23.01.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- নিরাকার পিতা তোমাদের নিজের মতামত দিয়ে ঈশ্বরে বিশ্বাসী করছেন, বিশ্বাসী হলে-ই তোমরা পিতার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারবে"

প্রশ্নঃ -
অসীম জগতের (বেহদের) রাজত্ব প্রাপ্ত করতে কোন দুটি কথায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত ?

উত্তরঃ -
১. পড়াশোনা এবং ২. সার্ভিস। সার্ভিস করার জন্য লক্ষণ খুব ভালো থাকা প্রয়োজন। এই পড়াশোনাটি খুব ওয়ান্ডারফুল এর দ্বারা তোমরা রাজত্ব প্রাপ্ত করতে পারো। দ্বাপর থেকে ধন দান করলে রাজত্ব প্রাপ্ত হয় কিন্তু এখন তোমরা পড়াশোনা করে প্রিন্স-প্রিন্সেস হও ।

গীতঃ-
আমাদের তীর্থ হল অনুপম ....

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি আত্মারূপী বাচ্চারা গানের একটি লাইন শুনলো। তোমাদের তীর্থ স্থান হল - ঘরে বসে চুপটি করে মুক্তিধামে পৌঁছানো। দুনিয়ার তীর্থ হল কমন সাধারণ, তোমাদের হল পৃথক, অনুপম। মানুষের বুদ্ধি যোগ তো সাধু-সন্ন্যাসী ইত্যদিদের দিকে থাকে। তোমরা বাচ্চারা, তোমাদের তো কেবলমাত্র বাবাকেই স্মরণ করার নির্দেশ প্রাপ্ত হয়। তিনি হলেন নিরাকার পিতা। এমন নয় যে নিরাকার কে যারা বিশ্বাস করে তারা নিরাকারী মতের হয়। দুনিয়ার মত-মতান্তর তো অনেক তাইনা। এই একমাত্র নিরাকারী মত নিরাকার পিতা দিয়ে থাকেন, যার দ্বারা মানুষ উঁচু থেকে উঁচু পদ মর্যাদা জীবনমুক্তি বা মুক্তি পেয়ে যায়। তারা এইসব কথা কিছুই জানেনা। শুধু এমনিই বলে দেয় নিরাকার মতে বিশ্বাসী। অনেক অনেক মত আছে। সত্যযুগে হয় একটি মত। কলিযুগে আছে অনেক মত। অনেক ধর্ম আছে, লক্ষ কোটি মত হবে। প্রতিটি ঘরে প্রত্যেকের নিজস্ব মত। এখানে বাচ্চারা তোমাদের একমাত্র বাবা উঁচু থেকে উঁচু মত প্রদান করেন, সর্বোচ্চ স্বরূপে পরিণত করতে। তোমাদের ছবি দেখে অনেকে বলে যে এইটি কি বানিয়েছ ? মুখ্য কথাটি কি ? বলো, এই হল রচয়িতা ও রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান, যে জ্ঞান দ্বারা আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাসী হই। বিশ্বাসী হলেই বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হয়ে উত্তরাধিকার হারিয়েছি। এখন বাচ্চারা তোমাদের পেশা হল এই - ঈশ্বরে অবিশ্বাসীকে বিশ্বাসী করা। এই পরিচয় টি তোমরা বাবার কাছে প্রাপ্ত করেছ। ত্রিমূর্তির চিত্র তো খুবই ক্লিয়ার। ব্রহ্মা দ্বারা ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই চাই তাইনা। ব্রাহ্মণদের দ্বারাই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। এই যজ্ঞটি বিশাল যজ্ঞ। সর্ব প্রথমে তো এই কথা বোঝাতে হয় যে উঁচু থেকে উঁচুতে হলেন বাবা। সকল আত্মারা হল ভাই-ভাই। সবাই এক পিতাকেই স্মরণ করে। তাঁকে বাবা বলে সম্বোধন করা হয়, স্বর্গের উত্তরাধিকারও রচয়িতা পিতার কাছে প্রাপ্ত হয়। রচনার কাছে প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব নয় তাই ঈশ্বর কে সবাই স্মরণ করে। এই বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা এবং তিনি আসেন ভারতে, এসে এই কার্য করেন। ত্রিমুর্তির চিত্রটি খুবই ভালো। ইনি বাবা, উনি দাদা (দাদু)। ব্রহ্মা দ্বারা বাবা সূর্যবংশী কুলের স্থাপনা করছেন। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। মুখ্য উদ্দেশ্য টি সম্পূর্ণ আছে তাই বাবা মেডেল তৈরি করেন। বলো, খুব কম শব্দে মাত্র দুটি শব্দে তোমাদের বোঝাই। বাবার কাছে সেকেন্ডে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হওয়া উচিত তাইনা। বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা। এই মেডেল গুলি খুব ভালো জিনিস। কিন্তু অনেক দেহ-অভিমানী বাচ্চারা বোঝে না। এঁনার মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে - এক সেকেন্ডের। বাবা এসে ভারত কেই স্বর্গে পরিণত করেন। নতুন দুনিয়া বাবা-ই স্থাপন করেন। এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগেরও গায়ন আছে। এই সম্পূর্ণ জ্ঞান বুদ্ধিতে থাকা উচিত। কারো যোগ আছে তো জ্ঞান নেই, ধারণা হয় না। সার্ভিসেবল বাচ্চাদের জ্ঞানের ধারণা ভালো রীতি