22.11.2018 Morning
Bengali Murli Om Shanti BapDada Madhuban
“মিষ্টি বাচ্চারা -
দেহী-অভিমানী হলেই তোমরা সেফ্ (সুরক্ষিত) থাকবে। তোমরা শ্রীমৎ অনুসারে রুহানি
সার্ভিস করতে লেগে পড়ো, তাহলে দেহ-অভিমান রূপী শত্রু বিরোধিতা করবে না”
প্রশ্নঃ -
মাথায়
বিকর্মের বোঝা থাকলে তার লক্ষণ কেমন হবে? সেই বোঝাকে হাল্কা করার পদ্ধতি বল ?
উত্তরঃ -
যতক্ষণ
পর্যন্ত বিকর্মের বোঝা রয়েছে, ততক্ষণ জ্ঞানের ধারণা হবে না। এমন সব কর্ম করা রয়েছে,
যেগুলো বারবার বাধা দেয়, আগে এগোতে দেয় না। এই বোঝাকে হাল্কা করার জন্য নিদ্রাকে জয়
করে নিদ্রাজিৎ হও। রাত্রি জেগে বাবাকে স্মরণ করলে বোঝা হাল্কা হয়ে যাবে।
গীতঃ-
মাতা ও মাথা
তুমিই বিশ্বের ভাগ্য বিধাতা …
ওম্ শান্তি।
এটা আসলে জগৎ
অম্বার মহিমা। কারণ তিনি হলেন নুতন রচনা। একেবারে নুতন তো কখনো হয় না। পুরাতন থেকে
নুতন হয়। মৃত্যুপুরী থেকে অমরপুরীতে যেতে হবে। এটা হল জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন। হয়
মৃত্যুপুরীতে মরে গিয়ে বিনাশ হবে, অথবা জীবিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে(জীবন মুক্তি)
অমরপুরীতে যাবে। জগতের মাতা অর্থাৎ যিনি জগৎ রচনা করেছেন। বাবা-ই হলেন স্বর্গের
রচয়িতা, যিনি ব্রহ্মার দ্বারা স্বর্গের রচনা করেন। বাবা বলেন, আমি সূর্যবংশী এবং
চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন করি। আমাকে এই সঙ্গমযুগেই আসতে হয়। প্রতিকল্পের
সঙ্গমযুগেই তিনি আসেন। স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে। কেবল মানুষ ভুল করে নামটা পাল্টে
দিয়েছে। ওরা যখন সর্বব্যাপী-র জ্ঞান শোনায়, তখন ওদেরকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে এই
জ্ঞান কে কবে শুনিয়েছে? এইসব কথা কোথায় লেখা আছে? আচ্ছা, গীতার ভগবান কে? তিনি কি
এইরকম কথা বলেন? কিন্তু কৃষ্ণ তো দেহধারী। তার পক্ষে সর্বব্যাপী হওয়া সম্ভব নয়। যদি
কৃষ্ণের নাম বলা না হয়, তবে এইসব কথা বাবার জন্যই বলা হবে। কিন্তু বাবাকে তো
উত্তরাধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, আমি সূর্যবংশের উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য রাজযোগ
শেখাই। নাহলে তাকে ২১ জন্মের উত্তরাধিকার কে দিয়েছিল? লেখাও আছে, ব্রহ্মার মুখ থেকে
ব্রাহ্মণের রচনা হয়েছিল এবং তারপর তাদেরকে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শুনিয়েছিল।
যিনি জ্ঞান শোনান, তিনি নিশ্চয়ই বোঝানোর জন্য ছবিও আঁকবেন। এখানে লেখাপড়া করার কোনো
ব্যাপার নেই। কিন্তু এইসব কথা সহজভাবে বোঝানোর জন্য এইসব ছবি বানানো হয়েছে। এইসব
ছবিগুলো দিয়ে অনেক কাজ হতে পারে। তাই জগৎ আম্বারও অনেক মহিমা। শিবশক্তির কথা তো
প্রায়শঃই বলা হয়। শক্তি কার কাছ থেকে পাওয়া যায়? ওয়ার্ল্ড অলমাইটি বাবার কাছ থেকে।
