03.11.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
ভালো
পুরুষার্থী ছাত্রদের নিদর্শন কি হবে ?
উত্তরঃ -
তারা পাস উইথ অনার হওয়ার অর্থাৎ বিজয় মালাতে আসার লক্ষ্য রাখবে । তাদের বুদ্ধিতে
একমাত্র বাবার স্মরণই থাকবে । দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করে
একের সঙ্গে প্রীতি রাখবে । এমন পুরুষার্থীই মালার দানা হয় ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা
ওঁনার আত্মারূপী সন্তানদের বসে বোঝান । তোমরা আত্মারূপী সন্তানরা এখন জাদুকর -
জাদুকরী হয়ে গেছো, তাই বাবাকেও জাদুকর বলা হয় । এমন কোনো জাদুকর হবে না - যে
মানুষকে দেবতা বানাতে পারবে । এ তো জাদুগরী, তাই না ! তোমরা কতো বড় উপার্জনের রাস্তা
বলে দাও । স্কুলেও টিচাররা উপার্জন করা শেখায় । পড়া তো উপার্জন, তাই না । ভক্তি
মার্গের কথা, শাস্ত্র ইত্যাদি শোনা, একে পড়া বলা যাবে না । এতে কোনো আমদানী নেই,
কেবল পয়সা খরচ হয় । বাবাও বোঝান - ভক্তিমার্গে কত কত চিত্র বানিয়ে, মন্দির তৈরী করে,
ভক্তি করতে করতে তোমরা কতো পয়সা খরচ করে ফেলেছো । টিচার তো তবুও রোজগার করাতে শেখান
। তার দ্বারা আজীবিকা (জীবন ধারণ) হয় । বাচ্চারা, তোমাদের পড়া কতো উঁচু । সবাইকেই
পড়তে হবে । বাচ্চারা, তোমরা মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত হবে । ওই পড়া থেকে তো
ব্যারিস্টার ইত্যাদি তৈরী হবে, তাও এক জন্মের জন্য । এ কতো রাত - দিনের তফাৎ,
তোমাদের মতো আত্মাদের শুদ্ধ নেশা থাকা উচিত । এ হলো গুপ্ত নেশা । এ তো অসীম জগতের
পিতার জাদু । এ কতো আধ্যাত্মিক জাদু । পরম আত্মাকে স্মরণ করতে করতে সতোপ্রধান হয়ে
যেতে হবে । সন্ন্যাসীরা যেমন বলে --- তুমি মনে করো, আমি এক ষাঁড় -- এই মনে করে
কুটিরে বসে যাও । সেও বলে, আমি ষাঁড়, কুটির থেকে কিভাবে বাইরে আসবো ? বাবা এখন
বলছেন - তোমরা পবিত্র আত্মা ছিলে, এখন অপবিত্র হয়ে গেছো, আবার বাবাকে স্মরণ করতে
করতে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে । এই জ্ঞান শুনে তোমরা নর থেকে নারায়ণ আর মানুষ থেকে
দেবতা হয়ে যাও । দেবতাদের তো সার্বভৌমত্ব ছিলো, তাই না । বাচ্চারা, তোমরা এখন
শ্রীমতে চলে ভারতে দৈবী সার্বভৌম রাজ্য স্থাপন করছো । বাবা বলেন - আমি এখন তোমাদের
শ্রীমৎ দিচ্ছি, একথা সঠিক, নাকি শাস্ত্রের মত সঠিক ? তোমরা বিচার করো । গীতা হলো
সর্ব শাস্ত্র শিরোমণি শ্রীমৎ ভাগবত গীতা । এই গীতা বিশেষ করে লেখা হয়েছে । এখন
ভগবান কাকে বলা হবে ? সবাই অবশ্যই বলবে - নিরাকার শিব । আমরা আত্মারা তাঁর সন্তান,
সব ভাই - ভাই । ওই একজনই হলেন বাবা । বাবা বলেন যে - তোমরা সবাই হলে প্রিয়তমা - আমি
