৩০-০৪-১৯ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - শ্রীমতে চলে যারা খুব ভালো সার্ভিস করে, তারাই রাজত্বের প্রাইজ প্রাপ্ত করে, বাচ্চারা, তোমরা এখন বাবার সাহায্যকারী হয়েছো, তাই তোমরা অনেক বড় প্রাইজ পাও"

প্রশ্ন:-

বাবার জ্ঞান নৃত্য কোন্ বাচ্চাদের কাছে খুবই ভালো হয় ?

উত্তর:-

যাদের জ্ঞানের শখ আছে, যাদের যোগের নেশা আছে, তাদের সামনে জ্ঞানের নৃত্য খুব সুন্দর হয় l স্টুডেন্টরা নম্বরের ক্রমানুসারে হয় কিন্তু এ হলো এক আশ্চর্য স্কুল, কারো কারো মধ্যে সামান্যতমও জ্ঞান নেই, কেবল ভাবনা আছে, সেই ভাবনার আধারে অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়ে যায় l

ওম্ শান্তি l

আত্মা রূপী বাচ্চাদের আত্মাদের বাবা বোঝান যে, একে বলা হয় রুহানী জ্ঞান বা স্পিরিচুয়াল নলেজ l এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান একমাত্র বাবার মধ্যেই থাকে, আর কোনো মনুষ্যমাত্রের মধ্যেই আধ্যাত্মিক (রুহানী) জ্ঞান থাকে না l এই রুহানী জ্ঞান দানও করেন একজন, যাঁকে জ্ঞানের সাগর বলা হয় l প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই তাদের নিজের নিজের বিশেষত্ব থাকে, তাই না l ব্যরিস্টার, ব্যরিস্টারই হয়, আবার ডাক্তার, ডাক্তারই l প্রত্যেকেরই কর্তব্য বা পার্ট আলাদা - আলাদা l প্রত্যেক আত্মাই তার নিজের - নিজের পার্ট পেয়েছে আর এই পার্ট হলো অবিনাশী l আত্মা কতো ছোটো l এ তো আশ্চর্যের, তাই না l এমন গীতও আছে, ভ্রুকুটির মাঝে ঝলমলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র -- এমনও গীতও আছে যে, নিরাকার আত্মার এই শরীর হলো আসন l এ হলো এক ছোটো বিন্দু l আর সমস্ত আত্মাই হলো অভিনেতা l এক জন্মের চেহারা অন্য জন্মের সঙ্গে মেলে না, এক জন্মের পার্টও অন্য জন্মের সঙ্গে মেলে না l কেউই জানে না যে আমরা অতীতে কি ছিলাম আবার ভবিষ্যতে কি হবো l এইসব কথা বাবা এই সঙ্গম যুগে বসেই বোঝান l ভোরে বাচ্চারা, তোমরা যখন স্মরণের যাত্রায় বসো, তখন তোমাদের নিভে যাওয়া আত্মা প্রজ্জ্বলিত হতে থাকে কেননা আত্মায় অনেক জং লেগে আছে l বাবা স্যাকরার কাজও করেন l পতিত আত্মা, যাদের মধ্যে খাদ জমা হয়ে আছে, তাদের তিনি পিওর বা স্বচ্ছ করেন l খাদ তো পড়েই, তাই না l রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি নামও এমনই l স্বর্ণ যুগ, রৌপ্য যুগ -- সতোপ্রধান, সতো, রজো, তমো -- এইসব কথা আর কোনো মানুষ বা গুরু বোঝাবেন না l এক সদ্গুরুই এ বোঝাবেন l তারা তো সদ্গুরুর অকাল আসনের কথাই বলে l ওই সদ্গুরুরও তো আসন চাই, তাই না l যেমন আত্মারা, তোমাদেরও তো নিজের নিজের আসন আছে, তাঁকেও তেমনই আসন নিতে হয় l তিনি বলেন, আমি কোন্ আসন নিই - সে কথা এই দুনিয়ার কেউই জানে না l ওরা তো এও না, ওটাও না, এমনই বলে এসেছে l আমরা জানতাম না l বাচ্চারা, তোমরাও বুঝতে পারো, প্রথমে আমরা কিছুই জানতাম না l যে কিছুই বোঝে না, তাকে অবুঝ বলা হয় l ভারতবাসী মনে করে, আমরা খুবই বুঝদার ছিলাম l এই বিশ্বের রাজ্য - ভাগ্য আমাদেরই ছিলো l এখন অবুঝ হয়ে গেছি l বাবা বলেন যে, তোমরা শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছুই পড়ো না কেন, সে সব এখন ভুলে যাও l যদিও গৃহস্থ জীবনে থাকো তবুও কেবলমাত্র এক বাবাকে স্মরণ করো l সন্ন্যাসীদের অনুসরণকারীরা তাদের নিজের - নিজের ঘরেই থাকে l কেউ কেউ প্রকৃত অনুসরণকারী হলে তারা তাদের সঙ্গে থাকে l বাকি কেউ কোথায়, কেউ বা অন্য কোথাও থাকে l তো এইসব কথা বাবা বসে বোঝান l একে বলা হয় জ্ঞান নৃত্য l যোগ তো হলো সাইলেন্স l জ্ঞানের হয় নৃত্য l যোগে তো সম্পূর্ন শান্ত থাকতে হয় l ডেড সাইলেন্স বলা হয় তো l তিন মিনিট ডেড সাইলেন্স কিন্তু এর অর্থও কেউ জানে না l সন্ন্যাসী শান্তিলাভের জন্য জঙ্গলে যায় কিন্তু ওখানে শান্তি পাওয়াও যায় না l এমন এক গল্পও আছে --- রাণীর হার গলায় ছিলো আর তা সে খুঁজে বেড়াচ্ছিল, এই উদাহরণও শান্তির জন্য l বাবা এই সময় যে বিষয় বোঝান, সেই দৃষ্টান্তই ভক্তিমার্গে চলতে থাকে l বাবা এই সময় পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন করে নতুন দুনিয়া বানান l তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান বানান l এ তো তোমরাই বুঝতে পারো l বাকি এই দুনিয়াই হলো তমোপ্রধান, পতিত কেননা সবারই জন্ম হয় বিকার থেকে l দেবতাদের জন্ম তো বিকার থেকে হয় না l তাকে বলা হয় সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া l নির্বিকারী শব্দটি বলা হয় কিন্তু এর অর্থ কেউই জানে না l তোমরাই পূজ্য থেকে পূজারী হয়েছো l বাবার জন্য কখনোই এমন কথা বলা হয় না l বাবা কখনোই পূজারী হন না l মানুষ তো কোণে - কোণে পরমাত্মা আছেন -- এমনও বলে দেয় l বাবা তখন বলেন, যখনই ভারতে ধর্মের এমন গ্লানি হয় -----l ওরা তো এমন শ্লোক এমনিই পড়ে নেয়, এর অর্থ কিছুই জানে না l ওরা বলে যে, শরীর তো পতিত হয়, কিন্তু আত্মা হয় না l



