18.09.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
বাবা কোন্
বাচ্চাদেরকে বাধ্য (আদেশ পালনকারী) সন্তান বলেন ?
উত্তরঃ -
বাবার মুখ্য আদেশ হলো - বাচ্চারা, অমৃতবেলায় উঠে বাবাকে স্মরণ করো। যারা এই মুখ্য
আদেশ পালন করে, ভোর-ভোর স্নান করে ফ্রেশ হয়ে ঐ শ্রেষ্ঠ সময়ে বাবাকে স্মরণ করে,
তাদেরকেই বাবা সুপুত্র অথবা বাধ্য সন্তান বলেন। ওরাই ওখানে গিয়ে রাজা হবে। কুপুত্ররা
তো ঝাড়ু দেবে।
ওম্ শান্তি ।
এই কথাটার
অর্থ তো বাচ্চাদেরকে বুঝিয়েছি। ‛ওম্’ মানে ‛আমি আত্মা’। সকলেই বলে যে জীবাত্মা তো
অবশ্যই আছে। সকল আত্মার পিতা তো একজনই। শারীরিক পিতা আলাদা আলাদা হয়। *এটাও
বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে যে লৌকিক পিতার কাছ থেকে সীমিত উত্তরাধিকার পাওয়া যায় আর
অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে সীমাহীন উত্তরাধিকার পাওয়া যায়।* আজকাল মানুষ চায় যে
বিশ্বে শান্তি আসুক। ছবি দেখিয়ে বোঝাতে হলে, শান্তি স্থাপনের জন্য কলিযুগের অন্তিম
এবং সত্যযুগের আদিকালের মধ্যবর্তী সঙ্গমযুগে নিয়ে যেতে হবে। এটা হলো সত্যযুগের নুতন
দুনিয়া, ওখানে একটাই ধর্ম থাকে তাই পবিত্রতা, সুখ, শান্তি বজায় থাকে। ওই দুনিয়াকে
হেভেন বলা হয়। এই কথা গুলো সকলেই মানবে। নুতন দুনিয়ায় কেবলই সুখ থাকে, কোনো দুঃখ
থাকে না। এগুলো কাউকে খুব সহজেই বোঝানো যায়। এই জগতেই শান্তি কিংবা অশান্তির বিষয়
রয়েছে। ওটা তো নির্বাণধাম, ওখানে শান্তি কিংবা অশান্তির কোনো প্রশ্নই আসে না।
বাচ্চারা, তোমরা যখন বক্তৃতা দাও, তখন প্রথমেই বিশ্ব-শান্তির প্রসঙ্গ তুলতে হবে।
মানুষ শান্তি স্থাপনের জন্য অনেক চেষ্টা করে এবং তাদেরকে পুরস্কারও দেওয়া হয়। কিন্তু
বাস্তবে এর জন্য এত জায়গায় দৌড়ানোর প্রয়োজন নেই। বাবা বলছেন, কেবল নিজের স্ব-ধর্ম
বজায় রাখলেই শান্তি স্থাপন হয়ে যাবে। তোমরা হলে বাবার বাচ্চা, যিনি সদা শান্ত। তাঁর
কাছ থেকেই শান্তির উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। কিন্তু এটাকে কখনোই মোক্ষ বলা যাবে না।
স্বয়ং ভগবানও মোক্ষ প্রাপ্ত করতে পারেন না। তাঁকেও অবশ্যই তাঁর ভূমিকা পালন করতে হয়।
তিনি বলছেন, আমি প্রত্যেক কল্পের সঙ্গমযুগে আসি। সুতরাং, স্বয়ং ভগবানের ক্ষেত্রেও
যেখানে মোক্ষ হয় না, সেখানে বাচ্চারা কিভাবে মোক্ষলাভ করবে ? সারাদিন ধরে এই কথাগুলো
নিয়েই বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। তোমাদের মতো বাচ্চাদেরকে বাবা বোঝাচ্ছেন।
