১২-১০-১৮ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- এখন ঘোর অন্ধকার, ভয়ানক রাত শেষ হয়ে আসছে, তোমাদের দিনের দিকে চলতে হবে । এ হলো ব্রহ্মার বেহদের দিন আর রাতের কাহিনী"

প্রশ্ন:-

সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করার বা হীরেতুল্য জীবন বানাবার আধার কি ?

উত্তর:-

প্রকৃত গীতা, যা শ্রীমৎ ভগবানুবাচ, বাবা তোমাদের সামনে বসে যে ডাইরেকশন দিচ্ছেন সেটাই হলো প্রকৃত গীতা, যা শুনে তোমাদের সেকেন্ডে জীবনমুক্তি পদ প্রাপ্ত হয়। তোমরা হীরেতুল্য হয়ে ওঠো । ঐ গীতা(ভক্তি মার্গের )দ্বারা তো ভারত কড়িহীন হয়ে গেছে কেননা বাবাকে ভুলে গিয়ে গীতাকে খন্ডন করে দিয়েছে* ।

গীত:-

রাতের পথিক হয়ো না ক্লান্ত

ওম্ শান্তি ।

এই গান তোমরা বাচ্চারা তৈরি করনি । এ তৈরি করেছে চিত্র নির্মাতারা । অর্থ তো কিছুই বোঝেনি । প্রতিটি কথার যথার্থ অর্থ না জানার কারণে অনর্থ হয়ে যায় । গায় অথচ কিছুই বোঝেনা । এখন তোমরা বাচ্চারা শ্রীমৎ পেয়েছ । কার ? ভগবানের । ভগবানকেই ভক্তরা জানেনা তবে তাদের সদ্গতি হবে কি করে । ভক্তের রক্ষক ভগবান, ভগবানের কাছে রক্ষা প্রার্থনা করে, নিশ্চয়ই কোনও দুঃখ আছে । বলে আমাদের রক্ষা কর। অনেক ভাবে ডাকে কিন্তু ভগবান কে, কি থেকে রক্ষা করে, কিছুই জানেনা । ভক্ত অথবা বাচ্চারা ভগবানকে না জানার কারণে কত দুঃখ ভোগ করে থাকে । এখন এর অর্থ তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পেরেছ ।এখন গহন অন্ধকারের ভয়ানক রাত । অর্দ্ধকল্প ধরে চলে রাত । কোনও বিদ্বান, আচার্য, পন্ডিত কেউই জানেনা রাত কাকে বলে । সে তো জানোয়ারও জানে রাত হলো ঘুমানোর সময়, আর দিন হলো জেগে ওঠার । পাখিরাও রাতে ঘুমিয়ে পড়ে, ভোর হতেই উড়তে শুরু করে। ঐ দিন-রাত স্বাভাবিক । এ হলো ব্রহ্মার বেহদের রাত আর বেহদের দিন । বেহদের দিন সত্যযুগ - ত্রেতা, আর রাত হল দ্বাপর - কলিযুগ । অর্দ্ধেক -অর্দ্ধেক চাই না ! দিনের আয়ুও ২৫০০ বছরের । এই দিন-রাতের কথা কেউ জানেনা । এখন তোমরা বাচ্চারা জান যে রাত শেষ হয়ে আসছে । অর্থাত্ ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে অথবা ড্রামার চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে , এরপর দিন শুরু হবে । রাতকে দিন আর দিনকে রাত বানায় কে, এটাও কেউ জানেনা । ভগবানকেই জানেনা তো এসব জানবে কি করে । মানুষ পূজা করে কিন্তু জানেনা এরা কারা, যাদের আমরা পূজা করি । বাবা বসে বোঝান -- মূল বিষয়ই হলো গীতাকে খন্ডন করা । বলা হয় শ্রীমৎ ভগবত্ গীতা । গীতার স্বামী হলেন ভগবান, কোনও মানুষ নয় । ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে দেবতা বলা হয় আর সত্যযুগের মানুষদের দৈবী গুণ সম্পন্ন বলা হয় । দৈবী ধর্মের শ্রেষ্ঠাচারীদেরকে দেবতা বলা হয় । ভারতের মানুষ শ্রেষ্ঠাচারী ছিল, তারাই আবার আসুরি গুণ সম্পন্ন হয়ে পড়েছে । প্রধান ধর্ম শাস্ত্র ৪ টে আর কোনও ধর্মশাস্ত্র নেই, আর থাকলেও খুব ছোট ছোট মঠ স্থাপন করেছে । যেমন সন্ন্যাসীদের মঠ, বৌদ্ধ মঠ । বুদ্ধদেব বৌদ্ধ ধর্মের স্থাপনা করেছিলেন, তারা বলবে অমুক ধর্ম শাস্ত্র আমাদের । এখন