১৫-১০-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- বেহদের(অসীম, Unlimited) সার্ভিস করার জন্যে তোমাদের বুদ্ধি চলা উচিত। এমন বিশাল ঘড়ি তৈরি করো যার কাঁটায় রেডিয়াম লাগানো থাকবে এবং যা দূর থেকে জ্বলজ্বল করে"
প্রশ্ন:-
সার্ভিসের বৃদ্ধির জন্যে কোন্ যুক্তি রচনা করা উচিত ?
উত্তর:-
যারা মহারথী, তীব্র বুদ্ধিধারী বাচ্চা, তাদের নিজেদের সেন্টারে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। মহারথী বাচ্চারা বারবার আসলে সার্ভিসে বৃদ্ধি হবে। এতে এমন ভাবা উচিত নয় যে আমাদের মান কমে যাবে। বাচ্চাদের কখনও দেহ-অভিমান অনুভব হওয়া উচিত নয়। মহারথীদের যথেষ্ট রিগার্ড রাখা উচিত ।
গীত:-
এই সময় চলে যাচ্ছে, সময় কার জন্য থেমে থেকেছে, কার জন্যই বা থেমে থাকবে* .....।
ওম্ শান্তি।
ঘড়ি শব্দটি শুনলে বেহদের (অনন্তের, সময়ের) ঘড়ির কথা স্মরণে আসে। এ হল বেহদের ঘড়ি, এরমধ্যে সবটাই বুদ্ধি দিয়ে বুঝবার কথা আছে। ঐ ঘড়িরও বড় কাঁটা ও ছোট কাঁটা আছে। সেকেন্ডের বড় কাঁটা চলতে থাকে। এখন রাত ১২ টা বেজেছে অর্থাৎ রাত পুরো হয়ে দিন শুরু হবে। এই বেহদের ঘড়ি কত বিশাল হওয়া উচিত। এতে যে কাঁটা বানানো হয় তাতে রেডিয়ামও দেওয়া উচিত, যাতে দূর থেকে জ্বলজ্বল করবে। ঘড়ি তো নিজেই বুঝিয়ে দেয়। নতুন কেউ আসলে ঘড়ি দেখবে এসে। বুদ্ধিও বলে বরাবর কাঁটা শেষে এসে পৌঁছেছে। সবাই বুঝবে বিনাশ তো অবশ্যই হওয়া উচিত। তারপরে আছে সত্যযুগের আদি কাল। সত্যযুগে খুব কম সংখ্যায় আত্মারা থাকে। অর্থাৎ এত সব আত্মারা নিশ্চয়ই ফিরে যায় তবে। চিত্র দ্বারা বুঝতে পারা খুবই সহজ। এমন ঘড়ি যদি কেউ বানায় তো অনেকে কিনে রাখবে ঘরে। এই বিষয়েই বোঝাতে হবে। এ হল কলিযুগী ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। অনেক ধর্মও আছে। বিনাশও সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ন্যাচারাল ক্যালামিটিজও (প্রাকৃতিক দুর্যোগ) হবে। এবারে এই লক্ষ্মী - নারায়ণ ইত্যাদি সত্যযুগের বাদশাহী প্রাপ্ত করেন কিভাবে ? অবশ্যই বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছে। পতিত-পাবন আসেন পতিত দুনিয়ায়, সঙ্গমে। পাবন দুনিয়ায় তো বাবাকে আসতে হবে, তাই না ! এই কথাটা সৃষ্টি গোলক বিষয়ে বোঝানোর ক্ষেত্রে খুব ফার্স্ট ক্লাস কথা আর এই বিষয়ে কাউকে বোঝানোও হল খুব সহজ। যদি কারো অনেক অর্থ থাকে তারা তো আর্টিস্টকে অর্ডার দিয়ে চটপট জিনিস তৈরি করাতে পারে। গভর্নমেন্টের কাজ তো সহজেই হয়ে যায়, কিন্তু এখানে তো অতি কষ্টে হয় । কোনো ভালো আর্টিস্ট চিত্র বানালে সেই চিত্র শোভনীয়ও হবে। আজকাল