23.01.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
প্রতি পদক্ষেপে শ্রীমত অনুসরণ করে চলো, এইটা ব্রহ্মার মত না শিববাবার এতে ম্রিয়মান
হয়ো না"
প্রশ্নঃ -
ভালো ব্রেনের
বাচ্চারা কোন্ গভীর রহস্য সহজেই বুঝতে পেরে যায় ?
উত্তরঃ -
ব্রহ্মা বাবা বোঝাচ্ছেন না শিববাবা - এই কথা ভালো ব্রেণ যাদের তারা সহজেই বুঝতে পেরে
যায়। কেউ তো এতেই মুষরে পড়ে। বাবা বলেন, বাচ্চারা বাপদাদা হলেন দুইজন একত্রিত।
তোমরা ম্রিয়মান হয়ো না। শ্রীমত বুঝে চলতে থাকো। ব্রহ্মা বাবার মতামতেরও
রেস্পন্সিবল হলেন শিববাবা।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা
আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, বুঝতে পারো আমরা অর্থাৎ ব্রাহ্মণরাই আত্মাদের (রুহানী)
পিতাকে চিনতে পারি। দুনিয়াতে যে কোনো মানুষই রুহানী পিতা, যাঁকে গড ফাদার বা পরমপিতা
পরমাত্মা বলা হয়, ওঁনাকে জানে না। যখন সেই আত্মাদের পিতা আসেন তখনই আত্মা রূপী
বাচ্চাদের পরিচয় দেন। এই নলেজ না সৃষ্টির আদিতে থাকে, না সৃষ্টির অন্তে থাকে।
তোমাদের এখন নলেজ প্রাপ্ত হয়েছে, এইটা হলো সৃষ্টির অন্ত আর আদির সঙ্গমযুগ। এই
সঙ্গম যুগকেই জানে না তো বাবাকে কি করে জানবে ! বলে- হে পতিত- পাবন এসো, এসে পবিত্র
করো, কিন্তু এইটা জানা নেই যে পতিত-পাবন কে আর কখন তিনি আসবেন। বাবা বলেন- আমি যেই
হই যেমনই হই, আমাকে কেউই জানে না। যখন আমি এসে পরিচয় দিই তখন আমাকে জানে। আমি নিজের
আর সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের পরিচয় সঙ্গমযুগে একবারই এসে দিই। কল্পের শেষে আবার এসে
থাকি। তোমাদের যা বুঝিয়ে থাকি সেটা আবার প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। সত্যযুগের থেকে
কলিযুগের শেষ পর্যন্ত কোনো মানুষই আমাকে অর্থাৎ পরমপিতা পরমাত্মাকে জানে না। না
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করকে জানে। আমাকে মানুষরাই ডাকে। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর কি আর ডাকে
! মানুষ দুঃখী হলে তখন ডাকে। সূক্ষ্মবতনের তো কথাই নেই। আত্মাদের (রুহানী) পিতা এসে
নিজের আত্মারূপী (রুহানী) বাচ্চাদের অর্থাৎ রুহ(আত্মা) কে বসে বোঝান। আচ্ছা, রুহানী
পিতার নাম কি? যাঁকে বাবা বলা হয়, অবশ্যই কোনো নাম হওয়া উচিত। বরাবর নাম একই গাওয়া
হয় শিব। এটা হলো নামি-দামী, কিন্তু মানুষ অনেক নাম রেখেছে। ভক্তি মার্গে নিজেদের
বুদ্ধিতেই এই লিঙ্গ রূপ তৈরী করে রেখেছে। তবুও নাম হলো শিব। বাবা বলেন আমি একবার আসি।
এসে মুক্তি জীবন-মুক্তির উত্তরাধিকার দিই। মানুষ যদিও নাম করে-- মুক্তিধাম,
নির্বাণধাম, কিন্তু কিছুই জানে না। না বাবাকে জানে, না দেবতাদের। এইটা কারোরই জানা
