29.01.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
বাবার শ্রীমৎ তোমাদের ২১ বংশ সুখ প্রদান করে, এমন অনুপম শ্রীমত বাবা ব্যতীত কেউ দিতে
পারে না, তোমরা শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে থাকো"
প্রশ্নঃ -
নিজেকে
রাজতিলক দেওয়ার জন্য সহজ পুরুষার্থ কি ?
উত্তরঃ -
১. নিজেকে রাজ-তিলক দেওয়ার জন্য বাবার দেওয়া শিক্ষা অনুযায়ী ভালো রীতি চলো। এতে
আশীর্বাদ বা কৃপা করার কথা নেই। ২. ফলো ফাদার করো, অন্যকে দেখবে না, মন্মনাভব, এর
দ্বারা নিজেই নিজেকে তিলক দেওয়া হয়। পড়াশোনা ও স্মরণের যাত্রা দ্বারা-ই তোমরা বেগার
থেকে প্রিন্স হও ।*
গীতঃ-
ওম্ নমো শিবায়
...।
ওম্ শান্তি ।
যখন বাবা (শিববাবা)
ও দাদা (ব্রহ্মাবাবা) ওম্ শান্তি বলেন, তখন দুই বার বলা যেতে পারে কারণ দুজনেই
একত্রে আছেন। এক হলেন অব্যক্ত, দ্বিতীয়জন হলেন ব্যক্ত, দুইজনেই একত্রে আছেন।
দুইজনের আওয়াজ একত্রে শোনা যায়। আলাদা-আলাদাও হতে পারে। এ হল এক আশ্চর্যের (ওয়ান্ডার)
ব্যাপার। দুনিয়ায় এই কথা কেউ জানে না যে পরমপিতা পরমাত্মা এনার দেহে বসে জ্ঞান
প্রদান করেন। এই কথাটি কোথাও লেখা নেই। বাবা কল্প পূর্বেও বলেছেন, এখনও বলছেন যে আমি
এই সাধারণ দেহে অনেক জন্মের শেষ জন্মে এনার (ব্রহ্মা বাবার) মধ্যে প্রবেশ করি, এনার
আধার নিয়ে থাকি। গীতায় এমন কিছু শ্লোক আছে যা প্রকৃত সত্য। তবে প্রকৃত সত্য হল - আমি
এনার অনেক জন্মের শেষে প্রবেশ করি, যখন ইনি বাণপ্রস্থে থাকেন। এনার উদ্দেশ্যে এই
কথাটি সঠিক। সর্ব প্রথম সত্যযুগে জন্ম এনার-ই হয়। তারপরে লাস্টে বাণপ্রস্থ অবস্থায়
থাকেন, যার মধ্যে বাবা প্রবেশ করেন। অতএব এনার জন্যই বলা হয়, আমি জানি না যে, আমি
কতবার পুনর্জন্ম নিয়েছি । শাস্ত্রে ৮৪ লক্ষ বার পুনর্জন্ম লিখে দিয়েছে। এই সব হল
ভক্তি মার্গ। একেই বলা হয় - ভক্তি কাল্ট। জ্ঞান কান্ড আলাদা, ভক্তি কান্ড আলাদা।
ভক্তি করতে করতে নীচে নেমে এসেছে। এই জ্ঞান তো একবার ই প্রাপ্ত হয়। বাবা কেবল একবার
সর্বজনের সদগতি করতে আসেন। বাবা এসে সকলের একবার-ই প্রালব্ধ নির্মাণ করেন -
ভবিষ্যতের জন্য। তোমরা পড়াশোনা করছো ভবিষ্যতের নতুন দুনিয়ার জন্য। বাবা আসেন নতুন
রাজধানী স্থাপন করার জন্য তাই একেই রাজযোগ বলা হয়। এর গুরুত্ব অনেক। তারা চায় কেউ
ভারতের প্রাচীন রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করুক, কিন্তু আজকাল সন্ন্যাসীরা বিদেশে গিয়ে
