১৪-১২-১৮ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা - নিজের পদবী (সারনেম) সর্বদা স্মরণে রেখো, তোমরা হলে গডলী চিল্ড্রেন(ঈশ্বরীয় সন্তান), তোমাদের হল ঈশ্বরীয় কুল, তোমরা হলে দেবতাদের থেকেও উচ্চ, তোমাদের ম্যানার্স অতি অভিজাত(রয়্যাল) হওয়া উচিৎ"
প্রশ্ন:-
বাবা বাচ্চাদের নিজের সমান প্রেমের সাগর বানিয়েছেন, তার নিদর্শন কি ?
উত্তর:-
তোমরা বাচ্চারা বাবার সমান প্রেমময় হয়েছো তাই তো তোমাদের স্মরণ-চিহ্ন রূপের চিত্রকে সবাই ভালবাসে। প্রেমময় দৃষ্টিতে দেখতে থাকে। লক্ষ্মী-নারায়ণ হল সদা হর্ষিতমুখী, রমণীয়। এখন তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের জ্ঞান-যোগের দ্বারা অতি মধুর(মিঠা) তৈরী করছেন। তোমাদের মুখ দ্বারা যেন সদা জ্ঞান-রত্নই নির্গত হয়।
গীত:-
তুমি প্রেমের সাগর, আর আমরা তার একটি ফোঁটাই পেতে পিয়াসী...
ওম্ শান্তি |
এ কার মহিমা গাওয়া হয় যে তুমি প্রেমের সাগর। এই মহিমা কোনো মানুষের উদ্দেশ্যে করা হয় না। বলাও হয় যে, তুমি প্রেম, শান্তি ও পবিত্রতার সাগর। এখন তোমরা পবিত্র হয়েছো। এমন অনেকে আছে যারা বিবাহ করে না, অনেকে আছে যারা সন্ন্যাস না নিয়েও পবিত্র থাকে। গায়নও রয়েছে যে - গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও জনকের মতো জ্ঞান। এর হিস্ট্রিও আছে। তারা বলে যে আমাদের কেউ ব্রহ্মজ্ঞান শোনাও। বাস্তবে বলা উচিৎ ব্রহ্মা-জ্ঞান। পরমপিতা পরমাত্মা এসে ব্রহ্মার দ্বারা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীদের জ্ঞান দেন।
তোমরা জানো যে, এই সময় আমাদের পদবী হলো ব্রহ্মাকুমার-কুমারী, আমরা হলাম গডলী চিল্ড্রেন( ঈশ্বরীয় সন্তান)। এমন তো সবাই বলে যে আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান। তাহলে অবশ্যই ভাই-ভাই হবে, তখন আবার নিজেদের পিতা বলতে পারবে না। ফাদারহুড নয় তখন তাকে ব্রাদারহুড বলা হয়। এক তো তোমরা নিজেদের ব্রহ্মাকুমার-কুমারী বলো, দ্বিতীয়তঃ, তোমরা যাঁদের কুমার-কুমারী তাঁদেরকে মাম্মা-বাবা বলো। বাচ্চারা জানে, আমরা হলাম শিববাবার পৌত্র-পৌত্রী ব্রহ্মাকুমার-কুমারী। ভারতেই অনেক শাস্ত্র, বেদ, পুরাণ ইত্যাদি তো সবাই পড়ে। কিন্তু সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি হলো শ্রীমদ্ ভাগবত গীতা। গীতার দ্বারাই সত্যযুগ স্থাপিত হয়। গীতার জ্ঞান দিয়েছেন জ্ঞান সাগর পরমাত্মা। এই সমস্ত জ্ঞান নদীরা জ্ঞান-সাগর থেকেই বেরোয়। গঙ্গার জল থেকে থোড়াই জ্ঞান পাওয়া যায় যে পবিত্র হবে। সদ্গতি অর্থাৎ পবিত্র হওয়া। এ তো হলোই তমোপ্রধাণ পতিত দুনিয়া। যদি পবিত্র হয়ে যায় তখন কোথায় থাকবে! ফিরে তো যেতে পারবে না। নিয়ম নেই। সবাই-কে পুনর্জন্ম নিয়ে তমোপ্রধাণ হতেই হবে। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। তোমরা প্রাক্টিক্যাল-রূপে (প্রত্যক্ষ ভাবে) একথা শুনছো। এই জ্ঞান কেউ কপি(নকল) করতে পারবে না। যদিও এমনও অনেকে আছে যারা বলে যে আমরাও ওই জ্ঞান দিই। কিন্তু না। এখানে যারা জ্ঞান পায় তাদেরকে ব্রহ্মাকুমার-কুমারী বলা হয় আর কোনো এমন সংস্থা নেই যেখানে ব্রহ্মাকুমার-কুমারী বলা হয়। যদি এরকম পোশাকও(ড্রেস) পরে কিন্তু বলবে কিভাবে যে আমরা হলাম ব্রহ্মার সন্তান। এঁনাকে আমি নাম দিয়েছি ব্রহ্মা। এঁনাকেই বসে বোঝাই। তোমাদেরও বলি যে, তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা নিজেদের জন্ম-কে জানো না, আমি জানি। এখন এই সঙ্গমযুগেই পা(শূদ্র) আর শিখা বা টিকি(ব্রাহ্মণ) একত্রিত রয়েছে, এদের দ্বারাই পুরোনো দুনিয়া পরিবর্তিত হয়ে নতুন হয়। সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ........ সৃষ্টি বৃদ্ধি পেতেই থাকে। এখন অন্তিম সময়, দুনিয়াকে পরিবর্তিত হয়ে নতুন হতে হবে। বাবা এসে ত্রিকালদর্শী বানান। তিনি হলেন প্রেমের সাগর, তাই অবশ্যই এমন(বাবার মতো) প্রেমময় বানাবেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের প্রতি দ্যাখো কত আকর্ষণ রয়েছে।যত লক্ষ্মী-নারায়ণের রমণীয়, হর্ষিতমুখী চিত্র দেখবে ততটা রাম-সীতার দেখবে না। লক্ষ্মী-নারায়ণকে দেখলেই খুশি এসে যায়। রাধা-কৃষ্ণের মন্দিরে গেলে এতো খুশি অনুভূত হয় না। লক্ষ্মী-নারায়ণের তো রাজ্য-ভাগ্য রয়েছে। এখন একথা তো দুনিয়া জানে না। তোমরা জানো যে বাবা আমাদের অতি মিষ্ট করে তৈরী করছেন। লক্ষ্মী-নারায়ণকে জ্ঞানের সাগর বলা যাবে না। তাঁরা এই জ্ঞান-যোগের দ্বারা এরকম হয়েছেন। এখন তোমরাও হচ্ছো। মানুষ তো চায় যে দুনিয়া এক হয়ে যাক, এক রাজ্য হোক। স্মরণও করায় যে কখনো তো এক রাজ্য অবশ্যই ছিল। কিন্তু এরকম নয় যে সকলে মিলে এক হয়ে যাবে। না, ওখানে তো অনেক কম সংখ্যক মানুষ ছিল। তোমরাই বোঝো যে আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান। তারা বলে যে ঈশ্বর হাজিরা হুজুর(সর্বত্র)। কিন্তু আত্মার উদ্দেশ্যে বলা হয় যে, আত্মা সর্বত্রই বিরাজ করছে। আত্মা সর্বব্যাপী, সবার মধ্যেই আত্মা রয়েছে। কিন্তু এমন নয় যে সবার মধ্যেই পরমাত্মা রয়েছে। তাহলে প্রতিজ্ঞা করার কি প্রয়োজন? যদি আমাদের মধ্যেও পরমাত্মা থাকে তাহলে কার প্রতিজ্ঞা করা হয়? আমরা যদি ভুল কর্ম করি তবে পরমাত্মা সাজা দেবে। যদি পরমাত্মা সকলের মধ্যেই থাকে তবে প্রতিজ্ঞা ইত্যাদির কোনো কথাই হয় না। এখন তোমরা সাকার শরীরে রয়েছো, যেমন