29.08.2019
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা ‐‐
সর্বশ্রেষ্ঠ বাবা তোমাদের, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের বেশি পরিশ্রম করান না, তিনি
বলেন শুধুমাত্র দুটো শব্দ স্মরণ কর অল্ফ আর বে (আল্লাহ আর বাদশাহী)"
প্রশ্নঃ -
রূহানী বাবার
মুখ্য কর্তব্য কোনটি, যার মধ্যে বাবা মজা (কৌতুক) অনুভব করেন ?
উত্তরঃ -
রূহানী বাবার
প্রধান কর্তব্য হলো পতিতকে পবিত্র বানানো । বাবা পবিত্র করে তোলার মধ্যেই মজা অনুভব
করেন । বাবা আসেন বাচ্চাদের সদ্গতি প্রদান করতে, সবাইকে সতোপ্রধান করে তুলতে, কেননা
ঘরে ফিরতে হবে । শুধুমাত্র একটা বিষয়েই নিশ্চিত হও যে -‐ আমরা দেহ নই আত্মা । এই
পাঠ দ্বারাই বাবার স্মরণ থাকবে আর পবিত্র হতে পারবে ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের (রূহানী)
বাবা বসে আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন । বাবাও মজা অনুভব করেন তোমরা বাচ্চাদের
পবিত্র করে তুলতে সেইজন্যই বলে থাকেন পতিত-পাবন বাবাকে স্মরণ কর । সবার সদ্গতি দাতা
একমাত্র বাবা, আর কেউ নয় । এটাও তোমরা বুঝেছ এখন অবশ্যই ঘরে ফিরে যেতে হবে ।
পুরুষার্থ বেশি করার জন্যই বাবা বলেন স্মরণের যাত্রা অবশ্যই প্রয়োজন । স্মরণ
দ্বারাই পবিত্র হবে তারপর ঈশ্বরীয় পড়াশোনাও করতে হবে । সর্বপ্রথম অলৌকিক বাবাকে
স্মরণ কর, তারপর এই বাদশাহী যার জন্য তোমাদের ডায়রেকশন দেওয়া হয় । তোমরা জানো কিভাবে
৮৪ জন্ম গ্রহণ করে থাক, সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়ে পড়, সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে
থাক। এখন আবার সতোপ্রধান হতে হবে । সত্যযুগ হলো পবিত্র দুনিয়া, ওখানে একজনও পতিত
থাকে না । সত্য যুগে এসবের কোনো অস্তিত্বই নেই । প্রধান বিষয়ই হলো পবিত্র হওয়া ।
এখন তো পবিত্র হও তবেই তো নতুন দুনিয়াতে যেতে পারবে আর রাজ্য করার উপযুক্ত হতে পারবে
। সবাইকেই পবিত্র হতে হবে । ওখানে পতিত থাকেই না । যারা এখন সতোপ্রধান হওয়ার জন্য
পুরুষার্থ করছে, তারাই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে । প্রধান বিষয়ই হলো, বাবাকে
স্মরণ করলেই সতোপ্রধান হতে পারবে । বাবা কোনও পরিশ্রম করান না, শুধু বলেন নিজেকে
আত্মা মনে কর। বারংবার বলেন সর্বপ্রথম এটাই নিশ্চয় কর যে ‐- আমরা দেহ নই, আমরা আত্মা
। প্রসিদ্ধ ব্যক্তিরা বেশি পড়ে না, দুটো শব্দেই সার বুঝিয়ে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ
ব্যাক্তিদের দিয়ে পরিশ্রম করানো যায় না । তোমরা জান সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হতে
কত জন্ম লেগেছে ? ৬৩ জন্ম বলতে পার না । ৮৪ জন্ম লেগেছে। এটা তো নিশ্চয় হয়েছে তাই
