২৫-০৭-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবার মতো অপকারীর উপরেও উপকার করতে শেখো, নিন্দুককেও নিজের মিত্র বানাও"

প্রশ্ন:-

বাবার কোন্ দৃষ্টি সম্পূর্ণ পরিপক্ক ? তোমাদের বাচ্চাদের কি পরিপক্ক করতে হবে ?

উত্তর:-

বাবার এই দৃষ্টি পরিপক্ক যে, যত আত্মা রয়েছে তারা সকলেই আমার সন্তান। তাই তিনি বাচ্চা-বাচ্চা বলতে থাকেন। তোমরা কখনও কাউকে বাচ্চা-বাচ্চা বলতে পারো না। তোমাদের এমনভাবে দৃষ্টি পরিপক্ক করতে হবে যে, এই আত্মা আমাদের ভাই। ভাই-কে দেখো, ভাই-এর সঙ্গে কথা বল, এতে আত্মিক প্রেম বজায় থাকবে। কু-চিন্তা(ক্রিমিনাল খেয়াল) সমাপ্ত হয়ে যাবে। নিন্দুকও (তোমাদের) মিত্র হয়ে যাবে।

ওম শান্তি ।

আত্মাদের পিতা বসে বোঝান। আত্মাদের পিতার নাম কি ? অবশ্যই বলবে শিব। তিনি সকলের আত্মিক পিতা, তাঁকেই ভগবান বলা হয়। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারেই বোঝে। এই যে আকাশবাণী (দৈব-বাণী) বলা হয়, এখন আকাশবাণী কার শোনা যায় ? শিববাবার। এই মুখকে আকাশ-তত্ব (শব্দ তরঙ্গ যাতায়াতের ইথার মাধ্যম) বলা হয়। আকাশের তত্বের দ্বারা বাণী তো সব মানুষেরই নির্গত হয়। যত আত্মা রয়েছে, সকলেই নিজেদের পিতাকে ভুলে গেছে। অনেক প্রকারের প্রশস্তিও গাইতে থাকে। কিন্তু জানে না কিছুই। গায়নও এখানেই করে। সুখের সময়ে (স্বর্গে) তো কেউ-ই বাবাকে স্মরণ করে না। ওখানে সর্ব কামনা পূর্ণ হয়ে যায়। এখানে তো অনেক কামনা (ইচ্ছা) থাকে। বৃষ্টি না হলে যজ্ঞ রচনা করে। এমনও নয় যে যজ্ঞ করলেই বৃষ্টি হয়। না, কোথাও খরা(অনাবৃষ্টি) হলে যদিও যজ্ঞ করে, কিন্তু যজ্ঞ করলেও কিছু হয় না। এ তো ড্রামা। বিপদ যা আসার তা তো আসতেই থাকে। কত অসংখ্য মানুষ মারা যায়, কত পশু-পাখি ইত্যাদি মরতেই থাকে। মানুষ কত দুঃখী হয়ে পড়ে। বৃষ্টি বন্ধ করার জন্যও কি যজ্ঞ আছে ? যখন প্রচন্ড মুষলধারে বৃষ্টি হবে তখনও কি যজ্ঞ করবে ? এই সমস্ত কথা এখন শুধু তোমরাই বোঝ, অন্যরা কি আর জানে!



