১৮-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - এই পুরুষোত্তম যুগটাই হলো গীতার এপিসোড, এই সময়েই তোমাদেরকে পুরুষার্থ করে উত্তম পুরুষ অর্থাৎ দেবতা হতে হবে”

প্রশ্ন:-

কেবল কোন্ বিষয়ের প্রতি সর্বদা মনোযোগ থাকলেই তরী তীরে পৌঁছে যাবে ?

উত্তর:-

সর্বদা যদি এটাই লক্ষ্য থাকে যে আমাকে ঈশ্বরীয় সঙ্গে থাকতে হবে, তাহলেও তরী তীরে পৌঁছে যাবে। যদি সঙ্গদোষের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে কোনো সংশয় উৎপন্ন হয়, তাহলে জীবন রূপী তরী বিষয় সাগরে ডুবে যাবে। বাবা যেগুলো বোঝান, সেগুলো নিয়ে বাচ্চাদের মনে কোনো সংশয় আসা উচিত নয়। বাচ্চারা, বাবা তো তোমাদেরকে নিজের সমান পবিত্র এবং নলেজফুল বানাতে এসেছেন। তাই সর্বদা বাবার সাথেই থাকতে হবে।

ওম্ শান্তি।

ভগবানুবাচ - বাচ্চারা জানে যে বাবা এখন সেই রাজযোগই শেখাচ্ছেন যা ৫ হাজার বছর আগে বুঝিয়েছিলেন। বাচ্চারা জানলেও দুনিয়ার মানুষ তো জানে না। তাই তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে গীতার ভগবান কখন এসেছিলেন ? ভগবান তো বলেছেন যে আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শিখিয়ে রাজাদের রাজা বানাই। কিন্তু গীতার ওই এপিসোড কখন হয়েছিল ? এটা জিজ্ঞেস করতে হবে। এই কথাগুলো কেউই জানে না। বাস্তবে তোমরাই এখন সেটা শুনছ। কলিযুগের অন্তিম এবং সত্যযুগের আদির মধ্যবর্তী সময়েই গীতার এপিসোড হওয়া উচিত। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করতে হলে তো সঙ্গমযুগেই আসতে হবে। তাই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ অবশ্যই রয়েছে। যদিও পুরুষোত্তম বছরের কথা বলে, কিন্তু প্রকৃত অর্থ ওরা জানে না। তোমরা মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা জানো যে উত্তম পুরুষ বানানোর জন্য অর্থাৎ মানুষ থেকে উত্তম দেবতা বানানোর জন্য বাবা এসে শিক্ষা দেন। দেবতারা-ই (লক্ষ্মী-নারায়ন) হল মানুষের মধ্যে সর্বোত্তম। এই সঙ্গমযুগেই মানুষ থেকে দেবতা বানানো হয়। দেবতারা নিশ্চয়ই সত্যযুগেই থাকবেন। বাকিরা সবাই কলিযুগে থাকে। *তোমরা বাচ্চারা জানো যে আমরা হলাম সঙ্গমযুগবাসী ব্রাহ্মণ। এটা পাকাপাকি ভাবে স্মরণে রাখতে হবে।* কেউ কখনো নিজের বংশকে ভুলে যায় না। কিন্তু এখানে মায়া ভুলিয়ে দেয়। এখন আমরা ব্রাহ্মণ বংশের এবং এরপরে দেবতা বংশের হব। এটা স্মরণে থাকলেই অনেক খুশি হবে। তোমরা রাজযোগের শিক্ষা অর্জন করছ। তোমরা সবাইকে বোঝাও যে ভগবান এখন পুনরায় গীতার জ্ঞান শোনাচ্ছেন এবং ভারতের প্রাচীন যোগ শেখাচ্ছেন। আমরা মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছি। বাবা বলেছেন - কামবিকার হল সবথেকে বড় শত্রু, এর উপরে বিজয় লাভ করার ফলেই তোমরা জগৎজিৎ হয়ে যাও। পবিত্রতার বিষয় নিয়ে কতই না তর্ক (আরগু) করে। দুনিয়ার মানুষের কাছে তো বিকার একটা সম্পত্তির মতো। লৌকিক পিতার কাছ থেকে এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। পিতার কাছ থেকে সন্তান সবার আগে এই উত্তরাধিকারটাই লাভ করে। বিয়ে শাদী করিয়ে জীবন বরবাদ করে দেয়। অপরদিকে বেহদের বাবা বলছেন- কামবিকার হল সবথেকে বড় শত্রু। তাই এই কামবিকারের ওপরে বিজয়ী হলেই জগৎজিৎ হওয়া যাবে। বাবা তো নিশ্চয়ই সঙ্গমযুগেই আসবেন। মহাভারতের ভয়ংকর যুদ্ধও হবে। আমরাও এখানেই রয়েছি। এমন নয় যে সবাই হঠাৎ করে কাম বিকারের ওপরে বিজয়ী হয়ে যাবে। সব কিছুতেই সময় লাগে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাচ্চারা বাবাকে পত্রতে লেখে - বাবা, আমি বিষয় বৈতরণী নদীতে ডুবে আছি। সেক্ষেত্রে অবশ্যই বাবা কোনো নির্দেশ দেবেন। বাবার নির্দেশ হল - কাম বিকারের ওপরে বিজয়ী হলেই তুমি জগৎজিৎ হবে। এমন নয় যে জগৎজিৎ হওয়ার পরে তুমি পুনরায় কামবিকারগ্রস্ত হয়ে যাবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হল জগৎজিৎ। এদেরকে তো সম্পূর্ণ নির্বিকারী বলা হয়। দেবতাদেরকে সকলেই নির্বিকারী বলে। ওই সময়টাকেই তোমরা রামরাজ্য বলো। ওটা হল নির্বিকারী দুনিয়া। এটা হল বিকারী দুনিয়া, অপবিত্র গৃহস্থ আশ্রম। বাবা বুঝিয়েছেন যে তোমরা এক সময়ে পবিত্র গৃহস্থ আশ্রমে ছিলে। এখন ৮৪ জন্ম নিতে নিতে অপবিত্র হয়ে গেছ। এটা হল ৮৪ জন্মের কাহিনী। নুতন দুনিয়া তো অবশ্যই নির্বিকারী হবে। স্বয়ং ভগবান অর্থাৎ পবিত্রতার সাগর সেই দুনিয়া স্থাপন করেন। এরপর রাবণ রাজ্যও অবশ্যই আসবে। রাম রাজ্য এবং রাবণ রাজ্যের নামও প্রচলিত রয়েছে। রাবণ রাজ্য মানে অসুরদের রাজত্ব। তোমরা এখন সেই আসুরি রাজত্বে রয়েছ। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হল দৈবী রাজত্বের নিদর্শন।



