22.01.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা বাবার কাছে এসেছ রিফ্রেশ হওয়ার জন্য, বাবা আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো তাহলে সর্বদা রিফ্রেশ থাকবে”

প্রশ্নঃ -
সুবুদ্ধিসম্পন্ন বাচ্চাদের মুখ্য লক্ষণ কি হবে?

উত্তরঃ -
যে সুবুদ্ধিসম্পন্ন হবে তার মধ্যে অপার খুশি থাকবে। যদি খুশি না থাকে তাহলে সে হল বুদ্ধু। সুবুদ্ধিসম্পন্ন (বুঝদার) অর্থাৎ পরশবুদ্ধি যুক্ত আত্মা। সে অন্যদেরকেও পরশবুদ্ধি তৈরী করবে। আধ্যাত্মিক সেবাতে ব্যস্ত থাকবে। বাবার পরিচয় দেওয়া ছাড়া থাকতেই পারবে না।

ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে বোঝাচ্ছেন, এই দাদাও বুঝছেন, কেননা বাবা বসে দাদার দ্বারা বোঝাচ্ছেন। তোমরা যে রকম ভাবে বুঝছো সেই রকমই দাদাও বুঝছেন। দাদাকে ভগবান বলা যায়না । এ হল ভগবানুবাচ। বাবা মুখ্যতঃ কি বোঝাচ্ছেন যে - দেহী-অভিমানী হও। এটা কেন বলছেন ? কেননা নিজেকে আত্মা মনে করলে আমরা পতিত-পাবন পরমপিতা পরমাত্মার দ্বারা পবিত্র হতে পারবো। এই জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে। সবাইকে বোঝাতে হবে, তারা বলে - আমরা হলাম পতিত। নতুন দুনিয়া পবিত্র অবশ্যই হবে। নতুন দুনিয়ার রচয়িতা, স্থাপন কর্তা হলেন বাবা। তাঁকেই পতিত-পাবন বাবা বলে আহ্বান করে। পতিত-পাবন, সাথে তাঁকে বাবা বলে। আত্মারা বাবাকে আহ্বান করে। শরীর আহ্বান করে না। আমাদের আত্মার বাবা হলেন পারলৌকিক, তিনিই হলেন পতিত-পাবন। এটা তো খুব ভালভাবেই মনে রাখতে হবে। এটা হল নতুন দুনিয়া আর এটা হল পুরানো দুনিয়া, এটা তো বুঝতে পারে তাই না। এমনও অনেক বুদ্ধ আছে, যারা বোঝে যে আমাদের অসীম সুখ আছে। আমি তো যেন স্বর্গেই বসে আছি। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে যে, কলিযুগকে কখনও স্বর্গ বলা যায়না। নামই হল কলিযুগ, পুরানো পতিত দুনিয়া। পার্থক্য তো আছে তাইনা! মানুষের বুদ্ধিতে এটাও বসে না। একদমই অধঃপতনের অবস্থা। বাচ্চারা যদি না পড়াশোনা করে তাহলে বলে যে, তোমার বুদ্ধি তো একদমই পাথরসম হয়ে আছে। বাবাও লেখেন যে, তোমাদের গ্রামবাসীদের বুদ্ধি তো একদমই পাথরসম। বুঝতে পারে না কেননা অন্যদেরকে বোঝায় না। নিজে পরশ বুদ্ধি হলে, তবে তো অন্যদেরকেও বানাতে পারবে। পুরুষার্থ করতে হবে। এতে লজ্জা ইত্যাদির তো কোনও কথাই নেই। কিন্তু মানুষের বুদ্ধিতে অর্ধেক কল্প উল্টো জ্ঞান জমা হয়ে আছে, তাই সেগুলো ভুলতে পারেনা। কিভাবে ভোলাবে ? ভোলানোর শক্তিও তো এক বাবার কাছেই আছে। বাবা ছাড়া এই জ্ঞান তো কেউ দিতে পারবে না। তাই এখন সবাই হল অজ্ঞানী। তাদের জ্ঞান আবার কোথা থেকে আসবে ! যতক্ষণ না জ্ঞানের সাগর বাবা এসে না শোনান। তমোপ্রধান মানেই হল অজ্ঞানী দুনিয়া। সতোপ্রধান মানে দৈবী দুনিয়া। পার্থক্য তো আছে তাই না। দেবী-দেবতারাই পুনর্জন্ম নিয়ে থাকে। সময়ও এগিয়ে যেতে থাকে। বুদ্ধিও দুর্বল হতে থাকে। বুদ্ধির যোগ লাগানোর ফলে যে শক্তি প্রাপ্ত হয়, সেটাও শেষ হয়ে যায়।

