10-12-2018 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
সার্ভিস বৃদ্ধির জন্যে নতুন উপায় বের করো, গ্রামে-গ্রামে গিয়ে সার্ভিস করো, সার্ভিস
করার জন্যে জ্ঞানের পরাকাষ্ঠা প্রয়োজন"
প্রশ্ন:-
বুদ্ধি থেকে পুরানো
দুনিয়ার কথা বিস্মৃত হয়ে যাওয়ার সহজ যুক্তি কি ?
উত্তর:-
ঘর-কে অর্থাৎ পরমধামকে
ক্ষণে-ক্ষণে স্মরণ করো। বুদ্ধিতে যেন থাকে - এখন মৃত্যুলোকের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে
অমরলোকে যেতে হবে। দেহ থেকে বেগার, এই দেহটি নিজের নয় - এমন অভ্যাস থাকলে পুরানো
দুনিয়া বিস্মৃত হবে। এই পুরানো দুনিয়ায় থেকে নিজের পরিপক্ক অবস্থা বানাতে হবে। একরস
অবস্থার জন্যে পরিশ্রম করতে হবে ।
গীত:-
মাতা ও মাতা, তুমি
সকলের ভাগ্য বিধাতা ....
ওম্ শান্তি ।
ভারতে জগৎ অম্বার
মহিমা অনেক। জগৎ-অম্বাকে ভারতবাসীরা ছাড়া আর কেউ জানে না। নাম শুনেছে যাকে ইভ অথবা
বিবি বলা হয়। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে বিবি ও মালিক ব্যতীত রচনা হবে
না। নিশ্চয়ই জগৎ অম্বাকে প্রকট হতে হবে। তিনি অবশ্যই ছিলেন তবেই তো গায়ন করা হয়।
ভারতের মহিমা অনেক। স্বর্গও বলা হয় এবং এও জানেনা যে ভারত-ই প্রাচীন ছিল তাই হেভেন
হওয়া উচিত। এইসব কথা তোমরা ঈশ্বরীয় সন্তানরা ছাড়া কেউ বুঝবে না। যারা কল্প পূর্বেও
বুঝেছিল তারা-ই আসতে থাকবে। প্রদর্শনী চলতে থাকে। ভাবে যে কল্প পূর্বেও করা হয়েছিল।
সবাইকে বোঝানোর জন্যে শব্দগুলি খুব ভালো। পবিত্র আত্মা, পবিত্রতা দ্বারা তোমরা
লাইটের মুকুট প্রাপ্ত কর। দ্বিতীয়তঃ পুণ্য আত্মা তাদের বলা হয় যারা দান পুণ্য
ইত্যাদি করে। তাদেরকে ইংরেজিতে ফিল্যানথ্রোফিস্ট (লোকহিতৈষী) বলা হয়। পবিত্রকে ভাইস
লেস বলা হবে। শব্দ গুলি আলাদা। ভারতে দান পুণ্য হয় অনেক কিন্তু প্রায় দান করা হয়
গুরুদের। এবারে তাদের পবিত্র আত্মা যদিও বলা যাবে পুণ্য আত্মা বলা যাবেনা। তারা দান
পুণ্য করেন না বরং দান পুণ্য গ্রহণ করেন। সুতরাং এই সব কিছু থেকে বুদ্ধি যোগ
বিচ্ছিন্ন হয়ে বাবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাক, তার জন্যে বাবাকে বোঝাতে হয় এইসব ঠিক নয়।
এই সব থেকে উদ্ধার করতে আমি আসি। তোমরা হলে জ্ঞান সাগর থেকে বেরিয়ে আসা জ্ঞান গঙ্গা।
