29-12-2018 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এখানে জ্ঞানের ধারণা করে অন্যান্যদেরও তা অবশ্যই করাতে হবে, পাশ করার জন্য মা -
বাবার মতো হতে হবে, যেটা শুনছ সেটা শোনাতেও হবে"
প্রশ্ন:-
বাচ্চাদের মধ্যে কোন্
শুভ কামনা উৎপন্ন হওয়াটাও ভাল পুরুষার্থের লক্ষণ ?
উত্তর:-
বাচ্চাদের মধ্যে যদি
এই শুভ কামনা থাকে যে আমরা মা - বাবাকে অনুসরণ (ফলো) করে রাজসিংহাসনে বসব, তবে এও
খুব ভালো রকমের সাহস। যারা বলে- বাবা, আমরা তো সমস্ত পরীক্ষায় পাশ করব, সেও ভালো
বলে। তার জন্য অবশ্যই পুরুষার্থও ততটা তীব্র করতে হবে।
গীত:-
আমাদের তীর্থ অনন্য (হামারে
তীর্থ ন্যারে হ্যায়)
ওম্ শান্তি ।
এখন এখানে সবাই হল
পাপ আত্মা, পূণ্য আত্মারা তো স্বর্গেই থাকে। এটা হল পাপ আত্মাদের দুনিয়া, এখানে হল
অজামিল সদৃশ্য পাপ আত্মারা আর ওখানে হল দেবতাদের পূণ্য আত্মাদের দুনিয়া। এই দুইয়ের
মহিমা হল আলাদা আলাদা। যারা ব্রাহ্মণ, প্রত্যেকে তার নিজের এই জন্মের জীবন কাহিনীতে
বাবার কাছে লিখে পাঠায় যে এত পাপ করেছি। বাবার কাছে সবার জীবন কাহিনী আছে।
বাচ্চাদের জানা আছে যে এখানে শুনতে আর শোনাতে হবে। তাহলে শোনানোর লোক কত চাই।
যতক্ষণ না শোনাতে পারার মত তৈরী হচ্ছ ততক্ষণ পাশ করতে পারবে না। অন্য সব সৎসঙ্গ
গুলিতে সেই সব শুনে আবার শোনানোর জন্য বাধ্য থাকে না । এখানে ধারণা করে আবার তা
করাতে হবে, ফলোয়ার্স তৈরী করতে হবে। এরকম নয় যে একজন পন্ডিত কথা শোনাবে, এখানে
প্রত্যেককে মা - বাবার সমান হতে হবে। অন্যদের শোনালে তবে পাশ করবে আর বাবার হৃদয়াসনে
বসতে পারবে। সব কিছু নলেজের (জ্ঞানের) উপরেই বোঝানো হয়। সেখানে তো সবাই বলবে কৃষ্ণ
ভগবানুবাচ, এখানে বলা হয় জ্ঞান সাগর পতিত পাবন গীতা জ্ঞান দাতা শিব ভগবানুবাচ।
রাধা-কৃষ্ণ বা লক্ষ্মী-নারায়ণনকে ভগবান-ভগবতী বলা যেতে পারে না, এটা নিয়ম নয়। তবে
ভগবান ওনাদের পদ দিয়েছেন, তাই অবশ্যই ভগবান ভগবতীই তৈরী করবেন, সেইজন্য এই নাম
প্রাপ্ত হয়েছে। তোমরা এখন বিজয় মালার সূত্রে থাকার পুরুষার্থ করছ। মালা তো তৈরী
হচ্ছেই। উপরে হল রুদ্র। রুদ্রাক্ষের মালা হয় না ! ঈশ্বরের মালা এখানে নির্মিত হচ্ছে।
এটা বলা হয় যে আমাদের তীর্থ হল অনন্য। তারা তো তীর্থতে অনেক ধাক্কা খায়। তোমাদের
কথাই আলাদা। তোমাদের বুদ্ধির যোগ শিববাবার সঙ্গে। রুদ্রর গলার হার হতে হবে। মালার
রহস্যও জানে না। উপরে হলেন শিববাবা - ফুল, তারপর হলেন জগত অম্বা, জগত পিতা আর
