30.03.19       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


"মিষ্টি বাচ্চারা -
এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে, সুতরাং পুরানো দেহ আর পুরানো জগৎ থেকে মনকে ঊর্ধ্বে নিয়ে যাও। নিজের আত্মা রূপী ব্যাটারিকে চার্জ করার জন্য যোগ এর ভাট্টিতে বসো"

প্রশ্নঃ -
যোগে বসে বাবার দেওয়া কারেন্ট (শক্তি) কোন্ বাচ্চারা প্রাপ্ত করে ?

উত্তরঃ -
যাদের বুদ্ধি বাইরে ছুটে বেড়ায় না । নিজেকে আত্মা মনে করে বাবার স্মরণে বসে, তারাই বাবার দেওয়া কারেন্ট প্রাপ্ত করে থাকে । বাবা বাচ্চাদের লাইট আর শক্তির কারেন্ট (সকাশ প্রদান) করেন, বাচ্চাদের কাজও হল বাবার দেওয়া সেই কারেন্টকে ক্যাচ (উপলব্ধি, গ্রহণ) করা, কেননা ঐ কারেন্ট দ্বারাই আত্মা রূপী ব্যাটারি চার্জ হবে, শক্তি বৃদ্ধি হবে, বিকর্ম বিনাশ হবে । একেই যোগ অগ্নি বলা হয়, এরই অভ্যাস করতে হবে।

ওম্ শান্তি ।
ভগবানুবাচ । এখন বাচ্চাদের ঘরের কথা মনে পড়ে । বাবা তো ঘর আর রাজধানীর কথাই শোনাবেন আর বাচ্চারাও এটা বুঝেছে যে আমরা আত্মাদের ঘর কোথায় আছে ? আত্মা কি ? এটাও ভালো ভাবে বুঝেছে যে বাবা-ই এসে আমাদের পড়ান । বাবা কোথা থেকে আসেন ? পরমধাম থেকে । এমন বলবে না যে পবিত্র দুনিয়া তৈরি করার জন্য কেউ পবিত্র দুনিয়া থেকে আসেন । তা নয় । বাবা বলেন আমি সত্য যুগের পবিত্র দুনিয়া থেকে আসিনি, আমি তো পরমধাম ঘর থেকে এসেছি, যে ঘর থেকে তোমরা বাচ্চারা রোল প্লে করতে এসেছ । আমিও ড্রামানুসারে প্রতি ৫ হাজার বছর পরে ঘর থেকে আসি । আমি ঘরেই থাকি, পরমধামে । বাবা এমনই সহজভাবে বোঝান যেন শহর থেকে এসেছেন । তিনি বলেন যেমন তোমরা পার্ট প্লে করতে এসেছ, আমিও ওখান থেকে ড্রামানুসারে পার্ট প্লে করতে এসেছি । আমি নলেজফুল । ড্রামার প্ল্যান অনুসারে আমি সবকিছুই জানি ।

