ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের বুঝিয়েছি এই ভারতই অবিনাশী খন্ড ছিল আর এর প্রকৃত নামই হলো ভারত খন্ড । হিন্দুস্তান নাম তো পরে এসেছে । ভারতকে বলা হয়‐ আধ্যাত্মিক খন্ড, এটা প্রাচীনতম। নতুন দুনিয়াতে যখন ভারত খন্ড ছিল তখন অন্য কোনো খন্ড ছিল না। প্রধান হলো ইসলাম, বৌদ্ধ, আর খ্রীষ্টান। এখন তো অনেক খন্ড হয়ে গেছে। ভারত অবিনাশী খন্ড, যাকে স্বর্গ এবং হেভেন বলা হয়। নতুন দুনিয়াতে নতুন খন্ড এক ভারতই হয়। নতুন দুনিয়া রচনা করেন পরমপিতা পরমাত্মা, স্বর্গের রচয়িতা হেভনলী গড ফাদার। ভারতবাসীরা জানে এই ভারত অবিনাশী খন্ড। ভারত স্বর্গ ছিল। যখন কেউ মৃত্যু বরণ করে বলা হয় স্বর্গবাসী হয়েছে, মনে করে স্বর্গ বোধহয় উপরে। দিলওয়ারা মন্দিরে বৈকুন্ঠের চিত্র ছাদের উপর দেখানো হয়েছে। এটা কারও বুদ্ধিতে আসেনা যে ভারতই স্বর্গ ছিল, এখন আর নেই। এখন তো নরক হয়ে গেছে। এটাই হলো অজ্ঞানতা। জ্ঞান আর অজ্ঞান দুটো জিনিস। জ্ঞানকে বলা হয় দিন, অজ্ঞানতা রাত । জ্ঞান আলো আর অজ্ঞানতা অন্ধকার। আলো অর্থাত্ উত্থান এবং অন্ধকার পতন । মানুষ সূর্যাস্ত দেখার জন্য সানসেটে যায়। ওটা হলো সীমিত দুনিয়ার বিষয়। এর জন্যই বলা হয় ব্রহ্মার দিন, ব্রহ্মার রাত । ব্রহ্মা হলেন প্রজাপিতা, নিশ্চয়ই প্রজাদের পিতা হবেন। যখন সদ্গুরু এসে জ্ঞানের অঞ্জন (কাজল) পড়িয়ে দেন তখন অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হয়ে যায়। একথা দুনিয়ার কেউ বোঝে না। এ হলো নতুন দুনিয়ার জন্য নতুন নলেজ। হেভেনের জন্য হেভনলী গড ফাদারের নলেজ প্রয়োজন। বলাও হয়ে থাকে ফাদার ইজ নলেজফুল, সুতরাং তিনি শিক্ষকও হলেন । ফাদারকে বলা হয় পতিত-পাবন আর কাউকেই পতিত-পাবন বলা যায় না। শ্রী কৃষ্ণকেও বলা যায় না। ফাদার সবারই একজন। শ্রী কৃষ্ণ তো সবার ফাদার নন। সে যখন বড় হবে, বিবাহের পর এক-দুই বাচ্চার পিতা হবে। রাধা কৃষ্ণকে প্রিন্স প্রিন্সেজ বলা হয়। নিশ্চয়ই স্বয়ম্বর হয়েছিল। বিবাহের পরই মা বাবা হওয়া যায়। তাকে কখনও ওয়ার্ল্ডের গড ফাদার বলা যায় না। ওয়ার্ল্ড গড ফাদার শুধুমাত্র এক নিরাকার বাবাকেই বলা হয়। গ্রেট-গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার শিববাবাকে বলা হয় না। গ্রেট-গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা, তার দ্বারাই বংশ বৃক্ষের সৃষ্টি হয়। ইনকরপরিয়াল গড ফাদার, নিরাকার আত্মাদের পিতা তিনি । নিরাকার আত্মারা যখন এখানে শরীরে থাকে তখন ভক্তি মার্গে আহ্বান করে। এসব নতুন বিষয় তোমরা শুনছো। যথার্থ ভাবে কোনো শাস্ত্রে এ'সব লেখা নেই। বাবা