22.03.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
জ্ঞানী আত্মারাই বাবার প্রিয়, সেইজন্য পিতা-সম মাস্টার জ্ঞানসাগর হও"
প্রশ্নঃ -
কল্যাণকারী
যুগে বাবা সকল বাচ্চাদের কোন্ স্মৃতি স্মরণ করান ?
উত্তরঃ -
বাচ্চারা, ৫ হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তোমরা নিজেদের ঘর ছেড়ে এসেছো। তোমরা ৫
হাজার বছরে ৮৪-বার জন্ম নিয়েছো, এখন এ হলো অন্তিম জন্ম, বাণপ্রস্থ অবস্থা, তাই এই
অন্তিম জন্মে পবিত্র হয়ে বাবাকে স্মরণ করো।
গীতঃ-
সভায় জ্বলে উঠেছে বহ্নিশিখা .....
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা এ'কথা
বুঝেছে যে ভগবান এক, গড ইজ ওয়ান। সকল আত্মাদের পিতাই এক। ওঁনাকে পরমপিতা পরমাত্মা
বলা হয়। সৃষ্টির রচয়িতা হলেন একজনই। অনেক হতেই পারে না। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে
মানুষ নিজেদের ঈশ্বর বলতে পারে না। এখন তোমরা ঈশ্বরীয় সেবায় নিমিত্ত হয়েছো। ঈশ্বর
নতুন দুনিয়া স্থাপন করছেন, যাকে সত্যযুগ বলা হয়, এরজন্যই তোমরা যোগ্যতাসম্পন্ন
হচ্ছো। সত্যযুগে কেউই অপবিত্র থাকে না। এখন তোমরা পবিত্র হতে চলেছো। তিনি বলেন --
আমি পতিত-পাবন আর বাচ্চারা, আমি তোমাদের এই শ্রেষ্ঠ মত প্রদান করি যে আমায় অর্থাৎ
নিজেদের নিরাকার পিতাকে স্মরণ করলে তোমরা পতিত তমোপ্রধান থেকে পবিত্র সতোপ্রধান হয়ে
যাবে। স্মরণ-রূপী যোগাগ্নির দ্বারা তোমাদের পাপনাশ হয়ে যাবে। সাধু প্রভৃতিরা তো বলে
যে ঈশ্বর সর্বব্যাপী। একদিকে বলে ঈশ্বর অদ্বিতীয় আবার এখানে অনেকেই আছে যারা
নিজেদের ঈশ্বর বলে। শ্রী-শ্রী ১০৮ জগৎগুরু বলে। এখন জগতের গুরু তো একমাত্র বাবা-ই।
সমগ্র জগৎকে পবিত্র করেন যিনি, সে-ই অদ্বিতীয় পরমাত্মা সমগ্র দুনিয়াকে দুঃখ থেকে
মুক্ত করেন। তিনিই দুঃখহরণকারী - সুখপ্রদানকারী। মানুষের উদ্দেশ্যে একথা বলা যেতে
পারে না। এও তোমরা বাচ্চারাই বুঝতে পারো। এ হলোই অপবিত্র দুনিয়া। সকলেই পতিত।
পবিত্র দুনিয়ায় যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজা হয়। সত্যযুগে থাকে পূজ্য মহারাজা-মহারানী।
ভক্তিমার্গে পুনরায় পূজারী হয়ে যায়। সত্যযুগে যারা মহারাজা-মহারানী থাকে, তাদের
যখন দুই কলা কম হয়ে যায় তখন তাদের রাজা-রানী বলা হয়। এ'সমস্ত হলো বিস্তারিত
ব্যাখা(কথা)। তা নাহলে এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। বাবা বোঝান যে, অবশ্যই গৃহস্থী জীবনে
থাকো কিন্তু এই অন্তিম জন্ম পবিত্র হয়ে থাকো। এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা। বাণপ্রস্থ বা
শান্তিধাম একই কথা। সেখানে আত্মারা ব্রহ্মতত্বে নিবাস করে, যাকে ব্রহ্মান্ড বলা হয়।
