২৩-০১-১৮ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - যতো স্মরণে থাকবে, পবিত্র হবে, ততই পারলৌকিক মাতা - পিতার আশীর্বাদ পাবে, এই আশীর্বাদ পেলে তোমরা সদা সুখী হয়ে যাবে"

প্রশ্ন:-

বাবা সকল বাচ্চাদের কোন্ রায়(উপদেশ) দিয়ে কুকর্ম থেকে বাঁচান ?

উত্তর:-

বাবা রায় দেন - বাচ্চারা, তোমাদের কাছে যা কিছু ধন - দৌলত আদি আছে, সে সব নিজের কাছেই রাখো কিন্তু ট্রাস্টি হয়ে চলো l তোমরা বলে এসেছ, হে ভগবান এই সবকিছুই তোমার l ভগবান সন্তান দিয়েছেন, ধন - দৌলত দিয়েছেন, এখন ভগবান বলছেন, এই সবকিছুর থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে নিয়ে ট্রাস্টি হয়ে থাকো, তোমরা শ্রীমতে চলো তাহলে কোনো কুকর্মই হবে না l তোমরা শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে l

গীত:-

মা - বাবার আশীর্বাদ নিয়ে নাও....

ওম্ শান্তি l

যে বাচ্চারা বলে আমাদের মুখ চলে না, বোঝাতে পারি না - তাদের সেন্টারের ব্রাহ্মণীরা কিভাবে শেখাবেন, এ কথা শিববাবা বোঝান l চিত্র দেখিয়ে বোঝানো তো খুবই সহজ l ছোটো বাচ্চাদের তো চিত্র দেখিয়েই বোঝাতে হয়, তাই না l এমন নয় যে, ক্লাসে সবাই এসে বসলো আর তোমরা মুরলী শুরু করে দিলে, না এমন নয় l বসে তারপর তাদের খুব ভালোভাবে বোঝানো উচিত l বাচ্চারা তো গান শুনেছে - এক হল পারলৌকিক মাতা - পিতা, যাঁকে মানুষ স্মরণ করতে থাকে, তুমিই মাতা - পিতা ----তিনিই হলেন এই সৃষ্টির রচয়িতা l তাহলে মাতা - পিতা অবশ্যই স্বর্গের রচনা করবেন l বাচ্চারা সত্যযুগে স্বর্গবাসী হয় l এখানকার মাতা - পিতা নিজেরাই নরকবাসী, তাহলে তারা সন্তানও নরকবাসীই জন্ম দেবেন l গানে বলা হয়েছে - মা - বাবার আশীর্বাদ নাও ---তোমরা জানো যে, এই সময়ের মা - বাবারা তো আশীর্বাদ দেন না l যাঁরা স্বর্গবাসী, তাঁরা আশীর্বাদ দেন, যে আশীর্বাদ অর্ধকল্প চলতে থাকে l তারপর অর্ধকল্প বাদে অভিশপ্ত হয় l তারা নিজেরাও পতিত হয় তাই বাচ্চাদেরও পতিত বানায় l একে তো আশীর্বাদ বলা যাবে না l অভিশম্পাত দিতে দিতে ভারতবাসী অভিশপ্ত হয়ে গেছে, কেবল দুঃখই দুঃখ, তাই তারা মাতা - পিতাকে স্মরণ করে l এখন সেই মাতা - পিতা আশীর্বাদ দিচ্ছেন l তিনি আমাদের পড়িয়ে পতিত থেকে পবিত্র বানাচ্ছেন l এখানে হলো আসুরী সম্প্রদায়, রাবণ রাজ্য l সেখানে হলো দৈবী সম্প্রদায়, রাম রাজ্য l রাবণের জন্মও এই ভারতেই l শিববাবা, যাঁকে রাম বলা হয়, তাঁর জন্মও এই ভারতেই l তোমরা যখন বাম মার্গে চলে যাও, তখন ভারতে রাবণ রাজ্য শুরু হয়ে যায় l তাই এই ভারতকেই পরমপিতা পরমাত্মা রাম এসে পতিত থেকে পবিত্র করেন l রাবণ এলে মানুষ পতিত হয়ে যায় l এমনও গাওয়া হয়, রাম গেলো, রাবণ গেলো, যাদের অনেক পরিবার l রামের পরিবার তো অনেক ছোটো l আর সব ধর্ম শেষ হয়ে যায়, সবের বিনাশ হয়ে যায় l বাকি তোমরা দেবী - দেবতারা থাকবে l তোমরা, যারা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছো, তারাই সত্যযুগে ট্রান্সফার হবে l তাই এখন তোমরা মা - বাবার আশীর্বাদ পাচ্ছ l মা - বাবা তোমাদের স্বর্গের মালিক বানান l সেখানে তো সুখই সুখ থাকে l এই সময় কলিযুগে কেবল দুঃখ, সকল ধর্মই দুঃখী l এখন কলিযুগের পরে আবার সত্যযুগ হবে l কলিযুগে তো কতো মানুষ, সত্যযুগে এতো মানুষ থাকবে না l যতো ব্রাহ্মণ হবে, তারাই আবার ওখানে দেবতা হবে l তারাও ত্রেতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকবে l বলা হয় ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে ভারতে সত্যযুগ ছিল l ক্রাইস্টের পূর্বে এবং ক্রাইস্টের পরে l সত্যযুগে তো একই ধর্ম এবং একই রাজ্য l ওখানে তো মানুষও খুব অল্প থাকবে l কেবল ভারত থাকবে, অন্য কোনো ধর্ম থাকবে না l সূর্যবংশীরাই কেবল থাকবে l চন্দ্রবংশীরা থাকবে না l সূর্যবংশীদের ভগবান - ভগবতী বলা হবে কেননা তাঁরা সম্পূর্ণ l



