29.01.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার অর্থাৎ সকল ধর্মের পিতাদেরও আদি পিতা হলেন প্রজাপিতা
ব্রহ্মা, যাঁর কর্তব্যকে (অকুপেশন) বাচ্চারা, তোমরাই জানো”
প্রশ্নঃ -
কর্মকে
শ্রেষ্ঠ বানানোর যুক্তি কি ?
উত্তরঃ -
এই জন্মে কোনও কর্ম বাবার থেকে লুকিয়ো না, শ্রীমৎ-এর অনুসারে কর্ম করো তাহলে
প্রত্যেক কর্ম শ্রেষ্ঠ হবে। সবকিছুই কর্মের উপর নির্ভরশীল। যদি কেউ পাপ কর্ম করে
লুকিয়ে ফেলে তাহলে তাকে ১০০ গুন শাস্তি ভোগ করতে হবে, পাপ বৃদ্ধি পাবে, বাবার সাথে
যোগ ভেঙে যাবে। তারপর এইরকম পাপকর্ম করে বাবার থেকে লুকিয়ে ফেলা আত্মাদের সর্বৈব
ক্ষতি হয়ে যাবে, এইজন্য সত্য বাবার সাথে সৎ থাকো ।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চারা এটা তো বোঝে যে এই পুরানো দুনিয়াতে আমরা হলাম অল্প দিনের
ভ্রমণকারী (পথিক) । দুনিয়ার মানুষ তো মনে করে এখনও ৪০ হাজার বছর এখানে থাকতে হবে।
বাচ্চারা তোমাদের তো নিশ্চয় আছে তাই না ! এই কথাটা ভুলে যেওনা। এখানে বসে আছো তো
বাচ্চারা তোমাদের অন্তরে খুবই খুশি হওয়া উচিত। এই চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছ এসব
কিছুই বিনাশ হয়ে যাবে। আত্মা তো হল অবিনাশী। এটাও বুদ্ধিতে আছে যে আমরা আত্মারা
সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছি, এখন বাবা এসেছেন নিয়ে যাওয়ার জন্য। পুরানো দুনিয়া যখন
শেষ হয়ে আসে তখন বাবা আসেন নতুন দুনিয়া বানানোর জন্য। নতুন দুনিয়া থেকে পুরানো,
পুনরায় পুরানো দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়া, এই চক্রের জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে আছে।
অনেকবার আমরা এই চক্র পরিক্রমা করেছি। এখন এই চক্র সম্পন্ন হচ্ছে। পুনরায় নতুন
দুনিয়াতে আমরা অল্প কয়েকজন দেবতারাই থাকবো। সেখানে মানুষ থাকবে না। এখন আমরা মানুষ
থেকে দেবতা হচ্ছি। এটা তো পাক্কা নিশ্চয় আছে তাইনা! বাকি সবকিছুই কর্মের উপর
নির্ভরশীল। মানুষ উল্টোপাল্টা কর্ম করলে তো তাদের অন্তরে অনুশোচনা অবশ্যই হয়, এই
জন্য বাবা জিজ্ঞাসা করছেন যে এই জন্মে এমন কোনো পাপ কর্ম করনি তো ? এটা হল ছিঃ ছিঃ
রাবণ রাজ্য। এটাও তোমরা বুঝে গেছো। দুনিয়া এটা জানে না যে রাবণ কোন জিনিসের নাম।
বাপুজী বলেছিলেন, রামরাজ্য চাই কিন্তু অর্থ জানতেন না। এখন অসীম জগতের বাবা
বোঝাচ্ছেন রামরাজ্য কোন প্রকারের হয়। এটা তো হল অন্ধকারাচ্ছন্ন দুনিয়া। এখন অসীম
জগতের বাবা বাচ্চাদেরকে অবিনাশী উত্তরাধিকারী প্রদান করছেন। এখন তোমরা আর ভক্তি কর
না। এখন বাবার হাত প্রাপ্ত হয়েছে। বাবার সহায়তা ছাড়া এতদিন তোমরা বিষয় বৈতরণী
নদীতে হাবুডুবু খেয়েছিলে, অর্ধেক কল্প হলই ভক্তি। জ্ঞানপ্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথে
তোমরা নতুন দুনিয়া সত্যযুগে চলে যাও। এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে এটা নিশ্চয় আছে যে -
আমরা বাবাকে স্মরণ করতে করতে পবিত্র হয়ে যাব, পুনরায় পবিত্র রাজ্যে আসবো। এখন
পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগেই তোমাদের প্রাপ্ত হয়। এটা হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। যখন
