১৮-১০-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- অর্ডার করো, হে ভূতেরা তোমরা আমাদের কাছে আসতে পারো না। বাচ্চারা, তোমরা তাদের ভয় দেখাও তাহলে তারা পালিয়ে যাবে"
প্রশ্ন:-
ঈশ্বরীয় নেশায় থাকা বাচ্চাদের জীবনের শোভা কি ?
উত্তর:-
সার্ভিস-ই হল তাদের জীবনের শোভা। যখন এই নেশা থাকে যে, আমরা ঈশ্বরীয় লটারি পেয়েছি, তখন সার্ভিস করার শখও থাকা উচিত। কিন্তু তীর তখনই লাগবে যখন ভিতরে কোনও ভূত থাকবে না অর্থাৎ বিকার থাকবে না ।
ওম্ শান্তি।
শিববাবা স্মরণে আছেন ? স্বর্গের রাজত্ব স্মরণে আছে ? এখানে যখন বসে থাকো, তখন বুদ্ধিতে আসা উচিত - আমরা হলাম অসীম জগতের পিতার সন্তান এবং আমরা নিত্য পিতাকে স্মরণ করি। স্মরণ না করলে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারব না। কিসের উত্তরাধিকার ? পবিত্রতার। অতএব এর জন্য পুরুষার্থ তো করা উচিত। কখনও কোনো বিকারের কথা আমাদের সামনে আসতে পারবে না, শুধু বিকারের কথা নয়। একটি ভূত নয় কোনও ভূতই আসতে পারবে না। এমন বিশুদ্ধ অহংকার থাকা উচিত। অতীব উচ্চ পিতার সন্তান আমরাও উচ্চ তাই না। কথাবার্তা, চালচলন খুব রয়্যাল হওয়া উচিত। বাবা চলন দ্বারা বুঝতে পারেন এই আত্মা তো যোগ্য নয় (ওয়ার্থ নট এ পেনি)। আমার সন্তান রূপে পরিচিত হওয়ার যোগ্য নয়। লৌকিক পিতারও অযোগ্য সন্তান কে দেখে এমনটাই অনুভব হয়। ইনিও হলেন পিতা। বাচ্চারা জানে বাবা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন কিন্তু কেউ কেউ এমন আছে যারা একটুও বোঝে না। অসীম জগতের পিতা আমাদের বোঝাচ্ছেন সেই নিশ্চয়টুকু নেই, নেশা নেই। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধি কতখানি উচ্চ মানের হওয়া উচিত। আমরা কত সর্বোচ্চ পিতার সন্তান। বাবা কত বোঝান। মনে মনে চিন্তন করো আমরা সর্বোচ্চ পিতার সন্তান, আমাদের চরিত্র কত উচ্চ মানের হওয়া উচিত। এই দেবী দেবতাদের যেরূপ মহিমা, সেইরূপ আমাদের হওয়া উচিত। প্রজাদের কি আর মহিমা হয়। এক লক্ষ্মী নারায়ণকে দেখানো হয়েছে। অতএব বাচ্চাদের কত ভালো রীতি সার্ভিস করা উচিত। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ দুইজনেই এইরূপ সার্ভিস করেছেন তাইনা। কতখানি উচ্চ বুদ্ধি হওয়া উচিত। অনেক বাচ্চাদের তো কোনও পরিবর্তন-ই হয়না। মায়ার কাছে পরাজিত হয়ে আরও বেশি পতিত হয়ে যায়। নাহলে অন্তরে কত নেশা থাকা উচিত। আমরা অসীম জগতের পিতার সন্তান। বাবা বলেন সবাইকে আমার পরিচয় দিতে থাকো। সার্ভিস করলেই শোভনীয় হবে, তবেই বাবার হৃদয়ে স্থান পাবে। সন্তান সে যে পিতার হৃদয়ে স্থান প্রাপ্ত করে। সন্তানের প্রতি পিতার স্নেহ থাকে অসীম। বাচ্চাদের মাথায় করে রাখেন। এতই মোহ থাকে কিন্তু সে তো হল জাগতিক মায়াবী মোহ। এই টি তো হল অসীমের। এমন কোনও পিতা আছে যে সন্তানকে