24.10.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
বাবা তাঁর
নিজের বাচ্চাদের কোন্ সংবাদ শুনিয়েছেন ?"
উত্তরঃ -
বাবা শুনিয়েছেন- তোমরা আত্মারা নির্বাণধাম থেকে কীভাবে আসো আর আমি (শিববাবা) কীভাবে
আসি। আমি কে, কি করি, কীভাবে রামরাজ্য স্থাপন করি, কীভাবে বাচ্চারা তোমাদের রাবণের
উপরে বিজয় প্রাপ্ত করিয়ে দিই। বাচ্চারা, তোমরা এখন এই সব কথা জানো। তোমাদের জ্যোতি
জাগ্রত হয়েছে।
গীতঃ-
তুমিই হলে মাতা.....
তুম্ হি হো মাতা পিতা...
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
আত্মা রূপী বাচ্চারা গান শুনলো। আত্মারা এই শারীরিক কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা গান শুনেছে।
গানের প্রথমে তো ঠিক ছিলো। শেষে আবার ভক্তির শব্দ ছিলো - তোমার চরণ- ধূলি হই। এখন
বাচ্চারা কি আর চরণের ধূলি হয় ! এটা হলো রঙ্ (ভুল)। বাবা বাচ্চাদের রাইট(সঠিক) শব্দ
বোঝান। বাবাও সেখান থেকেই আসেন, যেখান থেকে বাচ্চারা আসে, সেটা হলো নির্বাণধাম।
বাচ্চাদের তো সবারই আসার সংবাদ শোনানো হলো। নিজেও শুনিয়েছি যে আমি কীভাবে আসি, এসে
কি করি। রামরাজ্য স্থাপন করার অর্থ রাবণের উপর বিজয় প্রাপ্ত করা। বাচ্চারা জানে যে-
রামরাজ্য আর রাবণরাজ্য এই পৃথিবীর উপরই আছে বলা হয়ে থাকে। এখন তোমরা বিশ্বের মালিক
হচ্ছো। ধরনী, আকাশ, সূর্য ইত্যাদি সব হাতে এসে যায়। তাই তো বলা হয় রাবণরাজ্য সারা
বিশ্ব জুড়ে আর রামরাজ্যও সারা বিশ্ব জুড়ে আছে। রাবণরাজ্যে কতো কোটি লোক আছে,
রামরাজ্যে লোক সামান্য হয়, আবার ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পায়। রাবণরাজ্যে বৃদ্ধি অনেক হয়,
কারণ- মানুষ বিকারী হয়ে যায়। রামরাজ্যে হলো নির্বিকারী। এই সব কাহিনী তো সব হলো
মানুষেরই। সুতরাং রামও অসীম জগতের মালিক, রাবণও হলো অসীম জগতের মালিক। এখন কতো
রকমের ধর্ম আছে। বলা হয়ে থাকে অনেক ধর্মের বিনাশ। বাবা বৃক্ষের(কল্পবৃক্ষ) উপরেও
বুঝিয়েছেন। এখন দশহরা পালন করে, রাবণকে জ্বালিয়ে দেয়। এটা হলো পার্থিব জগতের
জ্বালানো। তোমাদের তো হলো অসীম জগতের ব্যাপার। রাবণকেও শুধুমাত্র ভারতবাসীই জ্বালিয়ে
থাকে, বিদেশেও যেখানে-যেখানে বেশী সংখ্যক ভারতবাসী আছে, সেখানেও জ্বালাবে। ওটা হলো
পার্থিব জগতের দশহরা। দেখানো হয় লঙ্কাতে রাবণ রাজত্ব করতো, সীতাকে চুরি করে নিয়ে
গিয়েছিল। এটা হয়ে গেল পার্থিব জগতের কথা। বাবা এখন বলেন সমগ্র বিশ্বে হলো রাবণের
রাজত্ব। এখন রামরাজ্য নেই। রামরাজ্য অর্থাৎ যা কি না ঈশ্বরের স্থাপন করা। সত্যযুগকে
বলা হয় রামরাজ্য। মালা জপতে থাকে, রঘুপতি রাঘব রাজারাম বলে, কিন্তু রাজা রামকে (ত্রেতার)
জপ করে না, যে সারা বিশ্বের সেবা করে, তাঁর মালা জপ করে।
