12.06.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
এখন তোমরা ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছো, তোমাদের মধ্যে কোনও আসুরিক গুণ থাকা উচিত নয়,
নিজের উন্নতি করতে হবে, গাফিলতি করবে না "
প্রশ্নঃ -
সঙ্গম যুগী
ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের অর্থাৎ তোমাদের কোন্ নিশ্চয় এবং নেশা আছে ?
উত্তরঃ -
আমরা বাচ্চারা, আমাদের নিশ্চয় এবং নেশা আছে যে, এখন আমরা ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়ের হয়েছি।
আমরা স্বর্গবাসী বিশ্বের মালিক হচ্ছি। সঙ্গমে আমরা ট্রান্সফার হচ্ছি। আসুরিক সন্তান
থেকে ঈশ্বরীয় সন্তান রূপে ২১ জন্মের জন্য স্বর্গবাসী হই, এর চেয়ে দামি কিছু হয় না ।
ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে আত্মা
রূপী বাচ্চাদের বোঝান, বিশেষ করে মানুষ শান্তি পছন্দ করে। ঘর সংসারে বাচ্চারা খিট
খিটে হলে অশান্তি থাকে। অশান্তি থেকে দুঃখ অনুভব হয়। শান্তি থাকলে সুখ অনুভব হয়।
তোমরা বাচ্চারা এখানে বসে আছো, তোমাদের কাছে প্রকৃত শান্তি আছে। তোমাদের বলা হয়েছে
বাবাকে স্মরণ করো। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। অর্ধকল্প ধরে আত্মায় যে অশান্তি সৃষ্টি
হয়েছে, সেসব দূর করতে হবে শান্তির সাগর বাবার স্মরণ দ্বারা । তোমরা শান্তির
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। তোমরা এই কথা জানো যে শান্তির দুনিয়া এবং অশান্তির দুনিয়া
দুটি হল একেবারেই আলাদা। আসুরিক দুনিয়া, ঈশ্বরীয় দুনিয়া, সত্যযুগ, কলিযুগ কাকে বলে,
সে কথা কোনো মানুষ জানে না। তোমরাও বলবে আমরাও আগে জানতাম না। যতই ভালো পজিশন ছিল।
ধনী ব্যক্তিদের ভালো পজিশনে স্থিত বলা হয়। গরিব ও ধনী বুঝতে তো পারবে তাইনা। তেমনই
তোমরাও বুঝবে যথাযথভাবে ঈশ্বরীয় সন্তান এবং আসুরিক সন্তান হয়। এখন তোমরা মিষ্টি
বাচ্চারা বুঝেছো আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান। এই কথায় দৃঢ় নিশ্চয় আছে তাইনা। তোমরা
ব্রাহ্মণরা বুঝেছো আমরা ঈশ্বরীয় সম্প্রদায় স্বর্গবাসী বিশ্বের মালিক হতে চলেছি।
সর্বদা খুশীতে থাকা উচিত। যথার্থ রীতি বুঝতে পারে এমন খুব কম আছে। সত্যযুগে হল
ঈশ্বরীয় সম্প্রদায়। কলিযুগে হল আসুরিক সম্প্রদায়। পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে আসুরিক
সম্প্রদায় পরিবর্তন হয়। এখন আমরা শিববাবার সন্তান হয়েছি। মধ্যিকালে বিস্মৃত হয়ে
ছিলাম। এখন আবার এইসময় জেনেছি আমরা শিববাবার সন্তান। সেখানে সত্যযুগে কেউ নিজেকে
ঈশ্বরীয় সন্তান বলবে না। সেখানে হয় দৈবী সন্তান। তার আগে আমরা আসুরিক সন্তান ছিলাম।
এখন ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছি। আমরা হলাম ব্রাহ্মণ বি.কে. । রচনা হল একমাত্র পিতার।
তোমরা সবাই হলে ভাই-বোন এবং ঈশ্বরীয় সন্তান। তোমরা জানো বাবার কাছে রাজত্ব প্রাপ্ত
