30.10.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


প্রশ্নঃ -
মানুষ এই গোলকধাঁধার খেলায় প্রধান কোন্ বিষয়টিকে ভুলে যায় ?

উত্তরঃ -
আমাদের ঘর কোথায়, তার পথ এই খেলায় এসে ভুলে গেছে। জানেই না যে, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে আর কিভাবে যেতে হবে। বাবা এসেছেন তোমাদের সবাইকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে। তোমাদের এখন পুরুষার্থ হল বাণীর ঊর্ধে গিয়ে সুইট হোমে যাওয়ার ।

গীতঃ-
অন্ধকারের পথিক ক্লান্ত হয়ো না ......

ওম্ শান্তি ।
ড্রামার প্ল্যান অনুসারে, এই গানের অর্থ কেউ বুঝবে না। কোনও কোনও গান মানুষ এমনভাবে তৈরি করেছে, যা তোমাদের সাহায্য করে থাকে। বাচ্চারা বুঝতে পেরেছে এখন আমরা দেবী-দেবতা হতে যাচ্ছি। যেমন লৌকিকের শিক্ষার্থীরা বলে আমরা ডাক্তার, ব্যারিস্টার হতে চলেছি । তোমাদের বুদ্ধিতেও আছে আমরা দেবী-দেবতা হতে যাচ্ছি — নতুন দুনিয়ার জন্য। এই বিষয় শুধু তোমাদের ভাবনাতেই আসে। অমরলোক, নতুন দুনিয়া সত্যযুগকেই বলা হয়। এখন তো না সত্যযুগ, না দেবতাদের রাজ্য আছে । এখানে তো হতে পারে না। তোমরা জান এই চক্র ঘুরতে-ঘুরতে এখন কলিযুগের অন্তিমে এসে পৌঁছেছে । কারো বুদ্ধিতেই এই চক্রের বিষয় ঢুকবে না। ওরা তো সত্যযুগকে লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। তোমরা বাচ্চারা নিশ্চিত রূপে জানো যে — এই চক্র ৫ হাজার বছর ধরে ঘোরে । মানুষ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে, হিসেব আছে না ! এই দেবী-দেবতা ধর্মকে অদ্বৈত ধর্মও বলা হয়ে থাকে। অদ্বৈত ধর্ম একটাই । এছাড়া তো অসংখ্য ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ রয়েছে। তোমরা হলে এক এবং একজনের একটাই মত পেয়ে থাকো। একে বলে অদ্বৈত মত । এই মত শুধুমাত্র তোমরাই পেয়ে থাকো, দেবী-দেবতা হওয়ার জন্যই এই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন তাইনা। সেইজন্যই বাবাকে জ্ঞানের সাগর, নলেজফুল বলা হয়। বাচ্চারা জানে ভগবান এসে আমাদের পড়াচ্ছেন, নতুন দুনিয়ার জন্য এটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। স্কুলে স্টুডেন্টসরা কি টিচারকে ভুলে যায় ? ভোলে না। গৃহস্থ পরিবারে থেকেও উচ্চ পজিসন পাওয়ার জন্য পড়াশোনা করে। তোমরাও ঘর পরিবারে থেকে ঈশ্বরীয় পড়াশোনা করছ , নিজের উন্নতির জন্য । অন্তরে থাকা উচিত আমরা অনন্ত জগতের বাবার কাছে শিক্ষা গ্রহণ করছি। শিববাবাও বাবা, প্রজাপিতা ব্রহ্মাও বাবা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা আদি দেব তাঁর নাম প্রসিদ্ধ। শুধু এখন অতীত হয়ে গেছে । যেমন গান্ধীজিও অতীত হয়ে গেছে। তাঁকে বাপুজী বলে থাকে কিন্তু জানেনা ,এমনই বলে থাকে। শিববাবা হলেন সত্য, ব্রহ্মা বাবাও সত্য, লৌকিক বাবাও সত্য। শহরের মেয়র ইত্যাদি যারা আছে তাদেরও বাপু বলে দেয়, কিন্তু সে সবই কৃত্রিম। শিববাবা হলেন