15-03-2020 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
11-12-85 মধুবন
প্রকৃত সেবাধারীর লক্ষণ
আজ স্নেহের সাগর বাপদাদা তাঁর সকল স্নেহী বাচ্চাদেরকে দেখছেন। প্রতিটি বাচ্চার মধ্যে
তিনটি বিশেষত্ব দেখছেন যে, প্রতিটি বাচ্চা এই তিনটি বিশেষত্বে কতটা সম্পন্ন হয়েছে।
সেই তিনটি বিশেষত্ব হল -- স্নেহ-সহযোগ অর্থাৎ সহজ যোগ এবং শক্তি স্বরূপ অর্থাৎ
চলতে-ফিরতে চৈতন্য লাইট-হাউস এবং মাইট-হাউস। প্রতিটি সংকল্প, বাণী বা কর্মের দ্বারা
তিনটি স্বরূপই প্রত্যক্ষ স্বরূপে যে কেউই যেন অনুভব করতে পারে। বাবা যেমন স্নেহের
সাগর, তেমনই মাস্টার সাগরের সামনে জ্ঞানী বা অজ্ঞানী যে আত্মাই আসুক, তাদের যেন
অনুভব হয় - স্নেহের মাস্টার সাগরের ঢেউ যেন স্নেহের অনুভূতি করাচ্ছে। লৌকিকে যেমন
প্রাকৃতিক সাগরের তীরে যে যাবে, তার শীতলতার, শান্তির অনুভূতি আপনা থেকেই হতে থাকবে,
তেমনি মাস্টার স্নেহের সাগরের দ্বারা আত্মিক (রুহানী) স্নেহের অনুভূতি যেন হতে থাকে
যে, সত্যিকারের স্নেহের প্রাপ্তির স্থানে পৌঁছে গেছি। আত্মিক (রুহানী) স্নেহের
অনুভূতি আত্মিক সৌরভ বায়ুমন্ডলে যেন অনুভূত হয়। এরা বাবার স্নেহের, এ'কথা তো সবাই
বলে। আর বাবাও জানেন যে, বাবার প্রতি সকলের ভালোবাসা রয়েছে । কিন্তু এখন স্নেহের
সৌরভ সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। সকল আত্মাকে এই সৌরভের অনুভব করাতে হবে।
প্রতিটি আত্মা যাতে বর্ণন করে যে, ইনি শ্রেষ্ঠ আত্মা। কেবল বাবার স্নেহী নয়,
সকলেরই চির স্নেহী। এই দুই অনুভূতি যখন সকলকে সবসময় অনুভব করাবে, তখন তারা বলবে --
ইনি হলেন মাস্টার স্নেহের সাগর। আজকের দুনিয়া সত্যিকারের আত্মিক স্নেহের কাঙাল ।
স্বার্থের স্নেহ দেখে দেখে তার থেকে তাদের মন উবে গেছে। সেইজন্য আত্মিক স্নেহের
ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্তের অনুভূতিকেও তারা জীবনের অবলম্বন মনে করে।
বাপদাদা দেখছিলেন - স্নেহের বিশেষত্বে অন্য আত্মাদের প্রতি কর্মে বা সেবায় নিয়ে
আসার ক্ষেত্রে কতখানি সফলতা প্রাপ্ত করেছে। কেবলমাত্র নিজের মনে নিজেই খুশী হয়ে যাও
না তো ? আমি তো অত্যন্ত স্নেহী ! স্নেহ যদি না থাকত, তবে বাবার কীকরে হতে বা
ব্রাহ্মণ জীবনে কীকরে অগ্রসর হতে ? নিজের মনের মধ্যে সন্তুষ্টতা রয়েছে, একে
বাপদাদাও জানেন এবং তা নিজের মধ্যেই সীমিত। সেটা ঠিক আছে, কিন্তু তোমরা বাচ্চারা
বাবার সাথে সেবাধারীও। সেবার জন্যই এই তন-মন-ধন, তোমাদের সবাইকে বাবা ট্রাস্টি
বানিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। সেবাধারীর কর্তব্য কী ? *সকল বিশেষত্বকে সেবায় লাগানো। যদি
