04.03.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি মিষ্টি সার্ভিসেবল বাচ্চারা - এমন কোনও কাজ করবে না যাতে সার্ভিসে কোনও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়”

প্রশ্নঃ -
সঙ্গম যুগে বাচ্চারা তোমাদের একেবারে সঠিক হতে হবে, এইরূপ সঠিক কারা হতে পারবে ?

উত্তরঃ -
যারা সত্য পিতার সঙ্গে সর্বদা সত্য স্বরূপ থাকে, অন্তরে এক, বাইরে অন্যরকম - এমন যেন না হয়। ২ - যারা শিববাবা ব্যতীত অন্য কোনো কথায় যায় না। ৩- প্রতিটি পদক্ষেপ শ্রীমৎ অনুসারে চলে, কোনোরকম গাফিলতি করে না, তারাই অ্যাকুরেট বা সঠিক হয়।

গীতঃ-
শৈশবের দিন গুলি ভুলে যেও না....

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি আত্মারূপী বাচ্চারা গানের দুটি শব্দ শুনে এই দৃঢ় নিশ্চয় তো করছো - অসীম জগতের পিতা এখন অসীম সুখের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করছেন। এমন পিতার আমরা সন্তান হয়েছি, অতএব বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। নাহলে কি হবে ! এখনই খুশীতে হেসে বলো আমরা মহারাজা মহারানী হবো আর যদি হাত ছেড়ে দাও তাহলে তো গিয়ে সাধারণ প্রজা হবে। স্বর্গে তো অবশ্যই আসবে। এমনও নয় সবাই স্বর্গে আসবে। যারা সত্যযুগ ত্রেতায় আসার তারাই আসবে। সত্যযুগ ও ত্রেতা দুটিকে একত্রে স্বর্গ বলা হয়। তবুও যারা সর্ব প্রথমে নতুন দুনিয়ায় আসে তারা বেশি সুখের অনুভূতি করে, বাকি যারা পরে আসবে তারা জ্ঞান প্রাপ্ত করবে না। জ্ঞান প্রাপ্ত করে যারা সত্যযুগ ত্রেতায় তারাই আসবে। বাকিরা আসে রাবণ রাজ্যে। তারা কম মাত্রায় সুখ প্রাপ্ত করবে। সত্যযুগ ত্রেতায় অসীম সুখ আছে না ! তাই পুরুষার্থ করে বাবার কাছে অসীম জগতের সুখের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা উচিত এবং এই মহান সুখবর লেখো - কার্ড ইত্যাদি যা প্রিন্ট করো তাতেও এই কথা লেখা উচিত - উঁচু থেকে উঁচু অসীম জগতের পিতা প্রদত্ত সুখবর। প্রদর্শনীতে তোমরা দেখাও নতুন দুনিয়া কীভাবে স্থাপন হয়। অতএব এই কথা ক্লিয়ার এবং বড় বড় অক্ষরে লেখা থাকা উচিত। অসীম জগতের পিতা জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন, সদগতি দাতা গীতার ভগবান হলেন শিব, তিনি কীভাবে ব্রহ্মাকুমার কুমারীদের দ্বারা পুনরায় কলিযুগী, সম্পূর্ণ বিকারী, ভ্রষ্টাচারী পতিত দুনিয়াকে সত্যযুগী সম্পূর্ণ নির্বিকারী পবিত্র শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া বানাচ্ছে, এই সুখবর এসে শোনো অথবা এসে বুঝে নাও। গভর্নমেন্টের কাছেও তোমরা এই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আছো যে আমরা ভারতে পুনরায় সত্যযুগী শ্রেষ্ঠাচারী একশত ভাগ পবিত্রতা সুখ-শান্তির দিব্য স্বরাজ্য কীভাবে স্থাপন করছি এবং এই বিকারী দুনিয়ার বিনাশ কীভাবে হবে সেসব এসে বুঝে নাও। এমন ভাবে ক্লিয়ার লেখা উচিত। কার্ডে এমনভাবে লেখো যাতে মানুষ ভালো করে বুঝতে পারে। প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার কুমারীরা কল্প পূর্বের মতন ড্রামা প্ল্যান অনুযায়ী পরমপিতা পরমাত্মা শিবের শ্রীমৎ অনুসারে সহজ রাজযোগ এবং পবিত্রতার শক্তির দ্বারা, নিজের তন-মন-ধন দিয়ে ভারতকে এমন শ্রেষ্ঠাচারী পবিত্র করছে কীভাবে, এসে সে কথা বুঝে নাও। ক্লিয়ার করে কার্ডে ছাপানো উচিত, যাতে সবাই বুঝতে পারে। এই বি. কে.