30.05.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
জ্ঞানের পয়েন্টস্ মনে রাখলে তবে খুশী থাকবে, তোমরা এখন স্বর্গের গেটের সামনে
দাঁড়িয়ে আছো, বাবা মুক্তি - জীবনমুক্তির পথ দেখাচ্ছেন"
প্রশ্নঃ -
নিজের
রেজিস্টারকে ঠিক রাখার জন্য কোন্ অ্যাটেনশন অবশ্যই রাখতে হবে ?
উত্তরঃ -
অ্যাটেনশন থাকে যেন মনসা - বাচা - কর্মণার দ্বারা কাউকে দুঃখ দিইনি তো ? নিজের
স্বভাব খুবই ফার্স্ট ক্লাস মধুর যেন হয় । মায়া নাকে-কানে ধরে এমন কোনো কাজ যেন না
করিয়ে নেয় যার দ্বারা কেউ দুঃখ পায় । যদি দুঃখ দাও তো খুবই অনুশোচনা করতে হবে।
রেজিস্ট্রার খারাপ হয়ে যাবে।
গীতঃ-
নয়নহীনকে পথ
দেখাও ...
ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে
বাচ্চাদের বোঝান। পথ খুবই সহজ বোঝান হয়ে থাকে, তবুও বাচ্চারা ঠোক্কর খেতে থাকে।
এখানে বসলে তো বুঝতে পারে বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, শান্তিধামে যাওয়ার পথ বলে
দিচ্ছেন। খুব সহজ। বাবা বলেন দিন - রাত যতটা সম্ভব স্মরণে থাকো। ওই ভক্তি মার্গের
যাত্রা হলো পদযাত্রা। অনেক বাধা তাতে । এখানে তোমরা বসে বসেই স্মরণের যাত্রায়
থাকো। এটাও বাবা বুঝিয়েছেন- দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। শয়তানী অবগুণ গুলি শেষ করতে
থাকো। কোনো শয়তানী কাজ করো না, এতে বিকর্ম হয়ে যায়। বাবা এসেছেনই বাচ্চারা,
তোমাদেরকে সদা সুখী করতে। কোনো বাদশাহের বাচ্চা হলে বাবা আর রাজত্বকে দেখে বাচ্চা
খুশীই হবে । যতই রাজত্ব থাকুক না কেন কিন্তু তবুও শরীরের রোগ ইত্যাদি তো হয়েই থাকে
। বাচ্চারা, এখানে তোমাদের বিশ্বাস আছে যে শিববাবা এসে গেছেন, তিনি আমাদের
পড়াচ্ছেন। এরপর আমরা স্বর্গে গিয়ে রাজত্ব করবো। সেখানে কোনো প্রকারের দুঃখ থাকবে
না। তোমাদের বুদ্ধিতে রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে। এই জ্ঞান আর
কোনো মানুষেরই বুদ্ধিতে নেই। বাচ্চারা, তোমরাও এখন বোঝো যে পূর্বে আমাদের মধ্যে
জ্ঞান ছিলো না। আমরা বাবাকে জানতাম না। মানুষ ভক্তিকে খুবই ভালো মনে করে, অনেক
প্রকারের ভক্তি করে। *ভক্তিতে সব হলো স্থূল ব্যাপার। সূক্ষ্ম কোনো ব্যাপারই নেই* ।
এখন অমরনাথের যাত্রাতে স্থূলতে তো যাবে। সেখানেও হলো সেই লিঙ্গ। কার কাছে যাচ্ছে,
মানুষ কিছুই জানে না। এখন তোমরা বাচ্চারা কোথাও ধাক্কা খেতে যাও না। তোমরা জানো যে,
আমরা অধ্যয়ণ করেই থাকি নূতন দুনিয়ার জন্য। যেখানে এই বেদ- শাস্ত্র থাকেই না।
সত্যযুগে ভক্তি হয় না। সেখানে হলোই সুখ। যেখানে ভক্তি আছে সেখানে দুঃখ আছে। এই
গোলের চিত্র খুবই ভালো। স্বর্গের গেট এর মধ্যে খুবই ক্লীয়ার। এটা বুদ্ধিতে থাকা
উচিত। এখন আমরা স্বর্গের গেটের সামনে বসে আছি। খুবই খুশী হওয়া উচিত। বাচ্চারা,