কল্পে-কল্পে এ কথাই আমি তোমাদের শোনাই । যখন তোমরা কাম চিতায় চড়ে কালো হয়ে যাও, পুড়ে ছাই হয়ে যাও । আগুনে মানুষ কালো হয়ে যায়, তাই না ! তোমরাও কালো হয়ে গেছ। তোমাদের ভিতর থেকে সমস্ত সতোপ্রধান শক্তি বেরিয়ে গেছে । আত্মা রূপী ব্যাটারি যেন এমন না হয় যে একদম ডিসচার্জ (শক্তি হীন) হয়ে মোটর ( শরীর) দাঁড়িয়ে পড়ল । এই সময় সবারই ডিসচার্জড হওয়ার মুহূর্ত এসে গেছে, তখনই বাবা এসে বলেন, ড্রামানুসারে আমি আসি যারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিল তাদের ব্যাটারি চার্জ হয় । তোমাদের ব্যাটারি এখনই চার্জ হয় । এমনটাও নয় যে শুধুমাত্র ভোরবেলায় এখানে এসে বসলে ব্যাটারি চার্জ হবে । না, ব্যাটারি চার্জ তো উঠতে, বসতে, চলতে ও হতে পারে-স্মরণে থাকলে । তোমরা প্রথমে সতোপ্রধান পবিত্র আত্মা ছিলে । খাঁটি সোনা, খাঁটি অলঙ্কার ছিলে । এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছ । এখন আবার আত্মা সতোপ্রধান হয়ে উঠতে থাকে সুতরাং শরীর ও পিওর প্রাপ্ত হবে। এটা খুব সহজ পিওর হওয়ার ভট্টি (অগ্নি কুন্ড), একে যোগ ভট্টিও বলা যেতে পারে । সোনাকেও ভট্টিতে নিক্ষেপ করা হয় । এটাও সোনাকে (আত্মা) শুদ্ধ করে তোলার ভট্টি, বাবাকে স্মরণ করার ভট্টি । পিওর তো অবশ্যই হতে হবে । স্মরণ না করলে অতটা পিওর হতে পারবে না । তারপর হিসেব-নিকেশও মেটাতে হবে, কেননা বিনাশের সময় । সবাইকে ঘরে ফিরে যেতে হবে । বুদ্ধিতে ঘরের স্মৃতি গেঁথে আছে । আর কারও বুদ্ধিতে নেই । ওরা ব্রহ্মকে ঈশ্বর বলে, তাকে ঘর বলে জানে না । তোমরা এই অনন্ত ড্রামার কুশীলব, ড্রামাকে তোমরা ভালোভাবেই জেনে গেছ । বাবা বুঝিয়েছেন ৮৪ চক্র সম্পূর্ণ হতে চলেছে । এখন ঘরে ফিরতে হবে । আত্মা এখন পতিত, সেইজন্যই ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান করো বলে- বাবা তুমি এসে পবিত্র করে তোল, নয়তো আমরা যেতে পারব না । বাবাই বসে এসব কথা বাচ্চাদের বোঝান। বাচ্চারাও এটা বুঝেছে, তবেই ওঁনাকে পিতা-পিতা বলে ডাকে । শিক্ষকও বলে । মানুষ তো কৃষ্ণকেই শিক্ষক ভেবে বসে আছে । তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ, কৃষ্ণ নিজেই অধ্যয়ন করত, সত্যযুগে । কৃষ্ণ কখনোই কারও শিক্ষক হয়নি । এমনটাও নয় যে-অধ্যয়ন করে তারপর শিক্ষক হয়েছে । কৃষ্ণের শৈশব থেকে বড়ো হওয়ার সমস্ত কাহিনী তোমরা বাচ্চারা জানো । মানুষ তো কৃষ্ণকে ভগবান ভেবে বলে থাকে যেদিকে তাকাও কৃষ্ণই কৃষ্ণ । রাম ভক্ত অনুরাগীরা বলে যেদিকে তাকাও শুধু রাম আর রাম । ভক্তি মার্গের সব সুতো জট পাকানো । তোমরা এখন জান ভারতের প্রাচীন যোগ আর জ্ঞান প্রসিদ্ধ ছিল । মানুষ তো কিছুই জানেনা । জ্ঞানের এক বাবাই যিনি তোমরা বাচ্চাদের জ্ঞান প্রদান করেন । সুতরাং তোমাদের ও মাস্টার জ্ঞানের সাগর বলা হবে । কিন্তু নম্বরনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী । তোমাদের সাগর না নদী বলা উচিত ? তোমরা হলে জ্ঞান গঙ্গা । মানুষ এখানেও সংশয় প্রকাশ করে । মাস্টার জ্ঞান সাগর বলাই সঠিক ।

