17-05-2020 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 13-01-86 মধুবন


ব্রাহ্মণ জীবন - সদা অপরিসীম খুশির জীবন


আজ বাপদাদা নিজের হোলি আর হ্যাপি হংসদের সভা দেখছেন l সবাই তোমরা হোলির সাথে সদা হ্যাপিও থাক ? হোলি অর্থাৎ পবিত্রতার প্রত্যক্ষ লক্ষণ - হ্যাপি অর্থাৎ খুশি সদা প্রত্যক্ষ রূপে প্রতীয়মান হবে l যদি খুশি না থাকে, তবে অবশ্যই কোন অপবিত্রতা অর্থাৎ সঙ্কল্প বা কর্ম যথার্থ হয়নি, আর এই কারণে তখন খুশি থাকে না l অপবিত্রতা শুধু পাঁচ বিকারকে বলা হয় না l কিন্তু সম্পূর্ণ আত্মাদের জন্য, যারা দেবাত্মা হয় তাদের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যহীনভাবে থাকা, ব্যর্থ ও সাধারণ সঙ্কল্প, বোল বা কর্মও সম্পূর্ণ পবিত্রতা বলা যাবে না l তোমরা তোমাদের সম্পূৰ্ণ স্টেজের কাছাকাছি পৌঁছে গেছ প্রায়, সেইজন্য বর্তমান সময় অনুসারে ব্যর্থ এবং সাধারণ কর্ম যাতে না হয়, তারও চেকিং এবং চেঞ্জ প্রয়োজন l যত শক্তিশালী আর শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প, বোল এবং কর্ম হবে, ততই সদা খুশির ঝলক এবং সৌভাগ্যবান হওয়ার নেশা অনুভূত হবে আর অন্যদের অনুভবও করাবে l বাপদাদা সব বাচ্চার মধ্যে এই দু'টো জিনিস চেক করছিলেন, কতটা তোমরা পবিত্রতা ধারণ করেছ ! কতটা ব্যর্থ আর সাধারণত্ব এখনও আছে ! আর অধ্যাত্ম খুশি, অবিনাশী খুশি, আন্তরিক খুশি তোমাদের কতটা থাকে ! সব ব্রাহ্মণ বাচ্চার ব্রাহ্মণ জীবন ধারণ করার লক্ষ্যই হলো সদা খুশি থাকা l খুশির জীবন যাপন করার জন্যই ব্রাহ্মণ হয়েছ, নাকি পুরুষার্থের পরিশ্রম বা কোনও না কোনও উদ্বেগের মধ্যে থাকার জন্য ব্রাহ্মণ হয়েছ l

