02.03.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা সদগতির জন্য সব থেকে অনন্য মত পেয়েছো যে, দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে আত্ম অভিমানী ভব, মামেকম্ ( আমাকে ) স্মরণ করো"

প্রশ্নঃ -
যারা পরমাত্মাকে নাম - রূপ থেকে পৃথক বলে, তাদের তোমরা কোন্ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারো ?

উত্তরঃ -
তাদের জিজ্ঞেস করো - গীতাতে যে দেখানো হয়, অর্জুনের অখণ্ড জ্যোতি স্বরূপের সাক্ষাৎকার হয়েছিলো, তিনি বলেছিলেন, এবার থামো, আমি সহ্য করতে পারছি না । তাহলে কিভাবে নাম - রূপ থেকে পৃথক বলো । বাবা বলেন, আমি তো তোমাদের বাবা । বাবার রূপ দেখে বাচ্চারা তো খুশী হবে, তারা কিভাবে বলবে যে, আমি সহ্য করতে পারছি না ।

গীতঃ-
তোর দ্বারে হাজির ভগবান, রে ভক্ত ভরে দে ভগবানের ঝুলি...

ওম্ শান্তি ।
ভক্তরা বলে যে, আমরা খুব কাঙ্গাল হয়ে গেছি । হে বাবা, আমাদের সকলের ঝুলি ভরে দাও । জন্ম - জন্ম ভক্তরা এই গান গাইতে থাকে । সত্যযুগে ভক্তি থাকে না । ওখানে পবিত্র দেবী - দেবতারা থাকেন । ভক্তদের কখনো দেবতা বলা যায় না । যে দেবী - দেবতারা স্বর্গবাসী হন, তাঁরাই আবার পুনর্জন্ম নিতে নিতে নরকবাসী, পূজারী, ভক্ত, কাঙ্গাল হয়ে যায় । বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান । বাবাকে একজন মানুষও জানে না । বাবা যখন আসেন, তখন তিনি এসেই নিজের পরিচয় দান করেন । ভগবানকেই বাবা বলা হয় । সব ভক্তদের হলো এক ভগবান । বাকি সবাই হলো ভক্ত । চার্চ ইত্যাদিতে যায়, তাহলে অবশ্যই তো ভক্ত হলো, তাই না । এই সময় সকলেই পতিত এবং তমোপ্রধান, তাই সবাই ডাকতে থাকে, হে পতিতদের পবিত্রতা দানকারী, এসো । হে বাবা, আমাদের মতো ভক্তদের ঝুলি ভরে দাও । ভক্তরা ভগবানের কাছে ধন প্রার্থনা করে । বাচ্চারা, তোমরা কি চাও ? তোমরা বলো যে, বাবা আমাদের স্বর্গের মালিক বানাও । ওখানে তো অগাধ ধন থাকে । হীরে - জহরতের মহল থাকে । এখন তোমরা জানো যে, আমরা ভগবানের কাছে রাজত্বের উত্তরাধিকার লাভ করছি । এই হলো প্রকৃত গীতা । ওই গীতা নয় । সে তো পুস্তক ইত্যাদি ভক্তিমার্গের জন্য বানানো হয়েছে । ওতে ভগবান জ্ঞান দান করেননি । ভগবান তো এই সময় নর থেকে নারায়ণ বানানোর জন্য রাজযোগ শেখান । রাজার সঙ্গে অবশ্যই প্রজাও থাকবে । কেবলমাত্র লক্ষ্মী - নারায়ণ তো আর তৈরী হবেন না । সম্পূর্ণ রাজধানী তৈরী হয় । তোমরা এখন জানো যে, ভগবান কে, আর কোনো মনুষ্য মাত্র জানে না । বাবা বলেন যে, তোমরা বলো - ও গড ফাদার, তাহলে বলো তোমাদের গড ফাদারের নাম - রূপ - দেশ - কাল কোথায় ? না ভগবানকে জানে, না তাঁর রচনাকে জানে । বাবা এসে বলেন, আমি কল্প - কল্প এই সঙ্গম যুগেই আসি । সম্পূর্ণ রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তের রহস্য আমি 'রচয়িতাই' এসে বোঝাই । কেউ - কেউ তো বলে দেয় - তিনি নাম - রূপ থেকে পৃথক, তিনি আসতে পারেন না । তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন । শিব জয়ন্তীও নিরকারের মহিমা করা হয়েছে, কৃষ্ণ জয়ন্তীরও মহিমা করা হয় । এখন শিব জয়ন্তী কখন হয়, সেকথা তো জানা চাই, তাই না । খ্রীস্টানরা যেমন জানে যে, ক্রাইস্টের জন্ম কবে