২৪-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- সদগুরুর সহজ বশীকরণ মন্ত্র তোমরা পেয়েছ যে চুপ করে থেকে মামেকম্ স্মরণ করো, এ হল মায়াকে অধীন করার মহামন্ত্র"
প্রশ্ন:-
শিববাবা হলেন সবচেয়ে ভোলা গ্রাহক - কিভাবে ?
উত্তর:-
বাবা বলেন - বাচ্চারা , তোমাদের কাছে দেহ সহ যা কিছু পুরানো আবর্জনা আছে সেসব আমি নিয়ে নিই, তাও তখন, যখন তোমরা মৃত্যুর মুখে । তোমাদের শ্বেত বস্ত্র ধারণ করাও হল মৃত্যুর চিহ্ন। তোমরা এখন বাবার কাছে সমর্পিত হও। বাবা তারপরে ২১ জন্মের জন্যে তোমাদের মালামাল করে দেন। ভক্তি মার্গেও বাবা সকলের মনস্কামনা পূর্ণ করেন, জ্ঞান মার্গেও সৃষ্টির আদি, মধ্য, অন্তের জ্ঞান প্রদান করে ত্রিকালদর্শী করেন ।
গীত:-
ভোলানাথের চেয়ে অনুপম আর কেউ নেই....
ওম্ শান্তি।
বাচ্চারা ভোলানাথের সম্মুখে বসে আছে। ব্যবসায়ীরা বলে - এমন কোনো কম বুদ্ধিমান ভোলা মানুষ এসে হাজার, দুই হাজারের মাল নিয়ে যাক, আর আমাদের অনেক আমদানি হোক। হে ভগবান, আমাদের এমন ক্রেতা পাঠাও। এখন ভোলানাথ বাবা এসে বাচ্চাদের আদি, মধ্য, অন্তের রহস্য বুঝিয়ে ত্রিকালদর্শী করছেন। আমার মতন ক্রেতা তোমরা কখনও পাবে ? তোমরা ওঁনার কাছে অর্পণ কর । ভক্তি মার্গে অনেক মহিমা কর। ভোলানাথের মহিমা হল - তুমি মাতা-পিতা .......। তিনি এসে রাজযোগ শেখান, রাজত্ব প্রদান করেন। বাবাকে বলে এইসব যে পুরানো আবর্জনা আছে সেসব আমরা আপনাকে সমর্পিত করি। আপনি আমাদের ২১ জন্মের জন্যে মালামাল করেন । দালাল যে মাঝখানে থেকে ডীল করিয়ে কমিশন নেয়। ইনিও বলেন আবর্জনা যা কিছু আছে দেহ সহ, সেসব তোমাদের কাছ থেকে নিই, যখন তোমরা মৃত্যুর খুব কাছে দাঁড়িয়ে থাকো। এখানে ব্রহ্মাকুমারীরা, তোমাদের পোশাকও সাদা রঙের হয়। এমন যেন তোমরা মারা গেছ। যারা মারা যায় তাদের সাদা কাপড়ে ঢাকা দেওয়া হয়। কোনোরকম দাগ থাকে না। এই সময় সবার মায়ার কালো দাগ লেগেছে, একেই রাহু গ্রাস বলা হয়। চাঁদে গ্রহণ লাগলে কালো হয় যায় না! সুতরাং এই মায়ার গ্রহণ সম্পূর্ণ বিশ্বকে কালো করে দেয়। এতে তত্ব ইত্যাদি সব এসে যায়।
বাবা বসে বোঝান এই হল তোমাদের রাজযোগ। রাজযোগের দ্বারা স্বর্গের রাজত্ব প্রাপ্ত করতে হবে। তোমরা রাজার রাজা হও, নারায়ণী নেশা থাকে। নর থেকে নারায়ণ হও। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব থাকে সত্যযুগে। তাই নিশ্চয়ই আমায় শেষ সময়েই আসতে হবে । এই সময় হল ভক্তি মার্গের, ভক্তি মার্গে দ্বারে দ্বারে মাথা নোয়াতে গিয়ে ধাক্কা খেতে থাকে। ভক্তদের রক্ষক হলেন ভগবান, এসে ভক্তির ফল দেন। সবাই তো ভক্ত কিন্তু সবাই একরকম ফল প্রাপ্ত করেনা। কারো সাক্ষাৎকার হয়, কারো পুত্র লাভ হয়, সবই অল্পকালের জন্যে। আমি বিভিন্ন রকমের মনস্কামনা পূর্ণ করি। দুনিয়ায় এই কথা কারো জানা নেই যে ভগবান এসেছেন রাজ যোগ শেখাতে। তারা ভাবে তিনি দ্বাপরে এসে রাজ যোগের শিক্ষা দিয়েছেন। তাহলে নর থেকে নারায়ণ হবে কিভাবে ? বর্তমানে বাবা তোমাদের রাজ যোগ শিখিয়ে রাজার রাজা করছেন। এখানে তো তোমাদের শুধু চুপ থাকতে(নৈঃশব্দে) হবে। *মন্মনাভব, এ হল সদগুরুর সহজ বশীকরণ মন্ত্র। এই মন্ত্রের দ্বারা আমদানী হয় প্রচুর। এ হল মায়াকে নিজের অধীন করার মন্ত্র। মায়াজিত-ই জগৎ জিত। ভক্তি মার্গের মানুষের মন হল মনকে জিতলেই জগৎ জিত, এর জন্যে তারা হঠ যোগ ইত্যাদি করে। তাও জগৎ জিত হওয়ার জন্যে করে না। তারা তো সেসব করে মুক্তির জন্যে*। বাবা এসে বলেন - বাচ্চারা, দেহ সহ, সর্ব ধর্মানি পরিত্যাজ্য মামেকম্ শরণং ব্রজ আমি হলাম অমুক ধর্মের ইত্যাদি। এই সব কথা ছেড়ে নিজেকে আত্মা ভেবে মামেকম্ স্মরণ করো। ব্যস, আমি যে মত দিচ্ছি সেই অনুযায়ী চলো। বাকি এখনও পর্যন্ত যেসব বহু মতানুযায়ী চলেছ সেইসব মত ত্যাগ করতে হবে। সুতরাং তোমাদের জ্ঞান একেবারে নতুন হয়ে গেল। তারা ভাবে এদের কথা তো একেবারেই নতুন ।
তোমরা বাচ্চারা যখন কাউকে বোঝাও তখন প্ৰথমে নাড়ি দেখতে হয়। সবার সামনে একরকম কথা বললে চলবে না। মানুষের হল অনেক মতামত। তোমাদের হল একটি মত। কিন্তু নম্বর অনুসারে আছে। যারা ভালো রকম যোগে থাকে, ধারণা করে, তারা নিশ্চয়ই ভালো বোঝাবে। যারা কম ধারণা করে তারা কম বোঝাবে। একটি সিম্পল কথা ভালো ভাবে বোঝাও - গৃহস্থে থাকো কিন্তু থাকো পদ্ম ফুলের মতন। তোমাদের জানা আছে পদ্ম ফুলের সন্তান অনেক হয় এবং দৃষ্টান্ত তারই দেওয়া হয়। বাবারও সন্তান অনেক। পদ্ম ফুল নিজে জলের উপরে অবস্থান করে, বাকি সন্তানরা নীচে থাকে। এটা ভালো দৃষ্টান্ত। বাবা বলেন গৃহস্থে থাকো কিন্তু পবিত্র থাকো। এই কথাটি হল পবিত্রতা নিয়ে। তাও এই শেষ জন্মে পবিত্র থেকে মামেকম্ স্মরণ করো। রচনার রক্ষণাবেক্ষণও অবশ্যই করতে হবে। তা নাহলে হঠ যোগ হয়ে যাবে। দুনিয়ায় পবিত্র তো অনেকেই থাকে। বাল ব্রহ্মচারী তো ভীষ্ম পিতামহের মতন হয়ে গেল। আচ্ছা বাল ব্রহ্মচারী হল তারা যারা স্ত্রী-পুরুষ একত্রে থেকে পবিত্র থাকে। গন্ধর্ব বিবাহের চর্চা তো শাস্ত্রেও আছে, কিন্তু কেউ জানে না। এই কথা তো বাবা-ই বোঝান। বাবা বলেন - বাচ্চারা, এখন কাম চিতার পরিবর্তে দুইজনেই জ্ঞান চিতার বন্ধনে আবদ্ধ হও। কত ভালো কাজ করছ তোমরা ব্রাহ্মণরা। প্রতিজ্ঞা করতে হবে পবিত্র থাকার। একে অপরকে সাবধান করে তোমরা দুইজনে স্বর্গে চলে যাবে। এখানে তোমরা একত্রে পবিত্র থেকে দেখাও তাই তোমরা উঁচু পদের অধিকারী হতে পারো। দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় না ! জ্ঞান চিতায় বসে স্বর্গে গিয়ে তোমরা উঁচু পদ প্রাপ্ত কর। এর জন্যে খুব সাহস চাই, যদি দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে চলতে থাকবে তো উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হবে। তারপরে সার্ভিসের উপরেও নির্ভর করছে। যারা অনেক সার্ভিস করবে, প্রজা তৈরি করবে তারা পদও ভালো প্রাপ্ত করবে। বাবা-মাম্মা থেকেও উঁচুতে যাওয়া উচিত। কিন্তু যেমন বাবা বলেন তারা দুই খ্রিস্টান(রাশিয়া ও আমেরিকা) যদি নিজেদের মধ্যে মিলিত হয় তবে তারা তো বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে, এমন কোনো জোড়া বা যুগল যদি কেউ থাকে যারা মা-বাবার চেয়েও উঁচুতে যাবে, এমন কেউ নেই। জগৎ অম্বা, জগৎ পিতা হলেন বিখ্যাত। এঁদের মতন সার্ভিস করতে পারবে না। এঁনারা হলেন নিমিত্ত।