08.05.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন বাচ্চারা তোমাদের অবিনাশী উপার্জন করিয়ে দিতে, এখন তোমরা জ্ঞান রত্নের উপার্জন যত চাও করতে পারো"

প্রশ্নঃ -
আসুরিক সংস্কার পরিবর্তন করে দৈবী সংস্কার তৈরি করার জন্য কোন্ বিশেষ পুরুষার্থ করা প্রয়োজন ?

উত্তরঃ -
আসুরিক সংস্কার পরিবর্তন করার জন্য যতটা সম্ভব দেহী-অভিমানী থাকার অভ্যাস কর। দেহ -অভিমান থেকেই আসুরিক সংস্কার তৈরি হয়। বাবা আসুরিক সংস্কারকে দৈবী সংস্কারে পরিণত করে তোলার জন্য এসেছেন, পুরুষার্থ করো প্রথমে আমি দেহী আত্মা, তারপর এই শরীর।

গীতঃ-
তোমরা রাত নষ্ট করেছ ঘুমিয়ে.....

ওম্ শান্তি ।
এই গান বাচ্চারা অনেকবার শুনেছে । রূহানী (আত্মিক) বাচ্চাদের রূহানী বাবা সাবধান করতেই থাকেন এই বলে যে, এই সময় নষ্ট করার জন্য নয়। এই সময় প্রচুর উপার্জন করার জন্য। উপার্জন করানোর জন্যই বাবা এসেছেন। উপার্জনও অগাধ, যার যতটা উপার্জন করার ততটাই করতে পারে। এ হলো অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দ্বারা নিজের ভান্ডার ভর্তি করার জন্য উপার্জন। ভবিষ্যতের জন্য উপার্জন। ওটা হল ভক্তি, এ হলো জ্ঞান। মানুষ জানেনা ভক্তি তখনই শুরু হয় যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় । তারপর জ্ঞান শুরু হয় যখন বাবা এসে রাম রাজ্য স্থাপন করেন । জ্ঞান নতুন দুনিয়ার জন্য, ভক্তি পুরানো দুনিয়ার । এখন বাবা বলছেন প্রথমে নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে — আমরা প্রথমে আত্মা, পরে শরীর। কিন্তু ড্রামার প্ল্যান অনুসারে মানুষ ভুলে গেছে আর সেইজন্যই উল্টো বুঝে ভেবেছে প্রথমে আমরা দেহ তারপর দেহী ( শরীর, আত্মা)। বাবা বলেন, দেহ তো বিনাশী, একেই তোমরা ধারণ করো তারপর ত্যাগ করো। সংস্কার থাকে আত্মার মধ্যে। দেহ -অভিমান আসার কারণে সংস্কার আসুরি হয়ে পড়ে। তারপর আসুরি সংস্কারকে দৈবী করে তোলার জন্য বাবাকে আসতে হয়। এইসব রচনা ঐ এক রচয়িতা বাবার। তাঁকে সবাই ফাদার বলে । যেমন লৌকিক বাবাকেও ফাদারই বলা হয়। বাবা আর মাম্মা শব্দ দুটি বড়ো মিষ্টি। রচয়িতা তো বাবাকেই বলা হয় । উনি প্রথমে মাকে অ্যাডপ্ট করেন ( ব্রহ্মা বাবা) তারপর রচনা করেন। অসীম জগতের পিতা বলেন আমি এসে এর মধ্যে প্রবেশ করি, এর নাম জগতে প্রসিদ্ধ, বলাও হয়ে থাকে ভাগীরথ । মানুষের চিত্রই দেখানো হয়। কোনও ষাঢ় এখানে নেই। ভাগীরথ হল আসলে মানুষের শরীর। বাবাই এসে বাচ্চাদের নিজ পরিচয় দিয়ে থাকেন। তোমরা সবসময় বল আমরা বাপদাদার কাছে যাই । শুধুই বাবা বললে তিনি নিরাকার। নিরাকার বাবার কাছে তখনই যেতে পারবে যখন শরীর ত্যাগ করবে, এমনই তো কেউ যেতে পারবে না। সেই নলেজই বাবা এসে দিয়ে থাকেন। এই নলেজ একমাত্র বাবার কাছেই আছে। বাবা অবিনাশী জ্ঞান রত্নের ভান্ডার । বাবা হলেন জ্ঞান রত্নের সাগর। এখানে জলের কোনও বিষয়ই নেই। জ্ঞান রত্নের ভান্ডার তিনি, তাঁর মধ্যে নলেজ আছে। নলেজ বলা হয় জ্ঞানকে ।যেমন লৌকিক দুনিয়ার মানুষের ব্যারিস্টারী, ডাক্তারী ইত্যাদির নলেজ থাকে, এটাও নলেজ (ঈশ্বরীয়)। এই নলেজের জন্যই ঋষি, মুনি, ইত্যাদিরা বলে থাকে রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ আমরা জানিনা । সে তো একমাত্র রচয়িতাই জানে । ঝাড়ের বীজ রূপ তিনি। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ তাঁর মধ্যেই আছে । উনি যখন অবতীর্ণ হন তখনই শোনান । তোমরা এখন নলেজ পেয়েছ এই নলেজ দ্বারাই তোমরা দেবতা হয়ে ওঠো। নলেজ প্রাপ্ত করে তারপর প্রালব্ধ ভোগ কর সত্যযুগে। ওখানে নলেজের কোনও প্রয়োজনই পড়ে না। এমন নয় যে দেবতাদের মধ্যে এই জ্ঞান থাকে না বলে তারা অজ্ঞানী। তা নয়, ওরা তো এই নলেজের দ্বারাই দেবত্ব পদ প্রাপ্ত করেছে। বাবাকে আহ্বান করে বলা হয় বাবা এসো, নয়তো আমরা পতিত থেকে পাবন কীভাবে হবো, সেইজন্য পথ অথবা জ্ঞান প্রদান কর কেননা জানেনা ।