টিচার। পরমাত্মা বাবা এসে আত্মাদের প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট করেন। ব্রহ্মার অসংখ্য সন্তান। শিববাবার সন্তান সবাই, তাঁকে সবাই স্মরণ করে । তবুও কেউ-কেউ ওঁনাকে মানেনা, সম্পূর্ণ নাস্তিক হয় — যারা বলে এই দুনিয়া কল্পনা দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, আমরা পড়ছি ,বুদ্ধিতে যেন থাকে। শিববাবা পড়াচ্ছেন, দিবারাত্র এটা স্মরণে রাখা উচিত। মায়া প্রতি মুহূর্তে ভুল করিয়ে দেয়, সেইজন্যই স্মরণ করা উচিত। বাবা, টিচার ,গুরু তিনজনকেই ভুলে যাও। তিনি একজনই তবুও তাঁকে ভুলে যাও। রাবণের সাথে লড়াই এখানেই। বাবা বলেন — হে আত্মারা, তোমরা সতোপ্রধান ছিলে, এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছ। যখন শান্তিধামে ছিলে তখন তোমরা পবিত্র ছিলে। পবিত্রতা ছাড়া কোনও আত্মা উপরে যেতে পারে না। সেইজন্যই সব আত্মারা পতিত-পাবন বাবাকে আহ্বান করে। যখন সবাই পতিত হয়ে যায় তখনই বাবা এসে বলেন আমিই তোমাদের সতোপ্রধান করে তুলি। তোমরা যখন শান্তিধামে ছিলে ওখানে সবাই পবিত্র ছিলে। অপবিত্র আত্মা ওখানে থাকতে পারে না। সবাইকে সাজা ভোগ করে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। পবিত্রতা ছাড়া কেউ-ই ওখানে যেতে পারে না। যদিও লৌকিকে বলে থাকে অমুক ব্রহ্মে লীন হয়ে গেছে, অমুক জ্যোতিতে সমাহিত হয়ে গেছে। এ সবই হলো ভক্তি মার্গের অনেক মত। তোমাদের হলো অদ্বৈত মত। মানুষ থেকে দেবতা একমাত্র বাবাই করে তুলতে পারেন। কল্পে-কল্পে বাবা আসেন ঈশ্বরীয় জ্ঞান দ্বারা সমৃদ্ধ করে তুলতে। ওঁনার ভূমিকা হুবহু কল্প পূর্বের মতোই। এটা অনাদি অবিনাশী পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা না ! সৃষ্টি চক্র ঘুরতেই থাকে। সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর ,কলিযুগ আর এখন হলো সঙ্গম যুগ। প্রধান ধর্মই হলো আদি সনাতন দৈবী ধর্ম, ইসলাম, বৌদ্ধ এবং ক্রিশ্চান অর্থাত্ যাদের রাজত্ব চলে । ব্রাহ্মণদের কোনও রাজত্ব নেই , না কৌরবদের আছে। বাচ্চারা তোমাদের এখন প্রতি মূহুর্তে অনন্ত জগতের বাবাকে স্মরণে রাখা উচিত। তোমরা ব্রাহ্মণদেরও বোঝাতে পার । বাবা অনেকবার বুঝিয়েছেন — সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণদের স্থান ,ব্রহ্মার মুখ বংশাবলী সর্বপ্রথম তোমরাই। তোমরা এসবই জানো যে আমরাই ভক্তি মার্গে পূজ্য থেকে পূজারি হয়ে যাই। এখন আবার পূজ্য হতে চলেছি । ঐ ব্রাহ্মণরা গৃহস্থী হয় , না কি সন্ন্যাসী। সন্ন্যাসীরা হলো হঠযোগী, ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া হঠ তাইনা। হঠযোগীরা অনেক রকমের যোগ শিখিয়ে থাকে। জয়পুরে হঠযোগীদের মিউজিয়াম আছে। রাজযোগের কোনও চিত্র নেই। রাজযোগের চিত্র আছে দিলওয়ারা মন্দিরে। এর কোনও মিউজিয়াম নেই। হঠযোগের অনেক মিউজিয়াম রয়েছে। রাজযোগের মন্দির এই ভারতেই রয়েছে। এ হলো চৈতন্য। তোমরা এখন চৈতন্য রূপে বসে আছ।

