08.06.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
এখন তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়েছো, তাই এখন তোমাদের নেত্র কোনোকিছুর দিকেই
নিমজ্জিত (ডুবে যাওয়া) হওয়া উচিত নয়"
প্রশ্নঃ -
যাদের পুরানো
দুনিয়ার থেকে অসীম জগতের বৈরাগ্য আসবে তাদের লক্ষণ কি হবে ?
উত্তরঃ -
তারা নিজেদের সবকিছু বাবাকে অর্পণ করে দেবে, কোনো কিছুই আমার নয়। বাবা এই দেহও
আমার নয়, এ তো পুরানো দেহ, একেও পরিত্যাগ করতে হবে। তাদের মোহ সবকিছুর থেকে
বিচ্ছিন্ন হতে থাকবে, তারা নষ্টমোহ হবে। তাদের বুদ্ধিতে একথা থাকে যে, এখানকার কোন
কিছুই কাজের নয়, কারণ এ সবই পার্থিব জগতের।
ওম্ শান্তি ।
বাবা
বাচ্চাদেরকে ব্রহ্মান্ড আর সৃষ্টি-চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনাচ্ছেন। যা আর
কেউ শোনাতে পারে না। একমাত্র গীতাই আছে, যেখানে রাজযোগের বর্ণনা রয়েছে, ভগবান এসে
নর থেকে নারায়ণে পরিণত করেন। একমাত্র গীতা ছাড়া একথা আর কোনো শাস্ত্রে নেই । এও বাবা
বলেছেন যে, কথিত আছে আমি তোমাদের রাজযোগ শিখিয়েছিলাম। এও বুঝিয়েছিলাম যে, এই জ্ঞান
(বংশ) পরম্পরা ধরে চলে আসছে না। বাবা এসে একটি ধর্ম স্থাপন করেন। বাকি আর সব ধর্মের
বিনাশ হয়ে যায়। কোনো শাস্ত্রাদিরই পরম্পরা চলে না। আর যারা ধর্মস্থাপন করতে আসে
সেইসময় কোনো বিনাশ হয় না, যাতে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। ভক্তিমার্গে শাস্ত্র পড়তেই থাকে,
এর(ব্রাহ্মণ ধর্মের) শাস্ত্র অবশ্যই গীতা, কিন্তু সেও রচিত হয় ভক্তিমার্গেই। কারণ
সত্যযুগে তো কোনো শাস্ত্র থাকে না আর অন্যান্য ধর্মের সময় তো বিনাশ হয়ই না। সেইসময়
পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়না যে পুনরায় নতুন হবে। সেটাই চলতে থাকে। বাচ্চারা, এখন
তোমরা বুঝেছ যে, পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের বাবা পড়াচ্ছেন। গায়নও
রয়েছে, এক গীতারই। গীতা-জয়ন্তী পালন করা হয়। বেদ-জয়ন্তী তো হয় না। ভগবান এক, তাই
একজনেরই জন্মদিন পালন করা উচিত। বাকি সব হলো রচনা, তাদের থেকে কিছু প্রাপ্ত হতে পারে
না। উত্তরাধিকার বাবার কাছ থেকেই প্রাপ্ত হয়। চাচা, কাকা ইত্যাদিদের কাছ থেকে কোন
উত্তরাধিকার পাওয়া যায় না। এখন ইনি হলেন তোমাদের অসীম জগতের পিতা, অসীম জগতের
জ্ঞান-প্রদাতা। উনি কোন শাস্ত্রকথা শোনান না। বলেও যে, এসব ভক্তিমার্গের। এইসবের
সারমর্ম তোমাদেরকে বোঝাই। শাস্ত্র কোনো পঠন-পাঠন নয়। পঠন-পাঠনের মাধ্যমে পদ প্রাপ্ত
