28/10/18       Avyakt Bapdada      Bengali Murli       22.02.84     Om Shanti     Madhuban


সঙ্গমযুগের চার কম্বাইন্ড রূপের অনুভব


আজ, বাপদাদা সব বাচ্চাদের কম্বাইন্ড রূপ দেখছেন l বাচ্চারা তোমরা সবাই নিজেদের কম্বাইন্ড রূপ সম্পর্কে ভালোভাবে জানো ? এক হলো, তোমাদের এই অন্তিম পুরানো শরীর, কিন্তু তা' তোমাদের অতি অমূল্য বানায়, সেই শরীরের সাথে তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা কম্বাইন্ড l তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মারা এই শরীরের আধার দ্বারা শ্রেষ্ঠ কার্য এবং বাপদাদার সাথে মিলনের অনুভব করছো l প্রত্যেকের শরীর পুরানো কিন্তু এই অন্তিম শরীরের মহত্ব এটাই, তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা এই শরীরের আধার দ্বারা অলৌকিক অনুভব করো l সুতরাং, আত্মা আর শরীর কম্বাইন্ড l পুরানো শরীরে হওয়ার কোনোরকম শরীরগত ভাব অবশ্যই রেখোনা, বরং মালিক হয়ে এর দ্বারা কার্য করাতে হবে, সেইজন্য আত্ম অভিমানী এবং কর্মযোগী হয়ে কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা কর্ম করাও l

দ্বিতীয়তঃ , তোমাদের অলৌকিক বি-চিত্র কম্বাইন্ড রূপ l যা সারা কল্পে এই কম্বাইন্ড রূপের অনুভব শুধু এখন করতে পারো l এই কম্বাইন্ড রূপের অনুভব, "তুমি এবং বাবা" l সদা বিজয়ী হয়ে, সকলের বিঘ্ন বিনাশক হয়ে, সদা মাস্টার সর্বশক্তিমান হয়ে থাকা l সদা শুভ ভাবনা, শ্রেষ্ঠ কামনা, শ্রেষ্ঠ বাণী, শ্রেষ্ঠ দৃষ্টি, শ্রেষ্ঠ কর্ম দ্বারা অন্যদেরকে তোমাদের বিশ্ব কল্যাণকারী হওয়ার অনুভব করাও l এটা তোমাদের এক সেকেন্ডে সকল সমস্যার সমাধান স্বরূপ বানায় l তোমাদের নিজেদের এবং সকলের জন্য দাতা এবং মাস্টার বরদাতা বানায় l শুধু এই কম্বাইন্ড রূপে সদা স্থিত থাকলে তোমরা সহজেই স্মরণ ও সেবায় সফলতার প্রতিমূর্তি হয়ে যাও l বিধি শুধু নামেমাত্র হবে আর সিদ্ধি সদা তোমাদের সাথে থাকবে l এই সময়ে বিধি অনুসরণে বেশি সময় লাগে l সিদ্ধি তোমাদের যথাশক্তি অনুভব হয় l যতোই হোক, যতো বেশি তোমরা এই অলৌকিক, শক্তিশালী কম্বাইন্ড রূপে সদা থাকবে ততোই বিধির দ্বারা অধিক সিদ্ধি অনুভব করবে l তোমরা যা পুরুষার্থ করো তার থেকে বেশি প্রাপ্তি অনুভব করবে l সিদ্ধিস্বরূপের অর্থই হলো প্রত্যেক কার্যে আগে থেকেই সিদ্ধি হয়ে আছে l এই অনুভব প্র্যাকটিক্যাল হতে দাও l

