25.12.2020 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


“মিষ্টি বাচ্চারা - যতদিন জীবিত থাকবে বাবাকেই স্মরণ করবে, স্মরণের দ্বারাই আয়ু বৃদ্ধি পাবে, পড়ার সার-ই হলো স্মরণ”

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা তোমাদের অতীন্দ্রিয় সুখ গাওয়া হয় কেন ?

উত্তরঃ -
কেননা তোমরা সর্বদাই বাবার স্মরণে থেকে খুশিতে থাকো, এখন তোমাদের সর্বদাই হল ক্রিসমাস। ভগবান তোমাদেরকে পড়াচ্ছেন, এর থেকে বড় খুশি আর কিইবা হতে পারে। এ হলো প্রতিদিনের খুশি, এইজন্য তোমাদেরই অতীন্দ্রিয় সুখ গাওয়া হয়ে থাকে।

গীতঃ-
নয়ন হীনকে রাস্তা দেখাও প্রভু...

ওম্ শান্তি ।
জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দাতা আধ্যাত্মিক বাবা তাঁর আধ্যাত্মিক বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র এক বাবা ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না। তো এখন বাচ্চাদের জ্ঞানের নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে। এখন বাবা বুঝিয়েছেন যে, ভক্তিমার্গ হল অন্ধকার মার্গ। যেইরকম রাতের বেলায় আলোর প্রকাশ না থাকায় মানুষ ধাক্কা খায়। গাওয়াও হয়ে থাকে যে ব্রহ্মার রাত, ব্রহ্মার দিন। সত্যযুগে এটা বলবে না যে আমাকে রাস্তা বলে দাও, কেননা এখন তোমাদের রাস্তা প্রাপ্ত হচ্ছে। বাবা এসে মুক্তিধাম আর জীবন মুক্তিধামের রাস্তা বলে দিচ্ছেন। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো। এখন জানো যে আর অল্প সময় অবশিষ্ট আছে। এই দুনিয়া তো পরিবর্তন হয়েই যাবে। এই গানও তো তৈরি হয়ে আছে যে দুনিয়া পরিবর্তন হয়ে যাবে...কিন্তু মানুষ বেচারা জানেনা যে দুনিয়া কবে পরিবর্তন হবে, কীভাবে পরিবর্তন হবে, কে পরিবর্তন করেন ! কেননা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র তো নেই। বাচ্চারা, এখন তোমাদের এই তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে যার দ্বারা তোমরা এই সৃষ্টির চক্রের আদি মধ্য অন্তকে জেনে গেছ। আর এটাই হল তোমাদের বুদ্ধিতে জ্ঞানের স্যাকারিন। যেইরকম অল্প একটু স্যাকারিন অনেক মিষ্টি হয়, সেই রকম জ্ঞানের এই দুটি অক্ষর ‘মন্মনা ভব...’এটাই হল সব থেকে মিষ্টি জিনিস, ব্যস্ বাবাকে স্মরণ করো।

বাবা আসেন আর এসে রাস্তা বলে দেন। কোথাকার রাস্তা বলে দেন ? শান্তিধাম আর সুখধামের। তাই বাচ্চাদের খুশি হয়। দুনিয়া এটা জানে না যে খুশি কবে পালন করা হয় ? খুশি তো নতুন দুনিয়াতেই পালন করা হবে, তাইনা। এটা তো একদমই সাধারণ কথা যে পুরানো দুনিয়াতে খুশি কোথা থেকে আসবে ? পুরনো দুনিয়াতে মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করছে, কেননা সবাই হলো তমোপ্রধান। তমোপ্রধান দুনিয়াতে খুশি কোথা থেকে আসবে ? সত্যযুগের জ্ঞান তো কারো কাছে নেই, এইজন্য বেচারারা এখানে খুশি পালন করতে থাকে। দেখো, ক্রিসমাসের খুশিও কত সুন্দরভাবে পালন করে। বাবা তো বলেন, যদি খুশির কথা জিজ্ঞাসা করতে হয় তবে গোপ-গোপীদেরকে অর্থাৎ আমার বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করো। কেননা বাবা খুব সহজ রাস্তা বলে দিচ্ছেন। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে, নিজের ব্যবসাপত্রের কর্তব্য করে কমলপুষ্পের সমান থাকো আর আমাকে স্মরণ করো। যেইরকম প্রেমিক-প্রেমিকা হয়, তারাও চাকরি বা ব্যবসায় ইত্যাদি করেও পরস্পরকে স্মরণ করতে থাকে। তাদের সাক্ষাৎকারও হয়, যেমন লায়লা-মজনু, হির রাঞ্ঝা, তারা বিকারের জন্য পরস্পরের প্রেমী হয়না। তাদের প্রেম গাথা হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে এক পরস্পরের প্রতি প্রেম হয়ে থাকে। কিন্তু এখানে এসব কথা নেই। এখানে তো তোমরা জন্ম-জন্মান্তর সেই প্রেমিকেরই প্রেমিকা হয়ে আছো। তিনি হলেন প্রেমিক, তোমাদের প্রেমিকা নয়। তোমরা তাঁকে আহ্বান জানাও এখানে আসার জন্য, হে ভগবান নয়নহীনকে এসে রাস্তা বলে দাও। তোমরা অর্ধেক কল্প ধরে আমাকে আহ্বান করেছ। যখন দুঃখ বেশি হয় তখনই বেশি করে আহ্বান করতে। এমনও অনেকে আছে, যারা বেশি দুঃখে বেশি স্মরণ করে। দেখো, এখন স্মরণ করার জন্য আত্মার সংখ্যা অনেক অনেক হয়ে গেছে। গাওয়া হয় যে - দুঃখের সময় স্মরণ করে সবাই, সুখের সময় করে না কেউ.... যত দিন যাচ্ছে, ততই তমোপ্রধানতা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তোমরা উত্তরণ করছো আর তারা আরোই অবতরণ করছে কেননা যতক্ষণ বিনাশ না হয় ততক্ষণ তমোপ্রধানতা বৃদ্ধি হতে থাকবে। দিন-প্রতিদিন মায়াও তমোপ্রধান হয়ে চলেছে। এই সময় বাবাও যেমব সর্বশক্তিমান, তেমনই এই সময় মায়াও হল সর্বশক্তিমান। সেও মহাশক্তিশালী।

