22.09.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


প্রশ্নঃ -
বুদ্ধিমান বাচ্চারা সময়কে দেখে কোন্ পুরুষার্থ করবে ?

উত্তরঃ -
অন্তিম সময়, যখন শরীর ত্যাগ হবে, তখন এক বাবাই যেন স্মরণে থাকে, আর কিছুই যেন স্মরণে না আসে । বুদ্ধিমান বাচ্চারা এমন পুরুষার্থ এখন থেকেই করতে থাকবে, কেননা কর্মাতীত হয়েই যেতে হবে। তারজন্য এই পুরানো খোলস থেকে আসক্তি দূর করতে থাকো, ব্যস্, আমরা বাবার কাছে ফিরে যাচ্ছি ।

গীতঃ-
না তিনি আমাদের থেকে পৃথক হবেন না আমরা হব.....

ওম্ শান্তি ।
বাবা বাচ্চাদের বসে বুঝিয়ে বলেন, বাচ্চারা অসীম জগতের বাবার কাছে প্রতিজ্ঞা করে । বাবা আমরা আপনার হয়েছি, অন্তিম সময় পর্যন্ত, যতক্ষণ না আমরা শান্তিধামে পৌঁছাবো, আপনাকে স্মরণ করলে, আমাদের মাথার উপর যে জন্ম - জন্মান্তরের পাপ জমা হয়ে আছে, তা জ্বলে শেষ হয়ে যাবে । একেই যোগ অগ্নি বলা হয়, আর অন্য কোনো উপায় নেই । পতিত পাবন, বা শ্রী - শ্রী ১০৮ জগৎগুরু এককেই বলা হয় । তিনিই জগতের বাবা, জগতের শিক্ষক এবং জগতের গুরু । এই রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান এক বাবাই দান করেন । এ হলো পতিত দুনিয়া, এখানে একজনও পবিত্র থাকা অসম্ভব । পতিত পাবন বাবাই সকলের সদগতি করেন । তোমরা তাঁর সন্তান হয়েছো । তোমরা এখন শিখছো, এই জগৎকে কিভাবে পবিত্র বানাবে ? শিবের সামনে অবশ্যই ত্রিমূর্তির প্রয়োজন । এও লেখা চাই যে, "দৈবী সার্বভৌমত্ব তোমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার" । তাও এখন কল্পের এই সঙ্গম যুগে । পরিস্কার করে না লিখলে মানুষ কিছুই বুঝতে পারবে না । আর দ্বিতীয় হলো, যেখানে বি.কে নাম লেখা হয়, সেখানে প্রজাপিতা শব্দও জরুরী, কেননা ব্রহ্মা নামও অনেকেরই আছে । তাই প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমারী ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয় লিখতে হবে । তোমরা জানো যে পাথরের মতো এই বিশ্বকে পবিত্র, পরশ পাথর তুল্য একমাত্র বাবাই বানাবেন । এইসময় একজনও পবিত্র নেই । সবাই একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে থাকে, গালি দিতে থাকে । বাবাকেও বলে দেয় - কচ্ছপ, মৎস অবতার । অবতার কাকে বলা হয়, এও তারা বোঝে না । অবতার তো একজনেরই হয় । তিনিই অলৌকিক রীতিতে শরীরে প্রবেশ করে বিশ্বকে পবিত্র করেন । অন্য আত্মারা তো তাদের নিজের নিজের শরীর ধারণ করে, এনার তো নিজের কোনো শরীর নেই, কিন্তু জ্ঞানের সাগর তিনি তাহলে কিভাবে জ্ঞান দেবেন ? শরীর তো প্রয়োজন, তাই না । এই কথা তোমরা ছাড়া আর কেউই জানে না । গৃহস্থ জীবনে থেকে পবিত্র থাকা - এই হলো বাহাদুরীর কাজ । মহাবীর অর্থাৎ যে বীরত্ব দেখায় । এও বীরত্ব, যে কাজ সন্ন্যাসীরাও করতে পারেন না, তা তোমরা করতে পারো । বাবা শ্রীমত দেন যে - তোমরা এমন গৃহস্থ জীবনে থেকে যদি কমল ফুলের মতো পবিত্র হও, তাহলে উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে । তা নাহলে এই বিশ্বের বাদশাহী কিভাবে পাবে । এ হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য