29-03-2020 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
16-12-85 মধুবন
*রাইট হ্যান্ড কীভাবে হওয়া যায়*
আজ বাপদাদা তাঁর অনেক বাহু দেখছেন l ১) বাহু সকল সদা প্রত্যক্ষ কর্ম করার আধার l
প্রত্যেক আত্মা আপন বাহু দ্বারাই কর্ম করে l ২) বাহুকে সহযোগের লক্ষণও বলা হয়ে থাকে
l সহযোগী আত্মাকে রাইট হ্যান্ড বলা হয় l ৩) বাহুসকলকে শক্তি রূপেও দেখানো হয়ে থাকে,
এইজন্যই লোকে বাহুবলের কথা বলে l বাহুগণের আরও বিশেষত্ব আছে l ৪) বাহু অর্থাৎ হাত
স্নেহের লক্ষণ, সেইজন্য মানুষ যখন সস্নেহে একে অন্যের সঙ্গে মিলিত হয় তারা নিজেদের
মধ্যে করমর্দন করে l বাহুগণের প্রথম বিশেষ স্বরূপ তোমাদের বলা হয়েছিল -অর্থাৎ তারা
তোমাদের সঙ্কল্প কর্মে প্রত্যক্ষ করায় l তোমরা সবাই বাবার ভুজ l তাহলে, এই চার
বিশেষত্ব নিজেদের মধ্যে দেখতে পাও তোমরা ? নিজেরা নিজেদের জানতে পার যে তুমি কোন
ধরনের ভুজ ? ভুজ তো তোমরা সকলেই, কিন্তু রাইট নাকি লেফ্ট সেটা এই বিশেষত্ব দ্বারা
চেক কর l
প্রথম বিষয়, বাবার প্রত্যেক সঙ্কল্প, বোল, কর্মে অর্থাৎ তোমাদের প্রত্যক্ষ জীবনে
কতটা যুক্ত করেছ ? কর্ম এমনই ব্যাপার যা সবাই খুব সহজে দেখতে পারে l কর্ম সবাই দেখতে
পায় এবং সহজে জানতেও পারে অথবা কর্ম দ্বারা অনুভব করতে পারে, সেইজন্য সব লোকেও এটাই
বলে, 'মুখে তো সবাই বলে কিন্তু করে দেখাও l' প্রত্যক্ষ কর্মে দেখলে তবেই মানবে যে
এরা যা বলে তা' সত্য l সুতরাং কর্মই, সঙ্কল্পের সাথে বোলকেও প্রত্যক্ষ উদাহরণ
স্বরূপ স্পষ্ট করে l এইরকম রাইট হ্যান্ড বা রাইট বাহু প্রতিটা কর্ম দ্বারা বাবাকে
প্রত্যক্ষ করছে ? রাইট হ্যান্ডের বিশেষত্ব - তার দ্বারা সদা শুভ এবং শ্রেষ্ঠ কর্ম
হয় l রাইট হ্যান্ডের কর্মগতি লেফ্ট হ্যান্ড থেকে তীব্র হয় l সুতরাং এইভাবে চেক কর,
সদা শুভ এবং শ্রেষ্ঠ কর্ম তোমরা তীব্রগতিতে করছ কিনা ! তোমরা কি শ্রেষ্ঠ কর্মধারী
রাইট হ্যান্ড ? যদি তোমাদের এই বিশেষত্ব না থাকে তাহলে আপনা থেকেই তোমরা লেফ্ট
হ্যান্ড হয়ে গেছ, কারণ সর্বোচ্চ কর্মই সর্বোচ্চ বাবাকে প্রত্যক্ষ করার নিমিত্ত হবে
l হয় অধ্যাত্ম দৃষ্টি দ্বারা অথবা তোমাদের মুখমন্ডল দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষ করাও l
এটাও তো কর্মই l তাহলে, তোমরা কি এইরকম শ্রেষ্ঠ কর্মধারী হয়েছ ?
