28.12.18       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


"মিষ্টি বাচ্চারা- পুরানো দুনিয়ার থেকে মমত্ব কাটিয়ে সার্ভিস(সেবা) করার উদ্যম রাখো খুশীতে(উল্লাসে) থাকো, সার্ভিস করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ো না"

প্রশ্নঃ -
যে সকল বাচ্চারা জ্ঞানের নেশায় বিভোর হয়ে থাকবে, তাদের লক্ষণ(নিশানী) কি হবে?

উত্তরঃ -
তাদের সার্ভিস করবার জন্য খুব আগ্রহ থাকবে। তারা সদা মন্সা আর বাচা(বাণী) সেবায় তৎপর থাকবে। সকলকে প্রমাণ সহ বাবার পরিচয় দেবে। রাজত্ব(বাদশাহী) স্থাপন করার জন্য যদি কিছু সহ্য করতেও হয় তাও সহ্য করবে, বাবার সম্পূর্ণ সহায়তাকারী হয়ে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করার সেবা করবে।

গীতঃ-
মাতা ও মাতা তুমি সকলের ভাগ্যবিধাতা .....

ওম্ শান্তি।
এখন পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারে বাচ্চারা মাতাকে জানে। মা-কে জানলে বাবাকেও অবশ্যই জানবে। এই মা-বাবা হলেন সৌভাগ্য বিধাতা এবং ভাগ্য বিধাতা। সৌভাগ্য বিধাতা তাদের বলা হবে যারা পুরুষার্থ করে সম্পূর্ণরূপে নিজের সৌভাগ্য তৈরী করে, সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় কুলের আশীর্ব্বাদ(বর্সা) পায় তাও আবার নম্বরের ক্রমানুসারে। অনেকে তো এমনও হয় যেন ভীল(এক প্রাচীন জনজাতি ), তাই না ! অত্যন্ত সাধারণ প্রজা হয়ে জন্ম নেবে। তারা তেমন পদমর্যাদা পাবে না। বাবা তো অবশ্যই বোঝাবেন - বাচ্চারা, এই পুরানো দুনিয়ার সাথে মমত্ব রেখো না। দুঃখী এই দুনিয়া চিৎকার করতেই থাকে। বাচ্চাদের মধ্যে সার্ভিস করার শখ আর উদ্যম চাই। যদিও কারো কারো উদ্যম থাকে কিন্তু সার্ভিস করার কলাকৌশল জানা থাকে না। ডায়রেক্শন তো অনেক পাওয়া যায়। লেখাও অত্যন্ত রিফাইন(সুক্ষ্ম) হওয়া চাই। ত্রিমূর্তি আর ঝাড়ের চিত্র ৩০"× ৪০" হওয়া উচিৎ। এ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু এদের কদর বাচ্চাদের কাছে কম। যদিও সঞ্জয়ের অনেক মান রয়েছে কিন্তু সেই গায়ন হবে একদম অন্তিমে। যেমন বলা হয় যে, অতীন্দ্রিয় সুখ কি তা যদি জানতে হয় তবে গোপ-গোপীদের কাছে জিজ্ঞাসা করো, সেটাও হলো অন্তিম অবস্থার গায়ন। এখন সেই সুখ কি তা তোমরা জানো, কি জানো না। এখন তো তোমরা কাঁদো, পতিত(পতন) হয়ে পড়ো। মায়া চড় মেরে দেয়।যদিও রোজ আসে কিন্তু সেই নেশায় কি বিভোর থাকো, কি থাকো না ! সার্ভিসের অনেক চান্স(সুযোগ) তোমরা পাও।

