২৯-১১-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞান হল মাখন আর ভক্তি হল ঘোল। বাবা তোমাদেরকে জ্ঞান রূপী মাখন দান করে বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেন। তাই কৃষ্ণের মুখে মাখন দেখানো হয়”

প্রশ্ন:-

নিশ্চয়বুদ্ধি হওয়ার লক্ষণ কি কি? নিশ্চয়তার ওপর ভিত্তি করে কি কি প্রাপ্ত হয়?

উত্তর:-

১) নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন বাচ্চারা জ্যোতিতে সমর্পিত সত্যিকারের পতঙ্গ হবে, ওরা কেবল আশেপাশে ঘুরবে না। যারা জ্যোতিতে সমর্পিত হয়ে যায়, তারাই রাজত্ব পাবে। যারা কেবল ঘোরাঘুরি করে তারা প্রজা হয়ে যায়। ২) নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন বাচ্চারাই প্রতিজ্ঞা করে যে চরম প্রতিকূল পরিস্থিততেও আমি আমার ধর্মকে ত্যাগ করব না। ওরা সত্যিকারের প্রীত বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে দেহ এবং দেহের সকল ধর্মকে ভুলে কেবল বাবাকেই স্মরণ করে।

গীত:-

ছোড় ভী দে আকাশ সিংহাসন…

ওম্ শান্তি।

ভগবান উবাচ। নিরাকার পরমপিতাকেই ভগবান বলা হয়। ভগবানুবাচ কে বলেন? নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা বলেন। নিরাকার বাবা উপবিষ্ট হয়ে নিরাকার আত্মাদেরকে বোঝাচ্ছেন। নিরাকার আত্মারা এই শরীর রূপী কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা শোনে। আত্মাকে মেল কিংবা ফিমেল বলা যাবে না, আত্মাকে আত্মা-ই বলা হয়। স্বয়ং আত্মা-ই এই শরীরের দ্বারা বলছে যে আমি এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করি। সকল মানুষ-ই একে অন্যের ভাই। নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা-র সন্তান হিসাবে সবাই আপসে ভাই-ভাই। আর প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হিসাবে আমরা সবাই ভাই-বোন। এটাই সর্বদা সবাইকে বোঝাতে থাকো। ভগবান হলেন রক্ষক। তিনি ভক্তদেরকে ভক্তির ফল দেন। বাবা বোঝাচ্ছেন, কেবল আমিই হলাম সকলের সদগতি দাতা। সকলকে শিক্ষক রূপে শ্রীমৎ দিই এবং সকলের সদগুরুও আমি। তাঁর কোনো বাবা, টিচার, কিংবা সদগুরু নেই। প্রাচীন ভারতের রাজযোগ তো কেবল এই বাবা-ই শেখান, কৃষ্ণ শেখায় না। কৃষ্ণকে বাবা বলা হয় না। তাকে দিব্যগুনধারী স্বর্গের রাজকুমার বলা হয়। পতিত-পাবন সদগতিদাতা তো একজনকেই বলা হয়। এখন তো সকলেই দুঃখী, ভ্রষ্টাচারী এবং পাপী আত্মা। এই ভারতই সত্যযুগে দিব্য এবং শ্রেষ্ঠাচারী ছিল। তারপর এটাই ভ্রষ্টাচারী আসুরিক রাজ্য হয়ে যায়। তখন সবাই বলে - হে পতিত-পাবন, তুমি এসে রামরাজ্য স্থাপন কর। সুতরাং এখন এটা হল রাবণরাজ্য। যদিও রাবণকে পোড়ানো হয়, কিন্তু কোনো বিদ্বান, আচার্য, পন্ডিত রাবণকে জানে না। সত্য থেকে ত্রেতাযুগ পর্যন্ত রামরাজ্য আর দ্বাপর থেকে কলিযুগ পর্যন্ত রাবণরাজ্য। ব্রহ্মার দিন অর্থাৎ ব্রহ্মাকুমার-কুমারীদের দিন এবং ব্রহ্মার রাত অর্থাৎ বি.কে.দের রাত। এখন রাত শেষ হয়ে দিন আসছে। বিনাশ কালে বিপরীত (প্রীতিহীন) বুদ্ধির গায়ন রয়েছে। তিন রকমের সৈন্য রয়েছে। পরমপিতাকে মোস্ট বিলাভেড গড ফাদার, ওশান অফ নলেজ ইত্যাদি বলা হয়। তাহলে তিনি অবশ্যই নলেজ দেবেন। তিনি হলেন সৃষ্টির চৈতন্য বীজ। সুপ্রিম সোল অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ ভগবান। তবে তিনি সর্বব্যাপী নন। সর্বব্যাপী বললে তো তাঁর নিন্দা করা হয়। বাবা বলছেন, গ্লানি করতে করতে ধর্মগ্লানি হয়ে গেছে এবং ভারত কাঙাল, ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে। এইরকম সময়েই আমাকে আসতে