তাই কখনো নিরাশ হওয়া উচিত নয়। আচ্ছা, মাম্মা-বাবার মতন না হলেও সেকেন্ড নম্বর তো হতেই পারো। সার্ভিসের উপর তা নির্ভর করছে। প্রজা এবং উত্তরাধিকারী তৈরি করতে হবে, সুতরাং আমাদের এ হল নতুন কথা। নতুন দুনিয়া রচনা করতে নিশ্চয়ই বাবাকেই আসতে হয়। তিনি-ই হলেন রচয়িতা। তারা তো বলে দেয় - পরমাত্মা হলেন নাম রূপ বিহীন। কিন্তু এমন তো নয়। তাদেরও কোনো দোষ নেই। ভাগ্যে থাকলে তো বুঝবে। অনেকে আসে যারা ভাবে এটা যথার্থ ভাবে ঠিক কথা। কেউ বলবে আত্মা নাম রূপ বিহীন হয়, তাহলে আত্মা নামটি কার ? আত্মা নাম তো আছে তাই না ! তোমরা সবাইকে বলো এ হল রাজযোগ। পরম পিতা পরমাত্মা সঙ্গমে আসেন, রাজযোগ নিশ্চয়ই সঙ্গম যুগেই শেখাবেন, তবেই তো পতিত থেকে পবিত্র করবেন। সুতরাং এখানকার কথা আলাদা। বাবা বলেন শুধুমাত্র নিজেকে আত্মা ভাবো। বাবার কাছে ফিরে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার কোনো ব্যাপারই নেই। বলাও হয় আমার আত্মাকে দুঃখ দিও না। এ হল পাপ আত্মা, পুণ্য আত্মা। আত্মার বিষয়ে কেউ বলতে পারেনা যে আত্মার কোনো রূপ হয় না। বিবেকানন্দ যখন রাম কৃষ্ণের সামনে বসে ছিলেন তখন তার সাক্ষাৎকার হয়েছিল, তিনি দেখেছিলেন লাইট এসে তার ভিতরে প্রবেশ করল। এমন কিছু কথাই তিনি বলেছেন। তোমরা বোলো আমাদের হল রাজযোগ। এতে দেহ সহ দেহের সব মিত্র আত্মীয় স্বজনদের ভুলে যেতে হয়, আমরা আত্মা, আমরা ওঁনার সন্তান, আত্মাদের নিজেদের মধ্যে আছে ব্রাদারহুড। যদি সবাই ফাদার হয়ে যায় তাহলে ফাদার-ই ফাদার এর কাছে প্রার্থনা করে। এখন আমরা রাজযোগ শিখছি। এ হল রাজার রাজা হওয়ার যোগ। এখন তো রাজত্ব নেই। অতএব বোঝাতে হবে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে থেকে শুধু শিববাবাকে স্মরণ করি। নিজেকে শরীর থেকে আলাদা ভাবি। আত্মা বলে আমি এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করি। অর্থাৎ জ্ঞানের সংস্কার আত্মায় থাকেই তাই না ! ভালো খারাপ সংস্কার আত্মায় আছে। আত্মা নির্লিপ্ত নয়, এই কথা বোঝাতে হবে। আত্মা পুনর্জন্মে আসে। বারংবার অরগ্যান্স (শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ) ধারণ করতে হয়। আত্মা হল স্টার, ভ্রু যুগলের মধ্যিখানে অবস্থিত। আত্মার সাক্ষাৎকার হল, তো সে ভাবল এনার এত শক্তি আছে যে আমায় আত্মার সাক্ষাৎকার করালেন। এবারে আত্মা তো ভ্রু যুগলের মধ্য স্থানে অবস্থিত। সাক্ষাৎকার করা না করা, তফাৎ কি থাকে ? আত্মা নিজেই বলে আমি স্টার। আমার ৮৪ জন্মের পার্ট আছে। যদি ৮৪ লক্ষ জন্ম হয় তাহলে এত সংস্কার থাকবে তখন যে কি হবে কেউ জানে না ! ৮৪ জন্ম মেনে নেওয়া যায়। এখন আমরা পবিত্র হই। বাবা আমাদের নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্যে পবিত্র করেন, এর জন্যে খুব ভালো নেশা থাকা চাই। তোমাদের কারো সঙ্গে ডিবেট করার দরকার নেই।