এখন বলতে থাকে যে এক ধর্ম হোক। ভারতে এক রাজ্য(গভর্নমেন্ট) ছিল। তাকেই স্বর্গ বলা হতো। কিন্তু কেউ জানে না। ৫ হাজার বছর পূর্বের কথা যখন এক গভর্নমেন্ট ছিল। ২৫০০ বছরও বলতে পারো কারণ রাম-রাজ্যেও এক গভর্নমেন্ট ছিল। ২৫০০ বছর পূর্বেও সত্যযুগ-ত্রেতায় এক গভর্নমেন্ট ছিল, দ্বিতীয় কিছু ছিলই না, যে দু'হাতে তালি(ঝগড়া) বাজবে ! এখানে তো বলা হয় যে হিন্দী-চীনী ভাই-ভাই কিন্তু দেখো কি করতে থাকে! গুলি চালাতে থাকে। এই দুনিয়াই এমন। নারী-পুরুষও পরস্পরের সাথে ঝগড়া(লড়াই) করে। স্ত্রী, তার স্বামীকেও চড় মারতে দেরী করে না। ঘরে ঘরে কলহ রয়েছে। ২৫০০ বছর পূর্বের কথা ভারতবাসীরাও ভুলে গেছে যে এক গভর্নমেন্ট ছিল। এখন তো অনেক গভর্নমেন্ট, অনেক ধর্ম তাই অবশ্যই কলহ থাকবে। তোমরাই জানাও যে ভারতে এক গভর্নমেন্ট ছিল। তাকে বলা হয় ভগবান-ভগবতীর(দেবী-দেবতা) রাজ্য। ভক্তিমার্গ আসে পরে। সত্যযুগ-ত্রেতায় ভক্তি হয় না। মানুষ অনেক নিজের অহংকার দেখায় কিন্তু জ্ঞান কড়ি-তুল্যও(সামান্যতম) নেই। এমনিতে তো জ্ঞান অনেক আছে। ডাক্তারীর জ্ঞান, ব্যারিস্টারীর জ্ঞান.......। বাবা বলেন, যাকে ডক্টর অফ ফিলোসফি(PhD) বলা হয় তার কাছেও এই জ্ঞান যৎ সামান্যও নেই। ফিলোসফি কাকে বলা হয় - তাও বোঝে না। তাই বাচ্চারা, তোমাদের সার্ভিসের প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে, স্থাপনার কার্যে সহায়তাকারী হতে হবে। ভাল জিনিস বানিয়ে মানুষকে দিতে হবে। যেমন মানুষ তেমনভাবেই তাকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। যেমন গভর্নমেন্টে অনেক অফিসার রয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী রয়েছে, এখানেও তেমনই অফিস হওয়া উচিৎ। ডায়রেক্শন পেলে তা পুনরায় কার্য-ব্যবহারে আনতে হবে। এখন দেখো গোরক্ষপুরী গীতাও বেরোয়, সব ফ্রী-তে দেওয়ার জন্যে তৈরী থাকে। যে সব সংস্থা রয়েছে তাদের সবারই অনেক তহবিল(ফান্ডস) রয়েছে। কাশ্মীরের মহারাজার মৃত্যুর পর সব ধন-সম্পদই আর্যসমাজীয়-রা পায়, কারণ তিনি আর্য-সমাজের ছিলেন। সন্ন্যাসী ইত্যাদিদের কাছেও অনেক ধন থাকে। তোমাদের কাছেও যে টাকা, পয়সা ইত্যাদি রয়েছে, সেইসব এই সেবায় দিয়ে দাও যাতে ভারত স্বর্গে পরিণত হতে পারে। তোমরা স্বর্গ বানাতে সাহায্য করো। রাত-দিনের পার্থক্য। তারা দিন-প্রতিদিন নরকবাসী হতেই থাকে আর তোমাদের এখন বাবা স্বর্গবাসী বানায়। এখন তো সকলেই গরীব, এমন নয় যে আমরা টাকাপয়সা জড়ো করি। তোমরা তো বল যে, বাবা টাকাপয়সা সব যজ্ঞতে, সেবায় লাগিয়ে দাও। এই সময় তো সবাই নিজেদের মধ্যে লড়াই-ঝগড়া করতে থাকে। এক গভর্নমেন্ট তো হতে পারে না। তাই গভর্নমেন্টকে বলা উচিৎ যে সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় রাজ্যে বরাবরই এক গভর্নমেন্ট ছিল। আর তোমরাও চাও তাই তা অবশ্যই হবে। বাবা স্বর্গের স্থাপনা করছেন। তিনিই হলেন হেভেনলী গডফাদার। আমরা এক দৈবী রাজ্যের স্থাপনা করছি। সেখানে আসুরী গভর্নমেন্ট থাকে না।