এখন তোমরা জান আমরা আত্মারা শান্তিধাম থেকে এসেছি। আত্মারা ওখানে শান্তিতে থাকে । এখানে এসেছি নিজ ভূমিকা পালন করতে। এটা পুরানো দুনিয়া, নিশ্চয়ই তবে নতুন দুনিয়া কখনও ছিল । সেটা কবে ছিল, কে রাজত্ব করত — এটা কেউ-ই জানে না। তোমরা এখন জেনেছ। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, সদ্গতি দাতা। তাঁকেই ডেকে বলা হয় বাবা তুমি এসে আমাদের দুঃখ হরণ করে, সুখ-শান্তি প্রদান কর। আত্মারা জানে কিন্তু তমোপ্রধান হয়ে গেছে সেইজন্য বাবা এসে নিজ পরিচয় দেন । মানুষ তো না আত্মাকে, না পরমাত্মাকে জানে। আত্মার জ্ঞানই নেই যে পরমাত্ম-অভিমানী হবে। প্রথমে তোমরাও জানতে না। এখন জ্ঞান অর্জন করেছ সুতরাং বুঝতে পেরেছ মুখমণ্ডল মানুষের কিন্তু স্বভাব বাঁদরের।

এখন বাবা নলেজ দিয়েছেন, সুতরাং তোমরাও নলেজফুল হয়ে উঠেছ । রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান প্রাপ্ত করেছ। তোমরা জান ভগবান আমাদের পড়াচ্ছেন, সুতরাং কতখানি ঈশ্বরীয় নেশা থাকা উচিত। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, ওঁনার অসীম জগতের জ্ঞান । তোমরা যার কাছেই যাও না কেন — সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান এমনকি আমরা যে আত্মা সেটা কি ,কেউ-ই জানে না। বাবাকে স্মরণও করে দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী বলে থাকে, তারপর আবার ঈশ্বর সর্বব্যাপী বলে থাকে।