হয়েছিলো, খ্রীস্টান ধর্ম কবে স্থাপন হয়েছিলো । এ তো হলো ভারতের কথা । ভগবান ভারতের ঝুলি কখন ভরে দেন ? ভক্তরা ডাকতে থাকে - হে ভগবান, ঝুলি ভরে দাও । সদগতিতে নিয়ে যাও, কেননা আমরা দুর্গতিতে পড়ে আছি, তমোপ্রধান হয়ে গেছি । আত্মাই শরীরের সঙ্গে ভোগ করে । কোনো কোনো মনুষ্য, সাধু - সন্ত ইত্যাদি বলে দেয় যে, আত্মা নির্লিপ্ত । এমনও বলে যে, ভালো বা মন্দ সংস্কার আত্মার মধ্যেই থাকে । এই আধারেই আত্মা জন্মগ্রহণ করে । আবারও বলে দেয় যে, আত্মা নির্লিপ্ত । কোনো বুদ্ধিমান মানুষই নেই যিনি বুঝিয়ে বলবেন । এখানেও অনেক মত আছে । গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী যে, সে শাস্ত্র লেখে । শ্রীমৎ ভাগবত গীতা হলো এর মধ্যে এক । ব্যাস যে শ্লোক ইত্যাদি লিখেছেন, তা কোনো ভগবান বলেননি । ভগবান নিরাকার, যিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনি বসেই বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেন, ভগবান হলেন এক । ভারতবাসীরা একথা জানে না । এমন মহিমাও আছে যে, ঈশ্বরের গতি - মতি পৃথক । আচ্ছা, কোন গতি - মতি পৃথক ? ঈশ্বরের গতি - মতি পৃথক, একথা কে বলেছে ? আত্মা বলে যে, তার সদগতির জন্য যে মত, তাকে শ্রীমৎ বলা হয় । কল্প - কল্প তোমাদের এসে বোঝাই - মন্মনাভব । দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে আত্ম - অভিমানী ভব । মামেকম্ (আমাকে ) স্মরণ করো । তোমরা এখন মানুষ থেকে দেবতা তৈরী হচ্ছো । এই রাজযোগের এইম অবজেক্টই হলো লক্ষ্মী - নারায়ণ হওয়া । লৌকিক পাঠে কেউ রাজা তৈরী হয় না । এমন কোনো স্কুলই নেই । গীতাতেও আছে - বাচ্চারা, আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই । আমি তখনই আসি, যখন কোনো রাজার আর রাজ্য থাকে না । আমাকে একজন মানুষও সম্পূর্ণ ভাবে জানে না । বাবা বলেন যে - বাচ্চারা, তোমরা যে এতবড় লিঙ্গ তৈরী করেছো, এ আমার কোনো রূপ নয় । মানুষ বলে দেয় যে অখণ্ড জ্যোতি রূপ পরমাত্মা, তিনি তেজোময় । অর্জুন দেখে বলেছিলো - এবার থামো, আমি সহ্য করতে পারছি না । আরে, বাচ্চা বাবার রূপ দেখে সহ্য করতে পারবে না, এ কিভাবে হতে পারে । বাচ্চারা বাবাকে দেখে খুশী হবে, তাই না । বাবা বলেন যে, আমার কোনো এমন রূপই নেই । আমি হলাম পরমপিতা, অর্থাৎ দূরের থেকেও দূরের নিবাসী, পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা । আবার এমনও মহিমা করা হয়, পরমাত্মা মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ । তাঁর ভক্তরা মহিমা করে । সত্যযুগ, ত্রেতাযুগে কেউ মহিমা করে না, কেননা ওখানে তো সুখই সুখ । এমনও গেয়ে থাকে - দুঃখে সবাই স্মরণ করে, সুখে কেউই করে না । এর অর্থও মানুষ বুঝতে পারে না । তোতার মতো সবাই বলতে থাকে । সুখ কবে থাকে আর দুঃখ কবে হয় । এ তো ভারতেরই তো কথা, তাই না । পাঁচ হাজার বছর পূর্বে স্বর্গ ছিলো, এরপর ত্রেতাতে দুই কলা কম হয়ে গিয়েছিলো । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে দুঃখের নামমাত্র থাকে না । সে হলো সুখধাম । স্বর্গ বললে মুখ মিষ্টি হয়ে যায় । তাহলে হেভেনে আবার দুঃখ কোথা থেকে আসবে । মানুষ বলে থাকে, ওখানেও কংস, জরাসন্ধ আদি ছিলো, কিন্তু এ তো হতে পারে না ।

