05.12.18 Morning
Bengali Murli Om Shanti BapDada Madhuban
"মিষ্টি বাচ্চারা - এ
হল পূর্ব নির্দিষ্ট অনাদি ড্রামা, এই ড্রামাতে প্রতিটি অ্যাক্টরের পার্ট ফিক্সড
রয়েছে, কারও মোক্ষ লাভ হওয়া সম্ভব নয়"
প্রশ্নঃ -
শিববাবা হলেন
অশরীরী তিনি শরীরে কীসের জন্য আসেন ? কোন্ কাজটা করেন এবং কোনটা করেন না ?
উত্তরঃ -
বাবা বলেন -
বাচ্চারা, আমি এই শরীরে আসি শুধুমাত্র তোমাকে মুরলী শোনাতে। আমি মুরলী শোনানোর
জন্যই আসি। আমি মুরলী শোনানোর কাজ করি। আমি খাওয়া দাওয়া করবার জন্য আসি না। আমি
এসেছি তোমাদেরকে নয়া রাজধানী দিতে। আর স্বাদ ! সে তো এনার আত্মাই নেন।
গীতঃ-
ওই আকাশ
সিংহাসন ছেড়ে নেমে এসো
ওম্ শান্তি।
গীত তো
সেগুলোই বাজানো হয়, যেগুলির সাথে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। আকাশে তো কোনো সিংহাসন নেই।
আকাশ এই পোলার-কে (অন্তরিক্ষ, Space) বলা হয়। কিন্তু আকাশ তত্ত্বে কোনো সিংহাসন নেই,
আর না পরমপিতা পরমাত্মা সেই আকাশ সিংহাসনে থাকেন। বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান - আমি
হলাম পরমপিতা পরমাত্মা আর তোমরা বাচ্চারা, যারা হলে আত্মা, উভয়েই এই সূর্য, চাঁদ,
তারা, নক্ষত্ররাজির ঊর্ধ্বে অপর পারে থাকো, তাকে বলা হয় মূলবতন। যেমন এখানে আকাশে
সূর্য, চাঁদ, তারা রয়েছে, ঠিক তেমনই হুবহু বৃক্ষের মতো মহাতত্ত্বতেও আত্মারা থাকে
। তারারা আকাশে দাঁড়িয়ে আছে, কোনো জিনিসের আধারে নেই। অহম্ আত্মারা আর পরমাত্মা
বাবা, সবার নিবাস হল মহাতত্ত্ব। স্টারের মতোই তো। জ্ঞান সূর্য, জ্ঞান চন্দ্রমা,
জ্ঞান নক্ষত্ররা । এ তো আগেই বুঝিয়েছি তোমাদের যে, যখন যখন ভীড় বৃদ্ধি পায় (দুঃখ
বাড়ে)। তখনই আমি আসি। পুরানোকে নতুন অবশ্যই বানানো হবে। পুরানোতেও ভীড় বৃদ্ধি পায়,
কলিযুগে দুঃখের ভীড় বৃদ্ধি পায়। স্বর্গে তো সুখই সুখ। আবারও আমাকে এসে এই সহজ
জ্ঞান আর সহজ রাজযোগ শেখাতে হয়। সবাই আহ্বান করে এসো। কৃষ্ণের জন্য বলা হয় যে,
সিংহাসন ছেড়ে নেমে এসো। কৃষ্ণের জন্য সিংহাসন শব্দ শোভা পায় না। সে তো প্রিন্স ছিল,
তাই না ! সিংহাসন তখনই বলা হবে যখন রাজসিংহাসন পাবে । হ্যাঁ, ছোট বাচ্চাকে কোলে বা
পাশে বসানো যায়। তো বাবা বাচ্চাদের বোঝান, আত্মারা মূলবতনে স্টারের মতো থাকে। তারপর
নম্বর অনুসারে আসতে থাকে । তোমরা দেখেছ না, স্টার কীভাবে ভূপতিত হয়। সেখান থেকেও
আত্মারা এসে সরাসরি গর্ভে প্রবেশ করে। এটা খুব ভালো করে নোট করো - প্রত্যেক আত্মাকে
সতো, রজো, তমো-তে পাস করতে হয়। যেমন প্রথম লক্ষ্মী-নারায়ণ আসবে, তো তাদের সতো - রজো
