২৫-১২-১৮ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- সময়ে সময়ে জ্ঞান সাগরের কাছে এসো, জ্ঞান রত্নের সম্পদ ভরে বাইরে গিয়ে তা বিলি করো, বিচার সাগর মন্থন করে সেবাতে লেগে যাও"

প্রশ্ন:-

সবথেকে উত্তম পুরুষার্থ কোনটি ? বাবার কাছে কোন্ ধরনের বাচ্চারা প্রিয় হয় ?

উত্তর:-

কারোর জীবন তৈরী করে দেওয়া, এ হলো সবথেকে উত্তম পুরুষার্থ l বাচ্চাদের এই পুরুষার্থেই লেগে যাওয়া উচিত l কখনো যদি কোনো ভুল হয়েও যায়, তাহলে তার পরিবর্তে সার্ভিস করো l না হলে সেই ভুল মনে আঘাত করতে থাকবে l জ্ঞানী আর যোগী বাচ্চারাই বাবার কাছে খুব প্রিয় l

গীত:-

যে পিয়ার সাথে আছে, তার জন্যই বরিষণ আছে...

ওম্ শান্তি l

বাচ্চারা বুঝতেই পারে যে, সামনে বসে মুরলী শোনা বা টেপে মুরলী শোনা অথবা কাগজে মুরলী পড়ার মধ্যে অনেক তফাৎ আছে l গানেও বলা হয়, যে পিয়ার সাথে আছে -- বর্ষণ তো সকলেরই জন্য কিন্তু সাথে থাকলে বাবার অভিব্যক্তি বুঝলে, বিভিন্ন নির্দেশ জানলে অনেক লাভ হয় l এমনও কিন্তু নয় যে কাউকে এখানে থেকে যেতে হবে l সম্পদ ভরপুর করলে আর গিয়ে সর্ভিস করলে l আবার এলে সম্পদ ভরতে l মানুষ কোনো জিনিস কিনতে যায় বিক্রি করার জন্য l বিক্রি করে আবার আসে জিনিস কিনতে l এও হলো জ্ঞান রত্নের সম্পদ l যারা সম্পদ নিতে আসবে, তারা তো এখানে আসবে, তাই না l কেউ আবার বিলিও করে না, পুরানো সম্পদেই থাকে, নতুন কিছু নিতে চায় না l এমনও অবুঝ আছে l মানুষ তীর্থে যায়, তীর্থ তো মানুষের কাছে আসে না কারণ সে তো জড় চিত্র l এইসব কথা বাচ্চারাই জানে l সাধারণ মানুষ তো এ সব কিছুই জানে না l অনেক বড় বড় গুরুরা, শ্রী শ্রী মহামন্ডলেশ্বর আদিরা জিজ্ঞাসুদের তীর্থে নিয়ে যায়, ত্রিবেনীতে কতো মানুষ যায় l নদীর তীরে গিয়ে দান করাকে পুণ্য বলে মনে করে l এখানে তো ভক্তির কোনো কথাই নেই l এখানে তো বাবার কাছে আসতে হবে, নিজে বুঝে অন্যদেরও আবার বোঝাতে হবে l প্রদর্শনীতেও মানুষকে বোঝাতে হবে l এই যে ৮৪ জন্মের চক্র লাগায়, বাচ্চারা তো জানে যে, সবাই এতো চক্র লাগায় না l এতে বোঝানোর মতো অনেক যুক্তি চাই l এই চক্রতেই মানুষ দ্বিধায় পড়ে যায় l ঝাড়ের কথা তো কেউই জানে না l শাস্ত্রতেও চক্র দেখানো হয় l কল্পের আয়ু চক্র দেখে বের করা হয় l এই চক্রতেই যতো বিভ্রান্তি l আমরা তো সম্পূর্ণ চক্র লাগাই l আমরা ৮৪ জন্মগ্রহণ করি, বাকি ইসলামী, বৌদ্ধ আদিরা অনেক পরে আসে l আমরা কিভাবে এই চক্রে সতো, রজো আর তমো স্থিতি পার করি - তা গোলাতে দেখানো হয়েছে l বাকি আর যারা আসে যেমন ইসলামী, বৌদ্ধ ইত্যাদি, তাদের কিভাবে দেখাবে ? তারাও তো সতো, রজো, তমোতে আসে l আমি আমার বিরাট রূপও দেখাই - সত্যযুগ থেকে নিয়ে কলিযুগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাউন্ড নিয়ে আসি l শিখায় থাকে ব্রাহ্মণ, তার মুখ সত্যযুগে, বাহু ত্রেতাতে, পেট দ্বাপরে আর পাকে শেষে দেখানো হয়েছে l আমাদের তো বিরাট রূপ দেখানো হয়েছে l বাকি অন্য ধর্মের কি করে দেখাবে ? তাদেরও শুরু করলে প্রথমে সতোপ্রধান, তারপর সতো, রজো, তমো l তো এতেই সিদ্ধ হয়ে যাবে যে, কখনোই কেউ নির্বাণে যায়নি l তাদের তো এই চক্রে আসতেই হবে l প্রত্যেককে প্রত্যেককেই সতো, রজো, তমো স্টেজে আসতেই হবে l ইব্রাহিম, বুদ্ধ, ক্রাইস্ট এরাও তো মানুষই ছিলেন l রাতে বাবার অনেক চিন্তা চলে l এই মন্থনে ঘুমের নেশা উড়ে যায়, নিদ্রা ভঙ্গ হয়ে যায় l বোঝানোর জন্য খুব ভালো যুক্তির প্রয়োজন l এরও বিরাট রূপ বানাতে হবে l এরও পদ পিছনের দিকে নিয়ে