বাস্তবে আত্মারা কোনো ডিম্বাকৃতি-বিশিষ্ট নয়। আত্মা হলো নক্ষত্র। বাবা বুঝিয়েছেন
যে, এই ড্রামায় যত আত্মারা রয়েছে সকলেই অভিনেতা। যেমন অভিনেতারা নাটকে পোশাক বদল করে,
বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা পালন করে, এও অলৌকিক ঈশ্বরীয় জগতের(বেহদ) নাটক। আত্মারা এই
সৃষ্টিতে পঞ্চতত্বে নির্মিত শরীরে প্রবেশ করে ভূমিকা পালন করে -- (সৃষ্টির)
প্রারম্ভ থেকে। পরমাত্মা এবং ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকর সকলেই অভিনেতা। নাটকে ভূমিকা পালন
করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের পোশাক পাওয়া যায়। ঘরে সকল আত্মারা শরীরবিহীনই থাকে।
পুনরায় যখন পাঁচতত্বের শরীর তৈরী হয়, তখন তারমধ্যে প্রবেশ করে। ৮৪ টি শরীর প্রাপ্ত
হয় তাহলে এতগুলি নামও পরিবর্তন হয়। আত্মার নাম তো এক। এখন শিববাবাই তো হলেন
পতিত-পাবন। ওঁনার নিজের শরীর নেই। শরীরের আধার নিতে হয়। তিনি বলেন, আমার নাম শিব।
যদিও পুরোনো শরীরে আসি। ওঁনার(ব্রহ্মা) শরীরের নাম ওঁনার নিজের। ওঁনার ব্যক্ত নাম
আছে, আবার অব্যক্ত নামও দেওয়া হয়েছে। এক ধর্মাবলম্বী যখন অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়
তখন তার নাম পরিবর্তন হয়। তোমরাও শূদ্র ধর্ম থেকে পরিবর্তিত হয়ে ব্রাহ্মণ ধর্মে
এসেছো, তাই নাম পরিবর্তন হয়েছে। তোমরা লেখো যে, শিববাবা থ্রু ব্রহ্মা। শিববাবা হলেন
পরমপিতা পরমাত্মা, ওঁনার নাম পরিবর্তন হয় না। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা আদি সনাতন
দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছেন। যা প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। যারা পবিত্র পূজনীয় ছিল
তারাই পতিত পূজারী হয়ে গেছে। ৮৪ জন্ম পূর্ণ করেছে। এখন পুনরায় দেবী-দেবতা ধর্মের
স্থাপনা হয়। গায়ন রয়েছে, পরমপিতা পরমাত্মা এসে ব্রহ্মার দ্বারা পুনরায় স্থাপনা করান
তাই ব্রাহ্মণ অবশ্যই চাই। ব্রহ্মা আর ব্রাহ্মণ কোথা থেকে আসে ? শিববাবা এসে
ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপ্ট (দত্তক) করেন। তিনি বলেন -- তোমরা আমার। শিববাবার সন্তান
তো হওই আবার ব্রহ্মার দ্বারা পৌত্র-পৌত্রীও হয়ে যাও। সমগ্র প্রজাদের পিতা হলেন
একজনই। এত-এত বাচ্চা অর্থাৎ কুমার-কুমারীরা রয়েছে। শিববাবা তাদের ব্রহ্মার দ্বারা
অ্যাডপ্ট করেন। মানুষ কি (একথা) জানে নাকি! বাবা এসে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের
স্থাপনা করেন। এমনও তো নয় যে নতুন করে আসতে থাকেন। যেমন দেখানো হয় যে প্রলয় হয়ে