স্বয়ং বাবা বোঝান, মানুষ বাবার মহিমাও করে আবার তাঁকে গালিও দেয়। বিস্ময়কর ! বাবার গ্লানি কবে থেকে শুরু হয়েছে ? যবে থেকে রাবণ-রাজ্য শুরু হয়েছে। সর্বাপেক্ষা বদনাম করা হয়েছে ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলে, এর ফলেই অধঃপতনে গেছে। গায়নও আছে, নিন্দা আমার করে যারা, মিত্র আমার তারা। এখন সর্বাপেক্ষা অধিক গ্লানি কারা করেছে ? তোমরা বাচ্চারা। আবার এখন মিত্রও তোমরাই হও। এমনিতেই তো সমগ্র দুনিয়া বদনাম করে। তারমধ্যেও নম্বর ওয়ান হলে তোমরা, আবার তোমরাই মিত্র হও। সর্বাপেক্ষা কাছের মিত্র হলো বাচ্চারা। অসীম জগতের পিতা বলেন, তোমরা বাচ্চারা আমার নিন্দা করেছ। বাচ্চারা, অপকারীও তোমরাই হয়ে যাও। ড্রামা কীভাবে তৈরী হয়ে রয়েছে। এ হলো বিচার সাগর মন্থন করার মতো বিষয়। বিচার সাগর মন্থন করলে কত অর্থ বেরোয়। কেউ বুঝতে পারে না। বাবা বলেন যে, তোমরা বাচ্চারা এই ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ে (জ্ঞান প্রাপ্ত করে) উপকার কর। গায়নও রয়েছে, যদা-যদাহি..... এ হল ভারতেরই কথা। খেলা দেখ কেমন! শিব-জয়ন্তী বা শিবরাত্রি পালন করা হয়। বাস্তবে অবতার হলো এক। অবতার-কেও পোড়া মাটির টুকরো-নুড়িপাথরের(ঠিক্কর-ভিত্তর) মধ্যে বলে দিয়েছে। বাবা অভিযোগ করেন। গীতাপাঠকারীরা শ্লোক পাঠ করে, কিন্তু বলে আমাদের জানা নেই।



তোমরাই হলে আমার অতি প্রিয় সন্তান। কারোর সঙ্গে যখন তিনি কথা বলেন, তখন বাচ্চা-বাচ্চা করেই বলতে থাকেন। বাবার তো এই দৃষ্টি একদম পরিপক্ক হয়ে গেছে। সব আত্মাই আমার সন্তান। তোমাদের মধ্যে এমন একজনও নেই যে, যার মুখ থেকে 'বাচ্চা' শব্দটি নির্গত হয়। এ তো জানো, কে কে কেমন পদাধিকারী হবে। সকলেই আত্মা। এই ড্রামাও পূর্ব-নির্ধারিত, তাই দুঃখ-খুশী কিছুই হয় না। সকলেই আমার সন্তান। কেউ মেথরের(নিম্নজাতি বিশেষ) শরীর ধারণ করেছে, কেউ আবার অমুকের শরীর ধারণ করেছে। বাচ্চা-বাচ্চা বলার অভ্যাস হয়ে গেছে। বাবার নজরে তো সকলেই আত্মা। তাদের মধ্যেও গরীবরা তো বাবার খুব পছন্দের। কারণ ড্রামা অনুসারে তারাই অনেক গ্লানি করেছে। এখন আবার আমার কাছে চলে এসেছে। একমাত্র লক্ষ্মী-নারায়ণই এমন রয়েছে, যাদের কখনও কোনো বদনাম হয় নি। কৃষ্ণেরও অনেক বদনাম করা হয়েছে। আশ্চর্যজনক, তাই না। কৃষ্ণই যখন বড় হয় তখন আর তাঁর গ্লানি হয় না। এই জ্ঞান কত চিত্তাকর্ষক। এমন গুপ্ত কথা কি কেউ বুঝতে পারবে, না পারবে না। এরজন্য চাই বুদ্ধি-রূপী স্বর্ণ-পাত্র। আর তা স্মরণের যাত্রার মাধ্যমেই হতে পারে। এখানে বসেও যথার্থ স্মরণ করে কি ? না করে না। একথা বোঝে না যে, আমরা হলাম ক্ষুদ্র আত্মা, স্মরণও বুদ্ধির দ্বারাই করা হয়। কিন্তু একথা বুদ্ধিতে আসে না। অতি ক্ষুদ্র আত্মা, তিনি আমাদের পিতাও, শিক্ষকও -- একথা বুদ্ধিতে আনাও অসম্ভব হয়ে যায়। বাবা-বাবা তো বলে, দুঃখে সকলেই স্মরণ করে। ভগবানুবাচ তো, তাই না -- দুঃখে সকলেই স্মরণ করে, সুখে কেউ-ই করে না। প্রয়োজনই নেই স্মরণ করার। এখানে তো এত দুঃখ, বিপদ ইত্যাদি আসে, তাই স্মরণ করে- ভগবান দয়া কর, কৃপা কর। বাবার বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পরে এখনও লেখে যে -- কৃপা কর, শক্তি দাও, দয়া কর। বাবা লেখেন যে, শক্তি যোগবলের দ্বারা স্বয়ং প্রাপ্ত কর। নিজের উপর নিজেই কৃপা, দয়া কর। নিজেকে নিজেই রাজতিলক পড়াও। যুক্তি বলে দিচ্ছি -- কিভাবে করতে পারো। শিক্ষক পড়ার বিষয়ে যুক্তি দেন। স্টুডেন্টদের কাজ হলো পড়াশোনা করা, নির্দেশানুসারে (শ্রীমত) চলা। শিক্ষক কি গুরু ? যে কৃপা, আশীর্ব্বাদ করবে ! না করবে না। যারা তীব্র পুরুষার্থী বাচ্চা, তারা দৌড়বে। প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র, যত দূর দৌড়াতে পারবে তত দূর দৌড়াও। স্মরণের যাত্রাই হলো দৌড়।



