২৪-০২-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ২৬-০৪-৮৪ মধুবন


রূহানী বিচিত্র মেলায় সর্ব খাজানার প্রাপ্তি

আজ বাপদাদা বাচ্চাদের মিলনের আকর্ষণ লক্ষ্য করছেন l দূর-দূরান্ত থেকে সবাই কেন এসেছে ? মিলন উদযাপনের জন্য অর্থাৎ মেলাতে এসেছে l রূহানী এই মেলা বিচিত্র মেলা l এই মেলার মিলনও বিচিত্র, বিচিত্র আত্মারা বিচিত্র বাবার সাথে মিলিত হয় l এই মেলা সাগর আর নদীর l এই মেলা ঈশ্বরীয় পরিবারের মিলন মেলা l এক বারের এই মেলা অনেকবারের সর্বপ্রাপ্তি লাভ করায় তোমাদের l এই মেলায় খোলা ভান্ডার আর খোলা ধন ভান্ডার (খাজানা) আছে l যার যেমন ধনসম্পদ প্রয়োজন, যতটা প্রয়োজন ততটা বিনামূল্যে, অধিকারের সাথে নিতে পারো l লটারীও আছে l তোমরা যত চাও ভাগ্যের শ্রেষ্ঠ লটারী নিতে

পারো l এটা সেইরকম নয় যে এখন লটারীর টিকিট কিনলে আর পরে নম্বর বার হবে ! তুমি এখন যা' চাও, যত লম্বা করে তোমার ভাগ্যের রেখা টানতে চাও, দৃঢ় সঙ্কল্পের সাথে তা' টানতে পারো l সেকেন্ডে লটারী নিতে পারো l এই মেলায় অনেক জন্মের জন্য রাজ্য পদের অধিকার নিতে পারো অর্থাৎ এই মেলায় তুমি রাজযোগী তথা জন্ম-জন্মের বিশ্ব-রাজ হতে পারো l তোমার যতটা প্রাপ্তির সীট চাই, সেই হিসেবে তুমি সীট বুক করতে পারো l এই মেলায় সকলেরই এক বিশেষ গোল্ডেন চান্সও লাভ হয় l সেই গোল্ডেন চান্স হলো - *"অন্তর্মন থেকে বলো, আমার বাবা আর বাবার হৃদয় সিংহাসনাসীন হও" l* এই মেলায় এক বিশেষ গিফ্টও পাওয়া যায়, সেই গিফ্ট হলো - *"ছোট, সুখী আর সম্পন্ন সংসার"l* যে সংসারে তুমি যা চাও সবসময় তা' প্রাপ্ত করতে পারো l সেই ছোট সংসার বাবাতেই l এই সংসারে যারা থাকে সদাই প্রাপ্তির, খুশির অলৌকিক দোলায় দোলে l যারা এই সংসারে সদাসর্বদা থাকে, দেহ-মাটির পঙ্কিল ভাবের ঊর্ধ্বে তারা ফরিস্তা হয়ে উড়তি কলায় প্রতিনিয়ত উড়তে থাকে l তারা সদা রত্নরাজির সাথে খেলে, সদা পরমাত্ম-সাহচর্য অনুভব করে - আমি তোমার সাথে খাই, তোমার থেকেই শুনি, তোমাকেই বলি, তোমার সাথে সর্ব সম্বন্ধের দায়িত্ব পালন করি, তোমারই শ্রীমৎ অনুসারে, তোমারই আজ্ঞায় পদক্ষেপ করি . . . তারা নিরন্তর উৎসাহ-উদ্দীপনার, খুশির এই গীত গাইতে থাকে l এই মিলন মেলায় এমনই এক সংসার প্রাপ্ত হয় l এটা এমনই এক শ্রেষ্ঠ মেলা যেখানে তোমরা বাবাকে পাও, তোমাদের সংসার খুঁজে পাও l তাহলে, তোমরা এইরকম মেলাতে এসেছ, তাই না ! এমন না হয় যে মেলা দেখতে দেখতে শুধু একটা প্রাপ্তিতে এমন মগ্ন হয়ে গেলে যাতে সর্বপ্রাপ্তি ভ্রষ্ট হয় ! এই রূহানী মেলায় সর্বপ্রাপ্তি ক'রে যেও l অনেক কিছুর প্রাপ্তি হয়েছে, এমন খুশিতে আবেগময় হয়ে চলে যাবে, এমনটা যেন ক'রনা ! সবকিছু প্রাপ্ত ক'রে যেও l এখনই চেক করো, মেলার সর্বপ্রাপ্তি হয়েছে কিনা ! ভান্ডার যখন খোলা তখন সম্পন্ন হয়েই যাও l পরে ওখানে ফিরে গিয়ে এমন ব'লনা যে এটাও আমার করার ছিল ; আমি যতটা করতে পারতাম তা' করিনি l এইরকম তো তোমরা বলবে না, তাই না ? সুতরাং বুঝেছ তোমরা, এই মেলার মহত্ত্ব ? মিলনোৎসব পালন করা অর্থাৎ মহান হওয়া l শুধুই আসা আর যাওয়া নয়, বরং সম্পন্ন প্রাপ্তির প্রতিরূপ হতে হবে l এইরকম মেলা উদযাপন করেছ ? নিমিত্ত সেবাধারী কি ভাবছ ? বৃদ্ধি, বিধিকেও চেঞ্জ করে l বৃদ্ধিও যেমন অপরিহার্য, তেমনই সকল বিধির সাথে সম্পন্ন আর সন্তুষ্ট থাকাও অতি আবশ্যক l এখন তো তবুও বাবা আর বাচ্চার সম্বন্ধে মিলিত হচ্ছ, তোমরা কাছে আস l পরে শুধু পলকমাত্র দর্শন থেকে যাবে l আচ্ছা -



