১৫-০৮-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা এসেছেন তোমাদের প্রকৃত সত্য স্বাধীনতা প্রদান করতে, মৃত্যুর সাজা ভোগ থেকে মুক্ত করতে, রাবণের পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে

প্রশ্ন:-

বাবা এবং বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের বোঝানোর মধ্যে কি তফাৎ আছে ?

উত্তর:-

বাবা যখন বোঝান, তখন 'মিষ্টি বাচ্চারা' বলে সম্বোধন করেন, ফলে বাবার কথাটি বুদ্ধিতে বসে। তোমরা বাচ্চারা নিজেদের আত্মা রূপী ভাইদের বোঝাও, তাই 'মিষ্টি বাচ্চারা' বলতে পারো না। বাবা হলেন বরিষ্ঠ তাই তাঁর কথার প্রভাব পড়ে। তিনি বাচ্চাদের রিয়েলাইজ করান - বাচ্চারা, তোমাদের লজ্জা বোধ হয় না , তোমরা পতিত হয়ে গেছ ! এখন পবিত্র হও ।

ওম্ শান্তি ।

অসীমের আধ্যাত্মিক (রূহানী) পিতা বসে অসীমের আত্মা রূপী (রূহানী) বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, এবং তা অসীম জগতের পিতা এবং অসীম জগতের বাচ্চারা-ই জানে। অন্য কেউ অসীম জগতের পিতাকে জানে না, নিজেদের অসীম আধ্যাত্মিক পিতার সন্তান রূপেও স্বীকার করে না। ব্রহ্মা মুখবংশী আত্মারা-ই কেবল জানে ও মানে। অন্য কেউ তো এই কথা মানতেও পারবে না। ব্রহ্মাও অবশ্যই চাই, যাঁকে আদি দেব বলা হয়, যাঁর মধ্যে শিব বাবার প্রবেশ ঘটে। বাবা এসে কি করেন ? বলেন পবিত্র হতে হবে। বাবার শ্রীমৎ হল নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। বাচ্চাদের আত্মার পরিচয়ও দিয়েছেন। আত্মা ভ্রুকুটি দ্বয়ের মাঝখানে বাস করে। বাবা বুঝিয়েছেন, আত্মা হল অবিনাশী, তার বসার আসন হল এই বিনাশী দেহটি। এই কথা তোমরা জানো যে, আমরা সবাই হলাম আত্মা, আমরা আত্মারা পরস্পরের ভাই-ভাই, এক পিতার সন্তান। ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী এই রূপ বলাটা ভুল। তোমরা ভালো ভাবে বোঝাও, প্রত্যেক আত্মার মধ্যে ৫ টি বিকারের প্রবেশ রয়েছে অতএব অনেকে বোঝে এরা সঠিক বলছে। আমরা হলাম ভাই-ভাই তো বাবার কাছে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া উচিত। কিন্তু এই খান থেকে বাইরে গেলে মায়ার ঝড়ে হারিয়ে যায়। খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ থেকে যায়। সব জায়গায় এই হাল -ই হয়। কেউ একটু ভালো করে বুঝলে আরও বেশি বুঝবার চেষ্টা করে। এখন তোমরা সবাইকে বোঝাতে পারো। যদি কেউ বেশি মনোযোগ না দেয় তাহলে বলা হবে তারা পুরানো ভক্ত নয় । এইসব কথা যার বুঝবার বোধ শক্তি থাকবে সে-ই বুঝবে। কেউ যদি না বোঝে তাহলে বোঝাতেও পারবে না। তোমাদের কাছেও নম্বর অনুযায়ী আছে, কোনো বড় লোককে বোঝাতে এমন শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদের পাঠানো হয়। যদি কিছু বুঝতে পারে। এই কথা তো জানো বড় লোকেরা সহজে বুঝবে না। হ্যাঁ, যদিও মতামত (অপিনিয়ন) দেয় - এনার বোঝানোর পদ্ধতি খুব ভালো। বাবার পরিচয় পুরো দেওয়া হয়, কিন্তু তাদের নিজের কাছে সময় কোথায়। তোমরা বল অসীমের পিতাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে।



