১৮-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - দেবতাদের থেকেও উত্তম কল্যাণকারী জন্ম হলো তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের, কেননা তোমরা ব্রাহ্মণরাই বাবার সাহায্যকারী হও"

প্রশ্ন:-

বাচ্চারা, এখন তোমরা বাবাকে কোন্ ধরনের সাহায্য করো ? এই সাহায্যকারী বাচ্চাদের বাবা কি প্রাইজ দেন ?

উত্তর:-

বাবা পবিত্রতা এবং শান্তির রাজ্য স্থাপন করছেন, আমরা তাঁকে পবিত্র থেকে পবিত্রতার সাহায্য করি l বাবা যে যজ্ঞ রচনা করেছেন, আমরা তা রক্ষা করি, তাই বাবা অবশ্যই আমাদের প্রাইজ দেবেন l এই সঙ্গমে আমরা অনেক বড় প্রাইজ পাই, আমরা এই সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তকে জেনে ত্রিকালদর্শী হয়ে যাই আর ভবিষ্যতে সিংহাসনের অধিকারী হই, এই হলো প্রাইজ l

গীত:-

পিতা, মাতা, সহায়ক, স্বামী, সখা - এক তুমিই হলে আমার নাথ....

ওম্ শান্তি l

এ কার মহিমা ? পরমপ্রিয়, পরমপিতা, পরমাত্মা শিব, এ হলো তাঁরই মহিমা l তাঁর নাম যেমন উঁচুর থেকেও উঁচু তাঁর ধামও তেমন উঁচুর থেকেও উঁচু l পরমপিতা পরমাত্মার অর্থও হলো -- সবার থেকে উঁচু আত্মা l আর কাউকেই পরমপিতা পরমাত্মা বলা হয় না l তাঁর মহিমা অপরমপার l এমনও বলা হয় যে, তাঁর এমনই মহিমা যে তার পার বা সীমানা পাওয়া যায় না l ঋষি - মুনিরাও এমন বলতেন যে, তাঁর পার পাওয়া যায় না l তাঁরাও নেতি - নেতি (এটাও নয়, ওটাও নয় ) বলে আসছেন l নইলে বাবা স্বয়ং এখন এসে নিজের পরিচয় দিচ্ছেন l কেন ? বাবার পরিচয় তো পাওয়া উচিত, তাই না ? বাচ্চারা এই পরিচয় পাবে কিভাবে ? যতক্ষণ না তিনি এই ভূমিতে আসছেন, ততক্ষণ আর কেউই তাঁর পরিচয় দিতে পারেন না l যখন বাবা সন্তানদের দেখায় তখন সন্তানরাও বাবাকে প্রদর্শন করায় l বাবা বোঝান যে, আমারও নাটকে পার্ট নিহিত আছে l আমাকে এসেই পতিতদের পবিত্র বানাতে হয় l সাধু - সন্তরাও গাইতে থাকে - পতিত - পাবন, সীতারাম এসো কেননা এ হলো রাবণ রাজ্য, রাবণ কম কিছু নয় l সম্পূর্ণ দুনিয়াকে তমোপ্রধান পতিত কে বানিয়েছে ? রাবণ বানিয়েছে l আবার এদেরই পবিত্র বানান সামর্থ রাম l অর্ধেক কল্প রাম রাজ্য চলে আবার অর্ধেক কল্প রাবণ রাজ্য চলতে থাকে l রাবণ কে, এ কথা কেউই জানে না l বছর - বছর তারা রাবণকে জ্বালাতে থাকে l তাও রাবণের রাজ্য চলতে থাকে l রাবণ থোড়াই জ্বলে l মানুষ বলে যে, পরমাত্মা সমর্থ, তাহলে রাবণের রাজ্য কেন করতে দেয় l বাবা বোঝান যে, এই নাটক হলো হার - জিতের, স্বর্গ আর নরকের l এই ভারতের উপরই সম্পূর্ণ খেলা বানানো হয়েছে l এ হলো এক বানানো ড্রামা l এমন নয় যে, পরমপিতা যেহেতু সর্বশক্তিমান তাই খেলা সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই আসবেন অথবা তিনি অর্ধেক অবস্থায় খেলা বন্ধ করতে পারেন l বাবা বলেন যে, সম্পূর্ণ দুনিয়া যখন পতিত হয়ে যায়, আমি তখনই আসি l এই কারণেই শিবরাত্রি পালন করা হয় l শিবায় নমঃও বলা হয় l ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্করকে দেবতা নমঃ বলা হবে l শিবকে পরমাত্ময়ে নমঃ বলা হবে l বাবুলনাথ বা সোমনাথের মন্দিরে যেমন আছে, শিব কি তেমন ? পরমপিতা পরমাত্মার রূপ কি এতো বড় হতে পারে ? অথবা আত্মাদের ছোটো আর বাবার বড়, এমন কি হতে পারে ? প্রশ্ন তো আসবেই ? এখানে যেমন ছোটোদের বাচ্চা আর বড়কে বাবা বলা হয়, তেমনই পরমপিতা পরমাত্মা অন্য আত্মাদের থেকে বড়, আর আমরা আত্মারা কি ছোটো ? তা নয় l বাবা বলেন যে --- বাচ্চারা, তোমরা আমার মহিমা গাও, তোমরা বলো, পরমাত্মার মহিমা অপরমপার l তিনি হলেন মনুষ্য সৃষ্টির বীজ, পিতাকে তো বীজই বলা হবে, তাই না l তিনি হলেন সৃষ্টিকর্তা l বাকি যে সব বেদ, উপনিষদ, গীতা, যজ্ঞ, তপ, দান, পুণ্য ---- এ সবই হলো ভক্তির সামগ্রী l এদেরও নিজেদের সময় আছে l অর্ধেক কল্প হলো ভক্তির আর অর্ধেক কল্প হলো জ্ঞানের l ভক্তি হলো ব্রহ্মার রাত আর জ্ঞান হলো ব্রহ্মার দিন l এই শিববাবা তোমাদের বোঝান, এনার তো নিজের শরীর নেই l তিনি বলেন, আমি তোমাদের আবার করে রাজযোগ শেখাই, রাজ্য - ভাগ্যের অধিকার দেওয়ার জন্য l এখন ব্রহ্মার রাত সম্পূর্ণ হয়েছে, এখনই ধর্মের গ্লানির সময় এসে উপস্থিত হয়েছে l মানুষ সবথেকে বেশী গ্লানি কার করে ? পরমপিতা পরমাত্মা শিবের l লেখা আছে না --"যদা যদা হি ধর্মস্য ------এমন নয় যে আমি আগের কল্পে সংস্কৃতে জ্ঞান দিয়েছিলাম l ভাষা তো এই l ভারতে যখন দেবী দেবতা ধর্ম স্থাপনের জন্য অতিমাত্রায় গ্লানি হয়, আমাকে মানুষ নুড়ি পাথরে বলে দেয়, আমি তখন আসি l যে ভারতকে স্বর্গ বানায়, পতিতকে পবিত্র বানায়, তাঁর কত গ্লানি করেছে l



