13/10/18       Morning Bengali Murli        Om Shanti      BapDada       Madhuban


*"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের মনে খুশীর বাজনা বাজা উচিত কেননা, বেহদের বাবা তোমাদের বেহদের অবিনাশী আশীর্বাদী বর্সা দিতে এসেছেন"*
প্রশ্ন:-
মায়া মানুষকে কোন্ ভ্রমে ভ্রমিত করেছে, যে কারণে তারা স্বর্গে যাওয়ার পুরুষার্থ করে না ?*
উত্তর:-
মায়ার একশ' বছরের এই যে আড়ম্বর, এরোপ্লেন, বিদ্যুৎ (বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও) ইত্যাদি যা যা আবিষ্কার হয়েছে, এই আড়ম্বর দেখে প্রতিটা মানুষ মনে করে যে, স্বর্গ তো এখানেই । অর্থ, গাড়ি, বাড়ি ---ব্যস, আমাদের জন্য তো এখানেই স্বর্গ । এ হলো মায়ার সুখ যা ভ্রমিত করে । এর কারণেই তারা স্বর্গে যাওয়ার পুরুষার্থ করে না ।
গীত:-
মাতা ও মাথা... তুমিই ভাগ্য বিধাতা* .....

ওম্ শান্তি ।
এখন এ তো বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে, যা ঘটে গেছে তারই মহিমা করা হয় । ভারতবাসীরা তো জানে না । বিদ্বান পন্ডিতরাও জানে না । জগৎ অম্বা অর্থাৎ জগতের মানুষকে রচনা করেন যিনি । তোমরা জানো যে, যাঁকে জগদম্বা বলা হয়, তিনি এখন বাচ্চাদের সামনে বসে আছেন । ভক্তিমার্গে তো এমনই গায়ন হয়ে এসেছে । বাচ্চারা, তোমরা এখন জ্ঞান পেয়েছো অর্থাৎ জগৎ অম্বার পরিচয় পেয়েছ । জগদম্বার নামেই বিভিন্ন ধরনের অনেক চিত্র বানানো হয়েছে । বাস্তবে জগদম্বা হলেন একজন, তাঁকেই কালী বলো, সরস্বতী বলো, দুর্গা বলো, এই অনেক নাম রাখার কারণে মানুষ দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে গেছে । কলকাতার কালীও(কালী কলকত্তে ওয়ালী) বলা হয় । বাস্তবে তো এমন চিত্র হয় না । বাবা বলেন যে, এ সবই হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী । যখন থেকে ভক্তিমার্গ শুরু হয় তখন থেকে রাবণ রাজ্যও শুরু হয় । এ তো মানুষ জানেই না যে, রাবণ কে আর রাম কে, এ হলো বেহদের কাহিনী । তোমরা বাচ্চারাই জানো যে, রাবণ রাজ্য সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই রাম রাজ্য শুরু হয় । রাম অবশ্যই সুখ দেবেন, আর রাবণ অবশ্যই দুঃখ দেবে । ভারতে রাবণ রাজ্যকে শোক বাটিকা বলা হয় । বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরা সব এই সময় রাবণ রাজ্যে আছো । এ হল ভারতেরই মুখ্য কথা । রাবণ রাজ্যে তোমরা ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছো । রাম অর্থাৎ বেহদের বাবা হলেন সুখ প্রদানকারী । এই সময় সকল মানুষই আসুরী মতে চলছে । বাকি রাবণ কোনো দশ মাথা বিশিষ্ট মানুষ নয় । এ হলো পাঁচ বিকার, যাকে রাবণ বলা হয় । শিববাবার মত হলো শ্রীমত । এখন তো সব আসুরী সম্প্রদায়, তাই না ! এ হলো বেহদের কথা । তোমরা এই শ্রীমতে একুশ জন্মের সুখ পাও । আসুরী মতে চলে তোমরা ৬৩ জন্ম দুঃখ পেয়েছো ।

