17.09.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
তোমরা বাচ্চারা
বাবার সঙ্গে কোন্ একটি গুপ্ত কাজ করছো ?
উত্তরঃ -
আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম এবং দিব্য রাজধানীর স্থাপনা - তোমরা বাবার সঙ্গে গুপ্ত
রূপে এই কাজ করছো। বাবা হলেন বাগানের মালিক, তিনি এসে কাঁটার জঙ্গলকে ফুলের বাগান
বানাচ্ছেন। এই বাগানে কোনোরকম ভয়াবহ দুঃখদায়ী জিনিস থাকে না ।
গীতঃ-
অবশেষে সেই
দিন এলো আজ ....
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক পিতা
আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। যদিও বোঝাবেন শরীর দ্বারা। আত্মা শরীর ছাড়া কোনো
কাজ করতে পারে না। আত্মিক পিতাকেও পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে শরীর গ্রহণ করতে হয়। এই
যুগটি হল সঙ্গমযুগ, একে পুরুষোত্তম যুগও বলা হবে কারণ এই সঙ্গমযুগের পরে সত্যযুগ আসে।
সত্য যুগ কেও পুরুষোত্তমযুগ বলা হবে। বাবা এসে স্থাপনা করেন পুরুষোত্তম যুগের।
সঙ্গম যুগে আসেন অতএব ওই যুগটিও হলো পুরুষোত্তম যুগ। এখানেই বাচ্চাদেরকে পুরুষোত্তম
বানানো হয়। তখন তোমরা পুরুষোত্তম নতুন দুনিয়ায় থাকো। পুরুষোত্তম অর্থাৎ উত্তম থেকে
উত্তম পুরুষ হলেন রাধে-কৃষ্ণ বা লক্ষ্মী-নারায়ণ। এই জ্ঞানও তোমাদের আছে। অন্য
ধর্মের মানুষও স্বীকার করবে এরা হলেন স্বর্গের মালিক। ভারতের খুব মহিমা। কিন্তু
ভারতবাসী নিজেরা জানে না। বলাও হয় - অমুকে স্বর্গবাসী হয়েছে কিন্তু স্বর্গ যে কি
জিনিস, তা বুঝতে পারে না। নিজেরাই বলে স্বর্গে গেছে, তার মানে নরকে ছিলো। স্বর্গ
তখন হবে যখন বাবা স্থাপন করবেন। স্বর্গ তো নতুন দুনিয়াকেই বলা হয়। দুইটি জিনিস আছে
- স্বর্গ ও নরক। মানুষ তো স্বর্গের আয়ু লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। তোমরা বাচ্চারা জানো
গতকাল স্বর্গ ছিলো, এদের রাজত্ব ছিলো পুনরায় বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার
প্রাপ্ত করছো।
বাবা বলেন - মিষ্টি প্রিয় বাচ্চারা, তোমাদের আত্মা হল পতিত, তাই নরকে আছে। বলাও হয়
এখন কলিযুগের ৪০ হাজার বছর বাকি আছে, তাহলে তো কলিযুগবাসী বলা হবে, তাইনা। এ হল
পুরানো দুনিয়া । মানুষ ঘোর অন্ধকারে আছে। শেষে যখন আগুন লাগবে তখন সব শেষ হয়ে যাবে।
তোমাদের প্রীত বুদ্ধি হলো নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। যত প্রীত বুদ্ধি হবে
ততই উঁচু পদ প্রাপ্ত হবে। সকালে উঠে খুব ভালোবাসার সাথে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। চোখে
জলও আসবে ভালোবাসার, কারণ বহু বছর পরে বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছে। বাবা এসে আমাদের
