26/10/18       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


"মিষ্টি বাচ্চারা -- শ্রীমৎ অনুযায়ী চলো তাহলে তোমাদের সব ভান্ডার ভরপুর হয়ে যাবে, তোমাদের ভাগ্য উজ্জ্বল হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ -
এই কলিযুগে কোন্ জিনিসের দেউলিয়া হয়েছে ? দেউলিয়া হওয়াতে এর গতি কি হয়েছে ?

উত্তরঃ -
কলিযুগে পবিত্রতা, সুখ ও শান্তির দেউলিয়া হয়েছে তাই ভারত সুখধাম থেকে দুঃখ ধাম, হীরা থেকে কড়িতে পরিণত হয়েছে। এই সম্পূর্ণ খেলাটি ভারত নিয়ে। খেলার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান এখন বাবা তোমাদের শোনাচ্ছেন। ভাগ্যশালী, সৌভাগ্যশালী বাচ্চারা-ই এই জ্ঞানকে ভালো ভাবে বুঝতে পারবে ।

গীতঃ-
ভোলানাথের চেয়ে অনুপম আর কেউ নেই .....।

ওম্ শান্তি।
ভগবানুবাচ। কোন্ ভগবান ? ভোলানাথ শিব ভগবানুবাচ । বাবাও বোঝান, টিচারের কাজও হল বোঝানো। সদগুরুর কাজও হল বোঝানো। শিববাবাকেই সৎ বাবা, ভোলানাথ বলা হয়। শঙ্করকে ভোলা বলা হবেনা। ওঁনার জন্যে তো বলা হয় চোখ খুলে সৃষ্টি ভস্ম করে দিয়েছেন। ভোলা ভাণ্ডারী শিবকে বলা হয় অর্থাৎ ভান্ডার ভরপুর করেন যিনি। কোন্ ভান্ডার ? ধন-সম্পদ, সুখ-শান্তির। বাবা তো এসেছেন কেবল পবিত্রতা-সুখ-শান্তির ভান্ডার ভরপুর করতে। কলিযুগে পবিত্রতা-সুখ-শান্তির দেউলিয়া বা অভাব হয়েছে কারণ রাবণ অভিশাপ দিয়েছে। সবাই শোক বাটিকায় কান্না কাটি করে। ভোলানাথ শিব বসে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝাচ্ছেন অর্থাৎ বাচ্চারা তোমাদের ত্রিকালদর্শী করছেন। ড্রামার কথা তো আর কেউ জানেনা। মায়া একেবারে অবুঝ করে দিয়েছে। ভারতেরই এ হল হার-জিত, দুঃখ-সুখের নাটক। ভারত হীরের মতন সলভেন্ট(সমৃদ্ধশালী) ছিল, এখন কড়ির মতন ইনসলভেন্ট(দীন) হয়েছে। ভারত সুখধাম ছিল, এখন দুঃখ ধাম হয়েছে। ভারত হেভেন ছিল, এখন হেল বা নরক হয়েছে। নরক থেকে আবার স্বর্গে পরিণত হয় কিভাবে, তারই আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান, জ্ঞানসাগর ব্যতীত কেউ বোঝাতে পারেনা। বুদ্ধিতে এই কথাটি নিশ্চয়ই থাকা উচিত। নিশ্চয় তাদের থাকে যাদের ভাগ্য উদয় হয়, যারা সৌভাগ্যশালী হবে । দুর্ভাগ্য শালী তো সবাই। দুর্ভাগ্য শালী অর্থাৎ ভাগ্য খারাপ হওয়া। যারা হয় ভ্রষ্টাচারী । বাবা এসে শ্রেষ্ঠাচারী করেন। কিন্তু সেই পিতাকে বোঝা খুব কঠিন