অবস্থা পার হবে, পুনর্জন্ম নিতে নিতে তারপর তমোপ্রধান অবস্থা হতেই হবে। প্রত্যেকের
ক্ষেত্রেই এমনই হবে। কেউই ফিরে যেতে পারবে না। ইব্রাহিম, গৌতম বুদ্ধ আসেন, তাদেরকেও
সতো, রজো তমো পার করতে হয়, পুনর্জন্ম নিতে হয়। দ্বাপরে ধর্ম স্থাপকেরা আসে। সেখান
থেকে তাদের পুনর্জন্ম শুরু হয়, তারপর তমোপ্রধান হতে হয়। তাদের এখন সদ্গতি কে করবে
? সদ্গতি দাতা হলেন একমাত্র শিববাবা । তিনি বলেন - সকলের সদ্গতি আমাকেই করতে হয়। এই
কাজ আমি ছাড়া আর কেউ করতে পারবে না। আমি দেবী - দেবতা ধর্ম স্থাপন করি। তোমাদেরকে
রাজযোগ শেখাই। গতি সদ্গতি দাতা হলাম - আমি। যখন তোমরা পিওর হয়ে যাও, তখন তোমাদের আমি
ফিরিয়ে নিয়ে যাই। তোমাদেরও সদ্গতি করি। তোমাদের সাথে যে যে ধর্মের লোকেরা রয়েছে,
সেইসব ধর্মের ধর্ম স্থাপক সহ সকলের উদ্ধার করি। তোমাদের শৃঙ্গার করে স্বর্গের মালিক
লক্ষ্মী অথবা নারায়ণকে বরণ করবার উপযুক্ত বানাই। তারপর তোমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাই।
সবাইকে প্রথমে মুক্তিধামে পাঠিয়ে দিই, সকলের সদ্গতি দাতাও আমি। অন্য ধর্ম স্থাপকরা
যারা আসে, তারা সদ্গতি করে না। তারা কেবল নিজের ধর্ম স্থাপন করে তার বৃদ্ধি করতে
তৎপর হয়। নিজের ধর্মে পুনর্জন্ম নিয়ে সতো, রজো, তমো অবস্থা পার করে। এখন সবাই হল
তমোপ্রধান। এখন তাদেরকে পবিত্র সতোপ্রধান কে বানাবে ? বাবা স্বয়ং বসে বাচ্চাদেরকে
বোঝান। ভগবান এসে সবাইকে সদ্গতিও করেন, ভারতকে স্বর্গও বানান । জীবনমুক্তির জন্য
রাজযোগ শেখান, সেইজন্য বাবার এত মহিমা। গীতা হল সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি । কিন্তু
কৃষ্ণের নাম লিখে দেওয়ার কারণে ভগবানকে ভুলে গেছে। ভগবান তো হলেন সকলের সদ্গতি দাতা,
সেইজন্য গীতা হল সব ধর্মের লোকেদের ধর্ম শাস্ত্র। সকলকেই একে মানতে হবে। সদ্গতি
প্রদানকারী আর কোনো শাস্ত্র নেই। সদ্গতি দাতাও হলেন একজনই। গীতা হল তাঁরই। তোমাদের,
অর্থাৎ বাচ্চাদের সদ্গতির জ্ঞান প্রদান করছেন তিনি। গীতায় শিব-এর নাম থাকলে এটা সব
ধর্মের লোকেদের শাস্ত্র হত। বাবা সকলকে বলেন - নিজেকে আত্মা মনে করে আমার সাথে যোগ
যুক্ত হও, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা আমার ধামে চলে আসবে। সকল ধর্মের লোকেদের
সদ্গতি আমিই প্রদান করি। বাকিরা তো আসে কেবল ধর্ম স্থাপন করতে। মানুষ বলে মোক্ষ লাভ
কী সম্ভব নয় ? বাবা বলেন - না। যত আত্মারা রয়েছে, সকলের পার্ট ড্রামাতে ফিক্সড
রয়েছে । কারো অ্যাক্ট বদল হওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকের সম্পূর্ণ অ্যাক্ট অনাদি ড্রামা