যারা রূহানী মেলা উদযাপন করে, সর্বপ্রাপ্তির সম্পূর্ণ অধিকার লাভ করে, সদা সুখময় সংসার আপন করে নেয়, সদা প্রাপ্তির, খুশির গীত গায়, এইরকম সদা শ্রেষ্ঠ মতে চলে, সেই আজ্ঞাকারী সুযোগ্য বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l



*টিচারদের সাথে :-* তোমরা সদা স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স বজায় রাখ এবং বাবার থেকে সর্বদা ব্লেসিংস লাভ কর l যেখানে ব্যালেন্স আছে, সেখানে বাবা দ্বারা শুধু স্বতঃই শুভ কামনাই লাভ করনা, বরং বরদান প্রাপ্ত কর l যেখানে ব্যালেন্স নেই, সেখানে বরদানও নেই আর যেখানে বরদান নেই সেখানে পরিশ্রম তো তোমাকে করতেই হবে l বরদান লাভ হওয়া অর্থাৎ সর্বপ্রাপ্তি সহজে প্রাপ্ত হচ্ছে l এইরকম বরদান প্রাপ্তকারী সেবাধারী তোমরা, তাই না ! সদা এক বাবা, একরস স্থিতি অর্থাৎ একের গভীরে নিমজ্জিত থেকে, একমত হ'য়ে চলো তোমরা l তোমরা এমনই গ্রুপ, তাই না ! যখন তোমরা একের মত অনুসরণ ক'রে চল, তখন সেখানে সদা সাফল্য বিদ্যমান l সুতরাং প্রতি পদে বাবার থেকে তোমরা সদা ব্লেসিং প্রাপ্ত কর l তোমরা এইরকমই প্রকৃত সেবাধারী l সবসময় নিজেদের তোমরা ডবল লাইট মনে ক'রে সেবা করতে থাক l যত হালকা থাকবে, সেবাতে ততই হালকাভাব বজায় থাকবে l আর সেবাতে যত হালকাভাব আসবে, ততই তোমরা সকলে সহজভাবে উড়বে এবং উড়াবে l ডবল লাইট হয়ে সেবা করা, স্মরণে থেকে সেবা করা - এটাই সাফল্যের আধার l সেই সেবার প্রত্যক্ষ ফল অবশ্যই লাভ হয় l



