03.01.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
বাবা এসেছেন তোমাদের বুদ্ধি স্বচ্ছ করতে, যখন স্বচ্ছ হবে তখন তোমরা দেবতা হতে পারবে"
প্রশ্নঃ -
এই ড্রামার
পূর্ব নির্দিষ্ট প্ল্যান কি, যার থেকে বাবারও ছাড় নেই ?
উত্তরঃ -
প্রতি কল্পে বাবাকে নিজের বাচ্চাদের কাছে আসতেই হবে, পতিত দুঃখী বাচ্চাদের সুখী
করতেই হবে - ড্রামায় এই প্ল্যান নির্দিষ্ট আছে, এই বন্ধন থেকে বাবারও মুক্তি পাওয়া
সম্ভব নয় ।
প্রশ্নঃ -
শিক্ষা
প্রদানকারী বাবার মুখ্য বিশেষত্ব কি ?
উত্তরঃ -
তিনি খুব নিরহংকারী হয়ে পতিত দুনিয়া, পতিত দেহে আসেন। বাবা এই সময়ে তোমাদের
স্বর্গের মালিক করেন, তোমরা পরে দ্বাপর যুগে তাঁর জন্য সোনার মন্দির তৈরি করো ।
গীতঃ-
এই পাপের
দুনিয়া থেকে বহু দূরে নিয়ে চলো.....
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি
আত্মা রূপী বাচ্চারা এই গীত শুনলো যে দুইটি দুনিয়া আছে - এক পাপের দুনিয়া, আর এক
পুণ্যের দুনিয়া। দুঃখের দুনিয়া ও সুখের দুনিয়া। সুখ অবশ্যই নতুন দুনিয়া, নতুন বাড়িতে
সম্ভব। পুরানো বাড়িতে দুঃখ-ই থাকে, তাই পুরানো বাড়ি নষ্ট করা হয়। পরে নতুন বাড়িতে
সুখে বাস করা হয়। এখন বাচ্চারা জানে ভগবানকে কোনো মানুষ মাত্রই জানে না। রাবণ রাজ্যে
থাকার জন্য একেবারেই পাথরবুদ্ধি, তমোপ্রধান বুদ্ধি হয়েছে। বাবা এসে বোঝান, আমায়
ভগবান তো বলে কিন্তু কেউ জানে না। ভগবানকে না জানলে কোনো কাজের নয়। দুঃখে হে প্রভু,
হে ঈশ্বর বলে প্রার্থনা করে। কিন্তু খুব আশ্চর্য , একটি মানুষও অসীম জগতের রচয়িতা
পিতাকে জানে না। তারা বলে দেয় ঈশ্বর সর্বব্যাপী, কচ্ছপে মৎসে পরমাত্মার বাস। এইরূপ
বলে পরমাত্মার নিন্দে করে। বাবাকে কত অপমান করে, তাই ভগবানুবাচ - যখন ভারতে আমার ও
দেবী-দেবতাদের অপমান গ্লানি করতে করতে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে তমোপ্রধান হয়, তখন আমি
আসি। ড্রামা অনুযায়ী বাচ্চারা বলে এই পার্ট প্লে করতে তবুও আসতেই হবে। বাবা বলেন,
এইরকম ড্রামা তৈরি হয়েছে। আমিও ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ। ড্রামার এই বাঁধন থেকে আমারও
মুক্তি হয় না। আমাকেও পতিতকে পবিত্র করতে আসতেই হয়। তা নাহলে নতুন দুনিয়া স্থাপন কে
করবে ? বাচ্চাদের রাবণ রাজ্যের দুঃখ থেকে মুক্ত করে নতুন দুনিয়ায় কে নিয়ে যাবে ?
