23.06.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন তোমাদের জ্ঞানের দ্বারা শুদ্ধ সুগন্ধী ফুল বানাতে, তোমরা কাঁটা হয়ো না, কাঁটাকে এই সভাতে আনবে না"

প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চারা স্মরণের যাত্রায় পরিশ্রম করে, তাদের নিদর্শন কি ?

উত্তরঃ -
যারা স্মরণের পরিশ্রম করে, তারা খুব খুশীতে থাকবে । তাদের বুদ্ধিতে থাকবে যে, আমাদের এখন আবার ফিরে যেতে হবে । তারপর আমাদের সুগন্ধী ফুলের বাগানে যেতে হবে । তোমরা স্মরণের যাত্রায় সুগন্ধী ফুল হও আর অন্যদেরও তেমনই তৈরী করো ।

ওম্ শান্তি ।
বাগানের মালিকও আছে, মালিও আছে, ফুলও আছে । এ নতুন কথা, তাই না । নতুন কেউ শুনলে বলবে, এ কি কথা বলছে ? বাগানের মালিক, ফুল আদি কি ? এমন কথা তো কখনো শাস্ত্রে শুনিনি । বাচ্চারা, তোমরা জানোমানুষ স্মরণও করে বাগানের মালিক - কান্ডারীকে । এখন তিনি এখানে এসেছেন, এখান থেকে পারে নিয়ে যাওয়ার জন্য । বাবা বলেন যে, তোমাদের স্মরণের যাত্রায় থাকতে হবে । নিজেই নিজেকে দেখো যে, আমরা কতদূর গেছি ? আমরা কতখানি সতোপ্রধান অবস্থায় পৌঁছেছি ? যতো সতোপ্রধান অবস্থা হতে থাকবে, ততই বুঝতে পারবে যে, আমরা ফিরে যাচ্ছি । আমরা কতদূর পৌঁছেছি, এ সমস্তকিছুই স্মরণের যাত্রার উপর নির্ভর করে । খুশীও চড়ে থাকবে । যে যতো পরিশ্রম করে, তারমধ্যে ততই খুশী আসবে । যেমন পরীক্ষার দিন এলে স্টুডেন্ট তো বুঝেই যায় - আমরা কেমন রেজাল্ট করবো । এখানেও এমনই -- প্রত্যেক বাচ্চা নিজেকে জানে যে, আমরা কতো পর্যন্ত সুগন্ধী ফুল হতে পেরেছি ? অন্যদের কতটা সুগন্ধী ফুল বানিয়েছি ? এমন গায়ন আছে যে -- কাঁটার জঙ্গল । সে হলো ফুলের বাগান । মুসলমানরাও বলে যে - আল্লাহ্‌র বাগান । তারা মনে করে, ওখানে এক বাগান আছে, ওখানে যে যায়, আল্লাহ তাকে ফুল দেন । তাদের মনে যে কামনা থাকে, তা তিনি পূরণ করেন । বাকি এমন তো নয় যে, কেউ ফুল তুলে দেয়, যার বুদ্ধিতে যেমন আছে, তেমন সাক্ষাৎকার হয়ে যায় । এই সাক্ষাৎকারে কিছুই নেই । ভক্তিমার্গে তো সাক্ষাৎকারের জন্য মানুষ গলাও কেটে দিতো । মীরার সাক্ষাৎকার হয়েছিলো, তাঁর কতো মান । ও হলো ভক্তিমার্গ । অর্ধেক কল্প এই ভক্তিতেই চলতে হবে । সেখানে তো জ্ঞানই নেই । বেদ ইত্যাদির খুবই সম্মান । মানুষ বলে, বেদ তো আমাদের প্রাণ । এখন তোমরা জানো যে, এই বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি সবই ভক্তিমার্গের জন্য । ভক্তির কতো বড় বিস্তার । ভক্তির ঝাড় অনেক বড় । জ্ঞান হলো বীজ । এখন এই জ্ঞানে তোমরা কতো শুদ্ধ হও । তোমরা সুগন্ধী তৈরী হও । এ হলো তোমাদের বাগান । এখানে কাউকেই কাঁটা বলা হয় না, কেননা এখানে কেউই বিকারে যায় না । তাই বলা হবে, এই বাগানে একটাও কাঁটা নেই । কাঁটা আছে কলিযুগে । এখন হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । এখানে কাঁটা কোথা থেকে আসবে ? কেউ যদি কাঁটা বসে থাকে, তাহলে সে নিজেরই ক্ষতি করে দেয়, কেননা এ তো ইন্দ্রপ্রস্থ, তাই না । এখানে জ্ঞান পরীরা বসে আছে । জ্ঞানের