14.11.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
কোন্
পুরুষার্থ সর্বকালের জন্য পূজনীয় করে তোলে ?
উত্তরঃ -
আত্মার জ্যোতি জাগ্রত করার বা তমোপ্রধান আত্মাকে সতোপ্রধান করার পুরুষার্থ করলে
সর্বকালের পূজন যোগ্য হয়ে যাবে। যারা এখন গাফিলতি করে তারা খুব কাঁদবে। যদি
পুরুষার্থ করে পাশ না করো, ধর্মরাজের থেকে শাস্তি প্রাপ্ত করবে। শাস্তি প্রাপ্ত হলে
পূজিত হবে না। সাজা প্রাপ্ত হলে মাথা উঁচু করতে পারবে না ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মা রূপী
বাচ্চাদের প্রতি আত্মাদের পিতা বোঝাচ্ছেন। সর্বপ্রথমে তো বাচ্চাদের বোঝান যে নিজেকে
আত্মা নিশ্চয় (সুনিশ্চিত) করো। প্রথমে আত্মা, পরে শরীর। প্রদর্শনীতেই হোক বা
মিউজিয়ামে, ক্লাসে সবার আগে সাবধান করে দিতে হয় নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ
করো। বাচ্চারা যখন বসে, সকলে দেহী-অভিমানী হয়ে বসে না। এখানে বসেও কোথায় কোথায়
চিন্তা যায়। সৎসঙ্গে কোনো সাধু প্রমুখ না আসা পর্যন্ত বসে বসে কি করে ? কোনো না কোনো
খেয়ালে বসে থাকে। আবার সাধু এলে তখন কথা ইত্যাদি শুনতে থাকে। বাবা বুঝিয়েছেন- এই
সব হলো ভক্তি মার্গে শোনা আর শোনানো। বাবা বোঝান এই সব হলো- আর্টিফিশিয়াল (নকল)।
এতে কিছুই নেই। দীপমালাও আর্টিফিশিয়াল পালন করে। বাবা বুঝিয়েছেন- জ্ঞানের তৃতীয়
নেত্র উন্মীলিত হলে প্রতিটি গৃহ আলোকোজ্জ্বল হবে। এখন তো প্রতিটি গৃহ অন্ধকার। এই
সব হলো বাইরের প্রকাশ। তোমরা নিজেদের জ্যোতি জাগৃত করার জন্য একদম শান্ত হয়ে বসো।
বাচ্চারা জানে যে, স্বধর্মে থাকলে পাপ খন্ডন হয়ে যায়। জন্ম-জন্মান্তরের পাপ এই
স্মরণের যাত্রাতেই খন্ডিত হয়। আত্মার জ্যোতি যে নিষ্প্রভ হয়ে গেছে। শক্তির সমস্ত
পেট্রল শেষ হয়ে গেছে, সেটা আবার পূর্ণ হয়ে যাবে, কারণ আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে। কতো
রাত-দিনের পার্থক্য। এখন লক্ষ্মীর কতো পূজা হয়। কোনো বাচ্চা জিজ্ঞাসা করে লক্ষ্মী
বড় না সরস্বতী মা বড়। লক্ষ্মী তো একই হয়- শ্রী নারায়ণের। যদি মহালক্ষ্মীকে পূজা
করা হয় তো ওনার ৪ হাত দেখানো হয়। ওতে দুই জনই এসে যায়। বাস্তবে ওটাকে
লক্ষ্মী-নারায়ণের পূজা বলা যায়। চতুর্ভুজ যে, দুই জন একত্রে। কিন্তু মানুষের কিছুই
বোধ নেই। অসীম জগতের বাবা বলেন, সকলেই অবুঝ হয়ে পড়ে আছে। লৌকিক পিতা কখনো সমগ্র
