০৪-১০-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- দেহের সম্বন্ধে বন্ধন আছে, তাই দুঃখ আছে, যদি দেহী-র সম্বন্ধে থাকো তবে অপার সুখ প্রাপ্ত করবে, একমাত্র মাতা-পিতার স্মরণ থাকবে"
প্রশ্ন:-
কোন্ নেশায় থাকলে মায়াকে পরাজিত করার সাহস আসবে ?
উত্তর:-
এই নেশা যেন থাকে যে কল্প-কল্প আমরা বাবার স্মরণের দ্বারা মায়া শত্রুকে পরাজিত করে হীরে সম হই। স্বয়ং খোদা হলেন আমাদের মাতা-পিতা, এই স্মৃতি বা নেশায় থাকলে সাহস এসে যাবে। সাহসী বাচ্চারা বিজয়ী অবশ্যই হয় এবং গডলি সার্ভিসে রেডি থাকে ।
গীত:-
তোমায় আহ্বান করতে ইচ্ছা হয়.....।
ওম শান্তি !
দেবী-দেবতাদের পূজারী পারলৌকিক মাতা-পিতাকে স্মরণ তো করেই থাকে আর ভক্তরাও জানে আমাদের ভক্তির ফল দিতে মাতা-পিতাকে অবশ্যই আসতে হবে । এবারে এই মাতা-পিতা হলেন কে - তারা সেই কথা জানেনা। আহবান করে, ফলে প্রমাণিত হয়, তাদের সম্বন্ধ আছে নিশ্চয়ই। এক হয় লৌকিক সম্বন্ধ, দ্বিতীয় হয় পারলৌকিক সম্বন্ধ। লৌকিক সম্বন্ধ তো অনেক প্রকারের হয়। কাকা, মামা, ইত্যাদি এই হল লৌকিক বন্ধন, তাই পরম পিতা পরমাত্মাকে আহবান করা হয়। এ কথা তো বাচ্চারা জানে সত্যযুগে কোনো বন্ধন নেই। বাবাকে ডাকে যে আমরা এখন বন্ধনে আছি, তোমার শরণে যেতে চাই । ভক্তদের মনে আছে আমরা অনেক রকমের বন্ধনে আছি। দেহ বোধের স্মরণ থাকার দরুন অনেক বন্ধন আছে। দেহী(আমি শরীর নই, আমি হলাম আত্মা) ভাব-এর দ্বারা একমাত্র মাতা-পিতা স্মরণে থাকে। লৌকিক এবং পারলৌকিক-কে স্মরণের মধ্যে রাত-দিনের তফাৎ আছে। এ হল দৈহিক বন্ধন আর ওটা হল রূহানী বা আত্মিক সম্বন্ধ। দৈহিক সম্বন্ধ সত্যযুগে থাকে, কিন্তু সেখানে সেটা হল সুখের সম্বন্ধ । এখানে যেটা আছে তাকে দুঃখের বন্ধন বলা হবে, সম্বন্ধ বলা হবে না। এইসব কথা আগে জানা ছিল না । এখন বুঝেছ, যদিও তোমরা ডাকতে - হে মাতা-পিতা এসো। বাবা তো সবাইকে নিশ্চয়ই সুখ-ই দেবেন। কিন্তু বাবা কি সুখ দেন - সে কথা কেউ জানেনা। এখন বাবার সঙ্গে সম্বন্ধ আছে , ওঁনার কাছে সদা সুখের প্রাপ্তি হয়। সুখকে সম্বন্ধ , দুঃখকে বন্ধন বলা হবে। সুতরাং বাচ্চারা মাতা-পিতাকে আহবান করে যে এসে এমন মিষ্টি কথা শোনাও। তারা ইনডাইরেক্টলি ডাকে, তোমরা ডাইরেক্ট আহবান করো। তারাও স্মরণ করে - হে পরম পিতা পরমাত্মা। পিতা যখন আছেন তখন মাতাও থাকা উচিত। তা নাহলে বাবা ক্রিয়েট করবেন কিভাবে ? শিববাবাকে বাচ্চারা চিঠি লিখবে কিভাবে ? এমন হলে তো তিনি পড়তে পারবেন না। শিববাবা তো এখানে বসে আছেন, তাই লেখেন শিববাবা থ্রু ব্রহ্মা। শিববাবা অবশ্যই কোনো শরীর তো ধারণ করবেন। গায়নও করে - আত্মা আর পরমাত্মা আলাদা রয়েছে বহুকাল, সদগুরু তাঁকে বলা হয়। তিনি হলেন সকলের সদগতি দাতা। তিনি এসে এই শরীরে প্রবেশ করেন। তারপরে বসে এনাকে ৮৪ জন্মের রহস্য বলেন। ব্রহ্মার রাত, ব্রহ্মার দিন গায়ন আছে। প্ৰথমে আছেন পরমপিতা পরমাত্মা রচয়িতা। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকে রচনা করেন। যথাযথভাবে পরমপিতা, ব্রহ্মার রাত-কে পুনরায় ব্রহ্মার দিন করতে আসেন। প্রজাপিতা ব্রহ্মার দিন তো প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীদের দিনও হল। দিন বলা হয় সত্যযুগ-ত্রেতাকে। রাত, দ্বাপর-কলিযুগকে। এখন তোমরা বাচ্চারা এসেছ বাবার কাছে স্বর্গের বর্সা নিতে। ওঁনার জন্যেই গায়ন আছে ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা ... সখা রূপে হালকা ভাবে এসে আনন্দিত হন। মুখ্য হল তিনটি সম্বন্ধ - পিতা, শিক্ষক, সদগুরু। এই সম্বন্ধেই লাভ আছে। বাকি কাকা, মামা ইত্যাদি সম্বন্ধের কোনো কথা নেই। সুতরাং সম্পূর্ণ পিতা এসে বাচ্চাদের সম্পূর্ণ করেন। ১৬ কলা সম্পূর্ণ তোমরা হচ্ছ। তোমরা হলে অনুভবী। অন্যরা কি করে জানবে। তারা যতক্ষন বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের সঙ্গ প্রাপ্ত না করছে ততক্ষণ কিভাবে বুঝবে।
এখন তোমরা জানো ভক্তি মার্গেও বন্ধন আছে। তখন স্মরণ করা হয় যখন রাবণ রূপী ৫ বিকারের বন্ধনে আছে। বাবার নাম-ই হল লিব্রেটর অর্থাৎ উদ্ধারকর্তা। ইংরেজি শব্দটি খুব ভালো। মানুষদের লিবারেট করেন, লিবারেট করা হয় দুঃখ থেকে, মায়ার বন্ধন থেকে লিবারেট করতে আসেন। তারপরে গাইড-ও হলেন তিনি। গীতায় আছে মশা বা পতঙ্গের মতো সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান অর্থাৎ বিনাশ নিশ্চয়ই হবে। এই গায়ন তো আছে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা, শঙ্কর দ্বারা বিনাশ করান। তারপরে যে স্থাপনা হয় ওঁনার দ্বারা পালন হয়। এখন তোমরা তৈরি হচ্ছ - নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে । দেহের বন্ধনকে বুদ্ধি দ্বারা ত্যাগ করতে হবে। সন্ন্যাসীরা তো ঘর সংসার ত্যাগ করে চলে যায়। তোমরা গৃহস্থে থেকে রাজ যোগের শিক্ষা প্রাপ্ত করো। জনকের দৃষ্টান্ত দেওয়া আছে । তিনি আবার গিয়ে অনু জনক হয়ে যান। অনেক বাচ্চারা বলে আমরা জনকের মতন নিজের রাজধানীতে থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত করব। প্রত্যেকে নিজের ঘরের রাজা কিনা। মালিককে রাজা বলা হয়। পিতা এবং তার স্ত্রী ও সন্তান - এ হল হদের রচনা