12.12.2020
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
প্রশ্নঃ -
নূতন দুনিয়া
স্থাপনার নিমিত্ত হবে যে বাচ্চারা, বাবার থেকে তাদের কোন্ ডায়রেক্শন প্রাপ্ত হয়েছে
?
উত্তরঃ -
বাচ্চারা, এই পুরানো দুনিয়ার সাথে তোমাদের কোনো কানেকশন্ নেই। নিজেদের হৃদয় এই
পুরানো দুনিয়ার প্রতি রেখো না। বিচার বিবেচনা করে দেখো যে আমি শ্রীমত উলঙ্ঘন করে
কর্ম করছি না তো ?
গীতঃ-
ভোলানাথের থেকে
অনুপম আর কেউ নেই....
(ভোলানাথ সে নিরালা)
ওম্ শান্তি ।
এখন গান শোনার
আর কোনো দরকার হয় না। গান বিশেষ করে ভক্তরাই গায় আর শোনে। তোমরা তো অধ্যয়ণ করো।
এই গানও বাচ্চাদের জন্যই বিশেষ করে বের হয়েছে। বাচ্চারা জানে, বাবা আমাদের ভাগ্য
উচ্চ করে তুলছেন। এখন আমাদের বাবাকেই স্মরণ করতে হবে আর দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে।
নিজের পোতামেল (আমি আত্মা রোজা যে কাজ করছি তার হিসাব-পত্র) দেখতে হবে। জমা হচ্ছে
না কি, না ঘাটতি হতেই থাকছে ! আমাদের মধ্যে কোনো কমতি নেই তো ? যদি কমতি থাকে, তার
জন্য আমাদের ভাগ্যে ঘাটতি পড়ে যাবে, তাই সেটাকে বের করে দেওয়া উচিত। এই সময়
প্রত্যেকের নিজেদের ভাগ্য উচ্চ মানের গড়ে তুলতে হবে। তোমরা মনে করো যে আমরা এইরকম
লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে পারি। যদি একমাত্র বাবা ব্যতীত আর কাউকে স্মরণ না করো তবে।
কারোর সাথে কথা বলার সময়, দেখার সময় বুদ্ধি একের সাথে যুক্ত থাকবে। আমাদের অর্থাৎ
আত্মাদের এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবার আদেশ প্রাপ্ত হয়েছে। আমি ব্যাতীত আর
কারোর প্রতি হৃদয় দিও না আর দৈবী গুণ ধারণ করো। বাবা বোঝান, তোমাদের এখন ৮৪ জন্ম
সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন আবার তোমরা গিয়ে এক নম্বর নাও রাজ্য-পদে। এমন না হোক রাজ-পদ
থেকে প্রজাতে নেমে গেলে, প্রজার থেকেও নীচে চলে যাও। না, নিজেকে নিরীক্ষণ করো। এই
বোধটা তো বাবা ব্যতীত আর কেউ দিতে পারে না। বাবাকে, টিচারকে স্মরণ করলে ভয় থাকবে,
আমাকে শাস্তি না পেতে হয় । ভক্তিতেও বোঝানো হয় পাপ কর্ম করলে আমরা শাস্তির ভাগীদার
হয়ে যাবো। বড় বাবার ডায়রেক্শন তো এখনই প্রাপ্ত হয়, যাকে শ্রীমত বলে। বাচ্চারা জানে
যে শ্রীমতের দ্বারা আমরা শ্রেষ্ঠ হই। নিজেকে নিরীক্ষণ করতে হবে। কোথাও-কোথাও আমরা
শ্রীমত উলঙ্ঘন করে কিছু করছি না তো ? যে ব্যাপারটা ভালো না লাগবে সেটা করা উচিত নয়।
ভালো-খারাপ তো এখন বুঝতে পারো, আগে বুঝতে না। এখন তোমরা এমন কর্ম শিখছো যাতে আবার
জন্ম-জন্মান্তর কর্ম-অকর্ম হয়ে যায়। এই সময় তো সকলের মধ্যে ৫ ভূত প্রবেশ করে আছে।