নৃত্য করা পরীরা । মুখ্য মুখ্য পরীদের নাম পোখরাজ পরী, নীলম পরী আদি - আদি আছে । এদেরই নামে ৯ রত্নের মহিমা করা হয়, কিন্তু তারা কে ছিলো, এ কেউই জানে না । বাবা কেবল বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো । বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে এখন এই জ্ঞানের বোধ এসেছে, ৮৪ এর চক্রও এখন বুদ্ধিতে আছে । শাস্ত্রতে তো ৮৪ লাখ বলে দিয়েছে । এখন তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে । এ কতো সহজ । বাচ্চাদের প্রতি ভগবান উবাচঃ আমাকে (মামেকম ) স্মরণ করো । কাঁটা হয়ো না । এখানে সবাই মিষ্টি - মিষ্টি ফুল । কেউই কাঁটা নয় । হ্যাঁ, মায়ার ঝড় তো আসবেই । মায়া এমনই কড়া যে, চট করে ফাঁসিয়ে দেবে । তখন অনুতাপ করবে যে - আমরা এ কি করলাম ! আমাদের কৃত উপার্জন সমস্ত হারিয়ে গেলো । এ হলো বাগান । বাগানে ভালো ভালো ফুল তো থাকেই । এই বাগানেও তো ফার্স্টক্লাস ফুল হতে থাকে । মুঘল গার্ডেনে যেমন খুব ভালো ভালো ফুল হয় । সকলেই তা দেখতে যায় । এখানে তো তোমাদের কাছে কেউ দেখতে আসবে না । তোমরা কাঁটাদের কি মুখ দেখাবে । এমন গায়নও আছে যে ---নোংরা কাপড়ের আবর্জনা ---বাবার জপ সাহেব, সুখমণি ইত্যাদি সব স্মরণে ছিলো । তিনি অখণ্ড পাঠও করতেন, আট বছর বয়স যখন ছিলো তখন পটকা বাঁধতেন, মন্দিরে থাকতেন । মন্দিরের দায়িত্ব সব আমাদের উপর ছিলো । এখন বুঝতে পারেন এই 'নোংরা কাপড়ের আবর্জনা' ধোওয়ার অর্থ কি । মহিমা তো সব বাবারই । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের বসে বোঝান । তিনি বাচ্চাদের একথাও বলেন -- তোমরা ভালো ভালো ফুল (বাচ্চা ) নিয়ে এসো । যে ভালো ভালো ফুল (বাচ্চা ) নিয়ে আসবে তাদের ভালো ভালো ফুল মনে করা হবে । সকলেই বলে যে, আমরা শ্রী লক্ষ্মী - নারায়ণ হবো, তাহলে তো গোলাপ ফুল হয়ে গেলে । বাবা বলেন, আচ্ছা -- বাচ্চারা, তোমাদের মুখেও গোলাপ । এখন পুরুষার্থ করে সদা গোলাপ হও । এখানে অনেক বাচ্চা । প্রজা তো অনেকই তৈরী হচ্ছে । ওখানে তো রাজা - রানী প্রজাই থাকে । সত্যযুগে উজির থাকে না, কেননা রাজাদের মধ্যেই শক্তি থাকে । উজির ইত্যাদির থেকে রায় নেওয়ার প্রয়োজন হয় না । তা নাহলে যে রায় দেবে, সেই বড় হয়ে যাবে । ওখানে ভগবান - ভগবতীর রায়ের প্রয়োজন নেই । উজির (পরামর্শদাতা) তখনই হয়, যখন সব পতিত হয়ে যায় । এ ভারতেরই কথা, অন্য কোনো খণ্ডের নয়, যেখানে রাজা রাজার কাছে মাথা নত করে । এখানেই দেখানো হয় যে, জ্ঞান মার্গে পূজ্য আর অজ্ঞান মার্গে পূজারী । ওরা ডবল তাজ আর এরা সিঙ্গেল তাজ ( মুকুট )। ভারতের মত পবিত্র খণ্ড আর কোথাও নেই । এ হলো প্যারাডাইস, বেহস্ত । তোমরা তারজন্যই পড়াশোনা করো । তোমাদের এখন ফুল হতে হবে । বাগানের মালিক এখন এসেছেন । মালীও আছে । মালী নম্বর অনুসারে হয় । বাচ্চারাও বুঝতে পারে যে, এ হলো বাগিচা বা বাগান, এখানে কাঁটা নেই, কাঁটা দুঃখ দেয় । বাবা তো কাউকেই দুঃখ দেন না । তিনি হলেনই দুঃখহর্তা, সুখকর্তা । ইনি কতো মিষ্টি বাবা ।

