20.07.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
বন্ধনমুক্ত হয়ে সেবায় তৎপর হও, কারণ এ'সেবার মাধ্যমে অতি উচ্চ উপার্জন হয়, ২১
জন্মের জন্য বৈকুন্ঠের মালিক হয়ে যাও"
প্রশ্নঃ -
কোন্ এক
অভ্যাস প্রত্যেক বাচ্চারই করা উচিত ?
উত্তরঃ -
মুরলীর পয়েন্টের উপর বোঝানো। ব্রাহ্মণী (টিচার) যদি কোথাও চলে যায় তখন পরস্পর
মিলিত হয়ে ক্লাস এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। যদি মুরলী পড়ানো না শেখো তবে নিজ সম কিভাবে
তৈরী করবে। ব্রাহ্মণী ব্যতীত বিচলিত হয়ে প'ড়ো না। পড়া তো অতি সিম্পল। ক্লাস করাও,
তারজন্যও প্র্যাকটিস করতে হবে।
গীতঃ-
মুখ দেখে নে
রে প্রাণী নিজ দর্পণে/ দ্যাখ কত পাপ, কত পূণ্য রয়েছে তোর জীবনে......
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা যখন
শোনে, তখন নিজেদের আত্মা নিশ্চয় করে বসে আর এই নিশ্চয় করে যে, পরমাত্মা বাবা আমাদের
শোনাচ্ছেন। এই ডায়রেক্শন অথবা মত অদ্বিতীয় পিতাই প্রদান করেন। একেই শ্রীমত বলা হয়।
শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠতম। তিনি হলেন অসীম জগতের পিতা, যাকে সর্বোচ্চ ভগবান বলা হয়।
অনেক মানুষ আছে যারা অতটা প্রেমপূর্বক পরমাত্মা পিতাকে জানেও না। যদিও শিবের ভক্তি
করে, অতি প্রেম-পূর্বক স্মরণও করে কিন্তু মানুষ বলে যে, সকলের মধ্যেই পরমাত্মা
বিরাজিত, তবে সে প্রেম করবে কার সঙ্গে তাই বাবার থেকে বিপরীত বুদ্ধি হয়ে গেছে।
ভক্তিতে যখন কোন দুঃখ বা রোগাদি হয় তখন (ঈশ্বরের প্রতি) প্রেম প্রদর্শন করে। তারা
বলে, ভগবান রক্ষা করো। বাচ্চারা জানে যে, গীতা হলো শ্রীমত, ভগবানের মুখ-নিঃসৃত উবাচ।
আর কোনো এমন শাস্ত্র নেই যেখানে ভগবান রাজযোগ শিখিয়েছেন বা শ্রীমত দিয়েছেন। ভারতের
গীতা একটিই, যার প্রভাবও অনেক বেশী। একমাত্র গীতাই ভগবানের উবাচ, ভগবান বললেই, এক
নিরাকারের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়ে যায়। আঙ্গুলের ঈশারা ঊর্ধ্বমুখী করে। কৃষ্ণের
উদ্দেশ্যে কখনো এমন বলা না কারণ তিনি তো দেহধারী, তাই না! তোমরা এখন ওঁনার সম্বন্ধকে
জেনেছো তাই বলা হয় যে, বাবাকে স্মরণ করো, ওঁনার প্রতি ভালবাসা রাখো। আত্মা নিজের
পিতাকে স্মরণ করে। এখন সেই ভগবান বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন। তাই সেই নেশায় মগ্ন হয়ে যাওয়া
উচিত। নেশাও স্থায়ী-রূপে বজায় থাকা উচিত। এমন নয় ব্রাহ্মণী সম্মুখে থাকলে তবেই নেশা