বাচ্চারা, তোমরা জানো, ভারত হলো সবথেকে পুরানো খণ্ড, যা কখনোই বিনাশ হয় না l সত্যযুগে লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্যও এখানেই হয় l এই রাজ্যও স্বর্গের রচয়িতাই দিয়েছেন l এখন তো সেই ভারতই পতিত, তখন আমি আসি, সেই সময় তাঁর মহিমা গাওয়া হয় শিবায় নমঃ l এই বেহদের ড্রামায় আমাদের সকল আত্মার পার্ট নিহিত আছে, যা রিপিট হয় l যার থেকে কোনো টুকরো বের করে হদের ড্রামা বানান l এখন আমরা ব্রাহ্মণ এরপর দেবতা হবো l এ হলো ঈশ্বরীয় বর্ণ l এ হলো তোমাদের ৮৪ জন্মের অন্ত l এতে তোমাদের চার বর্ণের জ্ঞান আছে তাই ব্রাহ্মণ বর্ণ সবথেকে উঁচু কিন্তু মহিমা বা পূজা দেবতাদের হয় l ব্রহ্মার মন্দিরও আছে কিন্তু কেউই জানে না যে এখানে পরমাত্মা এসে ভারতকে স্বর্গ বানান l স্থাপনা যখন হয় তখন বিনাশেরও প্রয়োজন, তাই বলা হয় রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে বিনাশ জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হয় l