তোমাদের কাছে খুব ভাল নলেজ রয়েছে, অনেক কাজ হতে পারে। দিল্লী হল হেড- অফিস। অনেক সেবা করতে পারা যায়। ওখানে বাচ্চারাও অত্যন্ত ভালো। জগদীশ(ভ্রাতা) সঞ্জয়ও রয়েছে। কিন্তু সঞ্জয় তো এখানে সবাই, কোনো একজন নয়। তোমরা প্রত্যেকেই সঞ্জয়। তোমাদের কাজ হলো - সবাইকে রাস্তা দেখানো। বাবা তো ভালমতন বোঝায়, কিন্তু বাচ্চারা নিজের কাজ-কর্মে, সন্তানদের প্রতিপালনে ব্যস্ত হয়ে থাকে। তোমরা গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে বাবার সহায়তাকারী হয়েছো, ওরা হয় নি। এখানে তো সার্ভিস করে দেখাতে হবে। এক রাজ্য কিভাবে স্থাপিত হচ্ছে, এই চক্র, ড্রামাকে দেখো তা সময়কে দেখাচ্ছে। যেমন রাবণের চিত্র বানিয়েছো, তেমন বড় চক্র বানিয়ে লেখা উচিৎ - এখন কাঁটা(কালচক্রের) এসে পৌঁছেছে। পুনরায় এক গভর্নমেন্ট হবে। বাবা ডায়রেক্শন দেন। শিববাবা তো অলি-গলিতে গিয়ে ধাক্কা খাবে না। যদি ইনি(ব্রহ্মা) যান তাহলে শিববাবাকে ধাক্কা খেতে হবে। বাচ্চাদের রিগার্ড(সম্মান) রাখা উচিৎ। এই সার্ভিস করা বাচ্চাদের কাজ। লেখা উচিৎ এক গভর্নমেন্ট, যা ভারতে ছিল, তা পুনরায় স্থাপিত হচ্ছে। কত বছর ধরে এই যজ্ঞ রচনা করা হয়েছে। সমগ্র দুনিয়ায় যত নোংরা আছে তার সবই এরমধ্যে বিসর্জিত হয়ে যাবে। এ অতি সহজ, কিন্তু সকলকে বোঝানোর জন্য সময় চাই। রাজা তো কেউ নেই। কোনো একজনকে কি কেউ মানবে? পূর্বে যখন কোনো নতুন কিছু আবিষ্কার করা হতো তখন রাজাদের দ্বারা সেটির বিস্তার করানো হতো কারণ রাজার শক্তি রয়েছে। রাজা হতে পারবে এক তো রাজযোগের দ্বারা অথবা অগাধ ধন দানের দ্বারা। এখানে তো হলো প্রজার রাজ্য। এক রাজ্য নয়। একজন গরীব সিপাহীর-ও এখানে গভর্নমেন্ট রয়েছে, কাউকে অপমান করতে দীর্ঘ সময় নেয় না। এরকম অনেক কাজ হতে থাকে। কিছু পয়সা দিলে বড় মন্ত্রীকেও মেরে ফেলে।