তোমরা অসুন্দর (ছিঃ ছিঃ) থেকে সুন্দর, কাঁটা থেকে ফুল তৈরি হও। কে তৈরী করছেন ? বাবা।
বাবাকে জেনেছো। তিনি হলেন আমাদের আত্মাদের অসীম জগতের বাবা। লৌকিক বাবাকে অসীম
জগতের বাবা বলা যায়না। আত্মাদের হিসাবে পারোলৌকিক বাবা হলেন সকলের বাবা। পুনরায়
ব্রহ্মারও কর্মক্রিয়া চাই তাই না! বাচ্চারা তোমরা সকলের কর্মক্রিয়াকে জেনেছ।
বিষ্ণুরও কর্মক্রিয়াকে জেনেছ। কতোই না সজ্জিত হয়ে থাকেন। তিনি হলেন স্বর্গের মালিক
তাই নাকি।এঁনাকে তো সঙ্গমেরই বলা যায়। মূলবতন, সূক্ষ্ম বতন, স্থূল বতন, এসব তো
সঙ্গমেই আসে তাই না। বারা বোঝাচ্ছেন যে পুরানো দুনিয়া আর নতুন দুনিয়াযর এই হল
সঙ্গম। তোমরা আহ্বান করেছিলে যে, হে পতিত পাবন এসো। পবিত্র দুনিয়া হল নতুন দুনিয়া
আর পতিত দুনিয়া হল পুরানো দুনিয়া। এটাও জানো যে অসীম জগতের বাবারও পার্ট আছে। তিনি
হলেন ক্রিকেটার ডাইরেক্টর তাইনা। সবাই মান্য করে, তো অবশ্যই তাঁর কোনো না কোনো
অ্যাক্টিভিটি তো থাকবেই তাই না! তাঁকে ব্যক্তি বলা যায় না, কারণ ওঁনার তো কোনো
শরীর নেই। বাকি সবাইকে হয় মানুষ নয়তো দেবতা বলা যায়। শিব বাবাকে তো না দেবতা, না
মানুষ বলা যেতে পারে, কেননা তাঁর তো কোনো শরীরই নেই। এটা তো কিছু সময়ের জন্য
নিয়েছেন। তিনি বলেন - মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদেরকে আমি শরীর ছাড়া রাজযোগ কিভাবে
শেখাব! মানুষ আমাকে নুড়িতে কাঁকড়ে, মাটির ভাঙা পাত্রের টুকরোতে বলে দিয়েছে, কিন্তু
এখন তো বাচ্চারা তোমরা বুঝেছ যে আমি কিভাবে আসি! এখন তোমরা রাজযোগ শিখছো। কোনও
মানুষ তো শেখাতে পারে না। দেবতারা সত্যযুগের রাজত্ব কিভাবে নিয়েছেন? অবশ্যই
পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে রাজযোগ শিখেছেন। তো এসব স্মরণ করো এখন বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে
অসীম খুশি হওয়া চাই। এখন আমরা ৮৪-র চক্র সম্পন্ন করেছি। বাবা কল্প-কল্পে আসেন। বাবা
নিজে বলেন যে এটা হল অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম। শ্রীকৃষ্ণ যিনি সত্যযুগের প্রিন্স
ছিলেন, তিনিও পুনরায় ৮৪ - র চক্র পরিক্রমা করেছি। তোমরা শিব বাবার তো ৮৪ জন্ম তো
বলতে পারোনা। তোমাদেরও মধ্যেও নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থ অনুসারে জানতে পারো। মায়া
হল অত্যন্ত শক্তিশালী, কাউকে ছাড়ে না। এই বাবা ভালো ভাবেই তা জানেন। এই রকম ভেবো
না যে, বাবা হলেন অন্তর্যামী। না, সকলেরই এক্টিভিটির দ্বারা জানতে পারা যায় ।
সংবাদ আসে - মায়া কাঁচাই একদম পেটে ভরে নিয়েছে। বাচ্চারা, এইরকম অনেক কথাই তোমরা
জানতে পারো না, বাবা তো সবই জানতে পারেন। সাধারণ মানুষ মনে করে যে বাবা হলেন
অন্তর্যামী। বাবা বলেন, আমি অন্তর্যামী নই। প্রত্যেকের চাল-চলন দেখে সব কিছুই বোঝা
যায়। অনেকেরই চাল-চলন খুব নোংরা হয়ে থাকে। বাবা বাচ্চাদেরকে সাবধান করে দিয়েছেন।
মায়ার থেকে সাবধান থাকতে হবে। মায়া এমনই, কোনো না কোনো রূপে একদম গিলে ফেলবে।
পুনরায় যদিও বাবা বোঝাচ্ছেন তবুও বুদ্ধিতে বসে না। এইজন্য বাচ্চাদেরকে অনেক সাবধান
থাকতে হবে। কাম হল মহাশত্রু। বুঝতেই পারে না যে আমরা বিকারে চলে গেছি, এইরকমও হয়।
