31.10.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


প্রশ্নঃ -
কোন্ গুপ্ত রহস্যকে বুঝতে পারার জন্য অসীম জগতের বুদ্ধির প্রয়োজন ?

উত্তরঃ -
ড্রামার যে সীন যে সময় চলে, সেই সময়ই চলবে। এই সময় পরিধি অ্যাকুরেট, বাবাও অ্যাকুরেট টাইমে আসেন, এতে এক সেকেন্ডেরও পার্থক্য হতে পারে না। পুরো ৫ হাজার বছর পরে বাবা এসে প্রবেশ করেন, এই গূঢ় রহস্যকে বুঝতে পারার জন্য অসীম জগতের বুদ্ধির প্রয়োজন ।

গীতঃ-
দুনিয়া বদলে যাক, আমরা বদলাব না....

ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী বাচ্চাদের প্রতি পরমাত্মা পরমপিতা বাবা বসে বোঝাচ্ছেন। বাচ্চাদের রাস্তা বলে দিচ্ছেন- শান্তিধাম আর সুখধামের। এই সময় সব মানুষ বিশ্বে শান্তি চায়। প্রত্যেকেই ইনডিভিজুয়ালিও(একক ভাবে) চায় আর বিশ্বেও শান্তি চায়। প্রত্যেকেই বলে মনের শান্তি চাই। এখন সেটাও কোথা থেকে পাওয়া যেতে পারে। শান্তির সাগর তো হলেন একমাত্র বাবা, যার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে থাকে। ইনডিভিজুয়ালও পাওয়া যায়, হোলসেলেও পাওয়া যায়। অর্থাৎ সকলেই পায়। যে বাচ্চারা অধ্যয়ণ করে, বুঝতে পারে যে আমরা শান্তির উত্তরাধিকার নেওয়ার জন্য নিজেরও পুরুষার্থ করছি, আর সকলকে রাস্তা বলে দিচ্ছি। বিশ্বে তো শান্তি হতেই হবে। চাই কেউ উত্তরাধিকার নিতে আসুক বা নাই আসুক, বাচ্চাদের কর্তব্য, সব বাচ্চাদের শান্তি প্রদান করতে হবে। এটা বুঝতে পারে না, ২ - ৪ জনের উত্তরাধিকার প্রাপ্তিতে কি আর হবে। রাস্তা বলে দেওয়া হয়, কিন্তু বিশ্বাস না থাকার কারণে অপরকে নিজ সম বানাতে পারে না। যারা নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন তারা মনে করে বাবার থেকে আমাদের বর প্রাপ্ত হচ্ছে। বরদান দেন যে তিনি -- আয়ুষ্মান ভব, ধনবান ভব'ও বলেন । শুধু বললে তো আশীর্বাদ পাওয়া যায় না। আশীর্বাদ চাইলে তো তাকে বোঝানো হয় যে - তোমার যদি শান্তি চাই তো এরকম পুরুষার্থ করো। পরিশ্রমের দ্বারা সব কিছু প্রাপ্ত হয়। ভক্তি মার্গে কতো আশীর্বাদ নেয়। মা, বাবা, টিচার, গুরু ইত্যাদি সকলের থেকে চায় -- আমরা সুখী আর শান্ত থাকবো। কিন্তু থাকতে পারা যায় না। কারণ এতো প্রচুর মানুষ, তাদের সুখ-শান্তি কীভাবে প্রাপ্ত হবে ! গানও করে- শান্তি দাও (দেবা) । বুদ্ধিতে আসে-- হে পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের শান্তির বকশিশ দাও। বাস্তবে বকশিশ (পারিতোষিক) তাকেই বলে, যে জিনিস হাতে