বাচ্চারা তোমরা হলে এই সময় ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ কুলভুষণ। এটা হলো তোমাদের সর্বোত্তম কুল, একে বলা যায় উঁচুর থেকেও উঁচু কুল। এই সময় তোমাদের এই জীবন হল অমূল্য, এই জন্য এই জীবনের (শরীরের) দেখাশোনাও করতে হবে কেননা পাঁচ বিকারের কারণে শরীরের আয়ু তো কম হয়ে যাচ্ছে, তাই না। তাই বাবা বলছেন যে - এই সময় পাঁচ বিকারকে ছেড়ে যোগ যুক্ত হয়ে থাকো তো আয়ু বৃদ্ধি হতে থাকবে। আয়ু বৃদ্ধি হতে হতে ভবিষ্যতে তোমাদের আয়ু দেড়শ বছর হয়ে যাবে। এখন নয় এই জন্য বাবা বলছেন যে এই শরীরেরও অনেক দেখাশোনা করতে হবে। না হলে তো বলা যায় যে এই শরীর কোনও কাজের থাকবে না, মাটির পুতুল হয়ে যাবে। বাচ্চারা এখন তোমাদের এই জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়েছে যে যতদিন বাঁচতে হবে, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। আত্মা বাবাকে স্মরণ করে - কেন? অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য। বাবা বলছেন যে তোমরা নিজেদেরকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো আর দিব্যগুণ ধারণ করো তাহলে তোমরা পুনরায় এইরকম হয়ে যাবে। তাই বাচ্চাদেরকে এই পড়া খুব ভালোভাবে পড়তে হবে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে অলস হয়ে যেয়োনা, না হলে তো ফেল হয়ে যাবে। অনেক কম পদ প্রাপ্ত হবে। পড়াশোনাতেও মুখ্য কথা এটাই হল, যাকে সার-সংক্ষেপ বলা যায়, যে - বাবাকে স্মরণ করো। যখন প্রদর্শনীতে বা সেন্টারে কেউ আসেন তখন তাকে প্রথমে প্রথমে এটাই বোঝাও যে বাবাকে স্মরণ করো কেননা তিনি হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু। তাই উঁচুর থেকেও উঁচুকেই স্মরণ করতে হবে, তার থেকে যিনি কম তাকে স্মরণ করার দরকার নেই। বলা হয় যে উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন ভগবান। ভগবানই তো নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন। দেখো, বাবাও বলছেন যে নতুন দুনিয়ার স্থাপনা আমিই করি, এইজন্য তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ বিনাশ হয়ে যাবে। তাই এটা পাকাপাকিভাবে স্মরণ করো কেননা বাবা হলেন পতিতপাবন তাই না। তিনি এটাই বলছেন যে, যখন তুমি আমাকে পতিতপাবন বলেছ তখন তোমরা হলে তমোপ্রধান, তোমরা অনেক পতিত হয়ে গেছ, এখন তোমরা পবিত্র হও।