তোমরা বাচ্চারা প্রভাতফেরি ইত্যাদির আয়োজন করো। ভোরবেলাকে প্রভাত বলা হয়। ওই সময়ে মানুষ শুয়ে থাকে। তাই দেরি করে কাজে বেরোয়। কোনো প্রদর্শনী ভালো ফলপ্রসূ হবে যদি কাছাকাছি কোনো সেন্টার থাকে। যেখানে গিয়ে মানুষ বুঝবে যে কামবিকার হল সবথেকে বড় শত্রু, এর উপরে বিজয়ী হলেই জগৎজিৎ হওয়া যাবে। ট্রান্সলাইটের লক্ষ্মী-নারায়নের চিত্রও অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। এটা ভুলে গেলে চলবে না। এটা এবং সিঁড়ির চিত্র। যেভাবে ট্রাকে করে দেবীদের মূর্তি নিয়ে যায়, সেইরকম তোমরাও দুটো-তিনটে ট্রাকে মুখ্য চিত্রগুলো সাজিয়ে বার করলে ভালো দেখতে লাগে। দিনে দিনে ছবির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তোমাদের জ্ঞানও বাড়ছে। বাচ্চাদের সংখ্যাও বাড়ছে। এদের মধ্যে গরিব-বড়লোক সকলেই রয়েছে। শিববাবার ভান্ডারীও ভরপুর হচ্ছে। যারা এখন ভান্ডারী ভরপুর করছে, তারা ওখানে অনেক গুন বেশি রিটার্ন পেয়ে যাবে। সেইজন্যেই বাবা বলছেন - মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা কোটি কোটি পতি হবে, সেটাও আবার ২১ জন্মের জন্য। স্বয়ং বাবা বলছেন - তোমরা ২১ জন্মের জন্য জগতের মালিক হয়ে যাবে। এখন আমি নিজে ডাইরেক্ট এসেছি। তোমাদের জন্য হাতে করে স্বর্গ নিয়ে এসেছি। যেমন সন্তানের জন্ম হলে, পিতার উত্তরাধিকার তো সন্তানের হাতের মুঠোতেই থাকে। লৌকিক পিতা বলে - এই ঘরবাড়ি সবকিছুই তোমার। সেইরকম অসীম জগতের পিতাও বলছেন - তোমরা যেহেতু আমার সন্তান হয়েছ, তাই স্বর্গের বাদশাহী তোমাদের জন্য। সেটাও আবার ২১ জন্মের জন্য। কারন তোমার কালজয়ী হয়ে যাও। তাই বাবাকে মহাকাল বলা হয়। মহাকাল সবাইকে মেরে দেয় না। তাঁর উদ্দেশ্যে অনেক মহিমা করা হয়। মানুষ মনে করে, ভগবান যমদূতের দ্বারা ডাক পাঠিয়েছেন। কিন্তু এইরকম কোনো ব্যাপার নেই। এইগুলো সব ভক্তিমার্গের কথা। বাবা বলছেন - আমি হলাম কালেরও কাল। পাহাড়ের লোকরা মহাকালকে খুব মানে। মহাকালের মন্দিরও রয়েছে। কোনো একটা ধ্বজা (পতাকা) লাগিয়ে দেয়। এখন বাবা বসে থেকে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। তোমরা বুঝতে পারছ যে এই কথাগুলো সঠিক। বাবাকে স্মরণ করলেই জন্ম-জন্মান্তরের বিকর্ম দগ্ধ হবে। সুতরাং তাঁর কথা প্রচার করতে হবে। কুম্ভে অনেক বড় মেলা হয়। স্নানের অনেক মহিমা করা রয়েছে। তোমরা বাচ্চারা ৫ হাজার বছর পরে এই জ্ঞান অমৃত পান করছ। বাস্তবে তো এটার নাম অমৃত নয়, এটা হল পড়াশুনা। ঐগুলো তো সব ভক্তিমার্গের নাম। অমৃত নাম শুনে ছবিতেও জল দেখানো হয়েছে। বাবা বলছেন, আমি তোমাদেরকে রাজযোগের শিক্ষা দিই। পড়াশুনার দ্বারাই উঁচু পদ পাওয়া যায়। আমি নিজেই শিক্ষা দিই। ভগবানের তো এইরকম কোনো সুসজ্জিত রূপ নেই। বাবা তো এনার মধ্যে এসে শিক্ষা দেন। শিক্ষা দিয়ে আত্মাদেরকে নিজসম বানান। তিনি নিজে তো লক্ষ্মী-নারায়ন নন। তাই তিনি ঐরকম বানান না। আত্মা শিক্ষা লাভ করে, তিনি আত্মাদেরকে নিজসম নলেজফুল বানান। এমন নয় যে তিনি ভগবান-ভগবতী বানান। দুনিয়ার মানুষ তো কৃষ্ণকে দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কৃষ্ণ কিভাবে পড়াবে? সত্যযুগে তো কেউই পতিত হবে না? কৃষ্ণ তো সত্যযুগেই থাকবে। তারপর আর কখনোই তোমরা কৃষ্ণকে দেখতে পাবে না। ড্রামা অনুসারে সকলের পুনর্জন্মের চেহারা একেবারে পৃথক হয়। এটাই ড্রামার নিয়ম। সবকিছুই পূর্ব-নির্মিত। বাবাও বলছেন, প্রত্যেক কল্পে হুবুহু এইরকম চেহারাতে তোমরাই এখানে পড়তে আসো। হুবুহু রিপিট হয়। আত্মা একটা শরীর ত্যাগ করার পর আগের কল্পে যেমন শরীর নিয়েছিল, পুনরায় সেইরকম শরীর ধারণ করে। ড্রামাতে একটুও পরিবর্তন হয় না। ওটা হল হদের ড্রামা, আর এটা হল বেহদের ব্যাপার। বেহদের বাবা ছাড়া আর কেউ এটা বোঝাতে পারবে না। এই বিষয়ে কোনো সংশয় আসা উচিত নয়। নিশ্চয়বুদ্ধি হওয়ার পরেও কোনো না কোনো ব্যাপারে সংশয় চলে আসে। সঙ্গদোষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যায়। ঈশ্বরের সঙ্গে চলতে থাকলেই পার হয়ে যাবে। সঙ্গ ছেড়ে দিলেই বিষয় সাগরে ডুবে যাবে। একদিকে রয়েছে ক্ষীরসাগর, আর অন্যদিকে বিষয় সাগর। জ্ঞান অমৃতও বলা হয়। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। তাঁর উদ্দেশ্যে মহিমা করা হয়। তাঁর যেসব মহিমা রয়েছে, সেইগুলো লক্ষ্মী-নারায়নের উদ্দেশ্যে বলা যাবে না। কৃষ্ণ তো জ্ঞানের সাগর নয়। বাবা হলেন পবিত্রতার সাগর। হয়তো দেবী-দেবতারা সত্য এবং ত্রেতাযুগে পবিত্র ছিল, কিন্তু ওরা তো সর্বদা পবিত্র থাকে না। অর্ধেক কল্প পরে পতিত হয়ে যায়। বাবা বলছেন, আমি এসে সকলের সদগতি করি। কেবল আমিই হলাম সকলের সদগতি দাতা। তোমরা সদগতিতে চলে গেলে, এইসব ঘটনা আর হবে না। এখন তোমরা বাচ্চারা সম্মুখে রয়েছ। তোমরাও শিববাবার কাছে পড়াশুনা করে টিচার হয়ে গেছ। তিনিই হলেন মুখ্য প্রিন্সিপাল। তোমরা তো তাঁর কাছেই আসো। তোমরা বলো যে আমরা শিববাবার কাছে এসেছি। কিন্তু তিনি তো নিরাকার। তিনি এই শরীরের মধ্যে আসেন। তাই বলা হয় - বাপদাদার কাছে যাচ্ছি। এই বাবা হল ওঁনার রথ। এই রথের ওপরেই তিনি সওয়ার হন। এনাকে রথ, ঘোড়া, অশ্ব ইত্যাদি বলা হয়। এই বিষয়ে একটা কাহিনী রয়েছে - প্রজাপিতা দক্ষ একটা যজ্ঞ রচনা করেছিল। কেবল একটা গল্প লিখে দিয়েছে। আসলে ঐরকম কিছুই হয়নি।