এখন তোমাদেরকে বাবা বোঝাচ্ছেন, তাই তোমরা কতখানি রিফ্রেশ হচ্ছো। তোমরা রিফ্রেশ ছিলে আর বিশ্রামে ছিলে। বাবাও লেখেন তাইনা - বাচ্চারা, এসে রিফ্রেশও হও আর বিশ্রামও নাও। রিফ্রেশ হওয়ার পর তোমরা সত্যযুগে বিশ্রামপুরীতে চলে যাও। সেখানে তোমাদের অনেক বিশ্রাম প্রাপ্ত হয়। সেখানে সুখ-শান্তি সম্পত্তি ইত্যাদি সবকিছুই তোমরা প্রাপ্ত কর। তাই বাবার কাছে আসে রিফ্রেশ হওয়ার জন্য, বিশ্রাম পাওয়ার জন্য। রিফ্রেশও শিববাবাই করেন। বিশ্রামও বাবার কাছে নিয়ে থাকো। বিশ্রাম মানে শান্তি। যখন ক্লান্ত হয়ে যাও তখনই বিশ্রামী হও তাই না! কেউ কোথাও, কেউ কোথাও যায় বিশ্রাম পাওয়ার জন্য। সেখানে তো রিফ্রেশমেন্টের কোনও কথাই নেই। এখানে তোমাদেরকে বাবা প্রত্যেকদিন বোঝাচ্ছেন তাই তোমরা এখানে এসে রিফ্রেশ হও। স্মরণ করার দ্বারা তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাও। সতোপ্রধান হওয়ার জন্যই তোমরা এখানে আসো। তার জন্য কি পুরুষার্থ করতে হয়? মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ করো। বাবা তো সমস্ত শিক্ষাই দিয়ে দিয়েছেন। এই সৃষ্টি চক্র কিভাবে পুনরাবৃত্তি হয়, তোমাদের বিশ্রাম কিভাবে প্রাপ্ত হয়। আর কেউ এই সমস্ত কথা জানেনা তাই তাদেরকেও বোঝাতে হবে, যাতে তারাও তোমার মতই রিফ্রেশ হয়ে যায়। তোমাদের কাজই হল এটা, সবাইকে বাবার পরিচয় দেওয়া। অবিনাশী রিফ্রেশ হতে হবে। অবিনাশী পেতে হবে। সবাইকে এই পরিচয় দাও। এটাই স্মরণ করাতে হবে যে - বাবাকে আর বাবার অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। এ তো খুবই সহজ কথা। অসীম জগতের বাবা স্বর্গের রচনা করছেন। স্বর্গেরই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করছেন। এখন তোমরা আছো সঙ্গম যুগেই। মায়ার অভিশাপ আর বাবার অবিনাশী উত্তরাধিকারকে তোমরা জানো। যখন মায়া রাবণের অভিশাপ প্রাপ্ত হয়, তখন পবিত্রতাও সমাপ্ত হয়ে যায়, সুখ-শান্তিও সমাপ্ত হয়ে যায়, তো সম্পত্তিও সমাপ্ত হয়ে যায়। কিভাবে ধীরে-ধীরে সমাপ্ত হয়ে যায় - সেটাও বাবা বুঝিয়ে দিয়েছেন। কত জন্ম লাগে, দুঃখধামে থোড়াই বিশ্রাম পাওয়া যায়! সুখধামে কেবল বিশ্রাম-ই বিশ্রাম। মানুষের ভক্তি কতই না ক্লান্তি দেয়। জন্ম-জন্মান্তরের ভক্তি ক্লান্ত করে দেয়। ভিখারী করে দেয়। এটাও এখন বাবা তোমাদেরকে বোঝাচ্ছেন। যারা নতুন নতুন আসে, তাদের কতই না বোঝাতে হয়। প্রত্যেক কথাতেই মানুষ অনেক চিন্তা করতে থাকে। মনে করে, কোথাও জাদু না হয়। আরে তোমরাই তো বলো - জাদুগর। তাই আমিও বলি - আমি হলাম জাদুগর । কিন্তু এই জাদু, সেই রকম কোনও জিনিস নয়, যেটা ভেড়া ছাগল ইত্যাদি বানিয়ে দেবে। তারা তো জানোয়ার নয় তাই না। এটা বুদ্ধির দ্বারা বোঝা যায়। কথায়ও আছে, সুরমণ্ডলের সঙ্গীত ভেড়া কী বুঝবে... এই সময় মানুষ যেন ভেড়ার মত হয়ে গেছে। এসমস্ত কথা এখানকার জন্যই। সত্যযুগে এ'সব বলা হয় না, এগুলো হল এই সময়কারই । চন্ডিকার কত বড় মেলা বসে। জিজ্ঞাসা করো, তিনি কে ছিলেন ? বলবে - দেবী। এখন এই রকম নাম তো সেখানে হয়না। সত্যযুগে তো সর্বদা শুভ নাম হয়ে থাকে। শ্রীরামচন্দ্র, শ্রীকৃষ্ণ...