18.05.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমরা পুনরায় নিজেদের ঠিকানায় পৌঁছে গেছো, তোমরা বাবার মাধ্যমে রচয়িতা আর রচনাকে
জেনে গেছো, তাই খুশিতে রোমাঞ্চিত হয়ে যাওয়া উচিত"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
বাবা এইসময় তোমাদের শৃঙ্গার কেন করছেন ?
উত্তরঃ -
কারণ এখন আমাদের শৃঙ্গার করে বিষ্ণুপুরীতে (শ্বশুড়বাড়ী) যেতে হবে। আমরা এই জ্ঞানের
মাধ্যমে সুসজ্জিত হয়ে মহারাজা-মহারানী হই। এখন আমরা সঙ্গমযুগে রয়েছি, বাবা
শিক্ষকরূপে আমাদের পড়াচ্ছেন -- পিতৃগৃহ থেকে শ্বশুড়গৃহে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
গীতঃ-
অবশেষে সেই
দিন এসেছে আজ...
ওম্ শান্তি ।
অতি মিষ্টি
বাচ্চারা, মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা এই গান শুনেছে। বাচ্চারা, তোমরাই জানো
যে, আধাকল্প যে প্রিয়তমকে(মাশুক) স্মরণ করেছো, অবশেষে তাঁকে পেয়েছো। দুনিয়া এ'কথা
জানে না যে, আমরা আধাকল্প ভক্তি করেছি, তারা প্রিয়তমরূপী পিতাকে আহ্বান করে। আমরা
হলাম প্রিয়তমা, তিনি হলেন প্রিয়তম --- এও কেউ জানে না। বাবা বলেন -- রাবণ তোমাদের
সম্পূর্ণরূপে স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন করে দিয়েছে। বিশেষ করে ভারতবাসীদের। তোমরাই যে
দেবী-দেবতা ছিলে তাও তোমরা ভুলে গেছো, তাহলে স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্নই তো হলে। নিজের
ধর্মকে ভুলে যাওয়া, এ হলো স্বল্পবুদ্ধিরই কাজ। এখন একথা শুধুমাত্র তোমরাই জানো।
আমরা অর্থাৎ ভারতবাসীরা স্বর্গবাসী ছিলাম। এই ভারত স্বর্গ ছিল। সামান্য সময়ই হয়েছে।
১২৫০ বছর সত্যযুগ ছিল আর ১২৫০ বছর রাম-রাজ্য ছিল। সেইসময় অগাধ সুখ ছিল। সেই সুখকে
স্মরণ করে রোমাঞ্চিত হয়ে যাওয়া উচিত। সত্যযুগ, ত্রেতা..... সে তো অতিবাহিত হয়ে
গেছে। সত্যযুগের আয়ু কত তাও কেউ জানে না। লক্ষ-লক্ষ বছর কীভাবে হতে পারে ? এখন বাবা
এসে বোঝান --- মায়া তোমাদের কত স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন করে দিয়েছে। দুনিয়ায় কেউই
নিজেদেরকে স্বল্পবুদ্ধির মনে করে না। তোমরা জানো যে, আমরা কাল পর্যন্ত
স্বল্পবুদ্ধির ছিলাম। এখন বাবা আমাদের এত বুদ্ধি প্রদান করেছেন যে, আমরা রচয়িতা এবং
রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে গেছি। কাল পর্যন্ত জানতাম না, এখন জেনেছি। যত যত জানতে
পারবে, ততই খুশীতে রোমাঞ্চিত হতে থাকবে। আমরা পুনরায় নিজেদের ঠিকানায় পৌঁছে যাই।
অবশ্যই বাবা আমাদেরকে স্বর্গের রাজত্ব দিয়েছিলেন পরে আমরা তা হারিয়ে ফেলেছি। এখন
আমরা অপবিত্র হয়ে গেছি। সত্যযুগকে পতিত বলবে না। ওটা হলোই পবিত্র দুনিয়া। মানুষ
বলে, পতিত-পাবন এসো। রাবণ-রাজ্যে উচ্চ, পবিত্র কেউই হতে পারে না। সর্বোচ্চ পিতার