আর্টের অনেক মান। ডান্সের আর্ট দেখানো হয়, তারা ভাবে আগে এমন ডান্স হত। কিন্তু এমন কিছু নয় । অতএব এই বেহদের ঘড়ি চটপট তৈরি করা উচিত। যাতে মানুষ ভালো ভাবে বুঝতে পারে। কালারও যেন এমন হয় যা উজ্জ্বল হবে । পতিত-পাবন কোনো মানুষ তো হতে পারে না। মানুষ পতিত হয় বলেই তখনই তো গায়ন করে। পবিত্র দুনিয়া হল স্বর্গ। মানুষ তো বোঝেনা যে কৃষ্ণ-ই হয় শ্যাম বর্ণ পরে সুন্দর হয়, তাই নাম দেওয়া হয়েছে শ্যাম-সুন্দর। আমরাও প্ৰথমে বুঝতাম না, এখন বুদ্ধিতে বসেছে যে কাম চিতায় বসলে কালো হয় অর্থাৎ আত্মা পতিত হয়। এইসবও স্পষ্ট করে লিখতে হবে। বর্সা দেন পরম পিতা পরমাত্মা এবং অভিশাপ দেন রাবণ। মানুষের বুদ্ধি চলে যায় রঘুপতি রাঘব রাজা রামের দিকে, কিন্তু রাম তো হলেন পরম পিতা পরমাত্মা। এইসব বুদ্ধি খাটিয়ে চিত্র বানানো উচিত কারণ আজকাল নিজেকে ভগবান তো সবাই বলে। তোমরা জানো বাবা তো হলেন একজন-ই। বাকি আমরা সবাই হলাম আত্মা, পরমাত্মার সঙ্গে পরমধামে গিয়ে বাস করব। সেই সময় বাবাও ব্রহ্মাণ্ডের মালিক, আমরাও ব্রহ্মাণ্ডের মালিক। তারপরে বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের আমি বিশ্বের মালিক করি । সে যত বড় রাজাই হোক, কেউ এমন বলবে না যে আমরা হলাম বিশ্বের মালিক। বাবা তো বিশ্বের মালিক করছেন। অতএব এমন মাতা পিতার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পণ করা উচিৎ। ওঁনার শ্রীমৎ হল বিখ্যাত। সেই মতানুসারে চলতে চলতে শেষের দিকে শ্রীমতের পুরোপুরি পালন করে। এখনই যদি শ্রীমতের পুরো পালন করবে তাহলে তো শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে, কত বুদ্ধি খাটাতে হয়। যতক্ষণ যজ্ঞ আছে ততক্ষণ পুরুষার্থ চলবে।
এ হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। তারাও রুদ্র যজ্ঞ করে শান্তির জন্যে। তাই দিয়ে শান্তি তো স্থাপন হয় না। বাবার যজ্ঞই হল একমাত্র যজ্ঞ, যাতে সর্ব সামগ্রী স্বাহা হয়ে যায় এবং সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়। তারা কত যজ্ঞ করে, লাভ কিছু হয়না। তোমরা বাচ্চারা হলে নন ভায়োলেন্স। পবিত্রতা ব্যতীত কেউ স্বর্গে যেতে পারেনা। এখন হল শেষ সময়। পতিত দুনিয়া, ভ্রষ্টাচারী রাবণের দুনিয়া, ১০০ শতাংশ অপবিত্রতা, দুঃখী, রুগী .... এইসব লিখতে হয় আর অন্য দিকে স্বর্গে হল শ্রেষ্ঠাচারী, ১০০% শতাংশ পবিত্রতা-সুখ-শান্তি-সুস্থতা। সেটা হল রাবণের অভিশাপ, এ হল শিববাবার বর্সা - পুরো লেখা উচিত। ভারত অমুক সময় থেকে অমুক সময় পর্যন্ত শ্রেষ্ঠাচারী ছিল তারপরে অমুক সময় থেকে ভ্রষ্টাচারী হয়েছে। এমন লেখা