17.07.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সম্পূর্ণ জ্ঞানের সারাংশ আছে, তাই তোমাদের চিত্রের দরকার নেই,
তোমরা বাবাকে স্মরণ করো এবং অন্যদেরও করাও"
প্রশ্নঃ -
শেষ সময়ে
বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে কোন্ জ্ঞানটি থাকবে ?
উত্তরঃ -
সেই সময়ে বুদ্ধিতে থাকবে যে, এখন আমরা ফিরে যাই নিজধাম। তারপরে সেখান থেকে নেমে আসবো
চক্রে। ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামবো তারপরে বাবা আসবেন উত্তরণ কলায় নিয়ে যেতে।
এখন তোমরা জানো আমরা সূর্যবংশী ছিলাম পরে চন্দ্রবংশী হই.... এতে চিত্রের দরকার নেই
।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা,
আত্ম অভিমানী হয়ে বসে আছো ? ৮৪-র চক্র বুদ্ধিতে আছে অর্থাৎ ভ্যারাইটি জন্মের জ্ঞান
আছে। বিরাট রূপের চিত্র আছে না। এই জ্ঞানও বাচ্চাদের আছে যে কীভাবে আমরা ৮৪ জন্ম
গ্রহণ করি। মূল বতন থেকে সর্ব প্রথমে দেবী-দেবতা ধর্মে আসি। এই জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে,
এতে চিত্রের দরকার নেই। আমাদের কোনো চিত্র ইত্যাদি স্মরণ করতে হবে না। শেষ সময়ে শুধু
এইটুকু স্মরণে থাকবে আমরা আত্মা, মূল বতনের নিবাসী, এখানে আমাদের পার্ট আছে। এই কথা
ভুলবে না। এইসব মনুষ্য সৃষ্টি চক্রের কথা যা খুবই সিম্পল। এতে চিত্রের একেবারেই
প্রয়োজন নেই কারণ এই চিত্র ইত্যাদি সবই হল ভক্তি মার্গের বস্তু। জ্ঞান মার্গে আছে
শুধু পড়াশোনা। পড়াশোনাতে চিত্রের দরকার নেই। এই চিত্রগুলিকে শুধু কারেক্ট করা হয়েছে।
তারা যেমন বলে যে গীতার ভগবান হলেন কৃষ্ণ, আমরা বলি শিব। এই কথাও বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে
হবে। বুদ্ধিতে এই জ্ঞান থাকে যে আমরা ৮৪-র চক্র পরিক্রমা করেছি। এখন আমাদের পবিত্র
হতে হবে। পবিত্র হয়ে আবার নতুন করে পরিক্রমা করবো। এই হল সারাংশ, যা বুদ্ধিতে রাখতে
হবে। যেমন বাবার বুদ্ধিতে আছে বিশ্বের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বা ৮৪ জন্মের চক্র কীভাবে
আবর্তিত হয়, ঠিক তেমনই তোমাদের বুদ্ধিতে আছে প্রথমে আমরা সূর্যবংশী তারপরে
চন্দ্রবংশী হই। চিত্রের দরকার নেই। শুধু মানুষকে বোঝানোর জন্য এই চিত্র গুলি বানানো
হয়েছে। জ্ঞান মার্গে বাবা শুধু বলেন - "মন্মনাভব" । যেমন এই হল চতুর্ভূজের চিত্র,
রাবণের চিত্র, এই সবই বোঝানোর জন্য দেখানো হয়। তোমাদের বুদ্ধিতে তো যথার্থ জ্ঞান আছে।
তোমরা চিত্র ছাড়াও বোঝাতে পারো। তোমাদের বুদ্ধিতে ৮৪-র চক্র আছে। চিত্রের দ্বারা
শুধু সহজ করে বোঝানো হয়, এইসবের দরকার নেই। বুদ্ধিতে আছে প্রথমে আমরা সূর্য বংশী