তোমরা এই জ্ঞানের পয়েন্ট গুলিকে স্মরণ করে খুবই খুশীতে থাকতে পারো। জানো যে এখন
আমরা স্বর্গের গেটের দিকে চলেছি। সেখানে খুবই কম সংখ্যক মানুষ থাকে। এখানে কতো
প্রচুর পরিমাণ মানুষ আছে। কতো ধাক্কা খেতে থাকে। দান-পূণ্য করা, সাধুদের পিছনে
বিভোর হয়ে ঘোরা কতো আছে, তবুও ডাক ছাড়ে যে- প্রভু নয়নহীনকে পথ দেখাও... পথ সর্বদা
মুক্তি-জীবনমুক্তির চাওয়া হয়। এটা হলো পুরানো দুঃখের দুনিয়া, সেটাও তোমরা জানো।
মানুষের জানাই নেই। কলিযুগের সময়কাল হাজার বছর বলে দেয় বলে বিচার অন্ধকারে থাকে।
তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী থাকে যারা জানে যে বরাবরই আমাদের বাবা রাজযোগ
শেখাচ্ছেন। যে রকম ব্যারিস্টারী যোগ, ইঞ্জিনিয়ারিং যোগ হয় ! যারা পড়াশুনা করে
তাদের টিচারের কথাই মনে থাকে। ব্যারিস্টারীর জ্ঞান দ্বারা মানুষ ব্যারিস্টার হয়ে
যায়। এটা হলো রাজযোগ। আমাদের বুদ্ধি যোগ যুক্ত থাকে পরমপিতা পরমাত্মার সাথে। আমাদের
তো খুশীতে একদম পারদ তুঙ্গে উঠে থাকা উচিত। খুবই মধুর হতে হবে। স্বভাব খুবই ফার্স্ট
ক্লাস হওয়া উচিত। কেউ যেন না দুঃখী হয়। চায় ও যে কাউকে দুঃখ না দিতে। কিন্তু তবুও
মায়া নাকে- কানে চেপে ধরে ভুল করিয়ে দেয়। তারপর ভিতরে অনুশোচনা হয়- আমি শুধু
শুধুই ওকে দুঃখ দিলাম। কিন্তু রেজিস্ট্রারে তো খারাপটা এসে গেল যে না! এরকম চেষ্টা
করা উচিত- কাউকেই মনসা- বাচা- কর্মণায় যেন দুঃখ না দিই। বাবা আসেনই আমাদের দেবতা
করে তুলতে। দেবতারা কি আর কাউকে দোষারোপ করে! লৌকিক টিচার পড়ায়, দুঃখ তো আর দেয়
না। হ্যাঁ, বাচ্চারা না পড়লে কেউ শাস্তি ইত্যাদি দেয়। আজকাল মারারও রীতি পরিবর্তন
করা হয়েছে। তোমরা হলে আধ্যাত্মিক টিচার, তোমাদের কাজ হলো পড়ানো আর সাথে-সাথে
মেনার্স (আদবকায়দা) শেখানো। আবার পড়বে - লিখবে তো উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। পড়াশুনা
না করলে নিজেই ফেল করবে। এই বাবাও রোজ এসে পড়ান, মেনার্স শেখান। শেখানোর জন্য
প্রদর্শনী ইত্যাদির প্রবন্ধ রচনা করে। সবাই প্রদর্শনী আর প্রোজেক্টার চায়।
প্রোজেক্টারও হাজারটা নেয়। প্রতিটা কথা বাবা খুবই সহজ করে বলেন। অমরনাথেরও সার্ভিস
সহজ। চিত্র দ্বারা তোমরা বোঝাতে পারো। জ্ঞান আর ভক্তি কি? জ্ঞান একদিকে, ভক্তি আর
একদিকে। এক তরফ স্বর্গ, আর এক তরফ নরক - একদম ক্লীয়ার। বাচ্চারা, তোমরা এখন যা
পড়ছো এটা হলো খুবই সহজ, ভালো করে পড়েও নেয়, কিন্তু স্মরণের যাত্রা কোথায়। এই
সমস্ত হলো বুদ্ধির ব্যাপার। আমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এই ব্যাপারেই মায়ার
সাহবস হয়। যোগ একেবারে ভঙ্গ করে দেয়। বাবা বলেন তোমরা সকলে যোগে দুর্বল । ভালো ভালো