বাবা বাচ্চাদের শিক্ষা প্রদান করেন, এখানে পুরুষ, নারীর কোনও প্রশ্নই নেই । বাবার অবিনাশী বর্সা তোমরা সব আত্মারাই প্রাপ্ত কর, তাই বাবা বলেন দেহী-অভিমানী হও । যেমন আমি পরম আত্মা জ্ঞানের সাগর তেমনি তোমরাও জান সাগর । আমাকে পরমপিতা পরমাত্মা বলা হয় । আমার কর্তব্য সর্বোচ্চ । রাজা-রাণীর কর্তব্যও কত উচ্চ হয় তাই না! তোমাদের কর্তব্যকেও উচ্চ স্থানে রাখা হয়েছে । এখন তোমরা জান আমরা আত্মারা অধ্যয়ণ করছি, পরমাত্মা পড়াচ্ছেন আর তাই দেহী -অভিমানী হও । এখানে সব আত্মারা ভাই-ভাই । বাবা কত পরিশ্রম করেন । এখন তোমরা আত্মারা জ্ঞান অর্জন করে চলেছ ,তারপর ওখানে (সত্য যুগে) গিয়ে প্রালব্ধ ভোগ করাই চলবে । ওখানে সবাই ভ্রাতৃত্বের স্নেহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বাস করে। ভ্রাতৃত্ব সুলভ প্রেম সঠিক হওয়া উচিত । কাকে সম্মান দেব ,কাকে দেবনা ••••• এমনটা কিন্তু নয় । লৌকিক মানুষরা বলে - হিন্দু-মুসলমান ভাই-ভাই কিন্তু একে অপরকে সম্মান করেনা । ভাই বোন নয় ,ভাই -ভাই বলাটাই সঠিক । আত্মারা এখানে রোল প্লে করতে এসেছে । ওখানেও ভ্রাতৃত্ব প্রেমেই সবাই বাস করে । ঘরেও (পরমধাম) নিশ্চয়ই সবাই ভাই-ভাই রূপেই থাকবে । ভাই-বোনের এই যে বস্ত্র (শরীর) তা তো এখানেই ছেড়ে যেতে হবে।ভাই-ভাই জ্ঞান বাবাই এসে দিয়ে থাকেন । ভ্রুকুটির মাঝখানে আত্মার বাস । তোমাদের দৃষ্টি ও এখানে দিতে হবে । আমরা আত্মারা শরীর রূপী সিংহাসনে বসে আছি । শরীরকে আত্মার সিংহাসন বলা হয় । আত্মাকে কখনও কাল (সময়, এখানে আত্মা অমর, তাই বোঝান হয়েছে) খায়না । সবারই আসন এখানে-ভ্রুকুটির মাঝখানে । এর উপরেই অকাল আত্মা বিরাজ করছে । কত বোঝার বিষয় । বাচ্চার মধ্যে ও যখন আত্মা প্রবেশ করে ভ্রুকুটির মাঝখানে স্থিত হয় । ঐ ছোট আসন তারপর ধীরে ধীরে বড়ো হতে থাকে । এখানে আত্মাকে গর্ভেও কষ্ট ভোগ করতে হয় তখন অনুতপ্ত হয়ে বলে-- আমি আর কখনও পাপ-আত্মা হব না । অর্ধকল্প ধরে পাপ আত্মায় পরিণত হও । এখন বাবা দ্বারা পাবন আত্মা হয়ে উঠছ। তোমরা তন-মন-ধন সবকিছুই বাবাকে দান করে দাও। এত কিছু দানের কথা কেউ জানেনা । দান গ্রহণকারী আর দান প্রদানকারীরাই ভারতে আসে। এসব সূক্ষ্ম বিষয় বোঝার ব্যপার । ভারত অবিনাশী খন্ড আর অবশিষ্ট সব খন্ড ধ্বংস হয়ে যাবে । ড্রামায় এটাই পূর্ব নির্ধারিত। এসব এখন তোমাদের বুঝতে আছে । দুনিয়ার আর কেউ জানেনা । একে নলেজ বলাই সঠিক । নলেজ হলো সোর্স অফ ইনকাম ( উপার্জনের পথ),এর মাধ্যমে অনেক উপার্জন করা যায়। বাবাকে স্মরণ কর , এই নলেজ দিয়ে থাকেন তারপর সৃষ্টি চক্রের নলেজ ও প্রদান করেন । এতেই পরিশ্রম । আমরা আত্মাদের এখন ফিরে যেতে হবে সেইজন্য এই পুরানো দুনিয়া আর পুরানো শরীর থেকে ডিট্যাচ হতে হবে (মোহমুক্ত, আসক্তিহীন )। দেহ সহ যা কিছু