29.09.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
কোনো কোনো
বাচ্চা বাবার হয়েও হাত ছেড়ে দেয়, এর কারণ কি ?
উত্তরঃ -
বাবাকে সম্পূর্ণভাবে না জানার কারণে, সম্পূর্ণ নিশ্চয়বুদ্ধি না হওয়ার কারণে আট বা
দশ বছর পরেও বাবাকে তালাক দিয়ে দেয়, হাত ছেড়ে দেয় । পদ ভ্রষ্ট হয়ে যায় । দুই,
অপরাধীর দৃষ্টি হওয়ার কারণে গ্রহের প্রভাব এসে যায়, অবস্থা উপর - নীচ হতে থাকে এবং
এই পড়াও ছেড়ে যায় ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মারূপী
সন্তানদের আত্মাদের বাবা বোঝাচ্ছেন । এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা হলাম সকলেই
আত্মারূপী অসীম জগতের পিতার সন্তান, ওঁনাকে 'বাপদাদা' বলা হয় । তোমরা যেমন
আত্মারূপী বাচ্চা, তেমনই এই ব্রহ্মাও শিববাবার আত্মিক সন্তান । শিববাবার তো অবশ্যই
রথের প্রয়োজন, তাই যেমন তোমরা আত্মারা কর্ম করার জন্য এই দেহ রূপী অর্গ্যান্স পেয়েছো,
তেমনই শিববাবারও রথ আছে, কেননা এ হলো কর্মক্ষেত্র, যেখানে কর্ম করতে হয় । ওখানে হলো
ঘর, যেখানে আত্মারা থাকে । আত্মারা জেনেছে যে, আমাদের ঘর শান্তিধাম, ওখানে এই খেলা
হয় না । ওখানে কোনো বাতি ইত্যাদি থাকে না, ওখানে কেবল আত্মারা থাকে । আত্মারা এখানে
আসে অভিনয় করতে । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে - এ হলো অসীম জগতের ড্রামা । এই ড্রামাতে
যারা অভিনেতা, বাচ্চারা তোমরা পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে, শুরু থেকে অন্ত পর্যন্ত
তাদের অভিনয়কে জানতে পারো । একথা কোনো সাধু - সন্ত আদি বোঝাতে পারেন না । আমরা
বাচ্চারা এখানে অসীম জগতের বাবার কাছে বসে আছি, এখন আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে? আর
আত্মাদের অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । এমন নয় যে, শরীরও এখানেই পবিত্র হবে, তা নয় ।
আত্মা পবিত্র হয় । শরীর তো তখন পবিত্র হবে, যখন পাঁচ তত্বও সতোপ্রধান হবে । এখন
তোমাদের আত্মা পুরুষার্থ করে পবিত্র হচ্ছে । ওখানে আত্মা আর শরীর দুইই পবিত্র হয় ।
এখানে তা হতে পারে না । আত্মা যখন পবিত্র হয়ে যায়, তখন পুরানো শরীর ত্যাগ করে,
আবার নতুন তত্বে নতুন শরীর তৈরী হয় । তোমরা জানো যে, আমাদের আত্মা অসীম জগতের
পিতাকে স্মরণ করছে, নাকি করছে না ? এ তো প্রত্যেককেই নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে । এই
পাঠের সমস্ত কিছুই যোগের উপর নির্ভর করে । এই পড়া তো খুবই সহজ, তোমরা বুঝে গেছো যে,
এই চক্র কিভাবে ঘুরতে থাকে, মুখ্য হলো স্মরণের যাত্রা । এ অন্দরে হলো গুপ্ত ।
দেখতেই পাওয়া যায় না । বাবা এমন বলতেই পারেন না যেএ অনেক স্মরণ করে, বা এ কম । হ্যাঁ,
জ্ঞানের জন্য বলতে পারেন যে, এ জ্ঞানে অত্যন্ত তীক্ষ্ণ । স্মরণের তো কিছুই দেখতে
পাওয়া যায় না । জ্ঞান তো মুখ দিয়ে বলা যায় । আর স্মরণ তো হলো অজপা জপ । 'জপ'
