05-12-2020 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


05-12-2020 প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

*প্রশ্নঃ -

ওয়ান্ডারফুল বাবা তোমাদের একটি কোন্ ওয়ান্ডারফুল রহস্য শুনিয়েছেন ?

*উত্তরঃ -

বাবা বলেন - এই অনন্ত অবিনাশী ড্রামা আগে থেকেই তৈরী অর্থাৎ পূর্ব নির্ধারিত, এতে প্রত্যেকেরই পার্ট স্থির হয়ে আছে। যাই হোক্ না কেন- নাথিং নিউ (নূতন কিছুই নয়) । বাবা বলেন, হে বাচ্চারা এতে আমারও কোনো মহত্ব নেই, আমিও ড্রামার বন্ধনে বাঁধা আছি। এই ওয়ান্ডারফুল গুপ্ত রহস্য শুনিয়ে বাবা যেন নিজের পার্টের প্রাধান্য কমিয়ে দিয়েছেন।

*গীতঃ-

অবশেষে সেই দিন এল আজ

(আখির ওহ্ দিন আয়া আজ...)

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চারা এই গান গাইছে। বাচ্চারা বোঝে যে কল্পের শেষে আবার আমাদের ধনবান, হেল্দী আর ওয়েল্দী করতে, পবিত্রতা, সুখ, শান্তির উত্তরাধিকার দিতে বাবা আসেন। ব্রাহ্মণরা ও (জাগতিক) যেমন আশীর্বাদ দেয়- আয়ুষ্মান ভব, ধনবান ভব, পুত্রবান ভব। বাচ্চারা, তোমাদের তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হচ্ছে, আশীর্বাদের কোনো ব্যাপার নেই। বাচ্চারা পড়াশুনা করছে। বাচ্চারা জানে যে ৫ হাজার বছর পূর্বেও বাবা এসে আমাদের মানুষ থেকে দেবতা, নর থেকে নারায়ণ হয়ে ওঠার শিক্ষা দিয়েছিলেন। বাচ্চারা যারা অধ্যয়ণ করে, তারা জানে যে আমরা কি অধ্যয়ণ করছি। কে অধ্যয়ণ করাচ্ছেন ? তাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে জানে। এটা তো বলবেই যে আমরা বাচ্চারা জানি যে - এই রাজধানী স্থাপন হচ্ছে বা ডিটি কিংডম (দৈবী রাজত্ব) স্থাপন হচ্ছে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। প্রথমে শূদ্র ছিলে তারপর ব্রাহ্মণ হলে এরপর দেবতা হতে হবে। দুনিয়াতে কারোর এটা জানা নেই যে এখন আমরা হলাম শূদ্র বর্ণের। বাচ্চারা, তোমরা মনে করো এটা তো হলো সত্যি কথা। বাবা সত্য বলে, সত্য-ভূমির স্থাপনা করছেন। সত্যযুগে মিথ্যা, পাপ ইত্যাদি কিছুই হয় না। কলিযুগেই অজামিল, পাপ আত্মারা হয়। এই সময় হলো একদম রৌরব নরকের (চরম পর্যায়) । দিন দিন রৌরব নরক দেখা যাচ্ছে। মানুষ এমন সব কর্ম করতে থাকবে, যার থেকে বোঝা যাবে একদমই তমোপ্রধান দুনিয়া হতে চলেছে। এতেও কাম হলো মহাশত্রু। কারোর পক্ষে পবিত্র শুদ্ধ থাকতে পারা মুশকিল। পূর্বে ফকিররা বলতো- এমন কলিযুগ আসবে যে ১২-- ১৩ বছরের কুমারীরা বাচ্চার জন্ম দেবে। এখন হলো সেই সময়। কুমার-কুমারী ইত্যাদি সব নোংরা কর্ম করতে থাকে। যখন একদমই তমোপ্রধান হয়ে যায় তখন বাবা বলেন আমি আসি, ড্রামাতে আমারও পার্ট আছে। আমিও ড্রামার বন্ধনে বাঁধা হয়ে আছি। বাচ্চারা, তোমাদের জন্য কোনো নূতন কথা নয়। বাবা বোঝানই এইরকম ভাবে। তোমরা চক্র পরিক্রমা করলে, তখন নাটক সম্পূর্ণ হয় । এখন বাবাকে স্মরণ করলে তবে তোমরা সতোপ্রধান হয়ে, সতোপ্রধান দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। কতো সাধারণ পদ্ধতিতে বাবা বোঝান। বাবা কখনো নিজের পার্টকে এতো মহত্ব দেন না। এটা তো হলো আমার পার্ট, কোনো নূতন ব্যাপার নয় । প্রতি ৫ হাজার বছর পরে আমাকে আসতে হয়। আমি ড্রামার বন্ধনে আবদ্ধ। এসে বাচ্চারা তোমাদের খুবই সহজ স্মরণের যাত্রা বলে দিই। অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনিই গতি হয়--- সেইটা এই সময়ের জন্যই বলা হয়েছিলো। এটা অন্তিম কাল যে না। বাবা যুক্তি বলে দেন - শুধুমাত্র আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করলে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। বাচ্চারাও বুঝতে পারে আমরা নূতন দুনিয়ার মালিক হবো। বাবা ক্ষণে - ক্ষণে বলেন নাথিং নিউ অর্থাৎ নূতন কিছুই নয় । একটা জিনের গল্প আছে না- সে বলে কাজ দাও, তো বলে সিঁড়ি দিয়ে নামো আর ওঠো। বাবাও বলেন এই খেলাও নেমে যাওয়ার আর ওঠার। পতিত থেকে পবিত্র আর পবিত্র থেকে পতিত হতে হবে। এটা কোনো ডিফিকাল্ট (কঠিন) ব্যাপার নয় । খুবই সহজ যুদ্ধ কোনটা- এটা না বুঝতে পারার কারণে শাস্ত্রে লড়াই এর কথা লিখে দিয়েছে। বাস্তবে মায়া রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করা তো হলো খুবই বড়ো লড়াই। বাচ্চারা দেখে যে আমরা প্রতি ক্ষণে বাবাকে স্মরণ করি, তবুও স্মরণের যোগ ছিন্ন হয়। মায়া দীপের শিখাকে নিভিয়ে দেয়। এর উপর গুলবকাবলীর গল্প আছে। বাচ্চারা বিজয় প্রাপ্ত করে। খুবই ভালো চলে আবার মায়া এসে দীপ নিভিয়ে দেয়। বাচ্চারাও বলে বাবা মায়ার ঝড় তো খুবই আসে। বাচ্চাদের কাছে ঝড়ও অনেক প্রকারের আসে। কখনো-কখনো তো এইরকম ঝড় খুব তীব্র ভাবে আসে যাতে ৮--১০ বছরের পুরনো ভালো ভালো বৃক্ষও পড়ে যায়। বাচ্চারা জানে, বর্ণনাও করে। ভালো-ভালো মালার দানাও ছিলো। আজ আর নেইই। এও হলো উদাহরণ, হাতীকে বৃহৎ আকারের কুমীরে খেলো। এই হলো মায়ার ঝড়।

