19.06.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
এখন তোমাদের নিন্দা-স্তুতি, মান-অপমান, দুঃখ-সুখ সব কিছু সহ্য করতে হবে তোমাদের
সুখের দিন কাছে আসছে"
প্রশ্নঃ -
বাবা নিজের
ব্রাহ্মণ সন্তানদের কোন্ একটি সাবধান বাণী (ওয়ার্নিং) দেন ?
উত্তরঃ -
বাচ্চারা, কখনও বাবার প্রতি রাগ অভিমান করবে না। যদি বাবার প্রতি অভিমান করে রেগে
থাকবে তাহলে সদগতি থেকে বঞ্চিত থাকবে। বাবা ওয়ার্নিং দেন - অভিমান করলে কঠিন সাজা
ভোগ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে বা ব্রাহ্মণীদের সঙ্গেও অভিমান বা রাগ করলে ফুলে পরিণত
হবে না উপরন্তু কাঁটায় পরিণত হবে, তাই খুব-খুব সাবধানে থাকবে ।
গীতঃ-
ধৈর্য ধরো হে
মানব.....
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চারা গান শুনলো, বাচ্চারা, তোমাদের জন্ম জন্মান্তরের যা দুঃখ আছে সেসব
দূর হওয়া উচিত। এই গানের কথা শুনলে, তোমরা জানো এখন আমাদের দুঃখের পার্ট পূর্ণ হচ্ছে
এবং সুখের পার্ট আরম্ভ হচ্ছে। যারা পুরোপুরি জানে না তারা কিছু কিছু কথায় দুঃখ
অনুভব করে। এখানে বাবার কাছে এসেও কোনো এক ধরনের দুঃখ অনুভব করে। বাবা বুঝতে পারেন,
অনেক বাচ্চাদের কষ্ট হয়।যখন তীর্থ স্থানে যাওয়া হয় তখন সেখানে অনেক লোকের ভিড় থাকে,
বৃষ্টিপাত হয়, কখনও ঝড় ওঠে। যারা প্রকৃত সত্য ভক্ত হয় তারা বলবে এতে কি হয়েছে,
ভগবানের দর্শনে তাঁর কাছে এসেছি। ভগবানকে স্মরণ করেই যাত্রা করে। অসংখ্য ভগবান আছে
মানুষের। সুতরাং যারা দৃঢ় বিশ্বাসী হয়, তারা তো বলে কোনও অসুবিধে নেই, ভালো কাজে
সর্বদা বিঘ্ন বাধা আসে, তাই ফিরে যেতে হয় নাকি। কেউ কেউ আবার ফিরেও যায়। কখনও বিঘ্ন
আসে, কখনও আসে না। বাবা বলেন বাচ্চারা এও তোমাদের যাত্রা। তোমরা বলবে আমরা অসীম
জগতের পিতার কাছে যাই , তিনি পিতা, তিনি সকলের দুঃখ হরণ করেন। এই নিশ্চয় আছে, আজকাল
দেখো মধুবনে কত ভিড় হয়, বাবার চিন্তা হয়, অনেকের কষ্ট হয় হয়তো। মাটিতে শুতে হয়। বাবা
কি চান বাচ্চাদের মাটিতে শোওয়াতে। কিন্তু ড্রামা অনুসারে ভিড় হয়েছে, কল্প পূর্বেও
এমন হয়েছিল, এতে কোনও দুঃখ অনুভব হওয়া উচিত নয়। এই কথাও জানেন যারা পড়া করছে তাদের
মধ্যে কেউ রাজা হবে, কেউ প্রজা। কারো উঁচু পদ মর্যাদা, কারো কম হবে। কিন্তু সুখ
নিশ্চয়ই হবে। এই কথাও বাবা জানেন, কেউ খুবই দুর্বল, কিছুই সহ্য করতে পারে না। তাদের
যদি কোনও কষ্ট হয় তবে তারা বলবে অহেতুক এলাম বা এমন বলবে ব্রাহ্মণী আমাদের জোর করে
নিয়ে এসেছে। এমনও অনেকে থাকবে যারা বলবে ব্রাহ্মণী আমাদের অহেতুক ফাঁসিয়েছে। তাদের
পুরোপুরি পরিচয় নেই যে বিশ্ব বিদ্যালয়ে এসেছি। এসময়ের পড়াশোনা দ্বারা কেউ তো রাজা
