20/10/18       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


"মিষ্টি বাচ্চারা -- স্মরণে থাকার অভ্যাস এমনভাবে গড়ে তোলো যাতে অন্তিম সময়েও এক বাবা ছাড়া দ্বিতীয় আর কেউ স্মরণে না আসে"

প্রশ্নঃ -
কোন্ একটি শ্রীমৎ যা পালন করলে তোমরা সৌভাগ্যবান হতে পারবে ?

উত্তরঃ -
বাবার শ্রীমৎ -- "বাচ্চারা নিদ্রাকে জয় করতে শেখো। অমৃত বেলা খুব সুন্দর সময় । এই সময় উঠে আমি বাবাকে স্মরণ কর যদি তবে তোমরা ভাগ্যশালী হয়ে উঠবে । যদি অমৃত বেলায় উঠতে না পার তবে সর্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবে । শুধু খাওয়া আর ঘুম -- এ তো সবকিছুই হারিয়ে ফেলা, আর তাই অমৃত বেলায় ওঠার অভ্যাস কর" ।

গীতঃ-
তুমি রাত নষ্ট করেছ ঘুমিয়ে আর দিন নষ্ট করেছ খেয়ে, এভাবেই নষ্ট করলে তোমার অমূল্য এ জীবন

ওম শান্তি ।
এই কাহিনী বাচ্চাদের জন্য । বাবা বলেন বাচ্চারা - খাওয়া আর ঘুম, এ কোনও জীবন নয় । যখন তোমরা বাচ্চারা এই অবিনাশী জ্ঞান রত্ন প্রাপ্তি করছ, ঝুলি ভর্তি হচ্ছে । তারপরও খেয়ে আর ঘুমিয়ে - এসব তো হারানোই হলো । ভোরে ওঠার ( অমৃত বেলা ) অনেক মহিমা । ভক্তি মার্গেও, জ্ঞান মার্গেও । কেননা ভোরের বাতাবরণ খুব শান্ত থাকে । সেসময় আত্মারা সবাই নিজের স্বধর্মে ( শান্ত স্বরূপ ) থাকে । অশরীরী হয়ে বিশ্রাম নেয় । সেই সময় স্মরণের স্থায়িত্ব দীর্ঘ সময় থাকে । দিনের বেলায় মায়ার বিশৃঙ্খলা চলে । ঐ একটা সময় হল সুন্দর মুহূর্ত । এখন আমরা কড়ি থেকে হীরে তুল্য হয়ে উঠছি । বাচ্চাদেরকে বাবা বলছেন, তোমরা আমার বাচ্চা, আমিও তোমাদের বাচ্চা । বাবাও বাচ্চা হন, এও বড় বোঝার ব্যাপার । বাবা নিজের বাচ্চাদের অবিনাশী বর্সা প্রদান করেন । এমনকী আমি একজন সওদাগর । তোমাদের কড়ি তুল্য তন-মন সবই মূল্যহীন । ঐ পুরানো যা কিছু তোমাদের আছে সব কিছু নিয়ে আবার তোমাদের দিয়ে দিই যাতে তোমরা ট্রাস্টি হয়ে তার রক্ষণাবেক্ষণ করতে পার । তোমরা জন্ম -জন্মান্তর ধরে গেয়ে এসেছ -- আমি নিজেকে তোমাকে সোঁপে দেবো, আত্ম বলিদান দেবো । আমার একজনই দ্বিতীয় কেউ নেই, কেননা সজনীরা সবাই একমাত্র সাজনকেই স্মরণ করবে । দেহ সহ সব সম্বন্ধ ভুলতে ভুলতে একজনের প্রতিই স্মরণ যেন এমনই থাকে যাতে অন্তিমে না এই শরীর না আর কেউ স্মরণে আসে। এমনই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে । ব্রহ্ম মুহূর্ত খুব সুন্দর সময় । এটাই হলো তোমাদের প্রকৃত যাত্রা । ওরা তো জন্ম - জন্মান্তর ধরে যাত্রা করে আসছে কিন্তু মুক্তি প্রাপ্তি হয়নি, তবে মিথ্যে যাত্রা হলো না ! এ হলো রূহানী যাত্রা আর প্রকৃত মুক্তি আর জীবন-মুক্তির যাত্রা । মানুষ তীর্থে যায় যখন অমরনাথ, বদ্রীনাথ স্মরণে আসে, তাই না ! প্রধান হলো চার ধাম । তোমরা কত ধামে ঘুরেছ, কত ভক্তি করেছ! অর্ধকল্প ধরে ভক্তি করে এসেছ । এসব কথা কেউই জানেনা । বাবাই মুক্ত করে গাইড হয়ে সবাইকে সাথে করে নিয়ে যান । কত ওয়ান্ডারফুল গাইড । বাচ্চাদের নিয়ে যান মুক্তি জীবনমুক্তি ধামে । এমন গাইড আর কেউ হতে পারেনা । সন্ন্যাসীরা শুধু মুক্তিধাম বলবে, জীবনমুক্তি শব্দ ওদের মুখ দিয়ে বেরোবে না । ওরা তো কাকবিষ্ঠা সমান অল্পকালের সুখকেই বোঝে । তোমরা বাচ্চারা জান বাবা হলেন দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা । হে মাতা-পিতা, আমরা যখন তোমার বালক হয়ে যাই আমাদের সব দুঃখ তখন দুর হয়ে যায় । আধাকল্প আমরা সুখী হই, এটা তো বুদ্ধিতে থাকে তাই না ! কিন্তু কাজেকর্মে গেলে সব ভুলে যায় । ভোরবেলায় ওঠে না । যে ঘুমিয়ে থাকবে সে সব হারাবে।