তাঁর মহিমা বলার সময়ে ‘ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি’ কথাটাও বলতে হবে। অথরিটি মানে তিনি
সকল শাস্ত্রের জ্ঞান জানেন। তাঁর বোঝানোর অথরিটি রয়েছে। ব্রহ্মার হাতে শাস্ত্র
দেখানো হয় এবং বলা হয় যে ব্রহ্মার মুখ দ্বারা সকল বেদ-শাস্ত্রের সার কথা বোঝানো হয়।
এটাই হল অথরিটি। তোমাদের মতো বাচ্চাদেরকে তিনি সকল বেদ-শাস্ত্রের সারকথা বোঝান।
দুনিয়ার মানুষ জানে না যে কাকে ধর্মশাস্ত্র বলা হয়। বলা হয় যে ধর্ম আসলে চারটে। তার
মধ্যে মুখ্য ধর্ম একটা, সেটা হল ফাউন্ডেশন। এক্ষেত্রে বোটানিক্যাল গার্ডেনের
বটগাছের উদাহরণ দেওয়া হয়। এর গোড়া নেই। কেবল ডাল-পালার ওপরেই গাছটা দাঁড়িয়ে আছে।
এইরকম উদাহরণ দেওয়া হয়। দুনিয়াতে তো অনেক গাছ রয়েছে। গাছ তো সত্যযুগেও থাকবে। কিন্তু
ওখানে জঙ্গল থাকবে না, বাগান থাকবে। তবে কাজের জিনিসের জন্য জঙ্গলও থাকবে। কারণ কাঠ
ইত্যাদি জিনিস তো লাগবেই। জঙ্গলে অনেক পশুপাখি থাকে। কিন্তু ওখানে সবকিছু খুব ভালো
ফলদায়ক হয়। ওখানে পশুপাখিরাও হল শোভা। ওরা কোনো নোংরা করে না। এইরকম পশুপাখির
সৌন্দর্য তো থাকা উচিত, তাই না? যেহেতু গোটা সৃষ্টিটাই সতোপ্রধান, তাই সেখানে সব
জিনিস অবশ্যই সতোপ্রধান হবে। ওটা তো স্বর্গ, তাই না? আসল কথা হল বাবার কাছ থেকে
উত্তরাধিকার নিতে হবে। যেসব ছবি বানানো হয়, তাতে লেখা হয় ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপন,
বিষ্ণুর দ্বারা পালন… এইসব কথা মানুষ বোঝে না। তাই বলতে হবে বিষ্ণুর দুই রূপ
লক্ষ্মী-নারায়নই পালন করেন। এই কথাটা বুঝতে পারে। তবে কোটির মধ্যে কয়েকজনই বুঝবে।
কিন্তু এতকিছু শুনে, অন্যকে বোঝানোর পরেও অনেকে আশ্চর্যজনক ভাবে চলে যায়।
পুরুষার্থের ক্রম অনুসারে সবাই নিজ নিজ পদ প্রাপ্ত করে। কোথাও না কোথাও এইসব কথা
লেখা আছে। ‘ভগবানুবাচ’ - শব্দটা একদম ঠিকঠাক। ভগবানের বায়োগ্রাফি বদলে গেলে তো সব
শাস্ত্রই ভুল হয়ে যাবে। দেখা যায় যে বাবা প্রতিদিন নুতন নুতন পয়েন্ট বোঝাচ্ছেন। আগে
তো এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে যে ভগবান হলেন জ্ঞানের সাগর, মনুষ্যসৃষ্টির বীজরূপ।
সেই চৈতন্য বীজে কোন্ জ্ঞান থাকবে? নিশ্চয়ই বৃক্ষের জ্ঞান থাকবে। তাই বাবা এসে
ব্রহ্মার দ্বারা জ্ঞান দেন। ব্রহ্মাকুমার-কুমারী নামটাও খুব সুন্দর। প্রজাপিতা
ব্রহ্মার অনেক কুমার কুমারী আছে। এখানে অন্ধশ্রদ্ধার ব্যাপার নেই। এদের সবাইকে রচনা
করা হয়। তোমরা সবাই মাতা-পিতা অথবা মাম্মা-বাবা বলে থাকো। জগৎ অম্বা সরস্বতী আসলে
ব্রহ্মার কন্যা। বাস্তবে এরা সবাই বি.কে.। আগের কল্পেও ব্রহ্মার দ্বারা রচনা হয়েছিল।
নিশ্চয়ই এই কল্পেও ব্রহ্মার দ্বারা-ই রচনা হবে। বাবা এসেই সৃষ্টির আদি মধ্য এবং
