17.01.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
এই পুরানো দুনিয়ায় কোনও সার নেই, তাই তোমাদের মন এই দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া উচিত
নয়, বাবার স্মরণ বিচ্ছিন্ন হলে দন্ড ভোগ করতে হবে"
প্রশ্নঃ -
বাবার মুখ্য
ডাইরেকশন কি ? সেই ডাইরেকশন উলঙ্ঘন হয় কেন ?
উত্তরঃ -
বাবার ডাইরেকশন হল কারো সেবা নিও না, কারণ তোমরা নিজেরা হলে সার্ভেন্ট। কিন্তু
দেহ-অভিমানের বশে বাবার এই ডাইরেকশনের উলঙ্ঘন করা হয়। বাবা বলেন তোমরা এইখানে সুখ
গ্রহণ করলে সুখ ধামের সুখ কম হয়ে যাবে। অনেক সময় বাচ্চারা বলে আমরা ইনডিপেন্ডেন্ট
থাকবো, কিন্তু তোমরা সবাই তো বাবার উপরে ডিপেন্ড করো ।
গীতঃ-
মনের ভরসা যেন
না ছিন্ন হয়......
ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবানুবাচ
নিজের শালিগ্রামদের উদ্দেশ্যে। শিব ও শালিগ্রামকে তো সব মানুষ জানে। দুই-ই হল
নিরাকার। কৃষ্ণ ভগবানুবাচ বলা যাবে না। ভগবান হলেন এক। সুতরাং শিব ভগবানুবাচ কাদের
প্রতি ? আত্মা রূপী সন্তানদের প্রতি। বাবা বুঝিয়েছেন, বাচ্চাদের এখন কানেকশন আছে
বাবার সঙ্গে, কারণ পতিত-পাবন জ্ঞানের সাগর, স্বর্গের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদানকারী
হলেন শিববাবা। স্মরণও তাঁকেই করতে হবে। ব্রহ্মা হলেন তাঁর ভাগ্যশালী রথ। রথের দ্বারা
বাবা উত্তরাধিকার প্রদান করেন। ব্রহ্মা স্বর্গের উত্তরাধিকার দেন না, তিনি তো
প্রাপ্ত করেন। অতএব বাচ্চারা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। কথাটি
বোঝো রথের কোনও কষ্ট হলে বা কারণে - অকারণে বাচ্চারা মুরলী না পেলে বাচ্চাদের
সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন যায় শিববাবার দিকে। তিনি তো কখনও রোগ গ্রস্ত হবেন না। বাচ্চারা
এত জ্ঞান অর্জন করেছে যে অন্যদেরও বোঝাতে পারে। প্রদর্শনীতে বাচ্চারা কত বোঝায়।
বাচ্চাদের জ্ঞান তো আছে, তাইনা। প্রত্যেকের বুদ্ধিতে চিত্রের জ্ঞান ভরা আছে।
বাচ্চাদের কোনোরকম বাধা নেই। ধরো যদি পোস্ট আসা বন্ধ হয়ে যায়, বা স্ট্রাইক হয়ে যায়
তো তখন কি করবে ? জ্ঞান তো আছে বাচ্চাদের। বোঝাতে হবে সত্যযুগ ছিল, এখন কলিযুগ হল
পুরানো দুনিয়া। গীতেও বলা হয়েছে পুরানো দুনিয়ায় কোনও সার নেই, এই দিকে মন দেবে না।
নাহলে দন্ড ভোগ করবে। বাবার স্মরণ দ্বারা দন্ড ভোগ কম হবে। এমন যেন না হয় বাবার
স্মরণ বিচ্ছিন্ন হয় এবং দন্ড ভোগ হোক এবং পুরানো দুনিয়ায় ফিরে যাও। এমন অনেকে চলে