হয়, বাচ্চাদেরকে বাবা এই পড়া পড়াচ্ছেন। বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে ভগবানুবাচ --- পুনরায়
৫ হাজার বছর পর এমনই ঘটবে। বাচ্চারা জানে যে, আমরা বাবার কাছ থেকে রচয়িতা এবং রচনার
আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে গেছি। বাবা ব্যতীত আর কেউ একথা বোঝাতে পারে না। এই
মুখ-কমল(ব্রহ্মা) দ্বারা শোনান। এ হলো ঈশ্বরের ধার(লোন) করে নেওয়া মুখ, তাই না! যাকে
গো-মুখও বলা হয়। বড়মা তো, তাই না! এঁনার মুখ থেকে জ্ঞানের সংস্করণ (বর্ণন) নির্গত
হয়, না কি জলের। ভক্তিমার্গে আবার গো-মুখ থেকে জল দেখিয়েছে। বাচ্চারা, এখন তোমরা
বোঝ যে, ভক্তিমার্গে কি-কি করে। কতদূর গো-মুখ ইত্যাদিতে যায় জল পান করতে। এখন তোমরা
মানুষ থেকে দেবতায় পরিনত হচ্ছো। এ তো জানো যে -- প্রতিকল্পে বাবা এসে মানুষ থেকে
দেবতায় পরিনত করার জন্য পড়ান। দেখো কীভাবে পড়ান। তোমরা সকলকে বলতে পারো -- ভগবান
আমাদের পড়াচ্ছেন। তিনি বলেন -- মামেকম্ (একমাত্র আমাকেই) স্মরণ করো তাহলেই তোমাদের
বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। তোমরা জানো যে, সত্যযুগে অল্পসংখ্যক মানুষ থাকে। কলিযুগে কত
অসংখ্য মানুষ। বাবা এসে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছেন। আমরা মানুষ থেকে
দেবতায় পরিনত হচ্ছি। মানুষ থেকে দেবতায় পরিনত হওয়া বাচ্চাদের মধ্যে দৈব-গুণ
পরিলক্ষিত হবে। তাদের মধ্যে ক্রোধের সামান্যতম অংশও থাকবে না। যদি কখনও ক্রোধ চলেও
আসে তৎক্ষনাৎ বাবাকে লিখবে যে -- বাবা, আজ আমার দ্বারা এমন ভুল হয়ে গেছে। আমি ক্রোধ
করে ফেলেছি, বিকর্ম করে ফেলেছি। বাবার সঙ্গে তোমাদের কত কানেকশন রয়েছে। বাবা ক্ষমা
করে দাও। বাবা বলবেন, ক্ষমা ইত্যাদি হয় না। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর কোরো না। টিচার কখনো
ক্ষমা করেন না। তিনি রেজিস্টার দেখান -- তোমাদের আচরণ ভদ্র(ম্যানার্স) নয়। অসীম
জগতের পিতাও বলেন -- তোমরা নিজেদের ম্যানার্স দেখছো। প্রত্যহ নিজেদের চার্ট (পোতামেল)
দেখো, কাউকে দুঃখ দাও নি তো! কাউকে বিরক্ত করোনি তো ? দৈব-গুণ ধারণ করতে সময় লাগে,
তাই না! দেহ-অভিমান ছিন্ন করা বড় মুশকিল। যখন নিজেকে দেহী মনে করবে তখন বাবার
প্রতিও ভালবাসা জন্মাবে। আর তা নাহলে দেহের কর্ম-বন্ধনেই বুদ্ধি বাঁধা পড়ে থাকবে।
বাবা বলেন, তোমাদের শরীর নির্বাহের জন্য কর্মও করতে হবে, তারথেকেও সময় বের করতে পারো।
ভক্তির জন্যও তো সময় বের করো, তাই না! মীরা তো কৃষ্ণের স্মরণেই থাকতো, তাই না!
