27.12.18 Morning
Bengali Murli Om Shanti BapDada Madhuban
মিষ্টি বাচ্চারা - আমি
তোমাদেরকে পুনরায় রাজযোগ শিখিয়ে রাজাদের রাজা বানাচ্ছি। এই ‘পুনরায়’ শব্দের মধ্যেই
সমগ্র চক্রের জ্ঞান ভরা আছে"
প্রশ্নঃ
-
বাবার মতো
মায়াও শক্তিশালী। কিন্তু এরা কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে শক্তিশালী ?
উত্তরঃ -
বাবা তোমাদেরকে
পতিত থেকে পবিত্র বানান। পবিত্র বানানোর ক্ষেত্রে বাবা অতি শক্তিশালী। তাই তাঁকে
পতিত-পাবন, সর্ব-শক্তিমান বলা হয়। আর মায়া পতিত বানানোর জন্য শক্তিশালী। সত্যিকারের
উপার্জনের সময়েও এমন গ্রহের দশা হয় যাতে লাভের পরিবর্তে লোকসান হয়ে যায়। বিকারের
জন্য মায়া পাগল করে তোলে। তাই বাবা বলছেন - বাচ্চারা, দেহী-অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ
করো।
গীতঃ-
মোরা তার
দিশাতেই চলবো - যদিও বা হোচট খাই, তবুও সামলাতে তো পারবো .... (হমে উন রাহ পর চলনা
হ্যায়,)
ওম্ শান্তি।
বাচ্চারা, তোমাদেরকে কোন্ পথে চলতে হবে ? রাস্তা বলে দেওয়ার জন্য নিশ্চয়ই কেউ আছেন।
দুনিয়ার মানুষ তো ভুল পথে হাঁটছে বলেই দুঃখ পাচ্ছে। আজকাল কত মানুষ দুঃখী হয়ে গেছে।
কারণ ওরা তাঁর মত অনুসারে চলে না। যখন থেকে ভুল মতের দাতা রাবণের রাজত্ব শুরু হয়েছে,
তখন থেকে সবাই ভুল মত অনুসরণ করছে। বাবা বোঝাচ্ছেন, তোমরা এখন রাবণের মত অনুসরণ করে
চলছ বলেই তোমাদের এত খারাপ অবস্থা হয়েছে। সবাই নিজেকে পতিত বলে মনে করে। বাপু
গান্ধীজীও তো বলতেন - হে পতিত-পাবন, তুমি এসো। অর্থাৎ এখন আমরা পতিত। কিন্তু এটা
কেউই বোঝে না যে আমরা কিভাবে পতিত হয়েছি। সবাই চায় যে ভারত রাম-রাজ্য হোক, কিন্তু
সেইরকম কে বানাবে? গীতাতে পরমপিতা এইসব বিষয় বুঝিয়েছেন, কিন্তু গীতার ভগবানের
নামটাই তো পাল্টে দিয়েছে। বাবা এখন বোঝাচ্ছেন যে তোমারা কি কি করেছ। যিশুখ্রীষ্টের
বাইবেলে যদি কোনো পোপের নাম দিয়ে দেয়, তাহলে কত বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এটাও ড্রামাতেই
আছে। বাবা বোঝাচ্ছেন যে এটাই সবথেকে বড় ভুল। আদি-মধ্য-অন্তিমের জ্ঞান তো গীতার
মধ্যেই রয়েছে। বাবা বোঝাচ্ছেন, আমি পুনরায় তোমাদেরকে রাজাদের রাজা বানাচ্ছি। তোমরা
কিভাবে ৮৪ জন্ম নিয়েছ সেটা তোমরা জানো না, আমি শোনাচ্ছি। এইসব কথা কোনো শাস্ত্রতে
নেই। অনেক রকমের শাস্ত্র রয়েছে। অনেক মত রয়েছে। গীতা একটাই। যিনি গীতা শুনিয়েছেন,
তিনিই রায় (মতামত) দিয়েছেন। তিনি বলছেন, আমি পুনরায় তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাতে এসেছি।
তোমাদের ওপরে মায়ার ছায়া পড়েছে। এখন পুনরায় আমি এসেছি। গীতাপাঠ করার সময়েও বলে - হে
ভগবান, পুনরায় গীতা শোনানোর জন্য এসো। অর্থাৎ পুনরায় গীতার জ্ঞান দান করো। গীতাতেই
রয়েছে যে পুনরায় আসুরিক সৃষ্টির বিনাশ এবং দৈব সৃষ্টির স্থাপন হয়। ‘পুনরায়’ - কথাটা
