25.02.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা — তোমাদের স্মরণে থাকার পুরুষার্থ অবশ্যই করতে হবে, কেননা স্মরণের বলের দ্বারাই তোমরা বিকর্মাজীত হবে"

প্রশ্নঃ -
কোন্ ভাবনা এলেই পুরুষার্থ করা থেকে তোমরা নীচে নেমে যেতে হবে ? ঈশ্বরের সাহায্যকারী (খুদাই খিদমতগার) বাচ্চারা কোন্ সেবা চালিয়ে যাবে ?

উত্তরঃ -
কোনো কোনো বাচ্চারা মনে করে এখনও সময় আছে, পরে পুরুষার্থ করে নেব, কিন্তু মৃত্যুর কি কোনো নিয়ম আছে ? কাল-কাল করে একদিন মরে যাবে, সেইজন্য এমনটা ভেবো না যে অনেক বছর বাকি আছে, শেষে গ্যালপ (এক লাফে) করে নেব । এই ভাবনাই আরও নীচে নামিয়ে দেয়। যতটা সম্ভব স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করে শ্রীমতের দ্বারা নিজের কল্যাণ করতে থাকো । ঈশ্বরের সহযোগী আত্মিক বাচ্চারা আত্মাকে বিকার মুক্ত করে পতিতদের পবিত্র করার সেবা করতে থাকবে।

গীতঃ-
ওম্ নমঃ শিবায়....