দুনিয়ার বাচ্চাকে কি আর অবুঝ বলবে ! বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো, বিশ্বের পিতা কে।
তিনি নিজে বলেন, আমি হলাম সকল আত্মার পিতা। তোমরা সকলে হলে আমার বাচ্চা। সাধুরা তো
বলে দেবে যে সব হলো ভগবান আর ভগবান। তোমরা জানো যে অসীম জগতের পিতা আমাদের অর্থাৎ
আত্মাদের অসীম জগতের জ্ঞান বোঝাচ্ছেন। মানুষের তো দেহ- অভিমান থাকে - আমি হলাম অমুক...।
শরীরের উপর যে নাম নির্ধারিত হয়েছে, তার উপর চলতে থেকেছে। এখন শিববাবা তো হলেন
নিরাকার, সুপ্রিম সোল। সেই আত্মার নাম হলো শিব। সেই আত্মার একটাই নাম হলো শিববাবার।
ব্যাস্, তিনি হলেন পরমাত্মা, ওনার নাম হলো শিব। এছাড়া যে অনেক অনেক আত্মারা আছে
তাদের সকলের শরীরের নাম নির্ধারিত হয়। শিববাবা এখানে থাকেন না, তিনি তো পরমধাম থেকে
আসেন। শিব অবতরণও হয়। এখন বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন- সকল আত্মারা এখানে আসে ভূমিকা
পালন করতে। বাবারও ভূমিকা আছে। বাবা তো এখানে অনেক বড় কাজ করেন। অবতার মানলে তো
তাঁর হলি-ডে আর স্ট্যাম্প ইত্যাদি হওয়া উচিত। সব দেশে হলিডে হওয়া উচিত, কারণ বাবা
তো হলেন সকলের সদ্গতি দাতা। ওঁনার জন্মদিন আর চলে যাওয়ার দিন, ডেট ইত্যাদিও জানতে
পারা যায় না। কারণ তিনি তো হলেন সব কিছুর থেকেই সম্পূর্ণ পৃথক । সেইজন্য শুধু
শিবরাত্রি বলে দেওয়া হয়। তোমরা বাচ্চারা এটাও জানো অর্ধ-কল্প হলো অসীম জগতের দিন,
অর্ধ- কল্প হলো অসীম জগতের রাত। রাত সম্পূর্ণ হয়ে তারপর দিন হয়। ওর মধ্যবর্তী সময়ে
বাবা আসেন। এটা তো হলো অ্যাকুরেট টাইম। মানুষ জন্মালে যেমন মিনিউসিপ্যালিটিতে নোট
করায়, আবার ৬ দিন পরে তার নাম রাখে, ওকে বলে- নামকরণ। কেউ ষষ্ঠী বলে। ভাষা তো অনেক
আছে। লক্ষ্মীর পূজা করে- আতসবাজি পোড়ায়। তোমরা জিজ্ঞাসা করতে পারো যে, এই যে
আপনারা লক্ষ্মী-নারায়ণের উৎসব পালন করেন, এরা কবে সিংহাসনে বসেছিলেন ? সিংহাসনে
বসারই তো করোনেশন (অভিষেক) পালন করে, ওদের জন্ম দিবস পালন করে না। লক্ষ্মীর ছবি
থালাতে রেখে তার থেকে কেবল ধন চায়। ব্যাস্ আর কিছু না। মন্দিরে গিয়ে যদিও বা কিছু
চায়, কিন্তু দীপমালার দিন তো ওরা শুধু পয়সা চায়। পয়সা কি আর দেয় ! এটা হলো
যেমন-যেমন ভাবনা... যদি কেউ সত্যিকারের ভাবনা নিয়ে পূজা করে তো অল্প সময়ের জন্য ধন
প্রাপ্ত হতে পারে। এটা হলো অল্প সময়ের সুখ। কোথাও তো স্থায়ী সুখও হয়, তাই না !