হচ্ছে। ভবিষ্যতে গিয়ে আমরা দৈবী স্ব রাজ্য প্রাপ্ত করবো, সুখী থাকবো। যথাযথভাবে
সত্যযুগ হল সুখধাম, কলিযুগ হল দুঃখধাম। এই কথা শুধুমাত্র তোমরা সঙ্গম যুগী ব্রাহ্মণ
রা জানো। আত্মা-ই হল ঈশ্বরীয় সন্তান। এই কথাও জানো বাবা স্বর্গের স্থাপনা করেন। তিনি
হলেন রচয়িতা তাইনা। নরকের রচয়িতা নন। তাঁকে কারা স্মরণ করবে। তোমরা মিষ্টি-মিষ্টি
বাচ্চারা জানো - বাবা স্বর্গের স্থাপনা করছেন। তিনি আমাদের বাবা তিনি হলেন খুব
মিষ্টি । আমাদের ২১ জন্মের জন্য স্বর্গবাসী করেন, এর চেয়ে দামি কিছুই হয় না। এই
বোধটুকু থাকা উচিত। আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান, তাই আমাদের মধ্যে কোনো আসুরিক অবগুণ
থাকা উচিত নয়। নিজের উন্নতি করতে হবে। আর একটু সময় বাকি আছে, এতে গাফিলতি করা উচিত
নয়। ভুলে যেও না। দেখছো বাবা সম্মুখে বসে আছেন, আমরা যাঁর সন্তান। আমরা ঈশ্বর পিতার
কাছে পড়া করছি দৈবী সন্তান হওয়ার জন্য, অতএব কতখানি খুশীতে থাকা উচিত। বাবা শুধু
বলেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। বাবা এসেছেন সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে
যেতে। যত খানি স্মরণ করবে ততই বিকর্ম বিনাশ হবে। অজ্ঞান কালে কন্যার বিবাহের পূর্বে
আশীর্বাদ অনুষ্ঠান আয়োজিত হওয়ার পর তার স্মরণে হবু স্বামীর ছবি ফিক্স হয়ে যায়।
সন্তান জন্ম নিলে স্মরণে তারও ছবি ফিক্স হয়। এই স্মরণ তো স্বর্গে ও নরকে দুই
স্থানেই ফিক্স হয়। সন্তান বলবে ইনি আমার পিতা, এবারে শিববাবা তো হলেন অসীমের পিতা।
যাঁর কাছে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় অতএব তাঁর স্মরণও ফিক্স হওয়া উচিত।
বাবার কাছে আমরা ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য পুনরায় উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি।
বুদ্ধিতে কেবল স্বর্গের অধিকারের স্মরণ-ই আছে।
এই কথা তো জানো যে, সবাইকে মরতে হবে। একজনও কেউ থাকবে না যারা প্রিয় থেকে প্রিয়তম
আছে, সবাই চলে যাবে। এই কথা শুধু তোমরা ব্রাহ্মণরাই জানো যে, এই পুরানো দুনিয়া শেষ
হবে। দুনিয়া শেষ হওয়ার আগে পুরোপুরি পুরুষার্থ করতে হবে। যদিও ঈশ্বরীয় সন্তান
স্বরূপে অপার খুশীর অনুভূতি থাকা উচিত। বাবা বলেন - বাচ্চারা, নিজের জীবন হীরে
তুল্য বানাও। ওই হল দৈব দুনিয়া, এই হল আসুরিক দুনিয়া। সত্যযুগে অপরিসীম সুখ থাকে।
যে সুখ স্বয়ং বাবা প্রদান করেন। এখানে তোমরা বাবার কাছে এসেছো। এখানে তো বসবে না।
এমন তো নয় সবাই একত্রে থাকবে কারণ অসংখ্য সন্তান আছে। এখানে তোমরা অনেক উৎসাহ নিয়ে
আসো। আমরা অসীমের পিতার কাছে যাই। আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান। গড ফাদারের সন্তান,
তাহলে আমাদের স্বর্গে থাকা উচিত। গড ফাদার তো স্বর্গের রচনা করেন তাইনা। এখন
তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ বিশ্বের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি আছে। তোমরা জানো স্বর্গীয়
