05.03.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - যেরকম বাপদাদা দু'জনেই হলেন নিরহংকারী, দেহী-অভিমানী, এইরকম ফলো ফাদার করো, তাহলে সর্বদা উন্নতি হতে থাকবে”

প্রশ্নঃ -
উঁচু পদের প্রাপ্তির জন্য কীরকম সর্তকতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী ?

উত্তরঃ -
উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে হলে সতর্ক রাখো কারো মনে যেন আমার দ্বারা দুঃখ না লাগে, ২ - কোনও পরিস্থিতিতে ক্রোধ না আসে, ৩ - বাবার হয়ে গিয়ে, বাবার কাজে, এই রুদ্র যজ্ঞ বিঘ্ন রূপ যেন না হতে হয়। যদি কেউ মুখে 'বাবা বাবা' বলে আর চাল-চলন রাজকীয় না হয় তাহলে উঁচু পদ প্রাপ্ত হবে না।

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা খুব ভালোভাবে জানে যে, বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত করতে হবে। কিভাবে ? শ্রীমত অনুসারে। বাবা বুঝিয়েছেন, একটাই গীতা শাস্ত্র আছে, যেখানে শ্রীমৎ ভগবানুবাচ বলা হয়েছে। ভগবান তো হলেন সকলের বাবা। শ্রীমৎ ভগবানুবাচ। তাে অবশ্যই ভগবান এসে শ্রেষ্ঠ বানিয়েছিলেন তবেই তো তাঁর মহিমা হয় চলেছে, শ্রীমৎ ভগবত গীতা অর্থাৎ ভগবানুবাচ। ভগবান তো অবশ্যই উঁচুর থেকেও উঁচু হবেন। শ্রীমতও সেই একই শাস্ত্রে গাওয়া হয়েছে অন্য কোনও শাস্ত্রে শ্রীমৎ ভগবানুবাচ নেই। শ্রীমৎ কার হওয়া উচিৎ, সেটা লেখার সময় বুঝতে না পারার জন্যই ভুল হয়েছে । ভুল কেন হয়েছে ? সেটাও বাবা এসে বোঝাচ্ছেন। রাবণ রাজ্য শুরু হতেই সবাই রাবণ মতে চলতে শুরু করেছে। প্রথমে তো কড়া-কড়া ভুল এই রাবণ মতে যারা চলেছে তারাই করেছে। রাবণের আঘাত লেগেছে। যেরকম বলা যায় যে শঙ্কর প্রেরণাদাতা, বম্বস্ ইত্যাদি তৈরি করতে প্রেরণা দিয়েছেন। সেই রকম মানুষকে পতিত বানাতে ৫ বিকার রূপী রাবণ হল প্রেরণাকারী, তবেই তো মানুষ ডেকেছিল - পতিত-পাবন এসো। তাহলে পতিত-পাবন তো একজনই হলেন, তাই না। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, পতিত বানিয়েছে একজন আর পবিত্র বানাচ্ছেন আরেকজন। দু'জন এক হতে পারে না। এইকথা তোমরাই বুঝতে পেরে, পুরুষার্থ অনুসারে নম্বরের ক্রমে । এইরকম ভেবোনা যে সকলের নিশ্চয় আছে। নম্বরের ক্রমানুসারে আছে। যত নিশ্চয় থাকবে, ততই খুশি বৃদ্ধি হতে থাকে। বাবার মতে চলতে হয়। শ্রীমতে চলে আমাদের এই স্বরাজ্য পদ প্রাপ্ত করতে হবে। মানুষ থেকে দেবতা হতে দেরী লাগে না। তোমরা পুরুষার্থ করছো। মাম্মা-বাবাকে ফলো করছো। যেরকম তিনি নিজের সমান বানানোর সেবা করেছেন, তোমরাও মনে করো যে আমি কি সার্ভিস করছি আর মাম্মা বাবা কি সার্ভিস করছেন। বাবা বুঝিয়েছেন, শিব বাবা