১৯-১০-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবার সঙ্গে সর্ব সম্বন্ধ রাখো তাহলে বন্ধন মুক্ত হয়ে যাবে, মায়া বন্ধন যুক্ত করে আর বাবা বন্ধন থেকে মুক্ত করে দেন"
প্রশ্ন:-
নির্বন্ধন কাকে বলা হয়? নির্বন্ধন হওয়ার উপায় কি ?
উত্তর:-
নির্বন্ধন অর্থাৎ অশরীরী। দেহ সহ দেহের কোনো সম্বন্ধ যেন বুদ্ধিকে নিজের দিকে না টানে। দেহ-অভিমানেই বন্ধন আছে। দেহি-অভিমানী হও তাহলে সব বন্ধন শেষ হয়ে যাবে। জীবিত থেকেও মরে যাওয়াই হল নির্বন্ধন হওয়া। বুদ্ধিতে যেন থাকে এখন হল শেষ সময়, নাটক পূর্ণ হয়েছে, আমরা বাবার কাছে ফিরে যাই তাই নির্বন্ধন হয়ে যাই ।
গীত:-
যার সাথী হল ভগবান, তাকে আটকাবে কীভাবে আঁধি আর তুফান* .....
ওম্ শান্তি।
বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান। এখন এত সংখ্যায় বাচ্চা রয়েছে তো অবশ্যই বেহদের বাবা-ই হবেন। বাবা বোঝান - বলাও হয় নিরাকার শিববাবা। ব্রহ্মাকেও বাবা বলা হয়, বিষ্ণু বা শঙ্করকে বাবা বলা হবে না। শিবকে সর্বদা বাবা বলা হয়। শিবের চিত্র আলাদা, শঙ্করের চিত্র আলাদা । গীতও আছে শিবায় নমঃ। তারপরে বলা হয় তুমি মাতা পিতা ...... এই কথাটিও বোঝানো খুব সহজ যে বরাবর নিরাকার শিবকেই পিতা বলা হয়। তিনি হলেন সব আত্মাদের পিতা। শঙ্কর বা বিষ্ণু তো নিরাকার নন। শিবকে নিরাকার বলা হবে। মন্দিরে তাঁদের সবার চিত্র রাখা আছে। ভক্তি মার্গে কত চিত্র আছে। উঁচু থেকে উঁচু চিত্র দেখানো হয় শিববাবার, তারপরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের চিত্র দেখানো হয়। তাঁদেরও রূপ আছে। জগৎ অম্বা, জগৎ পিতারও রূপ আছে। লক্ষ্মী-নারায়ণেরও সাকার রূপ আছে। বাকি ভগবান হলেন একমাত্র নিরাকার। কিন্তু ওঁনাকে শুধু গড বললে মানুষ কনফিউসড হয়। জিজ্ঞাসা করো - গড তোমাদের কে হন, তারা বলবে ফাদার। অতএব এটা প্রমাণ করে বলতে হবে গড হলেন ফাদার। ফাদার হলেন রচয়িতা তাই মাদারও চাই। মাদার না থাকলে ফাদার সৃষ্টি রচনা করবেন কিভাবে । সেই ফাদার কবে আসবেন ? সবাই আহ্বান করে - হে পতিতদের পবিত্রকারী এসো। এখন তো সম্পূর্ণ দুনিয়া হল পতিত। পতিত হলে তবেই তো এসে পবিত্র করবেন তাইনা। এর দ্বারা প্রমাণ হয় বাবাকে পতিত দুনিয়ায় অবশ্যই আসতে হয় । কিন্তু ড্রামা অনুসারে এইসব কেউ বুঝতে পারবে না। না বুঝলে তবে তো বাবা এসে বোঝাবেন। বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। ভারতেই গায়ন আছে জ্ঞান আর ভক্তি, আবার বলা হয় ব্রহ্মার দিন ও ব্রহ্মার রাত। রাত্তিরে ঘোর