০৩-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- জ্ঞান ও যোগের সঙ্গে তোমাদের চলনও খুব ভালো হওয়া উচিত, কোনো রকমের ভূত যেন ভিতরে না থাকে কারণ তোমরা হলে ভূত নিষ্কাশনকারী"
প্রশ্ন:-
সুপুত্র বাচ্চাদের কোন্ নেশাটি স্থায়ী হতে পারে ?
উত্তর:-
বাবার কাছে আমরা ডবল মুকুটধারী, বিশ্বের মালিক হওয়ার বর্সা প্রাপ্ত করছি। এই নেশা সুপুত্র বাচ্চাদের-ই স্থায়ী হতে পারে। কিন্তু কাম-ক্রোধের ভূত ভিতরে থাকলে এই নেশা থাকতে পারেনা। এমন বাচ্চারা বাবার রিগার্ড রাখতে পারে, না তাই প্ৰথমে ভূতদের নিষ্কাশন করতে হবে। নিজের অবস্থা দৃঢ় করতে হবে ।
গীত:-
কে এসেছে আমার মনের দ্বারে...
ওম্ শান্তি।
এর অর্থ তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর অন্য কেউ বুঝতে পারেনা। তাও আবার নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। কারণ পরমপিতা পরমাত্মার কোনো স্থূল বা সূক্ষ্ম চিত্র নেই। সূক্ষ্ম হলেন দেবতারা, তাঁরাও হলেন তিন জন। তাঁদের চেয়েও অতি সূক্ষ্ম হলেন পরমাত্মা। এবারে হে পরমপিতা পরমাত্মা - এই কথা কে বলে ? আত্মা। পরমপিতা পরমাত্মাকে পরম আত্মা বলে। লৌকিক পিতাকে আত্মা পরমপিতা বলতে পারেনা। যখন পারলৌকিক পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করে তো তাকে দেহী-অভিমানী বলা হয় । যখন দেহ অভিমানে আছে তখন দেহের সম্বন্ধের বাবা স্মরণে আসে। তিনি তো হলেন আত্মার সম্বন্ধের বাবা। তিনি এখন উপস্থিত আছেন। আত্মা বুদ্ধি দিয়ে জানে, আত্মায় বুদ্ধি আছে কিনা। সুতরাং পরমপিতা পরমাত্মা হলেন নিশ্চয়ই পারলৌকিক পিতা । তাঁকেই ঈশ্বর বলা হয়। এখন বাবা এই প্রশ্নাবলী তৈরি করেছেন। যার দ্বারা বাচ্চারা তোমাদের বোঝাতে সহজ হবে। যেমন ফর্ম ভরাও তেমনই প্রশ্নও জিজ্ঞাসা করতে পারো। নিশ্চয়ই যে জিজ্ঞাসা করে সে হল নলেজফুল অর্থাৎ সে অবশ্যই টিচার হবেন। আত্মা-ই শরীর ধারণ করে এবং অর্গ্যান্স দ্বারা বোঝায়। অতএব বাচ্চাদের সহজ করে বোঝানোর জন্যে এইসব তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু জ্ঞান প্রদানকারী বাচ্চাদের অবস্থাও ভালো থাকা উচিত। যতই কারো জ্ঞান ভালো , কারো যোগ ভালো হোক, তার সাথে চলনও ভালো থাকা চাই। দিব্য চলন তাদের হবে যাদের মধ্যে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, অহংকারের ভূত থাকবে না। এগুলি হল বড় বড় ভূত। বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে কোনো ভূত থাকা উচিত নয়। আমরা হলাম ভূত নিষ্কাশনকারী। ঐ অশুদ্ধ আত্মারা যে বিচরণ করে তাদের ভূত বলা হয়। সেই