দুঃখ থেকে মুক্তি প্রদান করেন। আমরা ভব সাগরে ডুবে দুঃখী হয়েছি। এখন হল ঘোর নরক।
এখন বাবা তোমাদের সম্পূর্ণ চক্রের রহস্য বলেছেন। মূলবতন কি - সে কথাও এসে বলেছেন।
প্রথমে তোমরা জানতে না, একেই বলা হয় কাঁটার জঙ্গল। স্বর্গকে বলা হয় গার্ডেন অফ
আল্লাহ, ফুলের বাগিচা। বাবাকে বাগানের মালিকও বলা হয়। তোমাদের ফুল থেকে কাঁটায় কে
পরিণত করে ? রাবণ। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো ভারত ফুলের বাগিচা ছিলো , এখন জঙ্গলে
পরিণত হয়েছে। জঙ্গলে জন্তু জানোয়ার, বিছে ইত্যাদি থাকে। সত্যযুগে কোনো ভয়ঙ্কর জন্তু
ইত্যাদি হয় না। শাস্ত্রে তো অনেক রকমের কথা লেখা আছে। কৃষ্ণকে সর্প দংশন করার কাহিনী
আছে। কৃষ্ণকে পরে দ্বাপরে নিয়ে গেছে। বাবা বুঝিয়েছেন ভক্তি একেবারেই আলাদা জিনিস,
জ্ঞান সাগর হলেন একমাত্র বাবা। এমন নয় যে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর হলেন জ্ঞানের সাগর।
না, পতিত-পাবন একমাত্র জ্ঞান সাগরকে ই বলা হবে। জ্ঞানের দ্বারা ই মানুষের সদগতি হয়।
সদগতির স্থান হলো দুটি - মুক্তিধাম এবং জীবনমুক্তিধাম । এখন তোমরা বাচ্চারা জানো এই
রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, কিন্তু গুপ্ত রূপে। বাবা এসে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের
স্থাপনা করেন, তাই সব আত্মারা নিজ নিজ মনুষ্য দেহরূপী পোশাক ধারণ করে আসে। বাবার
নিজস্ব পোশাক তো নেই, তাই তাঁকে নিরাকার গড ফাদার বলা হয়। বাকি রা সবাই হলো সাকারী
অর্থাৎ দেহধারী। তাঁকে বলা হয় ইনকরপরিয়াল গড ফাদার, ইনকরপরিয়াল আত্মাদের। তোমরা
আত্মারাও সেখানে থাকো। বাবাও সেখানেই থাকেন। কিন্তু গুপ্ত রূপে। বাবা স্বয়ং এসে আদি
সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন। মূল বতনে কোনো দুঃখ নেই। বাবা বলেন একটি
কথায় তোমাদের কল্যাণ নিহিত আছে - বাবাকে স্মরণ করো, "মন্মনাভব" । শুধু বাবার সন্তান
হয়েছো, বাচ্চাদের অবিনাশী উত্তরাধিকারের জ্ঞান তো আছেই। অল্ফকে স্মরণ করলে
উত্তরাধিকার তো নিশ্চয়ই আছে - সত্যযুগী নতুন দুনিয়ার। এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ তো
অবশ্যই হবে। অমরপুরীতে যেতেই হবে। তোমরা হলে পার্বতী, অমরনাথ তোমাদের অমরকথা
শোনাচ্ছেন। কত মানুষ তীর্থে যায়, অমরনাথেও অনেকে যায়। সেখানে কিছুই নেই। সবই মিথ্যা।
এক রত্তি সত্য নেই। গায়নও আছে মিথ্যা কায়া মিথ্যা মায়া .... এরও অর্থ থাকা উচিত।
এখানে শুধু মিথ্যা আছে। এই কথাটিও জ্ঞানের কথা। এমন তো নয় গ্লাসকে গ্লাস বলা মিথ্যা।
যদিও বাবার বিষয়ে যা কিছু বলে সেসব মিথ্যে বলে। সত্য বলেন কেবল মাত্র বাবা। এখন
