২৫-১১-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ০১-০৩-৮৪ মধুবন


"এক'এর হিসেব"

আজ সকল সহজযোগী এবং সদা সহযোগী বাচ্চাদের দেখে বাবা পুলকিত l চতুর্দিক থেকে আসা বাবার বাচ্চাদের *এক বল, এক ভরসা* , তারা *এক শ্রীমৎ* অনুসরণ ক'রে *একরস স্থিতিতে স্থিত* , *একের মহিমা* করে, *একেরই সাথে* সর্ব সম্বন্ধের দায়িত্ব পালন করে, সদা *একের সাথে* থাকে, *একই ঈশ্বরীয় পরিবারের* *এক লক্ষ্য* *এক যোগ্যতা* , সকলকে *একই শুভ এবং শ্রেষ্ঠ ভাবনার* সাথে দেখে, সবাইকে *একই শ্রেষ্ঠ ও শুভ কামনার* সাথে সদা উঁচুতে উড়তে সমর্থ বানায়, তারা *একই দুনিয়ার* এবং এই *একই দুনিয়ায় সর্বপ্রাপ্তির* অনুভব করে, চোখ খোলার সাথে সাথেই তারা শুধু দেখে *এক বাবা* l প্রতিটা কর্ম করাকালীন তাদের সাথী *এক বাবা* l যখন দিন সমাপ্ত হয়ে আসে এবং তাদের কর্মযোগ ও সেবাকার্যের সমাপ্তি ঘটে, তারা *একের অনুরাগে* লাভলীন হয়ে যায় অর্থাৎ *একের স্নেহক্রোড়ে* (স্নেহের কোলে) নিমজ্জিত হয় l দিবারাত্র *একের সাথে* দিনচর্যা অতিবাহিত করে l সেবার সম্বন্ধে বা পরিবারের সম্বন্ধে এলেও, অনেককে দেখেও তারা শুধু *এক* দেখে l *এক বাবার* এটা ফ্যামিলি, *এক বাবা* তাদের সেবার নিমিত্ত বানিয়েছেন l এইভাবে অনেক সম্পর্ক সম্বন্ধে এলেও তারা অনেকের মধ্যে *এক'কে* দেখে l এই ব্রাহ্মণ জীবনে, হিরো পার্ট প্লে করার জীবনে, পাস উইথ অনার হওয়ার জীবনে তোমাদের একটা জিনিস শিখতে হবে, সেটা কি ? *একের হিসেব* l ব্যস্ ! শুধু এটাই সব ! যখন তোমরা *এক'কে* জেনে যাও, তো তোমরা সবকিছু জেনে যাও l সবকিছু পেয়ে যাও l *এক লিখতে, এক শিখতে, এক স্মরণ করতে সবচেয়ে সহজ ও সরল* l



ভারতে প্রবাদ আছে, 'তিন-চার রকম কথা' বলোনা, শুধু *এক* কথা বলো" l তিন-চার রকম কথা হলে মুশকিল হয়, *একের স্মরণ এবং এক'কে জানা অতি সহজ* l তাহলে এখানে তোমরা কি শেখো ? তোমরা *একের পাঠ* শেখো l একের মধ্যেই কোটি কোটি ডুবে আছে l এইজন্য বাপদাদা একের সহজ রাস্তা তোমাদের দেখিয়ে দেন l এঁকের মহত্ত্ব জানো আর মহান হও l সমস্ত বিস্তার এঁকের মধ্যে সমাহিত l এতেই সব জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত l ডবল ফরেনার্স তো *এক'কে* ভালোভাবে জেনে গেছ, তাই না ! আচ্ছা - আজ বাবা এসেছেন শুধু তোমরা সব বাচ্চাদের রিগার্ড দেওয়ার জন্যে l তোমাদের স্বাগত জানাতে বাবা তোমাদের *একের হিসেব* বলে দিয়েছেন l



আজ, বাপদাদা শুধু তোমাদের সবার সাথে মিলিত হতে এসেছেন l তবুও হারানিধি বাচ্চারা, যারা আজ বা কাল এসেছে তাদের নিমিত্তে বাবা কিছু না কিছু শুনিয়েছেন l বাপদাদা জানেন, স্নেহের কারণে কতো মেহনত করে তোমরা এখানে আসার উপায় জুটাতে পারো ! তোমাদের মেহনতের জন্যে, বাবার পদমগুণ স্নেহ তোমরা সব বাচ্চাদের সাথে থাকে, এইজন্য বাবাও স্নেহ আর গোল্ডেন ভার্সন্সের সাথে তোমাদের স্বাগত জানাচ্ছেন l আচ্ছা -