কুলের ছিলাম পরে চন্দ্রবংশী কুলের হই। সেখানে অনেক সুখ, যার নাম স্বর্গ, এই সব
চিত্র দ্বারা বোঝানো হয়। শেষ সময়ে বুদ্ধিতে এই জ্ঞান থাকবে। এখন আমরা ফিরে যাই, পরে
এসে চক্র পরিক্রমা করবো। সিঁড়ি র চিত্রে বোঝানো হয়, যাতে মানুষ সহজে বুঝতে পারে।
তোমাদের বুদ্ধিতে এই জ্ঞানও আছে যে কীভাবে আমরা সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসি। তারপরে
বাবা উত্তরণ কলায় নিয়ে যান। বাবা বলেন আমি তোমাদের এইসব চিত্রের সারাংশ বুঝিয়ে বলি।
যেমন বিশ্ব গোলকের চিত্রটি দেখিয়ে বোঝাতে পারো - এই হল ৫ হাজার বছরের চক্র। যদি
লক্ষ বছর হতো তাহলে অসংখ্য বৃদ্ধি হয়ে যেতো। খ্রিষ্টানদের দেখানো হয় ২ হাজার বছর।
এতে কত মানুষ থাকে। ৫ হাজার বছরে কত মানুষ থাকে। এই সম্পূর্ণ হিসেব তোমরা বলো।
সত্যযুগে পবিত্র হওয়ার দরুন কম মানুষ থাকে। এখন তো অসংখ্য আছে। লক্ষ বছরের আয়ু হলে
তো সংখ্যাও হয়ে যাবে অগুনতি। খ্রিস্টানদের মতন মানুষের সংখ্যার হিসেব তো করা হয়।
হিন্দুদের সংখ্যা কম দেখানো হয়। অনেকে খ্রিস্টান হয়ে গেছে। যারা খুব বুদ্ধিমান
বাচ্চারা আছে, চিত্র ছাড়াও বোঝাতে পারে। বিচার করো যে এখন কত অসংখ্য মানুষ আছে।
নতুন দুনিয়ায় মানুষ খুব কম থাকবে। এখন তো পুরানো দুনিয়া, যেখানে এত মানুষ আছে।
তারপরে নতুন দুনিয়া কীভাবে স্থাপন হয়। কে স্থাপন করে, এইসব কথা বাবা বোঝান। তিনি ই
হলেন জ্ঞানের সাগর। বাচ্চারা, তোমাদের এই ৮৪-র চক্রটি বুদ্ধিতে রাখতে হবে। এখন আমরা
নরক থেকে স্বর্গে যাই, তাই খুশীর অনুভব তো হবে তাইনা। সত্যযুগে দুঃখের কোনো
ব্যাপারই নেই। এমন কোনো অপ্রাপ্ত বস্তু নেই যা প্রাপ্তির জন্য পুরুষার্থ করতে হবে।
এখানে পুরুষার্থ করতে হয়। এই মেশিন চাই, ওই চাই....সেখানে তো সর্ব সুখ বিদ্যমান।
যেমন কোনো মহারাজার কাছে সর্ব সুখ বিদ্যমান থাকে। গরীবের কাছে সর্ব সুখ থাকে না।
কিন্তু এই হল কলিযুগ, তাই অসুখ ইত্যাদি সবই আছে। এখন তোমরা পুরুষার্থ করো নতুন
দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য। স্বর্গ-নরক সবই এখানে আছে।
এই সূক্ষ্ম বতনের যা যাতায়াত চলে, সেসব হল সময় কাটানোর জন্য। যতক্ষণ না কর্মাতীত
অবস্থা হবে ততক্ষণ সময় কাটানোর জন্য এই হল খেলাধূলা করার ব্যবস্থা। কর্মাতীত অবস্থা
এলেই, ব্যস। তোমাদের এই কথা স্মরণে থাকবে আমরা আত্মা এখন ৮৪ জন্ম পূর্ণ করে, এখন
ফিরে যাই আত্মার নিজ ধাম। পরে এসে সতোপ্রধান দুনিয়ায় সতোপ্রধান পার্ট প্লে করবো। এই
জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে, এতে চিত্র ইত্যাদির দরকার নেই। যেমন ব্যারিস্টারি পড়ে
ব্যারিস্টার হয়ে গেলে সব পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়। রেজাল্ট প্রাপ্ত হলেই প্রালব্ধ