দ্বিতীয় বিষয়, একইভাবে, ভুজ অর্থাৎ সহযোগের লক্ষণ l সুতরাং চেক কর, প্রতিটা মুহূর্তে
আমি কি বাবার কর্তব্যে সহযোগী ? সবসময় কি তন, মন, ধন দ্বারা আমি সহযোগী ? নাকি কখনো
কখনো সহযোগী ? জাগতিক কার্যেও, কেউ কেউ ফুল টাইম কার্যে ব্যাপৃত থাকে এবং কেউ কেউ
আংশিক সময়ের কর্মী ; সেখানেই তারতম্য ! সুতরাং যারা শুধুমাত্র কখনো কখনো সহযোগী হয়
তাদের প্রাপ্তি আর সদাসর্বদার সহযোগীর প্রাপ্তিতে প্রভেদ হয়েই যায় l কেউ কেউ আছে,
যখন তাদের সময় থাকে, যখন তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগে অথবা যখন তারা মুডে থাকে তখন
সহযোগী হবে l নয়তো, তারা সহযোগী হওয়ার পরিবর্তে বিয়োগী হয়ে যাবে l অতএব, চেক কর তিন
ভাবেই অর্থাৎ তন, মন, ধন সবরকমভাবে আমি কি সহযোগী হয়েছি নাকি অর্ধ-সহযোগী হয়েছি ?
দেহ আর দেহের সম্বন্ধে তন, মন, ধন অধিক নিযুক্ত কর নাকি বাবার শ্রেষ্ঠ কাজে ? ঠিক
যেমন দেহ-সম্বন্ধের প্রবৃত্তি আছে, তেমনই তোমার নিজ দেহের প্রবৃত্তিও সুবৃহৎ l কোন
কোন বাচ্চা সম্বন্ধের প্রবৃত্তির ঊর্ধ্বে উঠে গেছে, কিন্তু সময়, সঙ্কল্প, ধন
ঈশ্বরীয় কার্য থেকে দেহের প্রবৃত্তিতে অধিক প্রয়োগ করে l তোমাদের নিজেদের দেহ
প্রবৃত্তির গৃহস্থ জীবনও বড় জাল l এই জালের ঊর্ধ্বে থাকাই রাইট হ্যান্ড হিসেবে
পরিচিত হবে l শুধু ব্রাহ্মণ হওয়া, ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারী বলার অধিকারী হওয়া,
একে সদাসর্বদার সহযোগী বলা যাবে না l যাই হোক, সহযোগী হওয়া উভয় প্রবৃত্তির ঊর্ধ্বে
হওয়া অর্থাৎ স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে বাবার কার্যে প্রিয় হওয়া l দেহের প্রবৃত্তির
পরিভাষা সুদূর বিস্তৃত l এই বিষয়ে বাবা আবার কখনো পরিস্ফুট করবেন l যেমনই হোক,
নিজেকে চেক কর তোমরা কতটা সহযোগী হয়েছ !
তৃতীয় বিষয়, ভুজ স্নেহের লক্ষণ l স্নেহ অর্থাৎ মিলন l ঠিক যেমন দেহধারী আত্মাদের
মিলন হাতে হাত ধরে হয়, সেইরকমই যারা রাইট হ্যান্ড বা রাইট বাহু, তাদের লক্ষণ -
সঙ্কল্পে মিলন, বোলে মিলন এবং সংস্কারে মিলন হবে l যা বাবার সঙ্কল্প সেটা রাইট
হ্যান্ডের সঙ্কল্প হবে l বাবার ব্যর্থ সঙ্কল্প হয় না l সদা শক্তিশালী সঙ্কল্প -
এটাই লক্ষণ l বাবার বোল সদা সুখদায়ী, সমস্ত বোলই হয় সদা মধুর, সদা মহাবাক্য, সাধারণ
হয় না l সেই বোলে সদা অব্যক্ত ভাব থাকে, আত্মিক ভাব থাকে l ব্যক্ত ভাবের বোল হয় না
l একেই বলে স্নেহ অর্থাৎ মিলন l সেইরকমই সংস্কারের মিলন হয় l যা বাবার সংস্কার, তা'
সদা উদারচিত্ত, কল্যাণকারী, নিঃস্বার্থের হয় l কার্যতঃ, এর বিস্তার অনেক l সার রূপে
যা বাবার সংস্কার তা' রাইট হ্যান্ডের সংস্কার হবে l এইভাবে সমান হওয়া অর্থাৎ স্নেহী
হওয়া l অতএব, নিজেদের চেক কর, আমি কতটা এইরকম হয়েছি !
