28.08.2019 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই ব্রহ্মা হলেন সদগুরুর দরবার, এই ভ্রুকুটি তে সদগুরু বিরাজমান আছেন, তিনিই বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের সদগতি করেন

প্রশ্নঃ -
বাবা নিজের বাচ্চাদের কোন্ দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে এসেছেন ?

উত্তরঃ -
এই সময় সব বাচ্চারা প্রকৃতি ও মায়ার দাস হয়েছে। বাবা এখন সেই দাসত্ব থেকে মুক্তি প্রদান করেন। এখন মায়া ও প্রকৃতি উভয়েই অস্থির করে। কখনও ঝড়, কখনও দুর্ভিক্ষ। এরপরে তোমরা এমন মালিক হয়ে যাও যে সম্পূর্ণ প্রকৃতি তোমাদের দাস হয়ে যায়। মায়ার আক্রমণও হয় না ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি- মিষ্টি আত্মারূপী (রূহানী) বাচ্চারা বুঝতে পারে যে ইনি হলেন সুপ্রিম পিতাও, সুপ্রিম টিচারও। তিনি বিশ্বের আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বুঝিয়ে দেন অতএব সুপ্রিম গুরুও হলেন তিনি। তাই এ হল সদগুরুর দরবার। দরবার অর্থাৎ মিলন প্রাঙ্গণ, না , গুরুর দরবার। সেটা হল শুধু গুরুর দরবার, সদ্গুরুর নেই। শ্রী শ্রী ১০৮ বলা হবে, সদ্গুরু লেখা থাকবে না। তারা কেবল গুরু বলে। ইনি হলেন সদ্গুরু। প্রথমে পিতা তারপরে টিচার পরে সদ্গুরু। সদ্গুরু -ই সদগতি প্রদান করেন। সত্যযুগ - ত্রেতায় গুরু থাকে না, কারণ সবাই সদগতিতে আছে। এক সদগুরুকে পেয়ে গেলে বাকি সব গুরুদের নাম সমাপ্ত হয়ে যায়। সুপ্রিম হলেন সব গুরুদের গুরু। যেমন স্বামীর স্বামী বলা হয়, তাইনা। সর্বোচ্চ হওয়ার কারণে এমন বলা হয়। তোমরা সুপ্রিম পিতার কাছে বসে আছো - কেন ? অসীমের উত্তরাধিকার নিতে। এ হল অসীমের উত্তরাধিকার। তিনি হলেন পিতাও, শিক্ষকও। আর এই উত্তরাধিকার হল নতুন দুনিয়া অমরলোকের জন্য, পবিত্র দুনিয়ার জন্যে। পবিত্র দুনিয়া নতুন দুনিয়াকে, অপবিত্র দুনিয়া পুরানো দুনিয়াকে বলা হয়। সত্যযুগকে শিবালয় বলা হয়। কারণ শিববাবার দ্বারা স্থাপনা হয়েছে। অপবিত্র দুনিয়া হল রাবণের স্থাপনা । এখন তোমরা বসে আছো সদগুরুর দরবারে। এই কথা শুধু তোমরা বাচ্চারা-ই জানো। বাবা হলেন শান্তির সাগর। বাবা যখন আসবেন তখন তো শান্তির অধিকার দেবেন, পথ বলে দেবেন। যদিও জঙ্গলে শান্তি কোথা থেকে পাওয়া যাবে ! সেইজন্য গলার হারের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় (হার গলাতেই রয়েছে, অথচ খুঁজছে বাইরে) । শান্তি তো আত্মার গলার হার। তারপর যখন রাবণের রাজ্যে থাকে তখন অশান্তি হয়। তার নাম হল সুখধাম - শান্তিধাম। সেখানে দুঃখের কোনও কথা নেই। মহিমাও সর্বদা সদগুরুর করা হয়। গুরুর এত মহিমা কখনও শোনা যায় না। জ্ঞানের সাগর, তিনি হলেন একমাত্র পিতা। এমনভাবে কখনও গুরুর মহিমা শুনেছ ? সেই গুরু-রা জগতের পতিত-পাবন হতে পারে না। সে তো একমাত্র নিরাকার অসীমের পিতাকে বলা হয়।

