11.01.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা যদি কেবল বাবার ডাইরেকশন অনুসারেই জীবন যাপন করো, তবে বাবা তোমাদের জন্য
রেস্পনসেবল থাকবেন, বাবার ডাইরেকশন হলো - চলতে ফিরতে আমাকে স্মরণ করো"
প্রশ্নঃ -
খুব ভালো গুণ
সম্পন্ন সন্তানদের লক্ষণ কেমন হবে ?
উত্তরঃ -
তারা কাঁটা
থেকে ফুল বানানোর জন্য খুব ভালো সেবা করবে। কাউকে কাঁটা ফোটাবে না এবং কখনোই
নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়া করবে না। কাউকেই দুঃখ দেবে না। দুঃখ দেওয়া তো কাঁটা
ফোটানোর সমান।
গীতঃ-
বয়ে যায় এই
সময়…
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি আত্মিক সন্তানেরা পুরুষার্থের ক্রম অনুসারে এই গানটার অর্থ বুঝেছে। ক্রম
অনুসারে বলার কারন হল - কেউ কেউ ফার্স্ট গ্রেডে বুঝতে পারে, কেউ কেউ সেকেন্ড গ্রেডে,
কেউ কেউ আবার থার্ড গ্রেডে বোঝে। প্রত্যেকেই নিজের মতো করে বোঝে। প্রত্যেকেই নিজের
মতো করে নিশ্চিত হয়েছে। বাবা তো সব সময় বোঝাতেই থাকেন। সর্বদা এটাই বুঝবে যে শিববাবা
এনার দ্বারা নির্দেশ দিচ্ছেন। অর্ধেক কল্প ধরে তোমরা আসুরিক মত অনুসারে চলেছ। এখন
নিশ্চিত ভাবে বোঝো যে ঐশ্বরিক নির্দেশ অনুসারে চললেই আমাদের তরী তীরে পৌঁছাতে পারবে।
কিন্তু ঈশ্বরের নির্দেশ বলে না বুঝে যদি কোনো মানুষের নির্দেশ বলে মনে করো, তবে
সংশয় প্রকাশ করবে। বাবা বলছেন - আমার নির্দেশ অনুসারে চললে আমি তার রেস্পনসেবল থাকব।
এনার দ্বারা যাকিছু হচ্ছে, এনার সকল কর্মের রেস্পনসেবল স্বয়ং আমি। আমি সবকিছু ঠিক
করে দেব। তুমি কেবল আমার নির্দেশ অনুসারে চলো। যে ভালো ভাবে স্মরণ করবে, সে-ই
নির্দেশ অনুসারে চলবে। প্রত্যেক পদক্ষেপে যদি ঈশ্বরের নির্দেশ অনুসারে চলতে থাকো,
তবে কখনোই লোকসান হবে না। নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারলে বিজয়ও নিশ্চিত। অনেক বাচ্চাই
এইসব কথা বুঝতে পারে না। সামান্য জ্ঞান এলেই দেহ-অভিমান এসে যায়। যোগের পরিমান খুবই
কম। জ্ঞান মানে হিস্ট্রি-জিওগ্রাফিকে জানা। সেটা তো খুবই সহজ। মানুষ আজকাল কত
সায়েন্স ইত্যাদি নিয়ে পড়াশুনা করে। কিন্তু এই পড়া তো একেবারে সহজ। পরিশ্রম কেবল
যোগের বিষয়ে। যদি কেউ বলে - বাবা, আমি সারাদিন যোগের আমোদেই থাকি, তাহলে বাবা সেটা
মানবেন না। বাবা প্রত্যেকের চাল-চলন লক্ষ্য করেন। *যে বাবাকে স্মরণ করবে, সে তো
মোস্ট লাভলী হবে। বাবাকে স্মরণ না করার জন্যই উল্টো-পাল্টা কাজ হয়ে যায়।* দিন-রাতের
পার্থক্য। তোমরা এখন এই সিঁড়ির চিত্রের দ্বারা ভালো করে বোঝাতে পারো। এখন এই
দুনিয়াটা কাঁটার জঙ্গল হয়ে গেছে। এটাকে আর বাগান বলা যাবে না। স্পষ্ট করে বোঝাতে হবে
যে এই ভারতই এক সময়ে ফুলের বাগান ছিল। বাগানে কি কখনো বন্য জন্তু জানোয়ার থাকে ?
