24.03.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এই সময় বাবার সঙ্গে সেবায় সহযোগী হয়েছো, তাই তোমাদের নাম জপ করা হয়, পূজন নয়, কারণ তোমাদের শরীর হল অপবিত্র”

প্রশ্নঃ -
কোন্ নেশাটি বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে নিরন্তর থাকা উচিত ?

উত্তরঃ -
আমরা শিববাবার সন্তান, তাঁর কাছে রাজযোগ শিখে স্বর্গে রাজত্ব করার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি, এই নেশা তোমাদের নিরন্তর থাকা উচিত। বিশ্বের মালিক হতে হবে, তাই খুব সজাগ দৃষ্টি রেখে পড়তে হবে এবং পড়াতে হবে। কখনও বাবার নিন্দে করাবে না। কারো সঙ্গে ঝগড়া ইত্যাদি করবে না। তোমরা কড়ি থেকে হীরা তুল্য হও, তাই ভালো ভাবে ধারণ করতে হবে।

গীতঃ-
যে প্রিয়তমের সাথে আছে....

ওম্ শান্তি ।
আত্মারূপী বাচ্চারা বুঝেছে। যারা বাবার সঙ্গে আছে তারা বাপদাদার সঙ্গে আছে। এখন তো ডবল আছে তাইনা। এই কথাটি খুব ভালো করে বোঝানো হয় - ব্রহ্মার দ্বারা পরমপিতা পরমাত্মা শিব স্থাপনা কীভাবে করবেন ? সে কথা তো জানেনা। তোমরা বাচ্চারাই জানো, তাঁর নিজস্ব দেহ নেই। কৃষ্ণের তো নিজস্ব শরীর আছে। এমন তো বলা যায় না যে পরমাত্মা শ্রীকৃষ্ণের শরীর দ্বারা.... নয়। কৃষ্ণ তো হলেন সত্যযুগের প্রিন্স। পরম পিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা করান তাই অবশ্যই ব্রহ্মা দেহে প্রবেশ করতে হয়। অন্য কোনো উপায় নেই। প্রেরণা ইত্যাদির কোনো কথা নেই। বাবা ব্রহ্মা দ্বারা সব বুঝিয়ে দেন। বিজয় মালা যাকে রুদ্র মালা বলা হয়। মানুষ যার পুজো করে, স্মরণ করে। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো এই রুদ্র মালা শুধু স্মরণ করা হয়। মেরু তো বলা হয় ব্রহ্মা সরস্বতীকে। বাকি মালা টি হল আত্মারূপী বাচ্চাদের। বিষ্ণুর মালা তো একটি, পূজনীয়। এই সময় তোমরা হলে পুরুষার্থী। তোমাদের স্মরণ করা হয় শেষ সময়ে। আত্মাদের মালা নাকি জীবাত্মাদের মালা ? প্রশ্ন তো উঠবে তাইনা। বিষ্ণুর মালা বলা হবে চৈতন্য জীব আত্মাদের মালা। লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন পূজনীয়, কারণ লক্ষ্মী-নারায়ণের আত্মা ও শরীর দুই ই হল পবিত্র। রুদ্র মালা হল শুধু আত্মাদের, কারণ শরীর তো অপবিত্র। তারা তো পূজনীয় নয়। আত্মার পূজা হয় কীভাবে ? তোমরা বলো রুদ্র মালার পুজো করা হয়। কিন্তু না, পূজা হয় না। যখন নামই হল জপমালা স্মরণী। মালায় যে পুঁতি বা দানাগুলি আছে সেসব বাচ্চারা তোমাদের স্মরণ করার জন্য, যখন শরীরে অবস্থান কর। পুঁতি গুলি তো ব্রাহ্মণদের। কার জপ কার করে ? সে কথা তো কেউ জানেনা। এ হল ব্রাহ্মণ, যারা ভারতের সেবা করে। তাদের নাম জপ করে। জগৎ অম্বা দেবীদের সংখ্যা তো অনেক, তাদের স্মরণ করা উচিত ? পূজনীয় তো লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। তোমরা নও, কারণ তোমাদের শরীর হল পতিত। আত্মা পবিত্র কিন্তু তবুও পূজনীয় নয়, স্মরণ করা যেতে পারে। কেউ যদি তোমাদের জিজ্ঞাসা করে তাই তোমাদের ভালো করে বুঝে নেওয়া উচিত। তোমরা হলে ব্রাহ্মণী। তোমাদের স্মরণিকা দেবীদের রূপে রয়েছে। তোমরা শ্রীমৎ অনুসারে নিজেরা পবিত্র হও সুতরাং এই প্রথম মালা ব্রাহ্মণদের তারপরে দেবতাদের। বিচার সাগর মন্থন করলে রেজাল্ট বের হবে। যখন আত্মারা শালগ্রাম রূপে আছে তখন পূজা হয়। শিবের পূজা হয় তো শালগ্রামের পূজাও হয়। কারণ আত্মা হল পবিত্র, শরীর নয়। স্মরণ (নাম জপ) শুধু তোমাদের করা হয় কেন ? তোমরা শরীর দ্বারা সেবা কর। তোমাদের পূজা হওয়া সম্ভব নয় পরে যখন শরীর ত্যাগ কর তখন তোমরাও শিবের সঙ্গে পূজনীয় হও। বিচার করা হয় তাইনা। তোমরা এই সময় হলে ব্রাহ্মণ। শিববাবাও ব্রহ্মা দেহে আসেন সুতরাং ব্রহ্মা সাকারে আছেন। তোমরা পরিশ্রম কর। এই মালা যেমন সাকারী। ব্রহ্মা সরস্বতী এবং তোমরা জ্ঞান গঙ্গারা। তোমরা ভারতকে স্বর্গ বানিয়েছো, এই রুদ্র যজ্ঞ রচনা করেছ। যারা পূজা করে তাতে শুধু শিব ও শালগ্রাম থাকে। তাতে ব্রহ্মা সরস্বতী অথবা বাচ্চারা তোমাদের নাম নেই। এখানে তো সবার নাম আছে। তোমাদের স্মরণ করে। কারা কারা জ্ঞান গঙ্গা ছিল। উনি (শিববাবা) তো হলেন জ্ঞান সাগর। ইনি ( ব্রহ্মা বাবা) হলেন ব্রহ্মপুত্র বিশাল নদী। ইনি হলেন ব্রহ্মা মাতাও। সাগর একটি, বাকিরা গঙ্গা তাই ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয়। নম্বর অনুযায়ী যার ভালো জ্ঞান আছে, তাকে সরোবর বলা হয়। মহিমাও ভালো। বলা হয় মান সরোবরে স্নান করলে পরীর সন্তান হয়ে যায়। তাই তোমাদের মালা জপ করা হয়। জপ মালা স্মরণী বলা হয় তাইনা। স্মরণ করো, তারা তো শুধু রাম-রাম বলে। কিন্তু তোমরা জানো স্মরণ কার হবে ? যারা বেশী সার্ভিস করে। সর্ব প্রথমে বাবা হলেন ফুল তারপরে মেরু, যারা অনেক সার্ভিস করে তারপরে রুদ্র মালা হয়ে যায় বিষ্ণু মালা। তোমাদের আত্মার পূজন হয়। তোমরা এখন স্মরণ যোগ্য হয়েছো। জপ মালা স্মরণী হল তোমাদের। যদিও পূজা হয় না কারণ আত্মা পবিত্র, শরীর অপবিত্র। অপবিত্র বস্তুর পূজা কখনও হয় না। যখন রুদ্র মালা হওয়ার উপযুক্ত হও তখন শেষ কালে তোমরা শুদ্ধ হয়ে যাও। তোমাদের সাক্ষাৎকার হবে পাস উইথ অনার কে-কে হয়েছে। সার্ভিস করলে সুনাম বৃদ্ধি হয়। সবাই জানতে পেরে যাবে - বিজয় মালায় নম্বর অনুযায়ী কে-কে আসবে! এইসব কথা হল খুবই গুহ্য কথা।

