২৬-০১-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- এখন তোমাদের শুনানি হয়, বাবা তোমাদের দুঃখ থেকে বের করে সুখ-এ নিয়ে যান, এখন তোমাদের সবার বাণপ্রস্থ অবস্থা, ঘরে ফিরে যেতে হবে"
প্রশ্ন:-
সদা যোগ যুক্ত থাকার এবং শ্রীমৎ অনুসারে চলার আজ্ঞা বার বার প্রতিটি বাচ্চাকে কেন দেওয়া হয় ?
উত্তর:-
কারণ এখন অন্তিম বিনাশের দৃশ্য সামনে আছে। কোটি কোটি মানুষ মরবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ) হবে। সেই সময় স্থিতি যাতে একরস থাকে, সব দৃশ্য দেখেও "কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ" (মিরুয়া মৌত মলুকা শিকার" = শিকার ধরা পড়লে শিকারীর যেমন আনন্দ হয়) অনুভব হবে, তার জন্যে যোগযুক্ত হতে হবে। যে বাচ্চারা শ্রীমৎ অনুযায়ী চলবে তারা আনন্দে থাকবে। তাদের বুদ্ধিতে থাকবে আমরা তো পুরানো শরীর ত্যাগ করে নিজের সুইট হোমে ফিরে যাব ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের (রূহানী) বাবা বসে আত্মা রূপী (রূহানী) বাচ্চাদের সঙ্গে কথোপকথন (রূহরিহান) করেন বা আত্মাদের (রুহু-কে) বোঝান, কারণ আত্মারা ভক্তি মার্গে অনেক স্মরণ করেছে। সবাই প্রেমিকা এক প্রিয়তমের। সেই প্রিয়তম শিববাবার চিত্র নির্মিত আছে। মানুষ তাঁর পূজো করে। তাঁর কাছে কি চাইবার আছে, তাও জানা নেই। পূজো তো সবাই করে, শঙ্করাচার্য-ও পূজো করতেন। সবাই তাঁকে অনেক বড় ভাবে। যদিও ধর্ম স্থাপকরাও আছে, কিন্তু তারাও পুনর্জন্ম নিয়ে নীচে নেমে আসে। এখন সবাই শেষ জন্মে এসে পৌঁছেছে। বাবা বলেন ছোট হোক বা বড়, তোমাদের সবার বাণপ্রস্থ অবস্থা হয়েছে। আমি তোমাদের সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাই। আমাকে ডাকা হয়েছে যে পতিত দুনিয়ায় এসো। কতখানি সম্মান দেওয়া হয়। পতিত দুনিয়া পরের রাজ্যে আসুন। নিশ্চয়ই দুঃখী হবে তবেই তো ডাকবে। গাওয়া হয়ে থাকে, দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা যখন, তখন নিশ্চয়ই ছিঃ ছিঃ পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীরে আসতে হবে। তাও তমোপ্রধান শরীরে। সতো প্রধান দুনিয়ায় আমাকে কেউ স্মরণও করে না। ড্রামা অনুযায়ী আমি সবাইকে সুখী করি। বুদ্ধি দ্বারা বুঝে নিতে হবে যে সত্যযুগে নিশ্চয়ই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম হবে , অন্য সৎসঙ্গে তো শুধু শাস্ত্র পাঠ করে নীচে নামতে থাকে। পাঁকে পড়ে দুঃখী হয়। এটা হলই দুঃখধাম। ওটা হল সুখধাম। বাবা কত সহজ করে বোঝান, কারণ অবলা নারীরা কিছুই জানে না। কেউ তো এই কথাও জানে না যে ফিরেও যেতে হবে অথবা সর্বদা পুনর্জন্ম নিতে হবে। এখন সব ধর্মের মানুষ আছে। সর্বপ্রথমে স্বর্গ ছিল তো একটি ধর্ম ছিল। সম্পূর্ণ চক্র তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। অন্য কারো বুদ্ধিতে এইসব কথা থাকবে না। তারা তো কল্পের আয়ু লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। একেই বলে ঘোর অন্ধকার। জ্ঞান হল সম্পূর্ণ আলোক । এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধি আলোকপ্রাপ্ত হয়েছে । তোমরা কোনো মন্দির ইত্যাদিতে যাবে তো তোমরা বলবে আমরা শিববাবার কাছে যাই। এই লক্ষ্মী নারায়ণ স্বরূপে আমরা পরিণত হই। এইসব কথা অন্য সৎসঙ্গে হয়না। সেসব হল ভক্তিমার্গের কথা। এখন তোমরা