যাবে ততপর লিখে বোঝাতে হবে l বাচ্চাদের বোঝাতে হবে যে, ক্রাইস্ট যখন আসে তাঁকেও সতো, রজো, তমো স্থিতি পার করতে হয় l সত্যযুগে তো তিনি আসেন না l তাঁকে তো পরে আসতে হবে l বলবে, ক্রাইস্ট স্বর্গে আসবে না l এই খেলা তো সম্পূর্ণ বানানো l তোমরা জানো ক্রাইস্টের পূর্বেও ধর্ম ছিলো, এরপর তাও রিপিট করতে হবে l ড্রামার রহস্যকে বোঝাতে হয় l প্রথমে তো বাবার পরিচয় দিতে হবে l কিভাবে বাবার থেকে এক সেকেন্ডে আশীর্বাদী বর্সা পাওয়া যায় ? এই গায়নও আছে যে, সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি l দেখো, বাবার কতো চিন্তা চলতে থাকে l বাবার পার্টই হলো বিচার সাগর মন্থনের l গড ফাদারলি বার্থ রাইট, "এখন নয় তো কখনোই নয়" এই অক্ষর লেখা আছে l জীবনমুক্তি শব্দও লিখতে হবে l লেখা যদি সঠিক হয় তাহলে বোঝানো সহজ হবে l তোমরা জীবনমুক্তির আশীর্বাদের বর্সা পেয়েছো l এই জীবনমুক্তিতে রাজা - রাণী - প্রজা সবাই আছে l তাই লেখাও সঠিক করতে হবে l চিত্র ছাড়াও বোঝানো যায় l কেবল ইশারার মাধ্যমেও বোঝানো যায় l ইনি বাবা আর এই হলো তাঁর আশীর্বাদী বর্সা l যারা যোগযুক্ত থাকবে, তারা খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারবে l সবকিছুই এই যোগের উপর নির্ভর করে l যোগে বুদ্ধি পবিত্র হয়, তখনই ধারণা হতে পারে l এরজন্য দেহী - অভিমানী স্থিতির প্রয়োজন l তোমাদের সবকিছুই ভুলতে হবে l এই শরীরকেও ভুলতে হবে l ব্যস, আমাদের এখন ফিরে যেতে হবে, এই দুনিয়া তো শেষ হয়ে যাবে l এই বাবার জন্য এ হলো সহজ কেননা এনার কাজই এই l বুদ্ধি সারাদিন এতেই আটকে আছে l আচ্ছা, যে গৃহস্থ জীবনে আছে, তাকে তো কর্ম করতেই হবে l স্থূল কর্ম করলে এইসব কথা ভুলে যায়, বাবার কথাও ভুলে যায় l বাবা নিজেই নিজের অনুভব শোনান l বাবা বলেন, আমি বাবাকে স্মরণ করি, বাবা এই রথকে খাওয়াচ্ছেন, আবার আমি ভুলে যাই, তখন বাবা চিন্তা করেন, আমিই যখন ভুলে যাই তখন এই বেচারাদের কতো কষ্ট হবে l এই চার্টকে কিভাবে বাড়ানো যাবে ? প্রবৃত্তি মার্গের মানুষদের জন্য এ মুশকিল l তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয় l যদিও বাবা তো সবাইকেই বোঝান l যারা পুরুষার্থ করে তারা রেজাল্ট লিখে পাঠাতে পারে l বাবা জানেন যে বরাবর এ খুবই শক্ত l বাবা বলেন, তোমরা রাতে পরিশ্রম করো l তোমরা যদি যোগযুক্ত হয় বিচার সাগর মন্থন করো তাহলে তোমাদের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে l বাবা নিজের অনুভব বলেন যে - কখনো যদি অন্য কোনো দিকে বুদ্ধি চলে যায় তাহলে মাথা গরম হয়ে যায় l তখন সেই তুফান থেকে বুদ্ধিকে সরিয়ে নিয়ে এই বিচার সাগর মন্থন করতে লেগে যাই, তখন মাথা হাল্কা হয়ে যায় l মায়ার তুফান তো অনেক প্রকারেরই আসে l এইদিকে বুদ্ধি লাগালে ওইসব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়, বুদ্ধি রিফ্রেশ হয়ে যায় l বাবার সেবায় লেগে গেলে যোগ আর জ্ঞানের মাখন লাভ হয় l এই বাবা তাঁর নিজের অনুভব বলছেন l বাবা তো বাচ্চাদের বলবেনই -- এমন এমন হবে, মায়ার বিভ্রান্তি আসবে l তাই বুদ্ধিকে ওইদিকে লাগিয়ে দেওয়া চাই l চিত্র দেখে তার উপর চিন্তা করার প্রয়োজন তাহলেই মায়ার তুফান উড়ে যাবে l বাবা জানেন যে, মায়া এমনই, স্মরণে থাকতেই দেয় না l খুব অল্পই আছে যারা সম্পূর্ণ স্মরণে থাকে l বড় বড় কথা তো অনেকেই বলে l বাবার স্মরণে যদি থাকে তাহলে বুদ্ধি স্বচ্ছ থাকবে l স্মরণ করার মতো এমন মাখন আর কিছুই নেই কিন্তু স্থূল বোঝা থাকার কারণে স্মরণ কম হয়ে যায় l



