31.03.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমরা এখন পুরানো দুনিয়ার গেট থেকে বেরিয়ে শান্তিধাম ও সুখধামে যাচ্ছো, বাবা-ই
মুক্তি-জীবনমুক্তির পথ বলে দেন"
প্রশ্নঃ -
বর্তমান সময়ে
সর্বাপেক্ষা ভালো অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ কর্ম কী ?
উত্তরঃ -
সর্বাপেক্ষা ভালো কর্ম হলো মন্সা(সঙ্কল্প), বাণী (বাচা), কর্মণার(কর্ম) দ্বারা
অন্ধের লাঠি হওয়া অর্থাৎ অজ্ঞানীদের সহায়তা প্রদান করা। বাচ্চারা, তোমাদের
বিচার-রূপী সাগরকে মন্থন করা উচিত যে, এমন কোনো শব্দ লিখি, যাতে মানুষেরা তাদের
ঘরের(মুক্তির) এবং জীবনমুক্তির রাস্তা পেয়ে যায়। মানুষ যেন সহজেই বুঝতে পারে যে,
এখানে শান্তি, সুখের দুনিয়ায় যাওয়ার মার্গদর্শন করানো হয়।
ওম্ শান্তি ।
জাদুকরের
প্রদীপের কথা শুনেছো কী ? আলাদিনের প্রদীপেরও বর্ণনা(গায়ন) রয়েছে। আলাদিনের প্রদীপ
বা জাদুকরের প্রদীপ, কি-কিই না দেখিয়েছে । বৈকুন্ঠ, স্বর্গ, সুখধাম। বাতি-কে
প্রকাশ বলা হয়। এখন তো অন্ধকার, তাই না। এই যে এখন, আলো দেখানোর জন্য বাচ্চারা
প্রদর্শনী বা মেলা করে, এত খরচ করে, মাথা চাপড়াতে থাকে। তারা জিজ্ঞাসা করে, বাবা এর
নাম কি রাখবো ? এখানে বোম্বে(মুম্বই)-কে বলা হয় 'গেট ওয়ে অফ ইন্ডিয়া'। স্টীমার
প্রথমে বোম্বেতেই আসে। দিল্লীতেও 'ইন্ডিয়া গেট' আছে। এখন আমাদের এ হলো গেট অফ
মুক্তি-জীবনমুক্তি। দুটি গেট রয়েছে, তাই না! গেট সর্বদা দুটোই হয় ইন এবং আউট অর্থাৎ
প্রবেশপথ আর প্রস্থানপথ। এক থেকে আসা, দ্বিতীয় থেকে যাওয়া। এও হলো তেমনই -- আমরা
নতুন দুনিয়ায় আসি পুনরায় পুরানো দুনিয়া থেকে প্রস্থান করে নিজেদের ঘরে ফিরে যাই।
কিন্তু একাকী ফিরে যেতে পারি না কারণ ঘরকে ভুলে গেছি, তাই গাইড চাই। যিনি পথ বলে
দেন আমরা তাঁকেও পেয়েছি। বাচ্চারা জানে, বাবা আমাদের মুক্তি-জীবনমুক্তি, শান্তি আর
সুখের রাস্তা বলে দেন। তাহলে গেট অফ শান্তিধাম-সুখধাম লেখো। বিচার-রূপী সাগরকে
মন্থন করতে হয়, তাই না! অনেক চিন্তা-ভাবনা চলে -- মুক্তি-জীবনমুক্তি কাকে বলা হয়
তাও কেউ জানে না। শান্তি আর সুখ তো সকলেই চায়। শান্তিও থাকুক, ধন-দৌলতও থাকুক। সেতো
সত্যযুগেই হতে পারে। তাহলে নাম লিখে দাও -- গেট অফ শান্তিধাম-সুখধাম অথবা গেট অফ
