ওম্ শান্তি । সন্তান যখন জন্ম নেয় তখন নিজের সঙ্গে কর্ম অনুসারে ভাগ্য নিয়েই আসে। কেউ ধনী ব্যক্তির কাছে, কেউ গরিবের কাছে জন্ম নেয়। বাবাও ভাবে উত্তরাধিকারী এসেছে। যেমন যেমন দান-পুণ্য করে থাকে, সেই অনুসারে জন্ম হয়। এখন তোমরা মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে কল্প পরে এসে বাবা পুনরায় বোঝাচ্ছেন। বাচ্চারাও জানে যে আমরা নিজেদের ভাগ্য নিয়ে এসেছি। স্বর্গের বাদশাহীর ভাগ্য নিয়ে এসেছি, যারা ভালোভাবে জেনেছে এবং তারা বাবাকে স্মরণ করছে। স্মরণের সাথে ভাগ্যের কানেকশনও আছে। জন্ম নিয়েছে - তো বাবার স্মরণ থাকা উচিত। যত স্মরণ করবে ততই উঁচু ভাগ্য হবে। কতখানি সহজ এই কথা। সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়। তোমরা এসেছো সুখধামের ভাগ্য প্রাপ্ত করতে। এখন প্রত্যেকে পুরুষার্থ করছে। প্রত্যেকে নিজেকে দেখছে যে আমরা কিরকম পুরুষার্থ করছি। যেমন মাম্মা বাবা এবং সার্ভিসেবল বাচ্চারা পুরুষার্থ করে, তাদেরকে ফলো করা উচিত। সবাইকে বাবার পরিচয় দেওয়া উচিত। বাবার পরিচয় দিলেই রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞানও এসে যাবে। ঋষি, মুনি ইত্যাদি কেউই রচয়িতা ও রচনার আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ দিতে পারে না। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ চক্র স্মৃতিতে আছে। দুনিয়ায় কেউ বাবা এবং বাবা প্রদত্ত উত্তরাধিকারের কথা জানেনা। তোমরা বাচ্চারা এখন বাবাকে এবং নিজের ভাগ্যকে জেনেছো। এখন বাবাকে স্মরণ করতে হবে। শরীর নির্বাহের জন্য কর্মও করতে হবে। ঘর সংসার চালাতে হবে। কেউ যদি নির্বন্ধন থাকে তাহলে সে ভালো সার্ভিস করতে পারে। সন্তান ইত্যাদি না থাকলে সার্ভিস করার অনেক চান্স আছে। স্ত্রীর বন্ধন থাকে স্বামী আর সন্তানের । যদি সন্তান না থাকে তার অর্থ হল বন্ধনমুক্ত, তাইনা। তারা তো বাণপ্রস্থ হয়ে গেল। তারপর মুক্তিধাম যাওয়ার জন্য সঙ্গ চাই। ভক্তিমার্গে তো সঙ্গ পাওয়া যায় - সাধু, সন্ন্যাসী ইত্যাদির । তারা সন্ন্যাস ধর্মের হয়ে প্রবৃত্তি মার্গের নলেজ প্রদান করতে পারেনা। তোমরা বাচ্চারা প্রদান করতে পারো। তোমাদেরকে বাবা পথ বলে দিয়েছেন। ভারতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি ৮৪ জন্মের বসে বোঝাও। ভারতবাসীরাই ৮৪ জন্ম নেয়। একজনের কথা নয়। সূর্যবংশীরাই হয় চন্দ্রবংশী, বৈশ্যবংশী .... কুলে জন্ম নেয়, নম্বর অনুক্রমে, তাইনা। ভারতের প্রথম নম্বর প্রিন্স হলেন শ্রীকৃষ্ণ, তাকে দোলনায় দোলানো হয়। দ্বিতীয় নম্বরে যে থাকে তাকে দোলনায় ঝোলানো হয় না, কারণ কলা বা কোয়ালিটি কম হয়ে গেছে। যে প্রথম নম্বরে থাকে, পূজা তারই হয়। মানুষ বোঝে না কৃষ্ণ একটি নাকি দুই তিনটি। কৃষ্ণের বংশ চলে, সে কথা কেউ জানে না। পূজা কেবল প্রথম নম্বরের হয়। মার্ক্স নম্বর অনুযায়ী প্রাপ্ত হয়। সুতরাং পুরুষার্থ করা উচিত, যাতে আমরা প্রথম নম্বরে আসি। মাম্মা বাবাকে ফলো করে রাজধানী প্রাপ্ত করি। যে ভালো সার্ভিস করবে সে মহারাজার ঘরে জন্ম নেবে। সেখানে তো থাকবেই মহারাজা-মহারানী। সেইসময় কোনো রাজা-রানীর টাইটেল থাকে না। সেসব পরে শুরু