০২-১১-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- মানুষকে দেবতায় পরিণত করার সেবায় বিঘ্ন তো অবশ্যই পড়বে। তোমাদের কষ্ট সহ্য করেও এই সেবায় তৎপর থাকতে হবে, দয়ালু হতে হবে"

প্রশ্ন:-

শেষ জন্মের স্মৃতি যার থাকে তার প্রমাণ চিহ্ন কি ?

উত্তর:-

তাদের বুদ্ধিতে থাকবে যে এই দুনিয়ায় আর জন্ম নিতে হবে না এবং না-ই অন্যকে জন্ম দিতে হবে। এই দুনিয়া হল পাপ আত্মাদের দুনিয়া, এর বৃদ্ধি আর চাইনা। এই দুনিয়ার বিনাশ নিশ্চিত। আমরা এই পুরানো বস্ত্র ত্যাগ করে নিজের ঘরে ফিরে যাব। এখন নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে ।

গীত:-

নতুন প্রজন্মের কুঁড়ি...

ওম্ শান্তি।

বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন যে বাচ্চারা সকলের জ্যোতি জাগ্রত করতে হবে তোমাদের। এই কথাটি তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। বাবারও বেহদের ভাবনা থাকে যে সকল মানুষকে তাদের মুক্তির পথ বলে দেওয়া। বাবা আসেন - বাচ্চাদের সার্ভিস করতে, দুঃখ থেকে মুক্ত করতে। মানুষ বুঝতে পারেনা যে এখন দুঃখ আছে তো সুখেরও কোনো স্থান আছে। সে কথা জানে না। শাস্ত্রে সুখের স্থানকেও দুঃখের স্থান বানিয়ে দিয়েছে। বাবা হলেন দয়ালু। মানুষ তো এই কথাও জানেনা যে আমরা দুঃখে আছি কারণ সুখের এবং সুখদাতার পরিচয় জানা নেই। এইসবও হল ড্রামার ভবিতব্য। সুখ কাকে বলে, দুঃখ কাকে বলে - সেসব জানা নেই। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলে যে তিনি সুখ-দুঃখ প্রদান করেন। অর্থাৎ ওঁনার নামে কলঙ্ক লাগায়। ঈশ্বর, যাঁকে পিতা বলা হয় , তাঁর পরিচয় জানে না। বাবা বলেন যে আমি বাচ্চাদের কেবল সুখ প্রদান করি। তোমরা এখন জানো বাবা এসেছেন পতিতদের পবিত্র বানাতে। বলেন আমি সবাইকে নিয়ে যাব সুইট হোম অর্থাৎ পরমধাম। সেই সুইট হোমও হল পবিত্র। সেখানে কোনো পতিত আত্মা থাকেনা। সেই ঠিকানার কথা কেউ জানেনা। বলে অমুক পার নির্বাণ গেছে। কিন্তু কিছু বুঝতে পারেনা। বুদ্ধ পার নির্বাণ গেছেন তো নিশ্চয়ই সেখানকার নিবাসী ছিলেন। সেখানেই গেছেন। আচ্ছা, তিনি তো গেছেন বাকিরা সবাই কিভাবে যাবে ? সাথে কাউকে তো নিয়ে যান নি। বাস্তবে কেউ যায়না তাইজন্যে সবাই পতিত-পাবনকে স্মরণ করে। পাবন দুনিয়া অর্থাৎ পবিত্র দুনিয়া হল দুটি , এক মুক্তিধাম , দ্বিতীয় জীবনমুক্তিধাম। শিবপুরী ও বিষ্ণুপুরী। এটা হল রাবণ পুরী। পরমপিতা পরমাত্মাকে রাম-ও বলা হয়। রামরাজ্য বলা হয়, তো বুদ্ধি পরমাত্মার দিকে চলে যায়। মানুষকে তো পরমাত্মা রূপে সবাই বিশ্বাস করবেনা। অতএব তোমাদের দয়া অনুভব হয়। কষ্ট তো সহ্য করতে হয়।



