15.03.2021
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
প্রত্যেকের পাপ শোষক ফার্স্টক্লাস ব্লটিং-পেপার হলো একমাত্র শিববাবা, ওঁনাকে স্মরণ
করো তাহলেই পাপ সমাপ্ত হবে"
প্রশ্নঃ -
আত্মায়
সর্বাপেক্ষা গভীর কোন্ দাগ রয়েছে, তা মুছে ফেলার জন্য কিরকম পরিশ্রম করবে ?
উত্তরঃ -
আত্মায় দেহ-অভিমানের অতি সুগভীর দাগ পড়ে রয়েছে, প্রতিমুহূর্তে কোনো দেহধারীর
নাম-রূপে আটকে পড়ে। বাবাকে স্মরণ না করে দেহধারীদের স্মরণ করতে থাকে। পরস্পরের হৃদয়ে
দুঃখ দেয়। এই দাগ মুছে ফেলার জন্য দেহী-অভিমানী হওয়ার পরিশ্রম করো।
গীতঃ-
মুখ দেখে নে রে প্রানী নিজ দর্পণে / দ্যাখ কত পাপ, কত পুণ্য রয়েছে তোর জীবনে....
ওম্ শান্তি ।
সকল সেন্টারের
মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা গান শুনেছে। এখন নিজেকে দেখে নাও যে কত পুণ্য করেছো আর কত
পাপ খন্ডন করেছো। সমগ্র দুনিয়ার সাধু-সন্তাদিরা আহ্বান করে যে হে পতিত-পাবন, পতিত
থেকে পবিত্র করেন একমাত্র বাবা-ই। আর সকলের মধ্যেই পাপ রয়েছে। এ তো তোমরা জানো যে,
আত্মার মধ্যেই পাপ রয়েছে। পুণ্যও আত্মাতেই থাকে। আত্মাই পবিত্র, আত্মাই অপবিত্র হয়।
এখানে সব আত্মাই অপবিত্র। পাপের দাগ লেগে থাকে তাই পাপাত্মা বলা হয়। এখন এই পাপ
কিভাবে নিষ্কাশিত হবে ? যখন কোনো জিনিসের উপর কালি বা তেল পড়ে যায় তখন ব্লটিংপেপার
রাখা হয়। সেটা সবকিছু শুষে নেয়। এখন সকল মানুষ স্মরণ করে অদ্বিতীয়-কে কারণ তিনিই
ব্লটিংপেপার, পতিত-পাবন। কেবল সেই এক ব্যতীত আর কেউই ব্লটিংপেপার নয়। ওরা তো
জন্ম-জন্মান্তর ধরে গঙ্গা স্নান করে আরোই অপবিত্র হয়ে গেছে। অপবিত্রকে পবিত্র করেন
সেই একমাত্র ব্লটিংপেপার-রূপী শিববাবা। তিনি হলেনই অতি ক্ষুদ্র এক বিন্দু। সকলের
পাপ বিনাশ করেন। কোন্ যুক্তির দ্বারা ? তিনি শুধু বলেন -- ব্লটিংপেপার-রূপী আমায়
স্মরণ করো। আমি তো চৈতন্য, তাই না! তোমাদের আর কোনো কষ্ট দিই না। তোমরাও আত্মা
বিন্দু-স্বরূপ, বাবাও বিন্দু-স্বরূপ। তিনি বলেন -- কেবলমাত্র আমায় স্মরণ করো তাহলেই
তোমাদের সমস্ত পাপ দূর হয়ে যাবে। এখন প্রত্যেকেই নিজেদের হৃদয়কে প্রশ্ন করো যে,
স্মরণের দ্বারা কতখানি পাপ দূর হয়েছে ? আর কতখানি আমরা (পাপ) করেছি ? কতখানি পাপ আর
বাকি রয়ে গেছে ? তা কিভাবে জানা যাবে ? অন্যদেরও পথ বলে দিতে থাকো যে, একমাত্র
ব্লটিংপেপারকেই স্মরণ করো। সকলকে এই পরামর্শ দেওয়া তো ভাল, তাই না! এও তো আশ্চর্যের,
যাদের রায় দাও, সে তো বাবাকে স্মরণ করতে থাকে, আর রায় দানকারী স্বয়ং স্মরণ করে না,
সেইজন্য পাপ খন্ডন হয় না। পতিত-পাবন তো এক-কেই বলা হয়। অনেক পাপ রয়ে গেছে।
কাম-বিকারের পাপ, দেহ-অভিমানের পাপ তো প্রথম স্থানে, যা সবচেয়ে খারাপ। এখন বাবা
বলেন, দেহী-অভিমানী হও। যত মামেকম্ অর্থাৎ একমাত্র আমাকেই স্মরণ করবে ততই তোমাদের
মধ্যে যে খাদ পড়ে রয়েছে তা ভস্মীভূত হবে। স্মরণ করতে হবে। অন্যান্যদেরও এই পথ বলে
দিতে হবে। যত অন্যদের বোঝাবে ততই তোমাদেরও ভাল হবে। এই কাজেই লেগে পড়ো। অন্যদেরও এটা