তোমরা জানো -- বরাবরের মতো আমরা হীরা তুল্য জন্ম পেয়েছি। এখনও যদি ঘুম থেকে ভোরবেলায় উঠতে না পার তবে ধরে নিতে হবে এ সৌভাগ্যবান নয় । ভোরে উঠে বিলাভড বাবাকে, সাজনকে স্মরণ করে না । আধাকল্প ধরে সাজন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলে আর বাবাকেও তোমরা সারা কল্প ভুলে যাও, আবার ভক্তি মার্গে এসে তোমরা সাজন রূপে বা বাবা রূপে তাঁকে স্মরণ কর । সজনী সাজনকেই স্মরণ করে । তাঁকে আবার বাবাও বলা হয়। এখন বাবা সামনে আছেন সুতরাং তাঁর শ্রীমৎ-এ চলা উচিত । শ্রীমৎ-এ যদি না চল তবে অধঃপতিত হবে । শ্রীমৎ অর্থাত্ শিববাবার মত । তোমরা এমন বলতে পার না যে, আমরা কি জানি, কার মত পাচ্ছি ? বোঝানো উচিত ওঁনার(শিব বাবার) ) মতের জন্য উনি সম্পূর্ণভাবে রেসপন্সিবল । যেমন লৌকিক রীতিতে বাচ্চাদের বাবাই রেসপন্সসিবল হন । পুত্রের মধ্য দিয়ে পিতা প্রত্যক্ষ হন । এই ব্রহ্মা শরীরও ফাদারকেই প্রত্যক্ষ করায় । বিচক্ষণ (মুরব্বি) বাচ্চা । অনেক ভালো ভালো বাচ্চা আছে, যারা জানেই না যে আমরা কার মতে চলছি, কে আমাদের ডায়রেকশন দিচ্ছেন ? বাবাকে তো স্মরণ করে না । ভোরবেলাও ওঠেনা । স্মরণ করে না তাই বিকর্ম বিনাশ হয় না। বাবা বলেন এত পরিশ্রম করছি তবুও কর্মভোগ চলতেই থাকে, কেননা এক জন্মের কথা তো নয় । অনেক জন্মের হিসেব -নিকেশ । বাচ্চারা ডায়রেকশন পেয়েছ, এই জন্মের পাপ স্বীকার করলে অর্ধেক নাশ হবে । বাবা বলেন একথা আমি জানি আর ধর্মরাজ জানে । অনেক পাপ করেছ । ধর্মরাজ গর্ভজেলে সাজা দিয়ে আসছে । এখন তোমরা পুরুষার্থ করে, বিকর্ম বিনাশ করছ তারপর গর্ভমহল প্রাপ্ত হবে । ওখানে তো ( সত্যযুগে ) মায়া নেই যে মানুষ দিয়ে পাপ কাজ করাবে যার জন্য শাস্তি পেতে হবে । আধাকল্প ঈশ্বরীয় রাজ্য আর আধাকল্প রাবণ রাজ্য । সাপের ( খোলস ত্যাগ ) দৃষ্টান্ত এখনকার জন্য । সন্ন্যাসীরা কপি(অনুকরণ ) করে । যেমন বাবা ভ্রমরের দৃষ্টান্ত দেন - ভ্রমর কীটকে নিজের ঘরে নিয়ে যায় । তোমরাও পতিতদের নিয়ে আস । তারপর শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ বানাও । তোমাদের নাম হল ব্রাহ্মণী । এই ভ্রমরের দৃষ্টান্ত খুব সুন্দর । এখানে প্রাক্টিক্যালি আসে তো অনেকে, তারপর কিছু বাচ্চা কাঁচাই থেকে যায়, কেউ পতিত হয়ে শেষ হয়ে যায় । মায়া বড় ঝড়ঝাপ্টা নিয়ে আসে। বাস্তবে তোমরা হলে প্রত্যেকেই হনুমান । মায়া যত বড়ই ঝড়ই নিয়ে আসুক না কেন আমরা বাবাকে আর স্বর্গকে কখনওই ভুলব না । প্রতি মুহূর্তে বাবা বলেন -- সাবধান ! মানুষ তো তীর্থে ঠোক্কর খেতে যায়, এখানে তোমরা কেউ কোথাও যাওনা । একজনই বাবা আর সুখধামকে স্মরণ করতে থাক । তোমরা তো প্রকৃতপক্ষেই বিজয়ী হয়ে আসছ । একেই বুদ্ধিযোগ বল, জ্ঞান বল বলা হয় । স্মরণ করলে বল প্রাপ্ত হয় । বুদ্ধির তালা খুলে যায় । যদি কেউ বেকায়দায় চলে তখন বুদ্ধির তালা আবার বন্ধ হয়ে যায় । বাবা বুঝিয়ে বলেন যদি তোমরা এমন কর তবে ড্রামানুসারে বুদ্ধির তালা বন্ধ হয়ে যাবে । কাউকে তখন বলতে পারবে না যে বিকারে যেও না । অন্তর্দহন হবে -- আমি এত পাপ করেছি । অজ্ঞানকালেও অন্তরদাহ হয় । মৃত্যুর সময়ও দুঃখ প্রকাশ করে থাকে । তারপর একদম শেষে গিয়ে সব পাপ সামনে এসে দাঁড়ায় । গর্ভজেলে গিয়ে শাস্তি ভোগ শুরু হয়ে যায় । শেষ অবস্থায় সবকিছুই স্মরণে আসে । তাই বাবা বলেন তোমাদের দুঃখ প্রকাশ করতে হবে না, তোমরা কোনও