রচয়িতা ও রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জেনেছ। মুনি ঋষিরা বলতেন আমরা জানি না। তোমরাও প্ৰথমে জানতে না। এই সময় সমগ্র বিশ্বে ভক্তি আছে। এ হল পুরানো দুনিয়া, অসংখ্য মানুষ এখানে। সত্যযুগ নতুন দুনিয়ায় তো একটি মাত্র অদ্বৈত ধর্ম ছিল, তারপরে হয় দ্বৈত ধর্ম। অনেক ধর্ম থাকলে মতভেদ (তালিও বাজবে) হয়। একে অপরের সঙ্গে খিট-খিট লেগেই আছে। ড্রামা অনুযায়ী এটাই নিয়ম । যাকে পৃথক করবে তো যুদ্ধ হবে, পার্টিশন হবে। মানুষ নিজের পিতাকে না জানার দরুণ পাথর বুদ্ধি হয়েছে। এই সময় বাবা বোঝান দেবী দেবতা ধর্ম প্রায় লুপ্ত হয়েছে। এমন একজনও কেউ নেই যে জানে এঁদেরও রাজত্ব ছিল। তোমরা এখন বুঝেছ আমরা এখন দেবতায় পরিণত হচ্ছি। শিববাবা হলেন আমাদের ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট। বিশিষ্ট ব্যক্তিরা চিঠিতে নীচে লিখে থাকেন ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট। বাবাও বলেন আমি হলাম ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট তো দাদাও বলেন আমি ওবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট। আমি পুনরায় ৫ হাজার বছর বাদে প্রতি কল্পের পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে আসি। বাচ্চাদের এসে সেবা করি। আমায় বলা হয় দূর দেশ নিবাসী .... এর অর্থও কেউ জানে না। এত শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে কিন্তু অর্থ বোঝে না। বাবা এসে সব বেদ শাস্ত্রের সার তত্ত্ব বুঝিয়ে দেন।
তোমরা বাচ্চারা জানো যে এই সময় হল রাবণ রাজ্য। মানুষ পতিত হয়। এও ড্রামাতে আছে। বাচ্চারা, তোমাদের নরক থেকে বের করে স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। যাকে "গার্ডেন অফ আল্লাহ" বলা হয়। কলিযুগে হল কাঁটার জঙ্গল, সঙ্গম যুগে ফুলের বাগান তৈরি হচ্ছে। তারপরে তোমরা সেখানে সত্যযুগে সদা সুখী থাক। এভারহেলদি (সদা সুস্থ), এভারওয়েলদি (সদা ধনী) হয়ে যাও। অর্ধকল্প সুখ তারপরে অর্ধকল্প দুঃখ, এই চক্র ঘুরতেই থাকে। এর কোনো শেষ নেই। সবচেয়ে বড় হলেন বাবা, তিনি আসেন শান্তিধাম - সুখধামে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। তোমরা যখন সুখধামে যাও বাকিরা সবাই শান্তিধামে থাকে। অর্ধকল্প হল সুখের, অর্ধকল্প হল দুঃখের। তাতেও সুখই বেশি। যদি অর্ধেক অর্ধেক হত তাহলে তাতে টেস্ট কি করে থাকত । তোমরা ভক্তি মার্গেও খুব ধনী ছিলে। এখন তোমাদের স্মরণে এসেছে যে আমরা কত ধনী ছিলাম ! ধনী ব্যক্তি যখন দেউলিয়া হয় তখন স্মরণ করে যে আমাদের কাছে কি কি ছিল, কত ধন ছিল। বাবা বোঝান ভারত বিত্তশালী (সাহুকার) ছিল। প্যারাডাইস(স্বর্গ) ছিল। এখন দেখো কত গরিব হয়েছে। গরিবদের উপরে দয়া হয়। এখন একেবারেই কাঙাল হয়ে গেছে। ভিক্ষা চাইছে। যারা সলভেন্ট ছিল এখন ইন্-সলভেন্ট হয়েছে। এও তো নাটক, বাকি যে ধর্ম আসে সব হল বাই-প্লট। কত ধর্মের মানুষ বৃদ্ধি পায়। ভারতবাসীদেরই ৮৪ জন্ম আছে। একজন আত্মা রূপী বাচ্চা সব ধর্মের হিসাব লিখে পাঠিয়েছিল। কিন্তু এইসব কথায় বেশি মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। এও তো সময় নষ্ট করা হল। এত সময় যদি বাবার স্মরণে থাকতে তো কিছু জমা হত। আমাদের মুখ্য কথা হল - আমরা পুরো পুরুষার্থ করে বিশ্বের মালিক হই। বাবা বলেন