29.04.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমাদের এই ব্রাহ্মণ কুল হল একেবারেই অন্যতম, তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে নলেজফুল, তোমরা
জ্ঞান, বিজ্ঞান এবং অজ্ঞানকে(অজ্ঞানতাকে) জানো"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, কোন্
সহজ পুরুষার্থ দ্বারা তোমাদের মন সব বিষয় থেকে দূর হতে থাকবে ?
উত্তরঃ -
শুধুমাত্র রূহানী বা আত্মিক কার্যে ব্যস্ত হও, যত এই আত্মিক সেবা করবে ততই অন্য সব
বিষয় থেকে মন স্বতঃতই দূর হতে থাকবে। রাজত্ব প্রাপ্তির পুরুষার্থে ব্যস্ত হয়ে যাবে।
কিন্তু এই আধ্যাত্মিক (রূহানী) সার্ভিস করাকালীন যে রচনা করেছো, তার রক্ষণাবেক্ষণও
করতে হবে ।
গীতঃ-
যে প্রিয়তমের
সাথে আছে......
ওম্ শান্তি ।
প্রিয়তম বলা
হয় শিববাবাকে। এখন বাবার সামনে তো বাচ্চারা বসে আছে। বাচ্চারা জানে আমরা কোনো সাধু
সন্ন্যাসী ইত্যাদির সামনে বসে নেই। তিনি হলেন পিতা জ্ঞানের সাগর, জ্ঞানের দ্বারা
সদগতি হয়। বলা হয় জ্ঞান, বিজ্ঞান ও অজ্ঞান। বিজ্ঞান অর্থাৎ দেহী-অভিমানী হওয়া,
স্মরণের যাত্রায় থাকা এবং জ্ঞান অর্থাৎ সৃষ্টি চক্রের বিষয়ে জানা। জ্ঞান, বিজ্ঞান
এবং অজ্ঞান - এর অর্থ মানুষ একেবারেই জানে না। এখন তোমরা হলে সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ।
তোমাদের এই ব্রাহ্মণ কুল হল অন্যতম, এই বিষয়ে কেউ জানে না। শাস্ত্রে এইসব কথা নেই
যে ব্রাহ্মণ সঙ্গমযুগে থাকে। এই কথাও জানে যে প্রজাপিতা ব্রহ্মা এসে চলে গেছেন,
ব্রহ্মাকে আদি দেব বলা হয়। আদি দেবী জগৎ অম্বা, তিনি কে! এই কথা দুনিয়া জানে না।
অবশ্যই ব্রহ্মা মুখ বংশী হবে। তিনি ব্রহ্মার স্ত্রী নয়। দত্তক নেন তাইনা। বাচ্চারা,
তোমাদেরও তো দত্তক নিয়েছেন। ব্রাহ্মণদের দেবতা বলা হবে না। এখানে ব্রহ্মার মন্দির
আছে, তিনিও হলেন মানুষ তাইনা। ব্রহ্মার সঙ্গে সরস্বতীও আছেন। দেবীদের মন্দিরও আছে।
সবাই এখানকার মানুষ তাইনা। মন্দির একজনের বানিয়েছে। প্রজাপিতার অসংখ্য প্রজা হবে
তাইনা। এখন তৈরি হচ্ছে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। সবাই ধর্মের সন্তান,
দত্তক সন্তান। এখন তোমাদের অসীম জগতের পিতা ধর্মীয় সন্তান রূপে আপন করেছেন তাইনা।
ব্রহ্মাও হলেন অসীম জগতের পিতার সন্তান, তিনিও অবিনাশী উত্তরাধিকার শিববাবার কাছে
প্রাপ্ত করেন। তোমরা হলে নাতি নাতনী তোমরাও শিববাবার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত কর।
জ্ঞান তো কারো কাছে নেই কারণ জ্ঞানের সাগর কেবল একজন, তিনি পিতা যত ক্ষণ না আসছেন
ততক্ষণ কারো সদগতি হয় না। এখন তোমরা ভক্তি থেকে জ্ঞানে এসেছো, সদগতির জন্য।
সত্যযুগকে বলা হয় সদগতি। কলিযুগকে দুর্গতি বলা হয় কারণ রাবণের রাজ্য। সদগতিকে