চড়বে, আর ব্রাহ্মণী না থাকলে নেশা উড়ে যাবে। আমরা ব্রাহ্মণী ব্যতীত ক্লাস করতে পারবো
না ব্যস। কোন-কোন সেন্টারের উদ্দেশ্যে বাবা বোঝান যে, কোথাও-কোথাও ৫-৬ মাসের জন্য
ব্রাহ্মণী চলে যায়, তখন পরস্পর মিলেমিশে সেন্টার রক্ষণাবেক্ষণ করে, কারণ পড়া তো সহজ।
কেউ-কেউ তো আবার ব্রাহ্মণী ব্যতীত অন্ধ-পঙ্গু হয়ে যায়। ব্রাহ্মণী চলে গেলে সেন্টারে
যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। আরে, অনেকেই বসে রয়েছে, ক্লাস করাতে পারো না ! গুরু বাইরে
কোথাও গেলে তখন শিষ্য সবকিছু পরিচালনা করে। বাচ্চাদের সার্ভিস করতে হবে।
স্টুডেন্টদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসারে হয়। বাপদাদা জানেন যে ফার্স্টক্লাস তাকে
কোথায় পাঠাতে হবে। বাচ্চারা এত বছর শিখেছে, কিছু ধারণা তো হয়েছে যাতে পরস্পর
মিলেমিশে সেন্টার পরিচালনা করতে পারে। মুরলী তো পেয়েই যাও। পয়েন্টসের আধারেই বোঝানো
হয়। শোনার অভ্যাস হয়ে গেলেও শোনানোর অভ্যাস তৈরী হয় না। স্মরণে থাকলে তবেই ধারণা হবে।
সেন্টারে এমন কেউ তো থাকা উচিত, যে বলবে -- আচ্ছা, ব্রাহ্মণী চলে গেলে আমি সেন্টার
সামলে নেবো। বাবা ব্রাহ্মণীকে বলেন, ভালো সেন্টারে পাঠানো হয়েছে সার্ভিসের উদ্দেশ্যে।
ব্রাহ্মণী না থাকলে বিচলিত হয়ে যাওয়া উচিত নয়। ব্রাহ্মণীর মতন না হলে অপরকে নিজ-সম
করবে কিভাবে ? প্রজা কিভাবে তৈরী করবে ? মুরলী তো সকলেই পায়। বাচ্চাদের খুশী থাকা
উচিত যে, আমরা গদিতে বসে বুঝিয়েছি। প্র্যাকটিস করলে সার্ভিসেবেল হতে পারে। বাবা
জিজ্ঞাসা করেন, সার্ভিসেবেল হয়েছো কি ? তখন কেউ-ই বেরোয় না। সার্ভিসের জন্য ছুটি
নিয়ে নেওয়া উচিত। যেখানেই সার্ভিসের জন্য ডাক পড়বে সেখানেই ছুটি নিয়ে চলে যাওয়া
উচিত। যে বাচ্চা বন্ধনমুক্ত, সে এমন সার্ভিস করতে পারে। ওই গভর্নমেন্টের থেকে তো এই
গভর্নমেন্টের উপার্জন অনেক উঁচু । ভগবান পড়ান, যারফলে তোমরা ২১ জন্মের জন্য
বৈকুন্ঠের মালিক হয়ে যাও। কত বড় আমদানি অর্থাৎ উপার্জন, ওই(লৌকিক) উপার্জনে কি আর
পাবে ? অল্পকালের সুখ। এখানে তো বিশ্বের মালিক হয়ে যাও। যাদের পাকাপাকি নিশ্চয় আছে
তারা বলে, আমরা এই সেবা-ই করতে থাকবো। কিন্তু নেশা পূর্ণমাত্রায় থাকা উচিত। দেখতে
হবে যে, আমরা কাকে-কাকে বোঝাতে পারি। অতি সহজ। কলিযুগের অন্তিমে এত কোটি-কোটি মানুষ,
সত্যযুগে অবশ্যই অল্প হবে। এর স্থাপনার জন্য অবশ্যই বাবা সঙ্গমেই আসবেন। পুরানো
দুনিয়ার বিনাশ হয়ে যাবে। মহাভারতের লড়াইও বিখ্যাত। আর তা তখনই হয়, যখন ঈশ্বর এসে