তোমরা এখন সঙ্গম যুগে দাঁড়িয়ে আছো। এক দিকে হল পতিত পুরানো দুনিয়া, অন্য দিকে হল পবিত্র নতুন দুনিয়া। পতিত দুনিয়ায় গুরু তো অনেক আছে। আগে তোমরা এই সঙ্গম যুগের কথা জানতে না। এখন বাবা বুঝিয়েছেন - এই হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। এরপরে আবার সত্যযুগ আসবে, চক্র আবর্তিত হয়। এই কথা বুদ্ধিতে স্মরণ থাকা উচিত। আমরা সবাই ভাই-ভাই, অতএব অসীমের পিতার কাছে উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। এই কথা কারো জানা নেই। কত বড় বড় পজিশনের মানুষ আছে কিন্তু কিছুই জানে না। বাবা বলেন আমি তো তোমাদের সবার সদগতি করি। এখন তোমরা সেন্সিবল হয়েছ। প্রথমে তো কিছুই জানতে না। এই দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে তোমরা বলতে - আমরা সেন্সলেস। আমাদের কোনও গুণ নেই, আপনি দয়া করুন। এবারে দেবতাদের চিত্র কিভাবে দয়া করবে ? সে কথা জানে না। দয়ালু কে ? বলাও হয়, ও গড ফাদার, দয়া করুন। কোনও দুঃখের কথা হলে বাবাকে নিশ্চয়ই স্মরণ করে। এখন তোমরা এমন বলবে না। বাবা তো হলেন বিচিত্র। তিনি সামনে বসে আছেন, তাই তিনি নমস্কার করেন। তোমরা সবাই হলে চিত্রধারী (চিত্র = শরীর) । আমি বিচিত্র। আমি কখনও চিত্র ধারণ করি না। আমার চিত্রের কোনও নাম বলো। শুধু শিববাবা-ই বলবে। আমি এই দেহ লোনে নিয়েছি। তাও আবার অতি পুরানো দেহ। তাতেই এসে আমি প্রবেশ করি। এই শরীরের মহিমা কোথায় করা হয়। এই তো হল পুরানো শরীর। অ্যাডপ্ট করা হয়েছে তো মহিমা করা হয় কি ? না। এই কথা তো বোঝানো হয়েছে - এমন ছিল, এখন আবার আমার দ্বারা সুন্দর হয়ে যাবে। এখন বাবা বলেন আমি যে কথা শোনাই , সেইগুলি জাজ করো, যদি আমি রাইট (ঠিক), তবে রাইটকে স্মরণ করো। তাঁর কথাই শোনো, আনরাইটিয়াস কথা শুনোই না। তাকে ইভিল বা খারাপ বলা হয়। খারাপ বোলো না, খারাপ দেখো না (টক নো ইভিল, সী নো ইভিল) ... এই চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছ সব ভুলে যাও। এখন তো ফিরে যেতে হবে নিজ গৃহে (পরম ধাম), তারপরে পুনরায় আসতে হবে নিজ সুখধামে । বাকিরা তো যেন মৃতপ্রায়, টেম্পোরারি। না এই পুরানো শরীর থাকবে, না এই দুনিয়া থাকবে। আমরা পুরুষার্থ করছি নতুন দুনিয়ার জন্য। তারপরে ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্ৰাফি রিপিট হয়। তোমরা নিজের রাজ্য-ভাগ্য নিচ্ছ। জানো কল্প-কল্প বাবা আসেন, রাজ্য-ভাগ্য দিতে। তোমরাও বলো বাবা কল্প পূর্বে দেখা হয়েছিল, স্বর্গের উত্তরাধিকার নিয়েছিলাম, নর থেকে নারায়ণ হয়েছিলাম। যদিও সবাই একরকম পদ মর্যাদা তো প্রাপ্ত করবে না। নম্বর অনুযায়ী তো হয়। এ হল স্পিরিচুয়াল ইউনিভার্সিটি। স্পিরিচুয়াল ফাদার পড়ান, বাচ্চারাও পড়ায়। লৌকিকে কোনো প্রিন্সিপালের সন্তান হলে সে সার্ভিস করতে থাকে। স্ত্রীও পড়ানোর সেবায় নিয়োজিত হয়। কন্যা সন্তানও ভালো পড়াশোনা করে পড়ানোর কাজ করতে পারে। কিন্তু সে স্বামীর পরিবারে চলে যায়। এখানে তো নিয়ম নেই কন্যাদের চাকরী করার। নতুন দুনিয়ায় পদ প্রাপ্তির জন্য সবকিছু নির্ভর করে এই পড়াশোনায়। এইসব কথা দুনিয়া জানে না। লেখা আছে - ভগবানুবাচ, হে বাচ্চারা, আমি তোমাদের রাজার রাজা করি। কোনো মডেল তৈরি করি না। যেমন দেবীদের চিত্র বানায়।তোমরা পড়া করে সেই পদ প্রাপ্ত কর। তারা তো মাটির চিত্র বানায় পূজার জন্য । এখানে তো আত্মারা পড়াশোনা করে। তারপরে তোমরা সংস্কার নিয়ে যাবে, গিয়ে নতুন দুনিয়ায় শরীর ধারণ করবে। দুনিয়া তো শেষ হয় না। শুধু যুগ বদলায় - গোল্ডেন এজ, সিলভার এজ, কপার এজ, আয়রন এজ। ১৬ কলা থেকে ১৪ কলা। দুনিয়া তো একই চলতে থাকে, নতুন থেকে পুরানো হয়। বাবা তোমাদের রাজার রাজা করেন এই পড়াশোনার দ্বারা। অন্য কারো শক্তি নেই যে এমন পাঠ পড়াতে পারে। কত ভালো ভাবে বোঝান। তারপর পড়া করতে করতে মায়া আপন করে নেয়। তবুও যে যতখানি পড়েছে সেই অনুযায়ী সে স্বর্গে অবশ্যই আসবে। উপার্জন বৃথা যাবে না। অবিনাশী জ্ঞানের বিনাশ হতে পারে না। ভবিষ্যতে আসবে, যাবে কোথায়। একটি মাত্র গন্তব্য স্থল, তাইনা। আসতে থাকবে। শ্মশানে গিয়ে মানুষের বৈরাগ্য অনুভব হয়। এই শরীর তো ত্যাগ করতে হবে, তাহলে পাপ কর্ম কেন করব। পাপ করতে করতে আমরা এভাবেই মরে যাব ! এমন চিন্তন হয়। তাকে বলা হয় শ্মশানের বৈরাগ্য। বুঝতেও পারে গিয়ে অন্য দেহ ধারণ করব। কিন্তু জ্ঞান তো নেই, তাইনা। এখানে তো বাচ্চারা তোমাদের বোঝানো হয়, এই সময় তোমরা বিশেষ করে মরার তৈয়ারী করছ কারণ তোমরা তো হলে এখানে টেম্পোরারি, পুরানো দেহ ত্যাগ করে নতুন দুনিয়ায় যাবে।

বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা আমাকে যত স্মরণ করবে ততই পাপ বিনষ্ট হবে। যতখানি সহজ ততখানি কঠিনও। বাচ্চারা যখন পুরুষার্থ করতে আরম্ভ করে তখন বুঝতে পারে মায়ার বিশাল যুদ্ধ। বাবা বলেন সহজ কিন্তু মায়া আত্মা প্রদীপকে নিভিয়ে দেয়। গুলবকাবলি-র কাহিনীও আছে না। মায়া বেড়াল প্রদীপ নিভিয়ে দেয়। এখানে সবাই মায়ার দাস তোমরা আবার মায়াকে দাস বানাও। সম্পূর্ণ প্রকৃতি তোমাদের অধীনস্থ থাকে। কোনও ঝড় নেই, দুর্ভিক্ষ নেই। প্রকৃতিকে গোলাম বানাতে হবে। সেখানে কখনও মায়ার আক্রমণ হবে না। এখন তো কত বিরক্ত করে। গেয়েও থাকে - আমি তোমার গোলাম....তারা আবার বলে তোমরা আমার গোলাম। বাবা বলেন এখন আমি তোমাদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে এসেছি। তোমরা মালিক হয়ে যাবে তো সে গোলাম হয়ে যাবে। একটুও আওয়াজ হবে না (সাইলেন্সে চলে গেলে) । এও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। তোমরা বল - বাবা, মায়া খুব বিরক্ত করে। তা করবে নাই বা কেন। একেই বলা হয় যুদ্ধের ময়দান। তোমরা মায়াকে গোলাম বানানোর চেষ্টা কর, তাই মায়াও পাল্টা হামলা করে। অনেক বিরক্ত করে। অনেককে হারিয়ে দেয়। অনেককে একেবারে শেষ করে দেয়, হপ্ করে গ্রাস করে। যদিও স্বর্গের মালিক হয় কিন্তু মায়া তো গ্রাস করে। তারা যেন পেটের ভিতরে আছে। শুধুমাত্র লেজটি বাইরে আছে বাকিটা ভিতরে ঢুকে আছে, যাকে পাঁক বলা হয়। অনেক বাচ্চারা পাঁকে পড়ে আছে। একটুও স্মরণ করতে পারে না। যেমন কচ্ছপ, ভ্রমরী ইত্যাদির দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়, তেমনই তোমরাও কীট গুলিকে ভুঁ ভুঁ করে অর্থাৎ জ্ঞান দান করে কি থেকে কি বানাতে পারো। একদম স্বর্গের পরীজাদা। সন্ন্যাসীরা যদিও ভ্রমরীর দৃষ্টান্ত দেয় কিন্তু তারা ভুঁ ভুঁ করে কি আর পরিবর্তন করতে পারে। পরিবর্তন হয় সঙ্গমে। এখন এই হল সঙ্গমযুগ। তোমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছ তো যারা বিকারী মানুষ আছে তাদের তোমরা নিয়ে আসো। কীট গুলি কেউ ভ্রমরী হয়, কেউ নষ্ট হয়, কেউ অপূর্ণ থেকে যায়। বাবা তো অনেক দেখেছেন। এখানেও কেউ খুব ভালো পড়াশোনা করে, জ্ঞানের পাখা বা ডানা শক্ত মজবুত হয়ে যায়। কাউকে মায়া অর্ধেক পথেই পাকড়াও করে তো কাঁচা থেকে যায়। অতএব এইসব দৃষ্টান্ত হল বর্তমানের। ওয়ান্ডার লাগে, তাইনা ! ভ্রমরী কীট গুলি নিয়ে এসে নিজ সম তৈরি করে। এই একটি যে নিজের মতন তৈরি করে। দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় সাঁপের। সত্যযুগে শুধু একটি দেহ রূপী খোলস ত্যাগ করে অন্যটি ধারণ করে। চট করে সাক্ষাৎকার হয় এবারে শরীর ত্যাগ করতে হবে। আত্মা বেরিয়ে অন্য গর্ভ মহলে গিয়ে বসে। এইরকম দৃষ্টান্তও দেওয়া হয় গর্ভ মহলে বসেছিল, তার বাইরে বেরিয়ে আসার ইচ্ছে ছিল না। তবুও বাইরে তো বেরিয়ে আসতেই হবে। এখন তোমরা বাচ্চারা আছো সঙ্গম যুগে। জ্ঞানের দ্বারা এমন পুরুষোত্তম হও। ভক্তি তো জন্ম-জন্মান্তর করেছ। অতএব যারা বেশি ভক্তি করেছে, তারা-ই এসে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে। যদিও শাস্ত্রের জ্ঞান কোনও জ্ঞান নয়। সেসব তো হল ভক্তি, তার দ্বারা সদগতি হয় না। সদগতি অর্থাৎ পরমধাম গৃহে ফিরে যাওয়া। গৃহে ফিরে কেউ যায় না। বাবা নিজে বলেন আমার সঙ্গে কেউ মিলিত হয় না। পড়ানোর জন্য, সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্যে কেউ চাই, তাইনা। বাবার কত খেয়াল থাকে। ৫ হাজার বছরে বাবা একবার এসে পড়ান। তোমরা ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যাও যে আমরা হলাম আত্মা। এই কথাটি একদম পাকা করে নাও - আমরা আত্মা, আমাদের পড়াতে বাবা এসেছেন। একেই বলা হয় স্পিরিচুয়াল নলেজ বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান। সুপ্রিম আত্মা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের জ্ঞান প্রদান করেন। সংস্কারও আত্মাতেই থাকে। শরীর তো শেষ হয়ে যায়। আত্মা হল অবিনাশী।