গেছে, যাদের বাবার কথা মনে নেই। পুরানো দুনিয়ায় মন বসেছে, বর্তমান সময় খুব খারাপ।
কারো প্রতি মনোনিবেশ করলে দন্ড প্রাপ্ত হবে।বাচ্চাদের জ্ঞান শুনতে হবে। ভক্তি
মার্গের গীতও শুনবে না। এখন তোমরা হলে সঙ্গমে। জ্ঞানের সাগর পিতা দ্বারা তোমরা
সঙ্গমে জ্ঞান প্রাপ্ত কর। দুনিয়ায় কেউ জানেনা যে জ্ঞান সাগর হলেন একজন। তিনি যখন
জ্ঞান প্রদান করেন তখন মানুষের সদগতি হয়। সদগতি দাতা একজনই তাঁর মতানুযায়ী চলতে হবে।
মায়া কাউকে ছাড়ে না। দেহ-অভিমানের বশে কিছু ভুল হয়ে যায়। কেউ সেমি কাম বিকারের বশ
হয়, কেউ ক্রোধের বশ হয়। মনে চিন্তার অনেক ঝড় ওঠে - প্রেম করি, এই করি সেই করি
ইত্যাদি। কারো দেহের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যাবে না। বাবা বলেন, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো,
তাহলে শরীরের অনুভূতি থাকবে না। তা নাহলে বাবার আদেশ ঠিকমত পালন হয় না।
দেহ-অহংকারের বশে অনেক ক্ষতি হয়। তাই দেহ সহ সব-কিছু ভুলে যেতে হবে। শুধুমাত্র
বাবাকে এবং পরমধামকে স্মরণ করতে হবে। আত্মাদের বাবা বোঝান, শরীর দ্বারা কর্ম করতে
করতে আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম ভস্ম হয়ে যাবে। রাস্তা তো খুবই সহজ। এই কথাও
বোঝেন তোমাদের দ্বারা ভুল হতেই থাকে। কিন্তু এমন যেন না হয় - ভুল করায় অভ্যস্ত হয়ে
যাও। একবার ভুল করলে সেই ভুল দ্বিতীয়বার করা উচিত নয়। নিজের কান ধরা উচিত, এই ভুল
আর হবে না। পুরুষার্থ করা উচিত। যদি ক্ষণে ক্ষণে ভুল হয় তো বোঝা উচিত যে আমাদের
অনেক ক্ষতি হবে। ভুল করতে করতে দুর্গতি হয়েছে তাইনা। এত বিশাল সিঁড়ি নেমে কি রূপ
পরিণতি হয়েছে ! আগে তো এই জ্ঞানও ছিল না। এখন নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী
জ্ঞানে সবাই প্রবীণ হয়েছে। যত খানি সম্ভব অন্তর্মুখীও থাকতে হবে, মুখে কিছু বলবে
না। যারা জ্ঞানে প্রবীণ বাচ্চারা আছে, তারা কখনও পুরানো দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হবেনা।
তাদের বুদ্ধিতে থাকবে আমরা তো রাবণ রাজ্যের বিনাশ করতে চাই। এই শরীরটিও পুরানো রাবণ
সম্প্রদায়ের তাহলে আমরা রাবণ সম্প্রদায়কে স্মরণ করব কেন ? এক রামের স্মরণে থাকবো।
সত্য পিতাব্রতা হই তাইনা।
বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করতে থাকো তো তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। পিতাব্রতা বা
