27.01.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না। কারো যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, তবে বাবাকে
রিপোর্ট করো, বাবা তাকে সাবধানবাণী দেবেন"
প্রশ্নঃ -
বাবা কোন্
কনট্রাক্ট বা ঠ্যাকা নিয়েছেন ?
উত্তরঃ -
বাচ্চাদের অবগুণ দূর করবার ঠ্যাকা নিয়েছেন। বাচ্চাদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে,
বাবা তা শোনেন, সে'গুলোকে দূর করবার জন্য আদর করে সতর্ক বাণী দিতে থাকেন। বাচ্চারা,
তোমাদের চোখে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে, তবুও তোমরা নিজের হাতে ল' তুলে নেবে না। ল'
হাতে নেওয়া - এটাও একটা ভুল।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
আত্মিক বাচ্চারা আসে বাবার কাছে রিফ্রেশ হতে, কেননা বাচ্চারা জানে যে - অসীম জগতের
বাবার থেকে অসীম বিশ্বের বাদশাহী নিতে হবে। এটা কখনোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়, তাও ভুলে
যায়। মায়া ভুলিয়ে দেয়। যদি ভুলে না যায়, তবে অনেক খুশীতে থাকবে। বাবা
বাচ্চাদেরকে বোঝান - বাচ্চারা, ব্যাজকে থেকে থেকে দেখতে থাকো। চিত্র গুলিকেও দেখতে
থাকো। ঘুরে ফিরে ব্যাজকে দেখতে থাকবে, তবে মনে থাকবে, বাবার দ্বারা বাবার স্মরণের
দ্বারা আমি এইরূপ তৈরী হচ্ছি। দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে। এটাই হল সময় নলেজ প্রাপ্ত
করবার। বাবা বলেন, মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা... দিন রাত মিষ্টি মিষ্টি বলতেই থাকেন।
বাচ্চারা বলতে পারে না - মিষ্টি মিষ্টি বাবা। বলা তো উভয়েরই উচিত। উভয়েই তো মিষ্টি
তাই না ! বেহদের বাপদাদা । কিন্তু কোনো কোনো দেহ - অভিমানী কেবলমাত্র বাবাকে 'মিষ্টি
মিষ্টি' বলে থাকে। কোনো কোনো বাচ্চারা আবার কখনো বাপদাদাকেও কিছু না কিছু বলে বলে
দেয়। কখনো বাবাকে, কখনো দাদাকেও বললো, ব্যাপারটা তো হল একই। কখনো ব্রাহ্মণীর উপরে,
কখনো নিজেদের মধ্যে মন কষাকষি করে বসে। তাই বে-হদের (হদ = সীমিত, বেহদ = অসীম) বাবা
বসে বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন। গ্রামে গ্রামে তো অনেক বাচ্চা রয়েছে, সবাইকে লিখতে
থাকেন, তোমার বিষয়ে রিপোর্ট এসেছে, তুমি রাগারাগি করো। বেহদের বাবা একে দেহ-অভিমান
বলবেন। বাবা সবাইকেই বলেন - "বাচ্চারা, দেহী-অভিমানী ভব" । সব বাচ্চারাই নীচে উপরে
(স্থিতি) হতে থাকে । তার মধ্যে মায়া যাকে শক্তিশালী (সমর্থ) পালোয়ান দেখে, তার
সাথেই লড়াই করে। মহাবীর, হনুমানের বিষয়েই দেখানো হয়েছে যে, তাদেরকেও নড়ানোর জন্য
চেষ্টা করা হয়েছে। এই সময়ই সে সকলের পরীক্ষা নেয়। মায়ার সাথে হার - জিত সকলেরই
হতে থাকে। যুদ্ধে স্মৃতি বিস্মৃতি সব হয়। যে যত বেশি স্মৃতিতে থাকে, নিরন্তর বাবাকে