শিব ভগবানুবাচ - ভারতে যখন চরম ধর্মগ্লানি হয়, তখনই আমি আসি। গীতাপন্থীরা মুখে বলে - যদা যদা হি… কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। তোমাদের এই বৃক্ষ এখন খুব ছোট। এর ওপরে অনেক ঝড় আসে। এটা হল নুতন বৃক্ষ। এটাই হল ফাউন্ডেশন। এত বিভিন্ন ধর্মের মধ্যেই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের চারা রোপন করা হচ্ছে। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। অন্যদেরকে এত পরিশ্রম করতে হয় না। ওরা তো উপর থেকে আসতে থাকে। যারা সত্য কিংবা ত্রেতাযুগে আসবে, তারাই এখানে বসে পড়াশুনা করবে। যারা পতিত হয়ে গেছে, তাদেরকে পবিত্র দেবী-দেবতা বানানোর জন্য বাবা স্বয়ং বসে থেকে পড়াচ্ছেন। ইনিও (ব্রহ্মা বাবা) অনেক গীতা পড়তেন। *এখন যেমন আত্মাকে স্মরণ করে দৃষ্টি দিলে পাপ নাশ হয়, সেইরকম ভক্তিমার্গেও সামনে জল রেখে গীতাপাঠ করে। ওরা মনে করে, পূর্বপুরুষের উদ্ধার হবে, তাই তাদেরকে স্মরণ করে। ভক্তিমার্গে গীতাকে খুব সম্মান করে*। আরে, বাবা কি কোনো ছোটখাটো ভক্ত ছিলেন ? রামায়ণ থেকে শুরু করে সবকিছুই পড়তেন। খুব আনন্দ হতো। কিন্তু সেসব এখন অতীত।