অন্ধকার থাকে। গায়ন আছে জ্ঞান অঞ্জন সদগুরু দেন, ফলে অজ্ঞান অন্ধকার বিনাশ হয়। মানুষের এত অজ্ঞান আছে যে ফাদারকেও চেনেনা। এদের মতন অজ্ঞান আর কেউ হয় না। পরম পিতা, ও গডফাদার বলে - যদি তাঁকেই না জানে তাহলে এর চেয়ে অজ্ঞান আর কেউ নয়। বাচ্চারা বাবা বলে, যদি বলে আমরা তাঁর অক্যুপেশান, নাম, রূপ ইত্যাদিকে জানিনা তবে তাদেরকে আনাড়ি বলা হবে তাইনা! এ হল ভারতবাসীদের ভুল যে ফাদার বলা সত্ত্বেও ওঁনাকে জানেনা। গায়ন আছে - ও গডফাদার, এসে পতিতদের পবিত্র করো, দুঃখ থেকে মুক্ত করো, দুঃখ হরণ করে সুখ দাও। বাবা একবারই আসেন। এই কথা তোমরা জানো নম্বর অনুসারে। কেউ তো বোঝেনা যে আমাদের বাবার কাছ থেকে সম্পূর্ণ বর্সা নিতে হবে।
বাবার পুরো পরিচয় নেই তাই বলে কি করব, বন্ধন রয়েছে । জীবিত থেকেও মরলে (মন থেকে সমর্পিত হয়ে পুরানো দুনিয়াকে ভুললে) তো তোমাদের বন্ধন খালাস হয়ে যাবে। মানুষ হঠাৎ মারা যায় তখন বন্ধন মুক্ত হয়। এখন তো সবাই বন্ধন মুক্ত হবে। তোমাদের জীবিত অবস্থায় নির্বন্ধন অর্থাৎ অশরীরী হতে হবে। বাবা বলেন এই শরীরের বন্ধন ইত্যাদিকে ভুলে যাও। নিজেকে আত্মা ভেবে আমাকে এক পিতাকে স্মরণ করো। বন্ধন তখন অনুভব হয় যখন তোমরা দেহ-অভিমানে থাকো তারপরে জিজ্ঞাসা করো - মুক্ত হব কিভাবে ? বাবা বলেন গৃহস্থ ব্যবহারে থাকো, কিন্তু বুদ্ধিতে যেন থাকে - আমাদের ফিরে যেতে হবে। যেমন নাটক যখন প্রায় শেষ হয়ে আসে, তখন অ্যাক্টর্সরা কেমন উপরাম হয়ে যায়। পার্ট প্লে করতে করতে বুদ্ধিতে এটাই থাকে যে, আর অল্প সময়ই বাকি আছে, এই পার্ট প্লে করে আমরা ঘরে ফিরব। তোমাদেরও এই কথাটি বুদ্ধিতে রাখতে হবে - এখন হল শেষ সময়, আমরা দৈবী সম্বন্ধে যাচ্ছি। এই পুরানো দুনিয়ায় থেকে এই কথাটি বুদ্ধিতে থাকা উচিত যে আমরা বাবার কাছে ফিরে যাই। গায়নও করা হয় আমরা তোমার কাছে সমর্পণ করব । জীবিত থেকে তোমার আপন হব। দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ ভুলে আমরা তোমার সঙ্গে সম্বন্ধ রাখব। আমার সাথে সম্বন্ধ যদি আছে তো স্মরণ করো, ভালোবাসো। বাবার সঙ্গে অথবা নিজের প্রিয়তমের সঙ্গে বুদ্ধি যোগ লাগাও। ফলে তোমাদের উপরে যে মরচে লেগে আছে সেসব সরে যাবে। যোগ তো গায়ন আছে তাইনা। অন্য সবই হল দৈহিক যোগ - মামা, কাকা, গুরু গোঁসাই ইত্যাদি সবার সঙ্গে যোগ রাখা হয়। বাবা বলেন এইসব থেকে যোগ মিটিয়ে একমাত্র আমায় স্মরণ করো। যোগ কেবল মাত্র আমার সঙ্গে লাগাও। দেহ-অভিমানে এসো না। দেহ দ্বারা কর্ম করাকালীন এই কথাটি নিশ্চয় করো যে আমরা