২০-০৫-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা- বাবা এসেছেন কাঁটাকে ফুলে পরিণত করতে, সবচেয়ে বড় কাঁটা হলো দেহ-অভিমান, এর থেকেই সমস্ত বিকার আসে, সেইজন্য দেহী-অভিমানী হও"
প্রশ্ন:-
ভক্তরা বাবার কোন্ কর্তব্যকে বুঝতে না পারায় বাবাকে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে ?
উত্তর:-
বাবা হলেন বহুরূপী, যেখানে প্রয়োজন হয়, সেকেন্ডে কোনো বাচ্চার ভিতরে প্রবেশ করে সম্মুখে থাকা আত্মার কল্যাণ করে দেন। ভক্তকে সাক্ষাৎকার করিয়ে দেন। উনি সর্বব্যাপী নন, কিন্তু খুব তীব্র ধারালো রকেট। বাবার যাওয়া-আসায় দেরী লাগে না। এই কথা বুঝতে না পারার জন্য ভক্তরা সর্বব্যাপী বলে দেয়।
ওম্ শান্তি।
এ হলো ক্ষুদ্র বাগিচা - মানব পুষ্পের বাগিচা। তোমরা বাগিচায় গেলে দেখবে সেখানে কতো-শত রকমের পুরানো বৃক্ষ। সেখানে কোথাও সদ্য কুঁড়ি, কোথাও অর্ধ-উন্মিলীত কুঁড়ি। এটিও তো বাগিচা হলো, তাই না! এখন বাচ্চারা তো এটা জানে এখানে আসে কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হতে। শ্রীমতের (শ্রেষ্ঠ মত) দ্বারা আমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছি। কাঁটা জঙ্গলে আর ফুল বাগিচাতে হয়। বাগিচা হলো স্বর্গ, জঙ্গল হলো নরক। বাবাও বোঝান এটা হলো পতিত কাঁটার জঙ্গল, সেখানে হলো ফুলের বাগিচা। ফুলের বাগিচা ছিলো, সেটা এখন আবার কাঁটার জঙ্গল হয়ে গেছে। দেহ-অভিমান হলো সবচেয়ে বড় কাঁটা। এর পরে আবার সব বিকার আসে। সেখানে তো তোমরা দেহী-অভিমানী বা আত্মিক চেতনায় থাকো। আত্মাতে জ্ঞান থাকে- এখনি আমাদের আয়ু সমাপ্ত হলে, এখন গিয়ে আমাদের এই পুরোনো শরীর ছেড়ে দ্বিতীয় শরীর নেব। সাক্ষাৎকার হয়, আমরা গর্ভমহলে গিয়ে বিরাজমান হবো। আবার কুঁড়ি হয়ে, কুঁড়ি থেকে ফুল হবো, এই জ্ঞান আত্মার আছে। সৃষ্টি চক্র কেমন ভাবে ঘোরে, এই জ্ঞান নেই। শুধুমাত্র এই জ্ঞান থাকে যে এই শরীর হলো পুরানো, একে পরিবর্তন করতে হবে। অন্তরে খুশী থাকে। কলিযুগী দুনিয়ার কোন নিয়ম ইত্যাদিই সেখানে থাকে না। এখানে আছে লোক-লাজ কুলের মর্যাদা, পার্থক্য হলো তো। সেখানকার মর্যাদাকে সত্য মর্যাদা বলা হয়। এখানে তো হলো অসত্য মর্যাদা। সৃষ্টি তো আছে। বাবা আসেনই যখন অসুর সম্প্রদায় থাকে। তার মধ্যেই যখন দৈবী সম্প্রদায়ের স্থাপনা হয়ে যায় তখন বিনাশ হয়। অবশ্যই তাহলে অসুর সম্প্রদায় আছে, তার মধ্যেই দৈবী গুণ সম্পন্ন সম্প্রদায় স্থাপন হচ্ছে।
