06.03.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - পূণ্য আত্মা হতে চাইলে এক বাবাকে স্মরণ করো, স্মরণের দ্বারাই খাদ বেরিয়ে যাবে, আত্মা পবিত্র হবে"

প্রশ্নঃ -
কোন্ স্মৃতি থাকলে কোনো ব্যাপারেই বিমর্ষ হতে হবে না?

উত্তরঃ -
ড্রামার। তৈরী হয়েই আছে, সেটাই আবার হচ্ছে - নতুন করে এখন কিছু হওয়ার নেই... এই অনাদি ড্রামা চলতেই থাকে। এর জন্য কোনো ব্যাপারে বিমর্ষ হওয়ার প্রয়োজন নেই। কোনো কোনো বাচ্চা বলে জানি না এটা আমাদের অন্তিম ৮৪ তম জন্ম কিনা, বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। বাবা বলেন বিভ্রান্ত হয়ে পড়ো না, মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পুরুষার্থ করো।

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চাদের ওম্ শান্তির অর্থ তো জানা আছে যে- আমি হলাম আত্মা আর আমি অর্থাৎ এই আত্মার স্বধর্ম হলো শান্তি। আমি আত্মা শান্ত স্বরূপ, শান্তিধামের বাসিন্দা । এই লেসন (পাঠ) সুনিশ্চিত করতে থাকো। এটা কে বোঝায় ? শিববাবা । স্মরণও করতে হবে শিববাবাকে। ওঁনার নিজস্ব রথ (দেহ) নেই, সেইজন্য তাঁকে ষাঁড় দিয়ে দেওয়া হয়েছে । মন্দিরেও ষাঁড় রেখে দেওয়া হয়। একে বলা হয় সম্পূর্ণ অজ্ঞানতা । বাবা বাচ্চাদের অথবা আত্মাদের (রুহদের) বোঝান। ইনি হলেন আত্মাদের পিতা শিব, এঁনার তো অনেক নাম। কিন্তু অনেক নামে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। বাস্তবে এঁনার নাম হলো শিব। শিব জয়ন্তীও ভারতে পালন করা হয়। তিনি হলেন নিরাকার পিতা, এসে পতিতদের পবিত্র করে তোলেন। কেউ ভগীরথ কেউ নন্দীগণ বলে দেয়। বাবা নিজেই বলে দেন যে আমি কোন্ ভাগ্যশালী রথে আসি। আমি ব্রহ্মার দেহে প্রবেশ করি। ব্রহ্মা দ্বারা ভারতকে স্বর্গ তৈরী করি। তোমরা অর্থাৎ সমস্ত ভারতবাসীরা জানো যে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো। তোমরা এই সমগ্র ভারতবাসীরা আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের ছিলে। স্বর্গবাসী ছিলে। ৫ হাজার বছর পূর্বে যখন আমি এসেছিলাম তখন সবাইকে সতোপ্রধান স্বর্গের মালিক বানিয়েছিলাম। আবার অবশ্যই পুনর্জন্ম নিতে হবে। বাবা কতো সোজাসুজি বলে দেন। এখন তোমরা জয়ন্তী পালন করো, (এই ২০২১ এ লিখবে ৮৫ তম শিব জয়ন্তী), বাবার অবতরণ হয়েছে ৮৫ বছর হলো। আবার তার সাথে ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্করেরও অবতরণ ঘটেছিলো। ত্রিমূর্তি ব্রহ্মার জয়ন্তী কেউ দেখায় না, দেখানো জরুরি, কারণ বাবা বলেন - আমি ব্রহ্মা দ্বারা আবার স্থাপনা করছি। ব্রাহ্মণ তৈরী করে চলেছি। সুতরাং ব্রহ্মা আর ব্রাহ্মণ বংশীয়দেরও জন্ম হয়েছে । তারপর আমি তোমাদেরকে দেখাই যে, তোমরাই বিষ্ণুপুরীর মালিক হবে। বাবার স্মরণেই তোমাদের খাদ বেরিয়ে যাবে। যদিও ভারতের প্রাচীন যোগ প্রখ্যাত, কিন্তু সেটা কে শিখিয়েছিল, তা কেউই জানে না। তিনি নিজেই বলেন - হে বাচ্চারা, তোমরা তোমাদের (প্রকৃত) পিতাকে স্মরণ করো। তোমাদের উত্তরাধিকার আমার থেকে প্রাপ্ত হয়। আমি হলাম তোমাদের পিতা। আমি প্রতি কল্পে আসি, এসে তোমাদের মানুষ থেকে দেবতা করে তুলি, কারণ তোমরা দেবী - দেবতা ছিলে, আবার ৮৪ জন্ম নিতে নিতে পতিত হয়ে গেছো। রাবণের মত অনুযায়ী চলছো। ঈশ্বরীয় মতের দ্বারা তোমরা স্বর্গের মালিক হয়ে যাও।

