05.09.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
বাবা কোনো
কাজই অনুপ্রেরণার দ্বারা করান না, ওনার অবতরণ হয়, এটা কোন্ বিষয়ের দ্বারা এটা
প্রমাণিত হয় ?
উত্তরঃ -
বাবাকে বলা হয় করনকরাবনহার। অনুপ্রেরণা অর্থ তো হলো চিন্তা ভাবনা । অনুপ্রেরণার
দ্বারা কোনো নূতন দুনিয়া স্থাপন হয় না। বাবা বাচ্চাদের দ্বারা স্থাপনা করান,
কর্মেন্দ্রীয় ব্যতীত তো কিছুই করাতে পারবে না, সেইজন্য ওঁনার শরীরের আধার নিতে হয়।
ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী
বাচ্চারা পরমপিতা পরমাত্মার সম্মুখে বসে আছে। যদিও আত্মারা নিজের পিতার সম্মুখে বসে
আছে। আত্মা অবশ্যই শরীরের সাথেই বসবে। বাবাও যখন শরীর ধারণ করেন তখনই সম্মুখীন হন,
একেই বলা হয় আত্মা-পরমাত্মা আলাদা ছিলো বহুকাল.... তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পারো
উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ বাবাকেই ঈশ্বর, প্রভু, পরমাত্মা ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়েছে,
পরমপিতা কখনো লৌকিক পিতাকে বলা যেতে পারে না। শুধুমাত্র পরমপিতা লিখলেও ক্ষতি নেই।
পরমপিতা অর্থাৎ সেই সকলেরই পিতা হলেন এক। বাচ্চারা জানে যে, আমরা পরমপিতার সাথে বসে
আছি। পরমপিতা পরমাত্মা আর আমরা অর্থাৎ আত্মারা শান্তিধামে থাকি। এখানে আসি ভূমিকা
পালন করতে, সত্যযুগ থেকে শুরু করে কলিযুগের শেষ পর্যন্ত ভূমিকা পালন করেছি। এটা এখন
নূতন রচনা হয়ে যাবে । রচয়িতা বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরা বাচ্চারা এইরকম ভূমিকা পালন
করেছো। পূর্বে এটা জানতে না যে, আমরা ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তন করেছি। বাচ্চারা, এখন
তোমাদের সাথেই বাবা কথা বলেন, অর্থাৎ যারা ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তিত হয়েছে। সকলে তো
৮৪ জন্ম গ্রহণ করতে পারে না। এটা বোঝাতে হবে যে, ৮৪ জন্মের চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়।
এছাড়া লক্ষ বছরের ব্যাপার তো নয়। বাচ্চারা জানে যে, আমরা প্রতি ৫ হাজার বছর পরে
ভূমিকা পালন করতে আসি। আমরা হলাম পার্টধারী। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবানেরও পার্ট
হলো বিচিত্র। ব্রহ্মা আর বিষ্ণুর পার্ট বিচিত্র বলা যায় না। দুই জনেই (যিনি ব্রহ্মা
তিনিই বিষ্ণু = বিষ শূন্য) ৮৪ জন্মের চক্রে আবর্তিত হন। এছাড়া শঙ্করের পার্ট এই
দুনিয়াতে একদমই নেই। ত্রিমূর্তিতে দেখানো হয়- স্থাপনা, বিনাশ, পালন। চিত্র অনুযায়ী
বোঝানো হয়। যেই চিত্রই দেখাও তার উপর বোঝাতে হবে। সঙ্গমযুগে পুরানো দুনিয়ার বিনাশ
তো হতেই হবে। প্রেরণা প্রদানকারী শব্দও হলো রঙ্ (ভুল)। যেমন কেউ বলে আজ আমার বাইরে
যাওয়ার প্রেরণা নেই, প্রেরণা মানে চিন্তা ভাবনা । প্রেরণার আর কোনো অর্থ নেই।