ভগবানব্রতা হওয়া উচিত। ভক্ত ভগবানকেই স্মরণ করে যে - হে ভগবান ! এসে আমাদের
সুখ-শান্তির উত্তরাধিকার দাও। ভক্তি মার্গে তো প্রাণ দান করে, বলিদান করে। এখানে বলি
ইত্যাদি দেওয়ার কোনও কথা নেই। আমরা তো জীবিত অবস্থাতেই মৃতবত থাকি অর্থাৎ নিজের বলি
দান করি। এই হল জীবিত থেকেই বাবার আপন হওয়া কারণ তাঁর কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে
হবে। তাঁরই মত অনুযায়ী চলতে হবে। জীবিত অবস্থায় বলি দান করা, সমর্পিত হওয়া বাস্তবে
বর্তমানের কথা। ভক্তি মার্গে তারা আত্মঘাত ইত্যাদি করে। এখানে আত্মঘাত ইত্যাদির কথা
নেই। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, বাবার সঙ্গে যোগ যুক্ত হও, দেহ-অভিমানে
থেকো না। উঠতে-বসতে বাবাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ করতে হবে। ১০০% পাস তো কেউ হয়নি।
নীচে-উপরে হতেই থাকে। ভুল হতে থাকে, তার উপরে সতর্ক বাণী যদি না প্রাপ্ত হয়, তাহলে
ভুল করা ত্যাগ করবে কীভাবে ? মায়া কাউকেই ছাড়ে না। বাচ্চারা বলে বাবা আমরা মায়ার
কাছে পরাজিত হই, পুরুষার্থ করি তবুও কি যে হয়। কঠিন ভুল হয়ে যায় কীভাবে । তারা বুঝতে
পারে ব্রাহ্মণ কুলে এর ফলে আমাদের নাম বদনাম হয়। তবুও মায়ার এমন আক্রমণ হয় যে
বুদ্ধিহীন করে দেয়। দেহ-অভিমানে এসে বুদ্ধিহীন হয়। বুদ্ধিহীনের কর্ম নিস্পাদনে
গ্লানিও হয়, বর্সাও কম হয়। এমন অনেক ভুল করে। মায়া এমন জোরে চড় দেয় তো নিজে তো হেরে
যায় তারপরে ক্রোধ বশতঃ অন্য কাউকে চড় বা জুতো ইত্যাদি দিয়ে মারধর করে , পরে অনুশোচনা
হয়। বাবা বলেন এখন তো অনেক পরিশ্রম করতে হবে। নিজের ক্ষতি করলে অন্যেরও ক্ষতি করলে
কত ক্ষতি হয়ে গেল। রাহুর গ্রহণ লেগেছে। এখন বাবা বলছেন দান করো তাহলে গ্রহণ মিটবে।
রাহুর গ্রহণ লাগলে তো মিটতে সময় লাগে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে নামতে মুশকিল হয়।
মানুষের মদ্যপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে কত মুশকিল অনুভব হয়। সবচেয়ে বড় ভুল হল - মুখ
কালো করা অর্থাৎ কাম বিকারে লিপ্ত হওয়া। ক্ষণে ক্ষণে শরীর স্মরণে আসে। তারপরে
সন্তান জন্ম হয় তখন তাদের স্মৃতি মনে থাকে। তারা তখন অন্যদের কি জ্ঞান প্রদান করবে।
তাদের কথা কেউ শুনবেও না। আমরা তো এখন সব ভুলে একের স্মরণে থাকার চেষ্টা করি। এতেই
খুব সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। মায়া খুব প্রবল। সারা দিন শিববাবাকে স্মরণ করার
