13.02.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা বাবার কাছে এসেছো তোমাদের ঘুমন্ত ভাগ্যকে জাগাতে, ভাগ্য জাগ্রত হওয়ার অর্থ
বিশ্বের মালিক হওয়া"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, কোন্
আহার তোমাদের বাবার সমান বুদ্ধিমান করে দেয় ?
উত্তরঃ -
বাচ্চারা, এই পড়া হলো তোমাদের বুদ্ধির পুষ্টিকর আহার। যে রোজ পড়া করে, অর্থাৎ এই
খাদ্য গ্রহণ করে, তার বুদ্ধি পরশ পাথর তুল্য হয়ে যায় । পারশনাথ বাবা, যিনি
বুদ্ধিমানের বুদ্ধি, তিনি তোমাদের নিজের সমান বুদ্ধিমান বানান ।
গীতঃ-
ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি ------
ওম্ শান্তি ।
এই গানের লাইন
শুনেও মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চাদের রোমাঞ্চিত হয়ে যাওয়া উচিত । এ তো সাধারণ গান,
কিন্তু এর সার আর কেউই জানে না । বাবা এসেই এই গীত, শাস্ত্র ইত্যাদির অর্থ বোঝান ।
মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা এও জানে যে, কলিযুগে সকলের ভাগ্যই ঘুমিয়ে আছে । সত্যযুগে
সকলের ভাগ্যই জাগ্রত । এই ঘুমন্ত ভাগ্যকে জাগ্রত করেন, আর শ্রীমৎ প্রদান করেন অথবা
ভাগ্য জাগ্রতকারী একমাত্র বাবাই । তিনি বসেই বাচ্চাদের ভাগ্যকে জাগ্রত করেন । বাচ্চা
যেমন জন্ম হলেই তার ভাগ্য জাগ্রত হয় । বাচ্চার জন্ম হলো আর সে জানতে পারে যে আমি
উত্তরাধিকারী । এ হলো হুবহু অসীম জগতের কথা । বাচ্চারা জানে যে - কল্প - কল্প
আমাদের ভাগ্য জাগ্রত হয়, আবার ঘুমিয়ে পড়ে । পবিত্র হলে ভাগ্য জাগ্রত হয় । পবিত্র
গৃহস্থ আশ্রম বলা হয় । আশ্রম অক্ষর হলো পবিত্র । পবিত্র গৃহস্থ আশ্রম, এর বিপরীতে
হলো অপবিত্র পতিত গৃহস্থ ধর্ম । একে আশ্রম বলা হবে না । গৃহস্থ ধর্ম তো সকলেরই আছে
। জানোয়ারদের মধ্যেও আছে । সকলেই তো বাচ্চার জন্ম দেয় । জন্তুজানোয়ারদের জন্যও বলা
হবে যে, তারাও গৃহস্থ ধর্মে আছে । বাচ্চারা এখন জানে যে - স্বর্গে আমরা পবিত্র
গৃহস্থ আশ্রমে ছিলাম, দেবী - দেবতা ছিলাম । তাঁদের মহিমারই গায়ন হয় যে - সর্বগুণ
সম্পন্ন, ষোলো কলা সম্পূর্ণ... তোমরা নিজেরাও গাইতে । এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা
আবার মানুষ থেকে দেবতা তৈরী হচ্ছি । গায়নও আছে যে - মানুষ থেকে দেবতা হতে সময় লাগে
না । ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্করকেও দেবতা বলা হয় । বলা হয় - ব্রহ্মা দেবতায়ে নমঃ,
কিন্তু বলা হয় - শিব পরমাত্মায় নমঃ । এর অর্থও এখনই তোমরা জানো । ওরা তো কেবল অন্ধ
শ্রদ্ধা থেকে বলে দেয় । এখন শঙ্কর দেবতায়ে নমঃ বলবে । শিবের জন্য বলবে - শিব
পরমাত্মায়ে নমঃ, তাহলে তো তফাৎ হলো, তাই না । ওঁরা দেবতা হয়ে গেলেন, আর ইনি
