08-12-2018 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
আত্মা আর পরমাত্মার মিলনই হলো প্রকৃত সঙ্গম অথবা কুম্ভ । এই মিলনের জন্যই তোমরা
পবিত্র হয়ে ওঠো । স্মৃতি স্বরূপ এই মেলা পরে উদযাপন করা হয়"
প্রশ্ন:-
বাচ্চারা, তোমাদের
কোন্ বিষয়ে অনেক জ্ঞান থাকা আবশ্যক ?
উত্তর:-
জ্ঞানের সংবেদনশীল
দিকগুলি বোঝার ও ব্যাখ্যা করার জন্য তোমাদের অনেক জ্ঞান থাকা দরকার । যুক্তি দিয়ে
জ্ঞান মার্গ আর ভক্তি মার্গের প্রমাণ দিতে হবে । এমন ভাবে বোঝাতে হবে ঠিক যেভাবে
ইঁদুর কামড়ানোর আগে ফুঁ দেয় । সেইজন্য সার্ভিস করার যুক্তি ক্রিয়েট করতে হবে ।
কুম্ভ মেলায় প্রদর্শনী করে অনেক আত্মাদের কল্যাণ করতে হবে । পতিত থেকে পবিত্র
হওয়ার যুক্তি বলে দিতে হবে ।
গীত:-
এই পাপের দুনিয়া থেকে
আমাদের নিয়ে চলো
ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে বাচ্চাদের
বোঝান পাপের দুনিয়াকে কলিযুগ, পতিত, ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া বলা হয়, আর পুণ্যের
দুনিয়াকে সত্য যুগ, পবিত্র শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া বলা হয় । পরম আত্মা এসেই
পুণ্যাত্মা, পবিত্র আত্মা অথবা পুণ্য দুনিয়া তৈরী করেন । মানুষ পতিত-পাবন বাবাকে
ডাকে, কেননা নিজেরা পবিত্র নয়, তাই ডাকে । যদি মনে করে পতিত পাবনী গঙ্গা বা ত্রিবেণী
তবে কেন ডেকে বলে পতিত-পাবন এসো ? গঙ্গা বা ত্রিবেণী তো আছেই, থাকতেও তারা ডেকে ওঠে
। বুদ্ধি তারপরই পরমাত্মার দিকেই যায় । পরমপিতা পরমাত্মা যিনি জ্ঞানের সাগর তাঁকেই
আসতে হয় । তিনি শুধুই আত্মা নন পবিত্র জীবাত্মা বলা হয়। এখন পবিত্র জীবাত্মা তো কেউ
নেই। পতিত-পাবন বাবা তখনই আসেন যখন সত্য যুগের পাবন দুনিয়া স্থাপন করতে হবে, আর
কলিযুগের দুনিয়াকে বিনাশ করতে হবে । নিশ্চয়ই তিনি সঙ্গমযুগেই আসবেন । সঙ্গমকেই
কুম্ভ বলা হয়। ত্রিবেণীর সঙ্গম তারই নাম রেখেছে কুম্ভ। বলেও থাকে তিনটি নদী নিজেদের
মধ্যে মিলিত হয়েছে, বাস্তবে দুই নদী, তৃতীয় নদীকে বলে দেয় গুপ্ত । এই কুম্ভ মেলা
দ্বারা কি পবিত্র হতে পারবে ! পতিত-পাবনকে তো অবশ্যই আসতে হবে । তিনি হলেন জ্ঞানের
সাগর । পতিত দুনিয়াকে পাবন বানানো, কলিযুগকে সত্য যুগ বানানো -- এতো পরমপিতা
পরমাত্মারই কাজ, নাকি কোনও মানুষের ? এখানে তো সব অন্ধবিশ্বাস। এখন অন্ধের লাঠি
প্রয়োজন । তোমরা এখন নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ করে লাঠি তৈরি হচ্ছ । লাঠিও নানা
রকমের হয় । কোনও লাঠি একশো টাকার আবার কোনও লাঠি দুই টাকাতেও পাওয়া যায় । এখানেও
