22.05.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা —
একান্তে বসে নিজের সাথে কথা বলো, আমি অবিনাশী আত্মা, বাবার কাছ থেকে শুনছি, এটাই
অভ্যাস করো"
প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চারা
স্মরণে অলস, তাদের মুখ থেকে কোন্ শব্দ বেরিয়ে আসে ?
উত্তরঃ -
ওরা বলে আমরা তো শিববাবারই সন্তান, স্মরণেই থাকি। কিন্তু বাবা বলেন - এই সব হলো
গল্প, আলসেমি। এর জন্য পুরুষার্থ করতে হবে, ভোরবেলা উঠে নিজেকে আত্মা মনে করে বসতে
হবে। বার্তালাপ করতে হবে। আত্মাই কথা বলে, এখন তোমরা দেহী-অভিমানী হচ্ছ।
দেহী-অভিমানী বাচ্চারাই স্মরণের চার্ট রাখবে। তারা শুধুমাত্র জ্ঞানের কথা বলবে না।
গীতঃ-
হৃদয়ের আয়নায়
নিজের চেহারা দেখো .....
ওম্ শান্তি ।
রূহানী
বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে, প্রাণ আত্মাকে বলা হয়। এখন বাবা আত্মাদের বোঝাচ্ছেন, এই
গান ভক্তি মার্গের জন্য। এর মধ্যে শুধুমাত্র সারটুকু বোঝানো আছে। তোমরা যখন এখানে
এসে বসো তখন নিজেকে আত্মা মনে করে বসো। দেহ - ভাব ত্যাগ করতে হবে। আমি আত্মা অতি
ক্ষুদ্র বিন্দু। এই শরীর দ্বারা ভূমিকা পালন করে থাকি। এই আত্মার জ্ঞান কারো মধ্যে
নেই। বাবাই এসে বোঝান । তিনি বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করো — আমি ছোট আত্মা। আত্মাই
এই শরীর দ্বারা সম্পূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সুতরাং এর দ্বারা দেহ-ভাব সমাপ্ত হয়।
এতেই পরিশ্রম। আমি আত্মা এই সম্পূর্ণ নাটকের অ্যাকট্রেস। উচ্চ থেকে উচ্চতর অ্যাকটর
হলেন পরমপিতা পরমাত্মা। বুদ্ধিতে থাকে যে ইনিও ছোট বিন্দু, কিন্তু ওঁনার মহিমা
প্রসিদ্ধ। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। কিন্তু ছোট বিন্দু। আমরা আত্মারাও
ছোট বিন্দু। দিব্য দৃষ্টি ছাড়া আত্মাকে দেখা যায় না। এইসব নতুন-নতুন বিষয় তোমরা এখন
শুনছ। দুনিয়া কিছুই জানেনা। তোমাদের মধ্যেও মাত্র কিছু সংখ্যকই আছে যারা যথার্থ
রীতিতে বুঝেছ আর বুদ্ধিতেও থাকে যে আমরা আত্মারা ছোট বিন্দু। আমাদের পিতা এই
ড্রামার প্রধান অ্যাক্টর । উচ্চ থেকে উচ্চতর অ্যাক্টর হলেন বাবা, তারপর অমুক - অমুক
আসে। তোমরা জান বাবা জ্ঞানের সাগর কিন্তু শরীর ছাড়া জ্ঞান প্রদান তো করতে পারবেন
না। শরীর দ্বারাই কথা বলা যায়। যখন আত্মা অশরীরী হয়ে যায় তখন অরগ্যান্স থেকে আলাদা
হয়ে যায়। ভক্তি মার্গে তো দেহধারীদের স্মরণ করে থাকে। পরমপিতা পরমাত্মার নাম, রূপ,
দেশ, কালকে জানেই না। শুধু বলে থাকে পরমাত্মা নাম-রূপ থেকে ভিন্ন। বাবা বোঝান —
ড্রামানুসারে তোমরা যারা নম্বর ওয়ান সতোপ্রধান ছিলে, তোমাদেরই আবার সতোপ্রধান হয়ে
উঠতে হবে। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য এই স্থিতিকে শক্তিশালী করতে হবে যে