ভারতবাসী দশহরার পরে আবার দীপাবলি পালন করে। দীপাবলি কেন পালন করে ? কারণ দেবতাদের
অভিষেক হয়। রাজ্যাভিষেকের সময় বাতি ইত্যাদি অনেক জ্বালানো হয়। এক তো হলো
রাজ্যাভিষেক দ্বিতীয়ত আবার বলা হয়- প্রতি গৃহে দীপমালা। প্রত্যেক আত্মার জ্যোতি
জাগৃত হয়ে ওঠে। এখন সব আত্মাদের জ্যোতি নিভে আছে। আয়রণ এজড্ অর্থাৎ হলো অন্ধকার।
অন্ধকার মানে ভক্তি মার্গ। ভক্তি করতে করতে জ্যোতি নিষ্প্রভ হয়ে যায়। তাছাড়া ওই
দীপমালা তো হলো আর্টিফিশিয়াল। এমন না যে করোনেশন হয় তো আতসবাজি জ্বালানো হয়।
দীপমালার সময় লক্ষ্মীকে আহ্বান জানায়, পূজা করে, এই উৎসব হলো ভক্তি মার্গের। যে
রাজাই সিংহাসনে বসুক না কেন, তার কারোনেশন ডে (রাজ্যাভিষেকের দিন) ধূমধাম করে পালন
করা হয়। এই সবই হলো পার্থিব জগতের।
এখন তো অসীম জগতের বিনাশ, সত্যিকারের দশহরা হবে। বাবা এসেছেন সকলের জ্যোতিকে জাগৃত
করতে। মানুষ মনে করে আমাদের জ্যোতি বড় জ্যোতির সাথে মিলিত হবে। ব্রাহ্ম সমাজের
মন্দিরে সর্বদা জ্যোতি জাগৃত থাকে। মনে করে পতঙ্গ যেমন জ্যোতির চারপাশে আবর্তন করে
মত্ত হয়ে ওঠে সেইরকম আমাদের আত্মাও এখন বড় জ্যোতির সাথে মিলিত হয়ে যাবে। এর উপর
দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে। এখন তোমরা হলে অর্ধ- কল্পের প্রিয়তমা। তোমারা এসে এক
প্রিয়তমের প্রতি উন্মত্ত হয়েছ। জ্বলে যাওয়ার তো ব্যাপার নেই। যেমন লৌকিক দয়িত আর
দয়িতা-- তারা একে অপরের অতি প্রিয়তম হয়ে ওঠে। এখানে হলো সেই একই প্রিয়তম, বাকি সব
হলো প্রিয়তমা। প্রিয়তমারা সেই প্রীতমকে ভক্তি মার্গে স্মরণ করতে থাকে। প্রিয়তম -
তুমি আসলে পরে আমি তোমার প্রতি সমর্পিত হবো। তুমি ছাড়া আমি আর কাউকেই স্মরণ করব না।
এটা হলো তোমাদের শারীরিক লভ(ভালোবাসা)। ওই প্রিয়তম-প্রিয়তমার শারীরিক লভ হয়। ব্যস্
! একে অপরকে দেখতে থাকে, দেখাতেই যেন তৃপ্ত হয়ে যায়। এখানে তো এক জনই প্রিয়তম, বাকি
সব হলো প্রিয়তমা। সকলেই বাবাকে স্মরণ করে। যদিও কেউ নেচার (প্রকৃতি) ইত্যাদিকে
মান্যতা দিয়ে থাকে, তবুও ও গড্, হে ভগবান- মুখ থেকে অবশ্যই বের হয়। সবাই তাঁকে ডাকে,
আমার দুঃখ দূর করো। ভক্তি মার্গে তো অনেক প্রিয়তম- প্রিয়তমা থাকে, এ ওর প্রিয়তমা
তো ও তার প্রিয়তমা। হনুমানের কতো প্রিয়তমা হবে ? সকলে নিজের-নিজের প্রিয়তমের
চিত্র তৈরী করে আবার নিজেদের মধ্যে মিলে- মিশে বসে পূজা করে। পূজা করে আবার
প্রিয়তমকে ডুবিয়ে দেয়। অর্থ কিছুই দাঁড়ালো না। এক্ষেত্রে সেই ব্যাপার নেই।
তোমাদের এই প্রিয়তম এভার (সর্বক্ষণের) সুন্দর, কখনো অসুন্দর হন না। বাবা মুসাফির (ভবঘুরে
সেবক) এসে সকলকে সুন্দর করে তোলেন। তোমারাও তো মুসাফির, তাই না ! দূর দেশ থেকে এখানে
এসে ভূমিকা পালন করো। তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে বুঝতে পারে।