তোমরাই সতোপ্রধান ছিলে, তোমরাই তমোপ্রধান হয়েছ। ৮৪ জন্মও তোমরা নিয়েছ, এখন ফিরে যেতে হবে। বাবার কাছে বর্সা নিতে হবে। তোমরা অর্ধকল্প বাবাকে স্মরণ করেছ, এখন বাবা এসেছেন তোমাদের শুনানী হয়। বাবা পুনরায় তোমাদের সুখ ধামে নিয়ে যান। ভারতের উত্থান ও পতনের কথা যেন একটি কাহিনী। এখন এ হল পতিত দুনিয়া। সম্বন্ধও হল পুরানো। এখন পুনরায় নতুন সম্বন্ধে যেতে হবে। এই সময় অ্যাক্টররা সবাই হাজির আছে। এটা অবশ্যম্ভাবী । আত্মা তো হল অবিনাশী।আত্মার সংখ্যাই তো কত । তাদের কখনও বিনাশ হয় না। এত কোটি কোটি আত্মাদের প্ৰথমে ফিরে যেতে হবে। বাকি শরীর তো সবার শেষ হয়ে যায় তাই হোলিকা উৎসব পালন করা হয়।
তোমরা জানো আমরা পূজ্য ছিলাম পুনরায় পূজারী হয়েছি, আবার পূজ্য হই। সেখানে এই জ্ঞান থাকবে না, না এই শাস্ত্র ইত্যাদি থাকবে। সব শেষ হয়ে যাবে। যারা যোগযুক্ত হবে, শ্রীমৎ অনুযায়ী চলবে তারা সব কিছু দেখবে। কিভাবে ভূমিকম্পে সব শেষ হয়। খবরের কাগজেও ছাপা হয়, কিভাবে গ্রামের পর গ্রাম শেষ হয়ে যায়। বম্বে এমন ছিল না। সমুদ্রকে শুকিয়ে গড়ে উঠেছে আবার সমুদ্র হয়ে যাবে। এই ঘর বাড়ি ইত্যাদি কিছুই থাকবে না। সত্যযুগে মিষ্টি জলের উপরে মহল থাকবে। নুন জলের উপরে হয় না। অর্থাৎ এইসব থাকবে না। সমুদ্রে এক বিশাল ঢেউ এলেই সব শেষ হয়ে যাবে। অনেক উপদ্রব হবে। কোটি কোটি মানুষ মরবে। খাদ্য বস্তু আনাজ ইত্যাদি কোথা থেকে আসবে। তারাও জানে বিপদ তো আসবেই। মানুষ মরবে তখন যারা যোগযুক্ত থাকবে তারা সেই সময় আনন্দে থাকবে। "কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ"
("মিরুয়া মউৎ মলুকা শিকার") । বরফের বৃষ্টি হলে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ) হবে। এইসব শেষ হয়ে যাবে। একে বলা হয় ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ, গডলি ক্যালামিটিজ বলা হবে না। গডকে দোষ কিভাবে দেবে। এমনও নয় শঙ্কর চোখ খোলেন তো বিনাশ হয়। এইসবই হল ভক্তিমার্গের কথা। শাস্ত্রে মুশলের কথা লিখেছে । তোমরা জানো এই সব মিসাইল্স দ্বারা কিভাবে বিনাশ করা হয়। কিভাবে আগুন, বিষাক্ত গ্যাস সব তার মধ্যে দেওয়া থাকে। *বাবা বোঝান - শেষ সময় যাতে সবাই নিমেষের মধ্যে মারা যায় কোনো বাচ্চার যেন দুঃখ না হয়, তাই ন্যাচারাল ক্যালামিটিজে সবাই মরবে*। এইসব পূর্ব নির্ধারণ ড্রামা। আত্মা তো অবিনাশী, কখনও বিনাশ হয় না, আর না ছোট বা বড় হয়। শরীর সব এখানেই শেষ হবে। বাকি আত্মারা সব সুইট হোমে চলে যাবে। বাবা কল্প কল্প আসেন সঙ্গমযুগে, তোমরাও এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগেই উঁচু থেকে উঁচু হও। বাস্তবে শ্রী শ্রী শিববাবাকে এবং শ্রী দেবতাদের বলা হয়। আজকাল তো দেখো সবাইকে শ্রী-শ্রী বলা হয়। শ্রীমতী অমুক, শ্রী অমুক । এবারে শ্রীমৎ তো একমাত্র বাবা-ই দেন। বিকারে গমন, এইটি কি শ্রীমৎ হতে পারে ? এ হল ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া।
