০৭-০৪-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ২৯-০৪-৮৪ মধুবন


জ্ঞান সূর্যের রূহানী নক্ষত্রদের বিভিন্ন বিশেষত্ব

আজ জ্ঞানসূর্য, জ্ঞান চন্দ্রমা তাঁদের বিভিন্ন নক্ষত্রদের লক্ষ্য করছেন, তারা কেউ বিশেষ সহযোগী নক্ষত্র তো কেউ সহজযোগী নক্ষত্র, কেউ শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী নক্ষত্র, কেউ আবার বিশেষ সেবার উদ্যমে আছে, এমন নক্ষত্র l কেউ শ্রমের ফল ভক্ষণ করে, এমন নক্ষত্র আর কেউ সহজ সফলতার l এইরকম সকল নক্ষত্রই ভিন্ন ভিন্ন বিশেষত্বের l জ্ঞান সূর্য দ্বারা তোমরা সকল নক্ষত্র রূহানী জ্ঞানালোক লাভ করার কারণে উজ্জ্বল নক্ষত্র তো হয়ে গেছ, কিন্তু বিভিন্ন নক্ষত্রের বিশেষত্বের ঝলক ভিন্ন ভিন্ন l স্থূল জগতের নক্ষত্রসকল যেমন বিভিন্ন গ্রহরূপে স্বল্পকালীন ভিন্ন ভিন্ন ফল প্রাপ্ত করায়, সেইরকম জ্ঞানসূর্যের তোমরা সব রূহানী নক্ষত্রেরও সকল আত্মার সঙ্গে সম্বন্ধ আছে যা অবিনাশী প্রাপ্তি করায় l যে নক্ষত্র যে বিশেষত্বে পরিপূর্ণ তার সেই বিশেষত্ব অনুসারে সেই নক্ষত্র অন্যদের ফল প্রাপ্ত করানোর নিমিত্ত হয় l যতটা জ্ঞান চন্দ্রমা বা জ্ঞান সূর্যের কাছাকাছি সে থাকে ততটা অন্যদেরও নিজের কাছের সম্বন্ধে নিয়ে আসে অর্থাৎ জ্ঞান সূর্য দ্বারা প্রাপ্ত তোমাদের বিশেষত্বের আধারে এবং ডাইরেক্ট বিশেষত্বের শক্তির আধারে অন্যদেরও তোমরা এত কাছে নিয়ে আসবে যে জ্ঞান সূর্য এবং জ্ঞান চন্দ্রমার সাথে তাদের ডাইরেক্ট সম্বন্ধ হয়ে যায়, তোমরা এতই শক্তিশালী নক্ষত্র, তাই না ! যদি নিজেরা শক্তিশালী না হও, কাছের না হও তবে ডাইরেক্ট কানেকশন গড়ে তুলতে অন্যদের সমর্থ বানাতে পারবে না l তোমরা নিজেরা দূরে হওয়ার কারণে যে শক্তি, সম্বন্ধ-সম্পর্ক তোমাদের বিশেষত্ব দ্বারা প্রাপ্ত করতে পারত, তারা সেটা তাদের যথাশক্তি (ধারণক্ষমতা) অনুযায়ী প্রাপ্তি করতে থাকে l তাদের ডাইরেক্ট শক্তি নেওয়ার সক্ষমতা নেই l এইজন্য জ্ঞানসূর্য যেমন উঁচু থেকে উঁচুতম, বিশেষ নক্ষত্রগণও উঁচু l নয়তো তারা উঁচু স্থিতির অনুভব করতে পারত না l তারা তাদের যথাশক্তি অনুযায়ী যথাপ্রাপ্তি হয় l শক্তিশালী স্থিতি যেমন হওয়া উচিৎ সেইরকম অনুভব তারা করতে পারে না l