এখন তোমরা ত্রিকালদর্শী হয়ে গেছো। রচনা আর রচয়িতার আদি- মধ্য- অন্তকে জানো, তাই
তোমরা হয়ে গেলে ত্রিকালদর্শী ব্রহ্মাকুমার- কুমারী। যেমন করে জগতগুরু ইত্যাদিরও
টাইটেল প্রাপ্ত হয় ! তোমাদের এই টাইটেল প্রাপ্ত হয়। তোমাদের সব থেকে ভালো টাইটেল
প্রাপ্ত হয়- *স্বদর্শন চক্রধারী*। তোমরা ব্রাহ্মণরাই স্বদর্শন চক্রধারী হও, নাকি
শিববাবাও ? (শিববাবাও) ।হ্যাঁ, কারণ স্বদর্শন চক্রধারী আত্মা হয় --- শরীর সহ।
বাবাও এঁনার মধ্যে এসে বোঝান। শিববাবা স্বদর্শন চক্রধারী না হলে তবে তোমাদের তৈরী
করবেন কীভাবে ? তিনি সবচেয়ে সুপ্রিম, উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ আত্মা। দেহকে কি আর বলা
হবে ? সেই সুপ্রিম বাবা এসেই তোমাদের সুপ্রিম তৈরী করেন। স্বদর্শন চক্রধারী আত্মারা
ব্যাতীত আর কেউ হতে পারে না। কোন্ আত্মারা ? যারা হলো ব্রাহ্মণ আত্মা। যখন শূদ্র
ধর্মে ছিলে, তখন জানতে না। এখন বাবার দ্বারা তোমরা জেনেছো। কতো ভালো- ভালো ব্যাপার।
তোমারাই শোনো আর খুশী হও। বাইরের লোকেরা এটা শোনে তো আশ্চর্য হয়ে যায়, অহো! এটা তো
হলো খুবই উচ্চ মানের জ্ঞান। আচ্ছা, তোমরাও এই রকম স্বদর্শন চক্রধারী হলে তারপর
চক্রবর্তী রাজা, বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। এখান থেকে বাইরে গেলে শেষ। মায়া এতো
বাহাদুর, যেমনকে তেমনই রয়ে যায় । যেমন গর্ভের বাচ্চা প্রতিজ্ঞা করে, বের হয়ে আবার
যেমনকার তেমনই থেকে যায়। তোমরা প্রদর্শনী ইত্যাদিতে বোঝাও, খুব ভালো- ভালো করে।
নলেজ খুব ভালো, আমি এই রকম পুরুষার্থ করবো, এই করবো---। বাইরে গেলো তো ব্যাস্,
যেমনকার তেমন রইলো। কিন্তু তাও কিছু না কিছু প্রভাব থেকে যায়। এমন না যে সে আর ফিরে
আসবে না। বৃক্ষের বিস্তার হতে থাকবে। বৃক্ষের বৃদ্ধি হতে থাকলে আবার সবাইকে আকৃষ্ট
করবে। এখন তো এটা হলো ভয়ঙ্কর নরক। গড়ুর পুরানেও এমন সব গালগল্প কথা লেখা, যা সব
মানুষকে শোনায় যাতে কিছু ভয় থাকে। ওর থেকেই বেরিয়েছে যে মানুষ সাপ, বিছা ইত্যাদি
হয়। বাবা বলেন, আমি তোমাদের বিষয় বৈতরণী নদী থেকে উঠিয়ে ক্ষীর সাগরে পাঠিয়ে দিই।
আসলে তোমরা শান্তিধামের নিবাসী ছিলে। তারপর সুখধামে ভূমিকা পালন করতে আসো। এখন আমরা
আবার যাবো শান্তিধাম আর সুখধাম। এই ধাম তো স্মরণ করবে, তাই না ! গাওয়াও হয় তুমি
মাতা - পিতা.... সেই গভীর সুখ তো সত্যযুগেই হয়ে থাকে। এখন হলো সঙ্গম। এখানে শেষে
ত্রাহি- ত্রাহি করবে। কারণ অপরিমেয় দুঃখ থাকবে। আবার সত্যযুগে অতি সুখ হবে। অতি সুখ
আর অতি দুঃখের এই খেলা পূর্ব নির্ধারিত। বিষ্ণু অবতারও দেখানো হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণের
জোড় যেমন উপর থেকে আসে। এখন উপর থেকে কোনো শরীরধারী কি আর আসে ! উপর থেকে তো আসে
প্রত্যেক আত্মাই। কিন্তু ঈশ্বরের অবতরণ খুবই বিচিত্র, তিনিই এসে ভারতকে স্বর্গে
পরিণত করেন। ওঁনার উৎসব- শিবজয়ন্তী পালন করা হয়। যদি জানতে পারতো যে পরমপিতা
পরমাত্মা শিবই মুক্তি - জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার দেন, তবে সমগ্র বিশ্বে গড ফাদারের
উৎসব পালন করতো। অসীম জগতের বাবার স্মরণ- দিবস তখনই পালন করতো, যখন বুঝতো যে
শিববাবাই হলেন লিবারেটর(মুক্তিদাতা), গাইড। ওঁনার জন্মই হয় ভারতে। শিবজয়ন্তীও
ভারতেই পালন করা হয়। কিন্তু সম্পূর্ণ পরিচিতি না থাকাতে হলিডেও পালিত হয় না। *যে
পিতা সকলের সদ্গতি করেন, ওঁনার জন্মভূমি যেখানে অলৌকিক কর্তব্য সেখানে করে থাকেন,
ওঁনার জন্ম দিন আর তীর্থ যাত্রা তো বেশী করে পালন করা উচিত* । তোমাদের স্মরণিক
নিদর্শন মন্দিরও এখানেই। কিন্তু কারোর জানা নেই যে শিববাবা এসে লিবারেটর, গাইড হন।
সকলেই বলে যে সকল দুঃখ থেকে পরিত্রাণ করে সুখধামে নিয়ে চলো, কিন্তু বুঝতে পারে না।
ভারত হলো খুবই শ্রেষ্ঠ দেশ। ভারতের মহিমা অপরম অপার বলে সুখ্যাত। সেখানেই শিববাবার
জন্ম হয়, কেউ তাকে মান্যতা দেয় না। স্ট্যাম্প তৈরী করা হয় না। অন্যান্যদের তো খুবই
তৈরী হয়। এখন কীভাবে বোঝানো যায়, যাতে ওঁনার মাহাত্ম্য সকলের জ্ঞাত হয়। বিদেশে
সন্ন্যাসী ইত্যাদিরা গিয়ে ভারতের প্রাচীন রাজযোগ শেখায়, তোমরা যখন এই রাজযোগের কথা
বলবে তো তোমাদের নাম হবে। বলো, রাজযোগ কে শিখিয়েছিলেন, এটা কারোরই জানা নেই।
কৃষ্ণও তো হঠযোগ শেখায়নি। এই হঠযোগ হলো সন্ন্যাসীদের। যারা অনেক পড়াশুনা করেছে,
যারা নিজেদের ফিলোসফার (দার্শনিক) বলে, তারা এই ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে আরো শুধরে যাবে,
বলবে আমরাও শাস্ত্র পড়েছি, কিন্তু এখন বাবা যা শোনাচ্ছেন সেটাই হলো সঠিক। এছাড়া সব
হলো রঙ্(ভুল)। তাই এটাও বুঝে নাও যে সর্ব শ্রেষ্ঠ তীর্থ স্থান হলো এই মধুবন, যেখানে
বাবা আসেন। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে এটাকে বলা হয় - ধর্মভূমি। এখানে যত ধর্মাত্মা
থাকে এত আর কোথাও নেই। তোমরা কতো দান পূণ্য করো। বাবাকে জেনে, তন-মন-ধন সব এই সেবাতে
নিয়োগ করে। একমাত্র বাবা সকলকে লিবারেট করেন। সবাইকে দুঃখ থেকে পরিত্রাণ করেন। আর
কোনো ধর্ম স্থাপক দুঃখ থেকে পরিত্রাণ করতে পারে না। তিনি তো আসেন ওদের পরবর্তী সময়ে।
নম্বর অনুযায়ী সব ভূমিকা পালন করতে আসে। ভূমিকা পালন করতে করতে তমোপ্রধান হয়ে যায়।
তারপর বাবা এসে সতোপ্রধান করে তোলেন। তবে এই ভারত কতো বড় তীর্থ হলো। ভারত হলো
সবচেয়ে নম্বর ওয়ান উচ্চ ভূমি। বাবা বলেন, এটা হলো আমার জন্ম-ভূমি। আমি এসে সকলের
