24-04-2021 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - এখন তোমরা এমন দুনিয়ার মালিক হতে চলেছো যেখানে সীমিত কোনো কিছু নেই, যোগ বলের দ্বারা সমগ্র বিশ্বের রাজত্ব নেওয়া এও এক বড় বিস্ময়"

*প্রশ্নঃ -

ড্রামার কোন্ বন্ধনে বাবাও আবদ্ধ হয়ে আছেন ?

*উত্তরঃ -

বাবা বলেন, আমাকে বাচ্চারা তোমাদের সামনে আসতেই হয়, আমি এই বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি আসছি, ততক্ষণ পর্যন্ত ফাঁস লেগে থাকা গ্রন্থী কিছুতেই খুলবে না। এছাড়া আমি তোমাদের উপরে কোনো কৃপা বা আশীর্বাদ করবার জন্য আসি না। আমি কোনো মৃতকে জীবন্ত করি না। আমি তো আসি তোমাদেরকে, পতিতদেরকে পবিত্র করতে।

*গীতঃ-

তোমাকে পেয়ে মোরা সারা জগৎ পেয়ে গেছি...

ওম্ শান্তি । গীতের শব্দ গুলি শুনে বাচ্চারা তোমাদের রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠার কথা, কেননা তোমরা সামনে বসে রয়েছো। সম্পূর্ণ দুনিয়ায় যতই বিদ্বান, পন্ডিত, আচার্য আছে, কোনও মানুষই এ'কথা জানেনা যে অসীম জগতের পিতা প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আসেন। বাচ্চারাই জানে। বাচ্চারা বলে, আমরা যেমনই হই, আমরা হলাম তোমার। বাবা বোঝান - তোমরা যে যেমনই হও- আমার সন্তান। তোমরাও জানো বাবা হলেন সব আত্মাদের পিতা। সবাই আহ্বান করে। বাবা বোঝান - দেখো রাবণের কিরূপ ছায়া পড়েছে। একজনও কেউ বুঝতে পারেনা যে যাঁকে আমরা পরমপিতা পরমাত্মা বলি, তাঁকে পিতা সম্বোধন করে খুশীর অনুভব হয় না কেন, সে কথা ভুলে গেছে। সেই পিতা আমাদের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করেন। বাবা নিজে বোঝান, এত সহজ কথাও কেউ বুঝতে পারেনা। বাবা বোঝান ইনি তো সেই পিতা, যাঁকে সম্পূর্ণ দুনিয়া আহবান করে - ও খোদা, হে রাম...এমন করে ডাকতে ডাকতে প্রাণ ত্যাগ করে। এখানে সেই পিতা তোমাদেরকে পড়াতে এসেছেন। তোমাদের বুদ্ধি এখন সেইখানে চলে গেছে। বাবা এসেছেন - কল্প পূর্বের মতন। কল্প-কল্প বাবা এসে পতিত থেকে পবিত্র করে দুর্গতি থেকে সদগতিতে নিয়ে যান। গায়নও করে সকলের পতিত-পাবন বাবা। এখন তোমরা বাচ্চারা তাঁরই সম্মুখে বসে আছো। তোমরা হলে মোস্ট বিলাভেড সুইট চিলড্রেন অর্থাৎ অতি প্রিয় মিষ্টি বাচ্চারা। এই হল ভারতবাসীদেরই কথা । বাবাও ভারতেই জন্ম নেন। বাবা বলেন, আমি ভারতে জন্ম গ্রহণ করি তাই তারাই আমার প্রিয় হবে। সবাই তাঁকেই স্মরণ করে। যে, যে ধর্মের মানুষ সে নিজের ধর্ম স্থাপককে স্মরণ করে। ভারতবাসী জানেনা আমরা আদি সনাতন ধর্মের ছিলাম। বাবা বোঝান - ভারত হল প্রাচীন দেশ তখন বলে কে বলেছে শুধু ভারত ছিল। অনেক কথা শুনেছেন। অনেকে অনেক কিছু বলবে। কেউ বলে কে বলেছে যে গীতা শিব পরমাত্মা শুনিয়েছেন। কৃষ্ণও তো পরমাত্মা ছিল, কৃষ্ণ শুনিয়েছে। পরমাত্মা হলেন সর্বব্যাপী। তাঁরই এই খেলা। এই সব রূপ হল ভগবানের । ভগবান অনেক রূপ ধারণ করে লীলা খেলা করেন। ভগবান যা চান তাই করেন। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো, মায়া খুব প্রবল অর্থাৎ শক্তিশালী। আজ বলে, বাবা আমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার অবশ্যই নেব, নর থেকে নারায়ণ হবো। কাল থাকবে না। তোমরা তো জানো অনেকে চলে গেছে, ত্যাগ করেছে। মাম্মাকে গাড়িতে বসিয়ে সেবাতে যেত। আজ নেই। এমন ভালো-ভালো বাচ্চারাও মায়ার সঙ্গী হয়ে এমন ভাবে পতনের পথে চলে গেছে। যারা কল্প পূর্বে বুঝেছিল তারাই বুঝবে। আজকাল দুনিয়ায় কি হচ্ছে আর তোমরা বাচ্চারা নিজেদেরকে দেখো কেমন রূপে পরিণত হচ্ছো। গীতা শুনেছো না। বলে, আমরা এমন বর্সা বা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি যে আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়ে যাই। সেখানে জাগতিক সীমার কোনো কথা নেই। এখানে সীমা অঙ্কিত আছে। বলে, আমাদের আকাশে তোমাদের বিমান এলে শুট করে দেব। সেখানে কোনো সীমা নেই। এই গানও গায় কিন্তু অর্থ বোঝে না। তোমরা তো জানো যথাযথভাবে বাবার কাছে আমরা পুনরায় বিশ্বের মালিক হচ্ছি। অনেক বার এই ৮৪-র চক্র পরিক্রমা করেছি। একটু সময় দুঃখ ভোগ করেছি, সুখ ভোগই বেশী, তাই বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের অপার সুখ প্রদান করি। এখন মায়ার কাছে হার স্বীকার কোরোনা। বাবার অসংখ্য বাচ্চা আছে। সবাই তো একই রকম সুপুত্র হতে পারে না। কারো ৫-৭ টি করে সন্তান থাকে - তাদের মধ্যে ১-২ জন কুপুত্র হয় তো মাথা খারাপ করে দেয়। লক্ষ কোটি টাকা অপচয় করে। পিতা খুব ধর্মাত্মা, সন্তান রা একেবারে পতিত । বাবা এমন অনেককে দেখেছেন।