প্রত্যেক আত্মাই স্বাধীন। ভাই-বোনের সম্পর্ক থেকেও মুক্ত করে দিয়েছি। পরস্পরকে ভাই-ভাই মনে কর। তাও কু-দৃষ্টি (ক্রিমিনাল আই)যেতেই চায় না। তারা নিজেদের কার্য করতেই থাকে। এইসময় মানুষের সর্বাঙ্গ-ই ক্রিমিনাল। কাউকে লাথি মারছে, ঘুষি মারছে, তাহলে তো ক্রিমিনাল অঙ্গ হলো, তাই না। প্রতিটি অঙ্গই ক্রিমিনাল হয়ে গেছে। ওখানে কোনও অঙ্গই ক্রিমিনাল হবে না। এখানে প্রতিটি অঙ্গের দ্বারাই কু-কর্ম করতে থাকে। সর্বাপেক্ষা অধিক ক্রিমিনাল অঙ্গ কোনটি ? চোখ। বিকারের আশা-আকাঙ্খা পূর্ণ না হলে তখন হাত চালায় (মারধোর করে)। সর্বপ্রথমে হলো চোখ। সুর দাসের (যে নিজের চোখ উপরে ফেলেছিল) কাহিনীও রয়েছে। শিববাবার তো কোনো শাস্ত্র পড়া নেই। এই রথের (ব্রহ্মা) পড়া আছে। শিববাবাকে তো জ্ঞানের সাগর বলা হয়। একথা তোমরা জানো যে, শিববাবা কোনো পুস্তক পড়েন না। আমি নলেজফুল, বীজরূপ। এ হলো সৃষ্টি-রূপী বৃক্ষ(ঝাড়)। এর রচয়িতা হলেন বাবা, বীজ। বাবা বোঝান, আমার নিবাস স্থান হলো নিরাকার লোকে (মূলবতন)। এখন আমি এই শরীরে বিরাজমান। আর কেউ বলতে পারে না যে, আমি এই মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ। আমি পরমপিতা পরমাত্মা, কেউ একথা বলতে পারবে না। কেউ যদি ভাল সেন্সিবেল (সুবুদ্ধিসম্পন্ন) হয়, আর কেউ তাকে বলে ঈশ্বর সর্বব্যাপী - তবে সে ঝট করে প্রশ্ন করবে যে, তুমিও কি ঈশ্বর ? তুমিও কি আল্লাহ্-সাঁই ? তা হতে পারে না। কিন্তু এইসময় কেউ-ই এমন সেন্সিবেল নেই। ওরা আল্লাহ্-কে জানে না, আর তাই তারা বলে, আমিই আল্লাহ্। ওরা ইংরেজিতে বলে ওমনি প্রেজেন্ট (সর্বত্র বিরাজমান)। অর্থ যদি বোঝে, তবে কখনও এমন বলবে না। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, শিববাবার জয়ন্তী তথা নতুন বিশ্বের জয়ন্তী। ওর মধ্যেই পবিত্রতা-সুখ-শান্তি সবকিছু চলে আসে। শিব-জয়ন্তী তথা কৃষ্ণ-জয়ন্তী তথা দশেরা জয়ন্তী। শিব-জয়ন্তী তথা দীপমালা(দীপাবলী)-জয়ন্তী, শিব-জয়ন্তী তথা স্বর্গ-জয়ন্তী। এরমধ্যেই সব জয়ন্তী এসে যায়। এসব নতুন-নতুন কথা বাবা বসে বোঝান। শিব-জয়ন্তী তথা শিবালয় জয়ন্তী, বেশ্যালয়-সমাপ্তি (মরন্তী)। সব নতুন কথা বাবা বসে বোঝান। শিব-জয়ন্তী তথা নতুন বিশ্বের জয়ন্তী। সকলেই তো চায় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক, তাই না। তোমরা কত ভালভাবে বোঝাও, তথাপি জাগরিত হয়ই না। অজ্ঞতা অন্ধকারে নিদ্রিত রয়েছে, তাই না। ভক্তি করতে-করতে সিড়ির নিম্ন ধাপে নেমে এসেছে। বাবা বলেন, আমি এসে সকলের সদ্গতি করি। বাচ্চারা, বাবা-ই তোমাদের স্বর্গ আর নরকের গুপ্ত রহস্য বোঝান। যেসব সংবাদপত্র তোমাদের বদনাম করে, তাদের উদ্দেশ্যে লেখা উচিৎ -- যারা আমাদের বদনাম করে তারাও আমাদের মিত্র। তোমাদেরও সত্গতিও আমরা অবশ্যই করব। যত চাও তত গালি দাও। ঈশ্বরেরই গ্লানি করে, তাহলে আমাদের গ্লানি করলে কি হয়েছে! তোমাদের সদ্গতি আমরা অবশ্যই করব। তোমরা যদি না চাও, তাও নাক ধরে টেনে নিয়ে যাব। ভয়ের তো কোন কথাই নেই, যা কিছুই কর তা কল্প-পূর্বেও করেছ। আমরা বি.কে.-রা তো সকলের-ই সদ্গতি করব। ভালভাবে বোঝান উচিৎ। অবলাদের উপর অত্যাচার তো কল্প-পূর্বেও হয়েছিল, একথা বাচ্চারা ভুলে যায়। বাবা বলেন, অসীম জগতের সব বাচ্চারাই আমার গ্লানি করে। বাবার কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় মিত্র হলো বাচ্চারাই। বাচ্চারা তো ফুল হয়, বাচ্চাদের মা-বাবারা চুম্বন করে, মাথায় বসিয়ে রাখে, তাদের সেবা করে। বাবাও তোমাদের বাচ্চাদের সেবা করেন।



