31-05-2020 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 18-01-86 মধুবন


মন্সা শক্তি তথা নির্ভীকতার শক্তি


আজ বৃক্ষপতি তাঁর নতুন বৃক্ষের ফাউন্ডেশন বাচ্চাদের দেখছেন l বৃক্ষপতি নিজ বৃক্ষের কাণ্ডকে দেখছেন l বৃক্ষপতির লালন-পালনে প্রতিপালিত শ্রেষ্ঠ ফলস্বরূপ বাচ্চাদের দেখছেন l আদি দেব নিজের আদি রত্নদের দেখছেন l প্রত্যেক রত্নের মহত্ত্ব, বিশেষত্ব তাদের নিজস্ব l যেমনই হোক, সবাই নতুন রচনার নিমিত্ত হওয়া বিশেষ আত্মা, কারণ বাবাকে চিনে নেওয়ার স্বীকৃতিতে, বাবার কার্যে সহযোগী হওয়ায় তারা নিমিত্ত হয়েছে এবং অনেকের সামনে এক্সাম্পল হয়েছে l দুনিয়া না দেখে, যিঁনি নতুন দুনিয়া বানাচ্ছেন সেই একাধিপতিকে তোমরা দেখেছ l অটল নিশ্চয় এবং সাহসিকতা দুনিয়ার সামনে প্রমাণ করেছ, এইজন্য তোমরা বিশেষ আত্মা l বিশেষ আত্মাদের বিশেষ রূপে সংগঠিতভাবে দেখে বাপদাদাও উৎফুল্ল হন এবং এমন বাচ্চাদের মহিমা-গীত গান l চির পরিচিত বাবাকে চিনেছ আর বাবা, তোমরা যেমন ছিলে, যেভাবে ছিলে, তোমাদের পছন্দ করে নিয়েছেন। কারণ হৃদয়নিধির পছন্দ প্রকৃত হৃদয়বান l দুনিয়ার জ্ঞানগম্যি না থাকলেও কিন্তু দুনিয়ার বুদ্ধি-চাতুর্য বাবার পছন্দ নয়, হৃদয়বান পছন্দ l বাবা তো এত বড় মগজ দিয়ে দেন যাতে রচয়িতাকে জেনে রচনার আদি, মধ্য, অন্তের নলেজ জেনে নিতে পার, সেইজন্য বাপদাদা সহৃদয়তা পছন্দ করেন l নম্বরও তৈরি হয়, প্রকৃত স্বচ্ছ হৃদয়ের আধারে l সেবার আধারে নয় l সেবাতেও সহৃদয়তার সাথে সেবা করেছ নাকি শুধু বুদ্ধি কৌশলের আধারে সেবা করেছ ! হৃদয়ের আওয়াজ হৃদয়ের কাছে পৌঁছায়, মগজের আওয়াজ মগজ পর্যন্তই পৌঁছায় l