পরমাত্মা কোনো প্রেরণা দ্বারা কাজ করান না। না প্রেরণার দ্বারা জ্ঞান প্রাপ্ত হতে
পারে। বাবা আসেন এই কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা (ব্রহ্মাবাবার) ভূমিকা পালন করতে।
করনকরাবনহার যে তিনি ! করিয়ে নেবেন বাচ্চাদের দ্বারা। শরীর ব্যাতীত তো করতে পারবেন
না। এই কথাটা কেউই জানে না। না ঈশ্বর পিতাকে জানে। ঋষি-মুনিরা বলতেন আমরা ঈশ্বরকে
জানি না। না আত্মাকে, না পরমাত্মা বাবাকে। কারোর মধ্যেই জ্ঞান নেই। বাবা হলেন মুখ্য
ক্রিয়েটর, ডায়রেক্টর, ডায়রেক্শনও দেন। শ্রীমত প্রদান করেন। মানুষের বুদ্ধিতে তো
আছে সর্বব্যাপীর জ্ঞান (ঈশ্বর সর্বত্র)। তোমরা মনে করো বাবা হলেন আমাদের বাবা, ওরা
সর্বব্যাপী বলে দেওয়ার কারণে তিনি যে বাবা, বুঝতে পারে না। তোমরা মনে করো এটা হলো
অসীম জগতের পিতার ফ্যামিলি। সর্বব্যাপী বলার ফলে ফ্যামিলির সুগন্ধ পাওয়া যায় না।
ওঁনাকে বলা যায় নিরাকার শিববাবা। নিরাকারী আত্মাদের পিতা। শরীর আছে বলে তো আত্মা বলে
'বাবা'। শরীর ব্যাতীত তো আত্মা বলতে পারে না। ভক্তি মার্গে ডেকে এসেছে। মনে করে সেই
বাবা হলেন দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা। সুখ প্রাপ্ত হয় সুখধামে। শান্তি প্রাপ্ত হয়
শান্তিধামে। এখানে হলোই দুঃখ। এই জ্ঞান তোমাদের প্রাপ্ত হয় সঙ্গমে। পুরানো আর
নূতনের মধ্যবর্তী সময়ে । বাবা আসেনই তখন, যখন নূতন দুনিয়ার স্থাপনা আর পুরানো
দুনিয়ার বিনাশ হয়। প্রথমে সব সময় বলা উচিত নূতন দুনিয়ার স্থাপনা। প্রথমে পুরানো
দুনিয়ার বিনাশ বলা ভুল হয়ে যায়। এখন তোমাদের অসীম জগতের নাটকের নলেজ প্রাপ্ত হয়।
যেন সেই নাটকে অ্যাক্টর্স আসে তো বাড়ী থেকে সাধারণ বস্ত্র পরে আসে, আবার নাটকে এসে
বস্ত্র পরিবর্তন করে। আবার নাটক সম্পূর্ণ হলে তখন সেই বস্ত্র ছেড়ে ফেলে গৃহে ফিরে
যায়। এখানে তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পরমধাম গৃহ থেকে অশরীরী আসতে হয়। এখানে এসে এই
শরীর রূপী বস্ত্র পরে নাও। প্রত্যেকের নিজের-নিজের পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। এটা হলো
অসীম জগতের নাটক। এখন এই অসীম জগতের সমস্ত কিছু হলো পুরানো, আবার নূতন দুনিয়া হবে।
সেটা হলো খুবই ছোটো, এক ধর্ম। বাচ্চারা, এই পুরানো দুনিয়া থেকে তোমাদের বের করে
আবার সীমিত আর পার্থিব দুনিয়াতে, নূতন দুনিয়াতে আসতে হবে, কারণ সেখানে হলো এক ধর্ম।
অনেক ধর্ম, অনেক মানুষ হওয়ার জন্য জগৎ অসীম হয়ে যায়। সেখানে তো হলো এক ধর্ম, অল্প
সংখ্যক মানুষ। এক ধর্ম স্থাপনের জন্য আসতে হয়। তোমরা বাচ্চারা এই অসীম জগতের
নাটকের রহস্যকে বুঝতে পারো যে এই চক্র আবর্তিত হয়। এই সময় যা কিছু প্র্যাকটিক্যালে
হয় সেটারই উৎসব ভক্তি মার্গে পালিত হয়। নম্বর অনুযায়ী কোন্ কোন্ উৎসব আছে, এটাও