বোম্বাইয়ে পোপ যখন এসেছিলেন, তার কতো মহিমা হয়েছিলো যেন সকলের ভগবান এসেছেন l খুবই ক্ষমতাসম্পন্ন, তাই না l ভারতবাসীরা তো নিজের ধর্মের কথা জানেই না l নিজেদের ধর্ম হিন্দু বলতে থাকে l হিন্দু তো কোনো ধর্মই নয় l এই ধর্ম কোথা থেকে এলো, কবে স্থাপন হলো, কেউই জানে না l তোমাদের মধ্যে জ্ঞানের উচ্ছলতা আসা উচিত l শিবশক্তিদের জ্ঞানের উচ্ছ্বলতায় লাফ দেওয়া উচিত l ওরা তো শক্তিকে সিংহ হিসেবে দেখিয়ে দিয়েছে l এ তো হলো সম্পূর্ণ জ্ঞানের কথা l পরের দিকে তোমাদের মধ্যে যখন আরো শক্তি আসবে, তখন সাধু - সন্ত আদিদেরও বোঝাতে পারবে l এতো জ্ঞান যখন বুদ্ধিতে থাকবে তখনই তার প্রকাশ আসতে পারে l চক্রাতা গ্রামে যেমন চাষীদের টিচার পড়ায়, তখন তারা পড়ে না l তাদের চাষবাসই ভালো লাগে l তেমনই আজকের মানুষদেরও এই জ্ঞান দিলে তারা বলবে, এ ভালো লাগে না, আমাদের তো শাস্ত্র পড়তে হবে l ভগবান কিন্তু পরিষ্কার বলে দেন যে, জপ, তপ, দান, পুণ্য ইত্যাদির দ্বারা অথবা শাস্ত্র পড়েও আমাকে কেউই পায় নি l তারা এই ড্রামাকে জানে না l তারা মনেও করে না যে, এই নাটকে অভিনেতা আছে, তারা অভিনয়ের জন্য এই শরীর ধারণ করেছে l এ হলো কাঁটার জঙ্গল l একে অপরকে কাঁটা লাগায়, লুটপাট - মারপিট করতে থাকে l চেহারা যতই মানুষের মতো হোক না কেন, আচরণ বাঁদরের মতো l বাবা বসে বাচ্চাদের এ সকল কথা বোঝান l নতুন কেউ শুনলে তারা গরম হয়ে যাবে l বাচ্চারা কেনই বা গরম হবে l বাবা বলেন যে, আমি বাচ্চাদেরই বুঝিয়ে বলি l বাচ্চাদের তো মাতা - পিতা যে কোনোকিছুই বলতে পারে l বাচ্চাদের যদি বাবা থাপ্পড়ও মারে তাহলে অন্যে কি কিছু করতে পারে ? মাতাপিতার দায়িত্ব হলো বাচ্চাদের শুধরে দেওয়া l এখানে কিন্তু এমন কোনো নিয়ম নেই l আমি যেমন কর্ম করবো আমাকে দেখে অন্যেও তেমনই করবে l তাই বাবা যা বিচার সাগর মন্থন করেছেন, তাও বলেছেন l ইনি প্রথম নম্বরে, এনাকে ৮৪ জন্ম নিতে হয় l তাহলে আরো যাঁরা ধর্মস্থাপক আছেন, তাঁরা কি করে নির্বাণে যাবেন l তাদেরও অবশ্যই সতো, রজো, তমোতে আসতে হবে l প্রথম নম্বরে আছেন লক্ষ্মী - নারায়ণ, যাঁরা এই বিশ্বের মালিক l তাঁদেরও ৮৪ জন্ম নিতে হয় l মনুষ্য সৃষ্টি সর্বোচ্চ সর্বপ্রথম পুরুষ যিনি, তাঁর সাথে সর্বপ্রথম স্ত্রীও তো চাই l না হলে সন্তান ছাড়া জন্ম কিভাবে হবে ? সত্যযুগের নতুন মানুষ হলেন এই লক্ষ্মী - নারায়ণ l পুরানো থেকেই তাঁরা নতুন হন l তাঁরা অলরাউন্ড পার্ট করেন l বাকি সকলেই সতো থেকে তমোতে আসে, পুরানো হয় তারপর পুরানো থেকে নতুন হয়ে যায় l ক্রাইস্ট যেমন প্রথমে নতুন এসেছিলেন আবার পুরানো হয়ে চলে গিয়েছিলেন আবার তিনি নিজের সময়ে নতুন হয়ে আসবেন l এ হলো খুব বোঝার মতো কথা l এতে খুব ভালো যোগের প্রয়োজন l সমর্পণও সম্পূর্ণ হওয়া চাই তবেই অবিনাশী বর্সার অধিকারী হতে পারবে l সমর্পণ হলেই বাবা নির্দেশ দিতে পারবেন যে --- এমন এমন করো l বাবা বলেন যে - কেউ সমর্পণ হলেই আমি বলি, ব্যবহারিক জীবনেই থাকো তাহলেই বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারবে l ব্যবহারিক জীবনে থেকেই এই জ্ঞান ধারণ করো, পাস হয়ে দেখাও l গৃহস্থ জীবনে যেও না l ব্রহ্মচারী হয়ে থাকা তো ভালো l বাবা প্রত্যেকেরই হিসাব জিজ্ঞেস করেন l মাম্মা - বাবার পালনা নিয়েছো তাই সেই ধারও শোধ করো তাহলেই শক্তি পাবে l না হলে বাবাও বলবেন যে, আমি এতো পরিশ্রম করে পালনা দিলাম আর আমাকে ছেড়ে দিলো l প্রত্যেকেরই অবস্থা দেখতে হয় তারপর নির্দেশ দিতে হয় l মনে করবে এঁরও যদি কোনো ভুল হয় তো বাবা এনাকে নির্ভুল করিয়ে ঠিক করে দেবেন l ইনিও প্রতি পদে শ্রীমতে চলেন l কখনো যদি কোনো ভূল হয়ে যায় তো মনে করেন, ড্রামাতে এই ছিলো l এর পরে এমন আর হওয়া উচিত নয় l ভুল তো নিজের মনে অনুতাপ আনতে থাকে l ভূল করে ফেললে তার নিবারণে অনেক সেবা করা চাই, অনেক পুরুষার্থ করার প্রয়োজন l কারোর জীবন বানিয়ে দেওয়া, এই হলো পুরুষার্থ l