এইজন্য বাবা বলছেন, যদি কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে যায় তবে পরিষ্কার করে বলে দাও, লুকিয়ে
রেখোনা না। নাহলে তো ১০০ গুণ পাপ হয়ে যাবে, যেটা অন্তরে অনুশোচনা হতে থাকবে। একদম
ভেঙে পড়বে। সত্য বাবার সাথে একদম সত্য হওয়া চাই। না হলে তো অনেক অনেক ক্ষতি হয়ে
যাবে। মায়া এই সময় তো অনেক শক্তিশালী । এটা হল রাবণের দুনিয়া। আমরা এই পুরানো
দুনিয়াকে স্মরণই বা করব কেন ! আমরা তো নতুন দুনিয়াকে স্মরণ করব, যেখানে এখন যাচ্ছি।
বাবা নতুন মহল বানাচ্ছেন তাই বাচ্চাদেরকে বুঝতে হবে যে আমাদের জন্যই তৈরি হচ্ছে।
খুশি থাকবে। এসব হল অসীম জগতের কথা। আমাদের জন্য নতুন দুনিয়া স্বর্গ তৈরি হচ্ছে।
স্বর্গে অবশ্যই মহলও থাকবে, থাকার জন্য। এখন আমরা নতুন দুনিয়াতে যাচ্ছি। যত-যত
বাবাকে স্মরণ করবে ততই ফুলের মত সুন্দর তৈরি হবে। আমরা বিকারের বশীভূত হয়ে কাঁটা হয়ে
গিয়েছিলাম। বাবা জানেন যে মায়া অর্ধেককে তো একদম খেয়ে নেয়। তোমরাও বুঝতে পারো
যে, যারা আসেনা তারা তো মায়ার বশীভূত হয়ে গেছে, তাইনা ! বাবার কাছে তো আসে না।
এইরকম মায়া অনেককেই গিলে ফেলে। অনেকেই ভালো ভালো বলে চলে যায় - আমি এইরকম করবো, এটা
করবো, আমি তো যজ্ঞের জন্য প্রাণ দিতেও তৈরি আছি। আজ তারা নেই। তোমাদের লড়াই হলই
মায়ার সাথে। দুনিয়াতে এটা কেউ জানে না - মায়ার সাথে লড়াই কিভাবে হয়। এখন
বাচ্চারা বাবা তোমাদেরকে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দিয়েছেন, যার দ্বারা তোমরা অন্ধকার
থেকে আলোতে এসে গেছো। আত্মাকেই এই জ্ঞানের নেত্র দিয়েছেন, তখন বাবা বলেন, নিজেকে
তোমরা আত্মা মনে করো। অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করো। ভক্তিতেও তোমরা স্মরণ করে সব
কাজ করতে, তাইনা। বলেওছিলে, আপনি এলে আপনার কাছে আমরা সমর্পিত হয়ে যাব। কিভাবে
সমর্পিত হবে ! এটা থোড়াই তোমরা জানতে ! এখন তোমরা বুঝেছ যে আমরা যেরকম আত্মা,
সেইরকম বাবাও। বাবারও হল অলৌকিক জন্ম। বাচ্চারা তোমাদেরকে কিরকম ভালো ভালো
পড়াচ্ছেন! নিজেরাই বলো যে, ইনি হলেন সেই বাবা যিনি কল্প-কল্প আমাদের বাবা হয়েছেন।
আমরাও বাবা বাবা বলে থাকি, বাবাও বাচ্চা-বাচ্চা বলেন। তিনিই টিচারের রূপে রাজযোগ
শেখাচ্ছেন। আর তো কেউ রাজযোগ শেখাতে পারে না। তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানাচ্ছে,
তাই এইরকম বাবার হয়ে পুনরায় সেই টিচারের শিক্ষাও নেওয়া চাই, তাই না। খুশিতে
উৎফুল্ল হওয়া চাই। আর যদি ছিঃ ছিঃ নোংরা হয়ে যাও তাহলে পুনরায় সেই খুশি আসবে না।
তখন যতই মাথা খাটাক না কেন, সেই রকম আমাদের জাতি ভাই থাকে না। এখানে মানুষের অনেক
সারনেম থাকে। তোমাদের সারনেম দেখো কত বড়। ইনি হলেন বড় থেকেও বড় গ্রেট গ্রেট
গ্র্যান্ড ফাদার ব্রহ্মা। তাঁকে কেউই জানেনা। শিববাবাকে তো সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে।
ব্রহ্মাকেও কেউ জানেনা। চিত্রও আছে ব্রহ্মা বিষ্ণু শংকরের। ব্রহ্মাকে সূক্ষ্ম বতনে
নিয়ে গেছে। বায়োগ্রাফি কিছুই জানেনা। সূক্ষ্মবতনে ব্রহ্মাকে দেখিয়ে দিয়েছে,
পুনরায় প্রজাপিতা ব্রহ্মা কেথা থেকে আসবেন! সেখানে বাচ্চাদেরকে দত্তক নেবেন কি!