বাবা বলেন, আমি পূর্ব কল্পেও এসেছিলাম। যা কিছু পাস (অতীত হয়ে যায়) হয়, সেটাই প্রতি কল্পে কল্পে হতেই থাকে। বাবা আবারও এসে এঁনার মধ্যে প্রবেশ করেন, এই দাদাকে মুক্ত করবেন। আবারও সকলকে লালন পালন করবেন । তোমরা জানো যে আমরাই সত্যযুগে ছিলাম। আমাদের অর্থাৎ ভারতবাসীদেরই ৮৪ জন্ম নিতে হয়। প্রথম দিকে তোমরা সর্ব গুণ সম্পন্ন ১৬ কলা সম্পূর্ণ ছিলে। যেমন রাজা-রাণী তেমনই প্রজা, নম্বর অনুযায়ী। সবাই তো রাজা হতে পারে না। তাই বাবা বোঝান - সত্যযুগে তোমাদের ৮ জন্ম, ত্রেতাতে ১২ জন্ম...এইরকমই নিজেকে মনে করো যে আমি এই ভূমিকা পালন করে এসেছি। প্রথমে সূর্যবংশী রাজধানীতে পার্ট প্লে করেছি তারপর চন্দ্রবংশীতে, তারপর নীচে নেমে বাম মার্গে এসেছি। তারপর আমরা ৬৩ জন্ম নিয়েছি। ভারতবাসীরাই সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছে আর কোনো ধর্মের লোক এতো জন্ম গ্রহণ করে না। গুরুনানকের ৫০০ বছর হয়েছে, এর মধ্যে তার ১২-১৪ জন্ম হয়ে থাকবে। এই হিসাব বের করাই যায় । খ্রীস্টানও ২ হাজার বছরে ৬০ পুনর্জন্ম নিয়ে থাকবে, বৃদ্ধি হতে থাকে। পুনর্জন্ম নিতে থাকে। বুদ্ধিতে এটা চিন্তন করো, আমরাই ৮৪ জন্ম ভোগ করেছি, আবার সতোপ্রধান হতে হবে। যা কিছু পাস্ হয়ে গিয়েছে-- ড্রামা। যে ড্রামা তৈরী হয়ে আছে সেটা আবার রিপিট হবে। অসীম জগতের হিস্ট্রিতে তোমাদের নিয়ে চলেছি। তোমরা পুনর্জন্ম নিতে থেকেছো। এখন তোমরা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছো। এখন আবার বাবা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে তোমাদের বাড়ী হলো শান্তিধাম। আত্মার রূপ কি ? বিন্দু। সেইখানে যেম বিন্দুদের বৃক্ষ রয়েছে। আত্মাদেরও নম্বর অনুযায়ী বৃক্ষ থাকে। নম্বর অনুযায়ী নীচে আসতে হয়। পরমাত্মাও হলেন বিন্দু। এমন না যে এত্তো বড় লিঙ্গ। বাবা বলেন, তোমরা আমার বাচ্চা হলে আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক করি, প্রথমে তোমরা আমার হলে তখন তোমাদের অধ্যয়ণ করাই। তোমরা বলো - বাবা আমি হলাম তোমার। সাথে সাথে অধ্যয়ণও করতে হবে। আমার হলে তোমাদের পড়াশুনা শুরু হয়ে গেলো।

