২৬-১১-১৮ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- দেহ অভিমান হলেই মায়ার চড় লাগে, দেহী-অভিমানী হয়ে থাকলে বাবার প্রতিটি শ্রীমতের পালন করতে পারবে"
প্রশ্ন:-
বাবার কাছে দুই রকমের পুরুষার্থী বাচ্চারা আছে, তারা কারা ?
উত্তর:-
এক রকমের বাচ্চা আছে যারা বাবার কাছে বর্সা নেওয়ার জন্যে পুরোপুরি পুরুষার্থ করে, প্রতিটি পদক্ষেপে বাবার পরামর্শ নেয়। দ্বিতীয় রকম এমনও বাচ্চারা আছে যারা বাবাকে ত্যাগ করার পুরুষার্থ করে। কেউ দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে বাবাকে স্মরণ করে, কেউ দুঃখে থাকার জন্যে, আশ্চর্য তাইনা !
গীত:-
জলসাঘরে জ্বলে ওঠে ঝাড়বাতির শিখা, পিঁপীলিকার পুড়ে মরা, তাহাতেই লিখা...
ওম্ শান্তি।
বাচ্চারা গীত তো অনেক বার শুনেছে। নতুন বাচ্চারা নতুন করে শুনবে যখন বাবা এসে নিজের পরিচয় দেন। বাচ্চারা পরিচয় পেয়েছে। তারা জানে এখন আমরা বেহদের মাতা-পিতার সন্তান হয়েছি। মনুষ্য সৃষ্টির রচয়িতা অবশ্যই মাতা-পিতা হবেন। কিন্তু মানুষের বুদ্ধিকে মায়া একেবারে ডেড করে দিয়েছে। এত সাধারণ কথা বুদ্ধিতে ঢোকে না। সবাই বলে যে ভগবান আমাদের জন্ম দিয়েছেন। সুতরাং নিশ্চয়ই মাতা-পিতা হবেন ! ভক্তিমার্গে স্মরণও করে। প্রত্যেক ধর্মের মানুষ গড ফাদারকে অবশ্যই স্মরণ করে। ভক্ত নিজেই ভগবান হতে পারেনা। ভক্ত ভগবানের পূজা অর্চনা করে, সাধনা করে। গড ফাদার তো নিশ্চয়ই সবার একই হবে অর্থাৎ সব আত্মাদের পিতা হবেন একজন। সব শরীরের পিতা এক হতে পারে না। সে তো অনেক পিতা হয়। তারা শরীরের পিতা থাকা সত্ত্বেও 'হে ঈশ্বর' বলে স্মরণ করে। বাবা বসে বোঝান - মানুষ বুদ্ধিহীন হয়েছে ফলে বাবার পরিচয় ভুলে গেছে। তোমরা জানো স্বর্গের রচয়িতা হলেন অবশ্যই একমাত্র পিতা। এখন হল কলিযুগ। নিশ্চয়ই কলিযুগের বিনাশ হবে । 'লুপ্ত প্রায়' শব্দটি সব কথায় আসে। বাচ্চারা জানে - সত্যযুগ এখন লুপ্ত প্রায়। আচ্ছা, তাহলে প্রশ্ন ওঠে যে সত্যযুগে আত্মারা কি জানবে যে এই সত্যযুগ লুপ্ত হয়ে ত্রেতা আসবে ? না, সেখানে তো এই জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। এই কথা কারো বুদ্ধিতে নেই - সৃষ্টির চক্র কিভাবে পরিক্রমা করে, আমাদের পারলৌকিক পিতা কে ? এইসব তোমরা বাচ্চারাই জানো। মানুষ গায়ন করে তুমি মাতা-পিতা আমরা বালক তোমার ..... কিন্তু জানেনা। সুতরাং বলা না বলা সমান হয়ে যায়। বাবাকে ভুলে গিয়ে অনাথ হয়ে গেছে। বাবা প্রত্যেকটি কথা বোঝান। পদে পদে শ্রীমৎ অনুযায়ী চলো। তা নাহলে মায়া খুব ধোঁকা দেবে । মায়া হল ধোঁকাবাজ বা প্রতারক। মায়ার হাত থেকে লিবারেট করা হল বাবার কর্তব্য। রাবণ তো হল দুঃখ দাতা । বাবা হলেন সুখ দাতা। মানুষ এইসব কথা বোঝেনা। তারা তো ভাবে দুঃখ সুখ সব ভগবান দেন। বাবা বোঝান - মানুষ দুঃখী হওয়ার জন্য বিবাহ ইত্যাদিতে কত টাকা খরচ করে ! যারা পবিত্র চারা গাছ থাকে তাদের অপবিত্র করার পুরুষার্থ করা হয়। এই কথাও তোমরা বুঝতে পারো, দুনিয়া বুঝতে পারে না। তারা বিষয় সাগরে ডুবে থাকার জন্যে কত অনুষ্ঠান করে। তারা এই কথা জানেনা যে সত্যযুগে বিষ বা বিকার থাকেনা। সত্যযুগ হল-ই ক্ষীরসাগর। একেই বলা হয় বিষয় সাগর। সত্যযুগ হল নির্বিকারী দুনিয়া। যদিও ত্রেতায় দুইটি কলা কম হয়ে যাবে, তবুও তাকে নির্বিকারী দুনিয়া বলা হয়। সেখানে বিকার হতে পারেনা কারণ রাবণের রাজ্য দ্বাপর থেকে আরম্ভ হয়। সমান ভাবে অর্ধেক করা আছে কিনা। জ্ঞান সাগর এবং অজ্ঞান সাগর। অজ্ঞানেরও সাগর হয় তাইনা।
মানুষ কত অজ্ঞানী । বাবাকেও জানেনা। শুধু বলে যে এই করলে ভগবান প্রাপ্তি হবে। প্রাপ্তি তো কিছুই হয়না। মাথা ঠুকে দুঃখী, অনাথ হয়ে যায় তখনই আমি নাথ দুনিয়ায় আসি। নাথ না থাকায় মায়া অজগর সবাইকে গ্রাস করেছে। বাবা বোঝান মায়া খুব শক্তিশালী , অনেকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কারও কাম বিকারের, কারও মোহ রূপী বিকারের চড় লেগে যায়। দেহ-অভিমানে এলেই চড় লাগে। দেহী-অভিমানী হতেই তো পরিশ্রম, তাই বাবা ক্ষণে ক্ষণে সাবধান করেন, বলেন মন্মনাভব । বাবাকে স্মরণ না করলে মায়া চড় মারবে সেইজন্যে নিরন্তর স্মরণ করার অভ্যাস করো। তা নাহলে মায়া উল্টো কর্ম করিয়ে দেবে। ঠিক-ভুলের বুদ্ধি তো আছেই। কোথাও বুঝতে না পারলে বাবাকে জিজ্ঞাসা করো। টেলিগ্রাম, চিঠি বা ফোন করেও জিজ্ঞাসা করতে পারো। ফোনের লাইন ভোরবেলায় একদম ক্লিয়ার থাকে কারণ সেইসময় তোমরা ছাড়া সবাই ঘুমায়। তখন তোমরা ফোন করে জিজ্ঞাসা করতে পারো। দিন প্রতিদিন ফোনের আওয়াজ শোধরানো হচ্ছে। কিন্তু গভর্নমেন্ট হল গরিব , তাই খরচও সেইরকম করে। এই সময় তো সব কিছু জর্জরিত অবস্থায় তমোপ্রধান হয়েছে তবুও বিশেষ করে ভারতবাসীদের রজো-তমোগুণ যুক্ত কেন বলা হয় ? কারণ ভারতই সবথেকে বেশি সতোপ্রধান ছিল। অন্য ধর্মের মানুষরা নাই এত সুখ দেখেছে, নাই বেশি দুঃখ দেখবে। তারা এখনই সুখে আছে তাইতো এত অন্ন ইত্যাদি ভারতে রপ্তানী করে। তাদের বুদ্ধি হল রজোপ্রধান। বিনাশের জন্যে কত রকম আবিষ্কার করে। কিন্তু তারা এই কথা জানতে পারে না তাই তাদের অনেক চিত্র ইত্যাদি পাঠাতে