তোমাদের প্রিয়তম, আমাকে তোমরা স্মরণ করো, কেননা আমিই তোমাদের রাজযোগ শিখিয়েছিলাম,
যাতে তোমরা প্রত্যক্ষভাবে নর থেকে নারায়ণ তৈরী হও । ওরা তো বলে দেয় যে, আমরা
সত্যনারায়ণের কথা শুনি । এ তো বুঝতেই পারে না যে, এর থেকে আমরা নর থেকে নারায়ণ তৈরী
হবো । বাবা তোমাদের মতো আত্মাদের জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন দান করেন, যাতে আত্মারা সমস্ত
কিছু জেনে যায় । শরীর ছাড়া তো আত্মা কথা বলতে পারে না । আত্মাদের থাকার জায়গাকে
নির্বাণধাম বলা হয় । বাচ্চারা, তোমাদের এখন শান্তিধাম আর সুখধামকেই স্মরণ করতে হবে
। এই দুঃখধামকে বুদ্ধি থেকে ভুলতে হবে । আত্মা এখন এই জ্ঞান পেয়েছে যে - ঠিক কি আর
ভুল কি ? কর্ম, অকর্ম আর বিকর্মের রহস্যও বোঝানো হয়েছে । বাবা বাচ্চাদেরই বুঝিয়ে
বলেন আর বাচ্চারাই এ কথা জানে । আর মানুষ তো বাবাকে জানে না । বাবা বলেন, এই নাটকও
বানানো আছে রাবণ রাজ্যে সকলের কর্মই বিকর্ম হয়ে যায় । সত্যযুগে কর্ম অকর্ম হয় ।
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে - ওখানে বাচ্চা ইত্যাদি হয় না ? বলবে, ওকে বলা হয় নির্বিকারী
দুনিয়া । ওখানে পাঁচ বিকার কোথা থেকে আসবে ? এ তো খুবই সহজ কথা । একথা বাবা বসে
বুঝিয়ে বলেন - যে সঠিক মনে করে, সে চট করে মেনে নেয় । কেউ যদি নাও বুঝতে পারে তাহলে
পরের দিকে বুঝতে পারবে । বহ্নিশিখা দেখে পতঙ্গ আসে, চলে যায়, আবার আসে । এই
অগ্নিশিখা, এতে সব জ্বলে শেষ হয়ে যাবে । এও বোঝানো হয় যে - বাকি বহ্নিশিখা আর কেউ
নেই । ও তো সাধারণ । বহ্নিশিখাতে পতঙ্গ অনেক জ্বলে মরে যায় । দীপাবলীতে কতো ছোটো
ছোটো মশা - পোকা বের হয়, তারাও মরে যায় । বেঁচে থাকা আর মরে যাওয়া । বাবাও বোঝাতে
থাকেন - পরের দিকে অনেকে জন্ম নেবে আর মরে যাবে । সে তো যেন মশার মতো হয়ে গেলো ।
বাবা যখন উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন, তখন পুরুষার্থ করে পাস উইথ অনার হতে হবে । ভালো
ছাত্ররা খুব পুরুষার্থ করে । এই মালাও পাস উইথ অনার্সেরই । তোমরা যতটা সম্ভব
পুরুষার্থ করতে থাকো । বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি বলা হয় । এর উপরও তোমরা বোঝাতে পারো
। বাবার সঙ্গে আমাদের প্রীত বুদ্ধির সম্পর্ক । এক বাবাকে ছাড়া আমরা আর কাউকেই স্মরণ
করি না । বাবা বলেন যে, দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধকে ভুলে গিয়ে আমাকে ( মামেকম )
স্মরণ করো । ভক্তিমার্গে তোমরা অনেক স্মরণ করে এসেছো -- হে দুঃখহর্তা, সুখকর্তা.....তাহলে
বাবা অবশ্যই সুখদান করেন, তাই না । স্বর্গকে বলা হয় সুখধাম । বাবা বোঝান যে - আমি
