20.06.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের টাইম হলো খুবই ভ্যালুয়েবেল, সেইজন্য ফালতু কথায় নিজের টাইম ওয়েস্ট (নষ্ট)
ক'রো না"
প্রশ্নঃ -
মানুষ থেকে
দেবতা হওয়ার জন্য বাবার থেকে কোন্ শ্রীমত প্রাপ্ত হয়েছে ?
উত্তরঃ -
বাচ্চারা, তোমরা যখন মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হচ্ছো তো কোনো আসুরিক স্বভাব হওয়া
উচিত নয়।
২) কারোর উপর ক্রোধ করতে নেই ।
৩) কাউকেই দুঃখ দিতে নেই।
৪) কোনো ফালতু কথা কানে নিতে নেই। বাবার শ্রীমৎ হলো, হিয়ার নো ইভিল (খারাপ কথা
শুনবে না)... ।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা,
তোমাদের বসা হলো একদমই সিম্পল। যেকোনো জায়গায়তেই বসতে পারো। চাও তো জঙ্গলে বসতে পারো,
পাহাড়ী জায়গায় বসো, বাড়ীতে বসো বা কুটিরে বসো, যে কোন জায়গাতেই বসতে পারো।
বাচ্চারা, এভাবে বসলে (যোগ যুক্ত হয়ে) তোমরা ট্র্যান্সফার(পরিবর্তিত) হবে। তোমরা
অর্থাৎ বাচ্চারা জানো যে, আমরা এখন মনুষ্য, ভবিষ্যতের জন্য দেবতা হতে চলেছি। আমরা
কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছি। বাবার নিজের বাগান, সেখানে তিনিই মালি। আমরা বাবাকে
স্মরণ করলে আর ৮৪ জন্মের চক্র আবর্তন করলে ট্র্যান্সফার হবো। এখানে বসো, চাইলে যে
কোনো জায়গায় বসো- তোমরা ট্র্যান্সফার হতে-হতে মানুষ থেকে দেবতা হতে থাকো। বুদ্ধিতে
এইম্ অবজেক্ট আছে, আমরা এইরকম তৈরী হচ্ছি। যে কোনো কাজ-কর্ম করো, রুটি তৈরী করো,
বুদ্ধিতে শুধু বাবাকে স্মরণ করো। বাচ্চাদের এই শ্রীমত প্রাপ্ত হয়, চলতে- ফিরতে সব
কিছু করেও শুধু স্মরণে থাকো। বাবার স্মরণে উত্তরাধিকারও স্মরণে আসে, ৮৪ জন্মের
চক্রও স্মরণে আসে। এতে আর কি পরিশ্রম, কিছুই না। আমরা যখন দেবতায় পরিণত হচ্ছি, তো
কোনো আসুরিক স্বভাবই থাকা উচিত নয়। কারোর উপর ক্রোধ করতে নেই, কাউকে দুঃখ দিতে নেই,
কোনো ফালতু কথা কানে শুনতে নেই। শুধুই বাবাকে স্মরণ করো। এছাড়া সংসারের
পরনিন্দা-চর্চা তো অনেক শুনেছো। অর্ধ কল্প ধরে এইসব শুনে-শুনে তোমরা নীচে নেমেছো।
এখন বাবা বলেন এই পরনিন্দা-পরচর্চা (ঝরমুই-ঝগমুই) ক'রো না। অমুকে এইরকম, এর মধ্যে
এটা আছে। কোনো ফালতু কথাই বলা উচিত নয়। এটা যেন নিজের টাইম ওয়েস্ট করা হলো।
তোমাদের টাইম হলো অনেক ভ্যালুয়েবেল। অধ্যয়ণেই নিজের কল্যাণ হবে, এর দ্বারাই পদ
প্রাপ্ত করবে। ওই পড়াশুনাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। পরীক্ষায় পাশ করার জন্য বিলেতে
যায়। তোমাদের তো কোনো কষ্ট দিই না। বাবা আত্মাদের বলেন আমাকে অর্থাৎ এই বাবাকে
স্মরণ করো। এমনকি তোমরা পরস্পর মুখোমুখি বসেও বাবাকে স্মরণ করতে পারো । স্মরণে
বসতে-বসতে তোমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হও। কতো ভালো যুক্তি, তো বাবার শ্রীমতে চলতে