আজ বাপদাদা হৃদয়বানদের লিস্ট দেখছিলেন l চালাকচতুর নাম কামায় আর হৃদয়বান আশীর্বাদ উপার্জন করে l তাইতো দু'টো মালা তৈরি হচ্ছিল, কারণ আজ সূক্ষ্ম বতনে অ্যাডভান্সে যাওয়া আত্মারা ইমার্জ ছিল l সেই বিশেষ আত্মারা অন্তরঙ্গভাবে আধ্যাত্মিক আলাপচারিতা করছিল l মুখ্য বার্তালাপ কি ছিল ? তোমরাও তো সবাই বিশেষ আত্মাদের ইমার্জ করেছ, তাই না ! বতনেও আধ্যাত্মিক আলাপ-আলোচনা চলছিল, বর্তমান সময় আর সম্পূর্ণতার সময়ের মধ্যে এখনও কতটা ফারাক রয়ে গেছে ! কতো নম্বর তৈরি হয়েছে ? নম্বর তৈরি হয়েছে নাকি এখনও হওয়া বাকী আছে ? নম্বরানুক্রমে সবাই স্টেজে আসছে, তাই না ! অ্যাডভান্স পার্টি জিজ্ঞাসা করেছে, আমরা তো অ্যাডভান্সের কার্য করছি, কিন্তু আমাদের সাথী আমাদের কার্যে কি বিশেষ সহযোগ দিচ্ছে ? তারাও মালা প্রস্তুত করছে l কোন্ মালা তারা প্রস্তুত করছে ? নতুন দুনিয়ার শুরুতে কার কোথায় জন্ম হবে, সেটাই স্থির হচ্ছে l তাদেরও নিজের কার্যে সূক্ষ্ম শক্তিশালী মন্সার বিশেষ সহযোগ প্রয়োজন l শক্তিশালী স্থাপনের জন্য যে নিমিত্ত হওয়া আত্মারা আছে তারা নিজেরা যদিও পবিত্র, কিন্তু লোকের এবং প্রকৃতির বায়ুমন্ডল তমোগুণী l অতি তমোগুণীর মাঝে অল্প সতোগুণী আত্মারা কমল পুষ্পসম, সেইজন্য আজ আধ্যাত্মিক আলাপচারিতায় তোমাদের অতি স্নেহী শ্রেষ্ঠ আত্মারা সহাস্যে বলেছিল যে আমাদের সাথীদের এতবড় সেবার স্মৃতি আছে নাকি সেন্টারেই বিজি হয়ে গেছে, নাকি জোনে বিজি হয়ে গেছে ?

প্রকৃতি পরিবর্তনের এত সমস্ত কার্য, তমোগুণী এত আত্মার বিনাশ যে বিধিতেই হোক, কিন্তু আকস্মিক মৃত্যু, অকাল মৃত্যু, সমষ্টিগতভাবে মৃত্যু, সেই আত্মাদের ভাইব্রেশন কতো তমোগুণী হবে, তাদের পরিবর্তনে শক্তিশালী হওয়া এবং এইরকম রক্তক্ষয়ী বায়ুমন্ডলকে ভাইব্রেশন থেকে সেফ রাখা আর সেই আত্মাদের সহযোগ দেওয়া - এই বিশাল কার্যের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছ ? নাকি কেউ এলো তাকে বোঝালে, খেলে - এতেই সময় চলে যাচ্ছে না তো ? তারা জিজ্ঞাসা করছিল l আজ বাপদাদা তাদের সমাচার শুনাচ্ছেন l এমন অপরিসীম কার্য করার নিমিত্ত কে ? শুরুতে যখন তোমরা নিমিত্ত হয়েছ, তখন অন্তেও পরিবর্তনের বিশাল কার্যে তোমাদেরই নিমিত্ত হতে হবে, তাই না ! কথিত আছে, শেষ যে ভালো করে, সেই সবকিছু করে, (যার শেষ ভালো তার সব ভালো )l গর্ভ মহলও প্রস্তুত করতে হবে, তখনই তো যোগবলের দ্বারা নতুন রচনার শুরু হবে l যোগবলের জন্য মন্সা শক্তি আবশ্যক l নিজের সেফটির জন্যও মন্সা শক্তি সাধন হবে l মন্সা শক্তির দ্বারাই নিজের অন্ত সুন্দর বানানোর নিমিত্ত হতে পারবে l নয়তো সাকার সহযোগ সময়কালে সার্কমস্ট্যান্স অনুযায়ী প্রাপ্ত নাও হতে পারে l সেই সময় মন্সা শক্তি অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প শক্তি, যদি একের সাথে লাইন ক্লিয়ার না হয়, নিজের দুর্বলতা পশ্চাত্তাপরূপে ভূতের মতো অনুভব হবে, কারণ দুর্বলতা স্মৃতিতে আসায় ভয় ভূতের মতন অনুভব হবে l এখন যদিও বা তোমার যা ইচ্ছা করছ, কিন্তু অন্তে ভয় অনুভব হবে, সেইজন্য এখন থেকে বিশাল সেবার জন্য এবং নিজের সেফটির জন্য মন্সা শক্তি এবং নির্ভীকতার শক্তি সঞ্চয় কর, তখনই অন্ত সুন্দর হবে আর অসীম জগতের কার্যে সহযোগী হয়ে বিশাল বিশ্বের রাজ্য অধিকারী হবে l এখন তোমাদের সাথী তোমাদের সহযোগের প্রতীক্ষা করছে l তোমাদের কার্য যদিও আলাদা আলাদা, কিন্তু উভয়ই পরিবর্তনের নিমিত্ত l তারা তাদের রেজাল্ট শোনাচ্ছিল l

