07-06-2020 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
20-01-86 মধুবন
*পুরুষার্থ আর পরিবর্তনের গোল্ডেন চান্সের বর্ষ*
আজ শক্তিশালী বাবা তাঁর শক্তিশালী বাচ্চাদের দেখছেন, যে শক্তিশালী আত্মারা বিশ্বকে
নতুন এবং শ্রেষ্ঠ বানানোর সবচাইতে বড় শক্তিশালী কার্য সম্পন্ন করার দৃঢ় সঙ্কল্প
করেছে l সব আত্মাকে শান্ত ও সুখী বানানোর শক্তিশালী কার্য করার সঙ্কল্প করেছে এবং
এই শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প নিয়ে দৃঢ় নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে প্রত্যক্ষরূপে কার্য সম্পন্ন করছে l
সব শক্তিশালী বাচ্চাদের এই একই শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্প - এই শ্রেষ্ঠ কার্য হতেই হবে l এর
থেকেও বেশি এই নিশ্চয়তা যে এই কার্য তো সম্পন্ন হয়েই আছে l শুধু কর্ম ও তার ফলের
ফিলোসফি অনুসারে তোমাদের পুরুষার্থ ও প্রালব্ধের মাধ্যমে নম্রতার সাথে নিমিত্ত হয়ে
তোমরা কার্য সম্পন্ন করছ l ভবিতব্য অবশ্যম্ভাবী l কিন্তু তা' শুধু তোমাদের শ্রেষ্ঠ
ভাবনা দ্বারা, সেই ভাবনার অবিনাশী ফল প্রাপ্ত করার নিমিত্ত হয়েছ তোমরা l দুনিয়ার
অজ্ঞান আত্মারা এটাই ভাবে, শান্তি কি হবে, কীভাবে হবে ! কোনো আশা তারা দেখতে পায় না
l তারা জিজ্ঞাসা করে, সত্যিই কি হবে ! তোমরা বলো, হ্যাঁ ! শুধু হবে না, হয়েই আছে,
কারণ নতুন কিছু ব্যাপার তো নয়, অনেকবার হয়েছে আর এখনও হয়েই আছে l যারা নিশ্চয়বুদ্ধি
তারা অবশ্যম্ভাবী ভবিতব্যকে জানে l কেন তোমাদের এমন অটল নিশ্চয় ? কারণ তোমাদের
স্ব-পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রমাণের কারণে তোমরা জানো যেখানে প্রত্যক্ষ প্রমাণ আছে
সেখানে অন্য কোনও প্রমাণের আবশ্যকতাই নেই l তাছাড়া পরমাত্ম-কার্য সবসময় সফলই হবে l
এই কার্য মানবাত্মা, মহান আত্মা অথবা ধর্মীয় আত্মাদের নয় l পরমাত্ম-কার্য সফলভাবে
সম্পন্ন হয়েই রয়েছে, তোমরাই তো এমন নিশ্চয়বুদ্ধি, নিশ্চিত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অভিজ্ঞ
নিশ্চিন্ত আত্মা l লোকে বলে বিনাশ হবে, তারা ভীত হয় আর তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে আছ যে
নতুন স্থাপনা হবে l কতো প্রভেদ এই সম্ভব আর অসম্ভবের মধ্যে ! তোমাদের সামনে সদা
স্বর্ণালী দুনিয়ার স্বর্ণালী সূর্য উদয় হয়েই রয়েছে আর তাদের সামনে বিনাশের কালো
ঘনঘটা l সময় সমাসন্ন প্রায়, তাইতো তোমরা সবাই এখন সদা খুশির ঘুঙুর পায়ে নেচে যাচ্ছ
আজ পুরানো দুনিয়া, কাল স্বর্ণালী দুনিয়া হবে l আজ আর কাল, এতই কাছাকাছি তোমরা পৌঁছে
গেছ l
বর্তমান এই বছর "সম্পূর্ণতা আর সমতার'' কাছাকাছি হওয়ার অনুভব করতে হবে l সম্পূর্ণতা
বিজয় মালা নিয়ে তোমরা সব ফরিস্তাকে আহ্বান করছে l বিজয় মালার অধিকারী তো হতে হবে,