রামরাজ্যও বলা হয়। সূর্যবংশীও বলে। যথার্থ নাম সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী। বাচ্চারা জানে
আমরা-ই সূর্য বংশে ছিলাম, তারপরে ৮৪ জন্ম নিলাম, এই জ্ঞান কোনো শাস্ত্রে থাকতে
পারেনা কারণ শাস্ত্র হল ভক্তি মার্গের জন্য। সেসব তো বিনাশ হয়ে যাবে। এখানে যা
সংস্কার নিয়ে যাবে সেখানে গিয়ে সেসব তৈরি করবে। তোমাদের মধ্যেও সংস্কার ভরে যাচ্ছে
রাজত্বের। তোমরা রাজত্ব করবে তারা (সায়েন্টিস্টরা) সেই রাজত্বে গিয়ে যা কলাকৌশল
শিখেছে সেসবই করবে। নিশ্চয়ই সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজত্বে যাবে। তাদের থাকবে শুধু
বিজ্ঞানের জ্ঞান। তারা বিজ্ঞানের সংস্কার নিয়ে যাবে। সেসবও হল সংস্কার । তারাও
পুরুষার্থ করে, তাদের কাছে এই বিদ্যা আছে। তোমাদের অন্য কোনো বিদ্যা নেই। তোমরা
বাবার কাছে রাজত্ব নেবে। কাজকর্মে সে সংস্কার তো থাকেই। বিভিন্ন রকমের ঝামেলা থাকে।
কিন্তু যত ক্ষণ বাণপ্রস্থ অবস্থা না হচ্ছে ততক্ষণ ঘর সংসারের রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে।
তা নাহলে তোমাদের সন্তানদের কে দেখবে। এখানে এসে তো বসবে না। এমন বলা হয় যখন এই কাজে
সম্পূর্ণ রীতি মনোযোগ দেবে তখন সংসার ত্যাগ সম্ভব। তার সঙ্গে নিজের রচনার দেখাশোনা
অবশ্যই করতে হবে। হ্যাঁ, যদি কেউ ভালো ভাবে এই আধ্যাত্মিক সার্ভিসে মনোযোগ দিলে
সংসারের মোহ থেকে মুক্তি পেতে পারে। তারা ভাববে, যত সময় এই আধ্যাত্মিক সার্ভিস করা
যায়, ততই ভালো। বাবা পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার পথ বলে দিতে এসেছেন, অতএব বাচ্চাদের এই
সার্ভিস করতে হবে। প্রত্যেকের হিসেব দেখা হয়। অসীম জগতের পিতা কেবল পতিত থেকে
পবিত্র হওয়ার মতামত দেন, তিনি পবিত্র হওয়ার রাস্তা বলে দেন। বাকি কর্ম যেমন
রক্ষণাবেক্ষণ করা, পরামর্শ দেওয়া এনার (ব্রহ্মাবাবার) কর্তব্য । শিববাবা বলেন আমাকে
ব্যবসা ইত্যাদির কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে না। আমাকে তোমরা ডেকেছো যে এসে পতিত থেকে
পবিত্র করো, তাই আমি এনার দ্বারা তোমাদের পবিত্র করছি। ইনিও হলেন পিতা, এনার
মতানুযায়ীও চলতে হবে। তাঁর হল আধ্যাত্মিক মত, এনার হল দৈহিক মত। এনার উপরেও অনেক
দায়িত্ব আছে। ইনিও বলতে থাকেন শিববাবার আদেশ হল- "মামেকম্ স্মরণ করো" । বাবার
মতানুযায়ী চলো। যদি বাচ্চাদের কিছু প্রশ্ন থাকে, চাকরী তে কিভাবে চলবো, সেসব কথা
সাকার বাবা ভালোভাবে বোঝাতে পারবেন, ওনার অনুভব আছে, উনি বলবেন। আমি যেরকম করছি,
ওনাকে দেখেই শিখতে হবে, উনি শেখাবেন কারণ উনি হলেন সবচেয়ে প্রথমে। সব রকমের ঝড় ঝঞ্ঝা
সর্ব প্রথম ওনার কাছেই আসে তাই সবচেয়ে রুস্তম অর্থাৎ সুদক্ষ বীর হলেন ইনি, তবেই তো
উঁচু পদ মর্যাদাও প্রাপ্ত করেন। মায়াও বীর হয়ে যুদ্ধ করে। ইনি সবকিছু একবারে ত্যাগ