বাচ্চারা, তোমরা জানো যে পতিত - পাবন হলেন এক পরমপিতা পরমাত্মা l চক্রের চিত্র দেখো, বাবা ওপরে বসে আছেন l তিনি ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করছেন l তোমরা এখন পড়ছো l যখন এই দেবতাদের রাজ্য থাকে, তখন অন্য কোনো ধর্ম থাকে না l এরপর অর্ধ কল্প বাদে বৃদ্ধি হতে থাকে l ওপর থেকে আত্মা আসতে - যেতে থাকে, বর্ণের পরিবর্তন হয়, জীবাত্মা বৃদ্ধি পেতে থাকে l সত্যযুগে থাকবে নয় লাখ, তারপর কোটি হবে, তারপর আরো বৃদ্ধি পেতে থাকবে l সত্যযুগে ভারত ছিলো শ্রেষ্ঠাচারী এখন ভারত ভ্রষ্টাচারী l এমন নয় যে, সব ধর্মের মানুষ শ্রেষ্ঠাচারী হয়ে যাবে l কতো বেশী মানুষ l এখানেও ভ্রষ্টাচারী থেকে শ্রেষ্ঠাচারী হতে কতো পরিশ্রম লাগে l প্রতি মুহূর্তে শ্রেষ্ঠাচারী হতে হতে বিকারে গিয়ে ভ্রষ্টাচারী হয়ে যায় l বাবা বলেন যে আমি এসেছি তোমাদের কালো থেকে গৌর বর্ণের বানাতে, তোমরা প্রতি মুহূর্তে আবার পড়ে(অধঃপতিত) যাও l বেহদের বাবা তো তোমাদের সোজা কথা বলেন l তিনি বলেন, এখানে তোমরা কেন কুলের কলঙ্ক হও, মুখ কেন কালো করো l তোমরা কি সুন্দর হবে না ? তোমরা অর্ধেক কল্প শ্রেষ্ঠ ছিলে, তারপর তোমাদের কলা কম হয়ে যায় l কলিযুগের অন্তে তো কলা একদম শেষ হয়ে যায় l সত্যযুগে কেবল একমাত্র ভারতই ছিলো l এখন তো সব ধর্ম আছে l বাবা এসে আবার সত্যযুগী শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি স্থাপন করেন l তোমাদেরও তাই শ্রেষ্ঠাচারী হতে হবে l কে এসে তোমাদের শ্রেষ্ঠাচারী বানান ? বাবা হলেন গরীবের ভগবান l পয়সার বিষয় নয় l বেহদের বাবার কাছে যখন শ্রেষ্ঠ হতে যায় তখনো মানুষ বলে, তোমরা ওখানে কেন যাও l তারা কতো বিঘ্ন সৃষ্টি করে l তোমরা জানো যে এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে অসুরদের অনেক বিঘ্ন আসে l অবলাদের উপর অনেক অত্যাচার হয় l কোনো কোনো স্ত্রীও অনেক বিরক্ত করে l বিকারের কারণে বিয়ে করে l এখন বাবা তোমাদের কাম চিতা থেকে উঠিয়ে জ্ঞান চিতায় বসাচ্ছেন l এ হলো জন্ম - জন্মান্তরের চুক্তি l এই সময় হলো রাবণ রাজ্য l গভর্নমেন্ট কতো উৎসব পালন করে l রাবণকে জ্বালানো হয়, মানুষ সেই খেলা দেখতে যায় l এখন এই রাবণ কোথা থেকে এলো ? রাবণের জন্ম তো ২৫০০ বছর হয়েছে l রাবণ সবাইকে শোক বাটিকায় বসিয়ে দিয়েছে l এখানে সবাই দুঃখীই দুঃখী l রাম রাজ্যে সবাই সুখীই সুখী হয় l এখন হলো কলিযুগের সমাপ্তি l বিনাশ সামনে উপস্থিত l এতো কোটি মানুষ মারা গেলে অবশ্যই তো লড়াই লাগবে l সর্ষের মতো সবাই পিষে মারা যায় l এখন দেখছো তার আয়োজন হচ্ছে l বাবা স্বর্গের স্থাপনা করছেন l এই জ্ঞান আর কেউই দিতে পারে না l এই জ্ঞান বাবা এসেই দেন আর পতিতকে পবিত্র করেন l সদ্গতি একমাত্র বাবা করেন l সত্যযুগে হলো সদ্গতি l সেখানে গুরুর কোনো প্রয়োজন নেই l তোমরা এখন এই জ্ঞানের দ্বারা ত্রিকালদর্শী হও l সত্যযুগে লক্ষ্মী - নারায়ণের মধ্যে এমন জ্ঞান একদমই থাকবে না l তাই পরম্পরা অনুসারে এই জ্ঞান কোথা থেকে এলো ? আর এখন হলো কলিযুগের সমাপ্তি l বাবা বলেন যে, এখন আমাকে স্মরণ করো l স্বর্গের রাজধানী স্থাপনকারী বাবা আর তাঁর অবিনাশী বর্সাকে স্মরণ করো l পবিত্র তো অবশ্যই থাকতে হবে l সেটা হলো পবিত্র দুনিয়া আর এটা হলো পতিত দুনিয়া l পবিত্র দুনিয়ায় কংস, জরাসন্ধ, হিরণ্যকশিপু ইত্যাদিরা থাকে না l কলিযুগের কথাকে সত্যযুগে নিয়ে গেছে l শিববাবা এসেছেন কলিযুগের অন্তে l আজ শিববাবা এসেছেন, কাল শ্রীকৃষ্ণ আসবে l মানুষ শিববাবা আর শ্রীকৃষ্ণের পার্টকে মিলিয়ে দিয়েছে l শিব ভগবান উবাচঃ - তাঁর কাছে পড়ে শ্রীকৃষ্ণের আত্মা এই পদ পান l ওরা তখন ভুল করে শ্রীকৃষ্ণের নাম গীতায় দিয়ে দিয়েছে l এই ভুল আবারও হবে l মানুষ ভ্রষ্টাচারী হলে তখনই তো বাবা এসে শ্রেষ্ঠাচারী বানাবেন l শ্রেষ্ঠাচারীরাই ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করে ভ্রষ্টাচারী হয় l এই চক্র সম্বন্ধে বোঝানো তো খুব সহজ l কল্পবৃক্ষের চিত্রে তো দেখানো হয়েছে - নীচে তোমরা রাজযোগের তপস্যা করছো, ওপরে লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্য l এখন তোমরা কাণ্ডে বসে আছো, তোমাদের ফাউন্ডেশন তৈরী হচ্ছে l তোমরা জানো যে, এরপর তোমরা সূর্যবংশী কুলে যাবে l রামরাজ্যকে বৈকুন্ঠ বলা হয় না l কৃষ্ণের রাজ্যকে বৈকুন্ঠ বলা হয় l