স্মরণ করার প্রচেষ্টা করতে থাকে, সে ভালো পদ প্রাপ্ত করতে পারে । বাবা এসেছেন
বাচ্চাদেরকে পড়াতে, তাই তো তিনি পড়াতে থাকেন। শ্রীমৎ অনুসারে চলতে থাকতে হবে।
শ্রীমৎ অনুসারে চললেই শ্রেষ্ঠ হতে পারবে ।এর মধ্যে কারো উপর বিক্ষুব্ধ হওয়ার কোনো
কিছু নেই। বিগড়ে যাওয়া মানে ক্রোধ করা। কেউ যদি কোনো ভুল করে তবে বাবার কাছে
রিপোর্ট করতে হবে। নিজে কাউকে কিছু বলা উচিত নয়। গভর্নমেন্ট কাউকেই আইন হাতে তুলে
নিতে দেয় না। কেউ ঘুষি মারলে তাকে তুমিও ঘুষি মারবে না। রিপোর্ট করলে তার কেস হবে।
এখানেও বাচ্চাদেরকে কখনোই সামনে কিছু বলা উচিত নয়, বাবাকে বলো। সকলকে সাবধানবাণী
দিতে পারেন একমাত্র বাবা-ই। বাবা খুব মিষ্টি যুক্তি বলে দেবেন। মিষ্টতার সাথে
শেখাবেন। দেহ-অভিমানী হলে নিজেরই পদ কম করে ফেলবে। নিজের ক্ষতি কেন করবে। যতোধিক
সম্ভব বাবাকে খুব ভালোবেসে স্মরণ করতে থাকো। বাবাকে খুবই ভালোবেসে স্মরণ করো, যে
বাবা তোমাদেরকে বিশ্বের বাদশাহী দেন। কেবল দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে। কারো নিন্দা করবে
না। দেবতারা কী কারো নিন্দা করে ? কোনো কোনো বাচ্চা তো না করে থাকতেই পারে না। তোমরা
বাবাকে বলবে বাবা তাকে খুব ভালোবাসার সাথে বোঝাবেন। নাহলে টাইম ওয়েস্ট হতে থাকবে।
নিন্দা করার পরিবর্তে বাবাকে ভালোবেসে স্মরণ করো তবে অনেক অনেক লাভ হবে। কারো সাথেই
বাদ বিবাদ না করাই সবচেয়ে ভালো।
তোমরা বাচ্চারা অন্তর থেকে বুঝতে পারো - আমরা নতুন দুনিয়ার বাদশাহী স্থাপন করছি।
ভিতরে কতখানি গর্ব থাকার কথা ! মুখ্য হল কেবল স্মরণ আর দৈবী গুণ। বাচ্চারা তো চক্রকে
স্মরণ করতেই থাকে, সেটাই তো সহজে মনে আসে। ৮৪ র চক্র যে ! তোমাদের তো সৃষ্টির আদি -
মধ্য - অন্ত, ডিউরেশনের বিষয়ে জানা আছে। এরপর সবাইকে খুব আন্তরিক ভাবে পরিচয় দিতে
হবে। বেহদের বাবা আমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানাচ্ছেন। রাজযোগ শেখাচ্ছেন। বিনাশও সামনে
দাঁড়িয়ে। এটা হলই সঙ্গমযুগ, যখন কিনা নতুন দুনিয়া স্থাপিত হয় আর পুরানো দুনিয়ার
বিলুপ্তি ঘটে। বাবা বাচ্চাদেরকে সাবধান করতে থাকেন - সিমর সিমর (স্মরণ করে করে) সুখ
পাও, কলহ ক্লেশ শরীরের হয় সব একেবারে শেষ...। আধা কল্পের জন্য দূর হয়ে যাবে। বাবা
সুখধাম স্থাপন করেন। এটাও বাচ্চারা তোমরা জানো, পুরুষার্থের নম্বর ক্রমে। বাচ্চাদের
প্রতি বাবার কতো ভালোবাসা থাকে। প্রথম থেকেই বাবার ভালোবাসা থাকে। বাবার জানা আছে
আমি জানি - বাচ্চারা যারা কাম চিতাতে বসে কালো হয়ে গেছে, তাদেরকে সুন্দর বানানোর
জন্য আমি যাই। বাবা তো হলেন নলেজফুল, বাচ্চারা ধীরে ধীরে নলেজ নিতে থাকে। মায়া
তারপর ভুলিয়ে দেয়। খুশীকে আসতে দেয় না। বাচ্চাদের তো দিন দিন খুশীর পারদ উপরে
