13.11.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
বিনাশের সময়টি দেখে এখন তোমাদের কি কর্তব্য ?
উত্তরঃ -
তোমাদের কর্তব্য হলো - নিজের পড়াশোনায় বিশেষ মনোযোগী হওয়া, অন্য কথায় মন না দেওয়া।
বাবা তোমাদের নয়নে বসিয়ে, গলার হার বানিয়ে সঙ্গে নিয়ে যাবেন। বাকিরা তো সবাই নিজের
হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ঘরে ফিরবে। বাবা এসেছেন সবাইকে নিজের সঙ্গে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
গীতঃ-
দূর দেশের
নিবাসী....
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক পিতা
আত্মা রূপী বাচ্চাদের বসে বোঝাচ্ছেন - বিশেষ করে ভারতে এবং সাধারণ ভাবে সম্পূর্ণ
দুনিয়ায় সবাই বিশ্বে শান্তি চাইছে। এখন এই কথা তো বোঝা উচিত - নিশ্চয়ই বিশ্বের
মালিক-ই বিশ্বে শান্তি স্থাপন করেন। গড ফাদারকেই প্রার্থনা করা উচিত যে এসে বিশ্বে
শান্তি বর্ষিত করুন। কাকে প্রার্থনা করবে তারা তাও তো জানে না। সম্পূর্ণ বিশ্বের কথা
তাইনা। সম্পূর্ণ বিশ্বে শান্তি চাই। এখন শান্তির ধাম তো আলাদা, যেখানে পিতা পরমাত্মা
এবং আত্মারা বাস করে। সেই কথাও অসীমের পিতা এসে বোঝান। এখন এই দুনিয়ায় তো অসংখ্য
মানুষ আছে, অনেক ধর্ম আছে। তারা বলে - একটি ধর্ম হলে শান্তি হবে। সব ধর্ম মিলেমিশে
এক হতে তো পারে না। ত্রিমূর্তির মহিমাও আছে। ত্রিমূর্তির চিত্র অনেকেই নিজের কাছে
রাখে। এই কথাও জানে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা। কিসের ? শুধুমাত্র শান্তির নয়। শান্তি
ও সুখের স্থাপনা হয়। এই ভারতেই ৫ হাজার বছর পূর্বে যখন এনার রাজত্ব ছিলো তখন
নিশ্চয়ই বাকি সব জীব আত্মারা, জীব অর্থাৎ দেহ ত্যাগ করে নিজের ঘরে অর্থাৎ পরমধামে
থাকবে। এখন চাইছে এক ধর্ম, এক রাজ্য, এক ভাষা। এখন তোমরা বাচ্চারা জানো - বাবা
শান্তি, সুখ, সম্পত্তির স্থাপনা করছেন। এক রাজ্য অবশ্যই এখানেই হবে তাইনা। একটি
রাজ্যের স্থাপনা হচ্ছে - এই কথাটি নতুন নয়। অনেক বার এক রাজ্যের স্থাপনা হয়েছে।
তারপরে অনেক ধর্মের বৃদ্ধি হতে হতে বৃক্ষটি বিশাল হয় তখন বাবাকে আসতে হয়। আত্মা শোনে,
পড়া করে, আত্মায় সংস্কার থাকে। আমরা আত্মারা ভিন্ন ভিন্ন শরীর ধারণ করি। বাচ্চাদের
এই কথায় নিশ্চয় বুদ্ধি হতে অনেক পরিশ্রম লাগে। বাচ্চারা বলে বাবা ক্ষণে ক্ষণে ভুলে
যাই আমরা। বাবা বোঝান - এই হলো গোলক ধাঁধার খেলা। যাতে তোমরা আটকে গেছো, জানো না যে
আমরা নিজের ঘর (পরমধাম) বা রাজধানী (সত্যযুগ) কীভাবে যাব। এখন বাবা বুঝিয়েছেন আগে
কিছুই জানতে না। আত্মা পাথরবুদ্ধি হয়ে যায়। পাথরবুদ্ধি ও স্পর্শবুদ্ধি ভারতেই গায়ন
আছে। পাথর বুদ্ধি রাজারা এবং স্পর্শবুদ্ধি রাজারা এখানেই অবস্থান করে। পারসনাথের
মন্দির এখানেই আছে। এখন তোমরা জানো আমরা আত্মারা কোথা থেকে পার্ট প্লে করতে আসি। আগে
তো কিছুই জানতে না। একেই বলা হয় কাঁটার জঙ্গল। এই সম্পূর্ণ দুনিয়া হলো কাঁটার জঙ্গল।
ফুলের বাগানে আগুন লেগেছে, এমন কথা কখনও শোনো নি হয়তো। সদা জঙ্গলে আগুন লাগে। এও তো
জঙ্গল, এতে আগুন অবশ্যই লাগবে। বিশ্বে আগুন লাগবে । এই সম্পূর্ণ দুনিয়াকে বিশ্ব বলা
হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা বাবাকে জেনেছো। সম্মুখে বসে আছো। যে গানটি করতে তোমার
সঙ্গেই বসি....। সেসব কিছু হচ্ছে এখন। ভগবানুবাচ তাই তোমরা অবশ্যই পড়বে, তাইনা।
ভগবানুবাচ বাচ্চাদের জন্যেই হবে নিশ্চয়ই। তোমরা জানো ভগবান পড়ান। ভগবান কে ?