রা শিববাবার মতানুযায়ী রামরাজ্য স্থাপন করছে, গান্ধীজি যা চেয়েছিলেন। খবরের কাগজে এইরূপ নিমন্ত্রণ দিয়ে দাও। এই কথা অবশ্যই বোঝাতে হবে যে, প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার কুমারীরা নিজের তন-মন-ধন দিয়ে এই কাজ করছে। যাতে মানুষ এমন না ভাবে এরা দান বা ডোনেশন ইত্যাদি চাইছে। দুনিয়ায় তো সব ডোনেশন দিয়েই চলে। এখানে তোমরা বলো আমরা বি.কে.রা নিজের তন-মন-ধন দ্বারা করি। তারা নিজেরা স্ব রাজ্য নিচ্ছে, অতএব নিজেরাই খরচ করবে। যারা পরিশ্রম করে তারাই ২১ জন্মের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। ভারতবাসীই ২১ জন্মের জন্য শ্রেষ্ঠাচারী ডবল মুকুটধারী হয়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন ডবল মুকুটধারী, তাইনা। এখন তো কোনো মুকুট নেই। অতএব এই কথাটি ভালোভাবে বোঝাতে হয়। বাবা বোঝান এমন করে লেখো যাতে অজ্ঞানী মানুষ জানতে পারে যে বি.কে.রা কি কাজ করছে। ধনীদের আওয়াজ হলে তবে গরিবদের কথা শোনা হবে। নাহলে তো গরিবদের কথা কেউ শোনে না। ধনীদের আওয়াজ শোনা হয়। তোমরা প্রমাণ করে বলো যে আমরা বিশেষভাবে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করি। বাকি সবাইকে শান্তিধামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এমন করেই বোঝাতে হবে। ভারত ৫ হাজার বছর পূর্বে এমন স্বর্গ ছিল। এখন তো হয়েছে কলিযুগ, ওই যুগ তো সত্যযুগ ছিল। এখন বলো সত্যযুগে কতজন মানুষ ছিল। এখন কলিযুগের শেষ সময়। এই হল সেই মহাভারতের মহাভারী লড়াই। অন্য কোনও সময়ে এমন কঠিন লড়াই লাগেনি। এই থার্ড ওয়ার শেষে হয়েছে। ট্রায়াল করা হয়। এখন তো অ্যাটোমিক বোমা বানানো হয়। কারো কথা শোনে না। তারা বলে যে বোমা তৈরি করা হয়েছে সেসব সমুদ্রে ঢেলে দাও, তাহলে আমরাও আর বানাবো না। তোমরা রাখবে আর আমরা বানাবোনা তা কি করে হয়। কিন্তু তোমরা বাচ্চারা জানো এই সব হল ভবিতব্য। যতই বোঝাও বুঝবে না। বিনাশ না হলে রাজত্ব করবে কীভাবে। বাচ্চারা, তোমাদের দৃঢ় নিশ্চয় তো আছে তাইনা। যারা সংশয় বুদ্ধি তারা পলাতক হয়ে যায়। বাবার সন্তান হয়ে পলাতক হবে না। তোমাদের তো স্মরণ করতে হবে শিববাবাকে, অন্য কোনো কথায় কি লাভ। সত্য পিতার সঙ্গে সত্য স্বরূপ হয়ে থাকতে হবে। অন্তরে এক বাইরে আরেক হয়ে থাকলে নিজের পদ ভ্রষ্ট করবে। নিজেরই ক্ষতি করবে। কল্প-কল্পান্তরের জন্য কখনও উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করতে পারবে না। তাই এই সময় খুব সঠিক হতে হবে। কোনও রকম গাফিলতি করবে না। যতখানি সম্ভব শ্রীমৎ অনুযায়ী থাকতে হবে। নিরন্তর স্মরণে তো শেষে থাকবে। একমাত্র বাবা ব্যতীত অন্য কেউ যেন স্মরণে না থাকে। বলাও হয়, অন্তিম কালে যে স্ত্রীকে স্মরণ করে... যার প্রতি মোহ থাকবে তার কথাই স্মরণে থাকবে। ভবিষ্যতে তোমরা যত কাছে আসতে থাকবে, সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। বাবা সবাইকে দেখাবেন তোমরা এমন কাজ করেছো। শুরু শুরুতেও তোমরা সাক্ষাৎকার করেছো। যারা দন্ড ভোগ করছে তারা খুব আর্তনাদ করেছে। বাবা বলেন, তোমাদের দেখাবার জন্য এদের একশত গুণ দন্ড বা সাজা কেটে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এমন কোনো কাজ করবে না যাতে বাবার সার্ভিসে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। শেষে তোমাদের সব সাক্ষাৎকার হবে। এমন ভাবে বাবার সার্ভিসে তোমরা বিঘ্ন সৃষ্টি করে অনেক ক্ষতি করেছো। আসুরিক সম্প্রদায় তাইনা। যারা বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে তারা অনেক দন্ড ভোগ করবে। শিববাবার বিশাল দরবার আছে। রাইট হ্যান্ডে ধর্মরাজও আছেন। ওই সব হল দৈহিক জগতের সাজা। এখানে তো ২১ জন্মের ক্ষতি হয়ে যায়, পদ ভ্রষ্ট হয়ে