বানানো রয়েছে । ড্রামা হল অনাদি। তার কোনো আদি, মধ্য, অন্ত নেই। সৃষ্টির আদি
সত্যযুগকে বলা হয় আর অন্ত কলিযুগকে। বাদবাকি ড্রামার ড্রামার আদিও নেই, অন্তও নেই।
ড্রামা কবে রচিত হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। এই প্রশ্নই ওঠে না।
বাবা বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন যে আর যে সব শাস্ত্র রয়েছে, তারা এসে নিজের নিজের ধর্ম
স্থাপন করেছেন। সদ্গতি করেননি। তারা তো ধর্ম স্থাপন করেছেন, পরে তাদের ধর্মের বৃদ্ধি
হতে থেকেছে। কত কত গুহ্য পয়েন্টস এগুলো। এসব লেখার মতোরই বিষয়, কোনও গালগল্প নয়
এসব। হার আর জিত-এরই হল এই ড্রামা। সত্যযুগে পরমাত্মাকে স্মরণ করবার দরকার নেই।
পরমাত্মাকে স্মরণ করলে এটাও বুঝতে পারবে যে আমাদের, অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের রচনা উনিই
করেছেন। তোমাদেরকে তো সামনাসামনিই বলছি যে, আমিই হলাম তোমাদের রচয়িতা । এ হল
ব্রাহ্মণদের নতুন দুনিয়া - সঙ্গমযুগ। শিখা-কে (চোটি =ব্রাহ্মণ) তো কেউই জানে না।
বিরাট রূপের বর্ণনা করা হয়। তাতে দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্রকে দেখায় ।
ব্রাহ্মণদের ভুলে গেছে। সত্যযুগে দেবতারা, কলিযুগে শূদ্র। কিন্তু সঙ্গমযুগী
ব্রাহ্মণদের জানে না। এই রহস্য বাবা এসে বোঝান । বাবা বলেন - পবিত্রতা ছাড়া কখনও
ধারণা হতে পারে না। বাবা বোঝান - কত কত বেদ শাস্ত্র রয়েছে, তীর্থ স্থান পরিক্রমা করে।
মন্দির থেকে চিত্র বা মূর্তি নিয়ে পরিক্রমা করে পুনরায় মন্দিরে নিয়ে যায়। বাবা এ
সবের অনুভাবী । শাস্ত্রতে গাড়ি বোঝাই করে পরিক্রমা করে, একই ভাবে দেবতাদের চিত্র
গাড়িতে রেখে পরিক্রমা করে। এ সবই হল ভক্তি মার্গের ।
তোমরা হলে শিব শক্তি । তোমরা সমগ্র বিশ্বের সদ্গতি করো। কিন্তু এটা কেউ জানে না যে
দিলওয়ারা মন্দির হল হুবহু এদেরই স্মরণিক। এমন মন্দির আর কোনোখানেই নেই। জগদম্বা
রয়েছেন, শিববাবাও রয়েছেন। শক্তিদের স্থানও রয়েছে সেখানে। ভক্তি-মার্গে আবার এমন
মন্দির বানানো হবে। তারপর যখন বিনাশ হবে, তখন সব ধ্বংস হয়ে যাবে। সত্যযুগে কোনো
মন্দির থাকে না। এসব তো হল ভক্তি-মার্গের বিস্তার। তোমরা যখন জ্ঞানে থাকো, তখন
সাইলেন্ট থাকো। এক শিববাবাকেই স্মরণ করতে হবে। শিববাবাকে ভুলে অন্য কাউকে স্মরণ করলে
শেষ সময়ে ফেল হয়ে যাবে। ফেল হয়ো না। মানুষের মৃত্যু কালে থাকে বলা হয় রাম রাম বলো,
কিন্তু সেই সময় স্মরণে আসবে না। তবুও গাওয়া হয় - অন্তিম কালে যে নারায়ণকে স্মরণ করে....একথা
এখনের জন্যই।. খড়ের গাদায় আগুন তো লাগবেই। অন্তিম কালে যে নারায়ণকে স্মরণ করে...