অবশ্যই বলতে হবে। গুরু নানকের যখন আসার সময় হবে, তখন তিনি পুনরায় আসবেন। ছবিতেও
দেখানো হয়। কৃষ্ণও পুনরায় ঐরকম ময়ূর পুচ্ছ শোভিত মুকুটধারী হবে। এই সকল রহস্যই
গীতাতে রয়েছে। কিন্তু ভগবানকেই তো বদলে দিয়েছে। আমরা এটা বলছি না যে আমরা গীতাকে
মানি না। কিন্তু মানুষ এতে যে ভুল নাম দিয়ে দিয়েছে, সেটাকে বাবা এসে সঠিকভাবে
বোঝাচ্ছেন। তিনি এটাও বোঝাচ্ছেন যে প্রত্যেক আত্মার মধ্যেই নিজ নিজ পার্ট নিহিত
রয়েছে। সবাই তো একইরকম হবে না। যেমন মানুষ মানে মানুষ, সেইরকম আত্মা মানে আত্মা।
কিন্তু প্রত্যেক আত্মার মধ্যে নিজ নিজ পার্ট ভরা রয়েছে। যে এইসব বিষয় বোঝাবে, তাকে
খুব বুদ্ধিমান হতে হবে। বাবা জানেন যে কে বোঝাতে পারবে, কে সার্ভিস করার ব্যাপারে
দক্ষ, কার বুদ্ধির লাইন ক্লীয়ার রয়েছে, দেহী-অভিমানী হয়ে থাকে। সবাই তো সম্পূর্ণ
দেহী-অভিমানী হয়নি। অন্তিমে এইরকম রেজাল্ট হবে। পরীক্ষার দিন যখন সামনে চলে আসে,
তখন বোঝা যায় যে কে কে পাস করবে। টিচারের সাথে সাথে বাচ্চারাও বুঝতে পারে যে এই
স্টুডেন্ট সবথেকে ভালো। ওখানে কোনো জালিয়াতি হওয়া সম্ভব। কিন্তু এখানে তো সেইরকম
কিছু সম্ভব নয়। এটা তো ড্রামাতেই রয়েছে। যারা আগের কল্পে পাস করেছিল, তারাই আবার
করবে। সার্ভিসের গতি দেখেই বোঝা যায়। এই সত্যিকারের উপার্জনেও লাভ-লোকসান, গ্রহের
দশা ইত্যাদি হয়। চলতে চলতে পা-টাই ভেঙে যায়। গান্ধর্ব্য মতে বিয়ে করার পরেও মায়া
একেবারে পাগল করে তোলে। মায়াও অতি শক্তিশালী। বাবা পবিত্র বানানোর জন্য শক্তিশালী।
তাই তাঁকে সর্বশক্তিমান, পতিত-পাবন বলা হয়। আর মায়া পতিত বানানোর ক্ষেত্রে শক্তিশালী।
সত্যযুগে মায়া থাকবে না। সেটা তো নির্বিকারী দুনিয়া। এখন তো এটা একেবারে বিকারী
দুনিয়া। এখানে বিশাল পরিমান বল নিম্নাভিমুখে ক্রিয়াশীল। চলতে-চলতে মায়া একেবারে
নাক-কান মুলে পাগল করে ছেড়ে দেয়। এতটাই শক্তিশালী যে বাবার থেকেও আলাদা করে দেয়।
হয়তো পরমপিতা পরমাত্মা-কেই সর্বশক্তিমান বলা হয়, কিন্তু মায়াও কম নয়। অর্ধেক কল্প
ধরে তার রাজত্ব চলে। এইসব কথা কেউই জানে না। অর্ধেকটা সময় দিন হয়, আর অর্ধেক সময়
রাত হয়। ব্রহ্মার দিন এবং ব্রহ্মার রাত। পুনরায় সত্যযুগকে লাখ বছর আর কলিযুগকেও
অনেক বছর বলে দেবে। এখন বাবা বোঝানোর পরে বোঝা যাচ্ছে যে এই কথাগুলো তো একদম ঠিক।
বাবা বসে থেকে পড়াচ্ছেন। কলিযুগে তো কোনো মানুষ গীতার রাজযোগ শিখিয়ে রাজাদের রাজা
বানাতে পারবে না। এই কথাটা কারোর বুদ্ধিতেই আসেনা যে আমি রাজযোগ শিখে রাজাদের রাজা
হব। দুনিয়ায় তো অনেক গীতা পাঠশালা রয়েছে। কিন্তু সেখানে রাজযোগ শিখে কেউই রাজাদের
রাজা কিংবা রানী হতে পারবে না। ওখানে তো রাজা কিংবা রানী হওয়ার কোনো লক্ষ্যই নেই।
এখানে বলা হয় যে আমি বেহদের বাবার কাছে ভবিষ্যতে সুখের রাজত্ব পাওয়ার জন্য পড়াশুনা
করছি। আগে বাবার সম্মন্ধে বোঝাতে হবে। গীতাই হল মূল বিষয়। মানুষ কিভাবে জানবে যে