পার্ট প্লে করছি। এই পুরানো দুনিয়ার এখন শেষ সময়, এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে, দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ থেকে উপরাম থাকতে হবে। নিজের সঙ্গে এমন এমন কথা বলতে হবে। এখন তো বাবার কাছে ফিরে যেতে হবে। কারো স্ত্রীর বন্ধন আছে, কারো স্বামীর বন্ধন আছে , কারো আবার কোনো বন্ধন নেই। বাবা তো অনেক যুক্তি বলে দেন। বলে দাও - আমাদের পবিত্র হয়ে ভারতকে নিশ্চয়ই পবিত্র করতে হবে। আমরা পবিত্র হয়ে তন-মন-ধন দ্বারা সেবা করি। কিন্তু প্ৰথমে নষ্টমোহ স্থিতি চাই। মোহ নষ্ট হলে গভর্নমেন্টকে চিঠি লেখো, তাহলে গভর্নমেন্টও তোমাদের সাহায্য করবে। ভগবানুবাচ - কাম হল মহা শত্রু, আমরা এই বিকারকে পরাজিত করে পবিত্র থাকতে চাই। বাবার আদেশ হল পবিত্র হও তাহলে স্বর্গের মালিক হবে। আমরা বিনাশ এবং স্থাপনার সাক্ষাৎকার করেছি, এখন পবিত্র থাকতে এরা আমাদের বাধা দেয়, মারধর করে। আমি তো ভারতের সত্য সেবায় নিযুক্ত। এখন আমায় আশ্রয় দাও। কিন্তু পাকা নষ্ট মোহ হতে হবে। সন্ন্যাসী তো ঘর সংসার ত্যাগ করে। এখানে তো সাথে থেকে নষ্ট মোহ হতে হবে। সন্ন্যাসীদের মার্গ আলাদা। মানুষ বলেও থাকে আমাদের এমন জ্ঞান দিন যাতে গৃহস্থে থেকে আমাদের রাজা জনক সম মুক্তি, জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়। সেটা তো তোমরা এখন প্রাপ্ত করছ তাই না !
বাবা বলেন ইনি (ব্রহ্মা) হলেন আমার স্ত্রী বা যুগল, এনার মুখ দিয়ে আমি প্রজা রচনা করি। প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ দিয়েই বলেন। শিববাবা তোমাদের বলছেন তোমরা হলে আমার নাতি নাতনি। ইনি (ব্রহ্মাবাবা) বলেন তোমরা আমার সন্তান হয়ে শিববাবার নাতি নাতনি হও। বর্সা শিববাবার থেকে প্রাপ্ত হয়। স্বর্গের বর্সা কোনো মানুষ দিতে পারেনা। নিরাকার-ই দিয়ে থাকেন। সুতরাং ভক্তি আলাদা, জ্ঞান আলাদা। ভক্তিতে তো বেদ-শাস্ত্র পড়ে, যজ্ঞ-তপ, দান-পুণ্য ইত্যাদি করতে অনেক টাকা খরচ হয়, এইসবই হল ভক্তির সামগ্রী। ভক্তি শুরু হয় দ্বাপর থেকে। দেবী-দেবতা যখন বাম মার্গে এসে পতিত হয় তখন দেবী-দেবতা রূপে পরিচয় দিতে পারেনা কারণ দেবতারা ছিলেন সম্পূর্ণ নির্বিকারী। বাম মার্গে গিয়ে বিকারী হয়। অতএব বলা হবে দেবতা ধর্মের আত্মারা বাম মার্গে এসে পতিত হয়েছে। পতিতকে দেবতা বলা হবেনা, তাই হিন্দু নাম রাখা হয়েছে। বেদ-শাস্ত্রে আর্য নাম দেওয়া হয়েছে। আর্য নামটি এই ভারত খণ্ডের জন্যে। এখন এই শব্দটি কোথা থেকে এসেছে ? সত্যযুগে তো