আমি আত্মা, এই শরীর দ্বারাই আত্মা কথা বলে, তার মধ্যেই জ্ঞান আছে। এই জ্ঞান আর কারো
বুদ্ধিতে নেই যে আমার আত্মাতে ৮৪ জন্মের অবিনাশী ভূমিকা পূর্ব নির্ধারিত। এমন অনেক
নতুন-নতুন পয়েন্ট তোমরা শুনছ। একান্তে বসে নিজের সাথে এমনই সব বার্তালাপ করতে হবে —
আমি আত্মা, বাবার কাছ থেকে শুনছি। আমি আত্মার মধ্যেই জ্ঞান নিহিত রয়েছে, আমি আত্মার
মধ্যেই পার্ট ভরা আছে, আমি আত্মা অবিনাশী, এটাই অন্তরে মন্থন করতে হবে। আমাকে
তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে। দেহ-অভিমানী মানুষের আত্মার মধ্যে কোনো জ্ঞান
নেই, কত বড় বড় বই নিজেদের কাছে রাখে । কত অহঙ্কার তাদের মধ্যে। এটা হলো তমোপ্রধান
দুনিয়া। উচ্চ থেকে উচ্চ আত্মা কেউ নেই, তোমরা জান এখন আমাকে তমোপ্রধান থেকে
সতোপ্রধান হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। নিজের সাথে এই বিষয়ে মন্থন করতে হবে।
জ্ঞান শোনাবার জন্য তো অনেকেই আছে কিন্তু তাদের স্মরণ নেই। অন্তরে সেই তিতিক্ষা
থাকা উচিত। আমাকে বাবার স্মরণ দ্বারাই পতিত থেকে পাবন হতে হবে, শুধুমাত্র পন্ডিত
হলে হবে না। সেই পন্ডিতের উদাহরণ আছে যিনি কিছু মায়েদের বলেছিলেন রাম-রাম করতে তবেই
তারা নদী পার করতে সক্ষম হবে....। সুতরাং এমন মিথ্যে বলো না।
এরকম অনেকে আছে, বোঝায় খুব ভালো, কিন্তু যোগ নেই। সারাদিন দেহ-অভিমানে থাকে ।
বাবাকে চার্ট পাঠানো উচিত — আমি এই সময় উঠি, এত সময় স্মরণ করি । কিন্তু কোনে খবর
দেয় না। জ্ঞানের অনেক কথা বলে কিন্তু যোগ নেই। যদিও বড়দেরও জ্ঞান শোনায়, কিন্তু
যোগে কাঁচা। অমৃতবেলায় উঠে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বলতে হবে বাবা তুমি কত প্রিয় ।
কি বিচিত্র এই ড্রামা তৈরি হয়েছে । কেউ এর রহস্য জানে না। না আত্মা, না পরমাত্মাকে
জানে ।এই সময় মানুষ জানোয়ারের থেকেও নিকৃষ্ট। আমরাও এমন ছিলাম। মায়ার রাজ্যে কত
দুরবস্থা হয়। এই জ্ঞান তোমরা যে কোনো কাউকেই দিতে পারো । তাদের বলো, তুমি একজন
আত্মা এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছো, তোমাকে সতোপ্রধান হতে হবে। প্রথমে নিজেকে আত্মা মনে
করো । গরীবদের জন্য তো সহজ। বিত্তবানদেরই অনেক জটিলতা।
বাবা বলেন — আমি সাধারণ শরীরে প্রবেশ করি। না খুব গরীব, না বিশাল বিত্তবান। এখন
তোমরা জান কল্পে - কল্পে বাবা এসে এটাই শিক্ষা দেন যে, কিভাবে পবিত্র হব, বাদবাকি
কাজকর্ম ইত্যাদিতে যে ঝঞ্ঝাট আছে, তারজন্য বাবা কিন্তু আসেন না। তোমরা তো আহ্বান
করে বলে থাকো - হে পতিত-পাবন এসো, সুতরাং বাবা এসে পবিত্র হওয়ার পথ বলে দেন। এই
ব্রহ্মা স্বয়ং-ও কিছু জানতেন না। অ্যাক্টর হয়ে যদি ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে না জানে