তুলে দেওয়া হয় দেওয়া হয়। বলে এটা হলো তোমার বখশিশ, পারিতোষিক। বাবা বলেন বখশিস কেউ যাই কিছু করে, ধনের, মহলের, জামা কাপড় ইত্যাদি করে থাকে, সেটা হলো দান-পুণ্য, অল্প সময়ের। মানুষ, মানুষকে দিয়ে থাকে। বিত্তবান গরীবকে অথবা বিত্তবান, বিত্তবানকে দিয়ে এসেছে। কিন্তু এটা তো হলো শান্তি আর সুখ, যা কিনা স্থায়ী। এখানে তো কেউ এক জন্মের জন্যও সুখ-শান্তি দিতে পারে না, কারণ তাদের কাছে তো নেইই। দিতে সক্ষম একমাত্র বাবা। ওঁনাকে সুখ - শান্তি - পবিত্রতার সাগর বলা হয়ে থাকে। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবানেরই মহিমার সুখ্যাতি করা হয়। বুঝতে পারে যে ওঁনার থেকেই শান্তি পাওয়া যাবে। আবার তারা সাধু-সন্ত ইত্যাদির কাছে যায়- কারণ ভক্তি মার্গ যে, তাই ঘূর্ণাবর্তে চলতে থাকে। সেই সব হলো অল্প সময়ের পুরুষার্থ। বাচ্চারা, তোমাদের এই সব বন্ধ হয়ে যায়। তোমরা লেখোও যে, অসীম জগতের পিতার থেকে ১০০ ভাগ পবিত্রতা, সুখ, শান্তির উত্তরাধিকার পাওয়া যেতে পারে। এখানে হল ১০০ ভাগই অপবিত্রতা, দুঃখ, অশান্তি । কিন্তু মানুষ বোঝে না। বলে ঋষি-মুনিরা তো পবিত্র ! কিন্তু প্রজনন তো সেই বিষ থেকেই হয়। এটাই তো হলো মুখ্য ব্যাপার। রাবণ রাজ্যে পবিত্রতা হতে পারে না। পবিত্রতা - সুখ সব কিছুর সাগরই হলেন এক বাবা। তোমরা জানো যে, আমাদের শিববাবার থেকে ২১ জন্ম অর্থাৎ অর্ধ-কল্প ২৫০০ বছরের জন্য উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। এটার তো গ্যারান্টি আছে। অর্ধ-কল্প হলো সুখধাম অর্ধ-কল্প হলো দুঃখধাম। সৃষ্টির দুই ভাগ আছে- এক নূতন, এক পুরাতন। কিন্তু নূতন কখন, পুরানো কখন হয়ে থাকে, এটাও জানে না। বৃক্ষের (কল্প) আয়ু এতোটাই অ্যাকুরেট যে বলার নয়। এখন বাবার মাধ্যমে তোমরা এই বৃক্ষকে জানো, এটা হলো ৫ হাজার বছরের পুরানো বৃক্ষ, এর অ্যাকুরেট আয়ুর কথা তোমাদের জানা আছে, আর অন্য সব বৃক্ষের আয়ু যে কত সে ব্যাপারে কারোরই জানা নেই, অনুমানে বলে দেয়। ঝড় এলো, বৃক্ষের পতন হলো, আয়ু শেষ। মানুষেরও হঠাৎ মৃত্যু হতে থাকে। এই অসীম জগতের বৃক্ষের আয়ু হলো সম্পূর্ণ ৫ হাজার বছরের। এর মধ্যে না এক দিন কম বা বেশী হতে পারে। এটা পূর্ব - নির্মিত বৃক্ষ। এতে কোনো তফাৎ হতে পারে না। ড্রামাতে যে সীন যেই সময় চলতে থাকে, সেই সময়ই ঢলবে। হুবহু রিপিট(পুনরাবৃত্তি) হতে হবে। সময়ও হলো অ্যাকুরেট। বাবাকেও নূতন দুনিয়া স্থাপন করতে আসতে হয়। অ্যাকুরেট অর্থাৎ নির্দিষ্ট টাইমে