এখন তোমরা বুঝেছ বাবা ডাইরেক্ট আত্মাদের অর্থাৎ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। ডাইরেক্ট শুনলে জ্ঞান-বাণ লক্ষ্য ভেদ করে। তারা বি.কে.দের দ্বারা জ্ঞান শোনে। এখানে পরম পিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারা ডাইরেক্ট বোঝাচ্ছেন - হে বাচ্চারা, তোমরা বাবার কথা অমান্য কর। তোমরা সবাই কাউকে এমন করে বলতে পারবে না, তাইনা। সেখানে তো বাবা নেই। এখানে বাবা বসে আছেন, বাবা কথা বলছেন। বাচ্চারা, তোমরা বাবার কথাও মানবে না ! অজ্ঞানকালেও সময়েও পিতার বোঝানো কথায় এবং ভাইয়ের বোঝানো কথায় তফাৎ থাকে। ভাইয়ের কথায় এতখানি প্রভাব পড়বে না যত বাবার কথায় প্রভাব পড়বে। বাবা যদিও বড়, গুরুজন, তাই ভয় থাকবে। তোমাদেরও বাবা বোঝান - নিজের পিতাকে অর্থাৎ আমাকে স্মরণ করো। তোমাদের লজ্জা বোধ হয় না ! তোমরা ক্ষণে ক্ষণে আমায় ভুলে যাও। বাবা ডাইরেক্ট বলেন তাই সহজে প্রভাব পড়ে। আরে, বাবার কথা অমান্য কর ! অসীম জগতের বাবা বলেন, এই জন্ম নির্বিকারী হও তাহলে ২১ জন্ম নির্বিকারী হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবে। এই কথা অমান্য কর কেন ! বাবা বললে বুদ্ধিতে জ্ঞান বাণ সঠিকভাবে লাগে। তফাৎ তো থাকে, তাইনা। এমনও নয় যে সর্বদা নতুনদের সঙ্গে বাবা দেখা করবেন। তারা উল্টো পাল্টা প্রশ্ন করে। তাদের বুদ্ধিতে বসে না, কারণ এই কথা গুলি হল একেবারে নতুন কথা। গীতায় কৃষ্ণের নাম লিখে দিয়েছে। তা তো হতে পারে না। এখন ড্রামা অনুযায়ী জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। তোমরা বাচ্চারা ছুটে ছুটে আসো বাবার কাছে, ডাইরেক্ট মুরলি শুনতে। সেখানে তো ভাইদের কাছে শুনতে, এখন বাবার কাছে শুনছ। বাবার কথায় প্রভাব পড়ে। বাচ্চা সম্বোধন করে বাবা কথা বলেন। বাচ্চারা, তোমাদের লজ্জা বোধ হয় না ! বাবাকে স্মরণ করো না ! বাবার সঙ্গে তোমাদের ভালোবাসা নেই কি ! কতটুকু স্মরণ কর ? বাবা এক ঘন্টা। আরে, নিরন্তর স্মরণ করলে তোমাদের পাপ বিনষ্ট হবে। জন্ম জন্মান্তরের পাপের বোঝা মাথায় আছে। বাবা সম্মুখে বোঝান - তোমরা বাবার কতখানি গ্লানি বা নিন্দা করেছ। তোমাদের উপরে তো কেস চলা উচিত। খবরের কাগজে কারো নামে নিন্দা লিখলে তার উপরে কেস করা হয় । এখন বাবা স্মরণ করাচ্ছেন - তোমরা কি কি করতে । বাবা বোঝান ড্রামা অনুযায়ী রাবণের সঙ্গ পেয়ে এই রূপ অবস্থা হয়েছে। এখন ভক্তি মার্গ পূর্ণ হয়েছে, অতীত হয়েছে, মাঝখানে থামাবার জন্য কেউ তো থাকে না। দিন দিন নীচে নামতে নামতে তমোপ্রধান, বোধ-বুদ্ধিহীন হয়ে যায়। যাঁর পুজো করে তাঁর অবস্থান পাথরে কাঁকড়ে বলে দেয়। একেই বলে অসীমের বোধ জ্ঞান হীন। অসীম জগতের বাচ্চাদের অসীমের জ্ঞান নেই। একদিকে শিব বাবার পূজা করে, অন্যদিকে সেই পিতাকেই সর্বব্যাপী বলে দেয়। এখন তোমাদের স্মরণে এসেছে এতখানি বোধহীন অবস্থা ছিল যে বাবার গ্লানি বা নিন্দা করেছি। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ, তাই এখন পুরুষার্থ করছ বেগার টু প্রিন্স হওয়ার। শ্রীকৃষ্ণ হলেন সত্যযুগের প্রিন্স, তাঁর সম্বন্ধে বলা হয় তাঁর ১৬ হাজার ১০৮ রানী ছিল, সন্তান ছিল ! এখন তোমাদের তো লজ্জা বোধ হবেই। কেউ পাপ করলে ভগবানের সামনে দাঁড়িয়ে কান ধরে বলে - হে ভগবান, খুব বড় ভুল হয়েছে , দয়া করো, ক্ষমা করো। তোমরা কত বড় ভুল করেছ। বাবা বোঝান - ড্রামাতে এমনই আছে। যখন এমন অবস্থা হবে, তখনই তো আমি আসব।



