২৩-০৪-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিজের কর্মের চার্ট বা পোতামেল চেক করো যে সারাদিন বাবাকে কতবার স্মরণ করছি, কোনও ভুল তো করিনি ? কারণ তোমরা প্রত্যেকে হলে ব্যাপারী"

প্রশ্ন:-

অন্তর্মুখী হয়ে কোন্ একটি পরিশ্রম করলে অপার খুশী থাকবে ?

উত্তর:-

জন্ম-জন্মান্তর যা কিছু করেছ, যা কিছু সামনে আসতে থাকে, সেসব থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে সতো প্রধান হওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করার পরিশ্রম করতে থাকো। চারিদিক থেকে বুদ্ধি সরিয়ে অন্তর্মুখী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো। সার্ভিসের প্রমাণ দাও তাহলেই অপার খুশী থাকবে ।

ওম্ শান্তি ।

বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান, এই কথা তো বাচ্চারা জানে যে আত্মাদের পিতা পরমাত্মা (রূহানী পিতা) আত্মা রূপী বাচ্চাদের (রূহানী বাচ্চাদের) বসে বোঝাচ্ছেন। আত্মাদের পিতা পরমাত্মা হলেন অসীম জগতের (বেহদের) পিতা। আত্মা রূপী বাচ্চারাও হল অসীম জগতের বাচ্চা। বাবার তো সব বাচ্চাদের সদগতি প্রদান করতে হবে। কাদের দ্বারা ? এই বাচ্চাদের দ্বারা তিনি বিশ্বের সদগতি করবেন । সম্পূর্ণ বিশ্বের বাচ্চারা তো এখানে এসে অধ্যয়ণ করে না। নাম-ই হল ঈশ্বরীয় বিশ্ব-বিদ্যালয়। মুক্তি তো সবার হয়। মুক্তি বলো বা জীবনমুক্তি বলো, মুক্তি-তে গিয়ে সবাইকে জীবনমুক্তিতে আসতেই হবে। অতএব এমন বলা হবে- সবাই জীবনমুক্তিতে আসে ভায়া মুক্তিধাম। একে অপরের পিছনে আসতেই হবে পার্ট প্লে করতে। ততক্ষণ মুক্তিধামে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। বাচ্চারা এখন রচয়িতা ও রচনার কথা জেনেছে। এই সম্পূর্ণ রচনা হল অনাদি। রচয়িতা হলেন একমাত্র বাবা। এই সব আত্মারা যে আছে, সবাই অসীম জগতের পিতার সন্তান। যখন বাচ্চারা জানতে পারে তখন তারা-ই যোগ শিখতে আসে। এই যোগ হল ভারতের জন্যে। বাবা আসেন ভারতে। ভারতবাসীদের-ই যোগের যাত্রা শিখিয়ে পবিত্র করেন এবং নলেজ প্রদান করেন যে এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে পরিক্রম করে, এইসব বাচ্চারা এখন জানে। রুদ্র মালা আছে যার গায়ন হয়, পূজন হয়, স্মরণ করা হয়। ভক্ত মালাও আছে। উঁচুর চেয়ে উঁচু হল ভক্তের মালা আছে। ভক্ত মালার পরে হবে জ্ঞান মালা। ভক্তি ও জ্ঞান আছে, তাইনা। ভক্ত মালাও আছে তো রুদ্র মালাও আছে। পরে আবার রুন্ড মালাও বলা হয় কারণ উঁচুর চেয়ে উঁচু হলেন মনুষ্য সৃষ্টিতে বিষ্ণু, যাকে সূক্ষ্মবতনে দেখানো হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো হলেন ইনি, এনার মালাও আছে। শেষে যখন এই মালা তৈরি হয়ে যাবে তখন এই রুদ্র মালা ও বিষ্ণুর বৈজয়ন্তি মালাও তৈরি হবে। উঁচুর চেয়ে উঁচু হলেন শিববাবা পরে উঁচুর চেয়ে উঁচু হল বিষ্ণুর রাজত্ব। শোভা বৃদ্ধির জন্যে ভক্তিমার্গে কত চিত্র বানানো হয়েছে। কিন্তু জ্ঞান কিছুই নেই। তোমরা যে চিত্র তৈরি কর তার পরিচয় দিলে মানুষ বুঝবে। নাহলে শিব ও শঙ্কর এক করে দেয়।



