15.01.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা অর্ধেক কল্প যার ভক্তি করেছিলে, সেই বাবা নিজে তোমাদেরকে পড়াচ্ছেন, এই পড়ার দ্বারাই তোমরা দেবী দেবতা তৈরি হচ্ছো”

প্রশ্নঃ -
যোগবলের লিফ্টের চমৎকারীত্ব কী ?

উত্তরঃ -
বাচ্চারা তোমরা যোগবলের লিফ্টের দ্বারা সেকেন্ডে উপরে চলে যেতে পারো অর্থাৎ সেকেন্ডে জীবন মুক্তির উত্তরাধিকার তোমাদের প্রাপ্ত হয়ে যায়। তোমরা জানো যে, সিঁড়ি দিয়ে নামতে পাঁচ হাজার বছর লাগে আর উপর দিকে উঠতে লাগে এক সেকেন্ড। এটাই হলো যোগবলের চমৎকারীত্ব । বাবার স্মরণের দ্বারাই সমস্ত পাপ বিনাশ হয়ে যায়। আত্মা সতোপ্রধান হয়ে যায়।

ওম্ শান্তি ।
আধ্যাত্মিক বাবা আধ্যাত্মিক বাচ্চাদেরকে বসে বোঝাচ্ছেন। আধ্যাত্মিক বাবার মহিমা তো বাচ্চাদেরকে শোনানো হয়েছে। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সৎ চিৎ আনন্দস্বরূপ। শান্তির সাগর। তাকে অসীম জগতের সব প্রশংসা দেওয়া যেতে পারে। এখন বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। আর এই সময় যে সমস্ত মানুষ আছে সবাই জানে যে, আমরা হলাম ভক্তির সাগর। ভক্তিতে যে সবথেকে তীব্র গতিতে যায়, তার সম্মান প্রাপ্ত হয়। এই সময় কলিযুগে হল ভক্তি, দুঃখ। সত্যযুগে হল জ্ঞানের সুখ। এমন নয় যে সেখানেও জ্ঞান আছে। তো এই মহিমা কেবলমাত্র এক বাবারই আছে আর বাচ্চাদেরও মহিমা আছে, কেননা বাবা বাচ্চাদেরকে পড়াচ্ছেন অথবা যাত্রা শেখাচ্ছেন। বাবা বুঝিয়েছেন যে যাত্রা হল দুই প্রকারের। ভক্তরা তীর্থ করতে যায়, চারিদিকে পরিভ্রমণ করতে থাকে। তাই যখনই সময় পায়, চারিদিকে ঘুরতে থাকে, ততটা সময় বিকারে যায়না। মদ ইত্যাদি নোংরা ছিঃ ছিঃ কোনও জিনিস খায় না বা পান করে না। কখনো বদ্রীনাথ, কখনো কাশি ঘুরতে থাকে। ভক্তি করতে থাকে ভগবানের। এখন ভগবান তো একটাই হওয়া চাই, তাই না। সবদিকে তো চক্র লাগানোর প্রয়োজন নেই! শিব বাবার তীর্থেও ঘুরতে থাকে। সবথেকে বড় বেনারস তীর্থ গাওয়া হয়ে থাকে, যাকে শিবের পুরীও বলা হয়। চারিদিকে যায় কিন্তু যার দর্শন করতে যায় অথবা যার ভক্তি করে, তার বায়োগ্রাফি, কর্তব্যের বিষয়ে কিছুই জানা নেই, এইজন্য একে বলা হয় অন্ধশ্রদ্ধা। কারোর পূজা করা, মাথা ঠোকা আর তাঁর জীবন কাহিনীকে জানা, এটিকে বলা যায় ব্লাইন্ডফেথ বা অন্ধবিশ্বাস। ঘরেও পালন করতে থাকে, দেবীদের কতইনা পূজা করতে থাকে, মাটির বা পাথরের দেবী বানিয়ে তাকে অনেক সাজাতে থাকে। মনে করো লক্ষ্মীর চিত্র বানিয়েছে, তাকে জিজ্ঞেস করো এঁনার বায়োগ্রাফি বলো তো বলবে সত্যযুগের মহারানী ছিলেন। তিনিই আবার ত্রেতাতে সীতা ছিলেন। এছাড়া এঁনারা কতটা সময় রাজ্য করেছিলেন, লক্ষ্মীনারায়ণের রাজ্য কবে থেকে কতদিন পর্যন্ত চলেছে, এটা কেউই জানেনা। মানুষ ভক্তি মার্গে যাত্রাতে যায়। এইসব হল ভগবানের সাথে মিলন করার উপায়। শাস্ত্র পড়া এটাও হল একটি উপায় ভগবানের সাথে মিলন করার। কিন্তু ভগবান কোথায় আছেন ? বলবে - তিনি তো সর্বব্যাপী?

