11.07.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
সর্বদা একটা চিন্তাতেই থাকো যে, আমাদের ভালো ভাবে অধ্যয়ণ করে নিজেকে রাজতিলক দিতে
হবে, অধ্যয়ণ দ্বারাই রাজত্ব প্রাপ্ত হয়"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চাদের কোন্
আনন্দে থাকতে হবে ? দুঃখী কেন হতে নেই ?
উত্তরঃ -
সর্বদা এই উৎফুল্লতার সাথে থাকো যে, এই লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো হতে হবে, এর পুরুষার্থ
করতে হবে, কখনো দুঃখী হতে নেই, কারণ এই অধ্যয়ণ খুবই সহজ, বাড়ীতে থেকেও অধ্যয়ণ
করতে পারো, এর কোনো ফিস (বেতন) নেই, কিন্তু অবশ্যই সাহস দরকার।
গীতঃ-
তুমিই হলে মাতা,
পিতাও হলে তুমি (তুমহি হো মাতা পিতা তুমহি হো...)
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা
তাদের পিতার মহিমা শুনেছে। মহিমা একেরই হয় আর কারোর মহিমা গাওয়া যায় না। যখন কি
না ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করেরও মহিমা হয় না। ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা করায়, শংকর
দ্বারা স্থাপনা করায়, বিষ্ণু দ্বারা পালনা করায়। লক্ষ্মী- নারায়ণকে এরকম যোগ্যও
শিববাবাই তৈরী করেন, ওঁনারই মহিমা করা হয়, উনি ব্যতীত আর কারোর মহিমার সুখ্যাতি
করার থাকে! এনাকে(ব্রহ্মা) এরকম করে তুলতে সক্ষম টিচার না থাকলে ইনিও এরকম হতেন না।
আবার মহিমা সুখ্যাত হলো সূর্যবংশী ঘরানার, যারা রাজ্য করে। বাবা সঙ্গমে না এলে তো
এঁনার রাজত্বও প্রাপ্ত হতে পারতো না। আর তো কারোর মহিমা করা হয় না। ফরেনার্স ইত্যাদি
কারোরই মহিমা করার দরকার নেই। মহিমা হলোই শুধুমাত্র একের, দ্বিতীয় কেউ নেই।
উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ হলেনই শিববাবা। ওনার থেকেই উচ্চ পদ প্রাপ্ত হয়, তাই ওনাকেই
ভালো ভাবে স্মরণ করা উচিত। নিজেকে রাজা করার জন্য নিজেকেই পড়তে হয়। যেমন-
ব্যারিস্টারি পড়লে নিজেকে পড়াশুনার দ্বারা ব্যারিস্টার তৈরী করে তো না! বাচ্চারা,
তোমরা জানো যে শিববাবা আমাদের পড়ান। যারা ভালো ভাবে অধ্যয়ণ করবে, তারাই উচ্চ পদ
প্রাপ্ত করবে। অধ্যয়ণ না করে পদ প্রাপ্ত করতে পারে না। অধ্যয়ণ করার জন্য শ্রীমত
প্রাপ্ত হয়। মুখ্য ব্যাপার হলো পবিত্র হয়ে ওঠার, যার জন্যই এই অধ্যয়ণ। তোমরা জানো
যে এই সময় সব হলো তমোপ্রধান- পতিত। ভালো বা খারাপ মানুষ তো হয়ই। পবিত্র যারা থাকে,
তাদের ভালো বলা হয়। ভালো পড়াশুনা করে মানুষ হলে তখন মহিমা হয়, কিন্তু হলো তো সব
পতিত। পতিত যারা তারাই পতিতের মহিমা করে। সত্যযুগে হলো পবিত্র। সেখানে কেউ কারোর
