04.01.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা ‐‐
স্মরণের চার্ট রাখো, যত স্মরণে থাকার অভ্যাস গড়ে উঠবে ততই পাপ বিনষ্ট হবে, কর্মাতীত
অবস্থা সমীপে ( নিকটে, কাছে) আসতে থাকবে"
প্রশ্নঃ -
চার্ট ঠিক আছে
কি নেই, এটা কোন্ চারটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
উত্তরঃ -
১) ব্যক্তিত্ব,
২) চলন, ৩) সার্ভিস, ৪) খুশি । বাপদাদা এই চারটি বিষয় দেখে বলেন এই চার্ট ঠিক আছে
কি নেই ? যে বাচ্চারা মিউজিয়াম বা প্রদর্শনীতে সার্ভিস করে থাকে, যাদের চালচলনে
সত্যতা আছে, অপার খুশিতে থাকে, তাদের চার্ট অবশ্যই ঠিক হবে ।
গীতঃ-
চেহারা দেখ রে
প্রাণী মনের দর্পণে ......
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা গান
শুনেছে , এর অর্থও জানা উচিত যে কতখানি পাপ আরও রয়ে গেছে, কতটা পুণ্য সঞ্চিত হয়েছে
অর্থাত্ আত্মাকে সতোপ্রধান হতে আরও কত সময় লাগবে ? এখন কতটা পবিত্র হয়েছে — এটা তো
বুঝতে পার তাইনা ? চার্টে কেউ লেখে আমি দুই-তিন ঘন্টা স্মরণে থাকি, কেউ লেখে এক
ঘন্টা । স্মরণের জন্য এই সময় কম । কম স্মরণ করলে অল্প পাপ কাটবে । এখনও তো অনেক পাপ
আছে যা কাটেনি । আত্মাকেই প্রাণী বলা হয় । এখন বাবা বলেন — হে আত্মা, নিজেকে
জিজ্ঞাসা করো হিসেবের পাপ কতটুকু কেটেছে ? চার্টেই জানা যায় — আমি কতটা পুণ্য আত্মা
হতে পেরেছি । বাবা বুঝিয়েছেন, কর্মাতীত অবস্থা অন্তিমে গিয়ে হবে । স্মরণ করতে করতে
অভ্যাস গড়ে উঠবে আর পাপ দ্রুত বিনাশ হতে থাকবে । নিজেকে যাচাই করে দেখতে হবে আমি
বাবার স্মরণে কতখানি থাকি ? এখানে বাড়িয়ে বলার কোনো প্রশ্ন নেই । নিজেকেই যাচাই করতে
হবে । বাবাকে চার্ট লিখে দিলে বাবা চট করে বলে দেবেন এই চার্ট ঠিক আছে কি নেই ।
ব্যক্তিত্ব, আচার আচরণ, সার্ভিস আর খুশি দেখে বাবা চট করে বুঝে যান এর চার্ট কেমন ।
প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণ কাদের থাকবে ? যারা মিউজিয়াম বা প্রদর্শনীর সার্ভিসে থাকবে,
কারণ মিউজিয়ামে সারাদিন মানুষের আসা যাওয়া থাকে । দিল্লিতে প্রচুর মানুষ আসে ।
প্রতিটি মুহূর্তে বাবার পরিচয় দিতে হয়। মনে করো কাউকে তুমি বলছ বিনাশের জন্য অল্প
সময় বাকি আছে । ওরা বলবে এটা কি করে হতে পারে ? চট করে বলা উচিত, এ কথা আমার নয়,
ভগবানুবাচ, তাইনা । ভগবানুবাচ তো অবশ্যই সত্য হবে, তাই না ! সেইজন্যই বাবা প্রতিটি
মুহূর্তে বলেন যে এটা শিববাবার শ্রীমত । আমি বলছি না, শ্রীমত ওঁনার । তিনিই হলেন
সত্য । প্রথমে অবশ্যই বাবার পরিচয় দেওয়া উচিত সেইজন্য বাবা বলেছেন প্রতিটি চিত্রে
লিখে দাও — শিব ভগবানুবাচ । তিনি তো সত্যই বলবেন, আমরা তো কিছুই জানিনা । বাবা
বলেছেন তাই আমরা বলছি । কখনও কখনও সংবাদপত্রেও প্রচারিত হয় — অমুকে ভবিষ্যদ্বাণী
করেছে যে বিনাশ খুব শীঘ্রই হবে ।
এখন তোমরা অসীম জগতের পিতার সন্তান । প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমারীরা তো অসীম জগতের,
