20-02-2021 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়, তোমরা জ্ঞান সূর্য বাবাকে পেয়েছো, এখন তোমরা জেগেছো তো অন্যদেরকেও জাগাও"

*প্রশ্নঃ -

অনেক রকমের বিবাদের কারণ তথা তার নিবারণ কি ?

*উত্তরঃ -

যখন দেহ - অভিমান থাকে তখন অনেক রকমের বিবাদের সম্মুখীন হতে হয়। মায়ার গ্রহের দশা তো বসে যায় । বাবা বলেন দেহী - অভিমানী হও, সার্ভিস করতে থাকো। স্মরণের যাত্রাতে থাকলে গ্রহের কুদশা অপসারিত হয়ে যাবে ।

ওম্ শান্তি । আত্মা রূপী বাচ্চাদের কাছে বাবা এসেছেন শ্রীমত দিতে বা বোঝাতে। এইটা তো বাচ্চারা বুঝতে পেরেছে যে ড্রামা প্ল্যান অনুসারে সমগ্র কার্য হবে। এছাড়া সময় খুব সামান্য আছে। এই ভারতকে রাবণপুরী থেকে পুনরায় বিষ্ণুপুরী করে তুলতে হবে। এখন বাবাও হলেন গুপ্ত, অধ্যয়ণও হলো গুপ্ত। সেন্টার্স তো অনেক আছে, ছোটো - বড় গ্রামে ছোটো- বড় সেন্টার্স আছে আর বাচ্চারাও সংখ্যায় অনেক। এখন বাচ্চারা চ্যালেঞ্জ তো দিয়েছে আর লিখতেও হবে, কেউ যখন লিটারেচার তৈরী করা হবে তো সেখানে লিখতে হবে- আমরা এই ভারত - ভূমিকে স্বর্গ বানিয়ে ছাড়বো। এই ভারত ভূমি তোমাদেরও খুবই প্রিয়, কারণ তোমরা জানো যে এই ভারতই স্বর্গ ছিলো, তার ৫ হাজার বছর হয়েছে। ভারত খুবই বিত্তবান ছিলো, একে স্বর্গ বলা হয়। এই নলেজ তোমাদের অর্থাৎ ব্রহ্মা মুখ বংশাবলীদেরই আছে। এই ভারতকে আমাদের অবশ্যই শ্রীমত অনুযায়ী স্বর্গ করে তুলতে হবে। সবাইকে পথ বলে দিতে হবে, আর কোনো মতবিরোধে যাওয়ার দরকার নেই। নিজেদের মধ্যে বসে সিদ্ধান্তে আসা উচিত যে এই প্রদর্শনীর চিত্র দ্বারা আমরা এমন কি অ্যাডভর্টাইসমেন্ট করবো, যে সব ছবি সংবাদপত্রেও দেওয়া হবে, এর উপর নিজেদের মধ্যে সেমিনার করা উচিত। যেমন গভর্মেন্টের লোকরা নিজেদের মধ্যে মিলিত হয়ে, সিদ্ধান্ত নেয় যে ভারতকে আমরা কি করে সংশোধন করবো ? এই যে এতো সব মতভেদ হয়ে গিয়েছে, সে'সবকে নিজেদের মধ্যে একত্রিত হয়ে ঠিক করতে হবে, আর কি করে ভারতে সুখ শান্তি স্থাপন করবো! ওই গভর্মেন্টেরও প্রচেষ্টা চলছে। তোমারাও পান্ডব গভর্নমেন্ট, তারও তো প্রশস্তি রয়েছে । এ হলো বড় ঈশ্বরীয় গভর্মেন্ট। বাস্তবে একে বলাই হয় পবিত্র ঈশ্বরীয় গভর্মেন্ট, একমাত্র পতিত- পাবন বাবা পতিত বাচ্চাদের পবিত্র দুনিয়ার মালিক তৈরী করেন। এইটা বাচ্চারাই জানে। মুখ্য হলোই ভারতের আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম। বাচ্চারা এইটাও জানে যে এই হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ। রুদ্র বলাই হয় ঈশ্বর বাবাকে, শিবকে। বরাবর বলা হয়েছে বাবা এসে রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেছেন। তারা তো টাইম লম্বা চওড়া দিয়ে দিয়েছে। অজ্ঞান নিদ্রাতে নিদ্রিত হয়ে আছে। তোমাদের এখন বাবা জাগৃত করেছেন, তোমাদের আবার অন্যদের জাগৃত করে তুলতে হবে। ড্রামা প্ল্যান অনুসারে তোমরা জাগৃত করতে থাকবে। এই সময় পর্যন্ত যারা যেমন- যেমন করে যে রকম পুরুষার্থ করেছে, অতটাই কল্প পূর্বেও করেছিলো। হ্যাঁ, যুদ্ধের ময়দানে চড়াই-উতরাই তো হয়েই থাকে। কখনো মায়ার জোর হয়ে যায়, কখনো ঈশ্বরীয় সন্তানের জোর হয়ে যায়। কখনো-কখনো সার্ভিস বেশ ভালো মতো দ্রুত গতিতে চলে। কখনো কোথাও-কোথাও বাচ্চাদের মধ্যে মায়ার বিঘ্ন এসে যায়। মায়া একদম বেহুঁশ করে দেয়। লড়াই এর ময়দান যে ! রাবণ মায়া রামের সন্তানদের বেহুঁশ করে দেয়। লক্ষ্মণের ক্ষেত্রেও গল্প আছে না!

