১৪-০৫-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা তোমাদেরকে সভ্য (সিভিল) নেত্র দিতে এসেছেন, তোমরা জ্ঞান রূপী তৃতীয় নয়ন প্রাপ্ত করেছ, তাই এই চোখ কখনো ক্রিমিনাল হওয়া উচিত নয়”

প্রশ্ন:-

তোমাদের মতো অসীমের (বেহদের) সন্ন্যাসীদেরকে বাবা কোন্ শ্রীমৎ দিয়েছেন ?

উত্তর:-

বাবার শ্রীমৎ হলো - এখন তোমাদেরকে এই নরক এবং নরকবাসীদের থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে স্বর্গকে স্মরণ করতে হবে। ঘর-গৃহস্থে থেকেও বুদ্ধি দ্বারা এই নরককে ত্যাগ করো। নরক হলো পুরাতন দুনিয়া। তোমাদেরকে এখন বুদ্ধি দ্বারা এই পুরাতন দুনিয়াকে ভুলতে হবে। এমন নয় যে একটা ঘরকে ত্যাগ করে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। তোমাদের এই বৈরাগ্য অসীম জগতের প্রতি। এখন তোমাদের বাণপ্রস্থ অবস্থা, সবকিছু ত্যাগ করে ঘরে ফিরতে হবে।

