14.08.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


প্রশ্নঃ -
নিজের ধারণাকে মজবুত করবার আধার কি ?

উত্তরঃ -
নিজের ধারণাকে মজবুত করবার জন্য সবসময় এটাই নিশ্চিত কর যে, আজকের দিনটা যেভাবে অতিক্রান্ত হয়েছে খুব ভালো হয়েছে আবারও কল্প পরে এমনটাই হবে। যা কিছু হয়েছে কল্প পূর্বেও এমনটাই হয়েছিল, নতুন কিছু নয়। এই লড়াই ৫ হাজার বছর পূর্বেও হয়েছিল, আবারও হবে । এই খড়ের গাদার বিনাশ অবশ্যই হবে ...... প্রতিটি মুহূর্তে এমনই ড্রামার স্মৃতি স্মরণ করলে ধারণা মজবুত হতে থাকবে।

গীতঃ-
দূর দেশের নিবাসী এসেছেন...

ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা তোমরা এর আগেও দূর দেশ থেকে এই বিদেশে এসেছ। এখন এই অন্যের দেশে এসে দুঃখী হয়ে পড়ার কারণে বাবাকে আহ্বান করে বলেছ নিজের দেশের ঘরে নিয়ে চল । তোমারা আহ্বান করেছ, তাইনা। অনেক সময় ধরে স্মরণ করে আসছ, তাই বাবাও খুশির সাথে আসেন । তিনিও জানেন বাচ্চাদের কাছে যাচ্ছেন । যে বাচ্চারা কাম চিতায় বসে জ্বলে গেছে তাদেরও নিজ ঘরে নিয়ে যাব তারপর রাজত্ব করতে পাঠিয়ে দেব । ওদের জ্ঞানের অলংকরণে অলঙ্কৃত করে তুলব। বাচ্চাদেরও বাবার প্রতি অপার খুশি হওয়া উচিত। বাবা যখন এসেছেন তখন ওঁনার হওয়া উচিত, ওঁনাকেই ভালোবাসা উচিত। বাবা রোজ বোঝান। আত্মাই তো কথা বলে তাইনা। তোমরা বলে থাক বাবা ৫ হাজার বছর পরে ড্রামা অনুসারে তুমি এসেছ, আমরা অপার খুশির খাজানা প্রাপ্ত করছি । বাবা তুমি আমাদের ঝুলি ভরপুর করে দিচ্ছ , আমাদের নিজেদের ঘরে শান্তিধামে নিয়ে যাবে তারপর রাজধানীতে পাঠিয়ে দেবে। কতখানি খুশি হওয়া উচিত। বাবা বলেন আমাদের ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করেই রাজধানীতে যেতে হবে। ড্রামায় বাবার বড় মিষ্টি আর চমকপ্রদ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে যখন অন্যের দেশে এসেছেন। এ বিষয়ে তোমরা এখন বুঝতে পারছ তারপর এই জ্ঞান প্রায়শই লুপ্ত হয়ে যাবে। সত্যযুগে এর কোনও প্রয়োজন নেই। বাবা বলেন তোমরা কত অবিবেচক হয়ে গেছ। ড্রামার অ্যাক্টর হয়েও বাবাকে জান না ! যে বাবা করনকরাবনহার, কি করেন এবং করিয়ে থাকেন — সবই ভুলে গেছ । সম্পূর্ণ পুরানো দুনিয়াকে স্বর্গে পরিণত করেন জ্ঞান প্রদান করে। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর সুতরাং জ্ঞান প্রদানের কর্তব্যই করবেন তাইনা। তারপর তোমাদের দিয়ে করিয়ে থাকেন । সবাইকে ম্যাসেজ দাও যে বাবা সবার জন্য বলেছেন এখন দেহ-ভান থেকে মুক্ত হয়ে আমাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে। আমিই শ্রীমত দিয়ে থাকি । সবাই তো পাপাত্মা । এই সময় সম্পূর্ণ ঝাড় তমোপ্রধান, জরাজীর্ণ অবস্থায় পৌছেছে । যেমন বাঁশের জঙ্গলে আগুন লেগে গেলে সম্পূর্ণ ঝাড় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। জঙ্গলে জল কোথা থেকে আসবে যে আগুন নেভাবে। এই যে পুরানো দুনিয়া এখানেও আগুন লাগবে। বাবা বলেন — নতুন কিছুই নয়। বাবা সুন্দর-সুন্দর পয়েন্টস দিয়ে থাকেন যা নোট করা উচিত। বাবা বুঝিয়েছেন অন্যান্য ধর্ম স্থাপকরা শুধুমাত্র ধর্ম স্থাপন করতে আসেন, তাদের পয়গম্বর বা ম্যাসেঞ্জার বলতে পার না। এ বিষয়েও যুক্তি দিয়ে লিখতে হবে। শিববাবা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন — বাচ্চারা তোমরা সবাই ব্রাদার্স। প্রতিটি চিত্রে, প্রতিটি লেখায় অবশ্যই লেখা উচিত — শিববাবা এভাবেই বুঝিয়েছেন।

