04.04.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এই আধ্যাত্মিক হসপিটাল তোমাদের অর্ধ-কল্পের জন্য এভার হেল্দী করে তুলবে, তোমরা এখানে
দেহী-অভিমানী হয়ে বসো"
প্রশ্নঃ -
ব্যবসা ইত্যাদি
করেও কোন্ ডায়রেক্শন বুদ্ধিতে স্মরণে থাকা উচিত ?
উত্তরঃ -
বাবার ডায়রেক্শন (নির্দেশ) হলো তোমরা কোনো সাকার বা আকারকে স্মরণ ক'রো না, এক
বাবার স্মরণে থাকলে বিকর্ম বিনাশ হবে। এর জন্য কেউ এটা বলতে পারবে না যে, সময় নেই।
সব কিছু করতে করতেও স্মরণে থাকা যায়।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
আত্মা রূপী বাচ্চাদের প্রতি বাবার গুডমর্ণিং। গুডমর্ণিং করার পরে বাচ্চাদের বলা হয়
বাবাকে স্মরণ করো। তারা ডাকেও- হে পতিত পাবন এসে পবিত্র করে তোলো। তাই বাবা প্রথমেই
বলেন আত্মাদের পিতাকে স্মরণ করো। আত্মাদের পিতা তো সকলেরই সেই একজন। ফাদারকে কখনো
সর্বব্যাপী বলা যেতে পারে না। বাচ্চারা, তাই যতটা সম্ভব হয় সর্ব প্রথমেই বাবাকে
স্মরণ করো, এক বাবা ব্যতীত আর কোনো সাকার বা আকারকে স্মরণ করো না। এটা তো একদম সহজ
ব্যাপার। মানুষ বলে আমি বিজি (ব্যস্ত) থাকি, অবসর নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে তো অবসর
সর্বদা।বাবা যুক্তি দেন - এটাও জানো যে বাবা কে স্মরণ করলেই আমাদের পাপ ভস্মীভূত হবে।
মুখ্য ব্যাপার হলো এটি। ব্যবসা ইত্যাদির কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সেই সব কিছু করেও
শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করলে তবে বিকর্ম বিনাশ হবে। এটা তো বোঝো যে আমরা হলাম পতিত,
সাধু-সন্ত ঋষি-মুনি ইত্যাদি সকলে সাধনা করে। সাধনা করা হয় ভগবানের সাথে মিলিত
হওয়ার জন্য। সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত না ওনার সাথে পরিচয় হবে ততক্ষণ মিলিত হতে পারা
যায় না। তোমরা জানো যে বাবার পরিচয় দুনিয়াতে কারোর কাছেই জানা নেই। দেহের পরিচয় তো
সবার আছে। বড় জিনিসের পরিচয় শীঘ্রই হয়ে যায়। আত্মার পরিচয় তো যখন বাবা আসেন তখন
বোঝান। আত্মা আর শরীর দুটি পৃথক। আত্মা হলো খুবই সূক্ষ্ম এক স্টার। একে কেউ দেখতে
পায় না। তাই এখানে যখন এসে বসো তো দেহী-অভিমানী হয়ে বসতে হবে। এটাও যে এক হসপিটাল
হলো না- অর্ধ-কল্পের জন্য এভার হেল্দী হয়ে ওঠার। আত্মা তো হলো অবিনাশী, কখনো বিনাশ
হয় না। সমস্ত পার্ট আত্মারই হয়। আত্মা বলে আমি কখনো বিনাশকে প্রাপ্ত করি না এতো সব
আত্মারা হলো অবিনাশী। শরীর হলো বিনাশী। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে এইটা বসে আছে যে আমরা
অর্থাৎ আত্মারা হলাম অবিনাশী। আমরা ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকি, এটা হলো ড্রামা। এর মধ্যে
ধর্ম স্থাপক কারা-কারা কখন আসে, কতো জন্ম গ্রহণ করে থাকে, এই সব তো জানো। ৮৪ জন্ম
