29.08.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
কোন্ শুভ ভাবনা
সাথে নিয়ে পুরুষার্থে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে ?
উত্তরঃ -
সর্বদা এই শুভ ভাবনা রাখতে হবে যে, আমরা অর্থাৎ আত্মারা সতোপ্রধান ছিলাম, আমরাই
বাবার থেকে শক্তির উত্তরাধিকার গ্রহণ করেছিলাম, এখন আবার তা গ্রহণ করছি। এইরকম শুভ
ভাবনার সাথে পুরুষার্থ করে সতোপ্রধান হতে হবে। এইরকম ভেবো না যে, সকলে কি আর
সতোপ্রধান হবে! না, স্মরণের যাত্রার উপর থাকার নিরন্তর পুরুষার্থ করতে হবে,
সার্ভিসের দ্বারা শক্তি প্রাপ্ত করতে হবে।
গীতঃ-
এই পাপের
দুনিয়া থেকে এখন এসে নিয়ে চলো ....
ওম্ শান্তি ।
এটা হলো
অধ্যয়ণ। প্রত্যেকটা কথা বুঝতে হবে আর যে কোনো সৎসঙ্গ ইত্যাদি আছে, সেই সব হলো
ভক্তির। ভক্তি করতে করতে ভিখিরিতে পরিণত হয়েছে। তারা বেগর, ফকির এক রকম, তোমরা হলে
আরেক ধরনের বেগর্স। এটা কারোর জানা নেই যে, আমরা বিশাল বিত্তবান (আমীর) ছিলাম, তোমরা
অর্থাৎ ব্রাহ্মণরা জানো যে, আমরা বিশ্বের মালিক অত্যন্ত ধনী ছিলাম। আমীরচাঁদ থেকে
ফকির চাঁদ হয়েছি। এখন এটা হলো অধ্যয়ণ, তোমাদের ভালো মতো অধ্যয়ণ করতে হবে, ধারণ করে
আবার তাদের ধারণ করানোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। অবিনাশী জ্ঞানরত্ন ধারণ করতে হবে।
আত্মা যে হলো রূপ বসন্ত। আত্মাই ধারণ করে, শরীর তো হলো বিনাশী। যেটা কোনো কাজের
জিনিস হয় না, সেই সমস্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। শরীরও কাজের না থাকলে তখন আগুনে জ্বালিয়ে
দেয়। আত্মাকে তো জ্বালায় না। আমরা হলাম আত্মা, যে দিন থেকে রাবণ রাজ্য হয়েছে,
মানুষ দেহ অভিমানে এসেছে। আমি হলাম শরীর, এটা সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। আত্মা তো হলো
অমর। অমরনাথ বাবা এসে আত্মাদের অমর করে তোলেন। সেখানে তো নিজের সময় অনুযায়ী নিজের
খুশী মতো এক শরীর ছেড়ে দ্বিতীয় ধারণ করে। কারণ আত্মা হলো মালিক। যখন ইচ্ছা হবে শরীর
ত্যাগ করবে। ওখানে (শরীরের) আয়ু লম্বা হয়। সাপের মতো (সাপ যেমন ইচ্ছা অনুযায়ী খোলস
ত্যাগ করে) । এখন তোমরা জানো যে, এটা তোমাদের অনেক জন্মের শেষের জন্মের পুরানো চামড়া।
৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছো। কারোর আবার ৬০-৭০ জন্মও হয়, কারোর ৫০ জন্ম, ত্রেতাতে আয়ু
কিছু না কিছু কম হয়ে যায়। সত্যযুগে ফুল (সম্পূর্ণ) আয়ু হয়ে থাকে। এখন পুরুষার্থ
করতে হবে যে, আমরা সর্বপ্রথম সত্যযুগে আসবো। সেখানে শক্তি থাকে তাই অকালে মৃত্যু হয়
না। শক্তি কম হতে থাকে তো আবার আয়ুও কম হয়ে যেতে থাকে। এখন, বাবা যেমন
সর্বশক্তিমান হন, তোমাদের আত্মাদেরও শক্তিমান করে তোলেন। এক তো পবিত্র থাকতে হবে আর
