10.01.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
মুখ্য দুটি কথা সবাইকে বোঝাতে হবে - প্রথম কথা বাবাকে স্মরণ করো, দ্বিতীয় ৮৪-র
চক্রের বিষয়ে জানো তাহলে সব প্রশ্ন শেষ হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ -
বাবার মহিমা
বর্ণনায় কোন্ শব্দ ব্যবহৃত হয়, যা শ্রীকৃষ্ণের মহিমা গায়নে হয় না ?
উত্তরঃ -
বৃক্ষপতি হলেন একমাত্র বাবা, শ্রীকৃষ্ণকে বৃক্ষপতি বলা হবে না। সকল পিতার পিতা বা
স্বামীর স্বামী এক নিরাকারকে বলা হয়, শ্রীকৃষ্ণকে নয়। দুইজনের মহিমা আলাদাভাবে
স্পষ্ট করো ।
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমরা গ্রামে-গ্রামে কোন খবরটি ঢাকঢোল বাজিয়ে জানিয়ে দেবে ?
উত্তরঃ -
গ্রামে-গ্রামে ঢাক বাজিয়ে সবাইকে জানাবে যে মানুষ থেকে দেবতা, নরকবাসী থেকে
স্বর্গবাসী কীভাবে হবে, এসে বুঝে নাও। স্থাপনা, বিনাশ কীভাবে হয়, এসে বোঝো ।
গীতঃ-
তুমি মাতা,
তুমি পিতা, তুমি হলে বন্ধু, সখাও তুমি ...
ওম্ শান্তি ।
এই গীতের
শেষের লাইনে যে শব্দ গুলি আছে - তুমি নৌকো, তুমি নৌকোর মাঝি ... এই শব্দ গুলি ভুল।
যেমন নিজেই পূজ্য, নিজেই পূজারী বলা হচ্ছে, এই কথাটিও সেইরকম হয়ে যায়। জ্ঞানের
উজ্জ্বলতায় যারা উজ্জ্বল তারা এই গীত বন্ধ করে দেবে, কারণ বাবার অপমান হয়ে যাচ্ছে।
এখন তোমরা বাচ্চারা তো জ্ঞান প্রাপ্ত করেছ, অন্য মানুষের তো এই জ্ঞান প্রাপ্তি হয়
না। তোমরাও এখনই অর্জন করে থাকো। অন্য কোনও সময় নয়। গীতার ভগবানের এই পুরুষোত্তম
হওয়ার জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, এই কথা বোঝে। কিন্তু কখন কীভাবে প্রাপ্ত হয়, সে কথা ভুলে
গেছে। গীতা হল ধর্ম স্থাপনের শাস্ত্র, অন্য কোনও শাস্ত্র ধর্ম স্থাপনের উদ্দেশ্যে
হয় না। শাস্ত্র শব্দটিও ভারতেই কাজে লাগে। সর্ব শাস্ত্রে শিরোমণি হল গীতা। বাকি
অন্য সব ধর্ম তো পরে আসবে। তাদের শিরোমণি বলা হবে না। বাচ্চারা জানে বৃক্ষপতি হলেন
একমাত্র বাবা। তিনি হলেন আমাদের পিতা, স্বামীও তিনি সকলের পিতাও তিনি। তাঁকে সকল
স্বামীদের স্বামী, পিতাদের পিতা ..... বলা হয়। এইরূপ মহিমা একমাত্র নিরাকারের
উদ্দেশ্যে গায়ন করা হয়। কৃষ্ণের এবং নিরাকার পিতার মহিমা বর্ণনার তুলনা করা হয়।
শ্রীকৃষ্ণ তো হলেন নতুন দুনিয়ার প্রিন্স। তিনি তাহলে পুরানো দুনিয়ায় সঙ্গম যুগে
রাজযোগ শেখাবেন কীভাবে ! এখন বাচ্চারা বুঝেছে আমাদের ভগবান পড়াচ্ছেন। তোমরা পড়া করে
এই দেবী-দেবতায় পরিণত হও। পরে এই জ্ঞান প্রচলনে থাকে না। প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। বাকি
আটায় লবণ সম চিত্র গুলি রয়ে যায়। বাস্তবে কোনও চিত্রই যথার্থ নয়। সর্ব প্রথমে বাবার
পরিচয় পেয়ে গেলে তোমরা বলবে এই কথা ভগবান বোঝাচ্ছেন। সে কথা তো স্বতঃ বলবে। তোমরা
কি প্রশ্ন করবে ! প্রথমে বাবাকে তো জানো।
বাবা আত্মাদের বলেন - আমায় স্মরণ করো। শুধুমাত্র দুইটি কথা স্মরণ করো। বাবা বলেন
আমায় স্মরণ করো এবং ৮৪-র চক্রকে স্মরণ করো, ব্যস্। এই দুটি মুখ্য কথা বোঝাতে হবে।
বাবা বলেন তোমরা নিজেদের জন্ম গুলি জানো না। ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরই বলেন, অন্য কেউ তো