বাবা বলেন, এটা হলো তোমাদের ৮৪ জন্ম, কমল ফুল সমান পবিত্র হও। বাচ্চারা প্রতিজ্ঞা করে বাবা আমরা আপনার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য কখনো অপবিত্র হবো না। ৬৩ জন্ম তো অপবিত্র হয়েছি। এটা হলো ৮৪ জন্মের কাহিনী। বাবা এসে সহজ করে বলেন। যেমন লৌকিক বাবা বলেন না! তো ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা। তিনি এসে আত্মাদের সাথে বাচ্চা - বাচ্চা বলে কথা বলেন। শিবরাত্রিও পালন করেন, তাই না। তো এ হল অর্ধ- কল্পের দিন আর অর্ধ - কল্পের রাত। এখন হলো রাতের শেষ আর দিনের শেষের সঙ্গম। ভারত সত্যযুগ ছিলো তো দিন ছিলো। সত্যযুগ ত্রেতাকে ব্রহ্মার দিন বলা হয়। তোমরা তো হলে ব্রাহ্মণ। তোমরা অর্থাৎ ব্রাহ্মণরা জানো যে আমাদের হলো এখন রাত্রি। তমোপ্রধান ভক্তি। দ্বারে দ্বারে ধাক্কা খেতে থাকে (মন্দিরে, মতে, পন্থে), সব কিছুর পূজা করতে থাকে। তিন মাথার মোরকেও পূজা করতে থাকে। মানুষের শরীরেরও পূজা করতে থাকে। সন্ন্যাসীরা নিজেদের শিবোঽম্ (আমিই শিব) বলে বসে পড়ে আবার মায়েরা গিয়ে তাদের পূজা করতে থাকে । বাবা অনেক অনুভাবী। বাবা বলেন আমিও অনেক পূজা করেছি। কিন্তু সেই সময় জ্ঞান তো ছিলো না। ফল চড়াতেন, ঘটি ভরে দুধ চড়াতেন মানুষের উপর। এইটাও ঠকানোই হলো, তাই না! কিন্তু এ'সব তবুও হবে। ভক্তের রক্ষক হলেন ভগবান, কারণ সকলে দুঃখী যে ! বাবা বোঝান, দ্বাপর থেকে শুরু করে তোমরা গুরু করে এসেছো আর ভক্তি মার্গে নেমে এসেছো। এখনো পর্যন্ত সাধুরা তো সাধনা করে। বাবা বলেন, ওদেরও আমি উদ্ধার করি। সঙ্গমে তোমাদের সদ্গতি হয়ে যায় তারপর তোমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ করো। বাবাকে বলা হয় জ্ঞানের সাগর, মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ। সৎ - চৈতন্য - আনন্দ স্বরূপ। তিনি কখনোই বিনাশ হন না, তাঁর মধ্যে জ্ঞান সমায়িত। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, প্রেমের সাগর, তাই অবশ্যই ওঁনার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। এখন বাচ্চারা, তোমাদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হচ্ছে। শিববাবা যে তিনি ! তিনিও বাবা, ইনিও তোমাদের বাবা। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের অধ্যয়ণ করান, সেইজন্য প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমার কুমারী বলা হয়। অনেক সংখ্যক বি.কে আছে। তারা বলে, আমাদের পিতামহের থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হচ্ছে। বাচ্চারা বলে, বাবা আমাদের নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী বানান । বলেন - হে বাচ্চারা, শুধুমাত্র আমাকে স্মরণ করলে তবে তোমাদের মাথার উপর যে পাপের বোঝা আছে সে'সব ভস্ম হয়ে যাবে । আবার তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। তোমরা হলে সত্যিকারের সোনা, সত্যিকারের অলঙ্কার ছিলে। আত্মা আর শরীর দুই-ই সতোপ্রধান ছিলো। আত্মা আবার সতো-তমো-রজো হলে তখন শরীরও ঐরকম তমোগুণী প্রাপ্ত হয়। বাবা তোমাদের নির্দেশ দেন যে, বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করো। আমাকে ডাকো যে না হে পতিত - পাবন এসো। ভারতের প্রাচীন রাজযোগ বিখ্যাত। সেটাই এখন তোমাদের আমি শেখাচ্ছি যে, আমার সাথে যোগ যুক্ত হলে তোমাদের খাদ জ্বলে যাবে। যত স্মরণ করবে ততোই খাদ বের হয়ে যাবে। স্মরণ করাই হলো মুখ্য ব্যাপার। নলেজ তো বাবা দিয়েছেন - সত্যযুগে যথা রাজা-রাণী তথা প্রজা... সবাই পবিত্র। বাবা বলেন, এঁনার অনেক জন্মের শেষের জন্মে আমি প্রবেশ করি। এঁনাকে বলা হয় ভাগ্যশালী রথ। ইনি অধ্যয়ণ করে প্রথম নম্বরে স্থান গ্রহণ করেন। নম্বর অনুযায়ী তো তৈরী হয়, তাইনা ! মুখ্য নাম একটাই হয়। বাবা খুব ভালো করে বাচ্চাদের ৮৪ জন্মের রহস্য বুঝিয়েছেন। হিন্দু ধর্ম না, তোমরা হলে আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের। তোমাদের কর্ম