২৪-১১-১৮ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - দেহ-সহ এই সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে, তাই তোমাদের পুরোনো দুনিয়ার সংবাদ শোনার প্রয়োজন নেই তোমরা বাবা আর অবিনাশী আশীর্ব্বাদকে(বর্সা)স্মরণ কর"

প্রশ্ন:-

শ্রীমতের জন্য কোন্ গায়ন রয়েছে ? শ্রীমত অনুসরণকারীদের লক্ষণ কি হবে ?

উত্তর:-

শ্রীমতের জন্য গায়ন রয়েছে - যা খাওয়াবে, যা পরাবে, যেখানে বসাবে...... তাই করব। শ্রীমত অনুসারে চলা বাচ্চারা বাবার প্রতিটি আজ্ঞা পালন করে। তাদের দ্বারা সর্বদা শ্রেষ্ঠ কর্মই হয়। তাদের ঠিক আর ভুল বোঝার ক্ষমতা আছে।

গীত:-

বনমালী(বনওয়ারী) রে বাঁচার আশা(সাহারা) তোর নাম রে, দুনিয়ার মানুষের সাথে আমার কি কাম রে..

ওম্ শান্তি !

এই গান কার? বাচ্চাদের। কোনো গান এমনও হয় যেখানে বাবা বাচ্চাদের বোঝান, কিন্তু এই গানে বাচ্চারা বলে যে বাবা, এখন তো আমরা বুঝেছি, কিন্তু দুনিয়া এ কথা জানে না যে কেমন করে এই দুনিয়া মিথ্যা, এই বন্ধন মিথ্যা। এখানে সবাই দুঃখী তাই তো ঈশ্বরকে স্মরণ করে। সত্যযুগে তো ঈশ্বরের সঙ্গে মিলনের কোনো কথাই নেই। এখানে দুঃখ আছে তাই আত্মাদের স্মরণে থাকে কিন্তু ড্রামা অনুসারে বাবা তখনই মিলিত হন যখন তিনি স্বয়ং আসেন। বাকী আর যা কিছু পুরুষার্থ করে তা সবই ব্যর্থ কারণ ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী মনে করে, ঈশ্বরের পথের দিশা ভুল দেখায়। যদি বলে যে ঈশ্বর আর তাঁর রচনার আদি, মধ্য, অন্ত-কে আমরা জানি না তো তাদের এ কথা বলা সত্য। পূর্বে ঋষি, মুনি ইত্যাদিরা সত্য বলতো, সেইসময় দুনিয়া মিথ্যা এ কথা বলা যাবে না। মিথ্যা দুনিয়া নরক, কলিযুগের অন্তকে বলা হয়। সঙ্গমেই বলা হবে - এটা হলো নরক আর ওটা হলো স্বর্গ। এমন নয় যে দ্বাপর-কে নরক বলা হয়। সেইসময় তবুও রজোপ্রধান বুদ্ধি ছিল। এখন তো সব তমোপ্রধাণ। তাই হেল(নরক) আর হেভেন(স্বর্গ) সঙ্গমেই লেখা হবে। আজ হেল তো কাল হেভেন হবে। একথাও বাবা এসেই বোঝান, দুনিয়া জানে না যে এই সময়ই হলো কলিযুগের অন্তিম সময়। সবাই নিজের নিজের হিসাব-কিতাব চুক্ত করে শেষে সতোপ্রধান হয়ে যায়, পুনরায় সতো, রজো,তমো-তে আসতেই হয়। যাদের এক-দুই জন্মের পার্ট থাকে তারাও সতো, রজো,তমো-তে আসে। তাদের পার্টই কম থাকে। একথা বুঝতে হলে অনেক বড় সমঝদার হতে হবে। দুনিয়ায় তো অনেক মতের মানুষ আছে। সবাই তো আর একই মতের হয় না। প্রত্যেকেরই নিজের নিজের ধর্ম রয়েছে। নিজের নিজের মত রয়েছে। বাবার অক্যুপেশন আলাদা। প্রত্যেক আত্মারই আলাদা। ধর্মও আলাদা। তাই তাদের বোঝানোর রীতিও আলাদা হওয়া উচিত। নাম, রূপ, দেশ, কাল, সকলেরই আলাদা। দেখা যায় যে এই ধর্ম এই ব্যক্তির। হিন্দু ধর্ম তো সকলেই বলে কিন্তু তারমধ্যেও সবাই ভিন্ন-ভিন্ন হয়। কেউ আর্য-সমাজের, কেউ সন্ন্যাসী, কেউ ব্রহ্ম-সমাজের।সন্ন্যাসী ইত্যাদি যারাই রয়েছে তারা সবাই হিন্দুধর্মকে মান্য করে। আমরা লিখি যে আমরা হলাম ব্রাহ্মণ ধর্মের অথবা দেবতা ধর্মের তাও তারা হিন্দু-ধর্মে ফেলে দেয় কারণ আর কোনো সেকশন তো তাদের কাছে নেই। তাই তাদের ফর্ম আলাদা- আলাদা হলে জানা যাবে। আর অন্য কোন ধর্মের মানুষেরা তো এই কথাগুলোকে মান্যতা দেবে না। তাই আবার তাদের একত্রিত করে বোঝানো কঠিন। তারা মনে করে যে এরা তো নিজের ধর্মের মহিমা করে। এর মধ্যেও দ্বিমত রয়েছে। যে বাচ্চারা বোঝায় তারাও নম্বরের ক্রমানুসারেই হয়। সবাই তো এক সমান হয় না তাই মহারথীদের ডাকতে হয়।



