13.08.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, এখন
তোমাদের কোন্ বিষয়ে নিশ্চয় হয়েছে ? নিশ্চয়বুদ্ধি হওয়ার লক্ষণ কি ?
উত্তরঃ -
এই বিষয়ে তোমাদের নিশ্চয় হয়েছে যে - আমরা এখন এমন পড়া পড়ছি, যার দ্বারা ডবল
মুকুটধারী, রাজাদেরও রাজা হবো। স্বয়ং ভগবান আমাদের পড়াচ্ছেন, বিশ্বের মালিক
বানাচ্ছেন। এখন আমরা তাঁরই সন্তান হয়েছি। তাই এই পড়াশোনা করতে হবে। যেমন শিশুরা
নিজের মা-বাবা ছাড়া অন্য কারো কাছে যায় না। এমন অসীম জগতের পিতাকে পেয়ে অন্য কাউকে
যেন আর পছন্দ না হয়। এক-এর স্মরণ-ই যেন থাকে ।
গীতঃ-
কে এলো আজ
সকাল বেলায় ...
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি
বাচ্চারা গান শুনলো - কে এসেছেন আর কে পড়াচ্ছেন? এই কথাটি বুঝতে হবে। কেউ খুব
বুদ্ধিমান হয়, কেউ একটু কম বুদ্ধিমান হয়। যে বেশী পড়াশোনা করে তাকে বেশী বুদ্ধিমান
বলা হবে। শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছু পাঠ করেছে, সেসবের মান থাকে। কম পড়া করলে মানও কম
হয়ে যায় । এখন গানের কথা গুলি তোমরা শুনেছো- কে এসেছেন পড়াতে ! টিচার, তাইনা !
স্কুলে যারা পড়ে তারা জানে টিচার আসেন। এখানে কে এসেছেন ? একদম রোমাঞ্চিত অনুভব করা
উচিত। উঁচুর থেকেও উঁচু পিতা পুনরায় এসেছেন পড়াতে। কথাটি বুঝতে হবে, তাইনা !
ভাগ্যেরও ব্যাপার আছে। পড়াচ্ছেন কে ? ভগবান। তিনি এসে পড়ান। বিবেক বলে - যদিও কেউ
যতই উঁচু পড়াশোনা করে থাকুক, সেসব অবিলম্বে ত্যাগ করে এসে ভগবানের কাছে পড়ুক। এক
সেকেন্ডে সবকিছু ত্যাগ করে বাবা কাছে এসে পড়ুক।
বাবা বুঝিয়েছেন - এখন
তোমরা পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগী হয়েছো। উত্তম থেকে উত্তম পুরুষ হলেন এই লক্ষ্মী-নারায়ণ।
দুনিয়ায় কারো জানা নেই কোন্ এজুকেশনের আধারে তাদের এই পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়েছে।
তোমরা পড়ছো-এই পদ প্রাপ্তির জন্য। কে পড়াচ্ছেন? ভগবান। অতএব অন্য সব পড়া ছেড়ে এই
পড়াশোনা করা উচিত কারণ বাবা আসেন কল্প সমাপ্তির সময়ে। বাবা বলেন - আমি প্রতি ৫
হাজার বছর পরে আসি তোমাদের সম্মুখে পড়াতে। ওয়ান্ডার ! তাইনা। বলাও হয় ভগবান আমাদের
পড়াচ্ছেন, এই পদ প্রাপ্তি করানোর জন্য। বাচ্চারা তবুও পড়া করে না। তখন বাবা বলেন
এখনো বুদ্ধি হয় নি। বাবার পড়ায় সম্পূর্ণ একাগ্রতা নেই। বাবাকে ভুলে যায়। তোমরা বলো
যে বাবা আমরা ভুলে যাই। টিচারকেও ভুলে যায়। এই হল মায়ার তুফান। কিন্তু পড়াশোনা তো
করাই উচিত তাইনা। বিবেক বলে ভগবান পড়ান তো এই পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। ছোট
বাচ্চাদেরই পড়তে হয়। আত্মা তো সবার আছে। বাকি শরীর ছোট বড় হয়। আত্মা বলে আমি তোমার
ছোট বাচ্চা। আচ্ছা আমার সন্তান হয়েছো তো এখন পড়া করো। দুধ-পাক তো নও। পড়াশোনা হলো
ফার্স্ট। এতেই খুব অ্যাটেনশন দিতে হবে। স্টুডেন্টরা আসে এখানে সুপ্রিম টিচারের কাছে।
