18.08.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


প্রশ্নঃ -
স্মরণের চার্ট রাখা, বাচ্চাদের কেন কঠিন মনে হয় ?

উত্তরঃ -
কেননা কোনো কোনো বাচ্চা স্মরণকে যথার্থ ভাবে বুঝতেই পারে না । স্মরণে বসে কিন্তু বুদ্ধি বাইরে বিভ্রান্ত হয় শান্ত হয়ে বসতে পারে না । তারা তখন বায়ুমণ্ডলকে খারাপ করে ফেলে । স্মরণই করে না, তাহলে চার্ট আবার কিভাবে লিখবে ? যদি কেউ মিথ্যা লেখে, তাহলে অনেক দণ্ড ভোগ করতে হয় । সত্য বাবাকে সত্য কথা বলতে হয় ।

গীতঃ-
ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি .....

ওম্ শান্তি ।
আত্মারূপী সন্তানদের তবুও আত্মাদের পিতা রোজ - রোজ বোঝান যে, যতটা সম্ভব দেহী - অভিমানী হও । নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করো, আর বাবাকে স্মরণ করো, কেননা তোমরা জানো যে, আমরা সেই অসীম জগতের পিতার কাছে অপার সুখের ভাগ্য বানাতে এসেছি । তাই অবশ্যই বাবাকে স্মরণ করতে হবে । পবিত্র, সতোপ্রধান হওয়া ব্যাতীত সতোপ্রধান ভাগ্য বানাতে পারবে না । এই কথা তো খুব ভালোভাবে স্মরণ করো । মূল বিষয় হলো একটাই । এ তো নিজের কাছে লিখে রাখো । হাতের উপর যেমন নাম লেখে, তাই না । তোমরাও লিখে দাও - আমি আত্মা, অসীম জগতের বাবার থেকে আমি অবিনাশী উত্তরাধিকার নিচ্ছি, কেননা মায়া আমাদের ভুলিয়ে দেয়, তাই লিখে রাখা হয়েছে, তাহলে প্রতি মুহূর্তে মনে থাকবে । মানুষ তো স্মরণের জন্য 'ওম বা কৃষ্ণের' চিত্র ইত্যাদিও লাগিয়ে রাখে । এ তো হলো নতুন ধরনের স্মরণ । এ কেবল অসীম জগতের পিতাই বোঝান । এই কথা বুঝতে পারলে তোমরা সৌভাগ্যশালী কেন, পদ্ম সম ভাগ্যশালী হয়ে যাও । বাবাকে না জানার কারণে, বা স্মরণ না করার কারণে ভাগ্যহীন হয়ে গেছে । একই বাবা, যিনি সর্বদার জন্য জীবনকে সুখী বানাতে এসেছেন । যদিও তারা স্মরণ করে, কিন্তু কিছুই জানে না । বিলেতের লোকেরাও ভারতবাসীদের কাছেই সর্বব্যাপী বলা শিখেছে । ভারত যখন অধঃপতিত হয়েছে, তখন সবাই অধঃপতিত হয়েছে । ভারতই নিজেকে এবং সেইসঙ্গে সবাইকে অধঃপতিত করার জন্য দায়ী । বাবা বলেন যে, আমি এখানে এসেই ভারতকে স্বর্গ, সত্যখণ্ড বানাই । এমন স্বর্গ যিনি বানান, মানুষ তাঁর কতো গ্লানি করে দিয়েছে । মানুষ ভুলে গিয়েছে, তাই লিখে দিয়েছে --- যদা যদাহি ---- এর অর্থও বাবা এসেই বুঝিয়ে বলেন । বলিহারি এক বাবার কাছেই যেতে হবে । এখন তোমরা জানো যে, বাবা অবশ্যই আসেন, তাই শিব জয়ন্তী পালন করা হয়, কিন্তু শিব জয়ন্তীর একদম কদর নেই । বাচ্চারা, এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, অবশ্যই ইনি এসেছিলেন, তাঁর জয়ন্তীই পালন করা হয় । সত্যযুগী আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের স্থাপনা তিনিই করেন । আর সবাই জানে যে, আমাদের ধর্ম অমুকে - অমুকে স্থাপন করেছে । তাদের পূর্বেই ছিলো দেবী - দেবতা ধর্ম । এই ধর্মকে কেউ জানেই না যে, এ কোথায় হারিয়ে গেলো । বাবা এখন এসে বোঝান -- বাবাই সবথেকে উচ্চ, আর কারোরই মহিমা নেই । ধর্ম স্থাপকদের আর কি মহিমা হবে ? বাবাই পবিত্র দুনিয়ার স্থাপনা আর পতিত দুনিয়ার বিনাশ করান, আর তোমাদের মায়াকে জয় করতে শেখান । এ হলো অসীম জগতের কথা । অসীম জগতের এই দুনিয়ায় এখন রাবণের রাজত্ব । জাগতিক লঙ্কা ইত্যাদির কোনো কথাই নেই । এই হার - জিতের কাহিনীও সম্পূর্ণ ভারতেরই । বাকি তো অন্য ভূখণ্ড । ভারতেই ডবল মুকুটধারী এবং এক মুকুটধারী রাজারা থাকে, আর যেসব বড় বড় বাদশাহরা ছিলেন, তাদের কারোরই লাইটের মুকুট থাকে না, একমাত্র দেবী - দেবতারা ছাড়া । দেবতারা তো স্বর্গের মালিক ছিলেন, তাই না । শিববাবাকে বলাই হয় পরমপিতা, পতিত - পাবন । এনাকে লাইট কোথায় দেবে ? লাইট তাদেরই দেবে, যারা লাইট বিহীন, পতিত । তিনি কখনোই লাইট ছাড়া হনই না । বিন্দুর উপর কিভাবে লাইট দেওয়া যাবে ? এ তো হতেই পারে না ? দিনে দিনে তিনি তোমাদের অনেক গুহ্য বিষয় বোঝাতে থাকেন, যে যতটা বুদ্ধিতে বসাতে পারে । মুখ্য হলোই স্মরণের যাত্রা । এতে অনেক মায়ার