বলেন, আমি সামনে বসে বাচ্চারা তোমাদের বুঝিয়ে থাকি। তারপর এই জ্ঞান সম্পূর্ণ রূপে লুপ্ত হয়ে যায়। তারপর আবারও যখন বাবা আসেন যথার্থ রীতিতে জ্ঞান প্রদান করেন। বাচ্চাদের সামনে বসে বুঝিয়ে অবিনাশী উত্তরাধিকার দিয়ে থাকেন। তারপর শাস্ত্র তৈরি হয়। যথার্থ রূপে তো শাস্ত্র তৈরি হয় না। কেননা সত্যের দুনিয়া শেষ হয়ে মিথ্যার খন্ড তৈরি হয়। সুতরাং মিথ্যা জিনিসই তৈরি হবে কারণ অবতরণের কলা শুরু হয়ে যায়। ভক্তিতে রাত, অন্ধকারে ঠোক্কর খেতে হয়, মাথা ঠুকতে থাকে। এমনই ঘোর অন্ধকার। মানুষের তো কিছুই জানা নেই, দরজায়-দরজায় ধাক্কা খেতে থাকে। সূর্যের উদয় আর অস্ত হতে থাকে, যা বাচ্চারা গিয়ে দেখে। বাচ্চারা তোমাদের এখন জ্ঞান সূর্যের উদয় হওয়া দেখতে হবে। ভারতের উত্থান আর ভারতের পতন। ভারত এমনই ডুবে যায় ঠিক যেমন সূর্য ডোবে। সত্যনারায়ণের কথাতেও বলা হয়েছে ভারতের নৌকা কিভাবে নীচে চলে যায়, তারপর বাবা এসে উদ্ধার করেন। তোমরা পুনরায় এই ভারতকে উদ্ধার করে থাক। বাচ্চারা তোমরাই এসব বিষয়ে জান। তোমরা নিমন্ত্রণও দিয়ে থাক, নব-নির্মাণ প্রদর্শনী নামও ঠিক আছে। নতুন দুনিয়া কিভাবে স্থাপন হয় তার প্রদর্শনী। চিত্র দ্বারা বোঝান হয়, সুতরাং ঐ নামটাই চলে আসলে খুব ভালো। নতুন দুনিয়া কিভাবে স্থাপন হয় বা উত্থান কিভাবে হয়, এসব তোমরা চিত্র দ্বারা দেখিয়ে থাক। নিশ্চয়ই পুরানো দুনিয়ার পতন হয় তবেই তো উত্থান কিভাবে হয় দেখানো হয়। এটাও একটা গল্প — রাজ্য পাওয়া আর হারানো। ৫ হাজার বছর আগে কি ছিল? বলবে সূর্যবংশীয়দের রাজত্ব ছিল, তারপর চন্দ্র বংশীয়দের রাজত্ব শুরু হয়েছিল। ওরা তো (লৌকিকে) একে অপরের কাছ থেকে রাজ্য নিয়ে নেয়। দেখিয়ে থাকে অমুকের কাছ থেকে রাজ্য নিয়েছে। ওরা সিঁড়ি সম্পর্কে কিছুই জানে না। এসব তো বাবা বসে বোঝান তোমরা গোল্ডেন এজ থেকে সিলভার এজে এসেছ,সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছ।এ হলো ৮৪ জন্মের সিঁড়ি।
সিঁড়ি দিয়ে যেমন নামতে হয় তারপর আবার উঠতেও হয়। পতনের রহস্যও বুঝিয়ে বলতে হবে। ভারতের উত্থান কতদিনে এবং পতনের সময়ও বলতে হবে। জ্ঞানের সমুদ্র মন্থন করতে হবে যে কিভাবে মানুষকে প্ররোচিত করতে পারবে। তারপর তাদের আমন্ত্রণও পাঠাতে হবে যে, ভাই ও বোনেরা এসে বোঝ। প্রথমে তাদের কাছে বাবার মহিমা বর্ণন কর। শিববাবার মহিমাযুক্ত একটা বোর্ড থাকা উচিত। পতিত-পাবন জ্ঞানের সাগর, পবিত্রতা, সুখ-শান্তির সাগর, সম্পত্তির সাগর, সবার সদ্গতি দাতা, জগৎ-পিতা, জগত-শিক্ষক, জগত-গুরু শিববাবার কাছ থেকে সূর্য বংশী, চন্দ্র বংশীয় উত্তরাধিকার গ্রহণ কর। তবেই মানুষ পিতা সম্পর্কে জানতে পারবে। বাবার এবং শ্রী কৃষ্ণের মহিমা আলাদা-আলাদা। এসব বিষয়ে বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে এখন বসে গেছে। সার্ভিসেবল বাচ্চারা সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। নিজেদের লৌকিক সার্ভিস থাকতেও ছুটি নিয়ে ঈশ্বরীয় সার্ভিসে লেগে যায়। এ হলো ঈশ্বরীয় গভর্নমেন্ট। বিশেষ করে কন্যারা যদি সেবার কাজে নিজেদের নিযুক্ত কর তবে তোমাদের নাম মহিমান্বিত করতে পার। সার্ভিসেবল বাচ্চাদের খুব ভালোভাবে পালন করা হয় কারণ শিববাবার ভান্ডার ভরপুর। যে ভান্ডার থেকে খাদ্য গ্রহণ করে তা সবসময় ভরপুর থাকে এবং দুঃখ-দুর্দশা দূর করে।
তোমরা হলে শিববংশী, তিনি হলেন স্রষ্টা এবং এটা তাঁর সৃষ্টি। বাবুল নামটা (পিতার ) খুব মিষ্টি। শিব তো সাজন, তাইনা। শিববাবার মহিমা আলাদা। নিরাকার শব্দটি লিখলে মনে করা হয় ওঁনার কোনও আকার নেই। শিববাবা সবচেয়ে প্রিয়। তোমাদের অবশ্যই লেখা উচিত "পরমপ্রিয়" । এই সময় লড়াইয়ের ময়দান পিতার এবং তোমাদেরও। শিব শক্তিরা ‐ অহিংসক গাওয়া ও হয়ে থাকে। কিন্তু অস্ত্র দিয়ে দেবীদের চিত্রায়িত করা হয়েছে এবং হিংসা দেখানো হয়েছে। বাস্তবে তো তোমরা স্মরণ এবং যোগবল দ্বারা বিশ্বের বাদশাহী পেয়ে থাকো। এখানে অস্ত্রের কোনও ভূমিকাই নেই। গঙ্গার প্রচুর প্রভাব রয়েছে। অনেকেরই দর্শন হয়। ভক্তি মার্গে বিশ্বাস করে যে গঙ্গার জল পেলেই মুক্তি পেতে পারে। এই কারণে গুপ্ত গঙ্গা বলে থাকে, বলে যে যেখানে তীর নিক্ষেপ করেছিল সেখান থেকেই গঙ্গার উত্পত্তি হয়েছে। গোমুখেও গঙ্গা দেখানো হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে বলবে যে গুপ্ত গঙ্গা বয়ে চলেছে। ত্রিবেণীতেও সরস্বতীকে গুপ্ত রূপে দেখানো হয়েছে। মানুষ তো অনেক কাহিনী বলে থাকে। এখানে একটাই বিষয় অলফ (আল্লাহ /ঈশ্বর) আর বে (বাদশাহী) । আল্লাহ্ এসে বেহস্ত (স্বর্গ) স্থাপনা করেন, খুদা (ঈশ্বর) হেভেন (স্বর্গ) স্থাপনা করেন, ঈশ্বর স্বর্গ স্থাপনা করেন। বাস্তবে তো ঈশ্বর একজনই। নিজ-নিজ ভাষা অনুযায়ী ভিন্ন-ভিন্ন নাম রেখেছে। কিন্তু এটা বুঝেছে আল্লাহ্-র কাছ থেকে অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন মন্মনাভব । বাবাকে স্মরণ করলেই উত্তরাধিকার স্মরণে আসবে। রচয়িতার রচনা হলো স্বর্গ। এমনটা তো বলা হয় না যে রাম নরক রচনা করেছেন। ভারতবাসীদের জানাই নেই যে নিরাকার রচয়িতা কে ? তোমরা জান নরকের রচয়িতা রাবণ,যাকে জ্বালানো হয়। রাবণ রাজ্যে ভক্তি মার্গের চারা কত বড় হয়। রাবণের রূপও বড় ভয়ঙ্কর তৈরি করা হয়েছে। বলেও থাকে