কারণ তাঁর কাছে দেহ নেই। সুপ্রিম আত্মা কথা বলেন। সত্যযুগে থাকে পবিত্র আত্মারা। কলিযুগে সব পতিত। অনেক মনস্কামনা নিয়ে জগৎ অম্বার কাছে যায়, কিছুই জানেনা তবুও বাবা বলেন - যে যে যেমন-যেমন ভাবনা নিয়ে পূজা অর্চনা করে তাদের অল্পকালের ক্ষণভঙ্গুর ফল আমি প্রদান করি। জড় মূর্তি কখনও ফল প্রদান করতে পারেনা। ফল প্রদানকারী, অল্পকালের সুখ প্রদানকারী আমি এবং বেহদের সুখদাতাও আমি। আমি দুঃখ দাতা নই। আমি তো হলাম দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা । তোমরা এসেছ সুখধামে স্বর্গের বর্সা নিতে। এর জন্যে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বাবা বোঝান আদি-তে হল সুখ, মধ্য-তে ভক্তিমার্গ শুরু হয় অর্থাৎ সুখ পুরো হয়ে দুঃখ শুরু হয়। তারপরে দেবী-দেবতা বাম মার্গে, বিকারী মার্গে গমন করেন। যেখান থেকে ভক্তি শুরু হয়। সুতরাং আদি-তে হয় সুখ, মধ্যে দুঃখ শুরু হয়। অন্তে তো অতি দুঃখ থাকে। বাবা বলেন এখন সকলের শান্তি, সুখদাতা হলাম আমি। তোমাদের সুখধামে নিয়ে যাওয়ার জন্যে উপযুক্ত করছি। বাকি সবাই হিসেব নিকেশ মিটিয়ে শান্তি ধামে চলে যাবে। সাজা তো অনেক ভোগ করবে। ট্রাইব্যুনাল বসে। বাবা বোঝান কাশীতে নিজেকে বলিদান করা হত। কাশী কলবট(কাশীতে একটি কুঁয়া আছে, যেটা ধারালো ছুরিতে পূর্ণ, পাপ করলে ওখানে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহূতি দিত, বর্তমানে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে) বলা হয় না ! এবারে কাশীতে আছে শিবের মন্দির। সেখানে ভক্তি মার্গে শিববাবার স্মরণে থাকে। তারা বলে - ব্যস, এবারে আপনার কাছে ফিরব। চোখের জল ফেলে শিবের কাছে বলিদান করে তো অল্পকাল ক্ষণ ভঙ্গুর অল্প মাত্রায় ফল প্রাপ্ত করে। এখানে তোমরা আত্মহূতি দাও অর্থাৎ জীবিত অবস্থায় শিববাবার আপন হও ২১ জন্মের বর্সা প্রাপ্তির জন্যে। জীবঘাত বা আত্মঘাতী হওয়ার ব্যাপারই নেই। জীবিত থেকেই বাবা আমি হলাম আপনার । তারা তো শিবের উদ্দেশ্যে বলিদান দেয় অর্থাৎ প্রাণ ত্যাগ করে, মরে যায়, ভাবে আমরা শিববাবার আপন হয়ে যাই। কিন্তু তা তো হয়না। এখানে তো জীবিত অবস্থায় বাবার আপন হয়ে, বাবার কোলে এসে বাবার মতামত অনুযায়ী চলতে হবে, তবেই শ্রেষ্ঠ দেবতা স্বরূপে পরিণত হতে পারবে। তোমরা এখন পরিণত হচ্ছ। কল্প কল্প তোমরা এই পুরুষার্থ করেছ। এইসব কোনো নতুন কথা নয়।