হওয়া সম্ভব। বাবা এসে মানুষদের দেবতায় পরিণত করার সেবা করবেন এবং বাচ্চারা কোনও সেবা করবেনা তো কি কর্মে লাগবে ? তারা হৃদয়ে সিংহাসনে বসবে কীভাবে ? বাবা বলেন - ড্রামায় আমার পার্ট আছে রাবণ রাজ্য থেকে সবাইকে মুক্ত করা। রাম রাজ্য এবং রাবণ রাজ্য ভারতেই গাওয়া হয়। এবারে রাম কে ? সে কথাও জানেনা। গায়ন করে - পতিত-পাবন, ভক্তের ভগবান এক। অতএব কেউ ঢুকলেই প্রথমে বাবার পরিচয় দাও। মানুষ দেখে বোঝানো উচিত। অসীম জগতের (বেহদের) পিতা আসেন অসীম জগতের সুখের উত্তরাধিকার প্রদান করতে। তাঁর নিজস্ব দেহ তো নেই তাহলে স্বর্গের উত্তরাধিকার কীভাবে দেন ? তিনি নিজেই বলেন আমি এই ব্রহ্মা দেহের আধার নিয়ে পড়াই, রাজযোগ শিখিয়ে এই পদ মর্যাদা প্রদান করি। এই মেডেল দ্বারা সেকেন্ডের জ্ঞান বোঝানো যায়। কত ছোট আকার এই মেডেলটির কিন্তু যিনি বোঝাবেন তাকে দেহী - অভিমানী হওয়া উচিত। সেই সংখ্যা খুব কম। এই পরিশ্রম কারো দ্বারা হয় না তাই বাবা বলেন চার্ট রেখে দেখো - সারা দিন কতটুকু সময় স্মরণে থাকি ? সারা দিন অফিসে কাজ করতে করতে স্মরণে থাকতে হবে। কাজ তো করতেই হবে। এখানে যোগে বসিয়ে বলা হয় বাবাকে স্মরণ করো। সেই সময় তো কোনও কর্ম করো না। তোমাদের তো কর্ম করাকালীন স্মরণ করতে হবে। তা নাহলে বসার অভ্যেস হয়ে যায়। কর্ম করতে করতে স্মরণ করলে তবেই কর্মযোগী রূপে প্রমাণিত হবে। পার্ট তো অবশ্যই প্লে করতে হবে, এতেই মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। সৎ ভাবে কেউ চার্টও লেখে না। কেউ কেউ লেখে, আধা ঘন্টা, পৌনে ঘন্টা স্মরণ করেছি। তাও সকালে স্মরণে বসবে হয়তো। ভক্তি মার্গেও সকালে উঠে রাম নামের মালা জপ করতে বসে। এমন তো নয়, সেই সময় একটি চিন্তনে থাকে। না, অন্য অনেক সঙ্কল্প আসতে থাকে। তীব্র ভক্তদের বুদ্ধি কিছুটা ধীর স্থির হয়ে থাকে। এইটি তো হল অজপাজাপ। নতুন কথা তাইনা। গীতায় আছে "মন্মনাভব" শব্দটি। কিন্তু কৃষ্ণের নাম দেওয়াতে কৃষ্ণ কে স্মরণ করে, কিছু বুঝতে পারে না। সাথে মেডেল নিশ্চয়ই রাখবে। বলো, বাবা ব্রহ্মা দেহের আধার নিয়ে বোঝান, আমরা সেই বাবার সঙ্গে প্রীত করি। মানুষের না আত্মার জ্ঞান আছে, না পরমাত্মার। এক বাবা ব্যতীত এই জ্ঞান কেউ প্রদান করতে পারে না। এই ত্রিমুর্তি শিব হলেন মুখ্য। পিতা ও স্বর্গের উত্তরাধিকার। এই চক্রকে বুঝে নেওয়া খুবই সহজ। প্রদর্শনীতেও লক্ষ লক্ষ প্রজা তো তৈরি হয় তাইনা। রাজার সংখ্যা কম হয়, তাদের কোটি কোটি প্রজা থাকে। প্রজা অসংখ্য তৈরি হয়, যদিও রাজা হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হয়। যারা সবচেয়ে বেশি সার্ভিস করে তারা অবশ্যই উঁচু পদের অধিকারী হবে। অনেক বাচ্চাদের তো সার্ভিস করার শখ থাকে। অনেকে বলে চাকরি ছেড়ে চলে আসি, খাওয়ার জন্য তো আছেই। বাবার আপন হয়ে বাবার লালন পালনে থাকব। কিন্তু বাবা বলেন - আমি বাণপ্রস্থে প্রবেশ করেছি তাই না। মাতাদের বয়স এখনো কম তাই ঘরে থেকে দুই দিকের সার্ভিস করতে হবে। বাবা প্রত্যেকের পরিস্থিতি দেখে পরামর্শ দেন। বিবাহ ইত্যাদির জন্যও যদি আজ্ঞা না দেন তো হাঙ্গামা হয়ে যাবে তাই প্রত্যেকের হিসেব নিকেশ দেখে পরামর্শ দেন। কুমার হলে বলা যায় সার্ভিস করো। সার্ভিস করে অসীম জগতের (বেহদের) পিতার কাছে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। লৌকিক পিতার কাছে তোমরা কি পাবে ? ধুলো ছাই। সেসব তো মাটিতে মিশে যাবে। দিন-দিন সময় কমে যাচ্ছে। অনেকে ভাবে আমাদের সম্পত্তির অধিকারী হবে আমাদের সন্তান। কিন্তু বাবা বলেন কিছুই প্রাপ্ত হবে না। সম্পূর্ণ সম্পত্তি মাটিতে মিশে যাবে। তারা ভাবে যারা পরে আসবে তারা খাবে। ধনীর ধন শেষ হতে সময় লাগে না। মৃত্যু তো সামনেই দাঁড়িয়ে আছে। কেউ বর্সা প্রাপ্ত করতে পারবে না। খুব কম জন আছে যারা পুরোপুরি বোঝাতে পারে। বেশি সার্ভিস করলেই উঁচু পদের প্রাপ্তি হবে। অতএব তাদের সম্মান করা উচিত, তাদের কাছে শিখতে হয়। ২১ জন্মের জন্য সম্মান করতে হয়। অটোমেটিক তারা উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে, তো সম্মান তো যেখানে-সেখানে করতেই হয়। নিজেরাও বুঝতে পারে, যা প্রাপ্তি সবই ভালো, তাতেই খুশী।