দেখে খুশী হয় না । মা - বাবার তো অসীম খুশী হয়। এখানে যখন বসো তখন বোঝা উচিত বাবা আমাদের পড়ান। বাবা হলেন আমাদের বিশ্বস্ত শিক্ষক। অসীমের পিতা নিশ্চয়ই কোনও সার্ভিস করেছেন তবেই তো গায়ন হয় তাইনা। কতখানি ওয়ান্ডারফুল এই কথা। তাঁর কত মহিমা বর্ণনা করা হয়। এখানে বসে আছো তো বুদ্ধিতে নেশা থাকা উচিত। সন্ন্যাসীরা তো হলেন নিবৃত্তি মার্গের। তাদের ধর্মই আলাদা। এই কথাও এখন বাবা-ই বোঝান। তোমরা কি আর জানতে সন্ন্যাস মার্গের কথা। তোমরা তো গৃহস্থ আশ্রমে থেকে ভক্তি করেছিলে, তারপরে তোমরাই জ্ঞান প্রাপ্ত করো, তাদের তো এই জ্ঞান প্রাপ্তির কথা নেই। তোমরা কত উঁচু মানের পড়াশোনা কর আর বসে থাকো খুবই সাধারণ ভাবে, নীচে। দিলওয়াড়া মন্দিরেও তোমরা নীচে তপস্যায় বসো, উপরে থাকে বৈকুণ্ঠ। উপরে বৈকুণ্ঠ দেখে মানুষ ভাবে স্বর্গ তো উপরেই হয়।
তো বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে এইসব কথা থাকা উচিত যে এই হল স্কুল। আমরা পড়াশোনা করছি। কোথাও ভ্রমণে গিয়েও বুদ্ধিতে এই চিন্তন চললে খুব আনন্দ হবে। অসীম জগতের পিতাকে তো দুনিয়ায় কেউ জানে না। বাবার সন্তান হয়ে বাবার জীবন কাহিনী জানেনা, এমন বোকা কখনও দেখেছ। না জানার দরুন বলে দেয় সর্বব্যাপী। ভগবানকেই বলে দেয় নিজেই পূজ্য, নিজেই পূজারী। বাচ্চারা তোমাদের অন্তরে খুব খুশী হওয়া উচিত - আমরা কতখানি উচ্চ পূজ্য ছিলাম। পরবর্তীকালে আমরাই পূজারী তে পরিণত হই। যে শিববাবা তোমাদের এতখানি উচ্চ স্বরূপ প্রদান করেন সেই ড্রামা অনুসারে তোমরাই তাঁর পুজো আরম্ভ করে দাও। এইসব কথা দুনিয়া কি জানে যে ভক্তি কবে আরম্ভ হয়। বাবা তোমাদের প্রতিদিন বোঝান, এখানে বসে আছো তো মনে খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত তাই না। আমাদের কে পড়াচ্ছেন ! ভগবান এসে পড়াচ্ছেন - এই কথা তো কখনও শোনোনি । তারা তো ভাবে গীতার ভগবান হলেন কৃষ্ণ, সুতরাং কৃষ্ণই পড়াচ্ছেন হয়তো। আচ্ছা, কৃষ্ণই যদি হয়, তাহলেও তো কতখানি উচ্চ অবস্থা থাকা উচিত। একটি বই-ও আছে মনুষ্য মত এবং ঈশ্বরীয় মতের। দেবতাদের তো মতামত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মানুষ চায় ঈশ্বরীয় মত। দেবতারা তো পূর্ব জন্মে মত প্রাপ্ত করেন যার ফলে উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছে। এখন বাচ্চারা তোমরা শ্রেষ্ঠ হওয়ার শ্রীমৎ প্রাপ্ত করছ । ঈশ্বরীয় মত এবং মনুষ্য মতে কত তফাৎ রয়েছে। মনুষ্য মত কি বলে, ঈশ্বরীয় মত কি বলে। তাই অবশ্যই ঈশ্বরীয় মতানুযায়ী চলা উচিত। কারো সঙ্গে দেখা করতে গেলে কিছু উপহার তো নিয়ে যাওয়া হয় না। স্মরণেই থাকে না কাকে কি উপহার দেওয়া উচিত। এই মনুষ্য মত এবং ঈশ্বরীয় মতের কন্ট্রাস্ট খুবই জরুরি । তোমরা মানুষ ছিলে তখন অসুরী মত ছিল এবং এখন ঈশ্বরীয় মত