29/10/18       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


"মিষ্টি বাচ্চারা -- আজ্ঞাকারী হও, বাবার প্রথম আজ্ঞা হল - নিজেকে আত্মা ভেবে বাবাকে স্মরণ করো"
প্রশ্নঃ -
আত্মা রূপী পাত্রটি অশুদ্ধ কেন হয়েছে ? তাকে শুদ্ধ করার সাধন বা উপায় কি ?

উত্তরঃ -
ব্যর্থ কথা শুনে ও শুনিয়ে আত্মা রূপী পাত্রটি অশুদ্ধ হয়েছে। এই পাত্র শুদ্ধ করার জন্যে বাবার আদেশ হল হিয়ার নো ইভিল, সী নো ইভিল ....... এক বাবার কাছে শোনো, বাবাকেই স্মরণ করো, তাহলে আত্মা রূপী পাত্র শুদ্ধ হয়ে যাবে। আত্মা ও শরীর দুই-ই পবিত্র হয়ে যাবে ।

গীতঃ-
যে প্রীতমের সঙ্গে আছে, তার জন্যই বরিষণ আছে

ওম্ শান্তি।
ওম্ শান্তির অর্থ তো বাচ্চারা বুঝে নিয়েছে। বাচ্চাদের ক্ষণে ক্ষণে পয়েন্টস দেওয়া হয়। যেমন বলা হয় ক্ষণে ক্ষণে বাবা ও অবিনাশী বর্সা স্মরণ করো। এখানে কোনো মানুষকে স্মরণ করার কথা নেই। মানুষ, মানুষের বা কোনো দেবতার স্মরণ করাবে। পারলৌকিক পিতার স্মরণ কেউ করাতে পারে না, কারণ পিতাকে কেউ জানে না। এখানে ক্ষণে ক্ষণে তোমাদের বলা হয় নিজেকে আত্মা ভেবে বাবাকে স্মরণ করো। যেমন পিতার সন্তান হলে সবাই বুঝতে পারে এই সন্তান বাবার উত্তরাধিকার (বর্সা) নিতে এসেছে। তখন সেই সন্তানের পিতা ও বর্সা দুটিই স্মরণে থাকে। এখানেও ঠিক সেই রকমই হয়। বাচ্চারা অবশ্য বাবাকে জানে না, তাই বাবাকে আসতে হয়। যারা বাবার সঙ্গে আছে তাদের জন্যে এ হল জ্ঞান বর্ষা। বেদ শাস্ত্রে যা জ্ঞান আছে সেসব হল ভক্তি মার্গের সামগ্রী। জপ, তপ, দান, পুণ্য, সন্ধ্যা গায়ত্রী ইত্যাদি যা কিছু করে সেসব হল ভক্তি মার্গের সামগ্রী। সন্ন্যাসীরাও হল ভক্ত। পবিত্রতা ছাড়া কেউ শান্তিধামে ফিরে যেতে পারবেনা তাই তারা ঘর সংসার ত্যাগ করেন। কিন্তু পুরো দুনিয়া তো এমন করবেনা। তাদের এই হঠ যোগও ড্রামাতে ফিক্সড আছে। বাচ্চারা তোমাদের রাজযোগের শিক্ষা দিতে কল্প-কল্প একবার-ই আসি। আমার আর কোনো অবতার হয়না। রিইনকারনেশন অফ গড। তিনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু। তারপরে রিইনকারনেশন অফ জগৎ অম্বা ও জগৎ পিতাও অবশ্যই হওয়া উচিত। বাস্তবে রিইনকারনেশন শব্দটি কেবল বাবার জন্য ব্যবহার হয়। সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা । যদিও প্রতিটি বস্তু পুনরায় রিইনকারনেট হয়। যেমন এখন ভ্রষ্টাচার আছে তো বলা হবে ভ্রষ্টাচার রিইনকারনেট হয়েছে। পুনরায় ভ্রষ্টাচার হয়েছে, পুনরায় শ্রেষ্ঠাচার আসবে। রিইনকারনেট তো প্রত্যেকটি বস্তুর হয়। এখন পুরানো দুনিয়া আছে আবার নতুন দুনিয়া আসবে। নতুন দুনিয়ার পরে বলা হবে আবার পুরানো দুনিয়া আসবে। এইসব কথা বাবা বসে বোঝাচ্ছেন। যখন এখানে বসে থাকো তখন সর্বদা এমন ভাববে - আমি আত্মা, আমায় পিতার আদেশ প্রাপ্ত হয়েছে আমায় (পিতাকে) স্মরণ করো। বাচ্চাদের ছাড়া তো আর কেউ পিতার আদেশ প্রাপ্ত করেনা। তারপর বাচ্চাদের মধ্যেও কেউ আজ্ঞাকারী হয়, কেউ আবার অবজ্ঞাও করে। বাবা বলেন - হে আত্মারা, তোমরা আমার সঙ্গে বুদ্ধি যোগ লাগাও। বাবা আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন, আর কোনো বিদ্বান - পন্ডিত ইত্যাদি এমন বলবেনা যে আমি আত্মাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা আত্মাকেই পরমাত্মা ভেবে নেয়। তারা হল ভুল। তোমরা বাচ্চারা জানো শিববাবা এই শরীর দ্বারা আমাদের বোঝাচ্ছেন। শরীর ছাড়া তো অ্যাক্ট করা সম্ভব নয়। সর্বপ্ৰথমে তো নিশ্চয় চাই। নিশ্চয় ব্যতীত কিছুই বুদ্ধিতে বসবে না। প্ৰথমে নিশ্চয় চাই আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পিতা হলেন উনি নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা এবং সাকারে হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা, আমরা হলাম ব্রহ্মাকুমার - কুমারী। সব আত্মারাই হল শিবের সন্তান, তাই শিবকুমার বলা হবে, কুমারী নয়। এই সব কথা ধারণ করতে হবে। ধারণা তখন হবে যখন নিরন্তর স্মরণ করবে। স্মরণ করলেই বুদ্ধি রূপী পাত্রটি শুদ্ধ হবে। ব্যর্থ কথা শুনতে শুনতে পাত্রটি অশুদ্ধ হয়ে গেছে, এই পাত্রকেই এবার শুদ্ধ করতে হবে। বাবার আদেশ হল আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বুদ্ধি পবিত্র হবে। তোমাদের আত্মায় খাদ বা অশুদ্ধি পড়েছে, এখন পবিত্র হতে হবে। সন্ন্যাসী বলেন আত্মা হল নির্লেপ অর্থাৎ যার উপরে কোনো লেপ বা প্রভাব পড়ে না। বাবা বলেন আত্মাতেই খাদ পড়েছে অর্থাৎ অশুদ্ধির প্রভাব পড়েছে। শ্রীকৃষ্ণের আত্মা ও শরীর দুই-ই হল পবিত্র । দুই-ই পবিত্র কেবল সত্যযুগে হয়। এখানে তো হতে পারেনা। তোমরা আত্মারা নম্বর অনুসারে পবিত্র হচ্ছ। এখনও পবিত্র হও নি। কেউ পবিত্র নয়। সবাই পুরুষার্থ করছে। শেষে নম্বর অনুযায়ী সবার রেজাল্ট বেরোবে।