সৃষ্টিচক্র কিভাবে আবর্তিত হয়, আমরা কোথা থেকে এসেছি, এরপর কোথায় যাব…? কারোর কাছেই
এইসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। কোন্ দেশ থেকে এসেছি, আর কোন্ দেশে আমরা যাব - এইরকম
একটা গান রয়েছে। কিন্তু তোতা পাখির মতো কেবল গাইতে থাকে। আত্মার মধ্যে যে বুদ্ধি
রয়েছে, সে এটা জানে না যে যাকে আমরা পরমপিতা পরমাত্মা বলি, তিনি আসলে কে ? তাঁকে
দেখাও সম্ভব নয়, আর জানাও সম্ভব নয়। কিন্তু আত্মার তো কর্তব্য নিজের বাবাকে দেখা,
জানা। তোমরা এখন বুঝে গেছ যে আমরা হলাম আত্মা আর পরমপিতা পরমাত্মা বাবা আমাদেরকে
পড়াচ্ছেন। বুদ্ধি দিয়ে বোঝা যায় যে স্বয়ং বাবা এসেই পড়াচ্ছেন। যেমন কারোর আত্মাকে
যখন আহ্বান করা হয়, তখন তো বোঝা যায় যে সেই আত্মা এসেছে। তোমরা এখন বুঝতে পেরেছ যে
আমরা হলাম আত্মা আর উনি আমাদের পরমপিতা। বাবার কাছ থেকে নিশ্চয়ই উত্তরাধিকার পাওয়া
যাবে। আমরা কেন দুঃখী হয়ে গেছি? মানুষ তো বলে দেয় যে সুখ-দুঃখ সব বাবা-ই দেন।
ভগবানকে গালাগালিও করে। ওরা হল আসুরি সন্তান। আগের কল্পে যেমন বলেছিল, এই কল্পেও
সেইরকম বলে। তোমরা এখন প্রকৃত অর্থে ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছ। আগে তো তোমরাও আসুরিক
সন্তান ছিলে। বাবা এখন বলছেন, নিরন্তর আমাকে স্মরণ করো। কাউকে এই দুটো কথা খুব
সহজেই বোঝানো যায়। তোমরা হলে ভগবানের সন্তান। ভগবান স্বর্গ রচনা করেছিলেন, এখন সেটা
নরক হয়ে গেছে। তাই বাবা-ই পুনরায় স্বর্গ রচনা করবেন। বাবা আমাদেরকে রাজযোগ
শেখাচ্ছেন এবং স্বর্গ রচনা করছেন। তুমি কি শিবকে জানো না! তিনি তো পিতা, প্রজাপিতা
ব্রহ্মারও রচয়িতা। বাবা তো নিশ্চয়ই ব্রহ্মার দ্বারা-ই শেখাবেন। এখন তো সবাই শূদ্র।
আমরা ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা এবং ক্ষত্রিয় হব। তা যদি না হবে, তাহলে কেনই বা বিরাট
রূপের চিত্র বানানো হয়েছে? ছবিটা তো ঠিকই আছে। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে না।
শূদ্রদেরকে ব্রাহ্মণ কে বানাবে? প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে তো অবশ্যই প্রয়োজন। তাঁকে
কিভাবে এডাপ্ট করা হয়েছে? তোমরা যেমন বলো যে এ হল আমার স্ত্রী, সেইরকম এনাকে আমি
কিভাবে আমার স্ত্রী বানিয়েছি? অ্যাডাপ্ট করেছি। বাবা বলছেন, আমাকে মাতা-পিতা বলা হয়।
আমি তো অবশ্যই তোমাদের পিতা। কিন্তু মাতা আসবেন কোথা থেকে? তাই এনার মধ্যে প্রবেশ
করেছি এবং এর নাম দিয়েছি ব্রহ্মা। স্ত্রীকে এডাপ্ট করা হয়। লৌকিক বাবা যেমন স্ত্রীকে
অ্যাডাপ্ট করে গর্ভজাত বংশ রচনা করে, সেইরকম বাবাও এনার মধ্যে প্রবেশ করে, এনাকে
অ্যাডাপ্ট করে, এনার মুখ দ্বারা মুখ-বংশাবলী রচনা করেছেন। তোমরা নিজেদেরকে
ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণী বলো। তাই এনার নাম অবশ্যই ব্রহ্মা হবে। ব্রহ্মা কার সন্তান?
