20.10.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
সঙ্গম যুগে
বাবা কোন্ ইউনিভার্সিটি খোলেন, যা সম্পূর্ণ কল্পে হয় না ?
উত্তরঃ -
রাজত্ব প্রাপ্ত করার জন্য আধ্যাত্মিক পাঠের গড ফাদারলি ইউনিভার্সিটি বা কলেজ এই
সঙ্গম যুগে বাবাই খোলেন । এই ইউনিভার্সিটি সম্পূর্ণ কল্পে আর হয় না । এই
ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তোমরা ডবল মুকুটধারী রাজার রাজা তৈরী হও ।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি -
মিষ্টি আত্মারূপী বাচ্চাদের সবার প্রথমে বাবা জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা এখানে এসে যখন
বসো, তখন নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো কি ? কেননা এখানে তোমাদের কোনো
ব্যবসা, মিত্র - সম্বন্ধী আদি নেই । তোমরা এখানে এই চিন্তা করে আসো যে, আমরা অসীম
জগতের পিতার সঙ্গে মিলিত হতে যাই । একথা কে বলে ? আত্মা শরীর দ্বারা বলে । পারলৌকিক
বাবা এই শরীর আধার হিসাবে নিয়েছেন, এই শরীরের দ্বারা তিনি বোঝান । অসীম জগতের বাবা
এসে যে শেখান, এ একবারই হয় । নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের তরী
পার হয়ে যাবে । প্রত্যেকেরই তরী এখন ডুবে আছে, যে যতো পুরুষার্থ করবে, ততই তার তরী
পার হবে । এমন গাওয়া হয় তো - হে মাঝি, আমার তরী পারে নিয়ে যাও । বাস্তবে
প্রত্যেককেই নিজের পুরুষার্থের দ্বারাই পারে যেতে হবে । সাঁতার যেমন শেখানো হয়,
শিখে গেলে নিজেই সাঁতার কাটতে পারে । ওসব হলো জাগতিক কথা । এসব হলো আধ্যাত্মিক কথা
। তোমরা জানো যে, আত্মা এখন নোংরার আবর্জনাতে আটকে গেছে । এর উপর হরিণেরও উদাহরণ
দেওয়া হয় । মনে করে যে জল, কিন্তু সে হলো আবর্জনা, তাতে আটকে পড়ে । কখনো - কখনো
স্টিমার, মোটর ইত্যাদিও কোনো আবর্জনাতে আটকে যায় । তারপর সেগুলোকে উদ্ধার করতে হয়
। সেসব হলো উদ্ধারকারী সেনাদল । তোমরা হলে আধ্যাত্মিক সেনা । তোমরা জানো যে, সকলেই
মায়ার জলাবদ্ধতায় আটকে আছে, একে মায়ার জলাবদ্ধতা বলা হয় । বাবা এসে বোঝান - এখান
থেকে তোমরা কিভাবে বেরোতে পারো । ওরা তো উদ্ধার করে, ওখানে মানুষের সাহায্য চাই ।
এখানে তো আত্মা গিয়ে জলাবদ্ধতায় আটকে আছে । বাবা পথ বলে দেন যে, এখান থেকে তোমরা
কিভাবে বেরোতে পারো । তখন অন্যদেরও পথ বলে দিতে পারো । নিজেকে এবং অন্যদেরও পথ বলে