অসীম জগতের রাজত্ব প্রাপ্তির জন্য পড়াশোনা ও সার্ভিস দুটিতেই পুরো মনোযোগ দেওয়া উচিত। এই হল অসীম জগতের (বেহদের) পড়াশোনা। এইরূপ রাজধানী স্থাপন হচ্ছে তাইনা। এই পড়া করে তোমরা প্রিন্স হও। কোনও মানুষ ধন দান করে রাজার কাছে বা ধনীর ঘরে জন্ম নেয়। কিন্তু সেসব তো হল অল্পকালের সুখ। অতএব এই পড়াশোনায় বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। সার্ভিস করার চিন্তাও থাকা উচিত। আমরা নিজের গ্রামে গিয়ে সার্ভিস করি। অনেকের কল্যাণ হয়ে যাবে। বাবা জানেন - সার্ভিস করার শখ এখন কারো মধ্যে নেই। লক্ষণ তো ভালো থাকা চাই। এমন নয় যে ডিস সার্ভিস করে যজ্ঞের নাম বদনাম করে নিজেরও ক্ষতি করবে। বাবা তো প্রত্যেকটি কথার জন্য ভালো ভাবে বোঝান। মেডেল ইত্যাদির জন্য কত চিন্তা থাকে। তখন বোঝা যায় - ড্রামা অনুসারে দেরি হয়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের ট্রান্স লাইট চিত্রটিও ফার্স্টক্লাস। কিন্তু বাচ্চাদের উপরে আজ বৃহস্পতির দশা তো কাল রাহুর দশা থাকে। ড্রামায় সাক্ষী হয়ে পার্ট দেখতে হয়। উঁচু পদের অধিকারী হওয়ার যোগ্যতা খুব কম জনের থাকে। এই গ্রহণ মিটে যেতে পারে, তবে জাম্প করা সম্ভব। পুরুষার্থ করে নিজের জীবন তৈরি করা উচিত, নাহলে কল্প-কল্পান্তরের জন্য সর্বনাশ হয়ে যাবে। বুঝবে কল্প পূর্বের মতন গ্রহণ লেগেছে। শ্রীমৎ অনুসারে না চললে পদও প্রাপ্ত হবে না। উঁচু থেকে উঁচু হল ভগবানের শ্রীমৎ। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র তোমরা ছাড়া কেউ বুঝবে না। বলবে চিত্র তো খুব ভালো বানিয়েছ, এই চিত্র দেখলেই তোমাদের মূলবতন, সূক্ষ্মবতন, স্থূলবতন সম্পূর্ণ সৃষ্টির চক্র বুদ্ধিতে এসে যাবে। তোমরা নলেজ ফুল হও - ক্রম অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। এইসব চিত্র দেখে বাবা খুব খুশী হন। স্টুডেন্টদের তো খুশী হওয়া উচিত তাইনা - আমরা পড়াশোনা করে এইরূপ হই। পড়াশোনার দ্বারা ই উঁচু পদের প্রাপ্তি হয়। এমন নয় যে ভাগ্যে আছে। পুরুষার্থ দ্বারা-ই প্রালব্ধ প্রাপ্ত হয়। পুরুষার্থ করান এমন পিতা কে পেয়েছি, তাঁর শ্রীমৎ অনুসারে না চললে দুর্গতি হবে। সর্ব প্রথমে এই মেডেল নিয়ে বোঝাও তারপরে যারা যোগ্য হবে তারা বলবে - আমরা এই মেডেল পেতে পারি ? হ্যাঁ, কেন নয় । যে এই ধর্মের হবে জ্ঞানের তীর লাগবে। তার কল্যাণ হওয়া সম্ভব। বাবা তো সেকেন্ডে হাতের মুঠোয় স্বর্গ প্রদান করেন, এতে খুশী হওয়া উচিত। তোমরা শিবের ভক্তদের এই জ্ঞান দাও। বলো, শিববাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো তো রাজার রাজা হয়ে যাবে। সারা দিন এই সার্ভিস করো। বিশেষ করে বেনারসে শিবের অনেক মন্দির আছে, সেখানে ভালো সার্ভিস হতে পারে। কাউকে তো পাবে। খুব সরল সার্ভিস। কেউ করে দেখো, খাবার তো পাবেই, সার্ভিস করে দেখো। সেন্টার তো সেখানে আছেই। সকালে যাও মন্দিরে, রাতে ফিরে এসো। সেন্টার বানিয়ে দাও। সবচেয়ে বেশি সার্ভিস তোমরা শিবের মন্দিরে করতে পারো। উঁচু থেকে উঁচু হল শিবের মন্দির। মুম্বাইতে বাবুলনাথের মন্দির আছে। সারা দিন সেখানে গিয়ে সার্ভিস করে অনেকের কল্যাণ করতে পারো। এই মেডেল টি যথেষ্ট। ট্রায়াল করে দেখো। বাবা বলেন এই মেডেল টি লক্ষ কেন দশ লক্ষ টি বানাও। বয়ঃজৈষ্ঠ্য জন ভালো সার্ভিস করতে পারেন। অসংখ্য প্রজা তৈরি হবে। বাবা শুধু বলেন আমাকে স্মরণ করো, মন্মনাভব শব্দটি ভুলে গেছো। ভগবানুবাচ আছে না। কৃষ্ণ ভগবান নন, তিনি তো ৮৪ জন্ম নেন। শিববাবা এই কৃষ্ণ কেও এই পদ প্রাপ্ত করান। তাহলে ধাক্কা খাওয়ার কি দরকার। বাবা তো বলেন শুধু আমাকে স্মরণ করো। তোমরা সবচেয়ে ভালো সার্ভিস শিবের মন্দিরে করতে পারবে। সার্ভিসের সফলতার জন্য দেহী-অভিমানী অবস্থায় স্থিত হয়ে সার্ভিস করো। মন পরিষ্কার তো মনোবাঞ্ছা পূরণ। বেনারসের জন্য বাবা বিশেষ পরামর্শ দেন সেখানে বাণপ্রস্থ বাসীদের আশ্রম আছে। বলো আমরা ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণ। বাবা ব্রহ্মা দ্বারা বলেন আমাকে স্মরণ করো তো বিকর্ম বিনাশ হবে, অন্য কোনও উপায় নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিবের মন্দিরে বসে সার্ভিস করো। ট্রাই করে অর্থাৎ চেষ্টা করে দেখো । শিববাবা নিজে বলেন - আমার অনেক মন্দির আছে। তোমাদের কেউ কিছু বলবেনা, বরং আরও খুশী হবে - ইনি তো শিববাবার মহিমা বর্ণনা করেন। বলো এই ব্রহ্মা, ইনি হলেন ব্রাহ্মণ, কোনও দেবতা নন। ইনিও শিববাবাকে স্মরণ করে এই পদ প্রাপ্ত করেন। এনার দ্বারা শিববাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো। কত সহজ। বৃদ্ধ জনের কেউ অপমান করবে না। বেনারসে এখনও ততখানি সার্ভিস হয় নি। মেডেল বা চিত্র দ্বারা বোঝানো খুব সহজ। কেউ যদি গরিব থাকে তাহলে বলো তোমার জন্য ফ্রী, কেউ ধনী থাকলে বলো তোমরা আরও দিলে অনেকের কল্যাণ অর্থে আমরা আরো প্রিন্ট করব তাতে তোমাদেরও কল্যাণ হয়ে যাবে। তোমাদের এই পেশা আরো তীব্র হয়ে যাবে। কেউ চেষ্টা করে দেখো। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) জ্ঞানকে জীবনে ধারণ করে তারপরে সার্ভিস করতে হবে। যে বেশি সার্ভিস করে, সুলক্ষণ যুক্ত হয় তাদের সম্মান অবশ্যই করতে হবে।

