09.09.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
এই যোগবলের
দ্বারা তোমরা কি এমন আশ্চর্য বিষয় করে দেখাতে পারো ?
উত্তরঃ -
এই যোগবলের দ্বারা তোমরা তোমাদের সব কর্মেন্দ্রিয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো।
যোগবল ছাড়া তোমরা পবিত্র হতে পারবে না। যোগবলের দ্বারাই সমগ্র সৃষ্টি পবিত্র হবে।
এইজন্য পবিত্র হওয়ার জন্য বা ভোজনকে শুদ্ধ বানানোর জন্য স্মরণের যাত্রায় থাকো।
যুক্তি সহকারে চলো। সকলের সঙ্গে নম্রতার সাথে ব্যবহার করো।
ওম্ শান্তি ।
আধ্যাত্মিক
বাবা তাঁর আধ্যাত্মিক বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। দুনিয়াতে কারোরই এ বিষয়ে জানা নেই
যে, আধ্যাত্মিক বাবা এসে স্বর্গের বা নতুন দুনিয়ার স্থাপনা কিভাবে করছেন। কেউই জানে
না। তোমরা বাবার কাছে কোনও কিছু চাইতে পারো না। বাবা সবকিছুই বুঝিয়ে দেন। বাবাকে
কিছুই জিজ্ঞাসা করার দরকার নেই, সবকিছু বাবা নিজেই বুঝিয়ে দেন। বাবা বলছেন যে, আমাকে
প্রতি কল্পে এই ভারত খন্ডে এসে কি করতে হবে, সেটা আমি জানি, তোমরা জানো না। বাবা
প্রতিদিন তোমাদের বোঝাতে থাকেন। কেউ যদি কোনও কিছু জিজ্ঞাসাও না করে, তবুও সবকিছুই
আমি বুঝিয়ে দিই। বাচ্চারা কখনো কখনো জিজ্ঞাসা করে যে, বাবা - খাদ্য ও পানীয়ের
ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এখন এটা তো হল বোঝার বিষয়। বাবা বলে দিয়েছেন যে, প্রত্যেক
বিষয়ে যোগবলের দ্বারা কাজ সফল করো। স্মরণের যাত্রার দ্বারাই কাজ সফল হবে আর যদি
কোথাও যাও, তো মুখ্য কথাই হল বাবাকে অবশ্যই স্মরণ করতে হবে। অন্য কোনও আসুরিক কাজ
ক'রো না। আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান, তিনি হলেন সকলের পিতা, তিনি সকলের জন্য এই একই
শিক্ষা প্রদান করেন। বাবা শিক্ষা দিচ্ছেন যে - বাচ্চারা স্বর্গের মালিক হতে হবে।
রাজাদের মধ্যেও তো পদের ব্যবধান থাকে, তাই না ! প্রত্যেকের পুরুষার্থ অনুসারে পদ
প্রাপ্ত হয়। বাচ্চাদেরকেই পুরুষার্থ করতে হয় আর বাচ্চাদেরকেই প্রালব্ধ ভোগ করতে হয়।
পুরুষার্থ করানোর জন্য বাবা আসেন। তোমাদের কিছুই জানা ছিল না যে, বাবা কবে আসেন, এসে
কি করেন, কোথায় নিয়ে যান। বাবা-ই এসে বোঝাচ্ছেন, ড্রামার প্ল্যান অনুসারে তোমরা
কোথা থেকে পড়ে গেছো ? একদম উঁচু চূড়া থেকে। বুদ্ধিতে ছিলোই না যে, আমি কে ? এখন
অনুভব করতে পারো, তাই না ! তোমাদের স্বপ্নেতেও ছিলনা যে, বাবা এসে কী করেন। তোমরা
কিছুই জানতে না। এখন বাবাকে প্রাপ্ত করেছো, তাই বুঝতে পেরেছ যে, এইরকম বাবার কাছে