এখন তোমরা জানো যে এই পড়ার দ্বারাই আমরা দেবী দেবতা তৈরি হচ্ছি। বাবা নিজে এসে পড়াচ্ছেন, যার সাথে মিলন করার জন্য অর্ধেক কল্প ভক্তিমার্গ চলে এসেছে। তারা বলে - বাবা পবিত্র বানাও আর নিজের পরিচয় দাও যে তুমি কে ? বাবা বুঝিয়েছেন - তোমরা হলে আত্মা, বিন্দু স্বরূপ, আত্মারই এই শরীর প্রাপ্ত হয়, এই জন্য এখানে কর্ম করতে থাকে। দেবতাদের জন্য বলা যায় এনারা সত্যযুগে রাজত্ব করে গেছেন। খ্রিষ্টানরা তো মনে করে গডফাদার প্যারাডাইস (স্বর্গ উদ্যান) স্থাপন করেছিলেন। আমরা সেই সময় ছিলাম না। ভারতে স্বর্গ উদ্যান ছিল, তাদের বুদ্ধি তবুও একটু ভালো। ভারতবাসী সতোপ্রধানও হয় তো আবার তমোপ্রধান হয়ে যায়। তারা (খ্রীষ্টানরা) এতটা সুখ দেখে না তো দুঃখও এতটা দেখেনা। এখন দেখো শেষ দিকের খ্রীস্টানরা কতই না সুখী। প্রথমে তো তারা গরীব ছিল। টাকাপয়সা তো পরিশ্রমের দ্বারাই উপার্জন করা যায়, তাই না! প্রথমে খ্রীস্ট আসেন, তারপর তাঁর ধর্ম স্থাপন হয়, বৃদ্ধি হতে থাকে। এক থেকে দুই, দুই থেকে চার, এইরকমভাবে বৃদ্ধি হতেই থাকে। এখন দেখো খ্রীস্টানদের বৃক্ষ কত বড় হয়ে গেছে। এর মূল ভিত্তি হল দেবী-দেবতা বংশ। সেটাও আবার এখন এই সময় স্থাপন হচ্ছে। প্রথমে একজন ব্রহ্মা তারপর ব্রাহ্মণদের দত্তক নেওয়া সন্তান বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাবা পড়াচ্ছেন তো অনেক অনেক ব্রাহ্মণ হয়ে যায়। প্রথমে তো এই একজনই ছিলেন তাই না! একের থেকেই কত বৃদ্ধি হয়েছে। কত হওয়ার আছে। যতজন সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী দেবতারা ছিলেন, ততজনই তৈরি হবেন। প্রথমে হল এক বাবা, তাঁর আত্মা তো আছেই। এক বাবার আমরা আত্মারা কতজন সন্তান ? আমাদের সকল আত্মাদের বাবা হলেন এক অনাদি। পুনরায় সৃষ্টি চক্র পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। সব মানুষ তো সর্বদা থাকেনা। আত্মাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন পার্টে অভিনয় করতে হয়। এই বৃক্ষের সর্বপ্রথম কান্ড হলো দেবী দেবতার, তারপর তার থেকে শাখা-প্রশাখা বেরিয়ে আসে। তাই বাবা বসে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন - বাচ্চারা, আমি এসে কি করি ? আত্মার মধ্যেই ধারণা হয়। বাবা বসে শোনাচ্ছেন - আমি কিভাবে আসি ? বাচ্চারা, তোমরা সবাই যখন পতিত হয়ে যাও তখন স্মরণ করতে থাকো। সত্যযুগ ত্রেতাতে তো তোমরা সুখী ছিলে, তাই স্মরণ করতে না। দ্বাপরের পর যখন দুঃখ অতিরিক্ত পরিমাণে আসে, তখন আমাকে আহ্বান করেছিলে যে - হে পরমপিতা পরমাত্মা বাবা। হ্যাঁ বাচ্চারা, শুনেছি। কি চাও ? বাবা এসে পতিতদেরকে পবিত্র বানাও। বাবা আমরা অত্যন্ত দুঃখী পতিত হয়ে গেছি। এসে আমাদেরকে পবিত্র বানাও। কৃপা করো, আশীর্বাদ করো। তোমরা আমাকে আহ্বান করেছিলে - বাবা, এসে পতিতদেরকে পবিত্র বানাও। পবিত্র - সত্যযুগকে বলা যায়। এটাও বাবা নিজে বসে বোঝাচ্ছেন। ড্রামার প্ল্যান অনুসারে যখন সঙ্গমযুগ হয়, সৃষ্টি পুরানো হয়, তখন আমি আসি।