তাই না ! সম্পূৰ্ণ বাবা আর সম্পূৰ্ণ স্টেজ উভয়তঃ তোমরা সব বাচ্চাকে ডাকছে, এসো
শ্রেষ্ঠ আত্মারা এসো, সমান বাচ্চারা এসো, শক্তিশালী বাচ্চারা এসো, সমান হয়ে নিজের
সুইট হোমে বিশ্রাম নাও l বাপদাদা যেমন বিধাতা, বরদাতা, ঠিক তেমনই তোমরাও এই বছর
বিশেষ ব্রাহ্মণ আত্মাদের জন্য এবং সর্ব আত্মাদের জন্য বিধাতা হও, বরদাতা হও l কাল
তোমরা দেবতা হবে, এখন অন্তিম ফরিস্তা স্বরূপ হও l ফরিস্তা কি করে ? বরদাতা হয়ে
বরদান দেয় l দেবতা সদা দিয়ে থাকে, তারা গ্রহণ করে না l তাদের গ্রহীতা বলা হয় না l
সুতরাং বরদাতা আর বিধাতা, ফরিস্তা তথা দেবতা .... এখন এটাই মহামন্ত্র 'আমরা ফরিস্তা
তথা দেবতা', এই মন্ত্রকে বিশেষ স্মৃতিস্বরূপ বানাও l 'মন্মনাভব' তো হয়েই গেছ, এটা
ছিল আদির মন্ত্র l এখন এই শক্তিশালী মন্ত্র তোমার অনুভবে বিকশিত হতে দাও l "এটা হওয়া
উচিত, এটা পাওয়া উচিত" এই দুই বিষয় তোমাদের গ্রহীতা বানায়, দানগ্রহীতার
স্বভাব-সংস্কার দেবতা হওয়ার ক্ষেত্রে তোমাকে দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষায় রেখে দেবে l অতএব,
সেই সমস্ত সংস্কার এখন সমাপ্ত কর l তোমাদের প্রথম জন্মে ঘর থেকে ব্রহ্মার সাথে নতুন
জীবন, নতুন যুগের নম্বর ওয়ান দেবতা হয়ে আসো l সংবৎ-ও ১-১-১ হবে l প্রকৃতিও
সতঃপ্রধান, নম্বর ওয়ান হবে l রাজ্যও নম্বর ওয়ান হবে l তোমাদের গোল্ডেন স্টেজও নম্বর
ওয়ান হবে l একদিনের ব্যবধানেও ১-১-১ বদলে যাবে l এখন থেকে ফরিস্তা তথা দেবতা হওয়ার
জন্য অনেককালের সংস্কার প্র্যাকটিক্যাল কর্মে ইমার্জ কর, কারণ অনেককালের যে গায়ন
হয়েছে, সেই অনেককালের সীমা এখন সমাপ্ত হচ্ছে l সেই ডেট গুনতি ক'রনা l
বিনাশকে অন্তকাল বলা হবে, সেই সময় তো অনেককালের চান্স সমাপ্ত হয়েই যাবে, এমনকি,
অল্প সময়েরও চান্স সমাপ্ত হয়ে যাবে, সেইজন্য বাপদাদা 'অনেককালের' সমাপ্তির ইঙ্গিত
দিচ্ছেন l তারপরে কর্মের হিসেবে 'অনেককাল' এর গুনতি করার চান্স সমাপ্ত হয়ে অল্প
সময়ের পুরুষার্থ, অল্প সময়ের প্রালব্ধ শুরু হয়েছে এটাই বলা হবে l কর্মের খাতায় এখন
অনেককাল সমাপ্ত হয়ে অল্প সময় অথবা অল্পকাল আরম্ভ হচ্ছে, সেইজন্য এই বছর পরিবর্তন
কালের বছর l অনেককাল থেকে অল্প সময়ে পরিবর্তন হতে হবে, সেইজন্য এই বছরের পুরুষার্থে
অনেককালের হিসেব যত জমা করতে চাও, তা' করে নাও l তারপরে দুঃখ প্রকাশ ক'রনা আমরা তো
অবহেলা করেছি ! আজ নয়তো কাল বদল হয়েই যাবে, সেইজন্য কর্ম-গতির জ্ঞাতা হও l নলেজফুল
হয়ে তীব্রগতিতে এগিয়ে চলো l এমন না হয় দু'হাজার সালের হিসেবই করে যেতে থাকলে l
পুরুষার্থের হিসেব আলাদা আর সৃষ্টি পরিবর্তনের হিসেব আলাদা l এমন ভেবনা যে এখন ১৫বছর
বাকি আছে, এখন ১৮ বছর বাকি আছে l ৯৯-তে হবে ... এইভাবে ভাবতে থেক না l হিসেব বোঝ l
শুধুমাত্র তোমাদের পুরুষার্থের হিসেব এবং প্রালব্ধের হিসেব জেনে সেই গতিতে এগিয়ে চলো