স্বর্গের ব্যাপারে তো ওদের জানাই নেই। এখানে স্বর্গের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারে না।
তোমরা জানো যে অর্ধ-কল্প হলো জ্ঞান, অর্ধ- কল্প হলো ভক্তি। তারপর হয় বৈরাগ্য। বোঝানো
হয়ে থাকে- এটা হলো পুরানো ঘৃণ্য দুনিয়া, এই জন্য আবার নূতন দুনিয়া অবশ্যই চাই। নূতন
দুনিয়া বৈকুন্ঠকে বলে, বৈকুন্ঠকে হেভেন, প্যারাডাইস বলা হয়ে থাকে। এই ড্রামার
পার্টধারীও হলো অবিনাশী। বাচ্চারা, তোমাদের জ্ঞাত হয়েছে আমরা আত্মারা কীভাবে ভূমিকা
পালন করি। বাবা বুঝিয়েছেন- কাউকে প্রদর্শনী দেখাতে গেলে সর্বপ্রথম এইম্ অবজেক্ট
বোঝাতে হবে। সেকেন্ডে জীবন-মুক্তি কীভাবে প্রাপ্ত হয়, জন্ম- মরণে তো অবশ্যই আসতেই
হবে। তোমরা সিঁড়ির উপরে খুব ভালো ভাবে বোঝাতে পারো। রাবণ রাজ্যেই ভক্তি শুরু হয়।
সত্যযুগে ভক্তির নাম - চিহ্নও থাকে না। জ্ঞান আর ভক্তি দুই পৃথক যে না! এখন তোমাদের
এই পুরানো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য আছে। তোমরা জানো যে এই পুরানো দুনিয়া এখন শেষ হতে
চলেছে। বাবা সবসময় বাচ্চাদের জন্য সুখদায়ীই হন। বাচ্চাদের জন্যই বাবার কতো মাথা
ব্যথা। বাচ্চার জন্যই গুরুদের কাছে যায়, সাধুদের কাছে যায়। যে করেই হোক বাচ্চা
হোক, কারণ মনে করে বাচ্চা হলে তাদের সম্পত্তি তাকে দিয়ে যাবে। বাচ্চা হলে তাদের আমরা
উত্তরাধিকারী করবো। তাই বাবা কি আর কখনো বাচ্চাদের দুঃখ দিতে পারেন ! ইম্পসিবল্।
তোমরা মাতা-পিতা বলে কতো কাঁদতে থাকো। তাই বাচ্চাদের আত্মিক পিতা সবাইকে সুখের
রাস্তাই বলেন। সুখ প্রদান করতে সক্ষম হলেন একমাত্র বাবা। দুঃখ হরণকারী আর সুখ
প্রদানকারী হলেন এক আত্মিক পিতা। এই বিনাশও হলো সুখের জন্যই। সেটা না হলে
মুক্তি-জীবনমুক্তি কীভাবে প্রাপ্ত হবে ? কিন্তু এটাও কি আর কেউ বুঝতে পারে! এখানে
তো সব হলো গরীব, অবলারা নিজেদেরকে আত্মা রূপে সুনিশ্চিত করতে পারে। এছাড়া বড়
লোকেদের দেহ-অভিমান এতো বেশী রকম হয়ে গেছে যে বলার নয়। বাবা বারংবার বোঝান- তোমরা
হলে রাজ ঋষি। ঋষি সবসময় তপস্যা করে। তারা তো ব্রহ্মকে, তত্ত্বকে স্মরণ করে বা কোনো
কালী ইত্যাদি দেবীকেও স্মরণ করে থাকে। অনেক সন্ন্যাসীও আছে যারা কালীকে পূজা করে।
মা কালী বলে ডাকতে থাকে। বাবা বলেন- এই সময় সবাই হলো বিকারী। কাম চিতার উপর বসে সব
কালো হয়ে গেছে। মা, বাপ, বাচ্চারা সবাই হলো কালো। এ হল অসীম জগতের ব্যাপার। সত্যযুগে
কালো বা কুৎসিত হয় না, সবাই সুন্দর। তারপর ধীরে ধীরে শ্যামলা বা কুৎসিত হযতে থাকে
। এসব বাচ্চারা, তোমাদেরকে বাবা বুঝিয়েছেন। অল্প-অল্প পতিত হতে-হতে শেষে একদমই কালো
বা কুৎসিত হয়ে যায়। বাবা বলেন রাবণ কাম চিতার উপর তুলে একদমই কালো করে দিয়েছে। এখন
আবার তোমাদের জ্ঞান চিতার উপর তুলছি। আত্মাকেই পবিত্র হতে হয়। এখন পতিত-পাবন বাবা