অ্যাডভান্স পার্টি নিজেরা কেউ কেউ শ্রেষ্ঠ আত্মাদের আহ্বান করার জন্য তৈরি হয়েছে আর অন্যরাও তৈরি হচ্ছে, কেউ কেউ এমন শ্রেষ্ঠ আত্মা তৈরি করাতে নিযুক্ত আছে l তাদের সেবার সাধন মিত্রতা এবং নৈকট্যের সম্বন্ধ, যার দ্বারা ইমার্জ রূপে তারা জ্ঞান চর্চা করে না, কিন্তু জ্ঞানী আত্মার সংস্কার থাকার কারণে পরস্পরের শ্রেষ্ঠ সংস্কার, শ্রেষ্ঠ ভাইব্রেশন আর সদা হোলি আর হ্যাপি চেহারা পরস্পরকে প্রেরণা দেওয়ার কাজ করছে l হয়তো আলাদা আলাদা পরিবারে আছে, কিন্তু কোনও না কোনও সম্বন্ধ বা মিত্রতার আধারে পরস্পরের সম্পর্কে আসায় আত্মা নলেজফুল হওয়ার কারণে এই অনুভূতি হতে থাকে যে ইনি আপন বা কাছের l আপন বোধের আধারে পরস্পরের পরিচিতি স্বীকৃত হয় l এখন সময় সমাসন্ন, সেইজন্য অ্যাডভান্স পার্টির কার্য তীব্রগতিতে চলছে l বতনে এইরকম দেওয়া-নেওয়া চলছিল l বিশেষ জগৎ-অম্বা সব বাচ্চাদের প্রতি কিছু মধুর বোল বলছিলেন l স্বল্প বোলে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন -"সফলতার আধার সদা সহনশক্তি আর অন্তর্লীন করার শক্তি, এই বিশেষত্বের দ্বারা সফলতা সহজ আর শ্রেষ্ঠ অনুভব হবে l" অন্যরা যা বলেছে, বাবা কি সেটাও শুনিয়েছেন ? আজ মিলনের বিশেষ দিন ছিল চিটচ্যাট করার, তাইতো প্রত্যেকে নিজের অনুভবের বর্ণন করছিল l আচ্ছা আর কার অনুভব শুনবে ? (দাদা বিশ্ব কিশোরের) কার্যতঃ উনি স্বল্পভাষী, কিন্তু যা বলেন তা' দৃঢ়তার সাথে (শক্তিশালী) বলেন l তাঁরও একটা বোলেই সমস্ত অনুভব ছিল, যে কোনও কার্যে সফলতার আধার "অটল নিশ্চয় আর নেশাসম্পন্ন l" যদি নিশ্চয় অটল থাকে তাহলে নেশা স্বতঃই অন্যেরও অনুভব হয়, সেইজন্য তাঁর কাছে নিশ্চয় আর নেশা ছিল সফলতার আধার l এটাই ছিল তাঁর অনুভব l সাকার বাবার যেমন সদা নিশ্চয় আর নেশা ছিল যে, তিনি ভবিষ্যতে বিশ্ব মহারাজ হতে চলেছেন l সেইরকম বিশ্বকিশোরেরও এই নেশা ছিল যে, 'আমি বিশ্ব মহারাজের প্রথম প্রিন্স l' বর্তমানে এবং ভবিষ্যতের জন্য তাঁর এই নেশা অটল ছিল l সুতরাং সমতা তো হয়েই গেল, তাই না ! যারা সাথে ছিল, তারা তো এইরকম দেখেছে, তাই নয় কি !

