31.03.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
একমাত্র বাবা হলেন নম্বর ওয়ান অ্যাক্টর যিনি পতিতদের পবিত্র করার অ্যাক্ট করেন,
বাবার মতন অ্যাক্ট কেউ করতে পারে না”
প্রশ্নঃ -
সন্ন্যাসীদের
যোগ হল দৈহিক যোগ, আত্মিক যোগ কেবল বাবা শেখান, কীভাবে ?
উত্তরঃ -
সন্ন্যাসী ব্রহ্ম তত্বের সঙ্গে যোগ করতে শেখান। সেটা হল নিবাস স্থান। সুতরাং তাদের
ওটা হল দৈহিক যোগ। তত্ত্বকে সুপ্রীম বলে না। তোমরা বাচ্চারা সুপ্রীম আত্মার সঙ্গে
যোগ যুক্ত হও তাই তোমাদের যোগ হল আত্মিক যোগ। এই যোগ কেবল বাবা শেখাতে পারেন, অন্য
কেউ নয়। কারণ উনি হলেন তোমাদের আত্মিক পিতা।
গীতঃ-
তুমি ভালোবাসার সাগর.....
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা,
অনেকে বলে ওম্ শান্তি অর্থাৎ নিজের আত্মার পরিচয় দেয়। কিন্তু নিজে বুঝতে পারে না।
ওম্ শান্তির অনেক অর্থ বলে দেয়। কেউ বলে ওম্ অর্থাৎ ভগবান। কিন্তু তা নয়। এই আত্মা
বলে ওম্ শান্তি। আমি আত্মার স্বধর্ম হল শান্তি, তাই বলে আমি আত্মা শান্ত স্বরূপ। এই
আমার শরীর যার দ্বারা আমরা কর্ম করি। কতখানি সহজ। বাবাও বলেন ওম্ শান্তি । কিন্তু
আমি সকলের পিতা হওয়ার দরুন, বীজ রূপ হওয়ার দরুন রচনা রূপী বৃক্ষটি যে আছে,
কল্পবৃক্ষ, তার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি। যেমন তোমরা কোনো বৃক্ষ দেখলে তার আদি মধ্য
অন্তকে জানো, ওই বীজ তো হল জড়। অতএব বাবা বোঝান এ হল কল্প বৃক্ষ, এর আদি মধ্য অন্তকে
তোমরা জানতে পারো, আমি জানি। আমাকে বলে জ্ঞানের সাগর। বাচ্চারা, আমি বসে তোমাদের আদি
মধ্য অন্তের রহস্য বোঝাচ্ছি। এই যে নাটক, যাকে ড্রামা বলা হয়, তোমরা যে নাটকের
অভিনেতা বাবা বলেন আমিও অভিনেতা। বাচ্চারা বলে হে বাবা পতিত-পাবন অভিনেতা রূপে এসো,
এসে পতিতদের পবিত্র করো। এখন বাবা বলছেন আমি এখন আমার ভূমিকা পালন করছি। আমার পার্ট
শুধুমাত্র এই সঙ্গমের সময়ে চলে। যদিও আমার নিজস্ব শরীর নেই। আমি এই শরীর (ব্রহ্মার
দেহ) দ্বারা অভিনয় করি। আমার নাম শিব। আত্মারূপী বাচ্চাদেরকেই তো তিনি বোঝাবেন,
তাইনা। পাঠশালা কখনো বানর বা পশুদের জন্য হয় না। কিন্তু বাবা বলেন যে এই ৫- টি
বিকারের জন্য চেহারা তো মানুষের মতন কিন্তু কর্তব্য কর্ম হয়েছে বানর সম। বাবা
বাচ্চাদেরকে বোঝান যে পতিত তো সবাই নিজেকে বলে। কিন্তু এই কথা জানেনা যে কে পতিত
বানিয়েছে এবং কে এসে পবিত্র করবেন ? পতিত-পাবন কে ? যাঁকে আহবান করে, কিছুই বুঝতে
পারে না। এই কথাও জানেনা যে আমরা সবাই হলাম অ্যাক্টর। আমরা আত্মারা এই দেহ রূপী
বস্ত্র ধারণ করে পার্ট প্লে করি। আত্মা পরমধাম থেকে আসে, এসে পার্ট প্লে করে।
ভারতের উদ্দেশ্যে এই পুরো খেলাটি তৈরি হয়েছে। ভারত পবিত্র, ভারত পতিত কে বানিয়েছে ?