চড়তে থাকা উচিত। সত্যযুগে পারদ উপরে চড়েই ছিল। তাকে পুনরায় উপরে চড়াতে হবে
স্মরণের যাত্রার দ্বারা। সেটা ধীরে ধীরে চড়বে। হার জিত হতে হতে তারপর পুরুষার্থের
নম্বর অনুক্রমে কল্প পূর্বের মতো নিজের পদ প্রাপ্ত করে নেবে। এছাড়া টাইম তো সেটাই
লাগে যেটা প্রতি কল্পে লাগে। পাশও তারাই করবে যারা প্রতি কল্পে করেছে। বাপদাদা
সাক্ষী হয়ে বাচ্চাদের অবস্থা দেখতে থাকেন আর বোঝাতে থাকেন। বাইরে সেন্টার ইত্যাদিতে
থাকলে তেমন রিফ্রেশ থাকতে পারে না। সেন্টারে থেকেও তারপর বাইরের বায়ুমন্ডলে চলে
যায়, সেইজন্য এখানে (মধুবনে) বাচ্চারা আসেই রিফ্রেশ হওয়ার জন্য । বাবা লেখেনও -
পরিবার সহ সকলকে স্মরণের ভালোবাসা দেবে। সে হল লৌকিক পিতা আর ইনি হলেন বেহদের পিতা।
বাবা আর দাদা দু'জনেরই (তোমাদের প্রতি) অনেক লভ রয়েছে। কেননা কল্প কল্প লভলী
সার্ভিস করে থাকেন আর বাচ্চাদেরকে খুব ভালোবাসেন। অন্তরে খুব দয়া হয় বাচ্চাদের
জন্য। যদি না পড়ে কিম্বা ঠিক ভাবে না চলে, শ্রীমৎ অনুসারে না চলে, তখন দয়া হয় -
এই বাচ্চা কম পদ পাবে। আর বাবা এছাড়া কী করতে পারেন ! ওখানে আর এখানে থাকার মধ্যে
অনেক পার্থক্য আছে। কিন্তু সবাই তো এখানে থাকতে পারবে না ! বাচ্চাদের সংখ্যা তো
বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। সেই মতো ব্যবস্থাও চলতে থাকে। বাবা এও বুঝিয়েছেন যে- এই আবু হল
সব চেয়ে মহান তীর্থ। বাবা বলেন, আমি এখানে এসেই সমগ্র সৃষ্টিকে, পাঁচ তত্ত্ব সহ
সবাইকে পবিত্র বানিয়ে থাকি। কত বড় সেবা এটি। একমাত্র বাবা-ই, যিনি এসে সকলের সদ্গতি
করেন। তাও অনেক বার করেছেনও। এই সব কথা জেনেও তাও ভুলে যায় - তখন বাবা বলেন - মায়া
খুবই শক্তিশালী। আধা কল্প এর রাজত্ব চলে। মায়া পরাজিত করে দেয়, তারপর বাবা খাঁড়া
করিয়ে দেন। অনেকেই লেখে - বাবা, আমার পতন হয়েছে। আচ্ছা আর পড়ে যেও না। পড়ে গেলে
তখন সিঁড়ি বেয়ে ওঠাই ছেড়ে দেয়। কতখানি চোট লেগে যায়। সকলেরই লাগে। সবকিছুই হল
পড়াশোনার উপরেই। পড়াশোনাতে যোগ আছেই। অমুকে আমাকে এটা পড়াচ্ছেন। এখন তোমরা বুঝতে
পারো যে, বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন । এখানে তোমরা খুব রিফ্রেশ হয়ে যাও। গাওয়াও হয়
- নিন্দা আমার যে করে, মিত্র আমার সে-ই হয়। ভগবানুবাচ - মানুষ আমার অনেক গ্লানি করে।
আমি এসে তাদের মিত্র হয়ে যাই। কতো নিন্দা করে, আমি তো মনে করি সকলেই আমার সন্তান।
আমার কতো ভালবাসা আমার সন্তানদের জন্য। নিন্দা করা ভালো নয়। এই সময় তো অনেক
সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে । ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার বাচ্চারা রয়েছে, সকলেই পুরুষার্থ
করছে। কোনো ভুল যদি হয়ও, তবে পুরুষার্থ করে অভুল হতে হবে। মায়া সবাইকে দিয়ে ভুল
