28.11.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
বাচ্চাদের কোন্
ব্যাপারে পরিশ্রম করতে হয় কিন্তু খুশী আর স্মরণের আধারও হলো সেইটাই ?
উত্তরঃ -
আত্ম-অভিমানী হতেই পরিশ্রম করতে হয়, কিন্তু এর জন্যই খুশীর পারা ঊর্ধ্বে ওঠে, মধুর
বাবা স্মরণে এসে যায়। মায়া তোমাদের দেহ-অভিমানে আনতে থাকে, অনেক শক্তিশালী হয়ে
লড়াই করবে, এতে মুষরে পড়ার কিছু নেই। বাবা বলেন বাচ্চারা, মায়ার ঝড়ে ভয় পেয়ো
না, শুধু কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনো বিকর্ম কোরো না।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা
আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন বা শিক্ষা দিচ্ছেন, অধ্যয়ণ করাচ্ছেন। বাচ্চারা জানে
যে পড়াচ্ছেন যিনি সেই পিতা হলেন সর্বদাই দেহী-অভিমানী। তিনি হলেনই নিরাকার, দেহ
ধারণই করেন না। পুর্নজন্মের চক্রে আসেন না। বাবা মনে করেন বাচ্চারা তোমাদের আমার (বাবার)
সমান নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে। আমি হলাম পরমপিতা। পরমপিতার দেহ হয় না। ওঁনাকে
দেহী-অভিমানীও বলা হবে না। তিনি তো হলেনই নিরাকার। বাবা বলেন আমার নিজের দেহ নেই।
তোমরা তো দেহ ধারণ করে এসেছো। এখন আমার সমান দেহের থেকে পৃথক হয়ে নিজেকে আত্মা মনে
করো। যদি বিশ্বের মালিক হতে চাও তো আর কোনো ডিফিকাল্ট(কঠিন) ব্যাপার থাকবেই না। বাবা
বলেন দেহ-অভিমানকে ত্যাগ করে আমার সমান হও। সর্বদা বুদ্ধিতে স্মরণ যেন থাকে - আমি
হলাম আত্মা, আমাকে বাবা পড়াচ্ছেন। কিন্তু বাবা তো হলেন নিরাকার, আমাদের পড়াবেন
কীভাবে ? সেইজন্য বাবা এই দেহে এসে পড়াচ্ছেন। গো-মুখ দেখানো হয় না ! এখন গো-মুখ
থেকে তো আর গঙ্গা নির্গত হতে পারে না। মাতাকেও গো-মাতা বলা হয়। তোমরা সকলে হলে গাভী।
এই ব্রহ্মা গাভী নয় । মুখ দ্বারা জ্ঞান প্রাপ্ত হয়। বাবার তো গাভী নেই যে - ষাঁড়ের
উপরেও আরোহী দেখানো হয়। তারা তো শিব-শঙ্কর এক বলে দেয়। বাচ্চারা, তোমরা এখন বুঝতে
পারো যে শিব-শঙ্কর এক নন। শিব তো হলেন উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ, তারপর
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর। ব্রহ্মা হলেন সূক্ষ্মবতনবাসী। বাচ্চারা, তোমাদের বিচার সাগর
মন্থন করে পয়েন্টস্ বের করে বোঝাতে হয়, আর নির্ভয়ও হতে হয়। বাচ্চারা, তোমাদেরই
খুশী থাকে। তোমরা বলবে-- আমরা হলাম ঈশ্বরের স্টুডেন্ট, আমাদের বাবা পড়ান।
ভগবানুবাচও আছে-- হে বাচ্চারা, আমি তোমাদের রাজারও রাজা করে তোলার জন্য পড়াই।
যেখানেই যাও না কেন, সেন্টারে যাও, বুদ্ধিতে থাকে যে বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। যা এখন
আমরা সেন্টারে শুনি, বাবা মুরলী চালান। বাবা, বাবা বলতে থাকো। এটাও হল তোমাদের
যাত্রা । যোগ শব্দ শোভনীয় নয় । মানুষ অমরনাথ, বদ্রীনাথ যাত্রা করে পায়ে হেঁটে
যায়। এখন তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের তো যেতে হবে নিজ গৃহে। তোমরা জানো যে এখন এই
অসীম জগতের নাটক সম্পন্ন হচ্ছে। বাবা এসেছেন, আমাদের যোগ্য করে নিয়ে যেতে। তোমরা
নিজেরাই বলো আমরা হলাম পতিত। পতিত কি আর মুক্তি প্রাপ্ত করবে! বাবা বলেন-- হে
আত্মারা, তোমরা পতিত হয়েছো। তারা শরীরকে পতিত মনে করে গঙ্গাতে স্নান করতে যায়।
আত্মাকে তো তারা নির্লিপ্ত মনে করে নেয়। বাবা বোঝান-- মূল ব্যাপার হলোই আত্মার।
বলাও হয় পাপ আত্মা, পুণ্য আত্মা। এই শব্দ ভালো করে মনে করো। বুঝতে পারা আর বোঝানো।