তোমাদের এটাও বোঝানো হয়েছে- যোগবলের দ্বারা তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ বিনষ্ট হয়। এই জন্মেও যা কিছু পাপ করেছো, সেটাও বলতে হবে। তার মধ্যেও বিশেষ করে বিকারের কথা। স্মরণের মধ্যে শক্তি আছে। বাবা হলেন সর্ব শক্তিমান, তোমরা জানো যে, যিনি সকলের পিতা, তাঁর সাথে যোগ যুক্ত হলে পাপ ভস্ম হয়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ তো সর্ব শক্তিমান। সমগ্র সৃষ্টির উপর এনাদের রাজ্য। সেটা হলোই নতুন দুনিয়া। প্রতিটি জিনিস নতুন। এখন তো ভূমিও অনুর্বর হয়ে গেছে। বাচ্চারা, এখন তোমরা নতুন দুনিয়ার মালিক হচ্ছো। তাই এতো খুশীতে থাকা উচিত। যেরকম স্টুডেন্ট, খুশীও সেরকম বেশী হবে। এ হলো তোমাদের উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ইউনিভার্সিটি। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ যিনি পড়ান। বাচ্চারা পড়েও উচ্চতমের থেকেও উচ্চ হওয়ার জন্য। তোমরা কতো নীচ ছিলে। একদম নীচুর থেকে আবার উচ্চমানের হও। বাবা নিজেই বলেন তোমরা মোটেই স্বর্গের যোগ্য নও। সেখানে অপবিত্র যেতে পারে না। *নীচ বলেই তো উচ্চ দেবতাদের সামনে তাদের মহিমার সুখ্যাতি করে। মন্দিরে গিয়ে তাদের উচ্চ মান আর নিজের নীচতার বর্ণনা করে। আবার এটাও বলে করুণা করো, তবে আমিও ঐরকম উচ্চমানের হবো । তাদের সামনে মাথা ঠোকে*। তারাও তো মানুষ, কিন্তু তারা দৈবী গুণ সম্পন্ন, মন্দিরে যায়, তাদের পূজো করে যে আমিও তাদের মতো হবো। এটা কারোর জানা নেই যে তাদের এরকম কে তৈরী করলো ? তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে সমস্ত ড্রামা বসে আছে- কিভাবে এই দৈবী বৃক্ষের কলম সারিবদ্ধ হয়। বাবা আসেনই সঙ্গম যুগে। এটা হলো পতিত দুনিয়া, সেইজন্য বাবাকে ডাকা হয়, এসে আমাদের পতিত থেকে পবিত্র করো। এখন তোমরা পবিত্র হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো। যাতে সব হিসাব-কিতাব মিটিয়ে দিয়ে শান্তিধামে চলে যেতে পারো। মুখ্য মন্ত্র হলো মন্মনাভব, যেটা বাবা তোমাদের দেন। জাগতিক গুরু তো অনেকেই আছে, কতো মন্ত্র দেয় । বাবার আছে একটিই মন্ত্র। বাবা ভারতে এসে মন্ত্র দিয়েছিলেন যাতে তোমরা দেবী-দেবতা হয়েছিলে। ভগবানুবাচ হলো, তাই না! লোকেরা যদিও শ্লোক ইত্যাদি বলে কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। তোমরা অর্থ বুঝতে পারো। কুম্ভ মেলায় যায়, সেখানেও তোমরা সবাইকে বোঝাতে পারো। এটা হলো পতিত দুনিয়া, নরক। সত্যযুগ ছিল পাবন দুনিয়া, যাকে স্বর্গই বলা হয়। পতিত দুনিয়াতে কেউ পবিত্র হতে পারে না। মানুষ গঙ্গার স্নান করে পবিত্র হওয়ার জন্য যায় কারণ মনে করে শরীরটাকেই পবিত্র করতে হবে। আত্মা তো হলোই সর্বদা পবিত্র। আত্মা মানেই পরমাত্মা বলে দেয়। তোমরা লিখতেও পারো, আত্মা পবিত্র হবে জ্ঞান-স্নানের দ্বারা, না কি জলের দ্বারা স্নান করলে। জলের স্নান তো রোজই করে। যে সব নদী আছে তার মধ্যে প্রতিদিন স্নান করতে থাকে। জলও সেই জল। এখন জল দিয়েই সব কিছু করা হয়ে থাকে। ব্যাপারটা কতো সহজ কিন্তু কারোর বুদ্ধিতে আসে না।