দেখছ সবকিছুই বিনাশ হয়ে যাবে । এখন আমরা ট্রান্সফার ( স্থান পরিবর্তন)হতে যাচ্ছি । একথা বাবাই বলতে পারেন । অনেক বড়ো পরীক্ষা, যা বাবাই এসে পড়ান । এখানে বইপত্র ইত্যাদি প্রয়োজন নেই । বাবাকে স্মরণ করতে হবে । বাবা ৮৪ চক্র বুঝিয়ে বলেন । ড্রামার সময়সূচি তো কেউ জানেনা । গভীর অন্ধকারে ঘুমিয়ে আছে সবাই । তোমরা এখন জেগে উঠেছ, মানুষ তো জাগে না । তোমরা কত পরিশ্রম করছ, ওরা বিশ্বাসই করতে পারেনা যে ভগবান এদের পড়াচ্ছেন । কারও মধ্যে তো অবশ্যই আসবেন, তাইনা! এখন বাবা আত্মাদের পরামর্শ দিচ্ছেন-- কি কি করলে মানুষ বুঝতে পারবে । তোমাদের জন্য তো সহজ, নম্বরনুসার তো আছেই । স্কুলেও নম্বরনুসার হয় ।পড়াশোনাতেও নম্বর অনুসারে আছে। এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠের মাধ্যমেই বড়ো রাজধানী স্থাপন হতে চলেছে । এমন ভাবেই পুরুষার্থ করতে হবে যাতে আমরা রাজা হতে পারি । এই সময় যেমন পুরুষার্থ করবে তেমনই কল্প-কল্পান্তর ধরে করবে । একে ঈশ্বরীয় লটারি বলা হয় । কেউ সামান্য, কেউ বা বড়ো লটারি প্রাপ্ত করে । এই লটারি রাজ্য ভাগ্যের জন্য । আত্মা যেমন কর্ম করবে, তেমনই লটারি প্রাপ্ত করবে । কেউ গরিব হয়, আবার কেউ বিত্তবান হয় । এই সময় তোমরা বাচ্চারা সম্পূর্ণ লটারি বাবার কাছ থেকে পেয়ে থাক। সবটাই পুরুষার্থের উপর নির্ভর করে । প্রথম নম্বরের পুরুষার্থ হলো স্মরণের । সুতরাং সর্বপ্রথম যোগবল দ্বারা স্বচ্ছ হতে হবে । তোমরা জানো যত আমরা বাবাকে স্মরণ করব ততই নলেজের ধারণা হবে আর অনেককে বুঝিয়ে নিজের প্রজা করে তুলতে সক্ষম হব। হলোই বা অন্য কোনো ধর্মের, যখন একত্রে মিলিত হও তখন বাবার পরিচয় প্রদান কর । এগিয়ে যেতে যেতে সে ও দেখবে বিনাশ সামনে অপেক্ষা করছে । বিনাশের সময় মানুষের মধ্যে বৈরাগ্য আসে । আমাদের শুধু বলতে হবে-তুমি আত্মা । হে গড ফাদার ! কে বলে ? আত্মা বলে । এখন বাবা আত্মাদের বলেছেন আমি তোমাদের গাইড হয়ে মুক্তিধামে নিয়ে যাব । বাকি আত্মাদের তো বিনাশ হয়না সুতরাং মোক্ষ লাভের কোনও প্রশ্নই ওঠেনা । প্রত্যেককে নিজ নিজ রোল প্লে করতে হবে । আত্মারা সবাই অমর, কখনোই বিনাশ হয় না । শুধু ওখানে (সত্য যুগে)যাওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে । ঘরে যেতে পারবে।শেষে গিয়ে সন্ন্যাসীরা ও বুঝবে, ফিরে তো সবাইকেই যেতে হবে । তোমাদের প্রচার সবার বুদ্ধিকে সজাগ করে তুলবে । তবেই তো মহিমা করা হয়েছে - হে প্রভু •••তোমার গতি মতি তুমিই জানো। তাহলে নিশ্চয়ই কাউকে মত দেবেন, নাকি নিজের কাছে রাখবেন ? ওনার মতের দ্বারা সদ্গতি কিভাবে প্রাপ্ত হয়, তা তো অবশ্যই বলবে, তাইনা ! ওরা বলবে তোমার গতি-মতি তুমিই জানো, আমরা জানিনা । এটা কোনও কথার কথা হলো ! বাবা বলেন - এই শ্রীমতে তোমাদের গতি হয়ে যায় ।