সব নম্বর অনুসারে আছে । কেউ খুব সার্ভিসেবল । যখন কেউ অসুস্থ হয় তখন সার্জেন ডাকতে
হয় । এখন এ হলো পতিত দুনিয়া । তোমরা পবিত্র হচ্ছ । বলা হয় আত্মা আর পরমাত্মা
বিচ্ছিন্ন ছিল বহুকাল, তারপর যখন পরমপিতা পরমাত্মা অনেক আত্মাদের মাঝে আসেন তখন তাকে
বলা হয় সঙ্গমের কুম্ভ। মানুষ কুম্ভ মেলায় অনেক দান করে, তা থেকে আয় হয় সাধু-সন্ত
আর গভর্নমেন্টের । এখানে তোমাদের তন-মন-ধন সহ সবকিছুই দান করতে হয় পতিত-পাবন বাবাকে
। উনিই আবার তোমাদের স্বর্গের মালিক করে তোলেন । ওরা (ভক্তি মার্গের ) নাম নেয়
ত্রিবেণীর আর দান দেয় সাধু সন্তদের । *বাস্তবে সঙ্গম তাকেই বলা হবে, যেখানে সমস্ত
নদী এসে সাগরে মিলিত হয় । ওখানে তো সাগর নেই । ( সত্য যুগে ) শুধুমাত্র নদীই
একমাত্র মিলিত হয় । নদী আর সাগরের মিলনকেই প্রকৃত মেলা বলা হয়, কিন্তু এও ড্রামায়
নির্ধারিত* । এর মাধ্যমে (মেলা ) গভর্নমেন্ট, রেল ,মোটর গাড়ি, জায়গা ইত্যাদি থেকে
অনেক আয় হয়, সুতরাং এটা বলো আয়ের (ইনকাম ) খেলা । এসবই তোমরা বাচ্চারা বিচার করে
দেখতে পার, কেননা তোমরা ঈশ্বরীয় মতে চল । অতএব কুম্ভ মেলার প্রকৃত অর্থ বোঝা উচিত
। বাবা এমনই নিবন্ধ দিয়ে থাকেন । যারা সেন্সিবল বাচ্চা তাদেরই ওঠানো উচিত । নম্বর
অনুসারে সবচেয়ে সেন্সেবল বাচ্চা হলো মাম্মা দ্বিতীয় হলো সঞ্জয় । লিফলেট তৈরি করা
হয়েছিল বিতরণ করার জন্য । এই ত্রিবেণী পতিত পাবনী নয় । পতিত -পাবন তো সবার সদ্গতি
দাতা এক শিববাবা । ত্রিবেণীকে তো সদ্গতি দাতা বলা হয়না । এই নদী তো আছেই, আসবে এমন
কথাতো নয় । গায়ন করে পতিত পাবন এসো, এসে পাবন বানাও । সুতরাং লিফলেট তৈরি বের করা
উচিত --- ভাইবোনেরা পতিত-পাবন জ্ঞানের সাগর পরমপিতা পরমাত্মা নাকি এই নদী ? এতো
সবসময়ের জন্যই আছে । পরমাত্মাকেই তো আসার জন্য ডাকা হয় । বাস্তবে পতিত -পাবন তো এক
পরমাত্মাই । আত্মারা আর পরমাত্মা বিচ্ছিন্ন ছিল বহুসময় ••••• ঐ সদ্গুরু এসেই সবাইকে
সদ্গতি দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান । জ্ঞান স্নান তো বাস্তবে পরমপিতা পরমাত্মার সাথেই
করা উচিত । পাবন দুনিয়ার স্থাপনা পরমপিতা পরমাত্মাই করেন । তোমরা তাঁকে জানো না ।
ভারত যখন শ্রেষ্ঠাচারী ছিল তখন সেখানে দেহী -অভিমানী দেবতারা বাস করত। তাকে শিবালয়
বলা হয়। এখন কুম্ভে গিয়ে বাচ্চাদের প্রদর্শনী করা উচিত বোঝানোর জন্য । বোঝাতে হবে
পতিত -পাবন একজনই বাবা । উনি বলেও থাকেন আমি তখনই আসি যখন পতিত থেকে পাবন বানাতে হয়
,সুতরাং প্রতিজ্ঞা করতে হয় । রক্ষা বন্ধনে ভগবানের সাথে সম্বন্ধ রাখে , নাকি