বাচ্চারা, বাবার প্রতি তোমাদের প্রেম আছে । বাবাও তো বাচ্চাদের ভালোবাসেন, তাই না । এ হলো পড়া । বাবা বলেন যে, আমি তোমাদের প্রত্যক্ষভাবে পড়াই, ইনিও সেই পড়া পড়েন, তোমরাও নিজে পড়ে তারপর অন্যদের পড়াও, তাহলে আরো কাঁটা থেকে ফুল হতে পারবে । ভারত মহাদানী, এমন মহিমা আছে, কেননা বাচ্চারা, তোমরা এখন মহাদানী হও । এই অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান তোমরাই করো । বাবা বুঝিয়েছেন যে, আত্মাই হলো রূপ বসন্ত । বাবাও রূপ বসন্ত । তাঁর মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে । পরমপিতা পরমাত্মাই হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনিই তো অথরিটি, তাই না । জ্ঞানের সাগর এক বাবাই, তাই তো গায়ন আছে যে ---- সম্পূর্ণ সমুদ্রকে যদি কালি বানাও, তাও এই জ্ঞান লিখে শেষ করা যাবে না । আবার এক সেকেণ্ডে জীবনমুক্তিরও মহিমা আছে । তোমাদের কাছে কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি নেই । ওরা কোনো পণ্ডিত আদিদের কাছে গেলে মনে করে, ওই পণ্ডিত অনেক জ্ঞানের অথরিটি । ইনি সব বেদ - শাস্ত্র ইত্যাদি কণ্ঠস্থ করেছেন, এই সংস্কার তিনি যখন নিয়ে যান, তখন পরের জন্মে ছোটবেলাতেই এই অধ্যয়নে চলে আসেন । তোমরা এই পড়ার সংস্কার নিয়ে যাও না । তোমরা পড়ার রেজাল্ট নিয়ে যাও । তোমাদের পড়া শেষ হলে রেজাল্ট বের হবে আর পদপ্রাপ্তি করবে । জ্ঞান তো নিয়েই যাবে না, যে কাউকে শোনাবে । এখানে হলো তোমাদের ঈশ্বরীয় পড়া, যার প্রালব্ধ তোমরা নতুন দুনিয়াতে পাও । বাচ্চারা, তোমাদের বাবা বুঝিয়েছেন যে - মায়াও কম কিছু শক্তিমান নয় । দুর্গতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য মায়ার অনেক শক্তি আছে, কিন্তু তার মহিমা তো করবোই না । মায়া তো দুঃখ দেওয়াতে শক্তিমান, তাই না । বাবা সুখ দেওয়াতে শক্তিমান, তাই তাঁরই মহিমা । এই ড্রামাও বানানো আছে । তোমরা সুখ পাও আবার দুঃখও পাও । হার আর জিৎ কাদের -- এও তো জানা উচিত, তাই না । বাবা এই ভারতেই আসেন, তাঁর জয়ন্তীও এই ভারতেই পালন করা