পবিত্রতা-শান্তি-সমৃদ্ধি। এ তো ভাল শব্দ। তিনটিই এখানে নেই। তাই এই বিষয়ের উপরে
পুনরায় বোঝাতেও হতে পারে। নতুন দুনিয়ায় এইসব ছিল। নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন
পতিত-পাবন, গডফাদার। তাই অবশ্যই আমাদের এই পুরানো দুনিয়া থেকে বেরিয়ে ঘরে ফিরে যেতে
হবে। তাহলে এও তো গেট হলো, তাই না -- পবিত্রতা, শান্তি, সমৃদ্ধির। এই নাম বাবার
প্রিয়। বাস্তবে এখন এর সূচনা তো বাবা-ই করেন। কিন্তু আমাদের ব্রাহ্মণদের দ্বারা
করান। দুনিয়ায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তো অনেকই হতে থাকে, তাই না! কেউ হাসপাতালের করবে,
কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের করবে। এ তো একবারই হয় আর এইসময়েই হয় তাই বিচার-বিবেচনা করা হয়।
বাচ্চারা লিখেছে -- ব্রহ্মাবাবা এসে উদ্ঘাটন করুক। বাপদাদা দুজনকেই আহ্বান করা হোক।
বাবা বলেন, উদ্ঘাটন করার জন্য তোমরা বাইরে কোথাও যেতে পারবে না, বিবেক সায় দেয় না,
নিয়ম নেই। এ তো যেকেউ খুলতে পারে। সংবাদপত্রেও পড়বে -- প্রজাপিতা
ব্রহ্মাকুমার-কুমারী। নাম তো অতি সুন্দর, তাই না! প্রজাপিতা অর্থাৎ তিনি হয়ে গেলেন
সকলের-ই পিতা। সেটাও কোন কম কিছু কী ? আর বাবা স্বয়ং পুনরায় অনুষ্ঠান করান। তিনি
হলেন সর্বময়কর্তা (করণকরাবনহার)। বুদ্ধিতে তো থাকা উচিত, তাই না! আমরাই স্বর্গের
স্থাপনা করছি। তাহলে কত পুরুষার্থ করে শ্রীমতানুযায়ী চলা উচিত। বর্তমানসময়ে
মন-বাণী-কর্মের দ্বারা সর্বাপেক্ষা ভালো কর্ম হলো একটাই --- অন্ধের লাঠি হওয়া।
গায়নও রয়েছে -- হে প্রভু, অন্ধের যষ্ঠি। সকলেই সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে রয়েছে। তাই বাবা
এসে (অন্ধের) যষ্ঠি হন। জ্ঞান-রূপী ত্রিনেত্র প্রদান করেন। যার মাধ্যমে তোমরা
পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারে স্বর্গে গমন কর। নম্বরের ক্রমানুসার তো আছেই। এ হলো
অসীম জগতের অতি বৃহৎ হসপিটাল কাম ইউনিভার্সিটি। বোঝান হয় -- আত্মাদের পিতা হলেন
পরমপিতা পরমাত্মা পতিত-পাবন। তোমরা সেই পিতাকে স্মরণ কর তাহলেই সুখধামে চলে যাবে।
এটা হলো হেল(নরক) একে হেভেন বলতে পারবে না। হেভেনে থাকেই এক ধর্ম। ভারতে স্বর্গ ছিল,
অন্যকোন ধর্ম ছিল না। শুধু এটাই স্মরণ কর, এও মন্মনাভব-ই। আমরা স্বর্গে সমগ্র
