01.05.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
অনেক দেহধারীদের থেকে ভালোবাসা সরিয়ে এক অশরীরী বাবাকে স্মরণ করো তো তোমাদের সকল
অঙ্গ শীতল হয়ে যাবে”
প্রশ্নঃ -
যে দৈবীকুলের
আত্মা হবে, তার লক্ষণ কেমন হবে?
উত্তরঃ -
দৈবী কুলের আত্মাদের এই পুরানো দুনিয়ার থেকে সহজেই বৈরাগ্য হবে। ২) তাদের বুদ্ধি
অসীম জগতে থাকবে। শিবালয়ে যাওয়ার জন্য তারা সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ করবে।
৩) কোনো আসুরিক আচার-আচরণ তাদের মধ্যে থাকবে না। ৪) নিজের দৈনন্দিন চার্ট রাখবে যে
আজ কোনো আসুরিক কর্ম তো হয়নি? বাবাকে সব সত্য শোনাবে। কিছুই লুকিয়ে রাখবে না।
গীতঃ-
না সে আমার
থেকে আলাদা হবে আর না আমি হবো...
ওম্ শান্তি ।
এখন এটা হল
অসীম জগতের কথা। লৌকিক জগতের কথা সব বেরিয়ে যায়। দুনিয়াতে তো অনেককে স্মরণ করা হয়,
অনেক দেহধারীদের সাথে ভালোবাসা থাকে। অশরীরী হলেন এক বাবা, যাঁকে পরমপিতা পরমাত্মা
শিব বলা হয়। তোমাদেরকে এখন তাঁর সাথেই বুদ্ধির যোগ রাখতে হবে। কোনো দেহধারীকে
স্মরণ করবে না। ব্রাহ্মণ আদি খাওয়ানো, এইসব হলো কলিযুগের রীতি-রেওয়াজ। সেখানকার
রীতি-রেওয়াজ আর এখানকার রীতি-রেওয়াজ একদম আলাদা। এখানে কোনো দেহধারীকে স্মরণ করা
যাবে না। যতক্ষণ না সেই অবস্থা আসে ততক্ষণ পুরুষার্থ চলতেই থাকবে। বাবা বলছেন যে,
যতটা সম্ভব পুরানো দুনিয়া থেকে যারা ছেড়ে চলে গেছেন বা যারা এখনো আছে, তাদের
সবাইকে ভুলে যেতে হবে। সারাদিন বুদ্ধিতে এটাই যেন চলে, কাউকে কিভাবে বোঝাতে হবে।
সবাইকে বলতে হবে যে, এসে ওয়ার্ল্ড-এর পাস্ট, প্রেজেন্ট, ফিউচারকে বোঝো, যেটা কেউই
জানে না। পাস্ট অর্থাৎ কবে থেকে শুরু হয়েছে। প্রেজেন্ট, এখন কি অবস্থায় আছে। শুরু
হয়েছে সত্যযুগ থেকে। তো সত্যযুগ থেকে আরম্ভ করে এখন পর্যন্ত আর ফিউচারে কি হতে
চলেছে - এই সমস্ত কথা সাধারণ মানুষ কিছুই জানেনা। বাচ্চারা তোমরাই জানো, এই জন্য
চিত্র আদি তৈরি করো। এটা হলো অনেক বড় অসীম জগতের নাটক। সেই সব মিথ্যা লৌকিক নাটক
তো অনেক তৈরি হয়। যারা গল্প লেখে তারা আলাদা হয় আর যারা নাটকের সিন-সিনারি তৈরি
করে, তারা আলাদা ব্যক্তি। এই সমস্ত রহস্য এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। এখন যা কিছু
দেখছো, সে সব কোনোকিছুই থাকবে না। বিনাশ হয়ে যাবে। তাই তোমাদেরকে সত্য যুগের নতুন
দুনিয়ার সিন-সিনারি খুব ভালো ভাবে দেখতে হবে। যেমন আজমীর-এ সোনার দ্বারিকা আছে, তো
সেগুলি থেকেও সিন-সিনারি নিয়ে নতুন দুনিয়া আলাদাভাবে বানিয়ে দেখাও। এই পুরোনো
দুনিয়াতে আগুন লেগে যাবে, এরও নকশা তো আছে তাইনা। আর এই নতুন দুনিয়া পুনরায়
