21.12.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা --
তোমরা এখন পবিত্রতমের থেকেও পবিত্র(হোলীয়েস্ট অফ হোলী) বাবার কোলে এসেছো, তোমাদের
মন্সাতেও (সঙ্কল্পেও) পবিত্র হতে হবে"
প্রশ্নঃ -
পবিত্রতমের
থেকেও পবিত্র বাচ্চাদের নেশা এবং নিশানী(চিহ্ন) কি হবে ?
উত্তরঃ -
তারা এই নেশায় নিমগ্ন হয়ে থাকবে যে আমরা পবিত্রতমের থেকেও পবিত্র বাবার কোলে এসেছি।
আমরা পবিত্রতম দেবী-দেবতা হয়ে যাই, তাদের মনের মধ্যেও কোনো খারাপ সঙ্কল্প আসতে পারে
না। তারা সুগন্ধী ফুল হয়, তাদের দ্বারা কোনও উল্টোপাল্টা কাজ-কর্ম হতে পারে না। তারা
অন্তর্মুখী হয়ে নিজেদের যাচাই করে যে, আমার মধ্যে থেকেও সুগন্ধ আসে কি ? আমার চোখ
কারোর প্রতি নিমজ্জিত (আকৃষ্ট ) হয়ে যায় না তো ?
গীতঃ-
মরণ তোমার
পথে(গলিতে).......
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা গান
শুনেছে আর তার অর্থও মনে-মনে বিচারসাগর মন্থন করে বের করা উচিত। এ কে বলেছে যে মরণ
তোমার গলিতে ? আত্মা বলে, কারণ আত্মা হলো পতিত। পবিত্র তো শেষে বলবে অথবা পবিত্র
তখনই বলবে যখন শরীরও পবিত্র হবে। এখন তো পুরুষার্থী। এও জানো -- বাবার কাছে এসে
মৃত্যুবরণ করতে হবে। অদ্বিতীয় পিতাকে ছেড়ে দ্বিতীয় কারোর হওয়া অর্থাৎ একের কাছে
মৃত হয়ে অন্যের কাছে জীবিত হওয়া। লৌকিক পিতার সন্তানও যখন শরীর পরিত্যাগ করবে তখন
অন্য পিতার কাছে গিয়ে জন্ম নেবে, তাই না! এও তেমনই। মৃত্যুবরণ করে তোমরা হোলীয়েস্ট
অফ হোলীর কোলে চলে যাও। হোলীয়েস্ট অফ হোলী কে ? বাবা এছাড়া আর পবিত্র কারা ? (সন্ন্যাসী)
হ্যাঁ, এই সন্ন্যাসী ইত্যাদিদেরও পবিত্র বলা হবে। তোমাদের আর সন্ন্যাসীদের মধ্যে
পার্থক্য রয়েছে। তারা পবিত্র হয় কিন্তু জন্ম তো হয় সেই পতিতের থেকেই, তাই না! তোমরা
হয়ে যাও হোলীয়েস্ট অফ হোলী। তোমাদের তৈরী করেছেন পবিত্রতমের থেকেও পবিত্র বাবা।
ওরা(সন্ন্যাসীরা) ঘর-বাড়ী পরিত্যাগ করে পবিত্র হয়। আত্মা পবিত্র হয়ে যায়, তাই না!