*গ্রুপের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার সাক্ষাৎকারঃ*

সঙ্গমযুগ সদা সর্বপ্রাপ্তি লাভ করার যুগ l সঙ্গমযুগ শ্রেষ্ঠ হওয়ার আর শ্রেষ্ঠ বানানোর যুগ l এইরকম যুগে পার্ট অভিনয় ক'রে আত্মারা কত শ্রেষ্ঠ হয়ে গেছে ! সুতরাং তোমাদের এই স্মৃতি সদা থাকে যে তোমরা সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ আত্মা ? সর্বপ্রাপ্তির অনুভব হয় তোমাদের ? বাবার থেকে যা প্রাপ্তি হয়, সেই প্রাপ্তির আধারে সবসময় নিজেকে সম্পন্ন, পরিপূর্ণ আত্মা মনে হয় ? এত পরিপূর্ণ হও যা' দিয়ে নিজেকে প্রতিপালন কর আর অন্যকেও বিতরণ কর l বাবার জন্য যেমন বলা হয় যে তাঁর ভান্ডার পরিপূর্ণ, সেইরকম তোমরা সব বাচ্চারও ভান্ডার সদা পরিপূর্ণ l কখনও শূন্য হতে পারে না l তুমি অন্যকে যত দেবে, সেই অনুযায়ী ততই বেড়ে যাবে l যা সঙ্গমযুগের বিশেষত্ব তা' তোমাদেরও বিশেষত্ব l তোমরা সঙ্গমযুগী সর্বপ্রাপ্তিস্বরূপ আত্মা, এই স্মৃতি বজায় রাখ l সঙ্গমযুগ পুরুষোত্তম যুগ, এই যুগে যারা পার্ট অভিনয় করে তারাও তো তবে পুরুষোত্তমই হ'ল, তাই না ! দুনিয়ার সকল আত্মা তোমাদের তুলনায় সাধারণ, তোমরা অলৌকিক এবং অনুপম আত্মা l তারা অজ্ঞানী অর্থাৎ জ্ঞান পায়নি, তোমরা জ্ঞানী l তারা শূদ্র, তোমরা ব্রাহ্মণ l তারা দুঃখধামের অন্তর্গত, তোমরা সঙ্গমযুগের l সঙ্গমযুগও সুখধাম l কতরকম দুঃখ থেকে তোমরা বেঁচে গেছ l এখন তোমরা সাক্ষী হয়ে দেখতে পাচ্ছ, দুনিয়া কতরকমভাবে দুঃখী আর তাদের তুলনায় তোমরা কত সুখী l বৈসাদৃশ্য তোমরা বুঝতে পার, নয় কি ? সদা পুরুষোত্তম যুগের পুরুষোত্তম আত্মা তোমরা,

সুতরাং এই স্মৃতি বজায় রাখ l যদি তোমাদের সুখ না থাকে, মহত্ত্ব না থাকে, তবে জীবনও নেই !