ওখানে তো দেবী-দেবতারা থাকে। *বাবা তো অবশ্যই হাইয়েস্ট অথরিটি, কিন্তু এই প্রজাপিতা
ব্রহ্মাও হলেন হাইয়েস্ট অথরিটি। এই ঠাকুরদাদা হলেন সবথেকে বড় অথরিটি। শিববাবা এবং
প্রজাপিতা ব্রহ্মা। আত্মা রূপে সকলেই শিববাবার সন্তান, কিন্তু সাকার রূপে আমরা
ভাই-বোনেরা প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান। ইনি হলেন সকলের গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার।
এইরকম হাইয়েস্ট অথরিটির জন্য তো একটা বাড়ি চাই। এইভাবে তোমরা লিখতে পারো এবং তারপর
দেখো যে ওদের সুবুদ্ধি হয় কিনা*। শিববাবা এবং প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন সকল আত্মার
পিতা এবং সকল মানুষের পিতা। বোঝানোর জন্য এটা খুবই ভালো পয়েন্ট। কিন্তু বাচ্চারা
সবকিছু বোঝায় না। জ্ঞানের বিষয়ে অহংকার আসার কারনে অনেক কিছু ভুলে যায়। যেন
বাপদাদাকেও পরাজিত করার চেষ্টা করে। এই ঠাকুরদাদা বলছেন - ঠিক আছে, আমার কথা শুনতে
হবে না, সর্বদা এটাই বুঝবে যে শিববাবা বোঝাচ্ছেন। তাঁর মত অনুসারে তো চলো। ডাইরেক্ট
ঈশ্বর মতামত দিচ্ছেন যে এটা করো-ওটা করো, রেস্পনসেবল স্বয়ং আমি। সুতরাং ঈশ্বরের মত
অনুসারে চলো। ইনি তো আর ঈশ্বর নন, তোমাদেরকে ঈশ্বরের কাছ থেকেই শিক্ষা নিতে হবে।
সর্বদা বুঝবে যে স্বয়ং ঈশ্বর আমাদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছেন। এই লক্ষ্মী-নারায়নও তো
ভারতের মানুষ ছিল। এরাও সবাই মানুষ। কিন্তু ওরা শিবালয়ে থাকত। তাই সবাই ওদেরকে
প্রণাম করে। কিন্তু বাচ্চারা পুরোপুরি বোঝায় না। নিজের ওপরে অহংকার এসে যায়। অনেকের
মধ্যেই অনেক খুঁত রয়েছে। যখন পুরোপুরি যোগযুক্ত হবে, তখনই বিকর্ম বিনাশ হবে।
বিশ্বের মালিক হওয়া তো মুখের কথা নয়। বাবা দেখেন কিভাবে মায়া নাক পাকড়ে একদম গর্তে
ফেলে দেয়। বাবার স্মরণে সর্বদা খুব খুশি এবং উৎফুল্ল থাকা উচিৎ। এম অবজেক্ট তো
সামনেই আছে। আমরা এইরকম লক্ষ্মী-নারায়ন হচ্ছি। কিন্তু ভুলে যাওয়ার জন্য খুশির পারদ
ঊর্ধগামী হয় না। অনেকে বলে - আমাকে ভালোভাবে যোগ শেখাও, বাইরে আমি ভালো করে স্মরণ
করতে পারি না। স্মরণ করে না বলে বাবা কখনো কখনো প্রোগ্রাম পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তাতেও
স্মরণ করে না। বুদ্ধি কেবল এদিকে-ওদিকে ঘুরে বেড়ায়। বাবা নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেন -
আগে নারায়ণের কত বড় ভক্ত ছিলাম, যেখানেই যেতেন সঙ্গে নারায়নের ছবি থাকত। কিন্তু
তারপরেও পূজা করার সময়ে বুদ্ধি এদিক-ওদিকে ছুটে বেড়াত। এখানেও এইরকম হয়। বাবা বলেন
- চলতে ফিরতে বাবাকে স্মরণ করো। কিন্তু কেউ কেউ বলে - দিদি, আমাকে শান্ত পরিবেশে
বিশেষ ভাবে যোগ শেখান। এসবের তো কোনো অর্থই হয় না। বাবা সর্বদা স্মরণে থাকার উপদেশ
দেন। কোনো কোনো বাচ্চা আবার শান্ত ভাবে বসে থাকতে থাকতে ধ্যানে চলে যায়। তখন জ্ঞানও