ভারতবাসীদের ধর্মশাস্ত্র একটাই । সত্যযুগের দেবী -দেবতা ধর্মের শাস্ত্র একটাই যাকে শ্রীমৎ ভগবত্ গীতা বলা হয় । গীতা হলো মা, তার রচয়িতা হলেন পরমপিতা পরমাত্মা । কৃষ্ণের আত্মা যখন 84 জন্ম সম্পূর্ণ করে তখনই আবার গীতার ভগবান, জ্ঞান সাগর পরমপিতা পরমাত্মার কাছ থেকে সহজ রাজযোগ শিখে আর জ্ঞান ধারণ করে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে । এমনই উচ্চ থেকে উচ্চতর ধর্মশাস্ত্রকে ওরা খন্ডন করে দিয়েছে । যার জন্যই ভারত কড়িতুল্য হয়ে গেছে । ড্রামার এই একটা ভুল গীতাকে মিথ্যে করে দিয়েছে । বাবা যে সত্য গীতা শোনাচ্ছেন সেটাই প্রকাশ হওয়া উচিত । প্রকৃত (সত্য ) গীতা গভর্নমেন্টের ছাপানো উচিত । এ হল শ্রীমৎ ভগবানউবাচঃ । বাচ্চাদের প্রতি বাবার ডাইরেকশন দেন -- ভালো করে সংক্ষেপে গীতা ব্যাখ্যা করা উচিত । তোমরা জান প্রকৃত গীতা দ্বারাই সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্তি হয় । বাবার হয়ে বাবার থেকে অবিনাশী বর্সা গ্রহণ করতে হবে । বীজ, বৃক্ষ(ঝাড় ) আর ড্রামার চক্রকে বোঝাতে হবে । গায়নও আছে সত্যযুগ ইত্যাদি হল সত্য, এটাই সত্য এবং এটাই সত্য থাকবে । ঝাড়কে জানাও সহজ । এর বীজ থাকে উপরে । এই ঝাড় বিভিন্ন ধর্মের । এর মধ্যে সব ধর্ম এসে পড়ে। বাকি ছোট ছোট শাখা-প্রশাখাও অজস্র আছে, মঠ, পন্থও আছে । ভারতের হল আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম, এই ধর্ম কে স্থাপন করেছেন ? স্বয়ং ভগবান । কোনও মানুষ স্থাপন করেনি । শ্রীকৃষ্ণ দৈবী গুণ সম্পন্ন মানুষ ছিলেন, যিনি ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করে এখন অন্তিম জন্মে । সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী, বৈশ্যবংশী হতে হতে কলা কমতে থাকে । সূর্যবংশী রাজধানী যা সত্যযুগে শ্রেষ্ঠাচারী ছিল এখন ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে । এখন আবার শ্রেষ্ঠাচারী হতে যাচ্ছে । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে উচ্চ থেকে উচ্চতর পার্ট কার হবে ? এখন তোমরা জেনে গেছ প্রধান হলো শিবায় নমঃ । ওঁনার যা মহিমা তা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের জন্য গাওয়া হয় না । প্রেসিডেনটের মহিমা প্রাইম মিনিস্টার বা অন্য কাউকে কি দেওয়া যাবে ? না । ভিন্ন -ভিন্ন টাইটেল আছে না ! সব-ই তো এক হতে পারেনা । বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে এখন ধারণা হয়েছে । তোমরা জান ক্রাইস্টও নিজের ধর্ম স্থাপনের পার্ট পেয়েছিল । আত্মা হলো বিন্দু স্বরূপ । তার মধ্যেই পার্ট নিহিত আছে । ক্রিশ্চান ধর্মের স্থাপনা করে তারপর পুনর্জন্ম নিয়ে পালন করতে করতে সতো-রজো -তমোর মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয় । একদম শেষে গিয়ে সৃষ্টিরূপী ঝাড়কে জড়জড়ীভূত অবস্থায় পরিণত হতেই হয় । প্রত্যেকেই কত দীর্ঘ সময় ধরে পার্ট পেয়েছে । বুদ্ধকে কতবার জন্ম নিয়ে তাকে পালন(সেই ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে) করতে হয়েছে তাও তোমরা জেনেছ । ভিন্ন ভিন্ন নাম রূপে তাঁকে জন্ম নিতে থাকে ।