তোমরা জানো যে সন্ন্যাসীও দুই প্রকারের হয়। তারা হল হঠযোগী, তাদেরকে রাজযোগী বলা যায় না। তাদের হলো লৌকিকের সন্ন্যাস। ঘর-বাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে গিয়ে থাকে। গুরুদের অনুগামী হয়। গোপিচন্দ রাজার এক গল্প শোনানো হয় । তিনি বলেছিলেন - তোমরা ঘর-বাড়ি কেন পরিত্যাগ করো ? কোথায় যাও ? শাস্ত্রতে তো অনেক কাহিনী আছে। এখন তোমরা ব্রহ্মাকুমারীরা রাজাদেরকেও গিয়ে এই জ্ঞান আর যোগ শেখাতে থাকো। এক অষ্টাবক্র গীতাও আছে, যেখানে দেখানো হয়েছে যে - রাজার বৈরাগ্য এসেছে, বলছেন - আমাকে কেউ পরমাত্মার সাথে মিলন করিয়ে দাও। ঢাক পিটিয়ে বলো। সেটা হলো এই সময়কার কথা। তোমরা গিয়ে রাজাদেরকে জ্ঞান প্রদান করো, তাইনা, বাবার সাথে মিলন করানোর জন্য। যেরকম তোমরা বাবার সাথে মিলন করেছ তো অন্যদেরকেও মিলন করানোর জন্য প্রচেষ্টা করছো। তোমরা বল যে আমরা তোমাদেরকে স্বর্গের মালিক বানাবো, মুক্তি-জীবনমুক্তি দেবো। তারপর তাদেরকে বলো - শিব বাবাকে স্মরণ করো, আর কাউকে নয়। তোমরাও শুরুর দিকে বসে বসে একে অপরকে দেখে ধ্যানে চলে যেতে তাই না। বড়ই আশ্চর্য লাগতো। এরমধ্যে বাবা ছিলেন তাই না, তাই তিনি চমৎকার কিছু করে দেখাতেন। সকলের রসি টেনে নিতেন। এখন বাপ-দাদা একত্র হয়ে গেছেন। কবরখানা বানিয়ে ছিলেন। সবাই বাবার স্মরণে শুয়ে পড়ো। সবাই ধ্যানে চলে যেতে। এইসব শিব বাবার চাতুরীপনা ছিল। একে আবার কেউ যাদু মনে করত। এসব ছিল শিব বাবার খেলা। বাবা হলেন জাদুঘর, সওদাগর, রত্নাকর তাই না! আবার তিনি ধোপাও আছেন, স্বর্ণকারও আছেন, উকিলও আছেন। সবাইকে রাবণের জেল থেকে মুক্ত করেন। তাকেই সবাই আহ্বান করে বলে যে - হে পতিতপাবন, হে দূর দেশের অধিবাসী... আমাদেরকে এসে পবিত্র বানাও। আসোও পতিত দুনিয়াতে, পতিত শরীরে এসে আমাদেরকে পবিত্র বানাও। এখন তোমরা তারও অর্থ বুঝে গেছো। বাবা এসে বলেন যে, বাচ্চারা তোমরা রাবনের দেশে আমাকে আহ্বান করেছো, আমি তো পরমধামে বসেছিলাম। স্বর্গ স্থাপন করার জন্য আমাকে নরক রাবনের দেশে আহ্বান করেছো যে এখন সুখধামে নিয়ে চলো। এখন বাচ্চারা তোমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছি তাইনা। তাই এটাই হলো ড্রামা। আমি তোমাদেরকে যে রাজ্য দিয়েছিলাম সেটা সম্পন্ন হয়ে পুনরায় দ্বাপর থেকে রাবন রাজ্য শুরু হয়। ৫ বিকারে পড়ে যাও, তার চিত্রও জগন্নাথ পুরীতে আছে। প্রথম নম্বরে যে ছিলেন তিনি পুনরায় ৮৪ জন্ম নিয়ে পিছনে আছেন পুনরায় তাঁকেই প্রথম নম্বরে যেতে হয়। এখানে ব্রহ্মা বসে আছেন, বিষ্ণুও আছেন। এঁনাদের নিজেদের মধ্যে কি সম্পর্ক আছে? দুনিয়াতে কেউ তা জানে না। ব্রহ্মা সরস্বতীও আসলে সত্য যুগের মালিক লক্ষ্মী নারায়ণ ছিলেন। এখন নরকের মালিক হয়েছেন। এখন এঁনারা তপস্যা করছেন এই লক্ষ্মী নারায়ণ হওয়ার জন্য। দিলওয়ারা মন্দিরে সম্পূর্ণ স্মরণিকা আছে। বাবাও এখানেই এসেছেন এই জন্য এখন লেখেও যে - আবু হল সকল তীর্থের মধ্যে, সকল ধর্মের তীর্থের মধ্যে মুখ্য তীর্থ কেননা এখানেই বাবা এসে সকল ধর্মের সদ্গতি করেন। তোমরা শান্তিধাম হয়ে পুনরায় স্বর্গে যাও। বাকি সবাই শান্তিধামে চলে যায়। সেটা হলো জড় স্মরণিক, এটা হল চৈতন্য। যখন তোমরা চৈতন্যে সেটা হয়ে যাবে তখন পুনরায় এই মন্দির ইত্যাদি সব সমাপ্ত হয়ে যাবে। পুনরায় ভক্তি মার্গে এই স্মরণিকা তৈরি হবে। এখন তোমরা স্বর্গের স্থাপনা করছো। মানুষ মনে করে যে - স্বর্গ উপরে আছে। এখন তোমরা বুঝে গেছো যে এই ভারত স্বর্গ ছিল, এখন নরক হয়ে গেছে। এই চক্র দেখলেই সমস্ত জ্ঞান স্মরণে এসে যায়। দ্বাপর থেকে অন্যান্য ধর্ম আসতে থাকে তাই এখন দেখো কত ধর্ম হয়ে গেছে। এটা হল আয়রন এজ। এখন তোমরা সঙ্গমে আছো। সত্যযুগে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। কলিযুগে সবারই হল পাথর বুদ্ধি। সত্যযুগে হলো পরশ বুদ্ধি। তোমরাই পরশ বুদ্ধি ছিলে, তোমরাই পুনরায় পাথর বুদ্ধি হয়ে গেছো, এখন পুনরায় পরশ বুদ্ধি হতে হবে। এখন বাবা বলছেন যে তোমরা আমাকে আহ্বান করেছিলে তাই আমি এসেছি আর তোমাদেরকে বলছি - কামকে জয় করো তাহলে জগৎজিত হতে পারবে। মুখ্য এই বিকারই আছে। সত্য যুগে সবাই হল নির্বিকারী। কলিযুগে হল বিকারী।

