24.11.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


প্রশ্নঃ -
২১ জন্মের জন্য লটারী প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ কি ?

উত্তরঃ -
২১ জন্মের লটারী প্রাপ্ত করতে হলে মোহজিৎ হও । এক বাবার প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত হও । সদা এই কথা যেন স্মৃতিতে থাকে যে, এই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, আমরা নতুন দুনিয়াতে যাচ্ছি । এই পুরানো দুনিয়াকে দেখেও দেখো না । সুদামার মতো একমুঠো চাল সফল করে সত্যযুগী বাদশাহী নিতে হবে ।

ওম্ শান্তি ।
আত্মিক সন্তানদের আত্মিক পিতা বসে বোঝাচ্ছেন, এ তো বাচ্চারা বুঝতেই পারে । আত্মিক বাচ্চার অর্থ হলো আত্মা । আত্মিক পিতা অর্থাৎ আত্মাদের বাবা । একে বলা হয় আত্মা আর পরমাত্মার মিলন । এই মিলন একবারই হয় । বাচ্চারা, এইসব কথা তোমরা জানো । এ হলো বিচিত্র কথা । বিচিত্র বাবা তাঁর বিচিত্র আত্মাদের বোঝান । বাস্তবে আত্মা হলো বিচিত্র, এখানে এসে চিত্রধারী হয় । চিত্রের দ্বারা অভিনয় করে । আত্মা তো সকলের মধ্যেই আছে, তাই না । জানোয়ারদের মধ্যেও আত্মা আছে । ৮৪ লাখও বলে, এতে তো জানোয়ারও এসে যায়, তাই না । অনেক জানোয়ার ইত্যাদি আছে । বাবা বোঝান যে, এইসব কথায় সময় নষ্ট করো না । এই জ্ঞান ছাড়া মানুষের সময় নষ্ট হতে থাকে । এই সময় বাবা বসে তোমাদের পড়ান, তারপর অর্ধেক কল্প তোমরা প্রালব্ধ ভোগ করো । ওখানে তোমাদের কোনো সমস্যাই হয় না । দুঃখ সহ্য করাতেই তোমাদের সময় নষ্ট হয় । এখানে তো দুঃখই দুঃখ, তাই সবাই বাবাকে স্মরণ করে যে, আমাদের দুঃখে সময় নষ্ট হচ্ছে, আমাদের এখান থেকে বের করো । সুখে কখনোই সময় নষ্ট হচ্ছে, এমন বলা হবে না । তোমরা একথাও বুঝতে পারো যে - এই সময় মানুষের কোনো মূল্য নেই । মানুষ দেখো, হঠাৎই মারা যায় । একই ঝড়ে কতো মানুষ মারা যায় । এই রাবণ রাজ্যে মানুষের কোনো মূল্য নেই । এখন বাবা তোমাদের কতো মূল্যবান করেন । পাই পয়সারও নয় থেকে পাউন্ড তুল্যমূল্য মহামূল্যবান করেন । এমন মহিমাও আছে যে, হীরের মতো জন্ম অমূল্য । এইসময় মানুষ এক খোলের পিছনেই লেগে আছে । তারা সম্ভবত কোটিপতি, পদ্মপতি হতে পারে, তাদের সমস্ত বুদ্ধি এতেই থাকে । তাদের বলা হয় - এইসব ভুলে এক বাবাকে স্মরণ করো, কিন্তু তারা তা মানবেই না । তাদের বুদ্ধিতেই এই কথা বসবে, যাদের বুদ্ধিতে পূর্ব কল্পে বসেছিলো । তা নাহলে, যতই বোঝাও না কেন, কখনোই বুদ্ধিতে বসবে না । তোমরাও নম্বরের ক্রমানুসারে জানতে পারো যে, এই দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে । বাইরে যদি তোমরা লিখেও দাও যে, দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, তবুও বুঝবে না, যতক্ষণ না তোমরা কাউকে বোঝাও । আচ্ছা, কেউ যদি বুঝে যায়, তখন তাকে বোঝাতে হয় - বাবাকে স্মরণ করো, সতোপ্রধান হও । এই জ্ঞান তো খুবই সহজ । এখানে সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশী...। এখন