মনে থাকে না, বাবাকেও মনে থাকে না। কখনো আবার ঢুলতে থাকে। অনেকের তো এটা অভ্যাস হয়ে
গেছে। কিন্তু এটা তো ক্ষনিকের জন্য শান্তি প্রাপ্তি। বাকি গোটা দিন তো অশান্তিতেই
থাকে। চলতে ফিরতে বাবাকে স্মরণ না করলে পাপের বোঝ নামবে কিভাবে ? অর্ধেক কল্পের বোঝা
বলে কথা। এর জন্যই যত পরিশ্রম করতে হয়। নিজেকে আত্মা রূপে অনুভব করে বাবাকে স্মরণ
করো। হয়তো বাবাকে অনেকে পত্র লেখে যে এতটা সময় স্মরণ করেছি, কিন্তু আসলে অতটা সময়
স্মরণে থাকে না। চার্টকে তো সঠিকভাবে বুঝতেই পারে না। বাবা হলেন অসীম জগতের পিতা।
বাবা স্বয়ং পতিত-পাবন। তাই কত খুশিতে থাকা উচিত। কিন্তু কেবল এটা মনে করলেই চলবে না
যে আমি তো শিববাবার-ই সন্তান। এইরকম অনেকে রয়েছে যারা মনে করে যে আমি তো বাবার-ই
সন্তান, অথচ একটুও স্মরণ করে না। যদি কেউ যথাযথভাবে স্মরণ করে, তবে তো তার প্রথম
হওয়া উচিত। কাউকে বোঝানোর জন্যেও ভালো বুদ্ধি থাকতে হবে। আমরা তো ভারতের গুনগান করছি।
নুতন দুনিয়ায় আদি-সনাতন দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল। এখন এই দুনিয়া পুরাতন বা আয়রন
এজেড হয়ে গেছে। ওটা হল সুখধাম, এটা দুঃখধাম। ভারত যখন গোল্ডেন এজেড ছিল তখন এই
দেবতাদের রাজত্ব ছিল। অনেকে বলে - আমরা বুঝব কিভাবে যে এদের রাজত্ব ছিল ? এটা তো
খুব ওয়ান্ডারফুল নলেজ। যার ভাগ্যে যতটা রয়েছে, যে যতটা পুরুষার্থ করছে সেটা তো
দেখাই যাচ্ছে। তোমরা চাল-চলনের দ্বারা বুঝতে পেরে যাও। সত্যযুগে যারা থাকে আর
কলিযুগে যারা থাকে তারা উভয়েই মানুষ। তাহলে এরা কেন ওদেরকে প্রণাম করে ? এরা হলো
স্বর্গের মালিক। কেউ মারা গেলে বলে অমুক ব্যক্তি স্বর্গবাসী হয়েছেন। কিছুই বোঝে না।
এখন তো সকলেই নরকবাসী। তাহলে নিশ্চয়ই এখানেই আবার জন্ম নিতে হবে। বাবা প্রত্যেকের
চাল-চলন লক্ষ্য করেন। বাবাকে কত সাধারণ ভাবে কতজনের সাথে কথা বলতে হয়, কতজনকে
সামলাতে হয়। বাবা কত স্পষ্ট ভাবে বোঝাচ্ছেন। যদি বুঝতে পারে তাহলে ভালো। কিন্তু
বুঝতে পেরেও কেউ কেউ বড় বড় কাঁটা হয়ে যায়। অন্যকে দুঃখ দিতে থাকে। কু-অভ্যাস ত্যাগ
করে না। এখন বাগানের মালিক বাবা ফুলের বাগান বানাচ্ছেন। কাঁটা থেকে ফুল বানাচ্ছেন।
এটাই তাঁর কাজ। যে নিজেই কাঁটা, সে অন্যকে কিভাবে ফুল বানাবে ? প্রদর্শনীতেও
বিচক্ষণ কাউকে পাঠাতে হবে। তাকেই ভালো গুন সম্পন্ন সন্তান বলা যাবে যে খুব ভালোভাবে
কাঁটা থেকে ফুল বানানোর সেবা করে এবং কাউকে কাঁটা ফোটায় না বা দুঃখ দেয় না। কখনো
নিজেদের মধ্যে লড়াই ঝগড়া করে না। তোমরা বাচ্চারা একেবারে যথাযথভাবে বোঝাও। এতে
কারোর ইনসাল্ট (অপমান) হওয়ার কথা নয়। সামনে শিব জয়ন্তীও আসছে। তোমরা অনেক প্রদর্শনী
করতে থাকো। ছোট ছোট প্রদর্শনী করেও বোঝাতে পারো। এক সেকেন্ডে স্বর্গবাসী হয়ে যান