বাবা বলেন এই পাঁচ বিকারের থেকে সামলে থাকো। স্মরণে থাকলে মজবুত হয়ে যাবে। দেহী-অভিমানী হয়ে ওঠো। বাবার এই শিক্ষা একবারই পাওয়া যায়। এইরকম কখনো আর কেউ বলবে না যে তোমরা আত্ম-অভিমানী হও। সত্যযুগেও এমনটা বলবে না। নাম, রূপ, দেশ, কাল সব স্মরণে রাখতেই হবে। বাচ্চারা, এই সময় তোমাদেরকে বাবা বোঝান - এখন গৃহে ফিরে যেতে হবে। তোমরা প্রথমে সতোপ্রধান ছিলে, সতো-রজো-তমোতে তোমরা সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম নিয়েছো। এতেও নম্বর ওয়ান হলেন ইনি, মানে ব্রহ্মা। আর কারোর ৮৩ জন্মও হতে পারে, ওঁনার জন্য হলো সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম। ইনি সর্বপ্রথমে শ্রী নারায়ণ ছিলেন। এঁনার জন্য বলা অর্থাৎ সকলের জন্যই উল্লেখ্য, অনেক জন্মের শেষ জন্মে জ্ঞান প্রাপ্ত করে আবার তিনি নারায়ণ হন। (কল্প) বৃক্ষে দেখানো হয়েছে না- এখানে শ্রী নারায়ণ আর শেষে ব্রহ্মা দাঁড়িয়ে আছেন। নীচে রাজযোগ শিখছে। প্রজাপিতাকে কখনো পরমপিতা বলা হবে না। পরমপিতা একজনকেই বলা হয়। এঁনাকে(ব্রহ্মাকে) আবার প্রজাপিতা বলা হয়। ইনি হলেন দেহধারী, তিনি হলেন বিদেহী, বিচিত্র। লৌকিক বাবাকে পিতা বলা হবে, এঁনাকে প্রজাপিতা বলা হবে। সেই পরমপিতা তো থাকেন পরমধামে। প্রজাপিতা ব্রহ্মা পরমধামে বলা যাবে না। তিনি তো এখানে সাকারী দুনিয়াতে । সূক্ষ্ম-দুনিয়াতেও নেই। প্রজা তো স্থূল-দুনিয়াতে থাকবে। প্রজাপিতাকে ভগবান বলা যায় না। ভগবানের কোনো শারীরিক নাম নেই। মনুষ্য শরীর যার উপর নাম নির্ধারিত হয়, তার থেকে তিনি স্বতন্ত্র। আত্মারা সেখানে থাকে তো স্থূল নাম-রূপ থেকে পৃথক থাকে। কিন্তু তারা তো আত্মাই। সাধু-সন্ত ইত্যাদি কিছুই জানে না। ওরা শুধুমাত্র ঘর-বাড়ী ত্যাগ করে। এছাড়া দুনিয়ার বিকার গুলির তো অনুভাবী তারা। ছোটো বাচ্চাদের কিছুই জানা থাকে না, সেইজন্য তাদের মহাত্মা বলা হয়। ৫ বিকারের ব্যাপারে তাদের জানা থাকে না। ছোটো বাচ্চাদের পবিত্র বলা হয়। এই সময় তো কেউ পবিত্র আত্মা হতে পারে না। ছোটো থেকে বড় হবে আবার তখন অপবিত্র বলা হবে। বাবা বোঝান, সকলের পৃথক-পৃথক পার্ট এই ড্রামাতে স্থির হয়ে আছে। এই চক্রে কতো শরীর ধারণ করে, কতো কর্ম করে, যার সব কিছু রিপিট হয়। সর্বপ্রথমে আত্মাকে চিনতে হবে। এত ছোটো আত্মাতে ৮৪ জন্মের অবিনাশী পার্ট ভরা আছে। এটাই হলো সবচেয়ে ওয়ান্ডারফুল (বিস্ময়কর ) ব্যাপার। আত্মাও হলো অবিনাশী। ড্রামাও হলো অবিনাশী, পূর্ব নির্ধারিত। এরকম বলা হয় না কবে থেকে শুরু হয়েছে। বলা হয় প্রাকৃতিক। আত্মা কি রকম, এই ড্রামা কীভাবে তৈরী হলো, এতে কেউই কিছুই করতে পারে না। সমুদ্র অথবা আকাশের যেমন