পড়ানোর জন্য টিচার নির্দিষ্ট থাকে। তবুও সুপ্রিম টিচার তো আছেন তাইনা। ৭ দিনের
ভাট্টির গায়ন আছে। বাবা বলেন পবিত্র থাকো এবং আমাকে স্মরণ করো। দিব্য গুণ ধারণ করলে
তোমরা এইরূপ হয়ে যাবে। অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করতে হয়। শিশুদের যদি মা ও বাবা ছাড়া
অন্য কেউ কোলে নিতে চায় তো সে যায় না। তোমরাও অসীমের পিতার সন্তান হয়েছো অন্য কাউকে
তোমরা দেখাও পছন্দ করবে না, সে যেই হোক। তোমরা জানো উঁচু থেকে উঁচু পিতার সন্তান
হয়েছি। তিনি আমাদের ডবল মুকুটধারী রাজার রাজা করেন। লাইটের মুকুট মন্মনাভব এবং রত্ন
জড়িত মুকুট “মধ্যাজী ভব” । নিশ্চয় হয়ে যায় আমরা এই পড়াশোনা করে বিশ্বের মালিক হই, ৫
হাজার বছর পরে হিস্ট্রি রিপিট হয়, তাইনা! তোমরা রাজত্ব প্রাপ্ত করো। বাকি সব আত্মারা
শান্তিধাম নিজের ঘরে ফিরে যাও। এখন তোমরা বাচ্চারা জেনেছো - আমরা আসলে আত্মা বাবার
সঙ্গে নিজের ঘরে অর্থাৎ পরমধামে বাস করি। বাবার সন্তান হলে এখন তোমরা স্বর্গের
মালিক হও, পরে বাবাকে ভুলে গিয়ে অনাথ হয়ে যাও। ভারত এইসময় অনাথ হয়েছে। অনাথ তাদের
বলা হয় যাদের মাতা পিতা থাকে না। পথের ধাক্কা খায় তারা। তোমরা তো এখন বাবাকে পেয়েছো,
তোমরা সম্পূর্ণ সৃষ্টি চক্রকে জেনেছো তাই খুশীর অনুভূতিতে ভরপুর থাকা উচিত। আমরা
হলাম অসীম জগতের পিতার সন্তান। পরমপিতা পরমাত্মা প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা নতুন
সৃষ্টি ব্রাহ্মণদের রচনা করেন। বুঝবার জন্য এই কথা তো খুব সহজ। তোমাদের চিত্রও আছে,
বিরাট রূপের চিত্রও বানিয়েছে। ৮৪ জন্মের কাহিনী দেখানো হয়েছে। আমরা সেই দেবতা,
ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হই। এই কথা কোনো মানুষ জানে না কারণ ব্রাহ্মণ এবং
ব্রাহ্মণদের যে পিতা পড়াচ্ছেন, দুই জনের নাম লুপ্ত করে দিয়েছে। ইংরেজিতে তোমরা ভালো
করে বোঝাতে পারো। যারা ইংরেজি জানে তারা তো অনুবাদ করে বোঝাতে পারো। ফাদার হলেন
নলেজফুল, তাঁরই এই নলেজ আছে যে সৃষ্টি চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়। এই হল পড়াশোনা।
যোগকেও বাবাকে স্মরণ করা বলা হয়, যাকে ইংরেজিতে কমুনিয়ান (আলাপন/আলাপচারিতা) বলে।
বাবার সঙ্গে কমুনিয়ান, টিচারের সঙ্গে কমুনিয়ান, গুরুর সঙ্গে কমুনিয়ান। এ হল গড
ফাদারের সঙ্গে কমুনিয়ান (ঈশ্বরের সাথে আলাপন) । স্বয়ং বাবা বলেন - “আমাকে স্মরণ করো
এবং কোনো দেহধারীকে স্মরণ ক'রো না” । মানুষ গুরু ইত্যাদি করে, শাস্ত্র পাঠ করে।
মুখ্য লক্ষ্য কিছুই নেই। সদগতি তো হয় না। বাবা তো বলেন আমি এসেছি সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে
যেতে। এখন তোমাদেরকে বাবার সঙ্গে যোগ যুক্ত হয়ে থাকতে হবে, তাহলেই তোমরা সেখানে
পৌঁছে যাবে। ভালো রীতি স্মরণ করলে তবেই বিশ্বের মালিক হবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলেন
স্বর্গের মালিক তাইনা। এই কথা কে বোঝাচ্ছেন। বাবাকে বলা হয় নলেজফুল। মানুষ যদিও বলে