যে গাওয়া হয়ে থাকে সেটা অবশ্যই কোনো একটি ধর্মের হবে। সবার তো হতে পারে না। সব
ধর্ম তো এক সাথে আসে না। আমরা বসে অপরের হিসেব কেন বের করতে যাব? জানা আছে যে
অমুক-অমুক সময়ে ধর্ম স্থাপন করতে আসে। ওর আবার বৃদ্ধি হতে থাকে। সব তমোপ্রধান থেকে
সতোপ্রধান তো হতেই হবে। দুনিয়া যখন তমোপ্রধান হয় তখন আবার বাবা এসে সতোপ্রধান
সত্যযুগ তৈরী করেন। বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে আমরা এই ভারতবাসীরাই আবার নূতন
দুনিয়াতে গিয়ে রাজত্ব করবো, আর কোনো ধর্ম থাকবে না। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের মধ্যে
যাদের লক্ষ্য উচ্চ নেওয়ার থাকে তারা বেশী করে স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করে আর
সংবাদও লেখে যে বাবা আমি এতোটা সময় স্মরণে থাকি। কেউ তো সম্পূর্ণ সংবাদ লজ্জায় পড়ে
দেয় না। মনে করে বাবা কি বলবেন। কিন্তু বুঝতে তো পারেন তিনি। স্কুলে টিচার
স্টুডেন্টকে বলে যে যদি তুমি না পড়ো তো ফেল করবে। লৌকিক মা- বাবাও বাচ্চার পড়ার
ধরন দেখে বুঝতে পারে, এটা তো হলো অনেক বড় স্কুল। এখানে তো নম্বর অনুযায়ী বসানো হয়
না। বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারা যায়, নম্বর অনুযায়ী তো হয়েই যায়। এখন বাবা ভালো-ভালো
বাচ্চাদের কোথায় পাঠিয়ে দেন, তারা আবার চলে গেলে তো দ্বিতীয় জন লিখতে থাকে আমাদের
মহারথী চাই, তারা অবশ্যই মনে করে সে হলো আমার থেকে হুঁশিয়ার, নামী- দামী। নম্বর
অনুযায়ী তো হয়ে থাকে যে না! প্রদর্শনীতেও অনেক প্রকারের আসে তাই গাইডস্ও দাঁড়িয়ে
থাকা উচিত নিরীক্ষণ করার জন্য। রিসিভ যে করে সে তো জানে ইনি কোন প্রকারের মানুষ।
তাই তাকে আবার ইশারা করা উচিত যে এনাকে তুমি বোঝাও। তুমিও বুঝতে পারবে ফার্স্ট
গ্রেড, সেকেন্ড গ্রেড, থার্ড গ্রেড সব আছে। সেখানে তো সবাইকেই সার্ভিস করতেই হবে।
কেউ বড় মাপের মানুষ থাকলে তো অবশ্যই তাকে সকলে খাতির করে। এটা হলো রীতি। বাবা অথবা
টিচার বাচ্চাদের ক্লাসে মহিমার সুখ্যাতি করেন, এটাও অনেক বড় খাতির। নাম যে বের করে
সেই বাচ্চার মহিমা অথবা খাতির করা হয়। ইনি অমুক হলেন ধনবান, রিলিজিয়াস মাইন্ডের,
এটাও যে খাতির করা। এখন তোমরা এটা জানো যে উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবান। বলাও হয়
সর্বদাই তিনি উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ, কিন্তু আবার মানুষকে বলো বায়োগ্রাফী বলতে তো বলে
দেবে - তিনি হলেন সর্বব্যাপী । ব্যাস্- একদম নীচু করে দেয়। এখন তোমরা বুঝতে পারো
যে সব থেকে- উচ্চতমেরও উচ্চ হলেন ভগবান, তিনি হলেন মূলবতনবাসী। সূক্ষ্মবতনে হলো
দেবতারা, এখানে থাকে মানুষ। তো উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবান তিনি যে নিরাকার সেটা
