০১-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা হলে সবাইকে জীবনমুক্তির মন্ত্র দাতা সদগুরুর সন্তান গুরু, তোমরা ঈশ্বরের সম্বন্ধে কখনও মিথ্যা বলতে পারো না"
প্রশ্ন:-
সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করার বিধি ও তার গায়ন কি ?
উত্তর:-
সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করার জন্যে প্রবৃত্তি অর্থাৎ গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের মতন পবিত্র হও। শুধু এই শেষ জন্মে পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করো তাহলে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হবে। এই বিষয়েই রাজা জনকের দৃষ্টান্ত গায়ন আছে যে গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে এক সেকেন্ডের প্রতিজ্ঞার আধারে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করেন ।
গীত:-
এই সময় চলে যাচ্ছে ....।
ওমশান্তি।
বাবা আসেন সবাইকে সেকেন্ডে জীবনমুক্তি দিতে। গায়নও আছে সবার সদগতি দাতা, জীবনমুক্তি দাতা হলেন এক। এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি কেন বলা হয় ? যেমন রাজা জনকের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়। তার নাম ছিল জনক কিন্তু ভবিষ্যতে সে-ই অনুজনক হয়। জনকের উদ্দেশ্যে বলা হয় তার এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্তি হয়েছিল , কিন্তু জীবনমুক্তি তো সত্যযুগ-ত্রেতায় বলা হবে। গুরু রা কানে মন্ত্র দেন , তাকে বশীকরণ মন্ত্রও বলা হয়। তারা তো সবাই মন্ত্র দেয় কিন্তু তোমরা প্রাপ্ত কর মহামন্ত্র , জীবনমুক্তির মন্ত্র। এই মন্ত্র কে দেয় ? ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারী রা। তারা এই মন্ত্র কোথা থেকে প্রাপ্ত করে ? সেই সদগুরুর কাছে। সর্বোত্তম তো হলেন একমাত্র পিতা। তারপরে তোমরা বাচ্চারা সর্বোত্তম হও। তাদের মধ্যে সর্বোত্তম হন গুরু। তোমরাও হলে সদগুরুর সন্তান গুরু। গীতাপাঠী দেরও গুরু বলা হয়। নম্বর অনুসারে তো আছেই। তোমরাও হলে সত্যবাদী গুরু। তোমরা কখনও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলোনা। প্ৰথমে তো তোমরা পবিত্রতা নিয়ে বোঝাও যে বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করো আমরা কখনও বিকারগ্রস্ত হব না । মিথ্যা কথা না বলা ইত্যাদি তো সাধারণ কথা। মিথ্যা কথা তো অনেকেই বলে। কিন্তু এখানে সেই কথা নেই। এখানে আছে পবিত্রতার কথা। গৃহস্থে থেকে এই শেষ জন্মে আমরা বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করি যে আমরা পদ্ম ফুলের মতন পবিত্র থাকব। সুতরাং এখানে রয়েছে পবিত্র থাকার কথা। তারা বলবে এতো খুবই উঁচু মানের লক্ষ্য। এতো হতে