হবে যে ! প্রত্যেকের রোগ আলাদা আলাদা । তো প্রত্যেক রোগের জন্য সার্জেন আছে। বড়-বড়
লোকেদের বিশেষ ভাবে নিজস্ব সার্জেন থাকে ! তোমাদের সার্জেন কে ? ভগবান। তিনি হলেন
অবিনাশী সার্জেন। তিনি বলেন - আমি তোমাদের অর্ধ-কল্পের জন্য নিরোগী করি। শুধুমাত্র
আমাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমরা একুশ জন্মের জন্য নিরোগী হয়ে যাবে। এ'কথা
গিঁট বেঁধে রাখা উচিত। স্মরণের দ্বারাই তোমারা নিরোগী হয়ে যাবে। এরপর ২১ জন্মের
জন্য কোনো রোগই আর হবে না। যদিও আত্মা হলো অবিনাশী, শরীর তো রুগ্ন হয়। কিন্তু ভোগ
তো করে আত্মা। সেখানে অর্ধ-কল্প তোমরা কখনোই রোগীতে পরিণত হবে না। শুধুমাত্র স্মরণে
তৎপর থাকো। সার্ভিস তো বাচ্চাদের করতেই হবে। প্রদর্শনীতে সার্ভিস করতে করতে
বাচ্চাদের গলা আটকে আসে। কোনো বাচ্চা আবার মনে করে, আমি সার্ভিস করতে করতে বাবার
কাছে পৌঁছে যাবো। এটাও খুব ভালো সার্ভিসের পদ্ধতি। প্রদর্শনীতেও বাচ্চাদের বোঝাতে
হবে। প্রদর্শনীতে সর্বপ্রথম লক্ষ্মী- নারায়ণের চিত্র দেখানো উচিত। এ হলো স্বর্গীয়
ছবি। ভারতে ৫ হাজার বছর পূর্বে বরাবর এদের রাজ্য ছিলো। অপরিমিত ধন ছিলো।
পবিত্রতা-সুখ-শান্তি সব ছিলো। কিন্তু ভক্তি মার্গে সত্যযুগকে লক্ষ বছর করে দিয়েছে
-- তাই কোনো কথা কীভাবে আর স্মরণে আসবে, এটা হলো লক্ষ্মী-নারায়ণের ফার্স্টক্লাস
চিত্র। সত্যযুগে ১২৫০ বছর এই ডিনায়েস্টি রাজত্ব করেছিলো। পূর্বে তোমরাও জানতে না।
এখন বাবা তোমাদের স্মৃতি উন্মুক্ত করেছেন যে তোমরা সমগ্র বিশ্বের উপর রাজ্য করেছিলে,
তোমরা কি ভুলে গেছো। ৮৪ জন্মও তোমরা নিয়েছো। তোমরাও সূর্যবংশী ছিলে। পুণর্জন্ম তো
নিতেই থাকে। ৮৪ জন্ম তোমরা কীভাবে নিয়েছো, এটা তো খুবই সিম্পল ব্যাপার বোঝার জন্য।
নীচে নামতে দেখেছো, এখন আবার বাবা চড়তি করাতে নিয়ে চলেছেন। গাওয়াও হয়- তোমার চড়তি
কলাতে সকলের মঙ্গল ( চড়তি কলা তেরে ভানে সকলের কলা)। আবার শঙ্খ ইত্যাদি বাজাতে থাকে।
বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে হাহাকার হবে, পাকিস্তানে দেখো কি হয়ে গিয়েছিল ! সকলের
মুখ থেকে এটাই বেরোতো- হে ভগবান ! হায় রাম এখন কি হবে ! এখন এই বিনাশ তো খুবই বড়,
শেষে আবার জয়-জয়কার হতে হবে। বাবা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন- এই অসীম জগতের দুনিয়া কবে
এখন বিনাশ হতে চলেছে। অসীম জগতের পিতা তোমাদের অসীম জগতের জ্ঞান শোনাচ্ছেন। পার্থিব
জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি তো তোমরা শুনে এসেছো। এটা কারোরই জানা ছিলো না যে লক্ষ্মী-
নারায়ণ রাজ্য কীভাবে করেছিলো। এদের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কেউই জানে না। তোমরা ভালো