বাবা বলেন, প্রথমে আত্মা পতিত হয়, তখন শরীরও পতিত হয় l সোনায়ও যখন খাদ দেওয়া হয় তখন গয়নাও তেমনই তৈরী হয় কিন্তু এ সবই হলো ভক্তিমার্গের l বাবা বোঝান যে, প্রত্যেকের মধ্যেই আত্মা বিরাজিত, জীবাত্মা - এমন কথাও বলা হয় l জীব পরমাত্মা, এমন কথা বলা হয় না l মহান আত্মা বলা হয় কিন্তু মহান পরমাত্মা বলা হয় না l আত্মাই ভিন্ন - ভিন্ন শরীরে অভিনয় করে l তাহলে যোগ হলো সম্পূর্ন সাইলেন্স l এ হলো জ্ঞান নৃত্য l বাবার জ্ঞান নৃত্যও তাদের সামনেই হবে, যাদের এই বিষয়ে শখ থাকবে l বাবা জানেন যে, কার মধ্যে কতটা জ্ঞান আছে, যোগের নেশা কার মধ্যে কতটা আছে l টিচার তো জানাবেনই তাই না l বাবাও জানেন, কোন্ - কোন্ বাচ্চা খুব ভালো গুণবান l ভালো - ভালো বাচ্চাদেরই যেখানে সেখানে ডাকা হয় l বাচ্চাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে l প্রজাও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তৈরী হয় l এতো হল স্কুল অথবা পাঠশালা l পাঠশালাতে সবসময় নম্বরের ক্রমানুসারেই বসে l তোমরা বুঝতে পারো যে, অমুকে খুবই বুদ্ধিমান আর অনেকে মাঝারি ধরনের l এ তো হলো বেহদের ক্লাস, এখানে কাউকে নম্বর অনুসারে বসানো যায় না l বাবা জানেন যে, আমার সামনে এ যে বসে আছে, এর মধ্যে কিছুই জ্ঞান নেই l কেবল ভাবনা আছে l বাকি তো না আছে জ্ঞান আর না স্মরণ l এতটা নিশ্চয়তা থাকা উচিত -- ইনি বাবা, এঁনার থেকে আমাদের অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে l এই অবিনাশী উত্তরাধিকার তো সবাইকেই পেতে হবে কিন্তু রাজত্ব পেতে হলে তো নম্বরের ক্রমানুসারে পদ l যে খুব ভালো সার্ভিস করে সে খুব ভালো প্রাইজ পায় l এখানেও তাদেরকে প্রাইজ দেওয়া হয়, যারা কোনো মূল্যবান তত্ত্ব উপস্থাপন করে বা বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু আবিষ্কার করে। এখন তোমরা জানো যে, এই বিশ্বে প্রকৃত শান্তি কিভাবে আসবে ? বাবা বলেছেন, ওদের জিজ্ঞেস করো তো, কবে বিশ্বের প্রকৃত শান্তি ছিলো ? কখনো শুনেছো বা দেখেছো কি ? তোমরা কোন্ প্রকারের শান্তি চাও ? তা কবে ছিলো ?

