০৫-০৭-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমাদের ডবল মুকুটধারী রাজা হতে হবে, সুতরাং খুব সার্ভিস (সেবা) কর, প্রজা তৈরি কর, সঙ্গম যুগে তোমাদের শুধু সার্ভিসই করতে হবে, এর মধ্যেই কল্যাণ আছে"

প্রশ্ন:-

পুরানো দুনিয়া বিনাশ হওয়ার আগে প্রত্যেককে কোন্ অলঙ্কারে সজ্জিত হতে হবে ?

উত্তর:-

তোমরা বাচ্চারা যোগবল দ্বারা নিজেদের অলঙ্কৃত করে তোল, এই যোগবল দ্বারাই সমগ্র বিশ্ব পবিত্র হবে । তোমাদের এখন বাণপ্রস্থে যেতে হবে, সেইজন্য এই শরীরকে অলঙ্কৃত করার প্রয়োজন নেই , এর কাণাকড়িও মূল্য নেই, এর প্রতি আসক্তি মিটিয়ে ফেল, বিনাশের আগে বাবার মতো দয়াশীল হয়ে নিজেকে আর অন্যদেরও অলঙ্কৃত করে তোল । অন্ধের লাঠি হয়ে ওঠো ।

ওম্ শান্তি ।

এখন তো বাচ্চারা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে যে বাবা আসেন পবিত্র হওয়ার পথ বলে দিতে । ওঁনাকে আহ্বান করাই হয় এই একটি বিষয়ের জন্য যে, তুমি এসে আমাদের পবিত্র করে তোল। কেননা পবিত্র দুনিয়া অতীত হয়ে গেছে, এখন দুনিয়া পতিত হয়ে গেছে । পবিত্র দুনিয়া কবে অতীত হয়েছে, কত সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, এসব কেউ-ই জানেনা । তোমরা বাচ্চারা জান বাবা এই শরীরে ( ব্রহ্মা) এসেছেন । তোমরাই আহ্বান করে বলেছ বাবা তুমি এসে আমাদের, অর্থাৎ পতিতদের পথ বলে দাও, আমরা কি ভাবে পবিত্র হব ? এটা তো জান আমরা পবিত্র দুনিয়াতে ছিলাম, এখন পতিত দুনিয়াতে আছি । এখন এই দুনিয়া পরিবর্তন হতে চলেছে । নতুন দুনিয়ার আয়ু (সময় সীমা) কত, পুরানো দুনিয়ার আয়ু কতদিন ছিল -- এটা তো কেউ-ই জানে না । যখন তোমরা পাকা বিল্ডিং তৈরি করে থাক তখন বলতে পার এটা এতদিনের । কাঁচা বাড়ি তৈরি করলেও বলতে পারবে এটা এতো বছরের । তোমরা বুঝতে পার এটা কত বছর চলতে পারে ! মানুষ তো জানেই না এই সম্পূর্ণ বিশ্বের আয়ু কতদিন ? নিশ্চয়ই বাবাকে এসেই বলতে হবে ।