পুনর্জন্ম তো এখানেই নিয়েছে।
বাচ্চারা, এখন তোমাদের এই পুরানো দুনিয়ার থেকে বৈরাগ্য আসে। তারা জানে যে, এই পুরানো
দুনিয়ায় আমরা পুনরায় পুনর্জন্ম নেবোই না। দুনিয়াই সমাপ্ত হয়ে যায়। এইসমস্ত কথা
তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। যেমন বাবার মধ্যে জ্ঞান নিহিত রয়েছে তেমন বাচ্চাদের
মধ্যেও রয়েছে। এই সৃষ্টির চক্র আর কারোর বুদ্ধিতে নেই। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের
ক্রমানুসারে রয়েছে, যাদের বুদ্ধিতে একথা থাকে যে, সর্বোচ্চ হলেন পতিত-পাবন, তিনি
আমাদের পড়ান। এও তোমরাই জানো। তোমাদের বুদ্ধিতে সমগ্র ৮৪-র চক্র রয়েছে। স্মৃতি থাকে
--- এখন এই নরকে আমাদের অন্তিম জন্ম, একে বলা হয় নরকের চরমসীমা। অত্যন্ত নোংরা (খারাপ)
হয়ে গেছে, তাই সন্ন্যাসীরা ঘর-পরিবার পরিত্যাগ করে চলে যায়। ওটা হয়ে গেলো
শরীর-সম্বন্ধীয় কথা। তোমরা সন্ন্যাস নাও বুদ্ধি দ্বারা কারণ তোমরা জানো যে, আমাদের
এখন ফিরে যেতে হবে। সবকিছু ভুলে যেতে হবে। এই পুরানো বিকারী(ছি-ছি) দুনিয়া সমাপ্ত
হয়েই রয়েছে। যখন ঘর পুরানো হয়, নতুন তৈরী করা হয় তখন মনে হয়, তাই না যে -- এই (পুরানো)
ঘর ভেঙেই যাবে। বাচ্চারা, এখন তোমরা পড়ছো, তাই না! তোমরা জানো যে, নতুন দুনিয়া
স্থাপিত হচ্ছে। এখনও সামান্য দেরী আছে। অনেক বাচ্চা এসে পড়বে। নতুন ঘর এখন তৈরী
হচ্ছে, পুরানো (দুনিয়া) ভেঙে যাচ্ছে। এখনও অল্পদিন বাকি রয়েছে। তোমাদের বুদ্ধিতে এই
অসীম জগতের কথা রয়েছে। এখন আমাদের এই পুরানো দুনিয়ায় মন বসে না। এ সবকিছুই শেষে আর
কাজে আসবে না, আমরা এখান থেকে চলে যেতে চাই। বাবাও বলেন, পুরানো দুনিয়ায় মন(হৃদয়)
বসিও না। আমাকে অর্থাৎ বাবাকে আর ঘরকে স্মরণ করো তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। তা নাহলে
অত্যন্ত শাস্তিভোগ করতে হবে। পদভ্রষ্টও হয়ে যাবে। আত্মারা জানে যে, আমরা ৮৪ জন্ম
ভোগ করেছি। এখন বাবাকে স্মরণ করতে হবে, তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। বাবার
মতানুসারে(শ্রীমত) চলতে হবে তবেই জীবন শ্রেষ্ঠ হবে। বাবা হলেন সর্বোচ্চ। এও তোমরাই
জানো। বাবা ভালভাবে স্মরণ করান যে -- সেই অসীম জগতের পিতাই জ্ঞানের সাগর, তিনিই এসে
পড়ান। বাবা বলেন, এই পড়াও পড়ো, আবার শরীর নির্বাহের জন্য সবকিছু করো। কিন্তু
ট্রাস্টী হয়ে থাকো।
যেসকল বাচ্চাদের পুরানো দুনিয়ার থেকে অসীম জগতের বৈরাগ্য আসবে তারা নিজেদের সবকিছু
বাবাকে অর্পণ করে দেবে। কিছুই আমাদের নয়। বাবা এই দেহও আমাদের নয়। এ তো পুরানো দেহ,
একে ত্যাগ করতে হবে, সবকিছু থেকে মোহ-বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। নষ্টমোহ হতে হবে। এ হলো
অসীম জগতের বৈরাগ্য। ওটা হলো পার্থিব জগতের বৈরাগ্য। বুদ্ধিতে রয়েছে যে, আমরা
স্বর্গে গিয়ে নিজেদের মহল তৈরী করবো। এখানকার কোন কিছুই কাজে লাগবে না কারণ
