24-06-19 Morning
Bengali Murli Om Shanti BapDada Madhuban
গীতঃ-
এই হল আমার
ছোট্ট সংসার
ওম্ শান্তি ।
নলেজফুল, অসীম
জগতের পিতা আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন। আত্মাদের যে অরিজিনাল স্টেজ (আসল স্বরূপ) ছিল
এখন তার রূপ পরিবর্তন হয়ে গেছে। এমন বলা হবে না যে আত্মা সদা একরকম স্টেজে থাকে।
আত্মা যদিও অনাদি কিন্তু তার স্টেজ পরিবর্তন হয়, যেমন যেমন সময় পেরিয়ে যায় আত্মার
স্থিতি পরিবর্তন হতে থাকে, যদিও আত্মা হল অনাদি অবিনাশী, কিন্তু আত্মা যেমন কর্ম করে
তেমন ফল ভোগ করে। সুতরাং কর্মের রেস্পন্সিবিলিটি হল আত্মার। তাই এখন বাবাও আত্মাদের
সঙ্গে কথা বলছেন, এই কথা তো সবার বুদ্ধিতে আছে যে আত্মার পিতা হলেন পরম পিতা
পরমাত্মা।
যখন পিতা বলা হয় তখন নিশ্চয়ই আমরা তাঁর পুত্র হলাম, এমন নয় তিনিও পিতা তো আমরাও পিতা।
যদি যে আত্মা সে-ই পরমাত্মা বলা হয় তাহলে তো আত্মাকেই পরমাত্মাও বলা হবে। কিন্তু
পিতা ও পুত্রের সম্বন্ধে পিতা বলে সম্বোধন করা হয়। যদি আমরা সবাই পিতা হই তাহলে পিতা
বলে সম্বোধন কে করবে ! নিশ্চয়ই পিতা ও পুত্র দুইজন আছে। পিতা সম্বোধন করার সম্বন্ধ
পুত্র দ্বারা সম্ভব এবং পুত্রের সম্বন্ধেই পিতার সম্বন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়। অতএব
তাঁকে বলা-ই হয় পরম পিতা পরম আত্মা। এখন তিনি পিতা বসে বোঝাচ্ছেন যে, আত্মারা
বর্তমানে তোমাদের যা স্থিতি এবং পূর্বে যা স্থিতি ছিল, তাতে অনেক তফাৎ আছে। এখন আমি
এসেছি সেই তফাৎ মেটাতে। বাবা বুদ্ধি প্রদান করে এই কথা বোঝাচ্ছেন যে তোমাদের যা
অরিজিনাল স্টেজ ছিল, এখন সেই স্টেজটিতে স্থির হয়ে যাও। কিভাবে স্থির হবে, সেই
জ্ঞানও দিচ্ছেন সাথে শক্তিও দিচ্ছেন। বলছেন তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে শ্রেষ্ঠ
কর্ম করার শক্তি আসবে, নাহলে তোমাদের কর্ম শ্রেষ্ঠ হবে না। অনেকে বলে যে আমরা চাই
ভালো কাজ করতে কিন্তু কি জানি কি হয় যে ভালো কাজে আমাদের মন লাগে না, অন্য দিকে চলে
যায় কারণ ভালো কর্ম করার শক্তি আত্মার নেই। আমাদের স্থিতি তমো প্রধান হওয়ার দরুন তমো-র
প্রভাব এখন খুব জোর আছে, যা আমাদের চাপ দিয়ে থাকে ফলে বুদ্ধি সেই দিকে তাড়াতাড়ি চলে
যায় আর ভালোর দিকে বুদ্ধি যেতে বাধা প্রাপ্ত হয়। তাই বাবা বলেন এখন আমার সঙ্গে যোগ
যুক্ত হও আর আমি যা বোধ শক্তি দিচ্ছি সেই আধারে নিজের যা পাপের বোঝা আছে, বন্ধন আছে,
যা বাধা রূপে সামনে আসছে তার থেকে নিজের রাস্তা পরিষ্কার করতে থাকো। তারপরে যত