তবে তাকে কি বলবে । আমরা আত্মারা এই সৃষ্টি চক্রে অ্যাক্টর, সে'কথা কেউ জানেনা।
যদিও বলে থাকে আত্মা মূলবতন নিবাসী কিন্তু অনুভব দ্বারা বলেনা। তোমরা তো এখন
প্র্যাকটিক্যালি জান — আমরা আত্মারা মূলবতন নিবাসী। আমরা আত্মারা অবিনাশী এটা
বুদ্ধিতে থাকা উচিত। অনেকেরই একদম যোগ নেই। দেহ-অভিমানের জন্য অধিক পরিমাণে ভুল হয়ে
থাকে। প্রধান বিষয়ই হলো দেহী-অভিমানী হওয়া। এই উৎসাহ থাকা উচিত যে, আমাদের
সতোপ্রধান হতে হবে। যে বাচ্চারা সতোপ্রধান হওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাদের মুখ থেকে
কখনো পাথর ( কুবাক্য বা শব্দ) বেরোবে না। কোনো ভুল হলে সঙ্গে-সঙ্গেই বাবাকে রিপোর্ট
করবে, বলবে বাবা আমার দ্বারা এই ভুল হয়েছে। ক্ষমা করো । গোপন করবে না। গোপন করলে
আরও বৃদ্ধি পাবে। বাবাকে খবর দিতে থাক। বাবা লিখে দেবেন তোমাদের যোগ ঠিক নয়। পবিত্র
হওয়াই প্রধান বিষয়। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে ৮৪ জন্মের কাহিনী লিপিবদ্ধ আছে। যতটা
সম্ভব এই ভাবনাই যেন থাকে যে সতোপ্রধান হতে হবে। দেহ-অভিমান ত্যাগ করতে হবে। তোমরা
হলে রাজঋষি । হঠযোগী কখনও রাজযোগ শেখাতে পারে না। বাবাই এসে রাজযোগ শেখান । জ্ঞানও
বাবাই এসে প্রদান করেন । এই সময় হলো তমোপ্রধান ভক্তি। জ্ঞান শুধুমাত্র বাবা সঙ্গমে
এসেই দিয়ে থাকেন। *বাবা এসেছেন অর্থাত্ ভক্তি শেষ হবে, এই দুনিয়াও শেষ হয়ে যাবে*।
জ্ঞান আর যোগ দ্বারাই সত্যযুগের স্থাপনা হয় । ভক্তি বিষয়টি হল ভিন্ন । মানুষ বলে
দুঃখ-সুখ সব এখানেই। বাচ্চারা এখন তোমাদের উপর অনেক বড় দায়িত্ব, নিজের কল্যাণ করার
জন্য যুক্তি তৈরি কর । তোমাদের এটাও বুঝিয়েছি পবিত্র দুনিয়া হলো শান্তিধাম আর
সুখধাম । এখানে অশান্তি ধাম, দুঃখ ধাম । প্রধান বিষয়ই হলো যোগ। যোগ নেই তো জ্ঞানের
মিথ্যে গল্প শুধু পন্ডিতদের মতো । আজকাল তো রিদ্ধি সিদ্ধিও অনেক, এর মধ্যে জ্ঞানের
কোনও যোগ নেই। মানুষ কত মিথ্যে জালে ফেঁসে আছে । পতিত ওরা। বাবা স্বয়ং বলেন আমি
পতিত দুনিয়াতে পতিত শরীরে প্রবেশ করি। এখানে পবিত্র কেউ নেই। এখানে নিজেকে কেউ
ভগবান বলে না। এখানে বলে থাকে আমরা পতিত, পবিত্র হলে ফরিস্তা হয়ে যাব । তোমরাও
পবিত্র ফরিস্তা হয়ে যাবে। সুতরাং প্রধান বিষয় হলো এটাই যে আমরা পবিত্র হব কিভাবে।
স্মরণ অবশ্যই প্রয়োজন। যে বাচ্চারা স্মরণে অলস ওরা বলে থাকে — আমরা তো শিববাবারই
সন্তান, স্মরণেই থাকি। কিন্তু বাবা বলেন - ওসব গল্প, অলসতা । পুরুষার্থ করতে হবে।
অমৃতবেলায় উঠে নিজেকে আত্মা মনে করে বসতে হবে। পরম আত্মার সাথে আত্মা রূপে কথা বলতে
হবে (রূহরিহান) করতে হবে। আত্মাই কথা বলে, তাইনা। এখন তোমরা দেহী-অভিমানী হচ্ছ। যে