আসেন। এই ক্ষেত্রে এক সেকেন্ডেরও পার্থক্য হয় না। তোমাদের এখন এই অসীম জগতের বুদ্ধিও হয়েছে। তোমরাই বুঝতে পারো। সম্পূর্ণ ৫ হাজার বছর পরে বাবা এসে প্রবেশ করেন, সেইজন্য শিবরাত্রি বলা হয়। কৃষ্ণের জন্য জন্মাষ্টমী বলা হয়। শিবের জন্য জন্মাষ্টমী বলা হয় না, শিবের রাত্রি বলা হয়, কারণ জন্ম যদি হয় তবে তো মৃত্যুও হবে। মানুষের জন্য বলা হবে জন্মদিন। শিবের জন্য শিবরাত্রি বলা হয়। দুনিয়া এই ব্যাপারে কিছু জানে না। তোমরা বুঝতে পারো শিবরাত্রি বলে কেন, জন্মাষ্টমী বলে না কেন। ওঁনার জন্ম হলো দিব্য অলৌকিক, যা আর কারোর হতে পারে না। এটা কেউ জানে না- শিববাবা কখন, কীভাবে আসেন। শিবরাত্রির অর্থ কি, তোমরাই জানো। এটা হলো অসীম জগতের রাত। ভক্তির রাত সম্পূর্ণ হয়ে দিনের উদয় হয়। ব্রহ্মার রাত আর দিন তো আবার ব্রাহ্মণদেরও । একজন ব্রহ্মার খেলাই শুধু কি চলে নাকি ! এখন তোমরা জানো যে, এখন দিন শুরু হতে হবে।য এই ঈশ্বরীয় পাঠ পড়তে-পড়তে গিয়ে নিজ গৃহে পৌঁছাবে, আবার দিনে আসবে। অর্ধ-কল্প দিন আর অর্ধ-কল্প রাত গাওয়া হয়, কিন্তু কারোর বুদ্ধিতে আসে না। ওরা তো বলবে কলিযুগের আয়ু ৪০ হাজার বছর বাকি আছে, সত্যযুগের হলো লক্ষ বছর। তবে অর্ধেক- অর্ধেকের হিসাব তো দাঁড়াল না । কল্পের আয়ু কত তা কেউ জানে না। তোমরা সমগ্র বিশ্বের আদি - মধ্য - অন্তকে জানো। ৫ হাজার বছর পর পর সৃষ্টি চক্র আবর্তিত হতে থাকে । বিশ্ব তো আছেই, সেখানে ভূমিকা পালন করতে করতে মানুষই বিরক্ত হয়ে যায়। এ কেমন আবাগমন (আসা যাওয়া) ! যদি ৮৪ লক্ষ জন্মের আবাগমন হতো তো না জানি কি হতো। না জানার ফলে কল্পের আয়ুও বড় বানিয়ে দেয়। এখন তোমরা বাচ্চারা বাবার সম্মুখে পড়াশুনা করছো। ভিতরে-ভিতরে ভাবনা আসে- আমরা প্র্যাকটিক্যালে বসে আছি। পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগকেও অবশ্যই আসতে হবে। কখন আসে, কীভাবে আসে- এটা কেউই জানে না। তোমরা বাচ্চারা জানো বলে কতো গদগদ হয়ে যাওয়া উচিত। তোমরাই প্রতি কল্পে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো অর্থাৎ মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করো আবার পরাজিত হও। এটা হলো অসীম জগতের হার আর জিত। সেইসব (দ্বাপরের) রাজাদের তো অনেক হার-জিত হতে থাকে। অনেক লড়াই লাগতে থাকে। ছোটো লড়াই লাগলে বলে দেয় এখন আমরা জিতেছি। কি জিতেছে ? সামান্য টুকরোকে জিতেছে। বড় লড়াইতে হারলে তো আবার ঝান্ডা ফেলে দেয়। সবার প্রথমে তো এক রাজা