১১-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা কখনও বিঘ্ন স্বরূপ হবে না, অন্তরে কোনও খামতি থাকলে তা বের করে দাও, এই সময়টি হল প্রকৃত হীরা হওয়ার সময়"
প্রশ্ন:-
কোন্ বিষয়ে ডিফেক্ট এলেই আত্মার ভ্যালু কম হতে থাকে ?
উত্তর:-
প্রথম ডিফেক্ট হল অপবিত্রতার। আত্মা যখন পবিত্র থাকে তখন তার ভ্যালু বেশি থাকে। আত্মা হল অমূল্য রতন, নমন যোগ্য । অপবিত্রতার একটুখানি ডিফেক্টও ভ্যালু কম করে দেয়। এখন তোমাদের বাবার মতন এভার পিওর হীরা হতে হবে। বাবা এসেছেন তোমাদের নিজের মতন পবিত্র করতে। পবিত্র বাচ্চাদেরই একমাত্র বাবা স্মরণে আসবে। বাবার সঙ্গে অখন্ড ভালোবাসা থাকবে। কাউকে কখনও দুঃখ দেবে না। তারা খুব মিষ্টি হবে ।
ওম্ শান্তি ।
ডবল ওম্ শান্তিও বলা যায়। বাচ্চারাও জানে এবং বাপদাদাও জানেন। ওম্ শান্তির অর্থ হল আমি আত্মা হলাম শান্ত স্বরূপ। এবং সঠিকভাবে শান্তির সাগর, সুখের সাগর, পবিত্রতার সাগর পিতার সন্তান। সর্বপ্রথম হল পবিত্রতার সাগর। *পবিত্র হতেই মানুষের কষ্ট হয়*। এবং পবিত্র হওয়ার অনেক গ্রেড রয়েছে। প্রতিটি বাচ্চা বুঝতে পারে, এইভাবে গ্রেড বাড়তে থাকে। এখন আমরা সম্পূর্ণ হইনি। কোথাও কোথাও কারো কারো মধ্যে কিছু কিছু ডিফেক্ট আছেই। কারো বেশী, কারো কম ডিফেক্ট থাকে। বিভিন্ন রকমের হীরা থাকে। তাকে আবার ম্যাগনিফাই গ্লাস দিয়ে দেখা হয়। অতএব যেমন বাবার আত্মাকে বুঝে নেওয়া হয়, তেমনই আত্মা রূপী বাচ্চাদেরও বুঝতে হয়। এরা রত্ন কিনা। রত্নরাজি হল নমনযোগ্য । মুক্তো, পোখরাজ, মাণিক ইত্যাদি সবই নমন যোগ্য, তাই সবরকম ভ্যারাইটি রাখা হয়। নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে তো আছেই, তাইনা। তারা বুঝতে পারে অসীম জগতের বাবা হলেন অবিনাশী জ্ঞান রত্নের জহুরী, তিনি একমাত্র একজন। তাঁকে অবশ্যই জহুরী বলা হবে। জ্ঞান রত্ন প্রদান করেন যে, তারপরে রথও (ব্রহ্মাবাবা) হলেন জহুরী, তিনিও রত্নের মূল্য জানেন। হীরে জহরত দেখতে হলে খুব ভালো করে ম্যাগনিফাই গ্লাস দিয়ে দেখতে হয়- তাতে কতটা ডিফেক্ট আছে! এটা কোন্ রত্ন ? কতখানি সার্ভিসেবল ? ইচ্ছে হয় রত্ন দেখার। ভালো রত্ন হলে যত্ন সহকারে দেখা হয়। এই রত্নটি খুব ভালো। এই রত্নটি সোনার বাক্সে রাখা উচিত। পোখরাজ ইত্যাদি সোনার বাক্সে রাখা হয়, তাই না ! এখানেও এমন যেন অসীম জগতের রত্ন তৈরি হয়। প্রত্যেকে নিজের মনকে জানো - যে আমরা কোন্ ধরনের রত্ন ? আমাদের মধ্যে কোনও ডিফেক্ট নেই তো ? যেমন হীরে জহরত ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা হয়, তেমনই প্রত্যেককে পরীক্ষা করে দেখতে হয়। তোমরা তো হলে চৈতন্য রত্ন। অতএব প্রত্যেককে নিজেকে দেখতে হবে- আমরা কতখানি সবুজ পরী, নীল পরী হয়েছি। যেমন ফুলের মধ্যে কেউ সর্বদা গোলাপ, কেউ গোলাপ, কেউ অন্য কিছু