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চাদের তো বোঝান হয়েছে যে, নিরাকার বাবা সাকার শরীর ছাড়া কোনও কর্ম করতে পারেন না, নিজের ভূমিকা পালন করতে পারেন না। আত্মিক পিতা এসে ব্রহ্মার দ্বারা আত্মিক বাচ্চাদের বোঝান। যোগবল দ্বারাই বাচ্চাদের সতোপ্রধান হতে হবে তারপর সতোপ্রধান বিশ্বের মালিক হতে হবে। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এটা আছে। কল্পে-কল্পে বাবা এসে রাজযোগ শেখান। ব্রহ্মা দ্বারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন, অর্থাত্ মানুষ থেকে দেবতা তৈরি করেন। মানুষ যারা দেবতা ছিল তারা এখন শূদ্র পতিত হয়ে গেছে। ভারত যখন পারসপুরী ছিল তখন পবিত্রতা-সুখ শান্তি সব ছিল। এটা ৫ হাজার বছরের কথা। সঠিক হিসেব-নিকেশ বাবাই বসে বোঝান। ওঁনার থেকে উচ্চ আর কেউ নেই। সৃষ্টি বা ঝাড় যাকে কল্পবৃক্ষ বলা হয়, তার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বাবাই বলতে পারেন। ভারতে যে দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল তা এখন প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। দেবী-দেবতা ধর্ম এখন আর নেই। দেবতাদের চিত্র অবশ্যই আছে । ভারতবাসীরা এ বিষয়ে জানে। সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। শাস্ত্রে ভুল লেখা হয়েছে এই বিষয়ে, যার ফলে কৃষ্ণকে দ্বাপরে নিয়ে গেছে। বাবাই এসে সঠিক দিশা দেখান । পথ প্রদর্শক যখন আসেন তখন সব আত্মারা মুক্তিধামে চলে যায়। সেইজন্যই তাঁকে বলা হয় সবার সদ্গতি দাতা। রচয়িতা একজনই হন। সৃষ্টিও একটাই। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফীও এক, যার পুনরাবৃত্তি হয়। সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ তারপর সঙ্গম যুগ। কলিযুগ হলো পতিত, সত্যযুগ পবিত্র। যখন সত্যযুগ হবে অবশ্যই কলিযুগের বিনাশ ঘটবে, বিনাশের পূর্বে স্থাপনা হবে। সত্যযুগে তো স্থাপনা হবে না। ভগবান আসেন তখনই যখন দুনিয়া পতিত হয়ে পড়ে। সত্যযুগ হলো পবিত্র দুনিয়া। পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করে তোলার জন্য ভগবানকে আসতে হয়। এখন বাবা সহজ থেকে সহজতর যুক্তি বলে থাকেন। দেহের সব সম্বন্ধ ছেড়ে দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ কর। কেউ একজনই তো পতিত-পাবন হবেন, তাইনা। ভক্তদের ফল প্রদানকারী একজনই ভগবান। ভক্তদের জ্ঞান প্রদান করেন, পতিত দুনিয়াতে জ্ঞানের সাগরই আসেন পবিত্র করে তোলার জন্য। পবিত্র হওয়া যায় যোগবলের দ্বারা। বাবা ছাড়া আর কেউ পবিত্র করে তুলতে পারে না। এ'সব বিষয় বুদ্ধিতে রাখতে হয় অন্যদের বোঝানোর জন্য। ঘরে-ঘরে খবর দিতে হবে। এমনটা বলবে না যে ভগবান এসেছেন। ভালো ভাবে যুক্তি সহকারে বোঝাতে হবে। তাদের বলো, তিনি তো বাবা । এক হলেন লৌকিক পিতা, দ্বিতীয় হলেন পারলৌকিক পিতা। দুঃখের সময় তো পারলৌকিক বাবাকেই স্মরণ করে থাকে। সুখধামে কেউ স্মরণ করে না। সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে সুখই সুখ ছিল। পবিত্রতা, শান্তি, সমৃদ্ধি সবই ছিল। বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্তি হওয়ার পর কেন ডাকবে ! আত্মা জানে আমরা সুখী। এটা তো যে কেউ বলবে ওখানে শুধুই সুখ। বাবা দুঃখ দেওয়ার জন্য তো সৃষ্টি রচনা করেননি। এ হলো অনাদি অবিনাশী ড্রামা যা পূর্ব নির্ধারিত। যার ভূমিকা শেষে থাকবে সে ২-৪ জন্ম নেবে, অবশিষ্ট সময় শান্তিতে থাকবে। ড্রামার খেলা থেকে কেউ বেরিয়ে যাবে, এ তো হতেই পারে না। খেলায় সবাইকেই অংশগ্রহণ করতে হবে। এক -দুই জন্ম নেবে বাকি সময় ঠিক যেন মোক্ষতে থাকবে। আত্মাই ভূমিকা পালন করে, তাই না ! কোনো আত্মার উচ্চ ভূমিকা (শ্রেষ্ঠ) প্রাপ্ত হয়েছে কারো আবার কম, এটা তো তোমরা জেনেছ । গাওয়াও হয়ে থাকে ঈশ্বরের অন্ত কেউ পেতে পারে না। বাবাই এসে রচয়িতা আর রচনার আদি মধ্য-অন্তের ব্যাখ্যা করে থাকেন। যতক্ষণ রচয়িতা স্বয়ং না আসে ততক্ষণ রচয়িতা আর রচনাকে জানতে পারবে না। বাবাই এসে সব বুঝিয়ে বলেন। তিনি বলেন আমি সাধারণ শরীরে প্রবেশ করি। আমি যার ভিতরে প্রবেশ করি সেও নিজের জন্মকে জানেনা, তার মধ্যে প্রবেশ করে ৮৪ জন্মের কাহিনী শুনিয়ে থাকি। কারো ভূমিকার কোনও পরিবর্তন হতে পারে না। এই খেলা পূর্ব নির্ধারিত। কারো বুদ্ধিতে এটা বসে না। বুদ্ধিতে তখনই বসবে যখন পবিত্র হয়ে বুঝবে। যথার্থ রীতিতে বোঝার জন্যই ৭ দিনের ভাট্টি রাখা হয়।

