15.11.2018       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


“মিষ্টি বাচ্চারা - নিজের বিচার-বুদ্ধিকে এত শুদ্ধ এবং স্বচ্ছ করো, যাতে শ্রীমৎকে যথাযথ ভাবে ধারণ করে বাবার নাম সুপ্রসিদ্ধ করতে পারো”

প্রশ্নঃ -
বাচ্চাদের কোন্ অবস্থার দ্বারা বাবার শো' (প্রত্যক্ষতা) হবে?

উত্তরঃ -
যখন বাচ্চাদের অবস্থা নিরন্তর হাসিখুশি, অচল-অটল, স্থির এবং অলৌকিক নেশায় পরিপূর্ণ থাকবে, তখনই বাবার শো' (প্রত্যক্ষতা) করতে পারবে। এইরকম একরস অবস্থা সম্পন্ন হুঁশিয়ার বাচ্চারাই সবাইকে যথাযথ ভাবে বাবার পরিচয় দিতে পারবে।

গীতঃ-
মরনা তেরি গলি মেঁ… (তোমার পথেই আমার মরণ)

ওম্ শান্তি।
বাচ্চারা গীত শুনল। বলা হয়- তোমার দুয়ারে এসেছি জীবিত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করতে। কার দুয়ারে এসেছি? এক্ষেত্রেও এটাই বোঝা যায় যে গীতার ভগবান কৃষ্ণ হলে এইরকম কথা বলা হত না। কৃষ্ণ তো এখানে থাকতে পারেন না। তিনি তো সত্যযুগের প্রিন্স। কৃষ্ণ কোনো গীতা শোনাননি। গীতা শুনিয়েছেন পরমপিতা পরমাত্মা। সবকিছু এই একটা বিষয়ের ওপরেই নির্ভরশীল। ভক্তিমার্গে তোমরা কতকিছু করতে। কিন্তু সেইসব করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। এইগুলো তো এক সেকেন্ডের বিষয়। কেবল এই একটা বিষয় প্ৰমাণ করার জন্যই বাবাকে কত পরিশ্রম করতে হয়। কত নলেজ দিতে হয়। স্বয়ং ভগবান যে প্রাচীন জ্ঞান দিয়েছিলেন, সেটাই হল আসল জ্ঞান। সবকিছুই গীতা সম্বন্ধীয়। পরমপিতা পরমাত্মা এসেই দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপন করার জন্য জ্ঞান এবং সহজ রাজযোগের শিক্ষা দিয়েছিলেন। সেটা এখন লুপ্তপ্রায়। মানুষ তো মনে করে যে কৃষ্ণ পুনরায় এসে গীতা শোনাবেন। কিন্তু গোলার চিত্র দেখিয়ে তোমাদেরকে এটা স্পষ্টভাবে প্ৰমাণ করতে হবে যে এই গীতাজ্ঞান আসলে জ্ঞানের সাগর পরমপিতা পরমাত্মা দিয়েছেন। কৃষ্ণের মাহাত্ম্য আলাদা, আর পরমপিতা পরমাত্মা-র মাহাত্ম্য আলাদা। কৃষ্ণ হলেন সত্যযুগের প্রিন্স, যিনি সহজ রাজযোগ শিখে রাজ্য ভাগ্য পেয়েছিলেন। অধঃপতনের সময়ে তার নাম-রূপ অন্যরকম ছিল, আর যখন সে রাজ্য ভাগ্য পেয়েছিল, তখন অন্যরকম ছিল। এইসব বিষয় প্ৰমাণ করে বোঝাতে হবে। কৃষ্ণকে কখনোই পতিত-পাবন বলা যাবে না। কেবল বাবা-ই হলেন পতিত-পাবন। এখন শ্রীকৃষ্ণের আত্মা পুনরায় রাজযোগ শিখে ভবিষ্যতের নুতন দুনিয়ার প্রিন্স হচ্ছেন। এটা প্ৰমাণ করার জন্যই যুক্তির প্রয়োজন। ফরেনারদেরকেও এটা প্ৰমাণ করে বোঝাতে হয়। গীতাই হল নাম্বার ওয়ান। গীতাই হল সকল শাস্ত্রের জননী। কিন্তু এই মাতার জন্ম কিভাবে