l নয়তো অনেককালের পুরানো সংস্কার যদি থেকে যায়, তবে অনেককালের হিসেব ধর্মরাজপুরীর
খাতায় জমা হয়ে যাবে l এমনকি, কারও কারও অনেককালের ব্যর্থের, অযথার্থ কর্ম-বিকর্মের
হিসেব এখনও আছে, বাপদাদা জানেন, শুধু আউট করেন না অর্থাৎ প্রকাশ্যে আনেন না l একটু
আড়াল করেন l যদিও ব্যর্থ আর অযথার্থের হিসেব এখনো অনেক আছে, সেইজন্য এই বছর এক্সট্রা
গোল্ডেন চান্সের বছর - ঠিক যেমন যুগ পুরুষোত্তম, তেমনই এটাও পুরুষার্থ আর
পরিবর্তনের গোল্ডেন চান্সের বছর, সেইজন্য সাহস আর সাহচর্যের বিশেষ বরদানের এই বিশেষ
বছরকে যেন সাধারণ ৫০ বছরের মতো নষ্ট ক'রনা l এখনো পর্যন্ত বাবা স্নেহের সাগর হয়ে এবং
সর্ব সম্বন্ধের স্নেহে, অবহেলা, সাধারণ পুরুষার্থ এইসব দেখে শুনেও না দেখে, না শুনে
স্নেহের এক্সট্রা সহায়তায়, এক্সট্রা মার্কস দিয়ে বাচ্চাদের অগ্রচালিত করছেন l তিনি
তোমাদের লিফ্ট দিচ্ছেন, কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হচ্ছে, সেইজন্য এখন কর্মের গতি খুব
ভালোভাবে জেনে এই সময়ের সুবিধা লাভ কর অর্থাৎ অনুকূল পরিস্থিতির সদ্ব্যবহার কর l
তোমাদের তো বলা হয়েছিল, অষ্টাদশ অধ্যায় শুরু হয়ে গেছে l অষ্টাদশ অধ্যায়ের বিশেষত্ব
স্মৃতিস্বরূপ হওয়ার l এমন নয় যে এই মুহূর্তে স্মৃতি, পরমুহূর্তে বিস্মৃতি, না !
স্মৃতিস্বরূপ অর্থাৎ অনেককাল যাবৎ নিজে থেকেই তোমার স্মৃতি সহজভাবে থাকবে l এখন
যুদ্ধের সংস্কার, পরিশ্রমের সংস্কার, অনিয়ন্ত্রিত মনের সংস্কার - এইসবের সমাপ্তি
ঘটাও l তা' নয়তো এইগুলোই অনেককালের সংস্কার হয়ে অন্ত মতিই ভবিষ্যৎ গতি প্রাপ্তির
নিমিত্ত হয়ে যাবে l তোমাদের তো বলা হয়েছিল, এখন অনেককালের পুরুষার্থ করার সময়
সমাপ্ত হয়ে যাচ্ছে আর অনেককালের দুর্বলতার হিসেব শুরু হচ্ছে l বুঝতে পেরেছ ! সেই
কারণে পরিবর্তনের জন্য এটা বিশেষ সময় l বাবা এখন বরদাতার ভূমিকায়, এরপরে তোমাদের
হিসাব-নিকাশের বিচারক হবেন l এখন শুধু স্নেহের হিসাব l তাহলে কি করতে হবে !
স্মৃতিস্বরূপ হও l স্মৃতিস্বরূপ স্বতঃই নষ্টমোহ বানিয়ে দেবে l এখন তো মোহের লিস্ট
অনেক লম্বা হয়ে গেছে l এক নিজের প্রবৃত্তি, আরেক হলো দৈবী পরিবারের প্রবৃত্তি,
সেবার প্রবৃত্তি, সীমিত প্রাপ্তির প্রবৃত্তি - এই সবকিছু থেকে নষ্টমোহ অর্থাৎ পৃথক
হয়েও প্রিয় হও আমিত্ববোধ অর্থাৎ মোহ, এতেও নষ্টমোহ হও, তাহলে বহুকালের পুরুষার্থ
থেকে বহুকালের প্রালব্ধের প্রাপ্তির অধিকারী হবে l বহুকাল অর্থাৎ আদি থেকে অন্ত
পর্যন্ত প্রালব্ধের ফল l যাই হোক, প্রতিটা প্রবৃত্তি থেকে নিবৃত্ত হওয়ার রহস্য তোমরা
খুব ভালোভাবে জানো আর ভাষণও ভালো করতে পার l যেমনই হোক, নিবৃত্ত হওয়া অর্থাৎ
নষ্টমোহ হওয়া l বুঝেছ ! তোমাদের কাছে তো বাপদাদার থেকেও বেশি পয়েন্ট আছে, সেইজন্য
বাবা আর কি পয়েন্টস তোমাদের শোনাবেন, পয়েন্টস তো তোমাদের আছেই, এখন বরং পয়েন্ট হও l
আচ্ছা !
