০৫-১১-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


" মিষ্টি বাচ্চারা -- এভারহেলদি - এভারওয়েলদি (সদা সুস্থ-সদা ধনী) হওয়ার জন্য তোমরা এখন ডাইরেক্ট নিজের তন-মন-ধন ইনসিওর করো, এই সময়েই এই বেহদের ইনসিওরেন্স হয়"

প্রশ্ন:-

নিজেদের মধ্যে একে অপরকে কোন্ স্মৃতি স্মরণ করাতে থাকলে উন্নতি সাধন হয় ?

উত্তর:-

পরস্পরকে স্মরণ করাও যে এখন নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে, ঘরে ফিরে যেতে হবে। অনেক বার এই পার্ট করেছো,৮৪ জন্ম পূর্ণ করেছো, এখন শরীররূপী বস্ত্র পরিত্যাগ করে ঘরে ফিরে যেতে হবে। এটাই হলো তোমাদের অর্থাৎ রুহানী সোশ্যাল ওয়ার্কারদের সেবা। তোমরা রুহানী সোশ্যাল ওয়ার্কার-রা সবাইকে এই সংবাদ দিতে থাকো যে দেহ সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধ ভুলে বাবা আর ঘরকে স্মরণ কর।

গীত:-

ছেড়ে দাও ঐ আকাশ সিংহাসন/ধরনীর 'পরে তুমি এসো...

ওম্ শান্তি |

যেখানে গীতা পাঠশালা আছে অধীকাংশ ক্ষেত্রে সেখানেই এই গীত গাওয়া হয়। যিনি গীতা পাঠ করেন প্রথমে এই শ্লোকটি গেয়ে থাকেন। কিন্তু জানে না যে কাকে আহ্বান করা হচ্ছে। এই সময় ধর্মের গ্লানি হয়। প্রথমে প্রার্থনা করে, তারপরে রেসপন্স(প্রতিক্রিয়া জানায়) করে এসো, পুনরায় এসে গীতা জ্ঞান শোনাও কারণ পাপ অনেক বেড়ে গেছে। তখন তিনিও রেসপন্স করেন যে হ্যাঁ, যখন ভারতের মনুষ্য আত্মারা পাপী ও দুঃখী হয়ে যায়, ধর্মের গ্লানি হয়ে যায় তখনই আমি আসি। অবশ্যই স্বরূপ বদলাতে হয়, কারণ মানুষের শরীরেই আসতে হবে। রূপ তো সব আত্মারাই বদল করে। তোমরা আত্মারা হলে নিরাকারী, এখানে এসেই সাকারী হও। তখন তোমাদের মানুষ বলা হয়। এখন মনুষ্য আত্মারা পাপী ও অপবিত্র তাই আমাকেও নিজের রূপ ধারণ করতে হয়। যেমন তোমরা নিরাকার থেকে সাকারী হয়ে যাও, তেমন-ই আমাকেও হতে হয়। এই পতিত দুনিয়াতে তো কৃষ্ণ আসতে পারে না। সে তো স্বর্গের মালিক। মনে করে যে শ্রীকৃষ্ণ গীতা শুনিয়েছিল কিন্তু কৃষ্ণ তো পতিত দুনিয়ায় থাকতে পারে না। তাঁর নাম, রূপ, দেশ, কাল, অ্যাক্ট(পার্ট) সবই একদম আলাদা। একথা বাবাই বলেন, কৃষ্ণের নিজের মাতা-পিতা আছে, মাতৃ-গর্ভেই তাঁর রূপ রচনা হয়। আমি গর্ভে প্রবেশ করি না। আমারও তো অবশ্যই রথের দরকার। আমি এঁনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে প্রবেশ করি। প্রথম স্থান(নম্বর) হলো শ্রীকৃষ্ণের। এঁনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম হলো তাঁর ৮৪- তম জন্ম। তাই আমি এঁনার মধ্যেই আসি। উনি নিজের জন্মকে জানেন না। শ্রীকৃষ্ণ তো এমন বলবে না যে আমি নিজের জন্মকে জানি না। ভগবান বলেন, যাঁর মধ্যে আমি প্রবেশ করেছি সে তাঁর নিজের জন্মকে জানে না। আমি জানি, কৃষ্ণ তো রাজধানীর মালিক। সত্যযুগে হয় সূর্যবংশীয় রাজ্য, বিষ্ণুপুরী। বিষ্ণু বলা হয় লক্ষ্মী - নারায়ণকে। যখন কোথাও ভাষণ হয় তখন এই রেকর্ড বেশী করে বাজানো হয় কারণ এ তো ভারতবাসীরা নিজেরাই গায়। যখন ধর্ম প্রায়ঃ লুপ্ত হয়ে যাবে তখনই তো পুনরায় গীতা জ্ঞান শোনাবো। সেই ধর্মই পুনরায় স্থাপন করতে হবে। ঐ ধর্মের কোনো মানুষই এখন নেই তাহলে সেই গীতা জ্ঞান এখানে কোথা থেকে এলো? বাবা বোঝান - সত্যযুগ- ত্রেতাতে কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি হয় না। এ সবই হলো ভক্তি মার্গের সামগ্রী, এর দ্বারা কেউ-ই আমার সাথে মিলিত হতে পারবে না। আমাকে তো আসতেই হয়, এসে সবাই-কে সদ্গতি দিই ভায়া গতি। সবাইকে ফিরে যেতেই হয়। গতিতে গিয়ে তারপর আবার স্বর্গে আসতে হয়। মুক্তিতে গিয়ে পুনরায় জীবনমুক্তিতে আসতে হয়। বাবা বলেন এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি পেতে পারো। গায়ন আছে, গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি অর্থাৎ দুঃখ থেকে মুক্তি। সন্ন্যাসীরা তো জীবনমুক্ত করতে পারবে না। ওরা তো জীবনমুক্তিকে মানেই না। এই সন্ন্যাসীদের ধর্ম তো সত্যযুগে থাকেই না। সন্ন্যাস ধর্ম তো পরে আসে। ইসলামী, বৌদ্ধী ইত্যাদি - এই সব ধর্ম সত্যযুগে আসবে না এখন সব ধর্মই আছে শুধু দেবতা ধর্মই নেই। তারা সবাই অন্য ধর্মে চলে গেছে। নিজের ধর্মকে জানেই না। কেউ-ই নিজেকে দেবতা ধর্মের মনে করে না। জয়হিন্দ বলে - কিন্ত এখন এখানে কোন জয় নেই। ভারতের কবে জয় আর কবেই বা ক্ষয়(হার) হয়েছিল - একথা থোড়াই কেউ জানে! ভারতের জয় তখনই হয় যখন রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত হয়, যখন পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হয়। ক্ষয় করে রাবণ। জয়ী করেন রাম। তাই ' জয় ভারত' বলতে হবে। শব্দই বদলে দিয়েছে। গীতায় ভালো ভালো শব্দ আছে।