তাই বাচ্চারা, তোমাদের সেবার চান্স নিতে হবে, শুয়ে থাকলে চলবে না। যেমন সৎসঙ্গে গিয়ে কথা শুনে আবার ঘরে ফিরে এসে তেমনই(পূর্বের মতো) হয়ে যায়, কোনো উল্লাস থাকে না। ঠিক তেমনই বাচ্চাদের মধ্যেও উল্লাস কম। গভর্নমেন্টের ফুলের বাগানে খুব সুন্দর প্রথম সারীর ফুল রয়েছে, তাদের বিভাগই(ডিপার্টমেন্ট) আলাদা। কেউ গেলেই তাকে সুন্দর ফুল উপহার দেবে। বাবার-ও এটা ফুলের বাগান, যখন কেউ আসবে তখন আমরা তাদের কি ঘুরিয়ে দেখাবো?- তাদের নাম বলবে যে এখানে ভাল ভাল ফুল রয়েছে, আবার টগর, আকন্দ ফুলও রয়েছে, উজ্জ্বল নয়, সার্ভিস করে না। প্রত্যেকদিন কাউকে না কাউকে বাবার পরিচয় অবশ্যই দেওয়া চাই। তোমরা তো গুপ্ত, এবং তোমাদের কত বিঘ্ন পড়ে। সার্ভিসের উপযুক্ত হওনি। বাবা বার বার বলেন মন্দিরে যাও, শ্মশানে যাও, গিয়ে ভাষণ করা উচিৎ। বাচ্চাদের সার্ভিসের প্রমাণ দিতে হবে। শয়ে শয়ে আসবে, বেরোবে কেউ কেউ। মিত্র-সম্বন্ধীদের-ও বোঝানো উচিৎ। এখানে আসতে ভয় পায়, তাদের ঘরে গিয়েও বোঝাতে পারো। বাবার পরিচয় পেলে অত্যন্ত খুশী হয়ে যাবে। বাবা বলেন, সার্ভিসে ক্লান্ত হয়ে পড়া উচিৎ নয়। ১০০-য় একজন বেরোবে। বাদশাহী(রাজত্ব) স্থাপন করতে হলে অবশ্যই অনেক কিছু সহ্য করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না গালি খাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কলঙ্গীধর(কলঙ্কিত হয়ে যিনি পূজিত হন, কৃষ্ণ) হবে না। জ্ঞানের নেশায় মত্ত হয়ে আছে। কিন্তু রেজাল্ট কোথায়! আচ্ছা ১০-১২ জনকে জ্ঞান দিয়েছো, তারমধ্যে থেকে যদি এক-দুইজন জাগে তাও তা বাবাকে বলা উচিৎ, তাই না ! সার্ভিসের শখ চাই তবে তো বাবা পুরস্কার দেবে। বাবার পরিচয় দাও - তোমাদের বাবা কে? তবেই তো বর্সার( আশীর্ব্বাদ) নেশায় বিভোর হবে। তোমরা ভাষণ কর - সম্পূর্ণ বিশ্বে একমাত্র ব্রহ্মাকুমার-কুমারী-রা ছাড়া বিশ্বের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী আর কেউই জানে না। চ্যালেঞ্জ করো। বাবা শ্মশানের কথা তুলেছেন তাই তোমাদের শ্মশানে গিয়ে সার্ভিস করা উচিৎ। কাজ-কর্ম তো ৬-৮ ঘন্টা করবেই। বাকী সময় কোথায় চলে যায়? এরকমভাবে তোমরা উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। বাবা বলবে, তোমরা এসেছো নারায়ণকে বা লক্ষ্মীকে বিবাহ করতে কিন্তু নিজের চেহারা তো দ্যাখো। বাবা তো ঠিক করেই বোঝায়, তাই না। একটাই টপিক(বিষয়) তোলো যে ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী এসে বোঝো - কেমনভাবে তা রিপীট হয়। সংবাদপত্রে দাও। হল(hall) নেওয়ার চেষ্টা করো। তোমরা তো তিন পা(ইন্দ্রলোকের আধিপত্য পুনরায় ফিরে পাওয়ার জন্য বিষ্ণু বামন অবতার রূপে অসুররাজ বলীর কাছে তিন পা' পৃথিবী প্রার্থনা করছিল) জমিও পাও না। জানে না।

তোমরা হলে পরমধামের ফরেনার্স। আত্মারা সবাই পরমধাম থেকে এসেছে, তাই এখানে সবাই বিদেশী, তাই না। কিন্তু তোমাদের এই ভাষা কেউ বুঝতে পারে না। এখানে সাকার-রূপে কখনো বলা হয় না যে পা ছোঁও, এটা করো। যেমন সাধু-মহাত্মাদের পদ চুম্বন করে, ধুয়ে, সেই জল পান করে, একে তত্ব পুজা বলা হয়। ৫ তত্বের শরীর, তাই না ! ভারতের কি দুর্দশা হয়েছে। তাই বাবা বলেন যে, সেবার প্রমাণ দাও, সবাইকে সুখ দাও। এখানে তো ব্যস শুধু যেন এই উদ্বেগই থাকে, এই চিন্তাই থাকে। বুদ্ধিযোগ যেন বাবার সাথে থাকে।