ওম্ শান্তি ।

শিব ভগবানুবাচ, অন্য কারোর নাম নেওয়া হয়না। এনার (ব্রহ্মার) নামও নেওয়া হয়না। বাবা-ই হলেন পতিত-পাবন, তিনি যেখানে যাবেন নিশ্চয়ই পতিতদেরকে পবিত্র বানানোর জন্যই যাবেন। তিনি এখানেই পবিত্র হওয়ার যক্তি বলছেন। শিব ভগবানুবাচ না কি কৃষ্ণ ভগবানুবাচ ? যেহেতু ব্যাচ লাগানো আছে, তাই এই বিষয়টা তো অবশ্যই বোঝাতে হবে। রচনা এবং রচয়িতার আদি-মধ্য-অন্তের সকল রহস্য এই ব্যাচের মধ্যেই দেখানো হয়েছে। এই ব্যাচটাও কোনো অংশে কম নয়। এইগুলো সব ইশারা। তোমরা সবাই হলে পুরুষার্থের ক্রম অনুসারে আস্তিক। ক্রম অনুসারে অবশ্যই বলতে হবে। কেউ কেউ তো রচনা এবং রচয়িতার জ্ঞানও বোঝাতে পারে না। তাহলে তো সতোপ্রধান বুদ্ধি বলা যাবে না। ক্রম অনুসারে সতোপ্রধান, রজো এবং তমো বুদ্ধিও রয়েছে। যে যেমন বুঝতে পারে, সে সেইরকম টাইটেল পায়। কেউ সতোপ্রধান বুদ্ধি সম্পন্ন, কেউ আবার রজো বুদ্ধি সম্পন্ন। কিন্তু তোমরা আশাহত হয়ে যাবে বলে তাদের নাম বলা হয় না। কিন্তু ক্রম তো অবশ্যই রয়েছে। যে ফার্স্ট ক্লাস, সে খুব মূল্যবান। তোমরা এখন সত্যিকারের সদগুরুকে পেয়েছ। দেবী-দেবতারা হল সত্য। তারাই পরে বামমার্গে গিয়ে মিথ্যা হয়ে যায়। সত্যযুগে কেবল তোমরা দেবী-দেবতারাই থাকো, অন্য কেউ সেখানে থাকে না। কেউ কেউ তো বলে – এইরকম কিভাবে সম্ভব ? ওদের মধ্যে জ্ঞান নেই। তোমরা বাচ্চারা এখন জেনেছ যে আমরা নাস্তিক থেকে আস্তিক হয়েছি। তোমরাই এখন যথাযথ ভাবে রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান জেনেছ। যার নাম-রূপ নেই, তাকে তো দেখতে পাওয়া যাবে না। আকাশ মহাশূন্য হলেও অনুভব করা সম্ভব। এইগুলো সব জ্ঞানের বিষয়। সবকিছু বুদ্ধির ওপরেই নির্ভরশীল। কেবল বাবা-ই রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান দেন। এটাও লিখে রাখতে হবে যে এখানে রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান লাভ করা সম্ভব। এইরকম অনেক স্লোগান রয়েছে। দিনে দিনে অনেক নুতন নুতন স্লোগান, নুতন নুতন পয়েন্ট তৈরি হচ্ছে। আস্তিক হওয়ার জন্য রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান অবশ্যই প্রয়োজন। তাহলেই নাস্তিকভাব কেটে যায়। তোমরা আস্তিক হয়ে বিশ্বের মালিক হয়ে যাও। এখন তোমরা হলে পুরুষার্থের ক্রম অনুসারে আস্তিক। মানুষরাই তো এটা জানবে। জন্তু-জানোয়াররা তো জানবে না। মানুষই উত্তম হয়, মানুষই অধম হয়। এখন তো একজন মানুষও রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান জানে না। বুদ্ধিতে একেবারে গোদরেজের তালা লেগে গেছে। পুরুষার্থের ক্রম অনুসারে তোমরা জানো যে আমরা বাবার কাছে এসেছি বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য। তোমরা ১০০ শতাংশ পবিত্রতা পালন করো। পবিত্রতা, শান্তি, সমৃদ্ধি সবকিছুই রয়েছে। এইরকম ভাবে আশীর্বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু এটা তো ভক্তিমার্গের শব্দ। তোমরা পড়াশুনা করে এইরকম লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে যাও। নিজে পড়ে, অন্যকেও পড়াতে হবে। স্কুলেও কুমার কুমারীরা পড়তে যায়। একসাথে থাকতে থাকতে কখনো কখনো খুব খারাপ হয়ে যায়। কারণ তারা ক্রিমিনাল দৃষ্টি সম্পন্ন। *ক্রিমিনাল দৃষ্টি থাকার জন্য ঘোমটা দিতে হয়। কিন্তু ওখানে কোনো ক্রিমিনাল দৃষ্টি থাকে না। তাই ঘোমটা দেওয়ার দরকার হবে না। লক্ষ্মী-নারায়ণকে কখনো ঘোমটা দিতে দেখেছ কি ? ওখানে তো কখনো এইরকম খারাপ সংকল্পও আসবে না*। এটা তো রাবণ রাজ্য। এখন দৃষ্টি খুবই খারাপ হয়ে গেছে। বাবা এসে জ্ঞান নেত্র প্রদান করছেন। আত্মা-ই সবকিছু দেখে, কথা বলে এবং কর্ম করে। তোমরা আত্মারা এখন নিজেদেরকে সংশোধন করছে। আত্মা-ই খারাপ হয়ে গিয়ে পাপ আত্মা হয়ে গেছিল। তাকেই পাপ আত্মা বলা হয় যার দৃষ্টি ক্রিমিনাল। কেবল পরমপিতা ছাড়া অন্য কেউ এই ক্রিমিনাল দৃষ্টি ঠিক করতে পারবে না। বাবা-ই জ্ঞানের সিভিল আঁখি প্রদান করেন। এই জ্ঞান তোমরাই জেনেছ। শাস্ত্রতে এই জ্ঞান নেই।