নিরাকার শিবকেই বলা হবে। ভগবান শিবের পূজা এখানে হয়। সত্যযুগে পূজা ইত্যাদি হয় না।
স্মরণও করে না। সত্যযুগের রাজধানীর ফল ভক্তদের প্রাপ্ত হয়। তোমরা বুঝেছো আমরা বেশী
ভক্তি করি তাই আমরা সর্ব প্রথমে বাবার কাছে আসি। পরে আমরা-ই রাজধানীতে আসবো। অতএব
বাচ্চাদের পুরোপুরি পুরুষার্থ করা উচিত - নতুন দুনিয়ায় উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত
করার জন্য। বাচ্চাদের ইচ্ছে হয় শীঘ্র যেন নতুন ঘরে যেতে পারি। শুরুতে ঘর নতুন হবে
তারপরে পুরানো হতে থাকবে। ঘরে বাচ্চাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পুত্র, পৌত্র ইত্যাদি
তো পুরানো ঘরে আসবে তাইনা। তারা বলবে এই আমাদের দাদু, ঠাকুরদার বাড়ি। পরে আসবে অনেকে।
যতখানি জোর দিয়ে পুরুষার্থ করবে ততখানি শুরুতে নতুন ঘরে আসবে। পুরুষার্থ করার যুক্তি
বাবা খুব সহজ করে বুঝিয়ে দেন। ভক্তিতেও পুরুষার্থ তো করতে হয় তাইনা। যারা অনেক ভক্তি
করে তারা খ্যাতি অর্জন করে। অনেক ভক্তদের স্ট্যাম্প ইত্যাদি বের করা হয়। জ্ঞানের
মালার কোনো নলেজ নেই। প্রথমে জ্ঞান, পরে হয় ভক্তি। এই কথা এখন বাচ্চারা তোমাদের
বুদ্ধিতে আছে। অর্ধেক সময় হল জ্ঞান - সত্য যুগ-ত্রেতা। এখন তোমরা বাচ্চারা নলেজফুল
হয়ে যাও। টিচার সর্বদা ফুল-নলেজ যুক্ত হয়। স্টুডেন্টও নম্বর অনুযায়ী মার্ক্স পায়।
এই হলো অসীমের টিচার। তোমরা হলো অসীমের স্টুডেন্ট, স্টুডেন্টরা তো নম্বর অনুযায়ী
পাস হবে। যেমন কল্প পূর্বে হয়েছিল। বাবা বোঝান, তোমরাই ৮৪ জন্ম নিয়েছো। ৮৪ জন্মে ৮৪
টি টিচার থাকে। পুনর্জন্ম তো অবশ্যই নিতে হবে। প্রথমে নিশ্চয়ই সতোপ্রধান দুনিয়া থাকে
পরে পুরানো তমোপ্রধান দুনিয়া হয়। মানুষও নিশ্চয়ই তমোপ্রধান হবে। বৃক্ষটিও প্রথমে
সতোপ্রধান হয়। নতুন পাতাগুলি হয় খুব সুন্দর। এই বৃক্ষটি হলো অসীমের। অনেক ধর্ম আছে।
তোমাদের বুদ্ধি এখন অসীমের দিকে যাবে। তোমরাই ৮৪-টি ভিন্ন ভিন্ন জন্ম নিয়েছো। সেসবই
হল অবিনাশী। তোমরা জানো কল্প-কল্প ৮৪-র চক্র আমরা পরিক্রমা করি। ৮৪-র চক্রে আমরা আসি।
৮৪ লক্ষ জন্ম কোনো মনুষ্য আত্মার হয় না। বিভিন্ন পশু ইত্যাদি অনেক আছে। তাদের গণনা
কেউ করতে পারে না। মনুষ্য আত্মা ৮৪ জন্ম নিয়েছে। তাই এই পার্ট প্লে করে ক্লান্ত