রাবণ আমাদের শত্রু। বাবা এর অর্থও বুঝিয়েছেন ‐- যার এতো বিশাল বিস্তৃতি যে কারণেই তারা বিশাল শরীর নিয়ে রাবণ তৈরি করে থাকে। শিববাবা তো বিন্দু, কিন্তু চিত্র বড় করে তৈরি করেছে, তা না হলে বিন্দুর পূজা কিভাবে হবে। পূজারি তো হতে হবে না ! আত্মা সম্পর্কে বলে থাকে ‐ ভ্রুকুটির মাঝখানে আশ্চর্য এক নক্ষত্র জ্বলজ্বল করে, তারপরই বলে আত্মাই পরমাত্মা। তাহলে হাজার সূর্যের চেয়েও তেজময় কিভাবে হতে পারে ? ওরা আত্মার বর্ণন করে কিন্তু কিছুই জানে না। ঈশ্বর যদি হাজার সূর্যের চেয়েও তেজময় হন তবে তিনি কীভাবে সবার মধ্যে প্রবেশ করবেন? কত অযৌক্তিক কথা, যা শুনে কি থেকে কি হয়ে গেছে । আত্মাই পরমাত্মা হলে বাবার রূপও তো তেমনই হবে, তাইনা। পূজা করার জন্য বড় করে তৈরি করেছে। পাথরের কত বড়-বড় মূর্তিও তৈরি করেছে। যেমন গুহার ভিতরে বড়-বড় পান্ডব দেখানো হয়েছে, কিছুই জানে না। এ হলো ঈশ্বরীয় পড়াশোনা। কাজকর্ম আর পড়াশোনা আলাদা-আলাদা বিষয়। বাবা শিক্ষাও দেন এবং কাজকর্মও শেখান ( যোগযুক্ত হয়ে কর্ম করার পদ্ধতি)। বোর্ডে বাবার মহিমা থাকা উচিত, সম্পূর্ণ মহিমা লেখা উচিত। এই বিষয়ে বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে নম্বরানুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী আসে। সেইজন্যই মহারথী, ঘোড়সওয়ার বলা হয়। অস্ত্র ইত্যাদির কোনও প্রশ্নই নেই। বাবা বুদ্ধির তালা খুলে দেন। এই গোদরেজ তালা কেউ খুলতে পারে না। বাবার কাছে এলে বাবা জিজ্ঞাসা করেন এর আগে কবে মিলিত হয়েছ ? এই জায়গায়, এই দিনে কবে মিলিত হয়েছ? বাচ্চারা বলে বাবা, ৫ হাজার বছর আগে মিলিত হয়েছিলাম। এসব কথা আর কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে না। কত গুহ্য বোঝার বিষয়। কত জ্ঞানের যুক্তি বাবা ব্যাখ্যা করে থাকেন, কিন্তু ধারণা নম্বরানুসারে হয়। শিববাবার মহিমা আলাদা, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করের মহিমা আলাদা-আলাদা। প্রত্যেকের ভূমিকা আলাদা-আলাদা। একের সাথে অন্যের মিলবে না। এই ড্রামা অনাদি, সেটারই আবার পুনরাবৃত্তি হবে। তোমাদের বুদ্ধিতে এখন বসেছে আমরা কীভাবে মূলবতনে যাই আবার আসি ভূমিকা পালন করতে।
সূক্ষ্মলোক হয়ে মূললোকে যাই। আসার সময় সূক্ষ্মলোক হয়ে আসতে হয় না! সূক্ষ্ম লোকের সাক্ষাত্কার কখনও কারো হয়না। সূক্ষ্মলোকের সাক্ষাত্কার করার জন্য কেউ তপস্যা করেনা, কেননা তাকে কেউ জানেই না। সূক্ষ্মবতনের ভক্ত কেউ হয়না। সূক্ষ্মবতন এখনই রচিত হয় যাতে তোমরা সূক্ষ্মবতনের মধ্য দিয়ে ফিরে যেতে পার এবং তারপর নতুন দুনিয়াতে যেতে পার। এই