দেহ সহ দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা, অশরীরী ভাবতে হবে। যদিও আমরা অনেক শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ করেছি, কিন্তু তাদের সাথে সে সব নিয়ে ডিস্কাস(আলোচনা) করবার কি প্রয়োজন ? যখন বাবা বলেছেন মামেকম্ স্মরণ করো এবং দ্বিতীয় আদেশ হল গৃহস্থে থেকে পদ্ম ফুলের মতন পবিত্র থাকো। যোগ অগ্নি দ্বারা পাপ নষ্ট হবে। ভগবানুবাচ আছে, ভগবানও হলেন পরম আত্মা। ওঁনাকেও স্টার বলা হবে। অনেক পয়েন্ট আছে একবারে সব বের হবে না।তোমার সামনে যে আছে, তাকে ভালো করে বুঝে নিয়ে তবেই দেখে যুক্তি সহকারে বলতে হবে। বলো, আমরাও শাস্ত্র পড়েছি, কিন্তু বাবার আদেশ হল যে সবাইকে ভুলে মামেকম্ স্মরণ করো। তিনি হলেন নিরাকার। আত্মাকে তো সবাই মানবে। বিবেকানন্দের অনুসরণকারীরাও তা মানবে। আত্মা তো সবার মধ্যেই আছে। নিশ্চয়ই আত্মার পিতা থাকবে তাই না ! যাঁকে পরমপিতা পরমাত্মা বলা হয়। এইসব হল পয়েন্ট তাই না ! স্মরণ করতে থাকলে সর্বদা পয়েন্ট প্রাপ্ত হবে, স্টিমার ক্রমাগত ভরতি হতে থাকবে। এও যেন অবিনাশী জ্ঞান রত্নের সামগ্রী দিয়ে পূর্ণ করা । পয়েন্ট নোট করে রিভাইস করো। এ সব হল রত্ন, এইসব ধারণ করার ও লেখার শখ থাকা উচিত। ভালো করে সবাইকে বোঝাতে হবে, আত্মা তো সবেতেই আছে, তার কোনো নাম রূপ নেই। এমন তো বলা যাবে না। আত্মার রূপ আছে তো পরমাত্মার কেন নেই। ওঁনাকে বলা-ই হয় পরম পিতা পরমাত্মা, পরমধাম নিবাসী। বাচ্চাদের কত বোঝানো হয়। অতএব এখন সার্ভিস করে দেখাও। বাবা তো সার্ভিসের আধারে পুরস্কার দেন। কত শৃঙ্গার করেন জ্ঞান রত্ন দ্বারা। আমরা এখানকার পদমপতি হতে চাইনা, আমাদের তো চাই বিশ্বের বাদশাহী। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. জ্ঞান রত্ন যা কিছু প্রাপ্ত হয় সেসব নিয়ে বিচার সাগর মন্থন করে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে। জ্ঞান রত্নে সর্বদা পরিপূর্ণ হয়ে থাকতে হবে।
২. নিজের নারায়ণী নেশায় থাকতে হবে, কারোর সঙ্গে অনর্থক কথা বলবে না। অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
বরদান:-
মায়াকে শত্রু ভাবার পরিবর্তে পাঠ শেখাতে আসা সহযোগী ভেবে একরস থেকে মায়াজিত ভব
মায়া আসে তোমাদের পাঠ শেখাতে, তাই ঘাবড়ে যেও না, পাঠ পড়ে নাও। কখনও সহন শীল হওয়ার পাঠ, কখনও শান্ত স্বরূপ হওয়ার পাঠ পাকা করাতে মায়া আসে, তাই মায়াকে শত্রু ভাবার বদলে নিজের সহযোগী ভাবো, তাহলে ভয় পেয়ে হেরে যাবে না, পাঠ পাকা করে অঙ্গদের মতন অচল হয়ে যাবে। কখনও দুর্বল হয়ে মায়াকে আহ্বান করবে না। তাহলেই মায়া বিদায় নেবে।
স্লোগান:-
যদি প্রতিটি সংকল্পে দৃঢ়তার মহানতা থাকে তবে সফলতা প্রাপ্ত হবে।