পরমাত্মা । শিব আর শঙ্করকে এক বলা যাবে না । তোমরা জানো যে, আমরা বরাবর পাথর
বুদ্ধির ছিলাম, এখন আবার পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির হচ্ছি । দেবতাদের তো পাথর বুদ্ধির
বলা হবে না । এরপর ড্রামা অনুসারে রাবণ রাজ্যে সিঁড়ি দিয়ে নামতেই হবে । পরশ পাথর
বুদ্ধির থেকে পাথর বুদ্ধির হতেই হবে । সবথেকে বুদ্ধিমান হলেন একমাত্র বাবা । এখন
তোমাদের বুদ্ধির জোর নেই । বাবা বসে তাদের পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির বানান । তোমরা
এখানে পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির হতে আসো । পারশনাথেরও মন্দির আছে । সেখানে মেলা হয়,
কিন্তু একথা কেউই জানে না যে, পারশনাথ কে ? বাস্তবে পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধি তো বাবাই
করেন । তিনি হলেন বুদ্ধিমানের বুদ্ধি । এই জ্ঞান হলো তোমাদের মতো বাচ্চাদের বুদ্ধির
খাবার, এতে বুদ্ধি কতো পাল্টে যায় । এই দুনিয়া হলো কাঁটার জঙ্গল । এখানে একে অপরকে
কতো দুঃখ দেয় । এখন হলোই অতি ভয়ানক নরক । গরুড় পুরাণে তো অনেক মুখরোচক কাহিনী লিখে
দিয়েছে ।
বাচ্চারা, এখন তোমরা তোমাদের বুদ্ধির পুষ্টিকর আহার পাচ্ছো । অসীম জগতের বাবা
তোমাদের আহার দিচ্ছেন । এ হলো পড়া । একে জ্ঞান অমৃতও বলা হয় । এখানে কোনো জল
ইত্যাদির কথা নেই । আজকাল সব জিনিসকেই অমৃত বলে দেওয়া হয় । গঙ্গাজলকেও অমৃত বলা হয়
। দেবতাদের চরণ ধোওয়া জলকেও অমৃত বলা হয় । এখন এও তো বুদ্ধির দ্বারা বোঝার মতো কথা,
তাই না । যারা এই অঞ্জলি ভরে জল দেন, তা কি অমৃত, নাকি পতিত পাবনী গঙ্গার জল অমৃত ?
যারা অঞ্জলি ভরে জল দেন, তারা কখনোই এমন বলেন না যে, এই জল পতিতকে পবিত্র করে,
কিন্তু গঙ্গাজল সম্বন্ধে বলা হয় যে, এ হলো পতিত পাবনী । এমন বলাও হয় যে, মানুষ
মারা গেলে মুখে যেন গঙ্গাজল দেওয়া হয় । এমন দেখানো হয়েছে যে, অর্জুন বাণ মেরে
অমৃত জল পান করিয়েছিলো । তোমরা বাচ্চারা কোনো বাণ আদি নিক্ষেপ করোনি । এক গ্রাম আছে,
যেখানে বাণ দিয়ে লড়াই করা হয় । সেখানকার রাজাকে ঈশ্বরের অবতার বলা হয় । এখন
ঈশ্বরের অবতার তো কেউ হতে পারে না । বাস্তবে প্রকৃত সদগুরু তো একজনই, যিনি সকলেরই
সদগতিদাতা । যিনি সকল আত্মাদের সাথে করে নিয়ে যান । বাবা ছাড়া আর কেউই ফিরিয়ে নিয়ে
যেতে পারে না । ব্রহ্মতে লীন হয়ে যাওয়ারও কোনো কথা নেই । এক নাটক সম্পূর্ণ তৈরী ।
এই অনাদি সৃষ্টিচক্র চলতেই থাকে । এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি কিভাবে রিপিট হয়,
এ এখনই তোমরা জানতে পারো আর কেউই তা জানে না । মনুষ্য অর্থাৎ আত্মারা নিজের রচয়িতা
বাবাকেও জানে না, যাঁকে তারা ডেকেও থাকে - ও গড ফাদার ! লৌকিক বাবাকে কখনোই গড