তোমরা হলে স্বর্গের দেবী-দেবতা তাই হোলীয়েস্ট অফ দি হোলী হয়ে যাও। তোমাদের এই
সন্ন্যাস হলো অসীম জগতের। ওদের হলো সসীমের। ওরা হয় পবিত্র, তোমরা হও পবিত্রতমের
থেকেও পবিত্র। বুদ্ধিও বলে -- আমরা নতুন দুনিয়ায় যাই। ওই সন্ন্যাসীরা আসেই রজোতে।
তফাৎ আছে, তাই না! কোথায় রজঃ, কোথায় সতোপ্রধান। তোমরা পবিত্রতম অপেক্ষা পবিত্রের
দ্বারা পবিত্রতম হও। তিনি জ্ঞানেরও সাগর, প্রেমেরও সাগর। ইংরেজীতে বলা হয় ওশান অফ
নলেজ, ওশান অফ লভ। তোমাদের কত উচ্চ (মর্যাদাসম্পন্ন) করে দেয়। এমন সর্বোচ্চ
পবিত্রতম অপেক্ষা পবিত্রকে আবাহন করে যে, এসে পতিতকে পবিত্র করো। অপবিত্র দুনিয়ায়
এসে আমাদের হোলীয়েস্ট অফ হোলী করো। তাই বাচ্চাদের এতখানি নেশা থাকা উচিত যে, কে
আমাদের পড়ান ! আমরা কি হবো ? দৈবী-গুণও ধারণ করতে হবে। বাচ্চারা লেখে -- বাবা, মায়া
আমাদের কাছে অত্যন্ত ঝড় বয়ে নিয়ে আসে। আমাদের মনকে শুদ্ধ হতে দেয় না, কেন মনে খারাপ
খেয়াল আসে যখন আমাদের হোলীয়েস্ট অফ হোলী হতে হবে ? বাবা বলেন -- এখন তোমরা একদম
পবিত্রতম অপেক্ষা পবিত্র হয়ে যাও। বহুজন্মের শেষে বাবা পুনরায় এখন তোমাদের পুরো
শক্তি দিয়ে শিক্ষা দিচ্ছেন। তাই বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এই নেশা থাকা উচিত -- আমরা কি
হতে চলেছি। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে কে এমন বানিয়েছে ? ভারত স্বর্গ ছিল, তাই না ! এইসময়
ভারত তমোপ্রধান, ভ্রষ্টাচারী। পুনরায় একে আমি পরমপবিত্র অপেক্ষা পবিত্র করি।
নির্মাণকারীও তো অবশ্যই চাই, তাই না! নিজের মধ্যেও সেই নেশা আসা উচিত যে আমাদের
দেবতা হতে হবে। তারজন্য গুণও তেমনই হওয়া উচিত। সম্পূর্ণ নীচ থেকে উপরে চড়েছো।
সিঁড়িতেও উত্থান আর পতন লেখা রয়েছে, তাই না! যে অধঃপতনে চলে গেছে সে নিজেকে কিভাবে
হোলীয়েস্ট অফ হোলী বলবে। হোলীয়েস্ট অফ হোলী বাবা-ই এসে বাচ্চাদের তৈরী করেন। তোমরা
এখানে এসেছোই বিশ্বের মালিক হোলীয়েস্ট অফ হোলী হতে, তাই কত নেশা থাকা উচিত। বাবা
আমাদের এত উচ্চ(মর্যাদাসম্পন্ন) বানাতে এসেছেন। মন-বাণী-কর্মে পবিত্র হতে হবে।
সুগন্ধী ফুল হতে হবে। সত্যযুগকে বলাই হয় -- ফুলের বাগান। কোনো দুর্গন্ধ যেন না থাকে।
দুর্গন্ধ হলো দেহ-অভিমানকে বলা হয়। কারোর দিকে কুদৃষ্টি যেন না যায়। এমন বিপরীতধর্মী
কর্ম যেন না হয় যা হৃদয়কে দংশন করে এবং (পাপের) খাতা তৈরী হয়ে যায়। তোমরা ২১ জন্মের
জন্য ধন একত্রিত করো। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমরা অনেক সম্পদশালী হতে চলেছি।
নিজের আত্মাকে দেখতে হবে যে আমরা দৈবী-গুণে ভরপুর হয়েছি কি ? যেমন বাবা বলেন তেমনই
পুরুষার্থ করতে হবে। দেখো, তোমাদের এইম অবজেক্ট কেমন। কোথায় সন্ন্যাসী, কোথায় তোমরা
! বাচ্চারা, তোমাদের নেশা থাকা উচিত যে আমরা কার কোলে এসেছি ! আমাদের কিসে পরিণত
