের দুনিয়া l বাবার মধ্যেই সৃষ্টি সমাহিত হয়ে আছে l এমনই অনুভব হয়, তাই না ! তাঁর মতো এমন স্নেহী সারা বিশ্বে আর কেউ হতে পারে না যিনি প্রতি সেকেন্ড, প্রতিটা সঙ্কল্পে তোমাদের সাথে থাকবেন l লৌকিকে যে যতই স্নেহী হোক, তবুও কিন্তু তারা সদা তোমাদের সাথ দিতে পারে না l ইঁনি তো স্বপ্নেও সাথ দেন l তোমরা এমন সাথী পেয়েছ যিনি সাহচর্যের সব দায়িত্ব পরিপূর্ণ করেন, এই কারণে সৃষ্টি বদলে গেছে l এখন লৌকিকেও তোমরা অলৌকিকতা অনুভব কর, তাই না ! লৌকিক দুনিয়ায় যে সমব্ধই তোমরা দেখ, প্রকৃত সম্বন্ধ নিজে থেকেই স্মৃতিতে আসে, সেই আত্মারাও এর মাধ্যমে শক্তি লাভ করে l যখন বাবা সদা তোমাদের সাথে আছেন, তোমরা বেফিকর বাদশাহ l ঠিক হবে কি হবে না, সেটাও চিন্তা করার প্রয়োজন থাকে না l যখন বাবা সাথে আছেন তখন সবকিছুই ঠিক l সুতরাং তাঁর সাহচর্য অনুভব করতে করতে উড়ে চলো l ভাবনাও বাবার কাজ, আমাদের কাজ শুধু তাঁর সাহচর্যে নিবিষ্ট হয়ে থাকা, সেইজন্য দুর্বল ভাবনাও সমাপ্ত হয়েছে l সদা বেফিকর বাদশাহ থাক, তোমরা এখনও বাদশাহ আর সদাকালেরও বাদশাহ l

২) সদা নিজেকে সফলতার নক্ষত্র মনে কর আর অন্য আত্মাদেরও সফলতার চাবি দিতে থাক l এই সেবা দ্বারা সব আত্মারা খুশি হয়ে হৃদয় থেকে তোমাদেরকে আশীর্বাদ দেবে l বাবা এবং সকলের আশীর্বাদই তোমাদের অগ্রচালিত করে l

*বিশেষভাবে বাছাই করা অব্যক্ত মহাবাক্য - সহযোগী হও আর সহযোগী বানাও*

প্রজা যেমন রাজার সহযোগী, স্নেহী হয়, সেইরকমই আগে তোমাদের সব কর্মেন্দ্রিয়, বিশেষ শক্তি সদা স্নেহী, সহযোগী হতে দাও, তবেই এর প্রভাব সাকারে তোমাদের সেবার সাথীদের বা লৌকিক সম্বন্ধীয়দের, সাথীদের ওপরে পড়বে l যখন স্বয়ং নিজের সব কর্মেন্দ্রিয়কে অর্ডারে রাখবে তখন তোমাদের অন্য সব সাথী তোমাদের কার্যে সহযোগী হবে l যার প্রতি স্নেহ বা ভালোবাসা থাকে, তার সকল কাজেই সহযোগী হতে দেখা যায়। অতি স্নেহী আত্মার লক্ষণ হল, সে সদা বাবার শ্রেষ্ঠ কার্যে সহযোগী হবে l সে যতটা সহযোগী ততটাই সহজ যোগী হবে l সুতরাং দিনরাত এই একনিষ্ঠা যেন থাকে, বাবা আর সেবা, আর কিছু নেই l এমন আত্মারা মায়ার সহযোগী হতে পারে না, তারা মায়ার থেকে দূরে সরে যায় l