এখন ভালো করে পুরুষার্থ করে কর্মাতীত হতে হবে। দৈবীগুণও ধারণ করতে হবে। সময়
সংকটপূর্ণ হতে থাকছে, দুনিয়া খারাপ হতে থাকছে। প্রত্যেক দিন খারাপ হতে থাকবে। এই
দুনিয়ার সাথে তোমাদের যেন কোনো কানেকশনই নেই। তোমাদের কানেকশন হলো নূতন দুনিয়ার সাথে,
যা স্থাপন হচ্ছে। তোমরা জানো যে নূতন দুনিয়া স্থাপন করতে আমরা নিমিত্ত হয়েছি। তাই
যে এইম্ অবজেক্ট সামনে আছে, তাদের মতো হতে হবে। কোনো আসুরিক গুণ যেন ভিতরে না থাকে।
নিরন্তর আত্মিক সার্ভিসে থাকার ফলে অনেক উন্নতি হয়ে থাকে। প্রদর্শনী, মিউজিয়াম
ইত্যাদি তৈরী করে। মনে করে অনেক লোক আসবে, বাবার পরিচয় দেবে, আবার সেও বাবাকে স্মরণ
করতে লেগে যাবে। সারাদিন এই ভাবনাই চলতে থাকে। সেন্টার খুলে সার্ভিস বাড়ানো, এই সব
রত্ন তোমাদের কাছে আছে। বাবা দৈবীগুণও ধারণ করান আর আর ধনভান্ডার প্রদান করেন।তোমরা
এখানে বসে বুদ্ধিতে রাখো সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে। পবিত্রও থাকো। মনসা-বাচা-কর্মে
কোনো খারাপ কাজ যেন না হয়, তার সম্পূর্ণ বিচার বিশ্লেষণ করতে হয়। বাবা এসেই থাকেন
পতিতকে পবিত্র করতে। তার জন্য যুক্তি সমূহও বলতে থাকেন। ওই গুলিই রমণ করতে থাকতে হবে।
সেন্টার খুলে অনেককে নিমন্ত্রণ দিতে হবে। প্রেম-পূর্বক বসে বোঝাতে হবে। এই পুরানো
দুনিয়া শেষ হতে চলেছে। প্রথমে তো নূতন দুনিয়ার স্থাপনা অত্যাবশ্যক। স্থাপনা হয়
সঙ্গমযুগে। এটাও মানুষের জানা নেই যে এখন হলো সঙ্গমযুগ। এটাও বোঝাতে হবে নূতন
দুনিয়ার স্থাপনা, পুরানো দুনিয়ার বিনাশ - এখন হলো তার সঙ্গম। নূতন দুনিয়ার স্থাপনা
শ্রীমত অনুযায়ী হচ্ছে। বাবা ব্যতীত আর কেউই নূতন দুনিয়া স্থাপনার মত দেবে না।
বাচ্চারা, বাবা এসেই তোমাদের দ্বারা নূতন দুনিয়ার উদ্ঘাটন করান। একা তো করবেন না।
সব বাচ্চাদের সাহায্যে করেন। তারা উদ্ঘাটন করার জন্য সাহায্য নেয় না। এসে কাঁচি
দিয়ে রিবন (ফিতে) কাটে। এখানে তো সেই ব্যাপার নেই। এক্ষেত্রে তোমরা এই ব্রাহ্মণ
কুলভূষণ সাহায্যকারী হও। সব মানুষেরই রাস্তা একদম বিভ্রান্তিকর। পতিত দুনিয়াকে
পবিত্র করা এটা বাবারই কাজ। একমাত্র বাবা নূতন দুনিয়ার স্থাপনা করেন, যার জন্য
আত্মিক নলেজ প্রদান করেন। তোমরা জানো যে বাবার কাছে নূতন দুনিয়া স্থাপনা করার যুক্তি
আছে। ভক্তি মার্গে তাঁকে ডাকে - হে পতিত-পাবন এসো। যদিও শিবের পূজা করতে থাকে।
কিন্তু এটা জানে না যে পতিত-পাবন কে । দুঃখে স্মরণ তো করে - হে ভগবান, হে রাম। রামও
নিরাকারকেই বলে। নিরাকারকেই উচ্চ ভগবান বলে। কিন্তু মানুষ খুবই বিভ্রান্ত। বাবা এসে
তার থেকে বের করেছেন। যেমন কুয়াশাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে না! এটা তো হলো অসীম
জগতের ব্যাপার। অনেক বড় জঙ্গলে এসে পড়া গেছে। বাবা তোমাদেরও ফিল(অনুভব) করিয়েছেন
আমরা কোন্ জঙ্গলে পড়ে ছিলাম। এটাও এখন জানতে পারা গেছে- এটা হলো পুরানো দুনিয়া।
এরও অন্ত আছে। মানুষ তো রাস্তা একদমই জানে না। বাবাকে ডাকতে থাকে। তোমরা এখন ডাকো
না। বাচ্চারা, তোমরা এখন ড্রামার আদি-মধ্য -অন্তকে জানো, তাও নম্বর অনুযায়ী। যারা
জানতে পারে তারা অনেক খুশিতে থাকে। আরো সকলকে রাস্তা বলে দেওয়ার জন্য তৎপর থাকে।
বাবা তো বলতে থাকেন বড়ো-বড়ো সেন্টার খোলো। চিত্র বড়-বড় হলে তো মানুষ সহজে বুঝতে
পারবে। বাচ্চাদের জন্য ম্যাপস্ (চিত্র) অবশ্যই চাই। বলা উচিত- এটাও হলো স্কুল।
এখানকার হলো এই ওয়ান্ডারফুল ম্যাপস্ , ওই স্কুলের নক্সাতে তো থাকে পার্থিব ব্যাপার।
এটা হলো অসীম জগতের ব্যাপার। এটাও হলো পাঠশালা, যেখানে বাবা আমাদের সৃষ্টির
আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বলে দেন আর যোগ্য করে তোলেন। এটা হলো মানুষ থেকে দেবতা হয়ে
ওঠার ঈশ্বরীয় পাঠশালা। লেখাই আছে ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয়। এটা হলো আত্মাদের
পাঠশালা। শুধু ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয় থেকেও মানুষ বুঝতে পারে না। ইউনিভার্সিটিও
লিখতে হবে। এইরকম ঈশ্বরীয় বিশ্ব বিদ্যালয় কোথাওই নেই। বাবা কার্ডস্ দেখেছিলেন। কিছু
শব্দ ভুল হয়েছিলো। বাবা কতবার বলেছিলেন প্রজাপিতা শব্দটি অবশ্যই রাখো, তবুও বাচ্চারা
ভুলে যায়। লেখা সম্পূর্ণ হওয়া উচিত। যাতে মানুষ জানতে পারে যে এটা হলো ঈশ্বরীয় বড়
কলেজ। যে বাচ্চারা সার্ভিসে উপস্থিত হয়, ভালো সার্ভিসেবেল, তাদেরও মনের মধ্যে থাকে
আমি অমুক সেন্টারের আরও শ্রীবৃদ্ধি করবো, ঠান্ডা হয়ে গেছে, ওদের জাগাবো, কারণ মায়া
এমনই যা বারংবার ভুলিয়ে দেয়। আমি হলাম স্বদর্শন চক্রধারী, এটাও ভুলে যায়। মায়া
খুবই অপজিশন (বিরোধ) করে। তোমরা আছো যুদ্ধের ময়দানে। মায়া না মাথা মুড়িয়ে উল্টো
দিকে নিয়ে যায়, সেটা খুবই সামলে রাখতে হয়। মায়ার ঝড়ের সব দাপট তো অনেকেরই লাগে।
ছোটো অথবা বড়ো তোমরা সব আছো যুদ্ধের ময়দানে। পালোয়ানকে মায়ার তুফান নড়াতে পারে
না। এই অবস্থাও আসতে চলেছে।
বাবা বোঝান- সময় খুবই খারাপ, অবস্থার অবনতি হয়েছে। রাজত্ব তো সব শেষ হয়ে যাবে।
সবাইকে গদি থেকে নামিয়ে দেবে। তখন প্রজারও প্রজার উপর রাজ্য সমগ্র দুনিয়াতে হয়ে
যাবে। তোমরা নিজেদের নূতন রাজত্ব স্থাপন করছো যখন তখন এখানে রাজত্বের নামও শেষ হয়ে
যাবে। পঞ্চায়েতি রাজ্য হতে চলেছে। যখন প্রজার রাজ্য, তখন তো নিজেদের মধ্যে লড়বে
ঝগড়া করবে। স্বরাজ্য বা রামরাজ্য তো বাস্তবে এখানে নেই, সেইজন্য সমগ্র দুনিয়াতে
