21/10/18
Avyakt Bapdada
Bengali
Murli
20.02.84 Om Shanti Madhuban
এক সর্বশ্রেষ্ঠ, মহান
আর সুন্দর মুহূর্ত
আজ, ভাগ্য বানানোর কারিগর, বাবা শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান সব বাচ্চাদের দেখে পুলকিত l তোমরা
বাচ্চারা প্রত্যেকে কিভাবে কল্প পূর্বের মতো তোমাদের ভাগ্য জাগিয়ে এখানে পৌঁছে গেছ
! তোমরা তোমাদের ভাগ্য উদয় করে এসেছো l চিনে নেওয়া অর্থাৎ ভাগ্যোদয় হওয়া l ডবল
বিদেশি বাচ্চাদের বরদান ভূমিতে বিশেষ সংগঠন হচ্ছে l এই সংগঠন ভাগ্যবান বাচ্চাদের
সংগঠন l তোমাদের ভাগ্য উন্মোচিত হওয়ার প্রথম শ্রেষ্ঠ সময় বা শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত সেটাই,
যখন তোমরা বাচ্চারা জেনেছো, স্বীকার করেছো আর বলেছো "আমার বাবা" l সেই মুহূর্তটাই
সমগ্র কল্পের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আর সুন্দর l এখনও সেই মুহূর্তের স্মৃতি তোমাদের মনে আসে,
তাই না ! পুরো সঙ্গমযুগই তোমরা একাত্ম হওয়ার, মিলনের, অধিকার পাওয়ার অনুভব করতে
থাকবে l কিন্তু সেই মুহূর্ত ছিলো যখন তোমরা অনাথ থেকে সনাথ হয়েছো এবং যা ছিলে তার
থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়েছ l যারা বিচ্ছিন্ন ছিলো তারা আবার মিলিত হয়েছে l যে আত্মার
কোনো প্রাপ্তি ছিলোনা, তারা প্রাপ্তির দাতার হয়েছে l সেটা ছিলো পরিবর্তনের প্রথম
মুহূর্ত, তোমাদের ভাগ্যোদয়ের মুহূর্ত, কতো মহান শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত ! সেই প্রথম
মুহূর্ত যখন তোমরা বাবার হয়েছো, তা' স্বর্গের জীবনের থেকেও মহান , "যা কিছু আমার,
তোমার হয়ে গেছে" l তোমার বলার সাথে সাথে তোমরা ডবল লাইট হয়ে গেছ l আমার - এই বোঝা
থেকে হালকা হয়ে গেছ, খুশির পাখনা পেয়েছো l মাটি থেকে আকাশে উড়তে শুরু করেছ l পাথর
থেকে তোমরা হীরায় পরিণত হয়েছো l চক্রাবর্ত থেকে নিস্তার পেয়ে চক্রধারী হয়ে গেছ l
সেই মুহূর্ত মনে আছে তোমাদের ? সেই বৃহস্পতির দশার সময় ? যখন তোমাদের তন, মন, ধন,
জন দ্বারা সর্ব প্রাপ্তির ভাগ্য পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ! যখন তোমাদের এইরকম দশা এবং
এইরকম ভাগ্যের রেখা ছিল, তোমরা শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান হয়েছ l তোমাদের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন
হল আর তোমরা বাবাকে দেখলে l সবাই তোমরা অনুভাবী, তাই না ! হৃদয়ে তো এই গীতই গাও
তোমরা, "বাহ্! সেই শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত" ! চমৎকারিত্ব সেই মুহূর্তের, তাই না ! এইরকম
মহান বেলায়, এইরকম ভাগ্যবান বেলায় আসা বাচ্চাদের দেখে বাপদাদা পুলকিত হচ্ছেন l
ব্রহ্মাবাবাও বলেন, "বাহ্ ! আদিদেবের আদিকালের রাজ্যভাগ্য অধিকারী আমার বাচ্চারা" !