এখন বাবা বলেন - তোমাদের সব ধর্মের মানুষের কল্যাণ করতে হবে। বাবা, যিনি সকলের সদগতি করেন, তাঁর জন্যে সকল ধর্মের লোক বলে দেয় তিনি হলেন সর্বব্যাপী। এই কথাটি কোথা থেকে শিখেছে। ভগবানুবাচ, আমি সর্বব্যাপী নই। তোমাদের জন্য অন্যদেরও এমন অবস্থা হয়েছে । আহ্বান করে - হে পতিত-পাবন ..... কিন্তু বোঝে না। আমরা যখন প্রথমে পরমধাম থেকে আসি তখন পতিত ছিলাম নাকি ? দেহ অভিমানী হওয়ার দরুন পতিত হয়েছি। যে ধর্মের মানুষই আসুক, তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে পরম পিতা পরমাত্মার পরিচয় তোমরা জানো কি ? তিনি কে ? কোথায় বাস করেন ? তখন বলবে উপরে, বা বলবে সর্বব্যাপী। বাবা বলেন, তোমাদের জন্যে সম্পূর্ণ দুনিয়াটাই নষ্টের খাতায় এসে পড়েছে। নিমিত্ত হলে তোমরা। সবাইকে বোঝাতে হয়। যদিও ড্রামা অনুযায়ী হয়, কিন্তু তোমরা পতিত তো হয়েছ, তাইনা। সবাই হল পাপ আত্মা। এখন পুণ্য আত্মা হওয়ার জন্য আহ্বান করে। সব ধর্মের মানুষকেই মুক্তিধাম ঘরে ফিরতে হবে। সেখানে হল পবিত্র । এও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে, যা বাবা এসেই বোঝান। এই জ্ঞান হল সব ধর্মের জন্য। বাবার কাছে খবর এসেছিল, কোনও আচার্য বলেছিলেন আপনাদের সবাইকে আত্মার রূপে পরমাত্মা ভেবে প্রণাম করি। এবারে এতজন আত্মারা পরমাত্মা নাকি ? কিছুই বোধ নেই। যারা বেশি ভক্করেনি, তারা টিকতে পারে না। সেন্টারেও বিভিন্ন আত্মারা ভিন্ন ভিন্ন সময় পর্যন্ত টিকে থাকে । এর দ্বারা বুঝতে হবে যে ভক্তি কম করেছে, তাই টিকতে পারে না। তবুও যাবে কোথায়। দ্বিতীয় কোনো হাট তো নেই। এমন কি যুক্তি রচনা করলে মানুষ তাড়াতাড়ি বুঝবে। এখন তো সবাইকে সংবাদ দিতে হবে। এই কথাটি বলতে হবে যে বাবাকে স্মরণ করো। তোমরা-ই পুরোপুরি স্মরণ করতে না পারলে তোমাদের জ্ঞান বাণ লক্ষ্য ভেদ (মানুষের বুদ্ধি রূপী লক্ষ্য) করবে কিভাবে ? তাই বাবা বলেন, চার্ট রাখো। মুখ্য কথা হল পবিত্র হওয়ার। যত পবিত্র হবে, ততই নলেজ ধারণ হবে। খুশীও থাকবে। বাচ্চাদের তো অনেক খুশী হওয়া উচিত - আমরা সবার উদ্ধার করি। বাবা-ই এসে সদগতি প্রদান করেন। বাবার তো সুখ ও দুঃখের কোনো ব্যাপার নেই। এই কথাও এখনই বোঝানো হয়, সত্যযুগে নয়। সেখানে তো জ্ঞানের কথা-ই নেই। এখানে তোমরা অসীমের পিতাকে পেয়েছ তাই তোমাদের স্বর্গ প্রাপ্তির চেয়েও বেশি খুশী হওয়া উচিত।



