09-08-2020 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 04-03-86 মধুবন


*সর্বশ্রেষ্ঠ রচনার ফাউন্ডেশন - স্নেহ*


আজ বাপদাদা নিজের শ্রেষ্ঠ রচনা, আত্মাদের দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন l এই শ্রেষ্ঠ বা নতুন রচনা সারা বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অতি প্রিয়, কারণ এই রচনা পবিত্র আত্মাদের l পবিত্র আত্মা হওয়ার কারণে এখন বাপদাদার প্রিয়, নিজের রাজ্যে সবার প্রিয় হবে l দ্বাপরে ভক্তদের প্রিয় দেব আত্মা হবে l এই সময় তোমরা পরমাত্ম-প্রিয় ব্রাহ্মণ আত্মা l আর সত্যযুগে ও ত্রেতায় হবে রাজ্য অধিকারী পরম শ্রেষ্ঠ দৈবী আত্মা এবং দ্বাপর থেকে এখন কলিযুগ পর্যন্ত তোমরা হও পূজ্য আত্মা l তিনের মধ্যে এই সময়ে তোমরা অধিকতম শ্রেষ্ঠ - পরমাত্ম-প্রিয় ব্রাহ্মণ তথা ফরিস্তা আত্মা l এই সময়ের শ্রেষ্ঠত্বের আধারে তোমরা সারা কল্প শ্রেষ্ঠ থাক l দেখছ, এই লাস্ট জন্মেও তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মাদের ভক্তরা কতো আহ্বান করছে ! কতো ভালোবাসার সাথে তারা ডাকছে l জড় চিত্র জানা সত্ত্বেও তারা তাদের ভাবনা থেকে পূজা করে, ভোগ অর্পণ করে, আরতি করে l তোমরা ডবল বিদেশি ভাবছ যে আমাদেরই সব চিত্র পূজা হচ্ছে ? বাবার কর্তব্য-কর্ম ভারতে হয়েছে, সেইজন্য বাবার সঙ্গে তোমাদের সবার চিত্র ভারতেই আছে l তারা অধিকাংশ মন্দির ভারতে বানায় l এই নেশা আছে তো যে তোমরাই পূজ্য আত্মা ! সেবার জন্য বিশ্বের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলে ! কেউ আমেরিকা তো কেউ আফ্রিকা পৌঁছে গেছ l কিন্তু কিসের জন্য গেছ ? এই সময় তোমাদের সেবার সংস্কার, স্নেহের সংস্কার আছে l সেবার বিশেষত্বই হলো স্নেহ l যতক্ষণ পর্যন্ত সেবার সাথে তোমাদের অতীন্দ্রিয় স্নেহের অনুভূতি না হবে, ততক্ষণ জ্ঞান কেউ শুনবে না l