অন্যেরা নিজেদের যতই অন্য পথের মনে করুক, কিন্তু ঈশ্বরীয় স্নেহ তাদের সহযোগী বানিয়ে 'একত্রিত হওয়া'র সূত্রে বেঁধে তাদের এগিয়ে চলতে সমর্থ বানায় l স্নেহ সর্বাগ্রে সহযোগী বানায়, সহযোগী বানানোর সময়কালীন নিজে থেকেই সহজ যোগী বানিয়ে দেয় l ঈশ্বরীয় স্নেহ পরিবর্তনের ফাউন্ডেশন অথবা জীবন পরিবর্তনের বীজ স্বরূপ l আত্মাদের মধ্যে ঈশ্বরীয় স্নেহের বীজ বোনা হলে, সেই বীজ সহযোগী হওয়ার বৃক্ষ নিজে থেকেই তৈরি করতে থাকবে এবং সঠিক সময়ে সহজ যোগী হওয়ার ফল দেখা দেবে l কারণ পরিবর্তনের বীজ অবশ্যই ফল দেখায় l সবার মনের শুভ কামনা আর শুভ ভাবনার সহযোগ যেকোন কার্যে সাফল্য লাভ করতে তোমাদের সমর্থ বানাও কারণ এই শুভ ভাবনা, শুভ কামনার সুরক্ষিত দুর্গ আত্মাদের পরিবর্তিত হতে সমর্থ বানায় l বায়ুমন্ডলের দুর্গ সবার সহযোগের দ্বারাই তৈরি হয় l যখন ঈশ্বরীয় স্নেহের সূত্র এক হয়, তখন অনেক ভাবনা বা ধারণা সত্ত্বেও সহযোগী হওয়ার ভাবনা উৎপন্ন হয় l এখন সর্ব সত্ত্বাকে সহযোগী বানাও l তারা তৈরি হচ্ছে, কিন্তু তাদের আরও কাছে নিয়ে এসো, তাদের অধিকতর সহযোগী বানাও, কারণ এখন প্রত্যক্ষতার সময় সমাসন্ন l আগে তোমরা তাদের সহযোগী বানানোর পরিশ্রম করতে কিন্তু এখন তারা নিজেরা সহযোগী হওয়ার অফার করছে এবং ভবিষ্যতেও করতে থাকবে l

সময় সময়ে সেবার রূপরেখা বদলে যাচ্ছে এবং বদলাতে থাকবে l এখন তোমাদের অধিক বলতে হবে না, বরং তারা নিজেরা বলবে 'এই কার্য শ্রেষ্ঠ আর সেইজন্য আমাদেরও উচিত তোমাদের সহযোগী হওয়া l' যারা প্রকৃত হৃদয়ে, সস্নেহে সহযোগ দেয়, তারা বাবার থেকে পদমগুণ অর্থাৎ লক্ষ-কোটি সহযোগ নেওয়ার অধিকারী হয় l বাবা সম্পূর্ণভাবে সহযোগের হিসেব চুকিয়ে দেন l বড় কার্যকেও সহজ করার ধারণা চিত্রে যে দেখানো হয়েছে আঙুল দিয়ে পর্বতকে তুলতে ; সেটাও সহযোগের নিদর্শন l প্রত্যেককে সহযোগী আত্মা হিসেবে তোমাদের সামনে আসতে দাও, প্রয়োজনের সময় প্রত্যেককে সহযোগী হতে দাও, এখন এটার আবশ্যকতা আছে l এর জন্য তোমাদের শক্তিশালী তির নিক্ষেপ করতে হবে l শক্তিশালী তির সেটাই যাতে সকল আত্মার সহযোগের ভাবনা থাকবে, খুশির ভাবনা থাকবে, সদ্ভাবনা থাকবে l আচ্ছা - ওম্ শান্তি l


বরদান:-

স্নেহ আর নবীনত্বের অথরিটির সাথে অন্যকে সমর্পিত হতে উৎসাহিত ক'রে মহান আত্মা ভব*

যে কেউই তোমার সম্পর্কে এলে তাকে এমন সম্বন্ধে নিয়ে এসো যাতে সম্বন্ধে আসতে আসতে তাদের সমর্পণ বুদ্ধি বিকশিত হয় এবং বলে, বাবা যা বলেছেন সেটাই সত্য, একেই বলে, সমর্পণ বুদ্ধি l তারপরে তাদের প্রশ্ন সমাপ্ত হয়ে যাবে l তারা যেন শুধু এটা না বলে যে এঁদের জ্ঞান ভালো l কিন্তু এটা নতুন জ্ঞান যা নতুন দুনিয়া নিয়ে আসবে - এই আওয়াজ উঠলে তখনই কুম্ভকর্ণ জেগে উঠবে l সুতরাং নবীনত্বের মহত্ত্ব দ্বারা স্নেহ আর অথরিটির ব্যালেন্স এইভাবে তাদের সমর্পণ হতে সমর্থ বানাবে এবং শুধুমাত্র তখনই বলা যাবে, মাইক প্রস্তুত হয়েছে l

স্লোগান:-

এক পরমাত্মার প্রিয় হও, তবেই বিশ্বের প্রিয় হয়ে উঠবে l