তোমরা বাচ্চারা জানো। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবান শিববাবার জয়ন্তী বলা হবে। তিনি
যখন আসেন তখন আবার অন্য উৎসব সমারোহ হয়। শিববাবা সর্বপ্রথম এসে জ্ঞান শোনান অর্থাৎ
আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনান। যোগও শেখান। সাথে-সাথে তোমাদের পড়ানও। তাই সর্বপ্রথম
বাবা এলে শিব জয়ন্তী হয়, তারপর বলা হবে গীতা জয়ন্তী। আত্মাদের জ্ঞান শোনান, তাই
হয়ে গেল গীতা জয়ন্তী । বাচ্চারা, তোমরা চিন্তা ভাবনা করে এই সব বিষয়ে লেখো, উৎসব
গুলি সম্পর্কে, নম্বর অনুক্রমে । যারা সেই ধর্মের হবে, তারাই সেগুলো বুঝবে ।
প্রত্যেকের নিজের ধর্মই শ্রেয় মনে হয়। অন্য ধর্মালম্বীদের কোনো প্রশ্নই নেই। যদি
বা কারোর অন্য ধর্ম ভালোও লাগে, কিন্তু ওখানে আসতে পারে না। স্বর্গে কি আর অন্য
ধর্মাবলম্বীরা আসতে পারে! কল্পবৃক্ষে সব একদম পরিষ্কার। যেই সময় যে-যে ধর্ম আসে
আবার সেই সময় আসবে। প্রথমে বাবা আসেন, তিনিই এসে রাজযোগ শেখান, সুতরাং বলা হবে শিব
জয়ন্তী, তারপর গীতা জয়ন্তী তারপর নারায়ণ জয়ন্তী। সেটা তখন সত্যযুগ হয়ে যায়।
সেটাও লিখতে হবে নম্বর অনুযায়ী। এটা হলো জ্ঞানের কথা। শিব জয়ন্তী কবে হয়েছে সেটাও
জানা নেই, জ্ঞান শুনিয়েছিলেন, যাকে গীতা বলা হয়, তারপর বিনাশও হয়। জগৎ অম্বা
ইত্যাদির জয়ন্তীর কোনো হলিডে নেই। মানুষ কোনো কিছুরই তিথি-তারিখ ইত্যাদি একদম জানে
না। লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাম-সীতার রাজ্যকেই জানে না। ২৫০০ বছরে যারা এসেছে, তাদের জানে--
কিন্তু তাদের আগে যারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ছিলেন, তাদের কত সময় হলো, কিছুই জানে
না। ৫ হাজার বছরের থেকে বড় কল্প তো হতে পারে না। অর্ধ কল্পের দিকে তো অনেক সংখ্যক
এসে গেছে, বাকি অর্ধতে এনাদের রাজ্য। তবে বেশী বছরের কল্প কি করে হতে পারে। ৮৪ লাখ
জন্মও হতে পারে না। তারা মনে করে কলিযুগের আয়ু হলো লক্ষ বছর। মানুষকে অন্ধকারে ফেলে
দিয়েছে। কোথায় সমগ্র ড্রামা ৫ হাজার বছরের, কোথায় শুধুমাত্র কলিযুগের ক্ষেত্রে বলে
দেয় এখন ৪০ হাজার বছর বাকি আছে। লড়াই যখন লাগে তো মনে করে ভগবানকে আসতে হবে,
কিন্তু ভগবানের আসা তো চাই সঙ্গমে। মহাভারত লড়াই তো লাগেই সঙ্গমে। বাবা বলেন, আমিও
কল্প-কল্প সঙ্গমযুগে আসি। বাবা আসেন নূতন দুনিয়ার স্থাপনা পুরানো দুনিয়ার বিনাশ
করাতে। নূতন দুনিয়ার স্থাপনা হবে তো পুরানো দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হবে, এর জন্যই এই
লড়াই। এর মধ্যে শঙ্করের প্রেরণা ইত্যাদির তো কোনো ব্যাপার নেই। আন্ডারস্টুট(বুঝে
গেছ !) পুরানো দুনিয়ার নিঃশেষ হয়ে যাবে। অট্টালিকা ইত্যাদি তো ভূমিকম্পে (আর্থকোয়েকে)
সব নিঃশেষ হয়ে যাবে। কারণ নূতন দুনিয়া চাই। নূতন দুনিয়া ছিলো অবশ্যই। দিল্লী ছিলো