থাকে তারপর আর সব বৃদ্ধি পেতে থাকে। সর্বপ্রথমে তো এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো, তারপর আর সব রাজাদের আসা শুরু হলো। যেমন পোপের দেখানো হয়। প্রথমে একজন ছিলো তারপর আরো পোপ বসতে থাকলো। কারোর মৃত্যুর তো আর ঠিকানা নেই না! বাচ্চারা, তোমরা জানো যে বাবা আমাদের অমর বানাচ্ছেন। । অমরপুরীর মালিক তৈরী করছেন, কতো খুশী হওয়া উচিত। এটা হলো মৃত্যুলোক। ওটা হলো অমরলোক। এই ব্যাপারটা নূতন কেউ বুঝবে না। তাদের মজা লাগবে না, যতটা পুরানোদের লাগবে। দিন দিন বৃদ্ধি প্রাপ্ত হতে থাকে। বিশ্বাস সুদৃঢ় হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সহনশীলতা হওয়াও খুব জরুরী । এটা তো হলো আসুরি দুনিয়া, দুঃখ দিতে দেরী করে না। তোমাদের আত্মা বলে, এখন আমরা বাবার শ্রীমত অনুযায়ী চলছি। আমরা আছি সঙ্গমযুগে। তাছাড়া সব কলিযুগে আছে। আমরা এখন পুরুষোত্তম হয়ে উঠছি। পুরুষের মধ্যে উত্তম পুরুষ অধ্যয়ণের দ্বারাই হয়। পড়াশোনার দ্বারাই চিফ্ জাস্টিস ইত্যাদি হয়, তাই না ! বাবা তোমাদের পড়াচ্ছেন । এই অধ্যয়ণের দ্বারাই নিজের-নিজের পুরুষার্থ অনুসারে তোমরা পদ প্রাপ্ত করো। যে যত অধ্যয়ণ করবে ততোটাই গ্রেড(পদ) প্রাপ্ত হবে। এতে রাজত্বের গ্রেড আছে। ওই পড়াশোনাতে রাজত্বের গ্রেড হয় না। তোমরা জানো যে, আমরা রাজারও রাজা হয়ে উঠছি। তাই ভিতরে-ভিতরে কতো খুশী হওয়া উচিত। আমরা ডবল মুকুটধারী অনেক উচ্চ স্থানাধিকারী হবো। ভগবান বাবা আমাদের পড়াশুনা করাচ্ছেন। কেউ কখনো বুঝতে পারবে না যে নিরাকার বাবা কীভাবে এসে অধ্যয়ণ করান। মানুষ ডাকেও যে- হে পতিত পাবন, এসে আমাদের পবিত্র করো।তবুও পবিত্র হতে পারে না। বাবা বলেন কাম হলো মহাশত্রু। তোমরা একদিকে ডাকতে থাকো যে পতিত- পাবন এসো, এখন আমি এসে বলছি বাচ্চারা পতিতপনা ছেড়ে দাও, তো তোমরা ছাড়ো না কেন। এইভাবে কি বাবা তোমাদের পবিত্র করবেন আর তোমরা পতিত হতে থাকবে ? অনেকেই এই রকম পতিত হয়ে যায়। কেউ কেউ সত্যি স্বীকার বলে, বাবা এই ভুল হয়ে গেছে। বাবা বলেন, কোনো পাপ কর্ম যদি হয়ে যায় তো তাড়াতাড়ি বলো। কেউ সত্যি, কেউ মিথ্যা বলে। কে জিজ্ঞাসা করেন ? আমি কি আর সকলের ভিতরে বসে বসে জানবো! এ তো হতে পারে না। আমি আসিই শুধু মত দিতে। পবিত্র না হলে তোমাদেরই লোকসান। পরিশ্রম করে পবিত্র থেকে আবার পতিত হয়ে যাবে, তবে তো যা উপার্জন করলে সব চলে যাবে। লজ্জা হবে যে আমরা নিজেই পতিত হয়ে পড়েছি, তবে অপরকে কীভাবে বলবো পবিত্র