উচ্চ থেকে উচ্চতম হলেন ভগবান, তিনি বলেন আমার কোনো মাতা-পিতা নেই। আমার রূপ আমাকে স্বয়ং রচনা করতে হয়। আমি এঁনার মধ্যে প্রবেশ করি। কৃষ্ণকে তাঁর মাতা জন্ম দেন। আমি তো ক্রিয়েটার(রচয়িতা)। ড্রামা অনুসারে ভক্তিমার্গের জন্য এই সব শাস্ত্র তৈরী হয়েছে। এই গীতা, ভাগবত ইত্যাদি সবই দেবতা ধর্মের ভিতের উপরেই তৈরী করা হয়েছে। যেমন বাবা-ই দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেছেন, যা এখন পাস্ট হয়ে গেছে আবার ভবিষ্যতে হবে। আদি-মধ্য-অন্তকে পাস্ট-প্রেজেন্ট-ফিউচার বলা হয়। এখানে আদি-মধ্য-অন্তের অর্থ আলাদা। যা পাস্ট হয়ে গেছে তাই আবার প্রেজেন্ট হবে। যা পাস্টের কাহিনী শোনায় তাই আবার ভবিষ্যতে রিপীট হবে। মানুষ এইসব কথা জানে না। যা অতীত হয়ে যায়, সেই কাহিনীই বাবা বর্তমানে শোনায়, তা আবার ভবিষ্যতে রিপীট হবে। একে বোঝার মতো দৃষ্টিভঙ্গি চাই, এরজন্য বুদ্ধি অনেক রিফাইন(সুক্ষ্ম) হওয়া দরকার। কোথাও যদি তোমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, সেখানে বাচ্চাদের ভাষণ দিতে হবে। সন শো'জ ফাদার(বাচ্চার দ্বারা বাবার প্রত্যক্ষতা)। বাচ্চাদের দ্বারাই প্রকাশিত হবে যে আমাদের বাবা কে? বাবাকে তো অবশ্যই চাই, তা না হলে আশীর্ব্বাদ বা বর্সা নেবে কীভাবে। তোমরা তো অনেক উঁচু থেকেও উঁচু কিন্তু এইসব বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও মান দিতে হবে। তোমাদেরই সকলকে বাবার পরিচয় দিতে হবে। সবাই গড ফাদারকে ডাকে, প্রার্থনা করে - হে, গড্ ফাদার এসো কিন্তু তিনি কে তা জানে না। তোমরা শিববাবারও মহিমা গাইবে, শ্রীকৃষ্ণেরও মহিমা গাইবে, আর ভারতেরও মহিমা গাইবে। ভারত শিবালয়, স্বর্গ(হেভেন) ছিল। ৫ হাজার বছর পূর্বে প্রথমে দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, তা কে স্থাপন করেছিল? অবশ্যই উচ্চ থেকে উচ্চতম ভগবান করেছিলেন। তাই উচ্চ থেকে উচ্চতম নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা শিবায়ঃ নমঃ বন্দনা করা হয়। শিব জয়ন্তী ভারতবাসীরাই পালন করে কিন্তু শিব কবে এসেছিল তা কেউ জানে না। অবশ্যই হেভেনের পূর্বের সঙ্গমে এসেছিল। তিনি বলেন যে প্রতি কল্পের সঙ্গম যুগে-যুগে আসি, প্রত্যেক যুগে নয়। যদি প্রত্যেক যুগ বলা হয় তা হলেও ৪ অবতার হওয়া উচিৎ। তারা তো অনেক অবতার দেখায়। এক বাবাই হলেন উচ্চ থেকে উচ্চতম, যিনি হেভেন রচনা করেন। ভারতই স্বর্গ ছিল, নির্বিকারী ছিল, তাই তোমরা এই প্রশ্ন করতে পারো না যে তাহলে বাচ্চার জন্ম কীভাবে হবে। সে তো যা রীতি-রেওয়াজ থাকবে সেভাবেই চলবে। তোমরা কেন চিন্তা করো। প্রথমে তো তোমরা বাবাকে জানো। ওখানে আত্মার জ্ঞান থাকে। আমরা আত্মা, এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করি। কান্নার কোনো কথাই নেই। কখনো অকাল মৃত্যু হয় না। খুশী-খুশী শরীর ত্যাগ করে। বাবা বুঝিয়েছেন যে, আমি কেমন করে রূপ বদল করে আসি। তিনি কৃষ্ণের কথা বলেন না, সে তো মাতৃ-গর্ভ থেকে জন্ম নেয়। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর হলো সূক্ষ্মবতনবাসী। এখানে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে অবশ্যই চাই, তোমরা হলে ওঁনার সন্তান। ওই নিরাকার বাবা হলেন অবিনাশী, আমরা আত্মারাও অবিনাশী। কিন্তু আমাদের পুনর্জন্মে অবশ্যই আসতে হয়। এই ড্রামা বানানোই আছে। তারা বলে যে, আবার এসে গীতা জ্ঞান শোনাও, তাহলে যারা এসে চলে গেছে তারা আবারও অবশ্যই চক্রতে আসবে। বাবাও এসে চলে গেছেন আবার এসেছেন। তিনি বলেন, পুনরায় এসে গীতা জ্ঞান শোনাই। আহ্বান করা হয় - পতিত-পাবন এসো, তাহলে এ অবশ্যই পতিত দুনিয়া। সবাই পতিত তাই তো পাপ মোচনের(ধোয়া)জন্য গঙ্গা স্নান করতে যায়। এই ভারতই স্বর্গ ছিল, ভারতই হলো উচ্চ অবিনাশী খন্ড, সকলের তীর্থস্থান। সব মনুষ্য-মাত্রই এখন পতিত। সবার জীবনমুক্তিদাতা হলেন বাবা। এতো বড় সার্ভিস যিনি করেন অবশ্যই তাঁর মহিমা গাওয়া উচিৎ।অবিনাশী বাবার জন্মস্থান হলো এই ভারত। তিনিই সবাই-কে পবিত্র বানান। বাবা নিজের জন্মস্থানকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারেন না। তাই বাবা এসে বোঝান যে আমি কীভাবে রূপ ধারণ করি।