স্থাপন হচ্ছে। এইরকম-এইরকম চিন্তা করে ভালো রীতিতে বানাতে হবে। এইগুলো তো সব তোমরাই
বুঝতে পারো। এই সময় মানুষের বুদ্ধি একদমই পাথরের মত হয়ে গেছে। তোমরা কতই না বোঝাও
তবুও বুদ্ধিতে কিছুই বসে না। যেমন নাট্যকারেরা সুন্দর সুন্দর সিন সিনারি বানায়,
এইরকম কারো সাহায্য নিয়ে স্বর্গের সিন-সিনারি খুব ভালোভাবে বানানো চাই। তারা খুব
ভাল আইডিয়া দেবে। যুক্তি বলে দেবে। তাদেরকে বুঝিয়ে এমন সুন্দর বানানো চাই, যেটা
সাধারণ মানুষ এসে সহজেই বুঝতে পারবে। বরাবর সত্যযুগে তো একটাই ধর্ম ছিল। বাচ্চারা
তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে ধারণা হয়। যাদের বুদ্ধি দেহ-অভিমানী, তাদেরকে
খারাপ ছিঃ-ছিঃ বলা হয়। দেহী-অভিমানীকে সুন্দর ফুল (গুল-গুল) বলা যায়। এখন তোমরা
ফুল তৈরি হচ্ছো। দেহ অভিমান থাকলে কাঁটাই থেকে যাবে। বাচ্চারা তোমাদের তো পুরানো
দুনিয়া থেকে বৈরাগ্য আছে। তোমাদের হল অসীম জগতের বুদ্ধি, অসীম জগতের বৈরাগ্য।
আমাদের এই বেশ্যালয় থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে নিতে হবে। এখন আমরা শিবালয়ে যাওয়ার
জন্য ফুল তৈরি হচ্ছি। তৈরি হতে-হতেও যদি কোনো খারাপ আচরণ দেখা যায়, তাহলে বোঝা যায়
যে, এর মধ্যে এখনও ভূতের প্রবেশ আছে। একই ঘরে পতি হংস হয়ে আছে, পত্নি না বোঝার
কারণে তো সমস্যা হয়ে যায়। সহ্য করতে হয়। বোঝা যায় যে, এর ভাগ্যে নেই। সবাই তো
আর দৈবী কুলের হবে না, যে হওয়ার সে ঠিকই হবে। অনেকেরই খারাপ আচরণের রিপোর্ট আসে।
এই-এই আসুরিক গুন আছে, এইজন্য বাবা প্রতিদিন বোঝাচ্ছেন যে, প্রত্যেক রাতে শোয়ার আগে
নিজের দৈনন্দিন চার্ট দেখো, আজ কোনো আসুরিক কাজ তো আমার দ্বারা হয়নি? বাবা বলছেন
যে, সারাজীবনে যা কিছু ভুল করেছো, সে সব আমাকে বলো। কেউ অতি খারাপ কাজ করলে তখন
ডাক্তারকে বলতে লজ্জা পায়, কেননা সম্মান চলে যাবে, তাই না। না বললে তো আবার ক্ষতি
হয়ে যাবে। মায়া এমন জোরে থাপ্পড় মারে যে, একদম সত্যানাশ করে দেয়। মায়াও হল খুব
শক্তিশালী। ৫ বিকারের উপর বিজয় প্রাপ্ত না পারলে তো বাবাও কি করবেন।
বাবা বলছেন যে - আমি হলাম দয়ার সাগরও আবার কালেরও কাল । মানুষ আমাকে এই বলে আহ্বান
করে যে, হে পতিতপাবন এসে আমাদেরকে পাবন বানাও। আমার নাম তো দুটোই, তাইনা। কিভাবে আমি
দয়ার সাগরও, আবার কালেরও কাল, সেই ভূমিকা এখন পালন করছি। তোমরা কাঁটা থেকে ফুল হচ্ছে,
তাই তোমাদের বুদ্ধিতে সেই খুশিও আছে। অমরনাথ বাবা বলছেন যে, তোমরা সবাই হলে পার্বতী।
এখন তোমরা "মামেকম্ স্মরণ করো" তাে তোমরা অমরপুরীতে চলে যাবে আর তোমাদের পাপও বিনাশ
হয়ে যাবে। ওই যাত্রাতে তো তোমাদের কোনো পাপ নাশ হয় না। সেটা হল ভক্তিমার্গ-এর