মহারথীরাও দুর্বল । মনে করে এর মধ্যে এই জ্ঞান খুবই ভালো, সেই জন্য হলো মহারথী।
বাবা বলেন ঘোড় সওয়ার, পেয়াদা আছে। মহারথী তারাই, যারা স্মরণে থাকে। উঠতে বসতে
স্মরণে থাকলে বিকর্ম বিনাশ হবে, পবিত্র হবে। না হলে শাস্তিও পেতে হবে আর পদভ্রষ্টও
হয়ে যাবে, সেই কারণে নিজের চার্ট রাখলে তোমরা বুঝতে পারবে, বাবা নিজেই বলেন যে আমিও
পুরুষার্থ করছি। বারংবার বুদ্ধি অন্যদিকে চলে যায়। বাবার প্রতি তো খুবই খেয়াল
থাকে। তোমরা দ্রুত চলতে পারো। সাথে আবার চলনও শুধরে নিতে হবে। পবিত্র হয়ে তারপর
আবার বিকারে অবনতি হলে যা উপার্জন হয়েছিলো উধাও হয়ে যাবে। কারোর উপর ক্রোধ করলে,
নুন-জল হলে তো আবার অসুর হয়ে যাবে। অনেক প্রকারের মায়া আসে। সম্পূর্ণ তো কেউ
হয়নি। বাবা পুরুষার্থ করাতে থাকেন। কুমারীদের জন্য তো খুবই সহজ, এক্ষেত্রে নিজেকে
শক্তি সম্পন্ন হতে হবে। ভিতরের সত্যতা চাই। যদি ভিতর থেকে কারোর প্রতি মন চলে যায়
তো আবার চলা যায় না। কুমারীদের, মাতাদেরকে তো ভারতকে স্বর্গে পরিণত করার কাজে লেগে
যাওয়া উচিত। এতে পরিশ্রম আছে। বিনা পরিশ্রমে কিছুই পাওয়া যায় না। তোমাদের ২১ জন্মের
জন্য রাজত্ব প্রাপ্তি ঘটে, কতো পরিশ্রম করা উচিত। ঐ পড়াও বাবা এই জন্যই পড়তে দেন,
বলেন - যতক্ষণ এতে সুদৃঢ় হয়ে যাবে, পড়ে যেতে হবে । এরকম না হয় আবার যেন দুজন
স্বর্গ থেকে চলে যায়। কারোর নাম রূপে আটকে গেল তো শেষ । ভাগ্যবান বাচ্চারাই শরীরের
ভাবকে ভুলে নিজেকে অশরীরী মনে করে বাবাকে স্মরণ করার পুরুষার্থ করতে পারে। বাবা
রোজ-রোজ বোঝান- বাচ্চারা তোমরা নিজেকে শরীর ভাবা ছেড়ে দাও। আমরা অশরীরী আত্মারা এখন
পরমধাম গৃহে ফিরে যাচ্ছি, এই শরীর এখানেই ত্যাগ করতে হবে, সেটা তখনই ত্যাগ করবে যখন
বাবাকে নিরন্তর স্মরণ করে কর্মাতীত হয়ে যাবে। এতে বুদ্ধির ব্যাপার আছে কিন্তু কারোর
ভাগ্যে না থাকলে কি উপায় হবে। বুদ্ধিতে এটা থাকা উচিত যে, আমরা অশরীরী এসেছি,
তারপর সুখের কর্ম সম্বন্ধতে বাঁধা পড়ে আবার রাবণ রাজ্যে বিকারী বন্ধনে আটকে
পড়েছি। এখন আবার বাবা বলেন অশরীরী হয়ে যেতে হবে। নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে
স্মরণ করো আত্মাই পতিত হয়েছে। আত্মা বলে পতিত-পাবন এসো। এখন তোমাদের পতিত থেকে
পবিত্র হওয়ার যুক্তিও বলা হতে থাকে। আত্মা হলোই অবিনাশী। তোমরা অর্থাৎ আত্মারা
এখানে শরীরে এসেইছো ভূমিকাপালন করতে। এটাও বাবাএখন বুঝিয়েছেন, যাদের পূর্ব কল্পে
বুঝিয়েছিলেন তারাই আসতে থাকে। এখন বাবা বলেন কলিযুগী সম্বন্ধ ভুলে যাও। এখন তো ফিরে
যেতে হবে, এই দুনিয়াই শেষ হবে। এর মধ্যে কোনো সার নেই, তাই তো ধাক্কা খেতে থাকে।
ভক্তি করে ভগবানের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য। মনে করে ভক্তিখুব ভালো। খুব ভক্তি করলে