বলে যে আমরা প্রাচীন রাজযোগ শেখাতে এসেছি। তখন তারাও শিখতে রাজি হয় কারণ তারা ভাবে
যোগের দ্বারা স্বর্গ স্থাপন হয়েছিল। বাবা বোঝান - যোগবলের দ্বারা তোমরা স্বর্গের
মালিক হও। স্বর্গ স্থাপনা করেন বাবা। কীভাবে করেন , সে কথা জানা নেই। এই রাজযোগের
শিক্ষা একমাত্র আত্মাদের পিতা প্রদান করেন। দৈহিক মানুষ শেখাতে পারে না। আজকাল
এডাল্ট্রাসন, করাপসন তো অনেক আছে তাইনা তাই বাবা বলেন - আমি পতিতদের পবিত্র করি।
তাহলে যে পতিতে পরিণত করে সেও আছে নিশ্চয়ই। এখন তোমরা নির্ণয় করো - যথাযথভাবে এমনই
আছে কিনা ? আমি-ই এসে সকল বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদির সার তত্ব বুঝিয়ে বলি। জ্ঞানের দ্বারা
তোমরা ২১ জন্মের সুখ প্রাপ্ত কর। ভক্তিমার্গে হল অল্পকালের ক্ষণিকের সুখ, এই হল ২১
বংশের সুখ, যা বাবা স্বয়ং প্রদান করেন। বাবা তোমাদের সদগতির জন্য যে শ্রীমৎ প্রদান
করেন তা হল সবচেয়ে অনুপম। ইনি শিববাবা সকলের মন জয় করেন। যেমন ওই জড় দিলওয়াড়া
মন্দির আছে, এইটি হল চৈতন্য দিলওয়ালা মন্দির। তোমাদের অ্যাক্টিভিটি গুলির অ্যাকুরেট
চিত্র ই বানানো হয়েছে। এই সময় তোমাদের অ্যাক্টিভিটি চলছে। দিলওয়ালা বাবাকে পেয়েছ -
সর্বের সদগতি করেন যিনি, সর্বের দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করেন। কত উঁচু থেকে উঁচুতে
তাঁর স্থান , এমনই গায়ন আছে। উঁচু থেকে উঁচুতে হল ভগবান শিবের মহিমা। যদিও চিত্র
গুলিতে শঙ্কর ইত্যাদির সম্মুখে শিবের চিত্র দেখানো হয়েছে। বাস্তবে দেবতাদের সামনে
শিবের চিত্র রাখা তো নিষেধ। দেবতারা তো ভক্তি করেন না। ভক্তি না তো দেবতারা করেন,
না সন্ন্যাসীরা করতে পারেন। তারা হল ব্রহ্ম জ্ঞানী, তত্ত্ব জ্ঞানী। যেমন এই আকাশ
তত্ত্ব আছে, তেমনই ওই ব্রহ্ম তত্ত্ব আছে। তারা তো বাবাকে স্মরণ করেন না, তারা এই
মহামন্ত্রটিও প্রাপ্ত করেন না। এই মহামন্ত্র কেবল বাবা এসে সঙ্গমযুগে প্রদান করেন।
সর্বজনের সদগতি দাতা বাবা একবারই এসে মন্মনাভবের মন্ত্র দেন। বাবা বলেন - বাচ্চারা,
দেহ সহ দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে, নিজেকে অশরীরী আত্মা নিশ্চয় করে আমি পিতা আমাকে
স্মরণ করো। কত সহজ করে বোঝান। রাবণ রাজ্যের কারণে তোমরা সবাই দেহ-অভিমানী হয়েছ। এখন
বাবা তোমাদের আত্ম-অভিমানী করছেন। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমি পিতা আমাকে স্মরণ