অন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না, এই ড্রামা হলো অনন্ত। কতো (ওয়ান্ডার) বিস্ময় জাগে। বাবা যেমন ওয়ান্ডারফুল তেমন জ্ঞানও হলো খুবই ওয়ান্ডারফুল। কখনো কেউএই বিষয়ে বলতে পারে না। এতো সব অ্যাক্টর্স নিজের-নিজের পার্ট পালন করেই আসছে। নাটক কখন সৃষ্টি হলো, এই প্রশ্নকে তুলতে পারে না। অনেকে বলে ভগবানের কি এমন মনে হলো যে বসে দুঃখ-সুখের দুনিয়া তৈরী করলো। আরে এতো হলো অনাদি-- অনন্ত। প্রলয় ইত্যাদি হয় না । পূর্ব থেকেই রচিত। এইরকম কি আর বলা যায় যে এই রকম কেন বানানো হল ! আত্মার জ্ঞানও বাবা তখনই শোনান যখন তোমরা সুবুদ্ধিসম্পন্ন হও। যত দিন যাচ্ছে তোমরা উন্নতি প্রাপ্ত করছো। প্রথমদিকে তো বাবা খুব অল্প অল্প শোনাতেন। ওয়ান্ডারফুল ব্যাপার ছিলো তবুও আকর্ষণ তো ছিল। ওটাই আকৃষ্ট করতো। ভাট্টিরও আকর্ষণ ছিলো। শাস্ত্রতে আবার দেখিয়েছে কৃষ্ণকে কংসপুরী থেকে বের করে নিয়ে গেছে । এখন তোমরা জানো কংসপুরী ইত্যাদি তো সেখানে হয়ই না। গীতা ভাগবত, মহাভারত এই সবের কানেক্শন আছে, কিন্তু এতে তো কিছুই নেই। মনে করে এই দশহরা ইত্যাদি তো পরম্পরায় চলে আসছে। রাবণ কি জিনিস, এটাও কেউ জানে না। যে সব দেবী-দেবতারা ছিলো তারা সকলে নীচে নামতে নামতে পতিত হয়ে গেছে। যারা বেশী পতিত হয়ে গেছে তারাই ব্যাকুল হয়ে কাঁদতে থাকে, সেইজন্য ডাকতেও থাকে হে পতিত-পাবন। এই সব কথা বাবা বসে বোঝাতে থাকেন। সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তকে আর কেউ জানে না। জানার ফলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাও। ত্রিমূর্তিতে লিখে দেওয়া আছে-- এটা হলো তোমাদের ঈশ্বরীয় জন্মসিদ্ধ অধিকার। ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা, শঙ্কর দ্বারা বিনাশ, বিষ্ণু দ্বারা প্রতিপালন-- বিনাশও অবশ্যই হতে হবে। নূতন দুনিয়াতে খুব কমই আত্মা থাকে। এখন তো অনেক ধর্ম আছে। মনে করে এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মই নেই। অবশ্যই আবার সেই এক ধর্ম দরকার, মহাভারতও গীতার সাথে সম্বন্ধ রাখে। এই চক্র আবর্তিত হতেই থাকে। এক সেকেন্ডও বন্ধ হতে পারে না। কোনো নূতন কথা নয়। তোমরা অনেকবারই রাজত্ব পেয়েছে, যাদের পেট ভরা থাকে তারা পরিপক্ক এবং গম্ভীর থাকে। ভিতরে ভিতরে বুঝতে পারে আমরা কত বার রাজত্ব পেয়েছিলাম, এই তো কালকের ব্যাপার। কালকেই দেবী-দেবতা ছিলাম আবার চক্রে আবর্তিত হয়ে আজ আমরা পতিত হয়েছি, আবার আমরা যোগবলের দ্বারা বিশ্বের বাদশাহী গ্রহণ করি। বাবা বলেন প্রতি কল্পে তোমরাই বাদশাহী গ্রহণ করো। একটুও পার্থক্য নেই। রাজার পদে কারোর অনেক উঁচু, কারোর বা কিছু কম হয়। এটা পুরুষার্থের জন্যই হয়।