নেই বাবা ভারতে এসে কীভাবে রাজধানী স্থাপন করেন। শাস্ত্রতেও এইরকম কোনো কথা নেই যে
পরমপিতা পরমাত্মা কীভাবে এসে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন। এমন না যে
সত্যযুগে দেবতাদের জ্ঞান ছিলো, যা হারিয়ে গিয়েছে। না, যদি দেবতাদের মধ্যেও এই জ্ঞান
থাকতো তো প্রচলিত থাকতো। ইসলাম বৌদ্ধ ইত্যাদি যারা আছে তাদের জ্ঞান প্রচলিত আছে,
সবাই জানে যে- এই জ্ঞান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। আমি যখন আসি তো যেই সব আত্মারা
পতিত হয়ে রাজত্ব হারিয়ে বসে আছে, এসে তাদের পবিত্র করি। ভারতে রাজ্য ছিলো তবে
হারালো কি করে, সেটাও কারোর জানা নেই সেইজন্য বাবা বলেন বাচ্চাদের কতো তুচ্ছ বুদ্ধি
হয়ে গিয়েছে। আমি বাচ্চাদের এই জ্ঞান প্রদান করে প্রালব্ধ দিয়ে থাকি আবার সব কিছু
ভুলে যায়। বাবা কি ভাবে এসেছেন, কি করে বাচ্চাদের শিক্ষা দিয়েছেন, সেই সব ভুলে যায়।এও
ড্রামাতে স্থির আছে। বিচার সাগর মন্থন করার জন্য বাচ্চাদের অনেক বুদ্ধির দরকার।
বাবা বলেন এই যে শাস্ত্র ইত্যাদি তোমরা পড়ে এসেছো এ'সব তোমরা সত্যযুগ- ত্রেতাতে
পড়তে না। সেখানে ছিলোই না। তোমরা এই নলেজ ভুলে যাও, আবার গীতা ইত্যাদি শাস্ত্র কোথা
থেকে এলো ? যারা গীতা শুনে এই পদ প্রাপ্ত করেছে তারাই জানে না তো আবার অন্যেরা কি
করে জানতে পারবে ? দেবতারাও জানতে পারে না। আমরা মানুষ থেকে দেবতা কীভাবে হলাম। সেই
পুরুষার্থের পার্টই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তোমাদের প্রালব্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে এই
নলেজ হতে পারে কি করে। বাবা বুঝিয়েছেন এই নলেজ তোমাদের আবার প্রাপ্ত হচ্ছে, পূর্ব
কল্পের ন্যায়। তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে প্রালব্ধ দেওয়া হয়। সেখানে আবার তো দুর্গতি
থাকেই না। তাই জ্ঞানের কথাও তো উঠতে পারে না। জ্ঞান হলোই সদ্গতি প্রাপ্ত করার জন্য।
সেটা দিতে পারেন একমাত্র বাবা। সদ্গতি আর দুর্গতি শব্দ এইখান থেকেই বের হয়।
ভারতবাসীই সদ্গতি প্রাপ্ত করে। মনে করা হয় হেভেনলী গড ফাদার হেভেন রচনা করেছিলেন।
কবে রচনা করেছিলেন ? এর কিছুই জানা নেই। শাস্ত্রে লক্ষ বছর লিখে দিয়েছে। বাবা বলেন
- বাচ্চারা, তোমাদের আবার নলেজ দিচ্ছি আবার এই নলেজ শেষ হয়ে যাবে তো ভক্তি শুরু হবে।
অর্ধ কল্প হলো জ্ঞান, অর্ধ কল্প হলো ভক্তি। এটাও কেউ জানে না। সত্যযুগের আয়ু লক্ষ
বছর দিয়ে দিয়েছে। তবে জানবে কি করে। ৫ হাজার বছরের কথাও ভুলে গিয়েছে। তো লক্ষ বছরের
কথা জানবে কি করে। কিছুই বোঝে না। বাবা কতো সহজে বোঝান। কল্পের আয়ু হলো ৫ হাজার
বছর। যুগই হলো ৪ টে। চারটের ইকুয়্যাল টাইম অর্থাৎ সমান সময় হলো ১২৫০ বছর। এইটা হলো
