০৪-১১-১৮ প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের রুহানী যোগ হলো চির পবিত্র হওয়ার জন্য কেননা তোমরা পবিত্রতার সাগরের সঙ্গে যোগ লাগাও, পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করো"

প্রশ্ন:-

নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চাদের প্রথমদিকে কোন্ নিশ্চয়তা পাকা হওয়া উচিত ? সেই নিশ্চয়তার নিদর্শন কি হবে ?

উত্তর:-

আমরা এক বাবার সন্তান, প্রথমদিকে তোমাদের পাক্কা নিশ্চয়তা থাকা উচিত যে, বাবার থেকে আমরা দৈবী স্বরাজ্য পাই l নিশ্চয় থাকলেই সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিতে আসবে যে, আমরা যে ভক্তি করেছিলাম, তা এখন সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন আমরা স্বয়ং ভগবানকে পেয়েছি l নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চারাই উত্তরাধিকারী হয় l

গীত:-

ও দূরের পথিক আমাকেও সাথে নিয়ে চলো....

ওম্ শান্তি l

বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান যে, দূরের পথিক তো সবাই হয় l সব আত্মারাই দূরের থেকে দূর পরমধামের অধিবাসী l এও শাস্ত্রতে আছে l আত্মা দূরে থাকে যেখানে চাঁদ, সূর্যের কিরণ পৌঁছায় না l মূলবতন, সূক্ষ্ম বতনে কোনো ড্রামা হয় না l ড্রামা হলো এই স্থূল বতনের, যাকে মনুষ্য সৃষ্টি বলা হয় l মূল বতন এবং সূক্ষ্ম বতনে ৮৪ জন্মের কোনো চক্র হয় না l এই চক্র মনুষ্য সৃষ্টিতে দেখানো হয় l মনুষ্য সৃষ্টি কি জিনিস, মানুষ কিসের দ্বারা তৈরী হয়েছে ? মানুষের মধ্যে এক তো আত্মা আর দ্বিতীয় হলো শরীর l পাঁচ তত্বের পুতুল তৈরী হয় l তাতে আত্মা প্রবেশ করে অভিনয় করে l তাই দূরের অধিবাসী তো সবাই কিন্তু তোমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হও l অন্য মানুষের মধ্যে এই নিশ্চয়তা নেই l বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরা আমাকে দূরদেশের অধিবাসী বলো কিন্তু তোমাদের সকল আত্মাদের নিবাস স্থান সেই একই জায়গায় l ওই নাটকে যারা অভিনয় করে তাদের প্রত্যেকেরই নিজের নিজের ঘর আছে l ওখান থেকে তারা এসে অভিনয় করে l এখানে তোমরা বাচ্চারা মনে করো, আমরা সবাই একই বাবার সন্তান, একই ঘর পরমধামে থাকি l সে হলো ব্রহ্ম মহতত্ব আর এ হলো আকাশ তত্ব l এখানেই সবাই অভিনয় করে, রাতদিন এখানেই হয় তাই সূর্য - চাঁদও এখানেই l মূল বতনে তো রাত - দিন হয় না l এই সূর্য চাঁদও কোনো দেবতা নয় l এ তো মণ্ডপকে উজ্জ্বল করার বাতি l দিনে সূর্য আলো দেয় আর রাতে চাঁদ আলো থাকে l এখন সমস্ত মানুষই মুক্তিধামে যেতে চাইছে l তারা জানে যে ভগবান উপরে থাকে l ভগবানকেও যখন স্মরণ করবে -- হে পরমপিতা পরমাত্মা, বুদ্ধি তখন উপরে চলে যাবে l আত্মা সবই বোঝে কিন্তু অজ্ঞানে ঢাকা পড়ে আছে l তারা এও জানে যে, আমরা এখানকার অধিবাসী নই l আমাদের বাবা হলেন তিনি l তারা মুখে ও গড ফাদার বলেও থাকে l তারপর আবার বলে দেয়, সকলেই ফাদার, ভগবান সর্বব্যাপী l বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে, সকলেই তো আর বাবা নয় l সব আত্মারাই নিজেদের মধ্যে ভাই - ভাই l এ কথা না জানার কারণে নিজেদের মধ্যে লড়াই - ঝগড়া করতে থাকে l তোমরা আত্মারা ভাই - ভাই, তোমরা এক বাবার সন্তান হয়েছো l এই নিশ্চয়বুদ্ধিও নম্বর অনুসারে হয় l লৌকিক সম্বন্ধে নিশ্চয়তা থাকে যে, বাবার থেকে সম্পত্তি পেতে হবে l এখানে মায়া বাবার থেকে প্রতি মুহূর্তে মুখ ঘুরিয়ে দেয় l তোমরা যখন সর্বশক্তিমান বাবার হয়েছো, তখন মায়াও সর্বশক্তিমান হয়ে তোমাদের সঙ্গে লড়াই করে l এ হলো পাঁচ বিকারের উপর জয় পাওয়ার যুদ্ধ l যুদ্ধ তো বিখ্যাত l বাকি শাস্ত্রে যে কৌরব - পাণ্ডবদের দেখানো হয়েছে, তা সঠিক নয় l এই রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ খুব ভারী l আমরা চাই যে, আমরা বাবার স্মরণে থেকে সম্পূর্ণ হই, আমাদের আত্মা পবিত্র হোক l যোগ ছাড়া তো আর অন্য কোনো রাস্তা নেই l আর অন্য যে সব যোগ শেখে তা কিন্তু পবিত্রতার জন্য নয় l সে তো সব স্থূল যোগ, অল্প সময়ের জন্য, আর এই রুহানী যোগ হলো চির পবিত্র হওয়ার জন্য l পবিত্রতার সাগরের সাথে যোগযুক্ত হয়ে আমরা পবিত্র হই l বাবা বলেন যে, এই যোগ অগ্নিতে তোমাদের জন্ম - জন্মান্তরের পাপ ভস্ম হয় l বুদ্ধিও বলে যে, এ হলো পতিত দুনিয়া l কাউকেই জিজ্ঞেস করো না কেন - এ কি সত্যযুগ নাকি কলিযুগ ? তো একে সত্যযুগ কেউই বলবে না l সত্যযুগ তো ছিলো নতুন দুনিয়া l তাকে গোল্ডেন এজ আর একে আয়রন এজ বলা হয় l পুরানো দুনিয়াকে কলিযুগ আর নতুন দুনিয়াকে সত্যযুগ বলা হয় l এমন বলা যাবে না যে, এখন সত্যযুগও আবার কলিযুগও l তা নয়, নরকবাসী হলো নরকবাসীই l পুরানো দুনিয়াকে পতিত দুনিয়া আর নতুন দুনিয়াকে পবিত্র দুনিয়া বলা হবে l মানুষের জন্যই বোঝানো হয়, জন্তু - জানোয়ার থোড়াই বলবে যে, পতিত - পাবন এসো l কাউকে জিজ্ঞেস করলেই সে বলবে, এ তো নরক l ভারতই নতুন দুনিয়া স্বর্গ ছিলো, আবার ভারতই পুরানো দুনিয়া নরক হয়েছে l ভারতের উপরই জোর দাও l দ্বিতীয় অন্য সকলেই তো মধ্যভাগে আসে l তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই l আমাদের ধর্মই আলাদা যা এখন প্রায় লোপ হয়ে গেছে l