শিববাবার। এনাকে কে অ্যাডাপ্ট করেছেন? বেহদের বাবা। এটা খুব ভালো দৃষ্টান্ত, কিন্তু
যার বুদ্ধিতে বসেছে, সে-ই বোঝাতে পারবে। বুদ্ধিতে ঠিকমতো না বসলে সে বোঝাতে পারবে
না। একজন লৌকিক পিতা, আরেকজন পারলৌকিক পিতা। লৌকিক পিতাও স্ত্রীকে অ্যাডাপ্ট করে,
আর এই বাবাও এনার মধ্যে প্রবেশ করে এনাকে অ্যাডাপ্ট করেন। তিনি স্বয়ং বলছেন, আমি
যেহেতু নিরাকার, তাই এই শরীরকে আধার করতে হয় এবং এর নামটাও বদল করি। একসাথে অনেক
জনের নাম রাখা হয়েছে। তোমাদের কাছে সেই নামের লিস্ট থাকা উচিত। প্রদর্শনীতে সেই
নামের লিস্ট দেখাতে হবে। কিভাবে বাবা একসাথে এত নাম রেখেছেন। বাবা আমাদেরকে নিজ
সন্তান বানিয়েছেন এবং নামও পরিবর্তন করেছেন। তিনি হলেন ভৃগুঋষি। ভগবানের কাছেই
সকলের কুষ্ঠী রয়েছে। নামগুলো খুব সুন্দর। কিন্তু এখন তো সবাই নেই। কেউ কেউ তো
আশ্চর্যজনক ভাবে চলে গেছে। আজকে হয়তো আছে, কিন্তু কালকে আর থাকবে না। কাম বিকার হল
প্রধান শত্রু, এটা খুব বিরক্ত করে। একে পরাজিত করতে হবে। ঘর-গৃহস্থে একসাথে থেকেও
এই বিকারকে পরাজিত করতে হবে - এটাই হল প্রতিজ্ঞা। নিজের মনোবৃত্তি কেমন সেটা চেক
করতে হবে। কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা যেন কোনো বিকর্ম না হয়। তুফান তো সকলের কাছেই আসে।
একে ভয় পেলে চলবে না।
বাবাকে অনেক বাচ্চাই জিজ্ঞেস করে যে এই ব্যবসাটা করব কি করব না ? বাবা উত্তরে লেখেন
- আমি কি তোমার ব্যবসা দেখাশুনা করার জন্য এসেছি ? আমি টিচার, পড়ানোর জন্য এসেছি।
ব্যবসার কথা আমাকে কেন জিজ্ঞেস করো? আমি তো রাজযোগ শেখাই। রুদ্রযজ্ঞের গায়ন রয়েছে,
কৃষ্ণযজ্ঞের কোনো গায়ন নেই। বাবা বলছেন, লক্ষ্মী-নারায়ণের মধ্যে তো এই সৃষ্টিচক্রের
জ্ঞানটাই নেই। যদি ওরা জানত যে ১৬ কলা থেকে পুনরায় ১৪ কলা হয়ে যাব, তাহলে সেই সময়েই
রাজত্বের নেশা কেটে যেত। ওখানে তো কেবল সদগতিই হয়। সদগতি-দাতা তো একজনই। তিনি এসেই
আমাদেরকে শ্রীমৎ দেন, অন্য কারোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আগে এটা বোঝো যে ‘কাম
মহাশত্রু’ - কথাটা কে বলেছেন? বিকারী দুনিয়া আর নির্বিকারী দুনিয়াকে নিয়ে গানও গায়।
ভারতেই রাবণকে পোড়ানো হয়। সত্যযুগে তো রাবণকে পোড়ানো হবে না। যদি তাকে অনাদি বলা হয়,
অর্থাৎ সে যদি সত্যযুগেও ছিল, তাহলে তো সব জায়গাতেই দুঃখ আর দুঃখ হয়ে যাবে। তাহলে
স্বর্গ কাকে বলবে? এইসব বিষয়গুলোই বোঝাতে হবে। প্রত্যেকের গতি আলাদা আলাদা। কে
দ্রুতগামী, সেটা তো বোঝাই যায়। কেউই সম্পূর্ণ হয়নি। তবে হ্যাঁ, সতো, রজো কিংবা তমো
অবস্থা তো আছেই। প্রত্যেকের বুদ্ধি আলাদা আলাদা। যে শ্রীমৎ অনুসারে চলে না, তার
বুদ্ধি তমোপ্রধান। নিজেকে ইনসিওর না করলে ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য প্রাপ্তি কিভাবে
