২১-০৪-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ২৬-০৮-৮৪ মধুবন
তোমার লক্ষ্য অনুযায়ী সাফল্য প্রাপ্ত করার জন্য স্বার্থ প্রণোদিত না হয়ে সর্বকার্য সেবার্থে করো
আজ, বাবা ত্রিমূর্তি মিলন দেখছেন l জ্ঞান সূর্য, জ্ঞান চন্দ্রমা আর জ্ঞান নক্ষত্রদের মিলন হচ্ছে l ব্রাহ্মণ সংসারের এই ত্রিমূর্তি মিলন বিশেষতঃ মধুবনের মন্ডপে হয় l আকাশ মন্ডলে চন্দ্র আর নক্ষত্রদের মিলন হয় l অসীম জগতের এই মধুবন-মন্ডপে সূর্য আর চন্দ্রমা উভয়ের মিলন হয় l যখন তোমরা এই উভয়ের সাথে মিলিত হও, তোমরা নক্ষত্র সকল, জ্ঞান সূর্যের থেকে শক্তির বিশেষ বরদান লাভ কর আর জ্ঞান চন্দ্রমার থেকে স্নেহের বিশেষ বরদান l যার মাধ্যমে তোমরা লাভলি আর লাইটহাউজ হয়ে যাও l এই উভয় শক্তিকে সদা সাথে থাকতে দাও l মা এবং বাবার থেকে এই দুই বরদান তোমাদের সদা সফলতার প্রতিমূর্তি বানায় l সবাই তোমরা এমন সফলতার শ্রেষ্ঠ নক্ষত্র l সফলতার নক্ষত্র তোমরা, সকলকে সফলতা স্বরূপ হওয়ার সন্দেশ (বার্তা) দিতে যাচ্ছ l যে কোনো বিভাগের (বর্গ, wing) আত্মারা যে কাজই করছে, সকলের প্রধান লক্ষ্য এটাই যে তারা তাদের কাজে যেন সফল হয় l তারা কেন সফলতা চায়, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে সুখ আর শান্তি তাদের মাধ্যমে সকলের প্রাপ্তি হবে l হয় তারা সেটা নিজেদের নাম-ডাক হওয়ার স্বার্থে করে অথবা অল্পকালের সুযোগ-সুবিধার দ্বারা করে, কিন্তু তাদের লক্ষ্য নিজের এবং অন্যদের জন্য সুখ শান্তির প্রাপ্তি l তাদের সকলের লক্ষ্য সুন্দর কিন্তু লক্ষ্য অনুযায়ী স্ব স্বার্থের কারণে ধারণ করতে পারে না, সেইজন্য লক্ষ্য আর লক্ষণে প্রভেদ হওয়াতে তারা তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে অপারগ হয় l এমন আত্মাদের নিজের মুখ্য লক্ষ্য প্রাপ্ত করার সহজ উপায় শোনাও, এক শব্দের পরিবর্তনে, তোমাদের সফলতার মন্ত্র প্রাপ্ত হবে l সেই মন্ত্র হলো- *নিজ স্বার্থের পরিবর্তে সকলের সেবার স্বার্থে হোক l* স্বার্থ লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় l সেবার অভিপ্রায়ে কিছু করার সঙ্কল্প সহজভাবে সাফল্যের সাথে লক্ষ্য প্রাপ্ত করতে তোমাদের সমর্থ করে তোলে l তোমরা কোনো লৌকিক বা অলৌকিক কার্যের নিমিত্ত হলে, তোমাদের নিজ নিজ কার্যে তোমরা সন্তুষ্টতা বা সফলতা অনায়াসে লাভ করবে l এই এক শব্দের পরিবর্তনের মন্ত্র সব বিভাগের সকলকে শোনাও l
সমস্ত কলহ ক্লেশ, অস্থির পরিবেশ, বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্নরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উৎস এই এক শব্দ *স্বার্থ,* এইজন্য সেবা ভাব সমাপ্ত হয়ে গেছে l যে কোনো অক্যুপেশনের যে কেউই নিজ কার্য যখন থেকে করতে শুরু করে তখন তার সঙ্কল্প কি থাকে ? নিঃস্বার্থ সেবার সঙ্কল্প থাকে, কিন্তু যত এগিয়ে চলে সেই লক্ষ্য আর লক্ষণ পরিবর্তিত হয়ে যায় l সুতরাং যে বিকারই আসুক না কেন, মূল কারণের বীজ হলো স্বার্থ l অতএব, সবাইকে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে সাফল্যের চাবি দিয়ে এসো l সাধারণতঃ লোকে অন্যদের চাবিসহই উপহার দেয় l সুতরাং তোমরা সবাইকে সফলতার চাবি উপহার দিতে যাচ্ছ। লোকে সবকিছু দিয়ে দেয়, কিন্তু তাদের ধনভাণ্ডারের চাবি কেউ দেয় না l যা অন্য আর কেউ দেয় না সেটা তোমরা গিয়ে দাও l যখন সকল খাজানার চাবি তাদের প্রাপ্ত হয়ে যাবে, তখন তো সফলতা নিশ্চিত l আচ্ছা ! আজ তো বাবা এসেছেন শুধু তোমাদের সাথে মিলনের জন্য !