তো সবকিছু সমর্পিত করে দিতে হয়। যেরকম পতিব্রতা স্ত্রী তার পতির কাছে সবকিছু
সমর্পিত করে দেয়, এমনকি চিতার উপরেও চড়তে ভয় পায় না। কতো সাহসী হয়! আগে তো পতির
জ্বলন্ত চিতার উপর অনেক স্ত্রী নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিত। এখানে তো বাবা তো
এইরকম কোনও কষ্ট দেন না। যদিও নাম দিয়েছেন জ্ঞান চিতা, কিন্তু এখানে জ্বলে-পুড়ে
যাওয়ার কোনও কথা নেই। বাবা এত সহজ করে বুঝিয়ে দেন যে, যেন মাখন থেকে চুলকে অপসারিত
করার মত মনে হয়। বাচ্চারা বুঝতে পেরেছে যে, বরাবর জন্ম-জন্মান্তরের পাপের বোঝা
মাথার উপর আছে। কোনও এক অজামিলের কথা বলা হয়নি, প্রত্যেক মানুষ এক-পরস্পরের থেকে
অল্পবিস্তর অজামিল। মানুষের কি মনে আছে যে, অতীত জন্মে সে কি কি করে এসেছে। এখন
তোমরা বুঝতে পেরেছ যে, পাপই করে এসেছি। বাস্তবে পূণ্য আত্মা একজনও নেই। সবাই হল
পাপাত্মা। পুণ্য করলে, তবে তো পুণ্যাত্মা হওয়া যায়। পূণ্য আত্মা হয় সত্য যুগে।
কেউ যদি হাসপাতাল আদি তৈরী করে, তো তাতে কি হবে! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় অল্প একটু
রক্ষা পাবে। কিন্তু উন্নতি কলা তো হবে না। নামতেই থাকবে। এই বাবা তো হলেন এতই মিষ্টি,
যাঁর উপর বলা যায়, বেঁচে থেকেই আত্ম-উৎসর্গ করে দেওয়া উচিত, কেননা তিনি হলেন
পতিদের পতি, বাবারও বাবা, সবথেকে উঁচু।
বাচ্চাদেরকে এখন বাবা জাগ্রত করছেন। এইরকম বাবা, যিনি স্বর্গের মালিক বানাতে এসেছেন,
তিনি কতই না সাধারণ। শুরুতে বাচ্চারা যখন রোগাগ্রস্ত হয়ে পড়তো, তখন বাবা নিজে
তাদেরকে সেবা করতেন। তাঁর মধ্যে অল্প একটুও অহংকার নেই। বাপ-দাদা হলেন উঁচুর থেকেও
উঁচু। তিনি বলতেন যেরকম কর্ম আমি এদেরকে দিয়ে করাবো বা করবো...। বাপ-দাদা যেন এক হয়ে
যেতেন। কিছুই বোঝা যেত না যে, বাবা সেবা করতেন নাকি দাদা সেবা করতেন। কর্ম, অকর্ম,
বিকর্মের গতি বাবা-ই বসে বোঝাচ্ছেন। বাবা হলেন অনেক উঁচু। মায়ারও অনেক প্রভাব থাকে।
ঈশ্বর বাবা বলেন - এরকম করো না, তবুও মানে না। ভগবান বলছেন - মিষ্টি বাচ্চারা, এই
কাজ করবে না, তবুও উল্টোপাল্টা কাজ করে ফেলে। উল্টো কাজ করার ক্ষেত্রেই তো বারণ
করবেন, তাই না! কিন্তু মায়াও হল খুব প্রবল। ভুল করেও বাবাকে কখনো ভুলে যেও না। যদি
বাবা তোমাদেরকে প্রহারও করেন, বা যা কিছু করেন, তবুও বাবাকে ভুলে যেও না। বাবা
এইরকম কিছুই করেন না, তবুও চুড়ান্ত সময়ের জন্য বলা হয়েছে। গানও আছে যে- তোমার
দুয়ার কখনো ছাড়বো না। তুমি যা কিছুই বলো না কেন! বাইরে রাখাই বা কি আছে? বুদ্ধিও