তোমরা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই পারো কারণ তোমরা জানো যে, যারা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে অথচ উত্তর নিজেরাই জানে না তাদের কি বলা হবে ? তোমরা খবরের কাগজের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করো যে, তোমরা কোন্ প্রকারের শান্তি চাও ? শান্তিধাম তো আছেই, যেখানে আমরা সব আত্মারা থাকি l বাবা বলেন যে, তোমরা এক তো শান্তিধামকে স্মরণ করো আর দ্বিতীয় সুখধামকে স্মরণ করো l সৃষ্টিচক্রের সম্পূর্ণ জ্ঞান না থাকার কারণে মানুষ কতো গল্পকথা বলে দিয়েছে l



বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমরা ডবল মুকুটধারী হই l আমরা পূর্বে দেবতা ছিলাম, এখন আবার মানুষ হয়েছি l দেবতাদের দেবতাই বলা হয়, মানুষ নয়, কেননা তাঁরা তো দৈবী গুণ সম্পন্ন l যার মধ্যে অপগুণ আছে সে বলে, আমি নির্গুণ, হেরে যাওয়ার মধ্যে কোনো গুণ নেই l মানুষ শাস্ত্রে :যে কথা শুনেছে তাই এতকাল গেয়ে এসেছে - অচ্যুতম্ কেশবম্... l যেমনভাবে তোতাকে শেখানো হয় l ওরা বলে, বাবা এসে আমাদের সবাইকে পবিত্র বানাও l ব্রহ্মলোককে বাস্তবে দুনিয়া বলা হবে না l ওখানে তোমরা আত্মারা থাকো l বাস্তবে ভূমিকা পালন করার জন্য হলো এই দুনিয়া l সেটা হলো শান্তিধাম l বাবা বোঝান যে, বাচ্চারা আমি বসে তোমাদের নিজের পরিচয় দিই l আমি তাঁর মধ্যেই আসি যে নিজের জন্মকে জানে না l ইনিও এখনই শোনেন l আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করি l পুরানো পতিত দুনিয়া হলো রাবণের দুনিয়া l যিনি এক নম্বর পবিত্র ছিলেন, তিনিই আবার এক নম্বর পতিত হয়েছেন l আমি তাঁকে নিজের রথ বানাই l প্রথমে যিনি ছিলেন তিনিই শেষে এসেছেন l তাঁকেই আবার প্রথমে যেতে হবে l ছবিতেও বোঝানো হয়েছে --ব্রহ্মার দ্বারা আমি আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের স্থাপন করি l এমন তো বলেন না যে, আমি দেবী - দেবতা ধর্মে আসি l তিনি যেই শরীরে এসে অবস্থান করেন, তিনিই গিয়ে নারায়ণ হন l বিষ্ণু অন্য কেউ নয় l লক্ষ্মী - নারায়ণ বা রাধা - কৃষ্ণের যুগল বলো l বিষ্ণু কে - এ কথাও কেউ জানে না l বাবা বলেন, আমি তোমাদের বেদ শাস্ত্র, সব চিত্র ইত্যাদির রহস্য বুঝিয়ে বলি l আমি যাঁর মধ্যে প্রবেশ করি, তিনিই আবার এমন হন l এ তো প্রবৃত্তি মার্গ, তাই না l এই ব্রহ্মা, সরস্বতীই আবার লক্ষ্মী - নারায়ণ হন l আমি এই ব্রহ্মার মধ্যে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণদের জ্ঞান দান করি l তাই এই ব্রহ্মাও শোনেন l