পড়া । এ হলো পাঠশালা । অনেকেই এখানে পড়ে, তাই লেখো "ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয় ।" এ তো সম্পূর্ণ সঠিক অক্ষর । ভারতবাসী জানে যে, আমরা বিশ্বের মালিক ছিলাম, এ হলো কালকের কথা । এখনো পর্যন্ত রাধা - কৃষ্ণ এবং লক্ষ্মী - নারায়ণের মন্দির তৈরী হচ্ছে । কেউ কেউ তো আবার পতিত মানুষদেরও মন্দির তৈরী করে । দ্বাপর থেকে শুরু করে সকলই পতিত মনুষ্য । কোথায় শিব আর অন্য দেবী - দেবতাদের মন্দির বানানো, আর কোথায় এই পতিত মনুষ্যদের মন্দির । এরা তো দেবতা ননই না । বাবা তাই বুঝিয়ে বলেন, এই বিষয়ের উপর সঠিক রীতিতে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে । বাবা তো বোঝাতেই থাকেন, দিন - প্রতিদিন লেখাও পরিবর্তন হতে থাকে, এমন নয় যে বলবে, প্রথমে কেন এমন বানানো হয় নি । এমন বলবে না যে, প্রথমে কেন মনমনাভবের অর্থ এভাবে বোঝানো হয় নি । আরে, প্রথমে এভাবে স্মরণে থাকতেই পারতে না । খুব অল্প বাচ্চাই আছে যারা সমস্ত কথা সঠিক ভাবে পালন করে । ভাগ্যে যদি উঁচু পদ না থাকে তাহলে টিচার আর কি করবে ? এমন নয় যে, আশীর্বাদ করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করাবে । নিজেকে দেখতে হবে যে, আমরা কেমন সেবা করছি । বিচার সাগরও মন্থন চলা উচিত । গীতার ভগবান কে, এই চিত্র খুবই মুখ্য । ভগবান হলেন নিরাকার, তিনি ব্রহ্মার শরীর ব্যতীত তো শোনাতে পারেন না । তিনি এই সঙ্গম যুগেই ব্রহ্মার শরীরে আসেন । তা নাহলে ব্রহ্মা বিষ্ণু এবং শঙ্কর কিসের জন্য আছেন । বায়োগ্রাফি তো চাই, তাই না । কেউই এঁদের জানে না । ব্রহ্মার জন্য বলে দেয়, ১০০ ভুজার ব্রহ্মার কাছে যাও, ১ হাজার ভুজার কাছে যাও । এর সম্বন্ধেও একটি কাহিনী বানানো হয়েছে । প্রজাপিতা ব্রহ্মার তো এতো অনেক বাচ্চা আছে । এখানে তারা পবিত্র হাতেই আসে । তারা জন্ম - জন্মান্তর ধরে অপবিত্র হয়ে এসেছে । এখন সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে । তোমরা শ্রীমৎ পাও - "মামেকম্ (আমাকে ) স্মরণ করো" । কেউ কেউ তো এখনো পর্যন্ত বুঝতে পারে না যে, আমরা কিভাবে স্মরণ করবো । দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায় । বাবার হয়ে যদি বিকর্মজিৎ না হও, পাপ যদি না কাটে, স্মরণের যাত্রায় যদি না থাকতে পারো তাহলে কি পদ প্রাপ্ত করবে ? যদিও সমর্পণ করলে, কিন্তু তাতে কি লাভ ? যতক্ষণ না পুণ্য আত্মা হয়ে, অন্যদেরও তেমন বানাতে পারছো, ততক্ষণ উচ্চ পদ লাভ করতে পারবে না । যতো কম আমাকে স্মরণ করবে, ততই কম পদ পাবে । তাহলে কিভাবে ডবল মুকুটধারী হবে, তখন পুরুষার্থের ক্রমানুসারে দেরিতে আসবে । এমন নয় যে, আমরা সবকিছুই সমর্পণ করে দিয়েছি, তাই ডবল মুকুটধারী হবো । তা নয় । প্রথমে দাস - দাসী হতে হতে পরের দিকে অল্প কিছু পাবে । অনেকেরই এমন অহংকার থাকে যে, আমরা তো সমর্পিত । আরে, স্মরণ ছাড়া কি হতে পারবে ? দাস - দাসী হওয়ার থেকে তো বিত্তবান প্রজা হওয়া ভালো । দাস - দাসীরা তো আর কৃষ্ণের সঙ্গে দোলায় দুলতেই পারবে না । এ অনেক বোঝার মতো