কারোরই জানা নেই। প্রজাপিতা ব্রহ্মা - বলে থাকে কিন্তু বায়োগ্রাফি জানে না। বাবা
বুঝিয়েছেন যে, ইনি হলেন আমার রথ। অনেক জন্মের অন্তে আমি এঁনার আধার গ্রহণ করি। এটাই
হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ গীতার এপিসোড। পবিত্রতাই হল মুখ্য। পতিত থেকে পবিত্র কিভাবে
হতে হবে, এটা দুনিয়াতে কারোরই জানা নেই। সাধুসন্ত ইত্যাদি কখনো কেউ এই কথা বলবে না
যে দেহের সাথে সবাইকে ভুলে যাও। এক বাবাকে স্মরণ করো তাহলে মায়ার পাপ কর্ম সব
ভষ্মীভূত হয়ে যাবে। কোনো গুরু কখনও এইরকম বলবেন না।
বাবা বোঝাচ্ছেন - এই ব্রহ্মা কিভাবে হন ? ছোটবেলায় গ্রামের যুবক ছিলেন। ৮৪ জন্ম
নিয়েছেন, প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত। তাই নতুন দুনিয়া পুরানো হয়ে যায়।
এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধির তালা খুলে গেছে। তখন বুঝতে পারছ, ধারণা করতে পারছো।
এখন তোমরা বুদ্ধিমান হয়ে গেছ। আগে বুদ্ধিহীন ছিলে। এই লক্ষ্মী নারায়ণ হলেন
বুদ্ধিমান আর এখানে বুদ্ধিহীন হয়ে গেছেন। সামনে দেখো ইনি হলেন স্বর্গোদ্যানের
মালিক তাই না। কৃষ্ণ স্বর্গের মালিক ছিলেন, পুনরায় গ্রামের যুবক হয়েছেন। তোমাদেরকে
এটা ধারণ করে পুনরায় পবিত্রও অবশ্যই হতে হবে। মুখ্য হলই পবিত্রতার কথা। লেখে - বাবা,
মায়া আমাকে নীচে নামিয়ে দিয়েছে। চোখ ক্রিমিনাল হয়ে গেছে। বাবা বলেন, নিজেকে আত্মা
মনে করো। ব্যস্ এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। অল্প সময়ের জন্য,
শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম করে পুনরায় আমরা চলে যাব। এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশের
জন্য লড়াইও লাগে। এটাও তোমরা দেখবে যে কিভাবে যুদ্ধ লাগবে। বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে
পারবে যে আমরা দেবতা হচ্ছি তো আমাদের নতুন দুনিয়া চাই। এইজন্য বিনাশ অবশ্যই হবে।
শ্রীমতের আধারে আমরা নিজেদের নতুন দুনিয়া স্থাপন করছি।
বাবা বলছেন - আমি তোমাদের সেবায় উপস্থিত হয়েছি। তোমরা অনুরোধ জানিয়েছিল, আমাদেরকে,
পতিতদেরকে এসে পবিত্র বানাও। তাই তোমাদের ডাকে আমি এসেছি, তোমাদেরকে খুব সহজ রাস্তা
বলে দিচ্ছি। "মন্মনা ভব" । ভগবানুবাচ, তাই না। কেবল কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে।
বাবার পরে হল কৃষ্ণ। ইনি হলেন পরম ধামের মালিক, তিনি হলেন বিশ্বের মালিক।
সুক্ষ্মবতনে তো কিছুই হয় না। সবার থেকে নম্বর ওয়ান হলেন শ্রীকৃষ্ণ, যাকে সবাই খুব
ভালোবাসে। বাকিরা পরে পরে আসে। স্বর্গে তো সবাই যেতে পারবে না। তাই মিষ্টি মিষ্টি
