09.11.2018 Morning
Bengali Murli Om Shanti BapDada Madhuban
"মিষ্টি বাচ্চারা --
সেকেন্ডে মুক্তি ও জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করতে মন্মনাভব, মধ্যাজি ভব। বাবাকে যথাযথভাবে
জেনে স্মরণ করো এবং সবাইকে বাবার পরিচয় দাও"
প্রশ্নঃ -
কোন্ নেশার
আধারে তোমরা বাবাকে প্রত্যক্ষ করতে পারো ?
উত্তরঃ -
নেশা যেন থাকে
যে আমরা এখন ভগবানের সন্তান, তিনি আমাদের পড়াচ্ছেন। সকল মানুষ মাত্রকে আমাদেরই
সত্যের পথ বলে দিতে হবে। আমরা এখন সঙ্গম যুগে আছি। আমাদেরই নিজেদের রয়্যাল চলন
দ্বারা বাবার নাম উজ্জ্বল করতে হবে। বাবা ও শ্রীকৃষ্ণের মহিমা সবাইকে বলতে হবে।
গীতঃ-
আগামী দিনের
ভাগ্য হলে তোমরা .....
ওম্ শান্তি।
এই গীত গাওয়া
হয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশ্যে, বাকি দুনিয়ার ভাগ্যের অর্থ কি, সে তো ভারতবাসী
জানে না। সম্পূর্ণ দুনিয়ার প্রশ্ন, সম্পূর্ণ দুনিয়ার ভাগ্য পরিবর্তনকারী নরককে
স্বর্গে পরিবর্তনকারী কোনো মানুষ হতে পারে না। এই মহিমা কোনো মানুষের নয়। যদি
কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে বলা হবে তাহলে কেউ কৃষ্ণের গ্লানি করতে পারবে না। মানুষ এই কথাও
বোঝে না যে চতুর্থীর চন্দ্রমা কৃষ্ণ কিভাবে দেখলেন যে কলঙ্কিত হলেন। বাস্তবে কলঙ্ক
কৃষ্ণকেও লাগেনা, গীতার ভগবানকেও লাগে না। কলঙ্ক লাগে ব্রহ্মাকে। কৃষ্ণকে কলঙ্ক
দেওয়া হয়েছে তাও নারী অপহরণের। শিববাবার কথা তো কারো জানা নেই। ঈশ্বরের খোঁজে
বিভ্রান্ত হয়, কিন্তু ঈশ্বরের গ্লানি তো করা হয় না। না-ই ঈশ্বর, না-ই কৃষ্ণকে কুকথা
বলা হয়। দু'জনেরই মহিমা হল উত্তম। কৃষ্ণের মহিমাও হল নম্বর ওয়ান। লক্ষ্মী নারায়ণের
এত মহিমা হয় না কারণ তাঁরা হলেন বিবাহিত। কৃষ্ণ হলেন কুমার তাই তাঁর মহিমা বেশি,
যদিও লক্ষ্মী-নারায়ণের মহিমাও এমনই গায়ন করা হবে - ১৬ কলা সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ
নির্বিকারী..... কৃষ্ণকে তো দ্বাপরে বলা হয়। তারা ভাবে এমন মহিমা যুগ যুগ ধরে
প্রচলিত রয়েছে। এইসব কথা গুলি তোমরা বাচ্চারা জানো। এ তো হল ঈশ্বরীয় নলেজ, ঈশ্বর
রাম রাজ্য স্থাপন করেছেন। রাম রাজ্যকে মানুষ বুঝতে পারে না। বাবা স্বয়ং এসে এই সবের
জ্ঞান প্রদান করেন। গীতায় সবকিছু নির্ভর করছে, গীতায় ভুল লিখে দেওয়া হয়েছে। কৌরব ও
পাণ্ডবদের যুদ্ধ তো হয়নি অর্জুনের কথা নেই। এখানে তো বাবা বসে পাঠশালায় পড়াচ্ছেন।
পাঠশালা যুদ্ধের ময়দানে হবে না। হ্যাঁ, এই যুদ্ধ হল মায়া রাবণের সঙ্গে। তাকেই
পরাজিত করতে হবে। মায়াকে হারিয়ে জগৎজিত হতে হবে। কিন্তু এইসব কথা একটুও বুঝতে পারে
না। ড্রামাতে এমনটাই নির্দিষ্ট আছে। তাদেরকেই পরে এসে বুঝতে হবে। আর তোমরা
