15-12-2018 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


 "মিষ্টি বাচ্চারা -- নিজের রয়্যাল চলন দ্বারা সেবা করতে হবে, শ্রীমৎ অনুসারে বুদ্ধিকে রিফাইন করতে হবে, মাতাদের সম্মান রাখতে হবে"

প্রশ্ন:-

কোন্ কর্তব্যটি হল একমাত্র বাবার, কোনো মানুষের নয় ?

উত্তর:-

সম্পূর্ণ বিশ্বে শান্তি স্থাপন করা, এই কর্তব্য হল বাবার। মানুষ যতই কনফারেন্স ইত্যাদি করুক শান্তি হতে পারে না। শান্তির সাগর বাবা যখন বাচ্চাদেরকে পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করান তখন শান্তি স্থাপন হয়। পবিত্র দুনিয়ায় শান্তি আছে। তোমরা বাচ্চারা এই কথা খুব যুক্তি দিয়ে এবং খুব আড়ম্বর করে বোঝাও তবে বাবার নাম মহিমান্বিত হবে ।

গীত:-

আমি একটি ছোট্ট শিশু, আর তুমি হল বলবান, হে প্রভু, আমার মান রাখো ...

ওম্ শান্তি ।

এই গীত ভক্তি মার্গে গায়ন হয়েছে কারণ একদিকে আছে ভক্তির প্রভাব অন্য দিকে আছে এখন জ্ঞানের প্রভাব। ভক্তি ও জ্ঞানে রাত-দিনের তফাৎ আছে। কোন্ তফাৎ ? এতো খুব সহজ। ভক্তি হল রাত, জ্ঞান হল দিন। ভক্তিতে আছে দুঃখ, যখন ভক্ত দুঃখী হয় তখন ভগবানকে আহবান করে। তখন ভগবানকে আসতে হয় দুঃখীদের দুঃখ দূর করতে। তারপরে বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হয় - ড্রামাতে কি কিছু ভুল আছে ? বাবা বলেন - হ্যাঁ, খুব বড় ভুল আছে, তোমরা যে আমায় ভুলে যাও। কে ভুলিয়ে দেয় ? মায়া রাবণ। বাবা বসে বোঝান - বাচ্চারা, এই খেলাটি তৈরি। স্বর্গ ও নরক হয়-ই ভারতে। ভারতেই কারো মৃত্যু হলে বলা হয় বৈকুন্ঠবাসী হয়েছে। এই কথা তো জানেনা যে স্বর্গ অথবা বৈকুণ্ঠ কখন হয় ? যখন স্বর্গ হয় তখন মানুষ পুনর্জন্ম স্বর্গেই নেবে। এখন তো হল নরক তাই পুনর্জন্ম অবশ্যই নরকে হবে, যতক্ষন স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে। মানুষ এই কথা জানেনা। এক হল ঈশ্বরীয় অথবা রাম সম্প্রদায়, দ্বিতীয় হল রাবণ সম্প্রদায়। সত্যযুগ - ত্রেতায় আছে রাম সম্প্রদায়, তাদের কোনো দুঃখ থাকেনা। অশোক বাটীকায় থাকে। তার অর্ধকল্প পরে রাবণ রাজ্য আরম্ভ হয়। এখন বাবা পুনরায় আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করছেন। সেই ধর্মটি হল সবচেয়ে সর্বোত্তম ধর্ম। সবই তো হল ধর্ম তাই না ! ধর্ম গুলির কনফারেন্স হয়। ভারতে অনেক ধর্মের লোক আসে, কনফারেন্স করে। এখন যে ভারতবাসী ধর্মে বিশ্বাস করে না, তারা কনফারেন্স কি করবে ? বাস্তবে ভারতের প্রাচীন ধর্ম তো হলই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। হিন্দু ধর্ম তো নেই। সবচেয়ে উঁচু হল দেবী-দেবতা ধর্ম। এখন নিয়ম বলে সবচেয়ে উঁচু ধর্মের মানুষকে সিংহাসনে বসানো উচিত। সবথেকে প্ৰথমে কাকে বসানো হবে ? এই বিষয়েও তাদের কখনও ঝগড়া লেগে যায়। যেমন একবার কুম্ভ মেলায় ঝগড়া লেগেছিল। একজন বলে আমাদের শোভা যাত্রা আগে যাবে, আরেকজন বলে আমাদের। লড়াই লেগেছিল। তাই এখন এই কনফারেন্সে বাচ্চাদের এই কথা বোঝাতে হবে যে উঁচু থেকে উঁচু ধর্ম হল কোন্ টি ? তারা তো জানেনা। বাবা বলেন আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। যে ধর্মটি এখন প্রায় লুপ্ত হয়েছে এবং নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দিয়েছে। এবারে চীনের বাসিন্দা নিজের ধর্ম চীন তো বলবেনা, তারা তো যাকে বিখ্যাত দেখে তাকেই মুখ্য পদে বসিয়ে দেয়। নিয়ম অনুযায়ী কনফারেন্সে অনেকে আসতে পারে না। শুধুমাত্র ধর্মের হেড দের নিমন্ত্রণ পত্র দেওয়া হয়। অনেকের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তাদের পরামর্শ দাতা তো কেউ নেই। তোমরা হলে উঁচু থেকে উঁচু দেবী-দেবতা ধর্মের মানুষ। এখন দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছ। তোমরাই বলতে পারো ভারতের যে মুখ্য ধর্ম আছে, যে ধর্মটি হল সব ধর্মের মাতা-পিতা তাদের হেড কে এই কনফারেন্সে মুখ্য করা উচিত। সিংহাসনে তাকে বসানো উচিত। বাকিরা তো সবাই হল তার নীচে। সুতরাং মুখ্য বাচ্চাদের বুদ্ধি চলা উচিত।

