19-04-2020 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 30-12-85 মধুবন


*বিশাল বুদ্ধির লক্ষণ*


আজ স্নেহের সাগর, সমুদায় ভাণ্ডারের বিধাতা, বরদাতা বাবা তাঁর স্নেহী, সহযোগী, সহজযোগী সব বাচ্চার সঙ্গে আধ্যাত্মিক মিলন উদযাপন করতে এসেছেন l এই মিলন আধ্যাত্মিক স্নেহের অর্থাৎ আত্মাদের মিলন বিচিত্র মিলন l সারা কল্পে এমন অধ্যাত্ম মেলা হতেই পারে না l এই সঙ্গমযুগেরই এমন আধ্যাত্মিক মিলনের বরদান প্রাপ্ত হয়েছে l এই বরদানী সময়ে বরদাতা বাবা দ্বারা বরদানী বাচ্চারা এই বরদান প্রাপ্ত করে l বাবারও বিধাতা আর বরদাতার অবিনাশী পার্ট এই সময়েই l এইরকম সময়ে বরদানের অধিকারী আত্মারা নিজেদের সদাকালের অধিকার প্রাপ্ত করছে l এইরকম অধ্যাত্ম মেলা দেখে বাপদাদাও উৎফুল্ল হন l বাপদাদা দেখছেন যে কতো সরল-সাদাসিধে বাচ্চারা বিশ্বের সামনে এমন শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তির নিমিত্ত হয়েছে, কারণ আজকের দুনিয়ায় যাদের রাজনীতির বিদ্যা, সায়েন্সের বিদ্যা, অল্পকালের রাজ্য অধিকার বা ধর্ম নেতার অধিকার আছে, তাদেরই সব লোক বিশেষ আত্মা হিসেবে মান্যতা দেয় l কিন্তু বাপদাদা কোন বিশেষত্ব দেখেন ? সবচেয়ে প্রথমে নিজেকে নিজের এবং বাবাকে জানার যে বিশেষত্ব তোমরা সব আত্মার মধ্যে আছে তা' কোনও খ্যাতিসম্পন্ন আত্মার মধ্যে নেই, সেইজন্য সহজ, সরল বাচ্চা হয়েও বরদাতার থেকে বরদান নিয়ে জন্ম-জন্ম ধরে পূজ্য আত্মা হয়ে যাও l যারা আজকের সুবিখ্যাত আত্মা তারাও পূজ্য আত্মাদের সামনে নমন-বন্দন করে l তোমরা এমনই বিশেষ আত্মা হয়ে গেছ l এইরকম স্বর্গীয় আনন্দ অনুভব কর ? নিরাশ আত্মাদের আশাবাদী করে তোলা - এটাই বাবার বিশেষত্ব l বাচ্চাদের দেখে বতনে বাপদাদাও মৃদু মৃদু হাসছিলেন l যদি কোনও অজানা আত্মাকে বলো যে এই সমগ্র সভা বিশ্ব-রাজ্য অধিকারী বাচ্চাদের, তারা কি মানবে ? তারা আশ্চর্যান্বিত হবে l কিন্তু বাপদাদা জানেন, সেই আত্মারা বাবার প্রিয় যাদের হৃদয়ে স্নেহ এবং শ্রেষ্ঠ ভাবনা আছে l হৃদয়ের স্নেহই শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি করানোর মূল আধার l হৃদয়ের স্নেহ দূর-দূরান্ত থেকে এখানে তোমাদের মধুবন নিবাসী বানায় l স্নেহসিক্ত হৃদয়ই হৃদয়নিধি বাবার পছন্দ, সেইজন্য তোমরা যে যেমনই হও পরমাত্মার পছন্দ, তাইতো তিনি তোমাদের আপন ক'রে নিয়েছেন l দুনিয়ার লোকে এখন প্রতীক্ষা করছে l বাবা আসবেন, সেই সময় এই হবে, ওই হবে l কিন্তু তোমাদের সবার মুখ থেকে, হৃদয় থেকে কি নিঃসৃত হয় ? 'পেয়ে গেছি l' তোমরা সম্পন্ন হয়ে গেছ আর তারা সব বুদ্ধিমান এখনও চেনার চেষ্টায় সময় নষ্ট করছে, সেইজন্য বলা হয়েছে, *ভোলানাথ বাবা l* চিনে নেওয়ার এই বিশেষত্ব তোমাদের বিশেষ আত্মা বানিয়ে নিয়েছে l চিরপরিচিতকে তোমরা চিনেছ, প্রাপ্ত করে নিয়েছ l ভবিষ্যতে কি করবে ? সব আত্মাদের জন্য তোমরা দয়া অনুভব হয় ? আত্মা তো সবাই, অসীম জগতের একই পরিবার l নিজের পরিবারের কোনও আত্মা বরদান থেকে যেন বঞ্চিত না থাকে l হৃদয়ে এমন উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে ? নাকি নিজেদের প্রবৃত্তিতেই বিজি হয়ে গেছ ? অসীম স্টেজে স্থিত হও, অসীম জগতের আত্মাদের সেবার শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পই সফলতার সহজ সাধন l