এসবকিছুই পার্থিব জগতের। তোমরা এখন সসীম(হদ) জগৎ থেকে বেরিয়ে অসীম(বেহদ) জগতে গমন
করছো। তোমাদের বুদ্ধিতে সেই অসীম জগতের জ্ঞান থাকা উচিত। এখন আর কারোর দিকে চোখ যেন
ডুবে না যায়। এখন নিজেদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। প্রতিকল্পে বাবা এসে আমাদের পড়িয়ে,
পুনরায় সঙ্গে করে নিয়ে যান। এই পড়া তোমাদের কাছে কোনো নতুন কিছু নয়। তোমরা জানো
যে, প্রতিকল্পে আমরা পড়ি। তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে রয়েছে। সমগ্র দুনিয়ায়
কত অসংখ্য মানুষ রয়েছে, কিন্তু তোমরা কি জানো যে ধীরে-ধীরে এই ব্রাহ্মণদের বৃক্ষ (ঝাড়)
বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে, না তা জানো না। ড্রামা প্ল্যান অনুসারে স্থাপনা হতেই থাকে।
বাচ্চারা জানে, আমাদের গভর্নমেন্ট হলো আধ্যাত্মিক (রুহানী)। আমরা দিব্য-দৃষ্টির
দ্বারা নতুন দুনিয়াকে দেখি। ওখানেই যেতে হবে। ঈশ্বরও এক, পড়ানও তিনিই, রাজযোগ বাবা-ই
শিখিয়েছিলেন। সেইসময়ও অবশ্যই লড়াই হয়েছিল, অনেক ধর্মের বিনাশ, এক ধর্মের স্থাপনা
হয়েছিল। তোমরাও সেখানেই রয়েছো, প্রতিকল্পে তোমরাই পড়ে এসেছো, উত্তরাধিকার নিতে এসেছো।
প্রত্যেককেই নিজ-নিজ পুরুষার্থ করতে হবে। এ হলো অসীম জগতের পঠন-পাঠন। এই শিক্ষা কোনো
মানুষ দিতে পারে না।
বাবা শ্যাম আর সুন্দরের রহস্যও বুঝিয়েছেন। তোমরাও বোঝ যে, আমরা এখন সুন্দর হচ্ছি।
প্রথমে শ্যাম ছিলাম। কৃষ্ণ কি একলাই ছিল, না তা ছিল না। সমগ্র রাজধানীই ছিল, তাই
না! এখন তোমরা জানো যে, আমরা নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হচ্ছি। এখন তোমরা এই নরকের
প্রতি ঘৃণাবোধ করো। এখন তোমরা পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে এসে গেছো। এত অধিকসংখ্যক আসে,
এর থেকেও বেরোবে তারাই যারা কল্প-পূর্বে বেরিয়েছিল। সঙ্গমযুগকেও ভালভাবে স্মরণ করতে
হবে। আমরা পুরুষোত্তম অর্থাৎ মানুষ থেকে দেবতায় পরিনত হচ্ছি। মানুষ তো এও বোঝে না
যে, নরক কি আর স্বর্গ কি ? তারা বলে, সবকিছুই এখানে, যে সুখী সে স্বর্গে রয়েছে আর
যে দুঃখী সে নরকে রয়েছে। অনেক মত-মতান্তর রয়েছে, তাই না! এক ঘরেও অনেক মতান্তর হয়ে
যায়। সন্তানাদির সঙ্গে মোহের তার সংযুক্ত হয়ে থাকে , তা সহজে ছিন্ন হতে চায় না।
মোহের বশে তারা বুঝতে পারে না যে আমরা কিভাবে থাকি। তারা জিজ্ঞাসা করে যে, সন্তানের
বিবাহ করাবো কী ? কিন্তু বাচ্চাদের এই নিয়মও বোঝানো হয় যে, একদিকে তোমরা স্বর্গবাসী
হওয়ার জন্য জ্ঞান অর্জন করছো আর অন্যদিকে জিজ্ঞাসা করছো যে, ওদের(সন্তানদের) নরকে
পাঠাবো কী ? জিজ্ঞাসা যখন করছো তখন বাবা বলবেন -- যাও, গিয়ে তা করো। বাবাকে জিজ্ঞাসা
করলে বাবা বোঝান যে, এদের মোহ রয়েছে। এখন 'না' বললেও কথার অবজ্ঞা করবে। কন্যাদের তো
করাতেই হবে, তা নাহলে সঙ্গদোষে খারাপ হয়ে যায়। পুত্রদের নাও করাতে পারো। কিন্তু