এমন আত্মাদের মনে এবং মুখ থেকে সদা এই বোল নির্গত হয় যে এটা হওয়া উচিৎ কিন্তু হয় না l আমার এইরকম তৈরি হওয়া উচিৎ কিন্তু হইনি l এটা করা উচিৎ কিন্তু করতে পারি না l তাদের বলা হয় যথাশক্তি আত্মা l তারা সর্বশক্তিতে পরিপূর্ণ আত্মা নয় l এমন আত্মারা নিজের বা অন্যের বিঘ্ন-বিনাশক হয়ে উঠতে পারে না l তারা সামান্য এগিয়ে গেল তো বিঘ্ন উপস্থিত হলো l একটা বিঘ্ন সমাধান করে খানিক সাহস সঞ্চয় করবে, খুশি হবে আর তারপরে আবার অন্য বিঘ্ন এসে উপস্থিত হবে l জীবনের অর্থাৎ পুরুষার্থের লাইন সবসময় ক্লিয়ার হবে না l সামান্য এগিয়ে যাওয়া, তারপরে স্থানুবৎ হওয়া এইরকম বিধিতে তারা এগোতে থাকে আর অন্যদেরও এইভাবে অগ্রচালিত করে l স্থানুবৎ হওয়া আবার তারপরে এগিয়ে যাওয়া, এইভাবে চলার কারণে তারা তীব্রগতির অনুভব করতে পারে না l কখনো এটা চলন কলা, কখনো আরোহণ কলা, অন্য কোনো সময় চড়তি কলা হয় l একের গভীরে ডুবে থাকার শক্তিশালী অনুভূতি হয় না l কখনো সমস্যা, কখনো সমাধানস্বরূপ কারণ তারা তাদের ধারণশক্তি অনুসারে কাজ করে l জ্ঞানসূর্যের থেকে সকল শক্তি ধারণ করার ক্ষমতা তাদের নেই l মাঝেমধ্যে তাদের অবশ্যই সহায়তা প্রয়োজন l একেই বলে, যথাশক্তি আত্মা l



এখানে আসতে তোমাদের উঁচু পাহাড়ে চড়তে হয়, যে যানের মাধ্যমে তোমরা আসো, তা' বাসে হোক বা কারে (car/গাড়ী), এর ইঞ্জিন পাওয়ারফুল থাকে, সেইজন্য হাওয়া জলের জন্য না থেমেই তোমরা তীব্রগতিতে সরাসরি পৌঁছে যাও l যদি ইঞ্জিন দুর্বল হয়, জল বা হাওয়ার সহায়তা নিতে তোমাদের থামতে হবে l তখন তোমরা নন্ স্টপ পথ চলতে পারো না l কোথাও থামতেই হবে l একইভাবে, যথাশক্তি আত্মারা, কোনো না কোনো আত্মার, স্যালভেশনের, সাধনের আধার ব্যতীত দ্রুতগতিতে উড়তি কলার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না l কখনো বলবে, আজ সেভাবে খুশি ছিলাম না, আজ আমার যোগ শক্তিশালী ছিল না, সবকিছু বোঝা সত্ত্বেও আজ এই ধারণায় দুর্বল ছিলাম, আজ সেবাতে তেমন উদ্যম ছিল না l কখনো তাদের জল প্রয়োজন, কখনো হাওয়া, আবার কখনো ধাক্কা দেওয়ার প্রয়োজন হয় l এটা শক্তিশালী বলবে ? আমি অধিকারী, অধিকার নেওয়ায় আমি নাম্বার ওয়ান অধিকারী l কারও থেকে আমি কম নই l আর যখন কিছু করার বিষয় আসে, কি বলো ? আমি এখনও ছোট l এখনও নতুন, সেভাবে অভিজ্ঞ হইনি l এখনও পুরোপুরি সম্পূর্ণতা আসেনি l সময় তো এখনও বাকি আছে l দোষ অগ্রজের, আমার নয় l আমি শিখছি, শিখে যাব l বাপদাদা তো সদাই বলেন, সবাইকে চান্স দেওয়া উচিৎ l আমারও এই চান্স পাওয়া উচিৎ l আমারটাও শোনা উচিৎ l নেওয়ার ক্ষেত্রে তোমরা বড়রা, আর কিছু করতে হলে বড়রা যেমন করবে ! অধিকার নেওয়ায় *এখন* আর কিছু করায় *কখন করবে তোমরা !* নিতে তোমরা বড় হয়ে যাও আর কিছু করতে হলে ছোট হয়ে যাও l একে বলা হয়ে থাকে যথাশক্তি আত্মা l



