21.07.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
বাবা তোমাদের পড়াচ্ছেন সুন্দর দেবী - দেবতা বানানোর জন্য, এই সৌন্দর্যের আধার হলো
পবিত্রতা"
প্রশ্নঃ -
আত্মিক
বহ্নিশিখার উপর যে বহ্নিপতঙ্গ নিজেকে নিবেদন করে, তাদের নিদর্শন কি হবে ?
উত্তরঃ -
নিবেদিত হওয়া বহ্নিপতঙ্গ ---- ১) বহ্নিশিখা যাই হোক বা যেমনই হোক, তাঁকে যথার্থ রূপে
জানে আর স্মরণ করে, ২) নিবেদিত হওয়া অর্থাৎ বাবা সম হওয়া, ৩) নিবেদিত হওয়া অর্থাৎ
বাবার থেকেও উঁচু রাজত্বের অধিকারী হয়ে যাওয়া ।
গীতঃ-
আসরে জ্বলে
উঠল বহ্নিশিখা/ পতঙ্গের পুড়ে মরা তাহাতে লেখা
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি -
মিষ্টি আত্মিক সন্তানরা এই গানের লাইন শুনেছে । এ কথা কে বোঝান ? আত্মাদের পিতা ।
তিনি বহ্নিশিখাও । তাঁর অনেক নাম রাখা হয়েছে । বাবার অনেক স্তুতিও করা হয় । এও তো
পরমপিতা পরমাত্মার স্তুতি, তাই না বাবা বহ্নিশিখা হয়ে এসেছেন বহ্নি পতঙ্গদের জন্য ।
বহ্নিপতঙ্গ যখন বহ্নিশিখাকে দেখে তখন তাঁর প্রতি নিবেদিত প্রাণ হয়ে শরীর ত্যাগ করে
। অনেক বহ্নি পতঙ্গ থাকে যারা বহ্নি শিখার কাছে নিজেকে সমর্পণ করে । এরমধ্যেও যখন
বিশেষ করে দীপমালা উৎসব হয়, অনেক আলো জ্বলে, তখন ছোটো ছোটো পতঙ্গ অনেক রাতে মারা
যায় । বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, আমাদের বাবা হলেন সুপ্রীম আত্মা তাঁকে হুসেনও
বলা হয়তিনি খুব সুন্দর, কেননা তিনি চির পবিত্র । আত্মা যখন পবিত্র হয়ে যায়, তখন
তার শরীরও পবিত্র এবং স্বাভাবিক সৌন্দর্য পায় । শান্তিধামে আত্মারা পবিত্র থাকে,
তারপর যখন এখানে অভিনয় করতে আসে তখন সতোপ্রধান থেকে সতো, রজঃ এব্ং তমঃতে আসে ।
তারপর সুন্দর থেকে শ্যাম, কালো, অপবিত্র হয়ে যায় । আত্মা যখন পবিত্র হয়, তখন তাকে
স্বর্ণ যুগের বলা হয় । সে তখন শরীরও স্বর্ণযুগের প্রাপ্ত করে । দুনিয়াও পুরানো
আবার নতুন হয় । সেই সুন্দর পরমপিতা পরমাত্মা, যাঁকে মানুষ ভক্তিমার্গে ডাকতে থাকে
-- হে শিববাবা, সেই নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা এখন এসেছেন । তিনি আত্মাদের অপবিত্র
থেকে পবিত্র, সুন্দর করেন । এমন নয় যে, আজকাল যারা খুব সুন্দর, তাদের আত্মাই পবিত্র
॥ তা নয় । যদিও শরীর সুন্দর, কিন্তু আত্মা তো পতিত, তাই না । বিলেতে কতো সুন্দর
দেখতে হয় । তোমরা জানো যে, এই লক্ষ্মী - নারায়ণের হলো সত্যযুগের সৌন্দর্য, আর এখানে
হলো নরকের সৌন্দর্য । আমরা এখন স্বর্গের জন্য স্বাভাবিক সুন্দর তৈরী হচ্ছি । একুশ
জন্মের জন্য আমরা এমন সুন্দর তৈরী হবো । এখানকার সৌন্দর্য তো এক জন্মের জন্য । এখানে
এখন বাবা এসেছেন, তিনি সম্পূর্ণ দুনিয়ার কেবল মানুষই নয় সম্পূর্ণ দুনিয়াকেই সুন্দর