অন্তের জ্ঞান বোঝান। তাই তাঁকে নলেজফুল বলা হয়। তাঁর কাছে নিশ্চয়ই সমগ্র বৃক্ষের
জ্ঞান থাকবে। এই চৈতন্য মনুষ্য সৃষ্টি হল তাঁর রচনা। বাবা রাজযোগও শেখান। পরমপিতা
পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদেরকে বোঝাচ্ছেন। পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মণরাই
দেবতা হয়। শোনার সময়ে তো সবাই খুশি হয় কিন্তু দেহ-অভিমান থাকার জন্য ধারণ হয় না।
এখান থেকে বাইরে গেলেই সব ভুলে যায়। অনেক রকমের দেহ-অভিমান থাকে। তাই অনেক পরিশ্রম
করতে হবে।
বাবা বলছেন, নিদ্রাকে জয় করো। রাত জেগে স্মরণ করতে হবে। কারণ তোমাদের মাথার ওপরে
অনেক বিকর্মের বোঝা রয়েছে। এইগুলোর জন্যেই জ্ঞান ধারণ হয় না। এমন সব কর্ম করা আছে,
যার জন্য দেহী-অভিমানী হতে পারে না। কেবল মিথ্যা গল্প শোনায়। এইরকম মিথ্যা গল্পের
চার্ট লিখে পাঠায় যে আমি ৭৫ পার্সেন্ট সময় স্মরণে থাকি। কিন্তু বাবা বলছেন, এটা
অসম্ভব। যিনি সবার থেকে আগে রয়েছেন, তিনি নিজে বলছেন যে যতই স্মরণ করার চেষ্টা করি
না কেন, মায়া তবুও ভুলিয়ে দেয়। সত্যিকারের চার্ট লিখতে হবে। যে ফলো করে না, সে
চার্ট পাঠায় না। এটা পুরুষার্থের সময়। জ্ঞান ধারণ করা কোনো মুখের কথা নয়। এক্ষেত্রে
ক্লান্ত হওয়া যাবে না। কারোর বুঝতে একটু সময় লাগে। আজ না বুঝলেও কালকে ঠিক বুঝতে
পারবে। বাবা তো বলেই দিয়েছেন যে যারা দেবী দেবতা ধর্মের ছিল কিন্তু অন্য ধর্মে
কনভার্ট হয়ে গেছে তারা সবাই আসবে। একদিন আফ্রিকাতেও কনফারেন্স হবে। সবাই এই
ভারতভূমিতে আসবে। ওরা আগে কখনো আসত না। এখন অনেক বড় বড় ব্যক্তিরা আসে। জার্মানির
প্রিন্স ইত্যাদি ব্যক্তিরা কখনো বাইরে বেরোতেন না। নেপালের রাজা তো কোনোদিন রেলগাড়ি
দেখেননি। নিজের সীমানার বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। পোপ কখনো বাইরে বেরোননি। এখন
তিনি এসেছেন। সবাই আসবে। কারণ এই ভারত হল সকল ধর্মের মানুষের সবথেকে বড় তীর্থ। তাই
অনেক বড় করে এর এডভারটাইজ বেরোবে। তোমাদের উচিত সকল ধর্মের মানুষদেরকে নিমন্ত্রণ করে
বোঝানো। কিন্তু এটা বুঝতে হবে যে, এই জ্ঞান সে-ই বুঝবে যে দেবী-দেবতা ধর্ম থেকে
কনভার্ট হয়ে গেছে। যে বুঝবে, সে অবশ্যই শঙ্খধ্বনি করবে। আমরা হলাম ব্রাহ্মণ। তাই
আমাদের কাজ হল গীতা শোনানো। খুব সহজ বিষয়। বেহদের বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা।
আমাদের অধিকার আছে তাঁর কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাওয়ার। সকলের অধিকার আছে নিজের পিওর
ঘরে (মুক্তিধামে) যাওয়ার। মুক্তি এবং জীবনমুক্তির অধিকার রয়েছে। সকলেই জীবনমুক্তি
পাবে। জীবনের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে শান্ত ভাবে ফেরত যায় এবং তারপর যখন আসবে তখন
জীবনমুক্ত অবস্থায় থাকবে। কিন্তু সবাই তো সত্যযুগে জীবনমুক্তি পাবে না। কেবল