সত্যযুগের জন্য রাজযোগ শিখিয়ে রাজার-রাজা করে দেন। কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করান।
তিনি বলেন, দেহ-সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধ পরিত্যাগ করে "মামেকম্" (একমাত্র আমাকেই)
স্মরণ করে, তবেই পাপ খন্ডিত হবে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো -- এতেই
পরিশ্রম। যোগের অর্থ কোনও মানুষই জানে না।
বাবা বোঝান যে, ভক্তিমার্গও ড্রামায় নির্ধারিত। ভক্তিমার্গও থাকবেই। খেলা এভাবেই
তৈরী হয়ে রয়েছে -- জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য। বৈরাগ্যও দুই প্রকারের হয় -- এক হলো
সসীম(হদ) জগতের বৈরাগ্য, অপরটি হলো এই অসীম জগতের বৈরাগ্য। বাচ্চারা, এখন তোমরা
সমগ্র পুরানো দুনিয়ার ভুলে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করো কারণ তোমরা জানো যে, আমরা এখন
শিবালয়, পবিত্র দুনিয়ায় যাচ্ছি। তোমরা সকল ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা হলে ভাই-বোন। যাতে
বিকারী দৃষ্টি না যেতে পারে। আজকাল তো সকলের দৃষ্টি ক্রিমিনাল হয়ে গেছে। তমোপ্রধান,
তাই না! এর নামই হলো নরক কিন্তু নিজেকে নরকবাসী মনে করে কি, না তা করে না। নিজেদের
জানা নেই তাই বলে দেয় স্বর্গ-নরক সব এখানেই। যার মনে যাকিছু আসে তাই বলে দেয়। এ কোনো
স্বর্গ নয়, স্বর্গে তো রাজত্ব ছিল। ধার্মিক, ন্যায়নিষ্ঠ ছিল। কত শক্তি ছিল। এখন
তোমরা পুনরায় পুরুষার্থ করছো। বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। এখানে তোমরা আসোই বিশ্বের
মালিক হতে। হেভেনলী গডফাদার যাঁকে শিব পরমাত্মা বলা হয়, তিনি তোমাদের পড়ান।
বাচ্চাদের কত নেশা থাকা উচিত। এ সম্পূর্ণ সহজ জ্ঞান। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে যে
পুরানো সংস্কার রয়েছে সেসব পরিত্যাগ করতে হবে। ঈর্ষার সংস্কারও অনেক ক্ষতি করে।
তোমাদের সর্বপ্রাপ্তি মুরলীর উপরেই, তোমরা যেকোনো কাউকে মুরলীর উপর বোঝাতে পারো।
কিন্তু অন্তরে ঈর্ষা থাকে যে, এ কি কোনো ব্রাহ্মণী ! এ আবার কি জানে! ব্যস, দ্বিতীয়
দিন থেকে আর আসবেই না। এমন পুরানো অভ্যাস এখনও রয়ে গেছে, যে কারণে ডিস-সার্ভিস হয়ে
যায়। নলেজ অতি সহজ। কুমারীদের তো কোনো কাজ-কর্ম (ধান্দা) নেই। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা
হয়, ওই(লৌকিক) পড়া ভালো, না এই পড়া ভালো ? তখন তারা বলে, এ খুবই ভালো। বাবা এখন আমরা
ওই(লৌকিক) পড়া পড়বো না। মন লাগে না। লৌকিক পিতা যদি জ্ঞানে না থাকে তখন মারধোর করবে।