বোঝাতে হবে যে, বাবাকে স্মরণ করো তাহলেই পুণ্যাত্মা হয়ে যাবে। তোমাদের কাজ হলো
অন্যদেরও এটা বলা যে পতিত-পাবন হলেন অদ্বিতীয়। যদিও তোমরা জ্ঞান-নদীরা হলে অনেক
কিন্তু তোমরা সকলকে বলো যে, অদ্বিতীয়কেই স্মরণ করো। তিনিই হলেন একমাত্র পতিত-পাবন।
ওঁনার অনেক মহিমা। জ্ঞানের সাগরও তিনিই। সেই অদ্বিতীয় পিতাকে স্মরণ করা,
দেহী-অভিমানী হয়ে থাকা -- এই একটি কথাতেই(বিষয়েই) অসুবিধা রয়েছে। বাবা কেবল তোমাদের
জন্যই বলেন না বরং বাবার চিন্তায় তো সমস্ত সেন্টারের বাচ্চারাই রয়েছে। বাবা তো সব
বাচ্চাদেরই দেখেন, তাই না! এ হলো শিববাবার ফুলের বাগিচা যেখানে ভাল সার্ভিসেবেল
বাচ্চারা থাকে, তাই না! যারা ভাল ফুলের বাগিচায় পরিণত হবে বাবা তাদেরকেই স্মরণ
করবেন । কোনো ধনবান লোকের ৪-৫টি সন্তান হলে, তখন যে বড় সন্তান, তাকেই স্মরণ করবে।
ফুল বিভিন্ন ধরনের হয়। তাই বাবাও নিজের বড় বাগানকে স্মরণ করেন। কাউকে এই পথ বলা সহজ,
শিববাবাকে স্মরণ করো। তিনিই পতিত-পাবন। তিনি স্বয়ং বলেন, আমায় স্মরণ করলে তোমাদের
পাপ ভস্মীভূত হবে। সমগ্র দুনিয়ার জন্য (ইনি হলেন) কত ফার্স্টক্লাস ব্লটিংপেপার।
সকলেই ওঁনাকে স্মরণ করে। কাউকে এই পথ বলে দেওয়া সহজ যে, শিববাবাকে স্মরণ করো। বাবা
যুক্তি বলে দিয়েছেন -- আমায় স্মরণ করলে তোমাদের উপর দেহ-অভিমানের যে দাগ রয়েছে তা
মুছে যাবে। দেহী-অভিমানী হওয়াতেই পরিশ্রম। বাবাকে কেউ সত্য বলে না। কেউ-কেউ চার্ট
লিখে পাঠায় পরে আবার ক্লান্ত হয়ে পড়ে। লক্ষ্য অনেক বড়। মায়া নেশা একদম ভেঙে দেয়
তখন লেখাও ছেড়ে দেয়। দেহ-অভিমান হলো অর্ধেক কল্পের, তা ছাড়তে চায় না। বাবা বলেন --
কেবল এই কার্যই করতে থাকো। বাবাকে স্মরণ করো আর অন্যদেরকেও করাও। ব্যস, এটাই হলো
সর্বাপেক্ষা উচ্চ(শ্রেষ্ঠ) কর্ম। যে স্বয়ং স্মরণ করে না সে এই কাজ করবেই না। বাবার
স্মরণ -- এ হলো যোগাগ্নি, যার দ্বারা পাপ ভস্মীভূত হয় সেইজন্য প্রশ্ন করা হয় যে
কতখানি পাপ ভস্মীভূত হয়েছে ? যত বাবাকে স্মরণ করবে ততই খুশীর পারদ চড়ে থাকবে।
প্রত্যেকের হৃদয়কে জানতে পারা যায়। অন্যান্যদেরও তাদের সার্ভিসের মাধ্যমে জানতে পারা
যায়। অন্যদের পথ বলে দেয় -- বাবাকে স্মরণ করো। উনি হলেন পতিত-পাবন। এখানে এ হলো
পতিত তমোপ্রধান দুনিয়া। সকল আত্মারা এবং শরীর তমোপ্রধান। এখন ফিরে যেতে হবে। ওখানে
সকল আত্মারাই পবিত্র থাকে। যখন পবিত্র হবে তখন ঘরে যাবে। অন্যান্যদেরও এই পথই দেখানো
উচিত। বাবা যুক্তি তো অতি সহজ বলেন। শিববাবাকে স্মরণ করো। এই ব্লটিংপেপার-কেই সঙ্গে
রাখো তাহলে সমস্ত পাপ শুষে যাবে। তোমাদের পাপ সমাপ্ত হয়ে যাবে। মুখ্য বড় কথা হলো
পবিত্র হওয়া। মানুষ পতিত হয়ে গেছে তবেই তো আহ্বান করে -- হে পতিত-পাবন এসো, এসে
আমাদের পবিত্র করে সঙ্গে করে নিয়ে যাও। লেখাও রয়েছে। এখন সকল আত্মাদের পবিত্র করে
নিয়ে যান তখন কোনো অপবিত্র আত্মা থাকে না। এও বুঝিয়েছেন যে, সর্বপ্রথমে স্বর্গবাসীরা