অক্ষর হলো ভক্তিমার্গের, জপের অর্থ হলো, কারোর নাম ক্রমাগত জপ করা । এখানে তো
আত্মাকে তার বাবাকে স্মরণ করতে হবে ।
তোমরা জানো যে, আমরা বাবাকে স্মরণ করতে - করতে, পবিত্র হতে - হতে মুক্তিধাম -
শান্তিধামে গিয়ে পৌঁছাবো । এমন নয় যে, ড্রামাতে মুক্ত হয়ে যাবো । মুক্তির অর্থ হলো
- দুঃখ থেকে মুক্ত, তোমরা শান্তিধামে গিয়ে আবার সুখধামে চলে আসবে । যারা পবিত্র হয়,
তারাই সুখ ভোগ করে । অপবিত্র মানুষ তাদের সেবা করে । পবিত্রতারই মহিমা, এতেই
পরিশ্রম । এই চোখ অত্যন্ত ধোকা দেয়, একদম নামিয়ে দেয় । সবাইকেই তো উপর - নীচ হতে
হয় । গ্রহের দোষ সকলেরই লাগে । বাবা যদিও বলেন, বাচ্চারাও বোঝাতে পারে । তারা
আবারও বলে, গুরু মাতা চাই, কারণ এখন গুরুমাতার সিস্টেম চলছে । আগে গুরু পিতাদের ছিল
। এখন সবার প্রথমে মায়েরাই কলস পায় । বেশীরভাগই মাতা'রা, কুমারীরাও পবিত্রতার কারণে
রাখী বাঁধে । ভগবান বলেন যে, কাম হলো মহাশত্রু, তোমরা একে জয় করো । রাখী বন্ধন হলো
পবিত্রতার নিদর্শন, ওরা এমনিই রাখী বাঁধে, পবিত্র তো আর হয় না । ওগুলো হলো নকল রাখী,
এখানে কেউই পবিত্র তৈরী করে না, তাই এতে জ্ঞানের প্রয়োজন । তোমরা এখন রাখী বাঁধো ।
অর্থও তোমরা বুঝিয়ে বলো । এই প্রতিজ্ঞা এখানে করানো হয় । শিখদের যেমন কঙ্কন
নিদর্শন, কিন্তু তারা পবিত্র হয় না । পতিতকে পবিত্রতা দানকারী, সকলের সদগতিদাতা
একজনই, তিনি দেহধারী নন । গঙ্গার জল তো এই চোখে দেখা যায় । বাবা, যিনি সদগতিদাতা,
তাঁকে এই চোখে দেখা যায় না । আত্মাকেও কেউ দেখতে পারে না যে, সে কি জিনিস ।
জিজ্ঞেস করে, আমাদের শরীরে আত্মা আছে, তাকে দেখেছো কি ? তখন বলবে, না । আর সব জিনিস,
যাদের নাম আছে, সে সবকিছুই দেখা যায় । আত্মারও তো নাম আছে । বলা হয়, ভ্রুকুটির
অন্দরে ঝলমলে এক আজব তারা, কিন্তু তা দেখা যায় না । পরমাত্মাকেও স্মরণ করে, কিন্তু
কিছুই দেখা যাবে না । লক্ষ্মী - নারায়ণকে এই চোখে দেখা যায় যদিও মানুষ লিঙ্গের পূজা
করে, তবুও এ তো কোনো যথার্থ রীতি নয়, তাই না । দেখেও জানে না যে, পরমাত্মা কি ? এ
কথা কেউই জানতে পারে না । আত্মা তো অতি ক্ষুদ্র বিন্দু । তা দেখা যায় না । না
আত্মাকে দেখা যায়, আর না পরমাত্মাকে দেখা যায় বা জানা যায় । তোমরা এখন জানো যে,
আমাদের বাবা এনার মধ্যে এসেছেন । এই শরীরের তাঁর নিজের আত্মাও আছে, তবুও পরমপিতা
পরমাত্মা বলেন - আমি এনার রথে বিরাজমান, তাই তোমরা বাপদাদা বলো । এখন দাদাকে তো এই
চোখ দিয়ে দেখতে পাও, বাবাকে দেখতে পাও না । তোমরা জানো যে, বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর,
তিনি এই শরীরের দ্বারা আমাদের জ্ঞান শোনাচ্ছেন । তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন
। নিরাকার কিভাবে পথ বলে দেবেন ? প্রেরণার দ্বারা তো কোনো কাজ হয় না । ভগবান যে