শ্রেষ্ঠ কর্ম করতে থাকবে তো তোমাদের মধ্যে সতোপ্রধান স্থিতির সেই শক্তি (পাওয়ার)
আসতে থাকবে, সেই আধারে তোমরা আবার সেই স্থিতি প্রাপ্ত করবে যা তোমাদের আসল স্থিতি
ছিল।
তখন যেমন আত্মা তেমন শরীরও প্রাপ্ত হবে এবং সংসারও সেইরকম হবে। অতএব অমন সংসার এখন
পরমপিতা পরমাত্মা তৈরি করছেন তাই তাঁকে বলা হয় বিশ্বের রচয়িতা (ওয়ার্ল্ড ক্রিয়েটর),
কিন্তু এমন নয় যে দুনিয়া কখনও নেই যা বসে তৈরি করেছেন বরং এমন এবং এই ভাবে দুনিয়ার
রচনা করেছেন। অন্য কাউকে দুনিয়ার রচয়িতা বলা হবে না, ক্রাইস্ট এসেছেন, বুদ্ধ এসেছেন
তো তারা এসে নতুন ধর্ম স্থাপনা করেছেন কিন্তু দুনিয়াকে পরিবর্তন করা এবং দুনিয়ার
রচনা করা, এই কর্তব্যটি তাঁর - যিনি হলেন বিশ্বের রচয়িতা (ওয়ার্ল্ড ক্রিয়েটর), যিনি
হলেন সর্বশক্তিমান (অলমাইটি অথরিটি)। অতএব এই কথাটিও বুঝতে হবে যে তাঁর কর্তব্য সব
আত্মাদের থেকে আলাদা, কিন্তু তিনিও নিজের কর্তব্য বা অ্যাক্ট অন্য আত্মাদের মতন এই
মনুষ্য সৃষ্টিতে এসেই করেন। যদিও প্রত্যেক আত্মাদের অ্যাক্ট নিজ সময় মতন চলতেই থাকে,
এমন বলা হবে না যে এই সব অ্যাক্ট পরমাত্মার-ই চলে, প্রত্যেক আত্মার নিজ-নিজ কর্মের
খাতা চলে, যেমন কর্ম করে তেমন ফল ভোগ করে। তাতে কোনো কোনো ভালো আত্মারাও আছে, যেমন
ক্রাইস্টের বা বুদ্ধ এসেছিলেন, ইসলামী এসেছিল, গান্ধী এসেছিলেন, যারা ভালো ভালো
আত্মারা এসেছিল সবাই নিজের পার্ট প্লে করে গেছেন। ঠিক সেই রকমই আত্মারা, তোমাদেরও
অনেক জন্মের পার্ট রয়েছে। এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর গ্রহণ করেছ, প্রত্যেকের যত
গুলি জন্মের হিসেব থাকবে, আত্মা তত পার্ট প্লে করে থাকে। আত্মাতে সব কিছু রেকর্ড ভরা
আছে, যা সে প্লে করে। এ হল প্লে করার স্থান, সেইজন্য একে নাটকও বলা হয়, ড্রামাও বলা
হয়। এই নাটকে এক বার পরমাত্মারও অ্যাক্ট (সঙ্গম যুগে) আছে, তাই তাঁর অ্যাক্টের মহিমা
সবচেয়ে উঁচু। *কিন্তু উঁচু কিসে ? তিনি নিজে এসে আমাদের দুনিয়া বদলে দেন*।
এ হল কর্মের জমি বা ক্ষেত্র, যেখানে মনুষ্য আত্মা নিজের নিজের পার্ট প্লে করে। এতে
পরমাত্মারও পার্ট আছে কিন্তু তিনি আত্মাদের মতন জন্ম-মৃত্যুতে আসেন না। আত্মাদের
মতন তাঁর কর্মের খাতা উল্টো তৈরি হয় না অর্থাৎ বিকর্মের খাতা থাকে না। তিনি বলেন
আত্মারা আমি তো শুধু তোমাদের উদ্ধার (লিবারেট) করতে আসি তাই আমাকে লিবারেটর অর্থাৎ
উদ্ধার কর্তা, বন্ধন মুক্তকারী সদগতি দাতা বলা হয়। আত্মার উপরে মায়ার যে বন্ধন আছে,