তৃতীয় কম্বাইন্ড রূপ হলো , "যে আমি ব্রাহ্মণ, সেই আমি ফরিস্তা" , - ব্রাহ্মণ রূপ আর অন্তিম কর্মাতীত ফরিস্তা স্বরূপ l এই কম্বাইন্ড রূপের অনুভূতি বিশ্বের সামনে তোমাদের সাক্ষাৎকারমূর্তি বানাবে l ব্রাহ্মণ যে, সেই ফরিস্তা এই স্মৃতি দ্বারা চলতে ফিরতে ব্যক্ত শরীর দ্বারা ব্যক্ত দুনিয়ায় তোমরা তোমাদের পার্ট প্লে করেও নিজেদের অনুভব করবে, তোমরা ব্রহ্মাবাবার সাথী, সূক্ষ্ম বতনের ফরিস্তা ব্যক্ত দেশে ব্যক্ত দেহের মধ্যে বিশ্ব সেবার জন্য এসেছো l এইরকম ব্যক্ত ভাবের ঊর্ধ্বে অব্যক্ত রূপধারী অনুভব করবে নিজেদের l এই অব্যক্ত ভাব অর্থাৎ ফরিস্তা হওয়ার ভাব নিজে থেকেই অব্যক্ত অর্থাৎ ব্যক্ত ভাবের আচার-আচরণ, ব্যক্ত ভাবের স্বভাব, ব্যক্ত ভাবের সংস্কার সহজেই পরিবর্তন করে নেবে l যখন অনুভূতি পরিবর্তন হয়, সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায় l এইরকম অব্যক্ত ভাব সদা তোমাদের স্বরূপ হতে দাও l তোমাদের স্মৃতিতে আছে, তোমরা ব্রাহ্মণই সেই ফরিস্তা l সেই স্মৃতিকে এখন স্বরূপে আসতে দাও l স্বরূপ নিরন্তর নিজে থেকেই সহজ হয়ে যায় l স্বরূপে আনা অর্থাৎ সদা তোমরা অব্যক্ত ফরিস্তা হয়ে আছো l কখনো কখনো ভুলে যাওয়া আর কখনো কখনো মনে আসা, স্মৃতিতে থাকার প্রথম স্টেজ l স্বরূপ হয়ে যাওয়া - এটাই হল শ্রেষ্ঠ স্টেজ l

চতুর্থতঃ , ভবিষ্যৎ চতুর্ভূজ স্বরূপ, লক্ষ্মী-নারায়ণের কম্বাইন্ড রূপ, কারণ এই সময় তোমরা আত্মারা লক্ষ্মী নারায়ণ দুইই হওয়ার সংস্কার দ্বারা ভরপুর হচ্ছ l কখনো তোমরা লক্ষ্মী হবে আর কখনো তোমরা নারায়ণ হবে l ভবিষ্যৎ প্রারব্ধের কম্বাইন্ড রূপ এতটাই স্পষ্ট হতে দাও l আজ ফরিস্তা, কাল দেবতা l এই মুহূর্তে ফরিস্তা, পরমুহূর্তে দেবতা l তোমাদের রাজত্ব এবং তোমাদের রাজকীয় স্বরূপ সমাগত প্রায় l সেই রাজ্য আর রাজরূপ প্রস্তুত প্রায় l এইভাবে তোমাদের সঙ্কল্প স্পষ্ট এবং শক্তিশালী হতে দাও, কারণ যখন তোমাদের স্পষ্ট আর সমর্থ সঙ্কল্প ইমার্জ হবে, তোমাদের রাজত্ব কাছে চলে আসবে l তোমাদের ইমার্জ হওয়া সঙ্কল্প নতুন সৃষ্টি রচনা করবে, অর্থাৎ সেইসব সঙ্কল্প এই দুনিয়াতে নতুন সৃষ্টি নিয়ে আসবে l যখন তোমাদের সঙ্কল্প মার্জ হয়, নতুন সৃষ্টি ইমার্জ হতে পারে না l ব্রহ্মার সঙ্কল্পের সাথে ব্রাহ্মণদের সঙ্কল্প দ্বারা এই ভূমিতে নতুন সৃষ্টি প্রত্যক্ষ হবে l ব্রহ্মাবাবাও নতুন দুনিয়াতে তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের সাথে প্রথম পার্ট প্লে করার জন্য প্রতীক্ষা করছেন, কারণ তাঁর প্রতিজ্ঞা তোমাদের সাথে যাওয়ার l ব্রহ্মা যদি শুধু একলা কৃষ্ণ হন, তবে তিনি একলা কি করতে পারবেন ? তাঁর সাথে যারা খেলবে, পড়বে তাদেরকেও তো প্রয়োজন, তাই না ! সেইজন্য ব্রহ্মাবাবা ব্রাহ্মণদের বলেন, আমার সমান, বাবার সমান অব্যক্ত রূপধারী, অব্যক্ত স্থিতিধারী ফরিস্তা রূপ হও l ফরিস্তাই দেবতা হবে l বুঝেছো তোমরা ? এই সব কম্বাইন্ড রূপে স্থিত হলে তবেই একমাত্র তোমরা সম্পন্ন আর সম্পূর্ণ হয়ে যাবে l বাবাসম হয়ে সহজেই কর্মে সিদ্ধিলাভের অনুভব করবে l