যারা স্নেহে লাভলীন, গভীর ভালোবাসায় ডুবে থাকে, সেই অনুরাগী (মনমিত) বাচ্চাদের, যারা সদা *এক* বাবার গীত গায়, যারা সদা ভালোবাসার দায়িত্ব পালন করে, সেই সকল সাথী বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ এবং নমস্কার l



*ডবল বিদেশি বাচ্চাদের সাথে বাপদাদার রূহ্-রিহান* *03/03/84* :



*"ডবল বিদেশি"* অর্থাৎ যারা সদা স্বদেশ, সুইট হোমের অনুভব করে l তোমরা সদা সেই স্বদেশভূমি সুইট হোমের অধিবাসী, পরদেশে, পররাজ্যে স্বরাজ্য অর্থাৎ আত্মিক রাজ্য এবং সুখের রাজ্য স্থাপন করতে গুপ্তরূপে প্রকৃতির আধার নিয়ে পার্ট প্লে করতে এসেছো l তোমরা স্বরাজ্য অধিবাসী, পার্ট প্লে করছো পরদেশে l এই দেশ প্রকৃতির l *স্ব-দেশ আত্মার দেশ l প্রকৃতি এখন মায়ার বশে, মায়ার রাজ্য, এইজন্য পরদেশ হয়ে গেছে* l যখন তোমরা মায়াজিৎ হয়ে যাও, এই প্রকৃতিই তখন তোমাদের সুখময় সেবাধারী হয়ে যায় l তোমরা মায়াজিৎ, প্রকৃতিজিৎ হলে এটা তোমাদের সুখের রাজ্য, সতঃপ্রধান রাজ্য স্বর্ণালী দুনিয়ায় পর্যবসিত হবে l স্পষ্টভাবে এই স্মৃতি আসে তোমাদের ? *শুধু সেকেন্ডের মধ্যে তোমাদের বস্ত্র বদল করতে হবে, পুরানো ছেড়ে নতুন বস্ত্র ধারণ করতে হবে l এতে আর কতো সময়ই বা লাগবে ! ফরিস্তা থেকে দেবতা হওয়ায় শুধু বস্ত্র বদল করতে যেটুকু দেরি লাগবে* ! তোমরা ভায়া সুইট হোমও করবে, কিন্তু অন্তে তোমাদের স্মৃতি থাকবে যে তোমরা এখন ফরিস্তা থেকে দেবতা হচ্ছ l দৈবীয় শরীরের, দৈবীয় জীবনের, দেবতাদের দুনিয়ার, সতঃপ্রধান প্রকৃতির সময়ের স্মৃতি থাকে তোমাদের ? বহুবারের রাজ্যের এবং দৈবী জীবনের সংস্কার যা তোমাদের মধ্যে ভরা আছে, তা' ইমার্জ হয় ? কারণ, যতক্ষণ না পর্যন্ত যারা দেবতা হচ্ছে, তাদের মধ্যে দেবতাদের সংস্কার ইমার্জ হচ্ছে ততক্ষণ সাকাররূপে স্বর্ণালী দুনিয়া কিভাবে ইমার্জ হবে ! তোমাদের ইমার্জ হওয়া সঙ্কল্পের দ্বারা দৈবী সৃষ্টি এই ভূমিতে প্রত্যক্ষ হবে l সঙ্কল্প নিজে থেকেই ইমার্জ হয় নাকি মনে করছো এখনও অনেক সময় বাকি আছে ? তোমাদের দৈবী শরীর তোমরা সব দেব আত্মাদের আহ্বান করছে l নিজেদের দৈবী শরীর দেখতে পাচ্ছ তোমরা ? কখন ধারণ করবে ? পুরানো শরীরের সাথে মন জুড়ে নেই তো ? পুরানো টাইট বস্ত্র তোমরা পরে নেই, তাই না ? এখনও পুরানো শরীর, পুরানো বস্ত্র পরে আছো তোমরা, যা সময়কালে সেকেন্ডে ছাড়তে পারবে না l নির্বন্ধন হওয়া অর্থাৎ লুজ্ বস্ত্র পরিধান করা l তাহলে তোমরা ডবল বিদেশিরা কি পছন্দ করবে, লুজ্ নাকি টাইট ? টাইট পছন্দ করছো না তো ? কোনো বন্ধন নেই, তাই না !