গেছে তারপর পাতায় করে সাগরে ভেসে আসে.....। এ'সমস্ত কাহিনী তৈরী করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ডের এই হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী পুনরাবৃত হতে থাকে। আত্মা অমর। তার ভূমিকাও অমর।
সেই ভূমিকা (পার্ট) কখনো মুছে যায় না। সত্যযুগে সেই লক্ষ্মী-নারায়ণের সূর্যবংশীয়
রাজ্যই চলতে থাকে। এর কখনো অদল-বদল হয় না। দুনিয়া নতুন থেকে পুরানো, পুরোনো থেকে
নতুন হতে থাকে। প্রত্যেকেই অবিনাশী পার্ট প্রাপ্ত করেছে। বাবা বলেন -- ভক্তিমার্গে
ভক্তরা যেমন-যেমন ভাবনায় ভক্তি করে, তেমনই সাক্ষাৎকার করাই। কাউকে হনুমানের,
গনেশেরও সাক্ষাৎকার করাই। তাদের সেই শুভ-ভাবনা পুর্ণ করি। এও ড্রামায় নির্ধারিত।
তবুও মানুষ মনে করে যে, ভগবান সকলের মধ্যেই রয়েছে তাই সর্বব্যাপী বলে দেয়।
ভক্তমালাও আছে। পুরুষের মধ্যে নারদ শিরোমণির গায়ন হয়, নারীদের মধ্যে মীরা। ভক্তমালা
আলাদা, রুদ্রমালা আলাদা, আর জ্ঞানের মালা আলাদা। ভক্তমালার পূজা কখনো হয় না।
রুদ্রমালা পূজিত হয়। উপরে হলো ফুল তারপর মেরুদানা..... তারপর বাচ্চারা যারা
রাজসিংহাসনে বসেন। রুদ্রমালাই বিষ্ণুর মালা। ভক্তদের মালার কেবল গায়ন হয়। এই
রুদ্রমালার জপ তো সকলেই করে। তোমরা ভক্ত নও, তোমরা জ্ঞানী। বাবা বলেন -- জ্ঞানী
আত্মারাই আমার প্রিয়। বাবা-ই জ্ঞানের সাগর। বাচ্চারা, তোমাদের জ্ঞান দান করছেন।
তোমাদের মালাই পূজিত হয়। অষ্ট রত্নের পূজা হয় কারণ তারা জ্ঞানী আত্মা তাই ওনাদের
পূজা হয়। আংটি তৈরী করে পড়ে কারণ এরা ভারতকে স্বর্গে পরিনত করে। পাস উইথ অনার হয়
সেইজন্য তাদের গায়ন করা হয়। মধ্যভাগে নবম দানায় শিববাবাকে রাখা হয়। সেটিকে বলা হয়
নবমতম রত্ন। এ হলো বিস্তারিতভাবে (ডিটেলে) বোঝানো। বাবা তো কেবল বলেন -- বাবা আর
উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো তবেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে তারপর তোমরা চলে যাবে।
অপবিত্র আত্মারা পবিত্র দুনিয়ায় যেতে পারে না। এখানে সকলেই পতিত। দেবতাদের শরীর তো
পবিত্র নির্বিকারী। তারা হলেন পূজনীয়, যেমন রাজা-রানী তেমনই প্রজাও পূজ্য হয়। এখানে
সকলেই পূজারী। ওখানে দুঃখের কোন কথাই নেই। ওইটিকে বলা হয় স্বর্গ, সুখধাম। সেখানে
সুখ, সম্পত্তি, শান্তি সব ছিল। এখন কিছুই নেই তাই এটিকে নরক, ওটিকে স্বর্গ বলা হয়।
আমরা অর্থাৎ আত্মারা শান্তিধামের অধিবাসী। ওখান থেকে আসি ভূমিকা পালন করতে। ৮৪ জন্ম
পুরোপুরি ভোগ করতে হয়। এখন দুঃখধাম পুনরায় আমরা যাই শান্তিধামে তারপর সুখধামে আসবো।
বাবা সুখধামের মালিক করার জন্য, মানুষ থেকে দেবতায় পরিনত করার জন্য পুরুষার্থ
করাচ্ছেন। এ হলো তোমাদের সঙ্গমযুগ। বাবা বলেন -- আমি কল্পের সঙ্গমযুগে আসি, যুগে
যুগে নয়। আমি সঙ্গমযুগে একবারই সৃষ্টি পরিবর্তন করতে আসি। সত্যযুগ ছিল, এখন কলিযুগ
পুনরায় সত্যযুগ আসা উচিত, এ হলো কল্যাণকারী সঙ্গমযুগ। সকলের কল্যাণ হবে, তিনি সকলকে
রাবণের কারাগার থেকে মুক্ত করে দেন। ওঁনাকে দুঃখ হরণকারী-সুখপ্রদানকারী বলা হয়।
এখানে সকলেই দুঃখী। তোমরা পুরুষার্থ করো সুখধামে যাওয়ার জন্য। সুখধামে যেতে হলে
প্রথমে শান্তিধামে যেতে হবে। পার্ট অর্থাৎ ভূমিকা পালন করতে করতে তোমাদের ৫ হাজার
বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। বাবা বোঝান যে, ৫ হাজার বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে তোমরা
নিজেদের ঘর পরিত্যাগ করেছো। এর মাঝে তোমরা ভারতবাসীরা ৮৪ জন্ম নিয়েছো। এখন তোমাদের
অন্তিম জন্ম, সকলের বাণপ্রস্থ অবস্থা। সকলকেই যেতে হবে। গায়নও রয়েছে, জ্ঞানের সাগর
বা রুদ্র। এ হলো শিব জ্ঞান যজ্ঞ। পতিত-পাবন হলেন শিব, পরমাত্মাও হলেন শিব। রুদ্র
নাম ভক্তরা রেখেছে। ওঁনার আসল নাম একমাত্র শিব। শিববাবা প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা
স্থাপনা করান। ব্রহ্মা একজনই। ইনি পতিত, পরে তিনিই পবিত্র হলে ফরিস্তা হয়ে যান।
যাঁকে সূক্ষ্মলোকে দেখানো হয় তিনি অন্য ব্রহ্মা নন।
ব্রহ্মা একজনই। ইনি ব্যক্ত, উনি অব্যক্ত। ইনি সম্পূর্ণ পবিত্র হয়ে গেলে তখন
সূক্ষ্মলোকে দেখা যাবে। ওখানে হাড় ইত্যাদি(শরীর) থাকে না। যেভাবে বাবা বুঝিয়েছিলেন
-- যেসকল আত্মারা শরীর পায় না তারা এদিক-ওদিক বিচরণ করে বেড়ায়। তাদেরকে ভুত বলা হয়।
যতক্ষণ না পর্যন্ত শরীর ধারণ করতে পারে ততক্ষণ এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়। তাদের মধ্যে
কেউ ভাল হয়, আবার কেউ মন্দও হয়। সেইজন্যই বাবা প্রত্যেকটি কথা বুঝিয়ে দেন। তিনি
জ্ঞানের সাগর সে'জন্য অবশ্যই বোঝাবেন, তাই না! এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। অল্ফ(আল্লাহ্)
এবং বে (রাজত্ব)-কে স্মরণ করো তাহলেই সেকেন্ডে জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে।
কত সহজ।
এর নামই হলো সহজ রাজযোগ। ওরা মনে করে, ওটাই ভারতের যোগ ছিল। কিন্তু এ হলো
সন্ন্যাসীদের হঠযোগ। আর এ তো একদমই সহজ। যোগের অর্থ স্মরণ। ওদের হলো হঠযোগ। এ হলো
সহজ। বাবা বলেন -- আমাকে এইভাবে স্মরণ করো। কোনো লকেটাদি পড়ার দরকারই নেই। তোমরা তো
বাবার বাচ্চা। কেবল বাবাকে স্মরণ করো। তোমরা এখানে (নিজেদের) ভূমিকা পালন করতে এসেছো।
এখন সকলকে ফিরে যেতে হবে পুনরায় সেই ভূমিকাই পালন করতে হবে। ভারতবাসীরাই সূর্যবংশীয়,
চন্দ্রবংশীয়, বৈশ্যবংশীয়, শূদ্রবংশীয় হয়। এর মধ্যবর্তী সময়ে অন্যান্য
ধর্মাবলম্বীরাও আসে। ৮৪ জন্ম তোমরা নাও। পুনরায় তোমাদের প্রথম স্থানে আসতে হবে।