শিববাবা বলেন, "বাহ্ ! অনাদিকালের অনাদি অবিনাশী অধিকার লাভ করা বাচ্চারা" ! তোমরা
হারানিধি বাচ্চা, যারা বাবা আর দাদার উভয়ের সর্বাধিকারী স্নেহময় সাথী l বাপদাদার এই
নেশা থাকে, বিশ্বে সকল আত্মারা তাদের জীবনসাথী, প্রকৃত সাথী, প্রেম-প্রীতির
দায়িত্বশীল সাথী অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেলেও তারা সন্তুষ্ট হয়না l তারা একজনও এমন
সাথী খুঁজে পায় না, সেখানে বাপদাদা কতো জীবনসাথী খুঁজে পেয়েছেন ! তারা প্রত্যেকে একে
অন্যের থেকে মহান l তোমরা প্রকৃত সাথী তো, তাই না ? এমন সত্যিকারের সাথী যে প্রাণ
গেলেও তোমরা ভালোবাসার দায়িত্ব নিঃশেষ হতে দাও না l এমন প্রকৃত সাথীই জীবনসাথী l
তোমরা কি জানো বাপদাদার জীবন কি ? বিশ্ব সেবাই বাপদাদার জীবন l সবাই তোমরা এইরকম
জীবনের সাথী, তাই না ! সুতরাং জীবনের প্রকৃত সাথী, যারা সদা সাথে থাকার দায়িত্ব
পালন করে, এমন কতো বাচ্চা আছে বাপদাদার ! দিনরাত কিসে বিজি থাকো ? সাথ দেওয়ার পূর্ণ
দায়িত্ব পালনে, তাই না ! জীবনসাথী সব বাচ্চাদের মধ্যে সদা কি সঙ্কল্প থাকে ? সেবার
কাড়া-নাকাড়া বাজানোর l এখনও সবাই তোমরা ভালোবাসার গভীরে ডুবে আছো l সেবার সাথী হয়ে
সেবার প্রমাণ নিয়ে এসেছো, তাই না ? তোমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী তোমরা সফলতা লাভ করে
চলেছো l ড্রামা অনুসারে যতখানি তোমরা করেছো, তা' খুব ভালো করেছো, এখন আরও উন্নতির
দিকে এগিয়ে যেতে হবে, তাই তো ! এই বছর, তোমরা জোরালো আওয়াজ তুলেছ, কিন্তু এখনও
মাত্র কিছু জায়গা থেকেই মাইক অর্থাৎ মহান ব্যক্তিত্বদের আনা হয়েছে l সব জায়গা থেকে
এখনও মাইক সকল আসেনি, এইজন্য আওয়াজ তো ছড়িয়েছে, কিন্তু চতুর্দিকে নিমিত্ত হওয়া,
যাদের আওয়াজ প্রবল, তাদের বড়ো মাইকই বলো বা সেবার নিমিত্ত আত্মা বলো, তারা এখানে
আসুক এবং যেখান থেকে তারা আসছে, প্রত্যেকে নিজেকে সেখানের মেসেঞ্জার মনে করে ফিরে
যাক l এখন যেখান থেকে এসেছে সেখানের মেসেঞ্জার হতে হবে l যতই হোক, চারদিকের মাইকসকল
এখানে আসুক আর মেসেঞ্জার হয়ে ফিরে যাক l চতুর্দিকের সব কোণে এই মেসেজ যদি সবাই পেয়ে
যায়, তবে একই সময়ে চারিদিকের আওয়াজ বেরোবে l একেই বলা হয়ে থাকে ঢাকে কাঠি পড়া অর্থাৎ
বৃহৎ কাড়া-নাকাড়া বেজে ওঠা l সবখানে এক বাদ্যধ্বনি মুখরিত হোক, "আমরা এক, আমরা এক"
, তখনই তোমরা বলতে পারবে, প্রত্যক্ষতার কাড়া বেজেছে l
এখন, প্রত্যেক দেশে ব্যান্ড বেজেছে l কাড়া-নাকাড়া বাজতে হবে এখন l ব্যান্ড খুব ভালো
বাজানো হয়েছে, সেইজন্য বিভিন্ন দেশের নিমিত্ত হওয়া আত্মারা ভ্যারাইটি ব্যান্ড