অন্যের কল্যাণ করে তার মহিমাও করা হয়। ওটা হচ্ছে দেহের মহিমা, আর এ হলো নিরাকার
পরমপিতা পরমাত্মার মহিমা। এটাও তোমরা বুঝেছ । এই সিঁড়ি কারো বুদ্ধিতে ধারণ হবে না।
আমরা ৮৪জন্ম কিভাবে নিয়ে থাকি, নিচেই বা কিভাবে নেমে আসি । এখন পাপের ঘড়া পরিপূর্ণ,
পরিষ্কার হবে কিভাবে ? সেইজন্যই বাবাকে আহ্বান করে। তোমরা হলে পান্ডব সম্প্রদায়,
তোমরা ধর্মীয় রাজনীতিক ।
বাবা সব ধর্মের কথা বুঝিয়ে বলেন। দ্বিতীয় কেউ বোঝাতে সক্ষম নয়। ঐ ধর্ম স্থাপনকারীরা
কি করে ? তাদের অনুসরণকারীদের আরও নিচে নেমে আসতে হয়। ওরা কখনোই মোক্ষ (আর জন্মাতে
হবে না) দিতে পারে না। বাবাই একদম শেষে এসে সবাইকে পবিত্র করে ফিরিয়ে নিয়ে যান,
সেইজন্যই এক তিনি ছাড়া আর কারও মহিমা নেই। ব্রহ্মা বা তোমাদেরও কোনও মহিমা নেই।
বাবা না আসলে তোমরা কি করতে । বাবা এখন তোমাদের উত্তোরণের কলাতে নিয়ে যাচ্ছেন।
গাওয়াও হয় তোমার ভালো হলে সবার ভালো কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। মহিমা তো অনেক করে
থাকে।
এখন বাবা বুঝিয়েছেন - আত্মা হলো অকাল (কাল যাকে গ্রাস করতে পারে না), তার আসন এটা।
*আত্মা অবিনাশী, কাল কখনও তাকে গ্রাস করে না। আত্মাকে এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর
ধারণ করে ভূমিকা পালন করতে হয় । আত্মাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও কাল আসে না।*
তোমাদের অন্য কারো শরীর ত্যাগের জন্য দুঃখ হয়না । শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় ভূমিকা
পালন করতে গেছে, এতে কান্নাকাটি করার কি আছে। আমরা আত্মারা হলাম ভাই-ভাই, এটাও
তোমরা জান । গাওয়াও হয়ে থাকে আত্মা এবং পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল .... বাবা কোথায়
এসে মিলিত হন এটাও কেউ জানেনা। তোমরা এখন প্রতিটি বিষয় বুঝতে পেরেছ । কবে থেকে শুনে
আসছ, কোনও বই ইত্যাদি প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র ব্যাখ্যা করার জন্য উল্লেখ করা হয়।
*বাবা সত্য সুতরাং সত্যই রচনা করেন। সত্য বলেন । সত্য জয়ী করে, মিথ্যা পরাজিত করে ।
সত্য পিতা সত্য খন্ডের স্থাপনা করেন*। রাবণের কাছে তোমরা অনেক পরাজয় স্বীকার করেছ ।
এসবই খেলা যা পূর্বেই তৈরি হয়ে আছে ।এখন তোমরা জান আমাদের রাজ্য স্থাপন হচ্ছে তারপর
এরা কেউ থাকবে না( অন্যান্য ধর্ম)। সবাই পরে আসবে। এই সৃষ্টি চক্র বুদ্ধিতে রাখা কত
সহজ । যারা পুরুষার্থী বাচ্চা তারা এতে খুশি হবে না যে আমরা জ্ঞানে তো পারদর্শী
শোনাতে পারি। সাথে যোগ আর ম্যানার্স ও ধারণ করতে হবে। তোমাদের অনেক মিষ্টি ( আচার -
ব্যবহারে) হবে। কাউকে দুঃখ দেওয়া উচিত নয়। ভালোবাসার সাথে বোঝাতে হবে। পবিত্রতার