তাইনা । তোমরা বলবে আমরা অসীম জগতের পিতার সন্তান । উনিই পতিত-পাবন জ্ঞানের সাগর ।
প্রথমে এই বিষয়ই দৃঢ়তার সাথে বুঝিয়ে তারপর এগোনো উচিত । শিববাবা বলেছেন যাদব,
কৌরবদের বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি হয় । শিববাবার নাম নিলে বাচ্চাদেরও কল্যাণ হবে,
শিববাবাকেই স্মরণ করতে থাকবে । বাবা তোমাদের যা বুঝিয়েছেন, তোমরা সেটা অন্যদের
বোঝাও । সার্ভিস প্রদানকারীদের চার্ট এতে খুব ভালো থাকে । সারাদিনে ৮ ঘন্টা সার্ভিসে
ব্যস্ত থাকে । মাঝে ১ ঘন্টা বিশ্রাম নেয় । তারপর আবার ৭ ঘন্টা সার্ভিসে থাকে । সুতরাং
বোঝানো উচিত তাদের বিকর্ম কত বিনাশ হয়ে যাচ্ছে । প্রতিটি মুহূর্তে যারা অনেককে
বাবার পরিচয় দিয়ে চলেছে এমন সেবাধারী বাচ্চারা বাবারও খুব প্রিয় হয়ে উঠবে । বাবা
দেখেন এ তো অনেকের কল্যাণ করছে, রাত-দিন এটাই ভাবনা চলে — আমাকে অনেকের কল্যাণ করতে
হবে । বাচ্চাদের এমনটাই থাকা উচিত । টিচার হয়ে অনেককে পথ দেখাতে হবে । প্রথমে এই
নলেজ সম্পূর্ণরূপে ধারণ করতে হবে । কারো কল্যাণ না করলে বোঝা যায় যে এর ভাগ্যে নেই।
বাচ্চারা বলে — বাবা, আমাদের চাকরি করা থেকে মুক্তি দাও, আমরা এই সেবায় নিযুক্ত হতে
চাই। বাবাও দেখেন প্রকৃতপক্ষেই এই আত্মা সার্ভিসের উপযুক্ত এবং বন্ধনমুক্ত, তখনই
বলেন ৫০০—১০০ টাকা উপার্জনের পরিবর্তে এই সেবা দ্বারা অনেকের কল্যাণ কর । যদি
বন্ধনমুক্ত হও তবেই। বাবা সার্ভিসেবল দেখলে তবেই অনুমতি দেবেন । সার্ভিসেবল
বাচ্চাদের এখানে ওখানে ডেকে পাঠানো হয় । স্কুলে স্টুডেন্টস পড়াশোনা করে না ! এটাও
হল ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন কোনও সাধারণ বিষয় নয় । সত্য অর্থাত্ সত্য বলেন যিনি। আমি
শ্রীমত অনুসারে তোমাদের বোঝাই । ঈশ্বরের মত তোমরা এখনই পেয়ে থাকো ।
বাবা বলেন, তোমাদের ফিরে যেতে হবে । এখন অসীম সুখের উত্তরাধিকার গ্রহণ করো,
কল্পে-কল্পে তোমরা উত্তরাধিকার পেয়ে আসছো, কেননা স্বর্গের স্থাপনা তো কল্পে-কল্পে
হয়, তাইনা। কেউ জানেনা এই সৃষ্টি চক্র ৫ হাজার বছরের । মানুষ তো রয়েছে ঘোর অন্ধকারে,
তোমরা এখন আলোর রোশনাইতে । স্বর্গ স্থাপনা তো বাবাই করবেন । গায়ন আছে খড়ে আগুন
জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তথাপি মানুষ অজ্ঞানতার ঘুমে ঘুমিয়ে থাকে । বাচ্চারা তোমরা জানো
অসীম জগতের পিতা জ্ঞানের সাগর । উচ্চ থেকে উচ্চতর বাবার কর্তব্যও উচ্চ । এমন নয়,
ঈশ্বর সমর্থ, তাই যা চান তা-ই করতে পারেন । তা নয়, এই ড্রামা অনাদি । সবকিছুই
ড্রামানুসারে চলে । লড়াই ইত্যাদিতে কত মানুষ মারা যায় । এটাও ড্রামায় নির্ধারিত, এতে
ভগবান কি করতে পারেন । ভূমিকম্পের সময় মাথা ঠোকে আর বলে — হে ভগবান, কিন্তু ভগবান
কি করতে পারেন । ভগবানকে তো তোমরাই আহ্বান করে বলেছ — এসে বিনাশ কর । পতিত দুনিয়াতে