পরিস্তান (পরীদের জায়গা), যমুনার তীরে ছিলো। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো। চিত্রও
আছে। লক্ষ্মী-নারায়ণকে স্বর্গেরই বলা হবে। বাচ্চারা, তোমরা সাক্ষাৎকারও করেছো যে,
স্বয়ম্বর কীভাবে হয়। বাবা এই সব পয়েন্টস্ রিভাইজ করান। ভালো ভালো পয়েন্টস্ মনে
না পড়লে বাবাকে স্মরণ করো। বাবাকে ভুলে গেলে টিচারকে স্মরণ করো। টিচার যা
শেখাচ্ছেন সেটা তো অবশ্যই স্মরণে আসবে, তাই না ! টিচারও মনে থাকবে, নলেজও মনে থাকবে।
উদ্দেশ্যও বুদ্ধিতে আছে। মনে রাখতেই হবে, কারণ তোমাদের হল স্টুডেন্ট লাইফ। তোমরা
এটাও জানো যে, যিনি আমাদের পড়ান তিনি হলেন আমাদের বাবা, লৌকিক বাবা কোথাও গুম হয়ে
যায় না। লৌকিক, পারলৌকিক আর আবার ইনি হলেন অলৌকিক। এঁনাকে কেউ স্মরণ করে না। লৌকিক
পিতার থেকে তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। শেষ পর্যন্ত মনে থাকে। শরীর ত্যাগ করলে তখন
অন্য শরীর প্রাপ্ত হয়। জন্ম বাই জন্ম(একেক জন্মে) লৌকিক পিতা প্রাপ্ত হয়। পারলৌকিক
পিতাকেও দুঃখ বা সুখে স্মরণ করে। সন্তান লাভ হলে বলে ঈশ্বর দিয়েছেন। এছাড়া প্রজাপিতা
ব্রহ্মাকে স্মরণ কেন করবে, এনার থেকে কিছু কি আর পাওয়া যায় ! এঁনাকে অলৌকিক বলা হয়ে
থাকে।
তোমরা জানো যে, আমরা ব্রহ্মা দ্বারা শিববাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করি। আমরা
যেমন অধ্যয়ণ করি, এই রথও নিমিত্ত হয়েছে। অনেক জন্মের শেষের জন্মে এঁনার শরীরই রথ
হয়েছে। রথের নাম তো রাখতে হয়, তাই না ! এ হলো অসীম জগতের সন্ন্যাস। রথ ঠিকই থাকে,
বাকিদের ঠিক নেই। চলতে-চলতে আবার ভাগন্তি (পালিয়ে যায়) হয়ে যায় । *এই রথ তো
নিযুক্ত হয়েছে ড্রামা অনুসারে। এঁনাকে বলা হয় ভাগ্যশালী রথ। তোমাদের সকলকে ভাগ্যশালী
রথ বলবে না। ভাগ্যশালী রথ একজনকেই মান্য করা হয়, যেখানে বাবা এসে জ্ঞান প্রদান করেন।
স্থাপনার কার্য করান*। তোমাদেরকে ভাগ্যশালী রথ বলা যাবে না। তোমাদের আত্মা এই রথে
বসে অধ্যয়ণ করে। আত্মা পবিত্র হয়ে যায়, এই জন্য এই দেহেরই (ব্রহ্মা বাবার) মহানতা
যে, এর মধ্যে বসে বাবা পড়ান। এই অন্তিম জন্ম খুবই ভ্যালুয়েবেল, আবার শরীর
পরিবর্তন করে আমরা দেবতা হয়ে যাব। এই পুরানো শরীর দ্বারাই তোমরা শিক্ষা প্রাপ্ত করো।
শিববাবার হয়ে যাও। তোমরা জানো যে, আমাদের পূর্ব জীবন ওয়ার্থ নট্ এ পেনী অর্থাৎ
মূল্যহীন ছিলো। এখন পাউন্ড হচ্ছে। যত অধ্যয়ণ করেবে, সেই অনুযায়ী উচ্চ পদ প্রাপ্ত
করবে। বাবা বুঝিয়েছেন - স্মরণের যাত্রা হলো মুখ্য। একেই ভারতের প্রাচীন যোগ বলে,
যার দ্বারা তোমরা পতিত থেকে পাবন হও। স্বর্গবাসী তো সকলেই হচ্ছো, তবুও অধ্যয়ণের
উপর নির্ভর করে। তোমরা অসীম জগতের স্কুলে বসে আছো। তোমরাই আবার দেবতা হবে। তোমরা
বুঝতে পারো উচ্চ পদ কারা প্রাপ্ত করতে পারে। তাদের কোয়ালিফিকেশন কি হওয়া উচিত।