শ্রেষ্ঠ, ধর্ম শ্রেষ্ঠ ছিলো। আবার রাবণের প্রবেশ হওয়াতে ধর্ম-কর্ম ভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিজেদের দেবী-দেবতা বলতে গিয়ে লজ্জা আসে, এই জন্য হিন্দু নাম রেখে দিয়েছে। বাস্তবে আদি সনাতন দেবী- দেবতা ধর্মের ছিলে। তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছিলে তারপর পতিত হয়ে গিয়েছো। ৮৪ জন্মের চক্র ভারতবাসীদের জন্য। ফিরে তো যেতে হবে সবাইকেই। প্রথমে তোমরা যাবে। যেমন বরযাত্রীরা যায় ! শিববাবাকে প্রিয়তমও বলে। তোমরা এই প্রিয়তমারা এই সময়ে তমোপ্রধান- ঘৃণ্য (ছিঃ ছিঃ), তাদের সুগন্ধি ফুল বানিয়ে নিয়ে যাবেন । আত্মাদের পবিত্র করে নিয়ে যাবেন। তাঁকে লিবারেটর, গাইড বলা হয়ে থাকে। অসীম জগতের পিতা নিয়ে যান। ওঁনার নাম কি ? শিববাবা। নাম শরীরের পরিপ্রেক্ষিতে হয় কিন্তু পরমাত্মার নাম শিবই হয়। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের তো সূক্ষ্ম শরীর আছে। শিববাবার তো কোনো শরীর নেই। ওঁনাকে শিববাবাই বলা হয়। বাচ্চারা বলে, হে মাতা - পিতা আমরা আপনার বালক হয়েছি। অন্যরাও ডাকতে থাকে, কিন্তু তাদের (তাঁর পরিচয়) জানা নেই। যদি সকলের জ্ঞাত হবে তো না জানি কি হয়ে যাবে। দৈবী বৃক্ষের এখন স্যাপলিং (চারা রোপন) লাগে। হীরে থেকে কড়ি হতে ৮৪ জন্ম লেগে যায়। আবার নূতন করে শুরু হয় । ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি- জিওগ্রাফি রিপিট হবে। বাবা বোঝান - তোমরা সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম ধারণ করেছো। ৮৪ লক্ষ তো হতে পারে না। এটা একটা বড় ভুল। ৮৪ লক্ষ জন্ম বোঝার কারণে কল্পের আয়ু লক্ষ বছর বলে দেয়। এ হল একেবারেই মিথ্যা। ভারত এখন হলো মিথ্যাখন্ড, সত্যখন্ডে (ভূমিতে) তোমরা সর্বদা খুশী ছিলে। এই সময় তোমরা ২১ জন্মের উত্তরাধিকার গ্রহণ করো। সমস্তটাই হল তোমাদের পুরুষার্থের উপর। রাজধানীতে যে পদ চাও সেই পদ নিয়ে নাও, এতে জাদু ইত্যাদির কোনো ব্যাপার নেই। হ্যাঁ মানুষ থেকে দেবতা অবশ্যই হবে। এটা তো দারুণ জাদু। তোমরা সেকেন্ডে জেনে নাও যে আমি বাবার বাচ্চা হয়েছি। কল্প- কল্প বাবা আমাদের স্বর্গের মালিক করেন। অর্ধ - কল্প উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরেছো, স্বর্গবাসী তো কেউই হয়নি। বাবা এসে তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের উপযুক্ত করে তোলেন। বরাবর এখানে মহাভারত লড়াই লেগে ছিলো আর তিনি তোমাদেরকে রাজযোগ শিখিয়েছিলেন। শিববাবা বলেন, আমিই এসে তোমাদের শেখাই, ক্রাইস্ট শেখায় না । এখন তোমাদের অনেক জন্মের শেষের জন্ম, মুষরে পড়ো না তোমরা । তোমরা হলে ভারতবাসী। তোমাদের ধর্ম খুবই সুখদায়ী। অন্য ধর্মের লোকেরা তো বৈকুন্ঠে আসতে পারে না। এই ড্রামাও অনাদি চলতে থাকে। কবে হয়েছে, এটা বলা যায় না। এর নো এন্ড(শেষ নেই)। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি- জিওগ্রাফি রিপিট হয়। এটা হলো সঙ্গম যুগ, ছোটো যুগ। শিখা (টিকি) হল ব্রাহ্মণদের। বাবা তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের কে দেবতা বানাচ্ছেন। তাই তোমাদেরকে অবশ্যই ব্রহ্মার সন্তান হতে হবে। তোমাদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় পিতামহের থেকে। যতক্ষণ না নিজেকে বি. কে. না মনে করবে ততক্ষণ উত্তরাধিকার কি করে প্রাপ্ত হবে। তবুও কেউ কিছু না কিছু জ্ঞান শুনলে প্রজা হিসেবে এসে যাবে। আসবে তো অবশ্যই। শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় ধর্মের স্থাপনা করেন। গীতা ব্যাতীত আর কোনো শাস্ত্র নেই। গীতা হলই সর্বোত্তম দৈবী ধর্মের শাস্ত্র, যাতে ৩ ধর্ম স্থাপন হয়। ব্রাহ্মণও এখানে হতে হবে। দেবতাও এখানে হবে। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) প্রত্যেকের সুনিশ্চিত পার্টকে জেনে সর্বদা নিশ্চিন্ত থাকতে হবে। বানানো হয়ে আছে, সেটাই আবার হচ্ছে... ড্রামার উপর অটল থাকতে হবে।