সেই বাবাই এখন বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন - মিষ্টি বাচ্চারা, এ হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম, আমি তোমাদের আবার স্বর্গের আশীর্বাদী বর্সা দিতে এসেছি l এ তোমাদের অধিকার, কিন্তু যে আমার শ্রীমতে চলবে আমি তাকে স্বর্গের উপহার দেবো l ওরাও শান্তির উপহার পায় l বাবা কিন্তু তোমাদের স্বর্গের উপহার দেন l বাবা বলেন, আমি কিন্তু নেবো না l আমি তোমাদের দ্বারা স্থাপনা করাই তাই তোমাদেরই এই উপহার দিই l তোমরা তো শিববাবার পৌত্র এবং ব্রহ্মার সন্তান l এতো বচ্চা তো প্রজাপিতা ব্রহ্মাই দত্তক নেবেন, তাই না l এই ব্রাহ্মণ জন্ম হলো তোমাদের সবথেকে উত্তম জন্ম l এ হলো কল্যাণকারী জন্ম l দেবতাদের জন্ম অথবা শূদ্রদের জন্ম কল্যাণকারী নয় l তোমাদের এই জন্ম হলো খুবই কল্যাণকারী, কেননা তোমরা বাবার সাহায্যকারী হযে এই সৃষ্টিতে পবিত্রতা এবং শান্তি স্থাপন করো l ওই পুরস্কার দাতারা সেকথা কী জানেন ! ওরা তো কোনো আমেরিকান আদিদের দিয়ে দেয় l বাবা তবুও বলেন, যারা আমার সাহায্যকারী হবে, আমি তাদের প্রাইজ দেবো l পবিত্রতা থাকলে সৃষ্টিতে শান্তি এবং সমৃদ্ধিও থাকবে l এ তো বেশ্যালয় l সত্যযুগ হলো শিবালয় l শিববাবা সেই যুগ স্থাপন করেছেন l সাধু - সন্ন্যাসীরা হলেন হঠযোগী, তারা গৃহস্থ ধর্মের মানুষদের সহজ রাজযোগ শেখাতে পারেন না যতই হাজার বার গীতা - মহাভারত পড়ুক না কেন l ইনি তো সবার বাবা l তিনি সকল ধর্মের মানুষদের বলেন, তোমাদের বুদ্ধিযোগ এক আমার সঙ্গে লাগাও l আমিও এক ছোটো বিন্দু, এতো বড় নই l আত্মা যেমন, আমিও ঠিক তেমনই পরমাত্মা l আত্মাও এই ভ্রুকুটির মধ্যে থাকে l এতো বড় হলে এখানে কি করে বসতে পারতো l আমিও ঠিক আত্মারই মতো l আমি কেবল জন্ম - মরণ রহিত, সদা পবিত্র, আর আত্মারা জনম - মরণে আসে l আত্মা পবিত্র থেকে পতিত আবার পতিত থেকে পবিত্র হয় l বাবা এখন আবার সবাইকে পতিত থেকে পবিত্র বানানোর জন্য এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেছেন l এর পরে সত্যযুগে কোনো যজ্ঞ হয় না l আবার দ্বাপর যুগ থেকে অনেক প্রকারের যজ্ঞ রচনা করা হয় l সম্পূর্ণ কল্পে এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ একবারই রচনা করা হয়, এতেই সকলের আহুতি হয় l এরপর আর কোনো যজ্ঞের রচনা করা হয় না l কোনো বিপর্যয় এলেই যজ্ঞের রচনা করা হয় l বর্ষা না হলে বা অন্য কোনো বিপর্যয় এলে যজ্ঞ রচনা করা হয় l সত্যযুগ আর ত্রেতায় কোনো বিপর্যয় হয় না l এই সময় অনেক প্রকারের বিপর্যয় আসে, তাই সবথেকে বড় শেঠ শিববাবা যজ্ঞ রচনা করিয়েছেন, তাই তিনি প্রথম থেকে সাক্ষাত্কার করান কেমন ভাবে আহুতি পড়ে, কেমনভাবে বিনাশ হবে, কেমন করে পুরানো দুনিয়া কবরখানা হয়ে যায় l এই পুরানো দুনিয়াতে তোমরা কেন মন লাগাবে, তাই তোমরা বাচ্চারা এই পুরানো দুনিয়ার সন্ন্যাস করো l ওই সন্ন্যাসীরা তো কেবল গৃহের সন্ন্যাস করে l তোমাদের তো গৃহত্যাগ করতে হবে না l এখানে গৃহস্থ জীবন দেখভাল করেও তোমাদের কেবল এর থেকে মমত্ব দূর করতে হবে l এ সবই মৃত, এতে কেন মন আটকে রাখবে l এ তো মৃতের দুনিয়া, তাই বলা হয় পরীস্থানকে স্মরণ করো, কবরস্থানকে কেন স্মরণ করছো l