বাবা বুঝিয়েছেন সূক্ষ্মবতনেও সমস্ত সাক্ষাৎকারের কথা আছে। হাড় মাংস সেখানে থাকে না। সাক্ষাৎকার করে। সম্পূর্ণ ব্রহ্মাও আছেন কিন্তু তিনি হলেন সম্পূর্ণ, অব্যক্ত। এখন ব্যক্ত ব্রহ্মা যিনি আছেন তাঁকে অব্যক্ত হতে হবে। ব্যক্ত-ই অব্যক্ত হয়, যাকে ফরিস্তা বলা হয়। তাঁর চিত্র সূক্ষ্মবতনে রাখা হয়েছে। সূক্ষ্ম বতনে গিয়ে, বলে বাবা অমৃতরস (সূবীরস) পান করালেন। এবারে সেখানে গাছপালা ইত্যাদি কিছুই হয় না। বৈকুণ্ঠে আছে, কিন্তু এমনও নয় বৈকুণ্ঠ থেকে নিয়ে এসে পান করাবেন। এইসব হল সূক্ষ্ম বতনে সাক্ষাৎকারের কথা। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে, ঘরে অর্থাৎ পরমধাম ফিরতে হবে এবং আত্ম অভিমানী হতে হবে। আমি আত্মা অবিনাশী, এই শরীর হল বিনাশী। আত্মার জ্ঞানও তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে। তারা তো আত্মার বিষয়ে জানে না। তাদের তো এই কথাও জানা নেই যে কিভাবে আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা আছে। এই নলেজ কেবল বাবা-ই প্রদান করেন। নিজের (ওঁনার পরিচয়) নলেজও দেন। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান করেন। ব্যস, এই পুরুষার্থ করতে থাকো - আমরা হলাম আত্মা, এখন পরমাত্মার সঙ্গে যোগ যুক্ত হতে হবে। সর্বশক্তিমান পতিত-পাবন একমাত্র বাবাকেই বলা হয়। সন্ন্যাসীরা বলে পতিত-পাবন এসো। কেউ তো আবার ব্রহ্মকে পতিত-পাবন বলে। এখন বাচ্চারা তোমাদের ভক্তির জ্ঞানও প্রাপ্ত হয়েছে যে ভক্তি কত সময় চলেছে, জ্ঞান কত সময় চলে ? এইসব বাবা বসে বোঝান। প্ৰথমে কিছুই জানা ছিল না। মানুষ হয়েও তুচ্ছ বুদ্ধি হয়ে গেছে। সত্যযুগে খুব স্বচ্ছ বুদ্ধি ছিলে। তাঁদের মধ্যে কত দৈবী গুণ ছিল। বাচ্চারা তোমাদের দৈবী গুণ অবশ্যই ধারণ করতে হবে। কথায় বলে না মানুষ তো নয় যেন দেবতা । যদিও সাধু, সন্ন্যাসী, মহাত্মাদের লোকেরা সম্মান করে তবুও তাদের দৈবী বুদ্ধি তো নয়। রজোগুণী বুদ্ধি হয়ে যায়। রাজা, রানী, প্রজা আছে, তাইনা। রাজধানী কখন এবং কিভাবে স্থাপন হয় - সেই কথা দুনিয়া জানে না। এখানে তোমরা সব নতুন কথা শোনো। মালার রহস্যও বোঝানো হয়েছে। উঁচুর চেয়ে উঁচু হলেন শিববাবা। তাঁর মালা উপরে রয়েছে, তিনি হলেন রুদ্র নিরাকার তারপরে হলেন সাকার লক্ষ্মী নারায়ণ তাঁদেরও মালা আছে। ব্রাহ্মণদের মালা এখন তৈরি হয় না। শেষ সময়ে তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের মালাও তৈরি হয়। এইসব কথায় বেশী প্রশ্ন উত্তর করার প্রয়োজন নেই। মূল কথা হল নিজেকে আত্মা ভেবে পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করো। এই বিশ্বাস দৃঢ় মজবুত হওয়া চাই। মূল কথা হল পতিতদের পবিত্র করা। সম্পূর্ণ দুনিয়া হল পতিত, তাদের পবিত্র করতে হবে। মূলবতনেও সবাই পবিত্র থাকে, তো সুখধামেও সবাই পবিত্র থাকে। তোমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ায় প্রবেশ কর। বর্তমানে পবিত্র দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে। এই সব ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে।