না যে আমরা সতোপ্রধান ছিলাম, স্বর্গবাসী অর্থাত্ সুখধামের মালিক ছিলাম । সুখধাম
যাদের ছিল তাদেরই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের বলা হয় । তারাও মানুষ ছিল কিন্তু
দৈবীগুণ সম্পন্ন ছিল । এই সময় আসুরি গুণ সম্পন্ন মানুষ । শাস্ত্রতে তো লেখা হয়েছে
অসুর আর দেবতাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল তারপরেই দেবতাদের রাজ্য স্থাপন হয়েছিল । এসব
কথা বাবাই বসে বোঝান ‐‐ তোমরা প্রথমে অসুর ছিলে । বাবা এসে ব্রাহ্মণ তৈরি করেছেন
তারপর ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হওয়ার যুক্তি বলে দিয়েছেন। অসুর আর দেবতাদের মধ্যে
লড়াইয়ের কোনও প্রশ্নই নেই । দেবতাদের জন্যই বলা হয় অহিংসা পরম ধর্ম । দেবতারা কখনও
লড়াই করে না। হিংসার কোনও প্রশ্নই নেই । সত্যযুগে দৈবী রাজ্য সেখানে লড়াই কি করে হবে
। সত্যযুগের দেবতারা এখানে এসে অসুরের সাথে লড়াই করবে, না কি অসুর দেবতাদের কাছে
গিয়ে লড়াই করবে? এটা তো হতেই পারে না ।।এ হলো পুরানো দুনিয়া আর ওটা হলো নতুন দুনিয়া,
তবে লড়াই কি করে হবে । ভক্তি মার্গে মানুষ যা শোনে তাই সত্য বলে স্বীকার করে নেয় ।
কারো বুদ্ধিতে ধারণা হয় না । সম্পূর্ণ রূপে পাথর বুদ্ধি । কলিযুগে পাথর বুদ্ধি,
সত্যযুগে স্পর্শবুদ্ধি সম্পন্ন ( পারশ বুদ্ধি) । রাজ্যই হলো পারসনাথের । এখানে তো
রাজ্যই নেই । দ্বাপরের রাজারাও অপবিত্র ছিল ,তাদের রত্ন জড়িত মুকুট ছিল, লাইটের ছিল
না অর্থাত্ পবিত্রতা ছিল না। ওখানে (সত্য যুগে) সব পবিত্র ছিল । এর অর্থ এই নয় যে
উপরে কোনও লাইট থাকে । তা নয় । চিত্রতে পবিত্রতার চিহ্ন হিসেবে লাইট দেখানো হয়েছে ।
এই সময় তোমরাও পবিত্র হয়ে উঠছ । তোমাদের লাইট কোথায় ? এটা তোমরা জান বাবার সাথে
যোগযুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে উঠছ । ওখানে বিকারের নামগন্ধও নেই । বিকারী রাবণ রাজ্যই
শেষ হয়ে যায় । এখানে রাবণকে দেখানো হয়, এতে এটাই প্রমাণিত এখন রাবণ রাজ্য চলছে ।
রাবণকে প্রতি বছর জ্বালানো হয়, কিন্তু জ্বলেই না । তোমরা তার উপরই বিজয় প্রাপ্ত কর,
এরপর এই রাবণ আর থাকবে না ।
তোমরা হলে অহিংসক । যোগবল দ্বারা তোমরা বিজয় প্রাপ্ত কর । স্মরণের যাত্রা দ্বারাই
তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের সব বিকর্ম বিনাশ হবে । জন্ম-জন্মান্তর অর্থাত্ কবে থেকে ?
কবে থেকে বিকর্ম শুরু হয় ? সর্বপ্রথম তো তোমরা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মীয়রাই
এসেছিলে। প্রথমে সূর্যবংশী তারপর চন্দ্রবংশী তে দুই কলা কম হয়ে যায় । তারপর ধীরে
ধীরে কলা কম হতে থাকে । এখন প্রধান বিষয়ই হলো বাবাকে স্মরণ করে সতোপ্রধান হতে হবে ।
যারা কল্প প্রথমে সতোপ্রধান হয়েছিল, তারাই হবে । তারা ক্রমাগত আসতে থাকবে ।