বাবা বলেন যে, যোগী আর জ্ঞানী আমার সবথেকে প্রিয় l যোগে থেকে ভোজন বানালে বা খাওয়ালে, এতে অনেক উন্নতি হতে পারে l এ হলো শিববাবার ভাণ্ডার l তাই শিববাবার সন্তান এমনই যোগযুক্ত হবে l ধীরে ধীরে উচ্চ হয় l সময় তো অবশ্যই লাগে l প্রত্যেকেরই কর্মবন্ধন তার নিজের নিজের আলাদা l ছোটো কন্যাদের উপর কোনো বোঝা থাকে না l হ্যাঁ, বড় বাচ্চাদের উপর থাকে l বাচ্চারা বড় হয়ে গেলে মাতা -পিতার দায়িত্ব পড়ে l বাবা এতো বুঝিয়েছেন, এতো সময় পালনা দিয়েছেন, তাই তাদেরও পালনা করতে হবে l হিসাব শোধ করতে হবে ফলে তাদেরও মনে খুশী হবে l সুপুত্র সন্তান যারা হয় তারা কোথাও তীর্থ করে ফিরলে সবকিছুই বাবাকে দিয়ে দেয় l ধার তো শোধ করে, তাই না l এ খুবই বোঝার কথা l যারা উঁচু পদ পাবে তারাই সিংহের মতো লম্ফ দিতে থাকবে l আচ্ছা l