করতে থাকো তাহলে আত্মার ভিতরে যে খাদ পড়েছে, সেসব বেরিয়ে যাবে। সতো প্রধান থেকে সতো
তে এলে আত্মার গুণ বা কলা তো কম হয় তাইনা। সোনার যেমন কারেট হয় । এখন তো কলি যুগের
শেষ সময়ে সোনা দেখাও যায় না, সত্যযুগে সোনার মহল থাকে। রাত-দিনের পার্থক্য আছে! তার
নামই হল - স্বর্ণ যুগের দুনিয়া। সেখানে ইঁট-পাথরের কাজ হয় না। বাড়ি ইত্যাদি তৈরি হয়
তো তাতেও সোনা-রুপো ছাড়া অন্য কিছু থাকে না। সেখানে সায়েন্স দিয়ে অনেক সুখ থাকে।
এইসবও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। এই সময় সায়েন্স হল অহংকারী, সত্যযুগে অহংকারী বলা হবে
না। সেখানে তো সায়েন্সের দ্বারা তোমরা সুখ প্রাপ্ত করো। এখানে হল অল্পকালের সুখ
তারপরে এর দ্বারা-ই ভয়ঙ্কর দুঃখ প্রাপ্ত হয়। বোমা ইত্যাদি সবই বিনাশের জন্য তৈরি
করতেই থাকে। বোমা তৈরি করতে অন্যদের বারণ করে , নিজেরা তৈরি করতে থাকে। তারা জানে -
এই বোমার দ্বারা আমাদেরই মৃত্যু হবে তা সত্ত্বেও বানাতে থাকে অর্থাৎ বুদ্ধি ভ্রষ্ট
হয়েছে তাইনা। এইসবই ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। না তৈরি করে থাকতে পারবে না। মানুষ বোঝে
যে এই বোমা দ্বারা আমাদের মৃত্যু হবে, তবু কে ভিতর থেকে প্রেরণা দিয়েছে করছে তা
জানা নেই, আমরা না বানিয়ে থাকতে পারি না। বানাতেই হয়। বিনাশও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে।
যতই কেউ শান্তি পুরস্কার দিক কিন্তু শান্তি স্থাপন করেন একমাত্র বাবা। শান্তির সাগর
বাবা-ই শান্তি, সুখ, পবিত্রতার উত্তরাধিকার প্রদান করেন। সত্যযুগে আছে অসীম জগতের
সম্পত্তি। সেখানে তো দুধের নদী বয়ে যায়। বিষ্ণুকে ক্ষীরসাগরে দেখানো হয়। এইভাবে
তুলনা করা হয়। কোথায় সেই ক্ষীরের সাগর, আর কোথায় এই বিষয় সাগর। ভক্তি মার্গে যদিও
পুকুর ইত্যাদি বানিয়ে তার উপরে পাথর রেখে সেই পাথরে বিষ্ণুকে শয়ন করানো হয়। ভক্তিতে
অনেক খরচ করা হয়। কত সময় নষ্ট, টাকা নষ্ট করে। দেবীদের মূর্তি কত খরচ করে তৈরি করে
সমুদ্রে ভাসান দেয় তো টাকা নষ্ট হল কিনা। এ হল পুতুলের পূজা । কারো অকূপেশানের কথা
কেউ জানেনা। এখন তোমরা কারও মন্দিরে যাও তো প্রত্যেকের অকূপেশান জানো। বাচ্চাদের
কোনও নিষেধ নেই - কোথাও যাওয়ার। বাচ্চারা তোমরা আগে বোধহীন হয়ে যেতে, এখন বুদ্ধিমান
(সেন্সিবল) হয়ে যাও। তোমরা বলবে আমরা এনার ৮৪ জন্মের কথা জানি। ভারতবাসীদের কৃষ্ণ