নম্বরানুসারে তারা আসবে । ড্রামানুসারে প্রত্যেকে আসবে এবং নম্বরানুসারে জন্ম গ্রহণ
করবে । কত বিচিত্র এই ড্রামা, একে বোঝার জন্য বিচক্ষণতা প্রয়োজন। যেভাবে তোমরা নীচে
নেমে এসেছ এখন আবার সেভাবেই উঠতে হবে । নম্বরানুসারেই পাশ করবে তারপর নম্বরানুসারেই
নীচে নামবে । তোমাদের লক্ষ্য হলো সতোপ্রধান হওয়া । সবাই তো ফুল পাশ (পূর্ণ সফলতা)
করবে না । ১০০ নম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে কম মার্কস হতে থাকে। সেইজন্যই তীব্র
পুরুষার্থ করার প্রয়োজন । এই পুরুষার্থেও অসফল হয়ে যায় । সার্ভিস করা তো সহজ ।
মিউজিয়ামে তোমরা কিভাবে বোঝাচ্ছ, তার উপরই প্রত্যেকের ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন সম্পর্কে
ধারণা হয়ে যায় । প্রধান শিক্ষক যখন দেখবে এই আত্মা সঠিকভাবে বোঝাতে ব্যর্থ হচ্ছে
তখন নিজেই গিয়ে বোঝাবে, এসে সহযোগ প্রদান করবে । এক-দুজন গার্ডও (পর্যবেক্ষক) রাখা
হয়, যারা দেখে ভালোভাবে বোঝাতে পারছে তো ? কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে মুষড়ে পড়ছে না তো
? এটাও বুঝেছে, সেন্টারের সার্ভিস থেকে প্রদর্শনীর সার্ভিস ভালো হয়। আবার প্রদর্শনী
থেকে মিউজিয়ামে ভালো সার্ভিস হয় । মিউজিয়ামে সুন্দর চিত্র প্রদর্শন দ্বারা বোঝান হয়,
তারপর যারা দেখে যায় তারাও আবার অন্যদের শোনায় । এভাবেই শেষ পর্যন্ত চলতে থাকবে ।
এই গড ফাদারলী ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি শব্দটি সুন্দর । এর মধ্যে তো কোনও মানুষের নাম
নেই । এর উদ্ঘাটন কে করেছে ? বাবা বলেন তোমরা প্রখ্যাত মানুষদের দিয়ে উদ্ঘাটন করিয়ে
থাক, সুতরাং প্রখ্যাত মানুষ দিয়ে উদ্ঘাটন করালে অনেক মানুষ আসে । একজনকে অনুসরণ করে
শেষ পর্যন্ত অনেক আসবে সেইজন্যই বাবা ( ব্রহ্মা বাবা) দিল্লিতে লিখেছিলেন প্রখ্যাত
মানুষরা যে মতামত দিয়েছেন তা ছাপাও, লোকেরা সেগুলো দেখে বলবে এদের কাছে এতো বড় বড়
মানুষরা সব আসে । ইনি তো খুব ভালো মতামত দিয়েছেন । সুতরাং প্রখ্যাত মানুষদের মতামত
ছাপানো ভালো । এর মধ্যে কোনো জাদু ইত্যাদির প্রশ্নই নেই, সেইজন্য বাবা লিখে বলেন
প্রখ্যাত মানুষদের মতামত পুস্তকাকারে প্রকাশ করা উচিত । সেই পুস্তক বিলি করা উচিত ।
গাওয়া হয় "মিথ্যা খায়া, মিথ্যা মায়া .......এর মধ্যেই সব এসে যায় । অনেকেই বলে থাকে
এটা রাবণ রাজ্য, রাক্ষস রাজ্য । সর্বপ্রথম তো যাদের রাজ্য ছিল, তাদের নজরে আসা উচিত।
বলে আমরা পতিত, আমাদের পবিত্র করে তোল । সুতরাং সব বিকর্মও তার মধ্যে পড়ে। সবাই বলে
থাকে হে পতিত-পাবেন, সুতরাং তারা অবশ্যই পতিত, তাইনা ।
তোমরা সঠিক চিত্র তৈরি করেছ পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মা নাকি সমস্ত নদী নর্দমা ?