ইনি প্রথম নম্বর যিনি এই জ্ঞান শোনেন l ইনি হলেন বড় নদী ব্রহ্মপুত্র l মেলাও সাগর আর ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরেই হয় l যেখানে সাগর আর নদীর সঙ্গম সেখানে বড় মেলা বসে l আমি এঁর মধ্যে প্রবেশ করি l ইনিই নারায়ণ তৈরী হন l এনার ব্রহ্মার থেকে বিষ্ণু হতে এক সেকেণ্ড সময় লাগে l এঁর সাক্ষাত্কার হয়ে যায় আর চট্ করে দৃঢ় এসে যায় যে - আমিই এমন তৈরী হবো l আমিই বিশ্বের মালিক হবো l তাহলে এই গদি কি হবে ? তিনি সব ছেড়ে দিলেন l তোমরাও প্রথম জানতে পেরেছো যে, বাবা এসেছেন, এই দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে, তাই চট্ করে দৌড়ে যাবো l বাবা তোমাদের ভাগিয়ে আনেন নি l হ্যাঁ, ভাট্টি তৈরী হতো l বলা হয় কৃষ্ণ ভাগিয়ে নিয়ে এসেছিলো l আচ্ছা, কৃষ্ণ যদি ভাগিয়ে আনে তাহলে পাটরানী তো বানিয়েছিলো l তাহলে এই জ্ঞানে তোমরা এই বিশ্বের মহারাজা - মহারানী হও l এ তো ভালোই l এতে গালি খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই l আবার এও বলে, কলঙ্ক যখন লাগে তখনই কলঙ্কীধর তৈরী হয় l কলঙ্ক তো লাগে শিববাবার উপর l মানুষ তাঁর কতো গ্লানি করে l মানুষ বলে আমি আত্মাই পরমাত্মা আবার বলে পরমাত্মাই আত্মা l বাবা এখন বোঝাচ্ছেন -এমন হয় না l আমরা আত্মা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছি l ব্রাহ্মণ হলো সবথেকে উঁচু কুল l একে সাম্রাজ্য বলা হবে না l সাম্রাজ্য অর্থাত্ যেখানে রাজত্ব থাকে l এ হলো তোমাদের কুল l এ হলো খুবই সহজ, আমরা ব্রাহ্মণ থেকেই দেবতা হই তাই অবশ্যই দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে l সিগারেট, বিড়ি ইত্যাদি কি দেবতাদের ভোগে দেওয়া হয় ? শ্রীনাথ দ্বারে অনেক ঘিয়ের প্রসাদ প্রস্তুত হয় l এতো ভোগ দেওয়া হয় যে তার দোকানও তৈরী হয় l যাত্রীরা গিয়ে তা গ্রহণও করে l মানুষের অনেক ভক্তির ভাবনা থাকে l সত্যযুগে তো এমন কথা হয়ই না l এমন ভক্তিও সেখানে হবে না যে কোনো জিনিস খারাপ হবে l এখানের মতো অসুস্থতা সেখানে থাকবে না l বড় মানুষদের কাছে অজুহাত অনেকই থাকে l ওখানে তো এমন কোনো কথাই থাকে না l রোগ ইত্যাদিও হয় না l এই সব রোগ দ্বাপর যুগ থেকে শুরু হয় l বাবা এসে তোমাদের চির সুস্থ বানান l তোমরা বাবার স্মরণের পুরুষার্থ করো, যাতে তোমরা চিরসুস্থ হয়ে যাও l তোমাদের আয়ুও অনেক বেশী হয় l এ তো কালকের কথা l তখন তো তোমাদের ১৫০ বছর আয়ু ছিলো, তাই না l এখন তো গড় আয়ু ৪০ - ৫০ বছরের, কেননা ওরা ছিলো যোগী আর এরা ভোগী l