করেছেন, এনার পার্ট ছিল। বাবা এনার দ্বারা করিয়ে নিয়েছেন। করনকরাবনহার অর্থাৎ যিনি
করান তো হলেন শিববাবা তাইনা। তিনিও খুশী হয়ে সবকিছু ত্যাগ করেছেন, সাক্ষাৎকারও হয়েছে।
এখন আমরা বিশ্বের মালিক হই। এই দৈহিক দুনিয়ার পাই পয়সার জিনিস নিয়ে আমরা কি করব।
বিনাশের সাক্ষাৎকারও করিয়েছেন। বুঝেছেন, এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। আমরা আবার
রাজত্ব প্রাপ্ত করব তখন এক কথায় ত্যাগ করেছেন। এখন তো বাবার মতানুযায়ী চলতে হবে।
বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। ড্রামা অনুসারে ভাট্টি তো আয়োজিত হবেই। মানুষ একটুও
বোঝেনি যে সবাই কেন ছুটেছে। উনি তো (ব্রহ্মাবাবা) কোনো সাধু সন্ন্যাসী নন। উনি তো
খুব সাধারণ, উনি তো কাউকে পালিয়ে আসতে বলেন নি। কৃষ্ণের চরিত্রে কেউ নেই। মানুষ
মাত্রের কোনো মহিমা নেই। মহিমা তো হল একমাত্র পিতা পরমাত্মার। ব্যস। বাবা নিজে এসে
সবাইকে সুখ প্রদান করেন। তোমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তোমরা এখানে কার কাছে এসেছো ?
তোমাদের বুদ্ধি সেখানেও (পরমধাম) যাবে, এখানেও থাকবে কারণ তোমরা জানো শিববাবা হলেন
পরমধামের নিবাসী। এখন ব্রহ্মাবাবার মধ্যে এসেছেন। বাবার কাছে আমাদের স্বর্গের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। কলিযুগের পরে নিশ্চয়ই স্বর্গ আসবে। কৃষ্ণও শিববাবার কাছে
উত্তরাধিকার নিয়ে রাজত্ব করেন, এতে চরিত্র ইত্যাদির কোনো কথা নেই। যেমন রাজার কাছে
প্রিন্স (রাজপুত্র) জন্ম নেয়, স্কুলে পড়াশোনা করে বড় হয়ে রাজসিংহাসনে বসবে। এতে
মহিমা বা চরিত্রের কোনো কথা নেই। উঁচু থেকে উঁচু হলেন একমাত্র শিববাবা। মহিমা কেবল
শিববাবার-ই হয় ! ব্রহ্মাবাবাও তাঁরই পরিচয় দেন। যদি ব্রহ্মাবাবা বলেন আমি বলছি তো
মানুষ ভাববে ইনি নিজের কথাই বলছেন। এই কথা টা তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো, ভগবানকে
কখনও মানুষ বলা যাবে না। তিনি তো হলেন একমাত্র নিরাকার। পরমধামে বাস করেন। তোমাদের
বুদ্ধিও উপরে পরমধামে যায় পরে নীচে আসে।
বাবা দূরদেশ থেকে অন্যের দেশে এসে আমাদের পড়িয়ে ফিরে যান। নিজেই বলেন - আমি আসি
সেকেন্ডে। সময় বেশী লাগে না। আত্মাও সেকেন্ডে এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীরে চলে যায়। কেউ
দেখতে পায়না। আত্মা খুবই তীক্ষ্ণ। গায়নও আছে সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। রাবণ রাজ্যকে
জীবনবন্ধ রাজ্য বলা হবে। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সাথেই বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে।
তোমরাও বাবাকে চিনেছো এবং স্বর্গের মালিক হয়েছো তাতেও নম্বর অনুযায়ী পদ মর্যাদা আছে