এই দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, আর এর পরিবর্তক একমাত্র বাবা । এও তোমরা পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে যথার্থ রীতিতে জানতে পারো । মায়া পুরুষার্থ করতে দেয় না, তখন তোমরা মনে করো, এও নাটকের নিয়ম অনুসারে এতটা পুরুষার্থ করা আমাদের নেই । বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, শ্রীমতে চলে আমরা নিজেদের জন্য এই দুনিয়ার পরিবর্তন করছি । এক শিববাবারই হলো শ্রীমত । শিববাবা, শিববাবা বলা তো খুব সহজ, আর কেউই না শিববাবাকে, আর না তাঁর উত্তরাধিকারকে জানে । বাবা মানেই হলো উত্তরাধিকার । শিববাবা অর্থাৎ প্রকৃত ভগবানকে তো চাই, তাই না । আজকাল তো মেয়রকেও বাবা বলে দেয় । গান্ধীকেও বাবা বলে, আবার কাউকে জগৎগুরু বলে দেয় । এখন জগৎ অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টির গুরু । তিনি কিভাবে কোনো মানুষ হতে পারেন ! যেখানে পতিত পাবন, সর্বের সদগতিদাতা একমাত্র বাবা । বাবা তো হলেন নিরাকার, তাহলে তিনি কিভাবে উদ্ধার করেন ? দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই তিনি অভিনয়ে আসবেন, তখন তো জানতে পারা যাবে । এমন নয় যে প্রলয় হয়ে যায়, তখন বাবা এসে নতুন সৃষ্টির রচনা করেন । শাস্ত্রে দেখানো হয়েছে, অনেক বড় প্রলয় হয়, তারপর অশ্বত্থ পাতায় শ্রীকৃষ্ণ আসেন, কিন্তু বাবা বোঝান, এমন তো হয় না । গায়ন আছে যে, এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হয়, তাহলে তো প্রলয় হতে পারে না । তোমাদের মনে এই ধারণা আছে যে, এখন এই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে । এইসব কথা বাবা এসেই বোঝান । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ হলেন নতুন দুনিয়ার মালিক । তোমরা চিত্রতেও দেখাও যে, পুরানো দুনিয়ার মালিক রাবণ । রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য, এমন মহিমা তো আছে, তাই না । এই কথা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, বাবা পুরানো আসুরী দুনিয়ার অবসান করিয়ে নতুন দৈবী দুনিয়া স্থাপন করাচ্ছেন । বাবা বলেন, আমি যা বা যেমন, খুব সামান্য জনই আমাকে তেমনভাবে বুঝতে পারে । সেও তোমরা পুরুষার্থের ক্রমানুসারে জানতে পারো, আর যারা ভালো পুরুষার্থী বাচ্চা, তাদের অনেক বেশী নেশা থাকে । স্মরণের পুরুষার্থীদের প্রকৃত নেশার তীব্রতা থাকবে । ৮৪ জন্মের চক্রের জ্ঞান বোঝাতে এতো নেশা চড়ে না, যা স্মরণের যাত্রায় চড়তে থাকে । মূল বিষয়ই হলো পবিত্র হওয়ার । মানুষ ডাকতেও থাকে - তুমি এসে পবিত্র বানাও । এমন বলে ডাকে না যে, তুমি এসে বিশ্বের বাদশাহী দাও । ভক্তিমার্গে মানুষ কতো কথকথা শোনে । সত্য সত্যনারায়ণের কথা তো এখানেই । ওই কথা তো জন্ম - জন্মান্তর ধরে শুনে - শুনে নীচে নেমে এসেছো । ভারতেই এই কথা শোনার প্রচলন, আর কোথাও এই কথা ইত্যাদি হয় না । ভারতকেই