22.12.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখন বাবার কাছে দিব্য দৃষ্টি পেয়েছো, এই দিব্য দৃষ্টির সাহায্যেই তোমরা আত্মা এবং পরমাত্মাকে দেখতে পারো"

প্রশ্নঃ -
ড্রামার কোন্ রহস্যকে বুঝে কোন্ রায় তোমরা কাউকেই দেবে না ?

উত্তরঃ -
যে বুঝতে পারে যে, ড্রামাতে যা কিছুই পাস্ট হয়ে গেছে, তা আবার হুবহু রিপিট হবে, তারা কখনোই কাউকে ভক্তি ত্যাগ করার রায় দেবে না । তাদের বুদ্ধিতে যখন জ্ঞান খুব ভালোভাবে বসে যাবে, তারা বুঝতে পারবে যে, আমি আত্মা, আমাদের অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে । যখন অসীম জগতের পিতার পরিচয় হয়ে যাবে, তখন জাগতিক বিষয় শীঘ্রই সমাপ্ত হয়ে যাবে ।

ওম্ শান্তি ।
নিজের আত্মার স্বধর্মে বসেছো কি ? আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী সন্তানদের জিজ্ঞেস করেন, কেননা বাচ্চারা একথা তো জানেই যে, অসীম জগতের পিতা একই, যাঁকে পরমাত্মা বলা হয় । তাঁকেই কেবলমাত্র সুপ্রীম বলা হয় । সুপ্রীম আত্মা বা পরম আত্মা বলা হয় । পরমাত্মা অবশ্যই আছেন, এমন বলা হবে না যে, পরমাত্মা নেইই । পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা । এও বোঝানো হয়েছে, তোমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ো না, কারণ পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও তোমরা এই জ্ঞান শুনেছিলে । আত্মাই তো শোনে, তাই না । আত্মা অনেক ছোটো এবং সূক্ষ্ম । এতো ছোটো যে, এই চোখ দিয়ে দেখা যায় না । এমন কোনো মানুষই নেই, যে আত্মাকে এই চোখের দ্বারা দেখেছে । দেখা যায়, কিন্তু দিব্যদৃষ্টিতে । তাও এই ড্রামার নিয়ম অনুসারে । আচ্ছা, মনে করো কারোর আত্মার সাক্ষাৎকার হলো, যেমন অন্য জিনিস দেখা যায় । ভক্তিমার্গেও এই চোখের দ্বারা কিছু সাক্ষাৎকার হয় । সে দিব্যদৃষ্টি পাওয়া যায় যাতে চৈতন্যে দেখতে পায় । আত্মা জ্ঞান চক্ষু পায়, যাতে দেখতে পারে, কিন্তু ধ্যানে । ভক্তিমার্গে অনেক ভক্তি করলে তবে সাক্ষাৎকার হয় । মীরার যেমন সাক্ষাৎকার হয়েছিলো, সে নৃত্য করতো । বৈকুণ্ঠ তো ছিলো না। পাঁচ বা ছয়শো বছর হয়েছে । ওই সময় বৈকুণ্ঠ ছিলোই না । যা অতীত হয়ে গেছে তা দিব্যদৃষ্টিতে দেখা যায় । অনেক ভক্তি করতে করতে যখন ভক্তিময় হয়ে যায়, তখনই দিব্য সাক্ষাৎকার হয়, কিন্তু এতে মুক্তি লাভ সম্ভব নয় । মুক্তি এবং জীবনমুক্তির পথ ভক্তি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । ভারতে কতো মন্দির আছে । সেখানে শিবের লিঙ্গও রাখা হয় । বড় লিঙ্গও রাখে, আবার ছোটো লিঙ্গও রাখে । এখন এ তো বাচ্চারা জানেই যে, যেমন আত্মা, তেমনই পরমপিতা পরমাত্মা । সাইজ সকলেরই একই । যেমন বাবা, তেমনই বাচ্চা । আত্মারা সব ভাই - ভাই । আত্মারা এই শরীরে আসে অভিনয় করতে, এ হলো বোঝার মতো কথা । এ কোনো ভক্তিমার্গের গল্পকথা নয় । জ্ঞান মার্গের কথা এক বাবাই বোঝান । প্রথম - প্রথম বোঝাতে হবে, অসীম জগতের পিতা নিরাকারই, সম্পূর্ণভাবে তাঁকে কেউ বুঝতে পারে না । তারা বলে, তিনি তো সর্বব্যাপী । এ কোনো সঠিক কথা নয় । বাবাকে ওরা ডাকতে থাকে, খুব ভালোবেসে ডাকতে থাকে । বলে যে - বাবা, তুমি যখন আসবে, তখন আমি তোমার কাছে বলিহারি (সমর্পণ) যাবো । আমার তো তুমিই, দ্বিতীয় আর কেউই নেই । তাই অবশ্যই তাঁকে স্মরণ করতে হবে । তিনি নিজেও বলেন, হে বাচ্চারা । তিনি আত্মাদের সঙ্গেই কথা বলেন । একেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান বলা হয় । এমন মহিমাও আছে যে, আত্মা পরমাত্মা অনেককাল আলাদা আছে.... এও হিসেব বলা আছে । তোমরা আত্মারা অনেক সময় ধরে বাবার থেকে আলাদা থাকো, এখন তোমরা আবার বাবার কাছে এসেছো, আবার নতুন করে রাজযোগ শিখতে । এই টিচার হলো সেবক । টিচার সবসময় অনুগত সেবক হয় । বাবাও বলেন, আমি তো সমস্ত বাচ্চাদের সেবক । তোমরা কতো জোর করে আমাকে ডাকো - হে পতিত পাবন, তুমি এসে আমাদের পবিত্র বানাও । এ সবই হলো ভক্তি । বলে থাকে - হে ভগবান এসো, আমাদের আবার পবিত্র বানাও । পবিত্র দুনিয়া স্বর্গকে, আর অপবিত্র দুনিয়া নরককে বলা হয় । এ সব হলো বোঝার মতো কথা । এ হলো কলেজ অথবা গড ফাদারলি ওয়ার্ল্ড ইউনিভর্সিটি । এর এইম অবজেক্ট হলো মানুষ থেকে দেবতা হওয়া । বাচ্চারা নিশ্চিত করে যে, আমাদের এই হতে হবে । যার নিশ্চয়তাই হবে না, সে কি স্কুলে এসে বসবে ? এইম অবজেক্ট তো বুদ্ধিতে আছে । আমরা ব্যারিস্টার বা ডাক্তার হতে হলে পড়তে তো হবে, তাই না । নিশ্চয়তা না থাকলে তো আর আসবেই না । তোমাদের নিশ্চয়তা আছে যে, আমরা মানুষ থেকে দেবতা, নর থেকে নারায়ণ হই । এ হলো প্রকৃত সত্য নর থেকে নারায়ণ হওয়ার কথা । বাস্তবে এ হলো পড়া, কিন্তু একে কথা কেন বলা হয় ? কেননা তোমরা পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও শুনেছিলে । তা অতীত হয়ে গেছে । অতীতকে কথা বলা হয় । এ হলো নর থেকে নারায়ণ হওয়ার শিক্ষা । বাচ্চারা মন থেকে বুঝতে পারে, নতুন দুনিয়াতে দেবতারা আর পুরানো দুনিয়াতে মানুষ থাকে । দেবতাদের মধ্যে যে গুণ আছে, তা মানুষের মধ্যে নেই, তাই তাঁদের দেবতা বলা হয় । মানুষ দেবতাদের কাছে নমন করে । আপনি সর্বগুণ সম্পন্ন...... এরপর নিজেদের বলে..... আমি পাপী, নীচ । মানুষকেই বলে, দেবতাদের তো এমন বলা হবে না । দেবতারা সত্যযুগে থাকে, কলিযুগে তাঁরা থাকেন না । আজকাল তো সবাইকেই শ্রী - শ্রী বলে দেয় । শ্রী-র অর্থ শ্রেষ্ঠ । সর্বশ্রেষ্ঠ তো ভগবানই তৈরী করতে পারেন । শ্রেষ্ঠ দেবতারা সত্যযুগে ছিলেন, কলিযুগে কোনো মানুষই শ্রেষ্ঠ নয় । বাচ্চারা, তোমরা এখন অসীম জগতের সন্ন্যাস নাও । তোমরা জানো যে, এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে, তাই এই সবকিছুর প্রতি তোমাদের বৈরাগ্য । ওরা তো হলো হঠযোগী সন্ন্যাসী । বাড়িঘর ছেড়ে বের হয়ে যায়, আবার এসে মহলে বসে । না হলে কুটিরে তো খরচ কিছুই লাগে না । একান্তের জন্য তো কুটিরে বসতে হয়, নাকি মহলে ? বাবারও কুটির তৈরী হয়েছে । কুটিরে সব সুখ আছে । বাচ্চারা, এখন তোমাদের পুরুষার্থ করে মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে । তোমরা জানো যে, ড্রামাতে যা কিছুই অতীত হয়ে গেছে, তা আবার হুবহু রিপিট হবে, তাই কাউকেই এমন রায় দেবে না যে, ভক্তি করা ছেড়ে দাও । যখন বুদ্ধিতে জ্ঞান এসে যাবে, তখন মনে করবে যে, আমি আত্মা, আমাদের এখন অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে । অসীম জগতের পিতার পরিচয় যখন হয়, তখন জাগতিক বিষয় সমাপ্ত হয়ে যায় । বাবা বলেন যে, গৃহস্থ জীবনে থেকে বুদ্ধির যোগ বাবার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে । শরীর নির্বাহ করার জন্য কর্মও করতে হবে, ভক্তিতেও যেমন কেউ কেউ অগাধ ভক্তি করে । রোজ নিয়ম করে গিয়ে দর্শন করে । দেহধারীদের কাছে যাওয়া, সে সব হলো শরীরের যাত্রা । ভক্তি মার্গে কতো ধাক্কা খেতে হয় । এখানে কোনো ধাক্কাই খেতে হয় না । এখানে আসলে বোঝানোর জন্য বসানো হয় । বাকি স্মরণের জন্য কোনো এক জায়গায় বসে যেতে হয় না । ভক্তিমার্গে কেউ যদি কৃষ্ণের ভক্ত হয়, তাহলে এমন নয় যে চলতে ফিরতে কৃষ্ণের স্মরণ করতে পারে না, তাই যারা লেখাপড়া জানা মানুষ, তারা বলে যে, কৃষ্ণের চিত্র ঘরে রাখা আছে, তাহলে তোমরা মন্দিরে কেন যাও ? কৃষ্ণের চিত্রের পুজো তোমরা যেখানে খুশী করতে পারো । আচ্ছা, চিত্র না থাকলেও তোমরা স্মরণ তো করতে থাকো । একবার কোনো জিনিস দেখলে সে তো স্মরণে থাকে । তোমাদেরও এই কথাই বলা হয়, শিববাবাকে তোমরা ঘরে বসে স্মরণ করতে পারো না ? এ তো হলো নতুন কথা । শিববাবাকে কেউই জানে না । নাম, রূপ, দেশ, কাল কেউই জানে না, বলে দেয় সর্বব্যাপী । আত্মাকে তো আর পরমাত্মা বলা যায় না । আত্মার তার বাবার স্মরণ আসে, কিন্তু তারা বাবাকে জানে না, তাই সাতদিনের জন্য বোঝাতে হয় । তারপর ডিটেলে পয়েন্টসও বোঝানো হয় । বাবা তো জ্ঞানের সাগর, তাই না । কতো সময় ধরে তোমরা শুনে এসেছো, কেননা এ তো জ্ঞান, তাই না । তোমরা মনে করো, আমরা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জ্ঞান পাই । বাবা বলেন, আমি তোমাদের নতুন নতুন গুহ্য কথা শোনাই । মুরলী তোমরা যদি না পাও, তাহলে কতো চিৎকার করো । বাবা