আত্মাকে এই(স্থূল) নয়ন দ্বারা দেখা যায় না তাহলে পরমাত্মাকে কেমন করে দেখবে? শুধু অনুভব করে যে আমাদের মধ্যে আত্মা রয়েছে। বলে যে, তারা পরমাত্মার সাক্ষাৎকার করতে চায় কিন্তু যখন আত্মাকেই দেখতে পারে না তখন পরমাত্মাকে কিভাবে দেখবে? আত্মাই পুণ্যাত্মা, পাপাত্মা হয়। এই সময় রয়েছে পাপাত্মারা। তোমরা অনেক পুণ্য করেছিলে, বাবার কাছে তন-মন-ধন সমর্পণ করেছিলে। এখন আবার পাপাত্মা থেকে পুণ্যাত্মা হতে যাচ্ছো। শিববাবার কাছে তন-মন-ধন বলি(অর্পণ) দাও। ইনিও(ব্রহ্মা) অর্পণ করেছেন, তাই না। শরীরকেও সত্যিকারের সেবায় অর্পণ করেছেন। মাতাদের কাছে অর্পণ করে তাদের ট্রাস্টী বানিয়ে দিয়েছেন। মাতাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মাতারাই এসে শরণ নিয়েছে তাই তাদের যত্ন কিভাবে হবে? মাতাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। বাবা বলেন, বন্দে মাতরম্। হাজির-নাজিরের রহস্যও বোঝান। আত্মারা ডাকতে থাকে, ও! গড ফাদার। কোন্ পিতাকে ডাকে? একথা বোঝে না। তোমরাই লক্ষ্মী-নারায়ণ হও। মানুষ কত ভালোবাসে। হার হোলীনেস এবং হিজ হোলীনেস ওঁনাদের উদ্দেশ্যেই বলা হয়ে থাকে। এখন তোমরা বলবে যে আমরা হলাম ঈশ্বরীয় কুলের, প্রথমে আসুরী কুলের ছিলাম। ব্রাহ্মণদের পদবীই হলো ঈশ্বরীয় সন্তান। বাপু গান্ধীও চেয়েছিলেন যে রামরাজ্য হোক। নতুন ভারতে নতুন রাজ্য হোক। ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি গভর্নমেন্ট হোক যা কিনা একমাত্র বেহদের পিতাই বানাতে পারেন। বাবা বলেন যে, আমি হলাম ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি(বিশ্বের সর্বশক্তিমান শাসক)। আমি হলাম উচ্চ থেকেও উচ্চতম নিরাকার। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর হলো আমারই রচনা। ভারত শিবালয়, সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিল, এখন সম্পূর্ণ বিকারী। তারা এও জানে না যে সম্পূর্ণ নির্বিকারী এখানে অর্থাৎ স্বর্গে হয়। তারা চায় যে ওয়ান ওয়ার্ল্ড(এক বিশ্ব) হোক, ওয়ান অলমাইটি অথরিটির রাজ্য হোক। তাই তো পরমাত্মা, ওয়ান ওয়ার্ল্ড অলমাইটি(সর্বশক্তিমান) অথরিটি দৈবী(ডিটি), লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য স্থাপন করছেন, এছাড়া আর সকলেই বিনাশের সন্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এতোটাই নেশা থাকা উচিৎ। এখান থেকে ঘরে ফিরেই মুর্ছিত( অজ্ঞান) হয়ে যায়। সঞ্জীবনী বুটির কাহিনীও আছে, তাই না। কিন্তু এ হলো জ্ঞানের বুটি, মন্মনাভব-র। দেহ-অভিমান আসার কারণে মায়ার থাপ্পড় লাগে। দেহী-অভিমানী হলে থাপ্পড় খেতে হবে না। আমরা শিববাবার