তোমরা জানো বাবা এসে প্রকৃত সত্য-নারায়ণের কাহিনী শোনাচ্ছেন। হীরে মুক্তোও তো মিথ্যা
হয় তাইনা। আজকাল মিথ্যার প্রদর্শন অনেক। মিথ্যার জাঁক জমক এমন থাকে যে সত্যের চেয়ে
ভালো। এই মিথ্যা পাথর গুলি আগে ছিল না। পরে বিদেশ থেকে এসেছে। আসল নকল পাথর এমন
মিশিয়ে দেয় যে বোঝা মুশকিল হয়ে যায়। তারপরে এমন জিনিসও আছে যা দিয়ে পরীক্ষা করা যায়।
মুক্তোও সব নকল বেরিয়েছে কিছু বুঝতে পারবে না। বাচ্চারা এখন তোমাদের কোনো সংশয় থাকে
না। সংশয় যাদের থাকে তারা তো এখানে আসে না। প্রদর্শনীতে অনেকে আসে। বাবা বলেন এখন
বড় বড় দোকান খোলো, এই তোমাদের একমাত্র সত্যের দোকান। তোমরা প্রকৃত সত্য দোকান খোলো।
বড় বড় সন্ন্যাসীদের বড় বড় দোকান থাকে, যেখানে বড় লোকেরা যায়। তোমরাও বড় বড় সেন্টার
খোলো। ভক্তিমার্গের জিনিস হল একেবারেই আলাদা। এমন বলবেনা যে ভক্তি শুরু থেকে হয়ে
আসছে। না। জ্ঞানের দ্বারা হয় সদগতি অর্থাৎ দিন। সেখানে সম্পূর্ণ নির্বিকারী বিশ্বের
মালিক ছিলে। মানুষ এই কথা জানে না যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক ছিলেন।
সূর্যবংশী ও চন্দ্রবংশী, অন্য কোনো ধর্ম থাকে না। বাচ্চারা গানও শুনেছে। তোমরা
বুঝেছো শেষে আজ সঙ্গমের সেই দিন এসেছে, যখন আমরা অসীম জগতের পিতার সঙ্গে দেখা করি।
অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য পুরুষার্থ করি। সত্যযুগে তো এমন বলা হবে না
- শেষে সেই দিন এলো আজ। তারা ভাবে - অনেক আনাজ থাকবে, আরও কত কিছু হবে। তারা ভাবে
স্বর্গের স্থাপনা আমরা করছি। ভাবে স্টুডেন্টদের নতুন জেনারেশন, তারা খুব সাহায্য
করবে তাই গভর্নমেন্ট অনেক পরিশ্রম করে তাদের উপরে। তারপরে তারা-ই আবার পাথর ইত্যাদি
মারে। শোরগোল করার সময়ে স্টুডেন্ট রাই আগে থাকে। তারা খুব বুদ্ধিমান হয়। নতুন ব্লাড
বলা হয়। এখন নতুন ব্লাড হওয়ার কথা নেই। ওই হল ব্লাড কানেকশন, এখন তোমাদের হলো রূহানী
বা আত্মিক কানেকশন। এমন বলা হয় যে বাবা আমি আপনার দুই মাসের সন্তান। অনেক বাচ্চারা
রূহানী জন্মদিন পালন করে। ঈশ্বরীয় জন্মদিনটি পালন করা উচিত। ওই দৈহিক জন্মদিন পালন
বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ব্রাহ্মণদেরই খাওয়াবো। পালন করা উচিত তাইনা। ওই হলো আসুরিক
জন্ম, এই হলো ঈশ্বরীয় জন্ম। রাত-দিনের তফাৎ আছে, কিন্তু নিশ্চয় থাকলে বুঝবে। এমন নয়,
ঈশ্বরীয় জন্মদিন পালন করে আসুরিক জন্মে চলে যাবে। এমনও হয়। ঈশ্বরীয় জন্ম পালন করতে
করতে পালিয়েও যায় অনেকে। আজকাল তো বিবাহ বার্ষিকীও পালন করে, বিবাহ ইত্যাদিকে শুভ
কার্য ভাবে। নরকে যাওয়ার দিনটিও পালন করে। ওয়ান্ডার ! তাইনা। বাবা বসে এই সব কথা