তোমরা হলে রাজযোগী এবং রাজঋষি, তাই তোমরা পবিত্র l এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ l মাস বা বছর নয় l বাবা বলেন যে, আমি কল্প - কল্প পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে আসি l বাবা আমাদের রোজ - রোজই বোঝাতে থাকেন l তবুও একটা কথা রোজই বলেন, কখনো ভুলে যেও না - পবিত্র হতে হলে আমাকে স্মরণ করো l নিজেকে আত্মা মনে করো l দেহের সমস্ত ধর্ম ত্যাগ করো l এখন তোমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে l আমি এসেছি তোমাদের আত্মাকে স্বচ্ছ করতে, যাতে তোমরা শরীরও পবিত্র পাবে l এখানে তো বিকারের দ্বারা জন্ম হয় l আত্মা যখন সম্পূর্ণ পবিত্র হয় তখন তোমরা এই পুরানো শরীর রূপী জুতোকে ত্যাগ করো l এরপর আর পাবে না l তোমাদের মহিমা হয় - বন্দে মাতরম্ l তোমরা এই ধরিত্রীকেও পবিত্র করো l তোমরা মায়েরা স্বর্গের দ্বার খোলো কিন্তু এ কথা কেউই জানে না l আচ্ছা l



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্নেহ, সুমন, স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের নমস্কার জানাচ্ছেন l

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. আত্মারূপী জ্যোতিকে প্রজ্জ্বলিত করার জন্য ভোরবেলা স্মরণের যাত্রায় বসতে হবে l এই স্মরণেই জং দূর হবে l আত্মাতে যে খাদ জমা হয়েছে, সেই খাদ স্মরণের দ্বারা দূর করে প্রকৃত সোনা হতে হবে l

২. বাবার থেকে উচ্চ পদের প্রাইজ নেওয়ার জন্য ভাবনার সঙ্গে জ্ঞানবান এবং গুণবান হতে হবে l সেবা করে দেখাতে হবে l

বরদান:-

এক বল, এক ভরসার আধারে মায়াকে সমর্পণ করিয়ে শক্তিশালী আত্মা ভব

এক বল, এক ভরসা অর্থাত্ সদা শক্তিশালী l যেখানে এক বল, এক ভরসা আছে সেখানে কেউ দোলা লাগাতে পারে না l তার সামনে মায়া মূর্ছিত হয়ে যায়, সমর্পণ হয়ে যায় l মায়া যদি সমর্পিত হয়ে যায় তাহলে সর্বদার জন্য বিজয়ী হয়ে গেলে l তাই এই নেশা যেন থাকে যে, বিজয় আমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার l এই অধিকার কেউই ছিনিয়ে নিতে পারে না l মনে এই স্মৃতি যেন ইমার্জ থাকে যে, আমরাই কল্প - কল্পের শক্তি এবং বিজয়ী পাণ্ডব হয়েছিলাম, এখনো আছি আর আবারও হবো l

স্লোগান:-

নতুন দুনিয়ার স্মৃতিতে সর্বগুণের আহ্বান করো আর তীব্রগতিতে এগিয়ে যাও* l