অতএব এই ব্রহ্মার ভ্রুকুটি হল সদগুরুর দরবার। এইটি হল এই আত্মারও (ব্রহ্মার) দরবার । তারপরে সদগুরু এসে এনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন, তাকে রথও বলা হয়, দরবারও বলা হয়। তোমরা বাচ্চারা গেট খুলছ শ্রীমৎ অনুযায়ী। যত ভালোভাবে পড়াশোনা করবে স্বর্গে তত উঁচু পদের অধিকারী হবে। তাই পড়া উচিত । টিচারের সন্তান তো খুব বুদ্ধিমান হয়। কিন্তু বলা হয় কিনা ঘরের গঙ্গার সম্মান নেই। *বাবার চোখে দেখা আছে - সম্পূর্ণ শহরের আবর্জনা গঙ্গায় এসে জমা হয়, তাহলে গঙ্গাকে পতিত-পাবনী বলা হবে ? মানুষের বুদ্ধি দেখো কেমন হয়েছে। দেবীদের মূর্তি পুজো করে জলে বিসর্জন দেয়। কৃষ্ণ কেও বিসর্জন দেয় তাইনা। তাও খুবই অসম্মানের সঙ্গে। বেঙ্গলে বিসর্জনের সময় পা দিয়ে মাড়িয়ে বিসর্জন করে। বেঙ্গলে প্রথমে প্রচলন ছিল কারো প্রাণ বের হলে গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হত। সেখানে জলে দিয়েই হরি বোল, হরি বোল বলে মুখে জল দিতে থাকত, এভাবেই প্রাণ ত্যাগ করাত, আশ্চর্যের (ওয়ান্ডার) ! তাইনা*। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বুদ্ধিতে উত্তরণ - অবতরণের সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে, নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবা যা শোনান তাই শুনতে হবে এবং জাজ করতে হবে যে ঠিক কিনা। সঠিকটাকেই স্মরণ করতে হবে। আনরাইটিয়াস কথা শুনবে না, বলবে না, দেখবে না।