অমৃতসরেও পুষ্করিণী আছে, তার সমস্ত জল দূষিত হয়ে গেছে । তাকেও মানুষ অমৃতের পুকুর
বলে মনে করে । বড়ো বড়ো রাজারা পুষ্করিণী পরিষ্কার করে থাকেন তার জলকে অমৃত মনে করে
সেইজন্যই নাম রাখা হয়েছে অমৃতসর । অমৃত তো গঙ্গা জলকেও বলে থাকে, কিন্তু এর জল এতোই
ময়লা যে কিছুই বলার নেই । বাবা (ব্রহ্মা বাবা) এই এই নদী ইত্যাদিতে স্নান করেছেন।
ভীষণ দূষিত ময়লা এর জল। মানুষ নদী তীরের মাটিও শরীরে মেখে স্নান করে । বাবা তো
অনুভাবী, তাইনা । বাবাও অনুভাবী, পুরানো শরীরকে বেছে নেন । ব্রহ্মা বাবার মতো
অনুভাবী কেউ হতে পারবে না । বিখ্যাত সব ভাইসরয়, রাজা রাজরাদের সাথেও সাক্ষাত্কারের
অনুভব তার ছিল । বাবা জোয়ার বাজরাও বিক্রি করতেন । ৪-৬ আনা উপার্জন করতে পারলেও
শৈশবে তিনি অত্যন্ত খুশি হতেন । এখন দেখো, তিনি কোথায় পৌঁছে গেছেন । গ্রামের একজন
সাধারণ ছেলে কি হতে পারে ! বাবাও বলে থাকেন, আমি সাধারণ শরীরে প্রবেশ করি। এ তো
নিজের জন্মকেও জানে না । কিভাবে ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে শেষে গিয়ে একজন সাধারণ ছেলে হয়ে
উঠল, এসবই বাবা বসে বোঝান । না কৃষ্ণের কোনও চরিত্র আছে না কংসের আছে । কলসি ভেঙে
ফেলা ইত্যাদি যা কিছু কৃষ্ণ সম্পর্কে বলা হয়েছে সমস্তটাই ভুল । বাবা দেখো কত সহজভাবে
বুঝিয়ে বলেছেন ‐‐ মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, উঠতে বসতে তোমরা শুধু "মামেকম্ স্মরণ কর"
। আমি উচ্চ থেকে উচ্চতম, সব আত্মাদের পিতা । তোমরা জান আমরা সব আত্মারা ভাই-ভাই আর
উনি আমাদের পিতা । আমরা সব ভাইরা এক বাবাকেই স্মরণ করি । উনি হলেন ভগবান, সবাই বলে
হে ঈশ্বর কিন্তু কিছুই জানে না । বাবা এসে নিজের পরিচয় দিয়েছেন । ড্রামার প্ল্যান
অনুসারে এই সময়কে গীতার যুগ বলা হয়ে থাকে। কেননা বাবা এসে জ্ঞান প্রদান করেন, যার
দ্বারা তোমরা উত্তোরণের পথে উঠে শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠো । আত্মা শরীর ধারণ করে কথা বলে ।
বাবাকেও দিব্য অলৌকিক কর্তব্য করতে আসতে হয় সুতরাং শরীরের আধার নিতে হয় । অর্ধকল্প
ধরে মানুষ দুঃখী হওয়ার কারণে তাঁকে আহ্বান করে । বাবা কল্পে একবারই আসেন । তোমরা তো
বারংবার তোমাদের ভূমিকা পালন করে আসছ । আদি সনাতন হলো দেবী-দেবতা ধর্ম ,সেই
ফাউন্ডেশন এখন আর নেই, তাদের শুধুমাত্র জড় চিত্র রয়ে গেছে । বাবা বলেন তোমাদের
লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে হবে । এইম অবজেক্ট সামনেই । এ হলো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ।
হিন্দু ধর্ম বলে কোনও ধর্ম নেই । হিন্দু তো হিন্দুস্তানের নাম । যেমন সন্ন্যাসীরা
ব্রহ্ম অর্থাত্ নিবাস স্থানকে ভগবান বলে দেয়, তেমনই ওরাও থাকার জায়গাকে নিজেদের
ধর্ম বলে দেয়, আদি সনাতন কোনও হিন্দু ধর্ম ছিল না। হিন্দুরা তো দেবতাদের সামনে গিয়ে
মাথা নত করে, মহিমা করে যারা দেবতা ছিল, তারাই হিন্দু হয়ে গেছে । ধর্ম ভ্রষ্ট, কর্ম
ভ্রষ্ট হয়ে গেছে । অবশিষ্ট সব ধর্ম আছে, শুধু এই দেবতা ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে ।
নিজেরাই পূজ্য ছিল তারপর পূজারী হয়ে দেবতাদের পূজা করতে লাগল । কত বোঝাতে হয় ।
কৃষ্ণের জন্যও কত বুঝিয়ে বলেন ইনি-ই স্বর্গের প্রথম প্রিন্স, সুতরাং ৮৪ জন্ম তাকে
দিয়েই শুরু হবে । বাবা বলেন অনেক জন্মের একদম অন্তিম জন্মের শেষে এসে আমি এর মধ্যে
প্রবেশ করি । সুতরাং তার হিসেবও তো বলবেন, তাই না। এই লক্ষী-নারায়ণও প্রথম নম্বরে
এসেছিল । যারা প্রথমে এসেছিল, তারাই শেষে চলে যাবে। শুধু এক কৃষ্ণই তো ছিল না, আরও
বিষ্ণু বংশাবলীরাও ছিল । এ সবই তোমরা ভালোভাবে জেনেছ । এরপর আর ভুলে যেও না । এখন
তো অনেক মিউজিয়াম খোলা হচ্ছে, আরও অনেক খোলা হবে । অনেক মানুষ আসবে। যেমন মন্দিরে
গিয়ে মানুষ মাথা ঠেকায়, তোমরাও দেখবে তোমাদের কাছে যখন লক্ষী-নারায়ণের চিত্র দেখবে
ভক্তরা তখন চিত্রর সামনে টাকা পয়সা রাখবে । তোমরা বলে থাক এ তো বোঝার বিষয়, টাকা
পয়সা রাখার কোনও ব্যাপার নেই । এখন তোমরা শিব মন্দিরে গেলে কি পয়সা দেবে ? তোমরা
তোমাদের লক্ষ্য নিয়ে বোঝাতে যাবে, কেননা তোমরা সবার বায়োগ্রাফি সম্পর্কে জান ।
মন্দির তো অসংখ্য আছে । প্রধান হলো শিব মন্দির । ওখানে অন্যদের মূর্তি কেন রাখে ?