স্মরণে থাকতে হবে, তবে শক্তি প্রাপ্ত হবে। বাবার থেকে শক্তির উত্তরাধিকার নিতে থাকো।
পাপ আত্মারা তো শক্তি নিতে পারে না। পূণ্য আত্মা হলে তবে শক্তি প্রাপ্ত হবে। এটা
ভেবে দেখো, আমাদের আত্মা সতোপ্রধান ছিলো। সব সময়ের জন্য শুভ ভাবনা থাকা উচিত। এরকম
নয় যে, সকলেই সতোপ্রধান হবে। কেউ তো সতোও হবে ! না, নিজেকে বোঝানো উচিত যে, আমরা
একদম প্রথমে সতোপ্রধান ছিলাম। নিশ্চয়ের (দৃঢ় বিশ্বাসের) দ্বারাই সতোপ্রধান হবো।
এইরকম নয় যে আমরা কি করে সতোপ্রধান হতে পারি। তারপর আবার ভুলে যায়। স্মরণের যাত্রাতে
থাকে না। যথা সম্ভব পুরুষার্থ করা উচিত। নিজেকে আত্মা মনে করে সতোপ্রধান হতে হবে।
সব মানুষ মাত্রই এই সময় হলো তমোপ্রধান। আত্মাকে এখন সতোপ্রধান হতে হবে, বাবার স্মরণে
থেকে, এর সাথে-সাথে সার্ভিসও করলে তখন শক্তি প্রাপ্ত হবে। মনে করো কেউ সেন্টার খুলল,
তো, অনেকের আশীর্বাদ তার মাথায় আসবে। মানুষ ধর্মশালা তৈরী করে, যাতে যে কেউ এলেই
বিশ্রাম করতে পারে। আত্মারা খুশী হবে তাতে ! যারা থাকবে, তারা আরাম পেলে তবে তারা
আশীর্বাদ করবে যে ধর্মশালা তৈরী করেছে তাকে। এরপর পরিণাম কি হবে ? পরের জন্মে সে
সুখী থাকবে। ভালো বাড়ী পাবে। বাড়ীতে ভালো সুখ প্রাপ্ত করবে। এমন নয় যে, কখনো রোগ
হবে না। শুধু ভালো বাড়ী পাবে। হসপিটাল খুললে তবে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
ইউনিভার্সিটি খুললে অধ্যয়ণ ভালো হবে। স্বর্গে তো এই হসপিটাল ইত্যাদি হয় না। এখানে
তোমরা পুরুষার্থ করে ২১ জন্মের জন্য প্রালব্ধ অর্জন করো। এছাড়া সেখানে হসপিটাল,
কোর্ট, পুলিশ ইত্যাদি কিছু থাকবে না। এখন তোমরা যাচ্ছো সুখধামে। সেখানে কোনো
পরামর্শদাতা (উজির) থাকে না। তারা হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ মহারাজা - মহারাণী, তাদের
কি আর উজিরের পরামর্শের প্রয়োজন পড়বে ! পরামর্শ তখন নিতে হয়, যখন বুদ্ধিহীন হয়ে
যায়, যখন বিকারে নীচে নেমে যায়। রাবণ রাজ্যে একদমই বুদ্ধিহীন তুচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন
হয়ে যায়। সেইজন্য বিনাশের রাস্তা খুঁজতে থাকে। নিজে মনে করে আমি বিশ্বকে অনেক উচ্চ
স্তরের গড়ে তুলি কিন্তু তাতে আরোই নীচে পড়ে যেতে থাকে। এখন বিনাশ সম্মুখে উপস্থিত
।
তোমরা বাচ্চারা জানো যে, আমাদের পরমধামে গৃহে ফিরে যেতে হবে। আমরা ভারতের সেবা করে
দৈবী রাজ্য স্থাপন করি। আবার আমরা রাজত্ব করবো। গাওয়া হয় - ফলো ফাদার। ফাদার শো'জ
সন্, সন্ শো'জ ফাদার। বাচ্চারা জানে যে- এই সময় শিববাবা ব্রহ্মা তনে এসে আমাদের
পড়ান। বোঝাতেও হবে সেই ভাবে। আমরা ব্রহ্মাকে ভগবান বা দেবতা বলে মনে করি না। ইনি
তো পতিত ছিলেন, বাবা তো পতিত শরীরে প্রবেশ করেছিলেন। কল্পবৃক্ষে দেখো উপর দিকে একদম
শীর্ষস্থানে দাঁড়িয়ে আছেন ! পতিত বলে আবার পবিত্র হওয়ার জন্য নীচে বসে তপস্যা করে