বলেন যে, তোমরা বাবাকে তো স্মরণ করো । মুরলী তোমরা পড়ো, আবার ভুলে যাও । প্রথম - প্রথম তো এই স্মরণ করতে হবে যে, আমি আত্মা, এতো ছোটো বিন্দু । আত্মাকেও জানতে হবে । মানুষ বলে থাকে, এর আত্মা বের হয়ে অন্যের মধ্যে প্রবেশ করেছে । আমরা আত্মারাই জন্ম নিতে নিতে এখন পতিত, অপবিত্র হয়েছি । প্রথমে তোমরা পবিত্র গৃহস্থ ধর্মের ছিলে । লক্ষ্মী - নারায়ণ দুইই পবিত্র ছিলেন । তারপর দুইজনেই অপবিত্র হয়েছেন, তারপর দুইজনেই যখন পবিত্র হলেন, তখন কি অপবিত্র থেকে পবিত্র হয়েছেন ? নাকি পবিত্র জন্ম নিয়েছেন ? বাবা বসে বোঝান যে, কিভাবে তোমরা পবিত্র ছিলে । তারপর বামমার্গে যাওয়ার কারণে অপবিত্র হয়েছো । পূজারীকে অপবিত্র আর পূজ্যকে পবিত্র বলা হবে । সম্পূর্ণ ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি তোমাদের বুদ্ধিতে আছে । কে কে রাজ্য করতো ? কিভাবে তারা রাজ্য পেয়েছিলো, তা তোমরাই জানো, আর কেউই নেই, যে তা জানে । তোমাদের কাছেও পূর্বে রচয়িতা আর রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তের এই জ্ঞান ছিলো না, তখন নাস্তিকই ছিলে । কিছুই জানতে না । নাস্তিক হলে কতো দুঃখী হয়ে যায় । এখন তোমরা এখানে দেবতা হতে এসেছো । ওখানে কতো সুখ থাকবে । দৈবীগুণও এখানেই ধারণ করতে হবে । প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান ব্রাহ্মণ হলে, তাই না । ক্রিমিনাল দৃষ্টি যাওয়া উচিত নয়, এতেই পরিশ্রম । চোখ বড় ক্রিমিনাল । সব অঙ্গের থেকে ক্রিমিনাল হলো চোখ । অর্ধেক কল্প ক্রিমিনাল আর অর্ধেক কল্প সিভিল থাকে । সত্যযুগে ক্রিমিনাল দৃষ্টি থাকে না । দৃষ্টি যদি ক্রিমিনাল হয়, তাকে অসুর বলা হয় । বাবা নিজেই বলেন, আমি পতিত দুনিয়াতে আসি । যারা পতিত হয়েছে, তাদেরই আবার পবিত্র হতে হবে । মানুষ তো বলে, এ নিজেকে ভগবান বলে । ঝাড়ে দেখো, একদম তমপ্রধান দুনিয়ার অন্তে উপস্থিত, সেখানেই আবার তপস্যা করছে । সত্যযুগ থেকে লক্ষ্মী - নারায়ণের সম্রাজ্য চলে । সম্বতও এই লক্ষ্মী - নারায়ণ থেকেই গণনা করা হবে, তাই বাবা বলেন, লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজ্য দেখাও যদি, তাহলে লেখো, এর থেকে ১২৫০ বছর পর ত্রেতা । শাস্ত্রতে লাখ বছর লিখে দিয়েছে । রাত - দিনের তফাৎ হয়ে গেলো, তাই না । ব্রহ্মার রাত অর্ধেক কল্প আর ব্রহ্মার দিন অর্ধেক কল্প । এই কথা বাবাই বুঝিয়ে বলেন । তাও তিনি আবার বলেন -- মিষ্টি বাচ্চারা, নিজেকে আত্মা মনে করো, বাবাকে স্মরণ করো । তাঁকে স্মরণ করতে করতে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন অন্ত মতি, তেমন গতি হয়ে যাবে । বাবা এমন বলেন না যে, এখানে বসে যাও । সেবাপরায়ণ বাচ্চাদের তো বসাবেন না । তারা সেন্টারস, মিউজিয়াম ইত্যাদি খুলতে থাকে । তারা কতো লোককে নিমন্ত্রণ পত্র দেয়, এসে ঈশ্বরীয় জন্মের অধিকার, এই বিশ্বের বাদশাহী নাও । তোমরা হলে বাবার সন্তান । বাবা হলেন স্বর্গের রচয়িতা, তাই তোমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়া উচিত । বাবা বলেন, আমি একবারই স্বর্গের স্থাপনা করতে আসি । একই দুনিয়া, যার চক্র ঘুরতে থাকে । মানুষের তো অনেক মত, অনেক কথা । কতো মত - মতান্তর আছে, একে বলা হয় অদ্বৈত মত । এই ঝাড় কতো বড় । এর থেকে কতো ডালপালা বের হয় । এখানে কতো ধর্ম ছড়িয়ে আছে, প্রথমে তো এক মত, এক রাজ্য ছিলো । সম্পূর্ণ বিশ্বে এঁদের রাজত্ব ছিলো । এও তোমরা এখন জানতে পেরেছো । আমরাই এই সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক ছিলাম । এরপর ৮৪ জন্ম ভোগ করে কাঙ্গাল হয়েছি । এখন তোমরা কালকে জয় করো, ওখানে কখনোই অকালে মৃত্যু হয় না । এখানে তো দেখো বসে বসে অকালে মৃত্যু হতে থাকে । চারিদিকে মৃত্যুই মৃত্যু । ওখানে এমন হয় না, ওখানে সম্পূর্ণ জীবন চলে । ভারতে পবিত্রতা, শান্তি এবং সম্পদ ছিলো । ১৫০ বছর গড় আয়ু ছিলো, এখন কতো কম আয়ু হয় ।

ঈশ্বর তোমাদের যোগ শিখিয়েছেন, তাই তাঁকে যোগেশ্বর বলা হয় । ওখানে তো তা বলবেই না । এই সময় তোমরা হলে যোগেশ্বর, ঈশ্বর তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন । এরপর তোমাদের রাজ - রাজেশ্বর হতে হবে । এখন তোমরা জ্ঞানেশ্বর, এরপর রাজেশ্বর অর্থাৎ রাজার রাজা হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) দৃষ্টি শুদ্ধ করার পরিশ্রম করতে হবে । বুদ্ধিতে যেন সদা থাকে যে, আমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান ভাই - বোন, দৃষ্টি যেন ক্রিমিনাল না হয় ।

২ ) শরীর নির্বাহের কারণে কর্ম করেও এক বুদ্ধির যোগ বাবার সঙ্গে লাগাতে হবে, জাগতিক সব বিষয় ত্যাগ করে অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করতে হবে । অসীম জগতের সন্ন্যাসী হতে হবে ।

বরদান:-
সদা অতীন্দ্রিয় সুখের দোলায় দুলতে থাকা সঙ্গম যুগের সর্ব অলৌকিক প্রাপ্তি সম্পন্ন ভব

যে বাচ্চারা সদা অলৌকিক প্রাপ্তি সম্পন্ন, তারা অতীন্দ্রিয় সুখের দোলায় দুলতে থাকে । যেমন আদরের বাচ্চাকে দোলায় দোলানো হয় । এমন সর্ব প্রাপ্তি সম্পন্ন ব্রাহ্মণদের দোলা হলো অতীন্দ্রিয় সুখের দোলা, এই দোলায় সদা দুলতে থাকো । কখনোই দেহ বোধে এসো না । যে দোলা থেকে নেমে ধরণীতে চরণ রাখে, সে ময়লা হয়ে যায় । উঁচুর থেকে উঁচু বাবার স্বচ্ছ বাচ্চারা সদা অতীন্দ্রিয় সুখের দোলায় দুলতে থাকে, মাটিতে চরণ রাখতে পারে না ।

স্লোগান:-
"আমি ত্যাগী'' ঐ অহংকারেরও ত্যাগ করাই হলো প্রকৃত ত্যাগ ।