হয়। তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী আছে। প্রত্যেকে নিজেকে ভালো ভাবেই জানো। নিজেকে সারা দিন দেখো যে কি কি করলাম ? বাবাকে কতখানি স্মরণ করলাম ? এই কথাও বাবা বলে দিয়েছেন যে গৃহস্থে থেকে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা নারদকেও বলেন - নিজের চেহারা দেখো। এ হল একটি দৃষ্টান্ত। বাচ্চারা, তোমাদের প্রত্যেককে নিজেদেরকে ভালো ভাবে দেখতে হবে। পরখ করতে হবে, যে পিতার দ্বারা আমরা এমন হীরে তুল্য হই তাঁর সঙ্গে আমাদের কতটুকু ভালোবাসা আছে ? অন্য কোনও দিকে বৃত্তি যায় না তো ? আমার কত খানি দৈবী স্বভাব হয়েছে ? স্বভাব-ই আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। প্রত্যেকের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে। সেই নেত্র দিয়েই নিজের চেকিং করতে হবে। আমি কত খানি বাবার স্মরণে থাকি? আমার স্মরণ বাবার কাছে কতখানি পৌঁছায়? তাঁর স্মরণে শিহরণ অনুভব হওয়া উচিত। কিন্তু বাবা নিজে বলেন মায়ার এমন বিঘ্ন আসে যে খুশীর অনুভূতি হতে দেয় না। বাচ্চারা জানে এখন আমরা সবাই হলাম পুরুষার্থী। রেজাল্ট তো পরে বেরোবে। নিজের চেকিং করতে হবে। ফ্লো ইত্যাদি তোমরা এখন বের করতে পারো। একেবারে পিওর ডায়মন্ড হতে হবে। যদি একটুও ডিফেক্ট থাকে তো বুঝবে, আমাদের ভ্যালু কম হবে। তোমরা হলে রত্ন তাইনা। বাবা বোঝান - বাচ্চারা, এভার পিওর হীরা হওয়া উচিত। পুরুষার্থ করানোর জন্যে বাবা বিভিন্ন ভাবে বোঝাতে থাকেন।
(আজ যোগ চলাকালীন বাপদাদা সন্দলী অর্থাৎ তক্তাপোষ ছেড়ে উঠে সভার মাঝখানে পরিক্রমা করে এক একটি বাচ্চার সঙ্গে দৃষ্টি মিলন করছিলেন) বাবা আজ কেন উঠলেন ? দেখার জন্যে যে কোন্ কোন্ বাচ্চা সার্ভিসেবল ? কারণ কেউ এখানে কেউ সেখানে বসে থাকে। তাই বাবা উঠে গিয়ে এক একজনকে দেখলেন - কার কি গুণ আছে? এনার কতখানি ভালোবাসা আছে? সব বাচ্চারা সামনে বসে আছে, তো সবাই খুব প্রিয় অনুভূত হয়। কিন্তু এই কথা তো অবশ্যই যে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে প্রিয় অনুভূত হবে। বাবা তো জানেন - কার কি কি ডিফেক্ট আছে ? কারণ যে দেহে বাবা প্রবেশ করেছেন, তিনিও নিজের চেকিং করেন। এইখানে দুইজনেই বাপদাদা একত্রে রয়েছেন তাইনা। অতএব যে যত খানি অন্যদের সুখ প্রদান করে, কাউকে দুঃখ দেয় না তারা আড়ালে থাকতে পারবে না। গোলাপ, মুক্তো কখনও লুকিয়ে থাকতে পারে না। বাবা সব কিছু বাচ্চাদের বুঝিয়ে দেন তারপরে বাচ্চাদের বলেন মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের খাদ বা বিকার বেরিয়ে যাবে। স্মরণ করার সময়ে সারা দিন কি করলে, সেসবও দেখতে হবে। আমার মধ্যে কি অবগুণ আছে যে, বাবার হৃদয়ে স্থান অর্জনের যোগ্য ? যে হৃদয়ে সেই রাজ সিংহাসনে। তাই বাবা উঠে কাছে গিয়ে বাচ্চাদের দেখেন, আমাদের রাজ সিংহাসন বাসী কারা কারা হতে চলেছে ? যখন সময় কাছে আসে, তখন বাচ্চারা চট করে বুঝে যায় - আমরা পাস করব কিনা ? ফেল হওয়ার হলে প্রথম থেকেই বাচ্চারা বুঝে যায় যে আমাদের নম্বর কম হবে। তোমরাও বুঝতে পারো আমরা কত নম্বর পাব । আমরা স্টুডেন্ট, কার স্টুডেন্ট ? ভগবানের। আমরা জানি ভগবান বা শিববাবা এই ব্রহ্মাবাবার দ্বারা পড়ান। তো কত খুশীর অনুভব হওয়া উচিত। বাবা আমাদের কত ভালোবাসেন, কত মিষ্টি, কোনও কষ্ট দেন না। শুধু বলেন এই সৃষ্টি চক্রকে স্মরণ করো। বেশি পড়াশোনা নেই। এইম অবজেক্ট সামনে আছে। আমাদের এমন হওয়া উচিত। দৈবী গুণের এইম অবজেক্ট রয়েছে। তোমরা দৈবী গুণ ধারণ করে দেবতা সম পবিত্র হও তবেই মালায় গাঁথা হও। অসীমের পিতা আমাদের পড়ান। খুশী অনুভব হয় কিনা। বাবা নিশ্চয়ই নিজের মতন পিওর নলেজফুল বানাবেন। এর মধ্যে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি সবই এসে যায়। এখনও কেউ পরিপূর্ণ হয়নি। শেষে পূর্ণ হবে। তার জন্যে পুরুষার্থ করতে হবে। বাবাকে তো সবাই ভালোবাসে। 'বাবা' বললে মনটাই আনন্দে ভরে যায়। বাবার কাছে বিশাল আশীর্বাদী অধিকার অর্থাৎ স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয়। বাবা ছাড়া অন্য কোনও দিকে মন যেন না যায়। বাবার স্মরণ যেন সব সময় থাকে। বাবা, বাবা, বাবা, খুব ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করতে হয়। রাজার সন্তানের রাজত্ত্বের নেশা তো থাকবে তাইনা। এখন তো রাজাদের মান নেই। যখন ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট ছিল তখন তাদের মান ছিল। সবাই তাদের সেলাম করত ভাইসরয় বাদে। বাকিরা সবাই রাজাকে প্রণাম জানাতো। এখন তাদের কি দুর্গতি হয়েছে। এই কথাও তোমরা জানো যে তারা কেউ এসে রাজ্য পদ নেবে না।
বাবা বুঝিয়েছেন আমি হলাম দীনের নাথ। গরিব দরিদ্র খুব শীঘ্র বাবাকে চিনতে পারে। তারা ভাবে এই সবকিছুই তাঁর। তাঁর শ্রীমৎ অনুযায়ী আমরা সব কিছু করব। তাদের তো নিজস্ব ধন সম্পদের নেশা থাকে তাই তারা এইসব করতে পারেনা সেইজন্যে বাবা বলেন আমি হলাম দীনের নাথ। কিন্তু হ্যাঁ, ধনী মানুষদের আগমন হলে গরিবদের আসা সহজ হয়। তারা দেখবে এত বড় বড় মানুষ এখানে যায়, সেই দেখে তারাও আসবে। কিন্তু গরিবরা খুব ভয় পায়। একদিন তারাও তোমাদের কাছে আসবে। সেই দিনটিও আসবে। তখন তাদের তোমরা যখন বোঝাবে তো তারা খুব খুশী হবে। একদম স্থির হয়ে যাবে। তাদের জন্যে তোমরা বিশেষ সময়ও রাখবে। বাচ্চাদের ইচ্ছে তো হয় আমাদের তো সবার উদ্ধার করতে হবে। তারা পড়াশোনা করে বড় বড় অফিসার হয়ে যায় তাইনা। তোমাদের হল ঈশ্বরীয় মিশন। সবার উদ্ধার করতে হবে তোমাদের। গায়নও আছে - শবরীর মিষ্টি ফল খেয়েছে। বিবেকও বলে দান সর্বদা গরিবদের করা উচিত, ধনীদের নয়। তোমাদের ভবিষ্যতে এইসব করতে হবে। এর জন্যে যোগের বল বা শক্তি চাই, যাতে তারা আকৃষ্ট হয়ে আসে। যোগবল কম হয় দেহ-অভিমানের জন্যে। প্রত্যেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো -আমাদের বাবার স্মরণ কতক্ষন থাকে? অন্য কোথাও মন যায় না তো? এমন অবস্থা চাই, যে কাউকেও দেখে যেন মন চঞ্চল না হয়। বাবার আদেশ হল দেহ-অভিমানী হয়ো না। সবাইকে নিজের ভাই ভাবো। আত্মা জানে আমরা হলাম ভাই-ভাই। দেহের সকল ধর্ম ত্যাগ করতে হবে। শেষে যদি কিছু স্মরণে আসে তাহলে দন্ড ভোগ করতে হবে। নিজের এমন মজবুত অবস্থা তৈরি করতে হবে এবং সার্ভিসও করতে হবে। অন্তরে বুঝতে হবে - এমন অবস্থা হলে তবে এই পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হতে পারে। বাবা তো ভালো রীতি বোঝান, অনেক সার্ভিস এখনও বাকি আছে। তোমাদের শক্তি থাকলে তারা আকৃষ্ট হবে। অনেক জন্মের দাগ বা কাট লেগে রয়েছে, এই রূপ খেয়াল তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের থাকা উচিত। সকল আত্মাদের পবিত্র করতে হবে। মানুষরা তো জানে না, এইসব তোমরাই জানো তাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। বাবা সব কথা বোঝাতে থাকেন, নিজেকে পরখ করতে হবে। যেমন বাবা অসীমে দাঁড়িয়ে আছেন, বাচ্চাদেরও অসীমের চিন্তন করতে হবে। বাবার কত স্নেহ আছে আত্মাদের জন্যে। এত দিন স্নেহ ছিলনা কেন ? কারণ ডিফেক্টেড ছিলে। পতিত আত্মাদের কি আর ভালোবাসবেন । এখন তো বাবা সবাইকে পতিত থেকে পবিত্র করতে এসেছেন। সুতরাং লাভলী অবশ্যই হতে হবে। বাবা-ই হলেন লাভলী, বাচ্চাদের খুব আকৃষ্ট করেন। দিন প্রতিদিন যত পবিত্র হবে, ততই তোমরা আকৃষ্ট হবে। বাবার প্রতি আকৃষ্ট হবে। এমন টান অনুভব হবে যে তোমরা থেমে থাকবেনা। তোমাদের অবস্থাও হবে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। এখানে বাবার দিকে তাকিয়ে থাকলে এমন মনে হবে যে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করি। এমন বাবার সঙ্গ যেন হারিয়ে না যায়। বাবাও আকৃষ্ট হন বাচ্চাদের প্রতি। এই বাচ্চা-টি তো কামাল করেছে। খুব ভালো সার্ভিস করে। হ্যাঁ, কিছু ডিফেক্টও আছে তবুও অবস্থা অনুযায়ী সময় অনুসারে খুব ভালো সার্ভিস করে। কাউকে দুঃখ দেবে এমন আসামী চোখে পড়েনা। রোগ ইত্যাদি তো হল কর্ম ভোগ। নিজেরাও বুঝতে পারে যতক্ষন এখানে থাকা কিছু না কিছু লেগেই থাকবে। যদিও এইটি হল রথ তবুও শেষ পর্যন্ত কর্ম ভোগ তো থাকবেই। এমন নয়, আমি এনাকে (ব্রহ্মাকে) আশীর্বাদ করব। এনারও নিজের পুরুষার্থ করতে হবে। হ্যাঁ, রথ অর্থাৎ দেহ দিয়েছেন, তার জন্যে কিছু পুরস্কার দেওয়া হবে। অনেক বাঁধেলি রা কিভাবে আসে। কিরকম যুক্তি দিয়ে মুক্তি পেয়ে আসে, তাদের যত ভালোবাসা থাকে, অন্য কারো থাকে না। অনেকের আবার ভালোবাসা থাকেই না। সেই বাঁধেলিদের (যারা বন্ধনে রয়েছে) সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। বাঁধেলিদের