অথবা পতিত ভ্রষ্টাচারী থেকে পবিত্র শ্রেষ্ঠাচারী হয়ে যান। এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি
প্রাপ্ত করুন। জীবনমুক্তির অর্থও বোঝে না। বাবার কাছ থেকে সকলে মুক্তি এবং
জীবনমুক্তি পেয়ে থাকে। কিন্তু ড্রামাকেও তো জানতে হবে। সব ধর্মাবলম্বীরাই স্বর্গে
আসবে না। ওরা নিজ নিজ স্থানে চলে যাবে। তারপর যার যখন সময় আসবে, তখন সে এসে পুনরায়
স্থাপন করবে। এইগুলো কল্পবৃক্ষের ছবিতে খুব স্পষ্ট ভাবে দেখানো হয়েছে। কেবল সদগুরু
ছাড়া অন্য কেউ সদগতি করতে পারবে না। ভক্তি শেখানোর জন্য তো অনেক গুরু রয়েছে। কোনো
মনুষ্য গুরুর পক্ষে সদগতি দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু বোঝানোর জন্যও বুদ্ধি চাই। খুব
বুদ্ধি খাটিয়ে বোঝাতে হয়। ড্রামার খেলা কত ওয়ান্ডারফুল। তোমাদের মধ্যেও খুব কমজনই
আছে যাদের মধ্যে সর্বদা এই নেশা থাকে। আচ্ছা! মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের
প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার
আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
বাস্তবে তোমাদের শাস্ত্রের বিষয় নিয়ে ঝগড়া ঝাটি করার কোনো দরকার নেই। মূল বিষয় হলো
স্মরণ করা এবং সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তকে বোঝা। চক্রবর্তী রাজা হতে হবে। কেবল এই
চক্রটাকে বুঝতে পারলেই হবে। এর জন্যই গায়ন রয়েছে - সেকেন্ডের মধ্যে মুক্তি
জীবনমুক্তি। তোমরা বাচ্চারা হয়তো এটা শুনে অবাক হচ্ছ যে অর্ধেক কল্প ধরে কেবল
ভক্তিই করা হয়েছে যেখানে ছিটেফোঁটাও জ্ঞান নেই। জ্ঞান তো কেবল বাবার কাছেই আছে।
বাবার কাছ থেকেই জানতে হবে। এই বাবা এতটাই অসাধারণ যে কোটির মধ্যে কয়েকজন চিনতে পারে।
দুনিয়ার কোনো টিচার তো এইরকম বলবে না। ইনি বলেন - আমিই তোমাদের পিতা, শিক্ষক এবং
সদগুরু। মানুষ তো শুনে আশ্চর্য হয়ে যাবে। অম্বাজীর নাম খুব বিখ্যাত হওয়ায় ভারতকে
মাতৃভূমি বলা হয়। অনেক জায়গায় অম্বাজীর মেলা বসে। অম্বা নামটা খুবই মিষ্টি। ছোট
বাচ্চারাও তাদের মাকে খুব ভালোবাসে। কারণ মা খাওয়ায় এবং লালন-পালন করে। অম্বার তো
নিশ্চয়ই পিতাও থাকবেন। ইনি তো দত্তক নেওয়া সন্তান। পতি-পত্নীর কোনো সম্পর্ক নেই।
এগুলো সব নতুন কথা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো নিশ্চয়ই দত্তক নেবেন। এইসব বিষয় এখন বাবা
এসে তোমাদের মতো বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। অম্বাজীর জন্য কত মেলা বসে, পূজা হয়। কারন
এই কন্যা অনেক সেবা করেছে। মাম্মা যতজনকে পড়িয়েছেন, আর কেউ অতজনকে পড়াতে পারবে না।
মাম্মার নাম খুবই প্রসিদ্ধ এবং অনেক জায়গাতেই মেলা বসে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে বাবা
এসেই এখন সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তিমের সকল রহস্য তোমাদের মতো বাচ্চাদেরকে বুঝিয়েছেন।
