27-08-2020 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


২৭-০৮-২০২০ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

*প্রশ্নঃ -

কোন্ বাচ্চারা নিজেদের অনেক ক্ষতি করে ?*

*উত্তরঃ -

যারা কোনও কারণে মুরলী ক্লাস মিস করে, তারা নিজের অনেক ক্ষতি করে। অনেক বাচ্চারা নিজেদের মধ্যে মন খারাপ করে ক্লাসে যায় না। অজুহাত দেখিয়ে ঘরে থাকে, ঘুমায়, ফলে তারা নিজেরই ক্ষতি করে। কারণ বাবা তো রোজ বিভিন্ন প্রকারের নতুন যুক্তি বলতেই থাকেন, সেসব যদি বাচ্চারা না শোনে তবে সেগুলিকে ব্যবহার করবে কীভাবে ।*

*ওম্ শান্তি ।* মিষ্টি-মিষ্টি আত্মারূপী (রূহানী) বাচ্চারা এই কথা তো জানে যে, এখন আমরা বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছি। যদিও মায়া ভুলিয়ে দেয়। কেউ তো সারা দিন ভুলেই থাকে। কখনো স্মরণই করে না যে, খুশীর অনুভূতি হবে। আমাদের ভগবান পড়ান সে কথাও ভুলে যায়। ভুলে যাওয়ার জন্য কেউ সার্ভিসও করতে পারে না। রাতে বাবা বুঝিয়েছেন - অধমের চেয়েও অধম যে বেশ্যারা আছে, তাদের সার্ভিসও করা চাই। বেশ্যাদের জন্য তোমরা ঘোষণা করে দাও যে, তোমরা বাবার এই জ্ঞান বুদ্ধিতে ধারণ করে স্বর্গের বিশ্বের মহারানী হতে পারো, ধনী মানুষ যা হতে পারে না। যারা জানে, শিক্ষিত, তারা ব্যবস্থা করবে তাদেরকে জ্ঞান প্রদান করবার। তাহলে তারাও খুব খুশী হবে, কারণ তারাও হল অবলা, তাদেরকে তোমরা জ্ঞান বোঝাতে পারো। যুক্তি তো অনেক আছে যা বাবা বোঝাতে থাকেন। বলো, তোমরাই উঁচু থেকে উঁচুতে ছিলে, এখন নীচু থেকে নীচু হয়েছো। তোমাদের নামেই ভারত বেশ্যালয় হয়েছে। আবার তোমরা শিবালয়ে যেতে পারো - এই পুরুষার্থ করলে। তোমরা এখন অর্থ উপার্জনের জন্য খুবই পতিত কাজ করছো। এখন এইসব ত্যাগ করো। এমন করে বোঝালে তারা অনেক খুশী হবে। তোমাদের কেউ বাধা দেবে না। এই কথা তো ভালো কথা, তাই না। গরীবদের আছেন কেবল ভগবান। অর্থ উপার্জন করার জন্য মানুষ কত পতিত কাজ করে। তাদের এটাই ব্যবসা। এখন বাচ্চারা বলে, আমরা যুক্তি উপস্থাপন করবো যাতে সার্ভিস কীভাবে বৃদ্ধি পায়। অনেক বাচ্চারা অনেক কথায় রুষ্ট হয়। পড়াশোনাও ছেড়ে দেয়। এইটুকু বুঝতে পারেনা যে, পড়াশোনা ত্যাগ করলে নিজেরই ক্ষতি হবে। রুষ্ট হয়ে ঘরে বসে থাকে। অমুকে এমন বলেছে, তাই আসি না। অতি কষ্টে সপ্তাহে একদিন আসে। বাবা তো মুরলীতে কত রকমের পরামর্শ দেন। মুরলী তো শোনা উচিত, তাইনা। যখন ক্লাসে আসবে তখনই তো শুনবে। এমন অনেকে আছে, কারণে অকারণে অজুহাত দেখিয়ে ঘুমিয়ে থাকবে। আচ্ছা, আজ যাবো না। আরে, বাবা এমন ভালো-ভালো জ্ঞানের পয়েন্ট দেন। সার্ভিস করবে তবে তো উঁচু পদ-মর্যাদাও পাবে। এ হল পড়াশোনা। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি ইত্যাদিতে শাস্ত্র ইত্যাদি অনেক পড়ে। অন্য কোনও বিষয় নেই, শাস্ত্র কণ্ঠস্থ করে সৎসঙ্গে পাঠ করা শুরু করে দেয়। তাতে কোনও উদ্দেশ্য ইত্যাদি নেই। এই পড়াশুনার দ্বারা সকলের সদগতি হয়। অতএব বাচ্চারা, তোমাদেরকে এমন এমন অধমদেরও সার্ভিস করতে হবে। ধনী লোকেরা যখন দেখবে এখানে এমন এমন মানুষ আসে তখন তাদের আসার ইচ্ছে থাকবে না। দেহ-অভিমান আছে, তাইনা। তাদের লজ্জা বোধ হবে। আচ্ছা, তাহলে একটা আলাদা স্কুল খুলে দাও। জাগতিক পড়াশোনা