ধার্মিক দেশ মানা হয় । অনেক অনেক মন্দির এই ভারতেই আছে । খৃস্টানদের তো একই চার্চ হয় । এখানে তো কতো ধরনের মন্দির আছে । বাস্তবে একই শিববাবার মন্দির হওয়া উচিত । নামও একেই হওয়া প্রয়োজন । এখানে তো অনেকেরই নাম আছে । বিলেতের লোকেরাও এখানে মন্দির দেখতে আসে । বেচারারা এও জানে না যে, প্রাচীন ভারত কেমন ছিলো ? পাঁচ হাজার বছরের থেকে তো পুরানো কোনো জিনিস হয় না । ওরা তো মনে করে, লাখ বছরের পুরানো জিনিস পেয়ে গেছে । বাবা বোঝান যে, এই যে মন্দিরে চিত্র ইত্যাদি তৈরী হয়েছে তা আড়াই হাজার বছরের পুরানো, প্রথম - প্রথম শিবেরই পূজা হয় । এখন তো দেখো মানুষ জল, মাটি ইত্যাদিরও পূজা করে ।

অসীম জগতের পিতা এখন বলেন, তোমরা কতো ধন ভক্তিমার্গে হারিয়ে ফেলেছো । কতো অগাধ শাস্ত্র এবং চিত্র আছে । কতো অনেক প্রকারের গীতা থেকে থাকবে । এই সবকিছুর উপরে খরচ করতে করতে তোমরা দেখো কি হয়ে গেছো । কাল আমি তোমাদের ডবল মুকুটধারী বানিয়েছিলাম, এখন তোমরা কতো কাঙ্গাল হয়ে গেছো । এ তো কালকের কথা, তাই না । তোমরাও বুঝতে পারো যে, বরাবর আমরা ৮৪ জন্মের চক্র লাগিয়েছিলাম । এখন আমরা আবারও এমন তৈরী হচ্ছি । বাবার থেকে আমরা উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি । বাবা প্রতি মুহূর্তে পুরুষার্থ করান, গীতাতেও এই অক্ষর আছে - "মনমনাভব" । গীতার কোনো কোনো শব্দ সঠিক । বলা হয় না 'প্রায়', অর্থাৎ দেবী - দেবতা ধর্ম আর নেই, বাকি যা আছে, সবই চিত্র । তোমাদের স্মরণ দেখো, কেমন সুন্দর তৈরী করা হয়েছে । তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা আবার স্থাপন করছি । তারপর ভক্তিমার্গে আমাদের সঠিক ভাবে স্মরণ হবে । ভূমিকম্প ইত্যাদি হয়, তাতেও সব শেষ হয়ে যায় । তারপর ওখানে তোমরা সবকিছুই নতুন তৈরী করবে । ওখানে তো দক্ষতা থাকে, তাই না । হীরে কাটারও দক্ষতা হয় । এখানেও হীরে কাটা হয়, আবার তৈরীও করে । হীরে যারা কাটে তারাও অনেক দক্ষ হয় । ওরা আবার ওখানেও যাবে । এইসব দক্ষতা ওখানেও থাকবে । তোমরা জানো যে, ওখানে কতো সুখ থাকবে । এই লক্ষ্মী - নারায়ণেরই তো রাজ্য ছিলো, তাই না । নামই হলো স্বর্গ । একশো ভাগ সর্ব ক্ষমতা সম্পন্ন । এখন তো হলো সকলেই শক্তিহীন । ভারতে জহরতের অনেক ফ্যাশন আছে, সেই পরম্পরা চলে আসছে । বাচ্চারা, তাই তোমাদের কতো খুশী হওয়া উচিত । তোমরা জানো যে, এই দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে । এখন স্বর্গ তৈরী হচ্ছে, এরজন্য আমাদের অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে তাই বাবা বলেন যে, অবশ্যই চার্ট লেখো । আমি আত্মা কোনো আসুরী আচরণ করি নি তো ? নিজেকে দৃঢ়ভাবে আত্মা মনে করো । এই শরীরের দ্বারা কোনো বিকর্ম করো নি তো ? যদি করে থাকো তাহলে রেজিস্টার খারাপ হয়ে যাবে । এ হলো ২১ জন্মের লটারী । এও এক রেস । ঘোড়দৌড় হয় না ? একে বলা হয় রাজস্ব অশ্বমেধ.... স্বরাজ্যের জন্য অশ্ব অর্থাৎ তোমাদের মতো