যখন তোমরা সব ডবল বিদেশি বাবার হতে এসেছিলে, তোমাদের ফাউন্ডেশন কি ছিল ? বাবার স্নেহ, পরিবারের স্নেহ, হৃদয়ের স্নেহ, নিঃস্বার্থ স্নেহ l এটাই ছিল যা তোমাদের শ্রেষ্ঠ আত্মা বানিয়েছে l সুতরাং, সেবার প্রথম সফলতার স্বরূপ ছিল স্নেহ l যখন স্নেহ বশে বাবার হয়ে যাও, তখন যে কোনও জ্ঞানের পয়েন্ট সহজে স্পষ্ট হয়ে যায় l যারা স্নেহবশে আসে না তারা শুধু জ্ঞান ধারণ করে, অগ্ৰচালিত হতে সময়ও নেয়, পরিশ্রমও নেয়, কারণ তাদের বৃত্তি 'কেন, কি, এভাবে কীভাবে' - এতেই বেশি চলে যায় l আর যখন স্নেহের মধ্যে ডুবে যাও (লাভলীন), তখন তোমাদের স্নেহের কারণে বাবার প্রতিটা বোল স্নেহী মনে হয় l কোশ্চেন সমাপ্ত হয়ে যায় l বাবার স্নেহ আকর্ষণ করার কারণে তারা যদি কোশ্চেন জিজ্ঞাসাও করে, সেটা কিছু বুঝে নেওয়ার চেষ্টা রূপে করবে l তোমরা অনুভাবী, তাই না ! ভালোবাসায় যারা আত্মহারা হয়ে যায়, তাদের যার প্রতি ভালবাসা থাকে, তার বলা সবকিছুতে ভালোবাসাই নজরে আসবে l সুতরাং সেবার মূল আধার স্নেহ l বাবাও সদাসর্বদা বাচ্চাদের সস্নেহে স্মরণ করেন l তিনি সস্নেহে ডাকেন, সস্নেহে সব সমস্যা থেকে তোমাদের পার করে দেন l সুতরাং, এই ঈশ্বরীয় জন্মের, ব্রাহ্মণ জন্মের ফাউন্ডেশনই স্নেহ l যাদের স্নেহের ফাউন্ডেশন থাকে, তাদের কোনকিছুই কখনো কঠিন ব্যাপার মনে হয় না l স্নেহের কারণে তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকবে l বাবার যা কিছু শ্রীমৎ, আমাদের অনুসরণ করতেই হবে l দেখব, করব, এসব স্নেহী লক্ষণ নয় l বাবা আমার জন্য বলেছেন, আমাকে করতেই হবে l এটাই স্নেহী অনুরাগী (আশিক) আত্মাদের স্থিতি l স্নেহী চঞ্চল হবে না l সদা বাবা আর আমি, তৃতীয় কেউ নয় l বাবা যেমন সর্বাপেক্ষা মহান, স্নেহী আত্মাদেরও সদাই উদার হৃদয় l যাদের সঙ্কীর্ণ-হৃদয় তারা ছোট ছোট ব্যাপারে বিভ্রান্ত হবে l ছোট বিষয়ও বড় হয়ে যাবে l যারা উদার হৃদয় তাদের কাছে বড় বিষয় ছোট হয়ে যাবে l ডবল বিদেশি সবাই তোমরা দরাজদিল, তাই না ! বাপদাদা ডবল বিদেশি সব বাচ্চাকে দেখে আনন্দিত হন l কতো দূর দূরান্ত থেকে এসে পতঙ্গরা বহ্নিশিখায় আত্ম-সমর্পণ করতে পৌঁছে যায় ! প্রকৃত পতঙ্গ !