হল পাই পয়সার, শরীর নির্বহনের জন্য। এইটি তো হল ২১ জন্মের জন্য। অনেকের কল্যাণ হয়ে যাবে। প্রায়শই মাতারা জিজ্ঞাসা করেন, বাবা ঘরে গীতা পাঠশালা খুলতে পারি ? তাদের ঈশ্বরীয় সেবার আগ্রহ থাকে। পুরুষরা তো ক্লাবে ইত্যাদিতে ঘুরে বেড়ায়। ধনী মানুষের এই দুনিয়াই স্বর্গ বোধ হয়। কত রকমের ফ্যাশন ইত্যাদি করে। কিন্তু দেবতাদের ন্যাচারাল বিউটি দেখো, কত সুন্দর। কতখানি তফাৎ। যদিও এইখানে তোমাদের সত্য কথা বলা হয়, তাই এখানে সংখ্যা অনেক কম। তাও ‌আবার গরীবরা । ভক্তির দিকে সবাই চলে যায়। সেখানে শৃঙ্গার ইত্যাদি করে যায়। গুরুরা বিবাহের জন্য আশীর্বাদ ইত্যাদিও করান। এখানে কারো আশীর্বাদ অনুষ্ঠান করা হয় রক্ষা করার জন্য। যাতে কামবিকার রূপী চিতায় পুড়ে না যায়। জ্ঞান চিতায় বসে পদ্মগুণ ভাগ্যশালী হয়ে যায়। মা বাবাকে বলে এই দুর্গতির কর্ম ছেড়ে চলো স্বর্গে। তখন তারা বলে কি করণীয়, এই দুনিয়ার মানুষ আমাদেরকে কু কথা বলবে যে, বংশের নাম খারাপ করেছে। বিবাহ না করানো নিয়ম বিরুদ্ধ আচরণ। লোক লজ্জা, বংশের মর্যাদা কেউ ত্যাগ করতে চায় না। ভক্তি মার্গে গান আছে - আমার তো এক, দ্বিতীয় কেউ নেই। মীরারও গান আছে। নারীদের মধ্যে একনম্বর ভক্ত ছিলেন মীরা, পুরুষদের মধ্যে নারদ, এইরূপ গায়ন আছে। নারদের কাহিনী আছে না ! তোমাদেরকে কোনো নতুন ব্যক্তি যদি বলে - আমি লক্ষ্মীকে বরণ করতে পারি। তবে বলো, নিজেকে দেখেছো ? উপযুক্ত হয়েছো ? পবিত্র সর্বগুণ সম্পন্ন .... হয়েছো ? এই দুনিয়া হল বিকারী পতিত দুনিয়া। বাবা এসেছেন পবিত্র করে সেসব থেকে মুক্ত করতে। পবিত্র হও, তবে তো লক্ষ্মীকে বরণ করার উপযুক্ত হতে পারবে। এখানে বাবার কাছে এসে প্রতিজ্ঞা করে বাড়ি ফিরে গিয়ে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এমন এমন খবর আসে। বাবা বলেন ব্রাহ্মণীরা এমন আত্মাদের নিয়ে আসে যে, তাদের উপরেও প্রভাব পড়ে যায়। ইন্দ্র সভার কাহিনী আছে না ! সুতরাং যে আনবে তাকেও দন্ড ভোগ করতে হবে। বাবা ব্রাহ্মণীদের বলেন, কাঁচাদের আনবে না। তোমাদের অবস্থাও খারাপ হবে। কারণ পতিতদের নিয়ে এসেছো। বাস্তবে ব্রাহ্মণী হওয়া খুবই সহজ। ১০-১৫ দিনে হতে পারবে। বাবা কাউকে বোঝানোর জন্য সহজ যুক্তি বলে দেন। তোমরা ভারতবাসীরা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মে ছিলে, স্বর্গবাসী ছিলে। এখন নরকবাসী হয়ে আবার স্বর্গবাসী হতে হবে তাই বিকার ত্যাগ করো। শুধু বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। কতখানি সহজ। কিন্তু কেউ একটুও বোঝে না। নিজে না বুঝলে অন্যদের বোঝাবে কীভাবে। বাণপ্রস্থ অবস্থায় থেকেও মোহ আকৃষ্ট করে। আজকাল বাণপ্রস্থ অবস্থায় কেউ যায় না। সবাই তমোপ্রধান, তাইনা। এখানেই আটকে থাকে। আগেকার দিনে বাণপ্রস্থদের জন্য বিরাট আশ্রম থাকতো। আজকাল তো আর নেই। ৮০-৯০ বছর বয়স হয়ে গেলেও ঘর সংসার ত্যাগ করে না। ভাবে না যে, বাণীর ঊর্ধ্বে অবস্থান করতে হবে। এখন ঈশ্বরকে স্মরণ করতে হবে। ভগবান কে, এই কথা সবাই জানে না। সর্বব্যাপী বলে দেয়। তখন স্মরণ কাকে করবে ? এই কথাও বোঝেনা যে, আমরা হলাম পূজারী। বাবা তো তোমাদেরকে পূজারী থেকে পূজ্য স্বরূপে পরিণত করেন, তাও আবার ২১ জন্মের জন্য। তাই পুরুষার্থ তো করতে হবে।