তোমাদের বিশেষত্ব সেবায় নিয়োজিত না হয়, তবে কখনোই সেই বিশেষত্ব বৃদ্ধি প্রাপ্ত হবে
না। সীমিতই থেকে যাবে। সেইজন্য অনেক বাচ্চাই এমন অনুভবও করে যে, আমি তো বাবার হয়ে
গেছি। প্রতিদিন আসেও, পুরুষার্থও করছে, নিয়মও পালন করছে, কিন্তু পুরুষার্থে যে
বৃদ্ধি হওয়া উচিত সেটা অনুভব হচ্ছে না। চলছে, কিন্তু অগ্রসর হচ্ছে না । এর কারণ কী
? বিশেষত্ব গুলিকে সেবায় নিয়োজিত করছে না। কেবলমাত্র জ্ঞান দেওয়া বা সাপ্তাহিক
কোর্স করানো, এই পর্যন্ত সেবা নয়। জ্ঞান শোনানো - সে তো দ্বাপর থেকে পরম্পরা চলে
আসছে। কিন্তু এই ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষত্ব হল -- শোনানো অর্থাৎ কিছু প্রদান করা।
ভক্তি মার্গ থেকে শোনানো অর্থাৎ নেওয়া, এটাই প্রচলিত, আর এখন তোমাদের কাছে শোনানো
অর্থাৎ কিছু প্রদান করা। দাতার সন্তান তোমরা। সাগরের সন্তান তোমরা। তোমাদের
সংস্পর্শে যারাই আসবে, তারা যেন অনুভব করে কিছু অন্তত নিয়ে যাচ্ছে। কেবল শুনে চলে
যাচ্ছে, তা যেন না হয় তা সে জ্ঞান থেকেই হোক, কিম্বা স্নেহের ধন থেকে, বা স্মরণের
বলের ধন থেকে, শক্তির ধন থেকে, সহযোগের ধন থেকে, তাদের হাত অর্থাৎ বুদ্ধিতে ভরে যাতে
নিয়ে যায়। একেই বলা হয় -- প্রকৃত সেবা। সেকেন্ডের দৃষ্টি বা দুটি বাণীর দ্বারা
তোমাদের শক্তিশালী বৃত্তির ভাইব্রেশন দ্বারা, সম্পর্কের দ্বারা দাতা হয়ে দিতে হবে।
এরূপ সেবাধারীই হল সত্যিকারের সেবাধারী। এরূপ যারা করবে, তারা সদা এটাই অনুভব করবে,
যেন সর্বদা বৃদ্ধি বা উন্নতি লাভ করছে। নিলে ভাববে, পিছিয়ে যাচ্ছি । যতটা অগ্রগতি
হওয়ার দরকার, তদনুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না। সেইজন্য দাতা হও। অনুভব করাও। এইভাবেই
সহযোগী বা সহজযোগী কেবলমাত্র নিজের প্রতি না হয়ে তোমাদের সহযোগের উৎসাহ উদ্দীপনার
তরঙ্গ অন্যদেরকেও সহযোগী বানিয়ে দেয়। *তোমাদের সহযোগের বিশেষত্ব সকল আত্মাদেরকে
এটাই যাতে অনুভব করায় যে, ইনি হলেন আমাদের সহযোগী। কোনো প্রকারের দুর্বল স্থিতি বা
পরিস্থিতির সময় এই সহযোগের দ্বারা এগিয়ে যাওয়ার উপায় প্রদান করবে। তোমার সহযোগের
বিশেষত্ব অন্যরা যেন তোমার প্রতি অনুভব করে। একেই বলা হয় - বিশেষত্বকে তুমি কাজে
লাগিয়েছ।* বাবার সহযোগী তো আছোই, কিন্তু বাবা হলেন বিশ্ব সহযোগী। বাচ্চাদের জন্যও
যেন সকল আত্মাদের অন্তর থেকে এই অনুভবের বোধ নির্গত হয় যে, ইনিও বাবার মতো সকলের
সহযোগী। পার্সোনালী একে অপরের সহযোগী হয়ে থেকো না। সেটা তো স্বার্থের সহযোগী হয়ে
যাবে। সত্যিকারের সহযোগী হল অসীম জগতের সহযোগী। তোমাদের সকলের টাইটেল কী ?