তোমাদেরও অনেককে বোঝানোর অভ্যাস আছে। শিববাবা যখন বোঝান, তখন তোমরা ব্রাহ্মণরাই বোঝো।
তোমাদেরকেই এই বিষয়গুলো নিয়ে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। সেবাস্থানে তো তোমরা
বাচ্চারাই রয়েছে। তোমাদেরকে তো অনেকজনকে বোঝাতে হয়। দিনরাত সেবা করতে হবে। মিউজিয়ামে
সারাদিন মানুষ আসতেই থাকে। রাত্রি ১০টা - ১১টা পর্যন্তও মানুষ আসে। কোথাও কোথাও ভোর
৪ টে থেকে সেবা শুরু করে দেয়। এখানে তো ঘরেই আছ, যখন খুশি স্মরণের জন্য বসতে পারো।
কিন্তু সেন্টারে বাইরে থেকে এবং অনেক দূর থেকে মানুষ আসে। তাই তাদের জন্য বিশেষ সময়
রাখতে হয়। এখানে তো বাচ্চারা যেকোনো সময় উঠতে পারে। কিন্তু তাই বলে এমন কোনো সময়
রাখা উচিত নয় যে বাচ্চারা ওঠার পরেও ঢুলতে থাকে। তাই ভোরবেলার সময়টা নির্ধারণ করা
হয়েছে। যাতে স্নান সেরে ফ্রেশ হয়ে আসতে পারে। কিন্তু এরপরেও যদি সঠিক সময়ে না আসে,
তাহলে তাকে বাধ্য (আদেশ পালনকারী) বলা যাবে না। লৌকিক বাবারও সুপুত্র এবং কুপুত্র
থাকে। অসীম জগতের পিতারও এইরকম সন্তান রয়েছে। সুপুত্ররা ওখানে গিয়ে রাজা হবে আর
কুপুত্ররা গিয়ে ঝাড়ু দেবে। এখানেই সব বুঝতে পারা যায়। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী নিয়েও বোঝানো
হয়েছে। কৃষ্ণের জন্মের সময়ে তো এই দুনিয়ায় স্বর্গ থাকে। একটাই রাজত্ব থাকে। বিশ্বে
শান্তি থাকে। স্বর্গে খুব কম মানুষ থাকবে। ওটা হলো নতুন দুনিয়া। ওখানে কোনো অশান্তি
হওয়া সম্ভব নয়। যখন এক ধর্ম থাকে, তখনই শান্তি বজায় থাকে। বাবা এসেই এই ধর্ম স্থাপন
করেন। পরে যখন অন্যান্য ধর্ম স্থাপন হয়, তখন অশান্তি আরম্ভ হয়। ওখানে সবাই ১৬ কলা
সম্পূর্ণ, তাই শান্তি বজায় থাকে। চাঁদ যখন সম্পূর্ণ অবস্থায় থাকে, তখন কত সুন্দর
লাগে। তখন পূর্ণিমা বা ফুল মুন বলা হয়। ত্রেতাযুগে ৩/৪ অংশ হয়ে যায় অর্থাৎ আংশিক হয়ে
যায়। দুই কলা কমে যায়। সম্পূর্ণ শান্তি তো সত্যযুগেই থাকে। দুনিয়া ২৫ শতাংশ পুরাতন
হয়ে গেলে কিছু না কিছু ঝামেলা তো অবশ্যই হবে। দুই কলা কমে গেলে সৌন্দর্যও কমে যায়।
স্বর্গে সম্পূর্ণ শান্তি থাকে আর নরকে সম্পূর্ণ অশান্তি হয়ে যায়। এখন মানুষ চাইছে
সমগ্র বিশ্বে শান্তি আসুক। আগে কিন্তু এইরকম কথা শোনা যেত না যে বিশ্বে শান্তি আসুক।
এখন এইরকম কথা শোনা যায় কারন এখন সত্যিসত্যিই বিশ্বে শান্তি স্থাপন হচ্ছে। আত্মা
চায় যে বিশ্বে শান্তি আসুক। কিন্তু দেহের অভিমান থাকার জন্য মানুষ কেবল মুখেই বলে