তোমরা এখন এই নলেজ পেয়েছ, যা তোমরা সঙ্গে করে নিয়ে যাবে। যারা নেবে না তাদেরও ড্রামায় (নিজ-নিজ) ভুমিকা রয়েছে। সেই ভুমিকা পালন করবে। হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে ঘরে চলে যাবে। স্বর্গ তো দেখতে পায় না। সকলেই কি স্বর্গে যাবে, না যাবে না। এই ড্রামা পূর্ব-নির্ধারিত। এত পাপ করে, তাই আসবেও দেরীতে। যারা তমোপ্রধান তারা দেরীতে আসবে। এই গুপ্ত রহস্যও ভালভাবে বুঝতে হবে। ভাল-ভাল মহারথী বাচ্চাদের উপরেও গ্রহের দশা বসে আর তৎক্ষণাৎ ক্রোধ চলে আসে তখন বাবাকে চিঠিও লেখে না। বাবাও তখন বলেন যে, ওদের মুরলী পাঠানো বন্ধ করে দাও। এমন বাচ্চাদের বাবার (জ্ঞান) ভান্ডার দিয়ে লাভ কি ! যদি কারোর চোখ খুলে যায় অর্থাৎ ভুল ভাঙ্গে তখন বলে ভুল হয়ে গেছে। কেউ-কেউ তো পরোয়াই করে না। এত গাফিলতি করা উচিৎ নয়। এমন অনেক-অনেক রয়েছে, যারা বাবাকে স্মরণ পর্যন্ত করে না, কাউকে নিজ সম তৈরীও করে না। তা নাহলে তো বাবাকে লেখা উচিৎ -- বাবা, আমরা সর্বদা তোমাকে স্মরণ করি। কেউ তো আবার এমনও রয়েছে যে, সকলের নাম লিখে দেয় -- অমুক-অমুককে আমার স্মরণ দেবে। এই স্মরণ কি সত্যিকারের, না তা নয়। মিথ্যা চলতে পারে না। ভিতরে-ভিতরে হৃদয়কে দংশন করবে। বাবা বাচ্চাদের ভাল-ভাল পয়েন্টস্ বোঝান। প্রতিদিন বাবা অতি গুপ্ত (সূক্ষ্ম) কথা বোঝাতে থাকেন। দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে । সত্যযুগে দুঃখের কোন নামই থাকে না। এখন হলো রাবণ-রাজ্য। মহীশূরের রাজাও রাবণ ইত্যাদি বানিয়ে দশহরা অত্যন্ত ধুমধামের সাথে পালন করে। রামকে ভগবান বলে। রামের সীতা চুরি(হরণ) হয়ে গেছে। এখন তিনি তো হলেন সর্বশক্তিমান, তাঁর কাছ থেকে চুরি কিভাবে হতে পারে। এসব হলো অন্ধশ্রদ্ধা। এইসময় প্রত্যেকের মধ্যেই ৫ বিকারের অপবিত্রতা রয়েছে। তার উপর ভগবানকে সর্বব্যাপী বলা -- এ হলো অতি বড় মিথ্যা। তবেই তো বাবা বলেন -- যদা যদাহি.....। আমি এসে সত্যখন্ড, সত্যধর্মের স্থাপনা করি। সত্যখন্ড সত্যযুগ, মিথ্যাখন্ড কলিযুগকে বলা হয়। এখন বাবা মিথ্যাখন্ডকে সত্যখন্ডে পরিণত করেন। *আচ্ছা*।