এসে পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন। কিন্তু তোমারা কাউকে বোঝালে কোটির মধ্যে কেউই
সাকুল্যে বুঝতে পেরে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে। এখন তোমরা বাবার থেকে নিজেদের
উত্তরাধিকার নিতে এসেছো- ২১ জন্মের জন্য। তোমরা আরো এগোলে অনেক সাক্ষাৎকার করবে।
তোমরা যা কিছু পড়ছ সে সবের অর্থও বুঝতে পারবে। যারা এখন গাফিলতি বা অবহেলা করছে পরে
খুব কাঁদবে। শাস্তিও তো অনেক হয়, তাই না! আবার পদও ভ্রষ্ট হয়ে যায় । মাথা উঁচু করতে
পারবে না, সেইজন্য বাবা বলেন- মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, পুরুষার্থ করে পাশ করে যাও,
যাতে কোনো শাস্তিই না পেতে হয়, তবে পূজন যোগ্যও হবে। শাস্তি পেলে তবে পূজা করা যাবে
কি আর ! বাচ্চারা, তোমাদের অনেক পুরুষার্থ করা উচিত। নিজের আত্মার জ্যোতি জাগৃত করতে
হবে। এখন আত্মা তমোপ্রধান হয়ে আছে, তাকেই সতোপ্রধান করতে হবে। আত্মা হলোই বিন্দু।
ধ্রুবতারা একটাই । তার আর কোনো নাম রাখতে পারা যায় না। বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে
তাদের সাক্ষাৎকার হয়েছে। স্বামী বিবেকানন্দ আর পরমহংসের বিষয়েও বলা হয়। বিবেকানন্দ
দেখলেন পরমহংসের থেকে একটা লাইট বেরিয়ে গেল ! মানে তো আত্মাই বেরিয়েছে। তিনি মনে
করেছিলেন সে আমার মধ্যে বিলীন হয়ে গেছেন । এখন আত্মা আর কোথাও এসে কি বিলীন হতে পারে
আর ! সে তো গিয়ে অন্য শরীর ধারণ করে। শেষের দিকে তোমরা অনেক দেখবে। নাম আর রূপের
থেকে পৃথক কোনো বস্তু হয় না। আকাশে রয়েছে ধ্রবতারা, তারও তো নাম আছে। এখন এটা তো
বাচ্চারা বুঝতে পারে, প্রতি কল্পে যা স্থাপনা হয়ে এসেছে প্রতি কল্পে সেটাই হতে হবে।
আমরা ব্রাহ্মণরা নম্বর অনুক্রমে পুরুষার্থ করে চলেছি । যে যে সেকেন্ড চলে যাচ্ছে
তাকে ড্রামাই বলা যায়। সমগ্র দুনিয়ার চক্র আবর্তিত হচ্ছে। এটা হল ৫ হাজার বছরের
চক্র, উকুনের মতো (ধীরে) আবর্তিত হতেই থাকে। টিক্-টিক্ করতে থাকে, এখন তোমাদের, মানে
এই মিষ্টি বাচ্চাদের শুধু বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। চলতে ফিরতে, কাজ করতে করতে বাবাকে
স্মরণ করার মধ্যেই কল্যাণ আছে। আবার মায়া চড় মেরে দেবে। তোমরা হলে ব্রাহ্মণ,
ভ্রমরের মতো কীটকে নিজের সমান ব্রাহ্মণ করে তুলতে হবে। সেটা তো ভ্রমরের এক
দৃষ্টান্ত হলো। তোমরা হলে সত্যিকারের ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণকেই আবার দেবতা হতে হবে,
সেইজন্য তোমাদের এটা হলো পুরুষোত্তম হয়ে ওঠার জন্য সঙ্গমযুগ। এখানে তোমরা এসেই থাকো
পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য। প্রথমে অবশ্যই ব্রাহ্মণ হতে হবে। ব্রাহ্মণ হল টিকি যে না!