শ্রী বলা যায় শ্রেষ্ঠকে। সত্যযুগীয় সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ বলা যায়। কলিযুগের বিকারী সম্প্রদায়কে শ্রেষ্ঠ কিভাবে বলবে ! শ্রী মানে শ্রেষ্ঠ। এখনকার মানুষ তো শ্রেষ্ঠ নয়। গায়নও আছে মানুষ থেকে দেবতা....পুনরায় দেবতা থেকে মানুষ তৈরী হয়, কেননা পাঁচ বিকারে চলে যায়। রাবণ রাজ্যে সবাই হল মানুষ। সেখানে দেবতারা থাকেন। তাকে বলা যায় দৈবী সাম্রাজ্য, একে মানুষের সাম্রাজ্য বলা যায়। দৈবী সাম্রাজ্যকে দিন বলা যায়। মানুষের সাম্রাজ্যকে রাত বলা যায়। দিন আলোর প্রকাশকে বলা যায়। রাত অজ্ঞান অন্ধকারকে বলা যায়। এই তফাৎকে তোমরা জানো। তোমরা বুঝতে পারো যে আমরা প্রথমে কিছুই জানতাম না। এখন সমস্ত কথা বুদ্ধিতে আছে। ঋষি-মুনিদেরকে জিজ্ঞাসা করে যে রচয়িতা আর রচনার আদি মধ্য অন্তকে জানেন তো তারাও নেতি-নেতি করে গেছেন। আমরা জানি না। এখন তোমরা বুঝতে পেরেছ যে আমরাও প্রথমে নাস্তিক ছিলাম। অসীম জগতের বাবাকে জানতাম না। তিনি হলেন আসলে অবিনাশী বাবা, আত্মাদের বাবা। বাচ্চারা তোমরা জানো যে আমরা সেই অসীম জগতের বাবার হয়েছি, যিনি কখনও জ্বলে যান না। এখানে তো সবাই জ্বলতে থাকে। রাবণকেও জ্বালাতে থাকে। শরীর আছে তাই না। তবুও আত্মাকে তো কখনো কেউ জ্বালাতে পারে না। তাই বাচ্চাদেরকে বাবা এই গুপ্ত জ্ঞান শোনাচ্ছেন, যেটা বাবার কাছেই আছে। এই আত্মার মধ্যে গুপ্ত জ্ঞান আছে। আত্মাও হল গুপ্ত। আত্মা এই মুখের দ্বারা বলে এইজন্য বাবা বলছেন যে - বাচ্চারা, দেহ-অভিমানী হয়োনা। আত্ম অভিমানী হও। না হলে তো যেন উল্টো হয়ে যাও। নিজেকে আত্মা ভাবতে ভুলে যাও। ড্রামার রহস্যকেও ভালো রীতিতে বুঝতে হবে। ড্রামাতে যেটা পূর্বনির্ধারিত আছে সেটারই হুবহু পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এটা কারো জানা নেই। ড্রামা অনুসারে সেকেন্ড বাই সেকেন্ড কিভাবে চলতে থাকে, এই জ্ঞানও বুদ্ধিতে আছে। আকাশের কেউ পার খুঁজে পায় না। পৃথিবীর পার পাওয়া যায়। আকাশ হল সূক্ষ্ম, পৃথিবী হলো স্থুল। কোনও জিনিসের পার পাওয়া যায় না। যখন বলে, আকাশই আকাশ, পাতালই পাতাল। শাস্ত্রতেও শুনেছে ! তাই উপরে গেয়েও দেখতে থাকে। সেখানেও দুনিয়া স্থাপন করার চেষ্টা করে। এই দুনিয়ারও তো অনেক বিস্তার করে গেছে । ভারতে কেবল একটিই দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, অন্য কোনও খন্ড ছিল না, তখন অনেক বসবাসের জায়গা ছিল। তোমরা