০৬-০৪-১৯ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা ২১ জন্মের জন্যে তোমাদের এমন আনন্দে ভরে দেন যে তোমাদের আনন্দ উপভোগ করতে মেলা ইত্যাদিতে যাওয়ার দরকার নেই"
প্রশ্ন:-
যে বাচ্চারা এখন বাবার সহযোগী হয় তাদের জন্যে কি কি গ্যারান্টি রয়েছে ?
উত্তর:-
শ্রীমৎ অনুসারে রাজধানী স্থাপনের কাজে সহযোগী বাচ্চাদের জন্যে গ্যারান্টি রয়েছে যে, তাদের কখনও কাল বা মৃত্যু গ্রাস করতে পারে না। সত্যযুগী রাজধানীতে কখনও অকালে মৃত্যু হতে পারে না। সহযোগী বাচ্চাদের বাবা এমন প্রাইজ দেন যার দ্বারা তারা ২১ জন্ম অমর হয়ে যায় ।
ওম্ শান্তি ।
পূর্ব নির্মিত সৃষ্টি চক্র অনুযায়ী কল্প পূর্বের মতন শিব ভগবানুবাচ। নিজের পরিচয় তো বাচ্চারা এখন পেয়েছে। পিতার পরিচয়ও প্রাপ্ত হয়েছে। বেহদের অর্থাৎ অসীম জগতের পিতাকে জেনেছ এবং বেহদের বা অসীম জগতের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের কথাও জেনেছ। নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে কেউ ভালো ভাবে জেনে অন্যদের বোঝাতে পারে। কেউ আধা বোঝে, কেউ আরো কম। যেমন লড়াইয়ের ক্ষেত্রে কেউ কমান্ডার চীফ, কেউ ক্যাপ্টেন, কেউ অন্য পদে অধিষ্ঠিত থাকে। রাজত্বের মালাতেও কেউ ধনী প্রজা, কেউ দরিদ্র প্রজা, নম্বর অনুযায়ী হয়। বাচ্চারা জানে যথাযথভাবে আমরা নিজেরাই শ্রীমতের আধারে সৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ রাজধানী স্থাপন করি। যে যত পরিশ্রম করে সে বাবার কাছে তত পুরস্কার প্রাপ্ত করে। আজকাল শান্তির জন্যে পরামর্শ দিলেও প্রাইজ দেওয়া হয়। বাচ্চারা তোমাদেরও প্রাইজ দেওয়া হয়। সেসব তারা প্রাপ্ত করে না। তারা সবকিছু অল্পকালের জন্যে প্রাপ্ত করে। তোমরা বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী নিজের রাজধানী স্থাপন করছ। তাও ২১ জন্মের জন্যে, ২১ বংশের গ্যারান্টি সহ। সেখানে শৈশবে বা যৌবনে কাল (মৃত্যু) গ্রাস করে না। এই কথাও জানো না-ই ছিল মন, না-ই ছিল চিত্ত , আমরা এমন স্থানে এসে বসেছি , যেখানে তোমাদের স্মরণীয় স্থল আছে। যেখানে ৫ হাজার বছর পূর্বেও সার্ভিস করা হয়েছিল। দিলবাড়া মন্দিন, অচলঘর, গুরু শিখর আছে। উঁচু থেকে উঁচু সদগুরুও তোমরা পেয়েছ, তাঁরও স্মরণিকা রয়েছে। অচলঘরের রহস্য তোমরা বুঝেছ। সেইটি হল ঘরের মহিমা। তোমরা উঁচু থেকে উঁচু পদ প্রাপ্ত কর নিজস্ব পুরুষার্থ দ্বারা। এই হল ওয়ান্ডারফুল তোমাদের জড় স্মরণিকা। সেখানেই তোমরা চৈতন্যে এসে বসেছ। এই সব হল রূহানী কারবার, যা কল্প পূর্বেও এমনই হয়েছিল। তার পুরো স্মরণিক এখানে আছে। নম্বর অনুযায়ী স্মরণিক আছে। যেমন কোনও বিশেষ পরীক্ষা পাস করলে অন্তরে খুশীর অনুভূতি হয়। তার ফার্নিচার, পোশাক ইত্যাদি খুব ভালো হয় । তোমরা তো বিশ্বের মালিক হও। তোমাদের কারও সঙ্গে তুলনা হয় না। এও হল স্কুল। যিনি পড়াচ্ছেন তাঁকে তোমরা জানো। ভগবানুবাচ, ভক্তিমার্গে যাঁকে স্মরণ কর, পূজো কর, কিছুই জানা থাকে না। বাবা নিজে সম্মুখে এসে সব রহস্য বুঝিয়ে দেন, কারণ এই স্মরণিক গুলি সব তোমাদের ভবিষ্যতের স্থিতির স্মারক চিহ্ন। এখনও রেজাল্ট বের হয় নি। যখন তোমাদের অবস্থা সম্পূর্ণ হয়, তখন ভক্তিমার্গে তারই স্মরণিক তৈরি হয়। যেমন রাখী বন্ধন উৎসব পালনের স্মরণিক রয়েছে। যখন সম্পূর্ণ পাকা রাখী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আমরা নিজের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করি, তখন সেই স্মরণিক পালন হয় না। এখন তোমাদের সব মন্ত্রের অর্থ বোঝানো হয়েছে। ওম্ শব্দের অর্থ বোঝানো হয়েছে। *ওম্ শব্দের অর্থ বিশাল নয়। ওম্ এর অর্থ হল অহম আত্মা, মম শরীর অর্থাৎ আমি আত্মা, আমার শরীর*। অজ্ঞান কালে তোমরাও দেহ অভিমানে থাকো, তখন নিজেকে শরীর নিশ্চয় কর। প্রতিদিন ভক্তিমার্গে আত্মার কোয়ালিটি নীচে নামতে থাকে। তমো প্রধান হতে থাকে। প্রত্যেকটি জিনিস প্ৰথমে সতোপ্রধান হয়। ভক্তিও প্ৰথমে সতোপ্রধান ছিল। যখন এক সত্য শিববাবাকে স্মরণ করা হত। তোমাদের সংখ্যাও কম ছিল। প্রতিদিন বৃদ্ধি অনেক হওয়ার আছে। বিদেশে বেশি সন্তান জন্ম নিলে তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়। বাবা বলেন কাম হল মহা শত্রু। সৃষ্টির অনেক বৃদ্ধি হয়েছে, এখন পবিত্র হও।
তোমরা বাচ্চারা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে এখন বাবার দ্বারা জেনেছ। সত্যযুগে ভক্তির নাম গন্ধ থাকে না। এখন তো কত ধুম ধাম, মেলার আয়োজন হয়, যেখানে মানুষ গিয়ে আনন্দ পায়। তোমাদের মন তো বাবা এসে আনন্দে ভরে দেন ২১ জন্মের জন্যে। ফলে তোমরা সর্বদা আনন্দে থাকো। তোমাদের কখনও মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে হবে না। মানুষ যেখানে যায় সুখের জন্যে। তোমাদের পাহাড়ে যাওয়ার দরকার নেই। এখানে দেখো মানুষ কিভাবে মারা যায়। মানুষ তো সত্যযুগ -কলিযুগ, স্বর্গ -নরক কিছুই জানে না। তোমরা বাচ্চারা সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত কর। বাবা বলেন না যে তোমাদের আমার সঙ্গে থাকতে হবে। তোমাদের ঘর সংসার দেখতে হবে। বাচ্চারা বাবার কাছ থেকে দূরে তখন যায় যখন কোনও কথায় খিটখিট হয়। তবুও তোমরা বাবার সঙ্গে থাকতে পারো না। সবাই সতোপ্রধান হতে পারে না। কেউ সতো, কেউ রজো, কেউ তমো অবস্থায় থাকে। সবাই একত্রে থাকতে পারবে না। এইরূপ রাজধানী তৈরি হচ্ছে। যে যত বাবাকে স্মরণ করবে, সেই অনুসারে রাজধানীতে পদ প্রাপ্ত করবে। মুখ্য কথা হল বাবাকে স্মরণ করার। বাবা স্বয়ং ড্রিল শেখান। এই হল ডেড সাইলেন্স। তোমরা এখানে যা কিছু দেখছ, সেসব দেখবে না। দেহ সহ সবকিছু ত্যাগ করতে হবে। তোমরা কি দেখছ ? এক নিজের ঘর অর্থাৎ পরমধামকে এবং পড়াশোনা অনুযায়ী যে পদ মর্যাদা প্রাপ্ত কর, ঐ সত্যযুগী রাজত্বও তোমরাই জানো। *যখন সত্যযুগ আছে তো ত্রেতা নেই, ত্রেতা আছে তো দ্বাপর নেই, দ্বাপর আছে তো কলিযুগ নেই। এখন কলিযুগ ও সঙ্গমযুগ দুই-ই আছে*। যদিও তোমরা বসে আছো পুরানো দুনিয়ায় কিন্তু বুদ্ধি দ্বারা বুঝেছ আমরা হলাম সঙ্গমযুগী। সঙ্গমযুগ কাকে বলে - সে কথাও তোমরা জানো। পুরুষোত্তম বর্ষ, পুরুষোত্তম মাস, পুরুষোত্তম দিনও এই পুরুষোত্তম সঙ্গমেই হয়। পুরুষোত্তম হওয়ার মুহূর্ত টিও এই পুরুষোত্তম যুগেই আছে। এই যুগ হল খুবই কম সময়ের লীপ যুগ। তোমরা ডিগবাজি খেলো, যার দ্বারা তোমরা স্বর্গে আসো। বাবা দেখেছেন সাধু সন্ন্যাসীরা বা অন্য মানুষরা কিভাবে ডিগবাজি দিতে দিতে যাত্রা করে। খুব কষ্ট করে। কিন্তু এটা কোনও কঠিন ব্যাপার নয়। এ হল যোগবলের কথা। বাচ্চারা, স্মরণের যাত্রা কি তোমাদের কঠিন অনুভব হয় ? নাম তো খুব সহজ রাখা হয়েছে। যাতে কেউ শুনে ভয় না পায়। তারা বলে বাবা আমরা যোগে থাকতে পারব না। বাবা তখন হাল্কা করে দেন। এই হল বাবার স্মরণ। স্মরণ তো সবকিছু করা হয়। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। তোমরা হলে বাচ্চা তাইনা। উনি তোমাদের পিতা এবং দয়িতাও হলেন উনি। সবাই তাঁকে স্মরণ করে দয়িত রূপে, একমাত্র পিতা শব্দটি যথেষ্ট। ভক্তিমার্গে তোমরা মিত্র আত্মীয় স্বজনদের স্মরণ কর, তবু হে প্রভু, হে ঈশ্বর অবশ্যই বল। শুধুমাত্র জানো না যে তিনি কে । আত্মাদের পিতা হলেন পরমাত্মা। এই দেহের পিতা তো হলেন দেহধারী। আত্মাদের পিতা হলেন অশরীরী। তিনি কখনও পুনর্জন্মে আসেন না। অন্যরা সবাই পুনর্জন্ম আসে, তাই পিতাকে-ই স্মরণ করে। যত মানুষ তত কথা। মতামত অনেক হয়েছে।
বাবা কতখানি ভালোবেসে পড়ান। তিনি হলেন ঈশ্বর, শান্তি দাতা। তাঁর কাছে অনেক সুখ প্রাপ্ত হয়। একটি গীতা শুনিয়ে পতিতদের পবিত্র করেন। প্রবৃত্তি মার্গও চাই তাইনা। মানুষ কল্পের আয়ু লক্ষ বছর বলে দিয়েছে, তাহলে অসংখ্য মানুষ হয়ে যেত। কতখানি ভুল করেছে। এই জ্ঞান তোমরা এখন প্রাপ্ত কর যা পরে লুপ্ত প্রায় হয়ে যায়। চিত্র তো আছে, যাঁদের পূজো হয়। কিন্তু নিজেদের দেবতা ধর্মের নিশ্চয় করে না। যে যাঁর পূজো করে, সে সেই ধর্মের তাইনা। এই কথা বুঝতে পারে না যে আমরা হলাম আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের । তাঁদেরই বংশধর। এই কথা বাবা-ই বুঝিয়ে দেন। বাবা বলেন তোমরা পবিত্র ছিলে, পরে তমো প্রধান হয়েছ, এখন পবিত্র সতোপ্রধান হতে হবে। গঙ্গা স্নান করে কি সেইরূপ হওয়া যাবে ? পতিত-পাবন তো হলেন বাবা। তিনি যখন এসে পথ বলে দেবেন তখন তো পবিত্র হব। আহবান করে কিন্তু কিছুই জানে না। আত্মা ডাকে অর্গ্যান্স দ্বারা- হে পতিত-পাবন বাবা এসে আমাদের পবিত্র করুন। সবাই পতিত, কাম চিতায় জ্বলে পুড়তে থাকে। এই খেলাটি এমনই তৈরি হয়ে আছে। তারপরে বাবা এসে সবাইকে পবিত্র করেন। এইসব বাবা সঙ্গমে-ই বোঝান। সত্যযুগে থাকে একটি ধর্ম, বাকি সব ফেরত চলে যায়। তোমরা ড্রামা-টি বুঝেছ, যা অন্য কেউ জানে না। এই রচনার আদি, মধ্য, অন্ত কি, সময় অবধি (ডিউরেশন) কত, এইসব তোমরা জানো। তারা সবাই হল শূদ্র, তোমরা হলে ব্রাহ্মণ। তোমরাও জানো নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। কেউ গাফিলতি করলে তাদের রেজিস্টার থেকে দেখা যায় যে পড়াশোনা কম করেছে। চরিত্রের রেজিস্টার থাকে। এখানেও রেজিস্টার থাকা উচিত। এই হল স্মরণের যাত্রা, যার জ্ঞান কারও নেই। সবচেয়ে মুখ্য বিষয়বস্তু হল স্মরণের যাত্রা। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আত্মা এই মুখ দিয়ে বলে আমরা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করি। এইসব কথা ব্রহ্মা বাবা বোঝান না। কিন্তু জ্ঞান সাগর পরমপিতা পরমাত্মা এই রথে বসে শোনান। বলা হয় গৌ মুখ। এখানে মন্দিরও আছে, যেখানে তোমরা বসে আছ। যেমন তোমাদের সিঁড়ি আছে , তেমনই সেখানেও সিঁড়ি আছে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে তোমাদের ক্লান্তি বোধ হয় না।
