15.05.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের দৃষ্টি এখন স্বর্গের দিকে আছে, তোমরা নরককে ত্যাগ করে স্বর্গের দিকে যাচ্ছো, এইজন্য বুদ্ধির যোগ নরকের দিক থেকে সরিয়ে নাও”

প্রশ্নঃ -
সবথেকে উঁচু আর অতি সূক্ষ্ম গন্তব্যস্থল কোনটি ? সেখানে কে যেতে পারে ?

উত্তরঃ -
বাচ্চারা, তোমরা এখন স্বর্গের দিকে তাকিয়ে আছো, মায়া তোমাদের মুখ নরকের দিকে ঘুরিয়ে দেয়, অনেক ঝড়ের মধ্যে ফেলে দেয়, সেই ঝড়কে অতিক্রম করা - এটাই হল সূক্ষ্ম গন্তব্যস্থল। এই গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য সবকিছু থেকে মোহ ত্যাগ করে নষ্টমোহ হতে হবে। নিশ্চয় আর সাহসের দ্বারাই এই মায়ার ঝড়কে অতিক্রম করতে পারবে। বিকারী মনুষ্যাত্মাদের মাঝে থেকেও নির্বিকারী হংস হয়ে থাকতে হবে - এটাই হল পুরুষার্থ।

গীতঃ-
দুর্বলের সাথে যুদ্ধ বলবানের, এই কাহিনী হল প্রদীপ আর তুফানের...

ওম্ শান্তি ।
বিচারবুদ্ধি সম্পন্ন বাচ্চারা এই গানের অর্থ তো খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে, যার বুদ্ধির যোগ শান্তিধাম আর স্বর্গের প্রতি থাকে, তার কাছেই মায়া ঝড় বেশি পরিমানে আসে। বাবা তো এখন তোমাদের মুখ স্বর্গের প্রতি ঘুরিয়ে দিয়েছেন। অজ্ঞান অবস্থাতেও নতুন বাড়ি নির্মান হলে পুরানো বাড়ির থেকে মোহ নষ্ট হয়ে যায়, তখন নতুন বাড়িকেই স্মরণ করতে থাকে - কবে তৈরি হবে! এখন বাচ্চারা তোমাদেরও এই জ্ঞান আছে যে, কবে আমাদের স্বর্গের স্থাপনা হবে, তারপর আমরা সুখধামে আসবো। এই দুঃখ ধাম থেকে তো সবাইকেই যেতে হবে। সমগ্র সৃষ্টির সকল মনুষ্যমাত্রকেই বাবা বোঝাচ্ছেন যে - বাচ্চারা এখন স্বর্গের দ্বার খুলছে। এখন তোমাদের বুদ্ধির যোগ স্বর্গের প্রতি রাখতে হবে। যারা স্বর্গে যাবে তাদেরকে পবিত্র বলা হয়। নরকের দিকে যারা যাবে, তাদেরকে অপবিত্র বলা হয়। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও বুদ্ধির দ্বারা স্বর্গকে যোগযুক্ত হয়ে দেখতে হবে। মনে করো বাবার বুদ্ধির যোগ স্বর্গের দিকে আর বাচ্চাদের নরকের দিকে আছে, তাহলে দুজনে এক ঘরে কিভাবে থাকতে পারে। রাজহংস আর বক একসাথে থাকতে পারবে না। অনেক সমস্যা হয়। তাদের বুদ্ধির যোগ থাকেই পাঁচ বিকারের দিকে। তারা হলো নরকের যাত্রী, আর তোমরা হলে স্বর্গের যাত্রী, দুজনে একসাথে থাকতে পারে না। গন্তব্য স্থল অনেক শ্রেষ্ঠ। বাবা দেখছেন যে, বাচ্চাদের মুখ নরকের দিকে হয়ে আছে, নরকের দিকে যাওয়া ছাড়া থাকতে পারে না, তাহলে কি করতে হবে! অবশ্যই ঘরে ঝগড়া হবে। তারা বলবে - এটাও হল কোনো জ্ঞানের বিষয় যে, বাচ্চারা বিবাহ করতে পারবে না....! গৃহস্থ ব্যবহারে অনেকেই তো থাকে তাই না। বাচ্চাদের মুখ নরকের দিকে আছে, তারা নরকের দিকেই যেতে চায়। বাবা বলেন যে, নরকের দিকে বুদ্ধির যোগ রেখোনা। কিন্তু বাচ্চারা বাবার কথা মানে না। তাহলে কি করতে হয়? এর জন্য অনেক বড় নষ্টমোহ স্থিতি চাই। এই সমস্ত জ্ঞান আত্মার মধ্যেই আছে। বাবার আত্মা বলছেন যে - এদেরকে আমিই তৈরী করেছি, আর আমার কথাই মানছে না। এমন অনেকেই আছে, ব্রাহ্মণ হয়েছে, কিন্তু বুদ্ধি চলে যায় নরকের দিকে। তাহলে সে একদম রসাতলে চলে যাবে।