সেসব মিটিয়ে পবিত্র করেন আর বলেন যে আমার কাজ হল আত্মাদের সর্ব বন্ধন থেকে মুক্ত করে
ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া, তো সৃষ্টির যা অনাদি নিয়ম কানুন আছে সেসবও বুঝতে হবে, তারপরে এই
মনুষ্য সৃষ্টির বৃদ্ধি কিরূপ হয়, তারপরে সেই সময়ও আসে যখন এই সংখ্যা কম হয়। এমন নয়
বাড়ছে তো বাড়তেই থাকবে, তা নয়। কমও হয়। সুতরাং সৃষ্টিতে প্রত্যেকটি জিনিসের নিয়ম আছে।
নিজের শরীরেরও নিয়ম আছে, প্ৰথমে বাল্য অবস্থা, তারপরে কৈশোর, যৌবন, বৃদ্ধ অবস্থা।
সুতরাং বৃদ্ধ কেউ অতি শীঘ্র হয় না, বৃদ্ধ হতে হতে জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে যায়। অতএব
প্রতিটি জিনিসের বৃদ্ধি ও তার অন্ত, এও হল নিয়ম। ঠিক সেই রকম সৃষ্টির জেনারেশনেরও
একটি নিয়ম আছে। একটি জীবনের স্টেজ আছে, তো জন্মেরও স্টেজ আছে, তারপরে যে বংশ (জেনারেশন)
চলে তারও স্টেজ আছে, এইরূপ সব ধর্মেরও স্টেজ আছে। প্রথম যে ধর্মটি আছে সেইটি খুব
শক্তিশালী হয়, পরে ধীরে-ধীরে যে ধর্ম গুলি আসে, তার শক্তি কম হতে থাকে। অতএব ধর্মের
বিভাজন, ধর্মের প্রচলন, সব কিছুই নিয়মে চলে, এইসব কথাও বুঝতে হবে।
এই হিসেবে বাবাও বলেন এতে আমারও পার্ট আছে। আমিও হলাম আত্মা (সোল), আমি ভগবান (গড),
কোনও অন্য কিছু নই। আমিও আত্মা কিন্তু আমার কর্তব্য বিশাল এবং উচ্চ মানের তাই আমাকে
গড বা ভগবান বলা হয়। তোমরা যেমন আত্মা আমিও সেইরকম আত্মা। তোমাদের যেমন সন্তান আছে
সেও তো মানুষ , তোমরাও তো মানুষ, তাতে কোনও তফাৎ নেই, তাইনা। অতএব আমিও হলাম আত্মা।
আত্মা আত্মায় কোনও তফাৎ নেই কিন্তু কর্তব্যে অনেক তফাৎ আছে, তাই তিনি বলেন আমার যা
কর্তব্য তা সকলের চেয়ে ভিন্ন। আমি কোনও সীমিত জগতের এক ধর্মের স্থাপক নই, আমি তো
দুনিয়ার রচয়িতা (ক্রিয়েটর), তারা হলেন ধর্মের রচয়িতা। যেমন ওই আত্মারা নিজের
কর্তব্য সময় মতন করেছে, তেমনই আমিও নিজের সময়ে আসি। আমার কর্তব্য বিশাল, আমার
কর্তব্য মহান এবং সবচেয়ে ইউনিক (অনন্য), অনুপম তাই বলা হয় তোমার কাজ অনুপম। তাঁকে
সর্বশক্তিমানও বলা হয়। সবচেয়ে শক্তিশালী কাজ হল আত্মাদের মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত করা
এবং নতুন দুনিয়ার স্যাপলিং লাগানো (চারা রোপণ করা), তাই তাঁকে ইংরেজিতে বলা হয়
হেভেনলী গড ফাদার। যেমন ক্রাইস্টকে বলা হবে ক্রিশ্চিয়ানিটির ফাদার, ক্রাইস্টকে
হেভেনলী গড ফাদার বলা হবে না। স্বর্গের (হেভেনের) স্থাপক হলেন পরমাত্মা। সুতরাং
