10.11.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমাদের মুখ থেকে কোন্ শুভ বাণী সদা নির্গত হওয়ার প্রয়োজন ?
উত্তরঃ -
মুখ থেকে সদা এই শুভ বাণী বলো যে, আমরা নর থেকে নারায়ণ হবো, কম নয় । আমরাই এই
বিশ্বের মালিক ছিলাম, আবার আমরা তা হবো, কিন্তু এই লক্ষ্য উচ্চ, তাই খুবই সাবধান
থাকতে হবে । নিজের পোতামেল দেখতে হবে । এইম অবজেক্টকে সামনে রেখে পুরুষার্থ করতে হবে,
হার্টফেল হওয়া চলবে না ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মারূপী
বাচ্চাদের বাবা বসে বোঝান - তোমরা যখন এখানে স্মরণের যাত্রায় বসো, তখন ভাই -
বোনেদের বলো যে, তোমরা আত্ম - অভিমানী হয়ে বসো আর বাবাকে স্মরণ করো । এই স্মৃতি মনে
করিয়ে দেওয়া উচিত । তোমরা এখন এই স্মৃতি ফিরে পাচ্ছো । আমরা হলাম আত্মা, আমাদের বাবা
আমাদের পড়াতে আসেন । আমরাও কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারাই পড়ি । বাবাও কর্মেন্দ্রিয়ের আধার
নিয়ে প্রথম - প্রথম এনার দ্বারা বলেন - বাবাকে স্মরণ করো । বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে
যে - এ হলো জ্ঞান মার্গ । একে ভক্তি মার্গ বলা হবে না । জ্ঞান একমাত্র জ্ঞানের সাগর,
পতিত - পাবনই দেন । তোমরা প্রথম পাঠ এই শেখো যে - নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে
স্মরণ করো । এ অত্যন্ত জরুরী । অন্য কোনো সৎসঙ্গে আর কাউকে তিনি বলতে আসবেন না ।
যদিও আজকাল নকল সংস্থা অনেক বেড়িয়েছে । তোমাদের থেকে শুনে কেউ যদি বলেও, কিন্তু
অর্থ বুঝতে পারবে না । বোঝানোর মতো বুদ্ধি হবে না । একথা তোমাদের বাবা'ই বলেন যে,
অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । বিবেকও বলে
যে, এ হলো পুরানো দুনিয়া । নতুন দুনিয়া আর পুরানো দুনিয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ । ও হলো
পবিত্র দুনিয়া আর এ হলো পতিত দুনিয়া । মানুষ ডাকতেও থাকে যে, হে পতিত পাবন, এসো,
তুমি এসে আমাদের পবিত্র বানাও । গীতাতেও এই অক্ষর আছে যে - মামেকম্ ( একমাত্র
আমাকেই ) স্মরণ করো । দেহের সর্ব সম্বন্ধ পরিত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করো । এই
দেহের সম্বন্ধ প্রথমে ছিলো না । তোমরা আত্মারা এখানে অভিনয় করতে আসো । এমন মহিমাও
আছে যে - একা এসেছি, একাই চলে যেতে হবে । মানুষ এর অর্থ বোঝে না । এখন তোমরা
প্রত্যক্ষভাবে এইকথা জানতে পারো । আমরা এখন স্মরণের যাত্রা বা স্মরণের শক্তিতে
পবিত্র হচ্ছি । এ হলো রাজযোগের শক্তি । ও হলো হঠযোগ, যাতে মানুষ অল্প সময়ের জন্য
সুস্থ থাকে । সত্যযুগে তোমরা কতো সুস্থ থাকো । সেখানে হঠযোগের প্রয়োজন থাকে না । এ
সব এখানে, এই ছিঃ - ছিঃ দুনিয়াতে করতে থাকে । এ হলো পুরানো দুনিয়া । সত্যযুগ, নতুন
দুনিয়া, যা অতীত হয়ে গেছে, সেখানে এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিলো । একথা কেউই
জানে না । ওখানে প্রত্যেকটা জিনিসই নতুন । গানও আছে না ---জাগো সজনীরা জাগো....