করছেন ? অন্তর্মুখী হয়ে দেখা উচিত -- আমরা কতখানি যোগ্যতাসম্পন্ন হয়েছি ? আমাদের
কতখানি (সুগন্ধী) ফুল হতে হবে, যাতে সকলেই জ্ঞানের সুগন্ধ পায়। তোমরা অনেককেই (জ্ঞানের)
সুগন্ধ দান করো। নিজ-সম তৈরী করো। প্রথম নেশা থাকা উচিত -- আমাদের কে পড়াচ্ছেন ! ওরা
সকলেই তো হলো ভক্তিমার্গের গুরু। জ্ঞানমার্গের গুরু কেউ হতে পারে না -- কেবলমাত্র
এক পরমপিতা পরমাত্মা ছাড়া। বাকি হলো ভক্তিমার্গের। ভক্তি করেই কলিযুগে। রাবণ
প্রবেশ করে। এও দুনিয়ায় কারোরই জানা নেই। এখন তোমরা জেনেছো যে, সত্যযুগে আমরা ১৬
কলা-সম্পূর্ণ ছিলাম, পুনরায় একদিনও যদি অতিবাহিত হয়ে যায় তবে তাকে পূর্ণিমা বলা যায়
নাকি, না তা যায় না। এও তেমনই। একটু-একটু করে উকুনের মতন চক্র আবর্তিত হতেই থাকে।
এখন তোমাদের সম্পূর্ণ ১৬ কলা-সম্পূর্ণ হতে হবে, সেও আবার অর্ধেক কল্পের জন্য।
পুনরায় কলা কম হতে থাকে, এই জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে তাহলে বাচ্চারা, তোমাদের
কত নেশা থাকা উচিত। অনেকের এসব বুদ্ধিতে আসে না যে, আমাদের কে পড়ান ? জ্ঞানের সাগর।
বাচ্চাদের তিনি বলেন -- নমস্কার বাচ্চারা। তোমরা ব্রহ্মান্ডেরও মালিক, ওখানে তোমরা
সকলে থাকো পুনরায় তোমরা বিশ্বেরও মালিক হও। তোমাদের সাহস বৃদ্ধি করার জন্য বাবা
বলেন -- তোমরা আমার থেকেও উঁচু হয়ে যাও। আমি বিশ্বের মালিক হই না, নিজের থেকেও
তোমাদের উঁচু, মহিমান্বিত করে দিই। যখন বাবার বাচ্চারা উঁচুতে চড়ে তখন বাবা মনে
করেন যে এরা পড়াশোনা করে এত উচ্চপদ প্রাপ্ত করেছে। বাবাও বলেন, আমি তোমাদের পড়াই।
এখন নিজেদের পদ প্রাপ্ত করার জন্য যত চাও ততো পুরুষার্থ করো। বাবা তোমাদের পড়ান --
প্রথমে এই নেশা চড়ে থাকা উচিত। বাবা তো যেকোনো সময় এসে কথা বলেন। তিনি তো যেন এঁনার
মধ্যেই রয়েছেন। বাচ্চারা, তোমরা তো ওঁনার, তাই না! এই রথও তো ওঁনার, তাই না! তাই
এমন হোলীয়েস্ট অফ হোলী বাবা এসেছেন, তিনি তোমাদের পবিত্র করে দেন। এখন তোমরা আবার
অন্যান্যদের পবিত্র করো। আমি অবসর(রিটায়ার) গ্রহন করি। যখন তোমরা হোলীয়েস্ট অফ হোলী
হয়ে যাও তখন কোনো পতিত এখানে আসতে পারে না। এ হলো হোলীয়েস্ট অফ হোলীর চার্চ। ওই
চার্চে তো সমস্ত বিকারীরা যায়, সকলেই অপবিত্র, অশুদ্ধ। এ হলো অতি বড় পবিত্র
গির্জা(হোলী চার্চ)। এখানে কোনো পতিত পা পর্যন্ত ফেলতে পারে না। কিন্তু এখন এমন করতে
পারবে না। যখন বাচ্চারাও এরকম হয়ে যাবে তখন এমন নিয়ম বের করা হবে। এখানে ভিতরে কেউ
আসতে পারে না। জিজ্ঞাসাও করে, তাই না! -- আমরা এসে সভায় বসবো কি ? বাবা বলেন,
অফিসার ইত্যাদিদের সঙ্গে কাজ থাকে তাই তাদের বসাতে হয়। যখন তোমাদের নাম বিখ্যাত হয়ে
যাবে তখন আর তোমরা কারোর পরোয়া করবে না। কিন্তু এখন রাখতে হয়, হোলীয়েস্ট অফ হোলীও