পারেনা। তোমরা বলবে বাঃ , কেন হতে পারেনা। এইটি তো গায়ন আছে পদ্ম ফুলের মতন ..... এই দৃষ্টান্ত শাস্ত্রে লেখা আছে। নিশ্চয়ই বাবা এমন শিক্ষা দিয়েছেন । আছেও ভগবানুবাচ বা ব্রাহ্মণউবাচ। ভগবান সবাইকে বলে দেননা। ব্রাহ্মণ বাচ্চারাই শুধু শোনে। এই কথা তোমাদেরই সবাইকে বোঝাতে হবে। মুখ্য কথা হল পবিত্রতার। পদ্ম ফুলের মতন পবিত্র হতে হবে , জনকের মতন। সে-ই জনক পরে অনুজনক হয়। যেমন রাধে অনুরাধে হয়। কারো নাম নারায়ণ হলে ভবিষ্যতে অনু নারায়ণ হয়। এই হল অ্যাকুরেট কথা। অতএব যে আসবে তাকেই বোঝাতে হবে। শুনেছ তো সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। গৃহস্থে থেকে উঁচু পদ প্রাপ্ত করা যেতে পারে। আমরা অনুভবের আধারে বলছি , গল্প বলিনা। ভগবানুবাচ - মুখ্য কথা বোঝাতে হবে - ভগবান হলেন সবার পিতা। নিশ্চয়ই জীবনমুক্তি দাতাও হলেন উনি। এই হল প্রবৃত্তি মার্গ। সন্ন্যাসীদের হলই নিবৃত্তি মার্গ। সন্ন্যাসীগণ কখনও রাজ যোগের শিক্ষা প্রদান করতে পারেননা। তারা সংসার ত্যাগ করে চলে যান। তারা এই জ্ঞান দিতে পারেননা, এই হল রাজ যোগ। গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের মতন পবিত্র থাকতে হবে। সত্যযুগে ভারত পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ ছিল, ভাইসলেস অর্থাৎ পাপ হীন দুনিয়া ছিল। রাজত্বে স্ত্রী-পুরুষ দুই-ই চাই। সুতরাং বোঝাতে হয় - আমরা হলাম অনুভবী। গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের মতন পবিত্র থাকা যায়। আমরা জানি যে পবিত্র হয়ে বাবার দ্বারা পবিত্র দুনিয়ার মালিক হই। পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ ছিল, এখন তো আছে অপবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ । এই দুনিয়া-ই হল ভ্রষ্টাচারী। সেইটি ছিল শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া। রাবণ ভ্রষ্টাচারী করে, রাম করে শ্রেষ্ঠাচারী। অর্ধকল্প রাবণ রাজ্য চলে। ভ্রষ্টাচারী দুনিয়ায় হয় ভক্তিমার্গ। দান-পুণ্য ইত্যাদি করতে থাকে কারণ ভ্রষ্টাচার আছে। মানুষ ভাবে যত ভক্তি, দান-পুণ্য করা হবে তাহলে ভগবান প্রাপ্ত হবে। ভগবানের ভক্তি করে। তারা বলে এসে আমাদের শ্রেষ্ঠ করুন। ভারত শ্রেষ্ঠাচারী ছিল , এখন আর নেই।
ভ্রষ্টাচারী-রা শ্রেষ্ঠাচারী হয়। ভারতের নতুন রচনার কাহিনী কেউ জানেই না। চিত্র দ্বারা ভালোভাবে বোঝানো যেতে পারে। এমন এমন চিত্র তৈরি করতে হবে। প্রত্যেকটি সেন্টারে প্রদর্শনীর জন্যে চিত্র থাকা উচিত। বাবা ডাইরেক্সন দেন যদি কেউ লিখে দেয় যে আমাদের কাছে চিত্র নেই , তো বাবা ডাইরেক্সন দেবেন এইরূপ তৈরি করে সবাইকে পাঠাও তাহলে সবার কাছে প্রদর্শনীর জন্যে চিত্র থাকবে। এই চিত্র গুলি খুবই অর্থ পূর্ণ। সর্ব