করায়। বক্সিং চলে যে ! কখনো কখনো এত জোরে আঘাত লাগে যে মাটিতে পড়ে যায়। তাই বাবা
সাবধান করছেন - বাচ্চারা, এইভাবে হেরে গেলে সমস্ত উপার্জন নষ্ট হয়ে যাবে। ৫ তলা থেকে
পড়ে যায়। তারপর বাচ্চারা বলে - বাবা, আর কখনো এমন ভুল হবে না, এবারের মতো ক্ষমা করে
দাও। বাবা বলেন, পুরুষার্থ করো। বাবা জানেন যে মায়া খুব শক্তিশালী। অনেক বাচ্চাকে
হারিয়ে দেবে। টিচারের কাজটা হলো যেখানে ভুল হয়েছে, সেই বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে নির্ভুল
বানানো। এমন নয় যে কেউ একবার কোনো ভুল করলে, সে সর্বদাই ওই একই ভুল করবে। না, ভাল
গুণের বন্দনা করা হয়, ভুল ত্রুটির কোনো গায়ন হয় না। কেবল বাবা হলেন অবিনাশী বৈদ্য।
তিনি ওষুধ দিয়ে দেবেন। তোমরা বাচ্চারা কেন নিজের হাতে আইন তুলে নাও। যার মধ্যে
ক্রোধের অংশ মাত্রও থাকবে, সে তো অবশ্যই গ্লানি করবে। বাবা সংশোধন করে দেবেন।
তোমাদেরকে তো সংশোধন করার জন্য রাখা হয়নি। অনেকের মধ্যে ক্রোধের ভূত রয়েছে। নিজেই
বসে বসে অপরের নিন্দা করে অর্থাৎ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়। এতে তো সে মোটেও শুধরাবে
না। আরও বেশি ঝামেলা হবে, নুন জলের মতো অবস্থা হয়ে যাবে। সকল বাচ্চার জন্যই
অদ্বিতীয় বাবা বসে আছেন। নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে কারোর নিন্দা করা - এটা অনেক বড়
ভুল। সকলের মধ্যেই কিছু না কিছু খারাপ থাকে। সকলেই তো সম্পূর্ণ হয়ে যায়নি। বিভিন্ন
জনের মধ্যে বিভিন্ন রকমের খারাপ গুণ রয়েছে। বাবা স্বয়ং সেইসব খারাপ গুণ বের করার
ঠিকা নিয়েছেন। ওটা তোমাদের কাজ নয়। বাবা বাচ্চাদের দুর্বলতার বিষয়ে শোনার পরে সেগুলো
বের করার জন্য খুব ভালোবেসে উপদেশ দেন। এখনো কেউই সম্পূর্ণ হয়নি। সকলেই শ্রীমৎ
অনুসারে শুধরাচ্ছে। অন্তিমে সম্পূর্ণ হবে। এখন সকলেই পুরুষার্থী। বাবা সর্বদা অটল
থাকেন। বাচ্চাদেরকে কতো ভালোবেসে উপদেশ দেন। বাবার কর্তব্য শিক্ষা দেওয়া। তারপর কেউ
সেই অনুসারে চলবে কি চলবে না, সেটা তার ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে। পদমর্যাদা অনেক কমে
যায়। শ্রীমৎ অনুসারে না চলার কারনে এইরকম কিছু করলে পদমর্যাদা কমে যাবে। তখন
অনুশোচনা হবে - আমি এইরকম ভুল করেছি ! আমাকে এখন অনেক পরিশ্রম করতে হবে। কারোর মধ্যে
কোনো খারাপ গুণ থাকলে, সেটা বাবাকে বলা উচিত। যে সবাইকে বলে বেড়ায়, তার দেহের
অভিমান রয়েছে। বাবাকে স্মরণ করে না। অব্যভিচারী হতে হবে। যদি একজনকেই বলো, তাহলে সে
সঙ্গে সঙ্গে শুধরে যাবে। কেবল বাবা-ই শুধরে দেবেন। বাকি সবাই ত্রুটিপূর্ণ। কিন্তু
মায়া এতই শক্তিশালী যে মুখ উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেয়। বাবা একদিকে মুখ ঘুরিয়ে দেন,