সাহস চাই, তাই না! বাবা এঁনাকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন, তাই না! এঁনাকে দেখে আবার
অন্যরাও করতে শুরু করেছে। ঘরেও অনেক ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। এ হলোই লড়াই-ঝগড়ার জগৎ,
কাঁটার জঙ্গল, তাই না! পরস্পরকে আঘাত করতে থাকে। স্বর্গকে বলা হয় বাগিচা। এ হলো
জঙ্গল। বাবা এসে কাঁটা থেকে ফুলে পরিনত করেন। অতি সামান্যই(বিরল) বেরোয়, যদিও
প্রদর্শনীতে হ্যাঁ-হ্যাঁ করে কিন্তু বোঝে না কিছুই। এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে
বের করে দেয়। রাজধানী স্থাপন করতে সময় লাগে, তাই না! মানুষ নিজেকে কাঁটা মনে করে
কী, না করে না। যদিও এইসময় চেহারা মানুষের মতন, কিন্তু চরিত্র বাঁদরের থেকেও খারাপ।
কিন্তু নিজেদের এমন মনে করে না তাই বাবা বলেন, নিজের রচনাকে বোঝাতে হবে। যদি না বোঝে
তাহলে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু সেই শক্তিও তো চাই, তাই না! মোহ-রূপী কীট (পোকা)
এমনভাবে ধরে যে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। এখানে নষ্টমোহ হতে হবে। আমার তো একজনই
রয়েছে, দ্বিতীয় আর কেউ নেই। এখন বাবা এসেছেন ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। পবিত্র হতে হবে। তা
নাহলে অত্যধিক শাস্তিভোগ করতে হবে, পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। এখন নিজেকে সতোপ্রধান
বানানোর চিন্তাও রয়েছে। শিবের মন্দিরে গিয়ে তোমরা বোঝাতে পারো -- ঈশ্বর ভারতকে
স্বর্গের মালিক করেছিলেন, এখন পুনরায় তিনি তা করছেন, তিনি শুধু বলেন, মামেকম্
স্মরণ করো। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) এই
পুরানো দুনিয়ার থেকে অসীম জগতের বৈরাগী হয়ে নিজের সবকিছু অর্পণ করে দিতে হবে। কিছুই
আমার নয়, এই দেহও আমার নয়। এর থেকে মোহ ছিন্ন করে নষ্টমোহ হতে হবে।
২) কখনো এমন কোনো ভুল
করবে না যাতে রেজিস্টারে দাগ লেগে যায়। সব দৈব-গুণ ধারণ করতে হবে, অন্তরে ক্রোধের
সামান্যতম অংশও যেন না থাকে।
বরদান:-
ডবল
লাইট হয়ে সকল সমস্যাকে হাইজাম্পের দ্বারা অতিক্রমকারী তীব্র পুরুষার্থী ভব
সর্বদা নিজেকে অমূল্য
রত্ন মনে করে বাপদাদার হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকো অর্থাৎ সর্বদা বাবার স্মরণে সমায়িত থাকো,
তবেই কোনো বিষয়ে (কথায়) অসুবিধা অনুভব করবে না, সর্বপ্রকারের চাপ (বোঝা) সমাপ্ত হয়ে
যাবে। এই সহজযোগের মাধ্যমে ডবল লাইট হয়ে, পুরুষার্থে হাইজাম্প দিয়ে তীব্র পুরুষার্থী
হয়ে যাবে। যখনই কোনো অসুবিধা অনুভূত হবে তৎক্ষনাৎ বাবার সম্মুখে বসে যাও আর
বাপদাদার বরদানী-হস্ত নিজের উপরে অনুভব করো, এতে সেকেন্ডে সর্ব সমস্যার সমাধান পেয়ে
যাবে।
স্লোগান:-
সহযোগের শক্তি অসম্ভব বিষয়কেও সম্ভব করে দেয়, এটাই হলো সুরক্ষা-দুর্গ