২৫-০৮-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ১৮-০১-৮৫ মধুবন
প্রতিজ্ঞা দ্বারা প্রত্যক্ষতা
আজ সমর্থ (শক্তিশালী দিবসে) দিবসে, সমর্থ (শক্তিশালী) বাবা তাঁর সমর্থ বাচ্চাদের দেখছেন l আজ বিশেষ দিন, যখন ব্রহ্মাবাবা বিশেষ বাচ্চাদের সমর্থ হওয়ার বরদান অর্পণ করেছেন l আজ, বাপদাদা তার শক্তি সেনাকে বিশ্বের স্টেজে নিয়ে এসেছেন, সুতরাং সাকার স্বরূপে শিব শক্তির প্রত্যক্ষরূপে তাদের ভূমিকা (পার্ট ) পালন করার দিন l শক্তি সকলের মাধ্যমে শিববাবা প্রত্যক্ষ হয়ে নিজে গুপ্তরূপে তাঁর পার্ট পালন করতে থাকেন l তিনি শক্তিগণকে প্রত্যক্ষ রূপে বিশ্বের সামনে বিজয়ী হিসেবে প্রত্যক্ষ করান l আজ এই দিনে বাচ্চাদের বাপদাদার থেকে 'সমান ভব'র বরদান প্রাপ্ত করার দিন l আজকের দিন, বিশেষ স্নেহী বাচ্চাদের তাঁর নয়নে তাদের স্নেহস্বরূপে সমাহিত হওয়ার দিন l আজকের দিনে, বাপদাদা বিশেষ সমর্থ আর স্নেহী বাচ্চাদের মধুর মিলন দ্বারা অবিনাশী মিলনের বরদান দেন l আজকের দিন, অমৃতবেলা থেকে চতুর্দিকের সকল বাচ্চার হৃদয়ের প্রথম সঙ্কল্প মধুর মিলন উদযাপনের, অন্তরে মিষ্টি-মধুর মহিমার গীত গাওয়ার, বিশেষভাবে স্নেহের তরঙ্গে তরঙ্গায়িত হওয়ার l আজ, অমৃতবেলায় অনেক বাচ্চার স্নেহ-মোতির মালার প্রতিটা মোতির মাঝে বাবা, *'মিষ্টি বাবা'র'* বোল ঝলকিত হতে দেখেছেন l কতো মালা ছিল ? এই পুরানো দুনিয়ায় লোকে নয় রত্নের মালার কথা বলে, কিন্তু বাপদাদার কাছে অনেক অলৌকিক, অনন্য, অমূল্য রত্নমালা ছিল l এইরকম মালা তোমরা সত্যযুগেও পরবে না l এইসব মালা শুধু এইসময়ই বাপদাদা বাচ্চাদের দ্বারা ধারণ করেন l আজকের দিন অনেক বন্ধনে আবদ্ধ গোপিকাদের বিচ্ছেদের হৃদয়গ্রাহী গীত এবং স্নেহে সম্পন্ন মিষ্টি গীত শোনার দিন l যারা এমন একনিষ্ঠায় মগ্ন স্নেহী, হারানিধি আত্মাদের বাপদাদা রিটার্ণে এই আনন্দ সংবাদ শোনান, এখন প্রত্যক্ষতার ডঙ্কা (জয়ঢাক) বাজতে চলেছে, সেইজন্য হে সহজ যোগী ও মিলনের বঞ্চিত বাচ্চারা, অতি অল্পসংখ্যক দিন প্রায় সমাপ্ত হয়ে এসেছে l সাকার সুইট হোমে মধুর মিলন হয়েই যাবে l সেই শুভ দিন সমাসন্ন l