হয়, যাতে তারা জানতে পারে, অবশেষে তারাও বুঝবে এ তো ভালো জিনিস, যার উপরে লেখা আছে গড ফাদারলি গিফ্ট। যখন বিপদের সময় চারিদিকে এই সংবাদ ধ্বনিত হবে তখন বুঝবে যে, আমরা এই খবর পেয়েছিলাম। এই চিত্র গুলি দিয়ে অনেক কাজ হবে। বাবাকে তারা জানেনা। সুখ দাতা তো হলেন তিনিই একমাত্র পিতা। সবাই তাঁকেই স্মরণ করে থাকে। চিত্র দ্বারা ভালো ভাবে বুঝতে পারবে। এখন তিন পায়ের পৃথিবী টুকু পাওয়া যায়না আর তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়ে যাও ! এই চিত্র গুলি বিদেশে অনেক সেবা করবে। বাচ্চাদের এই চিত্রের প্রতি ততখানি শ্রদ্ধা নেই । খরচ তো হবেই। রাজধানী স্থাপনের কাজে ঐ গভর্মেন্টের কোটি টাকা খরচ হয়েছে লক্ষ মানুষ মরেছে । এখানে তো মরবার কথা নেই। শ্রীমৎ অনুসারে পুরো পুরুষার্থ করতে হবে, তবেই শ্রেষ্ঠ পদ প্রাপ্তি হবে। নাহলে তো শেষে দন্ড ভোগ করার সময় খুব দুঃখ হবে। ইনি হলেন পিতা সাথে ধর্মরাজও হলেন তিনি। পতিত দুনিয়ায় এসে বাচ্চাদের ২১ জন্মের জন্যে স্বরাজ্য প্রদান করি। যদি আবার কোনো বিনাশকারী কর্ম কর তাহলে পুরো সাজা ভোগ করবে। এমন নয়, যা হবে দেখা যাবে, অন্য জন্মের কথাকে বসে বিচার করে। মানুষ দান পুণ্য সব করে পর জন্মের জন্যে। তোমরা এখন যা কর সেসব ২১ জন্মের জন্যে। তারা যা কিছু করে, অল্পকালের জন্যে। ফল তবুও নরকেই প্রাপ্ত হবে । তোমরা তো ফল প্রাপ্ত করবে স্বর্গে। রাত-দিনের তফাৎ । তোমরা স্বর্গে ২১ জন্মের জন্যে প্রালব্ধ প্রাপ্ত কর। প্রতিটি কথায় শ্রীমৎ অনুযায়ী চললে ভবসাগর পার হবে। বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের চোখের পাতায় বসিয়ে খুব আরাম করে নিয়ে যাই। তোমরা অনেক দুঃখ ভোগ করেছ। এখন বলি তোমরা আমায় স্মরণ করো। তোমরা অশরীরী এসেছিলে, এইখানে পার্ট প্লে করেছ, এখন ফিরে যেতে হবে। এই হল তোমাদের অবিনাশী পার্ট। এইসব কথা কোনো অহংকারী বিজ্ঞানী বুঝবে না। আত্মা খুব সূক্ষ্ম স্টার, তাতে অবিনাশী পার্ট সদাকালের জন্যে ভরা আছে, যা কখনও শেষ হয়না। বাবাও বলেন আমিও হলাম ক্রিয়েটর ও অ্যাক্টর । আমি কল্পে-কল্পে আসি পার্ট প্লে করতে। বলেন পরমাত্মা হলেন মন-বুদ্ধি সহ চৈতন্য, নলেজফুল, কিন্তু কি জিনিস তা কেউ জানেনা। যেমন তোমরা হলে আত্মা স্টার সম, আমিও হলাম স্টার । ভক্তিমার্গে আমায় স্মরণ করে কারণ দুঃখে আছে, আমি এসে বাচ্চারা তোমাদের নিজের সঙ্গে নিয়ে যাই। আমিও হলাম পান্ডা। আমি পরমাত্মা আত্মাদের অর্থাৎ তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাই। আত্মার