27.04.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের স্বধর্ম হলো শান্ত, প্রকৃত শান্তি শান্তিধামেই পাওয়া যেতে পারে, এই কথা সবাইকে শোনাতে হবে, স্বধর্মে থাকতে হবে"

প্রশ্নঃ -
কোন্ জ্ঞান এক বাবার কাছেই আছে, যা এখন তোমরা পাঠ করো ?

উত্তরঃ -
পাপ আর পুণ্যের জ্ঞান । ভারতবাসী যখন বাবাকে গালি দিতে শুরু করে, তখন পাপ আত্মা হয়ে যায়, আবার যখন বাবা আর ড্রামাকে জেনে যায়, তখন পুণ্য আত্মা হয়ে যায় । বাচ্চারা, তোমরা এখনই এই পড়া পড়ো । তোমরা জানো যে, সবাইকে সদগতি দেন একমাত্র বাবাই । মনুষ্য, মনুষ্যকে সদগতি অর্থাৎ মুক্তি - জীবনমুক্তি দিতে পারে না ।

গীতঃ-
এই পাপের দুনিয়া থেকে আমাদের নিয়ে চলো..

ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান, এ হলো পাপ আত্মাদের দুনিয়া, বা ভারতকেই বলা হবে ভারত পুণ্য আত্মাদের দুনিয়া ছিলো, যেখানে দেবী - দেবতাদের রাজ্য ছিলো । এই ভারত সুখধাম ছিলো, এখানে আর কোনো খণ্ড ছিলো না, একই ভারত ছিলো । সুখ - শান্তি - স্বস্তি সেই সত্যযুগে ছিলো, যাকে স্বর্গ বলা হয় । এ হলো নরক । ভারতই স্বর্গ ছিলো । এখন নরক হয়ে গেছে । নরকে সুখ - শান্তি - স্বস্তি কোথা থেকে আসবে ? কলিযুগকে নরক বলা হয় । কলিযুগ অন্তকে আরো ভয়ানক নরক বলা হয় । দুঃখধাম বলা হয় । ভারতই সুখধাম ছিলো, যখন এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিলো । ভারতবাসীদের গৃহস্থ ধর্ম পবিত্র ছিলো । সেখানে পবিত্রতাও ছিলো, সুখ - শান্তিও ছিলো, সম্পত্তিও অনেক ছিলো । এখন সেই ভারত পতিত হয়ে গেছে, সবাই বিকারী হয়ে গেছে এখন এ হলো দুঃখধাম । ভারত সুখধাম ছিলো । আর আমরা আত্মারা যেখানে বাস করি, সে হলো শান্তিধাম । শান্তি সেই শান্তিধামেই পাওয়া সম্ভব । আত্মা ওখানেই শান্তিতে থাকতে পারে, যাকে সুইট হোম, নিরাকারী দুনিয়া বলা হয় । সে হলো আত্মাদের ঘর । ওখানে যখন থাকে, তখন আত্মারা শান্তিতে থাকে । বাকি জঙ্গল আদি অন্য কোনো স্থানে গেলেও শান্তি পাওয়া সম্ভব নয় । শান্তিধাম তো ওখানেই । সত্যযুগে সুখও থাকে আবার শান্তিও থাকে । এখানে এই দুঃখধামে শান্তিলাভ সম্ভব নয় । শান্তিধামে শান্তি লাভ সম্ভব । সুখধামেও কর্ম হয়, শরীরের দ্বারা অভিনয় করতে হয় । এই দুঃখধামে একজন মানুষও নেই যার সুখ - শান্তি আছে । এ হলো ভ্রষ্টাচারী পতিত ধাম, তাই তো পতিত পাবনকে ডাকে, কিন্তু ওই বাবাকে কেউই জানে না, তাই আজ অনাথ হয়ে আছে । এই অনাথ হওয়ার কারণে নিজেদের মধ্যে লড়াই - ঝগড়া করে । এখানে কতো দুঃখ - অশান্তি, মারামারি । এ হলোই রাবণ রাজ্য । মানুষ রামরাজ্য চাইতে থাকে । রাবণ রাজ্যে না থাকে সুখ আর না শান্তি । রামরাজ্যে সুখ - শান্তি দুইই ছিলো । ওখানে নিজেদের মধ্যে কেউই লড়াই - ঝগড়া করতো না, ওখানে পাঁচ বিকার থাকেই না । এখানে পাঁচ বিকার আছে প্রথম দেহ বোধ হলো মুখ্য । তারপর কাম, ক্রোধ । ভারত যখন স্বর্গ ছিলো, তখন এই বিকার ছিলো না । ওখানে সবাই দেহী - অভিমানী ছিলো । এখন সব মনুষ্যই দেহ - অভিমানী । দেবতারা ছিলো দেহী অভিমানী । দেহ অভিমান সম্পন্ন মনুষ্য কখনোই কাউকে সুখ দিতে পারে না, তারা একে অপরকে দুঃখই দেয় । এমন মনে করো না যে, কেউ লাখপতি, কোটিপতি বা পদ্মপতি হলেই তারা সুখী । এ তো সবই মায়ার আড়ম্বর । এ হলো মায়ার রাজ্য । এখন এর বিনাশের জন্য মহাভারতের লড়াই সামনে উপস্থিত । এর পর স্বর্গের দ্বার খুলবে । অর্ধেক কল্পের পরে আবার নরকের দ্বার খোলে । এই কথা কোনো শাস্ত্রতেই নেই । ভারতবাসীরা বলে, যখন ভক্তি করবে তখন ভগবানকে পাবে । বাবা বলেন, যখন ভক্তি করতে করতে সম্পূর্ণ নীচে নেমে যায়, তখন আমাকে আসতে হয় স্বর্গের স্থাপনা করতে অর্থাৎ ভারতকে স্বর্গ বানাতে । ভারত, যা একদিন স্বর্গ ছিলো, তা নরক কিভাবে হলো ? রাবণ এমন করলো । গীতার ভগবানের কাছ থেকে তোমরা রাজ্যভাগ্য পেয়েছো, ২১ জন্ম তোমরা স্বর্গে রাজত্ব করেছো । এরপর ভারত দ্বাপর থেকে কলিযুগে এসে গেছে অর্থাৎ অবতরণের কলা হয়ে গেছে, তাই সবাই ডাকতে থাকে - হে পতিত পাবন, এসো । পতিত দুনিয়াতে কোনো পতিত মানুষই সুখ - শান্তি পেতে পারে না । তারা কতো দুঃখ ভোগ করে । আজ অর্থ চুরি হলো, আজ দেউলিয়া হয়ে গেলো, আবার আজ কেউ রোগী হলো । দুঃখই দুঃখ, তাই না । তোমরা এখন সুখ - শান্তির উত্তরাধিকার পাওয়ার পুরুষার্থ করছো, বাবার কাছ থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়ার পুরুষার্থ করছো । একমাত্র বাবাই তোমাদের সদা সুখী করেন । রাবণ তোমাদের চির দুঃখী করেন । এই কথা ভারতবাসীরা জানে না । সত্যযুগে কোনো দুঃখের বিষয় থাকে না । সেখানে কখনো কাঁদতে হয় না । সেখানে সর্বদাই সুখই সুখ । ওখানে দেহ বোধ অথবা কাম - ক্রোধ ইত্যাদি থাকে না । যতক্ষণ পাঁচ বিকারের দান করবে না, ততক্ষণ দুঃখের গ্রহণ দূর হবে না । বলা হয় তো, দান করলে গ্রহণ দূর হবে । এই সময় সম্পূর্ণ ভারতের পাঁচ বিকারের গ্রহণ লেগে আছে । যতক্ষণ না এই পাঁচ বিকারের দান করবে ততক্ষণ দেবতা হতে পারবে না । বাবা হলেন সকলের সদ্গতিদাতা । বলা, গুরু ব্যতীত গতি হয় না, কিন্তু গতির অর্থ মানুষ বুঝতে পারে না । মানুষের গতি - সদ্গতির অর্থ হলো - মুক্তি আর জীবনমুক্তি । এ তো কেবল বাবাই দিতে পারে । এই সময় সকলেরই সদ্গতি হতে হবে ।