বানান । সত্যযুগ, নতুন দুনিয়াতে ছিলো সুন্দর দেবী - দেবতা । সেই দেবী - দেবতা
হওয়ার জন্য তোমরা এখন পড়ছো । বাবাকে বহ্নি পতঙ্গও বলা হয়, কিন্তু তিনি পরম আত্মা
। তোমাদের যেমন আত্মা বলা হয়, তেমনই তাঁকে পরম আত্মা বলা হয় । বাচ্চারা, তোমরা
বাবার মহিমা করো, বাবাও আবার বাচ্চাদের মহিমা করেন, তোমাদের আমি এমন বানাই যে, আমার
থেকে তোমাদের পদ উচ্চ হয় । আমি যা, বা যেমন, যেভাবে আমি অভিনয় করি, তা আর কেউই জানে
না । বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, কিভাবে আমরা আত্মারা অভিনয় করার জন্য পরমধাম থেকে
আসি । আমরা এতকাল শূদ্র কুলে ছিলাম, এখন আমরা ব্রাহ্মণ কুলে এসেছি । এও হলো তোমাদের
বর্ণ, অন্য ধর্মের আত্মাদের জন্য এই বর্ণ নয় । তাদের কোনো বর্ণ থাকে না । তাদের তো
একই বর্ণ, ক্রিশ্চিয়ানই চলে আসছে ॥ হ্যাঁ, তাদের মধ্যেও সতো, রজঃ এবং তমঃতে আসে ।
বাকি এই বর্ণ হলো তোমাদের জন্য । এই সৃষ্টিও সতো, রজঃ এবং তমঃতে আসে । এই
সৃষ্টিচক্র অসীম জগতের বাবা বসে বোঝান । যে বাবা জ্ঞানের সাগর, পবিত্রতার সাগর, তিনি
নিজেই বলেন, আমি পুনর্জন্ম গ্রহণ করি না । যদিও শিব জয়ন্তী পালন করা হয়, কিন্তু
মানুষ এও জানে না যে, তিনি কবে আসেন । তাঁর জীবন কাহিনীকেও জানে না । বাবা বলেন, আমি
যা বা যেমন, আমার মধ্যে কি পার্ট আছে, সৃষ্টি চক্র কিভাবে ঘোরে - বাচ্চারা, আমি
তোমাদের কল্পে - কল্পে বোঝাই । তোমরা জানো যে, তোমরা সিঁড়ি নামতে নামতে তমোপ্রধান
হয়ে গেছো । তোমরাই ৮৪ জন্মগ্রহণ করো । পরের দিকেও যারা আসে, তাদেরও সতো, রজঃ এবং
তমঃতে আসতে হয় । তোমরা যখন তমোপ্রধান হও, তখন সম্পূর্ণ দুনিয়া তমোপ্রধান হয়ে যায়
। তোমাদের আবার অবশ্যই তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে । এই সৃষ্টিচক্র ঘুরতে থাকে
এখন হলো কলিযুগ এরপর আবার সত্যযুগ আসবে । কলিযুগের আয়ু এখন সম্পূর্ণ হয়েছে । বাবা
বলেন যে, বাচ্চারা, আমি সাধারণের শরীরে হুবহু পূর্ব কল্পের মতো প্রবেশ করেছি
তোমাদের রাজযোগ শেখানোর জন্য । যোগ তো আজকাল অনেক । ব্যারিস্টারি যোগ, ইঞ্জিনিয়রিং
যোগ..... । ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ব্যারিস্টারের সঙ্গে বুদ্ধির যোগ লাগাতে হয় ।
আমি ব্যারিস্টার তৈরী হচ্ছি তাই যিনি পড়ান তাকে তো স্মরণ করে । ওদের তো বাবা আলাদা,
গুরুও থাকবে, তাঁকেও তারা স্মরণ করবে । তাও ব্যরিস্টারের সঙ্গে বুদ্ধির যোগ থাকে ।
আত্মাই পড়ে, আবার আত্মাই শরীরের দ্বারা জজ, ব্যারিস্টার ইত্যাদি তৈরী হয় ।
বাচ্চারা, এখন তোমরা আত্ম - অভিমানী হওয়ার সংস্কার নিজের মধ্যে ভরতে থাকো ॥ অর্ধেক
কল্প তোমরা দেহ বোধে ছিলে বাবা এখন বলছেন, তোমরা দেহী - অভিমানী হও । আত্মার মধ্যেই