ব্রাহ্মণদের মিডগেট (বামন) যুগ। খুবই ছোটো ওই ৪ যুগের থেকে। তাই বাবা আলাদা আলাদা
রীতিতে নূতন নূতন পয়েন্টস্ সহজ ভাবে বাচ্চাদের বোঝাতে থাকেন। ধারণা করতে হবে
তোমাদের। পরিশ্রম তোমাদের করতে হবে। ড্রামা অনুসারে যা বুঝিয়ে এসেছি সেই পার্ট চলে
এসেছে। যা বলার ছিলো সেটাই আজ বলছি। ইমার্জ হতে থাকছে। তোমরা শুনে যাচ্ছো। তোমাদেরই
ধারণ করতে আর করাতে হবে। আমার তো ধারণ করতে হবে না। তোমাদের শোনাই, ধারণা করাই। আমি
আত্মার মধ্যে পার্ট রয়েছে পতিতকে পবিত্র করে তোলার। যারা পূর্ব কল্পে বুঝিয়েছিলাম
সেগুলোই পুনরায় বলার জন্য আসছে। আমি প্রথম দিকে জানতাম না যে কি শোনাব। যদিও এঁনার
সোল বিচার সাগর মন্থন করে থাকে। ইনি বিচার সাগর মন্থন করে শোনান না বাবা শোনান--
এইটা হলো বড়ই রহস্যজনক ব্যাপার, এর জন্য ব্রেণ খুবই ভালো চাই। যারা সার্ভিসে তৎপর
হবে তাদেরই বিচার সাগর মন্থন চলতে থাকবে।
বাস্তবে কন্যারা বন্ধন-মুক্ত হয়। তারা এই আধ্যাত্মিক পাঠ পড়তে শুরু করে দেয়, বন্ধন
তো কিছু নেই। কুমারীরা ভালো ভাবে তুলে নিতে পারে, তাদেরকেই পড়তে আর পড়াতে হবে ।
ওদের উপার্জনের দরকার নেই। কুমারীরা যদি ভালো করে এই নলেজ বুঝতে পারে তো সবচেয়ে ভালো
হয়। সেন্সিবেল হলে তো ব্যাস্- এই আধ্যাত্মিক উপার্জনে লেগে যায়। কেউ তো শখ করে
লৌকিক পড়া পড়তে থাকে। বোঝানো হয়ে থাকে-- এতে কোনো লাভ নেই। তোমরা এই রুহানী পাঠ
পড়ে সার্ভিসে লেগে পড়ো। সেই পড়া তো কোনো কাজের না। পড়ে নিয়ে চলে যায় গৃহস্থ
ব্যবহারে। গৃহস্থী মাতা হয়ে যায়। কন্যাদের তো এই নলেজে লেগে পড়া উচিত। প্রতি পদে
শ্রীমত অনুসরণ করে চলে ধারণাতে লেগে পড়তে হবে। মাম্মা প্রথমদিকে এসেছেন আর তারপর
এই অধ্যয়ণ শুরু করে দিয়েছেন, কতো কুমারীরা তো হারিয়ে গিয়েছে। কুমারীদের চান্স (সুযোগ)
হলো ভালো। শ্রীমত অনুযায়ী চললে খুবই ফার্স্ট ক্লাস হবে। এইটা শ্রীমত না শ্রেষ্ঠ মত
না ব্রহ্মা বাবার মত-- এতে মুষরে পড়ে। তবুও তো এটা বাবারই রথ, তাই না! এঁনার দ্বারা
কিছু ভুল হয়ে গেলে, তোমরা শ্রীমতে চলতে থাকলে তো সেটা নিজে থেকেই ঠিক করে দেবেন।
শ্রীমত প্রাপ্তও হবে এখন এঁনার দ্বারা। সর্বদা মনে রাখতে হবে শ্রীমত প্রাপ্ত হলে
আবার যা কিছুই হোক-- রেসপন্সিবল শিব বাবা থাকেন । এঁনার দ্বারা কিছু হলে, বাবা বলেন
আমি রেসপন্সিবল। ড্রামাতে এই রহস্য নির্ধারিত হয়ে আছে। এঁনাকেও (ব্রহ্মা বাবাকে)
সংশোধন করতে পারেন । বাবা যে তিনি ! বাপদাদা দুইজন একত্রে রয়েছেন, তাই বিভ্রান্ত
হয়ে যায়। বুঝতে পারে না শিববাবা বলছেন না ব্রহ্মা বাবা । যদি মনে করো শিববাবাই মত
দেন তো অনড় থেকো। শিববাবা যা বোঝান সেটা রাইটই হয়। তোমরা বলে থাকো, বাবা আপনিই