প্ৰথমে এই কথা বুদ্ধিতে আসা চাই যে আমরা হলাম বাবার সন্তান। ভগবান হলেন স্বর্গের রচয়িতা। নরকের রচয়িতা হল রাবণ। গোলকের উপরে ১০ টি মাথা যুক্ত রাবণের চিত্র বানিয়ে আঁকো। স্বর্গের গোলকের ওপরে চতুর্ভূজ। লিখতেও পারো - এই হল রামরাজ্য, এই টি রাবণ রাজ্য। এইসময় সর্বব্যাপী হল রাবণ। সেখানে হবে রাম সর্বব্যাপী তাতো আমরা বলতে পারিনা। গায়নও আছে - আত্মা-পরমাত্মা আলাদা রয়েছে বহুকাল তারপরে সুন্দর মেলা সৃষ্টি হয়েছে যখন এসেছেন সদগুরু স্বরূপ দালাল। অর্থাৎ তিনি তো অবশ্যই আসবেন তাইনা। এই হিসাবের কথা কেউ জানেনা। সবচেয়ে প্ৰথমে আলাদা হয়েছে দেবী-দেবতাদের আত্মারা। এইটি হল নলেজ, কাউকেও বোঝানো যেতে পারে। আত্মাদের পিতা তো আছেন তাইনা। এখন হে আত্মারা, নিজের পরমপিতা পরমাত্মার অকূপেশান কি, বলো ? জানো কি ? এমন সন্তান তো হয়না যে পিতার অকূপেশান কি , তা জানেনা। বাবা বসে বোঝান তোমরা নিজের জন্ম কাহিনী জানো না , আমি তোমাদের বলি। সর্বপ্রথমে যারা দেবী-দেবতা হন তারা এত জন্ম গ্রহণ করেন। তাহলে হিসেব করো - অন্য ধর্মের আত্মারা কত জন্ম নেয় ? প্রমাণ করে বলতে হয় - ম্যাক্সিমাম এত হয়। মনুষ্য ঝাড় বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে প্ৰথমে দেবী-দেবতা ছিলেন। তাঁদেরই ৮৪ জন্ম বলা হয়। ভারতের নলেজ কিনা। প্রাচীন ভারতের নলেজ কে প্রদান করেছে ? কৃষ্ণকে কেউ মানবে না। এই নলেজ ভগবান-ই দিয়েছেন। নলেজফুল হলেন গড ফাদার কিনা। ব্রহ্মাকেও নলেজফুল বলা যাবেনা, কৃষ্ণকেও নয়। কৃষ্ণের মহিমা-ই আলাদা। বুঝবার জন্যে এইটি হল খুব ক্লিয়ার নলেজ। ভগবান তো সবার এক নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা। তিনি হলেন রচয়িতা। কৃষ্ণ হলেন রচনা। উঁচু থেকে উঁচু তো হলেন একমাত্র ভগবান তাইনা। সর্বব্যাপী ওঁনাকে বলা যাবেনা। ভারতে আছে সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট তারপরে ক্রমানুসারে অনেকে। সবার অকূপেশান বলা হয়। এমন তো নয় , সবাই এক। প্রত্যেকটি আত্মার অবিনাশী পার্ট রয়েছে - এই কথাটি প্রমাণ করতে হবে। নিজেরদের মধ্যে পরামর্শ করে সার্ভিসের প্ল্যান তৈরি করতে হবে। কিন্তু যাদের লাইন ক্লিয়ার থাকবেনা , কোনোরকম বিকার যুক্ত থাকবে বা কারো নাম-রূপে ফেঁসে থাকবে তো এই কাজ হবেনা। এতে লাইন খুব ক্লিয়ার থাকা চাই। রেজাল্ট যদিও শেষেই বের হবে। এখন সবাই হল নম্বর অনুযায়ী। মানুষ বলে ব্যাসদেব ভগবান এই শাস্ত্র রচনা করেছেন, এবার ব্যাসদেব তো ভগবান হতে পারেননা। বাস্তবে ধর্মের শাস্ত্র হল ৪-টি। ভারতের ধর্ম শাস্ত্র হল একমাত্র মাতা-পিতা রূপী গীতা। বর্সা তাঁর কাছেই প্রাপ্ত হয়। মাতা দ্বারা পিতার থেকে বর্সা প্রাপ্ত হয়। গীতা মাতার পিতা হলেন