ডেকেছ, স্থাপনা করে সবকিছু বিনাশ কর । আমি কিছুই করিনা, ড্রামায় এটাই নির্ধারিত ।
কোনো কারণ ছাড়াই রক্তপাত ঘটবে । এখানে বাঁচানোর কোনও প্রশ্নই নেই । তোমরা বলেছ —
পবিত্র দুনিয়া বানাও, নিশ্চয়ই পতিত আত্মারাই যাবে, তাইনা । কেউ তো আছে কিছুই বোঝেনা
। শ্রীমতের অর্থও বোঝেনা ,ভগবান কে, কাকে বলে কিছুই বোঝেনা । কিছু বাচ্চা আছে যারা
পড়াশোনা করে না তাদের বাবা মা বলে থাকে তুমি তো পাথর বুদ্ধি হয়ে গেছ, সত্য যুগে
এমনটা বলা হয় না । কলিযুগ হলো পাথর বুদ্ধি ( জড় বুদ্ধি সম )। পারস বুদ্ধির এখানে
কেউ হতে পারে না । আজকাল দেখো মানুষ কত কি করছে, একটা হার্ট বের করে অন্যটা
প্রতিস্থাপন করছে । আচ্ছা, এত পরিশ্রম কিন্তু কি লাভ এতে ? এমনটা করে আরও কিছুদিন
জীবিত থাকবে । সাফল্যের জন্য অনেক কিছু শিখে আসে, ,লাভ তো কিছুই নেই । ভগবানকে
স্মরণ এইজন্যই করে যে, এসে আমাদের পবিত্র দুনিয়ার মালিক করে তোলো । পতিত দুনিয়াতে
অনেক দুঃখ ভোগ করছি। সত্যযুগে কোনও অসুখ, দুঃখের লেশমাত্র নেই । এখন বাবার কাছ থেকে
তোমরা কত উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে চলেছ । এখানেও মানুষ পড়াশোনা করে উচ্চ ডিগ্রি
প্রাপ্ত করে বড় খুশিতে থাকে । বাচ্চারা, তোমরা জানো এই আত্মা আরও অল্প কিছুদিন বেঁচে
থাকবে, পাপের বোঝা তো অনেক সঞ্চিত হয়ে আছে । অনেক সাজা পেতে হবে । নিজেকে পতিত তো
বলে, অথচ বিকারে যাওয়া পাপ বলে মনে করেনা । পাপ আত্মা হয়ে যায় । বলা হয় গৃহস্থ
আশ্রম, সুতরাং অনাদি চলে আসছে । সত্যযুগে —ত্রেতাতে পবিত্র গৃহস্থ আশ্রম ছিল । পাপ
আত্মা ছিলনা। এখানে পাপ আত্মা, সেইজন্যই তারা দুঃখী । এখানে অল্পকালের সুখ । অসুখ
হলেই মারা যায় । মৃত্যু যেন মুখ খুলে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাত্ করেই হার্ট ফেল হয়ে যায় ।
এখানে কাকবিষ্ঠা সম সুখ । ওখানে তোমাদের অতীব সুখ । তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক
হয়ে ওঠো । কোনওরকম দুঃখ ভোগ করতে হবে না। না গরম, না ঠান্ডা, সবসময়ই রঙিন, বসন্ত
বিরাজ করবে । তত্ত্বও নিয়মানুযায়ী থাকে । স্বর্গ তো স্বর্গই । দিন রাতের পার্থক্য ।
তোমরা স্বর্গের স্থাপনা করার জন্যই বাবাকে আহ্বান করে থাকো, বলো তুমি এসে পবিত্র
দুনিয়া স্থাপন করো, আমাদের পবিত্র করে তোলো । প্রতিটি চিত্রে শিব ভগবানুবাচ লেখো,
এর দ্বারা প্রতিটি মুহূর্তে শিববাবা স্মরণে আসবে ।
জ্ঞানও দিতে থাকবে । মিউজিয়াম বা প্রদর্শনীর সার্ভিসে জ্ঞান আর যোগ দুটোই একত্রে হয়
। স্মরণে থাকলে নেশাও বৃদ্ধি পাবে (ঈশ্বরীয় নেশা ) । তোমরা পবিত্র হয়ে সম্পূর্ণ
বিশ্বকে পবিত্র করে তোলো । তোমরা যখন পবিত্র হও সৃষ্টিও নিশ্চয়ই পবিত্র হওয়া উচিত ।
অন্তিমে বিনাশের কারণে সবার হিসেব-নিকেশ মিটে যাবে । তোমাদের জন্যই আমাকে নতুন
সৃষ্টির উদ্ঘাটন করতে হয় । তারপর শাখা খুলতেই থাকে (সেন্টার)। পবিত্র করার জন্য