২ ) কর্ম করাকালীন স্মরণে থাকার অভ্যেস করতে হবে। সার্ভিসের সফলতার জন্য নিজের অবস্থা দেহী-অভিমানী বানাতে হবে। মন পরিষ্কার রাখতে হবে।

বরদান:-
সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা সেকেন্ডে মুক্তি ও জীবনমুক্তি স্থিতির অনুভব করাতে সক্ষম বিশেষ আত্মা ভব

ব্যাখা: বিশেষ আত্মাদের লাস্ট বিশেষত্ব হল - যে সেকেন্ডে যেকোনও আত্মাকে মুক্তি ও জীবনমুক্তির অনুভবী করে দেবে। শুধু পথ বলে দেবে না কিন্তু এক সেকেন্ডের শান্তির বা অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব করাবে। জীবনমুক্তির অনুভব হল সুখ ও মুক্তির অনুভব হল শান্তি। অতএব যে কেউ সামনে আসুক সে যেন এক সেকেন্ড এই অনুভব করে - যখন এমন স্পীড হবে তখন সায়েন্সের উপরে সাইলেন্সের বিজয় দৃশ্যমান হবে, সকলের মুখে বাঃ বাঃ ধ্বনি শোনা যাবে এবং প্রত্যক্ষতার দৃশ্য সামনে আসবে।
 

স্লোগান:-
বাবার প্রতিটি আদেশে নিজেকে সমর্পিত করতে সক্ষম প্রকৃত সত্য বহ্নি পতঙ্গ ভব


অব্যক্ত স্থিতির অনুভব করার জন্য বিশেষ হোম ওয়ার্ক
চেক করো - যে কোনও সঙ্কল্প যখন মনে উদয় হয় সেসব কি নিজের জন্য বা সর্ব জনের কল্যাণ অর্থে ? সেকেন্ডে কতগুলি সঙ্কল্প রচনা হয় - তাতে কতগুলি সফল হয়েছে এবং কতগুলি অসফল হয়েছে ? সঙ্কল্প ও কর্ম যেন আলাদা না হয়। সঙ্কল্প হল জীবনের অমূল্য খাজানা। যেমন স্থূল খাজানা ব্যর্থ নষ্ট কোরো না, তেমনই একটি সঙ্কল্পও যেন ব্যর্থ না যায়।