পিতা (হেভেনলি গড ফাদার) আমাদেরকে স্বর্গের উপযুক্ত করছেন। কল্প-কল্প এসে পরে
উপযুক্ত করেন। একটি মানুষও নেই যে জানে যে আমরা হলাম অ্যাক্টর। আমরা গড ফাদারের
সন্তান তাহলে আমরা দুঃখে কেন থাকি! নিজেদের মধ্যে লড়াই কেন করি! আমরা আত্মারা সবাই
ভাই ভাই (ব্রাদার্স) তাইনা। ব্রাদার্স বা ভাই নিজেদের মধ্যে কেমন করে যুদ্ধ করে।
যুদ্ধেই শেষ হয়ে যাবে। এখানে আমরা বাবার কাছে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। ভাইদের নিজেদের
মধ্যে সম্পর্ক কখনও লবনাক্ত হওয়া উচিত নয়। এখানে তো বাবার সঙ্গেও সম্পর্ক লবনাক্ত
হয়ে যায়। ভালো ভালো বাচ্চারা সম্পর্ক কটু করে দেয়। মায়া খুব প্রবল। যে ভালো ভালো
বাচ্চা থাকে তাদের কথা বাবার স্মরণে আসে। বাবার ভালোবাসা অনেক থাকে বাচ্চাদের প্রতি।
বাবার তো বাচ্চারা ছাড়া আর কেউ নেই যাদের স্মরণ করবেন। তোমাদের তো অনেকেই আছে।
তোমাদের বুদ্ধি এদিকে ওদিকে বিচরণ করে। ব্যবসা ইত্যদিতেও বুদ্ধি যায়। আমার তো কোনো
ব্যবসা ইত্যাদিও নেই। তোমরা বাচ্চারা অনেক তাই তোমাদের ব্যবসাও অনেক হয়। আমার তো
একটি ই ব্যবসা। আমি এসেছি শুধুমাত্র বাচ্চাদের স্বর্গের উত্তরাধিকারী করতে। অসীম
জগতের পিতার প্রপার্টি হল শুধু তোমরা বাচ্চারা। তিনি গড ফাদার তাইনা। সব আত্মারা-ই
হল তাঁর প্রপার্টি। মায়া অপবিত্র ছিঃ ছিঃ বানিয়েছে। এখন সুন্দর ফুল (গুল-গুল)
বানাচ্ছেন বাবা। বাবা বলেন, তোমরা তো আমার। তোমাদের প্রতি আমার মোহও আছে। চিঠিপত্র
না লিখলে চিন্তা হয়। ভালো ভালো বাচ্চাদের চিঠি আসে না। ভালো বাচ্চাদের মায়া একদম
শেষ করে দেয়। অবশ্যই দেহ-অভিমান আছে। বাবা বলতে থাকেন নিজের কুশল আদি-র খবর লেখো।
বাবা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন তোমাদেরকে মায়া বিরক্ত করে না তো ? বীর বাহাদুর হয়ে
মায়াকে জয় করছো, তাইনা! তোমরা যুদ্ধের মাঠে আছো তাইনা! কর্মেন্দ্রিয় গুলি এমন ভাবে
বশ করা উচিত যাতে কোনোরকম চাঞ্চল্য ভাব যেন না থাকে। সত্যযুগে সব কর্মেন্দ্রিয় বশে
থাকে। কর্মেন্দ্রিয়ের কোনোরূপ চঞ্চল ভাব থাকে না। না মুখের, না হাতের, না কানের
.... কোনোরকম চঞ্চল ভাব থাকে না। সেখানে কোনো অপবিত্র বস্তু থাকে না। এখানে তোমরা
যোগ বলের দ্বারা কর্মেন্দ্রিয় গুলি জয় করো। বাবা বলেন কোনো অপবিত্র কথা নয়।
কর্মেন্দ্রিয় গুলি বশ করতে হবে। ভালো রীতি পুরুষার্থ করতে হবে। সময় খুব কম। গায়নও
আছে অনেকটা পার হয়েছে আর একটু বাকি। এখন একটু থেকে যায়। নতুন বাড়ি তৈরি হলে কথাটি
বুদ্ধিতে থাকে - একটু সময় বাকি আছে। বাড়িটি কিছু সময় পরে পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে,
আরেকটু কাজ বাকি আছে। ওই হল জাগতিক দুনিয়ার কথা, এইটি হল অসীমের দুনিয়ার কথা। এই
কথাও বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে তাদের হল সায়েন্সের শক্তি, তোমাদের হল সাইলেনসের শক্তি।