ভাগবত পাঠ ইত্যাদি-৭ দিন রাখা হয়। এও বোঝানো হয় - কমপক্ষে ৭ দিন ধরে না রাখলে কেউ-ই বুঝতে পারবে না। কেউ-কেউ তো খুব ভালো করে বুঝতে পারে। আবার কেউ-কেউ-৭ দিন বোঝার পরও কিছুই বুঝতে পারে না। বুদ্ধিতেই বসে না। বলে থাকে আমি তো ৭ দিন ধরে আসছি, কিন্তু আমার বুদ্ধিতে কিছুই বসেনি। উঁচু পদ না পাওয়ার হলে বুদ্ধিতে বসবে না। তবুও তো তার কল্যাণ হল, তাই না! প্রজা তো এভাবেই তৈরি হয়। রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত করার জন্য গুপ্ত পরিশ্রম করতে হবে। বাবাকে স্মরণ করলেই বিকর্ম বিনাশ হবে। স্মরণ কর বা না কর বাবার ডায়রেকশন এটাই। ভালোবাসার জিনিস তো স্মরণ হয়, তাইনা। ভক্তি মার্গেও গেয়ে থাকে - হে পতিত-পাবন এসো। এখন তাঁকে পেয়েছ। বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করলে জং কেটে যাবে। বাদশাহী সহজে পাওয়া যায় না, কিছু তো পরিশ্রম করতে হবে। স্মরণেই পরিশ্রম আছে। প্রধান বিষয়ই হলো স্মরণের যাত্রা। অধিক স্মরণকারী কর্মাতীত অবস্থাকে প্রাপ্ত করতে সক্ষম হয়। সম্পূর্ণরূপে স্মরণ না করলে বিকর্ম বিনাশ হবেনা। যোগবল দ্বারাই বিকর্মাজীত হতে হবে। পূর্বেও তোমরা যোগবলের দ্বারা বিকর্মকে জয় করেছ। লক্ষ্মী-নারায়ণ এতো পবিত্র কিভাবে হয়েছে যখন কলিযুগের শেষে কেউ-ই পবিত্র নয়। এর দ্বারাই বোঝা যায়, গীতা জ্ঞানের এপিসোড রিপিট হয়ে চলেছে। "শিব ভগবানুবাচ", ভুল তো হতেই থাকে, তাই না! বাবাই এসে নির্ভুল করে তোলেন। ভারতের যা কিছু শাস্ত্র সবই হলো ভক্তি মার্গের। বাবা বলেন, আমি যা বলেছিলাম, সে'সব কারো জানা নেই । যাদের বলেছিলাম তারা পদ প্রাপ্ত করেছে। ২১ জন্মের জন্য প্রালব্ধ হয় তারপর জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। তোমরাই চক্র ঘুরে এসেছ। কল্প পূর্বেও যারা শুনেছিল তারাই আসবে। এখন তোমরা জানো যে আমরা মানুষকে দেব-দেবীতে রূপ দেওয়ার জন্য চারা রোপন করছি। এটি হলো দেব-দেবীদের গাছের চারা। ওরা শারীরিক গাছের অনেক চারা রোপন করে চলে। বাবা এসে কনট্রাস্ট বুঝিয়ে বলেন। বাবা এসে দৈবী ফুলের চারা রোপণ করেন। ওরা তো বন-জঙ্গলের জন্য চারা রোপন করে থাকে। তোমরাই দেখাও কৌরবরা কি করছে আর পান্ডবেরা কি করছে। ওদের কি প্ল্যান আর তোমাদের কি প্ল্যান। ওরা নিজেদের প্ল্যান তৈরি করে, যাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পায়। ফ্যামিলি প্ল্যানিং করে, তার জন্য পরিশ্রম করতে থাকে। বাবা তো অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেন, সব ধর্মের বিনাশ হবে আর একটাই দেবী-দেবতা ধর্মের পরিবার স্থাপন হবে। সত্যযুগে একটাই আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের পরিবার ছিল। এতো পরিবার ছিলনা। ভারতে অসংখ্য পরিবার। গুজরাতি পরিবার, মহারাষ্ট্রিয়ান পরিবার...