যে বিশ্বে শান্তি আসুক। এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। বাবা এসেই এইসব বোঝাচ্ছেন।
বাবাকেই সবাই স্মরণ করে। তাঁর নাম হেভেনলি গড ফাদার। কিন্তু তিনি কখন কোন্ রূপে এসে
স্বর্গ স্থাপন করবেন, সেটা কেউই জানে না। কেউই জানে যে তিনি কিভাবে স্বর্গ স্থাপন
করেন। শ্রীকৃষ্ণের পক্ষে তো রচনা করা সম্ভব নয়। তাঁকে দেবতা বলা হয়। মানুষ
দেবতাদেরকে প্রণাম করে। তাদের মধ্যে দিব্যগুণ থাকার জন্য তাদেরকে দেবতা বলা হয়।
যেমন খুব গুণী কোনো মানুষকে দেবতুল্য বলা হয়। যারা সারাক্ষন ঝগড়াঝাটি করে, তাদেরকে
অসুর বলা হয়। বাচ্চারা জানে যে আমরা অসীম জগতের পিতার সামনে বসে আছি। তাই বাচ্চাদের
আচরণ খুব সুন্দর হতে হবে। জ্ঞান পাওয়ার আগেও বাবা দেখেছেন যে ৬-৭ টা পরিবার একসঙ্গে
ক্ষীরের মতো মিলেমিশে থাকে। কোথাও আবার ঘরে কেবল দুজন থাকলেও লড়াই ঝগড়া করতে থাকে।
তোমরা হলে ঈশ্বরের সন্তান। তাই আরো কতো মিলেমিশে ক্ষীরের মতো থাকা উচিত। একেবারে
ক্ষীরের মতো সত্যযুগেই হবে, কিন্তু এখানে তোমরা ঐরকম হওয়ার শিক্ষা পাচ্ছ। তাই খুব
ভালোবেসে থাকা উচিত। বাবা বলছেন, আন্তরিক ভাবে নিরীক্ষণ করে দেখ যে কোনো বিকর্ম
করিনি তো ? কাউকে দুঃখ দিইনি তো ? কিন্তু কেউই এইভাবে বসে বসে নিজেকে নিরীক্ষণ করে
না। কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। *তোমরা বাচ্চারা হলে সমগ্র বিশ্বে শান্তি স্থাপনের
নিমিত্ত। তোমরা যদি নিজের বাড়িতেই অশান্তি করতে থাকো, তবে শান্তি স্থাপন কিভাবে করবে
?* লৌকিক পিতার সন্তান যদি খুব জ্বালাতন করে, তাহলে বলা হয় - এইরকম বাচ্চা থাকার
থেকে না থাকাই ভালো। যদি কখনো খারাপ অভ্যাস তৈরী হয়ে যায়, তাহলে সেটা ধীরে ধীরে আরো
কড়া হয়ে যায়। তখন এই বোধটাই আর থাকে না যে আমরা হলাম অসীম জগতের পিতার সন্তান,
আমাদেরকে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করতে হবে। তোমরা শিববাবার সন্তান। যদি শান্ত থাকতে
না পারো, তাহলে শিববাবার কাছে এসো। তিনি হলেন হীরা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তোমাকে শান্ত
থাকার উপায় বলে দেবেন। অনেকেই আছে যাদের আচরণ মোটেই দেবতা ঘরানার নয়। তোমরা এখন
ফুলের দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছ। এই দুনিয়াটা খুব নোংরা, একদম বেশ্যালয়।
এই দুনিয়ার প্রতি ঘেন্না আসা উচিত। নুতন দুনিয়া স্থাপন হলেই বিশ্বে শান্তি আসবে।
সঙ্গমযুগে শান্তি হওয়া সম্ভব নয়। এখানে সবাই শান্ত হওয়ার পুরুষার্থ করছে। সম্পূর্ণ