বিচার করো। ভারতের কত অল্প একটি খন্ডে দেবতারা বাস করতেন। যমুনার উপকন্ঠে। দিল্লি পরিস্থান ছিল। এখন একে কবরখানা বলা যায়, যেখানে অকালে মৃত্যু হতে থাকে। অমরলোককে পরিস্থান বলা যায়। সেখানকার প্রকৃতি অত্যন্তই সৌন্দর্যমন্ডিত। ভারতকে বাস্তবে পরিস্থান বলা হতো। এই লক্ষ্মী নারায়ণ পরিস্থানের মালিক ছিলেন তাই না! কতই শোভা যুক্ত ছিলেন। সতোপ্রধান ছিলেন তাইনা! প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল। আত্মা চমকপ্রদ থাকতো। বাচ্চাদেরকে দেখানো হয়েছে যে, কৃষ্ণের জন্ম কিভাবে হয়। সম্পূর্ণ গৃহই যেন চমকপ্রদ হয়ে যায়। তাই বাবা বাচ্চাদেরকে বসে বোঝাচ্ছেন। এখন তোমরা পরিস্থানে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। নম্বরের ক্রমানুসারে তো অবশ্যই চাই। একইরকম সবাই হতে পারে না। বিচার করা যায়, এত ছোট আত্মা কত বড় পার্ট অভিনয় করে। শরীর থেকে আত্মা বেরিয়ে যায় তো শরীরে কি অবস্থা হয়ে যায়! সমগ্র দুনিয়ার অভিনেতারা সেই পার্ট অভিনয় করে চলেছে যেটা অনাদি রচিত হয়ে আছে। এই সৃষ্টিও হল অনাদি। সেখানে প্রত্যেকের পার্টও হল অনাদি। তাকে তোমরা আশ্চর্যজনক তখনই বলতে পারো যখন জানতে পার যে এই হল সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ। বাবা কত ভালোভাবে বোঝাচ্ছেন। ড্রামাতে তবুও যার জন্য যতটা সময় ধার্য্য আছে ততটাই বোঝার জন্য সময় নেয়। বুদ্ধিতে তফাৎ আছে তাই না! আত্মা মন বুদ্ধির সাথে থাকে, তাই কতই পার্থক্য থাকে, তাই না। বাচ্চাদের এই জ্ঞান থাকে যে, আমাদেরকে স্কলারশিপ নিতেই হবে। তাই হৃদয়ে অন্তর থেকে খুশি হয়, তাই না। এখানেও ভিতরে আসলেই এম্ অবজেক্ট সামনে দেখতে পাওয়া যায়, তাই অবশ্যই খুশি হয় তাই না! এখন তোমরা জানতে পেরেছ যে এই হওয়ার জন্য এখানে পড়তে এসেছি। না হলে তো কেউ কখনও এখানে আসতো না। এটাই হলো তোমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। এরকম স্কুল কোথাও হবেনা যেখানে অন্য জন্মের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে দেখতে পাবে। তোমরা দেখছো যে, ইনি হলেন স্বর্গের মালিক, আমরাই এইরকম হতে চলেছি। এখন আমরা সঙ্গম যুগে আছি। না সেই রাজত্বেও, না এই রাজত্বে আছি। আমরা মাঝখানে আছি, যাচ্ছি। মাঝিও (বাবা) হলেন নিরাকার। বোটও (আত্মা) হল নিরাকার। বোটকে টেনে পরমধামে নিয়ে যাচ্ছেন। অশরীরী বাবা অশরীরী বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাচ্ছেন। বাবা-ই বাচ্চাদেরকে সাথে করে নিয়ে যাবেন। এই চক্র সম্পূর্ণ হচ্ছে, পুনরায় তার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর নেবে। ছোট হয়ে পুনরায় বড় হবে। যে রকম আমের আঁটিকে জমিতে বপন করে দিলে তো সেখান থেকে পুনরায় আম বেরিয়ে আসে। সেটা হল লৌকিক বৃক্ষ। এটা হল মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ, একে