বাবাও দালাল হয়ে তোমাদের বুদ্ধির যোগ তাঁর সাথে যুক্ত করেন l এ কথা তো বলা হয় - আত্মা পরমাত্মা আলাদা আছে বহুকাল -- এ মহিমাও তাঁরই l কলিযুগী গুরুকে পতিত - পাবন বলা যাবে না l তারা তো সদ্গতি করাতে পারেন না l হ্যাঁ, তারা শাস্ত্র শোনান, ক্রিয়া - কর্ম করান l শিববাবার কোনো টিচার বা গুরু নেই l বাবা তো বলেন, আমি তোমাদের স্বর্গের বর্সা দিতে এসেছি সে তোমরা সূর্যবংশীই হও বা চন্দ্রবংশী l তোমরা তা কিভাবে হও, লড়াই করে ? তা নয় l না লক্ষ্মী - নারায়ণ লড়াই করে রাজ্য নিয়েছে আর না রাম - সীতা l তাঁরা এই সময় মায়ার সঙ্গে লড়াই করেছে l তোমরা হলে গুপ্ত যোদ্ধা, তাই তোমাদের শক্তিসেনাদের কেউ জানে না l তোমরা যোগবলের দ্বারা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হও l তোমরাই এই বিশ্বের রাজ্য হারিয়েছিলে আবার তোমরাই তা এখন পাচ্ছো l তোমাদের এই উপহার বাবা দেন l এখন যারা বাবার সাহায্যকারী হবে, তারাই অর্ধেক কল্পের জন্য শান্তি আর সমৃদ্ধির উপহার পাবে l বাবা তাদেরই সাহায্যকারী বলেন যারা অশরীরী হয়ে বাবাকে স্মরণ করে, স্বদর্শন চক্র ঘোরায়, শান্তিধাম, সুইট হোম আর সুইট রাজধানীকে স্মরণ করে পবিত্র থাকে l এ কতো সহজ l আমরা আত্মারাও স্টার l আমাদের বাবা পরমাত্মাও স্টার l সে এতো বড় নয় কিন্তু স্টারের পূজা কিভাবে হবে তাই পূজা করার জন্য এতো বড় বানানো হয়েছে l পূজা তো প্রথমে বাবার হয়, তারপর অন্যদের হয় l লক্ষ্মী - নারায়ণের কতো পূজা হয় কিন্তু তাঁদের এমন কে বানান ? সবার সদ্গতিদাতা হলেন বাবা l বলিহারি তো ওই একজনের l তাঁর জয়ন্তী হলো হীরেতুল্য l বাকি সকলেরই জন্ম কড়িতুল্য l শিবায় নমঃ - এ হলো তাঁরই যজ্ঞ, যা তোমাদের ব্রাহ্মণদের দ্বারা তিনি রচনা করিয়েছেন l তিনি বলেন, যে আমাকে পবিত্রতা এবং শান্তি স্থাপন করতে সাহায্য করবে, তাকে আমি এমন ফল দেবো l ব্রাহ্মণদের দ্বারা যখন যজ্ঞ রচনা করিয়েছেন, তখন দক্ষিণা তো তিনিই দেবেন, তাই না l তিনি এতো বড় যজ্ঞের রচনা করিয়েছেন l আর কোনো যজ্ঞই এতো বড় সময় ধরে চলে না l তিনি বলেন, যে আমাকে যতো বেশী সাহায্য করবে, আমি তাকে ততই প্রাইজ দেবো l আমিই সকলকে প্রাইজ দিই l আমি কিছুই নিই না l সবই তোমাদের দিয়ে দিই l এখন তোমরা যা করবে, তাই পাবে l অল্প করলে প্রজাতে চলে যাবে l গান্ধীকেও যে সাহায্য করেছিলো, সেও তো প্রেসিডেন্ট, মিনিস্টার ইত্যাদি হয়েছিলো l এ তো হলো অল্পকালের সুখ l বাবা তো তোমাদের সম্পূর্ণ আদি - মধ্য - অন্তের জ্ঞান দিয়ে নিজের সমান ত্রিকালদর্শী বানান l তিনি বলেন আমার বায়োগ্রাফি জানলে তোমরা সবকিছু জেনে যাবে l সন্ন্যাসী থোড়াই এই জ্ঞান দিতে পারে l তাঁদের থেকে আশীর্বাদী বর্সা কি পাবে ? তাঁরা তো তাঁদের জায়গা একজনকেই দেবে l বাকিরা কি পায় ? বাবা তো তোমাদের সবাইকেই আসনের অধিকারী করেন l আমি কতো নিষ্কাম সেবা করি আর তোমরা তো আমাকে নুড়ি - পাথরে দিয়ে কতো গ্লানি করেছো l ড্রামাতে এও বানানো আছে l যখন তোমরা কড়ির মতো হয়ে যাও, আমি তখন এসে তোমাদের হীরের মতো বানাই l আমি তো অগুণতি বার ভারতকে স্বর্গ বানিয়েছি, মায়া আবার তাকে নরক বানিয়ে দিয়েছে l এখন যদি প্রাপ্তি করতে হয় তাহলে বাবার সাহায্যকারী হয়ে প্রকৃত প্রাইজ নিয়ে নাও l এরমধ্যে পবিত্রতা হলো এক নম্বর l



