11-12-2018 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা প্রতিটি বিষয়েই কল্যাণকারী, তাই যে নির্দেশই পাও না কেন, তাতে অজুহাত না দিয়ে সদা শ্রীমতে চলতে থাকো"

প্রশ্ন:-

ঐকান্তিক(প্রগাঢ়) ভক্তি আর ঐকান্তিক পঠনপাঠন - এই দুই থেকে যে প্রাপ্তি হয়, তাতে প্রভেদ কোথায় ?

উত্তর:-

নৌধা ভক্তিতে অর্থাৎ ঐকান্তিক ভক্তিতে কেবল সাক্ষাৎকার হয়, যেমন শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত হলে, শ্রীকৃষ্ণের সাক্ষাৎকার হবে, রাস ইত্যাদি করবে, কিন্তু তারা কেউই বৈকুন্ঠপুরী বা শ্রীকৃষ্ণপুরীতে যায় না l বাচ্চারা, তোমরা নৌধা পাঠ পড়, যাতে তোমাদের সমস্ত মনোকামনা পূরণ হয়ে যায় l এই পড়াতেই তোমরা বৈকুন্ঠপুরীতে চলে যাও l

গীত:-

আজ নয় তো কাল মেঘ তো কাটবেই, ও রাতের পথিক, সকাল হল বলে, চলো এবার ঘরে ফিরে .....

ওম্ শান্তি ।

এ কথা কে বলেছেন যে, ঘরে ফিরে চলো ? কারোর সন্তান যদি রাগ করে চলে যায়, তখন মিত্র - সম্বন্ধী আদি তার পিছনে - পিছনে যায়, তারা বলে, রাগ কেন করেছো ? এখন ঘরে চলো l বেহদের বাবা এসে এ কথাই সকল বাচ্চাদের বলেন l বাবাও আছেন আবার দাদাও আছেন l শরীরেরও আছেন আবার আত্মারও আছেন l তিনি বলেন - হে বাচ্চারা, রাত সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন ঘরে ফিরে চলো, এরপর দিন আসবে l এ হয়ে গেলো জ্ঞানের কথা l ব্রহ্মার রাত আর ব্রহ্মার দিন - এ কথা কে বুঝিয়েছেন ? বাবা বসে ব্রহ্মা আর ব্রহ্মাকুমার - কুমারীদের বোঝান l অর্ধেক কল্প হলো রাত, অর্থাত্ পতিত রাবণ রাজ্য অথবা ভ্রষ্টাচারী রাজ্য কেননা সবাই আসুরী মতে চলে l এখন তোমরা শ্রীমতে চলছো l এই শ্রীমতও অজ্ঞাত l আমরা জানি যে বাবা নিজেই আসেন l তাঁর রূপই আলাদা l রাবণের রূপ আলাদা l তাকে পাঁচ বিকার রূপী রাবণ বলা হয় l এখন রাবণ রাজ্য শেষ হবে, তারপর ঈশ্বরীয় রাজ্য হবে l রাম রাজ্য বলা হয়, তাই না l সীতার রামকে তো জপ করে না l মালাতে মানুষ রাম - রাম জপ করে, তাই না l তারা পরমাত্মাকে স্মরণ করে l যিনি সকলের সদ্গতিদাতা, মানুষ তাঁর নামই জপ করতে থাকে l রাম অর্থ ভগবান l যখন মালা জপ করে তখন কোনো ব্যক্তিকে স্মরণ করে না, তাদের বুদ্ধিতে অন্য কেউই আর আসবে না l তাই বাবা এখন বোঝাচ্ছেন, রাত সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে l এ হলো কর্মক্ষেত্র, স্টেজ, যেখানে আমরা আত্মারা শরীর ধারণ করে অভিনয় করি l ৮৪ জন্মের অভিনয় করতে হবে l এরপর এতে বর্ণও দেখানো হয়, কেননা ৮৪ জন্মের হিসাব তো চাই l কোন্ কোন্ জন্মে, কোন্ কোন্ কুলে, কোন্ বর্ণে আসে, এই কারণে বিরাট রূপও দেখানো হয়েছে l প্রথমে হয় ব্রাহ্মণ l কেবল সত্যযুগী সূর্যবংশীতে ৮৪ জন্ম হতে পারে না l ব্রাহ্মণ কুলেও ৮৪ জন্ম হতে পারে না l ৮৪ জন্ম তো ভিন্ন - ভিন্ন নাম, রূপ, দেশ এবং কালে হয় l সত্যযুগ হলো সতোপ্রধান এরপর কলিযুগে তমোপ্রধান অবস্থায় অবশ্যই আসতে হয় l তারও সময় দেওয়া হয় l মানুষ কিভাবে ৮৪ জন্ম নেয় - এও বোঝার কথা l মানুষ তো বুঝতে পারে না, তাই তো বাবা বলেন, তোমরা নিজেদের জন্মকে জানো না, আমি তোমাদের বলছি l বাবা বোঝান যে, নাটকের নিয়ম অনুসারে অবশ্যই সবকিছু ভুলতে হবে l