আধ্যাত্মিক আন্তরিক খুশি বা অতীন্দ্রিয় সুখ যা সারা কল্পে প্রাপ্ত হতে পারে না, তা' প্রাপ্ত করার জন্য তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছ l যতই হোক, তোমাদের চেক করতে হবে যে তোমাদের খুশি কোনরকম সাধনের আধারে, কোনও সীমিত প্রাপ্তির আধারে বা অল্প সময়ের সফলতার আধারে, মান্যতা বা প্রসিদ্ধির আধারে, মনের সীমিত ইচ্ছার আধারে বা কোনো বিশেষ ব্যক্তি, বা স্থান বা বৈভব, এইরকম মনপছন্দ অনুযায়ী খুশির প্রাপ্তির আধারে নয় তো ? এই সব আধার দ্বারা প্রাপ্তি কোনও বাস্তবিক খুশি নয় l অবিনাশী খুশি নয় l আধার নড়ে উঠলো তো খুশিও নড়ে উঠলো l এইরকম খুশি প্রাপ্ত করার জন্য ব্রাহ্মণ হওনি l অল্পকালের প্রাপ্তির দ্বারা খুশি, এতো দুনিয়ার লোকের কাছেও আছে l তাদেরও স্লোগান - খাও দাও হইহুল্লোড় কর l কিন্তু সেই অল্পকালের আধার সমাপ্ত হলে খুশিও সমাপ্ত হয়ে যায় l সেইরকম ব্রাহ্মণ জীবনেও এইসব আধারে খুশির প্রাপ্তি হলে, তখন ফারাক কি হবে ? খুশির সাগরের বাচ্চা হয়েছ, তাহলে প্রতি সঙ্কল্প, প্রতি সেকেন্ডে খুশির তরঙ্গে তোমরা তরঙ্গিত হও, সদা খুশির ভান্ডার তোমরা ! একেই তো বলে, হোলি আর হ্যাপি হংস l বাপদাদা দেখছিলেন যে তোমাদের লক্ষ্য, সীমিত পরিসরের বিনা কোন আধারে সদাসর্বদা আন্তরিক খুশিতে থাকার, কিন্তু কিছু বাচ্চা সেই লক্ষ্য থেকে সরে গিয়ে সীমিত প্রাপ্তির ছোট ছোট গলিতে আটকে যাওয়ার কারণে লক্ষ্য এবং লক্ষ্যবস্তু থেকে দূর হয়ে যায় l হাই ওয়ে ছেড়ে গলির মধ্যে ফেঁসে যায় l তারা তাদের খুশির লক্ষ্য ছেড়ে সীমিত প্রাপ্তির পিছনে ধাবিত হয় l আজ তাদের নামের মহিমা হলো বা তাদের কাজ সফল হলো আর ইচ্ছাও পূর্ণ হয়ে গেল, সুতরাং তারা খুশি l মনপছন্দ বা সঙ্কল্প-পছন্দ প্রাপ্তি হলো তো খুব খুশি l যদি সামান্য কমও হয় তাহলে তাদের লক্ষ্য সেখানেই আটকে পড়ে l তাদের লক্ষ্য সীমিত হয়ে যায়, সেইজন্য অসীম জগতের অবিনাশী খুশি থেকে সরে যায় l তাইতো তিনি বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা কি এইজন্যই ব্রাহ্মণ হয়েছ ? এইজন্যই তোমরা এই আধ্যাত্মিক জীবন যাপন করছ ? এতো সাধারণ জীবন l এটাকে শ্রেষ্ঠ জীবন বলা যায় না l