বাচ্চাদেরকে বোঝানো হয় যে - এটা হল জ্ঞান সাগরের রাজসভা। ভক্তিমার্গে ইন্দ্রের রাজসভাও গাওয়া হয়ে থাকে। পোখরাজ পরী, নীলম পরী, মানিক পরী, অনেক-ই নাম রেখে দিয়েছে, কেননা তারা জ্ঞানের ডান্স করতে থাকে তাই না। বিভিন্ন ধরনের পরী আছে। তারাও অবশ্যই পবিত্র। যদি কেউ অপবিত্রকে নিয়ে আসে তাহলে শাস্তি পেতে হবে। এক্ষেত্রে অনেক-ই পবিত্র হওয়া প্রয়োজন। কারণ এই গন্তব্য স্থল হলো অনেক উঁচু, এইজন্য বৃক্ষের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হয় না। বাবা যে জ্ঞান দান করেন, তা কেউই জানে না। শাস্ত্রতেও এই জ্ঞান নেই। এইজন্য অল্প নিশ্চয় হওয়ার কারনে মায়া একটা থাপ্পড়েই ফেলে দেয়। এটাই হল মায়ার ঝড় তাইনা। ছোট্ট একটা ফুলের কুঁড়ি হলে তো তুফান এক ঝাপটাতেই মাটিতে ফেলে দেবে। অন্যদেরকে বিকারের মধ্যে যেতে দেখে নিজেও বিকারে চলে যায়। এখানে তো বাবার জ্ঞান বোঝার জন্য বিশাল বুদ্ধি চাই। গাওয়া হয় যে - অবলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে। বাবা বোঝাচ্ছেন যে - বাচ্চারা, কাম হল মহাশত্রু, এর প্রতি তোমাদের অনেক ঘৃণা আসা উচিত। বাবা তো অনেক ঘৃণা করেন, আগে এসব কথা ছিল না। নরক তো এখনই, তাইনা। দ্রৌপদী ভগবানের শরণ নিয়েছিল, সেটা হল এখনকার কথা। কত সুন্দর করে বোঝানো হয়। তবুও বুদ্ধিতে কিছুই ধারণা হয় না।