স্বর্গীয় দুনিয়া (হেভেনলী ওয়ার্ল্ড) বলা হবে, তাই না ! হেভেন (স্বর্গ) একটি কোনও
ধর্ম নয়। সুতরাং তিনি হলেন বিশ্বের স্থাপক (ওয়ার্ল্ডের ) এবং সেই বিশ্বে এক ধর্ম,
এক রাজ্য হবে, পাঁচ তত্ত্ব ইত্যাদি সব চেঞ্জ হয়ে যাবে তাই বাবাকে বলা হয় হেভেনলী গড
ফাদার।
দ্বিতীয়তঃ, ঈশ্বর হলেন সত্য - গড ইজ ট্রুথ বলা হয়, তো সেই সত্যটি কি জিনিস বা কিসের
সত্য ? এই কথাও বুঝতে হবে । অনেকে ভাবে, যে সত্য বলে সে-ই হল ভগবান। ভগবান (গড)
অন্য কিছু নয় ব্যস্ সত্য বলা উচিত। কিন্তু তা নয়, *ঈশ্বর হলেন সত্য (গড ইজ ট্রুথ)
এই কথাটির অর্থ হল যে ভগবান এসে সব কথার সত্যতা প্রকাশ করেছেন, গড ইজ ট্রুথ অর্থাৎ
গড এসে ট্রুথ বলেন, তাতেই সত্যতা নিশ্চিত রূপে বিদ্যমান আছে, তবেই তো তাঁকে নলেজফুল
বলা হয়। জ্ঞানের সাগর (ওশান অফ নলেজ), আনন্দের সাগর (ওশান অফ ব্লিস)। ঈশ্বর জানেন (গড
নোজ) সুতরাং অবশ্যই কিছু বিশেষ জানার কথা আছে, তাইনা ! তাহলে সেই বিশেষ তথ্যটি কি ?
এমন নয় অমুকে চুরি করেছে, ভগবান জানেন (গড নোজ) । যদিও তিনি সবকিছু জানেন কিন্তু
তাঁর মহিমা যা, সেসব এই আধারে যে আমাদের এই দুনিয়ার যে অধঃগমন হয়েছে সেই দুনিয়ার
ঊর্ধ্ব গমন হবে কি করে, এই চক্রের কথা তিনি জানেন তাই বলা হয় গড নোজ। সুতরাং
পরমাত্মার মহিমা সেই ভাবে হয় যা মানুষের থেকে আলাদা। কারণ তাঁর জানা তথ্য সবার চেয়ে
আলাদা। মানুষের জ্ঞান সীমিত, বলাও হয় মানুষ হল অল্পজ্ঞ অর্থাৎ অল্প জ্ঞানী এবং
পরমাত্মার ক্ষেত্রে বলা হয় তিনি হলেন সর্বজ্ঞ বা সর্ব জ্ঞানী, যাকে ইংরেজিতে বলা হয়
নলেজফুল অর্থাৎ সর্বজ্ঞানী, যিনি সবকিছু জানেন। তো যে সর্বজ্ঞ হবে সে সত্যকে জানবে,
যার কাছে যথার্থ বিষয়ের নলেজ থাকবে, সে নিশ্চয়ই সবাইকে সেই নলেজ প্রদান করবে, তাইনা।
যদি নিজে জানবে, অন্যদের জানাবে না তাহলে আমাদের কি লাভ ! সবাইকে জানতে দাও। কিন্তু
না। সেই নলেজ জানতে পেরে আমাদের কিছু লাভ হয়েছে, সেইজন্যই তো আমরা তাঁর মহিমা গাই।
তাঁর স্মরণেই থাকি। কখনও কিছু হলেই বলি - হে ভগবান ! এবারে তুমি করো ! পার করো, দয়া
করো, আমার দুঃখ দূর করো, এইরূপ আমরা তাঁর কাছে চাহিদা রাখি, তাইনা। তাঁর সঙ্গে
আমাদের কিছু সম্বন্ধ আছে, তাইনা ! সেজন্যেই এমন করে স্মরণ করি, নিশ্চয়ই উনি আমাদের
উপরে কোনও উপকার করেছেন। যদি তিনি কোনও উপকার না করে থাকেন, তাহলে কেন আমরা তাঁর
জন্যে এত মাথা কুঁটে থাকি। যখন কেউ বিপদের সময় সাহায্য করে তখন মনে থেকে যায় অমুক
আমাকে বড় বিপদের সময় হেল্প করেছিল। ঠিক সময়ে আমায় রক্ষা করেছিল, সুতরাং তার প্রতি