পুরুষার্থ না করলে শাস্তি পেতে হবে। আমার সঙ্গে তো ধর্মরাজও রয়েছেন। যখন হিসাবপত্র
মেটানোর সময় আসবে, তখন অনেক মার খেতে হবে। কর্মফল অবশ্যই ভোগ করতে হবে। শরীর খারাপ
হওয়াটাও তো কর্মফল। বাবার ওপরে আর কেউ নেই। তিনি বোঝাচ্ছেন - বাচ্চারা, তোমরা ফুলের
মতো হয়ে গেলে খুব উঁচু পদ পাবে। নাহলে কোনো লাভ নেই। যে ভগবানকে, বাবাকে অর্ধেক
কল্প ধরে স্মরণ করলে, তাঁর কাছ থেকে যদি উত্তরাধিকারই না নিলে, তাহলে তাঁর সন্তান
হয়ে কি করলে ? কিন্তু ড্রামা অনুসারে তো এরকমও হবে। বোঝানোর অনেক রকম উপায় রয়েছে।
সত্যযুগেই সমগ্র বিশ্বে শান্তি ছিল, যেখানে এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিল। এখন
সব জায়গাতেই অশান্তি। তাই লড়াই তো অবশ্যই হবে। তারপর সত্যযুগে পুনরায় কৃষ্ণ আসবে।
বলা হয়, কলিযুগে দেবতাদের ছায়াও পড়ে না। তোমরা বাচ্চারাই এখন এইসব কথা শুনছ। তোমরা
জানো যে শিববাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। এগুলোকে ধারণ করতে হবে। এর জন্য সারাজীবন লেগে
যায়। বলা হয় - সারাজীবন ধরে বোঝালাম, কিন্তু তাও বুঝল না।
অসীম জগতের পিতা বলছেন - আগে এই মুখ্য বিষয়টা বোঝাও যে জ্ঞান আলাদা আর ভক্তি আলাদা।
অর্ধেক কল্প হলো দিন আর অর্ধেক কল্প হলো রাত্রি। শাস্ত্রে তো কল্পের আয়ুকেই ভুল লিখে
দিয়েছে। তাই অর্ধেক করা সম্ভব হয়নি। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কোনো শাস্ত্র না পড়ে থাকো,
তাহলে খুবই ভালো। শাস্ত্র জানা থাকলে সে সংশয় প্রকাশ করবে, অনেক প্রশ্ন করবে।
বাস্তবে বাণপ্রস্থ অবস্থায় এলেই মানুষ ভগবানকে স্মরণ করে। কারোর মতামত অনুসরণ করে।
তারপর গুরু যেভাবে শেখাবে সেইরকম করে। ভক্তি করা শেখানো হয়। এমন কোনো গুরু নেই যে
ভক্তি করা শেখাবে না। ওদের মধ্যে ভক্তির শক্তি থাকার জন্যই ওদের এতো অনুগামী হয়।
অনুগামীদের ভক্ত বা পূজারী বলা হয়। এই দুনিয়ায় সকলেই পূজারী। ওখানে কেউই পূজারী হবে
না। ভগবান নিজে কখনোই পূজারী হন না। এইরকম অনেক পয়েন্ট বোঝানো হয়। বাচ্চারা, ধীরে
ধীরে তোমাদের মধ্যেও বোঝানোর শক্তি আসবে। তোমরা এখন সবাইকে বলছ যে শ্রীকৃষ্ণ আসছেন।
সত্যযুগে তো শ্রীকৃষ্ণ অবশ্যই থাকবে। নাহলে বিশ্বের ইতিহাস ভূগোলের পুনরাবৃত্তি
কিভাবে হবে ? কেবল শ্রীকৃষ্ণই তো নয়, ওখানে রাজা রানী যেরকম হবে, প্রজারাও সেইরকম
হবে। এটাও বোঝার বিষয়। তোমরা বাচ্চারা বুঝেছ যে আমরা হলাম বাবার বাচ্চা। বাবা এখন
উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন। সকলেই তো স্বর্গে আসবে না। ত্রেতাযুগেও সকলে আসবে না। ধীরে
ধীরে বৃক্ষের বিস্তার হবে। এটা হলো মনুষ্য সৃষ্টির বৃক্ষ। ওখানে আছে আত্মাদের বৃক্ষ।
ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপন, শংকরের দ্বারা বিনাশ এবং তারপর পালনের কর্তব্য তো এখানেই
হয়। বুঝেশুনে শব্দের প্রয়োগ করতে হবে। কিভাবে এই সৃষ্টিচক্র আবর্তিত হয় সেটা
বাচ্চাদের বুদ্ধিতে রয়েছে এবং তার জন্য বাচ্চাদের নেশাও আছে। কিভাবে রচনা হয়। এখন
তো খুব ছোট নতুন রচনা। এটা অনেকটা ডিগবাজি খেলার মতো। প্রথমে সবাই শূদ্র থাকে,
তারপর বাবা এসে ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের রচনা করেন। ব্রাহ্মণ হলো টিকি। ডিগবাজি
খাওয়ার সময়ে পা এবং টিকির এক জায়গায় চলে আসে। আগে তো ব্রাহ্মণদের প্রয়োজন।
ব্রাহ্মণদের যুগ খুবই ছোট যুগ। তারপর আসে দেবতারা। বর্ণের বিষয়ে বোঝানো আছে বলে এই
ছবিটাও খুব কাজে লাগে। এই ছবিটা দিয়ে খুব সহজেই বোঝানো যায়। বিভিন্ন মানুষের
বিভিন্ন রূপ। বোঝানোর সময়ে কত আনন্দ হয়। যখন ব্রাহ্মণরা থাকে, তখন এখানে অন্যান্য
সকল ধর্ম থাকে। শূদ্রদের থেকেই ব্রাহ্মণদের চারা রোপন করা হয়। মানুষ তো বৃক্ষের চারা
লাগায়। বাবা সমগ্র বিশ্বে শান্তি স্থাপনের জন্য চারা রোপন করেন। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান। আমাদেরকে ক্ষীরের মতো মিলেমিশে
থাকতে হবে। কাউকে দুঃখ দেওয়া যাবে না।
২ ) আন্তরিক ভাবে নিরীক্ষণ করতে হবে যে আমার দ্বারা কোনো বিকর্ম হচ্ছে না তো !
অশান্ত হওয়ার কিংবা অশান্তি সৃষ্টি করার অভ্যাস নেই তো ?
বরদান:-
“কেবল বাবা, আর কেউ নয়” - এই স্মৃতির দ্বারা বন্ধনমুক্ত, যোগযুক্ত ভব
এখন ঘরে যাওয়ার সময়,
তাই বন্ধনমুক্ত এবং যোগযুক্ত হও। বন্ধনমুক্ত মানে লুজ ড্রেস, টাইট নয়। অর্ডার
পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজির হয়ে যাওয়া। এইরকম বন্ধনমুক্ত, যোগযুক্ত অবস্থার বরদান
পাওয়ার জন্য সর্বদা এই প্রতিজ্ঞাটা স্মরণে রাখতে হবে যে - “কেবল বাবা, আর কেউ নয়”।
কারন ঘরে যাওয়ার জন্য কিংবা সত্যযুগের রাজধানীতে আসার জন্য এই শরীরটাকে তো ত্যাগ
করতে হবে। তাই চেক করো যে এইরকম এভার রেডি হয়েছি নাকি এখনো কিছু দড়ি বাঁধা আছে ? এই
পুরাতন বস্ত্রটা টাইট নয়তো ?
স্লোগান:-
ব্যর্থ সংকল্প রূপী অতিরিক্ত ভোজন না করলে মোটা হওয়ার রোগ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।