19-01-2019 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- প্রধান হল স্মরণের যাত্রা, স্মরণেই আয়ু বৃদ্ধি হবে, বিকর্ম বিনাশ হবে, স্মরণে থাকতে যারা সমর্থ, তাদের স্থিতি, কথাবার্তা অতীব সুন্দর হবে"

প্রশ্ন:-
বাচ্চারা, দেবতাদের থেকেও বেশি খুশি তোমাদের হওয়া উচিত -- কেন ?

উত্তর:-
কেননা তোমাদের এখন অনেক বড়ো লটারি প্রাপ্তি হয়েছে । ভগবান তোমাদের পড়াচ্ছেন। সত্যযুগে দেবতা, দেবতাদের পড়াবে । এখানে মানুষ, মানুষকে পড়ায় কিন্তু তোমরা আত্মাদের স্বয়ং পরমাত্মা পড়াচ্ছেন । তোমরা এখন স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে উঠছ। তোমাদের মধ্যে সম্পূর্ণ নলেজ আছে, দেবতাদের মধ্যে এই নলেজ নেই ।

গীত:-
জাগো সজনীরা জাগো...

ওম্ শান্তি ।
নতুন যুগে দেবী-দেবতারা বাস করে । তারাও মানুষ কিন্তু তাদের মধ্যে দেবতাদের গুণ থাকে । ওরা হলো বৈষ্ণব, ডবল অহিংসক । এখন মানুষ ডবল হিংসক, মারামারি করে, কাম কাটারিও চালায় । একে বলা হয় মৃত্যুলোক, যেখানে বিকারগ্রস্ত মানুষ থাকে। সত্যযুগকে বলা হয়দেবলোক, যেখানে দেবী-দেবতারা থাকে । ওরা ডবল অহিংসক ছিল, ওদের রাজত্ব ছিল । কল্পের আয়ু লক্ষ বছর হলে কোনও কথা ভাবনাতেই আসত না । আজকাল কল্পের আয়ু কম করে বলছে । কেউ ৭ হাজার বলছে, কেউবা ১০ হাজার বলছে । বাচ্চারা জানে বাবা হলেন অতি উচ্চ থেকেও উচ্চতম ভগবান, আর আমরা ওঁনার বাচ্চারা বাস করি শান্তিধামে । আমরা হলাম পান্ডা, যারা সবাইকে পথ দেখাই । এই যাত্রার বর্ণনা কোথাও নেই, যদিও গীতায় আছে মনমনাভব, কিন্তু এর অর্থ কি ? "নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ কর" । এটা কারও বুদ্ধিতেই আসে না । যখন বাবা এসে বোঝান তখন কারও কারও বুদ্ধিতে আসে । এই সময় তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হয়ে উঠছ। এখানে মানুষ, দেবতারা সত্যযুগে । বরাবরের মতো তোমরাই আবার মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছ । এ হলো তোমাদের ঈশ্বরীয় মিশন। নিরাকার পরমাত্মাকে কোনও মানুষ তো বুঝতে পারবে না । নিরাকার যিনি তাঁর হাত পা কোথা থেকে এসেছে। কৃষ্ণের হাত পা সব কিছুই আছে । ভক্তি মার্গে কত রকমের শাস্ত্র তৈরি করেছে । এখন তোমরা বাচ্চাদের কাছে চিত্র ইত্যাদি অনেক আছে । চিত্র দেখলেই স্মৃতিতে আসে যে, এই চিত্র দ্বারা এটা ব্যাখ্যা করব । আরও অনেক চিত্র তৈরি হবে । চিত্রের একদম উপরে আত্মাদের দেখাতে হবে। শুধুমাত্র আত্মাই দেখা যাবে, অন্য কিছু নয় । তারপর সূক্ষ্ম লোক, তার নীচে মনুষ্যলোকও তৈরি করবে । *মানুষ কিভাবে শেষে এসেও উপরে উঠে আসে এও দেখাবে* । দিন প্রতিদিন নতুন নতুন আবিষ্কার হতে থাকবে । এখন যেমন চিত্র আছে তেমন সার্ভিস করতে হবে । তারপর এমনই সব চিত্র তৈরি হবে যে মানুষ খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে । কল্প বৃক্ষ (ঝাড় ) খুব শীঘ্রই বৃদ্ধি পেতে থাকবে । কল্প প্রথমে যে