২ ) এই ছোটো সঙ্গমযুগে বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। স্মরণের শক্তির দ্বারা খাদ বের করে নিজেকে কড়ি থেকে হীরে তুল্য বানাতে হবে। মিষ্টি বৃক্ষের স্যাপলিংএ যাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।

বরদান:-
আশ্চর্যজনক দৃশ্যকে দেখেও পাহাড়কে সর্ষে দানা বানিয়ে দিয়ে সাক্ষীদ্রষ্টা ভব

সম্পন্ন হতে গিয়ে অনেক নতুন নতুন বা আশ্চর্যজনক দৃশ্য সম্মুখে আসবে, কিন্তু সেইসব দৃশ্য তোমাকে সাক্ষীদ্রষ্টা বানাবে, অস্থির করবে না। সাক্ষীদ্রষ্টার সিটের উপর বসে দেখতে থাকলে বা নির্ণয় নিতে থাকলে খুব মজা হতে থাকে । ভয় লাগবে না। তুমি তখন অনেক বার দেখা সীন আবার দেখছো। রহস্যযুক্ত, যোগযুক্ত হয়ে বায়ুমন্ডলকে ডবল লাইট বানিয়ে নেবে। পাহাড় সমান পেপারও সর্ষের দানার মতো অনুভূত হবে।

স্লোগান:-
পরিস্থিতির আকর্ষণে চলে যাওয়ার পরিবর্তে তাকে সাক্ষী হয়ে খেলার রূপে দেখো।