১৬-১০-১৮ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চার - এখন তোমরা অনেক বড় স্টিমারে বসে আছ, তোমাদের নোঙ্গর উঠে গেছে, তাই তোমরা লবণাক্ত চ্যানেল পার হয়ে ক্ষীর সাগরে যাচ্ছ"

প্রশ্ন:-

বাচ্চাদের কোন্ বিষয়ে বিশেষ ক্লান্তি আসে ? এই ক্লান্তি আসার মুখ্য কারণ কি ?

উত্তর:-

বাচ্চারা চলতে চলতে স্মরণের যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে যায়, এই ক্লান্তি আসার মুখ্য কারণ হলো সঙ্গদোষ l এমন সঙ্গে চলে যায় যে, বাবার হাত ছেড়ে দেয় l বলা হয় যে, সুসঙ্গ ভালোর দিকে নিয়ে যায়, কুসঙ্গ পতনের দিকে নিয়ে যায় l সঙ্গদোষে এসে স্টীমার থেকে পা যদি নিচে নামাও তাহলে মায়া কাঁচা খেয়ে নেবে, তাই বাবা বাচ্চাদের সাবধান করেন -- দেবী, সমর্থ বাচ্চাদের হাত কখনোই ছেড়ো না l

গীত:-

মাতা ও মাতা, তুমিই ভাগ্যবিধাতা...

ওম্ শান্তি l

রুহানী বাবা রুহানী বাচ্চাদের বলেন - বাচ্চারা, ওম্ শান্তি l একেও মহামন্ত্র বলা হয় l আত্মা নিজের স্বধর্মের মন্ত্র জপ করে l আমি আত্মার স্বধর্ম হলো শান্ত l শান্তির জন্য আমার জঙ্গল ইত্যাদিতে যাওয়ার দরকার নেই l আমি আত্মা শান্ত স্বরূপ, এ হলো আমার অরগ্যান্স l আওয়াজ করা বা না করা, এ তো আমার হাতে কিন্তু এই জ্ঞান না থাকার কারণে দোরে দোরে বিভ্রান্ত হয় l এর উপর একটি কাহিনীও আছে -- এক রাণীর হার গলাতেই ছিলো কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিলো, তার মনে হয়েছিলো যে, আমার হার হারিয়ে গেছে, তাই সে বাইরে খুঁজছিল l তারপর কেউ বলেছিল, হার তো গলাতেই আছে l এই দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় l মানুষ তো দোরে দোরে বিভ্রান্ত হয় l সন্ন্যাসীরাও বলে যে, মনের শান্তি কিভাবে হবে, কিন্তু আত্মার মধ্যেই তো মন - বুদ্ধি আছে l আত্মা এই শরীরে এলে টকি হয়ে যায় l বাবা বলেন যে, তোমরা আত্মারা নিজেদের স্বধর্মে থাকো l এই দেহের সব ধর্ম ভুলে যাও l বার বার বোঝানো সত্বেও কেউ কেউ বলে - আমাকে শান্তিতে বসাও, মেডিটেশন করাও l এ বলাও ভুল l এক আত্মা অন্য আত্মাকে বলে যে, আমাকে শান্তিতে বসাও l আরে, তোমাদের স্বধর্ম কি শান্ত নয় ? তোমরা নিজেরাই কি বসতে পারো না ? চলতে ফিরতে তোমরা কেন স্বধর্মে স্থির হও না ? যতক্ষণ না পথ বলে দেবার জন্য বাবাকে না পাওয়া যায়, ততক্ষণ স্বধর্মে কেউ টিকতে পারে না l ওরা তো বলেই দেয় যে, আত্মাই পরমাত্মা,তাই তারা স্বধর্মে টিকতে পারে না l এই অশান্ত দেশে এ হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম l এখন তোমাদের শান্তির দেশে যেতে হবে, তারপর সুখধামে l এখানে তো ঘরে ঘরে অশান্তি l সত্যযুগে ঘরে ঘরে রোশনাই l তাই এখানে হলো অন্ধকার, এখানে প্রতি কথায় ঠোকর খেতে হয় l ঘরে ঘরে অন্ধকার, তাই সবাই দীপ জ্বালায় l যখন রাবণকে জ্বালিয়ে দেয় তখন মানুষ দীপমালা পালন করে l ওখানে তো রাবণ থাকে না l তাই সর্বদাই দীপমালা l এখানে রাবণ রাজের কারণে ১২ মাসের পরে দীপমালা পালন করা হয় l রাবণের মৃত্যু হলে লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্যাভিষেক হয় l তাদের জন্য খুশী উদযাপন হয় l সত্যযুগে লক্ষ্মী - নারায়ণ যখন সিংহাসনে আসীন হয় তখন রাজ্যাভিষেকের উৎসব পালন করা হয় l তোমরা জানো যে এখন রাবণ রাজ্য সম্পূর্ণ হবে l ভারত আবারও রাজ্য - ভাগ্য পাবে l এখন কোনো রাজ্য নেই l বাবার থেকেই রাজ্য পেতে হবে l বেহদের বাবা বেহদের রাজধানীর বর্সা দেন l বাবা বলেন যে আমি তোমাদের সদা সুখের বর্সা দিই, বাকি আর সবাই তোমাদের দুঃখ দেয় l যদি কেউ সুখও দেয়, তা হল অল্পকালের ক্ষণভঙ্গুর l সেই সুখ হলো কাক বিষ্ঠার সমান l আমি তোমাদের এতো সুখ দিই যে তোমাদের কখনোই আর দুঃখ হবে না তাই এই দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধধারীদের ভুলে যাও l এই দেহ আর দেহ সম্বন্ধী তোমাদের দুঃখ দেয়, এদের ছেড়ে আমি এক বাবাকে স্মরণ করো l এই স্মরণ করতে হয় - ভোরবেলা অর্থাৎ অমৃতবেলা l ভক্তিমার্গেও মানুষ ভোরবেলা শয্যাত্যাগ করে l কেউ কেউ কারোর মতে কি করে, কেউ আবার অন্য কারোর মতে l বাবা বোঝান যে ভোরবেলা উঠে যতটা সম্ভব নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো l এই হলো বাবার নির্দেশ l