দুঃখ পেতে থাকে। এখন না করতে পারবে না। প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়লে লোকেদের শত্রুতাও
কমে যাবে। তোমরাও বোঝাবে যে, আমাদের ব্রাহ্মণদের রাজযোগের শিক্ষাদাতা হলেন
হোলীয়েস্ট অফ হোলী বাবা। সন্ন্যাসীদের হোলীয়েস্ট অফ হোলী বলবে নাকি, না তা বলবে না।
তারা আসেই রজোগুণে। তারা বিশ্বের মালিক হতে পারে কি ? এখন তোমরা পুরুষার্থী। কখনও
চাল-চলন অতি ভাল হয়, কখনও আবার এমন চাল-চলন হয় যে নাম বদনাম করে দেয়। অনেক সেন্টারে
এমনও আসে, যারা সামান্যতমও কিছুই বুঝতে পারে না। তোমরা নিজেকেও ভুলে যাও যে আমরা কি
হতে চলেছি। বাবা বুঝে যান -- এরা কি হবে ? ভাগ্যে উচ্চপদ থাকলে তখন চাল-চলনও
অত্যন্ত রয়্যাল (আভিজাত্যপূর্ণ) হবে। কেবল স্মরণে যদি থাকে যে আমাদের পড়ান কে,
তাহলেও প্রগাঢ় খুশী থাকবে। আমরা গডফাদারলী স্টুডেন্ট তাই তাঁর প্রতি কত রিগার্ড রাখা
উচিত। এখনও আমরা শিখছি। বাবা মনে করেন, এখন সময় লাগবে। নম্বরের অনুক্রম তো সব
বিষয়েই(কথা) হয়। ঘরও প্রথমে সতোপ্রধান হয়, পরে সতঃ-রজঃ-তমোঃ হয়। এখন তোমরা
সতোপ্রধান, ১৬ কলা-সম্পূর্ণ হতে চলেছো। বিশাল ভবন তৈরী হতে থাকে। তোমরা সকলে মিলে
স্বর্গের মনোরম ভবন তৈরী করছো। এই খুশীও তোমাদের অধিকমাত্রায় থাকা উচিত। ভারত যা
অপবিত্রতম অপেক্ষা অপবিত্র হয়ে গেছে, তাকে আমরা পবিত্রতম অপেক্ষা পবিত্র করে দিই,
তাহলে নিজেদের কতখানি সতর্ক থাকা উচিত। আমাদের দৃষ্টি যেন এরকম না হয় যাতে আমাদের
পদই ভ্রষ্ট হয়ে যায়। এমন নয় যে, বাবাকে লিখলে বাবা কি বলবে! না, এখন তো সকলেই
পুরুষার্থ করছে। ওঁনাকেও এখন হোলীয়েস্ট অফ হোলী বলবে কি, না তা বলবে না। যখন হয়ে
যাবে তখন এই শরীরও থাকবে না। তোমরাও হোলীয়েস্ট অফ হোলী হয়ে যাও। বাকি এতে রয়েছে
পদমর্যাদা। তারজন্য পুরুষার্থ করতে হবে আর করাতে হবে। বাবা অনেক পয়েন্টস্ দিতে
থাকেন। কেউ এলে তুলনা করে দেখাও। কোথায় এরা পবিত্রতম অপেক্ষা পবিত্র, আর কোথায় ওরা
পবিত্র। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের জন্মই তো সত্যযুগে হয়। তারা আসেই পরে, কত পার্থক্য।
বাচ্চারা বোঝে -- শিববাবা আমাদের এমনভাবে তৈরী করছেন। তিনি বলেন -- মামেকম্ স্মরণ
করো। নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে করো। সর্বোচ্চ শিববাবা পড়িয়ে সর্বোচ্চ বানিয়ে দেন,
ব্রহ্মার দ্বারা আমরা এই (জ্ঞান) পাঠ পড়ি। ব্রহ্মা তথা বিষ্ণু হয়। এও তোমরা জানো।
মানুষ তো কিছুই বোঝে না। এখন সমগ্র সৃষ্টিতে রাবণের রাজ্য। তোমরা রাম-রাজ্য স্থাপন
করছো, যাকে তোমরা জানো। ড্রামানুসারে আমরা স্বর্গ স্থাপনের যোগ্য হতে চলেছি। এখন
বাবা যোগ্যতা-সম্পন্ন করে তুলছেন। বাবা ছাড়া কেউই শান্তিধাম, সুখধামে নিয়ে যেতে
পারে না। গল্প বলতে থাকে যে, অমুকে স্বর্গে গেছে, মুক্তিধামে গেছে। বাবা বলেন --