রাবণ। গায়নও আছে রাবণের রাজত্ব লঙ্কায় ছিল। বাবা অসীমে জগতে নিয়ে যান। হে বাচ্চারা,
এই সম্পূর্ণ সৃষ্টি হল অসীম জগতের ভূমি স্থল। ওটা হল পার্থিব জগতের দেশ লঙ্কা। এই
অসীম জগতের ভূমিতে রাবণের রাজত্ব আছে। প্রথমে রামরাজ্য ছিল এখন হল রাবণ রাজ্য ।
বাচ্চারা বলে, বাবা রামরাজ্য কোথায় ছিল ? বাবা বলেন বাচ্চারা, সেই রাজ্য তো এখানেই
ছিল, যাকে সবাই চায়।
তোমরা হলে ভারতবাসী আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের, হিন্দু ধর্মের নও। মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি প্রিয় বাচ্চারা, তোমরাই সর্বপ্রথমে ভারতে ছিলে। তোমাদেরকে সেই সত্যযুগের
রাজ্য কে দিয়েছিল ? নিশ্চয়ই হেভেনলি গডফাদার এই উত্তরাধিকার দিয়েছিলেন। বাবা বোঝান
যে কত বাচ্চারা অন্য ধর্মে দীক্ষিত হয়ে গেছে। যখন মুসলমানদের রাজ্য ছিল তখন অনেককে
মুসলমান বানিয়েছে। খ্রিষ্টানদের রাজ্যে অনেককে খ্রিষ্টান বানিয়েছে। বৌদ্ধিদের কখনো
রাজ্য ছিল না তবু অনেককে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত করেছে। কনভার্ট করেছে নিজের ধর্মে। আদি
সনাতন ধর্ম যখন প্রায় লুপ্ত হয় তখন তো সেই ধর্মের স্থাপনা হবে।অতএব তোমরা সবাই
ভারতবাসী, তোমাদেরকে বাবা বলেন যে মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা সবাই ছিলে আদি
সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের। তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছো। ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয়....বর্ণে
এসেছো। এখন পুনরায় ব্রাহ্মণ বর্ণে এসেছো দেবতা বর্ণে যাওয়ার জন্য। গায়নও আছে
ব্রাহ্মণ দেবতায় নমঃ, প্রথমে ব্রাহ্মণদের নাম নেওয়া হয়। ব্রাহ্মণরাই ভারতকে স্বর্গ
বানিয়ে ছিল। এই হল ভারতের প্রাচীন যোগ। সর্ব প্ৰথমে রাজযোগ ছিল, যার বর্ণনা গীতায়
আছে। গীতার যোগ কে শিখিয়েছে ? সেই কথা ভারতবাসীরা ভুলে গেছে। বাবা বোঝান বাচ্চারা
যোগ তো আমি শিখিয়ে ছিলাম। এই হল আত্মিক যোগ। বাকি সবই হল দৈহিক যোগ। সন্ন্যাসী
ইত্যাদি দৈহিক যোগ শেখান যে ব্রহ্মের সঙ্গে যোগ যুক্ত হও। সেটা তো হল ভুল। ব্রহ্ম
তত্ত্ব হল নিবাস স্থান (থাকবার জায়গা)। সেটি তো সুপ্রিম আত্মা নয়। বাবাকে ভুলে গেছে।
তোমরাও ভুলে গিয়েছিলে। তোমরা নিজের ধর্মকে ভুলে গেছ। এইসবও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে।
বিদেশে যোগ ছিল না। হঠযোগ এবং রাজযোগ এখানেই আছে। ওই নিবৃত্তি মার্গের (সন্ন্যাস
ধর্মের) সন্ন্যাসীরা কখনও রাজযোগের শিক্ষা দিতে পারে না। শেখাবে সে , যে জানবে।
সন্ন্যাসীরা তো রাজত্বও ত্যাগ করে। গোপীচন্দ রাজার দৃষ্টান্ত আছে না। রাজত্ব ত্যাগ
করে জঙ্গলে চলে যায়। তারও কাহিনী আছে। সন্ন্যাসীরা রাজত্ব ত্যাগ করিয়ে দেয়, তাহলে
তারা রাজযোগ শেখাবে কীভাবে । এই সময়ে সম্পূর্ণ বৃক্ষটি হয়েছে জর্জরিত। পতনের মুখে
দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনও বৃক্ষ যখন জর্জরিত অবস্থায় থাকে তখন শেষ সময়ে বৃক্ষটি কেটে
ফেলা হয়। তেমনই এই মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষটি হয়েছে তমোপ্রধান, এতে কোনও সার
তত্ত্ব নেই। এরও বিনাশ অবশ্যই হবে। তার আগে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা
এখানে করতে হবে। সত্যযুগে কোনও দুর্গতি কারক কিছু থাকে না। তারা বিদেশে গিয়ে যোগ
শেখায় কিন্তু সেই যোগ হল হঠযোগ (শারীরিক যোগ)। জ্ঞান একেবারে নেই। অনেক প্রকারের
হঠযোগ আছে। এই হল রাজযোগ, যাকে আত্মিক যোগও বলা হয়। বাকি সব হল দৈহিক যোগ বা
শারীরিক যোগ। মানুষ, মানুষকে শেখায়। বাবা আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে বোঝান যে আমি
তোমাদের কেবলমাত্র একবার এই রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করি, অন্য কেউ কখনোই এই যোগ
শেখাতে পারেনা। আত্মিক পিতা আত্মারূপী সন্তানদের শেখান যে, "মামেকম্ স্মরণ করো" তো
তোমাদের সব পাপ বিনষ্ট হবে। হঠযোগী কখনোই এমন করে বলতে পারেনা। বাবা আত্মাদের বোঝান।
এই হল নতুন কথা। বাবা তোমাদের এখন দেহী-অভিমানী বানাচ্ছেন। বাবার দেহ নেই।
এনার(ব্রহ্মার) দেহে আসেন, এনার নাম পরিবর্তন করে দেন কারণ মরজীবা (জীবিত অবস্থায়
মৃত স্বরূপ) হয়েছেন। যেমন গৃহস্থের মানুষ যখন সন্ন্যাসী হয় তখন মরজীবা হয়, গৃহস্থ
আশ্রম ত্যাগ করে নিবৃত্তি মার্গে গমন করে। অতএব মরজীবা হলে তোমাদের নামও বদল হয়।
প্রথমে শুরুতে সবার নাম ছিল তারা আশ্চর্য হয়ে শুনেছে, বলেছে, ত্যাগ করে চলে গেছে
তাই নাম রাখা বন্ধ করা হয়েছে তাই এখন বাবা বলেন যে আমি নাম দেবো আর সে পালিয়ে যাবে
তো বেকার হয়ে যায়। প্রথমে যারা এসেছিল তাদের নাম রাখা হয়েছিল খুবই রমণীক। এখন আর
রাখা হয় না। তাদের নাম রাখা হয় যারা স্থির থাকে। অনেকের নাম রাখা সত্বেও বাবাকে
ত্যাগ করে চলে গেছে তাই এখন নাম পরিবর্তন করা হয় না। বাবা বোঝান যে এই জ্ঞান
খ্রিষ্টানদের বুদ্ধিতে ঢুকবে। এই কথা বুঝবে যে ভারতের যোগ নিরাকার পিতা এসে শিখিয়ে
ছিলেন। বাবাকে স্মরণ করলে পাপ ভস্ম হবে এবং আমরা নিজের ঘরে চলে যাবো। যারা এই
ধর্মের হবে এবং কনভার্ট হয়েছে হবে তারা জ্ঞান ধারণ করবে। তোমরা জানো যে মানুষ,
মানুষের সদগতি করতে পারে না। এই দাদা অর্থাৎ ব্রহ্মা বাবাও হলেন মানুষ, উনি বলেন আমি
কারও সদগতি করতে পারি না। এই জ্ঞান তো শিববাবা আমাকে শেখান তোমারও সদ্গতি স্মরণের
দ্বারা হবে। বাবা বলেন বাচ্চারা, হে আত্মারা আমার সঙ্গে যোগযুক্ত হও তাহলে তোমাদের
বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমরা পূর্বে গোল্ডেন এজেড পিওর ছিলে পরে তাতে খাদ পড়েছে। যারা
পূর্বে দেবী দেবতা ২৪ ক্যারেট সোনা ছিল, এখন আয়রন এজে এসে পৌঁছেছে। এই যোগ
কল্প-কল্প তোমাদের শিখতে হয়। তোমরা জানো তাতেও কেউ পুরোপুরি জানে, কেউ কম জানে। কেউ
তো এমনি দেখতে আসে যে এখানে কি দেখানো হয়। ব্রহ্মাকুমার-কুমারী তো অসংখ্য বাচ্চারা