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ - ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার l

ধারণার জন্য মুখ্য সার

১. যোগে থেকে ভোজন বানাতে হবে l যোগে থেকেই ভোজন করা এবং করাতে হবে l

২. বাবা যা বুঝিয়েছেন তার উপর খুব ভালো করে বিচার সাগর মন্থন করে যোগযুক্ত হয়ে অন্যদেরও বোঝাতে হবে l

বরদান:-

বাবার সমান সমস্ত আত্মাদের কৃপা বা দয়া করে মাস্টার দয়ালু ভব

বাবা যেমন দয়ালু, তেমনই তোমরা বাচ্চারাও সকলের উপর কৃপা বা দয়া করবে, কেননা তোমরা বাবার সমান নিমিত্ত হয়েছো l ব্রাহ্মণ আত্মাদের কখনোই অন্য আত্মার প্রতি ঘৃণা আসতে পারে না, সে কংসই হোক বা জরাসন্ধ অথবা রাবণই হোক - যে কেউই হোক না কেন, তবুও দয়ালু বাবার সন্তান কাউকে ঘৃণা করবে না l তারা পরিবর্তনের ভাবনা, কল্যাণের ভাবনা রাখবে কেননা এ হলো নিজের পরিবার, পরবশ হলেও তাদের প্রতি ঘৃণা আসে না l

স্লোগান:-

মাস্টার জ্ঞান সূর্য হয়ে শক্তি রূপী কিরণে দুর্বলতা রূপী আবর্জনাকে ভস্ম করে দাও l