। তোমরা এখন বুঝতে পার যে আমরা নারায়ণ বা লক্ষ্মীকে বরণ করব(বিবাহ করব)। স্বর্গের
জন্য তৈরী হচ্ছো তোমরা। বাবা ব্যতীত আর কেউই এই জ্ঞান দিতে পারে না। এই বাবাও বলেন
(ব্রহ্মা) আমাকে শিববাবাই এ সব বলেন। একেই বলা হয় শক্তিসেনা বা পান্ডব সেনা। পান্ডব
নাম প্রযুক্ত হয় মহারথীদের উপরে। শক্তিদের সিংহের উপর আরূঢ় দেখানো হয়। তো বাবা
বলেন, কল্প পূর্বে যেমন সহজ রাজযোগ শিখিয়েছিলাম, হুবহু সেই মতোই এখন শেখাচ্ছি। যে
যে অ্যাক্ট এখন চলছে প্রতি কল্পেই এই রকমই চলবে। এতে কোনো রকমের ব্যত্যয় হতে পারে
না। কল্প কল্পই এই পার্ট চলবে। বাবা বলেন, তোমাদের গূঢ় থেকে গূঢতম বিষয় শোনাচ্ছি
আমি। পরে কী হবে তা তো পরেই বলবো, তাই না ! এখনই সব কিছু বলে দেবো, তবে কী এখনই ফিরে
চলে যাব ? অন্তিম সময় পর্যন্ত নতুন পয়েন্টস শোনাতে থাকব। আমরা গীতার মহিমা তো অনেক
করি, অথচ সেই গীতা বা মহাভারতে হিংসক যুদ্ধ ইত্যাদি দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কোনো
লড়াই-ই হয়নি। তোমাদের এ হল যোগবলের ব্যাপার। অহিংসার অর্থ কেউই জানে না। সির্ফ
স্ত্রীকে নরকের দ্বার বলে দিয়েছে।. বাস্তবে নরকের দ্বার তো হয় না। তাহলে তাকে
স্বর্গের দ্বার কে বানাবে ? তা তো একমাত্র ভগবানের শক্তিতেই সম্ভব। এই গীত বাবা-ই
বানিয়েছেন, এরপর কেউ ঠিক বানিয়েছে, কেউ ভুল বানিয়েছে। মিক্সড করে ফেলেছে। "রাতের
পথিক, ক্লান্ত হয়ো না..." এমন এমন গীত বানিয়েছেন। তো এখনকার ব্যাপার হল আলাদা।
গোশালাও আছে, বনবাসও আছে, কিন্তু সে সবের অর্থ তারা বুঝতে পারে না। আমি কাউকে ভাগিয়ে
এনেছি কী ? কাউকে কী বলেছি যে করাচীতে চলে এসো ? এই শক্তিদেরকে জিজ্ঞাসা করো। এওটাও
ড্রামাতে পার্ট ছিল। যাদের উপরে জুলুম হয়েছে, তারা চলে এসেছে। তাই রাইট (সত্য) কোনটা
তা বাবা-ই বলে দেন শাস্ত্রে যা কিছু লিখেছে, সে সব হল ভক্তিমার্গ । সে সব তো আমার
সাথে মিলতে পারে না । আমার কাছে আসতেও পারে না। আমাকে তো গাইড হয়ে এখানে আসতে হয়।
মানুষ বলে যে এমন শরীর কেন ধারণ করলাম না, যাতে গৃহস্থী হতে হয় না। আরে, আমাকে তো
গৃহস্থীর তনে এসে তাকে জ্ঞান প্রদান করতে হবে। তারই ৮৪ জন্ম বানাই । তো কত গূ়ঢ়
বিষয় এসব। এ হল নতুন ধর্মের জন্য নতুন কথা। জ্ঞানও নতুন। বাবা বলেন, কল্প - কল্প আমি
এই জ্ঞান শোনাই। আর কেউই এমন বলবে না যে, আমি কল্প - কল্প ধর্ম স্থাপন করতে আসি।
লক্ষ্মী - নারায়ণের কেউই বলবে না যে, আমরা পুনরায় রাজত্ব করতে এসেছি। সেখানে তো এই
জ্ঞানই প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। শাস্ত্র তো পরে এসেছে অনেক অনেক বানিয়েছে। আমাদের
ব্রাহ্মণদের কাছে এক গীতাই আছে। ধর্মও স্থাপন করি আর সদ্গতিও সবার করি। ডবল কাজ হল,
তাই না ! এখন আমি যা শোনাই সেটা রাইট না তাদেরটা রাইট, সেটা তো তোমরাই জানো। আমি কে