এখন তোমরা নিশ্চয়বুদ্ধির হয়েছো l তোমরা জানো যে, আমরা এক বাবার সন্তান l বাবার থেকেই আমরা স্বরাজ্য পাই l প্রথমে তো এই নিশ্চয়তা পাকা হওয়া দরকার l তোমরা জ্ঞান শোনো, সে তো ঠিক আছে l প্রজা তৈরী হয়ে যায় l বাকি আমরা বেহদের বাবার সন্তান -- এ যদি নিশ্চিত হয়ে যায় তো মনে করবে আমরা ভক্তি করেছি ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য l এখন এই ভক্তি সম্পূর্ণ হচ্ছে l এখন ভগবান স্বয়ং এসে মিলিত হচ্ছেন l তাঁর থেকে আমরা সূর্যবংশী স্বরাজ্য পদ পাই l আমরা এত উঁচু পদ পাই l সাহুকাররা যেমন বাচ্চাদের দত্তক নেয় l তারা তো একটা বাচ্চা দত্তক নেয় l এখানে তো বেহদের বাবার অনেক সন্তান চাই l বলা হয়, যে আমার সন্তান হবে, সে স্বর্গের আশীর্বাদী বর্সা পাবে l যে আমার সন্তান হবে না সে এই অবিনাশী বর্সার অধিকারী হতে পারবে না l তারা শ্রীমতেই চলে না l যারা নিশ্চিত হয়ে যায় তারা বলে, বাবা আপনি আবার এসেছেন, ব্যস, আমি তো আপনার হাত ছাড়বো না l বাবা বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেন, বাচ্চারা আবার অন্যদের বুঝিয়ে বলে যে, আমরা পারলৌকিক বাবার সন্তান হয়েছি l তাঁর শ্রীমতেই আমরা চলি, আমাদের পরমপিতা পরমাত্মা পড়ান l এত সব বি.কে হয়েছে, তাহলে অবশ্যই নিশ্চয়তা আছে, তাহলে আমরাও কেন হবো না l লিখে পাঠিয়ে দাও যে, আমরা আপনার হয়েছি l বাবা বলবেন, আমি থোড়াই কোনো দূরে আছি l আমি তো এখানে বসে আছি, আমি হাজির l এখানে আমি প্রত্যক্ষভাবে বসে আছি l প্রেসিডেন্টের জন্য যেমন বলা হয়, তিনি এই সৃষ্টিতে হাজির, এর অর্থ এই নয় যে প্রেসিডেন্ট sসর্বব্যাপী l তেমনই পরমপিতা পরমাত্মা, যাঁকে সুখ কর্তা, দুঃখহর্তা বলা হয়, তিনি সর্বব্যাপী হতে পারেন না l তিনি উপস্থিত থাকলে মানুষ এত দুঃখী কিভাবে হতে পারে ? যেখানে বাবার অনুপস্থিতিতে স্বর্গেও কোনো দুঃখী থাকে না l