যে কোনও কর্ম কর, তা' যত বড় সেবা কাজই হোক, কিন্তু যে সেবা আন্তরিক খুশি, অধ্যাত্ম আনন্দ, অসীম জগতের প্রাপ্তি থেকে নিচে নিয়ে আসে অর্থাৎ সীমিত পরিসরে নিয়ে আসে, আজ আনন্দ কাল বিভ্রান্তি, আজ খুশি কাল গোলকধাঁধায়, খুশি থেকে বঞ্চিত করে দেয়, এইরকম সেবা ছেড়ে দাও কিন্তু খুশিকে ছেড়োনা l প্রকৃত সেবা সদা অসীম জগতের স্থিতির, অসীম জগতের খুশির অনুভব করায় l যদি এমন অনুভূতি না হয়, তবে তা' মিক্সড সেবা, প্রকৃত সেবা নয় l সদাসর্বদা এই লক্ষ্য রাখ, সেবা দ্বারা স্ব-উন্নতি, স্ব প্রাপ্তি, সন্তুষ্টতা আর মহত্ত্বের অনুভূতি হয়েছে ? যেখানে সন্তুষ্টতার মহত্ত্ব থাকবে সেখানে অবিনাশী প্রাপ্তির অনুভূতি হবে l সেবা অর্থাৎ ফুলের বাগিচাকে সজীব সতেজ করা l সেবা অর্থাৎ ফুল-বাগিচার অনুভব করা নাকি কাঁটার জঙ্গলে আটক হওয়া ? হতবুদ্ধি হওয়া, অপ্রাপ্তি, মনের এলোমেলো অবস্থা - এই মুহূর্তে সুখানুভব, পর মুহূর্তে বিভ্রান্তি, এই সবই হলো কাঁটা l এই কাঁটা থেকে সরে আসা অর্থাৎ অসীম জগতের খুশির অনুভব করা l যা কিছু হয়ে যাক, সীমিত পরিসরের প্রাপ্তিরও ত্যাগ করতে হয়, যদি অনেক কিছু ছাড়তে হয়, তাহলে সেই সব কিছু ছেড়ে দাও, কিন্তু তোমাদের খুশি যেতে দিও না l যে কারণে তোমরা এসেছ সেই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়োনা l এই সূক্ষ্ম চেকিং কর l তোমরা খুশি তো ঠিকই, কিন্তু অল্পকালের প্রাপ্তির আধারে খুশি থাকা, সেটাই খুশি মনে কর না তো ? কোনও সাইড সীনকেই তোমার লক্ষ্যবস্তু তো মনে করছ না ? কেননা সাইড সীনও আকর্ষণ করে ! কিন্তু অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো অর্থাৎ অন্তহীন রাজত্বের অধিকারী হওয়া l অভীষ্ট লক্ষ্য থেকে যারা সরে যায়, তারা বিশ্ব-রাজ্যের অধিকারী হতে পারে না l রয়্যাল ফ্যামিলিতেও আসতে পারে না, সেইজন্য লক্ষ্য এবং লক্ষ্যবস্তু সদা স্মৃতিতে রাখ l নিজেকে জিজ্ঞাসা কর - অগ্রচালিত হতে হতে সীমিত পরিসরের গলিতে পৌঁছে যাচ্ছি না তো ! অল্পকালের প্রাপ্তির খুশি, সদাকালের সৌভাগ্যবান হওয়া থেকে সরিয়ে দিচ্ছে না তো ? তোমরা তাদের মতো অল্পে খুশি হও না তো ? নিজেরা নিজেদেরকে খুশি করছ না তো ? আমি যেমন, যেরকম, আমি ঠিক আছে, আমি খুশি আছি l অবিনাশী খুশির লক্ষণ - অন্যদের থেকেও সদা খুশির আশীর্বাণী অবশ্যই প্রাপ্ত হবে l বাপদাদা এবং নিমিত্ত বড়দের স্নেহাশিস অলৌকিক আত্মিক খুশির সাগর-তরঙ্গে পরিপূর্ণ অন্তর্মনের অনুভব করাবে l অসতর্কতা বশতঃ এটা ভেবোনা আমি তো ঠিক আছি, কিন্তু অন্যেরা আমাকে জানে না l সূর্যের রশ্মি কখনো লুকিয়ে থাকতে পারে ? সত্যতার সুবাস কখনো নিঃশেষিত হতে পারে না, লুকিয়ে থাকতে পারে না, সেইজন্য নিজেকে কখনো প্রবঞ্চিত হতে দিও না l এই পাঠে পরিপক্কতা আনো l প্রথমে তোমার অসীম, অবিনাশী খুশি, তারপরে অন্য কিছু l অসীম জগতের খুশি সেবার বা সকলের স্নেহের, সকলের দ্বারা অবিনাশী সম্মান প্রাপ্ত হওয়ার ভাগ্য অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ ভাগ্য আপনা থেকেই অনুভূতি করাবে l যে সদা খুশি থাকে সে সৌভাগ্যবান l বিনা পরিশ্রমে, বিনা কোন ইচ্ছায় অথবা বিনা কোন কথায় সহজভাবেই তাদের সর্বপ্রাপ্তি হবে l এই পাঠ পাকা করেছ ?

