18/10/18       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হও যে আমরা হলাম আত্মা এবং এটা হল আমাদের শরীর। এক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আত্মার সাক্ষাৎকার হলেও কিছু বুঝতে পারবে না”

প্রশ্নঃ -
বাবার কোন্ শ্রীমৎ অনুসরণ করে চললে গর্ভজেলের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে?

উত্তরঃ -
বাচ্চাদের প্রতি বাবার শ্রীমৎ হল - ‘নির্মোহী হও’। কেবল বাবা, অন্য কেউ নয়। তোমরা কেবল আমাকেই স্মরণ কর এবং কোনো পাপ কর্ম কোরো না, তাহলেই গর্ভজেলের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এই দুনিয়ায় তোমরা জন্ম-জন্মান্তর ধরে কয়েদী হয়ে ছিলে। এখন বাবা এই শাস্তি থেকে মুক্ত করতে এসেছেন। সত্যযুগে কোনো গর্ভজেল থাকবে না।

ওম্ শান্তি।
রুহানি পিতা তাঁর রুহানি সন্তানদেরকে বোঝাচ্ছেন - আত্মা কি এবং তার পিতা পরমাত্মা কে? তিনি পুনরায় এইগুলো বোঝাচ্ছেন। কারণ এটা হল পতিত দুনিয়া। পতিত মানুষ সর্বদা নির্বোধ হয়ে থাকে। পবিত্র দুনিয়ায় সবাই বোধবুদ্ধি সম্পন্ন হবে। ভারতে একসময় পবিত্র দুনিয়া অর্থাৎ দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। খুব ধনী এবং সুখী ছিল। কিন্তু ভারতবাসীরা এই কথাগুলো বুঝতেই পারে না। বাবা, পরমপিতা অর্থাৎ রচয়িতাকেই চেনে না। মানুষের পক্ষেই তাঁকে জানা সম্ভব, জন্তু-জানোয়ারের পক্ষে তো জানা সম্ভব নয়। তাঁকে পরমপিতা পরমাত্মা বলে স্মরণও করে থাকে। তিনি হলেন পারলৌকিক পিতা। আত্মা তার পরমপিতা পরমাত্মাকে স্মরণ করে। যিনি এই শরীরের জন্ম দিয়েছেন তিনি হলেন লৌকিক পিতা, আর ইনি হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, পারলৌকিক পিতা অর্থাৎ সকল আত্মার পিতা। মানুষ এই লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা করে। তারা এটাও জানে যে লক্ষ্মী-নারায়ণ সত্যযুগে ছিল এবং রাম-সীতা ত্রেতাযুগে ছিল। বাবা এসে বোঝাচ্ছেন- বাচ্চারা, তোমরা আমাকে অর্থাৎ পারলৌকিক পিতাকে জন্ম-জন্মান্তর ধরে স্মরণ করে এসেছ। গড ফাদার তো অবশ্যই নিরাকার হবেন। আমরা আত্মারাও হলাম নিরাকার। এই দুনিয়ায় এসে সাকার রূপধারী হয়েছি। এই সামান্য কথাটাই কারোর বুদ্ধিতে আসে না। তিনি হলেন তোমাদের বেহদের বাবা, রচয়িতা। ‘তুমি হলে মাতা-পিতা, আমরা তোমার বালক…’ - ইত্যাদি বিভিন্ন ভাবে মানুষ তাঁকে আহ্বান করে। আমরা যখন তোমার সন্তান হই, তখন স্বর্গের মালিক হয়ে যাই। তারপর তোমাকে ভুলে যাওয়ার ফলে নরকের মালিক হয়ে যাই। এখন সেই বাবা এই শরীরে বসে বোঝাচ্ছেন - আমি হলাম রচয়িতা এবং এইটা হল আমার রচনা। এর রহস্য আমি তোমাদেরকে বোঝাচ্ছি। আত্মাকে কেউ দেখেনি। তাহলে কেন ‘অহম্ আত্মা’ বলা হয় ? এটা তো বুঝতে পারা যায় যে আমি আত্মা এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করি। মহান আত্মা, পুণ্য আত্মা ইত্যাদি বলা হয়। এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় যে আমি হলাম আত্মা এবং এটা হল আমার শরীর। শরীর তো বিনাশী, কিন্তু আত্মা হল অবিনাশী, পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান। কত সহজ বিষয়। কিন্তু ভালো ভালো বুদ্ধিমান ব্যক্তিও বুঝতে পারে না। মায়া বুদ্ধিতে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তোমাদের তো নিজের আত্মার