ভগবানকে পাওয়া যায় আর তিনি সদ্গতিতে নিয়ে যান। এখন তোমাদের ভক্তি সম্পূর্ণ হচ্ছে।
তোমাদের মুখ থেকে 'হে রাম' 'হে ভগবান' ভক্তির এই শব্দও বের হয় না। এটা বন্ধ হয়ে
যাওয়া উচিত। বাবা শুধু বলেন আমাকে স্মরণ করো। এই দুনিয়াই হলো তমোপ্রধান। সতোপ্রধান
সত্যযুগে থাকে। সত্যযুগ হলো আরোহণ কলা আবার অবরোহণ কলা হয়। ত্রেতাকেও বাস্তবে
স্বর্গ বলা হয়না। স্বর্গ শুধুমাত্র সত্যযুগকেই বলা হয়। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে
আদি- মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে। আদি অর্থাৎ শুরু, মধ্য হাফ তারপর অন্ত।মধ্যবর্তী রাবণ
রাজ্য শুরু হয়। বাবা ভারতেই আসেন। ভারতই পতিত আর পবিত্র তৈরী করে। ৮৪ জন্মও
ভারতবাসী নেয়। এছাড়া তো নম্বর অনুযায়ী বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা আসে। বৃক্ষ বৃদ্ধি
পায়, আবার ওই সময়ই আসবে। এই কথা আর কারোরই বুদ্ধিতে নেই। তোমাদের মধ্যেও সকলে ধারণ
করতে পারবে না। এই ৮৪ জন্মের চক্র বুদ্ধিতে থাকলে তখনও খুশীতে থাকে। এখন বাবা
এসেছেন, আমাদের নিয়ে যেতে। সত্যিকারের প্রিয়তম এসেছেন, যাঁকে আমরা ভক্তি মার্গে
প্রচুর স্মরণ করতাম, তিনি এসেছেন আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। মানুষ
মাত্রই এটা জানে না যে শান্তিও কাকে বলা হয়। আত্মা যো হলোই শান্ত স্বরূপ। এই
অরগ্যান্স প্রাপ্ত হয় তখন আবার কর্ম করতে হয়। বাবা- যিনি হলেন শান্তির সাগর, তিনি
সবাইকে নিয়ে যান। তখন সকলের শান্তি প্রাপ্ত হবে। সত্যযুগে তোমাদের শান্তিও থাকবে,
সুখও থাকবে। বাকি সব আত্মারা চলে যাবে শান্তিধাম। বাবাকেই শান্তির সাগর বলা হয়।
এটাও অনেক বাচ্চা ভুলে যায়, কারণ দেহ- অভিমানে থাকে, দেহী-অভিমানী হয় না। বাবা তো
সকলকেই শান্তি প্রদান করেন। চিত্রে সঙ্গমে গিয়ে দেখাও। এই সময় সব হলো অশান্ত।
সত্যযুগে তো এতো ধর্ম হবেই না। সব শান্তিতে চলে যাবে। সেখানে মন ভরে শান্তি পাওয়া
যাবে। তোমাদের রাজত্বের শান্তিও আছে, সুখও আছে। সত্যযুগে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি সব
আছে তোমাদের। মুক্তিধাম বলা হয় সুইট হোমকে। সেখানে পতিত, দুঃখী, কেউ থাকবে না।
দুঃখ- সুখের কোনো ব্যাপারই নেই। তাই শান্তির অর্থ বোঝে না। রাণীর হারের উদাহরণ আছে
না! এখন বাবা বলেন, শান্তি-সুখ সব নাও। আয়ুষ্মান ভব....সেখানে কায়দা অনুসারে
বাচ্চাও হবে। বাচ্চা পাওয়া যাবে তার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। শরীর ছাড়ার টাইম
হয়ে থাকলে সাক্ষাৎকার হয়ে যায় আর শরীর খুশীতে ছেড়ে দেবে। যেরকম বাবার খুশী থাকে যে
