29.10.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
ভালো
ফার্স্টক্লাস পুরুষার্থী বাচ্চারা কোন্ কথাটি মন খুলে বলবে ?
উত্তরঃ -
বাবা আমরা তো পাস উইথ অনার হয়ে দেখাবো। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। তাদের রেজিস্টারও ভালো
হবে। তাদের মুখে কখনও এমন কথা থাকবে না যে আমরা তো এখন পুরুষার্থী। পুরুষার্থ করে
এমন মহাবীর হতে হবে যাতে মায়া একটুও অস্থির না করতে পারে।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি
আত্মা রূপী বাচ্চারা আত্মিক পিতার কাছে পড়াশোনা করছে। নিজেকে আত্মা ভাবতে হবে।
নিরাকার পিতার আমরা নিরাকারী সন্তান আত্মারা পড়াশোনা করছি। দুনিয়ায় সাকারী টিচার
পড়ায়। এখানে হলেন নিরাকার পিতা, নিরাকার টিচার, এনার (ব্রহ্মাবাবার) কোনও ভ্যালু
নেই। শিববাবা অসীম জগতের পিতা এসে ব্রহ্মাবাবাকে ভ্যালু দেন। মোস্ট ভ্যালুয়েবল হলেন
শিববাবা, উনি স্বর্গের স্থাপনা করেন। উনিই সর্বোচ্চ কাজ করেন। উঁচু থেকে উঁচু বাবার
মহিমা গায়ন যতখানি করা হয়, বাচ্চাদেরও ততখানি উঁচু হতে হবে। তোমরা জানো সবচেয়ে উঁচু
হলেন বাবা। এই কথাও তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে যথাযথভাবে, এখন স্বর্গের রাজত্বের
স্থাপনা হচ্ছে, এটা হল সঙ্গমযুগ। সত্যযুগ ও কলিযুগের মধ্য কাল হল পুরুষোত্তম হওয়ার
সঙ্গমযুগ। পুরুষোত্তম শব্দের অর্থও মানুষ জানে না। সর্বোচ্চ স্থিতি থেকে অতি নিম্ন
স্থিতিতে এসেছে। পতিত ও পবিত্র দুইয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যারা দেবতার পূজারী,
তারা নিজেরাই বর্ণনা করে, আপনি সর্বগুণসম্পন্ন ..... বিশ্বের মালিক। আমরা বিষয়
বৈতরণী নদীতে ডুবে আছি। বলার জন্য শুধু বলে দেয়, কিছুই বোঝে না। ড্রামা হলো বিচিত্র
ওয়ান্ডারফুল। এমন এমন কথা তোমরা কল্প-কল্প শুনেছো। বাবা এসে বোঝান। যাদের বাবার
সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে ভালোবাসা আছে তারা বাবার আকর্ষণ অনুভব করে। এখন আত্মা কীভাবে
বাবাকে প্রাপ্ত করবে ? মিলন হয় সাকারে, নিরাকারী দুনিয়ায় আকর্ষণের কোনও কথা নেই।
সেখানে তো সবাই পবিত্র। মরচে বিহীন অবস্থা। আকর্ষণের কথা নেই। ভালোবাসার কথা এইখানে
হয়। এমন বাবাকে তো শক্ত হাতে ধরো। বাবা সবই তোমার কামাল। আপনি আমাদের জীবন পরিবর্তন
করেন। খুব ভালোবাসা থাকা চাই। ভালোবাসা কেন নেই কারণ মরচে পড়েছে। স্মরণের যাত্রা
ব্যতীত মরচে মিটবে না, লাভলী হওয়া সম্ভব নয়। তোমরা ফুল, তোমাদের এখানেই প্রস্ফুটিত
হতে হবে। তারপরে সেখানে জন্ম-জন্মান্তর ফুল হয়ে থাকো। অনেক খুশীর অনুভব হওয়া উচিত -
আমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছি। ফুল সর্বদা সবাইকে সুখ দান করে। সবাই ফুলকে
নিজের চোখের উপরে রাখে, সুগন্ধ নেয়। ফুল দিয়ে তরল-সুগন্ধি তৈরি করে। গোলাপ জল বানায়।