স্বরূপ মশার চেয়েও ক্ষুদ্রতম। এই বোধও বাচ্চারা তোমাদের এখনই হয়। কত ভালো করে বোঝান। বাবা বলেন তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক করি, যদিও দিব্য দৃষ্টির চাবি নিজের কাছেই রাখি। এই টি কাউকে প্রদান করিনা। এইটি ভক্তি মার্গে আমার কাজে লাগে। বাবা বলেন আমি তোমাদের পবিত্র, পূজ্য করি, মায়া পতিত, পূজারী করে । অনেক বোঝান কিন্তু যে বুদ্ধিমান সেই বুঝবে।
এই টেপ রেকর্ডার মেশিন হল খুব ভালো। বাচ্চাদের মুরলি নিশ্চয়ই শুনতে হবে। সবাই হারানিধি বাচ্চা । বাবার বাঁধেলি(যারা বন্ধনে রয়েছে) গোপীকাদের জন্য দয়া হয়। বাবার মুরলি শুনে তারা খুশি হয়। বাচ্চাদের খুশীর জন্যে কি না করা উচিত। গ্রামের গোপীকাদের জন্যে রাত দিন বাবার চিন্তা হয় । ঘুমও আসেনা, কি যুক্তি বের করা যায় , বাচ্চারা কিভাবে দুঃখ থেকে মুক্তি পাবে। কেউ আবার দুঃখে থাকার জন্য রেডি হয়, কেউ তো বর্সা প্রাপ্তির পুরুষার্থ করে, তো কেউ বাবাকে ত্যাগ করার পুরুষার্থ করে। দুনিয়াটা আজকাল খুব খারাপ হয়েছে। কোনো কোনো বাচ্চারা পিতাকে মারতে দেরি করে না। বেহদের বাবা কত ভালো করে বোঝান। আমি বাচ্চাদের এত ধন প্রদান করি যে তারা কখনও দুঃখে থাকবেনা। সুতরাং বাচ্চাদেরও এত টাই দয়ালু হয়ে সবাইকে সুখের রাস্তা বলতে হবে। আজকাল তো সবাই দুঃখ দেয়, যদিও টিচার কখনও দুঃখের রাস্তা বলবেনা। তারা তো পড়ান। পড়াশোনা হল উপার্জনের মুখ্য স্রোত। পড়াশোনা করলে শরীর নির্বাহ করার উপযুক্ত হওয়া যায়, মা বাবার কাছে যতই বর্সা প্রাপ্ত হোক কোনো কাজের নয়। যত বেশি ধন , ততই বেশি পাপ করে। তীর্থ যাত্রায় খুব নম্র হয়ে যায়। কিন্তু অনেকে তীর্থ করতে গিয়েও মদ ইত্যাদি সঙ্গে নিয়ে যায়, লুকিয়ে পান করে। বাবা দেখেছেন - মদ ছাড়া থাকতে পারেনা অনেকে। কিছু বলার নেই। যুদ্ধে যাওয়ার আগেও খুব মদ খেয়ে যায়। যুদ্ধের সৈন্যদের নিজের প্রাণের চিন্তা থাকেনা। তারা ভাবে আত্মা এক শরীর ছেড়ে অন্য দেহ ধারণ করবে। তোমরা বাচ্চারাও এখন জ্ঞান প্রাপ্ত কর। এই ছিঃ ছিঃ দেহ ত্যাগ করতে হবে। তাদের কোনো জ্ঞান নেই। কিন্তু অভ্যাসে আছে - মরতে হবে, মারতে হবে। এখানে তো আমরা নিজেরাই বসে বসে বাবার কাছে যেতে চাই। এই শরীর হল পুরানো বস্ত্র । যেমন সর্প পুরানো খোলস ত্যাগ করে। শীতে শুকিয়ে গেলে ছেড়ে দেয়। তোমাদের এই শরীর তো খুব ছিঃ ছিঃ পুরানো বস্ত্র, পার্ট প্লে করে এবারে এই বস্ত্র ত্যাগ করতে হবে, বাবার কাছে যেতে হবে। বাবা যুক্তি তো বলে দিয়েছেন - মন্মনাভব। আমায় স্মরণ করো ব্যস, এমন ভাবে বসে বসে শরীর ত্যাগ করবে। সন্ন্যাসীদের এমনই হয় - বসে বসে দেহ ত্যাগ হয় কারণ তারা ভাবেন আত্মাকে ব্রহ্মে লীন হতে হবে, তাই যোগে বসেন। কিন্তু যেতে পারেন না। যেমন কাশী কালবট খায়, তাতে জীবঘাত হয়। সন্ন্যাসী গণ এইভাবে বসে বসে দেহ ত্যাগ করেন, বাবা দেখেছেন, সেসব হল হঠ যোগ সন্ন্যাস।