রচয়িতা । অর্থাৎ গীতা দ্বারা পিতা প্রাচীন সহজ রাজ যোগের নলেজ প্রদান করেন। গীতা তো হল ভারত খণ্ডের শাস্ত্র। তারপরে ইসলামের নিজের ধর্ম শাস্ত্র আছে, বুদ্ধের আছে নিজের , খ্রিষ্টানেরও আছে নিজের । গীতা তো হল সকলের মাতা-পিতা, বাকি শাস্ত্র হল সন্তান সন্ততি। যে শাস্ত্র গুলি পরে আসে। বাকি এত বেদ-উপনিষদ ইত্যাদি সব কোন্ ধর্মের শাস্ত্র ? সে কথা তো জানা উচিত যে এই সব কার উচ্চারিত তথ্য ? এর দ্বারা কোন্ ধর্ম টি এসেছে ? কোনো ধর্ম তো নেই। সর্বপ্রথমে এই কথাটি প্রমাণ করতে হবে যে গীতা খন্ডন হয়েছে। পিতার পরিবর্তে সন্তানের নাম লেখা হয়েছে। জীবন চরিত্র তো সবারই আলাদা। বাবা বলেন সর্ব ধর্মানি পরিত্যাজ্য ....... মামেকম স্মরণ করো। পরমাত্মা আত্মাদের বলেন - তোমরা অশরীরী হও, আমায় স্মরণ করো। অশরীরী পিতা-ই এইরূপ বলতে পারেন। সন্ন্যাসী তো বলতে পারেননা। এইটি হল গীতার অক্ষর। সব ধর্মীয় জনদের বলে - অশরীরী ভব। এখন নাটক পূর্ণ হচ্ছে। সবাইকে মন্ত্র দেওয়া হয় যে দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ করে মামেকম স্মরণ করো তাহলে তোমরা আমার কাছে আসবে। মুক্তির পরে নিশ্চয়ই জীবনমুক্তি আছে । পদমর্যাদা হল জীবনমুক্তির ভায়া মুক্তি । যে আসে সে সতো, রজো, তমো থেকে পাস করে। কত ভালোভাবে বোঝানো হয়। কিন্তু বাচ্চারা এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়। যদিও খুব সহজ ।
তোমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী করো , খবরের কাগজে যেন লেখা হয়। খরচ করতে পারো। যাতে সবাই শোনে। সংবাদ পত্রে অবশ্যই দিতে হবে। বাচ্চাদের খুব নেশা থাকা উচিত। যদিও সময় খুব কম আছে। অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি গোপ-গোপীকাদের জিজ্ঞাসা করো। গায়ন আছে - এরা হল গোপী বল্লভের গোপ-গোপীকা। গোপ-গোপীকা নাই সত্যযুগে ছিল , নাই কলিযুগে হয়। সেখানে থাকে লক্ষ্মী দেবী , রাধে দেবী। গোপ-গোপীকা আছে এখন, তারা হল গোপী বল্লভের নাতি-নাতনী । তাহলে দাদু ও থাকবে নিশ্চয়ই। দাদা, বাবা, মাম্মা - এই নতুন রচনা হয় সঙ্গমে। বাবা বলেন কল্প-কল্প, কল্পের সঙ্গম যুগে আসি নতুন দুনিয়া রচনা করতে। অসুরী সন্তান থেকে তোমরা ঈশ্বরীয় সন্তানে পরিণত হও তারপরে হবে দৈবী সন্তান। তারপরে হবে ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র সন্তান - ৮৪ জন্মে। তারপর সাথে সাথে বৃদ্ধিও হতে থাকে। ঝাড় টি সম্পূর্ণ হওয়া চাই। প্রলয় ও হয়না। ভারত তো হল অবিনাশী খন্ড। ভারতের অনেক মহিমা করতে হয়। ভারত হল সব খণ্ডে শ্রেষ্ঠ খন্ড। বিনাশ কখনও হয়না। আচ্ছা।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার।
*রাত্রি-ক্লাস 16.04.68*
তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারা ছাড়া এই কথা কেউ জানেনা যে সঙ্গম যুগ কখন হয়। এই কল্পের সঙ্গম যুগের মহিমা অনেক। বাবা এসে রাজ যোগ শেখান। সত্যযুগের জন্যে সঙ্গম যুগ আসবে নিশ্চয়ই। মানুষ তো বটেই। তাতে কেউ কনিষ্ঠ , কেউ উত্তম আছে। তাঁদের সামনে মহিমা গায়ন করে আপনি হলেন পুরুষোত্তম , আমরা কনিষ্ঠ। নিজেরাই নিজেদের চরিত্র বর্ণনা করে - আমি এরকম, আমি সেরকম।
এখন এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগকে তোমরা ব্রাহ্মণ ছাড়া আর কেউ জানেনা। এই সংবাদ কিভাবে প্রচার করা যায় যাতে সব মানুষ জানতে পারে। সঙ্গম যুগে ভগবান -ই এসে রাজ যোগ শেখান। তোমরা জানো আমরা রাজ যোগ শিখছি। এখন এমন কোন্ যুক্তি দিলে মানুষরা জানতে পারবে। সব হবে কিন্তু ধীরে । এখন সময় আছে। অনেক টা সময় গেছে একটু বাকি আছে .....। আমরা এমন বলি যাতে মানুষ শীঘ্র পুরুষার্থ করে। যদিও সেকেন্ডে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, ফলে তোমরা সেই সময় সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করবে। কিন্তু তোমাদের মাথায় অর্ধ কল্পের পাপ আছে , সেসব থোড়াই সেকেন্ডে মিটে যাবে। তার জন্যে তো সময় লাগে। মানুষ ভাবে এখন অনেক সময় পড়ে আছে , এখনই আমরা ব্রহ্মাকুমারীদের কাছে কেন যাব ? লিটারেচার পড়ে জ্ঞানটিকে উল্টো ভাবে নেয়। ভাগ্যে না থাকলে জ্ঞান উল্টো ভাবে বোঝে। তোমরা জানো এইটি হল পুরুষোত্তম হওয়ার যুগ। হীরে তুল্য গায়ন আছে কিনা। যা তারপরে কম হয়। গোল্ডেন এজ, সিলভার এজ। এই সঙ্গম যুগ হল ডায়মন্ড এজ। সত্যযুগ হল গোল্ডেন এজ। এই কথা তোমরা জানো যে স্বর্গের চেয়েও ভালো এই সঙ্গম যুগ , হীরে তুল্য জন্ম । অমর লোকের গায়ন আছে কিনা। তারপরে কম হতে থাকে। অতএব একথাও লিখতে পারো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ হল ডায়মন্ড, সত্যযুগ হল গোল্ডেন, ত্রেতা হল সিলভার.....। এইসব তোমরা বোঝাতে পারো - সঙ্গমেই আমরা মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হই। আট রত্ন বানানো হয় তাইনা। তখন ডায়মন্ড কে মধ্যিখানে রাখা হয় । সঙ্গমের শো হয়। সঙ্গম যুগ হল হীরে তুল্য। হীরের সম্মান হয় সঙ্গম যুগে। যোগ ইত্যাদি শেখানো হয় , যাকে স্পিরিচুয়াল যোগ বলা হয়। কিন্তু স্পিরিচুয়াল তো হলেন বাবা। রূহানী পিতা এবং রূহানী নলেজ সঙ্গমেই প্রাপ্ত হয়। যে মানুষদের মধ্যে দেহের অহংকার আছে , তারা এই কথা এত তাড়াতাড়ি মানবে কি করে । গরিব মানুষদের বোঝানো হয়। সুতরাং এই কথাও লিখতে হবে সঙ্গমযুগ ইজ ডায়মন্ড। এই যুগের আয়ু এত। সত্যযুগ গোল্ডেন এজের আয়ু এত। শাস্ত্রেও স্বস্তিক চিহ্ন টি দেখানো হয়। সুতরাং বাচ্চারা তোমাদের এই কথা স্মরণে থাকলে তোমরা কত খুশীতে