এখন তোমরা সেবার গোল্ডেন জুবিলি উদযাপন করছ, তাই না ! তার জন্য বিশাল প্রোগ্রাম বানিয়েছ, নয় কি ? যত বিশাল প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করেছ, ঠিক ততটাই কি বিশাল হৃদয়, বিশাল উদ্যম-উদ্দীপনা আর বিশাল রূপে তোমরা প্রস্তুত হয়েছ ? নাকি শুধু ভাবো, যদি আমাকে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় তো আমি সেটা করব l যদি প্রচারপত্র (নিমন্ত্রণ ) বিলি করার সুযোগ থাকে আমার, আমি করব l এইরকম প্রস্তুতি নিয়েছ তোমরা ? এটাই কি বিশাল প্রস্তুতি বলে ! যে ডিউটি তোমাদের দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সেটা সম্পূৰ্ণ করে নেওয়াই বিশাল উৎসাহ-উদ্দীপনা বলে না l বিশালতার লক্ষণ - সবসময় সেবাতে নবীনত্ব আনাই নিজের উপরে ন্যস্ত ডিউটি পালন করা l তা' ভোজন খাওয়ানোর হোক বা ভাষণ দেওয়ার ডিউটিই হোক, কিন্তু সেবাতে সদাসর্বদা নতুনত্ব রাখাই বিশালতা l এক বছর আগে যা করেছ, তা'তে অবশ্যই কোন না কোন আধ্যাত্মিক অ্যাডিশন হতে দাও l সেইরকম উৎসাহ-উদ্দীপনা তোমাদের হৃদয়ে থাকে ? নাকি ভাবো, যেমন চলে আসছে তেমনই হবে l বিধি আর বৃদ্ধি সবসময় পরিবর্তন হতে থাকে l সময় সমাসন্ন প্রায়, সুতরাং সব আত্মাকে অবশ্যই বাবার এবং পরিবারের নৈকট্যের বিশেষ অনুভব করাও l কি নতুনত্ব আনতে হবে, সেই ব্যাপারে মনন কর l এখন কনফারেন্সের বিশাল কার্যভার পালন করছ, তাই না ! সবাই করছ নাকি শুধু যারা বড় তারাই করছে ? সবার করণীয়, নয় কি ! তোমাদের প্রত্যেককে ভাবতে হবে, সেবায় নতুনত্ব আনতে আমাকে এগিয়ে যেতে হবে, এমনকি যদি অগ্রবর্তী হওয়ার ক্ষেত্রে কতিপয় মাত্রকে নিমিত্ত বানানো হয়, তবুও l উদাহরণস্বরূপ, মাত্র কয়েকই ভাষণ দেবে, এত সব সভা কি করবে ! একটা কাজ তখনই সম্পন্ন হয় যখন ডিউটি প্রত্যেকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় l যতই যা হোক, সবাইকে নিমিত্ত হতে হবে l কোন ব্যাপারে ? যেখানেই তুমি থাক, যে ডিউটির জন্যই তুমি নিমিত্ত হও, যখন কোনও বিশাল কর্তব্য-কর্ম চারিদিকের যে কোন কোথাও হয়, তখন দূরে বসেও সেই সময় পর্যন্ত প্রত্যেকের মনে বিশ্ব কল্যাণের শ্রেষ্ঠ ভাবনা এবং শ্রেষ্ঠ কামনা অবশ্যই হওয়া উচিত l যেমন, আজকালকার ভি. আই. পি. যদি নিজে পৌঁছাতে না পারেন, তবে শুভ কামনা তো পাঠিয়ে দেন, তাই না ! তাহলে, তাঁদের থেকে তোমরা কম কিছু ! তোমরা সব বিশেষ আত্মার শুভ ভাবনা, শুভ কামনা সেই কর্তব্য-কর্মকে সফল বানাবে l