বিঘ্ন আসে । যদিও কেউ স্মরণের চার্টে ৫০ - ৬০ পার্সেন্টও লেখে, কিন্তু বুঝতেই পারে না যে স্মরণের যাত্রা কাকে বলা হয় । তারা জিজ্ঞেস করতে থাকে -- এই বিষয়কে স্মরণ বলে ? খুবই মুশকিল । তোমরা এখানে ১০ - ১৫ মিনিট বসো, তাতেও নিজেকে পর্যবেক্ষণ করো যে - ভালোভাবে স্মরণে থাকি কি ? অনেকেই আছে, যারা স্মরণে থাকতে পারে না, তখন তারা বায়ুমণ্ডলকে খারাপ করে দেয় । অনেকেই আছে যারা স্মরণে না থাকার কারণে বিঘ্নের সৃষ্টি করে । সারাদিন বুদ্ধি বাইরে ঘুরতে থাকে । তাই তারা এখানে শান্ত থাকতেই পারবে না, তাই তারা স্মরণের চার্টও রাখে না । মিথ্যা লিখলে তো আরো দণ্ড ভোগ করতে হবে । অনেক বাচ্চারাই ভুল করে, লুকায় । সত্য কথা বলে না । বাবা বলছেন আর সত্য কথা বলবে না, তাহলে কতো দোষ হয়ে যায় । যতো বড় খারাপ কাজই করুক, সত্য বলতে লজ্জা আসবে । বেশীরভাগই সব মিথ্যা বলবে । মিথ্যা মায়া --- মিথ্যা কায়া --- হলো না ? একদম দেহ বোধে চলে আসে । সত্য বলা তো ভালোই, এতে আরো শিখতে পারবে । এখানে সত্য কথা বলতে হবে । জ্ঞানের সঙ্গে সঙ্গে স্মরণের যাত্রাও জরুরী, কেননা এই স্মরণের যাত্রাতেই নিজের আর বিশ্বের কল্যাণ হয় । জ্ঞান তো বোঝানোর জন্য খুবই সহজ । স্মরনেই যতো পরিশ্রম । বাকি বীজ থেকে ঝাড় কিভাবে বের হয়, এ তো সবাই জানে । বুদ্ধিতে ৮৪ র চক্র, বীজ আর ঝাড়ের জ্ঞান তো থাকবে, তাই না । বাবা তো হলেন সত্য, চৈতন্য, জ্ঞানের সাগর । তাঁর মধ্যে বোঝানোর মতো জ্ঞান আছে । এ হলো সম্পূর্ণ অসাধারণ কথা । এ হলো মনুষ্য সৃষ্টির ঝাড় । এও কেউ জানে না । সবাই 'এটাও নয় - ওটাও নয়' করে গেছে । সময়কালকেই কেউ জানে না, বাকি আর কি জানবে । তোমাদের মধ্যেও খুবই অল্প আছে, যারা খুব ভালোভাবে জানবে, তাই সেমিনারেরও ব্যবস্থা করা হয় । তোমরা নিজের - নিজের মতামত দাও । রায় তো যে কেউই দিতে পারে। এমন নয় যে, যার নামে আছে, তাকেই দিতে হবে । আমার নাম নেই, আমি কিভাবে দেবো । তা নয়, সেবার সম্বন্ধে কারোর যদি কোনো রায় থাকে, উপদেশ থাকে, লিখতে পারে । বাবা বলেন যে, কোনো মতামত মনে করলে তোমাদের জানানো উচিত । বাবা, এই যুক্তিতে সেবা অনেক বাড়তে পারে । যে কেউই রায় দিতে পারে । দেখা হবে, কোন কোন প্রকারের রায় দিয়েছে । বাবা তো বলতেই থাকেন -- কোন যুক্তিতে আমরা ভারতের কল্যাণ করবো, সবাইকে সেই খবর দাও । নিজেদের মধ্যে যুক্তি বের করো, লিখে পাঠাও । মায়া সবাইকে ভুলিয়ে দিয়েছে । বাবা তখনই আসেন, যখন মৃত্যু সামনে উপস্থিত হয় । বাবা এখন বলছেন, সকলেরই এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা, পঠন-পাঠন করো কিম্বা না করো, মৃত্যু অবশ্যই সকলের হবে । তোমরা নিজেদের তৈরী করো না করো, নতুন দুনিয়া অবশ্যই স্থাপনা হবে । ভালো ভালো বাচ্চারা যারা আছে, তারা নিজেদের তৈরী করছে । সুদামার উদাহরণের গায়ন আছে -- একমুঠো চাল নিয়ে এসেছিলো । বাবা আমাদেরও মহল পাওয়া উচিত। ওদের কাছে তো একমুঠো চালই আছে, তাহলে কি করবে ? বাবা মাম্মার উদাহরণ দিয়েছিলেন -- একমুঠো চালও নিয়ে আসে নি । তবুও কতো বড় পদ পেয়েছিলেন, এতে অর্থের কোনো কথা নেই । তোমাদের স্মরণে থাকতে হবে আর বাবার সমান হতে হবে । বাবার তো কোনো পারিশ্রমিক নেই । তিনি বোঝান, আমাদের কাছে যখন অর্থ পড়ে রয়েছে, তখন কেন না এই যজ্ঞে স্বাহা করে দিই ? বিনাশ তো হয়েই যাবে । সবই ব্যর্থ হয়ে যাবে । এরথেকে কিছু তো সফল করো । প্রত্যেক মানুষ কিছু না কিছু দান - পুণ্য আদি অবশ্যই করে । এ হলো পাপ আত্মাদের প্রতি পাপ আত্মাদের দান - পুণ্য । তবুও এর অল্পকালের জন্য ফল পাওয়া যায় । মনে করো, কেউ যদি ইউনিভার্সিটি, কলেজ আদি বানায়, অনেক বেশী অর্থ আছে, তাই ধর্মশালা ইত্যাদি বানিয়ে দেয়, তাহলে তারা পরজন্মে ভালো ঘর বাড়ী পায়, কিন্তু তবুও তো রোগ ইত্যাদি তো হবেই । মনে করো, কেউ হসপিটাল ইত্যাদি বানিয়েছে, তাহলে সুস্থ শরীর তো থাকবে, কিন্তু এতে সব কামনা তো আর পূরণ হয় না । এখানে তো অসীম জগতের বাবার কাছে তোমাদের সব কামনা পূরণ হয়ে যায় ।