? আমি হলাম ট্রুথ। আমি কোনো বেদ বা শাস্ত্র শোনাই না। যদিও ইনি বেদ শাস্ত্র অনেক
পড়েছেন, কিন্তু তিনি থোড়াই শোনালেন ! শিববাবা তো নতুন নতুন কথা শোনান, তিনি তো
অশরীরী । কেবলমাত্র এই মুরলী শোনানোর জন্যই তিনি আসেন, খাওয়া দাওয়া করবার জন্য
আসেন না। আমি তো এসেছি বাচ্চারা, তোমাদেরকে নতুন রাজধানী দেওয়ার জন্য। খাবারের
স্বাদ তো এনার আত্মা (ব্রহ্মা) নেয় ।
প্রত্যেকেের ধর্ম হল আলাদা, তারা তাদের নিজেদের ধর্ম শাস্ত্র পড়বে। এখানে তো মানুষ
প্রচুর শাস্ত্র অধ্যয়ন করে, কিন্তু তাতে সার বস্তু কিছু নেই। যত পড়তে থাকে, সংসার
কেবল অসারই হতে থাকে। তমোপ্রধান তো হতেই হবে। সবার প্রথমে সৃষ্টিতে তোমরাই এসেছ।
তোমরা ব্রাহ্মণরা মাতা পিতার থেকে জন্ম নিয়েছ। ওই দিকে হল আসুরী কুটুম, আর এদিকে হল
ঈশ্বরীয় কুটুম, এরপর দৈবী ক্রোড়ে যাবে, স্বর্গের মালিক হবে । মাতা পিতার মতে চললে
স্বর্গের অগাধ সুখ পাবে । বাকি রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে বিঘ্ন তো অবশ্যই পড়বে। বাবা বলেন
হে বাচ্চারা - বিকারের উপরে বিজয় লাভ করলেই তোমরা জগৎজিৎ হতে পারবে। এমন কখনও হয়
নাকি যে বিবাহ না করলে দুর্বল হয়ে যাবে। সন্ন্যাসীরা পবিত্র থাকে, তাও তো তারা কত
মোটাসোটা স্বাস্থ্যবান থাকে। এখানে তো হল ব্রেন-এর কাজ, পরিশ্রম রয়েছে । দধিচী
মুনীর উদাহরণ রয়েছে না ! সন্ন্যাসীরা নানান পুষ্টিকর খাবার পায়। বাবা(ব্রহ্মা বাবা)
নিজেও তাদের নানা রকমের পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য খাওয়াতেন। এখানে তো খাওয়ার বিষয়ে অনেক
সাবধান থাকতে হয়। আচ্ছা !
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা
এবং সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার l
ধারণার জন্যে
মুখ্য সারঃ-
১ ) জ্ঞানকে
ভালো করে ধারণ করবার জন্য পবিত্রতার ব্রত গ্রহণ করতে হবে। এখন হল অন্তিম কাল,
সেইজন্য এমন অভ্যাস করতে হবে যেন একমাত্র বাবা ছাড়া আর কেউ যেন স্মরণে না আসে।
২ ) দধিচী ঋষির মতো সেবা করে বিকারের উপরে বিজয় লাভ করে জগৎজিৎ হতে হবে।
বরদানঃ-
বুদ্ধিকে
ডাইরেকশন মতো শ্রেষ্ঠ স্থিতিতে স্থিত রেখে মাস্টার সর্বশক্তিমান ভব
অনেক বাচ্চারা
যখন যোগে বসে, আত্ম-অভিমানী হওয়ার বদলে সেবার কথা স্মরণে আসে। কিন্তু এমন হওয়া উচিত
নয়, কেননা লাস্ট সময়ে যদি অশরীরী হওয়ার পরিবর্তে সেবার সংকল্পও চলে, তবে সেকেন্ডের
পেপারে ফেল করে যাবে। সেই সময় বাবাকে ছাড়া, কেবল নিরাকারী, নির্বিকারী, নিরহঙ্কারী
- আর কিছুই যেন স্মরণে না আসে। সেবার সময় যদিও সাকারে আসছো, তবুও এইজন্য এই অভ্যাস
করো যাতে যে সময় যে স্থিতিতে স্থিত হতে চাও, স্থিত হয়ে যাও - তখনই বলা হবে মাস্টার
সর্বশক্তিমান, কন্ট্রোলিং আর রুলিং পাওয়ারের অধিকারী।
স্লোগানঃ-
যে কোনো
পরিস্থিতিকে সহজে পার করবার উপায় (সাধন) হল - "এক বল এক ভরসা।