বাজাচ্ছে দেখে আর শুনে বাপদাদা পুলকিত হয়েছেন l ভারতের ব্যান্ডও তিনি শুনেছেন l
ব্যান্ডের আওয়াজ আর ঢাকের আওয়াজে ফারাক আছে l মন্দিরে ব্যান্ডের বদলে তারা ঢাক
বাজায় l এখন বুঝেছো তোমরা কি করতে হবে তোমাদের ? সংগঠিত রূপের আওয়াজ অতি প্রবল l
এখনও যদি একজন হাঁ জী বলে, আর তারপরে যদি সবাই মিলে হাঁ জী বলে, তাহলে ফারাক তো
হবেই, তাই না ? ইঁনিই এক, শুধু ইঁনিই এক, একমাত্র এক l এই জোরালো আওয়াজ সর্বত্র একই
সময়ে বার হওয়া উচিৎ l যখন তোমরা টিভিতে, রেডিওতে, সংবাদপত্রে দেখবে, লোকমুখে শুনবে,
শুধু প্রবলভাবে এই একই আওয়াজ হবে l ইন্টারন্যাশনাল আওয়াজ হতে দাও, তাই তো বাপদাদা
জীবন সাথীদের দেখে খুশি হন l যাঁর এত জীবনসাথী এবং প্রত্যেকে মহান, তখন সর্বকার্য
হয়েই আছে l শুধু বাবা নিমিত্ত হয়ে শ্রেষ্ঠ কর্মের প্রালব্ধ অর্জন করতে তোমাদের
সমর্থ বানাচ্ছেন l আচ্ছা !
এখন তো মিলনের সীজন l পোল্যান্ডের বাচ্চারা সব চেয়ে ছোট এবং হারানিধি l ছোট
বাচ্চারা সবসময় প্রিয় হয় l তোমরা যারা পোল্যান্ডের, তোমাদের এই নেশা থাকে যে তোমরা
সবচেয়ে বেশি হারানিধি বাচ্চা, তাই না ! সব সমস্যাকে বশীভূত করে তবুও তো পৌঁছে গেছ,
তাই না ! একেই বলা হয় গভীর নিষ্ঠা l গভীর নিষ্ঠা সমস্ত বাধা-বিঘ্ন সমাপ্ত করে l
তোমরা বাপদাদারও এবং পরিবারেরও প্রিয় l পোল্যান্ড এবং পর্তুগাল, দুই দেশেরই গভীর
ভালোবাসা আছে l তোমরা না দেখেছো ভাষা আর না দেখেছো অর্থ, কিন্তু তোমাদের প্রীতি
তোমাদের উড়তে সমর্থ বানিয়েছে l যেখানে স্নেহ আছে, সেখানে তোমাদের অবশ্যই সহযোগ
প্রাপ্ত হয় l অসম্ভব থেকে সবকিছু সম্ভব হয়ে যায় l সুতরাং, বাপদাদা এইরকম সুইট
বাচ্চাদের স্নেহ দেখে আনন্দিত হন এবং নিষ্ঠাভরে সেবা ক'রে নিমিত্ত হওয়া বাচ্চাদের
ধন্যবাদ জানান l তোমরা ভালোবাসার সাথে খুব ভালো মেহনত করেছো l
কার্যতঃ, এই বছর সবাই খুব ভালো গ্রুপ নিয়ে এসেছে l যেমনই হোক এইসব দেশগুলোর নিজস্ব
বিশেষত্ব আছে এবং এই কারণে বাপদাদা বিশেষভাবে তাদের দেখছেন l সকলেই নিজের নিজের
সেবাস্থানের খুব ভালো বৃদ্ধি করেছ, আর এইজন্য বাপদাদা জায়গাগুলোর নাম উল্লেখ করেন
না l যাই হোক, সব জায়গারই নিজস্ব বিশেষত্ব আছে l মধুবন পর্যন্ত পৌঁছানো, এটাই সেবার
বিশেষত্ব l চারিদিকের সব নিমিত্ত বাচ্চাদের বাপদাদা বিশেষ স্নেহের পুষ্প উপহার
দিচ্ছেন l সর্বত্র ইকনমির ওপর-নীচ হওয়া সত্ত্বেও তোমরা এত আত্মাদের উড়িয়ে নিয়ে এসেছো
l এটাই ভালোবাসার সাথে মেহনতের লক্ষণ l এটাই সফলতার লক্ষণ l সুতরাং, তোমাদের