আসেন, একথা কেউই জানে না । শিব জয়ন্তীও পালন করা হয়, তাই অবশ্যই তিনি এখানে আসবেন,
তাই না । তোমরা জানো যে, এখন তিনি আমাদের পড়াচ্ছেন । বাবা এনার মধ্যে এসে পড়ান ।
বাবাকে সম্পূর্ণভাবে না জানার কারণে নিশ্চয়বুদ্ধি না হওয়ার কারণে আট - দশ বছর পরেও
তালাক দিয়ে দেয় । মায়া সম্পূর্ণ অন্ধ বানিয়ে দেয় । বাবার হয়ে তাঁকে ত্যাগ করে, ফলে
পদভ্রষ্ট হয়ে যায় । বাচ্চারা, এখন তোমরা বাবার পরিচয় পেয়েছো, তাই অন্যদেরও তা
জানাতে হবে । ঋষি - মুনি সবাই 'এটাও না - ওটাও না' করে গেছেন । আগে তোমরাও জানতে না
। এখন তোমরা বলবে যে - হ্যাঁ,আমরা জানি, তাই আস্তিক হয়ে গেছি । এই সৃষ্টির চক্র
কিভাবে ঘুরতে থাকে, তাও তোমরা জানো । সম্পূর্ণ দুনিয়া আর তোমরা নিজেরা এই পড়ার
পূর্বে নাস্তিক ছিলে । বাবা এখন বুঝিয়েছেন, তাই তোমরা বলো যে, আমাদের পরমপিতা
পরমাত্মা বাবা বুঝিয়েছেন, আস্তিক বানিয়েছেন । আমরা এই রচনার আদি - মধ্য - অন্তকে
জানতাম না । বাবা হলেন রচয়িতা, বাবাই এই সঙ্গমে এসে নতুন দুনিয়ার স্থাপনাও করেন, আর
পুরানো দুনিয়ার বিনাশও করেন । পুরানো দুনিয়ার বিনাশের জন্য এই মহাভারতের লড়াই, যার
জন্য মনে করা হয়, ওই সময় কৃষ্ণ ছিলো । এখন তোমরা বুঝতে পারো - সেই সময় নিরাকার
বাবা ছিলেন, তাঁকে দেখা যায় না । কৃষ্ণের তো চিত্র আছে, তাঁকে তো দেখা যায় । শিবকে
দেখতে পাওয়া যায় না । কৃষ্ণ তো হলেন সত্যযুগের প্রিন্স । সেই চিত্র আর হতে পারবে
না । কৃষ্ণও কবে কিভাবে এসেছিলেন, এও কেউই জানে না । কৃষ্ণকে কংসের জেলে দেখানো হয়
। কংস কি সত্যযুগে ছিলো ? এ কিভাবে হতে পারে । কংস অসুরকে বলা হয় । এই সময় তো
সম্পূর্ণই আসুরী সম্প্রদায়, তাই না । একে অপরকে মারতে - কাটতে থাকে । দৈবী দুনিয়া
ছিলো, একথা মানুষ ভুলে গেছে । ঈশ্বরীয় দৈবী দুনিয়া ঈশ্বর স্থাপন করেছিলেন ।
পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে এও তোমাদের বুদ্ধিতে আছে । তোমরা এখন হলে ঈশ্বরীয়
পরিবার, এরপর ওখানে হবে দৈবী পরিবার । এই সময় ঈশ্বর তোমাদের স্বর্গের দেবী - দেবতা
করার উপযুক্ত করছেন । বাবা তোমাদের পড়াচ্ছেন । এই সঙ্গম যুগকে কেউই জানে না । কোনো
শাস্ত্রেই এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগের কোনো কথা নেই । পুরুষোত্তম যুগ অর্থাৎ যেখানে
পুরুষোত্তম হতে হয় । সত্যযুগকে বলা হবে পুরুষোত্তম যুগ । এই সময় মানুষ তো
পুরুষোত্তম নয় এখানে তো কনিষ্ঠ তমোপ্রধান বলা হবে, এইসব কথা তোমরা ব্রাহ্মণরা ছাড়া
আর কেউই বুঝতে পারবে না । বাবা বলেন যে, এ হলো আসুরী ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া । সত্যযুগে
এমন কোনো পরিবেশ হয় না । সে হলো শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া । সেখানকার চিত্র আছে । বরাবর
এরা শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়ার মালিক ছিলো । ভারতে এমন রাজারা ছিলেন যাদের পূজা করা হয়