ভূত তাড়াতে ওস্তাদ থাকে। এই যে ৫ বিকার রূপী ভূত আছে এতো পরম পিতা পরমাত্মা ছাড়া কেউ তাড়াতে পারেনা। সর্বের ভূত নির্বাসন কর্তা হলেন একজন। সর্বের সদগতি দাতা হলেন এক। রাবণের হাত থেকে উদ্ধার করতে পারেন একজন। এই হল বড় ভূত। বলাও হয় এর মধ্যে ক্রোধের ভূত আছে, এর মধ্যে মোহের এবং অশুদ্ধ অহংকারের ভূত আছে। সবাইকে এই ভূতের হাত থেকে মুক্তি দিতে পারেন লিবারেটর, পরমপিতা পরমাত্মা একজন-ই আছেন। তোমরা জানো এই সময় সবচেয়ে শক্তিশালী হল এরা খ্রিস্টানরা। তাদের ইংরেজি শব্দ গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে রাজা থাকেন সেই রাজা নিজের ভাষা ব্যবহার করেন। দেবতাদের ভাষা কেউ জানেনা। আমাদের কন্যারা প্ৰথমে সবকিছু এসে বলে দিত। দুই চার দিন ধ্যানে মগ্ন থাকত। এবারে কোনো বুদ্ধিবান সংবাদ বাহক হোক যে সেখানকার ভাষা শুনে এসে জানাবে।
তোমরা বাচ্চারা সবাইকে ভারতের কাহিনী শোনাও। ভারত সতোপ্রধান ছিল, এখন হয়েছে তমোপ্রধান, পূজ্য থেকে পূজারী হয়েছে। ভারতে দেবতাদের চিত্র অনেক আছে, অন্ধ শ্রদ্ধায় পূজা করে। জীবন কাহিনী জানেনা। আমরা সবাই হলাম অ্যাক্টর তো ড্রামার ডাইরেক্টর ইত্যাদির সম্বন্ধে জানা উচিত তাইজন্যেই তো প্রশ্নাবলী তৈরি করা হয়েছে। পোপকেও লেখা উচিত, তুমি ফলোয়ার্সদের বলছ এইসব বিনাশের সামগ্রী নির্মাণ বন্ধ করো, তবুও তারা সেই কথা কেন শুনছে না ? তুমি তো সবার গুরু, তোমার মহিমা অনেক তবু তারা শোনে না কেন ? কারণ তুমি জানো না আমরা তোমাকে বলি। এইসব তোমার মতামত অনুযায়ী নয়। বরং ঈশ্বরের মতামত অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে। স্বর্গের স্থাপনা অ্যাডম-ইভ দ্বারা হচ্ছে। নলেজফুল হলেন গড, তিনি হলেন গুপ্ত। নিশ্চয়ই তাঁর সৈন্য , তাঁর মতামত অনুযায়ী চলবে। এমন করে বোঝানো উচিত। কিন্তু বাচ্চারা বিশাল বুদ্ধির অধিকারী নয়, তাই স্ক্রু টাইট করতে হয়। যেমন ইঞ্জিন ঠান্ডা হলে তখন তীব্র করতে কয়লা দেওয়া হয়। এও হল জ্ঞানের কয়লা। পরমপিতা পরমাত্মা হলেন সবচেয়ে বিশাল, সবাই তাঁকে সেলাম করতে আসবে। পোপ কেও সবাই পাওয়ারফুল ভাবে। পোপকে যত মান দেওয়া হয় তত অন্য কাউকে দেওয়া হয়না। পিতাকে জানে না। তিনি তো হলেন গুপ্ত। ওঁনাকে শুধুমাত্র বাচ্চারাই জানে এবং মর্যাদা দেয়। কিন্তু মায়া এমন যে বাচ্চাদেরকেও এমন পিতার রিগার্ড রাখতে দেয়না। বাবা বিশ্বের মালিক করেন, এই নেশা বাইরে বের হলে শেষ হয়ে যায়। আমরা বাবার কাছে ডবল মুকুটের বর্সা নেব না কেন, এই হল সুপুত্র বাচ্চাদের নেশা। কিন্তু অনেক বাচ্চারা এমন