বিশ্ব-কল্যাণকারী ? নাকি কেবল সেন্টারের কল্যাণকারী ? দেশের কল্যাণকারী নাকি কেবল
ক্লাসের স্টুডেন্ট এর কল্যাণকারী তোমরা ? এমন টাইটেল নয় তো তোমাদের ?
বিশ্ব-কল্যাণকারী বিশ্বের মালিক হবে ? নাকি কেবল নিজের মহলের মালিক হতে চলেছ ! যারা
কেবল সেন্টারের সীমিত গন্ডীতে থাকবে, তবে কেবল নিজের মহলের মালিক হবে। কিন্তু অসীম
জগতের বাবার দ্বারা অসীম জগতের অবিনাশী উওরাধিকার তোমরা নিয়ে থাকো। সীমিত জগতের নয়।
অতএব, সকলের প্রতি সহযোগের বিশেষত্বকে কাজে লাগানো, একেই বলা হবে -- 'সহযোগী আত্মা'।
এই বিধি অনুযায়ী শক্তিশালী আত্মা সকল শক্তি গুলিকে কেবল নিজের জন্য নয়, বরং সকলের
প্রতি সেবাতে ব্যবহার করবে। কারো মধ্যেই সহজ শক্তি নেই, তোমাদের কাছে আছে। অপরকে এই
শক্তি প্রদান করা -- এটাই হল শক্তিকে সেবাতে নিয়োজিত করা। কেবল এটা ভেবো না, আমি
তো সহনশীল থাকি। কিন্তু তোমার সহনশীলতার গুণের লাইট-মাইট অন্যদের কাছে যেন পৌঁছায়।
লাইট হাউসের লাইট কেবল নিজ পর্যন্ত যেন না থাকে। অন্যদের আলো প্রদান করা বা রাস্তা
দেখানোর জন্য হয়ে থাকে। এইরূপ শক্তি রূপ অর্থাৎ লাইট-হাউস, মাইট-হাউস হয়ে
অন্যদেরকেও তার লাভ অনুভব করাও। তারা যাতে অনুভব করে যে, নির্বলতার অন্ধকার থেকে
শক্তির আলোতে এসে গেছি বা বোঝে যে, এই আত্মা শক্তি দ্বারা আমাকেও শক্তিশালী বানাতে
সহযোগকারী।
কানেকশন বাবার সাথে করাবে, কিন্তু নিমিত্ত হয়ে। এমন নয় যে, সহযোগ দিয়েই তাকে
নিজের দিকে আটকে রাখবে। বাবার দেওয়া জিনিস বাবাকে দিচ্ছ, এই স্মৃতি আর সমর্থ হয়ে
বিশেষত্ব গুলিকে সেবাতে লাগবে। প্রকৃত সেবাধারীর লক্ষণ হল এটাই। প্রতিটি কর্মে তার
দ্বারা বাবাকে দেখতে পাওয়া যাবে। তার বোল বাবার স্মরণ করাবে। প্রত্যেক বিশেষত্ব
দাতার দিকে ইশারা করবে। সর্বদা বাবাকেই দেখতে পাবে। তারা তোমাকে না দেখে সদা
বাবাকেই দেখতে পাবে। এ হল আমার সহযোগী, (এমন যারা ভাবে) এটা প্রকৃত সেবাধারীর লক্ষণ
নয়। এমন কখনোই সংকল্পেও ভাববে না যে, আমার বিশেষত্বের কারণেই আমার এতো সহযোগী।
সহযোগীকে সহযোগ দেওয়া হল আমার কাজ। যদি তোমাকে দেখে, বাবাকে দেখতে পেল না, তবে সেটা