চতুর্থ বিষয় - ভুজ অর্থাৎ শক্তি l সুতরাং এটাও চেক কর কতটা শক্তিশালী হয়েছ l
তোমাদের সঙ্কল্প, দৃষ্টি, বৃত্তি কতটা শক্তিশালী হয়েছে ! শক্তিশালী সঙ্কল্প, দৃষ্টি
বা বৃত্তির লক্ষণ - এইসব শক্তিশালী হওয়ার কারণে যে কোনও কাউকে পরিবর্তন করতে সমর্থ
হবে l সঙ্কল্প দ্বারা তারা শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির রচনা করবে l বৃত্তি দ্বারা বায়ুমন্ডল
পরিবর্তন করবে l তারা দৃষ্টি দ্বারা অশরীরী আত্মা স্বরূপের অনুভব করাবে l তাহলে কি
এমনই শক্তিশালী বাহু তোমরা ? নাকি তোমরা দুর্বল ? যদি কোনরকম দুর্বলতা থাকে তবে
তোমরা লেফ্ট l এখন বুঝেছ রাইট হ্যান্ড কাকে বলা হবে ? বাহু তোমরা সকলেই, কিন্তু কোন
বাহু তোমরা ? এই বিশেষত্ব দ্বারা নিজেকে জানো l যদি কেউ তোমাকে বলে যে তুমি রাইট
হ্যান্ড নও, তাহলে তোমরা সেটা প্রমাণও করবে আর জিদও করবে, কিন্তু তোমরা 'যেমন যেরকম'
সেইভাবে নিজেরা নিজেদেরকে জানো কারণ এখনও অল্প সময় রয়েছে নিজেকে পরিবর্তন করার l
অবহেলা ক'রে ভেবোনা যে 'আমি ঠিকই আছি l' তোমার বিবেক দংশনও হয়, কিন্তু অভিমান বা
অমনোযোগ তোমাদের পরিবর্তন করিয়ে অগ্রচালিত করে না l সেইজন্য এর থেকে মুক্ত হও l
যথার্থ রীতিতে নিজেকে চেক কর l এর মধ্যেই স্ব-কল্যাণ মিশে আছে l বুঝেছ তোমরা ! আচ্ছা
!
যারা সদা স্ব-পরিবর্তন ঘটায় এবং স্ব-চিন্তন বজায় রাখে, যারা সদা নিজের মধ্যে সব
বিশেষত্ব চেক করে সম্পন্ন হয়, সদা উভয় প্রবৃত্তি থেকে স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে বাবা
এবং বাবার কার্যে প্রিয় হয়ে ওঠে, অভিমান এবং অমনোযোগ থেকে সদা মুক্ত থাকে, এইরকম
তীব্র পুরুষার্থী শ্রেষ্ঠ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l
*পাটিদের সাথে :-*
১) সদা নিজেদের স্ব-দর্শন চক্রধারী অনুভব কর ? স্বদর্শন চক্র অনেক রকম মায়াচক্রের
অবসান ঘটায় l মায়ার চক্র অনেক রকম আর বাবা সেই চক্র থেকে অব্যাহতি দিয়ে তোমাদের
বিজয়ী বানান l স্বদর্শন চক্রের সামনে মায়া থাকতে পারে না l এইরকম অনুভাবী হয়েছ ?
বাপদাদা প্রতিদিন এই টাইটেল দ্বারা স্মরণ-স্নেহ দেন l এই স্মৃতিতে সদা শক্তিশালী
থাক l সদা স্ব-এর দর্শন বজায় রাখ, তাহলে শক্তিশালী হয়ে যাবে l কল্প- কল্পের শ্রেষ্ঠ
আত্মা ছিলে তোমরা এবং এই স্মৃতি বজায় থাকলে মায়াজিত তোমরা তো হয়েই আছ l জ্ঞান সদা
স্মৃতিতে রেখে, তার খুশি বজায় রাখ l খুশি অনেক রকম দুঃখ ভুলিয়ে দেয় l দুনিয়া
দুঃখধাম, সেখানে সবাই তোমরা সঙ্গমযুগী হয়ে গেছ l এটাও ভাগ্য l
২) সদা পবিত্রতার শক্তি দ্বারা নিজেকে পবিত্র বানিয়ে অন্যদের পবিত্র হতে তোমরা
প্রেরণা দাও, তাই না ! গৃহস্থ জীবনে থেকে পবিত্র আত্মা হওয়ার বিশেষত্ব দুনিয়ার সামনে
প্রত্যক্ষ করাতে হবে l এমন বাহাদুর হয়েছ তোমরা ! পবিত্র আত্মা হওয়ার স্মৃতির সাথে
নিজেও পরিপক্ক হও আর এই প্রত্যক্ষ উদাহরণ দুনিয়াতেও অবিরত দেখিয়ে চলো l তুমি কোন