বুঝবে না। প্রদর্শনী তে দেখো কত মানুষ এসে ভীড় করে। তারা ভাবে, এত মানুষ যায়
নিশ্চয়ই কিছু দেখার জিনিস আছে। ঢুকে পড়ে। এক-একজনকে বোঝাতে গেলে মুখ ব্যথা হয়ে যাবে।
তখন কি করা উচিত ? প্রদর্শনী পুরো মাস চলতে থাকলে বলা যায় - আজ ভীড় আছে, কাল পরশু
এসো। তাও যার পড়াশোনার ইচ্ছে থাকবে অথবা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার ইচ্ছে থাকবে, তাকেই
বোঝাবে। এক এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র অথবা ব্যাজ দেখানো উচিত। বাবার দ্বারা এই
বিষ্ণুপুরীর মালিক হতে পারো, এখন ভীড় আছে সেন্টারে এসো। ঠিকানা তো লেখা আছে। বাকি
এইভাবে বলে দেবে - এই হল স্বর্গ, এইটি নরক, তো মানুষ কি বুঝবে ? সময় নষ্ট হয়ে যায়।
এমন ভাবে তো চিনতে পারবে না, এই মানুষ উচ্চ ব্যক্তি, এই মানুষ ধনী না গরিব ? আজকাল
পোশাক এমন পরে যে কিছু বোঝা যায় না। সর্ব প্রথমে তো বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবা
হলেন স্বর্গ স্থাপনকারী। এখন এইরূপে পরিণত হতে হবে। মুখ্য উদ্দেশ্য সামনে আছে । বাবা
বলেন আমি হলাম সর্বোচ্চ, সবচেয়ে উঁচুতে। আমায় স্মরণ করো, এই হল বশীভূত করার মন্ত্র।
বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে এবং বিষ্ণুপুরীতে এসে
যাবে - এই কথা তো নিশ্চয়ই বোঝানো উচিত। ৮-১০ দিনের প্রদর্শনী তো আয়োজন করা উচিত।
তোমরা গ্রামে গ্রামে ঢাক বাজিয়ে খবর দিয়ে দাও যে মানুষ থেকে দেবতা, নরকবাসী থেকে
স্বর্গবাসী কীভাবে হতে পারো, এসে বুঝে নাও। স্থাপনা, বিনাশ কীভাবে হয়, এসে বুঝে নাও।
যুক্তি তো অনেক আছে।
তোমরা বাচ্চারা জানো সত্যযুগ ও কলিযুগে রাত-দিনের তফাৎ আছে। ব্রহ্মার রাত ও
ব্রহ্মার দিন বলা হয়। ব্রহ্মার দিন সেই আবার বিষ্ণুর দিন, যা বিষ্ণুর তা ব্রহ্মার।
কথা তো একই। ব্রহ্মারও ৮৪ জন্ম, বিষ্ণুরও ৮৪ জন্ম। শুধুমাত্র এই লীপ জন্মের তফাৎ হয়ে
যায়। এই কথা বুদ্ধিতে বসাতে হয়। ধারণা না হলে কাউকে কীভাবে বোঝাবে ? এই কথা বোঝানো
তো খুবই সহজ। শুধুমাত্র লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রের সামনে এই পয়েন্টস বলো। বাবার
সাহায্যে এই পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়, নরকের বিনাশ সামনে রয়েছে। তারা তো নিজের মনুষ্য
মত-ই শোনাবে। এখানে তো আছে ঈশ্বরীয় মতামত, যা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ঈশ্বর দ্বারা
প্রাপ্ত হয়েছে। নিরাকার আত্মাদের নিরাকার পরমাত্মার মতামত প্রাপ্ত হয়। বাকি সবই হল
মানব মত। রাত-দিনের তফাৎ আছে তাইনা। সন্ন্যাসী, উদাসী ইত্যাদি কেউ এই মত দিতে পারে
না। ঈশ্বরীয় মতামত একবার ই প্রাপ্ত হয়। যখন ঈশ্বর আসেন তখন তাঁর মতামত দ্বারা আমরা
এমন স্বরূপ প্রাপ্ত করি। তিনি আসেন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করতে। এই সব পয়েন্টস
ধারণ করা উচিত, যাতে সময় পড়লে কাজে আসে। মুখ্য কথা কমের মধ্যে বুঝিয়ে দিলেই যথেষ্ট।
এক লক্ষ্মী-নারায়ণের ছবি নিয়ে বোঝানোও যথেষ্ট। এই হল মুখ্য উদ্দেশ্যের চিত্র, ভগবান
