১৩-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - দেহ এবং দেহের সকল সম্বন্ধের থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন হলে তবেই কেবল বাবার সাথে তোমাদের অব্যভিচারী ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হওয়া সম্ভব”

প্রশ্ন:-

তোমরা বাচ্চারা কিসের রেস (প্রতিযোগিতা) করছ? কিসের ভিত্তিতে সেই প্রতিযোগিতায় আগে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব?

উত্তর:-

তোমাদের এই রেস হল ‘পাশ উইথ অনার’ হওয়ার। এই প্রতিযোগিতার মূল ভিত্তি হল বুদ্ধিযোগ। যত বেশি বাবার সাথে বুদ্ধি যুক্ত থাকবে, তত পাপ কাটবে এবং ২১ জন্মের জন্য অটল, অখন্ড সুখ-শান্তিময় রাজ্য প্রাপ্ত হবে। এর জন্য বাবা রায় দিচ্ছেন - বাচ্চারা, তোমরা নিদ্রাজিৎ হও। এক ঘন্টা - আধ ঘন্টা স্মরণ করতে করতে অভ্যাস বাড়াতে থাকো। কতক্ষণ স্মরণ করছ সেটা রেকর্ড করে রাখো।

গীত:-

না তিনি আমাদের থেকে আলাদা হবেন, না আমরা আলাদা হব তাঁর থেকে....