সাধু-সন্তদের সাথে । প্রতিজ্ঞা পরমপিতা পরমাত্মার কাছে করতে হয়, নাকি ত্রিবেণীর কাছে
করে ? হে বাবা আমরা তোমার শ্রীমৎ পালন করে পাবন হওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি। বাবাও বলেন
আমি তোমাদের পাবন দুনিয়ার মালিক বানাব। এই হলো বাবার ইঙ্গিত । এখানে সার্ভিস করার
জন্য অতি তীক্ষ্ম বুদ্ধি হতে হবে । চিত্রও অনেক তৈরি করতে হবে, এর জন্য সুন্দর
মন্ডপ নিতে হবে । তোমাদের শত্রুও অনেক হবে । কোনও সময় আগুন লাগাতেও দেরি করবে না ।
কারও ঝগড়া করতে হলে গালিগালাজ শুরু করে। তোমাদের তো নিরহঙ্কারী হয়ে সাইলেন্সে
থাকতে হবে । ব্রহ্মাকুমারীদের নাম প্রসিদ্ধ হয়ে গেছে । লিফলেট তৈরি করে বিলি করতে
হবে । কুম্ভ মেলার অনেক মহত্ত্ব । বাস্তবে মহত্ত্ব এখনই । এটাও ড্রামার খেলা ।
সেখান থেকেও কারও কল্যাণ হতে পারে । কিন্তু পরিশ্রম করতেই হবে । কাঁটা থেকে ফুল
বানাবার কাজে পরিশ্রম আছে । কুম্ভ মেলাতেও প্রদর্শনী করার জন্য সাহস চাই । পরিচিতি
থাকা দরকার যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে । তোমাদের প্রমাণ করতে হবে যে পতিত -পাবন কে ?
মানুষ পাবন দুনিয়া স্বর্গকে স্মরণ ও করে । কেউ শরীর ত্যাগ করলে বলা হয় অমুক
স্বর্গবাসী হয়েছে । ওখানে তো অফুরন্ত খাদ্য ভান্ডার । তবে ওখান থেকে ডেকে এনে কেন
খাওয়াও ? তোমরা শ্রীনাথের মন্দির দেখবে -- কত রকমের খাদ্য তৈরি হয় । এখন শ্রীনাথ
মন্দির আর জগন্নাথ পুরী বাস্তবে একই কথা, কিন্তু শ্রী -নাথ দ্বারে দেখা যাবে কত
বৈভবের খাদ্য সামগ্রী তৈরি হয় আর জগন্নাথ পুরীতে শুধু সাধারণ চাল দিয়ে ভোগ তৈরি করে
দেওয়া হয়, ঘি ইত্যাদি ভোগে কিছুই পড়ে না । এই পার্থক্যই বলে দেয় -- গোরা ( ফর্সা
) হলে কত বৈভব সহকারে ভোগ আর সাবরা (কালো) হলে শুকনো চালের ভোগ দেওয়া হয়। এই রহস্য
বড় সুন্দর । বাবাই এসব বসে বোঝান । শ্রীনাথ দ্বারে এত ভোগ দেওয়া হয় যে, পূজারীরা
তা নিয়ে দোকানে বিক্রি করে দেয় । ওদের ইনকাম এর উপরেই আধারিত । ফ্রিতেও পায় তারপর
ইনকামও করে । সুতরাং দেখ কত অন্ধশ্রদ্ধা । এই হলো ভক্তি মার্গ । জ্ঞান হলো সদ্গতি
মার্গ । গঙ্গা স্নানে থোড়াই সদ্গতি প্রাপ্তি হয় ? অনেক যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে ।
ঠিক যেমন ইঁদুর ফুক মেরে তারপর কামড় দেয়। বোঝা ও বোঝানোর জন্য অনেক জ্ঞানের
প্রয়োজন । কত সংবেদনশীল কথা । মানুষ বলে হে পরমপিতা পরমাত্মা তোমার গতি মতি তুমিই
জান । এর অর্থ তো কিছুই বোঝেনা। তোমাদের শ্রীমৎ দ্বারা যে সদ্গতি প্রাপ্তি হয় তা