এখন বাবা তোমাদের কত বিশাল বুদ্ধিমান বানান। কিন্তু কেউ কেউ তো শিববাবাকে স্মরণও করতে পারে না । বেহদের বাবা এসে বেহদের স্বর্গের বর্সা দেন, এটাও তোমরা বোঝাতে পার না । বাবা অনেকবার বুঝিয়েছেন, আত্মার মধ্যে অবিনাশী পার্ট ফিক্সড হয়ে আছে। এক শরীর ছেড়ে আবার নতুন শরীর ধারণ করতে হবে । এর গভীরে গিয়ে একে বুঝতে হবে । যারা স্কুলে রোজ পড়বে তারাই বুঝবে । কেউ তো চলতে -চলতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে । গানও গেয়ে থাকে তুমি মাতা-পিতা আমি বালক তোমার •••• । বাবা বলেন আমি তোমাদের স্বর্গের অনন্ত সুখ ভোগ করার জন্যই পুরুষার্থ করাচ্ছি । তোমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ো না । এত উচ্চ থেকে উচ্চ পড়া তোমরা কিনা ছেড়ে দাও ! কেউ তো পড়া ছেড়ে দিয়ে আবার বিকারে চলে যায় । যেমনটি ছিল আবারও তাই হয় । চলতে -চলতে অধঃপতিত হলে আর কি হবে । যদিও ওখানে সুখে থাকবে কিন্তু পদ প্রাপ্তিতে প্রভেদ হবে না ! এখানে তো সবাই দুঃখী, ওখানে রাজা প্রজা সবাই সুখে থাকে । তবুও পদ তো উঁচু-ই নেওয়া উচিত, না ! পড়া ছেড়ে দিলে মাতা-পিতা বলবে তুমি তো এর উপযুক্তই নও । বাবার কাছ থেকে স্বর্গের বর্সা নিতে নিতে কোনও বাচ্চা ক্লান্ত হয়ে পড়ে ।চলতে চলতে মায়া এসে আক্রমণ করলে ফিরে চলে যায় । যেটুকু সঞ্চয় করেছিল তাও হারিয়ে ফেলে । কি হতে পারবে ? স্বর্গে যদিওবা যাবে কিন্তু একদম সাধারণ প্রজা রূপে । বাবা বলেন আমার হয়েও যদি ক্লান্ত হয়ে বসে পড় বা ট্রেটর (বিশ্বাসভঙ্গের কাজ কর) হয়ে যাও, তবে প্রজার মধ্যেই চন্ডাল রূপে জন্ম নেবে। সবই প্রয়োজন, না ! স্বর্গের মালিক হতে হতে যদি কেউ পড়া ছেড়ে দেয় তবে তার মতো মহান মুর্খ দুনিয়াতে আর কেউ নেই । বাচ্চারা লেখে তুমি মাতা-পিতা আমি বালক তোমার । তোমারই কৃপায় স্বর্গের অনন্ত সুখ ভোগ করি । আমার প্রতি কৃপা কর । বাবা বলেন কৃপা করার কোনও ব্যাপার নেই । আমি শিক্ষক তোমাদের পড়াচ্ছি । পুরুষার্থ তোমাদেরই করতে হবে। ভালো মার্কস নিয়ে পাশ করতে হবে । আমি কি থোড়াই সবাইকে আশীর্বাদ করব বসে বসে ! তোমরা যোগযুক্ত হয়ে থাকো, অধিক শক্তি পেতে থাকবে। থোড়াই সিংহাসনে সবাই বসতে পারবে । একজন কি আরেক জনের মাথার উপর চড়ে বসবে ? প্রধান ধর্ম হলো ৪ টি, শাস্ত্রও ৪ টি । তার মধ্যে প্রধান হলো গীতা। বাকি সব গীতার সন্তানাদি । বর্সা তো মাতা-পিতার থেকেই প্রাপ্তি হয় । এখন বাবা সামনে বসে বোঝাচ্ছেন । শুধু গীতা পড়লে থোড়াই রাজার রাজা হতে পারবে । বাবাও ( ব্রহ্মা ) গীতা পড়েছিলেন । কিন্তু গীতা পড়ে কিছুই হয়না। এসবই ভক্তি মার্গের শাস্ত্র । তোমাদের পুরুষার্থ করে ১৬ কলা সম্পন্ন হতে হবে । এখন তো তোমাদের মধ্যে কোনও কলা নেই, কোনও গুণ নেই । তোমরা গেয়েও থাক আমি নির্গুণ আমার মধ্যে কোনও গুণ নেই । নিজেকে নিজেই দোষারোপ কর••••• তারপর বল আমাদের আবার ১৬ কলা সম্পন্ন বানাও । আমরা যা ছিলাম তাই বানাও । এখন তোমরা জান বাবা সামনে এসে বোঝাচ্ছেন। ওরা তো নির্গুণ নামে একটি সংস্থাও বানিয়ে ফেলেছে । নির্গুণ নিরাকারের অর্থও জানেনা । শিবের তো আকার আছে । যার নাম আছে তার অস্তিত্বও অবশ্যই আছে না ! আত্মা এত সূক্ষ্ম অথচ তারও নাম আছে । ব্রহ্ম মহাতত্ত্ব যেখানে আত্মারা বাস করে, সেটাও তো নাম না ! নাম - রূপ হীন কিছুই হতে পারেনা । ভগবানকে বলে নাম -রূপ থেকে পৃথক, বলেই তারপর তাঁকে সর্বব্যাপী বলে দেয় । এটা বলা কত বড় ভুল । মানুষ এসব বুঝবে তবেই তো নিশ্চয় (faith, বিশ্বাস, আস্থা) হবে । বলবে বাবা আমরা তোমাকে জেনেছি কল্প -কল্প ধরে তোমার কাছ থেকে রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্তি করছি, যখন এমন নিশ্চয় হবে, তখনই ঈশ্বরীয় পাঠ পড়বে । এখান থেকে বাইরে বেড়িয়েই সব ভুলে যায় আর তাই সবার প্রথমেই লিখিয়ে নেওয়া উচিত - সত্যই, শিববাবা এসেছেন - রাজযোগ শেখাতে । কেউ আছে লিখে দেবার পরেও পড়েনা । ব্লাড দিয়েও কেউ লেখে কিন্তু আজ তারা নেই । মায়া কত প্রবল । বাবা বসে কত বোঝান, তোমাদের বিহঙ্গ মার্গের সার্ভিস তখনই হবে যখন তোমরা এই এই রকম ভাবে পত্র লিখবে । তোমাদের শক্তি সেনাতেও নম্বর অনুসারে আছে । কেউ চিফ কমান্ডার, কেউ ক্যাপ্টেন, কেউ বা মেজর । সিপাহীদের সাথে তাদের বোঝা বহনকারীও কেউ কেউ আছে । সবাই সেনা । বাবা তো পুরুষার্থ করাবেনই তাই না! প্রত্যেকেই পুরুষার্থ করতে করতে বুঝতে পারে -- রাজা - রানী হবে, না বিত্তবান প্রজায় যাবে, নাকি কোনও সাধারণ প্রজায় যাবে, না দাস-দাসী হবে। এটা বুঝতে পারা খুবই সহজ ব্যাপার । সুতরাং প্রথমে প্রধান জিনিসটাকেই নেওয়া উচিত । বাবা মহারথী দের উদ্দেশ্যে কত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। সুতরাং বিহঙ্গ মার্গের সেবার জন্য চিন্তন চলা উচিত । আচ্ছা ।