মানুষের তো জানাই নেই যে স্বর্গ কোথায়। দিলওয়ারা মন্দির স্মৃতি স্মারক নীচে সবাই বসে তপস্যা করছে আর স্বর্গ অবশ্যই উপরে দেখাতে হবে। মানুষও মনে করে স্বর্গ উপরে রয়েছে। এই চক্র ঘুরতেই থাকে। অর্ধকল্প পরে স্বর্গ নীচে নেমে যাবে আবারও অর্ধকল্প স্বর্গ উপরে উঠে আসবে।এর আয়ু কত কেউ জানেনা। বাবা এসে তোমাদের সম্পূর্ণ চক্র সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করে উত্তোরণের পথে উঠতে থাকো । চক্র সম্পূর্ণ হলে আবারও নতুন করে চক্র শুরু হবে। বুদ্ধিতে এসব থাকা উচিত। যেমন লৌকিকের পড়াশোনা সব বুদ্ধিতে থাকে। এও হলো ঈশ্বরীয় পড়াশোনা। এই পঠন-পাঠনে ভরপুর থাকা উচিত। এই পড়াশোনা ভোলা উচিত নয়। বৃদ্ধ, জোয়ান, বাচ্চা সবার জন্য একটাই বিষয়। শুধু অল্ফকে জানতে হবে। অল্ফকে জানলে বাবার প্রপার্টিও বুদ্ধিতে এসে যাবে। জানোয়ারেরও বাচ্চার কথা বুদ্ধিতে থাকে যখন জঙ্গলে যায় (শিকারের খোঁজে) । জঙ্গলে গেলেও তার ঘর আর বাচ্চার কথা মনে পড়বে। নিজেই খুঁজে ঘরে চলে আসে। বাবা বলেন বাচ্চারা মামেকম স্মরণ কর আর নিজের ঘরকে স্মরণ কর। যেখান থেকে তোমরা ভূমিকা পালন করতে এসেছ। আত্মাদের নিজের ঘর বড়ো মিষ্টি মনে করে । কত স্মরণ করে কিন্তু রাস্তা ভুলে গেছে। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা অনেক দুরে আছি। কিন্তু ওখানে কিভাবে যেতে হয় ,কেন আমরা যেতে পারিনা ,এসব কিছুই জানিনা। সেইজন্যই বাবা বলেন ভুলভুলাইয়া খেলা তৈরি হয়েছে, যেদিকেই যাওনা কেন দরজা বন্ধ। এখন তোমরা জান এই লড়াইয়ের পর স্বর্গের দরজা খুলে যাবে। এই মৃত্যুলোক থেকে সবাই চলে যাবে। এতো অসংখ্য মানুষ নম্বরানুসারে ধর্ম অনুসারে আর ভূমিকা অনুযায়ী যেতে থাকবে। তোমাদের এসব বিষয়ে জানা আছে। মানুষ ব্রহ্ম তত্ত্বে যাওয়ার জন্য মাথা ঠুকতে থাকে। বাণীর ঊর্ধে যেতে হবে। আত্মা শরীর থেকে বেড়িয়ে গেলে কোনও আওয়াজ থাকে না। বাচ্চারা জানে আমাদের সুইট হোম ওটাই। দেবতাদের অদ্বৈত, মিষ্টি রাজধানী।