তোমাদের পবিত্র বানাতে এসেছি । বাচ্চারা যে কাম চিতাতে বসে ভস্ম হয়ে গেছে, আমি
তাদের উপর এসে জ্ঞানের বর্ষণ করি । বাচ্চারা, আমি তোমাদের যোগ শেখাই - বাবাকে স্মরণ
করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা পরীস্থানের মালিক হয়ে যাবে । তোমরাই তো
জাদুকর, তাই না । বাচ্চাদের এই প্রকৃত নেশা থাকা চাই যে - এই আমাদের প্রকৃত জাদুগরী
। কোনো কোনো জাদুকর খুব হুঁশিয়ার হয় । কি - কি জিনিস বের করে দেখায় । এই জাদুগরী
আবার অলৌকিক, অর্থাৎ এক বাবা ছাড়া আর কেউই শেখাতে পারে না । তোমরা জানো যে, আমরা
মানুষ থেকে দেবতা তৈরী হচ্ছি । এই শিক্ষাই হলো নতুন দুনিয়ার জন্য । ওই যুগকে
সত্যযুগের নতুন পৃথিবী বলা হয় । তোমরা এখন সঙ্গম যুগে আছো । এই পুরুষোত্তম সঙ্গম
যুগের কথা কেউই জানে না । তোমরা কতো উত্তম পুরুষ তৈরী হও । বাবা আত্মাদেরই বুঝিয়ে
বলেন । তোমরা ব্রহ্মাণীরা যখন ক্লাসে বসো, তোমাদের কাজ হলো প্রথমেই সাবধান করে দেওয়া
। ভাই - বোনেরা, নিজেদের আত্মা মনে করে বসো । আমরা আত্মারা এই অর্গ্যান্স দ্বারা
শুনি । বাবা এই ৮৪ জন্মের রহস্যও বুঝিয়ে বলেছেন । কোন্ সেই মানব যিনি ৮৪ জন্ম গ্রহণ
করেন ? সবাই তো এতো জন্মগ্রহণ করবে না । এই বিষয়ে কেউই চিন্তা করে না। যা শুনবে
তাই সত্য বলে দেবে হনুমান পবনের পুত্র --- সত্য । তারপর অন্যদেরও এমন - এমন কথা
শোনাতে থাকে আর সত্য - সত্য বলতে থাকে । বাচ্চারা, তোমরা এখন ঠিক আর ভুলকে বোঝার
জ্ঞান চক্ষু পেয়েছো। তাই তোমাদের সঠিক কর্মই করতে হবে । তোমরা এও বোঝাও যে, আমরা
অসীম জগতের পিতার থেকে এই উত্তরাধিকার নিচ্ছি । তোমরা সকলেই পুরুষার্থ করো । ওই বাবা
হলেন সমস্ত আত্মাদের পিতা । তোমাদের, অর্থাৎ আত্মাদের বাবা এখন বলেন, এখন তোমরা
আমাকে স্মরণ করো । তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করো । আত্মার মধ্যেই সংস্কার ভরা থাকে ।
এই সংস্কারই নিয়ে যায়, তাই অনেকের ছোটোবেলায়ই অনেক নাম হয়ে যায়, তখন মনে করা
হয়, এ আগের জন্মে অনেক কর্ম করেছে, কেউ যদি কলেজ ইত্যাদি তৈরী করে, তাহলে পরের
জন্মে ভালো শিক্ষা পায় । এ তো কর্মের হিসেব - নিকেশ, তাই না । সত্যযুগে বিকর্মের
কথাই থাকবে না । কর্ম তো সেখানে অবশ্যই করবে । রাজত্ব করবে, খাওয়াদাওয়া করবে কিন্তু
উল্টো কর্ম করবে না । তাকে বলা হয় রামরাজ্য । এখানে হলো রাবণ রাজ্য । এখন তোমরা
শ্রীমতে চলে রামরাজ্য স্থাপন করছো । সে হলো নতুন দুনিয়া । পুরানো দুনিয়াতে দেবতাদের
ছায়া পড়ে না । লক্ষ্মীর জড় চিত্র নিয়ে রাখো, ছায়া পড়বে । চৈতন্যের পড়তে পারে না ।
বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, সকলকেই পুনর্জন্ম নিতে হবে । কুয়ো থেকে জল তোলার এক বিধি