দেয় অন্তর্যামী। বাস্তবে অন্তর্যামী শব্দ নেই। অন্তরে নিবাসরত হলো আত্মা। আত্মা যা
কর্ম করে, সেসব তো সবাই জানে। সব মানুষ হলো অন্তর্যামী। আত্মা ই শিক্ষা গ্রহণ করে।
বাচ্চারা, বাবা তোমাদের আত্ম অভিমানী করেন। তোমরা আত্মারা হলে মূলবতন নিবাসী। তোমরা
আত্মারা হলে কত সূক্ষ্ম। অনেক বার তোমরা এসেছো পার্ট প্লে করতে। বাবা বলেন আমি
বিন্দু। আমার পুজো তোমরা করতে পারো না। কেন করবে, কোনো দরকার নেই। আত্মারা, আমি
তোমাদের পড়াতে আসি। তোমাদেরকেই রাজত্ব প্রদান করি পরে রাবণ রাজ্যে গিয়ে আমাকে ভুলে
যাও। সর্ব প্রথমে আত্মা আসে পার্ট প্লে করতে। মানুষ বলে ৮৪ লক্ষ জন্ম হয়। কিন্তু
বাবা বলেন ম্যাক্সিমাম জন্ম হলো ৮৪ বার। বিদেশে গিয়ে এইসব কথা বললে তারা বলবে এই
নলেজ আমাদের পড়াও এইখানে বসে। তোমরা এইখানে ১০০০ টাকা পাও, আমরা তোমাদের ১০-২০
হাজার টাকা দেবো। আমাদেরও নলেজ শোনাও। গড ফাদার আত্মাদের অর্থাৎ আমাদের পড়ান। আত্মা
ই জজ ইত্যাদি হয়। যদিও মানুষ তো সবাই হলো দেহ-অভিমানী। কারো জ্ঞান নেই। যদিও বড় বড়
ফিলসফার ইত্যাদি অনেক আছে, কিন্তু এই নলেজ কারো নেই। গড ফাদার নিরাকার পড়াতে আসেন।
আমরা তাঁর কাছেই পড়ি, এইসব কথা শুনে তারা আশ্চর্য হয়ে যাবে। এমন কথা তো কখনও না
শুনেছি না পড়েছি। এক পিতাকেই বলা হয় লিবারেটর, গাইড যখন তিনিই হলেন লিবারেটর তাহলে
ক্রাইষ্টকে স্মরণ কেন করো? এইসব কথা ভালো রীতি বোঝাও তাহলে আশ্চর্য হয়ে যাবে। তারা
বলবে এমন কথা শুনেই দেখি। স্বর্গের (paradise) স্থাপনা হচ্ছে, তার জন্য এই
মহাভারতের যুদ্ধও আছে। বাবা বলেন আমি তোমাদের রাজাদের রাজা ডবল মুকুটধারী করি।
পবিত্রতা, শান্তি, সমৃদ্ধি (purity, peace, prosperity) সবই ছিলো। বিচার করো, কত
বছর হয়েছে ? ক্রাইষ্টের ৩ হাজার বছর পূর্বে এঁদের রাজত্ব ছিলো, তাইনা। তখন বলবে এটা
তো হলো আধ্যাত্মিক (spiritual) নলেজ। এ তো ডাইরেক্ট সুপ্রিম ফাদারের সন্তান, তাঁর
কাছে রাজযোগ শিখছে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কীভাবে রিপিট হয়, এই হলো
সম্পূর্ণ সেই নলেজ। আমাদের আত্মায় ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা আছে। এই যোগের শক্তি দ্বারা
আত্মা সতো প্রধান হয়ে গোল্ডেন এজ অর্থাৎ স্বর্ণ যুগে চলে যাবে, তখন তাদের জন্য
রাজ্য চাই। পুরানো দুনিয়ার বিনাশও চাই। অতএব সামনে রয়েছে আবার এক ধর্মের রাজ্য হবে।
এই দুনিয়া তো পাপ আত্মাদের দুনিয়া তাইনা। এখন তোমরা পবিত্র হচ্ছো, বলো এই স্মরণের
শক্তি দ্বারা আমরা পবিত্র হই এবং সবার বিনাশ হয়ে যাবে। ন্যাচারাল ক্যালামিটিজও আসবে।
এইসব আমাদের রিয়ালাইজ করা এবং দিব্য দৃষ্টি দ্বারা দেখা। এইসবই শেষ হবে। বাবা
এসেছেন দেবতাদের ওয়ার্ল্ড স্থাপন করতে। শুনেই বলবে ওহো! এরা তো গড ফাদারের সন্তান।
তোমরা বাচ্চারা জানো এই যুদ্ধ হবে, ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ হবে। কি অবস্থা হবে ?
