26.05.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
সদা এই নেশাতে থাকো যে, আমরা সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণ, আমরা জানি যে, যেই বাবাকে সবাই
ডাকছে, তিনি আমাদের সম্মুখে আছেন"
প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চাদের
বুদ্ধিযোগ ঠিকঠাক হবে, তাদের কি সাক্ষাৎকার হতে থাকবে ?
উত্তরঃ -
সত্যযুগী নতুন রাজধানীতে কি কি হবে, কিভাবে আমরা সেখানে স্কুলে পড়বো আবার রাজত্বও
করবো । যতো সময় নিকটে আসবে, এইসব সাক্ষাৎকার হতে থাকবে । তবে যাদের বুদ্ধিযোগ
ঠিকঠাক থাকবে, যারা তাদের শান্তিধাম এবং সুখধামকে স্মরণ করে, সমস্ত কাজ - কারবার
করেও এক বাবার স্মরণেই থাকে, তাদেরই এইসব সাক্ষাৎকার হবে ।
গীতঃ-
ওম্ নমঃ
শিবায়....
ওম্ শান্তি ।
ভক্তি মার্গে
যেসব সৎসঙ্গ হয়, সেখানে তো সবাই এই গান গেয়েছে । ওখানে তারা নয় বলবে বলো, বাঃ
গুরু, অথবা রামের নাম বলতে বলবে । এখানে বাচ্চাদের কিছু বলার প্রয়োজন হয় না ।
তোমাদের একইবার বলে দেওয়া হয়েছে, প্রতি মুহূর্তে বলার দরকার নেই । বাবাও এক আর
তাঁর মহাবাক্যও একই । তিনি কি বলেন ? বাচ্চারা, তোমরা আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করো ।
প্রথমে শিখে তারপর এখানে এসে বসে । আমরা যেই বাবার সন্তান, তাঁকেই স্মরণ করতে হবে ।
এও তোমরা এখন ব্রহ্মা বাবার দ্বারা জেনেছো যে, আমাদের সকল আত্মাদের বাবা এক তিনিই ।
দুনিয়া এই কথা জানে না । তোমরা জানো যে, আমরা সবাই সেই বাবার সন্তান, তাঁকে সবাই গড
ফাদার বলে । বাবা এখন বলছেন, আমি এই সাধারণ শরীরে তোমাদের পড়াবার জন্য আসি । তোমরা
জানো যে, বাবা এনার মধ্যে এসেছেন, আমরা এখন তাঁর হয়েছি । বাবা এসেই আমাদের পতিত
থেকে পাবন হওয়ার পথ বলে দেন । এই কথা সারাদিনই বুদ্ধিতে থাকে । এমনিতে সকলেই তো
শিববাবার সন্তান, কিন্তু তোমরাই তাঁকে জানো, আর কেউই জানে না । বাচ্চারা, তোমরা
বুঝতে পারো যে, আমরা হলাম আত্মা, বাবা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমাকে স্মরণ করো
। আমিই তোমাদের অসীম জগতের পিতা । সবাই চিৎকার করে ডাকতে থাকে যে, হে পতিত পাবন
এসো, আমরা এখন পতিত হয়ে গেছি । এই দেহ কিন্তু বলে না । আত্মা এই শরীরের দ্বারা বলে
। ৮৪ জন্মও তো আত্মাই নেয়, তাই না । তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথা থাকা দরকার যে, আমরা
হলাম অভিনেতা । বাবা এখন আমাদের ত্রিকালদর্শী বানিয়েছেন । তিনি আমাদের আদি - মধ্য
এবং অন্তের জ্ঞান দিয়েছেন । বাবাকেই তো সকলে ডাকে, তাই না । ওরা এখনো ডাকবে, ওরা
বলতে থাকে যে, তুমি এসো, আর তোমরা সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণরা বলো, বাবা এসেছে । এই
সঙ্গম যুগকেও তোমরাই জানো, এই যুগ হলো পুরুষোত্তম যুগ, এমন মহিমা করা হয় ।
পুরুষোত্তম যুগ হয় কলিযুগের অন্ত এবং সত্যযুগের আদির মধ্যবর্তী সময় । সত্য যুগে