বাবা তোমাদের কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করেন। তাহলে বাচ্চারা তোমাদের খুশীর অনুভূতি হয়
না কেন! বাবা আশ্চর্য অনুভব করেন, শিববাবা আমাদের স্বর্গের ফুলে পরিণত করেন! ফুল
পুরানো হলে নিস্তেজ হয়ে যায়। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে এখন আমরা মানুষ থেকে দেবতায়
পরিণত হই। তমোপ্রধান মানুষ এবং সতোপ্রধান দেবতাদের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। এই কথাও
বাবা ব্যতীত অন্য কেউ বোঝাতে পারে না।
তোমরা জানো আমরা দেবতা হওয়ার জন্যে পড়া করছি। পড়াশোনা করলে নেশা তো থাকে, তাইনা।
তোমরাও বুঝতে পারো আমরা বাবার কাছে পড়াশোনা করে বিশ্বের মালিক হই। তোমাদের পড়াশোনা
হলো ভবিষ্যতের জন্যে। ভবিষ্যতের জন্যে পড়াশোনা কখনও শুনেছো ? তোমরাই বলো আমরা
পড়াশোনা করি নতুন দুনিয়ার জন্য। নতুন জন্মের জন্য। কর্ম-অকর্ম-বিকর্মের গতিও বাবা
বুঝিয়ে দেন। গীতায়ও আছে কিন্তু তার অর্থ গীতাপাঠীরাও জানেনা। এখন বাবার কাছে তোমরা
জেনেছো যে সত্যযুগে কর্ম হয়ে যায় অকর্ম, তারপরে রাবণের রাজ্যে কর্ম বিকর্ম হওয়া শুরু
হয়। ৬৩ জন্ম তোমরা এমন কর্ম করেছো। বিকর্মের ভার মাথায় রয়েছে। সবাই পাপ আত্মায়
পরিণত হয়েছে। এখন সেই অতীতের বিকর্ম গুলি কীভাবে নষ্ট হবে। তোমরা জানো প্রথমে
সতোপ্রধান ছিলে তারপরে ৮৪ জন্ম হয়েছে। বাবা ড্রামার পরিচয় দিয়েছেন। যারা প্রথমে আসবে,
প্রথমে যাদের রাজ্য হবে তারাই ৮৪ জন্ম নেবে। পরে বাবা এসে রাজ্য-ভাগ্য দেবেন। এখন
তোমরা রাজ্য প্রাপ্ত করছো। তোমরা বুঝেছো আমরা কীভাবে ৮৪-র চক্র পরিক্রমা করেছি। এখন
পুনরায় পবিত্র হতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে-করতে আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন এই
পুরানো শরীর শেষ হয়ে যাবে। বাচ্চাদের অপার খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত। বাবার এইরূপ
মহিমা কেউ কখনও শোনেনি যে পিতাও তিনি, টিচারও তিনি, গুরুও তিনি। তাও তিনটি রূপে তিনি
হলেন সর্বোচ্চ। সত্য পিতা, সত্য টিচার, সত্যগুরু তিন রূপে তিনিই হলেন একমাত্র। এখন
তোমাদের অনুভূতি হয়। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর, সব আত্মাদের পিতা, তিনি আমাদের
পড়াচ্ছেন। যুক্তি রচনা করছেন। ম্যাগাজিনেও ভালো ভালো পয়েন্টস বের হয়। রঙিন চিত্রের
ম্যাগাজিনও বের হবে। শুধুমাত্র শব্দ গুলি ছোট হয়ে যায়। চিত্র তো বানানোই আছে। যে
কেউ কোথাও বানাতে পারে। উপর থেকে ক্রম অনুযায়ী প্রতিটি চিত্রের বিষয় বস্তু তোমরা
জানো। শিববাবার অক্যুপেশানও তোমরা জানো। বাচ্চারা পিতার অক্যুপেশানের বিষয়ে নিশ্চয়ই
পিতার কাছেই জানবে, তাইনা। তোমরাও কিছু জানতে না। ছোট বাচ্চারা পড়াশোনার কি জানে। ৫
বছর পরে পড়াশোনা আরম্ভ হয়। তারপরে পড়া করতে করতে অনেক বছর লেগে যায়, উঁচু পরীক্ষা
পাস করতে। তোমরা কত সাধারণ, কিন্তু ভবিষ্যতে গিয়ে কি হও! বিশ্বের মালিক হও। তোমাদের
অনেক শৃঙ্গার করা হবে। গোল্ডেন স্পুন ইন মাউথ অর্থাৎ মুখে সোনার চামচ। সেখানকার
মহিমা তো গায়ন আছে। এখনও কোনো বাচ্চা দেহ ত্যাগ করে খুব ভালো ঘরে জন্ম নেয়। অর্থাৎ
সোনার চামচ মুখে থাকে। ইন-অ্যাডভান্স তো যাবেই কারো কাছে। নির্বিকারীর কাছে
সর্বপ্রথমে জন্ম শ্রীকৃষ্ণকেই নিতে হয়। বাকি যারা যাবে সবাই বিকারীদের কাছে জন্ম
নেবে। কিন্তু গর্ভে দন্ড ভোগ করবে না। খুব ভালো ঘরে জন্ম নেবে। দন্ড তো শেষ, তবু
একটু থাকবে। এতখানি দুঃখ হবে না। ভবিষ্যতে গিয়ে দেখবে তোমাদের কাছে বড় ঘরের বাচ্চারা
প্রিন্স-প্রিন্সেস কীভাবে আসবে। বাবা তোমাদের অনেক মহিমা করেন। তোমাদের আমি নিজের
থেকেও উচ্চ বানাই। যেমন কোনও লৌকিক পিতা নিজের সন্তানদের সুখী করে। ৬০ বছর হলে নিজে
বাণপ্রস্থে চলে যায়, ভক্তি করা আরম্ভ করে দেয়। জ্ঞান তো কেউ দিতে পারেনা। জ্ঞানের
দ্বারা সর্বজনের সদগতি আমিই করি। তোমরা হলে নিমিত্ত, তোমাদের দ্বারা সবার কল্যাণ হয়ে
যায়। কারণ তোমাদের জন্য নতুন দুনিয়া চাই। তোমরা অনেক খুশীতে থাকো। এখন ভেজিটেরিয়ান
কনফারেন্সেও তোমরা বাচ্চারা নিমন্ত্রিত থাকো। বাবা তো তোমাদের বলতে থাকেন - সাহস করো।
দিল্লির মতন শহরে যেন আওয়াজ ছড়িয়ে যায়। দুনিয়ায় অন্ধশ্রদ্ধার ভক্তি তো অনেক আছে।
সত্যযুগ-ত্রেতায় ভক্তির কোনও বিষয়ই নেই। সেই ডিপার্টমেন্ট আলাদা। অর্ধকল্প জ্ঞানের
প্রালব্ধ থাকে। তোমরা ২১ জন্মের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত কর, অসীম জগতের পিতার কাছে।
তারপরে ২১ জন্ম তোমরা সুখে থাকো। বৃদ্ধ অবস্থা পর্যন্ত দুঃখ থাকে না। সম্পূর্ণ আয়ু
সুখী থাকো। উত্তরাধিকার প্রাপ্তির জন্য যত পুরুষার্থ করবে ততই উঁচু পদমর্যাদা
প্রাপ্ত করবে। সুতরাং পুরুষার্থ পুরোপুরি করা উচিত। তোমরা দেখছো নম্বর অনুসারে মালা
কীভাবে তৈরি হয়। পুরুষার্থ অনুসারেই হবে। তোমরা হলে স্টুডেন্ট, ওয়ান্ডারফুল।
স্কুলেও বাচ্চাদের রেস হয় মার্ক পর্যন্ত, তাইনা। বাবাও বলেন তোমাদেরও নির্দিষ্ট
মার্ক পর্যন্ত রেস করে পুনরায় এখানেই আসতে হবে। স্মরণের যাত্রা দ্বারা তোমরা ছুটে
যাও পরে তোমরা নম্বরওয়ান হয়ে যাবে। মুখ্য হল স্মরণের যাত্রা। বাচ্চারা বলে - বাবা
আমরা ভুলে যাই। আরে, বাবা তোমাদের বিশ্বের মালিক করেন, তাঁকেই তোমরা ভুলে যাও। ঝড়
তো আসবেই। বাবা সাহস দেন। তার সাথে বলেন এ হলো যুদ্ধ-স্থল। বাস্তবে যুধিষ্ঠির,
বাবাকে বলা উচিত তিনি যুদ্ধ শেখান। যুধিষ্ঠির পিতা তোমাদের শেখান - মায়ার সঙ্গে
তোমরা কীভাবে যুদ্ধ করতে পারো। এইসময় হলো যুদ্ধের ময়দান, তাইনা। বাবা বলেন - কাম হল