প্রাপ্ত কর। তাতে কতখানি তফাৎ আছে। এই শাস্ত্র ইত্যাদি সব মানুষের দ্বারা নির্মিত। বাবা কি কোনও শাস্ত্র পাঠ করে আসেন ? বাবা বলেন আমি কি কোনও পিতার সন্তান ? আমি কোনও গুরুর শিষ্য নাকি, যার কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছি ? অতএব এইসব কথাও বোঝানো উচিত। যদিও জানে যে এদের বানর বুদ্ধি কিন্তু মন্দির যোগ্য হবেও তো তাইনা। এমন অনেকে মনুষ্য মতানুসারে চলে তারপরে তোমরা শোনাও যে আমরা ঈশ্বরীয় মতানুসারে কি রূপে পরিণত হই, তিনি আমাদের পড়ান। ভগবানুবাচ - আমরা তাঁর কাছে পড়তে যাই। আমরা রোজ এক ঘন্টা, পয়তালিশ মিনিট পড়তে যাই। ক্লাসে বেশি সময় ও নেওয়া উচিত নয়। স্মরণের যাত্রা তো চলতে ফিরতে হতেই পারে। জ্ঞান ও যোগ দুই ই খুব সহজ। অল্ফ - এর একটি ই শব্দ আছে। ভক্তি মার্গে তো অসংখ্য শাস্ত্র আছে, একত্র করলে পুরো বাড়ি শাস্ত্রে ভরে যাবে। কত টাকা খরচ হয়েছে এইসবে। এখন বাবা তো খুব সহজ কথা বলেন, শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করো। সুতরাং বাবার অবিনাশী উত্তরাধিকার হল স্বর্গের রাজত্ব। তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে তাইনা। ভারত স্বর্গ ছিল তাইনা। তোমরা সে কথা কি ভুলে গেছ ? এও ড্রামার ভবিতব্য। এখন বাবা এসেছেন । প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আসেন পড়াতে। অসীম জগতের পিতার অবিনাশী উত্তরাধিকার অবশ্যই নতুন দুনিয়া হবে তাইনা। এই কথা তো খুব সিম্পল। লক্ষ বছর বলে দেওয়াতে বুদ্ধিতে যেন তালা লেগে গেছে। তালা খোলেই না। এমন তালা লেগেছে যে এত সহজ কথাও বুঝতে পারে না। বাবা বোঝান একটি মাত্র কথা আছে। বেশি কিছু পড়ানো উচিত নয়। এখানে তোমরা এক সেকেন্ডে যাকে চাও স্বর্গবাসী করতে পারো। কিন্তু এইটি হল স্কুল, তাই তোমাদের পড়াশোনা চলতেই থাকে। জ্ঞান সাগর বাবা তোমাদের এত জ্ঞান প্রদান করেন যে সাগর দিয়ে কালি বানাও, সম্পূর্ণ জঙ্গল দিয়ে কলম বানালেও শেষ হবে না। জ্ঞান ধারণ করে কত সময় হয়েছে। ভক্তির তো অর্ধকল্প হয়েছে। জ্ঞান তো তোমরা একটি জন্মেই প্রাপ্ত কর। বাবা তোমাদের পড়াচ্ছেন নতুন দুনিয়ার জন্য। ওই দৈহিক স্কুলে তো তোমরা কত সময় পড়া করো। ৫ বছর বয়স থেকে ২০-২২ বছর পর্যন্ত পড়াশোনা করো। উপার্জন কম এবং খরচ বেশি হলে তো ক্ষতি হয়ে যাবে তাইনা।
বাবা কতখানি সলভেন্ট করেন, তারপরে ইনসলভেন্ট হয়ে যাও। এখন ভারতের অবস্থা দেখো কি হয়েছে। দৃঢ়তা সহ বোঝানো উচিত। মাতাদের উঠে দাঁড়ানো উচিত। তোমাদেরই গায়ন আছে বন্দে মাতরম্। পৃথিবীকে বন্দে মাতরম্ বলা হয় না। বন্দে মাতরম্ মানুষকে করা হয়। যে বাচ্চারা বন্ধনমুক্ত হয় তারাই সার্ভিস করে। তারাও কল্প পূর্বে যেরূপ বন্ধনমুক্ত হয়েছিল, তেমনই হয়। অবলাদের উপরে কত নির্যাতন হয়। তারা জানে আমরা বাবাকে