এমন বিকারী, পতিত আত্মা কিভাবে শান্তিধামে যাবে। তোমরা বলতে পারো তবেই বুঝবে যে,
এদের কত গর্ব। এভাবে বিচারসাগর মন্থন করো যে কিভাবে বোঝাবে। চলতে-ফিরতে অন্তরে আসা
উচিত। ধৈর্যও ধরতে হবে, আমরাও সুযোগ্য হয়ে যাব। ভারতবাসীরাই সম্পূর্ণ সুযোগ্য এবং
সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে যায়। আর কেউ নয়। এখন বাবা তোমাদের যোগ্যতাসম্পন্ন বানাচ্ছেন।
এই জ্ঞান বড়ই মজার। অন্তরে অত্যন্ত খুশী বিরাজ করে -- আমরা এই ভারতকে হোলীয়েস্ট অফ
হোলী বানাবো। চাল-চলন অতি রয়্যাল হওয়া উচিত। ভোজনাদি, চাল-চলন থেকে বোঝা যায়।
শিববাবা তোমাদের এত উচ্চ করে দেন। ওঁনার সন্তান হয়েছো তাহলে সুনাম অর্জন করতে হবে।
চাল-চলন যেন এমন হয় যাতে সকলে বোঝে যে এরা তো হোলীয়েস্ট অফ হোলীর সন্তান। ধীরে-ধীরে
তোমরা হতে থাকবে। খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে। পরে নিয়ম-কানুন সব বেরোবে যে, কোনো অপবিত্র
ভিতরে যেতে পারবে না। বাবা বুঝতে পারেন যে, এখনও সময় চাই। বাচ্চাদের অনেক পুরুষার্থ
করতে হবে। নিজেদের রাজধানীও স্থাপন হয়ে যাবে। তখন করতে কোনো ক্ষতি নেই। তখন তো এখান
থেকে নীচে আব-ুরোড পর্যন্ত লাইন লেগে যাবে। এখন তোমরা এগিয়ে চলো। বাবা তোমাদের
ভাগ্য বৃদ্ধি করতে থাকেন। পদম ভাগ্যশালীও নিয়ম-মাফিকই বলা হয়, তাই না! পায়ে পদ্ম
দেখানো হয়, তাই না! বাচ্চারা, এ'সমস্তই হলো তোমাদের মহিমা। তারপরও বাবা বলেন -- 'মন্মনাভব',
বাবাকে স্মরণ করো। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) এমন
কাজ করা উচিত নয় যা হৃদয়কে দংশন করে। সম্পূর্ণরূপে সুগন্ধিত ফুলে পরিণত হতে হবে।
দেহ-অভিমানের দুর্গন্ধ নিষ্কাশিত করতে হবে।
২) চাল-চলন অত্যন্ত
রয়্যাল রাখতে হবে। পবিত্র হতে পবিত্রতম হওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে পুরুষার্থ করতে হবে।
দৃষ্টি যেন এমন না হয় যাতে পদ ভ্রষ্ট হয়ে যায়।
বরদান:-
প্রতিটি
খাজানাকে কার্যে ব্যবহার করে পদ্মগুণ উপার্জন সঞ্চয়কারী পদ্মাপদম ভাগ্যশালী ভব
ড্রামানুসারে প্রতি
সেকেন্ডে পদমগুণ উপার্জন(কামাই) সঞ্চয় করার বরদান সঙ্গমযুগের সময়তেই পাওয়া গেছে।
এমন বরদানকে নিজের জন্য সঞ্চয় করো আর অন্যদের উদ্দেশ্যে দান করো, এরকম করেই
সঙ্কল্পের খাজানাকে, জ্ঞানের খাজানাকে, স্থূল ধন-রূপী খাজানাকে কার্যে ব্যবহার করে
পদমগুণ উপার্জন করো কারণ এইসময় স্থূলধনও ঈশ্বর-প্রতি সমর্পণ করলে একনয়া পয়সা একটি
রত্নের সমতুল মূল্যের হয়ে যায় -- তাই এই সমস্ত খাজানাকে নিজের জন্য বা সেবার
উদ্দেশ্যে কার্যে ব্যবহার করো তবেই পদমগুণ ভাগ্যশালী হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
যেখানে
হৃদয়ে স্নেহ থাকে সেখানে সকলের সহযোগ প্রাপ্ত হয়।