23.03.2021 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা --- প্রকৃত স্যালভেশন (পরিত্রাতা) আর্মি হয়ে সবাইকে এই পাপের দুনিয়া থেকে পুণ্যের দুনিয়ায় নিয়ে যেতে হবে, সকলের ডুবন্ত নৌকাকে পারে লাগাতে হবে"

প্রশ্নঃ -
কোন্ নিশ্চয় প্রত্যেক বাচ্চার বুদ্ধিতে নম্বরের ক্রমে বসে ?

উত্তরঃ -
পতিত পাবন হলেন আমাদের অতি প্রিয় বাবা, তিনি আমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করছেন, এই নিশ্চয় সকলের বুদ্ধিতেই নম্বরের ক্রমে বসতে থাকে । এমনও হয় যে সম্পূর্ণ বিশ্বাস কারোর এসে গেছে, তখনো মায়া সামনে এসে উপস্থিত হয়, ফলে বাবাকে ভুলে যায় আর ফেল করে যায় । যাদের নিশ্চয় এসে যায় তারা পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ করতে থাকে । তাদের বুদ্ধিতে থাকে যে, এখন তো ঘরে ফিরে যেতে হবে ।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের সুপ্রভাত, শুভ দিন, সবকিছুই শুভ, শুভ রাত্রি, সবকিছু শুভই শুভ । এখানে তো না শুভ দিন, না শুভ রাত । সবথেকে অশুভ হলো রাত । তাহলে সবথেকে ভালো কি ? প্রভাত । যাকে অমৃতবেলা বলা হয় । তোমাদের প্রতিটি সময় শুভই শুভ । বাচ্চারা জানে যে, এই সময় আমরা যোগ - যোগেশ্বর আর যোগ - যোগেশ্বরী । ঈশ্বর, যিনি তোমাদের বাবা, তিনি এসেই যোগ শেখান, অর্থাৎ বাচ্চারা, তোমাদের এক ঈশ্বরের সঙ্গেই যোগ । বাচ্চারা, তোমরা যোগেশ্বরের পরে জ্ঞান জ্ঞানেশ্বর বাবাকে জানতে পেরেছো । তোমরা যোগযুক্ত হলে, তারপর বাবা তোমাদের সম্পূর্ণ সৃষ্টিচক্রের রহস্য বোঝান, যাতে তোমরাও জ্ঞান জ্ঞানেশ্বর হয়ে যাও । ঈশ্বর বাবা এসে বাচ্চাদের জ্ঞান আর যোগ শেখান । কোন ঈশ্বর ? নিরাকার বাবা । এখন বুদ্ধির দ্বারা নির্ণয় করো । গুরুদের তো অনেক মত । কেউ বলবে, কৃষ্ণের সঙ্গে যোগযুক্ত হও, তারপর তাঁর চিত্রও দেবে । কেউ সাঁই বাবা, কেউ মহর্ষি বাবা, কেউ মুসলমানদের, কেউ পার্সিদের, সবাইকে বাবা - বাবা বলতে থাকে । বলবে সবাই ভগবানই - ভগবান । এখন তোমরা জানো যে, মানুষ কখনো ভগবান হতে পারে না । এই লক্ষ্মী - নারায়ণকেও ভগবান - ভগবতী বলা যাবে না । ভগবান তো হলেন এক নিরাকার । তিনি হলেন তোমাদের মতো সমস্ত আত্মাদের বাবা, তাঁকে বলা হয় শিববাবা । তোমরাই জন্ম - জন্মান্তর ধরে সৎসঙ্গ করে এসেছো । কোথাও না কোথাও সন্ন্যাসী - গুরু - পণ্ডিত ইত্যাদি অবশ্যই থাকবে । মানুষ জানে যে, এঁরা আমাদের গুরু । আমাদের এনারা কথা শোনাচ্ছেন । সত্যযুগে কথা ইত্যাদি হয় না । বাবা বসে বোঝান, কেবলমাত্র ভগবান বা ঈশ্বর বললেই রসনা তৃপ্ত হয় না । তিনি তো বাবা, তাই বাবা বললেই সম্বন্ধ স্নেহপূর্ণ হয়ে যায় । তোমরা জানো যে, আমরা বাবা - মাম্মার সন্তান হয়েছি, যাতে তোমরা স্বর্গ সুখ পাও । এমন কোনো সৎসঙ্গ নেই, যারা বুঝিয়েছে যে, আমরা এই সৎসঙ্গ থেকে মনুষ্য থেকে দেবতা বা নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হই । তোমাদের এখন সৎ বাবার সঙ্গে সঙ্গ, আর সকলের অসত্যের সঙ্গে সঙ্গ বলা হয় । এমন গায়নও আছে যে সৎ সঙ্গ উদ্ধার করে , আর দেহের সঙ্গ পতিত করে । বাবা বলেন যে, তোমরা আত্ম - অভিমানী, দেহী - অভিমানী হও । আমি তোমাদের মতো বাচ্চাদের অর্থাৎ আত্মাদের শেখাই । এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান সুপ্রীম আত্মা এসে আত্মাদের দেন । বাকি সবই হলো ভক্তি মার্গ । ওগুলো কোনো জ্ঞান মার্গ নয় । বাবা বলেন যে, আমি সমস্ত বেদ, শাস্ত্র এমনকি সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তকে জানি । আমিই হলাম অথরিটি । ওরা হলো ভক্তিমার্গের অথরিটি । অনেক শাস্ত্র যাঁরা পাঠ করেন, তাঁদের শাস্ত্রের অথরিটি বলা হয় । বাবা এসে তোমাদের সত্য কথা শোনান । তোমরা এখন জানো যে, সত্যের সঙ্গ উদ্ধার করে, আর মিথ্যা সঙ্গ ডুবিয়ে দেয় । বাবা এখন তোমাদের মতো বাচ্চাদের দ্বারা ভারতের পরিত্রাণ করছেন । তোমরা হলে আধ্যাত্মিক পরিত্রাণকারী সেনা । তোমরা পরিত্রাণ করো । বাবা বলেন, যে ভারত একদিন স্বর্গ ছিলো, তা এখন নরক হয়ে গেছে । ভারত এখন ডুবে গেছে । বাকি সাগরের নীচে এমন কিছু নেই । তোমরা সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়ে গেছো । সত্যযুগ আর ত্রেতাযুগে তোমরা সতোপ্রধান ছিলে । এ হলো বড় স্টিমার । তোমরা স্টিমারে বসে আছো । এ হলো পাপের নগরী, কারণ এখানে সবাই পাপাত্মা । বাস্তবে গুরু হলেন একজন । তোমাদের কেউই জানে না । তারা সবসময় বলে - ও গড ফাদার । এমন বলে না যে, গড হলেন বাবা এবং গুরু । তা নয়, কেবল বাবা বলে । তিনি হলেন পতিত পাবন, তাহলে গুরুও তো হলেন । সকলের পতিত পাবন, সদগতিদাতা একজনই । এই পতিত দুনিয়াতে কোনো মানুষই সদগতিদাতা বা পতিত পাবন হতে পারে না । বাবা বলেন, এখানে কতো ভেজাল, কতো দুর্নীতি । এখন আমাকে কন্যাদের এবং মায়েদের দ্বারা সকলেরই উদ্ধার করতে হবে ।

তোমরা সকল ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা ভাই - বোন হয়ে গেছো । নাহলে ঠাকুরদাদার উত্তরাধিকার কিভাবে পাবে । দাদুর থেকে উত্তরাধিকার হিসাবে পাওয়া যায় ২১ জন্মের অর্থাৎ স্বর্গের রাজত্ব । এই উপার্জন কতো বড় । এ হলো সত্য বাবার দ্বারা প্রকৃত উপার্জন । বাবা যেমন বাবাও, তেমনই শিক্ষকও, আবার সদগুরুও । তিনি প্রত্যক্ষভাবে করে দেখান । এমন নয় যে গুরুর মৃত্যু হলে তাঁর শিষ্য গদির অধিকার পাবে । সে হলো লৌকিক গুরু । ইনি হলেন আত্মাদের গুরু । তোমাদের খুব ভালোভাবে এই কথা বুঝতে হবে, এ সম্পূর্ণ নতুন কথা । তোমরা জানো যে, আমাদের কোনো মানুষ পড়ান না, আমাদের শিববাবা, যিনি জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন, তিনিই এই শরীরের দ্বারা পড়ান । তোমাদের বুদ্ধি শিববাবার প্রতি আছে । ওই সৎসঙ্গে মানুষের প্রতি বুদ্ধি যাবে । সে সব হলো ভক্তিমার্গ । তোমরা এখন গাও.... তুমি