তোমরা জানো যে, এই রাবণ হলো বড়র থেকেও বড় শত্রু, যাকে মানুষ জ্বালাতে থাকে । মানুষ বোঝে না, রাবণকে অবশেষে কবে আমরা জ্বালানো বন্ধ করবো ? ওরা বলে - এই রাবণকে জ্বালানো তো পরম্পরা ধরে চলে আসছে । কুশপুত্তলিকা বানিয়ে জ্বালাতে থাকে । বরাবর এই রাবণ সবাইকে দুঃখ দিয়েছিলো, বিশেষ করে ভারতকে । তাহলে তো রাবণ বড় শত্রু হলো । এই বেহদের শত্রুকে কেউই জানে না । বেহদের বাবা এসে বেহদের সুখ প্রদান করেন । এমন সহজ কথাও কোনো বিদ্বান - পন্ডিত আদি জানে না । বাচ্চারা তোমরা জানো যে, আমাদের বেহদের বাবার থেকে সুখের অবিনাশী বর্সা নিতে হবে । তবুও তোমরা প্রতি মুহূর্তে বাবাকে ভুলে যাও । ভক্তিমার্গে তোমরা ডেকে এসেছো - হে বাবা, ক্ষমা করো, আমাকে দয়া করো । আমি তো ক্ষমা করতেই থাকি । যে ভাবনায় তোমরা দেবতাদের পূজা করো, তারজন্য অল্পকালের সুখ তো আমি অবশ্যই দিই । আর কেউই তোমাদের সুখ দিতে পারে না । আমিই হলাম সুখদাতা । ভক্তিমার্গেও আমিই দিই । মানুষ বলে - গড ফাদার এই দিয়েছেন । ভগবানের জন্য বলে । তাহলে এমন কেন বলো, এই ধন অমুক সাধু দিয়েছেন । যেখানে সুখ প্রদানকারী হলেন একমাত্র বাবা । মানুষ গেয়েও থাকে - হে ভগবান, আমাদের দুঃখ দূর করো । তাহলে এমন কেন বলে, অমুক সাধু আমার এই দুঃখ দূর করেছেন, সন্তান দিয়েছেন । তারা মনে করে, ওদের কৃপায় সুখ পেয়েছি । ব্যবসায় লাভ হলে মনে করে, গুরুর কৃপা হয়েছে । লোকসান হলে কিন্তু বলে না, গুরু কৃপা করেন নি । বেচারা ভক্তরা না বুঝে যা মনে আসে তাই করে । যা শোনে তাই অনুসরণ করতে থাকে । এ হলো ড্রামা ।

বাবা এখন এসে তোমাদের আপন করে নিয়েছেন । বাবার সঙ্গে ভালবাসা রাখাতেও মায়া অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি করে । একদম মুখ ঘুরিয়ে দেয় । ২১ জন্মের সুখ প্রদানকারী বাবার থেকে তালাক দিয়ে দেয় । বাবা বোঝান যে, ভক্তিমার্গ আর জ্ঞান মার্গের মধ্যে রাতদিনের তফাৎ । ভক্তি করতে করতে যখন কাঙ্গাল হয়ে যায়, তখন বাবা এসে জ্ঞান দিয়ে ২১ জন্মের জন্য তোমাদের ভাগ্যবান করে দেন । ওই ভক্তি তো তোমরা জন্মে - জন্মে করতে থেকেছো, এরজন্য অল্পকালের সুখ পাওয়া যায় । দুঃখ তো অনেকই । বাবা বলেন যে - আমি এসেছি তোমাদের হারিয়ে যাওয়া রাজ্য ফেরত দিতে । এ তো বেহদের কথা । বাকি আর কোনো কথা নেই । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ আদি নির্বিকারী দেবতা ছিলেন । তাঁদের মহলে কতো না হীরে - জহরত থাকবে । তোমরা ভবিষ্যতে অনেককিছু দেখবে । যত নিকটে যেতে থাকবে ততই স্বর্গের সীন দেখতে থাকবে । কতো বড় বড় দরবার হবে । দরজা - জানালার উপর সোনা, হীরে, জহরতের কত সুন্দর শৃঙ্গার থাকবে । ব্যস, এই রাত সম্পূর্ণ হয়ে দিন শুরু হবে । যে বৈকুন্ঠ তোমরা দিব্য দৃষ্টিতে দেখো, তা অবশ্যই প্রত্যক্ষভাবে দেখবে । যে বিনাশ তোমরা দিব্য দৃষ্টিতে দেখো তাও প্রত্যক্ষভাবে দেখবে । তোমাদের ভিতর তো খুশীর বাজনা বাজা উচিত । আমরা বেহদের বাবার থেকে বেহদের আশীর্বাদী বর্সা নিচ্ছি । এই চিত্র তো সঠিক নয় । সেইসব তোমরা দিব্য দৃষ্টিতে দেখো । ওখানে গিয়ে রাস আদি করো । কতো চিত্র আদি বানাতে । যা কিছু বাবা দিব্যদৃষ্টিতে দেখিয়েছেন তা আবার প্রত্যক্ষভাবে অবশ্যই হবে । তোমরা জানো যে, এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে । তোমরা এখানে বসে আছো শ্রীমতে স্বরাজ্য নেওয়ার পুরুষার্থ করার জন্য । কোথায় ওই ভক্তিমার্গ আর কোথায় এই জ্ঞানমার্গ । এখানে ভারতের হাল দেখো কি হয়েছে - খাওয়ার জন্য অন্ন নেই অথচ বড় বড় প্ল্যান বানাচ্ছে । সময় তো খুব অল্পই আছে । ওদের প্ল্যান আর তোমাদের প্ল্যান দেখো কেমন ? এই কথা কোনো শাস্ত্রে লেখা নেই । রামায়ণ ইত্যাদিতে কতো কাহিনী লিখে দিয়েছে কিন্তু এমন তো হয় না । তাহলে রাবণকে কেন প্রতি বছর জ্বালানো হয় । রাবণকে জ্বালালে তাহলে তো শেষ হয়ে যাওয়া উচিত । ভক্তিমার্গের আমদানী কেমন আর জ্ঞানমার্গের আমদানী কেমন ! বাবা একদম ভান্ডার ভরে দেন । এরজন্য পরিশ্রম আছে । অবশ্যই পবিত্র থাকতে হবে । গায়নও আছে যে, অমৃত ছেড়ে বিষ কেন পান করবে । অমৃতের নামে অমৃতসরে এক পুকুর বানিয়ে দিয়েছে । মানুষ সেই পুকুরে ডুব দেয় । মানস সরোবর নামেরও একটি পুকুর বানিয়ে দিয়েছে । মানসসরোবরের অর্থও কেউ বোঝে না । মানস সরোবর অর্থাৎ নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা জ্ঞানের সাগর, মানুষের তনে এসে এই জ্ঞান শোনান । মানুষ বসে কতো কথা ইত্যাদি বানিয়েছে । সর্বশাস্ত্রময়ী শিরোমণি হল গীতা -- তাতে আবার কৃষ্ণ উবাচঃ লিখে দিয়েছে । কৃষ্ণের জন্য আবার কতো কথা লিখে দিয়েছে । সর্প দংশন করেছিলো, কৃষ্ণ স্ত্রীদের ভাগিয়ে নিয়ে এসেছিলো -- কতো মিথ্যা কলঙ্ক লিখে দিয়েছে । এখন তোমরা বোঝাতে পারো । কৃষ্ণের তো ব্যাপারই নেই । এ তো ব্রহ্মার দ্বারা পরমপিতা পরমাত্মা বসে সমস্ত বেদ শাস্ত্রগ্রন্থের সার বলে দেন । এক নম্বর হলো শ্রীমদ্ভগবদগীতা । ভারতবাসীদের ধর্মশাস্ত্র একটাই, তার খন্ডন করে দিয়েছে, তাই বাকি যা বেদ শাস্ত্র বাচ্চা আছে সব খন্ডন হয়ে গেছে ।

বাবা কতো ভালোভাবে বোঝান তবুও চলতে চলতে মায়ার থাপ্পড় খেতে থাকে, ধারণা করে না । এ হলো যুদ্ধস্থল । তোমরা হলে সেই বাচ্চা যারা ব্রাহ্মণ হয়েছো । গীতা ইত্যাদিতে তো এমন কোনো কথা লেখা নেই । তোমরা হলে ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী, ব্রহ্মার দ্বারা যজ্ঞ রচনা করা হয়েছে । রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ তো বরাবরই আছে, তাহলে যুদ্ধের ময়দান কোথা থেকে এলো ? গায়নও আছে যে, রাজস্ব অশ্বমেধ যজ্ঞ । এই যে রথ, তা আমরা বলি দিই । ওরা আবার দক্ষ প্রজাপতির যজ্ঞ রচনা করে ঘোড়ার উপর বসে স্বাহা করে । কি কি সব লিখে দিয়েছে । তোমরা জানো যে, সত্যযুগে ভারত যখন স্বর্গ ছিলো তখন সেখানে অবশ্যই খুব অল্প মানুষই থাকবে। দেবী - দেবতারা অল্প ছিলো । যমুনার উপকূলে অবশ্যই রাজ্য হবে । কেবল দেবী - দেবতারাই রাজ্য করবে । সেখানে তো গরম থাকবেই না যে কাশ্মীর, সিমলা ইত্যাদিতে যেতে হবে । তত্ত্বও সম্পূর্ণ সতোপ্রধান হয়ে যায় । এও যারা বোঝার তারাই বুঝবে । সত্যযুগকে স্বর্গ বলা হয় আর কলিযুগকে বলা হয় নরক । দ্বাপরকে এত নরক বলবে না । ত্রেতাতেও দুই কলা কম হয়ে যায় । সবথেকে বেশী সুখ আছে স্বর্গে । বলা হয়, অমুকে স্বর্গে গেছেন । তারা কিন্তু স্বর্গের অর্থ বোঝে না । স্বর্গবাসী যখন হয়েছেন তখন অবশ্যই নরকে ছিলেন । প্রত্যেক মানুষই এখন নরকে আছে । বাবা এখন তোমাদের বেহদের রাজ্য দিচ্ছেন । ওখানে তো সবকিছুই তোমাদের থাকবে । তোমাদের পৃথিবী, তোমাদের আকাশ -----তোমরা অটল, অখন্ড, শান্তিময় রাজ্য করবে । দুঃখের নামই থাকবে না সেখানে । তাই তারজন্য কতটা পুরুষার্থ করা উচিত । বাচ্চাদের অবস্থা কেমন । তারা জানেও, আমাদের মা - বাবা খুব ভালো পুরুষার্থ করেন, তাহলে আমরাও কেন পুরুষার্থ করে অবিনাশী বর্সা নেবো না ।

বাবা বলেন যে, বাচ্চারা, পরিশ্রান্ত হয়ো না, শ্রীমতে চলতে থাকো । শ্রীমতকে কখনোই ভুলে যেও না । এতে খুব বড় সাবধানতার প্রয়োজন । যা কিছুই করো, জিজ্ঞেস করো - বাবা, আমরা এ নিয়ে দ্বিধায় আছি, এই কাজ করলে আমাদের পাপ তো লাগবে না ? বাবা কখনোই কারোর থেকে নেন না । ভক্তিমার্গেও ঈশ্বরের কারণে দান করলে পরিবর্তে আবার নেয়ও । শিববাবা নিয়ে কি করবেন, তিনি তো কোনো মহল বানাবেন না । সবকিছুই তিনি বাচ্চাদের জন্য করেন । তিনি বাড়িও যে বানান তা ভবিষ্যতে তোমাদের থাকার জন্য । তোমাদের স্মরণে মন্দিরও এখানে আছে । তোমরাও এখানে বসে আছো । যারা সেবাপরায়ণ বাচ্চা তারা ভবিষ্যতে অনেক আশ্চর্যজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে । এখানে বসেই স্বর্গে চক্র লাগাতে থাকবে । তারপর সেখানে গিয়ে মহল বানাবে । মহলের তো কম্পিটিশন হয়, তাই না ! এখন দেখো একশ' বছরে কতো বানানো হয়েছে । ভারতকে যেন স্বর্গের মতো বানিয়ে দিয়েছে । তাহলে তোমরা বুঝতে পারো, ওখানে একশ' বছরে কি না হবে । সাইন্সের সমস্তকিছুই তোমাদের ওখানে কাজে আসবে । সাইন্সের সুখ হলো সেখানে । এখানে তো দুঃখ । সাইন্সের জন্য মানুষ কতো পরিশ্রম করে । তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো, এ হলো নিজেদের বড়াই, অল্পকালের ক্ষণভঙ্গুর সুখ, এ হলো মায়ার আড়ম্বর । এখন মানুষ এরোপ্লেন, রকেট ইত্যাদিতে যায় । পূর্বে এইসব সাধন ছিলো না । বিজলী ইত্যাদিও ছিলো না । এ সবই হলো মায়ার সুখ যা মানুষকে ভ্রমিত করে । মানুষ মনে করে - ব্যস, এখানেই স্বর্গ । বিমান আদি তো স্বর্গেই ছিলো, তাই এও স্বর্গ । এ কথা বুঝতে পারে না যে, স্বর্গের জন্য এখন তৈরী হচ্ছে । তারা মনে করে, ধন আছে, মহল আছে, ব্যস আমাদের জন্য এখানেই স্বর্গ । আচ্ছা, তোমাদের ভাগ্যে এই স্বর্গ । আমাদের তো পরিশ্রম করে সত্যিকারের স্বর্গে যেতে হবে, যার জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছো । পুরুষার্থে ঢিলেমি দিও না । গৃহস্থ জীবনে থেকে পুরুষার্থ করতে হবে । সার্ভিস করতে হবে । নিজেরা পবিত্র হয়ে তারপর তোমাদের মিত্র - সম্বন্ধীদের যোগ্য বানাও, বাবার মিষ্টি - মিষ্টি কথা শোনাও । বাবা, দুইজন বাবার পয়েন্ট খুব ভালোভাবে বুঝিয়েছেন । সম্পত্তির অবিনাশী আশীর্বাদী বর্সা কিন্তু পাওয়া যায় এক বাবার থেকেই । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত । রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

1. পুরুষার্থে কখনোই পরিশ্রান্ত হবে না । অনেক সাবধানের সঙ্গে শ্রীমত অনুযায়ী চলতে হবে । দ্বিধাগ্রস্ত হবে না ।

2. কোনো পাপ কর্ম করবে না । সত্যিকারের স্বর্গে যাওয়ার জন্য পবিত্র হতে হবে আর পবিত্র বানানোর সেবা করতে হবে ।

বরদান:-
অনাসক্ত হয়ে লৌকিককে সন্তুষ্ট করেও ঈশ্বরীয় উপার্জন জমা করতে সমর্থ রাজযুক্ত(সকল রহস্যকে জেনে) ভব*
কোনো কোনো বাচ্চা লৌকিক কার্য, লৌকিক প্রবৃত্তি, লৌকিক সম্বন্ধ সম্পর্ক পালন করেও নিজের বিশাল বুদ্ধির দ্বারা সবাইকে যেমন সন্তুষ্ট করে তেমনি ঈশ্বরীয় উপার্জনের রহস্য জেনে বিশেষ অংশও বের করে নেয় । এমন একনামী আর ইকোনামী অনাসক্ত বাচ্চা আছে যারা সর্ব সম্পদ, সময়, শক্তি আর স্থূল সম্পদকে লৌকিক ধনকে ইকোনমী করে অলৌকিক কার্যে নিশ্চিন্ত হৃদয়ে লাগায় । এমন যুক্তিযুক্ত, রাজযুক্ত বাচ্চাই মহিমার যোগ্য ।

স্লোগান:-
স্মৃতি স্বরূপ হয়ে প্রতিটি কর্ম যারা করে তারাই প্রকাশ স্তম্ভ (লাইট হাউস) হয় ।