ড্রামানুসারে ওরা বলে থাকে, এটা ওদের কোনও দোষ নয় । মায়া সম্পূর্ণ রূপে হীন বুদ্ধি করে তোলে। কীটপতঙ্গ নোংরা জায়গাতেই সুখ অনুভব করে । বাবা আসেন দুর্গন্ধময় স্থান থেকে তুলে আনতে । মানুষ চারাবালিতে ফেঁসে গেছে। জ্ঞানের নলেজই নেই তো কি করবে ! চোরাবালির পাঁকে ফেঁসে গেছে তাদের বের করে আনা মুশকিল হয়ে পড়ে। তাদের যদি অর্ধেক পথ বা তিন চতুর্থাংশও বের করে নিয়ে আস আবারও হাত ছেড়ে নীচে পড়ে যায়। কিছু বাচ্চারা অন্যদের জ্ঞান দিতে-দিতে নিজেই মায়ার থাপ্পড় খায় কেননা বাবার ডায়রেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। অন্যদের বের করে আনার চেষ্টা করতে-করতে নিজেই পড়ে যায় তারপর তাকে বের করে আনতে কত পরিশ্রম করতে হয়। মায়ার কাছে পরাজিত হয়ে পড়ে। তারা যে পাপ করেছে তখন তা তাদের অন্তর্মনকে দগ্ধ করে তোলে । মায়ার লড়াই না ! এখন তোমরা যুদ্ধের ময়দানে। ওরা বাহুবল দ্বারা লড়াই করার হিংসাত্মক সৈনিক, তোমরা হলে অহিংসক। তোমরা রাজ্য অধিগ্রহণ কর অহিংসা দ্বারা। হিংসা দুই প্রকারের। এক হলো কাম বাসনার আর দ্বিতীয় হিংসা হলো মারামারি-লড়াই করা। তোমরা এখন ডবল অহিংসক হচ্ছ। এই জ্ঞান বলের লড়াইয়ের কথা কেউ জানেনা। অহিংসা কাকে বলে তাও জানেনা। ভক্তি মার্গের সামগ্রী বিশাল। গানও গেয়ে থাকে হে পতিত-পাবন এসো কিন্তু আমি এসে কিভাবে পবিত্র করে তুলি এটা কেউ জানেনা। গীতাতেও ভুল করেছে সেখানে একজন মানুষকে ভগবান বলা হয়েছে। শাস্ত্র মানুষই তৈরি করেছে, মানুষই সেই শাস্ত্র পড়ে। দেবতাদের শাস্ত্র পড়ার প্রয়োজন নেই। ওখানে কোনও রকম শাস্ত্র নেই। জ্ঞান, ভক্তি তারপর বৈরাগ্য। কিসের বৈরাগ্য? ভক্তির প্রতি বৈরাগ্য, পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য, পুরানো শরীরের প্রতি বৈরাগ্য। এই সম্পূর্ণ ছিঃছিঃ দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য। বাবা বলেন এই চোখ দিয়ে যা কিছু দেখছ সেইসব কিছুই থাকবে না। নতুন দুনিয়াকে তোমরা দিব্য দৃষ্টি দিয়ে সাক্ষাত্কার করবে। তোমরা নতুন দুনিয়ার জন্যই পড়াশোনা করছ।এই পঠন-পাঠন এই জন্মের জন্য নয়। লৌকিকে যা কিছু পঠন-পাঠন ঐ সময়ে ঐ জন্মের জন্য। এখন সঙ্গম যুগ তোমরা যা কিছু পঠন-পাঠন করছ তার প্রালব্ধ নতুন দুনিয়াতে পেয়ে থাক। অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে তোমরা কত বড়ো প্রালব্ধ প্রাপ্ত করে থাক। অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অনন্ত সুখ প্রাপ্তি হয়। সুতরাং বাচ্চাদের সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করে শ্রীমতে চলা উচিত। বাবা হলেন শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতম। ওঁনার দ্বারাই তোমরা শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠো। উনি তো সবসময়ের জন্যই শ্রেষ্ঠ। উনি তোমাদের শ্রেষ্ঠ করে তোলেন। ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে তারপর তোমরা ভ্রষ্ট হয়ে যাও। বাবা বলেন আমি জন্ম মৃত্যুর চক্রে আসি না। আমি ভাগ্যশালী রথে প্রবেশ করি, যাকে তোমরা বাচ্চারা চিনেছ। তোমাদের ঝাড় এখন ছোট। ছোট ঝাড়ে তুফান ও তো আসে ,পাতা ঝরতে থাকে। প্রচুর ফুল ফোটে তারপর তুফানে ঝরে পড়ে যায়। কেউ-কেউ যথার্থ রীতিতে ফলে পরিণত হয় তারপরও মায়ার তুফানে নীচে পড়ে যায়। মায়ার তুফান বড় তীব্র। ঐ দিকে বাহুবল , এদিকে যোগবল অথবা স্মরণের বল।তোমরা স্মরণ শব্দটি নিশ্চিত করে নাও। ওরা যোগ-যোগ শব্দ বলতেই থাকে। তোমাদের হলো স্মরণ। চলতে ফিরতে বাবাকে স্মরণ কর, একে যোগ বলে না। যোগ শব্দটি সন্ন্যাসীদের জন্য প্রসিদ্ধ। ওরা অনেক রকমের যোগ শেখায়। বাবা কত সহজভাবে বুঝিয়ে বলেন — উঠতে-বসতে, চলতে ফিরতে বাবাকে স্মরণ কর। তোমরা অর্ধকল্পের জন্য আশিক আমাকে স্মরণ করে এসেছ । এখন আমি এসেছি । আত্মাকে কেউ জানেনা সেইজন্যই বাবা এসে রিয়েলাইজ করান । এটা বোঝাও বিরাট ব্যাপার। আত্মা অতি সূক্ষ্ম এবং অবিনাশী। না আত্মা বিনাশ হবে, না তার ভূমিকা বিনাশ হবে। এই বিষয়ে ভোঁতা বুদ্ধির যারা তারা খুব মুশকিলের সাথেই বুঝে থাকে। শাস্ত্রেও এ বিষয়ে কিছু লেখা নেই।