বিশ্বের মালিক ছিলাম -- এতটুকুও স্মরণে থাকে না! বুদ্ধিতে যদি থাকে যে, আমরা বাবাকে
পেয়েছি তবে সেই খুশিও থাকা উচিত। কিন্তু মায়াও কম নয়। এমন পিতার হয়েও অত্যন্ত
উৎফুল্ল থাকতে পারো না। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে থাকো। মায়া প্রতিমুহূর্তে অতিমাত্রায়
শ্বাসরোধ(বাধা প্রদান) করে। শিববাবার স্মরণ ভুলিয়ে দেয়। নিজেও বলে যে, স্মরণে থাকে
না। বাবা ডুবিয়ে দেন জ্ঞানসাগরে আর মায়া পুনরায় ডুবিয়ে দেয় বিষয়সাগরে। অত্যন্ত
প্রফুল্ল হয়ে হাবুডুবু খেতে থাকে। বাবা বলেন, শিববাবাকে স্মরণ কর। মায়া পুনরায়
ভুলিয়ে দেয়। বাবাকে স্মরণই করে না। বাবাকে জানেই না। দুঃখহরণকারী-সুখপ্রদানকারী
হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, তাই না! তিনিই হলেন দুঃখ হরণকারী। ওরা(অজ্ঞানী) আবার গঙ্গায়
গিয়ে ডুব দেয়(স্নান করে)। মন করে -- গঙ্গা পতিত-পাবনী। সত্যযুগে গঙ্গাকে
দুঃখহরণকারী-পাপমোচনকারী বলা হবে না। সাধু-সন্তাদিরা নদীর তীরে গিয়ে বসে। সাগরের
তীরে কেন বসে না ? বাচ্চারা, এখন তোমরা সাগরতীরে গিয়ে বসেছো। অসংখ্য বাচ্চারা
সাগরের কাছে আসে। আবার মনে করে, এসব হলো সাগর থেকে নির্গত ছোট-বড় নদী। ব্রহ্মপুত্র,
সিন্ধু, সরস্বতী এ সমস্ত নামও রেখেছে।
বাবা বোঝান -- বাছা, তোমাদের মন-বাণী-কর্মের(মন্সা-বাচা-কর্মণা) উপর অনেক-অনেক
ধ্যান রাখতে হবে, কখনও তোমাদের মধ্যে ক্রোধ আসা উচিত নয়। ক্রোধ প্রথমে মনে আসে,
পুনরায় তা বাণী এবং কর্মতেও চলে আসে। এই তিনটি হলো খিড়কির পথ(পিছনের দরজা), তাই বাবা
বোঝান যে -- মিষ্টি বাচ্চারা, অধিক কথা বলো না, শান্ত হয়ে থাকো, বাণীতে এলে তা
কর্মতেও চলে আসবে। ক্রোধ প্রথমে মনে(মন্সা) আসে পরে তা বাণী-কর্মতে আসে। তিন খিড়কির
পথ থেকে নির্গত হয়। প্রথমেই মন্সায় অর্থাৎ মনে আসবে। দুনিয়ার (অজ্ঞানী) মানুষেরা
তো পরস্পরকে দুঃখ দিতেই থাকে, লড়াই-ঝগড়া করতে থাকে। তোমরা কাউকে দুঃখ দেবে না।
চিন্তাতেও আসা উচিত নয়। সাইলেন্সে থাকাই অত্যন্ত ভালো। তাহলে বাবা এসে স্বর্গের
অথবা সুখ-শান্তির গেট অর্থাৎ পথ বলে দেন। বাচ্চাদের-কেও বলেন -- তোমরাও অন্যদের বলো।
পবিত্রতা-শান্তি-সমৃদ্ধি থাকে স্বর্গে। সেখানে কীভাবে যায়, তা বুঝতে হবে। এই
মহাভারত লড়াইতেই গেট খোলে। বাবার বিচারসাগর মন্থন তো চলে, তাই না! কী নাম রাখবো ?