বাবা বচ্চাদের জন্য বাসা বানিয়েছেন l পাখি যেমন তার বাচ্চাদের জন্য বাসা বানায়, তেমনই বাবাও তোমাদের দিয়েই তোমাদের জন্য ঘর বানায় l তোমাদেরই থাকার জন্য এখন স্বর্গের ঘর তৈরী হচ্ছে l বাবা বলেন যে, তোমরা যদি আমার মতে চলো তাহলে তোমরা স্বর্গে রাজ্য করবে l তোমাদের যদি সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা থাকে, তাহলে তোমরা ধরে ফেলবে l এমনও নয় যে তোমাদের এখানে সবসময় বসে থাকতে হবে l ঘরবাড়ি ছাড়লে তো হবে না l ওরা তো গৃহত্যাগ করে l ওরা গুরুকে ভগবান মনে করে l ওরা কেউই জীবন্মৃত হয় না l তোমাদের তো এখানে জীবন্মৃত হয়ে তারপর সত্যযুগে বাঁচতে হবে l তোমরা বাবার থেকে বেহদের অবিনাশী বর্সা নাও l তোমরা যখন নিশ্চিত হয়েছো যে, বেহদের বাবা পড়ান, তিনিই আমাদের ২১ জন্মের আশীর্বাদী বর্সা দেন, তখন তো তাঁর শ্রীমতে চলতে হবে l সন্তান যখন হয়েছো তখন তো বাবা নির্দেশ দেবেন l প্রথমে তো এক সপ্তাহ ভাট্টিতে বসো l তোমাদের রোজ জ্ঞান মিলতে থাকবে l প্রত্যেকেই তো একরকম বোঝে না, প্রত্যেকেই তাদের পুরুষার্থ ভাগ্য অনুসারে পায় l এই পুরুষার্থ এবং ভাগ্যের উপরই সবকিছু নির্ভর করে l জানা যায় যে ভাগ্যে কি আছে ? কি পদ পাবে ? বাবার হয়েও গৃহস্থ জীবনে থাকতে হবে l আচ্ছা, গৃহস্থ জীবনে যদি না থাকতে চাও, তাহলে গিয়ে অন্ধের লাঠি হও l সত্যনারায়ণের কথা শোনাতে তো অবশ্যই যেতে হবে l