তোমরা বাচ্চাদের বাবাকে স্মরণ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। জ্ঞান তো অতিব সহজ। বাকি বিনাশ কালে প্রীত বুদ্ধি আর বিপরীত বুদ্ধি এই কথা স্মরণের জন্যই বলা হয়েছে। যথার্থ রীতিতে স্মরণ থাকাকে বলে প্রীত বুদ্ধি। প্রীতিও অব্যভিচারী হওয়া প্রয়োজন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করা উচিত — আমি বাবাকে কতটুকু স্মরণ করি, এটাও তোমরা বুঝেছ বাবার প্রতি প্রীতি রাখতে -রাখতে যখন কর্মাতীত অবস্থা হবে তখনই এই শরীর ত্যাগ করে চলে যাবে। তারপর শুরু হবে লড়াই। যত বাবার প্রতি প্রীত থাকবে ততই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে থাকবে। পরীক্ষা তো একটা সময়েই হবে তাইনা। সময় যখন সম্পূর্ণ হয়ে আসে ,সবার প্রীত বুদ্ধি হয়, ঐ সময়েই বিনাশ হয় ।ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই ঝগড়া ইত্যাদি চলতেই থাকে। বিলেতে বসবাসকারীরাও বুঝতে পারে মৃত্যু সামনে, কোনও প্রেরক যারা আমাদের দিয়ে বোমা তৈরি করায়, কিন্তু কি করব । ড্রামায় পূর্ব নির্ধারিত না ! নিজেদের তৈরি সায়েন্স শক্তি দ্বারা নিজেদের কুলেরই মৃত্যু নিয়ে আসে। বাচ্চারা বলে পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে চলো, শরীর তো যাবে না। বাবা হলেন কালেরও কাল । একথা কেউ জানেনা। গায়ন আছে কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ (মিরুআ মৌত মলুকা শিকার/শিকারী শিকারের জন্য পশুর মৃত্যু প্রার্থনা করে) । ওরা বলে বিনাশ বন্ধ হোক, শান্তি ফিরে আসুক । বিনাশ ছাড়া সুখ-শান্তি কিভাবে স্থাপন হবে সেইজন্য চক্র দিয়ে অবশ্যই বোঝাতে হবে। এখন স্বর্গের গেট খুলতে চলেছে। বাবা বলেন, এর উপর লিখে বই প্রকাশ কর — গেট ওয়ে টু শান্তিধাম -সুখধাম । এর অর্থও বুঝবে না। খুব সহজ বিষয়, কিন্তু কোটিতে কতিপয়ই বোঝে। প্রদর্শনী ইত্যাদিতে তোমাদের হতাশ হওয়া উচিত নয়। প্রজা তো তৈরি হবে তাইনা। লক্ষ্য অনেক বড়ো, পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম হলো স্মরণের । ওতেই অধিকাংশ অসফল হয়। স্মরণও অব্যভিচারী হওয়া প্রয়োজন। মায়া প্রতি মুহূর্তে ভুল করিয়ে দেয়। বিনা পরিশ্রমে কেউ বিশ্বের মালিক হতে পারেনা।সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করা উচিত। আমরা সুখ ধামের মালিক ছিলাম, অনেকবার চক্র সম্পূর্ণ করেছি। এখন বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মায়া অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি করে । বাবার কাছেও সার্ভিসের খবর আসে । আজ বিদ্যুৎ মন্ডলীকে কিভাবে বুঝেয়েছি, আজ এটা করেছি ..... ড্রামা অনুসারে মাতাদের নাম প্রসিদ্ধ হবে। বাচ্চারা তোমাদের উদ্যোগী হতে হবে মাতাদের সামনে এগিয়ে দিতে। এটাই চৈতন্য দিলওয়ারা মন্দির । তোমরা চৈতন্য রূপে পরিণত হবে তারপর রাজত্ব করবে। ভক্তি মার্গের মন্দির ইত্যাদি থাকবে না। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) এক বাবার প্রতি অব্যভিচারী প্রীতি রাখতে-রাখতে কর্মাতীত অবস্থাকে প্রাপ্ত করতে হবে। এই পুরানো দেহ আর পুরানো দুনিয়া থেকে যেন অসীমের বৈরাগ্য আসে।