যদিও তাদেরও বুদ্ধি বল, তোমাদেরও বুদ্ধি বল। সায়েন্সের দ্বারা কত কিছু আবিষ্কার হতে
থাকে। এখন তো এমন বোমা তৈরি হয়েছে, যার যেখান থেকে খুশী বসে ছেড়ে দিলেই সম্পূর্ণ
শহর নষ্ট হয়ে যাবে। তখন এই সৈন্য, বিমান ইত্যাদি কিছুই কাজে লাগবে না। সুতরাং ওই হল
সায়েন্সের বুদ্ধি। তোমাদের হল সাইলেন্সের বুদ্ধি। তারা বিনাশের জন্য নিমিত্ত। তোমরা
অবিনাশী পদ মর্যাদা প্রাপ্তির জন্য নিমিত্ত হয়েছো। এই কথা বুঝবার জন্যও বুদ্ধি চাই
তাইনা।
তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো - বাবা কত সহজ পথ বলে দেন। যেমনই হোক অহল্যা, কুব্জা,
শুধু দুটি শব্দ স্মরণ করতে হবে - বাবা এবং উত্তরাধিকার। তারপরে যে যত স্মরণ করতে
পারে। অন্য সব কিছু থেকে মন সরিয়ে একমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেন আমি
যখন নিজে গৃহে পরম ধামে ছিলাম তখন ভক্তি মার্গে আহ্বান করেছিলে - বাবা তুমি এলে আমরা
সব কিছু সমর্পণ করবো। ইনি হলেন ডোম, যাকে পুরানো সব জিনিস দেওয়া হয়। তোমরা বাবাকে
কি দেবে ? ব্রহ্মাবাবাকে তো দাও না, তাইনা। ব্রহ্মা বাবাও সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন। তিনি
এখানে বসে মহল বানাবেন না। এই সবকিছু শিববাবার জন্য। তাঁর নির্দেশ অনুসারে করছেন।
শিববাবা হলেন করনকরাবনহার অর্থাৎ যিনি সবকিছু করান, তিনি ডাইরেক্সন দিতে থাকেন।
বাচ্চারা বলে বাবা আমাদের জন্য একমাত্র আপনি আছেন। যদিও আপনার জন্য অনেক বাচ্চারা
আছে। বাবা মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের বলেন যত খানি সম্ভব বাবাকে স্মরণ করো অন্য সকলকে
ভুলে যাও। স্বর্গের রাজত্ব মাখন রূপে তোমরা প্রাপ্ত করো। একটু চিন্তন করে দেখো,
কীভাবে এই খেলাটি তৈরি রচনা হয়েছে। তোমরা শুধু বাবাকে স্মরণ করো এবং স্বদর্শন
চক্রধারী হলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হও। এখন তোমরা বাচ্চারা প্রাক্টিক্যালে অনুভবী
হয়েছো। মানুষ তো ভাবে ভক্তি হল পুরানো প্রচলন। বিকারও প্রচলন অনুযায়ী চলে এসেছে। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাধে-কৃষ্ণেরও তো সন্তান ছিল তাইনা। নিশ্চয়ই ছিল, কিন্তু তাঁদেরকে
বলা হয় সম্পূর্ণ নির্বিকারী। এখানে হল সম্পূর্ণ বিকারী। একে অপরকে কটু কথা বলতে থাকে।
বাচ্চারা এখন তোমরা পিতা শ্রী শ্রী - র শ্রীমৎ প্রাপ্ত কর। তোমাদের শ্রেষ্ঠ বানান।
যদি বাবার কথা মতন চলবে না তবে শ্রেষ্ঠ হতে পারবে না। এবারে মেনে চলো বা না চলো।
সুপুত্র সন্তান তো কথা মেনেই চলবে। পুরোপুরি সাহায্য না করলে তো নিজেরই ক্ষতি । বাবা
বলেন আমি কল্প-কল্প আসি। অনেক পুরুষার্থ করিয়ে থাকি। অনেক খুশীর অনুভব করাই। বাবার
কাছে পুরো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার চেষ্টায় মায়া গাফিলতি করায়। কিন্তু তোমরা সেই