দিতে হবে যে, তোমাদের তরী এই বিষয় সাগর থেকে কিভাবে ক্ষীর সাগরে যাবে । সত্যযুগকে
বলা হয় ক্ষীর সাগর অর্থাৎ সুখের সাগর । এ হলো দুঃখের সাগর । রাবণ তোমাদের দুঃখের
সাগরে ডুবিয়ে দেয় । বাবা এসেই সুখের সাগরে নিয়ে যান । তোমাদের বলা হয় আধ্যাত্মিক
উদ্ধারকারী সেনা । তোমরা শ্রীমতে চলে সবাইকে পথ বলে দাও । তোমরা প্রত্যেককে বুঝিয়ে
বলো - তোমাদের দুজন বাবা আছেন, এক হলো জাগতিক আর এক অসীম জগতের । লৌকিক বাবা থাকা
সত্বেও সকলেই পারলৌকিক বাবাকে স্মরণ করে, কিন্তু তাঁকে কিছুই জানে না । বাবা কোনো
গ্লানি করেন না, কিন্তু তিনি ড্রামার রহস্য বুঝিয়ে বলেন । তিনি এও বোঝানোর জন্য
বলেন যে, এই সময় সমস্ত মানুষ পাঁচ বিকার রূপী পাঁকে আটকে থাকা আসুরী সম্প্রদায় ।
দৈবী সম্প্রদায়দের আসুরী সম্প্রদায় নমন করে, কেননা তারা সম্পূর্ণ নির্বিকারী ।
সন্ন্যাসীদেরও নমন করে, কেননা তাঁরাও ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যায় । তাঁরাও পবিত্র থাকে ।
ওই সন্ন্যাসী আর দেবতাদের মধ্যে রাতদিনের ফারাক । দেবতাদের জন্মই তো যোগবলের দ্বারা
হয় । এই কথা কেউই জানে না । সকলেই বলে, ঈশ্বরের গতি - মতি পৃথক, ঈশ্বরের অন্ত পাওয়া
যায় না । কেবল ঈশ্বর বা ভগবান বললে এতো প্রেম আসে না । সবথেকে সুন্দর অক্ষর হলো -
বাবা । মানুষ অসীম জগতের পিতাকে জানে না, তাই যেন তারা অনাথ ।
ম্যাগাজিনেও বের হয়েছে - মানুষ কি বলে আর ভগবান কি বলে । বাবা কোনো গালি দেন না,
তিনি বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেন, কেননা বাবা তো সকলকেই জানেন । তিনি বোঝানোর জন্য বলেন
- এর মধ্যে আসুরী গুণ আছে, নিজেদের মধ্যে লড়াই - ঝগড়া করতে থাকে । এখানে তো লড়াই
করার কোনো দরকার নেই । ওরা হলো কৌরব অর্থাৎ আসুরী সম্প্রদায় । এরা হলো দৈবী
সম্প্রদায় । বাবা বোঝান যে - মানুষ মানুষকে মুক্তি বা জীবনমুক্তি দানের জন্য রাজযোগ
শেখাবে, এ তো হতে পারে না । এই সময় বাবাই তোমাদের আত্মাদের শেখাচ্ছেন । দেহ -
অভিমান আর দেহী - অভিমানীদের মধ্যে কতো তফাৎ দেখো । দেহ অভিমানে তোমরা নেমে এসেছো ।
বাবা একবারই এসে তোমাদের দেহী অভিমানী বানান । এমন নয় যে তোমাদের সত্যযুগে দেহের
সঙ্গে সম্বন্ধ থাকবে না । ওখানে এমন জ্ঞান থাকে না যে, আমি আত্মা পরমপিতা পরমাত্মার