বিশাল বিশাল ভবন সব ভেঙে পড়বে। তোমরা জানো এই বোমা ইত্যাদি ৫ হাজার বছর পূর্বেও তৈরি
ছিলো নিজেদের বিনাশের জন্য। এখনও বোমা রেডি আছে। যোগবল কি, যার দ্বারা তোমরা বিশ্বে
বিজয় লাভ করো, তা অন্যরা কেউই জানেনা। বলো, সায়েন্স তোমাদেরই বিনাশ করে। আমাদের
বাবার সঙ্গে যোগ আছে, তাই সাইলেন্সের শক্তি দ্বারা আমরা বিশ্বে জিত অর্জন করে
সতোপ্রধান হই। বাবা হলেন পতিত-পাবন। পবিত্র দুনিয়া অবশ্যই স্থাপন করা হবে। ড্রামা
অনুযায়ী ফিক্সড আছে। বোমা যা তৈরি আছে সেসব কি রাখা থাকবে ! এমন করে বোঝালে বুঝবে
ইনি তো হলেন অথরিটি, এনার মধ্যে গড এসে প্রবেশ করেছেন। এও ড্রামায় নির্দিষ্ট আছে।
এমন এমন কথা বললে তারা খুশী হবে। আত্মায় কীভাবে পার্ট ভরা থাকে, এই হলো অনাদি পূর্ব
নির্দিষ্ট ড্রামা। তারপরে ক্রাইষ্ট এসে তোমাদের ধর্ম স্থাপন করবেন। এমন অথরিটি নিয়ে
বললে বুঝবে বাবা সব বাচ্চাদের বসে বোঝান। অতএব এই পড়াশোনায় বাচ্চাদেরকে ব্যস্ত থাকা
উচিত। পিতা, শিক্ষক, গুরু তিন রূপে একজন ই আছেন। তিনি নলেজ কীভাবে দেন, তোমরা সেসব
জানো। সবাইকে পবিত্র করে নিয়ে যান। দেবতাদের বংশ ছিলো তখন পবিত্র ছিলে। গড-গডেজ ছিলে।
কথা বলতে খুব দক্ষ হবে, স্পীডও যেন ভালো থাকে। তাদের বলো বাকি সব আত্মারা সুইট হোমে
থাকে। বাবা স্বয়ং নিয়ে যান, একমাত্র বাবা হলেন সর্বজনের সদগতি দাতা। তাঁর জন্ম
স্থান হলো ভারত। তাই এই স্থান খুব উচ্চ তীর্থ স্থান হয়ে গেছে।
তোমরা জানো সবাইকে
তমোপ্রধান হতেই হবে। পুনর্জন্ম সবাইকে নিতে হবে, ফিরে কেউ যেতে পারে না। এমন এমন কথা
বললে তারা আশ্চর্য হয়ে যাবে। বাবা তো বলেন দুইজন একত্র হয়ে ভালোভাবে বোঝাতে পারবে।
ভারতে প্রথমে পবিত্রতা ছিলো। তাহলে পরে অপবিত্র কীভাবে হয়। এই কথাও বলতে পারো।
পূজ্য থেকে পূজারী হয়ে যায়। অপবিত্র হয়ে তখন নিজেরই পুজো করতে থাকে। রাজাদের মহলে
এই দেবতাদের চিত্র থাকে, যারা ডবল মুকুটধারী ছিলো তাদেরকে মুকুট বিহীন অপবিত্র -রা
পুজো করে। তারা হলো পূজারী রাজা। তাদের তো গড-গডেস বলা হবে না কারণ তারা দেবতাদের
পুজো করে। নিজেই পূজ্য, নিজেই পূজারী, পতিত হয়ে যায় তখন রাবণ রাজ্য শুরু হয়ে যায়।
এই সময় হলো রাবণ রাজ্য। বসে এমন করে বোঝালে খুব মজা করে দেখাতে পারবে। গাড়ির দুটি
চাকা যুগল হলে তো ওয়ান্ডার করে দেখাবে। আমরা যুগল পরে পূজ্য হয়ে দেখাবো। আমরা