ভক্তরা মনে করে, আমরা অতি ভক্তি করি, তাই দর্শন হয় । দর্শন হওয়া অর্থাৎ আমি ভগবানকে পেয়েছি । লক্ষ্মীর পূজা করেছি, তাঁর দর্শন হয়েছে, ব্যাস্ আমি তো পার হয়েই গেছি, এতেই খুশী হয়ে যায়, কিন্তু এতে কিছুই নেই । কেবল অল্পকালের জন্য সুখ প্রাপ্ত হয় । দর্শন হলো, তারপর শেষ । এমন তো নয় যে, মুক্তি - জীবনমুক্তি পেয়ে গেলো, কিছুই নয় । বাবা সিঁড়ির উপরও বুঝিয়েছিলেন - ভারত উঁচুর থেকেও উঁচু ছিলো । ভগবানও উঁচুর থেকেও উঁচু । ভারতে উঁচুর থেকেও উঁচু উত্তরাধিকার এই লক্ষ্মী - নারায়ণের । যখন স্বর্গ ছিলো, সবাই সতোপ্রধান ছিলেন, তারপর কলিযুগ অন্তে সবাই তমোপ্রধান হয়ে যায় । তারা ডাকতে থাকে, আমরা সম্পূর্ণ পতিত হয়ে গেছি । বাবা বলেন, আমি কল্পের সঙ্গম যুগে আসি তোমাদের রাজযোগ শেখাতে । আমি যা বা যেমন, আমাকে যথার্থ রীতিতে কেউই জানে না । তোমাদের মধ্যেও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে সবাই জানতে পারে । তোমাদের সিঁড়ির চিত্র দেখাতে হবে । এ হলো ভারতের সিঁড়ি । সত্যযুগে দেবী - দেবতা ছিলো । পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারত এমন ছিলো । শাস্ত্রে লাখ বছরের কল্প লিখে দিয়েছে । বাবা বলেন, লাখ বছরের নয়, কল্প হলো পাঁচ হাজার বছরের । সত্যযুগ, ত্রেতা নতুন দুনিয়া, দ্বাপর, কলিযুগ পুরানো দুনিয়া । অর্ধেক - অর্ধেক হয়, তাই না । নতুন দুনিয়াতে তোমরা ভারতবাসীরাই ছিলে । বাবা বোঝান যে - মিষ্টি বাচ্চারা, এখন তোমরা নিজের জন্মকে জানো, বাকি কোনো রথ ইত্যাদির কথাই নেই । কৃষ্ণ তো সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন । কৃষ্ণের সেই রূপ দিব্য দৃষ্টি ছাড়া দেখা যায় না । এই চৈতন্য রূপে তো সত্যযুগে ছিলে তারপর কখনোই এই রূপ পাওয়া যায় না । এরপর তো নাম - রূপ - দেশ - কাল পরিবর্তন হয়ে যায় । তোমরা ৮৪ জন্মগ্রহণ করো । ৮৪ জন্মে ৮৪ মা - বাবা পাওয়া যায় । সেইসব জন্মে ভিন্ন - ভিন্ন নাম - রূপ - কাজ হয় । এ হলো ভারতেরই সিঁড়ি । আমরা তো এখন ব্রাহ্মণ কুলভূষণ । বাবা পূর্ব কল্পে এসেও তোমাদের দেবী - দেবতা বানিয়েছিলেন । ওখানে তোমরা সর্বোত্তম কর্ম করতে । তোমরা ২১ জন্ম সম্পূর্ণ সুখী ছিলে । এরপর তোমাদের এই দুর্গতিতে কে পৌঁছে দিলো ? আমি পূর্ব কল্পেও তোমাদের সদগতি দিয়েছিলাম, তারপর ৮৪ জন্মগ্রহণ করতে করতে অবশ্যই তোমাদের নামতে হয় । সূর্যবংশীতে ৮ জন্ম, চন্দ্রবংশীতে ১২ জন্ম, তারপর তোমরা নেমে এসেছো । তোমরাই সেই পূজ্য দেবী - দেবতা ছিলে, তোমরাই আবার পূজারী পতিত হয়ে গেছো । ভারত এখন কাঙ্গাল । ভগবান উবাচঃ তোমরা একশো প্রতি শত পবিত্র আর সলভেন্ট, এভার হেলদি, এভার ওয়েলদি ছিলে । ওখানে কোনো রোগ বা দুঃখের কথা ছিলো না, সেখানে সুখধাম ছিলো । তাকে বলা হতো আল্লাহের বাগিচা । আল্লাহ বাগিচা স্থাপন করেছিলেন । যে দেবী - দেবতারা সেখানে ছিলেন, তারা এখন কাঁটায় পরিণত হয়েছেন । এখন তা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে । জঙ্গলে কাঁটা থাকে । বাবা বলেন, কাম হলো মহাশত্রু, একে জয় করো । এ তোমাদের আদি - মধ্য এবং অন্ত দুঃখ দিয়েছে । একে অপরের উপর কাম কাটারি চালানো, এ হলো সবথেকে বড় পাপ । বাবা বসে নিজের পরিচয় দেন যে, আমি পরমধামে থাকা পরম আত্মা । আমাকে বলা হয়, আমি সৃষ্টির বীজ রূপ পরম আত্মা, আমি সকলের বাবা । সমস্ত আত্মারা বাবাকে ডাকতে থাকে, হে পরমপিতা পরমাত্মা । তোমাদের আত্মা যেমন স্টারের মতো, বাবাও পরমাত্মা স্টার । ছোটো বা বড় নয় । বাবা বলেন যে, আমি আঙ্গুলের মতোও নই । আমি হলাম পরম আত্মা । তোমাদের সকলের বাবা । তাঁকে বলা হয় সুপ্রীম সোল, পূর্ণ জ্ঞানী । বাবা বোঝান যে, আমি হলাম নলেজফুল, মনুষ্য সৃষ্টিরূপী বৃক্ষের বীজ রূপ । আমাকে ভক্তরা বলে যে, পরমাত্মা সৎ - চিৎ - আনন্দ স্বরূপ, তিনি জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর । তাঁর কতো মহিমা । যদি নাম - রূপ - দেশ - কাল না থাকে তাহলে কাকে ডাকবে । সাধু - সন্ত ইত্যাদি সবাই তোমাদের ভক্তিমার্গের শাস্ত্র শোনায় । আমি এসে তোমাদের রাজযোগ শেখাই ।