বাবা এখন বলছেন, অতীতের কথা মনে রেখো না। সবকিছু বুদ্ধি থেকে মুছে দাও। বাবা তো স্থাপন, বিনাশ এবং রাজধানীর সাক্ষাৎকার করিয়েছেন। তাই এটাই পাকাপাকি ভাবে বুদ্ধিতে বসে গেছে। এটা তো আগে জানা ছিল না যে এইগুলো সব বিনষ্ট হয়ে যাবে। বাবা বুঝিয়েছেন যে এইরকম ঘটনা ঘটবে। আর বেশি দেরি নেই। আমি গিয়ে অমুক রাজা হব। বাবা তখন কি কি চিন্তা-ভাবনা করতেন, সে বিষয়ে কিছু জানতাম না। বাবার প্রবেশ কিভাবে হয়েছে, সেটা তো তোমরা বাচ্চারা জানো। ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শঙ্করের নাম তো বলে, কিন্তু এদের ভিতর কার মধ্যে ভগবান প্রবেশ করে সেটা জানে না। দুনিয়ার মানুষ বিষ্ণুর কথা বলে। কিন্তু তিনি তো দেবতা। তিনি কিভাবে পড়াবেন ? বাবা স্বয়ং বলছেন - আমি এনার মধ্যেই প্রবেশ করি, তাই বলা হয় ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপন। এনার (বিষ্ণু) দ্বারা পালন আর এনার (শঙ্কর) দ্বারা বিনাশ হয়। এই কথাগুলো ভালো ভাবে বুঝতে হবে। ভগবানুবাচ - আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাই। কিন্তু ভগবান কখন এসে রাজযোগ শেখান আর রাজত্ব দেন? এটা এখন তোমরা বুঝেছ। ৮৪ জন্মের রহস্যও বোঝানো হয়েছে। পূজ্য এবং পূজারীর বিষয়েও বোঝানো হয়েছে। সমগ্র দুনিয়া যে শান্তির রাজত্ব চায়, সেই শান্তির রাজ্য তো এই লক্ষ্মী-নারায়ণের সময়ে ছিল। যখন লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল, তখন বাকি সবাই শান্তিধামে ছিল। এখন আমরা শ্রীমৎ অনুসারে এই কার্য করছি। আগে অনেকবার করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব। এটাও জানা আছে যে কোটির মধ্যে কেউ বুঝবে। যারা দেবী-দেবতা ধর্মের, তাদের বুদ্ধিতেই টাচ হবে। এটা কেবল ভারতের কথা। যারা এই কুলের, তারাই উঠে এসেছে এবং আসতে থাকবে। যেমন তোমরা উঠে এসেছ, সেইরকম অনেক প্রজাও তৈরি হবে। যে ভালো পড়াশুনা করবে, সে ভাল পদ পাবে। আসল হল জ্ঞান আর যোগ। যোগের জন্য জ্ঞানের প্রয়োজন। এরপর পাওয়ার হাউসের সাথে যোগযুক্ত হতে হবে। যোগের দ্বারা-ই বিকর্ম বিনষ্ট হবে এবং হেলদি-ওয়েলদি হবে। পাস উইথ ‌অনার হয়ে যাবে। আচ্ছা!