সত্যযুগের নতুন দুনিয়ার ফাউন্ডেশন বাবা ছাড়া আর কেউ করতেই পারবেনা । সুতরাং এমন
বাবাকে স্মরণ করা উচিত । তোমরা মিউজিয়াম ইত্যাদির উদ্ঘাটন কোনও বিখ্যাত মানুষ দিয়ে
করালে সাড়া পাওয়া যাবে। মানুষ বুঝবে এরাও এখানে আসেন । কেউ বলে তুমি লিখে দাও আমি
বক্তব্য রাখব । এটা করা ভুল । ভালোভাবে বুঝে মুখেই বোঝাতে হবে । কেউ তো লেখা পড়ে
হুবহু শোনায় । বাচ্চারা, তোমাদের তো মুখেই বোঝাতে হবে । তোমাদের আত্মায় সমস্ত নলেজ
আছে তাইনা । তোমরা অন্যদেরও দিয়ে থাক । প্রজা বৃদ্ধি পেতেই থাকে । জনসংখ্যাও বৃদ্ধি
পেতে থাকে না! সমস্ত ঝাড় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে । যারা নিজ ধর্মের হবে তারা বেড়িয়ে আসবে
। নম্বরানুসার তো আছে না ! সবাই একরস স্থিতিতে পড়াশোনা করতে পারে না । কেউ ১০০ তে
এক নম্বরও পেতে পারে । অল্প শুনেছে, এক নম্বর পেলেও স্বর্গে চলে যাবে । এ হলো অনন্ত
জগতের পড়াশোনা, যা অসীমের পিতা এসে পড়ান । সর্বপ্রথম সবাইকে মুক্তিধামে নিজের ঘরে
যেতে হবে তারপর নম্বরানুসারে আসবে । কেউ কেউ তো ত্রেতার শেষেও আসবে । এটাই বোঝার
বিষয় । বাবা জানেন রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, সবাই একরস হবেনা। রাজত্বে সবরকম ভ্যারাইটি
প্রয়োজন । প্রজাদের বহিরাগত বলা হয় । বাবা বুঝিয়েছেন ওখানে উজীর ইত্যাদির প্রয়োজন
নেই । ওরা শ্রীমত অনুসারে চলে প্রজা হয়েছে । কারও পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না ।
তারপর যখন পতিত হয় তখন একজন উজীর, এক রাজা-রাণী হয় । এখন তো কত উজীর । পঞ্চায়েত
রাজ্য না ! একজনের মতের সাথে অন্যজনের মত মেলেনা । যখন কারো সাথে বন্ধুত্ব হয় তাকে
কিছু বল সে কাজটা করে দেবে । দ্বিতীয় কেউ এলো সে কিছুই বুঝল না , না বোঝার কারণে
কাজটাই বিগড়ে যায় । একের বুদ্ধি অন্যের সাথে মেলে না । ওখানে তোমাদের সর্বকামনা
পূর্ণ হয়ে যায় । এখানে তোমরা কত দুঃখ ভোগ করেছ এর নামই হলো দুঃখধাম । ভক্তি মার্গে
কত ধাক্কা খায়, এটাও ড্রামা। যখন সবাই দুঃখী হয়ে পড়ে তখনই বাবা এসে সুখের
উত্তরাধিকারী করে তোলেন । বাবা তোমাদের বুদ্ধিকে খুলে দিয়েছেন । মানুষ তো বলে
বিত্তবানদের জন্য স্বর্গ, গরিবদের জন্য নরক । তোমরা প্রকৃত অর্থে জানো — স্বর্গ কাকে
বলে । সত্যযুগে কেউ করুণারসাগর বলে আহ্বান করবে না । এখানে ডেকে বলে — দয়া করো,
মুক্ত করো । বাবা-ই সবাইকে শান্তিধাম, সুখধামে নিয়ে যান । অজ্ঞানকালে তোমরাও কিছু
জানতে না। যিনি নম্বর ওয়ান তমোপ্রধান তিনিই নম্বর ওয়ান সতোপ্রধান হন। তিনি নিজের
মহিমা করেন না । মহিমা তো একজনেরই লক্ষ্মী-নারায়ণকে বানান যিনি । তিনি উচ্চ থেকে
উচ্চতর ভগবান। তিনিই উচ্চ করে তোলেন । বাবা জানেন, সবাই উচ্চ হবে না । তারপরও
পুরুষার্থ করতে হয় ( উচ্চ হওয়ার জন্য)। তোমরা এখানে আস নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য ।