যাত্রা। বাচ্চাদেরকে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে যে, তোমাদের এখানে খরচা-ব্যয় কিভাবে
চলছে। কিন্তু এইরকম কেউ সমাচার দেয় না যে, আমি এই উত্তর দিয়েছি। এতসব বাচ্চারা
ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণ আছি, তো আমরাই নিজেদের জন্য খরচা-ব্যয় করবো তাই না। আমরা
নিজেদের জন্য শ্রীমতে চলে রাজত্ব স্থাপন করছি। রাজ্যও আমরাই করবো। রাজযোগ আমরা শিখছি
তাই, খরচা তো আমরাই করবো। শিব বাবা তো অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করেন, যার দ্বারা
আমরা রাজাদের রাজা হই। যে বাচ্চারা পড়াশোনা করে তারাই তো খরচা
ব্যয় করে তাই না। বোঝাতে হবে যে, আমরা নিজেদের জন্য খরচা ব্যয় করি, আমরা কোন ভিক্ষা
বা দান আদি নিই না। কিন্তু বাচ্চারা শুধু লিখে দেয় যে, এও জিজ্ঞাসা করেছে, এইজন্য
বাবা বলে দিয়েছেন যে, সারাদিনে যে সেবা করবে, সন্ধ্যেবেলায় সেই চার্ট বলতে হবে। এ
সবই সবাইকে ফলো করতে হবে । এখানে আসে তো অনেকই। তারা সবাই প্রজা হবে, উঁচুপদ
প্রাপ্তকারী খুব কম সংখ্যকই হয়। রাজা খুব অল্প সংখ্যক হয়, ধনীও খুব অল্পসংখ্যক হয়।
বাকি তো সব গরীব হয়। এখানেও এইরকম হয়, তো দৈবী দুনিয়াতেও এইরকমই হবে। রাজ্য
স্থাপন হচ্ছে, সেখানেও নম্বরের ক্রম অনুযায়ী সবাইকেই চাই। বাবা এসে সবাইকে রাজযোগ
শিখিয়ে আদি সনাতন দৈবী রাজধানী স্থাপন করেন। দৈবীধর্মের রাজধানী ছিল, এখন নেই। বাবা
বলেন যে, আমি পুনরায় স্থাপনা করছি। তাই কাউকে বোঝানোর জন্য চিত্রও এরকম চাই। বাবার
মুরলী শুনে করবে। দিন দিন সংশোধন তো হতেই থাকে। তোমরা নিজেদের স্থিতিকেও দেখতে থাকো,
কতটা সংশোধন হচ্ছে। বাবা এসে নোংরা থেকে বের করেন, তোমরাও যত-যত অন্যদেরকে এই নোংরা
থেকে বের করার সেবা করবে, ততোই উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। বাচ্চারা তোমাদেরকে তো একদম
ক্ষীরখন্ড হয়ে থাকতে হবে। সত্যযুগের থেকেও এখানে বাবা তোমাদেরকে অনেক উঁচু তৈরী
করেন। বাবা, ঈশ্বর পড়াচ্ছেন, তো বাবার এই ঈশ্বরীয় শিক্ষাকে যথার্থ ভাবে গ্রহণ করে
তাঁকে প্রত্যক্ষ করে দেখাও, তবে তো বাবাও সমর্পণ হয়ে যাবেন। বুদ্ধিতে এটাই রাখতে হবে
যে - ব্যস, এখন তো আমরা ভারতকে স্বর্গ বানানোর সেবাই করবো। এই চাকরি আদি করা, সেসব
তো চলতেই থাকবে। প্রথমে নিজের উন্নতি তো করি। খুবই সহজ আছে। মানুষ সব কিছুই করতে
পারে। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও রাজপদ পেতে হবে, এইজন্য প্রতিদিন নিজের দৈনন্দিন চার্ট
লেখো। সারাদিনের লাভ-ক্ষতি বের করো। দৈনন্দিন চার্ট না লিখলে তো সংশোধন হওয়াও খুব