বাবা বোঝান - আমাকে স্মরণ কর, আমার শ্রীমতে চলো। এতে প্রেরণা ইত্যাদির কোনো ব্যাপার নেই। যদি প্রেরণার দ্বারাই কার্য সম্পন্ন হয়ে যায় তবে তো বাবার আসার প্রয়োজনই হয় না। শিববাবা তো এখানেই রয়েছে। তাহলে তাদের প্রেরণার কি প্রয়োজন। এখানে তো শুধু বাবার মতানুসারেই চলতে হয়। প্রেরণার কোনো ব্যাপার নেই। কোনো-কোনো সন্দেশী সন্দেশ(খবর) নিয়ে আসে, তাতেও অনেক মিক্স হয়ে যায়। সন্দেশীরাও তো সব একইরকমের হয় না। মায়ার অনেক প্রতিবন্ধকতা আসে। তাই অন্য সন্দেশীর দ্বারা যাচাই করানো হয়। কেউ কেউ তো বলে যে আমার মধ্যেই বাবা আসে, মাম্মা আসে তখন নিজের আলাদা সেন্টার খুলে বসে। মায়ার প্রবেশ ঘটে । এ অনেক বোঝার মতো বিষয়। বাচ্চাদের অনেক সমঝদার(সেন্সিবেল) হওয়া উচিৎ। যারা সার্ভিসেবেল(সেবাধারী) বাচ্চা, একমাত্র তারাই এই কথা বুঝতে পারবে। যারা শ্রীমতে চলে না, তারা এই কথা বুঝতেই পারবে না। শ্রীমতের জন্য গায়ন আছে যে - তুমি যা খাওয়াবে, যা পরাবে, যেখানে বসাবে, তাই করব। এমনও আছে যারা বাবার মতেই চলে, আবার কেউ অন্যের মতের প্রভাবেও এসে যায়। কোনো জিনিস না পেলে, কোনো কথা পছন্দ না হলে ঝট করে বিগড়ে যায়। সব বাচ্চারা একইরকমের সুপুত্র থোড়াই হতে পারে। দুনিয়ায় তো অনেক মতাবলম্বী মানুষ রয়েছে। অজামিলের মতো পাপাত্মা, গণিকারাও(বেশ্যা) অনেক রয়েছে। এটাও বোঝাতে হয় যে ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলা ভুল। সর্বব্যাপী তো পাঁচ বিকার, তাই বাবা বলেন, এ হলো আসুরী দুনিয়া। সত্যযুগে পাঁচ বিকার হয় না। তারা বলে শাস্ত্রতে তো একথা এভাবেই রয়েছে। *কিন্তু শাস্ত্র তো সব মানুষেরই তৈরী করা। তাহলে উঁচু কে মানুষ না শাস্ত্র ? অবশ্যই যে শোনায় সেই উঁচু, তাই না ! লেখে তো লোকেরা, ব্যাসদেব লিখেছিল, সেও তো মানুষই ছিল, তাই না। একথা তো নিরাকার বাবা বসে বোঝান। ধর্ম-স্থাপকেরা যা এসে শুনিয়েছে সেটাই আবার পরে শাস্ত্র হয়ে যায়। যেমন গুরুনানকও ওঁনার মহিমা কীর্তন করেছিলেন - সকলের পিতা হলেন ওই একজন। বাবা বলেন - যাও, গিয়ে ধর্ম স্থাপন কর। এই বেহদের পিতা বলেন, আমাকে তো কেউ পাঠায় না। আমাকে ম্যাসেঞ্জার বা পয়গম্বর বলা যাবে না। আমি তো আসি বাচ্চাদের সুখ-শান্তি দিতে। আমাকে কেউ বলেনি, আমি স্বয়ং মালিক*। এমনও আছে যারা মালিককে মানে কিন্তু তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিৎ যে, তোমরা মালিকের অর্থ বোঝো কি। তিনি হলেন মালিক, আমরা হলাম ওঁনার বাচ্চা, তাই অবশ্যই আশীর্ব্বাদ(বর্সা) পাওয়া উচিৎ। বাচ্চারা বলে - আমাদের বাবা। তাই সম্পত্তির মালিক তোমরাই। "আমার বাবা" বাচ্চারাই বলবে। বাবা আমার, তাই বাবার সম্পত্তি-ও আমার। এখন আমরা কি বলি? আমাদের শিববাবা। বাবাও বলবে এরা হলো আমার সন্তান। বাবার থেকে বাচ্চারা বর্সা (আশীর্ব্বাদ) পায়। বাবার কাছে প্রপার্টি থাকে। বেহদের বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা। ভারতবাসীরাও প্রপার্টি কার কাছ থেকে পায় ? শিববাবার থেকে। শিব-জয়ন্তীও পালন করা হয়। শিব-জয়ন্তীর পর আবার কৃষ্ণ-জয়ন্তী তারপর আবার রাম-জয়ন্তী। ব্যস, মাম্মা-বাবার জয়ন্তী বা জগদম্বার জয়ন্তী-র তো কেউ গায়ন করে না। শিব-জয়ন্তীর পর আবার রাধা-কৃষ্ণের জয়ন্তী আবার রাম-সীতার জয়ন্তী।