হয়। এই ভারতই হল আমার বার্থ প্লেস (জন্মভূমি)। সোমনাথের মন্দির, শিবের মন্দির সব এখানেই রয়েছে। আমি আমার জন্মভূমিটাকেই স্বর্গ বানাই। তারপর রাবণ নরক বানায়। অর্থাৎ রাবণের মত অনুসারে চলে নরকবাসী, আসুরিক সম্প্রদায় হয়ে গেছে। তারপর আমি তাদেরকে পরিবর্তন করে শ্রেষ্ঠাচারী দৈব সম্প্রদায় বানাই। এটা হল বিষয় সাগর, ওটা হল ক্ষীর সাগর। ওখানে সর্বদা ঘিয়ের নদী বইত। সত্য এবং ত্রেতাযুগে ভারত সর্বদা সুখী এবং সলভেন্ট (সম্পত্তিবান) ছিল, হীরে-মানিকের মহল ছিল। এখন তো ভারত ১০০ শতাংশ ইনসালভেন্ট (দেউলিয়া) হয়ে গেছে। আমি এসেই ১০০ শতাংশ সলভেন্ট এবং শ্রেষ্ঠাচারী বানাই। এখন তো এতটাই ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে যে নিজের দিব্য-ধর্মটাকেই ভুলে গেছে। এখন বাবা বসে থেকে বোঝাচ্ছেন যে ভক্তিমার্গ হল ঘোল আর জ্ঞানমার্গ হল মাখন। কৃষ্ণের মুখেই মাখন দেখানো হয়। অর্থাৎ সে নিশ্চয়ই বিশ্বের রাজা ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ন বিশ্বের মালিক ছিল। বাবা এসে অসীম উত্তরাধিকার দেন অর্থাৎ বিশ্বের মালিক বানান। কিন্তু নিজে মালিক হন না। যদি মালিক হই, তাহলে তো মায়ার কাছে পরাজিত হতেই হবে। মায়ার কাছে তোমরাই পরাজিত হও এবং তোমরাই আবার বিজয় লাভ করো। এই দুনিয়া ৫ বিকারের মধ্যে ফেঁসে আছে। আমি এখন তোমাদেরকে মন্দিরে থাকার যোগ্য বানাচ্ছি। *সত্যযুগ হল অনেক বড় মন্দির। ওটাকে শিবালয় বলা হয়। অর্থাৎ শিববাবার দ্বারা স্থাপিত স্থান।* কলিযুগকে বেশ্যালয় বলা হয়, এখানে সবাই বিকারী। বাবা এখন বলছেন, দেহের সকল ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা রূপে অনুভব করে আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। তোমাদের মতো বাচ্চাদের এখন বাবার সাথে প্রীতি রয়েছে। তোমরা আর অন্য কাউকে স্মরণ করো না। বিনাশকালে তোমারা প্রীত বুদ্ধি সম্পন্ন। তোমরা জানো যে পরমপিতা পরমাত্মাকেই শ্রী শ্রী ১০৮ বলা হয়। ১০৮ এর মালাও জপ করা হয়। উপরে রয়েছেন শিববাবা। তারপর মাতা-পিতা অর্থাৎ ব্রহ্মা-সরস্বতী, তারপর আরো অনেক সন্তান যারা ভারতকে পবিত্র বানায়। রুদ্রাক্ষ মালার গায়ন রয়েছে। রুদ্র যজ্ঞও বলা হয়। এটা অনেক বড় রাজস্ব অশ্বমেধ অবিনাশী যজ্ঞ। অনেক বছর ধরে চলছে। যত ধর্ম ইত্যাদি রয়েছে সব এই যজ্ঞে বিনাশ হয়ে যাবে। তবেই এই যজ্ঞ সম্পূর্ণ হবে। এটা হল অবিনাশী বাবার অবিনাশী যজ্ঞ। এতে সবকিছু স্বাহা হয়ে যাবে। অনেকে জিজ্ঞেস করে যে বিনাশ কবে হবে। আরে, যে স্থাপন করে তাকে তো আবার পালনও করতে হয়। এটা হল শিববাবার রথ। শিববাবা এই রথের সারথি। এছাড়া আর কোনো ঘোড়া গাড়ির ব্যাপার নেই। ওরা তো বসে বসে ভক্তিমার্গের বিভিন্ন জিনিস বানিয়েছে। বাবা বলেন, আমি এই প্রকৃতিকে আধার (পাত্র) করি। বাবা বোঝাচ্ছেন, প্রথমে অব্যভিচারী ভক্তি ছিল, পরে কলিযুগের অন্তিমে একেবারে ব্যভিচারী হয়ে গেছে। তারপর বাবা এসে মাখন দান করেন। কিন্তু রাবণরাজ্যে আবার ঘোল শুরু হয়ে যায়। এইগুলো সব বোঝার বিষয়। নুতন বাচ্চারা তো এইসব বিষয় বুঝবে না। পরমপিতা পরমাত্মাকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয়। বাবা বলছেন, এই ভক্তিমার্গের দ্বারা কেউই আমাকে পায় না। আমি যখন আসি, তখনই আমি ভক্তদের ভক্তির ফল দিই। আমি লিব্রেটর (মুক্তিদাতা) হয়ে সবাইকে দুঃখ থেকে মুক্ত করে শান্তিধাম এবং সুখধামে নিয়ে যাই। নিশ্চয়বুদ্ধি বিজয়ন্তী, সংশয়বুদ্ধি বিনাশন্তী। বাবা হলেন জ্যোতি। কোনো কোনো পতঙ্গ তাতে সম্পূর্ণ অর্পিত হয়ে যায়, কেউ কেউ আবার তার চারপাশে ঘোরাঘুরি করে চলে যায়। কিছুই বুঝতে পারে না। যেসব বাচ্চারা অর্পিত হয়ে যায়, তারাই বুঝতে পারে যে আমরা বরাবর বেহদের বাবার কাছ থেকে বেহদের উত্তরাধিকার পাই। যারা কেবল ঘোরাঘুরি করে চলে যায়, তারা তো ক্রমানুসারে প্রজা হবে। যারা অর্পিত হয়ে যায়, তারাই ক্রমানুসারে উত্তরাধিকার পায়। পুরুষার্থের দ্বারা-ই প্রাপ্তি হয়। কেবল বাবা-ই হলেন জ্ঞানের সাগর। এরপর এই জ্ঞান লুপ্তপ্রায় হয়ে যাবে এবং তোমাদের সদগতি হয়ে যাবে। সত্য কিংবা ত্রেতাযুগে কোনো গুরু-গোসাই থাকবে না। এখন সবাই সেই বাবাকে স্মরণ করে। কারণ তিনি হলেন ওসিয়ান অফ নলেজ। তিনি সকলের সদগতি করেন। তারপর হাহাকার বন্ধ হয়ে জয়জয়কার হয়ে যাবে। তোমরা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। তাই তোমরা এখন ত্রিনেত্রী, ত্রিকালদর্শী হয়েছ। তোমরা এখন রচনা এবং রচয়িতার সমস্ত জ্ঞান শুনছ। এইগুলো কোনো সংশয়পূর্ণ কথা নয়। গীতা আসলে ভগবানের গাওয়া। কিন্তু এতে কৃষ্ণের নাম দিয়ে খন্ডন করে দিয়েছে। বাচ্চারা, তোমাদেরকে এখন সকলের কল্যাণ করতে হবে। তোমরা হলে শিবশক্তি সেনা। বন্দে মাতরম গান করা হয়। বন্দনা তো কেবল পবিত্র আত্মার করা হয়। কন্যা পবিত্র হওয়ায় সবাই তার বন্দনা করে। কিন্তু শশুর ঘরে গিয়ে যখন বিকারী হয়ে যায় তখন সে সকলের কাছে মাথা ঠেকায়। সবকিছু পবিত্রতার ওপরেই নির্ভরশীল। ভারতে পবিত্র গৃহস্থ ধর্ম ছিল। এখন অপবিত্র গৃহস্থ ধর্ম রয়েছে। কেবল দুঃখ আর দুঃখ। সত্যযুগে এইরকম হয় না। বাবা বাচ্চাদের জন্য হাতে করে স্বর্গ নিয়ে এসেছেন। ঘর-গৃহস্থে থেকেও বাবার কাছ থেকে জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার নিতে পারো। বাড়ি ঘর ত্যাগ করার কোনো ব্যাপার নেই। সন্ন্যাসীদের নিবৃত্তিমার্গ একেবারে আলাদা। এখন বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হবে - বাবা, আমি পবিত্র হয়ে অবশ্যই পবিত্র দুনিয়ার মালিক হব। এরপর চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ধর্ম ত্যাগ করা যাবে না। ৫ বিকারকে দান করলেই মায়ার গ্রহণ কেটে যাবে এবং ১৬ কলা সম্পূর্ণ হবে। সত্যযুগে তো সবাই ১৬ কলা সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নির্বিকারী…। এখন শ্রীমৎ অনুসারে চলে পুনরায় সেইরকম হতে হবে। ভগবান হলেন গরিব নওয়াজ (দীননাথ)। ধনী ব্যক্তি এই জ্ঞান বুঝতে পারবে না। কারন ওরা মনে করে যে আমার তো অনেক সম্পত্ত্বি রয়েছে, আমি তো স্বর্গেই রয়েছি। তাই যারা অবলা, অবোধ তারাই এই জ্ঞানটা নেয়। ভারত এখন গরিব। এদের মধ্যেও যারা গরিব এবং সাধারণ, তাদেরকেই বাবা আপন সন্তান বানান। ওদের ভাগ্যেই রয়েছে। সুদামার উদাহরণ কথিত আছে। ধনী ব্যক্তিদের তো বোঝার মতো সময়ই নেই। ড. রাজেন্দ্র প্রসাদের (ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি) কাছে কন্যারা গিয়ে বলত যে বেহদের বাবাকে জানলে আপনি হিরেতুল্য হয়ে যাবেন, আপনি ৭ দিনের কোর্স করুন। তিনি বলতেন, এটা তো খুবই ভালো কথা, কিন্তু রিটায়ার হওয়ার পরে করব। আর রিটায়ার হওয়ার পরে বলতেন, আমার শরীর খারাপ। বড় বড় ব্যক্তিদের সময়ই থাকে না। আগে ৭ দিনের কোর্স করলে তবেই নারায়ণী নেশা আসবে। এমনি এমনি তো হবে না। ৭ দিনের পরেই বোঝা যায় যে এই ব্যক্তি যোগ্য কি না। যদি যোগ্য হয়, তাহলে পুরুষার্থ করে পড়াশুনা করতে লেগে যাবে। যতক্ষণ না এই ভাট্টিতে পাকাপাকি ভাবে রঙ লাগছে, ততক্ষণ বাইরে গেলেই রঙটা একেবারে মিলিয়ে যায়। তাই পাকাপাকি ভাবে রঙ লাগাতে হবে। আচ্ছা!