হয় না ( কপিকল ), ঘুরতেই থাকে । তোমাদের এই চক্রও ঘুরতে থাকে । এর উপরই দৃষ্টান্ত
দিয়ে বোঝানো হয় । পবিত্রতা তো সবথেকে ভালো । কুমারী পবিত্র হয়, তাই সকলেই তার চরণ
স্পর্শ করে । তোমরা হলে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার - কুমারী । বেশীরভাগ কুমারী, তাই এই
মহিমা আছে যে, কুমারীর দ্বারা বাণ মারবে । এ হলো জ্ঞান বাণ । তোমরা বসে ভালোবেসে
বোঝাও । বাবা হলেন একমাত্র সদগুরু । তিনিই হলেন সকলের সদগতিদাতা । ভগবান উবাচঃ - "মন্মনাভব"
। এ তো মন্ত্র, তাই না, এতেই পরিশ্রম । তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো
। এ হলো গুপ্ত পরিশ্রম । আত্মাই তমোপ্রধান হয়ে গেছে, আবার সতোপ্রধান হতে হবে । বাবা
বুঝিয়েছেন যে - আত্মা আর পরমাত্মা বহুকাল আলাদা আছে । যে প্রথমে আলাদা হয়েছে, সেই
প্রথমে মিলিত হবে । বাবা তাই বলেন, আমার অতি প্রিয় হারানিধি বাচ্চারা । বাবা জানেন
যে, কবে থেকে ভক্তি শুরু হয়েছে । সবই অর্ধেক - অর্ধেক । অর্ধকল্প জ্ঞান আর
অর্ধকল্প হলো ভক্তি । দিনরাতও ২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টা এ.ম. আর ১২ ঘণ্টা পি.ম. হয় ।
কল্পও অর্ধেক - অর্ধেক । ব্রহ্মার দিন আর ব্রহ্মার রাত, তাহলে কলিযুগের আয়ু এতো
কেন বলে দেওয়া হয় ? তোমরা এখন কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, তা বলতে পারো । শাস্ত্র হলো
সব ভক্তিমার্গের । এরপর ভগবান এসে ভক্তির ফল প্রদান করেন । তাঁকে ভক্তের রক্ষক তো
বলা হয়, তাই না । এর পরের দিকে তোমরা সন্ন্যাসীদেরও খুব ভালোবেসে বসে বোঝাবে ।
তোমাদের ফর্ম তো তারা পূরণ করবেন না । মা - বাবার নামও লিখবে না । কেউ - কেউ আবার
বলে । বাবা জিজ্ঞেস করেন - কেন সন্ন্যাস করেছো, কারণ বলো ? বিকারের সন্ন্যাস করা হয়,
তাহলে ঘরেরও কি সন্ন্যাস করতে হয় ? তোমরা এখন সম্পূর্ণ পুরানো দুনিয়ার প্রতি
সন্ন্যাস করো । তোমাদের নতুন দুনিয়ার সাক্ষাৎকার করিয়ে দেওয়া হয়েছে । সে হলো
নির্বিকারী দুনিয়া । হেভেনলী গড ফাদার হলেন স্বর্গ স্থাপনকারী । তিনি ফুলের বাগান
তৈরী করেন । তিনি কাঁটাকে ফুলে পরিণত করেন । এক নম্বর কাঁটা হলো - কাম কাটারি ।
কামকে কাটারি বলা হয়, ক্রোধকে ভূত বলা হবে । দেবী - দেবতারা ডবল অহিংসক ছিলেন ।
নির্বিকারী দেবতাদের সামনে বিকারী মানুষ সবাই মাথা নত করে । এখন তোমরা বাচ্চারা জানো
যে - আমরা এখানে পড়ার জন্য এসেছি । বাকি ওই সৎসঙ্গ ইত্যাদিতে যাওয়া, সে হলো সাধারণ
কথা । ওখানে ওরা ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলে দেয় । বাবা কখনো সর্বব্যাপী হন কি ? বাবার