সত্য পুরুষ আর কলিযুগে মিথ্যা পুরুষ থাকে । সত্যযুগে যারা থেকে গেছে, তাদেরই চিত্র
আছে । এ হলো সবথেকে পুরানো চিত্র, এর থেকে পুরানো চিত্র আর নেই । এমনিতে তো অনেক
মানুষই বসে অপ্রয়োজনীয় চিত্র বানায় । তোমরা এও জানো যে, কারা কারা এই সত্যযুগ হয়ে
এসেছে । নীচে যেমন অম্বার চিত্র বানানো হয়েছে অথবা কালীর চিত্র, কিন্তু এতো ভুজার
তো হতেই পারে না । অম্বারও তো দুটো হাতই থাকবে, তাই না । মানুষ তো সেখানে গিয়ে কেবল
হাত জোড় করে আর পূজা করে । ভক্তি মার্গে অনেক প্রকারের চিত্র বানানো হয়েছে ।
মানুষের উপরই বিভিন্ন প্রকারের শৃঙ্গার করানো হয় তাই রূপ পরিবর্তন হয়ে যায় ।
বাস্তবে এই চিত্র আদি কিছুই নেই । এ সবই হলো ভক্তি মার্গ । এখানে তো মানুষ
প্রতিবন্ধী - খোঁড়াও হয়ে যায় । সত্যযুগে এমন হয় না । সত্যযুগকেও তোমরা জানো,
যেখানে আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিলো । এখানে তো প্রত্যেকের পোশাকের দেখো কতো
বিভিন্নতা । ওখানে তো যথা রানী তথা প্রজা হয় । যতো তোমরা নিকটে আসবে ততই তোমাদের
রাজধানীর পোশাক ইত্যাদিরও সাক্ষাৎকার হতে থাকবে । তোমরা দেখতে থাকবে, আমরা এমন
স্কুলে পড়তাম, এই করতাম । তবে তারাই দেখতে পাবে, যাদের বুদ্ধিযোগ খুব সুন্দর । যারা
নিজেদের শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করে । কাজ কারবার তো তোমাদের করতেই হবে ।
ভক্তিমার্গেও তো নিজেদের কাজ কারবার মানুষ করেই কিন্তু সেখানে জ্ঞান কিছুই ছিলো না
। এ সবই হলো ভক্তি । ওকে বলা হবে ভক্তির জ্ঞান । ওরা এই জ্ঞান দিতে পারবে না যে,
তোমরা এই বিশ্বের মালিক কিভাবে হবে । তোমরা এখন এখানে পাঠ গ্রহণ করে ভবিষ্যৎ
বিশ্বের মালিক হও । তোমরা জানো যে, এই পড়া হলো নতুন দুনিয়া, অমরলোকের জন্য । বাকি
অমরনাথে শঙ্কর কোনো পার্বতীকে অমরকথা শোনায় নি । ওরা তো শিব - শঙ্করকে এক করে
দিয়েছে ।
বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের বোঝাচ্ছেন, ইনিও তাই শোনেন । বাবা ছাড়া এই সৃষ্টির আদি
- মধ্য এবং অন্তের রহস্য কে বোঝাতে পারবে ? ইনি তো কোনো সাধু - সন্ত আদি নন । তোমরা
যেমন গৃহস্থ জীবনে থাকো, ইনিও তেমনই থাকেন । পোশাকও তেমন । ঘরে যেমন মা, বাবা,
বাচ্চারা থাকে, তফাৎ কিছুই নেই । বাবা এই রথে অধিষ্ঠান করে বাচ্চাদের কাছে আসেন ।
এই ভাগ্যবান রথের মহিমা করা হয় । কখনো ষাঁড়ের উপর অধিষ্ঠান করেছেন, এমনও দেখানো
হয় । মানুষ ভুল বুঝে নিয়েছে । মন্দিরে কখনো ষাঁড় থাকতে পারে কি ? কৃষ্ণ তো হলেন
রাজকুমার, তিনি কখনো ষাঁড়ের উপর বসবেনই না । ভক্তিমার্গে মানুষ অনেক দ্বিধাগ্রস্ত
হয়ে থাকে । মানুষের হলো ভক্তিমার্গের নেশা । তোমাদের হলো জ্ঞান মার্গের নেশা ।
তোমরা বলো যে, এই সঙ্গম যুগে বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন । তোমরা এই দুনিয়াতেই আছো কিন্তু
বুদ্ধির দ্বারা জানো যে, আমরা ব্রাহ্মণরা সঙ্গম যুগেই আছি । বাকি সমস্ত মানুষ