বাচ্চা হলে তখন উচ্চ (পদের অধিকারী) হয়। বাচ্চারা, তোমরা বাবাকে জেনেছো, সেও
পুরুষার্থের নম্বরের ক্রমানুসারে। সকালে উঠে নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করো, অমৃতবেলার
সময় অত্যন্ত ভালো। সকালে অমৃতবেলায় বসে এসব চিন্তন করো। বাবা আমাদের পিতাও, আবার
শিক্ষকও। ও গডফাদার, হে পরমপিতা পরমাত্মা তো বলেই। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যাঁকে
স্মরণ করে -- হে ভগবান, এখন তাঁকে আমরা পেয়েছি। পুনরায় এখন আমরা অসীম জগতের
উত্তরাধিকার নিচ্ছি। উনি হলেন লৌকিক পিতা, ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা। তোমাদের লৌকিক
পিতাও সেই অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করে। তাই তিনি হলেন পিতারও পিতা, পতিরও পতি। এও
ভারতবাসীরাই বলে কারণ এখন আমি তাদের পিতারও পিতা, পতিরও পতি হয়ে যাই। এখন আমি
তোমাদের পিতাও। তোমরা আমার সন্তান হয়েছো। বাবা-বাবা বলতে থাকো। এখন পুনরায় তোমাদের
বিষ্ণুপুরী অর্থাৎ শ্বশুড়বাড়ীতে নিয়ে যাই। এ হলো তোমাদের পিত্রালয়, পুনরায়
শ্বশুড়গৃহে যাবে। বাচ্চারা জানে যে, আমাদের অত্যন্ত সুন্দরভাবে সুসজ্জিত করা হয়।
এখন তোমরা বাপেরবাড়ীতে রয়েছো, তাই না! তোমাদের পড়ানোও হয়। তোমরা জ্ঞানের দ্বারা
সুসজ্জিত হয়ে বিশ্বের মহারাজা-মহারানী হয়ে যাও। তোমরা এখানে এসেছোই বিশ্বের মালিক
হতে। যখন সত্যযুগ ছিল তখন তোমরা ভারতবাসীরাই বিশ্বের মালিক ছিলে। এখন তোমরা এমনভাবে
বলবে না যে, আমরা বিশ্বের মালিক। তোমরা এখন জানো যে, ভারতের মালিকরা এখন কলিযুগীয়,
আমরা হলাম সঙ্গমযুগীয়। পুনরায় আমরা সত্যযুগে বিশ্বের মালিক হবো। বাচ্চারা, এইকথা
তোমাদের বুদ্ধিতে আসা উচিত। তোমারা জানো যে, বিশ্বের উত্তরাধিকার-প্রদানকারী
এসেছেন। এখন সঙ্গমযুগে তিনি এসেছেন। জ্ঞানপ্রদানকারী তিনি হলেন অদ্বিতীয় পিতা।
বাবা ব্যতীত কোনো মানুষকেই জ্ঞানদাতা বলা যাবে না কারণ বাবার কাছে এমন জ্ঞান রয়েছে
যার দ্বারা সমগ্র বিশ্বের সদ্গতি হয়ে যায়। তত্ব-সহিত(প্রকৃতি) সকলের সদ্গতি হয়ে
যায়। মানুষের কাছে সদ্গতির জ্ঞানই নেই।
এইসময় সমগ্র দুনিয়া তত্ত্ব-সহ তমোপ্রধান। এখানে যারা থাকে তারাও তমোপ্রধান। নতুন
দুনিয়াই হলো সত্যযুগ। ওখানে যারা থাকতেন তারা দেবতা ছিলেন পুনরায় রাবণ বিজয়
প্রাপ্ত করেছে। এখন পুনরায় বাবা এসেছেন। বাচ্চারা, তোমরা বলো যে, আমরা যাচ্ছি
বাপদাদার কাছে। বাবা তোমাদেরকে দাদার দ্বারা বিশ্বের উত্তরাধিকার প্রদান করেন। বাবা
বিশ্বের উত্তরাধিকার দেবেন, আর কি দেবেন! বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে একথা আসা
উচিত, তাই না! কিন্তু মায়া ভুলিয়ে দেয়। খুশি চিরস্থায়ী হতে দেয় না। যারা ভালভাবে
পড়বে আর পড়াবে তারাই উচ্চপদ পাবে। গাওয়াও হয় যে, সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। তোমাদের কেবল