মনে প্রেম ভাব অনুভূত হয়। অতএব পরমাত্মার প্রতিও এমনই প্রেম ভাব অনুভূত হয় যে তিনি
ঠিক সময়ে আমাদের সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু এমন নয় কখনো কোনও মানুষের কিছু ভালো হলে
বলা হবে ভগবান করেছেন ভগবান এমনই করে থাকেন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় কাজ হল
ওয়ার্ল্ডের কাজ, দুনিয়ার সাথে এর সম্বন্ধ রয়েছে। বাকি এমন নয় যে কেউ একটু বেশি টাকা
পেয়ে গেল, এই কাজ ভগবানের। সে তো আমরাও ভালো কাজ করলে ভালো ফল প্রাপ্ত করি। ভালো
খারাপ কর্মের হিসেব তো চলতেই থাকে, সেসব তো আমরা পেতে থাকি কিন্তু পরমাত্মা এসে যে
কর্ম শিখিয়েছেন সেই কর্মের ফল কিন্তু একেবারেই আলাদা। অল্পকালের সুখের প্রাপ্তি তো
বুদ্ধির আধারে হয়েই থাকে। কিন্তু তিনি যে নলেজ দিয়েছেন তার দ্বারা আমরা সদা সুখ
প্রাপ্ত করি। সুতরাং পরমাত্মার কাজটি হল একটু আলাদা, তাইনা ! সেইজন্যই তিনি বলেন -
আমি-ই এসে কর্মের যে যথার্থ নলেজ, সেই নলেজ প্রদান করি, যাকে বলা হয় কর্মযোগ।
কর্মযোগই হল হল শ্রেষ্ঠ, এতে ঘর গৃহস্থ ত্যাগ করার প্রয়োজন নেই। শুধু তোমরা নিজের
কর্ম গুলি কিভাবে পবিত্র করবে, তার নলেজ আমি তোমাদের বলি। অতএব কর্মকে পবিত্র করতে
হবে, কর্ম ত্যাগ করতে হবে না। কর্ম তো হল অনাদি বস্তু। এই কর্মক্ষেত্রটিও হল অনাদি।
মানুষ আছে তো কর্মও আছে, কিন্তু সেই কর্মকে তোমরা কিভাবে শ্রেষ্ঠ করবে সেই পদ্ধতি
এসে আমি তোমাদের শেখাই, যার ফলে আবার তোমাদের কর্মের খাতা অকর্ম থাকে। *অকর্মের
অর্থ হল কোনও কু কর্মের খাতা তৈরি না হওয়া*। আচ্ছা !
এমন বাপদাদা এবং মায়ের মিষ্টি মিষ্টি সুপুত্র, সদা সতর্ক থাকা বাচ্চাদের প্রতি
স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আচ্ছা।
বরদানঃ-
সদা উৎসাহ
উদ্দীপনায় থেকে অন্তরে খুশীর গীক গাইতে থাকা অবিনাশী সৌভাগ্যশালী ভব
ব্যাখা: তোমরা
সৌভাগ্যবান বাচ্চারা অবিনাশী বিধি দ্বারা অবিনাশী সিদ্ধি প্রাপ্ত কর। তোমাদের মনে
সর্বদা বাঃ-বাঃ এর খুশীর গীত ধ্বনিত হতে থাকে। বাঃ বাবা ! বাঃ ভাগ্য! বাঃ মিষ্টি
পরিবার ! বাঃ শ্রেষ্ঠ সঙ্গমের সুন্দর সময় ! প্রত্যেকটি কর্ম হল বাঃ-বাঃ তাই তোমরা
হলে অবিনাশী সৌভাগ্যশালী। তোমাদের মনে কখনও কেন , আমি হোয়াই, আই ), আমিই কেন - আসতে
পারে না। হোয়াই বা কেন শব্দের পরিবর্তে বাঃ-বাঃ এবং আই বা আমি-র পরিবর্তে বাবা-বাবা
শব্দ-ই আসে।
স্লোগানঃ-
যে সঙ্কল্প করো
তাতে অবিনাশী গভর্নমেন্টের স্ট্যাম্প লাগিয়ে দাও তাহলে অটল থাকবে।