তোমরা পবিত্র হচ্ছো, তাই সমস্ত অর্থ এই বিশ্বকে পবিত্র করতে লাগানো তো ভালো, তাই না । তোমরা তো মুক্তি বা জীবনমুক্তি দাও, তাও অর্ধেক কল্পের জন্য । সবাই বলে যে, আমরা শান্তি কিভাবে পাবো । সে তো শান্তিধামে পাওয়া যায়, আর সত্যযুগে এক ধর্ম হওয়ার কারণে সেখানে অশান্তি হয় না । অশান্তি হয় এই রাবণ রাজ্যে । গায়নও তো আছে, তাই না --- রাম রাজা, রাম প্রজা --- সে হলো অমরলোক । ওখানে অমরলোকে মৃত্যু নামে কোনো অক্ষর নেই । এখানে তো বসে বসেই হঠাৎই মৃত্যু হয়, একে মৃত্যুলোক আর ওকে অমরলোক বলা হয় । ওখানে মৃত্যু হয় না । পুরানো এক শরীর ছেড়ে আবার বালক হয়ে যায় । কোনো রোগ হয় না । কতো লাভ হয় । শ্রী শ্রীর মতে তোমরা চির সুস্থ হও । তাই এমন রুহানী সেন্টার কতো খোলা উচিত । অল্প কিছুও যদি আসে, সে কি কম কথা । এই সময় কোনো মানুষই এই ড্রামার সময়কে জানে না । তোমাদের জিজ্ঞেস করবে যে, এ তোমাদের কে শিখিয়েছে । আরে, আমাদের তো বাবা বলেন । এতো বি.কে আছে এখানে । তোমরাও বি.কে । তোমরা শিববাবার সন্তান । তোমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মারও সন্তান । ইনি হলেন মনুষ্য সৃষ্টির গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার । এনার থেকেই আমরা বি.কেরা এসেছি । বংশ তো হয়, তাই না । তোমাদের দেবী - দেবতার কুল হলো খুবই সুখদায়ী । এখানে তোমরা উত্তম তৈরী হও তারপর ওখানে তোমরা রাজত্ব করো । এ কারোর বুদ্ধিতেই থাকে না । বাচ্চাদের এও বোঝানো হয়েছে, এই তমোপ্রধান দুনিয়াতে দেবতাদের পদ পড়তে পারে না । জড় চিত্রের ছায়া পড়তে পারে কিন্তু চৈতন্যের পড়তে পারে না । তাই বাবা বোঝাচ্ছেন -- বাচ্চারা, এক তো স্মরণের যাত্রায় থাকো, কোনো বিকর্ম করো না, আর সেবার নানা যুক্তি বের করো । বাচ্চারা বলে -- বাবা, আমরা তো লক্ষ্মী - নারায়ণের তুল্য হবো । বাবা বলেন, তোমাদের মুখে গোলাপ, কিন্তু এরজন্য পরিশ্রমও করতে হয় । উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে হলে নিজের তুল্য করার সেবা করো । তোমরা একদিন দেখবে, এক একজন পাণ্ডা নিজের সঙ্গে ১০০ - ২০০ যাত্রীও নিয়ে আসবে । ভবিষ্যতে এও দেখতে থাকবে । আগে থেকে তো বলা যাবেই না । যা হতে থাকবে তা তোমরা দেখতে থাকবে ।