একবারই ওঁনাকে মনে রাখা উচিত, তাই না! সকল আত্মাদের পিতা একজনই, তিনি সকল আত্মাদের
পিতা, তিনি এসেছেন। কিন্তু সকলেই তো মিলিত হতে পারবে না। অসম্ভব। বাবা পড়াতে আসেন।
তোমরাও সকলে হলে টিচার্স। বলাও তো হয় গীতা পাঠশালা, তাই না! এই শব্দটিও অতি কমন।
তারা বলে, কৃষ্ণ গীতা শুনিয়েছে। এখন এ তো কৃষ্ণের পাঠশালা নয়। কৃষ্ণের আত্মা পড়ছে।
সত্যযুগে কি কেউ গীতা পাঠশালায় পড়ে বা পড়ায় ? কৃষ্ণের জন্ম তো হয়ই সত্যযুগে,
পুনরায় ৮৪ জন্ম নেয়। একজনের শরীরও মিলতে পারে না অন্যের সঙ্গে। ড্রামা প্ল্যান
অনুসারে প্রত্যেক আত্মায় নিজের ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা রয়েছে। এক সেকেন্ডও মেলে না
অন্যের সঙ্গে। ৫ হাজার বছর তোমরা নিজ ভূমিকা পালন করো। এক সেকেন্ডের পার্টও মিলতে
পারে না অন্য সেকেন্ডের সঙ্গে। কত বুঝবার মতন বিষয়। এ তো ড্রামা, তাই না!
পার্ট(ভূমিকা) রিপীট হতে পারে। এছাড়া বাকি ওইসব শাস্ত্র সবই ভক্তিমার্গের।আধাকল্প
চলে ভক্তিমার্গ, পুনরায় আমি এসে সকলের সদ্গতি করি। তোমরা জানো যে, ৫ হাজার বছর
পূর্বে রাজ্য করতাম। সদ্গতিতে(সুখে) ছিলাম। দুঃখ নামের কোনো চিহ্নই ছিল না। এখন তো
দুঃখই-দুঃখ। একে দুঃখধাম বলা হয়। শান্তিধাম, সুখধাম আর দুঃখধাম। আমি এসে
ভারতবাসীদেরই সুখধামের পথ বলে দিই।পুনরায় প্রতি কল্পেই আমাকে আসতে হয়। অনেকবার
এসেছি, আসতেই থাকবো। এর কোনো শেষ হতে পারে না। তোমরা যখন পরিক্রমা করে দুঃখধামে আসো
তখন আমাকেও আসতে হয়। এখন তোমাদের ৮৪ জন্মের চক্রের স্মৃতি এসেছে। বাবাকে রচয়িতা বলা
হয়। এমন নয় যে, ড্রামার কোনো রচয়িতা আছে। রচয়িতা অর্থাৎ এইসময় এসে সত্যযুগের রচনা
করেন। সত্যযুগে যাদের রাজ্য ছিল পরে তা হারিয়ে ফেলেছে, তাদেরকেই বসে পড়াই।
বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট করি। তোমরা হলে আমার সন্তান, তাই না! তোমাদের কোনো সাধু-সন্তাদি
পড়ায় না। যিনি পড়ান তিনি হলেন তোমাদের একমাত্র পিতা, যাঁকে সকলেই স্মরণ করে। তাহলে
অবশ্যই পতিত-পাবন পিতা আসেন। খ্রাইস্টের উদ্দেশ্যে একথা বলতে পারবে না যে, পুনরায়
এসো। তারা মনে করে, বিলীন হয়ে গেছে। পুনরায় আসার কোনো কথাই নেই। তবুও পতিত-পাবনকে
স্মরণ করে। পুনরায় আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের উত্তরাধিকার প্রদান করো। বাচ্চারা, এখন
তোমাদের স্মৃতিতে এসেছে যে -- বাবা এসেছেন। নতুন দুনিয়ার স্থাপনা করবেন। তারা যদিও
নিজেদের সময়ানুসারে রজঃ, তমঃ-তেই আসবে। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, আমরা মাস্টার
নলেজফুল হই।
বাচ্চারা, একমাত্র পিতাই আছেন যিনি তোমাদেরকে পড়িয়ে বিশ্বের মালিক করে দেন। স্বয়ং
হন না তাই ওঁনাকে বলা হয় নিষ্কাম সেবাধারী। মানুষ বলে যে, আমরা ফলের আশা করি না,