থেকে তোমরা বাচ্চারা উত্তরাধিকার পাও । বাবা এসে পুরানো দুনিয়াকে নতুন দুনিয়া
স্বর্গ বানান । কেউ কেউ তো নরককে নরক বলেই মানে না । বিত্তবান মানুষরা মনে করে,
স্বর্গে আবার নতুন কি রাখা আছে । আমাদের কাছে ধন, মহল, বিমান ইত্যাদি সবকিছুই আছে,
আমাদের জন্য এই হলো স্বর্গ । তাদের জন্য নরক, যারা নোংরা - আবর্জনার মধ্যে থাকে,
তাই ভারত কতো গরীব - কাঙ্গাল। আবার এই হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হয় । তোমাদের
নেশা থাকা উচিত যে - বাবা আমাদের আবার ডবল মুকুটধারী বানান । তোমরা অতীত - বর্তমান
এবং ভবিষ্যৎকে জেনে গেছো । সত্যযুগ - ত্রেতাযুগের কাহিনী বাবা বলে দিয়েছেন, তারপর
মাঝে আমরা নীচে নেমে যাই । বাম মার্গ হলো বিকারী মার্গ । বাবা এখন আবার এসেছেন ।
তোমরা নিজেদের স্বদর্শন চক্রধারী মনে করো । এমন নয় যে, তোমরা এমন চক্র ঘোরাও যাতে
গলা কেটে যায় । কৃষ্ণের হাতে চক্র দেখানো হয় যে, তিনি দৈত্যদের মারতেন, এমন কথা
তো হতেই পারে না । তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা ব্রাহ্মণরাই হলাম স্বদর্শন চক্রধারী ।
আমাদের এই সৃষ্টির আদি - মধ্য এবং অন্তের জ্ঞান আছে । ওখানে দেবতাদের তো এই জ্ঞান
থাকবে না । ওখানে হলো সদগতি, তাই তাকে বলা হয় দিন । রাতেই যতো সমস্যা হয় । ভক্তিতে
দর্শন করার জন্য কতো হটযোগ ইত্যাদি করে । নওধা ভক্তি যারা করে, তারা তাদের প্রাণ
দান করার জন্যও তৈরী হয়ে যায়, তখন সাক্ষাৎকার হয় । ড্রামা অনুসারে তাদের চাহিদা
অল্পকালের জন্য পূরণ হয় । বাকি ঈশ্বর কিছুই করেন না । অর্ধেক কল্প ধরে ভক্তির
পার্ট চলতে থাকে । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
আধ্যাত্মিক নেশায় থাকতে হবে যে, বাবা আমাদের ডবল মুকুটধারী বানাচ্ছেন । আমরা হলাম
স্বদর্শন চক্রধারী ব্রাহ্মণ । অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জ্ঞান বুদ্ধিতে ধারণ করে
চলতে হবে ।
২) পাস উইথ অনার হওয়ার জন্য বাবার প্রতি প্রকৃত ভালোবাসা রাখতে হবে । বাবাকে
স্মরণের গুপ্ত পরিশ্রম করতে হবে ।
বরদান:-
সর্ব গুণের অনুভবের দ্বারা বাবাকে প্রত্যক্ষ করে অনুভাবী মূর্তি ভব
বাবার যে গুণগান করো,
সেই সর্ব গুণের অনুভাবী হও, বাবা যেমন আনন্দের সাগর, তাই সেই আনন্দের সাগরের ঢেউয়ে
সাঁতার কাটতে থাকো । যেই সম্পর্কে আসবে তাকে আনন্দ, প্রেম, সুখ সব গুণের অনুভব করাও
। এমন সর্ব গুণের অনুভাবী মূর্ত হও, তখন তোমাদের দ্বারা বাবার চেহারা প্রত্যক্ষ হবে।
কেননা তোমরা মহান আত্মারাই পরম আত্মাকে নিজের অনুভাবী মূর্তি দ্বারা প্রত্যক্ষ করাতে
পারে ।
স্লোগান:-
কারণকে নিবারণের দ্বারা পরিবর্তন করে অশুভ বিষয়কেও শুভ করে তোলো ।