যায়। প্রতিটি কথায় বাবা বোঝাতে থাকেন। সুতরাং এমন কেউ যেন না বলে যে আমার জানা ছিল না। তাই বাবা সব রকমের সাবধান বাণী দিয়েছেন। দেখেন যে প্রত্যেকটি সেন্টারে অনেকে পলাতক হয়ে যায়। বিরক্ত করে। বিকারগ্রস্ত হয়। স্কুলে তো পুরোপুরি পড়াশোনা করা উচিত। নাহলে কি পদ পাবে ? পদ মর্যাদায় অনেক তফাৎ হয়ে যায়। যেমন এখানে দুঃখধামে কেউ প্রেসিডেন্ট, কেউ ধনী , কেউ গরিব, ঠিক সেইরকম সেখানে সুখধামেও পদমর্যাদা তো নম্বর অনুযায়ীই হবে। যে বাচ্চারা রয়্যাল বুদ্ধিমান হবে, তারা বাবার কাছে সম্পূর্ণ অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার চেষ্টা করবে। এ হল মায়ার বক্সিং, তাইনা। মায়া খুব প্রবল, তাই হার জিত হতেই থাকে। অনেকে আসে, পরে পলাতক হয়ে যায়। চলতে-চলতে ফেল হয়ে যায়। অনেকে বলে এটা কীকরে সম্ভব। এই কথা তো কখনও শুনিনি গৃহস্থে থেকে পবিত্র থাকা যায় ! আরে ভগবানুবাচ হল - কাম মহাশত্রু। গীতায়ও এই শব্দ আছে না ! তোমরা জানো সত্য যুগে আছে দিব্য গুণধারী মানুষ এবং কলিযুগে আছে আসুরিক অবগুণযুক্ত মানুষ। আসুরিক গুণের মানুষ দিব্যগুণী মানুষের মহিমা কীর্তন করে। কতখানি তফাৎ। এখন তোমরা বুঝেছো আমরা কিরূপ ছিলাম, কিরূপে পরিণত হচ্ছি। এখানে তোমাদের সর্বগুণ ধারণ করতে হবে। খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি সতোগুণী খেতে হবে। দেখতে হবে দেবতাদের কি খাওয়ানো হয়। শ্রীনাথ দ্বারে গিয়ে দেখো - কত রকমের ভোগ রন্ধন অথবা শুদ্ধ ভোজন অর্পণ করা হয়। সেখানে হল বৈষ্ণব। আর ওখানে জগন্নাথ পুরীতে দেখো কি পাওয়া যায় ? চাল। সেখানে আছে বাম মার্গের অনেক অপবিত্র চিত্র। যখন রাজত্ব ছিল তখন ৩৬ প্রকারের ভোজন প্রাপ্ত হত। সুতরাং শ্রীনাথ দ্বারে অনেক ভোজন রন্ধন হয়। পুরী এবং শ্রীনাথ হল আলাদা-আলাদা। পুরীর মন্দিরে অনেক অপবিত্র চিত্র আছে, দেবতাদের ড্রেসে। তাই ভোগ অর্পণ হয় বিশেষতঃ চালের। তাতে ঘী দেওয়া হয় না। এই তফাৎ দেখানো হয়। ভারত কি ছিল তারপরে কি হয়েছে। এখন তো দেখো কি অবস্থা হয়েছে। পুরোপুরি অন্নটুকুও মেলেনা। তাদের প্ল্যান এবং শিববাবার প্ল্যানে রাত দিনের তফাৎ আছে। তাদের সব প্ল্যান মাটিতে মিশে যাবে। ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ হবে। আনাজপত্র কিছু পাওয়া যাবে না। কোথাও অতিবৃষ্টি হয়, কোথাও হয় অনাবৃষ্টি, খুব ক্ষতি হয়। এইসময় তত্ত্বও হল তমোপ্রধান, ফলে বৃষ্টিপাতের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। ঝড় তুফান সবই তমোপ্রধান, সূর্যের তাপও এতই বেশি যে বলার কিছু নেই। এই ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ ড্রামাতে পূর্ব নির্দিষ্ট আছে। তাদের হল বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি। তোমাদের হল বাবার সঙ্গে প্রীতবুদ্ধি। অজ্ঞান কালে সৎ সন্তানদের উপরে মা বাবার ভালোবাসা থাকে তাই বাবা বলেন নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে স্মরণস্নেহ...যত সার্ভিস করবে...সেবা তো করতে হবে, তাইনা। বিশেষভাবে ভারতের সাধারণভাবে দুনিয়ার। ভারতকে স্বর্গ বানাতে হবে। বাকি সবাইকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে শান্তিধাম। ভারতকে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করা হয়, বাকিরা সবাই মুক্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। সবাই চলে যাবে। আর্তনাদের পরে জয়জয়কার হবে। অনেক হাহাকার হবে। এই খেলাটি হল রক্তরঞ্জিত খেলা। ন্যাচারাল ক্যালামিটিজও আসবে। মৃত্যু তো সবার হবেই।