*যখন শিববাবা আসেন তখনই শূদ্র-রাজ্যের বিনাশ হয়*। এই রহস্যও কেউ বোঝে না। বাবা বসে বোঝান। তিনি অবশ্যই আসেন। বাবাকে কেন ডাকা হয়? শ্রীকৃষ্ণ-পুরী স্থাপন করার জন্য। তোমরা জানো যে শিব-জয়ন্তী অবশ্যই হয়। শিববাবা নলেজ দিচ্ছেন। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। শিব-জয়ন্তী হলো সর্বাপেক্ষা বড় জয়ন্তী। তারপর হলো ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর। আর এখন প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো মনুষ্য সৃষ্টি-তে আছেন। রচনায় আবার মুখ্য হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ। তাহলে শিব হলেন মাতা-পিতা, আবার মাতা-পিতা ব্রহ্মা-জগদম্বাও এসে যায়। এ হলো বোঝার ও ধারণ করার মতো বিষয়। সর্ব প্রথমে বোঝানো হয় - বাবা পরমপিতা পরমাত্মা আসেন পতিতদের পবিত্র(পাবন) বানাতে। তিনিই যদি নাম, রূপ থেকে দূরে(আলাদা) থাকেন তবে তাঁর জয়ন্তী কেমন করে হতে পারে। গড্-কে ফাদার বলা হয়। ফাদার-কে তো সবাই মান্যতা দেয়। নিরাকার তো হলো আত্মা আর পরমাত্মা। আত্মারা সাকারী শরীর পায়, এ হলো অত্যন্ত বোঝার মতো বিষয়। যারা শাস্ত্র ইত্যাদি কিছুই পড়েনি, তাদের কাছে এ হলো আরও সহজ। আত্মাদের পিতা হলেন তিনি, পরমপিতা পরমাত্মা, যিনি স্বর্গ স্থাপন করেন। স্বর্গে হয় রাজত্ব, তাহলে তাঁকে অবশ্যই সঙ্গমে আসতে হয়। সত্যযুগে তো আসতে পারবে না। ওখানে হলো প্রালব্ধ, ২১ জন্মের আশীর্ব্বাদ সঙ্গমেই প্রাপ্ত করে। এই সঙ্গমযুগ হলো ব্রাহ্মণদের। ব্রাহ্মণ হলো শিখা(টিক্কি), তারপর দেবতাদের যুগ। প্রত্যেক যুগ ১২৫০ বর্ষের হয়। এখনই তিন ধর্মের স্থাপনা হয় - ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয়। কারণ এরপর আধাকল্প কোনো ধর্মই থাকে না। সূর্যবংশীয়, চন্দ্রবংশীয়রা পূজ্য ছিল তারপর আবার পূজারী হয়ে যায়। ওই ব্রাহ্মণ তো অনেক প্রকারের হয়।