এখন এ হলো সঙ্গম যুগ l দুনিয়া তো বলে, কলিযুগ এখন ছোটো বাচ্চা l একে বলা হয় অজ্ঞান, ঘোর অন্ধকার l ড্রামার অভিনেতারা যেমন জানতে পারে যে এই ড্রামা শেষ হতে আর দশ মিনিট সময় আছে, তেমনই এও হলো চৈতন্য ড্রামা l এ কখন সম্পূর্ণ হয় মানুষ জানেই না l মানুষ তো ঘোর অন্ধকারে আছে l বাবা বলেন যে, গুরু - গোঁসাই, জপ - তপ আদি করেও আমাকে পাওয়া যায় না l এসব হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী l আমি তো নিজের সময়েই আসি, যখন রাত থেকে দিন বানানোর সময় হয় অথবা অনেক ধর্মের বিনাশ করে এক ধর্মের স্থাপন করতে হয় l সৃষ্টিচক্র যখন সম্পূর্ণ হবে, তখনই তো আমি স্বর্গের স্থাপনা করবো l ঝট করে বাদশাহী শুরু হয়ে যায় l তোমরা জানো যে, আমরা আবার কোনো রাজার ঘরে জন্ম নিই তারপর ধীরে ধীরে নতুন দুনিয়া শুরু হয়ে যায় l সবকিছুই নতুন করে বানাতে হয় l বাবা বুঝিয়েছেন যে, আত্মার মধ্যে এই পড়ার সংস্কার বা কর্ম করার সংস্কার থেকে যায় l বাচ্চারা, তোমাদের এখন আত্ম - অভিমানী হতে হবে l সব মানুষই হলো দেহ - অভিমানী, যখন আত্ম - অভিমানী হবে তখনই পরমাত্মাকে স্মরণ করতে পারবে l প্রথমেই হলো আত্ম - অভিমানী হওয়ার কথা l সকলে বলেও থাকে যে আমরা জীবাত্মা l এও বলে যে, আত্মা হলো অবিনাশী আর এই শরীর বিনাশী l আত্মা এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করে l এতোটাও বলে কিন্তু এই মতে চলে না l এখন তোমরা জানো যে, আত্মা নিরাকারী দুনিয়া থেকে আসে, তার মধ্যে অবিনাশী পার্ট ভরা থাকে l একথা বাবা বসে বুঝিয়ে বলেন l মানুষ পুনর্জন্ম গ্রহণ করে l এই ড্রামা তো হুবহু রিপিট হয় l এরপর ক্রাইস্ট আদি সকলকেই আসতে হবে, তাঁরা নিজের নিজের সময়ে এসে ধর্ম স্থাপন করবেন l তোমাদের এখন এ হলো সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণদের ধর্ম l ওরা হলো পূজারী ব্রাহ্মণ আর তোমরা হলে পূজ্য l তোমরা কখনোই পুজো করবে না l মানুষ তো পুজো করবে l তাই বাবা বলেন যে, এ কতো বড় পড়া l এতে কতো ধারণা করতে হয় l বিস্তারের সঙ্গে ধারণা করাতে নম্বরের ক্রমানুসার আছে l সংক্ষেপে তো তোমরা বুঝতে পারো যে, বাবা হলেন রচয়িতা আর এইসব হলো তাঁর রচনা l আচ্ছা, এ তো তোমরা বুঝতে পারো যে, ইনি হলেন বাবা l বাবাকে সমস্ত ভক্ত স্মরণ করে l ভক্তও যেমন আছে, বাচ্চাও তেমন আছে l ভক্তরা বাবা বলে ডাকে l ভক্তই যদি ভগবান হয় তাহলে তারা বাবা বলে কাকে ডাকে l এও কেউ বোঝে না l নিজেদের ভগবান মনে করে বসে যায় l বাবা বলেন যে, ড্রামা অনুসারে যখন এমন অবস্থা হয়ে যায়, ভারত যখন সম্পূর্ণ লাস্ট খাতায় চলে যায়, তখনই বাবা আসেন l ভারত যখন পুরানো হয়ে যায়, তখনই আবার নতুন করতে হয় l ভারত যখন নতুন ছিলো তখন আর কোনো ধর্ম ছিলো না l তাকে স্বর্গ বলা হতো l এখন ভারত পুরানো, একে নরক বলা হবে l ওখানে পূজ্য ছিলে, এখন পূজারী l পূজ্য আর পূজারীর তফাত তো বলেই দিয়েছি l আমি আত্মাই পূজ্য আবারও আমি আত্মাই পূজারী l আমি সেই জ্ঞানী আত্মা, আবারও আমি আত্মাই পূজারী আত্মা l আপনিই পূজ্য আবার আপনিই পূজারী, একথা ভগবানকে বলা হবে না, লক্ষ্মী - নারায়ণকে বলা হবে l তাই এই কথা বুদ্ধিতে থাকা উচিত যে, তাঁরা কিভাবে পূজ্য এবং পূজারী হলেন ?

বাবা বলেন যে, আগের কল্পেও আমি এই জ্ঞান দিয়েছিলাম, কল্প - কল্পই আমি জ্ঞান দিই l আমি আসিই কল্পের সঙ্গম যুগে l আমার নামই হলো পতিত পাবন l সম্পূর্ণ দুনিয়া যখন পতিত হয়ে যায়, তখনই আমি আসি l দেখো, এ হলো ঝাড়, এতে ব্রহ্মা উপরে দাঁড়িয়ে আছে l প্রথমে আদিতে দেখানো হয় l এখন সব পিছনের দিকে l ব্রহ্মা যখন পরের দিকে প্রত্যক্ষ হয়েছেন, তেমনই তারাও পরের দিকে আসবে l যেমন ক্রাইস্ট ছিলেন, তিনি আবারও পরের দিকে আসবেন কিন্তু আমরা পরের দিকে অর্থাত্ ডালের অন্তে তাঁর চিত্র দেখতে পাই না, বোঝাতে পারি l *ইনি যেমন দেবী - দেবতা ধর্মের স্থাপনকারী প্রজাপিতা ব্রহ্মা, এখন কল্পবৃক্ষের (ঝাড়ের) অন্তে দাঁড়িয়ে আছেন -- ক্রাইস্টও খৃষ্টান ধর্মের প্রজাপিতা l ইনি যেমন প্রজাপিতা ব্রহ্মা, তেমনই প্রজাপিতা ক্রাইস্ট, প্রজাপিতা বুদ্ধ ---এনারা সকলেই ধর্ম স্থাপন করেন l সন্ন্যাসীদের শংকরাচার্য, তাঁকেও পিতা বলা হবে l ওরা গুরু বলে থাকেন l ওরা বলবে, আমাদের গুরু ছিলেন শংকরাচার্য, তো ইনি ডালের আদিতে আছেন, ইনি জন্ম নিতে নিতে আবার অন্তে আসেন l এখন সবাই তমোপ্রধান অবস্থায় আছে* l এরাও এসে বুঝবে l পরের দিকে অবশ্যই সেলাম করতে আসবে l তাদেরও বলা হবে যে, বেহদের বাবাকে স্মরণ করো l বেহদের বাবা সবার জন্য বলেন, দেহ সহিত দেহের সব সম্বন্ধকে ত্যাগ করো l এই জ্ঞান প্রত্যেক ধর্মের মানুষের জন্যই l সকলেই দেহের ধর্ম ত্যাগ করে নিজেকে অশরীরী মনে করে বাবাকে স্মরণ করো l যতো স্মরণ করবে, যতো জ্ঞানের ধারণা করবে, ততই উঁচু পদ পাবে l আগের কল্পে যে যতো জ্ঞান নিয়েছিলো, ততটাই এসে নেবে l