প্রত্যেকের নামসহ স্নেহপুষ্প গ্রহণ করা উচিৎ l যারা আসেনি তাদের থেকে স্মরণের অনেক
পত্রমালা এসেছে l সুতরাং বাপদাদা আকার রূপে না পৌঁছানো বাচ্চাদেরও স্নেহভরা স্মরণ
দিচ্ছেন l চতুর্দিক থেকে আসা বাচ্চাদের স্মরণের রেসপন্স দিচ্ছেন l তোমরা সবাই স্নেহী
l বাপদাদার জীবনসাথী, তোমরা কাছের রত্নরাজি, যারা জীবনসাথীর দায়িত্ব সদা পূরণ করে,
আর এই কারণে স্মরণ-পত্রের এবং মেসেঞ্জারের আগে তোমাদের স্মরণ বাপদাদার কাছে পৌঁছে
গেছে এবং এখনো তাঁর কাছে পৌঁছানো অব্যাহত আছে l তোমরা বাচ্চারা এইরকম সেবার জন্য
প্রবল আগ্রহ জাগাও l বাবার থেকে তোমরা যে শান্তি আর খুশির খাজানা লাভ করেছো, তা'
সকল আত্মাদের খুব ক'রে বিতরণ করো l সকল আত্মার এটাই আবশ্যক, প্রকৃত খুশি আর প্রকৃত
শান্তির l খুশির জন্য মানুষ কতো সময়, অর্থ এবং শারীরিক শক্তিও শেষ করে দেয় l হিপ্পি
হয়ে যায় l এখন তাদের হ্যাপি বানাও l সবার আবশ্যকতা পূরণ করে অন্নপূর্ণার ভান্ডার হও
l এই সন্দেশ (বার্তা ) বিদেশের সব বাচ্চাদের পাঠিয়ে দাও l বাপদাদা সব বাচ্চাদের
মেসেজ দিচ্ছেন l কিছু বাচ্চা এমনও আছে যারা অসতর্কতা বশতঃ চলতে চলতে তীব্র
পুরুষার্থী হওয়া থেকে ধীরগতির পুরুষার্থী হয়ে যায় l আর কেউ কেউ মাঝে মাঝে মায়ার
চক্রে ধরা পড়ে যায় l তারপরে, যখন আটকা পড়ে, তারা অনুতাপ করে l মায়ার আকর্ষণে প্রথমে
তো ঘূর্ণাবর্তের মতো লাগে না, বরং আরামপ্রদ মনে হয় l কিন্তু যখন চক্রে ফেঁসে যায়
তখন তারা সচেতন হয়, আর সচেতন হওয়ার কারণে বাবাকে বলে, বাবা কি করবো ? এমন চক্রে বশ
হওয়া বাচ্চাদের থেকেও অনেক পত্র পান বাবা l বাপদাদা এমন বাচ্চাদেরও স্মরণ-স্নেহ
দিচ্ছেন, এবং আবারও একবার এটা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন l ভারতে একটা প্রবাদ আছে, রাতের
ঘর-ভোলা যদি দিনে ঘরে ফিরে আসে, তবে তাকে ভোলা বলা যায় না l যদি তোমরা এইভাবে আবারও
একবার উদ্বুদ্ধ অর্থাৎ জ্ঞানদীপ্ত হও, তবে অতীত অতীতই হয়ে যায় l আবার নতুন উদ্যম,
নতুন উৎসাহ, নতুন জীবন অনুভব ক'রে সামনে এগিয়ে যেতে পারো l
বাপদাদা তোমাদের তিনবার ক্ষমা করেন l তিনবার হলেও চান্স দেন, এইজন্য কোনও সঙ্কোচ
করার দরকার নেই l যদি তোমাদের স্নেহ থাকে তবে সঙ্কোচ বাদ দিয়ে তোমরা যদি ফিরে আসো,
আবারও নিজের উন্নতি করতে পারো l এইরকম বাচ্চাদেরও এই সন্দেশ বিশেষভাবে দাও l কেউ
কেউ তাদের সার্কমস্ট্যান্সের কারণে আসতে পারেনা, হতাশার ফলে তারা খুব মরিয়া হয়ে
বাবাকে স্মরণ করছে l বাপদাদা সব বাচ্চাদের প্রকৃত হৃদয় সম্পর্কে জানেন l যেখানে
প্রকৃত হৃদয় আছে, সেখানে আজ নয়তো কাল অবশ্যই সফল হবে l আচ্ছা !