২) কোনও কর্তব্য বাবার ডায়রেকশনের বিরুদ্ধে গিয়ে করা উচিত নয়। যুদ্ধের ময়দানে কখনোই পরাজিত হওয়া উচিত নয়। ডবল অহিংসক হতে হবে।

বরদান:-
নিজের আত্মিক (রূহানী) লাইট দ্বারা বায়ুমণ্ডলকে পরিবর্তন করার সেবাকারী সহজ সফলতার প্রতিমূর্তি ভব

যেমন সাকার সৃষ্টিতে যে রঙের লাইট জ্বালায় তেমনই বাতাবরণ তৈরি হয়। যদি সবুজ লাইট জ্বালানো হয়, তবে চতুর্দিকে সেই রঙের প্রকাশ ছেয়ে যায়। লাল লাইট জ্বালানো হলে স্মরণের বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়ে যায়। যখন স্থূল লাইট বায়ুমণ্ডলকে পরিবর্তন করতে পারে তখন তোমরাও লাইট হাউস, পবিত্রতার লাইট এবং সুখের লাইট দ্বারা বায়ুমণ্ডলকে পরিবর্তন করার সেবা করলে সফলতার প্রতিমূর্তি হয়ে উঠবে। স্থূল লাইট চোখ দিয়ে দেখা যায়, আত্মিক লাইট অনুভব দ্বারা জানবে ।

স্লোগান:-
ব্যর্থ কথায় সময় আর সংকল্প নষ্ট করা — এও অপবিত্রতা।