বাবা বলেন – বেদ, উপনিষদ, পুরাণ সবকিছুই ভক্তিমার্গের সামগ্রী। জপ, তপ, তীর্থ ইত্যাদি কোনো কিছুতেই আমাকে পাওয়া যায় না। অর্ধেক কল্প ধরে এই ভক্তি প্রচলিত থাকে। বাচ্চারা, এখন তোমারা সবাইকে এই বার্তা শোনাও যে এখানে এলে তোমাদেরকে রচয়িতা এবং রচনার জ্ঞান শোনাব, পরমপিতা পরমাত্মা-র বায়োগ্রাফি বলব। মানুষ তো এইসব কিছুই জানে না। এগুলোই হল মুখ্য বিষয়। ভাই এবং বোনেরা, তোমরা এসে রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তিমের জ্ঞান শোনো, পড়াশুনা করো, যার দ্বারা তোমরা এইরকম হতে পারবে। এই জ্ঞান প্রাপ্ত করলে এবং সৃষ্টিচক্রকে বুঝলে তোমরাও এইরকম সত্যযুগের চক্রবর্তী মহারাজা-মহারাণী হয়ে যাবে। লক্ষ্মী-নারায়ণও এই পাঠের দ্বারা-ই এইরকম হয়েছে। তোমরাও এই পাঠের দ্বারা ঐরকম হচ্ছ। এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ অতি প্রভাবশালী। বাবা তো ভারতেই আসেন। অন্য কোনো ভূমিতে কেনই বা আসবেন ? বাবা হলেন অবিনাশী সার্জেন। তাই তিনি সেখানেই আসেন যে ভূমি চিরন্তন। যে ভূমিতে ভগবানের চরণ পড়েছে, সেই ভূমির কখনো বিনাশ হবে না। দেবতাদের জন্য এই ভারত ভূমি রয়ে যায়। কেবল পরিবর্তিত হয়ে যায়। এই ভারত-ই হল সত্য ভূমি, আবার এই ভারত-ই অসত্য ভূমি হয়ে যায়। ভারতের অলরাউন্ডার পার্ট রয়েছে। অন্য কোনো ভূমির জন্য এইরকম বলা যাবে না। ভগবান এসে সত্য ভূমি বানান, তারপর রাবণ অসত্য বানিয়ে দেন। তারপর সত্যের কোনো অস্তিত্বও থাকে না। তাই এই দুনিয়ায় সত্যিকারের গুরুর খোঁজ পাওয়া যায় না। ওরা হল সন্ন্যাসী আর ফলোয়ার্সরা হল গৃহস্থী। তাহলে ওদেরকে কিভাবে ফলোয়ার্স বলা যাবে? এখন বাবা স্বয়ং বাচ্চাদেরকে বলছেন – পবিত্র হও এবং দিব্যগুণ ধারণ করো। তোমাদেরকে এখন দেবতা হতে হবে। সন্ন্যাসীরাও সম্পূর্ণ নির্বিকারী হয় না। ওরাও বিকারীদের ঘরেই জন্ম নেয়। অনেকে বাল-ব্রহ্মচারীও হয়। এইরকম অনেকেই আছে। বিদেশেও অনেক রয়েছে। তারপর তারা বৃদ্ধাবস্থায় বিয়ে করে যাতে কেউ তাদের দেখাশুনা করে। তাদের জন্য কিছু অর্থও রেখে যায়। বাকি সম্পত্তি দান করে দেয়। এখন তো বাচ্চাদের প্রতি খুব মমতা থাকে। ৬০ বছর হয়ে গেলে সবকিছু বাচ্চাদের নামে করে দেয় এবং লক্ষ্য রাখে যে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে কি না। কিন্তু আজকালকার বাচ্চারা তো বলে যে বাবা বানপ্রস্থে গিয়ে ভালোই হয়েছে, আমি চাবি পেয়ে গেছি। তারপর সকল সম্পত্ত্বি নষ্ট করে দেয় এবং বাবাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। বাবা বলছেন – তোমরা প্রদর্শনীতে লিখে দাও যে ভাই-বোনেরা, তোমরা এসে রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য এবং অন্তিমের জ্ঞান শোনো। এই সৃষ্টিচক্রকে জানলেই তোমরা চক্রবর্তী দেবী-দেবতা অর্থাৎ বিশ্বের মহারাজা-মহারাণী হয়ে যাবে। এটা হল বাচ্চাদের প্রতি বাবার নির্দেশ। বাবা বলছেন, এটা হল অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম। আমি এনার মধ্যেই প্রবেশ করি। ব্রহ্মার পরেই বিষ্ণু রয়েছে। বিষ্ণুর চারটে হাত কেন দেখানো হয়েছে ? দুটো হাত পুরুষের, দুটো স্ত্রীর। এখানে কি চার হাত বিশিষ্ট কোনো মানুষ হয় ? এইগুলো সব বোঝার বিষয়। বিষ্ণু অর্থাৎ লক্ষ্মী-নারায়ণ। ব্রহ্মাকেও এইরকম দেখানো হয়। ব্রহ্মার দুটো হাত আর সরস্বতীর দুটো। এনারা দুজন বেহদের সন্ন্যাসী হয়ে গেছেন। এমন নয় যে সন্ন্যাস গ্রহণ করে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। না, বাবা বলছেন – ঘর গৃহস্থে থেকেও বুদ্ধি দ্বারা এই নরককে ত্যাগ করো। নরককে ভুলে বুদ্ধি দ্বারা স্বর্গকে স্মরণ করতে হবে। নরক এবং নরকবাসীদের থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে স্বর্গবাসী দেবী-দেবতাদের সাথে যুক্ত করতে হবে। যে পড়াশুনা করে, তার বুদ্ধিতে থাকে যে আমি পাস করে এইরকম হব। আগে বানপ্রস্থ অবস্থায় এলে গুরু করত। বাবা বলছেন, আমিও এনার বানপ্রস্থ অবস্থাতেই এসে প্রবেশ করি। ইনি এখন অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে রয়েছেন। ভগবানুবাচ- আমি অনেক জন্মের অন্তিমের জন্মেই এসে প্রবেশ করি। যিনি আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত ভূমিকা পালন করেছেন, আমি তার শরীরেই প্রবেশ করি। কারন তাকেই সবার আগে ফেরত যেতে হবে। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু এবং বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা। দুজনেরই চারটে করে হাত দেখানো হয়েছে। ব্রহ্মা-সরস্বতী থেকে লক্ষ্মী-নারায়ণ এবং লক্ষ্মী-নারায়ন থেকে ব্রহ্মা-সরস্বতী। তোমরা বাচ্চারা ঝট করে এই হিসাব বলে দেবে। বিষ্ণু অর্থাৎ লক্ষ্মী-নারায়ন ৮৪ জন্ম নিয়ে এইরকম সাধারণ ব্রহ্মা-সরস্বতী হয়ে যায়। বাবা পরবর্তী কালে এনার নাম রেখেছেন ব্রহ্মা। ব্রহ্মার বাবা কে ? অবশ্যই শিববাবা। কিভাবে জন্ম দিয়েছেন ? দত্তক নিয়েছেন। বাবা বলছেন, আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করি। তাই লিখতে হবে যে ভগবানুবাচ হল – আমি ব্রহ্মার শরীরে প্রবেশ করি যে নিজের জন্মকেই জানে না। অনেক জন্মের অন্তিম জন্মের অন্তিমে আমি এসে প্রবেশ করি। যখন বানপ্রস্থ অবস্থা হয়ে যায়, তখনই এসে প্রবেশ করি। যখন এই দুনিয়া পুরাতন এবং পতিত হয়ে যায়, তখনই আমি আসি। কত সহজ ভাবে বোঝানো হয়। *আগে তো ৬০ বছর বয়স হলে গুরু করত। এখন তো জন্ম থেকেই গুরু করিয়ে দেয়। এটা খ্রিস্টানদের কাছ থেকে শিখেছে। কিন্তু ছোট অবস্থায় গুরু করানোর কি দরকার ! ওরা মনে করে, ছোটো অবস্থায় মারা গেলে সদগতি প্রাপ্ত হবে। বাবা বোঝাচ্ছেন, এখানে কারোর সদগতি হতে পারে না*। বাবা তোমাদেরকে কত সহজ ভাবে বোঝাচ্ছেন এবং উত্তম বানাচ্ছেন। ভক্তি মার্গে তোমরা কেবল সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসেছ। এটা হল রাবণ রাজ্য। ধীরে ধীরে বিকারী দুনিয়ার আরম্ভ হয়। গুরু তো সবাই করেছে। ইনিও বলেন যে আমিও অনেক গুরু করেছিলাম। যে ভগবান সকলের সদগতি করেন, তাকেই জানে না। ভক্তির অতি কঠোর শিকলে আবদ্ধ। কোনো শিকল পাতলা, কোনোটা হয়তো মোটা। কোনো ভারী জিনিস ওঠানোর সময়ে কত মোটা শিকলে বেঁধে ওঠায়। এখানেও এইরকম অবস্থা। কেউ কেউ তো সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের কথা শুনবে। কেউ আবার কিছুই বুঝবে না। ক্রমানুসারে মালার দানা তৈরি হয়। ভক্তি মার্গে মানুষ মালা জপ করে। কিন্তু একটুও জ্ঞান নেই। গুরু মালা জপ করতে বলেছেন। সঙ্গে সঙ্গে রাম নামে মত্ত হয়ে যায়। যেন বাজনা বাজায়। কেবল আওয়াজটা ভালো লাগে, এইটুকুই। কিন্তু কিছুই জানে না। রাম কে, কৃষ্ণ কে, ওরা কখন ছিল – এইসব কিছুই জানে না। কৃষ্ণকেও দ্বাপরযুগে নিয়ে গেছে। এইসব কে শিখিয়েছে ? গুরুরা শিখিয়েছে। কৃষ্ণ দ্বাপরে এসেছিলেন এবং তারপরই কলিযুগ এসে গেল ! সবাই তমোপ্রধান হয়ে গেল ! বাবা বলছেন, আমি সঙ্গমযুগে এসেই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান বানাই। তোমরা তো একেবারে অন্ধশ্রদ্ধায় ডুবে আছ। বাবা বোঝাচ্ছেন, যার ভাগ্যে কাঁটা থেকে ফুল হওয়ার আছে, সে তাড়াতাড়ি বুঝে যাবে। সে বলবে, এইগুলো তো সব একেবারে সত্য কথা। কেউ কেউ ভালো করে বুঝতে পারলে তোমাদেরকে বলে যে আপনি খুব ভালো বোঝান। ৮৪ জন্মের কাহিনীও রয়েছে। বাবা-ই হলেন জ্ঞানের সাগর যিনি এসে তোমাদেরকে সম্পূর্ণ জ্ঞান দেন। আচ্ছা!