দিল্লীকে বলা হয় নতুন দিল্লী আর পুরানো দিল্লী, কিন্তু এখন তো আর নতুন নেই । নতুন দুনিয়াতে নতুন দিল্লী হয় । পুরানো দুনিয়াতে পুরানো দিল্লী হয় । বরাবর যমুনার উপকণ্ঠে দিল্লী পরিস্থান ছিলো । সত্যযুগ ছিলো, তাই না, যেখানে দেবী - দেবতারা রাজত্ব করতেন । এখন তো পুরানো দুনিয়াতে পুরানো দিল্লী । নতুন দুনিয়াতে এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিলো । ভারতবাসী এসব কথা ভুলে গেছে । নতুন ভারত, নতুন দিল্লী যখন ছিলো তখন তাঁদের রাজত্ব ছিলো, অন্য আর কোনো খণ্ড ছিলো না । একথা কেউই জানে না । গভর্নমেন্ট এসব পড়ায় না । জানে যে, এসব তো অসম্পূর্ণ ইতিহাস, যাবে থেকে ইসলামী, বৌদ্ধরা এসেছে । লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্যের কথা তো কেউই জানে না । বাবা বসেই এই কথা বোঝান যে, সম্পূর্ণ সৃষ্টিচক্র কিভাবে চলে । ভারত যখন স্বর্গ ছিলো তখন স্বর্ণ যুগ ছিলো । এখন সেই ভারত দেখো কি হয়ে গেছে । ভারতকে আবার হীরের মতো কে বানাবে ? বাবা বলেন যে, তোমরা যখন অনেক পাপ আত্মা হয়ে যাও, তখন আমি তোমাদের পুণ্য আত্মা বানাতে আসি । এই ড্রামা বানানো আছে, যা কেউই জানে না । এই জ্ঞান একমাত্র বাবা ছাড়া আর কেউই দিতে পারে না বাবা হলেন নলেজফুল, তিনি এসেই আমাদের পড়ান । মানুষ, মানুষকে কখনোই সদ্গতি দিতে পারে না । যখন দেবী - দেবতারা ছিলো, তখন সবাই একে অপরকে সুখ দান করতো । সেখানে কেউই অসুস্থ বা রোগী হতো না । এখানে তো সবাই রোগী । বাবা এখন এসেছেন আবার নতুন করে স্বর্গ বানাতে । বাবা স্বর্গ বানান, আর রাবণ বানায় নরক । এ হলো এক খেলা যা কেউই জানে না । শাস্ত্রের জ্ঞান হলো ফিলোসফি, ভক্তি মার্গ । সে কোনো সদ্গতি মার্গ নয় । এ কোনো শাস্ত্রের ফিলোসফি নয় । বাবা কোনো শাস্ত্র শোনান না । এ হলো আধ্যাত্মিক জ্ঞান । বাবাকে আধ্যাত্মিক পিতা বলা হয় । তিনি হলেন আত্মাদের বাবা । বাবা বলেন যে, আমি হলাম মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, তাই আমি নলেজফুল । এই মনুষ্য সৃষ্টির ঝাড়ের আয়ু কতো । এর বৃদ্ধি কিভাবে হয় তারপর কিভাবে ভক্তিমার্গ শুরু হয়, একথা আমি জানি । বাচ্চারা, তোমাদের আমি এই জ্ঞান দান করে স্বর্গের মালিক বানাই, তারপর তোমরা মালিক হয়ে যাও । এই জ্ঞান তোমরা একবারই পাও, তারপর তা হারিয়ে যায়, তারপর সত্যযুগ আর ত্রেতাতে এই জ্ঞানের প্রয়োজন থাকে না । এই জ্ঞান কেবল তোমাদের মতো ব্রাহ্মণদের । দেবতাদের মধ্যে এই জ্ঞান নেই । তাই পরম্পরা ধরে এই জ্ঞান আসতে পারবে না । এই জ্ঞান তোমরা বাচ্চারা কেবল একবারই পাও, যাতে তোমরা জীবনমুক্ত হয়ে যাও । তোমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার অর্জন করো । তোমাদের কাছে অনেকেই আসে, যারা বলে, মনের শান্তি কিভাবে পাওয়া যাবে, কিন্তু এই কথা বলা ভুল । মন - বুদ্ধি হলো আত্মার অর্গ্যান্স, যেমন শরীরের অর্গ্যান্স আছে । বাবা এসেই আত্মাকে পাথর বুদ্ধি থেকে পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির করেন, যা সত্যযুগ থেকে শুরু করে ত্রেতা যুগ পর্যন্ত চলতে থাকে । আত্মা আবার পাথর বুদ্ধির হয়ে যায় । এখন আবার তোমরা পাথর বুদ্ধি থেকে পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির হচ্ছো । তোমাদের যে পরশ পাথরের মতো বুদ্ধি ছিলো, তাতে খাদ মিশে গেছে । এখন আবার পরশ পাথরের মতো বুদ্ধি কিভাবে হবে ? বাবা বলেন - হে আত্মা, আমাকে স্মরণ করো । এই স্মরণের যাত্রাতেই তোমরা পবিত্র হতে পারবে, আর আমার কাছে চলে আসবে । বাকি যারা জিজ্ঞেস করে যে, মনের শান্তি কিভাবে পাওয়া যাবে, তাদের বলো, এখানে কিভাবে শান্তি হতে পারে । এ হলোই দুঃখধাম, কেননা এখানে বিকারের প্রবেশ হয়েছে । এ তো অসীম জগতের পিতার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার পাওয়া যেতে পারে । এরপর রাবণের সাথ পেলে তোমরা পতিত হয়ে যাও, আর তখন বাবার কাছে পবিত্র হতে এক সেকেণ্ড সময় লাগে । এখন তোমরা বাবার কাছ থেকে জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার নিতে এসেছো । বাবা জীবনমুক্তির আশীর্বাদ দেন আর রাবণ দেয় জীবনবন্ধের অভিশাপ তাই এখানে দুঃখই দুঃখ । এই ড্রামাকেও জানতে হবে । দুঃখধামে কেউই সুখ - শান্তি পেতে পারে না । শান্তি তো হলো আমাদের আত্মাদের স্বধর্ম, শান্তিধাম হলো আত্মাদের ঘর । আত্মা বলে - আমাদের স্বধর্ম হলো শান্ত । আমি শরীর ধারণ করি না, এখানে এসে বসে যাই, কিন্তু কতদিন বসে থাকবো । কর্ম তো করতেই হবে, তাই না । যতক্ষণ মানুষ ড্রামাকে বুঝতে না পারবে, ততদিন দুঃখীই থাকে । বাবা বলেন, আমি হলামই গরীবের ভগবান । এখানে গরীবরাই আসবে । বিত্তবানদের জন্য তো এখানেই স্বর্গ । ওদের ভাগ্যে স্বর্গের সুখ নেই । বাবা বলেন, আমি গরীবের ভগবান । বিত্তবানদের গরীব আর গরীবদের বিত্তবান বানাই । বিত্তবানরা এতো উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারে না কেননা বিত্তবানদের এখানেই নেশা থাকে । হ্যাঁ, ওরা প্রজাতে এসে যাবে । স্বর্গতে তো অবশ্যই আসবে কিন্তু উচ্চ পদ গরীবরাই পায় । গরীবরা বিত্তবান হয়ে যায় । তাদের তো দেহ বোধ থাকে যে, আমরা ধনবান । বাবা কিন্তু বলেন - এই ধন সম্পদ সব মাটিতে মিশে যাবে । বিনাশ হয়ে যাবে, দেহী অভিমানী হতেই অনেক পরিশ্রম । এই সময় সকলেই দেহ অভিমানী । তোমাদের এখন দেহী - অভিমানী হতে হবে । আত্মা বলে যে, আমরা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছি । নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে । এখন হলো কলিযুগের অন্ত আর সত্যযুগের আদির সঙ্গম । বাবা বলেন - আমি প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর আসি, ভারতকে আবার হীরে তুল্য বানাতে । এই হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি একমাত্র বাবাই বলতে পারেন । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবার কাছ থেকে জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । ড্রামার জ্ঞানকে বুদ্ধিতে রেখে দুঃখধামে থেকেও দুঃখ থেকে মুক্ত হতে হবে ।