বাবা এসে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন যে তোমাদের এখন সুখের দিন আসছে। দুঃখের দিন সম্পূর্ণ হয়েছে। তোমরা আহ্বানও করেছিলে যে - হে দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী। তো নিশ্চয়ই জানো যে বরাবর সত্যযুগে সবাই সুখীই সুখী হবে। তাই বাবা বাচ্চাদেরকে বলছেন যে সবাই শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করতে থাকো। এটা হল সঙ্গম যুগ, নৌকার মাঝি তোমাদেরকে ঐ পাড়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাকি এতে কোনো লৌকিক মাঝি বা নৌকার কথা নেই। এটা তো হলো এই মহিমা করে বলা হয় যে নৌকাকে পারে লাগাও। এখন একজনের নৌকা তো ওই পাড়ে নিয়ে যাবেন না, তাইনা। সমগ্র দুনিয়ার নৌকাকে ঐ পাড়ে নিয়ে যাবেন। এই সমগ্র দুনিয়া যেন এক অনেক বড় জাহাজ। একেই ওই পাড়ে নিয়ে যাবেন। তাই বাচ্চারা তোমাদেরকে অনেক খুশিতে থাকতে হবে, কেননা তোমাদের জন্য সর্বদাই হল খুশি, সর্বদাই হল ক্রিসমাস। যখন থেকে তোমরা বাচ্চারা বাবাকে পেয়েছো তখন থেকেই তোমাদের ক্রিসমাস সর্বদাই পালিত হচ্ছে, এই জন্য অতীন্দ্রিয় সুখ গাওয়া হয়ে থাকে। দেখো ইনি সর্বদাই খুশিতে থাকেন, কেন? আরে অসীম জগতের বাবা প্রাপ্ত হয়েছে! তিনি আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। তো এই খুশি প্রতিদিনের জন্য চাই, তাই না! অসীম জগতের বাবা পড়াচ্ছেন বাহ্! কেউ কখনও এ কথা শুনেছে? গীতাতে ভগবানুবাচ আছে যে আমি তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাই, যেরকম তারা ব্যারিস্টারি যোগ, সার্জারির যোগ শেখায়, সেরকম আমি তোমাদের আধ্যাত্মিক বাচ্চাদেরকে রাজযোগ শেখাই। তোমরা এখানে আসো তো বরাবর রাজযোগ শিখতে আসো তাই না ! ভেঙে পড়ার তো দরকার নেই। তাই রাজযোগ শিখে সম্পূর্ণ করতে হবে, তাই না! ভাগন্তি হয়ে যাওয়া তো ঠিক নয়। পড়তেও হবে তো ধারণাও খুব ভালো করতে হবে। টিচার পড়াচ্ছেন ধারণা করার জন্য।

প্রত্যেকের নিজ নিজ বুদ্ধি হয়ে থাকে - কারো উত্তম, কারো মধ্যম, কারো কনিষ্ঠ। তো নিজেকে জিজ্ঞাসা করো যে আমি উত্তম, নাকি মধ্যম, নাকি কনিষ্ঠ ? নিজেকে নিজেই যাচাই করতে হবে যে, আমি এইরকম উঁচুর থেকেও উঁচু পরীক্ষায় পাশ করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করার যোগ্য হয়েছি? আমি সেবা করছি ? বাবা বলছেন যে - বাচ্চারা, সেবাধারী হও, বাবাকে ফলো করো কেননা আমিও তো সেবা করছি তাই না। এসেইছি সেবা করার জন্য আর প্রতিদিন সেবা করি কেননা রথও তো নিয়েছি, তাই না। রথও মজবুত, খুবই ভালো আর সেবাও তো এনার সর্বদাই হচ্ছে। বাপদাদা তো এঁনার এই রথে সর্বদাই বিরাজমান। যদি এঁনার শরীর অসুস্থ হয়ে যায়, আমি তো বসেই আছি, তাই না। তো আমি এঁনার মধ্যে বসে লিখছিও, যদি ইনি মুখ থেকে কিছু না বলতে পারেন তখন আমি লিখি। মুরলী কখনো মিস হয় না। যতক্ষণ বসতে পারে, লিখতে পারে ততক্ষণ আমিও মুরলী বাজাতে থাকি, বাচ্চাদেরকে লিখে পাঠিয়ে দিই, কেননা সেবাধারী হয়েছি তাই না। তো বাবা এসে বোঝাচ্ছেন, তোমরা নিজেদেরকে আত্মা মনে করে নিশ্চয় বুদ্ধি হয়ে সার্ভিসে লেগে যাও। বাবার সার্ভিস, অন গডফাদারলী সার্ভিস। যেরকম তারা লেখে - অন হিজ্ ম্যাজিস্টী সার্ভিস। তো তোমরা কি বলবে ? এই ম্যাজিস্টীর দ্বারাই উঁচু সেবা হয়, কেননা তিনি ম্যাজিস্টী (মহারাজা) বানাচ্ছেন। এটাও তোমরা বুঝতে পারো যে বরাবর আমরা সমগ্র বিশ্বের মালিক হয়ে থাকি ।

বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে যে ভালো ভাবে পুরুষার্থ করে তাকেই মহাবীর বলা হয়ে থাকে । তাই এটা চেক করতে হবে, কে মহাবীর ? যে বাবার নির্দেশ অনুসারে চলতে থাকে। বাবা বোঝাচ্ছেন, বাচ্চারা নিজেদেরকে আত্মা মনে করো, ভাই-ভাইকে দেখো। বাবা নিজেকে ভাইদের বাবা মনে করেন আর ভাইদেরকেই দেখতে থাকেন। সবাইকে তো দেখেন না। এটাই তো হলো জ্ঞান যে, শরীর ছাড়া তো কেউ শুনতে পারে না, বলতে পারে না। তোমরা তো জানো যে আমিও এই শরীরে আসি। আমি এই শরীরের লোন নিয়েছি। শরীর তো সকলেরই আছে, শরীরের সাথেই আত্মা এখানে পড়াশোনা করছে। তাই এখন আত্মাদেরকে বুঝতে হবে যে বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন। বাবার বৈঠক (সিংহাসন) কোথায় ? অকাল তক্তের উপর। বাবা বুঝিয়েছেন যে প্রত্যেক আত্মাই হলো অকাল মূর্তি, তাদের কখনোই বিনাশ হয় না, কখনো জ্বলে যায় না, কেটে যায়না, বা ডুবে যায় না। ছোট-বড় হয়না। শরীর ছোট বড় হতে পারে। তাই দুনিয়াতে যে সকল মানুষ মাত্র আছে, তাদের মধ্যে যে আত্মা আছে, তার তক্ত হলো এই ভ্রুকুটি। শরীর ভিন্ন ভিন্ন হয়। কারো অকাল তক্ত হলো পুরুষের, কারো স্ত্রীর, কারো বাচ্চার। তাই যখনই কারো সাথে কথা বলবে তো এটাই মনে করো যে আমি হলাম আত্মা, নিজের ভাইয়ের সাথে কথা বলছি। বাবার পরিচয় প্রদান করছি যে শিববাবাকে স্মরণ করো তো এই যে জং লেগে আছে সেটা ছেড়ে যাবে। যেরকম সোনাতে খাত লেগে যায় তখন তার মূল্য কম হয়ে যায়, সেরকমই তোমাদেরও মূল্য কম হয়ে গেছে। এখন একদমই মূল্যহীন হয়ে গেছো। একেই দেওয়ালা বলা যায়। ভারত কত ধনবান ছিল, এখন বোঝা ওঠাচ্ছো। বিনাশের সময় তো সকলেরই টাকা পয়সা শেষ হয়ে যাবে। দাতা, গ্রহীতা সবাই সমাপ্ত হয়ে যাবে, বাকি যারা অবিনাশী জ্ঞান রত্ন গ্রহণ করেছে তারাই পুনরায় এসে নিজের ভাগ্য গ্রহণ করবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবাকে ফলো করে বাবার সমান সেবাধারী হতে হবে। নিজেকে নিজেই যাচাই করতে হবে যে, উঁচুর থেকে উঁচু পরীক্ষায় পাস করার করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করার যোগ্য হয়েছি ?

২ ) বাবার নির্দেশে চলে মহাবীর হতে হবে, যেরকম বাবা আত্মাদেরকে দেখেন, আত্মাদেরকে পড়াচ্ছেন এইরকম আত্মা ভাই-ভাইকে দেখে কথা বলতে হবে।

বরদান:-
শরীরের সুস্থতা, মনের খুশি আর ধনের সমৃদ্ধি দ্বারা শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান ভব

সঙ্গম যুগে সর্বদা স্বস্থিতিতে স্থিত থাকার কারণে শরীরের কর্মভোগ শূল থেকে কাঁটা হয়ে যায়, শরীরের রোগ যোগে পরিবর্তন করে দাও, এইজন্য সদা সুস্থ থাকো। 'মন্মনা ভব' হওয়ার কারণে খুশির খনির দ্বারা সর্বদা সম্পন্ন আছো, এইজন্য মনের খুশিও প্রাপ্ত হয়। আর জ্ঞান ধন হল সকল ধনের থেকে শ্রেষ্ঠ। জ্ঞান ধনযুক্ত আত্মাদের প্রকৃতি সততঃই দাসী হয়ে যায় আর সর্ব সম্বন্ধও এক'এর সাথে, সম্পর্কও হোলি হংসদের সাথেই থাকে...এই জন্য শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবানের বরদান স্বতঃতই প্রাপ্ত হয়।

স্লোগান:-
স্মরণ আর সেবা, এই দু'য়ের ব্যালেন্স-ই হল ডবল লক।