সন্তান । এই জ্ঞান এখনই তোমরা পাও, যা প্রায় লোপ হয়ে যায় । তোমরাই শ্রীমতে চলে
প্রালব্ধ অর্জন করো । বাবা রাজযোগ শেখাতেই আসেন । এই পড়া আর কোথাও থাকে না । ডবল
মুকুটধারী রাজা সত্যযুগে হয় । এরপর এক মুকুটধারী রাজারাও থাকে, এখন আর সেই রাজত্বও
নেই,এখন প্রজার উপর প্রজার রাজত্ব । বাচ্চারা, তোমরা এখন রাজত্ব পাওয়ার জন্য পড়ো,
একে গড ফাদারলি ইউনিভার্সিটি বলা হয় । তোমাদের নামও লেখা আছে । ওরা যদিও নাম রেখে
দিয়েছে - গীতা পাঠশালা । এখানে কে পড়ান ? ওরা কৃষ্ণ ভগবান উবাচঃ বলে দেবে । এখন
কৃষ্ণ তো আর পড়াতে পারেন না । কৃষ্ণ তো নিজেই পাঠশালাতে পড়তে যান । প্রিন্স -
প্রিন্সেস কেমন স্কুলে যায়, সেখানকার ভাষাই আলাদা । এমনও নয় যে, সংস্কৃততে গীতা
গাওয়া হয়েছে । এখানে তো অনেক ভাষা । যে যেখানকার রাজা হয়, সে তার নিজের ভাষা
চালায় । সংস্কৃত ভাষা কোনো রাজাদের ভাষা নয় । বাবা কোনো সংস্কৃত শেখান না । বাবা
তো সত্যযুগের জন্য রাজযোগ শেখান ।
বাবা বলেন যে, কাম হলো মহাশত্রু, একে জয় করো । তিনি প্রতিজ্ঞা করান, এখানে যেই আসে
প্রতিজ্ঞা করানো হয় । কামকে জয় করলে তোমরা জগৎজিৎ হতে পারবে । এই হলো মুখ্য বিকার
। এই হিংসা দ্বাপর যুগ থেকে চলে আসছে, যার ফলে বাম মার্গ শুরু হয়েছে । দেবতারা
কিভাবে বাম মার্গে যান, তারও মন্দির আছে । সেখানে অনেক ছিঃ ছিঃ চিত্র বানানো হয়েছে
। বাকি বাম মার্গে কবে গিয়েছে, তার তিথি - তারিখ তো নেই । একথা সিদ্ধ হয় যে, কাম
চিতাতে বসলে কালো হয়ে যায় এবং নাম - রূপ পরিবর্তন হয়ে যায়, তাই না । কাম চিতাতে
বসলে লৌহ যুগের হয়ে যায় । এখন তো পাঁচ তত্বও তমোপ্রধান, তাই শরীরও এমনই তমোপ্রধান
হয় । জন্ম থেকেই কেউ কেমন, কেউ আবার অন্যরকম হয়ে যায় । ওখানে তো একদম সুন্দর
শরীর হয় । এখন তমোপ্রধান হওয়ার কারণে শরীরও এমনই । মনুষ্য ঈশ্বর - প্রভু আদি ভিন্ন
- ভিন্ন নামে স্মরণ করে, কিন্তু সেই বেচারারা জানেই না । আত্মা তার বাবাকে স্মরণ করে
- হে বাবা, তুমি এসে শান্তি দাও । এখানে তো কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে অভিনয় করে, তাহলে
শান্তি কিভাবে মিলবে ? বিশ্বতে যখন লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিলো তখন শান্তি ছিলো,
কিন্তু কল্পের আয়ু লাখ বছর বলে দিয়েছে, তাহলে মানুষ বেচারা কিভাবে বুঝবে ?