স্থির হলো।
এখন তোমরা জানো যে, আমরা যে হীরে তুল্য ছিলাম তারাই আবার কড়ি তুল্য হয়ে পড়েছি,
আবার ভগবানকে নিজেদের চেয়েও বেশী নীচে নিয়ে গিয়েছি। চিনতেই পারে না। তোমাদের অর্থাৎ
ভারতবাসীদের পরিচয় প্রাপ্তি ঘটে আবার পরিচয় হ্রাস পেয়ে যায়। তোমরা এখন বাবার পরিচয়
সকলকে দিতে থাকো। বাবার পরিচয় অনেকের প্রাপ্ত হবে। তোমাদের মুখ্য চিত্রই হলো এই
ত্রিমূর্তি, গোলা(সৃষ্টিচক্র), কল্প বৃক্ষ । এইসবের মধ্যে দিয়ে কতো আলো প্রকট হয়।
এটা তো যে কেউই বলবে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ সত্যযুগের মালিক ছিলো। আচ্ছা, সত্যযুগের
পূর্বে কি ছিলো? এটাও তোমরা এখন জানো। এখন হলো কলিযুগের শেষ আর হলোই প্রজারও প্রজার
উপর রাজ্য। এখন তো রাজত্ব নেই, কতো পার্থক্য। সত্যযুগের প্রথমেই রাজারা ছিলো আর এখন
কলিযুগেও রাজারা আছে। যদিও সেখানে কেউ পবিত্র নেই কিন্তু কেউ পয়সা দিয়েও টাইটেল
নিয়ে নেয়। মহারাজা তো কেউ নেই, টাইটেল (পদবী) কিনে নেয়। যেমন- পাটিয়ালার মহারাজা,
যোধপুর, বিকানীরের মহারাজা...নাম তো নেয় যে না! এই নাম অবিনাশী ভাবে চলে আসছে।
প্রথমে পবিত্র মহারাজারা ছিলো, এখন হলো অপবিত্র মহারাজারা। শব্দ চলে এসেছে। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণের জন্য বলবে এরা সত্যযুগের মালিক ছিলো, কে রাজ্য নিল ? এখন তোমরা
জানো রাজত্বের স্থাপনা কীভাবে হয়। বাবা বলেন আমি তোমাদের পড়াই- ২১ জন্মের জন্য।
তারা তো পড়াশুনা করে এই জন্মেই ব্যারিস্টার ইত্যাদি হয়। তোমরা এখন পড়াশুনা করে
ভবিষ্যতে মহারাজা-মহারাণী হও। ড্রামা প্ল্যান অনুসারে নূতন দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে।
এখন হলো পুরানো দুনিয়া। যদিও কতো ভালো-ভালো বড় মহল আছে কিন্তু হীরে জহরতের মহল
তৈরী করার ক্ষমতা কারোরই নেই। সত্যযুগে এই সব হীরে জহরতের মহল তৈরী হয় যে না। তৈরী
করতে কি আর দেরী হয়! এখানেও আর্থকোয়েক (ভূকম্পন) ইত্যাদি হলে তো অনেক কারিগর
নিযুক্ত করে দেয়, এক দুই বছরে সমস্ত শহর দাঁড় করিয়ে দেবে। নয়তো দিল্লী তৈরী করতে
প্রায় ৮-১০ বছর লেগেছে, কিন্তু এখানকার লেবর আর সেখানের লেবরদের (শ্রমিকদের) মধ্যে
অনেক পার্থক্য আছে যে না! আজকাল তো নূতন নূতন ইনভেনশন বের হচ্ছে। বাড়ী তৈরীর
সাইন্সেরও জোর আছে, সব কিছু তৈরী পাওয়া যায়, কতো তাড়াতাড়ি প্লট তৈরী হয়ে যায়।
খুব তাড়াতাড়ি করে তৈরী হয় বলে এই সব তো সেখানে কাজে আসে যে না। এই সমস্ত সঙ্গে যায়।
সংস্কার তো থেকে যায়। এই সাইন্সের সংস্কারও যাবে। বাবা তাই এখন বাচ্চাদের বোঝাতে
থাকেন, পবিত্র হতে চাও তো বাবাকে স্মরণ করো। বাবাও গুডমর্ণিং করে আবার শিক্ষা
প্রদান করেন।বাচ্চারা বাবার স্মরণে বসেছো কি ? চলতে ফিরতে বাবাকে স্মরণ করো কারণ