তোমরা নিজেরা এভাররেডি আছো ? সময়কে আলাদাভাবে রাখো, সময়ের দিকে দেখোনা l এখন এটাই ঘটার আছে, এটাই ঘটবে - সময় জানে বাবা জানে l সেবা জানে বাবা জানে l স্ব সেবায় সন্তুষ্ট তোমরা ? বিশ্ব সেবা সরিয়ে নিজেকে দেখ ! স্ব স্থিতিতে, নিজের স্বতন্ত্র রাজ্যে নিজের সাথে সন্তুষ্ট তোমরা ? নিজের রাজধানী ঠিকমতো চালাতে সমর্থ তোমরা ? এই সমস্ত কর্মচারী, মন্ত্রী, মহামন্ত্রী সবাই তোমার নিয়ন্ত্রণে আছে ? কোনরকম অধীনতা নেই তো ! কখনো তোমার নিজেরই মন্ত্রী, মহামন্ত্রী ভুলপথে চালিত করে না তো ? কখনো কখনো তোমার নিজের কর্মচারীরা ভিতরে ভিতরে গোপনে মায়ার সাথী হয়ে যায় না তো, হয় কি ? তোমাদের নিজেদের রাজ্যে তোমরা সব রাজাদের রুলিং পাওয়ার এবং কন্ট্রোলিং পাওয়ার যথার্থরূপে কাজ করছে ? এমন নয় তো যে অর্ডার করলে শুভ সঙ্কল্প আসার, আর চলে এলো ব্যর্থ সঙ্কল্প ! অর্ডার করলে সহনশীলতার গুণকে, আর আসলো অস্থিরতার অপগুণ ! হে নৃপতিবর্গ ! সকল শক্তি, সকল গুণ তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ? এরাই তো তোমাদের রাজ্যের সাথী l সুতরাং সবাই তারা তোমাদের নিয়ন্ত্রণে, তাই না ! যখন রাজারা অর্ডার করে, সবাই সেকেন্ডে *জী হুজুর* ব'লে সেলাম করে ; এইরকম রুলিং পাওয়ার এবং কন্ট্রোলিং পাওয়ার আছে তোমাদের ? এতে তোমরা এভাররেডি আছো ? স্ব-এর দুর্বলতা, স্ব-বন্ধন ভুলপথে তোমাদের চালিত করবেনা তো ?



আজ বাপদাদা তোমরা সব স্বরাজ্য অধিকারীদের কাছে স্ব রাজ্যের হিত সাধনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছেন l এখানে সবাই তোমরা রাজা-রাজরা-রা বসে আছো, তাই না ? তোমরা কেউ প্রজা নও তো ? কারও অধীন অর্থাৎ প্রজা, অধিকারী অর্থাৎ রাজা l তাহলে, তোমরা কে ? তোমরা রাজযোগী নাকি প্রজাযোগী ? রাজবর্গের দরবার বসেছে, তাই না ? সত্যযুগের রাজসভায় তো তোমরা সবকিছু ভুলে যাবে, পরস্পরকে চিনতে পারবে না যে তোমরা সেই একই সঙ্গমযুগী আত্মা । এখন ত্রিকালদর্শী হয়ে পরস্পরকে জানো, দেখ l এখনের এই রাজ দরবার সত্যযুগের থেকেও শ্রেষ্ঠ l এমন রাজ দরবার শুধু সঙ্গমযুগেই বসে l সুতরাং সবার রাজ্যের হাল-হকিকত ঠিক আছে, তাই না ? উঁচু স্বরে তোমরা বলোনি যে সবকিছু ঠিকঠাক আছে l