হবে। কেউ প্রজাও হবে ভবিষ্যতে। এখানকার রাজা ও প্রজায় এবং স্বর্গের রাজা ও প্রজায়,
রাত দিনের পার্থক্য আছে। এখানকার রাজা ও প্রজা দুই-ই দুঃখে বাস করে। স্বর্গে দুই
জনেই থাকে সুখে। এখানে তো হল পতিত বিকারী দুনিয়া। যতই কারো কাছে অনেক ধন থাকুক, বাবা
বোঝান এই ধন সম্পদ সব মাটিতে মিশে যাবে। এই শরীরও শেষ হয়ে যাবে। আত্মা তো মাটিতে
মিশে যায়না, অনেক বড় ধনী, যেমন বিড়লা, তারা কিন্তু জানে না যে, এখন এই পুরানো দুনিয়া
পরিবর্তিত হচ্ছে। জানা থাকলে অবিলম্বে এসে যেত। বলা হয় এখানে ভগবান এসেছেন তাহলে
যাবে কোথায়? বাবা ব্যতীত কোনোরকম সদগতি প্রাপ্ত হয় না। যদি কেউ অভিমানে রাগ করে তবে
তো বলা হবে সদগতি থেকে বঞ্চিত হল। এমন ভাবে অনেকেই রেগে থাকবে, পতিত হবে। আশ্চর্য
হয়ে শুনবে, নিশ্চয়ও হয় ..... কেউ আবার ভাবে যথাযথভাবে ইনি ছাড়া কোনো পথ নেই। এঁনার
কাছেই সুখ ও শান্তির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। ইনি ছাড়া সুখ-শান্তি প্রাপ্ত হওয়া
অসম্ভব। যখন অনেক ধন থাকবে তখন তো সুখ প্রাপ্ত হবে। ধনে থাকলেই তো সুখ আছে তাইনা।
মূল বতনে (পরমধামে) তো আত্মারা শান্তিতে বসে থাকে। কেউ যদি বলে আমার পার্ট না থাকলে
আমি সদা পরমধামে থাকতাম, কিন্তু তা বললে তো চলবে না। বাচ্চাদের বোঝানো হয় - এই হল
পূর্ব রচিত খেলা। অনেকে এমন আছে যারা একটু সংশয় হলেই ছেড়ে চলে যায়। ব্রাহ্মণীদের
সঙ্গে অভিমান করে থাকে অথবা নিজেদের মধ্যেই রাগ করে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়।
এখন তোমরা এখানে ফুল হতে এসেছো। অনুভব করো - সঠিকভাবে আমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত
হচ্ছি। ফুল অবশ্যই হতে হবে। কারো এমন সংশয় থাকে, অমুক এমন কর্ম করে, তাই আমরা আসবো
না। ব্যস, রাগ করে ঘরে বসে থাকে। বাবা বলেন অন্যদের সঙ্গে যতই অভিমান করো কিন্তু
একমাত্র বাবার প্রতি কখনও রাগ করবে না। বাবা ওয়ার্নিং দেন, সাজা ভোগ খুব কঠিন।
গর্ভেও যে সাজা প্রাপ্ত হয়, সব সাক্ষাৎকার করানো হয়। সাক্ষাৎকার ব্যতীত সাজা
প্রাপ্ত হবে না। এখানকার সাক্ষাৎকারও হবে। তোমরা পড়াশোনা করাকালীন ঝগড়া করেছো, রাগ
করে পড়াশোনা ত্যাগ করেছো। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো যে আমাদের বাবার কাছে পড়া করতে হবে।
পড়াশোনা কখনও ছাড়বে না। তোমরা এখানে পড়া করো মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য। এমন উঁচু
থেকে উঁচু বাবার কাছে আসো তোমরা সাক্ষাৎকার করতে। কখনও অনেক বেশি সংখ্যায় এসে পড়লে