নবযুগ হলো সত্যযুগ । পুরানো হলো কলিযুগ । এখন এই যুগকে কেউ তো আর সত্যযুগ বলবে না ।
এখন হলো কলিযুগ, তোমরা সত্যযুগের জন্য পড়ছো । এমন শিক্ষক তো কোথাও হবে না, যে বলবে
এই পড়াতে তোমরা নতুন দুনিয়াতে রাজ্য পদ পাবে বাবা ছাড়া আর কেউই একথা বলতে পারে না ।
বাচ্চারা, তোমাদের সব কথাই মনে করিয়ে দেওয়া হয় । কোনো গাফিলতি করবে না । বাবা
সবাইকে বোঝাতে থাকেন । যেখানেই বসো না কেন, বা কাজ - কারবারই করো না কেন, নিজেকে
আত্মা মনে করে করো । কাজ - কারবার করাকালীন সামান্য সমস্যা হলে, যতটা সম্ভব সময় বের
করে স্মরণে বসো, তাহলেই আত্মা পবিত্র হবে । আর অন্য কোনো উপায় নেই । তোমরা নতুন
দুনিয়ার জন্য এখন রাজযোগ শিখছো । ওখানে লৌহ যুগের আত্মারা যেতে পারবে না । মায়া
আত্মার ডানা ভেঙ্গে দিয়েছে । আত্মা তো ওড়ে, তাই না । আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য
শরীর ধারণ করে । আত্মা হলো সবথেকে তীক্ষ্ণ রকেট । বাচ্চারা, তোমাদের এই নতুন নতুন
কথা শুনে আশ্চর্য লাগে । আত্মা কতো ছোটো রকেট । তারমধ্যে ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা আছে ।
এমন কথা মনে রাখলে উৎসাহ আসবে । স্কুলে বিদ্যার্থীদের বুদ্ধিতে বিদ্যা স্মরণে থাকে,
তাই না । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন কি আছে ? বুদ্ধি কোনো শরীরের মধ্যে নেই । আত্মার
মধ্যেই মন - বুদ্ধি থাকে । আত্মাই পাঠ গ্রহণ করে । চাকরী ইত্যাদি আত্মাই করে
শিববাবাও আত্মা, কিন্তু তাঁকে পরম বলা হয় । তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর । তিনি খুব ছোটো
বিন্দু । এও কেউ জানে না যে, ওই বাবার মধ্যে যে সংস্কার আছে, বাচ্চারা, তা তোমাদের
মধ্যে ভরে যায় । তোমরা এখন যোগবলের দ্বারা পবিত্র হচ্ছো । এরজন্য তোমাদের
পুরুষার্থ করতে হবে। পড়াতে এই প্রচেষ্টা তো থাকা উচিত যে, আমরা যেন ফেল করে না যাই
। এতে প্রথম নম্বরের সাবজেক্টই হলো যে, আমরা আত্মারা সতোপ্রধান হবো । কিছু কমতি না
থেকে যায় । তা নাহলে ফেল করে যাবে । মায়া তোমাদের সব বিষয় ভুলিয়ে দেয় । আত্মা চায়
যে, চার্ট রাখি, সারাদিনে কোনো আসুরী কাজ না করি কিন্তু মায়া চার্ট রাখতে দেয় না ।
তোমরা মায়ার দখলে এসে যাও । মন একথাও বলে যে - পোতামেল রাখি । ব্যবসায়ী মানুষ সবসময়
তাদের লাভ - লোকসানের হিসেব রাখে । তোমাদের এ হলো অনেক বড় পোতামেল । ২১ জন্মের কমাই,
এতে কোনো গাফিলতি করা উচিত নয় । বাচ্চারা অনেক গাফিলতি করে । এই বাবাকে তো তোমরা
সূক্ষ্মবতনে আর স্বর্গেও দেখো । বাবাও অনেক পুরুষার্থ করেন । উনি আশ্চর্যও হতে থকেন
। বাবার স্মরণে স্নান করি, ভোজন গ্রহণ করি, তবুও ভুলে যাই, আবার স্মরণ করতে থাকি ।