অনেক বাচ্চারা আবার দুর্বলও হয়। তাদের বোঝান উচিত, তাই না ! --- এই পড়ার মাধ্যমে
আমরা মহারানী হয়ে যাবো। ওই পড়ার মাধ্যমে কি পাই-পয়সার চাকুরী করবে ? এ'পড়া তো
ভবিষ্যতে ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের মালিক করে দেয়। প্রজাও তো স্বর্গবাসী হয়ে যায়,
তাই না! এখন সকলেই হলো নরকবাসী।
বাবা এখন বলেন যে, তোমরা সর্বগুণসম্পন্ন ছিলে। এখন তোমরা কত তমোপ্রধান হয়ে গেছো।
সিড়িতে (নিম্নে) অবতরণ করেছো। ভারত যাকে 'সোনার পাখী' বলা হতো, এখন তো কানাকড়িও নেই।
ভারত ১০০ শতাংশ নির্বিকারী ছিল। এখন ১০০ শতাংশ বিকারী। তোমরা জানো যে, আমরা বিশ্বের
মালিক পারশনাথ ছিলাম। গানও শুনেছো -- নিজেদের অন্তরে দেখো যে, আমরা কতখানি যোগ্য
হয়েছি। নারদের উদাহরণ রয়েছে, তাই না! দিনে-দিনে অধঃপতনেই যায়। অধঃপতনে যেতে-যেতে গলা
পর্যন্ত সম্পূর্ণ পাঁকে আবদ্ধ হয়ে গেছে। এখন তোমরা ব্রাহ্মণেরা সকলকে টিকি(শিখা) ধরে
পাঁক থেকে বাইরে বের করে নিয়ে আসো। ধরার আর কোনো জায়গা তো নেই। তাই টিকি ধরা সহজ।
পাঁক থেকে বের করার জন্য টিকি ধরতে হয়। এমনভাবে পাঁকে আবদ্ধ হয় যে, তা আর জিজ্ঞাসা
কোরো না। এ তো ভক্তির রাজ্য, তাই না! এখন তোমরা বলো যে, বাবা আমরা কল্প-পূর্বেও
তোমার কাছে এসেছিলাম -- রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত করার জন্য। যদিও লক্ষ্মী-নারায়ণের
মন্দির তৈরী করতে থাকে কিন্তু তারা জানে না যে, এঁরা বিশ্বের মালিক কিভাবে হয়েছিল।
তোমরা এখন কত সমঝদার হয়েছো। তোমরা জানো যে, এঁরা রাজ্য-ভাগ্য কিভাবে পেয়েছে। পুনরায়
৮৪ জন্ম কিভাবে নিয়েছে। বিরলা (শিল্পপতি) কত মন্দির গঠন করে। যেমনভাবে পুতুল তৈরী
করে ফেলে। উনি ছোট-ছোট পুতুল, আর ইনি বড় পুতুল তৈরী করেন। চিত্র তৈরী করে পূজা করে।
ওঁনার(ঈশ্বর) অক্যুপেশন না জানা তো পুতুল-পূজাই হলো, তাই না! এখন তোমরা জানো যে,
বাবা আমাদের কত ধনশালী করেছিলেন, এখন কাঙ্গাল হয়ে গেছো। যে পূজ্য ছিল, সে-ই এখন
পূজারী হয়ে গেছে। ভক্তরা ভগবানের উদ্দেশ্যে বলে -- তুমিই পূজ্য, তুমিই পূজারী।
তুমিই সুখ প্রদান করো, আবার দুঃখও তুমিই দাও। সবকিছু তুমিই করো। ব্যস, এতেই মত্ত হয়ে
থাকো। বলা হয়, আত্মা অলিপ্ত (নির্লেপ), যাকিছু ভোজন-পান করে আনন্দ করো, যাকিছু
কলঙ্ক শরীরেই লাগে, তা গঙ্গা-স্নানে শুদ্ধ হয়ে যাবে। যা ইচ্ছা তাই খাও। কি-কি ধরণের
ফ্যাশন হয়েছে। ব্যস, যে যা রীতি-রেওয়াজ শুরু করে সেটাই চালু হয়ে যায়। এখন বাবা