ঝগড়াই হতে থাকে। আজকাল তো হাঙ্গামা সর্বত্র। তোমরা জানো যে- আমরা নিজেদের রাজত্ব
স্থাপন করছি। তোমরা সকলকে রাস্তা বলে দাও। বাবা বলেন- মামেকম্ মানে শুধুই আমাকে
স্মরণ করো। বাবার স্মরণে থেকে আরো সকলকেও বোঝাতে হবে- দেহী-অভিমানী হয়ে ওঠো।
দেহ-অভিমান ত্যাগ করো। এইরকম না যে তোমাদের মধ্যে সবাই দেহী- অভিমানী হয়েছে। না, হয়ে
উঠবে। তোমরা পুরুষার্থ করো আর সকলকেও করাও। স্মরণ করার প্রচেষ্টা করে আবার ভুলে যায়।
এই পুরুষার্থ করতে হবে। মূল কথা হলো বাবাকে স্মরণ করা। বাচ্চাদের কতো বোঝান। নলেজ
খুবই ভালো প্রাপ্ত হয়। মূল কথা হলো পবিত্র থাকা। বাবা পবিত্র করে তুলতে এসেছেন, তাই
আবার পতিত হতে নেই, স্মরণের দ্বারাই তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। এটা ভুলে যেতে নেই।
মায়া এতেই বিঘ্ন ঘটিয়ে ভুলিয়ে দেয়। দিন-রাত এই রেশ থাকুক আমি বাবাকে স্মরণ করে
সতোপ্রধান হবো। স্মরণ এমন সুপরিপক্ক হওয়া উচিত যাতে অন্তিমে এক বাবা ব্যতীত আর কেউই
না স্মরণে আসে। প্রদর্শনীতেও সর্বপ্রথম এটা বোঝানো উচিত ইনিই হলেন সকলের পিতা-
উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবান। সকলের পিতা পতিত-পাবন সদ্গতি দাতা হলেন ইনি। ইনিই হলেন
স্বর্গের রচয়িতা।
বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে বাবা আসেনই সঙ্গমযুগে। বাবা-ই একমাত্র রাজযোগ শেখান।
পতিত-পাবন এক ব্যাতীত দ্বিতীয় কেউ হতে পারে না। সর্বপ্রথমে তো বাবার পরিচয় দিতে হয়।
এখন এক-এক জনকে বসে এইরকম একটা চিত্রের উপর বোঝালে তবে এতো ভীড়কে কীভাবে সামলাতে
পারবে! কিন্তু সর্বপ্রথম বাবার চিত্রের উপর বোঝানোটা হলো মুখ্য। বোঝাতে হয়- ভক্তি
হলো অপার, জ্ঞান তো হলো এক। বাবা কতো যুক্তি বাচ্চাদের বলতে থাকেন। পতিত-পাবন হলো
এক বাবা। রাস্তাও বলে দেন। গীতা কখন শুনিয়েছেন ? এটাও কারোর জানা নেই। দ্বাপর যুগকে
কেউ সঙ্গমযুগ বলবে না। বাবা তো যুগে-যুগে আসেন না। মানুষ তো একদমই বিভ্রান্ত।
সারাদিন এই চিন্তাই চলতে থাকে, কীভাবে-কীভাবে বোঝানো যায়। বাবাকে ডায়রেক্শন দিতে
হয়। টেপেও মুরলী সম্পূর্ণ শুনতে পারো। কেউ-কেউ বলে টেপের দ্বারা আমি শুনছি, কেননা
গিয়ে ডায়রেক্ট শুনি, সেইজন্য সামনে আসে। বাচ্চাদের অনেক সার্ভিস করা উচিত। রাস্তা
বলে দিতে হবে। প্রদর্শনীতে আসে। আচ্ছা-আচ্ছাও বলতে থাকে আবার বাইরে গেলে মায়ার
বায়ুমন্ডলে সব উড়ে যায়। জপ(যা শুনে এলো) আর করে না। ওটার আবার পুনরাবৃত্তি করা
উচিত। বাইরে গেলে মায়া টেনে নেয়। উত্যক্ত করতে লেগে যায়। সেইজন্য মধুবনের গায়ন আছে।
তোমাদের তো এখন বোধগম্য হয়েছে। তোমরা ওখানে গিয়েও বোঝাবে, গীতার ভগবান কে ? আগে তো