দুনিয়া পুরানো হয়। তারপরে নিশ্চয়ই নতুন চাই তাইনা ! ভারত নতুন সুখধাম ছিল, এখন পুরানো দুঃখ ধাম হয়েছে। মানুষ এত পাথর বুদ্ধি হয়েছে যে এ কথা বোঝে না যে সৃষ্টি হল একটিই । সৃষ্টি শুধু নতুন ও পুরানো হয়। মায়া বুদ্ধিতে তালা লাগিয়ে একেবারেই তুচ্ছ বুদ্ধি করে দিয়েছে, তারজন্যেই তো অক্যুপেশান না জেনেই দেবতাদের পূজা অর্চনা করতে থাকে, একেই বলে ব্লাইন্ড ফেইথ অর্থাৎ অন্ধ বিশ্বাস। দেবীদের পূজায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে, তাঁদের পূজা করে ভোজন করিয়ে সমুদ্রে ভাসান দেয় তো পুতুলের পূজা হল কিনা। এতে কি লাভ ? কত ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়, খরচ করা হয়, এক সপ্তাহ পরে যেমন শ্মশানে কবর দেওয়া হয় ঠিক সেইরকম সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। ভগবানুবাচ - এ হল অসুরী সম্প্রদায়ের রাজত্ব, আমি তোমাদের দৈবী সম্প্রদায়ের বানাই। কারো বিশ্বাস হওয়া সহজ নয় - কারণ সাকারে দেখা যায়না। আগা খাঁ সাকারে ছিলেন তাই ওনার অনেক ফলোয়ার্স ছিল, ওনাকে সোনা হীরে দিয়ে ওজন করা হত। এতখানি মহিমা বাদশাহেরও হয়না। অতএব বাবা বোঝান - একেই অন্ধ শ্রদ্ধা বলা হয় কারণ স্থায়ী সুখ তো নয়, তাইনা ! অনেক খারাপ লোক থাকে, বড় লোকের দ্বারা বড় পাপ হয়। বাবা বলেন আমি হলাম গরিব নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ। গরীবের দ্বারা অত পাপ হবেনা। এই সময় সবাই হল পাপ আত্মা। এখন তোমরা বেহদের বাবাকে পেয়েছ তবুও ক্ষণে ক্ষণে তাঁকে ভুলে যাও । আরে, তোমরা হলে আত্মা, তাইনা ! আত্মাকে কেউ কখনও দেখেনি। জানে আত্মা স্টার সম ভ্রু দুটির মাঝখানে থাকে। যখন আত্মা বেরিয়ে যায় তখন শরীর শেষ হয়ে যায়। আত্মা হল স্টার সম, তো নিশ্চয়ই আত্মার পিতা অর্থাৎ আমাদের পিতা আমাদের মতন হবেন। কিন্তু তিনি হলেন সুখের সাগর, শান্তির সাগর। নিরাকার বর্সা প্রদান করবেন কিভাবে ? নিশ্চয়ই ভ্রুকুটির মধ্যিখানে এসে বসবেন। আত্মা এখন জ্ঞান ধারণ করে দুর্গতি থেকে সদগতিতে যায়। এখন যে করবে সে পাবে। বাবাকে স্মরণ না করলে বর্সাও পাবে না। কাউকে নিজের মতন বর্সা প্রাপ্তির যোগ্য করে না তুললে ধরে নেওয়া হবে পাই-পয়সার পদ পাবে। শ্রেষ্ঠাচারী ও ভ্রষ্টাচারী কাকে বলা হয়, এই কথা বাবা বসে বোঝান। ভারতেই শ্রেষ্ঠাচারী দেবতা বাস করে গেছেন। গায়নও করে হেভেনলি গড ফাদার .... কিন্তু জানেনা যে হেভেনলি গড ফাদার কবে এসে সৃষ্টিকে হেভেন করেন। তোমরা জানো, শুধু পুরোপুরি পুরুষার্থ করছ না, সবই ড্রামা অনুসারে হবে, যার ভাগ্যে যত টুকু আছে। বাবাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তো বাবা চট করে বলে দিতে পারেন যে এই চলন দ্বারা যদি তোমাদের শরীর ত্যাগ হয় তো অমুক পদ প্রাপ্ত করবে। কিন্তু জিজ্ঞাসা করার সাহস কারো নেই। যারা ভালো পুরুষার্থ করে তারা বুঝতে পারে আমরা কতজনের অন্ধের লাঠি হয়েছি অর্থাৎ কতজনকে পথ বলে দিয়েছি ? বাবাও বুঝতে পারেন - এই আত্মা ভালো পদ প্রাপ্ত করবে, এই বাচ্চা কিছুই সার্ভিস করেনা তাই সেখানে দাস-দাসী পদ পাবে। সাফাইয়ের কর্মে নিযুক্ত, কৃষ্ণের লালন পালনে নিযুক্ত, মহারানীর শৃঙ্গারে নিযুক্ত দাস-দাসীরাও তো হয় তাইনা। তারা হলেন পবিত্র রাজা, এরা হল পতিত রাজা। পতিত রাজারা পবিত্র রাজাদের মন্দির বানিয়ে তাঁদের পূজো করে। যদিও জানে কিছুই না।

