20-12-2018 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
প্রশ্নের প্রতি সংশয় হওয়া ছেড়ে "মনমনাভব" স্মরণ কর, বাবা আর অবিনাশী বর্সাকে
স্মরণ কর, পবিত্র হও আর পবিত্র করে তোলো"
প্রশ্ন:-
শিববাবা তোমরা
বাচ্চাদের দিয়ে নিজের পূজা করাতে পারেন না কেন ?
উত্তর:-
বাবা বলেন আমি তোমরা
বাচ্চাদের বিশ্বস্ত সার্ভেন্ট, তোমরা বাচ্চারা আমার মালিক, আমি তো তোমরা বাচ্চাদের
নমস্কার জানাই । বাবা হলেন নিরহঙ্কারী, বাচ্চাদেরও বাবার মতো হতে হবে । আমি তোমরা
বাচ্চাদের দিয়ে নিজের পূজা কিভাবে করাব ! আমার তো পা নেই যা তোমরা ধুয়ে দেবে ।
তোমাদের তো ইশ্বরের সহযোগী হয়ে বিশ্বের সেবা করতে হবে ।
গীত:-
নির্বলের সাথে
বলবানের লড়াই ...
ওম্ শান্তি ।
নিরাকার শিব ভগবান
উবাচ । শিববাবা নিরাকার আর আত্মারা যারা শিববাবা বলে, তারাও আসলে নিরাকার । নিরাকার
দুনিয়ার বাসিন্দা । এখানে পার্ট বা ভূমিকা পালন করবার জন্য সাকার রূপে এসেছে ।
তোমাদের সবার পা আছে, কৃষ্ণের ও পা আছে, পা -কেই সবাই পূজা করে তাই না ! শিববাবা
বলেন আমি তো বিশ্বস্ত, আমার তো পা নেই যে তোমাদের দিয়ে পা ধোয়াব বা পূজা করাব,
সন্ন্যাসীরা পা ধোয়ায় না ! গৃহস্থ মানুষ গিয়ে ওদের পা ধুয়ে দেয় । পা তো মানুষের
হয়, শিববাবার তো পা নেই যে তোমাদের পা ধুয়ে পূজা করতে হবে । এ হলো পূজার সামগ্রী ।
বাবা বলেন আমি তো জ্ঞানের সাগর । আমি আমার বাচ্চাদের দিয়ে কি করে পা ধোয়াব ! বাবা
তো বলেন বন্দেমাতরম্ । মায়েদের এরপর কি বলা উচিত ! হ্যাঁ, দাঁড়িয়ে বলবে শিববাবা
নমস্কার, যেমন সালাম মালেকম্ বলে না ! বাবাকেই সর্বপ্রথম নমস্কার করা উচিত, বাবা
বলেন 'আই এম মোস্ট ওবিডিয়েন্ট', বেহদের সার্ভেন্ট । নিরাকার আর কত নিরহঙ্কারী ।
এখানে পূজার কোনও কথাই নেই । মোস্ট বিলভেড বাচ্চারা যারা বেহদ সম্পত্তির মালিকানা
পেতে চলেছে, তাদের দিয়ে কিভাবে পূজা করাব ? তবে হ্যাঁ, ছোট বাচ্চারা বাবার পায়ে
নতজানু হয় কেননা বাবা বড়ো ( গুরুজন ) । কিন্তু বাস্তবে তো বাবা বাচ্চাদের
সার্ভেন্ট । বাবা জানেন যে বাচ্চাদের মায়া অনেক ভাবে বিরক্ত করে । খুব কঠিন সময় ।
অপার দুঃখ এখনও অনেক আসবে । এসবই বেহদের কথা, তখনই বেহদের বাবা আসেন ( দুঃখের সময়
) । বাবা বলেন দাতা আমি একজনই, অন্য আর কেউ দাতা হতে পারে না। বাবার কাছে সবাই চায়,
সাধু সন্তরাও মুক্তি প্রার্থনা করে । ভারতের গৃহস্থ মানুষেরা ভগবানের কাছে
জীবনমুক্তি প্রার্থনা করে, সুতরাং দাতা একজনই । গায়নও আছে -- সবার সদ্গতি দাতা
একজনই । সাধুরাই যেখানে সাধনা করে, অন্যদের সদ্গতি ওরা কিভাবে দেবে ? মুক্তিধাম আর
জীবনমুক্তি ধাম দুটোরই মালিক একজন - বাবা । উনি নিজের সময় অনুসারে একবারই আসেন ।