তোমরা বলো সমস্ত মানুষ কুম্ভকর্ণের নিদ্রাতে নিদ্রিত হয়ে আছে। তোমরা, এই ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়ই এইরকম বলো, যারা জ্ঞান সূর্যকে পেয়েছে আর জেগে উঠেছে, তারাই বুঝবে। এর মধ্যে একে অপরকে বলারও ব্যাপার নেই। তোমরা জানো বরাবর আমরা এই ঈশ্বরীয় সম্প্রদায় জাগৃত হই। এছাড়া অন্যান্যরা সব নিদ্রিত থাকে। তারা এইটা জানে না যে পরমপিতা পরমাত্মা এসে গিয়েছেন, বাচ্চাদের উত্তরাধিকার দিতে। এইটা একদম ভুলে গিয়েছে। বাবা ভারতেই আসেন। এসে ভারতকে স্বর্গের মালিক তৈরী করেন। ভারত স্বর্গের মালিক ছিলো, এর মধ্যে কোনো সংশয় নেই। পরমপিতা পরমাত্মার জন্মও এখানেই হয়। শিবজয়ন্তী পালন করে । অবশ্যই তিনি এসে কিছু তো করেছিলেন যে না! বুদ্ধি বলে অবশ্যই এসে স্বর্গ স্থাপন করাবেন। প্রেরণাতে কি আর স্থাপনা হবে! বাচ্চারা, এখানে তো তোমাদের রাজযোগ শেখানো হয়। স্মরণের যাত্রা বোঝানো হয়ে থাকে। প্রেরণা দিয়ে কোনোই শব্দ হয় না। মনে করে শঙ্করেরও প্রেরণা পেলে তখন সেই যাদব, মুষল ইত্যাদি তৈরী করে। কিন্তু এতে প্রেরণা তো কোনো ব্যাপারই নেই। তোমরা বুঝে গিয়েছো ড্রামাতে ওদের পার্ট মুষল ইত্যাদি তৈরী করার। প্রেরণা ব্যাপার নেই। ড্রামা অনুসারে বিনাশ তো অবশ্যই হতেই হবে। গাওয়া হয়ে থাকে... মহাভারতের লড়াইতে মুষল কাজে লেগেছে। তাই যা পাস্ট হয়ে গিয়েছে সেইটা আবার রিপিট হবে। তোমরা গ্যারান্টি দাও যে আমরা ভারতে স্বর্গ স্থাপন করবো, সেইখানে এক ধর্ম হবে। তোমরা এইরকম লেখো না যে অনেক ধর্ম বিনাশ হবে। সেইটা তো চিত্রতে লেখা হয়েছে যে স্বর্গের স্থাপনা হলে তখন দ্বিতীয় কোনো ধর্ম হয় না। এখন তোমাদের বোধগম্য হয়েছে। সবচেয়ে বড় পার্ট হলো শিবের, ব্রহ্মার আর বিষ্ণুর- এইটা তো খুবই রহস্যজনক ব্যাপার। বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা কীভাবে হয়, ব্রহ্মা থেকে আবার বিষ্ণু কীভাবে হয়, এইটা সেন্সেবেল বাচ্চাদের বুদ্ধিতে তাড়াতাড়ি আসে। দৈবী সম্প্রদায় তোমরা তৈরী হয়েই থাকে। একজনের ব্যাপার না। বাচ্চারা,এই ব্যাপারটা তোমরা বুঝতে পারো। দুনিয়াতে একজন মানুষও বুঝতে পারে না। যদি লক্ষ্মী-নারায়ণ বা বিষ্ণুর পূজা করে, কিন্তু তাদের এইটা জানা নেই যে বিষ্ণুরই দুই রূপ হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ, যারা নূতন দুনিয়াতে রাজত্ব করে। তাছাড়া ৪ হাত বিশিষ্ট কোনো মানুষ হয় না। এইটা সূক্ষ্মলোকে প্রবৃত্তি মার্গের এইম্ অবজেক্ট দেখানো হয়। এই সমগ্র ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কীভাবে চক্রে আবর্তিত হয়, এইটা কেউ জানে না। বাবাকেই জানে না তো বাবার রচনা কে জানতে পারবে কীকরে ? একমাত্র বাবা রচনার আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ বলে দেন, ঋষি-মুনিও বলতো আমরা জানি না। বাবাকে জেনে গেলে রচনার আদি-মধ্য- অন্তকে জেনে যাবে। বাবা বলেন আমি একবারই এসে বাচ্চারা, তোমাদের সমগ্র নলেজ বোঝাই - তারপর আর আসিই