এই বিশেষ দিনে অঙ্গীকারের বিশেষ তাগা বাঁধা উচিত এবং সীমিত পরিসরের কোন কিছুতে তোমাদের সঙ্কল্প শক্তি,সময়ের শক্তি ব্যর্থ নষ্ট ক'রনা, বরং প্রতিটা সঙ্কল্পের সাথে সবসময় বিশাল সেবার নিমিত্ত হয়ে মন্সা শক্তি দ্বারাও সহযোগী হও l এমন ভেবোনা যে আবুতে কনফারেন্স হচ্ছে আর আমি তো অমুক দেশে বসে আছি, না ! সবাই তোমরা বিশাল কর্মকাণ্ডে সহযোগী, সুতরাং বাতাবরণ এবং বায়ুমণ্ডল তৈরি কর l যখন সায়েন্সের শক্তি দ্বারা এক দেশ থেকে আরেক দেশে তারা রকেট পাঠাতে পারে, তবে সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা কি তোমরা শুভ ভাবনা, কল্যাণের ভাবনা দ্বারা এখানে আবুতে মন্সা দ্বারা সহযোগী হতে পার না ? কেউ সাকারে বাণী দ্বারা, কর্ম দ্বারা নিমিত্ত হবে l কেউ মন্সা সেবাতে নিমিত্ত হবে l কিন্তু যতদিন প্রোগ্রাম চলে, হয় পাঁচ দিন বা ছ'দিন, সেই সময় প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার যেন সেবার অঙ্গীকারের তাগা বাঁধা থাকে - *সফলতা আনার ক্ষেত্রে আমি- আত্মাকে নিমিত্ত হতে হবে l* প্রত্যেকে তোমরা নিজেকে দায়বদ্ধ মনে কর l এটা সেই অর্থে নিও না যে সবারই তো দায়িত্ব আছে, সুতরাং ভাষণে চান্স সবার পাওয়া উচিত, নাকি বিশেষ কোনও ডিউটি পেলে তবেই তোমরা দায়িত্বশীল, এটাকে দায়িত্বশীল হওয়া বলে না l যেখানেই থাক, যে ডিউটিই পাও, হয় দূরে বসে থাকার অথবা স্টেজে যাওয়ার - 'আমাকে সহযোগী হতেই হবে l' একেই বলা হয়ে থাকে সারা বিশ্বে সেবায় আধ্যাত্মিক তরঙ্গ ছড়িয়ে দেওয়া l খুশির, উৎসাহ-উদ্দীপনার তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়তে দাও l এইরকম সহযোগী হয়েছ তোমরা ? এই কনফারেন্সে তোমরা কিছু নতুনত্ব দেখাবে, তাই না ? এটা গোল্ডেন জুবিলি, সুতরাং গোল্ডেন এজ এসেই যাচ্ছে, চতুর্দিকে এই খুশির তরঙ্গ বইতে দাও l যারা আতঙ্কিত এবং নিরাশ আত্মা তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ভবিষ্যতের আশা সঞ্চার কর l আতঙ্কিত আত্মাদের মধ্যে খুশির তরঙ্গ উৎপন্ন হতে দাও l এই গোল্ডেন সেবা গোল্ডেন জুবিলির জন্য, এই লক্ষ্য বজায় রাখ l সমস্ত কর্তব্য-কর্মে মোল্ড হয়ে অর্থাৎ নিজেকে আদর্শরূপে গড়ে রিয়্যাল গোল্ড হয়ে গোল্ডেন জুবিলি উদযাপন করতে হবে l বুঝেছ ! যা এখনও পর্যন্ত করনি, সেটাই ক'রে দেখাতে হবে l এমন আত্মাদের নিমিত্ত বানাও যাতে এক আত্মা অনেক আত্মার সেবার নিমিত্ত হয়ে যায় l ভাবতেই থাকবে, কিন্তু করব করব বলে সময় চলে যাবে, অবশেষে তোমরা যাকে পাও তাকেই ধরে নিয়ে আস l আত্মাদের সংখ্যা তো বেড়েই চলে, কিন্তু সেবার জন্য বিশাল প্রোগ্রামের আয়োজন তো করাই হয় এইজন্য যে এমন আত্মা আসবে, যে একাই অন্য অনেকের নিমিত্ত হয়ে যায় l চারিদিকে সেবা চলতে থাকে, তাই না ? নিজের নিজের স্থানেও এইরকম আত্মাদের কার্য- উপলক্ষে প্রোগ্রাম তো চালাতে থাক, সেইজন্য এখন থেকে গোল্ডেন জুবিলির জন্য, নিজের সেবার এবং নিজের সাথে অন্য বিশেষ আত্মাদের সেবার তরঙ্গ বইয়ে দাও l বুঝেছ তোমরা - কি করতে হবে তোমাদের !