ওঁনাদের ১০৮ বংশাবলী। বাবা দেখেছেন অনেক বড় মালা তৈরী হয়। আর সবাই সেটাকে জপ করতে
থাকে। রাম-রাম বলে। লক্ষ্য কিছুই নেই। রুদ্র মালা ঘোরাতে থাকে, রাম-রাম বলে সুর তোলে।
এই সব হল ভক্তি মার্গ। তবে এটা আবার অন্য কোনো ব্যাপারের চেয়ে ঠিক আছে, এই সময় অবধি
কোন পাপ হয় না। এটা হল পাপ থেকে বাঁচার একটা যুক্তি। এখানে মালা জপ করবার কোনো
ব্যাপার নেই। নিজেকে জপ-মালার দানা হতে হবে। তাহলে আমাদের তীর্থ হল অনন্য। আমরা
হলাম অব্যভিচারী পথিক - আমাদের শিববাবার ঘরের। যোগের দ্বারা আমাদের
জন্ম-জন্মান্তরের বিকর্ম দগ্ধ হয়।কৃষ্ণকে কেউ দিন-রাত স্মরণ করলে কিন্তু কখনো
বিকর্ম বিনাশ হতে পারে না। রাম-রাম বললে তো ঐ সময়টুকু শুধু পাপ করে না, পরে আবার
পাপ করতে থাকে। এরকম নয় যে পাপ স্খলন হয় আর আয়ু বাড়তে থাকে। এখানে বাচ্চারা,
তোমাদের যোগ বলের দ্বারা পাপ দগ্ধ হয় আর আয়ু বাড়ে। জন্ম-জন্মান্তরের জন্য আয়ু
অবিনাশী হয়ে যায়।
মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হওয়া- একেই জীবন গড়ে নেওয়া বলা হয়। দেবতাদের কত মহিমা।
নিজেকে বলবে আমি হলাম নীচ পাপী - তবে অবশ্যই সবাই ঐরকমই হবে। গানও করে আমি নির্গুণ,
কোন গুণ নেই আমার, আমায় কৃপা করো...।পরমাত্মার মহিমা তো তারা করে। উনি তোমাদের
সর্বগুণ সম্পন্ন শ্রীকৃষ্ণের সমান তৈরী করেন। তোমরা এখন তৈরী হচ্ছো। এর থেকে বড়
কোন গুণ হয় না। এক নির্গুণ বালকের সংস্হাও আছে। অর্থ বোঝে না - নির্গুণ কাকে বলে।
তোমরা, বাচ্চারা জানো শ্রীকৃষ্ণ বা লক্ষ্মী-নারায়ণের গুণের মহিমা গাওয়া হয়
সর্বগুণ সম্পন্ন ... এখন আবার তোমরা তৈরী হচ্ছ। আর কোন সৎসঙ্গ এমন হবে না যেখানে
এরকম বলবে। এখানে বাবা জিজ্ঞাসা করেন তোমরা লক্ষ্মী-নারায়ণকে বরণ করবে না রাম-সীতাকে
? বাচ্চারা তো অবুঝ নয়। ঝট্ করে বলে বাবা আমরা পরীক্ষায় সম্পূর্ণ পাশ করব। শুভ
কথাই বলে । কিন্তু এরকম নয় যে সবাই এক রকম হবে। তবুও সাহস দেখায়। মাম্মা - বাবা
হলেন শিববাবার অতি প্রিয় এবং যোগ্য (মুরব্বি) বাচ্চা। আমরা ওনাদের সম্পূর্ণ ফলো করে
গদিতে বসব। এই শুভ কামনা ভালো। সেই জন্য অনেক পুরুষার্থ করা চাই। *এই সময়ের
পুরুষার্থ কল্প-কল্পের হয়ে যাবে, গ্যারান্টি হয়ে যাবে। এখনকার পুরুষার্থ থেকে জানা
যাবে যে পূর্ব কল্পেও এই রকম পুরুষার্থ করেছিলাম। কল্প-কল্প এরকম পুরুষার্থ চলবে*।যখন
পরীক্ষা হওয়ার সময় হবে তো বুঝতে পারা যাবে - আমরা কতটা পাশ করব। টিচার তো সাথে