বাবা এসে রাজযোগ শেখাচ্ছেন। সম্পূর্ণ নলেজ বুঝিয়ে থাকেন, যা পরে ভক্তি মার্গে শাস্ত্র রূপে তৈরি হয়। তোমাদের এখন ঐসব শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ার প্রয়োজন নেই। লৌকিক স্কুলে বৃদ্ধরা পড়াশোনা করে না। এখানে সবাই ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করতে পারে। তোমরা বাচ্চারা পড়াশোনা করে অমরলোকে দেবতা হয়ে যাও। ওখানে কোনও শব্দ উচ্চারণ হয়না যাতে কারো গ্লানি হয়। তোমরা জান স্বর্গ এখন অতীত হয়ে গেছে। যার মহিমা করা হয়। কত মন্দির নির্মাণ করে থাকে। তাদের জিজ্ঞাসা কর — এই লক্ষ্মী-নারায়ণ কবে ছিল ? কিছুই জানে না। তোমরা জান আমাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে —"ওম" শব্দের অর্থ আলাদা আর "সো হম" এর অর্থ আলাদা। ভক্তি মার্গে ওম্, সো হমের অর্থ এক করে দিয়েছে। ওম্ অর্থাত্ আমি আত্মা। কতো পার্থক্য, ওরা দুটোকে এক করে দিয়েছে। তোমরা শান্তিধাম নিবাসী এখানে আসো নিজেদের ভূমিকা পালন করতে। দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য থেকে শূদ্র হয়ে যাও। বুদ্ধি দিয়ে বোঝার বিষয়। কেউ-কেউ যথার্থ রীতিতে না বোঝার কারণে ঝিমাতে থাকে । উপার্জন করার সময় কিন্তু কখনোই ঝিমায় না। সেই উপার্জন হলো অল্প সময়ের জন্য । এই উপার্জন অর্ধকল্পের জন্য। কিন্তু বুদ্ধি অন্য দিকে বিভ্রান্ত হয় বলে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আলসেমি ঘিরে ধরে। তোমাদের চোখ বন্ধ করে বসা উচিত নয়। তোমরা তো জান আত্মা অবিনাশী, শরীর বিনাশী। কলিযুগে নরকবাসী মানুষের দৃষ্টি আর তোমাদের দৃষ্টির মধ্যে রাত-দিনের পার্থক্য আছে। তোমরা জান আমরা আত্মারা বাবার কাছে শিক্ষা গ্রহণ করছি। আর কেউ জানেনা। জ্ঞানের সাগর পরমপিতা এসে আমাদের পড়ান । আমরা আত্মারা শুনি। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমাদের বুদ্ধি উপরে চলে যাবে। শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, এতে বুদ্ধির অনেক রিফাইন থাকা চাই। রিফাইন বুদ্ধির জন্য বাবা যুক্তি বলে দেন — নিজেকে আত্মা মনে করলে অবশ্যই বাবাকে মনে পড়বে, বাবার সাথে সম্বন্ধ তৈরি হবে যা সারা কল্প ধরে বিছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেখানে (সত্যযুগে) তো প্রালব্ধ, সুখ আর সুখ, দুঃখের লেশ মাত্র নেই। তাকেই স্বর্গ বলে। হেভেনলি গড ফাদার হেভনের মালিক করে তোলেন। এমন বাবাকে তোমরা ভুলে যাও। বাবা এসে বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট করেন। মারোয়াড়িরা অনেক অ্যাডপ্ট করে, যাদের অ্যাডপ্ট করে তার খুব আনন্দ হয় যে — আমি বড়লোকের ঘরে এসেছি। বড়লোকের সন্তান গরিবের কাছে কখনোই যাবে না । প্রজাপিতা ব্রহ্মার বাচ্চারা অবশ্যই মুখ বংশাবলী। তোমরা ব্রাহ্মণরা মুখ বংশাবলী। লৌকিকে ওরা কুখ বংশাবলী, এই পার্থক্য তোমরা জান।