বাবা বলেন-- বাচ্চারা, এখন এই পুরানো পতিত দুনিয়া শেষ হতে চলেছে, নব নির্মিত পবিত্র দুনিয়া স্থাপন হতে চলেছে । নব নির্মিত দুনিয়াতে অল্প সংখ্যক মানুষ থাকবে । নতুন দুনিয়া হলো সত্যযুগ, যাকে সুখধাম বলা হয়ে থাকে, এ হলো দুঃখ ধাম, এর শেষ অবশ্যই হতে হবে । তারপর আবার সুখধাম ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে, সবাইকে এটা বোঝাতে হবে । বাবা ডায়রেকশন দিয়ে বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ কর, তারপর অন্যদেরও এই পথের হদিশ বলে দাও । লৌকিক পিতাকে তো সবাই জানে, পারলৌকিক পিতাকে কেউ জানে না । সর্বব্যাপী বলে থাকে । কচ্ছ-মচ্ছ অবতার এমনকি ৮৪ লক্ষ যোনীর মধ্যেও নিয়ে গেছে । দুনিয়াতে কেউ -ই পারলৌকিক পিতাকে জানে না । বাবাকে জানলেই সব বুঝতে পারবে । তিনি যদি নুড়ি, পাথরে অবস্থান করে থাকেন তবে তো তাঁর অবিনাশী উত্তরাধিকারের প্রশ্নই আসে না । দেবতাদের পূজা করে, কিন্তু তাদের বৃত্তি সম্পর্কে কেউ-ই জানেনা, সম্পূর্ণ রূপে এই বিষয়ে অজ্ঞ । সুতরাং সর্বপ্রথম মূল বিষয় হলো বোঝানো । শুধুমাত্র চিত্র দ্বারা কেউ বুঝতে পারবে না । মানুষ বিচারে না পিতাকে জানে, না রচনাকে জানে যে প্রারম্ভিক অবস্থা থেকে কিভাবে এই রচনা রচিত হয়েছে । দেবতাদের রাজ্য কবে ছিল, যাদের পূজা করে, কিছুই জানে না। ওরা ভাবে লক্ষ বছর ধরে সূর্য বংশী রাজধানী চলেছে, তারপর চন্দ্রবংশীও লক্ষ বছর ধরে চলেছে, একেই বলে অজ্ঞানতা । এখন তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদেরকে বাবা এসে সব ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন । তোমরাও তারপর এর পুনরাবৃত্তি করে থাক। বাবাও তো রিপিট করেন, তাইনা! এভাবেই বোঝাও, বার্তা পৌছে দাও, নয়তো রাজধানী স্থাপন কিভাবে হবে । এখানে বসে থাকলে চলবে না । হ্যাঁ, ঘরে বসে আছে যারা তাদেরও প্রয়োজন । ওরা তো ড্রামানুসারে বসে আছে । যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণেরও তো প্রয়োজন আছে । বাবার কাছে কত বাচ্চারা আসে মিলিত হওয়ার জন্য। কেননা শিববাবার কাছ থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । লৌকিক বাবার কাছে বাচ্চা যখন আসে সে জানে পিতার কাছ থেকে তার উত্তরাধিকার নিতে হবে । কন্যা আসলেও সে তো অর্ধেক অংশীদার হবে । সত্যযুগে সম্পত্তি অধিকারের জন্য কোনও বিবাদ ( লড়াই, ঝগড়া) ইত্যাদি হয় না । এখানে তো কাম বিকার নিয়েও ঝগড়া হয় । সত্যযুগে ৫ ভূতের ( বিকার) কোনও অস্তিত্বই থাকে না, সুতরাং দুঃখের চিহ্নমাত্র সেখানে নেই । সব রকমের আসক্তি থেকে মুক্ত হয় ।এখানে তো ভাবে স্বর্গ ছিল, যা অতীত হয়ে গেছে । চিত্রও আছে কিন্তু এই ধারণা তোমরা বাচ্চাদের এখনই আসে । তোমরা জান এই চক্র প্রতি ৫ হাজার বছর পর পুনরায় রিপিট হয়ে থাকে । শাস্ত্রতে কেউ এটা লিখে যায়নি যে সূর্য বংশী-চন্দ্র বংশী রাজবংশ ২৫০০ হাজার বছর ধরে চলে । ব্রহ্মা বাবা সংবাদপত্রে পড়েছিলেন যে বরোদার (গুজরাতে, বর্তমান নাম ভদোদরা) রাজভবনে রামায়ণ শুনছে । যে কোনও রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলে মানুষ তখন সম্পূর্ণ রূপে ভক্তিতে নিযুক্ত হয়ে পড়ে, ভগবানকে সন্তুষ্ট করার জন্য । ভগবান এভাবে সন্তুষ্ট হন না । এটাও ড্রামায় নির্ধারিত । ভক্তিতে ভগবান কখনও খুশি হন না, তোমরা বাচ্চারা জান অর্ধকল্প ধরে ভক্তি চলে, ওরা নিজেরাই নিজেদের দুঃখের কারণ হয় ভক্তি করতে করতে সব কিছু শেষ করে দেয় । এ ব্যাপারে খুব অল্প সংখ্যকই বুঝবে যে বাচ্চারা সার্ভিস করে, তারাই খবর দিতে থাকে । বোঝানো হয়ে থাকে এ হলো ঈশ্বরীয় পরিবার। ঈশ্বর তো দাতা, উনি কিছুই গ্রহণ করেন না । ওনাকে কেউ কিছুই দিতে পারে না, বরং সব নষ্ট করতে থাকে । বাবা তোমাদের অর্থাৎ বি. কে. বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের কত ধন ঐশ্বর্য দিয়েছিলাম, তোমাদের স্বর্গের মালিক বানিয়েছিলাম সেইসব কি করেছ ? এতো কাঙাল কি করে হয়েছ ? এখন আবার এসেছি, তোমরা পদ্মগুণ ভাগ্যশালী হয়ে উঠছ, মানুষ তো এসব বিষয়ে কিছুই জানে না । তোমরা জান এই পুরানো দুনিয়াতে আর থাকব না । এ তো ধ্বংস হয়ে যাবে । মানুষের কাছে যত অর্থই থাক না কেন, তা কারও কাজে আসবে না । যখন বিনাশ হবে