ড্রামা অনুসারে একটু কষ্ট হয়। বাচ্চাদের সামনে অনেক ঝড় আসে। অমুক জিনিস পাওয়া যায়নি,
এই পাইনি ইত্যাদি, এইসব তো কিছুই না। যখন মৃত্যুর সময় আসবে তখন অজ্ঞানী মানুষ বলবে
আমরা কি অপরাধ করেছি, অহেতুক আমাদের মারছো কেন। শেষ সময়ের পার্ট কে বলা হয় রক্ত
প্রবাহের পার্ট। হঠাৎ বোমা পড়বে, অসংখ্য মানুষ মরবে। এই হল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ তাইনা।
অজ্ঞানী মানুষ চিৎকার করবে। তোমরা বাচ্চারা খুব খুশী অনুভব করবে, কারণ তোমরা জানো
এই দুনিয়ার বিনাশ হবেই, অনেক ধর্মের বিনাশ না হলে এক সত্য ধর্মের স্থাপনা হবে কীভাবে।
সত্যযুগে একটি আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। কে বা জানে সত্যযুগের আদি কালে কি
ছিল। এই হল পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। বাবা এসেছেন সবাইকে পুরুষোত্তম বানাতে। তিনি হলেন
সকলের পিতা তাইনা। ড্রামাকে তো তোমরা জেনেছো। সবাই তো সত্যযুগে আসবে না। এত কোটি
কোটি মানুষ সত্যযুগে আসবে না। এই হল ডিটেল কথা। অনেক কন্যারা আছে যারা কিছু বোঝে
না। ভক্তিমার্গে মগ্ন হয়ে আছে। জ্ঞান বুদ্ধিতে টিকবে না। ভক্তির অভ্যাস হয়ে গেছে।
বলে ভগবান কি না করতে পারেন। মৃতকে জীবিত করতে পারেন। বাবার কাছে এসে বলে অমুক
মানুষ মৃতকে জাগিয়ে তোলে তো ভগবান কেন করতে পারবেন না । কেউ সৎকর্ম করলে তার মহিমা
বর্ণনা করতে থাকে। তারপরে তার হাজার জন ফলোয়ার তৈরি হয়ে যায়। তোমাদের কাছে তো অনেক
কম মানুষ আসে। ভগবান পড়ান তাহলে এত কম কেন ? এমন কথা অনেকেই বলে। আরে, এখানে তো মরতে
হয়। ভক্তি মার্গে তো কর্ণ রস আছে। বিশাল আয়োজন করে বসে গীতা শোনানো হয়, ভক্ত জন শোনে।
এখানে কর্ণ রসের কোনো বিষয় নেই। তোমাদের শুধুমাত্র বলা হয় বাবাকে স্মরণ করো। গীতায়ও
এই শব্দ আছে মন্মনাভব। বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। বাবা বলেন
ব্রাহ্মণীদের প্রতি বা সেন্টারের প্রতি রাগ অভিমান করো, আচ্ছা, এই কাজটি করো অন্য
সব সঙ্গ ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো, একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো। বাবা হলেন
পতিত-পাবন (পতিতদের পবিত্র করেন তিনি)। শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। স্ব
দর্শন চক্র ঘোরাতে থাকো। এতখানি স্মরণ করলে স্বর্গে তো নিশ্চয়ই আসবে। স্বর্গে তো
উঁচু পদমর্যাদা পুরুষার্থ অনুসারে প্রাপ্ত হবে। প্রজা বানাতে হবে। তা নাহলে রাজত্ব
করবে কাদের উপরে। যারা খুব পরিশ্রম করে, উঁচু পদের অধিকারীও তারা-ই হবে। উঁচু
পদমর্যাদা প্রাপ্তির জন্য কত বুদ্ধি খাটায়। পুরুষার্থ না করে কেউ থাকতে পারে না।
