07-12-2018 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা- অবিনাশী সার্জেনের কাছে কোনো কিছুই লুকোনো উচিৎ নয় অবজ্ঞা হলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিৎ,তা নাহলে বোঝা(পাপ) বাড়তে থাকবে, নিন্দুক হয়ে যাবে"

প্রশ্ন:-

সত্যিকারের উপার্জনের আধার বা ভিত কি ? উন্নতির পথে বিঘ্ন কেন আসে ?

উত্তর:-

সত্যিকারের উপার্জনের ভিত হলো পড়া(জ্ঞান)। যদি পড়া ঠিক মতো না হয় তাহলে সত্যিকারের রোজগার করতে পারবে না। সঙ্গ যদি সঠিক না হয় তখন উন্নতিতে বিঘ্ন আসে। বলাও হয় যে, সত্-সঙ্গে স্বর্গবাস( উন্নতি), অসত্-সঙ্গে(কুসঙ্গ) নরকবাস ( অবনতি)। সঙ্গ খারাপ হলে পড়া করবে না, তাই পাশ করতে পারবে না। সঙ্গই পরস্পরকে রসাতলে পাঠিয়ে দেয়, তাই সঙ্গদোষ থেকে তোমাদের বাচ্চাদের অনেক সাবধানে থাকতে হবে।

গীত:-

তুমি প্রেমের সাগর... তব প্রেমের এক বিন্দুর জন্য পিয়াসী মোরা....( তু প্যায়ার কা সাগর হ্যায়)