এই নতুন দুনিয়া রচনা করছেন। ভগবান পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে এদের পড়িয়ে ছিলেন। এই
পুরুষোত্তম যুগের কথা কারো জানা নেই। অতএব এই সব কথা শুনে বাচ্চাদের কত খুশী হওয়া
উচিত। জ্ঞান শুনে অন্যদের শুনিয়ে আরও খুশী অনুভব হওয়া উচিত। সার্ভিস করে যারা
তাদেরই ব্রাহ্মণ বলা হবে। তোমাদের কাঁখে রয়েছে প্রকৃত সত্য গীতা। ব্রাহ্মণদের
মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী স্টেজ আছে তাইনা। কোনো ব্রাহ্মণ তো খুব বিখ্যাত হয়, অনেক
উপার্জন করে। কোনও ব্রাহ্মণের তো খাওয়া মুশকিলে জোটে। কোনও ব্রাহ্মণ তো লক্ষ পতি হয়।
খুব খুশীতে, খুব নেশায় বলে আমরা ব্রাহ্মণ কুলের। প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ কুলের কথা তো
জানা নেই। ব্রাহ্মণ হল উত্তম এইরকম বলা হয়, তবেই তো ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো হয়।
দেবতা, ক্ষত্রিয় বা বৈশ্য, শূদ্র ধর্মের মানুষদের খাওয়ানো হয় না। ব্রাহ্মণদের ই
খাওয়ানো হয় তাই বাবা বলেন - তোমরা ব্রাহ্মণদের ভালো রীতি বোঝাও। ব্রাহ্মণদেরও সংগঠন
থাকে, সেসব পরীক্ষা করে চলে যাওয়া উচিত। ব্রাহ্মণ তো প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হওয়া
উচিত, আমরা ব্রহ্মারই সন্তান। ব্রহ্মা কার সন্তান, সে কথাও বোঝানো উচিত। পরীক্ষা করা
উচিত যে কোথায়-কোথায় তাদের সংগঠন আছে। তোমরা অনেকের কল্যাণ করতে পারো। বাণপ্রস্থ
মহিলাদেরও সভা ইত্যাদি হয়। বাবাকে সবাই খবর থোড়াই কি দেয় যে, আমরা কোথায় গিয়েছিলাম
? সব জঙ্গলে ভরা, যেখানেই যাও শিকার করে আসবে, প্রজা বানিয়ে আসবে, রাজাও বানাতে পারো।
সার্ভিস তো অনেক আছে। সন্ধ্যায় ৫ টায় ছুটি হয়, লিস্টে নোট করা উচিত - আজ এইখানে যেতে
হবে। বাবা যুক্তি তো অনেক বলে দেন। বাবা বাচ্চাদের সঙ্গেই কথা বলেন। এই কথা পাকা
ভাবে নিশ্চয় থাকা উচিত আমি আত্মা। বাবা (পরম আত্মা) আমাদের শোনান, ধারণ আমাদের করতে
হবে। যেমন শাস্ত্র অধ্যয়ন করে এবং সেসব সংস্কার রূপে অন্য জন্মেও ইমার্য হয়ে যায়।
বলা হয় -সংস্কার নিয়ে এসেছে। যারা অনেক শাস্ত্র পাঠ করে তাদের অথরিটি বলা হয়। তারা
নিজেদের অলমাইটি ভাবে না। এই হল খেলা, যা বাবা বোঝান, নতুন কথা নয়। ড্রামা এমনই
বানানো হয়েছে , যা বুঝতে হবে। মানুষ এইসব বোঝে না যে এই হল পুরানো দুনিয়া। বাবা
বলেন আমি এসেছি । মহাভারত যুদ্ধ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। মানুষ অজ্ঞানের অন্ধকারে ঘুমিয়ে
আছে। অজ্ঞান ভক্তিকে বলা হয়। জ্ঞান সাগর তো হলেন একমাত্র বাবা। যারা অনেক ভক্তি করে,
তারা ভক্তির সাগর। ভক্তদের মালাও আছে, তাইনা। ভক্ত মালার নামও একত্রিত করা উচিত।
ভক্ত মালা দ্বাপর থেকে কলিযুগ পর্যন্ত হবে। বাচ্চাদের অনেক খুশী থাকা উচিত। অনেক
খুশী তাদেরই হবে যারা সারা দিন সার্ভিস করতে থাকবে।
বাবা বুঝিয়েছেন মালা তো খুব লম্বা, হাজারের সংখ্যা আছে। যাদের কেউ এখান থেকে, কেউ
ওখান থেকে আকৃষ্ট করে। কিছু তো হবে তাইনা, যে এত বড় মালা তৈরি হয়েছে। মুখে রাম-রাম
বলতে থাকে, তখন জিজ্ঞাসা করা উচিত - কাকে উদ্দেশ্য করে রাম-রাম জপ করে স্মরণ করো ?