বাচ্চারা, তোমাদের কতো নিশ্চিন্ত এবং আনন্দে থাকা উচিত - আমরা বিশ্বের রচয়িতা বাবার সন্তান, বাবা আমাদের এই বিশ্বের মালিক বানান, তিনিই আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন l এ কতো সহজ কথা কিন্তু চলতে - চলতে অল্প কথায়ই সংশয় এসে যায়, একেই মায়ার ঝড় বা পরীক্ষা বলা হয় l এ কথা তো বাবা বলেন যে, গৃহস্থ জীবনে থাকতে হবে l সবাইকেই যদি গৃহত্যাগ করাই তাহলে তো সবাই এখানে এসে বসে যাবে l গৃহস্থ জীবনেও পাস করতে হবে তারপর সময় অনুযায়ী সেবাতে লেগে যেতেও হবে l যারা কাজ - কারবার ছেড়ে দিয়েছে, তাদের সেবাতে লাগানো হয় l এর মধ্যে কেউ কেউ বিগড়ে যায় l কেউ তো মনে করে শ্রীমতেই কল্যাণ l এই শ্রীমতে অবশ্যই চলতে হবে l নির্দেশ পেয়েছো, এতে আর অজুহাত দেখানো চলবে না l বাবা হলেন প্রতি বিষয়েই কল্যাণকারী l মায়া খুবই চঞ্চল l অনেকেই আছে যারা মনে করে এমন থাকার থেকে কাজ - কারবার করা ভালো , কেউ আবার মনে করে বিবাহ করে ফেলি l বুদ্ধি ঘুরতে থাকে l এরপর পড়া ছেড়ে দেয় l কেউ তো বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে, আমরা অবশ্যই শ্রীমতে চলবো l ও হলো আসুরী মত আর এ হলো ঈশ্বরীয় মত l আসুরী মতে চললে অনেক বড় কড়া সাজা ভোগ করতে হয় l ওরা আবার গরুড় পুরাণে ভয়ের মুখরোচক ব্যাপার স্যাপার লিখে দিয়েছে, যাতে কেউ বেশী পাপ না করে l তবুও মানুষ থোড়াই শুধরায় l এ সবই বাবা বুঝিয়ে বলেন l কোনো মানুষই জ্ঞানের সাগর হতে পারে না l জ্ঞানের সাগর, নলেজফুল বাবা এই কথা বোঝাচ্ছেন l যারা বোঝে, তারা আবার বোঝায়, বলে এ সম্পূর্ণ ঠিক কথা, আমরা আবার আসবো l ব্যস, প্রদর্শনী থেকে বাইরে বেরোলেই সব শেষ l হ্যাঁ, যদি দু - তিনজনও এর থেকে আসে তাও ভালো, প্রজা তো অনেকই হয় l আশীর্বাদী বর্সার উপযুক্ত কেউ খুব মুশকিলের সঙ্গেই পাওয়া যায় l রাজা - রাণীদের এক - দুইজন বাচ্চা থাকবে l তাদের রাজকুলের বলা হবে l প্রজা তো অনেক হয় l প্রজা তো চট্ করে হয়ে যায় l রাজা অল্পই হয় l ১৬ হাজার ১০৮ ত্রেতার অন্তে গিয়ে তৈরী হয় l প্রজা তো প্রায় কোটি সমান হবে l এ কথা বোঝার জন্য বিশাল বুদ্ধির প্রয়োজন l আমরা পারলৌকিক বাবার থেকে অবিনাশী অবিনাশী বর্সা নিচ্ছি l বাবার নির্দেশ হলো, আমাকে স্মরণ করো আর আশীর্বাদী বর্সাকে স্মরণ করো l মনমনাভব আর মধ্যাজী ভব l স্বর্গ হলো বিষ্ণুপুরী আর এ হলো রাবণ পুরী l শান্তিধাম, সুখধাম আর দুঃখধাম - এ কথা বাবাই বোঝান আমাদের l *বাবাকে স্মরণ করলে অন্ত মতি তেমন গতি হয়ে যাবে l মনে করো ভক্তিমার্গে মানুষ কৃষ্ণকে স্মরণ করে কিন্তু এমন নয় যে কৃষ্ণকে স্মরণ করলেই কৃষ্ণপুরীতে চলে যাবে l খুব বেশী হলে ধ্যানে কৃষ্ণপুরীতে গিয়ে রাস আদি করে ফিরে আসবে l সে হলো নৌধা ভক্তির (নয় রকম ভক্তি) প্রভাব, যাতে তাদের সাক্ষাৎকার হয়ে যায়, মনোকামনাও পূরণ হয় l বাকি সত্যযুগ হলো সত্যযুগই l সেখানে যাওয়ার জন্য ঐকান্তিক পঠনপাঠন (নৌধা) চাই, নৌধা ভক্তি নয়* l তোমরা পড়তে থাকো, মুরলী অবশ্যই পড়া প্রয়োজন l সেন্টারে অবশ্যই যেতে হবে l না হলে মুরলী এনে ঘরে অবশ্যই পড়ো l আবার কাউকে বলা হয় সেন্টারে যাও, প্রত্যেকের জন্যই আলাদা l সকলের জন্য একরকম হতে পারে না l এমন নয় যে বাবা বলবেন ব্যস যাই পাও দৃষ্টি দিয়ে খাও, কিন্তু বাবা বলেন, কোনো উপায় নেই এমন পরিস্থিতিতে, যখন কোনো কিছুই করা সম্ভব নয় তখন দৃষ্টি দিয়ে খাও l বাকি সবার জন্য বাবা থোড়াই এমন বলবেন l যেমন বাবা কাউকে বলেন, আচ্ছা না সম্ভব হলে বায়োস্কোপে যাও, কিন্তু এ কথা সকলের জন্য নয় l কারোর সঙ্গে যদি যেতেও হয় তো তাকে এই জ্ঞান দিতে হবে l এ হলো হদের নাটক আর ও হলো বেহদের নাটক l তাই সেবা করতেই হবে l এমন নয় যে কেবল দেখার জন্যই যেতে হবে l শ্মশানে গিয়েও তোমাদের সার্ভিস করতে হবে l আচ্ছা l