আজ, যারা আমেরিকা থেকে আগত তাদের টার্ন l যারা আমেরিকা থেকে তাদেরকে বাবা বলেন, "আ মেরে l" আমেরিকা থেকে আগতরাও বলে, "আ মেরে l" এটা বিশেষত্ব, তাই না ! বৃক্ষের চিত্রে আদি থেকে বিশেষ শক্তি রূপে আমেরিকাকে দেখানো হয়েছে l যখন থেকে স্থাপনা শুরু হয়েছে আমেরিকাকে বাবা স্মরণ করেছেন l তোমাদের বিশেষ পার্ট, তাই না ! যেমন, বিনাশের শক্তি শ্রেষ্ঠ, অন্য কি বিশেষত্ব আছে ? স্থানের তো বিশেষত্ব আছেই l কিন্তু আমেরিকার বিশেষত্ব এটাও - একদিকে বিনাশের প্রস্তুতিও বেশি, অন্যদিকে ওখানে ইউ.এন. আছে বিনাশ সমাপ্ত করার জন্য l একদিকে বিনাশের শক্তি, অপরদিকে সবাইকে মিল-মিশ করানোর শক্তি l তাহলে তো ডবল শক্তি হয়েই গেল, তাই না ! ওখানে সবাই সদ্ভাব করানোর জন্য সচেষ্ট, সুতরাং ওখান থেকেই আবার এই অতীন্দ্রিয় মিলনের আওয়াজও তীব্র হবে l সেই সমস্ত লোক তো নিজ রীতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে শান্তির জন্য সচেষ্ট হয়, কিন্তু যথার্থ রীতিতে ঐক্যবদ্ধ করা তো তোমাদেরই কর্তব্য, তাই না ! তারা ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করলেও কিন্তু করতে পারে না l বাস্তবে সব ধর্মের আত্মাদের এক পরিবারে নিয়ে আসা, তোমরা সব ব্রাহ্মণের বাস্তবিক কর্তব্য l এই বিশেষ কার্য অবশ্যই করতে হবে l যেমন বিনাশের শক্তি ওখানে শ্রেষ্ঠ, তেমনই স্থাপনারও শক্তির আওয়াজ তীব্র অর্থাৎ স্পষ্ট ও উচ্চরবে হতে দাও l বিনাশ এবং স্থাপনা উভয় পতাকা একসাথে উত্তোলিত হতে দাও l এক সায়েন্সের পতাকা, আরেক সাইলেন্সের l সায়েন্সের শক্তির প্রভাব এবং সাইলেন্সের শক্তির প্রভাব উভয়ই যখন প্রত্যক্ষ হবে তখন বলা হবে প্রত্যক্ষতার পতাকা উত্তোলন করা যেতে পারে l যেমন কোনও ভি. আই. পি. যখন কোন দেশে যায়, তাঁকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র পতাকা উত্তোলন করে, তাই না ! তারা নিজের দেশেরও পতাকা দেখায় এবং সেই মহান ব্যক্তি যে দেশ থেকে এসেছেন সেই দেশেরও দেখায় l সুতরাং পরমাত্মা-অবতরণেরও পতাকা উত্তোলন হতে দাও l পরমাত্ম-কার্যেরও স্বাগত হতে দাও l যখন প্রতিটা কোনায় কোনায় পরমাত্ম-নিশান উড়বে, তখনই বলবে বিশেষ শক্তি প্রত্যক্ষ হয়েছে l এটা গোল্ডেন জুবিলির বছর, তাই না ! সুতরাং গোল্ডেন নক্ষত্র সবাই যেন দেখতে পারে l কোনো বিশেষ নক্ষত্র আকাশে যদি দেখা যায়, তাহলে সবার অ্যাটেনশন সেই দিকে যায়, তাই না ! এই গোল্ডেন ঝলমলে নক্ষত্র সবার চোখে, বুদ্ধিতে দৃশ্যমান হওয়া উচিত l এটাই গোল্ডেন জুবিলি উদযাপন করা l এই নক্ষত্র আগে কোথায় উদ্ভাসিত হবে ?