বোঝান। এখন তোমাদের তো ঈশ্বরীয় জন্মদিন ব্রাহ্মণদের সঙ্গেই পালন করতে হবে। আমরা
শিববাবার সন্তান, আমরা জন্মদিন পালন করলে শিববাবাকেই স্মরণ করবো। যে বাচ্চারা
নিশ্চয়বুদ্ধি হয় তাদের জন্মদিন পালন করা উচিত। তারা যেন আসুরিক জন্মকে ভুলে যায়।
বাবা এই পরামর্শও দেন। যদি পাকা নিশ্চয়বুদ্ধি হয় তাহলে। আমরা তো বাবার আপন হয়েছি,
দ্বিতীয় কেউ নয়, তাহলেই অন্তিম কালে যেমন মতি যেমন তেমনই গতি হয়ে যাবে। বাবার স্মরণে
থেকে দেহ ত্যাগ করলে দ্বিতীয় জন্মটিও এইরকম হবে। তা নাহলে শেষ সময়ে যে নারীকে স্মরণ
করে .... এই কথাও গ্রন্থ সাহেবে লেখা আছে। এখানে যদিও বলা হয় শেষ সময়ে যেন গঙ্গার
ঘাট থাকে। এইসবই হলো ভক্তিমার্গের কথা। তোমাদেরকে বাবা বলেন দেহ ত্যাগ হলেও
স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে থাকবে। বুদ্ধিতে বাবা এবং চক্র যেন স্মরণে থাকে। তাও যখন
পুরুষার্থ করতে থাকবে তখন অন্তকালে স্মরণ থাকবে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো এবং বাবাকে
স্মরণ করো কারণ বাচ্চারা তোমাদের ফিরে যেতে হবে অশরীরী হয়ে। এখানে পার্ট প্লে করতে
করতে সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়েছো। এখন আবার সতোপ্রধান হতে হবে। এই সময় আত্মা হলো
অপবিত্র, তাহলে শরীর পবিত্র পাবে কীভাবে ? বাবা অনেক দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝিয়েছেন,
জহুরী কিনা। খাদ গহনায় নয়, সোনায় দেওয়া হয়। ২৪ ক্যারেট থেকে ২২ ক্যারেট করতে হলে
রুপো মেশাতে হবে। এখন তো সোনা ই নেই। সবার কাছে নিতে হচ্ছে। আজকাল টাকা গুলি কিরকম
তৈরি করে দেখো। কাগজও নেই। বাচ্চারা বুঝেছে কল্প-কল্প এমন হয়ে এসেছে। পুরোপুরি
পরীক্ষা করা হয়। লকার ইত্যাদি খোলা হয়। যেমনভাবে কারো চেকিং করা হয় ঠিক তেমনভাবে।
গায়নও আছে - কারো ধন সম্পদ ধুলায় চাপা থাকবে.... আগুনও লাগবে ভীষণ ভাবে। তোমরা
বাচ্চারা জানো এই সব হবে তাই ব্যাগ-ব্যাগেজ তৈরি করছো তোমরা ভবিষ্যতের জন্য। আর কেউ
এই সব কথা জানে না, তোমরা ই তো অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো ২১ জন্মের জন্য।
তোমাদের টাকা পয়সা দিয়েই ভারতকে স্বর্গে পরিণত করা হচ্ছে, যেখানে তোমরা গিয়ে বাস
করবে।
তোমরা বাচ্চারা নিজের পুরুষার্থ দ্বারা নিজেরাই রাজতিলক প্রাপ্ত করো। দীনের নাথ বাবা
স্বর্গের মালিক বানাতে এসেছেন কিন্তু সেই পদ প্রাপ্ত হবে তো নিজের পড়াশোনা দ্বারা।
কৃপা বা আশীর্বাদ দ্বারা নয়। টিচারের ধর্ম হল পড়ানো। টিচাররা গভর্নমেন্টের কাছে
বেতন নেয়। তাই নিশ্চয়ই পড়াবে। এমন বিশাল পুরস্কার প্রাপ্ত কর। পদমপতি হও। কৃষ্ণের