কঠিন হয়ে যাবে। তোমরা বাবার কথা মানছ কিনা ? প্রত্যেকদিন দেখতে হবে - কাউকে আমি
দুঃখ তো দিইনি ? পদ অনেক উঁচু, অবিনাশী উপার্জন আছে। না হলে তো আবার কাঁদতে হবে।
রেস হয় না ? কেউ তো লক্ষ টাকা কামিয়ে নেয়, আবার কেউ তো কাঙ্গাল-ই হয়ে থেকে যায়।
এখন তোমাদের হল এই ঈশ্বরীয় রেস, এখানে কোনো দৌঁড়ের প্রতিযোগিতাদি করতে হবে না,
কেবলমাত্র বুদ্ধি দিয়ে প্রিয় বাবাকে স্মরণ করতে হবে। কোনো কিছু ভুল হয়ে গেলে
তাড়াতাড়ি বাবাকে শুনিয়ে দিতে হবে। বাবা আমার দ্বারা এই ভুল হয়েছে।
কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা এই ভুল করেছি। বাবা বলেন যে, ঠিক-ভুল বিচার করার বুদ্ধি
প্রাপ্ত হয়েছে তো এখন আর কোনো ভুল কাজ করোনা। ভুল কাজ করে দিয়েছো - তো বাবা ভুল
হয়ে গেছে, ক্ষমা করে দাও, কেননা বাবা এখনও এখানে বসে আছেন শোনার জন্য। যদি কিছু
খারাপ কাজ করে ফেলো, তো যত শীঘ্র সম্ভব বাবাকে বলো বা লিখে জানাও - বাবা আমার দ্বারা
এই খারাপ কাজ হয়ে গেছে, তাহলে তোমার অর্ধেক মাফ হয়ে যাবে। এরকম নয় যে আমি কৃপা
করবো। ক্ষমা বা কৃপা এক আনাও হবে না। সবাইকেই নিজেকে সংশোধন করতে হবে। বাবার স্মরণে
বিকর্ম বিনাশ হবে। অতীতেও যা কিছু পাপ কর্ম আছে, সেসব যোগবলের দ্বারা বিনাশ হয়ে
যাবে। বাবার হয়ে পুনরায় বাবার নিন্দা করিও না। সদ্গুরুর নিন্দক কোনো পদ প্রাপ্ত
করতে পারবে না। পদ তোমরাই প্রাপ্ত করো - অনেক উঁচু। অন্য কোনো গুরুদের কাছে তো কোনো
রাজপদ থাকে না। এটাই হলো তোমাদের এইম-অবজেক্ট। ভক্তিমার্গে কোনো এইম-অবজেক্ট হয়
না। যদি হয়েও থাকে তো অল্পকালের জন্য। কোথায় একুশ জন্মের সুখ, আর কোথায় এক
পয়সার অল্পদিনের সুখ। এরকম নয় যে, ধন থাকলেই সুখে থাকবে। দুঃখও তো অনেক হয়। আচ্ছা
- মনে করো কেউ হসপিটাল বানিয়েছে তো পরের জন্মে তার রোগ কম হবে। এরকম তো নয় যে,
সাথে সাথে অনেক বেশি বিদ্যাও অর্জন করবে বা ধনও অনেক বেশি প্রাপ্ত হবে। তার জন্য তো
পুনরায় সব কিছু করতে হয়। কেউ ধর্মশালা বানালে তো পরের জন্মে প্রাসাদোপম বাড়ি
প্রাপ্ত করে। এমন নয় যে সুস্থ থাকবে। না। তাই বাবা কত ভাবেই না বোঝাচ্ছেন। কেউ তো
খুব ভালো ভাবে বুঝে তারপর অন্যদের বোঝায়, আবার কেউ তো কিছুই বোঝে না। তাই প্রতিদিন
নিজের দৈনন্দিন চার্ট লেখো। আজ কি পাপ করেছি ? এই কথাতে অসফল হয়েছি। বাবা শ্রীমৎ
দেন যে, এইরকম কাজ আর ক'রোনা। তোমরা জেনে গেছো যে আমরা এখন স্বর্গে যেতে চলেছি।
বাচ্চাদের তো খুশির পারদ চড়েই না। বাবার (ব্রহ্মা) তো অনেক খুশি হয়। আমি বৃদ্ধ
হয়েছি, এই শরীর ছেড়ে আমি প্রিন্স হবো। তোমরাও পড়াশোনা করছো তো তোমাদেরও খুশির
পারদ উর্ধ্বমুখী হওয়া চাই। কিন্তু কেউ কেউ তো বাবাকে স্মরণই করে না। বাবা কত সহজ করে