তখন সব শেষ হয়ে যাবে । অনেক মাইলের উপর বড়ো বড়ো সব বিল্ডিং তৈরি হয়েছে । এত সম্পদ, সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। কেননা তোমরা জান যে, যখন আমাদের রাজ্য ছিল তখন অন্য কিছু ছিল না । ওখানে (সত্য যুগে) অগাধ ধন ছিল । জ্ঞানে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে তোমরা প্রত্যক্ষ করতে পারবে কি কি ঘটতে চলেছে । গভর্নমেন্ট কত সোনা, রূপা, অর্থ ইত্যাদি আছে তার বাজেট পেশ করে, ঘোষণা করে থাকে এই বাজেটে এতো খরচ হবে । বারুদের জন্য কত খরচা করে থাকে কিন্তু এর থেকে আয় তো কিছুই হয় না । বারুদ তো রেখে দেওয়ার জিনিস নয় । রাখা হয় সোনা, রূপা । গোল্ডেন এজ দুনিয়াতে কয়েনও সোনার হয় । সিলভার এজ এ কয়েন হয় রূপার । ওখানে অগাধ ধন ঐশ্বর্য থাকে, তারপর কম হতে হতে এখন দেখ কি বেড়িয়েছে! কাগজের নোট । বিদেশেও কাগজের নোট । কাগজ তো কোনও কাজের জিনিস নয় । তবে আর কি থাকল ! এতো বড়ো বড়ো বিল্ডিং সব শেষ হয়ে যাবে। সেইজন্যই বাবা বলেন ‐‐ মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, যা কিছু দেখছ, মনে কর এসব কিছুই নেই । এ সবই তো ধ্বংস হয়ে যাবে । শরীরও পুরানো, কানাকড়িও মূল্য নেই, কেউ যত সুন্দরই হোক না কেন । এই দুনিয়া অল্প সময়ের জন্য আছে । কোনও নিশ্চয়তা নেই । বসে বসেই মানুষের হার্ট ফেল হয়ে যায় । মানুষের জীবনের কোনও নিশ্চয়তা নেই । সত্যযুগে এসব কিছুই হবে না । যোগবল দ্বারা তোমাদের শরীর কল্পতরুর মতো দীর্ঘস্থায়ী হবে । এখন তোমরা বাচ্চারা তোমাদের বাবাকে পেয়েছ, বাবা বলেন এই দুনিয়াতে তোমাদের আর থাকার প্রয়োজন নেই । এ হলো ছিঃ ছিঃ দুনিয়া । এখন যোগবল দ্বারা নিজেদের অলঙ্কৃত করতে হবে । ওখানে তো সন্তানও যোগবল দ্বারাই জন্ম নেবে । বিকারের কোনও ব্যাপারই নেই । যোগবল দ্বারাই তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বকে পবিত্র করে তোল, বাকি বিষয় এমন কিছুই বড় নয় । এসব বিষয় তারাই বুঝবে যারা নিজ বংশের হবে ( ঈশ্বরীয় পরিবার ভুক্ত) । অবশিষ্ট যারা থাকবে তাদের শান্তিধামে যেতে হবে, ওটাই হলো প্রকৃত ঘর, কিন্তু মানুষ তাকে ঘর বলে ভাবেই না । ওরা বলে একজন আত্মা সেখানে যায়, অন্য এক আত্মা নীচে নেমে আসে । সৃষ্টির জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে । রচয়িতা আর রচনাকে তোমরা জেনেছ, সেইজন্যই তোমাদের প্রচেষ্টা থাকে অন্যদের বোঝানো । এটাই ভাব যদি বাবার স্টুডেন্ট হয়ে যায়, সব কিছু জানতে পারলে খুশি হতে পারবে । আমরা তো এখন অমরলোকে যেতে চলেছি । অর্ধকল্প ধরে মিথ্যে কাহিনী শুনে এসেছি । এখন তো খুব খুশি হওয়া উচিত- আমরা অমরলোকে যাব । এই মৃত্যু লোকের এখন অন্তিম সময় । আমরা খুশির খাজানা ( সম্পদ) এখান থেকেই ভরপুর করে নিয়ে যাই । সুতরাং এই উপার্জন সঞ্চয় করতে, খুশির ঝুলি ভরপুর করতে সেবার কাজে লেগে পড়া উচিত । ব্যর্থ সময় নষ্ট করা উচিত নয় । এখন শুধুমাত্র অন্যদের সেবা করে, নিজের ঝুলি ভরপুর করতে হবে । বাবা শেখান কিভাবে দয়াশীল হতে হয় ! অন্ধের লাঠি হয়ে ওঠো । এই প্রশ্ন কোনও সন্ন্যাসী, বিদ্বান ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করতে পারে না । ওরা তো জানেই না স্বর্গ কোথায়, নরক কোথায় । যত বড় উচ্চ পদস্থই হোক না কেন, এয়ার কমান্ডার চিফ হোক, সৈন্যবাহিনীর কমান্ডার চিফ হোক, বা নেভিতেই হোক তোমাদের কাছে এদের তুলনা কিছুই না । তোমরা জান খুব অল্প সময় আছে । স্বর্গ কি তা তো কেউ জানেই না । এই সময় তো চতুর্দিকে মারামারি চলছে, ওদের এরোপ্লেন বা সৈন্যবাহিনীর প্রয়োজন-ই নেই । সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে, অল্প সংখ্যক মানুষ থাকবে । আলো, এরোপ্লেন ইত্যাদি সবকিছুই থাকবে কিন্তু দুনিয়া কত ছোট হয়ে যাবে, ভারতই থাকবে । ঠিক যেমন মডেল তৈরি করা হয়। কারও বুদ্ধিতেই আসবে না যে মৃত্যু শেষ পর্যন্ত কিভাবে আসবে । তোমরা জান মৃত্যু সামনে অপেক্ষা করছে। ওরা বলে আমরা এখানে বসেই বোমা নিক্ষেপ করব, যেখানেই পড়বে সব শেষ হয়ে যাবে । কোনও সেনা ইত্যাদির প্রয়োজন পড়বে না । এক -একটি এরোপ্লেন তৈরি করতে কোটি টাকা খরচ হয় । সবার কাছে কত সোনা থাকে, টন টন সোনা সব সমুদ্র গর্ভে চলে যাবে ।