বাপদাদার সামনে সবাই ডবল বিদেশি l এটা তাদেরই সীজন, তাই না ! যাদের সীজন তাদের
প্রথমে খাওয়ানো হয়ে থাকে l যারা সবাই দেশের অর্থাৎ যারা ভাগ্যবান আত্মা, যারা এই
দেশের, তাদের এই অ্যাডিশনাল নেশাও থাকে, এই ভূমির হওয়ার অর্থাৎ তারা বাবার অবতরণ
ভূমিবাসী l এইরকম সেবা সঞ্চালিত হয় যেখানে, সেই ভারতভূমির, বাবার অবতরণ ভূমির এবং
তোমাদের ভবিষ্যতের রাজ্যভূমির সমস্ত বাচ্চাদের বাপদাদা বিশেষ স্মরণ-স্নেহ দিচ্ছেন,
কারণ সবাই নিজ নিজ নিষ্ঠা, উৎসাহ-উদ্দীপনা অনুযায়ী সেবা করেছ, আর সেবা করার কারণে
অনেক আত্মাদের বাবার কাছে নিয়ে এসেছো l এইজন্য সেবার রিটার্ণে বাপদাদা সমস্ত
বাচ্চাদের স্নেহপুষ্পের স্তবক দিচ্ছেন l তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছেন l তোমরাও
পুষ্পস্তবক দিয়ে সবাইকে স্বাগত জানাও, তাই না ! সুতরাং বাবা তোমাদের সবাইকে ফুলের
তোড়াও দিচ্ছেন এবং তোমাদেরকে সাফল্যের ব্যাজ লাগিয়ে দিচ্ছেন l বাপদাদার থেকে পাওয়া
ব্যাজ এবং ফুলের তোড়া তোমরা প্রত্যেকে নিজের নামে গ্রহণ কোরো l আচ্ছা !
জোনের (zone) ইনচার্জ দাদীরাই চেয়ারম্যান l চেয়ারম্যান অর্থাৎ সদা সীটে সেট হওয়া,
যারা তাদের সীটে সদা সেট থাকে, তাদেরই বলা হয় চেয়ারম্যান l চেয়ারের সাথে তোমরা
নিয়ারও (near) অর্থাৎ কাছেরও তোমরা l সেইজন্য তোমরা সদা আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত প্রতি
পদে বাবার সাথী l বাবার কদম আর তাদের কদম সদা এক l বাবার প্রতি পদে তোমরা পদক্ষেপ
করো, সেইজন্য প্রতি পদে সদাসর্বদার সাথীদের পদম-পদম-পদমগুন স্মরণ-স্নেহ দিচ্ছেন এবং
অতি সুন্দর হীরের শতদল (পদ্ম) বাবার থেকে তোমাদের স্বীকার করে নিতে হবে l মহারথীদের
মধ্যে ভাইরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে l পাণ্ডব সদা শক্তিদের সাথী l পাণ্ডবদের সবসময় খুশি
থাকে যে বাবার যা কাজ, তা' শক্তিসেনা এবং পান্ডবসেনা উভয়ে একসাথে মিলে নিমিত্ত হয়ে
সাফল্য নিয়ে আসা সফলতার প্রতিমূর্তি হয়ে ওঠে l এই কারণে পান্ডবরাও কম নয়, পান্ডবরাও
মহান l প্রত্যেক পান্ডবের বিশেষত্ব তার নিজের, সবাই তোমরা বিশেষ সেবা করছো এবং সেই
বিশেষত্বের আধারে, বাবা আর পরিবারের সামনে তোমরা বিশেষ আত্মা, সেইজন্য বাপদাদা এমন
সেবার নিমিত্ত তোমরা সব বিশেষ আত্মাদের বিজয় তিলক দ্বারা বিশেষভাবে স্বাগত
জানাচ্ছেন l বুঝেছো তোমরা ? আচ্ছা -
এখন সবাই তোমরা সবকিছু পেয়ে গেছ, তাই না ? কমল, তিলক, ফুলের তোড়া, ব্যাজ সবকিছু পেয়ে
গেছ তো ? ডবল বিদেশিদের কতোভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে ! সময়ের আগেই প্রত্যেকে
স্মরণ-স্নেহ লাভ করেছে l সে যাই হোক, ডবল বিদেশী এবং স্বদেশী, তোমরা সব বাচ্চারা সদা
উন্নতি করতে থাকো আর বিশ্ব পরিবর্তন করে সদাসর্বদা খুশির দোলায় দুলতে থাকো l এইরকম
বিশেষ সেবাধারী বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ এবং নমস্কার l
ত্রিনিদাদ গ্রুপের সাথে :- নিজেদের সদা সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ আত্মা মনে করো ?