তোমাদেরই বক্তৃতা ইত্যাদি করতে হবে। বাবা তো গ্রামে-গ্রামে, গলিতে-গলিতে যাবেন না।
তোমরা বাড়ী-বাড়ী এই চিত্র রেখে দাও। ৮৪ জন্মের চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়। সিঁড়িতে
বেশী রকম ক্লীয়ার আছে। এখন বাবা বলেন-- সতোপ্রধান হও। নিজ গৃহে যেতে হবে, পবিত্র
না হয়ে তো গৃহে ফিরতে পারবে না। এই উৎসাহেই থাকো। অনেক বাচ্চারা লেখে, বাবা আমার
অনেক ঝড় আসে। মানসিক ভাবে অনেক খারাপ ভাবনা আসে। আগে আসতো না। বাবা বলেন তুমি এই
ভাবনা ভেবো না। আগে কি আর তোমরা কোনো যুদ্ধের ময়দানে ছিলে! এখন তোমাদের বাবার
স্মরণে থেকে মায়ার উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে। এইটা বারে-বারে স্মরণ করতে থাকো।
গিঁট বেঁধে নাও (মনে রাখার জন্য আঁচলে গিঁট বাঁধা)। যেমন মাতারা গিঁট বেঁধে নেয়,
পুরুষরা আবার নোট বুকে লেখে। তোমাদের তো এই ব্যাজ ভালো চিহ্ন। আমরা প্রিন্স হবো, এটা
হলোই বেগর টু প্রিন্স হওয়ার গডলী ইউনিভার্সিটি। তোমরা তো প্রিন্স ছিলে যে না!
শ্রীকৃষ্ণ ওয়ার্ল্ডের প্রিন্স ছিলেন। যেমন ইংল্যান্ডেরও প্রিন্স অফ ওয়েল্স বলা হয়।
সে হলো পার্থিব জগতের কথা, রাধা-কৃষ্ণ তো হলো খুবই নামী-দামী। স্বর্গের
প্রিন্স-প্রিন্সেস ছিলেন, তাই না ! সেইজন্য সকলে তাদের ভালোবাসতো। শ্রীকৃষ্ণকে তো
খুবই ভালোবাসে। করলে তো দুই জনকেই করা উচিত। প্রথমে তো রাধাকে করা উচিত। কিন্তু
বাচ্চার প্রতি ভালোবাসা বেশী থাকে, কারণ সে উত্তরাধিকারী হয়। স্ত্রীরও স্বামীর উপর
ভালোবাসা থাকে। স্বামীর জন্যই বলা হয় এই হলো তোমার গুরু ঈশ্বর। স্ত্রীর জন্য এরকম
বলবে না। সত্যযুগে তো মাতাদের মহিমা থাকে। প্রথমে লক্ষ্মী তারপর নারায়ণ। অম্বার কতো
রিগার্ড(শ্রদ্ধা) রাখে। ব্রহ্মার হলো কন্যা। ব্রহ্মার এতো কিছু নেই, ব্রহ্মার
মন্দির আজমীরে আছে। যেখানে মেলা ইত্যাদি বসে। অম্বার মন্দিরেও মেলা বসে। বাস্তবে এই
সব মেলা হয় ময়লা করার জন্য। তোমাদের এই মেলা হলো স্বচ্ছ হওয়ার। স্বচ্ছ হওয়ার জন্য
তোমাদের স্বচ্ছ বাবাকে স্মরণ করতে হবে। জল দিয়ে কোনো পাপ নাশ হয় না। গীতাতে
ভগবানুবাচ হলো "মন্মনাভব" । আদি আর অন্তে এই শব্দ আছে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে
আমরাই সর্বপ্রথম ভক্তি শুরু করেছি। সতোপ্রধান ভক্তি আবার সতো-রজো-তমো ভক্তি হয়। এখন
তো দেখো মাটি পাথর ইত্যাদি সবকিছুকে করে। এই সব হলো অন্ধশ্রদ্ধা। এই সময়ে তোমরা
সঙ্গমে বসে আছো। এটা যে হলো উল্টো বৃক্ষ। উপরে হলো বীজ। বাবা বলেন এই মানুষ সৃষ্টির
বীজ রচয়িতা হলাম আমি। এখন নূতন দুনিয়ার স্থাপনা করা হচ্ছে । স্যাপলিঙ্ (সারিবদ্ধ
চারা) লাগানো হয় না ! বৃক্ষের পুরানো পাতা সব ঝড়ে যায়। নূতন-নূতন পাতা বের হয়।
বাবা এখন দেবী- দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছেন। অনেক পাতা আছে যা মিক্সড হয়ে গেছে।
নিজেদের হিন্দু বলে। বাস্তবে হিন্দু হলোই তারা যারা আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের।
বাস্তবে হিন্দুস্থানের নাম হলো ভারত, যেখানে দেবতারা থাকেন। আর কোনো দেশের নাম
পরিবর্তন করে না, এর নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে। হিন্দুস্থান বলে দেয়। বৌদ্ধরা এরকম
বলে না যে আমাদের ধর্ম হলো জাপানি বা চাইনীজ। তারা তো নিজের ধর্মকে বৌদ্ধিই বলবে।
তোমাদের মধ্যে কেউই নিজেকে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের বলবে না। যদি কেউ বলেও তো
বলো সেই ধর্ম কবে আর কে স্থাপন করেছে? কিছুই বলতে পারবে না। কল্পের আয়ুই লম্বা চওড়া