জালে আটকে যাবে না। মায়ার সঙ্গেই যুদ্ধ হয়। বিশাল ঝড় তুফান আসবে। তার মধ্যেও যারা
উত্তরাধিকারী তাদের উপরে মায়া বেশি আক্রমণ করবে। বীর বাহাদুরের সঙ্গে বীরের মতন
যুদ্ধ করবে মায়া। যেমন বৈদ্য ঔষধ দেন তো অসুখ পুরোপুরি বেরিয়ে আসে। এখানেও আমার আপন
হলেই সকলের কথা মনে পড়বে। ঝড় তুফান আসবে, তাতে লাইন ক্লিয়ার থাকা চাই। আমরা প্রথমে
পবিত্র ছিলাম তারপরে অর্ধকল্প অপবিত্র হয়েছি। এখন আবার ফিরে যেতে হবে। বাবা বলেন
আমাকে স্মরণ করো তাহলে এই যোগ অগ্নি দ্বারা তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। যত খানি
স্মরণ করবে ততই উঁচু পদের অধিকারী হবে। স্মরণ করতে করতে তোমরা ঘরে (পরমধাম) ফিরে
যাবে, এর জন্য সম্পূর্ণ অন্তর্মুখী হতে হবে। নলেজ তো আত্মা ধারণ করে তাইনা। আত্মা
পড়া করে। আত্মার জ্ঞানও পরমাত্মা পিতা এসে প্রদান করেন। এত বিশাল জ্ঞান তোমরা
প্রাপ্ত কর বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য। তোমরা আমাকে বলো - পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর,
শান্তির সাগর। যা কিছু আমার কাছে আছে সেসব তোমাদের প্রদান করি। শুধু দিব্য দৃষ্টির
চাবি প্রদান করি না। তার পরিবর্তে তোমাদের বিশ্বের মালিক করি। সাক্ষাৎকারে কিছুই
নেই। মুখ্য হল পড়াশোনা। এই পড়া দ্বারা তোমরা ২১ জন্মের সুখ প্রাপ্ত কর। মীরার
তুলনায় তোমরা নিজের সুখের দর্শন করো। মীরা তো ছিল কলিযুগে, দর্শন করে তারপরে কি ?
ভক্তির মালা একেবারে আলাদা। জ্ঞান মার্গের মালা আলাদা। রাবণের রাজত্ব আলাদা,
তোমাদের রাজত্ব আলাদা। ওই হল দিন, ওই হল রাত । আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপেী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
স্মরণের শক্তি দ্বারা নিজের কর্মেন্দ্রিয় গুলিকে বশীভূত করতে হবে, যাতে কোনোরকম
চাঞ্চল্য না থাকে। সময় খুব কম আছে, তাই ভালো ভাবে পুরুষার্থ করে মায়াজিত হতে হবে।
২ ) বাবা যে জ্ঞান প্রদান করেন, সেই জ্ঞান অন্তর্মুখী হয়ে ধারণ করতে হবে। নিজেদের
মধ্যে কখনও লবনাক্ত হবে না। বাবাকে নিজের কুশল (খুশখরাপতের) সংবাদ নিশ্চয়ই দিতে হবে।
বরদান:-
সকল
আত্মাকে বিভ্রান্তি বা ভিক্ষুক অবস্থা থেকে রক্ষাকারী নিষ্কাম দয়ালু ভব
ব্যাখা: যে বাচ্চারা
নিষ্কাম দয়ালু হয়, তাদের দয়ার সঙ্কল্প দ্বারা অন্য আত্মাদের নিজেদের আত্মিক স্বরূপ
বা আত্মার লক্ষ্য সেকেন্ডে স্মৃতিতে এসে যাবে। তাদের দয়ার সঙ্কল্প দ্বারা
ভিক্ষুকেরও সর্ব খাজানার ছবি দৃশ্যমান হবে। বিভ্রান্তিতে বিচরণকারী আত্মারা মুক্তি
বা জীবনমুক্তির লক্ষ্য বা গন্তব্য সামনে দেখতে পাবে। তারা সর্বজনের দুঃখ হরণকারী
সুখ প্রদাতা রূপের পার্ট প্লে করবে, দুঃখীকে সুখী করার যুক্তি ও সাধন সর্বদা তাদের
কাছে জাদুর চাবি রূপে থাকবে।
স্লোগান:-
সেবাধারী হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা করো, তাহলে সেবার পাওনা প্রাপ্ত হবেই ।