না--শরীর ছেড়ে দিয়ে আমি এটা হবো, এখন অধ্যয়ণ করছি। তোমরাও জানো যে আমরা সত্যযুগে
যাবো। সঙ্গমেই তোমাদের বুদ্ধিতে এইটা থাকে। তাই কতো খুশীতে থাকতে হবে। যতো
উচ্চমানের পড়া ততই খুশী। আমাদের ভগবান পড়াচ্ছেন। এম অবজেক্ট সামনে থাকলে তো
প্রচুর খুশী হওয়া উচিত। কিন্তু চলতে চলতে পড়ে যায়। তোমাদের সার্ভিস তখনই বৃদ্ধি
পাবে যখন কুমারীরা ময়দানে আসবে। বাবা বলেন নিজেদের মধ্যে নুন জল হয়ো না। যখন জানো
যে আমরা এমন দুনিয়াতে যাবো যেখানে বাঘে- ছাগলে একসাথে জল পান করে, সেখানে তো
প্রতিটি জিনিস দেখলেই মন খুশী হয়ে যায়। নামই হলো স্বর্গ। তাই কুমারীরা লৌকিক
মা-বাবাকে বলুক- এখন আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, পবিত্র তো অবশ্যই হতে
হবে। বাবা বলেন কাম হলো মহা শত্রু। এখন আমি যোগিনী হয়েছি সেই কারণে পতিত হতে পারছি
না। কথা বলার তীক্ষ্ম বুদ্ধি চাই। এই কুমারীরা যখন বের হবে, তখন দেখবে কতো
তাড়াতাড়ি সার্ভিস হচ্ছে। কিন্তু দরকার নষ্টমোহার। একবার মরে গেলো তো আবার স্মরণে
কেন আসবে! কিন্তু অনেকের বাড়ী বাচ্চা ইত্যাদির কথা মনে আসতে পারে, বাচ্চা ইত্যাদির
স্মরণ আসতে থাকে। এরপর বাবার সাথে কীভাবে যোগ যুক্ত হবে! এক্ষেত্রে তো এটাই
বুদ্ধিতে যেন থাকে যে, আমরা হলাম বাবার। এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে চলেছে। বাবা
বলেন আমাকে স্মরণ করো।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
নিজের উচ্চ ভাগ্য তৈরী করার জন্য যতটা সম্ভব অশরীরী হওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শরীরের
ভাব একদম ভুলে যেতে হবে। কারোর নাম - রূপ স্মরণে যেন না আসে - এই পরিশ্রম করতে হবে।
২) নিজের আচরণের
চার্ট রাখতে হবে - কখনোই আসুরিক আচার আচরণ করতে নেই। হৃদয়ের সত্যতা দ্বারা নষ্টমোহ
হয়ে ভারতকে স্বর্গ করে তোলার সার্ভিসে নিযুক্ত হতে হবে।
বরদান:-
নিজের
মহানতা আর মহিমাকে জানা, সকল আত্মাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, বিশ্ব দ্বারা পূজনীয় ভব
প্রতিটি ব্রাহ্মণ
বাচ্চা বর্তমান সময়ে বিশ্বের সকল আত্মাদের মধ্যে হল বিশ্বের সকল আত্মাদের মধ্যে
শ্রেষ্ঠ আর ভবিষ্যতে বিশ্বের দ্বারা পূজনীয়। নম্বর অনুক্রমে হলেও মালার শেষ
দানাটিও বিশ্বের সামনে মহান। আজ অবধি ভক্ত আত্মারা জপমালার শেষ দানাটিকেও নয়নের
উপরে রেখে থাকে। কেননা সব বাচ্চারাই হল বাবার নয়নের তারা, নয়নের জ্যোতি। যে একটি
বারের জন্যও মন থেকে, অন্তর থেকে নিজেকে বাবার বাচ্চা বলে বিশ্বাস যের সাথে মেনেছে,
ডাইরেক্ট বাবার বাচ্চা হয়েছে, মহান বা পূজনীয় হওয়ার লটারি বা বরদান তার প্রাপ্ত
হয়েই যায়।
স্লোগান:-
স্থিতি
সর্বদা সম্পদে সম্পন্ন আর সন্তুষ্ট যদি থাকে, তবে পরিস্থিতি গুলিও বদলে যাবে।