হয়। দ্বাপরে যখন পতিত হয় তখন বিশাল সম্পত্তির অধিকারীকে রাজা বলা হয়। তখন মহারাজার প্রভাব কম হয়ে যায়, প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। তারপরে যখন ভক্তিমার্গ শুরু হয় তখন গরিব, ধনীর মধ্যে তফাৎ তো থাকে তাইনা। এখন তোমরা বাচ্চারা শিববাবাকে স্মরণ করছো এবং তাঁর কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। অন্য সৎসঙ্গে মানুষ বসে কাহিনী শোনায়, মানুষ মানুষকে ভক্তি শেখায়। তারা জ্ঞান প্রদান করে সদগতি করতে পারে না। বেদ, শাস্ত্র ইত্যাদি হল সব ভক্তিমার্গের। সদগতি তো জ্ঞানের দ্বারা হয়। পুনর্জন্মেও বিশ্বাস আছে। মাঝখান থেকে কেউ ফিরে যেতে পারে না। শেষ সময়েই বাবা এসে সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এত সব আত্মারা কোথায় গিয়ে থাকবে ? (পরমধামে) সব ধর্মের সেকশন তো আলাদা আছে, তাইনা। সুতরাং এই কথাও বোঝাতে হবে। এই কথা কেউ জানেনা যে আত্মাদেরও বৃক্ষ আছে। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ বৃক্ষের জ্ঞান আছে। আত্মাদের বৃক্ষও আছে, জীব আত্মাদেরও বৃক্ষ আছে। বাচ্চারা জানে যে আমরা এই পুরানো দেহ ত্যাগ করে ঘরে অর্থাৎ পরমধাম যাচ্ছি। "আমি আত্মা" এই দেহ থেকে পৃথক - এই কথাটি বুঝে নেওয়া অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় মৃত স্বরূপ হওয়া। আমি মরলে দুনিয়াও আমার কাছে মৃত। তোমরা মিত্র, আত্মীয়স্বজন ইত্যাদি সবাইকে ত্যাগ করলে। প্রথমে সম্পূর্ণ শিক্ষা নিয়ে পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করে তারপরে ফিরে যেতে হবে। বাবাকে স্মরণ করা তো খুব সহজ। যদি কেউ অসুস্থ থাকে, তাকেও বলা উচিত যে শিববাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। যে পাকা যোগী হবে তার শীঘ্র মৃত্যু অর্থাৎ দেহ ত্যাগ হওয়া ভালো নয় কারণ সে যোগ যুক্ত থেকে আত্মিক বা রূহানী সেবা করে। মরে গেলে সেবা করতে পারবে না। সেবা করলে উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে এবং ভাই-বোনদের সেবাও হবে। তারাও বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। আমরা নিজেদের মধ্যে হলাম ভাই-ভাই, এক পিতার সন্তান।
বাবা বলেন - আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। আগেও এইরকম বলেছিলেন। কাউকে বোঝাতে চাইলে বোঝাও, বলো বোন বা ভাই জী, তোমার আত্মা এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে। যা সতোপ্রধান ছিল এখন আবার তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে সতোপ্রধান দুনিয়ায় যেতে হবে। আত্মাকে সতোপ্রধান বানাতে হবে স্মরণের যাত্রা দ্বারা। স্মরণ করার সম্পূর্ণ চার্ট রাখা উচিত। জ্ঞানের চার্ট রাখতে পারবে না। বাবা তো জ্ঞান দান করতে থাকেন। খেয়াল রাখতে হবে আমাদের উপরে যে বিকর্মের বোঝা আছে, সেই বোঝা কমবে কীভাবে, তাই স্মরণের চার্ট রাখা হয়। আমরা কত ঘন্টা স্মরণ করছি ? মূল বতনকেও স্মরণ করতে হয় তারপর নতুন দুনিয়াকেও স্মরণ করতে হয়। দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি আসবে। তার জন্য প্রস্তুতি চলছে। বোমা ইত্যাদিও তৈরি হবে। এক দিকে বলে আমরা মৃত্যুর জন্য