১৭-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- এ হল মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পড়া, এই পড়াশোনায় একটুও গাফিলতি করবে না, কেবল খেলে আর ঘুমালে, পড়া না করলে খুব অনুতাপ হবে "

প্রশ্ন:-

কোন্ কথায় ব্রহ্মা বাবাকে ফলো করো তাহলে উন্নতি হতে থাকবে ?

উত্তর:-

যেমন ব্রহ্মা বাবা নিজেকে পূর্ণ আহুতি দিয়েছিলেন অর্থাৎ সব কিছু সমর্পিত করেছিলেন, তেমনই ফলো ফাদার। উন্নতির সাধন হল - বাবার রচিত এই রুদ্র যজ্ঞে নিজের আহুতি দেওয়া অর্থাৎ বাবার সহযোগী হওয়া। কিন্তু এমন চিন্তা কখনো করবে না যে আমি এতখানি সহযোগিতা করেছি, এত দিয়েছি। বাবা তো হলেন দাতা, তাঁর কাছ থেকে তোমরা নাও, দাও না ।

গীত:-

রাত কাটালে ঘুমিয়ে, দিন কাটালে খেয়ে....

ওম্ শান্তি।

বাচ্চারা গীত শুনল। এই বিষয়েও বাচ্চাদের বোঝাতে হয়, বাবা বলেন বাচ্চাদের সঙ্গে আমি কথা বলি আর কেউ এমন কথা বলতে পারবে না। সাধু সন্ন্যাসী মহাত্মা তো অনেক আছে। কেউ বলে এনার মধ্যে শক্তি আছে। ইনি তো হলেন সকলের পিতা, উনি বসে বোঝাচ্ছেন। অনেক বাচ্চা আছে যারা সারা দিন শুধু খায়-দায় আর ঘুমায়, খুব ঘুমায়। এর ফল কি হবে ? হীরেসম জন্ম হারাবে। মায়া খুব গাফিলতি করায়। কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় মায়া-ই তো নিয়ে যায়। উনি এখন ঘুম ভাঙাতে এসেছেন, অজ্ঞান নিদ্রা থেকে জাগো। সম্পূর্ণ সৃষ্টি, তার মধ্যে বিশেষ করে ভারতে অজ্ঞানীর আধিক্য । তাই বাবা বলেন এখন গাফিলতি করলে খুব অনুতাপ করতে হবে। তখন অনুতাপ করেও লাভ হবে না। এখানে আছে মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পঠনপাঠন । এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। এমন নয় এখানেও সেই জ্ঞান-ই আছে। এই পড়াশোনাটাই যে হল নতুন। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়। যদিও এখানে দেবী তো অনেককেই বলা হয়। স্ত্রী দেবী এবং পুরুষ হয় দেবতা। কিন্তু আমরা তো সত্যযুগে দেবী-দেবতা পদ মর্যাদা প্রাপ্তির পুরুষার্থ করছি, সে তো নিশ্চয়ই সত্যযুগ স্থাপনা যে করেন তিনিই প্রাপ্ত করাবেন। সব সৎসঙ্গ থেকে এই কথাটি পৃথক। যারা ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলে এবং বহু অবতার বলে, তাদের জিজ্ঞাসা করো - যদি ঈশ্বর সর্বব্যাপী হন, তাহলে যারা অবতার বলছে তারাও ঈশ্বরের অবতার হবেন। আচ্ছা, তাহলে রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বলো। তখন কিছুই উত্তর দিতে পারবে না। অনেক রকমের আছে। রিদ্ধি-সিদ্ধি যুক্তও আছে। নতুন আত্মা এসে সেও শক্তি প্রদর্শন করে। ধর্ম স্থাপন করতে নতুন আত্মা প্রবেশ করে তখন তার নাম হয়ে যায়। এখানে শক্তির কোনো কথা নেই। তোমরা বলবে শিববাবা আমরা আপনার কাছে স্বর্গের বর্সা নিতে এসেছি। একেই ঈশ্বরীয় জন্মগত অধিকার বলা হয়। তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান। কোনো সাধু, সন্ন্যাসী, মহাত্মা এমন কথা বলবে না যে আমরা হলাম বাপদাদার সন্তান।