প্রভাতে বিচারসাগর মন্থন করলে মাখন (জ্ঞানের সার) বেরিয়ে আসে। ভালো পরামর্শ পাওয়া
যায় তাই তো বাবা বলেন, সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ কর আর বিচারসাগর মন্থন কর -- কী নাম
রাখা যায় ? বিচার-বিবেচনা করা উচিত, কারোর ভালো বুদ্ধিও বেরিয়ে আসে। এখন তোমরা বুঝতে
পেরেছো যে, পতিতকে পবিত্রে পরিনত করা অর্থাৎ নরকবাসীকে স্বর্গবাসী করা। দেবতারা
পবিত্র, তাই তাঁদের সম্মুখে মাথা নত করে। তোমরা এখন কারোর সম্মুখে মাথা নত করতে পারো
না, তেমন নিয়ম নেই। বাকি যুক্তিযুক্তভাবে চলতে হয়। সাধুরা নিজেদেরকে উচ্চ পবিত্র মনে
করে, অন্যদের নীচ অপবিত্র মনে করে। তোমরা যদিও জানো যে, আমরাই সর্বাপেক্ষা উচ্চ
কিন্তু কেউ যদি হাত জোড় করে তখন তার রেসপন্ডও দিতে হয়। কেউ 'হরি ওঁম তত্সৎ' বললে,
প্রতি উত্তরও করতে হয়। যুক্তিযুক্তভাবে না চললে তা হাতে আসবে না। এরজন্য অনেক যুক্তি
চাই। যখন মৃত্যু শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকে তখন সকলেই ভগবানের নাম নেয়। আজকাল অকস্মাৎ অনেক
কিছুই হতে থাকে। ধীরে-ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই আগুন লাগা শুরু হবে বিদেশ থেকে, পরে
ধীরে-ধীরে সমগ্র দুনিয়া জ্বলে যাবে। পরে একমাত্র তোমরা বাচ্চারাই রয়ে যাও। তোমাদের
আত্মা পবিত্র হয়ে যায় তখন তোমরা সেই নতুন দুনিয়া পাও। বাচ্চারা, দুনিয়ার নতুন নোট
তোমরা পাও। তোমরা রাজ্য করো। আলাদিনের প্রদীপও তো বিখ্যাত, তাই না! এভাবে নোট করলে
কারুণের খাজানা (সম্পত্তি) পেয়ে যায়। সে তো ঠিকই। তোমরা জানো, আল্লাহ্ আলাদিন
ইশারার মাধ্যমে তৎক্ষনাৎ সাক্ষাৎকার করান। তোমরা শুধু শিববাবাকে স্মরণ করো তাহলেই
সাক্ষাৎকার হয়ে যাবে। প্রগাঢ় ভক্তির(নৌধা ভক্তি) মাধ্যমেও সাক্ষাৎকার হয়, তাই না!
এখানে তোমাদের এইম অবজেক্টের সাক্ষাৎকার তো হয়ই, তারপরে তোমরা বাবাকে, স্বর্গকে
অতিমাত্রায় স্মরণ করবে। প্রতিমুহূর্তে দেখতে থাকবে। যে বাবার স্মরণে আর জ্ঞানে
মাতোয়ারা হয়ে থাকবে সেই অন্তিমের সমস্ত দৃশ্যাবলী দেখতে পারবে। লক্ষ্য অতি উঁচু।
নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করা, মাসির বাড়ী নয় অর্থাৎ সাধারণ ব্যাপার নয়।
পরিশ্রম অনেক। স্মরণই মুখ্য। যেমন বাবা দিব্য-দৃষ্টিদাতা তেমনই স্বয়ং নিজের জন্য
দিব্য-দৃষ্টিদাতা হয়ে যাবে। ভক্তিমার্গে যেমন তীব্রগতিতে স্মরণ করে তাই সাক্ষাৎকার
হয়ে যায়। যেমন নিজের পরিশ্রমের দ্বারা দিব্য-দৃষ্টিদাতা হয়ে যায়। তোমরাও যদি
স্মরণের জন্য পরিশ্রম করতে থাকো তাহলে অত্যন্ত খুশিতে থাকবে এবং সাক্ষাৎকারও হতে
থাকবে। সমগ্র এই দুনিয়াকে ভুলে যাও। "মন্মনাভব" হয়ে যাও। বাকি কি আর চাই ! যোগবলের