২ ) ধন সম্পদ বা বিত্তবান হওয়ার নেশা ত্যাগ করে দেহী অভিমানী থাকার পুরুষার্থ করতে হবে ।

বরদান:-
মহান আর অতিথি -- এই দুই স্মৃতির দ্বারা সর্ব আকর্ষণ থেকে মুক্ত হয়ে ঊর্ধ্ব স্থিতি এবং সাক্ষী ভব

ঊর্ধ্ব বা সাক্ষীভাবের অবস্থা তৈরী করার জন্য দুটি বিষয় খেয়াল রেখো -- এক তো আমি আত্মা মহান আত্মা, দ্বিতীয়, আমি আত্মা এই পুরানো শরীরে বা পুরানো সৃষ্টিতে অতিথি । এই স্মৃতিতে থাকলে শীঘ্র আর সহজেই সর্ব দুর্বলতা বা আকর্ষণ সমাপ্ত হয়ে যাবে । মহান মনে করলে যে সাধারণ কর্ম বা সঙ্কল্প সংস্কারের বশে চলে তা পরিবর্তন হয়ে যাবে । মহান আর অতিথি মনে করে চললে মহিমা যোগ্যও হয়ে যাবে ।

স্লোগান:-
সকলের শুভ ভাবনা আর সহযোগের বিন্দুতে বড় কার্যও সহজ হয়ে যায় ।