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্যসার:-

১. সদগুরু বাবার স্মরণের দ্বারা বুদ্ধিকে সতোপ্রধান বানাতে হবে। সৎ হতে হবে। আস্তিক হয়ে আস্তিক বানানোর সেবা করতে হবে।

২. এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা। তাই বেহদের সন্ন্যাসী হয়ে সবকিছুর থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করতে হবে। পবিত্র হতে হবে এবং দিব্যগুণ ধারণ করতে হবে।

বরদান:-

সবকিছুতেই ‘তোমার-তোমার’ করে আসক্তির সকল অংশকে নাশ করে ডবল লাইট হও।

যেকোনো রকমের আসক্তি – আমার স্বভাব, আমার সংস্কার, আমার নেচার… যেকোনো আমার ভাব থাকলেই বোঝা অনুভব হবে। বোঝা নিয়ে কেউ উড়তে পারেনা। এই ‘আমার-আমার’ – শব্দই ময়লা করে দেয়। তাই এখন ‘তোমার-তোমার’ – বলো এবং স্বচ্ছ হয়ে যাও। ফরিস্তা মানে যার মধ্যে আসক্তির কোনো অংশই নেই। যদি সংকল্পেও আসক্তির কোনো ভাব আসে, তাহলেই বুঝবে ময়লা হয়ে গেছ।

স্লোগান:-

যে সর্বদা বাপদাদাকে নিজের নয়নে সমায়িত করে রাখে, সে-ই হল জগতের জ্যোতি।