হও। ভিতরে ভিতরে দংশন হবে যে- আমরা কতো আদেশ উলঙ্ঘন করেছি। এখানে তোমরা বাবার কাছে ডায়রেক্ট প্রতিজ্ঞা করো, জানো যে বাবা আমাদের সুখধাম শান্তধামের মালিক করে তুলছেন। তিনি আমাদের সম্মুখে উপস্থিত, আমরা ওঁনার সামনে বসে আছি। প্রথমে এই নলেজ ছিলো কি ছিল নাকি ! না কোনো গুরু এই রূপ নলেজ দিয়েছিল । যদি গুরু হতেন তবে কী শুধু একজন দু'জনকে জ্ঞান দিতেন ! গুরুদের ফলোয়ার্স তো অনেকেই হয়, তাই না ! একজন হয় নাকি । সদ্গুরু হলেনই এক। তিনি আমাদের রাস্তা বলে দেন। আমরা আবার অপরকে বলি। তোমরা সবাইকে বলো - বাবাকে স্মরণ করো। ব্যাস্ ! উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ বাবাকে স্মরণ করলে উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে। তোমরা রাজার রাজা হচ্ছো। তোমাদের কাছে অগুন্তি ধন থাকবে। তোমরা তো এখন নিজেদের ঝুলি ভরছো। তোমরা জানো যে বাবা আমাদের ঝুলি ভরে ভরে দিচ্ছেন। বলা হয় কুবেরের কাছে অনেক ধন ছিলো। বাস্তবে তোমরা প্রত্যেকে হলে এক একজন কুবের। তোমাদের বৈকুন্ঠ রূপী ধন-ভান্ডার প্রাপ্ত হয়। খোদা দোস্তেরও (বন্ধু রূপে ভগবানের) গল্প আছে। প্রথমে সে যাকে পেতো তাকে একদিনের জন্য বাদশাহী দিতো। এই সব হলো দৃষ্টান্ত। আল্লাহ্ মানে বাবা, তিনি আলাদিন রচনা করেন । তারপর সাক্ষাৎকার হয়ে যায়। তোমরা জানো যে সত্যই আমরা যোগবলের দ্বারা বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করি। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই আসুরিক দুনিয়াতে খুবই সহনশীল হয়ে থাকতে হবে। কেউ গালি দিক বা দুঃখ দিক- তাও সহ্য করতে হবে। বাবার শ্রীমত কখনো ছাড়তে নেই।

২ ) বাবা ডায়রেক্ট (সরাসরি) পবিত্র হওয়ার আদেশ জারি করেছেন, তাই কখনো পতিত হয়ো না। কখনো কোনো পাপ হয়ে গেলে লুকিও না।

বরদান:-
পরমাত্ম মিলন দ্বারা রুহরুহানের (আত্মিক আলাপচারিতা) সঠিক রেসপন্স প্রাপ্তকারী বাবা সম বহুরূপী ভব

বাবা যেমন বহুরূপী - সেকেন্ডে নিরাকার থেকে আকারী বস্ত্র ধারণ করে নেন, সেইরকম তোমরাও এই মাটির ড্রেসকে ত্যাগ করে আকারী ফরিস্তা ড্রেস, চকচকে ড্রেস পড়লে তবে মিলনও সহজ হবে আর আত্মিক আলাপচারিতার ক্লীয়ার রেসপন্স বুঝতে পেরে যাবে। কারণ এই ড্রেস পুরানো দুনিয়ার বৃত্তি আর ভাইব্রেশন থেকে মায়ার ওয়াটার প্রুফ আর ফায়ার প্রুফহয়, এতে মায়া ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারে না।

স্লোগান:-
স্লোগান : - দৃঢ়তা অসম্ভবকেও সম্ভব করিয়ে দেয় ।