বাপদাদা এমন হাস্যকর যুক্তির খেলা দেখে মৃদু মৃদু হাসতে থাকেন l বাবা তো সর্বাধিক সুচতুর l কিন্তু মাস্টার চতুরগণ কম কিছু নয় l সুতরাং যথাশক্তি আত্মা থেকে এখন সর্বশক্তিমান হও l কর্মকারী হও l তবেই তোমাদের নিজে থেকে শক্তিশালী কর্মের এবং শুভ ভাবনা শুভ কামনার ফল প্রাপ্ত হবে l সর্বপ্রাপ্তি নিজে থেকেই ছায়ার মতো তোমাদের অনুসরণ করবে l শুধু জ্ঞানসূর্যের থেকে প্রাপ্ত শক্তির আলোয় চললে সর্বপ্রাপ্তি নিজেই তোমাদের অনুসরণ করতে করতে চলে আসবে l বুঝেছ -



আজ বাবা যথাশক্তি আর শক্তিশালী নক্ষত্রদের ঝিলমিল করতে দেখছিলেন l আচ্ছা -



সবাই তীব্রগতিতে দৌড়ে দৌড়ে এখানে পৌঁছে গেছ l তোমরা বাবার ঘরে পৌঁছেছ, তাই বাবা বাচ্চাদের বলেন সুস্বাগতম ! যতটা যেমনই জায়গা আছে, সেটা তোমাদেরই ঘর l ঘর তো একদিনে বড় হবে না, কিন্তু সংখ্যা তো বেড়ে গেছে, নয় কি? সুতরাং স্থান সঙ্কুলানের ব্যবস্থা করে নিতে হবে l স্থান এবং সময়কে সংখ্যা অনুসারে কাজ করাতে হবে l তোমরা সকলে কুলিয়ে গেছ, তাই না! সবকিছুর জন্য ক্যু (queue /সারিবদ্ধ) তো হবেই, তবুও তোমরা এখনও অতীব লাকি কেননা পাণ্ডব ভবন বা আর যে স্থান আছে তার মধ্যেই তোমরা কুলিয়ে যাচ্ছ l এখনও তো বাইরে পর্যন্ত ক্যু যায়নি, তাই না ! বৃদ্ধিও হবে, ক্যুও লাগবে l সব পরিস্থিতিতে সদা খুশি আর তৃপ্তিতে থাকো l তবুও বাবার ঘরের মতন মনের আরাম আর কোথায় পাবে তোমরা ! সেইজন্য সবরকম পরিস্থিতিতে সদা সন্তুষ্টতা বজায় রাখ, সঙ্গমযুগের বরদানী ভূমির তিন পা জমিও সত্যযুগের সব মহল থেকেও শ্রেষ্ঠ l বসার জন্য যে এমন ঘর পেয়েছ, এটাও অনেক শ্রেষ্ঠ l এই দিনগুলো তোমাদের মনে পড়বে ! এখন তবুও দৃষ্টি আর টোলি তো পাচ্ছ তোমরা ! পরে অন্যদেরকে দৃষ্টি আর টোলি গ্রহণে উপযুক্ত করে তুলতে তোমাদের সমর্থ হতে হবে l বৃদ্ধি হচ্ছে, এটাও তো খুশির ব্যাপার, তাই না ! যা পাচ্ছ, যেভাবে পাচ্ছ সবকিছুতে খুশি থাক, বৃদ্ধি অর্থাৎ কল্যাণ l আচ্ছা !