আশীর্ব্বাদ(বর্সা) প্রাপ্ত করি। ব্রহ্মারও এটি অন্তিম জন্ম, তিনিও আশীর্ব্বাদ নিচ্ছেন। ডিটি ওয়ার্ল্ড সভরেন্টি ইজ ইয়োর গড্ ফাদারলী বার্থ রাইট(দৈবী দুনিয়ার সার্বভৌম ক্ষমতা হলো তোমাদের গড ফাদারের থেকে পাওয়া জন্মসিদ্ধ অধিকার)। তোমাদের বাচ্চাদের মধ্যে দিব্যতার ম্যানার্স থাকা উচিৎ। তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে দেবতাদের থেকেও উচ্চ। তোমাদের বাণী অতি মধুর হওয়া উচিৎ। ভাষণ ইত্যাদিতেও বলতে হয়, এছাড়া ব্যর্থ কথায় যাওয়া উচিৎ নয়। মুখ দ্বারা যেন সর্বদা রত্ন নির্গত হয়। এই(স্থূল) নয়ন থাকা সত্ত্বেও তোমরা এর দ্বারা শুধু স্বর্গ আর মুলবতন-কেই দেখো। আত্মা জ্ঞান-নেত্র প্রাপ্ত করেছে। আত্মা অরগ্যান্স (ইন্দ্রিয়) দ্বারা পড়ে। তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়েছো, যেমন আক্কেল দাঁত বেরোয়। বাবা বর্সা ব্রাহ্মণদের দেবে, শূদ্রদের থোড়াই দেবে। তৃতীয় নেত্র আত্মাই পায়। জ্ঞান-নেত্র ছাড়া আত্মা ঠিক-ভুল বুঝতে পারে না। রাবণ সদা ভুল পথেই চালিত করবে, বাবা সঠিক পথে চালনা করেন । সর্বদাই পরস্পরের থেকে গুণ গ্রহণ করা উচিৎ। গুণের পরিবর্তে অবগুণ গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
দেখো, ডা. নির্মলা আসে, তার স্বভাব অত্যন্ত মিষ্টি। শান্তচিত্ত, কিভাবে কম কথা বলা যায়, তা তার থেকে শেখা উচিৎ। অত্যন্ত সচেতন ও মিষ্টি বাচ্চা। শান্ত হয়ে বসে থাকারও আভিজাত্য (রয়্যালিটি) চাই। এমনও নয় যে কিছু সময় স্মরণ করলে আর বাকী সারাদিনে ভুলে রইলে।এটাও অভ্যাস করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করলে শক্তিশালী হওয়া যায়। আর বাবাও খুশি হন। এরকম অবস্থাপ্রাপ্ত আত্মা যাকেই দেখবে, তাকেই অতি শীঘ্র অশরীরী বানিয়ে দেবে। যখন অশরীরী হয়ে যায় তখন শান্তও হয়ে যায়। শুধু শান্তিতে বসে থাকাই কোনো সুখ নয়, সেটা হলো অল্পকালের সুখ। শান্ত হয়ে বসে থাকলে কর্ম করবে কিভাবে ? যোগের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। সত্যিকারের সুখ-শান্তি তো এখানে হতে পারে না। এখানকার সবকিছুই অল্পকালের। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ ও সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার।
*রাত্রি ক্লাস 9-4-68(৯-৪-৬৮*)