ফাদার বলবে না । গড ফাদার শব্দ খুব সম্মানের সঙ্গে বলে থাকে । তাঁর জন্যই এমন গায়ন
হয় যে - তিনি পতিত পাবন, দুঃখহর্তা - সুখকর্তা । একদিকে বলে তিনি দুঃখহর্তা -
সুখকর্তা, আবার যখন কোনো দুঃখ হয় অথবা বাচ্চা ইত্যাদি মারা যায়, তখন বলে দেয়
ঈশ্বরই সুখ - দুঃখ দেন । ঈশ্বর আমার সন্তান কেড়ে নিয়েছে । এ কি করলো ভগবান ? এখন
একদিকে মহিমা করে, আর কিছু হলেই ঈশ্বরকে গালিও দেয় । যখন বলে যে, ঈশ্বর আমাদের
সন্তান দিয়েছেন, তখন যদি আবার ফিরিয়ে নেন, তাহলে তোমরা কাঁদো কেন ? ঈশ্বরের কাছে
গেলো, তাই না । সত্যযুগে কেউ কখনো কাঁদে না । বাবা বোঝান যে, কাঁদার তো কোনো দরকারই
নেই । আত্মার তার নিজের হিসেব - নিকেশ অনুসারে গিয়ে অন্য কোথাও অভিনয় করতে হবে ।
জ্ঞান না থাকার কারণে মানুষ কতো কান্নাকাটি করে, যেন পাগল হয়ে যায় । এখানে তো বাবা
বোঝান - মৃত্যু হলে তখনও হালুয়া খাও... তোমাদের নষ্টমোহ হতে হবে । আমাদের তো একই
অসীম জগতের পিতা আছেন, দ্বিতীয় আর কেউই নেই । বাচ্চাদের এমন অবস্থা হওয়া উচিত ।
মোহজিৎ রাজার কথা তো শুনেছো, তাই না । এ সব হলো চর্চিত কাহিনী । সত্যযুগে দুঃখের
কোনো কথাই থাকে না । না সেখানে কোনো অকাল মৃত্যু হয় । বাচ্চারা জানে যে, আমরা কালকে
জয় করি, বাবাকে মহাকালও বলা হয় । কালেরও কাল তোমাদের কালকে জয় করান, অর্থাৎ কাল
কখনোই তোমাদের গ্রাস করে না । কাল তো আত্মাদের গ্রাস করতে পারে না । আত্মা এক শরীর
ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে, একে বলা হয় কাল গ্রাস করেছে । বাকি কাল বলে কোনোকিছু
হয় না । মানুষ মহিমা করতে থাকে কিন্তু কিছুই বোঝে না । এমনও গায় -- অচ্যুতম কেশবম...
অর্থ কিছুই বোঝে না । মানুষ এখন সম্পূর্ণ বোঝার বাইরে চলে গেছে । বাবা বোঝান যে, এই
পাঁচ বিকার তোমাদের বুদ্ধিকে কতো খারাপ করে দেয় । কতো মানুষ বদ্রীনাথ ইত্যাদি
স্থানে যায় । আজ দুই লাখ গেলো -- কাল চার লাখ গেলো -- বড় বড় অফিসাররাও তীর্থ করতে
যায় । তোমরা তো যাও না, তখন ওরা বলবে, এই বি.কেরা তো নাস্তিক, কেননা এরা ভক্তি করে
না । তোমরা আবার বলো, যারা ভগবানকে জানে না, তারাই নাস্তিক । বাবাকে তো কেউই জানে
না, তাই এই দুনিয়াকে অনাথের দুনিয়া বলা হয় । সবাই নিজেদের মধ্যে কতো লড়াই - ঝগড়া
করতে থাকে । এই সম্পূর্ণ দুনিয়া তো বাবার ঘর, তাই না । বাবা এই সম্পূর্ণ দুনিয়ার
বাচ্চাদের পতিত থেকে পবিত্র করতে আসেন । বরাবর অর্ধেক কল্প তো পবিত্র দুনিয়াই ছিলো,
তাই না । এমন গায়নও আছে যে -- রাম রাজা, রাম প্রজা, রামই সাহুকার... সেখানে তাহলে
অধর্মের কথা কিভাবে হতে পারে ? এমনও বলা হয় যে, ওখানে বাঘে গরুতে একত্রে জল পান করে,