কলিযুগে আছে । এ হলো অনুভবের কথা । বুদ্ধি বলে যে, আমরা এখন কলিযুগ থেকে বেরিয়ে
এসেছি । এখন বাবা এসেছেন । এই পুরানো দুনিয়ারও পরিবর্তন হয়ে যাবে । এ কথা তোমাদেরই
বুদ্ধিতে আছে, আর কেউই জানে না । যদিও একই ঘরে থাকে অথবা একই পরিবারে, সেখানেও বাবা
বলবে আমি সঙ্গম যুগী, বাচ্চা বলবে, না, আমি কলিযুগে আছি । এ তো আশ্চর্যের, তাই না ।
বাচ্চারা জানে যে -- আমাদের পড়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বিনাশ হয়ে যাবে । বিনাশ হওয়া
আবশ্যক । তোমাদের মধ্যেও কেউ কেউ জানে, যদি একথা বুঝতে পারে যে, বিনাশ হয়ে যাবে,
তাহলে নতুন দুনিয়া তৈরী করতে লেগে যাবে । ব্যাগ -ব্যাগেজ তৈরী করে নাও । বাকি অল্প
সময় আছে, তোমরা বাবার তো হয়ে যাও । ক্ষুধার্তও যদি হও তাহলেও প্রথমে বাবা, তারপর
সন্তান । এ তো বাবার ভাণ্ডার । তোমরা শিববাবার ভাণ্ডার থেকে খাও । ব্রাহ্মণ ভোজন
বানানো হয়, তাই ব্রহ্মা ভোজন বলা হয় । যারা পবিত্র ব্রাহ্মণ, তারা শিববাবার
স্মরণে থেকে ভোজন প্রস্তুত করে । ব্রাহ্মণ ছাড়া আর কেউই শিববাবার স্মরণে থাকতে পারে
না । দুনিয়ার ওই ব্রাহ্মণরা শিববাবার স্মরণে থাকতেই পারে না । শিববাবার ভাণ্ডার হলো
এখানেই, যেখানে ব্রাহ্মণ ভোজন প্রস্তুত করে । ব্রাহ্মণ তো যোগে থাকে । পবিত্র তো নয়
। বাকি হলো যোগের কথা । এতেই পরিশ্রম লাগে । গালগল্প করা চলবে না । এমন কেউই বলতে
পারে না যে, আমরা সম্পূর্ণ যোগে আছি, বা ৮০% যোগে আছি । কেউই এমন বলতে পারে না ।
এতে জ্ঞানও চাই । বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে যোগী সেই, যে নিজের দৃষ্টিতেই কাউকে
শান্ত করতে পারে । এও শক্তি । তোমরা যখন অশরীরী হয়ে যাও, আর বাবার স্মরণে থাকো তখন
একদম নিস্তব্ধ হয়ে যাও । এই হলো প্রকৃত স্মরণ । তোমাদের আবার এমন অভ্যাস করতে হবে
। যেমন তোমরা এখানে স্মরণে বসো, এই অভ্যাসই তোমাদের করানো হয় । তাও সকলে এমন
স্মরণে থাকে না । বুদ্ধি কোথায় না কোথায় দৌঁড়াতে থাকে । তখন ওরা নিজেদের ক্ষতি করে
ফেলে । এখানে টিচারের আসনে (সন্দলি ) তাকেই বসানো উচিত, যারা মনে করবে আমরা ড্রিল
টিচার । বাবার স্মরণে সামনের সারিতে বসে আছি । বুদ্ধিযোগ যেন আর কোনদিকে না যায় ।
চারিদিক নিস্তব্ধ হয়ে যাবে । তোমরা অশরীরী হয়ে যাও এবং বাবার স্মরণে থাকো । এই
হলো প্রকৃত স্মরণ । সন্ন্যাসীরাও শান্তিতে বসে, তাঁরা কার স্মরণে থাকে ? সে কোনো
যথার্থ স্মরণ নয় । কাউকেই তাঁরা উপকার করাতে পারবে না । তাঁরা এই সৃষ্টিকে শান্ত
করতে পারবে না । বাবাকে তাঁরা জানেই না । ব্রহ্মকেই তাঁরা ভগবান বলে মনে করে । এই
ব্রহ্ম তো আর ভগবান নয় । তোমরা এখন শ্রীমত পাও -- "মামেকম্ (একমাত্র আমাকে ) স্মরণ
করো" । তোমরা জানো যে, আমরা ৮৪ জন্মগ্রহণ করি । প্রতিটা জন্মে অল্প অল্প করে কলা কম
হতে থাকে । যেমন ভাবে চন্দ্রমার কলা কম হয়ে যায় । দেখলে তো বুঝতে পারাই যায় না ।