কিন্তু মায়া তারপর নিজের দিকে মুখ ঘুরিয়ে দেয়। সংশোধন করে মানুষ থেকে দেবতা বানানোর
জন্যই বাবা এসেছেন। তাই প্রত্যেকের কাছে কারোর নামে নিন্দা করা সম্পূর্ণ নীতি
বিরুদ্ধ। তোমরা শিববাবাকে স্মরণ করো। তাঁর কাছেই বিচার হবে। বাবা-ই কর্মের ফল
প্রদান করেন। যদিও সেটা ড্রামাতেই আছে, কিন্তু কারোর নাম তো নিতেই হবে। বাবা
বাচ্চাদেরকে সমস্ত বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তোমরা অনেক ভাগ্যবান। অনেক অতিথি আসে। যার
কাছে যত বেশি অতিথি আসে, সে তত খুশি হয়। এরাই সবাই বাচ্চা এবং অতিথি। টিচারের
বুদ্ধিতে সবসময় এটাই থাকে যে আমি বাচ্চাদেরকে এদের মতো সর্বগুণে সম্পন্ন বানাব।
ড্রামা অনুসারে বাবা এই কন্ট্রাক্ট নিয়েছেন। বাচ্চাদের কখনোই মুরলী মিস করা উচিত নয়।
মুরলী নিয়ে অনেক গুণগান রয়েছে। একটাও মুরলী মিস হওয়ার অর্থ - স্কুলের খাতায়
অনুপস্থিত থাকা। এটা অসীম জগতের পিতার স্কুল, এখানে একটা দিনও অনুপস্থিত থাকা উচিত
নয়। স্বয়ং বাবা এসে পড়াচ্ছেন - কেউই এটা জানে না। কিভাবে স্বর্গ স্থাপন হয়, সেটাও
কেউ জানে না। তোমরা সবকিছুই জানো। এই পড়াশোনার দ্বারা অনেক, অগাধ উপার্জন হয়। অনেক
জন্ম ধরে এই পড়াশুনার ফল পাওয়া যায়। তোমাদের পড়াশুনার সঙ্গে বিনাশের সম্পর্ক আছে।
তোমাদের পড়াশুনা শেষ হবে, আর যুদ্ধও শুরু হবে। পড়তে পড়তে, বাবাকে স্মরণ করতে করতে
যখন পুরো নম্বর পেয়ে যাবে, পরীক্ষা হয়ে যাবে, তখন লড়াই লেগে যাবে। তোমাদের পড়াশুনা
শেষ হলেই লড়াই লাগবে। এটা হলো নতুন দুনিয়ার জন্য সম্পূর্ণ নতুন জ্ঞান, তাই বেচারা
মানুষগুলো সংশয় প্রকাশ করে। আচ্ছা !
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কারো অবগুণ দেখে কখনোই তার নিন্দা করবে না। এর কাছে ওর কাছে সেই সব অবগুণ কখনোই
শোনাবে না। তোমার মধ্যেকার মিষ্টতাকে কখনোই ছেড়ে দেবে না।
২ ) সবাইকে সংশোধন করবার জন্য একমাত্র বাবা-ই রয়েছেন। সেইজন্য একমাত্র বাবাকেই সব
কিছু শোনাতে হবে। অব্যাভিচারী হতে হবে। মুরলী কখনোই মিস করা চলবে না।
বরদান:-
দেহ-অভিমানের আমিত্ব ভাবকে সম্পূর্ণ আহূতি দিতে পারা ধারণা স্বরূপ ভব
যখন সংকল্প এবং
স্বপ্নেও দেহ-অভিমানের আমিত্ব ভাব থাকবে না, অনাদি আত্মিক স্বরূপের স্মৃতি থাকবে।
বাবা বাবা'র অনহদ (অন্তরে অবিরত হতে থাকা আওয়াজ) শব্দ নির্গত হতেই থাকবে, তখন বলা
হবে ধারণা স্বরূপ, সত্যিকারের ব্রাহ্মণ। আমিত্ব ভাব অর্থাৎ পুরানো স্বভাব, সংস্কার
রূপী সৃষ্টিকে যখন তোমরা ব্রাহ্মণরা এই মহাযজ্ঞ রচনা করবার নিমিত্ত হয়েছ, তেমনই
এখন অন্তিম আহূতি দিয়ে সমাপ্তির নিমিত্ত হও।
স্লোগান:-
নিজের, সেবার আর সকলের সন্তুষ্টতার সার্টিফিকেট নেওয়াই হল সিদ্ধি স্বরূপ হওয়া।