হয়েছে? পিতাই তো মাতাকে এডাপ্ট করে। গীতাজ্ঞান কে শুনিয়েছিলেন? এমন নয় যে যীশুখ্রিষ্ট বাইবেলকে অ্যাডপ্ট করেছিল। যীশুখ্রিষ্ট যে শিক্ষাগুলো দিয়েছিল, সেগুলোকে নিয়েই বাইবেল বানিয়ে অধ্যয়ন করে। তাহলে গীতার জ্ঞান কে দিয়েছিলেন, যেটাকে পরবর্তী কালে বই বানিয়ে পাঠ করা হয়? এর উত্তর কেউই জানে না। অন্যান্য সকল শাস্ত্রের ব্যাপারে জানে। কিন্তু এই সহজ রাজযোগের শিক্ষা কে দিয়েছিলেন, সেটাই প্ৰমাণ করতে হবে। দুনিয়া তো দিনে দিনে আরো তমোপ্রধান হচ্ছে। এইসব কথা কেবল স্বচ্ছ বুদ্ধিতেই ধারণ হবে। যে শ্রীমৎ অনুসারে চলে না, তার ধারণা হবে না। শ্রীমৎ তো এটাই বলবে যে তুমি একদম বোঝাতে পার না। নিজেকে কখনো জ্ঞানী মনে করো না। আগে তো এই মুখ্য বিষয়টা প্ৰমাণ করতে হবে যে গীতার ভগবান হলেন পরমপিতা পরমাত্মা। তিনিই হলেন পতিত-পাবন। দুনিয়ার মানুষ তো তাঁকে সর্বব্যাপী, ব্রহ্মতত্ত্ব অথবা সাগরের মতো বলে দেয়। যা মুখে আসে তাই বলে দেয়। সবই অর্থহীন। সমস্ত ভুল গীতা থেকেই উৎপন্ন হয়েছে। কারন কৃষ্ণকে গীতার ভগবান বলে দিয়েছে। তাই বোঝানোর জন্য প্রয়োজনে গীতার সাহায্য নিতে হবে। বেনারসের গুপ্তাজীকেও বলা হত যে বেনারসেও এটা প্ৰমাণ করে বোঝাও যে কৃষ্ণ গীতার ভগবান নয়। বিভিন্ন ধরনের সম্মেলন হয়। তাতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ উপস্থিত হয়ে শান্তি স্থাপনের উপায় খোঁজে। কিন্তু শান্তি স্থাপন করা তো ওইসব পতিত মানুষদের হাতে নেই। পতিত-পাবনকেই আহ্বান করা হয়। তাই ওইসব পতিতরা কিভাবে শান্তি স্থাপন করতে পারবে? হয়তো সকলেই আহ্বান করে, কিন্তু পতিত থেকে পবিত্র বানাতে সক্ষম সেই বাবাকে কেউই জানে না। ভারত আগে পবিত্র ছিল, এখন পতিত হয়ে গেছে। তাহলে পতিত-পাবন কে? এটা কারোর বুদ্ধিতে আসে না। বলে দেয় - রঘুপতি রাঘব…। কিন্তু এটা ওই রামের বিষয় নয়। মিথ্যা আহ্বান করে। কিছুই জানে না। কে গিয়ে এইসব বিষয় বোঝাবে? খুব ভালো বাচ্চা দরকার। বোঝানোর জন্য খুব ভালো যুক্তির প্রয়োজন। বড় গোলার চিত্রও বানানো হয়েছে যার দ্বারা প্রমাণিত হবে যে স্বয়ং ভগবান এই গীতা রচনা করেছেন। ওরা তো বলে যে সকলেই ভগবান। বাবা বলছেন, তোমরা আসলে অবোধ। আমি এসে পবিত্র রাজ্য স্থাপন করলাম, আর আমার বদলে শ্রীকৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। পতিতকেই পবিত্র বানিয়ে প্রথম প্রিন্স বানাই। ভগবানুবাচ - আমি কৃষ্ণের আত্মাকে অ্যাডাপ্ট করে ব্রহ্মা বানিয়ে তার দ্বারা জ্ঞান দিই। এরপর সে এই জ্ঞানের দ্বারা সত্যযুগের ফার্স্ট প্রিন্স হয়ে যায়। এইসকল বিষয় অন্য কারোর বুদ্ধিতে নেই।