বাবা এসে সব আত্মাদের আদেশ করেন যে আমাকে স্মরণ করো, নিজেকে অশরীরী ভাবো, দেহী-অভিমানী হও। মূল কথাটি এই যে, বাবা ব্যতীত কেউ বোঝাতে পারবে না। প্ৰথমে এই কথাটি সম্পূর্ণ নিশ্চয় হলে তবে বিজয় প্রাপ্ত করবে। নিশ্চয় না হলে বিজয় লাভ হবে না। "নিশ্চয় বুদ্ধি বিজয়ন্তী, সংশয় বুদ্ধি বিনশন্তি" । গীতায় কোনো কোনো শব্দ খুব ভালো আছে। একেই বলা হয় আটায় যেটুকু লবণ(সেটুকুই সত্য) । বাবা বলেন আমি তোমাদের সব বেদ শাস্ত্রের সার তত্ব বোঝাই যে এতে কি আছে ? এইসবই হল ভক্তি মার্গের পথ। এসবও ড্রামাতে ফিক্সড আছে। এই প্রশ্ন উঠতে পারেনা যে এই ভক্তিমার্গ কেন বানানো হয়েছে ? এই তো হল অনাদি তৈরি করা ড্রামা। তোমরাও এই ড্রামায় বাবার কাছে স্বর্গের মালিক হওয়ার বর্সা অনেক বার নিয়েছ আর নিতেও থাকবে। কখনও শেষ হবেনা। এই চক্র অনাদি রূপে পরিক্রমা করতেই থাকে। তোমরা বাচ্চারা এখন দুঃখ ধামে আছ তারপরে শান্তিধাম যাবে, শান্তিধাম থেকে সুখধামে আসবে তারপরে আবার আসবে দুঃখধামে - এইভাবে অনাদি চক্র চলতেই থাকে। সুখধাম থেকে দুঃখধামে আসতে বাচ্চারা তোমাদের ৫ হাজার বছর লাগে। যে সময়ে তোমরা ৮৪ জন্ম নাও। শুধু তোমরা বাচ্চারা-ই ৮৪ জন্ম নাও, সবাই নিতে পারবে না। এই বেহদের বাবা তোমাদের ডাইরেক্ট বোঝাচ্ছেন, আরও অন্য বাচ্চারা মুরলী শুনবে বা পড়বে বা টেপ শুনবে। টেপ সবাই শুনতে পারবে না। সুতরাং সর্ব প্রথম বাচ্চারা তোমাদের উঠতে বসতে স্মরণে থাকতে হবে। মানুষ তো রাম নামের মালা জপ করে। রুদ্রাক্ষের মালা বলা হয়, তাই না ! এবারে রুদ্র তো হলেন ভগবান। তারপরে এই মালাতে মেরু দানা একত্রিত আছে। সে তো বিষ্ণুর যুগল স্বরূপ। তাঁরা কে ? এই মাতা পিতা যাঁরা বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণে পরিণত হন তাই তাঁদের মেরু বলা হয়। ফুল হলেন শিববাবা, তারপরে মেরু হলেন মাম্মা-বাবা, যাঁকে মাতা-পিতা বলা হয়। বিষ্ণুকে মাতা পিতা বলা যাবেনা। লক্ষ্মী-নারায়ণ-কে মাতা পিতা তাঁদের সন্তানরা বলবে। আজকাল তো সবার সামনে গিয়ে বলে ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা ত্বমেব .... ব্যস, যদি কেউ একজন মহিমা ক'রে তো সবাই তাদের ফলো করা শুরু করে দেয়। এ হল আন-রাইটিয়াস (ভুলে ভরা) দুনিয়া। কলিযুগকে বলা হয় আন-রাইটিয়াস, সত্যযুগকে বলা হয় রাইটিয়াস। সেখানে আত্মা ও শরীর দুই-ই পবিত্র হয়। সত্যযুগে কৃষ্ণ হয় ফর্সা, আর শেষ জন্মে কৃষ্ণের আত্মা হয়ে যায় শ্যাম। এই ব্রহ্মা-সরস্বতী এই সময়ে শ্যাম বর্ণ কিনা। আত্মা কালো হয়েছে তাই তার গহনা অর্থাৎ দেহটিও কালো হয়েছে। সোনায় কিছু খাদ মিশিয়ে গহনা তৈরি করা হয়, ফলে সেই গহনা হয়ে যায় খাদ যুক্ত। সত্যযুগে যখন দেবী-দেবতাদের গভর্নমেন্ট থাকে তখন এই খাদ বা মিথ্যা কিছুই থাকেনা সেখানে তো সোনার মহল তৈরি হয়। ভারত সোনার পাখি ছিল, এখন তো মিশ্রণ হয়েছে। এমন ভারতকে পুনরায় স্বর্গ কেবল বাবা-ই বানাতে পারেন।