ভক্ত ভগবানকে স্মরণ করে,আবার বলে দেয় সবাই ভগবান l এখনো তারা বুঝতে পারে না l একদিন সবাই তোমাদের মিত্র হবে l তারা বলবে, এ কথা তো ঠিক l ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলার অর্থ নিজের আর তার সঙ্গে ভারতের তরী ডুবিয়ে দেওয়া l দ্বিতীয় কথা হলো, ভারতকে স্বরাজ্যের মাখন দেন বাবা, তাঁর পরিবর্তে বাবার বাচ্চা শ্রীকৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে, যে শ্রীকৃষ্ণকে মাখন হাতে দেখানো হয় l তাই মানুষ মনে করে ভারতকে মাখন দেন শ্রীকৃষ্ণ l বাবার পরিবর্তে বাচ্চার নাম দিয়ে অনর্থ করে দিয়েছে l এখন সম্পূর্ণ দুনিয়ার ভগবান তো আর কৃষ্ণ হতে পারে না l মানুষ রাবণের মতে চলে নিজেদেরই নিজে অভিশপ্ত করেছে l বাবা হলেন কান্ডারী আর তোমরা সবাই হলে তরী l গাওয়া হয় না --- আমার তরী পার করো l এখন তোমরা বড় স্টিমারে বসে আছ l চন্দ্রকান্ত বেদান্ততে স্টিমারের কথা আছে l তাও এখনকার বানানো l তোমরা স্টিমারে ওইপারে যাচ্ছ l তোমরা বিষয় সাগর থেকে অমৃত অথবা ক্ষীর সাগরে যাও l লন্ডনে যেমন নোনতা জলের চ্যানেল যে স্টিমার পার করে, তাকে পুরস্কার দেওয়া হয় l আর এ হলো নরক থেকে স্বর্গে যাওয়া l বিষয় সাগর হলো নুন জল l তোমরা বড় স্টিমারে বসে আছো l তোমরা এখন চলতে শুরু করেছো, তোমাদের নোঙ্গর উঠে গেছে l তোমরা এখন চলেছ, তোমাদের ওইপারে যেতে হবে l স্টিমার চলতে চলতে পোর্ট আসে l সেখানে কেউ নামে, কেউ আবার ওঠে l কেউ যদি খাওয়া - দাওয়ার পিছনে যায় তাহলে থেকে যাবে l এর উপর এক কাহিনী বানানো হয়েছে l কৃষ্ণ হল বটুক মহারাজ l সে হল স্টিমারের ক্যাপ্টেন l এরপর স্টিমারে চলতে চলতে কেউ যদি নেমে যায় তো সেখানে মায়া অজগর বসে থাকে l মহারথীদেরও গিলে ফেলে l পড়া ছেড়ে দিলে মনে করা হবে নিশ্চয়বুদ্ধি নয় l তখন মাঝ সাগরে পড়ে যায় l