সস্নেহে পরিশ্রম কর l স্নেহ এমন বস্তু যে যদি একজন 'না' বলতেও যায়, স্নেহবশে সেও 'হ্যাঁ' বলবে l এমনকি তাদের সময় না থাকলেও তারা সময় বের করে নেয়, এই রূহানী স্নেহের জন্য l সুতরাং উপযুক্ত ক্ষেত্র প্রস্তুত কর l এইরকম ভেবনা যে এই ক্ষেত্রও সেইরকম, লোকেও তদনুরূপ ! তোমরা কেমন ছিলে, তোমাদের পরিবর্তন হয়েছে, নয় কি ! শুভ ভাবনার ফল সদৈব শ্রেষ্ঠ হয় l আচ্ছা -

বাবার ঘরে এসেছ, এতে বাবারও খুশি, কিন্তু সময় তো সীমিত, তাই না ! যাই হোক, সংখ্যায় যত লোকই আসে তাদের মধ্যে একই সময় বন্টিত হয়, তাই তো ! যদি চারটে জিনিস থাকে আর নেওয়ার জন্য আটজন থাকে তাহলে কি করবে ! সেই অনুযায়ীই তো বন্টন করবে, তাই নয় কি ? এমনকি, বাপদাদাকেও সঠিক বিধি অনুযায়ী চলতেই হয় l বাপদাদা তো বলতে পারেন না যে কেন এত এসেছ ? সুস্বাগতম্ !