চিন্তন থাকা উচিত। এবারে নাটক পূর্ণ হয়েছে, আমাদের ফিরতে হবে। এই শরীরটিও শেষ হবে।
বাবাকে যত স্মরণ করবে দেহ-অভিমান নষ্ট হতে থাকবে অন্য কারো স্মৃতি থাকবে না। এই
লক্ষ্যটি কত উঁচুতে, এক বাবা ব্যতীত কারো প্রতি মন থেকে আকৃষ্ট হবে না। তা নাহলে
অবশ্যই সামনে আসবে। শোধ নিতে আসবে। এই লক্ষ্য খুব উঁচুতে । বলা তো খুব সহজ, লক্ষে
একটি দানা বেরোয়। কেউ স্কলারশিপও নেয়, তাইনা। যারা খুব ভালো পরিশ্রম করবে, নিশ্চয়ই
স্কলারশিপ নেবে। সাক্ষী হয়ে দেখবে, কীভাবে সার্ভিস করি ? অনেক বাচ্চারা চায় দৈহিক
জগতের সার্ভিস ছেড়ে এই সার্ভিস করি। কিন্তু বাবা পরিস্থিতিও দেখেন। একা আছে, কোনও
আত্মীয় নেই তবে ঠিক আছে। তবুও বলেন চাকরিও করো এবং এই সেবাও করো। চাকরিতে অনেকের
সঙ্গে দেখা হবে। তোমরা বাচ্চারা অনেক জ্ঞান প্রাপ্ত করেছ। বাচ্চাদের দ্বারা বাবাও
অনেক সার্ভিস করাতে থাকেন। কারো মধ্যে প্রবেশ করে সার্ভিস করেন। সার্ভিস তো করতেই
হবে। যার মাথায় মামলা (দায়িত্ব) তিনি ঘুমাবেন কি করে ! শিববাবা তো হলেন জাগ্রত
জ্যোতি। বাবা বলেন, আমি তো দিন-রাত সার্ভিস করি, ক্লান্ত তো হয় শরীর । তখন আত্মা কি
করে, শরীর কাজ করে না। বাবা তো হলেন অথক (ক্লান্তি নেই যাঁর), তাইনা। তিনি হলেন
জাগ্রত জ্যোতি, সম্পূর্ণ দুনিয়াকে জাগ্রত করেন। তাঁর পার্টও হল ওয়ান্ডারফুল, যা
বাচ্চারা তোমাদের মধ্যেও খুব কম বাচ্চারাই জানে। কালের কাল হলেন বাবা। তাঁর আদেশ
পালন না করলে ধর্মরাজের দন্ড ভোগ করতে হবে। বাবার মুখ্য ডাইরেকশন হল কারো সেবা নিও
না। কিন্তু দেহ-অভিমানে এসে বাবার আদেশ উলঙ্ঘন করে। বাবা বলেন তোমরা হলে নিজেরাই
সার্ভেন্ট। এখানে সুখ নেবে তো স্বর্গে সুখ কম হয়ে যাবে। অভ্যেস হয়ে যায় সার্ভেন্ট
ছাড়া থাকতে পারে না। অনেকে বলে আমরা তো ইন্ডিপেন্ডেন্ট থাকবো কিন্তু বাবা বলেন
ডিপেন্ড থাকা ভালো। তোমরা সবাই বাবার উপরে ডিপেন্ড কর। ইন্ডিপেন্ডেন্ট হলে পতন হয়।
তোমরা সবাই ডিপেন্ড কর শিববাবার উপরে। সম্পূর্ণ দুনিয়া ডিপেন্ড করে, তবেই তো বলে হে
পতিত-পাবন এসো। তাঁর কাছেই সুখ-শান্তি প্রাপ্ত হয়, কিন্তু বুঝতে পারেনা। এই ভক্তি
মার্গের সময়টিও পাস করতেই হবে, যখন রাত পুরো হয় তখন বাবা আসেন। এক সেকেন্ডের তফাৎ
হতে পারেনা। বাবা বলেন আমি এই ড্রামার জ্ঞাতা। ড্রামার আদি, মধ্য, অন্ত কে আর কেউ
জানেনা। সত্যযুগ থেকে এই জ্ঞান লুপ্ত প্রায়। এখন তোমরা রচয়িতা ও রচনার আদি, মধ্য,