জ্ঞানের দ্বারাই সেকেন্ডে সদ্গতি হয়। আবার বলা হয় জ্ঞান এতোই অপরমপার যে, সমগ্র সমুদ্রকে কালি - জঙ্গলকে কলম আর ধরনীকে কাগজ বানালেও এই জ্ঞান অন্তহীন। বাবা তো প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন পয়েন্টস্ বোঝাতে থাকেন। *বাবা বলেন আজ তোমাদের অনেক গুহ্য কথা শোনাচ্ছি। বাচ্চারা বলে আগে কেন শোনাননি! আরে আগে কি ভাবে শোনাব। কাহিনী শুরুর থেকে নিয়ে নম্বর অনুযায়ী শোনাব তো। শেষের দিকের পার্ট প্রথমে কি করে শোনাতে পারি*। এটাও বাবা শোনাতে থাকেন। এই সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য তোমরা জানো। তোমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করলে শীঘ্র রেসপন্স করতে পারো। তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী, যাদের বুদ্ধিতে বসে আছে। তোমাদের কাছে এলে পরে সম্পূর্ণ রেসপন্স না পেলে বাইরে গিয়ে বলে এখানে তো সম্পূর্ণ ভাবে বুঝতে পারা যায় না, ফালতু চিত্র রাখে সেইজন্য ওখানে বোঝানোর মতো খুব ভালো কাউকে দরকার। নইলে তো সেটাও সম্পূর্ণ বোঝে না। বোঝানোর লোকও ভালো না হলে যেমনকার তেমন পাওয়া যায়। বাবা বলেন কোথায় কোথায় আমি দেখি, লোকেরা খুবই বুঝদার, বাচ্চারা এতো শ্রুড (চতুর ) না হলে তো আবার আমিই ওর মধ্যে প্রবেশ করে সাহায্য করে দিই কারণ বাবা তো হলেন খুবই ছোটো রকেট। আসা-যাওয়ায় দেরী হয় না। উনিই আবার বহুরূপী বা সর্বব্যাপীর কথা নস্যাৎ করে দেন। বাচ্চারা, এসব তো বাবা বসে তোমাদের বোঝান। কোনো কোনো লোক ভালো হলে তো তাদের বোঝানোর লোকও সেরকম চাই। আজকাল তো কেউবা ছোটবেলাতেই শাস্ত্র কন্ঠস্থ করে নেয় কারণ আত্মা সংস্কার নিয়ে আসে। যেখানেই জন্ম হোক না কেন সেখানে আবার বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি পড়তে লেগে যায়। অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হয়। আত্মা তো সংস্কার নিয়ে যায়। বাচ্চারা, তোমরা এখন মনে করো -অবশেষে সেই দিন আজ এসে গেল...যা স্বর্গের দ্বার সত্যি-সত্যই খুলে দেয়। নতুন দুনিয়ার স্থাপনা, পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। মানুষের তো এটাও জানা নেই যে স্বর্গ নতুন দুনিয়াতে হয়ে থাকে। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারাই জানো যে আমরা চিরসত্য সত্য-নারায়ণের কথা বা অমরনাথের কথা শুনছি। একই কথা হলো, শোনাচ্ছেনও একজনই। আবার তার শাস্ত্র বানানো হয়েছে। সবই দৃষ্টান্তই হলো তোমাদের, যা আবার ভক্তি মার্গে নিয়ে আসা হয়। তাই সঙ্গমেও বাবা-ই এসে সব কথা বোঝান। এটা অসীম জগতের বেশ বড় রকমের একটা খেলা, এর মধ্যে প্রথমে হলো সত্যযুগ-ত্রেতা রাম রাজ্য, তারপর হয় রাবণ রাজ্য। এই ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত, একে আদি অবিনাশী বলা হয়। আমরা সবাই হলাম আত্মা, এই জ্ঞান কারোরই নেই যে জ্ঞান তোমাদের বাবা দিয়েছেন। যে আত্মাই হোক না কেন তার পার্ট ড্রামাতে নির্ধারিত হয়ে আছে। যে সময় যার পার্ট হবে সেই সময় আসবে, বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
বাচ্চাদের জন্য মুখ্য ব্যাপার হলো পতিত থেকে পবিত্র হওয়া। ডাকেও, "হে পতিত পাবন এসো।" বাচ্চারাই ডাকে। বাবাও বলেন আমার বাচ্চারা কামনার চিতার উপর বসে ভস্ম হয়ে গেছে, এটাই সঠিক কথা। আত্মা যা হলো অকাল- তার এই হলো মহাসন। লোন নেওয়া হয়েছে। ব্রহ্মার জন্যও তোমাদের জিজ্ঞাসা করে ইনি কে ? বলো, দেখো লেখা আছে ভগবানুবাচ, আমি সাধারণ দেহে আসি। সেই সুন্দর শ্রীকৃষ্ণই ৮৪ জন্ম নিয়ে সাধারণ হয়ে পড়ে, সাধারণই আবার সেই শ্রীকৃষ্ণ হন। তিনি নীচে তপস্যা করছেন, জানে যে আমি এরকম হতে চলেছি। ত্রিমূর্তি তো অনেকেই দেখেছে। কিন্তু তার অর্থও তো জানা চাই। স্থাপনা যিনি করেন আবার পালনও তিনিই করবেন। স্থাপনার সময়ের নাম, রূপ, দেশ, কাল পৃথক, পালনের নাম, রূপ, দেশ, কাল পৃথক। এই কথা বোঝানো তো খুব সহজ। ইনি নীচে তপস্যা করছেন আবার ইনিই হতে চলেছেন। উনিই ৮৪ জন্ম নিয়ে ইনি (ব্রহ্মা বাবা) হয়েছেন, কতো সহজ সেকেন্ডের জ্ঞান হলো। বুদ্ধিতে এই জ্ঞান আছে আমি এই দেবতা হচ্ছি। ৮৪ জন্মও এই দেবতাদেরই নেন আর কেউ কি নেয় ? না। ৮৪ র রহস্যও বাচ্চাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। দেবতারাই হলো যারা সর্ব প্রথম আসে। যেমন মাছেদের খেলনা হয়। মাছ এরকম নীচে আসে, আবার উপরে ওঠে। সেটাও ঐরকম সিঁড়ি। ভ্রমর, কচ্ছপ ইত্যাদির যে উদাহরণ দেওয়া হয় সেই সব এই সময়ের। ভ্রমরেরও দেখো কতো বুদ্ধি। মানুষ নিজেকে বেশী বুদ্ধিমান মনে করে কিন্তু বাবা বলেন ভ্রমরের যতো বুদ্ধি তাও নেই। সাপ পুরোনো চামড়া ছেড়ে নতুন নিয়ে নেয়। বাচ্চাদের কতো বিচক্ষণ তৈরী করা হয়, বিচক্ষণ আর লায়ক। আত্মা অপবিত্র হওয়ার কারণে লায়ক (সুযোগ্য) নেই। তাই তাদের পবিত্র ও লায়ক করে তোলা হয়। সেটা হলোই লায়ক দুনিয়া। এটা তো এক বাবারই কাজ যা এই সমগ্র সৃষ্টি কে হেল থেকে হেভেনে পরিবর্তন করে। হেভেন কি, এটা মানুষের জানা নেই। *হেভেন বলা হয় দেবী-দেবতাদের রাজধানীকে*। সত্যযুগে হলো দেবী-দেবতাদের রাজ্য। তোমরা মনে করো