যখন দেবতাদের রাজত্ব ছিলো তখন এক রাজ্য, এক ধর্ম ছিলো, আর কোনো খণ্ডে এমন বলবে না
যে, এক ধর্ম, এক রাজ্য হোক । এখানে আত্মারা চায় যে, এক রাজ্য হোক । তোমাদের আত্মারা
জানে যে, এখন আমরা এক রাজ্য স্থাপন করছি । ওখানে সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক আমরাই থাকবো
। বাবা আমাদের সবকিছুই দিয়ে দেন । কেউই আমাদের কাছ থেকে রাজত্ব ছিনিয়ে নিতে পারে না
। আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়ে যাই । এই বিশ্বে কোনো সূক্ষ্মবতন, মূলবতন থাকে
না । এই সৃষ্টির চক্র এখানেই ঘুরতে থাকে । একে বাবা, যিনি রচয়িতা, তিনিই জানেন ।
এমনও নয় যে, তিনি এই রচনাকে সৃষ্টি করেন । বাবা সঙ্গম যুগেই আসেন পুরানো দুনিয়াকে
নতুন দুনিয়া বানাতে । বাবা দূর দেশ থেকে এসেছেন, তোমরা জানো যে, আমাদের জন্য এখন
নতুন দুনিয়া তৈরী হচ্ছে । বাবা এখন আমাদের আত্মাদের শৃঙ্গার করাচ্ছেন । এর সঙ্গে
সঙ্গে আমাদের শরীরেরও শৃঙ্গার হয়ে যাবে । আত্মা পবিত্র হলে তখন শরীরও সতোপ্রধান
পাওয়া যাবে । সতোপ্রধান তত্বের দ্বারা শরীর তৈরী হবে । এনার তো সতোপ্রধান শরীর, তাই
স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় থাকে । এমন মহিমাও আছে যে, ধর্মই হলো শক্তি । এখন এই শক্তি
কোথা থেকে পাওয়া যাবে ? একই দেবী - দেবতার ধর্ম, যার থেকে শক্তি পাওয়া যায় । এই
দেবতারাই সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হন, আর কেউই বিশ্বের মালিক হয় না । তোমরা কতো
শক্তি পাও । এমন লেখাও আছে যে, আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের স্থাপনা শিববাবা
ব্রহ্মার দ্বারা করেন । দুনিয়াতে এই কথা কেউ জানেই না । বাবা বলেন যে, আমি ব্রাহ্মণ
কুল স্থাপন করি, তারপর তাদের সূর্যবংশী রাজত্বে নিয়ে যাই । যারা খুব ভালোভাবে
পড়াশোনা করে, তারা পাস করে সূর্যবংশীতে যায় । এ সবই হলো জ্ঞানের কথা । ওরা আবার
স্থূল ভাবে বাণ, হাতিয়ার ইত্যাদি দেখিয়ে দিয়েছে । বাণ চালানোও শেখে । ছোটো
বাচ্চাদেরও বন্দুক চালানো শেখানো হয় । তোমাদের আবার হলো যোগ বাণ । বাবা বলেন যে,
আমাকে (মামেকম্ ) স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । হিংসার কোনো কথা নেই ।
তোমাদের পড়াও হলো গুপ্ত । তোমরা হলে আধ্যাত্মিক, আত্মারূপী উদ্ধারকারী সেনা । তোমরা
সম্পূর্ণ দুনিয়াকে উদ্ধার করো । সকলের তরীই এখন ডুবে আছে । বাকি সোনার লঙ্কা কোথাও
নেই । এমন নয় যে, সোনার দ্বারকা নীচে চলে গেছে, তা আবার বের হয়ে আসবে । তা নয়,
দ্বারকাতেই এনার রাজ্য ছিলো কিন্তু তা সত্যযুগে ছিলো । সত্যযুগে রাজাদের পোশাক আলাদা
হয়, আবার ত্রেতাতে আলাদা । ভিন্ন - ভিন্ন পোশাক, ভিন্ন - ভিন্ন নিয়ম - কানুন হয় ।
প্রত্যেক রাজার নিয়ম - কানুন আলাদা - আলাদা, সত্যযুগের নাম নিলেই মন খুশী হয়ে যায়
। বলেই থাকে স্বর্গ বা প্যারাডাইস, কিন্তু মানুষ কিছুই জানে না । মুখ্য তো হলো এই