বাপদাদারও এই রাজসভা ভালো লাগে l তবুও রোজ নিজেকে চেক করতে হবে, রোজ নিজের রাজদরবার বসিয়ে দেখ, যদি কোনও কর্মচারী সামান্যও অসাবধান হয়, তবে কি করবে ? তাকে ছেড়ে দেবে ? সবাই তোমরা শুরুর চরিত্র অর্থাৎ দৈবী কার্যকলাপ শুনেছো, তাই না ! যদি কোনো ছোট বাচ্চা দুষ্টুমি করে তো তাকে কি শাস্তি দেওয়া হতো ? তার আহারাদি বন্ধ করে দেওয়া বা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা, এটা কমন ব্যাপার কিন্তু একান্তে তাকে অনেক ঘন্টা বসে থাকার সাজা দেওয়া হতো l বাচ্চা তো ! বাচ্চারা তো একজায়য়গায় স্থির হয়ে বসতে পারে না ! সুতরাং একই স্থানে স্থির হয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টা বসে থাকা তার পক্ষে কতবড় সাজা ! সুতরাং তারা এইরকমই রয়্যাল সাজা দিতো l অতএব, এখানেও কোনও কর্মেন্দ্রিয় অমঙ্গলসূচক কিছু করলে তবে তাকে অন্তর্মুখিতার ভাট্টিতে বসিয়ে দাও l বহির্মুখী হওয়ার প্রয়োজনই নেই, এইভাবেই তাদের সাজা দাও l যদি কেউ উদ্ভূত হয় তাকে আবার ভিতরে পাঠিয়ে দাও l বাচ্চারাও এটা করে, তাই না ! বাচ্চাদের বসিয়ে দাও তো তারা আবারও তাদের ইচ্ছেমতো করে, তখন তোমরা বাচ্চাদের আবার বসিয়ে দাও l সুতরাং এইভাবে বহির্মুখী থেকে অন্তর্মুখী হওয়ার অভ্যাসের বিকাশ ঘটবে l ছোট বাচ্চাদের মধ্যে যেমন একটা অভ্যাস গড়ে তোলা হয়, ব'সো, স্মরণ করো l সেই বাচ্চা বসতে চাইবে না, কিন্তু তুমি বারবার বসিয়ে দেবে l যতই সে তার পা নাড়ুক, তবুও তাকে বলবে - না ! এইভাবে ব'সো l এইরকমভাবে অন্তর্মুখিতার অভ্যাসের ভাট্টিতে যথার্থরূপে দৃঢ়তার সঙ্কল্পের সাথে বেঁধে বসিয়ে দাও l কোনোপ্রকার রস্যি দিয়ে তাদের বাঁধতে হবেনা, দৃঢ় সঙ্কল্প নিজেই রস্যি l অন্তর্মুখিতার অভ্যাসের ভাট্টিতে বসিয়ে দাও l নিজেকেই সাজা দাও l অন্য কেউ তোমায় শাস্তি দিলে কি হবে ? অন্যে যদি তোমায় বলে, তোমার এই কর্মচারী ঠিক নয়, একে দন্ড দেওয়া উচিৎ, তবে কি করবে ? সামান্য হলেও তোমার এইরকম মনে হবে, "এইরকম কেন বলছে?" যেমনই হোক, নিজেই নিজেকে সাজা দিলে সদাকাল থাকবে l অন্যের বলায় সদাকাল থাকবেনা l অন্যের ইশারাকেও যতক্ষণ নিজের না বানিয়েছো, ততক্ষণ সদাকালের হয় না l বুঝেছো তোমরা ?



নৃপতিগণ, কেমন আছো তোমরা ? রাজদরবার ভালো লাগছে, তাই না ! সবাই তোমরা মহারাজা, না ? ছোট রাজা নও, তোমরা সব মহা রাজা ! আচ্ছা - আজ ডবল বিদেশিদের দেখে ব্রহ্মাবাবা বিশেষ রূহ্-রিহান করছিলেন l বাবা সেসব পরে তোমাদের শোনাবেন l আচ্ছা- সদা মায়াজিৎ, প্রকৃতিজিৎ, রাজ্য অধিকারী আত্মারা, সর্বগুণ এবং সর্বশক্তির ভান্ডার স্বাধিকারে কার্যে লাগিয়ে, সদা স্বরাজ্য দ্বারা সব কর্মচারীদের সদাকালের স্নেহী সাথী বানিয়ে, সদা নির্বন্ধন এবং এভাররেডি থাকে, এমন সন্তুষ্ট আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ এবং নমস্কার l



*অস্ট্রেলিয়া গ্রুপের সাথে* :- সদা স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স রেখে বাপদাদা এবংসকল আত্মাদের দ্বারা ব্লেসিংস প্রাপ্তকারী আত্মা তোমরা, তাই না ? ব্রাহ্মণ জীবনের এটাই বিশেষত্ব, সদা পুরুষার্থ করার সাথে সাথে ব্লেসিংস প্রাপ্ত করে উন্নতির দিকে এগিয়ে চলা l ব্রাহ্মণ জীবনে এই ব্লেসিংস লিফ্টের মতো কাজ করে l এর দ্বারা তোমরা উড়তি কলার অনুভব করতে থাকবে l