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি রুহানী বাচ্চাদের প্রতি রুহানী বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. শিবশক্তি হয়ে বিশ্বের কল্যাণ করতে হবে। পবিত্রতার ভিত্তিতে কড়িতুল্য মানুষদেরকে হিরেতুল্য বানাতে হবে।

২. শ্রীমৎ অনুসারে বিকারকে দান করে নির্বিকারী, ১৬ কলা সম্পূর্ণ হতে হবে। জ্যোতির ওপরে অর্পিত পতঙ্গ হতে হবে।

বরদান:-

সর্বদা নিজেকে সারথি এবং সাক্ষী মনে করে দেহভান থেকে মুক্ত, যোগযুক্ত হও

যোগযুক্ত থাকার সবথেকে সহজ পদ্ধতি হল নিজেকে সাক্ষী এবং সারথি মনে করা। আমি আত্মা হলাম সারথি যে এই রথকে চালায়। এই স্মৃতি স্বাভাবিক ভাবেই এই রথ বা দেহ থেকে কিংবা যেকোনো প্রকারের দেহভান থেকে পৃথক অর্থাৎ সাক্ষী বানিয়ে দেয়। দেহভান না থাকলে সহজেই যোগযুক্ত হয়ে যায় এবং তখন সকল কর্মই যুক্তিযুক্ত হয়। নিজেকে সারথি মনে করলে সকল কর্মেন্দ্রিয় নিজের অধীনে থাকে। সে কখনোই কোনো কর্মেন্দ্রিয়ের বশীভূত হয় না।

স্লোগান:-

বিজয়ী আত্মা হওয়ার জন্য অ্যাটেন্শন এবং অভ্যাসকে নিজ সংস্কার বানিয়ে নাও।