যেমন পদ প্রাপ্ত করেছিল, যে ফলাফল বেড়িয়েছিল আবারও তাই হবে । এমন নয় যে যারা শেষে আসবে তারা মালায় (রুদ্র যজ্ঞ ) স্থান পাবে না । ওরাও পাবে । প্রগাঢ় ভক্তি যারা করে, তারা দিবারাত্র ভক্তি করলে, তখন তাদের সাক্ষাত্কার হয়। এখানেও এমন বের হবে। দিনরাত পরিশ্রম করে পতিত থেকে পবিত্র হবে । সুযোগ সবাই পাবে । এমন নয় যে শেষে কেউ থেকে যাবে । ড্রামা এভাবেই তৈরি হয়েছে যে, কেউ থাকবে না । চতুর্দিকে প্রচার করতে হবে । শাস্ত্রে উল্লেখ আছে একজন ব্যক্তি বাদ পড়েছিল এবং তারপর সে অভিযোগ করে । এই চিত্র সংবাদপত্র ইত্যাদিতেও ছাপা হবে । তোমাদের কাছেও আমন্ত্রণ আসতে থাকবে । সবাই জানতে পারবে যে বাবা এসেছেন । যখন সম্পূর্ণরূপে দৃঢ় বিশ্বাস (নিশ্চয় হবে) তখনই দৌড়াবে । তোমাদেরও নাম উজ্জ্বল হবে । নবযুগ সত্যযুগকে বলা হয় । নবযুগ নামে সংবাদপত্রও রয়েছে । ওরা বলে 'নিউ দিল্লি', কিন্তু নিউ দিল্লিতে এই পুরানো কেল্লা, আবর্জনা ইত্যাদি থাকতে পারে না । এখন তো প্রতিটি জিনিস কঙ্কালসার হয়ে গেছে । সত্যযুগে সমস্ত উপাদান অর্ডার ( যথাযথ ভাবে ) অনুসারে থাকে । এখানে তো ৫ তত্ত্বওতমোপ্রধান হয়ে গেছে । ওখানে সব সতোপ্রধান, তাই প্রতিটি তত্ত্বের থেকে সুখ প্রাপ্তি হয় । দুঃখের চিহ্ন পর্যন্ত নেই । তারই নাম স্বর্গ । এসব কথা এখন তোমরা বুঝতে পারছো যে আবারও আগের মতোই আমরা তমোপ্রধান হয়ে গেছি। এখন সতোপ্রধান হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করে লক্ষ্য পথে উত্তরণ করছি, আর সবাই অন্ধকারে পড়ে আছে । আমরা এখন আলোতে । আমরা উপরে উঠছি আর সবাই নীচে নামছে । এইভাবে বিচার সাগর মন্থন বাচ্চারা, তোমাদের করা উচিত । একজনই শিববাবা যিনি আমাদের শিক্ষা প্রদান করছেন । তিনি মন্থন করেন না । ব্রহ্মাকেও মন্থন করতে হয় । তোমরা সবাই বিচার সাগর মন্থন করে বোঝাও । কারও কারও তো মন্থন একদমই চলে না, পুরানো দুনিয়াই স্মরণে আসে । বাবা বলেন পুরানো দুনিয়াকে সম্পূর্ণ ভুলে যাও । কিন্তু বাবা জানেন -- নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । বাবা বলেন আমি এসে রাজধানী স্থাপন করে বাকি সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাই । ওরা তো শুধু নিজ -নিজ ধর্ম স্থাপন করে । ওদের পিছনে অনেক ধর্মাবলম্বীরা আসতে থাকে । ওদের কী মহিমা কি করবে ! মহিমা তো হবে তোমাদের । একমাত্র আদি সনাতন দেবী -দেবতা ধর্মের যারা তাদেরই হীরো -হীরোইন বলা হয় । হীরে তুল্য জন্ম আর কড়িহীন জন্ম তোমাদের জন্যই বলা হয় । তারপর তোমরা একদম উপর থেকে নীচে নেমে যাও । সুতরাং এই সময় তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদের দেবতাদের থেকেও বেশি খুশি হওয়া উচিত, কেননা তোমরা লটারি পেয়েছ । তোমাদের এখন ভগবান পড়াচ্ছেন। ওখানে তো দেবতা, দেবতাদের পড়াবে । এখানে মানুষ মানুষকে পড়ায় আর তোমরা আত্মাদের পরমপিতা পরমাত্মা পড়ান । পার্থক্য আছে না !