সাক্ষাৎকার-ই হয় না। আত্মা অনেক জন্ম নেয়। প্রত্যেক জন্মে শারীরিক পিতা পরিবর্তন হয়। তোমরা কেন নিশ্চিত হতে পার না যে তুমি হলে আত্মা? কেবল আত্মার সাক্ষাৎকার করতে চায়। আরে, এতগুলো জন্ম ধরে কি কারোর কাছে আত্মার সাক্ষাৎকার করতে চেয়েছিলে? হয়তো কারোর কারোর আত্মার সাক্ষাৎকার হয়, কিন্তু তারা বুঝতে পারে না। তোমরা বাবাকে জানো না। বেহদের বাবা ছাড়া অন্য কেউ আত্মাকে পরমাত্মার সাক্ষাৎকার করাতে পারে না। মানুষ বলে - হে, ভগবান। সুতরাং তিনি হলেন পিতা। তোমাদের দুইজন বাবা আছেন। একজন বিনাশী বাবা, যিনি এই বিনাশী শরীরের জন্ম দিয়েছেন। অন্যজন হলেন অবিনাশী আত্মার অবিনাশী পিতা। তোমরা গায়ন করো - তুমি হলে মাতা-পিতা…, তাঁকে স্মরণ করো। তাহলে নিশ্চয়ই তিনি আসেন। জগৎ অম্বা এবং জগৎ পিতা বসে আছেন। রাজযোগ শিখছেন। বৈকুন্ঠতে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল। সেটা তো ভারতেই ছিল। মানুষ মনে করে হয়তো ওপরে কোথাও স্বর্গ রয়েছে। আরে, লক্ষ্মী-নারায়ণের স্মৃতিচিহ্ন তো এখানে আছে। তাহলে নিশ্চয়ই তারা এখানেই রাজত্ব করেছিল। এই দিলওয়াড়া মন্দির তোমাদের এই সময়ের স্মৃতিতে বানানো হয়েছে। তোমরা হলে রাজযোগী। অর্ধ্বকুমার, কুমার, কুমারী সকলেই বসে আছ। এর স্মৃতিচিহ্ন এরপর ভক্তিতে তৈরি করা হবে। দিলওয়াড়া শব্দের নিশ্চয়ই কোনো না কোনো অর্থ আছে। দিল (হৃদয়) কে নেন? এখানে আদিদেব এবং আদিদেবীও রাজযোগ শিখছেন। এনারাও তাঁকেই অর্থাৎ নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা-কেই স্মরণ করেন। তিনি হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ, জ্ঞানের সাগর। তিনি এই আদিদেবের শরীরে বসে সকল সন্তানদেরকে বোঝাচ্ছেন। এই মন্দির কবে বানানো হয়েছে, কেন বানানো হয়েছে, এ কাদের স্মৃতিচিহ্ন ? এইগুলো কিছুই জানতে না। দেবীদের কত নাম রয়েছে। কালি, দুর্গা, অন্নপূর্ণা… কিন্তু সমগ্র দুনিয়াকে অন্ন দেবেন কে ? কোন্ দেবী অন্নের চাহিদা পূরণ করেন সেটা তোমরাই জানো। ভারত স্বর্গ ছিল। প্রচুর সম্পত্তি ছিল। আজ থেকে ৮০-৯০ বছর আগেও ১০-১২ আনায় প্রায় ৩৮-৩৯ কেজি সবজি পাওয়া যেত। তাহলে আরও আগে কত সস্তা ছিল। সত্যযুগে তো সবজি খুব সস্তা এবং উন্নতমানের হয়। কিন্তু এটা কেউই বুঝতে পারে না। বাবা এসে তোমাদেরকে অর্থাৎ আত্মাদেরকে পড়ান। আত্মা এই কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা শুনতে পায়। আত্মা চোখ পেয়েছে দেখার জন্য, কান পেয়েছে শোনার জন্য। বাবা বলেন, আমি নিরাকার পরমাত্মাও এই শরীরের আধার নিই। আমাকে সর্বদা শিব-ই বলা হয়। দুনিয়ার মানুষ তো রুদ্র, শিব, সোমনাথ ইত্যাদি অনেক নাম দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার একটাই নাম, সেটা হল ‘শিব’। ২৫০০ বছর ধরে ‘শিবায় নমঃ’ বলেই ভক্তরা ভগবানকে স্মরণ করে এসেছে। ভক্তিমার্গে আগে অব্যভিচারী ভক্তি করা হত। এখন তো তোমরা নুড়ি-পাথরের মধ্যেও ভগবানকে ঢুকিয়ে দিয়েছ। এখন সেই ভক্তির অন্তিম সময় উপস্থিত। আমি সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি। এই পুরাতন দুনিয়া এবার বিনষ্ট হবে। বোমা তৈরি হয়ে রয়েছে যার দ্বারা কত মানুষ মারা যাবে। সত্যযুগে খুব অল্প সংখ্যক, কেবল ৯ লাখ মানুষ থাকবে। বাকিরা কোথায় যাবে? লড়াই, ভূমিকম্প ইত্যাদি হবে। বিনাশ তো অবশ্যই হবে। ইনি হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা, অনেক ব্রহ্মাকুমার-কুমারী রয়েছে। ব্রহ্মার পিতা কে? নিরাকার শিব। আমরা তাঁর নাতি-নাতনি। আমরা শিববাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। তাই তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। স্মরণ করলেই পাপের বোঝা নেমে যাবে। তোমরা জানো যে এটা হল বিকারী, পতিত দুনিয়া। সত্যযুগ হল নির্বিকারী দুনিয়া। ওখানে বিষ (বিকার) থাকবে না। নিয়ম মতো সেখানে একটাই ছেলে হবে। কখনো অকালে মৃত্যু হবে না। ওই দুনিয়ার নামটাই হল সুখধাম। এখানে তো অনেক দুঃখ। কিন্তু এই কথাটা কেউই জানে না। গীতা পাঠ করার সময়ে বলে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, ভগবানুবাচ। আচ্ছা, ভগবান কে? উত্তর দেয় - শ্রীকৃষ্ণ। আরে, ও তো ছোটো বাচ্চা। ও কিভাবে রাজযোগ শেখাবে? ওই সময়ে তো দুনিয়া পতিত ছিল না। এই দুনিয়াতেই এমন কাউকে প্রয়োজন যিনি সদগতি দেওয়ার জন্য রাজযোগ শেখাবেন। রুদ্র গীতা জ্ঞান যজ্ঞের কথা তো গীতাতেও রয়েছে। কৃষ্ণ গীতা জ্ঞান যজ্ঞের কথা তো নেই। এই জ্ঞান যজ্ঞ অনেক বছর ধরে চলছে। এটা কবে সমাপ্ত হবে? যখন গোটা দুনিয়া এই যজ্ঞে স্বাহা (আহুতি) হয়ে যাবে। যজ্ঞ সমাপ্ত করার সময়ে তাতে সবকিছু আহুতি দিয়ে দেয়। এই যজ্ঞও অন্তিম পর্যন্ত চলবে। এই পুরাতন দুনিয়া বিনষ্ট হয়ে যাবে। বাবা বলছেন, আমি হলাম কালেরও কাল, সবাইকে নিয়ে যেতে এসেছি। তোমাদেরকে পড়াচ্ছি যাতে তোমরা স্বর্গের মালিক হতে পার। তোমরা জানো যে এখন প্রত্যেক মানুষই সদা-দুর্ভাগ্যবান। সত্যযুগে সদা-সৌভাগ্যবান ছিল। এই তফাৎটা সবাইকে বোঝাতে হবে। যখন এখানে আসে তখন ভালোভাবে বুঝতে পারে কিন্তু ঘরে গেলেই সব ভুলে যায়। যেমন গর্ভজেলের মধ্যে প্রতিজ্ঞা করে যে আমি আর পাপ কর্ম করব না, কিন্তু কয়েদীর মতো বাইরে বেরিয়ে পুনরায় পাপ কর্ম করতে থাকে। এখন তো প্রত্যেক মানুষই কয়েদী। ঘনঘন গর্ভজেলে গিয়ে শাস্তি খায়। বাবা বলছেন, এখন আমি তোমাদেরকে গর্ভজেলের কয়েদী হওয়ার হাত থেকে মুক্ত করছি। সত্যযুগে গর্ভকে জেল বলা হবে না। আমি তোমাদেরকে এই শাস্তি থেকে মুক্ত করতে এসেছি। এখন কেবল আমাকে স্মরণ করো, কোনো পাপ কর্ম করোনা এবং নির্মোহী হও। গায়ন করে - তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই…। কিন্তু এই গায়ন কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে করা হয় না। কৃষ্ণ তো ৮৪ জন্ম নেওয়ার পরে এখন ব্রহ্মা হয়েছে। এরপর পুনরায় ঐরকম কৃষ্ণ হতে হবে। তাই এই শরীরের মধ্যেই প্রবেশ করেছেন। এটা পূর্ব নির্মিত নাটক। ভগবান এখন সূর্য এবং চন্দ্র বংশের স্থাপন করছেন। তোমাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য প্রাপ্তি করাচ্ছেন। এখন তোমরা বেহদের বাবার কাছ থেকে পুরুষার্থের দ্বারা অনেক জন্মের জন্য প্রাপ্তি করছ। এই বাবা-ই হলেন স্বর্গের রচয়িতা। এইগুলো সব বোঝার বিষয়। এই নাটকে প্রত্যেক অভিনেতার নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। তাই আমি কেন শুধু শুধু দুঃখ পাব কিংবা মারামারি করব? আমরা জীবিত অবস্থায় কেবল ওই বাবাকেই স্মরণ করি। আমরা এই শরীরটার পরোয়া করি না। এই পুরাতন শরীরটার মৃত্যু হলেই আমরা বাবার কাছে চলে যাব। এখন তোমরা ভারতের অনেক