বাস্তবে গঙ্গা শব্দটি ঠিক নয় কিন্তু গায়ন হয়ে চলেছে তাই নাম প্রদান করা হয়। বাবা এসে
পুরানো দুনিয়ার পুরানো সব বস্তু কে নতুন করে দেন। স্বর্গ হল নতুন । নতুন বস্তুর খবর
বাবা-ই জানেন, দুনিয়া সব জানেনা।
ভগবানুবাচ আছে কিন্তু গীতায় কৃষ্ণের নাম লিখে সবার বুদ্ধি যোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে
তাইজন্যে সর্বব্যাপী বলেছে। কৃষ্ণের সঙ্গে অনেকের বুদ্ধি যোগ আছে, যেখানে গীতা-র
মান আছে সেখানে কৃষ্ণেরও মান আছে। বাস্তবে বাবার মহিমার মুকুট বা টুপি বাচ্চার
মাথায় রাখা হয়েছে। এসবও ড্রামায় ফিক্স আছে। সে কথা বাবা এসে বোঝান।
বাবা বার-বার বোঝাচ্ছেন - যখন কেউ আসে তখন প্রত্যেকের অক্যুপেশান জিজ্ঞাসা করো এর
সঙ্গে তোমাদের কি সম্পর্ক আছে ? বাবা প্রশ্নাবলি ভালো তৈরি করেছেন। সার্ভিস তো খুব
ভালো হতে পারে। সার্ভিস তো জগৎ অম্বার মন্দিরে ভালো হতে পারে, সেখানে গিয়ে বোঝাও যে
ইনি হলেন মাতা জগৎ অম্বা সৃষ্টির রচনা করেন । কোন্ দুনিয়া রচনা করেন ? নিশ্চয়ই নতুন
দুনিয়া রচনা করবেন। আচ্ছা, ইনি মাতা এনার পিতা কে ? এনাকে কে জন্ম দিয়েছেন ? মানুষ
তো মুখবংশী কথার অর্থ বোঝেনা। তোমরা জানো এনাকে পরম পিতা পরমাত্মা জন্ম দিয়েছেন।
বাচ্চারা তোমাদেরই বোঝাতে হবে। জগৎ অম্বা হলেন মুখ বংশী কিন্তু কিভাবে ? পরম পিতা
পরমাত্মা তো হলেন নিরাকার, বোঝানো হয় ব্রহ্মা তন দ্বারা। পরম পিতা পরমাত্মা এসে
যেমন ব্রহ্মাকে অ্যাডপ্ট করেছেন, তেমন ভাবে কন্যাকেও করেছেন। এইসব কথা সবার বুদ্ধিতে
স্থায়ী রূপে টিকে থাকবে না। ক্ষণে ক্ষণে ভুলে যায়। বাচ্চারা সার্ভিস তো অনেক করতে
পারে। জগৎ অম্বার মন্দিরে পরিচয় দেওয়া উচিত। যাতে তাদেরও বুদ্ধি যোগ বাবার সঙ্গে
যুক্ত হয়। জগৎ অম্বাও তাঁর সঙ্গে যোগ যুক্ত হন অতএব আমরাও যোগ যুক্ত হব। নীচে জগৎ
অম্বা তপস্যায় বসে আছেন, তাঁর মন্দির আছে উপরে। নীচে রাজযোগের তপস্যা করছেন তারপরে
রাজ-রাজেশ্বরী স্বর্গের মালিক হয়েছেন সত্যযুগে। এখন হল কলিযুগ। পুনরায় যখন তপস্যায়
বসবেন তখনই তো স্বর্গের মালিক হবেন তাইনা। তোমাদের বুদ্ধিতে এই সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা
উচিত। এই সত্য পরামর্শ মানুষদের প্রদান করা হয়। তোমরা প্রত্যেকের পরিচয় দাও। কিন্তু
এই জ্ঞান সবার বুদ্ধিতে শীঘ্রই ঢুকবে না। ঢুকবে তখন যখন সার্ভিস করবে। চিত্রও খুব
সুন্দর আছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরে গিয়ে বোঝাতে পারো। বাবা বলেন - আমার ভক্তদের
শোনাও। ভক্তদের নিশ্চয়ই মন্দিরে দেখা যাবে। তাদের স্নেহ সহকারে বোঝাও এই যে
লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র আছে, এঁদের জন্যে সবাই বলবে এঁরা ছিলেন স্বর্গের মালিক।
আচ্ছা, বর্তমানে কি ? অবশ্যই বলা হবে কলিযুগ। কলিযুগে দুঃখময় দুনিয়া তাহলে এঁরা
বাদশাহী প্রাপ্ত করে কিভাবে ? তোমার জানলে সবাইকে বলতে পারো। একজনকেও যদি বোঝাবে তবে
সৎসঙ্গ একত্রিত হয়ে যাবে। তখন সবাই বলবে আমার কাছে এসো। মন্দিরে বিশাল মেলা আয়োজিত
হয়। রাম মন্দিরে গিয়ে রামের অক্যুপেশান বলতে পারো। ধীরে ধীরে যুক্তি দিয়ে বোঝানো
উচিত। অনেক বাচ্চারা লেখে - বাবা, আমরা এমন ভাবে বুঝিয়েছি। একজনকে বোঝালে অন্যরা
নিমন্ত্রণ দেবে। আমাদের ঘরেও সাত দিন ভাষণ চললে ভালো হয় তখন সেখান থেকেও আরও কেউ
জ্ঞানে আসবে। যে নিমন্ত্রণ দেবে তাদের এমন বোঝানো উচিত যাতে তারা যেন না ছাড়ে। ভাষণ
করলে আশেপাশের মিত্র আত্মীয় সবাই একত্রিত হবে। এইভাবেই বৃদ্ধি হয়। সেন্টারে এতজন তো
আসতে পারেনা। এই যুক্তিটি ভালো। এমন পরিশ্রম করা উচিত। পরিশ্রম করার কায়দা খুব কম
জনই জানে। জ্ঞানের পরাকাষ্ঠা চাই। বাবা কত দূর থেকে এসেছেন আমাদের বোঝাতে। যদি
সার্ভিস করবে না তবে উঁচু পদের অধিকারী হবে কিভাবে ? স্কুলের বাচ্চারা খুব চালাক
চতুর হয়, প্রচুর উদ্দীপনা থাকে । এটাও হল পড়াশোনা, এ হল ওয়ান্ডারফুল পড়াশোনা - এখানে
বৃদ্ধ, যুবক, বাচ্চা সবাই পড়ে। গরিবদের চান্স বেশি। বাস্তবে সন্ন্যাসীরাও হলেন গরিব।
কত ধনী মানুষজন নিজের কাছে ডাকে। সন্ন্যাসীরা ঘর সংসার ত্যাগ করে বেগার হয়েছেন।
তাদের কাছে কিছুই থাকে না। তোমরাও হলে এখন বেগার পরে প্রিন্স হবে। তারাও হল বেগার।
এখানে তো হল পবিত্রতার ব্যাপার । তোমাদের কাছে আর কিছু নেই। তোমরা তোমাদের দেহটিকেও
ভুলে যাও। দেহ সহ সবকিছু ত্যাগ করে এক বাবার আপন হও। যত একমাত্র বাবাকে স্মরণ করবে
ততই ধারণা হবে। একরস ধারণা হোক তার জন্যে পরিশ্রম চাই। আমাদের বাবার কাছে যেতে হবে