বাবা বলেন — বাচ্চারা, আমি এসে সত্যযুগের আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করি, যার মধ্যে ১০০ শতাংশ সুখ -শান্তি, পবিত্রতা সব আছে আর সেইজন্যই তাকে স্বর্গ বলা হয়। সেখানে দুঃখের চিহ্ন মাত্র নেই । আরও যেসব ধর্ম আছে সে সবের বিনাশ করার নিমিত্ত হই। সত্যযুগে একটাই ধর্ম। ওটা হলো নতুন দুনিয়া। পুরানো দুনিয়ার বিনাশ করিয়ে থাকি । এমন কাজ আর কেউ-ই করে না । বলাও হয়ে থাকে শঙ্কর দ্বারা বিনাশ । বিষ্ণু লক্ষ্মী-নারায়ণই । প্রজাপিতা ব্রহ্মাও এখানেই আছেন । এখানেই পতিত থেকে পাবন ফরিস্তা হন সেইজন্যই তাঁকে ব্রহ্মা দেবতা বলা হয়, যার মাধ্যমে দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়। এই ব্রহ্মাই দেবী-দেবতা ধর্মের প্রথম প্রিন্স হন। সুতরাং ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা, শঙ্কর দ্বারা বিনাশ। চিত্র তো দিতে হবে না! বোঝানোর জন্য এই চিত্র তৈরি করা হয়েছে। এর অর্থ কারো জানা নেই। বাবা স্বদর্শন চক্রধারী সম্পর্কেও বুঝিয়েছেন — পরমপিতা পরমাত্মা সৃষ্টির আদি -মধ্য-অন্তকে জানেন । ওঁনার মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে সুতরাং স্বদর্শন চক্রধারী হলেন তাইনা। জানেন যে আমিই এই জ্ঞান শুনিয়ে থাকি । বাবা তো এমনটা বলবে না যে আমাকে কমল পুষ্প সম হতে হবে। সত্যযুগে তোমরা কমল পুষ্পের মতোই থাক। সন্ন্যাসীদের জন্য একথা বলা হয় না, ওরা তো জঙ্গলে চলে যায়। বাবাও বলেন প্রথমে ওরা পবিত্র সতোপ্রধান ছিল । পবিত্রতার শক্তি দিয়েই ওরা ভারতকে সমর্থন করেছিল । ভারতের মতো পবিত্র দেশ হয়না। যেমন বাবার মহিমা তেমনই ভারতের মহিমা। ভারত স্বর্গ ছিল, এখানে লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করেছে তারা এখন কোথায় চলে গেছে । এইসব বিষয়ে এখন তোমরা জেনেছ আর কারো বুদ্ধিতে আসবে না যে, দেবতারাই ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে তারপর পূজারী হয় । এখন তোমাদের সম্পূর্ণ জ্ঞান হয়েছে, তোমরা জেনেছ আমরাই পূজ্য দেবী-দেবতা হই তারপর পূজারী মানুষ হব। মানুষ তো মানুষই হয়। এই যে বিভিন্ন ধরনের চিত্র তৈরি করে, এরকম কোনো মানুষ হয়না। ভক্তি মার্গে এমন অনেক চিত্র আছে । তোমাদের জ্ঞান হলো গুপ্ত। এই জ্ঞান সবাই গ্রহণ করবে না। যারা এই দেবী-দেবতা ধর্মের পাতা হবে তারাই এই জ্ঞান ধারণ করবে । যারা অন্যদের বিশ্বাস করে তারা এই জ্ঞান শুনবে না। যারা শিব আর দেবতাদের ভক্তি করে তারাই আসবে জ্ঞান ধারণ করতে। প্রথমে তারা আমার পূজা করে তারপর পূজারী হয়ে নিজেরই পূজা করে থাকে। সুতরাং এখন খুশি হও এই ভেবে যে আমরা পূজ্য থেকে পূজারী হয়েছি, আবারও পূজ্য হতে চলেছি। এখানে তো অল্প কালের জন্য খুশি উদযাপন করে থাকে। সত্যযুগে সবসময়ের জন্য তোমাদের মধ্যে খুশি বিরাজ করে। দীপমালা ইত্যাদি লক্ষ্মীকে আহ্বান করার জন্য পালিত হয় না, দীপমালা অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যাভিষেকের সময়। যা কিছু উত্সব এখানে পালন করা হয় ওখানে এসব কিছুই হয়না। সেখানে শুধুই সুখ আর সুখ । এই একটাই সময় যখন তোমরা আদি-মধ্য-অন্তকে জানো । এইসব পয়েন্টস গুলো নোট কর । সন্ন্যাসীদের