আচ্ছা - দিদি কি বলেছেন ? দিদি অন্তরঙ্গভাবে খুব ভালো আধ্যাত্মিক আলাপচারিতা করছিলেন l তিনি বলেছেন, আপনি বিনা সংবাদে কেন ডেকেছেন ? ছুটি নিয়ে আসতাম, তাই না ! যদি আপনি বলতেন তবে তো আমি ছুটি নিয়ে প্রস্তুত থাকতাম l আপনি ছুটি দিতেন ? বাপদাদা বাচ্চাদের সাথে মনখোলা অধ্যাত্ম আলাপ-আলোচনা করছিলেন - দেহসহ দেহের সম্বন্ধ, প্রত্যেকের সঙ্গে দেহ সম্বন্ধের সংস্কার, যদি লৌকিক নাও হয় তবে অলৌকিক তো আছে ! অলৌকিক সম্বন্ধের প্রতি, দেহের প্রতি, সংস্কারের প্রতি নষ্টমোহ হওয়ার বিধি, এইসবই ড্রামাতে স্থিরীকৃত হয়ে আছে, সেইজন্য অন্তে সবার থেকে নষ্টমোহ হয়ে নিজের ডিউটিতে পৌঁছে গেছে l বিশ্বকিশোর কিছুটা জানত, কিন্তু তার যাওয়ার সময় উপস্থিত হলে সেই মুহূর্তে সেও সবকিছু ভুলে গেছিল l ড্রামাতে নষ্টমোহ হওয়ার এই বিধিও স্থির হয়েছিল, যা রিপিট হয়েছে, কারণ কিছুটা তার নিজের পরিশ্রম আর ড্রামা অনুসারে বাবাও সহযোগ দিয়েছিলেন তাঁকে কর্মবন্ধনমুক্ত হতে l অনেকদিনের যে সহযোগী বাচ্চা হয়ে থেকেছে, *এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়* এই সাবজেক্টে পাশ করে থাকে, শুধুমাত্র এক বাবাকে যারা এইরকম অনুভব করে, বাবা তাদের এমন এক বিশেষ সময়ে নিশ্চিত সহযোগ দেন l কেউ কেউ ভাবে, এরা কি সব কর্মাতীত হয়ে গেছে ! এটাই কর্মাতীত স্থিতি ? যাই হোক, আদি থেকে যারা সহযোগী থেকেছে এমন বাচ্চারা এক্সট্রা সহযোগ লাভ করেছে, সেইজন্য তাদের নিজেদের পরিশ্রম কিছুটা কম প্রতীয়মান হয়, কিন্তু বাবার সহায়তা সেই সময় অন্তে এক্সট্রা মার্কস দিয়ে পাস উইথ অনার্স বানিয়ে দেয় l সেটা গুপ্ত থাকে আর সেইজন্য প্রশ্ন ওঠে, এইরকম হয়েছিল ? যতই হোক, এতো তাদের সহযোগের রিটার্ণ l যেমন কথিত আছে - প্রয়োজনে কাজে লাগে l সুতরাং যারা হৃদয় থেকে সহযোগী থেকেছে তাদের সেইরকম সময়ে এক্সট্রা মার্কস রিটার্ণ রূপে প্রাপ্ত হয় l বুঝেছ - এই রহস্য ? সেইজন্য নষ্টমোহ হওয়ার বিধিতে এক্সট্রা মার্কসের গিফ্ট দ্বারা তারা সফলতা প্রাপ্ত করে নিয়েছে l বুঝেছ - জিজ্ঞাসা তো করতে থাক, অবশেষে কি ঘটেছে ! সেইজন্য আজ এই আধ্যাত্মিক আলাপ আলোচনা বাবা শোনাচ্ছেন l আচ্ছা, দিদি কি বলেছেন ? তাঁর অনুভব তো সবাই জানোই, তিনি এই কথাই বলছিলেন যে সদা বাবা আর দাদার আঙুল ধর অথবা তোমার আঙুল তাঁকে দাও, হয় তাঁকে বাচ্চা বানিয়ে আঙুল ধর, নচেৎ বাবা বানিয়ে আঙুল দাও l উভয় রূপে প্রতি পদে আঙুল ধরে সঙ্গের অনুভব ক'রে এগিয়ে চলো, এটাই আমার সফলতার আধার l তাইতো আত্মাদের মধ্যে এই বিশেষ আধ্যাত্মিক আলাপচারিতা হয়েছে l আদি রত্নদের সংগঠনে তিনি (দিদি) কীভাবে মিস্ হবেন, সেইজন্য তিনি ইমার্জ ছিলেন l আচ্ছা - সেতো ছিল অ্যাডভান্স পার্টির বার্তালাপ, তোমরা কি করবে ?