আত্মাদের দৌড় লাগাতে হবে । এখন তোমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে । ওকে সুইট সাইলেন্স হোম বলা হয় । এই অক্ষর তোমরা এখনই শুনতে পাও । বাবা এখন বলেন - বাচ্চারা, তোমরা খুব পরিশ্রম করো । তোমরা রাজত্ব পাও, এ কি কম কথা । আমি হলাম আত্মা, আমি এতো জন্ম নিয়েছি । বাবা এখন বলছেন, তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে । এখন আবার প্রথম নম্বর থেকে শুরু করতে হবে । নতুন মহলে অবশ্যই তো বাচ্চারাই বসবে । পুরানো মহলে তো আর বসবে না । এমন তো নয় নিজে পুরানোতে বসবে আর নতুনে ভাড়াটেদের বসাবে । তোমরা যতো পরিশ্রম করবে, ততই নতুন দুনিয়ার মালিক হতে পারবে । নতুন মহল তৈরী হলে এমন মন হয় যে, পুরানোকে ছেড়ে নতুনে গিয়ে বসি । বাবা তখনই বাচ্চাদের জন্য নতুন মহল তৈরী করেন যখন প্রথম মহল পুরানো হয়ে যায় । ওখানে ভাড়াতে দেওয়ার কোনো কথাই নেই । ওরা যেমন চাঁদে জমি কেনার প্রয়াস করে, তোমরাও তেমনি স্বর্গে জমি নিচ্ছো । তোমরা যতো জ্ঞান এবং যোগে থাকতে পারবে, ততই পবিত্র হবে । এ হলো রাজযোগ । এখানে কতো বড় রাজত্ব পাওয়া যাবে । বাকি যে চাঁদে জমি কেনার কথা - এ সবই ব্যর্থ । এসব জিনিস, যা সুখ প্রদান করে, তাই আবার বিনাশকারী, দুঃখ প্রদানকারী হয়ে যায় । পরের দিকে লস্কর ইত্যাদি কম হয়ে যাবে । বোম্ব ইত্যাদির দ্বারাই চট করে সব কাজ হয়ে যাবে । এই নাটক তৈরী হয়েই আছে, সময় অনুযায়ী হঠাৎই বিনাশ হয়ে যায় । এরপর সিপাহীরাও মারা যায় । এ দেখার মজা আছে । তোমরা এখন ফরিস্তা হচ্ছো । তোমরা জানো যে, আমাদের জন্যই বিনাশ হয়ে যায় । ড্রামাতে এমন পার্ট আছে যে, পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যায় । যে যেমন কর্ম করে, তেমনই তো ফল ভোগ করতে হবে, তাই না । এখন মনে করো, সন্ন্যাসীরা ভালো, পবিত্র, কিন্তু তারা তো গৃহস্থীদের ঘরেই জন্ম নেবে, তাই না । শ্রেষ্ঠ জন্ম তো তোমরা নতুন দুনিয়াতে পাও, সংস্কার অনুযায়ী তখন তেমন তৈরী হবে । তোমরা এখন নতুন দুনিয়ার জন্য সংস্কার তৈরী করে নিয়ে যাচ্ছো । তোমরা অবশ্যই ভারতে জন্ম নেবে । যারা খুব ভালো ধার্মিক মনের হবে, তোমরা তাদের কাছে জন্ম নেবে কেননা তোমরা কর্মই তেমন করো । সংস্কার যেমন হবে, সেই অনুসারে জন্ম হয় । তোমরা অনেক উচ্চ কুলে জন্ম নেবে । তোমাদের মতো তো এমন কর্ম আর কেউই করবে না । পড়া যেমন, যেমন সেবা, তেমন জন্ম । অনেককেই তো মৃত্যুবরণ করতে হবে । প্রথমে যারা রিসিভ করবে, তারাই যাবে । বাবা বোঝান যে, এখন এই দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে । বাবা তো এর সাক্ষাৎকার করিয়েছেন । বাবা নিজের উদাহরণও দেন । দেখলেন যে ২১ জন্মের জন্য রাজত্ব পাওয়া যায়, এর সামনে ১০ - ১২ লাখ আর কি ? অল্ফ পেয়ে গেল বাদশাহী (সত্যযুগী, দাদা লেখরাজ পেলেন) আর বে ( দাদার পার্টনার) পেল ব্যবসার গদি। ব্যবসার পার্টনারকে বলে দিলেন যা চাই নিয়ে যান, কোনো অসুবিধাই হয়নি