মতো জানো- এতো জন্ম রাজ্য করেছিলো আবার এইটা হলো ধর্ম, একে বলা হয়ে থাকে
স্প্রীচুয়্যাল নলেজ, যা কি না স্প্রিরিচুয়াল ফাদার বাচ্চাদের বসে দিয়ে থাকেন।
সেখানে তো মানুষ, মানুষকে পড়ায়, এখানে আত্মাদের কে পরমাত্মা নিজের সমান করে গড়ে
তুলছেন। টিচার অবশ্যই নিজের সমান করে তুলছেন।বাবা বলছেন-- আমি তোমাদেরকে নিজের
থেকেও বেশী উচ্চ ডবল মুকুটধারী করে তুলছি। লাইটের মুকুট প্রাপ্ত হয় স্মরণের দ্বারা,
আর ৮৪ জন্মের চক্রকে জানলে তোমরা চক্রবর্তী হও, এখন তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের
কর্ম-অকর্ম- বিকর্মের গতিও বুঝিয়েছি। সত্যযুগে কর্ম-অকর্ম হয়। রাবণ রাজ্যতেই
কর্ম-বিকর্ম হয়। সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে থাকে, কলা কমতে কমতে নামতেই থাকে। কতো ঘৃণ্য
হয়ে পড়ে। বাবা এসে আবার ভক্তকে ফল দেন। দুনিয়াতে তো সবাই ভক্ত। সত্যযুগে ভক্ত কেউ
থাকে না। ভক্তি হলো এখানে। সেখানে তো থাকে জ্ঞানের প্রালব্ধ। তোমরা এখন জানো যে আমরা
বাবার থেকে অসীম জগতের প্রালব্ধ নিচ্ছি। যে কোনো কাউকেই সর্ব প্রথমে এই লক্ষ্মী-
নারায়ণের চিত্রের উপর বোঝাও। আজ থেকে ৫ হাজার বছর পূর্বে এদের রাজ্য ছিলো, বিশ্বে
সুখ-শান্তি-পবিত্রতা সব ছিলো, আর কোনো ধর্ম ছিলো না। এই সময় তো অনেক ধর্ম আছে, সেই
প্রথম ধর্মের অস্তিত্ব নেই, আবার এই ধর্মকে অবশ্যই আসতে হবে। বাবা এখন কতো
ভালোবাসার সাথে পড়ান। লড়াই এর কোনো ব্যাপার নেই, বেগর লাইফ, অপরের রাজ্য, নিজের
সব কিছু গুপ্ত। বাবাও এসেছেন গুপ্ত ভাবে। আত্মাদের বসে বোঝাচ্ছেন। আত্মাই সব কিছু
করে। শরীর দ্বারা পার্ট করে অর্থাৎ নিজের ভূমিকা পালন করে। তারা এখন দেহ- অভিমানে
এসেছে। বাবা এখন বলেন দেহী- অভিমানী হও। বাবা আর বিন্দু মাত্রও কোনো কষ্ট দেন না।
বাবা যখন গুপ্ত রূপে আসেন তো তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের গুপ্ত দানের দ্বারা বিশ্বের
বাদশাহী প্রদান করেন। তোমাদের সব কিছু হলো গুপ্ত, সেইজন্য প্রথা অনুযায়ী কন্যাকে
যখন পণ দেয় তো গুপ্তই দেয়। বাস্তবে কথিত আছে- গুপ্ত দান মহাপূণ্য। দু'চার জন যদি
জানতে পারে তো তার শক্তি কম হয়ে যায়। বাবা বলেন, বাচ্চারা- তোমরা প্রদর্শনীতে সর্ব
প্রথমে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রের উপর সবাইকে বোঝাও। তোমরা তো চাও যে- বিশ্বে
শান্তি থাকুক। কিন্তু সেটা কবে ছিলো, এটা কারোর বুদ্ধিতে নেই। এখন তোমরা জানো যে-
সত্যযুগে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি সব ছিলো, স্মরণও করে যে অমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে,
কিছুই বোঝে না। যার যা মনে হয় বলে দেয়, মানে কিছুই নেই। এই হলো ড্রামা
মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চাদের বুদ্ধিতে জ্ঞান আছে যে আভরা ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তিত হই।