বাচ্চারাই বোঝাতে পারো। ভীষ্ম পিতামহ প্রমুখকে হিংসক বাণ ইত্যাদি মারার কোনো
ব্যাপারই নেই। শাস্ত্রে তো কত কথা লিখে দিয়েছে। তাদের কাছে গিয়ে মাতাদের সময় চেয়ে
নেওয়া উচিত। বলো, আমরা আপনাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে চাই। এই গীতা গায়ন করেছেন
ভগবান । ভগবানের মহিমা আছে। শ্রীকৃষ্ণ তো হলেন আলাদা। এই কথাতেই আমাদের সংশয় আছে।
রুদ্র ভগবানুবাচ, ওঁনার এ হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। এই হল নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মার
জ্ঞান যজ্ঞ। মানুষ তাও বলে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ। ভগবান তো বাস্তবে একজনকেই বলা হয়, তাঁর
মহিমা লেখা উচিত। এ হল কৃষ্ণের মহিমা, এবারে দুইজনের মধ্যে গীতার ভগবান কে ? গীতায়
লেখা আছে সহজ রাজযোগ। বাবা বলেন বেহদের সন্ন্যাস করো। দেহ সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধ
ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা ভাবো, মন্মনাভব, মধ্যাজি ভব। বাবা খুব ভালো ভাবে বোঝান।
গীতায় আছে শ্রীমৎ ভগবানুবাচ। শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ, অতএব পরমপিতা পরমাত্মা শিব-কেই
বলা হবে। কৃষ্ণ তো হলেন দৈবী গুণ সম্পন্ন মানুষ। গীতার ভগবান তো হলেন শিব, যিনি রাজ
যোগের শিক্ষা প্রদান করেন। যথাযথভাবে শেষের দিকে সব ধর্মের বিনাশ হয়ে এক ধর্মের
স্থাপনা হয়েছে। সত্যযুগে একমাত্র আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। সেই ধর্ম কৃষ্ণের
দ্বারা নয় কিন্তু ভগবান স্থাপন করেছেন। এই হল ওঁনারই মহিমা। ওঁনাকেই ত্বমেব মাতাশ্চ
পিতা বলা হয়। কৃষ্ণকে বলা হবে না। তোমাদের সত্য পিতার পরিচয় দিতে হবে। তোমরা বোঝাতে
পারো যে ভগবান হলেন লিবারেটর এবং গাইড উনি সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যান, মশার মতন সবাইকে
নিয়ে যাওয়া হল শিবের কাজ। সুপ্রিম শব্দটি খুব ভালো। সুতরাং শিব পরমপিতা পরমাত্মার
মহিমা আলাদা, কৃষ্ণের মহিমা আলাদা, দুটি কথা প্রমাণ করে বোঝাতে হবে। শিব তো জন্ম-
মরণে আসবেন না। তিনি হলেন পতিত-পাবন। কৃষ্ণ তো পুরো ৮৪ জন্ম নেন। এবারে পরমাত্মা
কাকে বলা যায় ? এই কথাও লেখা উচিত। বেহদের পিতাকে না জানার দরুন অনাথ হয়েছে, দুঃখী
হয়েছে। সত্যযুগে যখন সনাথ হয়ে যাবে তখন সুখী হবে। কথা গুলো এমন স্পষ্ট হওয়া উচিত।
বাবা বলেন আমায় স্মরণ করো আর বর্সা প্রাপ্ত করো। সেকেন্ডে জীবনমুক্তি, এখনও শিববাবা
এমনই বলেন। মহিমা পুরো লিখতে হবে। শিবায় নমঃ, তাঁর কাছে স্বর্গের বর্সা প্রাপ্ত হয়।
এই সৃষ্টি চক্রকে বুঝলে তোমরা স্বর্গবাসী হয়ে যাবে। এবারে জাজ করো - রাইট কি ?