সবকিছুই ধারণার উপর নির্ভর করে । ধারণার উপরেই বাচ্চারা, তোমাদের পদপ্রাপ্তি হয়। সবার মুরলী পড়া একই ধরণের হয় না। যদি সবাই কাঠের মুরলীও বাজায় তবুও একই রকমের বাজাতে পারে না। প্রত্যেকের অভিনয়ের পার্ট আলাদা। এইটুকু ছোট্ট আত্মার মধ্যে কত ভারী পার্ট ভরা থাকে। পরমাত্মাও বলেন, আমিও পার্টধারী। যখন ধর্মের গ্লানি হয় তখন আমি আসি। ভক্তি মার্গেও আমি ভক্তির ফল দিই। ঈশ্বরের নামে দান-পুণ্য করে তাই ঈশ্বরই তার ফল দেয়। সবাই নিজেকে ইনসিওর করে। জানে যে এর ফল পরের জন্মে পাবে। তোমরা ইনসিওর করো ২১ জন্মের জন্য। ওটা হলো হদের ইনসিওরেন্স, ইনডাইরেক্ট আর এ হোল বেহদের ইনসিওরেন্স, ডাইরেক্ট। তোমরা তন-মন-ধন দিয়ে নিজেকে ইনসিওর করো তাই অগাধ ধন-সম্পদ পাবে। এভারহেল্দী-ওয়েল্দী হবে। তোমরা ডাইরেক্ট ইনসিওর করছো। মানুষ ঈশ্বরের নামে দান করে, মনে করে ঈশ্বর দেবে। তিনি কীভাবে দেন তা বোঝে না। মানুষ মনে করে যা কিছুই পাওয়া যায় তা ঈশ্বর দেন। ঈশ্বর সন্তান দিয়েছেন, আচ্ছা, যদি দিতে পারে তাহলে তা অবশ্যই নিতেও পারবে। তোমাদের সবাইকে অবশ্যই মরতে হবে। সাথে তো কিছুই যাবে না। এই শরীরও শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন যা কিছু ইনসিওর করার তা করো যা কিনা ২১ জন্মের জন্য ইনসিওর হয়ে যাবে। এমনও নয় যে ইনসিওর করে দিয়ে আর কোনো সার্ভিসই করছো না আর এখান থেকেই খাচ্ছো। সার্ভিস করতেই হবে। তোমাদের খরচাও তো এখান থেকে চলে, তাই না! তাই যদি ইনশিওর করে শুধু খেতেই থাকো তো কিছুই পাবে না। পাবে তখনই যখন সার্ভিস করবে, তখন উচ্চ পদও পাবে। যে যত বেশী সার্ভিস করে, তার প্রাপ্তিও তত বেশী হয়। কম সার্ভিস তো কম প্রাপ্তি। গভর্নমেন্টের সোশ্যাল ওয়ার্কার-ও নম্বরের ক্রমানুসারেই হয়। তাদের বড় বড় মাথা (উচ্চ পদাধিকারী) থাকে। অনেক প্রকারের সোশ্যাল ওয়ার্কার হয়। এ হলো শারীরিক(জিস্মানী) সেবা, তোমাদের হলো রুহানী সেবা। প্রত্যেককে তোমরা রুহানী যাত্রী বানাও। এ হলো বাবার কাছে যাওয়ার রুহানী যাত্রা। বাবা বলেন দেহ-সহিত দেহের সর্ব সম্বন্ধকে আর গুরু, গোঁসাই ইত্যাদিকে ছাড়ো। মামেকম্ স্মরণ করো। পরমপিতা পরমাত্মা হলেন নিরাকার, সাকার রূপ ধারণ করে বোঝান। বাবা বলেন আমি লোন(ধার)নিই। প্রকৃতির আধার নিই। তোমরাও নগ্ন এসেছিলে।