১৭-০৫-১৯ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - স্মরণে স্মরণ মিলিত হয়, যে বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ করে, তাদের প্রতি বাবারও টান অনুভব হয়"

প্রশ্ন:-

তোমাদের পরিপক্ক অবস্থার নিদর্শন কি ? সেই অবস্থা অর্জন করার জন্য কেমন পুরুষার্থ প্রয়োজন ?

উত্তর:-

বাচ্চারা, যখন তোমাদের পরিপক্ক অবস্থা হবে, তখন সমস্ত কর্মেন্দ্রিয় শীতল হয়ে যাবে । কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনো ভুল কাজ হবে না । তোমাদের অবস্থা অচল এবং অটল হয়ে যাবে । এই সময়ের অটল অবস্থার দ্বারা ২১ জন্মের জন্য তোমাদের কর্মেন্দ্রিয় বশ হয়ে যাবে । এই অবস্থা অর্জন করার জন্য নিজেকে পর্যবেক্ষণ করো, নোট করাতে সাবধান থাকবে । যোগবলের দ্বারাই কর্মেন্দ্রিয়কে বশ করতে হবে । এই যোগই তোমাদের অবস্থাকে পরিপক্ক করে তুলবে ।

ওম শান্তি ।

এ হলো স্মরণের যাত্রা । সমস্ত বাচ্চারাই এই যাত্রায় থাকে, কেবল তোমরাই এখানে খুব কাছাকাছি আছো । যারা যেখানেই থাকুক, বাবাকে স্মরণ করে, তাই তারা স্বাভাবিকভাবেই কাছাকাছি এসে যায় । চন্দ্রমার সামনে যেমন কোনো কোনো নক্ষত্র খুব কাছাকাছি থাকে, কোনো নক্ষত্র আবার খুবই ঝলমল করে । কেউ কাছে থাকে, কেউ আবার দূরেও থাকে । নজরে আসে যে, এই নক্ষত্র খুবই ঝলমল করছে, এ খুবই নিকটে, আবার ওই নক্ষত্রের কোনো ঔজ্জ্বল্য নেই । তোমাদেরও মহিমা আছে । তোমরা হলে জ্ঞান - যোগের নক্ষত্র । বাচ্চারা জ্ঞান - সূর্যকে পেয়েছে । বাবা সেবাপরায়ণ বাচ্চাদেরই স্মরণ করেন । বাবা হলেন সর্বশক্তিমান । সেই বাবাকেই স্মরণ করে তাই স্মরণে স্মরণ মিলিত হয় । যেখানে - যেখানে এমন সেবাপরায়ণ বাচ্চা আছে, জ্ঞান-সূর্য বাবাও তাদেরই স্মরণ করেন । বাচ্চারাও বাবাকে স্মরণ করে । যে বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ করে না, বাবাও তাদের স্মরণ করেন না । বাবার স্মরণ তাদের কাছে পৌঁছায় না । স্মরণে অবশ্যই স্মরণ মিলিত হয় । বাচ্চাদেরও স্মরণ করতে হবে । বাচ্চারা জিজ্ঞেস করে -- বাবা, আপনি আমাদের স্মরণ করেন ? বাবা বলেন, কেন নয় । এই নিয়মে বাবা কেন স্মরণ করবেন না । যারা খুব বেশীমাত্রায় পবিত্র এবং বাবার প্রতি খুবই প্রেম আছে তারা এমনভাবেই প্রয়াস করে । প্রত্যেকেই নিজেদের জিজ্ঞেস করো, আমরা কতদূর বাবাকে স্মরণ করি ? একের স্মরণে থাকলে তখন তোমরা এই পুরানো দুনিয়া ভুলে যাও । তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে করতে গিয়ে মিলিত হও । এখন মিলনের সময় এসেছে । এই ড্রামার রহস্যও বাবাই বুঝিয়ে বলেছেন । বাবা আসেন, তিনি এসে বাচ্চাদের রুহানি (আত্মিক ) বাচ্চা বানান । পতিত থেকে পবিত্র কিভাবে হবে - তা তিনি এসেই শেখান । বাবা তো একজনই, তাঁকেই সবাই স্মরণ করে কিন্তু এই স্মরণও সকলের নিজের - নিজের পুরুষার্থের উপর নির্ভর করে । যে যত বেশী স্মরণ করবে সে তত সামনে উপস্থিত থাকবে । কর্মাতীত অবস্থাও এইভাবেই প্রাপ্ত হয় । তোমরা যত স্মরণ করবে ততই তোমাদের কর্মেন্দ্রিয় আর চঞ্চল হবে না । কর্মেন্দ্রিয় তো অনেকই চঞ্চল হয়, একেই মায়া বলা হয় । কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে কোনো খারাপ কর্ম যেন না হয় । এখানে যোগবলের দ্বারা কর্মেন্দ্রিয়কে বশ করতে হবে । ওরা তো ওষুধের দ্বারা বশ করে । বাচ্চারা বলে -- বাবা, এ কেন বশ হয় না ? *বাবা বলেন - তোমরা যত স্মরণ করবে, কর্মেন্দ্রিয় ততই বশ হতে থাকবে । একেই বলা হয় কর্মাতীত অবস্থা* । এ কেবল স্মরণের যাত্রার ফলেই হয় তাই ভারতের প্রাচীন রাজযোগের মহিমা আছে । সে তো ভগবানই শেখাবেন । ভগবান তাঁর নিজের বাচ্চাদের শেখান । তোমাদের এই বিকারী কর্মেন্দ্রিয়কে যোগবলের দ্বারা জয় করার পুরুষার্থ করতে হবে । সবকিছুই পরের দিকে হবে । অবস্থা যখন পরিপক্ক হবে তখন কোনো কর্মেন্দ্রিয়ই আর চঞ্চল হবে না । এখন চঞ্চলতা বন্ধ হলে ২১ জন্মের জন্য কর্মেন্দ্রিয় আর ধোকা দেবে না । ২১ জন্মের জন্য কর্মেন্দ্রিয় বশ হয়ে যায় । সবথেকে মুখ্য হলো কাম । স্মরণ করতে করতে কর্মেন্দ্রিয় বশ হয়ে যাবে । এখন কর্মেন্দ্রিয়কে বশ করলে তোমরা অর্ধেক কল্পের জন্য তোমরা উপহার পাও । *বশ করতে না পারলে পাপ রয়েই যায় । তোমাদের পাপ যোগবলের দ্বারা কাটতে থাকবে* । তোমরা পবিত্র হতে থাকো । এ হলো এক নম্বর সাবজেক্ট । বাবাকে ডাকাও হয় পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য । তাই বাবা এসেই পবিত্র করেন ।