সেবা করছ। তোমরাই অন্নপূর্ণা, দূর্গা, কালি ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পূজিত হও। তাই কালি এইরকম ভয়ঙ্কর রূপধারী হয়না কিংবা গণেশের এইরকম শুঁড় থাকে না। মানুষ তো মানুষের মতোই হয়। বাবা এখন বোঝাচ্ছেন, আমি তোমাদের মতো সন্তানদেরকে লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো বানাচ্ছি। তোমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যাও যে এখন আমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে গিয়ে প্রিন্স-প্রিন্সেস হব। বাবা, যিনি স্বর্গের রচনা করেন, তাঁকে কেউই জানেনা। জগদম্বাকেও ভুলে গেছে। মন্দিরে যার মূর্তি আছে, তিনি এখন চৈতন্য রূপে বসে আছেন। কলিযুগের পর পুনরায় সত্যযুগ আসবে। মানুষ প্রশ্ন করে কবে বিনাশ হবে। আরে, আগে তো তুমি পড়াশুনা করে বুদ্ধিমান হয়ে যাও। বরাবর মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছে এবং তার পরেই স্বর্গের গেট খুলেছে। সুতরাং এখন এই মাতাদের দ্বারা স্বর্গের গেট খুলছে। ‘বন্দে মাতরম্’ ইত্যাদি গান করা হয়। যারা পবিত্র তাদেরই বন্দনা করা হয়। দুই রকমের মাতা আছে। এক, শারীরিক সমাজ সেবক; দুই, রুহানি বা আত্মিক সমাজ সেবক। এটা হল তোমাদের আধ্যাত্মিক যাত্রা। তোমরা জানো যে আমরা এই শরীর ত্যাগ করে ফিরে যাব। ভগবানুবাচ হল - ‛মন্মনা ভব’। আমাকে অর্থাৎ নিজ পিতাকে স্মরণ করো। ছোট বাচ্চা কৃষ্ণ তো এইরকম বলতে পারবে না। তাঁর তো নিজের পিতা আছে। ‘মন্মনা ভব’- কথার অর্থ কেউই জানে না। বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে এবং ওড়ার জন্য ডানা প্রাপ্ত হবে। এখন তোমাদের পাথরের মতো বুদ্ধি পরশের মতো হচ্ছে। রচয়িতা অর্থাৎ বাবা তো সকলের জন্যই এক। আদি দেব এবং আদি দেবীর মন্দিরও রয়েছে। তোমরা অর্থাৎ তাদের সন্তানরা এখানে রাজযোগ শিখছ। তোমরা এখানেই তপস্যা করেছিলে। সামনেই তোমাদের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে। লক্ষ্মী-নারায়ন কিভাবে রাজত্ব পেল? এই মন্দির তারই স্মৃতিচিহ্ন। তোমরা হলে রাজঋষি। রাজত্ব পাওয়ার জন্য অর্থাৎ পুনরায় ভারতে রাজত্ব করার জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছ। নিজের তনু-মন-অর্থ দিয়ে সেবা করে তোমরা ভারতে স্বর্গের রাজত্ব স্থাপন করছ। বাবার শ্রীমতের দ্বারা তোমরা এই পতিত রাবণ রাজ্য থেকে সবাইকে মুক্ত করছ। বাবা হলেন লিবারেটার বা মুক্তিদাতা, দুঃখহর্তা-সুখকর্তা। তোমাদের দুঃখ দূর করার জন্য তিনি পুরাতন দুনিয়াকে বিনষ্ট করেন। তোমাদেরকে শত্রুর উপরে বিজয়ী বানান এবং তোমরা মায়াজিৎ-জগৎজিৎ হয়ে যাও। প্রতি কল্পেই তোমরা রাজত্ব নাও এবং পুনরায় হারিয়ে ফেল। এটা হল রুদ্র শিবের জ্ঞান যজ্ঞ যার থেকে বিনাশের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। বাকি সবকিছুর বিনাশ হয়ে যাবে এবং তোমরা সদাসুখী হয়ে যাবে। দ্বাপরযুগ থেকে দুঃখ শুরু হয়। বাবা বলছেন, আমি এসে নরকবাসীদেরকে স্বর্গবাসী বানাই। কলিযুগ হল বেশ্যালয় এবং সত্যযুগ হল শিবালয়। তোমরা বেহদের বাবার দ্বারা স্বর্গের মালিক হচ্ছ। তাই তোমাদের খুশির পারদ ঊর্ধগামী হওয়া উচিত। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি রুহানী বাচ্চাদের প্রতি রুহানী বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
 