বাবা বলেন - মিষ্টি বাচ্চারা, মানুষকে দেবতা বানাতে এই জ্ঞানের যজ্ঞে বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি হবেই। গীতার ভগবান কটু কথা শুনেছিলেন কিনা। কটু কথা ওঁনাকেও এবং তোমাদেরও শুনতে হয়। বলা হয় কিনা ইনি চতুর্থীর চন্দ্রমা দর্শন করেছিলেন হয়তো। এইসবই হল পুরাতন কাহিনী। দুনিয়ায় কত আবর্জনা আছে। মানুষ কি না খায়, পশু হত্যা করে, কি-কি করে ! বাবা এসে এইসব থেকে মুক্তি প্রদান করেন। দুনিয়ায় কত মারামারি আছে। তোমাদের জন্যে বাবা কত সহজ করে দেন। বাবা বলেন যে তোমরা শুধু আমায় স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। সবাইকে একটি কথাই বোঝাও। বাবা বলেন নিজের শান্তিধাম ও সুখধামকে স্মরণ করো। তোমরা হলে বাস্তবে সেখানকার বাসিন্দা। সন্ন্যাসীরাও সেখানকার পথ বলে দেন। যদি একজন নির্বাণ ধাম গেছেন তাহলে অন্যদের নিয়ে যাবেন কিভাবে ? তাদের কে নিয়ে যাবে ? ধরো , বুদ্ধ নির্বাণ ধাম গেছেন, ওনার বৌদ্ধি জন তো এখানে বসে আছে। তাদেরও ফেরত নিয়ে যাক তাইনা। গায়নও আছে যারা পয়গম্বর বা ধর্মাত্মা, সবার আত্মা এখানে আছে, অর্থাৎ কোনো না কোনো শরীরে আছে, তবুও মহিমা গাইতেই থাকে। আচ্ছা, ধর্ম স্থাপন করে তো গেছেন তারপরে কি হয়েছে ? মুক্তিতে যাওয়ার জন্যে মানুষ কত চেষ্টা করে। উনি তো এই জপ তপ তীর্থ ইত্যাদি শেখান নি। বাবা বলেন আমি আসি সবার গতি-সদগতি করতে। সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। সত্যযুগে আছে জীবনমুক্তি। একটিই ধর্ম সেখানে। বাকি সব আত্মাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাই। তোমরা জানো বাবা হলেন বাগবান অর্থাৎ বাগানের মালিক, আমরা সবাই হলাম মালী। মাম্মা বাবা এবং সব বাচ্চারা মালী রূপে বীজ বপন করতেই থাকে। চারা বের হলে মায়ার ঝড় আসে। অনেক প্রকারের ঝড় আসে। এ হল মায়ার বিঘ্ন। ঝড় উঠলে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে - বাবা , এর জন্যে কি করা উচিত ? শ্রীমৎ প্রদান করেন বাবা। ঝড় তো আসবেই। নম্বর ওয়ান হল দেহ-অভিমান। এই কথা বোঝে না যে আমি আত্মা হলাম অবিনাশী, এই শরীর হল বিনাশী। আমাদের ৮৪ জন্ম পুরো হয়েছে। আত্মা-ই পুনর্জন্ম নেয়। ক্ষণে ক্ষণে এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর গ্রহণ করা হল আত্মার কাজ। এখন বাবা বলেন - তোমাদের এই হল শেষ জন্ম । এই দুনিয়ায় দ্বিতীয় জন্ম নিতে হবেনা, না-ই কাউকে জন্ম দিতে হবে। তখন জিজ্ঞাসা করে তাহলে সৃষ্টির বৃদ্ধি হবে কিভাবে ? আরে, এই সময় সৃষ্টির বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই। এইটি হল ভ্রষ্টাচারের বৃদ্ধি। এই নিয়ম রাবণ থেকে আরম্ভ হয়েছে। দুনিয়াকে ভ্রষ্টাচারী করেছে রাবণ। শ্রেষ্ঠাচারী করেন রাম। এতেও তোমাদের কত পরিশ্রম করতে হয়। ক্ষণে ক্ষণে দেহ-অভিমানে আসো। যদি দেহ-অভিমান না আসে তবে নিজেকে আত্মা ভাবো। সত্যযুগেও নিজেকে আত্মা তো ভাবে তাইনা। তাঁরা জানে এখন আমাদের এই শরীর বৃদ্ধ হয়েছে, এই শরীর ত্যাগ করে নতুন নেব। এখানে তো আত্মারও জ্ঞান নেই। নিজেকে দেহ ভেবে নিয়েছে, এই দুনিয়া থেকে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে তাদের হয় যারা দুঃখে থাকে। সেখানে তো থাকে সদা-ই সুখ । যদিও আত্মার জ্ঞান সেখানে থাকে। এক শরীর ছেড়ে অন্য দেহ ধারণ করে তাই দুঃখ হয়না। সেইটি হল সুখের প্রালব্ধ। এখানেও আত্মা শব্দটি বলা হয় , যদিও অনেকে আত্মাকেই পরমাত্মা বলে দেয়। আত্মা আছে, সেই জ্ঞান তো আছে তাইনা। কিন্তু এই কথা জানেনা যে আমরা এই পার্ট থেকে ফিরে যেতে পারিনা। এক শরীর ছেড়ে দ্বিতীয় শরীর ধারণ অবশ্যই করতে হয় । পুনর্জন্মে তো সবাই বিশ্বাস করবে তাইনা। কর্ম ভোগ তো সবাইকে ভোগ করতে হয় তাইনা। মায়ার রাজ্যে কর্ম, বিকর্ম হয়, তাই কর্ম ভোগ আছে। সেখানে এমন কর্ম নেই, যে দন্ড ভোগ করতে হয়।