বাপদাদা দেখেন তোমরা কিসের জন্য এসেছ, কোথায় তোমাদের যেতে হবে আর কোথায় তোমরা যাচ্ছ ! গন্ডি ছেড়ে আবারও যদি তোমাদের বেষ্টনের মধ্যে যেতে হয়, তাহলে অসীমের অনুভব কবে করবে ! বাপদাদার তোমরা সব বাচ্চার প্রতি স্নেহ থাকে l এই স্নেহকে তোমরা দয়া তো বলবে না, কারণ ভিখারী তো তোমরা নও ! দাতা, বিধাতার বাচ্চা তোমরা, দুঃখীদের জন্য দয়া করা যায় l তোমরা তো সুখ স্বরূপ সুখ দাতার বাচ্চা l এখন বুঝেছ, কি করতে হবে ! বাপদাদা এই বছরের জন্য বারবার বিভিন্ন বিষয়ে তোমাদের অ্যাটেনশন আকর্ষণ করছেন l এই বছর নিজের উপরে বিশেষ অ্যাটেনশন রাখার সময় দেওয়া হচ্ছে l দুনিয়ার লোকে তো শুধু বলে, খাও দাও আর হৈ- হুল্লোড় কর l কিন্তু বাপদাদা বলেন, খাও আর অন্যদের খাওয়াও l সুখানুভবে থাক আর অন্যদের সুখানুভবে নিয়ে এসো l

যারা সদা অবিনাশী এবং অসীম খুশিতে থাকে, সব কর্মে যারা সৌভাগ্যবান অনুভব করে, সদা সবাইকে খুশির ভান্ডার বিতরণ করে, যারা সদা খুশির সুবাস ছড়িয়ে দেয়, যারা সদা উৎসাহ-উদ্দীপনার তরঙ্গে তরঙ্গিত, যারা সদা খুশির ঝলক এবং নেশায় থাকে, শ্রেষ্ঠ লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করে, সেই শ্রেষ্ঠ আত্মাদের বাপদাদার সদা হোলি আর হ্যাপি থাকার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার l

পার্টিদের সাথে :-

১) প্রবৃত্তিতে থেকেও তোমরা সদা স্বতন্ত্র আর বাবার প্রিয়, তাই না ! কখনও প্রবৃত্তির প্রতি আসক্তি আসে না তো ? যদি কোথাও কারও প্রতি আসক্তি থাকে তাহলে তা' সদাসর্বদার জন্য নিজের জীবনে বিঘ্ন উৎপন্ন হয়, সেইজন্য সদা নির্বিঘ্ন হয়ে অগ্রচালিত হও l পূর্ব কল্পে অঙ্গদ যেমন হয়ে অটল এবং অনড় থাক l অঙ্গদের কি বিশেষত্ব দেখানো হয়েছে? এইরকম নিশ্চয়বুদ্ধি যে তার পা কেউই নড়াতে পারেনি l মায়া নিশ্চয় রূপী পা নড়ানোর জন্য বিভিন্ন উপায়ে আসে l কিন্তু মায়া নড়বড়ে হয়ে গেলেও তবু তোমাদের নিশ্চয় রূপী পা নড়ে না l মায়া স্বয়ং সারেন্ডার হয়ে যায় l তোমরা সারেন্ডার হবে না তো, তাই না ? বাবার সামনে সারেন্ডার হও, মায়ার সামনে নয়, এইরকম নিশ্চয়বুদ্ধি সদা নিশ্চিন্ত থাকে l যদি সামান্য কোনও চিন্তা থাকে তবে নিশ্চয়ের অভাব আছে l কখনো কোনও বিষয়ে সামান্যতম চিন্তা থাকে, তার কারণ কি - অবশ্যই কোন না কোন বিষয়ে নিশ্চয়ে ঘাটতি রয়েছে l হয় ড্রামাতে নিশ্চয়ের অভাব, অথবা নিজের মধ্যে নিজের নিশ্চয়ের অভাব, কিম্বা বাবাতে নিশ্চয়ের অভাব l তিন রকম নিশ্চয়ে সামান্যতম ঘাটতি থাকলে তোমরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে না l সবচেয়ে বড় রোগ চিন্তা l চিন্তা-রোগের ওষুধ ডক্টরসের কাছেও নেই l টেম্পোরারিলি ঘুমের ওষুধ দিয়ে দেবে, কিন্তু সবসময়ের জন্য চিন্তা দূর করতে পারবে না l তারা চিন্তার সাথে যতই প্রাপ্তির পিছনে দৌড়ায় প্রাপ্তি ততই তাদের থেকে এগিয়ে দৌড়ায়, সেইজন্য নিশ্চয়রূপী পা সদা অটল থাকতে দাও l পা অর্থাৎ সদা একবল এক ভরসা থাকা l নিশ্চয় বলো বা ভরসা বলো, দু'টো একই ব্যাপার l এইরকম নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চাদের বিজয় নিশ্চিত l