বাস্তবে ভারতবাসীদের একটাই পরিবার হওয়া উচিত। অনেক পরিবার হলে নিজেদের মধ্যে খিটখিট হবেই। তারপর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। পরিবারগুলোর মধ্যেও গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যেমন ক্রিশ্চানদের নিজের পরিবার আছে। ওদেরও নিজেদের মধ্যে বিবাদ লাগে। নিজেদের মধ্যেও দুই ভাই একত্রে মিলিত হয়না, জল নিয়েও ভাগাভাগি হয়। শিখ ধর্মাবলম্বীরা ভাবে আমরা শিখ ধর্মাবলম্বীদের বেশি সুখ দেব, তার জন্যই তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে । অন্তিম সময়ে নিজেদের মধ্যেই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। লড়াই করে একে অপরের সাথে। বিনাশ তো হবেই। অসংখ্য বোমা তৈরি করে চলেছে। মহাযুদ্ধে দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এসবই বোঝার বিষয়। তোমাদের বোঝাতে হবে এই লড়াই-ই হলো মহাভারতের। বড়ো-বড়ো ব্যক্তিরা বলে থাকে এই লড়াই যদি বন্ধ না করা হয় তবে সম্পূর্ণ দুনিয়ায় আগুন জ্বলবে। আগুন যে জ্বলবে এ তো তোমরা জানোই। বাবা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছেন। রাজযোগ হলো সত্যযুগের । সেই দেবী-দেবতা ধর্ম এখন লুপ্তপ্রায়। চিত্রও নির্মাণ হয়েছে। বাবা বলেন কল্প পূর্বের মতোই যা কিছু বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল আবারও তা হবে। প্রথমে বোঝা যায় না, পরে বোঝা যায় কল্প পূর্বেও এমন হয়েছিল। এই ড্রামা আগে থেকেই তৈরী হয়ে আছে। আমরা প্রত্যেকেই এই ড্রামার অংশীদার। স্মরণের যাত্রাকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়, একেই পরীক্ষা বলে। স্মরণের যাত্রায় স্থিত হতে পারে না, ক্লান্ত হয়ে পড়ে। গান আছে না — রাতের পথিক ....এর অর্থ কেউ বোঝেনি। এ হলো স্মরণের যাত্রা। যেখানে রাত শেষ হয়ে দিন আসবে। অর্ধকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার পর সুখ শুরু হবে। বাবা মন্মনাভবর অর্থও বুঝিয়েছেন। শুধুমাত্র গীতায় কৃষ্ণের নাম লেখার জন্য সেই শক্তির ক্ষয় হয়েছে। কল্যাণ তো সবার হওয়া উচিত। সমস্ত মানুষের কল্যাণ করছি। বিশেষ করে ভারতের এবং সাধারণভাবে বিশ্বের । শ্রীমত অনুযায়ী আমরা সবার কল্যাণ করে চলেছি। যে কল্যাণকারী হবে সেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। স্মরণের যাত্রা ছাড়া কল্যাণ হতে পারে না।