আত্মা ? অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখানোর নিমিত্ত, যারা পবিত্রতার শক্তি ছড়িয়ে দেয়, আমি
সেই আত্মা l এটা সদা স্মৃতিতে রাখ l
৩) কুমার ! সদা নিজেদের মায়াজিত কুমার মনে কর ? মায়ার দ্বারা পরাজিত তোমরা নও, বরং
সদা মায়াকে পরাজয় স্বীকার করাও l তোমরা এইরকম শক্তিশালী বাহাদুর, তাই না ! যে
বাহাদুর হয় মায়া স্বয়ং তাদের ভয় পায় l বাহাদুরের সামনে কখনোই মায়ার সাহস থাকে না l
যখন কোনও রকম দুর্বলতা দেখে, তখন মায়া আসে l বাহাদুর অর্থাৎ সদা মায়াজিত l মায়া আসতে
পারে না, তোমরা এই রকম চ্যালেঞ্জ প্রকাশ কর, তাই না ? তোমরা তো সবাই অগ্রচালিত হও,
নয় কি ! সবাই নিজেকে সেবার নিমিত্ত অর্থাৎ সদা বিশ্ব কল্যাণকারী মনে করে তোমরা
সমুখগামী ! বিশ্ব কল্যাণকারী অসীম জগতে থাকে, সীমিত পরিসরে আসে না l সীমিত পরিসরে
আসা অর্থাৎ প্রকৃত সেবাধারী না হওয়া l অসীম জগতে থাকা অর্থাৎ যেমন বাবা তেমন বাচ্চা
l তোমরা শ্রেষ্ঠ কুমার, বাবাকে ফলো করছ, এই স্মৃতি সদা বজায় রাখ l যেমন বাবা
সম্পন্ন এবং অসীম, সেইরকমই *বাবা সমান সম্পন্ন সর্ব খাজানায় পরিপূর্ণ আত্মা আমি* -
এই স্মৃতি দ্বারা ব্যর্থ সমাপ্ত হয়ে যাবে আর তোমরা শক্তিশালী হয়ে যাবে l আচ্ছা !
*অব্যক্ত মুরলী থেকে বাছাই করা প্রশ্নোত্তর*
*প্রশ্নঃ-
বিশেষ কোন্ গুণ সম্পূৰ্ণ স্থিতিকে প্রত্যক্ষ করায় ? যখন আত্মা
তার সম্পূৰ্ণ স্টেজে পৌঁছায়, তখন তার প্র্যাকটিক্যাল কর্মে কীভাবে তা' গায়ন হয় ?*
*উত্তরঃ-*
মনের সমতা l নিন্দা-স্তুতি, জয়-পরাজয়, সুখ-দুঃখ সবকিছুতে সমতা
থাকলে বলা হয় সম্পূর্ণতার স্টেজ l এমনকি, দুঃখেও মুখে বা ললাটভাগে কোনরকম দুঃখের
তরঙ্গের পরিবর্তে সুখ বা আনন্দের তরঙ্গ প্রতীয়মান হবে l যারা তোমাদের বদনাম করে
তাদের প্রতি দৃষ্টি-বৃত্তিতে সামান্যতম তারতম্য হবে না l সদা কল্যাণকারী দৃষ্টি ও
শুভচিন্তকের বৃত্তি থাকবে l সেটাই মনের সমতা l
*প্রশ্নঃ-
নিজের প্রতি ব্লিস করা বা বাপদাদার থেকে ব্লিস নেওয়ার সাধন
কি ?*
*উত্তরঃ-*
যখন তোমাদের ব্যালেন্স ঠিক থাকে, তখন বাবার থেকে তোমরা
নিরন্তর ব্লিস লাভ করতে থাক l নিজেদের মহিমা শুনে, সেই মহিমায় নেশাও যেন না চড়ে এবং
অপবাদ শুনে ঘৃণা ভাবও যেন না জন্মায় l যখন উভয় ক্ষেত্রেই ব্যালেন্স থাকবে তখনই
চমৎকার হবে তথা নিজের প্রতি নিজের সন্তুষ্টতার অনুভব হবে l
*প্রশ্নঃ- তোমাদের
প্রবৃত্তি মার্গ, সেইজন্য কোন দুই বিষয়ে ব্যালেন্স রাখা আবশ্যক ?*
*উত্তরঃ-* ঠিক যেমন
আত্মা আর শরীর দু'টো জিনিস, বাবা আর দাদাও দুই l তাঁদের উভয়ের দ্বারা বিশ্ব
পরিবর্তন হয় l সেইরকম ভাবেই তোমরা উভয় বিষয়ের ব্যালেন্স বজায় রাখ, তাহলেই শ্রেষ্ঠ
প্রাপ্তি করতে পারবে l ১) পৃথক অথচ প্রিয় l ২) মহিমা আর গ্লানি l ৩) স্নেহ আর শক্তি
l ৪) ধর্ম আর কর্ম l ৫) একান্তবাসী অথচ হৃদয়গ্রাহী l ৬) গাম্ভীর্য এবং সামঞ্জস্য .