আজকের দিন বাচ্চাদের সকলের হৃদয়ে দৃঢ় সঙ্কল্প থাকায় সহজ সফলতার প্রত্যক্ষ ফল প্রাপ্ত করার দিন l তোমরা শুনেছ কি আজকের দিন কতো মহান ! এমন মহান দিবসে বাচ্চারা সকলে যেখানেই আছে, তারা দূরে হতে পারে, তবুও তারা হৃদয়ের কাছে l বাপদাদাও প্রত্যেক বাচ্চাকে স্নেহ এবং বাপদাদাকে প্রত্যক্ষ করার সেবার উত্সাহ-উদ্দীপনার রিটার্ণে, স্নেহভরা অভিনন্দন জানান, কারণ বাচ্চাদের মেজরিটিতে তাদের খোলাখুলি ও অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেবার জন্য প্রবল উৎসাহ এবং স্নেহের তরঙ্গ ছিল l প্রতিজ্ঞা এবং প্রত্যক্ষতা উভয় বিষয় বিশেষ ছিল l বাপদাদা যখন এইসব শোনেন, তিনি কি করেন ? যারা শোনায় তারা কতো, কিন্তু দিলারাম বাবা একই সময়ে অনেকের হৃদয়ের আওয়াজ শুনতে পারেন l যারা প্রতিজ্ঞা করে, বাপদাদা তাদের অভিনন্দিত করেন l কিন্তু এই প্রতিজ্ঞা সদা অমৃতবেলায় রিভাইস করতে থাক l একবার প্রতিজ্ঞা করে ছেড়ে দিও না l *'আমাকে করতেই হবে, আমাকে হতেই হবে l'* সদাসর্বদা এই উৎসাহ-উদ্দীপনা তোমাদের সঙ্গে রাখতে হবে l সেইসঙ্গে কর্ম করাকালীন যেমন ট্রাফিক কন্ট্রোলের বিধি দ্বারা সাফল্যের সাথে নিরন্তর স্মরণের স্থিতি বজায় রাখ, ঠিক একইভাবে, কর্ম করাকালীন নিজেকে চেক করার সময় স্থির কর l এইভাবে, স্থিরীকৃত সময় প্রতিজ্ঞাকে সফলতা স্বরূপ বানাতে থাকবে l
প্রত্যক্ষতার উৎসাহ-উদ্দীপনায় থাকা তাঁর রাইট হ্যান্ড বাচ্চাদের সাথে বাপদাদা সস্নেহে হ্যান্ডশেক করছেন l সদা দক্ষ বাচ্চা তথা বাবা সমান হয়ে প্রবল উৎসাহের সাহসে বাপদাদার থেকে তোমরা পদমগুণ সহায়তা লাভের পাত্র হয়েই আছ l সুপাত্র হওয়া অর্থাৎ নেওয়ার যোগ্য পাত্র হওয়া l
তৃতীয় প্রকারের বাচ্চারা দিন রাত স্নেহে সমাহিত হয়ে আছে l তারা স্নেহকেই সেবা মনে করে l তারা ময়দানে আসে না, কিন্তু অবশ্যই 'আমার বাবা, আমার বাবা' গীত গায় l তারা বাবাকেও খুব মধুরভাবে তোষামোদ করে, 'আমি যেমনই হই, যেরকমই হই, আমি তোমার' l এমনিতেই তারা স্নেহী আত্মা l এইরকম স্নেহী বাচ্চাদের বাপদাদা স্নেহের রিটার্ণে স্নেহ তো অবশ্যই দেন, কিন্তু এই সাহসও দেন যে তোমাদের রাজ্য অধিকারী হতে হবে l রাজত্বে আসতে হবে, তারপরে যদি শুধু স্নেহী হও তাও ঠিক আছে l রাজ্য অধিকারী যদি হতে চাও, তাহলে স্নেহের সঙ্গে পঠন-পাঠনের শক্তি অর্থাৎ জ্ঞানের শক্তি, সেবার শক্তিও আবশ্যক, সুতরাং সাহস কর l বাবা তো সদাসর্বদা তোমাদের সহায় l স্নেহের রিটার্ণে তোমরা অবশ্যই সহযোগ লাভ করবে l সামান্য সাহস আর অ্যাটেনশন (মনোযোগ) থাকলে তোমরা রাজ্য অধিকারী হতে পার l তোমরা শুনেছ আজকের মনখোলা ও অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার রেসপন্স ? বাবা সূক্ষ্ম বতন থেকে দেশ বিদেশের চতুর্দিকের বাচ্চাদের জাঁকজমক দেখেছেন l বিদেশি