বাবা বোঝান, শ্রীমৎ ভগবানুবাচ আছে কিনা। কৃষ্ণ তো দৈবী গুণধারী হয়, দুই হাত, দুই পা আছে যাঁর। চিত্রে কোথাও নারায়ণকে, কোথাও লক্ষ্মীকে চার ভুজাধারী দেখানো হয়েছে। 'ওম্' শব্দ বলা হয়, ওম্ শব্দের অর্থ বলা হয় - ওম্ অর্থাৎ গড, চারিদিকে গড বিরাজিত । কিন্তু এই কথাটি ভুল। ওম্ অর্থাৎ অহম্ আত্মা। বাবাও বলেন অহম্ আত্মা কিন্তু আমি হলাম সুপ্রিম, তাই আমাকে পরমাত্মা বলা হয়। আমি পরমধামে বাস করি। উঁচু থেকে উঁচু ভগবান আর তারপরে সূক্ষ্ম বতনে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করের আত্মা আছেন। আরো নীচে এলে এই মনুষ্য লোক আছে। ওটা হল দেব লোক, আর তার উপরে হল আত্মাদের লোক, যাকে মূল বতন বলা হয়। এইসব হল বোঝার বিষয় । বাচ্চারা, তোমাদের এই অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান প্রাপ্ত হয়, যার দ্বারা তোমরা ভবিষ্যতে সম্পদশালী দ্বি মুকুট ধারী হয়ে যাও। দেখো, শ্রীকৃষ্ণের দুটি মুকুট আছে, তাই না। সেই বাচ্চাটি চন্দ্রবংশে এলে আত্মার দুই কলা কম হয়ে যায় । তারপরে বৈশ্য বংশে এলে আরও চার কলা কম হয়ে যাবে। তখন লাইটের মুকুট আর থাকবে না। বাকি রত্ন জড়িত মুকুট থাকবে। তারপরে যারা ভালো দান পুণ্য করে, এক জন্মের জন্যে তারা ভালো রাজত্ব প্রাপ্ত করে। পরের জন্মে ভালো দান পুণ্য করলে আবার রাজত্ব প্রাপ্ত হয়। এখানে তো তোমরা ২১ জন্মের জন্যে রাজত্ব প্রাপ্ত করো, পরিশ্রম করতে হয়। অতএব বাবা নিজের পরিচয় দেন, বলেন - আই এম সুপ্রিম সোল। তাই ওঁনাকে পরমপিতা পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা বলা হয়। তোমরা বাচ্চারা সেই সুপ্রিমকে স্মরণ কর। তোমরা হলে শালিগ্রাম, এ কথাও কেউ জানেনা। তোমরা শিববাবার সন্তান, ভারতকে স্বর্গে পরিণত কর, তাই তোমাদের পূজো হয়। তারপরে তোমরা দেবতা রূপ ধারণ কর, তখনও তোমাদের পূজো হয়। শিববাবার সঙ্গে তোমরা এত সার্ভিস কর তার জন্যেই শালিগ্রামেরও পূজো হয়। যারা উত্তম থেকেও উত্তম অর্থাৎ সর্বোত্তম কর্তব্য করে , তাঁদেরই পূজা হয় এবং কলিযুগে যারা সৎকর্ম করে তাদের স্মরণিকা তৈরি করা হয়। কল্প-কল্প বাবা বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের সম্পূর্ণ সৃষ্টি চক্রের রহস্য বোঝান অর্থাৎ তোমাদের স্ব দর্শন চক্রধারী বানান। স্বদর্শনচক্র বিষ্ণুর হতে পারে না , তিনি তো হলেন দেবতা। এই সম্পূর্ণ জ্ঞান তোমাদের আছে। তারপর লক্ষ্মী-নারায়ণ রূপে পরিণত হয়ে গেলে এই জ্ঞান থাকবে না। সেখানে তো সবাই থাকে সদগতিতে। তোমরা বাচ্চারা এই জ্ঞান এখনই শুনছো, পরে রাজত্ব প্রাপ্ত করবে। স্বর্গের স্থাপনা হয়ে গেলে এই জ্ঞানের প্রয়োজন থাকে না।