হয়েছে। দুঃখী হয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে নামতে সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান হয়েছে।
বাবা আবার তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান করেন। বাবা বলেন - আমি তমোপ্রধান শরীরে
তমোপ্রধান দুনিয়ায় আসি। এখন সম্পূর্ণ দুনিয়া হল তমোপ্রধান। মানুষ তো বলে দেয় - সারা
বিশ্বে শান্তি কীভাবে হবে। তারা বোঝে না যে বিশ্বে কখন শান্তি ছিল। বাবা বলেন
তোমাদের ঘরে চিত্র তো রাখা আছে তাইনা। দেবতাদের রাজত্ব ছিল - তখন সারা বিশ্বে শান্তি
ছিল, যার নাম ছিল স্বর্গ। নতুন দুনিয়াকেই হেভেন গোল্ডেন এজ বলা হয়। এখন এই পুরানো
দুনিয়া পরিবর্তন করতে হবে। স্বর্গ রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। বিশ্বে রাজ্য তো দেবতাদেরই
ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের মন্দিরে অনেক মানুষ যায়। এই কথা কারো বুদ্ধিতে নেই যে
লক্ষ্মী-নারায়ণ ভারতের মালিক ছিলেন - এনাদের রাজ্যে অবশ্যই সুখ-শান্তি ছিল। ৫ হাজার
বছরের কথা - যখন এনাদের রাজত্ব ছিল। অর্ধকল্প পরে পুরানো দুনিয়া বলা হয় তাই
ব্যবসায়ীরা হিসেবের খাতায় স্বস্তিকা এঁকে রাখে। এরও কিছু অর্থ আছে তাইনা। তারা তো
গণেশ বলে দেয়। গণেশকে বিঘ্ন বিনাশক দেবতা ভাবে। স্বস্তিকায় সমান রূপে ৪-টি ভাগ থাকে।
এই সব হল ভক্তিমার্গ। এখন দীপাবলী উৎসব পালন করা হয়, বাস্তবে প্রকৃত সত্য দীপাবলী
হলই স্মরণের যাত্রা যার দ্বারা আত্মার জ্যোতি ২১ জন্মের জন্যে জাগ্রত হয়ে যায়। অনেক
জমা হয়। বাচ্চারা, তোমাদের অনেক খুশীর অনুভব হওয়া উচিত। এখন তোমাদের নতুন খাতা শুরু
হচ্ছে - নতুন দুনিয়ার জন্যে। ২১ জন্মের জন্যে খাতা এখন জমা করতে হবে। এখন বাবা
বাচ্চাদের বোঝান, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে শুনছো। নিজেকে আত্মা ভেবে শুনলে খুশীর
অনুভূতি হতে থাকবে।বাবা আমাদের পড়ান। ভগবানুবাচও বলা হয়। ভগবান তো হলেন এক। নিশ্চয়ই
ভগবান এসে শরীর ধারণ করবেন, তখন ভগবানুবাচ বলা হয়। এই কথা কেউ জানেনা তাই নেতি-নেতি
বলে দিয়েছে। যদিও বলে উনি হলেন পরমপিতা পরমাত্মা। তারপরে বলে দেয় - আমরা জানিনা।
তারা বলে শিববাবা, ব্রহ্মাকেও বাবা বলে। বিষ্ণুকে বাবা বলে না। প্রজাপিতা অর্থাৎ উনি
বাবা হলেন তাইনা। তোমরা হলে বি.কে., প্রজাপিতা নাম না দিলে বুঝবে না। অনেক বি.কে.