বোঝান যে, বিষয়সাগর থেকে শিবালয়ে চলো। সত্যযুগকে ক্ষীরসাগর বলা হয়। এ হলো বিষয়সাগর।
তোমরা জানো যে, আমরা ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে অপবিত্র হয়ে গেছি, তাই তো পতিত-পাবনকে আবাহন
করা হয়। চিত্রের দ্বারা যদি বোঝানো হয়, তখন মানুষ সহজেই বুঝে যাবে। সিঁড়িতে
সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মের বৃত্তান্ত রয়েছে। এত সহজ কথাও কাউকে বোঝাতে পারবে না! তখন বাবা
বুঝে যাবেন যে, সম্পূর্ণরূপে পড়ে না। উন্নতিও করতে পারে না।
তোমাদের ব্রাহ্মণদের কর্তব্য হলো --- কীটপতঙ্গকে ভ্রমরীর মতন ভুঁ-ভুঁ করে নিজ-সম
করতে হবে। আর তোমাদের পুরুষার্থ হলো -- সর্পের মতন পুরানো খোলস পরিত্যাগ করে নতুন
ধারণ করা। তোমরা জানো যে, এ হলো পুরানো পচনশীল শরীর, একে ত্যাগ করতে হবে। এই
দুনিয়াও পুরানো, শরীরও পুরানো। একে পরিত্যাগ করে এখন নতুন দুনিয়ায় যেতে হবে।
তোমাদের এই পঠন-পাঠন হলো নতুন দুনিয়া, স্বর্গের জন্য। এই পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে
যাবে। সাগরের এক ঢেউয়ে সবকিছু লন্ড-ভন্ড হয়ে যাবে। বিনাশ তো অবশ্যই হবে, তাই না!
প্রাকৃতিক বিপর্যয় কাউকেই ছাড়বে না। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
অন্তরে ঈর্ষাদির যে পুরানো অভ্যাস রয়েছে, তা পরিত্যাগ করে পরস্পরের সঙ্গে অত্যন্ত
প্রেমপূর্বক মিলেমিশে থাকতে হবে। ঈর্ষার কারণে পড়াশুনা ত্যাগ করা উচিত নয়।
২) এই পুরানো পচনশীল
শরীরের অভিমান পরিত্যাগ করতে হবে। ভ্রমরীর মতন ভুঁ-ভুঁ করে কীট-পতঙ্গকে নিজ-সম
তৈরীর সেবা করতে হবে। এই আত্মিক কাজ-কর্মে নিহিত থাকতে হবে।
বরদান:-
অলমাইটি
কর্তৃত্বের আধারে আত্মাদের ধন-সম্পদে পরিপূর্ণকারী পূণ্য আত্মা ভব
ব্যাখা :- যেমন
দান-পুণ্যের কর্তৃত্বসম্পন্ন বিষয়ী রাজাদের নিকটে কর্তৃত্বের সম্পূর্ণ অধিকার ছিল,
যে অধিকারের ভিত্তিতে চাইলে যেকোনো কাউকে যাকিছু করে দিত। তেমনই তোমাদের অর্থাৎ
মহাদানী পূণ্যাত্মাদের বাবার দ্বারা ডাইরেক্ট প্রকৃতিজীৎ, মায়াজীতের বিশেষ কর্তৃত্ব
প্রাপ্তি হয়ে গেছে। তোমরা তোমাদের শুদ্ধ সঙ্কল্পের আধারে যেকোনো আত্মার সম্বন্ধ
বাবার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে তাদের ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ করে দিতে পারো। শুধু এই কর্তৃত্বকে
যথার্থভাবে ব্যবহার করো।
স্লোগান:-
যখন
তোমরা সম্পূর্ণতার মঙ্গলোৎসব পালন করবে, তখন সময়, প্রকৃতি, মায়া বিদায় নেবে।