গীত :- মাতা, তুমি সকলের ভাগ্যবিধাতা...........।

মাতা জগৎ অম্বা হলেন ভাগ্যবিধাতা। মাতাই পদ প্রাপ্ত করে। তিনিও বলেন শিববাবাকে স্মরণ কর, আমি তাঁর থেকেই ধারণ করি, অন্যদের ধারণ করাই, সৌভাগ্য তৈরী করি। তোমরা হলে ভারতের সৌভাগ্য-বিধাতা। আর তাই কত নেশা থাকা উচিৎ। যা মাম্মার মহিমা তাই বাবার মহিমা, আর তাই দাদারও মহিমা। বাচ্চারা, তোমাদের যজ্ঞের স্থূল সেবাও করা উচিৎ আবার রুহানী সেবাও অবশ্যই করা উচিৎ। 'মন্মনাভব' মন্ত্র সবাইকে দিতে হবে। 'মন্মনাভব' - এ হলো মন্সা, আর 'মধ্যাজীভব' - এ হলো বাণীর সেবা। এর মধ্যে কর্মণাও এসে যায়। কন্যাদের সার্ভিসে লেগে পড়া উচিৎ।

গ্রামে সার্ভিস ভাল হয়। বড় শহরে তো অনেক ফ্যাশন। প্রলোভন অনেক কি আর করা যাবে? তাহলে কি বড় শহর দেবে? এমনও নয়। বড় শহর থেকে, ধনীদের(সাহুকার) থেকে আওয়াজ ছড়াবে। আর দুনিয়াকে তো এই মন্মনাভব-র জাদুমন্ত্রের দ্বারা স্বর্গে পরিনত করতে হবে। বাবা বসে বোঝান, এই জগদম্বা কে, তিনি হলেন ভারতের সৌভাগ্য বিধাতা, আর তার শিবশক্তিসেনাও বিখ্যাত। মুখ্য হলেন জগদম্বা অর্থাৎ মুখ্যত তিনিই হলেন ভারতের এক রাজ্য স্থাপনকারী। ভারত-মাতার শক্তি অবতারে-রাই ভারতে এক রাজ্য(গভর্নমেন্ট) স্থাপন করেছে, শ্রীমতের উপর ভিত্তি করে, আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ ও সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বুদ্ধিযোগ এক বাবার সাথেই রাখতে হবে। 'মন্মনাভব'-র জাদুমন্ত্রের দ্বারা এই দুনিয়াকে স্বর্গে পরিণত করতে হবে।

২ ) সার্ভিস করতে গিয়ে কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়ো না। স্থূল সেবার সাথে রুহানী সেবাও করতে হবে। মন্মনাভব মন্ত্র সকলকে স্মরণ করাতে হবে।

বরদানঃ-
পরখ বা নির্নয় করার শক্তি দ্বারা সেবায় সফলতা প্রাপ্ত করা সফলতামুর্ত ভব।

ব্যাখা:-
যে পরখ শক্তি দ্বারা বাবাকে, নিজেকে নিজে, সময়কে, ব্রাহ্মণ পরিবারকে এবং নিজের শ্রেষ্ঠ কর্তব্যকে জেনে নিয়ে তারপর নির্নয় করে যে কি হতে হবে আর কি করতে হবে, সে-ই সেবা করতে, কর্ম বা সম্বন্ধ-সম্পর্কে এসেও সদা সফলতা প্রাপ্ত করতে পারে। মন্সা-বাচা-কর্মণা, সর্বপ্রকারের সেবায় সফলতামুর্ত হওয়ার আধার বা ভিত হলো পরখ-শক্তি আর নির্নয়-শক্তি।

স্লোগানঃ-
জ্ঞান-যোগের লাইট-মাইটের দ্বারা সম্পন্ন হও তবেই যে কোনো পরিস্থিতিকে সহজেই পার করতে পারবে।