. . এইভাবে সব রকম ব্যালেন্স যখন সমান হবে, তোমরা সম্পূর্ণতার কাছে আসতে সমর্থ হবে
l এমন হতে দিও না যে এক গুণ মার্জ হবে আর অন্যটা ইমার্জ হবে l এর কোনও প্রভাব পড়ে
না l
*প্রশ্নঃ- কোন বিষয়ে
তোমাদের সমতা থাকা প্রয়োজন এবং কোন বিষয়ে প্রয়োজন নেই ?*
*উত্তরঃ-
শ্রেষ্ঠত্বে সমতা হতে দাও, সাধারণ হওয়াতে নয় l তোমাদের কর্ম
যেমন শ্রেষ্ঠ তেমনই ধারণা শ্রেষ্ঠ হতে দাও l তোমাদের ধারণা যেন কর্মকে মার্জ না করে
l ধর্ম এবং কর্ম উভয়ই শ্রেষ্ঠত্বের ক্ষেত্রে সমান থাকলে তবেই তোমাদের বলা হবে
ধর্মাত্মা l সুতরাং নিজেকে নিজে জিজ্ঞাসা কর, এমন ধর্মাত্মা কি হয়েছি ? এমন কর্মযোগী
হয়েছি ? এমন ব্লিসফুল হয়েছি ?
*প্রশ্নঃ- বুদ্ধিতে যদি
কোনরকম চাঞ্চল্যের উৎপত্তি হয় তাহলে তার কারণ কি ?*
*উত্তরঃ-* তার কারণ
সম্পন্নতায় ঘাটতি l যখন কোনকিছু ফুল থাকে অর্থাৎ পূর্ণ থাকে তো তার মধ্যে কোনও
নড়াচড়া হতে পারে না l সুতরাং নিজেকে যে কোনও চঞ্চলতা থেকে রক্ষা করতে অবিরতভাবে
সম্পন্ন হতে থাক, সম্পূর্ণ হয়ে যাবে l যখন কোনও বস্তু সম্পন্ন হয়, তখন সেটা নিজে
থেকেই আকর্ষণ করে l সম্পূর্ণতায় প্রভাব-শক্তি থাকে l সুতরাং নিজে যতটা সম্পূর্ণ হবে,
সেই অনুযায়ী অনেক আত্মা স্বতঃই আকৃষ্ট হবে l
*প্রশ্নঃ-
দেহী অভিমানীর সূক্ষ্ম স্টেজ কি ?*
*উত্তরঃ-* যে দেহী
অভিমানী, সে যদি কোনো ইশারা বা আগাম আভাস পায়, তাহলে সেই আগাম সূচনা বর্তমান এবং
ভবিষ্যৎ দুইয়ের জন্য উন্নতির সাধন বা উপায় মনে করে নিজের মধ্যে সমাহিত করে বা সহন
করে নেয় l এমনকি সূক্ষ্ম রূপেও তার দৃষ্টি বৃত্তিতে 'কি, কীভাবে'র চাঞ্চল্য উৎপন্ন
হতে পারে না l যেমন মহিমা শোনার সময় সেই আত্মার প্রতি স্নেহের ভাবনা থাকে, তেমনই যদি
কেউ কাউকে শিক্ষা দিচ্ছে বা আগামজ্ঞান শোনাচ্ছে, তো তার প্রতি স্নেহের ও
শুভচিন্তকের ভাবনা যেন থাকে l আচ্ছা -ওম্ শান্তি
বরদান:-
সদা খুশি এবং আনন্দের স্থিতিতে থেকে কম্বাইন্ড
স্বরূপের অনুভাবী ভব
বাপদাদা বাচ্চাদের সদা বলেন, বাচ্চারা, বাবার হাতে
হাত রেখে চলো, একাকী চ'লো না l একাকী চললে কখনো হয়তো বোর হয়ে যাবে, কখনো কারও নজর
তোমাদের উপর পড়বে l *বাবার সাথে আমি কম্বাইন্ড* - এই স্বরূপের অনুভব করতে থাকো,
তাহলে কখনও মায়ার নজর তোমাদের উপর পড়বে না এবং তাঁর সঙ্গের অনুভব হওয়ার কারণে খুশির
সাথে, আনন্দের সাথে খাবে এবং আনন্দ উদযাপনের সাথে অবিরত এগিয়ে চলবে l
স্লোগান:-
সদাসর্বদা যোগরূপী কবচ পরে থাক, তাহলে মায়ারূপী
শত্রুর কোনও আক্রমণে তোমরা পরাস্ত হবে না l