ডবল বিদেশি বাচ্চাদের বাপদাদার সাথে রূহ্-রিহান করার বা মিলন উদযাপন করার তীব্র ইচ্ছা থাকে l সবাই তোমরা উপলব্ধি করো যে আজই আমি বাবার সাথে মিলিত হব l কিন্তু সাকার দুনিয়ায় তো অনেক কিছু দেখতে হয় l কারণ চন্দ্র, সূর্যের অধীন দুনিয়া না ! এই সবের ঊর্ধ্বের দুনিয়ায় চলে এসো, এখানে তোমরা যতক্ষণ ইচ্ছা বসতে পারো l নিজ নিজ বিশেষত্বে সব বাচ্চাই বাপদাদার প্রিয় l তোমরা কেউ কেউ মনে করো যে এই-ই অধিক প্রিয়, তুমি ততটা প্রিয় নও l এইরকম কোনো ব্যাপার নেই l মহারথীরা প্রিয় তাদের নিজস্ব বিশেষত্বে, আর বাবার সামনে নিজ নিজ রূপে সবাই তোমরা মহারথী l তোমরা মহান আত্মা, সেইজন্য তোমরা মহারথী l কার্য চালানোর জন্য স্নেহের সাথে কাউকে নিমিত্ত বানাতেই হয়, অন্যথায় তোমরা তো কার্য নিমিত্ত তোমাদের নিজের নিজের স্থান লাভ করেছো l যদি সবাই দাদী হয়ে যায় তবে কি কোনো কাজ হবে ? নিমিত্ত কাউকে তো বানাতেই হবে, তাই না ! কার্যতঃ, নিজের রীতিতে সকলেই তোমরা দাদী l সবাইকে তো দিদি বা দাদী বলাই হয়, তাই না ? তবুও তোমরা সবাই মিলে একজনকে তো নিমিত্ত বানিয়েছই l সবাই মিলে তাঁকে নিমিত্ত বানিয়েছো নাকি শুধু বাবাই তাঁকে নিমিত্ত বানিয়েছেন ? অথবা, শুধু ক্রিয়াকাণ্ডের নিমিত্তার্থে নিজের নিজের কার্যানুসারে কাউকে নিমিত্ত বানাতেই হয় l এর অর্থ এই নয় যে তোমরা মহারথী নও l তোমরাও মহারথী l মহাবীর তোমরা l যারা মায়াকে চ্যালেঞ্জ করে তারা মহারথী নয় তো কি !