আবার দেবতায় পরিণত হন । *তপস্যা করতে পারে যারা তারা হলো ব্রাহ্মণ* । তোমরা অর্থাৎ
ব্রহ্ম কুমার- কুমারীরা রাজযোগ শিখছো। কতো ক্লীয়ার। এতে যোগ খুবই ভালো হওয়া উচিত।
স্মরণে না থাকলে মুরলীতেও সেই শক্তি থাকবে না। শক্তি পাওয়া যায় শিববাবার স্মরণে।
স্মরণের দ্বারাই সতোপ্রধান হবে, না হলে দন্ড পাবে আর পদও কম পাবে। মূল ব্যাপার হলোই
স্মরণের। যাকে বলা হয় ভারতের প্রাচীন যোগ । নলেজের ব্যাপারে কারোর জানা নেই। পূর্বে
ঋষি-মুনিরা বলতেন, রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে আমরা জানি না। তোমরাও পূর্বে
কিছু জানতে না। এই ৫ বিকার গুলিই তোমাদের একদম ওয়ার্থ নট এ পেনী (মূল্যহীন) করে
তুলেছে। এখন এই পুরানো দুনিয়া জ্বলে গিয়ে একদম নিঃশেষ হয়ে যাবে। কিছুই থাকার নয়।
তোমরা সকলে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করার জন্য
তন-মন-ধন দিয়ে সেবা করছো। প্রদর্শনীতেও তোমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে বলো আমরা যারা
বি. কে- নিজেদের তন-মন-ধন দ্বারা শ্রীমত অনুযায়ী সেবা করে রামরাজ্য স্থাপন করছি।
এখানে তো শ্রী-শ্রী ১০৮, বাবা বসে আছেন। ১০৮ এর মালাও তৈরী করে। মালা তো বড় তৈরী
হয়। সেখানে ৮ থেকে ১০৮ খুব ভালো রকম পরিশ্রম করে। নম্বর অনুযায়ী তো অনেক আছে, যারা
ভালো মতো পরিশ্রম করে। রুদ্র যজ্ঞ হলে তো শালগ্রামেরও পূজো হয়। অবশ্যই কোনো সার্ভিস
করেছে, তাই তো পূজা হয়। তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে আত্মাদের সেবাধারী। সকলের আত্মাদেরকে
জাগ্রত কর তোমরা । 'আমি হলাম আত্মা' - এটা ভুলে যাওয়ার জন্য দেহ-অভিমান এসে যায়। মনে
করে আমি হলাম অমুক। কারোর কি আর জানা আছে যে বলবে আমি হলাম আত্মা, অমুক নাম তো হলো
এই শরীরের। আমি অর্থাৎ এই আত্মা কোথা থেকে আসি- এটা কারোরই সামান্যতমও খেয়াল নেই।
এখানে ভূমিকা পালন করতে করতে শরীরের ভাব দৃঢ় হয়ে গেছে। বাবা বোঝান- বাচ্চারা, এখন
আর অবহেলা ক'রো না । মায়া খুবই ভয়ানক, তোমরা রয়েছো যুদ্ধের ময়দানে। তোমরা
আত্মঅভিমানী হও। এটা হলো আত্মাদের আর পরমাত্মার মেলা। গায়ন আছে আত্মা-পরমাত্মা
আলাদা ছিলো দীর্ঘ কাল (সঙ্গমে লাগল সুন্দর মেলা, সদগুরু হলেন দালাল) । এর অর্থও তারা
জানে না। তোমরা এখন জানো যে- আমরা আত্মারা বাবার সাথে থাকতে পারি। ওটা তো হলো
আত্মাদের ঘর। বাবাও থাকেন সেখানে, ওনার নাম হলো শিব। শিবজয়ন্তীও গাওয়া হয়ে থাকে,
দ্বিতীয় কোনো নাম দেওয়াই উচিত নয়। *বাবা বলেন, আমার আসল নাম হলো কল্যাণকারী শিব।
কল্যাণকারী রুদ্র বলা হবে না। কল্যাণকারী শিব বলা হবে।* কাশীতেও শিবের মন্দির আছে
না! সেখানে গিয়ে সাধুরা মন্ত্র জপ করে। শিব কাশী বিশ্বনাথ গঙ্গা। *বাবা এখন