এখন কেউই সম্পূর্ণ হয় নি । ভবিষ্যতে তোমাদের সাক্ষাৎকার হবে । আত্মা কতো ছোটো ।
তারও সাক্ষাৎকার হতে পারে । তা না হলে বাচ্চারা কিভাবে বলতে পারে, এর মধ্যে লাইট কম
আছে, এর মধ্যে বেশী আছে । দিব্যদৃষ্টি দিয়েই আত্মাকে দেখতে হয় । এও সব এই নাটকেই
লিপিবদ্ধ আছে । আমার হাতে কিছুই নেই । ড্রামা আমাকে দিয়ে করায়, এ সবই ড্রামা
অনুসারে চলতে থাকে । কর্মভোগ ইত্যাদি এই ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ আছে । প্রতি সেকেণ্ডে
অভিনয় চলতেই থাকে ।
বাবা এখন শিক্ষা দিচ্ছেন যে, কিভাবে পাবন হতে হবে । বাবাকে স্মরণ করতে হবে । আত্মা
কতো ছোটো, যে এখন পতিত হয়ে গেছে, আবার একে পাবন হতে হবে । এ তো আশ্চর্যের কথা, তাই
না । প্রকৃতি বলা হয়, তাই না । বাবার থেকে তোমরা এই প্রকৃতির সব কথা শোনো ।
প্রকৃতির সবথেকে সুন্দর কথা হলো - আত্মা আর পরমাত্মার, যা কেউই জানে না । ঋষি -
মুনি আদি কেউই জানে না । এতো ছোটো আত্মাই পাথরবুদ্ধির তারপর পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির
হয় । বুদ্ধিতে এই চিন্তন যেন চলতে থাকে যে, আমি আত্মা পাথর তুল্য বুদ্ধির হয়ে
গিয়েছিলাম, এখন আবার বাবাকে স্মরণ করে পরশ পাথর তুল্য বুদ্ধির তৈরী হচ্ছি । লৌকিক
রীতিতে তো বাবাও বড়, আবার টিচার, গুরুও বড় পাও । এ তো এক বিন্দু বাবা, যিনি টিচার
এবং গুরুও । সম্পূর্ণ কল্প তোমরা দেহধারীদের স্মরণ করেছো । বাবা এখন বলছেন --
মামেকম (আমাকে ) স্মরণ করো । তিনি তোমাদের বুদ্ধিকে কতো তীক্ষ্ণ করেন । বিশ্বের
মালিক হওয়া -এ কি কোনো কম কথা ? এও কেউ খেয়াল করে না যে, এই লক্ষ্মী - নারায়ণ
সত্যযুগের মালিক কিভাবে হলেন ? তোমরাও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তা জানতে পারো ।
নতুন কেউই এই কথা বুঝতে পারে না । প্রথমে স্থূলভাবে বোঝানো হয়, তারপর সূক্ষ্মরূপে
বোঝানো হয় । বাবা হলেন বিন্দু, ওরা তাঁকে এতো বড় - বড় লিঙ্গ বানিয়ে দিয়েছে ।
মানুষেরও কতো বড় - বড় চিত্র বানায়, কিন্তু এমন কিছু নয় । মানুষের শরীর তো এখানেই
হয় । ভক্তি মার্গে কি কি বসে বোঝানো হয়েছে । মানুষ কতো দ্বিধায় আছে । বাবা বলেন,
যা অতীত হয়ে গেছে, তা আবারও ঘটবে । তোমরা এখন বাবার শ্রীমতে চলো । এনাকেও বাবাই
শ্রীমত দিয়েছিলেন, সাক্ষাৎকার করিয়েছিলেন, তাই না । আমি তোমাদের বাদশাহী দিই, এখন
তোমরা এই সেবায় লেগে যাও । নিজের অবিনাশী উত্তরাধিকার নেওয়ার পুরুষার্থ করো । এই
সব ছেড়ে দাও । তাহলে এও নিমিত্ত হলো । সবাই তো এমন নিমিত্ত হয় না, যার নেশা হয়ে
যায়, সেই এখানে এসে বসে যায় । আমরা তো রাজত্ব পাই । তাহলে এখন এই পাই পয়সার কি করবো
? বাবা তাই এখন বাচ্চাদের পুরুষার্থ করান, এখন রাজধানী স্থাপনা হচ্ছে, তিনি এও বলেন
যে, আমরা লক্ষ্মী - নারায়ণের থেকে কম হবো না । তাই তোমরা শ্রীমৎ অনুসারে চলে দেখাও
। চু - চা ( নিজস্ব মত ) করো না । বাবা কখনোই বলেন নি যে, বাচ্চাদের কি হাল হবে ?