জন্ম-জন্মান্তরের বোঝা মাথার উপরে। সিঁড়ি দিয়ে আবরোহন করতে করতে ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে।
এখন আবার এক জন্মে আরোহণের কলা হয়। বাবাকে যতো স্মরণ করতে থাকবে তত খুশীও হবে, শক্তি
প্রাপ্ত করবে। অনেক বাচ্চা আছে যাদের প্রথম দিকের নম্বরে রাখা হয় কিন্তু স্মরণে
একদমই থাকে না। যদিও প্রখর জ্ঞান থাকে কিন্তু স্মরণের যাত্রা নেই। বাবা তো
বাচ্চাদের মহিমা করেন। এটাও নম্বর ওয়ানে থাকলে অবশ্যই পরিশ্রমও করে থাকে। এটাও তো
শিখতে হয় যে না। তবুও বলে বাবাকে স্মরণ করো। কাউকে বোঝানোর জন্য চিত্র আছে। ভগবান
বলাই হয় নিরাকারকে। তিনি এসে শরীর ধারণ করেন। এক ভগবানের বাচ্চা সকল আত্মারা হলাম
ভাই-ভাই। এখন এই শরীরে বিরাজমান। সকলেই হলো অকালমূর্তি অর্থাৎ মৃত্যুহীন। ভ্রূকুটির
মধ্যবর্তী স্থানে আত্মা বিরাজমান হয়, একে বলা হয় অকালতখ্ত। অকালতখ্ত অকালমূর্তের
অর্থাৎ অবিনাশী আত্মার অবিনাশী মহাসন। আত্মারা সব হলো অকাল, কতো সূক্ষ্ম। বাবা তো
হলেন নিরাকার। তিনি নিজের আসন কোথা থেকে এনেছেন? বাবা বলেন আমারও এই আসন আছে। আমি
এসে এই আসনকে লোন নিই। ব্রহ্মার সাধারণ বৃদ্ধ শরীরে অকালতখ্তে এসে বসি। এখন তোমরা
জেনে গেছো সকল আত্মার আসন এইটি। মানুষেরই কথা বলা হচ্ছে, জানোয়ারের কথা না। প্রথমে
যেসব মানুষ জানোয়ার থেকেও খারাপ হয়ে গেছে, তারা তো সংশোধিত হবে। কোনো জানোয়ারের কথা
জিজ্ঞাসা করলে, বলো প্রথমে তো নিজেকে সংশোধন করো। সত্যযুগে তো জানোয়ারও বড়
ফার্স্টক্লাস হবে। আবর্জনা ইত্যাদি কিছুই থাকবে না। কিং এর মহলে পায়রা ইত্যাদির
আবর্জনা থাকলে শাস্তি দেবে। সামান্যতমও আবর্জনা হবে না। সেখানে খুবই সাবধানতা থাকে।
পাহারায় থাকে, কখনো কোনো জানোয়ার ইত্যাদি ভিতরে যেন না ঢোকে। খুবই পরিচ্ছন্নতা থাকে।
লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরেও কতো পরিচ্ছন্নতা থাকে। শঙ্কর-পার্বতীর মন্দিরে পায়রা
দেখানো হয়। তো অবশ্যই মন্দিরকেও অপরিচ্ছন্ন করে। শাস্ত্রে তো অনেক কথার কথা লিখে
দেয়।
এখন বাবা বাচ্চাদের বোঝান, ওর মধ্য থেকেও খুব কমই ধারণা করতে পারে। বাকী তো কিছু
বোঝে না। বাবা বাচ্চাদের কতো ভালোবেসে বোঝান- বাচ্চারা খুবই মধুর হও। মুখ থেকে
সর্বদা রত্ন নির্গত করতে থাকো। তোমরা হলে রূপ-বসন্ত। তোমাদের মুখ থেকে পাথর নির্গত
হওয়া উচিত নয়। আত্মারই মহিমা হয়ে থাকে। আত্মা বলে- আমি হলাম প্রেসিডেন্ট, আমি অমুক...।
আমার শরীরের নাম হলো এই। আচ্ছা, আত্মারা কার বাচ্চা? এক পরমাত্মার। তাই অবশ্যই ওনার
থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। তিনি আবার সর্বব্যাপী কীভাবে হতে পারেন ! তোমরা মনে
করো আমিও আগে কিছু জানতাম না। এখন বুদ্ধি কতো খুলেছে। তোমরা যে কোনো মন্দিরে গেলে,
