16.11.2018 Morning
Bengali Murli Om Shanti BapDada Madhuban
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমাদের রূহানী
পান্ডা হয়ে যাত্রা করতে হবে ও করাতে হবে, স্মরণ-ই হল তোমাদের যাত্রা, স্মরণ করতে
থাকো তাহলেই খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে"
প্রশ্নঃ -
নিরাকারী
দুনিয়ায় গেলেই কোন্ সংস্কারটি সমাপ্ত হয়ে যায় এবং কোন্ সংস্কারটি রয়ে যায় ?
উত্তরঃ -
সেখানে
জ্ঞানের সংস্কার সমাপ্ত হয়ে যায়, প্রালব্ধের সংস্কার রয়ে যায়। যে সংস্কার গুলির
আধারে তোমরা, বাচ্চারা সত্যযুগে প্রালব্ধ ভোগ করো, সেখানে আবার পড়াশোনার বা
পুরুষার্থের সংস্কার থাকে না। প্রালব্ধ প্রাপ্ত হলে তখন জ্ঞান শেষ হয়ে যায় ।
গীতঃ-
রাতের পথিক
ক্লান্ত হয়ও না ....
ওম্ শান্তি।
এখানে সম্মুখে
শিব ভগবানুবাচ আছেন। গীতায় দেখানো হয় - শ্রীকৃষ্ণ ভগবানুবাচ কিন্তু কৃষ্ণ তো সেই
নাম-রূপে সম্মুখে হতে পারবেন না। ইনি তো সম্মুখে বলেন, নিরাকার ভগবানুবাচ। কৃষ্ণ
উবাচ বললে তো সাকার হয়ে যাবে। যারা বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ করে, তারা এমন বলবেনা
যে ভগবানুবাচ, কারণ সাধু, সন্ন্যাসী, মহাত্মা ইত্যাদি সব সাকারে বসে আছে। এরপর বাবা
বলেন - হে রূহানী পথিক। রূহানী পিতা নিশ্চয়ই রূহ অর্থাৎ আত্মাদের বলবেন যে বাচ্চারা,
ক্লান্ত হয়ো না। যাত্রায় যখন কেউ ক্লান্ত হয়ে যায় তো ফিরে আসে। সেটা হল দৈহিক যাত্রা।
বিভিন্ন মন্দিরে দৈহিক তীর্থ যাত্রা করতে যাওয়া হয়। কেউ শিবের মন্দিরে যায়, সেখানে
সব দৈহিক চিত্র রাখা থাকে ভক্তি মার্গের। এখানে তো সুপ্রিম রূহ বা সুপ্রিম আত্মা
পরম পিতা পরমাত্মা আত্মাদের বলেন যে হে বাচ্চারা, এবারে একমাত্র আমার সঙ্গে বুদ্ধি
যোগ লাগাও এবং জ্ঞানও প্রদান করেন। তীর্থ স্থানে ব্রাহ্মণরা বসে কথা কীর্তন করে।
তোমাদের তো একটি সত্য নারায়ণের কথা আছে, নর থেকে নারায়ণ হওয়ার। তোমরা জানো প্ৰথমে
সুইট হোম যাব তারপরে বিষ্ণুপুরীতে আসব। এই সময় তোমরা আছ ব্রহ্মাপুরীতে, যাকে পিতৃ
গৃহ অর্থাৎ পিতার ঘর বলা হয়। তোমাদের কাছে কোনো গহনা বা অলঙ্কার ইত্যাদি কিছুই নেই
কারণ তোমরা আছ পিতৃ গৃহে। তোমরা জানো শ্বশুর গৃহে আমরা অসীম সুখের অধিকারী হব। এখানে
কলিযুগী শ্বশুর গৃহে তো অসীম দুঃখ আছে। তোমাদের তো যেতে হবে ঐ পারে সুখধামে। এখান
থেকে ট্রান্সফার হতে হবে। বাবা সবাইকে চোখের পাতায় বসিয়ে নিয়ে যান। দেখানো হয়েছে
কিনা কৃষ্ণের পিতা কৃষ্ণকে ঝুড়িতে বসিয়ে ঐ পারে নিয়ে গেছে সুতরাং ইনি বেহদের পিতা
তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের ঐ পারে শ্বশুর ঘরে নিয়ে যান। প্রথমে নিজের নিরাকারী ঘরে
নিয়ে যাবেন তারপরে শ্বশুর ঘরে পাঠিয়ে দেবেন। তখন সেখানে গিয়ে এইসব কথা পিতার গৃহ,
শ্বশুর গৃহের কথা ভুলে যাবে। সেটা হল নিরাকারী পিতার গৃহ, সেখানে এই জ্ঞান বিস্মৃত
হয়, নলেজের সংস্কার বেরিয়ে যায়, বাকি পড়ে থাকে প্রালব্ধের সংস্কার। তখন বাচ্চাদের
অর্থাৎ তোমাদের কেবল প্রালব্ধ-ই স্মরণে থাকে। প্রালব্ধ অনুসারে গিয়ে সুখের জন্ম নেবে।
সুখধামে যেতে হবে। প্রালব্ধ প্রাপ্ত হলেই জ্ঞান শেষ। তোমরা জানো প্রালব্ধের সময়
আবার সেই অ্যাক্ট চলবে। তোমাদের সংস্কার হয়ে যাবে প্রালব্ধের। এখন হল পুরুষার্থের
সংস্কার। এমন নয় পুরুষার্থ ও প্রালব্ধ দুইয়ের সংস্কার সেখানে থাকবে। না, সেখানে এই
জ্ঞান থাকবেনা। সুতরাং এই হল তোমাদের রূহানী যাত্রা, তোমাদের চিফ পান্ডা হলেন বাবা।
যদিও তোমরাও রূহানী পান্ডা হয়ে সবাইকে সঙ্গে করে নিয়ে যাও। তারা হল দৈহিক পান্ডা,
তোমরা হলে রূহানী পান্ডা। তারা অমরনাথে খুব ধুমধাম করে যায়, দলে দলে বিশেষ করে
অমরনাথে । বাবা দেখেছেন কত সাধু সন্ন্যাসীরা বাজনা ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে যায়। সঙ্গে
ডাক্তারও নিয়ে যায় কারণ সেখানে তখন খুব ঠান্ডার সময় । অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তোমাদের যাত্রা তো হল খুব সহজ। বাবা বলেন স্মরণে থাকা-ই হল তোমাদের যাত্রা। স্মরণ
হল মুখ্য। বাচ্চারা স্মরণ করতে থাকলে তো খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে। সাথে অন্যদেরও
যাত্রায় নিয়ে যেতে হবে। এই যাত্রা একবারই করা হয়। দৈহিক যাত্রা তো ভক্তি মার্গে
আরম্ভ হয়। তাও প্রারম্ভে শুরু হয়না। এমন নয় হঠাৎ করে মন্দির, চিত্র ইত্যাদি নির্মাণ
হবে। সেসব তো ধীরে ধীরে বহু কাল ধরে সময় তৈরি হয়েছে। সর্ব প্ৰথমে শিবের মন্দির তৈরি
হবে। তারাও প্ৰথমে সোমনাথের মন্দির তৈরি করে তখন আর কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন থাকেনা।
এইসব মন্দির ইত্যাদি পরে তৈরি হয়েছে, সময় লাগে। তারপরে ধীরে ধীরে নতুন শাস্ত্র,
নতুন চিত্র, নতুন মন্দির ইত্যাদি তৈরি হয়। সময় লাগে কারণ পড়ার জন্য মানুষও তো চাই
তাইনা। মঠ ইত্যাদি যখন বৃদ্ধি হবে, তখন চিন্তা ভাবনা করা হবে শাস্ত্র তৈরি করবার ।
সুতরাং এত এত তীর্থ স্থান, মন্দির, চিত্র ইত্যাদি তৈরি হয়েছে, সময় তো লাগবে তাইনা !
যদিও বলা হয় যে ভক্তিমার্গ দ্বাপর থেকে শুরু হয় কিন্তু সময় তো লাগে, তাই না ! তারপরে
আত্মার কলা অর্থাৎ গুণ বা কোয়ালিটি কমতে থাকবে। প্ৰথমে অব্যভিচারী ভক্তি, তারপরে
ব্যভিচারী ভক্তি হয়ে যায়। এইসব কথা ভালোভাবে চিত্র দ্বারা প্রমাণ করে বলা হয়। যারা
বুঝতে পারে তাদের বুদ্ধিতে এই চলতে থাকবে যে এমন এমন চিত্র তৈরি হোক, এইভাবে বোঝানো
হোক। সবার বুদ্ধিতে চলবে না। নম্বর অনুসারে তো আছেই। কারো যদি বুদ্ধি না চলে তবে পদ
মর্যাদাও তেমনই প্রাপ্ত হবে। বোঝা যায় - এর পদ কি হবে ? যত এগোবে তোমরা তত বুঝতে
পারবে। যখন যুদ্ধ ইত্যাদি লাগবে তখন প্রাক্টিক্যালে দেখবে। তখন খুব দুঃখ হবে। সেই
সময় তো এই রূহানী পড়া হবে না। যুদ্ধের সময় হাহাকার হবে, কিছুই শুনতে পারবেনা। কি হবে
তা জানা নেই। পার্টিশনের সময় কি হয়েছিল, দেখেছিলে তাই না ! বিনাশের এই সময়টি খুব
কঠিন। হ্যাঁ, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি অনেক হবে, ফলে জানতে পারবে কত পড়া করেছে। খুব দুঃখ
হবে এবং সাক্ষাৎকারও হবে - দেখো পড়া ছেড়ে দিয়ে তোমাদের এই অবস্থা হয়েছে। ধর্মরাজ
সাক্ষাৎকার না করিয়ে সাজা দেবেন কিভাবে ? সবকিছু সাক্ষাৎকার করাবেন। তখন কিছুই করার
থাকবে না। বলবে হায় আমার ভাগ্য। কিছু উপায় করার সময় তো চলে যাবে। তাই বাবা বলেন
এখনই পুরুষার্থ কেন করো তোমরা। সার্ভিস করলেই বাবার হৃদয়ে স্থান পাবে। বাবা বলেন
অমুক বাচ্চারা ভালো সার্ভিস করে। মিলিটারিতে সৈনিক মারা গেলে তাদের আত্মীয় স্বজনকে
পুরস্কার প্রদান করা হয়। এখানে তোমাদের পুরস্কার প্রদান করেন বেহদের বাবা। বাবার
কাছে ২১ জন্মের জন্যে পুরস্কার প্রাপ্ত হয়। এই কথা তো সবাইকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করা
উচিত যে আমি কত পড়া করি। ধারণা হয় না অর্থাৎ ভাগ্যে নেই। বলবে কর্ম এমন করেছি। খুব
খারাপ কর্ম করে কিছুই প্রাপ্ত করতে পারবেনা।
বাবা বোঝান - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের এই রূহানী যাত্রায় নিজের সঙ্গী সাথীদের সঙ্গে
আনতে হবে। তোমাদের কর্তব্য হল প্রত্যেককে এই যাত্রার কথা জানানো। বলো, আমাদের এ হল
রূহানী যাত্রা। ওটা হল দৈহিক যাত্রা । দেখানো হয় রেঙ্গুনে একটি ছম্ ছম্ পুকুর আছে,
যেখানে স্নান করলে পরী হয়ে যায়। কিন্তু কেউ পরী ইত্যাদি তো হয়না। এই হল জ্ঞান স্নান
করার কথা, যার দ্বারা তোমরা স্বর্গের পরী রূপে পরিণত হও এবং জ্ঞান-যোগবল দ্বারা
বৈকুণ্ঠে যাতায়াত করা তো তোমাদের জন্যে খুব সাধারণ ব্যাপার । তোমাদের বাধা দেওয়া হয়,
ক্ষণে ক্ষণে ধ্যানে (ট্রান্সে) যেও না, অভ্যাস হয়ে যাবে। সুতরাং এ হল জ্ঞানের মান
সরোবর, পরম পিতা পরমাত্মা এসে এই মনুষ্য দেহ দ্বারা জ্ঞান প্রদান করেন, তাই মান
সরোবর বলা হয়। মান সরোবর শব্দটি সাগর থেকে বের হয়েছে। জ্ঞান সাগরে স্নান করা তো ভালো
কথা। স্বর্গের রানীকে মহারানী বলা হয়। বাবা বলবেন যে তোমরাও স্বর্গের মালিক হও।
বাচ্চাদের প্রতি স্নেহ থাকে। সকলের জন্যে দয়া অনুভব হয় , সাধু সন্ন্যাসীদের জন্যেও
দয়া অনুভব হয়। এই কথা তো গীতায়ও লেখা আছে যে সাধুদেরও উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় -
জ্ঞান যোগের দ্বারা। বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে বোঝানোর উৎসাহ চাই। বলো - তোমরা
সবকিছুই জানো কিন্তু সেসব হল ঘোলের সমান, বাকি মাখন যিনি খাওয়ান তাঁর কথা তোমরা জানো
না। বাবা কত ভালো করে বোঝান। কিন্তু এই কথা কারো বুদ্ধিতে ঢুকলে তো ভালো তাইনা।
বাবার পরিচয় পেলে মানুষ হীরে সম হয়ে যায়, না জানলে কড়ি সম হয়ে থাকে , একেবারে পতিত
হয়। বাবাকে জানলেই পবিত্র হয়। পতিত দুনিয়ায় কেউ পবিত্র হতে পারেনা। অতএব যে মহারথী
বাচ্চারা আছে, তারা ভালো ভাবে বোঝাতে পারবে। অনেক ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা আছে।
প্রজাপিতা ব্রহ্মা নামটিও বিখ্যাত। প্রজাপিতা ব্রহ্মার এই হল মুখ বংশী সন্তান।
ব্রহ্মাকেই ১০০ ভূজা, ১০০০ ভূজা দেখানো হয়। এই কথাও বোঝানো হয় যে এত ভূজা হতে পারেনা।
যদিও ব্রহ্মা হলেন বহু সন্তানের পিতা। তাহলে ব্রহ্মা কার সন্তান ? ওনারও পিতা আছেন
তাইনা। ব্রহ্মা হলেন শিববাবার সন্তান। এনার পিতা আর কে হতে পারে ? কোনও মানুষ তো হতে
পারবেন না। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর হলেন সূক্ষ্ম বতন বাসী , এমন গায়ন হয়। তাঁরা তো
এখানে আসতে পারবেন না। প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো অবশ্যই এখানেই হবেন। সূক্ষ্ম বতনে তো
প্রজা রচনা করবেন না। সুতরাং পরম পিতা পরমাত্মা এসে এই ব্রহ্মা মুখ দ্বারা শক্তিসেনা
রচনা করেন। সর্ব প্ৰথমে পরিচয় দিতে হবে আমরা হলাম ব্রহ্মা মুখ বংশী। তোমরাও
ব্রহ্মার সন্তান কিনা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন সকলের পিতা। তারপরে তাঁর থেকে আরও
বংশ বিস্তার হয় , নাম পরিবর্তন হয়। এখন তোমরা হলে ব্রাহ্মণ। প্রাক্টিক্যালে দেখো
প্রজাপিতা ব্রহ্মার কত সন্তান আছে। সন্তান নিশ্চয়ই বর্সা প্রাপ্ত করবে। ব্রহ্মার
কাছে কোনো প্রপার্টি নেই, প্রপার্টি আছে শিববাবার কাছে। ব্রহ্মা কেয়ার অফ শিব।
বেহদের বাবার কাছেই বর্সা প্রাপ্ত হয়। ব্রহ্মা দ্বারা শিববাবা বসে পড়ান। আমরা দাদুর
কাছে বর্সা প্রাপ্ত করি। বাবা বোঝান তো ভালো ভাবে, কিন্তু যোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী না
চললে বাবা কি করতে পারেন । বাবা বলেন তাদের ভাগ্য। যদি বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তবে
বাবা বলতে পারেন - এই অবস্থায় তোমাদের কি পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হবে ? মন ব'লে , আমি
কতটা সার্ভিস করি ? শ্রীমৎ অনুযায়ী কতখানি চলি ? শ্রীমৎ বলে মন্মনাভব। সবাইকে বাবার
ও বর্সার পরিচয় দিতে থাকেন, ঢাক বাজাতে থাকেন। বাবা ইঙ্গিত করেন, গভর্নমেন্টকেও
তোমাদেরই বোঝাতে হবে। যাতে তারাও বুঝতে পারে সঠিকভাবে ভারতের শক্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
পরমপিতা পরমাত্মা সর্বশক্তিমানের সঙ্গে যোগ নেই। তাঁর সঙ্গে যোগ যুক্ত হয়ে তোমরা
একবারে বিশ্বের মালিক হও, মায়াকে তোমরা পরাজিত কর। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে তোমাদের
মায়াকে পরাজিত করতে হবে। আমাদের সাহায্য করেন বাবা। অনেক বোঝানো হয়, ধারণা করা উচিত।
বাবা বুঝিয়েছেন ধন (জ্ঞান ধন)দিলেও শেষ হবে না। সার্ভিস করলে তবেই বাবার হৃদয়ে বসতে
পারবে। তা নাহলে অসম্ভব। এর মানে এই নয় যে বাবা ভালোবাসেন না। বাবা সার্ভিসেবলকে
ভালোবাসেন। পরিশ্রম করা উচিত। সবাইকে যাত্রা করার উপযুক্ত করতে হবে। মন্মনাভব। এই
হল রূহানী যাত্রা, আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা আমার কাছে আসতে পারবে। শিব পুরীতে
এসে তারপরে বিষ্ণুপুরীতে চলে যাবে। এইসব কথা কেবল তোমরা বাচ্চারাই জানো। আর কেউ
মন্মনাভবের অর্থ বোঝেনা, যদিও পড়ে তো সবাই। বাবা মহামন্ত্র দেন, আমাকে স্মরণ করো তো
তোমরা বিকর্মজিত হয়ে যাবে। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং।
রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্যে
মুখ্য সারঃ-
১) জ্ঞান
স্নান করতে হবে। ভালোবেসে সার্ভিস করে বাবার হৃদয় আসনে বসতে হবে। পুরুষার্থের সময়
উদাসীন হবে না।
২) বাবার চোখের পাতায় বসে কলিযুগী দুঃখধাম থেকে সুখধামে যেতে হবে তাই নিজের সর্বস্ব
ট্রান্সফার করতে হবে।
বরদানঃ-
স্নেহের সাগরে
ডুব দিয়ে আমার-ভাবের মলিনতাকে (ময়লা) সমাপ্তকারী পবিত্র আত্মা ভব
ব্যাখা: যে
আত্মা সর্বদা স্নেহের সাগরে সমায়িত থাকে বা ডুবে থাকে দুনিয়ার কোনো কথায় তার মনোযোগ
থাকেনা। স্নেহে ডুবে থাকার জন্যে তারা সব বিষয় থেকে সহজেই মুক্ত হতে পারে। ভক্তদের
জন্যে বলা হয় এই জন তো অন্যমনস্ক থাকে কিন্তু আসলে সেই বাচ্চা প্রেমের সাগরে ডুবে
থাকে। তারা দুনিয়ার স্মরণে থাকেনা, আমার-আমার ভাবও শেষ হয়ে যায়। অনেক আমার - এই ভাব
ময়লা করে দেয়, একমাত্র বাবা আমার - এই ভাবনা দ্বারা সম্পূর্ণ ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়
এবং আত্মা পবিত্র হয়ে যায়।
স্লোগানঃ-
বুদ্ধিতে
জ্ঞান রত্ন গ্রহণ করা ও করানো-ই হল হোলি হংস হওয়া ।