তোমরা যখন তাদের বোঝাও তারাও তখন মুখ বংশাবলী হয়ে যায়। এটা হল অ্যাডপ্টেশন । স্ত্রীকে মনে করে আমার। এখন স্ত্রী কুখ বংশাবলী, না মুখ বংশাবলী ? স্ত্রী হলই মুখ বংশাবলী। তারপর যখন তাদের সন্তান হয়, সে হয় কুখ বংশাবলী। বাবা বলেন তোমরা সবাই হলে মুখ বংশাবলী। আমার বললে তো আমারই হলো, তাই না ! এরা হল আমার বাচ্চা, বাবা এক'থা বললে নেশা বৃদ্ধি পায় (ঈশ্বরীয় নেশা) । সুতরাং এরা সবাই হল মুখ বংশাবলী, আত্মারা মুখ বংশাবলী হয়না। আত্মা তো অনাদি অবিনাশী। তোমরা জান এই মনুষ্য সৃষ্টি কিভাবে ট্রান্সফার হয়। বাচ্চারা অনেক পয়েন্টস পেয়ে থাকে। তবুও বাবা বলেন, যদি কিছু ধারণ করতে না পার, বলতেও না পার ঠিক আছে, কিন্তু যদি বাবাকে স্মরণ কর তাহলেও যারা বক্তৃতা দেয় তাদের থেকেও উচ্চ পদ লাভ করতে সক্ষম হবে। কখনো-কখনো যারা বক্তৃতা দিয়ে থাকে তারাও ঝড়ের মুখে পড়ে । পিতাকে স্মরণ করলে তারাও উচ্চ পদ পেতে পারে। যারা বেশী বিকারগ্রস্ত হয়, ৫ মারের কারণে তাদের হাড়গোড় গুড়িয়ে যায়। ৫ ম তলা হলো - দেহ-অভিমান। চতুর্থ তলা হলো কাম, তারপর নীচে নামতে থাকো । বাবা বলেন কাম হলো মহাশত্রু। লিখেও থাকে বাবা নিচে পড়ে গেছি। ক্রোধের জন্য এমনটা বলবে না যে, নীচে নেমে গেছি। মুখ কালো (কলঙ্কিত) করলে খুব চোট লাগে, তখন আর অন্যদেরও বলতে পারবে না যে কাম হলো মহাশত্রু। বাবা বারংবার বোঝাতে থাকেন — ক্রিমিনাল দৃষ্টিকে অনেক বেশী সামলে রাখতে হবে। সত্যযুগে নগ্নতার কোনও প্রশ্নই নেই। সেখানে ক্রিমিনাল আই হয় না, সিডিল আই হয়ে যায় । সেটা হল সিভিলিয়ন রাজ্য। এই সময় হল ক্রিমিনাল দুনিয়া। এখন তোমাদের আত্মা সিভিলাইজ হতে থাকে, যা ২১ জন্ম কাজে লাগে । ওখানে কেউই ক্রিমিনাল তৈরি হয়না। প্রধান বিষয়ই হলো যা বাবা বোঝান, বাবাকে স্মরণ কর আর ৮৪ চক্র স্মরণ কর। এও অত্যন্ত চমকপ্রদ বিষয় যে, যিনি শ্রী নারায়ণ হন, তিনিই অন্তিমে এসে ভাগ্যশালী রথ হন । তার মধ্যে বাবার প্রবেশ ঘটলে রথ ভাগ্যশালী হয়ে যায়। ব্রহ্মা থেকে বিষ্ণু, বিষ্ণু থেকে ব্রহ্মা এই ৮৪ জন্মের হিস্ট্রি বুদ্ধিতে থাকা উচিত। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবার স্মরণে থেকে বুদ্ধিকে স্বচ্ছ করতে হবে। বুদ্ধি যেন ঈশ্বরীয় জ্ঞানে সবসময় ভরপুর থাকে। বাবা এবং (পরমধাম) ঘরকে সবসময় স্মরণে রাখতে হবে আর স্মরণ করাতে হবে।

২ ) এই অন্তিম জন্মে ক্রিমিনাল দৃষ্টি সমাপ্ত করে সিভিল আই বানাতে হবে।

বরদান:-
স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স এর দ্বারা চড়তি কলার (উত্তরণের কলা) অনুভবকারী রাজ্য অধিকারী ভব

স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স থাকলে প্রতিটি পদক্ষেপে চড়তি কলার অনুভব করতে থাকবে। প্রতিটি সঙ্কল্পে সেবা থাকলে ব্যর্থ থেকে মুক্তি পাবে। সেবা জীবনের এক অঙ্গ হয়ে উঠুক । যেমন শরীরের প্রতিটি অঙ্গ জরুরী তেমনই ব্রাহ্মণ জীবনের বিশেষ অঙ্গ হলো সেবা। অনেক সেবার সুযোগ পাওয়া, স্থান পাওয়া, সঙ্গ পাওয়া এটাও ভাগ্যের লক্ষণ । এমন সেবার গোল্ডেন চান্স গ্রহণকারীই রাজ্য অধিকারী হয় ।

স্লোগান:-
পরমাত্ম ভালোবাসার পালনার স্বরূপ হলো — সহজ যোগী জীবন