আর ব্রহ্মা দাদা দু'জন একত্রিত আছেন। তাই বুঝতে হবে যে সবথেকে নিকটে আছেন। এঁনারই সম্পূর্ণ রূপ দেখা যায় তো অবশ্যই ইনি তীব্র গতিতে পুরুষার্থ করেছেন। কিন্তু যেরকম বাবা হলেন নিরহংকারী, দেহী-অভিমানী, সেই রকম এই দাদাও হলেন নিরহংকারী। বলেন যে, শিব বাবা-ই বোঝাচ্ছেন। যখন মুরলী চলে তখন বাবা নিজে বলেন যে মনে করো যে শিব বাবা এঁনার দ্বারা শোনাচ্ছেন। এই ব্রহ্মাও অবশ্যই শুনছেন। ইনি যদি না শোনেন আর না শোনান তাহলে উঁচু পদ কিভাবে পাবেন। কিন্তু নিজের দেহ-অভিমান ছেড়ে বলেন যে এইরকম মনে করো যে শিব বাবা-ই শোনাচ্ছেন। আমি পুরুষার্থ করছি। শিব বাবা-ই বোঝাচ্ছেন। ইনি তো পতিত ভাবনা অতিক্রম করে এসেছেন। মাম্মা তো কুমারী ছিলেন। তাই মাম্মা উঁচুতে চলে গেছেন। তোমরা কুমারীরা মাম্মাকে ফলো করো। গৃহস্থীদেরকে বাবাকে ফলো করতে হবে। প্রত্যেককে বুঝতে হবে যে, আমি হলাম পতিত, আমাকে পাবন হতে হবে। মুখ্য কথা হল বাবা স্মরণের যাত্রা করে শিখিয়েছেন। এতে দেহ-অভিমান যেন না থাকে। আচ্ছা কেউ যদি মুরলী না শোনাতে পারে তাহলে স্মরণের যাত্রায় থাকো। যাত্রায় থাকলে মুরলী চালাতে পারবে। কিন্তু যাত্রা ভুলে গেলে তবুও চিন্তা নেই। মুরলী পড়ে পুনরায় যাত্রা করতে লেগে যা, কেননা সেটা হল বাণীর থেকে ঊর্ধ্বে বাণপ্রস্থ অবস্থা। মূল কথা হলো দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো আর চক্রকে স্মরণ করতে থাকো। কাউকে দুঃখ দিও না। এটাই বোঝাতে থাকো যে বাবাকে স্মরণ করো। এটাই হলো যাত্রা। মানুষ যখন মারা যায় তখন বলে যে স্বর্গলাভ করেছে। অজ্ঞান কালে কেউ স্বর্গকে স্মরণ করে না। স্বর্গকে স্মরণ করা মানে এখান থেকে মরে যাওয়া। এইভাবে তো কেউ স্মরণ করতে পারে না। এখন বাচ্চারা তোমরা জানো যে আমাদেরকে পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে। বাবা বলছেন যে - যত তোমরা স্মরণ করবে ততোই খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে, অবিনাশী উত্তরাধিকার স্মরণে থাকবে। যতটা বাবাকে স্মরণ করবে ততটা হাসি খুশিতেও থাকবে। বাবাকে স্মরণ না করলে দুঃখী হয়ে পড়বে। উদ্ভ্রান্ত হয়ে যাবে। তোমরা এতটা সময় স্মরণ করতে পারো না। বাবা প্রেমিক প্রেমিকার উদাহরণ বলেছেন। সে যদিও কাজকর্ম রোজগারপাতি করতে থাকে, তবুও তার সামনে প্রেমিক এসে দাঁড়ায়। প্রেমিকা প্রেমিককে স্মরণ করে, আবার প্রেমিকও প্রেমিকাকে স্মরণ করে। এখানে তো কেবল তোমাদেরকে এক বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবাকে তো তোমাদেরকে স্মরণ করতে হয়না। বাবা হলেন সকলের প্রেমিক। বাচ্চারা তোমরা লেখ যে বাবা তুমি আমাকে স্মরণ করো ?