। তারা পূজ্য পবিত্র ছিলো, যারা আবার পূজারী হয়ে গেছে । পূজারী ভক্তিমার্গকে আর
পূজ্য জ্ঞানমার্গকে বলা হয় । পূজ্য থেকে পূজারী আবার পূজারী থেকে পূজ্য কিভাবে তৈরী
হয় । তোমরা এও জানো যে, এই দুনিয়াতে একজনও পূজ্য থাকতে পারবে না । পরমপিতা পরমাত্মা
আর দেবতাদেরই পূজ্য বলা হয় । পরমপিতা পরমাত্মা হলেন সকলের পূজ্য । সব ধর্মের
মানুষরাই তাঁর পূজা করেন । বাবার জন্মের মহিমাও এখানেই করা হয় । শিব জয়ন্তী আছে
তো, কিন্তু মানুষ কিছুই জানে না যে, তাঁর জন্ম ভারতে হয়, আজকাল শিব জয়ন্তীকে তো
ছুটির দিনও ঘোষণা করা হয় না । জয়ন্তী পালন করো বা না করো, তোমাদের মর্জি ।
অফিসিয়াল ছুটির দিন নয় । যারা শিব জয়ন্তীকে মানে না, তারা নিজের কাজে চলে যায় ।
অনেক ধর্ম আছে, তাই না । সত্যযুগে এমন কথা হয় না । ওখানে এমন পরিবেশ নেই । সত্যযুগ
হলো নতুন দুনিয়া, এক ধর্ম । ওখানে এ কথা কেউ জানতেও পারে না যে, এরপরে চন্দ্রবংশী
রাজ্য হবে । এখানে তোমরা সবাই জানো যে, এই - এই জিনিস অতীত হয়ে গেছে । সত্যযুগে
তোমরা থাকবে, সেখানে তোমরা কোন অতীতকে স্মরণ করবে ? অতীত তো হলো কলিযুগ । তার
হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি শুনে কি লাভ ।
তোমরা জানো যে, তোমরা এখানে বাবার কাছে বসে আছো । বাবা যেমন টিচারও, আবার সদগুরুও ।
বাবা সবাইকে সদগতি করাতে এসেছেন । তিনি অবশ্যই সমস্ত আত্মাদের নিয়ে যাবেন । মানুষ
তো দেহ বোধে এসে বলে, এ সবই মাটিতে মিশে যাবে । একথা বুঝতে পারে না যে, আত্মারা তো
চলে যাবে, বাকি এই শরীর তো মাটির তৈরী, এই পুরানো শরীর শেষ হয়ে যায় । আমরা আত্মারা
এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করি । এই দুনিয়াতে এ হলো আমাদের অন্তিম জন্ম,
সবাই পতিত, এখানে সম্পূর্ণ পবিত্র তো কেউই থাকতে পারে না । সতোপ্রধান, সতো, রজো, তমো
সকলেই হয় । ওরা তো বলে দেয়, সকলেই ঈশ্বরের রূপ, এই খেলা করার জন্য ঈশ্বর নিজের
অনেক রূপ বানিয়েছেন । হিসেব - নিকেশ কিছুই জানে না । না যে এই খেলা করায়, তাঁকে ।
বাবা বসেই এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি বুঝিয়ে বলেন । এই খেলাতে প্রত্যেকেরই
অভিনয় আলাদা - আলাদা । সকলেরই পজিশন আলাদা - আলাদা, যে যেমন পজিশনের তাঁর তেমনই
মহিমা হয় । এই সব কথা বাবা এই সঙ্গম যুগে এসেই বোঝান । সত্যযুগে আবার সত্যযুগের
পার্ট চলবে । ওখানে এইসব বিষয় হবে না । এখানেই তোমাদের সৃষ্টিচক্রের জ্ঞান বুদ্ধিতে
ঘুরতে থাকে । তোমাদের নামই হলো স্বদর্শন চক্রধারী । লক্ষ্মী - নারায়ণকে তো স্বদর্শন
চক্র দেওয়াই হয় না । এ হলো এখানকার । মূলবতনে কেবল আত্মারা থাকে, সূক্ষ্মবতনে
কিছুই নেই । মনুষ্য, জানোয়ার, পশু, পক্ষী ইত্যাদি সবই এখানে হয় । সত্যযুগে ময়ূর
ইত্যাদি দেখানো হয় । এমন নয় যে, ওখানে কেউ ময়ূরের পালক ছিঁড়ে মাথায় ধারণ করবে !