কথা, এতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে । অল্প কিছুতেই খুশী হয়ে যেও না । আমরাও রাজা হবো । এমন তো অনেক রাজা হবে । বাবা বলেন, প্রথমে মুখ্য হলো এই স্মরণের যাত্রা । যারা খুব ভালোভাবে স্মরণে থাকে, তাদের খুশী বজায় থাকে । বাবা বোঝান যে, আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর গ্রহণ করে । সত্যযুগে আত্মা খুশীর সঙ্গে এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে এখানে তো মানুষ কাঁদতে লেগে যায়, সত্যযুগের কথাই মানুষ ভুলে গেছে । ওখানে তো মানুষ এমনভাবে শরীর ত্যাগ করে যেমন সর্পের উদাহরণ দেওয়া যায় । এই পুরানো শরীর এখন তোমাদের ত্যাগ করতে হবে । তোমরা জানো যে, আমরা আত্মা, আমাদের এই পুরানো শরীর ত্যাগ করতেই হবে । বুদ্ধিমান যে বাচ্চারা বাবার স্মরণে থাকে, তারা তো বলে, বাবার স্মরণেই এই শরীর ত্যাগ করবো, তারপর গিয়ে বাবার সঙ্গে মিলিত হবো । কোনো মানুষই জানে না যে, আমরা কিভাবে মিলিত হতে পারি । বাচ্চারা, তোমরা এখন রাস্তা পেয়েছো । তোমরা তো বেঁচে থেকেও মরে গেছো, কিন্তু যতক্ষণ না আত্মা পবিত্র হচ্ছে, তোমরা এখন তারজন্য পুরুষার্থ করছো । পবিত্র হয়েই তারপর এই শরীর ত্যাগ করে যেতে হবে । মনে করে কখনো কর্মাতীত অবস্থা হয়ে গেলে তখনই এই শরীর ত্যাগ হবে কিন্তু কর্মাতীত অবস্থা হয়ে গেলে নিজে থেকেই এই শরীর ত্যাগ হয়ে যাবে । ব্যস্, আমরা বাবার কাছে গিয়ে থাকবো । এই পুরানো শরীরের প্রতি এখন যেন ঘৃণা আসে । সাপের তো তার পুরানো খোলসের প্রতি ঘৃণা আসবে, তাই না । তোমাদের নতুন শরীর এখন তৈরী হচ্ছে, কিন্তু তা যখন তোমাদের কর্মাতীত অবস্থা হবে । পরের দিকে তোমাদের এই অবস্থা হবে । ব্যস্, এখন আমরা ঘরে ফিরে যাচ্ছি । লড়াইয়ের জন্যও সম্পূর্ণ তৈরী হবে । বিনাশের সবকিছুই তোমাদের কর্মাতীত হওয়ার উপরই নির্ভর করে । অন্তিম সময়ে সবাই তাদের নম্বর অনুসারে কর্মাতীত অবস্থাকে প্রাপ্ত করবে । এতে কতো লাভ । তোমরা বিশ্বের মালিক হবে, তাই তোমাদের কতখানি বাবাকে স্মরণ করা চাই । তোমরা দেখবে যে, এমনও কেউ কেউ হবে যারা উঠতে - বসতে বাবাকে স্মরণ করতে থাকবে । মৃত্যু তো সামনেই উপস্থিত । খবরের কাগজে এমন দেখানো হয় যে, এখনই যেন লড়াই বেঁধে যাবে । বড় লড়াই হলে তো বোম্ব পড়বে । তখন কোনো দেরী হবে না । বুদ্ধিমান বাচ্চারা এইসব বুঝতে পারে কিন্তু যারা নির্বোধ, তারা কিছুই বুঝতে পারে না । তাদের সামান্যতম ধারণাও হয় না । তারা যদিও হ্যাঁ - হ্যাঁ বলতে থাকে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না । তারা স্মরণে থাকেই না । যারা দেহ বোধে থাকে, এই দুনিয়ার কথা যাদের স্মরণে থাকে, তারা কি আর বুঝতে পারবে । বাবা এখন বলেন, তোমরা দেহী অভিমানী হও । দেহকে তোমাদের ভুলে যেতে হবে । পরের দিকে তোমরা অনেক চেষ্টা করবে কিন্তু এখন বুঝতেই পারো না । পরে অনেক অনুতাপ করবে । বাবা তোমাদের সাক্ষাৎকারও করাবেন যে, তোমরা এই - এই পাপ করেছো । এখন সাজা ভোগ করো । পদও দেখো । শুরুতেও এমন সাক্ষাৎকার করতে আবার পরের দিকেও এমন সাক্ষাৎকার করবে ।