এছাড়া বাকি সবাই জন্ম-মৃত্যুর চক্রে আসে । ইনি একবারই আসেন যখন রাবণ রাজ্য শেষ হতে
যায়, তার আগে আসেন না । ড্রামায় পার্টই নেই । সুতরাং বাবা বলেন তোমরা আমার দ্বারাই
আমাকে চিনতে পার ।মানুষ জানে না, তাই সর্বব্যাপী বলে দেয়।
এখন তো রাবণ রাজ্য । ভারতবাসীরাই রাবণকে জ্বালায় । অতএব এটাই প্রমাণ হয় যে, ভারতেই
রাবণ রাজ্য, রাম রাজ্যও ভারতেই । এসব কথা রাম রাজ্য স্থাপনকারীরাই বোঝাতে পারে,
কিভাবে রাবণ রাজ্য হয় । এসব কথা কে এসে বোঝান ? নিরাকার শিব ভগবানুবাচ । আত্মাকে
শিব বলা হয় না । আত্মারা সব শালিগ্রাম । শিব একজনকেই বলা হয় । শালিগ্রাম তো অনেক আছে
। এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । *ওরা ব্রাহ্মণরা যজ্ঞ রচনা করে, যেখানে একটা বড়ো
শিবলিঙ্গ আর ছোট ছোট শালিগ্রাম বানিয়ে পূজা করে । দেবতাদের পূজা তো প্রতি বছর হয় ।
এখানে প্রতিদিন মাটির মূর্তি তৈরি করে তার পূজা করে । রুদ্রর অনেক মহিমা ।
শালিগ্রাম কারা, সে তো ওরা জানে না । তোমরা শিবশক্তি সেনা পতিতদের পবিত্র করে তোলো
। শিবের পূজা তো হয়, শালিগ্রাম কোথায় যাবে ? তাই অনেক মানুষ রুদ্র যজ্ঞ রচনা করে
শালিগ্রাম পূজা করে । শিববাবার সাথে বাচ্চারাও পরিশ্রম করেছে । শিববাবার সহযোগী ।
ওদেরই বলা হয় ইশ্বরের সহযোগী* । স্বয়ং নিরাকার নিশ্চয়ই কোনও শরীরেই আসবেন, তাই না
! স্বর্গে তো সহযোগের প্রয়োজন নেই । শিববাবা বলেন, দেখো এরা আমার সহযোগী বাচ্চা ।
নম্বর অনুসারেই তো হবে না ! সবার পূজা তো করা সম্ভব নয় । এই যজ্ঞ ভারতেই রচিত হয় ।
এই রহস্য বাবাই বোঝান । ওরা ব্রাহ্মণরা বা শেঠরা থোড়াই এসব জানে । বাস্তবে এটাই হলো
রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । বাচ্চারা পবিত্র হয়ে ভারতকে স্বর্গ করে তোলে । এটা একটা বড়ো
হসপিটাল, যেখানে যোগ দ্বারা আমরা এভারহেল্দী হয়ে উঠি । বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো
। দেহ-অহঙ্কার হলো প্রথম বিকার, যা যোগ ছিন্ন করে দেয় ।
দেহ-বোধ (বডি কনসাস) হলেই বাবাকে ভুলে যায় আর তখনই আরও বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে ।
নিরন্তর যোগে থাকাই অনেক পরিশ্রমের । মানুষ কৃষ্ণকে ভগবান মনে করে তার পূজা করে ।
কিন্তু সে তো পতিত -পাবন নয়, যে তার চরণকে পূজা করতে হবে । শিব তো হলেন চরণ বিহীন ।
*উনি এসে তো মাতাদের সার্ভেন্ট হন আর বলেন বাবা আর স্বর্গকে স্মরণ করলে তোমরা ২১
জন্মের জন্য রাজত্ব করতে পারবে । ২১ কুল-এর গায়নও আছে । অন্য কোনও ধর্মে এই গায়ন
নেই । অন্য কোনও ধর্মাবলম্বীরা ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের বাদশাহি প্রাপ্ত করে না ।