বাপদাদার জন্য সপ্তাহ কোর্স করা বাচ্চাও মহারথী, কারণ সপ্তাহ কোর্স তখনই করে যখন তারা বোঝে যে তারা এই শ্রেষ্ঠ জীবন বানাতে চায় l তারা চ্যালেঞ্জ করেছে, সুতরাং তারা মহারথী এবং মহাবীর l বাপদাদা সদাসর্বদা তোমরা সব বাচ্চাদের একটা স্লোগান অভ্যাসে রাখার ব্যাপারে মনে করাতে থাকেন l এক তো নিজের স্ব-স্থিতি বজায় রাখা, আরেকটা, অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা l তোমাদের স্ব-স্থিতিতে তোমরা সবাই বড়ো, কেউ ছোট নয় l ব্যবসায়িক কাজকর্মে একজন কাউকে তো নিমিত্ত বানাতেই হয় l সেইজন্য ব্যবসায় সদা সফল হওয়ার স্লোগান হলো, রিগার্ড দেওয়া, রিগার্ড নেওয়া l অন্যদের রিগার্ড দেওয়াই রিগার্ড নেওয়া l রিগার্ড পাওয়ার উপায় রিগার্ড দেওয়া l রিগার্ড দিলে রিগার্ড পাবে l রিগার্ড নেওয়ার সাধনই হলো রিগার্ড দেওয়া l তুমি রিগার্ড দিলে, অথচ তুমি পেলেনা, এরকম হতেই পারেনা l কিন্তু অন্তর থেকে এটা দাও, শুধু তোমার লাভের জন্য উপর-উপর নয় l যারা অন্তর থেকে রিগার্ড দেয় তারা তাদের অন্তরে রিগার্ড লাভ করে l যদি তোমরা উপর উপর রিগার্ড দাও তো তোমরা পাবেও উপর উপর l সবসময় অন্তর থেকে দাও, অন্তর থেকে নাও l এই স্লোগান দ্বারা সদাই নির্বিঘ্ন, নিঃসঙ্কল্প, নিশ্চিন্ত থাকবে l আমার কি হবে এই চিন্তা থাকবে না l আমার সাথে সনকিছু আগে থেকে হয়েই আছে, এটা স্থিরীকৃত, তোমরা নিশ্চিন্ত থাকবে আর এইরকম শ্রেষ্ঠ আত্মাদের বর্তমান আর ভবিষ্যতের শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ আগে থেকেই পূর্ব নির্ধারিত l এটা কেউ বদল করতে পারেনা l কেউ কারও সীট নিতে পারেনা, এটা স্থির হয়ে আছে l এটা নিশ্চিত বলেই তোমরা নিশ্চিন্ত l একেই বলা যায় ফলো ফাদার করে বাবা সমান হওয়া l বুঝেছো তোমরা ?

ডবল বিদেশি বাচ্চাদের প্রতি বাবার বিশেষ স্নেহ আছে, কোনো মুনাফার জন্য নয়, হৃদয়ের স্নেহ l বাপদাদা তোমাদের শুনিয়েছিলেন যে একটা পুরানো গীত আছে, আমি দুনিয়ার উঁচু উঁচু প্রাচীর টপকে এসেছি , এটা ডবল বিদেশিদের গীত l তোমরা সমুদ্র, ধর্ম, দেশ, ভাষার বড়ো বড়ো বাধার প্রাচীর ডিঙিয়ে বাবার হয়েছো, এইজন্য তোমরা বাবার প্রিয় l ভারতবাসী দেবতাদেরই পূজারী ছিলো l তারা বড়ো বড়ো বাধা পর করেনি l কিন্তু তোমরা সব ডবল বিদেশিরা এই বড়ো বড়ো বাধা কতো সহজে পার করেছো, সেইজন্য বাপদাদা অন্তর থেকে বাচ্চাদের এই বিশেষত্বের গীত গান l বুঝেছো তোমরা ? শুধু খুশি করার জন্য করছেননা l কোনো কোনো বাচ্চা খেলাচ্ছলে বলে, বাপদাদা তো সবাইকে খুশি করেন l যতোই হোক, বাবা খুশি অর্থেই সবাইকে খুশি করেন l তোমরা নিজেরা নিজেদের জিজ্ঞাসা করো, বাপদাদা এমনিই এটা বলেন নাকি এটাই প্র্যাকটিক্যাল ! প্রতিবন্ধকতার উঁচু উঁচু প্রাচীর টপকে তোমরা এখানে এসে গেছ, তাই না ! কতো পরিশ্রম করে টিকিট পাও ! এখান থেকে যাওয়ার সাথে সাথেই তোমরা এইজন্য অর্থ সঞ্চয় করতে শুরু করো, তাই না ! বাপদাদা তোমরা সব বাচ্চাদের স্নেহ দেখেন, এবং এখানে আসার জন্য কতো ভালোবেসে তোমরা সাধন আপন করো, কিভাবে তোমরা এখানে পৌঁছাও ! তোমরা সব স্নেহী আত্মাদের গভীর নিষ্ঠা এবং স্নেহের সাধন দেখে বাপদাদা খুশি হন l দূর থেকে যারা আসে তাদের জিজ্ঞাসা করো কিভাবে তারা আসে ? কতো মেহনত করে তবুও তো তারা এখানে পৌঁছে যায়, তাই না ! আচ্ছা l