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহপূর্ণ স্মরণ ভালবাসা এবং গুডমর্নিং । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. ঈশ্বরীয় পড়ায় ক্লান্ত হওয়া উচিত নয় । উচ্চ থেকে উচ্চতা হল এই পাঠ, এই পাঠ রোজ পড়তে হবে আর অন্যদেরও পড়াতে হবে।

২. বিহঙ্গ মার্গের সেবার জন্য যুক্তি খুঁজতে হবে । যোগে থেকে বাবার থেকে শক্তি নিতে হবে । কৃপা বা আশীর্বাদ প্রার্থনা নয় ।

বরদান:-

ব্রাহ্মণ জীবনে খুশীর বরদানকে সর্বদা স্থায়ী রাখতে সমর্থ মহান আত্মা ভব

ব্রাহ্মণ জীবনে খুশীই হল জন্মসিদ্ধ অধিকার, সবসময় খুশীতে থাকাই হল মহানতা । যে এই খুশীর বরদানকে ধরে রাখতে পারে সে-ই মহান। সুতরাং কখনোই খুশী হারানো উচিত নয় । সমস্যা তো আসবেই আবার চলেও যাবে কিন্তু খুশী যেন না যায় । কেননা সমস্যা হল পর-স্থিতি, অপর প্রান্ত থেকে আসে । সে যেমন আসবে আবার চলেও যাবে । খুশী হল নিজস্ব জিনিস, তাকে সবসময় নিজের কাছে রাখতে হয় । সেইজন্য শরীরও যদি যায় যাক কিন্তু খুশী যেন না যায় । খুশী বা আনন্দের সাথে শরীর ত্যাগ হলে তো আরো ভালো, আরও সুন্দর নতুন শরীর লাভ হবে ।

স্লোগান:-

বাপদাদার আন্তরিক অভিনন্দন নিতে হলে অনেক কিছুই দেখেও না দেখে অক্লান্ত সেবায় উপস্থিত থাকো |