বাবা সন্ন্যাসীদেরও মহিমা করেন - ওরাও তো ভালো, ওরা পবিত্র থাকে l এরাও তো ভারতকে অবনমন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন l না হলে কি জানি কি হয়ে যেতো l এখন কিন্তু ভারতকে স্বর্গ বানাতে হবে তাহলে অবশ্যই ঘর - গৃহস্থীতে থেকে পবিত্র থাকতে হবে l বাপদাদা দুজনেই বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেন l শিববাবাও এই পুরানো জুতো রূপী শরীরের দ্বারা বাচ্চাদের রায় দেন l তিনি নতুন কাউকে নিতে পারেন না l তিনি তো মাতৃগর্ভে আসেন না l তিনি পতিত দুনিয়া, পতিত শরীরেই আসেন, এই কলিযুগে হলো ঘোর অন্ধকার l এই ঘোর অন্ধকারকেই সকাল বানাতে হবে l আচ্ছা l



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ - ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার l

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. মন থেকে এই বেহদের দুনিয়ার সন্ন্যাস করে নিজের মমত্ব দূর করতে হবে, এতে মন লাগাবে না l

২. বাবার সাহায্যকারী হয়ে প্রাইজ নেওয়ার জন্য --- ১ ) অশরীরী হতে হবে ২ ) পবিত্র থাকতে হবে ৩ ) স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে হবে ৪ ) সুইট হোম আর সুইট রাজধানীকে স্মরণ করতে হবে l

বরদান:-

জীবনে দিব্যগুণের ফুলের বাগানের দ্বারা খুশীর অনুভব করে চিরসুখী ভব

সদা খুশী অর্থাৎ পরিপূর্ণ, সম্পন্ন l প্রথমে তোমাদের জীবন ছিল কাঁটার জঙ্গল, এখন ফুলের খুশীর বাগানে এসেছ তোমরা l তোমাদের জীবনে এখন সর্বদা দিব্যগুণের ফুলের বাগান, তাই যেই তোমাদের সম্পর্কে আসুক না কেন, তার সেই দিব্যগুণের ফুলের সুগন্ধ আসতে থাকবে আর খুশীর বাগান দেখে খুশী হবে, শক্তির অনুভব করবে l খুশীর ফুলের বাগান অন্যদেরও শক্তিশালী করে আর খুশী এনে দেয় l তাই তোমরা বলো, আমরা চিরসুখী l

স্লোগান:-

মাস্টার সর্বশক্তিমান সে-ই যে মায়ার বুদবুদকে ভয় পাওয়ার পরিবর্তে তা নিয়ে খেলা করে l