ব্রাহ্মণদের সবসময় উঁচু শিখার প্রতীক রূপে দেখানো হয় l বাবা উঁচু থেকেও উঁচুতম,
সময়ও উঁচু থেকে উঁচু, সুতরাং তোমরা নিজেরাও উঁচু l যারা সদা উঁচু স্থিতিতে স্থিত
থাকে তারা নিজেরা নিজেদের সদাই ডবল লাইট অনুভব করে l তাদের কোনোরকম বোঝা থাকেনা, না
সম্বন্ধের, না নিজের কোনো পুরানো স্বভাব সংস্কারের l একেই বলা হয় সর্ব সম্বন্ধ থেকে
মুক্ত l এতটাই ফ্রী তোমরা ! সমস্ত গ্রুপ নির্বন্ধন গ্রুপ l আত্মা হিসেবেও এবং
শরীরের সম্বন্ধ থেকেও l নির্বন্ধন আত্মা কি করবে ? তারা সেন্টার দেখভাল করবে, তাই
না ? সুতরাং কতো সেবাকেন্দ্র খোলা উচিৎ ? তোমাদের টাইমও আছে আর তোমরা ডবল লাইটও,
সুতরাং তোমরা অন্যদের নিজের সমান বানাবে, তাই না ? তোমরা যা পেয়েছো, সেসব অন্যকেও
দিতে হবে l তোমরা বুঝতে পারো, তাই না, যে আজকের বিশ্বের আত্মাদের এই অনুভবের কতো
আবশ্যকতা আছে ! এমন সময়ে, তোমরা প্রাপ্তিস্বরূপ আত্মাদের কি কর্তব্য ! সুতরাং, এখন
সেবার আরও বৃদ্ধি হতে দাও l এমনিতেই ত্রিনিদাদ সম্পন্ন দেশ, সুতরাং ত্রিনিদাদ
সেন্টার থেকে স্টুডেন্টের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী হওয়া উচিৎ l তোমাদের আশেপাশে অনেক
এরিয়া আছে, তাদের জন্য করুণার উদ্রেক হয়না ? সেন্টারও খোলো আর বড়ো মাইকও আনো l এত
সাহসী আত্মারা যা চায় তাই করতে পারে l শ্রেষ্ঠ আত্মাদের দ্বারা যা শ্রেষ্ঠ সেবা হবে,
তা' পূর্ব নির্ধারিত l আচ্ছা !
বরদানঃ-
ভ্যারাইটি
অনুভূতি দ্বারা সদা উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভরপুর থেকে বিঘ্নজিৎ ভব
রোজ অমৃতবেলায়,
উৎসাহ-উদ্দীপনার ভ্যারাইটি পয়েন্টস সারা দিনের জন্য তোমাদের বুদ্ধিতে ইমার্জ করো l
প্রতিদিনের মুরলি থেকে উৎসাহ-উদ্দীপনার পয়েন্টস নোট করো, সেই ভ্যারাইটি পয়েন্টস
উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়াবে l মনুষ্য আত্মা ভ্যারাইটি পছন্দ করে l সুতরাং, তোমরা জ্ঞানের
পয়েন্ট মনন করো বা রূহরিহান করো, ভ্যারাইটি রূপের সাথে জিরো হয়ে নিজের হিরো পার্টের
স্মৃতিতে থাকো, তাহলে উদ্যম-উৎসাহে ভরপুর থাকবে এবং সব বিঘ্ন সহজে সমাপ্ত হয়ে যাবে
l
স্লোগানঃ-
নিজের স্থিতিকে
এমন শান্তিপ্রিয় বানাও যাতে ক্রোধের ভূত দূর থেকে পালিয়ে যায় l