জন্যও কত হাঙ্গামা হয় । সেটাও ড্রামানুসারে হয়ে থাকে। এই ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত না
! এমনটা কিন্তু নয় যে ড্রামায় থাকলে তা প্রাপ্ত হবে। তা নয়, পরিশ্রম করতে হবে।
দেবতাদের দৃষ্টান্ত অনুসারে দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। লবণ মিশ্রিত জল হওয়া উচিত নয়।
দেখা উচিত আমি উল্টো-চালচলন দ্বারা বাবার সম্মান নষ্ট করছি না তো ? সদ্গুরুর
নিন্দুকের কোথাও ঠাঁই হয় না। ইনি তো সত্য পিতা, সত্য শিক্ষক। আত্মায় এখন স্মরণ থাকে
বাবা জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। নিশ্চয়ই জ্ঞান প্রদান করে গেছেন তবেই তো গাওয়া হয়।
এনার আত্মার মধ্যেও (ব্রহ্মা বাবা) কোনো জ্ঞান ছিল কি ? আত্মা কি , ড্রামা কি — কেউ
জানেনা। জানা তো মানুষেরই উচিত না ! রুদ্র যজ্ঞ রচনা হলে আত্মাদের পূজা করে, ওঁনার
পূজা ভালো না কি দৈবী শরীরের পূজা ভালো ? এই শরীর তো ৫ তত্ত্বের সেইজন্য এক
শিববাবার পূজাই অব্যভিচারী পূজা। ঐ একজনের কাছ থেকেই শুনতে হবে। সেইজন্যই বলা হয়
হিয়ার নো ইভিল....গ্লানি হয় এমন কোনো কথা শুনবে না । আমার কাছ থেকেই শোন । এ হলো
অব্যভিচারী জ্ঞান। প্রধান বিষয় হলো যখন তোমাদের দেহ-ভাব ছিন্ন হবে, তখনই তোমরা শীতল
হবে। বাবার স্মরণে থাকলে মুখ থেকে কোনো খারাপ কথা বলবে না, কু-দৃষ্টি যাবে না।
দেখেও না দেখা করতে হবে। আমাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র খুলেছে। বাবা এসে ত্রিনেত্রী,
ত্রিকালদর্শী বানিয়েছেন। এখন তোমাদের তিন কাল, তিন লোকের জ্ঞান আছে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্নেহ স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
জ্ঞান শোনানোর সাথে সাথে যোগেও থাকতে হবে। সুন্দর ম্যানার্স ধারণ করতে হবে। অতীব
মিষ্টি হতে হবে। মুখ দিয়ে কখনও খারাপ শব্দ প্রয়োগ করা উচিত নয়।
২) অন্তর্মুখী হয়ে
একান্তে বসে নিজের সাথে কথা বলতে হবে। পবিত্র হওয়ার যুক্তি বের করতে হবে। অমৃতবেলায়
উঠে বাবাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতে হবে।
বরদান:-
সকলের
ভালোবাসা প্রাপ্তকারী অনাসক্ত, বাবার প্রিয়, নিঃসঙ্কল্প ভব
যে বাচ্চাদের ডিট্যাচ
আর প্রিয় হয়ে ওঠার গুণ বা নিঃসঙ্কল্প থাকার বিশেষত্ব আছে, অর্থাত্ যার এই বরদান
প্রাপ্ত হয়েছে, সে সবার প্রিয় হয়ে ওঠে । কেননা ডিট্যাচ থাকার কারণে সকলের ভালোবাসা
সব সময়ই প্রাপ্ত হয়। সে নিজের শক্তিশালী নিঃসঙ্কল্প স্থিতি বা শ্রেষ্ঠ কর্ম দ্বারা
অনেকের সেবার নিমিত্ত হয়, সেইজন্য নিজেও সন্তুষ্ট থাকে আর অন্যদেরও কল্যাণ করে ।
প্রতিটি কাজে সফলতা তার স্বতঃতই প্রাপ্ত হতে থাকে।
স্লোগান:-
এক
"বাবা" শব্দই সর্ব খাজানার চাবি — এই চাবিকে সবসময় সামলে রেখো