বাচ্চারা তোমাদের সন্ন্যাসীদের আশ্রমে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করা উচিত । সভা
সম্মেলনে তাদের খুব অহংকার থাকে।
বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে এ কথা থাকা উচিত যে মানুষকে সত্যের পথ কিভাবে বলে দেওয়া
যায় ? ভগবানুবাচ - আমি এই সাধু সন্ন্যাসীদেরও উদ্ধার করি। লিবারেটর নামও আছে।
বেহদের বাবা-ই বলেন আমার আপন হও। ফাদার শোজ সান তারপরে সান শোজ ফাদার হয়।
শ্রীকৃষ্ণকে ফাদার বলা হবেনা। গড ফাদারের সন্তান সবাই হতে পারে। সবাই মানুষ মাত্রের
সন্তান হতে পারে না। তাই বাচ্চারা তোমাদের বোঝানোর নেশা থাকা উচিত। বেহদের পিতার
আমরা সন্তান, রাজার সন্তান রাজকুমার। তোমাদের চলন দেখো কতখানি রয়্যাল হয়। কিন্তু
শ্রীকৃষ্ণের নামে ভারতবাসীরা কত কলঙ্ক লাগিয়েছে। তারা বলবে ভারতবাসী তো হলে তোমরাও।
বলো হ্যাঁ, আমরাও কিন্তু আমরা এখন সঙ্গমে আছি। আমরা ভগবানের সন্তান আর তাঁর কাছেই
পড়াশোনা করি। ভগবানুবাচ - তোমাদের রাজযোগ শেখাই। কৃষ্ণের কথা হতে পারে না। ভবিষ্যতে
বুঝতে পারবে। রাজা জনক ইঙ্গিত দেখেই বুঝেছিলেন তাই না ! পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ
করেই ধ্যান মগ্ন হয়েছিলেন। ধ্যান মগ্ন তো অনেকেই হয়। ধ্যান করলে নিরাকারী দুনিয়া ও
বৈকুণ্ঠের দর্শন হবে। এ কথা তো জানো যে আমরা নিরাকারী দুনিয়ার নিবাসী। পরমধাম থেকে
এখানে এসে পার্ট প্লে করি। বিনাশও সামনে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি
নিচ্ছে, বুদ্ধি খাটাচ্ছে - এ হল সায়েন্সের চূড়ান্ত অহংকার, ফলে নিজেদেরই বিনাশ করে।
বাকি মুন ইত্যাদিতে কিছু নেই। কথা তো খুব ভালো শুধু বোঝার জন্য যুক্তি চাই। আমাদের
শিক্ষা প্রদান করছেন উঁচু থেকে উঁচু পিতা । তিনি হলেন তোমাদেরও পিতা। তাঁর মহিমা এবং
কৃষ্ণের মহিমা দুই-ই আলাদা। এ হল রুদ্র অবিনাশী জ্ঞান যজ্ঞ, এতেই সবকিছু আহুতি হবে
। এই পয়েন্ট গুলো খুবই ভালো, কিন্তু তার এখনও হয়ত দেরি আছে।
এই পয়েন্টও ভালো - প্রথম হল রূহানী যাত্রা, দ্বিতীয় হল দৈহিক যাত্রা। বাবা বলেন যে
আমাকে স্মরণ করো তাহলে অন্তিম সময়ে যেমন মতি, তেমনই গতি হবে অর্থাৎ মুক্তি পাবে।
স্পিরিচুয়াল ফাদার ব্যতীত এই জ্ঞান কেউ শেখাতে পারে না। এমন এমন পয়েন্ট লেখা উচিত।
মন্মনাভব - মধ্যাজিভব, এ হল মুক্তি-জীবনমুক্তির যাত্রা। যাত্রা তো বাবা-ই করাবেন,
কৃষ্ণ করাতে পারেন না। স্মরণ করার অভ্যাসটাই করতে হবে । যত স্মরণ করবে তত খুশীতে