বুঝতে পারবে এই সব চিত্র তো হলো মিথ্যা। ১০ হাতের, হাতীর শুঁড় আছে এমন কোনো চিত্র
হতে পারে কি! এই সব হলো ভক্তি মার্গের সামগ্রী। বাস্তবে ভক্তি হওয়া উচিত শিববাবার,
যিনি সকলের সদ্গতি দাতা। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে- এই লক্ষ্মী-নারায়ণও চুরাশি জন্ম নেয়।
আবার উচ্চতমেরও উচ্চ বাবা এসে সকলকে সদ্গতি দেন। ওনার থেকে বড় কেউ হয় না। এই
জ্ঞানের কথা তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী ধারণ করতে পারে। ধারণা না করতে পারলে
এছাড়া কোন কাজের রইলো। কেউ তো অন্ধের লাঠি হওয়ার পরিবর্তে অন্ধ হয়ে যায়। যে গরু দুধ
দেয় না তাকে গোয়ালে বদ্ধ ভাবে রাখা হয়। এক্ষেত্রেও তাই, জ্ঞানের দুধ দিতে পারে না।
অনেকে আছে যারা কোনো পুরুষার্থ করে না। বোঝে না যে আমি কিছু হলেও তো কারোর কল্যাণ
করবো। নিজের ভাগ্যের খেয়ালই থাকে না। ব্যাস, যা কিছু পাওয়া গেছে সেটাই ভালো। তাই
বাবা বলেন এর ভাগ্যে নেই। নিজের সদ্গতি করার পুরুষার্থ তো করা উচিত। দেহী-অভিমানী
হতে হবে। বাবা কতো উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ, আর আসেন দেখো কীভাবে পতিত দুনিয়াতে, পতিত
শরীরে। ওনাকে ডাকাই হয় পতিত দুনিয়ায়। রাবণ যখন দুঃখ দেয় তো একদমই ভ্রষ্ট অর্থাৎ
বিনষ্ট করে দেয়, তখন বাবা এসে শ্রেষ্ঠ করে তোলেন। যারা ভালো পুরুষার্থ করে তারা
রাজা-রাণী হয়ে যায়, যে পুরুষার্থ করে না সে গরীব হয়ে যায়। ভাগ্যে না থাকলে তো
পরিকল্পনা করতে পারে না। কেউ তো খুব ভালো ভাগ্য তৈরী করে নেয়। প্রত্যেকে নিজেকে
দেখতে পারে যে, আমি কি সার্ভিস করছি। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
রূপ-বসন্ত হয়ে মুখ থেকে সর্বদা রত্ন নির্গত করতে হবে।খুবই মধুর হতে হবে। কখনো পাথর
অর্থাৎ কটূ বচন নির্গত করতে নেই।
২) জ্ঞান আর যোগে
তীক্ষ্ম হয়ে নিজের আর অপরের কল্যাণ করতে হবে। নিজের উচ্চ ভাগ্য তৈরী করার জন্য
পুরুষার্থ করতে হবে। অন্ধের লাঠি হয়ে উঠতে হবে।
বরদান:-
মায়া
বা বিঘ্ন থেকে সেফ (সুরক্ষিত) থেকে বাপদাদার ছত্রছায়ার অধিকারী ভব
যারা বাপদাদার আদরের
হারানিধি, তাদের সবচেয়ে বেশী মাত্রায় বাপদাদার ছত্রছায়া প্রাপ্ত হয়। যে ছত্রছায়ায়
মায়ার আসারও ক্ষমতা থাকে না। তারা সর্বদাই মায়ার উপর বিজয়ী হয়ে যায়। এই স্মরণ রূপী
ছত্রছায়া সমস্ত বিঘ্ন থেকে সেফ বা সুরক্ষিত করে রাখে। যারা ছত্রছায়ায় থাকে কোনো
প্রকারেরই বিঘ্ন তাদের কাছে আসতে পারে না। যারা ছত্রছায়ায় থাকতে সক্ষম তাদের কাছে
কোনো ব্যাপার যত কঠিনই হোক না কেন, সেটা সহজ হয়ে যায়। পাহাড় সম ব্যাপার তুলোর মতো
অনুভব হয়।
স্লোগান:-
প্রভু
প্রিয়, লোক প্রিয় আর স্বয়ং প্রিয় হওয়ার জন্য সন্তুষ্টতার গুণ ধারণ করো ।