অন্তকে জানো, একেই জ্ঞান বলা হয়, বাকি সব হল ভক্তি। বাবাকে নলেজফুল বলে।সেই নলেজ
আমাদের প্রাপ্ত হচ্ছে। বাচ্চাদের নেশাও ভালোরকম হওয়া উচিত। কিন্তু এ কথাও বুঝতে পারে
যে রাজধানী স্থাপন হয়। কেউ কেউ তো প্রজাতেও সাধারণ দাস দাসী হয়। জ্ঞান একটুও বুঝতে
পারেনা। ওয়ান্ডার কিনা ! জ্ঞান তো খুবই সহজ। ৮৪ জন্মের চক্র এখন পূর্ণ হয়েছে। এখন
যেতে হবে নিজের ধাম (পরম ধাম)। আমরা ড্রামার মুখ্য অ্যাক্টর্স। সম্পূর্ণ ড্রামার কথা
জেনেছি। পুরো ড্রামায় হিরো-হিরোইন অ্যাক্টর আমরা-ই। কত সহজ। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে
কি উপায় ! পড়াশোনা তেও এমন হয়। কেউ ফেল হয়, বিশাল এই স্কুল। রাজধানী স্থাপন হবে।
এখন যে যত পড়বে, বাচ্চারা জানতে পারবে আমরা কি পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করব ? অসংখ্য আছে,
সবাই উত্তরাধিকারী তো হবে না। পবিত্র হওয়া খুব মুশকিল। বাবা কত সহজ করে বোঝান, এখন
নাটক পূর্ণ হয়। বাবার স্মরণে সতোপ্রধান হয়ে, সতোপ্রধান দুনিয়ার মালিক হতে হবে।
যতখানি সম্ভব স্মরণে থাকতে হবে। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে তো বাবাকে স্মরণ না করে
অন্যদের স্মরণ করে। মন আকৃষ্ট হলে খুব কাঁদতেও হয়। বাবা বলেন এই পুরানো দুনিয়ার
প্রতি আকৃষ্ট হবে না। এই দুনিয়া তো শেষ হবে। এই কথা কেউ জানেনা। তারা তো ভাবে
কলিযুগ এখনও অনেক সময় চলবে। ঘোর নিদ্রায় মগ্ন। তোমাদের এই প্রদর্শনী হল প্রজা তৈরি
করার জন্য বিহঙ্গ মার্গের সার্ভিস। রাজা-রানীও কেউ হতে পারে। অনেকে এমন আছে যাদের
সার্ভিস করার শখ থাকে। কেউ গরিব, কেউ ধনী। অন্যদের নিজের মতন তৈরি করে, সেই সেবার
লাভ তো প্রাপ্ত হয় তাইনা। অন্ধের লাঠি হওয়া, শুধুমাত্র এই কথা বলে দেওয়া যে পিতা ও
অবিনাশী উত্তরাধিকার অর্থাৎ স্বর্গ কে স্মরণ করো, বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে। যখন বিনাশের
সময় কাছে দেখবে তখন তোমাদের কথা শুনবে। তোমাদের সার্ভিস বৃদ্ধি পাবে, তারা বুঝবে
একেবারে সঠিক কথা। তোমরা তো উচ্চ স্বরে বলতেই থাকো বিনাশ হবে।
তোমাদের প্রদর্শনী, মেলা ইত্যাদি সার্ভিস বৃদ্ধি পাবে। চেষ্টা করা উচিত যাতে ভালো
হলঘর পেয়ে যাও, ভাড়া দিতে আমরা সক্ষম। বলো, তোমাদের সুনাম বাড়বে। অনেকের কাছে এমন
হলঘর পড়ে থাকে। পুরুষার্থ করলে ৩ পা পৃথিবী পেয়ে যাবে (একটু ছোট্ট জায়গা অন্তত পেয়ে