বাবা-ই এসে নিজের এবং রচনা-র পুরো পরিচয় দেন। সন্ন্যাসীরা মাতাদের নিন্দা করে, কিন্তু বাবা এসে মাতাদের সম্মানিত করেন। বাবা এই কথাও বোঝান যে এই সন্ন্যাসীর না থাকলে ভারত কাম চিতায় বসে একেবারে ভস্ম হয়ে যেত। যখন দেবী দেবতারা বাম মার্গে গমন করেন তখন সেই সময় এমন বিশাল ভূমিকম্প ইত্যাদি হয় যে সব কিছু মাটির নীচে চলে যায়। অন্য কোনো খন্ড তো থাকে না, শুধু ভারত-ই থাকে। ইসলামী ইত্যাদি তো পরে আসে তখন সত্যযুগের কোনো কিছুই আর এখানে থাকে না। তোমরা যে সোমনাথ মন্দিরটি দেখছ সেটা বৈকুণ্ঠে ছিল না। এই মন্দির তো ভক্তি মার্গে তৈরি হয়েছে, যে মন্দিরটি মহম্মদ গজনী ইত্যাদিরা লুট করেছিল। বাকি দেবতাদের মহল ইত্যাদি ভূমিকম্পে নষ্ট হয়ে যায়। এমন তো নয় সব মহল গুলি নীচে চলে গেছে সেইসবই আবার উপরে চলে আসবে। না সেসব তো মাটির তলায় নষ্ট হয়ে যায়। তারপরে যখন খনন কার্য হয় তখন কিছু অবশেষ প্রাপ্ত হয়। এখন তো কিছুই পাওয়া যায়না। শাস্ত্রে এইসব কথা নেই। সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা। সর্বপ্রথম তো এই নিশ্চয় চাই। নিশ্চয়েই মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বলে ভগবান আসবে কিভাবে ? আরে, শিব জয়ন্তী পালন হয় তো নিশ্চয়ই এসেছিলেন কখনও। বাবা বুঝিয়েছেন আমি বেহদের দিন ও রাতের সঙ্গমে আসি। এই কথা কেউ জানেনা যে কোন্ সময় আসি ? তোমরা বাচ্চারা জানো। বাবা এসেই এই জ্ঞান দিয়েছেন এবং দিব্য দৃষ্টি দ্বারা এই চিত্র ইত্যাদি বানিয়েছেন। গীতায়ও কল্প বৃক্ষের কিছু বর্ণনা আছে। বাবা বাচ্চাদের বলেন - তোমরা আমার সঙ্গে এখন আছ, কল্প পূর্বেও ছিলে এবং প্রতি কল্প কল্পে মিলিত হব। আমি কল্প-কল্প তোমাদের জ্ঞান প্রদান করব। ফলে চক্রটি প্রমাণিত হয়। কিন্তু তোমরা ছাড়া কেউ বুঝতে পারবে না। এ হল সম্পূর্ণ সৃষ্টির চিত্র, কেউ নিশ্চয়ই তৈরি করেছে। বাবাও বোঝান, বাচ্চারাও এই চিত্রের বিষয়টি নিয়ে বোঝায়। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) প্রতিটি কথায় বিজয়ের আধার নিশ্চিত তাই নিশ্চয় বুদ্ধি অবশ্যই হতে হবে। সদগতি দাতা বাবার প্রতি কখনও সংশয় প্রকাশ করবে না।