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. এই সুগভীর রহস্যময় বা চিত্তাকর্ষক জ্ঞানকে বোঝার জন্য বুদ্ধিকে স্মরণের যাত্রার মাধ্যমে স্বর্ণ-পাত্রে পরিণত করতে হবে।। স্মরণের রেশ (দৌড়) লাগাতে হবে।

২. বাবার নির্দেশানুসারে (শ্রীমতে) চলে, অত্যন্ত মনযোগ সহকারে এই ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ে, নিজের উপর নিজেরই কৃপা বা আশীর্ব্বাদ করতে হবে, নিজেকে রাজতিলক পড়াতে হবে। নিন্দুককে নিজের মিত্র মনে করে তাদেরও সদ্গতি করতে হবে।

বরদান:-

রয়্যাল এবং সিম্পল (আভিজাত্যপূর্ণ ও অনাড়ম্বর) - এই দুই-য়ের মধ্যে ব্যালেন্স রেখে কার্য করতে সক্ষম ব্রহ্মা বাবা সমান ভব

যেমনভাবে ব্রহ্মা বাবা থাকতেন, না অতি উচ্চ, না অতি নিম্ন। ব্রাহ্মণদের আদি থেকে এখনও পর্যন্ত নিয়ম হলো যে, না অতি সাধারণ না অতি আভিজাত্যতা (বিলাসিতা)। মধ্যবর্তী হওয়া উচিৎ। এখন সুযোগ সুবিধার উপকরণ সাধন) অনেক বেশী, সেই সব দান করার মানুষও রয়েছে। তথাপি কোন কার্য করতে গেলে মধ্যবর্তী ভূমিকা পালন কর। এমন যেন কেউ না বলে যে, এখানে তো রাজ-রাজাদের মতন বৈভব রয়েছে। যত সিম্পল ততই রয়্যাল -- দুইয়েরই যেন ব্যালেন্স থাকে।

স্লোগান:-

অন্যকে দেখার থেকে নিজেকে দেখ আর স্মরণে রেখো -- "যেমন কর্ম আমরা করব,আমাদের দেখে অন্যেরা করবে"।