প্রাপ্তি হয়। তোমরাও পড়া করে রাজত্ব করবে। সেখানে জ্ঞানের দরকার নেই। এই চিত্র
গুলিতেও ভুল ঠিক কি আছে, সবই তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। বাবা বসে বোঝান, লক্ষ্মী-নারায়ণ
কে ? বিষ্ণু কি ? বিষ্ণুর চিত্র দেখে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। না বুঝে পূজা করলে সেসব
বিফল হয়ে যায়, কিছুই বোঝে না। যেমন বিষ্ণুকে বোঝে না, লক্ষ্মী-নারায়ণকেও বোঝে না।
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করকেও বোঝে না। ব্রহ্মা তো হলেন এখানে, ইনি পবিত্র হয়ে শরীর
ত্যাগ করে চলে যাবেন। এই পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য আছে। এখানকার কর্ম বন্ধন
দুঃখ প্রদানকারী । এখন বাবা বলেন নিজ ধামে ফিরে চলো। সেখানে দুঃখের নাম-গন্ধ থাকবে
না। প্রথমে তোমরা নিজ ধামে ছিলে পরে রাজধানী অর্থাৎ স্বর্গে এসেছো, এখন বাবা আবার
এসেছেন পবিত্র করতে। এই সময় মানুষের ভোজন খুবই খারাপ। মানুষ অখাদ্য গুলি খায়। সেখানে
দেবতারা এমন অখাদ্য ভোজন গ্রহণ করে না। ভক্তি মার্গে দেখো কেমন মানুষেরও বলি দেওয়া
হয়। বাবা বলেন - এইসব হল ড্রামা। পুরানো দুনিয়া থেকে নতুন দুনিয়া হবে নিশ্চয়ই। এখন
তোমরা জানো - আমরা সতোপ্রধান হচ্ছি। এই কথা তো বুদ্ধি জানে , এতে চিত্র না থাকলেই
ভালো। চিত্র থাকলেই মানুষ অনেক প্রশ্ন করে। বাবা ৮৪ জন্মের চক্র বুঝিয়েছেন। আমরা
এইরকম সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী, বৈশ্যবংশী হই, এত গুলি জন্ম গ্রহণ করি। এইসব বুদ্ধিতে
রাখতে হয়। তোমরা বাচ্চারা সূক্ষ্ম বতনের রহস্যও বুঝেছো, যোগে সূক্ষ্ম বতনে যাও,
কিন্তু এতে যোগও নেই, জ্ঞানও নেই। এই হল শুধু একটি নিয়ম। বোঝানো হয়, কীভাবে আত্মাকে
ডাকা হয় তারপরে যখন আসে তখন চোখের জল ফেলে, অনুতাপ হয়, আমরা বাবার কথা অমান্য করেছি।
এইসব বোঝানো হয় যাতে বাচ্চারা পুরুষার্থ করে, গাফিলতি না করে। বাচ্চারা, সর্বদা এই
অ্যাটেনশন রাখবে যে, আমাদেরকে নিজের সময় সফল করতে হবে, নষ্ট করবে না তাহলে মায়া
গাফিলতি করাতে পারবে না। বাবাও বোঝাতে থাকেন - বাচ্চারা সময় নষ্ট করবে না। অনেককে
পথ বলে দেওয়ার পুরুষার্থ করো। মহাদানী হও। বাবাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে।
যে আসবে তাকেই বোঝাও এবং ৮৪-র চক্রের বিষয়ে বলো। বিশ্বের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কীভাবে
রিপিট হয়, নাটসেল বা সারাংশে সম্পূর্ণ চক্র বুদ্ধিতে থাকা উচিত।
বাচ্চারা, তোমাদের খুশী থাকা উচিত যে, এখন আমরা এই অশুদ্ধ দুনিয়া থেকে মুক্ত হই।