তোমরা এখানে এসেছ বাবার কাছে পড়ে রিফ্রেশ হওয়ার জন্যে। সেখানে সাংসারিক ঝামেলা অনেক থাকে। শান্তিতে বসে শুনতেও পারেনা। চিন্তন বা সঙ্কল্প চলতেই থাকে - কেউ যেন না দেখে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি ফিরে যাই। অনেক চিন্তা থাকে। এখানে কোনও চিন্তা নেই, যেমন হোস্টেলে থাকে। এখানে ঈশ্বরীয় পরিবার আছে। শান্তিধামে ভাই-ভাই থাকে। এখানে ভাই-বোন আছে কারণ এখানে পার্ট প্লে করতে হয় তাই ভাই-বোন চাই। সত্যযুগেও তোমরা নিজেদের মধ্যে ভাই-বোন ছিলে। তাকে বলা হয় অদ্বৈত রাজধানী। সেখানে লড়াই ঝগড়া কিছু হয় না। বাচ্চারা, তোমরা সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রাপ্ত করেছ যে আমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি। যে বেশী ভক্তি করেছে, তার হিসেবও বাবাই বলে দেন। তোমরা-ই শিবের অব্যভিচারী ভক্তি করা শুরু কর। তারপরে বৃদ্ধি হয়। সেসব হল ভক্তি। জ্ঞান তো একটাই। তোমরা জানো আমাদের শিববাবা পড়ান। ইনি ব্রহ্মা তো কিছুই জানতেন না। যিনি ছিলেন গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার তিনি এইসময় হন তারপরে তিনি মালিক হন, তৎ ত্বম্। একজন তো মালিক হবেন না তাইনা। তোমরাও পুরুষার্থ কর। এই হল বেহদের স্কুল। এর অনেক ব্রাঞ্চেস হবে। প্রতিটি গলিতে প্রতিটি ঘরে হয়ে যাবে। বলা হয় আমরা নিজের ঘরে চিত্র রেখেছি, মিত্র আত্মীয় স্বজন ইত্যাদি এলে তাদের বোঝানো হয়। যারা এই গাছের পাতা হবে তারা আসবে। তাদের কল্যাণের জন্যে তোমরা কর। চিত্র দ্বারা বোঝানো সহজ হবে। শাস্ত্র তো অনেক, এখন সব ভুলতে হবে। বাবা পড়াচ্ছেন, তিনি-ই সত্য জ্ঞান প্রদান করেন। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. ডেড সাইলেন্সের ড্রিল করার জন্য এখানে চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছ, সেসব দেখবে না। দেহ সহ বুদ্ধি দ্বারা সবকিছু ত্যাগ করে নিজের ঘর (পরমধাম) এবং রাজ্য (স্বর্গের) স্মৃতিতে থাকতে হবে।
২. নিজের চরিত্রের রেজিস্টার রাখতে হবে। পড়াশোনায় কোনও গাফিলতি করবে না। এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে পুরুষোত্তম হতে হবে এবং অন্যকে পুরুষোত্তম করতে হবে।
বরদান:-
বাবার আদেশ অনুযায়ী বুদ্ধিকে খালি রেখে ব্যর্থ বা বিকারী স্বপ্ন মুক্ত ভব
বাবার আদেশ হল শোবার সময় সদা নিজের বুদ্ধি ক্লিয়ার করো, ভালো হোক বা খারাপ, সব বাবার কাছে অর্পণ করে নিজের বুদ্ধি খালি করো। বাবাকে সব দিয়ে দিয়ে বাবার সঙ্গে ঘুমাও। একা নয়। যখন একা ঘুমাও বা ব্যর্থ কথা বর্ণনা করতে করতে ঘুমাও তখন ব্যর্থ বা বিকারী স্বপ্ন দেখো। এও একরকমের গাফিলতি। এই গাফিলতি ত্যাগ করে আদেশ অনুযায়ী চলো, তাহলে ব্যর্থ বা বিকারী স্বপ্ন দেখা থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
ভাগ্যবান আত্মারা-ই প্রকৃত সেবা দ্বারা সর্বজনের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করে ।