অ্যাডভান্স পার্টি তাদের কাজ করছে l তোমরা নিজেদের মধ্যে অ্যাডভান্স ফোর্স ভরে নাও যার দ্বারা পরিবর্তন করার কার্যের কোর্স সমাপ্ত হয়ে যায়, কারণ সেটাই ফাউন্ডেশন l ফাউন্ডেশনই অসীম জগতের সেবাধারী হয়ে অসীম জগতের বাবাকে প্রত্যক্ষ করাবে l প্রত্যক্ষতার কাড়ানাকাড়া এই সৃষ্টিতে বাজছে, সেটা তোমরা খুব শীঘ্রই শুনতে পাবে l চতুর্দিক থেকে একই কাড়া, একই সুরে বাজবে - "আমরা তাঁকে পেয়ে গেছি, তিনি এসে গেছেন l" এখন তো অনেক কাজ বাকী আছে l তোমরা বুঝতে পারছ যে সম্পূৰ্ণ হয়ে আসছে l এখনও তো বাণী দ্বারা তাদের পরিবর্তনের কার্য চলছে l এখন তোমাদের বৃত্তি দ্বারা তাদের বৃত্তি বদলাতে হবে, সঙ্কল্পের দ্বারা সঙ্কল্প l এখনও তো এই রিসার্চ শুরুও করনি l যদি তোমরা অল্প অল্প শুরুও করে থাক, তা'তেই বা কি ! এই সূক্ষ্ম সেবা নিজে থেকেই অনেক দুর্বলতার ঊর্ধ্বে তোমাদের নিয়ে যাবে l তোমরা ভাবো এটা কীভাবে হবে ! যখন তোমরা নিজেরা এই সেবায় বিজি থাকবে, তখন আপনা থেকেই বায়ুমন্ডল এমন তৈরি হয়ে যাবে যে তোমাদের সমস্ত দুর্বলতা নিজেদেরই স্পষ্ট অনুভব হবে, আর বায়ুমন্ডলের কারণে তোমরা অপ্রস্তুত হয়ে পরিবর্তিত হয়ে যাবে l তোমাদের বলতে হবে না l তোমরা তো দেখে নিয়েছ, অন্যদের যখন বলতে হয় তখন কি হয় ! সেইজন্য এখন সেইরকম প্ল্যান বানাও l পড়ুয়াদের সংখ্যা আরো বাড়বে, এর চিন্তা ক'রনা l আয়ও অনেক বাড়বে, এরও চিন্তা ক'রনা l তোমাদের বাড়ীও থাকবে, এরও চিন্তা ক'রনা l সব কিছু সফল হবে l এই বিধি এমন যে তোমরা সিদ্ধিস্বরূপ হয়ে যাবে l আচ্ছা l