এখন তোমরা ভাল কর্ম করছ যার ফলে পুনরায় সত্যযুগে এর প্রালব্ধ পাবে। বাবা ভালো কর্ম শেখান। তোমরা জানো যে আমরা শ্রীমত অনুসারে যেমন কর্ম করব, অন্যদের নিজের সমান বানাবো তেমনই তার প্রালব্ধ পাবো। এখন সমগ্র রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। এখানে তো হলো প্রজার উপর প্রজার রাজ্য। পঞ্চায়েতী রাজ্য, অনেকের পঞ্চ(গ্রুপ) হয় আবার ৫ সদস্যের-ও পঞ্চ হয়। এখানে তো সব অনেক পঞ্চের(গ্রুপের) হয়। তাও আজ আছে তো কাল নেই। আজ মন্ত্রী তো কাল গদি থেকে নামিয়ে দেয়। এগ্রিমেন্ট করে আবার বাতিল(ক্যান্সেল) করে দেয়। এ হলো অল্প কালের ক্ষণভঙ্গুর রাজ্য। কাউকে নামিয়ে দিতে দেরী করে না। কত বড় দুনিয়া। সংবাদপত্র থেকে কিছু না কিছু জানাই যায়। এতো সব সংবাদপত্র তো কেউ পড়তে পারে না। আমাদের এই দুনিয়ার খবরের কোনো প্রয়োজনই নেই। এটা তো জানো যে দেহ-সহ এই দুনিয়ার সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে। বাবা বলেন, শুধুমাত্র আমাকেই স্মরণ করো তাহলেই তোমরা আমার কাছে চলে আসবে। মৃত্যুর পরে সব সাক্ষাৎকার হবে। আত্মা আবার শরীর ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়। সেই সময়ও হিসাব-পত্র ভোগ করতে পারে। সবই সাক্ষাৎকার হয়। ভিতরে ভিতরে সাক্ষাৎকার করে, কর্মভোগ ভোগে, অত্যন্ত অনুশোচনা হয় যে আমরা অকারণে এমন করেছি। অনুতপ্ত হয়, তাই না ! যদি কেউ জেল-বার্ড(বারে বারে জেল - এ যায় আর বেরোয়) হয় তাহলে সে বলে যে, জেলে ভোজন তো পাওয়া যাবে অর্থাৎ যেন শুধু ভোজন করাই কাজ, তারা মান-সন্মানের কোনো পরোয়াই করে না। তোমাদের তো কোনো কষ্ট নেই। বাবা আছেন, তাই বাবার শ্রীমতেই চলতে হবে। আবার এমনও নয় যে তিনি কাউকে দুঃখ দেবেন। তিনি হলেনই সুখ-দাতা। আজ্ঞাকারী বাচ্চারা তো বলে, বাবা তুমি যা ডায়রেকশন দেবে। তোমার সাথেই বসবো... একথা শিববাবার উদ্দেশ্যে গাওয়া হয়। ভগীরথ বা নন্দীগণ নাম বিখ্যাত। লিখিত আছে যে, মাতাদের মস্তকে কলস(জ্ঞান) রাখা হয়েছে, তাই না। ওরা আবার গরুকে দেখায়। কি কি কথা(গল্প) বানিয়ে দিয়েছে।