ময়ূরকে কষ্ট দেবেই না । আবার এমনও নয় যে ময়ূরের থেকে খসে পড়া পালক মুকুটে লাগাবে ।
তা নয়, মুকুটেও মিথ্যা চিহ্ন দিয়ে দিয়েছে । ওখানে সবই সুন্দর জিনিস থাকে । খারাপ
কোনো জিনিসের চিহ্নমাত্র থাকে না । এমন কোনো জিনিসই থাকে না, যা দেখে ঘৃণা আসে ।
এখানে তো ঘৃণা আসে, তাই না । ওখানে জানোয়ারদেরও দুঃখ থাকে না । সত্যযুগ কতো একনম্বর
যুগ হবে । নামই হলো স্বর্গ, হেভেন, নতুন দুনিয়া । এখানে তো দেখো বৃষ্টির কারণে
বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়ে । মানুষ মারা যায় । ভূমিকম্প হলে সবাই চাপা পড়ে মারা যাবে ।
সত্যযুগে খুব অল্প মানুষ থাকবে, তারপর পরে বৃদ্ধি পেতে থাকবে । প্রথমে সূর্যবংশী
থাকবে । দুনিয়া যখন ২৫ শতাংশ পুরানো হবে তখন চন্দ্রবংশী হবে । সত্যযুগ হলো ১২৫০
বছরের, সে হলো একশো শতাংশ নতুন দুনিয়া । যেখানে দেবী - দেবতা রাজ্য করেন । তোমাদের
মধ্যেও অনেকে এই কথা ভুলে যায় । রাজধানী তো স্থাপন হাতেই হবে । তোমরা হার্টফেলে হয়ে
যেও না । এ হলো পুরুষার্থের কথা । বাবা সকল বাচ্চাদের এক সমান পুরুষার্থ করান ।
তোমরা এই বিশ্বে নিজেদের জন্য রাজধানী স্থাপন করো । নিজেকে দেখতে হবে যে, আমরা কি
তৈরী হবো ? আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
সঙ্গম যুগে স্বর্গের দেবী - দেবতা হওয়ার পাঠ গ্রহণ করে নিজেকে উপযুক্ত করতে হবে ।
পুরুষার্থ করতে গিয়ে হার্টফেল ক'রো না ।
২ ) এই অসীম জগতের খেলায় প্রত্যেক অভিনেতার পার্ট আর পজিশন আলাদা - আলাদা। যার যেমন
পজিশন, সে তেমনই মান প্রাপ্ত করে, এই সব রহস্য বুঝে এই পৃথিবীর হিস্ট্রি -
জিওগ্রাফিকে মন্থন করে স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে ।
বরদান:-
শ্রীমতের সঙ্গে মনমত এবং জনমতের মিশ্রণকে সমাপ্তকারী প্রকৃত স্ব কল্যাণকারী ভব
বাবা বাচ্চাদের সমস্ত
সম্পদ স্ব কল্যাণ এবং বিশ্ব কল্যাণের জন্য দিয়েছেন, কিন্তু তা ব্যর্থের প্রতি লাগানো,
অকল্যাণের কার্যে লাগানো, শ্রীমতের সঙ্গে মনমত এবং জনমতের মিশ্রণ করা --এ হলো জমার
থেকে খরচ বেশী । এখন এই অসত্যের মিশ্রণকে সমাপ্ত করে আত্মিক গুণ আর দয়ার ধর্মকে
ধারণ করো । নিজের উপর এবং সর্বের উপর দয়া করে স্ব - কল্যাণী হও । নিজেকে দেখো,
বাবাকে দেখো, অন্যদের দেখো না ।
স্লোগান:-
সদা প্রফুল্লিত সেই থাকতে পারে, যে কখনোই আকৃষ্ট হয় না ।