দেবী-দেবতারাই সত্যযুগে জীবনমুক্তি পাবে। যারা পরে পরে আসবে, তারা কম সুখ এবং কম
দুঃখ পাবে। এটাই হল হিসেব। যে ভারত সবথেকে শ্রেষ্ঠ ছিল, সেই ভারত-ই সবথেকে কাঙাল হয়ে
গেছে। বাবা স্বয়ং বলছেন, এই দেবী দেবতা ধর্ম অত্যন্ত সুখদায়ী। সবকিছুই
পূর্ব-নির্মিত। প্রত্যেকে নিজ নিজ সময়ে নিজের ভূমিকা পালন করবে। হেভেনলি গড ফাদার-ই
হেভেন স্থাপন করেন। অন্য কেউ করতে পারবে না। বলা হয়, যীশুখ্রিস্টের জন্মের ৩ হাজার
বছর আগে ভারত হেভেন ছিল। ওখানে তো যীশুখ্রিষ্ট থাকবে না। সে তো নিজের সময় অনুসারে
আসে। তারপর তাকে পুনরায় নিজের ভূমিকা পালন করতে হয়। এইসব বিষয় বুদ্ধিতে ধারণ হলে
তবেই শ্রীমৎ অনুসারে চলবে। সকলের বুদ্ধি একরকম নয়। শ্রীমৎ অনুসারে চলার সাহস থাকতে
হবে। শিববাবা, তুমি ব্রহ্মাবাবা এবং মাম্মার দ্বারা যা খাওয়াবে, যা পরাবে…। তিনি তো
ব্রহ্মার দ্বারা-ই সবকিছু করবেন, তাই না? তাই দুইজনে কম্বাইন্ড আছেন। ব্রহ্মার
দ্বারা-ই কর্তব্য করবেন। এমন নয় যে দুটো শরীর একসঙ্গে রয়েছে। বাবা কোথাও কোথাও
কম্বাইন্ড শরীরও দেখেছেন। কিন্তু দুইজনের সোল তো আলাদা। এনার মধ্যে নলেজফুল বাবা
প্রবেশ করেন। সুতরাং তিনি কার দ্বারা নলেজ দেবেন? কৃষ্ণের চিত্র তো আলাদা রয়েছে।
এখানে তো ব্রহ্মাকে প্রয়োজন। বাস্তবে তো অনেক ব্রহ্মাকুমার-কুমারী রয়েছে। এটা
নিশ্চয়ই কোনো অন্ধশ্রদ্ধা নয়। ভগবান তাঁর দত্তক নেওয়া সন্তানদেরকে শিক্ষা দেন। আগের
কল্পে যাদেরকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল, এখন তাদেরকেই নেওয়া হবে। বাইরে অফিসে গেলে কেউ
এইরকম বলবে না যে আমি হলাম বি.কে.। এটা তো গুপ্ত বিষয়। শিববাবার সন্তান তো সকলেই।
কিন্তু নুতন সৃষ্টিকেই তো রচনা করা হয়। পুরাতন থেকে নুতন বানানো হয়। আত্মার মধ্যে
খাদ পড়ার জন্য পুরাতন হয়ে যায়। সোনায় খাদ পড়লে তখন সেটা আর খাঁটি থেকে না। আত্মা
যখন এইরকম অশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন শরীরও সেইরকম পাওয়া যায়। তাহলে খাঁটি পাওয়া যাবে
কিভাবে? অশুদ্ধ জিনিসকে শুদ্ধ-পবিত্র করার জন্য আগুনে দেওয়া হয়। সুতরাং অনেক বড়
বিনাশ হবে। উৎসবগুলো ভারতের কাহিনী অনুসারেই পালিত হয়। কিন্তু এইগুলো কাদের কাহিনী
এবং কোন্ সময়ের কাহিনী সেটা কেউই জানে না। খুব কম জ্ঞান ধারণ করে। হয়তো শেষের দিকে
রাজত্ব পাবে, কিন্তু ওতে আর কি লাভ? খুব কম সুখ পাবে। আস্তে আস্তে দুঃখও শুরু হয়ে
যাবে। তাই ভালো করে পুরুষার্থ করতে হবে। অনেক নুতন বাচ্চাই খুব দ্রুত এগিয়ে গেছে।
কিন্তু অনেক পুরাতন বাচ্চা অ্যাটেনশন দেয় না। অনেক দেহ-অভিমান রয়েছে। যে সার্ভিস
করবে, সে-ই বাবার হৃদয়ে স্থান পাবে। বলা হয় বাইরে এক, আর ভেতরে আরেক। বাবা ভালো ভালো