তোমরা জানো যে প্রথমে আমরা বাঁদরের থেকেও কুৎসিত ছিলাম। বাবা এখন মন্দিরের যোগ্য করে তুলেছেন। ভালো-ভালো বাচ্চা যারা তাদের আত্মা রিয়েলাইস(অনুভব) করে, সবসময় আমি তো কোনো কাজের ছিলাম না। এখন আমরা ওয়ার্থ অ্যা পাউন্ড ( মূল্যবান) হচ্ছি। প্রতি কল্পে বাবা আমাদের পেনী থেকে পাউন্ড করেন। যারা কল্প-পূর্বে ছিলো তারাই এই কথা বুঝতে পারবে। তোমরাও প্রদর্শনী ইত্যাদি করতে থাকো, নাথিং নিউ। এর দ্বারাই তোমরা অমরপুরীর স্থাপনা করছো।ভক্তি মার্গে দেব দেবীদের কতো মন্দির আছে। এই সব হলো পূজারী ভাবনার সামগ্রী। পূজ্য ভাবনার সামগ্রী কিছুই নেই। বাবা বলেন, দিন যত এগোচ্ছে তোমাদের গুহ্য পয়েন্টস্ বোঝাতে থাকি। আগেকার অনেক পয়েন্টস্ তোমাদের কাছে আছে। সেই সব এখন কি করবে ? যেমনকার তেমনই পড়ে থাকে। প্রেজেন্ট (বর্তমানে) তো বাপদাদা নূতন-নূতন পয়েন্ট বোঝাতে থাকেন। আত্মা হলো খুবই ছোট্ট বিন্দু, তার মধ্যে সমগ্র পার্ট নিহিত আছে। এই পয়েন্টস্ আগের কোনো কপিতে (খাতাতে) কি আর আছে! পুরানো পয়েন্টস্ গুলি তোমরা কি করবে। শেষের রেজাল্টই কাজে আসে। বাবা বলেন পূর্ব কল্পেও তোমাদের এমন করেই শুনিয়েছি। নম্বর অনুযায়ী পড়তে থাকে। কোনো সাবজেক্টে নীচে উপরে হতে থাকে। ব্যবসাতেও গ্রহের দশা লাগতে পারে, এতে হার্টফেল হতে নেই। আবার উঠে পুরুষার্থ করতে হয়। মানুষ দেউলিয়া থাকে আবার ধান্দা ইত্যাদি করে অনেক ধনবান হয়ে যায়। এখানেও কেউ বিকারগ্রস্ত হয়ে নীচে নেমে গেলে বাবা বলেন ভালো করে পুরুষার্থ করে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করো। আবার উপর দিকে ওঠা শুরু করা চাই। বাবা বলেন, পড়ে গেছো তো আবার ওঠো। এই রকম অনেকে আছে পতন হলে আবার উপরে ওঠার চেষ্টা করে। বাবা কি আর বারণ করবেন! বাবা জানেন যে এভাবেও অনেকে আসবে। বাবা বলবেন পুরুষার্থ করো। তবুও তো কিছু না কিছু সাহায্যকারী হতে পারবে। ড্রামা প্ল্যান অনুসারেই বলবেন। বাবা বলবেন- আচ্ছা, বাচ্চারা এখন তৃপ্ত হয়েছো তো ! অনেক গোঁত্তা খেয়ে এখন আবার পুরুষার্থ করো। অসীম জগতের পিতা তো এরকমই বলবেন, তাই না। বাবার কাছে কতো লোক আসে সাক্ষাৎ করতে। আমি তাদেরকে বলি - অসীম জগতের বাবার কথা মানবে না, পবিত্র হবে না ! বাবা নিজেকে আত্মা মনে করে আত্মাকে বলেন বলে তীর তো লাগবেই । ভাবো, স্ত্রীর তীর লাগলে তখন বলবে আমি তো প্রতিজ্ঞা করছি। পুরুষের তীর লাগল না। তখন সময়ের সাথে সাথে তাকেও উপরে ওঠানোর চেষ্টা করবে। আবার এইরকমও অনেকে আসে, যাদের স্ত্রী জ্ঞানে নিয়ে আসে। তখন বলে স্ত্রী হলো আমার গুরু। সেই ব্রাহ্মণরা হাতে সুতো বাঁধার সময় বলে এই তোমাদের গুরু হলো ঈশ্বর। এখানে বাবা বলেন তোমাদের একজন এই বাবা হলেন সব কিছু। আমার তো এক দ্বিতীয় কেউ নয় । সবাই তাঁকেই স্মরণ করে। ওই একের সাথেই যোগ যুক্ত হতে হবে। এই দেহও আমার নয় । আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

*ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-*

১ ) কোনো গ্রহের দশা এলে উৎসাহ হারিয়ে বসে থাকতে নেই। আবার পুরুষার্থ করে, বাবার স্মরণে থেকে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হবে।

২ ) নিজের স্থিতি স্মরণের দ্বারাই মজবুত করতে হবে, যাতে কোনো মায়ার ঝড় আক্রমণ করতে না পারে। বিকার গুলির থেকে নিজেকে সামলিয়ে থাকতে হবে।

*বরদানঃ-*

ত্রিকালদর্শী আর সাক্ষীদ্রষ্টা হয়ে প্রতিটি কর্ম করার সময় বন্ধনমুক্ত স্থিতির অনুভবের দ্বারা দৃষ্টান্ত রূপ ভব

যদি ত্রিকালদর্শী স্টেজের উপর থাকো, কর্মের আদি-মধ্য- অন্তকে জেনে কর্ম করো তো কোনো কর্মই বিকর্ম হতে পারে না।, সর্বদা সুকর্ম হবে। এরকমই সাক্ষী দ্রষ্টা হয়ে কর্ম করলে কোনো কর্মের বন্ধনে কর্ম বন্ধনী আত্মা হবে না। কর্মের ফল শ্রেষ্ঠ হওয়ার কারণে কর্ম সম্বন্ধে আসবে, বন্ধনে নয়। কর্ম করার সময় স্বতন্ত্র আর প্রেম-পূর্বক থাকলে অনেক আত্মাদের সামনে দৃষ্টান্ত রূপ অর্থাৎ এক্সাম্পেল হয়ে যাবে।

*স্লোগানঃ-*

যে মন থেকে সদা সন্তুষ্ট থাকে সে-ই ডবল লাইট হয়।