মানুষ ভাবে স্বর্গ-নরক সবই এইখানে। যাদের ধন আছে তারা ভাবে স্বর্গে আছি। সু-কর্মের
ফল হল সুখ প্রাপ্তি। এখন তোমরা শ্রেষ্ঠ করো যার ফল রূপে ২১ জন্মের জন্য সুখ প্রাপ্ত
করো। তারা তো কেবল এক জন্মের জন্য ভাবে স্বর্গে আছি। বাবা বলেন - এসব হল অল্প কালের
সুখ, তোমাদের হল ২১ জন্মের। যার জন্য বাবা বলেন সবাইকে পথ বলে দাও। বাবার স্মরণ
দ্বারা সুস্থ থাকবে এবং স্বর্গের মালিক হবে। স্বর্গে আছে রাজত্ব। স্বর্গকেও স্মরণ
করো। রাজত্ব ছিল, এখন নেই। ভারতেরই কথা। বাকি সব হল বাইপ্লট। শেষ সময়ে সবাই ফিরে
যাবো তারপরে আমরা আসবো নতুন দুনিয়ায়। এখন এই কথা বোঝাতে চিত্রের দরকার নেই। এই কথা
শুধু বোঝানোর জন্য মূল বতন, সূক্ষ্ম বতন দেখানো হয়। বোঝানো হয় যদিও এইসব চিত্র
ইত্যাদি ভক্তি মার্গের মানুষ বানিয়েছে। অতএব আমাদেরও কারেক্ট করে বানাতে হয়। তা
নাহলে বলবে তোমরা ঈশ্বরে অবিশ্বাসী তাই কারেক্ট করে বানানো হয়। ব্রহ্মা দ্বারা
স্থাপনা, শঙ্কর দ্বারা বিনাশ...বাস্তবে এইসব হল ড্রামাতে পূর্ব নির্দিষ্ট। কেউ কিছু
করে না। বিজ্ঞানী রা নিজের বুদ্ধি দিয়ে এইসব বানিয়েছে। যতই সবাই বলুক বোমা তৈরি কোরো
না কিন্তু যাদের কাছে অঢেল আছে তারা সেসব সমুদ্রে ফেলে দিলে অন্যরা কেউ আর বানাবে
না। তারা রাখলে অন্যরাও বানাবে নিশ্চয়ই। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো সৃষ্টির বিনাশ তো
অবশ্যই হবে। যুদ্ধ তো নিশ্চয়ই হবে। বিনাশ হয়, তারপরে তোমরা নিজের রাজ্য প্রাপ্ত করো।
এখন বাবা বলছেন - বাচ্চারা, সকলের কল্যাণকারী হও।
বাচ্চাদের নিজের উঁচু ভাগ্য নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাবা শ্রীমৎ প্রদান করেন- মিষ্টি
বাচ্চারা, নিজের সব কিছু দীন নাথের নামে সফল করে নাও। কারো ধূলায় মিশে যায়, কারো
রাজা খায়...। দীন নাথ (বাবা) নিজে বলেন - বাচ্চারা, এতে খরচ করো, এই রূহানী বা
আত্মিক হাসপাতাল, ইউনিভার্সিটি খোলো তাহলে অনেকের কল্যাণ হয়ে যাবে। দীন নাথের নামে
তোমরা ধন দান করো সেসব তোমরা আবার ২১ জন্মের জন্য রিটার্ন পেয়ে যাও। এই দুনিয়া শেষ
হবে তাই দীন নাথের নাম যতখানি সম্ভব সফল করো। দীন নাথ হলেন শিববাবা তাইনা। ভক্তি
মার্গেও দীননাথের নামে সর্বস্ব অর্পণ করা হত। এখন তো হল ডাইরেক্ট। দীন নাথের নামে
বিরাট ইউনিভার্সিটি খুলতে থাকো তাহলে অনেকের কল্যাণ হয়ে যাবে। ২১ জন্মের জন্য
রাজ্য-ভাগ্য পেয়ে যাবে। তা নাহলে ধন-সম্পদ সবই শেষ হয়ে যাবে। ভক্তি মার্গে শেষ হয়
না। এখন তো শেষ হবে। তোমরা খরচ করো, পরে তোমরাই রিটার্ন পাবে। দীন নাথের নামে সকলের
কল্যাণ করো তাহলে ২১ জন্মের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। কত ভালো করে বোঝান তবু যাদের