তোমরা দেখেছো যে - পাখি যখন মরে যায় তখন দল বেঁধে পিঁপড়ে এসে তা খেয়ে নেয় l তেমনই এই পাঁচ বিকার রূপী ভূত একদম কাঁচা চিবিয়ে গিলে ফেলে l এর উপর বড় কাহিনী লেখা হয়েছে l মনে করো কেউ স্টিমারে বসে আছে - গ্যারান্টিও দেয়, নিজের ফটোও পাঠিয়ে দেয় কিন্তু কারোর সঙ্গে যদি বিগড়ে যায় তো পড়া ছেড়ে দেবে, তখন সেই চিত্র তাকে ফেরত দেওয়া হবে l এই সময় মায়া হলো তমোপ্রধান l ঈশ্বরের হাত ছাড়লেই অসুর হাত ধরে ফেলবে l এমন অনেকেই চলতে চলতে হাত ছেড়ে নেমে যায় l খবর আসে যে --- ওকে ক্রোধের ভূত, ওকে মায়ার ভূত ধরে ফেলেছে l প্রথমে তো নষ্টমোহ হতে হবে l একের প্রতিই মোহ রাখতে হবে l এতেই হল পরিশ্রম l মোহের শিকল তোমাদের অনেক লেগে আছে l এখন এই একের সঙ্গে বুদ্ধিযোগ লাগাতে হবে l মানুষ যখন বসে ভক্তি করে তখন বুদ্ধি কখনো ব্যবসার দিকে কখনো ঘরের দিকে চলে যায় l এখানেও তোমাদের এমনই হবে l চলতে চলতে তোমাদের সন্তানের কথা স্মরণে এসে যাবে l স্বামীর কথা স্মরণে এসে যাবে l বাবা বলেন যে এই শৃঙ্খল থেকে বুদ্ধিযোগ দূর করে সেই এককে স্মরণ করো l অন্তিম সময় যদি অন্য কারোর স্মৃতি আসে তাহলে অন্তিম কালে যে পতিকে স্মরণ করে -- পরের দিকে শিববাবা ছাড়া যেন অন্য কেউ স্মরণে না আসে, এমন অভ্যাস তৈরী করতে হবে l ভোরবেলা উঠে বাবাকে স্মরণ করো l বাবা আমি তোমার কাছে এসেছি - অবশ্যই আমরা স্বর্গের মালিক হব l বাবা এবং তাঁর অবিনাশী বর্সাকে অর্থাত্ অল্ফ এবং বে কে ( আল্লাহ এবং বাদশাহী ) স্মরণ করতে হবে l অল্ফ হলো বাদশাহ আর বে হলো বাদশাহী l আত্মা হলো বিন্দু l এখানে মানুষ টীকা লাগায়, কেউ আবার বিন্দি বা টিপ পড়ে, কেউ লম্বা তিলক কাটে, কেউ আবার ক্রাউনের মতো করে, কেউ ছোটো স্টার লাগিয়ে দেয়, কেউ আবার হীরা লাগায় l বাবা বলেন যে, তোমরা হলে আত্মা l তোমরা জানো, আত্মা স্টারের মতো l সেই আত্মার মধ্যে সমস্ত ড্রামার রেকর্ড ভরা আছে l বাবা এখন নির্দেশ দিচ্ছেন যে, নিরন্তর বাবাকে স্মরণ করো আর সবার সঙ্গে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করো l এমন লক্ষ্য আর কেউই দিতে পারে না l বাবা বলেন যে, তোমাদের মাথায় জন্ম - জন্মান্তরের পাপের বোঝা আছে l স্মরণ ছাড়া তা ভস্ম হবে না l এভার হেলদী হওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করতে হবে l বাবার কাছেই অবিনাশী আশীর্বাদী বর্সা পাওয়া যায় l এভার হেলদী আর এভার ওয়েলদী হওয়ার জন্য l স্বাস্থ্য আর সম্পদ থাকলে আর কি প্রয়োজন l স্বাস্থ্য আছে, কিন্তু সম্পদ না থাকলে মজা নেই l আবার সম্পদ আছে কিন্তু স্বাস্থ্য না থাকলে মজা নেই l আত্মাকে প্রথমে বাবাকে স্মরণ করতে হবে তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হবে আর ২১ জন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য পাবে আর স্বদর্শন চক্রধারী হলে ২১ জন্মের জন্য সম্পদ পাবে l এ কত সহজ কথা l আমরা ৮৪ জন্ম এমন চক্র পরিক্রমা করেছি l এখন সবই শেষ হয়ে যাবে তাই কেন মন লাগাব ? তাতেই মন লাগাতে হবে যিনি আমাদের নতুন দুনিয়ার বাদশাহী দেবেন l বাবা আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন - বাচ্চারা, এখন এই শরীরকে ভুলে নিজেকে অশরীরী মনে করে আমাকে স্মরণ করো l এই শরীর তোমরা অভিনয় করার জন্য পেয়েছ l ভোরে উঠে এই স্মরণ করা উচিত l যে সাজন লবণাক্ত চ্যানেল থেকে পারে নিয়ে যান, তাঁকে স্মরণ করতে হবে, বাকি আর সকলেই বিষয় সাগরে ডুবে যাবে l বাবাই পার করেন, তাই তাঁকে কান্ডারী বা বাগানের মালী বলা