ওম্ শান্তি l

বেহদের পিতার মহিমা বাচ্চারা করে। এ হলো ভক্তিমার্গের মহিমা। তোমরা সুপুত্র বাচ্চারা এখন সন্মুখে বসে বাবার মহিমা করো। তোমরা বোঝো যে, বেহদের বাবা এসে আমাদের জ্ঞানের দ্বারা স্বর্গের মালিক বানাচ্ছেন কারণ জ্ঞানের সাগর হলেন একমাত্র তিনিই। গডের(ভগবান) নলেজ আছে। একেই বলে গডলী(ঈশ্বরীয়) নলেজ। পরমপিতা পরমাত্মা হলেন জ্ঞানদাতা। কাদের? বাচ্চাদের। যেমন তোমাদের মাম্মার নাম গডেজ অফ নলেজ(জ্ঞানদাত্রী) রাখা হয়েছে। তাই যখন জগৎ অম্বা হলেন গডেজ অফ নলেজ তখন তাঁর বাচ্চাদেরও সেই নলেজ অবশ্যই থাকবে। জ্ঞানদাত্রী সরস্বতীকে ঈশ্বরই নলেজ দেন। কিন্তু কার দ্বারা দেন? এ হলো বড়ই বোঝার মতো বিষয়। দুনিয়া জানে না যে জগৎ অম্বা কে? একথা বাচ্চারাই জানে যে জগৎ অম্বা একজনই হবেন। নাম তো অনেক দিয়ে দেয়। মনুষ্যরা তো জানেই না যে ইনি হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখবংশাবলী সরস্বতী। সৃষ্টিচক্র কিভাবে ঘোরে - সেই নলেজ গডফাদার দেন। বাবা নলেজ দেয় বাচ্চাদের। সরস্বতী এই জ্ঞান কিভাবে পেয়েছে? অবশ্যই তিনি প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী, তাই পরমপিতা পরমাত্মা যিনি জ্ঞানের সাগর, তিনি এই মুখ(ব্রহ্মা) দ্বারা, সরস্বতীকে জ্ঞান দিয়েছিলেন, ওই জ্ঞান আবার অন্যদেরও দিয়েছিলেন। গডফাদার পড়ান তাই গডফাদারের সন্তানেরা অবশ্যই মাস্টার গড্ হবে, তাই না। সেইজন্যই নাম রাখা হয়েছে গডেজ অফ নলেজ। বাচ্চারা একথা জানে যে, আমরা আর আমাদের মাম্মা জ্ঞানসাগরের কাছ থেকে নলেজ নিচ্ছে। যাঁকে গীতার ভগবান বলা হয়। ভগবান তো এক। কোনো দেবতা বা মানুষ ভগবান হতে পারে না। তাই এখন যদি গডেজ অফ নলেজ হয়, তবে তার নলেজ কি হবে? রাজযোগের। এই সহজ রাজযোগের নলেজ দ্বারা গডেজ অফ নলেজ সরস্বতীই আবার গডেজ অফ লক্ষ্মী হয়। যদি গডেজ অফ নলেজের মহিমা হয় তাহলে বাচ্চাদেরও হবে। সকলেই হলো প্রজাপিতার সন্তান। মাম্মার সন্তান বলা যাবে না। এ হলো প্রজাপিতার মুখ-কমলের সন্তান। তোমাদের এই নিশ্চয়তা থাকে যে তোমরা হলে সবাই ঈশ্বরীয় সন্তান। ঈশ্বরপিতা বলেন, আমি বাচ্চাদেরই সন্মুখে থাকি। তারাই আমাকে জানে। তাহলে জগদম্বা হলেন গডেজ অফ নলেজ। এ হলো সহজ রাজযোগের নলেজ, শাস্ত্রের নয়। ঈশ্বর এঁনাকে নলেজ দিয়েছেন তাই তাঁকে গডেজ(দেবী) বলা হয়। জগৎ অম্বা হলো মাতা। তিনিই আবার দ্বিতীয় জন্মে গডেজ অফ ওয়েল্থ(ধন-সম্পদ) লক্ষ্মী হন, যাঁর কাছে মানুষ ভিক্ষা চায়। তাই এটাই সিদ্ধ হয়েছে যে, বাবার দ্বারা জগৎ- অম্বা রাজযোগের আশীর্ব্বাদ(বর্সা) প্রাপ্ত করেছেন। ওঁনাকে গডেজ অফ নলেজ বলা হয়। নলেজ হলো সোর্স অফ ইনকাম। এ হলো সত্যিকারের উপার্জন যা সত্যিকারের বাবার দ্বারা প্রাপ্ত হয়। তোমরা এখন পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারে সত্যিকারের উপার্জন করছো। যদি পড়া না করে তাহলে সত্যিকারের উপার্জন করতে পারে না। সঙ্গ যদি ঠিক না হয় তবে পড়তে পারবে না, উন্নতি হবে না। সত্-সঙ্গে স্বর্গবাস, অসত্-সঙ্গে(কুসঙ্গ) অধঃপতন(ডুবে যাওয়া)। সঙ্গ খারাপ হলে, পড়া না করলে অকৃতকার্য হয়ে পিছনে বসে থাকবে। টীচার জানে যে এর কারণ কী। কিন্তু বাবা জানে না। হ্যাঁ, এতোটা তো বাবা বোঝেন যে পড়া কম করছে, সঙ্গও নিশ্চয়ই খারাপ সেই কারণেই অকৃতকার্য হয়ে যায়। মনে করো, পরস্পরের মধ্যে প্রেম রয়েছে, দুজনেই পড়া করে না তখন দুজনেই পরস্পরকে রসাতলে নিয়ে যায়। বাবা বোঝেন যে এরা পড়ে না, তাই এদের আলাদা করে যাওয়া উচিৎ।পড়া(জ্ঞান) না করা মানুষকে বলা হয় বেসমঝ বা অজ্ঞানী। পড়া করলে বলা হবে সমঝদার। ভগবানের মতে না চললে বলা হবে যে এ হলো সৎ-বাচ্চা(সৌতেলা)। কিন্তু তারা এর অর্থ জানে না। তোমরা জানো - কেউ যদি না পড়ে তাহলে সে পতিত ছিল আর পতিত-ই থেকে যাবে‍, অকৃতকার্য হয়ে ভাগন্তী(পালিয়ে) হয়ে যাবে। বাবা বলেন যে- ওহে! রাবণ, তুমি আমার বাচ্চাদেরকে হরফ করে নিয়ে যাও। রাবণ কত শক্তিশালী। বাচ্চারা শয়তানের মতে চলতে শুরু করে। শ্রীমতে চলে না। নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করা উচিৎ - প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা বাবার মতানুসারেই চলব। যারা শ্রীমতে চলে না তাদের আসুরী মতানুসারী বলা হবে। বাবা বোঝেন যে এরা অতি উচ্চপদ লাভ করতে পারবে না, কাউকে বোঝাতে পারবে না, তাই বলা হয় যে রাবণের বশীভূত। যোগ না থাকার কারণে বুদ্ধি শুদ্ধ হয় না। বুদ্ধির যোগও তো চাই। ঈশ্বরীয় বাচ্চাদের চলন অনেক রয়্যাল( অভিজাত) হওয়া উচিৎ। জন্মেই কেউ সুযোগ্য রাজা হয়ে যেতে পারে না। সেই কারণেই বাবা বলেন যে ৫ বিকাররূপী রাবণের উপর জীত প্রাপ্ত করতে হবে, শ্রীমতে থেকে। যারা শ্রীমতে চলে না বাবা তাদের বলে দেন যে এরা আসুরী মতে রয়েছে। তাতে আবার কেউ ৫ শতাংশ শ্রীমতে চলে, কেউ ১০ শতাংশ শ্রীমতে চলে। তারও হিসাব আছে।