তোমরা ব্রাহ্মণরা রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্যকেও বুঝেছ। এখন তোমরা যত শ্রীমৎ-এ চলবে ততই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে । অজ্ঞানতায় যা করবে তা ভুলই হবে । অল্প বয়সে অপরিণত বুদ্ধি থাকে তারপর বুদ্ধি পরিণত হয় । ১৬-১৭ বছর হলে তবেই বিবাহের কথা ভাবা হয় । আজকাল তো ভীষণ নোংরা দুনিয়া । কোলের ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্যও পাকা কথা বলে লেনদেন শুরু করে দেয়। ওখানে ( সত্য যুগে ) বিবাহও অভিজাত ভাবে হয় । তোমরা সব সাক্ষাত্কার করেছ । যত এগিয়ে যাবে ততই সাক্ষাত্কার হতে থাকবে । ভালো ফার্স্টক্লাস যোগী বাচ্চাদের আয়ু বৃদ্ধি পেতে থাকবে । বাবা বলেন যোগ দ্বারা নিজের আয়ু বৃদ্ধি কর । বাচ্চারা বোঝে যোগে আমরা ঢিলে । স্মরণে থাকার জন্য মাথা ঠোকে, কিন্তু থাকতে পারে না । প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায় । বাস্তবে এই স্থিতিতে স্থায়ী হতে চাইলে তাদের চার্ট খুব ভালো হওয়া উচিত । বাইরে তো পার্থিব কাজকর্মের মধ্যে থাকতে হয় । বাবাকে স্মরণ করতে করতে এখানেই তোমাদের সতোপ্রধান হয়ে উঠতে হবে । ভোজন তৈরি, কাজকর্ম ইত্যাদিতে যতটা সম্ভব সময় কম দিয়ে ৮ ঘন্টা আমাকে স্মরণ করলে তবেই শেষে গিয়ে কর্মাতীত অবস্থা হবে । কেউ কেউ বলে আমি ৬ থেকে ৮ ঘন্টা যোগে থাকি কিন্তু বাবা তো বিশ্বাস করবে না। অনেকে লজ্জা বোধ করে, চার্ট লেখে না । আধা ঘন্টাও স্মরণে থাকতে পারে না । মুরলী শোনা এ কোনও স্মরণ করা নয়, এর দ্বারা তো ধন উপার্জন করো । যখন স্মরণে থাকবে শোনা বন্ধ হয়ে যাবে । কিছু বাচ্চারা লেখে স্মরণেই মুরলী শুনি কিন্তু একে তো স্মরণ বলে না । বাবা স্বয়ং বলেছেন আমি মাঝে মাঝেই ভুলে যাই । স্মরণে ভোজন করতে বসে বলি, বাবা, তুমি তো অভোক্তা । এটা কিভাবে বলি যে তুমিও খাও, আমিও খাই । কিছু কিছু বিষয়ে বলবে যে বাবা সাথে আছে । প্রধান হলো স্মরণের যাত্রা। মুরলীর বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা । স্মরণেই পবিত্র হওয়া যায়, আয়ু বৃদ্ধি হয়। এমন নয় যে মুরলী শুনছ আর বাবা তোমাদের সাথে সেখানে আছেন । মুরলী শুনলে বিকর্ম বিনাশ হবে না । পরিশ্রম আছে । বাবা জানেন অনেক বাচ্চা আছে একদমই স্মরণ করতে পারে না । স্মরণে থাকতে যারা সমর্থ, তাদের স্থিতি, কথাবার্তা সম্পূর্ণ আলাদা হবে । স্মরণ দ্বারাই সতোপ্রধান হতে পারবে । কিন্তু মায়া এমনই যে একদম বুদ্ধিহীন করে দেয়। অনেকেরই রোগ বৃদ্ধি পেতে থাকে । মোহ যা একসময় ছিলই না তাও বেড়িয়ে আসে এবং তার জালে আটকে পড়ে । বড় পরিশ্রমের কাজ । মুরলী শোনা এ আলাদা বিষয়, উপার্জনের কথা এতে । মুরলী শুনলে আয়ু বৃদ্ধি হবে না, পবিত্র হবে না, বিকর্মও বিনাশ হবে না । মুরলী তো অনেকেই শোনে, তারপর আবারও বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে । সত্যিটা প্রকাশ করে না । বাবা বলেন পবিত্র না থাকতে পারলে কেন এখানে আস ? ওরা বলে আমরা অজামিল, এখানে আসলে তবেই তো পবিত্র হতে পারব । এখানে আসলে কিছু তো পরিবর্তন হবে, নয়তো কোথায় যাব । রাস্তা তো এটাই । এমন -এমনও আসে । কখনও কখনও তীর লেগে যায় । বাবা এখানকার জন্যও বলেন -- এখানে কোনও অপবিত্রের আসা উচিত নয়। এ হল ইন্দ্র সভা । এখনও এভাবে আসছে। একদিন এমন অর্ডিন্যান্স জারি হবে, যখন সম্পূর্ণ রূপে নিশ্চিত করে তবেই অনুমতি দেওয়া হবে। তখন বুঝবে এ এমনই এক সংস্থা যেখানে অপবিত্ররা প্রবেশ করতে পারবে না। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ এ কার সভা। আমরা ভগবান, ঈশ্বর, সোমনাথ, বাবুলনাথের কাছে বসে আছি। উনিই পবিত্র করে তোলেন । একদম শেষে গিয়ে অনেক আসবে তখন কোনও হাঙ্গামা ইত্যাদি করতে পারবে না। এই ধর্মের যারা হবে তারাই বেড়িয়ে আসবে । আর্য সমাজ ও হিন্দু । শুধু মঠ, পন্থকে আলাদা করে দিয়েছে । দেবতারা হল সত্যযুগে । এখানে সবাই হিন্দু । বাস্তবে হিন্দু বলে কোনও ধর্ম নেই, এই হিন্দুস্তান তো দেশের নাম ।