তাই এই পুরানো দুনিয়ার খেয়াল রাখব কেন । যতক্ষন পরিপক্ক অবস্থা হোক ততক্ষণ থাকতে হবে
এই পুরানো দুনিয়ায়, পুরানো শরীরে।
এখন তোমাদের গৃহস্থে থেকে পবিত্র হতে হবে। এই মৃত্যুলোকের হিসেব নিকেশ মিটে যায়।
এখন অমরলোক যেতে হবে। ঘর অর্থাৎ পরমধামকে ক্ষণে ক্ষণে স্মরণ করলে পুরানো দুনিয়া ভুলে
যাবে। বলো, গীতায় বাবা কি বলেছেন ? ভগবানকে বাবা বলা হয়। নিরাকার বাবা বলেন -
মামেকম্ স্মরণ করো। যোগ অগ্নি দ্বারা তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। কৃষ্ণ এমন বলতে
পারেন না। এই হল ভগবানের মহাবাক্য যে এই পুরানো দুনিয়া এবং পুরানো দেহকেও ত্যাগ করো।
দেহী-অভিমানী হয়ে নিরন্তর বাবাকে স্মরণ করো। ভগবান হলেন নিরাকার। আত্মা শরীর ধারণ
করে টকি হয়। বাবা তো গর্ভে জন্ম নেন না। ওঁনার একটি নাম শিব। ব্রহ্মা, বিষ্ণু,
শঙ্করের আত্মা আছে, তাঁদের নিজস্ব সূক্ষ্ম শরীর আছে। ইনি হলেন নিরাকার পরমপিতা
পরমাত্মা। তারপরে ওঁনার নাম হল শিব। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর। ব্রহ্মা, বিষ্ণু,
শঙ্করকে রচয়িতা বলা যাবে না। রচয়িতা একমাত্র নিরাকারকেই বলা হয়। তিনি সাকারী রচনা
করবেন কিভাবে ? অতএব ব্রহ্মা দ্বারা এসে বোঝান। কৃষ্ণ তো হতে পারেন না। ব্রহ্মার
হাতেই বেদ-শাস্ত্র দেখানো হয়। গায়নও আছে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা, ব্রহ্মা দ্বারা সব
শাস্ত্রের সার বলে দেন। নিরাকার বলে দেন সাকার দ্বারা। এইসব কথা ভালো রীতি ধারণ করতে
হয়। ভগবানুবাচ - আমি রাজ যোগ শেখাই। বিনাশের পূর্বে স্থাপনাও নিশ্চয়ই চাই। প্ৰথমে
হল স্থাপনা। খুবই ক্লিয়ার লেখা আছে। ব্রহ্মা দ্বারা সূর্যবংশী ঘরানা র স্থাপনা।
লিখিত আছে তাই এই কথার খুব গুরুত্ব আছে কিন্তু তোমাদের পরিশ্রম করে সার্ভিসে ব্যস্ত
হতে হবে। সার্ভিসে নিযুক্ত হলে তোমরা মজা অনুভব করবে। মাম্মা - বাবারও সার্ভিসে
আনন্দ অনুভব হয়। বাচ্চাদেরই সার্ভিস করতে হবে, মাম্মাকে তো মন্দিরে নিয়ে যাবে না।
মাম্মার অনেক মহিমা, বাচ্চাদের তো যেতেই হয়। বাবা বলেন বাণপ্রস্থে যারা আছে তাদের
গিয়ে প্রশ্ন করো তারপরে বোঝাও তারা কি কখনও গীতা অধ্যয়ন করেছে ? গীতার ভগবান কে ?