বোঝাচ্ছেন - শিব, যাকে কাশীর মন্দিরে বসিয়েছে, ওঁনাকে বলে বিশ্বনাথ। এখন আমি তো
বিশ্বনাথ নই। বিশ্বের নাথ তোমরা হয়ে ওঠো।* আমি কোন কিছু হই-ই না। *ব্রহ্ম তত্ত্বের
নাথও হও তোমরা। সেটা হলো তোমাদের বাড়ী। সেটা হলো রাজধানী। আমার বাড়ী তো হলো একটাই-
ব্রহ্ম তত্ত্ব।* আমি স্বর্গে আসি না। না আমি নাথ হয়ে উঠি। আমাকে বলেই শিববাবা। আমার
পার্ট হলোই পতিতকে পবিত্র করে তোলা। শিখরাও বলে নোংরা বস্ত্র ধোয় (মুত পলিতি কাপড়
ধোয়)--- কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। মহিমাও গায় এক ওঙ্কার--- অযোনী, অর্থাৎ জন্ম
মরণ রহিত। আমি তো ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি না। আমি এঁনার মধ্যে প্রবেশ করি। মানুষ ৮৪ জন্ম
গ্রহণ করে। এঁনার আত্মা জানে যে, বাবা আমার সাথে একত্রিত ভাবে বসে আছেন, তবুও
বারে-বারে স্মরণ ভুলে যান। এই দাদার আত্মা বলে, আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। এইরকম
না যে, আমার সাথে বসে আছেন বলে স্মরণ ভালো রকম থাকে। না। একদম একত্রিত থাকে। বুঝতে
পারি আমার কাছে আছেন। এই শরীরের মালিক যেন উনিই। তবুও ভুলে যাই। বাবাকে এই বাড়ী (অর্থাৎ
শরীর) থাকার জন্য দিয়েছি। এছাড়া এক কোণে আমি বসে আছি। বড় মানুষ যে তিনি ! আমার
চিন্তন চলে, কাছেই মালিক বসে আছেন। এ রথ হলো ওঁনার। ওটা ওঁনারই সামলাতে হয়। আমাকে
শিববাবা খাওয়ানও। আমি হলাম শিববাবার রথ। কিছু তো খাতির করবেন। এই খুশীতে খাই। দুই-
চার মিনিট বাদে ভুলে যাই, তখন বুঝতে পারি বাচ্চার কতো পরিশ্রম হয়, সেইজন্য বাবা
বোঝাতে থাকেন- যতটা সম্ভব বাবাকে স্মরণ করো। খুবই লাভজনক। এখানে তো সামান্য
ব্যাপারেই বিরক্ত হয়ে পড়ে আবার পড়াশুনা ছেড়ে দেয়। বাবা বাবা বলে পরিত্যাগ করে দেয়
! বাবাকে নিজের করে, জ্ঞান শোনে, সেই জ্ঞান পছন্দ করে, দিব্য দৃষ্টি দ্বারা স্বর্গ
দেখে, রাস করে। অহো মম মায়া ! মায়া আসবে, আর আমাকে পরিত্যাগ করে পালাবে। যিনি
বিশ্বের মালিক করে তোলেন তাঁকে পরিত্যাগ করে দেয়! বড়-বড় নামী - দামী যারা, তারাও
পরিত্যাগ করে। এখন তোমাদের রাস্তা বলে দেওয়া হয়। এইরকম না যে, হাত ধরে নিয়ে যাবে।
তোমার চোখ তো অন্ধ নয় । হ্যাঁ, জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র তোমাদের প্রাপ্ত হয়। তোমরা
সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানো। এই ৮৪ জন্মের চক্র বুদ্ধিতে আবর্তিত হওয়া উচিত।
তোমাদের নাম হলো স্বদর্শন চক্রধারী। এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। দ্বিতীয় কেউ যেন
স্মরণে না থাকে। শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকবে। যেমন নারীর পুরুষের প্রতি ভালোবাসা
থাকে। ওদের হলো শারীরিক ভালোবাসা, এক্ষেত্রে তোমাদের হলো আত্মিক ভালোবাসা। তোমাদের