ওম্ শান্তি।

বাচ্চারা গীত শুনল। ‘উল্ফত’ হল ভালোবাসার আরেক নাম ( উল্ফত হল সেই মনোবৃত্তি, যা কাউকে খুব ভালো মনে করে তার সাথে বা তার পাশে থাকার প্রেরণা দেয়)। বাচ্চারা, এখন তোমাদের ভালোবাসা বাঁধা পড়েছে বেহদের বাবা শিববাবার সাথে । তোমরা বি.কে.-রা তাঁকে ঠাকুরদাদা বলবে। এমন কোনো মানুষ নেই যে তার বাবা এবং ঠাকুরদাদার অক্যুপেশনকে জানে না। এমন কোনো সংস্থা নেই যেখানে এতজন বলে যে আমরা সবাই ব্রহ্মাকুমার এবং ব্রহ্মাকুমারী। মাতা-রা তো কুমারী নয়। তাহলে কুমারী বলা হয় কেন? এরা সবাই আসলে ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী। এতজন ব্রহ্মাকুমার-কুমারী আসলে প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী। সবাই এক পিতার সন্তান। *ব্রহ্মার অক্যুপেশনকেও জানতে হবে।* ব্রহ্মা কার সন্তান? শিববাবার। শিববাবার তিন সন্তান ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শংকর হল সূক্ষ্মবতনবাসী। কিন্তু প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে তো অবশ্যই স্থূলবতনবাসী হতে হবে। এতজন সবাই বলে যে আমরা হলাম প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী। গর্ভজাত বংশাবলী হওয়া অসম্ভব। এরা কেউ গর্ভজাত নয়। তোমাদেরকে কেউ জিজ্ঞাসাও করে না যে এতজন কিভাবে নিজেকে ব্রহ্মাকুমার-কুমারী বলছে? মাতা-রাও হল ব্রহ্মাকুমারী। সুতরাং ব্রহ্মার সন্তান মানে নিশ্চয়ই ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী। এরা সবাই ঈশ্বরের সন্তান। ঈশ্বর কে? ঈশ্বর হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, তিনিই হলেন রচয়িতা। তিনি কিসের রচনা করেন? স্বর্গের। তাহলে তিনি তাঁর নাতি-নাতনীদেরকে অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকার দেবেন। রাজযোগ শেখানোর জন্য তো তাঁর একটা শরীর প্রয়োজন। এমনি এমনি তিনি কিভাবে জ্ঞান দেবেন? শিববাবা স্বর্গ স্থাপন করেন। তাই তিনি স্বয়ং বসে থেকে ব্রহ্মা-মুখ-বংশাবলীদেরকে রাজযোগ শেখান। নাহলে এত ব্রহ্মাকুমার-কুমারী এল কোথা থেকে? সত্যিই আশ্চর্যের বিষয়! কেউ সাহস করে জিজ্ঞাসাও করে না। কত সেন্টার রয়েছে। জিজ্ঞাসা করা উচিত যে আপনি কে? আপনার পরিচয় কি? এটা তো পরিস্কার যে এরা হল প্রজাপিতা ব্রহ্মার কুমার-কুমারী অর্থাৎ শিববাবার নাতি-নাতনি। আমরা তাঁর সন্তান হয়েছি। তাঁর প্রতি আমাদের ভালোবাসা রয়েছে। শিববাবাও বলছেন- সবকিছু থেকে ভালোবাসা বা বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে কেবল আমার সাথে যুক্ত কর। আমি তোমাদেরকে ব্রহ্মার দ্বারা রাজযোগ শেখাচ্ছি আর তোমরা অর্থাৎ ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা সেটা শুনছ। কত সহজ সরল কথা। অন্তত জিজ্ঞাসা তো করো! সুতরাং এটা হল গোয়াল। শাস্ত্রতেও ব্রহ্মার গোয়ালের উল্লেখ আছে। বাস্তবে এটা হল শিববাবার গোয়াল। শিববাবা এই নন্দীর মধ্যে আসেন। কিন্তু গোয়াল শব্দটার উল্লেখ থাকার জন্য শাস্ত্রে গরু দেখিয়ে দিয়েছে। শিবজয়ন্তী শব্দটা যখন রয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি আসেন, তাই না ? নিশ্চয়ই তিনি কারোর শরীরে প্রবেশ করেন। তোমরা জানো যে এটা হল গড ফাদারের স্কুল। শিব ভগবান উবাচ। তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন। কৃষ্ণ তো নিজে পবিত্র। তার কি দায় পড়েছে যে সে পতিত শরীরে আসবে? একটা গান রয়েছে - দূর দেশ কা রহনে বালা, আয়া দেশ পরায়ে…(দূর দেশের নিবাসী, এসেছে পরের দেশে) । শরীরটাও অন্যের। সুতরাং শিববাবা নিশ্চয়ই এনাকে রচনা করেছেন। তাহলেই তো মনুষ্য সৃষ্টি রচনা করা সম্ভব। সুতরাং প্রমাণিত হল যে ইনি হলেন বাপদাদা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন আদিদেব, মহাবীর। কারন তিনি মায়াকে পরাজিত করেন। জগদম্বারও গায়ন আছে। শ্রী লক্ষ্মী অতি প্রসিদ্ধ। দুনিয়ার মানুষ তো জানেই না যে জগদম্বা আসলে ব্রহ্মার কন্যা। তিনিও একজন ব্রহ্মাকুমারী। শিববাবা এনাকে ব্রহ্মার মুখ দ্বারা নিজ সন্তান বানিয়েছেন। এখন তাঁর সাথেই এদের সকলের বুদ্ধি যুক্ত রয়েছে। বলা হয় যে পরমাত্মার সাথেই ভালোবাসা রাখো। সকলের সঙ্গ ত্যাগ করে কেবল তাঁর সঙ্গ করো। তিনিই হলেন ভগবান। কিন্তু কেউই এটা জানে না। কিভাবেই বা জানবে? যখন বাবা এসে নিজের পরিচয় দেবেন, তখনই নিশ্চিত হবে। আজকাল শেখানো হয় যে আত্মাই হল পরমাত্মা। এর ফলে সব সম্বন্ধ শেষ হয়ে গেছে। তোমরা বাচ্চারা এখন বাস্তবে সত্যিকারের সত্য নারায়ণের কথা শুনছ। তিনি হলেন শুকদেব আর তোমরা হলে ব্যাস। গীতাতেও ব্যাসের নাম আছে। সে তো একজন মানুষ ছিল। তোমরাই হলে সত্যিকারের ব্যাস। তোমরা যে গীতা বানাচ্ছ, সেটাও বিনষ্ট হয়ে যাবে। সত্য এবং মিথ্যা গীতা এই সময়েই রয়েছে। সত্যের ভূমিতে মিথ্যার কোনো চিহ্নই থাকে না। তোমরা ঠাকুরদাদার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছ। এটা এই বাবার সম্পত্ত্বি নয়। শিববাবাই হলেন স্বর্গের রচয়িতা, ব্রহ্মা নন। ব্রহ্মা হলেন মনুষ্য সৃষ্টির রচয়িতা। ব্রহ্মার মুখ কমলের দ্বারা ব্রাহ্মণ বর্ণ রচিত হয়েছে। তোমরা হলে শিববাবার নাতি অর্থাৎ ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়। তোমরা তাঁকে আপন করে নিয়েছ। কথায় কথায় বলা হয় - গুরু আর নাতি। তোমরাই হলে সেই সদগুরুর নাতি-নাতনি। ওখানে তো কেবল নাতি অর্থাৎ পুরুষরা রয়েছে। নাতনি নেই। শিববাবা-ই হলেন সদগুরু। গায়ন রয়েছে - সদগুরুকে ছাড়া ঘোর অন্ধকার। তোমাদের এই ব্রহ্মাকুমার-কুমারী নামটা খুব ওয়ান্ডারফুল। বাবা কত ভালো করে বোঝান। কিন্তু কয়েকজন বাচ্চা তো বুঝতেই পারে না। *বাবা বলছেন - আমাকে অর্থাৎ বেহদের বাবাকে জানলেই তোমরা সবকিছু জেনে যাবে।* সত্য এবং ত্রেতাযুগে সূর্য এবং চন্দ্রবংশীদের রাজত্ব ছিল। তারপর রাবণের রাজত্বে ব্রহ্মার রাত শুরু হয়। বাস্তবে তোমরাই হলে ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারী। সত্যযুগকেই স্বর্গ বলা হয় যেখানে দুধ-ঘিয়ের নদী বইত। এখানে তো ঘি পাওয়াই যায় না। *বাবা বলছেন- বাচ্চারা, এই দুনিয়া এখন বিনষ্ট হয়ে যাবে। একদিন এই খড়ের গাদায় অবশ্যই আগুন লাগবে, সবকিছুর বিনাশ হয়ে যাবে। তখন আর আমার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাবে না।*