থাকবে ! স্টুডেন্টদের অনেক খুশি অনুভব হয় তাইনা। স্টুডেন্ট লাইফ ইজ দি বেস্ট লাইফ। এইটি তো সোর্স অফ ইনকাম। এই হল মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পাঠশালা। দেবতারা ছিলেন বিশ্বের মালিক। এই কথাও তোমরা জানো। অতএব অসীম খুশী অনুভব হওয়া উচিত, তাই গায়ন আছে অতীন্দ্রিয় সুখ গোপী বল্লভের গোপ গোপীকাদের জিজ্ঞাসা করো। টিচার শেষ পর্যন্ত পড়ান তাকে তো অন্ত সময় অব্দি স্মরণ করা উচিত। ভগবান পড়ান এবং ভগবান সঙ্গেও নিয়ে যাবেন। আহবান করাও হয় লিবারেটর গাইড। দুঃখ থেকে মুক্ত করুন। সত্যযুগে দুঃখ হয়ই না। বলা হয় বিশ্বে শান্তি হোক। বলো আগে কখন ছিল ? সেই যুগ টি কোন যুগ ছিল ? কারো জানা নেই। রাম রাজ্য সত্যযুগ , রাবণ রাজ্য কলিযুগ। সে কথা তো জানো তাইনা। বাচ্চাদেরকে অনুভবের কথা বলা উচিত। ব্যস, মনের কথা কি বা বলি । বেহদের বাবা বেহদের বাদশাহী প্রদান কর্তাকে পেয়ে কি আর অনুভব বলি । আর অন্য কোনো কথা নেই। এর মতন খুশি আর হয়না। কারো ওপরে রাগ অভিমান করে বাস্তবে ঘরে বসা উচিত নয়। এর অর্থ হল নিজের ভাগ্যের ওপরে রুষ্ট হওয়া। পড়াশোনার প্রতি রুষ্ট হলে কি শিখবে । বাবা তো পড়াবেন - ব্রহ্মা দ্বারা। অতএব একে অপরের প্রতি কখনও রুষ্ট হবেনা। এই হল মায়া। যজ্ঞে তো অসুরের বিঘ্ন তো পড়বেই তাইনা। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি রূহানী বাচ্চাদের প্রতি রূহানী বাবা ও দাদার স্নেহ স্মরণ গুড নাইট। রূহানী বাচ্চাদের কে রূহানী বাবার নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. বাবা যে কথা বলেন সেসব এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করবেনা। জ্ঞানের নেশায় থেকে অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করতে হবে।
২. সবাইকে সেকেন্ডে মুক্তি-জীবনমুক্তির অধিকার প্রদান করতে এই মহামন্ত্র বলতে হবে " দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ করে বাবাকে স্মরণ করো"।
বরদান:-
ব্রহ্মা বাবাকে ফলো করে ফার্স্ট গ্রেড অর্জনকারী সমান ভব
ব্রহ্মা বাবার সঙ্গে সব বাচ্চাদের ভালোবাসার সম্পর্ক আছে, ভালোবাসার প্রমাণ চিহ্ন হল সমান হওয়া। এতে সদা এই লক্ষ্য রাখো যে প্ৰথমে আমি, ঈর্ষাজনিত ভাব নিয়ে নয় , তাহলে ক্ষতি হবে। কিন্তু ফলো ফাদার করাতে প্ৰথমে আমি বলা ও করা দুই স্থিতিতে ফার্স্টের সাথে তোমরাও ফার্স্ট হয়ে যাবে। যেমন ব্রহ্মাবাবা নম্বর ওয়ান হয়েছেন তেমনই যারা ফলো করবে তারও নম্বর ওয়ান হওয়ার লক্ষ্য রাখো। যে অর্জন করে সেই প্রথম শ্রেণীর অর্জুন, সবার ফার্স্ট হওয়ার চান্স আছে। ফার্স্ট গ্রেড স্থান বেহদে প্রাপ্ত হওয়া, কম নয়।
স্লোগান:-
সফলতামূর্ত হতে স্ব সেবা এবং অন্যদের সেবা একসাথে করো ।