উঠতে বসতে, পতিরও পতি যিনি, পিতারও পিতা যিনি, তাঁকে স্মরণ করা উচিত। দুনিয়াতে
এইরকম অনেক বাড়ী আছে যেখানে স্ত্রী-পুরুষ তথা পুরো পরিবার, নিজেদের মধ্যে খুবই
ভালোবাসার সাথে থাকে। বাড়ী যেন স্বর্গ হয়ে ওঠে। ৫-৬ টি বাচ্চা একসাথে থাকে, সকালে
তাড়াতাড়ি উঠে পূজায় বসে, বাড়ীতে কোনো ঝগড়া ইত্যাদি নেই। একভাবে থাকে। কোথাও তো
আবার একই বাড়ীতে কোনো রাধাস্বামীর শিষ্য থাকে তো কেউ আবার ধর্মকেই মান্য করে না।
সামান্য কোনো ব্যাপারেই অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে। তাই বাবা বলেন- এই অন্তিম জন্মে
সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। নিজের পয়সাও সফল করে নিজের কল্যাণ করো। তবে ভারতেরও
কল্যাণ হবে। তোমরা জানো যে- আমরা নিজেদের রাজধানী আবার শ্রীমত অনুযায়ী স্থাপন করছি।
স্মরণের যাত্রা দ্বারা আর সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানলেই আমরা চক্রবর্তী রাজা হয়ে
উঠবো আবার নামতে থাকা শুরু হবে। তারপর পরিশেষে বাবার কাছে এসে যাবে। শ্রীমত অনুযায়ী
চললেই উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে। বাবা কোনো ফাঁসিতে চড়ান না। এক তো বলেন, পবিত্র হও আর
বাবাকে স্মরণ করো। সত্যযুগে কেউ পতিত হয় না। দেবী-দেবতারা সংখ্যায় খুবই কম থাকে।
তারপর আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হয়। দেবতাদের হলো ছোটো বৃক্ষ( বংশতালিকা)। পরে আবার কতো
বৃদ্ধি হয়ে যায়। আত্মারা সব আসতে থাকে, এটা হলো তৈরী হয়ে থাকা খেলা। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আধ্যাত্মিক সেবাধারী হয়ে আত্মাদের জাগৃত করে তোলার সেবা করতে হবে। তন-মন-ধন দ্বারা
সেবা করে শ্রীমত অনুযায়ী রামরাজ্য স্থাপনা করার নিমিত্ত হতে হবে।
২ ) স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে বুদ্ধিতে ৮৪ জন্মের চক্র আবর্তিত করতে হবে। এক বাবাকেই
স্মরণ করতে হবে। দ্বিতীয় কারোর স্মরণ যেন না থাকে। কখনো কোনো ব্যাপারে বিরক্ত হয়ে
পড়াশুনা ছেড়ে দিতে নেই।
বরদান:-
বাবা আর প্রাপ্তির স্মরণে সর্বদা সাহস আর উৎসাহে থাকা একরস, অচল ভব
জন্ম থেকেই বাবার
দ্বারা যে সমস্ত প্রাপ্তি হয়েছে সেই সমস্ত লিস্ট সামনে রাখো। যখন প্রাপ্তি অটল-অচল,
তখন সাহস আর উৎসাহও অচল হওয়া উচিত। অচল থাকা সত্ত্বেও যদি মন কখনো চঞ্চল হয়ে যায় বা
স্থিতি চঞ্চল হয়ে পড়ে, তবে এর কারণ হলো, বাবা আর প্রাপ্তিকে সর্বদা সামনে রাখে না।
সর্ব প্রাপ্তি সমূহের অনুভব সর্বদা সামনে বা স্মৃতিতে থাকলে তবে সকল বিঘ্ন সমাপ্ত
হয়ে যাবে। সর্বদা নূতন উৎসাহ, নূতন উৎসাহ থাকবে। স্থিতি একরস আর অচল থাকবে।
স্লোগান:-
যে কোনো প্রকার সেবাতে সর্বদা সন্তুষ্ট থাকাই হলো ভালো মার্কস্ নেওয়া।