আর্য শব্দ হয়না। বলাও হয় ক্রাইষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারতে দেবী দেবতা খুব তীক্ষ্ণ বুদ্ধিধারী ছিলেন তারপরে সেই দেবতা যখন দ্বাপরে এসে বিকারী হয় তখন তাদের অন-আর্য বলা হয়। একজন আর্য বলে দিয়েছে তো সেই নাম চলছে। যেমন একজন কৃষ্ণ ভগবানুবাচ বলেছে বা লিখেছে তো ব্যস্, সেটাই বিশ্বাস করে নিয়েছে। যদিও গায়ন করে শিবায় নমঃ, তুমি মাতা-পিতা... কিন্তু উনি কিভাবে মাতা-পিতা হন, কখন রচনা করেন সেসব জানা নেই। নিশ্চয়ই সৃষ্টির আদিতে রচনা করেন। এবারে সৃষ্টির আদি কোন্ সময়টিকে বলা হবে ? সত্যযুগকে নাকি সঙ্গম যুগকে ? সত্যযুগে তো বাবা আসেন না। সত্যযুগের আদিতে তো আসেন লক্ষ্মী - নারায়ণ। তাঁদের সত্যযুগের মালিক করেছেন কে ? কলিযুগেও আসেন না। এ হল কল্পের সঙ্গম যুগ। বাবা বলেন আমি প্রতি কল্পের সঙ্গম যুগে আসি যখন সব আত্মারা পতিত হয়ে যায় অথবা সৃষ্টি পুরানো হয়ে যায়। ড্রামার চক্র পুরো হলে তবে তো বাবা আসবেন তাইনা। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধি খুব তীক্ষ্ণ হওয়া উচিত, ধারণা থাকা চাই। এখন কনফারেন্স করে বেদ পড়লে কি লাভ হয় ? বেদ পড়া উচিৎ কেন ? কিছুই নির্ণয় করতে পারবে না। সেই কনফারেন্স দ্বিতীয় বছরও করবে। নির্ণয় করতে বসে কিন্তু কিছু হয়না। বিনাশের আয়োজন হতেই থাকে। বোমা ইত্যাদি বানাতে থাকে। এখন হল কলিযুগ। এইসব কথা তোমরা বাচ্চারা জানো। তোমাদের কথা অন্যরকম। তোমরা জানো মানুষ, মানুষকে গতি-সদগতি দিতে পারেনা। গায়নও আছে পতিত-পাবন, তাহলে নিজেকে পতিত স্বীকার করেনা কেন ? এ হল পতিত দুনিয়া, বিষয় সাগর। সবাই তো খিবাইয়া অর্থাৎ কান্ডারি তো হতে পারবেনা।
বাচ্চারা, এখনও তোমাদের এত শক্তি হয়নি যে সম্পূর্ণ বোঝাতে পারো। এখনও তোমরা এত তীক্ষ্ণ বুদ্ধি হও নি। যোগও নেই। এখনও পর্যন্ত ছোট বাচ্চার মতন কাঁদতে থাকে। মায়ার ঝড়ে স্থির থাকতে পারেনা। দেহ-অভিমান অনেক। দেহী-অভিমানী হতে পারেনি। বাবা তো বার-বার বলেন - নিজেকে আত্মা ভাবো। এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে। সব অ্যাক্টর্স যারা নিজের পার্ট প্লে করছে। সবাই শরীর ত্যাগ করে ঘরে ফিরে যাবে। তোমরা সাক্ষী হয়ে দেখো। দেহধারী সম্বন্ধ গুলিতে দেহের প্রতি মোহ কেন রাখো ? বিদেহী স্বরূপে পরিবর্তন হয়না। ফলে বিকর্ম বিনাশ হয়না। বাবাকে স্মরণ করতে থাকলে খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে। আমাদের শিববাবা পড়ান যার ফলে আমরা দেবী দেবতায় পরিণত হব অতএব অপার খুশী থাকা উচিত তাইনা।