চরণে পদ্ম দেখানো হয়। তোমরা এখানে এসেছো ভবিষ্যতে পদ্মপতি হতে। তোমরা খুব সুখী, ধনী,
অমর হও। কালের উপরে জয় লাভ কর। এই কথাগুলি মানুষ বুঝতে পারে না। তোমাদের আয়ু পূর্ণ
হয়েছে, তোমরা অমর হয়ে যাও। তারা যদিও পাণ্ডবদের চিত্র বিশালকায় বানিয়েছে। তারা ভাবে
পাণ্ডবরা এতই লম্বা ছিল। এখন পাণ্ডব হলে তোমরা। কতখানি তফাৎ রয়েছে রাত-দিনের। মানুষ
তো বেশি লম্বা হয় না। ৬ ফুটের হয় । ভক্তিমার্গে সর্ব প্রথমে শিববাবার ভক্তি করা হয়।
তাঁকে তো বিশাল দেখানো হয় না। প্রথমে শিববাবার অব্যভিচারী ভক্তি করা হতো। তারপরে
দেবতাদের মূর্তি ইত্যাদি তৈরি হয়েছে। তাদের যদিও বিশাল চিত্র বানিয়েছে। তারপরে
পাণ্ডবদের বিশালকায় চিত্র বানিয়েছে। এইসব কিছু পুজোর জন্য বানানো হয়। লক্ষ্মীর পুজো
বারো মাসে একবার হয়। জগৎঅম্বার পুজো রোজ করা হয়। এই কথাও বাবা বুঝিয়েছেন তোমাদের
ডবল পুজো হয়। আমার তো শুধু আত্মা রূপে অর্থাৎ শিবলিঙ্গ রূপে পুজো হয়। তোমাদের
সালিগ্রাম রূপেও পুজো হয় আবার দেবতা রূপেও পুজো হয়। যখন রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা হয়
তখন অনেক শালিগ্রাম তৈরি করে, তাহলে কে বড় ? তাই বাবা বাচ্চাদের নমস্কার করেন।
কতখানি উঁচু পদ প্রাপ্ত করান।
বাবা খুবই গুহ্য কথা বলেন, তাই বাচ্চাদের অনেক খুশীর অনুভব হওয়া উচিত। আমাদের ভগবান
পড়ান ভগবান-ভগবতী তৈরি করার জন্য। অনেক ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। বাবার স্মরণে থাকলে ভালো
স্বপ্ন দেখবে। সাক্ষাৎকারও হবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের ঈশ্বরীয় আত্মিক জন্মদিন পালন করতে হবে, আত্মিক কানেকশন রাখতে হবে, ব্লাড
কানেকশন নয়। আসুরিক দৈহিক জন্মদিন পালন ক্যানসেল করতে হবে, যেন স্মরণে না আসে।
২ ) নিজের ব্যাগ ব্যাগেজ ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করে রাখতে হবে। নিজের টাকা পয়সা ভারতকে
স্বর্গে পরিণত করার সেবায় সফল করতে হবে। নিজের পুরুষার্থ দ্বারা নিজেকেই রাজতিলক
প্রদান করতে হবে।
বরদান:-
স্মৃতির সুইচ অন করে সেকেন্ডে অশরীরী স্থিতির অনুভবকারী প্রীত বুদ্ধি ভব
ব্যাখা: যেখানে প্রভু
প্রীতি আছে সেখানে অশরীরী হওয়া এক সেকেন্ডের খেলার মতন। যেমন সুইচ অন করলেই অন্ধকার
মিটে যায়। তেমনই প্রীত বুদ্ধি হয়ে স্মৃতির সুইচ অন করো, তাহলে দেহ এবং দেহের
দুনিয়ার স্মৃতির সুইচ অফ হয়ে যাবে। এ হল সেকেন্ডের খেলা। মুখে বাবা বলতেও সময় লাগে
কিন্তু স্মরণ করতে সময় লাগে না। এই বাবা শব্দটি হল পুরানো দুনিয়াকে ভুলবার আত্মিক
বোমা।
স্লোগান:-
দেহ
অনুভূতি রূপী মাটির ভার থেকে ঊর্ধ্বে থাকো, তাহলে ডবল লাইট ফরিস্তা হয়ে যাবে ।