29.06.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- ভবিষ্যতে উচ্চকুলে আগমনের আধার হলো পঠন-পাঠন, এই পঠন-পাঠনের মাধ্যমেই তোমরা বেগার টু প্রিন্স হতে পারো"

প্রশ্নঃ -
গোল্ডেন স্পুন ইন মাউথ(সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো) দু'রকমভাবে প্রাপ্ত হতে পারে, কিভাবে ?

উত্তরঃ -
এক, ভক্তিতে দান-পুণ্য করলে, দ্বিতীয় জ্ঞানে পঠন-পাঠনের মাধ্যমে। ভক্তিতে দান-পুণ্য করলে রাজা বা ধনীর ঘরে জন্ম নেয় কিন্তু তা হলো পার্থিব জগতের। তোমরা জ্ঞানে পঠন-পাঠনের মাধ্যমে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাও। এ হলো অসীম জগতের কথা। ভক্তিতে পঠন-পাঠনের দ্বারা রাজত্ব প্রাপ্ত হয় না। এখানে যে যত ভালভাবে পড়ে, সে তত উচ্চপদ লাভ করে।

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের আত্মিক পিতা বসে বোঝান, একে বলা হয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান। বাচ্চারা বাবা এসে ভারতবাসীদেরই বোঝান, নিজেদের আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো, বাবা বিশেষভাবে এই আদেশ করেছেন তবে তো তা পালন করা উচিত, তাই না! সর্বোচ্চ পিতার শ্রীমত বিখ্যাত। বাচ্চারা, এই জ্ঞানও তোমাদের মধ্যে রয়েছে যে, শুধুমাত্র শিববাবাকেই শ্রী-শ্রী বলতে পারো। তিনিই শ্রী-শ্রী তৈরী করেন, শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ। বাচ্চারা, তোমরা এখন জেনেছো যে, এঁনাদের বাবা তৈরী করেছেন। আমরা এখন নতুন দুনিয়ার জন্য পড়ছি। নতুন দুনিয়ার নামই স্বর্গ, অমরপুরী। মহিমা করার জন্য অনেক নাম রয়েছে। বলাও হয় স্বর্গ আর নরক। অমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে তবে তো নরকবাসী ছিল, তাই না! কিন্তু মানুষের মধ্যে এত বুদ্ধি নেই। স্বর্গ-নরক, নতুন দুনিয়া-পুরানো দুনিয়া কাকে বলা হয়, কিছুই জানে না। বাহ্যিক আড়ম্বর কত। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যেও অল্পসংখ্যকই রয়েছে যারা বোঝে যে, বরাবর বাবা-ই আমাদের পড়ান। আমরা এমন লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার জন্য এসেছি। আমরা বেগার টু প্রিন্স হবো। সর্বপ্রথমে আমরা গিয়ে রাজকুমার হবো। এ হলো পঠন-পাঠন, যেমন ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যারিস্টারি ইত্যাদি পড়ে তখন বুদ্ধিতে থাকে যে আমরা ঘর তৈরী করবো, পুনরায় এটা করবো.... প্রত্যেকের নিজ কর্তব্য স্মৃতিতে আসে। বাচ্চারা, এই পড়ার মাধ্যমে তোমাদের গিয়ে অতি উচ্চ ঘরে(ধনীর ঘরে) জন্ম নিতে হবে। যে যতবেশী পড়বে ততই অতি উচ্চ ঘরে জন্ম নেবে। রাজার ঘরে জন্ম নিয়ে পরে রাজত্ব করতে হবে। গায়নও করা হয়, গোল্ডেন স্পুন ইন মাউথ। এক তো জ্ঞানের দ্বারা গোল্ডেন স্পুন ইন মাউথ প্রাপ্ত করা যায়। দ্বিতীয়তঃ যদি ভালভাবে দান-পুণ্য করে তাহলেও রাজার ঘরে জন্ম হবে। তা হলো পার্থিব জগতের। এ হলো অসীম জগতের। প্রতিটি কথা ভালভাবে বোঝ। কিছুই বুঝতে না পারলে জিজ্ঞাসা করতে পারো। নোট করো যে, এই-এই কথা বাবাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। মুখ্য হলো বাবাকে স্মরণের কথা। বাকি যদি কোনো সংশয় ইত্যাদি থাকে তবে তা তিনি ঠিক করে দেবেন। বাচ্চারা, এও জানে যে ভক্তিমার্গে যত দান-পুণ্য করে তাতে ধনীর ঘরে জন্ম নেয়। কেউ যদি খারাপ কর্ম করে তবে এমন জন্মলাভ করে তাও বাবার কাছে আসে। কারো-কারোর তো এমন কর্মবন্ধন রয়েছে যে সেকথা আর জিজ্ঞাসা কোরো না। এসব হলো অতীতের কর্মবন্ধন। রাজারাও কেউ-কেউ এমন হয়, কর্মবন্ধন অতি কঠিন হয়। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের কোনো কর্মবন্ধন নেই। ওখানে হলো যোগবলের দ্বারা রচনা(জন্ম)। আমরা যখন যোগবলের দ্বারা বিশ্বের রাজত্ব নিতে পারি তাহলে কি সন্তানের জন্ম দিতে পারবো না ? পূর্বেই সাক্ষাৎকার হয়ে যায়। ওখানে এ হলো সাধারণ কথা। খুশীতে বাদ্য বাজতে থাকে। বৃদ্ধ থেকে শিশু হয়ে যায়। মহাত্মাদের থেকেও শিশুদের অধিক সম্মান দেওয়া হয় কারণ সেই মহাত্মা তো তবুও সারা জীবন অতিবাহিত করে বড় হয়েছে। বিকারকে জানে। ছোট বাচ্চারা তো তা জানে না তাই মহাত্মাদের থেকেও উচ্চ বলা হয়। ওখানে(স্বর্গে) তো সকলেই মহাত্মা। কৃষ্ণকেও মহাত্মা বলা হয়। তিনি হলেন সত্যিকারের মহাত্মা। সত্যযুগেই মহান আত্মারা থাকে। ওঁনাদের মতন এখানে কেউ হতে পারে না।