পবিত্র, শান্তি, সমৃদ্ধির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। তোমাদেরও চিত্র বের হয়। এ হল
ঈশ্বরীয় পরিবার। বাবার সন্তান আছে, নাতি নাতনী আছে, আর কোনো সম্পর্ক নেই। নতুন
সৃষ্টি এদের বলা হয় পরে দেবী দেবতা সংখ্যায় কম থাকবে। তারপরে আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হয়।
এই নলেজ বুঝতে হবে। ব্রহ্মাবাবা নিজের ব্যবসায় নবাব ছিলেন। কোনো কিছুর চিন্তা ছিলো
না। যখন দেখলেন এই পড়া তো শিববাবা পড়ান, বিনাশ সামনে আছে তখন অবিলম্বে ত্যাগ করলেন।
এই কথাটি অবশ্যই বুঝে ছিলেন আমরা বাদশাহী প্রাপ্ত করি তো সংসারের বোঝা বহন করে কি
হবে। সুতরাং তোমরাও বুঝেছো ভগবান পড়ান, তাই এই পড়া পুরোপুরি পড়া উচিৎ। তাঁর মত
অনুযায়ী চলা উচিত। বাবা বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। বাবাকে
তোমরা ভুলে যাও, তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত, নেশার লেবেল ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। এখান থেকে
খুব ভালো রিফ্রেশ হয়ে যাও কিন্তু ফিরে গিয়ে সোডা ওয়াটার হয়ে যাও। এখন তোমরা বাচ্চারা
পুরুষার্থ করো - গ্রামে গ্রামে সার্ভিস করার। বাবা বলেন সর্ব প্রথমে এই কথা বলো যে
আত্মাদের পিতা কে। ভগবান তো হলেন নিরাকার। তিনি এই পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করবেন।
আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
স্বয়ং ভগবান সুপ্রিম টিচার রূপে পড়াচ্ছেন, তাই ভালো ভাবে পড়তে হবে, তাঁর মত অনুযায়ী
চলতে হবে।
২) বাবার সঙ্গে এমন
যোগ রাখতে হবে যাতে সাইলেন্সের বল জমা হয়। সাইলেন্স শক্তি দ্বারা বিশ্বকে জয় করতে
হবে, পতিত থেকে পবিত্র হতে হবে।
বরদান:-
একমত
এবং একরস অবস্থার দ্বারা ধরণীকে ফলদায়ক বানাতে সক্ষম সাহসী ভব
ব্যাখ্যা: যখন তোমরা
বাচ্চারা সাহসী হয়ে সংগঠনে একমত ও একরস অবস্থায় থাকো বা একটি কাজেই ব্যস্ত থাকো,
তখন নিজেও প্রফুল্লিত থাকো এবং ধরণীকেও ফলপ্রসূ করো। যেমন আজকাল সায়েন্স দ্বারা
এখনই বীজ বপন করে তৎক্ষণাৎ ফল প্রাপ্ত করা যায়, তেমনই সাইলেন্সের বল দ্বারা সহজ এবং
তীব্রগতি দ্বারা প্রত্যক্ষতা দেখবে। যখন নিজে নির্বিঘ্ন থেকে এক পিতার স্মরণে মগ্ন,
একমত এবং একরস থাকবে তখন অন্য আত্মারাও স্বতঃতই সহযোগী হবে এবং ধরণী ফলদায়ক হয়ে
যাবে।
স্লোগান:-
যে
অভিমানকে সম্মান ভেবে নেয়, সে নির্মান (নম্র) থাকতে পারে না ।