শুধু তোমরাই করতে পার আর কেউ পারবেনা । সবার সদ্গতি দাতা একজনই । সর্ব শব্দটি
অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত । অনেক ভাবে বোঝানো হয়, কিন্তু খুব অল্প সংখ্যকই আছে যারা
বোঝে । প্রজা তো অনেক তৈরি হতে থাকবে ।
মানুষ ঈশ্বরের নামে অনেক দান -পুণ্য করে তাই এক জন্মের জন্য ফল প্রাপ্তি হয়ে যায়
। এখানে তো ২১ জন্মের জন্য ফল প্রাপ্তি হয় । ঈশ্বর অর্থে দান করলে শক্তি পাওয়া যায়
। ওরা ঈশ্বরকে জানেই না তো শক্তি ও নেই । হিন্দুদের গুরু গোঁসাই তো অনেক আছে ।
ক্রিশ্চানদের যদি দেখো, সেখানেও একজনই, একজনেরই কত রিগার্ড । রিলিজিয়ন ইজ মাইট (ধর্মই
শক্তি) বলা হয় । এখন তোমরা ধর্মকে বুঝেছ সুতরাং কত শক্তি প্রাপ্তি করছ । বাবা বলেন
-- বাচ্চারা সবাইকে এই বশীকরণ মন্ত্র দাও । বাচ্চাদের বাবা বলেন -- তোমরা যেখান থেকে
এসেছ তাকে স্মরণ কর যদি অন্ত মতি সো গতি প্রাপ্ত হবে । বাবাকে স্মরণ করলেই পাবন হতে
পারবে । পাপ দগ্ধ হবে । বাবা আর বর্সাকে স্মরণ করতে হবে, যাতে সারা চক্র বুদ্ধিতে
এসে যায় । গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও দেহের সব সম্বন্ধ থেকে বুদ্ধিকে সরিয়ে বাবার সাথে
জুড়ে থাকার পুরুষার্থ করতে হবে, যাতে শেষ সময়েও সেই স্মরণে আসে। আর কারও কথা
স্মরণে এলে সাজা খেতে হবে আর পদ ও কম হয়ে যাবে । সুতরাং বাস্তবে কুম্ভ কল্পের
সঙ্গমকেই বলা হয়, যখন আত্মা আর পরমাত্মার মিলন হয় । পরমাত্মা এসেই রাজযোগ শেখান ।
উনি হলেন পুনর্জন্ম রহিত । কিন্তু বাচ্চারা বোঝেনা । শ্রীমৎ - এ না চললে বেড়া কি করে
পার হবে ? বেড়া পার হওয়া অর্থাত্ রাজপদ প্রাপ্ত করা। শ্রীমৎ দ্বারাই রাজপদ প্রাপ্তি
হয় । শ্রীমৎ -এ না চললে শেষ পর্যন্ত সবই শেষ হয়ে যায় । সজনীরা তারাই সাথে যাবে
যাদের দীপক প্রজ্জ্বলিত থাকবে । যাদের দীপক নিভে গেছে তারা থোড়াই সাথে যেতে পারবে
। অনন্য বাচ্চা যারা তারাই যাবে । বাকিরা নম্বর অনুসারে শেষে আসবে কিন্তু পবিত্র
সবাইকেই হতে হবে । সব আত্মারাই সমান শক্তিশালী হতে পারেনা । প্রতিটি আত্মার পার্ট
আলাদা আলাদা । একরকম পদ প্রাপ্তি হতে পারেনা । শেষে গিয়ে সবার পার্ট ক্লিয়ার হয়ে
যাবে । কত বড়ো ঝাড়, তার মধ্যে কতরকম মানুষ । মুখ্য হলো যত বড়ো বড়ো ডালপালা আছে
সেটাই প্রত্যক্ষ হবে । প্রধান হলো ফাউন্ডেশন । বাকি তো সব পরে আসবে, তাদের শক্তিও
কম হবে । স্বর্গে সবাই আসতে পারবেনা । ভারতই স্বর্গ ছিল । এমনটা নয় যে ভারতের
পরিবর্তে জাপানের খন্ড হেভেন হয়ে যাবে । এমনটা হতে পারেনা । আচ্ছা !