আমি এখানে আসলে তো আমাকে অবশ্যই একটা শরীর লোন নিতে হবে। ঘর তো একটা প্রয়োজন, তাই না? বাবা কত সুন্দর এবং মনোরঞ্জক ভাবে বোঝান। তোমরা এখন আমার কাছ থেকে সবকিছু জেনে গেছ। কেউই জানে না যে এই সৃষ্টিচক্র কিভাবে আবর্তিত হয়। কারা ৮৪ জন্ম নেয়? সবাই তো নেবে না। নিশ্চয়ই যেসব দেবী-দেবতা আগে আগে আসবে, তারাই ৮৪ জন্ম নেয়। এখন তাদেরকেই আমি পুনরায় রাজযোগ শেখাচ্ছি। ভারতকে পুনরায় নরক থেকে স্বর্গ বানানোর জন্য এসেছি। আমিই একে মুক্ত করি। তারপর গাইড হয়ে ফেরত নিয়ে যাই। আমাকে জ্যোতি স্বরূপ বলা হয়। জ্যোতি স্বরূপকে তো আসতেই হবে। তিনি স্বয়ং বলছেন - বাচ্চারা, আমি তোমাদের পিতা। আমার জ্যোতি কখনো নিভে যায় না। আত্মা হল স্টার, যেটা দুই ভ্রূর মাঝে থাকে। বাকি সকল আত্মাই একটা শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে। সুতরাং আত্মা রূপী স্টারের মধ্যে ৮৪ জন্মের অবিনাশী পার্ট নিহিত রয়েছে। ৮৪ জন্ম ভোগ করার পর পুনরায় প্রথম থেকে শুরু করে। যেমন রাজা রানী, সেইরকম তাদের প্রজা। নাহলে তোমরাই বলো, আত্মার মধ্যে এত পার্ট কোথা থেকে এল? এটা হল খুব গুহ্য এবং ওয়ান্ডারফুল বিষয়। গোটা মনুষ্য সৃষ্টির সকল আত্মার মধ্যেই পার্ট ভরা রয়েছে। বাবা বলছেন, আমার মধ্যে এইরকম পার্ট ভরা আছে। এক্ষেত্রে কোনো অদল-বদল হওয়া সম্ভব নয়। আমার পার্টকে কেবল ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাই জানতে পারে। পার্টকেই বায়োগ্রাফি বলা হয়। যেহেতু প্রজাপিতা ব্রহ্মা রয়েছেন, সুতরাং জগদম্বাও অবশ্যই থাকবেন। তিনিও শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছেন। তোমরা বাচ্চারা জেনেছ যে আমাদের এখন কেবল বাবার সাথেই ভালোবাসা রয়েছে। এইরকম অব্যভিচারী ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হতে বেশি সময় লাগে না। তবে মায়া রূপী বিড়ালও কম নয়। অনেকজন স্ত্রী থাকলে নিজেদের মধ্যে ঈর্ষা ভাব চলে আসে। সেইরকম আমাদের শিববাবার সাথে ভালোবাসা আছে বলে মায়ার ঈর্ষা হয় এবং বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তোমরা দুই ছয় ফেলতে চাও, কিন্তু মায়া রূপী বিড়াল বাধা দিয়ে দেয়। বাবা বলছেন, তোমরা ঘর-গৃহস্থেই থাকো, কেবল দেহ এবং দেহের সকল সম্মন্ধ থেকে বুদ্ধির যোগ ছিন্ন করে আমাকে স্মরণ করো। আমি হলাম তোমাদের মোস্ট বিলাভেড বাবা। আমার শ্রীমৎ অনুসারে চললে আমি তোমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানিয়ে দেব। ব্রহ্মার রায়ও প্রসিদ্ধ। তাই ব্রহ্মার বাচ্চাদের রায়ও প্রসিদ্ধ। তারাও নিশ্চয়ই একইরকম রায় দেবে। বাবা এসেই সমগ্র সৃষ্টিচক্রের খবরাখবর দেন। সন্তানদেরকেও সামলাও, কিন্তু বুদ্ধি যেন বাবার সাথেই যুক্ত থাকে। বুঝতে হবে যে এটা হল কবরস্থান। আমরা এখন পরীস্থানে যাচ্ছি। কত সহজ বিষয়।