হয় l তিনি তোমাদের কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করে স্বর্গে পাঠিয়ে দেন l এরপর স্বর্গে তোমরা কখনোই দুঃখ দেখবে না, তাই তাঁকে বলা হয় দুঃখহর্তা, সুখকর্তা l হর হর মহাদেব বলা হয়, তাই না ! শিবকেই এ কথা বলা হবে l ইনি হলেন ব্রহ্মা - বিষ্ণু এবং শঙ্করের বাবা l সেই বাবাই ২১ জন্মের জন্য সুখের অবিনাশী বর্সা দেন, তাই তাঁকে স্মরণ তো করতে হবে, তাই না, এতেই সাহসের প্রয়োজন l স্মরণ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেই এই পথ চলা বন্ধ করে দেয় l এমন সঙ্গে চলে যায় যে বাবাকে ছেড়ে দেয়, তাই বলা হয় সঙ্গ উদ্ধার করে আর কুসঙ্গ নাশ করে l বাইরে গেলে কুসঙ্গ হবে তখন নেশা উড়ে যাবে l কেউ আবার বলে ব্রহ্মাকুমারীদের কাছে জাদু আছে, লেগে যাবে l ওদের কাছে যেও না l পরীক্ষা তো আসবেই l এমন অনেক আছে - দশ বছর থেকেও আবার সঙ্গদোষে এসে যায় l নিচে পা নামালেই মায়া কাঁচা খেয়ে নেয় l এও নিশ্চিত করতে হবে যে, বাবার থেকে স্বর্গের আশীর্বাদী বর্সা অবশ্যই পাওয়া যায় l তবুও মায়ার অনেক তুফান আসে কারণ এ তো যুদ্ধের ময়দান l অর্ধেক কল্প মায়ার রাজ্য চলেছে l এখন এর উপর বিজয় পেতে হবে l রাবণকে জ্বালিয়ে একদিনের খুশী পালন করে l এ সবই মেকি সুখ l প্রকৃত সুখ তো আছে সুখধামে l বাকি নরকের সুখ হলো কাক বিষ্ঠার সমান l স্বর্গে তো সুখই সুখ l তোমরা সুখধামের জন্য পুরুষার্থ করছো l বক্সিংয়ে কখনো মায়ার জিত কখনো আবার বাচ্চাদের জিত হয় l এই যুদ্ধ রাতদিন চলতে থাকে l ওস্তাদের হাত সম্পূর্ণ ভালো ভাবে ধরতে হবে l ওস্তাদ হলেন সর্বশক্তিমান এবং সমর্থ l তাঁর হাত ছেড়ে দিলে সর্বশক্তিমান তখন কি করবেন ? হাত ছেড়ে দিলেই গেলে তোমরা l স্টিমারের কথা শাস্ত্রেও আছে l এখন স্টিমার চলছে l বাকি আর অল্প দিন আছে l বৈকুন্ঠ তো সামনে নজরে আসছে l পরের দিকে তো মূহুর্তে মূহুর্তে বৈকুন্ঠের দৃশ্য দেখতে থাকবে l শুরুতে যেমন অনেক দেখতে l পরের দিকেও তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার হবে l যারা এখানে থাকবে, যারা সাহসের সঙ্গে হাত ধরে থাকবে, তারাই অন্তিম সময় এই সব দেখতে পাবে l বাচ্চারা বলবে - বাবা এ দাসী হবে, এ অমুক হবে l তারপর আফশোষ করবে - আমরা দাসী হয়ে গেলাম l পরিশ্রম না করলে আর কি হাল হবে ? তখন অনেক অনুশোচনা করতে হবে l শুরুতে তোমরা অনেক খেলা দেখেছো l এমন গান আছে না -- যা আমরা দেখেছি -- তাই সময় যতো কাছে আসতে থাকবে, তখন সব বলতে থাকবে, তখন পড়া তো আর হবে না l বাবা বলবেন, তোমাদের কত বুঝিয়েছি, তোমরা শ্রীমতে চলো নি তাই এমন হাল হয়েছে, এখন কল্প কল্প এই পদ পেতে থাকবে, তাই বাবা বলেন যে, নিজের পুরুষার্থ করতে থাকো মাতা - পিতাকে অনুসরণ করো l কেউ তো কুপুত্রও হয়, তাই না l মায়ার বশ হলে খুবই বিচলিত করবে, তখন অনেক বড় সাজা খেতে হবে, পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে l বাচ্চারা এই সাজারও সাক্ষাৎকার করেছে l দুনিয়াতে হলো আসুরী সঙ্গ আর এখানে হলো ঈশ্বরীয় সঙ্গ l বাবা সব কথা বুঝিয়ে বলেন, তারপর এমন কেউই বলতে পারবে না যে, আমরা জানতাম না ? বিনাশের সময় মানুষ অনেক ত্রাহি ত্রাহি করতে থাকবে l তোমরা তখন অনেক সাক্ষাৎকার করতে থাকবে l কারোর পৌষ মাস কারোর সর্বনাশ -- এইভাবেই তোমরা নৃত্য করতে থাকবে l তোমরা দেখতে থাকবে যে, বিনাশের পরে কিভাবে আমাদের মহল তৈরী হবে l যারা বেঁচে থাকবে তারা সব দেখতে থাকবে l বাবার হয়ে আবার তালাক দিয়ে দিলে থোড়াই দেখতে পাবে l আচ্ছা l