করে দিয়েছে, একে বলা হয় অজ্ঞানতার অন্ধকার। এক তো নিজের ধর্মকে জানা নেই, দ্বিতীয়ত
লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যকে বড় দূরে নিয়ে গেছে, সেইজন্য ঘোর অন্ধকার বলা হয়। জ্ঞান
আর অজ্ঞানে কতো পার্থক্য। জ্ঞান সাগর হলেনই একমাত্র শিববাবা। ওনার থেকে নেওয়া যেন -
একটা ঘটি দিয়ে রাখে। শুধুমাত্র কাউকে শোনাও যে শিববাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ
হবে। এটা যেন এক আজঁলা জল হলো। কেউ তো গঙ্গায় স্নান করে, কেউ ঘড়া ভরে নিয়ে যায়।
কেউ ছোটো-ছোটো ঘটি নিয়ে যায়। রোজ এক-এক ফোঁটা কলসীতে ঢেলে জ্ঞান জল মনে করে পান করে।
বিলেতেও বৈষ্ণব জনেরা গঙ্গা জলের ঘড়া নিয়ে যায়। আবার চাইতে থাকে। এখন এই সমস্ত জলই
তো পাহাড় থেকে আসে। উপর থেকেও জল পড়তে থাকে। আজকাল দেখো বড়ি বাড়ীও কেমন ১০০ তলা
পর্যন্ত তৈরী করে। সত্যযুগে এই রকম হয় না। সেখানে তো তোমরা এতো জমি পেতে থাকবে যে
বলার নয় । এখানে থাকার জন্য জমি নেই, তাই এতো তল বাড়ী তৈরী করে। সেখানে চাল-ডাল
ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে হয়। যেমন আমেরিকাতে বেশী শস্য ফলন হলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
এটা হলো মৃত্যুলোক। ওটা হলো অমরলোক। অর্ধ-কল্প তোমরা সেখানে সুখে থাকো। মৃত্যু ভিতরে
যেতে পারে না। এর উপর একটা কথাও আছে। এটা হলো অসীম জগতের কথা। অসীম জগতের কথাতে
আবার পার্থিব জগতের কথা বসে তৈরী করেছে। গ্রন্থ সাহেব প্রথমে কতো ছোটো ছিলো। এখন কতো
বড় করে দিয়েছে। শিববাবা কতো ছোটো, তাঁরও কতো বড় মূর্তি বানিয়ে দিয়েছে। বুদ্ধের
ছবি, পান্ডবদের ছবি কতো বড়-বড় লম্বা করে দিয়েছে। এরকম তো কেউ হয় না। বাচ্চারা,
তোমাদের তোমরা এই এইম্ অবজেক্টের চিত্র বাড়ী-বাড়ী দেওয়া উচিত। আমরা পড়াশুনা করে
এইরকম তৈরী হচ্ছি। এরপর কি আর কাঁদা উচিত! যে কাঁদে সে পরাজিত হয়। দেহ-অভিমানে এসে
যায়। বাচ্চারা, তোমাদের আত্ম-অভিমানী হতে হবে, এতেই পরিশ্রম করতে হয়। আত্ম-অভিমানী
হলেই খুশীর পারদ ওঠে। মধুর বাবাকে স্মরণে আসে। বাবার থেকে আমরা স্বর্গের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। বাবা আমাদের এই ভাগ্যশালী রথে এসে পড়ান। রাত-দিন বাবা
বাবা স্মরণ করতে থাকো। অর্ধ- কল্পের জন্য তোমরা হলে প্রেয়সী। ভক্ত ভগবানকে স্মরণ
করে। অনেক ভক্ত আছে। জ্ঞান মার্গে সকলে এক বাবাকেই স্মরণ করে। তিনিই হলেন সকলের পিতা।
জ্ঞান সাগর বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, বাচ্চারা তোমাদের তো রোমাঞ্চিত হওয়া উচিত।
মায়ার ঝড় তো আসবেই। বাবা বলেন- সব থেকে বেশী ঝড় তো আমার কাছে আসে, কারণ সবচেয়ে
সামনে থাকি আমি। আমার কাছে আসে, তাই তো আমি বুঝতে পারি-- বাচ্চাদের কাছে কতোটা আসতে
পারে। বিষন্ন হয়ে পড়ে। অনেক প্রকারের ঝড় আসে যে সব অজ্ঞান কালেও কখনো আসেনি, সেই
সবও আসে। প্রথমে তো আমাকে আসতে হবে, নয়তো আমি বাচ্চাদেরকে বোঝাবো কীভাবে। তোমরা
এখন হলে ফ্রন্টে (সমরাঙ্গনে)। শক্তিশালী হলে মায়াও তার চেয়ে বেশী শক্তিশালী হয়ে
লড়াই করে। মল্লযুদ্ধে সবাই এক রকম হয় না। ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড গ্রেড হয়। বাবার
কাছে সবচেয়ে বেশী ঝড় আসে, সেইজন্য বাবা বলেন এই ঝড়ে ভয় পেয়ো না। শুধুমাত্র
কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনো বিকর্ম করো না। কেউ বলে- জ্ঞানে এসেছি তো এরকম কেন হয়,
এর থেকে তো জ্ঞান ধারণ না করাই ভালো। সংকল্পই আসতে থাকে । আরে এ তো হলো যুদ্ধ !