ভগবান অর্জুনকে বসে বুঝিয়ে ছিলেন। ইনি হলেন সঞ্জয়। তাতে রথবান হলেন বাবা, তারা ভাবে রূপ পরিণত করে কৃষ্ণের দেহে এসে জ্ঞান প্রদান করেছেন। কিন্তু এমন তো হয়না। এখন প্রজাপিতাও আছেন, ত্রিমুর্তির উপরে খুব ভালো রীতি বোঝানো যেতে পারে। ত্রিমুর্তির উপরে শিববাবার চিত্র অবশ্যই থাকা উচিত। তিনি হলেন সূক্ষ্ম বতনের রচনা। বাচ্চারা বুঝতে পারে বিষ্ণু হলেন পালনকর্তা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন স্থাপন কর্তা। তাই ওনারও চিত্র চাই। এইসব হল খুবই বুদ্ধি দিয়ে বোঝার বিষয় । বুদ্ধিতে থাকে প্রজাপিতা ব্রহ্মা নিশ্চয়ই আছেন। বিষ্ণুও তো চাই। যাঁর দ্বারা স্থাপনা করানো হবে তাঁর দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণও করানো হবে। স্থাপনা করানো হয় ব্রহ্মা দ্বারা। ব্রহ্মার সঙ্গে সরস্বতী ইত্যাদি অনেক সন্তান আছে। বাস্তবে ইনি ও পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছেন। সুতরাং কনফারেন্স ইত্যাদিতে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের হেড জগদম্বা হওয়া উচিত কারণ মাতাদের অনেক সম্মান আছে। জগৎ অম্বার বিশাল মেলা হয়। তিনি হলেন জগৎ পিতার কন্যা সন্তান। এখন আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। গীতা এপিসোড রিপিট হচ্ছে। এই হল সেই মহাভারত লড়াই সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বাবাও বলেন আমি কল্প-কল্প, কল্পের সঙ্গম যুগে আসি, ভ্রষ্টাচারী দুনিয়াকে শ্রেষ্ঠাচারী করতে। জগৎ অম্বা গডেজ অফ নলেজ রূপে গায়ন আছে। ওনার সঙ্গে জ্ঞান গঙ্গাও আছে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করা যায় যে তাঁরা এই নলেজ কোথা থেকে পেয়েছে ! নলেজফুল গড ফাদার তো হলেন একজনই, তিনি নলেজ কিভাবে দেবেন ? নিশ্চয়ই দেহ ধারণ করতে হবে। তাই ব্রহ্মা মুখ কমল দ্বারা জ্ঞান প্রদান করেন। এইসব কথা মাতারা বসে বোঝাবেন। কনফারেন্সে সবার এই কথা জানা দরকার যে কোন্ ধর্ম টি বড় ? এই কথা তো কেউ বুঝতে পারেনা যে আমরা হলাম আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের মানুষ। বাবা বলেন এই ধর্মটি যখন প্রায় লুপ্ত হয়ে যায় তখন আমি এসে পুনরায় স্থাপনা করি। এখন দেবতা ধর্ম নেই। বাকি অন্য তিনটি ধর্মের বৃদ্ধি