যারা সদা কম্বাইন্ড রূপে স্থিত থাকে, যারা সদা বাবা সমান অব্যক্ত ভাবে স্থিত থাকে, সদা সিদ্ধিস্বরূপ অনুভব করে, যারা নিজের সমর্থস্বরূপ দ্বারা সাক্ষাৎকার করায়, এইরকম সদা নিশ্চিন্ত, সদা নিশ্চিত বিজয়ী বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l

সানফ্রান্সিস্কো গ্রুপের সাথে:-
সবাই তোমরা নিজেদের সারা বিশ্বের বিশেষ আত্মা অনুভব করো ? কারণ বিশ্বের সকল আত্মাদের মধ্যে বাবাকে চেনার ভাগ্য তোমরা বিশেষ আত্মারা লাভ করেছো l সর্বোচ্চ বাবাকে চেনা, এটা কতো বড় সৌভাগ্য ! তোমরা তাঁকে চিনেছো, তাঁর সাথে সম্বন্ধ জুড়েছো আর প্রাপ্তিলাভ হয়েছে l এখন নিজেদেরকে বাবার সকল খাজানার মালিক অনুভব করো ? যখন তোমরা সদাই তাঁর বাচ্চা তো বাচ্চা মানেই সদা অধিকারী l এই স্মৃতিই বারংবার রিভাইস করো, আমি কে ? কার বাচ্চা ! অমৃতবেলায় যারা স্মৃতিস্বরূপের অনুভব করে তারাই শক্তিশালী থাকে l অমৃতবেলা শক্তিশালী না হলে সারাদিনে অনেক বিঘ্ন আসবে, অতএব, অমৃতবেলা যাতে শক্তিশালী থাকে l অমৃতবেলায় বাবা স্বয়ং আসেন তোমাদের বিশেষ বরদান দিতে l সুতরাং পঠনপাঠন এবং অমৃতবেলার মিলন এই দুইই যেন শক্তিশালী হয় l তাহলেই সদা সেফ থাকবে l

জার্মানি গ্রুপের সাথে :-
সদা নিজেদের বিশ্ব কল্যাণকারী বাবার বাচ্চা, বিশ্ব কল্যাণকারী আত্মা মনে করো ? অর্থাৎ সর্ব খাজানায় ভরপুর হওয়া l যখন তোমাদের নিজেদের কাছে খাজানা পরিপূর্ণ হবে, তখন অন্যকেও তো দেবে, তাই না ! সুতরাং সদা সর্ব খাজানায় ভরপুর আত্মারা যে বালক, সে-ই মালিক l এইরকম অনুভব করো তোমরা ? বাবা বলা অর্থাৎ বালক যে সেই মালিক হওয়া l এই স্মৃতি তোমাদের স্বতঃই বিশ্ব কল্যাণকারী বানিয়ে দেয় l আর এই স্মৃতি তোমাদের সদা খুশিতে ওড়ায় l এটাই ব্রাহ্মণ জীবন, সম্পন্ন থাকা, খুশিতে ওড়া আর সদা বাবার খাজানার অধিকারের নেশায় থাকা l এইরকম শ্রেষ্ঠ আত্মা তোমরা l আচ্ছা l

বরদানঃ-
নিজের প্রতিটি কর্ম আর বোল দ্বারা চলতে ফিরতে সব আত্মাকে শিক্ষা প্রদানকারী মাস্টার শিক্ষক ভব

আজকাল যেমন ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী দেখতে পাওয়া যায়, তেমনই তোমরাও ভ্রাম্যমান মাস্টার শিক্ষক l সদা নিজেদের সামনে স্টুডেন্টদের দেখ, তোমরা একলা নও, সদা স্টুডেন্টদের সামনে আছো l তোমরা সদা স্টাডি করছ আর করাচ্ছ l যোগ্য শিক্ষক কখনো স্টুডেন্টের সামনে অমনোযোগী হয়না, তারা অ্যাটেনশন রাখে l তোমরা চলতে, ফিরতে, ঘুমাতে, জাগতে সবসময় মনে করো যে তোমরা অনেক বড় কলেজে বসে আছো, স্টুডেন্টরা তোমাদের দেখছে l

স্লোগানঃ-
আত্ম-নিশ্চয় দ্বারা নিজের সমস্ত সংস্কার সম্পূর্ণ পবিত্র বানানোই হল শ্রেষ্ঠ যোগ l