আছে। নিশ্চয়ই প্রজাপিতা ব্রহ্মা ছিলেন যার কাছে এসেএতজন তার সন্তান হয়েছে, অবশ্যই
কিছু তো হবে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখো। প্রজাপিতা ব্রহ্মার কাছে তোমরা কি
পেয়েছো ? জিজ্ঞাসা করা উচিত তাইনা! কিন্তু এতখানি বুদ্ধিও নেই। বিশেষ করে ভারতের
জন্য বলা হয়। গায়নও আছে পাথরবুদ্ধি -রাই হল পারসবুদ্ধি। পারসবুদ্ধিরাই পাথরবুদ্ধির
হয়ে যায় । সত্যযুগ ত্রেতায় পারসবুদ্ধি গোল্ডেন এজ ছিল তারপরে সিলভার এজ দুটি কলা
কমে যায়, তাই নাম হয় চন্দ্রবংশী, কারণ ফেল হয়েছে। এইটিও হল পাঠশালা। ৩৩ নম্বর
মার্ক্স থেকে যারা কম হয় তারা ফেল করে। রাম সীতা তারপরে তাদের কুল সম্পূর্ণ নয় তাই
সূর্যবংশী হতে পারে না। ফেল তো কেউ হবেই, কারণ পরীক্ষাও হল বিশাল। পূর্বে
গভর্নমেন্টের আই. সী. এস. পরীক্ষাও তো কত বড় পরীক্ষা। সবাই পড়তে পারতো না। কোটিতে
কেউ পাস করতো। কেউ যদি চায় আমরা সূর্যবংশী মহারাজা মহারানী হই তারজন্যে কঠোর
পরিশ্রম চাই। মাম্মা বাবাও পড়ছেন শ্রীমৎ দ্বারা। তারা এক নম্বরে পড়াশোনা করেন এর পরে
যারা মাতা পিতা কে ফলো করে তারাই তাদের সিংহাসনে বিরাজিত হবে। সূর্যবংশী ৮ ডিনায়স্টি
চলে। যেমন অ্যাডওয়ার্ড দ্যা ফার্স্ট, দ্যা সেকেন্ড চলে। তোমাদের কানেকশন এই
খ্রিষ্টানদের চেয়ে বেশী। খ্রিস্টান কুল ভারতের রাজত্ব গ্রাস করেছে। ভারতের অসীম ধন
সম্পদ লুট করেছে তাহলে আবার বিচার করো যে সত্যযুগে কিরূপ অসীম ধনরাশি থাকবে।
সেখানকার তুলনায় এখানে তো কিছু নেই। সেখানে সব খনি ভরে থাকে। এখন তো প্রত্যেকটি
জিনিসের খনি খালি হয়ে যাচ্ছে। পুনরায় চক্র রিপিট হবে তখন সব খনি ভরে যাবে।
মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা তোমরা এখন রাবণের উপরে জয় লাভ করে রাজত্ব প্রাপ্ত করছো
পুনরায় অর্ধকল্প পরে এই রাবণ আসবে তখন তোমরা এই রাজত্ব হারাবে। এখন ভারত বাসী কড়ি
তুল্য হয়েছে। আমি তোমাদের হীরে তুল্য বানিয়েছি। রাবণ তোমাদের কড়ি সম করেছে। কেউ
বুঝতে পারে না রাবণ কখন আসে ? আমরা দহন করি কেন ? তারা বলে এই রাবণ তো যুগ যুগ ধরে
আছে। বাবা বোঝান যে অর্ধকল্প পরে এই রাবণ রাজ্য আরম্ভ হয়। বিকারী হওয়ার দরুন নিজেকে
দেবী দেবতা বলতে পারে না। বাস্তবে তোমরা দেবী দেবতা ধর্মে ছিলে। তোমাদের মতন সুখ
অন্য কেউ অনুভব করে না। সবচেয়ে বেশি গরিব তোমরাই হয়েছো। অন্য ধর্মের মানুষ পরে
বৃদ্ধি পায়। খ্রিষ্ট এসেছিল, প্রথমে সংখ্যা তো কম ছিল। যখন অনেক হয়ে যায় তখন তো
রাজত্ব নেবে। তোমরা সর্ব প্রথমে রাজত্ব প্রাপ্ত কর। এইসব হল জ্ঞানের কথা। বাবা বলেন
হে আত্মারা আমি পিতা আমাকে স্মরণ করো। অর্ধকল্প তোমরা দেহ-অভিমানী থাকো। এখন
দেহী-অভিমানী হও। ক্ষণে ক্ষণে এই কথাটি ভুলে যাও, কারণ অর্ধকল্প দাগ পড়েছে। এই সময়
তোমরা হলে ব্রাহ্মণ শিখা। তোমরা ই হলে সবচেয়ে উঁচুতে। সন্ন্যাসীরা ব্রহ্মের সঙ্গে
যোগ যুক্ত হয় তাতে বিকর্ম বিনাশ হয় না। প্রত্যেককে সতো রজো তমোতে অবশ্যই আসতে হবে ।