তোমরা বাচ্চারা জানো, সম্পূর্ণ দুনিয়া হল এই অসীম জগতের পিতার সন্তান। বাবা বলেন আমরা জন্ম স্থান হল এই ভারত। প্রত্যেকের নিজের জন্মভূমির প্রতি সম্মান থাকে। অন্যত্র কোথাও দেহ ত্যাগ করলে নিজের গ্রামে নিয়ে আসা হয়। বাবাও আসেন ভারতে। ভারতবাসীদের অর্থাৎ তোমাদের পুনরায় অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। তোমরা বাচ্চারা বলবে আমরা পুনরায় সেই দেবতা স্বরূপ বিশ্বের মালিক হচ্ছি। আমরা মালিক ছিলাম, এখন তো কি অবস্থা হয়েছে। কোথা থেকে কোথায় এসে পড়েছে। ৮৪ জন্ম ভোগ করে এই রূপ অবস্থা হয়েছে। ড্রামাকে তো বুঝতে হবে তাইনা। একেই বলা হয় হার ও জিতের খেলা। ভারতেরই এই খেলা, এতে তোমাদের পার্ট আছে। ব্রাহ্মণদের অর্থাৎ তোমাদের সবচেয়ে উঁচু থেকে উঁচু পার্ট আছে - এই ড্রামায়। তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হও, অনেক সুখ ভোগ কর। তোমাদের মতন সুখ অন্য কেউ ভোগ করতে পারেনা। নামই হল স্বর্গ। এ হল নরক। এখানকার সুখ কাক বিষ্ঠা সম। আজ লাখপতি, পরজন্মে কি হবে ? কিছু জানেনা। এই দুনিয়াটি হল পাপ আত্মাদের দুনিয়া। সত্যযুগ হল পুণ্য আত্মাদের দুনিয়া। তোমরা পুণ্য আত্মায় পরিণত হচ্ছো, তাই কখনও পাপ করা উচিত নয়। বাবার সঙ্গে সর্বদা সরল সোজা হয়ে চলা উচিত। বাবা বলেন আমার সঙ্গে ধর্মরাজ সদা আছেন, দ্বাপর থেকে। সত্যযুগ ত্রেতায় আমার সঙ্গে ধর্মরাজ থাকেন না। দ্বাপর থেকে তোমরা আমার উদ্দেশ্যে দান পুণ্য করে এসেছো। ঈশ্বর অর্পণ বলে তাইনা। গীতায় শ্রীকৃষ্ণের নাম দিয়ে লিখেছে - শ্রীকৃষ্ণ অর্পণম্ । রিটার্ন তো দেবেন একমাত্র বাবা তাই শ্রীকৃষ্ণ অর্পণম্ বলা ভুল। ঈশ্বর অর্পণম্ বলা ঠিক। শ্রী গণেশ অর্পণ বললে কিছু লাভ হবে না। তবু ভাবের ফল কিছু দিয়ে থাকি সবাইকে। আমাকে তো কেউ জানেনা। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা সব কিছু শিববাবাকে সমর্পণ করি। বাবাও বলেন, আমি এসেছি তোমাদের ২১ জন্মের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করতে। এখন হল অবতরণ কলা। রাবণ রাজ্যে দান পুণ্য ইত্যাদি যা করা হয় সবই তো পাপ আত্মাদের দান করা হয়। কলা বা কোয়ালিটি কম হতেই থাকে। যদি কিছু প্রাপ্তি হয়েও যায় তাও অল্পকালের জন্য। এখন তো তোমরা ২১ জন্মের জন্য প্রাপ্ত কর। তাকে বলে রামরাজ্য। এমন বলবে না সেখানে ঈশ্বরের রাজ্য আছে। রাজ্য তো থাকে দেবী দেবতাদের। বাবা বলেন, আমি রাজত্ব করি না। তোমাদের যে আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিল, যা এখন প্রায় লুপ্ত হয়েছে। সেসব এখন পুনরায় স্থাপন হচ্ছে। বাবা তো হলেন কল্যাণকারী, তাঁকেই বলা হয় সত্য পিতা। তোমাদেরকে সত্য জ্ঞান প্রদান করছেন, নিজের এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের। বাবা তোমাদের অসীম জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি শোনাচ্ছেন। বিশাল এই উপার্জন। তোমরা চক্রবর্তী রাজা হও। তারা যদিও হিংসা স্বরূপ হাতে চক্র দিয়েছে। আসলে এই হল জ্ঞান রূপী চক্র। কিন্তু এই জ্ঞান তো প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। তোমাদের