এমন এমন জিনিস তৈরি করছি। অন্য দিকে বলে মৃত্যুর জিনিস তৈরি করবে না। সমুদ্রের তলায় ধ্বংসের জিনিস রাখা আছে, উপরে এসে বোমা ছেড়ে আবার সমুদ্রের তলায় চলে যাবে। এমন জিনিস বানিয়েছে। এইসব নিজেদের বিনাশের জন্যই করছে। মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে। বিশাল মহল বানাচ্ছে। তোমরা জানো এইসব মাটিতে মিশে যাবে। কারো ধুলোয় ধন ধূলায় মিশে যাবে.... যুদ্ধ তো নিশ্চয়ই হবে। সবার পকেট খালি হওয়ার নানা ফন্দিফিকির হবে। চোরের উপদ্রব কত বেড়ে গেছে। যুদ্ধের সরঞ্জামে কতো খরচ করে। এই সব মাটিতে মিশে যাবে। বাড়ি ঘর ইত্যাদি সব ভেঙে পড়বে। বোমা বিস্ফোরণের পর সৃষ্টির ৩ ভাগ শেষ হয়ে যায়। এক ভাগ বাকি থাকে । এক ভাগে ভারত আছে। বাকি তো সব পরে এসেছে। এখন ভারতের ভাগটাই বাকি থাকবে। মৃত্যু তো সবারই হবে তাহলে আমরা বাবার কাছে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার যেন প্রাপ্ত করি, তাই বাবা বলেন লৌকিক আত্মীয় স্বজনদের প্রতি কর্তব্য করে যাও। বাবা পরামর্শ দেন যদি কোনো বন্ধন না থাকে তাহলে সার্ভিস করো। যদি স্বাধীন আছো তাহলে তো অনেকের কল্যাণ করতে পারবে। আচ্ছা যদি কোথাও বাইরে না যাও তবু নিজের আত্মীয় স্বজনদের উপরে দয়া ভাব রাখা উচিত (জ্ঞান শোনানো অর্থাৎ দয়া ভাব )। আগে তোমরা বলতে না বাবা দয়া করো। এখন তো তোমরা পথ পেয়েছো, তাই অন্যদের উপরেও দয়া করা উচিত অর্থাৎ পথ বলে দেওয়া উচিত, যেমন বাবা দয়া করেন। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। সন্ন্যাসীরা হঠ যোগ করে কত পরিশ্রম করে। এখানে তো সেসব কিছু নেই। শুধুমাত্র স্মরণ করো তাহলে পাপ ভস্ম হবে, এতে কোনো কষ্ট নেই। শুধু স্মরণের যাত্রার কথা। উঠতে বসতে, কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্ম করতে করতে, শুধু বুদ্ধির যোগ বাবার সাথে যুক্ত করো। প্রকৃত সত্য প্রিয়তমা হতে হবে এক প্রিয়তমের। তিনি নিজে বলেন হে প্রিয়তমা, হে সন্তানরা! ভক্তিমার্গে তো অনেক স্মরণ করেছো। কিন্তু এখন আমাকে, এই প্রিয়তমকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ ভস্ম হবে। আমি গ্যারান্টি করছি। কোনও কোনও কথা শাস্ত্রে চলে এসেছে । ভগবানের দ্বারা গীতা শুনে তোমরা জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করে থাকো। মানুষের দ্বারা গীতা শুনে জীবনবন্ধে এসেছো, সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমেছো। প্রত্যেকটি কথায় বিচার সাগর মন্থন করতে হয়। নিজের বুদ্ধি খরচ করতে হয় । এ হল বুদ্ধির যাত্রা, যার দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হবে। বেদ, শাস্ত্র, যজ্ঞ, তপ ইত্যাদি করলে পাপ বিনষ্ট হবে না। নীচের দিকেই নেমে এসেছে মানুষ। এখন তোমাদের উপরের দিকে যেতে হবে। শুধুমাত্র সিঁড়ির চিত্র দিয়ে কেউ বুঝবে না, যতক্ষণ না কেউ বুঝিয়ে দিচ্ছে। যেমন ছোট বাচ্চাদের চিত্র দেখিয়ে শেখাতে হয় - এই ছবিটি হল হাতির ছবি। যখন হাতি দেখবে তখন চিত্র স্মরণে আসবে। যেমন তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে। চিত্রে সর্বদা ছোট জিনিস দেখানো হয়। তোমরা জানো বৈকুণ্ঠ তো বড় হবে