হলো হঠযোগ। এ হলো রাজযোগ। বাবা বলেন প্রতিটি পেজে যেন শিববাবার নাম অবশ্যই থাকে । শিববাবা আমরা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন, নিরাকার আত্মারা সবাই সাকারে বসে আছে। সুতরাং বাবাও তো সাকারেই বোঝাবেন, তাইনা। তিনি বলেন নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ কর। শিব ভগবানুবাচ বাচ্চাদের জন্য স্বয়ং এখানে উপস্থিত হয়েছেন না ! মূল পয়েন্টস গুলো এমনভাবেই বইতে লেখা হয়েছে যে পড়লে নিজের থেকেই জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা হবে। শিব ভগবানুবাচ থাকায় পড়তেও মজা লাগবে। এ সবই বুদ্ধির কাজ। বাবাও শরীর লোন নিয়ে তারপর শোনান তাইনা। ব্রহ্মার আত্মাও শোনে । বাচ্চাদের অধিক ঈশ্বরীয় নেশা থাকা উচিত। বাবার প্রতি অগাধ ভালোবাসা থাকা উচিত। এটা তো ওঁনার রথ, অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম ব্রহ্মার। এনার মধ্যেই প্রবেশ করেন । তোমরা ব্রহ্মা দ্বারা ব্রাহ্মণ হও, তারপর মানুষ থেকে দেবতা হয়ে ওঠো। চিত্র সম্পূর্ণ পরিষ্কার। রঙিন চিত্র যুক্ত এমনই বই রাখা উচিত যা মানুষ দেখেই খুশি অনুভব করে। এমন কিছুও ছাপাতে পার গরিবদের জন্য যা ব্যয়বহুল নয়। আকারেও ছোট করে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গীতার ভগবানের চিত্রই হলো প্রধান। গীতায় কৃষ্ণের চিত্র, ত্রিমূর্তির চিত্র থাকার কারণে মানুষকে বোঝাতে সুবিধে হয়। প্রজাপিতা ব্রহ্মার বাচ্চা ব্রাহ্মণরা এখানেই আছে । প্রজাপিতা ব্রহ্মার অস্তিত্ব তো সূক্ষ্ম বতনে হতে পারে না। বলা হয় ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ, বিষ্ণু দেবতায় নমঃ, দেবতা তবে কে ? দেবতারা এখানেই রাজত্ব করত দৈবীবংশে । সুতরাং এসব যথার্থ রীতিতে বোঝাতে হবে। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা দুজনেই এখানে। চিত্র দ্বারা বোঝানো যেতে পারে। প্রথমে অল্ফ-কে প্রমাণ করতে পারলে বাকি সবকিছুই প্রমাণ হয়ে যাবে। পয়েন্টস তো অনেক আছে বোঝানোর জন্য। অন্যরা সবাই ধর্ম স্থাপন করতে আসেন। বাবা স্থাপনা আর বিনাশ দুই-ই করিয়ে থাকেন। সবই ড্রামা অনুসারে হয়ে থাকে। ব্রহ্মা কথা বলতে পারেন ,বিষ্ণু কি বলতে পারেন ? সূক্ষ্ম বতনে কি বলবে ? এ সবই বোঝার বিষয় । এখানে তোমরা সব বুঝে উচ্চ শ্রেনীতে যাও ।তারপর তোমরা অন্য রুমে (পরমধামে) চলে যাও । মূলবতনে তো কেউ বসে থাকতে পারবে না। ওখান থেকেই তারপর নম্বরানুসারে আসতে হবে। প্রধান বিষয়ই একটা যার উপর জোর দিতে হবে। কল্প পূর্বেও এমনটাই হয়েছিল। সেমিনার ইত্যাদি কল্প পূর্বেও হয়েছে। এমনই সব পয়েন্টস ছিল । আজ যে সফল হয়েছে কল্প পরেও এমনটাই হবে। এমনই সব পয়েন্টস নিয়ে ধারণ করতে-করতে পাক্কা হয়ে ওঠো । বাবা বলেছিলেন ম্যাগাজিনে প্রচার করতে — এই লড়াই হবে, নতুন কিছু নয়। ৫ হাজার বছর আগেও এমনটাই হয়েছিল। এসব বিষয় তোমরাই বুঝেছ । বাইরের মানুষ বুঝবে না। ওরা শুধু বলবে বিষয় তো অতি চমত্কার। আচ্ছা, কখনও গিয়ে বুঝে আসব। শিব ভগবানুবাচ বাচ্চাদের প্রতি এমন এমন শব্দ থাকলে এসে বুঝবে । নাম লেখা আছে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার ‐ কুমারী।