হচ্ছে। সুতরাং তাহলে নিশ্চয়ই দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপন করতে হয়। তখন এইসব ধর্ম থাকবে না। বাবা আসেনই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করতে। তোমরা বাচ্চিরা বলতে পারো শান্তি কিভাবে স্থাপনা হতে পারে ? শান্তির সাগর তো আছেন পরমপিতা পরমাত্মা। সুতরাং শান্তি নিশ্চয়ই তিনি-ই স্থাপন করবেন। জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর হলেন তিনি। গায়নও আছে পতিত-পাবন আসুন, এসে ভারতকে পবিত্র রামরাজ্যে পরিণত করুন। শান্তিপূর্ণ তো তিনি-ই করবেন। এইটি হল বাবার-ই কর্তব্য। তোমরা ওঁনার মতে চলে শ্রেষ্ঠ পদ প্রাপ্ত কর। বাবা বলেন যারা আমার আপন হবে, রাজ যোগ শিখবে এবং পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করবে যে বাবা আমরা পবিত্র হয়ে ২১ জন্মের বর্সা প্রাপ্ত করব আমরাই মালিক হব, পতিত থেকে পবিত্র হব। পবিত্র হলেন লক্ষ্মী-নারায়ণ সর্বোচ্চ। এখন আবার পবিত্র দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে। তোমরা শান্তির জন্যে কনফারেন্স করছ কিন্তু মানুষ কি শান্তি স্থাপনা করতে পারবে। এইটি তো হল শান্তির সাগর বাবার কাজ। কনফারেন্সে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আসে, অনেক মেম্বার তৈরি হয় তখন তাদের পরামর্শ দিতে হয়। ফাদার শো'জ সান। শিববাবার নাতি ব্রহ্মার সন্তান হল গডেজ অফ নলেজ। তাদেরকে গড নলেজ দিয়েছে । মানুষ তো শাস্ত্রের নলেজ পড়ে। এমন প্রদর্শনী আয়োজন করে বোঝাও তাহলে মজা হবে। যুক্তি অবশ্যই রচনা করতে হবে। একদিকে তাদের কনফারেন্স হবে, অন্য দিকে তোমাদের খুব সাজসজ্জা সহ কনফারেন্স হবে। চিত্র তো ক্লিয়ার আছে, যার ফলে চট করে বুঝতে পারবে। দুই এরই অক্যুপেশান আলাদা । এমন তো নয় যে সবই এক। না। সব ধর্মের আলাদা পার্ট আছে। শান্তির জন্যে একত্রে কাজ করে, বলে রিলিজন ইজ মাইট (ধর্ম-ই শক্তি)। কিন্তু সবথেকে বেশি শক্তিশালী কে ? তিনিই এসে প্রথম নম্বরের দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন। এই কথা তোমরা বাচ্চারাই জানো। দিন-প্রতিদিন বাচ্চারা তোমাদের পয়েন্টস প্রাপ্ত হতে থাকে। বোঝাবার শক্তিও আছে। যোগীর শক্তি বেশি হবে। বাবা বলেন জ্ঞানী আত্মা-ই আমার প্রিয়। এমন নয় যোগী আত্মা