না । তাহলে রচনা আর রচয়িতার আদি-মধ্য-অন্তকে জানবেই বা কি করে ? বাবা স্বয়ং বলেন- আমি সঙ্গমযুগ ব্যতীত আসিই না। আমাকে ডাকেও সঙ্গমে। পবিত্র সত্যযুগকে বলে, পতিত কলিযুগকে বলা হয়। তাই আমি তো অবশ্যই আসবো পতিত দুনিয়ার শেষে, তাই না ! আমি কলিযুগের অন্তে এসে পতিত থেকে পবিত্র করে তুলি। সত্যযুগ ইত্যাদিতে হলো পবিত্র, এইটা তো সহজ কথা, তাই না! মানুষ কিছুই বুঝতে পারে না যে পতিত পাবন বাবা কবে আসবে। এখন তো কলিযুগের শেষ বলবে। যদি বলে কলিযুগে প্রায় ৪০ হাজার বছর পড়ে আছে, তো আর কতো অপবিত্র হবে! কতো দুঃখ হবে! সুখ তো হবেই না! কিছুই না বুঝতে পারার কারণ হলো একদমই ঘোর অন্ধকারে আছে। তোমরা বুঝতে পারো। তাই বাচ্চাদের নিজেদের মধ্যে একত্রিত হতে হবে। চিত্রের উপর ভালো করে বোঝাতে হবে। এও ড্রামা অনুসারে চিত্র ইত্যাদি সব বের করা হয়েছে। বাচ্চারা মনে করে যে সময় পাস হয়ে যায় বা বয়ে যায়, হুবহু ড্রামা চলতে থাকে। বাচ্চাদের অবস্থাও কখনো নীচে, কখনো উপরে হতে থাকে। খুবই বোঝার ব্যাপার। কখনো কখনো কুগ্রহ এসে বসলে তখন সেটা দূর করার জন্য প্রচেষ্টা করে। বাবা বারংবার বলেন- বাচ্চারা, তোমরা দেহ-অভিমানে থাকো বলে বিরোধ হয়। এতে দেহী- অভিমানী হতে হবে। বাচ্চাদের মধ্যে অনেক দেহ- অভিমান আছে। তোমরা দেহী - অভিমানী হলে বাবার স্মরণে থাকবে আর সার্ভিসে উন্নতি করতে থাকবে। যারা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে চায়, তারা সর্বদা সার্ভিসে লিপ্ত থাকবে। ভাগ্যে না থাকলে আবার উপায়ও থাকবে না। নিজেরাই বলে বাবা আমার ধারণা হয় না। বুদ্ধিতে বসে না, যাদের ধারণা হয় তো খুশীও খুব হয়। বুঝতে পারে শিববাবা এসেছেন, এখন বাবা বলেন- বাচ্চারা, তোমরা ভালো করে বুঝে আবার অপরকে বোঝাও। কেউ তো আবার সার্ভিসেই লেগে থাকে। পুরুষার্থ করতে থাকে। বাচ্চারা এইটাও জানে প্রতিটা মুহূর্ত বয়ে যাচ্ছে, তা ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে আবার ঐরকমই রিপিট হবে। বাচ্চাদের বোঝানো হয়, বাইরে বক্তৃতা ইত্যাদিতে তো অনেক ধরনের নূতনরা আসে শোনার জন্য। তোমরা মনে করো বেদ শাস্ত্র ইত্যাদির উপর কতো মানুষ সার্ভিস করে, ওদের কি আর জানা থাকে যে ঈশ্বর নিজের আর নিজের রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝান। রচয়িতাই এসে সমগ্র জ্ঞান শোনান। ত্রিকালদর্শী তৈরী করা, এইটা একমাত্র বাবার কাজ। শাস্ত্রে এ'সব কথা নেই। এ' সব হল নতুন কথা। বাবা বারংবার বোঝান যে কোনো জায়গায়ই প্রথমেই এইটা বোঝাও যে গীতার ভগবান কে - শ্রীকৃষ্ণ না ভগবান শিব ? এই কথা প্রজেক্টারে তোমরা বোঝাতে পারবে না। প্রদর্শনীতে চিত্র সামনে থাকে, তার উপর বুঝিয়ে তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো। এখন বলো গীতার ভগবান কে ? জ্ঞান সাগর কে? কৃষ্ণকে তো বলা যাবে না। পবিত্রতা, সুখ-শান্তির সাগর, লিবারেটর, গাইড কে ? প্রথম দিকে তো লেখা উচিত, ফর্ম ভর্তি করা উচিত তারপর সবার সই নেওয়া চাই।