আজকাল অধিক মাত্রায় এইরকম কনফারেন্সই করা হয় যে বিশ্বে শান্তি কিভাবে স্থাপিত হবে ! তাদেরকে বলা উচিৎ যে দেখো এক ধর্ম, এক রাজ্য, অদ্বৈত ধর্ম ছিল। দ্বিতীয় কোনো ধর্মই ছিল না যে তালি(কলহ) বাজবে। ছিলই রাম-রাজ্য, তখনই বিশ্বে শান্তি ছিল। তোমরা চাও যে বিশ্বে শান্তি হোক। সেটাতো সত্যযুগে ছিল। পরে অনেক ধর্ম হয়ে যাওয়ায় অশান্তি শুরু হয়। কিন্তু যতক্ষণ না পর্য্যন্ত কেউ তা বোঝে ততক্ষণ মাথা কুটতেই থাকে। তোমরা যত এগিয়ে যাবে, সবাই তা সংবাদপত্রের মাধ্যমে পড়বে, তখন এই সন্ন্যাসী ইত্যাদিদেরও কান খুলবে। তোমাদের বাচ্চাদেরও এই নিশ্চয় রয়েছে যে আমাদেরই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। এই নেশা রয়েছে। মিউজিয়ামের জাঁকজমক দেখে অনেকে আসবে। ভিতরে প্রবেশ করে আশ্চর্য(ওয়ান্ডার) হয়ে যাবে। নতুন নতুন চিত্রের দ্বারা নতুন নতুন বর্ননা শুনবে।
একথা তো বাচ্চারা জানে - যোগ হলো মুক্তি-জীবনমুক্তির জন্য। সেতো কোনো মানুষই শেখাতে পারবে না। একথাও লিখতে হবে যে পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া আর কেউই মুক্তি-জীবনমুক্তির যোগ শেখাতে পারে না। সকলের সদ্গতি দাতা হলেন একজনই।একথা পরিষ্কার(ক্লীয়ার) করে লিখে দেওয়া উচিৎ, যাতে মানুষ পড়ে। সন্ন্যাসীরা কি শেখায়। যোগ-যোগ যে বলা হয়, বাস্তবে সেই যোগ তো কেউই শেখাতে পারে না। মহিমা হলোই সেই একজনের। বিশ্বে শান্তি স্থাপন করা বা মুক্তি-জীবনমুক্তি দেওয়া একমাত্র বাবার-ই কাজ। এমন- এমনভাবে বিচার সাগর মন্থন করে পয়েন্টস্ বোঝাতে হবে। এমনভাবে লিখতে হবে যে, মানুষের যেন একথা যুক্তি-যুক্ত মনে হয়। এই দুনিয়াকে তো বদলাতেই হবে। এ হলো মৃত্যুলোক। নতুন দুনিয়াকে বলা হয় অমরলোক। অমরলোকে মানুষ কিভাবে অমর থাকে এও আশ্চর্যের, তাই না। ওখানে আয়ু-ও বেশী হয় আর সময় এলে নিজের থেকেই শরীর ত্যাগ করে, ঠিক যেমন বস্ত্র পরিবর্তন করা হয়। এ সবকিছুই বোঝাবার মতো বিষয়। *আচ্ছা*!
মিষ্টি মিষ্টি রুহানী বাচ্চাদের প্রতি বাপ ও দাদার স্নেহ-স্মরণ, শুভ রাত্রি আর নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১. নিজের স্বভাব অতি মিষ্টি, শান্তচিত্ত বানাতে হবে। অনেক কম এবং আভিজাত্যের (রয়্যালিটি) সঙ্গে কথা বলতে হবে।
২. তন-মন-ধন দ্বারা ব্রহ্মা বাবার মতো ট্রাস্টী হয়ে থাকতে হবে।
বরদান:-
নিজের আদি অনাদি স্বরূপের স্মৃতি দ্বারা সর্ববন্ধনকে সমাপ্ত করা বন্ধনমুক্ত স্বতন্ত্র ভব |
আত্মার আদি অনাদি স্বরূপ হলো, সে স্বতন্ত্র ও মালিক। আত্মা তো পরে পরাধীন হয়েছে, তাই নিজের আদি আর অনাদি স্বরূপকে স্মৃতিতে রেখে বন্ধনমুক্ত হও। মনেরও যেন কোনো বন্ধন না থাকে। যদি মনের কোনো বন্ধন থাকে তবে সেই বন্ধন আরও অনেক বন্ধন নিয়ে আসবে। বন্ধনমুক্ত অর্থাৎ রাজা, স্বরাজ্য অধিকারী। এমন বন্ধনমুক্ত স্বতন্ত্র আত্মারাই পাস উইথ অনার হবে অর্থাৎ ফার্স্ট ডিভিশনে আসবে।
স্লোগান:-
মাস্টার দুঃখ-হর্তা(হরণকারী)হয়ে দুঃখকে রুহানী সুখে পরিবর্তন করাই হল সত্যিকারের সেবা |