এ হলো অনেক বড় সাবজেক্ট । এই বিষয়ে কোনো মতভেদ আসতে পারে না । গীতাতেও লেখা আছে যে
- দেহ সহ দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করো । বাকি রইলো আত্মা । দেহকে ভুলে নিজেকে আত্মা মনে
করো । আত্মাই পতিত - তমোপ্রধান হয়ে গেছে । মানুষ তবুও বলে দেয় যে - আত্মা
নির্লিপ্ত । মনে করে আত্মাই পরমাত্মা - পরমাত্মাই আত্মা, তাই মনে করে আত্মাতে কোনো
দাগ লাগতে পারে না । তমোগুণী আত্মা শিক্ষাও তমোগুণী দেয় । তারা সতোগুণী তৈরী করতে
পারে না । ভক্তিমার্গে তমোপ্রধান হাতেই হবে । প্রতিটি জিনিস প্রথমে সতোপ্রধান তারপর
রজো, তমোতে আসে । প্রথমে গড়ে ওঠে তারপর ধংস হয় । বাবা নতুন দুনিয়া তৈরী করেন তারপর
এই পুরানো দুনিয়া ধংস হয়ে যায় । ভগবান তো নতুন দুনিয়ার রচনা করেন । এই পুরানো
দুনিয়া পরিবর্তন হয়ে নতুন হবে । নতুন দুনিয়ার চিহ্ন তো এই লক্ষ্মী - নারায়ণ, তাই
না । এনারা হলেন নতুন দুনিয়ার মালিক । ত্রেতাকেও নতুন দুনিয়া বলা হবে না । কলিযুগকে
পুরানো দুনিয়া আর সত্যযুগকে নতুন দুনিয়া বলা হয় । কলিযুগের অন্ত আর সত্যযুগের
আদির.এই সময় হলো সঙ্গমযুগ । কেউ যদি এম.এ বা বি.এ পড়ে, তাহলে তো বড় হয়ে যায়, তাই
না । তোমরা এই পড়ার দ্বারা কতো উঁচু হও । দুনিয়া এই কথা জানে না যে, একে এতো উঁচু
কে তৈরী করেছে । তোমরা এখন এই সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তকে জেনে গেছো । সকলের
জীবন কাহিনীকে তোমরাই জানো । এ হলো জ্ঞান । ভক্তিতে কোনো জ্ঞান নেই, ওখানে
কর্মকাণ্ড শেখানো হয় । ভক্তি তো হলো অগাধ । সেখানে কতো বর্ণনা করা হয় । দেখতে খুব
সুন্দর লাগে । বীজে কি সৌন্দর্য আছে, এতো ছোটো বীজ, কতো বড় হয়ে যায় । ভক্তির ঝাড়ে
অনেক কর্মকাণ্ড । জ্ঞানের একটাই মন্ত্র হলো 'মনমনাভব ।' বাবা বলেন, তোমরা তমোপ্রধান
থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য আমাকে স্মরণ করো । তোমরা একথাও বলো যে, হে পতিত পাবন,
তুমি এসে আমাদের পবিত্র বানাও । রাবণ রাজ্যে সবাই পতিত এবং দুঃখী । রাম রাজ্যে
সকলেই পবিত্র এবং সুখী । রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য, এই নাম তো আছে, তাই না । তোমরা
বাচ্চারা ছাড়া রাম রাজ্যের কথা কেউই জানো না । তোমরা এখন পুরুষার্থ করছো । ৮৪
জন্মের রহস্যও তোমরা ছাড়া আর কেউই জানে না । যদিও বলে থাকে যে - ভগবান উবাচঃ হলো "মন্মনাভব"
। তাহলে কেউ তো বুঝবেই না যে, তোমরা ৮৪ জন্ম কিভাবে সম্পূর্ণ করেছো । এখন চক্র
সম্পূর্ণ হয়ে আসছে । গীতা পাঠকদের কাছে গিয়ে শোনো - গীতাতে কি বলছে । তোমাদের
বুদ্ধিতে এখন সম্পূর্ণ জ্ঞান ঝরতে থাকে । বাবা জিজ্ঞেস করেন - আগে কখনো মিলেছো কি ?