তোমরাও এরকমই গিয়ে মাথা ঝোঁকাতে। এখন তো তোমরা একদমই পরিবর্তিত হয়ে গেছো। ভক্তি ছেড়ে
দিয়েছো। তোমরা এখন মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছো। বুদ্ধিতে সমগ্র নলেজ আছে। কে আর জানে
ব্রহ্মাকুমার,কুমারীরা কে? তোমরা বুঝতে পারো, বাস্তবে তোমরাও প্রজাপিতা ব্রহ্মকুমার
কুমারী হও। এই সময়ই ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা হচ্ছে। ব্রাহ্মণ কুলও অবশ্যই চাই, তাই
না! সঙ্গমেই ব্রাহ্মণ কুল হয়। পূর্বে ব্রাহ্মণদের টিকি প্রসিদ্ধ ছিলো। টিকির দ্বারা
চিনতো অথবা উত্তরীয় দ্বারা চিনতো এই হলো হিন্দু। এখন তো এই চিহ্নও চলে গেছে। এখন
তোমরা জানো যে আমরা হলাম ব্রাহ্মণ। ব্রাহ্মণ হওয়ার পর আবার দেবতা হতে পারা যায়।
ব্রাহ্মণরাই নূতন দুনিয়া স্থাপন করছে। যোগবলের দ্বারা সতোপ্রধান হচ্ছে। নিজের
সমীক্ষা করতে হবে। কোনো আসুরিক গুণ যেন না হয়। নুনজল হতে নেই। এটা তো হলো যজ্ঞ, তাই
না! যজ্ঞ দ্বারা সকলের পালন-পোষণ হতে থাকে। যজ্ঞে যারা প্রতিপালিত হন তারা ট্রাস্টি
(তত্ত্বাবধায়ক) হয়ে থাকে। যজ্ঞের মালিক তো হলেন শিববাবা। এই ব্রহ্মাও হলেন ট্রাস্টি
বা অছি। যজ্ঞের পালন-পোষণ করতে হয়। বাচ্চারা, তোমাদের যা দরকার যজ্ঞ থেকে নিতে হবে।
আর কারোর থেকে নিয়ে পরিধান করো, তবে সে স্মরণে আসতে থাকবে। এতে বুদ্ধির লাইন খুবই
ক্লীয়ার দরকার। এখন তো ফিরে যেতে হবে। সময় খুবই কম, সেইজন্য স্মরণের যাত্রা সুদৃঢ়
হোক। এই পুরুষার্থ করতে হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের উন্নতির জন্য আত্মিক সার্ভিসে তৎপর থাকতে হবে। যা কিছু জ্ঞান রত্ন প্রাপ্ত হবে
সেই সমস্ত ধারণ করে অপরকেও করাতে হবে।
২ ) নিজেকে সমীক্ষা করতে হবে- আমার মধ্যে কোনো আসুরিক গুণ নেই তো ? আমি ট্রাস্টি হয়ে
থাকি ? কখনো নুনজল হই না তো ? বুদ্ধির লাইন ক্লীয়ার আছে ?
বরদান:-
বলা,
ভাবা আর করা - এই তিনটিকে সমান করতে সক্ষম জ্ঞানী তু আত্মা ভব
এখন বাণপ্রস্থ
অবস্থাতে যাওয়ার সময় নিকটবর্তী হচ্ছে। সেইজন্য দুর্বলতার আমিত্ব ভাবকে বা ব্যর্থতার
খেলাকে সমাপ্ত করে বলা, ভাবা আর করা সমান করো, তবে বলা হবে জ্ঞান স্বরূপ। যারা
এইরকম জ্ঞান স্বরূপ বাবার মতো জ্ঞানী আত্মা, তাদের প্রতিটি কর্ম, সংস্কার, গুণ আর
কর্তব্য সমর্থ (শক্তিশালী) বাবার সমান হবে। তারা কখনো ব্যর্থর বিচিত্র খেলা খেলতে
পারে না। সর্বদা পরমাত্ম মিলনের খেলাতে বিজি (ব্যস্ত) থাকবে। এক বাবার সাথে মিলন
উদযাপন করবে আর অন্যান্যদেরও বাবার সমান করে তুলবে।
স্লোগান:-
সেবার
উৎসাহ ছোটো-ছোটো অসুস্থতাকে বিলীন করে দেয়, সেইজন্য সেবাতে সদা বিজি(ব্যাস্ত) থাকো।