ভাগ্যে আছে তারাই খরচ করতে থাকে। নিজের পরিবারের দেখাশোনাও করতে হবে। এনার (ব্রহ্মা
বাবার) এমনই পার্ট ছিল। খুব গভীর ভাবে নেশা হয়েছিল। বাবা বাদশাহী দেন তাহলে লৌকিক
সংসার যাত্রা নিয়ে কি করবে! তোমরা সবাই বাদশাহী নেওয়ার জন্য বসে আছো তো ফলো করো,
তাইনা। জানো তো ইনি কীভাবে সব ত্যাগ করেছেন। নেশা হয়ে যায়, ওহো! রাজত্ব প্রাপ্ত হয়,
অল্ফ পেয়েছে আল্লাহ তো বে (অংশীদার) -কেও রাজত্ব প্রদান করেছে। রাজত্ব কোনো কম নয়।
খুব ভালো ফলদায়ী ব্যবসা ছিল। এখন তোমরা এই রাজত্ব প্রাপ্ত করছো, তাহলে অনেকের
কল্যাণ করো। প্রথমে ভাট্টি তৈরি হয়েছিল তখন কেউ পরিপক্ক হয়ে গেল, কেউ কাঁচা থেকে
গেল। গভর্নমেন্ট নোট বানালে সঠিকভাবে তৈরি না হলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হয়। পূর্বে তো
রৌপ্য মুদ্রা চলতো। সোনা রুপা অনেক ছিল। এখন কি অবস্থা হয়েছে। কারো ধন রাজা খেয়ে
নেয়, কারো ডাকাত নিয়ে যায়, ডাকাতিও অনেক হয়। দুর্ভিক্ষও হবে। এই হল রাবণ রাজ্য। রাম
রাজ্য সত্যযুগকে বলা হয়। বাবা বলেন তোমাদের এমন উঁচু স্থান প্রদান করি তবুও এমন
কাঙাল হও কীভাবে! এখন তোমরা বাচ্চারা এত নলেজ পেয়েছো ফলে খুশী তো হওয়াই উচিত।
দিন-দিন খুশী বৃদ্ধি পাবে। যাত্রায় যত কাছে থাকবে ততই খুশী অনুভব হবে। তোমরা জানো
শান্তিধাম- সুখধাম সামনে হাজির আছে। বৈকুণ্ঠের বৃক্ষ দেখা যাচ্ছে। ব্যস, এবারে পৌঁছে
যাবো। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণ স্নেহ ও গুডমর্নিং।
ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের সময় সফল করার প্রতি সজাগ থাকতে হবে। মায়া যাতে গাফিলতি না করাতে পারে- তার
জন্য মহাদানী হয়ে অনেককে পথ বলে দেওয়ার সেবায় ব্যস্ত থাকতে হবে।
২ ) নিজের ভাগ্য উঁচু করার চেষ্টায় দীননাথের নামে সর্বস্ব সফল করতে হবে। আত্মিক বা
রূহানী ইউনিভার্সিটি খুলতে হবে।
বরদান:-
কঠিন
নিয়ম এবং দৃঢ় সঙ্কল্প দ্বারা আলস্য ভাব সমাপ্ত করে ব্রহ্মা বাবার মতন অক্লান্ত ভব
ব্যাখা: ব্রহ্মা
বাবার মতন অক্লান্ত হওয়ার জন্য আলস্য ভাব সমাপ্ত করো। এর জন্য কঠিন নিয়ম বানাও। দৃঢ়
সঙ্কল্প করো, অ্যাটেনশন রূপী পাহারাদার সর্বদা অ্যালার্ট থাকলে আলস্য ভাব সমাপ্ত হয়ে
যাবে। প্রথমে স্ব-এর উপরে পরিশ্রম করো তারপরে সেবায়, তখন ধরিত্রী পরিবর্তিত হবে।
এখন শুধু "করে নেবো, হয়ে যাবে" এইসব আরামের সংকল্পের ডানলপ (আরামের গদি) ত্যাগ করো।
করতেই হবে, এই স্লোগান স্মরণে থাকলে তবেই পরিবর্তন হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
সমর্থ
বাণীর চিহ্ন হল - যে বাণীতে আত্মিক ভাব এবং শুভ ভাবনা থাকে ।