যাবে) । ততক্ষণ তোমরা ছোট ছোট প্রদর্শনী রাখো। শিব জয়ন্তী পালন করলেও সংবাদ ধ্বনিত
হবে। তোমরা তো লেখো শিব জয়ন্তীর দিনটি ছুটির দিন ঘোষিত হোক। বাস্তবে জন্ম দিন তো
কেবল এক শিববাবার-ই পালন করা উচিত। তিনিই হলেন পতিত-পাবন। স্ট্যাম্পও বাস্তবে
প্রকৃত এই ত্রিমুর্তির রয়েছে। সত্যমেব জয়তে ... এই হল বিজয় প্রাপ্তির সময়। বোঝানোর
জন্য ভালো ভালো কয়েকজনকে চাই। সব সেন্টারের যিনি মুখ্য, তাদেরই অ্যাটেনশন দেওয়া
উচিত। নিজেদের স্ট্যাম্প বের করতে পারো। এ হল ত্রিমুর্তি শিব জয়ন্তী। শুধু শিব
জয়ন্তী বললে বুঝবে না। এখন কাজ তো বাচ্চাদেরই করতে হবে। অনেকের কল্যাণ হলে তো উঁচুতে
স্থান প্রাপ্ত করার লিফ্ট পাবে, সার্ভিসের লিফ্ট অনেক প্রাপ্ত হয়। প্রদর্শনীতে অনেক
সার্ভিস হতে পারে। প্রজা তো তৈরি হবে তাইনা। বাবা দেখেন সার্ভিসে কোন বাচ্চাদের
বিশেষ অ্যাটেনশন থাকে ! তারাই হৃদয় আসনে স্থান প্রাপ্ত করবে।আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) যদি
একবার কোনও ভুল হয়েছে তো সেই সময় কান ধরতে হবে, দ্বিতীয়বার এমন ভুল যেন না হয়। কখনও
দেহ অহংকারে আসবে না। জ্ঞানে প্রবীণ হয়ে অন্তর্মুখী থাকতে হবে।
২ ) প্রকৃত সত্য পিতাব্রতা হতে হবে, জীবিত অবস্থায় সমর্পিত হতে হবে। কারো প্রতি
আকৃষ্ট হবে না। বুদ্ধিহীনের মতন কোনও কাজ করবে না।
বরদান:-
বিশাল বুদ্ধি বিশাল হৃদয় দ্বারা আত্মীয়তার অনুভূতি করাতে সক্ষম মাস্টার রচয়িতা ভব
ব্যাখা: মাস্টার
রচয়িতার প্রথম রচনা হল - এই দেহটি। যে এই দেহের মালিক স্থিতিতে সম্পূর্ণ সফলতা
প্রাপ্ত করে নেয়, তারা নিজের স্নেহ ও সম্পর্ক দ্বারা সকলকে আত্মিক স্নেহের অনুভব
করায়। সেই আত্মার সম্পর্কে সুখের, দাতা স্থিতির, শান্তি, প্রেম, আনন্দ, সহযোগ, সাহস,
উৎসাহ, উদ্দীপনা কোনও একটি বিশেষত্বের অনুভূতি হয়। তাদেরই বলা হয় বিশালবুদ্ধি,
বিশাল হৃদয়ের অধিকারী।
স্লোগান:-
উৎসাহ-উদ্দীপনার পাখা দ্বারা সদা উড়ন্ত কলার অনুভূতি করতে থাকো ।
অব্যক্ত স্থিতির
অনুভব করার জন্য বিশেষ হোমওয়ার্ক
যে কোনও কর্ম করো, কথা বলো বা সঙ্কল্প করো তার আগে চেক করো যে, এইটি ব্রহ্মা বাবার
সমান ! ব্রহ্মা বাবার বিশেষত্ব এই ছিল - যা ভেবেছেন তাই করেছেন, যা বলেছেন তা
করেছেন। এমন ভাবেই ফলো ফাদার। নিজের স্বমানের স্মৃতি দ্বারা, বাবার সঙ্গের সমর্থী
স্বরূপ দ্বারা, দৃঢ়তা ও নিশ্চয়ের শক্তি দ্বারা শ্রেষ্ঠ পজিশনে থেকে অপজিশন সমাপ্ত
করে দাও তো অব্যক্ত স্থিতি সহজে নির্মিত হবে।