মাধ্যমে তোমরা নিজেদের শরীর পরিত্যাগ করে দাও। ভক্তিতেও পরিশ্রম হয়, আর এতেও
পরিশ্রম চাই। বাবা পরিশ্রমের পর অত্যন্ত ভালভাবে(ফার্স্টক্লাস) বলে দেন। নিজেকে
আত্মা মনে করলে দেহ-অভিমানই থাকবে না। যেন বাবার সমান হয়ে যাবে। সাক্ষাৎকার করতে
থাকবে। অত্যন্ত খুশি থাকবে। ভবিষ্যতের সম্পূর্ণ রেজাল্টের গায়ন করা হয়েছে। যেখানে
নিজের নাম-রূপ থেকেও পৃথক হয়ে যেতে হবে সেখানে অন্যের নাম-রূপ স্মরণ করলে অবস্থা বা
স্থিতি কেমন হবে ! জ্ঞান অতি সহজ। ভারতের যে প্রাচীন যোগ রয়েছে তাতেই জাদু আছে।
বাবাও বোঝান যে, ব্রহ্মজ্ঞানীও এইভাবেই শরীর পরিত্যাগ করে। আমরা আত্মা, পরমাত্মায়
বিলীন হয়ে যেতে হবে। বিলীন কেউই হয় না। যদিও ব্রহ্মজ্ঞানী। বাবা দেখেছেন, বসে বসে
শরীর পরিত্যাগ করে। বায়ুমন্ডল অত্যন্ত শান্ত থাকে, নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নিস্তব্ধতাও
তাদেরই অনুভূত হবে যারা জ্ঞানমার্গে থাকবে, শান্তিতে থাকবে। এছাড়া অনেক বাচ্চা তো
এখনও যেন বেবী(শিশু)। প্রতিমুহূর্তে পড়ে (অধঃপতনে) যায়, এতে অনেক-অনেক গুপ্ত
পরিশ্রম রয়েছে। ভক্তিমার্গের পরিশ্রম প্রত্যক্ষ করা যায়। মালা জপ করো, ঘরে বসে
ভক্তি(পূজা) করো। এখানে তো তোমরা চলতে-ফিরতে স্মরণে রাখো। কেউ জানতে পারে না যে, এরা
(তোমরা) রাজত্ব নিতে চলেছে। যোগের দ্বারাই সমস্ত হিসেব-নিকেশ চুক্ত করতে হবে।
জ্ঞানের মাধ্যমে কি চুক্ত হয়, না তা হয় না। হিসেব-নিকেশ চুক্ত হবে স্মরণের দ্বারা।
কর্মভোগ স্মরণের দ্বারাই চুক্ত হবে। এ হলো গুপ্ত। বাবা সবকিছু গুপ্তভাবে শেখান। *আচ্ছা।*
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
মন-বাণী-কর্মে কখনো ক্রোধ আসা উচিত নয়। এই তিনটি খিড়কির উপর অত্যন্ত ধ্যান রাখতে
হবে। অধিকমাত্রায় কথা বলা উচিত নয়। পরস্পরকে দুঃখ দেওয়া উচিত নয়।
২) জ্ঞান আর যোগে
মত্ত হয়ে অন্তিম লগ্নের দৃশ্যাবলী দেখতে হবে। নিজের এবং অপরের নাম-রূপকে ভুলে, আমি
আত্মা, এই স্মৃতির দ্বারা দেহ-অভিমানকে সমাপ্ত করতে হবে।
বরদান:-
আধ্যাত্মিক (রুহানী) ড্রিলের অভ্যাস দ্বারা ফাইনাল পেপারে উত্তীর্ণকারী সদা
শক্তিশালী ভব
ব্যাখা:- বর্তমান
সময়ানুসারে শরীরের সব রোগের চিকিৎসার জন্য এক্সারসাইজ শেখানো হয়। তেমনই আত্মাকেও সদা
শক্তিশালী করার জন্য আধ্যাত্মিক (রুহানী) এক্সারসাইজের অভ্যাস করা উচিত। চারিদিকে
যতই অস্থিরতার বাতাবরণ তৈরী হোক না কেন, আওয়াজে থেকেও আওয়াজ থেকে ঊর্ধ্বে থাকার
অর্থাৎ সাইলেন্স-স্থিতির অভ্যাস করো। মনকে যেখানে আর যতটা সময় স্থির করতে চাও,
সেখানে ততটা সময় স্থির করে নাও -- তবেই শক্তিশালী হয়ে ফাইনাল পেপারে উত্তীর্ণ হতে
পারবে।
স্লোগান:-
নিজের
বিকারী স্বভাব-সংস্কার বা কর্মকে সমর্পণ করে দেওয়াই হলো সমর্পিত হয়ে যাওয়া ।