জন্মের কথাও জানা নেই। তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ নলেজ আছে। নলেজ হল সোর্স অফ ইনকাম।
বেদ-শাস্ত্র ইত্যাদিতে কোনও মুখ্য লক্ষ্য নেই। স্কুলে সর্বদা মুখ্য লক্ষ্য থাকে। এই
পড়াশোনার দ্বারা তোমরা খুব বিত্তবান হও।
জ্ঞানের দ্বারা হয় সদগতি। এই জ্ঞানের দ্বারা তোমরা সম্পত্তিবান হও। তোমরা কোনও
মন্দিরে গিয়ে চট করে বুঝবে - এই টি কার স্মারক মূর্তি ! যেমন দিলওয়াড়া মন্দির আছে -
ওই হল জড়, এই হল চৈতন্য। হুবহু এখানে বৃক্ষে যেমন দেখানো হয়েছে, তেমন মন্দির তৈরি
আছে। নীচে তপস্যায় বিরাজিত, উপরে ছাতে সম্পূর্ণ স্বর্গ অবস্থিত। খুব খরচ করে বানানো
হয়েছে। এখানে তো কিছুই নেই। ভারত প্রথমে ১০০ শতাংশ সলভেন্ট, পবিত্র ছিল, এখন ভারত
১০০ শতাংশ ইনসলভেন্ট পতিত হয়েছে, কারণ এখানে সব বিকার দ্বারা জন্ম নেয়। সেখানে নোংরা
বা আবর্জনাই নেই। গরুড় পুরাণে কিছু গালগল্প কথা এইজন্য লেখা আছে, যাতে মানুষ কিছুটা
শোধরায়। কিন্তু ড্রামাতে মানুষের সঠিক হওয়ার কথা নেই। এখন ঈশ্বরীয় স্থাপনা হচ্ছে।
ঈশ্বর স্বর্গের স্থাপনা করবেন তাইনা। তাঁকেই হেভেনলি গড ফাদার বলা হয় তাইনা। বাবা
বুঝিয়েছেন ওই সৈন্য যে যুদ্ধ করে, তারা সবকিছু করে রাজা-রানীর জন্য। এখানে তোমরা
মায়ার উপরে বিজয় লাভ কর নিজের জন্য। যত করবে তত পাবে। তোমাদের প্রত্যেককে নিজেদের
তন-মন-ধন ভারতকে স্বর্গে পরিণত করতে খরচ করতে হয়। যত করবে ততই উঁচু পদ মর্যাদা
প্রাপ্ত করবে। এখানে থাকার তো কিছুই নয়। এখনকার জন্যই গায়ন আছে - কাদের রয়ে যাবে
ধুলোয় মিশে ..... এখন বাবা এসেছেন, তোমাদের রাজ্য-ভাগ্য প্রদান করতে। বলা হয় এখন
তন-মন-ধন সব এতেই লাগিয়ে দাও। ব্রহ্মাবাবা সব কিছু সমর্পণ করেছিলেন তাইনা। ওনাকে বলা
হয় মহাদানী। বিনাশী ধনের দান করে তেমনই অবিনাশী ধনেরও দান করতে হয়, যে যত দান করবে।
বিখ্যাত দানবীরদের বলা হয় অমুক ব্যক্তি বিশাল বড় ফিলানথ্রোফিস্ট (লোকহিতৈষী বা
মহাদানী। সুনাম তো হয়, তাইনা। তারা ইন্-ডায়রেক্টলি ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান করে।
রাজত্ব স্থাপন হয় না। এখন তো রাজত্ব স্থাপন হয় তাই সম্পূর্ণ মহাদানী হতে হবে। ভক্তি
মার্গে তো গানও করা হয় আমরা সমর্পণ করব .... । এতে কিছু খরচ হয় না। গভর্মেন্টের কত
খরচ হয়। এখানে তোমরা যা কিছু কর সবই নিজের জন্য, তারপরে ৮-এর মালায় এসো বা ১০৮-এর