তাহলে এই রাবণ ইত্যাদি ওখানে কিভাবে আসবে ? কিছুই বুঝতে পারে না । বাইরের লোকেরা তো
এইসব কথা শুনে হাসতে থাকে ।
বাচ্চারা, তোমরা জানো - এখন জ্ঞানের সাগর বাবা এসে আমাদের জ্ঞান দান করেন । এ তো
পতিত দুনিয়া, তাই না । এখন তিনি কি প্রেরণার দ্বারা পতিতকে পবিত্র করবেন ? মানুষ
ডাকতে থাকে - হে পতিত পাবন এসো, তুমি এসে আমাদের পবিত্র করো, তাহলে অবশ্যই তিনি এই
ভারতেই এসেছিলেন । এখনো তিনি বলেন, আমি জ্ঞানের সাগর, আমি এসেছি । বাচ্চারা, তোমরা
জানো যে, শিববাবার মধ্যেই সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে, সেই বাবা বসেই বাচ্চাদের এইসব কথা
বুঝিয়ে বলেন । শাস্ত্রতে সব হলো চর্চিত কাহিনী । নাম লিখে দিয়েছে - ব্যাস ভগবান
শাস্ত্র লিখেছেন । এখন এই ব্যাস ছিলেন ভক্তিমার্গের । ইনি হলেন ব্যাসদেব, তাঁর
সন্তান তোমরা হলে সুখদেব । এখন তোমরা সুখের দেবতা হও । তোমরা সুখের উত্তরাধিকার
গ্রহণ করছো ব্যাসের থেকে, শিবাচার্যের থেকে । ব্যাসের সন্তান হলে তোমরা, কিন্তু
মানুষ যাতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে না যায়, তাই বলা হয় শিবের সন্তান । তাঁর প্রকৃত নামই
হলো শিব । বাবা তাই এখন বলেন -- তোমরা কোনো দেহধারীকে দেখো না । যেহেতু শিববাবা
তোমাদের সামনে বসে আছেন । আত্মাকে জানা যায়, আবার পরমাত্মাকেও জানা যায় । তিনি
হলেন পরমপিতা পরমাত্মা শিব । তিনি এসেই পতিত থেকে পবিত্র করার পথ বলে দেন । তিনি
বলেন - আমি তোমাদের আত্মাদের বাবা । আত্মাকে অনুভব করা যায়, কিন্তু দেখা যায় না ।
বাবা জিজ্ঞেস করেন - তোমরা কি এখন নিজের আত্মাকে অনুভব করেছো এতো ছোটো আত্মার মধ্যে
এমন অবিনাশী পার্ট ভরা আছে, যেমন এক রেকর্ডের মতো ।
তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারাই শরীর ধারণ করি । প্রথমে তোমরা দেহ - অভিমানী ছিলে,
এখন দেহী অভিমানী । তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারা ৮৪ জন্মগ্রহণ করি । এর কোনো অন্ত
হয় না । কেউ - কেউ জিজ্ঞেস করে, এই ড্রামা কবে থেকে শুরু হয়েছিলো ? কিন্তু এ তো
অনাদি, এর কখনোই কোনো বিনাশ হয় না । একে বলা হয়, বানানো অবিনাশী ওয়ার্ল্ড ড্রামা
। তাই বাবা বসে বাচ্চাদের এইসব বুঝিয়ে বলেন । যেমন লেখাপড়া না জানা বাচ্চাদের
লেখাপড়া শেখানো হয় । আত্মাই শরীরের ভিতরে থাকে । এ হলো পাথর বুদ্ধিদের জন্য ভোজন,
বুদ্ধি তার প্রকৃত জ্ঞান পায় । বাচ্চারা, তোমাদের জন্য বাবা চিত্র বানিয়েছেন । এ
খুবই সহজ । এ হলো ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্কর । এখন ব্রহ্মাকেও ত্রিমূর্তি
কেন বলা হয় ? দেব - দেব মহাদেব । একে অপরকে বড় করে রাখে, অর্থ কিছুই জানে না । এখন