বাচ্চারা, তোমাদের অন্তরে অত্যধিক খুশী থাকা উচিত। আমরা এখন নতুন দুনিয়ায় জন্ম নেব। এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে। ঘর যখন পুরানো হয়ে যায় তখন নতুন ঘরের জন্য আনন্দ হয়, তাই না! কত ভাল-ভাল মার্বেল ইত্যাদির ঘর তৈরী করা হয়। জৈনদের কাছে প্রচুর অর্থ থাকে, তাই তারা নিজেদেরকে উচ্চকুলের মনে করে। কিন্তু বাস্তবে এখানে কোন উচ্চকুল থাকে না। উচ্চকুলে বিবাহের জন্য ঘর খুঁজতে থাকে। ওখানে কুল ইত্যাদির কোন কথা নেই। ওখানে তো একটিই দেবতাকুল রয়েছে, দ্বিতীয় কিছু নেই। এরজন্য তোমরা সঙ্গমেই অভ্যাস করো যে, আমরা এক পিতার সন্তান সকলেই আত্মা। আত্মা হলো প্রথমে, পরে শরীর। দুনিয়ায় সকলেই দেহ-অভিমানী হয়। তোমাদের এখন দেহী-অভিমানী হতে হবে। গৃহস্থ-জীবনে থেকে নিজের স্থিতিকে পাক্কা করতে হবে। বাবার কত সন্তান, কত বড় গৃহস্থী, তাহলে অনেক চিন্তাও থাকবে নিশ্চয়ই। এঁনাকেও পরিশ্রম করতে হয়। আমি কোনো সন্ন্যাসী নই। বাবা এঁনার মধ্যে প্রবেশ করেছেন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরের চিত্রও তো রয়েছে, তাই না! ব্রহ্মা হলেন সর্বোচ্চ। তবে ওঁনাকে ছেড়ে বাবা কারমধ্যে আসবেন। ব্রহ্মার কোনো নতুন জন্ম হয় না। দেখো তো, তাই না! -- কিভাবে এঁনাকে অ্যাডপ্ট করি। তোমরা কিভাবে ব্রাহ্মণ হও। এসব কথা তোমরাই জানো অন্যরা আর কি জানে। তারা বলে যে, ইনি তো জহুরী ছিলেন, এঁনাকে তোমরা ব্রহ্মা বলো! ওরা কি জানে যে এত ব্রহ্মাকুমার-কুমারী কিভাবে জন্ম নেবে। এক-একটি কথাকে কতভাবে বোঝাতে হয়। এ অতি রহস্যময় কথা, তাই না! এই ব্রহ্মা ব্যক্ত, আর উনি অব্যক্ত। ইনিই পবিত্র হয়ে অব্যক্ত হয়ে যান। একথা বলে -- আমি এইসময় পবিত্র নই। এমন পবিত্র এখন হচ্ছি। প্রজাপিতা তো এখানেই হওয়া উচিত, তাই না! তা নাহলে কোথা থেকে আসবে। স্বয়ং বাবা বোঝান যে, আমি পতিত শরীরে আসি, তাহলে অবশ্যই এঁনাকেই প্রজাপিতা বলা হবে। সূক্ষ্মলোকে তো বলা হবে না। ওখানে প্রজারা কি করবে ? ইনি স্বাধীনভাবে (ইন্ডিপেন্ডেন্টলী) পবিত্র হয়ে যান। যেমন ইনি পুরুষার্থ করেন তেমন তোমরাও পুরুষার্থ করে ইন্ডিপেন্ডেন্টলী পবিত্র হয়ে যাও। বিশ্বের মালিক হও, তাই না! স্বর্গ আলাদা, নরক আলাদা। এখন কত খন্ড-খন্ড(বিভক্ত) হয়ে গেছে। ৫ হাজার বছর পূর্বের কথা যখন এঁনাদের রাজ্য ছিল। ওরা(অজ্ঞানীরা) আবার লক্ষ বছর বলে। এইকথা বুঝবে তারাই, যারা কল্প-পূর্বে বুঝেছিল। তোমরা দেখো যে, এখানে মুসলিম, পারসী ইত্যাদি সকলেই আসে। মুসলমানরা নিজেরাই আবার হিন্দুদের জ্ঞানদান করছে। বিস্ময়কর, তাই না! মনে করো কেউ শিখ ধর্মের, সেও বসে রাজযোগ শেখাচ্ছে। যারা কনভার্ট হয়ে গেছে তারাও পুনরায় ট্রান্সফার হয়ে দেবতাকুলে চলে আসবে। চারা রোপন(স্যাপলিং) করা হয়। তোমাদের কাছে খ্রিস্টান, পারসীরাও আসে, বৌদ্ধরাও আসবে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে সময় যখন নিকটে আসবে তখন চতুর্দিক আমাদের নাম প্রসারিত হবে। তোমাদের একটি ভাষণেই অসংখ্য মানুষ তোমাদের কাছে আসবে। সকলের স্মৃতিতে এসে যাবে যে, আমাদের সত্যিকারের ধর্ম এটাই। যারা আমাদের ধর্মের হবে তারা তো সকলে সত্যিই আসবে, তাই না! বাবা বসে বোঝান, তোমরা কাল দেবতা ছিলে, এখন পুনরায় দেবতা হওয়ার জন্য বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো।

