২২-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই পাঠশালায় এলে তোমাদের প্রত্যক্ষ ফল প্রাপ্ত হয়, এক একটি জ্ঞান রত্ন লক্ষ লক্ষ মূল্যের সম্পত্তি, যা বাবা প্রদান করেন"
প্রশ্ন:-
বাবা যে নেশাটি চড়িয়ে দেন, সেই নেশার প্রভাব হালকা হয়ে যায় কেন ? সদা নেশা চড়ে থাকার রহস্য কি ?
উত্তর:-
নেশা তখন হালকা হয় যখন বাইরে গিয়ে পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের মুখ দর্শন কর। নষ্ট মোহ হওনি। সদা নেশায় থাকার জন্যে বাবার সঙ্গে কথোপকথন (রূহরিহান) করতে শেখো। বাবা, আমরা আপনার ছিলাম, আপনি স্বর্গে পাঠিয়েছিলেন, আমরা ২১ জন্মের সুখ ভোগ করে তারপরে দুঃখী হয়েছি। এখন আমরা আবার সুখের বর্সা নিতে এসেছি। নষ্ট মোহ হও তাহলে নেশা চড়বে ।
গীত:-
মরণ তোমার গলিতে, জীবন তোমার গলিতে....
ওম্ শান্তি।
এই কথা গুলি কার শুনলে ? গোপ গোপীকাদের। কার উদ্দেশ্যে বলছে ? পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবার উদ্দেশ্যে। নাম তো নিশ্চয়ই চাই তাইনা। বলে - বাবা, আপনার গলার হার বা মালা হতে আমরা জীবিত থেকেই আপনার আপন হই। আপনাকেই স্মরণ করলে আমরা আপনার গলার মালা হব। রুদ্র মালা তো বিখ্যাত । বাবা বুঝিয়েছেন সব আত্মারা হল রুদ্রের মালা। এ হল রূহানী বৃক্ষ (ঝাড়) । আর ওটা হল জিনিয়লজিক্যাল মানুষের বৃক্ষ, এ হল আত্মার ঝাড়। ঝাড় বা বৃক্ষের সেকশনও আছে। দেবী-দেবতাদের সেকশন, ইসলামীদের সেকশন, বৌদ্ধদের সেকশন। এইসব কথা অন্য কেউ বোঝাতে পারে না। গীতার ভগবান-ই বলেন। তিনি হলেন জন্ম-মরণ হীন। তাঁকে অজন্মা বলা যাবে না। কেবল জন্ম-মরণেই আসেন না, না, তাঁর কোনো স্থূল বা সূক্ষ্ম দেহও নেই। মন্দিরেও শিব লিঙ্গেরই পূজো হয়, তাঁকেই পরমাত্মা বলা হয়। দেবতাদের সামনে গিয়ে মহিমা করে। ব্রহ্মা পরমাত্মা নমঃ কখনও বলা হয় না। শিবকেই সদা পরমাত্মা রূপে স্বীকার করে। শিব পরমাত্মা নমঃ বলা হবে। ওটা হল মূল বতন, ওটি সূক্ষ্ম বতন আর এই হল স্থূল বতন।
এখন তোমরা বাচ্চারা জানো যে এখানে কেউ সেই জ্ঞান তোমাদের দেবে না যে পরমাত্মা হলেন সর্বব্যাপী। যদি এনার মধ্যেও পরমাত্মা উপস্থিত থাকেন তাহলে এনাকেও পরমাত্মা নমঃ বলা হবে। শরীরে থাকাকালীন পরমাত্মা নমঃ বলা হয় না। বাস্তবে শব্দ গুলি হল মহান আত্মা, পুণ্য আত্মা, পাপ আত্মা .....। মহান পরমাত্মা বলা হয় না। পুণ্য পরমাত্মা বা পাপ পরমাত্মা শব্দও নেই। এইসবই তো বোঝার বিষয়, তাইনা ! শুধু তোমরা বাচ্চারাই জানো যে এই পাঠশালায় এলে প্রত্যক্ষফলদায়ী প্রাপ্তি