এ হলো অসীম জগতের ড্রামা । তোমাদের মুখ্য অভিনয় হলো বাবার সঙ্গে, যে তোমরা পুরানো দুনিয়াকে নতুন বানাও । এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । তোমরা এখন সুখধামের মালিক হও । ওখানে দুঃখের চিহ্নমাত্র থাকবে না । বাবা হলেনই দুঃখহর্তা, সুখকর্তা । তিনি এসে দুঃখ থেকে উদ্ধার করেন । তবুও ভারতবাসীরা মনে করে এখানে এতো ধন, বড় - বড় অট্টালিকা, বাড়ী, বিদ্যুৎ, ব্যস্ এখানেই স্বর্গ । এ সবই হলো মায়ার বাগাড়ম্বর । সুখের জন্য মানুষ অনেক সাধন করে । বড় - বড় প্রাসাদ, বাড়ী বানায় তারপর হঠাৎ কিভাবে মৃত্যু এসে যায়, ওখানে মৃত্যুভয় নেই । এখানে তো হঠাৎই মৃত্যু হয়, তারপর কতো শোক করে । তারপর সমাধির কাছে গিয়ে চোখের জল ফেলতে থাকে । প্রত্যেকেরই নিজের নিজের নিয়মকানুন আছে । অনেক মত আছে । সত্যযুগে এমন সব কথা থাকে না । ওখানে তো এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর ধারণ করে । তাহলে তোমরা কতো সুখের দুনিয়াতে যাও । তারজন্য কতো পুরুষার্থ করা উচিত । প্রতি পদে মত নেওয়া উচিত । গুরু বা পতির মত নেয়, সে তো তাদের মতে চলতে হয় আসুরী মত কি কাজ করবে ! আসুরী পথেই ধাক্কা দেবে । তোমরা এখন ঈশ্বরীয় মত পাচ্ছো, উঁচুর থেকেও উঁচু, তাই মহিমাও আছে --- শ্রীমৎ ভগবান উবাচঃ । বাচ্চারা, তোমরা শ্রীমতের দ্বারা সম্পূর্ণ বিশ্বকে স্বর্গ বানাও । তোমরাই সেই স্বর্গের মালিক হও, তাই তোমাদের প্রতি পদে শ্রীমতে চলতে হবে, কিন্তু কারোর ভাগ্যে যদি না থাকে, তাহলে সে শ্রীমতে চলে না । বাবা বুঝিয়েছেন যে, কারোর যদি নিজের কিছু বুদ্ধি থাকে, মত থাকে তাহলে বাবাকে পাঠিয়ে দেবে । বাবা জানেন যে, কে কে মত দেওয়ার উপযুক্ত । নতুন নতুন বাচ্চাও আসতে থাকে । বাবা তো জানেন যে, কোন - কোন বাচ্চা খুব ভালো । দোকানদারদেরও মত দেওয়া উচিত যে, এমন প্রয়াস করবে যাতে সবাই বাবার পরিচয় পায় । দোকানেও যেন সবাইকে স্মরণ করাতে থাকে । ভারতে যখন সত্যযুগ ছিলো, তখন তো এক ধর্ম ছিলো । এতে অখুশি হওয়ার তো কোনো কথা নেই । সকলের বাবাই একজন । বাবা বলেন যে, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । তোমরা স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) শ্রীমতে চলে সম্পূর্ণ বিশ্বকে স্বর্গ বানানোর সেবা করতে হবে । অনেককেই নিজ সম বানাতে হবে । আসুরিক মত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে ।