তোমরা হলে সত্যিকারের পান্ডব, পান্ডব অর্থাৎ পান্ডা। ওরা হলো পার্থিব পান্ডা। তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে আধ্যাত্মিক পান্ডা। তোমরা এখন অসীম জগতের পিতার কাছে পড়ছো। তোমাদের এই নেশা অধিকমাত্রায় থাকা উচিত। আমরা বাবার কাছে যাই, যার কাছ থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। তিনি আমাদের পিতাও, এখানে পড়ার জন্য কোনো টেবিল-চেয়ারের প্রয়োজন নেই। এই যে তোমরা লেখো সেও তোমাদেরই পুরুষার্থের জন্য। বাস্তবে এ তো বোঝবার মতন বিষয়। শিববাবা তোমাদের পত্র লেখার জন্য এই পেন্সিল ইত্যাদি ধরেন, বাচ্চারা বোঝে, লাল অক্ষরে শিববাবার লেখা এসেছে। বাবা লেখেন -- আত্মা-রূপী(রুহানী) বাচ্চা। বাচ্চারাও বোঝে, ইনি আধ্যাত্মিক পিতা। উনি হলেন সর্বোচ্চ, ওঁনার মতানুসারে চলতে হবে। বাবা বলেন, কাম(বিকার) মহাশত্রু। এ আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দেবে। সেই ভুতের বশবর্তী হয়ো না। পবিত্র হও। আবাহনও করা হয় -- হে পতিত-পাবন। বাচ্চারা, তোমরা এখন অতি শক্তিলাভ করো, রাজত্ব করার জন্য। যা আর কেউ জয় করতে পারেনা। তোমরা কত সুখী হও। তাহলে এই পড়ায় কতটা সচেতন(ধ্যান) হওয়া উচিত। আমরা রাজত্বলাভ(বাদশাহী) করি। তোমরা জানো, আমরা কি থেকে কিসে পরিনত হতে চলেছি। ভগবানুবাচ তো, তাই না! আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই, রাজার-রাজা তৈরী করি। ঈশ্বর কাকে বলে, সেও কারোর জানা নেই। আত্মা আবাহন করে -- ও বাবা! তবে তো জানা উচিত, তাই না! তিনি কবে এবং কিভাবে আসবেন ? মানুষই তো ড্রামার আদি-মধ্য-অন্ত, সময়সীমা ইত্যাদিকে জানবে, তাই না! জেনে তোমরা দেবতা হয়ে যাও। জ্ঞান হলো সদ্গতির জন্য। এসময় হলো কলিযুগের শেষ। সকলেই দুর্গতিতে রয়েছে। সত্যযুগে হয় সদ্গতি। এখন তোমরা জানো যে, বাবা এসেছেন -- সকলের সদ্গতি করতে। সকলকে জাগরিত করতে এসেছেন। এ কি কোনো কবরখানা, না তা নয়। কিন্তু গভীর অন্ধকারে পড়ে রয়েছে, তাদের জাগরিত করতে আসি। যে বাচ্চারা গভীর নিদ্রা থেকে জাগরিত হয়ে যায়, তাদের অন্তরে অত্যন্ত খুশী থাকে, আমরা শিববাবার সন্তান, কোন রকমের দুশ্চিন্তা থাকে না। বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক করেন। সেখানে কান্নার কোনো নামই নেই। এ তো কান্নাকাটির দুনিয়া। ওটা হলো প্রফুল্লতার দুনিয়া। ওনাদের চিত্র দেখো কেমন শোভনীয়, প্রফুল্লিত-মুখের আদলে তৈরী করে। এমন বৈশিষ্ট্য (ফিচার্স) তো