বাবা বলছেন বাচ্চারা এখন নির্বিকারী হও। ৬৩ জন্ম বিকারে গিয়েছিলে। এখন এই অন্তিম জন্ম পবিত্র হও। এখন সবাইকেই মরতে হবে। আমি স্বর্গ স্থাপন করতে এসেছি তাই এখন আমার শ্রীমতে চলো। আমি যেটা বলছি সেটাই শোনো। এখন তোমরা পাথর বুদ্ধিকে পরশ বুদ্ধি বানানোর পুরুষার্থ করছো। তোমরাই সম্পূর্ণ সিঁড়ি নেমেছো পুনরায় উঠছো। তোমরা হলে জিন-এর মত। জিনের কাহিনী তো আছে তাই না! সে বললো যে আমাকে কাজ দাও। তখন রাজা বললেন - আচ্ছা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করো। অনেক মানুষ বলে যে ভগবানের কি হয়েছিলো যে সিঁড়ি দিয়ে নামতে উঠতে হয়। ভগবানের কি এমন হয়েছিল যে এইরকম সিঁড়ি বানালেন ! বাবা বলেছেন যে এটাই হলো অনাদি খেলা। তোমরা পাঁচ হাজার বছরে ৮৪ বার জন্মগ্রহণ করেছ। পাঁচ হাজার বছর তোমাদের নিচের দিকে নামতে সময় লেগেছে, পুনরায় উপরে যাও এক সেকেন্ডে। এটা হলো তোমাদের যোগবলের লিফ্ট। বাবা বলছেন যে স্মরণ করো তো তোমাদের পাপ বিনাশ হয়ে যাবে। বাবা আসেন তো সেকেন্ডে তোমরা উপরে চলে যাও পুনরায় নিচের দিকে নামতে পাঁচ হাজার বছর লেগে যায়। কলা কম হতে থাকে। উপরে ওঠার জন্য তো লিফ্ট আছে। সেকেন্ডে জীবন্মুক্তি। সতোপ্রধান হতে হবে। পুনরায় আস্তে আস্তে তমোপ্রধান হবে। পাঁচ হাজার বছর লাগে। আচ্ছা, পুনরায় তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে একজন্মে। এখন যখন আমি তোমাদেরকে স্বর্গের রাজত্ব প্রদান করছি তো তোমরা পবিত্র কেন হবেনা। কিন্তু কামেষু ক্রোধেষুও আছে, তাই না! বিকার না পাওয়ার ফলে স্ত্রীকে মারতে থাকে, বাইরে বের করে দেয়, আগুন লাগিয়ে দেয়। অবলাদের উপর কতইনা অত্যাচার হয়। এটাও ড্রামাতে পূর্বনির্ধারিত আছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) জগতের মালিক হওয়ার জন্য বা বিশ্বের রাজপদ নেওয়ার জন্য মুখ্য কাম বিকারকে জয় করতে হবে। সম্পূর্ণ নির্বিকারী অবশ্যই হতে হবে।