সদা স্মরণের খুশিতে থাক, তাই না ? খুশিই সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ আর রোগের প্রতিকারক l এই খুশির ঔষধি আর আশীর্বাদ নিরন্তর নিতে থাক, পরে, সদা খুশি থাকার কারণে শরীরের হিসেব-নিকেশও তোমাকে নিজের দিকে টানবে না l তোমরা স্বতন্ত্র এবং ঘনিষ্ঠ হয়ে শরীরের হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে দেবে l যতবড় কর্মভোগ হোক না কেন, সেটাও শূল থেকে কাঁটায় পরিবর্তিত হয়ে যাবে, কোনও বড় বিষয় ব'লে মনে হবে না l তোমাদের এই প্রত্যয় জন্মেছে যে এই সবই হিসেবনিকেশ, সুতরাং যারা খুশির সাথে তাদের হিসেবনিকেশ চুকিয়ে দেয়, তাদের জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যায় l অজ্ঞানী আত্মারা সঙ্কটাবস্থায় হাহাকার করবে আর জ্ঞানী আত্মা সবসময় এই স্মৃতিতে থাকবে, *বাহ্ মিষ্টি বাবা ! বাহ্ ড্রামা ! নিরন্তর খুশির গীত গাও l শুধু স্মরণে রেখ, জীবনে তোমরা যা প্রাপ্ত করতে চেয়েছিলে তা' তোমাদের প্রাপ্ত হয়েছে l যা চেয়েছিলে সেই সব প্রাপ্তি তোমরা এখন লাভ করেছ l তোমাদের সর্বপ্রাপ্তির পরিপূর্ণ ভান্ডার আছে l যেখানে ধনভান্ডার সদাসর্বদা পরিপূর্ণ সেখানে সব দুঃখ-কষ্ট সমাপ্ত হয়ে যায় l সদা নিজের ভাগ্য দেখে উৎফুল্ল হতে থাক - বাহ্ আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য !* নিরন্তর এই গীত মনে গাইতে থাক l কত বড় ভাগ্য তোমাদের ! দুনিয়ার লোক তাদের ভাগ্যে সন্তান পায়, ধন পায়, সম্পত্তি পায় কিন্তু এখানে তোমরা কি লাভ কর ? ভাগ্য হিসেবে স্বয়ং ভাগ্যবিধাতাকেই পেয়ে যাও l যখন ভাগ্যবিধাতা তোমার হয়ে গেছেন, তখন বাকি কি থাকল ? এই অনুভব আছে তোমাদের, তাই না ? শুধুমাত্র অন্যের থেকে শুনেই চলতে শুরু করনি তো ! বড়রা তোমাকে বলল ভাগ্য লাভ হয় আর তুমি চলতে থাকলে, একে বলে, সাদাসিধেভাবে শুনে চলা l তাহলে কি তুমি এই ব্যাপারে শুনে বুঝেছ নাকি অনুভবের মাধ্যমে বুঝেছ ? সবাই তোমরা অনুভাবী ? সঙ্গমযুগই অনুভব করার যুগ, এই যুগেই তোমরা সর্বপ্রাপ্তির অনুভব করতে পারো l এখন যা অনুভব করছ, সত্যযুগে তা' থাকবে না l তোমাদের এখনের স্মৃতি সত্যযুগে মার্জ হয়ে যাবে l এখানে অনুভব কর যে তোমরা বাবাকে খুঁজে পেয়েছ, ওখানে বাবার তো কোনো প্রশ্নই নেই ! একমাত্র সঙ্গমযুগেই এটা অনুভব করা যায় l সুতরাং তোমরা সকলেই এই যুগে অনুভাবী হয়ে গেছ l অনুভাবী আত্মারা কখনও মায়ার কৌশলে ভুল পথে চালিত হয় না l শুধু প্রবঞ্চিত হলেই তোমাদের দুঃখের অনুভব হয় l যারা অনুভবের অথরিটি তারা কখনো প্রবঞ্চনার শিকার হয় না l সবসময়ই তারা সাফল্য প্রাপ্ত করতে থাকবে, সদা খুশি থাকবে l অতএব, বর্তমান সিজনের বরদান স্মরণে রাখ, *তোমরা সকল সন্তুষ্ট আত্মা সর্বপ্রাপ্তির প্রতিমূর্তি, যারা অন্যদের সন্তুষ্ট বানায় l* আচ্ছা !