তোমরা জানো উঁচু থেকে উঁচু হলেন পতিত-পাবন পিতা। মানুষ যদিও মহিমা গায়ন করে কিন্তু
অর্থ কিছুই বোঝে না। ভারত অনেক বিত্তশালী ছিল, ভারত হল স্বর্গ, ওয়ান্ডার অফ
ওয়ার্ল্ড। ওইসব হল মায়ার সাতটি ওয়ান্ডার। সম্পূর্ণ ড্রামাতে উঁচু থেকে উঁচু হল
স্বর্গ, সবচেয়ে নীচে হল নরক। এখন তোমরা বাবার কাছে এসেছো, জানো যে মিষ্টি বাবা
কতখানি উঁচুতে নিয়ে যান। তাঁকে কে ভুলবে। বাইরে যেখানেই যাও শুধুমাত্র একটি কথা
স্মরণে রাখো, বাবাকে স্মরণ করো। বাবা শ্রীমৎ দেন - ভগবানুবাচ, ব্রহ্মা ভগবানুবাচ নয়।
অসীম জগতের পিতা আত্মারূপী বাচ্চাদের প্রশ্ন করেন - বাচ্চারা, আমি তোমাদের কতখানি
ধন সম্পদ সম্পন্ন করে গেছিলাম তা সত্বেও তোমাদের দুর্গতি হল কীভাবে? কিন্তু এমন ভাবে
শোনে যে কিছুই বোঝে না। তো বাচ্চাদের একটু কষ্ট হয়, দুঃখ সুখ, স্তুতি-নিন্দা সবই
সহ্য করতে হয়। এখানকার মানুষ দেখো কেমন প্রধানমন্ত্রীকেও পাথর মারতে দেরি করে না।
তারা বলে - স্কুলের বাচ্চাদের নিউ ব্লাড । অনেক সুনাম করে তাদের। ভাবে এরাই
ভবিষ্যতের নতুন রক্ত। কিন্তু সেই স্টুডেন্টরাই দুঃখ দেওয়া শুরু করে। কলেজ গুলিতে
আগুন লাগিয়ে দেয়। একে অপরকে গালাগালি করে। বাবা বোঝান দুনিয়ার এই কি হাল হয়েছে।
ড্রামার অভিনেতা হয়েও ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের এবং মুখ্য অভিনেতাদের চেনে না তো
তাদের কি বলা হবে! যিনি সর্বোচ্চ তাঁর বায়োগ্রাফি তো জানা উচিত তাইনা। কিছুই জানেনা।
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করের কি পার্ট আছে, ধর্ম স্থাপক দের কি পার্ট আছে। মানুষ তো
অন্ধশ্রদ্ধায় সবাইকে প্রিসেপ্টর (ধর্মগুরু) বলে দেয়। গুরু হলেন তিনি, যিনি সদগতি
করেন। এখন সর্বজনের সদগতি দাতা তো হলেন একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা। পরম গুরুও হলেন
তিনি, নলেজও প্রদান করেন। বাচ্চারা, উনি তোমাদের পড়ান, ওঁনার পার্টও ওয়ান্ডারফুল।
ধর্মও স্থাপন করেন এবং সব ধর্মকে শেষও করেন। অন্যরা তো শুধু ধর্ম স্থাপন করে,
স্থাপনা ও বিনাশ করবেন যিনি তাকেই গুরু বলা হবে তাইনা। বাবা বলেন আমি হলাম কালেরও
কাল । একটি ধর্মের স্থাপনা এবং অন্য সব ধর্মের বিনাশ হয়ে যাবে অর্থাৎ এই জ্ঞান যজ্ঞে
ভস্ম (স্বাহা) হয়ে যাবে। তারপরে না কোনও যুদ্ধ হবে, না যজ্ঞ রচনা হবে। তোমরা
সম্পূর্ণ বিশ্বের আদি-মধ্য-অন্তের কথা জানো। অন্যরা তো সবাই নেতি-নেতি বলে দেয়।
তোমরা এমন বলবে না। বাবা ব্যতীত অন্য কেউ বোঝাতে পারেনা। অতএব বাচ্চারা, তোমাদের
অনেক খুশীতে থাকা উচিত কিন্তু মায়ার সম্মুখীন এমন হতে হয় যে স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়।