আমরা নিষ্কাম সেবা করি। কিন্তু এমন হয় না। যেমন সংস্কার নিয়ে আসে সেই অনুসারে জন্ম
হয়। কর্মের ফল অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। সন্ন্যাসীরাও গৃহস্থীদের কাছে জন্ম নিয়ে পুনরায়
সংস্কার অনুযায়ী সন্ন্যাস ধর্মে চলে যায়। যেমন বাবা সৈন্যদের উদাহরণ দেয়। তারা
বলে -- গীতায় লিখিত রয়েছে যে, যার যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যু হবে সে স্বর্গে যাবে,
কিন্তু স্বর্গে যাওয়ারও তো সময় চাই, তাই না! স্বর্গকে (আয়ু) তো লক্ষ-লক্ষ বছরের বলে
দেয়। এখন তোমরা জানো যে বাবা কি বোঝান, আর গীতায় কি লিখিত রয়েছে। কথিত আছে যে --
ভগবানুবাচ, আমি সর্বব্যাপী। বাবা বলেন -- কি করে আমি নিজেকে এমনভাবে গালি দেবো যে
আমি সর্বব্যাপী, কুকুর-বিড়াল সবেতেই বর্তমান। আমাকে তোমরা জ্ঞানসাগর বলো। তাহলে আমি
নিজেকে এমন কথা কিভাবে বলবো ? কত মিথ্যা। জ্ঞান কারোর মধ্যেই নেই। সন্ন্যাসীদের কত
সম্মান কারণ তারা পবিত্র। সত্যযুগে কেউ গুরু হয় না। এখানে স্ত্রী-কেও বলা হয় যে,
তোমার স্বামী তোমার গুরু, ঈশ্বর, দ্বিতীয় কোনো গুরু করো না। সেও তো তখন বোঝানো হতো
যখন ভক্তিও সতোপ্রধান ছিল। সত্যযুগে গুরু ছিল না। ভক্তির শুরুতেও গুরু-প্রথা ছিল
না। স্বামীই ছিল সব। গুরু করা হতো না। এইসমস্ত কথা এখন তোমরা বুঝেছো।
অনেক মানুষ ব্রহ্মাকুমার-কুমারীদের নাম শুনে ভয় পেয়ে যায় কারণ তারা মনে করে যে, এরা
ভাই-বোন বানিয়ে দেয়। আরে! প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হওয়া তো ভাল, তাই না!
বি.কে.-রাই স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। এখন তোমরা তা নিচ্ছো। তোমরা বি.কে.
হয়েছো। উভয়ই বলে আমরা ভাই-বোন। শরীর-বোধ, বিকারের গন্ধ দূর হয়ে যায়। আমরা এক পিতার
সন্তান ভাই-বোন তাহলে কি করে বিকারে যেতে পারি। এ হলো মহাপাপ। পবিত্র থাকার এই
যুক্তি ড্রামায় রয়েছে। সন্ন্যাসীদের হলো নিবৃত্তিমার্গ। তোমরা হলে
প্রবৃত্তিমার্গীয়। এখন তোমাদের এই পতিত(ছিঃ ছিঃ) দুনিয়ার রীতি-রেওয়াজকে পরিত্যাগ
করে এই দুনিয়াকেই ভুলে যেতে হবে। তোমরা স্বর্গের মালিক ছিলে পুনরায় রাবণ কত
অপবিত্র করে দিয়েছে। এও বাবা বুঝিয়েছেন, কেউ-কেউ বলে আমরা কিভাবে মানবো যে আমরা ৮৪
জন্ম নিয়েছি। ৮৪ জন্ম নিয়েছো, এ তো আমরা ভালকথা বলি, তাই না! ৮৪ জন্ম না নিলে
(বুদ্ধিতে) বসবে না। বোঝা যায় যে, এরা দেবী-দেবতা ধর্মের নয়। স্বর্গে আসতে পারবে
না। প্রজাতেও কম পদ লাভ করবে। প্রজাতেও ভাল পদ, কম পদ রয়েছে, তাই না! একথা কোনো
শাস্ত্রতে নেই। ভগবান এসে রাজ্য স্থাপন করেন। শ্রীকৃষ্ণ তো বৈকুন্ঠের মালিক ছিলেন।
স্থাপনা করেন বাবা। বাবা গীতা শুনিয়েছেন যার দ্বারা এই পদ প্রাপ্ত করেছো পুনরায়
পড়া আর পড়ানোর প্রয়োজনই নেই। তোমরা পড়াশোনা করে পদ প্রাপ্ত করে নাও। পুনরায় গীতার