বাবাই হলেন নলেজফুল । বাবা বলেন যে, নিজেকে আত্মা মনে করো, বাবাকে স্মরণ করো । এও হলো জ্ঞান । এক হলো যোগের জ্ঞান আর দ্বিতীয় হলো ৮৪ জন্মের চক্রের জ্ঞান । জ্ঞান হলো দুই রকম । এতে দৈবী গুণ স্বাভাবিকভাবেই মিলে আছে । বাচ্চারা জানে, আমরা মানুষ থেকে দেবতা হই তাই দৈবী গুণ অবশ্যই ধারণ করতে হবে । নিজের পর্যবেক্ষণ করতে হবে । নোট করলে নিজের প্রতি সাবধান থাকবে । নিজের পর্যবেক্ষণ করলে কোনো ভুল হবে না । বাবা নিজেই বলেন - মামেকম্ (আমাকে ) স্মরণ করো । তোমরাই আমাকে ডেকেছো কারণ তোমরা জানো যে, বাবা হলেন পতিত পাবন, তিনি যখন আসেন, তখন তিনি এই নির্দেশ দেন । এখন আত্মাদের এই নির্দেশ অনুযায়ী অভ্যাস করতে হবে । তোমরা এই শরীরের দ্বারা অভিনয় করো । তাই বাবাকেও অবশ্যই এই শরীরে আসতে হবে । এ খুবই আশ্চর্যের কথা । ত্রিমূর্তির চিত্র কতো পরিষ্কার । ব্রহ্মা তপস্যা করে এমন তৈরী হন । এরপর ৮৪ জন্ম পরে এমন হন । বুদ্ধিতে যেন এই কথা স্মরণে থাকে যে, আমরা ব্রাহ্মণরাই দেবতা ছিলাম, তারপর আমরা ৮৪ চক্র অতিক্রম করেছি । এখন আবার দেবতা হওয়ার জন্য এসেছি । দেবতাদের রাজত্ব যখন সম্পূর্ণ হয় তখন ভক্তিমার্গেও অনেক প্রেমের সঙ্গে তাঁদের স্মরণ করা হয় । এখন এই বাবা তোমাদের সেই পদ অর্জন করার যুক্তি বলে দিচ্ছেন । স্মরণ করাও খুবই সহজ, কেবল সোনার পাত্র চাই । পুরুষার্থ যত করবে ততই পয়েন্টস জমা হবে । সুন্দরভাবে জ্ঞানও শোনাতে থাকবে । তোমরা বুঝতে পারবে যে, বাবা আমার মধ্যে প্রবেশ করে মুরলী চালাচ্ছেন । বাবাও খুব সাহায্য করেন । তোমাদের অন্যদেরও কল্যাণ করতে হবে । সেও এই নাটকেই লিপিবদ্ধ আছে । এক সেকেণ্ডও অন্য সেকেণ্ডের সঙ্গে মেলে না । সময় চলে যেতে থাকে । এতো বছর, এতো মাস কিভাবে চলে যেতে থাকে । শুরু থেকে সময় অতিক্রম হয়ে এসেছে । ঐ সেকেণ্ড আবারও পাঁচ হাজার বছর পরে রিপিট হবে । তোমাদের এও খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে আর বাবাকেও স্মরণ করতে হবে যাতে বিকর্ম বিনাশ হয় । আর অন্য কোনো উপায় নেই । এতো সময় ধরে যা কিছুই করে এসেছো, সে সব হলো ভক্তি । এও বলা হয় যে, ভক্তির ফল ভগবান দেবেন । তিনি কি ফল দেবেন ? কখন আর কিভাবে দেবেন ? এসব কেউই কিছু জানে না । বাবা যখন ফল দেওয়ার জন্য আসেন তখন গ্রহীতা এবং দাতা একত্রিত হয় । ড্রামার পার্ট