এখন তোমরা জানো বাবা যা জানেন তাই আমাদের শেখান । তোমরা বলবে আমরা বাবাকে জানি । ওরা গেয়ে থাকে তোমারই গতি-মতি তুমিই জানো । কিন্তু তোমরা এমনটা বলবে না । বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান ধারণ হতে সময় লাগবে । সম্পূর্ণ তো এখনও কেউ হয়নি । সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই এখান থেকে চলে যাবে । এখন যাওয়া যাবে না । এখন সবাই পুরুষার্থ করছে । যদিও বাবার (ব্রহ্মা বাবা) তীব্র বৈরাগ্য এসেছিল, তিনি সাক্ষাত্কার করেছিলেন দ্বিমুকুটধারী হতে চলেছি-- এটাও ড্রামানুসারে বাবা দেখিয়েছেন, আর আমি সেটা দেখেই খুশি হয়ে উঠেছিলাম । আর খুশিতে আমি সব কিছু ত্যাগ করেছিলাম । বিনাশও যেমন দেখেছি, চতুর্ভুজও দেখেছি । বুঝেছিলাম এখন রাজ্য অধিকারী হতে চলেছি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই সবকিছু বিনাশ হয়ে যাবে । এমনই নেশা (ঈশ্বরীয় খুশির অনুভব) বৃদ্ধি পেতে লাগল । বোঝা গিয়েছিল এটা ঠিক, রাজধানী হবে । অনেক মানুষ এর অংশীদার হবে । একা আমি সেখানে গিয়ে কি করব । এই জ্ঞান এখনই (সঙ্গম যুগে)প্রাপ্ত হয়। প্রথমেই খুশির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে । পুরুষার্থ তো সবাইকেই করতে হবে । তোমরাও পুরুষার্থ করার জন্য বসেছ । ভোরবেলায় উঠে স্মরণে বস । স্মরণের জন্য এইভাবে বসা ভালো । তোমরা জান বাবা এসেছেন । বাবা এসেছেন বা দাদা এসেছেন, এটা তো জানেন শিববাবা আর ওঁনার রথ (ব্রহ্মা বাবা) যার মধ্যে উনি প্রবেশ করেন (গুঁড় জানে আ গুঁড়ের পাত্র জানে) । প্রতিটি বাচ্চাকে দেখেন । প্রতিটি বাচ্চাকে বসে সকাশ দেন । যোগ অগ্নি তাইনা ! যোগ অগ্নি দ্বারা অনেক বিকর্ম ভস্ম হয়ে যায় । ঠিক যেন বসে লাইটের প্রকাশ ফেলেন । প্রতিটি আত্মাকে সার্চলাইট দেন।বাবা বলেন আমি প্রতিটি আত্মাকে বসে কারেন্ট দিই যাতে শক্তি ভরপুর হয়ে যায় । যদি স্মরণে বসে বুদ্ধি বাইরে ছুটে বেড়ায় তবে বাবার দেওয়া কারেন্ট ক্যাচ (গ্রহণ)করতে পারবে না । বুদ্ধি যাদের ছুটে বেড়ায় । তাদের আর কি প্রাপ্তি হবে ? বলাও হয়ে থাকে মিষ্টি ব্যবহারের বদলে সবাই মিষ্টি ব্যবহারই করবে, তোমরা ভালোবাসা দিলে ভালোবাসাই পাবে । বুদ্ধি বাইরে বিভ্রান্ত হয়ে ছুটে বেড়ালে আত্মা রূপী ব্যাটারি চার্জ হবে না । বাবা আত্মাদের ব্যাটারি চার্জ করতেই আসেন, ওঁনার কর্তব্য হল সার্ভিস দেওয়া । বাচ্চারা বাবার সার্ভিসকে স্বীকার করে কি করে না সে তো তাদের আত্মাই জানে যে, সে বসে বসে কী চিন্তা করছে। এসবই বাবা বুঝিয়ে বলেন । বাবা বলেন আমি পরম আত্মা । আমি ব্যাটারি আমার সাথেই তোমরা যোগযুক্ত হও । আমিও তখন তোমাকে লাইট আর শক্তির কারেন্ট (সকাশ) দেবো। তোমরা তো বসবে বাবাকে স্মরণ করতে । অনেক স্নেহপূর্ণ ভাবে এক একজনকে লাইট আর শক্তির কারেন্ট (সকাশ) দিয়ে থাকি । তোমরা তো বসবে বাবাকে স্মরণ করতে । সামনে বসে লাইট দিই। তোমরা তো এমনটা করবে না । যে গ্রহণ করতে পারবে, সে গ্রহণ করবে, তার আত্মা রূপী ব্যাটারি চার্জ হয়ে যাবে । বাবা প্রতিদিন যুক্তি বলে দিতে থাকেন । বোঝা না বোঝা- সে তো নম্বরানুসারে স্টুডেন্টদের উপর নির্ভর করছে । অনেক অনেক পুষ্টিকর জিনিস দেওয়া হয়েছে, কেউ হজম করবে তবে তো ! এ হলো বড়ো লটারি, জন্ম-জন্মান্তর, কল্প-কল্পান্তরের লটারি । এর প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে । বাবার কাছ থেকে আমরা শক্তি গ্রহণ করছি। বাবা ভ্রুকুটির মাঝখানে একপাশে বসে আছেন । তোমাদেরও নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে । ব্রহ্মাকে নয় । আমরা ওঁনার সাথেই যোগযুক্ত হয়ে বসেছি, ব্রহ্মা বাবাকে দেখলেও আমরা শিব বাবাকেই দেখি । এ তো আত্মারই কথা, তাই না ! আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন-স্মরণ-ভালোবাসা আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) আত্মাকে স্বচ্ছ করে তোলার জন্য অমৃতবেলায় উঠে বাবার কাছ থেকে সার্চলাইট গ্রহণ করতে হবে । বুদ্ধিযোগ বাইরে থেকে সরিয়ে নিয়ে এক বাবার প্রতি যুক্ত করতে হবে । বাবার দেওয়া কারেন্ট ক্যাচ করতে হবে ।