হয়। এই পড়া করলে আমরা ভবিষ্যতে দেবী-দেবতা হব অন্য কেউ এমন বলতে পারে না। মানুষ থেকে দেবতা তোমরা হও। দেবতাদের মধ্যে সুখ্যাত হলেন লক্ষ্মী-নারায়ণ তাই সত্য নারায়ণের কথা বলা হয়। নারায়ণের সঙ্গে লক্ষ্মী তো অবশ্যই থাকবেন। সত্য রামের কথা বলা হয় না। সত্য নারায়ণের কথা বলা হয়। আচ্ছা, তাতে কি হবে ? নর থেকে নারায়ণ হবে । ব্যারিস্টার দ্বারা বারিষ্টারের কথা শুনে ব্যারিস্টার হবে। এখানে তোমরা আসো ভবিষ্যতের ২১ জন্মের প্রাপ্তির জন্যে। ভবিষৎ ২১ জন্মের প্রাপ্তি তখন হয় যখন সঙ্গমযুগ হয়। তোমরা জানো আমরা এসেছি বাবার কাছে সত্যযুগী রাজধানীর অবিনাশী বর্সা নিতে। কিন্তু প্ৰথমে তো এই কথা পাকা নিশ্চয় থাকা চাই যে শিববাবা হলেন আমাদের বাবা। তিনি এই ব্রহ্মারও বাবা। সুতরাং বী. কে. দের দাদু তিনি, তাইনা ! এই বাবা (ব্রহ্মা বাবা) বলেন এই প্রপার্টি আমার নয়। দাদুর (শিববাবার) প্রপার্টি তোমরা প্রাপ্ত কর। শিববাবার কাছে জ্ঞান রত্নের ধন আছে। এক একটি রত্ন হল লক্ষ লক্ষ মূল্যের সম্পত্তি। এসব এতই মূল্যবান যে ২১ জন্মের জন্যে রাজ্য ভাগ্য কারো স্বপ্নেও থাকবে না। লক্ষ্মী-নারায়ণ ইত্যাদির পূজো তো যদিও করা হয় কিন্তু এই কথা কারো জানা নেই যে এঁরা এই পদ প্রাপ্ত করেন কিভাবে ? সত্যযুগের আয়ু লক্ষ বছর বলে দিয়েছে তাই কিছু বুঝতে পারে না। এখন তোমরা জানো তাঁদের রাজত্ব করেছে ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে। তারপরে প্রথম সম্বৎ থেকে শুরু হয়েছে এমন কাহিনী বলা হয়। লং লং এগো (বহুদিন আগে) ........ এই ভারতেই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। ভারতকে বহিস্ত, স্বর্গ বলা হয়। এইসব কারো বুদ্ধিতে নেই। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো কল্পের আয়ু-ই হল ৫ হাজার বছর। এই শাস্ত্রে যা কিছু লেখা আছে সবই ড্রামায় ফিক্সড আছে। সেসব শুনে কিছুই রেজাল্ট আসবে না। কত আড়ম্বর করে। জগৎ অম্বা হলেন একজন কিন্তু তাঁর কত রকমের মূর্তি তৈরি করে। জগৎ অম্বা হলেন সরস্বতী, ব্রহ্মার কন্যা । ৮-১০ ভূজা কখনোই হয় না। বাবা বলেন এইসব হল ভক্তিমার্গের সামগ্রী। জ্ঞানে এইসব কিছুই নেই, জ্ঞানে হল সাইলেন্সে থাকা । বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এমন অনেক কন্যারা আছে যারা কখনও দেখাও করেনি। চিঠিতে লেখে বাবা আপনি আমাদের চেনেন না কিন্তু আমি আপনাকে চিনেছি। আপনি হলেন সেই পিতা, আমরা আপনার কাছে বর্সা নেবো-ই। ঘরে বসে অনেকের সাক্ষাৎকার হয়। যদি সাক্ষাৎকার