(পাখীর আওয়াজ হচ্ছিলো- ) দেখো কতো ঝগড়া করে। এই সময়ে সারা দুনিয়াতে লড়াই- ঝগড়াই হতে থাকে। মানুষও নিজেদের মধ্যে লড়তে থাকে। মানুষের মধ্যেই বোঝানোর বুদ্ধি থাকে। ৫ বিকারও মানুষের মধ্যে বলা হয়। জানোয়ারের তো সে'সব নেই। এটা হলো ভিশেস বা পাপের দুনিয়া। ওয়ার্ল্ড মানুষের জন্যই বলা হয়। কলিযুগে হলো আসুরিক সম্প্রদায়, সত্যযুগে হলো দৈবী সম্প্রদায়। এখন তোমরা এই সমস্ত কন্ট্রাস্টের (বৈপরীত্যের) কথা জানো। তোমরা প্রমাণ দিয়ে বলতে পারো। সিঁড়িতেও ভালো মতোন ক্লীয়ার দেখানো হয়েছে। নীচে হলো পতিত, উপরে হলো পবিত্র। এতে খুবই ক্লীয়ার। সিঁড়িই হলো প্রধান- আরোহনের কলা আর অবরোহনের কলা। এই সিঁড়ি খুব ভালো, এইটাতে এমন কি দেওয়া যায় যাতে মানুষ একদমই ভালো মতো বুঝে যাবে যে বরাবর এই হলো পতিত দুনিয়া, পবিত্র দুনিয়া স্বর্গ ছিলো। এখানে হলো সবাই পতিত, পবিত্র একজনও থাকতে পারে না। রাত-দিন এই ভাবনা চলা উচিত। 'আত্ম প্রকাশ' বাচ্চা লেখে- বাবা এই রকম চিত্র তৈরী করবো ? বাবা বলে, তা বিচার সাগর মন্থন করে চিত্র তৈরী করো, কিন্তু সিঁড়ির চিত্র খুব ভালো তৈরী করা উচিত। এর উপর অনেকটা বোঝানো যায়। ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করে আবার প্রথম নম্বর জন্ম নিয়েছে আবার অবতরণের কলা থেকে উত্তরণের করাতে যেতে হবে, এতে প্রত্যেকের বিচার চলা উচিত। তা না হলে সার্ভিস কি করে করতে পারবে ? চিত্র দিয়ে বোঝানো খুবই সহজ হয়। সত্যযুগের পরে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হয়। এও বাচ্চারা জানে- আমরা হলাম পার্টধারী অ্যাক্টার্স। এইখান থেকে ট্রান্সফার হয়ে সোজা সত্যযুগে যায় না, প্রথমে শান্তিনামে যেতে হবে। হ্যাঁ, তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী থাকে যারা এই ড্রামাতে নিজেকে পার্টধারী মনে করে। দুনিয়াতে এইরকম কেউ বলতে পারে না যে আমরা হলাম পার্টধারী। আমরা লিখেও থাকি যে পার্টধারী অ্যক্টার্স থাকা সত্ত্বেও ড্রামার ক্রিয়েটার, ডায়রেক্টর, আদি-মধ্য-অন্তকে জানতে পারে না তো তারা হলো ফার্স্ট ক্লাস অবুঝ! এ তো হলো ভগবানুবাচ! শিব ভগবানুবাচ ব্রহ্মা তন দ্বারা। জ্ঞান সাগর হলেন সেই নিরাকার, তাঁর নিজের শরীর নেই। বোঝার জন্য অনেক বড় যুক্তি এ'সব। বাচ্চারা, তোমাদের খুবই নেশা থাকা উচিত, আমরা কি কারোর গ্লানি করতে পারি ! এ তো রাইট কথা ! বড়-বড় যারাই আছে তাদের সকলের চিত্র তোমরা দিতে পারো। সিঁড়ির চিত্র সকলকেই দেখাতে পারো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

*ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-*

১ ) ভারতে সুখ - শান্তি স্থাপন করার জন্য বা ভারতকে স্বর্গ করার জন্য নিজেদের মধ্যে সেমিনার করতে হবে, শ্রীমত অনুযায়ী ভারতের এইরকম সেবা করতে হবে।

২ ) সার্ভিসে উন্নতি করতে বা সার্ভিস করে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য দেহী- অভিমানী থাকার পরিশ্রম করতে হবে। জ্ঞানের বিচার সাগর মন্থন করতে হবে।

*বরদানঃ-*

নিজের শ্রেষ্ঠ ধারণা সমূহের জন্য ত্যাগের দ্বারা ভাগ্যের অনুভবকারী সত্যিকারের ত্যাগী ভব

ব্রাহ্মণদের শ্রেষ্ঠ ধারণা হলো সম্পূর্ণ পবিত্রতা। এই ধারণার কারণেই বলা হয় 'প্রাণ যায় যাক কিন্তু ধর্ম যেন না যায়'। যে কোনো পরিস্থিতিতেই নিজের এই ধারণার জন্য যে কোনো কিছুরই যদি ত্যাগ করতে হয়, যদি সহ্য করতে হয়, সম্মুখীন হতে হয়, সাহস রাখতে হয়, তখন খুশীর সাথে করো- এতে ত্যাগকে ত্যাগ মনে না করে ভাগ্যের অনুভব করলে তখন বলা হবে সত্যিকারের ত্যাগী। এইরকম ধারণা সম্পন্ন যারা, তাদেরকেই সত্যিকারের ব্রাহ্মণ বলা যায়।

*স্লোগানঃ-*

সর্বশক্তি গুলিকে নিজের অর্ডারে রাখতে সক্ষম যারা, তারাই হলো মাস্টার সর্বশক্তিমান।