সময় তোমরা যাওয়া আসা করতে থাক, তোমাদের এখন বিবাহের বাগদান হয়েছে, ওটাই এখন প্রকৃত ঘর । বিষ্ণুকে পিতা বলা হয় না। ওটা হলো শ্বশুরবাড়ি। যখন কন্যা শ্বশুরবাড়িতে যায় তখন পুরানো বস্ত্র সব ছেড়ে চলে যায়। তোমরা তো সম্পূর্ণ দুনিয়াকেই ছেড়ে দাও। তোমাদের আর ওদের বনবাসের মধ্যে কত পার্থক্য রয়েছে। তোমাদের আরও অনাসক্ত হওয়া উচিত। দেহ-অভিমান ত্যাগ করতে হবে। মূল্যবান শাড়ি পরলে দেহ-অভিমান আসে এবং আমি আত্মা এটাই ভুলে যাও। এই সময় তোমরা নির্বাসনে আছ। নির্বাসন আর বাণপ্রস্থ একই কথা । শরীরই যখন ছেড়ে দিতে হবে শাড়ি ছাড়বে না কেন ! কম দামের শাড়ি পেলে মন সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তোমাদের খুশি হওয়া উচিত যে তোমরা সস্তা কিছু পেয়েছ। ভালো জিনিস যত্ন সহকারে দেখা উচিত। ভালো পোশাক পড়া, ভালো খাবার খাওয়ার মতো তুচ্ছ জিনিসগুলো উচ্চ গন্তব্যে পৌঁছতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। লক্ষ্য অনেক উচ্চ। কাহিনীও আছে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে বলেছিল‐ হাঁটার লাঠিটি ত্যাগ কর ( লাঠির প্রতি মোহ ত্যাগের কথা বলা হয়েছে)। বাবা বলেন এই পুরানো কাপড়, পুরানো দুনিয়া সব শেষ হয়ে যাবে, সেইজন্য এই সম্পূর্ণ দুনিয়া থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করতে হবে, একেই অসীমের সন্ন্যাস বলা হয়। সন্ন্যাসীদের ত্যাগ সীমাবদ্ধ, এখন তারা শহরেও বসতি শুরু করেছে। আগে তাদের মধ্যে অধিক শক্তি ছিল। যারা নিচে নেমে আসে তাদের মহিমা কীভাবে থাকবে? শেষ পর্যন্ত নতুন আত্মা তাদের ভূমিকা পালন করার জন্য নামতে থাকবে। তাদের মধ্যে কতটুকু শক্তি থাকবে? তোমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে থাক। এসব বিষয় বোঝার জন্য কত বুদ্ধি থাকা প্রয়োজন। সার্ভিসেবল বাচ্চাদের সার্ভিসের জন্য প্রচুর উত্সাহ থাকে। জ্ঞানের সাগরের বাচ্চাদের বাবার মতোই উত্সাহের সাথে বক্তৃতা দেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে হতাশ হওয়া উচিত নয়। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা,বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মা রূপী পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
*ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-*
১ ) বুদ্ধি দিয়ে অসীমের সন্ন্যাস নিতে হবে। ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় এখন, সেইজন্য পুরানো দুনিয়া আর পুরানো শরীরের থেকে অনাসক্ত হতে হবে।
২ ) ড্রামার প্রতিটি দৃশ্য দেখে সবসময় উত্ফুল্ল থাকতে হবে।