বাচ্চারাও লাস্ট সো ফাস্ট অর্থাৎ তারা লাস্টে এসে ফাস্ট (দ্রুতগতি ) এগিয়ে যাচ্ছে - ফার্স্ট হওয়ার প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনায় l তারা মনে করে, বিদেশে থাকায় তারা যতদূরের ততটাই হৃদয়ের কাছে থাকে l সুতরাং, আজ, তারা খুব ভালো উদ্যম-উৎসাহের সাথে অন্তরঙ্গভাবে খোলামেলা বিশ্ৰম্ভলাপ অর্থাৎ স্বচ্ছন্দে নিভৃতে কথাবার্তা বলছিল l কোনো কোনো বাচ্চা খুব সুইট l বাবাকেও মিষ্টি মিষ্টি কথায় বাবাকে খুশি করতে চেষ্টা করে l এইসব বলে খুব সাদাসিধেভাবে, কিন্তু তারা খুব চতুর l তারা বলে, তুমি প্রমিস করো l এইভাবে তারা তাঁকে তুষ্ট করার চেষ্টা করে l বাবা কি বলবেন ? খুশি থাকো, সফল হও, অগ্রবর্তী হও l বিষয় তো অনেক দীর্ঘ ও জটিল, এই ব্যাপারে তিনি কত বলেছেন, কত বলবেন ! যাই হোক, তোমরা সবাই খুব আনন্দের সাথে ভালো বিষয়েই বলো l আচ্ছা -
যারা সদা স্নেহ আর সেবার উৎসাহ-উদ্দীপনায় থাকে, সদা সুযোগ্য এবং সেইসঙ্গে সর্বপ্রাপ্তির সুপাত্র হয়, সদা নিজের কর্ম দ্বারা বাপদাদার শ্রেষ্ঠ কর্ম প্রত্যক্ষ করায়, নিজের দিব্য জীবন দ্বারা ব্রহ্মাবাবার জীবন কাহিনী স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করে, বাপদাদার এমন সদা সাথী বাচ্চাদের সমর্থ বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l
*দাদীজী এবং দাদী জনকীজী বাপদাদার সামনে বসে আছেন*
আজ, তোমার সখিও (দিদি) বিশেষ স্মরণ-স্নেহ পাঠিয়েছেন l আজ তিনিও বতনে ইমার্জ ছিলেন, সেইজন্য তিনি সকলকে স্মরণ পাঠিয়েছেন l তিনি তাঁর সংগঠন (অ্যাডভান্স পার্টির) শক্তিশালী বানাচ্ছেন l তাদের কার্যও তোমাদের সাথে সাথে প্রত্যক্ষ হতে থাকবে l তারা এখন সম্বন্ধে এবং দেশের কাছাকাছি আছে, সেইজন্য না জেনেও ছোট ছোট গ্রুপ নিজেদের মধ্যে কারণে-অকারণে সম্মিলিত হয় l তাদের পূর্ণ স্মৃতি নেই, কিন্তু বুদ্ধিতে টাচিং আছে যে তাদের একত্রিত হয়ে কোনও কার্য করতে হবে l দুনিয়ার যে অবস্থা সেই অনুযায়ী যা অন্য কেউ করতে পারবে না, তা' আমাদের একত্রিত হয়ে করতে হবে l এই টাচিংয়ের সাথে নিজেদের মধ্যে তাঁরা অবশ্যই মিলিত হন l গ্রুপ এখন কিছু ছোটদের আর কিছু বড়দের l সব ধরনের বাচ্চারা গেছে, যারা স্থূল সেবাতে প্রখর তারাও গেছে এবং রাজ্য স্থাপনার জন্য যাদের প্ল্যানিং (পরিকল্পনার) বুদ্ধি ছিল তারাও গেছে l সেইসঙ্গে যারা সাহস এবং উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ায় তারাও গেছে l আজ বাপদাদা