সবার সামনে পয়সা রাখলে আমদানি হবে । ওরা শিবের মন্দির বলবে বা শিব পরিবারের মন্দির
বলবে । শিববাবা এই পরিবার স্থাপন করেছেন । *প্রকৃত সত্য পরিবার তো তোমরা
ব্রাহ্মণদের । শিববাবার পরিবার তো শালিগ্রাম। তারপর ভাই-বোনের পরিবার হয়ে যায় ।
প্রথমে ভাই-ভাই ছিলে, তারপর বাবা আসেন যখন তখন ভাই বোন হয়ে যাও । তারপর তোমরা সত্য
যুগে চলে আস । সুতরাং ওখানে পরিবারও বৃদ্ধি পায় । ওখানেও বিবাহ হয়, তার ফলে পরিবার
আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে* । ঘর অর্থাত্ শান্তিধামে যখন আমরা আত্মারা থাকি তখন আমরা
সবাই ভাই, আর এক পিতা । তারপর এখানে প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান ভাই-বোন আর কোনও
সম্পর্ক নেই, তারপর রাবণ রাজ্য শুরু হলে অনেক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে । বাবা
সমস্ত রহস্য বুঝিয়ে থাকেন, তারপরও বলেন ‐‐ মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, বাবাকে স্মরণ
করলে জন্ম-জন্মান্তরের পাপের বোঝা নেমে যাবে । শুধু ঈশ্বরীয় পড়াশোনা করলেই পাপ মিটবে
না। প্রধান বিষয়ই হলো বাবাকে স্মরণ করা। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
ফুল মার্কস নিয়ে পাশ করার জন্য নিজের বুদ্ধিকে সতোপ্রধান স্পর্শবুদ্ধি করে তুলতে হবে
। মোটা (ভোঁতা) বুদ্ধি থেকে তীক্ষ্ম বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে ড্রামার বিচিত্র রহস্যকে
বুঝতে হবে ।
২ ) বাবার সমতুল্য হয়ে দিব্য আর অলৌকিক কর্ম করতে হবে । ডবল অহিংসক হয়ে যোগবল দ্বারা
নিজের বিকর্ম বিনাশ করতে হবে ।
বরদান:-
এই ব্রাহ্মণ জীবনে পরমাত্ম আশীর্বাদে পালিত হওয়ার সৌভাগ্য প্রাপ্তকারী মহান আত্মা
ভব
এই ব্রাহ্মণ জীবনেই
পরমাত্মার আশীর্বাদ আর ব্রাহ্মণ পরিবারের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় । এই ছোট যুগ সর্ব
প্রাপ্তি আর সদাকালের জন্য প্রাপ্তি করার যুগ । স্বয়ং বাবা প্রতিটি শ্রেষ্ঠ কর্ম,
শ্রেষ্ঠ সংকল্পের আধারে প্রতিটি ব্রাহ্মণ বাচ্চাকে প্রতিটি মুহূর্তে আশীর্বাদ দিয়ে
চলেছেন। কিন্তু এই আশীর্বাদ গ্রহণ করার আধার হলো স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স । এই
মহত্ত্বকে জেনে মহান আত্মা হও ।
স্লোগান:-
উদার
হৃদয়ে নিজের চেহারা এবং আচার-আচরণে দ্বারা গুণ ও শক্তির উপহার বিলি ( দান) করাই শুভ
ভাবনা, শুভ কামনা ।