উচিত যাতে দেখলেই বুঝতে পারে। বোঝালে বুদ্ধিতে নেশা বাড়বে। এই ধান্ধাতে থাকলে প্র্যাক্টিস হয়ে যাবে। ঐ সার্ভিস ৮ ঘন্টা করা হয় তো এই সার্ভিসও ৮ ঘন্টা করা উচিত। সেন্টারে যে কন্যারা আছে সবই আছে নম্বর অনুযায়ী। কারো সার্ভিসের শখ আছে। সব দিকে ছোটে। কেউ আবার এক জায়গায় আরামে বসে থাকে, তাদের অলরাউন্ডার বলা হবেনা। মহারথীদের অসম্মান করে, ফলে সার্ভিস স্লো হয়ে যায়। অনেকের নিজস্ব অহংকার থাকে। আমার মান হোক, অন্য কেউ এলে আমার মান কমে যাবে। এ কথা ভাবে না যে মহারথী তো সাহায্যই করবে। নিজের অহংকার থাকে, এমন বোকাও হয়। বাবা বলেন সত্য হৃদয় থাকলে সাহেব রাজি হন। বাবার কাছে খবর তো আসে তাইনা। বাবা প্রত্যেকের নাড়ি বোঝেন। এই বাবাও (ব্রহ্মাবাবা) হলেন অনুভাবী।
অতএব এই গোলকের বিষয়টি বোঝানোর জন্যে ভালো। এই বিষয়টি বোঝানোর পয়েন্ট তোমাদের নিজের হলে তোমাদের বিহঙ্গ মার্গের সেবাও ভালো হবে। এখন তো পিপীলিকা মার্গের সার্ভিস হচ্ছে। নিজের দেহ-অভিমানে থাকে, তাই বুদ্ধি চলেনা। এখন এ হল বিহঙ্গ মার্গের সার্ভিস। সার্ভিসেবল বাচ্চাদের মাথা চলতে থাকবে - কি কি তৈরি করা উচিত। চিত্র দিয়ে বোঝানো খুব সহজ। এখন হল কলিযুগ, সত্যযুগ স্থাপন হয়। বাবা-ই সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। সেখানে আছে সুখ, এখানে আছে দুঃখ। সবাই পতিত। পতিত মানুষ কাউকেই মুক্তি-জীবনমুক্তি দিতে পারেনা। এরা সবাই হল ভক্তি মার্গের ব্যবসা প্রশিক্ষণ দাতা। গুরু হল ভক্তি মার্গের। জ্ঞান মার্গের কোনো গুরু নেই। এখানে তো কত পরিশ্রম করতে হয়। ভারতকে স্বর্গে পরিণত করা জাদুর খেলা নয় ! তাই ওঁনাকে জাদুকরও বলা হয়। কৃষ্ণকে কখনও জাদুকর বলা হবেনা। কৃষ্ণকেও শ্যাম থেকে সুন্দর করেন বাবা। বোঝানোর জন্যে খুব নেশা থাকা চাই। সেবার জন্য বাইরে যাওয়া উচিত। গরীবরা ভালো জ্ঞান অর্জন করে। ধনীদের থেকে আশা কম থাকে। ১০০ জন গরীবের তুলনায় দু' একজন ধনী ব্যক্তি, তো ৫-৭ জন সাধারণ থাকবে। এইভাবেই কাজ হয়। ধনের এত প্রয়োজন নেই, গভর্মেন্ট দেখো কত বারুদ তৈরি করেছে। দুজনেই বুঝতে পারে বিনাশ হবে, আমরা বিনাশ হব , তখন শিকারী কে হবে ? গল্প আছে না - দুই বেড়ালের লড়াইয়ে মাখন বানর খায়। কৃষ্ণের মুখে মাখন দেখানো হয়েছে। এ হল স্বর্গ রূপী মাখন । এইসব কথা খুব আত্মাই বুঝতে পারে। এখানে ২০-২৫ বছর থেকেও অনেকে কিছুই বোঝেনা। যখন প্রথম ভাট্টি হয়েছিল, কতো এসেছিল, কতজন চলে গেছে। কেউ আবার স্থায়ীভাবে আছে। ড্রামায় কল্প পূর্বেও এমন হয়েছিল। এখনও সেইসব হচ্ছে। চিত্র সাইজে যত বড় হবে ততই বোঝানো সহজ হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রও দরকার। কল্প বৃক্ষের চিত্র (ঝাড়) থেকে বোঝা যায় ভক্তি কাল্ট কবে শুরু হয়। ব্রহ্মার রাত দুই যুগ তারপর ব্রহ্মার দিন দুই যুগ। মানুষ তো বোঝে না, তারপর বলে ব্রহ্মা তো সূক্ষ্ম বতনে থাকেন। কিন্তু প্রজাপিতা তো অবশ্যই এখানে থাকবেন। অনেক গূঢ় রহস্য আছে যা শাস্ত্রে তো থাকতে পারেনা। মানুষ তো সবই উল্টো চিত্র দেখেছে, উল্টো জ্ঞান শুনেছে। ব্রহ্মাকে বহু ভুজা দিয়েছে। এইসব যত শাস্ত্র ইত্যাদি আছে সেসব হল ভক্তি মার্গের সামগ্রী। এই সব কবে শুরু হয়েছে, দুনিয়া জানেনা। মানুষ কত ভক্তি করে, ভাবে ভক্তি ছাড়া ভগবানকে পাওয়া যায়না। যখন সম্পূর্ণ দুর্গতি হবে তখনই তো ভগবানকে পাবে সদগতির জন্যে। এই হিসেব নিকেশ তোমরা জানো। অর্ধকল্প থেকে ভক্তি শুরু হয়। বাবা বলেন - এই বেদ, উপনিষদ, যজ্ঞ-তপ ইত্যাদি সবই হল ভক্তি মার্গের। এইসব শেষ হবে। সবাইকে কালো হতে হবে তবেই তো ফর্সা করতে বাবাকে আসতে হয়। বাবা বলেন আমি কল্পের সঙ্গম যুগে-যুগে আসি, শুধু যুগে-যুগে নয়। আমার কুর্ম অবতার, মৎস্য অবতার, পরশুরাম অবতার ইত্যাদি ইত্যাদি দেখিয়ে দিয়েছে । এ সব যদি ভগবানের অবতার হয়, তাহলে নুড়িতে পাথরে ভগবান কিভাবে থাকতে পারেন । মানুষ কতখানি অবুঝ হয়ে গেছে। বাবা এসে কত বুঝদার করেছেন। সেই বাবার মহিমা বর্ণনাও করতে হয় - পরম পিতা পরমাত্মা হলেন জ্ঞানের সাগর, পবিত্রতার সাগর। কৃষ্ণের এমন মহিমা হতে পারেনা। কৃষ্ণের ভক্তরা কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে বলে যে তিনি হলেন সর্বব্যাপী। কতজন আকৃষ্ট হয়। সেখান থেকে বের করে বাবার পরিচয় দিতে হবে সব আত্মারা হল ভাই-ভাই, সবাই ফাদার হতে পারেনা, তাহলে স্মরণ করা হয় কাকে ? গড ফাদারকে বাচ্চারা স্মরণ করে, বোঝানোর জন্যে বেহদের বুদ্ধি যুক্ত হওয়া দরকার। বাচ্চাদের বুদ্ধি হদে অর্থাৎ দৈহিক জগতে আটকে যায়। এক জায়গায় বসে যায়। যারা বিজনেসম্যান হয় তারা বড় বড় ব্রাঞ্চ খুলে দেয়। যে যত সেন্টার খোলে সে ততই ভালো ম্যানেজার। তারপর সেন্টারের উপরেও নির্ভর করে। এ হল অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দোকান। কার ? জ্ঞান সাগরের। কৃষ্ণের এই জ্ঞান তো ছিলনা, না সেই সময় কোনো যুদ্ধ হয়েছিল। পয়েন্ট তো অনেক আছে, যা ধারণ করে বোঝাতে হবে। সভায় চিত্র রাখো যাতে সবাই দেখতে পারে। ঘড়ির চিত্র খুব ভালো। এই চক্রকে জানলে চক্রবর্তী হবে। স্ব দর্শন চক্রধারী হতে হবে। ঘড়ির বিষয়ে বোঝানো খুবই সহজ। কত পুরানো বাচ্চারা যোগ্য হয়না। নিজেকে জ্ঞানযুক্ত ভেবে মিথ্যাই খুশি হয়। সার্ভিস না করলে কে দানী