শক্তিরা অনেক আছে l আদিতে শক্তিরাই বেশি নিমিত্ত হয়েছিল l গোল্ডেন জুবিলিতেও শক্তিরা বেশি ছিল l পাণ্ডবরা সংখ্যায় গোনার মতো l তবুও পাণ্ডবরা আছে l ঠিকই আছে, সাহসের সাথে আদিতে সহন করার প্রমাণ তো এরাই সব আদি রত্ন l বিঘ্ন বিনাশে নিমিত্ত হয়ে, নিমিত্ত বানানোর কার্যে অমর থেকেছে, সেইজন্য বাপদাদারও অবিনাশী, 'অমর ভব'র বরদান প্রাপ্ত বাচ্চারা সদা প্রিয় l আর এই সকল আদি রত্ন স্থাপনার আবশ্যক সময়ের সহযোগী, সেইজন্য এইরকম নিমিত্ত হওয়া আত্মাদের, কোনও কঠিন সঙ্কট উপস্থিত হলে সেই অসময়ের সহযোগী আত্মাদের, বাপদাদাও তাদের সহযোগের রিটার্ণ দেন, সেইজন্যই তোমরা সবাই যে কেউই এমন সময়ে নিমিত্ত হয়েছ, তার এই এক্সট্রা গিফ্ট ড্রামাতে স্থিরীকৃত হয়ে আছে, এই কারণে তোমরা এক্সট্রা গিফ্টের অধিকারী l বুঝেছ ?

মাতাদের বিন্দু বিন্দু দিয়ে গড়া ধনরাশি (তলাব) থেকে স্থাপনের কার্য শুরু হয়েছে এবং এখন সফলতার নিকটস্থ প্রায় l মাতাদের হৃদয়ের উপার্জন, কোন ব্যবসা ইত্যাদির রোজগার নয় l হৃদয়ের উপার্জন এক হাজারের সমান l স্নেহের বীজ বপন হয়েছে, সেইজন্য স্নেহ-বীজের ফল ফলপ্রসূ হচ্ছে l অবশ্যই পাণ্ডবরাও তাদের সাথে আছে l পাণ্ডব ব্যতীত কোন কার্য তো চলে না, কিন্তু বেশি সংখ্যা শক্তিদের, সেইজন্য পাঁচ পাণ্ডব লিখে দিয়েছে l যেমনই হোক, প্রবৃত্তির দায়িত্ব পালন করেও তারা স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে বাবার প্রিয় হয়ে সাহস আর উৎসাহ-উদ্দীপনার প্রমাণ দিয়েছে, তাইতো পাণ্ডবও কম নয় l শক্তিদের সর্বশক্তিমান গাওয়া হয়েছে তো পাণ্ডবের পাণ্ডবপতি গাওয়া হয়েছে, সেইজন্য যেভাবে তোমরা নিমিত্ত হয়েছ, সেইভাবে সদা নিমিত্ত হওয়ার স্মৃতিতে নিরন্তর এগিয়ে চলো l আচ্ছা !

সদা পদমাপদম ভাগ্যের অধিকারী, সদা সফলতার অধিকারী, সদা নিজেকে শ্রেষ্ঠ আধারমূর্ত মনে করে সকলের উদ্ধার করে, এমন শ্রেষ্ঠ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণ- স্নেহ আর নমস্কার l



বরদান:-
অনুভবের গভীরতার গবেষণাগারে থেকে নতুন রিসার্চ করে অন্তর্মুখী ভব

যখন নিজের মধ্যে প্রথম সব অনুভব প্রত্যক্ষ হবে তখনই প্রত্যক্ষতা হবে, সেইজন্য অন্তর্মুখী হয়ে স্মরণের যাত্রা এবং সব প্রাপ্তির গভীরতায় গিয়ে রিসার্চ কর, সঙ্কল্প ধারণ কর আর তারপরে সেটার পরিণাম অথবা সাফল্য দেখ, যে সঙ্কল্প করেছ তা' সফল হয়েছে নাকি না ? অনুভবের গভীরতার প্রয়োগশালাতে এমনভাবে থাক, যাতে অন্যেরা উপলব্ধি করে যে তোমরা সবাই এই সংসারের ঊর্ধ্বে বিশেষ ভালোবাসায় মগ্ন l কর্ম করতে করতে যোগের পাওয়ারফুল স্টেজে থাকার অভ্যাস বাড়াও l ঠিক যেমন তোমাদের বাণীতে আসার অভ্যাস আছে, সেইরকম আধ্যাত্মিকতায় থাকার অভ্যাস কর l

স্লোগান:-
সন্তুষ্টতার সীটে বসে যারা পরিস্থিতির খেলা দেখে, তারাই সন্তুষ্টমণি l