মিষ্টি -মিষ্টি বাপদাদার বা মাতা-পিতার আদরের হারানিধি জ্ঞান নক্ষত্র বাচ্চাদের
স্নেহপূর্ণ - স্মরণ আর গুডমর্নিং । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।
রাত্রি ক্লাস
-- 24--4--68
বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে, কোনও ধর্ম স্থাপক এসে সবার কল্যাণ করতে পারেনা । ওরা
যখন আসে সবাইকে নিয়ে আসে । যে মুক্ত করে গাইড করে তাঁরই গায়ন আছে । তিনি একমাত্র
ভারতেই আসেন । সুতরাং ভারতই উচ্চ দেশ। ভারতের অনেক মহিমা করা উচিত । বাবাই এসে সবার
সদ্গতি করেন ,তবেই শান্তি স্থাপন হয় । বিশ্বে সৃষ্টির আদিতে শান্তি ছিল, স্বর্গে এক
ধর্ম ছিল । এখন অনেক ধর্ম। বাবাই এসে শান্তি স্থাপন করেন । কল্প প্রথম দৃষ্টান্ত
অনুযায়ীই করেন । তোমরা বাচ্চারা জ্ঞান পেয়েছ সুতরাং বিচার সাগর মন্থন চলতেই থাকে
। আর তো কারও চলেইনা । এও তোমরা বুঝেছ দেহ-অভিমানের কারণে দেহকেই পূজা করে । আত্মা
পুনর্জন্ম তো এখানেই নেবে না ! এখন তোমরা বুঝেছ পবিত্র তো একজনই । বাবাই গুপ্ত
জ্ঞান দেন যাতে সবার সদ্গতি প্রাপ্তি হয়ে যায় । হনুমান বা গনেশ ইত্যাদি এরকম কেউ
হয় না । এদের সবাইকে বলা হয় পূজারী । আচ্ছা !
রূহানী বাচ্চাদের প্রতি রূহানী বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ আর গুডনাইট । রূহানী বাচ্চাদের
রূহানী বাবার নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১.
সাজা থেকে বাঁচার জন্য দেহের সব সম্বন্ধ থেকে বুদ্ধি যোগ সরিয়ে এক বাবার সাথে
বুদ্ধিযোগ জুড়তে হবে । অন্তিম সময় এক বাবা ছাড়া দ্বিতীয় আর কেউ যেন স্মরণে না
আসে।
২. নিরহঙ্কারী হয়ে সাইলেন্সে থেকে কাঁটাকে ফুল বানানোর পরিশ্রম করতে হবে ।
শ্রীমৎ দ্বারা অন্ধের লাঠি হয়ে উঠতে হবে । পবিত্র হয়ে পবিত্র বানাতে হবে।
বরদান:-
বাচার (বাণী) সাথে
মন্সা দ্বারা শক্তিশালী সেবা করতে সমর্থ স্বরূপ সহজ সফলতা মূর্তি ভব
ব্যাখা:-
যেমন বাচার সেবায়
সবসময় ব্যস্ত থাকার অনুভাবী হয়ে গেছ, তেমনই প্রতিটি সময় বাণীর সাথে-সাথে মন্সা
সেবাও স্বতঃ হওয়া উচিত । মন্সা সেবা অর্থাত্ প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি আত্মার প্রতি
শুভ ভাবনা আর শুভ কামনার শুদ্ধ ভাইব্রেশন যেন নিজের আর অপরের ও অনুভব হয়। মন থেকে
যেন প্রতিটি মুহূর্ত সর্ব আত্মাদের প্রতি শুভভাবনার তরঙ্গ প্রবাহিত হয় । সুতরাং
মন্সা সেবা করলে বাণীর এনার্জি সঞ্চিত হবে আর তা মন্সার শক্তিশালী সেবাকে সহজ আর
সফলতা মূর্তি করে তুলবে ।
স্লোগান:-
নিজের প্রতিটি আচরণের
(চলন) দ্বারা বাবার নাম উজ্জ্বল করতে সমর্থরাই প্রকৃত রূপে ঈশ্বরের সহযোগী হয়ে ওঠে
।