তাতে দাদার। বাচ্চাদেরও বোঝানো হয় - বাবার কাছ থেকে তোমরা কি নাও ? স্বর্গের বাদশাহী । তোমরা যত সম্ভব সেন্টার খুলতে থাকো । অনেকের কল্যাণ করো । তোমাদের ২১ জন্মের জন্য উপার্জন জমা হচ্ছে । এখানে তো লাখপতি, কোটিপতি অনেকেই আছেন । এরা সবাই মূলতঃ দরিদ্র । তোমাদের কাছে অনেকেই আসবে । প্রদর্শনীতে অনেকেই আসে, এমন মনে করো না যে, কেউ প্রজা হয় না । অনেকেই প্রজা হয় । খুব ভালো - খুব ভালো তো অনেকেই বলে কিন্তু বলে দেয় সময় নেই । অল্পকিছু শুনলেও প্রজাতে চলে আসবে । এই অবিনাশী জ্ঞানের কোনো বিনাশ হয় না । বাবার পরিচয় দেওয়া কোনো কম কথা নয় । কেউ - কেউ রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবে । উচ্চ পদ যদি পেতে হলে পুরুষার্থ করতে লেগে যাবে । বাবা তো কারোর কাছ থেকে ধন ইত্যাদি নেবেন না । বাচ্চাদের বিন্দু - বিন্দু থেকে পুকুরে পরিণত হয় । কেউ কেউ এক টাকাও পাঠিয়ে দেয় । বলে বাবা আমার টাকায় একটা ইট লাগিয়ে দাও । সুদামার একমুঠো চালের মহিমা আছে, তাই না । বাবা বলেন - এ তো তোমাদের হীরে - জহরত । সকলেরই হীরের মতো জন্ম হয় । তোমরা ভবিষ্যতের জন্য তৈরী করছো । তোমরা জানো যে, তোমরা এই চোখে যা কিছুই দেখো, এ সবই পুরানো দুনিয়া । এই দুনিয়া এখন পরিবর্তন হচ্ছে । তোমরা এখন অমরপুরীর মালিক তৈরী হচ্ছো । তোমাদের অবশ্যই মোহজিৎ হতে হবে । তোমরা এতকাল বলে এসেছো যে, বাবা তুমি যখন আসবে, আমরা তোমার কাছে সমর্পিত হবো, ব্যবসা তো ভালো, তাই না । মানুষ তো জানেই না যে, সওদাগর, রত্নাকর, জাদুকর নাম কেন বলা হয়েছে । তিনি রত্নাকর, এই অবিনাশী জ্ঞান রত্ন হলো এক একটি অমূল্য সংস্করণ । এর উপর রূপ - বসন্তের কথা আছে তো, তাই না । তোমরা যেমন রূপও, তেমনি বসন্তও । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এখন এই শরীরের দ্বারা কোনো বিকর্ম করবে না । এমন কোনো আসুরী আচরণ যেন না হয়, যাতে রেজিস্টার খারাপ হয়ে যায় ।

২ ) এক বাবার স্মরণের নেশায় থাকতে হবে । পবিত্র হওয়ার মূল পুরুষার্থ অবশ্যই করতে হবে । কড়ির পিছনে নিজের অমূল্য সময় নষ্ট না করে শ্রীমতে চলে জীবনকে শ্রেষ্ঠ বানাতে হবে ।

বরদান:-
নিজেকে মোল্ড করে রিয়েল গোল্ড ( প্রকৃত সোনা ) হয়ে প্রতিটি কাজে সফল হয়ে স্ব - পরিবর্তক ভব

যারা প্রতিটি পরিস্থিতিতে নিজেকে পরিবর্তন করে স্ব পরিবর্তক হয়, তারা সদা সফল হয় তাই নিজেকে পরিবর্তনের লক্ষ্য রাখো । অন্যে পরিবর্তন হবে, তখন আমি পরিবর্তন হবো - এমন নয় । অন্যে পরিবর্তিত হোক বা না হোক, আমাকে পরিবর্তন হাতেই হবে । 'হে অর্জুন' আমাকেই হতে হবে । সদা পরিবর্তন করাতে প্রথমে 'আমি' । যে এতে 'প্রথমে আমি' বলে বা করে, সে'ই প্রথম নম্বরে এসে যায়। কেননা নিজেকে যে মোল্ড করতে পারে, সে'ই রিয়েল গোল্ড হয় । রিয়েল গোল্ডেরই মূল্য আছে ।

স্লোগান:-
নিজের শ্রেষ্ঠ জীবনের প্রত্যক্ষ প্রমাণের দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষ করো ।