আমাদের বাবা-টিচার-গুরু । তাই শ্রীমত অনুযায়ী চলতে হয়, তাই না ! তিনি যা বলেন সেই
অনুযায়ী চলো। সর্বদা মনে করো শিববাবা বলেন-- তিনি হলেন কল্যাণকারী, এঁনার(ব্রহ্মা)
রেসপন্সিবিলিটিও ওঁনার(শিববাবার) উপর। ওঁনার রথ যে তিনি ! বিভ্রান্ত কেন হও - জানি
না এইটা ব্রহ্মার রায় না শিববাবার ? তোমরা কেন বোঝো না শিববাবাই বোঝান। শ্রীমত যা
বলবে সেইটা করতে থাকো। অন্যের মতে তোমরা আসছোই বা কেন। শ্রীমত অনুযায়ী চললে কখনো
সংশয় আসবে না। কিন্তু চলতে পারো না, তাই বিমর্ষ হয়ে পড়ে। বাবা বলেন তোমরা শ্রীমতের
উপর নিশ্চয় (দৃঢ় বিশ্বাস) রাখলে আমি রেসপন্সিবল হবো। তোমরা যদি সুনিশ্চিত না হতে
পারো তবে আমিও রেসপন্সিবল হবো না। সবসময় মনে কোরো শ্রীমত অনুযায়ী চলতেই হবে। তিনি
যা বলছেন, চাই ভালোবাসো, চাই মারো-- এই গায়ন ওনার উদ্দেশ্যেই রয়েছে । এতে পদাঘাত
ইত্যাদি করার তো কোনো ব্যাপার নেই। কিন্তু কারোর বিশ্বাস জাগানোই হলো খুব মুশকিল।
সম্পূর্ণ নিশ্চয় (সুনিশ্চিত) হয়ে গেলে তো কর্মাতীত অবস্থা হয়ে যাবে। কিন্তু সেই
অবস্থা আসতেই টাইম চাই। সেইটা হবে শেষে, এতে অটল বিশ্বাস থাকা চাই। শিববাবার দ্বারা
তো কখনো কোনো ভুল হতে পারে না, এঁনার (ব্রহ্মা) দ্বারা হতে পারে। এই দুই জন হলেন
একত্রিত। কিন্তু তোমাদের নিশ্চয়ও রাখতে হবে-- শিববাবা বোঝান, সেই অনুযায়ী আমাদের
চলতে হবে। তো বাবার শ্রীমত মনে করে চলতে থাকো। তখন উল্টোও সোজা হয়ে যাবে, কোথাও মিস্
আন্ডারস্ট্যান্ডিংও হয়ে যায়। শিববাবা আর ব্রহ্মা বাবার মুরলীও খুব ভালো করে বুঝতে
হয়। বাবা বলেছেন না ইনি বলেছেন। এমন না যে ব্রহ্মা বলেনই না। কিন্তু বাবা
বুঝিয়েছেন--আচ্ছা, মনে করো এই ব্রহ্মা কিছুই জানে না, শিববাবাই সবকিছু শোনান।
শিববাবার রথকেও স্নান করাই, শিববাবার ভান্ডারাতে সার্ভিস করি-- এইটা স্মরণে থাকলে
সেটাও ভালো। শিববাবার স্মরণে থেকে যা কিছুই করবে খুবই জোরালো হবে। মুখ্য ব্যাপার
হলোই শিববাবাকে স্মরণ করার মধ্যে। অল্ফ আর বে। বাকি হলো ডিটেল।
বাবা যা বোঝান তার উপর অ্যাটেনশনের দিতে হবে। বাবা হলেন পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর যে
না। তিনিই পতিত শূদ্রকে এসে ব্রাহ্মণ করেন। ব্রাহ্মণকেই পবিত্র করেন, শূদ্রকে
পবিত্র করেন না, এই সব কথা কোনো ভগবত ইত্যাদিতে নেই। কিছু-কিছু শব্দ আছে। মানুষের
তো এটাও জানা নেই যে রাধা-কৃষ্ণই হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ। মুষরে পড়ে। দেবতারা তো হলোই
সূর্যবংশী-চন্দ্রবংশী। লক্ষ্মী-নারায়ণের ডিনায়েস্টি (রাজত্ব), সীতা-রামের
ডিনায়েস্টি। বাবা বলেন ভারতবাসী সুইট চিলড্রেন স্মরণ করো, লক্ষ বছরের তো ব্যাপার