২ ) নিজেদের মধ্যে ভাই ভাই এর সত্যিকারের ভালোবাসা রেখে থাকতে হবে । সবাইকে সম্মান দিতে হবে । আত্মা রূপী ভাই অমর সিংহাসনে বিরাজমান, সুতরাং কথা বলার সময় ভ্রুকুটির দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হবে ।

বরদানঃ-
বাবার সংস্কার গুলিকে নিজের অরিজিনাল সংস্কার বানাতে সমর্থ শুভ ভাবনা, শুভ কামনাধারী ভব

এখনও পর্যন্ত কিছু বাচ্চার মধ্যে হতাশ হওয়ার ফিলিং এর, নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার, পরচিন্তন করা বা শোনার ভিন্ন -ভিন্ন সংস্কার আছে । তারা বলে থাকে কি করব এটাই আমার সংস্কার এই 'আমার' শব্দটাই পুরুষার্থকে দুর্বল করে তোলে । এই শব্দ রাবণের, আমার নয়। বাবার যা সংস্কার, সেটাই ব্রাহ্মণদের অরিজিনাল সংস্কার । সেই সংস্কার হল বিশ্ব কল্যাণকারী, শুভ চিন্তাধারী ।সকলের প্রতি শুভ ভাবনা, শুভ কামনাকারী ।

স্লোগানঃ-
যারা সমর্থ স্বরূপ, তারাই সর্ব শক্তি সম্পন্ন খাজানার অধিকারী হতে পারে।