হয়, একথা কেউই জানে না যে, শিববাবা কখন এসেছিলেন, তিনি এসে কি করেছিলেন । নাম - নিশানা তো লুপ্ত করে দিয়েছে । তাঁর জায়গায় তাঁর বাচ্চা কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে । বাস্তবে অতি প্রিয় বাবার মহিমা আলাদা আর কৃষ্ণের মহিমা আলাদা । বাবা নিরাকার আর কৃষ্ণ সাকার । কৃষ্ণের মহিমা হলো, সর্বগুণ সম্পন্ন........ শিববাবার এমন মহিমা করা হবে না। কারণ যার মধ্যে গুণ থাকে, তার অপগুণও থাকে, তাই বাবার মহিমাই পৃথক । বাবাকে তো অকালমূর্ত বলা হয়, তাই না । আমরাও হলাম অকালমূর্ত । আত্মাকে কাল খেতে পারে না । আত্মা অকালমূর্তির এই হলো সিংহাসন । আমাদের বাবাও অকালমূর্তি । কাল শরীরকে খেয়ে ফেলে । এখানে অকালমূর্তিকে ডাকা হয়। সত্যযুগে কিন্তু ডাকা হবে না, কারণ ওখানে সুখই সুখ, তাই তো গাওয়া হয় ----দুঃখে সবাই স্মরণ করে, সুখে কেউ করে না । এখন এই রাবণ রাজ্যে কতো দুঃখ । বাবা তো স্বর্গের মালিক বানান, তারপর সেখানে অর্ধেক কল্প কেউই বাবাকে ডাকে না । লৌকিক বাবা যেমন বাচ্চাদের উত্তরাধিকারে সাজিয়ে দিয়ে তারপর বাণপ্রস্থে চলে যায় । বাচ্চাদের সবকিছু দিয়ে তারা বলবে -- এখন আমরা সৎসঙ্গে যাবো । খাওয়ার জন্য কিছু পাঠাতে থাকো । এই বাবা তো এমন কথা বলবে না, তাই না । ইনি তো বলেন - মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, আমি তোমাদের বিশ্বের বাদশাহী দিয়ে বানপ্রস্থে চলে যাবো । আমি বলবোই না যে, খাওয়ার জন্য কিছু পাঠাও । লৌকিক বাচ্চাদের তো দায়িত্ব যে, বাবার দেখভাল করা । না হলে তারা কিভাবে খাবে ? এই বাবা তো বলেন, আমি হলাম নিষ্কাম সেবাধারী । কোনো মানুষই নিষ্কাম হতে পারে না । তারা খিদেতেই মারা যায় । আমি তো খিদেতে মারা যাই না । আমি তো অভোক্তা । বাচ্চারা, তোমাদের আমি এই বিশ্বের বাদশাহী দিয়ে আমি ফিরে গিয়ে বিশ্রাম করি । তারপর আমার পার্ট বন্ধ হয়ে যায় । তারপর আবার ভক্তিমার্গ শুরু হয় । এই অনাদি ড্রামা বানানো আছে, যেই রহস্য বাবা বসে বুঝিয়ে বলেন । বাস্তবে তোমাদের পার্টই সবথেকে বেশী, তাই তোমাদের