বিড়লা মন্দির কত বিশাল। লক্ষ্মী নারায়ণের কত মন্দির বানায়, কিন্তু জানেনা যে লক্ষ্মী-নারায়ণ কে ? তাতে তাদের কতটুকু লাভ হয়েছে ? অল্পকালের সুখ। জগৎ অম্বার কাছে যায়, একথা তো জানেনা যে জগৎ অম্বার লক্ষ্মী রূপ ধারণ হয়। এই সময় তোমরা জগৎ অম্বার কাছ থেকে সব মনস্কামনা পূর্ণ করছ। বিশ্বের রাজত্ব নিচ্ছ। জগৎ অম্বা তোমাদের পড়াচ্ছেন। তিনিই লক্ষ্মী হবেন। যাঁর কাছে বছর বছর ভিক্ষা চাওয়া হয়। কতটা তফাৎ আছে ! লক্ষ্মীর কাছে প্রতি বছর টাকা পয়সার ভিক্ষা চাওয়া হয়। লক্ষ্মীকে এমন বলা হয়না সন্তান চাই বা সুস্বাস্থ্য চাই । না, লক্ষ্মীর কাছে শুধু ধন চাওয়া হয়। নামই হল লক্ষ্মী পূজা। জগৎ অম্বার কাছে অনেক কিছু চাওয়া হয়। তিনি সর্ব কামনা পূর্ণ করেন। এখন তোমরা জগৎ অম্বার কাছে স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত কর। লক্ষ্মীর কাছে প্রতি বছর ধন সম্পদ রূপী ফল প্রাপ্ত হয়, তবে তো প্রতি বছর পূজা করে। ভাবে ধন দেবী ধন দেবেন। সেই ধন দিয়ে পাপ কর্ম করে। ধন প্রাপ্তির জন্যেও পাপ করে।