বাচ্চারা, তোমাদের দুঃখ-সুখ, মান-অপমান, সহ্য করতে হবে। যদিও এখানে কারো অপমান করা
হয় না। যদি কোনো কথা থাকেও তাহলে বাবাকে রিপোর্ট করা উচিত। রিপোর্ট না করলে পাপ হয়ে
যায়। বাবাকে বলে দিলে চট করে সতর্ক বার্তা প্রাপ্ত হবে। এই সার্জেনের কাছে কিছুই
লুকানো উচিত নয়। ইনি হলেন বৃহতম সার্জেন। জ্ঞানের ইনজেকশন যাকে জ্ঞান অঞ্জনও বলা হয়।
অঞ্জনকে জ্ঞান-সুরমাও বলা হয়। জাদু ইত্যাদির কোনও কথা নেই। বাবা বলেন আমি এসেছি
তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দিতে। পবিত্র না হলে ধারণা করাও হবে না।
এই কাম বিকারের জন্যই পাপ কর্ম হয়। এতেই জয়লাভ করতে হবে। নিজেই বিকার গ্রস্ত হলে
অন্যকে বলতে পারবেনা। তা তো মহাপাপ হয়ে যাবে। বাবা গল্প বলেন - পন্ডিত বলেছে
রাম-রাম বললে সাগর পার করা যায়। মানুষ ভাবে জলের সাগর। যেমন আকাশের কোনও অন্ত নেই
তেমনই সাগরের অন্তও পাওয়া যায় না। ব্রহ্মমহাতত্বেরও কোনো অন্ত নেই। এখানে মানুষ
অন্ত পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করে, স্বর্গে কোনোরকম পুরুষার্থ করতে হয় না। এখানে যতই
দূরে চলে যাক তবু ফিরে আসে। পেট্রোল না থাকলে ফিরে আসবে কীভাবে? এই হল বিজ্ঞানের অতি
অহংকার, তাতেই বিনাশ করে দেয়। বিমানের দ্বারা সুখও প্রাপ্ত হয়, অতি দুঃখও প্রাপ্ত
হয়। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
কোনও কারণেই পড়াশোনা ত্যাগ করবে না। সাজা ভোগ খুবই কঠিন সেসব থেকে সুরক্ষিত থাকতে
অন্য সব সঙ্গ ত্যাগ করে একমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে। রাগ অভিমান করবে না।
২) জ্ঞানের ইনজেকশন
বা জ্ঞান অঞ্জন দাতা হলেন একমাত্র পিতা, সেই অবিনাশী সার্জেনের কাছে কোনও কথা লুকাবে
না। বাবাকে বলে দিলে চট করে সতর্ক বাণী পেয়ে যাবে।
বরদান:-
প্রত্যেকের বিশেষত্ব গুলিকে স্মৃতিতে রেখে বিশ্বাসী হয়ে একমতের সংগঠন নির্মাণকারী
সর্বজনের শুভ চিন্তক ভব
ব্যাখা: ড্রামা
অনুযায়ী প্রত্যেকের কিছু বিশেষত্ব তো প্রাপ্ত হয়েছে, সেই বিশেষত্বকে কাজে লাগাও এবং
অন্যদের বিশেষত্ব দেখো। একে অপরের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো, তাহলে তাদের মনের ভাবনা
পরিবর্তন হয়ে যাবে। যখন প্রত্যেকের বিশেষত্ব দেখবে তো অনেক থাকা সত্বেও এক দেখা যাবে।
একমতের সংগঠন হয়ে যাবে। কেউ কারো নামে গ্লানি করলে তাকে সঙ্গ না দিয়ে বরং যে বলছে
তার স্বরূপ পরিবর্তন করে দাও, তবেই বলা হবে শুভ চিন্তক।
স্লোগান:-
শ্রেষ্ঠ সংকল্পের খাজানা-ই হল শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ বা ব্রাহ্মণ জীবনের আধার ।