পাপ কোরো না । জেলবার্ড হয় না ! ( একবার জেলে যায় একবার বের হয় ) তোমরাও জেলবন্দি ছিলে । এখন বাবা গর্ভজেলের শাস্তি থেকে মুক্ত করছেন । বলা হয় বাবাকে স্মরণ কর যদি পাপের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে, তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে । যদি আবার নীচে নেমে পড় তবে কিন্তু ছোট পেতে হবে । সর্বপ্রথম হলো অশুদ্ধ অহংকার । তারপর কাম, ক্রোধ । কাম হলো মহাশত্রু । এ তোমাদের আদি-মধ্য -অন্ত দুঃখ দিয়ে এসেছে। তোমরা আদি-মধ্য -অন্তের সুখের জন্য পুরুষার্থ করছ । সুতরাং সম্পূর্ণরূপে পুরুষার্থ করা উচিত । বল ভোরবেলায় উঠতে পারিনা তবে আর উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে না । দাস-দাসী হতে হবে । ওখানে কোনও গোবর ইত্যাদি তুলতে হয় না, কোনও পরিশ্রম নেই । এখনও বিলেতে কেউ চাকর ইত্যাদি রাখে না । সবকিছুই স্বয়ংক্রিয় ভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়। ওখানে কোনও নোংরা থাকে না। চন্ডাল, দাস-দাসীরা থাকে । বাবা তোমাদের, অর্থাৎ বাচ্চাদের সব রহস্য বুঝিয়ে বলেন । তোমাদের বুদ্ধিতে সত্যযুগের রাজধানী রয়েছে । তোমরা ড্রামাকে বুঝেছ । প্রধান হলো সর্বপ্রথম চক্রকে বোঝানো । এখন ওপেনিং করানোর জন্য গভর্নর প্রমুখদের ডাকা হয়। সুতরাং বাচ্চারা ডাইরেকশন পায় যে ওপেনিং করার পূর্ব মুহূর্তে তাদের বোঝাও, ভারত শ্রেষ্ঠাচারী ছিল, এখন ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে । ভারতের পূজ্য দেবী-দেবতারাই পূজারী মানুষ হয়েছে । এটা অবশ্যই বোঝাতে হবে । ওরা নিজেরাই বলবে সৃষ্টি চক্রের রহস্য এখানে বোঝানো হয় । যে এটা জানে তাকে ত্রিকালদর্শী বলা হয়। মানুষ হয়েও যদি ড্রামাকে না জানে তবে সে কোনো কাজের! এমনিতে তো অনেকেই বলে বি. কে. দের পবিত্রতা খুব ভালো । পবিত্রতা সবারই ভালো লাগে । সন্ন্যাসীরা পবিত্র, দেবতারা পবিত্র, তবেই তো তাদের সামনে মাথা নত করে না! এ হলো অন্য কথা । পতিত - পাবন এক পরমাত্মাই হতে পারেন । পতিত থেকে পবিত্র কোনও মানুষ রূপী গুরু বানাতে পারেন না । এসব বোঝাতে হবে । তোমাদের বলতে হবে কৃপা করে এই কথা তোমরা বোঝ, তবেই তোমাদের পদ অনেক উঁচুতে হবে । ভারত পূজ্য থেকে কিভাবে পূজারী হয়েছে, ভারতবাসী দেবী দেবতা ৮৪ জন্ম কিভাবে নেয় -- এসবই বোঝাও । একথা অবশ্যই বোঝাতে হবে । ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারতবাসী দেবী দেবতা ছিল । তাকে সুখধাম স্বর্গ বলা হয় । স্বর্গ থেকে এখন নরকে পরিণত হয়েছে । এসব তোমরা বসে বোঝালে তোমাদের অনেক মহিমা হবে । সংবাদদাতাদেরও পার্টি দিতে হবে । তারপর ওরা আগুন লাগাবে, না জল ঢালবে সবটাই তাদের উপর নির্ভর করবে । এটা তো তোমরা বাচ্চারা জানো লড়াই লাগবেই । ভারতে রক্তের নদী বইবে । সবসময় এখান থেকেই রক্তের নদী প্রবাহিত হয়েছে । হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে অনেক মারামারি হয় । পার্টিশন হয়ে কত মানুষ গৃহহীন হয়েছে । রাজধানীও আলাদা -আলাদা হয়ে গেছে । এটাও ড্রামায় নির্ধারিত। নিজেদের মধ্যে লড়াই করে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় । প্রথমে হিন্দুস্তান, পাকিস্তান থোড়াই আলাদা ছিল । ভারতেই রক্তের নদী বইবে তারপর ঘি-এর নদী ও বইবে । পরিণামে কি হয় ? অল্প সংখ্যক বেঁচে থাকে । তোমরা পান্ডবরা আছ গুপ্ত বেশে ।