তোমরা সৎসঙ্গ ইত্যাদিতে যেখানেই যাও মিলেমিশে বসতে পারো। হনুমানের দৃষ্টান্ত দেওয়া
হয় তাইনা -যেখানে সৎসঙ্গ হত, সেখানে জুতোর কাছে গিয়ে বসতো। তোমাদেরও চেষ্টা করা
উচিত। তোমরা অনেক সার্ভিস করতে পারো। সার্ভিসে সফল তখনই হবে যখন জ্ঞানের পয়েন্ট
বৃদ্ধি পাবে, জ্ঞানে মগ্ন থাকবে। সার্ভিসের অনেক যুক্তি আছে, রামায়ণ, ভগবৎ ইত্যাদি
বিষয়েও নানান কথা আছে, সেসবের উপরে তোমরা দৃষ্টিপাত করতে পারো। শুধু অন্ধ শ্রদ্ধায়
গিয়ে বসবে না। বলো, আমরা তো আপনাদের কল্যাণ কামনা করি। ওই ভক্তি একেবারে আলাদা, এই
জ্ঞান একদম আলাদা। জ্ঞান একমাত্র জ্ঞানেশ্বর পিতা-ই দিয়ে থাকেন। সার্ভিস তো অনেক আছে,
শুধু এই কথা বলো উঁচু থেকে উঁচুতে কে অবস্থান করেন ? উঁচু থেকে উঁচুতে হলেন একমাত্র
ভগবান, অবিনাশী উত্তরাধিকার তাঁর কাছেই প্রাপ্ত হয়। বাকি তো সবই হল তাঁর রচনা।
বাচ্চাদের সার্ভিস করার শখ থাকা উচিত। তোমাদের রাজত্ব করতে হলে প্রজাও বানাতে হবে।
এই মহামন্ত্র কোনও অংশে কম নয় - বাবাকে স্মরণ করো তো অন্ত সময়ের যে রূপ মতি থাকবে
সেইরূপ গতি হয়ে যাবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বাবা যে বশীভূত করার মন্ত্র দিয়েছেন, সেই মন্ত্রটি সবাইকে স্মরণ করাতে হবে।
সার্ভিসের ভিন্ন ভিন্ন যুক্তি রচনা করতে হবে। ভীড়ে নিজের সময় নষ্ট করবে না।
২ ) জ্ঞানের পয়েন্টস বুদ্ধিতে রেখে জ্ঞানে মগ্ন হয়ে থাকতে হবে। হনুমানের মতন সৎসঙ্গে
গিয়ে বসতে হবে এবং তাদের সেবা করতে হবে। খুশীতে থাকার জন্যে সারা দিন সেবা করতে হবে।
বরদান:-
শ্রেষ্ঠ সংকল্পের সহযোগিতা দ্বারা সকলকে শক্তি প্রদানকারী শক্তিশালী আত্মা ভব
ব্যাখা: সদা শক্তিশালী
ভব - এই বরদান প্রাপ্ত করে সর্ব আত্মাদের শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প দ্বারা শক্তি প্রদান করার
সেবা করো। যেমন আজকাল সূর্যের শক্তি জমা করে অনেক কার্য সফল করা হয়। তেমনই শ্রেষ্ঠ
সংকল্পের শক্তি এতখানি জমা করো, যাতে অন্যদের সংকল্পে শক্তি ভরে যাক। এই সঙ্কল্প
ইনজেকশনের কাজ করে। এর দ্বারা অন্তরে বৃত্তি শক্তি বৃদ্ধি হয়। অতএব এখন শ্রেষ্ঠ
ভাবনা বা শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প দ্বারা পরিবর্তন করা - এই সেবার প্রয়োজনীয়তা আছে।
স্লোগান:-
মাস্টার দুঃখহর্তা হয়ে দুঃখ গুলি রূহানী সুখে অর্থাৎ আত্মিক সুখে পরিবর্তন করা -
এটাই হল তোমাদের শ্রেষ্ঠ কর্তব্য ।
অব্যক্ত স্থিতির
অনুভব করার জন্য বিশেষ হোম ওয়ার্ক
আমরা ব্রাহ্মণরা-ই হলাম ফরিস্তা (angel), এই সংযুক্ত স্বরূপের অনুভূতি বিশ্বে
সাক্ষাৎকারমূর্ত করবে। ব্রাহ্মণরা-ই ফরিস্তা, এই স্মৃতি দ্বারা চলতে-ফিরতে নিজেকে
ব্যক্ত শরীর, ব্যক্ত দেশে পার্ট প্লে করা সত্ত্বেও ব্রহ্মা বাবার সাথী অব্যক্ত
বতনের ফরিস্তা, অব্যক্ত রূপধারী অনুভব করবে।