আসবে। বাবা যে ওষুধ দেন -- তা সকলের জন্য। যাকেই পাওয়া যাবে তাকেই এই ওষুধই দিতে হবে।
তোমরা ফাদারের কাছে যেতে চাও -- কিন্তু আত্মা অপবিত্র তাই যেতে পারবে না। পবিত্র হও
তবেই যেতে পারবে। হে আত্মারা, আমায় স্মরণ করো তবেই আমি নিয়ে যাব, তারপর সেখান থেকে
তোমাদের সুখে নিয়ে যাব, পুনরায় যখন দুনিয়া পুরোনো হয়ে যায় তখন তোমরা দুঃখ পেতে থাকো।
আমি কাউকে দুঃখ দিই না। প্রত্যেকেই নিজেদের দেখো যে, আমি কি স্মরণ করি ? যত স্মরণ
করবে ততই খুশীর পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে । কত সহজ ওষুধ। আর কোনো সাধু-সন্তাদি এই ওষুধের
কথা জানে না। কোথাও লেখা নেই। এ হলো একদম নতুন কথা। পাপের খাতা(তালিকা) শরীরে কখনো
লেগে থাকে না। এত ছোট বিন্দু-রূপী আত্মার মধ্যেই সমগ্র পার্ট ভরা রয়েছে। আত্মা
অপবিত্র হলে জীবের(শরীরের) উপরেও এর প্রভাব পড়বে। যখন আত্মা পবিত্র হয়ে যায় -- তখন
পবিত্র শরীরও পাওয়া যায়। দুঃখী বা সুখী আত্মা হয়। শরীরে চোট লাগলে আত্মা দুঃখ অনুভব
করে। বলাও হয় যে, এ হলো দুঃখী আত্মা, এ সুখী আত্মা। এত ছোট আত্মা কত ভূমিকা পালন করে,
বিস্ময়কর, তাই না! বাবা হলেনই সুখ প্রদানকারী, সেইজন্য ওঁনাকে স্মরণ করে। দুঃখ দেয়
রাবণ। সবচেয়ে প্রথমে আসে দেহ-অভিমান। এখন বাবা বোঝান যে, তোমাদের আত্ম-অভিমানী হতে
হবে, এতেই পরিশ্রম রয়েছে। বাবা জানেন, হৃদয়ের সততার দ্বারা যেরকম যুক্তিযুক্তভাবে
স্মরণ করা উচিত, এইরূপ খুব কমই আছে যারা সেভাবে স্মরণ করে। এখানে থেকেও অনেকেই ভুলে
যায়। যদি দেহী-অভিমানী হয় তবে কোনো পাপ করে না। বাবার আদেশ হলো -- হিয়ার নো ইভিল.....(এ'কথা)
বাঁদরদের জন্য তো নয়। এ হলো মানুষের জন্য। মানুষ বাঁদরের মতন তাই বাঁদরের চিত্র
এঁকেছে। অনেকেই আছে যারা সারাদিন পরনিন্দা-পরচর্চা করতে থাকে। সে'জন্য বাবাকে বোঝাতে
হয়। সব সেন্টারেই এরকম কেউ না কেউ থাকে যারা পরস্পরকে দুঃখ দিতেই থাকে। আবার
কেউ-কেউ ভালও আছে যারা বাবার স্মরণেই থাকে। তারা মনে করে মন-বাণী-কর্মে কাউকে দুঃখ
দেব না। বাণীর দ্বারাও যদি দুঃখ দেয় তাহলে দুঃখী হয়ে মৃত্যুবরণ করবে। বাবা বলেন --
বাচ্চারা, তোমাদের সকলকে সুখ প্রদান করতে হবে। সকলকে বলতে হবে যে, দেহী-অভিমানী হও।
বাবাকে স্মরণ করো আর কোনো পয়সার আদান-প্রদানের কথা নেই। কেবল প্রিয়(লাভলী) বাবাকে
স্মরণ করো তবেই তোমাদের বিকর্ম ভস্মীভূত হয়ে যাবে। তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে।
ভগবানুবাচ -- একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। পরস্পরকে আর
কিছুই বলো না কেবল বাবাকে স্মরণ করো। অন্যের কল্যাণ করো। তোমাদের স্থিতি যেন এত
মধুর হয় যাতে কেউ এসে দেখলে বলে যে বাবার বাচ্চারা তো ব্লটিংপেপারস্। এখনো সেরকম
স্থিতি আসে নি। বাবাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলবেন -- ব্লটিংপেপার কি এখনও তো কেউ
কাগজই তৈরী হয় নি। বাবা সব সেন্টারের বাচ্চাদের বোঝান। মুম্বই, কলকাতা, দিল্লী.....