মিষ্টি বাচ্চাদেরকে অন্তর থেকে খুশিতে থাকতে হবে। কৃত্রিম খুশী হলে হবে না। বাইরে
থেকে ভিন্ন ভিন্ন রকমের বাচ্চারা বাবার কাছে আসে, যারা কখনো পবিত্র থাকে না। বাবা
বোঝান যে, যদি বিকারে যাও তবে এখানে আসো কেন ? তারা বলে - কি করব, থাকতে পারিনা।
প্রতিদিন এইজন্য আসি, না জানি কবে কখন এইরকম তীর লেগে যাবে। আপনি ছাড়া সদ্গতি কে
করবে ? এসে বসে যায়। মায়া অত্যন্ত প্রবল। নিশ্চয়ও হয় - বাবা আমাদেরকে পতিত থেকে
পবিত্র সুন্দর ফুল বানান। কিন্তু কি করবো, তবুও সত্য কথা তো বলে - এখন অবশ্যই সে
শুধরে গেছে হয়তো। তার এটা নিশ্চয় ছিল - এঁনার দ্বারাই আমরা শুধরে যাবো।
এই সময় কতো কতো অ্যাক্টর ! একজনের ফিচার (চেহারা, বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি) অন্যের সাথে
মিলবে না। পুনরায় কল্পের পর এরপর সেই একই রকমের বৈশিষ্ট্যের পার্ট পুনরাবৃত্তি করবে।
আত্মারা তো সবাই ফিক্স আছে, তাইনা। সকল অ্যাক্টর একদমই অ্যাক্যুরেট পার্ট প্লে করতে
থাকে। এতটুকুও হেরফের হয় না । সকল আত্মারাই হলো অবিনাশী। তাদের মধ্যে অবিনাশী পার্ট
পূর্ব নির্ধারিত হয়ে আছে। এ সব হল অনেক বোঝার বিষয়। কতইনা বোঝাতে থাকে, তবুও ভুলে
যায়। বুঝতে পারে না। এটাও ড্রামাতে হওয়ারই ছিল। প্রত্যেক কল্পেই রাজত্ব স্থাপন হয়ে
থাকে। সত্যযুগে আসেই অল্প কয়েকজন - সেটাও আবার নম্বরের ক্রমানুসারে। এখানেও
নম্বরের ক্রম আছে, তাইনা। একজনের পার্ট একজনই জানে, অন্যরা জানতে পারে না। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
সত্য বাবার সাথে সর্বদা সত্য থাকতে হবে। বাবার উপর সম্পূর্ণ সমর্পিত হয়ে যেতে হবে।
২ ) জ্ঞানকে ধারণ করে বুদ্ধিমান হতে হবে। অন্তর থেকে অসীম খুশিতে থাকতে হবে।
শ্রীমতের বিরুদ্ধে কোনও কাজ করে খুশি হারিয়ে ফেলো না।
বরদান:-
জ্ঞানের গুপ্ত কথাগুলিকে শুনে, সেগুলির স্বরূপ ধারণকারী বাবা সম জ্ঞানী আত্মা ভব
বাবা সম জ্ঞানী আত্মা,
প্রত্যেক কথার স্বরূপকে অনুভব করে। শুনতে যেমন ভালো লাগে, গূঢ়ও মনে হয়, কিন্তু
শোনার সাথে সাথে সমায়িত করা অর্থাৎ স্বরূপ হওয়া - এরও অভ্যাস থাকা চাই। আমি আত্মা
হলাম নিরাকার - এটা বারবার শুনতে থাকো কিন্তু নিরাকার স্মৃতির অনুভাবী হয়ে শোনো।
যেইরকম পয়েন্ট সেইরকম অনুভব। এর দ্বারা শুদ্ধ সংকল্পের খাজানা জমা হতে থাকবে আর
বুদ্ধি এতেই ব্যস্ত থাকবে, তখন ব্যর্থ সংকল্প থেকে সহজেই পার হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
নলেজ এবং অনুভবের ডবল অথরিটি সম্পন্ন আত্মাই হল 'মস্ত ফকির রমতা যোগী' ।
# 'মস্ত ফকির রমতা যোগী' = যে বৈরাগী, যোগী প্রভু প্রেমে মত্ত থেকে ঘুরে ঘুরে
সন্দেশ দিতে থাকে।