২) স্মরণের পরিশ্রমের দ্বারা আত্মাকে সতোপ্রধান বানাতে হবে । সুদমার মতো যে একমুঠো চাল আছে, তা সফল করে নিজের সর্ব কামনা সিদ্ধ করতে হবে ।

বরদান:-
পরীক্ষা আরসমস্যা দেখে ঝিমিয়ে যাওয়ারপরিবর্তে মনোরঞ্জনেরঅনুভবকরে সদা বিজয়ী ভব

এই পুরুষার্থী জীবনে ড্রামা অনুসারে সমস্যা এবং পরিস্থিতি তো আসেই । জন্ম হওয়া মাত্রই এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রাখো অর্থাৎ পরীক্ষা আর সমস্যার আহ্বান করো । পথ যখন তৈরী করতেই হবে, তখন পথের দৃশ্য থাকবে না, এ কিভাবে হতে পারে, কিন্তু সেই দৃশ্যকে পার করার পরিবর্তে সম্পর্ক তৈরী করতে শুরু করে দাও, তাহলে বাবার স্মরণের সম্পর্ক হালকা হয়ে যায়, আর মনোরঞ্জনের পরিবর্তে মনকে খারাপ করে ফেলো । তাই বাহ দৃশ্য বাহ, এই গান গাইতে গাইতে এগিয়ে চলো অর্থাৎ সদা বিজয়ী ভবের বরদানী হও ।

স্লোগান:-
মর্যাদার অন্দরে চলার অর্থ মর্যাদা পুরুষোত্তম হওয়া ।