স্ত্রীর সামনেও পবিত্র দৃষ্টি থাকবে, মনে করতে হবে শিববাবার বাচ্চারা আমরা সকলে
হলাম ভাই-ভাই, আবার প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হওয়াতে ভাই-বোন হয়ে গেল। তবে বিকার
কোথা থেকে আসবে। ব্রাহ্মণ হলো উচ্চ টিঁকিধারী, যারাই আবার দেবতা হবে, তো আমরা হলাম
ভাই-বোন। এক বাবার বাচ্চারা হল কুমার-কুমারী। যদি দুই জন কুমার-কুমারী হয়ে না থাকে
তো আবার ঝগড়া হয়। অবলাদের উপর অত্যাচার হয়। পুরুষরাও লেখে আমার স্ত্রী যেন হলো পুতনা
(রাক্ষসী)। খুবই পরিশ্রম করতে হয়। তরুণদের তো পরিশ্রম হয়। আর যারা গান্ধর্ববিবাহ করে
একসাথে থাকে, কামাল তো তাদেরই । তাদের অনেক উচ্চ পদ প্রাপ্তি হতে পারে। কিন্তু যখন
এরকম অবস্থা ধারণ করবে। জ্ঞানের তীক্ষ্মতা বাড়বে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
মায়ার ঝড়কে ভয় পেও না বা বিভ্রান্ত হয়ো না। শুধুমাত্র মনোযোগী হতে হবে
কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনো বিকর্ম যেন না হয়। জ্ঞান সাগর বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন -
এই খুশীতে থাকতে হবে।
২ ) সতোপ্রধান হওয়ার জন্য আত্ম-অভিমানী হওয়ার পরিশ্রম করতে হবে, জ্ঞানের বিচার সাগর
মন্থন করতে হবে, স্মরণের যাত্রাতে থাকতে হবে।
বরদান:-
শ্রেষ্ঠ পুরুষার্থের দ্বারা ফাইনাল রেজাল্টে ফার্স্ট নম্বর অধিকার করতে পারা উড়ন্ত
বিহঙ্গ ভব
ফাইনাল রেজাল্টে
ফার্স্ট নম্বর নেওয়ার জন্য -
১) অন্তরের অবিনাশী বৈরাগ্য দ্বারা হয়ে যা কিছু বিগত হয়ে গেছে সে'সব ঘটনাকে,
সংস্কার রূপী বীজকে পুড়িয়ে দাও।
২) অমৃতবেলা থেকে রাত পর্যন্ত ঈশ্বরীয় নিয়ম আর মর্যাদা গুলো সর্বদা পালন করার
ব্রত নাও আর ৩) মনসা দ্বারা, বাণীর দ্বারা বা সম্বন্ধ সম্পর্কের দ্বারা নিরন্তর
মহাদানী হয়ে ওঠো, পূণ্য আত্মা হয়ে দান পুণ্য করতে থাকো। যখন এ'রকম শ্রেষ্ঠ
হাইজাম্প দিতে পারার মতন পুরুষার্থ হবে, তখনই উড়ন্ত বিহঙ্গ হয়ে ফাইনাল রেজাল্টে
নম্বর ওয়ান হতে পারবে।
স্লোগান:-
বৃত্তি
দ্বারা বায়ুমন্ডলকে পাওয়ারফুল করে তোলা, এটাই হলো লাস্টের (অন্তিম) পুরুষার্থ বা
সার্ভিস।