এখন বাবা এসেছেন- পতিত দুনিয়া থেকে পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে যেতে। বাবার স্মরণে
থাকতে-থাকতে ট্র্যান্সফার(পরিবর্তিত) হয়ে যায়। কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হয়। এরপর আমরা
চক্রবর্তী রাজা হবো। আর সেটা করতে সক্ষম শুধুমাত্র বাবা। সেই পরমাত্মা তো সদা পিওর
(পবিত্র)। তিনিই আসেন পিওর করে তুলতে। সত্যযুগে তোমরা খুব সুন্দর হয়ে যাবে। সেখানে
ন্যাচারাল বিউটি থাকে। আজকাল তো আর্টিফিশিয়াল শৃঙ্গার করে ! কি-কি সব ফ্যাশন
বেরিয়েছে। কীরকম-কীরকম ড্রেস পড়ে। আগে ফিমেলস্ (নারীরা) খুবই পর্দার আড়ালে থাকতো,
যেন কারোর নজরে না পড়ে। এখন তো আরোই খুলে দিয়েছে, তাই যেখানে সেখানে নোংরামি বেড়ে
গেছে। বাবা বলেন- হিয়ার নো ইভল্..... । রাজার পাওয়ার থাকে। ঈশ্বরের নামে দান করলে
তাতে পাওয়ার থাকে। অনেক নোংরা মানুষ আছে। কিন্তু তোমরা হলে খুবই সৌভাগ্যশালী। মাঝি
(বাবা) এসে হাত ধরেছেন। তোমরাই প্রতি কল্পে নিমিত্ত হয়েছো। তোমরা জানো যে প্রথমে
মুখ্য হলো দেহ-অভিমান, এরপরেই সব ভূত আসে। পরিশ্রম করতে হবে, নিজেকে আত্মা মনে করে
বাবাকে স্মরণ করো, এটা কোনো তেতো ওষুধ নয়। শুধু বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে
স্মরণ করো। এরপর যতই পায়ে হেঁটে গিয়ে বাবাকে স্মরণ করো, কখনো পদ-যুগল ক্লান্ত হবে
না। হাল্কা হয়ে যাবে। অনেক সাহায্য পাওয়া যায়। তোমরা মাস্টার সর্ব শক্তিমান হয়ে যাও।
তোমরা জানো যে আমরা বিশ্বের মালিক হচ্ছি, বাবার কাছে এসেছি- আর কেউ কষ্ট দেবে না।
শুধু বাচ্চাদের বলেন "হিয়ার নো ইভিল্"(খারাপ কিছু শুনো না).... । সার্ভিসেবেল
বাচ্চা যারা, তাদের মুখ থেকে তো সর্বদা জ্ঞান-রত্নই বেরোবে। জ্ঞানের কথা ব্যতীত আর
কোনো কথা মুখ থেকে বেরোতে পারে না। তোমাদের অপরের পরনিন্দা-পরচর্চা কখনো শুনতে নেই।
যারা সার্ভিস করে তাদের মুখ সর্বদা রত্নই বেরোয়। জ্ঞানের কথা ব্যতীত বাকি হলো পাথর
ছোঁড়ার সমান। পাথর ছোঁড়ে না তো অবশ্যই জ্ঞান-রত্ন দেয়, হয় পাথর ছোঁড়ে না হয়
অবিনাশী জ্ঞান-রত্ন দেয়, যার ভ্যালু বলতে পারা যায় না। বাবা এসে তোমাদের জ্ঞান
রত্ন দেন। সেটা হলো ভক্তি। পাথরই লাগাতে থাকে। বাচ্চারা জানে যে বাবা খুবই মধুর,
অর্ধ-কল্প ধরে গাওয়া হয়ে এসেছে, তুমি মাতা-পিতা--- কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না।
তোতার মতো শুধু গাইতে থাকে। বাচ্চারা, তোমাদের কতো খুশী হওয়া উচিত। বাবা আমাদের
অসীম জগতের উত্তরাধিকার- বিশ্বের বাদশাহী প্রদান করেন। ৫ হাজার বছর পূর্বে আমরা
বিশ্বের মালিক ছিলাম। এখন আর নই, আবার হবো। শিববাবা ব্রহ্মা দ্বারা উত্তরাধিকার