সত্যযুগে নতুন দুনিয়াতে আমরাই রাজ্য পাট করতাম। ৮৪ জন্মও আমরাই নিয়েছিলাম। কতবার রাজ্য নিয়েছি আর হারিয়েছি, এটাও তোমরা জানো। রাম-এর মত দ্বারা তোমরা রাজ্য নিয়েছিলে, রাবণ-মতে রাজ্য হারিয়েছো। এখন আবার উপরে ওঠার জন্য তোমরা রাম-মত পেয়ে চলেছো, নেমে যাওয়ার জন্য পাওয়া যায় না। বেশ ভালোই তো বুঝতে পারো কিন্তু ভক্তি মার্গের বুদ্ধি চেঞ্জ হয় অনেক বিড়াম্বনায়। ভক্তি মার্গের শো অনেক। সে যেন পাঁকের ডোবার মতো, একদম গলা পর্যন্ত ডুবে যায়। যখন সবার সব কিছু সমাপ্ত হয় তখন আমি আসি, সবাইকে জ্ঞানের দ্বারা উর্দ্ধলোকে নিয়ে যাই। আমি এসে এই বাচ্চাদের দ্বারা কার্য করাই। বাবার সাথে কার্য করার জন্য তোমরা অর্থাৎ এই ব্রাহ্মণরাই আছো, যাদের ঈশ্বরের সাহায্যকারী (খুদাই খিদমতগার) বলা হয়। এটা সর্ব শ্রেষ্ঠ রকম সাহায্য করা। বাচ্চাদের শ্রীমত প্রাপ্ত হয়- এরকম এরকম করো। আবার ওর থেকে ঝেড়ে বেছে বেরোয়। এটাও নতুন কথা না। পূর্ব কল্পে যতো জন দেবী-দেবতা হয়েছিলো তারাই আবার হবে। ড্রামায় নির্ধারিত। তোমাদের শুধু মাত্র ঈশ্বরীয় বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। খুব সহজ এটা। তোমরা জানো ভগবান আসেনই কল্পের সঙ্গমে যখন ভক্তি ফুল ফোর্সে থাকে। বাবা এসে সবাই কে নিয়ে যান। তোমাদের ওপর এখন বৃহস্পতির দশা। সকলেই স্বর্গে যায় আবার পড়াশুনায় নম্বর অনুযায়ী হয়। কারোর উপর মঙ্গলের দশা কারোর উপর রাহুর দশা বসে। *আচ্ছা!*
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার:-
১. সুযোগ্য (লায়ক) আর সুবুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ার জন্য পবিত্র হতে হবে। সমগ্র দুনিয়াকে হেল থেকে হেভেন পরিণত করার জন্য বাবার সাথে সার্ভিস করতে হবে। ঈশ্বরের সাহায্যকারী (খুদাই খিদমতগার ) হতে হবে।
২. কলিযুগী দুনিয়ার নিয়ম-কানুন, লোক-লাজ, কুলের মর্যাদা ছেড়ে সত্যিকারের মর্যাদা সমূহের লালন-পালন করতে হবে। দৈবী-গুণ সম্পন্ন হয়ে দৈবী সম্প্রদায়ের স্থাপনা করতে হবে।
বরদান:-
তুফানকে তোফা অর্থাৎ ঝড়কে উপহার মনে করে সহজে ক্রস (পার) করতে সক্ষম সম্পূর্ণ আর সম্পন্ন ভব
যখন সকলের লক্ষ্য সম্পূর্ণ আর সম্পন্ন হওয়ার, তো ছোটো খাটো ব্যাপারে ঘাবড়ে যেও না। মূর্তি হতে চলেছো যখন কিছু হাতুড়ির ঘা তো লাগবেই। যে যত সামনে থাকে তাকে সবচেয়ে বেশি ঝড়ও ক্রস করতে হয় কিন্তু সেই ঝড়কে তাদের ঝড় বলে মনে হয় না, উপহার মনে হয়। এই ঝড়ও অনুভাবী হওয়ার গিফ্ট হয়ে যায়, সেই জন্য বিঘ্নকে ওয়েলকাম করো আর অনুভাবী হয়ে এগিয়ে যেতে থাকো।
স্লোগান:-
অলসতাকে সমাপ্ত করতে হলে, স্বচিন্তনে থেকে নিজের চেকিং করো।