আছে তাই প্রজাপিতা অবশ্যই থাকবে তাই প্রজাপিতা শব্দটি নিশ্চয়ই লিখবে। তখন বুঝবে
প্রজাপিতা তো হলেন আমাদের পিতা। নতুন সৃষ্টি অবশ্যই প্রজাপিতা রচনা করবেন। আমরা
আত্মারা হলাম ভাই-ভাই পরে শরীর ধারণ করে হয়ে যাই ভাই-বোন। শিববাবার সন্তান তো
অবিনাশী পরে সাকারে বোন-ভাই প্রয়োজন হয়। অতএব নাম হল প্রজাপিতা ব্রহ্মা। কিন্তু
ব্রহ্মাকে আমরা কেউ স্মরণ করি না। লৌকিক ও পারলৌকিককে স্মরণ করে। প্রজাপিতা
ব্রহ্মাকে কেউ স্মরণ করে না। দুঃখে শিববাবাকে স্মরণ করে, ব্রহ্মাকে নয়। বলবে হে
ভগবান। হে ব্রহ্মা বলবে না। সুখে তো কাউকে স্মরণ করে না। স্বর্গে তো সুখ ই থাকে। এই
কথাও কেউ জানেনা। তোমরা জানো এই সময় হল তিনজন পিতা। ভক্তিমার্গে লৌকিক ও পারলৌকিক
পিতাকে স্মরণ করে। সত্যযুগে শুধুমাত্র লৌকিক পিতাকে স্মরণ করে। সঙ্গমে তিনজনকে
স্মরণ করে। লৌকিকও আছে কিন্তু জানে ওই হল দৈহিক জগতের পিতা। তার কাছে দৈহিক জগতের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। এখন আমরা অসীম জগতের পিতাকে পেয়েছি যাঁর কাছে অসীমের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। এই কথাটি বুঝতে হবে। এখন অসীম জগতের পিতা এসেছেন ব্রহ্মার
দেহে - বাচ্চাদের অর্থাৎ আমাদের অসীমের সুখ প্রদান করতে। তাঁর আপন হয়ে আমরা অসীমের
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। এই উত্তরাধিকার যেন দাদুর কাছে প্রাপ্ত হয় - ব্রহ্মা
দ্বারা, তিনি বলেন তোমাদেরকে উত্তরাধিকার আমি প্রদান করি। আমিই পড়াই। জ্ঞান আমার
কাছে আছে। যদিও না মানুষের জ্ঞান আছে, না দেবতাদের জ্ঞান আছে। জ্ঞান আছে আমার কাছে।
বাচ্চারা, যা আমি তোমাদেরকে প্রদান করি। এই হল আত্মিক জ্ঞান।
তোমরা জানো আত্মিক পিতা দ্বারা আমাদের এই পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়। এমন করে বিচার
সাগর মন্থন করা উচিত। গানও আছে মনের জিতই হল জিত, মনের হার ই হল হার ....বাস্তবে বলা
উচিত - মায়াকে জয় করা কারণ মনকে জয় করা যায় না। মানুষ বলে মনে শান্তি হবে কীভাবে ?