এই সৃষ্টিচক্রের চিত্র খুব ভালো - গেট ওয়ে টু হেভেন। এই সৃষ্টিচক্রের চিত্রের দ্বারাও অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারবে। সিঁড়ির চিত্রের থেকেও এই চিত্রে আরো ভালোভাবে বোঝা যায়। দিন-প্রতিদিন নির্ভুল হতে থাকবে। বাবা বলছেন যে - আজ তোমাদেরকে একদমই নতুন নির্দেশ দিচ্ছি। সব নির্দেশ কি প্রথমেই দেওয়া যায়। এটা কেমন দুনিয়া, এখানে কি রকমের দুঃখ পাওয়া যায়। বাচ্চাদের মধ্যে কত মোহ থাকে। কোনো বাচ্চা মারা গেলে তো তার বাবা-মা পাগল হয়ে যায়, অনেক দুঃখ আছে। এরকম নয় যে ধনী আছে, তো সুখে আছে। অনেক প্রকারের অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। তারপর হসপিটালে গিয়ে শয্যাশায়ী হয়ে যায়। গরিবেরা জেনারেল ওয়ার্ডে পড়ে থাকে, ধনী ব্যক্তির আলাদাভাবে স্পেশাল কোনো ঘর প্রাপ্ত হয়। কিন্তু দুঃখ যেরকম ধনী ব্যাক্তির হয় সেরকম গরিবেরও হয়। কেবলমাত্র তাদের থাকার জন্য ভালো স্থান প্রাপ্ত হয়। তাদের দেখাশোনাও খুব যত্ন সহকারে হয়। এখন বাচ্চারা তোমরা জেনেছ যে, আমাদেরকে বাবা পড়াচ্ছেন। বাবা আমাদের অনেকবার পড়িয়েছেন। হৃদয় থেকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, আমি পড়ছি নাকি পড়ছি না ? কত জনকে পড়াচ্ছি? আর যদি না পড়াই তাহলে কী পদ প্রাপ্ত হবে ! প্রতি রাতে শোয়ার আগে নিজের দৈনন্দিন চার্ট দেখো - আজ কাউকে দুঃখ তো দিইনি ? শ্রীমত হল - কাউকে দুঃখ দিও না আর সবাইকে পরমধামে যাওয়ার রাস্তা বলে দাও। যে আমাদের ব্রাহ্মণ কুলের সদস্য হবে, সে শীঘ্রই বুঝতে পারবে। এর জন্য সোনার পাত্র চাই, যেখানে অমৃত রাখা যেতে পারে। যেরকম বলা হয় না যে - বাঘিনীর দুধের জন্য সোনার পাত্র চাই, কেননা তার দুধ অনেক শক্তিশালী হয়। বাঘিনীর, বাচ্চাদের প্রতি অনেক মোহ থাকে। কাউকে দেখলে তারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। কারণ তারা মনে করে যে তার বাচ্চাকে যদি কেউ মেরে দেয়। এখানেও অনেকেই আছে যাদের স্বামী, বাচ্চা আদির মধ্যে মোহ থাকে। এখন বাচ্চারা, তোমরা জেনে গেছো যে, স্বর্গের গেট খুলছে। কৃষ্ণের চিত্রে খুব সুন্দর এবং পরিস্কার ভাবে লেখা আছে যে, এই লড়াইয়ের পর স্বর্গের গেট খুলবে। সেখানে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ হবে। বাকিরা সবাই মুক্তিধামে চলে যাবে। অনেক শাস্তি পেতে হবে। যা কিছু পাপ কর্ম করেছে, এক-এক জন্মের সাক্ষাৎকার করিয়ে শাস্তি পেতে থাকবে। তারপর এক পয়সার পদ প্রাপ্ত করবে। স্মরণে না থাকার কারণে বিকর্ম বিনাশ হয় না।