স্বাগত, কিন্তু সময় অনুসারে বিধি তৈরি করতে হয় l হ্যাঁ, অব্যক্ত বতনে সময়ের সীমা নেই l

মহারাষ্ট্রও চমৎকার ক'রে দেখাবে l একমাত্র যখন তোমরা কোন এমন মহান আত্মাকে নিমিত্ত বানিয়ে দেখাবে, তখনই তোমাদের বলা হবে মহারাষ্ট্র (মহা দেশ ) l যতই হোক, দিল্লি তো নিমিত্তই l এমন ভেবনা যে তোমরা অনেক কনফারেন্স করে নিয়েছ, আর তাই তোমরা যা করতে পার এখন করবে ! না ! প্রতি বছর তোমাদের এগিয়ে যেতে হবে l এখন তো অনেক আত্মা আছে, যাদের তোমরা নিমিত্ত বানাতে পার l এমনকি যারা দিল্লি থেকে আগত, তাদেরও নিমিত্ত হতে হবে l রাজস্থান কি করবে ? রাজস্থান, সদাই সর্বকার্যে নম্বর ওয়ান হতে হবে, কারণ নম্বর ওয়ান হেডকোয়ার্টার রাজস্থানে l কোয়ালিটিতে এবং কোয়ান্টিটিতে উভয়তেই নম্বর ওয়ান হতে হবে l তোমরা সব ডবল বিদেশিও তো নতুনত্ব দেখাবে, তাই না ! প্রত্যেক দেশে এই সুসংবাদের তরঙ্গ যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সবাই তোমাদের হৃদয় থেকে আশীর্বাদ দেবে l লোকে অত্যন্ত আতঙ্কিত, না ! এমন আত্মাদের অধ্যাত্ম খুশির তরঙ্গে নিয়ে এসো, সাময়িক খুশি নয় l অধ্যাত্ম খুশির তরঙ্গ এমন হতে দাও যাতে তারা উপলব্ধি করে, এঁরা ফরিস্তা হয়ে শুভ সন্দেশ দেওয়ার নিমিত্ত আত্মা l বুঝেছ ! এখন দেখব কোন জোন নতুনত্ব আনে ! সংখ্যা নিয়ে আসে নাকি কোয়ালিটি নিয়ে আসে l তারপরই বাবা রেজাল্ট শোনাবেন l নবীনতাও আনতে হবে l নবীনত্বেরও নম্বর পাবে তোমরা l আচ্ছা l

সর্ব স্বরাজ্য বিশ্ব রাজত্বের অধিকারী আত্মাদের, যারা সদা অসীম সেবায় অসীম বৃত্তিতে থাকে, সেই শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, দরাজদিল, সদা বিশাল বুদ্ধি, বিশাল উৎসাহ-উদ্দীপনায় থাকা বিশেষ আত্মাদের, সদা সবরকম সেবার নিমিত্ত জেনে নিজেকে নির্মাণ ক'রে, যারা সেবাতে সদা শ্রেষ্ঠ এবং বাবা সমান সফলতা প্রাপ্ত করে, সেইরকম অধ্যাত্ম আত্মাদের আধ্যাত্মিক বাবার স্মরণ-স্নেহ এবং নমস্কার l