এগিয়ে যেতে থাকে । সম্পূর্ণ ড্রামায় এ হলো অন্তিম জীবন । এমনও সম্ভব যে, কেউ এখন শরীর ত্যাগ করলো । আবার কোনো পার্ট করতে হলে তারা আবার জন্ম নিতে পারে । কারোর অনেক হিসেব - নিকেশ থাকলে তারা আবার জন্ম নিতে পারে । কারোর অনেক পাপ থাকলে তারা বারে বারে এক জন্ম থেকে দ্বিতীয় জন্ম - তৃতীয় জন্ম নিয়ে শীঘ্র শরীর ত্যাগ করতে থাকে । গর্ভে এলো, দুঃখ ভোগ করলো তারপর শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর নিলো । কাশী কলবটেও এমনই অবস্থা হয় । মাথার উপর পাপের অনেক বোঝা আছে । যোগবল তো নেইই । কাশী কলবট খাওয়ার অর্থ - নিজের শরীরকে আঘাত করা । আত্মাও বুঝতে পারে যে, এ আঘাত করছে । আত্মা বলে - বাবা, আপনি আসবেন তখন আমরা আপনার কাছে বলিহারি যাবো । বাকি ভক্তি মার্গে বলি দেওয়ার প্রথা প্রচলিত । সে সব ভক্তি হয়ে যায় । দান - পুণ্য, তীর্থ ইত্যাদি যা কিছুই করে তা কার সঙ্গে লেনদেন হয় ? পাপ আত্মার সঙ্গে । এ তো রাবণ রাজ্য তাই না । বাবা বলেন যে - খুব সাবধানের সঙ্গে লেনদেন করো । কেউ যদি কোথাও খারাপ কাজে লাগায় তাহলে মাথার উপর বোঝা চেপে যাবে । দান - পুণ্যও খুব সাবধানের সঙ্গে করতে হয় । গরীবদের জন্য তো অন্ন - বস্ত্র দান করা হয় বা আজকাল ধর্মশালা ইত্যাদি বানানো হয় । বিত্তবানদের জন্য তো বড় - বড় মহল আছে । গরীবদের জন্য আছে ঝুপড়ি । সেসব তো আবর্জনার কাছে তৈরী হয় । সেইসব আবর্জনা থেকে সার তৈরী হয়, যা বিক্রি হয়, যার থেকে খেত-এ ফলন হয় । সত্যযুগে তো এইসব আবর্জনা দিয়ে চাষবাস হয় না । ওখানে তো নতুন মাটি থাকে । সেখানকার নামই হলো স্বর্গ । রত্নের নামে মহিমা আছে যেমন পোখরাজ পরী, সবুজ পরী । কেউ কেউ অনেক সার্ভিস করে, কেউ আবার কম । কেউ আবার বলে সার্ভিস করতে পারি না । বাবার রত্ন তো সবাই কিন্তু তারমধ্যেও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারেই পূজ্য হয় । দেবতাদেরই পূজা হয় । ভক্তিমার্গে অনেক পূজা হয় । এ সবই ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে, যা দেখে মজা আসে । আমরা হলাম অভিনেতা । এই সময় তোমরা জ্ঞান পাও । তোমরা খুব খুশী হও । তোমরা জানো যে, ভক্তিরও পার্ট আছে । ভক্তিতেও মানুষ খুব খুশীতে থাকে । গুরুরা বলে মালা জপ করো । ব্যস, ওই খুশীতেই জপ করতে থাকে । বোঝার ক্ষমতা কিছুই নেই ।