না হয় তাও লেখে। স্মরণে একদম লাভলীন হয়ে যায়, মগ্ন হয়ে যায়। বাবা হলেন সদগতি দাতা, তাঁকে কত ভালোবাসা উচিত। মা-বাবাকে বাচ্চারা জড়িয়ে ধরে, কারণ মা বাবা বাচ্চাদের সুখ দেন। কিন্তু আজকাল মা বাবা কোনো সুখ দেন না , উপরন্তু বিকার গ্রস্ত করে দেয়। বাবা বলেন - পাস্ট ইজ পাস্ট। এখন তোমরা শিক্ষা প্রাপ্ত করেছ - বাচ্চারা, কাম কাটারীর বিষয় ছেড়ে পবিত্র হও, কারণ এখন তোমাদের কৃষ্ণপুরী যেতে হবে। কৃষ্ণের রাজ্য হল সত্যযুগে। মানুষ কৃষ্ণকে দ্বাপরে দেখিয়েছে। সত্যযুগের প্রিন্স দ্বাপরে এসে গীতা শোনাবেন কিভাবে। তাঁকে তো শ্রী নারায়ণ হয়ে সত্যযুগে রাজত্ব করতে হবে।
ভগবানুবাচ - এই সময় সব মানুষ মাত্রই হল অসুরী স্বভাব যুক্ত। তাদের দৈবী স্বভাব যুক্ত করতে গীতার ভগবান আসেন। সেই পিতার নামের পরিবর্তে সন্তানের(কৃষ্ণের) নাম লিখে দিয়েছে, সেই সন্তানকে আবার দ্বাপরে নিয়ে গেছে। এও হল সবচেয়ে বড় ভুল। এতেই যাদব ও পাণ্ডবদের উপস্থিতি প্রমাণিত হয় না। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা তো ছিলে উঁচু দৈবী কুলের, তারপরেও তোমাদের এমন অবস্থা কেন হয়েছে ? এখন আবার তোমাদের দেবতায় পরিণত করি। মানুষ, মানুষকে স্বর্গের রাজা করতে পারে না। মানুষ কি স্বর্গের স্থাপনা করতে পারে নাকি ! আত্মাকে পরমাত্মা বলা কত বড় ভুল। সন্ন্যাসী তো মানুষ থেকে দেবতা করতে পারে না। এই কর্তব্য তো একমাত্র বাবার। আর্য সমাজী, আর্য সমাজী-ই তৈরি করবে। খ্রিষ্টান, খ্রিষ্টান-ই তৈরি করবে। যার কাছে তোমরা যাবে তারা তেমনই তৈরি করবে। দেবতা ধর্ম হল সত্যযুগে, তাই বাবাকে সঙ্গমে আসতে হয়। এ হল মহাভারতের যুদ্ধ, এই যুদ্ধের দ্বারাই তোমাদের বিজয় হয়। বিনাশের পরে জয় জয়কার হবে। তোমরা তো জানো যে বিনাশ-ও হবেই। আজ কেউ পদাসীন থাকলে তাকে পদচ্যুত করতে দেরি লাগে না। তাহলে কি একেই স্বর্গ বলা হবে ? এতো সম্পূর্ণ নরক। একে স্বর্গ বলা তো ভুল। মানুষ আজ কত দুঃখী। আজ কেউ জন্ম নিলে খুশী - সুখ এবং মরলে দুঃখ। এখানে তো নষ্ট মোহ হতে হবে। নাহলে বাবা কখনোই সার্ভিসে যেতে বলবেন না। বাবা বলেন আমি তো নষ্ট মোহ । কোনো কিছুতে মোহ কেন রাখব । আমি তো গৃহস্থী নই।