থাকবে। কিন্তু মায়া স্মরণ করতে দেয় না। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং।
সার্ভিস তো সবাই করে, কিন্তু উঁচু ও নীচু সার্ভিস তো আছে তাইনা। কাউকে বাবার পরিচয়
দেওয়া হল সবথেকে সহজ। আচ্ছা - রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
রাত্রি ক্লাস
যেমন পাহাড়ে হাওয়া খেতে, রিফ্রেশ হতে যায় । বাড়িতে বা অফিসে বুদ্ধিতে কাজের চিন্তাই
থাকে। বাইরে গেলে অফিসের চিন্তা থেকে মুক্ত হয়। এখানেও বাচ্চারা রিফ্রেশ হতে আসে।
অর্ধকল্প ভক্তি করতে-করতে ক্লান্ত হয়েছে, পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়।
জ্ঞান ও যোগের দ্বারা তোমরা রিফ্রেশ হয়ে যাও। তোমরা জানো এখন পুরানো দুনিয়া বিনাশ
হয়, নতুন দুনিয়া স্থাপন হয়। প্রলয় তো হয় না। তারা ভাবে দুনিয়া একেবারে শেষ হয়ে যায়,
কিন্তু নয়। চেঞ্জ হয়। এই হল নরক, পুরানো দুনিয়া। নতুন দুনিয়া ও পুরানো দুনিয়া কি,
সে তো তোমরা জানো। তোমাদের ডিটেলে বোঝানো হয়েছে। তোমাদের বুদ্ধিতে বিস্তারিত ভাবে
আছে তাও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। বোঝানোর জন্যেও রিফাইননেস চাই। কাউকে এমন
বোঝাও যে চট করে বুদ্ধিতে বসে যায়। অনেক বাচ্চারা জ্ঞানে কাঁচা থাকে তো চলতে চলতে
ভেঙে পড়ে। ভগবানুবাচও আছে আশ্চর্য হয়ে শোনে, অন্যকে শোনায়ও, তারপর .....। এখানে হল
মায়ার সাথে যুদ্ধ। মায়ার কাছে মরে ঈশ্বরের আপন হয়, আবার ঈশ্বরের কাছে মরে মায়ার কাছে
যায়। বাবার কাছে অ্যাডপ্ট হয়েও পালিয়ে যায়। মায়া খুব প্রবল, অনেকে তুফানে ফেঁসে যায়।
বাচ্চারাও বোঝে - হার জিত হয়। এই খেলাটি হল হার জিতের খেলা। ৫ বিকারের কাছে হার হয়।
এখন তোমরা জিতবার জন্যে পুরুষার্থ করছ। শেষমেশ জিত হবে তোমাদেরই। যখন বাবার আপন
হয়েছ তো পাকা হওয়া উচিত। তোমরা দেখো মায়া কত প্রলোভন দেয় ! কখনও ধ্যান মগ্ন হলে
খেলার সর্বনাশ হয়। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে আছে এখন ৮৪ জন্মের চক্র পূর্ণ করা
হয়েছে। দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়ে এখন শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছি। ব্রাহ্মণ
হয়ে আবার দেবতায় পরিণত হব। এই কথা ভুলবেনা। যদি এই কথাও ভুলে যাও তো চলার পথে পিছিয়ে
যাবে তারপরে দুনিয়ার কথায় বুদ্ধি যাবে। মুরলি ইত্যাদিও স্মরণে থাকবে না। স্মরণের
যাত্রাও কঠিন অনুভব হবে। এও এক আশ্চর্যের বিষয় ।