ভগবান তো হলেন একমাত্র নিরাকার । সাকারকে ভগবান বলা হবে না। ভগবান এক। সার্ভিস করার
জন্যে তোমাদের বিচার সাগর মন্থন করা উচিত। প্র্যাক্টিস করতে হলে বাইরে গিয়ে ট্রায়াল
করা উচিত। জগৎ অম্বার দর্শন করতে প্রতিদিন আসে। ত্রিবেণী তে মানুষ যায় অনেক। সেখানে
গিয়েও সার্ভিস করলে, ভাষণ দিলে অনেক মানুষ একত্রিত হবে। নিমন্ত্রণ পত্র দেবে -
আমাদের কাছে এসে সৎসঙ্গ করো। বাবা-মাম্মা তো কোথাও যেতে পারবেন না, বাচ্চারা যেতে
পারে। বেঙ্গলে কালী মন্দির আছে সেখানে গিয়েও অনেক সার্ভিস করতে পারো। কালী কে ? এই
বিষয়ে ভাষণ করো। কিন্তু খুব সাহস চাই। বাবা জানেন কে বোঝাতে পারে ! যাদের
দেহ-অভিমান আছে তারা কি সার্ভিস করতে পারবে ? সার্ভিস করে প্রমাণ দেয় না। সার্ভিস
যদি পুরোপুরি না করে তাহলে নাম বদনাম করবে। একজন যোগী খুব শক্তিশালী হয়। বোঝানোর
জন্যে ভালো পয়েন্ট দিতে থাকেন। কিন্তু ভালো ভালো মহারথীও ভুলে যায়। সার্ভিস তো অনেক,
একেই বলা হয় বেহদের সার্ভিস ফলে তারা অনেক সম্মানও প্রাপ্ত করে। মুখ্য হল পবিত্রতার
কথা। চলতে চলতে ভেঙে পড়ে। লৌকিক পিতার প্রতি কারো কখনও নিশ্চয় কম হয় না। এখানে
বাবার কাছে জন্ম গ্রহণ করে এমন বাবাকে বার বার ভুলে যায় কারণ তিনি হলেন বিচিত্র এমন
বাবার কোনো চিত্র নেই। বাবা বলেন আমায় স্মরণ করো এবং তোমরা পবিত্র হও তাহলে আমার
কাছে আসবে। আত্মা বোঝে - আমরা ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করেছি। আত্মায় পার্ট নির্দিষ্ট
আছে। শরীরে কোনো পার্ট নেই। এত সূক্ষ্ম আত্মাতে কত বিশাল পার্ট ভরা আছে ! বুদ্ধিতে
কত নেশা থাকা উচিত, ব্যবহারের সাথে এই সার্ভিস ও করতে পারো। মা বাবা তো কোথাও যাবেন
না। বাচ্চারা সর্বত্র গিয়ে সার্ভিস করতে পারে। বাচ্চাদেরই লাকি স্টার বলা হয়। আচ্ছা
!
মিষ্টি মিষ্টি জ্ঞান লাকি স্টারদের মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ ও গুডমর্নিং।
রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) দেহ-অভিমান ত্যাগ
করে সার্ভিস করতে হবে। বিচার সাগর মন্থন করে বেহদের সার্ভিসের প্রমাণ দিতে হবে।
২) এই মৃত্যু লোকের পুরানো সব হিসেব নিকেশ মেটাতে হবে। পুরানো দেহ ও পুরানো দুনিয়াকে
বুদ্ধি দ্বারা ভুলে যেতে হবে।
বরদান:-
কর্ম করার সময়
শক্তিশালী স্টেজে স্থিত হয়ে রূহানী পার্সোনালিটির (ব্যক্তিত্বের) অনুভব করাতে পারা
কর্মযোগী ভব
ব্যাখা:-
ব্যাখা: তোমরা
বাচ্চারা শুধুই কর্মকর্তা নও বরং তোমরা হলে যোগযুক্ত হয়ে কর্ম সম্পন্নকারী কর্মযোগী
। তাই তোমাদের দ্বারা প্রত্যেক কে এই অনুভব হওয়া উচিত যে এরা কর্ম তো করছে হাত দিয়ে
কিন্তু কর্ম করা কালীন নিজের শক্তিশালী স্টেজে স্থিত আছে। যদিও তারা সাধারণ ভাবে
চলছে, দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু রূহানী পার্সোনালিটির দূর থেকেই অনুভব হয়। যেমন দুনিয়ার
পার্সোনালিটি আকৃষ্ট করে, তেমনই তোমাদের রূহানী পার্সোনালিটি, পিউরিটির পার্সোনালিটি,
জ্ঞানী বা যোগী তুমি আত্মার পার্সোনালিটি স্বতঃতই আকৃষ্ট করবে।
স্লোগান:-
যে সত্য পথে চলে এবং
সবাইকে সত্য পথ বলে দেয় সে-ই হল সত্যিকারের লাইট হাউস ।