পেয়েছি, তাই বুঝতে পারে এবার তো বাবার সার্ভিস করতে হবে। বন্ধন আছে, এমন যারা বলে তারা হল দুর্বল (ছাগল সম)। গভর্নমেন্ট কখনোই বলবে না তোমরা ঈশ্বরীয় সেবা কোরোনা। কথা বলার জন্য সাহস থাকা চাই। যার জ্ঞান আছে, তারা তো এতেই সহজ ভাবে বন্ধনমুক্ত হতে পারে। জজকেও বোঝাতে পারো - আমরা আত্মিক সেবা করতে চাই। আত্মিক পিতা আমাদের পড়াচ্ছেন। খ্রিস্টানরা তবুও বলে, লিবারেট করো, গাইড হও। ভারতবাসীদের তুলনায় তাদের বুদ্ধি খুব ভালো। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে যারা বোধযুক্ত, তাদের সার্ভিস করার শখ থাকে। তারা বোঝে ঈশ্বরীয় সার্ভিস দ্বারা অনেক লটারি প্রাপ্ত হবে। অনেকে তো লটারি ইত্যাদি কিছু বোঝে না। সেখানে গিয়েও দাস-দাসীই হবে। মনে মনে ভাবে, আচ্ছা দাস দাসী হওয়াও ভালো, চন্ডাল হওয়াও ভালো। স্বর্গে তো থাকব তাইনা ! তাদের চাল চলনও সেই রকমই দেখতে পাওয়া যায়। তোমরা বুঝেছ যে, অসীম জগতের পিতা আমাদের বোঝাচ্ছেন। ব্রহ্মাবাবাও বোঝান, শিববাবা এনার দ্বারাই বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন। কেউ এটুকু কথাও বোঝে না। এখান থেকে বাইরে গিয়েই শেষ হয়ে যায়। এখানে বসেও কিছুই বুঝতে পারে না। বুদ্ধি বাইরে ঘুরে বেড়ায় ধাক্কা খায়। একটি ভূতও বেরোয় না। পড়াচ্ছেন কে এবং কি পদমর্যাদা প্রাপ্ত হয় ! ধনীজনের দাস-দাসী হবে তাইনা। এখনও ধনীদের কাছে অনেক চাকর-বাকর থাকে। সার্ভিসের জন্য তো একদম উড়ে যাওয়া উচিত। তোমরা বাচ্চারা শান্তি স্থাপনের কার্যে নিমিত্ত হয়েছ, বিশ্বে সুখ-শান্তি স্থাপন করছ। প্রাক্টিক্যালে তোমরা জানো আমরা শ্রীমৎ অনুসারে স্থাপন করছি, এতে অশান্তির কোনও কথা হওয়া উচিত নয়। বাবা এখানেও এমন অনেক ভালো ভালো ঘর পরিবার দেখেছেন। একই ঘরে ৬-৭ জন বৌমা-রা একসাথে এমন ভালোবেসে সুন্দর করে থাকে, যে শান্তি বজায় থাকে। তারা বলতেন - আমাদের কাছে তো স্বর্গ আছেই। কোনও খিটিমিটি নেই। সবাই খুবই আজ্ঞাকারী, সেই সময় বাবারও সন্ন্যাসী চিন্তাধারা ছিল। দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য ভাব ছিল। এখন তো রয়েছে অসীমের বৈরাগ্য ভাব । কিছুই স্মরণে থাকে না। বাবা সবার নামও ভুলে যান। বাচ্চারা বলে বাবা আপনি আমাদের স্মরণ করেন ? বাবা বলেন আমার সবাইকে ভুলে যেতে হবে। না স্মরণ করো, না স্মরণে থাকো। অসীমের বৈরাগ্য কিনা। সবাইকে ভুলতে হবে। আমরা কি আর এখানকার বাসিন্দা। বাবা এসেছেন - নিজের স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করতে। অসীমের পিতা বলেন আমায় স্মরণ করো তাহলে তোমরা বিশ্বের মালিক হবে। এই ব্যাজ টি খুব ভালো বোঝানোর জন্য। কেউ চাইলে বলো জ্ঞান বুঝে নাও। এই ব্যাজের কথা বুঝলে তোমাদের বিশ্বের রাজত্ব প্রাপ্তি হবে। শিববাবা এই ব্রহ্মাবাবার দ্বারা নির্দেশ দেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা এমন স্বরূপ ধারণ করবে। যাদের গীতা জ্ঞান আছে তারা খুব ভালোভাবে বুঝবে। যারা দেবতা ধর্মের হবে। কেউ কেউ প্রশ্ন করে - দেবতাদের পতন কেন হয় ? আরে, এই চক্র তো ঘুরতেই থাকে। পুনর্জন্ম নিতে নিতে নীচে তো নামবে তাইনা ! চক্র তো ঘুরবেই। প্রত্যেকের মনে এই প্রশ্ন অবশ্যই থাকে আমরা সার্ভিস কেন করতে পারি না। নিশ্চয়ই আমার মধ্যে কোনও খামতি আছে। মায়ার ভূতেরা নাক দিয়ে ধরে আছে।
এখন বাচ্চারা, তোমরা বুঝেছ আমাদের এখন ঘরে (পরমধাম) ফিরতে হবে, তারপরে নতুন দুনিয়ায় এসে রাজত্ব করব। তোমরা হলে যাত্রী তাইনা। দূর দেশ থেকে এখানে এসে পার্ট প্লে কর। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমাদের অমরলোক যেতে হবে। এই মৃত্যুলোক এবার শেষ হয়ে যাবে। বাবা খুব ভালো ভাবে বোঝান। ভালো রীতি ধারণ করতে হবে। এই জ্ঞানের মনন করতে থাকা উচিত। এই কথাও বাবা বুঝিয়েছেন কর্ম ভোগের অসুখ বিসুখ জোর দিয়ে আসবে। মায়া অস্থির করবে কিন্তু বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। একটু কিছু হলেই অশান্ত হয়ে যায়। অসুখ করলে মানুষ আরও বেশি করে ভগবানকে স্মরণ করে। বেঙ্গলে যখন কেউ খুব অসুস্থ হয়ে তখন তাকে বলা হয় রাম নাম বলো... রাম বলো...। যখন দেখে এইজন মৃত্যু শয্যায়, তখন গঙ্গা তীরে নিয়ে গিয়ে হরি বোল, হরি বোল করে তারপরে তাকে নিয়ে এসে পোড়ানোর কি দরকার। গঙ্গায় ভাসিয়ে দাও না। বড় বড় কুমীর-মাছের শিকার হয়ে যাবে। কাজে লেগে যাবে। পার্সি রা দেহ রেখে দেয় তো হাড় ইত্যাদি কাজে লেগে যায়। বাবা বলেন তোমরা অন্য সব কথা ভুলে আমায় স্মরণ করো।আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. বন্ধনমুক্ত হয়ে ভারতের প্রকৃত সেবা করতে হবে। দৃঢ়তার সঙ্গে বোঝাতে হবে যে, আমাদের আত্মিক পিতা পড়াচ্ছেন, আমরা আত্মাদের সেবায় নিয়োজিত আছি। ঈশ্বরীয় সেবার জন্য উৎসাহ যেন বিদ্যমান থাকে।
২. কর্ম ভোগের অসুখ বা মায়ার ঝড়ে বিভ্রান্ত হবে না। বাবা যে জ্ঞান প্রদান করেছেন, সেসব চিন্তন করে বাবার স্মরণে আনন্দে থাকতে হবে।
বরদান:-
সর্ব সম্বন্ধের অনুভূতি সহ প্রাপ্তির খুশী অনুভবকারী তৃপ্ত আত্মা ভব
যে বাচ্চারা প্রেমে মগ্ন, তারা প্রতিটি পরিস্থিতিতে, প্রতিটি কর্মে সদা প্রাপ্তির খুশীতে থাকে। অনেক বাচ্চারা অনুভূতি করে যে, উনি হলেন আমার পিতা, প্রিয়তম, সন্তান .... কিন্তু যতখানি প্রাপ্তি হওয়া উচিত ততখানি হয় না। অতএব অনুভূতির সাথে সর্ব সম্বন্ধের দ্বারা প্রাপ্তির অনুভব করো। এমন প্রাপ্তি ও অনুভূতির অধিকারী বাচ্চারা সর্বদা তৃপ্ত থাকে। তাদের কোনো বস্তুই অপ্রাপ্ত লাগে না। যেখানে প্রাপ্তি আছে সেখানে তৃপ্তি অবশ্যই আছে।
স্লোগান:-
নিমিত্ত হও তাহলেই সেবার সফলতায় শেয়ার প্রাপ্ত হবে ।