তাই জগৎ অম্বা হলেন একজনই। জগৎ অম্বা হলেন ব্রহ্মা মুখবংশাবলী সরস্বতী। এ হলো ওঁনার সম্পূর্ণ নাম। সরস্বতীকেই সিতার দেওয়া হয়। ইনি হলেন গডেজ অফ নলেজ, তো অবশ্যই ওঁনার সন্তানও আছে। তাদেরও বীণা থাকা উচিৎ। দ্যাখো, ঝাড়ে(কল্পবৃক্ষ) এই সরস্বতী হলো কন্যা, রাজযোগ শিখছে, আর ইনিই আবার সত্যযুগে গিয়ে লক্ষ্মী হবেন, গডেজ অফ ওয়েল্থ(ধনের দেবী)। এর মধ্যেই হেল্থ(স্বাস্থ্য), ওয়েল্থ(ধন), হ্যাপীনেস(সুখ) সব চলে আসে। এ পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া আর কেউই দিতে পারে না। হেভেনলী গডফাদার হলেন তিনিই। এখন দ্যাখো, মাম্মা সার্ভিস করছেন। মনে করো, মাম্মাকে যদি কোথাও আমন্ত্রণ জানানো হয় তবে প্রথমেই মাম্মার অক্যুপেশন জানতে হবে। প্রথমে জ্ঞান চাই যে - ইনি কে? দুনিয়া তো জানে না। বলা হয়, কৃষ্ণ-কেও গালি শুনতে হয়েছিল। কিন্তু এ তো হতে পারে না, অসম্ভব। সবচেয়ে বেশি গালি খেতে হয়েছিল শিববাবা-কে, আর দ্বিতীয় নম্বরে গালি খেয়েছিলেন ব্রহ্মা।কৃষ্ণ আর ব্রহ্মা।কিন্তু কৃষ্ণকে কেউ গালি দিতে পারে না। মানুষের একথা জানা নেই যে সরস্বতীই গডেজ অফ নলেজ, ভবিষ্যতে রাধা হয়। আর, স্বয়ংবরের পরে লক্ষ্মী হয়, গডেজ অফ ওয়েল্থ। এরমধ্যেই স্বাস্থ্য, ধন, সুখ - সবই এসে যায়। তোমাদের বোঝানোর অনেক নেশা থাকা উচিৎ। মাম্মা কে? একথা বোঝাতে হবে। তিনি হলেন সরস্বতী, ব্রহ্মার কন্যা। ব্রহ্মার মুখবংশাবলী। ভারতবাসীরা কিছুই জানে না। নলেজ নেই তাই। অনেক কুসংস্কার(অন্ধশ্রদ্ধা) রয়েছে। ভারতবাসীরা অনেক অন্ধবিশ্বাসের(ব্লাইন্ড ফেথ) মধ্যে রয়েছে। কার পুজা করে তাও জানে না। খ্রিষ্টানরা তাদের খ্রীষ্টকে জানে। শিখরা জানে যে গুরুনানক শিখ ধর্ম স্থাপন করেছিল। নিজেদের ধর্ম-স্থাপককে জানে। শুধুমাত্র ভারতবাসী হিন্দুরাই জানে না। অন্ধশ্রদ্ধায় পুজো করতে থাকে, অক্যুপেশন(পেশা) কি কী তা জানে না। কল্পের আয়ু বড় করে দেওয়ার ফলে কিছুই বুঝতে পারে না। ইসলামী,বৌদ্ধী ইত্যাদিরা পরে এসেছে। তাদের সামনে অবশ্যই এই দেবতারা থাকবে। তাদেরও এতোটাই সময় থাকবে। সবধর্মের জন্য আধাকল্প লাগে, তাহলে আর বাকি এই ধর্মের জন্য আধাকল্প দিতে হবে। লক্ষ লক্ষ বছর তো বলা যেতে পারে না। তোমরা জগদম্বার মন্দিরে গিয়ে বোঝাও - এই গডেজ অফ নলেজ-কে জ্ঞান কে দিয়েছেন? এমন তো আর বলবে না যে কৃষ্ণ জগৎ অম্বাকে নলেজ দিয়েছেন। কিন্তু একথাও সেই বোঝাতে পারবে যার বোঝাবার অভ্যাস (প্র্যাকটিস) ভালো আছে। কারো-কারো তো