এখানে হতে পারে না। বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে হবে যে, এনাদের মতন বৈশিষ্ট্য নজরে আসতেই হবে। মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের স্মৃতিতে এখন এসেছে যে, ভবিষ্যতে অমরপুরীতে আমরা প্রিন্স হবো। এই মৃত্যুলোকে, এই খড়ের গাদায়(পুরানো দুনিয়ায়) আগুন লাগবেই। গৃহযুদ্ধেও পরস্পরকে কিভাবে হত্যা করে, কাকে আমরা হত্যা করছি, তাও জানে না। হাহাকারের পর জয়-জয়কার হবে। তোমাদের বিজয়, আর বাকি সব বিনাশ হয়ে যাবে। তোমরা রুদ্রমালায় গ্রথিত হয়ে পুনরায় বিষ্ণুমালায় গ্রথিত হয়ে যাবে। এখন তোমরা পুরুষার্থ করো নিজেদের ঘরে ফেরার জন্য। ভক্তির কত প্রসার। যেমন বৃক্ষে(ঝাড়) অসংখ্য পত্র থাকে তেমনই ভক্তির প্রসারও। বীজ হলো জ্ঞান। বীজ কত ছোট হয়। বীজ হলো বাবা, এই বৃক্ষের স্থাপনা, পালনা এবং বিনাশ কিভাবে হয়, এ তোমরাই জানো। এ বিভিন্ন ধর্মের উল্টো-বৃক্ষ। দুনিয়ায় একজনও কেউ একথা জানে না। এখন বাচ্চাদের বাবাকে স্মরণ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। গীতাপাঠকারী-রাও বলে 'মন্মনাভব'। সকল দেহের ধর্মকে পরিত্যাগ করে, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। মানুষ এর অর্থ বোঝে কি, না বোঝে না। ওটা হলো ভক্তিমার্গ, এ হলো জ্ঞানমার্গ। এখন রাজধানী স্থাপিত হচ্ছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। যে সামান্যতম জ্ঞানও শুনেছে সে প্রজায় চলে আসবে। জ্ঞানের বিনাশ হয় না। তাছাড়া যে যথার্থভাবে জেনে পুরুষার্থ করে সেই উচ্চপদ প্রাপ্ত করে। বুদ্ধিতে এর বোধ রয়েছে, তাই না! আমরা নতুন দুনিয়ায় প্রিন্স হবো। স্টুডেন্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তখন সে কত খুশী হয়। তোমাদের সহস্র অপেক্ষাও অধিকতম অতীন্দ্রিয় সুখ থাকা উচিত। আমরা সমগ্র বিশ্বের মালিক হয়ে যাই। কোন কথায় কখনো অসন্তুষ্ট হয়ো না। ব্রাহ্মনীর সঙ্গে মতের মিল হয় না, বাবার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যায়, আরে! তোমরা বাবার সঙ্গে বুদ্ধির যোগসূত্র স্থাপন করো, তাই না! ওঁনাকে প্রেমপূর্বক স্মরণ করো। বাবা ব্যস তোমাকেই স্মরণ করতে-করতে আমরা ঘরে চলে আসবো। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) কোনো বিষয়ে দুশ্চিন্তা করবে না, সর্বদা প্রফুল্ল থাকতে হবে। স্মরণে যেন থাকে যে, আমরা শিববাবার সন্তান, বাবা এসেছেন আমাদের বিশ্বের মালিক করার জন্য।