কখনোই সেবা নয়। এ হল দ্বাপর যুগের গুরুদের দ্বারা অন্য দিকে তাদের মুখকে ঘুরিয়ে
দেওয়া হল। বাবাকে ভুলিয়ে দেওয়া হল, সেবা হল না। এইভাবে নীচে নামিয়ে দেওয়া হল,
তাকে উত্তরণের পথে এগিয়ে দেওয়া হল না। এ পুণ্য নয়, এ হল পাপ। কারণ বাপ যখন নেই,
তবে তো অবশ্যই পাপ আছে । কিন্তু সত্যিকারের সেবাধারী সত্যের তরফেই তার সম্বন্ধকে
জুড়বে।
বাপদাদার কখনো কখনো বাচ্চাদের উপরে হাসি আসে। লক্ষ্য কী আর লক্ষণ কী ! পৌঁছাতে হতো
বাবার দিকে, কিন্তু পৌঁছিয়ে দেয় নিজের দিকে ! অন্যান্য ডিভাইন ফাদারদের বিষয়ে বলা
হয় না যে, তারা নীচের দিকে নিয়ে আসে ! উপরের দিকে নিয়ে যায় না। এমন ডিভাইন ফাদার
হয়ো না। বাপদাদা এটা দেখেছিলেন যে কোথাও কোথাও বাচ্চারা রাস্তার পরিবর্তে গলিতে
গিয়ে ফেঁসে যায়, রাস্তা বদলে যায়। সেইজন্য চলতে থাকে, অথচ লক্ষ্যের সমীপে পৌছাতে
পারে না। তাহলে বুঝেছ ! প্রকৃত সেবাধারী কাকে বলা হবে ! এই তিন শক্তিকে বা
বিশেষত্বকে অমীমের বৃত্তি দ্বারা সেবায় ব্যবহার করো। আচ্ছা --
সর্বদা দাতার সন্তান দাতা হয়ে সকল আত্মাকে ভরপুর করে, সকল খাজানাকে (ভান্ডার)
সেবায় ব্যবহার করে সকল সময় বৃদ্ধি প্রাপ্তকারী, সদা বাবার দ্বারা প্রভুর দান মনে
করে অন্যদেরকেও প্রভু প্রসাদ প্রদান করে, সদা এক এর তরফে ইশারে দেখিয়ে অনন্যকে একরস
বানাতে সক্ষম, এমন সদা এবং সকলের সত্যিকারের সেবাধারী বাচ্চাদেরকে বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।
কুমারীদের সাথে বাপদাদার সাক্ষাৎকার :
- এই লস্কর কী করবে ? লস্কর বা সেনা সর্বদা বিজয় প্রাপ্ত করে। সেনা বিজয়ের জন্যই
হয়। শত্রুর সাথে সংগ্রাম করবার জন্যই সেনা রাখা হয়। তো মায়া অরির উপর বিজয় লাভ
করা, এটাই হল তোমাদের সকলের কর্তব্য। সর্বদা এই কর্তব্যকে মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে
থাকো। কেননা সময় তীব্র গতিতে এগিয়ে চলেছে। সময়ের গতিবেগ তীব্র আর তোমাদের গতিবেগ
দুর্বল হলে, তবে সময় মতো পৌঁছাতে পারবে না। সেইজন্য গতিকে তীব্র করো। যারা স্লো হয়ে
যায়, তারাই শিকার হয়ে যায়। শক্তিশালী সদা বিজয়ী হয়। তো তোমার সবাই বিজয়ী তো ?