২১ জন্মের জন্য তোমরা অবিরত রাজতিলক লাভ করতে থাকো আর স্মৃতির তিলক তো তোমরা সঙ্গমযুগের নাম-সংস্কারের দিন বাপদাদার থেকে পেয়েই গেছ l ব্রাহ্মণ সদা স্মৃতির তিলকধারী আর দেবতা রাজ্য তিলকধারী l মধ্যরূপ ফরিস্তা স্বরূপ, তাদের তিলক সম্পন্ন-স্বরূপের তিলক, সমান স্বরূপের তিলক l বাপদাদা কোন তিলক লাগাবেন ? সম্পন্ন ও সমান স্বরূপের তিলক, আর তিনি তোমাদের সকল বিশেষত্বের মণিসমূহে সজ্জিত রাজমুকুট দেবেন l তোমরা এইরকম তিলকধারী, মুকুটধারী ফরিস্তাস্বরূপ এবং সদা ডবল লাইট হওয়ার সিংহাসনাসীন শ্রেষ্ঠ আত্মা l বাপদাদা এই অলৌকিক অলঙ্করণের সাথে সেরিমনি উদযাপন করছেন l তোমরা মুকুটধারী হয়ে গেছ, তাই না ! মুকুট, তিলক এবং সিংহাসন l এটাই বিশেষ সেরিমনি l তোমরা সবাই সেরিমনি উদযাপন করতে এসেছ, তাই নয় কি ? আচ্ছা !
সমগ্র দেশে-বিদেশের সফলতার নক্ষত্রসকলের গলায় বাপদাদা সফলতার মালা পরাচ্ছেন l প্রতি কল্পের সফলতার অধিকারী বিশেষ আত্মা তোমরা, এইজন্য প্রতি কল্পে সফলতা তোমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার l এই নিশ্চয় এবং নেশার সাথে অনবরত উড়ে চলো l তোমরা বাচ্চারা স্মরণ আর ভালোবাসার মালা প্রতিদিন অতি সস্নেহে বিধিপূর্বক বাবার কাছে পৌছে দিচ্ছ l এরই কপি অর্থাৎ অনুকরণ করে ভক্তরাও রোজ তাদের দেবী-দেবতাদের অবশ্যই মালা পরায় l যে বাচ্চারা প্রকৃত ভালোবাসায় একাগ্র থাকে, তারা অমৃতবেলায় অতি মনোমুগ্ধকর, স্নেহের শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পের রত্নখচিত মালা, রূহানী গোলাপের মালা প্রতিদিন বাপদাদাকে অবশ্যই পরায়, সুতরাং, সব বাচ্চাদের মালা দিয়ে বাপদাদা অলঙ্কৃত হন l ভক্তরাও যেমন প্রথম কার্য তাদের ইষ্ট দেবী-দেবতাকে মালা দিয়ে সাজায়, পুষ্প অর্পণ করে l এইরকম জ্ঞানী আত্মারা, স্নেহী বাচ্চারাও তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার পুষ্প বাপদাদাকে অর্পণ করে l এমন স্নেহী বাচ্চাদের স্নেহের রিটার্ণে বাপদাদা পদমগুন (লক্ষ-কোটি) স্নেহের, বরদানের, শক্তির মালা পরাচ্ছেন l বাপদাদা সকলের খুশির নৃত্যও দেখছেন l তোমরা ডবল লাইট হয়ে উড়ছ আর অন্যদের ওড়ানোর প্ল্যান তৈরি করছ l তোমরা সব বাচ্চা প্রথম স্মরণ বাবার থেকে সর্বাগ্রে তোমার নিজের নামে এসেছে, এইভাবে স্বীকার কর l নাম তো অনেক আছে l কিন্তু সকলেই তোমরা নম্বরানুক্রমে স্মরণের যোগ্য পাত্র l আচ্ছা -