মাতা - পিতা, আমি তোমার বালক.... এঁরা তো এক, তাই না, বাবা কিন্তু বলেন যে, আমি কিভাবে এসে তোমাদের আপন করবো । আমি তোমাদের পিতা । আমি এনার শরীরের আধার গ্রহণ করি । তাই এই ব্রহ্মা যেমন আমার স্ত্রীও, তেমনই সন্তানও । এনার দ্বারা শিববাবা বাচ্চাদের দত্তক নেন, তাই ইনি বড় মাম্মা হয়ে গেলেন । এনার কোনো মা নেই । সরস্বতীকে জগৎ অম্বা বলা হয় । তাঁকে তোমাদের দেখভাল করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে । সরস্বতী হলেন জ্ঞান - জ্ঞানেশ্বরী, ইনি হলেন ছোটো মাম্মা । এ অনেক গুহ্য কথা । তোমরা এখন এই গুহ্য পড়া পড়ছো, তোমাদের সম্মানের সঙ্গে পাস করতে হবে । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ সম্মানের সঙ্গে পাস করেছেন । তাঁরা সবথেকে বড় স্কলারশিপ পেয়েছেন । তাঁদের কোনো সাজা ভোগ করতে হয় নি । বাবা বলেন, তোমরা যতটা সম্ভব আমাকে স্মরণ করো । একে ভারতের প্রাচীন যোগ বলা হয় । বাবা বলেন, আমি তোমাদের সমস্ত বেদ, শাস্ত্রের সার শোনাই । আমি তোমাদের রাজযোগ শিখিয়েছিলা, যাতে তোমরা প্রালব্ধ লাভ করেছিলে । এরপর জ্ঞান লোপ পেয়ে গিয়েছিলো, তখন এই পরম্পরা কিভাবে চলতে পারতো ? ওখানে কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি থাকে না, অন্য ধর্মের যারা, যেমন ইসলামী, বৌদ্ধ ইত্যাদি যারা আছে, তাদের জ্ঞান লোপ পায় না । তাদের পরম্পরা চলতে থাকে । সবাই তা জানে, কিন্তু বাবা বলেন, আমি তোমাদের যে জ্ঞান শোনাই, তা কেউই জানে না । ভারত দুঃখী হয়ে যায়, আমি এসে আবার সদা সুখী বানাই । বাবা বলেন - আমি সাধারণের শরীরে বসে আছি । তোমাদের বুদ্ধিযোগ যেন বাবার সঙ্গে থাকে । আত্মাদের বাবা হলেন পরমপিতা পরমাত্মা । সকল বাচ্চাদের তিনি বাবা, সকলেই তো তাঁর সন্তান হলো, তাই না । সব আত্মাই এই সময় পতিত । বাবা বলেন - আমি এখন প্রত্যক্ষভাবে এসেছি । বিনাশ এখন সামনে উপস্থিত । তোমরা জানো যে, আগুন লাগবে । সকলের শরীরই শেষ হয়ে যাবে । সকল আত্মাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে । এমন নয় যে, ব্রহ্মতে লীন হয়ে যাবে, অথবা জ্যোতিতে মিলিয়ে যাবে । ব্রাহ্ম সমাজীরা আবার জ্যোতি জ্বালায় । তাকে ব্রহ্ম মন্দির বলে দেয় । বাস্তবে হলো ব্রহ্ম মহতত্ব, যেখানে সমস্ত আত্মারা থাকে । আমাদের প্রথম মন্দির হলো ওটি । পবিত্র আত্মারা সেখানে থাকে । এই কথা কোনো মানুষই বুঝতে পারে না । বাচ্চারা, জ্ঞানের সাগর বাবা বসে তোমাদের বোঝান যে, তোমরা এখন হলে জ্ঞান - জ্ঞানেশ্বর, এরপর তোমরা রাজ - রাজেশ্বর হও । তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথা আছে যে, পতিত পাবন, অতি প্রিয় বাবা এসে আমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার দিচ্ছেন । কারোর - কারোর বুদ্ধিতে একথাও বসে না । এতো এখানে বসে আছে, এরমধ্যে একশো শতাংশ নিশ্চয় বুদ্ধির নেই । কেউ ৮০ শতাংশ, কেউ ৫০ শতাংশ, কেউ আবার তাও নয় । তারা তো একদম ফেলিওর । নম্বরের ক্রমানুসার অবশ্যই আছে । এমন অনেকেই আছে যাদের স্থির বিশ্বাস নেই । তারা চেষ্টা করে যাতে স্থির বিশ্বাস এসে যায় । আচ্ছা, যদিও নিশ্চয় এসে যায়, কিন্তু মায়া খুবই কড়া, ফলে বাবাকে ভুলে যায় । এই ব্রহ্মা নিজেই বলেন যে, আমি সম্পূর্ণ ভক্ত ছিলাম । ৬৩ জন্ম আমি ভক্তি করেছি, ততত্বম । তোমরাও ৬৩ জন্ম ভক্তি করেছিলে । ২১ জন্ম তোমরা সুখ ভোগ করেছিলে, তারপর ভক্ত হয়েছো । ভক্তির পরে হলো বৈরাগ্য । সন্ন্যাসীরাও এই অক্ষর বলে থাকে - জ্ঞান, ভক্তি এবং বৈরাগ্য । তাদের বাড়িঘরের প্রতি বৈরাগ্য আসে । একে বলা হয় লৌকিক জগতের বৈরাগ্য, আর তোমাদের হলো অসীম জগতের বৈরাগ্য । সন্ন্যাসীরা ঘরবাড়ি ত্যাগ করে জঙ্গলে চলে যেতো । এখন তো কেউ আর জঙ্গলে নেই । সব কুটিরই খালি পড়ে আছে, কেননা প্রথমে তারা সতোপ্রধান ছিলো, এখন তারা তমোপ্রধান হয়ে গেছে । এখন আর তাদের মধ্যে কোনো শক্তি নেই । লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজধানীতে যে শক্তি ছিলো, তাঁরা পুনর্জন্ম নিতে নিতে এখন দেখো কোথায় এসে পৌঁছেছে । এখন তাদের কোনো শক্তিই নেই । এখানকার গভর্নমেন্টও বলে, আমরা ধর্মকে মানি না । ধর্মতেই অনেক ক্ষতি, লড়াই - ঝগড়া করে কনফারেন্স করতে থাকে, যাতে সব ধর্মের এক মত হয়ে যায়, কিন্তু তোমরা জিজ্ঞেস করো, কিভাবে এক হতে পারে ? এখন তো সবাই ফিরে যাবে । এখন বাবা এসেছেন, তাই এই দুনিয়া এখন কবরস্থান হয়ে যাবে । বাকি এখানে তো বিভিন্নতার বৃক্ষ । তাই এক কিভাবে হবে, কিছুই বুঝতে পারে না । ভারতে এক ধর্ম ছিলো, তাদের বলা হতো অদ্বৈত মতের দেবতা । দ্বৈত অর্থাৎ দৈত্য । বাবা বলেন, তোমাদের এই ধর্ম অনেক সুখ প্রদানকারী । তোমরা জানো যে, পুনর্জন্ম গ্রহণ করে আমাদের আবার ৮৪ জন্ম ভোগ করতে হবে । তোমাদের যেন এই বিশ্বাস আসে যে, আমরাই ৮৪ জন্ম ভোগ করেছি । আমাদেরই যেতে হবে আবার আসতেও হবে । ভারতবাসীদেরই বোঝানো হয় যে, তোমরা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছো । এখন এ হলো তোমাদের অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম । কেবল একজনকে বলেন না, পাণ্ডব সেনাদের বোঝান যে, তোমরা হলে পাণ্ডা । তোমরা আধ্যাত্মিক যাত্রা শেখাও, তাই তোমাদের পাণ্ডব সেনা বলা হয় । এখন রাজ্য না কৌরবদের আছে, আর না পাণ্ডবদের আছে । তারাও প্রজা আর তোমরাও প্রজা । বলা হয় কৌরব - পাণ্ডব ভাই - ভাই, পাণ্ডবদের দিকে হলেন পরমপিতা পরমাত্মা । বাবা এসেই তোমাদের মায়াকে জয় করতে শেখান । তোমরা আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের যাঁরা, তাঁরা হলো অহিংসক । অহিংসা পরম ধর্ম । মুখ্য বিষয় হলো কাম কাটারি চালাবে না । ভারতবাসী মনে করে গো হত্যা না করা - এই হলো অহিংসা, কিন্তু বাবা বলেন - একেই অনেক বড় হিংসা বলা হয় । সত্যযুগে না কাম কাটারি চলে, আর না লড়াই - ঝগড়া চলে । এখানে তো দুইই আছে । এই কাম বিকারই আদি - মধ্য - অন্ত দুঃখ দেয় । তোমরা সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসো । তোমরা ভারতবাসীরাই ৮৪ জন্মগ্রহণ করেছো । এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্য ছিলো, তারপর পুনর্জন্ম গ্রহণ করো । এক এক জন্ম হলো এক একটি বংশ । এখান থেকে তোমরা একদম উপরে লাফ দাও । এই ৮৪ জন্মের বংশ অতিক্রম করতে তোমাদের পাঁচ হাজার বছর লাগে, আর এখান থেকে তোমরা এক সেকেণ্ডে উপরে উঠে যাও । সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি কে দেয় ? বাবা । এখন তো সবাই একদম নিচের পাটাতনে পড়ে গেছে । বাবা এখন বলেন - তোমরা কেবল আমাকে স্মরণ করো । বুদ্ধিতে এই কথা স্মরণে রাখতে হবে যে, এখন নাটক সম্পূর্ণ হয়েছে, আমাদের আবার ঘরে ফিরে যেতে হবে । আমাদের নিজের বাবাকে আর ঘরকে স্মরণ করতে হবে । তোমরা প্রথমে বাবাকে স্মরণ করো, তিনিই তোমাদের ঘরে যাওয়ার পথ বলে দেন । বাবার স্মরণেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । ব্রহ্মকে স্মরণ করলে তোমাদের কোনো পাপই ভস্ম হবে না । পতিত পাবন হলেন পরমাত্মাই । তিনি কিভাবে পবিত্র বানান, এ'কথা দুনিয়ার কেউই বুঝতে পারে না । বাবাকে অবশ্যই এসে স্বর্গের স্থাপনা করতে হবে । বাবা এসেছেন, তাই তোমরা বাচ্চারা তাঁর জয়ন্তী পালন করো । কবে এসেছেন, তোমরা একথা বলতে পারো না যে, এই মুহূর্তে বা এই তিথি - তারিখে এসেছেন । শিববাবা কবে এসেছেন, কিভাবে বলতে পারবে । সাক্ষাৎকার অনেকই হয় । প্রথমে আমরা সর্বব্যাপী মনে করতাম, তাই একথা বলে দিতাম যে, আত্মাই পরমাত্মা । এখন তা যথার্থ জানতে পেরেছি । বাবা প্রতিদিন গুহ্য কথা শোনাতে থকেন । তোমরা সাধারণ বাচ্চারা কতো বড় জ্ঞানের কথা পড়ছো । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) উইথ রেসপেক্ট (সম্মানের সাথে) পাস করার জন্য সাজা মুক্ত হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে । স্মরণে থাকলেই স্কলারশিপ নেওয়ার অধিকারী হতে পারবে ।

২ ) প্রকৃত পাণ্ডব হয়ে সবাইকে এই আধ্যাত্মিক যাত্রা করাতে হবে কোনো প্রকারের হিংসা করবে না ।

বরদান:-
মাস্টার সর্বশক্তিমানের স্মৃতির দ্বারা মায়াজিৎ তথা জগৎজিৎ এবং বিজয়ী ভব

যে বাচ্চারা এমন অনেক চিন্তা করে যে, কি জানি মায়া কেন এসে গেলো, তখন মায়াও ঘাবড়ে যাওয়া দেখে আরো আঘাত করে, তাই চিন্তা করার পরিবর্তে সদা মাস্টার সর্বশক্তিমানের স্মৃতিতে থাকো - তাহলে বিজয়ী হয়ে যাবে । বিজয়ী রত্ন বানানোর নিমিত্তই হলো এই মায়ার ছোটো - ছোটো রূপ, তাই নিজেকে মায়াজিৎ, জগৎজিৎ মনে করে মায়াকে বিজয় প্রাপ্ত করো, দুর্বল হয়ো না । চ্যালেঞ্জকারী হও ।

স্লোগান:-
প্রত্যেক আত্মার থেকে শুভ আশীর্বাদ প্রাপ্ত করতে হবে, তাই অসীম জগতের শুভ ভাবনা এবং শুভ কামনায় স্থিত থাকো ।