তোমরা জানো ভারতবাসী যখন সুখে ছিল তখন বাকি সব মানুষ নির্বাণধাম, শান্তিধামে ছিল। এখন তো কত কোটি মানুষ আছে। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছ, জীবনমুক্তি প্রাপ্তির জন্যে। বাকি সবাই ফিরে যাবে। পুরানো দুনিয়া পরিবর্তিত হয়ে নতুন দুনিয়া হবে। নতুন তো বাবা-ই বানাবেন। স্যাপলিং লাগানো হচ্ছে। এ হল দৈবী ফুলের স্যাপলিং। তোমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হও। বাগান পুরো তৈরি হয়ে যাবে তখন এই কাঁটার জঙ্গল শেষ হয়ে যাবে। এই জঙ্গলে আগুন লাগবে। তখন আমরা ফুলের বাগানে চলে যাব। তাহলে বাবা-মাম্মাকে ফলো করো। গায়নও আছে ফলো ফাদার-মাদার। জানো এই মাম্মা - বাবা, লক্ষ্মী-নারায়ণ হবেন। এনারা ৮৪ বার জন্ম নিয়েছেন। তোমাদেরও এমন আছে। এনাদের পার্ট হল মুখ্য। লেখাও হয় বাবা এসে সূর্যবংশী চন্দ্রবংশী স্বরাজ্য পুনরায় স্থাপন করেছেন। অনেক বোঝানো হয়, তবুও দেহ-অভিমান মেটেনা। আমার স্বামী, আমার সন্তান .... আরে, এইসব তো হল পুরানো দুনিয়ার পুরানো সম্বন্ধ তাইনা। আমার তো একমাত্র শিববাবা দ্বিতীয় কেউ নয়। সব দেহ ধারীদের প্রতি মমত্ব মিটে যাওয়া খুবই মুশকিল। বাবা বুঝতে পারেন, এদের মমত্ব মেটানো খুব মুশকিল মনে হচ্ছে। চেহারা দেখেই বোঝা যায়। কুমারীরা ভালো সাহায্যকারী হয়।
আচ্ছা, মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. দেহ সহ সবকিছু থেকে মোহ মিটিয়ে দিয়ে বিদেহী হওয়ার পুরো পুরুষার্থ করতে হবে। প্রতিটি অ্যাক্টরের পার্ট সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে। বন্ধন-মুক্ত হতে হবে।
২. এই পুরানো দুনিয়া থেকে উপরাম হতে হবে, নিজের সঙ্গে কথা বলতে হবে যে আমাদের এখন ফিরে যেতে হবে। এখন পুরানো দুনিয়ার শেষ সময়, আমাদের পার্ট পূর্ণ হয়েছে।
বরদান:-
ডবল লাইট স্থিতি দ্বারা উড়ন্ত কলার অনুভবকারী সর্ব বন্ধনমুক্ত ভব
চলতে ফিরতে এই স্মৃতি যেন থাকে যে আমি ডবল লাইট স্থিতিতে থাকা ফরিস্তা । ফরিস্তা অর্থাৎ যে উড়তে পারে, লাইট অর্থাৎ হালকা জিনিস সর্বদা উপরে যায়, নীচে আসেনা। অর্ধকল্প তো নীচে বাস করেছি এখন হল উড়ে যাওয়ার সময় তাই চেক করো যে কোনোরকম বোঝা বা বন্ধন তো নেই ? নিজের দুর্বল সংস্কারের, ব্যর্থ সংকল্পের, দেহভানের বন্ধন বা বোঝা বেশিক্ষণ থাকলে শেষ সময়ে নীচে নামিয়ে দেবে, তাই বন্ধনমুক্ত হয়ে ডবল লাইট স্থিতিতে থাকার অভ্যাস করো।
স্লোগান:-
মন্সা সেবা সে-ই করতে পারে যার কাছে শুদ্ধ সংকল্পের শক্তি জমা আছে ।