আরে যে হল সকলের প্রিয়তম সে তোমাদের অর্থাৎ প্রিয়তমাদেরকে (আশিক) স্মরণ করবে কীকরে ? সেটা হতে পারে না। তিনি হলেনই প্রিয়তম। তিনি প্রিয়তমা হতে পারেন না। তোমাদেরকেই তাঁকে স্মরণ করতে হবে। তোমাদের প্রত্যেককে প্রিয়তমা হতে হবে সেই এক প্রীতমের। সে যদি প্রিয়তমা হয়, তবে কতজনকে স্মরণ করবে ? সেটা হওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমার উপরে কী পাপের বোঝা আছে নাকি যে কাউকে স্মরণ করব ? তোমাদের উপরে বোঝা রয়েছে। বাবাকে স্মরণ না করলে পাপের বোঝা উঠবে না। তাহলে আমি আর কাউকে কেন স্মরণ করতে যাব ? বাবাকে স্মরণ তো তোমাদেরকে অর্থাৎ আত্মাদেরকে করতে হবে। যত বেশী স্মরণ করবে পুণ্য আত্মা হবে, পাপ কাটতে থাকবে। লক্ষ্য অনেক উঁচু। দেহী-অভিমানী হওয়াতেই হল পরিশ্রম । এই সকল নলেজ তোমরা এখন পাচ্ছো। তোমরা ত্রিকালদর্শী হয়েছো, পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে। পুরো চক্র তোমাদের বুদ্ধিতে থাকা চাই। বাবা তোমাদেরকে বোঝান, তোমরা লাইট হাউস না ! প্রত্যেকে তোমরা রাস্তা বলে দিয়ে থাকো - শান্তিধাম আর সুখধামের। এইসব নতুন কথা তোমরা শুনছো। তোমরা জানো যে আমরা হলাম বরাবরের শান্তিধামের বাসিন্দা। এখানে তোমরা ভূমিকা পালন করতে আসো। আমরা হলাম অ্যাক্টর। এই চিন্তন যদি বুদ্ধিতে চলতে থাকে তবে আনন্দের সীমা থাকবে না। বাবা তোমাদেরকে বুঝিয়েছেন - আদি থেকে শুরু করে অন্ত পর্যন্ত তোমাদের পার্ট। এখন কর্মাতীত অবস্থাতে তোমাদেরকে অবশ্যই যেতে হবে তারপর গোল্ডেন এজে আসতে হবে। এই ধুনে থেকে নিজের কল্যাণ করতে হবে । কেবল পন্ডিত হতে হবে না। অন্যাদেরকে শেখাবে কিন্তু নিজে যদি সেই অবস্থাতে না থাকো তবে কোনও প্রভাবই ফেলতে পারবে না। নিজেরও পুরুষার্থ করতে হবে । বাবাও (ব্রহ্মা) বলেন, আমিও স্মরণ করার চেষ্টা করে যাই। কখনো কখনো মায়ার এমন তুফান আসে যে, বুদ্ধির যোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অনেক বাচ্চারা চার্ট লিখে পাঠায়। আমি (ব্রহ্মা) অবাক হয়ে যাই, এ তো আমার থেকেও তীব্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। হয়ত যখন পুরুষার্থের তীব্র বেগ আসে তখন চার্ট লিখতে বসে যায়। কিন্তু এমন তীব্রতা যদি বজায় থাকে, তবে নম্বর ওয়ানে চলে যাবে। কিন্তু না, সেই চার্ট লেখা পর্যন্তই। এমনটা লেখে না যে, বাবা এতজনকে বাবা সম বানিয়েছি, আর সেও লেখে যে, ইনি আমাকে এই রাস্তা দেখিয়েছেন। এমন সমাচার আসেনা। তো বাবা কী বুঝবেন ? কেবল চার্ট লিখে পাঠালে কাজ চলবে না। নিজ সমও বানাতে হবে। রূপ আর বসন্ত দুইই হতে হবে। নইলে বাবা সম বলা যাবে না। রূপও বসন্তও অ্যাক্যুরেট হতে হবে, এতেই পরিশ্রম রয়েছে। দেহ-অভিমান মেরে ফেলে দেয়। রাবণ দেহ-অভিমানী বানিয়েছে । এখন তোমরা দেহী-অভিমানী হয়ে উঠছো। তারপর আধা কল্প পরে মায়া আবার দেহ-অভিমানী বানিয়ে দেয। দেহী-অভিমানী যে হবে, সে খুবই মিষ্টি স্বভাবের হয়ে যাবে । সম্পূর্ণ তো কেউই এখনও হয়নি। সেইজন্যই বাবা সবসময়ই বলেন, কারো মনেই কষ্ট দেবে না, দুঃখ দেবে না। সবাইকে বাবার পরিচিত দাও। কথা বলার মধ্যেও রয়্যাল্টি থাকা চাই। ঈশ্বরীয় সন্তানের মুখ থেকে সব সময় রত্নই যেন নির্গত হয়। তোমরা মানুষকে জীবনদান দিয়ে থাকো। মানুষকে রাস্তা দেখাতে হবে, বোঝাতে হবে। তোমরা হলে পরমাত্মার সন্তান! এনার থেকেই তোমার স্বর্গের রাজত্ব পাওয়ার কথা । তাহলে সেটা এখন নেই কেন ? মনে করে দেখো বাবার থেকেই তো উত্তরাধিকার পেয়েছিলে, তাই না ! তোমরা ভারতবাসীরাই দেবী দেবতা ছিলে। তোমরই ৮৪ জন্ম নিয়েছো। তোমরা জানবে যে, আমরাই লক্ষ্মী-নারায়ণের কুলের ছিলাম। নিজেকে কম কেন ভাবো ? আর যদি বলে যে, বাবা, সবাই এই রকম হবে নাকি ? তো বাবা বুঝে যান যে, এ এই কুলের নয়। এখন থেকেই টলমল করতে শুরু করে দেয়। তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছো। বাবা তোমাদের দিয়ে ৮৪ জন্মের প্রালব্ধ জমা করিয়েছিলেন, সে'গুলি তোমরা খেয়েছো, তবেই না শেষ হওয়া শুরু হয়েছে ! জং ধরতে ধরতে তমোপ্রধান কড়ি তুল্য হয়ে গেছো। ভারতই ১০০ শতাংশ সলভেন্ট (সমৃদ্ধশালী) ছিল। এরা এই উত্তরাধিকার কোথা থেকে পেয়েছে ? অ্যাক্টররাই (যারা এই ভূমিকা পালন করেছিল) সেটা বলতে পারবে, তাই না ! মানুষই সেই ভূমিকা (অ্যাক্টর) পালন করেছিল। তাদেরও এটা জানা দরকার যে, এই লক্ষ্মী-নারায়ণ বাদশাহী কোথা থেকে পেয়েছিলেন ? কত ভালো ভালো পয়েন্ট রয়েছে। অবশ্যই আগের জন্মেই এই রাজ্য ভাগ্য পেয়েছিলেন।