কর্ণাটকের তারা বিশেষ হারানিধি l মহারাষ্ট্রও সংখ্যার নিরিখে মহান হয়ে থেকেছে l দিল্লিও রেসে আছে l বৃদ্ধি হওয়া বহাল রাখো তোমরা l ইউ. পি.ও কারও থেকে কম নয় l সব স্থানেরই নিজ নিজ বিশেষত্ব আছে l বাবা তোমাদের সেই সম্বন্ধে অন্য কোনো সময় বলবেন l



বাপদাদাকেও সাকার শরীরের আধার নেওয়ার কারণে সময়সীমা রাখতে হয় l যতই হোক, লোনে নেওয়া শরীর, নিজের তো নয় ! শরীরের দায়িত্ব বাপদাদার ওপরেই বর্তায় l সেইজন্য অসীম জগতের মালিকও সীমিত পরিধিতে বাঁধা হয়ে যান l অব্যক্ত বতন, সীমাহীন ! এখানে সংযম, সময় আর শরীরের শক্তি সব বাবাকে বিবেচনা করতে হবে l বেহদে এসো অর্থাৎ সীমিত গন্ডির ঊর্ধ্বে অসীমের মাঝে এসে মিলন উৎসব উদযাপন করো তোমরা l ওখানে তোমাদের কেউ বলবে না, এখন এসো, এখন যাও, অথবা নম্বরানুক্রমে এসো l তোমাদের জন্য খোলা নিমন্ত্রণ অর্থাৎ তোমাদের পূর্ণ অধিকার আছে l চাইলে তোমরা দু'টোর সময়ও আসতে পারো, চাইলে চারটে বাজলেও আসতে পারো l



সদা শক্তিশালী সর্বশ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা জ্ঞানসূর্যের কাছে এবং সমান হওয়ার উঁচু স্থিতিতে থাকা বিশেষ আত্মাদের, যারা সদা সকল কর্ম করার ক্ষেত্রে উদ্যম-উৎসাহে বলে, "আমি প্রথমে", সেই সাহসী আত্মাদের, যারা সদা সকলকে শক্তিশালী আত্মা বানায়, সেই নিকট বাচ্চাদের, জ্ঞানসূর্য জ্ঞান চন্দ্রমার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l



*দাদীদের সাথে : -* বাপদাদা তোমরা সব বাচ্চার জন্য গৌরবান্বিত l কিসের জন্য তাঁর গৌরব ? সদাসর্বদা বাবা তাঁর নিজের সমান বাচ্চাদের দেখে গর্বিত l যখন বাচ্চারা বাবার থেকেও বিশেষ কার্য করে দেখায়, তখন বাবার কতো গর্ব হবে ! দিনরাত বাবার স্মরণ এবং সেবা এই দুইয়ের জন্য শুধু গভীর ভালোবাসা থাকে l যতই হোক, মহাবীর বাচ্চাদের বিশেষত্ব এটাই যে প্রথমে তারা স্মরণকে রাখে, পরে সেবা l ঘোড়-সওয়ার এবং পেয়াদা প্রথমে সেবাকে রাখে পরে স্মরণ l এই কারণে ফারাক পড়ে যায় l প্রথমে স্মরণ আর তারপরে সেবা করলে তবেই সফলতা l প্রথমে সেবা রাখলে সেবায় যা কিছু ভালো-মন্দ হয় সেসবের দ্বারা তোমরা প্রভাবিত হও l আর প্রথমে স্মরণ রাখলে সহজেই স্বতন্ত্র হতে পারবে l তাই তো বাবাও তাঁর সমান এমন বাচ্চাদের জন্য গর্বিত l সমগ্র বিশ্বে কে আছে যাঁর এমন সমতুল্য বাচ্চা আছে ? বাবা যদি প্রত্যেক বাচ্চার বিশেষত্ব বর্ণনা করতে থাকেন, তবে তো ভাগবৎ হয়ে যাবে l যজ্ঞের আদিকাল থেকে এক-এক মহারথীর বিশেষত্ব যদি বর্ণন করি, তবে তো ভাগবৎ তৈরি হয়ে যাবে l মধুবনে যখন সূর্য আর নক্ষত্ররাজি সংগঠিত রূপে ঝিকিমিকি করে তখন মধুবনের আকাশের শোভা কতো শ্রেষ্ঠ হয়ে যায় l জ্ঞান সূর্যের সাথে নক্ষত্রও অবশ্যই প্রয়োজন l