অনেক দেহ- অভিমান থাকে। কোনো না কোনো মিত্র-সম্বন্ধী ইত্যাদি স্মরণে আসে। বাবা বলেন, অন্যদের স্মরণ করলে আমাকে স্মরণ করতে ভুলে যাবে। তোমরা গায়নও করো যে, আর সব সম্বন্ধ ছেড়ে আমরা একজনের সাথেই সম্বন্ধ জুড়বো। তিনি তো এখন এখানে বসে আছেন। বাবা আমরা তোমার, তোমার শ্রীমতেই চলব। এমন কোনো কর্ম করবে না যাতে নাম বদনাম হয়ে যায়। অনেক বাচ্চারা এমন-এমন কর্ম করে, যাতে নাম বদনাম হয়। যতক্ষণ না পর্য্যন্ত কেউ বোঝে ততক্ষণ পর্য্যন্ত গালি দিতেই থাকে। নাম গৌরবান্বিতও করে। ওহো! তোমার লীলার গায়ন রয়েছে, তাই না। কিন্তু বাচ্চারা বুঝতে পারে আর কেউ জানে না। বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমি নিষ্কাম সেবা করি। অপকারীরও উপকার করি। ভারতকেও সোনার পাখীতে( সোনে কি চিড়িয়া) পরিণত করি। আমি হলাম নম্বর ওয়ান উপকারী। কিন্তু মানুষ আমাকে সর্বব্যাপী বলে অনেক গালি দেয়। আমি তো তোমাদের বাচ্চাদের নলেজ দিই। এই জ্ঞান-যজ্ঞতে আসুরী সম্প্রদায়ের অনেক বিঘ্ন পড়ে। বাবা বোঝান যে, যে বাচ্চারা ভাল মতন বুঝতে পারে না, তাদের জন্যই কাদা ছেটে অর্থাৎ বদনাম হয়। বাবার গ্লানি করে। অনেক বাচ্চারা তো খুব ভালো সার্ভিস করে, আবার অনেকে ডিসসার্ভিসও করে। একদিকে যেমন কেউ কনস্ট্রাকশন (কিছু নির্মাণ করে) করে আবার আরেকদিকে ডেসট্রাকশনও (ধ্বংস) করে কারণ জ্ঞান থাকে না তাই। এখন সূর্যবংশীয়, চন্দ্রবংশীয় রাজধাণী স্থাপন করা হচ্ছে। যারা সম্পূর্ণ রীতি অনুযায়ী বুঝতে পারে না তাদেরকে বোঝাতে হবে। করুণা তো হয়েই, তাই না। বাবার হয়ে গেছে আর আশীর্ব্বাদ নেয় নি তাহলে সেটা কি কোনো কাজের হলো। বাবাকে পেয়ে তো সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করে বর্সা(আশীর্ব্বাদ) নেওয়া উচিৎ,শ্রীমতে চলা উচিৎ। এমন কাজ কখনোই করা উচিৎ নয়। যার ফলে বাবার গ্লানি হয়। বাবা জানেন যে কাম, ক্রোধ হলো মহাশত্রু। এরফলে নাক-কান ধরতে হয়। এতো হবেই। এর থেকে দুরে যেতে হবে। কেউ কেউ নাম-রূপে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। সব বাচ্চারা তো একই রকম হয় না। বাবা তাও সাবধান করেন - সদা সজাগ(খবরদার) থাকো! এমন অকাজের কাজ করে যদি নিন্দা করাও তবে পদভ্রষ্ট হয়ে যাবে। মহাবীরের, সাথে মায়াও মহাবীরের মতো লড়াই করে। বাবাকে স্মরণ করতে -করতে মায়ার তুফান কোথায় নিয়ে যায়। বাচ্চারা কেউ সত্যকথা বলে না। পরামর্শও নেয় না। অবিনাশী সার্জেনের কাছে কিছু লুকোনো উচিৎ নয়। যদি না