কোনো দুর্ঘটনাতে যদি কেউ হঠাৎ করে মারা যায়, তাহলে কি কেউ না খেয়ে থাকে ? কোনো না
কোনো মিত্র বা স্বজন তাদের খাবার দেয় । এখানে দেখো, বাবা পুরানো এক কুটিরে থাকেন ।
বাচ্চারা, তোমরা এসে মহলে থাকো । বাবা বলবেন -- বাচ্চারা, খুব ভালোভাবে থাকবে, খাবে
- পড়বে । যে কিছুই নিয়ে আসে না, সেও সবকিছুই ভালোভাবে পেয়ে যায় । এই বাবার থেকেও
ভালোভাবে থাকে । শিববাবা বলেন, আমি তো হলামই রমতা যোগী । কারোরই কল্যাণ করতে যেতে
পারি । যারা জ্ঞানী বাচ্চা, তারা কখনোই সাক্ষাৎকার আদির কথায় খুশী হবে না । যোগ
ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের কাছে । এই সাক্ষাৎকারের কথায় খুশী হয়ো না । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
যোগের এমন স্থিতি বানাতে হবে, যাতে দৃষ্টিতেই কাউকে শান্ত করা যেতে পারে । একদম
যাতে নিঃশব্দ হয়ে যায় । এরজন্য অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে ।
২ ) জ্ঞানের প্রকৃত নেশায় থাকার জন্য স্মরণ রাখো যে, আমরা সঙ্গম যুগী, এখন এই
পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হবে, আমরা এখন ঘরে ফিরে যাচ্ছি । সর্বদা শ্রীমতে চলতে হবে,
চু - চা, কোনরকম শব্দ করবে না ।
বরদান:-
লক্ষ্য
অনুসারে লক্ষণের ব্যালেন্সের কলা দ্বারা চড়তি কলার অনুভবকারী বাবার সমান সম্পন্ন ভব
বাচ্চাদের মধ্যে
বিশ্বে কল্যাণের কামনাও আছে, আবার বাবার সমান হওয়ার শ্রেষ্ঠ ইচ্ছাও আছে, কিন্তু
লক্ষ্য অনুযায়ী যে লক্ষণ নিজে বা সকলে দেখতে পাবে, তাতে অন্তর আছে। তাই ব্যালেন্স
করার কলা এখন চড়তি কলায় এনে এই অন্তরকে দূর করো । সঙ্কল্প আছে, কিন্তু দৃঢ়তা
সম্পন্ন সঙ্কল্প যদি থাকে তাহলে বাবার সমান সম্পন্ন হওয়ার বরদান প্রাপ্ত হয়ে যাবে
। এখন যে স্বদর্শন আর পরদর্শন এই দুই চক্র ঘুরছে, ব্যর্থ বিষয়ের যে ত্রিকালদর্শী
তোমরা হও - এর পরিবর্তন করে স্বচিন্তক স্বদর্শন চক্রধারী হও ।
স্লোগান:-
সেবার
ভাগ্য প্রাপ্ত হওয়াই হলো সবথেকে বড় ভাগ্য ।