এখন তোমরা বুঝেছ যে ফিরে যেতে হবে। বিনাশ তো হবেই। বোমা ইত্যাদির ট্রায়াল তো চলছে। রেগে গিয়ে কোনো সময় বর্ষণ করে দেবে। এ হল পাওয়ার ফুল বোমা। গায়নও আছে ইউরোপবাসী যাদব। যদিও আমরা সব ধর্মের মানুষদের ইউরোপবাসী বলব। ভারত হল একদিকে। বাকি তাদের সবাইকে এক করে দেওয়া হয়েছে। নিজের দেশ খণ্ডের প্রতি সবার ভালোবাসা তো থাকে। কিন্তু এমনই ভবিতব্য তো কি করা যাবে ? সম্পূর্ণ শক্তি তোমাদের বাবা দিচ্ছেন। যোগ বলের দ্বারা তোমরা রাজত্ব নিচ্ছ। তোমাদের কোনো কষ্ট দেওয়া হয়না। বাবা শুধু বলেন আমাকে স্মরণ করো, দেহ অভিমান ত্যাগ করো। তারা বলে আমি রাম-কে স্মরণ করি, শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করি, তারা নিজেদের আত্মা ভাবে নাকি। যদি আত্মা ভাবে তাহলে আত্মার পিতাকে স্মরণ কেন করে না ? বাবা বলেন আমি হলাম পরম পিতা পরমাত্মা, আমাকে স্মরণ করো। তোমরা জীব আত্মাদের কেন স্মরণ করছ ? তোমাদের দেহী অভিমানী হতে হবে। আমি আত্মা, বাবাকে স্মরণ করি। বাবা আদেশ করেছেন - স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে এবং বর্সাও বুদ্ধিতে থাকবে। পিতা ও সম্পত্তি অর্থাৎ মুক্তি এবং জীবনমুক্তি। এর জন্যে ঘুরে ঘুরে কত ধাক্কা খায় । যজ্ঞ, জপ, তপ ইত্যাদি করতে থাকে। পোপের কাছেও আশীর্বাদ নিতে যায়, এখানে বাবা শুধু বলেন যে দেহ-অভিমান ত্যাগ করো, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এই নাটক পুরো হয়েছে, আমাদের ৮৪ জন্ম পুরো হয়েছে, এখন ফিরতে হবে। কত সহজ করে বোঝান। গৃহস্থে থেকে বুদ্ধিতে এই কথাটি রাখো। যেমন নাটক পুরো হলে বোঝা যায় আর পনেরো মিনিট বাকি আছে। এখন সীন শেষ হবে। অ্যাক্টর্স -রা বুঝতে পারে আমরা এই বস্ত্র ত্যাগ করে ঘরে ফিরব। এখন সবাইকে ফিরে যেতে হবে। নিজের সঙ্গে এমন কথা বলা উচিত। কত সময় আমরা দুঃখের পার্ট করেছি, সেসব জানা আছে। এখন বাবা বলছেন যে আমাকে স্মরণ করো, দুনিয়ায় কি কি হচ্ছে, সেসব কিছু ভুলে যাও - এই সব কিছু শেষ হয়ে যাবে, এখন ফিরে যেতে হবে। তারা ভাবে যে কলিযুগ এখনও ৪০ (চল্লিশ) হাজার বছর চলবে । একেই বলে ঘোর অন্ধকার। পিতার পরিচয় নেই। জ্ঞান মানেই পিতার পরিচয়, অজ্ঞান মানে পিতৃ পরিচয় হীন। অর্থাৎ ঘোর অন্ধকারে আছে। এখন তোমরা আছো ঘোর আলোয় - নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। এখন রাত পূর্ণ হবে, সেসময় আমরা ফিরে যাই। আজ ব্রহ্মার রাত, কাল হবে ব্রহ্মার দিন, পরিবর্তন হতে একটু সময় তো লাগবে, তাই না ! তোমরা জানো এখন আমরা মৃত্যুলোকে আছি, কাল অমরলোকে থাকব। প্ৰথমে তো ফিরে যেতে হবে। এমনভাবেই ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করে। এই পরিক্রমা থামেনা। বাবা বলেন তোমরা কত বার আমার সঙ্গে সাক্ষাৎকার করেছ? বাচ্চারা বলে যে অনেক বার । তোমাদের ৮৪ জন্মের চক্র পুরো হয়, তখন সবার পুরো হবে। একেই বলা হয় জ্ঞান। জ্ঞান প্রদানকারী হলেন জ্ঞান সাগর, পরমপিতা পরমাত্মা, পতিত-পাবন। তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো পতিত-পাবন কাকে বলা হয় ? ভগবান তো নিরাকারকে বলা হয় তাহলে তোমরা রঘুপতি রাঘব রাজা রাম কেন বল ? আত্মাদের পিতা তো হলেন নিরাকার, বোঝানোর জন্যে যুক্তি চাই।