জ্ঞান কি পড়বে, না পড়বে না। গীতার দ্বারা সদ্গতি প্রাপ্ত করা হয়ে গেছে, যত
পুরুষার্থ করবে ততই উচ্চপদ লাভ করবে। যতটা পুরুষার্থ কল্প-পূর্বে করেছিল ততটা করতেই
থাকে। সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে। টিচারদেরকেও দেখতে হবে যারা আমাদের পড়িয়েছেন, আমাদের
ওনাদের থেকেও হুশিয়ার হতে হবে। ব্যবধান অনেক বেশী। উচ্চতম হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা
করতে হবে। মুলকথা হলো তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে। এ হলো বোঝার মতন বিষয়, তাই
না! গৃহস্থ ব্যবহারে থাকতে হবে, বাবাকে স্মরণ করতে হবে তবেই তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে।
এখানে সকলেই পতিত, এখানে দুঃখই-দুঃখ। সুখের রাজ্য কখন ছিল তা কেউই জানে না। দুঃখে
বলে -- হে ভগবান, হে রাম দুঃখ কেন দিয়েছো ? ঈশ্বর তো কাউকে দুঃখ দেয় না। দুঃখ দেয়
রাবণ। এখন তোমরা জেনেছো যে, আমাদের রাজ্যে আর কোন ধর্ম থাকবে না। পরে অন্যান্য ধর্ম
আসবে। অবশ্যই তোমরা যেখানেই যাও, তোমাদের অধ্যয়ন তোমাদের সঙ্গে রয়েছে, তোমরা
'মন্মনাভব'-র লক্ষ্য পেয়েছো, বাবাকে স্মরণ করো। বাবার থেকে আমরা স্বর্গের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। এও কি স্মরণ করতে পারো না। এই স্মরণও পাকা হওয়া উচিত।
তাহলে অন্তিমসময়ের মতি বা স্মরণের মাধ্যমে তেমনই গতি প্রাপ্ত হয়ে যাবে। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন ও
সুপ্রভাত। আধ্যাত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
সকাল-সকাল অমৃতবেলায় উঠে স্মরণ করতে হবে -- বাবা আমাদের পিতাও, টিচারও, এখন বাবা
এসেছেন আমাদের জ্ঞান-রত্ন দ্বারা শৃঙ্গার করতে। তিনি হলেন পিতারও পিতা, পতিরও পতি
-- এভাবে স্মরণ করে অপার খুশির অনুভব করতে হবে।
২) প্রত্যেকের
পুরুষার্থকে সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে, উচ্চপদের মার্জিন (পাওয়ার সুযোগ ) রয়েছে, তাই
তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে।
বরদান:-
সঙ্গমযুগে প্রত্যক্ষফল দ্বারা শক্তিশালী হওয়া সদা সমর্থ আত্মা ভব
সঙ্গমযুগে যে আত্মারা
অসীম জগতের সেবায় নিমিত্ত হয়, তাদের নিমিত্ত হওয়ার প্রত্যক্ষফল শক্তিরূপে প্রাপ্ত
হয়। এই প্রত্যক্ষফলই শ্রেষ্ঠ যুগের ফল। এমন ফল খাওয়া অর্থাৎ ফল প্রাপ্ত করা
শক্তিশালী আত্মারা যেকোনো পরিস্থিতির উপর সহজেই বিজয়প্রাপ্ত করে নেয়। তারা সমর্থ
(শক্তিশালী) বাবার সঙ্গে হওয়ার কারণে ব্যর্থ থেকে সহজেই মুক্ত হয়ে যায়। বিষধর
সর্প-সম পরিস্থিতিতেও তাদের জয় হয় তাই স্মৃতি-চিহ্নরূপে দেখানো হয়েছে যে,
শ্রীকৃষ্ণ সাপের মাথায় নৃত্য করছে।
স্লোগান:-
পাস
উইথ অনার হয়ে বিগতকে(পাস্ট) গত(পাস) করে দাও, তাহলে সদা বাবার নিকটে থাকবে।