বাবা বুঝিয়েছেন, এই পুরানো দুনিয়া তো শেষ হবে । এখন আমাদের ( আত্মাদের) ঘরে (পরমধাম)ফিরতে হবে - শুধু এই চিন্তাই যেন থাকে। স্বর্গে ক্রিমিনাল কথা তো হয় না। বাবা এসে সেই পবিত্র দুনিয়ার জন্য তৈরি করে দেন। সার্ভিসেবল প্রিয় আত্মারূপী বাচ্চাদের তো চোখে বসিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। সুতরাং অধমের উদ্ধার করার জন্য সাহসের প্রয়োজন আছে, ওই গভর্নমেন্টে ভিন্ন ভিন্ন দল থাকে। শিক্ষিতরা টিপটপ হয়ে যায়। এখানে তো অনেকেই গরিব সাধারণ। তাদেরকে বাবা বসে উচ্চ স্থানের উপযুক্ত করেন। আচরণ খুব রয়্যাল থাকা উচিত। ভগবান পড়াচ্ছেন। দৈহিক জগতের কোনো বড় পরীক্ষা পাস করলে আচার আচরণ সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। এখানে তো বাবা হলেন দীনের নাথ। গরিব বাচ্চারাই কিছু পাঠিয়ে দেয়। এক-দুই টাকার মানি অর্ডার পাঠায়। বাবা বলেন, তোমরা তো হলে মহান ভাগ্যশালী। তোমরা রিটার্নে সব পেয়ে যাও। এই কথাটি নতুন নয়। সাক্ষী হয়ে ড্রামা দেখো। বাবা বলেন, বাচ্চারা ভালো করে পড়া করো। এ হলো ঈশ্বরীয় যজ্ঞ, যা চাই সব নাও। কিন্তু এখানে নিলে ওইখানে (স্বর্গে) কম হয়ে যাবে। স্বর্গে তো সব কিছু পাবে। সার্ভিস করার জন্য বাবার খুব সেবায় উৎসাহী বাচ্চাদের প্রয়োজন। যেমন সুদেশ আছে, মোহিনী আছে, যাদের সার্ভিস করার উৎসাহ আছে। তোমাদের সুনাম হবে। তখন তোমাদের সম্মানিত করবে। বাবা সবরকম ডাইরেকশন দিতে থাকেন। বাবা তো বলেন, এখানে বাচ্চারা যতখানি সময় পাও, স্মরণে থাকো। পরীক্ষার দিন কাছে এলে নিরিবিলিতে গিয়ে পড়া করে। প্রাইভেট টিচারও রাখে। আমাদের কাছে টিচার তো অনেক আছে, শুধুমাত্র পড়াশোনার আগ্রহ থাকা উচিত। বাবা তো খুব সহজ করে বোঝান। শুধু নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। এই শরীর তো হলো বিনাশী। তোমরা আত্মারা হলে অবিনাশী। এই জ্ঞান একবারই প্রাপ্ত হয় । তারপরে সত্যযুগ থেকে কলিযুগের শেষ পর্যন্ত কেউ প্রাপ্ত করতে পারে না। তোমরাই প্রাপ্ত করো। আমরা হলাম আত্মা, এই কথাটিতে দৃঢ় নিশ্চয় করে নাও। বাবার কাছে আমরা অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। বাবার স্মরণ দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হবে। ব্যস্ । এই কথাটি স্মরণ করলেও অনেক কল্যাণ হতে পারে। কিন্তু চার্ট তো রাখে না। লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বাবা খুব সহজ করে বলেন। আমরা আত্মারা সতোপ্রধান ছিলাম, এখন তমোপ্রধান হয়েছি। এখন বাবা বলেন - আমাকে স্মরণ করো, তাহলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। কতটা সহজ, তবু ভুলে যায়। যতক্ষণ বসবে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। আমি আত্মা বাবার সন্তান। বাবাকে স্মরণ করলে স্বর্গের রাজত্ব প্রাপ্ত হবে। বাবাকে স্মরণ করলে অর্ধকল্পের পাপ বিনষ্ট হয়ে যাবে। বাবা কতখানি সহজ যুক্তি বলে দিচ্ছেন। সব বাচ্চারা শুনছে। ব্রহ্মা বাবা নিজেও এই প্র্যাক্টিস করেন, তবেই তো শেখান। তাই না ! আমি হলাম বাবার রথ (ব্রহ্মাবাবা হলেন শিববাবার রথ), *বাবা আমাকে খাবার খাইয়ে দেন। তোমরা বাচ্চারাও এমনটাই ভাবো*। শিববাবাকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে অনেক লাভ হবে। কিন্তু ভুলেই যায়। যদিও খুবই সহজ । ব্যবসায় যখন কোনো ক্রেতা থাকে না, তখন স্মরণে বসে যাও। আমি আত্মা, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। অসুখ করলেও স্মরণ করতে পারো। যদি বন্ধনযুক্ত (বাঁধেলী) হও তবে সেখানে বসে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে ১০-২০ বছরের পুরনো বাচ্চাদের চেয়েও উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন । ঈশ্বরীয় পিতা ওঁনার ঈশ্বরীয় বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

*ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-*

*১ )* সার্ভিসে খুব সক্রিয় হতে হবে। যত সময় পাবে নিরিবিলিতে বসে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। পড়াশোনা করার আগ্রহ রাখতে হবে। পড়াশোনায় অমনোযোগী হবে না।

*২ )* নিজের আচরণ খুব-খুব রয়্যাল রাখতে হবে, ব্যস্ এবারে ঘরে ফিরে যেতে হবে, পুরানো দুনিয়া শেষ হবে, তাই মোহ টান সব শেষ করতে হবে। বাণপ্রস্থ অবস্থা অর্থাৎ বাণীর ঊর্ধ্বে থাকার অভ্যাস করতে হবে। অধমের উদ্ধার করার সেবাও করতে হবে।

*বরদানঃ-*

ব্রহ্মা বাবা সম মহা ত্যাগ দ্বারা মহান ভাগ্য রচয়িতা এক নম্বর ফরিস্তা বা অ্যাঞ্জেল এবং বিশ্ব মহারাজন ভব*

ব্যাখা: যে একনম্বর অ্যাঞ্জেল বা ফরিস্তা, সে-ই বিশ্ব মহারাজা হওয়ার এই বরদান সেই বাচ্চাদেরই প্রাপ্ত হয়, যারা ব্রহ্মা বাবার প্রতিটি কর্ম রূপী পদক্ষেপ অনুসরণ করে এগিয়ে চলে। যাদের মন-বুদ্ধি সাকারে সদা বাবার কাছে সমর্পিত। যেমন ব্রহ্মা বাবা এইরূপ মহা ত্যাগ দ্বারা মহান ভাগ্য প্রাপ্ত করেছিলেন অর্থাৎ এক নম্বর সম্পূর্ণ ফরিস্তা এবং একনম্বর বিশ্ব মহারাজন হয়েছিলেন, ঠিক তেমনই ফলো ফাদার করা বাচ্চারাও মহা ত্যাগী বা সর্বস্ব ত্যাগী হবে। তারা সংস্কার রূপেও বিকারের বংশ ত্যাগ করবে।

*স্লোগানঃ-*

এখন সর্ব প্রকারের আধার ভেঙে যাবে, তাই একমাত্র বাবাকেই নিজের আধার বানাও ।*