- পুরুষার্থ অনুসারে। বাবা খুব ভালোভাবে বোঝাতে থাকেন, দুইজন পিতা আছে - একজন লৌকিক
এবং আরেকজন পারলৌকিক। গায়নও করে দুঃখে স্মরণ সবাই করে, সুখে করে না কেউ। তোমরা জানো
আমরা ভারতবাসী যখন সুখে ছিলাম (স্বর্গে) তখন স্মরণ করতাম না। তারপরে আমরা ৮৪ জন্ম
গ্রহণ করি। আত্মায় খাদ (কর্মের দাগ) পড়লে ডিগ্রী কম হতে থাকে। ১৬ কলা সম্পূর্ণ তার
থেকে ২ কলা কম হয়ে যায়। কম পাস হওয়ার জন্য রামকে বাণ হাতে দেখানো হয়েছে। যদিও কোনো
ধনুক ইত্যাদি ভাঙে নি। এই রূপ একটা প্রতীক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এই হল সব ভক্তি
মার্গের কথা। ভক্তি কালে ঈশ্বর প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে মানুষ কত ঘুরে বেড়ায়। এখন তোমরা
জ্ঞান প্রাপ্ত কর, তাই তোমাদের ঈশ্বর প্রাপ্তির খোঁজে বিভ্রান্ত হয়ে ঘোরা বন্ধ হয়ে
যায়।
" হে শিববাবা " বলা এও একরকম আহ্বান করা হয়ে যায়। তোমরা "হে" শব্দটি বলবে না। বাবাকে
স্মরণ করবে। আর্তনাদ করলে তো ভক্তির অংশ থেকে গেছে। হে ভগবান বলাও হল ভক্তি করার
স্বভাব। বাবা কি বলেছেন - হে ভগবান বলে স্মরণ করো। অন্তর্মুখ হয়ে আমাকে স্মরণ করো।
জপের দ্বারা স্মরণ করবে না। জপ করাও হল ভক্তি মার্গের লক্ষণ। তোমরা বাবার পরিচয়
পেয়েছো, এখন বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী চলো। এমন ভাবে বাবাকে স্মরণ করো যেমন লৌকিক
সন্তানরা দেহধারী পিতাকে স্মরণ করে। নিজেও দেহ-ভানে থাকে তাই স্মরণও দেহধারী পিতাকে
ই করে। পার লৌকিক পিতা তো হলেন দেহী-অভিমানী। এনার মধ্যে এসেও দেহ-অভিমানী হন না।
তিনি বলেন আমি এই দেহের লোন নিয়েছি, তোমাদের জ্ঞান প্রদান করার জন্য আমি এই দেহ লোনে
নিয়েছি। আমি জ্ঞান সাগর কিন্তু জ্ঞান দেব কীভাবে। গর্ভে তো তোমরা যাও, আমি তো গর্ভে
যাইনা। আমার গতি মতি সবই আলাদা । শিববাবা এনার মধ্যে আসেন। এই কথাও কেউ জানেনা।
বলাও হয় ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা। কিন্তু কীভাবে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা করেন? কি
প্রেরণা দেবেন! বাবা বলেন আমি সাধারণ দেহে আসি। তার নাম ব্রহ্মা রাখি কারণ সন্ন্যাস
করেন, তাইনা।
তোমরা বাচ্চারা জানো এখন ব্রাহ্মণদের মালা তৈরি হবে না। কারণ মাঝে মাঝে ছিঁড়ে যায়।
যখন ব্রাহ্মণ স্বরূপ ফাইনাল হয়ে যায় তখন রুদ্র মালা তৈরি হয়, তারপরে বিষ্ণুর মালায়
যায়। মালায় স্থান প্রাপ্তির জন্য স্মরণের যাত্রা চাই। ওম্ শব্দের অর্থ আলাদা, ওম্
অর্থাৎ আত্মা। সেই আত্মা বলে আমরা সেই দেবতা ক্ষত্রিয় .....তারা যদিও বলে আমরা আত্মা
আমরাই পরমাত্মা। তোমাদের ওম্ এবং আমরা সেই - এই কথাটির অর্থ একেবারেই আলাদা। আমরা