অর্থাৎ দেহের রচনা। রচনা করেন, পালন পোষণও করেন। কিন্তু সংহার করতে পারেনা। কারণ সৃষ্টির তো বৃদ্ধি হবেই। সবাই জন্ম দেয়। কেবলমাত্র বেহদের বাবা আসেন নতুন রচনা করেন এবং পুরানোকে বিনাশ করেন। নতুন সৃষ্টির স্থাপনা এবং পুরানো সৃষ্টির বিনাশ তো ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করের রচয়িতা পরম পিতা পরমাত্মা-ই করবেন। এইসব কথা তোমরা বাচ্চারা খুব ভালো করে বুঝেছ। কথা গুলি খুবই সহজ। নামটাই হল সহজ যোগ বা স্মরণ। ভারতের জ্ঞান বা যোগ হল বিখ্যাত।
বাচ্চারা তোমাদের বাবা এখন দৈবী মতামত দিচ্ছেন যার দ্বারা তোমরা সর্বদা খুশীতে থাকো। মাতা-পিতার দ্বারা নতুন সৃষ্টির রচনা হয়। এই কথাতো সবাই জানে যে খোদা আমাদের জন্ম দিয়েছেন। এখন তোমরা বোঝো খোদা কিভাবে এসে নতুন সৃষ্টির রচনা করেন । নতুন সৃষ্টিকে অ্যাডপ্ট করেন। অবশ্যই মাতা পিতা আছেন। বাবা আছেন তারপরে নিজেই এনার দ্বারা অ্যাডপ্ট করেন, ইনি হলেন বড়-মা। পরে প্রথম নম্বরে সরস্বতীকে অ্যাডপ্ট করেছেন। বাবা এনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন তাইনা। এই মাম্মা হলেন অ্যাডপ্টেড। তোমাদের জন্যে হলেন মাতা-পিতা। আমার জন্যে অর্থাৎ ব্রহ্মা বাবার জন্যে স্বামীও তিনি, পিতাও হলেন তিনি। প্রবেশ করে নিজের স্ত্রী রূপে এবং সন্তান রূপেও স্বীকার করেছেন। এসব হল খুবই রমণীয় কথা, যা সমুখে বসে শোনা উচিত। তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী বোঝে। যদি সবাই বুঝেছে তাহলে অন্যদের বোঝাবে । বোঝাতে পারবেনা অর্থাৎ কিছুই বোঝেনি। জড় বীজ দ্বারা বৃক্ষ জন্ম নেয় - এই কথা তো সবাই চট করে বলে দিতে পারে। যতক্ষণ না এই বেহদের বৃক্ষের জ্ঞান বাবা এসে বোঝাচ্ছেন ততক্ষণ কেউ বুঝতে পারেনা। তোমরা জানো আমরা বাবার কাছে রাজযোগের শিক্ষা প্রাপ্ত করে অবিনাশী বর্সা নিচ্ছি। এই কথা তো বুদ্ধিতে থাকা উচিত। এ হল ডবল সম্বন্ধ। সেখানে তো সিঙ্গল সম্বন্ধ হয়। পারলৌকিক পিতাকে স্মরণ করেনা। এইখানে এইসব হল বন্ধন। তোমরা জানো আমরা এখন ঐ সম্বন্ধেও আছি। পিতার সম্বন্ধে এখন এসেছি, ঐ বন্ধন থেকে মুক্ত হতে। আজকাল তো কতরকম মতামত আছে। নিজেদের মধ্যেই লড়াই করে। জল নিয়ে, ভূমি নিয়ে লড়াই করে। এ হল আমাদের সীমার মধ্যে, আর ওটা হল তোমাদের সীমার বাইরে। একেবারেই দেহের ভাবে এসেছে। এই কথা ভুলে গেছে যে ভারতবাসী সত্যযুগ বেহদের (অসীমের) মালিক ছিল। যারা মালিক ছিল তারা-ই ভুলে যায়। ভুলতে তো অবশ্যই হবে তবেই তো বাবা আবার এসে বোঝাবেন। এসব কথা তোমরা এখন জানো। ওখানে আছে বন্ধন। এখানে