সম্পূর্ণ এই রাবণ রাজ্য একটা দ্বীপ । অসংখ্য মানুষের বাস । তোমরা সবাই নিজ রাজ্য স্থাপন করতে চলেছ । সুতরাং সার্ভিসে ব্যস্ত থাকা উচিত । কোথাও বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেখো সবাই কত ব্যস্ত হয়ে পড়ে, সবাইকে খাদ্য ইত্যাদি পৌছে দিতে সার্ভিসে নিযুক্ত হয়ে পড়ে । জলমগ্ন হয়ে পড়ার আগেই সবাই পালাতে শুরু করে । তাহলে বিচার কর যে, কিভাবে সব শেষ হয়ে যাবে । বিশ্বের চতুর্দিকে মহাসাগর আছে ।



যখন ধ্বংস হবে সবকিছু জলমগ্ন হয়ে পড়বে, চারদিকে শুধু জল আর জল । তোমাদের বুদ্ধিতে থাকে যখন আমাদের রাজধানী ছিল সেই সময় বম্বে করাচি ইত্যাদি ছিল না । ভারত খুব ছোট হয়ে যাবে, আর থাকবে মিষ্টি জলের নদী । ওখানে কুয়ো ইত্যাদির প্রয়োজন নেই । পান করার জন্য স্বচ্ছ জল থাকবে । ওখানে নদীর পাড়ে বসে সবাই খেলাধুলা করবে । সেখানে ময়লার কোনও প্রশ্নই নেই, নামই হলো স্বর্গ, অমরলোক । নাম শুনেই মনে হয় খুব শীঘ্রই বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ পড়াশোনা শেষ করে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি । ঈশ্বরীয় পাঠ নিজে অধ্যয়ন করে অন্যদেরও পড়াব । সবাইকে বার্তা দাও । কল্প প্রথমে যারা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিল তারাই গ্রহণ করবে । ওরা পুরুষার্থ করতে থাকে। কারণ দরিদ্র মানুষেরা তো বাবাকে জানেই না । বাবা বলেন পবিত্র হও । যারা হাতে স্বর্গ পেতে চলেছে তারা কেন পবিত্র থাকবে না । তাদের বল, কেন আমরা এক জন্মের জন্য পবিত্র হব না, যখন আমরা বিশ্বের বাদশাহী পেতে চলেছি । ভগবানুবাচ ‐‐-- তোমরা এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে ২১ জন্মের জন্য । শুধুমাত্র এই একটি জন্ম আমার শ্রীমৎ-এ চল । রাখী বন্ধনও এরই চিহ্ন বহন করে । তবে কেন আমরা পবিত্র থাকতে পারব না । অসীম জগতের পিতা অঙ্গীকার করছেন। বাবাই ভারতকে স্বর্গের উত্তরাধিকার দিয়েছিলেন, যাকে সুখধাম বলা হয় । অগাধ সুখ ছিল, এখন হলো দুঃখ ধাম । যদি কোনও একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পার তবে অন্যরাও তোমার কথা শুনবে । যোগযুক্ত স্থিতিতে বোঝালে সবাই সময়কেও ভুলে যাবে । ১৫--২০ মিনিটের পরিবর্তে ঘন্টা খানেক ধরে শুনতে থাকবে । কিন্তু সেই শক্তি থাকা প্রয়োজন । দেহ-অভিমান থাকা উচিত নয় । এখানে শুধু সার্ভিস করতে হবে, তবেই কল্যাণ হবে । তোমরা রাজা হবে কিন্তু প্রজা কোথায় তৈরি করেছ । বাবা শুধু শুধুই কি মস্তকে উষ্ণীষ ( পাগড়ি) রাখবেন ! প্রজা কি কখনও ডবল মুকুটধারী হয় ? তোমাদের লক্ষ্যই হলো ডবল মুকুটধারী হওয়া । বাবা বাচ্চাদের উৎসাহিত করেন । জন্ম জন্মান্তরের পাপ মাথায় সঞ্চিত হয়ে আছে, তা শুধুমাত্র যোগবল দ্বারাই মিটবে । এই জন্মে কি - কি করেছ সে তো তোমরা বুঝতেই পারছ, তাই না ! পাপ বিনষ্ট করার জন্যই যোগ ইত্যাদি শেখানো হয় । এটা শুধু এ জন্মের জন্যই নয় । তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার যুক্তি বাবা বসে বুঝিয়ে বলেন, কৃপা ইত্যাদি পাওয়ার জন্য সাধুদের কাছে গিয়ে চাও । আচ্ছা !