এখন বিদেশে বৃদ্ধি ভালো হচ্ছে আর হতেই হবে l বাবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বাচ্চারা যারা কোনে কোনে গুপ্ত হয়ে রয়েছে, তারা সময় অনুসারে সম্পর্কে আসছে l সেবাতে উৎসাহ-উদ্দীপনায় সকলেই পরস্পর পরস্পরের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে l সাহসের দ্বারা বাবার সহায়তাও তোমাদের প্রাপ্ত হয়ে যায় l যারা নিরাশ তাদের মধ্যে আশার আলো জ্বলে ওঠে l দুনিয়ার লোকে মনে করে এইরকম হওয়া তো অসম্ভব l খুব কঠিন l তোমাদের একাগ্রতা নির্বিঘ্ন বানিয়ে উড়ন্ত বিহঙ্গের মতো উড়িয়ে এখানে পৌঁছে দেয় l ডবল উড়ানে এখানে পৌঁছেছ, তাই না ! এক - প্লেন, দুই - বুদ্ধি রূপী বিমান l যখন তোমাদের সাহস ও প্রবল উদ্যমের পাখা থাকে তোমরা যেখানে ইচ্ছে উড়তে পার l বাচ্চাদের সাহসের জন্য বাপদাদা সবসময় তাদের মহিমা করেন l তোমাদের সাহসের কারণে এক দীপক থেকে আরেক দীপক প্রজ্জ্বলিত হয়ে মালা তো তৈরি হয়েই গেছে, তাই না ! ভালোবাসার সাথে যে পরিশ্রম করে, তার ফল খুব ভালো বের হয় l এটা সকলের সহযোগের বিশেষত্ব l যে কোনো পরিস্থিতিই হোক না কেন, প্রথমে দৃঢ়তা, স্নেহের সংগঠন প্রয়োজন, তা' থেকেই সফলতা প্রত্যক্ষ রূপে প্রতীয়মান হয় l দৃঢ়তা নিষ্ফলা জমিতেও ফল ফলাতে পারে l আজকাল সায়েন্সটিস্টরা মরুভূমিতেও ফল উৎপাদন করার চেষ্টা করছে l তাহলে সাইলেন্সের শক্তি কি না করতে পারে ! যে ভূমি স্নেহ-জল পায় সেখানে অনেক বড় আর সুস্বাদু ফল ফলে l যেমন, স্বর্গে সব বড়-বড়ো ফল ফলে আর খুব টেস্টিও হয় l বিদেশে বড় ফল হয়, কিন্তু টেস্টি হয় না l ফল দেখতে খুব ভালো হয়, কিন্তু টেস্ট নেই l ভারতের ফল ছোট হয়, কিন্তু টেস্ট ভালো হয় l সব ফাউন্ডেশন তো এখানেই পড়ে ! যে সেন্টার স্নেহের জল পায় সেই সেন্টার সদা ফলপ্রসূ হয় l সেবাতেও আর সাথীদের মধ্যেও l স্বর্গে শুদ্ধ জল, শুদ্ধ ধরণী হবে, আর সেই কারণেই এমন ফল প্রাপ্ত হয় l যেখানে স্নেহ আছে, সেখানে বায়ুমন্ডল অর্থাৎ ধরণী শ্রেষ্ঠ হয় l সাধারণত: যখন কেউ ডিস্টার্বড থাকে তখন কি বলে ! আমার আর কিছু চাই না, শুধু স্নেহ চাই l সুতরাং ডিস্টার্ব হওয়া থেকে বাঁচার সাধনও স্নেহই l বাপদাদার সবচেয়ে বড় খুশি এই বিষয়ের যে হারিয়ে যাওয়া বাচ্চারা আবার এসে গেছে l যদি তোমরা ওখানে না পৌঁছাতে তাহলে সেবা কীভাবে হতো, সেইজন্য বিচ্ছিন হওয়াও কল্যাণকারী হয়ে গেছে l আর মিলন তো সব ক্ষেত্রেই কল্যাণকারী l নিজ নিজ স্থানে সবাই বেশ উৎসাহের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে আর সবার মধ্যে এক লক্ষ্য আছে - সব আত্মাকে অনাথ থেকে সনাথ বানানোর বাপদাদার যে একটা আশা আছে, সেই আশা তোমরা পূর্ণ করবে l সবাই মিলে শান্তির জন্য তোমরা প্রোগ্রাম বানিয়েছ, সেটাও ভালো l অন্ততপক্ষে, সবাইকে অল্প সময়ের জন্য সাইলেন্সে থাকার অভ্যাস করানোতে তোমরা নিমিত্ত তো হয়ে যাবে l যদি কেউ সঠিক বিধিতে এক মিনিটও সাইলেন্সের অনুভব করে, তাহলে সেই এক মিনিটের সাইলেন্সের অনুভব বারবার তাকে নিজে থেকেই টানতে থাকবে, কারণ সবাই শান্তি চায় l কিন্তু তারা বিধি জানে না এবং তাদের সেই সঙ্গ লাভ হয় না, অথচ সব আত্মা শান্তিপ্রিয়, এমন আত্মাদের যখন শান্তির অনুভূতি হয় তখন তারা নিজে থেকেই আকৃষ্ট হতে থাকে l প্রত্যেক স্থানে নিমিত্ত হওয়া শ্রেষ্ঠ আত্মারা নিজ নিজ বিশেষ কার্য করে l সুতরাং, চমৎকার করা কোনও বড় ব্যাপার নয় l আজকালকার বিশেষ আত্মাদের মাধ্যমই আওয়াজ ছড়িয়ে দেওয়ার সাধন l যত সেই আত্মারা সম্পর্কে আসে, তাদের সম্পর্কের মাধ্যমে অনেক আত্মাদের কল্যাণ হয় l এক ভি. আই. পি. দ্বারা অনেক সাধারণ আত্মাদের কল্যাণ হয়ে যায় l যেমনই হোক, তারা কাছের সম্বন্ধে তো আসবে না l নিজের ধর্মে, নিজের পার্টে তারা বিশেষত্বের কোন না কোন ফল লাভ করে l যারা সাধারণ বাবা তাদেরই পছন্দ করেন l তারা সময়ও দিতে পারে, তাদের (V.I.P.) তো সময় নেই ! যতই হোক, তারা নিমিত্ত হয়, তা' থেকে অনেকের সুবিধা হয়ে যায় l আচ্ছা l