মহিমা করে না। এখানে পবিত্র সন্ন্যাসীও আছে, অপবিত্র গৃহস্থীও আছে, তবে পবিত্রদের
মহিমারই সুখ্যাতি করা হয়। সেখানে তো যেমন রাজা-রাণী তেমন প্রজা হয়। আর কোনো ধর্ম
নেই যার জন্য পবিত্র, অপবিত্র বলে। এখানে তো কোনো গৃহস্থরও মহিমা গাইতে থাকে। তার
জন্য যেন সেই হলো খোদা, আল্লাহ্। কিন্তু আল্লাহ্কে তো পতিত- পাবন, লিবারেটর, গাইড
বলা হয়ে থাকে। সেটা আবার কীভাবে সব হতে পারে! দুনিয়াতে কতো ঘন অন্ধকার। এখন তোমরা
অর্থাৎ বাচ্চারা বুঝতে পারো যে বাচ্চাদের এই সচেতনতা থাকা দরকার যে- আমাদের পড়াশুনা
করে নিজেকে রাজা তৈরী করতে হবে। যারা ভালো ভাবে অধ্যয়ণ করবে তারাই রাজতিলক প্রাপ্ত
করবে। বাচ্চাদের অত্যুৎসাহে থাকা উচিত- আমিও এই লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো হবো। এতে
ম্রিয়মান হওয়ার কিছু নেই। পুরুষার্থ করা উচিত। দুঃখী হতে নেই। এই পড়াশুনা হলো এমন
যে খাটাতে শুয়েও পড়তে পারবে। বিলেতে থেকেও পড়তে পারবে। বাড়ীতে থেকেও পড়তে পারবে।
এতো সহজ পড়াশুনা। পরিশ্রম করে নিজের পাপ খন্ডন করতে হবে আর অপরকেও বোঝাতে হবে।
অন্য ধর্মের লোকেদেরও তোমরা বোঝাতে পারো। কাউকে এটা বলতে হবে- তুমি হলে আত্মা।
আত্মার স্বধর্ম হলো একটাই, এর কোনো পার্থক্য হতে পারে না। শরীর দ্বারাই অনেক ধর্ম
হয়। আত্মা তো হলো একই। সকলে একই পিতার সন্তান। আত্মাদের বাবা অ্যাডপ্ট করেছেন,
সেইজন্য ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী বলা হয়ে থাকে। যে কোনো কাউকেই বোঝাতে পারো- আত্মার পিতা
কে? তোমরা যে ফর্ম ভরো ওর অর্থ বেশ বড়। বাবা তো অবশ্যই আছেন, যাঁকে স্মরণও করা হয়।
আজকাল তো ভারতে যে কোনো কাউকেই ফাদার বলে দেয়। মেয়রকেও ফাদার বলে। কিন্তু আত্মার
পিতা কে, তাঁকে জানে না। গায়ও যে তুমি মাতা-পিতা...কিন্তু তিনি কে, কেমন, কিছুই
জানা নেই। ভারতেই তোমরা মাতা-পিতা বলে ডাকো। একমাত্র বাবা এখানে এসে মুখ বংশাবলী
রচনা করেন। ভারতকেই মাদার কান্ট্রি (দেশমাতৃকা) বলা হয়, কারণ এখানেই শিববাবা মাতা-
পিতার রূপে ভূমিকা পালন করেন। এখানেই ভগবানকে মাতা পিতার রূপে স্মরণ করে। বিদেশে
শুধু গড ফাদার বলে ডাকে, কিন্তু মাতাও তো দরকার যে না! যার দ্বারা বাচ্চাদের
অ্যাডপ্ট করবে। পুরুষও স্ত্রীকে অ্যাডপ্ট করে, আবার ওর থেকে বাচ্চা জন্ম নেয়। রচনা
রচয়িত হতে থাকে। এখানেও এনার মধ্যে (ব্রহ্মা বাবার) পরমপিতা পরমাত্মা বাবা প্রবেশ
করে অ্যাডপ্ট করে। বাচ্চার জন্ম হতে থাকে সেইজন্য এঁনাকে মাতা-পিতা বলা হয়ে থাকে।