সমগ্র গ্রুপের মধ্যে এই তিন ধরনের বাচ্চাদের দেখেছেন আর তিনই আবশ্যক l তারা কেউ কেউ প্ল্যানিং করে, কেউ কেউ বিষয়সমূহ কর্মে পরিণত করে আর কেউ সাহস বাড়ায় l ভালো গ্রুপ তৈরি হচ্ছে l কিন্তু উভয় গ্রুপ একসাথে প্রত্যক্ষ হবে l এখন প্রত্যক্ষতার বিশেষত্ব মেঘের অন্তরালে আছে l মেঘ ছড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু সরে যায়নি l যতখানি তোমরা মাস্টার জ্ঞানসূর্য হওয়ার শক্তিশালী স্টেজে পৌছাবে, তেমন তেমন মেঘও সরে যেতে থাকবে l তারা সেকেন্ডে সরে যাবে, আর তখনই দামামা বেজে উঠবে l এখন ছড়িয়ে যাচ্ছে l সেই পার্টিও অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছে l তোমরা যেমন ইয়ুথ র্যালির প্ল্যান বানাও, তারাও এখন ইয়ুথ l তারাও নিজেদের মধ্যে প্ল্যানিং করছে l ভারতে যেমন অনেক (পলিটিক্যাল) পার্টির যে বিশেষত্ব ছিল, এখন তা' কম হয়ে গেছে এবং এক পার্টি এগিয়ে যাচ্ছে, তাই না ! বাহ্যিক একতাও তাৎপর্যপূর্ণ l বাহুল্য দুর্বল হচ্ছে আর একতা শক্তিশালী হচ্ছে l স্থাপনার রহস্যে এটা সহযোগের পার্ট l তাদের মনে মিল নেই, কিন্তু বাধ্যবাধকতার সমন্বয়, এটাও অর্থপূর্ণ l এখন স্থাপনার গভীর রীতি-রেওয়াজ স্পষ্ট হওয়ার সময় এগিয়ে আসছে l তারপরে তোমরা জানবে অ্যাডভান্স পার্টি কি করবে আর তোমরা কি করছ l এখন তোমরাও কোশ্চেন করছ যে, তারা কি করছেন আর তারাও কোশ্চেন করছে তোমরা কি করছ l সে যাই হোক, উভয়ই ড্রামা অনুসারে উন্নতিশীল l
জগদম্বা তো হনই চন্দ্রমা l সুতরাং, চন্দ্রমা জগৎ অম্বার সাথে শুরু থেকে দিদির বিশেষ পার্ট ছিল l কার্যে তাঁর পার্ট ছিল সহগমনকারীর l তিনি চন্দ্রমা (শীতল ) আর তিনি তীব্র। দু'জনের মিলে যেত l এখন, তাঁকে একটু বড় হতে দাও, জগদম্বা তো এখনও শীতলতার সকাশ দিচ্ছেন, কিন্তু প্ল্যানিংয়ে অগ্রগতি আনতে সাথীও তো প্রয়োজন, তাই না ! শুরু থেকেই পুষ্পশান্তা আর দিদির নিজেদের মধ্যে হিসেব আছে l এখানেও উভয়ের কাছের সংযোগ l ভাউ (চন্দ্রকিশোর দাদা) তো ব্যাকবোন l এখানেও পাণ্ডব ব্যাকবোন এবং শক্তি-সকল সামনে l সুতরাং সেটাও একটা গ্রুপ যারা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আসে l এখন, যারা প্ল্যানিং করবে, তারা একটু ময়দানে যাবে আর তারপরে প্রত্যক্ষতা হবে l আচ্ছা -