আত্মা তারপরে আত্মা বর্ণে আসে, আমরা আত্মা সে-ই প্রথমে দেবতা ক্ষত্রিয় হয়। এমন নয়
যে আত্মা -ই হল পরমাত্মা, সম্পূর্ণ জ্ঞান না থাকার জন্য অর্থ সংশয়-পূর্ণ হয়েছে। অহম্
ব্রহ্মস্মি বলে, এই কথাটিও ভুল। বাবা বলেন আমি রচনার মালিক হই না। এই রচনার মালিক
হও তোমরা। ব্রহ্ম তো হল তত্ত্ব। তোমরা আত্মারাই এই রচনার মালিক হও। এখন বাবা সব বেদ
শাস্ত্রের যথার্থ অর্থ বসে বোঝান। এখন তো পড়া করতে হবে। বাবা তোমাদের নতুন নতুন কথা
বোঝাতে থাকেন। ভক্তি কি বলে, জ্ঞান কি বলে। ভক্তি মার্গে মন্দির তৈরি করে, জপ তপ করে,
টাকা খরচ করে। তোমাদের মন্দির অনেকে লুট করেছে। এইসবও ড্রামাতে পার্ট আছে তাই পরে
তাদের কাছ থেকে সব ফেরতও আসবে। এখন দেখো কত ফিরে আসছে। প্রতিদিন বৃদ্ধি হচ্ছে। এরাও
নিতে থাকে। তারা যত নিয়েছে সব হিসেব মতন ফেরত দেবে। তোমাদের টাকা পয়সা যারা খেয়েছে,
তারা হজম করতে পারবে না। ভারত খন্ড তো অবিনাশী খন্ড তাইনা। পিতার জন্ম স্থল। এখানেই
বাবা আসেন। বাবার ভূখন্ড থেকে নিয়ে যায় তাই ফেরত তো দিতে হবে। সময় হলে দেখো কত কি
পাবে। এই কথা তোমরা জানো। তারা কি বা জানে - বিনাশ কখন আসবে। গভর্নমেন্ট এই কথা
মানবে না। ড্রামায় সব পূর্ব নির্দিষ্ট আছে, ধার নিতেই থাকে। রিটার্ন হচ্ছে। তোমরা
জানো আমাদের রাজধানী থেকে অনেক টাকা পয়সা নিয়ে গেছে, সেসব ফেরত দিচ্ছে। তোমাদের কোনো
কথার চিন্তা নেই। চিন্তা শুধু থাকে বাবাকে স্মরণ করার। স্মরণের দ্বারা-ই পাপ
ভস্মীভূত হবে। নলেজ তো খুব সহজ। এবারে যে যত পুরুষার্থ করতে পারে। শ্রীমৎ তো
প্রাপ্ত হচ্ছে। অবিনাশী সার্জেনের মতামত প্রত্যেকটি কথায় নেওয়া উচিত। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) যত
সময় পাও তত সময় এই আত্মিক সেবায় ব্যস্ত থাকতে হবে। আধ্যাত্মিক (রূহানী) সেবা করার
সংস্কার ধারণ করতে হবে। পতিতদের পবিত্র করার সার্ভিস করতে হবে।
২) অন্তর্মুখী হয়ে
বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মুখে হে শব্দ বলবে না। যেমন বাবার কোনো অহংকার নেই, তেমনই
নিরহংকারী হতে হবে।
বরদান:-
সংগঠিত
রূপে একরস স্থিতির অনুশীলন দ্বারা বিজয়ের নাগাড়া বাজাতে সক্ষম এভাররেডি ভব
ব্যাখা: বিশ্বে
বিজয়ের নাগাড়া তখন বাজবে, যখন সবার সব সঙ্কল্প একটি সংকল্পে সমায়িত হবে। সংগঠিত রূপে
যখন এক সেকেন্ডে সবাই একরস স্থিতিতে স্থির হয়ে যাবে তখন বলা হবে এভাররেডি। এক
সেকেন্ডে একমত, একরস স্থিতি এবং এক সংকল্পে স্থিত হওয়ার চিহ্ন একটি আঙ্গুল দেখানো
হয়েছে, যে আঙ্গুল দিয়ে কলিযুগী পর্বত ওঠানো হয়েছে। তাই সংগঠিত রূপে একরস স্থিতিতে
থাকার অনুশীলন করো তবেই বিশ্বে শক্তি সেনার নাম উজ্জ্বল হবে।
স্লোগান:-
শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থে ক্লান্তি আসা - এও একপ্রকার আলস্যের লক্ষণ ।