নেই। কালকের ব্যাপার। তোমাদের রাজ্য দিয়েছিলাম। এতো অপরিমিত ধন-দৌলত দিয়েছি। বাবা
তোমাদের সমগ্র বিশ্বের মালিক করেছেন, আর কোনো দেশ বা ভূমি ছিলো না, তবে তোমাদের কি
হলো! বিদ্বান, আচার্য, পন্ডিত কেউই এই কথাটি জানে না। একমাত্র বাবা বলেন- আরে,
ভারতবাসীগণ, তোমাদের রাজ্য-ভাগ্য দিয়েছিলাম তো। তোমরাও বলবে শিববাবা বলছেন-
তোমাদের এতো ধন দিয়েছি, তোমরা আবার কোথায় হারিয়ে ফেলছো! বাবার উত্তরাধিকার কতোই
জোরালো। বাবা জিজ্ঞাসা করেন না কি বাবা চলে গেলে বন্ধু- পরিজন জিজ্ঞাসা করে। বাবা
তোমাদের এতো পয়সা দিয়েছিলেন- সব কোথায় হারিয়ে গেল! ইনি তো হলেন অসীম জগতের পিতা।
বাবা কড়া থেকে হীরে তুল্য করেছেন। এতো রাজ্য দিয়েছে আবার পয়সা কোথায় গেল? তোমরা
কি জবাব দেবে? কারোরই বোধগম্য হয় না। তোমরা মনে করো বাবা ঠিক জিজ্ঞাসা করেন- এতো
কাঙাল কি করে হলে! প্রথমে সবকিছু সতোপ্রধান ছিলো, তারপর কলা ক্রমশ কম হতে থাকে তো
সব কিছু কম হয়ে যায়। সত্যযুগে তো সতোপ্রধান ছিলো, লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো।
রাধা-কৃষ্ণর থেকে লক্ষ্মী-নারায়ণের নাম বেশী। ওনাদের কোনো গ্লানি লেখা হয়নি আর
সকলের জন্য নিন্দা লেখা হয়েছে। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্বে কোনো দৈত্য ইত্যাদিকে বলা
হয় না। তো এই সব কথা বোঝার আছে। বাবা জ্ঞান ধন্যবাদ দ্বারা ঝুলি ভরে দেন। বাবা বলেন
বাচ্চারা এই মায়া থেকে সাবধান থাকো। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন
স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন
নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১|
সেন্সিবেল হয়ে সত্যিকারের সেবাতে লিপ্ত থাকতে হবে। জবাব দেওয়ার জন্য এক বাবা আছেন,
সেইজন্য শ্রীমতের প্রতি সংশয় রাখতে নেই। বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে।
২| বিচার সাগর মন্থন করে বাবার বোঝানো প্রতিটি ব্যাপারে অ্যাটেনশন দিতে হবে। স্বয়ং
জ্ঞান ধারণ করে অপরকে শোনাতে হবে।
বরদান:-
নিজের
প্রত্যক্ষ প্রমাণ দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান ভব
যে কোনো ব্যাপারে
স্পষ্ট করার জন্য অনেক ধরনের প্রমাণ দেওয়া হয়। কিন্তু সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ হলো
প্রত্যক্ষ প্রমাণ। প্রত্যক্ষ প্রমাণ অর্থাৎ যাই হবে, যার হবে তার স্মৃতিতে থাকতে হবে।
যে বাচ্চারা নিজের যথার্থ বা অনাদি স্বরূপে স্থির থাকে তারাই বাবাকে প্রত্যক্ষ করার
জন্য নিমিত্ত হয়। তাদের ভাগ্য দেখে, যারা ভাগ্য তৈরী করে তাদের স্মরণ স্বতঃস্ফূর্ত
ভাবেই আসে।
স্লোগান:-
নিজের করুণার দৃষ্টি দ্বারা প্রতিটি আত্মাকে পরিবর্তন করতে সক্ষম যে, সেই হলো পুণ্য
আত্মা।