এখন সবাইকে ফিরে যেতে হবে। তিনি সব ধর্মের মানুষকে বলেন, সামনে মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে। যাদব, কৌরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। বাকী পান্ডবরা আবার এসে রাজত্ব করবে। এই গীতা এপিসোড রিপীট হচ্ছে। পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হবে, ৮৪ জন্ম নিতে নিতে এখন এ দুনিয়াও পুরোনো হয়ে গেছে। ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে, নাটকও সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন ফিরে যেতে হবে, শরীর ছেড়ে ঘরে ফিরে যেতে হয়। এক-দুইজনকে এই স্মৃতি স্মরণ করাও - এখন ফিরে যেতে হবে। অনেকবার ৮৪ জন্মের এই পার্ট করা হয়েছে। এই অনাদি নাটক বানানোই আছে। যারা যারা যে ধর্মের তাদের নিজের সেক্শনে যেতেই হবে। যে দেবী-দেবতা ধর্ম প্রায়ঃ লুপ্ত হয়ে গেছে তাঁদের কলম(স্যাপলিং) লাগানো হচ্ছে। যারা ফুল হবে তারা আসবে। কত ভালো ভালো ফুল আসে কিন্তু মায়ার ঝড়ে ভেঙে পড়ে আবার জ্ঞানের সঞ্জীবনী বুটি পেয়ে উঠে দাঁড়ায়। বাবাও বলেন তোমরা এতকাল শাস্ত্র পড়ে এসেছো। এঁনারও গুরু ইত্যাদি ছিল। বাবা বলেন, এক বাবাই গুরু-সহ সকলের সদ্গতি দাতা। এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। রাজা -রানী তো প্রবৃত্তি মার্গের হয়ে গেলো। নির্বিকারী প্রবৃত্তি মার্গ ছিল। এখন সম্পূর্ণ বিকারী। ওখানে রাবণের রাজ্য থাকে না। রাবণের রাজ্য আধাকল্প থেকে শুরু হয়, ভারতবাসীরাই রাবণের কাছে হেরে যায়। বাকী আর সব ধর্মের মানুষেরা নিজের নিজের সময়ে এসে সতো, রজো, তমো-র মধ্যে দিয়ে পাস(অতিক্রম) হয়। প্রথমে সুখ, পরে আবার দুঃখ আসে। মুক্তির পর জীবনমুক্তি তো আছেই। এই সময় সবাই তমোপ্রধান-তায় জর্জরিত, প্রতিটি আত্মা এক শরীর ছেড়ে অন্য নতুন শরীর ধারণ করে। বাবাও বলেন যে আমি জন্ম-মৃত্যুতে আসি না। আমার কোনো বাবা নেই। আর সবার-ই তো বাবা আছে। কৃষ্ণের জন্মও মাতৃ-গর্ভ থেকে হয়। এই ব্রহ্মাই যখন রাজ্য নেবে তখন গর্ভ থেকেই তাঁর জন্ম হবে।এঁনাকেই প্রবীন থেকে নবীন হতে হবে। ৮৪ জন্মের পুরোনো। একথা কার-ও বুদ্ধিতে যথাযত বসে আর নেশা চড়ে, এ খুব মুশকিল। এ হলো জ্ঞানের কস্তুরী যা হলো খুবই সুগন্ধী। আচ্ছা।