এই হল মুখ্য চিত্র। এক দিকে ত্রিমূর্তি, অন্য দিকে বৃক্ষ এবং চক্র। বাবা বুঝিয়েছেন - শাস্ত্রে তো কল্পের আয়ু লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে। সুতোর গুচ্ছটি সম্পূর্ণ ভাবে জড়িয়ে গেছে। বাবা ব্যতীত কেউ এই জট খুলতে পারবে না। বাবা স্বয়ং এসেছেন সম্মুখে। বলেন আমাকে ড্রামা অনুসারে আসতেই হয়। আমি এই ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ। এমন হতে পারে না যে আমি আসবই না। এমনও নয় যে আমি এসে মৃতদের জীবিত করি বা রুগীকে সুস্থ্য করি। অনেক বাচ্চারা বলে - বাবা আমাদের উপরে কৃপা করো। কিন্তু এখানে কৃপা ইত্যাদির কথা নেই। তোমরা আমাকে এইজন্য তো আহবান করো না যে আশীর্বাদ করো - আমাদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। তোমরা আহবান করো, হে পতিত-পাবন এসো। দুঃখ-হরণকর্তা সুখ-প্রদানকর্তা এসো। শরীরের দুঃখ হরণ কর্তা তো ডাক্তাররাও হয়। আমি কি সেইজন্য আসি! তোমরা বলো নতুন দুনিয়া স্বর্গের মালিক করো বা শান্তি প্রদান করো। এমন নয় যে এসে রোগ মুক্ত করো। সদাকালের জন্য শান্তি বা মুক্তি প্রাপ্ত করা সম্ভব নয়, পার্ট তো প্লে করতেই হয়। যারা পরে আসে, তারা শান্তি লাভ করে অনেক। এখনও আসছে। এতখানি সময় তো শান্তিধামে ছিল, তাইনা। ড্রামা অনুসারে যাদের পার্ট আছে, তারাই আসবে। পার্ট বদল হতে পারে না। বাবা বোঝান - শান্তি ধামে তো অনেক অনেক আত্মারা বাস করে, যারা পরে আসে। এইরূপ ড্রামা নির্দিষ্ট আছে। পরের দিকের আত্মাদের পরেই আসতে হবে। এই বৃক্ষটি পূর্ব নির্দিষ্ট আছে। এই চিত্র ইত্যাদি যা আছে সব তোমাদের বোঝাতে হবে। আরও অনেক চিত্র তৈরি হবে, কল্প পূর্বের মতন তৈরি হবে। ৮৪-র বিস্তার বৃক্ষেও আছে। ড্রামা চক্রেও আছে। এখন সিঁড়ি র চিত্র তৈরি হয়েছে। মানুষ তো কিছুই জানে না। একেবারে বোধহীন। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে পরমপিতা পরমাত্মা হলেন জ্ঞানের সাগর, শান্তির সাগর, তিনি আমাদের এই দেহের আধার নিয়ে পড়াচ্ছেন। বাবা বলেন, আমি আসি তার মধ্যে যে সর্ব প্রথমে বিশ্বের মালিক ছিল। তোমরাও জানো - যথাযথভাবে আমরাও ব্রহ্মা দ্বারা ব্রাহ্মণ হই। গীতায় এই কথা লেখা নেই। বাবা বলেন ইনি (ব্রহ্মা বাবা) নিজেই নারায়ণ পূজা করতেন, ট্রেনে যাত্রা করতে করতে, গীতা পাঠ করতেন। মানুষ ভাবে, ইনি তো ধর্মাত্মা। এখন সেই সব কথা ভুলে যাচ্ছেন। তবুও ব্রহ্মা বাবা গীতা ইত্যাদি পাঠ তো করেছেন তাইনা। বাবা বলেন আমি এইসব জানি। এখন তোমরা চিন্তন করো যে আমরা কার সম্মুখে বসে আছি, যাঁর দ্বারা বিশ্বের মালিক হও, তাহলে ক্ষণে ক্ষণে তাঁকে ভুলে যাও কেন ? বাবা বলেন তোমাদেরকে ১৬ ঘন্টা ফ্রী দিয়েছি, বাকি সময়ে নিজের সার্ভিস করো। নিজের সার্ভিস করা অর্থাৎ বিশ্বের সার্ভিস করা। এতখানি পুরুষার্থ করো যাতে কর্ম করে কম পক্ষে ৮ ঘন্টা বাবাকে স্মরণ করো। এখন সারা দিনে ৮ ঘন্টা বাবাকে স্মরণ করতে পারবে না। ওই অবস্থা যখন হবে তখন বুঝবো এই আত্মা অনেক সার্ভিস করে। আমরা অনেক সার্ভিস করি, এমন ভেবো না। ভাষণ খুব ফার্স্টক্লাস করো কিন্তু যোগ একদম নেই। যোগের যাত্রাই হল মুখ্য।