২) বাবার প্রতি সদা সমর্পণ হও তোমরা ? ভক্তিতে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে, সেটা তো তোমরা পূরণ করবে, তাই না ? তোমরা কি প্রতিজ্ঞা করেছিলে ? তাঁর কাছে তোমরা সমর্পণ হবে l সমর্পণ অর্থাৎ সমর্পিত হয়ে সদা শক্তিশালী হওয়া l তাহলে সমর্পণ কি করেছ, নাকি সমর্পণ করতে যাচ্ছ l সমর্পিত হওয়ার অর্থ কোনকিছুই আমার নয় l আমিত্বভাবের অবসান l আমার শরীরও নয় l তাহলে কখনো দেহ অভিমান হয় ? যখন তোমাদের আমিত্বের বোধ থাকে, তখনই দেহ ভাব আসে l এই বোধের ঊর্ধ্বে থাকার অর্থই সমর্পিত হওয়া l অতএব, সদাসর্বদার জন্য আমিত্বভাবের সমাপ্তি চালিয়ে যাও l সবকিছু 'তোমার' - অনবরত এই অনুভব করতে থাক l যতোধিক তোমরা অনুভাবী হও ততোধিক অথরিটি স্বরূপ l যারা এমন তারা কখনো প্রতারিত হতে পারে না l দুঃখ-তরঙ্গের অনুভব করতে পারে না l সুতরাং সদা অনুভবের কাহিনী সবাইকে শোনাতে থাক l অনুভাবী আত্মা অল্প সময়ের মধ্যে অধিক সফলতা প্রাপ্ত করে l আচ্ছা l

বিদায়কালে - ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির স্মরণ-স্নেহ

আজকের দিনের মহত্ত্বকে লোকে সবসময় খাওয়া আর খাওয়ানো মহত্ত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে দিয়েছে l তারা কিছু খায় এবং অন্যদের কিছু খাওয়ায় l হয় তারা তিলদান করে অথবা কিছু খায় l তিল অর্থাৎ খুব ছোট, সূচ্যগ্র বস্তু l যখন কোনও ঘটনা ঘটে, এবং যদি ছোট কিছু হয় তবে তারা বলে তিলসম l যদি তা' বড় হয়, বলবে পাহাড়সম l কিন্তু পাহাড় আর তিলের মধ্যে অনেক তারতম্য হয়ে যায়, তাই না ! সুতরাং তিলের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এইজন্য কারণ, তোমরা অতি সূক্ষ্ম বিন্দু l যখন তোমরা বিন্দু হও, তখন উড়তি কলার ঘুড়ি হও l সুতরাং তিলেরও তাৎপর্য আছে l আর তিল সদা মিষ্টির সাথে একসঙ্গে মিশে থাকে, তিল আলাদাভাবে খাওয়া যায় না l মধুরতা অর্থাৎ সস্নেহে সবাইকে একসাথে নিয়ে আসার লক্ষণ l তিলের মধ্যে মিষ্টি দিলে যেমন ভালো লাগে, তেমনই আলাদাভাবে যদি তিল খাও তাহলে তেতো লাগবে, কিন্তু যদি মিষ্টি মিশে যায় তাহলে খুব ভালো লাগে l সুতরাং তোমরা সব আত্মাও মধুরতার সাথে সম্বন্ধে এসো, তোমাদের সেই স্নেহ থাকে, তোমরা শ্রেষ্ঠ হয়ে যাও l তাইতো এটা সংগঠিত মধুরতার স্মরণিক l এটারও প্রতীক আছে l সুতরাং সদা নিজের মধ্যে সংগঠনের শক্তি আনো, মধুরতার আধারে বিন্দুরূপ হও এবং ঘুড়ি হয়ে উড়তি কলায় ওড়ো, এটা আজকের দিনের মহত্ত্ব l সুতরাং উদযাপন অর্থাৎ হওয়া l তাইতো তোমরা এইরকম হয়েছ আর তারা শুধু অল্প সময়ের জন্য উদযাপন করে l এখানে দান দেওয়া অর্থাৎ যা কিছু দুর্বলতা তোমাদের আছে সেইসব দানে দিয়ে দাও l ছোট ব্যাপার মনে করে দিয়ে দাও l তিলসম মনে করে দিয়ে দাও l এটা বড় কিছু মনে ক'রনা এবং ভেবোনা আমাকে ছাড়তে হবে, দিতে হবে, না ! তিলের সমান ছোট কিছু মনে করে দান দাও, উপেক্ষণীয় ছোট্ট বিষয় ভেবে নিয়ে খুশির সাথে দান দাও l এটাই দানের মহত্ত্ব l বুঝেছ !