মধুবনের সকলে তোমরা শক্তিশালী আত্মা, তাই না ? অক্লান্তভাবে তোমরা সেবার ভূমিকা পালন করেছ এবং নিজেদের জন্য অধ্যয়নের পার্টও l সেবায় শক্তিশালী হয়ে অনেক জন্মের ভবিষ্যৎ আর বর্তমানও তৈরি করেছ ; শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমান সময়ও মধুবনের সকলে মহিমান্বিত হয়েছে l সুতরাং তোমরা বর্তমানও বানিয়েছ আর ভবিষ্যতের জন্য জমাও করেছ l সবাই শারীরিক রেস্ট নিয়ে নিয়েছ l এখন তোমরা সীজনের জন্য প্রস্তুত, সীজনে অসুস্থ হওয়া যাবে না, সেইজন্য সেই হিসেবনিকেশও স্থির করে নিয়েছ l আচ্ছা l
যারাই এসেছে সবাইই লটারি জিতেছে l আগমন অর্থাৎ পদমগুন জমা হওয়া l মধুবনে আত্মা এবং শরীর উভয়ের রিফ্রেশমেন্ট তোমাদের প্রাপ্ত হয় l
*জগদীশ ভাইয়ের সাথে:-* সেবাতে শক্তিগণের সাথে ভূমিকা পালন করার নিমিত্ত হওয়াও এক বিশেষ পার্ট l সেবার পথ দিয়ে তোমাদের জন্ম, সেবা দ্বারা প্রতিপালন হয়েছে, আর এখন সদা সেবার মাধ্যমে এগিয়ে চলার পথ কায়েম রাখ l ড্রামা অনুসারে, সেবার আদিতে প্রথম পান্ডব নিমিত্ত হয়েছ, এইজন্য এটাও বিশেষ সহযোগের রিটার্ণ l সহযোগ সদা প্রাপ্ত হয়েছে আর হতেও থাকবে l প্রত্যেক বিশেষ আত্মার বিশেষত্ব আছে l এখন বিশেষত্ব কার্যে প্রয়োগ করছ, সেই বিশেষত্বের পথ ধরে তুমি বিশেষ আত্মা হয়ে উঠেছ l সেবার ভাণ্ডারে যাচ্ছ, বিদেশে গমন অর্থাৎ সেবার ভাণ্ডারে যাওয়া l শক্তিদের সাথে পাণ্ডবদেরও বিশেষ পার্ট আছে l তুমি সদা চান্স লাভ করেছ আর করতেও থাকবে l একইভাবে সবাইকে বিশেষত্বে পূর্ণ করে তোল l আচ্ছা l
*মোহিনী বোনের সাথে :-* সদা সাথে থাকার বিশেষ পার্ট আছে তোমার l হৃদয়েও সদা তুমি বাবার সাথে আর সাকার রূপেও শ্রেষ্ঠ সাহচর্যে থাকার বরদান আছে l এই বরদান দ্বারা সকলকে সাহচর্যের অনুভব করাও l নিজের বরদান দ্বারা অন্যদেরও এই বরদান লাভে সমর্থ বানাও l পরিশ্রম থেকে রেহাই পাওয়া আর আন্তরিক ইচ্ছা থাকা, পরিশ্রম ভালোবাসায় বদল হওয়া, এই বিশেষ অনুভব সবার মধ্যে অনুভূত হতে দাও l এই কারণে তোমরা সবাই যাচ্ছ l বিদেশি আত্মারা পরিশ্রম করতে চায় না, তারা ক্লান্ত l এমন আত্মাদের সদাসর্বদার জন্য সাহচর্যের অর্থাৎ ভালোবাসায় মগ্ন থাকার সহজ অনুভব করাও l সেবা করার চান্সও গোল্ডেন লটারী l তুমি সদা লটারী জয়ী সহজ পুরুষার্থী l পরিশ্রম ভালোবাসায় পরিবর্তন করার তোমার যে অনুভব, তার বিশেষত্ব সবাইকে শুনিয়ে তাদের সেই স্বরূপ বানাও l তুমি যে দৃঢ় সঙ্কল্প করেছ, সেটা খুব ভালো l সদা অমৃতবেলায় এই দৃঢ় সঙ্কল্প রিভাইস করতে থাক l আচ্ছা l