বাবা বোঝান যে, তোমরা পতিত পাবন, আমি জ্ঞানের সাগর বাবাকেই বলো । তোমরাও মাস্টার জ্ঞানের সাগর হও । জ্ঞানের দ্বারাই সদগতি পাওয়া যায় । ভারতকে বাবাই সদগতি দেবেন । সকলের সদগতিদাতা একজনই । তাহলে সকলের দুর্গতি কে করে ? রাবণ । এখন তোমাদের এই কথা কে বোঝাচ্ছেন ? ইনি হলেন পরম আত্মা । আত্মা তো এক স্টারের মতো অতি সূক্ষ্ম । পরমাত্মাও এই ড্রামাতে অভিনয় করেন । তিনিই হলেন ক্রিয়েটর ডায়রেক্টর এবং মুখ্য অভিনেতা । বাবা বোঝান যে, উঁচুর থেকে উঁচু পার্টধারী কে ? উঁচুর থেকে উঁচু ভগবান । যাঁর সঙ্গে তোমরা আত্মা বাচ্চারা সবাই থাকো । এমনও বলা হয় যে, পরমাত্মাই সবাইকে পাঠান । এও বোঝার মতো কথা । এই ড্রামা তো অনাদি রূপে তৈরীই আছে । বাবা বলেন, আমাকে তোমরা জ্ঞানের সাগর, সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞাতা বলো । এখন এই যারা শাস্ত্র ইত্যাদি পড়েন, তাদের বাবা জানেন । বাবা বলেন যে, আমি এসে প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা সমস্ত শাস্ত্রের সার শোনাই । । এমন দেখানো হয় যে, কৃষ্ণের নাভি থেকে ব্রহ্মা নির্গত হয়েছে । তাহলে কোথায় নির্গত হয়েছে ? মানুষ তো অবশ্যই এখানেই থাকবে, তাই না । এনার নাভি থেকে ব্রহ্মা নির্গত হয়েছেন, তারপর ভগবান বসে এনার দ্বারা সমস্ত বেদ শাস্ত্রের সার শুনিয়েছিলেন । তিনি নিজের নাম - রূপ - দেশ - কাল বুঝিয়ে বলেছেন । তিনি তো মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, তাই না । এই বৃক্ষের উৎপত্তি, পালনা, বিনাশ কিভাবে হয় তা কেউই জানে না । একে বিভিন্নতার বৃক্ষ বলা হয় । সকলেই নম্বর অনুসারে নিজের সময় মতো আসে । প্রথম নম্বরে আমি দেবী - দেবতা ধর্মের স্থাপনা করি, যদিও এখন সেই ধর্ম আর নেই । বাবা বলেন, তোমরা কতো তুচ্ছ বুদ্ধির হয়ে গেছো । মানুষ দেবতাদের, লক্ষ্মী - নারায়ণের পূজা করে, কিন্তু সৃষ্টিতে তাঁদের রাজ্য কখন ছিলো, সেসব কিছুই জানে না । এখন ভারতের সেই দেবতা ধর্মই আর নেই, কেবলমাত্র চিত্র রয়ে গেছে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) মাস্টার জ্ঞানের সাগর হয়ে পতিত থেকে পবিত্র করার সেবা করতে হবে । বাবা শাস্ত্রের যে সব সার শুনিয়েছেন, তা বুদ্ধিতে রেখে সদা আনন্দিত থাকতে হবে ।