এটাও ড্রামায় নির্ধারিত*। দৈবী ধর্মের যারা অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে তারাই
আবার বেড়িয়ে আসবে । স্বর্গে তো অপার সুখ । নতুন দুনিয়া, নতুন মহল অনেক সুখ
প্রদান করবে । অল্প পুরানো হয়ে গেলে কিছু না কিছু দাগ লেগে যায়, তখন তাকে রিপেয়ার
( মেরামত ) করা হয় । যেমন বাবার অপরামপর মহিমা, ঠিক তেমনই মহিমা স্বর্গের । যার
মালিক হওয়ার জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছ, আর কেউ স্বর্গের মালিক বানাতে পারে না।
তোমরা বাচ্চারা জানো বিনাশের দৃশ্যাবলী (সিন) কতখানি বেদনাদায়ক । তার আগেই বাবার
অবিনাশী বর্সা গ্রহণ করা উচিত । বাবা বলেন এখন আমার হও, অর্থাত্ ঈশ্বরীয় কোল গ্রহণ
করো । শিববাবা বড়ো, তাই না ! সুতরাং তোমাদের প্রাপ্তিও অগাধ । স্বর্গের অপার সুখের
নাম শুনলেই মুখে জল এসে যায় । বলাও হয় অমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে । স্বর্গ ভালো লাগে
তাই না ! এখানে তো নরক-ই । যতক্ষণ সত্যযুগ না আসবে ততক্ষণ কেউ স্বর্গে যেতে পারবে
না । বাবা বোঝান এই জগদম্বা গিয়ে স্বর্গের মহারানী লক্ষ্মী হন তারপর বাচ্চারা
নম্বর অনুসারে পদ প্রাপ্ত করে। মাম্মা বাবা ( ব্রহ্মা) অনেক বেশী পুরুষার্থ করেন ।
রাজত্ব তো ওখানে বাচ্চারাও করবে, না ! শুধুমাত্র লক্ষ্মী-নারায়ণ তো করবে না । বাবা
এসেই মানুষ থেকে দেবতা করে তোলেন ,শিক্ষা প্রদান করেন । যদিও বলে কৃষ্ণ দেবতা করে
তোলে কিন্তু তাকেও তো দ্বাপরে নিয়ে গেছে । দ্বাপরে তো দেবতারা থাকে না ।
সন্ন্যাসীরা বলতে পারবেনা যে আমরা স্বর্গে যাওয়ার পথ বলে দিই । তার জন্য তো ভগবানকে
প্রয়োজন । *বলাও হয় মুক্তি - জীবনমুক্তির দ্বার কলিযুগের শেষে গিয়ে খুলবে* । এ হলো
রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । আমি হলাম শিব, রুদ্র আর এরা হলো শালিগ্রাম । এরা সবাই শরীরধারী
। আমি শরীরকে লোন নিয়েছি। এরা সবাই ব্রাহ্মণ । ব্রাহ্মণ ছাড়া এই জ্ঞান কারও হয়না
। শূদ্রদেরও হয় না । সত্য যুগে দেবতারা পারসবুদ্ধির (দিব্য বুদ্ধি) ছিল, যে কথা বাবা
এখন এসে বলেন । সন্ন্যাসীরা কাউকে পারসবুদ্ধি করে তুলতে পারে না । যদিও নিজেরা
পবিত্র থাকে কিন্তু রোগগ্রস্ত হয়। স্বর্গে কেউ রোগগ্রস্ত হয় না। ওখানে তো অপার সুখ
। তাই বাবা বলেন সম্পূর্ণ পুরুষার্থ কর । রেস হয় না ! এ হলো রুদ্র মালা গাঁথার রেস
। আমি আত্মাকে যোগের দৌড় লাগাতে হবে । যত যোগযুক্ত হবে বোঝা যাবে এ দ্রুত দৌড়াচ্ছে।
তার বিকর্মও বিনাশ হতে থাকবে । তোমরা উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতেও যাত্রা পথে আছ। বুদ্ধি
যোগ দ্বারা এ হলো এক সুন্দর যাত্রা । তোমরা বল স্বর্গের এমন অপার সুখ প্রাপ্তির