বলে যে যাব কোথায়? বাবা স্বর্গের রাজত্ব দিচ্ছেন, এ সুযোগ আর কখনও পাওয়া যাবে না।
এরকম নয় যে অন্যান্য জন্মেও এই সুযোগ প্রাপ্ত হবে। না। এই পারলৌকিক বাবা, যিনি
তোমাদেরকে অসীম জগতের সুখধামের মালিক বানাচ্ছেন। বাচ্চাদেরকে দৈবীগুণও ধারণ করতে হবে।
তার জন্য বাবা শ্রীমৎ দিচ্ছেন। নিজের পুলিশ আদির চাকরিও করতে হবে, না হলে তো চাকরি
থেকে বের করে দেবে। নিজের কাজ তো করতেই হবে, চোখ রাঙাতেও হবে। যতটা সম্ভব হয়,
প্রেমপূর্ণভাবে কাজ করো, না হলে তো যুক্তি-সঙ্গত ভাবে চোখ দেখাও। হাত চালিও না।
বাবার তো অসংখ্য বাচ্চা আছে। বাবাকেও বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়, তাইনা! মুল
কথা হলো পবিত্র থাকা। জন্ম-জন্মান্তর ধরে তোমরা আমাকে ডেকেছিলে, তাই না - হে পতিত
পাবন এসে আমাদেরকে পবিত্র বানাও। কিন্তু অর্থ কিছুই বুঝতে না। তোমরা যখন আহ্বান করতে
তো তোমরা অবশ্যই পতিত ছিলে। না হলে তো আহ্বান করার দরকারই ছিল না। পূজা করারও
দরকারই ছিলনা। বাবা বোঝাচ্ছেন যে, তোমাদের অবলাদের উপর অনেক অত্যাচার হয়, সহ্য
করতেই হয়। যুক্তিও অনেক বোঝাতে থাকেন। অত্যন্ত নম্রতার সাথে ব্যবহার করো। (পতিকে)
বলো যে - “তুমি তাে হলে ভগবান, পুনরায় এইসব কেন প্রার্থনা করছো? গাঁটছড়া বাঁধার
সময় বলেছিলে যে - আমি তোমার পতি-ঈশ্বর-গুরু সবকিছুই, এখন আমি পবিত্র থাকতে চাই,
তাহলে তুমি কেন আমাকে বাঁধা দিচ্ছ ? ভগবানকে তো পতিত-পাবন বলা যায়, তাই না! তুমি
নিজেই পবিত্রতার রচয়িতা হয়ে যাও।” এইরকম ভালোবাসার সাথে নম্রতার ভাবনা দিয়ে কথা
বলতে হবে। সে যদি ক্রোধ করে, তো তার উপর ফুলের বর্ষা করো। যদি সে আঘাতও করে, পরে
কিন্তু অনুশোচনাও করবে। মদ্যপান করলে যেমন অনেক নেশা চড়ে যায়। নিজেকে রাজা মনে করে।
এই বিষ হল এমনই জিনিস যে সে কথা জিজ্ঞাসা ক'রো না। অনুশোচনাও করে কিন্তু অভ্যাস পড়ে
গেছে, তাই সেটা কাটতে চায় না। এক-দুইবার বিকারে গেলেই নেশা চড়ে যায়, ব্যস্ নিচের
দিকে নামতেই থাকে। যেরকম নেশার জিনিস খুশির সাথে গ্রহণ করে, বিকারও হল এই রকম। এখানে
আবার অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যোগবল ছাড়া কোনও কর্মেন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে
না। এটাই হল যোগবলের কামাল, তাই তো এই রাজযোগের নাম সুপরিচিত, বিদেশ থেকেও এখানে আসে
যোগ শেখার জন্য। শান্তিতে বসে থাকে। ঘর-বাড়ি থেকে দূর হয়ে যায়। সেটা তো হল
অর্ধেক অল্পের জন্য কৃত্রিম শান্তি। কারোরই সত্যিকারের শান্তির সম্বন্ধে জানা নেই।