বা ১৬১০৮-এর মালায়। পাস উইথ অনার হতে হবে। এমন যোগ বল জমা করো যাতে কর্মা তীত অবস্থা
প্রাপ্ত হয় তখন কোনও দন্ড ভোগ থাকবে না।
তোমরা সবাই হলে যোদ্ধা। তোমাদের যুদ্ধ হল রাবণের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে নয়। ফেল করার
কারণে ষোলো থেকে দুইটি কলা কম হয়েছে। ত্রেতাযুগকে দুই কলা কম সেমি স্বর্গ বলা হবে।
পুরুষার্থ তো করা উচিত তাইনা - বাবাকে পুরোপুরি ফলো করার। এতে মন-বুদ্ধি দ্বারা
সমর্পিত হতে হয়। বাবা এই সবকিছুই আপনার। বাবা বলবেন সার্ভিসে লাগাও। আমি তোমাদের যে
মত প্রদান করি, সেই কাজ করো, ইউনিভার্সিটি খোলো, সেন্টার খোলো। অনেকের কল্যাণ হয়ে
যাবে। শুধু এই ম্যাসেজ দিতে হবে বাবাকে স্মরণ করো এবং অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত
করো। ম্যাসেঞ্জার, পয়গম্বর বাচ্চারা তোমাদেরকেই বলা হয়। সবাইকে এই ম্যাসেজ দাও যে
বাবা ব্রহ্মা দ্বারা বলেন যে আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে,
জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হবে। এখন হল জীবনবন্ধ তারপরে জীবনমুক্ত হবে। বাবা বলেন আমি
ভারতেই আসি। রচিত এই ড্রামা হল অনাদি। কবে তৈরি হয়েছে, কবে শেষ হবে ? সে প্রশ্ন উঠতে
পারে না। এই ড্রামা তো অনাদি চলতেই থাকে। আত্মা এক সূক্ষ্ম বিন্দু স্বরূপ। তাতে এই
অবিনাশী পার্ট নিহিত আছে। এই হল কত গুহ্য কথা। স্টার রূপী ক্ষুদ্র বিন্দু স্বরূপ।
মাতাগন এইখানে কপালে বিন্দি বা তিলক করে। এখন তোমরা বাচ্চারা পুরুষার্থ দ্বারা
নিজেই নিজেকে রাজতিলক প্রদান করছ। তোমরা বাবার শিক্ষা অনুযায়ী ভালো রীতি চললে তোমরা
নিজেদের রাজ-তিলক প্রদান কর। এমন নয় এতে আশীর্বাদ বা কৃপা প্রাপ্ত হবে। তোমরাই
নিজেদেরকে রাজ-তিলক প্রদান কর। প্রকৃত রূপে এই হল রাজ-তিলক। ফলো ফাদার করার
পুরুষার্থ করতে হবে, অন্যদের দেখবে না। এই হল মন্মনাভব, যার দ্বারা নিজেকে আপনা
থেকেই তিলক দেওয়া হয়, বাবা দেন না। এইটি হল-ই রাজযোগ। তোমরা বেগার থেকে প্রিন্সে
পরিণত হও। সুতরাং কত ভালো ভাবে পুরুষার্থ করা উচিত। তারপরে ব্রহ্মাবাবাকেও ফলো করতে
হবে। এইসব তো বুঝবার কথা । পড়াশোনা দ্বারা উপার্জন হয়। যত যোগ করবে তত ধারণা হবে।
যোগেই পরিশ্রম আছে তাই ভারতের রাজযোগ গায়ন আছে। বাকি গঙ্গা স্নান করতে করতে তো আয়ু
শেষ হলেও পবিত্র হতে পারবে না। ভক্তি মার্গে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে গরীবদের দান করা হয়।