পাটিদের সাথে:-
"সদা অমর ভব"র বরদানী আত্মা - এমন অনুভব কর তোমরা ? সদা বরদানে পালিত হয়ে তোমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছ, তাই না ! বাবার সঙ্গে যার অটুট সম্পর্ক সে অমর ভব'র বরদানী অর্থাৎ অমর হওয়ার বরদান লাভ করে, তারা সদা নিশ্চিন্ত বাদশাহ l কোন কার্যের নিমিত্ত হয়েও নিশ্চিন্ত থাকা তাদের বিশেষত্ব l যেমন, বাবা তো নিমিত্ত হয়েছেন, তাই না ! কিন্তু নিমিত্ত হয়েও তিনি স্বতন্ত্র, সেইজন্য তিনি নিশ্চিন্ত l এইভাবেই ফলো ফাদার l সদা স্নেহের সেফটি দ্বারা সামনে এগিয়ে চলো l স্নেহের আধারে বাবা সদা তোমাদের সেফ করেন এবং সামনে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন l তোমাদের এই আটল নিশ্চয়ও আছে, তাই না ! স্নেহের অধ্যাত্ম সম্বন্ধ জুড়ে গেছে l এই দেহাতীত সম্বন্ধে তোমরা পরস্পরের কতো প্রিয় হয়ে গেছ l বাপদাদা মাতাদের এক শব্দে খুব সহজ বিষয় বলেছেন, শুধু এক শব্দ স্মরণ কর, "আমার বাবা l" যেইমাত্র বলো আমার বাবা, তোমাদের সব রত্ন ভান্ডার প্রাপ্ত হয় l এই বাবা শব্দই রত্ন ভান্ডারের চাবি l মাতারা চাবি খুব ভালো সামলে রাখতে পারে, তাই না ! তাইতো বাপদাদাও চাবি দিয়েছেন l যে ভান্ডারই চাইবে পেয়ে যাবে l একটা ভান্ডারের চাবি নয়, সব ভান্ডারের চাবি আছে l ব্যস্ ! শুধু বাবা- বাবা বলতে থাক, তাহলে এখনও বালক তথা মালিক আর ভবিষ্যতেও মালিক হয়ে যাবে l আচ্ছা l

বরদান:-
নিশ্চয়ের অখন্ড সেবা দ্বারা নম্বর ওয়ান ভাগ্য বানিয়ে বিজয়ের তিলকধারী ভব

যারা নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চা তারা কখন কীভাবে বা এভাবে -এর বিস্তারে যায় না l তাদের নিশ্চয়ের অটুট রেখা অন্য আত্মাদেরও স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় l তাদের নিশ্চয়ের রেখার লাইন মাঝখানে খন্ডিত হয় না l যাদের এমন রেখা থাকে তাদের মস্তকে অর্থাৎ স্মৃতিতে সদা বিজয়ের তিলক নজরে আসবে l তারা জন্মানোর সাথে সাথেই সেবার দায়িত্বের মুকুটধারী হবে l তারা সদা জ্ঞানরত্নে খেলবে l সদা স্মরণ আর খুশির দোলায় দুলতে দুলতে জীবন অতিবাহিত করবে l এটাই নম্বর ওয়ান ভাগ্যের রেখা l

স্লোগান:-
বুদ্ধিরূপী কম্পিউটারে ফুলস্টপের যতিচিহ্ন থাকা অর্থাৎ প্রসন্নচিত্ত থাকা l