*বিদেশি ভাইবোনদের সাথে- * তোমরা সবাই লাস্টে এসে ফাস্ট যাচ্ছ আর ফার্স্ট হওয়ার উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে, তাই না ! সেকেন্ড নাম্বারের তো কেউই নেই ! যখন লক্ষ্য শক্তিশালী তখন লক্ষণ অর্থাৎ যোগ্যতা নিজে থেকেই শক্তিশালী হবে l তোমাদের সকলের অগ্রচালিত হওয়ার প্রবল উত্সাহ এবং উদ্যম থাকে l বাপদাদাও সব বাচ্চাকে এটাই বলেন, সদা ডবল লাইট হয়ে উড়তি কলার সাথে নম্বর ওয়ানে আসতেই হবে l বাবা যেমন উঁচুতম তেমনই সব বাচ্চাও উঁচু থেকে উঁচুতম l
যারা সদা উদ্যম-উৎসাহের পাখা দ্বারা ওড়ে, তারাই উড়তি কলার অনুভব করে l এই স্থিতিতে স্থিত থাকার সহজ সাধন - যে সেবাই তোমরা কর, তা' বাবা করণকরাবনহার করাচ্ছেন l তোমরা নিমিত্ত মাত্র, যিনি করানোর মালিক তিনিই করাচ্ছেন, তিনিই চালাচ্ছেন l এই স্মৃতি সদা বজায় রাখলে তোমরা হালকা হয়ে উড়তে থাকবে l এই স্থিতিই সদা বাড়াতে থাক l
*বিদায়ের সময়ঃ-* এই সমর্থ দিন সদা তোমাদের সমর্থ বানাতে থাকবে l এই সমর্থ দিনে যারা এসেছ, তারা ''সমর্থ ভব'র" বিশেষ বরদান সদা নিজেদের সাথে রেখ l যদি এমন কোনও পরিস্থিতি আসে তখন এই দিন আর এই বরদান স্মরণ ক'রো, তবেই এই স্মৃতি সামর্থ্য নিয়ে আসবে l সেকেন্ডে বুদ্ধির বিমান দ্বারা মধুবনে এসো, আর স্মরণ ক'রো কি ছিলে, কেমন ছিলে আর কি বরদান লাভ করেছ ! মধুবন নিবাসী হওয়ায় সেকেন্ডে তোমরা সামর্থ্য লাভ কর l মধুবনে কিভাবে আসতে হয় তা' তোমরা জান, তাই না ? এতো সহজ, সাকার রূপে তোমরা দেখেছ l পরমধামে যাওয়া হয়তো কঠিন লাগতে পারে, কিন্তু মধুবনে পৌঁছানো তো কঠিন নয় ! সুতরাং, সেকেন্ডে বিনা টিকিটে, নিঃখরচায় মধুবন নিবাসী হয়ে যাও l মধুবন প্রতিনিয়ত তোমাদের সাহস, খুশি দিতে থাকবে l এখানে তোমরা সবাই উৎসাহে পরমানন্দে আছ, কারও কোন দুর্বলতা নেই, তাই না ? এই স্মৃতিই তোমাদের সমর্থ বানাবে l আচ্ছা -
বরদান:-
পরমাত্ম কার্যে সহযোগী হয়ে সকলের সহযোগ প্রাপ্ত করে সফলতা স্বরূপ ভব
যেখানে সবার উদ্যম-উৎসাহ আছে, সেখানে সফলতা নিজে কাছে এসে গলার মালা হয়ে যায় l কোনও বিশাল কার্যে প্রত্যেকের সহযোগের আঙুল প্রয়োজন l সেবার চান্স সবার আছে, কেউ কোনও অজুহাত দিতে পারে না যে তারা সেটা করতে পারে না বা করার সময় নেই l উঠতে-বসতে শুধু ১০ মিনিটেরই সেবা কর l যদি তোমার শরীর সুস্থ না থাকে তবে ঘরে বসে কর l মন্সা দ্বারা, তোমার সুখ বৃত্তি দ্বারা এবং সুখময় স্থিতি দ্বারা সুখময় জগৎ বানাও l পরমাত্ম কার্যে সহযোগী হ'লে তবে সকলের সহযোগ তোমরা লাভ করবে l
স্লোগান:-
প্রকৃতিপতির সীটে সেট হয়ে থাকলে বিপরীত পরিস্থিতিতে আপসেট হবে না l