*পার্টির সাথে :-* নিজেদের পার্ট দেখে সদা উৎফুল্ল থাক ? তোমরা সব বিশেষ পার্টধারী, সর্বোচ্চ বাবার সাথে পার্ট অভিনয় করো l বিশেষ পার্টধারীর প্রতিটা কর্ম নিজে থেকেই বিশেষ হবে কেননা তাদের স্মৃতিতে আছে যে তারা বিশেষ পার্টধারী l প্রতিটা কর্ম এবং প্রতিটা শব্দ বিশেষ l যা কিছু সাধারণ সমাপ্ত হয়েছে l বিশেষ পার্টধারী নিজে থেকেই সকলকে আকর্ষণ করে l সদা এই স্মৃতি বজায় রাখ যে তোমাদের বিশেষ পার্ট দ্বারা অনেক আত্মারা নিজের বিশেষত্বকে জানবে l কোনও বিশেষ আত্মাকে দেখে নিজেদেরও বিশেষ হয়ে ওঠার আগ্রহ জন্মাবে l যেখানেই থাক, যতই মায়াবী বায়ুমন্ডলে থাক, বিশেষ আত্মা যে কোনও স্থানে বিশেষরূপেই প্রতিভাত হবে l যেমন, হীরক প্রভা কাদামাটির মধ্যেও ঠিকরে বেরিয়ে আসে l হীরা হীরাই থাকে l একইভাবে বাতাবরণ যেমনই হোক বিশেষ আত্মা সদাই নিজ বিশেষত্বে আকর্ষণ করবে l সদা স্মরণে রেখ যে তোমরা বিশেষ যুগের বিশেষ আত্মা l
*বম্বে থেকে আগতদের জন্য স্মরণ-আর ভালোবাসা*
বম্বে থেকে আগতদের সর্বাগ্রে বার্তা দিতে হবে l বম্বের সকলে খুব বিজি থাকে l যারা বিজি থাকে তাদের সময়ের অনেক আগেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া উচিৎ, নয়তো অভিযোগ উঠবে যে তারা খুব বিজি ছিল, তোমরা তাদের বলনি পর্যন্ত, সেইজন্য এখন থেকেই তাদের ভালোভাবে সচেতন করো (জাগাও) l সুতরাং, বম্বে থেকে আগতদের বলো, নিজের জন্মের বিশেষত্ব অনবরত সেবার জন্য ব্যবহার করো l এর মাধ্যমেই সহজে সফলতা অনুভব করবে l তোমাদের প্রত্যেকের জন্মের বিশেষত্ব আছে, সেই বিশেষত্ব সেবাতে সদা আচরণ যোগ্য করে তোল l নিজের বিশেষত্ব স্টেজে নিয়ে এসো l তোমার ভিতরেই শুধু রেখে দিও না, বরং স্টেজে নিয়ে এসো l আচ্ছা l
*অব্যক্ত মুরলি থেকে বাছাই করা প্রশ্ন আর তার উত্তরঃ* -
*প্রশ্নঃ - একাগ্রতার শক্তি কোন্ কোন্ অনুভূতি করায়?*
*উত্তরঃ* - একাগ্রতার শক্তি দ্বারা মালিকভাবের শক্তি আসে, যার দ্বারা
১) সহজ নির্বিঘ্ন স্থিতির অনুভব হয়, যুদ্ধ করতে হয় না l
২) স্বভাবতঃই, 'এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়', এই অনুভূতি হয় l
৩) অবিরত ফরিস্তা স্বরূপের অনুভূতি নিজে থেকেই হয় l
৪) স্বাভাবিকভাবেই, সকলের প্রতি স্নেহ, কল্যাণ, সম্মানের বৃত্তি থাকে l
*প্রশ্নঃ- ব্রহ্মাবাবা সমান সম্পন্নতার সময় কাছাকাছি এলে তোমার স্বমান কি হবে ?*