যারা সদা শ্রেষ্ঠ কর্মের প্রাপ্তির গতিকে জেনে সদা অনেককালের তীব্র পুরুষার্থ করে,
শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থের সংস্কার আছে, যারা স্বর্ণযুগের সদা আদি রত্ন, সঙ্গমযুগের আদি
রত্ন, আদিদেব সমান এইরকম বাচ্চাদেরকে আদি বাবা এবং অনাদি বাবার সদা আদি হওয়ার
শ্রেষ্ঠ বরদানের সাথে স্মরণ-স্নেহ এবং সেইসঙ্গে সেবাধারী বাবার নমস্কার l
*দাদীদের সাথে :-* ঘরের গেট কে খুলবে ? যারা গোল্ডেন জুবিলি বা সিলভার জুবিলি
উদযাপন করছ, তারা ব্রহ্মার সাথে গেট খুলবে, তাই না ! নাকি পরে আসবে ? সাথে গেলে সজনী
হয়ে যাবে আর পরে যদি যাবে তো বরযাত্রী হয়ে যাবে l সম্বন্ধীকেও তো বরযাত্রী বলা হবে
l হতে পারে তারা কাছে আছে, কিন্তু বলা হবে - বরযাত্রী এসেছে l তাহলে গেট কে খুলবে ?
যারা গোল্ডেন জুবিলির নাকি যারা সিলভার জুবিলির ? যারা ঘরের গেট খুলবে তারাই
স্বর্গের গেট খুলবে l এখন সূক্ষ্ম বতনে আসতে কারও নিষেধাজ্ঞা নেই l সাকারে তো তবুও
বন্ধন আছে, সময় এবং সার্কমস্ট্যান্সের l বতনে আসতে কোনও বাধা নিষেধ নেই l কেউ
তোমাদের আটকাবে না, পালা করেও (টার্নে ) আসার প্রয়োজন নেই l অভ্যাসের দ্বারা তোমরা
এইরকম অনুভব করবে - এখানে তোমাদের শরীরে থাকলেও এক সেকেন্ডে সেখানে গিয়ে আবার ফিরে
আসবে l আন্তঃবাহক শরীর দ্বারা পরিক্রমণের গায়ন আছে, অন্তরের আত্মা বাহন হয়ে যায় l
সুতরাং এমন অনুভব করবে যেন বোতামে চাপ দেওয়ার সাথে সাথে বিমান উড়ছে, পরিক্রমা করে
ফিরে এসেছ আর অন্যেরাও এমন অনুভব করবে যেন তোমরা এখানে থেকেও এখানে নেই l যেমন তোমরা
দেখেছ সাকার রূপে তোমাদের সাথে কথা বলতে বলতে বাবা সেকেন্ডের মধ্যেই এই আছেন এই নেই
l এই মুহূর্তে আছেন, পরমুহূর্তে নেই l এই অনুভব তো করেছ, না ? সেইজন্য শুধু স্থূল
বিস্তারকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন l যেমন তোমরা দেখেছ এত বিস্তার হওয়া সত্ত্বেও
সাকার রূপের অন্তিম স্টেজে কেমন থেকেছেন ! সেই অবস্থা ছিল বিস্তারকে গুটিয়ে নেওয়ার,
উপরম থাকার l এই মুহূর্তে স্থূল ডিরেকশন দিচ্ছেন, পরমুহূর্তে অশরীরী স্থিতির অনুভব
করাচ্ছেন l তাহলে তোমরা এই গুটিয়ে নেওয়ার শক্তির প্রত্যক্ষতা দেখেছ l যা তোমরা
নিজেরাও বলেছ, বাবা এখানে আছেন নাকি নেই ? শুনছেন নাকি শুনছেন না ! কিন্তু সেই
তীব্রগতি এমন হতো যে কোনও কাজ মিস্ হতো না l এমনকি, তোমরা কোনকিছু সম্পর্কে বাবাকে
যদি বলতে তো সেটা তিনি মিস্ করতেন না, গতি এত তীব্র ছিল যে দু'টো কাজ এক মিনিটে তিনি