পড়ার সংস্কার থাকে মনুষ্য আত্মাই জজ হয়, আমরা এখন বিশ্বের মালিক দেবতা হচ্ছি, পড়ান
একমাত্র শিববাবা, পরম আত্মা । তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর, শান্তি, সম্পত্তির সাগর ।
এও দেখানো হয় যে, সাগর থেকে রত্নের থলি বের হয় । এ হলো ভক্তি মার্গের কথা । বাবাকে
রেফার করতে হয় । বাবা বোঝান যে, এ হলো অবিনাশী জ্ঞান রত্ন । এই জ্ঞান রত্নের দ্বারা
তোমরা অনেক বিত্তবান হও, এরপর তোমরা অনেক হীরে জহরত পাও । এই এক একটি রত্ন হলো লাখ
টাকার সমান, যা তোমাদের এতটা বিত্তবান বানায় । তোমরা জানো যে, ভারতই নির্বিকারী
দুনিয়া ছিলো । সেখানে পবিত্র দেবতারা ছিলো । এখন সকলেই অপবিত্র হয়ে গেছে । আত্মা
আর পরমাত্মার মেলা হয় । আত্মা শরীরে থাকে, তখনই শুনতে পায় । পরমাত্মাও শরীরেই আসেন
। আত্মা আর পরমাত্মার ঘর হলো শান্তিধাম । সেখানে কোনো শব্দ থাকে না । এখানে পরমাত্মা
বাবা এসে বাচ্চাদের সঙ্গে মিলিত হন । এখানে তিনি শরীরে মিলিত হন । ওখানে বিশ্রামে
থাকেন । বাচ্চারা, এখন তোমরা পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে আছো । বাকি দুনিয়া কলিযুগে আছে
। বাবা তোমাদের বসে বোঝান, ভক্তি মার্গে খরচা করে, চিত্রও অনেক বানায় । বড় বড়
মন্দির বানায় । না হলে কৃষ্ণের চিত্র তো ঘরেও রাখতে পারে । চিত্র তো অনেক সস্তা,
তবুও এতো দূরে দূরে মন্দিরে কেন যায় ? সে হলো ভক্তিমার্গ । সত্যযুগে এই মন্দির
ইত্যাদি থাকে না । সেখানে সকলেই পূজ্য । কলিযুগে সকলেই পূজারী । তোমরা এখন সঙ্গম
যুগে পবিত্র দেবতা তৈরী হচ্ছো । তোমরা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছো । এই সময় তোমাদের এই
অন্তিম পুরুষার্থী শরীর অনেক মূল্যবান । এই শরীরে তোমরা অনেক উপার্জন করো । অসীম
জগতের পিতার সঙ্গেই তোমরা খাওয়াদাওয়া করো । তাঁকেই তোমরা ডাকো । তোমরা এমন বলো না
যে, কৃষ্ণের সঙ্গে খাবো । বাবাকে তোমরা স্মরণ করো যে - তুমিই মাতা - পিতা, বালক তো
বাবার সঙ্গেই খেলতে থাকে । আমরা কৃষ্ণের সন্তান, এমন কথা বলবে না । সকল আত্মাই
পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান । আত্মা শরীরের দ্বারাই বলে যে --- আপনি যখন আসবেন, তখন
আমরা আপনার সঙ্গেই খেলা করবো, খাবো, সবকিছুই করবো । তোমরা এমনই বলো যে, বাপদাদা ।
তাহলে তো পরিবার হয়ে গেলো । বাপদাদা আর বাচ্চা । এই ব্রহ্মা হলেন অসীম জগতের রচয়িতা
। বাবা এনার মধ্যে প্রবেশ করে এনাকে দত্তক নেন । এনাকে বলেন যে, তুমি আমার । এ হলো
মুখ বংশাবলী । স্ত্রীকে যেমন অ্যাডপ্ট করে, তাই না । সেও মুখ বংশাবলী হলো । তখন বলবে,
তুমি আমার । তারপর তার থেকে কুলজাত সন্তান হবে । এই নিয়ম কোথা থেকে চলে আসছে ? বাবা
বলেন যে, আমি এনাকে দত্তক নিয়েছি, তাই না । এনার দ্বারা তোমাদের দত্তক নিই । তোমরা