বাবা বলেন, বিদেশে গিয়েও তোমাদের এই কথা বোঝাতে হবে। সব ধর্মের মানুষদের প্রতি তোমাদের দয়া হয়। সবাই বলে - হে ভগবান দয়া করো, ব্লিস করো, দুঃখ থেকে মুক্ত করো। কিন্তু কিছুই বোঝে না। বাবা অনেক রকমের যুক্তি বলে দেন । সবাইকে এই কথা বলতে হবে যে তোমরা রাবণের কারাগারে বন্দী আছো। বলা হয় স্বাধীনতা প্রাপ্ত হোক, কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা কাকে বলা হয়, সে কথা কেউ জানে না। রাবণের কারাগারে তো সবাই ফেঁসে আছে। এখন প্রকৃত স্বাধীনতা প্রদান করতে বাবা এসেছেন। তবুও রাবণের জেলে পরাধীন অবস্থায় থেকে পাপ কর্ম করতেই থাকে। *প্রকৃত স্বাধীনতা কি ? এই কথা মানুষদের বলতে হবে*। তোমরা খবরের কাগজেও লিখতে পারো - এখানে রাবণের রাজ্যে স্বাধীনতা আছে কী ? খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে লেখা উচিত। বেশি কথা লিখলে কেউ বুঝবে না। বলো, কোথায় তোমাদের স্বাধীনতা, তোমরা তো রাবণের কারাগারে বন্দী আছো। বিদেশে তোমাদের নাম ডাক হলে এখানেও সবাই চট করে বুঝবে। একে অপরকে আক্রমন করে। তাহলে এটাই কি স্বাধীনতা ? স্বাধীনতা তো তোমাদের বাবা দিচ্ছেন। রাবণের জেল থেকে মুক্ত করছেন। তোমরা জানো স্বর্গে আমরা শ্রেষ্ঠ ভাবে স্বাধীন, শ্রেষ্ঠ বিত্তবান রূপে থাকি। কারো দৃষ্টি পড়ে না। পরের দিকে যখন দুর্বল হই তখন সবার দৃষ্টি যায় তোমাদের ধনের দিকে। মহম্মদ গজনী এসে মন্দির লুট করলে তোমাদের স্বাধীনতার ইতি ঘটে। রাবণের রাজ্যে পরাধীন অবস্থায় বাস কর। এখন তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে। এখন প্রকৃত স্বাধীনতা প্রাপ্ত করছ। তারা তো স্বাধীনতার অর্থ বোঝে না। অতএব এই কথাও যুক্তি সহকারে বোঝাতে হবে। যারা কল্প পূর্বে স্বাধীনতা প্রাপ্ত করেছিল, তারা-ই কথাটি মানবে। তোমরা বোঝাও তবু তর্ক বিতর্ক করে, এমন যেন বুদ্ধিহীন। সময় নষ্ট করলে কথা বলার ইচ্ছে হয় না।