এখানে যদিও স্বয়ং ঈশ্বর এসে গরীবদেরকেই বিশ্বের বাদশাহী প্রদান করেন। গরীব নিবাজ
অর্থাৎ তিনি হলেন দীনের নাথ তাইনা। ভারত যে একশ শতাংশ সলভেন্ট ছিল, এই সময় সেই ভারত
একশ শতাংশ ইন্সল্ভেন্ট হয়েছে। দান সর্বদা গরীবদের করা হয়। বাবা খুব উচ্চ স্থান
প্রদান করেন। এমন বাবাকে অপশব্দ বলে। বাবা বলেন - এমন ভাবে যখন গ্লানি করে তখন আমাকে
আসতে হয়। এও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। ইনি হলেন পিতাও এবং শিক্ষকও। শিখ ধর্মের মানুষ
বলে -সদগুরু অকাল। যদিও ভক্তি মার্গে গুরু তো অনেক আছে। অকাল কেবল এই দেহের তখত
প্রাপ্ত করেন। বাচ্চারা তিনি তোমাদের দেহ রূপী তখ্তও ব্যবহার করেন। তিনি বলেন আমি
এনার মধ্যে প্রবেশ করে সকলের কল্যাণ করি। এইসময় এনার হল এই পার্ট। এইসব কথা বুঝবার
জন্য। নতুন কেউ বুঝবে না। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
অবিনাশী জ্ঞান ধন দান করে মহাদানী হতে হবে। যেমন ব্রহ্মা বাবা নিজের সবকিছু এতেই
দান করেছিলেন, তেমন করেই ফলো ফাদার করে রাজত্বে উঁচু পদ নিতে হবে।
২ ) দন্ড ভোগ থেকে বাঁচার জন্য এমন যোগ বল জমা করতে হবে যাতে কর্মাতীত অবস্থা
প্রাপ্ত হয়। পাস উইথ অনার হওয়ার জন্য পুরো পুরুষার্থ করতে হবে। অন্যদের দেখবে না।
বরদান:-
নিজের পূর্বজ স্বরূপের স্মৃতি দ্বারা সর্ব আত্মাদের শক্তিশালী করতে সক্ষম আধার,
উদ্ধারমূর্তি ভব
ব্যাখা: এই সৃষ্টি
রূপী বৃক্ষের মুখ্য কান্ড, সর্বজনের পূর্বজ হলে তোমরা ব্রাহ্মণ, তোমরাই দেবতা।
প্রতিটি কর্মের আধার, কুল মর্যাদার আধার, রীতি নিয়মের আধার তোমরা পূর্বজ আত্মারা হলে
সর্ব আত্মাদের আধার ও উদ্ধারমূর্ত। তোমরা বৃক্ষের কান্ড, তোমাদের দ্বারা-ই সর্ব
আত্মাদের শ্রেষ্ঠ সংকল্পের শক্তি বা সর্বশক্তির প্রাপ্তি হয়। তোমাদের সবাই ফলো করছে
তাই এত বিশাল দায়িত্ব বুঝে প্রতিটি সঙ্কল্প ও কর্ম নিস্পাদন করো কারণ তোমরা পূর্বজ
আত্মা, তোমাদের আধারেই সৃষ্টির সময় ও স্থিতির আধার নির্ভর করছে।
স্লোগান:-
যে আত্মা সর্ব শক্তির কিরণ চতুর্দিকে প্রসারিত করে, সেই আত্মা-ই হল মাস্টার
জ্ঞান-সূর্য ।
অব্যক্ত স্থিতির
অনুভব করার জন্য বিশেষ হোমওয়ার্ক
মাঝে মধ্যে সংকল্পের ট্রাফিক স্টপ করার অভ্যাস করো। এক মিনিটের জন্য সঙ্কল্প-কে বা
শরীরের কর্ম থামিয়ে বিন্দু রূপের প্র্যাক্টিস করো। এই এক সেকেন্ডের অনুভব সারা দিন
অব্যক্ত স্থিতি অনুভব করতে সাহায্য করবে।