তোমরা বাচ্চারা জানো ঠিক সময়ে এই পুরানো দুনিয়ায় আগুন লাগবে, বিনাশ হতে দেরি লাগে না। তোমরা যখন কোথাও ভাষণ দাও তখন বোঝাও যে এসে বেহদের বাবার কাছে বর্সা নাও। হদের পিতার (দৈহিক পিতা) কাছে হদের বর্সা প্রাপ্ত হয়। তোমরা ৬৩ বার নরকে জন্ম নিয়েছ। আমি তোমাদের ২১ জন্মের অবিনাশী উত্তরাধিকার (বর্সা) দিতে এসেছি। এবারে রাবণের বিনাশী উত্তরাধিকার (বর্সা) ভালো নাকি রামের বর্সা ? যদি রাবণের বর্সা ভালো তবে রাবণ দহন কর কেন ? শিববাবাকে কখনো আগুনে পোড়ান হয় কি ? কৃষ্ণকেও পোড়ানো হয় না। এটা তো হল রাবণ সম্প্রদায়। বিকার থেকে জন্ম হয়। এটা হল বেশ্যালয়, বিষয় সাগর। ওটা হল ভাইস লেস, শিবালয়, অমৃত সাগর। ক্ষীর সাগরে বিষ্ণুকে দেখানো হয় না ! এবারে ক্ষীরের সাগর সত্যি হয় নাকি। গরু দুধ দেয়। এখন দেখো বলা হয় ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী, তারপরে নিজেকে শিবোহম্ বলে দেয় কারণ নিজেরা পবিত্র থাকে, অন্যদের এমন বলে না যে - তোমার মধ্যে ঈশ্বর আছে, তোমার মধ্যে নেই কারণ তোমরা হলে পতিত। আত্মা বলে আমি এখন পরম পিতা পরমাত্মা দ্বারা পবিত্র হচ্ছি, পরে পবিত্র হয়ে রাজত্ব করব। তোমরা বহু বার বর্সা নিয়েছ এবং হারিয়েছ। ড্রামার এই চক্র বুদ্ধিতে সেট আছে। বাবা বোঝাচ্ছেন তোমরা সবাই হলে পার্বতী, আমি শিব। এ সব কাহিনী গল্প গাথা সব এখানকার কথা, সূক্ষ্ম বতনে তো কাহিনী ইত্যাদি হয় না। অমরকথা তোমাদের শোনানো হয় অমরপুরীর মালিক হওয়ার জন্যে। ওটা হল অমর লোক, সেখানে তো সর্বদাই সুখ থাকে, মৃত্যুলোকে আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ হয়। কত ভালো করে বোঝানো হয়। যারা কল্প পূর্বে বাবার কাছে বর্সা প্রাপ্ত করেছে, তাদেরই এখন পুরুষার্থ চলছে। এই সময় যা মিশনারী চলছে, আগেও এতই চলে ছিল। যদিও বাবা বলেন তোমরা যদি মন্থর বা শিথিল সার্ভিস কর, সেক্ষেত্রে বাবা এই কথাও বলেন যে কল্প পূর্বে তোমরা যেরকম সার্ভিস করেছিলে সেরকমই কর। পুরুষার্থ তবুও করতে হবে। ছোট প্রদীপ গুলি ঝড় এলে দপদপ করবে । কান্ডারি হলেন সবারই একমাত্র বাবা । কথায়ও আছে - নৌকা আমার পার কর ..... ড্রামার এমনই ভবিতব্য আছে। সব পুরানো দুনিয়ার দিকে যাচ্ছে। এখানে আছে কম। তোমরা সংখ্যায় কত কম । যদিও পরের দিকে সংখ্যা বাড়বে তবুও রাত-দিনের তফাৎ আছে। তারা হল সম্পূর্ণ রাবণ সম্প্রদায়। বাবা নেশা চড়িয়ে দেন, তবু বাইরে গিয়ে পরিবারের আত্মীয় স্বজনদের মুখ দর্শন করলেই নেশা হালকা হয়ে যায়। এমন তো হওয়া উচিত নয়। আত্মাদের বলা হয় তোমরা বাবার সঙ্গে কথোপকথন বা চিটচাট করো - বাবা, আমরা আপনার ছিলাম, আপনি স্বর্গে পাঠিয়েছিলেন। ২১ জন্ম রাজত্ব করে তারপরে ৬৩ জন্ম দুঃখ হয়। এখন আমরা আপনার কাছে বর্সা নিয়েই নেব। বাবা, আপনি খুব ভালো। আমরা আপনাকে অর্ধকল্প ভুলে থাকি। বাবা বলেন এ হল অনাদি