বাবাই হলেন পতিত পাবন। বাবা বলেন, আমিই তোমাদেরকে কর্ম, অকর্ম আর বিকর্মের গতি বুঝিয়ে থাকি। রাবণ রাজ্যে মানুষের কর্ম বিকর্ম হয়ে যায় । সেখানে তোমাদের কর্ম অকর্ম হয়ে যায় । সেটা হল দৈবী সৃষ্টি। আমি হলাম রচয়িতা, তাই আমাকে অবশ্যই সৃষ্টিতে আসতে হবে। এটা হল রাবণ রাজ্য। সেটা হল ঈশ্বরীয় রাজ্য। ঈশ্বর এখন স্থাপনা করাচ্ছেন। তোমরা সবাই হলে ঈশ্বরের সন্তান । তোমরা এখন উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। ভারতবাসীই সলভেন্ট ছিল, এখন ইনসলভেন্ট হয়ে গেছে। এ হল আগে থেকেই রচিত ড্রামা, এতে কোনোরকমের তারতম্য হতে পারে না। সকলের আলাদ আলাদা বৃক্ষ। ভ্যারাইটি রকমের সব বৃক্ষ না ! দেবতা ধর্মের যারা তারাই আবার দেবতা ধর্মে আসবে। খ্রীষ্টান ধর্মের লোকেরা তাদের ধর্ম নিয়ে খুশী, অন্য ধর্মের লোকেদেরকেও তারা নিজেদের ধর্মে নিয়ে এসেছে। ভারতবাসী নিজেদের ধর্মকে ভুলে যাওয়ার কারণে অন্য ধর্মকে ভালো মনে করে সেখানে চলে যায় । বিদেশে কত কত মানুষ চাকরির জন্য যায়। কারণ সেখানে অনেক বেশী রোজগার করতে পারবে। ড্রামা খুবই ওয়ান্ডাফুল ভাবে রচিত। একে বোঝার জন্য ভালো বিচার বুদ্ধির প্রয়োজন। বিচার সাগর মন্থন করলে সব কিছু বুঝতে পারা যায়। এ হল পূর্ব থেকে রচিত ড্রামা। তো বাচ্চারা, তোমাদের সব সময় তোমাদের মতো সদা সুখী বানাতে হবে। তোমাদের কাজ হল পতিতকে পাবন বানানো। যেমন বাবার কাজ, তেমনই তোমাদেরও। তোমাদের চেহারা সব সময় দেবতাদের মতো হাসিখুশী থাকা চাই। তোমরা জানো যে, আমরা বিশ্বের মালিক হব। তোমরা হলে লাভলি চিল্ড্রেন। ক্রোধের উপরে খুবই সাবধান থাকতে হবে। বাবা এসেছেন বাচ্চাদেরকে সুখের উত্তরাধিকার দিতে। স্বর্গের রাস্তা সবাইকে বলতে হবে। বাবা হলেন সুখ-কর্তা, দুঃখহরণকারী। তো তোমাদেরকেও সুখ-কর্তা হতে হবে। কাউকেই দুঃখ দিতে নেই। দুঃখ দেবে তো তোমাদের সাজা ১০০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। কেউই সাজা থেকে বাঁচতে পারবে না। বাচ্চাদের জন্য বিশেষ করে ট্রাইবুনাল বসে। বাবা বলেন, তুমি বিঘ্ন সৃষ্টি করলে সাজাও অনেক বেড়ে যাবে। কল্প কল্পান্তর তোমরা সাক্ষাৎকার করবে অমুকে এইরকম পদ পাবে । তখন তোমরা যখন দেখতে তো বাবা নিষেধ করলেন, না বলবার জন্য। অন্তিম সময়ে তো অ্যাক্যুরেট জানতেই পারবে। তোমরা যত এগিয়ে যেতে থাকবে খুব তীব্রতার সাথে সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। বৃদ্ধি তো হতে থাকবে। আবু পর্যন্ত ক্যু (লাইন) লেগে যাবে। বাবার সাথে কেউই মিলিত হতে পারবে না। তখন বলতে থাকবে- অহো প্রভু তোমার লীলা...। এও প্রচলিত আছে তাই না ! বিদ্বানরা, পন্ডিতরও পিছনে আসবে। তাদের সিংহাসনেও নাড়া পড়বে। তোমরা বাচ্চারা তো খুবই আনন্দে থাকবে। আচ্ছা !