সাথেই বুঝে যায়। এটা হল নর থেকে নারায়ণ হওয়ার গীতা পাঠশালা। অন্য গীতা পাঠশালা
গুলিতে এরকম কখনো বলা হবে না যে আমি নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য এসেছি, এমন কি
টিচারও বলতে পারে না আমি নর থেকে নারায়ণ তৈরী করব। প্রথমত তো টিচারের নেশা চাই যে
আমিও নর থেকে নারায়ণ হব। গীতার প্রবচন করার মতন তো অনেকেই আছে। কিন্তু কোথাও এরকম
বলবে না যে আমরা শিববাবার দ্বারা পড়াশুনা করছি। ওরা তো মানুষের দ্বারা পড়াশুনা করে।
তোমরা তো জানো উচ্চতমেরও উচ্চ হলেন পরমপিতা পরমাত্মা শিব, যিনি হলেন স্বর্গের রচয়িতা,
নলেজফুল, উনিই এসে পতিতকে পবিত্র করেন। গুরুনানকও ওঁনার মহিমা করেছেন- জপ সাহেবকে,
তবেই সুখ প্রাপ্ত হবে। এখন তোমরা জানো যে উচ্চতমেরও উচ্চ সাহেব হলেন উনি, বাবা-ই
স্বয়ং বলেন আমাকে স্মরণ করো। আমি তোমাদেরকে সত্যিকারের অমরকথা, তিজরির কথা (ত্রিনেত্রী
হওয়ার গল্প) শোনাচ্ছি। হে পার্বতীরা, আমি অমরনাথ তোমাদের অমরকথা শোনাচ্ছি।
উচ্চতমেরও উচ্চ হলেন শিববাবা, তারপর ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর, আবার স্বর্গে
লক্ষ্মী-নারায়ণ, তারপর আবার চন্দ্রবংশী..... নম্বর অনুযায়ী চলে এসো। সময়ও সতো- রজো-
তমো হয়। এই কথা কেউ জানে না। বাবা অনেক গুপ্ত কথা শোনাচ্ছেন। আত্মাতে অবিনাশী পার্ট
আছে। এক এক জন্মের পার্ট নিহিত রয়েছে। এই পার্ট কখনো বিনাশ হয় না। বাবা বলেন আমার
পার্ট নিহিত রয়েছে, তোমরা সুখধামে থাকো তো আমি শান্তি ধামে থাকি। সুখ আর দুঃখ
তোমাদের ভাগ্যে আছে। সুখ আর দুঃখতে কত - কত জন্ম পাওয়া যায়, সেও বোঝানো হয়েছে। আমি
তোমাদের নিষ্কামী বাবা। তোমাদের সকলকে স্বর্গের মালিক করে তুলি। আমিও যদি পতিত হই,
তবে তোমাদের কে পবিত্র করবে? সকলের ডাক কে শুনবে? পতিত-পাবন কাকে বলবে? *এখানে বাবা
বোঝান, যারা গীতা পাঠ করে তারা এইরকম ভাবে বুঝতে পারবে না, ওরা তো ত্রিলোকির অর্থ
অন্য রকম ভাবে করে। মানুষ বলে বেদ-শাস্ত্র থেকে ভগবানের সাথে সংযোগের রাস্তা পাওয়া
যায়। বাবা বলেন এই সব শাস্ত্র হল ভক্তি মার্গের জন্য। জ্ঞান মার্গের যারা তাদের
জন্য কোন শাস্ত্রই নেই। জ্ঞান শোনানো জন্য রয়েছি আমি, জ্ঞান সাগর। বাকী সব হল ভক্তি
মার্গের সামগ্রী। আমিই এসে এই জ্ঞানের দ্বারা সবাইকে সদ্গতি প্রদান করি । ওরা তো
ভাবে বুদ্ বুদ্, জল থেকে উৎপন্ন হয়ে আবার মিলিয়ে যায়। কিন্তু মিলিয়ে যাওয়ার কোন