প্রিয় নয়। যে জ্ঞানী হবে সে যোগীও অবশ্যই হবে। পরম পিতা পরমাত্মার সঙ্গে যোগ যুক্ত হয়। যোগ ব্যতীত ধারণা হবেনা। যাদের যোগ নেই তাদের ধারণাও নেই কারণ দেহ-অভিমান অনেক আছে। বাবা তো বোঝান - অসুরী বুদ্ধিকে দৈবী বুদ্ধি করতে হবে। পাথর বুদ্ধিকে পারস বুদ্ধি করেন পিতা, ঈশ্বর। রাবণ এসে পাথর বুদ্ধি করে। তার নামই হল অসুরী সম্প্রদায়। দেবতাদের কাছে গিয়ে বলে আমাদের কোনো গুণ নেই, আমরা কামুক স্বভাবের, আমরা ছল কপট করি। তোমরা মাতারা ভালো করে বোঝাতে পারো। মুরলি চালানোর সাহস চাই। বড় বড় সভায় এমন কথা বলতে হবে। মাম্মা হলেন গডেজ অফ নলেজ। ব্রহ্মাকেও গড অফ নলেজ বলা হয় না। সরস্বতীর নামই গায়ন আছে। যে নাম যার সেটাই রাখা হয়। মাতাদের নাম উজ্জ্বল করতে হবে। অনেক গোপ দেহ অভিমানে থাকে। তারা ভাবে আমরা ব্রহ্মাকুমার-রা কি গড অফ নলেজ নই ! আরে, স্বয়ং ব্রহ্মা নিজেকে গড অফ নলেজ বলেন না। মাতাদের সম্মান রাখতে হয়। এই মাতা-রাই জীবন পাল্টে দেবে। মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত করবে। মাতারাও, কন্যারাও। অধর কুমারীদের রহস্য তো কেউ বুঝতে পারেনা। যদিও বিবাহিত তবু ব্রহ্মাকুমারী। এই হল খুব ওয়ান্ডার ফুল কথা। যাদেরকে বাবার কাছে বর্সা নিতে হবে তারা বুঝতে পারে। বাকি যাদের ভাগ্যে নেই তারা বোঝেনা, অবশ্যই নম্বর অনুযায়ী পদ মর্যাদা অনুসারে আছে। সেখানেও কেউ দাস-দাসী হবে, কেউ প্রজা হবে। প্রজাও তো চাই। মনুষ্য সৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে তো প্রজাও বৃদ্ধি হতে থাকবে। অতএব এমন এমন কনফারেন্স যে হয় তার জন্যে যারা নিজেদের মুখ্য ভাবে তাদের তৈরি থাকা উচিত। যাদের জ্ঞান নেই তারা তো হল শিশু। এত বুদ্ধি নেই। যদিও দেখতে বড় হয় কিন্তু বুদ্ধি নেই, তারা হল ছোট। কারো বুদ্ধি খুব ভালো হয়। সমস্ত কিছু নির্ভর করছে বুদ্ধির উপরে। ছোটরাও তীক্ষ্ণ হয়। চলন দ্বারা-ও শো হয় তাইনা। বাচ্চাদের চলন খুব রয়্যাল হওয়া উচিত। কোনো আন-রয়্যাল কাজ করা উচিত করা নয়। নাম যারা খারাপ করে তারা উঁচু পদের অধিকারী হয় না। শিববাবার নাম খারাপ করলে বাবার অধিকার আছে বোঝানোর। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ স্মরণ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।