বলো তবে আরো অস্বচ্ছ(নোংরা) হয়ে যাবে। এমন নয় যে, বাবা হলেন সর্বজ্ঞ(জানিজননহার) সব বোঝেন। না, তোমরা যে অবজ্ঞা করো বলো - শিববাবা, আমার দ্বারা এই ভূল হয়ে গেছে, ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা না চাইলে তো ভূল হতেই থাকবে। নিজের মাথায় পাপ চড়াতেই থাকবে। বাবা তো বোঝান যে কল্প-কল্পান্তরের জন্য নিজের পদপ্রাপ্তিকে ভ্রষ্ট করো না। যদি এখন উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে না পারো তাহলে কল্প-কল্পান্তর এমনই দশা হবে। এ হলো নলেজ। বাবা জানেন যে, পূর্ব কল্প অনুযায়ী রাজত্ব স্থাপন করা হচ্ছে। বাপদাদা ভালভাবেই বুঝতে পারে। ইনি তো আবার উপযুক্ত বাচ্চা। মাতাদের মহিমা বৃদ্ধি করতে হবে, মাতাদের আগে রাখা হয়। গোপেদের(ভাইদের) বোঝান হয় যে তাদের(মাতাদের) এগিয়ে নিয়ে এসো। ভাইয়েরাও অনেক সার্ভিস করতে পারে। চিত্র দিয়ে বোঝাও - উচ্চ থেকে উচ্চ হলো ভগবান। তারপরে হলো ত্রিমূর্তি - ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর। তারমধ্যেও উচ্চ কে, কার নাম? সকলে বলবে প্রজাপিতা ব্রহ্মা, যার দ্বারা বর্সা(আশীর্ব্বাদ) পাওয়া যায়। শংকর বা বিষ্ণুকে পিতা বলা হয় না। তাদের থেকে কোনো বর্সা পাওয়া যায় না। প্রজাপিতা ব্রহ্মা এক তাকেই বলা হয়। তাঁর থেকে কি বর্সা পাওয়া যায়? ব্রহ্মা হলেন শিববাবার বাচ্চা। শিববাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, হেভেন স্থাপন করেন যিনি, তাই অবশ্যই হেভেনের শিক্ষা পাওয়া যায়। এই মত হলো রাজযোগের জন্য। ব্রহ্মার দ্বারা বাবা শ্রীমত দেন। এই মত হলো দেবতা হওয়ার জন্য। ব্রহ্মাকুমারী থেকে শ্রীলক্ষ্মী, গডেজ অফ ওয়েল্থ(ধনদাত্রী)। এরা হলো ব্রাহ্মণ আর ওঁনারা হলেন দেবী-দেবতা। নিরাকারী দুনিয়াতে তো সব আত্মারা থাকে। বাচ্চাদের অনেক বোঝান হয় কিন্তু যার বোঝার ক্ষমতা আছে সেই বোঝে। মানুষ তো অন্ধবিশ্বাসে সন্ন্যাসী, গুরুদের শিষ্য হয়ে যায়। তাদের থেকে কি পাবে, সেটাও জানে না। টীচার তো তাও জানে যে কী পদবী পাবে। বাকি যারা শিষ্য(ফলোয়ার) তাদের প্রাপ্তি কি, কিছুই জানে না। এটা হলো অন্ধশ্রদ্ধা। ফলোয়ার্স তো কেউ-ই হয় না। না তারা তোমাদের তৈরী করে আর না তোমরা ওদের মতো তৈরী হও। প্রধান লক্ষ্যবস্তু(এইম অবজেক্ট) কী- কিছুই জানে না। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা বাপদাদার স্নেহ-স্মরণ ও সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার।


ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. সঙ্গদোষ থেকে সদা সুরক্ষিত থাকতে হবে। সত্যিকারের পড়া পড়ে সত্যিকারের উপার্জনের স্টক(সঞ্চয়) জমা করতে হবে।

২. প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার শ্রীমত অনুসারে চলতে হবে। একথা নিজের কাছেই প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

বরদান:-

একের ব্রতে স্থির হয়ে(একাব্রতা) থাকার রহস্যকে জেনে বরদাতাকে রাজী করানো সর্ব সিদ্ধি স্বরূপ ভব

ব্যাখা:-

বরদাতা বাবার কাছে অসীম(অখুট) বরদান আছে, যে যত নিতে পারো নিয়ে নাও, এ হলো উন্মুক্ত ভান্ডার। এমন উন্মুক্ত ভান্ডার থেকে অনেক বাচ্চারা সম্পন্ন হয়ে যায় আর কেউ কেউ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সম্পন্ন হয়। বাবা ভোলানাথ বরদাতা রূপেই সবচেয়ে বেশী আঁচল(ঝোলা) ভরে দেন, শুধু তাঁকে রাজী করার বিধি জেনে নাও, তাহলেই সর্ব সিদ্ধি প্রাপ্ত হয়ে যাবে। বরদাতার একটি শব্দ সর্বাপেক্ষা প্রিয় মনে হয় - একাব্রতা(একের ব্রতে স্থির)। সঙ্কল্প বা স্বপ্নেও যেন দ্বিতীয়-ব্রতা না হয়ে যায়। বৃত্তিতে যেন থাকে যে আমার তো একজনই অন্য কেউ নেই, যে এই রহস্যকে জেনে গেছে, তার আঁচল সদা ভরপুর থাকে।

স্লোগান:-

মন্সা এবং বাণী - এই দুইয়ের সেবাই একসাথে করো, তবেই জোড়া(ডবল) ফল(রেজাল্ট) প্রাপ্ত হতে থাকবে ।