ভাববে। দানও করতে হবে মোহরের, নাকি পাই পয়সার ? এই চিত্র হল অন্ধের দর্পণ। দর্পণে নিজের মুখ দর্শন করবে। প্ৰথমে বানর মুখ ছিল, এখন মন্দির সম চেহারা হচ্ছে। মন্দিরে বাস করার মতন যোগ্য হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। এ হল পতিত দুনিয়া, ওটা হল পবিত্র দুনিয়া, যা শিববাবা স্থাপন করছেন। যে শ্রীমৎ অনুযায়ী চলবেনা তাদের বুদ্ধিতে কখনোই ধারণা হতে পারেনা। বাবা বলেন প্রতিদিন তোমাদের গূঢ় কথা শোনাই ফলে জ্ঞান বৃদ্ধি হতে থাকবে।
কেউ আবার প্রশ্ন করে - আট বাদশাহী কিভাবে চলবে ? এই হিসাব অনুযায়ী এত গুলি বাদশাহী হওয়া উচিত। বাবা বলেন তোমরা এইসব কথায় কেন মাথা ঘামাও ? প্ৰথমে বাবা এবং তাঁর বর্সাকে তো স্মরণ করো। ওখানকার যা আদব কায়দা থাকবে সেইরূপ চলবে। যে নিয়মে সন্তান জন্ম হওয়ার হবে সে নিয়মে জন্ম হবে। তোমরা কেন চিন্তা করো ? বিকারের কথা মুখে কেন আনো ? এই চিত্র কাউকে উপহার দেওয়া খুব ভালো কথা। এ হল গড ফাদারলি গিফ্ট। এমন গড ফাদারলি গিফ্ট সবাই নেবে। খ্রিস্টানরা অন্য কারো লিটারেচার ইত্যাদি নেয়না, তাদের নিজের ধর্মের নেশা থাকে। বাবা তো বলেন দেবতা ধর্ম হল সবচেয়ে উঁচুতে। তারা ভাবে এই খ্রিস্টানদের থেকে আমরা অনেক টাকা পয়সা পাই। কিন্তু এসব তো হল জ্ঞানের কথা। যারা জ্ঞান প্রাপ্ত করে তারা-ই বাবার বর্সা প্রাপ্ত করে। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ এবং গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. যে মাতা-পিতা বিশ্বের মালিক বানাচ্ছেন তাঁর কাছে অন্তর থেকে সমর্পিত হতে হবে। ওঁনার শ্রীমৎ অনুসারে চলে শ্রেষ্ঠ হতে হবে।
২. নিজের মন পরিষ্কার রাখতে হবে। অহংকার ভাব আনবে না। মোহর দান করতে হবে। জ্ঞান দানে মহারথী হতে হবে। ৮ ঘন্টা ঈশ্বরীয় সেবা অবশ্যই করতে হবে।
বরদান:-
নিজের দায়িত্বের সব বোঝা বাবাকে সঁপে দিয়ে সর্বদা নিশ্চিন্ত অনুভবকারী সফলতা সম্পন্ন সেবাধারী ভব
যে বাচ্চারা নিজে যত হালকা থাকে , ততই সেবাও স্বয়ং সর্বদা উপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ উন্নতির পথে এগিয়ে যায় তাই সবরকম দায়িত্বের বোঝা বাবাকে সঁপে নিজে ফুরফুরে হয়ে থাকো। কোনো রকমের আমিত্ব ভাবের বোঝা যেন না থাকে। শুধুমাত্র স্মরণের নেশায় থাকো। বাবার সঙ্গে কম্বাইন্ড থাকো যেখানে বাবা আছেন সেখানে সেবা তো স্বতঃই হয়ে থাকে। করাবনহার (যিনি করান) করাচ্ছেন ফলে হাল্কাও থাকবে এবং সফলতা সম্পন্নও হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
বেহদের (অসীমের) ড্রামার প্রতিটি দৃশ্যকে নিশ্চিত জেনে সদা নিশ্চিন্ত থাকো ।