দিন প্রতিদিন তোমাদের উন্নতি হতে থাকবে কারণ গুহ্য জ্ঞান প্রাপ্ত কর। বোঝানোর জন্যে শুধু অল্ফ - কেই নাও । অল্ফ-কে ভুলেই তো অনাথ হয়েছে, দুঃখী হয়েছে। একের দ্বারা, একমাত্র পিতাকে জানলে তোমরা ২১ জন্মের জন্যে সুখী হয়ে যাও। এ হল জ্ঞান, ওটা হল অজ্ঞান, যারা বলে পরমাত্মা হলেন সর্বব্যাপী। আরে, তিনি তো হলেন পিতা। বাবা বলেন তোমাদের মধ্যে ভূত রয়েছে সর্বব্যাপী। ৫ বিকার রূপী রাবণ হল সর্বব্যাপী। এই কথা বোঝাতে হয়। আমরা ঈশ্বরের কোলে আছি - এই কথাতে খুব নেশা হওয়া উচিত। তারপরে ভবিষ্যতে দেবতার কোলে যাব। সেখানে তো সর্বদা সুখ বিদ্যমান থাকে। শিববাবা আমাদের অ্যাডপ্ট করেছেন। তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। নিজের এবং অন্যদের কল্যাণ করতে হবে তবেই রাজত্ব প্রাপ্ত হবে। এইসব খুব ভালো বোঝার বিষয় । শিববাবা হলেন নিরাকার, আমরা আত্মারাও হলাম নিরাকার। সেখানে আমরা অশরীরী দেহ হীন ছিলাম। বাবা হলেন সর্বদা অশরীরী, বাবা কখনও শরীর রূপী বস্ত্র ধারণ করে পুনর্জন্মে আসেন না। বাবা একবার রিইনকারনেট করেন। সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণ রচনা করেন তারপরে তাকে আপন করেন এবং নামও রাখতে হয় তাইনা। ব্রহ্মা না থাকলে ব্রাহ্মণ কোথা থেকে আসবেন ? অতএব ইনি হলেন সে-ই যিনি সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছেন, গৌর বর্ণের ছিলেন পরে শ্যাম বর্ণ হয়েছেন, সুন্দর থেকে শ্যাম, শ্যাম থেকে সুন্দর হন। ভারতের নামও আমরা শ্যাম সুন্দর রাখতে পারি। ভারতকেই শ্যাম, ভারতকেই গোল্ডেন এজ, সুন্দর বলা হয়। ভারত কাম চিতায় বসে কালো হয়, ভারত জ্ঞান চিতায় বসে ফর্সা হয়। ভারত থেকে বুদ্ধি প্রয়োগ হয়। ভারতবাসী আবার অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়েছে। ইউরোপিয়ান ও ইন্ডিয়ানে কোনো তফাৎ দেখা যায় না, সেখানে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে খ্রিস্টান হয়ে যায়। তাদের সন্তানরাও তাদের মতন দেখতে হয়। আফ্রিকায় গিয়েও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।