তাইনা। বিশাল রাজধানী হবে। সেখানে হীরে জহরতের মহল থাকে, সেসব লুপ্ত হয়ে যায়। সব জিনিস লুপ্ত হয়ে যায়। তা নাহলে ভারত গরিব হল কীভাবে ? ধনী থেকে গরিব, গরিব থেকে ধনী হতে হবে। এই ড্রামাটি পূর্ব নির্দিষ্ট তাই সিঁড়ির চিত্রে বোঝানো হয়, নতুন যারা আসে তাদেরকেও বোঝালে প্র্যাক্টিস হবে, মুখ দিয়ে জ্ঞানের কথা বেরোবে। বাচ্চাদের সার্ভিস করার উপযুক্ত বানানো হয়। অনেক সেন্টারে বাচ্চারা অশান্তি সৃষ্টি করতে থাকে। বুদ্ধিযোগ যখন বাইরে থাকে তখন ক্ষতি করে দেয়। পরিবেশ খারাপ করে দেয়। নম্বর অনুক্রমে তো আছে, তাইনা। তখন বাবা বলবেন তোমরা পড়াশোনা করো না, তাই নিজেদের এই অবস্থা দেখো। দিন দিন বেশী করে সাক্ষাৎকার হবে। যারা পাপ করবে তারা দন্ডও ভোগ করবে। তখন বলবে - আমরা পাপ করে ভুল করলাম। বাবাকে বলে প্রায়শ্চিত্ত করলে কিছু কম হয়ে যেতে পারে। তা নাহলে বৃদ্ধি হতে থাকবে। এমন হয়। নিজেও অনুভব করবে কিন্তু বলবে কি করি আমার স্বভাব পরিবর্তন হচ্ছে না, এর চেয়ে ভালো ঘরে থাকি। কেউ আবার ভালো সার্ভিস করে। কেউ ডিস-সার্ভিস করে। আমাদের সৈন্যবাহিনীতে সাহসী কে কে আছে, তাদের নাম বাবা বসে বলেন। যদিও যুদ্ধ ইত্যাদির কোনো কথা নেই। এ হল অসীম জগতের কথা। ভালো বাচ্চা হলে বাবা নিশ্চয়ই মহিমা বা প্রশংসা করবেন। বাচ্চাদের খুব দয়ালু, কল্যাণকারী হতে হবে। অন্ধের লাঠি হতে হবে। সবাইকে পথ বলে দিতে হবে যে বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। পাপ আত্মা ও পুণ্য আত্মা বলা হয়, তাইনা। এমন তো নয় ভিতরে পরমাত্মা আছেন বা আত্মা পরমাত্মায় পরিণত হয়ে যায়। এইসব কথা ভুল। পরমাত্মাকে পাপ স্পর্শ করে না। তাঁর তো ড্রামাতে পার্ট রয়েছে সার্ভিস করার। মানুষই পাপাত্মা, পুণ্য আত্মা হয়। যারা সতোপ্রধান ছিল, তারাই তমোপ্রধান হয়েছে। ব্রহ্মা বাবার দেহে শিববাবা বসে সতোপ্রধান বানান, তাই বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হয়, তাইনা।
বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের বিশালবুদ্ধি বানাচ্ছেন। এখন তোমরা জানো যে রাজধানী কীভাবে স্থাপন হচ্ছে। বাবা স্বয়ং ব্রহ্মা দেহে এসে ব্রহ্মা মুখ বংশী বাচ্চাদের রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করে দেবী দেবতা বানাচ্ছেন। পুনর্জন্ম নিয়ে আবার সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামবে। এখন পুনরায় সব রিপিট করতে হবে। বাবা আবার ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করাচ্ছেন। যোগ বলের দ্বারা তোমরা ৫-টি বিকারকে জয় করে জগৎজিত হও। এতে যুদ্ধ বিগ্রহের কোনো কথা নেই। আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
*ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-*
১) বন্ধন মুক্ত হয়ে বাবার সার্ভিস করো, তবেই উঁচু ভাগ্যের অধিকারী হবে। দয়ালু স্বরূপধারী হয়ে অনেককে পথ বলে দিতে হবে। অন্ধের লাঠি হতে হবে।
২) এই শরীরের প্রতি আসক্তি মিটিয়ে জীবিত অবস্থায় মৃত স্বরূপ হতে হবে, কারণ এখন আত্মাদের ঘরে ফিরতে হবে। রোগী অবস্থায় এক বাবার স্মরণে থাকলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে।