30.04.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবার শ্রীমত তোমাদের সর্বদা সুখী করে তোলে, সেইজন্য দেহধারীদের মত ছেড়ে দিয়ে এক
বাবার শ্রীমতে চলো"
প্রশ্নঃ -
কোন্
বাচ্চাদের বুদ্ধি এখনো পর্যন্ত এদিকে ওদিকে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হয়নি ?
উত্তরঃ -
যাদের উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ বাবার মতের উপর বা ঈশ্বরীয় মতে ভরসা নেই, তাদের এদিকে -
ওদিকে ঘুরে বেড়ানো এখনো বন্ধ হয়নি। বাবার প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস না থাকার জন্য
দুই দিকেই পা রাখে। ভক্তি, গঙ্গা স্নান ইত্যাদিও করে আর বাবার মত অনুযায়ীও চলে। এই
সব বাচ্চাদের কি দশা হবে! সম্পূর্ণ ভাবে শ্রীমতে চলে না, তাই ধাক্কা খায়।
গীতঃ-
এই পাপের
দুনিয়া থেকে ...
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এই
ভক্তির গীত শুনেছে। এখন তোমরা এ'রকম বলো না। তোমরা জানো যে, আমরা উচ্চতমের চেয়েও
উচ্চ বাবাকে পেয়েছি, তিনি হলেন একই উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ। এছাড়া এই সময়ে যে কোনো
মানুষই হলো নীচ থেকে নীচ। উচ্চতম মানুষও ভারতে এই দেবী-দেবতাগণই ছিলো। তাদের মহিমা
আছে- সর্ব- গুণ সম্পন্ন.... এখন মানুষের এটা জানা নেই যে, এই দেবতাদের এতো উচ্চ কে
তৈরী করলো। এখন তো একদম পতিত হয়ে পড়ে আছে। বাবা হলেন উচ্চতমের থেকেও উচ্চ।
সাধু-সন্ত ইত্যাদি সকলে তাঁরই সাধনা করে। এরকম সাধুরা পিছনে পড়ে থাকা মানুষরা
অর্ধ-কল্প উদ্দেশ্যেহীন ভাবে ঘোরে। এখন তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন, আমরা বাবার কাছে
যাচ্ছি। তিনি আমাদের শ্রীমত প্রদান করে শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতম, সদা সুখী করে তোলেন।
রাবণের মত অনুযায়ী তোমরা কতো তুচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন হয়েছো। এখন তোমরা আর কারোর মত
অনুযায়ী চলো না। আমাকে অর্থাৎ এই পতিত-পাবন বাবাকে ডেকেছ তবুও আবার যারা ডুবিয়ে দেয়
তাদের পিছনে কেন পড়ছো! একের মত ছেড়ে অনেকের মতে কেন ধাক্কা খেতে থাকছো? কোনো বাচ্চা
জ্ঞানও শুনতে থাকে আবার গিয়ে গঙ্গা স্নানও করবে, গুরুদের কাছেও যাবে...। বাবা বলেন
সেই গঙ্গা তো কোনো পতিত-পাবনী তো নয়। তবুও তোমরা মানুষের মত অনুযায়ী গিয়ে স্নান
ইত্যাদি করলে বাবা বলবেন- আমার উপর অর্থাৎ এই উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ বাবার মতের উপরেও
ভরসা নেই। একদিকে হলো ঈশ্বরীয় মত, অন্য দিকে হলো আসুরিক মত। তাদের কি দশা হবে। দুই
দিকে পা রাখলে তো বিভাজন হয়ে যাবে। বাবার উপরেও সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখে না। বলেও যে
বাবা আমি আপনারই হই। আপনার শ্রীমতের উপর আমরা শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠব। আমাদের উচ্চতমের
চেয়েও উচ্চ বাবার মত অনুযায়ী নিজেদের পা রাখতে হবে। শান্তিধাম, সুখধামের মালিক তো
একমাত্র বাবা করে তুলবেন। বাবা আবার বলেন- যাঁর শরীরে আমি প্রবেশ করেছি তিনি তো ১২জন
গুরু করেছেন, তবুও তমোপ্রধান হয়ে আছেন, লাভ কিছু হয়নি। এখন বাবাকে পেয়ে গেছে বলে
সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ বাবাকে পাওয়া গেছে, বাবা বলেছেন- হিয়ার
নো ইভিল, সী নো ইভিল.... কিন্তু মানুষ হলো একদম পতিত তমোপ্রধান বুদ্ধি সম্পন্ন।
এখানেও অনেক আছে, শ্রীমত অনুযায়ী চলতে পারে না। শক্তি নেই। মায়া ধাক্কা খাওয়াতে
থাকে কারণ রাবণ হলো শত্রু, রাম হলো মিত্র। কেউ রাম বলে কেউ শিব বলে। আসল নাম হলো
শিববাবা। আমি পুনর্জন্মে আসি না। আমার ড্রামাতে নাম শিব- ই রাখা হয়েছে। একটা
জিনিসের ১০টা নাম রাখার জন্য মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে আছে, যার যা এসেছে নাম রেখে
দিয়েছে। আসলে আমার নাম হলো শিব। আমি এই শরীরে প্রবেশ করি। আমি কোনো কৃষ্ণ ইত্যাদির
মধ্যে আসি না। তারা তো মনে করে বিষ্ণু তো সূক্ষ্মবতনে থাকেন। বাস্তবে সেটা হলো
প্রবৃত্তি মার্গের যুগল রূপ। এছাড়া ৪ হাত কারোর হয় না। চার হাত মানে প্রবৃত্তি
মার্গ, দুই হাত মানে নিবৃত্তি মার্গ। বাবা প্রবৃত্তি মার্গের ধর্ম স্থাপন করেছেন।
সন্ন্যাসী হলো নিবৃত্তি মার্গের। যারা প্রবৃত্তি মার্গের তারাই আবার পবিত্র থেকে
পতিত হয়, সেইজন্য সৃষ্টিকে থামানোর জন্য পবিত্র হওয়াটাই হলো সন্ন্যাসীদের পার্ট।
তারাও আছে হলো লক্ষ-কোটি। যখন মেলা চলে তো অনেক আসে, তারা খাওয়ার তৈরী করে না,
গৃহস্থীদের আপ্যায়নে চলে। কর্ম সন্ন্যাস করেছে তো আবার খাওয়ার তৈরী করবে কোথা থেকে।
তাই গৃহস্থীদের থেকে খায়। গৃহস্থীরা মনে করে - এটাও আমাদের দান হলো। এরাও পূজারী
পতিত ছিল, এখন আবার শ্রীমতে চলে পবিত্র হচ্ছে। বাবার থেকে উত্তরাধিকার নেওয়ার
পুরুষার্থ করছে, তাইতো বলে ফলো ফাদার করো। প্রতিটা পদক্ষেপে মায়া আছাড় দেয়। দেহ-
অভিমানের বশেই মানুষ আলস্য করে। যদি গরীব হোক বা বিত্তশালী হোক- কিন্তু দেহ- অভিমান
যেন ভাঙতে চায় না। দেহ-অভিমানকে ভাঙাই বেশী পরিশ্রমের। বাবা বলেন তোমরা নিজেদের
আত্মা মনে করে দেহতে থেকে ভূমিকা পালন করো। তোমরা দেহ- অভিমানে কেন আসো! ড্রামা
অনুযায়ী দেহ-অভিমানেও আসতেই হবে।এই সময় তো সুদৃঢ় ভাবে দেহ-অভিমানী হয়ে পড়েছো।
বাবা বলেন তোমরা তো হলে আত্মা। আত্মাই সব কিছু করে। আত্মা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
গেলে তখন শরীরকে কাটো, কিছু শব্দ বের হয় কি? না, আত্মাই বলে- আমার শরীরকে দুঃখ দিও
না। আত্মা হলো অবিনাশী, শরীর বিনাশী। নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে অর্থাৎ এই বাবাকে
স্মরণ করো। দেহ- অভিমান ছাড়ো।
বাচ্চারা, তোমরা যতো দেহী-অভিমানী হবে ততই শক্তিশালী আর নিরোগী হতে থাকবে। এই
যোগবলের দ্বারাই তোমরা ২১ জন্ম নিরোগী হবে। যত তৈরী হবে ততই উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে।
শাস্তি থেকে বাঁচবে। তা না হলে অনেক শাস্তি পেতে হবে। তাই কতো দেহী-অভিমানী হতে হবে।
কারো কারো তো ভাগ্যেই এই জ্ঞান নেই। যতক্ষণ না তোমাদের কুলে আসে অর্থাৎ ব্রহ্মা মুখ
বংশাবলী না হয়, তো ব্রাহ্মণ না হয়ে দেবতা হবে কীভাবে! যদিও আসে অনেক, বাবা-বাবা
লেখে অথবা বলেও কিন্তু শুধুমাত্র বলেই। এক-দুটো চিঠি লিখল আবার হারিয়ে গেল। তারাও
সত্যযুগে আসবে কিন্তু প্রজা রূপে। প্রজা তো অনেক হয়, তাই না! সময়ের সাথে যখন দুঃখ
অনেক বাড়বে তখন অনেকে ছুটে আসবে। আওয়াজ ধ্বনিত হবে - ভগবান এসেছে। তোমাদের অনেক
সেন্টরও খুলতে থাকবে । বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে ঘাটতি আছে, দেহী- অভিমানী হয়ো না।
মোটকথা দেহ- অভিমান রয়েছে । শেষে সামান্যতমও দেহ-অভিমান থাকলে তো পদও কম হয়ে যাবে।
এসে আবার দাস-দাসী হবে। দাস-দাসীরা নম্বর অনুযায়ী হয়। রাজাদের পণ হিসেবে দাস-দাসী
প্রাপ্ত হয়, বিত্তশালীদের প্রাপ্ত হয় না। বাচ্চারা দেখেছে যে রাধে কতো দাসীদের
যৌতুক হিসেবে নিয়ে গেছে। সময় এগোলে তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার হবে। সাধারণ দাসী
হওয়ার থেকে তো বিত্তশালী প্রজা হওয়া- ভালো। দাসী শব্দটি হলো খারাপ। প্রজাদের মধ্যেও
বিত্তশালী হওয়া তবুও ভালো। বাবার প্রতি সমর্পিত হওয়ার জন্য মায়া আরোই ভালো
অভ্যর্থনা করে। সে আরো শক্তিশালী হয়ে শক্তিশালীর সাথে লড়াই করে। দেহ-অভিমান এসে
যায়। শিববাবার থেকেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। বাবাকে স্মরণ করাই ছেড়ে দেয়। আরে খাওয়ার সময়
হয় আর এইরকম বাবা যিনি বিশ্বের মালিক করে তোলেন তাঁকে স্মরণ করার সময় নেই। ভালো-ভালো
বাচ্চারা শিববাবাকে ভুলে দেহ- অভিমানে এসে যায়। তা না হলে এরকম বাবা যিনি জীবন দান
করেন, তাঁকে স্মরণ করে পত্র তো লেখো। কিন্তু এখানে কিছু বলার নেই। মায়া একদম নাকে
ধরে উড়িয়ে দেয়। কদম-কদম শ্রীমতে চললে তবে কদমে বা তাঁর অনুসরণে লক্ষ কোটি
উপার্জন আছে। তোমরা অগণিত ধনবান হচ্ছো। সেখানে গণনা করা হয় না। ধন-দৌলত, বড় বড়
ক্ষেত, বাড়ী ঘর সব প্রাপ্ত হয়। সেখানে তামা, লোহা, পিতল ইত্যাদি থাকে না। সোনার
পয়সাই (সিক্কি) হয়। অট্টালিকাই সোনার তৈরি করে ! তো কি হবে না! এখানে তো হলোই
ভ্রষ্টাচারী রাজ্য, যেমন রাজা- রাণী তেমন প্রজা। সত্যযুগে যেমন রাজা-রাণী তেমন সব
প্রজারা শ্রেষ্ঠাচারী হয়। কিন্তু মানুষের বুদ্ধি মতে বসে কি আর! তমোপ্রধান হয়। বাবা
বোঝান- তোমরাও ওরকমই ছিলে। ইনিও ঐরকম ছিলেন। এখন আমি এসে দেবতা করে তুলি, তাও হয়
না। নিজেদের মধ্যে লড়াই -ঝগড়া করতে থাকে। আমি খুব ভালো, এইরকম হই ...।
এটা কি আর কেউ বোঝে যে আমরা নরকের শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছি। বাচ্চারা, তোমরা এটাও
জানো নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। মানুষ একদম নরকে পড়ে আছে, রাত-দিন চিন্তিত
থাকে। জ্ঞান মার্গে যারা নিজের সমান করে তোলার সেবা করতে পারে না, তোমার-আমার
চিন্তায় থাকে, তারা হলো রুগ্ন--অসুস্থ। বাবা ব্যতীত আর কাউকে স্মরণ করলে তো
ব্যাভিচারী হলে যে না! বাবা বলেন আর কারোর মত শুনো না, শুধু আমার কাছেই শোনো। আমাকে
স্মরণ করো। দেবতাদের স্মরণ করলে সেটাও কিছুটা ভালো, তবুও মানুষকে স্মরণ করার মধ্যে