তোমরা তো জানো আমরা স্বর্গের বর্সা নিচ্ছি। বাবা বলেন বর্সা পুরোপুরি নেওয়ার থাকলে বাবার স্মরণে থাকো। বাবা এখানেই পড়ান। রাজত্ব স্থাপন হয়ে গেলে এই পড়াশোনা ও শিক্ষক যিনি পড়াচ্ছেন সব লুপ্ত হয়ে যাবে। এই ব্রাহ্মণ কুল এখন আছে। বলে আমরা হলাম ব্রহ্মার সন্তান। তাহলে ব্রহ্মা কবে এসেছিলেন ? ব্রহ্মা তো সঙ্গমেই আসবেন তাইনা ! প্রজাপিতা ব্রহ্মা যে ব্রাহ্মণদের রচনা করেন তারা দেবী-দেবতায় পরিণত হয় তখন তারা আর ব্রাহ্মণ থাকে না। তখন আমরা দেবতা কুলে চলে যাব। জাগতিক কর্মকাণ্ডের জন্যে যে পূজারী ব্রাহ্মণরা রয়েছে, তাদের প্রচলন হয়তো কোনো ঋষি-মুনি ইত্যাদি দ্বারা হয়েছে । দ্বাপরে যখন শিব ইত্যাদির মন্দির তৈরি করে পূজা আরম্ভ হয়েছিল, যারা পূজ্য দেবী-দেবতা ছিল তারাই পূজারী হয়েছিল। সেই সময় মন্দিরে ব্রাহ্মণ প্রয়োজন ছিল। তখন সেই সময়েই ব্রাহ্মণও শুরু হয়ে থাকবে । যারা পূজ্য থেকে পূজারী হয়েছিল, তাদের ব্রাহ্মণ বলা হবে না। মন্দিরে মূর্তির সামনে ব্রাহ্মণ নিশ্চয়ই থাকবে। সুতরাং সেই সময় ব্রাহ্মণ প্রচলিত হয়ে থাকবে । এই হল বিস্তারিত সংবাদ। বাস্তবে এর সঙ্গে জ্ঞানের সম্বন্ধ নেই। জ্ঞান শুধু বলে "মন্মনাভব"। বাচ্চারা, তোমাদের যদি বলা হয় , শিববাবা ও বর্সাকে স্মরণ করো তাহলে কি শুধু স্মরণ করলে সবাই লক্ষ্মী নারায়ণ স্বরূপে পরিণত হবে ? না। পড়াশোনাও তো আছে। যত বেশি সার্ভিস করবে তত উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে, ততই গোল্ডেন স্পুন ইন মাউথ(সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাবে) হবে। নতুন দুনিয়া স্থাপন হতে, অদল-বদল হতে একটু সময় তো লাগেই তাই না ! বিনাশের পরে স্থাপনা হবে। কলিযুগের পরে সত্যযুগ হবে। ভূমিকম্প ইত্যাদি হতে থাকে, অনেক ধর্মের বিনাশ তো হবেই। ড্রামা সম্পূর্ণ হয়। এখন আমরা বাবার কাছে গিয়ে তারপরে নতুন দুনিয়ায় আসব। এই সময় আমরা হলাম এই যজ্ঞের ব্রাহ্মণ। শিববাবা ৫ হাজার বছর পূর্বের মতন যজ্ঞ রচনা করেন। কোনো বিপদ আপদ আসার সম্ভাবনা থাকলে যজ্ঞ ইত্যাদি রচনা করা হয়। সত্যযুগে গুরু ইত্যাদির প্রয়োজন ছিল না। গুরু থাকবেন সেখানে, যেখানে সদগতির প্রয়োজন থাকে। *এখানে তো এখন অসংখ্য গুরু আছেন। এত বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদি থাকা সত্ত্বেও ভারতের এমন গতি হয়েছে কেন ?*