যোগ কোনো অংশে কম নয়। স্মরণ করে অনেক কাঁদে তারা। বাবা, ও বাবা, কবে আমরা আপনার সঙ্গে দেখা করব ? বাবা, বিশ্বের মালিক করেন, আপনার সঙ্গে কবে দেখা হবে? এমন এমন বাঁধেলিরা আছে ভালোবেসে চোখের জল ফেলে। তাদের দুঃখ করা চোখের জল নয়, সেই অশ্রু জল ভালোবাসার মুক্তো হয়ে যায়। সুতরাং বাঁধেলি দের যোগ কি কম নাকি। স্মরণে অনেক কষ্ট ভোগ করে। ও বাবা আমরা আপনার সঙ্গে কবে দেখা করব? সর্ব দুঃখ হরণ করেন বাবা! বাবা বলেন যতক্ষন তোমরা স্মরণে থাকবে, সার্ভিসও করবে, যদি কেউ বন্ধনে থাকে, নিজে সার্ভিস করতে পারবে না কিন্তু তারা স্মরণের শক্তি প্রাপ্ত করে। স্মরণেই সবকিছু সমায়িত আছে, কষ্ট পায় তারা। বাবা কবে সময় হবে আমরা আপনার সঙ্গে দেখা করব ? অনেক স্মরণ করে। ভবিষ্যতে গিয়ে দিন-প্রতিদিন তোমরা আরও আকৃষ্ট হবে। স্নান করার সময়, কাজ করতে করতে স্মরণেই থাকবে। বাবা, কবে সেই দিন আসবে যেদিন এই বন্ধন শেষ হবে? তারা জিজ্ঞাসা করে - বাবা, এরা আমাদের ডিস্টার্ব করে, কি করা যায়? বাচ্চাদের মারধর করা যেতে পারে ? পাপ হবে না তো ? বাবা বলেন আজকালকার বাচ্চারা এমন যে কোনও কথা নেই! কারো স্বামীর সঙ্গে দুঃখ থাকলে মনে মনে ভাবে - এই বন্ধন থেকে মুক্ত হব তাহলে বাবার সঙ্গে দেখা করব। বাবা, খুব শক্ত এই বন্ধন, কি করি ? স্বামীর বন্ধন থেকে কবে মুক্তি পাব ? শুধু বাবা-বাবা করতে থাকে তারা। তাদের টান অনুভব তো হয় তাইনা। অবলা নারী সহ্য করতে থাকে। বাবা বাচ্চাদের ধৈর্য রাখতে বলেন - বাচ্চারা, তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে থাকো তাহলে সব বন্ধন শেষ হয়ে যাবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. নিজেদের চেকিং করতে হবে আমাদের মধ্যে কোনও অবগুণ তো নেই ? আমাদের স্মরণ কতদূর পর্যন্ত বাবার কাছে পৌঁছায়? আমাদের স্বভাব কি দৈবী স্বভাব ? বৃত্তি অন্যদিকে যায় না তো ?
২. এমন লাভলী হতে হবে যে বাবারও তোমার আকর্ষণ হতে থাকে। সবাইকে সুখ দিতে হবে। ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে।
বরদান:-
ব্যর্থ সঙ্কল্প রূপী স্তম্ভ (পিলার্স) গুলিকে আধার না বানিয়ে সর্ব সম্বন্ধের অনুভব বৃদ্ধিকারী প্রকৃত সত্য স্নেহী ভব
মায়া দুর্বল সঙ্কল্প গুলিকে দৃঢ করার জন্যে খুব রয়্যাল স্তম্ভ (পিলার্স) লাগায়, বার বার এই সঙ্কল্প দেয় এমনই হয়, বড়রাও এমন করে, এখনও তো আমরা সম্পূর্ণ হইনি, কিছু দুর্বলতা তো থাকবেই..... এইরূপ ব্যর্থ সঙ্কল্প রূপী পিলার্স দুর্বলতাকে দৃঢ় করে। এখন এমন পিলার্সের আধার নেওয়ার পরিবর্তে সর্ব সম্বন্ধের অনুভব বাড়াও। সাকার রূপে সঙ্গ অনুভব করে প্রকৃত সত্য স্নেহী হও।
স্লোগান:-
সন্তুষ্টতা হল সবচেয়ে বড় গুণ, যারা সর্বদা সন্তুষ্ট থাকে তারা-ই প্রভু প্রিয়, লোক প্রিয় এবং স্বয়ং প্রিয় হয় ।