বাবা এসে স্বাধীনতা প্রদান করেন। রাবণের পরাধীনতায় অনেক দুঃখ আছে। অপরিসীম দুঃখ আছে। বাবার রাজ্যে আমরা কতখানি স্বাধীন থাকি। *স্বাধীনতা তাকে বলে - যখন আমরা পবিত্র দেবতায় পরিণত হই, রাবণের রাজ্য থেকে মুক্ত হই। প্রকৃত স্বাধীনতা কেবল বাবা এসে প্রদান করেন*। এখন তো পরের রাজ্যে সবাই দুঃখে আছে। *স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় হল এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। তারা তো বলে ইংরেজি সরকার চলে গিয়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। এখন তোমরা জানো যতক্ষণ পবিত্র না হয়েছি ততক্ষণ স্বাধীন বলা যাবে না। তারপরে কর্মের সাজা ভোগ করতে হবে। পদ মর্যাদাও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে*। বাবা আসেন আত্মাদের ঘরে অর্থাৎ পরম ধামে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। সেখানে সবাই থাকে স্বাধীন। তোমরা সব ধর্মের মানুষদের বোঝাতে পারো - তোমরা হলে আত্মা, মুক্তিধাম থেকে এসেছ পার্ট প্লে করতে। সুখধাম থেকে দুঃখ ধামে তমোপ্রধান দুনিয়ায় এসে গেছ। বাবা বলেন তোমরা হলে আমার সন্তান, রাবণের নয়। আমি তোমাদের রাজত্ব ভাগ্য দিয়ে গেছিলাম। তোমরা নিজের রাজ্যে কতখানি স্বাধীন ছিলে। এখন আবার সেখানে যাওয়ার জন্যে পবিত্র হতে হবে। তোমরা অনেক বিত্তবান হও। সেখানে তো অর্থের চিন্তা থাকে না। যতই গরিব হোক কিন্তু ধনের চিন্তা থাকে না। সুখে থাকে। চিন্তা হয় এখানে। যদিও রাজধানীতে নম্বর অনুযায়ী পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়। সূর্যবংশী রাজাদের মতন সবাই কি আর হবে। যতখানি পরিশ্রম ততখানি পদ মর্যাদা। তোমরা সব ধর্মের মানুষদের সার্ভিস কর। বিদেশিদেরও বোঝাতে হবে - তোমরা সবাই আত্মা রূপে ভাই ভাই হলে কিনা। সবাই শান্তিধামে বাস করে। এখন আছো রাবণের রাজ্যে। এখন ঘরে অর্থাৎ পরমধাম ফিরে যাওয়ার পথ তোমাদের বলে দিচ্ছি, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমায় স্মরণ করো। বলাও হয় ভগবান সবার উদ্ধার করেন। কিন্তু কিভাবে করেন তা জানে না। বাচ্চারা কখনও কনফিউজড হয়ে পড়লে বলবে, বাবা, আমাদের লিবারেট করে ঘরে নিয়ে চলো। যেন তোমরা ঝড়ের কবলে পড়ে জঙ্গলে হারিয়ে গিয়েছিলে। পথের সন্ধান পাচ্ছিলে না। তখন লিবারেটর এসে পথ বলে দিলেন। অসীম জগতের পিতাকেও বলা হয় - বাবা আমাদের উদ্ধার করুন। আপনি আগে চলুন, আমরাও আপনার পিছনে চলব। বাবা ব্যতীত কেউ পথ বলে দেয় না। কত শাস্ত্র পাঠ করেছ, তীর্থে গিয়ে কত ধাক্কা খেয়েছ কিন্তু ভগবানকে না জানার দরুন তাঁকে কোথায় খুঁজে পাবে। সর্বব্যাপী বলাতে আরও খুঁজে পাবে কিভাবে। কতখানি অজ্ঞানতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন রয়েছে । সকলের সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা, তিনিই এসে বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে বাইরে নিয়ে আসেন। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. এক বাবাকে পেয়েছ, তাই আর কোনো কথায় চিন্তা করবে না। তাঁর মত অনুসারে চলে, অসীমের বুদ্ধিমান রূপে আনন্দ সহকারে সকলের উদ্ধার করার নিমিত্ত হতে হবে।

২. যমরাজপুরীর সাজা ভোগ থেকে রক্ষা পেতে প্রকৃত স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। নলেজ হল সোর্স অফ ইনকাম, যা ধারণ করে বিত্তবান হতে হবে।

বরদান:-

সেবায় নিয়োজিত থেকে কর্মাতীত স্থিতির অনুভবকারী তপস্বার প্রতিমূর্তি ভব

সময় কম, সেবাও অনেক আছে। সেবায় মায়ার আগমনের চান্স থাকে। সেবায় স্বভাব, সম্বন্ধের বিস্তার হয়, স্বার্থ ভাবও লুকানো থাকে, তাতে একটুও ব্যালান্স কম হলে মায়া নতুন রূপ ধারণ করে আসবে। তাই সেবা ও স্ব স্থিতির ব্যালান্স রাখার অভ্যাস করো। মালিক রূপে কর্মেন্দ্রিয় রূপী কর্মচারীদের দ্বারা সেবা করাও, মনে মনে শুধু একমাত্র বাবা, দ্বিতীয় কেউ নয় - এই স্মৃতি ইমার্য রাখো, তবেই বলা হবে কর্মাতীত স্থিতির অনুভাবী, তপস্বার প্রতিমূর্তি।

স্লোগান:-

কারণ রূপী নিজেটিভ-কে সমাধান রূপী পজিটিভে পরিণত করো ।