বাচ্চারা বলে — বাবা, আমরা তো স্বর্গের বাদশাহী নেব । আমরা সত্যনারায়ণের সত্য কথা
শুনতে এখানে এসেছি। বাবা বলেন আচ্ছা, তোমাদের মুখে গোলাপ, পুরুষার্থ কর। সবাই তো
লক্ষ্মী-নারায়ণ হবেনা । রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । রাজ পরিবারের পাশাপাশি প্রজা
পরিবারেরও অনেক প্রয়োজন । বাচ্চারা আশ্চর্য হয়ে শোনে ,অন্যদেরও বলে তারপর ছেড়ে চলে
যায় ....তারপর ফিরেও আসে । যে বাচ্চা নিজের কিছু না কিছু উন্নতি করে সে উপরে উঠতে
থাকে । গরিবই নিজেকে সমর্পণ করে । দেহ সহ আর কেউ যেন স্মরণে না আসে । লক্ষ্য অনেক
উচ্চ । যদি কারো সাথে সম্বন্ধ জুড়ে থাকে তাকেই স্মরণ করবে । বাবাকে স্মরণ কি করে হবে
? সারাদিন অসীম জগতের প্রতি বুদ্ধিকে জুড়ে রাখতে হবে । কত পুরুষার্থ করতে হয় । বাবা
বলেন আমার বাচ্চাদের মধ্যেও উত্তম,মধ্যম এবং কনিষ্ঠ আছে ( পুরুষার্থ অনুযায়ী)। অন্য
কেউ আসলেও জানেন যে এ পতিত দুনিয়ার । তারপর যজ্ঞে সার্ভিস করলে তাকেও রিগার্ড দিতে
হয় । বাবা তো যুক্তিবাদী না ! অন্যথায় নীরবতার মিনার, সর্বাধিক পবিত্র মিনার, যেখানে
হোলিয়েস্ট অফ হোলি বাবা বসে সম্পূর্ণ বিশ্বকে পবিত্র করে তোলেন । এখানে কোনও পতিত
আসতে পারে না । কিন্তু বাবা বলেন আমি এসেছি সব পতিতদের পবিত্র করে তুলতে । এই খেলায়
আমারও ভূমিকা আছে । আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ স্মরণ আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের চার্ট দেখে বিচার করতে হবে যে কতটা পুণ্য সঞ্চয় করেছি ? আত্মা কতটা সতোপ্রধান
হয়েছে ? স্মরণে থেকে সব হিসেব-নিকেশ মেটাতে হবে ।
২ ) স্কলারশিপ নেওয়ার জন্য সার্ভিসেবল হয়ে অনেকের কল্যাণ করতে হবে । বাবার প্রিয় হতে
হবে । টিচার হয়ে অনেককে রাস্তা বলে দিতে হবে ।
বরদান:-
মধুরতার বরদান দ্বারা সর্বদা অগ্রসর হতে সমর্থ শ্রেষ্ঠ আত্মা ভব
মধুরতা এমনই এক বিশেষ
গুণ, যা কোনো তিক্ত ধরণীকেও মিষ্টি করে তোলে। কাউকে যদি কয়েক মিনিটের জন্য মিষ্টি
দৃষ্টি দাও, মিষ্টি ভাবে কথা বলো এতে কোনো কোনো আত্মাকে ভরপুরতার অনুভব করাতে পারবে।
কয়েক মুহূর্তের মিষ্টি দৃষ্টি আর বাক্যালাপ ঐ আত্মার সৃষ্টি পরিবর্তন করে দেবে।
তোমাদের দুটো মধুর কথা সবসময়ের জন্য তাদের পরিবর্তন করার নিমিত্ত হয়ে যাবে ।
সেইজন্য মধুরতার বরদান সবসময় সাথে রাখবে । সবসময় মিষ্টি থাকা আর সবাইকে মিষ্টি করে
তোলা ।
স্লোগান:-
প্রতিটি পরিস্থিতিকে খুশি মনে গ্রহণ করে নিলে সকল রহস্য বোধগম্য করতে পারবে ।
অব্যক্ত স্থিতির
অনুভব করার জন্য বিশেষ হোমওয়ার্ক
তোমরা হলে আত্মিক (রূহানী) রয়্যাল আত্মা, সেইজন্য কখনও যেন ব্যর্থ বা সাধারণ কথা
মুখ থেকে না বেরোয় । প্রতিটি বাক্য যেন যুক্তিযুক্ত হয় । ব্যর্থ ভাবের থেকে ভিন্ন (আলাদা)
হতে সমর্থরাই অব্যক্ত স্থিতি অনুভব করতে সক্ষম হবে ।