এমনও অনেক বাচ্চা আছে, যারা মুরলীও পড়ে না, অনেক বাচ্চাই এতে উদাসীন থেকে যায়। মনে করে যে আমি পড়িনি তো কি হয়েছে! আমি তো পার হয়ে গেছি। মুরলী পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে না। এরকম দেহ-অভিমানী অনেকেই আছে, তারা নিজেরই ক্ষতি করে। বাবা জানেন যে, এইজন্য যখন এখানে আসে তখনই জিজ্ঞাসা করি যে, অনেক মুড়লীই তো পড়া হয়নি! জানি না তাতে হয়তো কোনো ভালো জ্ঞানের পয়েন্ট ছিল। পয়েন্ট তো প্রত্যেক দিনই এই মুরলীর দ্বারা প্রাপ্ত হয়। এরকমও আত্মা অনেক সেন্টারেই আসে। কিন্তু ধারণা কিছুই নেই, জ্ঞানও নেই। শ্রীমতে না চললে তো পদও প্রাপ্ত হবে না। সত্য বাবা, সৎ টিচারের নিন্দা করালে কোনো পদ প্রাপ্ত হবে না। কিন্তু সবাই তো আর রাজা হবে না। প্রজা হবে। নম্বরের ক্রমে পদপ্রাপ্ত হবে তাইনা। সবকিছুই নির্ভর করছে স্মরণে যাত্রার উপর। যে বাবার থেকে বিশ্বের রাজ্য প্রাপ্ত হয়, তাঁকে স্মরণ করতে পারবে না ? ভাগ্যতেই নেই তাে যুক্তিও কি করবে! বাবা তো বলেন যে, স্মরণের যাত্রার দ্বারাই পাপ ভষ্মীভূত হবে, তাই পুরুষার্থ করতে হবে তাইনা। বাবা এরকম বলেন না যে, খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দাও। এটা কোনো হঠযোগ নয়। চলতে-ফিরতে সব কাজ করতেও যেরকম প্রেমিকা-প্রেমিককে স্মরণ করে, সেই রকম স্মরণে থাকো। তাদের তো হলো নাম রূপের ভালোবাসা। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক কিভাবে হয়েছেন ? কারোরই জানা নেই। তোমরা তো বলো, এটা তো কালকের কথা। ইনিই রাজ্য করেছিলেন, সাধারণ মানুষ তো লক্ষ বছর বলে দেয়। মায়া মানুষের বুদ্ধিকে একদম পাথরবুদ্ধি করে দিয়েছে। এখন তোমরা পাথরবুদ্ধি থেকে পরশ বুদ্ধি তৈরি হচ্ছো। পরেশনাথের মন্দিরও আছে। কিন্তু তিনি কে, এটা কেউই জানে না। মানুষ একদমই ঘোর অন্ধকারে আছে। এখন বাবা তো কত সুন্দর সুন্দর কথা বোঝাচ্ছেন। প্রত্যেকের বুদ্ধিতেই ধারণ হয়ে আছে। পড়াচ্ছেন তো একজন আর পড়াশোনা করছে তো অনেক। গলি-গলিতে তোমাদের স্কুল হয়ে যাবে। গেট ওয়ে টু হেভেন। এমন কোনো মানুষ নেই যে বুঝবে, আমরা এখন নরকে আছি। বাবা বোঝাচ্ছেন যে এখন সবাই পূজারী হয়ে গেছে। পূজ্য হয়-ই সত্যযুগে। আর পূজারী হয়ে যায় কলিযুগে। সাধারণ মানুষ মনে করে যে, ভগবানই পুজ্য, ভগবানই পূজারী হয়। তুমিই হলে ভগবান, তুমিই এইসব খেলা খেলছো। তুমিও ভগবান, আমিও ভগবান। কিছুই বোঝেনা। এটা হলই রাবনের রাজ্য। তোমরা কি ছিলে আর এখন কি তৈরি হচ্ছো। বাচ্চাদের মধ্যে অনেক নেশা রাখতে হবে। বাবা কেবলমাত্র বলছেন যে, আমাকে স্মরণ করো তো, তোমরা পূণ্য আত্মা হয়ে যাবে।