বোঝাচ্ছেন, সেই ইংরাজী আদি পড়তে তো মাথা খারাপ হয়ে যায়। খুব শক্ত হয়। এটাতো হলো
খুবই সহজ। এই আধ্যাত্মিক পড়াশোনার দ্বারা তোমরা শীতল হয়ে যাও। এতে তো কেবল বাবাকে
স্মরণ করতে থাকো তো একদম শীতল অঙ্গ হয়ে যাবে। তোমাদেরই তো শরীর আছে তাইনা।
শিববাবার তো কোনো শরীর নেই। শ্রীকৃষ্ণেরও অঙ্গ আছে। তাঁর অঙ্গ তো শীতল আছেই এই জন্য
তার নাম রেখে দিয়েছে। এখন তাঁর সঙ্গ কিভাবে সম্ভব। তিনি তো সত্যযুগে থাকবেন। তাঁর
এই রূপ শীতল অঙ্গ কে বানিয়েছেন ? এটা এখন তোমরাই বুঝতে পারো। তো এখন বাচ্চারা
তোমাদেরকেই এত ধারণা করতে হবে। লড়াই ঝগড়া একদম করো না। সবকিছু সত্য বলতে হবে।
মিথ্যা কথা বললে সত্যানাশ হয়ে যাবে।
বাচ্চারা, বাবা তোমাদেরকে অলরাউন্ড সবকথা বোঝাচ্ছেন। চিত্রও খুব ভালো ভালো তৈরি করো
যেটা সকলের কাছে যাবে। ভালো জিনিস দেখে সবাই বলবে একবার সেখানে গিয়েই দেখাযাক। যারা
বোঝায় তাদেরকেও সতর্ক থাকতে হবে। সেবা করাও শিখতে হবে। ভালো ভালো ব্রাহ্মণীও চাই
যারা অন্যদেরকে নিজের সমান বানাতে পারবে। *যারা নিজ সম ম্যানেজার বানাবে, তাদেরকেই
ভালো ব্রাহ্মণী বলা যাবে*। তারা পদও অনেক উঁচু প্রাপ্ত করবে। বেবি (বাচ্চা সুলভ)
বুদ্ধিও যেন না হয়, না হলে তো তুলে নিয়ে চলে যাবে। রাবণ সম্প্রদায় রয়েছে যে ।
এমন ব্রাহ্মণী তৈরি করো, যারা পরবর্তীকালে সেন্টার সামলাতে পারবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
বাবার ঈশ্বরীয় শিক্ষাকে যথার্থ ভাবে গ্রহণ করে তাঁকে প্রত্যক্ষ করাও। ভারতকে স্বর্গ
বানানোর সেবায় লেগে পড়তে হবে। প্রথমে নিজের উন্নতির চিন্তা করতে হবে। ক্ষীরখন্ড
হয়ে থাকতে হবে।
২) কোনো ভুল হয়ে
গেলে বাবার থেকে ক্ষমা চেয়ে, নিজেই নিজেকে সংশোধন করতে হবে। বাবা কৃপা করেন না,
বাবার স্মরণে থাকলেই বিকর্ম বিনাশ হবে, এমন কোনো কাজ ক'রো না যাতে বাবার নিন্দা হয়।
বরদান:-
নিজের
পাওয়ারফুল স্থিতি দ্বারা সকলের শুভ কামনা গুলি পূরণকারী মহাদানী ভব
পরে যারা আসবে,
অল্পতেই তারা সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। তাদের পার্টই হল কণা-দানা নেওয়ার। এইরকম আত্মাদের
যাতে তাদের ভাবনার ফল প্রাপ্ত করতে পারে, কেউই যেন বঞ্চিত থেকে যায়, এরজন্য এখন থেকে
নিজেদের মধ্যে সকল শক্তি জমা করো। যখন তোমরা নিজেদের সম্পূর্ণ পাওয়ারফুল, মহাদানী
স্থিতিতে স্থিত হবে, তখন কোনো আত্মাকে নিজের সহযোগের দ্বারা, মহাদান দেওয়ার
কর্তব্যের আধারে শুভ ভাবনার সুইচ অন করতেই দৃষ্টি দিয়ে ভরপুর করে দেবে।
স্লোগান:-
সর্বদা
ঈশ্বরীয় মর্যাদায় চলতে থাকো তাে মর্যাদা পুরুষোত্তম হয়ে যাবে।