মানুষ তো শুধু রাম-রাম বলে। খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টকে স্মরণ করে। মালা কার হবে ? গড তো এক। বাকিরা যারা কাছে বসে আছে তাদের মালা তৈরি হবে। এই মালার কথা এখন শুধু তোমরা বুঝবে। নিজের আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের মানুষ যদি না বুঝতে পারে তাহলে আর কীভাবে বুঝবে। সবাইকে পতিত থেকে পবিত্র করেন কেবল একমাত্র বাবা। খ্রীষ্টের উদ্দেশ্যে এমন বলা হবে না তিনি পতিত থেকে পবিত্র করেন। তাকে জন্ম-মরণে এসে নীচে নামতেই হবে। বাস্তবে তাকে গুরুও বলা যাবে না কারণ সর্বের সদগতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা। তাও যখন অন্ত সময় হবে, বৃক্ষের জর্জরিত অবস্থা হবে তখন বাবা এসে সর্বকে সদগতি প্রদান করবেন। আত্মা উপর থেকে আসে ধর্ম স্থাপন করতে। তাদের তো জন্ম-মরণে আসতে হয়। সদগুরু কেবল একজনই। উনি হলেন সকলের সদ্গতি দাতা। প্রকৃত সদ্গুরু কোনো মানুষ হতে পারে না। তারা কেবল আসে ধর্ম স্থাপন করতে, তাদের আসার পরে সবাই আসে পার্ট প্লে করতে। যখন সবাই তমোপ্রধান হয় তখন আমি এসে সর্বের সদগতি করি। সবাই ফিরে যায় তারপরে নতুন করে চক্র আরম্ভ হয়। তোমরা রাজযোগের শিক্ষা প্রাপ্ত কর। তারাই রাজত্ব লাভ করে, সে রাজা হোক বা প্রজা। প্রজা তো অসংখ্য তৈরি হয়। পরিশ্রম লাগে রাজার পদ প্রাপ্ত করতে। শেষ সময়ে সব জানতে পারবে। কে বিজয় মালায় স্থান পাবে। অশিক্ষিতরা শিক্ষিতদের সামনে মাথা নত করে থাকবে। সত্য যুগে আসবে কিন্তু দাস দাসী হতে হবে। এইসব কথা সবাই জানতে পারবে। যেমন পরীক্ষার সময় সবাই জানতে পারে কে কে পাস করবে। পড়াশোনাতে মন না থাকলে ফেল হয়ে যায়। তোমাদের এই হল অসীম জগতের (বেহদের) পড়াশোনা । ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয় তো হল মাত্র একটি, যেখানে মানুষ থেকে দেবতা বানানো হয়, তাতে নম্বর অনুসারে পাস করে। পড়াশোনা একটি রাজযোগের, রাজা পদ প্রাপ্ত করতেই পরিশ্রম লাগে এবং সার্ভিসও করতে হয়। যারা রাজা হবে তাদের আবার নিজেদের প্রজাও বানাতে হবে। ভালো ভালো কন্যারা বড় বড় সেন্টারের ইনচার্জ থাকে, বিশাল প্রজা তৈরি করে। বাবা বলেন বিরাট বাগান বানাও তো বাবাও এসে দেখবেন। এখন তো খুব ছোট। মুম্বাইয়ে এই সংখ্যা লক্ষ হয়ে যাবে। সূর্যবংশী তো হয় সম্পূর্ণ কুল তাই অসংখ্য হয়ে যাবে। যারা পরিশ্রম করে তারা রাজা হয় বাকিরা প্রজা হবে। গায়নও আছে হে প্রভু তোমার সদ্গতির লীলা। তোমরা বলো বাঃ বাবা! আপনার গতি মতি... সকলের সদ্গতি করার শ্রীমৎ, এই শ্রীমৎ হল সবচেয়ে পৃথক। বাবা সঙ্গে নিয়ে যান, ছেড়ে চলে যান না। নিরাকারী, আকারী, সাকারী লোকের কথাও জানে না। শুধু সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের কথা জানা তো সম্পূর্ণ নলেজ নয়। প্রথমে তো মূলবতনের কথা জানতে হবে। যেখানে আমরা আত্মারা বাস করি। এই সম্পূর্ণ সৃষ্টি চক্রের কথা জানলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হও। এই সব হল বুঝবার কথা। তারা তো বলে দেয় শিব হলেন নাম-রূপ বিহীন। চিত্রও আছে তবুও বলে নাম-রূপ নেই। তারপরে বলে সর্বব্যাপী। একজন এম.