এখন তোমরা বাচ্চারা অবিনাশী জ্ঞান রত্ন প্রাপ্ত কর, যার দ্বারা তোমরা সম্পদশালী হয়ে যাবে। জগৎ অম্বার কাছে স্বর্গের রাজত্ব প্রাপ্ত হয়। সেখানে পাপ হয়না। কত কিছু বোঝার বিষয় রয়েছে । কেউ ভালোভাবে বোঝে, কেউ তো কিছুই বোঝে না, কারণ ভাগ্যে নেই। শ্রীমৎ অনুযায়ী চলে না ফলে শ্রেষ্ঠ হতে পারবে না। তারপর পদ ভ্রষ্ট হয়ে যায়। সম্পূর্ণ রাজধানী স্থাপন হচ্ছে - একথা বুঝতে হবে। গড ফাদার (হেভেনলি কিংডম) স্বর্গের রাজধানী স্থাপন করছেন তারপরে ভারত স্বর্গে পরিণত হবে। একেই বলা হয় কল্যাণকারী যুগ। এ হল বড়জোর (ম্যাক্সিমাম) ১০০ বছরের যুগ। অন্য সব যুগ হল ১২৫০ বছরের। আজমের শহরে বৈকুণ্ঠের মডেল দেখানো হয়, দেখানো হয়েছে স্বর্গ কেমন হয়। স্বর্গ তো নিশ্চয়ই এখানেই হবে তাই না ! একটুও যদি শুনে নেয় তাহলেই স্বর্গে আসবে, কিন্তু পড়া না করলে হবে বন বাসী। প্রজাও তো নম্বর অনুসারে হয়, তাই না ! কিন্তু সেখানে গরিব, ধনী সবারই সুখ থাকে। এখানে তো আছে শুধুই দুঃখ। ভারত সত্যযুগে সুখধাম ছিল, কলিযুগে হয়েছে দুঃখধাম। এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি রিপিট হবে। গড একজন। ওয়ার্ল্ডও একটি। নতুন ওয়ার্ল্ডে প্রথমে হল ভারত। এখন ভারত পুরানো হয়েছে তারপরে নতুন হতে হবে। এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি এইভাবেই রিপিট হতে থাকে আর এই কথা কেউ জানেনা। সবাই তো একরকম হয়না। পদ মর্যাদা তো ওখানেও থাকবে। সেখানে সিপাহী থাকবে না, কারণ সেখানে ভয়ের কিছুই থাকে না। এখানে তো ভয় আছে, তাই সিপাহি ইত্যাদি রাখা হয়। ভারতকে বিভাজিত করা হয়েছে। সত্যযুগে পার্টিশন হয় না। লক্ষ্মী-নারায়ণের একচ্ছত্র রাজত্ব থাকে। কোনো পাপ হয়না। এখন বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমার কাছে সদা সুখের বর্সা নাও, আমার মতানুযায়ী চলে। সদগতির মার্গ একমাত্র বাবা-ই দেখান। এ হল শিব শক্তি সেনা, যারা ভারতকে স্বর্গে পরিণত করে। তারা তন-মন-ধন সব সেবায় নিয়োজিত করে। বাপুজি (গান্ধীজি) খ্রীষ্টানদের তাড়িয়ে ছিলেন, সেসবও ড্রামায় ছিল। কিন্তু তাতে সুখ প্রাপ্ত হয়নি বরং দুঃখ বেড়েছে। তাদের অন্ন নেই অথচ তাদের মিথ্যে গল্প(আশ্বাসন) বলতে থাকে, এটা পাবে, সেটা পাবে, এই হবে, সেই হবে .... । কিন্তু আসল কথা হল প্রাপ্ত তো হবে শুধুমাত্র বাবার কাছ থেকেই । বাকি সব তো শেষ হয়ে যাবে। বলা হয় বার্থ কন্ট্রোল করো, তার জন্যে কত বুদ্ধি খাটানো হয়, হবে কিছুই না। এখন যদি একটু ছোট খাটো যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে যায় তাহলেই অকাল পড়ে যাবে। একে অপরের সাথে মারামারি লেগে যাবে। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) জীবিত অবস্থায় বাবার কাছে সমর্পিত হতে হবে অর্থাৎ বাবার আপন হয়ে বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে। নিজের মতন করে পরিণত করার সেবা করতে হবে।

২ ) অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করে জগৎ অম্বা সম সকলের মনস্কামনা পূরণকারী হতে হবে।

বরদানঃ-
সব কথায় কল্যাণ ভেবে অচল, অটল মহাবীর স্বরূপ ত্রিকালদর্শী ভব

ব্যাখা: কোনও কথাকে একটি কালের দৃষ্টি দিয়ে দেখো না, ত্রিকালদর্শী হয়ে দেখো। কেন, কি ইত্যাদি প্রশ্নের বদলে সর্বদা এই সঙ্কল্প রাখো যে যা হচ্ছে তাতে কল্যাণ নিহিত আছে। বাবা যা বলেন তাই করতে থাকো, তারপরে বাবা জানবেন আর বাবার কাজ জানবে। বাবা যেভাবে চালান সেইভাবে চললে তাতে কল্যাণ রয়েছে । এই নিশ্চয়টি যেন কখনও টলমল না হয়। সঙ্কল্প এবং স্বপ্নেও যদি ব্যর্থ সঙ্কল্প না আসে তবেই বলা হবে অচল, অটল মহাবীর।

স্লোগানঃ-
তপস্বী হল সে যে শ্রীমতের প্রতিটি ইঙ্গিত প্রমাণ সেকেন্ডে নির্লিপ্ত ও প্রিয় স্বরূপে স্থির হয় ।