এখন দেখো, কন্যা প্রেম, সেবায় গিয়েছে l যিনি নিমন্ত্রণ দিয়েছিলেন, তিনি সম্বর্ধনার আয়োজন করিয়েছিলেন, অনেকের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন, অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলো l বাবা কিন্তু বলছেন - নিশ্চয়বুদ্ধি কেউই নেই যে মনে করে, বেহদের বাবা পড়াচ্ছেন, যাঁর থেকে আমরা ২১ জন্মের আশীর্বাদী বর্সা পাই l তারা প্রভাবিত হয় কিন্তু এমন থোড়াই তারা নিশ্চিত হয়েছে যে, জ্ঞানের সাগর বাবা পড়াচ্ছেন l হ্যাঁ, তারা কেবল বলবে যে, খুব ভালো l যেই বাইরে যাবে,তখনই সব ভুলে যাবে l নামমাত্র কয়েকজনই পুরুষার্থ করবে l যদিও তারা নিজেদের মধ্যে সৎসঙ্গ করবে, কিন্তু যারা করবে তারাও নিশ্চয়বুদ্ধি নয় l এদের হাফ কাস্ট বলা হয় l নিশ্চয় আর সংশয় l এখনই বলবে যে, বাবা পড়ায় আবার এখনই বলবে, এ কি করে হতে পারে ? হ্যাঁ, পবিত্র হওয়া ভালো কিন্তু পবিত্রতাতে টিকে থাকা খুবই মুশকিল l প্রথমে তো নিশ্চয়তা চাই l গদগদ হয়ে পত্র লিখতে হবে l বন্ধনে থাকা গোপীকারা যেমন পত্র লেখে, মুক্তরা থোড়াই লেখে l বাবা লিখে দেন যে, একজনকেও নিশ্চয়বুদ্ধি বানানো হয় নি l হ্যাঁ, সাধারণ প্রজা বানানো হয়েছে কিন্তু উত্তরাধিকারী বানানো হয় নি l একজনও নিশ্চয়বুদ্ধির হয় নি l নিশ্চয়বুদ্ধির যারা হয়, তারাই উত্তরাধিকারী হয় l কেউ যদি নিশ্চয়বুদ্ধির হয়ও কিন্তু জ্ঞান ধারণ করতে না পারে তাহলে ওই ঘরানায় গিয়ে দাস - দাসী হয় l ভবিষ্যতে তোমাদের সঠিক সাক্ষাত্কার হবে l তোমরা জানতেও পারবে যে, কতো নম্বরে দাস - দাসী হবে ? তখন অনেক অনুতাপ করবে l আমরা তো শ্রীমতে চলি নি, তাই এমন অবস্থা l তবুও সমস্ত পরিস্থিতিতেই বলা হবে ড্রামা l এর ড্রামাতে কল্প - কল্পান্তরে এমনই পার্ট l সাক্ষাত্কার হতেই হবে l পরের দিকে রেজাল্ট বের হবে l তখন তোমরা বলবে ভবিতব্য l আমাদের ভাগ্যে এমন ছিলো, তোমাদের পড়ার রেজাল্ট আসবে l এ তো অনেক বড় স্কুল l এখানে পড়ান একজনই, পড়াও একটাই, পরীক্ষাও একটাই l টিচার জানে যে এই স্টুডেন্ট কেমন, সবাই জাম্প দিতে থাকে l ভবিষ্যতে অনেককিছুই জানতে পারা যাবে l মূহুর্তে - মূহুর্তে তোমরা ধ্যানে চলে যাবে l যেমন তোমরা শুরুতে যেতে l তোমরাও যেমন বুঝতে পারো, বাবাও তেমন বুঝতে পারেন l তোমরা গাফিলতি করো, শ্রীমতে চলো না l এমন চলতে চলতে অভ্যাস হয়ে যায় l যদিও তোমরা জিজ্ঞেস করো - শিববাবা, আমরা আপনার শ্রীমতে চলছি কি ? বাবা বলে দেবেন, তোমরা চলো না, তাই তোমাদের ভাগ্য এমন l বোঝা যায় যে, এখন দশা খারাপ, পরের দিকে উন্নতি করলে আবার ঠিক হয়ে যাবে l কেউ কেউ কামের হালকা নেশায় অধঃপতিত হয় l ভারত একসময় পবিত্র ছিলো, শ্রেষ্ঠাচারী ছিলো, যা এখন ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে l ওই শ্রেষ্ঠ দেবতাদের মহিমা এখনো তো আছে, তাই না l বাবা বলেন, এ হলো আসুরী সম্প্রদায়, আমি এসেছি দৈবী সম্প্রদায় স্থাপন করতে l এই দেবী - দেবতা ধর্ম হলো উঁচুর থেকেও উঁচু l বাবাই হলেন পতিত - পাবন l মানুষ কিন্তু কিছুই বোঝে না l যাঁরাই ধর্ম স্থাপন করতে আসে - তাঁরা অবশ্যই পবিত্র হয় l প্রতি বিষয়েই ভালো এবং খারাপ দুইই থাকে l কম ভাগ্যের বা ভালো ভাগ্যের দুইই থাকে l এখন এই রাবণ রাজ্য শেষ হয়ে যাবে l এই রাবণের রাজ্যে আগুন লাগবে l তোমরা রামের সেনারা বসে আছো l যারা এই ধর্মের হবে তারা বুঝতে থাকবে l নম্বর অনুসারেই তারা বোঝে l কারোর তো জনকের মতো একটাই তীর লাগলেই সমর্পণ হয়ে যায় l তারা কোনো বাহানা করবে না l এখানে কোনো বাহানা চলবে না l তবুও মায়ার তুফান অনেকই আসে l নিজের ঘরানাকেই ভুলে যায় যে, আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান l বাচ্চাদের তাই অনেক মিষ্টি হতে হবে l কামের সমান্যতম নেশা থাকা উচিত নয় l কাম হলো মহাশত্রু l এই হলো সবথেকে বড় পরীক্ষা l বাবা বলেন --- বাচ্চারা, একসাথে থেকেও পবিত্র হয়ে দেখাও l বাবা বাচ্চাদের অবস্থা জানেন l নিশ্চয়বুদ্ধির বাচ্চারা বাবাকে নিজের খবর দেবে যে, বাবা, আমি আপনাকে স্মরণ করি, আপনার এই সেবা করি l সার্ভিসের খবর লিখলে তখন তো বিশ্বাস করবো l সার্ভিসের প্রমাণ দিলে তখন বাবা বুঝতে পারবেন যে, এর উপর খুব সুন্দর আশা করা যাচ্ছে, এরপর এও বোঝানো উচিত যে, বাবা একা আর আমরা বাচ্চারা অনেক l এমন নয় যে বাবাকে রোজ রোজ রেসপন্স দিতে হবে l তা নয়, বাবা হলেনই গরীবের ভগবান l দান তো গরীবকেই দেওয়া হয় l এই ভারত খণ্ড হলো গরীব l ভারতই বিত্তবান থেকে আজ গরীব হয়েছে l এ কথা কেউই জানে না l এই ভারতই হলো অবিনাশী খণ্ড, যেখানে ভগবান অবতার হয়ে আসেন l ভারত ছিলো সোনার পাখির মতো অর্থাৎ সর্ব সুখের ভাণ্ডার ছিলো l যেই সুখধামে যাওয়ার জন্য আমরা সবাই পুরুষার্থ করছি l আচ্ছা l