২ ) ভালোভাবে পড়াশোনা করে নিজেকে রাজার রাজা করতে হবে। এই পুরানো শরীর ও পুরানো দুনিয়ায় নিজেকে টেম্পোরারি ভাবতে হবে।

বরদান:-
জ্ঞান অমৃতের তৃষ্ণার্ত আত্মাদের তৃষ্ণা মিটিয়ে তৃপ্তি প্রদানকারী মহান পুণ্য আত্মা ভব

ব্যাখা: কোনো তৃষ্ণার্ত আত্মার তৃষ্ণা মেটানো মহান পুণ্যের কাজ। যেমন জল না পেয়ে তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়ে তেমনই জ্ঞান অমৃত না পেয়ে আত্মারা দুঃখ অশান্তিতে কাতর হয়ে পড়ছে। তাই তাদের জ্ঞান অমৃত প্রদান করে তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হও। যেমন খাবার খাওয়ার জন্য সময় বের কর, কারণ সেটা জরুরি, তেমনই এই পুণ্যের কাজ করাটাও জরুরি, তেমনই এই চান্স নিতে হবে, সময় বের করতে হবে - তবে বলা হবে মহান পুণ্য আত্মা।

স্লোগান:-
অতীতকে বিন্দু লাগিয়ে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে চলো তাহলে বাবার সাহায্য প্রাপ্ত হতে থাকবে ।