২) নিজের স্থিতিকে একরস বানানোর জন্য দেহী-অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। এই পুরানো ঘরের থেকে মোহমুক্ত হতে হবে।

বরদান:-
সর্ববন্ধনের পিঞ্জর(খাঁচা) ভেঙ্গে জীবনমুক্ত স্থিতির অনুভাবী সত্যিকারের ট্রাস্টী ভব

ব্যাখা :- শরীরের বা সম্বন্ধের বন্ধনই হলো খাঁচা। কর্তব্যও নিমিত্ত হয়ে পালন করতে হবে, মোহবশে নয় তবেই বলা হবে নির্বন্ধন। যে ট্রাস্টী হয়ে চলে সে-ই নির্বন্ধন, যদি কোনো আমিত্বভাব থাকে তবে সে খাঁচায় বন্দী। খাঁচার ময়না এখন ফরিস্তা হয়ে গেছে তাই কোথাও যেন সামান্যতম বন্ধনও না থাকে। মনের বন্ধনও নয়। কি করবো, কিভাবে করবো, করতে চাই কিন্তু হয় না -- এও মনের বন্ধন। যখন জীবন্মৃত (মরজীবা) হয়ে গেছি তখন সর্বপ্রকারের বন্ধন সমাপ্ত, সর্বদা জীবনমুক্ত স্থিতির অনুভব হতে থাকবে।

স্লোগান:-
সঙ্কল্পকে জমা করো, তাহলে সময়, বাণী স্বততঃ-ই জমা হয়ে যাবে।