ফিরে কেউ যেতে পারে না। যখন সবাই তমোপ্রধান হয়ে যায় তখন বাবা এসে সবাইকে সতোপ্রধান
করেন অর্থাৎ সবার আত্মারূপী জ্যোতি জাগ্রত হয়ে যায়। প্রত্যেকের নিজস্ব পার্ট আছে।
তোমরা হলে হিরো হিরোইন পার্টধারী। তোমরা ভারতবাসী হলে সবচেয়ে উঁচুতে যারা রাজ্য
প্রাপ্ত কর তারপরে হারাও অন্য কেউ এই রাজ্য প্রাপ্ত করে না। তারা রাজ্য নেয়
বাহুবলের দ্বারা। বাবা বুঝিয়েছেন যারা বিশ্বের মালিক ছিল তারা ই মালিক হবে। সুতরাং
প্রকৃত রাজযোগ বাবা ব্যতীত কেউ শেখাতে পারে না। যারা শেখায় সেসব হল অযথার্থ যোগ।
ফিরে তো কেউ যেতে পারে না। এখন হল শেষ সময়। সবাই দুঃখ থেকে মুক্ত হয় পুনরায় নম্বর
অনুসারে আসতে হবে। প্রথমে সুখদর্শন পরে দুঃখদর্শন করতে হবে। এইসব কথা বুঝতে হবে। বলা
হয় হাত থাকবে কর্মে, মন স্মরণে। কাজ করতে থাকো বুদ্ধি যোগ বাবার সঙ্গে যুক্ত করো।
তোমরা আত্মারা হলে প্রিয়তমা এক প্রিয়তমের। এখন প্রিয়তম এসেছেন। সব আত্মাদের (সজনীদের)
গুল-গুল (ফুল) বানিয়ে নিয়ে যাবেন। এ হল অসীম জগতের সাজন অসীম জগতের সজনী। উনি বলেন
আমি সবাইকে নিয়ে যাবো। তারপরে নম্বর অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী গিয়ে পদ প্রাপ্ত করবে।
গৃহস্থ ব্যবহারে থাকো, সন্তানদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। হে আত্মা তোমাদের মন বাবার দিকে
রাখো। এই স্মরণের অভ্যাস করতে থাকো। বাচ্চারা জানে আমরা স্বর্গবাসী হই, বাবাকে
স্মরণ করলে। স্টুডেন্টদের তো খুশীতে থাকা উচিত। এই হল খুব সহজ। ড্রামা অনুসারে
সবাইকে পথ বলে দিতে হবে। কারো সঙ্গে তর্ক করার দরকার নেই। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে
সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে। মানুষ রোগ মুক্ত হলে অভিনন্দন জানায়। এখানে তো সম্পূর্ণ দুনিয়া
হল রুগী। কিছু সময়ের মধ্যেই জয়জয়কার হয়ে যাবে। আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
প্রকৃত সত্য প্রিয়তমা হয়ে হাতে কাজ করাকালীন বুদ্ধি দ্বারা প্রিয়তমকে স্মরণ করার
প্র্যাক্টিস করতে হবে। বাবার স্মরণ দ্বারা আমরা স্বর্গবাসী হচ্ছি, এই খুশীতে থাকতে
হবে।
২ ) সূর্যবংশী কুলে সিংহাসনে বিরাজিত হওয়ার জন্য মাতা-পিতাকে পুরোপুরি ফলো করতে হবে।
বাবার মতন নলেজফুল হয়ে সবাইকে পথ বলে দিতে হবে।
বরদান:-
অটুট কানেকশন দ্বারা কারেন্ট অনুভব করে সদা মায়াজিত, বিজয়ী ভব
যেমন বিদ্যুতের শক্তি
এমন কারেন্ট লাগায় যে মানুষ দূরে ছিটকে যায়, শক লাগে। তেমন ভাবে ঈশ্বরীয় শক্তি যেন
মায়াকে দূরে সরিয়ে দেয়, এমন কারেন্ট হওয়া উচিত কিন্তু কারেন্টের আধার হল কানেকশন।
চলতে ফিরতে প্রতি সেকেন্ড বাবার সঙ্গে কানেকশন যুক্ত রাখো। এমন অটুট কানেকশন থাকলেই
কারেন্ট আসবে আর মায়াজিত, বিজয়ী হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
তপস্বী হল সে, যে ভালো এবং মন্দ কর্মের প্রভাবের বন্ধন থেকে মুক্ত থাকে ।