এই দুনিয়ায় তো কেউ এভারহেল্দি(সদা সুস্থ) হতে পারে না। অনেক প্রকারের রোগ আছে। ওখানে কোনো রোগ নেই। না কখনো অকালমৃত্যু হয়। সঠিক সময়েই সাক্ষাৎকার হয়। বৃদ্ধরা তো খুশি হয়। যখন বৃদ্ধ হয় তখন খুশি মনে শরীর ছাড়ে। সাক্ষাৎকার হয় যে আমি গিয়ে বাচ্চা হবো। এখন তোমাদের যুবাদেরও এই খুশি রয়েছে যে আমরা গিয়ে প্রিন্স হবো। বাচ্চা হোক বা যুবা, মরতে তো সকলকেই হবে। তাই সবার এই নেশা থাকা উচিৎ যে আমরা গিয়ে প্রিন্স হবো। অবশ্যই তখনই হবে যখন সার্ভিস করবে। খুশি হওয়া উচিৎ - এখন আমরা পুরোনো শরীর ছেড়ে বাবার কাছে যাবো, বাবা পুনরায় আমাদের স্বর্গে পাঠিয়ে দেবে। সার্ভিস করতে হবে। বাচ্চারা গান শুনেছে। বংশীধারী কৃষ্ণ তো নেই। মুরলী তো অনেকের কাছেই থাকে। খুব ভালোও বাজায়। এতে তো কোনো মুরলীর কথা নেই। তোমরা তো বল যে শ্রীমত তো একমাত্র বাবাই দেয়। শ্রীকৃষ্ণের কাছে তো এই নলেজ ছিল না। এই সহজ রাজযোগ আর জ্ঞান তাঁর কাছে ছিলই না। তিনি(শ্রীকৃষ্ণ) রাজযোগ শেখাননি। তিনি তো রাজযোগ শিখেছেন বাবার কাছে। কত বড়(গূহ্য) কথা। যতক্ষণ পর্য্যন্ত না কেউ বাচ্চা হবে ততক্ষণ পর্য্যন্ত বুঝতে পারবে না আর এতে আবার শ্রীমতে চলারও কথা রয়েছে। নিজের মতে চললে থোড়াই উচ্চ পদ পাবে। বাবাকে যে জানে, সে বাবার পরিচয় অন্যদেরকেও দেবে। বাবা আর রচনার পরিচয় দিতে হবে। যদি কাউকে বাবার পরিচয় না দেয় অর্থাৎ স্বয়ং সে নিজেই জানেনা। নিজের মধ্যে যদি এই নেশা থাকে তাহলে অন্যদেরও নেশা ধরাতে পারবে। *আচ্ছা*!



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ ও সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. সদা শ্রীমতে থেকে শ্রেষ্ঠ কর্ম করতে হবে। অন্যের মতের প্রভাবে যেন না আসা হয়। সুপুত্র হয়ে প্রতিটি আজ্ঞা পালন করতে হবে। যে কথা বোধগম্য হবে না তা অবশ্যই যাচাই(ভেরিফাই) করিয়ে নিতে হবে।

২. সর্বদা এই নেশা বা খুশিতে থাকতে হবে যে আমরা এই পুরোনো শরীর ছেড়ে প্রিন্স হবো। ঈশ্বরীয় নেশায় মত্ত হয়ে ঈশ্বরীয় সেবা করতে হবে।

বরদান-

সদা নিজের শ্রেষ্ঠ মর্যাদায়(শান) থেকে উদ্বিগ্নতাকে সমাপ্তকারী মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব

সর্বদা এই বরদান যেন স্মৃতিতে থাকে যে আমরা হলাম নিজের শ্রেষ্ঠ মর্যাদায় থাকা, অন্যদেরও উদ্বিগ্নতা সমাপ্ত করা মাস্টার সর্বশক্তিমান। দুর্বল নয়। শ্রেষ্ঠ মর্যাদার সিংহাসনে বিরাজমান (তখ্তনসীন)। যারা অকাল তখ্তনসীন [অকাল(যাকে কাল খেতে পারে না) সিংহাসনে বিরাজমান], তারা স্বপ্নেও কখনো উদ্বিগ্ন বা ব্যাকুল হতে পারে না। কেউ যতই বিরক্ত করুক কিন্তু তারা সর্বদা শ্রেষ্ঠ মর্যাদায় থাকে।

স্লোগান:-

সদা আপন স্বমানে থাকলে তবেই সকলের সম্মান প্রাপ্ত করতে পারবে*।