বাবা বলেন যে, নিজেদের সম্মান কখনো হারিয়ে ফেলো না । মন দিয়ে এই পাড়ার পুরুষার্থ করো । তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে (মামেকম্ ) স্মরণ করো । আমিই হলাম পতিত পাবন । দুনিয়াতে আর কোনো পতিত পাবন নেই । শিব ভগবান উবাচঃ, যেহেতু সদগতিদাতা পতিত পাবন একজনই । সবাই তাঁকেই স্মরণ করে, কিন্তু যখন নিজেকে আত্মা বিন্দু মনে করবে, তখনই বাবা স্মরণে আসবে । তোমরা জানো যে, আমাদের আত্মার মধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট লিপিবদ্ধ আছে, তা কখনোই বিনাশ হবার নয় । একথা বোঝা কোনো মাসির ঘরে যাওয়ার মতো সহজ নয়, বারবার ভুলে যায়, তাই কাউকেই বোঝাতে পারে না । দেহ বোধ সম্পূর্ণভাবে সবাইকে মেরে ফেলেছে । এ এখন মৃত্যুলোক হয়ে গেছে । এখানে সবাই অকালে মরতে থাকে । জানোয়ার - পশু ইত্যাদিরাও যেমন মারা যায়, তেমনই মানুষও মারা যায়, কিছুই তফাৎ হয় না । লক্ষ্মী - নারায়ণ তো আমরলোকের মালিক, তাই না । ওখানে অকালে মৃত্যু হয় না । ওখানে কোনো দুঃখই থাকে না । এখানে তো দুঃখ পায় তারপর আত্মহত্যাও করে । নিজেরাই অকাল মৃত্যু নিয়ে আসে, এই লক্ষ্য অনেক উঁচু । কখনোই যেন বিকারী দৃষ্টি না হয়, এতেই অনেক পরিশ্রম এতো উঁচু পদ প্রাপ্ত করা কোনো মাসির বাড়ী যাওয়া নয় । বাহাদুর হওয়া চাই । না হলে অল্প কিছুতেই ভয় পেয়ে যায় । কোনো দুষ্ট লোক যদি ভিতরে প্রবেশ করে, কোনোকিছুতে হাত দেয়, তাহলে ডাণ্ডা মেরে তাড়িয়ে দেওয়া উচিত । কখনো ভীতু হবেই না । শিব শক্তি পাণ্ডব সেনার মহিমা আছে, তাই না, যারা স্বর্গের দ্বার খোলে । তোমাদের নাম যখন উজ্জ্বল, তখন বাহাদুরীও চাই । তোমরা যখন সর্বশক্তিমান বাবার স্মরণে থাকবে, তখনই তোমাদের মধ্যে সেই শক্তি প্রবেশ করবে । নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে, এই যোগ অগ্নিতেই বিকর্ম বিনাশ হবে, তখন বিকর্মজিৎ রাজা হয়ে যাবে । এই স্মরণেরই হলো পরিশ্রম, যা করবে, তাই পাবে । অন্যদেরও সাবধান করতে হবে । এই স্মরণের যাত্রায়ই তোমাদের তরী পার হয়ে যাবে । পড়াকে যাত্রা বলা হয় না । সে হলো শরীরের যাত্রা আর এ হলো আত্মিক বা আধ্যাত্মিক যাত্রা, তোমরা সরাসরি শান্তিধামে নিজের ঘরে চলে যাবে । বাবাও সেই ঘরেই থকেন । আমাকে স্মরণ করতে করতে তোমরা সেই ঘরে পৌঁছে যাবে । এখানে সবাইকে অভিনয় করতে হবে । এই অবিনাশী নাটক তো চলতেই থাকে । বাবা বাচ্চাদের বোঝাতে থাকেন, এক তো বাবার স্মরণে থাকো, আর পবিত্র হও, তোমরা দৈবী গুণ ধারণ করো আর যতো সেবা করবে তত উঁচু পদ পাবে । তোমাদের অবশ্যই কল্যাণকারী হতে হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা -পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের নমস্কার জানাচ্ছেন ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা যেন স্মরণে থাকে যে, সর্বশক্তিমান বাবা আমার সঙ্গে আছেন, এই স্মৃতিতেই শক্তি প্রবেশ করবে, বিকর্ম ভস্ম হবে । শিবশক্তি পাণ্ডব সেনা যখন নাম, তখন বাহাদুরী তো দেখাতেই হবে, ভীতু হবে না ।