এখন মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো, তবে খাদ দূর হবে। গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের মতন পবিত্র থাক। স্ব -এর এখন বিশ্বের আদি-মধ্য-অন্তের চক্র সম্বন্ধে জ্ঞান হয়েছে। কিন্তু এই অলঙ্কার তোমাদের দেওয়া যাবে না। আজ তোমরা নিজেদের স্ব দর্শন চক্রধারী ভাবো কাল মায়া চড় লাগিয়ে দিলে জ্ঞান উড়ে যাবে তাই ব্রাহ্মণদের অর্থাৎ তোমাদের মালাও তৈরি হতে পারে না। মায়া চড় লাগিয়ে অনেককে পতিত করে দেয় , তো মালা তৈরি হবে কিভাবে। দশার পরিবর্তন হতে থাকে। রুদ্র মালা ঠিক আছে। বিষ্ণুর মালাও আছে। বাকি ব্রাহ্মণদের মালা তৈরি হতে পারে না। বাবা বাচ্চাদের ডাইরেকশন দেন যে, দেহ সহ দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে একমাত্র আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করো। বাবা তো হলেন নিরাকার। তাঁর নিজস্ব শরীর তো নেই। এবং তিনি এসেছেন ব্রহ্মাবাবার বাণপ্রস্থ অবস্থায়। যখন তাঁর ৬০ বছর বয়স । বাণপ্রস্থ অবস্থায় গুরুর কাছে দীক্ষা নেয় মানুষ । আমি হলাম সদগুরু, কিন্তু গুপ্ত বেশে। তারা হল ভক্তির গুরু, আমি হলাম জ্ঞান মার্গের। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে দেখো অনেক বাচ্চা আছে। বুদ্ধি সীমিত থেকে বেরিয়ে অসীমে চলে গেল। মুক্তিতে গিয়ে তারপরে জীবনমুক্তিতে আসে। তোমরা প্ৰথমে আসো অন্যরা পরে পিছনে আসে। প্রত্যেককে প্ৰথমে সুখ, পরে দুঃখ ভোগ করতে হয়। এ হল ওয়ার্ল্ড ড্রামা। তবেই তো বলা হয়, অহো প্রভু তোমার লীলা.....। তোমাদের বুদ্ধি উপর থেকে নীচে পর্যন্ত পরিক্রমা করে । তোমরা হলে লাইট হাউস, পথ বলে দিয়ে থাক তোমরা। তোমরা বাবার বাচ্চা, তাইনা ! বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো, তবে তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। ট্রেনে যাত্রার সময়ে তোমরা বোঝাতে পারো - অসীমের (বেহদের) বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, ভারতে স্বর্গ ছিল। বাবা আসেন ভারতে। শিব জয়ন্তীও ভারতে পালন করা হয়। কিন্তু কখন হয়, সে'কথা কেউ জানে না। তিথি তারিখ কোনোটাই নেই। কারণ তিনি গর্ভ দ্বারা জন্ম নেন না। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা ভাবো। তোমরা অশরীরী এসেছিলে, পবিত্র ছিলে তারপরে অশরীরী হয়ে যাবে। একমাত্র আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করো তো পাপ কেটে যাবে। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ, ভালবাসা আর সুপ্রভাত। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. লাইট হাউস হয়ে সবাইকে পথ বলে দিতে হবে। বুদ্ধি সীমিতের প্রতি না রেখে অসীমের প্রতি রাখতে হবে। স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে।
২. এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে তাই এই বাণপ্রস্থ অবস্থায় সতোপ্রধান হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। নিজের সময় নষ্ট করবে না।
বরদান:-
ভেবে চিন্তে প্রতিটি কর্ম সম্পাদনকারী অনুশোচনা মুক্ত জ্ঞানী আত্মা ভব
জগতেও এইরকম বলা হয় ভেবে চিন্তে কর্ম করো। যারা ভেবে চিন্তে করেনা, কর্ম করে তারপর চিন্তা করে তখন অনুশোচনা হয় । পরে চিন্তা করা, এ হল অনুশোচনার রূপ আর চিন্তা ভাবনা করে করা হল জ্ঞানী আত্মার গুণ। দ্বাপর-কলিযুগে তো অনেক রকমের অনুশোচনাই করা হয় কিন্তু সঙ্গমে এমন ভেবে চিন্তে সঙ্কল্প ও কর্ম করো যাতে মনে কখনও, এক সেকেন্ডের জন্যও অনুশোচনা না থাকে, তবেই বলা হবে তুমি জ্ঞানী আত্মা।
স্লোগান:-
যে ক্ষমাশীল হয়ে সর্ব গুণ ও শক্তির দান দেয়, সে-ই হল মাস্টার দাতা ।