প্রদান করেন। ব্রাহ্মণ কুল যে দরকার না! ভাগীরথ বললেও বুঝতে পারে না, সেইজন্য
ব্রহ্মা আর ওদের হলো আবার ব্রাহ্মণ কুল। ব্রহ্মার দেহে প্রবেশ করে তাই ওনাকে ভাগীরথ
বলা হয়ে থাকে। ব্রহ্মার বাচ্চারা হলো ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ হলো শিখর। বিরাট রূপও ঐরকম
হয়, উপরে বাবা, তারপর সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ- যারা কি না ঈশ্বরীয় সন্তান হয়। তোমরা
জানো যে এখন আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান, তারপর দৈবী সন্তান হবো তো ডিগ্রি কম হয়ে
যাবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণেরও ডিগ্রি হলো কম, কারণ এদের মধ্যে জ্ঞান নেই। জ্ঞান আছে
ব্রাহ্মণদের। তাই বলে লক্ষ্মী-নারায়ণকে অজ্ঞানী বলা হবে না। এনারা জ্ঞান দ্বারা এই
পদ প্রাপ্ত করেছেন। তোমরা অর্থাৎ ব্রাহ্মণরা হলে কতো উঁচু, এরপর দেবতা হও তো জ্ঞান
কিছুই থাকে না, ওদের জ্ঞান থাকতো তো দৈবী বংশে পরম্পরাতে চলে আসতো। মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের সব রহস্য, সব যুক্তি বলতে থাকেন। ট্রেনে বসেও তোমরা সার্ভিস করতে
পারো। এক চিত্রের উপরই নিজেদের মধ্যে বসে কথা বললে তবে অনেকে এসে একত্রিত হবে। যারা
এই কুলের হবে তারা খুব ভালোভাবে ধারণা করে প্রজাতে পরিণত হবে। চিত্র তো অনেক
ভালো-ভালো আছে সার্ভিসের জন্য। আমরা এই ভারতবাসী সর্বপ্রথম প্রথমে দেবী-দেবতা ছিলাম,
এখন তো কিছু নেই। হিস্ট্রি আবার রিপিট হয়। মধ্যবর্তীতে এই হলো সঙ্গমযুগ, যেখানে
তোমরা পুরুষোত্তম হয়ে ওঠো। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
জ্ঞানের কথা ব্যতীত আর কোনো কথা মুখ থেকে বের করতে নেই। পরনিন্দা- পরচর্চার কথা কখনো
শুনতে নেই। মুখ থেকে যেন সর্বদা রত্ন নির্গত হতে থাকে, পাথর নয়।
২) সার্ভিসের সাথে
সাথে স্মরণের যাত্রাতে থেকে নিজেকে নিরোগী করে তুলতে হবে। অবিনাশী সার্জেন স্বয়ং
ভগবানকে আমি পেয়েছি ২১ জন্মের নিরোগী করে তুলতে... এই নেশাতে বা খুশীতে থাকতে হবে।
বরদান:-
স্মরণের যাদু মন্ত্র দ্বারা সর্ব সিদ্ধি প্রাপ্ত করতে সক্ষম সিদ্ধি স্বরূপ ভব
বাবার স্মরণই হলো যাদু
মন্ত্র। এই যাদুর মন্ত্র দ্বারা যা সিদ্ধি চাও সেটা প্রাপ্ত করতে পারো। যেমন
স্থূলতেও কোনো কার্যের সিদ্ধির জন্য মন্ত্র জপতে থাকে, সেই রকম এক্ষেত্রেও যদি কোনো
কার্যে সিদ্ধি চাইলে তবে এই স্মরণের মহামন্ত্রই হলো বিধি স্বরূপ। এই যাদু মন্ত্র
সেকেন্ডে পরিবর্তন করে দেয়। এ'কথা সদা স্মৃতিতে রাখো তো সদা সিদ্ধি স্বরূপ হয়ে যাবে।
কারণ স্মরণে থাকা বড় কথা না, সর্বদা স্মরণে থাকা - এটাই হল বড় কথা । এতেই সর্ব
সিদ্ধি সমূহ প্রাপ্ত হয়।
স্লোগান:-
সেকেন্ডে বিস্তারকে সার রূপে অন্তর্লীন করে নেওয়া অর্থাৎ অন্তিম সার্টিফিকেট নেওয়া
।