বাবা বোঝাচ্ছেন, কোনো সাকারী কিংবা আকারী দেবতার সাথে বুদ্ধি যুক্ত করো না। বাবা দালাল রূপে এইসব কথা বলছেন। একটা গীত আছে - আত্মা পরমাত্মা বহুকাল ধরে ছিল দূরে, সুন্দর মিলন মেলা হল যখন মিলে গেল সদ্গুরু দালাল রূপে) অলগ রহে বহুকাল, সুন্দর মেলা কর দিয়া জব সদগুরু মিলা দালাল) …। দেবী-দেবতারাই অনেক দিন আলাদা থেকেছে। ওরাই সবার আগে অভিনয় করতে আসে। সুন্দর মেলা কর দিয়া জব সদগুরু মিলা দালাল…। তিনি দালাল রূপে বলছেন - একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো এবং প্রতিজ্ঞা করো যে আমি কাম চিতা থেকে নেমে জ্ঞান চিতায় বসব। তাহলেই তোমরা রাজ্য ভাগ্য পেয়ে যাবে। নিজের কাছে রেকর্ড রাখো যে আমি কতক্ষন এইরকম মোস্ট বিলাভেড বাবাকে স্মরণ করি। কন্যা তো দিন-রাত তার পতিকে স্মরণ করে। *বাবা বলছেন - হে আমার নিদ্রাজিৎ সন্তানেরা, তোমরা এখন পুরুষার্থ করো।* প্রথমে এক ঘন্টা, আধ ঘন্টা শুরু করো। তারপর ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকো। আমার সাথে যোগ লাগালে তোমরা ‘পাস উইথ অনার’ হয়ে যাবে। এটা হল বুদ্ধির রেস। একটু সময় লাগে। কিন্তু এই বুদ্ধিযোগের দ্বারা-ই পাপ কাটবে। তারপর তোমরা ২১ জন্ম ধরে অটল, অখন্ড এবং সুখ-শান্তিময় রাজত্ব করবে। আগের কল্পেও করেছিলে। এখন পুনরায় রাজ্য-ভাগ্য নাও। প্রতি কল্পে আমরাই স্বর্গ বানাই আর রাজত্ব করি। তারপর আমাদেরকেই মায়া নরকবাসী বানিয়ে দেয়। আমরা এখন রাম সম্প্রদায়। তাঁর সাথেই এখন আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদেরকে বাবা তাঁর পরিচয় দিয়েছেন। বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা। তাঁর সন্তান হয়ে আমরা নরকে কেন পড়ে আছি? আমরা নিশ্চয়ই কখনো স্বর্গে ছিলাম। বাবা তো স্বর্গ রচনা করেন। ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা সবাইকে জীবন দান করে। কাল কখনো ওদের প্রাণকে অকালে কিংবা বেকায়দায় নিয়ে যাবে না। ওখানে অকালে মৃত্যু হওয়া অসম্ভব। ওখানে তো কান্নাকাটিও হয় না। তোমরা সাক্ষাৎকারেও দেখেছ যে শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে জন্ম নেয়। চারিদিক ঝলমল করে ওঠে। সত্যযুগের প্রথম রাজকুমার বলে কথা! কৃষ্ণ হল নাম্বার ওয়ান সতোপ্রধান। তারপর আবার সতো, রজো, তমো অবস্থায় আসবে। যখন একেবারে তমো, পুরাতন হয়ে যায়, তখন এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর নেওয়া হয়। এখানেই এইরকম অভ্যাস করা হয়। বাবা, আমরা এখন তোমার কাছে আসছি। এরপর ওখান থেকে আমরা স্বর্গে গিয়ে নুতন শরীর নেব। এখন তো বাবার কাছে ফেরত যেতেই হবে। তাই না? আচ্ছা।



মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি রুহানী বাচ্চাদের প্রতি রুহানী বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. অকালে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবাইকে প্রাণ দান করার সেবা করতে হবে। রাবণ সম্প্রদায়কে রাম সম্প্রদায় বানাতে হবে।

২. কেবল বাবার সাথেই আন্তরিক প্রেমের সম্পর্ক রাখতে হবে। বুদ্ধিকে বিচলিত করা উচিত নয়। নিদ্রাকে জয় করে স্মরণের সময়কে ক্রমশ বাড়াতে হবে।

বরদান:-

সময় অনুসারে রূপ-বসন্ত বা জ্ঞানী এবং যোগী আত্মা হয়ে স্ব-শাসক হও।

যে স্ব-শাসক আত্মা, সে যখন ইচ্ছে 'রূপ' (যোগী) হয়ে যায়, আবার যখন ইচ্ছে 'বসন্ত' (জ্ঞানী) হয়ে যায়। সে এই দুটো অবস্থা এক সেকেন্ডের মধ্যে বানাতে পারে। এমন যেন না হয় যে, হতে চাই রূপ, অথচ জ্ঞানের পয়েন্ট মনে আসছে। সেকেন্ডের থেকেও কম সময়ে ফুল স্টপ লেগে যাওয়া উচিত। পাওয়ারফুল ব্রেকের কাজ হল- যেখানে ব্রেক কষা হয়, সেখানেই থেমে যায়। এর জন্য প্র্যাকটিস করো- যেকোনো সময়ে, যেখানে, যেভাবে মন-বুদ্ধিকে একাগ্র করতে চাও, সেখানেই যেন একাগ্র হয়ে যায়। এইরকম কন্ট্রোলিং বা রুলিং পাওয়ার থাকতে হবে।

স্লোগান:-

শান্তিদূত হল সে, যে উপপ্লব (তুফান) সৃষ্টিকারীকেও শান্তির উপহার দেয়।