পি. বলেছিল এই কথা আমি বিশ্বাস করি না যে ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী। মানুষ যে একে অপরকে মারে, এইসব কি ঈশ্বরের কাজ ? ভবিষ্যতে এই কথা গুলি বুঝবে। যখন তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হবে। বাবা রাতেও বুঝিয়েছেন যারা নিজেদেরকে তীক্ষ্ণ বুদ্ধির অধিকারী ভাবে তারা যেন এমন পত্র লেখে। এই সম্পূর্ণ জ্ঞান কি, তাদেরকে বোঝানো উচিত। তোমরা লিখতে পারো আমরা সম্পূর্ণ জ্ঞান দিতে পারি। মূলবতনের জ্ঞান প্রদান করতে পারি। নিরাকার পিতার পরিচয় দিতে পারি এবং প্রজাপিতা ব্রহ্মা ও তার ব্রাহ্মণ ধর্মের বিষয়েও বোঝাতে পারি। লক্ষ্মী-নারায়ণ তারপরে রাম সীতা তাদের বংশ কীভাবে চলে, তাদের রাজত্ব কে কেড়ে নেয়, সেই স্বর্গ কোথায় গেল। যেমন বলা হয় নরক কোথায় গেল ? শেষ হয়ে গেল। স্বর্গও শেষ হয়ে যাবে। সেই সময় ভূমিকম্প ইত্যাদি হয়। সেসব হীরে জহরাতের মহল ইত্যাদি এমন ভাবে ভূমিগত হল যে কেউ বের করতে পারবে না। সোনা হীরে জহরাতের মহল কখনও মাটির তলা থেকে বের হয়নি। সোমনাথ ইত্যাদির মহল তো সব পরে তৈরি হয়েছে, তাদের ঘর তো এই মহল থেকেও অনেক উঁচু হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণের ঘর কেমন হবে ? ওই সমস্ত সম্পত্তি কোথায় গেল ? এমন এমন কথা যখন বিদ্বান রা শুনবে তখন আশ্চর্য অনুভব করবে, এদের এই নলেজ খুব উচ্চ মানের। মানুষ তো কিছুই জানে না শুধু সর্বব্যাপী বলে দেয়। এই সব কথা বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে। তোমরা ধন প্রাপ্ত কর সেসব আবার দান করতে হবে। বাবা তোমাদের দান করেন, তোমরাও দিয়ে যাও। এই হল অসীম খাজানা, সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করছে ধারণার উপরে। যত ধারণা করবে ততই উঁচু পদের অধিকারী হবে। বিচার করো কোথায় কড়ি, কোথায় হীরা। হীরের মূল্য সবচেয়ে বেশী। কড়ির মূল্য সবচেয়ে কম। এখন তোমরা কড়ি থেকে হীরায় পরিণত হচ্ছো। এইসব কথা কখনও কারো স্বপ্নেও আসে না। শুধু বুঝবে যথাযথভাবে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, যারা বাস করে গেছেন। এই রাজ্য কে কবে দিয়েছিল, সে কথা জানে না। রাজত্ব কে দিয়েছিল ? এখানে তো কিছুই নেই। রাজযোগের দ্বারা স্বর্গের রাজত্ব প্রাপ্ত হয়। এ হল আশ্চর্য, তাইনা। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এই নেশা ভালো রকম থাকা উচিত। কিন্তু মায়া যদিও এই নেশা স্থায়ীভাবে থাকতে দেয় না। আমরা শিববাবার সন্তান। এই নলেজ প্রাপ্ত করে আমরা বিশ্বের মালিক হবো। এই কথা কখনও কারো বুদ্ধিতে আসে কি ! তাই বাবা বোঝান বাচ্চাদের কতখানি পরিশ্রম করা উচিত। গুরুর যে নিন্দে করে তার কোনো ঠাঁই নেই। এই কথাটি এখানকার। তাদের তো কোনো লক্ষ্য নেই। তোমাদের তো মুখ্য উদ্দেশ্য আছে। বাবা তিন রূপেই আছেন তিনি হলেন টিচার গুরু এবং পিতা। তোমরা জানো এই পড়াশোনা দ্বারা আমরা বিশ্বের মালিক হই। কত সজাগ হয়ে পড়া উচিৎ এবং পড়ানো উচিত। এমন কিছু করবে না যাতে নিন্দে হয়। কারো সঙ্গে ঝগড়া লড়াই করবে না। সবার সঙ্গে মিষ্টি করে কথা বলবে। বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবা বলেন দাও দান মিটবে গ্রহণ। এক নম্বর দান হল দেহ-অভিমান। এই সময় তো তোমরা আত্ম-অভিমানী হও এবং পরমাত্ম-অভিমানী হও। এই হল অমূল্য জীবন। বাবা বলেন কল্প-কল্প আমরা তোমাদের এইভাবে পড়াতে আসি আর তোমরা সেসব ভুলে যাও। এও ড্রামাতে ফিক্স আছে। আচ্ছা !

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি, জ্ঞান রত্ন ধারণ করতে এবং সার্ভিস করতে সক্ষম বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সকলের সঙ্গে মিষ্টি করে কথা বলতে হবে, এমন কোনো কথা বলবে না যাতে বাবার নিন্দে হয়। দেহ-অভিমান দান করে আত্ম-অভিমানী ও পরমাত্ম-অভিমানী হতে হবে।

২ ) জ্ঞান ধন যা প্রাপ্ত হয়, সেসব দান করতে হবে, পড়াশোনার দ্বারা রাজত্ব প্রাপ্ত হয়, সেই নেশায় স্থায়ী থাকতে হবে। মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।

বরদান:-
একাগ্রতার প্র্যাক্টিস দ্বারা অনেক আত্মাদের ইচ্ছা পূরণ করে বিশ্ব কল্যাণকারী ভব

সর্ব আত্মাদের ইচ্ছে যে বিচরণকারী বুদ্ধি বা চঞ্চল মন যেন একাগ্র হয়ে যায়। অতএব তাদের এই ইচ্ছে পূরণ করার জন্য তোমরা নিজেরা নিজের সঙ্কল্প গুলিকে একাগ্র করার প্র্যাক্টিস বাড়াও, নিরন্তর একরস স্থিতিতে বা একমাত্র বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়....এই স্থিতিতে স্থিত থাকো, ব্যর্থ সঙ্কল্পকে শুদ্ধ সঙ্কল্পে পরিবর্তন করো, তবে বিশ্ব কল্যাণকারী ভব এই বরদান প্রাপ্ত হবে।

স্লোগান:-
ব্রহ্মা বাবার মতন গুণ স্বরূপ, শক্তি স্বরূপ এবং স্মরণ স্বরূপ যে হয়, সে হল প্রকৃত ব্রাহ্মণ।