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার

১. অমরলোকে যাওয়ার জন্য সঙ্গমেই খুশির খাজানা ভরপুর করতে হবে । সময় নষ্ট করা উচিত নয় । নিজের ঝুলি ভরপুর করে দয়াশীল হয়ে অন্ধের লাঠি হয়ে উঠতে হবে ।

২. হাতে স্বর্গ অধিগ্রহণ করার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । নিজেকে সতোপ্রধান করে তোলার জন্য যুক্তি রচনা করে নিজেই নিজেকে কৃপা করতে হবে। যোগবল সঞ্চিত করতে হবে।

বরদান:-

অপ্রত্যাশিত বিষয়ের মেঘ দেখে ভীত হওয়ার পরিবর্তে সেকেন্ডে তাকে অতিক্রম করতে সমর্থ সিদ্ধি স্বরূপ ভব

কিছু কিছু বাচ্চা শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিতদের মতো কথা বলতে সুকৌশলী হয় । তারা এমন কাহিনী শোনাতে থাকে যা বাবারও শুনে হাসি পায় কিন্তু অন্যরা প্রভাবিত হয় । এরা অনেক রকম ব্যর্থ বিষয়ের রেজিস্টারের তালিকা(রোল) বানাতেই থাকে। সুতরাং এসবের অনেক ঊর্ধে উড়ে চল,নির্মল হও । বাবাকে দেখ পরিস্থিতিকে নয় । এই অযাচিত কথাবার্তা হল মেঘের মতো, এক সেকেন্ডের মধ্যে এর ঊর্ধে উঠে সাফল্যের অঙ্গ হয়ে ওঠো ।

স্লোগান:-

কোনও কথায় প্রশ্ন চিহ্ন বসানো অর্থাত্ ব্যর্থ খাতা প্রারম্ভ হওয়া* ।