মহাশত্রু, এই বিকারকে জয় করলেই তোমরা জগৎ জিত হবে। তোমাদেরকে মুখে জপ ইত্যাদি কিছু
করতে হবে না, চুপ থাকতে হবে। ভক্তিমার্গে অনেক পরিশ্রম করে। মনে মনে রাম-রাম জপ করে,
তাকেই বলা হয় কঠোর ভক্তি (নবধা ভক্তি)। তোমরা জানো বাবা আমাদেরকে নিজের মালার দানা
বানাচ্ছেন। তোমরা রুদ্র মালার দানা হতে চলেছ যাকে জগতের মানুষ পূজা করবে। রুদ্র মালা
এবং রুন্ড মালা তৈরি হচ্ছে। বিষ্ণুর মালাকে রুন্ড বলা হয়। তোমরা বিষ্ণুর গলার হার
হও। কীভাবে হবে ? যখন রেসে জিতবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে এবং ৮৪-র চক্রকে জানতে হবে।
বাবার স্মরণ দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমরা হলে লাইট হাউস। একটি চোখে মুক্তিধাম,
অন্য চোখে জীবনমুক্তিধাম। এই চক্রকে জানলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা, সুখধামের মালিক হয়ে
যাবে। তোমাদের আত্মা বলে - এখন আমরা আত্মারা ফিরে যাব নিজধাম। নিজের ধামকে স্মরণ
করতে করতে ফিরে যাব। এ হল স্মরণের যাত্রা। তোমাদের যাত্রা দেখো কেমন ফার্স্টক্লাস।
বাবা জানেন আমরা এইভাবে বসে - বসে ক্ষীরসাগরে যাব। বিষ্ণুকে ক্ষীর সাগরে দেখানো হয়,
তাইনা। বাবাকে স্মরণ করতে-করতে ক্ষীর সাগরে চলে যাব। ক্ষীর সাগর এখন তো নেই। যারা
পুকুর বানিয়েছে নিশ্চয়ই ক্ষীর ঢেলেছে তাতে। আগে তো ক্ষীর বা দুধ সস্তা ছিল। এক
পয়সায় ঘটি ভরে যেত। তাহলে পুকুর তো ভরবেই। এখন ক্ষীর কোথায়। সবই জল হয়েছে। বাবা
নেপালে দেখেছেন - বিষ্ণুর বিশাল মূর্তি আছে। শ্যাম বর্ণই বানিয়েছে। এখন তোমরা
বিষ্ণুপুরীর মালিক হচ্ছো - স্মরণের যাত্রা দ্বারা এবং স্বদর্শন চক্র ঘুরিয়ে। দিব্য
গুণ এখানেই ধারণ করতে হবে। এ হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। পঠন-পাঠন করে তোমরা
পুরুষোত্তম হয়ে যাবে। আত্মার কনিষ্ঠ গুণগুলি নষ্ট হবে। বাবা রোজ বোঝান - নেশা থাকা
উচিত। বাচ্চারা বলে বাবা, পুরুষার্থ করছি। আরে মন খুলে বলো - বাবা আমরা তো পাস উইথ
অনার হয়ে দেখাবো। আপনি চিন্তা করবেন না। ফার্স্টক্লাস বাচ্চারা যারা ভালো ভাবে
পড়াশোনা করে, তাদের রেজিস্টারও ভালো হবে। বাবাকে বলা উচিত - বাবা আপনি নিশ্চিন্ত
থাকুন, আমরা এমন হয়ে দেখাবো। বাবাও জানেন, অনেক টিচার আছে ফার্স্টক্লাস। সবাই তো
ফার্স্টক্লাস হতে পারেনা। ভালো টিচার একে অপরকে জানে। সবাইকে মহারথীদের লাইনে আনা
যাবেনা। ভালো বড় বড় সেন্টার খোলো, তাহলে বড় বড় মানুষ আসবে। কল্প পূর্বেও ভান্ডার
ভরপুর হয়েছিল। সাঁওয়ালশাহ অর্থাৎ বাদশাহ বাবা ভান্ডার নিশ্চয়ই ভরপুর করবেন। দুই
পিতার অনেক সন্তান আছে। প্রজাপিতা ব্রহ্মার অসংখ্য সন্তান আছে। কেউ গরিব, কেউ
সাধারণ, কেউ ধনী। কল্প পূর্বেও ব্রহ্মা দ্বারা রাজত্ব স্থাপন হয়েছিল, যাকে দৈবী
রাজস্থান বলা হতো। এখন তো আসুরিক রাজস্থান হয়েছে। সম্পূর্ণ বিশ্ব দৈবী রাজস্থান ছিলো,