বাবা বলেন যে, বাচ্চারা! তোমাদের স্বধর্মই হল শান্ত, এই শরীরের দ্বারা তোমরা কর্ম
করছো। যতক্ষণ না আত্মা শরীর ধারণ না করে, ততক্ষণ আত্মা শান্ত থাকে। তারপর কোথাও না
কোথাও গিয়ে প্রবেশ করে। এখানে তো আবার কেউ কেউ সূক্ষ্ম শরীরের দ্বারাও ধাক্কা খেতে
থাকে। সেটা তো ছায়া শরীর হয়, কেউ কেউ আবার দুঃখদায়ী হয়ে থাকে, কেউ আবার ভালও হয়,
এখানেও কেউ কেউ ভালো মানুষ হয়ে থাকে, যারা কাউকে কখনো দুঃখ দেয় না। আবার কেউ তো
অনেক দুঃখ দিয়ে থাকে। কেউ আবার যেরকম সাধু মহাত্মাদের মত হয়ে থাকে।
বাবা বোঝাচ্ছেন যে, মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা! তোমরা ৫ হাজার বছর পর পুনরায়
আমার সাথে মিলন করতে এসেছ। কি নেওয়ার জন্য এসেছ ? বাবা বলে দিয়েছেন যে - তোমরা কি
প্রাপ্ত করতে চলেছো। বাবা আপনার থেকে আমরা কি প্রাপ্ত করব - এইসব প্রশ্নই নেই। আপনি
তো হলেনই হেভেনলি গডফাদার। নতুন দুনিয়ার রচয়িতা। তো অবশ্যই আপনার থেকে বিশ্বের
রাজপদ প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন যে, অল্প কিছু জ্ঞানও যদি বুঝে যায়, তাহলেও স্বর্গে
অবশ্যই আসবে। আমি স্বর্গের স্থাপনা করতে এসেছি। ভগবান আর প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন
সবথেকে বড় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তোমরা জানো যে বিষ্ণু কে ? আর কারোরই এ বিষয়ে জানা
নেই। তোমরা তো বলবে যে আমরা হলাম এঁনার বংশধর, এই লক্ষ্মী-নারায়ণ তো সত্যযুগে
রাজত্ব করে থাকেন। এই চক্র আদি বাস্তবে বিষ্ণুর জন্য নয়। এই অলংকার হলো আমাদের
ব্রাহ্মণদের জন্য। এখন এটাই হল জ্ঞান। সত্যযুগে কি এইরকম বোঝানো হবে! এরকম কথা বলার
শক্তি কারোর মধ্যেই নেই। তোমরাই এখন এই ৮৪ জন্মের চক্রের কথা জানো। এর অর্থ কেউ
বুঝতে পারে না। বাচ্চাদেরকে বাবা বুঝিয়েছেন। বাচ্চারা বুঝে গেছে, আমাদের তো এখন এই
অলংকার শোভা পায় না। আমরা এখন শিক্ষা গ্রহণ করছি। পুরুষার্থ করছি। পুনরায় এইরকম (বিষ্ণুসম)
তৈরী হয়ে যাব। স্বদর্শনচক্র ঘোরাতে ঘোরাতে আমরা দেবতা হয়ে যাব। স্বদর্শন চক্র
অর্থাৎ রচয়িতা আর রচনার আদি মধ্য অন্তকে জানা। সমগ্র দুনিয়াতে কেউই এটা বোঝাতে
পারবে না যে, এই সৃষ্টির চক্র কিভাবে পুনরাবৃত্তি হয়। বাবা কত সহজ করে বুঝিয়ে
দিচ্ছেন - এই চক্রের আয়ু তো এত বড় হতে পারে না। মানষেরই আদম সুমারী শোনানো হয়ে
থাকে যে, এত মানুষ আছে। এরকম কি বলা হয় যে, কচ্ছপ কতগুলি আছে, মৎস আদি কতগুলি আছে!