ব্যাপারই নেই। আত্মা হল অবিনাশী (ইম্-মর্টাল), সে কখনো জ্বলে না, কাটে না বা কমে
যাবে না।* বাবা এই সমস্ত কথা বোঝাতে থাকেন। বাচ্চারা, তোমাদের পা থেকে মাথার টিকি
পর্যন্ত খুশী থাকা উচিত - আমরা যোগ বলের দ্বারা বিশ্বের মালিক হচ্ছি। এই খুশীও হল
নম্বর - অনুযায়ী। একরস হতে পারে না। যদিও পরীক্ষা একটাই, কিন্তু পাশও তো করতে পারবে,
তাই না ! রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, উনি তার প্ল্যান বলে দেবেন । সূর্যবংশীতে এত আসন,
চন্দ্রবংশীতে এত আসন, যে পাশ করতে পারে না সে হল দাস-দাসী। দাস-দাসী থেকে আবার
নম্বর অনুযায়ী রাজা- রাণী হবে। অশিক্ষিতরা শেষে পদ পাবে। বাবা তো অনেকই বোঝান,
কিছুই যদি না বুঝতে পারো তো জিজ্ঞাসা করতে পারো। বিবেক বলে সে কোথায় জন্ম নেবে ?
সেখানেও কী কম সুখ ! অনেক সম্মান থাকে। বড় প্রাসাদের ভিতরে থাকে। বড় বড় বাগান
সেখানে । ওখানে তো তিনতলার প্রাসাদ তৈরী করতে হবে না। অনেক জমি পড়ে আছে। পয়সাও কম
নয়, তৈরী করার অনেক শখও থাকে। যেমন এখানে মানুষের শখ হয় না ! নিউ দিল্লী তো তৈরী
হল এরকম করেই, এখানে হল নতুন ভারত। বাস্তবে তো নতুন ভারত স্বর্গকে, পুরোনো ভারত
নরককে বলা হয়। ওখানে যার যত চাই ... এসবই হবে ড্রামা অনুযায়ী। প্রাসাদ ইত্যাদি যে
আগের কল্পে তৈরী করেছিল, সে-ই তৈরী করবে। এই জ্ঞান দ্বিতীয় কেউ বুঝবে না, তবে যার
ভাগ্যে আছে, তার বুদ্ধিতেই এই জ্ঞান বসবে। বাচ্চাদের পুরুষার্থ করতে হবে, সম্পূর্ণ
যোগে থাকতে হবে। ভক্তি মার্গে শ্রীকৃষ্ণের যোগেই থেকেছে, স্বর্গের মালিক তো হয়নি।
এখন স্বর্গ তো তোমাদের সামনে। তোমরা পরমপিতা পরমাত্মার বায়োগ্রাফি,
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করের বায়োগ্রাফিও জানো। ব্রহ্মা কত জন্ম নেন, এটা তোমাদের জানা
আছে।
*বাবা বলেন এই মায়েরা হলেন স্বর্গের দ্বার খুলবে, বাদবাকী সবাই নরকে পড়ে আছে।
মায়েরাই সবাইকে উদ্ধার করবে। আমরা পরমাত্মার মহিমা করি। তোমরা বুঝতে পেরে বলো
শিববাবা আপনাকে প্রণাম। আপনি এসে আমাদেরকে উত্তরাধিকারী করেন, স্বর্গের মালিক করেন,
এমন শিববাবা আপনাকে নমস্কার । বাবাকে তো বাচ্চারা নমস্কার করে। আবার বাবাও বলেন
বাচ্চারা নমস্কার । তোমরাও আমাকে পাই পয়সার উত্তরাধিকারী কর, কড়ির উত্তরাধিকারী
করো, আমি তোমাদের হীরের উত্তরাধিকারী তৈরী করি। শিব-বালককে উত্তরাধিকারী করো তাই
না! আচ্ছা।*