সব স্থানেই বাচ্চারা তো রয়েছে, তাই না! রিপোর্ট আসে যে বাবা অমুকে অত্যন্ত বিরক্ত
করে। পুণ্যাত্মায় পরিনত করার বদলে আরোই পাপাত্মায় পরিনত করে দেয়। বাবার কাছে
জিজ্ঞাসা করলে তৎক্ষনাৎ বলে দেবেন। শিববাবা তো সবকিছু জানেন। ওঁনার কাছে সব
হিসেব-নিকেশ রয়েছে। এই বাবাও বলে দিতে পারেন। মুখ দেখলেই সব জানা যায়। এ বাবার
স্মরণে নিমগ্ন, এর চেহারাই হাসি-খুশী, দেবতাদের মতন। আত্মা খুশী হলে শরীরও দেখতে
তরতাজা লাগে। শরীর ব্যথা পেলে আত্মা দুঃখ অনুভব করে। একটি কথা সকলকে শোনাতে থাকো যে
শিববাবা বলেন, আমায় স্মরণ করো তবেই তোমাদের পাপ সমাপ্ত হয়ে যাবে। ওরা লিখে দিয়েছে
কৃষ্ণ ভগবানুবাচ, কৃষ্ণকে তো অনেকেই স্মরণ করে কিন্তু পাপ তো দূর হয় না, আরোই পতিত
হয়ে পড়েছে। এ তো জানাই নেই যে, কাকে স্মরণ করতে হবে, পরমাত্মার রূপ কি ? যদি
সর্বব্যাপীও বলে তাহলেও তো যেমন আত্মা স্টার তেমনই পরমাত্মাও স্টার কারণ ওরা আত্মা
তথা পরমাত্মা বলে দেয়, সেই হিসেবেও তো বিন্দুই, তাই না! ছোট একটি বিন্দু প্রবেশ করে।
তিনি সকল বিন্দুদের বলেন -- বাচ্চারা, মামেকম্ স্মরণ করো। কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা
বলেন। কর্মেন্দ্রিয় ব্যতীত আত্মা তো আওয়াজ করতে পারে না। তোমরা বলতে পারো যে,
আত্মা-পরমাত্মার রূপ তো এক, তাই না! পরমাত্মাকে বিশালাকৃতির লিঙ্গ বা অন্যকিছু বলতে
পারা যায় না। বাবা বলেন -- আমিও এরকমই বিন্দু কিন্তু আমি পতিত-পাবন আর তোমাদের
সকলের আত্মা পতিত। কত সোজা কথা। এখন দেহী-অভিমানী হয়ে আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো,
অন্যদেরকেও পথ বলে দাও। আমি বলিই দুটি শব্দ -- মন্মনাভব। আবার একটু ডিটেলে বলি যে,
এ হলো শাখা-প্রশাখা। প্রথমে সতোপ্রধান, সতঃ, রজঃ, তমঃ-তে...... আসে। পাপাত্মা হয়ে
গেলে কত দাগ পড়ে যায়। এই দাগ কিভাবে দূর হবে। ওরা(অজ্ঞানী) মনে করে গঙ্গায় স্নান
করলে পাপ দূর হয়ে যাবে। কিন্তু সে তো হলো শরীরের স্নান। বাবাকে স্মরণের মাধ্যমেই
আত্মা পবিত্র হতে পারে। একেই স্মরণের যাত্রা বলা হয়। কত সহজ কথা, যা বাবা রোজ রোজ
বুঝিয়ে থাকেন। গীতাতেও এর উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে -- "মন্মনাভব" । উত্তরাধিকার তো
পাবেই কেবল আমায় স্মরণ করো তবেই পাপস্খলন হবে। বাবা হলেন অবিনাশী ব্লটিংপেপার, তাই
না! বাবা বলেন, আমায় স্মরণ করলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাও পুনরায় রাবণ অপবিত্র করে