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার l

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. কোনো বাহানা না করে, বাবার শ্রীমতে চলতে হবে l সার্ভিসের প্রমাণ দিতে হবে l

২. আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান, আমাদের উঁচুর থেকে উঁচু ঘরানা, এ কথা ভুলবে না l নিশ্চয়বুদ্ধি হতে হবে এবং অন্যকে করতে হবে l

বরদান:-

ব্রাহ্মণ জন্মের বিশেষত্ব এবং অনন্যতাকে স্মৃতিতে রেখে, সেবা কাজ করে সাক্ষী স্বরূপ ভব

এই ব্রাহ্মণ জন্ম হলো দিব্য জন্ম l সাধারণ আত্মারা তাদের জন্মদিন আলাদা ভাবে পালন করে, বিয়ের দিন, বন্ধুত্বের দিন আলাদা ভাবে পালন করে কিন্তু তোমাদের জন্মদিনও যা, বিয়ের দিন, মাতৃ দিবস, পিতৃ দিবস, এনগেজমেন্ট দিবস সবই এক কেননা তোমাদের সকলের প্রতিজ্ঞা - এক বাবা দ্বিতীয় আর কেউ নয় l তাই এই জন্মের বিশেষত্ব এবং বিচিত্রতাকে স্মৃতিতে রেখে সেবার পার্ট করো l সেবাতে একে অপরের সাথী হও কিন্তু সাক্ষী হয়ে সাথী হও l কখনোই কারোর দিকে সামান্যতমও হেলে যেও না l

স্লোগান:-

নিশ্চিন্ত বাদশাহ সে-ই, যার জীবনে নির্মাণ আর অথরিটির ব্যালেন্স থাকে l