শিব হলেন নিরাকার, কি কারণে তাঁকে দুধ, জল ইত্যাদি দেওয়া হয় ? মূর্তিকে ভোগ নিবেদন করে, কিন্তু মূর্তি তো খায়ই না । ভক্তির বিস্তার কতো বড় । ভক্তি হলো বৃক্ষ আর জ্ঞান হলো বীজ । রচয়িতা আর রচনার বিস্তার তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কেউই জানে না । কোনো কোনো বাচ্চা তো নিজের অস্থিও তো এই সেবায় স্বাহা করে দেয় । কেউ কেউ তোমাদের বলে যে, এ হলো তোমাদের কল্পনা । আরে, এ তো ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হচ্ছে । কল্পনা আবার রিপিট হয় নাকি ? এ তো হলো জ্ঞান । এ হলো নতুন দুনিয়ার জন্য নতুন কথা । ভগবান উবাচঃ । ভগবানও নতুন আর তাঁর মহাবাক্যও নতুন । আরা বলে কৃষ্ণ ভগবান উবাচঃ । তোমরা বলো শিব ভগবান উবাচঃ । প্রত্যেকেরই নিজের নিজের কথা আছে একের কথা অন্যের সঙ্গে মেলে না । এ হলো পড়া । তোমরা তো স্কুলে পড়ো । কল্পনার তো কোনো কথাই নেই । বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, নলেজফুল । যেখানে ঋষি - মুনিরাও বলে থাকেন - আমরা রচয়িতা আর রচনাকে জানি না । তাঁরা কিভাবে এই জ্ঞানের কথা জানবেন যেখানে আদি সনাতন দেবী দেবতারাই জানে না । যাঁরা জেনেছে তাঁরাই পদ পেয়েছে । এরপর যখন সঙ্গম যুগ আসে তখন বাবা এসে বোঝান । নতুনরা এই কথায় দ্বিধায় পড়ে যায় । তারা বলে -তোমাদের অল্প কিছুই ঠিক বাকি সবই মিথ্যা। তোমরা বোঝাও যে - গীতা, যা আমাদের মা - বাবা, তাকেই খণ্ডন করে দিয়েছে । বাকি সবই তো রচনা । তাদের থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না । বেদ শাস্ত্রের দ্বারা রচনা আর রচয়িতার জ্ঞান পাওয়া যায় না । প্রথমে তো বলো, বেদ থেকে কোন্ ধর্মের স্থাপন হয়েছে ? ধর্ম তো হলো চারটি, প্রত্যেক ধর্মের ধর্মশাস্ত্র একটিই হয় । বাবা ব্রাহ্মণ কুল স্থাপন করেন । ব্রাহ্মণরাই আবার সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী কুলে নিজেদের পদ পায় । বাবা এসে এই রথের দ্বারা তোমাদের সামনে বসে বোঝান । রথ তো অবশ্যই প্রয়োজন । আত্মা তো হলো নিরাকার । তারা সাকার শরীর পায় । আত্মা কি জিনিস তাই জানতে পারে না তাহলে বাবাকে কিভাবে জানবে ? সত্য তো বাবাই শোনান । বাকি সবই মিথ্যা, যাতে কোনো লাভ নেই । মালা কার জপ করা হয় ? কিছুই জানে না । মানুষ বাবাকেই জানে না । বাবা নিজে এসেই তাঁর পরিচয় দেন । জ্ঞানেই সদ্গতি হয় । অর্ধেক কল্প হলো জ্ঞান আর অর্ধেক কল্প ভক্তি । রাবণ রাজ্য থেকে ভক্তি শুরু হয় । ভক্তির সময় সিঁড়িতে নামতে নামতে তমোপ্রধান হয়ে গেছে । কারোর অক্যুপেশনকেও জানে না । মানুষ ভগবানের কতো পূজা করে কিন্তু কিছুই জানে না । তাই বাবা বুঝিয়ে বলেন, এতো উচ্চ পদ পাওয়ার জন্য নিজেকে আত্মা মনে করো আর তোমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে । এতেই যত পরিশ্রম । কারোর যদি স্থূল বুদ্ধি হয় তাহলে সেই স্থূল বুদ্ধিতেই স্মরণ করুক কিন্তু সেই স্মরণ একজনকেই করতে হবে । মানুষ এমনও বলে থাকে - বাবা আপনি আসবেন তখন আমরা আপনার সঙ্গেই বুদ্ধিযোগ জুড়বো । এখন বাবা এসেছেন । তোমরা সকলে কার সঙ্গে মিলিত হতে এসেছো ? যিনি তোমাদের প্রাণ দান দেন । আত্মাকে অমরলোকে নিয়ে যান । বাবা বুঝিয়েছেন যে, আমি কালকে জয় করাই, তোমাদের অমরলোকে নিয়ে যাই । এমনও তো দেখানো হয় যে, অমরকথা পার্বতীকে শুনিয়েছেন । এখন অমরনাথ তো একজনই । তিনি তো হিমালয় পাহাড়ে বসে কথা শোনাবেনই না । ভক্তিমার্গের প্রত্যেকটি কথাই আশ্চর্যের মনে হয় । আচ্ছা ।