বাবা বাচ্চাদের বোঝান পুরোপুরি পুরুষার্থ করো। বাবার সঙ্গে সর্বদা আজ্ঞাকারী, সৎ হতে হবে। সার্ভিসেবল হতে হবে। যারা কল্প পূর্বে যেমন সেবা করেছে, তাদের সাক্ষাৎকার হবে। তোমরা সাক্ষী হয়ে দেখতে থাকবে। তোমরা এখন স্ব দর্শন চক্রধারী হয়েছো। সর্বদা বুদ্ধিতে স্বদর্শন চক্র আবর্তিত হওয়া উচিত। আমরা ৮৪ বার এমন এমন জন্ম গ্রহণ করেছি। এখন আমরা ঘরে ফিরে যাই। বাবা যেন স্মরণে থাকে, ঘরও (পরমধাম) স্মরণে থাকে, সত্যযুগও যেন স্মরণে থাকে। সারা দিন বুদ্ধিতে এই চিন্তন করতে থাকবে। এখন আমরা বিশ্বের মহারাজকুমার হবো। আমরা শ্রী লক্ষ্মী বা শ্রী নারায়ণ হবো। নেশায় বৃদ্ধি হওয়া উচিত। বাবার নেশা থাকে। বাবা রোজ দিন এই (লক্ষ্মী-নারায়ণের) চিত্র দেখেন, অন্তরে নেশা থাকে তাইনা। আমরা আগামীকাল গিয়ে এমন শ্রীকৃষ্ণ স্বরূপ ধারণ করবো। তারপরে স্বয়ংবরের পরে শ্রী নারায়ণ হবো। তৎত্বম্। তোমরাও তো হবে তাইনা। এই হল রাজযোগ। প্রজা যোগ নয়। আত্মারা পুনরায় নিজ রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করে। বাচ্চারা রাজত্ব হারিয়েছিল। এখন আবার রাজত্ব প্রাপ্ত করছে। বাবা এই চিত্র ইত্যাদি এই জন্য তৈরি করেছেন যাতে বাচ্চারা এই চিত্র দেখে তোমাদের খুশী হয়। ২১ জন্মের জন্য আমরা স্বর্গের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করছি। কতখানি সহজ। শিববাবা, প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা এই রাজযোগ শেখান। পরে আমরা গিয়ে এমন স্বরূপ ধারণ করবো। দর্শন করলেই খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে উঠে যায়। আমরা বাবার স্মরণে থাকলে বিশ্বের রাজকুমার হবো। খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত। আমিও পড়া করছি, তোমরাও পড়ছো। এই পড়াশোনার পরে আমরা গিয়ে এমন স্বরূপে পরিণত হব। সম্পূর্ণ টা নির্ভর করছে পড়াশোনার উপরে। যত পড়াশোনা করবে তত উপার্জন হবে তাইনা। বাবা বলেন কোনো সার্জেন এত দক্ষ হন যে একটি কেসে এক লক্ষ উপার্জন করেন। অনেক ব্যারিস্টারও এমন থাকে। কেউ অনেক উপার্জন করে, কেউ তো জীর্ণ কোট পরে থাকে। এইখানে ও এমন আছে তাই বাবা বার বার বলেন বাচ্চারা, কোনও গাফিলতি করবে না। সর্বদা শ্রীমৎ অনুসারে চলো। শ্রী শ্রী শিববাবা দ্বারা তোমরা শ্রেষ্ঠ স্বরূপে পরিণত হও। তোমরা বাচ্চারা বাবার কাছে অনেক বার অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছো এবং হারিয়েছ। ২১ জন্মের উত্তরাধিকার অর্ধকল্পের জন্য প্রাপ্ত কর। অর্ধকল্প ২৫০০ বছর সুখ প্রাপ্ত কর। আচ্ছা!