হলে আমার সন্তান, কিন্তু এ হলো পুরুষ । তারপর তোমাদের সকলকে সামলানোর জন্য
সরস্বতীকেও দত্তক নেওয়া হয়েছে । তিনি মাতার টাইটেল পেয়েছেন । সরস্বতী নদী । নদী তো
মা হলো, তাই না । বাবা হলেন সাগর । ইনিও সাগর থেকেই নির্গত হয়েছেন । ব্রহ্মপুত্র নদী
আর সাগরের অনেক বড় মেলা হয় । এমন মেলা আর কোথাও হয় না । সে হলো নদীর মেলা । আর এ
হলো আত্মা আর পরমাত্মার মেলা । তাও যখন তিনি শরীরে আসেন, তখন এই মেলা হয় । বাবা
বলেন যে, আমি হলাম হুসেন । আমি এনার মধ্যে কল্পে - কল্পে প্রবেশ করি । এও ড্রামাতেই
লিপিবদ্ধ আছে । তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ সৃষ্টিচক্র আছে, এর আয়ু পাঁচ হাজার বছর
। এই অসীম জগতের ফিল্ম থেকে জাগতিক ফিল্ম বানানো হয় । যা অতীত হয়ে গেছে, তাই আবার
বর্তমানে হচ্ছে, বর্তমান আবার ভবিষ্যত হয়, যাকে আবার অতীত বলা হবে । এই অতীত হওয়াতে
কতো সময় লেগে গেছে । তোমরা নতুন দুনিয়াতে এসেছো তার কতো সময় অতীত হয়েছে ? পাঁচ
হাজার বছর । তোমরা এখন প্রত্যেকেই এক একজন স্বদর্শন চক্রধারী । তোমরা বুঝতে পারো,
আমরা প্রথমে ব্রাহ্মণ ছিলাম, তারপর দেবতা হয়েছি । বাচ্চারা, তোমরা এখন বাবার কাছ
থেকে শান্তিধাম আর সুখধামের উত্তরাধিকার পাচ্ছো । বাবা এসে একত্রে তিন ধর্মের
স্থাপন করেন । বাকি সব ধর্মের বিনাশ করেন । তোমরা তোমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য
সদগুরু বাবাকে পেয়েছো । মানুষ ডাকেও, আমাকে সদগতিতে নিয়ে যাও । শরীরের বিনাশ করাও
। এমন যুক্তি বলো যে আমরা শরীর ছেড়ে শান্তিধামে চলে যেতে পারি । গুরুর কাছেও মানুষ
এই কারণেই যায়, কিন্তু ওই গুরুরা তো শরীর থেকে মুক্ত করে সাথেও নিয়ে যেতে পারে না
। পতিত পাবন হলেন এক বাবা । তাই তিনি যখন আসেন তখন অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । বাবাকেই
বলা হয় কালের কাল, মহাকাল । তিনি সবাইকে শরীর থেকে মুক্ত করে সাথে করে নিয়ে যান ।
তিনি হলেন সুপ্রীম গাইড । সকল আত্মাদের ফিরিয়ে নিয়ে যান । এ হলো ছিঃ - ছিঃ শরীর,
মানুষ এই শরীরের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে চায় । বলে শরীরের বিনাশ হলে বন্ধন মুক্ত হবে
। এখন তিনি তোমাদের এইসব আসুরী বন্ধন থেকে মুক্ত করে সুখের দৈবী সম্বন্ধে নিয়ে যান
। তোমরা জানো যে আমরা ভায়া শান্তিধাম হয়ে সুখধামে আসবো । তারপর কিভাবে দুঃখধামে আসো
তাও তোমরা জানো । বাবা আসেনই শ্যাম থেকে সুন্দর বানাতে । বাবা বলেন আমি তোমাদের
প্রকৃত অনুগত বাবা । বাবা সর্বদা অনুগতই হন । অনেক সেবা করেন । অনেক খরচ করে পড়িয়ে
সব ধন দৌলত বাচ্চাদের দিয়ে নিজে গিয়ে সাধু সঙ্গ করেন । নিজের থেকেও বাচ্চাদের তিনি
উঁচু তৈরী করেন । এই বাবাও বলেন, আমি তোমাদের ডবল মালিক বানাই । তোমরা বিশ্বের