মানুষেরই কথা বলা হয়ে থাকে। তোমাদের কাছেও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, বাবা সবকিছুরই
যুক্তি সঙ্গত উত্তর বলে দেন। শুধুমাত্র সেইসব কথাগুলির উপর মনঃসংযোগ করতে হবে।
বাবা বুঝিয়েছেন যে, যোগবলের দ্বারা যদি তোমরা সৃষ্টিকে পবিত্র বানাতে পারো, তাহলে
কি যোগবলের দ্বারা খাদ্যকে শুদ্ধ করতে পারবে না? আচ্ছা, তোমরা তো এরকম হয়েই গেছ।
কিন্তু কাউকে কি নিজের সমান বানাতে পেরেছ? *এখন বাচ্চারা, তোমরা বুঝতে পেরেছ যে,
বাবা এসেছেন স্বর্গের রাজত্ব পুনরায় দেওয়ার জন্য। তাই এই রাজত্বকে প্রত্যাহার কোরো
না। বিশ্বের রাজত্ব প্রত্যাহার করলে তো সবশেষ। তাহলে প্রত্যাহারের (নোংরা ফেলার)
পাত্রে গিয়ে পড়বে। এখন সমগ্র দুনিয়াই হল নোংরা ফেলার পাত্র। তাই একে নোংরাই বলা
যাবে। দুনিয়ার অবস্থা দেখো কিরকম হয়ে গেছে* । তোমরা তো জানো যে, আমরা বিশ্বের
মালিক হতে চলেছি। এসব কথা কারো জানাই নেই যে, সত্য যুগে একটাই রাজ্য ছিল, তারা মানবে
না। নিজেদের অহংকার-বোধ থাকে, তাই তারা একটুও শুনতে চায় না, বলে দেয় যে এসব হল
আপনাদের কল্পনা। কল্পনার দ্বারাই এই শরীর আদি তৈরি হয়েছে। অর্থ কিছুই বুঝতে পারেনা।
ব্যস এটা হল ঈশ্বরের কল্পনা, ঈশ্বর যেটা চান, সেটাই হয়, এসব হল তাঁর খেলা। এরকম কথা
বলতে থাকে, সে কথা আর জিজ্ঞাসা করো না! বাচ্চারা এখন তোমরা জেনে গেছ যে বাবা এসে
গেছেন। বৃদ্ধা মাতারাও বলে যে - বাবা প্রত্যেক ৫ হ বছর পর আমরা আপনার থেকে স্বর্গের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। আমরা এখন এসেছি স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য।
তোমরা জেনে গেছ যে, সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীর নিজের নিজের পার্ট আছে। একজনের পার্ট
অন্যের সাথে মিলবে না। তোমরা পুনরায় এই নাম রূপে এসে, এই সময় বাবার থেকে অবিনাশী
উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য পুরুষার্থ করবে। কতো অপরিমিত উপার্জন। যদিও বাবা বলেন যে,
অল্প কিছু শুনলেও স্বর্গে আসতে পারবে। কিন্তু প্রত্যেক মানুষ তো পুরুষার্থ করে উঁচু
হওয়ার জন্যই, তাই না! তাই পুরুষার্থ হল ফার্স্ট। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
যেরকম বাবা বাচ্চাদের সেবা করেন, কোনও অহংকার নেই, এইরকম ফলো ফাদার করতে হবে। বাবার
শ্রীমতে চলে বিশ্বের রাজপদ প্রাপ্ত করতে হবে। প্রত্যাহার ক'রো না।
২ ) বাবারও বাবা, পতিদেরও পতি, যিনি হলেন সবার থেকে উঁচু এবং মিষ্টি, তাঁর প্রতি
বেঁচে থেকেও নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে হবে। জ্ঞান চিতার উপর বসতে হবে। ভুলেও কখনো
বাবাকে ভুলে গিয়ে উল্টো-পাল্টা কাজ করো না।
বরদান:-
মাস্টার জ্ঞান সাগর হয়ে জ্ঞানের গভীরে গিয়ে অনুভব রূপী রত্নের দ্বারা সম্পন্ন ভব
ব্যাখ্যা :- যে
বাচ্চারা জ্ঞানের গভীরে যায়, তারা অনুভব রূপী রত্নের দ্বারা সম্পন্ন হয়ে যায়। এক
হল জ্ঞান শোনা আর শোনানো, দ্বিতীয় হল অনুভাবী মূর্তি হওয়া। অনুভাবী সর্বদা অবিনাশী
আর নির্বিঘ্ন থাকে। তাদেরকে কেউ স্থান চ্যুত করতে পারে না। অনুভাবীর কাছে মায়ার
কোনও চেষ্টাই সফল হয় না। অনুভাবী কখনো ধোঁকা খায় না। এইজন্য অনুভবের খাজানাকে
বৃদ্ধি করে প্রত্যেক গুণের অনুভাবী মূর্তি হও। মনন শক্তির দ্বারা শুদ্ধ সংকল্পের
স্টক জমা করো।
স্লোগান:-
ফরিস্তা সে, যে দেহের সূক্ষ্ম অভিমানের সম্বন্ধের থেকেও পৃথক থাকে।