রাত্রি ক্লাস

এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ যে আমরা হলাম জীব আত্মা আমরা পরম পিতা পরমাত্মার সামনে বসে আছি। একেই মঙ্গল মিলন বলা হয়। গায়ন আছে কিনা - 'মঙ্গলম্ ভগবান্ বিষ্ণু'। এখন মঙ্গল আছে কিনা, মিলনের। ভগবান বর্সা দেন বিষ্ণু কুলের, তাই তাঁকেই 'মঙ্গলম্ ভগবান্ বিষ্ণু' বলা হয়। যখন বাবা জীব আত্মাদের সঙ্গে মিলিত হন, সেই মিলন হল খুবই সুন্দর। তোমরাও বুঝতে পারো এখন আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছি, ঈশ্বরের কাছে নিজের আশীর্বাদী বর্সা প্রাপ্তির জন্যে। বাচ্চারা জানে ঈশ্বরের বর্সা-র পরে দৈবী বর্সা প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ স্বর্গে পুনর্জন্ম হয়। তাই বাচ্চারা তোমাদের খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। তোমাদের মতন ভাগ্যশালী বা সৌভাগ্যশালী তো আর কেউ নেই। দুনিয়ায় ব্রাহ্মণ কুল ব্যতীত ভাগ্যশালী আর কেউ হতে পারেনা। বিষ্ণু কুল হল দ্বিতীয় নম্বরে। সেটা তো হল দৈবী কোল। এখন হল ঈশ্বরীয় কোল। এইটি তো সর্বোচ্চ হল তাই না ! দিলবাডা মন্দির হল ঈশ্বরীয় কোলের মন্দির। যেমন অম্বা দেবীর মন্দির আছে, সেই মন্দিরটি সঙ্গম যুগের সাক্ষাৎকার ততখানি করায় না, এই দিলওয়ারা মন্দিরটি সঙ্গমযুগের সাক্ষাৎকার করায়। বাচ্চাদের যত বুদ্ধি আছে তত বুদ্ধি আর কোনো মানুষ মাত্রের হতে পারেনা। তোমরা ব্রাহ্মণ তোমাদের যত বুদ্ধি আছে , তত বুদ্ধি তো দেবতাদেরও নেই। তোমরা হলে সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণ। তারা সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণদের মহিমা করে। বলে ব্রাহ্মণ-ই দেবতা। এমন ব্রাহ্মণদের নমঃ। ব্রাহ্মণ-রাই নরককে স্বর্গে পরিণত করার সেবা করে, এমন বাচ্চাদের (ব্রাহ্মণদের) নমস্কার করি। আচ্ছা ! গুডনাইট।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১) বাবার প্রিয় হতে জ্ঞানী ও যোগী হতে হবে। দেহ অভিমানে আসবে না।

২) মুরলি সেবা করার সাহস রাখতে হবে। নিজের আচার আচরণ দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষ করাতে হবে। খুব মিষ্টি করে কথা বলতে হবে।
 

বরদান:-

মন ও বচনের শক্তিকে যথার্থ এবং সমর্থ রূপে কাজে লাগাতে পারা তীব্র পুরুষার্থী ভব।

ব্যাখা: তীব্র পুরুষার্থী অর্থাৎ ফার্স্ট ডিভিশনে আসে যে বাচ্চারা, তারা সঙ্কল্প শক্তি এবং বাণী-র শক্তিকে যথার্থ ও সমর্থ রূপে কাজে লাগায়। তারা এই বিষয়ে ঢিলে হয় না। তাদের এই স্লোগান সদা স্মরণে থাকে যে "কথা কম বলো, ধীরে বলো এবং মধুর বলো" । তাদের প্রতিটি বক্তব্য হয় যোগ যুক্ত, যুক্তি যুক্ত। তারা আবশ্যক কথা-ই বলে, ব্যর্থ কথা, বিস্তারিত কথা বলে নিজের এনার্জি নষ্ট করে না। তারা সর্বদা একান্তপ্রিয় হয়।

স্লোগান:-

সম্পূর্ণ নষ্ট মোহ হল তারা, যারা আমার-ভাবের অধিকারও ত্যাগ করে দেয় ।