যদিও এই দুনিয়ায় অনেক ধনী মানুষ আছে, তারা ভাবে আমরা তো স্বর্গে বসে আছি, ধন, মহল,
বিমান সবই আছে কিন্তু হঠাৎ কেউ রুগী হয়ে যায়, বসে বসে মারা যায়, দুঃখ কষ্ট হয়।
তাদের এই কথা জানা নেই যে সত্যযুগে কখনও অকালে মৃত্যু হয় না, দুঃখের কোনও কথা নেই।
সেখানে আয়ুও বেশি থাকে। এখানে তো হঠাৎ মৃত্যু হয়। সত্যযুগে এমন কথা হয় না। সেখানে
কি হয় ? এই কথাও কেউ জানেনা তাই বাবা বলেন কত তুচ্ছ বুদ্ধি হয়েছে। আমি এসে এদের
স্বচ্ছ বুদ্ধিতে পরিণত করি। রাবণ পাথরবুদ্ধি, তুচ্ছ বুদ্ধি করে। ভগবান স্বচ্ছ বুদ্ধি
করছেন। বাবা তোমাদের মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত করছেন। সব বাচ্চারা বলে সূর্য বংশী
মহারাজা-মহারানী হতে এসেছি। মুখ্য লক্ষ্যটি সামনে আছে। নর থেকে নারায়ণ হতে হবে। এই
হল সত্য নারায়ণের কাহিনী। তারপরে ভক্তিতে ব্রাহ্মণ ব্রতকথা পাঠ করে শোনাতে থাকে।
সত্যি করে কেউ নর থেকে নারায়ণ হয় না। তোমরা তো যথাযথ ভাবে নর থেকে নারায়ণ হতে এসেছ।
কেউ জিজ্ঞাসা করে আপনাদের এই সংস্থার উদ্দেশ্য কি ? বলো, নর থেকে নারায়ণ হওয়া - এই
হল আমাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু এই স্থানটি কোনও সংস্থা নয়। এই হল এক পরিবার। মাতা, পিতা
ও সন্তানরা বসে আছে। ভক্তি মার্গে তো গায়ন ছিল তুমি মাতা-পিতা ....। হে মাতা-পিতা
যখন আপনি আসেন তখন আমরা আপনার কাছে গহন সুখের অধিকার প্রাপ্ত করি, আমরা বিশ্বের
মালিক হই। এখন তোমরা বিশ্বের মালিক হও তাইনা, তাও স্বর্গের মালিক। এবারে এমন পিতাকে
দেখে খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। যাঁকে অর্ধকল্প অর্থাৎ ভক্তিমার্গে স্মরণ করা
হয়েছে - হে ভগবান আসুন, আপনি এলে আমরা আপনার কাছে ঘন সুখ প্রাপ্ত করব। অসীম জগতের
পিতা তো অসীমের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করেন, তাও ২১ জন্মের জন্য। বাবা বলেন -
আমি তোমাদের দৈব সম্প্রদায়ে পরিণত করি, রাবণ তোমাদের অসুরী সম্প্রদায় করেছে। আমি আদি
সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করি। সেখানে পবিত্রতার জন্য আয়ুও বেশি থাকে। এখানে
হল ভোগী, হঠাৎ মৃত্যু হয়। সেখানে যোগের দ্বারা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে থাকে। আয়ুও
থাকে ১৫০ বছর। নিজ নির্দিষ্ট সময়ে একটি দেহ ছেড়ে অন্য দেহে প্রবেশ করে। তো এই নলেজ
বাবা বসে প্রদান করেন। ভক্তগণ ভগবানের খোঁজ করে, ভাবে শাস্ত্র পাঠ করা, তীর্থ
ইত্যাদি করা - এইসব ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পথ। বাবা বলেন এইগুলি পথ নয়। পথ তো
আমি বলে দেব। তোমরা তো বলতে - হে অন্ধের লাঠি প্রভু আসুন, আমাদের শান্তিধাম -সুখধাম
নিয়ে চলুন। অর্থাৎ বাবা সুখধামের পথ বলে দেন। বাবা কখনও দুঃখ দেন না। সে তো বাবার
নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে দেয়। কেউ মারা গেলে ভগবানকে গালাগালি দেয়। বাবা বলেন আমি তো
কারো মৃত্যুর কারণ নই বা দুঃখ কষ্ট দিই না। এই হল প্রত্যেকের নিজস্ব পার্ট। আমি যে
রাজ্য স্থাপন করি, সেখানে অকালে মৃত্যু, দুঃখ ইত্যাদি কখনও হয়ই না। আমি তোমাদের
সুখধামে নিয়ে যাই। বাচ্চাদের শিহরণ অনুভব হওয়া উচিত। ওহো, বাবা আমাদের পুরুষোত্তম
বানাচ্ছেন। মানুষ তো এই কথা জানে না যে সঙ্গমযুগকে পুরুষোত্তম বলা হয়। ভক্তি মার্গে
ভক্তগণ বসে পুরুষোত্তম মাস ইত্যাদি বানিয়েছে। বাস্তবে হল পুরুষোত্তম যুগ, যখন বাবা
এসে উঁচু থেকে উঁচু স্বরূপে পরিণত করেন। এখন তোমরা পুরুষোত্তম হচ্ছ। সবচেয়ে উঁচু
থেকে উঁচু পুরুষোত্তম স্বরূপ হলেন লক্ষ্মী-নারায়ণ। মানুষ তো কিছুই বোঝে না। উত্তরণ
কলায় একমাত্র বাবা নিয়ে যেতে পারেন। সিঁড়ির চিত্র দ্বারা কাউকে বোঝানো খুব সহজ। বাবা
বলেন এখন খেলা টি পূর্ণ হয়েছে, ঘরে ফিরে চলো। এখন এই পুরানো ছিঃ ছিঃ বস্ত্র আবরণ
ত্যাগ করতে হবে। তোমরা প্রথমে নতুন দুনিয়ায় সতোপ্রধান ছিলে তারপরে ৮৪ জন্ম ভোগ করে
তমোপ্রধান শূদ্র হয়েছ। এখন আবার শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছ। এখন বাবা ভক্তির ফল দিতে
এসেছেন। বাবা সত্যযুগে ফল দিয়েছিলেন। বাবা হলেন সুখ দাতা। পতিত-পাবন পিতা আসেন তখন
সম্পূর্ণ দুনিয়ার মানুষ মাত্রে নয় বরং প্রকৃতিকেও সতোপ্রধান করেন। এখন তো প্রকৃতিও
হল তমোপ্রধান। আনাজপত্র পাওয়া যায় না, তারা ভাবে আমরা এই এই কাজ করছি। আগামী বছর
অনেক ফলন হবে। কিন্তু কিছু হয় না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কি আটকানো সম্ভব ! দুর্ভিক্ষ
হবে, ভূমিকম্প হবে, অসুখ বিসুখ হবে। রক্তের নদী বইবে। এই তো সেই মহাভারতের যুদ্ধ।
এখন বাবা বলেন তোমরা নিজের অবিনাশী উত্তরাধিকার নিয়ে নাও। বাচ্চারা,আমি তোমাদের
স্বর্গের উত্তরাধিকার দিতে এসেছি। মায়া রাবণ অভিশাপ দেয়, নরকের উত্তরাধিকার প্রদান
করে। এও তো পূর্ব নির্দিষ্ট খেলা । বাবা বলেন ড্রামা অনুযায়ী আমিও শিবালয় স্থাপন করি।
এই ভারত শিবালয় ছিল, এখন হয়েছে বেশ্যালয় । বিষয় সাগরে ডুব দিতে থাকে।
এখন তোমরা বাচ্চারা জানো বাবা আমাদের শিবালয়ে নিয়ে যান তাই খুশী তো থাকা উচিত তাইনা।
আমাদের অসীম জগতের ভগবান পড়াচ্ছেন। বাবা বলেন আমি তোমাদের বিশ্বের মালিক করি।
ভারতবাসী নিজের ধর্ম কে জানেনা। আমাদের বংশ তো বিশাল যার থেকে অনেক বংশ বিস্তার করে।
আদি সনাতন কোন ধর্ম, কোন বংশ ছিল - এই কথা বোঝে না। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের
বংশ, তারপরে দ্বিতীয় নম্বরে চন্দ্রবংশীদের বংশ, তারপরে ইসলামী ধর্মের বংশ। সম্পূর্ণ