আছে যাদের কাম, ক্রোধ, লোভের ভূত ঘিরে নেয়। বাবা মুরলি পড়েন তখন মনের ভিতরে খেয়াল হয় যে এখনও আমাদের কাম বিকারের হালকা নেশা আছে। যদি এক দিক দৃঢ় হয় তবে কিছু হতে পারবে না। কোথাও স্ত্রী দৃঢ় থাকে, কোথাও পুরুষ। বাবার কাছে সব রকমের খবর আসে। কেউ সত্য কথা লেখে, ভিতরে বাইরে পরিষ্কার থাকা চাই। কেউ বাইরে সত্য, ভিতরে মিথ্যা হয়। ঝড় তো অনেকের আসে। পত্রে লেখে বাবা আজ আমার কাম বিকারের ঝড় উঠেছিল কিন্তু আমি বেঁচে গেছি। যদি না লিখবে তবে এক তো দন্ড দ্বিতীয় অভ্যাসে পরিণত হবে। শেষে পতন হবে। বাচ্চাদের কাছে বাবার আশা তো থাকে তাইনা। একটু গ্রহচারী অর্থাৎ গ্রহণ যা থাকে সেসব মিটে যায়। অনেকে আছে যারা আজ ভালো চলছে, আগামী কাল মূর্ছা যাবে বা শ্বাস রুদ্ধ হবে। নিশ্চয়ই কোনো অবজ্ঞা করে। সব কথায় সততা থাকা উচিত তবেই সত্য খণ্ডের মালিক হবে। মিথ্যা বললে এই রোগ বাড়তে থাকবে ফলে ক্ষতি হবে।
বাচ্চাদের খুব যুক্তি সহকারে প্রশ্নাবলী লেখা উচিত - পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ আছে ? তিনি যখন পিতা তখন সর্বব্যাপী হওয়ার কথা নেই। তিনি হলেন সর্বের সদগতি দাতা, পতিত-পাবন, গীতার ভগবান তো নিশ্চয়ই কখনও এসে জ্ঞান দিয়েছিলেন। যদি সে কথাই হয় তাহলে ওঁনার জীবন কাহিনী জানো কি ? না জানলে বর্সা প্রাপ্ত হবেনা। পিতার কাছে অবশ্যই বর্সা প্রাপ্ত হবে। তারপরে দ্বিতীয় প্রশ্ন করো - প্রজাপিতা ব্রহ্মা এবং তাঁর মুখবংশীদের কি জানো ? যাঁর নাম হল সরস্বতী, তিনি হলেন জ্ঞান জ্ঞানেশ্বরী। ওঁনাকে গডেজ অফ নলেজ অর্থাৎ বিদ্যার দেবী বলা হয়। তিনি হলেন জগৎ অম্বা। সুতরাং ওঁনার সন্তানও থাকবে। পিতাও আছেন হয়ত। নলেজ প্রদান করেন তো তিনি। এখন এই প্রজাপিতা এবং জগৎ অম্বা হলেন কারা ? ওঁনাকে ধন লক্ষ্মী বলা হয়, তখন জ্ঞান জ্ঞানেশ্বরী নন। এই ব্রহ্মা-সরস্বতী রাজ-রাজেশ্বরী হন। সুতরাং ওঁনার সন্তানরা অবশ্যই স্বর্গের মালিক হবে । এখন এইটি হল সঙ্গম, কুম্ভ। সেই কুম্ভের মেলায় দেখো কি হয় , ভক্তিমার্গের অর্থ এবং এই জ্ঞানের অর্থে রাত-দিনের তফাৎ আছে। ঐ হল জলের নদী ও সাগরের মেলা। এই হল হিউম্যান গঙ্গা যাদের সাগর থেকে উৎপত্তি হয় , তাদের মেলা। এই প্রশ্নও জিজ্ঞাসা করা হয় পতিত থেকে পবিত্র করেন কে ? এই কথাটি তো জানবার কথা তাইজন্যেই তো জিজ্ঞাসা করা হয়। এই মাতা-পিতার জ্ঞানের আধারে তোমরা রাজ রাজেশ্বরী হতে পারো। ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী এইরকম বললে মুখ কি মিষ্টি হবে ? এখন তোমরা ভক্তির ফল জ্ঞান প্রাপ্ত কর। এখন ভগবান পড়ান ফলে পদে পদে ধাক্কা খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাবা বলেন - বাচ্চারা, অশরীরী ভব। আত্মার জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে, এখন আত্মা বলে - আমাদের ফিরে যেতে হবে বাবার কাছে। তারপরে আছে প্রালব্ধ। রাজধানী স্থাপন হয়ে যায়। এ হল কতখানি বোঝার বিষয় । এই প্রশ্নাবলী খুব ভালো। সবার পকেটে যেন থাকে, সার্ভিসেবল বাচ্চারাই এই কথায় কান দেবে। বাচ্চাদের জন্যে বাবাকে কত পরিশ্রম করতে হয়। বাবা বলেন - বাচ্চারা, নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করো। তা নাহলে কল্প-কল্প পদ মর্যাদা কম হয়ে যাবে। যেমন ইনি ব্রহ্মা বাবা মহারাজা-মহারানী হন তেমনই বাচ্চারাও যেন হয়। কিন্তু নিজের অন্তরে নিশ্চয় থাকা উচিত। রাজার হাতে অনেক শক্তি থাকে। সেখানে তো সুখ আর সুখ। আর যারা রাজা হয় তারাও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান-পুণ্য করে হয়। রাজার আদেশ অনুযায়ী সম্পূর্ণ প্রজা পালিত হয়। এই সময় তো ভারত বাসীদের কোনো রাজা নেই, পঞ্চায়েত রাজ্য আছে, সুতরাং কত দুর্বল হয়েছে।
বাবা জানেন অনেক বাচ্চাদের ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয় কিন্তু তারা খবর দেয়না। বাবাকে লেখা উচিত এমন ঝড় ওঠে, আপনি পরামর্শ দিন। বাবা পরিস্থিতি দেখে পরামর্শ দেবেন। তারাও লেখেনা, তাদের সঙ্গী সাথীরাও খবর দেয়না যে বাবা আমাদের সঙ্গীর এইরকম অবস্থা হয়েছে। বাবাকে খবর দেওয়া উচিত। আচ্ছা।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ স্মরণ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার।
*রাত্রি ক্লাস ১১.০১.৬৯*
বেহদের বাবা এসে বোঝান, আপন করেন, রাজার পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করতে শিক্ষা দেন, পবিত্রও করেন। বাবা খুব সহজ ভাবে নিজের ও বর্সার পরিচয় বোঝান। নিজে নিজে বুঝতে পারবেনা। বেহদের বাবার কাছে নিশ্চয়ই বেহদের বর্সা প্রাপ্ত হবে - এই কথাও ভালো বুদ্ধিবান-রাই বুঝবে। বাবা কি বর্সা দেন ? ঘরের বর্সা, পড়াশোনার বর্সা এবং স্বর্গের বাদশাহীর বর্সা দেন। যারা পবিত্র দৈবী সম্প্রদায় হয় তারা-ই রাজধানীতে আসে। যে যত পড়বে, পড়াবে সে-ই উঁচু পদের অধিকারী হবে। এত সন্তান আছে, বাবার কাছে বর্সা প্রাপ্ত করে। বাবা স্বর্গের মালিক, নর থেকে নারায়ণে পরিণত করেন। ইনি রাজত্বের মালিক। তো বেহদের বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা আমরা ওঁনার সন্তান স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করব, যথা