বাবা বলেন মাথার উপরে বিকর্মের বোঝা অনেক, তাই সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করো। ২ টো থেকে ৫ টা ফার্স্টক্লাস বায়ুমন্ডল থাকে। আত্মা রাত্রে আত্ম-অভিমানী হয়ে যায়, যাকে নিদ্রা বলা হয়। তাই বাবা বলেন যতখানি সম্ভব বাবাকে স্মরণ করো। এখন বাবা বলেন, "মন্মনাভব"। এ হল উত্তরণ কলার মন্ত্র। আচ্ছা!

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

*ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-*

১ ) বাবার সঙ্গে সোজা এবং সত্য হয়ে চলতে হবে। কল্যাণকারী বাবার সন্তান তাই সকলের কল্যাণ করতে হবে। সুপুত্র হতে হবে।

২ ) কর্ম করার সাথে কম পক্ষে ৮ ঘন্টা স্মরণে নিশ্চয়ই থাকতে হবে। স্মরণই হল মুখ্য - এর দ্বারাই বিকর্মের বোঝা কম করতে হবে।

*বরদানঃ-*

পুরুষার্থ শব্দটিকে যথার্থ রীতিতে ব্যবহার করে সদা এগিয়ে থেকে শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থী ভব

অনেক সময়ে পুরুষার্থী শব্দটি হার মেনে নেওয়ার বা অসফল হওয়ার ভালো ঢাল স্বরূপ হয়ে যায়, যখন কোনও ভুল হয় তখন বলে আমরা তো পুরুষার্থী। কিন্তু যথার্থ পুরুষার্থী কখনও হার স্বীকার করে না। কারণ পুরুষার্থ শব্দের যথার্থ অর্থ হল নিজেকে পুরুষ অর্থাৎ আত্মা নিশ্চয় করে চলা। এমন আত্মিক স্থিতিতে থেকে পুরুষার্থী তো সর্বদা লক্ষ্যকে সামনে রেখে চলে, তারা কখনও থামে না, সাহস বা উৎসাহ ত্যাগ করে না।

*স্লোগানঃ-*

মাস্টার সর্বশক্তিমানের স্মৃতিতে থাকো, এই স্মৃতিই মালিকানার অনুভূতির স্মৃতি অনুভব করায়।