বাবা বাচ্চাদেরকে পূণ্য আত্মা হওয়ার যুক্তি বলে দিচ্ছেন - বাচ্চারা, এই পুরানো দুনিয়ার এখনই হল সমাপ্তি সময়। এখনই আমি প্রত্যক্ষ রূপে এসেছি, এটাই হলো সর্বশেষ দান, একদম সমর্পণ হয়ে যাও। বাবা, এইসব হলো তোমার। বাবা তো দেওয়ার জন্যই এসেছেন। এদেরও কিছু ভবিষ্যৎ শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ তো ঈশ্বরের জন্য অনেক কিছু দান-পূণ্যাদি করতে থাকে, সেসব হলো পরোক্ষ। সেই দানের ফল দ্বিতীয় জন্মে প্রাপ্ত হয়। এটাও ড্রামাতে নিবন্ধ আছে। এখন তো আমি প্রত্যক্ষ রূপে এসেছি। এখন তোমরা যা কিছু করবে তার রিটার্নে পদমগুণ প্রাপ্ত হবে। সত্য যুগে তো দান-পূণ্যাদির কোনো কথাই নেই। এখানে কারো কাছে যদি টাকা-পয়সা থাকে তো বাবা বলেন, আচ্ছা, তুমি তাহলে গিয়ে সেন্টার খোলো। প্রদর্শনী বানাও। গরীব হলে তো বাবা বলছেন আচ্ছা, নিজের ঘরেই কেবলমাত্র এই বোর্ড লাগিয়ে দাও যে - গেট ওয়ে টু হেভেন। স্বর্গ আর নরক তাই না। এখন আমরা হলাম নরকবাসী। এটাও কেউ বুঝতে পারে না। মৃত্যুর পর কেউ যদি স্বর্গে যায় তবে কেনো তাকে নরকে আবার আহ্বান করে। স্বর্গে এমন কি কেউ বলবে, (মৃত্যর পর) ইনি স্বর্গে গমন করেছেন। সে তো আছেই স্বর্গে। পুনর্জন্ম স্বর্গতেই প্রাপ্ত হয়। এখানে পুনর্জন্ম নরকেই প্রাপ্ত হয়। এ সমস্ত কথাও তোমরা বোঝাতে পারো। ভগবানুবাচ - মামেকম স্মরণ করো, কেননা তিনিই হলেন পতিত-পাবন, আমাকে স্মরণ করো তো তোমরা পূজারী থেকে পুজ্য হয়ে যাবে। যদিও স্বর্গতে সুখী তো সবাই হবে কিন্তু নম্বরের ক্রমানুসারে পদ প্রাপ্ত হবে। অনেক শ্রেষ্ঠ গন্তব্যস্থল। কুমারীদের মধ্যে তো সেবা করার জন্য অনেক শখ রাখতে হবে। আমরা ভারতকে স্বর্গ বানিয়ে দেখাবো। কুমারী তো তারা, যারা ২১ কুলের উদ্ধার করবে অর্থাৎ ২১ জন্মের জন্য উদ্ধার করতে পারে। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) এখন হল পুরানো জগতের অন্তিম সময়, এই সময় বাবা প্রত্যক্ষরূপে আমাদের সামনে এসেছেন, তাই বাবার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পণ হয়ে যেতে হবে, বাবা এই সবকিছু হল তোমার...এই যুক্তির দ্বারাই পুণ্যাত্মা হয়ে যাবে।

২) কখনোও মুরলী পড়া বা শোনা থেকে নিজেকে বিরত রেখোনা, মুরলীকে অবহেলা করো না। এরকম ভেবো না যে, আমি পড়িনি তো কি হয়েছে। আমি তো পার হয়ে গেছি। না। এটাই হল দেহ-অভিমান। মুরলী অবশ্যই পড়তে হবে।

বরদান:-
নিশ্চয়ের (দৃঢ় বিশ্বাস) আধারে বিজয়ী রত্ন হয়ে সকলের জন্য মাস্টার আশ্রয়দাতা ভব

নিশ্চয় বুদ্ধি বাচ্চারা বিজয়ী হওয়ার কারণে সদা খুশীতে নাচতে থাকে। তারা অন্যদের কাছে নিজের বিজয়ের বর্ণনা করে না, বরং বিজয়ী হওয়ার কারণে তারা অন্যদের মধ্যে সাহস বৃদ্ধি করে। কাউকে নিম্নাভিমুখী করার চেষ্টা করে না। বাবার সমান মাস্টার আশ্রয়দাতা হয় অর্থাৎ নিচু থেকে উঁচুতে ওঠায়। ব্যর্থ থেকে সর্বদা দূরে থাকে। ব্যর্থ থেকে নিজেকে মুক্ত করাই হল বিজয়ী হওয়া। এইরকম বিজয়ী বাচ্চারা সকলের জন্য মাস্টার আশ্রয় দাতা হয়ে যায়।

স্লোগান:-
যে নিঃসার্থ আর নির্বিকল্প স্থিতিতে সেবা করে, সে-ই সফলতামূর্ত হয়।