তখন সবাই বলে - হ্যাঁ বাবা, পূর্ব কল্পে মিলেছি । বাবা জিজ্ঞেস করেন আর তোমরা অর্থ
সহ উত্তর দাও । এমন নয় যে, তোমরা তোতা পাখির মতো আউড়ে দেবে । এরপর বাবা জিজ্ঞেস
করেন - কেন মিলিত হয়েছিলে ? কি পেয়েছিলে ? তখন তোমরা বলতে পারো - আমরা এই বিশ্বের
রাজত্ব পেয়েছিলাম, এতে সবই এসে যায় । যদিও তোমরা বলো যে - আমরা নর থেকে নারায়ণ
হয়েছিলাম, কিন্তু বিশ্বের মালিক হওয়া, তাতে রাজা - রানী আর দেব সম্রাজ্য, সবই আছে ।
এই দুনিয়ার মালিক রাজা - রানী - প্রজা সব হবে । একে বলা হয় শুভ বলা । আমরা নর থেকে
নারায়ণ হবো, এ কোনো কম কথা নয় । বাবা বলবেন - হ্যাঁ বাচ্চারা, তোমরা সম্পূর্ণ
পুরুষার্থ করো । নিজের পোতামেলও দেখতে হবে - এই অবস্থায় আমরা উঁচু পদ পেতে পারবো
কি, নাকি নয় । কতো জনকে আমরা পথ বলে দিয়েছি ? কতো জন অন্ধের লাঠি হয়েছি ? সেবা যদি
না করো, তাহলে বোঝা উচিত যে - আমরা প্রজাতে চলে যাবো । নিজের মনকে জিজ্ঞেস করতে হবে
যে, এখনই যদি আমরা দেহত্যাগ করি, তাহলে কি পদ পাবো ? এ অনেক বড় লক্ষ্য তাই সাবধান
থাকা উচিত । কোনো কোনো বাচ্চা মনে করে যে, বরাবর আমরা তো স্মরণই করি না, তাহলে
পোতামেল রেখে কি করবো । একে তখন হার্টফেল করা বলা হয় । ওরা এমনভাবেই পড়াশোনা করে ।
পড়ায় মনোযোগই দেয় না । তোমরা অতি চালাক হয়ে এখানে বসে থেকো না যে, পরে ফেল করে যেতে
হয় । নিজের কল্যাণ করতে হবে । এইম অবজেক্ট তো সামনেই আছে । এই পাঠ পড়ে আমাদের এই
হতে হবে । এও তো আশ্চর্য, তাই না । কলিযুগে তো কোনো রাজত্ব নেই । তাহলে সত্যযুগে
এদের রাজত্ব কোথা থেকে এলো ? সমস্তকিছুই এই পড়ার উপর নির্ভর করে । এমন নয় যে, দেবতা
আর অসুরদের লড়াই লেগেছিলো আর দেবতারা জিতে রাজ্য পেয়েছিলো । এখন অসুর আর দেবতাদের
লড়াই কিভাবে লাগতে পারে । না কৌরব আর না পাণ্ডবদের লড়াই । লড়াইয়ের কথাই এখানে
নিষেধ হয়ে যায় । প্রথমে তো এই কথা বলো যে -- বাবা বলেন, দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ
করে নিজেকে আত্মা মনে করো । তোমরা আত্মারা অশরীরী এসেছিলে, আবার অশরীরী ফিরে যেতে
হবে । পবিত্র আত্মারাই ফিরে যেতে পারবে । তমোপ্রধান আত্মারা তো আর যেতে পারবে না ।
আত্মার ডানা ভেঙ্গে গেছে । মায়া আত্মাকে পতিত বানিয়ে দিয়েছে । তমোপ্রধান হওয়ার কারণে
এতো দূরে পবিত্র জায়গায় যেতে পারে না । এখন তোমাদের আত্মা বলবে যে, আমরা প্রকৃতপক্ষে
পরমধামের বাসিন্দা । এখানে এই পাঁচ তত্বের পুতুল শরীর ধারণ করেছি অভিনয় করার জন্য ।
মানুষ মারা গেলে বলে, স্বর্গবাসী হয়েছে । কে ? ওখানে শরীর গেছে নাকি আত্মা ? শরীর
তো জ্বলে গেছে । এই শরীর তো আর স্বর্গে যেতে পারে না । মানুষকে তো যে যেমন শোনায়
তেমনই বলতে থাকে । ভক্তিমার্গের মানুষ তো ভক্তিই শিখিয়ে এসেছে, তাদের কাজ সম্বন্ধে
কেউই জানে না । শিবের পূজা সবথেকে উচ্চ বলা হয় । উঁচুর থেকে উঁচু হলেন শিব, তাঁকেই
স্মরণ করো, চিন্তন করো । মালাও দেয় । শিব - শিব বলে মালা ঘোরাতে থাকে । অর্থ না জেনে