*বাপদাদার সমুখে ইনকাম ট্যাক্স অফিসার বসে আছেন, তাঁর প্রতি উচ্চারিত মধুর মহাবাক্যঃ*



আপনি এটা বুঝেছেন যে নিজের ঘরে এসেছেন ? এই ঘর কার ? পরমাত্মার ঘর, সুতরাং সকলেরই তো ঘর, তাই না ! অতএব, আপনারও ঘর, নয় কি ? আপনি ঘরে এসেছেন এ তো খুব ভালো করেছেন, এর থেকেও ভালো কি করবেন ? সবচেয়ে ভালোটা করতে হবে এবং সর্বোচ্চ হতে হবে l যতই হোক, এটাই তো জীবনের লক্ষ্য l এখন সর্বোত্তম কি করা উচিৎ ? যে পাঠ সম্বন্ধে বাবা এখন বলেছেন, শুধু এই একই পাঠ (জ্ঞান ) উপলব্ধ হলে, সেই পাঠেই সমগ্র পঠনপাঠন মিশে আছে l এটা ওয়ান্ডারফুল বিশ্ব বিদ্যালয় l দেখতে এটাও ঘর, কিন্তু বাবাই সত্য শিক্ষক l এটা ঘরও আবার বিদ্যালয়ও l এই কারণে কেউ কেউ বুঝতে পারে না যে এটা ঘর নাকি বিশ্ব বিদ্যালয় ! যাই হোক, এটা ঘরও এবং বিশ্ব বিদ্যালয়ও, কারণ যা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ পাঠ, সেটাই এখানে পড়ানো হয় l কলেজে বা স্কুলে পড়ানোর লক্ষ্য কি ? বাচ্চাদের চারিত্রিক বিকাশ, রোজগারের উপযুক্ত এবং পরিবারের প্রতিপালক হওয়া, এটাই তো লক্ষ্য, তাই না ! সুতরাং এই সব লক্ষ্যই এখানে পূর্ণ হয়েই যায় l প্রত্যেকে চরিত্রবান হয়ে ওঠে l



ভারত ভূমির নেতারা কি চায় ? ভারতের বাপুজী কি চাইতেন ? এটাই তো চাইতেন যে ভারত লাইট হাউস হয়ে যাক ! ভারত দুনিয়ার আধ্যাত্মিক শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠুক l সেই কার্যই এখানে গুপ্তরূপে হয়ে চলেছে l যদি একটি যুগলও রাম-সীতা সমান হয়ে ওঠে, তবে এক রাম-সীতার কারণে রামরাজ্য হয়ে যাবে আর যদি এত সকলে রাম-সীতার সমান হয়ে যায় তবে কি হবে ? সুতরাং এই পাঠাভ্যাস কঠিন নয়, অনেক সহজ l এই পঠন-পাঠন বোধপ্রাপ্ত হলে তবে আপনিও সত্য টিচারের থেকে রূহানী সার্টিফিকেটও নেবেন আর গ্যারান্টিও নেবেন - সোর্স অফ ইনকামের l যাই হোক, প্রকৃতপক্ষেই এটা ওয়ান্ডারফুল (বিস্ময়কর) ! পিতামহ এবং প্রপিতামহ এখানে পাঠাভ্যাস করে, সেইসাথে পৌত্র প্রপৌত্রও এখানেই পড়ে l পঠন-পাঠন সকলের একই ক্লাসে, কারণ এখানে আত্মাদের পড়ানো হয়ে থাকে, শরীরকে দেখা যায় না l আত্মাদেরই শেখানো হয় l এমনকি, পাঁচ বছর বয়সের বাচ্চাও এই পাঠের অনুশীলন করতে পারে, তাই না ! আর বাচ্চা বেশি কাজ করতে পারে l যারা বৃদ্ধ হয়ে গেছে তাদের জন্যেও এই পঠন-পাঠন আবশ্যক, নয়তো জীবন নিয়ে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে l শিক্ষাহীন মায়েদেরও শ্রেষ্ঠ জীবন প্রয়োজন l তাইতো সত্য শিক্ষক সবাইকে পড়াচ্ছেন l যতই ভি. ভি. ভি. আই. পি . হোক, সত্য শিক্ষকের কাছে তো সবাই স্টুডেন্ট! এই একই পাঠ সবাইকে পড়ান l সুতরাং, আপনি কি করবেন ? এই পাঠাভ্যাস আপনি করবেন, নয় কি ? লাভ আপনারই হবে l যে করবে সে-ই ফেরত পাবে l আপনি যতটা করবেন সেই অনুযায়ী আপনি লাভবান হবেন। কারণ, এখানে আপনি একের লক্ষ-কোটি গুণ ফেরত পাবেন l ওখানে বিনাশী ব্যাপারে এমন হয় না l এই অবিনাশী পঠন-পাঠনে একের লক্ষ-কোটি গুণ আপনার লাভ হবে, কারণ তিনি দাতা l আচ্ছা !