সদ্গতি করাই। ভারতকে হেভেন(স্বর্গ) করে তুলি। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে বাবা
স্বর্গের মালিক করে তুলতে এসেছেন। এমন বাবাকে খুবই ভালোবাসার সাথে স্মরণ করো।
তোমাদের দেখে আরও সবাই এমন কর্ম করবে। *একেই বলা হয়ে থাকে- অলৌকিক দিব্য কর্ম* ।
এরকম মনে করো না যে কেউই জানবে না। এমন বেরোবে যে তোমাদের এই চিত্রও নিয়ে যাবে।
স্টীমার যেখানে- যেখানে দাঁড়িয়ে থাকবে সেখানে এই চিত্র লাগিয়ে দেবে। তোমাদের
অনেক সার্ভিস হতে হবে। অনেক উদার চিত্ত, বিত্তবানও বেরোবে, যারা এরকম কাজ করতে লেগে
যাবে। যাতে সকলের জ্ঞাত হয় যে ইনি কে, যে এই পুরানো দুনিয়া কে পরিবর্তন করে নূতন
দুনিয়া স্থাপন করছেন। তোমাদেরও প্রথমে তুচ্ছ বুদ্ধি ছিলো, এখন তোমরা কতো স্বচ্ছ
বুদ্ধি সম্পন্ন হয়েছো। জানো যে এই জ্ঞান আর যোগবলের দ্বারা আমরা বিশ্বকে
হেভেন(স্বর্গ) করে তুলি। এছাড়া সবাই তো মুক্তিধামে চলে যাবে। তোমাদেরও
অথরিটি(কর্তৃত্ব করার অধিকার) হতে হবে। অসীম জগতের বাবার বাচ্চা যে তোমরা ! শক্তি
প্রাপ্ত হয় স্মরণের দ্বারা। বাবাকে ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি বলা হয়। সকলেই
বেদ-শাস্ত্রের সার বলতে থাকে। তাই বাচ্চাদের সার্ভিসের জন্য কতো উৎফুল্লতা থাকা
উচিত। মুখ থেকে জ্ঞান রত্ন ব্যাতীত আর কিছু নির্গত হওয়া উচিত নয়। তোমরা প্রত্যেকে
হলে রূপ বসন্ত। তোমরা দেখো যে সমগ্র দুনিয়া সবুজে সবুজ হয়ে উঠেছে। সব কিছু নূতন,
সেখানে দুঃখের নাম নেই। পাঁচ তত্ত্বও তোমাদের সার্ভিসে হাজির থাকে। এখন সেই পাঁচ
তত্ত্ব ডিসসার্ভিস করে। কারণ মানুষ তার অযোগ্য হয়ে গেছে । বাবা এখন সুযোগ্য করে
তোলেন। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
রূপ-বসন্ত হয়ে মুখ থেকে সর্বদা জ্ঞান-রত্নই বের করতে হবে। সার্ভিসের উৎসাহে থাকতে
হবে। আর সকলকে বাবার কথা মনে করানো- এই দিব্য অলৌকিক কার্যই করতে হবে।
২ ) সত্যিকারের প্রিয়তমা হয়ে এক প্রিয়তমের উপর উন্মত্ত হতে হবে অর্থাৎ বলি চড়াতে
হবে, তবেই সত্যিকারের দীপাবলি হবে।
বরদান:-
গার্হস্থ্য ব্যবহার আর ঈশ্বরীয় ব্যবহার - দুই এর সমতার দ্বারা সদা হাল্কা আর সফল
ভব
সব বাচ্চাদের শরীর
নির্বাহ আর আত্মা নির্বাহের ডবল সেবা প্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু এই দুই সেবাতেই সময় আর
শক্তির অ্যাটেনশন থাকা উচিত। যদি শ্রীমতের সূচক ঠিক থাকে, তবে দুই সাইড সমান হবে।
কিন্তু গৃহস্থ শব্দ বললেই গৃহস্থী হয়ে যাও, তাই বাহানা বাজী শুরু হয়ে যায়। সেইজন্য
গৃহস্থী নয়, ট্রাস্টি। এই স্মৃতির দ্বারা গার্হস্থ্য ব্যবহার আর ঈশ্বরীয় ব্যবহার
দুটোতে সমতা রাখলে সদা হাল্কা আর সফল হতে থাকবে।
স্লোগান:-
ফার্স্ট ডিভিশনে আসার জন্য কর্মেন্দ্রীয় জিৎ, মায়া জীৎ হয়ে ওঠো ।