জন্য কেন পবিত্র থাকব না ! মায়া আমাদের কোনও ভাবেই টলাতে পারবে না। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
হতে হয়। অন্তিম জন্ম, মরতে তো হবেই, তবে কেন বাবার কাছ থেকে অবিনাশী বর্সা গ্রহণ
করব না ! অসংখ্য বাচ্চা বাবার । প্রজাপিতা তিনি, নিশ্চয়ই নতুন রচনা সৃষ্টি করবেন ।
নতুন রচনা হয় ব্রাহ্মণদের । ব্রাহ্মণরা হলো রূহানী সোশ্যাল ওয়ার্কার । দেবতারা তো
প্রালব্ধ ভোগ করে । তোমরা ভারতের জন্য সার্ভিস কর তাই তোমরাই স্বর্গের মালিক হও।
ভারতের সার্ভিস করা মানেই সবার সার্ভিস করা। সুতরাং এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । রুদ্র
শিবকে বলা হয়, নাকি কৃষ্ণকে । কৃষ্ণ তো সত্য যুগের প্রিন্স । ওখানে এই যজ্ঞ ইত্যাদি
হয় না । এখন হলো রাবণ রাজ্য । এ শেষ হয়ে যাবে । তারপর আর কখনও রাবণ তৈরি হবে না ।
বাবা এসেই এই শিকল থেকে মুক্ত করেন । এই ব্রহ্মাকেও শিকল থেকে মুক্ত করেছেন তাই না
! শাস্ত্র পড়তে পড়তে কি অবস্থা হয়েছিল ! তাই বাবা বলছেন এখন আমাকে স্মরণ কর ।
যাদের বাবাকে স্মরণ করার সাহস নেই, পবিত্র থাকে না, তারা অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে
থাকে । বাবা বলেন মনমনাভব। যদি কোনও বিষয়ে নিজেকে দিশেহারা মনে হয়, তবে সেই বিষয়
থেকে সরে এসো । মনমনাভব । এমন নয় যে প্রশ্নের রেসপন্স না পেয়ে এই পড়া-ই ছেড়ে দেবে
। বলে - ভগবান আছে যখন, তখন রেসপন্স কেন করবে না ? বাবা বলেন তোমাদের কাজ হলো বাবা
আর বর্সাকে স্মরণ করা। চক্রকেও স্মরণ করতে হবে । ওরাও (ভক্তি মার্গ) ত্রিমূর্তি আর
চক্রকে দেখায়। লিখে থাকে - "সত্যমেব জয়তে" কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। তোমরা বোঝাতে
পার -- শিববাবাকে স্মরণ করলে সূক্ষ্মবতনবাসী ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্করও স্মরণে আসবে
আর স্বদর্শন চক্র স্মরণ করলে বিজয়ী হতে পারবে । 'জয়তে' অর্থাত্ মায়াকে জয় করা ।
কত বোঝার ব্যাপার । এখানে নিয়ম আছে -- হংস সভায় বক বসতে পারে না । বি•কে• যারা
স্বর্গের পরী তৈরি করে তাদের উপর অনেক দায়িত্ব থাকে । সর্বপ্রথম যখন কেউ আসে তাকে
সবসময় জিজ্ঞাসা কর -- আত্মার বাবা কে জান ? প্রশ্ন যে জিজ্ঞাসা করবে নিশ্চয়ই সে
জানবে । সন্ন্যাসীরা এমনটা কখনও জিজ্ঞাসা করবে না । ওরা তো জানেই না। তোমরা তো
জিজ্ঞাসা করবে -- বেহদের বাবাকে জান ? প্রথমে তাঁর সাথে যুক্ত হও । ব্রাহ্মণদের
এটাই নেশা থাকা উচিত । বাবা বলেন -- হে আত্মারা, আমার সাথে যোগযুক্ত হও, কেননা আমার
কাছেই আসতে হবে । সত্যযুগের দেবী -দেবতারা বহুকাল বিচ্ছিন্ন ছিল, তাই সর্বপ্রথম
জ্ঞান তারাই পাবে । লক্ষ্মী-নারায়ণ 84 জন্ম সম্পূর্ণ করেছে, সুতরাং প্রথম জ্ঞান