বাচ্চারা, তোমাদের উঠতে বসতে, স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে । স্টুডেন্টসদের পড়া স্মরণে থাকা উচিত, তাই না ! সম্পূর্ণ চক্র বুদ্ধিতে আছে । দেবতা আর তোমাদের মধ্যে সামান্য পার্থক্য আছে । সম্পূর্ণ স্বদর্শন চক্রধারী হতে পারলে বিষ্ণু কুলের হতে পারবে । তোমরা বুঝেছ যে আমরা এমন তৈরি হচ্ছি। দেবতা হল ফাইনাল স্টেজ । তোমরা ফাইনাল স্টেজে তখন পৌছবে যখন কর্মাতীত অবস্থা হবে । শিববাবা তোমাদের স্বদর্শন চক্রধারী তৈরি করছেন । ওঁনার মধ্যে নলেজ আছে না ! তিনিই তোমাদের তৈরি করেন আর তোমরা তৈরি হও। ব্রাহ্মণ হয়ে তারপর দেবতা হবে । এখন এই অলঙ্কার তোমাদের কিভাবে দেব। এখন তোমরা পুরুষার্থী। তারপর তোমরা বিষ্ণু কুলের হবে । সত্য যুগে বৈষ্ণব কুল তাই না ! সুতরাং এমন হতে হবে।