*কুমারীদের সাথে :-* 'কুমারী জীবন সদা নির্দোষ জীবন' এই গায়ন হয়েছে l কুমারী জীবন সদা গায়ন হয়েছে শ্রেষ্ঠ জীবন হিসেবে এবং পূজনও হয় l এইরকম শ্রেষ্ঠ আর পূজ্য আত্মা নিজেদের মনে কর তোমরা ? কুমারীরা সবাই বিশেষ কোন চমৎকার করে দেখাবে, তাই না ! নাকি শুধু পাঠের পড়া পড় ? বিশ্বের সেবাধারী হবে নাকি সীমিত পরিসরের, শুধুই গুজরাটের সেবা করতে যাচ্ছ, নাকি শুধু মধ্যপ্রদেশের , নাকি শুধু অমুক স্থানের ? তোমরা এইরকম নও তো ! এভাররেডি আত্মারা অন্যদেরও এভাররেডি বানায় l সুতরাং তোমরা কুমারীরা যা করতে চাও করতে পার l আজকের গভর্নমেন্ট যা বলে তা' করতে অপারগ l এমন রাজ্যে থেকে সেবা করতে হলে সফলতা তখনই হবে যখন তেমন শক্তিশালী সেবা হবে l এই জ্ঞানের পথে নম্বর নিয়েছ ? এই লক্ষ্যই রাখতে হবে যে নম্বর ওয়ান নিতেই হবে l সদা কম বলার বিশেষত্ব দেখাও, কিন্তু যার সামনেই যাও সে যেন তোমার জীবন থেকে পাঠ নিতে পারে l বাক্-শক্তি দ্বারা পাঠ শোনানোর জন্য অনেকে আছে, শ্রোতাও আছে, কিন্তু তোমার জীবন থেকে পাঠ নেবে - এটাই বিশেষত্ব l তোমার জীবনই যেন টিচার হয়ে যায়, বাচনিক টিচার নয় l মৌখিকভাবে বলারও দরকার হয়, কিন্তু মৌখিকভাবে বলার পরেও যদি তোমাদের জীবনে না হয়, তাহলে তারা বিশ্বাস করে না l বলে, অনেকেই আছে এটা বলে, সেইজন্য তোমার জীবন দ্বারা অন্যদের বাবার বানানোর লক্ষ্য বজায় রাখ l আজকাল লোকের অন্যদেরটা শোনারও উৎসাহ নেই, তারা দেখতে চায় l দেখ, রেডিও শোনার জিনিস, টি. ভি. দেখার জিনিস, সুতরাং তারা কোনটা পছন্দ করবে ? (টি. ভি.) তারা শোনার চাইতে দেখা পছন্দ করবে l সেইজন্য তারা তোমাদের জীবনেও দেখতে চায় - তোমাদের চলাফেরা, তোমাদের আচার-আচরণ, অধ্যাত্ম দৃষ্টি কীভাবে বজায় রাখছ ! এইরকম লক্ষ্য রাখ l বুঝেছ ! সঙ্গমযুগে কুমারীদের মহত্ত্ব কি তা'তো তোমরা জানো, তাই না ? সঙ্গমযুগে সবচাইতে মহান হলো কুমারী l সুতরাং নিজেকে মহান মনে করে সেবায় সহযোগী হয়েছ নাকি সেটা তোমাদের হতে হবে ? তোমাদের লক্ষ্য কি ? ডবল পার্ট পালন করার লক্ষ্য আছে তোমাদের ? কোন ঝুড়ি উঠাবে তোমরা ? আচ্ছা l

বরদান:-
বালক আর মালিকভাবের সমতা দ্বারা সর্ব খাজানায় সম্পন্ন ভব

যেমন বালকভাবের নেশা সবার মধ্যে আছে, সেইরকম বালক তথা মালিক অর্থাৎ বাবা সমান সম্পন্ন স্থিতির অনুভব কর l মালিকভাবের বিশেষত্ব - যতটা তোমরা মালিক, তদনুরূপে বিশ্ব সেবাধারী সংস্কার সদা ইমার্জ হতে দাও l মালিকভাবের নেশা এবং বিশ্ব সেবাধারী হওয়ার নেশা সমানরূপে হ'লে তবেই বলা যাবে, বাবা সমান l বালক আর মালিক উভয় স্বরূপ সদাই প্রত্যক্ষ কর্মে প্রতিভাত হলে তখনই বাবা সমান সর্ব খাজানায় সম্পন্ন স্থিতির অনুভব করতে পারবে l

স্লোগান:-
জ্ঞানের অফুরন্ত খাজানার অধিকারী হও, তাহলেই অধীনতার অবসান হবে l


আজ তৃতীয় রবিবার, অন্তর্রাষ্ট্রীয় যোগ দিবস, সন্ধ্যা ৬ : ৩০ থেকে ৭ : ৩০ পর্যন্ত সব ভাই-বোনেরা একত্রিত হয়ে সংগঠিতভাবে যোগ অভ্যাসে অনুভব করুন, 'আমি বীজরূপ বাবার সঙ্গে কম্বাইন্ড l আমি সর্বশক্তিতে সম্পন্ন মাস্টার জ্ঞান সূর্য l আমার থেকে নিঃসৃত সর্বশক্তির কিরণ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে l