০২-১২-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ ০৫-০৩-৮৪ মধুবন
শান্তির শক্তির মহত্ত্ব
শান্তির সাগর, বাবা, তাঁর শান্তির অবতার বাচ্চাদের সাথে মিলিত হতে এসেছেন l আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হলো শান্তি আর সেই শান্তির দাতা তোমরা বাচ্চারা l যতোই কেউ বিনাশী ধন, বিনাশী সাধনের মাধ্যমে নেওয়ার চেষ্টা করুক, তারা প্রকৃত অবিনাশী শান্তি লাভ করতে পারে না l যদিও বা আজকের দুনিয়া ধনবান, সুখের সবরকম সাধন আছে, তবুও এখনও এই দুনিয়া অবিনাশী এবং সদাকালের শান্তির ভিখারী l এমন শান্তির ভিক্ষু আত্মাদের তোমরা আত্মারা যারা মাস্টার শান্তিদাতা, শান্তির ভান্ডার এবং শান্তির প্রতিমূর্তি, তারা এমন শান্তির ভিক্ষু আত্মাদের এক আঁজলা শান্তি দিয়ে সকলের শান্তির তৃষ্ণা মিটিয়ে শান্তির ইচ্ছা পূরণ করো l অশান্ত বাচ্চাদের দেখে তাদের জন্যে বাপদাদার দয়া হয় l সামগ্রিকভাবে তারা বারংবারের চেষ্টায় সায়েন্সের শক্তি দ্বারা কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে যাচ্ছে, কতো-কি বানাচ্ছে, দিনকে রাত আর রাতকে দিন পর্যন্ত বানিয়ে ফেলছে, কিন্তু আত্মার স্বধর্ম যে শান্তি সেই শান্তি তারা কায়েম করতে পারছে না l শান্তির পিছনে যতোই ধাওয়া করুক, স্বল্পকালীন শান্তি প্রাপ্তির পরে পরিণামে শুধুই অশান্তি l অবিনাশী শান্তি সকল আত্মাদের ঈশ্বরীয় জন্মসিদ্ধ অধিকার l যতোই হোক, তারা তাদের জন্মসিদ্ধ অধিকারের জন্য অনেক মেহনত করে ! সেকেন্ডের প্রাপ্তি, কিন্তু সম্পূর্ণ পরিচয় না থাকার কারণে সেকেন্ডের প্রাপ্তি লাভ করার জন্য কতো ধাক্কা খায়, আহ্বান করে, মর্মপীড়ায় আর্তনাদ করে l শান্তির পিছনে দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদেরকে তোমাদের ভাইদের আত্মিক রূপের ভ্রাতৃত্বের দৃষ্টি দাও l এই দৃষ্টিতেই তাদের দুনিয়ার রূপান্তর ঘটবে l
তোমরা সব শান্তির অবতার আত্মারা সদা শান্তস্বরূপ স্থিতিতে থাকো ? অশান্তিকে সদাকালের জন্য বিদায় দিয়েছো, তাই না ! অশান্তির বিদায় সেরিমনি করেছো নাকি এখনও করা বাকি আছে ? যারা অশান্তিকে বিদায় সম্ভাষণ জানায়নি, তারা এখানে আছে ? তাদের জন্য কি ডেট ফিক্স করে দেবো ? যারা এখন সেরিমনি করতে ইচ্ছুক তারা হাত উঠাও ! কখনো স্বপ্নেও যেন অশান্তিকে আসতে দিওনা l তোমাদের স্বপ্নগুলোও শান্তিময় হয়ে গেছে, তাই না ! বাবা শান্তিদাতা আর তোমরা সবাই শান্তির প্রতিচ্ছায়া l তোমাদের ধর্মও শান্তি আর কর্মও শান্তি, তাহলে অশান্তি কোথা থেকে আসবে ! তোমাদের সকলের কর্ম কি ? শান্তি দেওয়া l এখনও তোমাদের ভক্তরা যখন তোমাদের আরতি করে, তখন কি বলে ? শান্তিদেব ! সুতরাং তারা কাদের আরতি করছে ? তোমাদের নাকি শুধুই বাবার ? শান্তিদেব বাচ্চারা সদা শান্তির মহাদানী, বরদানী আত্মা l তোমরা মাস্টার জ্ঞান সূর্য হয়ে সারা বিশ্বে শান্তির কিরণ ছড়িয়ে দিচ্ছ, এই নেশা তো থাকে, তাই না, যে বাবার সাথে সাথে তোমরাও মাস্টার জ্ঞান সূর্য এবং শান্তির কিরণ ছড়িয়ে দেওয়া মাস্টার সূর্য !
স্বধর্মের পরিচয় দিয়ে তোমরা সেকেন্ডে তাদের স্ব-স্বরূপে স্থিত করাতে পারো, নিজেদের বৃত্তি দ্বারা ? কোন বৃত্তি ? এই আত্মারাও অর্থাৎ তোমাদের ভাইরাও যেন বাবার থেকে তাদের উত্তরাধিকার লাভ করতে পারে l এই শুভ বৃত্তি বা এই শুভ ভাবনা দ্বারা অনেক আত্মাদের তোমরা অনুভব করাতে পারো, কেন ? শুদ্ধ ভাবনার ফল অবশ্যই পাওয়া যায় l তোমাদের সকলের ভাবনা স্বার্থ বিরহিত শ্রেষ্ঠ ভাবনা, দয়ার ভাবনা , কল্যাণের ভাবনা l এমন ভাবনার ফল পাওয়া যাবেনা, এতো হতেই পারে না l বীজ যখন শক্তিশালী নিশ্চয়ই ফলপ্রাপ্তি হয় l শুধু এই শ্রেষ্ঠ ভাবনার বীজে সদা স্মৃতির জল দিয়ে গেলে অবশ্যই প্রত্যক্ষ ফলরূপে সমর্থ ফলপ্রাপ্তি হতেই হবে l হবে কি হবেনা এমন কোনো কোশ্চেন হবেনা l সমর্থ স্মৃতির জল থাকা অর্থাৎ সকল আত্মাদের প্রতি শুভ ভাবনা থাকা, সুতরাং, বিশ্বশান্তির প্রত্যক্ষ ফল তোমরা নিশ্চিতরূপে লাভ করবে l অনেক আত্মাদের বহু জন্মের আশা বাবার সাথে সাথে তোমরা সব বাচ্চারাও পূর্ণ করছো, তা'তে সকলের আশা পরিপূর্ণ হবে l
অশান্তির আওয়াজ এখন চারিদিকে অনুনাদিত হচ্ছে এবং মানুষ তাদের তন, মন, ধন, জন সবদিক থেকে অশান্তি অনুভব করছে l ভীতির কারণে তাদের সর্বপ্রাপ্তির সাধন থাকা সত্ত্বেও শান্তি অনুভবের পরিবর্তে তারা অশান্তি অনুভব করছে l আত্মারা আজ কোনো না কোন ভয়ের প্রভাবে বশীভূত হয়ে আছে l তারা খাচ্ছে, চলাফেরা করছে, রোজগার করছে, স্বল্পমেয়াদী আনন্দ উপভোগ করছে, কিন্তু সবকিছুই ভয়ে ভয়ে l তারা জানেনা, আগামী দিনে কি হবে ! সুতরাং যেখানে সিংহাসন ভয়ের, যখন নেতা ভয়ের চেয়ারে বসে আছে অর্থাৎ তার সামাজিক পদমর্যাদা ভয়ের, তবে প্রজার অবস্থা কি হবে ! যতো বড়ো নেতা, তার ততো অঙ্গরক্ষক হবে, কেন ? কারণ ভয় l সুতরাং ভয়ের সিংহাসনে অধিষ্ঠান করাকালীন স্বল্পমেয়াদী সুখানুভব কিরকম হবে ? শান্তিময় নাকি অশান্তিময় ? বাপদাদা এমন ভয়ভীত বাচ্চাদের সদাকালের সুখময়, শান্তিময় জীবন দেওয়ার জন্য তোমরা সব বাচ্চাদের শান্তির অবতার রূপে নিমিত্ত বানিয়েছেন l শান্তির শক্তিতে কিছুমাত্র খরচ না করে এক জায়গা থেকে কতো দূর পর্যন্ত যেতে পারো তোমরা ? এই লোকেরও ঊর্ধ্বে ! নিজেদের সুইট হোমে কতো সহজে পৌঁছে যাও! কোনরকম মেহনত লাগে ? শান্তির (নৈঃশব্দ্য) শক্তি দিয়ে কতো সহজে তোমরা প্রকৃতিজিৎ, মায়াজিৎ হয়ে যাও ! কিসের মাধ্যমে ? আত্মিক শক্তি দ্বারা l যখন অ্যাটমিক শক্তি এবং আত্মিক শক্তি দুইই একত্র হয়ে যাবে, যখন আত্মিক শক্তির সাথে অ্যাটমিক শক্তিও সতঃপ্রধান বুদ্ধির মাধ্যমে সুখের কার্য সম্পন্ন করবে, তখন উভয় শক্তির একত্রিত হওয়ার দরুণ এই ভূমিতেই শান্তিময় দুনিয়া প্রত্যক্ষ হবে, কারণ উভয় শক্তিই শান্তি এবং সুখময় স্বর্গরাজ্যে বিদ্যমান থাকবে l সুতরাং সতঃপ্রধান বুদ্ধি অর্থাৎ সদা শ্রেষ্ঠ, সত্য কর্ম করার বুদ্ধি l সত্য অর্থাৎ অবিনাশীও l অবিনাশী বাবা এবং অবিনাশী আত্মার স্মৃতিতে প্রতিটা কর্ম করলে প্রাপ্তিও অবিনাশী হবে, এইজন্য তারা বলে সৎ কর্ম l অতএব, সদাকালের জন্য শান্তি দিয়ে শান্তির অবতার হও তোমরা l
যে আত্মারা তাদের সতঃপ্রধান স্থিতি দিয়ে সদা সৎ কর্ম করে, তাদের শক্তিশালী শুভ ভাবনা অন্য অনেক আত্মাদের শান্তির ফল দেয়, সদা মাস্টার শান্তিদাতা শান্তিদেব হয়ে শান্তির কিরণ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়, আত্মারা যারা বাবার সাথে তাঁর বিশেষ কার্যে সহযোগী হয়, এমন আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l
*লন্ডনের নোবেল বিজেতা বৈজ্ঞানিক ব্রায়ান জোসেফসন আর বাপদাদার সাক্ষাৎকারঃ* -
শান্তির শক্তির অনুভবকেও তুমি অনুভব করেছো ? কারণ শান্তির শক্তি সারা বিশ্বকে শান্তিময় বানাবে l তুমিও শান্তিপ্রিয় আত্মা, তাই না ? শান্তির শক্তি দিয়ে সায়েন্সের শক্তিকেও যথার্থরূপে কাজে লাগালে তুমি বিশ্ব কল্যাণের নিমিত্ত হতে পারো l সায়েন্সের শক্তিও প্রয়োজন, কিন্তু শুধুমাত্র সতঃপ্রধান বুদ্ধি দিয়েই তুমি এটা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারো l শুধু এই নলেজেরই আজ অভাব আছে, কিভাবে কাজে যথার্থরূপে এর প্রয়োগ করা যায় l এই নলেজের আধারে এই সায়েন্সই নতুন সৃষ্টি স্থাপনার নিমিত্ত হবে l যতোই হোক, আজ সেই নলেজ না থাকার কারণে তোমরা বিনাশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছ l অতএব, এখন এই সায়েন্সের শক্তির আধারে সাইলেন্সের শক্তিকে অতি ভালো কাজে লাগানোর নিমিত্ত হও l এতেও তো তুমি নোবেল প্রাইজ নেবে, তাই না ! কারণ এই কাজেরই আবশ্যকতা আছে l সুতরাং যখন যে কাজের প্রয়োজন, সেই কাজে কেউ নিমিত্ত হলে তাকে সবাই শ্রেষ্ঠ নজরে দেখবে l তাহলে বুঝেছো তো কি করতে হবে তোমাকে ? বর্তমানে সায়েন্স এবং সাইলেন্স এই দুইয়ের মধ্যে কি কানেকশন আছে আর দুইয়ের মধ্যেকার এই কানেকশনে কতোখানি সাফল্য আসতে পারে, সেই রিসার্চ করো l রিসার্চে উৎসাহী তো, তাই না ? এখন এটাই করো l এতোবড় কার্য করতে হবে তোমাকে ! এমন দুনিয়াই তোমরা বানাবে, তাই না ! আচ্ছা -
*ইউ. কে. গ্রুপঃ* - হারানিধি বাচ্চারা সবসময় বাবার সাথে আছে l বাবা সদাই তোমাদের সাথে আছেন, এমন অনুভব তো করো তোমরা, তাই না ! বাবার সঙ্গ থেকে যদি সামান্যতম সরে যাও তো মায়ার চোখ কিন্তু খুব তীক্ষ্ণ l সে দেখে, তাঁর থেকে তুমি সামান্য সরে গেছ আর তোমাকে সে নিজের বানিয়ে নেয়, এইজন্য তোমরা কখনো একটুও সরে থেকোনা l সবসময় বাবার সাথে যুক্ত থেকো l বাপদাদা নিজে যখন সদা তোমাদেরকে সাথে থাকতে অফার করছেন, তাহলে তো সাথে থাকাই উচিৎ, তাই না ! এমন সঙ্গ সারা কল্পে তোমরা আর কখনও পাবে না, যেখানে বাবা বলবেন, এসো, আমার সাথে থাকো l এমনকি সত্যযুগেও তোমাদের এমন ভাগ্য হবেনা l সত্যযুগেও আত্মাদের সাথেই থাকবে । সারা কল্পে বাবার সঙ্গ তোমরা কতোটা সময় লাভ করো? খুবই অল্প সময়, তাই না ! এমন অল্প সময়ে এমন ভাগ্য তোমরা লাভ করেছো, সুতরাং সবসময় তাঁর সাথেই তো থাকা উচিৎ, তাই না ! সদা পরিপক্ক স্থিতিতে স্থিত বাচ্চাদের বাপদাদা দেখছেন l কতো প্রিয় সব বাচ্চারা বাপদাদার সামনে আছে l প্রত্যেক বাচ্চাই অনুরাগী l বাপদাদা কতো স্নেহভরে কতো দূর-দূরান্ত থেকে বাছাই করে তোমাদের সবাইকে একত্রিত করেছেন l এইরকম বাছাই করা বাচ্চারা সবসময় পরিপক্কই হবে, কাঁচা তো হতেই পারে না l আচ্ছা -
*পার্সোনাল মহাবাক্যঃ* --
*বিশেষ পার্টধারী অর্থাৎ প্রতি পদে, প্রতিটা সেকেন্ড সদা অ্যালার্ট, অসতর্ক নয়*
চলতে-ফিরতে, ভোজনপান করতে বেহদ ওয়ার্ল্ড ড্রামা স্টেজে নিজেকে সবসময় বিশেষ পার্টধারী আত্মা বলে অনুভব করো তোমরা ? যারা বিশেষ পার্টধারী তাদের সবসময় নিজের কর্ম অর্থাৎ পার্টের প্রতি অ্যাটেনশন থাকে, কারণ সমগ্র ড্রামা হিরো পার্টধারীর ওপর নির্ভর করে l সুতরাং, তোমরা হলে এই সমগ্র ড্রামার আধার, তাই তো ? তাহলে তোমরা সব বিশেষ আত্মাদের বা বিশেষ পার্টধারীদের এতোটাই অ্যাটেনশন থাকে ? বিশেষ আত্মারা কখনও অমনোযোগী হয়না, তারা অ্যালার্ট থাকে l তাহলে কখনো অমনোযোগী হও না তো ? 'আমি তো সবকিছুই করছি, সেখানে ঠিক পৌঁছে যাবো' - তোমরা এইরকম ভাবো না তো ! তোমরা সবকিছু করছো, কিন্তু কোন গতিতে করছো ? চলছো, কিন্তু কিরকম গতিতে চলছো ? গতিতে তো অন্তর হয়, তাই না ! কোথায় পদচারী আর কোথায় প্লেনে উড়ে যাচ্ছে, কতো ফারাক হলো তাহলে ? সুতরাং তোমরা শুধু হেঁটেই চলেছো, ব্রহ্মাকুমার হয়ে গেছ, এর অর্থ তোমরা বরাবর হেঁটে চলেছো, কিন্তু কোন গতিতে ? যারা তীব্রগতিতে চলছে তারাই সময়মতো লক্ষ্যে পৌঁছাবে, নয়তো পিছনে থেকে যাবে l এখানেও প্রাপ্তি তো হয়, কিন্তু তা' সূর্যবংশীয়দের হয় নাকি চন্দ্রবংশীয়দের, অন্তর তো হয়, তাই না ! সুতরাং, সূর্যবংশীতে আসার জন্য সবরকম সাধারণতা তোমার প্রতিটা সঙ্কল্প থেকে প্রতিটা শব্দ থেকে মুছে ফেলতে হবে l যদি কোনো হিরো অ্যাক্টর সাধারণ অ্যাক্ট করে, তবে তো সবাই তাকে হাসবে, তাই না ! অতএব, এই স্মৃতি সবসময় তোমাদের মনে উজ্জীবিত ক'রে রাখতে হবে যে 'আমি বিশেষ পার্টধারী, সুতরাং আমার প্রতিটা কর্ম বিশেষ হতে হবে, প্রতিটা পদক্ষেপ বিশেষ হতে হবে, প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা সময়, প্রতিটা সঙ্কল্প হতে হবে শ্রেষ্ঠ l' এমন ভেবোনা যে এসব তো শুধু পাঁচ মিনিট সাধারণ হয়েছে, পাঁচ মিনিট কেবল পাঁচ মিনিট নয়, সঙ্গমযুগের পাঁচ মিনিটই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক মাহাত্ম্য l পাঁচ মিনিট পাঁচ বছরের থেকেও বেশি, সুতরাং এতোটাই অ্যাটেনশন দাও l একেই বলে তীব্র পুরুষার্থী l তীব্র পুরুষার্থীর স্লোগান কি ? *"এখন নয় তো কখনও নয়"* l এটা মনে থাকে তোমাদের ? যদি তোমরা সদাকালের রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত করতে চাও, তবে সবসময় তোমাদের অ্যাটেনশনও দিতে হবে l এখনের অল্প সময়ের সদা অ্যাটেনশন, বহুকালের জন্য সদা প্রাপ্তিলাভ করায় তোমাদের l সুতরাং, সবসময় যেন এই স্মৃতি থাকে আর নিজেদের চেকিং চলতে থাকে যে চলাফেরায় তোমরা কোনোরকমভাবে সাধারণ হয়ে যাওনি তো ! বাবাকে যেমন পরম আত্মা বলা হয়, তো তিনি তো পরমই, তাই না ! সুতরাং যেমন বাবা তেমন বাচ্চাও পরম অর্থাৎ সব বিষয়ে তারা শ্রেষ্ঠ l
সুতরাং এখন তোমাদের পুরুষার্থও তীব্র হতে হবে আর সেবাতেও যেন কম সময়, কম মেহনত লাগে এবং সফলতা বেশি হয় l একজন অনেকের জন্য কাজ করো l সুতরাং সেইরকম প্ল্যান বানাও l পাঞ্জাব অনেক পুরানো, আদি থেকে সেবার সাথে যুক্ত, সুতরাং যারা আদি জায়গার তারা এখন অবশ্যই আদি রত্ন খুঁজে বার করো l যতোই হোক, পাঞ্জাবকে তো শের (সিংহ) বলা হয় আর শের গর্জন করে l সুতরাং গর্জন করা অর্থাৎ তীব্র আওয়াজ তোলা l সুতরাং দেখা যাবে, কি করে আর কে করে !
বরদান:-
অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত স্মরণের বিধিপূর্বক সব কর্ম ক'রে সিদ্ধিস্বরূপ ভব
অমৃতবেলা থেকে রাত পর্যন্ত তোমরা যে কাজই করো, স্মরণের নির্দিষ্ট ব্যবহার বিধিতে করলে তবে সর্বকর্মে তোমরা সিদ্ধি লাভ করবে l সবচেয়ে বড়ো সিদ্ধি হলো, প্রত্যক্ষ ফলরূপে অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি হওয়া l সদা সুখ-তরঙ্গে, খুশির তরঙ্গে তরঙ্গিত হওয়া l সুতরাং, তোমরা এই প্রত্যক্ষ ফলও লাভ করো আবার ভবিষ্যৎ ফলেরও প্রাপ্তি হয় l এই সময়ের প্রত্যক্ষ ফল অনেক ভবিষ্যৎ জন্মের ফল থেকে শ্রেষ্ঠ l তোমরা এখনই এখনই যা কিছু করছো, অবিলম্বে তার ফল পাও, এটাকেই বলে প্রত্যক্ষ ফল l
স্লোগান:-
নিজেকে নিমিত্ত মনে করে সব কর্ম করলে তবে *ন্যারে আর প্যারে* অর্থাৎ স্বতন্ত্রতা বজায় রেখেও প্রিয় হবে, আমিত্ব থাকবে না |