ভ্যারাইটি বৃক্ষ বলা যায়। সত্যযুগ থেকে শুরু করে কলিযুগ পর্যন্ত সবাই পার্ট অভিনয় করতে থাকে। অবিনাশী আত্মা চুরাশির চক্রের পার্ট অভিনয় করতে থাকে। লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন, যাঁরা এখন নেই। পরিক্রমা লাগিয়ে পুনরায় এইরকম হবেন। বলবে, প্রথমে এঁনারা লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন, পুনরায় তাঁদের এই হল অন্তিম জন্ম ব্রহ্মা-সরস্বতী। এখন সবাইকে অবশ্যই বাড়ি ফিরে যেতে হবে। স্বর্গতে তো এত মানুষ থাকে না। না ইসলাম, না বৌদ্ধ.. দেবী-দেবতা ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের অভিনেতারা থাকেনা। এই বোধও কারো মধ্যে নেই। যে বুঝদার হবে, তার অনেক উপাধি প্রাপ্ত হবে তাই না। যে যত পড়ে, নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থানুসারে পদ প্রাপ্ত করে। তাই বাচ্চারা তোমরা এখানে আসতেই এই এইম-অবজেক্টকে দেখে তোমাদের অনেক খুশি হওয়া চাই। খুশির তো শেষ নেই। পাঠশালা বা স্কুল হোক তো এরকম। গুপ্ত কিন্তু খুব শক্ত সামর্থ্য পাঠশালা। যত বড় পড়া, ততই বড় কলেজ। সেখানে সবরকমের সুবিধা পাওয়া যায়। আত্মাকে পড়তে হবে, তা যদি হয় সোনার সিংহাসনের উপর বা কাঠের সিংহাসনের উপর। বাচ্চাদের মধ্যে অনেক খুশি হওয়া চাই কেননা শিব ভগবানুবাচ, তাইনা। প্রথম নম্বরে আছে এই বিশ্বের প্রিন্স। বাচ্চারা এখন এইসব জানতে পেরেছে। কল্প-কল্প বাবা এসে নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন। বাচ্চারা, আমি এনার মধ্যে প্রবেশ করে তোমাদেরকে পড়াচ্ছি। দেবতাদের মধ্যে এই জ্ঞান থােড়াই থাকবে। জ্ঞানের দ্বারা দেবতা হয়ে গেলে পুনরায় পড়ার দরকার নেই, বোঝার জন্য এখানে বড় বিশাল বুদ্ধি চাই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই পতিত দুনিয়া থেকে বুদ্ধির সন্ন্যাস করে পুরানো দেহ আর দেহের সম্বন্ধকে ভুলে নিজের বুদ্ধি বাবা আর স্বর্গের প্রতি লাগাতে হবে।

২ ) অবিনাশী বিশ্রামের অনুভব করার জন্য বাবা আর অবিনাশী উত্তরাধিকারের স্মরণে থাকতে হবে। সবাইকে বাবার পরিচয় দিয়ে রিফ্রেশ করতে হবে। আধ্যাত্মিক সেবাতে লজ্জা করবে না।

বরদান:-
সর্বদা বাবার সম্মুখে থেকে খুশির অনুভব করে ক্লান্তিহীন আর নিরলস (আলস্য রহিত) ভব

যে কোনো প্রকারের সংস্কার বা স্বভাবকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে ভগ্নোৎসাহ হওয়া বা আলস্য আসাও হল ক্লান্ত হওয়া, এখানে ক্লান্তিহীন হও। ক্লান্তিহীনের অর্থ হল যার মধ্যে আলস্য থাকবে না। যে বাচ্চারা এইরকম নিরলস থাকে, তারা সর্বদা বাবার সম্মুখে থাকে আর খুশির অনুভব করতে থাকে। তাদের মনে কখনো দুঃখের ঢেউ আসে না ।এইজন্য সর্বদা সম্মুখে থাকো আর খুশির অনুভব করো।

স্লোগান:-
সিদ্ধি স্বরূপ হওয়ার জন্য প্রত্যেক সংকল্পে পূণ্য আর বাণীতে আশীর্বাদ জমা করতে থাকো।