অস্ট্রেলিয়া নিবাসীদের প্রতি বাপদাদার বিশেষ স্নেহ আছে, কেন ? কেননা তারা প্রত্যেকে অনেককে নিয়ে আসার সাহস রাখে এবং উদ্যম-উৎসাহে থাকে l তোমাদের এই বিশেষত্ব বাবারও প্রিয়, কারণ বাবারও কাজ সবচেয়ে বেশি আত্মাদের বরসার অধিকারী বানানো l সুতরাং ফলো ফাদার করা বাচ্চারা বিশেষ প্রিয় হয় l আসা মাত্রই তোমাদের মহা উৎসাহ থাকে l অস্ট্রেলীয় ভূমি যেন এ এক বরদান লাভ করেছে l এক অনেকের নিমিত্ত হয়ে যায় l বাপদাদা তো প্রত্যেক বাচ্চার গুণের মালা জপতে থাকেন l অস্ট্রেলিয়ার অনেক বিশেষত্ব, যতোই হোক, মায়ারও অস্ট্রেলিয়া নিবাসীদের একটু বেশি প্রিয় l যারা বাবার প্রিয় তারা মায়ারও প্রিয় হয়ে যায় l তাইতো, অনেক তাবড় তাবড় সব একটু সময়ের জন্য হলেও মায়ার হয়ে যায়, তাই না ! তোমরা কেউ এমন কাঁচা তো নও, তাই না ? কোনরকম চক্রে তো আটকে যাচ্ছ না ? বাপদাদার এখনও সেইসব বাচ্চাদের স্মরণ করেন l কি হয়, কোনো বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি না জানার কারণে *কেন* আর *কি* -এর প্রশ্ন থেকে যায় আর মায়া আসার দরজা খুলে যায় l মায়ার দরজা তো তোমরা জেনে গেছ, তাই না ? সুতরাং *কেন* *কি* প্রশ্নের মধ্যে এসোনা, তবে আর মায়াও আসার চান্স পায় না l সদা ডবল লক লাগিয়ে রাখো l স্মরণ আর সেবাই ডবল লক l *শুধু সেবা সিঙ্গল লক, শুধু সেবা, স্মরন নেই, সেটাও সিঙ্গল লক* l দুটোর ব্যালেন্সই ডবল লক l বাপদাদার টিভিতে তোমাদের ফটো নেওয়া হচ্ছে, তারপরে বাপদাদা দেখাবেন, "দেখ এই ফটোতে তুমি আছো l" আচ্ছা - তবুও সাহসের সাথে, নিশ্চয়ের সাথে ভালো নম্বর আছে l তোমরা বাবার অধিক প্রিয়, এইজন্য মায়ার থেকে রেহাই পাওয়ার যুক্তি শুনিয়েছেন l আচ্ছা - ওম্ শান্তি l

বরদান:-

অন্তর্লীন করার শক্তি দ্বারা সেকেন্ডে ফুলস্টপ দিয়ে নষ্টমোহ স্মৃতিস্বরূপ ভব

লাস্টে ফাইনাল পেপারে কোশ্চেন হবে - সেকেন্ডে ফুলস্টপ ! আর কোনও কিছু যেন স্মরণে না আসে l ব্যস্! "শুধু বাবা আর আমি, তৃতীয় কোনো বিষয় নয় l" *সেকেন্ডে আমার বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়* . . . এটা ভাবতে সময় লাগে, কিন্তু তোমাকে সেই স্থিতিতে স্থিত হতে হবে, একেবারেই অস্থির হয়োনা l *কেন* *কি* -এর প্রশ্ন উৎপন্ন যেন না হয়, তবেই নষ্টমোহ স্মৃতিস্বরূপ হবে l এইজন্য *অভ্যাস করো যখন ইচ্ছা বিস্তারে আসা আর যখন ইচ্ছে অন্তর্লীন করে নেওয়া* l তোমাদের ব্রেক (Brake) পাওয়ারফুল হতে হবে l

স্লোগান:-

যাদের স্বমানের অভিমান নেই, তারাই সদা নির্মাণ