তিনি হলেন আত্মাদের পিতা আবার এখানে এসে উত্পত্তি করে। এখানে তোমরা বাচ্চা হয়ে থাকো
তাই ফাদার আর মাদার বলা হয়। সেটা তো হলো সুইট হোম, যেখানে সব আত্মারা থাকে। সেখানেও
বাবা ব্যতীত আর কেউ নিয়ে যেতে পারে না। কাউকে পেলে তাকে বলো তুমি কি সুইট হোম যেতে
চাও? তবে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। তোমরা এখন হলে পতিত, এটা হলোই আয়রণ এজড্-
তমোপ্রধান দুনিয়া। এখন তোমাদের গৃহে ফিরে যেতে হবে। আয়রণ এজড্ আত্মারা তো গৃহে
ফিরে যেতে পারে না। আত্মারা সুইটহোমে পবিত্রই থাকে, তাই বাবা এখন বোঝান, বাবার
স্মরণেই বিকর্ম বিনাশ হবে। কোনো দেহধারীকেই স্মরণ করো না। বাবাকে যতো স্মরণ করবে
ততই পবিত্র হবে আর তারপরে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে নম্বর অনুযায়ী। লক্ষ্মী-নারায়ণের
চিত্রের উপর কাউকে বোঝানো সহজ হয়। ভারতে এদের রাজত্ব ছিলো। এরা যখন রাজত্ব করতো
তখন বিশ্বে শান্তি ছিলো। বিশ্বের শান্তি একমাত্র বাবা আনতে পারেন আর কারোর সে শক্তি
নেই। বাবা এখন আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন, নূতন দুনিয়ার জন্য কীভাবে রাজার রাজা হওয়া
যায় সেটা বলে দেন। বাবা হলেনই নলেজফুল। কিন্তু ওনার মধ্যে কোন নলেজ আছে, সেটা কেউ
জানে না। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি অসীম জগতের পিতাই শোনান।
মানুষ তো কখনো বলে সর্বব্যাপী আছেন, নইলে বলে তিনি সকলের ভিতর জানতে সক্ষম। আবার
নিজেকে তো বলতে পারে না। এই সব কথা বাবা বসে বোঝান। ভালো ভাবে ধারণা করে আরো
উৎফুল্ল হওয়া উচিত। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র সর্বদা উৎফুল্ল মুখশ্রী সম্পন্নই তৈরী
করা হয়। স্কুলে উঁচু শ্রেণীতে পড়ে যারা কতো উৎফুল্ল হয়। অন্যান্যরাও বোঝে ইনি তো
অনেক বড় পরীক্ষায় পাশ করেছে। এটা তো অনেক উচ্চ মানের অধ্যয়ণ। ফী (বেতন) ইত্যাদির
কোনো ব্যাপার নেই শুধু সাহসের ব্যাপার। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে,
এতেই মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বাবা বলেন পবিত্র হও। বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে আমার
মুখ কালো করে দেয়, মায়া খুবই জোরালো, ফেল করে গেলে আবার তার নামের সুখ্যাতি করা
যায় না। অমুকে-অমুকে শুরু থেকে অনেক ভালো চলছে। মহিমার সুখ্যাতি করা হয়। বাবা বলেন
নিজেই নিজের জন্য পুরুষার্থ করে রাজধানী প্রাপ্ত করতে হবে। অধ্যয়ণের দ্বারা উচ্চ
পদ প্রাপ্ত করতে হবে। এটা হলোই রাজযোগ। প্রজাযোগ নয়। কিন্তু প্রজাও তো হবে যে না!