তোমাদেরকে আগে এই ভুলটা প্ৰমাণ করতে হবে এবং বোঝাতে হবে যে শ্রীমৎ ভগবৎ গীতা হল সকল শাস্ত্রের মাতা-পিতা। গীতার রচয়িতা কে? যেমন যীশুখ্রিষ্ট বাইবেলের জন্ম দিয়েছেন। তাই ওটা হল খ্রিস্টান ধর্মের শাস্ত্র। তাহলে বাইবেলের পিতা কে? যীশুখ্রিষ্ট। ওখানে কিন্তু মাতা-পিতা বলা হবে না। ওই ক্ষেত্রে তো মাদারের কোনো ভূমিকাই নেই। এখানে এনারা হলেন মাতা-পিতা। কৃষ্ণের ধর্মের সাথে খ্রিস্টানরা রেস করেছে। ওরা যীশুখ্রিষ্টকে মানে। গৌতম বুদ্ধও ধর্ম স্থাপন করেছিল। তাই বৌদ্ধদেরও শাস্ত্র রয়েছে। কিন্তু গীতার জ্ঞান কে শুনিয়েছিলেন? সেটা থেকে কোন্ ধর্ম স্থাপন হয়েছিল? এইসব কথা কেউই জানে না। কখনোই এইরকম বলে না যে পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মা এই জ্ঞান দিয়েছেন। এখন এমনভাবে গোলার (সৃষ্টিচক্র) ছবি বানানো হয়েছে, যার দ্বারা বোঝা যাবে যে পরমপিতা পরমাত্মা-ই হলেন গীতা-জ্ঞান-দাতা। রাধা-কৃষ্ণ তো সত্যযুগে থাকবে। তারা তো নিশ্চয়ই নিজেকে নিজেই জ্ঞান দেয়নি। জ্ঞান দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে প্রয়োজন। কেউ না কেউ তো আছেন, যিনি তাদেরকে উত্তীর্ণ করিয়েছেন। এই রাজত্ব প্রাপ্ত করার জ্ঞান কে দিলেন? আপনা-আপনি তো ভাগ্য তৈরি হয়নি। হয় বাবার দ্বারা অথবা টিচারের দ্বারা ভাগ্য তৈরি হয়। বলা হয়, গুরু গতি করেন। কিন্তু এই গতি-সদগতি কথার অর্থও বোঝে না। যারা প্রবৃত্তি মার্গের, তাদের সদগতি হয়। গতি মানে - সবাই বাবার কাছে ফিরে যায়। এইসব কথা কেউই বোঝে না। ওরা তো ভক্তিমার্গে অনেক বড় বড় দোকান খুলে বসে আছে। এই একটাই হল সত্যিকারের জ্ঞানমার্গের দোকান। বাকি সব ভক্তিমার্গের দোকান। বাবা বলেন, এই সমস্ত বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি সব ভক্তিমার্গের সামগ্রী। এইরকম জপ-তপ করলে কিংবা বেদ-শাস্ত্র অধ্যয়ন করলে আমি প্রাপ্ত হই না। আমি তো বাচ্চাদেরকে জ্ঞান দিয়ে পবিত্র বানাই। আমি হলাম সমগ্র সৃষ্টির সদগতিদাতা। ভায়া গতি হয়ে, আমাদেরকে সদগতিতে যেতে হবে। সবাই তো সত্যযুগে আসবে না। এই ড্রামা তো বানানোই আছে। আগের কল্পে তোমাদেরকে যা যা শিখিয়েছিলাম, যেসব ছবি বানানো হয়েছিল, সেইগুলোই আবার রিপিট হচ্ছে।