প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারাই ব্রাহ্মণ রচিত হয়। ব্রাহ্মণ দেবী-দেবতায় নমঃ বলে থাকে, তাইনা। কোন্ সেই ব্রাহ্মণ ? তোমরা ব্রাহ্মণরাই বুঝতে পেরেছ ব্রহ্মার সন্তান কারা ? প্রজাপিতা ব্রহ্মার এতো সন্তান, নিশ্চয়ই অ্যাডপ্ট করেছেন। যে নিজ কুলের হবে সেই যথার্থ রীতিতে বুঝবে। তোমরা তো বাবার সন্তান হয়ে গেছ । বাবা ব্রহ্মাকেও অ্যাডপ্ট করেন, নয়তো শরীরধারীর মধ্যে অন্য কেউ কিভাবে আসবে। তোমরা ব্রাহ্মণরা এইসব বিষয় বুঝবে, সন্ন্যাসীরা বুঝবে না। আজমিরে ব্রাহ্মণ পুরোহিত আছে কিন্তু হরিদ্বারে শুধুমাত্র সন্ন্যাসী আর সন্ন্যাসী । ব্রাহ্মণ পান্ডা আছে যারা লোভী, ওদের বল তোমরা শরীরধারী পান্ডা, এখন রূহানী পান্ডা হও । তোমাদেরও পান্ডা বলা হয়। ওরা জানে না যে পান্ডব সেনা কাকে বলে। বাবা হলেন পান্ডবদের শিরোমণি । তিনি বলেন - বাচ্চারা, মামেকম্ স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে আর চলে যাবে নিজের ঘরে । তারপর অমরত্বের দেশে বিশাল যাত্রা হবে। মূল বতনের উদ্দেশ্যে যাত্রা কতো বিশাল হবে ! যত আত্মা আছে সব যাবে। যেমন পতঙ্গের ঝাঁক যায় না ! রাণী মৌমাছি যখন উড়ে যায় তার পিছনেও সমস্ত মৌমাছিরা তাকে অনুসরণ করে উড়তে থাকে। আশ্চর্যের, তাইনা ! সমস্ত আত্মারাও তদনুরূপ মশার ঝাঁকের মতো যাবে । শিবের বরযাত্রী না ! তোমরা হলে কনে, আমি ব্রাইডগ্রুম (বর) এসেছি সবাইকে নিয়ে যেতে। তোমরা এখন ছিঃ ছিঃ হয়ে গেছ । সেইজন্য অলঙ্কৃত ( জ্ঞানের অলংকারে সাজিয়ে) করে সঙ্গে করে নিয়ে যাব । যে অলঙ্কার পড়বে না, তাকে শাস্তি পেতে হবে। যেতে তো হবেই । কাশী কলবটেও মানুষ মরে যায়, সুতরাং সেকেন্ডে কত সাজা ভুগতে হয়। মানুষ আর্তনাদ করতে থাকে । এখানেও তাই, মনে করে আমরা যেন জন্ম-জন্মান্তরের দুঃখ ভোগ করে চলেছি। দুঃখের অনুভব এভাবেই হয় । জন্ম-জন্মান্তরের পাপের সাজা ভোগ করতে হবে। যত সাজা খাবে ততই পদ কম হয়ে যাবে সেইজন্যই বাবা বলেন যোগবল দ্বারা হিসেব -নিকেশ মিটিয়ে ফেলো । স্মরণ দ্বারা সঞ্চয় করতে থাকো । নলেজ তো অতিব সহজ। এখন প্রতিটি কর্ম জ্ঞানযুক্ত হয়ে করতে হবে। দানও করতে হবে। পাপ আত্মাকে দান করলে দানের ফল ভোগ করতে হবে। পাপ আত্মাকে দান করলে সেও পাপ আত্মা হয়ে যায়। এদের কখনোই দেওয়া উচিত নয়, সে ঐ পয়সা দিয়ে অন্য কোনও পাপ কর্মে লিপ্ত হবে। পাপ আত্মাকে দেওয়ার জন্য দুনিয়াতে অনেক বসে আছে। তোমাদের এসব করা উচিত নয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এখন প্রতিটি কর্ম জ্ঞান যুক্ত হয়ে করতে হবে, পাত্রকে দান দিতে হবে। পাপ আত্মাদের সাথে টাকা পয়সার কোনও লেনদেন করা উচিত নয়। যোগবল দ্বারা পুরানো সব হিসেব মিটিয়ে ফেলতে হবে।