রাজা রানী তথা প্রজা ..... যত পুরুষার্থ করবে ততই উঁচু পদের অধিকারী হবে। এইটি হল রাজত্বের জন্যে পুরুষার্থ। সত্যযুগের রাজত্ব সবাই প্রাপ্ত করবেনা। যে যত পুরুষার্থ করবে ততই উঁচু পদের অধিকারী হবে। পুরুষার্থের উপরে প্রারব্ধ নির্ভর করছে। এইসব তো বাচ্চারা জানে যে যত পুরুষার্থ করবে। পুরুষার্থ দ্বারা-ই বাদশাহী প্রাপ্ত হয়। নিজেকে আত্মা ভেবে বাবাকে স্মরণ করবে তো তমোপ্রধান স্টেজ থেকে সতোপ্রধান, পিওর সোনা হয়ে যাবে। রাজত্বও প্রাপ্ত হবে। যেমন এখানে বলা হয় আমরা ভারতের মালিক। মালিক তো সবাই হবে। তাহলে কি পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে ? পড়াশোনা করে স্বর্গে আমাদের কি পদ হবে। তোমরা এখন সঙ্গমে পড়াশোনা করছ, সত্যযুগে রাজত্ব করবে। বাবা যোগও শেখান, পাঠও পড়ান। তোমরা জানো আমরা রাজ যোগ শিখছি। বাবার স্মরণ দ্বারা পবিত্রও হই। তারপরে আমাদের পুনর্জন্ম রাবণ রাজ্যে নয়, রাম রাজ্যে হবে। এখন আমরা পড়ছি - মন্মনাভব, মধ্যাজিভব । এখন হল কলিযুগের শেষ , এরপরে সত্যযুগ অবশ্যই আসবে। বাবা সঙ্গম যুগে এসেই বেহদের স্কুল খোলেন, যেখানে বেহদের পড়াশোনা হয়, বেহদের বাদশাহী প্রাপ্তির জন্যে। তোমরা জানো আমরা এখন নতুন দুনিয়ার মালিক হব। নতুন দুনিয়াকে স্বর্গ বলা হয়, নেশা হয় তাইনা। যথাযথ ভাবে পুরানো দুনিয়ার পরে নতুন দুনিয়া হয়। বাচ্চাদের মনে পড়ে। সব বাচ্চাদের হৃদয়ে আছে - স্বর্গের মালিক করতে আমাদের পরমপিতা পরমাত্মা পড়ান। বাচ্চাদের এই কথা যেন মনে থাকে যে আমাদের ভগবান পড়ান, উঁচু থেকে উঁচু স্বর্গের রাজা-রানী করেন। রাজ যোগ দ্বারা রাজত্ব প্রাপ্ত হয়, সেখানে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি সব থাকে। এই বাবার (ব্রহ্মাবাবার) মধ্যে এখন শিববাবা এসেছেন। তিনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু। আত্মা অনুভব করতে থাকে। সেখানে গেলে সেখানকার সম্মেলন উঁচু হবে। সব স্টুডেন্টদের সম্মেলন নিজের নিজের হবে। একজনের স্থানে অন্যজন বসতে পারেনা। একজনের সঙ্গে অন্যজনের পার্ট মিলবেনা। বাবা বুঝিয়েছেন আত্মাতে রেকর্ড ভরা আছে। ড্রামার প্ল্যান অনুযায়ী আমাদের পুরুষার্থ চলছে, কেউ রাজা কেউ রানী হবে। শেষে পুরুষার্থের রেজাল্ট বেরোবে, ফলে তখন মালা তৈরি হবে। উঁচু নম্বর প্রাপ্তকারী অবশ্যই জানবে। মৃত্যুর পরে সবাই বুঝতে পারে - আত্মা গিয়ে কর্ম অনুসারে অন্য দেহ ধারণ করবে। ভালো কর্ম করে ভালো জন্ম প্রাপ্ত হবে, যোগ বলের দ্বারা। পুরুষার্থ না করলে কম পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হবে। এমন এমন বিচার করলে খুশী অনুভব হবে। যে যেরকম মহারথী হবে তার সেরকম মহিমা হবে। সবার মুরলি একরকম তো হয়না। প্রত্যেকের মুরলিও আলাদা ; এইটি সম্পূর্ণ রচিত খেলা তাইনা। এখন বাচ্চাদের কর্মের প্রতি খেয়াল থাকে। পিতা মাতা যেমন করবে বাচ্চারা শিখবে। এখন তোমরা শ্রেষ্ঠ কর্ম করছ। সার্ভিস থেকে জানা যায়, মহারথীদের পরিশ্রম লুকোনো থাকেনা। বোঝা যায় কে উঁচু পদ প্রাপ্তির জন্যে পরিশ্রম করছে। সব বাচ্চাদের চান্স আছে। উঁচু পদ পাওয়ার জন্যে মন্মনাভবের লেসন অর্থ সহ প্রাপ্ত হয়েছে। বাচ্চারা বোঝে এই গীতার জ্ঞান নলেজফুল বাবা নিজে এসে প্রদান করেন তো নিশ্চয়ই সঠিক নলেজ দেবেন। তারপরে ধারণার ওপর নির্ভর করছে, যা শোনো সব প্রাক্টিক্যালে দেখা যাবে। ডিফিকাল্ট নয়। বাবাকে স্মরণ করা এবং চক্রকে জানা । এই হল অন্তিম জন্মের পড়াশোনা, সেইটি পাস করে নতুন দুনিয়া সত্যযুগে চলে যাবে।
গায়ন আছে নিশ্চয়েই বিজয়। অতএব প্রীত বুদ্ধি বাচ্চারা বুঝেছে - আমাদের ভগবান পড়ান। বাচ্চারা জানে আমাদের আত্মা ধারণ করে। আত্মা এই শরীর দ্বারা পড়ে, চাকরি করে। এইসব বুঝবার কথা। বাবাকে স্মরণ ক'রে, তখন মায়া রাবণ বুদ্ধি যোগ বিচ্ছিন্ন করে, মায়ার থেকে সাবধান থাকতে হবে। যত এগোবে তত তোমাদের প্রভাব বিস্তার করবে এবং খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে। নতুন জন্ম নিয়ে অনেক শো করবে। আচ্ছা ! মিষ্টি মিষ্টি রূহানী বাচ্চাদেরকে রূহানী বাপ-দাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডনাইট।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. ভিতরে-বাইরে পরিষ্কার থাকতে হবে। সত্য হৃদয় দিয়ে বাবাকে নিজের সংবাদ দিতে হবে, কিছুই লুকানো চলবে না।
২. এখন ফিরে যেতে হবে তাই অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে, চুপ করে থাকতে হবে।
বরদান:-
আমার - আমার ভাব ত্যাগ করে ট্রাস্টি হয়ে সেবা করে সদা সন্তুষ্ট আত্মা ভব
লৌকিক পরিবারে থেকে, সেবা করে সদা স্মরণে থাকো যে আমি ট্রাস্টি, আমি সেবাধারী। সেবা করায় একটুও যেন আমার ভাব না থাকে, তাহলেই সন্তুষ্ট থাকবে। যখন আমার ভাব আসে তখন অশান্ত হও, ভাবো আমার সন্তান এমন কাজ করে .... অর্থাৎ যেখানে আমার ভাব আছে সেখানেই অশান্তি এবং যেখানে তোমার-তোমার ভাব সেখানে সাঁতরে পাড়ি দেবে। তোমার-তোমার বলা মানে স্বমানে থাকা , আমার-আমার বলা মানে অভিমানে থাকা।
স্লোগান:-
বুদ্ধিতে সব সময় বাবা ও শ্রীমতের স্মৃতি থাকলে তবেই বলা হবে হৃদয় দিয়ে সমর্পিত আত্মা ।