বাবা বলেন, সারা দিনের কর্মের চার্ট (পোতামেল) দেখো - কোনো ভুল হয়নি তো ? ব্যবসায়ী গণ হিসাবের খাতা দেখেন, এইটিও ধন উপার্জন তাইনা। তোমরা প্রত্যেকে এক একজন ব্যবসায়ী। বাবার সঙ্গে ব্যবসা কর। নিজেকে পরখ করা উচিত - আমাদের মধ্যে কত গুলি দৈবী গুণ আছে ? বাবাকে কত স্মরণ করি ? আমরা কতবার অশরীরী অবস্থায় থাকি ? আমরা অশরীরী এসেছিলাম আবার অশরীরী হয়ে ফিরে যেতে হবে। এখনও সবাই আসছে। মধ্যিখানে কারো ফিরে যাওয়ার নেই। সবাইকে একসাথেই ফিরতে হবে। যদিও সৃষ্টি খালি থাকে না, গায়ন আছে রাম গেল, রাবণ গেল ... কিন্তু থাকে দুইজনেই। রাবণ সম্প্রদায় চলে গেলে আর ফিরে আসেনা। কিছু জন বাকি থেকে যায়। এইসব ভবিষ্যতে গিয়ে সব সাক্ষাৎকার হবে। এই কথা জানতে হবে যে নতুন দুনিয়ার স্থাপনা কিভাবে হচ্ছে, পরবর্তীকালে কি কি হবে ? তখন শুধুমাত্র আমাদের ধর্ম রয়ে যাবে। সত্যযুগে তোমরা রাজ্য করবে। কলিযুগ শেষ হয়ে যাবে, তারপরে সত্যযুগ আসবে। এখন রাবণ সম্প্রদায় ও রাম সম্প্রদায় দুই-ই আছে। সঙ্গমযুগেই এইসব হয়। এখন তোমরা এইসব কিছু জানো। বাবা বলেন যে রহস্য উন্মোচন এখনো বাকি রয়েছে , সেসব ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে বোঝানো হবে। যা রেকর্ডে আছে , সেসব জানতে পারবে। তোমরা বুঝতে পারবে। আগে থেকেই কিছু বলা হবে না। এও ড্রামার প্ল্যান , রেকর্ড উন্মোচিত হয়। বাবা বলতে থাকেন। তোমার বুদ্ধিতে এইসব কথা বুঝবার শক্তি বেড়ে যায়। যেমন যেমন বাবার রেকর্ড বাজবে তেমন ভাবে বাবার মুরলি চলবে। ড্রামার রহস্য সম্পূর্ণ টি ভরা আছে। এমন নয়, রেকর্ড থেকে পিন সরিয়ে মাঝখানে রাখতে পারবে যাতে আবার রিপিট হোক। না, সেসব আবার নতুন করে রিপিট হবে। কোনো নতুন কথা নয়। বাবার কাছে যা কিছু নতুন কথা থাকবে সব রিপিট হবে। তোমরা শুনবে ও শোনাবে। বাকি সবকিছু গুপ্ত থাকবে। এই ভাবে রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। পুরো মালা-টি তৈরি হচ্ছে। তোমরা ভিন্ন ভিন্ন রাজার বংশে জন্ম নেবে। রাজা, রানী, প্রজা সবই চাই। এসবের জন্যে বুদ্ধি দ্বারা কাজ নিতে হবে। প্রাক্টিক্যালে যা হবে দেখা যাবে। যারা এখান থেকে যায় তারা ধনী ঘরে জন্ম নেয়। এখনও সেখানে তোমাদের অনেক আপ্যায়ন করা হয়। এই সময়েও রত্ন জড়িত সামগ্রী অনেকের কাছেই রয়েছে । কিন্তু তাদের মধ্যে এত শক্তি নেই, শক্তি রয়েছে তোমাদের মধ্যে । তোমরা যেখানে যাবে সেখানে নিজেদের প্রত্যক্ষ করাবে। তোমরা তো উচ্চ মানের হয়ে ওঠো, তাই তোমরা সেখানে গিয়ে নিজেদের দৈবী চরিত্র প্রদর্শন করবে। অসুরী বাচ্চারা জন্ম থেকেই কাঁদবে। অপবিত্র হতে থাকবে। তোমরা খুব নিয়ম অনুযায়ী প্রতিপালিত হবে। অপবিত্রতার কোনো চিহ্নই থাকবে না। আজকালকার বাচ্চারা তো অপবিত্র হয়ে যায়। সত্যযুগে