সুতরাং গভর্নরকেও প্রথমে পরিচয় দিতে হবে । যার কাছে যেতে হবে, প্রথমে তাঁর মহিমা করতে হয় । কিন্তু তাদের জন্য কি লেখা আছে, সেকথা কেবল তোমরাই জান । ওরা থোড়াই বুঝবে বর্তমান রাজ্য মৃগতৃষ্ণা সম । ড্রামা অনুসারে ওরাও নিজেদের মতো করে প্ল্যান তৈরি করে । মহাভারতে দেখানো হয়েছে যে প্রলয় হয়ে গেছে । মহাপ্রলয় তো হয়না । বাচ্চারা, তোমাদের মনে সৃষ্টি চক্রের জ্ঞান প্রতিটি মুহূর্তে গুঞ্জরিত হওয়া উচিত । সর্বপ্রথম ওরা বুঝুক এদের শিক্ষা প্রদান করেন কে ! তখন বুঝবে বরাবর আমরাও শিবের সন্তান ছিলাম । প্রজাপিতা ব্রহ্মারও বাচ্চা আছে । ইনি হলেন বংশবৃদ্ধিকারী বৃক্ষ । প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন গ্রেট গ্রেট গ্রান্ড ফাদার । মনুষ্য সৃষ্টির সর্বাধিক সিনিয়র হলেন ব্রহ্মা তাই না ! শিবকে এমন বলা হবেনা । ওঁনাকে শুধু বাবা বলা হয় । গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার -- এই টাইটেল প্রজাপিতা ব্রহ্মার জন্য । নিশ্চয়ই গ্র্যান্ড মাদার, গ্র্যান্ড চিলড্রেনও হবে । বাচ্চারা, তোমাদের এসব বোঝাতে হবে । শিব হলেন সব আত্মাদের পিতা । ব্রহ্মা দ্বারা সৃষ্টি রচনা করেন । তোমরা জান তারপর আমাদের কত প্রজন্ম সৃষ্টি হয় । গভর্নরকে বোঝানো উচিত, দেশের প্রতিটি কোণায় কোণায় এগজিবিশন হওয়া উচিত । আপনি ব্যবস্থা করে দিন । আমাদের দেখুন তিন পা রাখার মতো জায়গা নেই তথাপি আমরা বিশ্বের মালিক হয়ে উঠি । আপনি ব্যবস্থা করে দিলে আমরা ভারতকে স্বর্গ করে তোলার সেবা করব । উনি তোমাদের সামান্য সাহায্য করলেও সবাই ওনাকে বলতে থাকবে যে গভর্নরও ব্রহ্মাকুমার হয়েছে। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহপূর্ণ স্মরণ ভালবাসা গুডমর্নিং । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কড়িতুল্য তন-মন-ধন যা কিছু তোমাদের কাছে আছে, বাবার প্রতি সমর্পণ করে ট্রাস্টি হয়ে সামলাতে হবে । মমত্ববোধ মিটিয়ে ফেলতে হবে ।