মুখমণ্ডল আর অধ্যয়ণ দেখে বুঝতে পারা যায় যে এই ব্যক্তি কি হওয়ার যোগ্য। বাড়ীতে
স্টুডেন্টের চাল-চলন দ্বারা বুঝতে পারা যায়, এ ফার্স্ট নম্বরে, এ থার্ড নম্বরে আসবে।
এখানেও সেইরকম। অন্তিম কালে যখন পরীক্ষা সম্পূর্ণ হবে তোমাদের তখন সব সাক্ষাৎকার হবে।
সাক্ষাৎকার হতে দেরী হয় না, তবুও লজ্জা হবে, আমি পাশ করতে পারলাম না। পাশ করতে না
পারা লোকেদের কে ভালোবাসে ? মানুষ বায়োস্কোপ দেখে খুশীর অনুভব করে, এক নম্বরের
ঘৃণ্য করে তোলে এই বায়স্কোপ। ওখানে যারা যায় অনেকেই ফেল করে নীচে নেমে গেছে।
কোনো-কোনো ফিমেল (স্ত্রীলোক) এমনও আছে যে বায়স্কোপে না গেলে ঘুম আসে না। যারা
বায়স্কোপ দেখে তারা অবশ্যই অপবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ করে। এখানে যা কিছু হচ্ছে, যাকে
মানুষ খুশী মনে করবে সে সব হলো দুঃখের জন্য। এটা হলো অবিনাশী খুশী। অবিনাশী খুশী,
অবিনাশী পিতার থেকেই প্রাপ্ত হয়। তোমরা বুঝতে পারো যে বাবা আমাদের এই লক্ষ্মী-
নারায়ণের মতো করে তৈরী করেন। এরকম তো পূর্বে ২১ জন্মের জন্য লেখা হত। বাবা এখন
লেখেন ৫০-৬০ জন্ম, কারণ দ্বাপরেও তো প্রথমে খুবই ধনবান সুখী থাকো যে না। যদি পতিত
হয়েও থাকো তবুও ধন অনেক থাকে। এতো যখন একদম তমোপ্রধান হয়ে যাও তখন দুঃখ শুরু হয়।
প্রথমে তো সুখী থাকো। যখন অনেক দুঃখী হও তখন বাবা আসেন। অজামিলের মতো মহাপাপীরও
উদ্ধার করে। বাবা বলেন আমি সকলকে নিয়ে যাবো মুক্তিধামে। আবার সত্যযুগের রাজত্বও
তোমাদের দিই। সকলেরই তো কল্যাণ হয় যে না! সবাইকে নিজের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়-
শান্তিতে বা সুখে। সত্যযুগে সবার সুখ থাকে। শান্তিধামেও সুখী থাকে। বলে বিশ্বে
শান্তি হোক। বলো যে যখন এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো, তখন বিশ্বে শান্তি ছিলো।
দুঃখের কিছু হওয়ার মতো ছিলোই না। না দুঃখ, না অশান্তি। এখানে তো বাড়ী-বাড়ী অশান্তি
আছে। দেশে-দেশে অশান্তি আছে। সমগ্র বিশ্বেই অশান্তি আছে। কতো টুকরো-টুকরো হয়ে পড়ে
আছে। কতো ফ্র্যাক্শন আছে। ১০০ মাইলের বেশী হলেই ভাষা আলাদা হয়। এখন বলে ভারতের
প্রাচীন ভাষা হলো সংস্কৃত। এখন কারোর আদি-সনাতন ধর্মের ব্যাপারেই জানা নেই তো আর
কীভাবে বলবে এইটা হলো প্রাচীন ভাষা। তোমরা বলতে পারো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম কবে
ছিলো ? তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী থাকে। কেউ তো ডালহেডও (মোটা বুদ্ধির) হয়।
দেখতেও লাগে এ যেন পাথর বুদ্ধি সম্পন্ন। অজ্ঞানকালেও বলে যে না- হে ভগবান- এর তালা
খোলো। বাবা তোমাদের সব বাচ্চাদের জ্ঞানের আলোক প্রদান করেন, এতে তালা খোলে। তবুও
কারোর কারোর বুদ্ধি খুলেই না। বলে যে বাবা, আপনি হলেন বুদ্ধিমানের বুদ্ধি। আমাদের
স্বামীর বুদ্ধির তালা খোলো। বাবা বলেন এই জন্য কি আর আমি এসেছি, যে বসে বসে একেক
জনের বুদ্ধির তালা খুলবো! তবে তো সবার বুদ্ধি খুলে যাবে, সবাই মহারাজা - মহারাণী হয়ে
যাবে। আমি কি করে সকলের বুদ্ধির তালা খুলতে পারি। ওদের সত্যযুগে আসতেই হবে না তো কি