এমন হতে পারে না। সেই সময়টা তো হেভেন বা স্বর্গ, তাইনা। সেখানে কোনো রূপ দুর্গন্ধ নেই যে বলতে হবে ধুপকাঠি জ্বালাও। বাগানে অনেক রকমের সুগন্ধিত ফুল থাকবে। এখানকার ফুলে এমন সুগন্ধ নেই। সেখানে তো প্রত্যেকটি জিনিসে ১০০ শতাংশ সুগন্ধ থাকে। এখানে তো ১ শতাংশও নেই। সেখানে তো ফুলের কোয়ালিটি ফার্স্টক্লাস হবে। এখানে যতই কেউ ধনী, সম্পদশালী হোক না কেন তবুও সেই রকমের হবে না। সেখানে তো বিভিন্ন রকমের জিনিস থাকবে। বাসন ইত্যাদি সবই সোনার হবে। যেমন এখানকার পাথর, সেখানে হবে সোনা আর সোনা। বালিতেও সোনা থাকবে। ভেবে দেখো - কত সোনা হবে! যার দ্বারা বাড়ি ঘর তৈরি হবে। সেখানে এমন ঋতু থাকবে - না শীত, না গ্রীষ্ম। সেখানে গরমের প্রকোপ থাকবে না যে ফ্যান বা পাখা চালাতে হবে। তার নামই হল স্বর্গ। সেখানে অপার সুখ থাকবে। তোমাদের মতন লক্ষকোটি গুণ (পদ্মাপদম) ভাগ্যবান আর কেউ হয় না। লক্ষ্মী-নারায়ণের কত মহিমা গাওয়া হয়। যিনি তাঁদের এমন তৈরি করেন, তাঁর কত মহিমা গায়ন হওয়া উচিত ! প্ৰথমে হয় অব্যভিচারী ভক্তি, তারপরে দেবতাদের ভক্তি আরম্ভ হয়। তাকেও ভূত পূজো বলা হবে। শরীর তো আর সেইরূপ নেই। পাঁচ তত্বের পূজা হয়। শিববাবার জন্যে এমন বলা হবে না। পূজা করার জন্য কোনও জিনিসের বা সোনার মূর্তি তৈরি করা হয়। আত্মাকে সোনা বলা হবে না। আত্মা কি দিয়ে তৈরি ? শিবের চিত্র কি দিয়ে তৈরি হয় তা চট করে বলতে পারবে। কিন্তু আত্মা-পরমাত্মা কি দিয়ে তৈরি হয়েছে, তা কেউ বলতে পারে না। সত্যযুগে ৫-টি তত্বও শুদ্ধ হয়। এখানে সবই অশুদ্ধ। অতএব পুরুষার্থী বাচ্চারা এমন এমন চিন্তন করবে। বাবা বলেন সব কথাকে ত্যাগ করো। যা হওয়ার হবে। প্ৰথমে বাবাকে স্মরণ করো। চারিদিক থেকে বুদ্ধি সরিয়ে মামেকম্ স্মরণ করো (কেবলমাত্র আমাকে স্মরণ করো), তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। যা কিছু শোনো সেসব ছেড়ে একটি কথা পাকা করো যে আমাদের সতোপ্রধান হতে হবে। তারপরে সত্যযুগে যা কল্প-কল্প হয়েছে, তাই হবে। তাতে কোনও তফাৎ হবে না। মূল কথা হল, বাবাকে স্মরণ করো। এইটি হল পরিশ্রম। সেটাই সম্পূর্ণ রূপে করো। ঝড়, তুফান তো অনেক আসবে। জন্ম জন্মান্তর যা কিছু করেছ, সেসব সামনে আসে। অতএব সব দিক থেকে বুদ্ধি সরিয়ে আমাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ করো, অন্তর্মুখী হয়ে। বাচ্চারা, তোমাদের মনে পড়েছে, তাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। সার্ভিস দ্বারা সব কিছু জানা যায়। সার্ভিস যারা করে তাদের সার্ভিস করার খুশী থাকে। যারা ভালো সার্ভিস করে তাদের সার্ভিস করার প্রমাণ পাওয়া যায়। পান্ডা রূপে অর্থাৎ গাইড রূপে আসে। কে মহারথী, কে সহিস, কে পেয়াদা, সেসব জানতে পারা যায়। আচ্ছা !