২ ) জীবন্মৃত হয়েও যেন এই অহংকার না আসে যে, আমি তো সমর্পিত । সমর্পিত হয়ে পুণ্য আত্মা হয়ে অন্যদেরও তেমনই বানাতে হবে, এতেই লাভ ।

বরদান:-
নিজের শুভ ভাবনা দ্বারা নির্বল আত্মাদের মধ্যে বল ভরে সদা শক্তি স্বরূপ ভব

সেবাধারী বাচ্চাদের বিশেষ সেবা হলো - স্বয়ং শক্তি স্বরূপ থাকা, আর সকলকে শক্তি স্বরূপ বানানো, অর্থাৎ নির্বল আত্মাদের শক্তিতে পূর্ণ করা । এরজন্য সদা শুভ ভাবনা আর শ্রেষ্ঠ কামনা স্বরূপ হও । শুভ ভাবনার অর্থ এই নয় যে, কারোর প্রতি ভাবনা রাখতে রাখতে তার সম্বন্ধে ভাবুক হয়ে যাও । এই ভুকোরো না । শুভ ভাবনাও যেন অসীম জগতের হয় । একের প্রতি বিশেষ ভাবনাও ক্ষতিকারক, তাই অসীম বৃত্তিতে স্থিত হয়ে নির্বল আত্মাদের নিজের প্রাপ্ত শক্তির আধারে শক্তি স্বরূপ বানাও ।

স্লোগান:-
অলংকার হলো ব্রাহ্মণ জীবনের শৃঙ্গার, তাই দেহ অহংকারী নয়, অলংকারী হও ।