২ ) এক বাবার শ্রীমৎ প্রতি মুহূর্তে পালন করতে হবে । দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে আত্ম - অভিমানী হওয়ার পরিশ্রম করতে হবে ।

বরদান:-
নিজের দিব্য এবং অলৌকিক জন্মের স্মৃতির দ্বারা মর্যাদার গণ্ডির ভিতরে থেকে মর্যাদা পুরুষোত্তম ভব

প্রতিটি কুলের যেমন মর্যাদার গণ্ডি হয়, তেমনই ব্রাহ্মণ কুলের মর্যাদার গণ্ডি আছে, ব্রাহ্মণ অর্থাৎ দিব্য এবং অলৌকিক জন্মের মর্যাদা পুরুষোত্তম । তারা সঙ্কল্প মাত্রেও কোনো আকর্ষণের বশে মর্যাদার উল্লঙ্ঘন করে না । যারা মর্যাদার গণ্ডির সঙ্কল্পেও উল্লঙ্ঘন করে, তারা বাবার সাহায্যের অনুভব করতে পারে না । বাচ্চার পরিবর্তে গ্রহীতা ভক্ত হয়ে যায় । ব্রাহ্মণ অর্থাৎ ডাকা বা চাওয়া বন্ধ, কখনোই প্রকৃতি বা মায়ার বশীভূত নয়, তারা সদা বাবার মাথার মুকুটে অবস্থান করে ।

স্লোগান:-
শান্তি দূত হয়ে নিজের তপস্যার দ্বারা বিশ্বে শান্তির কিরণ ছড়িয়ে দাও ।