মাতা-পিতার সঙ্গে আছে সম্বন্ধ। জানো যে আমরা শ্রীমৎ অনুসারে চলে অপার সুখের বর্সা প্রাপ্ত করি। বাবা বলেন আমি তোমাদের সুখের বর্সা প্রদান করি। তাহলে অভিশাপ কে দেয় ? মায়া রাবণ। অভিশাপে আছে দুঃখ, বর্সায় তো সুখ থাকে। মানুষ জানেনা যে মানুষকে দুঃখের বর্সা কে দেয় ? বাবা সত্যযুগ স্থাপন করেন অতএব সুখের বর্সা-ই দেবেন। বাবাকে দুঃখের বর্সা প্রদানকারী বলা হবেনা। দুঃখ তো দেয় শত্রু। কিন্তু এইসব কথা কেউ বুঝতে পারেনা। কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে গেছে। বলেছে, লঙ্কা লুট হয়েছে, সোনা আনা হয়েছে। এবারে সোনা শিলংয়ে রাখা তো হয়নি। সোনা তো পাওয়া যায় খনিতে। কোথাও নদীতেও পাওয়া যায়।
বাচ্চারা জেনেছে এই হল অনাদি ওয়ার্ল্ড ড্রামা। বাচ্চারা এই জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে আছে। যারা বোঝেনা, বা বোঝাতে পারেনা তারা কি ব পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে ! তারা শিক্ষিতদের সামনে বোঝা বইবে। রাজা-রানী, প্রজা তে তফাৎ তো আছে তাইনা। যেমন মাম্মা-বাবা গিয়ে উঁচু পদের অধিকারী হন। তোমরাও পুরুষার্থ করে এত পড়া করো যে মাম্মা-বাবার সিংহাসনে বসতে পারো, বিজয় মালার দানা হতে পারো। অনেক প্রলোভন দেওয়া হয়। রাজযোগ কিনা ! তোমরা রাজযোগের দ্বারা রাজত্ত্ব প্রাপ্ত করো। পুরুষার্থ অনুযায়ী প্রজা তো হবেই। সর্বদা বলা হয় ফলো ফাদার। তোমরা সন্তান কিনা। উনিও ফাদার ইনিও ফাদার, এখানে আবার মাদারও আছেন। নম্বর ওয়ানে ফলো করছে। তোমরা হলে ভাই-বোন। পিতা তো একজনই হওয়া চাই। ও গড ফাদার সবাই বলে অর্থাৎ সবাই ভাই-বোন হয়ে গেল । আর কোনো বিশেষ কোনো সম্বন্ধ নেই। ভাই-বোন , ব্যস। আর তাদের পিতা, দাদা, ভাই, বোন তো অনেক আছে। বাবাও আছেন একজন, দাদাও আছেন একজন । এক হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা, ওনার দ্বারা রচনা করা হয়। তোমরা বোন-ভাইরা পদ মর্যাদা প্রাপ্ত কর নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। বাকিরা গিয়ে নিজের নিজের ঝাড়ে স্থান পাবে। ঠিকানা তো আছে তাইনা। তারা যেখান থেকে নম্বর অনুযায়ী আসে। এখানে হল জীবন বন্ধন। আত্মারা সেখান থেকে নেমে এসে সর্ব প্ৰথমে সুখে অবস্থান করে তাই প্ৰথমে জীবন মুক্ত হয়। সর্ব প্ৰথমে হয় স্বর্গে ভারতবাসীর জীবনমুক্তি। কত ভালো ভালো কথা বাবা শোনান। আমার তো একমাত্র সর্বোত্তম টিচার, অন্য কেউ নয়। কন্যারা বলবে আমার তো এক শিববাবা .... কন্যাদের এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দিতে