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্নেহ - সুমন, স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের নমস্কার জানাচ্ছেন ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. যোগবলের দ্বারা কর্মেন্দ্রিয় জিত হয়ে সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে । এই অবস্থা অর্জন করার জন্য নিজেকে সর্বদা পর্যবেক্ষণ করতে হবে ।

২. সদা বুদ্ধিতে এই কথা স্মরণে রাখতে হবে যে, আমিই ব্রাহ্মণ আর দেবতা ছিলাম, আবার আমি দেবতা হওয়ার জন্য এসেছি তাই খুব সাবধানতার সঙ্গে পাপ আর পুণ্যকে বুঝে লেনদেন করতে হবে ।

বরদান:-

সর্ব প্রাপ্তিকে স্মৃতিতে ইমার্জ করে সদা সম্পন্ন থাকা সন্তুষ্ট আত্মা ভব

সঙ্গম যুগে বাপদাদার কাছ থেকে যা প্রাপ্তি হয়েছে তার স্মৃতি যেন ইমার্জ থাকে । তখন প্রাপ্তির খুশী কখনোই দোলাচলে নীচে নিয়ে আসবে না । তোমরা সদা অচল থাকবে । সম্পন্নতা অচল বানায়, দোলাচল থেকে মুক্ত করে । যে সর্ব প্রাপ্তিতে সম্পন্ন থাকে সে সদা খুশী, সদা সন্তুষ্ট থাকে । সন্তুষ্টতা হলো সবথেকে বড় সম্পদ । যার কাছে সন্তুষ্টতা আছে তার কাছে সবকিছুই আছে । সে এই গীতই গাইতে থাকে - যা পাওয়ার ছিলো তা পেয়ে গেছি ।

স্লোগান:-

প্রেমের দোলনায় বসে যাও তখন পরিশ্রম এমনিতেই দূর হয়ে যাবে ।