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. অন্য সব কথা ত্যাগ করে, বুদ্ধিকে চারিদিক থেকে সরিয়ে সতো প্রধান হওজন্য অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে।

২. বুদ্ধিতে সু-চিন্তা রাখতে হবে, আমাদের রাজ্যে (স্বর্গে) কি-কি হবে, সেই বিষয়ে চিন্তন করে নিজেকে সেইরূপ উপযুক্ত চরিত্রবান বানাতে হবে। এখান থেকে (কলিযুগ থেকে) বুদ্ধিকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।

বরদান:-

অল্পকালের অবলম্বনের ভরসা ত্যাগ করে একমাত্র বাবাকে অবলম্বন রূপে স্বীকার করতে পারা যথার্থ পুরুষার্থী ভব

পুরুষার্থের অর্থ এই নয় যে একবার করা ভুল বার-বার করতে থাকো এবং পুরুষার্থকে নিজের অবলম্বন ভেবে নাও। যথার্থ পুরুষার্থী অর্থাৎ পুরুষ (আত্মা রূপী কর্তা) হয়ে রথের দ্বারা কার্য পরিচালনা করাতে পারা। এখন অল্পকালের অবলম্বনের ভরসা ত্যাগ করো। অনেক বাচ্চারা বাবার পরিবর্তে দেহের সম্পর্ক গুলিকে ভরসা করে অবলম্বন বা আশ্রয় ভেবে নেয়, সে নিজের স্বভাব-সংস্কার হোক, বা পরিস্থিতি, সবই হল অল্পকালের অবলম্বন। এ সবই হল বাহ্য আড়ম্বর যুক্ত, প্রপঞ্চময়। একমাত্র বাবার অবলম্বন-ই হল ছত্রছায়া।

স্লোগান:-

নলেজফুল হল সে যে মায়াকে দূর থেকে পরখ করে নিজেকে শক্তিশালী করে নেয়।