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ এবং সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. রুহানী সোশ্যাল ওয়ার্কার হয়ে সবাইকে রুহানী যাত্রা শেখাতে হবে। নিজেদের দেবী-দেবতা ধর্মের কলম লাগাতে হবে।

২. নিজের সূক্ষ্ম(রিফাইন) বুদ্ধির দ্বারা বাবার শো(প্রত্যক্ষতা) করতে হবে। প্রথমে নিজে ধারণা করে তারপর অন্যকে শোনাতে হবে।

বরদান:-

সকলকে অমর জ্ঞান দিয়ে অকাল মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্ত করা শক্তিশালী আত্মা ভব

আজকাল দুনিয়ায় অকাল মৃত্যুতেই ভয় বেশী। খাচ্ছেও ভয়ে, চলছেও ভয়ে, ঘুমাচ্ছেও ভয়ে। এমন আত্মাদের খুশীর কথা শুনিয়ে ভয় মুক্ত করো। তাদেরকে সুখবর দাও যে আমরা তোমাদের ২১ জন্মের জন্য অকাল মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারি। প্রত্যেক আত্মাকে অমর জ্ঞান দিয়ে অমর করে দাও। যাতে তারা জন্ম-জন্মানতরের মতো অকাল মৃত্যু থেকে বেঁচে যায়। এভাবে নিজের শান্তি ও সুখের ভাইব্রেশন দ্বারা লোকেদের সুখ-শান্তির অনুভূতি করিয়ে শক্তিশালী সেবাধারী হও।

স্লোগান:-

স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স রাখলেই সকলের আশীর্ব্বাদ(দুয়া) পাওয়া যায়।