অনেক বাচ্চাদের ব্যাজ লাগাতে লজ্জা হয়, এ হল দেহ-অভিমান তাই না ! গালাগালি তো খেতেই
হবে। কৃষ্ণকে কত কুকথা শুনতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কটু কথা শুনেছেন শিব। তারপরে কৃষ্ণ।
তারপরে সবচেয়ে বেশি কুকথা শুনেছেন রাম। নম্বর অনুসারে আছে। ডিফেম করাতে ভারতের কত
অপমান হয়েছে ! বাচ্চারা, তোমাদের এইসবে ভয় পাওয়া চলবেনা। আচ্ছা - মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদেরকে স্মরণ স্নেহ ও গুড নাইট।
ধারণার জন্যে
মুখ্য সারঃ-
১) বুদ্ধি
দ্বারা বেহদের সন্ন্যাস করে, রূহানী যাত্রায় তৎপর থাকতে হবে। স্মরণে থাকার অভ্যাস
করতে হবে।
২) ফাদার শো'জ সান, সান শো' জ ফাদার - সবাইকে বাবার সত্য পরিচয় দিতে হবে। সেকেন্ডে
জীবনমুক্তির পথ বলতে হবে।
বরদানঃ-
শ্রেষ্ঠ কর্ম
রূপী ডাল ধরে না ঝুলে থেকে উড়ন্ত পাখি হয়ে হিরো পার্টধারী ভব
ব্যাখা: সঙ্গম
যুগে যে শ্রেষ্ঠ কর্ম করো - সেই শ্রেষ্ঠ কর্ম হল হীরে স্বরূপ শাখা। সঙ্গম যুগের
যেমনই শ্রেষ্ঠ কর্ম হোক কিন্তু শ্রেষ্ঠ কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া অথবা হদের ইচ্ছে
রাখা - এই হল সোনার শেকল। এই সোনার শেকলে বা হীরে স্বরূপ শাখা প্রশাখায় ঝুলে থাকবেনা
কারণ বন্ধন তো বন্ধন হয় তাই বাপদাদা সকল উড়ন্ত পাখিদের স্মরণ করাচ্ছেন যে সর্ব
বন্ধন অর্থাৎ হদ বা পরিসীমা পার করে হিরো পার্টধারী হও।
স্লোগানঃ-
অন্তরের
স্থিতির দর্পণ হল চেহারা, সর্বদা যেন খুশীর চেহারা থাকে, দুঃখের নয় ।
মাতেশ্বরী দেবীর মধুর মহাবাক্য:
"কলিযুগী অসার সংসার
থেকে সত্যযুগী সার যুক্ত দুনিয়ায় নিয়ে যাওয়া কার কাজ"
এই কলিযুগী
সংসারকে অসার সংসার কেন বলা হয় ? কারণ এই দুনিয়ায় কোনো সার নেই অর্থাৎ কোনো জিনিসেই
সেইরকম শক্তি নেই অর্থাৎ সুখ শান্তি পবিত্রতা নেই। যে সৃষ্টিতে এক সময়ে সুখ শান্তি
পবিত্রতা ছিল। এখন সেই শক্তি নেই, কারণ এই সৃষ্টিতে ৫ টি ভূতের প্রবেশ হয়েছে
সেইজন্যই এই সৃষ্টিকে ভয়ের সাগর অথবা কর্ম বন্ধনের সাগর বলা হয় তাই মানুষ দুঃখী হয়ে
পরমাত্মাকে আহ্বান করছে, পরমাত্মা আমাদের ভব সাগর পার করো। যার দ্বারা এটাই
প্রমাণিত হয় যে নিশ্চয়ই কোনো অভয় বা নির্ভয়তার সংসার আছে যেখানে যাওয়ার ইচ্ছে আছে,
তবেই এই সংসারকে পাপের সাগর বলা হয়, যা পার করে পুণ্য আত্মাদের দুনিয়ায় যেতে চায়।
সুতরাং দুনিয়া হল দুটি, একটি সত্যযুগী সার যুক্ত দুনিয়া দ্বিতীয়টি হল কলিযুগী অসার
দুনিয়া। দু'টি দুনিয়াই এই সৃষ্টিতেই হয়। আচ্ছা - ওম্ শান্তি ।