তোমরা পুনরায় সত্যযুগে আসবে আর সকলে শান্তিধামে থাকবে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কোনো
বর্ণপ্রথা নেই। বর্ণপ্রথা ভারতেই রয়েছে। তোমরাও সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় হয়েছিলে।
এখন ব্রাহ্মণ বর্ণে রয়েছো।ব্রহ্মা-বংশীয় ব্রাহ্মণ হয়েছো। এ'সব কথা বাবা বসে বোঝান।
যাদের বুদ্ধি ধারণ করতে পারে না তাদেরকে বলা হয় কেবল বাবাকে স্মরণ করো। যেমন বাবাকে
জানলেই বাচ্চারা জেনে যায় যে, এটা হলো উত্তরাধিকার। কন্যারা তো উত্তরাধিকার পায় না।
এখানে তোমরা সকলেই শিববাবার সন্তান, তোমাদের অধিকার আছে। পুরুষ অথবা নারী সকলেরই
অধিকার রয়েছে। সকলকে শেখাতে হবে -- শিববাবাকে স্মরণ করো। যত স্মরণ করবে ততই বিকর্ম
বিনাশ হবে, পতিত থেকে পবিত্র হবে। আত্মায় যে খাদ পড়ে রয়েছে তা নিষ্কাশিত হবে কিভাবে
? বাবা বলেন -- যোগের দ্বারাই তোমাদের খাদ সমাপ্ত হয়ে যাবে। এই অপবিত্র শরীর তো
এখানেই পরিত্যাগ করতে হবে। আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে। সকলে মশার ঝাঁক-সদৃশ যাবে।
বুদ্ধিও বলে যে সত্যযুগে অনেক অল্পসংখ্যকই থাকে। এই বিনাশে কত মানুষ মারা যাবে।
অল্পসংখ্যক বাকি থাকবে। অল্পসংখ্যক রাজারাই থাকবে, বাকি সত্যযুগে ৯ লক্ষ প্রজা থাকে।
এর উপর গায়নও করা হয় -- ৯ লক্ষ নক্ষত্র অর্থাৎ প্রজা। বৃক্ষ প্রথমে ছোট হয় পরে
বৃদ্ধি পায়। এখন তো কত আত্মা। বাবা আসেন, সকলের পথপ্রদর্শক(গাইড) হয়ে নিয়ে যান।
আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
যোগাগ্নির দ্বারা বিকর্মের খাদকে ভস্মীভূত করে পবিত্র হতে হবে। এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা
তাই ঘরে ফেরার জন্য সম্পূর্ণরূপে সতোপ্রধান হতে হবে।
২ ) এই কল্যাণকারী যুগে বাবার সমান দুঃখ হরণকারী - সুখ প্রদানকারী হতে হবে।
বরদান:-
সাধারণত্বকে সমাপ্ত করে মহানতার অনুভবকারী শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থী ভব
যে শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থী
বাচ্চা, তার প্রতিটি সঙ্কল্প মহান হবে। কারণ তার প্রতিটি সঙ্কল্পে, শ্বাস-প্রশ্বাসে
স্বততঃ-ই বাবার চিন্তা থাকবে। ভক্তিতে যেমন বলা হয় -- অশ্রুত শব্দও যেন শোনা যায়,
অজপাজপ (নিরবচ্ছিন্ন জপ) যেন চলতে থাকে -- এমনই পুরুষার্থ নিরন্তর চলতে থাকলে তাকেই
বলা হয় শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থ। স্মরণ করা নয়, সর্বদাই যেন স্মরণে আসতে থাকে, তবেই
সাধারণত্ব সমাপ্ত হয়ে যাবে আর মহানতা আসতে থাকবে -- এটাই হলো এগিয়ে যাওয়ার লক্ষণ ।
স্লোগান:-
মনন-শক্তির দ্বারা সাগরের তলদেশে অভিযানকারীই রত্ন-ভান্ডারের অধিকারী।