পাওয়া যাবে? মরতে তো হবেই। তাহলে কেন না ইনসিওর করে দেব। সবকিছুই তো তাঁর। তাই
তিনিই দেখভাল করবেন। হয়তো কেউ সবকিছু দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু সার্ভিস করে না। যেটা দিয়ে
দিয়েছে, সেটা থেকেই খেতে থাকে। তাহলে জমা হবে কতটা? কিছুই নয়। সেবার প্ৰমাণ দিতে হবে।
দেখা হয় যে কে এখানে পান্ডা হয়ে নিয়ে আসে। নুতন নুতন বিকে-রাও নিজেরা মিলে সেন্টার
চালাতে থাকে। তাদেরকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়। এটা খুব সহজ জ্ঞান। যাদের বাণপ্রস্থ অবস্থা
হয়ে গেছে, তাদেরকে গিয়ে বোঝাও যে প্রকৃত বাণপ্রস্থ অবস্থা কখন হয়? বাবা-ই গাইড হয়ে
সবাইকে নিয়ে যাবেন। তোমরা জানো যে বাবা-ই হলেন কালেরও কাল। আমরা তো আনন্দ সহকারে
বাবার সাথে যেতে চাই। আগে এই মুখ্য বিষয়টা বোঝো যে এই সৃষ্টির রচয়িতা অর্থাৎ গীতার
ভগবান আসলে কে? লক্ষ্মী-নারায়নকে রাজযোগ কে শিখিয়েছেন? তাদের রাজধানী এখন তৈরি হচ্ছে।
অন্য কেউ রাজধানী স্থাপন করতে আসে না। কেবল বাবা-ই রাজধানী স্থাপন করতে আসেন। সকল
পতিতদেরকে তিনি পবিত্র বানান। এটা হল বিকারী দুনিয়া, আর ওটা হল নির্বিকারী দুনিয়া।
দুটো দুনিয়াতেই ক্রমানুসারে পদ রয়েছে। যারা শ্রীমৎ অনুসরণ করবে, তাদের বুদ্ধিতেই
এইসব বিষয় ধারণ হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি রুহানী বাচ্চাদের প্রতি রুহানী বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং
সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে
মুখ্য সারঃ-
১ ) বুদ্ধির
লাইন সর্বদা ক্লিয়ার রাখার জন্য দেহী-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে
সত্যিকারের এই উপার্জনে মায়া কোনোরকম লোকসান না করে দেয়।
২ ) কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কোনোরকম বিকর্ম করা যাবে না। ইনসিওর করার পরেও অবশ্যই
সার্ভিস করতে হবে।
বরদানঃ-
যোগের রৌদ্রে
অশ্রুর ট্যাঙ্ককে শুকিয়ে ক্রন্দন-প্রুফ্, সুখ স্বরূপ হও
কোনো কোনো
বাচ্চা বলে যে অমুক ব্যক্তি দুঃখ দেয় বলে কান্না পেয়ে যায়। কিন্তু সে দিলেই, তুমি
নিয়ে নাও কেন ? তার কাজটাই হল দুঃখ দেওয়া। কিন্তু তুমি সেটা নেবে না। পরমাত্মার
সন্তান কখনো কাঁদতে পারে না। তাই কান্নাকাটি বন্ধ। না চোখের কান্না, না মনের কান্না।
যেখানে খুশি থাকবে, সেখানে কান্না আসবে না। খুশি কিংবা ভালোবাসার অশ্রুকে কান্না বলা
হয় না। তাই যোগের রৌদ্রে অশ্রুর ট্যাঙ্ককে শুকিয়ে দাও। বিঘ্নকে খেলা মনে করলেই সুখ
স্বরূপ হয়ে যাবে।
স্লোগানঃ-
সাক্ষী হয়ে
অভিনয় করার অভ্যাস থাকলে, টেনশন করার পরিবর্তে সর্বদা অ্যাটেনশন থাকবে।