মালা নিয়ে শিব - শিব বলতে থাকবে । গুরুরা অনেক প্রকারের শিক্ষা দেন । এখানে তো
একটাই কথা - বাবা নিজেই বলেন, আমাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে । মুখে শিব - শিব
বলার দরকার নেই । বাচ্চারা বাবার নাম জপ করেই না । এ সবই হলো গুপ্ত । কেউই জানে না
যে, তোমরা কি করছো । যারা পূর্ব কল্পে বুঝেছিলো, তারাই বুঝবে । নতুন নতুন বাচ্চারা
আসে আর বৃদ্ধি পেতে থাকে । এর পরের দিকে ড্রামা কি দেখাবে, তা সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে
। প্রথম থেকে বাবা সাক্ষাৎকার করাবেন না যে, এই - এই হবে । তাহলে তো সব নকল হয়ে
যাবে । এ খুবই বোঝার মতো কথা । তোমরা এখন জ্ঞান পেয়েছো । ভক্তিমার্গে অজ্ঞানী ছিলে
। তোমরা জানো যে, এই ড্রামাতে ভক্তিও লিপিবদ্ধ আছে ।
বাচ্চারা, এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা এই পুরানো দুনিয়াতে থাকবো না । এই পড়া
ছাত্রদের বুদ্ধিতে থাকে । তোমাদেরও এই মুখ্য মুখ্য পয়েন্টস বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে
। এক নম্বর কথা হলো অল্ফ ( আল্লাহ ) এই কথা দৃঢ় করো তারপর এগিয়ে চলো । তা নাহলে
অকারণে জিজ্ঞেস করতে থাকবে । বাচ্চারা লেখে যে, অমুকে লিখে দিয়েছে, গীতার ভগবান শিব,
এ তো সম্পূর্ণ সঠিক । যদিও এমন কথা বলে তবুও বুদ্ধিতে বসেই না । যদি বুঝতে পারে যে,
বাবা এসেছেন, তখন বলবে - এমন বাবার সঙ্গে গিয়ে মিলিত হই । উত্তরাধিকার গ্রহণ করি ।
একজনেরও সঠিক নিশ্চয়তা হয় না । চট করে একজনেরও চিঠি আসে না । যদিও বা লেখে যে, এই
জ্ঞান খুব ভালো, কিন্তু এমন সাহস হয় না যে বুঝতে পারবে, বাহ এমন বাবা, যাঁর থেকে
আমরা এতো সময় দূরে থেকেছি, ভক্তিমার্গে ধাক্কা খেয়েছি, এখন সেই বাবা আমাদের বিশ্বের
মালিক বানাতে এসেছেন । তাহলেই ছুটে আসবে । পরের দিকে এরা আসবে । বাবাকে যদি চিনেছো,
উঁচুর থেকে উঁচু তিনি ভগবান, জেনেছো, তাহলে তাঁর হও । এমনভাবে বোঝাতে হবে যাতে মনের
দ্বার খুলে যায় । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ -
সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কাজ কারবার করেও আত্মাকে পবিত্র করার জন্য সময় বের করে স্মরণের পরিশ্রম করতে হবে ।
কোনো আসুরী কাজ কখনোই করবে না ।
২ ) নিজের এবং অন্যের কল্যাণ করতে হবে এই ঈশ্বরীয় পড়া পড়তে এবং পড়াতে হবে । অতি
চালাক হয়ো না । স্মরণের শক্তি জমা করতে হবে ।
বরদান:-
সাকার বাবাকে অনুসরণ করে এক নম্বর হয়ে সম্পূর্ণ ফরিস্তা ভব
এক নম্বরে আসার সহজ
সাধন হলো - এক নম্বর ব্রহ্মা বাবা আছেন, তেমন হয়ে দেখো । অনেককে দেখার পরিবর্তে
একজনকে দেখো আর একজনকেই অনুসরণ করো । 'আমরাই সেই ফরিস্তা'র মন্ত্র পাকা করে নাও
তাহলে প্রভেদ দূর হয়ে যাবে। তারপর সায়েন্সের যন্ত্র নিজের কাজ শুরু করে দেবে আর
তোমরা সম্পূর্ণ ফরিস্তা দেবতা হয়ে নতুন দুনিয়াতে অবতরিত হবে। তাই সম্পূর্ণ ফরিস্তা
হওয়ার অর্থ হলো, সাকার বাবাকে অনুসরণ করা ।
স্লোগান:-
মনন করলে যে খুশী রূপী মাখন নির্গত হয়, তাই জীবনকে শক্তিশালী বানায় ।