বাবার নিবাসস্থান সম্বন্ধেও তোমরা জেনেছ। বাবার সাথে প্রীতি থাকলে ঘরের সাথেও প্রীতি
থাকবে। এই সময়েই তোমরা এইসব জ্ঞান লাভ করো। এই পড়াশুনার দ্বারা তোমরা অনেক উপার্জন
করে নাও। তাই খুব খুশিতে থাকতে হবে। অথচ তোমরা খুব সাধারন ভাবে জীবন যাপন কারো।
দুনিয়ার মানুষ জানেই না যে বাবা এসে এই জ্ঞান শোনাচ্ছেন। বাবা এসেই সমস্ত নুতন নুতন
কথা বাচ্চাদেরকে শোনাচ্ছেন। এই অসীমের পাঠের দ্বারা-ই নুতন দুনিয়া স্থাপন হয় এবং
পুরাতন দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য এসে যায়। জ্ঞান থাকার কারণে তোমরা বাচ্চারা আন্তরিক
ভাবে খুব খুশি হও। বাবাকে এবং পরমধাম ঘরকে স্মরণ করতে হবে। ঘরে তো সবাইকেই ফিরতে হবে।
বাবা সবাইকেই বলছেন - বাচ্চারা, আমি তোমাদেরকে মুক্তি এবং জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার
দিতে এসেছি। কিন্তু তোমরা ভুলে যাও কেন ? আমি তোমাদের সীমাহীন পিতা। তোমাদেরকে
রাজযোগ শেখাতে এসেছি। তোমরা কি আমার শ্রীমৎ অনুসারে চলবে না ? যদি না চলো তাহলে খুব
লোকসান হয়ে যাবে। সেই ক্ষতির কোনো সীমা নেই। বাবার হাত ছেড়ে দিলেই উপার্জনের
পরিবর্তে লোকসান হয়ে যাবে। আচ্ছা শুভরাত্রি। ওম্ শান্তি।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কেবল বাবার স্মরণে থেকে মোস্ট লাভলী হতে হবে। চলাফেরা করতে করতে, কাজ করার সময়ে
স্মরণে থাকার অভ্যাস করতে হবে। বাবার স্মরণের দ্বারা সর্বদা খুশিতে ভরপুর থাকতে হবে।
২ ) যেকোনো কাজই প্রতি পদক্ষেপে ঈশ্বরীয় ডাইরেকশন অনুসারে করতে হবে। নিজের
দেহ-অভিমান দেখানো উচিত নয়। কোনো রকম উল্টো-পাল্টা কাজ যেন না হয়। কখনোই সংশয়
প্রকাশ করবে না।
বরদান:-
বিশ্ব কল্যাণের প্রতি দায়িত্ববান হয়ে সময় এবং শক্তি সমূহের সাশ্রয় করতে সক্ষম
মাস্টার রচয়িতা ভব
বিশ্বের সকল আত্মাই
তোমাদের মতো শ্রেষ্ঠ আত্মাদের পরিবার। পরিবার যত বড় হয়, ততই সাশ্রয় করার প্রয়োজন হয়।
তাই সকল আত্মাকে সম্মুখে রেখে নিজেকে সেই অসীমের সেবার নিমিত্ত বলে বুঝে নিজের সময়
এবং শক্তি গুলোকে কার্যে ব্যবহার করো। কেবল নিজের জন্যই উপার্জন করলে, খেয়ে নিলে আর
খরচ করলে - এইরকম ঢিলেঢালা হয়ো না। সকল খাজানার বাজেট বানাও। 'মাস্টার রচয়িতা ভব' -
এই বরদানকে স্মরণে রেখে সময় এবং শক্তিকে সেবার জন্য জমা করো।
স্লোগান:-
মহাদানী সে-ই, যার সংকল্প এবং বাণী দ্বারা সকলের বরদানের প্রাপ্তি হয়।
অব্যক্ত স্থিতির
অনুভব করার জন্য বিশেষ হোম ওয়ার্ক
ফরিস্তা বা অব্যক্ত জীবনের বিশেষত্ব হলো - ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা"। দেবতা জীবনে তো
ইচ্ছার কোনো ব্যাপারই নেই। যখন এই ব্রাহ্মণ জীবনটাই ফরিস্তা জীবন হয়ে যায় অর্থাৎ
কর্মাতীত স্থিতি প্রাপ্ত হয়ে যায়, তখন কোনো প্রকারের শুদ্ধ কর্ম, ব্যর্থ কর্ম,
বিকর্ম অথবা পুরাতন কর্ম, কোনো রকম কর্মের বন্ধনই বাঁধতে পারবে না।