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) অন্তরে বাইরে সত্য স্বরূপ হয়ে থাকতে হবে। পড়াশোনায় কখনও গাফিলতি করবে না। কখনও সংশয় বুদ্ধি হয়ে পড়াশোনা ত্যাগ করবে না। সার্ভিসে কখনো বিঘ্নের কারণ হবে না ।

২ ) সবাইকে এই খুশীর খবর দাও যে আমরা পবিত্রতার শক্তির দ্বারা, শ্রীমৎ অনুসারে নিজের তন-মন-ধনের সহযোগে ২১ জন্মের জন্য ভারতকে শ্রেষ্ঠাচারী ডবল মুকুটধারী বানানোর সেবা করছি।

বরদান:-
সেকেন্ডে সঙ্কল্প গুলিকে স্টপ করে নিজের ফাউন্ডেশন শক্ত করে পাস উইথ অনার ভব

প্রত্যেকটি পেপার পরিপক্ব বানাতে, ফাউন্ডেশন শক্ত করতে আসে, তাতে ভয় পেও না। বাইরের অস্থিরতাকে এক সেকেন্ডে স্টপ করার অভ্যাস করো, যতই বিস্তার হোক এক সেকেন্ডে গুটিয়ে নাও। খিদে তেষ্টা, ঠান্ডা গরম সব কিছু থাকা সত্ত্বেও (পুরানো) সংস্কার যেন পরিলক্ষিত না হয়, সমায়িত করার শক্তির সাহায্যে স্টপ লাগিয়ে দাও। অনেক সময়ের এই অভ্যাস পাস উইথ অনার বানিয়ে দেবে।

স্লোগান:-
নিজের সুখ শান্তির ভাইব্রেশন দিয়ে লোকেদের সুখ শান্তির অনুভূতি করানোই হল প্রকৃত সেবা।