মালিক হও আবার ব্রহ্মাণ্ডের মালিকও হও । তোমাদের পূজাও ডবল হয় । তোমাদের আত্মাদেরও
পূজা হয় । আবার দেবতা বর্ণতেও পূজা হয় । আমার তো একবারই অর্থাৎ শিবলিঙ্গের রূপে
পূজা হয় । আমি তো আর রাজা হই না । আমি তোমাদের কতো সেবা করি । এমন বাবাকে তোমরা
কেন ভুলে যাও ! হে আত্মা, নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের
বিকর্ম বিনাশ হবে । তোমরা এখন কার কাছে এসেছো ? প্রথমে বাবা তারপর দাদার কাছে । এখন
বাবা তারপর গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার আদি দেব আদম কেননা অনেক জেনারেশন তৈরী হয়,
তাই না । শিববাবাকে কেউ গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার বলবে কি ? বাবা প্রতিটি বিষয়ে
তোমাদের অনেক উচ্চ বানান । এমন বাবা পাও, তারপর তোমরা তাঁকে ভুলে যাও কেন ? ভুলে
গেলে তাহলে পবিত্র কিভাবে হবে ? বাবা পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন । এই স্মরণেই
তোমরা খাদ মুক্ত হয়ে যাবে । বাবা বলেন যে, মিষ্টি - মিষ্টি প্রিয় বাচ্চারা, দেহ
অভিমান ত্যাগ করে তোমাদের আত্ম অভিমানী হতে হবে, পবিত্রও হতে হবে । কাম হলো মহাশত্রু
। এই এক জন্ম আমার জন্য পবিত্র হও । লৌকিক বাবাও তো বলেন যে -- কোনো খারাপ কাজ করো
না । আমার সম্মান রাখো । পারোলৌক বাবাও বলেন, আমি তোমাদের পবিত্র বানাতে এসেছি, এখন
মুখ কালো করো না । না হলে সম্মান হানি হবে । সকল ব্রাহ্মণ আর বাবারও সম্মান নষ্ট
করবে । তখন লিখবে যে, বাবা আমি নেমে গেছি । তোমাদের তো সদা সুন্দর হওয়ার পুরুষার্থ
করতে হবে । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) এই
অন্তিম পুরুষার্থী শরীর খুবই মূল্যবান, এই শরীরের দ্বারা অনেক উপার্জন করতে হবে ।
অসীম জগতের বাবার সঙ্গে একত্রে ভোজন আদি করে সর্ব সম্বন্ধের অনুভব করতে হবে ।
২) এমন কোনো কর্ম ক'রো
না, যাতে ব্রাহ্মণ পরিবার বা বাবার সম্মান হানি হয়। আত্ম - অভিমানী হয়ে সম্পূর্ণ
পবিত্র হতে হবে । এই স্মরণের দ্বারাই পুরানো খাদ দূর হয় ।
বরদান:-
কলিযুগী
দুনিয়ার দুঃখ - অশান্তির দৃশ্য দেখেও সদা সাক্ষী এবং অসীমের বৈরাগী ভব
এই কলিযুগী দুনিয়াতে
যা কিছুই হোক না কেন, তোমাদের এখন চড়তি কলা । দুনিয়ার জন্য হাহাকার আর তোমাদের জন্য
জয়জয়াকার । তোমরা কোনো পরিস্থিতিতেই ঘাবড়ে যাও না, কেননা তোমরা প্রথম থেকেই তৈরী
থাকো । তোমরা সাক্ষী হয়ে এই প্রকার খেলা দেখছো । কেউ কান্নাকাটি করে, কেউ চিৎকার
করে, সাক্ষী হয়ে দেখলে আনন্দের অনুভব হয় । যে কলিযুগী দুনিয়ার দুঃখ - অশান্তি
সাক্ষী হয়ে দেখে সে সহজেই অসীম জগতের বৈরাগী হয়ে যায় ।
স্লোগান:-
ধরণী
তৈরী করতে হলে বাণীর সঙ্গে সঙ্গে বৃত্তির সেবাও করো ।