সদা স্নেহী হবে, সদা সংগঠিত রূপে থাকবে এবং সদা গুরুতর কোনকিছুকে গৌণ ভেবে সমাপ্ত করে দাও, আগুনে জ্বালিয়ে দাও l এটাই তাৎপর্য l তাহলে তোমরা উদযাপন করে নিয়েছ, তাই না! দৃঢ় সঙ্কল্পের অগ্নি জ্বালিয়েছ l লোকে এই দিনে আগুন জ্বালায়, নয় কি !

সুতরাং সংস্কার পরিবর্তন দিবস, তারা বলে সংক্রান্তি, তোমরা বলবে সংস্কার পরিবর্তন l আচ্ছা - সবাইকে স্নেহ আর সংগঠনের শক্তিতে সদা সফল থাকার স্মরণ-স্নেহ আর গুড মর্নিং l


বরদান:-
সদা ভগবান আর ভাগ্যের স্মৃতিতে থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান ভব

সঙ্গমযুগে চৈতন্য স্বরূপে ভগবান বাচ্চাদের সেবা করছেন l ভক্তিমার্গে সবাই ভগবানের সেবা করে, কিন্তু এখানে সব চৈতন্য ঠাকুরের সেবা ভগবান করেন l অমৃতবেলায় তিনি তোমাদের জাগিয়ে তোলেন, ভোগ দেন, ঘুম পাড়িয়ে দেন l যারা রেকর্ডে গীত বাজিয়ে শুতে যায় এবং মর্যাদাপূর্বক অমৃতবেলায় জেগে ওঠে, সেই প্রিয় এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আমরা ব্রাহ্মণ - এই ভাগ্যের খুশিতে সদা দুলতে থাক l শুধু বাবার প্রিয় হও, মায়ার নয় l যে মায়ার প্রিয় হয় সে নানান বালখিল্য কাজ করতে থাকে l

স্লোগান:-
নিজের উৎফুল্ল চেহারা দ্বারা সর্বপ্রাপ্তির অনুভূতি করানো - সেটাই প্রকৃত সেবা l


সূচনাঃ-
আজ অন্তর্রাষ্ট্রীয় যোগ দিবস, মাসের তৃতীয় রবিবার সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত সব ভাইবোন সংগঠিত রূপে একত্রিত হয়ে প্রভুপ্রেমে লীন হওয়ার অনুভব করুন l সদা এই স্বমানে বসুন - আমি আত্মা সর্বপ্রাপ্তিতে সম্পন্ন সর্বশ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা l ভালোবাসার সাগর বাবার ভালোবাসার কিরণ নির্গত হয়ে আমি আত্মায় সমাহিত হচ্ছে l সেই ভালোবাসার ভাইব্রেশন চারিদিকের বাতাবরণে ছড়িয়ে পড়ছে l