তোমরা লিখতে পারো ৫ হাজার বছর পূর্বের অনুরূপ, সব মানুষ কুম্ভকর্ণের ঘোর নিদ্রায় ঘুমিয়ে রয়েছে । যদিও ঘুমায় তো সবাই, কিন্তু এ হল অজ্ঞান নিদ্রা। এমন কোনো গুরু নেই যিনি সদগতি প্রদান করতে পারেন। এবারে অন্ধকার মিটিয়ে আলোকিত করবে কে ? বাচ্চারা, তোমাদের বোঝানো হয়েছে পরমাত্মা পরমপিতা ছাড়া আলোকিত হতে পারবে না। *এখন তো অনেক গুরু আছেন। তবুও অন্ধকার রাত্রি, দুঃখ কেন ?* সত্যযুগে তো অসীম সুখ ছিল। যখন ভগবানের শ্রীমৎ প্রাপ্ত হয় তখন সুখ স্থাপন হবে। রাবণ ভারতকে পতিত দুঃখী করেছে। বাবা বলেন এই কাম মহা শত্রুকে পরাজিত করো। পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করো তবেই নতুন দুনিয়ার মালিক হবে। গুরু কখনো এমন বলবেন না যে পবিত্র হও। এখন তোমরা উজ্জ্বল আলোয় এসেছ, তো তোমরা গিয়ে জিজ্ঞাসা করো - ভারত যে এত সুখী ছিল, এখন এত দুঃখী হয়েছে কেন ? তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা-ই সেই দেবতা রূপে পরিণত হই। সন্ন্যাসী গণ চট করে ঘর সংসার ত্যাগ করে বেরিয়ে পড়ে। তাদের সম্বন্ধে বলা হয় সন্ন্যাসী হল পবিত্র। তারা এমন বলবেন না যে আমরা পবিত্র হওয়ার জন্যে পুরুষার্থ করছি। তোমাদের কথা হল পৃথক। এমন ভেবো না সব সন্ন্যাসী পবিত্র থাকেন। বুদ্ধি-যোগ বন্ধু আত্মীয় স্বজনদের দিকে যায়, যত দিন অবস্থা পাকা না হচ্ছে। তোমাদের বলা হয় দেহ সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধ ভুলে যাও তাতে কত পরিশ্রম লাগে। তাদের যখন জিজ্ঞাসা করা হয় সন্ন্যাস কবে নিয়েছেন ? লৌকিক নাম কি ? তখন তারা বলবেন যে এ কথা জিজ্ঞাসা কোরোনা। কেন স্মরণ করাছো । কেউ আবার বলেও দেয় তখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় যে তোমরা কি সবকিছু ভুলে গেছ নাকি সবার কথা মনে পড়ে ? জানা তো যাবে তোমরা কে, কিভাবে সবকিছু ত্যাগ করলে, একা ছিলে নাকি সন্তান ছিল ? তাদের কথা মনে পড়ে তোমাদের ? তারা বলে - হ্যাঁ, বহু বার মনে পড়ত, খুব মুশকিল ভুলে যাওয়া। নিজের জীবন তো স্মরণে থাকে। আমরাও শিববাবাকে স্মরণ করি তবুও এমন তো নয় যে আমরা নিজের জীবন বা শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছু পড়েছি, সেসব ভুলে যাই। এখানে বলা হয় জীবিত অবস্থায় ভুলে যাও, এইরূপ ধারণ করো। স্মরণ করলে ঝুলে পড়বে (সব ভুলে গিয়ে, কেবল বাবা-ই মনে থাকবে) । প্ৰথমে সব কথা শোনো তারপরে নির্ণয় করো। জীবিত অবস্থায় মরজীবা হও আর কারো কথা শুনো না। আমরা নিজেদের সম্পূর্ণ জীবনের কথা বলতে পারি। হ্যাঁ, যদিও জানি যে এখন এই দুনিয়া শেষ হতে চলেছে। সেন্টারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু বাবা-মাম্মা বলেন তো তারা ব্রাহ্মণ হয়ে যায়। এখন বাবা বলেন - হে আত্মারা, আত্মা-ই বলে। তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে তোমরা কে ? তো চট করে বলবে আমি আত্মা পড়াশোনা করি। এই জ্ঞান এখন তোমরা পেয়েছ। তোমাদের আত্মা এই ইন্দ্রিয় দ্বারা পড়া করে। আত্মা ও শরীর হল আলাদা । এখন তোমরা জানো যে আত্মা-ই শরীর ধারণ ক'রে এবং ত্যাগ ক'রে। সংস্কার ধারণ করে। আমরা আত্মারা সত্যযুগে পুণ্য আত্মা ছিলাম, এখন পাপ আত্মা হয়েছি। এই হল শেষ জন্ম । পরমাত্মায় যে জ্ঞান আছে তিনি এখন আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের সেই সব পড়াচ্ছেন। বাকি সব মানুষ ঘোর অন্ধকারে আছে। শাস্ত্র ইত্যাদি সবই হল ভক্তিমার্গের। সেই সবকে জ্ঞান বলা যাবে না। জ্ঞান হল দিন এবং ভক্তি হল রাত। তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো - গীতার রচয়িতা কে এবং কবে এসেছিলেন ? গীতা কখন লেখা হয়েছে ? বাবাও অনেক লিখতে থাকেন, সে সবের দিকেও খেয়াল করতে হয়। এমন ভাবে বুদ্ধিতে ধারণ করলে তোমাদের উন্নতি হতে থাকবে। বাবা বলেন - আমাকে স্মরণ করো। বাচ্চাদের মালা-র রহস্য বোঝানো হয়েছে। পরম পিতা পরমাত্মা হলেন বেহদের ফুল, তারপরে দুটি দানা হলেন ব্রহ্মা সরস্বতী। প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা রচনা করা হয়েছে। এঁরা হলেন আদি দেব ও আদি দেবী। ইনি হলেন ব্রাহ্মণ যিনি স্বর্গ রচনা করেছেন তাই এঁনার পূজো হয়। মাঝখানে ৮ টি দানা আছে, যারা সূর্যবংশী হয়েছিলেন । অনেক সাহায্য করেছেন তারা । নলেজ বুদ্ধিতে থাকা উচিত। এই কথাও জানো যে যজ্ঞে আহুতি দেওয়া হয়। মাতাদের উন্নতির জন্যে বাবা যুক্তি রচনা করেছেন। বাবা নিজে বলি চড়েছেন, তাইনা ! তাই ফলো ফাদার। গান্ধীকে যারা সাহায্য করেছিল তারাও অল্প কালের সুখ পেয়েছে। উনি ছিলেন হদের পিতা, ইনি হলেন বেহদের পিতা।