মানুষ বলে, তিনটে ধর্মের পায়ায় এই সৃষ্টি দাঁড়িয়ে আছে। দেবী-দেবতা ধর্ম রূপী একটা পায়া ভেঙে গেছে। তাই এই সৃষ্টির টাল-মাটাল অবস্থা। আগে কেবল একটাই রাজত্ব ছিল যাকে অদ্বৈত রাজ্য বলা হত। পরে ওই একটা পায়া লুপ্ত হয়ে তিনটে পায়া হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে একটুও শক্তি নেই। নিজেদের মধ্যে কেবল লড়াই ঝগড়া লেগে থাকে। নাথকেই জানে না। তাই অনাথ হয়ে গেছে। বোঝানোর জন্য ভালো যুক্তির প্রয়োজন। প্রদর্শনীতেও এটা বোঝাতে হবে যে গীতার ভগবান কৃষ্ণ নয়, পরমপিতা পরমাত্মা। এই ভারতই হল তাঁর জন্মভূমি। কৃষ্ণ তো সাকার শরীরধারী। কিন্তু তিনি হলেন নিরাকার। তাঁর মাহাত্ম্য একেবারে আলাদা। এমনভাবে যুক্তি সহকারে কার্টুন বানাতে হবে যাতে প্রমাণিত হয় যে গীতা জ্ঞান কে দিয়েছেন? অন্ধ মানুষের সামনে বড় আয়না রাখতে হবে। খুব বেশি গভীরে যাওয়ার দরকার নেই। এটাই সবথেকে বড় ভুল। পরমপিতা পরমাত্মা-র মাহাত্ম্য সবথেকে আলাদা। কিন্তু তার বদলে কৃষ্ণের মহিমা করেছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের ছবির নীচে রাধা-কৃষ্ণের ছবি আছে। এরাই বড় হয়ে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণ সত্যযুগে এবং রাম-সীতা ত্রেতাযুগে ছিল। শ্রীকৃষ্ণই হল প্রথম সন্তান। তাকেই আবার দ্বাপরযুগে নিয়ে গেছে। ভক্তিমার্গে এইগুলো হওয়ার ছিল। বিলিতি মানুষগণ এই বিষয়ে অতটা জানে না। ড্রামা অনুসারে কারোর কাছেই এই জ্ঞান নেই। বলা হয়- জ্ঞান হল দিন, আর ভক্তি হল রাত্রি। ব্রহ্মার দিন, আর ব্রহ্মার রাত্রি। সত্যযুগ কে স্থাপন করেন? ব্রহ্মা-ই বা এলেন কোথা থেকে? সূক্ষ্মবতনে ব্রহ্মা কিভাবে এলেন? পরমপিতা পরমাত্মা-ই এই সূক্ষ্মসৃষ্টি রচনা করেন। ওখানে ব্রহ্মাকে দেখানো হয়। কিন্তু ওখানে তো ব্রহ্মা প্রজাপিতা নন। তাহলে প্রজাপিতা ব্রহ্মা নিশ্চয়ই অন্য কেউ। তিনি কোথা থেকে এলেন, সেটা কেউই বুঝতে পারে না। কৃষ্ণের অন্তিম জন্মে পরমাত্মা ওনাকে নিজের রথ বানিয়েছেন। এই জ্ঞান কারোর বুদ্ধিতেই নেই।

এএক বিশাল ক্লাস। টিচার তো অবশ্যই বুঝতে পারে যে কোন্ স্টুডেন্ট কেমন। তাহলে কি বাবা বুঝতে পারবেন না? এটা হল বেহদের বাবার ক্লাস। এখানকার ব্যাপার একেবারে আলাদা। শাস্ত্রতে তো প্রলয় ইত্যাদি দেখিয়েছে এবং অনেক সংশয়পূর্ণ কথাবার্তা লিখে দিয়েছে। ওদের অনেক অহংকার রয়েছে। কেমন ভাবে বসে রাময়ন, মহাভারত ইত্যাদি শোনায়। কৃষ্ণ তো গীতা শোনায়নি। সে গীতাজ্ঞান শুনে রাজত্ব পেয়েছিল। প্ৰমাণ করে বোঝাতে হবে যে ইনি হলেন গীতার ভগবান। এইগুলো হল এনার গুণ, আর এইগুলো হল কৃষ্ণের গুণ। এইসব ভুলগুলোর জন্যই ভারত আজ কড়িতুল্য হয়ে গেছে। তোমরা মাতা-রা দুনিয়ার মানুষকে বোঝাতে পারো যে, তোমরা এতদিন বলতে যে মাতা-রা হল নরকের দ্বার। কিন্তু পরমাত্মা তো জ্ঞানের কলস মাতাদের ওপরেই রেখেছেন। তাই মাতা-রাই হল স্বর্গের দ্বার। তোমরা এতদিন কেবল নিন্দাই করেছ। কিন্তু যে বলবে তাকে খুব হুঁশিয়ার হতে হবে। সমস্ত পয়েন্ট নোট করে বোঝাতে হবে। ভক্তিমার্গ আসলে গৃহীদের জন্য। এটা হল প্রবৃত্তি মার্গের সহজ রাজযোগ। আমরা প্ৰমাণ করে বোঝানোর জন্য এসেছি। বাচ্চাদেরকে শো' (প্রত্যক্ষতা) করতে হবে। সর্বদা হাসিখুশি, অচঞ্চল, স্থির এবং অলৌকিক নেশায় থাকতে হবে। ভবিষ্যতে অবশ্যই মাহাত্ম্য প্রকাশ পাবে। তোমরা সবাই ব্রহ্মাকুমার এবং কুমারী। তাদেরকেই কুমারী বলা যাবে, যারা বাবার কাছ থেকে ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করায়। কুমারীদের মাহাত্ম্য অনেক বেশি। মাম্মা হলেন মুখ্য কুমারী। চাঁদের কাছাকাছি তো বড় নক্ষত্রও প্রয়োজন । ইনি হলেন জ্ঞানসূর্য। আর ইনি হলেন গুপ্ত মাম্মা, এই মাম্মা হলেন আলাদা (জ্ঞান সূর্য =শিব, যিনি হলেন বাবা, চাঁদ= ব্রহ্মা, যিনি হলেন মা) । তোমরা বাচ্চারাই এই রহস্যটা বুঝে তারপর অন্যদের বোঝাতে পারবে। ওই মাম্মার নাম আলাদা। তারই মন্দির রয়েছে। এই গুপ্ত বুড়ি মায়ের (ব্রহ্মা মা) কোনো মন্দির নেই। এই মাতা-পিতা কম্বাইন্ড থাকেন। এটা দুনিয়ার মানুষ জানে না। কৃষ্ণ তো এখানে থাকতে পারে না। সে তো সত্যযুগের প্রিন্স। কৃষ্ণের মধ্যে ভগবান আসতে পারে না। খুব সহজেই বোঝানো যায়। গীতার ভগবানের মাহাত্ম্য সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি হলেন পতিত-পাবন, সমগ্র দুনিয়ার গাইড এবং মুক্তিদাতা। ছবি দেখেই মানুষ বুঝতে পারবে যে পরমাত্মার মাহাত্ম্য অবশ্যই আলাদা। সকলেই এক - এটা তো কখনোই সম্ভব নয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি রুহানী বাচ্চাদের প্রতি রুহানী বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজের অচল-অটল, এবং অলৌকিক নেশায় পরিপূর্ণ অবস্থা বানাতে হবে। সর্বদা হাসিখুশি থাকতে হবে।

২ ) জ্ঞানের শুদ্ধ নেশাতে থেকে বাবার শো' (প্রত্যক্ষতা) করতে হবে। গীতার ভগবানকে প্রমাণিত করে বাবার সত্যিকারের পরিচয় দিতে হবে।

বরদানঃ-
সর্বপ্রাপ্তির অনুভব দ্বারা মায়াকে বিদায় দিয়ে অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য ভাগ্যবান আত্মা হও

সর্বশক্তিমান বাবা যার সাথী, তার কাছে তো সর্বদাই সর্বপ্রাপ্তি আছে। তার সামনে কোনো প্রকারের মায়া আসতেই পারে না। যে এইসব প্রাপ্তির অনুভূতিতে থেকে মায়াকে বিদায় দেয়, সে প্রত্যেক পদক্ষেপেই বাপদাদার কাছ থেকে অভিনন্দন প্রাপ্ত করে। তাই সর্বদা এই স্মৃতিতে থাকো যে স্বয়ং ভগবান আমাদের মতো আত্মাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। যেটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি, সেটাই পেয়ে গেছি। বাবাকে পেয়ে সবকিছুই পেয়ে গেছি। সুতরাং খুবই ভাগ্যবান আত্মা।

স্লোগানঃ-
স্ব-চিন্তন এবং প্রভু-চিন্তন করলে ব্যর্থ চিন্তন আপনা-আপনিই বন্ধ হয়ে যাবে।