তোমাদের মিষ্টি হতে হবে । যেমন তেমন শব্দ বলার চেয়ে না বলাই ভালো । একটা দৃষ্টান্ত আছে -দু'জনকে লড়াই করত দেখে একজন সন্ন্যাসী বললেন মুখে চুষিকাঠি রেখে দাও, কখনও বের করবে না । রেসপন্স না পেলে লড়াইও হবেবনা। ৫ বিকারকে জয় করা কোনও মাসির বাড়ি যাওয়া নয় । কেউ কেউ নিজের অনুভব ব্যক্ত করে বলে আমার মধ্যে অনেক ক্রোধ ছিল, এখন অনেক কমে গেছে । অনেক মিষ্টি (স্বভাব ও ব্যবহারে) হতে হবে । কাল তোমরা এই দেবতাদের গুণের মহিমা করতে । আজ তোমরা বুঝতে পেরেছ আমরাও তাই হতে চলেছি। নম্বর অনুসারেই হবে । যে সার্ভিস করবে তার নাম নিশ্চয়ই বাবা করবেন । সবাইকে পথ বলে দিতে হবে । আমরাও প্রথমে কিছু জানতাম না, এখন কত নলেজ পেয়েছি । যে ভালো করে ধারণ করতে পারে না তার রিপোর্ট আসে । বাবা এর মধ্যে এখনও কত ক্রোধ । বাবা শুনে বলেন যদি ঈশ্বরীয় (রূহানী) সার্ভিস করতে না পার তবে স্থূল সার্ভিস কর । বাবার স্মরণে থেকে সার্ভিস করলেও অসীম সৌভাগ্য । একে অপরকে স্মরণ করাও । স্মরণে অনেক শক্তি পাওয়া যায় । যারা স্মরণে সমর্থ, তাদের চার্ট রাখা উচিত । চার্ট দেখলেই জানা যায় । প্রত্যেককেই বাবা সতর্ক করে থাকেন । বিশ্বে সবাই শান্তি কামনা করে। নিশ্চয়ই কখনও শান্তি ছিল । সত্য যুগে অশান্তির কোনও প্রশ্নই আসে না । মিষ্টি বাবা মিষ্টি বাচ্চারা সম্পূর্ণ বিশ্বকে মিষ্টি করে তোলে । এখন মিষ্টি কোথায় । চতুর্দিকে মৃত্যু মিছিল লেগে আছে । এই খেলা অনেকবার হয়েছে আর হতেও থাকবে । এর কোনও শেষ নেই । চক্র ক্রমাগত ঘুরতে থাকবে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ, ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১) বিকর্ম বিনাশ করার জন্য বা আয়ু বৃদ্ধি করার জন্য স্মরণের যাত্রায় অবশ্যই থাকতে হবে । স্মরণেই পবিত্র হবে সুতরাং কমপক্ষে ৮ ঘন্টা স্মরণের চার্ট তৈরি করতে হবে ।

২) দেবতাদের মতো মিষ্টি হতে হবে । যেমন তেমন শব্দ বলার চেয়ে না বলাই শ্রেয়। ঈশ্বরীয় বা স্থূল সার্ভিস করতে করতে বাবার স্মরণে থাকলে অসীম সৌভাগ্য ।

বরদান:-
ঈশ্বরীয় রসের অনুভব দ্বারা একরস স্থিতিতে স্থিত থাকতে সমর্থ শ্রেষ্ঠ আত্মা ভব

যে বাচ্চারা ঈশ্বরীয় রসকে অনুভব করতে পারে তাদের কাছে দুনিয়ার সব রস ফিকে মনে হয় । যখন মিষ্টি একরসই আছে তখন অ্যাটেনশন তো সেদিকেই যাবে তাই না ! সহজেই মন একদিকে স্থিত হয়ে যায়, পরিশ্রম করতে হয় না । বাবার স্নেহ, বাবার সহযোগ, বাবার সঙ্গ, বাবার কাছ থেকে পাওয়া সর্ব প্রাপ্তি সহজেই একরস স্থিতি বানিয়ে দেয়। এমনই একরস স্থিতিতে স্থিত থাকতে সমর্থ আত্মারাই শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠে।

স্লোগান:-
আবর্জনাকে নিজের মধ্যে অন্তর্লীন করে রত্ন দান করা অর্থাত্ মাস্টার সাগর হয়ে ওঠা ।


ব্রহ্মা বাবার সমান হওয়ার জন্য বিশেষ পুরুষার্থ
যেমন ব্রহ্মা বাবা নিজের সুখের জন্য কোনও সুযোগ - সুবিধা, আরামের জন্য কোনও সামগ্রী (আধার) গ্রহণ করেন নি । উনি সব রকম দেহভানের স্মৃতি থেকে নির্লিপ্ত হয়ে নিরন্তর অনুভবের অনুভূতিতে লভলীন হয়ে থেকেছেন, এভাবেই ফাদারকে অনুসরণ কর । যেমন অগ্নিশিখা জ্যোতি স্বরূপ, লাইট মাইট রূপ, তেমনই অগ্নিশিখার মতো নিজেকেও লাইট মাইট রূপে গড়ে তোল ।