বাবা বলেন আত্মা কী করে বলবে মনে শান্তি হবে কীভাবে। আত্মা তো হল-ই শান্তিধাম নিবাসী।
আত্মা যখন শরীরে আসে তখনই কাজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বাবা বলেন তোমরা এখন নিজ
স্বধর্মে স্থিত হও, নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। আত্মার স্বধর্ম হল শান্ত হয়ে থাকা। আর
কোথায় শান্তি খুঁজে পাবে। এই বিষয়ে রানীর গলার হারের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয়।
সন্ন্যাসীরা দৃষ্টান্ত দেন এবং পরে নিজেরা জঙ্গলে গিয়ে শান্তির খোঁজ করেন। বাবা
বলেন তোমরা আত্মা, তোমাদের ধর্মই হলো শান্তি। শান্তিধাম তোমাদের নিবাস, যেখান থেকে
তোমরা পার্ট প্লে করতে আসো। শরীর দ্বারা তোমাদের কর্ম করতে হয়। শরীর থেকে পৃথক হলেই
চারিপাশে নিস্তব্ধতা ছড়িয়ে পড়ে। আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে এই নিয়ে
চিন্তা করা উচিত নয়। ফিরে তো আসবে না। কিন্তু মোহ কষ্ট দেয়। স্বর্গে তোমাদের মোহ
কষ্ট দেবে না। সেখানে ৫টি বিকার নেই। রাবণরাজ্যও নেই। স্বর্গ হলো রাম রাজ্য। সর্বদা
রাবণ রাজ্য থাকলে মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কখনও সুখ দেখতে পায় না। এখন তোমরা ঈশ্বরে
বিশ্বাসী হয়েছো এবং ত্রিকালদর্শীও হয়েছো। মানুষ পিতাকে জানে না তাই নাস্তিক বা
ঈশ্বরে অবিশ্বাসী বলা হয়।
এখন তোমরা বাচ্চারা জানো এই শাস্ত্র ইত্যাদি যা কিছু পাস্ট হয়েছে, সেসবই হলো
ভক্তিমার্গ। এখন তোমরা রয়েছো জ্ঞান মার্গে। বাচ্চারা, বাবা তোমাদের কত ভালোবেসে নয়নে
বসিয়ে নিয়ে যান। সবাইকে গলার হার বানিয়ে নিয়ে যাই। সবাই তো প্রার্থনা করে। যারা কাম
চিতায় বসে কালো হয়ে যায় তাদের জ্ঞান চিতায় বসিয়ে, হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে
যাই। এখন তোমাদের কাজ হলো পড়াশোনা করা, অন্য কথায় মন দেওয়ার দরকার নেই। কীভাবে মরবো,
কি হবে....এইসব কথায় মন দেবে কেন। এই সময়টি হলো বিনাশের সময়, সব হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে
ফিরে যাবো। এই অসীমের ড্রামার রহস্য বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে, আর কারো
বুদ্ধিতে নেই। বাচ্চারা জানে আমরা বাবার কাছে কল্প-কল্প আসি, অসীম জগতের
উত্তরাধিকার নিতে। আমরা হলাম জীব আত্মা। বাবাও দেহে এসে প্রবেশ করেছেন। বাবা বলেন
আমি সাধারণ দেহে আসি, এনাকেও এই কথা বোঝাই যে তুমি নিজের জন্মের কাহিনী জানো না।
অন্য কেউ এমন বলতে পারে না যে বাচ্চারা, দেহী অভিমানী হও, বাবাকে স্মরণ করো। আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের
স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন
নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
স্মরণের যাত্রায় থেকে প্রতিদিন প্রকৃত সত্য দীপাবলী উৎসব পালন করতে হবে। নিজের নতুন
খাতায় ২১ জন্মের জন্যে জমা করতে হবে।
২ ) ড্রামার রহস্য
বুদ্ধিতে রেখে পড়াশোনা ব্যতীত অন্য কোনো কথায় মন দেবে না। সব রকমের হিসেব-নিকেশ
মেটাতে হবে।
বরদান:-
ভালোবাসার অগ্নি দ্বারা একটি প্রদীপের আলো দিয়ে অনেক গুলি প্রদীপ আলোকিত করতে সক্ষম
প্রকৃত সত্য সেবাধারী ভব
যেমন দীপাবলীতে একটি
প্রদীপের আলো দিয়ে অনেকগুলি প্রদীপ জ্বালানো হয়, দীপমালা উৎসব পালন করা হয়।
প্রদীপের বাতিতে আগুন থাকে, ঠিক তেমনই তোমরা হলে প্রদীপ তোমাদের মধ্যে ভালোবাসার
আগুন আছে। যদি এক একটি প্রদীপের এক একটির সাথে ভালোবাসা থাকে, তাহলে সেটাই হলো
প্রকৃত রূপে দীপমালা উৎসব। তাই দেখতে হবে যে আমরা প্রদীপ, আমরা ভালোবাসার আগুন
জ্বালিয়ে অগ্নিস্বরূপ হয়ে, নিজেদের আলোক দ্বারা অজ্ঞান অন্ধকার মেটাতে সক্ষম
প্রকৃত সত্য সেবাধারী।
স্লোগান:-
এক বল,
এক ভরসা - এই পাঠটি সর্বদা দৃঢ় রাখলে ঘূর্ণিস্রোতের মধ্যস্থল থেকেও বেরিয়ে আসবে।