প্রথমে আমাদের মধ্যেও কোয়ালিফিকেশন ছিলো না। আসুরিক মতের উপর ছিলে। এখন ঈশ্বরীয়
মত প্রাপ্ত হয়। আসুরিক মতে আমরা নিম্নমুখী কলায় আসি। ঈশ্বরীয় মতে ঊর্ধ্বগামী কলায়
আসি। ঈশ্বরীয় মত প্রদান করতে পারেন একজনই, আসুরিক মত দিতে অনেকে পারে। মা-বাবা,
ভাই-বোন, টিচার-গুরু কতো জনের মত পাওয়া যায়। এখন তোমাদের একের মত প্রাপ্ত হয়, যা
তোমাদের ২১ জন্ম কাজে আসে। তাই এমন শ্রীমত অনুযায়ী চলা উচিত যে না! যতো চলবে ততো
উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। কম চললে কম পদ প্রাপ্তি। শ্রীমত হলোই ভগবানের। উচ্চতমের
চেয়েও উচ্চ ভগবানই আছেন, যিনি কৃষ্ণকে উচ্চতম করেছেন আবার নিম্নতম করেছে রাবণ। বাবা
সুন্দর করে তোলেন আবার রাবণ কুৎসিত করে তোলে। বাবা উত্তরাধিকার প্রদান করেন। তিনি
তো হলেনই ভাইসলেস (পাপমুক্ত)। দেবতাদের মহিমা গাওয়া হয় সর্বগুণ
সম্পন্ন---সন্ন্যাসীদের সম্পূর্ণ নির্বিকারী বলা যাবে না। সত্যযুগে আত্মা আর শরীর
দুই-ই পবিত্র হয়। দেবতাদের সবাই জানে, তারা সম্পূর্ণ নির্বিকারী হওয়ার কারণে
সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়। এখন নেই, আবার তোমরা হচ্ছো। বাবাও সঙ্গমযুগে আসেন।
ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ। ব্রহ্মার বাচ্চা তো দাঁড়ালে তোমরা সকলে। তিনি হলেন
গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার। বলো, প্রজাপিতা ব্রহ্মার নাম শোনোনি ? পরমপিতা
পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারাই সৃষ্টি রচনা করেন ! ব্রাহ্মণ কুল। ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী
ভাই- বোন হয়ে গেল। এখানে রাজা-রাণীর ব্যাপার নেই। এই ব্রাহ্মণ কুল তো সঙ্গমের অল্প
সময় চলে। রাজত্ব না পান্ডবদের না কৌরবদের হয়। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) ২১
জন্ম শ্রেষ্ঠ পদের অধিকারী হওয়ার জন্য সব আসুরিক মত ছেড়ে এক ঈশ্বরীয় মতে চলতে হবে।
সম্পূর্ণ ভাইসলেস বা পাপমুক্ত হতে হবে।
২ ) এই পুরানো শরীরে বসে বাবার শিক্ষা সমূহ ধারণ করে দেবতা হয়ে উঠতে হবে। এটা হলো
অনেক ভ্যালুয়েবেল জীবন, এতে ওয়ার্থ পাউন্ড হতে হবে।
বরদান:-
সর্ব
সম্বন্ধের সহযোগের অনুভূতির দ্বারা নিরন্তর যোগী, সহজযোগী ভব
সব সময় বাবার
ভিন্ন-ভিন্ন সম্বন্ধের সহযোগে নেওয়া অর্থাৎ অনুভব করাই হলো সহজযোগ। বাবা যে কোনো
সময় সর্ব সম্বন্ধ পালন করতে বাঁধা থাকেন। সমগ্র কল্পে এখনই সর্ব অনুভবের খনি
প্রাপ্ত হয়, এইজন্য সদা সর্ব সম্বন্ধের সহযোগ নাও আর নিরন্তর যোগী, সহজযোগী হও।
কারণ - যারা সর্ব সম্বন্ধের অনুভূতি বা প্রাপ্তিতে মগ্ন থাকে, তারা পুরানো দুনিয়ার
বাতাবরণ থেকে সহজে দূরে যেতে পারে।
স্লোগান:-
সর্ব শক্তিসমূহের দ্বারা সম্পন্ন থাকা - এটাই হল ব্রাহ্মণ স্বরূপের বিশেষত্ব ।