করতে পারতেন l তিনি সারও ক্যাচ করে নেবেন আবার চক্রতেও ঘুরে নেবেন l এমনভাবেও অশরীরী
হবেন না যে কেউ কথা বলবে আর তখন তোমরা বলবে তিনি শুনছেন না l গতি ফাস্ট হয়ে যায় l
বুদ্ধি এত বিশাল হয়ে যায় যে একই সময়ে দু'টো কাজ করতে পারেন l এটা তখনই হয়, যখন
গুটিয়ে নেওয়ার শক্তি ইউজ করবে l এখন প্রবৃত্তির বিস্তার হয়ে গেছে, এর মধ্যে থেকেও
এই অভ্যাস ফরিস্তা ভাবের সাক্ষাৎকার করাবে l এখন প্রত্যেকটা ছোট ছোট বিষয়ে তোমাদের
যে পরিশ্রম করতে হয়, তা' নিজে থেকেই উঁচুতে যাওয়ায় এইসব ছোট বিষয়ে ব্যক্ততার অনুভব
হবে l তোমরা যত উঁচুতে যাবে নীচের বিষয়গুলো আপনা থেকেই শেষ হয়ে যাবে l পরিশ্রমের
থেকে তোমরা বেঁচে যাবে l সময়ও বাঁচবে আর সেবাও ফাস্ট হবে l নয়তো, তোমাদের কতো সময়
ব্যয় করতে হবে ! আচ্ছা l
*সিলভার জুবিলিতে আগত ভাই-বোনেদের প্রতি অব্যক্ত বাপদাদার মধুর সন্দেশ - রজত
জয়ন্তীর শুভ সময়ে অধ্যাত্ম বাচ্চাদের প্রতি স্নেহের স্বর্ণালী পুষ্প*
সারা বিশ্বের সর্বোচ্চ মহাযুগের মহান পার্টধারী যুগ-পরিবর্তক বাচ্চাদের শ্রেষ্ঠ
সুন্দর জীবনের অভিনন্দন l সেবাতে বৃদ্ধির নিমিত্ত হওয়ার বিশেষ ভাগ্যের অভিনন্দন l
আদি থেকে পরমাত্ম-স্নেহী আর সহযোগী হওয়ার , স্যাম্পল হওয়ার অভিনন্দন l সময়ের
সমস্যারূপী তুফানকে উপহার মনে করে সদা বিঘ্ন-বিনাশক হওয়ার অভিনন্দন l
বাপদাদা সদা তার এমন অনুভবের ভাণ্ডারে সম্পন্ন সেবার ফাউন্ডেশন বাচ্চাদের দেখে
উৎফুল্ল হন এবং বাচ্চাদের সাহসের গুণ-মালা জপ করেন l এইরকম লাকি আর লাভলি সময়ে
তোমাদের বিশেষ স্বর্ণালী বরদান দেন - সদা এক হয়ে একের প্রত্যক্ষতার কার্যে সফল ভব l
আধ্যাত্মিক জীবনে অমর ভব l প্রত্যক্ষ ফল আর অমর ফল খাওয়ার পদ্মাপদম ভাগ্যবান ভব l
বরদান:-
"বাহ্ ড্রামা বাহ্"-এর স্মৃতি দ্বারা অনেকের সেবা করে
সদা খুশমন ভব
এই ড্রামার কোনও সীন দেখে 'বাহ্ ড্রামা বাহ্'র স্মৃতি
থাকলে তোমরা কখনো ঘাবড়ে যাবে না, কারণ ড্রামার জ্ঞান তোমরা লাভ করেছ যে বর্তমান সময়
কল্যাণকারী যুগ, এতে যে দৃশ্যই সামনে আসে তা' কল্যাণে ভরে আছে l আপাতদৃষ্টিতে (বর্তমানে
) কল্যাণ নাও দেখা যেতে পারে, কিন্তু যে কল্যাণ সমাহিত হয়ে আছে, তা' ভবিষ্যতে
প্রত্যক্ষ হবে - সুতরাং বাহ্ ড্রামা বাহ্'র স্মৃতি দ্বারা খুশি থাকবে, পুরুষার্থে
কখনও উদাস হবে না l আপনা থেকেই তোমাদের দ্বারা অনেকের সেবা হতে থাকবে l
স্লোগান:-
শান্তির শক্তিই মন্সা সেবার সহজ সাধন, যেখানে
শান্তির শক্তি আছে সেখানে সন্তুষ্টতা আছে l