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্যসার:-

১. যেটা অতীত হয়ে গেছে, সেটা নিয়ে চিন্তন করা উচিত নয়। এতদিন যা কিছু পড়েছ, সেইসব ভুলে কেবল বাবার কাছ থেকেই শুনতে হবে এবং নিজের ব্রাহ্মণ বংশকে (কুল) সর্বদা স্মৃতিতে রাখতে হবে।

২. সম্পূর্ণ 'নিশ্চয়বুদ্ধি' হয়ে থাকতে হবে। কোনো ব্যাপারেই সংশয় প্রকাশ করা উচিত নয়। ঈশ্বরীয় সঙ্গ এবং পড়াশুনা কখনো ছাড়া যাবে না।

বরদান:-

বরদাতার কাছ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ বরদান প্রাপ্ত করে সম্পত্তিবান ভব

কারও কাছে যদি কেবল স্থূল সম্পত্তি থাকে, তাহলে সে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। স্থূল সম্পত্তির সাথে যদি সকল গুণের সম্পত্তি, সকল শক্তির সম্পত্তি, এবং জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি না থাকে, তবে সর্বদা সন্তুষ্ট থাকা সম্ভব নয়। তোমাদের কাছে এই সকল শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি রয়েছে। দুনিয়ার মানুষ তো যাদের কাছে স্থূল সম্পত্তি রয়েছে, কেবল তাদেরকেই সম্পত্তিবান বলে মনে করে। কিন্তু তোমরা বাচ্চারা স্বয়ং বরদাতা বাবার কাছ থেকে সকল শ্রেষ্ঠ সম্পত্তিতে বিত্তশালী হওয়ার বরদান প্রাপ্ত করেছ।

স্লোগান:-

সত্যিকারের সাধনা দ্বারা ‘হায়-হায়’-কে ‘বাঃ-বাঃ’-তে পরিবর্তিত করো।