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি, পাঁচ হাজার বছর পরে মিলিত হওয়া বাচ্চাদের প্রতি পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার l

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১. সমর্থ বাবার হাত ধরে থাকতে হবে, এক বাবার সঙ্গেই মন লাগাতে হবে, ভোরবেলা উঠে বাবার স্মরণে বসতে হবে l

২. সঙ্গদোষ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে l কুসঙ্গে এসে কখনো পড়া ছেড়ে দিও না l

বরদান:-

সেবায় সর্বদা সহযোগী হয়ে সহজ যোগের বরদান প্রাপ্ত করে বিশেষত্ব সম্পন্ন ভব

ব্রাহ্মণ জীবন হলো বিশেষত্ব সম্পন্ন জীবন, ব্রাহ্মণ হওয়া অর্থাৎ 'সহজ যোগী ভব' বরদান প্রাপ্ত করা l এ হলো সবথেকে প্রথম জন্মের বরদান l এই বরদানকে বুদ্ধিতে সর্বদা স্মরণে রেখো - এটাই হলো বরদানকে জীবনে আনা l বরদানকে জীবনে সফল করার সহজ বিধি হলো - সর্ব আত্মার প্রতি বরদানকে সর্বদা সেবায় লাগানো l সেবাতে সহযোগী হওয়াই হলো সহজ যোগী হওয়া l তাই এই বরদানকে স্মৃতিতে রেখে বিশেষত্ব সম্পন্ন হও l

স্লোগান:-

নিজের মস্তক মণির দ্বারা নিজের স্বরূপ আর শ্রেষ্ঠ লক্ষ্যের সাক্ষাৎকার করানোই হলো লাইট হাউস হওয়া l