*যুগলদের গ্রুপের সাথে বাপদাদার সাক্ষাৎকার*



১) যারা একমতের লাইনে অর্থাৎ নির্দিষ্ট গতিপথে সমান্তরালভাবে চলে, তারা ফাস্ট বেগবান হবে, তাই না ! উভয়ের মত এক, এই এক মতই হলো পায়া বা চাকা l একমতের চাকার আধারে যারা চলে তারা তীব্রগতিতে চলে l উভয় চাকাই শ্রেষ্ঠ হতে হবে l এক চাকা ধীরগতি আর এক চাকা দ্রুতগতি, এমন তো নও তোমরা ! উভয়ই সমান হতে হবে l তীব্র পুরুষার্থে পাণ্ডব নাম্বার ওয়ান নাকি শক্তিগণ? পরস্পরকে সামনে এগিয়ে দেওয়া অর্থাৎ নিজে অগ্রগামী হওয়া l এমন যেন না হয় যে অন্যকে অগ্রচালিত করে নিজে পিছিয়ে গেলে ! অন্যকে অগ্রচালিত করা অর্থাৎ নিজের এগিয়ে যাওয়া l সবাই তোমরা লাকি আত্মা, তাই না ? দিল্লি আর বম্বে নিবাসী বিশেষ লাকি, কেননা রাস্তায় চলতে চলতেও অনেক ঐশ্বর্য লাভ করো তোমরা l বিশেষ আত্মাদের সঙ্গ, সহযোগ, শিক্ষা সবকিছু প্রাপ্ত হয় l এটাও বরদান, যা তোমরা বিনা নিমন্ত্রণেই পেয়ে যাও l অন্যান্য লোকে কতো পরিশ্রম করে l এমন শ্রেষ্ঠ আত্মারা তাদের সম্পূৰ্ণ ব্রাহ্মণ জীবনে বা সেবার জীবনে দু'-তিনবারই কোথাও অসুবিধা করে যেতে পারে I অথচ তোমরা তাদের ডাক বা না ডাক, তোমাদের কাছে তারা সহজেই পৌঁছে যায় I সুতরাং সঙ্গের রঙ যা প্রসিদ্ধ, বিশেষ আত্মাদের সঙ্গ তোমাদের উদ্যমী করে তোলে l তোমরা ভাগ্যবান আত্মা, কতো সহজে তোমরা ভাগ্য প্রাপ্ত করো l সদা গীত গাইতে থাকো, *"বাহ্ আমার শ্রেষ্ঠ ভাগ্য !"* তোমাদের যে প্রাপ্তি হচ্ছে তার রিটার্ণ হলো সদা উড়তি কলা l নিশ্চল বা চলমান নয়, বরং যারা সদা উড়ছে l



২) সদা নিজেকে বাবার সুরক্ষার ছত্রছায়ায় অনুভব করো ? বাবার স্মরণই সুরক্ষার ছত্রছায়া l যারা সুরক্ষার ছত্রছায়ায় থাকে তারা সদা সেফ থাকে l কখনো বর্ষণ বা তুফান হলে, তোমরা ছাতার তলায় আশ্রয় নাও l সেইরকমই, বাবার স্মরণ হলো সুরক্ষার *ছত্রছায়া।* ছত্রছায়ায় যারা থাকে তারা সহজেই মায়াজিৎ হয় l স্মরণ ভুলে থাকার অর্থ তুমি সুরক্ষার ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে গেছ l বাবার স্মরণ সদা যেন তোমার সাথে থাকে l যারা এইভাবে সুরক্ষার ছত্রছায়ায় থাকে তাদের সবসময় বাবার সহযোগ প্রাপ্ত হতে থাকে l সকল শক্তির সহযোগ তাদের নিরন্তর প্রাপ্তি হতে থাকে l তারা কখনো দুর্বল হয়ে মায়ার কাছে পরাভব স্বীকার করে না l মায়া কখনো স্মরণে থাকা ভুলিয়ে দেয় না তো, দেয় কি ? ৬৩ জন্ম ধরে তো তোমরা ভুলেই এসেছ, এখন সঙ্গমযুগ হলো স্মরণে থাকার যুগ l এই সময়ে ভুলে যেওনা l ভুলে যাওয়ায় তোমরা পদস্খলিত হয়েছ, দুঃখ পেয়েছ l সুতরাং এখন আবার কিভাবে ভুলবে ! তোমরা এখন সদা স্মরণে থাকো l