বাচ্চাদেরকেই অন্তর থেকে ভালোবাসেন। কেউ হয়তো বাইরে থেকে ভালো কিন্তু ভেতরে খুব
খারাপ। কেউ আবার সেবা করে না, অন্ধের লাঠি হয় না। এখন তো জীবন মৃত্যুর প্রশ্ন।
অমরলোকে উঁচু পদ পেতে হবে। দেখেই বোঝা যায় যে কে-কে আগের কল্পেও পুরুষার্থ করে উঁচু
পদ পেয়েছিল। যত বেশি দেহী-অভিমানী হবে, তত সুরক্ষিত ভাবে চলতে থাকবে। কিন্তু
দেহ-অভিমান হারিয়ে দেয়। বাবা তো বলেন শ্রীমৎ অনুসারে যত বেশি রুহানি সেবায় নিয়োজিত
থাকবে, ততই ভালো। ছবি দেখে খুব সহজেই বোঝানো যায়। সবাই হল ব্রহ্মাকুমার এবং কুমারী।
শিববাবা হলেন বড় বাবা। তিনি পুনরায় নুতন দুনিয়া রচনা করেন। মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার
গায়ন রয়েছে। শিখ ধর্মাবলম্বীরাও ভগবানের গুনগান করে। গুরু নানকের কথা গুলো খুব
সুন্দর। সাহেবের নাম জপ করলেই সুখ অর্থাৎ উত্তরাধিকার পাওয়া যাবে। ওরা মানে যে
ঈশ্বর এক ওঁকার। আত্মাকে কাল গ্রাস করে না। আত্মা কেবল ময়লা হয়ে যায়, কিন্তু এর
বিনাশ হয় না। তাই অকালমূর্তি বলা হয়। বাবা বোঝাচ্ছেন, আমি যেমন অকালমূর্তি, সেইরকম
আত্মারাও অবিনাশী। তবে আত্মারা পুনর্জন্ম নেয়। কিন্তু আমি সর্বদা এইরকম থাকি। তিনি
স্পষ্টভাবে বলছেন, আমি হলাম জ্ঞানের সাগর এবং রূপ-বসন্ত । এইসব কথা আগে ভালো ভাবে
বুঝতে হবে, তারপর বোঝাতে হবে। অন্ধের লাঠি হতে হবে। জীবনদান করতে হবে। এরপর কখনো
অকালে মৃত্যু হবে না। তোমরা কালের ওপরে বিজয়ী হয়ে যাবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি রুহানী বাচ্চাদের প্রতি রুহানী বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং
সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে
মুখ্য সারঃ-
১ ) শ্রীমৎ
অনুসারে চলে রুহানি সার্ভিস করতে হবে। অন্ধের লাঠি হতে হবে। শঙ্খধ্বনি অবশ্যই করতে
হবে।
২ ) দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য স্মরণের চার্ট রাখতে হবে। রাত্রি জেগে বিশেষভাবে স্মরণ
করতে হবে। স্মরণ করতে করতে ক্লান্ত হওয়া যাবে না।
বরদানঃ-
স্ব-পরিবর্তন
দ্বারা বিশ্ব-পরিবর্তনের নিমিত্ত হয়ে শ্রেষ্ঠ সেবাধারী হও
তোমরা বাচ্চারা
স্ব-পরিবর্তন করার মাধ্যমে বিশ্ব পরিবর্তন করার কন্ট্রাক্ট নিয়েছ। স্ব-পরিবর্তনই হল
বিশ্ব পরিবর্তনের ভিত। স্ব-পরিবর্তন না করলে কোনো আত্মার জন্য যতই পরিশ্রম করো না
কেন, সে পরিবর্তন হবে না। কারণ আজকাল কেবল জ্ঞান শুনে কেউ পরিবর্তন হয় না, চোখে
দেখলে তবেই হবে। যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের মধ্যেও অনেকে জীবনের পরিবর্তন দেখে
পরিবর্তিত হয়ে যাবে। তাই কিছু করে দেখানো, পরিবর্তন হয়ে দেখানো - এটাই হল শ্রেষ্ঠ
সেবাধারী হওয়া।
স্লোগানঃ-
সময়, সঙ্কল্প
এবং বাণীর শক্তিকে ওয়েস্ট করার পরিবর্তে বেস্ট করে দাও, তাহলেই শক্তিশালী হয়ে যাবে।