এখন তো তোমাদের কাছে অনেকেই আসবে l বিভিন্ন প্রদর্শনীতে তোমাদের নামডাক হবে l একজন - দুজনকে দেখে বৃদ্ধি পেতে থাকবে l বাবা এসে তোমাদের এইসব কথা বুঝিয়ে বলেন l চিত্র দেখিয়ে কাউকে বোঝানো খুব সহজ l ভগবান এসেই সত্যযুগের স্থাপনা করেন l আর তিনি আসেন এই পতিত দুনিয়াতে l তিনি কালো থেকে সুন্দর করেন l তোমরা হলে কৃষ্ণের রাজ্যের বংশাবলী l তোমরা প্রজাও l বাবা খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন l নিরাকার শিববাবা আত্মাদের বসে বোঝান যে, তোমরা আমাকে স্মরণ করো l এ হলো রুহানী যাত্রা l হে আত্মারা, তোমরা তোমাদের শান্তিধাম, নির্বাণধামকে স্মরণ করো তাহলে স্বর্গের অবিনাশী বর্সা পাবে l এখন তোমরা সঙ্গম যুগে বসে আছো l বাবা বলেন যে, তোমরা আমাকে আর আমার আশীর্বাদী বর্সাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা স্বর্গে আসতে পারবে l যারা যতো স্মরণ করবে এবং পবিত্র থাকবে ততই উঁচু পদ পেতে পারবে l তোমরা কত বড় আশীর্বাদ পাচ্ছো - ধনবান ভব, পুত্রবান ভব, আয়ুষ্মান ভব l দেবতাদের আয়ু অনেক বেশী হয় l তাঁদের সাক্ষাৎকার হয় যে, এখন এই শরীর ত্যাগ করে আবার বাচ্চা হতে হবে l তাই এই কথা ভিতরে থাকা উচিত যে - আমি আত্মা, এই পুরানো শরীর ত্যাগ করে নতুন গর্ভে প্রবেশ করবো l অন্ত মতি তেমন গতি l এই বৃদ্ধ অবস্থা থেকে কেন না আবার আমরা বাচ্চা হই l আত্মা যখন এই শরীরে থাকে তখনই কষ্টের অনুভব করে l আত্মা যখন শরীর থেকে পৃথক থাকে তখন কোনো কষ্টের অনুভব হয় না l শরীর থেকে পৃথক মানেই শেষ l আমাদের এখন যেতে হবে, মূলবতন থেকে বাবা আমাদের নিয়ে যেতে এসেছেন l এ হলো দুঃখধাম l এখন আমরা মুক্তিধামে যাবো l বাবা বলেন যে, আমি সবাইকে মুক্তিধামে নিয়ে যাই l যে ধর্মেরই হোক না কেন, সবাইকে মুক্তিধামে যেতে হবে l তারা মুক্তিতে যাওয়ার জন্যই পুরুষার্থ করে l



বাবা বলেন যে, তোমরা যদি আমাকে স্মরণ করো, তাহলে আমার কাছে চলে আসবে l বাবাকে স্মরণ করে ভোজন গ্রহণ করলে তোমরা শক্তি পাবে l অশরীরি হয়ে তোমরা আবু রোড পর্যন্ত (পান্ডব ভবন থেকে) চলে যাও, কখনোই তোমাদের কোনো ক্লান্তি আসবে না l বাবা শুরুর দিকে এই অভ্যাস করাতেন l তারা মনে করতো যে আমরা আত্মা l খুব হালকা হয়ে পায়ে হেঁটেই চলে যেতো l কোনো পরিশ্রমই হতো না l শরীর ছাড়া তোমরা আত্মারা তো এক সেকেন্ডেই বাবার কাছে পৌঁছে যেতে পারো l এখানে শরীর ত্যাগ করেই এক সেকেণ্ডে লন্ডনে জন্ম নিতে পারে l আত্মার মতো তীক্ষ্ণ আর কিছুই হয় না l তাই বাবা এখন বলেন - বাচ্চারা, আমি তোমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছি l এখন আমি তোমাদের বাবা, আমাকে তোমরা স্মরণ করো l এখন তোমরা প্র্যাকটিক্যালি বেহদের পারলৌকিক বাবার আশীর্বাদ পাচ্ছো l বাবা বাচ্চাদের শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ মত দিচ্ছেন l ধন - দৌলত ইত্যাদি সব তোমরা নিজের কাছেই রাখো l কেবল ট্রাস্টি হয়ে চলো l তোমরা বলেই এসেছো - হে ভগবান, এ সবকিছুই তোমার l ভগবান সন্তান দিয়েছেন, ভগবান এই ধন - দৌলত দিয়েছেন l আচ্ছা, এখন ভগবান এসে বলছেন, এই সবকিছুর থেকে বুদ্ধিযোগ দূর করে তোমরা ট্রাস্টি হয়ে চলো l শ্রীমতে চললে বাবা জানতে পারবেন l তোমরা কোনো কুকর্ম করো না তো ! শ্রীমতে চললেই তোমরা শ্রেষ্ঠ হতে পারবে l আসুরী মতে চলে তোমরা ভ্রষ্ট হয়েছ l তোমাদের ভ্রষ্ট হতে অর্ধেক কল্প লেগেছে l ১৬ কলা থেকে তোমরা ১৪ কলা হয়ে যাও তারপর ধীরে ধীরে কলা কম হতে থাকে, এতে তো সময় লাগে, তাই না l আচ্ছা l



মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার l

ধারণার জন্য মুখ্য সার:-

১. চলতে - ফিরতে অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে l এক বাবার স্মরণেই ভোজন গ্রহণ করতে হবে l

২. মাতা - পিতার আশীর্বাদ নিতে হবে l ট্রাস্টি হয়ে থাকতে হবে l কোনো কুকর্ম কোরো না l

বরদান:-

জ্ঞান স্বরূপ হয়ে কর্ম ফিলজফিকে চিনে চলতে থাকা কর্মবন্ধন মুক্ত ভব |

কোনো কোনো বাচ্চা আবেগের বশে জোর করে সবকিছুর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে শারীরিক ভাবে নিজেকে আলাদা করে নেয়, কিন্তু মনের হিসেব - নিকেশ থেকে যাওয়ার কারণে পিছনে টানতে থাকে l বুদ্ধি সেদিকেই আকৃষ্ট হয়। এও এক বড় বিঘ্ন হয়ে যায়। তাই কারোর থেকে পৃথক হতে গেলে প্রথমে নিমিত্ত আত্মার দ্বারা ভেরিফাই করাও, কেননা এ হলো কর্মের ফিলজফি l জোর করে পৃথক করলে মন বার বার সেদিকে যেতে থাকে l তাই জ্ঞান স্বরূপ হয়ে কর্মের ফিলজফিকে চেনো আর ভেরিফাই করাও তাহলে সহজেই কর্মবন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যাবে l

স্লোগান:-

নিজের স্বমানের আসনে সেট থাকো তাহলেই মায়া তোমার সামনে সমর্পণ করবে l