বৃক্ষের রহস্য অন্য কেউ বোঝাতে পারে না। এখন তো দেখো অনেক বংশ আছে। শাখা-প্রশাখা কত
আছে। এ হল ভ্যারাইটি ধর্মের বৃক্ষ, এই সব কথা বাবা এসে বোধগম্য করান। এইটি হল
পড়াশোনা, এই পড়া তো রোজ পড়া উচিত । ভগবানুবাচ - আমি তোমাদের রাজার রাজা করি। পতিত
রাজা তো বিনাশী ধন দান করলেও হওয়া যায়। আমি তোমাদের এমন পবিত্র করি যে তোমরা ২১
জন্মের জন্য বিশ্বের মালিক হও। সেখানে কখনও অকালে মৃত্যু হয় না। নিজের সময়ে শরীর
ত্যাগ করে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের ড্রামার রহস্য বুঝিয়েছেন। বাইসকোপ, ড্রামা
ইত্যাদি যা আছে সেসব বোঝানোও হয় সহজ। আজকাল ড্রামা ইত্যাদি তো অনেক তৈরি হয়।
মানুষের শখ অনেক। ও সব হল জাগতিক লোকের, আর এ হল অসীম জগতের। এই সময় মায়ার আড়ম্বর
অনেক। মানুষ ভাবে - এখন তো স্বর্গ তৈরি। এর আগে এত বড় বড় বিল্ডিং ইত্যাদি ছিল নাকি।
এখন তো কত অপোজিশন আছে। ভগবান স্বর্গ রচনা করেন তো মায়াও নিজের স্বর্গ প্রদর্শন করে।
এইসব হল মায়ার আড়ম্বর। এর পতন হবেই খুব শক্তিশালী মায়া। তোমাদের সেসব থেকে মুখ
ফিরিয়ে থাকতে হবে। বাবা হলেন গরিব নিবাজ অর্থাৎ দীনের নাথ। এই সময় ধনীদের জন্য
স্বর্গ, গরিব রা নরকে আছে। অতএব এখন নরকবাসীদের স্বর্গবাসী করতে হবে। গরিব মানুষ
অবিনাশী উত্তরাধিকার নেবে, ধনী মানুষ তো ভাবে আমরা স্বর্গে বসে আছি। স্বর্গ-নরক তো
সব এখানেই। এইসব কথা গুলি এখন তোমরা বুঝেছ। ভারত কাঙাল হয়েছে। ভারত-ই বিশাল ধনী ছিল।
একটি মাত্র আদি সনাতন ধর্ম ছিল। এখনও কত পুরানো জিনিস বের করতে থাকে। বলে এত বছর
পুরানো জিনিস। হাড় ইত্যাদি বের করে, বলে লক্ষ বছরের। এবারে লক্ষ বছরের হাড় কোথা থেকে
বেরোতে পারে। সেসবের দামও অনেক রাখে।
বাবা বোঝান, আমি এসে সবার সদগতি করি, ব্রহ্মার দেহে প্রবেশ করে আসি। এই ব্রহ্মা
হলেন সাকারী, ইনিই সূক্ষ্মবতনবাসী ফরিশ্তা হন। উনি হলেন অব্যক্ত, ইনি হলেন ব্যক্ত।
বাবা বলেন আমি অনেক জন্মের শেষ জন্মে আসি, যিনি একনম্বর পবিত্র তিনি নম্বরওয়ান পতিত
হন । আমি এনার (ব্রহ্মার) মধ্যে আসি কারণ ব্রহ্মাকেই নম্বরওয়ান পবিত্র হতে হবে। ইনি
নিজেকে বলেন না আমি ভগবান, আমি অমুক। বাবাও বোঝেন আমি এই দেহে প্রবেশ করে ব্রহ্মা
দ্বারা সবাইকে সতোপ্রধান করি। এখন বাবা বাচ্চাদের বোঝান তোমরা অশরীরী এসেছিলে তারপরে
৮৪ জন্ম নিয়ে পার্ট প্লে করেছ, এখন ফিরে যেতে হবে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো,
দেহ-অভিমান ত্যাগ করো। শুধুমাত্র স্মরণের যাত্রায় থাকতে হবে অন্য কোনও কষ্ট নেই। যে
পবিত্র হবে, নলেজ শুনবে সে-ই বিশ্বের মালিক হবে। বিরাট এই স্কুল। যিনি পড়াচ্ছেন তিনি
পিতা, তিনি নিরহংকারী হয়ে পতিত দুনিয়ায়, পতিত দেহে আসেন। ভক্তি মার্গে তোমরা তাঁরই