হবে। এই গভর্নমেন্টের অধীনস্থ হয়ে গিয়ে ঈশ্বরীয় সেবায় যুক্ত থাকতে হবে। তখন অসুরী সার্ভিস করবে কিভাবে ? প্রত্যেকের কর্ম বন্ধন অনুযায়ী পরামর্শ দেওয়া হয়। দেখা হয়, এগোতে পারবে কিনা। তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী হলে কেবল গডলি সার্ভিসে লিপ্ত হয়ে যায়। *বাচ্চারা তোমাদের হল গডলি সার্ভিস, নির্বিকারী করার সার্ভিস*। আমরা হলাম সেনা। গড আমাদের মায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করা শেখান। রাবণ হল সবথেকে পুরোনো শত্রু। এই কথা শুধু তোমরাই জানো। তোমরা রাবণকে পরাজিত করে হীরে তুল্য হবে। বাচ্চাদের ঐ সাহস, ঐ নেশা থাকা উচিত। মানুষ তো লড়াই করতে থাকে, সব জায়গায় দেখো কেবল ঝগড়া। আমাদের কারো সঙ্গে ঝগড়া নেই। বাবা বলেন আমায় স্মরণ করো তো বিকর্ম বিনাশ হবে। মায়ার আক্রমন হবেনা। তারপরে বর্সা অর্থাৎ স্বর্গকে স্মরণ করো। এসবও কাউকে বলতে হবে তাইনা। বাবার পরিচয় দিয়ে ওঁনার সঙ্গে বুদ্ধিযোগ লাগাতে হবে। তিনি হলেন আমাদের মাতা বা পিতা। শিববাবা যদি আছেন তো বলো তোমাদের মাতা কে ? এই কথাটি কত গুহ্য। তোমরা জিজ্ঞাসা করো যে আত্মার পিতা কে ? তারাও লিখে দেবে পরমাত্মা। আচ্ছা, তাহলে মাতা কোথায় আছে ? মাতা ব্যতীত সন্তানের রচনা হবে কিভাবে ? তখন জগৎ অম্বার দিকে দৃষ্টি যায়। আচ্ছা, জগৎ অম্বাকে কিভাবে রচনা করা হয়েছে ? এই কথাও কারো জানা নেই। তোমরা জানো ব্রহ্মার কন্যা সন্তান হলেন সরস্বতী। উনিও হলেন মুখ বংশাবলী। রচয়িতা তো হলেন পিতা। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা পিতা বাপদাদার স্নেহপূর্ণ স্মরণ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. আমার একমাত্র সর্বোত্তম টিচার অন্য আর কেউ নয় - এই নিশ্চয় দ্বারা মাতা-পিতার মতো পড়া করতে হবে। পুরুষার্থে পুরো ফলো করতে হবে।
২. দেহের বন্ধনকে বুদ্ধি দ্বারা ত্যাগ করতে হবে। দৈবী মতানুসারে চলে সর্বদা খুশী থাকতে হবে। ঈশ্বরীয় সেবা করতে হবে।
বরদান:-
দেহ, মন এবং হৃদয়ের স্বচ্ছতা দ্বারা সাহেবকে রাজি করতে পারা প্রকৃত সত্য হোলি-হংস ভব
স্বচ্ছতা অর্থাৎ মন-বাণী-কর্ম, সম্বন্ধ সবেতেই পবিত্রতা। সাদা রং পবিত্রতার প্রতীক রূপে দেখানো হয়। তোমরা হোলি-হংসরা হলে শ্বেত বস্ত্রধারী, শুদ্ধ হৃদয় অর্থাৎ স্বচ্ছতা স্বরূপ । তোমরা হলে দেহে, মনে ও হৃদয়ে সর্বদা বেদাগ অর্থাৎ স্বচ্ছ। হংসের বিশেষত্ব হল স্বচ্ছতা তাই ব্রাহ্মণ আত্মাদের হোলি-হংস বলা হয়।
স্লোগান:-
যারা এই সময় সবকিছু সহ্য করে তারা-ই শাহেনশাহ হয় ।