*উত্তরঃ-* ফরিস্তা স্থিতির স্বমান l চলতে-ফিরতে তিনি ছিলেন ফরিস্তা স্বরূপ, দেহভাব রহিত l ব্রহ্মাবাবা কর্ম করাকালীন, অন্যদের সাথে কথোপকথন চলত, ডিরেকশন দিতেন এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা ক্রমবর্ধিত করতেও তিনি ছিলেন দেহ থেকে পৃথক, সূক্ষ্ম প্রকাশ রূপের অনুভূতি করেছেন l এমন মনে হতো যে তিনি বার্তালাপ তো করছেন কিন্তু যেন এখানে নেই, দেখছেন কিন্তু দৃষ্টি অলৌকিক l দেহভাব থেকে এত ঊর্ধ্বে ছিলেন তিনি যে অন্যরাও দেহভাব অনুভব করেনি এবং শুধু স্বতন্ত্র রূপ প্রতিভাত হয়েছে, একেই বলা হয় দেহে থেকেও ফরিস্তা স্বরূপ হওয়া l
*প্রশ্নঃ- ফরিস্তা রূপসহ ফরিস্তা হয়ে সূক্ষ্ম বতনে যেতে হলে কোন্ বিষয়ে অ্যাটেনশন দেওয়া প্রয়োজন ?*
*উত্তরঃ -* মনের একাগ্রতার প্রতি l তোমার অর্ডার দ্বারা তোমার মনকে চালনা করো l যেমন নাম্বার ওয়ান ব্রহ্মার আত্মা সাকার রূপে ফরিস্তা জীবনের অনুভব করিয়েছে এবং ফরিস্তা হয়েছে, ঠিক একইভাবে, নিজেও ফরিস্তা স্থিতির অনুভব করো এবং অন্যদেরও করাও, কারণ ফরিস্তা হওয়া ব্যতীত তুমি দেবতা হতে পারবে না l
*প্রশ্নঃ- কোন্ অবস্থা বশীভূত হওয়ার অবস্থা, যা তোমার পছন্দ নয় ?*
*উত্তরঃ-* কোনো কোনো বাচ্চা বলে যে তারা চাইছে না করতে, তারা চাইছে না ভাবতে, করা উচিৎ নয় তবুও সেটা সংঘটিত হয়ে যায়, এটাই মনের বশীভূত হওয়ার অবস্থা l তুমি এই অবস্থা পছন্দ করনা l তুমি যদি কিছু করতে চাও তো আন্তরিকভাবে কর, কিন্তু কিছু যদি করতে না চাও, আর তোমার মন যদি বলে, 'এটা কর',তবে তা' মাস্টার হওয়া নয় l
*প্রশ্নঃ - কোন্ বিষয়ে তুমি ব্রহ্মাবাবাকে অবশ্যই ফলো কর ?*
*উত্তরঃ-* ব্রহ্মাবাবার থেকে অনুভব করেছ যে তোমার সামনে ফরিস্তা দাঁড়িয়ে আর সেই ফরিস্তা তোমায় দৃষ্টি দিচ্ছে, সেইরকমভাবে ফলো ব্রহ্মাবাবা l মনের একাগ্রতার শক্তি সহজে এইভাবে ফরিস্তা হতে তোমাকে সমর্থ বানাবে l
বরদান:-
যেকোন ব্যর্থ বা মায়া থেকে ইনোসেন্ট হয়ে এবং দিব্যতার অনুভব করে, মহান আত্মা ভব
মহান আত্মা অর্থাৎ সেন্ট (saint) তাদের বলা হবে যারা ব্যর্থ বা মায়া সম্পর্কে ইনোসেন্ট হবে l দেবতা যেমন এইসব থেকে ইনোসেন্ট ছিল, সেইরকমভাবে তোমার সেই সংস্কার ইমার্জ কর, ব্যর্থ সম্পর্কে অবিদ্যা স্বরূপ হও কারণ এই ব্যর্থের জোর প্রায়শঃ সত্যতার এবং নীতিনিষ্ঠার সচেতনতা সমাপ্ত করে দেয় l এইজন্য সময়, শ্বাস, বোল, কর্ম সবকিছুতে ব্যর্থ সম্পর্কে ইনোসেন্ট হও l যখন ব্যর্থ সম্পর্কে অবিদ্যা অর্থাৎ অজ্ঞাত থাকবে তখন দিব্যতা স্বতঃই অনুভব হবে এবং অন্যকে অনুভব করাবে l
স্লোগান:-
ফার্স্ট ডিভিশনে আসতে হলে ব্রহ্মাবাবার কদমে কদম রেখে চলো l