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্নেহপূর্ণ স্মরণ আর
গুড্ মর্নিং, নমস্কার, সেলাম মালেকম্। বন্দে মাতরম্।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) শিববাবার
আলয়ের (ঘর) অব্যভিচারী পথিক হয়ে যোগবলের দ্বারা বিকর্মকে দগ্ধ করতে হবে। জ্ঞানের
মন্থন করে অপার খুশীতে থাকতে হবে।
২) বাবা সম সিংহাসনে আসীন হওয়ার শুভ কামনা রেখে বাবাকে সম্পূর্ণ ফলো করতে হবে।
বরদান:-
ক্লীয়ার(স্বচ্ছ)
বুদ্ধির দ্বারা প্রত্যেক কথাকে পরীক্ষা করে যথার্থ নির্ণয় করতে সক্ষম সফলতা মূর্ত
ভব
যত বুদ্ধি ক্লীয়ার
হবে তত যাচাই (পরখ/পরীক্ষা) করার শক্তি প্রাপ্ত হবে। বেশী কথা চিন্তা করার বদলে এক
বাবার স্মরণে থাকো, বাবার সাথে ক্লিয়ার থাকলে প্রত্যেক কথাকে সহজেই পরীক্ষা করে
যথার্থ নির্ণয় করতে পারবে। যে সময়ে যেই পরিস্থিতি, যেরকম সম্পর্ক-সম্বন্ধের
লোকেদের মুড, সেই সময়ে সেই অনুযায়ী চলা, তাকে পরীক্ষা করে নির্ণয় করা এটাও অনেক বড়
শক্তি, যা সফলতার প্রতিমূর্ত বানিয়ে দেয়।
স্লোগান:-
জ্ঞান সূর্য বাবার
সাথে লাকী নক্ষত্র সেই হল যে জগতের থেকে অন্ধকার দূর করে, নিজেই অন্ধকারে চলে যায়
না।
মাতেশ্বরীজীর মধুর
মহাবাক্য-:
"নয়নহীন অর্থাৎ জ্ঞান নেত্রহীনকে পথ দেখানো পরমাত্মা"* নয়নহীনকে পথ দেখাও প্রভু....এখন
এই যে মানুষ গান গায় নয়নহীনকে পথ দেখাও, তো এতেই মনে হয় পথ দেখান এক পরমাত্মাই।
তাই তো পরমাত্মাকে ডাকে আর যে সময় বলে প্রভু পথ দেখাও, তো অবশ্যই মানব জাতিকে পথ
দেখানোর জন্য স্বয়ং পরমাত্মাকে নিরাকার থেকে সাকার রূপে অবশ্যই আসতে হবে, তবে তো
স্থূল রূপে পথের দিশা বলবেন, না এলে তো পথ বলতে পারবেন না। এখন যে মানুষ বিভ্রান্ত
হয়ে আছে, সেই বিভ্রান্ত মানুষদের পথের দিশা চাই। সেইজন্য পরমাত্মাকে বলে নয়নহীনকে
পথ দেখাও প্রভু ...একেই আবার পাটনী(মাঝি) বলা হয়, যে এই পার অথবা এই ৫ তত্ত্বের তৈরী
যে সৃষ্টি তার থেকে পার করে ঐ পার অর্থাৎ ৫ তত্ত্বেরও ওপারে যে ষষ্ঠ তত্ত্ব, অখণ্ড
জ্যোতি মহাতত্ত্ব আছে সেখানে নিয়ে যাবে। তাই পরমাত্মাও যখন ঐ পার থেকে এই পারে
আসবেন তবেই তো নিয়ে যাবেন। পরমাত্মাকেও তো নিজের ধাম থেকে আসতে হয়। তাই তো
পরমাত্মাকে পাটনী বলা হয়। তিনিই আমাদের বোটকে (আত্মা রূপী নৌকাকে) পারে নিয়ে যান।
এখন যারা পরমাত্মার সাথে যোগ রাখে তাদেরকে সাথে নিয়ে যাবেন। বাকী যারা থেকে যাবে
তারা ধর্মরাজের থেকে শাস্তি পেয়ে পরে মুক্ত হবে। আচ্ছা- ওম্ শান্তি।