*বিদায়ের সময়* - সঙ্গমযুগ মিলনের যুগ l তোমরা যত মিলিত হও মিলনের আশা ততই বাড়বে l মিলনের শুভ আকাঙ্ক্ষা হতে দাও, কেননা মিলনের এই শুভ আকাঙ্ক্ষাই তোমাদের মায়াজিৎ বানায় l মিলনের শুভ সঙ্কল্প সদা বাবার স্মরণে থাকতে তোমাদের সমর্থ বানায় l এমনই ঘটতে দাও l যখন এটা পরিপূর্ণতা পাবে, তখন সঙ্গমযুগ সম্পূর্ণ হবে l অন্যান্য সব ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু স্মরণে সদা নিমজ্জিত হয়ে থাকবে, এই শুভ ইচ্ছা তোমাদের অগ্রচালিত করবে, এইরকমই তো, তাই না ? সুতরাং প্রতিনিয়ত মিলন মেলা উদযাপিত হতে থাকবে l হয় সাকারে অথবা অব্যক্ত রূপে l সদা সাথেই থাকেন, তবে মিলনের আবশ্যকতাই বা কি! প্রত্যেক মিলনের নিজ নিজ স্বরূপ আর প্রাপ্তি আছে l অব্যক্ত মিলন, এর নিজ পদ্ধতিতে অনন্য, সাকার মিলন তার নিজ পদ্ধতিতে অনন্য l মিলিত হওয়া তো ভালোই l আচ্ছা ! সদা শুভ আর শ্রেষ্ঠ প্রভাত হবে l লোকে শুধু বলে, গুড মর্নিং কিন্তু এখানে শুভ আবার শ্রেষ্ঠও বটে ! প্রতিটা সেকেন্ড শুভ আর শ্রেষ্ঠ, প্রতি সেকেন্ডের জন্য অভিনন্দন l আচ্ছা ! ওম্ শান্তি l

বরদান:-

বাবার সাহচর্যে পবিত্রতা রূপী স্বধর্মকে সহজভাবে পালন করে মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব

আত্মার স্বধর্ম পবিত্রতা, অপবিত্রতা পরধর্ম l যখন তোমাদের স্বধর্মে দৃঢ় বিশ্বাস আছে তখন পরধর্ম তোমাদের নড়াতে পারবে না l যতই হোক, বাবা যেমন যেরকম তাঁকে যদি যথার্থরূপে চিনে তাঁকে তোমার সাথে রাখো, তবে পবিত্রতা রূপী স্বধর্ম ধারণ করা খুব সহজ হয়, কারণ তোমাদের সাথীই সর্বশক্তিমান l সর্বশক্তিমানের বাচ্চা মাস্টার সর্বশক্তিমানের সামনে অপবিত্রতা আসতে পারে না l যদি সঙ্কল্পেও মায়া আসে, তবে নিশ্চয়ই কোনো গেট খোলা আছে অথবা নিশ্চয়ে কিছুর অভাব আছে l

স্লোগান:-

ত্রিকালদর্শী কোনও বিষয়কে এক কালের দৃষ্টিতে দেখে না, তারা মনে করে সব পরিস্থিতিতেই কল্যাণ আছে l