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন। এই রকম স্মরণের ভালোবাসা একবারই পাওয়া যায়। যত তোমরা স্মরণ করো ততই তোমরা ভালোবাসা পেতে থাকো। বিকর্ম বিনাশ হতে থাকে আর ধারণাও হয়। বাচ্চাদের খুশীর পারদ ঊর্ধ্বমুখী থাকা চাই। যেই আসবে তাকে রাস্তা বলে দেবে। অসীম অবিনাশী উত্তরাধিকার, অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে পেতে হবে। এ কী কোনো কম কথা ? এইরকম পুরুষার্থ করতে হবে । আচ্ছা !

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) কথা বলার সময, চলাফেরার সময় অত্যন্ত রয়্যাল থাকতে হবে। মুখ থেকে সর্বদা যেন রত্ন নির্গত হয় । নিজসম বানানোর সেবা করতে হবে । কারো মনে কষ্ট দিতে নেই।

২ ) ক্রোধের উপরে অত্যন্ত সাবধান থাকতে হবে। চেহারা সব সময় দেবতাদের মতো হাসিখুশী রাখতে হবে। নিজেকে জ্ঞান যোগবলের দ্বারা দেবতা বানাতে হবে।

বরদান:-
সদা পরিতাপের ঊর্ধ্বে, প্রাপ্তি স্বরূপের স্থিতির অনুভবকারী সদ্-বুদ্ধিবান ভব

যে বাচ্চা বাবাকে নিজের জীবন তরী অর্পণ করে দিয়ে আমিত্ব ভাবকে সমাপ্ত করে দেয়, শ্রীমতে মনমতকে মিক্স করে না, তারা সদা পরিতাপের ঊর্ধ্বে প্রাপ্তি স্বরূপ স্থিতির অনুভব করে। তাকেই সদ্-বুদ্ধিবান বলা হয়। এইরূপ সদ্-বুদ্ধিবান, তুফানকে তোফা (উপহার) মনে করে, স্বভাব সংস্কারের সংঘাতকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আধার মনে করে, সদা বাবাকে সাথী বানিয়ে, সাক্ষী হয়ে সকল পার্টকে দেখতে দেখতে সদা প্রফুল্ল থেকে এগিয়ে চলতে থাকে।

স্লোগান:-
যে সুখদাতা বাবার সুখদায়ী বাচ্চা, তার কাছে দুঃখের ঢেউ আসতে পারে না।