তাদেরই পাওয়া উচিত ।
মনুষ্য সৃষ্টির যে বৃক্ষ (ঝাড়) আছে, তার পিতা হলেন ব্রহ্মা আর আত্মার পিতা হলেন
শিব । অতএব বাবা আর দাদা হলেন না ! তোমরা হলে তাঁর পৌত্র । ওঁনার কাছ থেকেই তোমরা
জ্ঞান প্রাপ্ত কর । বাবা বলেন আমি নরকে(বর্তমান পৃথিবী) গেলেই তো স্বর্গ রচনা করতে
পারব। শিব ভগবানুবাচ -- লক্ষ্মী-নারায়ণ ত্রিকালদর্শী নয় । ওদের এই "রচয়িতা আর
রচনার" জ্ঞান নেই। তাহলে তাদের পরম্পরা কিভাবে চলে ? কেউ কেউ ভাবে এরা তো শুধু বলে
দেয় - এই মৃত্যু আসছে, কিন্তু কিছুই তো হয় না । এর উপর একটি দৃষ্টান্ত আছে না ! এক
রাখাল বালক প্রায়ই বল, বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে, কিন্তু বাঘ আসে নি । শেষ পর্যন্ত
সত্যিই একদিন বাঘ এল আর সবকটি ছাগলকে খেয়ে ফেলল । এসব কথা এখনকার জন্যই । একদিন
কাল ( মৃত্যু ) এসে সবাইকে গ্রাস করবে তখন কি করবে ? ভগবানের এটা কত বড়ো যজ্ঞ ।
পরমাত্মা ছাড়া এতো বড়ো যজ্ঞ আর কেউ রচনা করতে পারবে না । ব্রহ্মা বংশী ব্রাহ্মণ
বলেও পবিত্র না হলে এখানেই মরতে হবে । শিববাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হয় । মিষ্টি
বাবা, স্বর্গের মালিকানা প্রদানকারী বাবা, আমি তো তোমারই, শেষ পর্যন্ত তোমার হয়েই
থাকব। এমন বাবা বা সাজনকে পরিত্যাগ করলে মহারাজা-মহারানী হতে পারবে না । আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ -স্মরণ আর
গুডমর্নিং । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) সত্যিকারের
ঈশ্বরের সহযোগী (খাদা-ই খিদমৎগার) হয়ে ভারতকে স্বর্গ তৈরি করার কার্যে পবিত্রতা
রক্ষা করে, বাবার সহযোগী হয়ে উঠতে হবে । আধ্যাত্মিক (রূহানী) সোশ্যাল ওয়ার্কার হতে
হবে ।
২) কোনও প্রকারের প্রশ্নে সংশয়ান্বিত হয়ে পড়া ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় । প্রশ্নকে
ছেড়ে বাবা আর অবিনাশী বর্সাকে স্মরণ করতে হবে ।
বরদান:-
স্ব পরিবর্তন আর
বিশ্ব পরিবর্তনের দায়িত্বশীল রাজমুকুট ধারণকারী তথা বিশ্ব রাজ্যের রাজমুকুট
ধারণকারী ভব
যেমন বাবার প্রতি,
তাঁর প্রাপ্তির প্রতি তোমরা প্রত্যেকে নিজের অধিকার আছে বলে মনে কর, তেমনই স্ব
পরিবর্তন আর বিশ্ব পরিবর্তন দুইয়ের-ই যদি দায়িত্বের রাজমুকুটধারী হতে পার তবেই
বিশ্ব রাজ্যের রাজমুকুটের অধিকারী হতে পারবে । বর্তমানই হল ভবিষ্যতের আধার । চেক কর
এবং জ্ঞানের দর্পণ দিয়ে দেখ যে ব্রাহ্মণ জীবনের পবিত্রতা, অধ্যয়ন আর সেবার দ্বি
মুকুট আছে কি ? যদি এখানে কোনও মুকুট অসম্পূর্ণ থাকে যায়, তবে ওখানেও ( সত্য যুগে
) ছোট মুকুটের অধিকারী হবে ।
স্লোগান:-
সবসময় বাপদাদার
ছত্রছায়ার ভিতরে থাকলে বিঘ্ন -বিনাশক হয়ে যাবে ।