২ ) অপার খুশিতে থাকার জন্য নিজের সাথে কথা বলতে হবে — বাবা, তুমি এসেছ আমাকে অপার খুশির খাজানা দিতে, তুমি আমার ঝুলি পরিপূর্ণ করে দিচ্ছ, তোমার সাথে প্রথমে আমি শান্তিধামে যাব তারপর নিজের রাজধানীতে আসব.....

বরদান:-
কল্পে-কল্পের বিজয়ের স্মৃতি আধার করে মায়ারূপী শত্রুকে আহ্বানকারী মহাবীর বিজয়ী ভব

মহাবীর বিজয়ী বাচ্চারা পেপারকে দেখে ভয় পায় না। কেননা ত্রিকালদর্শী হওয়ার কারণে তারা জানে যে, আমরা কল্পে-কল্পের বিজয়ী। মহাবীর কখনও এমনটা বলে না যে, বাবা আমার কাছে মায়াকে পাঠিয়ো না — কৃপা কর, আশীর্বাদ কর, শক্তি দাও, কি করব, পথ বলে দাও....এগুলো বলাও দুর্বলতা। মহাবীর তো শত্রুকে আহ্বান করে বলে এসো, আমি-ই বিজয়ী হব ।

স্লোগান:-
সময়ের সতর্কীকরণ...সমান হও সম্পন্ন হও ।