বাবা বোঝান তোমাদের ৮৪ জন্ম কিভাবে হয় ? তোমাদের অনেক নলেজ দেওয়া হয়, খুব কমই আছে যারা শ্রীমৎ অনুসারে চলে। দেহ অভিমানে নিজের মতামত দেওয়া শুরু করে দেয়। বাবা বোঝান দেহি-অভিমানী হও। আমি আত্মা, বাবা আপনি হলেন জ্ঞানের সাগর। বাবা আমি আপনার পরামর্শ অনুসারে চলব। পদে পদে খুব সাবধান হতে হবে। ভুল তো হতেই থাকে তবুও পুরুষার্থ করতে হবে। যেখানেই যাও বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। বিকর্মের অনেক বোঝা মাথায় রয়েছে । কর্মভোগও তো ভোগ করে মেটাতে হবে তাইনা। শেষ পর্যন্ত এ কর্ম ভোগ পিছু ছাড়বেনা। শ্রীমতের অনুসারে চলেই পারস বুদ্ধি হতে হবে। ধর্মরাজও সঙ্গে আছেন । সুতরাং তিনি হলেন রেস্পন্সিবল। বাবা বসে আছেন, তোমরা কেন বোঝাটি নিজের উপরে নিচ্ছ । পতিত - পাবন বাবাকে পতিতদের সভায় আসতেই হয়। এই টি কোনো নতুন কথা নয় , অনেক বার পার্ট প্লে করেছ, রিপিট প্লে করতে থাকবে। একেই ওয়ান্ডার বলা হয়। আচ্ছা !
পারলৌকিক বাপদাদার হারানিধি বাচ্চাদেরকে স্মরণ-স্নেহ ও গুডমর্নিং। রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-
১. বাবার মতন সবাইকে দুঃখ থেকে মুক্ত করার দয়া করতে হবে। সুখের রাস্তা বলে দিতে হবে।
২. কোনো রকম বিনাশকারী বা উল্টো কর্ম করবে না। শ্রীমতের আধারে ২১ জন্মের জন্যে নিজের প্রালব্ধ তৈরি করতে হবে। পদে - পদে সাবধান হয়ে চলতে হবে।
বরদান:-
নিন্দুককে নিজের মিত্র ভেবে সম্মান দিয়ে ব্রহ্মা বাবা সম মাস্টার রচয়িতা ভব
যেমন ব্রহ্মা বাবা নিজেকে বিশ্ব সেবাধারী ভেবে প্রত্যেককে সম্মান দিয়েছিলেন, সদা মালেকম সেলাম (মালিককে সেলাম) করেছেন। এমন কখনও ভাবেননি যে তারা সম্মান করলে আমি করব। নিন্দুক-কেও নিজের মিত্র ভেবে সম্মান দিয়েছেন, তেমন ভাবে ফলো ফাদার করো। শুধু যে সম্মান দিচ্ছে তাদের আপন ভেবো না বরং যে গালমন্দ করছে তাদেরও আপন ভেবে সম্মান করো কারণ সম্পূর্ণ দুনিয়াটাই হল তোমাদের পরিবার। সর্ব আত্মাদের কান্ড রূপী শাখা হলে তোমরা ব্রাহ্মণরা তাই নিজেকে মাস্টার রচয়িতা ভেবে সবাইকে সম্মান দাও তবেই দেবতায় পরিণত হবে।
স্লোগান:-
মায়াকে সদাকালের জন্যে বিদায় করে বাবার অভিনন্দনের উপযুক্ত হও ।