তোমরা ব্রাহ্মণদের বোঝাতে পারো। বলো, তোমাদের এই ব্রাহ্মণদের তো কুল আছে,
ব্রাহ্মণদের রাজধানী নেই। তোমাদের এই কুল কে স্থাপন করেছেন ? তোমাদের বড় কে? তারপর
তোমরা যখন বোঝাবে তো খুব খুশী হবে। ব্রাহ্মণকে সম্মান করে কারণ তারা শাস্ত্র ইত্যাদি
শোনায়। পূর্বে রাখি বাঁধার জন্যও যেতো। আজকাল তো ছোটো মেয়েরা যায়। তোমাদের তো
তাদের রাখি বাঁধতে হবে যারা পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করবে। প্রতিজ্ঞা অবশ্যই করতে হবে।
ভারতকে আবার পবিত্র করার জন্য আমি এই প্রতিজ্ঞা করছি। তোমরাও পবিত্র হও,
অন্যান্যদেরও পবিত্র করে তোলো। আর কারোর জোর নেই যে এইরকম বলতে পারবে। তোমরা জানো
যে এই শেষের জন্ম পবিত্র হওয়ার জন্য, পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়। তোমাদের ধান্ধাই হলো
এটা। এইরকম মানুষ কেউ হয় না। তোমাদের গিয়ে এই প্রতিজ্ঞা করাতে হবে। বাবা বলেন কাম
হলো মহাশত্রু, এর উপর বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে। এর উপর বিজয়ী হলেই তোমরা জগতজিত হবে।
এই লক্ষ্মী-নারায়ণ অবশ্যই আগের জন্মে পুরুষার্থ করেছিলো, তাই তো এইরকম হয়েছে। এখন
তোমরা বলতে পারো- কোন্ কর্মের ফলে এদের এই পদ প্রাপ্ত হয়েছে, এতে হতাশ হওয়ার মতো
তো কোনো কথাই নেই। তোমাদের এই দীপমালা ইত্যাদির খুশী নেই। তোমাদের তো খুশী আছে- আমরা
বাবার হয়েছি, ওঁনার থেকে আমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। ভক্তি মার্গে মানুষ কতো খরচা
করে। কতো লোকসানও হয়ে যায়। আগুণ লেগে যায়। কিন্তু বোঝে না। তোমরা জানো যে এখন আমরা
আবার নিজেদের নূতন গৃহে ফিরে যেতে উদ্যোগী। চক্র আবার হুবহু রিপিট(পুনরাবৃত্তি) হবে
! এ হলো অসীম জগতের ফিল্ম। অসীম জগতের স্লাইড। অসীম জগতের বাবার হয়েছো তো অন্তর থেকে
খুশী হওয়া উচিত। আমরা বাবার থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত করবো। বাবা
বলেন পুরুষার্থের দ্বারা যা চাই তাই নিয়ে নাও। পুরুষার্থ তোমাদের অবশ্যই করতে হবে।
পুরুষার্থের দ্বারাই তোমরা উচ্চ মানের হতে পারো। এই বুড়ো বাবা (ব্রহ্মা বাবা) এতো
উচ্চ হতে পারেন তো তোমরা কেন হতে পারো না। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
বাবা যেমন বাচ্চাদের প্রতি সদা সুখদায়ী, সেইরকম সুখদায়ী হতে হবে। সবাইকে মুক্তি -
জীবনমুক্তির রাস্তা বলে দিতে হবে।
২ ) দেহী - অভিমানী
হয়ে ওঠার তপস্যা করতে হবে। এই পুরানো ছিঃ ছিঃ(ঘৃণ্য) দুনিয়ার থেকে অসীম জগতের
বৈরাগী হতে হবে।
বরদান:-
দিব্য
গুণ সমূহের আহ্বানের দ্বারা সমস্ত অবগুণের আহুতি দিয়ে সন্তুষ্ট আত্মা ভব
দীপাবলিতে যেমন বিশেষ
ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা আর উপার্জনের বিষয়ে খেয়াল রাখে, সেইরকম তোমরাও সব
রকমের পরিচ্ছন্নতা আর উপার্জনের লক্ষ্য রেখে সন্তুষ্ট আত্মা হও। সন্তুষ্টতা দ্বারাই
সর্ব দিব্য গুণের আহ্বান করতে পারবে। তাতে অবগুণের আহূতি স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে যাবে।
ভিতরে যে দুর্বলতা, ঘাটতি, নির্বলতা, কোমলতা আছে, সেই সব কিছুকে সমাপ্ত করে এখন
নূতন খাতা শুরু করো আর নূতন সংস্কার গুলির নূতন বস্ত্র ধারণ করে সত্যিকারের দীপাবলি
পালন করো।
স্লোগান:-
স্বমানের সিটে সর্বদা সেট থাকতে হলে দৃঢ় সংকল্পের বেল্ট খুব ভালো ভাবে বেঁধে নাও।