এখানে বাবা সবকিছু মাতাদের চরণে রেখে দিয়েছেন তাই ইনি হলেন নম্বর ওয়ান। বাচ্চারা তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে, যারা সাহায্য করবে তারা স্বর্গের মালিক হবে। কেউ এমন ভাববে না যে আমরা শিববাবাকে সাহায্য করি। না। শিববাবা তোমাদের সাহায্য করেন। আরে, তিনি তো হলেন দাতা, তোমরা নিজেদের জন্যে কর। তোমরা স্মরণে থাকবে তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। স্বর্গকে স্মরণ করো তাহলে স্বর্গে চলে যাবে। বাবা নিজে বলেন - মন্মনাভব। তা নাহলে উঁচু পদের অধিকারী হবে কিভাবে ? হিসেব করা তোমাদের কাজ। কেউ যেন না ভাবে আমি দিয়েছি। এটা হল শিববাবার যজ্ঞ, চলছে, চলবে।



তোমরা প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ, তোমাদের হৃদয়ে আছে যে আমরা শুধুমাত্র ভারতেই নয় বরং সম্পূর্ণ বিশ্বে বাবার সাহায্যে নিজের রাজত্ব স্থাপন করছি। আমরা পুনরায় পবিত্র হয়ে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করে রাজত্ব করব। শিববাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী চললে ভারত স্বর্গে পরিণত হয়। তাই এই কথাটি স্মরণে রাখো যে শিববাবা পড়ান। বাবা বলেন যখন ব্রাহ্মণ হবে তখনই দেবতা সম্প্রদায়ে আসবে। বিকার গ্রস্ত হলে একেবারে সর্বনাশ হয়ে যায়। নিজেই নিজের উপরে কৃপা না করে অকৃপা করে, ফলে অভিশপ্ত হয়ে যায়। আমি বরদান দিতে এসেছি। কিন্তু শ্রীমৎ অনুযায়ী না চলে নিজেকে অভিশপ্ত করে, পদ ভ্রষ্ট করে। আচ্ছা!



মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

১. বুদ্ধি থেকে সবকিছু ভুলে যেতে হলে জীবিত থেকেই মরতে হবে। একমাত্র বাবাকে শুনতে হবে। নিজের উন্নতির জন্য সম্পূর্ণ সমর্পিত হতে হবে।

২. শ্রীমৎ অনুসারে চলে নিজের উপরে কৃপা করতে হবে। প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ হয়ে যজ্ঞের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। ভালো ভাবে পড়াশোনা করে উঁচু পদের অধিকারী হতে হবে।

বরদান:-

স্মৃতি স্বরূপ হয়ে বিস্মৃতদের স্মৃতি প্রদানকারী প্রকৃত সত্য সেবাধারী ভব

নিজের স্মৃতি স্বরূপ ফিচার্স দ্বারা অন্যদের স্মৃতি স্বরূপ করা হল সত্য সেবা। তোমাদের ফিচার্স অন্যদের স্মৃতি জাগ্রত করবে যে আমি আত্মা, ললাটে জ্বলজ্বলে আত্মা বা মণিকে দেখবে। যেমন সাঁপের মণি দেখলে কারো নজর সাঁপের দিকে যায় না, তেমনই অবিনাশী জ্বলজ্বলে মণি দেখে দেহভান ভুলে, সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন যেন আত্মার দিকেই যায়। বিস্মৃতদের যেন স্মৃতি জাগ্রত হয় - তবেই বলা হবে প্রকৃত সেবাধারী।

স্লোগান:-

অবগুণধারী বুদ্ধির নাশ করে সতোপ্রধান দিব্য বুদ্ধি ধারণ করো।