করে বুদ্ধির তালা খুলবো! ড্রামা অনুসারে সময় অনুসারেই ওদের বুদ্ধির তালা খুলবে। আমি
কী করে খুলবো। ড্রামার উপরেও তো আছে যে না! সবাই কি আর সম্পূর্ণ পাশ করবে! স্কুলেও
নম্বর অনুযায়ী হয়। এটাও হলো অধ্যয়ণ। প্রজাও তৈরী হয়। সকলের তালা খুলে গেলে তবে
প্রজা কোথা থেকে আসবে! এটা তো রীতি নয়। বাচ্চারা, তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে।
প্রত্যেকের পুরুষার্থ থেকে জানতে পারা যায়, যারা ভালো ভাবে অধ্যয়ণ করবে তাদের
এখানে-ওখানে ডাকা হয়। বাবা জানেন যে কারা ভালো ভাবে সার্ভিস করে। বাচ্চাদের ভালো
ভাবে অধ্যয়ণ করা উচিত। ভালো ভাবে অধ্যয়ণ করলে বাড়ী নিয়ে যাবো আবার স্বর্গে পাঠিয়ে
দেবো। না হলে খুব কড়া শাস্তি। পদ ভ্রষ্টও হয়ে যাবে। স্টুডেন্টের কাছে টিচারের শো
বের করা উচিত। গোল্ডেন এজ্ এ পারশ বুদ্ধি সম্পন্ন ছিলে, এখন হলো আয়রণ এজ্ , তাই
এখানে গোল্ডেন এজ্ বুদ্ধি কি করে হতে পারে। বিশ্বে শান্তি ছিলো যখন এক রাজ্য, এক
ধর্ম ছিলো। তোমরা সংবাদ পত্রেও দিতে পারো যে ভারতে যখন এদের রাজ্য ছিলো তো বিশ্বে
শান্তি ছিলো। শেষ পর্যন্ত বুঝবে অবশ্যই। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের নাম উজ্জ্বল হওয়া
উচিত। ঐ অধ্যয়ণে কতো বই ইত্যাদি পড়তে হয়। এখানে তো কিছুই নেই। অধ্যয়ণ একদম সোজা।
এছাড়া স্মরণে ভালো-ভালো মহারথীও ফেল করে। স্মরণের ধার না থাকলে জ্ঞানের তলোয়ার চলে
না। অনেক স্মরণ করলে তবে ধারালো হবে। যদি বন্ধনেও থাকে, আর স্মরণ করতে থাকে ওতেও
অনেক লাভ আছে। কখনো বাবাকে দেখেওনি, আর তাঁর স্মরণে যদি প্রাণ ত্যাগ করে সে
ক্ষেত্রেও খুব ভালো পদ পেতে পারে, কারণ অনেক স্মরণ করে। বাবার স্মরণে প্রেমের অশ্রু
হয়ে যায়, সেই অশ্রু মুক্তোর দানা হয়ে যায়। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের জন্য নিজেই পুরুষার্থ করে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হবে। অধ্যয়ণের দ্বারা নিজেকে
রাজতিলক দিতে হবে। জ্ঞানকে ভালো ভাবে ধারণ করে সর্বদা উৎফুল্ল থাকতে হবে।
২ ) জ্ঞানের তলোয়ারে স্মরণের ধার ভরতে হবে। স্মরণের দ্বারাই বন্ধন খন্ডন করতে হবে।
কখনোই ঘৃণ্য বায়োস্কোপ দেখে নিজের সংকল্পকে অপবিত্র করতে নেই।
বরদান:-
সদা একান্ত আর স্মৃতিকে জাগৃত করতে ব্যস্ত থাকতে সক্ষম অসীম জগতের বাণপ্রস্থী ভব
বর্তমান সময় অনুযায়ী
তোমরা সকলে হলে বাণপ্রস্থ অবস্থার নিকটবর্তী। বাণপ্রস্থী কখনো পুতুল খেলা করতে থাকে
না। তারা সর্বদা একান্তে আর স্মরণের যাত্রায় থাকে। তোমরা সকলে যারা অসীম জগতের
বাণপ্রস্থী তারা সদা একের অন্তে অর্থাৎ নিরন্তর একান্তে থাকো, সাথে একের স্মৃতিতে
থাকতে থাকতে স্মৃতি স্বরূপ হয়ে ওঠো। সকল বাচ্চাদের প্রতি বাপদাদার এটাই হলো শুভ আশা
যে এখন বাবা আর বাচ্চারা সমান হয়ে যাবে। সর্বদা স্মরণে অন্তর্লীন থাকবে। সমান হয়ে
উঠলেই অন্তর্লীন থাকবে-এটাই বাণপ্রস্থ স্থিতির চিহ্ন।
স্লোগান:-
তোমরা
সাহস করে এক পা এগোলে বাবা সাহায্যের জন্য হাজার পা এগোবেন।