ব্রহ্মা কিভাবে দেবতা হতে পারে । প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো এখানে হওয়া চাই । এই কথা কোনো
শাস্ত্রতেও নেই । বাবা বলেন যে, আমি এই শরীরে প্রবেশ করে এনার দ্বারা তোমাদের বোঝাই
। একে প্রথমে আপন করে নিই । আমি এনার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে প্রবেশ করি । ইনিও
পাঁচ বিকারের সন্ন্যাস নেন । যারা সন্ন্যাস নেন, তাদের যোগী - ঋষি বলা হয় । এখন
তোমরা রাজঋষি হয়েছো । তোমরা যখন পাঁচ বিকারের সন্ন্যাস গ্রহণ করো, তখন তোমাদের নাম
পরিবর্তন হয়ে যায় । তোমরা তো রাজযোগী হয়ে যাও । তোমরা প্রতিজ্ঞা করো । ওই
সন্ন্যাসীরা তো ঘর - বাড়ী ত্যাগ করে চলে যায় । এখানে তো স্ত্রী - পুরুষ একত্রিত
থাকে, তারা প্রতিজ্ঞা করে যে, আমরা কখনো বিকারে যাবো না । মূল বিষয় হলো বিকারের ।
বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, শিববাবা হলেন রচয়িতা । তিনি নতুন রচনা করেন । তিনি হলেন
বীজরূপ, সৎ - চিৎ - আনন্দের সাগর, জ্ঞানের সাগর । স্থাপনা, বিনাশ, পালনা কিভাবে
করেন - এ বাবাই জানেন, মানুষ জানে না । ফট করে বলে দেয়, তোমরা বি.কেরা তো দুনিয়ার
বিনাশ করবে । আচ্ছা, তোমাদের মুখে গোলাপ । বলে দেয়, এরা তো বিনাশের জন্য নিমিত্ত
হয়েছে । এরা না শাস্ত্র মানে, না ভক্তি মানে আর না গুরুদের মানে, এরা কেবল নিজেদের
দাদাকে মানে, কিন্তু বাবা তো নিজেই বলেন, এ হলো পতিত শরীর, আমি এর মধ্যে প্রবেশ
করেছি । পতিত দুনিয়াতে তো পবিত্র কেউ থাকে না । মানুষ তো যা শোনে সেই শোনা কথাই বলে
দেয় । এই শোনা কথা শুনেই তো ভারতের দুর্গতি হয়েছেতখনই বাবা এসে সত্য কথা শুনিয়ে
সকলের সদগতি করেন । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বাবার কাছ থেকে সুখের উত্তরাধিকার নিয়ে সুখের দেবতা হতে হবে । সবাইকে সুখদান করতে
হবে । রাজঋষি হওয়ার জন্য সর্ব বিকারের সন্ন্যাস করতে হবে ।
২ ) পড়াশোনাই হলো প্রকৃত আহার । সদগতির জন্য শোনা কথা ছেড়ে শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে
। এক বাবার কথাই শুনতে হবে । মোহজিৎ হতে হবে ।
বরদান:-
সদা স্বমানে স্থিত থেকে নির্মান স্থিতির দ্বারা সবাইকে সম্মান প্রদানকারী মাননীয়,
পূজনীয় ভব
যা বাবার মহিমা, তাই
তোমাদের স্বমান, স্বমানে যদি স্থির থাকো, তাহলে নির্মান হয়ে যাবে, তখন সকলের দ্বারা
শীঘ্রই মান মিলতে থাকবে । মান চাইলে পাওয়া যায় না, কিন্তু সম্মান দিলে, স্বমানে
স্থিত থাকলে, মানের আকাঙ্খা ত্যাগ করলে সকলের মাননীয়, পূজনীয় হওয়ার ভাগ্য প্রাপ্ত
হয়ে যায়, কেননা সম্মান দান করা অর্থাৎ দেওয়াই হলো নেওয়া ।
স্লোগান:-
সব কিছু জেনে (জাননহার) সব কর্ম করে, (করনহার) অসমর্থ আত্মাদের অনুভূতির প্রসাদ
বিতরণ করতে থাকো ।