দিলওয়ারা মন্দির । এ হলো হুবহু তোমাদের স্মরণ । মডেলস তো সবসময় ছোটো বানানো হয়,
তাই না । এ হলো সম্পূর্ণ সঠিক মডেলস । শিববাবাও আছেন, আদি দেবও আছেন, উপরে বৈকুণ্ঠ
দেখানো হয়েছে । শিববাবা থাকলে অবশ্যই তাঁর রথও থাকবে । আদি দেব বসে আছেন, এও কেউ
জানে না । ইনি হলেন শিববাবার রথ । মহাবীররাই রাজত্ব প্রাপ্ত করে । আত্মাতে কিভাবে
শক্তি আসে, এও তোমরা এখনই বুঝতে পারো । তোমরা প্রতি মুহূর্তে নিজেকে আত্মা মনে করো
। আমরা আত্মারা যখন সতোপ্রধান ছিলাম তখন পবিত্র ছিলাম । শান্তিধাম এবং সুখধামে
অবশ্যই পবিত্র থাকবে । এখন বুদ্ধিতে আসে যে, এ কতো সহজ কথা । সত্যযুগে ভারত পবিত্র
ছিলো । ওখানে অপবিত্র আত্মারা থাকতে পারে না । এতো সব পতিত আত্মারা উপরে কিভাবে যাবে
? অবশ্যই পবিত্র হয়ে যাবে । আগুন লেগে যাবে তখন সকল আত্মারা চলে যাবে । বাকি শরীর
এখানে থেকে যায় । এমন সব নিদর্শনও আছে । হোলিকার অর্থ কেউ জানেই না । সমস্ত দুনিয়া
এতে স্বাহা হয়ে যাবে । এ হলো জ্ঞান যজ্ঞ । জ্ঞান অক্ষর বের করে বাকি রুদ্র যজ্ঞ বলে
দেয় । বাস্তবে এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । এই যজ্ঞ ব্রাহ্মণদের দ্বারাই রচিত হয় ।
প্রকৃত ব্রাহ্মণ হলে তোমরাই । সকলেই তো প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান, তাই না ।
ব্রহ্মার দ্বারাই মনুষ্য সৃষ্টির রচনা করা হয় । ব্রহ্মাকেই গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড
ফাদার বলা হয়, এই কল্পবৃক্ষের তো ঝাড় হয়, তাই না । যেমন আলাদা - আলাদা প্রজন্মের
ঝাড় রাখা আছে । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, মূলবতনে নিয়ম অনুযায়ী আত্মাদের ঝাড় আছে ।
প্রথমে শিববাবা, তারপর ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্কর, তারপর লক্ষ্মী - নারায়ণ আদি, তারপর
মনুষ্যদের সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আত্মারূপী উদ্ধারকারী সেনা হয়ে নিজেকে এবং সকলকে সঠিক পথ বলে দিতে হবে । সম্পূর্ণ
দুনিয়াকে বিষয় সাগর থেকে উদ্ধার করার জন্য বাবার সম্পূর্ণ সাহায্যকারী হতে হবে ।
২ ) জ্ঞান এবং যোগের দ্বারা পবিত্র হয়ে শরীরের নয়, আত্মার শৃঙ্গার করতে হবে ।
আত্মা পবিত্র হলে শরীরের শৃঙ্গার শীঘ্রই হয়ে যাবে ।
বরদান:-
মন - বুদ্ধিকে মনমত থেকে ফ্রি করে সূক্ষ্মবতনের অনুভব করে ডবল লাইট ভব
কেবলমাত্র সঙ্কল্প
শক্তি অর্থাৎ মন এবং বুদ্ধিকে সদা মনমত থেকে মুক্ত রাখো তাহলে এখানে থেকেও বতনের
সমস্ত দৃশ্য এমন স্পষ্ট অনুভব করবে, দুনিয়াতে যে কোনো দৃশ্য যেমন স্পষ্ট দেখা যায়
। এই অনুভবের জন্য নিজের উপর কোনো বোঝা রেখো না, সমস্ত ভার বাবাকে অর্পণ করে ডবল
লাইট হও । মন - বুদ্ধির দ্বারা সদা শুদ্ধ সঙ্কল্পের ভোজন করো । কখনোই যদি ব্যর্থ
সঙ্কল্প বা বিকল্পের অশুদ্ধ ভোজন না করো তাহলে ভার থেকে হালকা হয়ে উচ্চ স্থিতির
অনুভব করতে পারবে ।
স্লোগান:-
ব্যর্থকে ফুল স্টপ দাও আর শুভ ভাবনার স্টক জমা করো ।