জন্য কত ভালো সোনার মন্দির তৈরি কর। এইসময় তোমাদের স্বর্গের মালিক করি তাই পতিত দেহে
এসে বসি। তারপরে ভক্তি মার্গে তোমরা আমাকে সোমনাথ মন্দিরে বসাও। সোনা ও হীরের
মন্দির বানাও। কারণ তোমরা জানো আমাদের স্বর্গের মালিক করেন তাই তোমরা আপ্যায়ন কর।
এই সব রহস্য বুঝিয়েছেন। ভক্তি প্রথমে অব্যভিচারী পরে ব্যভিচারী হয়। আজকাল দেখো
মানুষেরও পুজো করা হয়। গঙ্গা নদীর তীরে দেখো শিবোহম্ বলে বসে যায়। মাতা-রা গিয়ে দুধ
ইত্যাদি অর্ঘ্য দেয়, পূজা করে। ব্রহ্মাবাবা নিজে এইসব করেছেন, নম্বরওয়ান পূজারী
ছিলেন তাইনা। আশ্চর্য তাইনা। বাবা বলেন এই দুনিয়াটা হল ওয়ান্ডারফুল । কীভাবে স্বর্গে
পরিণত হয়, কীভাবে নরকে পরিণত হয় - সেসব রহস্য বাচ্চাদেরকে বোঝাতে থাকেন। এই জ্ঞান
তো শাস্ত্রে নেই। ওই সব হল ফিলোসফির শাস্ত্র। এ হল আধ্যাত্মিক জ্ঞান (স্পিরিচুয়াল
নলেজ) যা আত্মাদের পিতা (রূহানী ফাদার) ব্যতীত অথবা তোমরা ব্রাহ্মণরা ছাড়া কেউ দিতে
পারে না। আর তোমরা ব্রাহ্মণরা ছাড়া অন্য কেউ এই রূহানী নলেজ প্রাপ্ত করতে পারে না।
যতক্ষণ ব্রাহ্মণ না হবে তো দেবতাও হতে পারবে না। বাচ্চারা, তোমাদের অনেক খুশীতে থাকা
উচিত, ভগবান আমাদের পড়ান, শ্রীকৃষ্ণ নয়। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
মায়ার বিশাল আড়ম্বর, সেসব থেকে নিজের মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। সর্বদা এই খুশীতে থাকো
যে আমরা পুরুষোত্তম হচ্ছি, ভগবান আমাদের পড়াচ্ছেন।
২ ) বিশ্বের রাজ্য-ভাগ্য নিতে শুধুমাত্র পবিত্র হতে হবে। বাবা যেমন নিরহংকারী হয়ে
পতিত দুনিয়া, পতিত দেহে আসেন, তেমনই বাবার মতন নিরহংকারী হয়ে সেবা করতে হবে।
বরদান:-
সকল সীমিত কামনা গুলির উপরে বিজয় প্রাপ্তকারী কামজিত জগৎজিত ভব
ব্যাখা: কাম বিকারের
অংশ হল দেহের সর্ব কামনা। কামনা এক হল বস্তুর, দ্বিতীয় হল ব্যক্তি দ্বারা সীমিত
প্রাপ্তির, তৃতীয় হল সম্বন্ধ ধরে রাখতে, চতুর্থ হল সেবা ভাবনায় সীমিত কামনার ভাব।
কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকা, বলে থাকে - ঠিক ইচ্ছা নয়, কেবল
ভালো লাগে। এও হল কাম বিকারের অংশ বিশেষ। যখন এই সূক্ষ্ম অংশটুকুও সমাপ্ত হবে, তখন
বলা হবে কাম জিত জগৎজিত।
স্লোগান:-
হৃদয়ের অনুভূতি দ্বারা দিলারাম বাবার আশীর্বাদ প্রাপ্ত করার অধিকারী হও।
অব্যক্ত স্থিতির
অনুভব করার জন্য বিশেষ হোমওয়ার্ক
যে কোনও কর্ম করতে সর্বদা এই স্মৃতি যেন থাকে যে প্রতি টি কর্মে বাপদাদা আমার
সঙ্গেও আছেন এবং আমাদের এই অলৌকিক জীবনের হাত টি তাঁরই হাতে আছে অর্থাৎ জীবনটি তাঁর
কাছে সমর্পিত। তখন সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর। সর্ব ভার বাবাকে দিয়ে নিজেকে হালকা করে
দাও তাহলে কর্ম যোগী ফরিশ্তা হয়ে যাবে।