এত খন্ড ছিল না। এই দিল্লি যমুনার তীরে ছিল, তাকে পরিস্তান বলা হতো। সেখানকার নদীতে
তীব্র ঢেউ থাকে না। এখন তো ঢেউয়ের তীব্রতা অনেক, ড্যাম ইত্যাদি ভেঙে যায়। আমরা
প্রকৃতির দাস হয়েছি। পরে তোমরা মালিক হয়ে যাবে। সেখানে মায়ার এমন শক্তি থাকে না যে
অসম্মান করবে। এত শক্তি থাকবে না যে ভূমিকম্প হবে। তোমাদেরও মহাবীর হওয়া উচিত।
হনুমানকে মহাবীর বলা হয়। বাবা বলেন তোমরা সবাই হলে মহাবীর। মহাবীর বাচ্চারা কখনও
অস্থির হবে না। মহাবীর ও বীরাঙ্গনাদের অনেক মন্দির আছে। সবার এত চিত্র রাখা হয় না।
মডেল রূপে বানানো হয়েছে। এখন তোমরা ভারতকে স্বর্গ বানাও, তাই অনেক খুশী থাকা উচিত।
খুব ভালো গুণ থাকা উচিত। অবগুণগুলি ত্যাগ করতে থাকো। সর্বদা খুশীতে থাকতে হবে। ঝড়
ইত্যাদি তো আসবেই। ঝড় এলে তবে তো বীরাঙ্গনাদের শক্তি দেখা যাবে। তোমরা যত দৃঢ় হবে
ততই ঝড় আসবে। এখন তোমরা পুরুষার্থ করে মহাবীর হচ্ছো, নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ
অনুসারে। জ্ঞানের সাগর হলেন বাবা। বাকি সব শাস্ত্র ইত্যাদি হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী।
তোমাদের জন্যে হলো - পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। কৃষ্ণের আত্মা এখানেই বসে আছে। ভাগীরথ
হলেন ইনি। যদিও তোমরা সবাই হলে ভাগীরথ, তোমরা হলে ভাগ্যশালী, তাইনা। ভক্তি মার্গে
বাবা তো যে কারোরই সাক্ষাৎকার করাতে পারেন। এই জন্য মানুষ সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে,
এও হল ড্রামার ভবিতব্য। তোমরা বাচ্চারা সর্বোচ্চ পড়াশোনা করছো। আচ্ছা!
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আত্মার উপরে যে মরচে পড়েছে, সেসব স্মরণের যাত্রা দ্বারা পরিষ্কার করে খুব খুব লাভলী
হতে হবে। বাবার সঙ্গে এমন ভালোবাসা রাখো যাতে বাবার আকর্ষণ যেন সদা অনুভব হয়।
২ ) মায়ার ঝড়কে ভয়
পাবে না, মহাবীর হতে হবে। নিজের অবগুণগুলি মেটাতে হবে, সর্বদা খুশীতে থাকতে হবে। সদা
অনড় থাকতে হবে।
বরদান:-
নিজের
অধিকারের শক্তি দ্বারা ত্রিমূর্তি রচনাকে সহযোগী বানাতে সক্ষম মাস্টার রচয়িতা ভব
ত্রিমূর্তি শক্তিগুলি
(মন, বুদ্ধি ও সংস্কার) হলো তোমাদের অর্থাৎ মাস্টার রচয়িতাদের রচনা। এ'গুলিকে নিজের
অধিকারের শক্তির দ্বারা সহযোগী বানাও। যেমন রাজা নিজে কোনো কাজ করে না, করায়। কর্ম
করার রাজ্য দরবারী আলাদা থাকে। তেমনই আত্মাও হলো করাবনহার অর্থাৎ কর্মের আদেশকর্তা,
করনহার অর্থাৎ আদেশ অনুযায়ী কর্ম করে এই বিশেষ ত্রিমুর্তি শক্তি গুলি। অতএব মাস্টার
রচয়িতা বরদানকে স্মৃতিতে রেখে ত্রিমুর্তি শক্তি গুলিকে এবং সাকার কর্মেন্দ্রিয়
গুলিকে সঠিক পথে চালনা করো।
স্লোগান:-
অব্যক্ত পালনার বরদানের অধিকার প্রাপ্তির জন্যে স্পষ্টবাদী হও।