তৈরি করা ড্রামা। আমারও এটা ডিউটি। বাচ্চারা, আমি কল্প-কল্প এসে তোমাদের মায়ার হাত থেকে রক্ষা করে ব্রাহ্মণ বানিয়ে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বলি। *আমি তখনই আসি যখন স্বর্গ তৈরি করার প্রয়োজন হয়*। তোমরা এখন ফরিস্তা হও। পবিত্রতার সাক্ষাৎকার করানো হয় । তোমাদের নষ্ট মোহও হতে হবে। বাবাকে যদি কেউ বলে - বাবা, আমরা সার্ভিসে যেতে পারি ? তখন বাবা বলবেন - যদি তোমরা নষ্ট মোহ হও তবে তোমরা হলে মালিক, যেখানে ইচ্ছা যাও। বিভ্রান্ত কেন হও। তোমরা হলে মালিক, অন্ধদের পথ বলে দিতে হবে। নষ্টমোহ না হলেই জিজ্ঞাসা করে। নষ্ট মোহ হলে থামতে পারবে না, দৌঁড়াবে। তোমাদের লক্ষ্য হল অনেক উঁচু । বাবা সার্ভিসেবল বাচ্চাদের কাছে সমর্পিত থাকেন। প্রথম নম্বরে এই বাবা ছিলেন তাই না ! ত্যাগ তো সবাই করে কিন্তু তবুও এনার(ব্রহ্মা বাবা) নাম এক নম্বরে আছে।
বাবা বলেন দেহী-অভিমানী হও অর্থাৎ নিজেকে অশরীরী ভাবো। বেহদের বাবা তোমাদের ২১ জন্মের জন্যে বর্সা প্রদান করেন। আচ্ছা - উনি কিভাবে আসেন ? লেখাও আছে - ব্রহ্মা মুখ দ্বারা রচনা করেন তো নিশ্চয়ই ব্রহ্মার মধ্যেই আসবেন। ব্রহ্মাকেই প্রজাপিতা বলা হয় তাই বেহদের বাবার কাছে এসে বর্সা নাও। এই কথা বোঝাতে লজ্জার কোনো ব্যাপার নেই। আচ্ছা।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. ব্রহ্মা বাবার মতন ত্যাগের বিষয়ে নম্বর নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। রুদ্রের গলার হার হওয়ার জন্যে জীবিত থেকে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে।
২. সার্ভিসেবল হওয়ার জন্যে নষ্ট মোহ হতে হবে। নেত্রহীনদের পথ দেখাতে হবে।
বরদান:-
আশীর্বাদ এবং ওষুধ (দুয়া ও দাওয়া) দ্বারা দেহ ও মনের রোগ মুক্ত হয়ে সদা সন্তুষ্ট আত্মা ভব
কখনও যদি দেহটি রোগে আক্রান্ত থাকে তবুও দেহের রোগের প্রভাবে মনে যেন শান্তি ভঙ্গ (ডিস্টার্ব) না হয়। সর্বদা খুশীতে নাচতে থাকো তাহলে শরীরও সুস্থ হয়ে যাবে। মনের খুশী দিয়ে শরীরটা চালাও তাহলে দুইয়ের এক্সসারসাইজ হয়ে যাবে। খুশী হল দুয়া বা আশীর্বাদ এবং এক্সসারসাইজ হল ওষুধ। ফলে আশীর্বাদ ও ওষুধ এই দুইয়ের প্রভাবে দেহ ও মনের রোগ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। খুশীতে কষ্ট ভুলে যাবে। সর্বদা দেহ ও মনে সন্তুষ্ট থাকতে হবে তাই বেশি চিন্তা করবেনা। বেশি চিন্তা করলে সময় নষ্ট হয় এবং খুশী হারিয়ে যায়।
স্লোগান:-
বিস্তারে সার দেখার অভ্যাস করো তাহলে স্থিতি একরস থাকবে ।