*রাজস্থান জোনের সাথে বাপদাদার সাক্ষাৎকারঃ -

রাজস্থান জোনের বিশেষত্ব কি ? মুখ্য কেন্দ্র রাজস্থানেই l সুতরাং জোনের যেমন বিশেষত্ব আছে, সেইরকম রাজস্থান নিবাসীদেরও বিশেষত্ব থাকবে, তাই না ? রাজস্থানে বিশেষ হীরে বার করতে যাচ্ছ নাকি নিজেরাই তোমরা বিশেষ হীরে ? যতই হোক, সর্বাপেক্ষা বিশেষ তোমরাই, কিন্তু সেবার ক্ষেত্রে দুনিয়ার নজরে যারা বিশেষ, তাদেরও সেবার নিমিত্ত বানাতে হবে তোমাদের l এইরকম সেবা করেছ তোমরা ? সবকিছুতে রাজস্থানের নাম্বার ওয়ান হওয়া উচিৎ l সংখ্যাতে, কোয়ালিটিতে, সেবার বিশেষত্বে সবকিছুতে নাম্বার ওয়ান l যাই হোক, মুখ্যকেন্দ্র নাম্বার ওয়ান সুতরাং, এর প্রভাব সমগ্র রাজস্থানে বিস্তৃত হতে হবে l বর্তমানে, সংখ্যায় নাম্বার ওয়ান হিসেবে মহারাষ্ট্র, গুজরাট বিবেচিত হয়েছে l এখন এই গণনা করতে হবে যে সর্বাপেক্ষা নাম্বার ওয়ান রাজস্থান l এখন এই বছর উদ্যোগ নাও l পরের বছর মহারাষ্ট্র আর গুজরাট থেকেও এগিয়ে যেতে হবে l যাদের নিশ্চয় বুদ্ধি আছে তারা বিজয়ী l কত ভালো ভালো রত্ন আছে এখানে ! সেবার অগ্রগতি হলে তা' অবশ্যই বর্ধিত হবে l

বরদান:-

ভগবান আর ভাগ্যের স্মৃতি দ্বারা অন্যেরও ভাগ্য বানিয়ে রমণীয় এবং সৌভাগ্যবান ভব

অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত নিজের বিভিন্ন রকমের ভাগ্যকে তোমাদের স্মৃতিতে নিয়ে এসো এবং নিরন্তর এই গীত গাইতে থাক, *বাহ্ আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য !* যারা ভগবান আর ভাগ্যের স্মৃতিতে থাকে, তারাই অন্যদের ভাগ্যবান বানাতে পারে l ব্রাহ্মণ মানেই সদা ভাগ্যবান, সদা সুপ্রসন্ন l কারও সাহস নেই যে ব্রাহ্মণ আত্মার খুশি হ্রাস করতে পারে l প্রত্যেকে মনোহরণ এবং সৌভাগ্যবান l ব্রাহ্মণ জীবনে খুশি চলে যাবে তা' অসম্ভব; এমনকি তুমি যদি তোমার শরীর ছেড়েও দাও, তোমার খুশি কখনও অন্তর্হিত হতে পারে না l

স্লোগান:-

মায়ার দোলা পরিত্যাগ ক'রে অতীন্দ্রিয় সুখের দোলায় নিরন্তর দুলতে থাক l