২ ) বুদ্ধিকে পবিত্র বা শুদ্ধ করার জন্যে অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। ব্যর্থ কথা শুনবে না, শোনাবে না।

বরদানঃ-
নিজের শক্তি স্বরূপ দ্বারা অলৌকিকতার অনুভব করাতে পারা জ্বালা রূপ (অগ্নিপুঞ্জ) ভব

ব্যাখা: এখনও বহ্ণি শিখা বাবার আকর্ষণ বিদ্যমান। বাবার কর্তব্য কর্ম চলছে, বাচ্চাদের কর্তব্য গুপ্ত আছে। কিন্তু যখন তোমরা নিজের শক্তি স্বরূপে স্থিত হবে তখন যে আত্মারা সম্পর্কে আসবে তারা অলৌকিকতার অনুভব করবে। ভালো ভালো ব'লে যারা, তারা ভালো হওয়ার জন্য অনুপ্রেরিত হবে, তখন যখন তোমরা সংগঠিত রূপে অগ্নি পুঞ্জ জ্বালা স্বরূপে, লাইট হাউস হবে। যখন তোমরা মাস্টার সর্ব শক্তিমানের স্টেজে এসে উপস্থিত হবে, তখন সবাই তোমাদের সামনে বহ্ণি পতঙ্গ রূপে পরিক্রমা করতে থাকবে ।

স্লোগানঃ-
যারা নিজের কর্মেন্দ্রিয় গুলিকে যোগ অগ্নিতে তপ্ত করে তারা-ই সম্পূর্ণ পবিত্র হয় ।