এখন তোমাদের বোঝান হয় যে, তিনি হলেন অসীম জগতের পিতা। বাবার কাছ থেকে তোমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিলে। ভারতবাসীরাই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেছিল। পুনর্জন্মের হিসেবও রয়েছে। কেউ-ই জানেনা যে ৮৪ জন্ম কারা নিয়ে থাকে। শাস্ত্রে নিজেরাই নিজেদের মতো করে শ্লোক ইত্যাদি তৈরি করে শুনিয়ে থাকে। গীতা তো একই কিন্তু তার টিকা ভাষ্য অনেক করা হয়েছে। ওরা গীতার থেকে ভাগবতকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। গীতার মধ্যে জ্ঞান আছে আর ভাগবতে জীবন কাহিনী আছে । গীতা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত। জ্ঞানের সাগর বাবা তাঁর জ্ঞান তো চলতেই থাকে। ঐ গীতা আধা ঘন্টার মধ্যে পড়ে ফেলা যায়। তোমরা তো এই জ্ঞান শুনেই আসছ। যতদিন যাবে তোমাদের কাছে অনেক মানুষ আসতে থাকবে। ধীরে-ধীরে আসতে থাকবে। এখন যদি বড়ো-বড়ো রাজারা চলে আসে তবে তো বেশি দিন লাগবে না, সুতরাং এই কারণেই সবকিছু যুক্তি দিয়ে চলতে হবে । এ হলো গুপ্ত জ্ঞান। কারো জানা নেই যে এরা কি করছে । রাবণের সাথে তোমাদের যুদ্ধ । এটা শুধু তোমরাই জানো আর কেউ জানতে পারে না। ভগবানুবাচ — তোমরা সতোপ্রধান হওয়ার জন্য আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের পাপ নাশ হয়ে যাবে। পবিত্র হলে তবেই তো সাথে নিয়ে যাব। জীবনমুক্তি সবাইকে পেতে হবে। রাবণ রাজ্য থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। তোমরা লিখেও থাকো আমরা শিব শক্তি ব্রহ্মাকুমার - কুমারী, পরমপিতা পরমাত্মার শ্রীমতে শ্রেষ্ঠ দুনিয়া স্থাপন করব, ৫ হাজার বছর পূর্বের মতো। ৫ হাজার বছর আগে শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া ছিল। বুদ্ধিতে এটা বসাতে হবে। প্রধান পয়েন্টস গুলো বুদ্ধিতে ধারণ হলে তবেই স্মরণের যাত্রায় থাকতে পারবে। পাথরবুদ্ধি হয়ে গেছ না ! কেউ মনে করে এখনও সময় আছে পরে পুরুষার্থ করব । কিন্তু মৃত্যুর তো কোনো নিয়ম নেই। কাল করতে - করতে কালই মরে যাবে। শেষে গিয়ে পরিশ্রম করে এগিয়ে যাব । এমন ভেবোনা যে এখনও অনেক বছর পড়ে আছে । এই ভাবনাই আরও নিচে নামিয়ে দেবে। যতটা সম্ভব পুরুষার্থ করতে থাকো। শ্রীমত অনুসারে প্রত্যেককেই নিজের কল্যাণ করতে হবে। নিজেকে যাচাই করতে হবে কতখানি বাবাকে স্মরণ করি আর কতটুকু বাবার সার্ভিস করি। তোমরা আত্মিক পিতার আধ্যাত্মিক সহযোগী তাইনা। আত্মা পতিত থেকে পাবন কীভাবে হয় তার যুক্তি বলে দাও তোমরা । দুনিয়াতে ভালো এবং মন্দ দুই ধরনেরই মানুষ আছে, প্রত্যেকের আলাদা-আলাদা ভূমিকা। এসবই অসীম জগতের বিষয়। প্রধান শাখা-প্রশাখাই গণনা করা হয়। পাতা তো অসংখ্য। বাবা বোঝাতেই থাকেন - "বাচ্চারা পরিশ্রম কর" । সবাইকে বাবার পরিচয় দিলে বুদ্ধিযোগ বাবার সাথে জুড়ে যাবে। বাবা সব বাচ্চাদের বলেন, পবিত্র হলে মুক্তিধামে চলে যাবে। দুনিয়া তো জানেই না যে মহাভারতের লড়াই শেষে কি হবে। জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করা হয়েছে কেননা নতুন দুনিয়া চাই । আমাদের যজ্ঞ সম্পূর্ণ হলে এই যজ্ঞে সবকিছুই স্বাহা হয়ে যাবে। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই ড্রামা পূর্ব থেকেই রচিত, সেইজন্যই বিঘ্নে ঘাবড়ে যাবে না । বিঘ্নের মধ্যেও স্মরণের যাত্রায় যেন ভুল না হয়। ধ্যান রাখা উচিত - স্মরণের যাত্রা যেন কখনও থেমে না যায় ।

২ ) পারলৌকিক বাবার পরিচয় সবাইকে দেওয়ার সময় পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দিতে হবে। দৈবী বৃক্ষের চারা রোপণ করতে হবে।

বরদান:-
সমস্ত দায়িত্বের বোঝা বাবাকে দিয়ে সদা নিজের উন্নতি সাধনকারী সহজযোগী ভব

যে বাচ্চা বাবার কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্কল্প নেয় তাকে বাবাও ততই সহযোগ প্রদান করেন। শুধু যা কিছু ব্যর্থ বোঝা আছে তা বাবার উপর ছেড়ে দাও। বাবার হয়ে গিয়ে বাবার উপর দায়িত্বের বোঝা অর্পণ করলে সফলতাও অধিক হবে আর উন্নতিও সহজেই হবে। কেন এবং কি এর প্রশ্ন থেকে মুক্ত হও, বিশেষ ভাবে ফুলস্টপের স্থিতি থাকলে সহজযোগী হয়ে অতিন্দ্রীয় সুখের অনুভব করতে থাকবে।

স্লোগান:-
হৃদয় এবং মস্তিষ্কে অনেস্টি (সততা) থাকলে বাবা বা পরিবারের বিশ্বাসের পাত্র হয়ে যাবে।