২ ) যেরকম আমরা বাবাকে পেয়েছি এই রকম সবাইকে বাবার সাথে মিলন করানোর প্রচেষ্টা করতে হবে। বাবার সত্য পরিচয় দিতে হবে। সত্যিকারের যাত্রা শেখাতে হবে।

বরদান:-
সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা সেকেন্ডে প্রত্যেক সমস্যার সমাধান করে একান্তবাসী ভব

যখন কোনও নতুন বা শক্তিশালী আবিষ্কার করা হয় তখন আন্ডারগ্রাউন্ডে করা হয়। এখানে একান্তবাসী হওয়াই হল আন্ডারগ্রাউন্ড হওয়া। যখনই সময় পাবে, কাজকর্ম করেও, জ্ঞান শুনতে বা শোনানোর সময়, নির্দেশ দেওয়ার সময় - এই দেহের দুনিয়া আর দেহের ভান থেকে ঊর্ধ্বে সাইলেন্সে চলে যাও। এই অভ্যাস বা অনুভব করা বা করানোর স্টেজ প্রত্যেক সমস্যার সমাধান করে দেবে, এর দ্বারা এক সেকেন্ডে যেকোনো কাউকেই শান্তি বা শক্তির অনুভূতি করিয়ে দিতে পারবে। যে কেউ সামনে আসবে তারা এই স্টেজে সাক্ষাৎকারের অনুভব করবে।

স্লোগান:-
ব্যর্থ সংকল্প বা বিকল্পকে পাশে ফেলে রেখে আত্মিক স্থিতিতে থাকাই হল যোগযুক্ত হওয়া।