সর্বদা লক্ষ্য এটাই রাখো যে, সুবুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে সদা অগ্রচালিত হতে হবে। কেননা
কুমারীদের কোনো বন্ধন নেই। যতদূর সেবা করতে চায় করতে পারে। সদা নিজেকে আমি হলাম
বাবার এবং বাবার জন্য, এইরূপ মনে করে এগিয়ে যাও। যারা সেবার জন্য নিমিত্ত হয়, খুশী
আর শক্তি তাদের স্বতঃই প্রাপ্ত হতে থাকে। সেবার ভাগ্য কোটির মধ্যেও কতিপয়-এরই
প্রাপ্ত হয়। কুমারীরা হল সদা পূজ্য আত্মা। নিজের পূজ্য স্বরূপকে স্মৃতিতে রেখে,
সকল কর্ম করো। আর প্রতিটি কর্মের পূর্বে চেক করো যে, এই কাজটি পূজ্য আত্মার উপযুক্ত
? যদি পরিপন্থী হয়, তবে তাকে পরিবর্তন করে নাও। পূজ্য আত্মারা কখনো সাধারণ হয় না,
মহান হয়ে থাকে। ১০০ ব্রাহ্মণদের থেকেও উত্তম হলে তোমরা কুমারীরা। তাই এক একজন
কুমারীকে ১০০ ব্রাহ্মণ তৈরী করতে হবে । তাদের সেবা করতে হবে। কুমারীরা কামাল করে
দেওয়ার মতো কোন্ প্ল্যান তৈরী করেছে ? কোনো আত্মার কল্যাণ করা, এর চেয়ে বড় কিছু আর
কী হতে পারে, আর কীই বা হবে ! তোমরা তোমাদের নিজেদের আমোদে থাকো, তাই না ! কখনো
জ্ঞানের আমোদে, কখনো স্মরণের আমোদে রয়েছ তোমরা। কখনো (প্রভু) প্রেমের আমোদে। আমোদই
আমোদ। সঙ্গমযুগই হল আমোদের যুগ। আচ্ছা -- কুমারীদের উপরে বাপদাদার সবসময়ই নজর থাকে।
কুমারীদের নিজেদেরকে কী তৈরী করছে -- সেটা তাদের উপর। কিন্তু বাপদাদা তো সবাইকে
বিশ্বের মালিক বানাতে এসেছেন। সদা, বিশ্বের মালিক আমি, এই খুশী এবং নেশা যেন থাকে।
সদা অক্লান্ত সেবায় অগ্রচালিত হতে থাকো। আচ্ছা !
বরদান:-
করনহার (নিমিত্ত ভাব) এবং করাবনহারের (তিনি করাচ্ছেন)
স্মৃতির দ্বারা লাইটের রাজমুকুটধারী ভব
আমি নিমিত্ত কর্মযোগী, করনহার আমি, বাবা হলেন
করাবনহার -- এই স্মৃতি যদি স্বাভাবিক রূপে থাকে, তবে লাইটের তাজধারী বা চিন্তামুক্ত
( বেফিকর) বাদশাহ হয়ে যায়। কেবল বাবা আর আমি, তৃতীয় কেউ নয় -- এই অনুভূতি সহজেই
চিন্তামুক্ত বানিয়ে দেয়। যারা এমন বাদশাহ হয়ে যায়, তারাই মায়াজিৎ,
কর্মেন্দ্রীয়জিৎ এবং প্রকৃতিজিৎ হয়ে যায়। কিন্তু ভুলেও যদি কোনো প্রকারের ব্যর্থ
ভাবের বোঝা নিজের মাথায় উঠিয়ে নেয়, তবে রাজমুকুটের পরিবর্তে চিন্তা বোঝাই অনেক
ঝুড়ি শিরোপরি এসে যায়।
স্লোগান:-
সকল বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আত্মীয় পরিজন থেকে
নষ্টমোহ হও।
সূচনা :- আজ তৃতীয় রবিবার,
অন্তর্রাষ্ট্রীয় যোগ দিবস, সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত সব ভাই বোন
সংগঠিতভাবে একত্রিত হয়ে অভ্যাস কালে সকল আত্মাদের প্রতি এই শুভ ভাবনা রাখুন - "সকল
আত্মাদের যেন কল্যাণ হয় । সকল আত্মারা সত্য পথে পরিচালিত হয়ে পরমাত্ম উওরাধিকারের
অধিকার যেন প্রাপ্ত করতে পারে" । "আমি হলাম বাবা সম সকল আত্মাদেরকে মুক্তি
জীবনমুক্তির বরদান প্রদানকারী আত্মা" ।