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা, বাপদাদার স্মরণ - ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদের নমস্কার l


ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

১) বাবার প্রতি কথায়ই কল্যাণ আছে, এই মনে করে নিশ্চয় বুদ্ধি হয়ে চলতে হবে, কখনোই সংশয়ে আসবে না l শ্রীমতকে যথার্থ রীতিতে বুঝতে হবে l

২) আত্ম - অভিমানী থাকার অভ্যাস করতে হবে l ড্রামাতে প্রতি অভিনেতারই অনাদি পার্ট, তাই সাক্ষী হয়ে দেখার অভ্যাস করতে হবে l

বরদান:-

প্রত্যেকের বিশেষত্বকে দেখে, তাদের সেবায় নিয়োগ করে আশীর্বাদের পাত্র ভব

বাপদাদার যেমন প্রতি বাচ্চার বিশেষত্বের সঙ্গে প্রেম আছে, আর প্রত্যেকের মধ্যেই কোনো না কোনো বিশেষত্ব আছে, তাই বাপদাদার সবার প্রতিই প্রেম আছে l তাই তোমরাও প্রত্যেকের বিশেষত্বকে দেখো l হংস যেমন পাথর নয়, মোতি চয়ন করে, তেমনি তোমরাও হলে হোলি হংস, তোমাদের কাজই হলো প্রত্যেকের বিশেষত্বকে দেখা আর তাদের সেই বিশেষত্বকে সেবাতে লাগানো l তাদের বিশেষত্বের উৎসাহে এনে, তাদের দ্বারা সেই বিশেষত্বকে সেবাতে লাগাও, তাহলে তাদের শুভেচ্ছা তোমরা প্রাপ্ত করবে l আর তারা যে সেবা করবে, সেই সেবার ভাগও তোমরা পাবে l

স্লোগান:-

বাপদাদার সঙ্গে এমন কম্বাইন্ড থাকো যে, তোমাদের দেখে তাদের বাবা স্মরণে আসে l