২ ) অমৃত বেলায় উঠে বাবাকে ভালোবাসে স্মরণ করতে হবে । জ্ঞান বল আর বুদ্ধিবল দ্বারা মায়াকে জয় করতে হবে ।


বরদানঃ-
সর্বদা উৎসাহ উদ্দীপনার ডানায় ভর করে উড়তি কলায় উড়তে পারা শ্রেষ্ঠ আত্মা ভব

জ্ঞান যোগের সাথে সাথে প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি দিন নতুন উৎসাহ উদ্দীপনার স্থিতাবস্থায় থাকা, এটাই হল উড়তী কলার আধার । যেমন কাজই হোক না কেন, পরিষ্কার করা হোক, বাসন মাজা হোক বা যে কোনো সাধারণ কর্ম, তাতেও উৎসাহ-উদ্দীপনা যেন স্বাভাবিক আর নিরন্তর থাকে । উড়তি কলায় উড়তে পারা শ্রেষ্ঠ আত্মা উৎসাহ-উদ্দীপনার ডানায় ভর করে সবসময় উড়তে থাকবে, কখনোই কনফিউজড হবে না, ছোট ছোট কথায় ক্লান্ত হয়ে থেমে যাবে না ।

স্লোগানঃ-
যে নির্মাণচিত্ত, অক্লান্ত আর সবসময় জাগ্রত জ্যোতি স্বরূপ -- সে-ই বিশ্ব কল্যাণকারী ।