এখন বাবা চক্রকে বোঝার জন্যে বিশালবুদ্ধি প্রদান করেন। এই কথাও লেখা আছে - বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি। যাদব ও কৌরব প্রীতি রাখেনি। যারা প্রীতি রেখেছে তাদের বিজয় হয়েছে। বিপরীত বুদ্ধি বলা হয় শত্রুকে। বাবা বলেন এইসময় সবাই হল একে অপরের শত্রু। বাবাকেই সর্বব্যাপী বলে কুকথা বলে বা জনম মরণহীন বলে দেয়, তাঁর কোনো নাম রূপ নেয়। ও গড ফাদারও বলে, সাক্ষাৎকারও হয় আত্মা ও পরমাত্মার। আত্মা ও পরমাত্মার মধ্যে কোনো তফাৎ থাকেনা। বাকি নম্বর অনুযায়ী শক্তিতে কম বেশি হয়েই থাকে। মানুষ যদিও মানুষ, কিন্তু তাতেও পদ মর্যাদা তো থাকেই। বুদ্ধির তফাৎ হয়। জ্ঞান সাগর তোমাদের জ্ঞান প্রদান করছেন তাই ওঁনাকে স্মরণ কর , শেষের দিকে তোমাদের ঐ অবস্থা হবে।



অমৃতবেলায় স্মরণ করে সুখ অনুভব করো, শুয়ে থাকো কিন্তু ঘুম যেন না আসে। নিজের দৃঢ় চেষ্টায় বসা উচিত। পরিশ্রম আছে। বৈদ্য গণ ঔষধ দেন অমৃতবেলার জন্যে। এইটিও হল ওষুধ। রচয়িতা পিতা ব্রহ্মা দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা করে পড়ান - এই কথা সবাইকে বোঝাতে হবে। আচ্ছা!



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. আমরা ঈশ্বরের কোলে স্থান পেয়েছি তারপরে দেবতাদের কোলে যাব এই রূহানী নেশায় থাকতে হবে। নিজের এবং অন্যদের কল্যাণ করতে হবে।

২. অমৃতবেলায় উঠে জ্ঞান সাগরের জ্ঞান মনন করতে হবে। একের অব্যভিচারী স্মরণে থাকতে হবে। দেহ-অভিমান ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করতে হবে।

বরদান:-

প্রতিটি আত্মার সম্বন্ধ সম্পর্কে এসেও সব প্রশ্নের থেকে ঊর্ধ্বে থাকতে পারা সদা প্রসন্ন চিত্ত ভব

প্রতিটি আত্মার সম্বন্ধ সম্পর্কে এসেও কখনও চিত্তে এই প্রশ্ন যেন উৎপন্ন না হয় যে এই আত্মা এমন কেন করে বা এমন কেন বলে, এই কথাটি এমন নয়, অমন হওয়া উচিত। যে এই সব রকমের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকে সে-ই সদা প্রসন্ন চিত্ত থাকে। কিন্তু যে এইসব প্রশ্নের ক্যু (প্রশ্নের সারি)তে চলে যায়, তারপর তার পিছনে আরো কিছু রচিত হতে থাকে সে সবের পালনাও করতে হয়। সময় ও এনার্জিও দিতে হয়, তাই ব্যর্থ রচনার বার্থ কন্ট্রোল করো।

স্লোগান:-

নিজের নয়নে বিন্দু রূপ বাবাকে সমায়িত করে নাও তাহলে অন্য কেউ আর সমায়িত হতে পারবে না ।