দেয়, তাহলে এরকম বাবাকে স্মরণ করা তো উচিত, তাই না! এমনও আছে যে যারা স্মরণ করে না,
তাদের কি অবস্থা হবে! বাবা বোঝান -- বাচ্চারা, আর সব কথা ছেড়ে দাও। কেবল একটি কথা
-- দেহী-অভিমানী হও আর মামেকম্ স্মরণ করো। এ তো জানো যে আত্মা এক শরীর পরিত্যাগ করে
অন্য ধারণ করে। আত্মাই দুঃখ-সুখ ভোগ করে। কখনো পরস্পরের হৃদয়কে দুঃখ দেওয়া উচিত নয়।
পরস্পরের নিকট সুখ পৌঁছে দেওয়া উচিত। তোমাদের কাজই এই। অনেকেই আছে যারা পরস্পরকে
দুঃখ দিয়ে থাকে। পরস্পরের দেহের মোহে আবদ্ধ হয়ে থাকে। সারাদিন একে-অপরকে স্মরণ করতে
থাকে। মায়াও তীক্ষ্ণ(সবল)। বাবার নাম স্মরণ করে না, তাই বাবা বলেন -- দেহী-অভিমানী
ভব। জ্ঞান তো অতি সহজ। স্মরণই মুশকিলের। ওই নলেজ(লৌকিক) তো তবুও ১৫-২০ বছর ধরে পড়ে।
কত সাবজেক্ট থাকে। এই নলেজ অতি সহজ। ড্রামাকে জানা-ই হলো একটি কাহিনী। মুরলী পাঠ করা
কোনো বড় কথা নয়। স্মরণই অত্যন্ত অসুবিধাজনক। বাবা তবুও বলেন -- ড্রামা। তথাপি
পুরুষার্থ করতে থাকো। বাবাকে স্মরণ করো তবেই যোগাগ্নির দ্বারা তোমাদের পাপ ভস্মীভূত
হবে। ভাল-ভাল বাচ্চারা এতে অনুত্তীর্ণ হয়ে যায়। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কখনও কারোর হৃদয়কে দুঃখী কোরো না। সকলের কাছে সুখ পৌঁছে দিতে হবে। বাবার স্মরণে
থাকতে হবে আর সকলকে স্মরণ করাতে হবে।
২ ) পাপের দাগ মুছে ফেলার জন্য দেহী-অভিমানী হয়ে ব্লটিং পেপার-রূপী বাবাকে স্মরণ
করতে হবে। এমন মধুর অবস্থা তৈরী করতে হবে যার ফলে সকলের কল্যাণ হয়।
বরদান:-
তোমার সহযোগিতার দ্বারা দুর্বল আত্মাদেরকে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করানো
বরদানী-মূর্তি ভব
এখন বরদানী-মূর্তির
দ্বারা সঙ্কল্প শক্তির সেবা করে দুর্বল আত্মাদের বাবার সমীপে নিয়ে এসো। অধিকাংশ
আত্মাদের মধ্যে এই শুভ ইচ্ছা উৎপন্ন হচ্ছে যে আধ্যাত্মিক শক্তি যা কিছু করতে পারে
তা আর কেউ করতে পারে না। কিন্তু আধ্যাত্মিকতার পথে চলার জন্য নিজেদের শক্তিহীন বলে
মনে করে। নিজের শক্তির দ্বারা তাদেরকে সাহসের পা দিয়ে দাও, তবেই তারা বাবার সমীপে
হেঁটে আসতে পারবে। এখন বরদানী-মূর্তি হয়ে তোমার সহযোগিতার দ্বারা তাদের অবিনাশী
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করাও ।
স্লোগান:-
স্ব-পরিবর্তনের মাধ্যমে সম্পর্ক, বাণী এবং সম্বন্ধে সফলতা প্রাপ্তকারীই সফলতা-মূর্তি।