প্রাইজও পাওয়া উচিত । আমি আরাম করি, আর তোমরা আবার এই ব্রহ্মাণ্ডের মালিক এবং বিশ্বেরও মালিক হও । তোমাদের নাম অনেক উজ্জ্বল হয় । এই ড্রামার রহস্যও তোমরাই জানো । তোমরা হলে জ্ঞানের ফুল । দুনিয়াতে একজনও এমন নয় । এ হলো রাতদিনের তফাৎ । ওরা রাতে আর তোমরা দিনে যাও । আজকাল দেখো, বন উৎসব করে, এখন ভগবান মানুষের বনোৎসব করছেন ।

বাবা দেখো কিভাবে জাদু করেন, তিনি মনুষ্যকে দেবতা, ভিখারীকে রাজা বানিয়ে দেন । এখন অসীম জগতের বাবার কাছে তোমরা ব্যবসা করতে এসেছো, তোমরা বলো, বাবা আমাদের ভিখারী থেকে রাজা বানাও । এ তো খুব ভালো গ্রাহক । তোমরা তাঁকে বলো দুঃখহর্তা আর সুখকর্তা । এই দানের মতো দান আর কিছুই হতে পারে না । তিনি হলেন সুখদাতা । বাবা বলেন যে, ভক্তিমার্গেও আমিই তোমাদের দিয়ে থাকি । এই সাক্ষাৎকার ইত্যাদির কাহিনী এই ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ আছে । বাবা এখন বসে বোঝাচ্ছেন -- আমি কি কি করি । এর পরেও তিনি বোঝাতে থাকবেন । অবশেষে অন্তিম সময় তোমরা ক্রমানুসারে কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে । এ সবই এই ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে, তবুও তোমাদের পুরুষার্থ করানো হয় যে, বাবাকে স্মরণ করো । বরাবর এই হলো মহাভারতের লড়াই । এ সবই শেষ হয়ে যাবে । বাকি ভারতবাসীরাই থাকবে, তারপর তোমরা এই বিশ্বে রাজত্ব করবে । বাবা এখন তোমাদের পড়াতে এসেছেন । তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর । এও হলো খেলা, এতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কথা নেই । মায়া অনেক ঝড় নিয়ে আসবে । বাবা বোঝান যে, এতে তোমরা ভয় পেও না । তোমাদের মনে অনেক খারাপ খারাপ সঙ্কল্প আসবে । সেও তখন, যখন বাবা তোমাদের দত্তক নেবেন । যতক্ষণ না বাবা তোমাদের দত্তক নেবেন, ততক্ষণ মায়া তোমাদের সঙ্গে এতো লড়াই করবে না । এই দত্তক নেওয়ার পরেই ঝড় আসে, তাই বাবা বলেন, দত্তকও খুব বুঝে নেওয়া উচিত । দুর্বল হলে তখন প্রজাতে চলে আসবে । রাজার পদ পাওয়া তো ভালো, নাহলে দাস - দাসী হতে হবে । এ সূর্যবংশী আর চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) রূপ - বসন্ত হয়ে অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান করে মহাদানী হতে হবে । যে পড়া তোমরা পড়ছো, তা অন্যদেরও পড়াতে হবে ।

২) কোনো বিষয়েই দ্বিধাগ্রস্ত হবে না বা ভয় পাবে না, নিজের সুরক্ষা করতে হবে । নিজেকেই নিজের প্রশ্ন করতে হবে - আমি কি ধরণের ফুল ? আমার মধ্যে কোনো দুর্গন্ধ নেই তো ?

বরদান:-
আশাহীনতার চিতায় বসে থাকা আত্মাদের নতুন জীবনের দান করে ত্রিমূর্তি প্রাপ্তিতে সম্পন্ন ভব

এই সঙ্গমযুগে বাবার দ্বারা সকল বাচ্চাদের চিরসুস্থতা, সম্পদবান, এবং সুখী থাকার ত্রিমূর্তি বরদান প্রাপ্ত হয়, যে বাচ্চারা এই তিন প্রাপ্তিতে সদা সম্পন্ন থাকে, তাদের খুশীর এবং আনন্দদায়ক চেহারা দেখে মানব জীবনে বেঁচে থাকার উৎসাহ - উদ্দীপনা এসে যায়, কেননা এখন মানুষ বেঁচে থেকেও আশাহীনতার চিতায় বসে আছে । এখন এমন আত্মাদের জীবন্মৃত বানাও । তাদের নতুন জীবনের দান দাও । সদা এই কথা যেন স্মৃতিতে থাকে যে, এই তিন প্রাপ্তি আমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার । এই তিন ধারণার জন্য ডবল আন্ডারলাইন দাও ।

স্লোগান:-
পৃথক এবং অধিকারী হয়ে কর্মে আসা -- এটাই হলো বন্ধনমুক্ত স্থিতি ।