কোনো লাভ নেই। এখানে তো বাবা বলেন তোমরা মাথাও কেন নত করো! তোমরা এই বাবার (ব্রহ্মা
বাবার) কাছেও যখন আসো তো শিববাবাকে স্মরণ করে এসো। শিববাবাকে স্মরণ করো না তো তার
মানে পাপ করো। বাবা বলেন- সর্বপ্রথমে তো পবিত্র হওয়ার প্রতিজ্ঞা করো। শিববাবাকে
স্মরণ করো। খুবই শুদ্ধতা আসে। কতিপয়ই তা বুঝতে পারে। এতো বুদ্ধি নেই। বাবার সাথে
কীভাবে চলতে হবে, এতে তো অনেক পরিশ্রম করা দরকার। মালার দানা হয়ে উঠতে হবে- একি আর
মাসীর বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ ব্যাপার ! মুখ্য হলো বাবাকে স্মরণ করা। তোমরা বাবাকে
স্মরণ করতে পারো না। বাবার সেবা, বাবার স্মরণ কতো চাই। বাবা রোজ বলেন তালিকা বের করো।
যে সব বাচ্চাদের নিজেদের কল্যাণ করার খেয়াল থাকে- তারা সব রকম ভাবে সম্পূর্ণ রকম
শোধন করতে থাকে। তাদের খাদ্য-পানীয় খুবই সাত্ত্বিক হয়।
বাবা বাচ্চাদের কল্যাণের জন্য কতো বোঝান। সব রকমের শুদ্ধতা দরকার। নিরীক্ষণ করা
উচিত- আমাদের খাদ্য-পানীয় এমন তো নয়! লোভী নই তো! যতক্ষণ না কর্মাতীত অবস্থা
প্রাপ্ত হচ্ছে তো মায়া উল্টো-পাল্টা কাজ করাতে থাকবে। ওর জন্য টাইম পড়ে আছে, এরপর
বুঝবে- এখন তো বিনাশ সামনে আছে। আগুণ ছড়িয়ে গেছে। তোমরা দেখবে বোম্ব কীভাবে পড়বে।
ভারতে তো রক্তের নদী বইবে। সেখানে একজন আরেক জনকে শেষ করে দেবে। ন্যাচারাল
ক্যালামিটিস হবে। অসুবিধা ভারতের সবচেয়ে বেশী। নিজেদের উপর খুব নজর রাখতে হবে, আমরা
কি সার্ভিস করছি? কতো জনকে নিজের সমান নর থেকে নারায়ণ করছি? কেউ কেউ ভক্তিতে খুব
আটকে আছে বলে মনে করে- এই ছোট কন্যারা কি আর পড়াবে! বুঝতে পারে না যে এদের পড়ানোর
জন্য হলেন বাবা অর্থাৎ ভগবান। কিছুমাত্র বিদ্যা আছে বা ধন আছে লড়াইতে লেগে পড়ে।
আব্রুই বিলুপ্ত হয়ে যায়। সদ্গুরুর নিন্দা করালে তার ঠাঁই হয় না। এরপর গিয়ে
পাই-পয়সার পদ প্রাপ্ত করবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
আমার - তোমার এসব চিন্তা ছেড়ে নিজ সম করে তোলার সেবা করতে হবে। এক বাবার থেকেই শুনতে
হবে, বাবাকেই স্মরণ করতে হবে, ব্যাভিচারী হতে নেই।
২) নিজের কল্যাণের
জন্য খাদ্য-পানীয়ের অনেক শুদ্ধতা রাখতে হবে- কোনো জিনিসের প্রতি লোভ রাখতে নেই।
সতর্ক থাকতে হবে যাতে মায়া না কোনো উল্টো কাজ করিয়ে নেয়।
বরদান:-
প্র্যাক্টিক্যাল জীবন দ্বারা পরমাত্ম জ্ঞানের প্রুফ দিতে সক্ষম ধর্ম যুদ্ধে বিজয়ী
ভব
এখন ধর্ম যুদ্ধের
স্টেজে আসতে হবে। ওই ধর্ম যুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার সাধন হলো নিজের প্র্যাকটিকাল জীবন।
কারণ পরমাত্ম জ্ঞানের প্রুফই হলো প্র্যাকটিকাল জীবন। নিজের ভাবধারার জ্ঞান আর গুণ
প্র্যাকটিক্যালে যেন দেখতে পাওয়া যায়। কারণ- আজকাল ডিসকাস (আলোচনা) করলে নিজের
ভাবধারাকে সিদ্ধ করতে পারবে না। কিন্তু নিজের প্র্যাকটিক্যাল ধারণার প্রতিমূর্তি
দ্বারা এক সেকেন্ডে যে কোনো ব্যক্তিকেই শান্ত করাতে পারবে।
স্লোগান:-
আত্মাকে
উজ্জ্বল বানানোর জন্য পরমাত্ম স্মৃতি দ্বারা মনের চঞ্চলতাকে সমাপ্ত করো ।