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

1. জীবিত অবস্থায় বাবাকে স্মরণ করে উত্তরাধিকার নিতে হবে। কোনো কিছুর পরোয়া করতে হবে না।
2. শ্রীমৎ অনুসারে নিজের তনু-মন-অর্থ দিয়ে ভারতকে স্বর্গ বানানোর সেবা করতে হবে। সবাইকে রাবণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার যুক্তি বলতে হবে।

বরদানঃ- 

অসীমের স্মৃতি-স্বরূপ দ্বারা সীমিত বিষয়গুলোকে সমাপ্ত করে অনুভবের প্রতিমূর্তি হও

তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা হলে- বীজ এবং মুখ্য দুই পাতা অর্থাৎ ত্রিমূর্তির সাথে ডাইরেক্ট নিকট সম্বন্ধে থাকা কান্ড। এই উঁচু স্থিতিতে স্থিত থেকে অসীমের স্মৃতি-স্বরূপ হলে সীমিত বিষয়গুলো সমাপ্ত হয়ে যাবে। নিজের অসীম পরিপক্কতার স্মৃতি থাকলে সর্বদা সর্ব-অনুভবের প্রতিমূর্তি হয়ে যাবে। তোমরা হলে অসীমের পূর্বজ, সেই অক্যুপেশনকে স্মৃতিতে রাখো। তোমাদের মতো পূর্বজ আত্মাদের কর্তব্য হল অমর জ্যোতি হয়ে অন্ধকারে বিভ্রান্ত আত্মাদেরকে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া।

স্লোগানঃ- 
কোনো ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ না করে সর্বদা খুশিতে থাকা - এটাই হল খুশীতে মত্ত যোগী হওয়া।